instruction
stringclasses 5
values | input
stringlengths 230
19.6k
| output
stringlengths 40
405
|
---|---|---|
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | বাবরি মসজিদের ছাদে গেরুয়া পতাকা উড়াচ্ছে একদল উগ্রপন্থী হিন্দু। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির সাবেক প্রধান লাল কৃষ্ণ আদভানি এবং অন্য দু'জন নেতা মুরলী মনোহর যোশি ও উমা ভারতী। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য এরা উগ্রপন্থী হিন্দুদের প্রতি উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন। এরা সবাই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঐ ঘটনার পর ভারত জুড়ে যে দাঙ্গা বাধে তাতে প্রায় ২০০০ মানুষ মারা যায়। হিন্দুরা দাবি করে বাবরি মসজিদ যে জায়গাটিতে অবস্থিত সেখানে হিন্দুদের অন্যতম দেবতা রামের জন্ম হয়েছিল। কিন্তু ১৬শ শতকে ঐ এলাকায় মুসলিম আগ্রাসনের পরে হিন্দু মন্দিরটি ভেঙ্গে সেই জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করা হয়। আরো দেখুন: ঘূর্ণিঝড় 'মোরা' সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে? বাবরি মসজিদ ধ্বংস: বিচার হবে বিজেপি নেতাদের বাবরি মসজিদ: হিন্দু-মুসলিম সমঝোতা চায় আদালত ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই বরাবরই বলে আসছে যে রীতিমত পরিকল্পনা করেই মসজিদটি ভাঙা হয়েছিল। গত এপ্রিল মাসে সুপ্রিম কোর্টের এক আদেশের পর এই বিশেষ আদালত গঠন করা হয়। আদালত তার রায়ে বলেছে, এই মসজিদটি ধ্বংসের দায়দায়িত্ব বিজেপির এই তিনজন শীর্ষ নেতাকে গ্রহণ করতেই হবে। লাল কৃষ্ণ আদভানি এবং উমা ভারতী। | A court in India has acquitted top leaders of the governing BJP of any wrongdoing in the destruction by Hindu mobs of a historic mosque in 1992. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | রিপাবলিকান দলের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবিসি নিউজের খবর বলা হয়েছে, ব্রুস আলেকজান্ডার নামে ঐ ব্যক্তি রোববার বিমানে চড়ে হিউস্টন থেকে আলবাকার্কি যাচ্ছিলেন। আদালতের নথি থেকে জানা যাচ্ছে, এ সময় তিনি দু'বার সামনের সিটে বসা এক মহিলার স্তন স্পর্শ করেন। ঐ নারী, যার পচিয় গোপন রাখা হয়েছে, তিনি কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, তিনি ভেবেছিলেন প্রথমবার হঠাৎ করেই স্পর্শ লেগে গেছে। কিন্তু দ্বিতীয়বার একই ঘটনা ঘটার সময় বিপত্তি বাধে। আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ফ্লাইট চলাকালীন সময় ঐ মহিলার ঝিমুনি এসে গিয়েছিল। তখন মি. আলেকজান্ডার আবার তার দেহ স্পর্শ করেন। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মার্কিন নারীদের বিক্ষোভ। আরো পড়তে পারেন: খাসোগজি হত্যা: সৌদি-মার্কিন চাপের মুখে এরদোয়ান? বাংলাদেশে ফোনালাপ ফাঁস করা কি অপরাধ? সংসদে কতটা বিরোধী দল হতে পেরেছে জাতীয় পার্টি? তখন ঐ নারী ঘুরে দাঁড়িয়ে তাকে জিজ্ঞেস করেন, কেন তিনি একাজ করছেন? এবং তাকে অবশ্যই এসব কাজ বন্ধ করতে হবে। এ নিয়ে হৈচৈ শুরু হলে বিমানের স্টুয়ার্ডরা ঐ নারীর সিট বদল করে দেন। বিমানটি আলবাকার্কিতে অবতরণের পর পুলিশ ব্রুস আলেকজান্ডারকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি পুলিশকে বলেন,"মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেছেন মেয়েদের গোপন স্থানে হাত দিলে কোন দোষ নেই।" পুলিশ তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছে। মঙ্গলবার দিনের আরো পরের দিকে তাকে আদালতে তোলা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারাভিযানের সময় একটি অডিও টেপ প্রকাশিত হয় যেখানে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে সেলেব্রিটিরা চাইলে নারীদের অঙ্গ তাদের অনুমতি ছাড়াই খামচে ধরতে পারে। তার এই মন্তব্যের জন্য তার নিজের দলসহ সারা দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনা হয়। | A man accused of groping a woman on an aircraft has told US police that President Donald Trump had said it was OK to grab women. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | রাশিয়া ইউক্রেনের নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ আটকের পর দু'দেশের মধ্যে এখন তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখল করা ক্রাইমিয়া উপদ্বীপে নোঙ্গর করেছিলো ইউক্রেনের ওই তিনটি জাহাজ। জাহাজটি আটকের সময় রাশিয়ানদের গুলিতে জাহাজের ছয়জন ক্রু আহত হয়। ইউক্রেনের জাহাজ জব্দ করলো রাশিয়া, উত্তেজনা চরমে ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠক: কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? সংসদ নির্বাচন: ক্ষোভ-অসন্তোষ জাতীয় পার্টিতে আসলে কী হয়েছিলো ? সবশেষ ঘটনাটি ঘটেছে ক্রাইমিয়া ও রাশিয়ার মাঝামাঝি এলাকায় নৌ পথে যা কের্চ স্ট্রেইট নামে পরিচিত। রোববার সকালে ইউক্রেনের দুটি গানবোট এবং একটি টাগবোট কের্চ স্ট্রেইট অতিক্রমের চেষ্টা করে। কৃষ্ণ সাগরের ওডিসি বন্দর থেকে রওনা হয় আজোভ সাগরের মারিউপোলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো জাহাজগুলো। মস্কো ও কিয়েভের ২০০৩ সালের চুক্তির আওতায় কের্চ স্ট্রেইট ও আজোভ সাগরে দু'দেশেরই অংশীদারিত্ব আছে। ইউক্রেনের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে নৌপথে আগ্রাসনের অভিযোগ তুলে দেশটি থেকে থেকে আসা ও যাওয়ার পথে সব নৌযান তল্লাশি শুরু করে। একই সাথে আজোভ সাগরে যাওয়ার পথে রাশিয়ার তৈরি একটি ব্রিজের নীচে ট্যাংকারও মোতায়েন করেছে রাশিয়া। সাথে আছে দুটি জেট ফাইটার ও দুটি হেলিকপ্টার। ইউক্রেনের নৌবাহিনী বলছে, তাদের জাহাজকে আঘাত করে অকার্যকর করা হয়েছে বলেই তারা ওই এলাকা ত্যাগ করতে পারেনি। এসব জাহাজে ২৩জন নাবিক ছিলো যাদের মধ্যে ছয় জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার গুরুত্ব কতটা বা কতটা মারাত্মক ঘটনা এটি? সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথম এমন দ্বন্দ্বে জড়ালো রাশিয়া ও ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী। বর্তমানে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে লড়াই করছে দেশটির সেনাবাহিনী। এর মধ্যেই মার্শাল ল জারীর বিষয়ে ব্যতিক্রমী এক অধিবেশনে বসার কথা ইউক্রেনের পার্লামেন্টের। সামরিক বাহিনী সম্পূর্ণ যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে রাখা হয়েছে। যদিও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কো বলেছেন, এর মানে এই নয় যে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজোভ সাগরে রাশিয়ার ট্যাংকার কীভাবে দু'পক্ষ দায়িত্ব এড়াচ্ছে? ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া তাদের নৌ বাহিনীর জাহাজ মারিউপোলের দিকে এগিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে এবং তাদের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ সশস্ত্র আগ্রাসনের আরেকটি দৃষ্টান্ত। অন্যদিকে রাশিয়া পাল্টা ইউক্রেনের বিপক্ষে 'পূর্ব পরিকল্পিত উস্কানি'র অভিযোগ তুলেছে। মনে হচ্ছে মার্শাল ল আর সাম্প্রতিক পদক্ষেপের মূলে আসলে আগামী মার্চের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করা। মার্শাল ল জারী হলে সরকারের হাতে প্রতিবাদ বিক্ষোভে নিয়ন্ত্রণ কিংবা গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ কিংবা নির্বাচন স্থগিত করার ক্ষমতা আসবে। প্রতিক্রিয়া কেমন হচ্ছে? রোববারই কিয়েভে রাশিয়া দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে এবং দূতাবাসের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কের্চ স্ট্রেইটে যাতায়াতের পথ উন্মুক্ত করতে রাশিয়ার প্রতি আহবান জানিয়েছে। এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দু পক্ষকেই সংযমের আহবান জানিয়েছে তারা। যদিও তারা বলছৈ কের্চ ব্রিজের নির্মাণে যে পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া সেটি ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। আর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বলছে সোমবারই তারা জরুরি সভায় বসবে। আটক জাহাজকে কের্চ বন্দরে নেয়া হয়েছে রাশিয়া - ইউক্রেন সম্পর্কে কতটা উত্তেজনা বিরাজ করছে? চরম উত্তেজনা। ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রাইমিয়া দখলের একমাস পর মস্কো পন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই শুরু হয় ডোনেৎস্ক ও লুহান্সকের পূর্বাঞ্চলে। এ দ্বন্দ্বে নিহত হয়েছে প্রায় দশ হাজার মানুষ। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্ত্র সরবরাহের জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করেছে ইউক্রেন। মস্কো অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে যদিও স্বীকার করেছে রাশিয়ার স্বেচ্ছাসেবীরা বিদ্রোহীদের সহায়তা করছে। গত মার্চে ক্রাইমিয়া থেকে একটি মাছ ধরার নৌযান ইউক্রেন আটক করে এবং এর পর রাশিয়া জাহাজে তল্লাশি শুরু করে কের্চ স্ট্রেইটে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলছেন রাশিয়ার বাধানিষেধের প্রভাব পড়ছে তার দেশের অর্থনীতিতে। ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন মারিউপোল থেকে লোহা ও স্টিল উৎপাদন তার দেশের রপ্তানির ২৫ ভাগ চাহিদা মেটায়। আর ইউক্রেনের উত্তর উপকূলের দুটি বন্দর বার্ডিয়ানস্ক ও মারিউপোল কয়লা আমদানি ও রপ্তানির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। | Russia and Ukraine have accused each other of breaking international law after a Russian border patrol seizure of three Ukrainian ships. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | যুক্তরাজ্যে দুই ব্যক্তির মধ্যে নতুন ধরণের আরেকটি করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। লন্ডন এবং উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের আক্রান্ত ওই দুই ব্যক্তি দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করে এসেছে এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছিলেন। ভাইরাসটির নতুন বৈশিষ্ট্য দক্ষিণ আফ্রিকায় আবিষ্কৃত হয়। এ ঘটনার পর দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত ১৪ দিনে যারা দক্ষিণ আফ্রিকায় ভ্রমণ করেছেন কিংবা তাদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের অতি সত্ত্বর কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এরইমধ্যে এই ভাইরাসটি নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জোয়াইলি ম্যাখিজে সতর্ক করে বলেন, "তরুণ, আগে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ছিলেন এমন ব্যক্তিরাও ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।" তিনি বলেন, "এইডস মহামারির শুরুর দিকে যে অবস্থা পার করেছি, সেই একই অবস্থা আবার পার করতে পারবো না।" দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসের এই বৈশিষ্ট্য বা ভ্যারিয়ান্টটি "দ্রুত ছড়ায়" এবং দেশটির অনেক এলাকায় এর সংক্রমণও বেশি দেখা যাচ্ছে। এই ভ্যারিয়ান্টটি নিয়ে এখনো বিশ্লেষণ চলছে। তবে এখনো পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে এটি অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবারই প্রথমবারের মতো এটি যুক্তরাজ্যে শনাক্ত করা হয়। 'বিস্ফোরক প্রাদুর্ভাব' নতুন এই ভ্যারিয়ান্টটির সাথে এর আগে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া নতুন বৈশিষ্ট্যের আরেকটি ভাইরাসের সাথে কিছুটা মিল রয়েছে। যদিও ভাইরাসটি দুটি আলাদা ভাবে বিবর্তিত হয়েছে। দুটি ভাইরাসেরই একটি নির্দিষ্ট অংশে এন ফাইভ জিরো ওয়ান ওয়াই (N501Y) নামে একটি পরিবর্তন হয়েছে। ওই অংশটি দিয়ে মানুষের দেহের কোষকে আক্রান্ত করে ভাইরাসগুলো। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক নিল ফার্গুসন বলেন: "আমার মনে হয় এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বেশি যে ভাইরাসটি নিয়ে উদ্বেগ থাকা উচিত সেটি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার ভাইরাসটি।" আরো পড়ুন: "এই ভাইরাসটির বিস্ফোরকের মতো সংক্রমণের বিস্ময়কর রিপোর্ট রয়েছে এবং এর সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি হারও অত্যধিক।" ডাউনিং স্ট্রিটে এক সংবাদ সম্মেলনে মি. হ্যানকক বলেন, নতুন ভ্যারিয়ান্টটি "খুবই উদ্বেগজনক" এবং যাদের কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাদের "অন্য যেকোন ব্যক্তির সাথে সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা উচিত।" একই সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণা করেন যে, ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আনার পদক্ষেপ হিসেবে লাখ লাখ মানুষকে ক্রিসমাসের পরের দিন বা বক্সিং ডে থেকেই চতুর্থ পর্যায় বা সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিধি-নিষেধের আওতায় আনা হবে। ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগের ডা. সুসান হপকিন্স বলেন, "দুটি ভাইরাসই মনে হচ্ছে যে তারা অত্যন্ত সংক্রমণশীল।" কিন্তু তিনি বলেন যে, তারা এখনো দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে আসা ভাইরাসটির ভ্যারিয়ান্ট সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, তিনি "বেশ নিশ্চিত" যে কোয়ারেন্টিন এবং ভ্রমণে বিধি-নিষেধ আরোপের মাধ্যমে নতুন ভ্যারিয়ান্টটির ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো সম্ভব। ওয়ারউইক মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক লরেন্স ইয়াং বলেন: "সংক্রমণ ছড়ানো ঠেকাতে যে বিধি-নিষেধ (হাত, মুখ, অন্যান্য স্থান বিষয়ক) রয়েছে তা নতুন ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়াও ঠেকাবে।" "দেশ জুড়ে বিধি নিষেধ আরো কঠোর করা অনিবার্য হয়ে পড়েছে।" দক্ষিণ আফ্রিকায় কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে? বিবিসি নিউজের ফারুক চোথিয়া তার ব্যাখ্যায় বলেন, উৎসবের মৌসুমেও সরকার বিধি-নিষেধ কঠোর করেছে। এর মধ্যে ওয়েস্টার্ন কেপ প্রদেশের বিখ্যাত গার্ডেন রুট সৈকত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স নামে একটি বিরোধীদল এবং কয়েকটি লবি গ্রুপ। তারা আদালতে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দাবি করেছেন যে, সৈকত বন্ধ করে দেয়া হলে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। কিন্তু বিচারকরা সরকারি সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছেন এবং বলেছেন যে, জনস্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে সরকারের। ওয়েস্টার্ন কেপের প্রিমিয়ার অ্যালান উইন্ডি বলেন, প্রদেশের হাসপাতালগুলো এরইমধ্যে "মারাত্মক ধকলে" পড়েছে। প্রথম ঢেউয়ের তুলনায়ও প্রদেশটিতে বর্তমানে বেশি কোভিড-১৯ রোগী রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এখনো পর্যন্ত ৯৫ লাখ মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২৫ হাজারের বেশি মানুষ- যা আফ্রিকায় সর্বোচ্চ। | The UK has detected two cases of another new variant of coronavirus, the health secretary Matt Hancock says. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ভারতে শিশু ধর্ষণের ঘটনা দ্বিগুণ বেড়েছে দিল্লিতে শিশু মনস্তত্ববিদ ড সামির পারিখ বিবিসিকে বলেন, "শিশুর বয়স এবং বোঝার ক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে এ ধরণের ঘটনা তাদের শিক্ষিত করতে, সচেতন করতে ব্যবহার করা উচিৎ।" ড পারিখ বলেন, এসব বিষয় নিয়ে ভারতীয় বাবা-মায়ের তাদের ছেলেমেয়েদের কাছে আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি খোলামেলা, কিন্তু যতটা হওয়া উচিৎ ততটা নয়।" শিশুদের ধর্ষণ এবং যৌন হয়রানি নিয়ে তারা তাদের বাচ্চাদের কাছে কীভাবে কতটা আলাপ করেন - এ নিয়ে বিবিসির নিকিতা মানদানি ভারতের কয়েকটি শহরে কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা বলেছেন - মোনা দেশাই, ১১ বছরের এক মেয়ের মা, মুম্বাইয়ের বাসিন্দা আমার মেয়ে এই বয়সেই অনেক পড়ে। রাজনীতি, সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে তার প্রচুর আগ্রহ। আমি চাইনা ধর্ষণ, যৌন হয়রানির খবরগুলো খুব বেশি যেন তার চোখে পড়ে। কিন্তু এখন আর উপায় নেই। তার পাঁচ বছর বয়স থেকে মেয়েকে তার নিজের এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা নিয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। দু বছর আগে একটি বইতে 'ধর্ষণে'র কথা পড়ে সে জানতে চায় এটা কী। আমি খুব স্পষ্ট করে বলিনি, কিন্তু বলেছি কেউ যখন অন্যের ইচ্ছের বিরুদ্ধে তার শারীরিক গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে সেটাই ধর্ষণ। আমার মেয়ে এবং তার তার বন্ধুরা কাশ্মীরের ঘটনায় খুব কষ্ট পেয়েছে। কখনো কখনো সে আমাকে বলে, ঐটা কি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নাকি পৃথিবীটাই এরকম। আরও পড়ুন: শিশু-ধর্ষণের কারণ কি শুধুই বিকৃতকাম না কুসংস্কার? ভারতে শিশু ধর্ষণের সাজা ফাঁসি, কাজে দেবে? বাচ্চাদের নিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছেন অনেক বাবা-মা সুনয়না রয়, ১১ ও ৩ বছরের দুই ছেলের মা, ব্যাঙ্গালোরে থাকেন আমি আমার বড় ছেলের সাথে কয়েকবার ধর্ষণ এবং যৌন হয়রানি নিয়ে কথা বলেছি। আমি সবসময় তার সাথে মেয়েদের বিষয় নিয়ে কথা বলি। কারণ আমি মনে করি উচ্চবর্ণের হিন্দু ঘরের ছেলে হিসাবে মেয়েদের নিয়ে সমাজে যে সব উদ্বেগ রয়েছে তা তার জানা উচিৎ এবং তা পরিবর্তনের চেষ্টায় অংশ নেওয়া উচিৎ। নারী বিদ্বেষী কোনো কৌতুকও আমার ঘরে নিষিদ্ধ। আমি কোনো কিছু থেকে তাদের আড়াল করতে চাইনা, বরঞ্চ চাই তারা এসব নিয়ে আলোচনা করুক। অনেক সময় আমি কী বলি তারা সবকিছু বুঝতে পারেনা, কিন্তু তারা জানে কোন আচরণ তার মায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে বাংলাদেশ কেন পিছিয়ে? সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে এমু পাচার হচ্ছিল কেন ? কুয়ালালামপুরে ফিলিস্তিনি হত্যা: নেপথ্যে মোসাদ? বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটারদের কার বেতন কেমন? ভারতে চারটি ধর্ষণের মামলায় সাজা হয় বড়জোর একটিতে পারুল, চণ্ডীগড়, ১৪ বছরের মেয়ের মা ধর্ষণ, যৌন হয়রানির মত বিষয় নিয়ে মেয়ের সাথে কথা বলা কঠিন। আমি চাই সে মানুষকে বিশ্বাস করুক, বন্ধুত্ব করুক, প্রেমে পড়ুক। কিন্তু একইসাথে তার নিরাপত্তা নিয়েও আমি চিন্তিত। বাসায় মাঝেমধ্যে দেরি করে ফিরলে আমি রেগে যাইনা, কিন্তু আমি তার জন্য সময় বেঁধে দেওয়ার চেষ্টা করি। আমার সমস্যা হচ্ছে - আমি চাই সে বাস্তবতা বুঝুক, কিন্তু একইসাথে চাইনা যে তার ভেতর অহেতুক সন্দেহবাতিকতা তৈরি হোক। ধর্ষণের খবর পড়ে মেয়ে আমাকে একদিন প্রশ্ন করলো - সব পুরুষই কি এমন? আমি তাকে বলেছিলাম, সমাজে কিছু কিছু মানুষ এমন। আমি চাই সে বিশ্বাস করুক যে পৃথিবীটা সুন্দর। বিক্ষোভ সমাবেশে একটি মেয়ে শিশু অখিলা প্রভাবকর, মুম্বাই, ১০ ও ৮ বছরের দুই ছেলের মা ওদের বয়স যখন চার কি পাঁচ, তখন থেকে আমরা ওদের শেখাচ্ছি কোনটি 'খারাপ স্পর্শ' কোনটি "নিরপরাধ স্পর্শ", কীভাবে নিজের এবং অন্যের শরীরকে মর্যাদা দিতে হয়। আমরা তাদের স্পষ্ট বলেছি- শরীরের কোনো কোনো অঙ্গ একবারেই ব্যক্তিগত। গোসল করানোর সময় বাবা-মা বা বড়জোর ডাক্তার ছাড়া আর কারোরই সেসব অঙ্গ স্পর্শ করার অধিকার নেই। আমরা তাদের বলেছি যদি কোনো স্পর্শে অস্বস্তি হয়, তাদের স্পষ্ট করে 'না' বলতে হবে। তবে মিডিয়ার খবর পড়া বা দেখা নিয়ে আমি এবং আমার স্বামী ছেলেদের ওপর অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করি। বর্ন-ধর্ম নির্বিশেষে ভারত জুড়ে মানুষ বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। অরুনাভ সিনহা, দিল্লি, ১৫ বছরের ছেলের বাবা বেশ কবছর ধরে আমি এবং আমার স্ত্রী ছেলের সাথে আপত্তি, অনাপত্তি, মেয়েদের সাথে গ্রহণযোগ্য আচরণ, সহিংসতা - এসব নিয়ে খোলামেলা কথা বলি। একটি বাচ্চা নানা দিক থেকে নানা ধরণের ধারনা পায়। ফলে অনেক কিছু তাদের কাছে ধোঁয়াশা হয়ে যায়। অনেক সময় রাজী-অরাজির বিষয়গুলো তারা বুঝে উঠতে পারেনা। তারপর রয়েছে হরমোনের তাড়না। ফলে আমরা খুব সচেতনভাবে তার সাথে এগুলো নিয়ে কথা বলি। গত রোববার আমারা তাকে ধর্ষণ বিরোধী বিক্ষোভে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা তাকে বোঝাতে চেয়েছিলাম সে একা নয়, তার আশেপাশে বহু মানুষই তার মত করে ভাবছে। বাচ্চাদের মনে এই সাহসটা জোগানো খুবই জরুরী। | Outrage has grown in India after two incidents where children were tortured, raped and murdered. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের টেলিফোন আলাপ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই টেলিফোন আলাপে ডেমোক্র্যাট দল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে চাওয়া জো বাইডেন এবং তার ছেলের ব্যাপারে তদন্তের জন্য মি. ট্রাম্প চাপ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর মার্কিন কংগ্রেসে ইমপিচমেন্ট তদন্ত শুরু করেছে ডেমোক্র্যাটরা। ফোন কলের তথ্য ফাঁসকারী মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিশ্বাস করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদামির যেলেনস্কির টেলিফোন কথোপকথন গোপনীয় একটি ইলেকট্রনিক স্থানে রাখার কারণ আসলে জাতীয় নিরাপত্তা নয়, বরং রাজনৈতিক। তার বক্তব্য অনুযায়ী, প্রথমে ওই টেলিফোন আলাপ গোপনীয় হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এরপরে সেটি চরম-গোপনীয় বলে তালিকাভুক্ত করা হয়, যা শুধুমাত্র কয়েকজন ব্যক্তির দেখার বা শোনার সুযোগ আছে। তথ্য ফাঁসকারী ব্যক্তির মতে, এর ফলে বোঝা যাচ্ছে যে, এটার রাজনৈতিক স্পর্শকাতরতার ব্যাপারে হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা যে শুধু জানতেনই, তা নয়, বরং তারা মার্কিন সরকারের অন্যদের কাছে থেকে তথ্য গোপন করার চেষ্টা করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচকরা বলছেন, ওই কলের উদ্দেশ্য ছিল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রাজি করানোর চেষ্টা করা যাতে তিনি প্রতিপক্ষ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের ব্যাপারে তদন্ত করেন। যাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ হয় এবং হোয়াইট হাউজের কর্মীরা যাবতীয় চিহ্ন মুছে ফেলতে পারেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার সহকারীরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ওই টেলিফোন আলাপের ব্যাপারে আলাদা করে কিছু ঘটেনি। কিন্তু এক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়মগুলো কী? আরো পড়ুন: ট্রাম্প কি আবারো অভিশংসনের মুখে পড়তে পারেন? ট্রাম্পের হয়ে নির্বাচনী প্রচার, বিতর্কে মোদী ২০১৭ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাপের সময় কর্মকর্তারা নোট নিচ্ছেন কে শুনতে পারে টেলিফোন আলাপ? রীতি অনুযায়ী, বিদেশি কোন নেতার সঙ্গে টেলিফোন আলাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন। এরপরে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট টেলিফোনে কথা বলেন, তখন ওই কর্মকর্তারা ওভাল অফিসে বসে থাকেন। ইউএসএ টুডের তথ্য অনুযায়ী, এনএসসির কমপক্ষে দুইজন কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। এ সময় হোয়াইট হাউজের আরেকটি গোপনীয় কক্ষে কর্মকর্তারা বসে ওই টেলিফোন আলাপ শুনবেন এবং নোট নেবেন। তাদের এই নোটকে বলা হয় 'মেমোর্যান্ডাম অফ টেলিফোন কনভারসেশন' এবং হোয়াইট হাউজের আরো অনেক জিনিসের মতো একে সংক্ষেপে বলা হয় মেমকন। কম্পিউটারের মাধ্যমে বিদেশি নেতাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ফোনালাপ বিস্তারিত বর্ণনা তৈরি করা হয়। হোয়াইট হাউজের সাবেক কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, যে কর্মকর্তা টেলিফোন আলাপের নোট নেন, তার সঙ্গে কম্পিউটারের বর্ণনা মিলিয়ে দেখা হয়। কর্মকর্তার নোট এবং কম্পিউটারের ট্রান্সক্রিপ্ট পরবর্তীতে একটি ফাইলে সংযুক্ত করে রাখা হয়। হয়তো এই ট্রান্সক্রিপ্ট পুরোপুরি নিখুঁত হয় না, তবে যতটা সম্ভব যত্ন আর সতর্কতার সঙ্গে এটি তৈরি করা হয়। তথ্যফাঁসকারী ওই ব্যক্তির দাবি অনুযায়ী, মি. যেলেনস্কির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ফোনালাপ প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন অন্তত এক ডজন ব্যক্তি, যারা ওই আলাপ শুনতে পেয়েছেন। সাবেক এনএসসি কর্মকর্তারা বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে টেলিফোন আলাপ শুরুর একেবারে আগে আগে ব্রিফিংয়ের জন্য কর্মকর্তাদের ডাকা হয়। যাদের সেখানে ডাকা হয়, তাদের দক্ষতাও একই রকম নয়। অনেক সময় শেষ মুহূর্তে ফোন কল শুনতে বলা হয়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'রোহিঙ্গা সমস্যা এখন আঞ্চলিক নিরাপত্তার সমস্যা' যৌতুক: নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও বাংলাদেশে কেন টিকে গেলো? হোমিওপ্যাথির স্পিরিট খেয়ে নোয়াখালিতে ছয়জনের মৃত্যু হাত ধোয়া চালু করতে গিয়ে হেনস্থা হয়েছেন যে চিকিৎসক ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের টেলিফোন আলাপের জের ধরে ইমপিচমেন্ট তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে ডেমোক্র্যাটরা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের টেলিফোন আলাপের জের ধরে ইমপিচমেন্ট তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে ডেমোক্র্যাটরাটেলিফোন আলাপের গোপনীয়তা-চরম গোপনীয়তা কীভাবে নির্ধারিত হয়? যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) নির্বাহী সচিবের অফিসে যারা কাজ করেন, সেই কর্মকর্তারা ঠিক করেন যে একটি টেলিফোন আলাপের গোপনীয়তার মাত্রা কী হবে, বলছেন সাবেক একজন হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তা। যদি টেলিফোন আলাপের বর্ণনায় এমন তথ্য থাকে, যার ফলে জাতীয় নিরাপত্তা বা কোন ব্যক্তির নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে, তাহলে সেটি চরম গোপনীয় বলে তালিকাভুক্ত করা হয় এবং বিশেষ সংরক্ষিত স্থানে সেটি সংরক্ষণ করে রাখা হয়। ওবামা প্রশাসনের সময় জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের পক্ষে মধ্যপ্রাচ্য গণতন্ত্র বিষয়ক প্রকল্পের কর্মকর্তা অ্যান্ডু মিলার, যিনি এই গোপনীয়তার ধাপগুলো সম্পর্কে পরিচিত হয়ে ওঠেন। মি. মিলার বলছেন, কেন কিছু টেলিফোন আলাপকে সবচেয়ে বেশি গোপনীয়তার তকমা দেয়া হয়। কিন্তু, তার মতে, মি. ট্রাম্প এবং মি. যেলেনস্কির আলাপের মধ্যে এমন কিছু নেই, যেজন্য সেটাকে চরম গোপনীয় বলা যেতে পারে। ''ওই আলাপকে চরম গোপনীয় হিসাবে তালিকাভুক্তির কোন কারণ আমি দেখি না,'' বলছেন মি. মিলার। ''একমাত্র রাজনৈতিক কারণেই এটা করা হয়েছে।'' টেলিফোন আলাপ 'চরম গোপনীয়' তালিকাভুক্ত করা হলে কী ঘটে? কোন টেলিফোন আলাপকে 'চরম গোপনীয়' মাত্রা দেয়া হলে সেটা শুধুমাত্র মার্কিন সরকারের শীর্ষ কয়েকজন ব্যক্তি দেখার সুযোগ পাবেন, যাদের শীর্ষ পর্যায়ের অনুমতি রয়েছে। সাবেক কর্মকর্তারা ব্যাখ্যা করে বলছেন, জয়েন্ট ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টেলিজেন্স কমিউনিকেশন সিস্টেম নামের একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এসব ট্রান্সক্রিপ্ট সংরক্ষণ করা হয়, যেখানে শুধুমাত্র ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসে কর্মরত লোকজন প্রবেশ করতে পারে। এসব তথ্য যদিও বিশেষ একটি স্থানে সংরক্ষণ করে রাখা হয়, কিন্তু সেখানে নিরাপত্তার অস্বাভাবিক পাহারা থাকে না। যেসব টেলিফোন আলাপ শুধুমাত্র 'গোপনীয়' হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়, সেগুলোর বিষয় সম্পর্কে কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ করতে পারেন। তবে অবশ্যই শুধু তারাই আলাপ করতে পারেন, যারা সরকারে কাজ করে। ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কংগ্রেসের সামনে সাক্ষ্য দেয়ার আগে শপথ করছেন এই ঘটনায় কি গোপনীয়তার নিয়ম মানা হয়েছে? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরামর্শদাতারা বলছেন, এই টেলিফোন আলাপে কোন সমস্যা নেই-সুতরাং ট্রান্সক্রিপ্টের ব্যবস্থাপনা নিয়েও কোন প্রশ্ন নেই। তারা তথ্য ফাঁসকারীর দাবি জোরালো ভাবে নাকচ করে দিচ্ছেন। কিন্তু অন্যরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টেলিফোন এবং সেটি ঘিরে গোপনীয়তা প্রমাণ করছে যে, এখানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে। ''নিরাপত্তা গোপনীয়তার বিষয়টি তৈরি করা হয়েছে জীবন রক্ষার কথা বিবেচনায় রেখে,'' বলছেন ওবামা প্রশাসনের সময় হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তা ব্রেট ব্রয়েন। ''হঠাৎ করে যদি সেটা রাষ্ট্রপতির রাজনৈতিক অবস্থানকে রক্ষা করার কাজে ব্যবহৃত হতে শুরু করে, তাহলে আর জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গোপনীয় কোন গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা থাকবে না।'' এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত মি. মিলার। তিনি বলছেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বসের টেলিফোন আলাপের বিস্তারিত গোপনীয় করে রাখার মানে হলো এই পদ্ধতিটি বাজে ভাবে ব্যবহার করা। যারা হোয়াইট হাউজে কাজ করেন, তাদের একটি শপথ নিতে হয় যে, তারা প্রেসিডেন্টকে নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানকে সমুন্নত রাখবেন। ''আপনার প্রাথমিক আনুগত্য দেশির প্রতি হওয়া উচিত- কোন ব্যক্তির প্রতি নয়।'' তিনি বলছেন। | A whistleblower's complaint alleging that records of a call made by President Donald Trump was handled in an unusually secretive way has shone a spotlight on how such calls are monitored - and how they can be hidden. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | আক্রান্তের সংখ্যায়ও ব্যাপক উল্লম্ফন দেখা গিয়েছে। এদিন নতুন আক্রান্ত হয়েছে ১৪, ৮৪০ জন। বুধবারের বৃদ্ধির আগ পর্যন্ত, হুবেই প্রদেশে সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। কিন্তু মৃতের নতুন এই সংখ্যা করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মোট সংখ্যাকে সাড়ে তেরোশ'র উপরে নিয়ে গেলো। আর মোট আক্রান্তের সর্বশেষ সংখ্যা দাঁড়ালো ৬০ হাজার জন। চীনে যত মানুষ সংক্রমিত হয়েছে তার ৮০%ই হুবেই প্রদেশে রয়েছে। এখন অবশ্য যাদের শরীরে রোগের লক্ষণ প্রকাশিত হচ্ছে তাদেরকেও সংক্রমিত হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস উপদ্রুত এলাকায় গিয়ে যা দেখলো বিবিসি যাদের শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা যাবে, এবং সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে ফুসফুসের সংক্রমণ দেখা যাবে তাদেরকেও করোনাভাইরাস সংক্রমিত বলা হবে। এর আগে যথাযথ পরীক্ষা করে ভাইরাসের উপস্থিতি পেলেই তাকে সংক্রমিত বলা হতো। সম্ভবত নতুন এই সংজ্ঞায়নের কারণে আক্রান্তের সংখ্যার এই উল্লম্ফন একারণেই দেখা গেছে। উহানে বুধবার মারা যাওয়া ২৪২ জনের মধ্যে ১৩৫ জনই ছিলো নতুন এই সংজ্ঞার অধীনে কোভিড-১৯ আক্রান্ত। নতুন এই করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদেরকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন কোভিড-১৯ বলেই অভিহিত করছে। যার পূর্ণ রূপ হচ্ছে 'করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯'। হুবেইতে এখন ৪৮ হাজার ২০৬ জন নিশ্চিত কোভিড-১৯ রোগী রয়েছে। প্রদেশটির নতুন আক্রান্ত ১৪,৮৪০ জনের মধ্যে ১৩,৩৩২ জনকেই নতুন সংজ্ঞার অধীনে সংক্রমিত বলা হচ্ছে। করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী? আরো খবর: প্রথা ভেঙে যৌনকর্মীর জানাজা পড়ালেন মসজিদের ইমাম অনেকেই মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন বিয়ের পাত্রী হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে 'শত্রু সম্পত্তি' নিলামে তুলছে ভারত সরকার রোহিঙ্গা ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ৫০ জনকে পাওয়ার আশা ত্যাগ দেওবন্দ 'সন্ত্রাসবাদের গঙ্গোত্রী', বললেন ভারতের মন্ত্রী সিরিয়াকে হুঁশিয়ার করে দিলেন তুরস্কের এরদোয়ান | Some 242 deaths from the new coronavirus were recorded in the Chinese province of Hubei on Wednesday, the deadliest day of the outbreak. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | অক্সফোর্ডের টিকা নিচ্ছেন একজন স্বেচ্ছাসেবী ব্যাখ্যা করা যায় না, এমন অসুস্থতার কারণে এরকম বিরতিকে 'রুটিন' কাজের অংশ হিসাবে বর্ণনা করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এই টিকার ফলাফলের দিকে সারা বিশ্বই তাকিয়ে রয়েছে। করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনে বিশ্ব জুড়ে যেসব চেষ্টা চলছে, তার মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকা সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসাবে দেখা হচ্ছে। সফলভাবে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ায় প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে, এই টিকাটি সবার আগে বাজারে আসবে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে ৩০ হাজার অংশগ্রহণকারীদের ওপর তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় হাজার হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়ে থাকে। অনেক সময় সেটা কয়েক বছর ধরেও চলতে পারে। আরো পড়ুন: করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশ কীভাবে পাবে? টিকার মাধ্যমে পৃথিবী থেকে যেসব রোগ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে কেন ছড়াচ্ছে এত গুজব আর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বিশ্বের সাতশ কোটি মানুষের কাছে কীভাবে করোনার টিকা পৌঁছন হবে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছেন, প্রায় বিশ্ব জুড়ে ১৮০টি টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। পরীক্ষার বিষয়ে কী বলা হচ্ছে? এই টিকাটির সব ধরণের আন্তর্জাতিক পরীক্ষা স্থগিত থাকবে, যতদিন না স্বতন্ত্র একজন পরীক্ষক এর নিরাপত্তার বিষয়গুলো যাচাই করে দেখবেন। এরপর তদারকি কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন যে, পুনরায় পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হবে কিনা। বিবিসির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ফারগাস ওয়ালশ এই তথ্য জানিয়েছেন। ''বড় ধরণের পরীক্ষায় অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। তবে সেটা অবশ্যই স্বতন্ত্র একজন পরীক্ষককে সতর্কভাবে যাচাই করে দেখতে হবে,'' অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন। সংবাদদাতারা বলছেন, অক্সফোর্ডের এই টিকাটির পরীক্ষা এর আগেও একবার স্থগিত করা হয়েছিল। বড় ধরণের পরীক্ষায় এ ধরণের ঘটনা অনেক সময় ঘটে থাকে। যখন কোন অংশগ্রহণকারীর অসুস্থতার কারণ তাৎক্ষনিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়না, তখন অনেক সময় তাদের হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিনের মধ্যেই আবার পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করা হবে। যে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদমাধ্যম প্রথম এই খবরটি প্রকাশ করেছে, সেই স্ট্যাট নিউজ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের একজন অংশগ্রহণকারীর শরীরে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাৎক্ষণিকভাবে যার কারণ জানা যায়নি। তবে তিনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এটিএম সেবা নির্দিষ্ট সময় বন্ধ থাকছে কেন? হত্যার আগে থেকেই কীভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছিল খাসোগজিকে মানসিক উৎকন্ঠা থেকে মুক্তি পেতে যা করতে পারেন যে বিষয়গুলো দেখবেন ফেসবুকের বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা টিকা আবিষ্কারের দৌড়ে এখন কোথায় রয়েছে বিশ্ব? যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তেসরা নভেম্বরের নির্বাচনের আগেই তিনি একটি টিকা দেখতে চান। তবে তার এই মন্তব্য আশঙ্কা তৈরি করেছে যে, রাজনীতির কারণে নিরাপত্তার দিকগুলো যাচাই না করেই টিকা উৎপাদনের চেষ্টা হতে পারে। কোভিড-১৯ টিকা উৎপাদনে চেষ্টা করছে, এমন নয়টি প্রতিষ্ঠান গত মঙ্গলবার বিরল এক ঘোষণায় নিশ্চিত করেছে যে, টিকা উৎপাদনে তারা সবরকম বৈজ্ঞানিক এবং গুণগত মান বজায় রাখবে। ওই ঘোষণায় অংশ নেয়া নয়টি প্রতিষ্ঠানের একটি অ্যাস্ট্রাজেনেকা, যারা বলছে, তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার পরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের আবেদন করা হবে। জনসন এন্ড জনসন, বাইয়োএনটেক, গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লেইন, পিফিজের, মের্ক, মর্ডানা, সানোফি এবং নোভাভ্যাক্সও ওই ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ''তারা সবসময়েই নিরাপত্তা এবং টিকা দেয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে।'' বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছেন, প্রায় বিশ্ব জুড়ে ১৮০টি টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। তবে এর কোনটি এখনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি। সংস্থাটি বলছে, কার্যকারিতা এবং সুরক্ষার নিয়মনীতি মেনে কোন টিকাই এই বছরের মধ্যে আসতে পারবে বলে তারা মনে করে না। কারণ এসব টিকার নিরাপত্তার দিকগুলো যাচাই করতে সময় লাগে। তা সত্ত্বেও চীন এবং রাশিয়া স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত টিকার প্রয়োগ করতে শুরু করেছে। সেসব টিকাও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় পরীক্ষামূলক হিসাবে রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ, খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) আভাস দিয়ে বলছে, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই হয়তো করোনাভাইরাসের টিকার অনুমোদন দেয়া হতে পারে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন | Final clinical trials for a coronavirus vaccine, developed by AstraZeneca and Oxford University, have been put on hold after a participant had a suspected adverse reaction in the UK. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | উদ্ধার হওয়া মোবাইল কেসের ছবি অনেক ডুবুরি সাগরের তলদেশে ডুব দিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন যদি কোন একটি ক্লু খুঁজে পাওয়া যায় এই আশায়। এজন্যে পানির নিচে ড্রোন এবং শব্দ সনাক্তকারী যন্ত্র দিয়েও অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিমানটির কোন খোঁজ পাওয়া যায় নি। তবে উদ্ধারকারীরা ইতোমধ্যেই জাভা সাগরের বুক থেকে কিছু ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছেন। এর মধ্যে আরোহীদের ব্যবহার করা কিছু ব্যক্তিগত জিনিসও রয়েছে। উদ্ধারকরা এসব ব্যক্তিগত সামগ্রীর ছবি তোলেন ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা। এর মধ্যে একটি ছবি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সোশাল মিডিয়াতে। ওই ছবিটিতে ছিল একটি মোবাইল ফোনের কেস। মোবাইল ফোনের ওই কেসটিতে ছাপানো এক ছবিতে দেখা যায় এক দম্পতি হাত ধরাধরি করে একটি সেতুর ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। কিন্তু সমস্যা হলো ওই ছবিটি দম্পতিদের পেছন থেকে তোলার কারণে তাদের মুখ দেখা যাচ্ছে না। ফলে তারা কারা সেটা বোঝার কোন উপায় ছিল না। সোশাল মিডিয়াতে যে ছবিটি ভাইরাল হয় তাতে মোবাইল ফোনের ওই কেসের পাশেই ছিল কালো রঙের একটি ব্যাগ এবং কিছু বোর্ডিং পাসের টুকরো। সোমবার ১৮৯ জন যাত্রী নিয়ে লায়ন এয়ারের ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয় এবং সেদিনই দিনের আরো পরের দিকে উদ্ধার করা এসব সামগ্রীর এই ছবিটি ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থার একজন কর্মকর্তা টুইটারে শেয়ার করেছিলেন। ইন্সটাগ্রামের এই সেই ছবি। আরো পড়তে পারেন: ইন্দিরা গান্ধী যেভাবে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়েছিলেন এক বালতি পানি, ব্লাসফেমি এবং আসিয়া বিবির ফাঁসি একটি নতুন বিমান কীভাবে বিধ্বস্ত হলো? জাকার্তা থেকে উড়ান শুরু করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানটি নিখোঁজ হয়ে যায় এবং সেটি জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়। ধারণা করা হচ্ছে যে, আরোহীদের সবাই হয়তো মারা গেছেন। ধারণা করা হয়- মোবাইল কেস, কালো ব্যাগ, বোর্ডিং পাস এসব হয়তো হতভাগ্য ওই যাত্রীদেরই, কিন্তু এসবের মালিক কারা সেটা জানা সম্ভব হচ্ছিল না। কিন্তু সোশাল মিডিয়াতে ছবিটি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর লোকজন এসব জিনিসপত্রের মালিককে খুঁজে বের করতে তৎপর হয়ে ওঠে। মোবাইল কেসে দম্পতির ছবির সূত্র ধরে তাদেরকে চিহ্নিত করার চেষ্টা শুরু হয়ে যায় ইন্টারনেটে। এজন্যে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। খুব দ্রুতই মোবাইল কেসের দম্পতির ছবিটি পাওয়া যায় ইন্সটাগ্রামে। দেখা যায় এই ছবিটি ইনে ইওনিতা সাভিত্রি নামে এক নারীর। মিস সাভিত্রি বিমানের আরোহী ছিলেন না কিন্তু ছিলেন তার স্বামী ওয়াজো নোগ্রোহানতরো। এবং জানা গেল ওই ফোন কেসটি আসলে তারই। তারই এক আত্মীয় এন্টোনিয়াস হারতোনো বলেছেন, তার মায়ের কাছে শুনেছেন যে তার এক আঙ্কেল ওই বিমানে ছিলেন। তখনই তিনি ফোন কেসের ছবিটি ধরে তাকে চিনতে পারেন। তিনি বলেন, "আমি যখনই ছবিটি দেখি আমার খুব খারাপ লাগে। আমি বুঝতে পারি তার স্ত্রী এবং সন্তানদের মনের কী অবস্থা!" তিনি বলেন, মাত্র সপ্তাহ-খানেক আগে ওই আত্মীয়ের সাথে একটি অনুষ্ঠানে তার দেখা হয়েছিল। "কিন্তু এর মধ্যেই যে এরকম হয়ে যাবে" তিনি সেটা ভাবতেও পারেন নি! | Drones and sonar technology have been deployed in Indonesia to search for a Lion Air passenger plane which crashed into the sea on Monday. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | বেনইয়ামিন নেতনিয়াহুর ১২ বছরের শাসন শেষ হওয়ার পথে সেখানে আটটি দল মিলে একটি কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছে। মধ্যপন্থী দল ইয়েশ আতিদ পার্টির নেতা ইয়াইর লাপিদ এ বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছেন। চুক্তি অনুযায়ী ডানপন্থী দল ইয়ামিনা পার্টির প্রধান নাফতালি বেনেত শুরুতে প্রধানমন্ত্রী হবেন। এরপর তিনি ইয়াইর লাপিদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। সরকারের শপথ গ্রহণের আগে অবশ্য পার্লামেন্টে এ নিয়ে ভোট হতে হবে। ইয়াইর লাপিদ, নাফতালি বেনেত এবং বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ইয়াইর লাপিদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে তিনি প্রেসিডেন্ট রুভেন রিভলিনকে কোয়ালিশন চুক্তি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। তিনি বলেন, "আমি অঙ্গীকার করছি যে এই সরকার সকল ইসরায়লি নাগরিকের সেবায় কাজ করবে - যারা এর জন্য ভোট দিয়েছেন, এবং যারা ভোট দেননি।" "এই সরকার তার বিরোধীদের সম্মান করবে এবং ইসরায়েলের সমাজের সকল অংশকে একত্রিত করতে সাধ্যমত সবকিছু করবে।" বিবিসি বাংলায় এ সম্পর্কিত আরও খবর: ইসরায়েলের রাজনীতিতে হঠাৎ গুরুত্ব পাচ্ছে যে ইসলামপন্থী দলটি হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে হার-জিত লাভ-ক্ষতির সমীকরণ গোপনে সৌদি গিয়েছিলেন নেতানিয়াহু, বৈঠক করেছেন যুবরাজের সঙ্গে ইসরায়েলের গণমাধ্যমে একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে ইয়াইর লাপিদ, নাফতালি বেনেত এবং ইসলামপন্থী রাম পার্টির নেতা মানসুর আব্বাস একটি চুক্তি স্বাক্ষর করছেন। এমন চুক্তিকে অনেকেই অসম্ভব মনে করেছিলেন। মানসুর আব্বাস সাংবাদিকদের বলেছেন যে সিদ্ধান্তটি খুবই কঠিন ছিল। "বেশ কিছু মত বিভেদ হয়েছে, কিন্তু একটা সমঝোতায় পৌঁছানো খুবই জরুরী ছিল।" হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে মানসুর আব্বাসের ইসলামপন্থী দল প্রেসিডেন্ট রুভেন রিভলিনকে ইয়াইর লাপিদ জানিয়েছেন যে মি. বেনেত এবং তিনি নিজে এক সাথে সরকার পরিচালনা করবেন। ২০২৩ সালের ২৭শে অগাস্ট তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাফতালি বেনেতের কাছ থেকে ক্ষমতা বুঝে নেবেন। মি. রিভলিন যত শীঘ্রই সম্ভব এক আস্থা ভোট আয়োজনের জন্য পার্লামেন্টের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তবে পার্লামেন্টে এই কোয়ালিশন যদি সমর্থন না পায়, তাহলে ইসরায়েলে দুই বছরের মধ্য পঞ্চমবারের মত নির্বাচন আয়োজনের দরকার হতে পারে। যে দলগুলো মিলে এই কোয়ালিশন হয়েছে, তার মধ্যে ইসরায়েলের সকল ঘরানার রাজনৈতিক দল রয়েছে। রাজনৈতিক দিক দিয়ে এসব দলের মধ্যে খুব কম বিষয়ে মতের মিল রয়েছে। শুধু একটি বিষয় ছাড়া - আর তা হলো দেশটিতে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করা। মি. নেতানিয়াহু দুর্নীতির মামলায় বিচারাধীন রয়েছেন। গত মার্চে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে তিনি চূড়ান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হন। এটা ছিল গত দুই বছরে দেশটিতে চতুর্থ সাধারণ নির্বাচন, যার পর তিনি জোট গঠনেন জন্য মিত্র পেতে ব্যর্থ হন। | Israeli opposition parties have reached an agreement to form a new government that would end Benjamin Netanyahu's 12-year tenure as prime minister. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | স্যার মার্ক বলেছেন, ঘন জনবসতি আর ভ্রমণের কারণে ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। স্যার মার্ক ওয়ালপোর্ট বলেছেন, এমন ক্ষেত্রে নিয়মিত বিরতিতে মানুষজনের টিকা নেয়ার দরকার হতে পারে। তার এই মন্তব্যের একদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান মন্তব্য করেছিলেন যে, করোনাভাইরাস দুই বছরের মধ্যে বিদায় নেবে বলে তিনি আশা করছেন। কারণ স্প্যানিশ ফ্লু'র বিদায় হতে দুই বছর লেগেছিল। স্যার মার্ক বলেছেন, ঘন জনবসতি আর ভ্রমণের কারণে ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তিনি বলছেন, ১৯১৮ সালে যতো জনসংখ্যা ছিল, এখন বিশ্বের জনসংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি। বিবিসির রেডিও ফোরের টুডে প্রোগ্রামের স্যার মার্ক বলেছেন যে, মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ''সারা বিশ্বের মানুষের জন্য টিকার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু করোনাভাইরাস স্মল পক্সের মতো কোন রোগ নয় যে, টিকা দিলেই সেটা চলে যাবে। ''এটা এমন একটা ভাইরাস যা কোন না কোন আদলে আজীবন আমাদের সঙ্গে থেকে যাবে। আর অনেকটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে, মানুষজনকে বার বার টিকা নিতে হবে।'' তিনি বলছেন। ''সুতরাং ফ্লুর মতো মানুষজনকে নিয়মিত বিরতিতে টিকা নিতে হবে।'' বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস এর আগে বলেছিলেন, বর্তমান বিশ্বের উন্নত প্রযুক্তি এই ভাইরাসটিকে তার চেয়েও কম সময়ে আটকে দিতে পারবে বলে তিনি আশা করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস এর আগে বলেছিলেন, ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু দুই বছরের মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের উন্নত প্রযুক্তি এই ভাইরাসটিকে তার চেয়েও কম সময়ে আটকে দিতে পারবে বলে তিনি আশা করছেন। ১৯১৮ সালের ভয়াবহ ফ্লুতে বিশ্বে অন্তত পাঁচ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। করোনাভাইরাসের কারণে এ পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় আট লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। তবে ধারণা করা হয়, পরীক্ষা করা হয়নি বা লক্ষণ দেখা যায়নি, এমন আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। স্যার মার্ক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, করোনাভাইরাস আবারো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া সম্ভব। সেটা ঠেকাতে শুধুমাত্র লকডাউনের পরিবর্তে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়ে এগোতে হবে। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান দেশগুলোয় আবারো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে। যেমন দেশ করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সফল বলে মনে করা হয়েছিল, সেসব দেশেও নতুন করে রোগী শনাক্ত হচ্ছে। স্যার মার্ক বলেছেন, ইউরোপীয় দেশগুলোয় এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেভাবে নতুন রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে তিনি উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন মোট ২ লাখ ৯২ হাজার ৬২৫ জন। আর এই সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩,৯০৭ জন। দুই বছরের মধ্যে করোনাভাইরাস মহামারি শেষ হওয়ার আশা কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন | Coronavirus will be present "forever in some form or another", a member of the government's Scientific Advisory Group for Emergencies (Sage) has said. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | নিহত ইরানী পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিযাদে ইসরায়েল এবং পশ্চিমা গোয়েন্দারা মনে করেন, মি ফখরিযাদে ইরানের পারমানবিক কর্মসূচির প্রধান স্তম্ভ। তবে ইরানের সংবাদ মাধ্যম মি. ফখরিযাদের গুরুত্ব খাটো কারে দেখাচ্ছে। তারা তাকে বর্ণনা করছে একজন বিজ্ঞানী হিসাবে যিনি সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরানে করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে একটি টেস্ট কিট বানানোর গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। লন্ডনে গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের মার্ক ফিটজপ্র্যাট্রিক, যিনি ইরানের পারমানবিক কর্মসূচির ওপর গভীর নজর রাখেন, মোহসেন ফখরিযাদের হত্যাকাণ্ডের পর টুইট করেন: “ইরানের পারমানবিক কর্মসূচি এখন এমন অবস্থায় চলে গেছে যেখানে তা আর একজন মাত্র ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল নয়।“ যদিও আমরা জানি যে মিস্টার ফখরিযাদের ওপর যখন হামলা হয়, তখন তার সাথে বেশ কজন দেহরক্ষী ছিল। সুতরাং বোঝা যায় যে তার নিরাপত্তাকে ইরান কতটা গুরুত্ব দিত। সুতরাং তাকে হত্যার পেছনে ইরানের পারমানবিক কর্মসূচির সম্পর্ক যতটা না ছিল, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল তার চেয়ে বেশি। হত্যার সম্ভাব্য মোটিভ এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে সম্ভাব্য দুটো মোটিভ বা উদ্দেশ্য কাজ করেছে বলে এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে: প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন সরকারের সাথে ইরানের সম্পর্ক ভালো হওয়ার যে কোনো সম্ভাবনা নষ্ট করা। দ্বিতীয়ত: ইরানকে বদলা নিতে উস্কানি দেওয়া। মোহসেন ফখরিযাদের হত্যাকাণ্ডের পর তার প্রথম বক্তব্যে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি মন্তব্য করেন, “শত্রুরা গত কয় সপ্তাহ ধরে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে।“ তিনি বলেন, “তারা বুঝতে পারছে, বিশ্বের পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে, এবং হাতের বাকি সময়টায় তারা এই অঞ্চলে একটি অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা তারা চালিয়ে যাচ্ছে।“ ২০১৮ সালে এক লাইভ টিভি অনুষ্ঠানে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইরানের পারমানবিক কর্মসূচিতে মি ফখরিযাদের ভূমিকা উল্লেখ করে বলেছিলেন, “মোহসেন ফকরিযাদে নামটি মনে রাখুন।“ সন্দেহ নেই যে “শত্রু“ বলতে মি রুহানি যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প সরকার, ইসরায়েল এবং সৌদি আরবকে বুঝিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে পরিবর্তনের যে জোয়ার শুরু হয়েছে তা নিয়ে ইসরায়েল এবং সৌদি আরব উদ্বিগ্ন। জো বাইডেন ক্ষমতা নেওয়ার পর তার সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে এই দুই দেশ চিন্তিত। তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় মি বাইডেন পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে তিনি ইরানের সাথে করা পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে যেতে চান। ২০১৫ সালে বারাক ওবামা সরকার এই চুক্তির প্রধান উদ্যোক্তা ছিল, কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে একতরফাভাবে চুক্তি থেকে আমেরিকাকে প্রত্যাহার করে নেন। ইসরায়েলি এবং পশ্চিমা অনেক মিডিয়ায় গত রোববার সৌদি আরবের নিওম শহরে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে এক গোপন বৈঠকের খবর প্রচারিত হয়, এবং বলা হয় ইরান নিয়ে তাদের দুই দেশের উদ্বেগ নিয়ে ঐ বৈঠকে আলোচনা হয়। বিভিন্ন রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে নিওমে ঐ বৈঠকে ইসরায়েলের সাথে এখনই কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে মিস্টার নেতানিয়াহু যুবরাজ মোহাম্মদকে রাজী করাতে পারেননি। অবশ্য সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন কোন বৈঠক হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। যুবরাজ মোহাম্মদ এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বৈঠকের পরদিনই সোমবার যখন ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা জেদ্দায় একটি তেলের স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যেটিকে সৌদি আরব হয়তো বদলা নেওয়ার একটি সুযোগ হিসাবে দেখছে। ঐ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইরানের কট্টরপন্থী মিডিয়ায় ঢাক-ঢোল বাজিয়ে প্রচার করা হয়, “হুথিরা কুদস-২ (ইরানে তৈরি) দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।“ ইরানের সরকার সমর্থক সংবাদ সংস্থা মেহের লেখে, “এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। সৌদি-ইসরায়েল বৈঠকের পর ঐ দুই দেশকে একটি সতর্ক বার্তা দেওয়া হলো যে ইরানের বিরুদ্ধে যেন কিছু করার আগে তারা যেন দশবার ভাবে।“ ঐ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে সৌদি ক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানে হামলার পরিকল্পনা ট্রাম্পের তেহরানে পোড়ানো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইজরায়েলের পতাকা, ২৮ নভেম্বর, ২০২০ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন তার ‘দি রুম হোয়ার ইট হ্যাপেনড‘ বইতে লিখেছেন কীভাবে ট্রাম্প প্রশাসন ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের প্রতি ইরানের সমর্থনকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করার একটি প্রয়াস হিসাবে দেখে। মিডিয়ার খবর অনুযায়ী নিওমে যুবরাজ মোহাম্মদ এবং মিস্টার নেতানিয়াহুর বৈঠকের আয়োজন করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ঐ বৈঠকের আগে তিনি কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়ে প্রধানত ইরান নিয়ে কথা বলে আসেন। মার্কিন মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তার দুই সপ্তাহ আগে ইরানের পারমানবিক স্থাপনায় হামলার উপায় নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার উপদেষ্টাদের সাথে পরামর্শ করেছিলেন। মিস্টার ট্রাম্প সম্ভবত তার বিদায়ের আগে ইরানকে এক হাত দেখে নেওয়ার চিন্তা করছিলেন। জানুয়ারিতে, ইরানী সেনা কম্যান্ডার কাসেম সোলায়মানিকে ড্রোন হামলা করে হত্যা করার পর তা নিয়ে খোলাখুলি বাগাড়ম্বর করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যদিও ঐ হত্যাকাণ্ডকে জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা “বেআইনি“ বলে বর্ণনা করেন, কিন্তু মি ট্রাম্প সে সময় খোলাখুলি বলেন, তার নির্দেশেই কাসেম সোলায়মানিকে হত্যা করা হয়েছে। সুতরাং পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিযাদের হত্যকাণ্ডের পেছনেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুমোদন থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায়না। তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন। ২০১৮ সালে এক লাইভ টিভি অনুষ্ঠানে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইরানের পারমানবিক কর্মসূচিতে মিস্টার ফখরিযাদের ভূমিকা উল্লেখ করে বলেছিলেন, “মোহসেন ফকরিযাদে নামটি মনে রাখুন।“ যদিও ইসরায়েল জানে জো বাইডেন তাদের নিরাপত্তার প্রতি প্রতিশ্রুতি-বদ্ধ থাকবেন, কিন্তু তাদের মনে একটি উদ্বেগ কাজ করছে যে জো বাইডেনের মনোনীত পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ইরানের সাথে করা পারমানবিক চুক্তির একজন ঘোরতর সমর্থক। ইসরায়েল হয়ত এ নিয়েও শঙ্কিত যে মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা সম্পর্কে মিস্টার ব্লিনকেনের দৃষ্টিভঙ্গি ফিলিস্তিনিদের সুবিধা দেবে। ট্রাম্প প্রশাসন জেরুজালেমকে ইসরায়েলের বৈধ রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়াকে পছন্দ করেননি নতুন এই সম্ভাব্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যদিও জো বাইডেন বলেছেন তিনি জেরুজালেম নিয়ে মি ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বদলাবেন না। ইরানের দ্বিধা এই গাড়িতে যাওয়ার সময় মিস্টার ফখরিযাদের ওপর হামলা হয়। পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান। ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি মোহসেন ফখরিযাদেকে হত্যার জন্য দায়ীদের “নিশ্চিত শাস্তির“ কথা বলেছেন। ইরানের ভেতরেই নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা দুর্বলতা নিয়ে কথা উঠেছে। ইরানের রেভল্যুশনারী গার্ড বাহিনীর প্রভাবশালী একজন কমান্ডার মোহসিন রেজায়েই বলেন, “ভেতরে ঢুকে পড়া গুপ্তচর যারা বিদেশী গুপ্তচর সংস্থাগুলোকে খবর দিচ্ছে তাদের খুঁজে বের করতে হবে।“ ইরানে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে ইরানের সরকার যখন তাদের সেনা এবং গোয়েন্দা দক্ষতা নিয়ে এত বড়াই করে, তখন কীভাবে নিরাপত্তার আবরণে থাকা একজন বিজ্ঞানী এভাবে দিনে দুপুরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন। এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে দেশের ভেতর নির্বিচারে ধরপাকড় নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। ট্রাম্পের প্রস্থানে ইসরায়েল এবং সৌদি আরব যেখানে তাদের প্রধান একজন মিত্র হারাচ্ছে, সে সময় ইরান আশা করছে জো বাইডেন তাদের ওপর থেকে অনেক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবেন যা তাদের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে। ফলে তারা মিস্টার ফখরিযাদের হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে এখনই কিছু করতে চাইছে না। ড. মাসুমে তরফে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স এবং স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের একজন গবেষক। তিনি ইরান, আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার রাজনীতির একজন বিশেষজ্ঞ। | Unknown to most Iranians until Friday, when he was assassinated, the nuclear scientist Mohsen Fakhrizadeh was well known to those who followed Iran's nuclear programme. Western security sources regarded him as instrumental. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে চিরবৈরি এবং একই সাথে পরস্পরের সহচর টম ও জেরি। আপনি হয়তো অনুমান করতে পারছেন যে এরপর কী হবে। প্রায় প্রতিবারের মত একই পরিণতি বিড়ালের পরিকল্পনার: আবারো একটি পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে যাওয়ার হতাশায় নিষ্ফল আক্রোশে চিৎকার করতে থাকে বেচারা বিড়াল। গল্পের পটভূমি পরিচিত হলেও এর পেছনের কাহিনীটা কিন্তু সবসময় একরকম নয়। অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড জয় থেকে শুরু করে স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার বিতর্কিত এলাকায় গোপনে কার্টুন তৈরির কাজ - এসবই এ সপ্তাহে আশিতে পা দিতে যাওয়া টম অ্যান্ড জেরিকে বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে পরিচিত ডুয়েটের একটি হিসেবে পরিচিতি পেতে ভূমিকা রেখেছে। এই ইঁদুর-বিড়াল যুগলের কাহিনী তৈরির চিন্তাটি আসে যখন এর নির্মাতারা একেবারে খাদের কিনারায় ছিলেন তখন। এই কার্টুনের নির্মাতা বিল হ্যান্না ও জো বারবেরা কাজ করতেন প্রযোজক সংস্থা এমজিএম'এর অ্যানিমেশন বিভাগে। অন্যান্য অ্যানিমেশন স্টুডিও পর্কি পিগ ও মিকি মাউসের মত সফল কার্টুন তৈরি করতে পারলেও এমজিএম তখনও সাফল্যের মুখ দেখেনি। ৮০ বছরে পা দিয়েছে টম অ্যান্ড জেরি অনেকটা বিরক্ত হয়েই দুই নির্মাতা, যাদের দু'জনের বয়সই তখন ত্রিশের নিচে ছিল, ভিন্ন কিছু করার চিন্তা করতে থাকেন। বারবেরা প্রস্তাব করেন ইঁদুর ও বিড়ালের প্রতিদিনের খুনসুটির কাহিনী নিয়ে অ্যানিমেশন তৈরি করার, যদিও তার আগে অসংখ্যবার এই পটভূমিতে কার্টুন তৈরি করা হয়েছে। ১৯৪০ সালে তারা প্রথমবার প্রকাশ করেন 'পুস গেটস দ্য বুটস।' অভিষেক ছবিটি সফলতা পায় এবং নির্মাতা স্টুডিও সেরা অ্যানিমেটেড শর্টফিল্ম বিভাগে অস্কার মনোনয়ন পায়। তবে যেই দু'জন অ্যানিমেটর ছবিটি তৈরি করেন তাদেরকে কোনো কৃতিত্ব দেয়া হয়নি। দুই অ্যানিমেটরকে স্টুডিওর ম্যানেজাররা বলেন যেন তারা নিজেরা সব কৃতিত্ব নেয়ার জন্য উদগ্রীব না হন। প্রথম পর্বে ইঁদুর ও বিড়ালের নাম জ্যাসপার ও জিঙ্কস থাকলেও পরে তা পরিবর্তিত হয় টম ও জেরিতে। তাদের মানসিকতার পরিবর্তন হয় টেক্সাসের এক প্রভাবশালী শিল্পপতির চিঠিতে। চিঠিতে ঐ ব্যক্তি জানতে চান 'ইঁদুর-বিড়ালের চমৎকার কার্টুনটি আবার কবে দেখতে পাবো।' প্রথম পর্বে তাদের নাম ছিল জ্যাসপার ও জিঙ্কস, পরে যা পরিবর্তিত হয় টম ও জেরিতে। বারবেরার মতে, কার্টুনের চরিত্রগুলো কথা বলবে কি না, তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি নিজেদের মধ্যে। তবে চার্লি চ্যাপলিনের মত নীরব চলচ্চিত্র দেখে বড় হওয়া নির্মাতারা জানতেন যে কোনো ডায়লগ না থাকলেও একটি চলচ্চিত্রকে যথেষ্ট হাস্যরসাত্মক হিসেবে উপস্থাপন করা যায়। কার্টুনের চরিত্রদের সব কার্যকলাপকে ফুটিয়ে তোলে স্কট ব্র্যাডলির আবহ সঙ্গীত আর টমের প্রায় মানুষের মত চিৎকারের পেছনে কন্ঠ দেন হ্যান্না নিজে। পরের দুই দশকে প্রায় ১০০টি ছোট পরিসরের কার্টুন তৈরির পেছনে ছিলেন হ্যান্না ও বারবেরা। প্রতিটি পর্ব তৈরি করতে কয়েক সপ্তাহ লাগতো এবং প্রায় ৫০ হাজার ডলার খরচ হতো। কাজেই প্রতিবছর হাতে গোনা কয়েকটি পর্বই তৈরি করা সম্ভব হতো। সমৃদ্ধ হাতে আঁকা অ্যানিমেশন ও সূক্ষ্ম খুঁটিনাটি সহ দৃশ্যপট থাকায় সারা বিশ্বেই এই টম অ্যান্ড জেরির সর্বশ্রেষ্ঠ কার্টুন চিত্র। হলিউড ফিচার ফিল্ম ক্যাটাগরিতে সাতটি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড পায় এই ফিল্মগুলো। কার্টুন ইতিহাসবিদ জেরি বেক, যিনি কার্টুন চলচ্চিত্র তৈরির বিভিন্ন ধাপে কাজ করেছেন, বলেন, "কার্টুনগুলো আপনি এখনই দেখেন অথবা শিশু অবস্থাতেই দেখে থাকেন, কোন সময়ে এগুলো তৈরি করা হয়েছে জানলে আপনি অবাক হবেন, সে নিশ্চয়তা আমি দিতে পারি।" সারাবিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় কার্টুনগুলোর একটি টম অ্যান্ড জেরি "অ্যানিমেশনগুলোতে বিশেষ কিছু আছে, এগুলো চিরসবুজ। এটি কখনই পুরনো হয় না।" "যে কোনো হাতে আঁকা ছবি যেমন একটা নির্দিষ্ট সময়ের গল্প বলে, সেটা যে সময়েই আঁকা হোক না কেন, এই কার্টুনগুলোও সেরকমই। এগুলো কখনও বিনোদন দেয়া বন্ধ করে না।" ১৯৫০'এর মাঝামাঝি সময়ে যখন প্রযোজক ফ্রেড কুইম্বি অবসরে যান, হ্যান্না ও বারবেরা এমজিএম'এর কার্টুন বিভাগের দায়িত্ব নেন। সেসময় টেলিভিশনের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় স্টুডিও মালিকেরা মনে করতে থাকেন যে পুরনো অ্যানিমেশনগুলোকে নতুনভাবে প্রকাশ করে আর্থিকভাবে যতটা লাভবান হবেন, নতুন অ্যানিমেশন বানিয়েও মোটামুটি একই অঙ্কের লাভ করতে পারবেন। ১৯৫৭ সালে এমজিএম'এর অ্যানিমেশন বিভাগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর হ্যান্না ও বারবেরা নিজেদের প্রযোজনা সংস্থা চালু করেন। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই আসল নির্মাতাদের ছাড়াই টম অ্যান্ড জেরি পুনর্নির্মান করার সিদ্ধান্ত নেয় এমজিএম। ১৯৬১ সালে খরচ বাঁচাতে প্রাগে একটি স্টুডিওকে দিয়ে কাজ করানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। শিকাগোতে জন্ম নেয়া অ্যানিমেটর জিন ডাইচ পুনর্নির্মানের দায়িত্ব পান। তবে বাজেট স্বল্পতার কারণে কম লোকবল নিয়ে কাজ করতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয় তাকে। পাশাপাশি টম অ্যান্ড জেরির পুরনো পর্বগুলো সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণেও সমস্যায় পড়ে তার দল। ঐ স্টুডিওতে পপাইয়ের মত জনপ্রিয় বেশকিছু কার্টুনের পর্বও পুনর্নির্মান করা হয়েছিল। নির্মাতাদের চেক নামগুলোকে অ্যামেরিকানদের মত করে লেখা হয়, যেন দর্শকরা কার্টুনগুলোকে কমিউনিজমের সাথে সংশ্লিষ্ট মনে না করে। ক্লাসিক কার্টুনগুলোকে প্রথমবার পুনর্নির্মান করেন ডাইচ, আর তিনি জানতেন এর জন্য ফ্যানদের রোষানলে পড়বেন তিনি। তার তৈরি করা ১২টি কার্টুনকে টম অ্যান্ড জেরির ইতিহাসের নিকৃষ্টতম পর্ব হিসেবে গণ্য করা হয়। সাক্ষাৎকারের সময় নিজেদের নেতিবাচক ভাবমূর্তি নিয়ে সৎ স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন ডাইচ। এমনকি তিনি এও জানান যে সেসব পর্ব তৈরি করা নিয়ে মৃত্যুর হুমকিও পেয়েছিলেন তিনি। ডাইচের পরে টম অ্যান্ড জেরি নতুন করে বানানোর দায়িত্ব পড়ে চাক জোনসের হাতে, যিনি ওয়ার্নার ব্রাদার্স স্টুডিওতে লুনি টিউনসের সাথে কাজ করার জন্য পরিচিত ছিলেন। এমজিএম স্টুডিওতে টেলিভিশনকে বেশ নেতিবাচকভাবে দেখা হলেও হ্যান্না ও বারবেরা নিজেরা যখন অ্যানিমেশন তৈরি করতে শুরু করেন, তখন টেলিভিশনের জন্য পর্ব বানাতে শুরু করেন। সময় ও খরচ বাঁচাতে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ আকৃতির পর্ব তৈরি করেন তারা নিজেদের অ্যানিমেশন স্টাইলে। কয়েক দশক যাবত তাদের কার্টুন শিশুদের টেলিভিশনে আধিপত্য চালায়। ১৯৬০'এর দশকের শুরুর দিকে হাকলবেরি হাউন্ড ও ইয়োগি বেয়ারের মত চরিত্র দিয়ে সাফল্য লাভ করেন তারা। পরে একে একে আসে ফ্লিন্টস্টোনস, টপ ক্যাট এবং স্কুবি ডু'র মত চরিত্র। ৭০'এর দর্শকে এই জুটি আবারো টম অ্যান্ড জেরি তৈরিতে মনোযোগ দেয়। ততদিনে শুরুর দিকের অনেক পর্বকেই সেসময়কার নতুন টেলিভিশন নীতিমালা অনুযায়ী 'অতিরিক্ত সহিংস' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। নতুন পর্বগুলো, যেখানে টম ও জেরিকে একে অপরের বন্ধু হিসেবে দেখা যায়, কখনোই আদি পর্বগুলোর মত সাফল্য পায়নি। সেসময়কার অন্যান্য কার্টুনের মত টম অ্যান্ড জেরির ঐতিহ্যও কিছুটা সমালোচিত হয় নির্দিষ্ট জাতিস্বত্ত্বাকে খাটো করে উপস্থাপন করার অভিযোগে। বিশেষ করে 'ম্যামি টু শুজ' চরিত্রটির - এক কৃষ্ণাঙ্গ গৃহকর্মী, যার বাচনভঙ্গিতে দক্ষিণাঞ্চলের প্রভাব ছিল অতিরিক্ত স্পষ্ট এবং যার কোমড়ের নিচের অংশই কেবল কার্টুনে দেখা যেত - উপস্থাপন জাতি বৈষম্যকে আপত্তিকরভাবে প্রকাশ করে বলে অভিযোগ ছিল। ঐ পর্বগুলোর কয়েকটিতে কৃষ্ণাঙ্গ চেহারা ব্যবহার করে হাস্যরস তৈরি করা এবং এশিয়ান বা জন্মগতভাবে অ্যামেরিকানদের চরিত্র উপস্থাপনের ক্ষেত্রেও মর্যাদা হানিকর চিত্রায়ন করা হয়। ষাটের দশকে যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশনে মূল পর্বগুলো যখন প্রকাশ করা হয়, কিছু দৃশ্যে ম্যামি'র চরিত্র প্রতিস্থাপন করা হয় নতুন চরিত্র দিয়ে, যেগুলোর অনেকগুলো চাক জোনসের তৈরি করা ছিল। যে পর্বগুলো বর্তমানে অনলাইনে স্ট্রিম করতে দেখা যায় বা নতুন করে প্রকাশ হয়েছে, সেগুলোর অনেকগুলোতেই আপত্তিকর দৃশ্য ও চরিত্রগুলোকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ২০১৪ সালে অ্যামাজন প্রাইম ইনস্ট্যান্ট ভিডিও যখন ঐ পর্বগুলোতে 'জাতিগত কুসংস্কার' রয়েছে এমন মন্তব্য সতর্কতা হিসেবে লিপিবদ্ধ করে, তারপর থেকে আপত্তিকর বিষয়গুলো নিয়ে বিশেষ সতর্কতা তৈরি হয় প্রকাশকদের মধ্যে। আপাতদৃষ্টিতে সহিংস কিছু কাহিনীর চিত্রায়ন ও ইঙ্গিতপূর্ণ হাস্যরসাত্মক দৃশ্যপট থাকলেও বিশ্বজুড়ে এখনও দারুণ জনপ্রিয় টম অ্যান্ড জেরি। জাপান থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত পৃথিবীর সবখানেই শিশুদের টেলিভিশনে এই কার্টুন দেখতে পাওয়া যায়। চীনে টম অ্যান্ড জেরির একটি নতুন মোবাইল ফোন গেম ১০ কোটির বেশি মানুষ ব্যবহার করে। এর পাশাপাশি এই যুগে এসেও টম অ্যান্ড জেরি আশ্চর্জজনকভাবে নতুন নতুন হেডলাইন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৬ সালে মিসরের শীর্ষ এক কর্মকর্তা অভিযোগ করেন যে মধ্যপ্রাচ্য সহিংসতা ছড়ানোর পেছনে ভূমিকা রাখছে এই কার্টুন। ইরানের শীর্ষ নেতা অন্তত দুইবার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের সম্পর্ককে তুলনা করেন টম ও জেরির মধ্যকার সম্পর্কের মাধ্যমে। কয়েক দশক ধরে নিয়মিতভাবে বিবিসি'র প্রচারিত অনুষ্ঠানের তালিকায় থাকার কারণে যুক্তরাজ্যেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এই কার্টুন। ২০১৫ সালে এক জরিপে যুক্তরাজ্যের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় কার্টুন হিসেবে উঠে আসে টম অ্যান্ড জেরির নাম। প্রথম তৈরি হওয়ার পর থেকে আশি বছরে বহুল পরিচিত ইঁদুর ও বিড়ালের খুনসুটির কাহিনী নিয়ে শিশুদের কাছে জনপ্রিয় কার্টুনের পাশাপাশি গীতিনাট্যভিত্তিক একটি চলচ্চিত্রও তৈরি করা হয়। ঐ ছবিতে চরিত্রগুলো গান গাইতো এবং কথাও বলতো। বিল হ্যান্না মারা যান ২০০১ সালে এবং জো বারবেরার মৃত্যু হয় ২০০৬ সালে। মারা যাওয়ার এক বছর আগে জো বারবেরা শেষবারের মত টম অ্যান্ড জেরির একটি পর্ব তৈরি করেন, যেটি ছিল সঙ্গী বিল হ্যান্নাকে ছাড়া তার তৈরি করা টম অ্যান্ড জেরির প্রথম পর্ব। টম অ্যান্ড জেরির বর্তমান স্বত্বাধিকারী ওয়ার্নার ব্রাদার্স এবছরের বড়দিনের আগে নতুন একটি লাইভ-অ্যাকশন ফিল্ম বাজারে ছাড়বে। ক্লো গ্রেস মোরেৎজ ও কেন জেওং এই ফিল্মটিতে কাজ করবেন, এছাড়া এটি সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। জেরি বেক মনে করেন বিশ্বব্যাপী মানুষ নিজেদের জীবনের সাথে মিল খুঁজে পান বলেই এতটা জনপ্রিয়তা লাভ করেছে টম অ্যান্ড জেরি। তিনি বলেন, "জেরি'র সাথে মানুষ সহজে নিজেদের মিল খুঁজে পায় কারণ আমাদের প্রায় সবার জীবনেই অত্যাচারী চরিত্র রয়েছে।" "অফিসের বস, বাড়ির মালিক বা রাজনীতির ক্ষেত্রে সবসময়ই অত্যাচারী চরিত্র খুঁজে পাই আমরা। আর আমরা সাধারণত নিজেদের মত করে জীবন চালাতে চাই, যেখানে কেউ না কেউ বিরক্ত করে।" | A cartoon cat, sick of the annoying mouse living in his home, devises a plot to take him out with a trap loaded with cheese. The mouse, wise to his plan, safely removes the snack and saunters away with a full belly. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ক্রেমলিন সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ের ওপর সোভিয়েত আমলের দুর্লভ নার্ভ এজেন্ট দিয়ে আক্রমণ করার প্রেক্ষিতে এমাসের শুরুতে ২৩জন রুশ কূটনৈতিক বহিষ্কার করে যুক্তরাজ্য। তারই ধারাবহিকতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছেন রুশ কূটনীতিকরা। তবে সবচেয়ে বেশি মোট ৬০ জন কূটনীতিক বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলা হচ্ছে, এই প্রথম রাশিয়ার এত বেশি সংখ্যক কূটনীতিককে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে একসঙ্গে বহিষ্কার করা হচ্ছে। এই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম ইউরোপে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে কাউকে হত্যার চেষ্টাকে খুবই দুঃখজনক বলে সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। এদিকে, এ আচরণকে উস্কানিমূলক বলে অভিহিত করে রাশিয়া জানিয়েছে শীঘ্রই পাল্টা ব্যবস্থা নেবে তারা। সের্গেই স্ক্রিপালকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা রাশিয়ার নার্ভ এজেন্ট ব্যবহারের বিষয়টিতে একমত হন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে বলেন, "প্রেসিডেন্ট পুতিনের সরকার আমাদের সবার স্বার্থ ও রীতির বাইরে গিয়ে মহাদেশের ভেতরে ও বিশ্বব্যপী বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন।" "ইউরোপের একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর সাথে এই হুমকির প্রতিরোধ করবে।" রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটি মনে করে এ পদক্ষেপ বিরোধিতার সম্পর্ক তৈরির ধারাবাহিক অংশ। সেই সঙ্গে এ আচরণকে 'অবন্ধুত্বপূর্ণ' উল্লেখ করে, এ ব্যবস্থায় অংশ নেয়া সব দেশের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেয়া হয় ঐ বিবৃতিতে। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ: যে লেখা পাল্টে দেয় ইতিহাস গায়ের রংয়ের ওপর নাগরিকত্ব দেয়া হয় যে দেশে ‘রাবেয়াকে জীবিত রাখা হয় মরদেহ পরিষ্কারের জন্য’ কারা কূটনীতিক বহিষ্কার করছে এমাসের শুরুতে ২৩ জন রুশ কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় যুক্তরাজ্য। সোমবার আরো কয়েকটি দেশ ঘোষণা দেয় যে তারাও একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। •যুক্তরাষ্ট্র : ৬০ জন •ইউরোপীয় ইউনিয়ন : ফ্রান্স (৪), জার্মানি (৪), পোল্যান্ড (৪),চেক প্রজাতন্ত্র (৩), লিথুয়ানিয়া (৩), ডেনমার্ক (২), নেদারল্যান্ডস (২), ইতালি (২), স্পেন (২), এস্তোনিয়া (১), ক্রোয়েশিয়া (১), ফিনল্যান্ড (১), হাঙ্গেরি (১), লাটভিয়া (১), রোমানিয়া (১), সুইডেন (১) •ইউক্রেন : ১৩জন •কানাডা: ৪ জন এবং রাশিয়া থেকে আরো ৩ জনের আবেদন প্রত্যাখ্যান •আলবেনিয়া : ২ জন •অস্ট্রেলিয়া : ২ জন •নরওয়ে : ১ জন •মেসিডোনিয়া : ১ জন আইসল্যান্ড ঘোষণা দিয়েছে তারা রাশিয়ার সাথে উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক আলোচনা স্থগিত করছে। তাদের রাষ্ট্রীয় নেতারা জুনে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টেও যাবে না বলে জানিয়েছে তারা। এমাসের শুরুতে যুক্তরাজ্যও জানিয়েছে তারা মন্ত্রী বা রাজপরিবারের সদস্যদের বিশ্বকাপে পাঠাবে না। অস্ট্রিয়া, গ্রীস ও পর্তুগাল জানিয়েছে তারা তাদের দেশ থেকে কোনো রুশ কূটনৈতিককে বহিষ্কার করবে না। তবে যুক্তরাজ্যের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছে তারা। রুশ কূটনীতিক বহিষ্কারের অতীত উদাহরণ ১৯৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান স্নায়ুযুদ্ধকালীন ৮০ জন রুশ কূটনৈতিক বহিষ্কার করেন। ২০১৬ তে বারাক ওবামা প্রশাসন হিলারি ক্লিনটনের ২০১৬'র নির্বাচনী প্রচারণা হ্যাক করার অভিযোগে ৩৫ জন কূটনীতিক বহিষ্কার করেন। মস্কো এই অভিযোগ অস্বীকার করে। | Russia has decided to expel 23 UK diplomats, in a tit-for-tat response to the UK's expulsion of 23 of its diplomats. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | মোক্সি নামের যন্ত্রটি আকারে একটি টোস্টারের সমান নাসার এই মঙ্গল অভিযানে এটি এ ধরণের দ্বিতীয় প্রযুক্তিগত সাফল্য। এর আগে পারসিভেয়ারেন্স থেকে একটি মিনি হেলিকপ্টার উড়েছিল মঙ্গল গ্রহের ওপর। যে যন্ত্রটি দিয়ে মঙ্গলগ্রহে অক্সিজেন তৈরি করা হয়েছে, সেটি আকারে একটা পাউরুটি সেঁকার টোস্টারের সমান। এটির নাম 'মার্স অক্সিজেন ইন-সিটু রিসোর্স ইউটিলাইজেশন এক্সপেরিমেন্ট' বা সংক্ষেপে মোক্সি। এই যন্ত্রটি পাঁচ গ্রাম গ্যাস তৈরি করেছে- যা দিয়ে মঙ্গলগ্রহে একজন নভোচারী বড়জোর দশ মিনিট শ্বাস নিতে পারবেন। নাসা মনে করছে, ভবিষ্যতে মঙ্গলগ্রহে মানুষের অভিযানের সময় তাদের পুরোটা সময়ের জন্য যে অক্সিজেনের দরকার হবে তা পৃথিবী থেকে বহন করে নেয়ার পরিবর্তে মোক্সি নামের এই যন্ত্রটিরই আরও বড় কোন সংস্করণ সাথে নেয়া যেতে পারে। মহাকাশে যেতে যে রকেট ব্যবহৃত হয়, সেই রকেট চালানোর জন্যও অক্সিজেন লাগে। অক্সিডাইজারের উপস্থিতিতে জ্বালানি পুড়িয়ে রকেট সামনে অগ্রসর হওয়ার গতি অর্জন করে। এই অক্সিডাইজার হিসেবে সাধারণ অক্সিজেনও ব্যবহার করা যায়। গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পারসিভেয়ারেন্স রোভার মঙ্গলগ্রহে গিয়ে নামে মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডই বেশি, প্রায় ৯৬ শতাংশ। অক্সিজেন আছে মাত্র শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। অথচ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আছে ২১ শতাংশ অক্সিজেন। মোক্সি নামের যন্ত্রটি মঙ্গলের কার্বন ডাইঅক্সাইডের অণু থেকে অক্সিজেন বের করতে পারে। কার্বন ডাইঅক্সাইডের প্রতিটি অণুতে থাকে কার্বনের একটি এবং অক্সিজেনের দুটি পরমাণু। আর এই অক্সিজেন বের করে নেয়ার পর যে কার্বন মনোক্সাইড অবশেষ হিসেবে থেকে যায়, তা ছেড়ে দেয়া হয় মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলে। নাসার যে টিম মোক্সি যন্ত্রটি চালাচ্ছে, তারা বিভিন্নভাবে এটি পরীক্ষা করে দেখছে কিভাবে সবচেয়ে ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়। তাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, এটি দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় দশ গ্রাম পর্যন্ত অক্সিজেন উৎপাদন করা যাবে। আরও পড়ুন: মঙ্গলগ্রহের আকাশে সফলভাবে ড্রোন উড়িয়ে ইতিহাস ছবি: মঙ্গল গ্রহ দেখতে কেমন মঙ্গল গ্রহে নাটকীয় অবতরণের পর এখন যেসব অনুসন্ধান চালাবে নাসার নভোযান নাসার স্পেস টেকনোলজি মিশন ডাইরেক্টরেটের টেকনোলজি বিষয়ক পরিচালক ট্রাডি কোর্টেস বলেন, "মোক্সি যে ভিনগ্রহে অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্রথম যন্ত্র কেবল তাই নয়, এটি হচ্ছে এ ধরণের প্রথম প্রযুক্তি যা ভবিষ্যতের অভিযানগুলোকে ভিন্ন কোন গ্রহে সেখানকার পরিবেশের উপাদান ব্যবহার করেই বেঁচে থাকতে সহায়তা করবে।" মঙ্গলগ্রহের যেখানে গিয়ে অবতরণ করেছে পারসিভেয়ারেন্স রোভার নাসা তার ইনজেনুইটি হেলিকপ্টারটি আজ আবার ওড়ানোর চেষ্টা করবে। গত সপ্তাহে এই মিনি হেলিকপ্টার মঙ্গলগ্রহে ওড়ার মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করে। ভিন্ন কোন গ্রহে কোন বিদ্যুৎচালিত উড়ন্তযানের এটাই ছিল প্রথম কোন নিয়ন্ত্রিত ফ্লাইট। দ্বিতীয় ফ্লাইটের সময় এটি মঙ্গলের পৃষ্ঠদেশ থেকে পাঁচ মিটার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। এটি এসময় কিছু ছবি তুলবে, এরপর যেখান থেকে উড়েছিল, সেই জায়গায় ফিরে মাটিতে নামবে। | An instrument on Nasa's Perseverance rover on Mars has made oxygen from the planet's carbon dioxide atmosphere. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | এ মাসের নির্বাচনে পঞ্চমবারের মত পুনর্নিবাচিত হবার পর প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর ওপর পদত্যাগের জন্য বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে দেশটির মানুষ কিন্তু গত নির্বাচনের পর থেকে তিনি ব্যাপক গণ বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। বিতর্কিত নির্বাচনী ফলাফলের পর থেকে তার ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ছে। মি.লুকাশেঙ্কো ১৯৯৪ সালে দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। একমাত্র ওই একটি নির্বাচনই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিবেচনায় অবাধ ও নিরপেক্ষ ছিল। এরপর মি. লুকাশেঙ্কো পুনর্নিবাচিত হয়েছেন আরও পাঁচবার। যার মধ্যে রয়েছে এবছর নয়ই অগাস্টের সর্বশেষ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তিনি ৮০% ভোট পেয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। এরপরই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশের জনগণ, নজিরবিহীন প্রতিবাদ দেখাতে পথে নেমেছে দেশটির মানুষ। কে এই আলেকসান্ডার লুকাশেঙ্কো? ২৬ বছর ধরে তার ক্ষমতা ধরে রাখার রহস্যটা কি? খামার থেকে ক্ষমতার মসনদে মি. লুকাশেঙ্কো প্রথম ক্ষমতায় আসেন ১৯৯৪ সালে। কিন্তু এরপর থেকে তার অধীনে প্রত্যেকটা নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি মি. লুকাশেঙ্কোর ক্ষমতায় উত্থান শুরু হয় ১৯৯০ সালে বেলারুসের সংসদে তিনি নির্বাচিত হবার মধ্যে দিয়ে। সংসদে দুর্নীতি দমন কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে তার ভূমিকা ছিল খুবই উদ্দীপনাময়। খুবই সাধারণ পরিবার থেকে তার উঠে আসা। পূর্ব বেলারুসের এক দরিদ্র গ্রামে একা মা তাকে বড় করেছিলেন। স্নাতক পাশ করেন মি. লুকাশেঙ্কো ১৯৭৫ সালে, শিক্ষক হন এবং এরপর দু বছর রাজনীতির প্রশিক্ষক হিসাবে বাধ্যতামূলক সেবা দেন সেনাবাহিনীতে। ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত কম্যুনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। কৃষি ও শিল্প অর্থনীতিতে ডিগ্রি লাভ করেন করেসপডেন্স কোর্সের মাধ্যমে এবং ১৯৮৫ সালে একটি সমবায় খামারের চেয়ারম্যান হন, যার ফলশ্রুতিতে তাকে ১৯৮৭ সালে দেশের পূর্ব-মধ্যাঞ্চলীয় মাহিলিও এলাকায় একটি রাষ্ট্রীয় খামারের পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়। দেশটির ১৯৯৪ সালের নির্বাচনে তিনি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য জনগণের প্রার্থী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। ওয়াশিংটনে অ্যাটলান্টিক কাউন্সিলের একজন বিশেষজ্ঞ অ্যানডার্স আসলান্ড বলছেন তখন তার প্রচারণার মূল ফোকাস ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান। এছাড়া তার আর কোন লক্ষ্য বা সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা ছিল না। কিন্তু ক্ষমতায় বসার পরই তার কম্যুনিস্ট প্রতিপক্ষ যেসব নীতির ভিত্তিতে লড়ে ভোটে হেরেছিলেন, তার বেশিরভাগই মি. লুকাশেঙ্কো নির্দ্বিধায় গ্রহণ করেন। তার প্রতিপক্ষ ওই নির্বাচনে পেয়েছিলেন ১৪% ভোট, আর মি. লুকাশেঙ্কো পান ৮০% ভোট। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর যেসব আকস্মিক ও নাটকীয় নীতিমালা নেয়া হয়েছিল তিনি তার বিরোধিতা করেন এবং দেশের অর্থনীতি পরিচালনা করেন মূলত রাষ্ট্রীয় মালিকানার ভিত্তিতে। দেশটির সংবাদ মাধ্যম এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপরও তিনি রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব পুরোপুরি বজায় রাখেন। 'স্বৈরাচারী স্টাইল' মি. লুকাশেঙ্কো (মাঝখানে) এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আইস হকি ম্যাচ (ফেব্রুয়ারিতে) মি. লুকাশেঙ্কোর শাসন পদ্ধতিকে সোভিয়েত জমানার স্বৈরাচারী স্টাইলের বলে বর্ণনা করা হয়। তিনি দেশের প্রধান সংবাদ চ্যানেলের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের হয়রানি করার ও প্রয়োজনে জেলে ভরার নীতি অনুসরণ করেছেন এবং নিরপেক্ষদের কণ্ঠরোধ করে তাদের একঘরে করেছেন। তিনি ২০০৩ সালে বলেছিলেন: "আমার বৈশিষ্ট্য হল স্বৈরাচারী স্টাইলের শাসন। আমি সবসময়ই সেটা স্বীকার করেছি। দেশকে নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। মূল কথা হলো জনগণের জীবনকে ধ্বংস না করা।" শক্তিশালী গোয়েন্দা পুলিশ -এখনও সেখানে কেজিবি নামেই পরিচিতি- ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর কড়া নজর রাখে। এদের বেশিরভাগই হয় জেলে নয় নির্বাসনে। প্রেসিডেন্টকে অপমান করা - এমনকি মজা করা হলেও - তার শাস্তি কারাবাস। বেলারুস ইউরোপের একমাত্র দেশ এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের একমাত্র দেশ যেখানে এখনও মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়াও গোপনীয়তায় ঢাকা। মাথায় গুলি করে কত মানুষের মৃত্যুদণ্ড যে কার্যকর হয়েছে তার সঠিক সংখ্যা জানা যায় না। তবে ধারণা করা হয় ১৯৯৯ সালের পর থেকে ৩০০য়ের বেশি মানুষকে এভাবে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: 'এটা পুরো নরক' - বেলারুসের আটক বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভে উত্তাল বেলারুস: নিপীড়নের মুখে মানুষ এখন আরও নির্ভীক মদের আসরেই সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার চুক্তি? কোভিড-১৯ এর মোকাবেলায় ভদকা মি. লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ক্ষমতায় টিকে রয়েছেন হয়রানি, হুমকি ধমকি এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের হত্যার নির্দেশ দিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে পরিবর্তনের জন্য চাপ সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট তার নীতিতে অনড় থেকেছেন। দেশটি ২০১১ সালে চড়া মুদ্রাস্ফীতির সংকটে পড়ে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ-এর পূর্বাভাস ছিল ২০২০ সালে দেশটিতে অর্থনৈতিক মন্দার হার হবে ৬%। কিন্তু দেশটিতে বেকারত্ব প্রায় নেই বললেই চলে এবং বেলারুসের রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ বাজার এখনও রাশিয়া। মে মাসের শেষ নাগাদ যখন বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ লকডাউনের মধ্যে ছিল, তখন মি. লুকাশেঙ্কো বলেছিলেন বেলারুসের অবস্থা অনেক ভাল। এবং দেশটিতে লকডাউন না দেবার জন্য তাদের সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল। "দেখুন স্বচ্ছল পশ্চিমা দেশগুলোতে বেকারত্ব লাগামহীন পর্যায়ে। লোকে থালাবাসন বাজাচ্ছে। লোকের খাওয়া জুটছে না। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। আমরা সেটা এড়াতে পেরেছি, আমরা সব কিছু বন্ধ করিনি," তিনি বলেন। তবে করোনা মহামারি মি. লুকাশেঙ্কোর জন্য কিছুটা বিব্রতির কারণও হয়েছে। প্রথমদিকে তিনি কোভিড-১৯ মহামারির বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বলেন এটা গণহারে পাগলামো "মানসিক প্রলাপ"। তিনি এই ভাইরাস কাটাতে ভদকা মদ পান করার এবং উষ্ণ বাষ্পের স্নানাগার বা সনায় গিয়ে বসে থাকার পরামর্শ দেন। জুলাই মাসে তিনি এই ভাইরাসকে মেনে নেন যখন তিনি নিজেই পজিটিভ শনাক্ত হন। তবে কোনরকম উপসর্গ তার ছিল না এবং তিনি সেরে ওঠেন। সোভিয়েত নস্টালজিয়া মি. লুকাশেঙ্কো প্রথমে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণকে 'মানসিক প্রলাপ' এর লক্ষণ বলে নাকচ করে দিয়েছিলেন তবে পরে তিনি নিজে পজিটিভ শনাক্ত হবার পর করোনাভাইরাস মেনে নিতে তিনি বাধ্য হন ভ্লাদিমির পুতিনের মত মি. লুকাশেঙ্কোও সোভিয়েত ইউনিয়নের স্মৃতিকাতর। তিনি সেসময়কার নস্টালজিয়া ধরে রাখতে চান। তবে ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার ব্যাপারে মি. লুকাশেঙ্কোর আনুগত্য স্পষ্ট। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যা তার ভাষায় "বহু মেরু বিশিষ্ট বিশ্বের স্তম্ভ" এবং রাশিয়া এর মধ্যে পক্ষ সমর্থনে তার কোন দ্বিধা নেই। রাশিয়া তার ভাষায় "ভাই"। "ভাইকে বেছে নিতে লাগে না। কাজেই আমরা রাশিয়ার সাথে আছি নাকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে - এ প্রশ্ন আমাদের করবেন না," তিনি মন্তব্য করেছিলেন ২০১৭ সালে। তিনি ২০১৮র ডিসেম্বরে মস্কোয় মি. পুতিনের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তাকে নববর্ষের উপহার হিসাবে চার বস্তা আলু এবং সালো নামে শূকরের বিশেষভাবে কাটা চর্বি দেন। বেলারুসের প্রেসিডেন্টের তথ্য সচিব জানান ওই আলু ভিন্ন জাতের এবং ভিন্ন স্বাদের এবং বেলারুসের ওই খাবারগুলো মি. পুতিনের বিশেষ প্রিয়। 'পুরুষের মুখের কথা' মি. লুকাশেঙ্কোর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীরা সবাই নারী তবে তিনি বলেছেন বেলারুসের সমাজ এখনও 'একজন নারীকে ভোট দিতে রাজি নয়' জর্জিয়া এবং প্রতিবেশি ইউক্রেনে সনাতনপন্থী শাসকদের যেভাবে পতন ঘটানে হয়েছে মি. লুকাশেঙ্কো তার দেশে সেধরনের বিপ্লবের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময়, তিনি একথাও বলেন যে বেলারুসের সমাজ "কোন নারীর পক্ষে ভোট দেবার জন্য তৈরি নয়, কারণ সংবিধানে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য সবল কর্তৃত্ব ন্যস্ত করা আছে"। তার প্রধান প্রতিপক্ষ এখন প্রত্যেকেই নারী। কোন কোন বিশ্লেষক বলছেন মি. লুকাশেঙ্কোর ওপর পদত্যাগের জন্য নজিরবিহীন চাপ তৈরি হয়েছে- অনেকে আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন আগের নির্বাচনগুলোর পরেও তার ওপর চাপ এসেছিল এবং তিনি টিকে গিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো ১৭ই অগাস্ট রাজধানী মিনস্কে কারখানা শ্রমিকদের এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে শ্রমিকদের হেনস্থার শিকার হন। তাকে দেখা যায় বিরক্তি প্রকাশ করে বেরিয়ে যেতে। তিনি বলেন সমাবেশে উপস্থিতরা তাকে "গো" (সরে যান) বলে যত খুশি চেঁচাতে পারে। এবং তারা সেটা আসলে করেনও। একিই দিনে, একটি গাড়ি নির্মাণ কারখানায় ভাষণ দেবার সময় তিনি বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ার করে দেন যে তারা "লাল দাগের সীমায় পৌঁছে গেছে"। তিনি সতর্ক করে দেন "যদি এই সীমা অতিক্রম করেন, তাহলে তার পরিণাম ভোগ করতে হবে। যদি পথে নামেন, আমরা ব্যবস্থা নেব," খবর দেয় রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বেলটা সংবাদ সংস্থা। "আপনারা যদি সব কিছু ভাঙতে শুরু করেন, আপনাদের যথাযথ জবাব দেয়া হবে। একজন পুরুষের মুখ থেকে এটা শুনে রাখুন।" | Belarus President Alexander Lukashenko, Europe's longest-serving ruler, is facing unprecedented opposition to his power. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | আদিবাসীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য দীর্ঘকাল ধরে একটি কৌশল ব্যবহার করে। ইউরোপীয়রা অস্ট্রেলিয়ায় আক্রমণ চালিয়ে উপনিবেশ স্থাপনের অনেক আগে থেকেই "সাংস্কৃতিক দহন" নামে পরিচিত অগ্নি ব্যবস্থাপনার কৌশলগুলো স্থানীয়ভাবে অনুশীলন করা হতো। কুল বার্নিং বা হাঁটু-পর্যন্ত উচ্চতার আগুন জ্বালানোর প্রক্রিয়া এমনভাবে ডিজাইন করা হতো যেন সেই আগুন প্রতিনিয়ত পুরো ভূমিজুড়ে জ্বলতে থাকে। এই আগুন ছোট ছোট ডালপালা থেকে শুরু করে শুকনো পাতার মতো দাহ্য উপাদান সবই পুড়িয়ে দেয়। এতে করে প্রাকৃতিক দাবানল আঘাত হানার আশঙ্কা কমে যায়। গত বছর অস্ট্রেলিয়ার দাবানল সংকট শুরু হওয়ার পরে, এই কৌশলটি পুনরায় আরও ভালভাবে চালু করার আহ্বান বেশ জোরালোভাবে ওঠে। আর সেটি খুব শীঘ্রই চালু হওয়া উচিত ছিল, এমন যুক্তি দিয়েছেন একজন আদিবাসী জ্ঞান বিশেষজ্ঞ। "বন জ্বলতে হবে," শ্যানন ফস্টার বলেন। তিনি ডি'হারাওয়াল জনগোষ্ঠীর জ্ঞান রক্ষক, তার পূর্বসূরীদের রেখে যাওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করেন তিনি কাজ করেন। এছাড়া তিনি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির (ইউটিএস) একজন আদিবাসী জ্ঞান বিষয়ক প্রভাষক। বংশ পরম্পরায় কয়েক পুরুষ ধরে আহরিত যেসব তথ্য তিনি মানুষকে বলে থাকেন তার বেশিরভাগই বন সম্পর্কিত। "এটি একটি গ্রামকে টিকিয়ে রাখার ধারণা দেয়- আমরা আদিবাসী মানুষ হিসাবে যা কিছু করি তার কেন্দ্রবিন্দুতে এই বন টিকিয়ে রাখার ধারণাই থাকে। আমরা একটা গ্রাম থেকে শুধু কী নিতে পারি তার চাইতে, আমরা গ্রামকে কী ফিরিয়ে দিতে পারি, সেটা জরুরি।" শ্যানন ফস্টার অস্ট্রেলিয়ার ডি'হারাওয়াল আদিবাসী গোষ্ঠীর প্রবীণদের দেয়া কৌশলের ওপর নির্ভর করেন আজকের 'সাদাসিধে' কৌশল আদিবাসী সংস্কৃতিতে, গ্রামকে ব্যক্তিরূপে প্রকাশ করা হয়। "এই পৃথিবী আমাদের মা। সে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে," মিসেস ফস্টার বলেন। সতর্কতামূলক আগুন জ্বালানোকে অগ্রাধিকার দেয়া ঠিক হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নিতে এই সম্পর্কটি সাহায্য করে। যদিও আধুনিক কালের কর্তৃপক্ষ, জীবন ও সম্পদ রক্ষার লক্ষ্যে বিপর্যয় হ্রাসকরণ প্রক্রিয়ায় আগুন জ্বালিয়ে থাকে। তাদের সেই উদ্যোগ কাজ করছে না বলে জানান মিস ফস্টার। আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক দহন, পরিবেশের ছন্দের সঙ্গে তাল রেখে কাজ করে, এর দ্বারা মার্সুপিয়াল এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীরা আকৃষ্ট হয়, ফলে আদিবাসীরা শিকার করতে পারে। "কুল বার্নিং বা শীতল দহন পৃথিবীর ঘাটতি পূরণ করে এবং জীববৈচিত্র্য বাড়ায় - আগুনের ছাই জমিকে উর্বর করে এবং পটাসিয়াম উৎপাদনক্ষমতা বাড়ায়। "এটি সাংস্কৃতিক, আধ্যাত্মিক এবং বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের একটি জটিল চক্র।" আরও পড়তে পারেন: অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল: উপকূলের বাড়িঘর পুড়ে ছাই ১০ হাজার উট মেরে ফেলবে অস্ট্রেলিয়া হাজার হাজার মানুষকে ভিক্টোরিয়া রাজ্য ছাড়ার নির্দেশ মিস ফস্টার বলেন, "এই দহন বাস্তুসংস্থানে একটি বৈচিত্র্য তৈরি করে এবং এর ফলে অনুকূল জলবায়ু সৃষ্টি হতে পারে।" "সফট বার্নিং অথবা ক্ষীণ দহন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বাড়ায়- এটি পরিবেশকে একটি বিশেষ বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে উষ্ণ করে তোলে এবং ওই স্তরে গরম এবং শীতল বাতাসের সংঘর্ষে ঘনীভবন হয় এবং বৃষ্টিপাত ঘটে যা আগুন নিরসনে সহায়তা করে।" সিডনিতে থাকা তার প্রবীণ আদিবাসী সদস্যরা অতিমাত্রায় বেড়ে ওঠা ঝোপঝাড় এবং অত্যন্ত শুকনো ডালপালা দেখে বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছিলেন যে একটি বিশাল দাবানল আসতে যাচ্ছে। "এই পরিস্থিতিকে তারা একটি শিশুর এলোমেলো চুলের সাথে তুলনা করে বলেন যে এই চুলকে পরিপাটি করা প্রয়োজন।" এজন্য তারা অনুমতি চাইলে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাদের সাংস্কৃতিক দহন করতে নিষেধ করেছিল। মিস ফস্টারের দাদার বাবা টম (বাঁয়ে) এবং দাদা ফ্রেড (বাঁ থেকে তৃতীয়) ১৯৪০ এর দশকে আদীবাসীদের থেকে বিভিন্ন কৌশল শিখছেন। যেখানে সাংস্কৃতিক দহন ব্যবহৃত হয় সতর্কতামূলক দহন পদ্ধতির কোন গৎবাঁধা নিয়ম নেই কারণ অস্ট্রেলিয়ার ভূমি কাঠামো একেক জায়গায় জায়গায় একেকরকম। তা সত্ত্বেও, কয়েকটি রাজ্য অন্যান্য কৌশলের সাথে সাংস্কৃতিক দহন চালু করে বলে জানিয়েছেন দাবানল এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সমবায় গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী ডঃ রিচার্ড থর্নটন। "উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় এক বড় ধরণের ভিন্নতা রয়েছে, যেখানে আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক দহন যথেষ্ট পরিমাণে হয়ে থাকে। দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে এটি কখনও কখনও স্থানীয় সম্প্রদায়ের প্রয়োজন এবং ইচ্ছা অনুযায়ী হয়।" ১৭৮৮ সালে অস্ট্রেলিয়া উপনিবেশিক রাষ্ট্র হওয়ায় পর ধীরে ধীরে সাংস্কৃতিক দহনের রীতি নির্মূল করা হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এটি পুনরায় চালু করার পদক্ষেপ দেখা গেছে। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় উদ্যানের সাবেক বনরক্ষী এবং সহযোগী অধ্যাপক নোয়েল প্রিস, মধ্য অস্ট্রেলিয়ার সংরক্ষিত পার্কগুলোর জন্য প্রথমবারের মতো অগ্নিকাণ্ডের ম্যানুয়াল লেখেন। তিনি বলেন যে, মেলবোর্নের কিছু অংশে এখনও সাংস্কৃতিক দহন অনুশীলন করা হয়, তবে দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার বেশিরভাগ স্থানে তা থেমে গেছে কারণ কিছু বিপদজনক অঞ্চলে গাছপালা জন্মেছে, যেখানে শীতল দহন কাজ করে না। "এর অর্থ 'নোংরা গ্রাম' সম্পর্কে আদিবাসীদের অত্যন্ত গভীর জ্ঞান ছিল, যেই গ্রামকে ভালভাবে পোড়ানো দরকার," বলেছেন জেমস কুক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক প্রিস। দাবানল সংকট সেপ্টেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়াকে বিধ্বস্ত করেছে। প্রাচীন অনুশীলনের কিছু ত্রুটি অধ্যাপক প্রিস বলেছেন, সাংস্কৃতিক দহনের কারণে ভূ-গর্ভে জ্বালানীর পরিমাণ ১০ টন থেকে কমে এক টনে নেমে আসতে আসতে পারে। তবে এই দহন কেবলমাত্র মাঝারি মাত্রার আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে, তাই বিপর্যয় কমানোর এই দহন একযোগে করা প্রয়োজন। তারপরও, এটি কেবল ঝুঁকি কমাতে পারে: "বিপর্যয়কর আর্দ্রতা এবং তীব্র বাতাস কোনটাই সাম্প্রতিক আগুন থামাতে পারেনি।" "আদিবাসীদের তাদের দেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, সুতরাং এখানে পুনরায় শেখার একটি প্রক্রিয়া রয়েছে যা অত্যন্ত দরকারি এবং গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তারপরও এটি প্রাচীন কালের বিষয় যা যথেষ্ট নয়," তিনি বলেন। বিশেষজ্ঞরা একমত হন যে, সাংস্কৃতিক দহনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, এর আংশিক কারণ হতে পারে যে উপনিবেশের ফলে নানা ক্ষেত্রে বিকাশ ঘটেছে এবং মানুষের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন ঘটেছে, যার কারণে শত শত বছর আগের তুলনায় আমাদের এখনকার প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন। অধ্যাপক প্রিস এমন অঞ্চলে ছিলেন, যেখানে পরিস্থিতি এমন ছিল যে এক পর্যায়ে শীতল সাংস্কৃতিক দহন কোন সঠিক উপায় ছিল না। বড় ধরণের আগাছাগুলো গাছের আগা পর্যন্ত ছাউনির মতো ছড়িয়ে গেছে, এগুলো পোড়াতে উষ্ণ আগুনের দরকার কারণ শীতল দহন এই দাহ্য স্তরগুলো সরাতে পারবে না---বলেন ডঃ থর্নটন। তিনি আরও বলেন যে, ফায়ারস্টিক্সের মতো কয়েকটি সংস্থা নিজেদের জায়গার মধ্যে একেকটি আদিবাসী দহন পদ্ধতি নিয়ে কাজ করেছে। তবে অন্যরা যদি এটি আরও বড় আকারে করতে চায় তবে সব সম্প্রদায়ের সম্মতির ভিত্তিতেই তা হওয়া দরকার। "আমাদের নিশ্চিত করা দরকার যে আগুন, মানুষের সম্পদ পুড়িয়ে ফেলতে পারে এবং এর সামগ্রিক অনুশীলন পুরো সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গিকে ছোট করবে তাই আমাদের সুরক্ষা কাঠামোর মধ্যে কাজ করা নিশ্চিত করতে হবে যেটা প্রতিরোধ করা যাবে।" অস্ট্রেলিয়ার ভয়াবহ দাবানল। এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন চলমান দাবানল সংকট সম্পর্কে একটি "তদন্তের" প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ দাবানলের কারণে এ পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এক কোটি হেক্টর এলাকা পুড়ে গেছে। ডঃ থর্নটন মনে করেন, যখন এই দাবানল চলতেই থাকে তখন প্রতিটি অঞ্চলে থাকা প্রবীণ আদিবাসীদের সাথে কথা বলা এবং তাদের পরামর্শ শোনা প্রয়োজন। তবে তিনি যেসব জাতীয় দাবানল গবেষণা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনায় কাজ করেছেন তার কোন বোর্ডে কখনও কোনও আদিবাসীকে বসানো হয়নি। শ্যানন ফস্টার সরকারী সংস্থাগুলির সাথে একসাথে কাজ করতে আগ্রহী, তবে তিনি উন্নয়নের সম্প্রসারণ নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন: "এত জমি ধ্বংস হয়ে গেছে যে, এখন উন্নয়নকর্মীরা সেখানে গিয়ে বলতে পারে যে আমরা এই জমিতে বসতি গড়তে চাই। যেহেতু জমি সাফ হয়ে গেছে।" তিনি আরও যোগ করেন, "আদিবাসীরা এতদিন এই জায়গাটির দেখাশোনা করেছে - এটি এখন ধ্বংস হয়ে গেছে। কারণ কেউ আমাদের সেটি দেখাশোনার অনুমতি দেয়নি," তিনি যোগ করেন। "এটি এমন নয় যে আমরা আপনাদের কিছু বলিনি" | For thousands of years, the Indigenous people of Australia set fire to the land. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | গতবছরের জুনে সিঙ্গাপুরে বৈঠকের সময়ে ট্রাম্প-কিম আশা করা যায় যে, এক সময়ের প্রবল শত্রুভাবাপন্ন এই দুইজন উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র বিষয়ে কিছু একটা সমাধানে এবার আসতে পারবে। এই সাক্ষাতকে কেন্দ্র করে কী ঘটতে যাচ্ছে সপ্তাহজুড়ে? কী নিয়ে আলোচনা করবেন তারা? গত জুনে এই দুই নেতার প্রথম ঐতিহাসিক সাক্ষাতের সময়ে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিল, এবারো সেই বিষয়টিই থাকছে আলাপের প্রসঙ্গে, আর তা হলো 'পরমাণু অস্ত্র'। বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষই হয়তো চাইছে যে, উত্তর কোরিয়া তাদের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচী বন্ধ করুক- যাকে পদ্ধতিগত ভাবে বলে- ডিনিউক্লিয়ারাইজেশন। কিন্তু উত্তর কোরিয়া একটি কথা সবসময়েই বলে আসছে, আর তা হলো যে যখন তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্যদের কাছ থেকে আর কোনো ধরনের হুমকির সম্মুখীন হবে না- তখনই তারা এমন সিদ্ধান্তে যেতে পারে। কেননা, উত্তর কোরিয়াকে কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রাখা হয়েছে। ফলে বিশ্বের বেশিরভাগ অংশের সাথেই বাণিজ্য বা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে তাদের। আর তাই সেসব নিষেধাজ্ঞা থেকে বেরিয়ে আসতে তারা নিশ্চয়তা চায়। আরো পড়তে পারেন: বালাকোট হামলা: কতো দূর গড়াতে পারে উত্তেজনা বালাকোটে ভারতের বোমা বর্ষণ: কী বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা? ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে কেন এই বিরোধ ডোনাল্ড ট্রাম্প-কিম জং আন: শত্রু না বন্ধু? উত্তর কোরিয়া কি এরইমধ্যে পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচী বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেয়নি? এই প্রশ্নের উত্তর হলো - না। কখনোই না। গতবছর যখন প্রথমবারের মতো তাদের সাক্ষাৎ হলো, ট্রাম্প এবং কিম সাক্ষর করেছিলেন 'দ্য সিঙ্গাপুর ডিক্লারেশন', যাতে আশাবাদ অনেক বেশি থাকলেও তার বিস্তারিত কমই জানা গেছে। সেখানে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, তারা শান্তি এবং পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু এর প্রকৃত অর্থ কী এবং কীভাবেই বা তা করা হবে- সে সম্পর্কে তারা একমত হতে পারেনি। যদিও উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু পরীক্ষাগার ধ্বংস করে দিয়েছে- যদিও পারমাণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ হবার পর সেটার আদৌ কোনো প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু পরমাণু অগ্রগতি থামানোর আর কোনো ইঙ্গিত তারা দেখায়নি। এমনকি, মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়েছে যে উত্তর কোরিয়া কখনই এই কর্মসূচী পরিত্যাগ করতে পারবেনা। কেননা তারা মনে করে যে ঐ অঞ্চলে তাদের কৌশল করেই টিকে থাকতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে মি. ট্রাম্প তার উচ্চাকাঙ্খার মাত্রায় পরিবর্তন এনে বলতে শুরু করেছেন, উত্তর কোরিয়া আর কোনো পারমাণবিক বোমা বা ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষা যে চালায়নি- তাতেই তিনি খুশি। যুক্তরাষ্ট্র হয়তো উত্তর কোরিয়াকে শুধুমাত্র তার সকল ধরনের পরমাণু পরীক্ষণের তালিকা প্রকাশের জন্যেও চাপ দিতে পারে। এবিষয়ে আরো পড়তে পারেন: উত্তর কোরিয়ার সাধারণ মানুষ যেভাবে বেঁচে আছেন কিম-ট্রাম্প দ্বিতীয় বৈঠক: আশা জাগাবে কতটা ভিয়েতনামে কিম-ট্রাম্প বৈঠক: নকল কিম বহিস্কার ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে মিসাইল পরীক্ষা করছেন কিম জং-আন কেন উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র রাখতে পারবে না? এখন পর্যন্ত যত ধরনের অস্ত্র আবিস্কার হয়েছে, পরমাণু বোমা তার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, পুরো বিশ্ব একমত হয়েছে যে নতুন করে আর কোনো রাষ্ট্রকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে দেয়া হবে না। উত্তর কোরিয়া নিজস্ব পরমাণু অস্ত্র তৈরির মাধ্যমে সেই আন্তর্জাতিক চুক্তি ও আইন লঙ্ঘন করেছে। বাস্তবে এ নিয়ে সবচেয়ে ভয় হলো যে, কোনো দিন হয়তো এসব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়ে যেতে পারে। কিংবা অন্য কোনো রাষ্ট্রের কাছে এর ফর্মুলা বা প্রযুক্তি বিক্রি করা হতে পারে, দূর্ঘটনা ঘটতে পারে অথবা সরকারের পতন ঘটলে এগুলো ভুল কারো হাতে পড়তে পারে। এখন উত্তর কোরিয়াকে যদি পরমাণু কর্মসূচী চালিয়ে যাবার অনুমতি দেয়া হয়, তবে অন্য রাষ্ট্রও একইভাবে উৎসাহিত হতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সেনাদের মহড়া উত্তর কোরিয়া কি তাহলে সবার জন্যে হুমকি? হ্যাঁ, স্বভাবগতভাবেই। কেননা তারা বারবার বলেছে যে, তারা কোনো ধরনের হুমকির সম্মুখীন হলেই পারমাণবিক অস্ত্র বা প্রচলিত অস্ত্র ব্যবহারে পিছপা হবে না। দেশটির প্রতিবেশীরা এ নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন- বিশেষত দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান। যদিও এই দুই দেশেই হাজার হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার দাবি যে, তাদের দূরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখন্ডে গিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম। আবার সাম্প্রতিক সময়ে দেশটি সাইবার নিরাপত্তার জন্যেও হুমকির কারন হয়ে দাড়াচ্ছে। হ্যানয়ে ট্রাম্প-কিম বৈঠকের প্রস্তুতি আমেরিকা আর উত্তর কোরিয়ার মধ্যে কি যুদ্ধ চলছে? কৌশলগতভাবে বলতে গেলে বলা যায় যে, হ্যাঁ চলছে। কোরিয়ান যুদ্ধ শেষ হয়েছে বটে , কিন্তু কোনো শান্তি চুক্তি কখনো স্বাক্ষরিত হয়নি। যুদ্ধোত্তর চুক্তির অধীনে, এখনও দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৩ হাজারের বেশী মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্য আছে এবং তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাদের সাথে নিয়মিত প্রশিক্ষণ বা সেনা অনুশীলনে অংশ নিয়ে থাকে। এই আলোচনার অন্যতম ফলাফল হিসেবে কোনো একরূপে শান্তি ঘোষণা আসতে পারে, যার কিছুটা মি. কিম নিশ্চয়ই চান। সেটি হয়তো কোনো আনুষ্ঠানিক শান্তি চুক্তি হবে না- এটি হবে জটিল রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাস্তব কিছু বিষয়ের সাথে যুক্ত। ভিয়েতনামে কেন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বৈঠক? কমিউনিস্ট দেশ হিসেবে উত্তর কোরিয়ার সাথে ভিয়েতনামের যেমন কিছু রাজনৈতিক মিল রয়েছে তেমনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও রয়েছে দ্বন্দ্বের ইতিহাস। উত্তর কোরিয়াকে একঘরে অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে ভিয়েতনামকেই আদর্শ হিসেবে দেখতে হবে। কিম হয়তো কিছু সময় দেশটির ইন্ডাস্ট্রি এবং বাণিজ্যের দিকে মনোযোগ দিতে পারেন। উত্তর কোরিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে নিষ্ঠুর সরকার পদ্ধতি বিরাজ করছে, যারা সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখে জনগণের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের মতে দেশটিতে অন্তত ১০ মিলিয়ন মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শহুরে রাজনৈতিক অভিজাতদের জীবন অনেক উন্নত হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। তবে অধিকায় আদায়ে সোচ্চার বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, কিছুই পরিবর্তন আসেনি। ট্রাম্প-কিম শীর্ষ সম্মেলনে মানবাধিকার ইস্যুটি আলোচনায় আসবে না। তবে তারা কিছু মানবিক বিষয়কে অনুমোদন দিতে পারে, যুদ্ধে বিছ্ন্নি পরিবারের সদস্যদের দেখা সাক্ষাতের ব্যবস্থায় সায় দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র কি কখনো উত্তর কোরিয়া আক্রমণ করতে পারে? তাত্ত্বিকভাবে বলা যেতে পারে যে, হ্যাঁ এটা সম্ভব। কিন্তু অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন এটা কেবল একটা ধারণা মাত্র। কিম এবং দেশটির বর্তমান নেতৃত্বকে অপসারন করলে সেখানে হঠাৎ বিশাল অস্থিরতা দেখা দিতে পারে; যা অনিবার্যভাবে আরেকটি শরণার্থী সংকট তৈরি করতে পারে। আর উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো এসব বাড়তি খরচ এড়াতে চায় এবং অঞ্চলটির সামগ্রিক অস্থিতিশীলতার বিপক্ষে। আর উত্তর কোরিয়ার রয়েছে পারমাণবিক, রাসায়নিক এবং জৈব অস্ত্র - সেইসাথে আছে একটি বিশাল আকারের সেনাবাহিনী। যতক্ষণ না এর সবকিছু নিষ্ক্রিয় হচ্ছে, ততক্ষণ এমন ঝুঁকি নেয়া উচিৎ নয়। | US President Donald Trump is meeting North Korea's Kim Jong-un in Vietnam this week - for the second time. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চালিকা শক্তি দেশটির গার্মেন্টস শিল্প ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি সম্প্রতি দাবি করেছেন ভারত যদি সবাইকে সেদেশে অবৈধভাবে ঢোকার এবং নাগরিকত্ব নেবার সুযোগ দেয় তাহলে বাংলাদেশ অর্ধেক খালি হয়ে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার বলছে বাংলাদেশ যখন তার প্রতিবেশি দেশ ভারতের থেকে অর্থনৈতিকভাবে ভাল অবস্থানে রয়েছে তখন বাংলাদেশ থেকে কেন কেউ ভারতে যেতে চাইবে। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন বাংলাদেশ এত দরিদ্র দেশ নয় যে সেখান থেকে মানুষ ভারতে চলে যেতে চাইবে। আমরা কি জানি আসলে কত বাংলাদেশি ভারতে চলে গেছে, এবং অর্থনৈতিকভাবে দুই দেশের তুলনামূলক অবস্থান কি? কত বাংলাদেশি ভারতে অবৈধভাবে রয়েছে? ঠিক কত সংখ্যক বাংলাদেশি ভারতে অবৈধভাবে ঢুকেছে তা নিয়ে বিতর্ক এবং বিভ্রান্তি দুটোই রয়েছে। ২০০৪ সালে, ভারতের তদানীন্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রীপ্রকাশ জয়সওয়াল সংসদে বলেছিলেন ভারতে ১ কোটি ২০ লক্ষ বাংলাদেশি রয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বাংলাদেশের চমকপ্রদ সাফল্যের নেপথ্যে কী বাংলাদেশ কেন পাকিস্তানের উন্নয়নের মডেল উন্নয়নশীল দেশের তকমায় লাভ কী হবে বাংলাদেশের? বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত প্রহরায় এক ভারতীয় সৈন্য তবে পরে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের রাজ্য সরকারের তোপের মুখে তিনি তার মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন বেশিরভাগ অবৈধ অভিবাসী বাস করছে পশ্চিমবঙ্গ এবং আসামে। ২০১৬ সালে, ভারতে সেসময়কার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজ্জু, ভারতীয় সংসদে বলেছিলেন: ''প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ভারতে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা দুই কোটি।'' তবে, তিনি এই পরিসংখ্যানের সূত্র জানাননি। এবং এরপর থেকে ভারত সরকার স্বীকার করে নিয়েছিল যে ভারতে বাংলাদেশিদের অবৈধ অভিবাসন নিয়ে তাদের কাছে কোন সঠিক তথ্য নেই। নাগরিকত্ব নিয়ে ভারতে ২০১৫-২০১৯-এর যে তথ্য নথিভুক্ত আছে তার থেকে আসল চিত্র সেভাবে পাওয়া যায় না। ওই সময়কালে ১৫,০০০-এর কিছু বেশি বাংলাদেশিকে ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। এর মধ্যে অধিকাংশ অর্থাৎ ১৪,৮৮০জন বাংলাদেশিকে নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছিল ২০১৫ সালে যখন সীমান্ত এলাকায় ছিটমহল বিনিময় হয়। সেসময় এরা ভারতীয় অংশে ছিটমহলের বাসিন্দা ছিলেন। (এই বিনিময়ে বাংলাদেশে অবস্থিত ১১১টি ছিট মহলের প্রায় ৪১ হাজার বাসিন্দাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়া হয়) কাজেই সংখ্যা নিয়ে কোন সঠিক তথ্য ছাড়াই, ভারতের রাজনীতিকরা এখনও বলে যাচ্ছেন যে বাংলাদেশ থেকে সেখানে যাওয়া অভিবাসীরা তাদের চাকরিবাকরি নিয়ে নিচ্ছে। ''যে শস্য ভারতের দরিদ্রদের কাছে পৌঁছন উচিত তা খাচ্ছে এরা (বাংলাদেশি অভিবাসীরা),'' বলেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ্। বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা কেমন? যদি জিডিপির হিসাবে দেখা যায়, তাহলে বাংলাদেশের অবস্থান ভারতের উপরে। জিডিপি নিরূপণ করা হয় কোন দেশের অর্থনীতিতে পণ্য এবং সেবার মানদণ্ডের নিরীখে। সবসময় অবশ্য পরিস্থিতি এমটা ছিল না। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্মের অব্যবহিত পরে, র্বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক ছিল, কিন্তু পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিডিপিতে গত কয়েক দশকে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবচেয়ে দ্রুত হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশ এক্ষেত্রে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির হার ২০১৯ সালে ছিল ৮%, যেখানে একই সময়ে ভারতে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৯%। প্রবৃদ্ধির এই অর্জনের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ হিসাবে তাদের অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। তবে, এটাও উল্লেখ করা দরকার যে ২০১৮ সালে মুদ্রাস্ফীতির হারের যে হিসাব তাতে দেখা গেছে ২০১৮য় পুরো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির সবচেয়ে উঁচু হার ছিল বাংলাদেশে। বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৫.৮ শতাংশ আর ভারতে একই সময়ে সেটা ছিল ৩.৪%। আর ২০১৮ সালে বাংলাদেশে বেকারত্বের হার আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী ছিল ভারতের চেয়ে বেশি। তবে দারিদ্র্যের আন্তর্জাতিক যে মাপকাঠি অর্থাৎ মাথাপিছু দিনের গড় আয় ১.৯ ডলারের কম - সেই হিসাবে বাংলাদেশে তুলনামূলকভাবে ভারতের চেয়ে কম সংখ্যক মানুষ কর্মরত মানুষের আয় ছিল দারিদ্রসীমার নিচে। অন্যান্য ক্ষেত্রে দুই দেশের তুলনামূলক অবস্থান কেমন? সামাজিক উন্নয়ন সূচকগুলোতে বাংলাদেশের উন্নয়নের মান অনেক বেশি। শিশুমৃত্যু এবং জন্মের পর বেঁচে থাকার সম্ভাবনার যে হার তাতে বাংলাদেশ ভারতের থেকে এগিয়ে। বাংলাদেশে নবজাতক কন্যা শিশুর পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত জীবিত থাকার হার ভারত বা পাকিস্তানে একজন নবজাতক কন্যা শিশুর ৫বছর বেঁচে থাকার হারের চেয়ে অনেক বেশি। বাংলাদেশে নারীর গড় আয়ু যেখানে ৭২.৫ বছর সেখানে ভারতে এই হার ৬৮.৬ বছর এবং পাকিস্তানে ৬৬.৫ বছর। এই পরিসংখ্যান ২০১৯ সালের। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় নগরায়নের বিস্তার গত বছর ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত গ্লোবাল জেণ্ডার গ্যাপ ইনডেক্স ২০২০-র পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ভারতের অবস্থান ১০৮ থেকে নেমে গেছে ১১২-য় এবং ভারতের অবস্থান বাংলাদেশের অনেক নিচে চলে গেছে। এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৫০। এছাড়াও, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ভারতের থেকে ভাল। বাংলাদেশে সংসদে নারী প্রতিনিধিত্বের হার যেখানে ২২% সেখানে ভারতীয় সংসদে এই হার ১৩%। | As controversy continues over India's moves to restrict rights to citizenship, a row has erupted between India and its eastern neighbour, Bangladesh. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | মহাশূন্য থেকে সাগরে প্লাস্টিক বর্জ্য খুঁজে বের করার কৌশল বের করতে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা বিশেষ করে বর্জ্য বা ধ্বংসপ্রাপ্ত টুকরোগুলো ন্যূনতম বস্তুর আকারের তুলনায়ও ছোট, তখন তা উপগ্রহের মাধ্যমে খুঁজে বের করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু পদ্ধতিটি কাজ করে প্লাস্টিক থেকে পানিতে প্রতিফলিত আলোর সূত্র সন্ধান করে। যুক্তরাজ্যের প্লাইমাউথ মেরিন ল্যাবরেটরিতে এ সংক্রান্ত পরীক্ষার ফল খু্বই আশাব্যঞ্জক। "আপনি সমুদ্রে ভাসমান একটি পৃথক প্লাস্টিকের বোতল হয়তো দেখতে পারবেন না, কিন্তু আমরা এই উপাদানের একত্রিতকরণকে শনাক্ত করতে পারি," বিবিসিকে একথা বলেছেন ড. লরেন বিয়ারম্যান। ২০১৫ এবং ২০১৭ সালে ইইউ'এর সেনটিল-টু উপগ্রহের কক্ষপথে স্থাপন করা হয় মাল্টি স্পেকট্রাল ইন্সট্রুমেন্টস বা এসএসআই নামের দুটি যন্ত্র। এটি পরিচালনা করছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি, আর এ দিয়ে কাজ করছেন পৃথিবী পর্যবেক্ষণরত বিজ্ঞানীরা। এই মিশনের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ভূ-পৃষ্ঠের একটি ক্রমবর্ধমান মানচিত্র তৈরি করা। তবে এই প্রক্রিয়া উপকূলীয় অংশের জলের দৃশ্যও ধারণ করতে পারে। আর এটিই মহাসাগরে প্লাস্টিক বর্জ্য শনাক্ত করার একটি সুযোগ। কেননা প্রতি বছরে অন্তত আট মিলিয়ন টন প্লাস্টিক নদী কিংবা অন্যসব উৎসের মাধ্যমে সমুদ্রে আসছে। এই দুই সেনটিল উপগ্রহের মাধ্যমে প্রতি দুই দিন অন্তর যুক্তরাজ্যের অংশটির ম্যাপিং করবে। ড. বিয়ারম্যানের মতে, স্যাটেলাইটের ক্যামেরার রেজুলেশন ১০মিটার, এর কঠিন দিকটি হলো যে এই ক্যামেরায় শুধু সেসব বস্তুর ছবিই ধরা পড়বে যার একটি নির্দিষ্ট মাত্রার পিক্সেল তৈরি করতে পারবে। আরো পড়তে পারেন: মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্তে অস্বীকৃতি প্রচলিত রীতির বিরুদ্ধে একে অপরকে রক্ষা করছেন যে নারীরা স্মার্টফোনে দীর্ঘসময় কাটানো কি ক্ষতিকর? উপরের ছবিতে সহজে প্লাস্টিক দেখা গেলেও নিচের ছবিতে তা দেখা কষ্টকর।। সাদা বাক্স দিয়ে সেন্টিনেল পিক্সেল বোঝানো হয়েছে। তবে কিছু বিষয় তার পক্ষে কাজ করেছে। একটি হলো নদীতে ভাসমান বর্জ্য বা ধ্বংসাবশেষ যেগুলো ভেসে সমুদ্রে গিয়ে পড়ে তার বেশিরভাগেই থাকে উদ্ভিদ, সেগুলোতে প্লাস্টিকের মতো আবর্জনাও থাকতে পারে। আরেকটি যে বিষয়ের সুবিধা সম্পর্কে ড. বিয়ারম্যান বলছেন তা সেন্টিনেল উপগ্রহের ডিটেক্টরের বিশেষ গুণ। ভিন্ন ভিন্ন আলোক তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বোঝার ক্ষমতা রয়েছে যন্ত্রগুলোতে। ফলে প্লাইমাউথ বিজ্ঞানীরা ক্যামেরায় তোলা চিত্রের পিক্সেল বিশ্লেষণ করতে পারবে। যেভাবে প্লাস্টিক শনাক্ত করা হবে সমুদ্রের পানি নিকটবর্তী ইনফ্রারেড রশ্মি জোরালো ভাবে শোষণ করে। উদ্ভিদ এবং জলে ভাসমান অন্যকিছু এই নিকটবর্তী ইনফ্রারেড রশ্মি প্রতিফলিত করে। তবে উদ্ভিদে প্লাস্টিক মিশে থাকলে তার কিছু পরিবর্তন দেখা যাবে। আর এই উদ্ভিদ ও প্লাস্টিকের ইনফ্রারেড প্রতিফলের ভিন্নতাই তাদের শনাক্ত করার অন্যতম উপায়, বলছেন ড. বিয়ারম্যান। তিনি বলেন, যে ভাসমান বস্তুর ছবি সংগ্রহ করে তার পিক্সেল বিশ্লেষণ করেই বলা সম্ভব তাতে উদ্ভিদ উপাদান বা প্লাস্টিক উপাদান কেমন রয়েছে। উপগ্রহ থেকে তোলা ছবির বর্ণালী বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন বস্তুর একটি সূচীও তৈরি করা হয়েছে। ব্রিটিশ কলম্বিয়ার এবং স্কটল্যান্ডের পূর্ব উপকূলে চালানো একই ধরনের পরীক্ষাও আশার সঞ্চার করেছে। ড. বিয়ারম্যানের মতে, এই পদ্ধতিটির আরো পরিমার্জন প্রয়োজন তবে এই প্রাথমিক পরীক্ষার ফল আরো পরীক্ষার তাগিদ দেয়। পরবর্তী পর্যায়ে ছবিগুলো বিশ্লেষণের জন্যে অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হবে। কেননা ধরে ধরে অনুসন্ধান সময়সাপেক্ষ ও বাস্তব সম্মত নয়। অটোমেশনই এর একমাত্র পথ। ড. বিয়ারম্যান প্লাস্টিক বর্জ্য বেশি পরিমাণে নিঃসরণ হয় এমন সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। আর দূষণের প্রভাব মূল্যায়ন করতে তথ্যগুলো ডেটাবেজের সাথে যুক্ত করছেন। | Scientists are working on a technique to track plastic debris in the ocean from space. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | গুহার ভেতরে আটকা পড়া কিশোর ফুটবলারের দল। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত গুহার যে শুকনো উঁচু জায়গাটিতে গত দু সপ্তাহ ধরে এই দলটি আশ্রয় নিয়ে আছে, তার উদ্দেশ্যে ১৮ জন অভিজ্ঞ ডুবুরি ইতিমধ্যেই রওয়ানা হয়েছে। একেকজন কিশোরকে দুজন করে ডুবুরি তাদের তত্বাবধানে বের করে আনবেন। পুরো পথ পার হতে অন্তত ছয় ঘন্টা লাগবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আটকে পড়া ১৩ জনকে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বের করে আনা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ঝুঁকির কথাও অস্বীকার করছেন না কর্তৃপক্ষ। তারা কেন গুহার ভেতরে গিয়েছিল এখনও পর্যন্ত এই প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। ১২ জন কিশোর ফুটবলার তাদের টিমের কোচসহ গুহার ভেতরে গিয়েছিল শনিবার, ২৩শে জুন। বিবিসির থাই সার্ভিস বলছে, কিশোর ছেলেরা ফুটবল প্র্যাকটিস করতে সকাল দশটার দিকে ন্যাশনাল পার্কে গিয়েছিল। তারপর তাদের সহকারী কোচ একাপোল ফেসবুকে একটি লাইভ ভিডিও পোস্ট করেছিলেন সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে। কিশোরদের উদ্ধারে স্থানীয় লোকজন প্রার্থনা করছেন। আরো পড়তে পারেন: থাই গুহায় উদ্ধার অভিযান শুরু: ঝুঁকি কতোটা? গুহা থেকে কিশোরদের উদ্ধার অভিযান শুরু 'স্পাইক্যাম ভিডিও' নিয়ে কেলেঙ্কারি দক্ষিণ কোরিয়ায় থাম লুয়াং-খুনাম নাঙ্গনন ন্যাশনাল পার্কের একজন কর্মী দুপুর তিনটার দিকে লক্ষ্য করেন যে গুহার প্রবেশ-মুখের সামনে ১১টি সাইকেল রাখা আছে। তখন তারা অনুসন্ধান করতে শুরু করেন। তারপর ওই কিশোরদের একজনের পিতামাতাও ন্যাশনাল পার্কের কর্মকর্তাদের জানান যে তারাও তাদের ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না। পরদিন ২৪শে জুন শনিবার পার হয়ে রবিবার সকাল একটা থেকে তাদের খোঁজার কাজ শুরু হয়। শনিবার রাতে সেখানকার পুলিশকে বাচ্চাদের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে অবহিত করার পর এই অনুসন্ধান শুরু হয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, প্র্যাকটিস শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফুটবলের দলের একজন সদস্যের জন্যে সারপ্রাইজ পার্টির আয়োজন করতে তারা গুহার ভেতরে ঢুকেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই দলের একজন সদস্য যে বাকি বাচ্চাদের সাথে গুহার ভেতরে যায়নি, তিনি জানান যে এর আগেও তারা আরো তিনবার গুহার ভেতরে ঢুকেছিলেন। কিন্তু বৃষ্টির মওসুমে কখনো তারা গুহার ভেতরে যায় নি। কিশোর ফুটবলারের সাথে দলের কোচ। আরো পড়তে পারেন: থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া কিশোরদের উদ্ধার অভিযান জেব্রা ফিস কেন ইঁদুরের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে দুর্গম এলাকায় বিপদে পড়লে উদ্ধার করবে কে? যে কারণে গোল্ডেন বুটের দাবিদার হ্যারি কেইন গেইম নামের এই সদস্য বলেন, "আমরা প্রত্যেকবারই প্রস্তুতি নিয়ে ভিতরে গিয়েছি। আমাদের সাথে সবসময় টর্চলাইট ছিল। ঢোকার আগে আমরা নিশ্চিত করেছি যে সবাই শারীরিকভাবে ফিট আছে। খাওয়া দাওয়া করে তারপর আমরা ভেতরে ঢুকেছি।" গেইম বলেন, সেদিন তিনি ওই দলের সাথে গুহার ভেতরে যাননি কারণ তিনি সুস্থ বোধ করছিলেন না। "আমাদের প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবেই আমরা গুহার ভেতরে যাই। আমাদের টিমের একজন সদস্যের জন্মদিন ছিল সামনে। আমার মনে হয় তারা ভেতরে একটি পার্টি করতে যাচ্ছিল," বলেন তিনি। পরে গুহার ভেতর থেকে পাঠানো এক চিঠিতে সহকারী কোচ একাপোল তার আত্মীয়দেরকে দুশ্চিন্তা না করতে অনুরোধ করেছেন, সহযোগিতার জন্যে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, এবং ক্ষমা চেয়েছেন বাচ্চাদের পিতামাতার কাছে। কীভাবে আটকা পড়লো ভেতরে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, ফুটবল দলটি গুহার ভেতরে ঢোকার পর থেকেই প্রচুর বৃষ্টি হতে শুরু করে। সেখানে জমে যাওয়া জঙ্গলের পানিও ঢুকে যায় গুহার ভেতরে। পানি এতো বেড়ে যায় যে এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় গুহায় প্রবেশের মুখও। গুহার ভেতরে পানির উচ্চতা খুব দ্রুত বেড়ে গেলে কোচসহ কিশোর ফুটবলাররা ভেতরে আটকা পড়ে যান। আরো উঁচু জায়গা খুঁজতে খুঁজতে তারা চলে যান গুহার আরো গভীরে। গুহার ভেতর থেকে একজনের পাঠানো চিঠি। এই থাম লুয়াং গুহা ১০,৩১৬ মিটার লম্বা এবং থাইল্যান্ডে যতো গুহা আছে, দৈর্ঘ্যের বিচারে এটি চতুর্থ। ৭ই জুলাই স্থানীয় একটি সংবাদপত্রের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, উদ্ধারকারী গুহার উপরের পাহাড়ে এমন একটি সুড়ঙ্গ খুঁজে পেয়েছেন যা দিয়ে বাচ্চারা যেখানে আছে সেখানে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব। তখন নতুন করে আশার সৃষ্টি হয় যে বাচ্চাদের হয়তো এই সুড়ঙ্গ দিয়ে বের করে আনা সম্ভব হতে পারে। গুহাটির বিষয়ে কিছু লোক-কাহিনী এই গুহাটি নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মুখে মুখে অনেক গল্প চালু আছে। একটি গল্পে বলা হয়েছে এর নাম কীভাবে 'থাম লুয়াং- খুন নাম নাং নন' হলো? এর অর্থ হলো - "পাহাড়ের ভেতরে বিশাল এই গুহায় ঘুমিয়ে আছেন একজন নারী। এই পাহাড়েই জন্ম হয়েছে এক নদীর।" গল্পটিতে বলা হয়েছে যে দক্ষিণ চীনের চিয়াং রুং শহরের এক রাজকন্যা একজন অশ্বারোহী পুরুষের সাথে সম্পর্কের পর গর্ভবতী হয়ে পড়েন। তারা তখন সমাজের ভয়ে ভীত হয়ে শহর থেকে পালিয়ে দক্ষিণের দিকে চলে আসেন। যখন তারা এই পাহাড়ি এলাকায় এসে পৌঁছান তখন রাজকন্যার স্বামী তাকে বলেন সেখানে বিশ্রাম নিতে। স্বামী তখন খাবারের সন্ধানে বের হয়ে যান। তখন রাজকন্যার পিতার লোকেরা তাকে দেখতে পায় এবং তাকে হত্যা করে। পাশেই রাখা হয়েছে হেলিকপ্টার, জরুরী প্রয়োজনে। রাজকন্যা সেখানে কয়েকদিন অবস্থান করে তার স্বামীর জন্যে অপেক্ষা করতে থাকে। তিনি যখন নিশ্চিত হন যে তার স্বামী আর ফিরে আসবে না তখন তিনি তার চুলের একটি ক্লিপ নিজের পেটের ভেতরে ঢুকিয়ে দেন। তারপর তার মৃতদেহ তখন একটি পর্বতে পরিণত হয় এবং তার শরীর থেকে যে রক্ত ঝরেছিল সেটা প্রবাহিত হয়ে 'নাম মায়ে সাই' নামের এক নদীর জন্ম হয়। আরো যারা হারিয়েছিল স্থানীয় থাই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, স্থানীয় বান জং গ্রামের একজন নেতা বলেছেন, ১৯৮৬ সালে এই গুহার ভেতরে একজন বিদেশি পর্যটক নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। সাতদিন নিখোঁজ থাকার পর তাকে নিরাপদে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু সেসময় কোন বন্যা ছিল না বলে তিনি জানিয়েছেন। চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকও ২০১৬ সালের অগাস্ট মাসে ওই গুহার ভেতরে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন বলে বলা হচ্ছে। তিন মাস তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্থানীয় একটি পত্রিকা লিখেছে, চীনা ওই শিক্ষক ন্যাশনাল পার্কের একটি দোকানে তার সাইকেল জমা রেখে দোকানদারকে বলেছিলেন তিনি মেডিটেশন বা ধ্যান করার জন্যে গুহার ভেতরে যাচ্ছেন। তখন তার খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছিল। গুহার ভেতরে তাকে পাওয়া না গেলেও তিন মাস পর তাকে পাশের একটি অবকাশ কেন্দ্রে পাওয়া যায়। | A desperate search is under way for a group of 12 teenage footballers and their coach who are believed to be trapped deep inside a cave in Thailand. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | লন্ডনের ২৭ তলা ভবনে আগুন জ্বলছে, দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে নর্থ কেনসিংটনে 'গ্রেনফেল টাওয়ার' নামের ওই আবাসিক ভবনটিতে ব্রিটিশ সময় রাত সোয়া একটার দিকে আগুন লাগে। প্রায় দুইশোর মতো দমকলকর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। ২৭ তলা এ ভবনটিতে অন্তত ১২০টি ফ্লাট রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স জানাচ্ছে, ভবন থেকে ৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, যারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া হতাহতের সংখ্যা বা ভবনে কিভাবে আগুন লাগলো তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো কিছু জানায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে ভবনের বাসিন্দাদের নিয়ে স্বজনেরা চিন্তিত, অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তারা বেঁচে আছে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইছেন অনেকে। বিবিসির অ্যান্ডি মুর জানাচ্ছেন, পুরো ভবনটি আগুনে জ্বলছে এবং ভবনটি ধসে পড়ারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড ৪০টি ফায়ার ইঞ্জিন পাঠিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে-তারা ছাদের ওপর থেকে আলো নাড়ানো দেখেছে। তাদের ধারণা ভবনের লোকজন ছাদের ওপর থেকে টর্চের আলো দিয়ে সাহায্য চাইছে। আর্তনাদও তারা শুনতে পেয়েছেন। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী ছাদে আগুন পৌঁছাতে আর বেশি দেরী নেই। অন্যদিকে সংবাদদাতা অ্যান্ডি মুর বলছেন "ভবন থেকে ধ্বংসাবশেষ পড়তে দেখছি। আমরা বড় বিস্ফোরণের শব্দও শুনেছি। কাঁচ ভাঙার শব্দও পেয়েছি।" পশ্চিম লন্ডনের ভবনে আগুন দক্ষ কর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে বিবিসির সাইমন লেডারমেন জানান, "ভবনটি যেভাবে জ্বলছে কয়েক মাইল দূর থেকে তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে"। ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে জানাচ্ছেন তিনি। লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার ডেন ডেলি বলছেন "পরিস্থিতি ভয়াবহ। এমন জটিল পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা"। "অনেক বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এটি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি"-বলেন তিনি। আগুনের ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়া কয়েকজনকে চিকিৎসাও দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের জরুরি বিভাগের কর্মকর্তাদেরও ভবনটিতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান এটাকে "অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা" বলে বর্ণনা করেছেন। আগুনের কারণে লন্ডন পাতাল রেলের হ্যামারস্মিথ এবং সিটি ও সার্কেল লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কয়েক মাইল দূর থেকে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে ভবনের বাসিন্দাদের নিয়ে চিন্তিত স্বজনেরা জর্জ ক্লার্ক নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসি রেডিও ফাইভকে জানিয়েছেন "আমার সারা গায়ে ছাই লেগে গেছে। আগুনটা কত ভয়াবহ হতে পারে চিন্তা করুন"। "আমি প্রায় ১০০ মিটার দূরে এবং পুরোপুরি ছাইয়ে ঢেকে গেছি"। "এটা অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। আমি দেখেছি ভবনের উপরের দিকে কেউ টর্চ জ্বালাচ্ছিল। তারা অবশ্যই বের হতে পারেনি। হয়তো তারা বেঁচে নেই"। জডি মার্টিন নামে আরেকজন জানান-প্রথমে আগুন দেখার পর তিনি দৌড়ে ভবনটির কাছে যেয়ে বাসিন্দাদের বের হয়ে আসতে বলেন। কিন্তু ভবনে আটকে থাকা লোকজন চিৎকার করে বলছিলেন তাদের বাইরে বের হবার উপায় নেই। কারণ করিডোরের ভেতরটা পুরোটা ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল সে সময়েই। আরো পড়ুন: ‘যদি বাজি লাগাতে হয় ইংল্যান্ডের ওপর লাগাতে হবে’ দুধ-সংকট কাটাতে বিমানে কাতার যাচ্ছে ৪০০০ গরু বাংলাদেশে পাহাড় ধসে নিহতের সংখ্যা এখন ১৩৫ ইরানে 'জুম্বা' নাচ বন্ধ করতে চিঠির পর অনলাইনে নিন্দা | A huge fire has engulfed a tower block in west London, having broken out in the early hours of Wednesday, leaving several people dead. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | '800' নামে চলচ্চিত্রটির পোস্টার "আমাকে নিয়ে যে কত বিতর্ক হয়েছে, শুধু ক্রিকেটের জগতেই নয়, জীবনের নানা ক্ষেত্রে এত বাধা পেরোতে হয়েছে। যেসব বহু চ্যালেঞ্জের মুখে আমাকে পড়তে হয়েছে, এটা সেগুলোর মধ্যে মাত্র একটা মাত্র," বলেন ৪৮ বছর বয়স্ক ক্রিকেটার মুরলীধরন। শ্রীলংকার জাতীয় ক্রিকেট দলে জায়গা করে নিতে, দেশটির সংখ্যালঘু তামিল সম্প্রদায়ের সদস্য মুরলীধরনকে তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং সিংহলী প্রধান শ্রীলংকার নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা গৃহযুদ্ধের সময় অনেক প্রতিকূলতা পেরোতে হয়েছে। এরপর, তার বল করার কায়দা নিয়ে ওঠা বিতর্কও তাকে সামাল দিতে হয়েছে। অস্ট্রেলিয়াতে খেলার সময় তিনি "অবৈধভাবে বল ছুঁড়ছেন" বা "চাকিং" করছেন এই অভিযোগে তার অনেক বল 'নো-বল' ডাকা হয়েছে। এবং পরবর্তীতে তাকে পরীক্ষা দিয়ে প্রমাণ করতে হয়েছে তার হাতের গঠনই ওরকম। তিনি বল ছোঁড়েন না বা চাকিং করেন না। এরপর ক্রিকেটিং দুনিয়া তাকে এ যাবতকালের অন্যতম সেরা ও সফল একজন বোলারের স্বীকৃতি দিয়েছে। তার জীবন নিয়ে এই বায়োপিকের নাম দেয়া হয়েছে - এইট হান্ড্রেড- টেস্ট ক্রিকেটে ৮০০টি উইকেট নেবার যে রেকর্ডের তিনি অধিকারী, তার থেকেই এই ছবির নামকরণ। আর এই ছবির নির্মাণই সম্ভবত এ পর্যন্ত তার জীবনে সবচেয়ে কঠিন প্রতিবন্ধকতা। ছবির শ্যুটিং এখনও শুরুই হয়নি, কিন্তু তার চরিত্রে অভিনয় করার জন্য দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় যে অভিনেতাকে নির্বাচন করা হয়েছিল, সেই ভিজয় সেতুপতির ছবি দিয়ে পোস্টার প্রকাশের পর তুমুল ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বহু মানুষ। তামিলনাড়ু জুড়ে ট্রেন্ড করছে হ্যাশট্যাগ #ShameOnVijaySethupathi (ধিক ভিজয় সেতুপতি) অনেকেই দাবি তুলেছে ভিজয় সেতুপতি যেন এই ছবি না করেন। ছবিটির প্রযোজক বলেছেন এটা একজন ক্রিকেটারের "ক্রীড়া জীবনী", এবং এর উদ্দেশ্য তরুণদের অনুপ্রাণিত করা। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন তাদের আশংকা এটা হবে বিতর্কিত রাজনৈতিক ইস্যুতে জড়িয়ে পড়া একজন মানুষকে মহিমান্বিত করে তোলার চেষ্টা। ক্ষোভের একটা বড় কারণ হল গত বছর শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর এক অনুষ্ঠানে মি. মুরলীধরনের মন্তব্য, যেখানে তিনি ২০০৯ সালে গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায় আনন্দ প্রকাশ করেন এবং প্রেসিডেন্ট পদে গোটাবায়া রাজাপাকসার প্রার্থিতাকে সমর্থন করেন। শ্রীলংকার সরকারি বাহিনী যখন তামিল টাইগার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আন্দোলন গুঁড়িয়ে দিতে এক নির্মম সেনা অভিযান চালিয়েছিল তখন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন মি. রাজাপাকসা। ওই অভিযানে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। মুরলীধরনের মন্তব্য ছিল, "আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় দিনটি" ছিল ২০০৯ সালে যখন যুদ্ধ শেষ হল, কারণ দেশ এখন "ভয়ের পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে।" যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে অনুমান করা হয় ৪০ হাজার বেসামরিক শ্রীলংকান তামিল মারা গিয়েছিল এবং তামিলনাড়ুর মানুষের কাছে এখনও সেটা হৃদয়বিদারক ঘটনা। তামিলনাড়ুর তামিলরাও ভাষা এবং জাতিগত পরিচয়ের কারণে শ্রীলংকার তামিলদের সাথে একাত্মতা বোধ করে। মাহিন্দা রাজাপাকসার সাথে মুরলীধরন। যখন শ্রীলংকার যুদ্ধ শেষ হয় ২০০৯ সালে তখন দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন মাহিন্দা রাজাপাকসা। ''মুরলীধরন একজন তামিল হওয়া সত্ত্বেও, তামিলের মত আচরণ করেন না। আমরা তাকে তামিলনাড়ুতে ঢুকতে দিতে চাই না। সশরীরে নয়, ছবির মাধ্যমেও নয়,'' বলছেন ভি প্রভা, চেন্নাইয়ের একজন তরুণ প্রতিবাদকারী। ''শ্রীলংকার গৃহযুদ্ধের সময় মুরলীধরন অনেক দুষ্কর্ম করেছেন, আমরা তাকে তামিল সম্প্রদায়ের নায়ক করে তুলতে চাই না।'' আরও পড়তে পারেন: তবে মুরলীধরন বলছেন তার বক্তব্যকে বারবার "ঘুরিয়ে" বলা হয়েছে এবং কিসের পরিপ্রেক্ষিতে তা বলা হয়েছে সেটা পরিষ্কার করা হয়নি। "আমি বলতে চেয়েছি, ২০০৯ সালের পর এ দেশে শান্তি বিরাজ করছে। আমার কাছে যুদ্ধ শেষ হওয়াটা আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় দিন, কারণ শান্তি এসেছে- বেসামরিক তামিল মানুষ মারা গেছেন, সেটা আমার জন্য আনন্দের নয়," দুবাই থেকে বিবিসিকে বলেন মুরলীধরন। সেখানে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ টুর্নামেন্টের খেলায় সানরাইস হায়দ্রাবাদ টিমের তিনি বোলিং কোচ। "আমি যুদ্ধের সময় কোন পক্ষ নিইনি- রাজাপাকসার পক্ষ বা অন্য পক্ষ কারোর পক্ষ নিইনি। ভারতের মানুষ জানে না শ্রীলংকায় কী হচ্ছে।" মুথাইয়া মুরলীধরনের ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে, বিশেষ করে তামিলনাড়ুর সাথে। তার স্ত্রী তামিলনাড়ুর। ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত যখন তিনি চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছেন, তখন তিনি চেন্নাইয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন । তিনি ছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলোয়াড়। ছবিটি নিয়ে এত বিতর্ক কেন? "২০১০ সালে তামিলনাড়ুর মানুষ জানতেন শ্রীলংকার গৃহযুদ্ধে তামিলদের ভাগ্যে কী ঘটেছিল, কিন্তু এর সাথে তারা মুরলীধরনের সংশ্লিষ্টতার কথা জানতেন না," বলছেন মি. প্রভা। "এরপর আমরা একটা প্রচারণা আন্দোলন গড়ে তুলি যেখানে আমরা সবাইকে জানাই তিনি শ্রীলংকা রাষ্ট্রকে কীভাবে সমর্থন করেছিলেন, এবং ২০১৩ সালের মধ্যে আমরা তামিলনাড়ুতে তাকে এবং অন্য শ্রীলংকান খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করতে সক্ষম হই।" শ্রীলংকায় তামিলদের মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগের কারণে, তামিলনাড়ু সরকার ২০১৩ সালে আইপিএল গেমসে শ্রীলংকার খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে। চেন্নাইয়ের সাংবাদিক কভিতা মুরলীধরন বলছেন ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরনের বায়োপিক নিয়ে বিক্ষোভ এত তীব্র ও উত্তপ্ত হয়ে ওঠার কারণ হলো ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনেতা ভিজয় সেতুপতি। "সেতুপতিকে মনে করা হয় একজন মুক্তমনা অভিনেতা। তিনি অনেক ধরনের সামাজিক ইস্যুতে সরব। কাজেই মুথাইয়া মুরলীধরনের ভূমিকায় অভিনয় করতে তার রাজি হওয়া নিয়ে অনেকেই বিচলিত," বলছেন তিনি। ৮০০ টি টেস্ট উইকেট নেবার রেকর্ড রয়েছে মুরলীধরনের "তামিলনাড়ুর মানুষ সিনেমাকে খুবই গুরুত্বের সাথে নেন। সেখানে চলচ্চিত্র শুধু একটা রূপালি পর্দার ছবি নয়। তামিল সিনেমা এবং রাজনীতি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।" কলিউড - যে নামে পরিচিত তামিল চলচ্চিত্র শিল্প- সেই কলিউডের ছবিতে প্রায়ই তামিল জাতীয়তাবাদ ঢুকে পড়ে। রাজ্যের বেশ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতিতে যাবার আগে চলচ্চিত্র তারকা ছিলেন। চলচ্চিত্র তারকা এবং রাজনীতিক দুদিক থেকে মি. সেথুপতির ওপর এই ছবির নির্মাণ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ এসেছে। কিন্তু মুরলীধরন আকস্মিকভাবে নিজে এই বিতর্কে হস্তক্ষেপ করার পর বিষয়টা একটা ফয়সালা হয়েছে। তিনি নিজেই মি. সেথুপতিকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন। "এই ছবিটা করার জন্য সেথুপতিকে কেন উটকো ঝামেলা ঘাড়ে নিতে হবে? আমি কেন তার জন্য একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াব?" বলেছেন ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরন। "এটা আমার লড়াই, তার লড়াই নয়। আমার লড়াই আমি লড়ব।" শ্রীলংকায় মি. মুরলীধরন একজন তারকা। সেখানে এই বিতর্ক নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। "আমি তাকে নিয়ে একটা চলচ্চিত্র দেখতে পেলে খুবই খুশি হতাম। এটা তার গুণকীর্তন করার জন্য নয়। কিন্তু তার পরিচিতির যে জটিলতা রয়েছে, তার সবদিক পর্দায় দেখা যেত," বলেছেন কলম্বোর ক্রিকেট বিষয়ক লেখক অ্যান্ড্রু ফিডেল ফার্নান্ডো। মুরলীধরনের ক্রিকেটিং ক্যারিয়ার নিয়ে প্রচুর লেখালেখি তিনি করেছেন। "ছবি তৈরির আগেই তা নিয়ে বাকবিতণ্ডা, তা বন্ধ করার চেষ্টা খুবই দুভার্গ্যজনক- ছবিটা কেমন হবে সেটাই যেখানে আমরা জানি না।" যেসব তামিলের পরিবার শ্রীলংকার গৃহযুদ্ধের সময় নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন, তারাই এই ছবির কট্টর সমালোচনায় নেমেছেন। তাদের কেউ কেউ ছবিটির নির্মাণ পুরোপুরি বন্ধ করে দেবার দাবি জানাচ্ছেন। মুরলীধরনকে তার ক্রিকেটিং কেরিয়ারে বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে, কিন্তু তার বায়োপিকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা হয়ত তার জন্য আরও কঠিন হতে পারে ছবিটির যুগ্ম প্রযোজক ডার মোশন পিকচার্স এবং মুভি ট্রেন মোশন পিকচার্স আশা করছিল ২০২১ সালের গোড়ার দিকে তারা 'এইট হান্ড্রেড' ছবিটির শ্যুটিং শুরু করতে পারবে। কিন্তু ছবির প্রধান চরিত্রের অভিনেতা সরে দাঁড়ানোর পর সেটা অসম্ভব হবে বলেই মনে হচ্ছে তবে মুথাইয়া মুরলীধরন বলেছেন তার কাহিনি যে পর্দায় বলা হবে সে ব্যাপারে তিনি আস্থাবান। "এ ছবি হবেই। এ ছবি তামিলনাড়ুর জন্য নয়। ছবির প্রযোজকরা মুম্বাইয়ের। তারা চান সব ভাষায় এই ছবিটি তৈরি করতে, তামিল, সিংহলী, হিন্দি, বাংলা, তেলেগু, মালয়ালম এবং ইংরাজি সাবটাইটেলসহ মূল ছবি," তিনি বলেন। "এটা খেলার জগতের ছবি। এটা কীভাবে বিতর্কিত হতে পারে?" তিনি তেমনটা মনে না করলেও 'এইট হান্ড্রেড'কে ঘিরে যে তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছে তাতে এই ছবিতে ক্রিকেট থেকে রাজনীতিকে আলাদা করা কঠিনই হয়ে দাঁড়াবে। । | Former Sri Lankan cricketing great Muttiah Muralitharan says a planned film about his life will be released, despite a massive backlash in south India which caused the lead actor to quit. The BBC's Nalini Sivathasan speaks to him and explains the controversy around the film. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | অপরাহ উইনফ্রি'র সাথে সাক্ষাৎকারে মেগান ও হ্যারি। মার্কিন টিভি ব্যক্তিত্ব অপরা উইনফ্রি-র সাথে একান্ত এক সাক্ষাৎকারে মেগান বলেন, তিনি যখন সাহায্য চেয়েছেন তখন তিনি সেটি পাননি। তিনি বলেন, সবচেয়ে খারাপ সময়টি ছিল যখন রাজপরিবারের এক সদস্য হ্যারিকে তাদের ছেলের গায়ের রং নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল যে সে "কতটা কালো" হতে পারে। প্রিন্স হ্যারিও বলেছেন যে তিনি যখন সরে আসতে চেয়েছিলেন, তখন তার বাবা প্রিন্স চার্লসও তার ফোন ধরাও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বহুল-প্রতীক্ষিত এই সাক্ষাৎকার যুক্তরাষ্ট্র সময় রাতে সম্প্রচারিত হয়েছিল। সিবিএস এর দুই ঘণ্টার এই বিশেষ অনুষ্ঠানটি, যেটি যুক্তরাজ্যে সোমবার আইটিভিতে সম্প্রচারিত হবে সেখানে এই দম্পতি বিভিন্ন বিষয় যেমন বর্ণবাদ, মানসিক স্বাস্থ্য, গণমাধ্যমের সাথে তাদের সম্পর্ক এবং রাজপরিবারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তারা জানান যে, আসছে গ্রীষ্মে তারা আবার বাবা-মা হতে যাচ্ছেন এবং এই সন্তানটি একটি মেয়ে। ২০২০ সালের মার্চে রাজ পরিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের পর এই দম্পতি ক্যালিফোর্নিয়ায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন। গত মাসেই তারা ঘোষণা দেন যে রাজপরিবারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য হিসেবে তারা আর ফিরবেন না। 'আমাকে সুরক্ষা দেয়া হয়নি' মেগান বলেন, একসময় তিনি একাকী বোধ করতে থাকেন যখন তাকে বলা হয় যে, তিনি কী করতে পারবেন আর কী করতে পারবেন না। এমন এক সময় দাঁড়ায় যখন তিনি মাসের পর মাস বাড়ি থেকে বের হননি। অপরাকে তিনি বলেন, তিনি এক সময় ভাবতে শুরু করেন "এর চেয়ে বেশি একা হওয়া সম্ভব নয়।" অপরা তাকে জিজ্ঞেস করেন যে, এক পর্যায়ে গিয়ে তিনি নিজের ক্ষতি করার বা আত্মহত্যার চিন্তা করেছিলেন কিনা? উত্তরে মেগান বলেন: "হ্যাঁ। এটা খুব বেশি স্পষ্ট ছিল। খুব স্পষ্ট এবং ভয়ংকর। সেসময় বুঝতে পারছিলাম না যে কার কাছে যাবো।" মেগান বলেন, গর্ভবতী থাকা অবস্থায় হ্যারির সাথে রয়াল অ্যালবার্ট হলে এক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার সময়কার এক ছবির কারণে "আতঙ্কবোধ" করেছিলেন তিনি। "ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে আগে সকালে হ্যারির সাথে এ নিয়ে আলাপ হয়েছিল আমার," মেগান বলেন। উইনফ্রি জিজ্ঞেস করেন: "যে আপনি আর বেঁচে থাকতে চান না?" "হ্যাঁ," মেগান নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন যে, ওই রাতে তিনি ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন কারণ তিনি অনুভব করছিলেন যে, তিনি আর "একাকী" বোধ করতে চান না। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, অ্যালবার্ট হলে অনুষ্ঠানের সময় হ্যারি তার হাত শক্ত করে ধরে ছিলেন। অপরা মেগানকে জিজ্ঞেস করেন যে, রাজ পরিবার কেন তার ছেলে আর্চিকে প্রিন্স ঘোষণা করেনি। ১৯১৭ সালের একটি আইনের কারণে ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্সের সন্তানরা স্বাভাবিকভাবেই প্রিন্স কিংবা প্রিন্সেস হবেন না, যদি না রানি কোন পদক্ষেপ নেন। মেগান বলেন, "আমার গর্ভবতী থাকার মাসগুলোতে আলোচনা চলছিল যে তাকে সুরক্ষা দেয়া হবে না, তাকে হয়তো কোন পদবি দেয়া হবে না এবং জন্মের পর তার ত্বক কতটা কালো হবে তা নিয়েও উদ্বেগ এবং আলোচনা চলেছে।" তিনি বলেন যে, এসব কথা হ্যারিকে বলা হয়েছিল এবং তার কাছ থেকেই তিনি এসব বিষয় জেনেছেন। অপরা জিজ্ঞেস করেন যে তার সন্তান যদি "বেশি বাদামি বর্ণের" হয় এবং তা নিয়ে কোন সমস্যা হবে কিনা-এ নিয়ে কোন উদ্বেগ তাদের ছিল কিনা। মেগান বলেন: "এটা যদি আপনার অনুমান হয়ে থাকে, তাহলে সেটি বেশ নিরাপদ অনুমানই মনে হচ্ছে।" এ ধরণের মন্তব্য কে করেছিলেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা জানাননি। তিনি বলেন: "আমার মনে হয় এটা তাদের জন্য খুব ক্ষতিকর হবে।" হ্যারিও সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে অসম্মতি জানিয়ে বলেন: "ওই আলোচনা আমি কখনোই কাউকে বলবো না।" "সে সময়ে এটা বেমানান ছিল এবং আমি বিস্মিত হয়েছিলাম," তিনি বলেন। তিনি বলেন যে, গণমাধ্যমের কাছ থেকে মেগান যে ধরণের বর্ণবাদের শিকার হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে কোন স্বজনই মেগানের পক্ষে কথা বলতে এগিয়ে আসেননি। "ওই তিন বছরে আমার পরিবারের কেউই কোন কথা বলেনি। এটা কষ্টকর," হ্যারি বলেন। হ্যারি ও মেগানের সাক্ষাৎকারটি টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। সময়কাল •২০১৬ সালের গ্রীষ্ম: পরস্পরের পরিচিত বন্ধুর মাধ্যমে আয়োজিত ব্লাইন্ড ডেট-এ গিয়ে দেখা হয় হ্যারি এবং মেগানের। •২০১৮ সালের মে মাস: উইন্ডসর ক্যাসলে বিয়ে করেন এই দম্পতি। •২০১৯ সালের এপ্রিল: উইন্ডসর ক্যাসলের প্রাঙ্গণেই ফ্রগমোর কটেজে বসবাস শুরু করেন তারা। •২০১৯ সালের ৬ই মে: তাদের সন্তান আর্চি জন্ম নেন। •২০২০ সালের ৩১শে মার্চ: কানাডায় স্থানান্তরিত হওয়ার পর রাজ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য হিসেবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ওই বছরেই ক্যালিফোর্নিয়ায় যান তারা। •২০২১ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি: এই দম্পতি ঘোষণা দেয় যে তারা দ্বিতীয় সন্তানের বাবা-মা হতে যাচ্ছেন। •২০২১ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি: বাকিংহাম প্যালেস ঘোষণা দেয় যে, তারা রাজ পরিবারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য হিসেবে ফিরে আসবেন না এবং তাদের অভিভাবকত্ব বাতিল করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারের সময় রাজপরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় যে, তারা ডিউক এবং ডাচেসকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। মেগান ওই পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন ২০১৮ সালের মে মাসে বিয়ের পর "সেটি আরো খারাপ হতে থাকে"। "আমি বুঝতে পারি যে শুধু আমাকেই সুরক্ষা দেয়া হচ্ছে না তা নয়, বরং পরিবারের অন্য সদস্যদের সুরক্ষা দিতে তারা মিথ্যা বলতেও প্রস্তুত ছিল।" "কিন্তু আমি আর আমার স্বামীকে সুরক্ষা দিতে তারা সত্যিটা বলতেও ইচ্ছুক ছিল না।" তিনি একটি গুজবের উদাহরণ টেনে বলেন যে, ফ্লাওয়ার গার্লসদের পোশাক কেমন হবে সে বিষয়টি নিয়ে মতামত দেয়ার সময় ডাচেস অব কেমব্রিজকে কাঁদিয়েছিলেন তিনি। এই গল্পটি ট্যাবলয়েড পত্রিকায় মুখরোচক গল্প হয়ে উঠেছিল বলে জানান তিনি। মেগান বলেন যে আসলে ঘটনাটি পুরো উল্টো ছিল। তিনি বলেন যে, ওই ঘটনার জন্য পরে ক্যাথরিন ক্ষমা চেয়েছিলেন। সাথে কিছু ফুল আর ছোট চিরকুট পাঠিয়েছিলেন সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য। সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্বে অপরা আর স্ত্রীর সাথে যোগ দেয়ার পর হ্যারি পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে তার সম্পর্কের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন যে, তার দাদী, রানির সাথে তার সম্পর্ক খুবই ভাল। তারা দুজন প্রায়ই কথা বলেন। তবে তার বাবা প্রিন্স অব ওয়েলসের সাথে তার সম্পর্ক তেমন ভাল নেই। হ্যারি বলেন যে, তিনি তার বাবার বিষয়ে "আসলেই হতাশ" বোধ করেন। তিনি বলেন, তিনি তার বাবাকে সবসময়ই ভালবাসবেন কিন্তু "তিনি অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছেন।" প্রিন্স উইলিয়াম সম্পর্কে তিনি বলেন যে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি "আসলেই ভিন্ন।" তিনি আরো বলেন যে, তার পরিবার তাকে আর্থিকভাবেও সহায়তা করা বন্ধ করে দিয়েছে। হ্যারি তার ভাই আর বাবাকে রাজপরিবারের ব্যবস্থার "ফাঁদে আটকে পড়া" বলে উল্লেখ করেছেন। "তারা সেখান থেকে বেরুতে পারবে না" বলেন তিনি। প্রিন্স উইলিয়ামের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা দুজন "ভিন্ন পথে" রয়েছেন। সাক্ষাৎকারটি এমন সময়ে প্রচার হলো যখন হ্যারি-র দাদা, ডিউক অফ এডিনবরা, হৃৎপিণ্ডে অস্ত্রোপচার শেষে এখন হাসপাতালে সেরে উঠছেন। যদিও সাক্ষাৎকারটি আগেই ধারণ করা হয়েছে। বিবিসির রাজপরিবার বিষয়ক সংবাদদাতা জনি ডায়মন্ড বলছেন, এটা এখনো স্পষ্ট নয় যে, এর প্রতিক্রিয়ায় প্যালেস কী বলবে। কিছু কিছু অভিযোগ এতো বেশি ব্যক্তিগত যে ধারণা করা হচ্ছে সেগুলো নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাবে না। তবে এই দম্পতি যে এখনো স্নেহধন্য সেটি রানি বারবারই স্পষ্ট করেছেন। | The Duchess of Sussex has said she found life within the British Royal Family so difficult that at times she "didn't want to be alive any more". |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ডাঃ খান্না বলেছেন, শিশুটির প্লেটলেট গণনা বিপজ্জনকভাবে কম এবং রক্তের সংক্রমণ রয়েছে। সেপটিসেমিয়া এবং মারাত্মকভাবে কম প্লেটলেট গণনার কারণে শিশুটি সার্বিক পরিস্থিতি "গুরুতর" বলে জানিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ রবি খান্না। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, "তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে আমরা পাঁচ থেকে সাত দিন পরেই নিশ্চিতভাবে সেটা জানাতে পারব।" পুলিশ "অজ্ঞাত ব্যক্তিদের" বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে এবং বলেছে যে তারা এই কন্যা নবজাতকের বাবা-মাকে খুঁজছে। শিশুটিকে এভাবে কবর দেয়ার পেছনে তারা সম্ভাব্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও কোন অনুমান করছেন না, তবে লিঙ্গ বৈষম্যের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে ভারতের অবস্থান খুবই খারাপ। নারীদের প্রায়শই সামাজিকভাবে বৈষম্যের শিকার হন এবং মেয়েদের একটি আর্থিক বোঝা হিসাবে দেখা হয়, বিশেষত দরিদ্র সম্প্রদায়ে। বারেইলি জেলার সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা আভিনন্দন সিং বিবিসিকে বলেছেন, শিশুটিকে কবর দেওয়ার পেছনে তিনি শিশুটির বাবা-মায়ের জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ করছেন কারণ "এই ঘটনাটি ব্যাপক প্রচারিত হওয়ার পরেও কেউই এই শিশুটিকে তাদের সন্তান দাবি করতে এগিয়ে আসেনি"। বৃহস্পতিবার ঘটনাক্রমে নবজাতকের সন্ধান পেয়েছিলেন গ্রামের এক বাসিন্দা। তিনি তাঁর নিজের অপরিপক্ক অবস্থায় জন্ম নেয়া একটি মৃত কন্যা শিশুকে কবর দিতে গিয়ে ওই নবজাতকের সন্ধান পান। হিন্দুরা সাধারণত তাদের মৃতদেহ পুড়িয়ে থাকে করে তবে নবজাতক এবং ছোট শিশুদের প্রায়শই কবর দেওয়া হয়। মিঃ সিং বলেন, "তারা যখন মাটির নীচে প্রায় ৩ ফুট [৯০ সেন্টিমিটার] পর্যন্ত খনন করছিলেন, তখন তাদের কোদালটি একটি মাটির পাত্রে আঘাত করে এবং সেই আঘাতে পাত্রটি ভেঙে যায় এবং তারা একটি শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। যখন তারা পাত্রটি টেনে ওপরে তুলে আনেন তখন এর ভেতরে তারা ওই শিশুটিকে দেখেন।" মি. সিং বলেন। নবজাতককে কাপড়ের ব্যাগের ভিতরে মাটির পাত্রে জীবিত সমাধিস্থ করা হয়েছিল। শিশুটিকে এরপর স্থানীয় সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। "আমার মনে হয় যখন শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয় তখন তার বয়স প্রায় এক সপ্তাহ ছিল," প্রধান শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ সৌরভ অঞ্জন বারেইলি থেকে বিবিসিকে ফোন এই তথ্য জানান। "শিশুটি সময়ের আগেই জন্ম নিয়েছিল, সম্ভবত ৩০ সপ্তাহে জন্মগ্রহণ করেছিল শিশুটি এবং তার ওজন মাত্র ১.১ কেজি। যেটা কিনা জন্মের সময়ে শিশুর আদর্শ ওজনের হিসেবে খুব কম।" ডাঃ অঞ্জন বলেছেন যে শিশুটি হাইপোথেরমিকও ছিল অর্থাৎ তার দেহের তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের চেয়ে কম ছিল। এবং হাইপোগ্লাইকেমিয়া ছিল। শিশুটির রক্তে শর্করার পরিমাণ ছিল ৩৫ যেটা কিনা কমপক্ষে ৪৫ হওয়া জরুরি।) "শিশুটি খুব ছোট আর দুর্বল ছিলেন, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে অক্সিজেন দিয়েছিলাম এবং হাইপোথার্মিয়ার চিকিৎসাও শুরু করি।" উন্নততর সুবিধা থাকায় রোববার শিশুটিকে ডাঃ রবি খান্নার পেডিয়াট্রিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আরও পড়তে পারেন: ভারতে শিশু হত্যা: ১৯টি ভ্রূণ উদ্ধার করলো পুলিশ হাসপাতাল থেকে ৩১ টা মানব ভ্রূণ ডাস্টবিনে গেল কীভাবে? ভারতে ১৩২টি গ্রামে কোন মেয়ে শিশু জন্মায়নি? "তাকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে রাখা হচ্ছে এবং একটি টিউবের মাধ্যমে তরল খাওয়ানো হচ্ছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার প্লেটলেট সংখ্যা ১০ হাজারে এ নেমে গেছে যেখানে স্বাভাবিক পরিসীমা দেড় লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ হয়ে থাকে, তাই আমরা তার রক্তে সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন , "ডাঃ খান্না মঙ্গলবার বিবিসিকে বলেন। শিশুটি কতক্ষণ মাটির নিচে চাপা পড়ে ছিল সে বিষয়ে আলাদা আলাদা অনুমান রয়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন যে তারা কেবলমাত্র এটাই বলতে পারবেন যে শিশুটি কীভাবে বেঁচে ছিল। ডাঃ খান্না বলেন, "তিন থেকে চার দিন" আগে কবর দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। "শিশুটি এতদিন তার ব্রাউন ফ্যাটের কারণে বেঁচে আছে। বাচ্চারা তাদের পেটে, উরু এবং গালে ফ্যাট নিয়ে জন্মায় এবং কিছুটা জরুরি অবস্থায় তারা এটার উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু সেই শক্তি ফুরিয়ে যাওয়ার পর শিশুটির শরীর কুঁকড়ে যেতে থাকে- আপনি তার ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন, " তিনি বলেন। শিশুটিকে ধারণ করা মাটির পাত্রটি মাটির তিন ফুট গভীর থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে ডাঃ অঞ্জনের ধারণা তার চেয়ে কিছুটা আলাদা। তিনি বিশ্বাস করেন যে তাকে উদ্ধারের কেবল "দুই থেকে তিন ঘণ্টা" আগে সমাধিস্থ করা হয়েছিল এবং যদি তাকে উদ্ধার না করা হতো তবে সম্ভবত আরও এক বা দুই ঘণ্টার জন্য বেঁচে থাকতে পারতো। তিনি বলেন যে, '' পাত্রটির ভিতরে শিশুটিকে রাখা হয়েছিল সেখানে একটি বাতাসের পকেট ছিল যা তাকে অক্সিজেন সরবরাহ করেছে। অথবা কিছু অক্সিজেন হয়তো আলগা হয়ে যাওয়া মাটির ভেতর দিয়ে ফিল্টার হয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছে। যেহেতু পাত্রটি ঘন মাটির তৈরি না। তাই এটিও বাতাস চলাচলে সহায়তা করতে পারে।'' স্থানীয় রাজ্য নেতা রাজেশ কুমার মিশ্র, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) থেকে বলেছেন যে তিনি বাচ্চাটিকে "দত্তক" নিয়েছেন এবং একবার যদি শিশুটি ভাল হয়ে ওঠে, তবে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী শিশুটিকে নিজ বাড়িতে বড় করবেন। "এটি একটি অলৌকিক ঘটনা যে সে বেঁচে আছে, আমি বিশ্বাস করি যে ঈশ্বর তাঁর জীবন বাঁচিয়েছেন এবং তাকে আমার কাছে পাঠিয়েছেন। এখন আমাদের জন্য তার সমস্ত কিছু করা কর্তব্য। শিশুটি জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে দুলছে। একবার সে সুস্থ হয়ে উঠলে আমি তাকে বাড়িতে নিয়ে আসবো এবং তাকে আমার মেয়ে হিসাবে বড় করবো, "তিনি বিবিসিকে বলেন। মিঃ মিশ্রা একটি হিন্দু দেবীর নাম অনুসারে কন্যা শিশুটির নাম রেখেছেন সীতা। জনপ্রিয় পৌরাণিক কাহিনী রামায়ণ অনুসারে, রাজা জনক যখন একটি জমি চাষ করছিলেন তখন সীতাকে তিনি খুঁজে পান। তিনি বলেন, "আমি বাচ্চাটির খোঁজ নিতে দিনে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যাই। আজ বিকেলে যখন আমি আমার স্ত্রীর সাথে তাকে দেখতে গিয়েছিলাম, তখন আমি তার নামটি ডাকলাম এবং সে চোখ খুলল, প্রসারিত করে আমার দিকে তাকাল," তিনি বলেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ট্রাম্পের যে সিদ্ধান্ত বদলেছে সিরিয়া যুদ্ধের চিত্র ব্র্যাকের মডেল নিয়েও কাজ করেছেন নোবেলজয়ীরা সুন্দরবনে বনদস্যুরা কি আবার ফিরে আসছে? মানবাধিকারের নতুন সংজ্ঞা দিচ্ছেন অমিত শাহ? রাজনীতিবিদ রাজেশ কুমার মিশ্রা বলেছেন, তিনি বাচ্চাটিকে দত্তক নিতে চান। শিশুটিকে কারা এভাবে ফেলে গিয়েছিল সে বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। পুলিশ বলছে যে তারা সন্দেহ করেছে যে তার বাবা-মা দাফনের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। ভারতে বাচ্চা মেয়েদের ফেলে দেয়া এবং হত্যার বিষয়টি অস্বাভাবিক নয় - কন্যাদের তুলনায় পুত্রদের একটি ঐতিহ্যগত অগ্রাধিকার রয়েছে। সেখানে একটি বহুল প্রচলিত বিশ্বাস হল যে কোন ছেলে পরিবারের নাম এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং তাদের বৃদ্ধ বয়সে তার বাবা-মাকে দেখাশোনা করবে। অথচ বিয়ের পর স্বামীর সাথে থাকার জন্য মেয়ের পরিবারকে যৌতুক বাবদ খরচ করতে হয়। বেআইনি লিঙ্গ নির্ধারণকারী ক্লিনিকগুলোর সহায়তায় বেশিরভাগ অনাকাঙ্ক্ষিত কন্যা শিশুর ভ্রূণ গর্ভপাত করা, অনেক সময় কন্যা শিশু জন্মের পর পর সেটাকে হত্যা করার ঘটনাও ভারতে অস্বাভাবিক নয়। এ কারণে দেশটিতে লিঙ্গ অনুপাতে বিপজ্জনক ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে। মিঃ মিশ্রা বলেন: "আমি জানি না এই শিশুটির আপন বাবা-মা'র এমন কী বাধ্যবাধকতা ছিল যে তারা এই শিশুটিকে পরিত্যাগ করেছে এবং তাকে কবর দিয়েছে, আমি কেবল এটুকুই বলতে পারি যে তারা যা করেছে তা ঠিক না। "আমি তার সুস্থতা ও দীর্ঘজীবনের জন্য প্রার্থনা করছি। আমি বিশ্বাস করি পুরো বিশ্ব তার বেঁচে থাকার জন্য, তার সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করছে।" | A newborn baby discovered buried alive in a clay pot in northern India is fighting for her life, her doctor says. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নম্বর ২১১ নেপালি কর্তৃপক্ষ বলছে, ফ্লাইট ২১১কে রানওয়ের দক্ষিণ দিক থেকে অবতরণ করতে বলা হলেও পাইলট উত্তর দিক থেকে অবতরণ করে। তবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নেপালি কর্তৃপক্ষের দাবী অস্বীকার করে বলেছে, কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে পাইলটকে ভুল নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। বিমানের 'ব্ল্যাক বক্স' উদ্ধার করা হয়েছে - এটি এমন একটি যন্ত্র যাতে ককপিটের যাবতীয় কথাবার্তা এবং বিমানের কারিগরি তথ্য রেকর্ড করা হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, 'ব্ল্যাক বক্সে'র তথ্য যাচাই করেই দুর্ঘটনার কারণটি জানা যাবে। আরো পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ বিমান দুর্ঘটনার জন্যে পরিচিত ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট ব্ল্যাক বক্স নামে ডাকা হলেও এটির রং আসলে উজ্জ্বল কমলা ব্ল্যাক বক্স কী? প্রথমেই বলা ভালো, ব্ল্যাক বক্স নামে ডাকা হলেও এর আসল নাম হলো ফ্লাইট রেকর্ডার। যেটি বিমান চলাচলের সর্বশেষ সব তথ্য রেকর্ড করে রাখে। এভিয়েশন বা বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা কিন্তু এটিকে ব্ল্যাক বক্স নামে ডাকেন না, তারা বলেন ফ্লাইট রেকর্ডার। নামে ব্ল্যাক বক্স কিন্তু আসলে কালো কোন বস্তু নয়। বরং এর রং অনেকটা কমলা ধরণের। এটি অত্যন্ত শক্ত ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি একটি বাক্স, যা পানি, আগুন, চাপ বা যেকোনো তাপমাত্রায় টিকে থাকে। এটি দুইটি অংশের সমন্বয়ে আসলে একটি ভয়েস রেকর্ডার। বিমান চলাচলের সময় সব ধরণের তথ্য এটি সংরক্ষণ করে রাখে। এর মধ্যে দুই ধরণের তথ্য সংরক্ষিত থাকে। একটি হলো ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার বা এফডিআর, যেটি বিমানের ওড়া, ওঠানামা, বিমানের মধ্যের তাপমাত্রা, পরিবেশ, চাপ বা তাপের পরিবর্তন, সময়, শব্দ ইত্যাদি নানা বিষয় নিজের সিস্টেমের মধ্যে রেকর্ড করে রাখে। ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) নামের আরেকটি অংশে ককপিটের ভেতর পাইলদের নিজেদের মধ্যের কথাবার্তা, পাইলটদের সঙ্গে বিমানের অন্য ক্রুদের কথা, ককপিট এর সঙ্গে এয়ার কন্ট্রোল ট্রাফিক বা বিভিন্ন বিমান বন্দরের সঙ্গে রেডিও যোগাযোগের কথা রেকর্ড হতে থাকে। ব্ল্যাক বক্স থেকে পাওয়া তথ্য ফলে কোন বিমান দুর্ঘটনায় পড়লে এই ব্ল্যাক বক্সটি খুঁজে বের করাই হয়ে পড়ে উদ্ধারকারীদের প্রধান লক্ষ্য। কারণ এটি পাওয়া গেলে সহজেই ওই দুর্ঘটনার কারণ বের করা সম্ভব হয়। বাক্সটির বক্স উজ্জ্বল কমলা হওয়ায় সেটি খুঁজে পাওয়া সহজ হয়। সমুদ্রের তলদেশেও ৩০দিন পর্যন্ত ব্লাক বক্স অক্ষত থাকতে পারে। ব্লাক বক্সের আবিষ্কার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এ ধরণের যন্ত্র তৈরির উদ্যোগ প্রথম নেয়া হয়। তবে সত্যিকারের ব্ল্যাক বক্সের কাজ শুরু হয় ১৯৫০এর দশকের গোড়ার দিকে। অস্ট্রেলীয় সরকারের এয়ারোনটিকাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে কেমিস্ট ডেভিড ওয়ারেন এটি আবিষ্কার করেন। ১৯৬২ সালের ২৩শে মার্চ প্রথম অস্ট্রেলিয়ার একটি বিমানে পরীক্ষামূলক ভাবে এটির ব্যবহার করা হয়। একটি বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স দুর্ঘটনার পরেও কিভাবে টিকে থাকে ব্ল্যাক বক্স? এটি অত্যন্ত শক্ত ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয়। কয়েকটি লেয়ার দিয়ে এটি এমনভাবে তৈরি করা হয় যে, প্রচণ্ড উত্তাপ, ভাঙচুর, পানি বা প্রচণ্ড চাপের মধ্যেও সেটি টিকে থাকতে পারে। স্টেইনলেস স্টিল বা টাইটানিয়ামের খোলস দিয়ে বক্সের আবরণ তৈরি করা হয়। টিকে থাকার অনেকগুলো পরীক্ষায় পাস করার পরেই ব্ল্যাক বক্সগুলোকে বিমানে সংযোজন করা হয়। ব্ল্যাক বক্স কিভাবে তথ্য পায়? আধুনিক ব্ল্যাকবক্সগুলোয় ২৫ ঘণ্টা পর্যন্ত বিমানের ফ্লাইট ডাটা ধারণ করে রাখতে পারে। এর ভেতর অনেকগুলো মেমরি চিপ পাশাপাশি সাজানো থাকে। এখানে তথ্য সরবরাহ করার জন্য বিমানের বিভিন্ন জায়গায় অনেক সেন্সর লাগানো থাকে। এসব সেন্সর অনবরত বিমানের গতি, তাপমাত্রা, সময়, ভেতর বাইরের চাপ, উচ্চতা ইত্যাদি বিমানের সামনের দিকে থাকা ফ্লাইট ডাটা অ্যাকুইজিশন ইউনিট নামের একটি অংশে পাঠাতে থাকে। সেখান থেকে সেসব তথ্য চলে যায় ব্ল্যাক বক্সের রেকর্ডারে। পাইলট, কো পাইলট, ক্রুদের বসার কাছাকাছি জায়গায় অনেকগুলো মাইক্রোফোন বসানো থাকে। তাদের সব কথাবার্তা, নড়াচড়া বা সুইচ চাপা ইত্যাদি সব এসব মাইক্রোফোনে রেকর্ড হতে থাকে। সেগুলো এ্যাসোসিয়েটেড কন্ট্রোল ইউনিট নামের একটি ডিভাইসে পাঠায়। এরপর সেসব তথ্য ব্ল্যাক বক্সে গিয়ে জমা হয়। ফ্লাইট রেকর্ডার কিন্তু ব্ল্যাক বক্সে কত তথ্য থাকে? আসলে বিমান চলাচলের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্ল্যাক বক্স তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে। মূলত শেষের দিকে তথ্য এটিতে জমা থাকে। একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর আগের তথ্য মুছে যেতে থাকে আর নতুন তথ্য জমা হয়। ফলে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সর্বশেষ তথ্য এটিতে পাওয়া যায়। কিভাবে তথ্য উদ্ধার করা হয়? ব্ল্যাক বক্সটি পাওয়ার পরেই বিমান দুর্ঘটনা তদন্তকারী, বিমান সংস্থা, এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি দল তৈরি করা হয়। সেই সঙ্গে প্রযুক্তিবিদদের সমন্বয়ে তারা ব্ল্যাক বক্স থেকে তথ্য উদ্ধারের কাজটি শুরু করেন। বক্সের অবস্থার উপর নির্ভর করে কত তাড়াতাড়ি তথ্য পাওয়া যাবে। সেটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে অনেক সময় মাসের পর মাসও তথ্য উদ্ধারে সময় লেগে যায়। কারণ বিশেষজ্ঞদের খেয়াল রাখতে হয়, যাতে তথ্য উদ্ধার করতে গিয়ে কিছু মুছে না যায় বা মেমরি চিপগুলো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। ব্ল্যাক বক্সের শক্তি একেকটি ব্ল্যাক বক্সের পাওয়ার বা শক্তির যোগান দেয় দুইটি জেনারেটরের যেকোনো একটি। এসব সোর্স থেকে এই বক্সটি অব্যাহতভাবে শক্তির সরবরাহ পেয়ে থাকে। ব্ল্যাক বক্সের নাম ব্ল্যাক বক্স কেন? এটির সঠিক উত্তর আসলে কারো জানা নেই। অনেকে মনে করেন, আগে এটির রং কালো রঙের ছিল, তাই হয়তো তখন থেকে এর নাম ব্ল্যাক বক্স। আবার অনেকে বলেন, দুর্ঘটনার, মৃত্যু ইত্যাদির কারণে এটিকে ব্ল্যাক বক্স ডাকা হয়। অনেকের ধারণা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নতুন আবিষ্কৃত যেকোনো ধাতব প্রযুক্তিকে কালো রঙ দিয়ে ঢেকে রাখা হতো। এ কারণেও এটির নাম ব্ল্যাক বক্স হতে পারে। | A plane carrying 71 passengers and crew has crashed on landing at Nepal's Kathmandu airport, killing 49 people, according to police. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | আউলিয়া আতরাফি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র তত্ত্বের ভেতরে আমি বেড়ে উঠেছি। তার কিছু কিছু আবার খুবই অদ্ভুত। যেমন আমাকে বলা হয়েছে যে ব্রুস লীর উপর তার স্ত্রী বিষ প্রয়োগ করেছিলো, এবং ব্রুস লী যখন বুঝতে পারলো তার স্ত্রী কি করেছে তখন সে তার খালি হাতেই স্ত্রীকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে। আমি এও জানতাম যে ব্রুস লী উড়তে পারে। এরকম আরো আছে- যেমন হিটলার এখনও বেঁচে আছেন। একটি জিপ গাড়িতে করে সে মিত্রদের হাত থেকে পালিয়ে এসেছে। ওই জিপ গাড়িটা একসময় বিমানে রুপ নেয়, তারপর পরিণত হয় একটি নৌকায়। তারপর একটি ডুবোজাহাজে। ওই সাবমেরিন থেকে তিনি এখনও মাঝে মাঝে বার্তা পাঠিয়ে যাচ্ছেন। ঘোষণা করছেন: "আমি আবার ফিরে আসবো!" তবে একটি তত্ত্ব টিকে আছে যুগ যুগ ধরে। আর সেটি হলো- আফগানিস্তানে সকল শয়তানির পেছনে আছে ব্রিটিশদের হাত। আরো পড়তে পারেন: মালালা'র প্রত্যাবর্তন পাকিস্তানের মানুষ কিভাবে নিয়েছে? যখন ছোট ছিলাম, আমি ভাবতাম এর পেছনে কি কারণ থাকতে পারে। কিন্তু আমার বয়স যখন ২০ পার হলো, আমি ব্রিটেনে চলে আসি। এখানে আসার পর আমি জানতে পারলাম এই সন্দেহের পেছনে ভালো ভালো কিছু কারণও আছে। আউলিয়া আতরাফি বহু শতাব্দী কাল ধরে আফগানিস্তান ছিলো রাশিয়া ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দ্বন্দ্বের মাঝখানে (বাফার জোন)। এই দুই পরাশক্তি তাদের যুদ্ধের কৌশলে এই দেশটিকে ব্যবহার করেছে। আফগানিস্তানের ভেতরে দুটো দেশই লিপ্ত ছিলো নানা ধরনের ষড়যন্ত্র কিম্বা চক্রান্তে। আধুনিক আফগানিস্তানের মানচিত্র যখন তৈরি হলো, বলা হয় যে তখন আফগান বাদশাহর মতামতকে কোনভাবেই বিবেচনা করা হয়নি। আফগানিস্তান নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে ১৯১৯ সালে। তখন ব্রিটিশরা সেখান থেকে চলে আসে চিরতরে। কিন্তু তার আগে তিন তিনবার ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু আসলেই কি ব্রিটিশরা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে এসেছে? আফগানরা মনে করে, ব্রিটিশরা এখনও তাদের দেশে ছায়ার মতো ওত পেতে আছে। তাদের উপর গোয়েন্দাগিরি করছে। করছে ষড়যন্ত্র। এবং এখনও আফগানিস্তানের বিষয়ে নাক গলাচ্ছে যাতে সেখানকার পরিস্থিতি দিনি দিনে আরো খারাপ হচ্ছে। আফগানিস্তানে এমন কিছু গল্পও প্রচলিত আছে ব্রিটিশ গোয়েন্দারা গোপনে ইমামের ছদ্মবেশ ধরে ধার্মিক লোকজনদের বিভ্রান্ত করছে, কেউ কেউ কাজ করছে ভবিষ্যৎ বলতে পারে এমন মানুষ হিসেবেও। শুধু তাই নয়, আফগানিস্তানের মাজারে মাজারে এখনও নাকি বহু ধনসম্পদ লুকানো আছে যা ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে ব্রিটিশরা সেখানে পাহারা দিচ্ছে। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে এইচএসসি পরীক্ষায় এবার 'প্রশ্নফাঁস হবে না' মার্কিন ভিসা পেতে ফেসবুক একাউন্টের তথ্য দিতে হবে এভারেস্টে ওঠা কি এতোই সহজ তার কাছে? ষড়যন্ত্র তত্ত্বের ব্যাপারে আফগান জাতির এই মাতামাতি একেবারে বিচিত্র কিছু নয়। এক কুর্দী বন্ধু আমাকে বলেছিলো, সারা রাতের বৃষ্টির পর তাদের এলাকায় যদি কখনও কোন দেওয়াল ধ্বসে পড়তো তাহলে তার মা তার জন্যেও ব্রিটিশদের দায়ী করতেন। ইরানি নাটকেও এরকম ব্রিটিশ ষড়যন্ত্রের কথা রয়েছে। সেখানে বলা হয় যে ব্রিটিশরা নাকি সবসময় একটা চক্রান্ত করছে। আমার বন্ধুরা বলেছে, বাংলাদেশেও কেউ যদি চতুরতার সাথে কাজ করে তাহলে তাকে ইংলিশ বলে ডাকা হয়। কাবুলেও এরকম একটি শব্দ চালু আছে: চুচা ই ইংলিশ। তবে যাই হোক, ১৯৮০ এর দশকে আফগান গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়র পর থেকে, আমাদের দেশে এই ষড়যন্ত্রকারীদের তালিকা আরো দীর্ঘ হয়েছে। এখন এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা বাহিনী আই এস আই। তার সাথে অ্যামেরিকানরাতো আছেই। দেশটিতে বারবার বিদেশিদের হস্তক্ষেপের কারণে আফগানরা এবিষয়ে আরো বেশি কল্পন-প্রবন হয়ে উঠেছে। লন্ডনে একজন আফগান ট্যাক্সি-চালক বলেছিলেন, বিদেশিরা নাকি আমাদের তেল চুরি করতে চায় আর সেই তেল নাকি পাচার করা হবে যাত্রীবাহী বিমানে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, বিদেশিরা নাকি আফগানিস্তান থেকে ইউরেনিয়াম আনতে চায়। আফগানিস্তানে একজন বিচারক একবার আমাকে বলেছিলেন ওসামা বিন লাদেন আসলে একজন অ্যামেরিকান গুপ্তচর এবং শেষ পর্যন্ত তাকে হত্যা করা হয় কারণ সে সবকিছু জেনে গিয়েছিলো। আরো একদল লোক আছেন যারা মনে করেন ওসামা বিন লাদেন এখনও জীবিত আছেন। তিনি বসবাস করছেন অ্যামেরিকার কোন না কোন একটি দ্বীপে। আফগান জেনারেলদের কেউ কেউ বলেন যে নেটো তালেবান বাহিনীকে নগদ অর্থ আর অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে। তারা এমন দাবিও করছেন যেসব দোভাষী এসব বিষয়ে কথা বলেছেন তাদেরকে নাকি হেলিকপ্টার থেকেও ফেলে দেওয়া হয়েছে। এমন গল্পও আছে যে নেটোর সৈন্যরা আফগান মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ড্রাগ কিনে খাচ্ছে। এবং সেসব ড্রাগ নিহত সৈন্যদের মৃতদেহের পেটের ভেতরে লুকিয়ে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলোতে। গত বছর আমি আমার এক বন্ধুকে দেখতে গিয়েছিলাম। তার পিতা একজন বৃদ্ধ খান। পূর্বাঞ্চলীয় এক গোত্রের প্রধান। চা খাওয়ার পর আমরা যখন গল্প গুজব করছিলাম তখন আমি তাকে তাদের এলাকায় তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। তখন তিনি একটা লম্বা বক্তৃতা দিলেন। এর আগেও আমি হাজারবার এই বক্তৃতা শুনেছি: "এর সবই আই এস আই, অ্যামেরিকান ও ব্রিটিশদের খেলা। তার মূল্য দিচ্ছে আফগানরা।" কিছুটা বিস্মিত হয়ে আমি তাকে প্রশ্ন করলাম: "কিন্তু এটা করে তাদের কি লাভ?" "তারা পরিকল্পনা করে ৫০ বছর আগে, আমরা সেটা বুঝতে পারি না," তার জবাব। "এটা যদি এতোই সহজ কিছু হয়, তাহলে তারা বোকা। আমরা শুধু তার কিছু ইঙ্গিত টের পাই। রাশিয়া, পাকিস্তান আর চীন মিলে নতুন একটি ব্লক তৈরি হচ্ছে।" তিনি বলতে লাগলেন, "একবার ভেবে দেখুন। অ্যামেরিকা তো তালেবান সরকারকে মাত্র এক সপ্তাহেই ধ্বংস করে দিতে পারতো। কিন্তু এখন পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা অল্প কিছু জঙ্গিকে তারা নির্মূল করতে পারছে না কেন?" আফগান সৈন্য ও ক্যামেরাম্যানের সাথে আউলিয়া আতরাফি (বামে) সব সময়ই বাইরের কেউ না কেউ থাকে যাকে আফগানিস্তানের পরিস্থিতির জন্যে দায়ী করা হয়। সম্প্রতি কাবুলে, আমি শুক্রবারের জুম্মার নামাজ শেষ করছি, আমার সাথে আরো কিছু রিপোর্টার ছিলো, তখন আমরা একটা খবর পেলাম যে একজন আত্মঘাতী হামলাকারী একটি শিয়া মসজিদে হামলা চালিয়েছে। "এটা কি ইসলামিক স্টেটের কাজ?" আমি জিজ্ঞেস করলাম। আরেকজন সাংবাদিক তখন বললেন, "অথবা হতে পারে হয়তো ইহুদি ও খৃস্টানরা এর সাথে জড়িত।" আমি তখন জানতে চাইলাম, "এতে তাদের কি লাভ হবে?" "দুটো জিনিস। এর ফলে ধার্মিক লোকজন আর মসজিদে আসবে না এবং মুসলমানদেরকেও বিভক্ত করা যাবে," তার উত্তর। তারপর আমরা যখন গ্রিন জোনের ভেতরে পাকা রাস্তা ধরে হেঁটে যাচ্ছিলাম, আমাদের প্যান্ট তখনও পায়ের দিকে গোটানো ছিলো, জায়নামাজ ছিলো আমাদের হাতে, আমার মাথায় তখন একটা চিন্তা এলো। সেটা হলো- এমন একটা দেশ যেখানে এতো মানুষের এতো ভাষা, এতো জাতীয়তা এবং মতাদর্শ, তারপরেও একটা জিনিস আছে যা সব আফগানকে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছে সেটা হলো - বিদেশির প্রতি তাদের অবিশ্বাস। | Conspiracy theories flourish all over the world but in some countries they appear to be more popular than in others. And in Afghanistan, says the BBC's Auliya Atrafi, they often feature sinister foreign powers - first and foremost, the British... |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | লন্ডনের রাস্তায় ভোটাধিকারের দাবিতে মেয়েদের মিছিল চিঠিটার নীচে স্বাক্ষর করা হয়েছিল "একজন ইংলিশম্যান' নামে। ১৯১৩ সালের জুনে এমিলি উইল্ডিং ডেভিডসন যখন হাসপাতালের মৃত্যু শয্যায়, তখন তার কাছে এই চিঠি আসে। এমিলি ডেভিডসন ছিলেন মেয়েদের ভোটাধিকারের আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী। এর কয়েকদিন আগে তিনি ইংল্যান্ডের এপসমে যে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা হয়, যেখানে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যরা থেকে শুরু করে অভিজাত সমাজের মানুষেরা ভিড় করেন, সেখানে ভোটাধিকার চেয়ে বিক্ষোভ করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তার ওপর রাজার ঘোড়া চালিয়ে দেয়া হয়েছিল। গুরুতর আহত এমিলি ডেভিডসনকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। তার জ্ঞান আর ফেরেনি। সেখানেই ৮ই জুন মারা যান তিনি। মেয়েদের ভোটাধিকারের আন্দোলন এক নতুন বাঁক নিয়েছিল তার মৃত্যুর ঘটনায়। ভোটাধিকার আন্দোলনের নেত্রী এমিলি প্যাংকহার্স্ট এক সভায় বক্তৃতা করছেন এমিলি ডেভিডসন হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায় শুয়েও তাকে গালাগালি দেয়া যে ধরণের চিঠি পেয়েছিলেন, তা থেকে স্পষ্ট কিরকম ঘৃণা, বিদ্বেষ এবং হুমকির মোকাবেলা করতে হচ্ছিল ভোটাধিকারের আন্দোলনে সামিল হওয়া নারীদের। এসব চিঠি সম্প্রতি উন্মুক্ত করা হয়েছে আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য, যারা এই আন্দোলনের ইতিহাস জানতে চান। দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বিশ শতকের শুরুতেও ব্রিটেনে মেয়েদের অবস্থা ছিল দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের মতো। পুরুষদের তুলনায় তাদের স্বাধীনতা এবং অধিকার ছিল সীমিত। ভোটের অধিকারের জন্য মেয়েদের তখন লড়াই করতে হচ্ছিল। তারা ধরণা দিচ্ছিলেন, দরখাস্ত লিখছিলেন। সভা করছিলেন। কিন্তু এভাবে যে কিছুই হবে না, সেই উপলব্ধি প্রবল হতে শুরু করলো অনেকের মধ্যে। তারা 'ডাইরেক্ট অ্যাকশনের' মাধ্যমে সরাসরি রাস্তায় নেমে অধিকার আদায়ের পক্ষে। তাদের নেত্রী ছিলেন এমিলি প্যাংকহার্স্ট। ভোটাধিকারের দাবিতে তখন নিয়মিত লন্ডনের রাস্তায় মিছিল চলছিল ব্রিটেনের ডেইলি মেইল পত্রিকা মেয়েদের ভোটাধিকার আদায়ের এই জঙ্গী গোষ্ঠীটির নাম দিয়েছিল 'স্যাফ্রাজেটস'। সেই নামেই তারা পরিচিত হয়ে উঠলেন, কিন্তু বদলে দিলেন ইতিহাস। ভোটাধিকার আদায়ের আন্দোলনে তারা দু:সাহসিক সব কাজ করতেন। বাড়িঘরের ওপর হামলা চালাতেন। নিজেদের শেকল দিয়ে বাড়ির রেলিং এর সঙ্গে আটকে রাখতেন। ব্রিটেনের পত্রিকাগুলো এবং জনমত তাদের বিপক্ষে চলে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল। ব্রিটেনের ন্যাশনাল আর্কাইভে সংরক্ষিত দলিলপত্র ঘাঁটলে বোঝা যায় কিভাবে রাষ্ট্র এই আন্দোলন দমনের চেষ্টা করেছিল। স্যাফ্রাজেটরা বাড়ির জানালার কাঁচ ভাঙ্গতো, টেলিগ্রাফের তার কেটে দিত, লেটার বক্সের ভেতর দিয়ে রাসায়নিক বোমা ফেলে দিয়ে আসতো। পুলিশ ব্যাপক হারে তাদের ধরপাকড় করে জেলে ভরতো। জেলে বন্দী নারীরা যখন অনশন ধর্মঘটে যেতেন, তখন তাদের জোর করে খাওয়ানো হতো। শেষ পর্যন্ত এই আন্দোলনের জয় হলো। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট আইন করে ত্রিশোর্ধ নারী, যারা বাড়ির মালিক, তাদের ভোটাধিকার দিল ১৯১৮ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারী। মেয়েদের ভোটাধিকার আন্দোলনের একটা অংশ ছিল শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পক্ষে দীর্ঘ লড়াই ১৮৬৬ সালে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে প্রথম মেয়েদের ভোটাধিকার চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯১৮ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারী কিছু নারী ভোটাধিকার পেলেও সার্বজনীন ভোটাধিকারের জন্য মেয়েদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল ১৯২৮ সাল পর্যন্ত। ১৯১৯ সালে হাউস অব পার্লামেন্টে প্রথম মহিলা এমপি হিসেবে আসন নিয়েছিলেন ন্যান্সি অ্যাস্টর। | "I am glad to hear you are in hospital. I hope you suffer torture until you die, you idiot." |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | অধিকাংশ মানুষের জন্যই এই রোগটি খুব ভয়াবহ নয়, কিন্তু অনেকেই মারা যায় এই রোগে। ভাইরাসটি কীভাবে দেহে আক্রমণ করে, কেন করে, কেনই বা কিছু মানুষ এই রোগে মারা যায়? 'ইনকিউবেশন' বা প্রাথমিক লালনকাল এই সময়ে ভাইরাসটি নিজেকে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করে। আপনার শরীর গঠন করা কোষগুলোর ভেতরে প্রবেশ করে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়ার মাধ্যমে কাজ করে ভাইরাস। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ ফেরতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে (ফাইল ফটো) করোনাভাইরাস, যার আনুষ্ঠানিক নাম সার্স-সিওভি-২, আপনার নিশ্বাসের সাথে আপনার দেহে প্রবেশ করতে পারে (আশেপাশে কেউ হাঁচি বা কাশি দিলে) বা ভাইরাস সংক্রমিত কোনো জায়গায় হাত দেয়ার পর আপনার মুখে হাত দিলে। শুরুতে এটি আপনার গলা, শ্বাসনালীগুলো এবং ফুসফুসের কোষে আঘাত করে এবং সেসব জায়গায় করোনার কারখানা তৈরি করে। পরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নতুন ভাইরাস ছড়িয়ে দেয় এবং আরো কোষকে আক্রান্ত করে। এই শুরুর সময়টাতে আপনি অসুস্থ হবেন না এবং কিছু মানুষের মধ্যে হয়তো উপসর্গও দেখা দেবে না। ইনকিউবেশনের সময়ের - প্রথম সংক্রমণ এবং উপসর্গ দেখা দেয়ার মধ্যবর্তী সময় - স্থায়িত্ব একেকজনের জন্য একেকরকম হয়, কিন্তু গড়ে তা পাঁচদিন। নিরীহ অসুখ অধিকাংশ মানুষের অভিজ্ঞতায় করোনাভাইরাস নিরীহ অসুখই মনে হবে। দশজনে আটজন মানুষের জন্যই কোভিড-১৯ একটি নিরীহ সংক্রমণ এবং এর প্রধান উপসর্গ কাশি ও জ্বর। শরীরে ব্যাথা, গলা ব্যাথা এবং মাথাব্যাথাও হতে পারে, তবে হবেই এমন কোনো কথা নেই। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ায় প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করার ফলে গায়ে জ্বর আসে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটিকে শত্রুভাবাপন্ন একটি ভাইরাস হিসেবে শনাক্ত করে এবং বাকি শরীরে সাইটোকাইনস নামক কেমিক্যাল পাঠিয়ে বুঝিয়ে দেয় কিছু একটা ঠিক নেই। এর কারণে শরীরে ব্যাথা ও জ্বরের মত উপসর্গ দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসের কারণে শুষ্ক কাশি হয়। কোষগুলো ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার কারণে অস্বস্তিতে পড়ার কারণে সম্ভবত শুকনো কাশি হয়ে থাকে। তবে অনেকের কাশির সাথেই একটা পর্যায়ে থুতু বা কফ বের হওয়া শুরু করবে যার মধ্যে ভাইরাসের প্রভাবে মৃত ফুসফুসের কোষগুলোও থাকবে। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে পরিপূর্ণ বিশ্রাম, প্রচুর তরল পান করা এবং প্যারাসিটামল খাওয়ার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতাল বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজন হয় না। এই ধাপটি এক সপ্তাহের মত স্থায়ী হয়। অধিকাংশ মানুষই এই ধাপের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করে কারণ ততদিনে তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসের সাথে লড়াই করে সেটিকে প্রতিহত করে ফেলে। তবে কিছু কিছু মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ এর আরো ক্ষতিকর একটি সংষ্করণ তৈরি হয়। এই রোগ সম্পর্কে হওয়া নতুন গবেষণায় ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে যে রোগটির এই ধাপে আক্রান্তদের সর্দিও লাগতে পারে। করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস ভয়াবহ ব্যাধি এই ধাপের পর যদি রোগ অব্যাহত থাকে, তা হবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটি সম্পর্কে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীল হওয়ায়। যেই কেমিক্যালগুলো শরীরে বার্তা পাঠাতে থাকে, সেগুলোর প্রতিক্রিয়া তখন শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রদাহ হয়। লন্ডনের কিংস কলেজের ডক্টর নাথালি ম্যাকডরমেট বলেন, "রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ভারসাম্য নষ্ট করে দেয় ভাইরাসটি। এর ফলে শরীর অতিরিক্ত মাত্রায় ফুলে যায় শুরু হয়। কীভাবে এটি ঘটছে, তা আমরা এখনো নিশ্চিতভাবে জানি না।" ফুসফুসে প্রদাহ তৈরি হওয়াকে নিউমোনিয়া বলে। আপনার মুখ দিয়ে প্রবেশ করে শ্বাসনালী দিয়ে ফুসফুসের ছোট টিউবগুলোয় যদি যাওয়া যেত, তাহলে আপনি হয়তো শেষপর্যন্ত ক্ষুদ্র আকারের বায়ুথলিতে গিয়ে পৌঁছাতেন। এই থলিগুলোতেই রক্তে অক্সিজেন যায় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বের হয়। কিন্তু নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে এই ক্ষুদ্র থলিগুলো পানি দিয়ে ভর্তি হতে শুরু করে এবং ফলস্বরুপ শ্বাস নিতে অস্বস্তি তৈরি করা, শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যার মত উপসর্গ তৈরি করে। কিছু মানুষের শ্বাস নিতে ভেন্টিলেটরও প্রয়োজন হয়। চীন থেকে পাওয়া তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী, এই ধাপে ১৪% মানুষ আক্রান্ত হয়। করোনাভাইরাস আক্রান্ত ফুসফুসের স্ক্যান, নিউমোনিয়া আক্রান্ত অংশ চিহ্নিত করা রয়েছে অতি জটিল রোগ এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে যে প্রায় ৬% করোনাআক্রান্ত ব্যক্তির রোগ অতি জটিল পর্যায়ে যায়। এই ধাপে শরীর স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে অসক্ষম হয় এবং মৃত্যুর বড় ধরনের সম্ভাবনা তৈরি হয়। মূল সমস্যাটা হয়, এই ধাপে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে এবং সারা শরীরেই বিভিন্ন রকম ক্ষয়ক্ষতি তৈরি করে। রক্তচাপ যখন মারাত্মকভাবে নেমে যায় তখন এই ধাপে সেপটিক শক পেতে পারেন আক্রান্ত ব্যক্তি, এমনকি তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাসে তীব্র সমস্যা হওয়ার উপসর্গ দেখা দেয় ফুসফুসে প্রদাহ ছড়িয়ে পড়লে, কারণ সেসময় শরীরকে টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট অক্সিজেন পুরো শরীরে প্রবাহিত হতে পারে না। এর ফলে কিডনি রক্ত পরিশোধন ছেড়ে দিতে পারে এবং অন্ত্রের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ডাক্তার ভারত পঙ্খানিয়া বলেন, "ভাইরাসটি এত বড় পরিসরে প্রদাহ তৈরি করে যে শরীর পুরো ভেঙ্গে পড়ে, একসাথে একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ফেইল করে।" এ পর্যায়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যদি ভাইরাসের সাথে পেরে না ওঠে তাহলে তা শরীরের সব প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে এবং আরো বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি করে। এ পর্যায়ে আক্রান্তকে চিকিৎসা দিতে ইসিএমও বা এক্সট্রা-কোর্পোরেয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হতে পারে। এই পদ্ধতিতে একটি কৃত্রিম ফুসফুস দ্বারা টিউবের মাধ্যমে শরীর থেকে রক্ত বের করে নিয়ে সেই রক্ত অক্সিজেনপূর্ণ করে আবার শরীরে প্রবেশ করানো হয়। তবে ক্ষতির মাত্রা বেশি হলে কখনো কখনো অঙ্গ প্রত্যঙ্গ শরীরকে আর বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয় না। ইসিএমও মেশিন দিয়ে এক রোগীর চিকিৎসা করা হচ্ছে প্রথম মৃত্যু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পরও অনেকসময় রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। চীনের উহান শহরের জিনইনতান হাসপাতালে মারা যাওয়া প্রথম দু'জন আপাতদৃষ্টিতে স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি ছিলেন, যদিও তারা দু'জনই দীর্ঘসময় ধরে ধূমপান করতেন। প্রথম যিনি মারা গিয়েছিলেন, ৬১ বছর বয়সী এক পুরুষ, তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় তার তীব্র নিউমোনিয়া ছিল। তার শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা ছিল, এবং ভেন্টিলেটরে রাখা হলেও তার ফুসফুস বিকল হয়ে যায় এবং হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালে ১১ দিন থাকার পর ঐ ব্যক্তি মারা যান। ৬৯ বছর বয়সী দ্বিতীয় যে ব্যক্তি মারা যান তারও শ্বাস প্রশ্বাসে ব্যাপক সমস্যা ছিল। তাকেও একটি ইসিএমও মেশিনের সহায়তা দেয়া হয়, কিন্তু তবুও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। রক্তচাপ কমে যাওয়ার পর তীব্র নিউমোনিয়া ও সেপটিক শকে মারা যান তিনি। | The coronavirus emerged in only December last year, but already the world is dealing with a pandemic of the virus and the disease it causes - Covid-19. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | জেফ বেজোস এবং ম্যাকেঞ্জি বেজোস এক বিবৃতিতে ম্যাকেঞ্জি বেজোস এ ঘোষণা দেন। জেফ বেজোসের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর ম্যাকেঞ্জি বেজোস বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনীদের কাতারে চলে আসেন। নিজের সম্পদের অর্ধেক দান করে দেওয়ার বিষয়টি প্রথমে চালু করেন ওয়ারেন বাফেট এবং বিল গেটস। মি: বাফেট এবং মি: গেটস পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের আহবান জানিয়েছিলেন যে তারা যেন নিজেদের সম্পদের অর্ধেক কিংবা তার চেয়ে বেশি দান করে দেয়। জেফ বেজোসের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের আপস-রফা হিসেবে মিস: বেজোস কোম্পানির ৪ শতাংশ শেয়ার অর্জন করেন। চলতি বছরের শুরুতে জেফ বেজোস এবং ম্যাকেঞ্জি বেজোস দীর্ঘ ২৫ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি টানেন। বিশ্বের শীর্ষ ধনী এখন অনলাইনে কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। তার সম্পদের পরিমাণ এখন ১৫০ বিলিয়ন বা ১৫ হাজার কোটি ডলার। তার থেকে অনেকটা পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বিল গেটস, যার সম্পদের পরিমাণ ৯৫ বিলিয়ন ডলার। আরো পড়ুন: কিভাবে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হলেন অ্যামাজনের জেফ বেজোস সবচেয়ে ধনী ৭ নারী: কীভাবে এতো সম্পদের মালিক হলেন তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি অ্যামাজন এক সময় ছিল অনলাইনে পুরনো বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান। আর এখন তা শিগগীরই হতে যাচ্ছে পৃথিবীর প্রথম ট্রিলিয়ন-ডলার কোম্পানি - অর্থাৎ তার মূল্য হবে এক লক্ষ কোটি ডলার। অ্যামাজনে কেনা যায় না - বোধ হয় সারা দুনিয়ায় এমন কিছুই এখন নেই। আপনার পোষা বিড়ালের খাবার থেকে শুরু করে বহুমূল্য ক্যাভিয়ার পর্যন্ত সব কিছুই কেনা যায় অ্যামাজনে - বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে। শুধু তাই নয় অ্যামাজনের আছে স্ট্রিমিং টিভি, এমন কি নিজস্ব এ্যারোস্পেস কোম্পানি - যাতে শিগগীরই মহাশূন্য ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে। এক বিবৃতিতে মিস ম্যাকেঞ্জি বলেন, "দাতব্য কাজের প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গি অব্যাহত থাকবে। এতে সময়, চেষ্টা এবং যত্ন প্রয়োজন রয়েছে।" এ পর্যন্ত পৃথিবীর ২৩ দেশের ২০৪ জন ধনী ব্যক্তি, দম্পতি এবং পরিবার তাদের সম্পদের অর্ধেক কিংবা তার চেয়ে বেশি বিভিন্ন দাতব্য কাজে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। ২০১০ সালে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। নিউ ইয়র্ক শহরের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ, সিএনএন-এর প্রতিষ্ঠাতা টেড টার্নার এই তালিকায় আছেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: মানসা মুসা: সর্বকালের সেরা ধনী যে মুসলিম শাসক আজিজ খান যেভাবে বাংলাদেশের ডলার বিলিওনিয়ার বিশ্বে সবচেয়ে কম বয়সে কোটিপতি হলেন যে নারী | MacKenzie Bezos, the ex-wife of Amazon boss Jeff Bezos, has promised to give half her fortune to charity. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | মিস ওমর বলছেন যে পোস্টারের কথা তিনি বলছেন সেটা দেখলেই বোঝা যাবে কেন এর জন্য তার জীবন সংশয় হতে পারে। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়াতে রিপাব্লিকান পার্টির একটি স্টলে ওই পোস্টার রাখা হয়েছে। তিনি বলেছেন মুসলিম বিরোধী এই পোস্টারে সন্ত্রাসের সঙ্গে তাকে জড়ানো হয়েছে। তিনি বলছেন এই পোস্টার তার জীবনের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার রিপাব্লিকানরা বলছেন তারা ঘৃণা সৃষ্টি করতে পারে এমন কোন কাজ সমর্থন করেন না এবং তারা অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের পোস্টারটি সরিয়ে নিতে বলেছেন। গত নভেম্বর মাসে মিস ওমর নির্বাচনে জেতেন। আমেরিকান কংগ্রেসে প্রথমবার যে দুজন মুসলিম নারী নির্বাচনে জিতেছেন মিস ওমর তাদের একজন। ওয়েন্ট ভার্জিনিয়ার চালর্সটনে ওই অনুষ্ঠানে শুক্রবার যে পোস্টার লাগানো হয়েছে তাতে মিস ওমরকে দেখা যাচ্ছে এবং তার ছবির পাশে নিউ ইয়র্কে টু্ইন টাওয়ারে আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। পাশে লেখা আছে: "আপনি বলেছিলেন - কখনও ভুলো না। কিন্তু আপনি যে ভুলে গেছেন- আমিই তার প্রমাণ।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: হিজাব পরা যে মেয়ের ছবি নিয়ে তোলপাড় হিজাব খোলার দায়ে ৬০,০০০ ডলার ক্ষতিপূরণ মিস ওমর বলেছেন এই পোস্টারের জন্যই তার জীবনের জন্য হুমকি সৃষ্টি হয়েছে। "দেশের ভেতর আমাকে যে এ কারণেই সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়া হচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমার পাড়ার পেট্রল স্টেশনে এজন্যই কারা লিখে রেখেছে 'ইলহান ওমরকে হত্যা করো'," তিনি বলেছেন। "রিপাবলিকানরা তাদের মুসলমান বিরোধী প্রচারণার সঙ্গে আমার নাম এভাবে জড়িয়েছে, অথচ আশ্চর্য কেউ তাদের নিন্দা করছে না।"। মিস ওমর খুনের তালিকায় তার নাম অর্ন্তভূক্ত করার যে কথা বলেছেন তা শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের সন্দেহভাজন একটা ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। মিস ওমর এবং প্রথম সারির কিছু ডেমোক্রাট রাজনীতিককে হত্যা করার জন্য ওই শ্বেতাঙ্গ গোষ্ঠির কাছে অস্ত্র এবং কাদের তারা মারতে চায় তার একটা তালিকা আছে বলে অভিযোগ। ওই অনুষ্ঠানে এসিটি ফর আমেরিকা নামে 'মুসলিম বিদ্বেষী' একটি গোষ্ঠির বিভিন্ন পোস্টারের সঙ্গে প্রদর্শিত হয়েছে মিস ওমরকে নিয়ে তৈরি এই পোস্টার। তবে এসিটি ফর আমেরিকা বলেছে মিস ওমরের ওই পোস্টারের ব্যাপারে তাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই এবং "বৈষম্যের ব্যাপারে গোষ্ঠিটি জিরো-টলারেন্স" নীতিতে বিশ্বাসী। | US Congresswoman Ilhan Omar has condemned a poster linking her to the 9/11 attacks displayed at a Republican stall in the West Virginia legislature. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | নিজেদের দেশে দারিদ্র ও সহিংসতার কারণে বহু নারী ও শিশু পালিয়ে মার্কিন সীমান্তে পৌঁছেছে। আলাস্কায় মি মাটিস টেক্সাসের দুটি ঘাঁটির নাম ঘোষণা করেন। তবে সেখানে অভিবাসী শিশুরা এবং তাদের পরিবারগুলো একসাথে থাকবে কিনা সেটি তিনি বলেননি। হেফাজতে নেয়ার সময় অভিবাসী শিশুদেরকে তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে সই করার পর এই খবর এলো। গত সপ্তাহে পেন্টাগন জানিয়েছে যে, তারা আটক দুই হাজারেরও বেশি শিশুকে সামরিক ঘাঁটিতে আশ্রয় দেয়ার পরিকল্পনা করছে। যদিও ল্যাটিন আমেরিকান নেতারা মার্কিন অভিবাসন নীতির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। এই সামরিক ঘাঁটিগুলো কোথায়? মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মি. মাটিস সোমবার সাংবাদিকদের জানান, এল পাসোতে ফোর্ট ব্লিস এবং সান অ্যাঞ্জেলোতে গুডফেলো বিমান ঘাঁটিকে এজন্য বাছাই করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, সেনাবাবাহিনী এ বিষয়ে বিশদ কাজ করছে। সেইসাথে কতখানি ধারণক্ষমতা প্রয়োজন সেটাও যাচাই করা হচ্ছে, কারণ অভিবাসীদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। স্বাস্থ্য ও মানবিক সহায়তা বিভাগের কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে টেক্সাসের তিনটি ঘাঁটি পরিদর্শন করেন সেগুলো অভিবাসী শিশুদের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে কি-না তা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে, মার্কিন গণমাধ্যমে এমন খবর দেয়। চীন, কোরিয়া এবং জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের সাথে বৈঠকের উদ্দেশ্যে এশিয়া সফরের পথে মি: মাটিস বলেন, এর মধ্যে থেকে দুটি বাছাই করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরিবারগুলোর মধ্যে বিচ্ছিন্নতা বন্ধে একটি নির্বাহী আদেশে সই করলেও হাজার হাজার শিশু তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আরো পড়তে পারেন: মিয়ানমারের অন্যতম শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা বরখাস্ত গাজীপুর সিটি নির্বাচন: অনিয়মের নানা অভিযোগ উত্তর কোরিয়ার রহস্যময় এক হোটেলের কাহিনী এর আগে খবরে বলা হয়, ফোর্ট ব্লিস ঘাঁটি ব্যবহার করা হবে অভিবাসী পরিবারগুলোর বাসস্থানের জন্য। এবং গুডফেলো ঘাঁটিতে অবিবাহিত অভিবাসী শিশুদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। যদিও কর্মকর্তাদের তরফ থেকে এখনো এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। মার্কিন অভিবাসন কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায় আড়াই হাজার শিশুকে তাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে গত ৫ই মে থেকে ৯ই জুনের মধ্যে। হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে আটক হওয়া হাজার হাজার অ-নিবন্ধিত অভিবাসীর জন্য থাকার বন্দোবস্ত করতে সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানায়। এই আশ্রয়-শিবিরগুলো এই ডিপার্টমেন্টের অধীনে পরিচালিত হবে এবং জুলাই নাগাদ সেগুলো চালু হতে পারে। কী বলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? এদিকে কোনও ধরনের বিচার প্রক্রিয়া ছাড়াই অভিবাসীদের বিতাড়িত করার বিষয়ে বারবার বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । সোমবার এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, হাজার হাজার বিচারক নিয়োগ, এবং জটিল ও দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া কোনও পন্থা হতে পারে না। লোকজনকে সীমান্তেই আটকে দিতে হবে এবং বলতে হবে যে মার্কিন ভূখণ্ডে অবৈধভাবে কেউ ঢুকতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, "এটা যদি করা হয় অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করা যাবে এবং তুলনামুলকভাবে খুবই অল্প খরচে। এটাই একমাত্র সঠিক উত্তর এবং আমরা অবশ্যই দেয়াল তোলার বিষয়ে এগিয়ে যাবো।" ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইট ২০১৬ সালে মি ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সীমান্ত পারাপারের সময় অবৈধ অভিবাসী আটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কমে গেছে। তবে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে অভিবাসী পারাপারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। | US Defence Secretary Jim Mattis has confirmed that two military bases will be used as temporary camps to house migrants who illegally enter the US. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | কাশ্মীর বিখ্যাত তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য কিন্তু কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের এই সংঘাতের কারণ কি? ইতিহাস বলছে, ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান আর ভারত স্বাধীনতা পাবার আগে থেকেই কাশ্মীর নিয়ে বিতর্কের সূচনা হয়েছিল। 'ইন্ডিয়ান ইনডিপেন্ডেন্স এ্যাক্ট' নামে ব্রিটিশ ভারত বিভক্তির যে পরিকল্পনা তৈরি হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল, কাশ্মীর তার ইচ্ছে অনুযায়ী ভারত অথবা পাকিস্তান - যে কোন রাষ্ট্রেই যোগ দিতে পারবে। কাশ্মীরের তৎকালীন হিন্দু মহারাজা হরি সিং চাইছিলেন স্বাধীন থাকতে অথবা ভারতের সাথে যোগ দিতে। অন্যদিকে পশ্চিম জম্মু এবং গিলগিট-বালতিস্তানের মুসলিমরা চাইছিলেন পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে। কাশ্মীর বিভক্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এল ও সি দিয়ে ১৯৪৭ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের পাশতুন উপজাতীয় বাহিনীগুলোর আক্রমণের মুখে হরি সিং ভারতে যোগ দেবার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন, এবং ভারতের সামরিক সহায়তা পান। পরিণামে ১৯৪৭ সালেই শুরু হয় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ - যা চলেছিল প্রায় দু'বছর ধরে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ১৯৪৮ সালে ভারত কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে। জাতিসংঘের ৪৭ নম্বর প্রস্তাবে কাশ্মীরে গণভোট, পাকিস্তানের সেনা প্রত্যাহার, এবং ভারতের সামরিক উপস্থিতি ন্যূনতম পর্যায়ে কমিয়ে আনতে আহ্বান জানানো হয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: আক্রমণ করলে ভারতকে পাল্টা জবাব দেবো: ইমরান খান হাসপাতাল থেকে ৩১ টা মানব ভ্রূণ ডাস্টবিনে গেল কীভাবে? কোমায় থাকা কিশোরী জেগে দেখে সে নিজেই মেয়ের মা! জামায়াতের নতুন দলের নামে 'ইসলাম' বাদ পড়তে পারে কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে পাকিস্তান, ভারত ও চীন কাশ্মীরে যুদ্ধবিরতি বলবৎ হয় ১৯৪৮ সালে, তবে পাকিস্তান সেনা প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করে। তখন থেকেই কাশ্মীর কার্যত পাকিস্তান ও ভারত নিয়ন্ত্রিত দুই অংশে ভাগ হয়ে যায়। অন্যদিকে ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে চীন কাশ্মীরের আকসাই-চিন অংশটির নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে, আর তার পরের বছর পাকিস্তান - কাশ্মীরের ট্রান্স-কারাকোরাম অঞ্চলটি চীনের হাতে ছেড়ে দেয়। সেই থেকে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তান, ভারত ও চীন - এই তিন দেশের মধ্যে ভাগ হয়ে আছে। দ্বিতীয় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয় ১৯৬৫ সালে, এর পর আরেকটি যুদ্ধবিরতি চু্ক্তি হয় । এর পর ১৯৭১-এর তৃতীয় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ এবং ১৯৭২-এর সিমলা চুক্তির মধ্যে দিয়ে বর্তমানের 'লাইন অব কন্ট্রোল' বা নিয়ন্ত্রণ রেখা চূড়ান্ত রূপ পায়। ১৯৮৪ সালে ভারত সিয়াচেন হিমবাহ এলাকার নিয়ন্ত্রণ দখল করে - যা নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে চিহ্নিত নয়। আক্রান্ত হলে ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ হবে: বলছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তা ছাড়া ১৯৯৯ সালে ভারতীয় বাহিনী আরেকটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু তিক্ত লড়াইয়ে জড়ায় পাকিস্তান-সমর্থিত বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে। ১৯৯৯-এর সেই 'কারগিল সংকটের' আগেই দু দেশ পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হয়। ভারত-শাসিত কাশ্মীরে এত সংঘাত-সহিংসতা কেন? কাশ্মীরের এ অংশের অনেকেই চায় না যে এলাকাটি ভারতের শাসনে থাকুক। তারা চায় - হয় পূর্ণ স্বাধীনতা, অথবা পাকিস্তানের সাথে সংযুক্তি। ভারত-শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশেরও বেশি মুসলিম। এটিই হচ্ছে ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। এখানে বেকারত্বের হার অত্যন্ত উঁচু, তা ছাড়া রাস্তায় বিক্ষোভ এবং বিদ্রোহীদের দমনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর নীতি পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করেছে। পুলওয়ামাতে সবশেষ আক্রমণে ৪০ জন আধাসামরিক সেনা নিহত হন কাশ্মীরে বিদ্রোহী তৎপরতা বড় আকারে শুরু হয় ১৯৮৭ সালে বিতর্কিত স্থানীয় নির্বাচনের পর জেকেএলএফ নামে সংগঠনের উত্থানের মধ্যে দিয়ে। ভারত অভিযোগ করে, পাকিস্তান সীমান্তের ওপার থেকে যোদ্ধাদের পাঠাচ্ছে - তবে পাকিস্তান তা অস্বীকার করে। এই রাজ্যে ১৯৮৯ সালের পর থেকে সহিংস বিদ্রোহ নানা উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গেছে। তবে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ২২ বছর বয়স্ক জঙ্গী নেতা বুরহান ওয়ানি নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে এক লড়াইয়ে নিহত হবার পর থেকে পুরো উপত্যকায় ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বুরহান ওয়ানি সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন এবং এতে তার প্রকাশ করা বিভিন্ন ভিডিও তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল। মনে করা হয়, এ অঞ্চলে জঙ্গী তৎপরতা পুনরুজ্জীবিত করা এবং তাকে একটা 'ন্যায়সঙ্গত ইমেজ' দেয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজধানী শ্রীনগরের ২৫ মাইল দূরের ট্রাল শহরে বুরহান ওয়ানির শেষকৃত্যে সমাগম হয়েছিল হাজার হাজার লোকের। জানাজার পর শুরু হয় সৈন্যদের সাথে সংঘর্ষ, কয়েকদিনব্যাপী সহিংসতায় নিহত হয় ৩০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক। এর পর থেকেই রাজ্যটিতে বিক্ষিপ্ত সহিংসতা চলছে। ২০১৮ সালে বেসামরিক লোক, নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গী মিলে মোট নিহত হয় ৫০০ জনেরও বেশি - যা গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। কাশ্মীরে শান্তির আশা দেখা দিয়েও মিলিয়ে গেছে বার বার কাশ্মীর এখন বিভক্ত লাইন অব কন্ট্রোল (ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা) বরাবর। এ ছাড়াও আকসাই-চিন এবং সিয়াচেন হিমবাহের উত্তরের আরেকটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে চীন। কাশ্মীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত ডাল লেক নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বহু রক্তপাতের পর ২০০৩ সালে দু দেশ একটি যু্দ্ধবিরতি চুক্তি করেছিল। পাকিস্তান পরে কাশ্মীরের বিদ্রোহীদের অর্থায়ন বন্ধ করার অঙ্গীকার করে, আর ভারত প্রস্তাব করে - বিদ্রোহীরা জঙ্গী তৎপরতা বন্ধ করলে তাদের ক্ষমাও করে দেয়া হবে। এর পর ২০১৪ সালে হিন্দু জাতীয়তাবাদী নরেন্দ্র মোদির সরকার ক্ষমতাসীন হবার পর তারা পাকিস্তানের ব্যাপারে কঠোর নীতি নেবার অঙ্গীকার করে, তবে শান্তি আলোচনার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখায়। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও গিয়েছিলেন অতিথি হিসেবে। কিন্ত এর এক বছর পরই পাঞ্জাবের পাঠানকোটে ভারতীয় বিমান ঘাঁটিতে আক্রমণ হয় - যার জন্য পাকিস্তান-ভিত্তিক গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করে ভারত। মি. মোদি ইসলামাবাদে তার নির্ধারিত সফর বাতিল করে দেন। এর পর থেকে দু'দেশের মধ্যে আলোচনায় আর কোন অগ্রগতি হয় নি। তাহলে কাশ্মীর কি আগের অবস্থাতেই ফিরে গেল? ২০১৮ সালে ভারতশাসিত কাশ্মীর রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতৃত্বে কোয়ালিশন সরকার - যাতে বিজেপিও অংশীদার ছিল। কিন্তু জুন মাসে বিজেপি জোট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়, এবং তার পর থেকেই রাজ্যটি দিল্লির প্রত্যক্ষ শাসনের অধীনে। এতে সেখানে ক্ষোভ আরো বেড়েছে। পুলওয়ামার আক্রমণ নতুন করে ভারত পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতশাসিত কাশ্মীরে ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত একাধিক সামরিক ঘাঁটির ওপর হামলা হয়েছে। সবশেষ পুলওয়ামায় গত সপ্তাহে এক জঙ্গী আক্রমণে ৪০ জনেরও বেশি আধাসামরিক পুলিশ সদস্য নিহত হবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে আবারও তৈরি হয়েছে তীব্র উত্তেজনা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ভারত যদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয় - তাহলে পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। ভারত বলছে, পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে সব চেষ্টাই তারা করবে। মনে হচ্ছে, দু দেশের সম্পর্ক উন্নত হবার যেটুকু আশা অবশিষ্ট ছিল - পুলওয়ামার আক্রমণের মধ্যে দিয়ে সেটাও হয়তো শেষ হয়ে গেছে। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: কাশ্মীরি মায়েরা কি পারবেন জঙ্গী ছেলেদের ফেরাতে? বিশ্বের সেরা 'টয়লেট পেপার' পাকিস্তানের পতাকা? ভারতের নানা প্রান্তে কাশ্মীরিদের হেনস্থা, মারধর কাশ্মীরে আধাসামরিক কনভয়ে বোমা হামলা, নিহত ৩৪ | Nuclear-armed neighbours India and Pakistan have fought two wars and a limited conflict over Kashmir. But why do they dispute the territory - and how did it start? |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর বাবা ফ্রেড ট্রাম্প নিউ ইয়র্ক রাজ্যের কর বিভাগ নিশ্চিত করেছে যে নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার একটি দাবি তারা তদন্ত করছে - যেখানে অভিযোগ আনা হয় ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েক মিলিয়ন ডলারের কর ফাঁকি দিতে সাহায্য করে তাঁর পরিবার এবং তাঁর সম্পদ বৃদ্ধি করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প সবসময়ই নিজেকে একজন স্ব-প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী - যিনি পরিবারের কাছ থেকে খুব সামান্যই সাহায্য নিয়েছেন - হিসেবে দাবি করে এসেছেন। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই দাব কতটা যৌক্তিক? আর তাঁর পিতার সম্পর্কে কতটুকুই বা আমার জানি? কে ছিলেন ফ্রেড সি. ট্রাম্প? ট্রাম্প সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কিন্তু মাত্র ১৭ বছর বয়সেই সাফল্যের পথে হাঁটা শুরু করেন যখন মা'য়ের সাথে কনস্ট্রাকশন ব্যবসা শুরু করেন। ১৯০৫ সালে জার্মান অভিবাসী এলিজাবেথ ক্রাইস্ট আর ফ্রেডেরিক ট্রাম্প সিনিয়রের ঘরে জন্ম হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের পিতা ফ্রেডেরিক ক্রাইস্ট ট্রাম্পের। আরো পড়ুন: প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে মন্তব্য করায় আলোচনায় রাষ্ট্রপতি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ যেভাবে বাংলাদেশের অংশ হলো ডোনাল্ড ট্রাম্প একবার বলেছিলেন যে তিনি তাঁর বাবার কাছ থেকে মাত্র ১ মিলিয়ন ডলার নিয়েছেন - নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতে যা ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ১৩ বছর বয়সে ফ্রেডেরিক ট্রাম্পের বাবা মারা যান। ১৯২০ এর দশকে 'কুইন্স' অঞ্চলে এক পরিবারের উপযোগী ছোট বাড়ি বিক্রির মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু করে ফ্রেডেরিক ট্রাম্পের ব্যবসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে মাঝারি আয় করা পরিবারদের সহজে গৃহায়ন সুবিধা দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দারুণ ব্যবসাসফল হন ফ্রেড ট্রাম্প। সেসময় গৃহায়ন খাতে মার্কিন সরকারের বিনিয়োগকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা বড় করেন তিনি। উৎকৃষ্ট মানের বিল্ডিং বানানোয় প্রসিদ্ধ ছিলেন ফ্রেড ট্রাম্প। তাঁর বানানো অনেক স্থাপনা এখনো টিকে আছে। ফ্রেড ট্রাম্প মারা যান ১৯৯ সালে, তার পরের বছর মারা যান তাঁর স্ত্রী ম্যারি অ্যান বিতর্ক ফ্রেড ট্রাম্প সাধারণত সরকারি অর্থায়ন প্রকল্পগুলো কম মূল্যে কিনে নিতেন এবং তা বেশি দামে বিক্রি করে অতিরিক্ত মুনাফা করতেন। এই পদ্ধতি আইনগতভাবে সিদ্ধ হলেও ১৯৫৪ সালে কংগ্রেসের সামনে জবাবদিহি করতে হয় তাঁকে। ১৯৭০ সালে তাঁর নামে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করার অভিযোগ আনা হয়। তিনি কৃষ্ণাঙ্গ ও পুয়ের্তো রিকো'র অভিবাসীদের কাছে বাড়ি ভাড়া না দেয়ায় অভিযোগ ওঠে তাঁর নামে। সেসময় তাঁর বিরুদ্ধে নাগরিক অধিকার আইনে মামলা হয় এবং সেসময় পিতার পক্ষে আগ্রাসী ভূমিকা রাখায় পত্র-পত্রিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি নিয়মিত পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয়। কোনো ধরনের অবৈধ বা অনৈতিক কার্যক্রম প্রমাণিত না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আগায়নি ঐ মামলা। ধনী পিতার ধনী সন্তান ফ্রেড ট্রাম্প একবার ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে বলেছিলেন, "ওর দূরদর্শিতা প্রশংসনীয়, আর সে যাতেই হাত দেয় তা'ই যেন সোনায় পরিবর্তিত হয়।" ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য একবার দাবি করেছিলেন তিনি তাঁর বাবার কাছ থেকে ১ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়ে ফ্রেড ট্রাম্পের 'ক্ষুদ্র' আঞ্চলিক গণ্ডি থেকে বের হয়ে এসেছিলেন। আর ঐ ১ মিলিয়ন ডলার সুদসহ ফেরত দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে নিউ ইয়র্ক টাইমসের ভাষ্যমতে, বর্তমানের হিসেব অনুযায়ী বোবার রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য থেকে অন্তত ৪১৩ মিলিয়ন ডলার মূল্যমানের সম্পদ পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার মধ্যে একটি বড় অংশই 'সন্দেহজনক কর পরিকল্পনা' অবলম্বন করে তৈরি করা হয়েছে। হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে বাবার ছবির পাশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফ্রেড ট্রাম্পের ২০০'র বেশি কর বিবৃতির উল্লেখ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রতিবেদন করে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রয়াত পিতা-মাতা তাঁদের সন্তানদের প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার দিয়ে গেছেন - কর সংক্রান্ত কাগজে উল্লেখিত রয়েছে যে এর বিপরীতে ৫২.২ মিলিয়ন ডলার কর দিয়েছেন তারা (প্রায় ৫%) - যেখানে আইন অনুযায়ী করের অঙ্কটা হওয়া উচিত ছিল ৫৫০ মিলিয়ন ডলার। এই তদন্তে আরো বলা হয় যে কর ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর সহোদররা ফ্রেড ট্রাম্পের সম্পদের মূল্যমান বহুগুণ কম হিসেবে উল্লেখ করে। ফ্রেড ট্রাম্পের মৃত্যুর দেড় বছর আগেই তাঁর উত্তরসূরিরা তাদের পিতার অধিকাংশ সম্পদের মালিকানা পেয়ে যায়। ঐসময় তাঁরা সম্পদের মূল্যমান উল্লেখ করেছিল ৪১.৪ মিলিয়ন ডলার - যা আসলে ছিল এর চেয়ে বহুগুণ বেশি। নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতে বাবার সম্পদের বড় একটা অংশ পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পদের প্রদর্শন সম্পদের পাহাড় গড়লেও তা প্রদর্শনে বিশ্বাস করতেন না ফ্রেড ট্রাম্প - ১৯৯৯ সালে ফ্রেড ট্রাম্প মারা যাওয়ার পর এমনটাই লেখা হয়েছিল নিউ ইয়র্ক টাইমসে। ৯৩ বছর বয়সে তিনি যখন মারা যান, তখন তিনি কুইন্সের জ্যামাইকা এস্টেটে থাকতেন, যেখানে তাঁর সন্তানরা বেড়ে উঠেছিল। তাঁর মৃত্যুর এক বছর পর তাঁর স্ত্রী ম্যারি অ্যান মারা যায়। ফ্রেড ট্রাম্পের এই মনোভাব তাঁর ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোভাবের চেয়ে অনেকটাই ভিন্ন। ২০১৬'তে নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন যে তাঁর ব্যক্তিগত মূল্য ১০ বিলিয়ন ডলার - যদিও এই অঙ্ক নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। তবে ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট সবসময়ই তাঁর বাবার প্রশংসা করেছেন। ফ্রেড ট্রাম্পকে সবসময় নিজের অনুপ্রেরণা হিসেবে দাবি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বরাবর বলেছেন যে তিনি শুধু তাঁর বাবার অর্থ-বিত্তই উত্তরাধিকার সূত্রে পাননি, অর্জন করেছেন তাঁর ব্যবসায়িক চিন্তাধারাও। আরো পড়ুন: খাসোগির অন্তর্ধান: হুমকিতে সৌদি-তুরস্ক সম্পর্ক বলিউডে যৌন হয়রানি - একজন অভিনেত্রীর অভিজ্ঞতা নেত্রীর চিকিৎসাকে প্রাধান্য দিয়ে পিছু হটলো বিএনপি | President Donald Trump's family are once again in the spotlight, but this time it is his parents and siblings rather than his children. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | স্টর্মি ড্যানিয়েলসের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ড্যানিয়েলস দাবি করছেন যে ট্রাম্পের সাথে তার সম্পর্ক ছিলো যা শুরু হয়েছিলো ২০০৬ সালে যদিও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন মিস্টার ট্রাম্প। কিন্তু তাদের মধ্যকার এ গল্পটি গুরুত্বপূর্ণ কেন? এবং এ সম্পর্কে কি জানা দরকার ? বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ভয় কি কাটলো এবার? শাহিরা ইউসুফ: ব্রিটেনের প্রথম হিজাবধারী মডেল রুশ গুপ্তচর হত্যা চেষ্টা: নার্ভ এজেন্টের সন্ধান মিলেছে কে এই স্টর্মি ড্যানিয়েলস? তার এখনকার পরিচিত পর্ণ তারকা বা প্রাপ্তবয়স্কদের ছবির অভিনেত্রী হিসেবে, তবে তার প্রকৃত নাম স্টেফানি ক্লিফোর্ড। যুক্তরাষ্ট্রের লুজিয়ানায় ১৯৭৯ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন তিনি। পর্ণ ছবির ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি সম্পৃক্ত হন ২০০৪ সালে, সেখানে তার নাম স্টর্মি ড্যানিয়েলস। হুইস্কির নামকরা ব্র্যান্ড জ্যাক ড্যানিয়েলস থেকে একটি অংশ তিনি নিজের নামের সাথে বেছে নিয়েছেন নিজেই। নির্বাচনে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন? একবার নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথাও ভেবেছিলেন এই পর্ণ তারকা। লুজিয়ানায় সিনেট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা চিন্তা করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরে সে চিন্তা থেকে সরে আসেন। আর এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন যে তার প্রার্থিতাকে গুরুত্ব সহকারে নেয়া হচ্ছেনা। স্টর্মি ড্যানিয়েলস তার অভিযোগ কী? এটা জানার জন্য ফিরে যেতে হবে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে। স্টর্মি জানান তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করেছেন একটা চ্যারিটি গলফ টুর্নামেন্ট চলার সময়। এটা হচ্ছিলো ক্যালিফোর্নিয়া ও নেভাডার মাঝে একটা রিসোর্ট এলাকায়। এর আগে এক সাক্ষাতকারে তিনি জানান যে মিস্টার ট্রাম্প তাকে ডিনারে নিমন্ত্রণ করেছিলেন এবং তিনি তার হোটেলের রুমে তার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক হয়েছিলো বলে দাবি করেন স্টর্মি। যদিও মিস্টার ট্রাম্পের আইনজীবী এটি পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে ঘটনাটি ঘটেছিলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের কনিষ্ঠ পুত্র ব্যারনের জন্মের মাত্র চার মাসের মধ্যে। আর কি কি বলছেন স্টর্মি ড্যানিয়েলস? স্টর্মির দাবি মিস্টার ট্রাম্প তাকে তার টিভি শোতে নেয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলছেন মিস্টার ট্রাম্পের সাথে থাকার সময় একটি প্রামাণ্যচিত্রও দেখেছিলেন। দু জনের মধ্যে অনেক বছর ধরেই কথা হচ্ছিলো দাবি করে তিনি আরও জানান ২০১০ সালে যখন তিনি সিনেটে নির্বাচনের পরিকল্পনা বাদ দেন সেই সময়ে দুজনের মধ্যে শেষবার কথা হয়। যদিও এ সম্পর্ক নিয়ে গুজব তৈরি হয় ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়। মেলানিয়া ট্রাম্প ও কনিষ্ঠ পুত্র ব্যারনের সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাহলে এতদিন পর একটি এখন খবর কেন? গত কয়েকমাস ধরে এ খবরটি হচ্ছে। জানুয়ারিতে ওয়াল স্ট্রীট জার্নালে একটি আর্টিক্যাল প্রকাশিত হয়েছিলো যেখানে দাবি করা হয় যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন ২০১৬ সালের অক্টোবরে অর্থাৎ নির্বাচনের ঠিক এক মাস আগে মিস ক্লিফোর্ডকে (স্টর্মি ড্যানিয়েলস এর প্রকৃত নামে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দেন। মিস্টার কোহেন এটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। যদিও পরে ফেব্রুয়ারি মাসে এসে তিনি টাকা দেয়ার কথা স্বীকার করেন তবে দাবি করেন যে ট্রাম্প বা তার সংশ্লিষ্ট কেউ জানতেননা। জার্নালটির দাবি এ অর্থ দেয়া হয়েছে একটি অপ্রকাশিত চুক্তির আওতায় যেখানে শর্ত ছিলো যে মিস ক্লিফোর্ড মিস্টার ট্রাম্পের সাথে সম্পর্কের বিষয়ে কিছু প্রকাশ করবেননা। হোয়াইট হাউজ অবশ্য বলছে এগুলো পুরনো খবর যা নির্বাচনের আগে প্রকাশিত হয়েছিলো এবং এগুলো প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। মিস ক্লিফোর্ডের আইনজীবী টুইট করে জানান তারা এ নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে গেছেন। আর বুধবার হোয়াইট হাউজ দাবি করে মামলায় ট্রাম্প জিতেছেন এবং তাতেও ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কেমন? ডোনাল্ড ট্রাম্প ও স্টর্মি ড্যানিয়েলস এর মধ্যকার ঘটনাপ্রবাহ অনেকদূর এগোলেও অনেকটাই চুপ রিপাবলিকান শিবির। তবে সাউথ ক্যারেলাইনার কংগ্রেসম্যান মার্ক স্যানফোর্ড ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন এটি 'গভীর সমস্যা'। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটদের তরফে অনেকেই মিস ড্যানিয়েলসকে অর্থ দেয়ার ঘটনাটিকে তদন্ত করার জন্য এফবিআইয়ের প্রতি আহবান জানাচ্ছে। মাইকেল কোহেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর কি কোন প্রভাব পড়বে? অভিযোগটি ক্রমশই জোরদার হচ্ছে এবং এটি আলোচনা থেকে সরে যাওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা। একদিকে রাশিয়া নিয়ে তদন্ত চলছে। অন্যদিকে মিস্টার ট্রাম্পের সহযোগীদের অনেকেই তাকে ছেড়ে যাচ্ছেন বা কেউ নজরদারিতে আছেন। এটাকে আলোচনা থেকে সরাতে হোয়াইট হাউজের দরকার আরেকটি স্ক্যান্ডাল,এমন মতও আসছে? অনেকে মনিকা লিউনস্কির সাথে সম্পর্কের বিষয়ে মিথ্যা বলায় অভিশংসনের মুখোমুখি হয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, সে উদাহরণও তুলছেন। এখন প্রশ্ন উঠছে বিল ক্লিনটনের মত কি কোন বিপদে পড়তে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ? | Adult film star Stormy Daniels is suing President Donald Trump over a so-called "hush agreement". |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ইয়াঙ্গন জুড়ে শুধু টিয়ার গ্যাসের গন্ধ। ভারতীয় কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন সম্প্রতি ওই পুলিশ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারসমূহ সীমান্ত পেরিয়ে তাদের ভূখণ্ডে এসেছেন। মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ চিঠিতে দুই দেশের মধ্যকার 'বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের' খাতিরে ওই কর্মকর্তাদের ফেরত পাঠাতে বলেছে। গত মাসে সংঘটিত সামরিক অভুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে সহিংস বিক্ষোভ এবং ধর্মঘট চলছে। প্রতিবাদ ঠেকাতে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী 'কঠোর অবস্থানে' যাওয়ার পর এ পর্যন্ত ৫৫ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। শনিবারও সামরিক জান্তার আদেশ অমান্য করে দেশব্যাপী বিক্ষোভ করেছে গণতন্ত্রপন্থীরা। মিয়ানমার থেকে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, ইয়াঙ্গনে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট এবং স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করেছে। যদিও নতুন কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আরো পড়তে পারেন: বিবিসির সংবাদদাতার চোখে মিয়ানমারের তরুণদের বিক্ষোভ মিয়ানমারে সামরিক জান্তা বিরোধী আন্দোলনে প্রথম মৃত্যু মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে চিন্তিত নয় দিল্লি, কালাদান দ্রুত শেষ করাই লক্ষ্য কে এই জেনারেল মিন অং লাইং বিক্ষোভে নিহতের কফিন আঁকড়ে ধরে কাঁদছেন তার স্বজন। চিঠিতে কী বলছে মিয়ানমার ভারতীয় রাজ্য মিজোরামের চাম্পাই জেলা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মারিয়া সিটি জুয়ালি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, মিয়ানমারের ফালাম জেলা পুলিশের কাছ থেকে তাকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আটজন পুলিশ কর্মকর্তা পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন বলে মিয়ানমারের কাছে তথ্য রয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, "দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সমুন্নত রাখার স্বার্থে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করা আটজন পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।" মিস জুয়ালি বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হয়েছে, এবং দিল্লি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পরই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন তিনি। রয়টার্স বলছে, পুলিশ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ প্রায় ৩০ জন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের কাছে আশ্রয় চেয়েছেন। ভারতীয় কর্মকর্তাদের করাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শনিবারও মিয়ানমারের বহু নাগরিক ভারতে ঢোকার জন্য সীমান্তে অপেক্ষা করছিলেন। তালি দিয়ে, গান গেয়ে প্রতিবাদ করছেন মানুষ। ফেব্রুয়ারির শুরুতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত দেশটির নেতা অং সান সুচিকে গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে দেশটিতে সামরিক শাসন অবসানের দাবিতে গণ-বিক্ষোভ শুরু হয়। শুরুতে সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের প্রতি কিছুটা নমনীয়ভাব দেখালেও, গত কয়েক সপ্তাহে কঠোর দমনপীড়ন শুরু হয়েছে, এবং এ পর্যন্ত ৫৫ জন বিক্ষোভকারী মারা গেছেন, যাদের বেশিরভাগই তরুণ। দেশটির মানুষ ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট, রাতভর সেনা অভিযান, অবৈধভাবে গ্রেফতার, বিক্ষোভকারীদের রাস্তায় ধাওয়া ও মারধর করা, ফাঁকা গুলি ছোঁড়া বা দূর থেকে মাথা বা বুক লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। | Myanmar has asked neighbouring India to return several police officers who crossed the border seeking refuge after refusing to carry out orders. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে মি. বাইডেন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে তাদের চেষ্টা দ্বিগুণ করার জন্য বলছেন এবং বিষয়টি নিয়ে তার কাছে ৯০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন। ২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের শহর উহানে কোভিড-১৯ প্রথম শনাক্ত হয়েছিল। বিশ্বজুড়ে এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৭ কোটি মানুষ এবং মারা গেছেন অন্তত ৩৫ লাখ। এর আগে করোনাভাইরাসের উৎপত্তির জন্য চীনের একটি বাজারের কথা বলা হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভাইরাস প্রাণী থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়েছে। তবে চীন এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পাল্টা বলেছে, আমেরিকার গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার সাতটি উপায় গুরুতর করোনা রোগীদের যে ১১টি পরীক্ষা করতে বলেন চিকিৎসকেরা গাদ্দাফির যে ছেলে খেলেছেন ইতালির ফুটবল ক্লাবে হোয়াইট হাউজের দেয়া এক বিবৃতিতে মি. বাইডেন বলেছেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর করোনাভাইরাসের উৎস সম্পর্কে একটি রিপোর্ট দিতে বলেছেন তিনি। কোন প্রাণীর কাছ থেকে এই ভাইরাস মানবদেহে এসেছে নাকি গবেষণাগারে দুর্ঘটনা থেকে এর উৎপত্তি হয়েছে - সেটি জানতে চান মি. বাইডেন। সে রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরো বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন। "এখনো পর্যন্ত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দুটো সম্ভাব্য উৎসের কথা বলেছে। কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়নি," বিবৃতিতে বলেছেন মি. বাইডেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি পূণাঙ্গ, স্বচ্ছ এবং প্রমাণ-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক তদন্ত করার জন্য চীন যাতে তাদের সব ধরণের ডেটা এবং তথ্য দিয়ে সহায়তা করে সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র তাদের সমমনা দেশগুলোর সাথে একত্রিত হয়ে চীনের উপর চাপ প্রয়োগ করবে। | US President Joe Biden has ordered intelligence officials to "redouble" efforts to investigate the origins of Covid-19, including the theory that it came from a laboratory in China. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | বিশ্বে শনাক্ত রোগীর দিক থেকে এখন ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। বিশ্বে শনাক্ত রোগীর দিক থেকে এখন ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ৪২ লাখ ৪ হাজার ৬১৩ জন। ভারতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭১ হাজার ৬৪২ জনের, বিশ্বে যা তৃতীয়। ভারতের পাঁচটি রাজ্যেই মূলত এসব সংক্রমণের ঘটনা বেশি ঘটেছে। দেশটির সরকার যখন অর্থনীতি সচল করতে বিধিনিষেধ শিথিল করতে শুরু করেছে, তখন দেশটিতে সংক্রমণের হারও বাড়তে শুরু করেছে। গত মার্চ মাস থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ভারতে লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। গত সাতদিন ধরেই ভারতে নতুন রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিন প্রায় ৭৫ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। নতুন রোগীদের ৬০ শতাংশের বেশি এসেছে অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং উত্তর প্রদেশ থেকে, যেসব রাজ্যে জন ঘনত্ব বেশি। এছাড়া রাজধানী দিল্লিতেও নতুন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার শুধু দিল্লিতে ২৭০০ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আরো পড়ুন: ভারত কি বিশ্ব মানচিত্রে পরবর্তী করোনাভাইরাস হটস্পট? আমার চোখে বিশ্ব: করোনাভাইরাস ভারতে নারী-শিশুকে সহিংসতার মুখে ফেলেছে ভারতে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতেও কোভিড-১৯ রোগীদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এমনকি আন্দামান দ্বীপের প্রত্যন্ত একটি দ্বীপেও ভাইরাসের বিস্তার দেখা গেছে। গত মাসে এই দ্বীপের দশজন বাসিন্দার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার বৃদ্ধির কারণে নতুন রোগী শনাক্ত হারও বাড়ছে। এখন ভারত জুড়ে প্রতিদিন দশ লাখের বেশি পরীক্ষা করা হচ্ছে। যদিও এই রোগে আক্রান্তের তুলনায় ভারতে মৃত্যুর হার কম, তারপরেও গত সাতদিন ধরে প্রতিদিন দেশটিতে অন্তত এক হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। বিশ লাখের বেশি রোগী নিয়ে গত অগাস্ট মাসে বিশ্বে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসে ভারত। সংক্রমণ ঠেকাতে গত মার্চ মাস থেকে লকডাউন কার্যকর করেছিল ভারত, যখন দেশটিতে মাত্র কয়েকশো রোগী শনাক্ত হয়েছিল। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন তবে সংক্রমণ অব্যাহত থাকলেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল করার জন্য জুন মাস থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। মহামারি এবং লকডাউনের কারণে দেশটির অর্থনীতি প্রথম প্রান্তিকে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। জুন মাস নাগাদ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভারতের অর্থনীতির ২৩.৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ১৯৯৬ সালের পর দেশটির অর্থনীতি এতো ক্ষতির মধ্যে আর পড়েনি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: আমেরিকার বিমানবন্দরে কঠোর নজরদারীতে চীনা ছাত্র-ছাত্রীরা অগ্নিদগ্ধ হলে সাথে সাথে যে পাঁচটি কাজ করা জরুরি এসি দুর্ঘটনা এড়াতে যেসব তথ্য জেনে রাখতে পারেন দুই রানিং মেট: কমালা হ্যারিস ও মাইক পেন্স | India has recorded more than 90,000 new cases of Covid-19 in the past 24 hours, taking its total above that of Brazil. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | সিরিয়ান শরণার্থী হাসান আল-কন্তার। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সামাজিক মাধ্যমে নিয়মিত ভিডিও পোস্ট করা শুরু করলে হাসান আল-কন্তারের ঘটনাটি বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করে। ৩৭ বছর বয়সী হাসান আল-কন্তার শেষ দুই মাস ছিলেন মালয়েশিয়ার একটি বন্দিশালায়। তার কানাডিয়ান পৃষ্ঠপোষকরা সেসময় তার মামলার কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানায়। সোমবার সন্ধ্যায় কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে অবতরণ করেন তিনি। কানাডায় শরণার্থী হিসেবে তাকে আনার পেছনে পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা পালন করে বৃটিশ কলাম্বিয়া মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন এবং কানাডা কেয়ারিং সোসাইটি নামক দু'টি প্রতিষ্ঠান। কানাডা কেয়ারিং সোসাইটির একজন স্বেচ্ছাসেবক লরি কুপার বিবিসিকে বলেন, "মি. কন্তারের অবস্থা থেকে বোঝা যায় সারাবিশ্বে শরণার্থীরা প্রতিনিয়ত কী ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন।" "নিরাপদ একটি আবাস খুঁজে পাওয়া শরণার্থীদের জন্য দিনদিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে; মি. কন্তার ভাগ্যবানদের মধ্যে একজন।" কানাডা কেয়ারিং সোসাইটির পক্ষ থেকে বলা হয়, মি. কন্তারকে কানাডা নিয়ে আসার জন্য তহবিল সংগ্রহে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাহায্য করেছে মানুষ। মি. কন্তারের মামলাটিকে আলোচনায় এনেছিল বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা। মি. কন্তারকে যেন কানাডা প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয় সেজন্য কানাডার অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী বরাবর অনলাইনে একটি গণ আবেদন দাখিল করে কানাডিয়ান কেয়ারিং সোসাইটি। ঐ গণ আবেদনে ৬২ হাজারের বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেছিল। আরো পড়তে পারেন: বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষণ: সামাজিক মাধ্যমের মন্তব্য সংসদ নির্বাচন: ক্ষোভ-অসন্তোষ জাতীয় পার্টিতে রাজনীতি নিয়ে মাশরাফির ব্যাখ্যায় আলোচনার ঝড় যেভাবে আটকে গেলেন বিমানবন্দরে ২০১১ সালে সিরিয়ায় যুদ্ধ ছড়িয়ে পরার সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত ছিলেন মি. কন্তার। সিরিয়ায় থাকতে সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক সেবা দান সম্পূর্ণ করেননি বলে পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারেন নি মি. কন্তার। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেশে ফেরত গেলে জোরপূর্বক যুদ্ধে পাঠানো হবে - এই আশঙ্কায় সিরিয়া ফিরে যান নি তিনি। আরব আমিরাতেই অবৈধভাবে বসবাস করতে থাকেন তিনি। ২০১৬ সালে আরব আমিরাতে গ্রেফতার হন মি. কন্তার। ২০১৭'তে নতুন পাসপোর্ট পেতে সক্ষম হলেও তাকে মালয়েশিয়া পাঠিয়ে দেয়া হয়। মালয়েশিয়া পৃথিবীর কয়েকটি দেশের একটি যেখানে সিরিয়ানদের ভিসা ছাড়াই প্রবেশাধিকার দেয়া হয়। মালয়েশিয়া পৌঁছানোর পর তিন মাসের টুরিস্ট ভিসা পান মি. কন্তার। ঐ ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তুরস্কে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু সেসময় তাকে বিমানে উঠতেই দেয়া হয় নি। এরপর মি. কন্তার কম্বোডিয়া গেলেও সেখান থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে মাসের পর মাস অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করেন মি. কন্তার। বিমানবন্দরে নিয়মিত আসা-যাওয়া করা বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের কর্মীদের দান করা খাবার খেয়ে দিন পার করতেন তিনি। দামেস্কের দক্ষিণাঞ্চলের সু্য়েইদা এলাকার হাসান আল-কন্তার ইকুয়েডর আর কম্বোডিয়াতেও আশ্রয় চেয়েছিলেন। কিন্তু দু'বারই ব্যর্থ হন তিনি। | A Syrian man who spent seven months living in an airport in Malaysia has arrived in Canada, where he has been granted asylum. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | সৌরমণ্ডল কীভাবে গঠিত হয়েছিল তার রহস্য সম্ভবত লুকিয়ে আছে বেন্নু নামে এই গ্রহাণুতে। তাই এর থেকে সংগ্রহ করা নমুনাগুলো বিজ্ঞানীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সৌরমণ্ডল কীভাবে গঠিত হয়েছিল তার রহস্য জানার জন্য এই গ্রহাণু থেকে সংগ্রহ করা নমুনাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নাসার মহাকাশযান অসিরিক্স-রেক্সএর কর্মকর্তারা বলছেন নভোযানটি বেন্নু নামে গ্রহাণুতে অবতরণ করে এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে। যানটি প্রস্তরখণ্ড সংগ্রহের কাজ সম্ভবত খুবই ভালভাবে সম্পন্ন করেছিল। তারা বলছেন নভোযানটি যেসব ছবি পাঠিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি পাথরখণ্ডের বেরিয়ে থাকার কারণে নমুনা সংগ্রহের একটি আধারের দরোজা সামান্য ফাঁক হয়ে আছে এবং সেখান থেকে নমুনার অংশ ছিটকে বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। মিশন টিম জানাচ্ছে, যে যন্ত্র দিয়ে পাথরের খণ্ডগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল, হয়ত পরিমাণ বেশি হয়ে যাওয়ায় কিছু প্রস্তরখণ্ড সেই যন্ত্রের ঢাকনার মাঝখানে সম্ভবত আটকে পড়েছে। এর ফলে প্রস্তরখণ্ডগুলো যন্ত্র থেকে আবার মহাকাশে ছড়িয়ে যাচ্ছে। নাসার বিজ্ঞানীরা এখন চেষ্টা করছেন, এসব প্রস্তরখণ্ডগুলো নিরাপদে একটি ক্যাপসুলে ঢোকানো যায় কি না। ''যেসব পাথরখণ্ডের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তার একটা বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশই বেরিয়ে যাচ্ছে,'' বলেছেন মিশনের প্রধান ডান্তে লওরেত্তা। তিনি জানাচ্ছেন নভোযানটি আনুমানিক প্রায় ৪০০ গ্রাম ওজনের পাথরের খণ্ড সংগ্রহ করেছিল বলে তারা মনে করছেন। মহাকাশযানটি এর থেকে বেশি নমুনা সংগ্রহ করতে পারতো না, তিনি বলেন। "প্রস্তুরখণ্ডগুলোর টুকরো ভেতর থেকে যে বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে, তাতে আমি দারুণ উদ্বিগ্ন। কারণ আমরা এখানে নিজেদের সাফল্যের বলি হয়ে গেছি।" ''সময় এখন মহার্ঘ,'' সাংবাদিকদের বলেছেন নাসার বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী প্রশাসক, টমাস জারবুশেন। নাসা এখন প্রাণপণ চেষ্টা করছে ভেতরে যতটুকু রয়েছে, তা যেন হারিয়ে না যায়, সেগুলোর বেরিয়ে যাওয়া ঠেকাতে তারা সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে কাজ করছেন। অসিরিক্স-রেক্স মিশনের ২০২৩ সালে এসব প্রস্তরখণ্ড পৃথিবীতে নিয়ে আসার কথা। আরও পড়তে পারেন: নাসার তোলা সূর্যের এক দশকের যাত্রার ছবি যে আধারের মধ্যে পাথরের টুকরোগুলো সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে সেটি নভোযানের ভেতরে নিরাপদে ঢোকানোর চেষ্টা করা হবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন মহাকাশযানটি ঠিক কী পরিমাণ পাথরের নমুনা সংগ্রহ করেছিল, এর ফলে তা আর সঠিকভাবে জানা সম্ভব হবে না। ''আমাদের সংগ্রহ ক্যাপসুলটাকে দ্রুত নিরাপদে ভেতরে ঢোকানোর জন্য কাজ করতে হচ্ছে বটে, কিন্তু সেটা যদি আমরা খুব তাড়াতাড়ি করতে পারি তাহলেও আমাদের হাতে যথেষ্ট নমুনা এসে পৌঁছবে,'' বলছেন মি. জারবুশেন। "আমরা খুবই উদ্দীপ্ত, কারণ এই পাথরগুলো আমরা মনে করছি বিজ্ঞানীদের হাতে ঐতিহাসিক মুহূর্তের চাবি এনে দেবে।'' বেন্নু গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে প্রায় ২০ কোটি মাইল দূরে এবং অসিরক্স-রেক্স মঙ্গলবার বেন্নুর বুকে নামে। গ্রহাণুর পৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহের সময় প্রচুর ধুলা ও পাথরের টুকরো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। ''আমরা আসলেই সেখানে একটা ঝড় তৈরি করেছিলমা,'' মঙ্গলবার অবতরণের পর জানান মি. ডান্তে লওরেত্তা। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে সৌরমণ্ডল কীভাবে তৈরি হয়েছিল এই মিশনের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা সে বিষয়ে আলোকপাত করতে পারবেন। ২০২৩এ নভোযানটি পৃথিবীতে ফিরে আসার পর পাথরের নমুনাগুলো নিয়ে গবেষণার জন্য অধীর আগ্রহে বিজ্ঞানীরা অপেক্ষা করছেন। বেন্নু গ্রহাণুর পাথরের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে সৌরমণ্ডল গঠনের অজানা রহস্য। এই নভোযানটি নাসা পাঠিয়েছিল ২০১৬ সালে। এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের সাথে বেন্নু গ্রহাণুর আকারের তুলনা | A Nasa probe sent to collect rock from an asteroid several hundred million kilometres from Earth has grabbed so much that samples are spilling out. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | অক্টোবরে শুরুতে ছবিটি তোলা হয় পালু বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যে কন্ট্রোল রুমের সাথে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সর্বশেষ দেখা যায় বিমানটি সমুদ্রে পড়ে গেছে। তবে বিমানটিতে থাকা কেউ বেঁচে আছে কিনা - তা জানা যায় নি। ফ্লাইট জেটি ৬১০ নিয়মিত ফ্লাইট যেটা জার্কাতা থেকে পেংকাল পিনাং যাতায়াত করে। পেংকাল পিনাং বিমানবন্দরে স্বজনদের আহাজারি। কী ঘটেছিল? ফ্লাইট জেটি ৬১০ স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৬:২০ মিনিটে উড্ডয়ন করে। বিমানটি দেপাতি আমির বিমানবন্দরে এক ঘন্টা পর অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু ১৩ মিনিট পর কর্তৃপক্ষ বিমানটির সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। কর্তৃপক্ষ একটা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে বিমানটিতে ১৭৮জন প্রাপ্তবয়স্ক, তিনজন শিশু, দুইজন পাইলট এবং পাঁচজন কেবিন ক্রু ছিল। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান জানিয়েছেন ঐ বিমান থেকে মানুষের ব্যবহার করা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সাগরে ভাসতে দেখা গেছে। আরো পড়ুন: খালেদার অনুপস্থিতিতেই চলবে বিচার কাজ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা যেভাবে এগিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মূর্তি নিয়ে কৃষকরা ক্ষুব্ধ কেন? পুলিশের মাঝে জাঙ্গিয়া পরা ব্যক্তিটি আসলে কে? | Lion Air flight JT 610 has crashed into the sea , with nearly 190 people on board, shortly after taking off from the Indonesian capital, Jakarta. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | খৃস্টানরা বলছেন, মসজিদের ইমামের সহযোগিতা না পেলে তারা হয়তো আজ বেঁচে থাকতে পারতেন না। এই পরিবারগুলো পালিয়ে আসছিলো মূলত খৃস্টান অধ্যুষিত একটি প্রতিবেশী গ্রাম থেকে। পালিয়ে আসা এসব লোকজন জানান যে ৩০০ জনের মতো সশস্ত্র ব্যক্তি তাদের উপর শনিবার দুপুরের দিকে হামলা চালায়। সন্দেহ করা হচ্ছে, হামলাকারীরা গবাদিপশু পালক এবং তাদের বেশিরভাগই মুসলিম। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন যে আক্রমণকারীরা অকস্মাৎ তাদের গ্রামের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে এবং বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। হামলা থেকে যারা বেঁচে যেতে সক্ষম হয়, তারা প্রতিবেশী মুসলিম-অধ্যুষিত একটি গ্রামের দিকে পালিয়ে যেতে শুরু করেন। এই গ্রামেরই ইমাম তখন তাদেরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। পালিয়ে আসা লোকজনকে তিনি একটি গোপন আশ্রয়ে নিয়ে যান। ২৬২ জনকে তিনি আশ্রয় দেন তার নিজের বাড়িতে এবং গ্রামের মসজিদে। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। "প্রথমে আমি নারীদেরকে লুকিয়ে রাখার জন্যে আমার নিজের বাড়িতে নিয়ে যাই। তারপর পুরুষদের নিয়ে যাই মসজিদে," বিবিসিকে একথা বলেন ওই ইমাম। (নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই ইমামের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। ছবিতে তার ও গ্রামবাসাীদের মুখও ঝাপসা করে দেওয়া হলো) হামলায় আহত এক শিশু। আরো পড়তে পারেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিরোধিতা করেছিলেন যারা শেষ হলো দুই মহারথীর বিশ্বকাপ যে ছয়টি কারণে ভুল করা ভালো নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলে প্রায়শই এধরনের হামলার ঘটনা ঘটে যেখানে যাযাবর পশুপালকরা স্থানীয় লোকজনের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। মূলত জমিজমা কিম্বা চারণভূমি দখল করা নিয়েই এই সংঘর্ষ ঘটে। একই সাথে এই অঞ্চলে দুটো গোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মীয় উত্তেজনারও সৃষ্টি হয়। পশুপালকরা জাতিগতভাবে ফুলানি গোষ্ঠীর, তাদের বেশিরভাগই মুসলিম আর অন্যদিকে খৃস্টানরা বেরম জাতিগোষ্ঠীর। এই অঞ্চলে এবছরেই জাতিগত সহিংসতায় শত শত লোক নিহত হয়েছে। এক গ্রুপের হামলা, তারপর প্রতিপক্ষ গ্রুপের প্রতিশোধ - এধরনের পাল্টাপাল্টি আক্রমণের ঘটনা ঘটছে গত কয়েক বছর ধরেই। ২০১৬ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইজেরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠি বোকো হারামের হাতে যতো মানুষ নিহত হয়েছে, তার চেয়েও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে গবাদিপশুর চারণভূমি দখলের লড়াইয়ের কারণে। বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, গ্রামের ওই ইমাম যদি তখন পালিয়ে আসা খৃস্টানদের বাঁচাতে এগিয়ে না আসতেন তাহলে আরো বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটতো। কারণ সশস্ত্র ব্যক্তিরা তখন প্রতিবেশি এই গ্রামটিতেও পালিয়ে যাওয়া লোকজনের খোঁজে তল্লাশি চালিয়েছিল। স্বজনকে হারিয়ে শোকে কাতর একজন গ্রামবাসী। গ্রামবাসীদের একজন বলেন, "প্রথমে তারা একটি গ্রামে হামলা চালায়। তখন আমরা নিরাপত্তা চৌকিগুলোর দিকে দৌড়াতে শুরু করি। কিন্তু তখন তারা সেদিকেও গুলি চালাতে শুরু করে। তখন নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরাও আমাদের মতো এদিকে ওদিকে পালাতে শুরু করে।" আক্রমণকারীরা এখানেই থেমে যায় নি। যখন তারা জানতে পারে যে ইমাম গ্রামবাসীদেরকে একটি মসজিদের ভেতরে আশ্রয় দিয়েছেন, তখন তারা তাদেরকে মসজিদের ভেতর থেকে বের করে আনার জন্যে ইমামের কাছে দাবি জানাতে থাকে। কিন্তু মসজিদের ইমাম তখন তাদের দাবি অনুযায়ী কাজ করতে রাজি হন নি। শুধু তাই নয়, আক্রমণকারীদেরকে তিনি মসজিদের ভেতরে যাওয়ারও অনুমতি দেন নি। গবাদি পশুপালকরা তখন ইমামের বাড়ি ও মসজিদ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। বাদানুবাদের এক পর্যায় ইমাম সশস্ত্র ব্যক্তিদের সামনে মাটিতে শুয়ে পড়েন। তার সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় আরো কয়েকজন মুসলিম। মসজিদের ইমাম তখন কান্নাকাটি করতে শুরু করেন এবং হাতজোড় করে তাদেরকে সেখান থেকে চলে যাওয়ার অনুরোধ করতে থাকেন। এবং বিস্ময়কর হলেও, হামলাকারীরা তখন ইমামের কথা শুনে সেখান থেকে চলে যায়। কিন্তু যাওয়ার পথে তারা কাছেরই দুটো গির্জাতে আগুন ধরিয়ে চলে যায়। পরে ওই ইমাম বিবিসিকে বলেছেন, তিনি লোকজনকে এভাবে বাঁচাতে চেয়েছেন কারণ আজ থেকে ৪০ বছরেরও বেশি সময় আগে এই এলাকার খৃস্টানরা মুসলিমদেরকে এখানে মসজিদ নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল। "মুসলমানদেরকে তারা তাদের জমি জমা দিয়েছে, এজন্যে কোন টাকা পয়সা নেয়নি," বলেন তিনি। স্থানীয় আরেকজন মুসলিম নেতা বিবিসিকে বলেন, "তখন থেকেই আমরা এই বেরম গোষ্ঠীর লোকজনের সাথে বসবাস করছি কিন্তু শনিবারের হামলার মতো ঘটনা আমি কখনো দেখিনি।" হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর প্রাণে বেঁচে যাওয়া খৃস্টান গ্রামবাসীরা ইমামের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এরকম একজন বলেন, "তারা যখন আমাদেরকে মসজিদের ভেতরে নিয়ে গেল তারপর কেউই আমাদেরকে মসজিদ থেকে চলে যেতে বলেনি, তাদের জন্যে প্রার্থনা করতেও বলেনি। বরং তারা আমাদেরকে রাতের ও দুপুরের খাবার দিয়েছে। আমরা তাদের কাছ কৃতজ্ঞ।" পালিয়ে আসা গ্রামবাসীরা এরপর ইমামের আশ্রয়ে আরো পাঁচদিন অবস্থান করেন। তারপর তাদেরকে একটি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ক্যাম্পে এখন ২,০০০ এরও বেশি লোক অবস্থান করছে। আর অন্যান্যরা আশ্রয় নিয়েছে তাদের আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের বাড়িতে। বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। নিজেদের গ্রাম থেকে পালিয়ে যারা প্রতিবেশী গ্রামের মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা এখনও তাদের নিজেদের গ্রামের বাড়িতে ফিরতে পারছেন না নিরাপত্তার অভাবে। তাদের বাড়িঘরও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ফুলানি গোষ্ঠীর একজন নেতা বিবিসিকে বলেছেন, "হামলাকারীদের অনেকেই বিদেশি। আমরা যখন তাদেরকে মসজিদের ভেতরে যেতে বারণ করতে থাকি তখন তারা কয়েকজন বয়স্ক লোককে মারধর করে।" গ্রামের ৭০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলেন, "তারা আমার চার ছেলেমেয়েকে হত্যা করেছে। এখন আমাকে খাবার দেওয়ার মতো কেউ নেই।" গ্রামবাসীরা জানান, বাড়িতে আগুন দেওয়ার আগে হামলাকারীরা বড়িঘরে ও দোকানপাটে লুটপাট চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আক্রমণকারীরা এসময় 'আল্লাহু আকবর' বলে চিৎকার করতে থাকে। সেদিন রাত পর্যন্তও নিরাপত্তা বাহিনীর কোন ভূমিকা ছিল না। রাতের বেলায় সেফ হেভেন নামক সামরিক একটি টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা এসে লোকজনকে উদ্ধার করেন যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এই সহিংসতার পর ওই এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। | When an imam in Nigeria saw hundreds of desperate, frightened families running into his village last Saturday, he decided to risk his life to save theirs. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রের এই জায়গায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এই ইসলামী প্রজাতন্ত্রে বেশি কিছুদিন ধরে রহস্যজনক-ভাবে একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। তার মধ্যে সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার। ইরানের সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা জানাচ্ছেন তেহরানের পার্শ্ববর্তী দুটি শহর গার্মাদারেহ্ এবং কোদস্-এ তারা সর্বশেষ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। কিন্তু এসব বিস্ফোরণ শহর দুটি কোন্ জায়গায় ঘটেছে সে সম্পর্কে পরিষ্কার কোন ছবি পাওয়া যাচ্ছে না। ইরানে সর্ব-সম্প্রতি বিস্ফোরণগুলিতে পরমাণু কেন্দ্র এবং তেল শোধনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলতি মাসেই ইরানের আণবিক শক্তি দফতর স্বীকার করেছে যে নাতাঞ্জের পরমাণু কেন্দ্রে আগুন ধরে গিয়েছিল। নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রের মূল ভবন। সম্পর্কিত খবর: ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রে আগুন, 'ব্যাপক' ক্ষয়ক্ষতি ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ‘রহস্যময়’ হামলার পেছনে কারা? ইরান-মার্কিন সংঘর্ষের নতুন ঝুঁকি, বিপজ্জনক বাকযুদ্ধ এই ঘটনায় সে দেশের পরমাণু কর্মসূচি অনেকখানি পিছিয়ে গেছে বলে বলা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের বিস্ফোরণের বিষয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় আইআরআইবি বার্তা সংস্থা বলছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে এনিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়াতে থাকে। সরকার-নিয়ন্ত্রিত প্রেস টিভি বলছে, মানুষ তিন থেকে চারটি মর্টারের গোলার আওয়াজ শুনতে পান। গার্মাদারেহ'র কিছু সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীও শহরে বিস্ফোরণ সম্পর্কে পোস্ট দিতে থাকেন। কিন্তু তারা যেসব ছবি ব্যবহার করেন সেগুলো পুরনো বলে বিবিসি নিউজের বিশ্লেষণে জানা যাচ্ছে। কোদস্-এর গভর্নর লেইলা ভাসেগি সরকারি বার্তা সংস্থা ইরানকে জানিয়েছে, ঐ শহরে স্বল্পস্থায়ী বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেটা ছিল একটা হাসপাতালে। কোদস্-এর একজন এমপি বলছেন, স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের রুটিন কাজের সময় এই বিভ্রাট ঘটেছে। অন্যদিকে, গার্মাদারেহ্'র মেয়র জানাচ্ছেন, তার শহরে একটি গ্যাস সিলিন্ডার ফ্যাক্টরিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে। ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি বলছে, নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রে বিস্ফোরণের কারণ খুঁজে বের করা হয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে তা প্রকাশ করা হবে না। কিছু ইরানী কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, এসব হামলার পেছনে ইসরায়েল রয়েছে বলে তারা সন্দেহ করেন। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "ইরানে আমাদের তৎপরতা সম্পর্কে মুখ না খোলাই ভাল।" | Iranian officials have denied reports of an explosion west of the capital Tehran on Thursday, the latest in a series of mysterious blasts to hit the country in recent weeks. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে ব্রিটিশ সৈন্যরা পায়ে হেটে প্রহরা দিচ্ছে কোন কোন পাঠকের কাছে এই লেখার কিছু অংশ অস্বস্তিকর বলে মনে হতে পারে: আফগান প্রত্যক্ষদর্শীরা বর্ণনা করেছেন, ১২ বছর বয়সী আহমদ শাহ আর ১৪ বছর বয়সী মোহাম্মদ তায়িব সেই রাতে ১৭ বছরের নায়েক মোহাম্মদ আর তার ভাই ২০ বছরের ফজলের সঙ্গে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। স্থানীয় সময় রাত আটটার দিকে, যুক্তরাজ্য আর আফগান বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা লোহ বাঘ গ্রামে প্রবেশ করে এবং ওই পরিবারের বাড়িতে অভিযান চালায়। একজন ব্রিটিশ সৈন্য ওই বাড়ির অতিথি কক্ষে প্রবেশ করে এবং গুলি চালায়। বিশেষ বাহিনী চলে যাওয়ার পর প্রথম সেই কক্ষটিতে প্রবেশ করেন নায়িক এবং ফজলের বড় ভাই সুলতান মোহাম্মদ। এক কক্ষের এই বাড়িতে চারজনকে হত্যা করা হয় ''যখন আমি ওই কক্ষে প্রবেশ করি, পুরো কক্ষ জুড়ে হাঁড়গোড় আর দাঁত ছড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখি। চারজনই সেখানে মেঝেতে শুয়ে ছিল, সর্বত্র ছড়িয়ে ছিল রক্ত,'' তিনি বলছেন। সকাল না হওয়া পর্যন্ত ওই অতিথি কক্ষে চার মৃতদেহের সঙ্গে বসে ছিলেন তার মা, সাবাহ। তিনি স্মরণ করছেন কীভাবে কক্ষের মেঝেতে চায়ের কাপগুলোও মেঝেতে রাখা ছিল। তিনি বলছেন, ''চায়ের কাপগুলো পুরো রক্তে ভরে গিয়েছিল। তারা ছেলেগুলোর মাথায় গুলি করেছিল।'' আরো পড়ুন: ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ধামাচাপার অভিযোগ আফগানিস্তানে নারীবাদী রেডিও চালান সাহসী যে নারী আফগান যে নারীকে হত্যার ঘটনায় তোলপাড় চলছে আফগান মুজাহিদিনদের সাথে কাটানো ছুটি নিহত দুইজনের মা সাবাহ মোহাম্মদ লোহ বাঘ গ্রামে চার তরুণ আফগানকে হত্যার পরদিন সকালে মৃতদেহগুলো গ্রামের মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে। এদের সকলেই নিরপরাধ বলে মনে করতো। নাদ-ই-আলি জেলার গভর্নর মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেছেন, আফগান নিরাপত্তা এজেন্সি তাদের জানিয়েছিল যে, অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে ফজল মোহাম্মদ। ''তার সঙ্গে আমার প্রতিদিনই দেখা হতো। সে কীভাবে তালেবানের একজন কমান্ডার হতে পারে? আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি, এটা অসম্ভব,'' তিনি বলছেন। ''তারা যদি তালেবান হতো, তাহলে আমি নিজেও হুমকি বোধ করতাম....আমিই হয়তো প্রথম ব্যক্তি হতাম যাকে আটক করা হতো বা হত্যা করা হতো।'' সানডে টাইমস এবং বিবিসি প্যানোরমা একটি যৌথ তদন্ত শুরু করে এটা জানার জন্য যে, ওই দিন ঠিক কি হয়েছিল? তাদের তদন্তে সেখানে যুদ্ধাপরাধ ঘটেছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। 'যন্ত্রের মতো হত্যা আর আটক করা' লোহ বাঘ গ্রামে যে অভিযানটি চালানো হয়, তার লক্ষ্যবস্তু হওয়ার কথা তালেবান সদস্য এবং আফগান যুদ্ধে এটা একটি নিয়মিত ও প্রচলিত কৌশল। সাধারণত রাতের অন্ধকারের সুযোগে তালেবান সদস্যদের লক্ষ্য করে ''হত্যা অথবা গ্রেপ্তার'' জাতীয় অভিযানগুলো চালানো হয়।এসব লক্ষ্য ঠিক করা হয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দেয়া তালিকা ধরে। ২০১১ সালের অগাস্টে কান্দাহারে একটি চিনুক হেলিকপ্টারে উঠছেন যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা যুদ্ধ কৌশলের একজন বিশেষজ্ঞ এবং সাবেক সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ফ্রাঙ্ক লেডউইজ বলছেন, ''অনেকে যেগুলোকে 'রাতের অভিযান' বলে বর্ণনা করেন, অথবা অন্য অনেকের ভাষায় 'ডেথ স্কোয়াড'- এর সাধারণ প্রবণতা হলো আপনি বাইরে একটি অভিযান পরিচালনা করবেন, তা সেখানে কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকুক আর নাই থাকুক। এটা হচ্ছে অনেকটা 'যন্ত্রের মতো অভিযান চালানো' যার উদ্দেশ্য হচ্ছে হত্যা এবং আটক করা।'' এসব রাতের অভিযানে যাদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের অনেকেই নিঃসন্দেহে তালেবান, কিন্তু এমন প্রমাণও রয়েছে যে, লক্ষ্য নির্ধারণে যেসব গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে, তা সবসময়ে সঠিক ছিল না। জাতিসংঘের বিচার বহির্ভূত, সংক্ষিপ্ত বিচার বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ড রোধে ২০১০ সাল পর্যন্ত বিশেষ র্যাপোর্টিয়ের দায়িত্বে ছিলেন ফিলিপ অ্যালিস্টন। তিনি বলছেন, তিনি এমন অনেক অভিযোগ পেয়েছেন যে, রাতের এসব অভিযানে নিরপরাধ মানুষজনকে হত্যা করা হচ্ছে। তিনি বলছেন, ''আমার কোন সন্দেহ নেই যে, অনেক অভিযোগের ভিত্তি নেই, এবং সেই সঙ্গে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে, রাতের অভিযানে যে বিপুল সংখ্যক সাধারণ বেসামরিক মানুষ নিহত হচ্ছে, সেটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।'' জাতিসংঘ সিদ্ধান্তের পৌঁছেছে যে, জোট বাহিনীর এ ধরণের অভিযানে ৩০০ জনের বেশি বেসামরিক নিরপরাধ মানুষ নিহত হয়েছে। হত্যায় চার ধরণের অভিযোগ গ্রামের ওই অতিথি কক্ষে স্থানীয় চার ছেলেকে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং পরবর্তীতে রয়্যাল মিলিটারি পুলিশ (আরএমপি) সেটি তদন্ত করে। 'অপারেশন নর্থমোর' নামের ওই ব্যাপক তদন্তে আরএমপি স্পেশাল ফোর্সের দ্বারা সন্দেহভাজন হত্যাকাণ্ডের কয়েক ডজন ঘটনার সম্পর্ক খুঁজে পায়। ভেতরকার সেসব তথ্য সংগ্রহ করেছে বিবিসি প্যানোরমা এবং দি সানডে টাইমস। যে সৈনিক ওই ছেলেদের হত্যা করেছিল, সে তদন্তকারীদের কাছে দাবি করে যে, আত্মরক্ষা করার জন্যই সে গুলি চালিয়েছে। সে জানিয়েছে, চারজনের দুইজনকে সে গুলি করেছে কারণ তারা জানালা থেকে তার দিকে অস্ত্র তাক করেছিল। বাকি দুইজনকে সে গুলি করে যখন তার ছায়া থেকে বেরিয়ে এসেছিল। কিন্তু ছেলেদের পরিবার জানিয়েছে, এই দাবি সত্যি হতে পারে না। তারা বলছেন, এই চারজনের কারো কাছেই কোন অস্ত্র ছিল না এবং ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ব্রিটিশ স্পেশাল ফোর্সের সৈনিকদের জন্য তারা কোনরকম হুমকিই হতে পারে না। ''তারা চারজনে বসে চা খাচ্ছিল এবং বসা অবস্থাতেই তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে,'' বলছেন নায়েক এবং ফজলের বড় ভাই সুলতান মোহাম্মদ। সৈনিকরা চলে যাওয়ার পর হত্যাকাণ্ড চালানো সে ঘরে প্রথম প্রবেশ করেন সুলতান মোহাম্মদ প্যানোরমা যে ছবি পেয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে কক্ষের মাটির দেয়ালে বুলেটের গর্ত তৈরি হয়েছে। বেশিরভাগ গুলিই সেখানে প্রবেশ করেছে মেঝে থেকে দুই ফিট উঁচুতে, যা ঘটনাটি নিয়ে পরিবারের দাবিকেই সমর্থন করছে। আরএমপি তদন্তকারীরা চাইছিলেন যে, ওই সৈনিকের বিরুদ্ধে যেন হত্যাকাণ্ডের চার দফা অভিযোগ আনা হয়। ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ওই অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা এবং তার উর্ধ্বধন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও তারা অভিযোগ আনতে চেয়েছিলেন, যিনি বিচারে বাধা সৃষ্টি করেছেন। এরা হচ্ছেন যুক্তরাজ্য স্পেশাল বাহিনীর বেশ শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা এমন একটি ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছেন, যেখানে শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। সামরিক কৌসুলিরা সিদ্ধান্ত নিলেন যে, তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনা হবে না এবং ২০১৭ সালে সরকার অপারেশন নর্থমোর বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন। ঘরটিতে মেঝের মাত্র কয়েকফিট ওপরে বুলেটের ক্ষতগুলো দেখা যাচ্ছে কিন্তু প্যানোরমা যখন তাদের পাওয়া তথ্যপ্রমাণ কৌসুলি বিভাগের সাবেক প্রধান লর্ড কেন ম্যাকডোনাল্ডের সামনে উপস্থাপন করে, তখন তিনি বলছেন যে এই মামলাটি পুনরায় যাচাই করে দেখা উচিত। ''সৈনিকটি যে সাক্ষ্য দিয়েছে, তার সঙ্গে দেয়ালের বুলেটের চিহ্নগুলো ঠিক খাপ খায় না,'' তিনি বলছেন। ''নিহতদের পরিবার যে সাক্ষ্য দিয়েছে, এটা তার সঙ্গেই বেশি মিলে যায়। এবং ঘটনার পরে যদি মিথ্যা তথ্যপ্রমাণ দেয়ার চেষ্টার ব্যাপারটি সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে আমার আরো বেশি সন্দেহ হচ্ছে যে, ওই কক্ষে আসলে তখন কী হয়েছিল?'' প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হয়ে থাকে এবং অভিযোগের ব্যাপারে গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হয়। ধামাচাপা দেয়ার 'অপ্রমাণিত' অভিযোগও তারা নাকচ করে দিয়েছেন। মন্ত্রণালয় বলছে, ''আমাদের সেনাবাহিনী দুর্দান্ত সাহস এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে ইরাক এবং আফগানিস্তানে কাজ করেছে এবং তারা সর্বোচ্চ মান ধরে রেখেছে বলেই আমরা মনে করি।'' ''মামলাগুলোর ক্ষেত্রে সতর্ক যাচাই বাছাইয়ের পর , স্বাধীন কৌসুলি কর্তৃপক্ষ কোন মামলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'' ''তদন্ত এবং মামলা করার সিদ্ধান্তের ব্যাপারটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একেবারে আলাদা ও স্বাধীন, যেখানে বাহ্যিক তদারকি ও আইনি পরামর্শের ব্যাপার জড়িত রয়েছে।'' ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ''বিবিসির দাবিগুলো সার্ভিস পুলিশ এবং সার্ভিস প্রসিকিউটিং অথরিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। তারা যে কোনো অভিযোগ বিবেচনায় নেয়ার ক্ষমতা রাখে।'' | On 18 October 2012, a UK Special Forces soldier shot dead four young people in an Afghan village. Their families say three of them were children. It looks like a war crime but nobody has been prosecuted. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি, পেছনে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশ ওই ব্যক্তির রিভলভার থেকে চালানো গুলি একজন ছাত্রের হাতেও লেগেছে, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জামিয়ার ক্যাম্পাসের ঠিক বাইরে রাস্তার ওপরেই বিশাল পুলিশ বাহিনীর সামনেই এই ঘটনা ঘটে। ছাত্রদের ও সংবাদমাধ্যমের তোলা ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই ব্যক্তি যখন রিভলবার তাক করে বিক্ষোভকারীদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন কয়েক গজ দূরেই দিল্লি পুলিশের বিরাট বাহিনী ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গুলি চালানোর ঠিক আগে ওই ব্যক্তি চিৎকার করে ছাত্রদের উদ্দেশে বলে "ইয়ে লো আজাদি" (এই নাও তোমাদের স্বাধীনতা)। ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে জামিয়ার ছাত্রছাত্রীরা তখন আজ মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে তার সমাধিস্থল রাজঘাট অভিমুখে মিছিল করে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। দিল্লি পুলিশ ওই মিছিলের অনুমতি দেবে কি দেবে কি না, তা নিয়ে শেষ মুহূর্তেও ক্যাম্পাসে প্রবল উত্তেজনা ছিল। মোতায়েন করা হয়েছিল বিরাট পুলিশ বাহিনীও। এরই মধ্যে ওই অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তি সেখানে বন্দুক হাতে চলে আসে এবং অত্যন্ত নাটকীয়তার মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের দিকে তাক করে গুলিও চালিয়ে বসে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল:যে কারণে এত বিতর্ক প্রতিবেশী দেশে সংখ্যালঘু চিত্র: ভারতের দাবি কতটা সত্যি? নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে অস্বস্তি? ভারতে থাকা 'অবৈধ বাংলাদেশীদের' ফেরানো হবে? জামিয়ার ছাত্রছাত্রীরা তখন আজ মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে তার সমাধিস্থল রাজঘাট অভিমুখে মিছিল করে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এরপর পুলিশের কর্মীরা ছুটে গিয়ে তাকে জোর করে মাটিতে ফেলে কাবু করেন। তার হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়া হয় এবং গ্রেপ্তার করা হয় - তবে তার পরিচয় সম্পর্কে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তার বন্দুকের গুলিতে যে ছেলেটি আহত হয়েছে, তার নাম শাদাব বলে জানা গেছে। সে জামিয়া মিলিয়া ইউনিভার্সিটিরই ছাত্র, এখন নিকটবর্তী হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের তোলা ভিডিওতে তার হাত থেকে রক্ত ঝরার দৃশ্যও দেখা গেছে। অন্য ছাত্ররাই তাকে ধরাধরি করে তুলে নিয়ে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। কীভাবে ব্যাপক পুলিশি উপস্থিতির মধ্যেই ছাত্রছাত্রীদের ওপর এভাবে দিনের আলোয় গুলি চালানো হল, ওই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা যথারীতি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সাবেক প্রধান বিক্রম সিং-ও ওই ঘটনার ভিডিও দেখে মন্তব্য করেছেন, "কীভাবে পুলিশ ২০ সেকেন্ডেরও বেশি সময় ধরে নীরব দর্শক হয়ে থাকল, তা আমার মাথাতেই ঢুকছে না!" উল্লেখ্য, ভারতে গত প্রায় দেড় মাস ধরে নাগরিকত্ব আইন ও প্রস্তাবিত এনআরসি-র বিরুদ্ধে যে তুমুল বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চলছে, দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া সেই বিক্ষোভের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। গত ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে দিল্লি পুলিশ জামিয়ার ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদেরও মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। জামিয়ার নিকটবর্তী শাহীন বাগ এলাকায় এরপরই শুরু হয় লাগাতার ধরনা ও অবরোধ কর্মসূচী - যা এখনও অব্যাহত আছে। আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য | A student has been shot after a man opened fire during a protest against a controversial citizenship law in the Indian capital, Delhi. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | বিরাট সংখ্যক কূটনীতিককে প্রত্যাহারের পর রাশিয়াতে থাকবে মাত্র ৪৫৫জন মার্কিন স্টাফ। আসছে পয়লা সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই মার্কিন কূটনীতিকদের রাশিয়া ছেড়ে যেতে হবে। দেখতে-দেখতেই আরো জটিল রূপ নিয়েছে রুশ-মার্কিন সম্পর্ক। এই বিরাট সংখ্যক কূটনীতিককে প্রত্যাহারের পর রাশিয়াতে থাকবে মাত্র ৪৫৫জন মার্কিন স্টাফ; নানান নিষেধাজ্ঞার পর ঠিক এই সংখ্যক রুশ স্টাফই এখন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। কূটনীতিক প্রত্যাহারের এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। "রাশিয়ার অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ড, দুবৃত্ত শাসকদের জন্য সমর্থন, ইউক্রেনে রুশ কর্মকাণ্ড এগুলো যে গ্রহণযোগ্য নয় এই বিষয়টি আমাদের প্রেসিডেন্ট খুব স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। প্রেসিডেন্ট এটিও স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি খুব দ্রুতই অবরোধ আরোপের বিলে স্বাক্ষর করবেন। পাশাপাশি আমরা এটাও স্পষ্ট করতে চাই যে, রাশিয়া তার আচরণ পাল্টাবে— এটা আমরা আশা করি" বলেন মি: পেন্স। আধুনিক কূটনীতির ইতিহাসে এতো বিরাট সংখ্যক মানুষকে একসঙ্গে বহিষ্কারের ঘটনা আর ঘটেনি। ৭৫৫ জনকে একসঙ্গে বহিষ্কারাদেশ দেওয়ায় মস্কোর দূতাবাসে থাকা কর্মীসহ একেতারিনবার্গ, ভ্লাডিভোস্টক ও সেন্ট পিটার্সবার্গ কনস্যুলেটরের কর্মীরা সমস্যায় পড়তে পারেন বলে জানাচ্ছেন বিবিসির মস্কো প্রতিনিধি সারাহ রেইন্সফোর্ড। এই বহিষ্কারাদেশ দেয়ার পর ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, আরো গুরুতর কোনো কিছু তিনি চাপিয়ে দিতে চাননি। আর টানাপোড়েনে ভরা রুশ-মার্কিন সম্পর্ককে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, এই সম্পর্ক 'সহসাই পরিবর্তনের' কোনো আভাস তিনি দেখছেন না। রাশিয়ার উপরে সর্বশেষ যে মার্কিন অবরোধ দেয়া হয়েছে সেটিতে মার্কিন সংসদের দুই কক্ষই অনুমোদন দিয়েছে। তবে, এই অবরোধে আপত্তি জানিয়েছিল হোয়াইট হাউজ। আরো পড়ুন: 'কর্মী চাই' সিনেমার পোস্টারে বিভ্রান্ত ইরানিরা বুকের দুধ খাওয়ানোর ছবি দিয়ে বিতর্কে প্রেসিডেন্ট কন্যা বগুড়ায় কী হয়েছিলো মা এবং মেয়েকে নিয়ে? ভারতে আবারও বিক্ষোভের মুখে তসলিমা নাসরিন | Russian President Vladimir Putin has announced that 755 staff must leave US diplomatic missions, in retaliation for new US sanctions against Moscow. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এক ঐতিহাসিক ফ্লাইটে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান ১ সেপ্টেম্বর এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও। সেখানে বাহরাইনের তরফ থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দেয়া হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত সপ্তাহে এরকমটাই জানিয়েছেন। এই শান্তি চুক্তি যে পাঁচটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ তা বিশ্লেষণ করেছেন বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদদাতা জেরেমি বোয়েন: ১. উপসাগরীয় দেশগুলো দেখছে বাণিজ্য এবং আরও অনেক কিছুর সম্ভাবনা উচ্চাকাঙ্ক্ষী আমিরাতিদের সাহায্য করবে এই চুক্তি। সংযুক্ত আরব আমিরাত উপসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের এক সামরিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাদের দেশ হয়ে উঠেছে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটনের এক বড় কেন্দ্র। মনে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এই শান্তি চুক্তির ব্যাপারে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে রাজি করিয়েছে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র দেয়ার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে। অতীতে এরকম সমরাস্ত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগালের বাইরে ছিল, তারা কেবল এমন সমরাস্ত্র কেনার স্বপ্নই দেখতে পারতো। এরকম সমরাস্ত্রের মধ্যে আছে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং ইএ-১৮জি গ্রোলার ইলেকট্রনিক যুদ্ধ বিমান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক বাহিনী এমনিতে যথেষ্ট সুসজ্জিত। এই বাহিনীকে তারা যুদ্ধে পাঠিয়েছে লিবিয়া এবং ইয়েমেনে। কিন্তু তাদের সবচেয়ে সম্ভাব্য বড় শত্রু কিন্তু ইরান। উপসাগরের ঠিক উল্টো দিকে যে দেশটি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপদেষ্টা এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার ইরানকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যেরকম সন্দেহের চোখে দেখে, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রও তাই। বাহরাইনও সন্দেহ করে ইরানকে। ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ইরান দাবি করতো বাহরাইন তাদের দেশেরই অংশ। বাহরাইনের শাসকরা সুন্নি। কিন্তু দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ শিয়া। কাজেই সুন্নি শাসকরা এই শিয়াদের ইরানের সম্ভাব্য 'ফিফথ কলাম' বা 'ঘরের শত্রু বিভীষণ' বলে ভাবেন। এই দুটি উপসাগরীয় দেশ অবশ্য ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নিয়ে রাখঢাক কমই করে। এখন তারা ইসরায়েলের সঙ্গে খোলাখুলি বাণিজ্য করার আশায় তাকিয়ে আছে। ইসরায়েল হচ্ছে প্রযুক্তির দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে অগ্রসর দেশগুলোর একটি। কোভিড মহামারি যখন ছিল না, তখন ইসরায়েলিরা কিন্তু ছুটি কাটাতে প্রচুর বেড়াতো। কাজেই উপসাগরীয় দেশগুলোর মরুভূমি, সৈকত আর শপিং মলে যেতে তারা উদগ্রীব থাকবে। কাজেই দুতরফের জন্যই হয়তো এটি এক ভালো ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ। ২. মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের নিঃসঙ্গতা কমবে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারটা ইসরায়েলের জন্য সত্যিকার অর্থেই এক বিরাট অর্জন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাদের ইহুদী রাষ্ট্র এবং আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে 'আয়রন ওয়াল' বা 'লৌহ প্রাচীরের' কৌশলে বিশ্বাসী। ১৯২০ এর দশকে এই কৌশলের কথা প্রথম বলা হয়। এই কৌশলের মূল কথা হচ্ছে, ইসরায়েলকে এতটাই শক্তিশালী হতে হবে যাতে করে শেষ পর্যন্ত আরবরা বুঝতে পারবে ইসরায়েলের অস্তিত্ব স্বীকার করে নেয়া ছাড়া আর কোন পথ নেই। কিন্তু ইসরায়েল আবার মধ্যপ্রাচ্যে একদম একঘরে হয়ে থাকতে চায় না। মিশর আর জর্ডানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি হয়েছে সত্যি, কিন্তু সম্পর্ক কখনোই উষ্ণ ছিল না। তবে উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের বেলায় ইসরায়েল হয়তো একটু বেশি আশাবাদী হতে পারে। কারণ জেরুসালেম আর অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল থেকে এই দেশগুলো অনেক দূরে। আর ইরানের বিরুদ্ধে জোট আরও শক্তিশালী করার ব্যাপারটা তো আছেই। মিস্টার নেতানিয়াহু মনে করেন ইরান হচ্ছে তার দেশের এক নম্বর শত্রু। মাঝে মধ্যে তিনি ইরানের নেতাদের তুলনা করেন নাৎসীদের সঙ্গে। অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্ভাব্য অস্ত্র চুক্তি সম্পর্কে তার যে আপত্তি ছিল, তিনি আপাতত সেটা চেপে গেছেন। তবে মিস্টার নেতানিয়াহু স্বদেশের রাজনীতিতে কোনঠাসা হয়ে আছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, এই অভিযোগে তার বিচার হতে পারে। তিনি জেলে যেতে পারেন। করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় তিনি শুরুটা ভালোই করেছিলেন, কিন্তু এরপর ব্যাপারটা একেবারেই তালগোল পাকিয়ে গেল। বিরোধী দলগুলো এখন প্রতি সপ্তাহেই জেরুসালেমে তার বাসভবনের বাইরে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। কাজেই এরকম এক দুঃসময়ে হোয়াইট হাউজে এমন এক শান্তি চুক্তির অনুষ্ঠান তার জন্য যেন আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। ৩. ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির জন্য এক বিরাট সাফল্য এই চুক্তি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্যও নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। মিস্টার ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের কৌশলে বিশ্বাসী। এই শান্তি চুক্তি তার সেই কৌশলের পক্ষে সমর্থন আরও জোরালো করবে। আর নির্বাচনের বছরে এটি তার জন্য একটি দারুণ অস্ত্রও বটে। তিনি যে সবসময় বড়াই করে বলেন, বিশ্বে সবচেয়ে বড় ''ডিল-মেকার'' হচ্ছেন তিনি, সেটা এখন আরও জোর গলায় বলতে পারবেন। আরও পড়ুন: ইসরায়েলের সাথে শান্তিচুক্তি: আমিরাত ও বাহরাইনের পর কি সৌদি আরব? ইসরায়েল-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক: যেসব কারণে সম্ভব নয় ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি সংঘাতের মূলে যে দশটি প্রশ্ন ইউএই-ইসরায়েলের মধ্যে প্রথম ‘ঐতিহাসিক‘ ফ্লাইট ইসরায়েলের কাছে আরবরা কেন পরাজিত হয়েছিল? গত আগষ্ট মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই তথাকথিত "আব্রাহাম চুক্তি" ঘোষণা করেন। তার যে কোন কাজ, যেটিতে ইসরায়েলের সুবিধা হয়, বা আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সুবিধা হয়, সেটা আমেরিকার ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টানদের খুশি করবে। এই ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টানরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনের একটা বড় ভিত্তি। ইরানের বিরুদ্ধে মিস্টার ট্রাম্প আমেরিকার বন্ধুদের যে জোটের কথা বলেন, সেটা অনেক বেশি ভালোভাবে কাজ করবে যদি উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে গোপন সম্পর্কের খোলস থেকে বেরিয়ে প্রকাশ্যে খোলাখুলি সম্পর্ক স্থাপন করে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তথাকথিত "শতাব্দীর সেরা সমঝোতা" বলে যে শান্তি চুক্তির কথা বলতেন, সেটার কোন নিশানা দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে এই সমঝোতা, যেটার নাম দেয়া হয়েছে 'আব্রাহাম চুক্তি', তা মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্যে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে। মিস্টার ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস স্বাভাবিকভাবেই এটিকে তাদের পররাষ্ট্রনীতির এক বিরাট অর্জন বলে বর্ণনা করছে। ৪. ফিলিস্তিনির মনে করছে তারা বিশ্বাসঘাতকতার শিকার আবারও ফিলিস্তিনিদের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে কাঠের চামচ। আব্রাহাম চুক্তিকে তারা এরই মধ্যে বিশ্বাসঘাতকতা বলে বর্ণনা করেছে। আরব দেশগুলোর মধ্যে বহু বছরের একটা ঐকমত্য ছিল। সেটি হচ্ছে, ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক একমাত্র ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার মাধ্যমেই হতে পারে। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা যখন পূর্ব জেরুসালেম আর পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের মধ্যে দুঃসহ দিন কাটাচ্ছে, গাজার খোলা কারাগারে বন্দী, তখন ইসরায়েল এই আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে তার সম্পর্ক সুদৃঢ় করছে। আবুধাবীর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানই কার্যত সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক। তিনি বলেছিলেন, এই চুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলকে রাজি হতে হবে যে পশ্চিম তীরের এক বিরাট ফিলিস্তিনি এলাকা তারা নিজেদের সীমানাভুক্ত করবে না। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু অবশ্য পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি অঞ্চল সীমানাভুক্ত করার পরিকল্পনার জন্য প্রচন্ড আন্তর্জাতিক বিরোধিতার মুখে পড়েছিলেন। এ কারণে তাকে মনে হচ্ছিল যেন এই পরিকল্পনা থেকে পিছু হটতে হচ্ছিল। এখন অবশ্য তিনি এই রাজনৈতিক কানা-গলি থেকে বেরিয়ে আসতে যেন মুখ রক্ষার একটা সুযোগ পেলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে এই চুক্তির সুবাদে। তবে এই কাজ তারা কখনোই করতে পারতো না সৌদি আরবের সম্মতি ছাড়া। আরব শান্তি চুক্তি প্রণয়নকারী অন্যতম দেশ হচ্ছে সৌদি আরব, যাতে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার দাবি তোলা হয়েছিল। সৌদি বাদশাহ সালমান হচ্ছেন ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র দুটি স্থানের জিম্মাদার। এই সুবাদে তিনি বিপুল কর্তৃত্বের অধিকারী ইসলামী দুনিয়ায়। কাজেই হঠাৎ করে তিনি ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়ে বসবেন এমন সম্ভাবনা কম। তবে তার ছেলে এবং রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান হয়তো অতটা আপত্তি করবেন না। ৫. ইরানের জন্য এক নতুন মাথাব্যাথা ইরানের নেতারা এই চুক্তির ব্যাপক নিন্দা করেছেন। এটা শুধু বাগাড়ম্বর নয়। আব্রাহাম চুক্তি আসলেই তাদের একটা বাড়তি চাপের মুখে ফেলবে। ইরানের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন সেটা এমনিতেই যথেষ্ট অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। এখন তাদের জন্য যোগ হলো এক নতুন কৌশলগত মাথাব্যাথা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের শান্তি চুক্তির বিরুদ্ধে ইরানে বিক্ষোভ ইরান থেকে ইসরায়েলের বিমান ঘাঁটিগুলো বহু দূরে। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমান ঘাঁটিগুলো উপসাগর পাড়ি দিলেই অপর তীরে। ইরানের পরমাণু স্থাপনার ওপর যদি কখনো বিমান হামলার কথা উঠে, তখন এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। ইরানীদের জন্য নড়াচড়ার জায়গা যেন আগের চাইতে অনেক বেশি সংকুচিত হয়ে আসলো। | High-level delegations from Israel and the United Arab Emirates (UAE) will sign a historic US-brokered peace deal at the White House on Tuesday. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, পিক-আপ ট্রাকে করে এসে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। শহরের যেসব এলাকায় বড় ধরনের বিক্ষোভ হচ্ছিল অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা সেখানে আক্রমণ চালায়। এর পর বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সেখানে বিক্ষোভ চলছে। ২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর ইরাকে এরকম বিক্ষোভ কখনো দেখা যায়নি। এই অস্থিরতা শুরু হয়েছে অক্টোবর মাসে যখন লোকজন দুর্নীতি, বেকারত্ব, সরকারি সেবার অভাব এবং তাদের দেশে ইরানের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে রাজধানী বাগদাদ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় কয়েকটি শহরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরাকে ৪২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাট বন্ধ করে রেখেছে, অবরোধ করে রেখেছে তেল ক্ষেত্র এবং বন্দর। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বাগদাদে শুক্রবার রাত পার হয়ে ভোরের দিকে পিক-আপ ট্রাকে করে আসে সশস্ত্র ব্যক্তিরা এবং লোকজন যেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছিল তার উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতে থাকে। এসময় তারা গুলি চালাতে থাকে এবং লোকজন প্রাণের ভয়ে এদিকে ওদিকে দৌড়াতে শুরু করে। কারা এই হামলাকারী সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তাদেরকে "অজ্ঞাত ব্যক্তি" বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক এসব বিক্ষোভে কমপক্ষে ৪২০ জন নিহত হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের প্রতীক যে পাঁচ বিক্ষোভকারী ইরান-বিরোধী মুজাহিদিনরা কী করছে ইউরোপে? যে যুদ্ধে মানুষ মরেছে লাখ লাখ, জেতেনি কেউ গত সপ্তাহেই ইরানি সমর্থিত একটি মিলিশিয়া বাহিনীর সমর্থকরা বিক্ষোভ স্থলে ঢুকে পড়লে বেশ কয়েকজন ছুরিকাহত হয়। আরেকটি ঘটনায় প্রভাবশালী শিয়া নেতা মুক্তাদা সদরের বাড়িতে ড্রোনের সাহায্যে বোমা ফেলা হয়েছে বলে তার দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। সেসময় তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর ইরাকি প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু প্রতিবাদকারীরা পুরো রাজনৈতিক ব্যবস্থারই আমূল পরিবর্তন দাবি করছেন। ইরাকে জাতিগত বিভিন্ন গোষ্ঠীর জন্য কোটা ব্যবস্থা চালু আছে। কিন্তু বহু ইরাকি মনে করেন যে এর মাধ্যমে দেশটিতে দুর্নীতিকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও শিয়া রাষ্ট্র ইরানের সাথে ইরাকি নেতাদের বর্তমান সম্পর্ক নিয়েও অনেকের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর থেকে ইরাকে শিয়া রাজনীতিবিদরাই দেশ পরিচালনা করছেন। কীভাবে শুরু? সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদি দেশটির জনপ্রিয় এক ব্যক্তি যিনি সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বাহিনীর প্রধান ছিলেন তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে নিচু পদে আসীন করেন। লোকজন সোশাল মিডিয়াতে এর প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। সেখানেই তারা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ১লা অক্টোবরে বিক্ষোভের ডাক দেয়। বাগদাদের তাহরির স্কয়ারে বিক্ষোভ সমাবেশ। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভটি হয় বাগদাদের তাহরির স্কয়ারে। বিক্ষোভকারীরা তখন একটি সেতু পার হয়ে সুরক্ষিত গ্রিন জোনে (যেখানে প্রধান প্রধান সরকারি অফিস) প্রবেশের চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ওপর গুলি চালায়। এর পরেই বিক্ষোভ রাজধানী ছাড়াও দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলীয় আরো কয়েকটি প্রদেশে ছড়িয়ে পড়ে। তারা আদাম নির্বাচনের দাবি জানাতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই বয়সে তরুণ। তাদের সুনির্দিষ্ট কোন নেতা নেই। অনেকটা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই তারা এসব প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছে। এর এক সপ্তাহ পর প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রীসভায় রদবদলের প্রতিশ্রুতি দেন এবং বেকারত্ব কমাতে কিছু পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু আগাম নির্বাচন না দেওয়ায় তারা ২৫শে অক্টোবরে আবার রাস্তায় নেমে আসে। ইরানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কেন? বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ যে ইরান তাদের দেশে হস্তক্ষেপ করছে এবং এর ফলে ইরাকের সরকার ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা জটিল হয়ে পড়েছে, বাড়ছে দুর্নীতিও। নানা শ্রেণি পেশা ও বয়সের লোকেরা এসব বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে। ২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর থেকেই ইরাকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ইরানের প্রভাব ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। ইরাকের শিয়া নেতাদের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে যারা শাসক শ্রেণির সদস্য। ইরাকের আধা সামরিক বাহিনী পপুলার মবিলাইজেশনকে সাহায্য সহযোগিতা দেয় ইরান। এই বাহিনীতে শিয়া মিলিশিয়ারাই প্রাধান্য বিস্তার করছে। আরো পড়তে পারেন: সাগর-মহাসাগরে কমে যাচ্ছে অক্সিজেন 'এনকাউন্টারে হত্যায়' ভারতীয়রা কেন উল্লাস করছে বাংলাদেশে পীর-সুফিদের রাজনীতির ভবিষ্যৎ কবর থেকে উদ্ধার করা শিশুটি এখন পুরোপুরি সুস্থ | Iraq has seen one of the worst flare-ups in weeks of anti-government protests, with gunmen killing at least 20 people in Baghdad early on Saturday. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | অভিযোগকারী ই. জিন ক্যারল ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ই. জিন ক্যারল নামের ওই নারী সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন যে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউ ইয়র্কের একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরে তার ওপর যৌন হামলা চালিয়েছিলেন। কিন্তু মি. ট্রাম্প বলছেন, মিজ ক্যারল 'সম্পূর্ণ মিথ্যা' কথা বলছেন। "অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে আমি বলবো: প্রথমত, তাকে আমার পছন্দ নয়। দ্বিতীয়ত, এরকম কখনো ঘটেনি। এটা কখনো হয়নি, ঠিক আছে?" নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত দ্য হিল নামের একটি সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। "তিনি আমার পছন্দের নন"- প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর ই জিন ক্যারল সিএনএনকে বলেছেন, "আমি যে তার পছন্দের নই এতে আমি খুশি।" এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৬ সালে আরো একজন অভিযোগকারীর বিষয়েও একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। জেসিকা লিডস নামের এক নারী অভিযোগ করেছিলেন যে মি. ট্রাম্প ১৯৮০-এর দশকে বিমানে তার গায়ে হাত দিয়েছিলেন। এই অভিযোগের জবাবে মি. ট্রাম্প এক সমাবেশে বলেছিলেন, "তিনি আমার প্রথম পছন্দ হবেন না।" এনিয়ে ই জিন ক্যারলসহ মোট ১৬ জন নারী মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনলেন। মি. ট্রাম্প অবশ্য সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। ই. জিন ক্যারল বলছেন, একটি পোশাকের দোকানে মি. ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেছেন। কী অভিযোগ করছেন মিজ ক্যারল পঁচাত্তর বছর বয়সী মিজ ক্যারল গত শুক্রবার দ্য ওয়াল ম্যাগাজিনের কাছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন। পরে সিএনএন এবং এমএসএনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও তিনি বলেছেন যে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করার কথাও বিবেচনা করছেন। ই জিন ক্যারল বলছেন, নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে বার্গডর্ফ গুডম্যান নামের একটি অভিজাত পোশাকের দোকানে কেনাকাটা করার সময় ১৯৯৫ সালের শেষের দিকে কিম্বা ১৯৯৬ সালের শুরুতে তাদের দেখা হয়েছিল। টেলিভিশনে অ্যাপ্রেন্টিস অনুষ্ঠানের জন্যে সেসময় খুবই পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রোপার্টি ব্যবসা থেকে প্রচুর অর্থ-বিত্তেরও মালিক হয়েছিলেন তিনি। ফলে অনেকেই তাকে চিনতো। মিজ ক্যারল বলছেন, ওই দোকানে মি. ট্রাম্প একজন নারীর জন্যে পোশাক কেনার ব্যাপারে তার কাছে পরামর্শ চেয়ে কৌতুক করে বলেছিলেন যে তিনি ওই পোশাকটি পরে তাকে দেখাতে পারেন কিনা। পরে ট্রায়াল রুমে মি. ট্রাম্প তাকে একটি দেয়ালের সাথে চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করেছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। আরো পড়তে পারেন: রাজবধূ মেগান মার্কেলকে 'খারাপ' বলেননি ট্রাম্প? ট্রাম্প আর সাদিক খানের মধ্যে এই বাকযুদ্ধ কেন? ট্রাম্পের কাছ থেকে 'চমৎকার চিঠি' পেয়েছেন কিম জং-আন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ১৬ জন নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। কী বলছেন মি ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে সোমবার দ্য হিল সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মি. ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনা মিজ ক্যারলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মিজ ক্যারলের প্রকাশিতব্য একটি বই-এ এসব অভিযোগের ব্যাপারে বিস্তারিত লেখা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এও বলেছেন যে তিনি মিজ ক্যারলকে চেনেন না। কিন্তু নিউ ইয়র্কের ওই ম্যাগাজিনে তার সাথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি ছবিও ছাপা হয়েছে। "কোন মানুষ যে এমন বক্তব্য দিতে পারে সেটা ভয়ঙ্কর," বলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর আগেও মি. ট্রাম্প বলেছেন যে মিজ ক্যারল তার "বই বিক্রি করার জন্যে এসব ফেক নিউজ বা ভুয়া খবর ফেঁদেছেন।" আরো পড়তে পারেন: সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় ৬৫ শতাংশ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মাইক হাসির চোখে সাকিব সর্বকালের সেরা তালিকায় ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে আলোচ্য বিষয় কী? মুসলিম যুবক হত্যার ঘটনায় ভারতে পাঁচজন গ্রেফতার | US President Donald Trump has again denied allegations he sexually assaulted a columnist in the 1990s, saying "she's not my type". |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ভিয়েনায় পার্লামেন্ট ভবনের সামনে থুসিডিডেসের মূর্তি মার্কিন বিশেষজ্ঞরা সে সময় বলতেন, "চীন একটি দায়িত্বশীল বৈশ্বিক অংশীদার হয়ে উঠছে।" কিন্তু সে দিন আর নেই। বিবিসির বিশ্লেষক জোনাথন মার্কাস লিখছেন, চীনকে এখন দেখা হচ্ছে এক হুমকি হিসেবে। অনেকেই ভয় পাচ্ছেন যে চীন আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেভাবে বাড়ছে তাতে শেষ পর্যন্ত একটা যুদ্ধ বেধে যেতে পারে । তা যদি হয়, তাহলে তার প্রতিক্রিয়া হবে বিশ্বব্যাপী। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গ্রাহাম এ্যালিসন এ নিয়ে একটি বই লিখেছেন - যা এখন নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিকদের অবশ্যপাঠ্য হয়ে উঠেছে। বইটির নাম, 'ডেস্টিনড ফর ওয়ার: ক্যান আমেরিকা এ্যান্ড চায়না এ্যাভয়েড দ্য থুসিডিডেস ট্র্যাপ?' এতে তিনি প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক 'থুসিডিডেসের ফাঁদ' নামে এক তত্বের অবতারণা করেছেন, যাতে বলা হয়েছে - কিভাবে একটি উদীয়মান শক্তি হুমকি হয়ে ওঠে একটি প্রতিষ্ঠিত শক্তির জন্য। অধ্যাপক গ্রাহাম এ্যালিসন অধ্যাপক এ্যালিসন বলছেন, বিশ্বের ইতিহাসে এরকম ১৬টি উদাহরণ আছে - তার মধ্যে ১২টিই শেষ পর্যন্ত শেষ হয়েছে যুদ্ধে। প্রাচীন গ্রীসে যেমন এথেন্স চ্যালেঞ্জ করেছিল স্পার্টা-কে, উনবিংশ শতাব্দীতে জার্মানি যেমন চ্যালেঞ্জ করেছিল ব্রিটেনকে, ঠিক তেমনি এ যুগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করছে চীনের উত্থান। অধ্যাপক এ্যালিসন বলছেন, ওয়াশিংটন আর বেইজিংএর দ্বন্দ্ব হচ্ছে আজকের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নির্ণায়ক ঘটনা। অবশ্য সবাই যে এর সাথে একমত তা নয়। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং নৌ-যুদ্ধকৌশল বিশেষজ্ঞ প্রফেসর হু বো বলছেন, চীন মার্কিন দ্বন্দ্বের সাথে থুসিডিডেসের ফাঁদের মিল নেই। চীনা রণতরী তিনি বলেন, "চীনের উত্থান চোখে পড়ার মতো ঠিকই, কিন্তু এখনো সার্বিকভাবে তাদের শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তুলনীয় নয়। আমেরিকার সাথে চীন পাল্লা দিতে পারে শুধু একটি মাত্র জায়গায় - তা হলো পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। কিন্তু এই প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকাতেও কি চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব হঠাৎ যুদ্ধের রূপ নিতে পারে না? এ প্রশ্নের জবাবে মার্কিন নৌযুদ্ধ বিশেষজ্ঞ এন্ড্রু এরিকসন বলছেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চীন যে সমরসজ্জা করছে তা ঐতিহাসিক মাপেও বিশাল। চীন এমন সব বিশাল ও উন্নত প্রযুক্তি সমৃদ্ধ যুদ্ধজাহাজ তৈরি করছে - যা মানের দিক থেকে পশ্চিমা যুদ্ধজাহাজের কাছাকাছি। ওই অঞ্চলে চীন ক্রমশই আরো বেশি করে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। তারা যদি তাইওয়ানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ যেন ঠেকিয়ে রাখা যায় - সে চেষ্টাই করছে বেইজিং। আর যুক্তরাষ্ট্র চাইছে এখানে কোনভাবেই যেন তার প্রবেশাধিকার ব্যবহত না হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধ চালাচ্ছেন বৈশ্বিক অঙ্গনের চীনের অবস্থানকে আরো উচ্চাভিলাষী করে তোলার ক্ষেত্রে বড় ভুমিকার রাখছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অনেকে বলেন, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে হয়তো এক নতুন স্নায়ুযুদ্ধও শুরু হতে পারে। তবে এ যুগে তার কেন্দ্রে থাকবে প্রযুক্তিগত প্রাধান্য বিস্তারের চেষ্টা। চীনা টেলিযোগাযোগ কোম্পানি হুয়াওয়ের ঘটনাবলী এ ক্ষেত্রে সবার নজর কেড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের কোন ভবিষ্যত যোগাযোগ নেটওয়ার্কে এ কোম্পানির প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দিচ্ছে না, তার মিত্রদেরকেও বলা হচ্ছে একই পদক্ষেপ নেবার জন্য। কারণ মেধাস্বত্ব চুরি, ইরানের সাথে বাণিজ্য এবং গুপ্তচরবৃত্তি - একাধিক কারণে চীনা প্রযুক্তিকে উদ্বেগের সাথে দেখা হচ্ছে। তারা ভয় পাচ্ছে যে, চীন হয়তো শিগগীরই এমন সব প্রযুক্তিতে নেতৃস্থানীয় ভুমিকা নিয়ে নিতে পারে - যার ওপর ভবিষ্যতের উন্নয়ন নির্ভর করবে। কারণ আগামি দশকেই চীন একটা বৈশ্বিক ভুমিকায় অবতীর্ণ হতে চায়। তবে চীনের যদি অর্থনৈতিক উন্নতি অব্যাহত থাকে তাহলেই এটা সম্ভব হবে। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কিন্তু চীন যেহেতু স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামো ধরে রেখেছে, এবং বাজার সংস্কারকে প্রত্যাখ্যান করেছে, তাই হয়তো উন্নয়নের গতিও হোঁচট খেতে শুরু করেছে। উন্নয়নের গতি শ্লথ হয়ে পড়লে চীনে কি হবে? অনেকে বলেন শি জিনপিং হয়তো তখন তার উচ্চাভিলাষ কমিয়ে আনবেন, অথবা তার অভ্যন্তরীণ বৈধতায় আঘাত লাগলে তিনি জাতীয়তাবাদ উস্কে দিতে পারেন। কিন্তু যাই ঘটুক, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের দ্বন্দ্ব থেকেই যাবে। এক্ষেত্রে কৌশলগত হিসেবে হঠাৎ কোন ভুলের বিপদ সবসময়ই আছে। কারণ এ উত্তেজনা নিরসন কি ভাবে করা হবে - তা তো কোন বইয়ে লেখা নেই। চীন-মার্কিন সম্পর্ক এখন একটা সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। হয় তারা পরস্পরের উদ্বেগ কাটাতে চেষ্টা করবে, নয়তো তাদের দ্বন্দ্ব আরো বাড়বে। তবে যুদ্ধ অবধারিত নয়, বলেন অধ্যাপক এ্যালিসন। তার কথা, তার বইতে তিনি কূটনীতির কথাই বলছেন, নিয়তির কথা নয়। বিবিসি বাংলায় আরো খবর বিশ্বে কি নতুন আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হলো? অল্পের জন্য সংঘর্ষ এড়ালো চীনা ও মার্কিন রণতরী হুয়াওয়ে: চীন-মার্কিন শত্রুতার কেন্দ্রে যে কোম্পানি | Not so long ago, China's rise was seen as essentially benign. A growing economy, it was thought, would go hand-in-hand with a liberalising political system. China was, to use the phrase favoured by US experts, becoming a responsible global stakeholder. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | তেনজিনের পরিবার বলছে তিনি কয়েক দশক ধরে গোপন সামরিক বাহিনীর সদস্য ছিলেন মৃত সেই সৈনিক নিইমা তেনজিনের পরিবার ঘরের এক কোণে তার ফটোর চারপাশ দিয়ে তেলের বাতি জ্বালিয়ে রেখেছিল, যার উষ্ণ আলোয় আলোকিত তার ছবি। পাশের ঘরে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুরা প্রার্থনা মন্ত্র উচ্চারণ করছিলেন। কয়েকদিন আগেই ভারতের উত্তর সীমান্তে লাদাখের প্যাংগং সো লেকের কাছে একটি ভূমিমাইন বিস্ফোরণে ৫১ বছর বয়সী এই সৈনিক মারা যান। এই এলাকায় সাম্প্রতিক কয়েক মাসে ভারতীয় ও চীনা সৈন্যের মধ্যে মুখোমুখি সংঘাত হয়েছে। ভারতীয় সেনা বাহিনীর সূত্রগুলো বিবিসিকে বলেছে যে ১৯৬২ সালে ভারত ও চীনের মধ্যে যখন যুদ্ধ হয়েছিল, সেসময়কার একটি পুরনো মাইন বিস্ফোরিত হয়ে এই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ''অগাস্ট মাসের তিরিশ তারিখ রাত প্রায় সাড়ে দশটার সময় আমি একটা টেলিফোন পাই। আমাকে বলা হয় সে আহত,'' বলছিলেন তেনজিনের ভাই নামদাখ। ''ওরা আমাকে জানায়নি যে তেনজিন মারা গেছে। একজন বন্ধু পরে আমাকে তার মারা যাবার খবরটা নিশ্চিত করে।'' তেনজিনের ভাই লে-তে তাদের বাসায় মোমবাতি জ্বালিয়ে রেখেছে মৃত ভাইয়ের স্মরণে তেনজিনের পরিবারের সদস্যরা বিবিসিকে জানান, তেনজিন ভারতীয় সেনা বাহিনীর বিশেষ একটি গোপন ইউনিট স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স (এসএফএফ) এর সদস্য ছিলেন। এই সীমান্ত বাহিনী গঠিত হয়েছে মূলত তিব্বতী শরণার্থীদের নিয়ে এবং খবরে যা জানা যায় এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার। নিইমা তেনজিনও একজন তিব্বতী শরণার্থী ছিলেন এবং ভারতীয় সেনা বাহিনীতে তিরিশ বছরের বেশি কাজ করেছেন বলে তার পরিবার জানিয়েছে। 'গোপন' বাহিনী এসএফএফ এই এসএফএফ সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায় না। ভারতীয় কর্মকর্তারা কখনই এই বাহিনীর অস্তিত্বের কথা স্বীকার করেননি। কিন্তু এটা এমনই একটা গোপন বিষয় যার কথা অনেকেই ভালমত জানেন- বিশেষ করে সামরিক ও পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা এবং যেসব সাংবাদিক ওই এলাকার খবরাখবর দেন তারা এই 'গোপন' বাহিনী সম্পর্কে জানেন। অথচ, ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘাত নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে|ই অগাস্টের শেষে তেনজিনের মৃত্যুর পর ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে তিব্বতীদের জড়িত থাকার বিষয়টি এই প্রথম প্রকাশ্যে স্বীকার করা হয়েছে। লাদাখের রাজধানী লে-তে থাকতেন নিইমি তেনজিন। লে-র মানুষ এবং সেখানকার তিব্বতী সম্প্রদায় একসাথে মিলে তেনজিনকে শেষ বিদায় জানিয়েছে। একুশ বার তোপধ্বনিসহ পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় বিশালভাবে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। নিইমা তেনজিনের শেষকৃত্য হয়েছে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায়। লে শহরে ভারতীয় বিশেষ বাহিনীর তিব্বতী বংশোদ্ভুত সৈনিক নিইমা তেনজিনের শেষকৃত্যে তাকে শেষ বিদায় জানাচ্ছে ভারতীয় সেনারা বিজেপির উর্ধ্বতন নেতা রাম মাধব এই শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং তেনজিনের কফিনের ওপর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ওই কফিন ভারত ও তিব্বতের পতাকা দিয়ে ঢাকা ছিল এবং সেনাবাহিনীর ট্রাকে করে কফিনটি তার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। মি. মাধব এমনকি টুইট করে মি. তেনজিনকে এসএফএফ-এর সদস্য হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন এবং তার বার্তায় বলেছিলেন লাদাখে ভারতীয় সীমান্ত "প্রতিরক্ষায় জীবন দিলেন একজন তিব্বতী"। তবে পরে তিনি এই টুইটটি মুছে দেন। মুছে দেয়া টুইটে তিনি ওই সীমান্ত এলাকাকে ভারত-চীন সীমান্ত এলাকা না বলে ভারত-তিব্বত সীমান্ত বলে উল্লেখ করেছিলেন। সরকার এবং সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে কোন বিবৃতি না দিলেও ওই শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের খবর ভারতের জাতীয় সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। অনেক সংবাদমাধ্যম একে উল্লেখ করেছে চীনের উদ্দেশ্যে ''কঠোর ইঙ্গিত'' এবং ''জোরালো বার্তা'' হিসাবে। ''এতদিন পর্যন্ত এর (এসএফএফ) কথা গোপন ছিল, কিন্তু এখন যে এটা স্বীকার করা হলো তাতে আমি খুবই খুশি,'' বলেন নামদাখ তেনজিন। ''যারা সেনা বাহিনীতে কাজ করছে তাদের নাম জানানো এবং তাদের সমর্থন করা উচিত।" ''আমরা ১৯৭১ সালেও যুদ্ধ করেছি, তখনও আমাদের কথা গোপন রাখা হয়েছিল, এরপর ১৯৯১ সালে কারগিলে আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, সে কথাও গোপন রাখা হয়। কিন্তু এখন এই প্রথমবারের মত বিষয়টা স্বীকার করা হলো। আমি এতে খুবই খুশি হয়েছি।'' বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৬২ সালে ভারত ও চীনের মধ্যে যুদ্ধের পরই এই এসএফএফ বাহিনী গড়ে তোলা হয়। ''উদ্দেশ্য ছিল যেসব তিব্বতী ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল, যাদের উঁচু পাহাড়ে গেরিলা যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ছিল, বা যারা 'চুশি গানদ্রুক' নামে তিব্বতের গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিল তাদের ভারতীয় বাহিনীতে নিয়োগ করা। এই বাহিনী ১৯৬০এর দশকের গোড়ার দিক পর্যন্ত চীনের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ চালিয়েছে,'' বলছেন তিব্বতী সাংবাদিক ও চিত্র নির্মাতা কালসাং রিনচেন। ১৯৫৯ সালে চীন-বিরোধী এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর ১৪-তম দালাই লামা তিব্বত থেকে ভারতে পালিয়ে যান এবং ভারতে একটি নির্বাসিত সরকার গড়ে তোলেন। তিনি এখনও ভারতেই বসবাস করেন। হাজার হাজার তিব্বতী তাকে অনুসরণ করে তিব্বত থেকে ভারতে পালিয়ে যান এবং ভারতে শরণার্থী হিসাবে আশ্রয় নেন। আরও পড়তে পারেন: মি. তেনজিনের শেষকৃত্যে উপস্থিত স্থানীয় তিব্বতী ও নিইমি তেনজিনের পরিবারের সদস্যরা এসএফএফ ও আমেরিকা দালাই লামা এবং তার সাথে ভারতে পালিয়ে যাওয়া তিব্বতী শরণার্থীদের প্রতি ভারতের সমর্থন দ্রুতই ভারত ও চীনের মধ্যে দ্বন্দ্বের জন্ম দেয়। ১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধে ভারতের শোচনীয় পরাজয় উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তৎকালীন প্রধান বি এন মল্লিক সিআইএ-র সহায়তায় এই এসএফএফ বাহিনী গড়ে তোলেন বলে খবরে জানা যায়। এই বাহিনী গড়ে তোলার পেছনে আমেরিকার ভূমিকা কতটা ব্যাপক ছিল তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কোন কোন সূত্র বলে, এটা পুরোই ভারতীয় উদ্যোগ ছিল, কিন্তু এর পেছনে আমেরিকার "পূর্ণ অনুমোদন" ছিল। অন্যরা বলে থাকেন, প্রায় ১২ হাজার তিব্বতীকে আমেরিকার বিশেষ বাহিনী প্রশিক্ষণ দিয়েছিল এবং এই বাহিনী গঠনের আংশিক তহবিল জুগিয়েছিল আমেরিকা। "বেশিরভাগ প্রশিক্ষণ আমেরিকানরা দিয়েছিল," বিবিসিকে বলেছেন জাম্পা নামে একজন তিব্বতী শরণার্থী, যিনি ১৯৬২ সালে এসএফএফ-এ যোগ দিয়েছিলেন। "সেখানে সিআইএ-র একজন ছিলেন, যিনি ভাঙা ভাঙা হিন্দি বলতেন। তিনি আমাদের মধ্যে চারজন হিন্দি জানত, তাদের ট্রেনিং দিয়েছিলেন। আমরা বেশিরভাগই হিন্দি বুঝতাম না। ওই চারজন পরে আমাদের ট্রেনিং দেয়।" প্রথম দিকে এই বাহিনীতে শুধু তিব্বতীদেরই নিয়োগ করা হয়েছিল। পরে তিব্বতী নয়, এমন লোকও বাহিনীতে নেয়া হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বরাবরই এই ইউনিট সরাসরি কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের অধীন ছিল এবং সবসময়ই বাহিনীর প্রধান ছিলেন একজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা। চীন থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ "বাহিনী মূল উদ্দেশ্য ছিল চীনের সাথে চোরাগোপ্তা লড়াই করা এবং চীন থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ," বলছেন মি. রিনচেন। চীন এসএফএফ-এর অস্তিত্ব অস্বীকার করে। "ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীতে নির্বাসিত তিব্বতীরা আছে এমন তথ্য আমাদের জানা নেই। ভারতীয়দের এ প্রশ্ন করতে পারেন," সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলেনে একথা বলেছেন চীনা মুখপাত্র হুয়া চুনইং। প্যাংগং লেকের কাছে মাইন বিস্ফোরণে প্রাণ হারান মি. তেনজিন "চীনের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। তিব্বতের স্বাধীনতার জন্য কোন বাহিনীকে বিচ্ছিন্নতাকামী কার্যকলাপ চালাতে কোনরকম সুবিধা করে দেবার কোন প্রচেষ্টা কোন দেশ নিলে আমরা দৃঢ়তার সাথে তার বিরোধিতা করব," ওই মুখপাত্র বলেন। চীন এখনও তিব্বতকে চীনের অধীনে একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত এলাকা বলে বিবেচনা করে। জুন মাসে চীন ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত সংঘাতে বিশ জন ভারতীয় সেনা নিহত হবার পর থেকে ভারতের সাথে চীনের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে । ভারত বলেছে, ওই সংঘাতে চীনা সৈন্যও মারা গেছে, কিন্তু চীন এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি। দুই দেশের মধ্যে স্পষ্টভাবে চিহ্ণিত সীমানা না থাকার কারণে দুই দেশের দীর্ঘ সীমান্ত সংঘাত থেকে থেকেই মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। নিইমি তেনজিনের মৃত্যুর পর সামরিক মর্যাদায় তার শেষকৃত্য আয়োজন করে এসএফএফ বাহিনীর অস্তিত্বকে যে প্রচ্ছন্নভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে তার প্রভাব কী হবে এবং চীনের সাথে ভারতের দীর্ঘদিনের বৈরি সম্পর্কের ওপরই বা তার কী প্রভাব পড়বে - সেটা স্পষ্ট নয়। তবে ভারতে যে ৯০ হাজার তিব্বতী বাস করেন তার মধ্যে এই ঘটনার পর উদ্বেগ বেড়েছে। তেনজিনের পরিবারের সদস্যরা এই স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি হলেও, যেসব তিব্বতী একদিন স্বদেশভূমিতে ফিরে যেতে চান, তারা এই স্বীকৃতির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব কী হয়, তা নিয়ে কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে। | For decades, India has recruited Tibetan refugees to a covert unit dedicated to high-altitude combat. But the recent death of a soldier in the force has put the spotlight on this unit, reports the BBC's Aamir Peerzada. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | চিনিযুক্ত পানীয়র ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন। পাঁচ বছর ধরে এক লাখেরও বেশি মানুষের উপর গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা এই ধারণা পেয়েছেন। গবেষণার ফলাফল ব্রিটিশ মেডিকেল জর্নালে প্রকাশিত হয়েছে। প্যারিসে সরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক মনে করছেন, রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যাওয়া-ই ক্যান্সারের জন্যে দায়ী হতে পারে। তবে গবেষণায় এরকম কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় নি যার ভিত্তিতে এটাকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে বিবেচনা করা যেতে পারে। একারণে বিশেষজ্ঞরা আরো গবেষণার উপর জোর দিয়েছেন। চিনিযুক্ত পানীয় কোনগুলো? যেসব পানীয়তে ৫% এর বেশি চিনি আছে গবেষকরা সেগুলোকে চিনিযুক্ত পানীয় বলে বিবেচনা করেছেন। এসবের মধ্যে আছে ফলের রস (এমনকি বাড়তি চিনি না মেশানোর পরেও), সফট ড্রিঙ্ক, মিষ্টি মিল্কশেক, এনার্জি ড্রিঙ্ক এবং চিনি দেওয়া চা ও কফি। গবেষকরা বাজারে জিরো-ক্যালোরি বলে যেসব পানীয় বিক্রি হয় সেসব ডায়েট ড্রিঙ্ক নিয়েও পরীক্ষা চালিয়েছেন এবং দেখেছেন এগুলোর সাথে ক্যান্সারের কোন সম্পর্ক নেই। এসব পানীয়তে চিনির বদলে কৃত্রিম সুইটেনার মেশানো হয়। ফলের রস (বাড়তি চিনি না মেশালেও) সেটা চিনিযুক্ত পানীয় হিসেবেই ধরা হয়েছে। কতোখানি ঝুঁকি? গবেষণায় বলা হয়েছে, দিনে যদি ১০০ মিলি লিটার চিনিযুক্ত পানীয় খাওয়া হয়, যা সপ্তাহে দুই ক্যান পানীয়র সমান, তাহলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ১৮% বেড়ে যায়। এরকম প্রতি ১,০০০ জনে ২২ জন ক্যান্সার রোগী পাওয়া গেছে। "এ থেকে ধারণা করা যায় যে চিনিযুক্ত পানীয় খাওয়ার সাথে ক্যান্সারের একটি সম্পর্ক আছে। তবে এবিষয়ে আরো বিশদ গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে," বলেছেন ড. গ্রাহাম হুইলার, যুক্তরাজ্যে ক্যান্সার গবেষণা সংস্থা ক্যান্সার রিসার্চ ইউকের একজন শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী। এই গবেষণার সময় মোট ২,১৯৩ জন ক্যান্সার রোগী পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৬৯৩ জন স্তন ক্যান্সার, ২৯১ জন প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং ১৬৬ জন মলনালী সংক্রান্ত বা কোলোরেক্টাল ক্যান্সারে আক্রান্ত। এই প্রমাণই কি যথেষ্ট? না। যেভাবে এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে তা থেকে এর একটি ধরন বা প্যাটার্ন চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু এসব পরিসংখ্যান থেকে এর কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। চিনিযুক্ত পানীয় বেশি পান করার কারণে যে ক্যান্সারের রোগী বেশি পাওয়া গেছে গবেষণায় সেটি দেখা যায় নি। তাতে বলা হয়নি যারা বেশি পান করেছে (দিনে প্রায় ১৮৫ মিলিলিটার) তাদের মধ্যে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা যারা কম পান করেছে (দিনে ৩০মিলিলিটারেরও কম) তাদের তুলনায় বেশি। তবে যারা চিনিযুক্ত পানীয় বেশি খান তাদের মধ্যে আরো কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা যেতে পারে যেসব থেকে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সফট ড্রিঙ্কে প্রচুর চিনি থাকে। আরো পড়তে পারেন: ক্যান্সারের জন্য মোটা শরীর কতটা দায়ী? ক্যান্সার চিকিৎসায় বড় অগ্রগতির খবর গবেষকদের ক্যান্সার নিয়ে যে সুখবর আসছে আগামী দিনগুলোয় ফলে এই গবেষণা থেকে স্পষ্ট করে বলা যায় না যে চিনিযুক্ত পানীয় ক্যান্সারের কারণ। "গবেষণাটি যদিও ক্যান্সার ও চিনিযুক্ত পানীয়র মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন উত্তর দেয়নি, তারপরেও চিনি খাওয়া যে কমিয়ে দেওয়া দরকার, এই গবেষণায় সেই গুরুত্ব উঠে এসেছে," বলেন ড. অ্যামেলিয়া লেক, টেসাইড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি আরো বলেন, "আমাদের প্রতিদিনের ডায়েটে চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া খুবই জরুরি।" তাহলে কি স্থূলতা? কোন কোন ক্যান্সারের জন্যে প্রধান কারণ স্থূলতা বা অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাওয়া। এবং খুব বেশি পরিমাণে চিনিযুক্ত পানীয় খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে। তবে গবেষণায় যা বলা হয়েছে এখানেই তার শেষ নয়। "অতিরিক্ত পরিমাণে চিনিযুক্ত পানীয় খেলে মানুষ মোটা হয়ে যায় এবং ওজন বেড়ে যায় - এটা একটা অংশ মাত্র। কিন্তু এর যে আরো বিষয় আছে সেটা ব্যাখ্যা করা হয়নি," বলেন মাটিলডে তোভির, একজন গবেষক। ফরাসী গবেষকরা বলছেন, রক্তে চিনির মাত্রা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। চা কফিতে চিনি খেলে সেটাও চিনিযুক্ত পানীয় হিসেবেই বিবেচিত হবে। এছাড়াও বিভিন্ন পানীয়তে এমন কিছু রাসায়নিক মেশানো হয়, রঙিন করে তোলার জন্যে, সেগুলোও শরীরের জন্যে ক্ষতিকর, সেগুলোও ক্যান্সারের জন্যে দায়ী হতে পারে। তবে গবেষণাতে এই প্রশ্নেরও জবাব নেই। প্যারিসের গবেষকরাও বলছেন, তাদের ফলাফলকে নিশ্চিত ভাবে ধরে নিতে হলে আরো বিস্তৃত পরিসরে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তবে তারা বলছেন, চিনিযুক্ত পানীয়র সাথে হৃদরোগ, ওজন বেড়ে যাওয়া, স্থূলতা, ডায়াবেটিস- এসবের সম্পর্ক আছে। এজন্যে তারা চিনিযুক্ত পানীয়র ওপর আরো কর বাড়ানোর কথাও বলেছেন। তারা বলছেন, এর ফলে লোকেরা চিনিযুক্ত পানীয় খাওয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হতে পারে। আরো পড়তে পারেন: ব্রিটিশ ট্যাংকার 'আটকের চেষ্টা চালালো ইরান' পদত্যাগ করলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত যাবজ্জীবন কারাবাস শুরু করছেন ভারতের 'দোসা কিং' | Sugary drinks - including fruit juice and fizzy pop - may increase the risk of cancer, French scientists say. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | কর্মক্ষেত্রে কি মেয়েরা আবারও পিছিয়ে পড়বে এই মহামারির কারণে? মিজ রামোস বেশ উচ্চপদে কাজ করেন। একটি আন্তর্জাতিক ইনস্যুরেন্স গ্রুপের রিস্ক ম্যানেজার। তিনি বলেন, ইনস্যুরেন্স ব্যবসায় পুরুষদেরই প্রাধান্য। কাজেই এরকম একটি সেক্টরে কাজ করতে গিয়ে তাকে ঘাত-প্রতিঘাত সয়ে শক্ত হতে হয়েছে এবং প্রতিদিন সাধ্যের অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে। বিবিসিকে তিনি বলেন, “কর্মজীবনের একেবারে শুরুতেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমাকে অনেক দেরিতে অফিস থেকে বেরুতে হবে, আমাকে অনেক বেশি পড়াশোনা করতে হবে, আমাকে পুরুষদের তুলনায় তিনগুণ বেশি চেষ্টা করতে হবে নিজেকে যোগ্য প্রমাণের জন্য।” মিজ রামোজ ব্রাজিলের এসোসিয়েশন অব উইমেন ইন ইনস্যুরেন্স মার্কেট নামের একটি সংস্থার উপদেষ্টা। এ বিষয়ে তিনি একটি বই লিখছেন, যেটি অক্টোবরে প্রকাশিত হবে। কম বয়সী মেয়েদের প্রতি তার উপদেশ হচ্ছে: কেউ যদি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন, মনোযোগী হন এবং সুস্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন, তাহলে তিনি অবশ্যই শীর্ষে পৌঁছাতে পারবেন। তবে আরও অনেক বিশেষজ্ঞের মতো, তিনিও উদ্বিগ্ন। তিনি মনে করেন, এই মহামারীর সময় নারীর কেরিয়ারের ওপর যে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হচ্ছে, সেটি তাদের আবার পেছনে ঠেলে দিতে পারে। দ্বিতীয় শিফট অফিসের কাজ সামলানোর পাশাপাশি ঘরের কাজও সামলাতে হয় মেয়েদের। যেসব পরিবারে বাবা-মা দুজনকেই এখন ঘরে বসে কাজ করতে হচ্ছে এবং একই সঙ্গে ঘরেই ছেলে-মেয়েদের স্কুলের পাঠ দিতে হচ্ছে, অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনকে দেখাশোনা করতে হচ্ছে, সেখানে পরিস্থিতি আসলেই বেশ কঠিন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মতে, যে কাজের জন্য কোন পারিশ্রমিক মেলে না, সেরকম কাজের তিন চতুর্থাংশ এখনো মেয়েদেরই করতে হয়। “শিশুদের যত্ন এবং গৃহস্থালি কাজের বড় বোঝাটা যে এখনো মায়েদেরকেই টানতে হয়, এটা তো কোন গোপন ব্যাপার নয়”, বলছেন মামসনেট বলে একটি ব্রিটিশ অনলাইন নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী জাস্টিন রবার্টস। তাঁর মতে, এই বাস্তবতা নারীর ওপর আরও চাপ তৈরি করছে। "মায়েদের মধ্যে যে দুশ্চিন্তাটা কাজ করছে তা হলো- তারা সাধারণত যতটা ভালোভাবে কাজ করতে পারে, ততটা ভালোভাবে তারা করতে পারছে না, ফলে তারা ছাঁটাই হতে পারে বা সমস্যায় পড়তে পারে এমন আশংকা তৈরি হয়েছে।” “আর তাদের চাকরি বা আয় যদি নিরাপদও থাকে, অনেকে বলছে এভাবে তারা বেশিদিন চালিয়ে নিতে পারবেন না।” খুব কম সংসারেই নারী-পুরুষকে সমানভাবে গৃহস্থালি কাজের দায়িত্ব নিতে দেখা যায়। মিস রামোস বলেন, মেয়েরা কর্ম ক্ষেত্রে তাদের কাজ শেষ করার পর বাসায় ফিরে তাদের কিন্তু সাধারণত দ্বিতীয় একটা শিফট শুরু করতে হয়। তিনি বলছেন, যত নারীকে তিনি চেনেন তাদের সবাইকে এখন এই দুইটা শিফটকে একসঙ্গে চালাতে হচ্ছে এবং এর ফলে তাদের উপর একটা বিরাট বড় মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে। অনেকে এমনকি এই মহামারির সময় তাদের কাজ ছেড়ে দেয়ার কথা পর্যন্ত ভাবছেন। সেকেলে কর্মক্ষেত্র অ্যালিসন জিমারম্যান হচ্ছেন ক্যাটালিস্ট নামের একটি আন্তর্জাতিক এনজিও পরিচালক। এই প্রতিষ্ঠানটি বড় বড় কর্পোরেশনের সঙ্গে মিলে কাজ করছে যাতে মেয়েদের জন্য কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ আরও ভালো করা যায়। তিনি বলছেন “আমাদেরকে আসলে খুব গভীরভাবে ভাবতে হবে কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের অভিজ্ঞতা আসলে কি।” “এই পুরো সিস্টেমটা আসলে খুব বেশি সেকেলে এবং যখন আপনি জিনিসটা একটু ভালোভাবে দেখবেন, তখন বুঝতে পারবেন যে, কর্পোরেশনগুলোর আসলে উচিত নিজেদের স্বার্থেই কর্মক্ষেত্রে একটা নতুন স্বাভাবিক অবস্থা তৈরি করা।” ক্যাটালিস্ট বহু বছর ধরে দশ হাজার এমবিএ গ্রাজুয়েটের কেরিয়ার পর্যবেক্ষণ করছে। এদের মধ্যে নারী-পুরুষ উভয়েই আছে। এরা পাস করে বেরিয়েছে এশিয়া, কানাডা, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সব নামকরা বিজনেস স্কুল থেকে। এক মর্কিন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কোম্পানি বিপদে পড়লে শেয়ার হোল্ডাররা নারী পরিচালকের ওপর ভরসা করতে পারেন না। এই গবেষণায় তারা দেখতে পেয়েছেন যে ফ্লেক্সিবল ওয়ার্ক অপশনের অভাবে মেয়েদের ক্যারিয়ার কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে তারা মা হওয়ার পর। তবে এর বাইরেও অনেক সুপ্ত বৈষম্য রয়েছে যেগুলো মেয়েদের কেরিয়ারের অগ্রগতি থামিয়ে দেয়, তাদের সন্তান থাক বা না থাক তাতে কিছু আসে যায় না। যেমন ক্যাটালিস্ট এর গবেষণায় দেখা গেছে যে, এমবিএ পাশ করে বেরোনোর পর প্রথম চাকরিতে মেয়েরা পুরুষদের তুলনায় অনেক নিচের স্তর থেকে শুরু করে। আর পুরুষরা যখন অফিসে অনেক লম্বা সময় ধরে কাজ করে সেটা তাদের কেরিয়ারে সহায়ক হয়। কিন্তু মেয়েদের বেলায় সেটা ঘটে না। যখন কোন পুরুষ গ্রাজুয়েট তার চাকরি বদল করে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে যোগ দেয়, সাথে সাথে তার বেতন বাড়িয়ে দেয়া হয়। কিন্তু মেয়েদের বেলায় এটি ঘটে না ।তাদেরকে আগে ম্যানেজারের কাছে প্রমাণ করতে হয় যে তারা এর যোগ্য। মিজ জিমারম্যান বলেন, মেয়েদেরকে প্রতিনিয়ত তাদের দক্ষতা বাড়াতে হয়। আর পুরুষদেরকে কেবলমাত্র তাদের সম্ভাবনা দেখেই প্রমোশন দিয়ে দেয়া হয়। এরকম একটা ধারণা বাইরে প্রচলিত যে পুরুষরা যা করছে ঠিক সেটাই যদি মেয়েদের করতে দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়, সেটা একটা বিরাট অগ্রগতি। কিন্তু বাস্তব সত্য আসলে তা নয়। মেয়েদের বেলায় অনেক বেশি উচ্চ মানের কাজ আশা করা হয় পুরুষদের তুলনায় এবং এটা এক ধরনের বৈষম্য। অর্থনৈতিক সংকটে পরিস্থিতি আরও জটিল কর্মক্ষেত্রে বৈচিত্র্য সংরক্ষণ করতে পারে যেসব কোম্পানি তারাই সফল হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় বলা হচ্ছে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এই ধরনের বৈষম্য আরও জোরালো-ভাবে ফিরে আসছে। একটি প্রকাশিতব্য গবেষণায় বলা হচ্ছে মেয়েরা যখন বড় বড় কোম্পানির বোর্ড অফ ডিরেক্টরস এর মতো জায়গায় যোগ দিতে যাচ্ছে তখন এটা আরও বেশী কঠিন হয়ে পড়ছে। কারণ বেশিরভাগ কোম্পানি এখন অর্থনৈতিক সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছে। এই গবেষণায় ২০০৩ হতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এক হাজারের বেশি পাবলিক লিস্টেড কোম্পানির পরিচালনা বোর্ডের নির্বাচন বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষকরা দেখেছেন, যখন সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলে, তখন শেয়ারহোল্ডাররা সাধারণত নারীদের নিয়ে খুশি থাকেন। কিন্তু যখন কোম্পানিগুলো সংকটে পড়ে তখন তারা বোর্ড অফ ডিরেক্টরস এর মতো জায়গায় মেয়েদের নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধান্বিত থাকেন এবং তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন। এরকম পরিস্থিতিতে পুরুষদের কাছে যে ধরনের দক্ষতা আশা করা হয় মেয়েদের বেলায় প্রত্যাশা তার চাইতে অনেক বেশি। এর ফলে অনেক মেয়ে কোম্পানি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষক কোরিন পোস্ট বিবিসিকে বলেন, “এটার অন্য কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া কঠিন। এর একমাত্র ব্যাখ্যা হচ্ছে বৈষম্য।” ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির অর্জুন মিত্র বলেন, অনেক কোম্পানি তাদের মেধাবী নারীকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করছে না বা অবমূল্যায়ন করছে। অথচ এসব কোম্পানি এই নারী নেতৃত্ব থেকে লাভবান হতে পারত। নিম্নআয়ের নারীদের উপর প্রভাব গত পঞ্চাশ বছরে বিশ্বে লিঙ্গ বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিরাট বড় অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে নারী এবং পুরুষের মধ্যে যে বৈষম্য সেটা পুরোপুরি মোচন করতে গেলে আরও অন্তত এক শতাব্দীর সময় লাগবে বলে বলছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। নিম্নআয়ের নারীদের বেলায় এই বৈষম্য এখনই চোখে পড়তে শুরু করেছে। করোনাভাইরাস মহামারির পর যে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে, তাতে পুরুষদের তুলনায় মেয়েরাই বেশি কাজ হারিয়েছেন। কারণ এই সংকট সেই সব সেক্টরেই আসলে বেশি প্রভাব ফেলছে, যেখানে নারীদের প্রতিনিধিত্ব বেশি। যেমন, হসপিটালিটি, খাদ্য এবং ম্যানুফ্যাকচারিং খাত। যেমন সেন্ট্রাল আমেরিকায় ৫৯ শতাংশ নারী এসব সেক্টরে কাজ করেন। আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৪৯ শতাংশ। দক্ষিণ আমেরিকায় ৪৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে মেয়েদের মধ্যে বেকারত্বের হার পুরুষদের তুলনায় বেশি। এর আগের সংকট গুলোতে দেখা গেছে যখন মেয়েরা তাদের কাজ হারায় তখন তাদেরকে অনেক বেশি করে পারিশ্রমিকবিহীন সেবা কাজে সময় দিতে হয়। যেহেতু এরকম সংকটের সময় কাজ পাওয়া খুব কঠিন, তখন যে সমস্ত কাজ পাওয়া যায় সেগুলোতে মেয়েদের নেয়া হয়না। পুরুষরা সেগুলো পায়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা একথা বলছে। অনেক দেশে এরকম দৃষ্টিভঙ্গি খুব জোরালো যে, কাজ পাওয়ার বেলায় মেয়েদের চাইতে পুরুষদেরই বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হয়। ৩৪টি দেশে পরিচালিত এক জরিপের ভিত্তিতে এ কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্রের পিউ রিসার্চ সেন্টার। লোকজনকে এই জরিপে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল- কঠিন অর্থনৈতিক সংকটের সময় কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষদের বেশি অধিকার থাকা উচিত কিনা। ভারত এবং তিউনিসিয়ায় প্রায় ৮০ শতাংশ উত্তরদাতা এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়েছেন। আর তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিনস এবং নাইজেরিয়ায় ৭০ শতাংশ এই মত সমর্থন করেছেন। কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, লেবানন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫০ শতাংশের বেশি উত্তরদাতা একই কথা বলেছেন। আর ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া, ইউক্রেন এবং মেক্সিকোতে প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি লোক একই কথা বলেছেন। এই জরিপে বিশ্বজুড়ে এ ধরনের মত সমর্থন করেছেন গড়ে ৪০ ভাগ উত্তরদাতা। জুলিয়ানা হরোউইটয হচ্ছেন পিউ রিসার্চ সেন্টারের একজন অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর। তিনি বলেন, যেসব দেশে লোকজন মুখে বলে যে তারা লিঙ্গসমতা সমর্থন করে, কিন্তু বিশ্বাস করে যে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর তুলনায় পুরুষদের অগ্রাধিকার পাওয়া উচিৎ, সেসব দেশে এটা নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব আছে। তিনি বলেন, মহামারির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করতে গিয়ে দেশগুলো যখন চেষ্টা করছে, তখন এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি মেয়েদের কর্মসংস্থানের সুযোগের ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলবে। এক কদম পিছিয়ে দুই কদম সামনে কিন্তু এসবের প্রভাব যাই হোক, এক সময় এই মহামারি কেটে যাবে এবং মিজ রামোস বিশ্বাস করেন এটি এক নতুন বাস্তবতার পথ খুলে দেবে, যার সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে খাপ খাইয়ে নিতে শুরু করেছে। লুসিয়ানা ব্যারোস একটি এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানীর প্রধান নির্বাহি, যাদের পোর্টফলিও হচ্ছে একশো কোটি ডলারের বেশি। তিনি বলেন, “আমরা হয়তো এক ধাপ পিছিয়ে দুই ধাপ এগিয়ে যাব।” তিনি বলেন, নারীরা এখন আগের চাইতে অনেক বেশি সচেতন তাদের কেরিয়ারের ব্যাপারে। তার মতে, লিঙ্গ সমতার সংগ্রাম এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। তিনি বিশ্বাস করেন মহামারি পরবর্তী কাজের বাজারে নিজেদের কেরিয়ায় আঁকড়ে থাকার জন্য মেয়েদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। তবে তিনি প্রশ্ন তুলছেন, যেসব কোম্পানিতে এই মেয়েরা কাজ করেন, তারা তাদের এই মেধাকে কতটা মূল্য দেয়। এই কথার সঙ্গে একমত মিজ জিমারম্যান। নতুন পাস করে বেরুনো বিজনেস গ্রাজুয়েট মেয়েদের তিনি পরামর্শ দেন, কোন কোম্পানিতে যোগ দেওয়ার আগে সেটির শীর্ষ পদে কি ঘটছে সেদিকে নজর দেয়ার জন্য। “যখন আপনি চাকরি খুঁজছেন, তখন আপনি কিন্তু একটা নিখুঁত প্রতিষ্ঠান খুঁজছেন না। আপনি অগ্রগতির সুযোগ খুঁজছেন। আপনি যদি দেখেন যে কোন কোম্পানির নেতৃত্ব পর্যায়ে আপনার প্রতিনিধিত্ব করার কোন সুযোগ নেই এবং যদি দেখেন যে কোন কোম্পানি সেই লক্ষ্যে কাজ করছে না, তখন আমি হলে সেই কোম্পানিতে যোগ না দিয়ে অন্য কোথাও কাজ খুঁজবো।” | Like many successful career women, Simone Ramos feels she's had to work harder than any man to get to the top. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ২০১৫ সালেই পাখিদের এই অত্যাচারের অভিযোগ করেছিলেন আফিম চাষীরা। ভারতের মধ্য প্রদেশের কৃষকরা বলছেন, অনাবৃষ্টির মৌসুমের পর টিয়া পাখিদের এমন দৌরাত্মে তাদের ফলনের ওপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে। পাখিদেরকে লাউডস্পিকার বাজিয়ে ভয় দেখিয়ে নিবৃত্ত করা চেষ্টা বিফলে গেছে বলে জানিয়েছেন ঐ এলাকার কৃষকরা। তারা বলছেন, কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো সাহায্যই করেনি। টিয়াপাখির জন্য এ মৌসুমে কৃষকদের বিপুল পরিমাণ ক্ষতিও হতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা। এশিয়ান নেটওয়ার্ক নিউজ একটি ভিডিও টুইট করেছে, যেখানে দেখা যায় যে কয়েকটি পাখি একটি পপি ফুল মুখে নিয়ে উড়ে যাচ্ছে। আরো পড়ুন: বিশ্বে সবচেয়ে কম বয়সে কোটিপতি হলেন যে নারী সুস্থ হলেন এইডস রোগী: এই চিকিৎসা কী সবার জন্য? যে দেশের প্রেসিডেন্টকে বলা হয় ‘জীবন্ত লাশ’ এই কৃষকরা ওষুধ তৈরিকারী একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে তাদের ফসল সরবরাহ করে এবং তাদের আফিম চাষের লাইসেন্সও রয়েছে। নন্দকিশোর নামে একজন কৃষক এনডিটিভিকে জানান, তীব্র শব্দ করে বা মশাল জ্বালিয়েও পাখিদের নিবৃত্ত করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, একটি পপি ফুল থেকে ২০-২৫ গ্রাম আফিম হয়। কিন্তু বড় এক দল টিয়া পাখি দিনে ৩০-৪০ বার এইসব গাছ থেকে ফুল খেয়ে যায় এবং কোনো কোনো পাখি পপি ফুলের কলিও নিয়ে যায়। তিনি বলেন, "কেউ আমাদের অভিযোগ শুনছে না। আমাদের এই ক্ষতি পুষিয়ে দেবে কে?" মান্দসাওরের হর্টিকালচার কলেজের আর এস চুন্দাওয়াত ডেইলিমেইলকে জানান, এই আফিম পাখিগুলোকে তাৎক্ষণিক শক্তি দেয় - ঠিক যেমনটি মানুষের ক্ষেত্রে ঘটে চা বা কফি খাওয়ার পর। মি. চুন্দাওয়াত বলেন, একবার পাখিরা এই অনুভূতির সাথে পরিচিত হওয়ার পর খুব দ্রুত আসক্ত হয়ে পড়ে। বিশ্বের অন্যতম একটি গোপন এলাকা খবর | Opium farmers in India are complaining that addicted parrots are destroying their crops. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | পহেলা ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো রাস্তায় সামরিক যান দেখা যাচ্ছে। মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তায় সাঁজোয়া যানসহ সেনাদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, এটি গত পহেলা ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সেনা অভ্যুত্থানের বিরোধিতাকারীদের উপর আরো কঠোর হবার ইঙ্গিত। উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন প্রদেশে বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি নিক্ষেপ করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী চলমান বিক্ষোভের ৯ম দিনে এ ঘটনা ঘটে। জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা সামরিক বাহিনীর প্রতি জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অভিযোগ তুলেছেন। মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রু বলেন, জেনারেলদের মধ্যে "মরিয়া হয়ে ওঠার চিহ্ন" দেখা যাচ্ছে এবং তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। পশ্চিমা দূতাবাসগুলো সামরিক বাহিনীকে সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সই করা এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়: "বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বর্জন করতে আমরা সেনাবাহিনীকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা তাদের বৈধ সরকারকে অপসারণের প্রতিবাদ জানাচ্ছে।" সেনা অভ্যুত্থানের কারণে মিয়ানমারের অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকার উৎখাত হয়েছে। গত নভেম্বরের নির্বাচনে তার দল নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছিল কিন্তু সামরিক বাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছে। মিস সু চি এখন গৃহবন্দী রয়েছেন। শত-শত বিক্ষোভকারী এবং বিরোধী নেতারাও আটক রয়েছেন। কঠোর অভিযানের ইঙ্গিতগুলো কী কী? দেশটি জুড়ে লাখ-লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে টানা ৯ম দিনের মতো বিক্ষোভ করে যাচ্ছে। কাচিন রাজ্যের মাইতকাইনা শহরে সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সাথে সামরিক বাহিনীর সহিংসতার সময় গুলির আওয়াজ শোনা গেছে। তবে রাবার বুলেট নাকি তাজা গুলি- তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আরো পড়ুন: আটককৃতদের মধ্যে ৫ জন সাংবাদিকও রয়েছেন। ইয়াঙ্গনে সেনা অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো রাস্তায় সশস্ত্র সাঁজোয়া যান দেখা গেছে। সেখানে প্রকৌশলী এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা মিছিল করেছে। রাজধানী নেপিডোতে মোটর সাইকেল চালাতে দেখা গেছে অনেককে। ইয়াঙ্গনসহ মিয়ানমারের শহরগুলোর রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে সশস্ত্র সেনারা। মিয়ানমারের টেলিকম অপারেটররা জানিয়েছে, তাদেরকে স্থানীয় সময় রোববার রাত একটা থেকে সোমবার ৯টা পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নেটব্লক নামে একটি মনিটরিং গ্রুপ জানিয়েছে যে, নির্দেশনা বাস্তবায়নের পর ইন্টারনেট তথ্য ব্যবহারের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ১৪% ছিল। নেপিডোতে থাকা একটি হাসপাতালের এক চিকিৎসক বিবিসিকে জানিয়েছেন যে, নিরাপত্তা বাহিনী রাতে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। "আমি এখনো উদ্বিগ্ন কারণ তারা রাতের বেলা ৮টা থেকে ভোর ৪ টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে রেখেছে যাতে মানুষ বের হতে না পারে। কিন্তু এটাই একমাত্র সময় যখন পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী মানুষজনকে আটক করতে পারে," বলেন ওই চিকিৎসক যিনি নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশ করতে চাননি। "এর আগের দিন তারা চোরের মতো বেড়া কেটে মানুষের বাড়িতে হানা দিয়েছে, বেআইনিভাবে তাদেরকে আটক করেছে। আর এ জন্যই আমি উদ্বিগ্ন, হ্যাঁ।" ইয়াঙ্গনে থাকা মার্কিন দূতাবাস নিজেদের নাগরিকদের সতর্ক করে রাতে কারফিউ এর সময় ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। শনিবার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে সাত জন শীর্ষ বিক্ষোভকারী নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে এবং জনগণের উদ্দেশ্যে সতর্ক করে বলেছে যে তারা যাতে ওই নেতাদের গ্রেফতার এড়াতে সহায়তা না করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় যে, মানুষ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে, রান্নার পাত্র বাজিয়ে তারা প্রতিবেশীদেরকে রাতের বেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছে। শনিবার সামরিক বাহিনী দেশটিতে মানুষকে ২৪ ঘণ্টার বেশি আটকে রাখা এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে তল্লাসি চালানোর ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশনা থাকার আইনটিকে বিলুপ্ত করেছে। ক্ষমতা দখলের পরে রাস্তায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে মিয়ানমার: কিছু মৌলিক তথ্য • মিয়ানমার বার্মা নামেও পরিচিত, ১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সামরিক জান্তা সরকারের শাসনের অধীনে থাকার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে 'জাতিচ্যুত বা পারিয়া রাজ্য' হিসেবে দেখা হতো • ২০১০ সালে ধীরে ধীরে ক্ষমতা ছাড়তে শুরু করে সামরিক বাহিনী, যার জেরে ২০১৫ সালে অবাধ নির্বাচন হয় এবং বিরোধী নেত্রী অং সান সু চি'র নেতৃত্বে পরের বছর সরকার গঠিত হয়। • ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে কথিত সন্ত্রাসীদের দমনে সামরিক অভিযানের কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়, যাকে জাতিসংঘ "জাতিগত নিধনের উদাহরণ হিসেবে" উল্লেখ করে। • অং সান সু চি এবং তার সরকারকে পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনী উৎখাত করে। এর আগে নভেম্বরের নির্বাচনে জয় পেয়েছিল এনএলডি দল। | Small groups of protesters have begun to gather in Myanmar, despite the armoured vehicles which have appeared on the streets of several cities. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | জনস্বাস্থ্য নিয়ে তার বক্তব্য বিতর্ক তৈরি করেছে নরওয়েতে নরওয়ের নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী শুরুতেই এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন কারণ তিনি বলেছেন মানুষকে, যতটা সে পারে ততটা খেতে, ধূমপান ও মদ্যপান করতে দেয়া উচিত। সিলভি লিসথাগ আরও বলেছেন যে ধূমপায়ীদের এমন অনুভূতি দেয়া হয়েছে যেনো তারা বহিরাগত। অভিবাসন বিরোধী হিসেবে পরিচিত এই রাজনীতিক বেশ জনপ্রিয়। শুক্রবারই তিনি নরওয়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। অবশ্য তার সমালোচনাও আছে বেশ। সমালোচকরা বলেন জনস্বাস্থ্য সম্পর্কে তার খুব একটা ধারণাই নেই। অবশ্য সোমবার দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন জনস্বাস্থ্য নিয়ে তিনি সোজা সাপ্টা ভাবেন। "আমি কোনো নৈতিক পুলিশ হতে চাইনা এবং জনগণকে বলতে চাইনা কিভাবে তাদের জীবন যাপন করা উচিত। কিন্তু আমি জনগণকে সহায়তা করতে চাই আরও তথ্য পেতে যাতে করে সে তার পছন্দ চূড়ান্ত করতে পারে।" তিনি বলেন, "জনগণ যতটা চায় ততটা তাদের ধূমপান ও ড্রিংক করতে এবং রেড মিট বা লাল মাংস খেতে দেয়া উচিত। কর্তৃপক্ষ হয়তো তাদের জানাতে চায় কিন্তু মানুষ নিজেই জানে যে কোনটা তাদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত আর কোনটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: একমাস রোজা রাখলে যা ঘটে আপনার শরীরে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ঠেকানোর পথ খুঁজছে রেলওয়ে নিরাপদ পানি: গণশুনানিতে ওয়াসা এমডির পদত্যাগ দাবি অনেক জরিপ বলে, পরিমিত মদ্যপান স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি ঠেকাতে পারে নিজেও আগে ধূমপায়ী ছিলেন তিনি। তার মতে ধূমপায়ীদের বিরুদ্ধে এমন একটি অবস্থায় নেয়া হয়েছে যে মনে হচ্ছে তাদের যে তারা বহিরাগত। "আমি মনে করি অনেক ধূমপায়ীই নিজেদের বহিরাগত মনে করে। তারা অধিকাংশই মনে করে তাদের গোপনেই থাকা উচিত। যদিও ধূমপান ভালো নয় কারণ এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু তারপরেও প্রাপ্তবয়স্কদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা কি চায়"। তিনি বলেন সরকার শুধু তথ্য দিয়ে মানুষকে সহায়তা করতে পারে। এজন্য একটি টোব্যাকো নীতিমালা থাকা উচিত যেটা তরুণদের ধূমপানে উৎসাহিত করতে বাধা দেবে। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এসব মন্তব্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। নরওয়ের ক্যান্সার সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মন্তব্যগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। মিজ লিসথাগের জন্য অবশ্য বিতর্কিত মন্তব্য নতুন কোনো বিষয় নয়। এর আগে গত বছরই তিনি পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন তার একটি বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে। এবিষয়ে আরো পড়তে পারেন: 'পরিমিত' মদ্যপান কি আসলেই নিরাপদ? বাংলাদেশে মদ্যপান সম্পর্কে যা জানা যায় মদ আর সিগারেট - ক্যান্সারের ঝুঁকি কোন্টির কতটা? | Norway's newly appointed health minister has caused controversy by saying people should be allowed to eat, smoke and drink "as much as they want". |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | মাইক পেন্স ও তাঁর স্ত্রী কারেন "কী পুরনো ধ্যানধারণা!" ইন্টারনেটে এমন মন্তব্যের ঝড়ও উঠেছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র মাইক পেন্সই নন, যুক্তরাষ্ট্রের অনেকে এমনটা ভাবেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, অর্ধেকের মতো নারী মাইক পেন্সের সঙ্গে একমত। আর ৪৫ শতাংশ পুরুষ তাঁর সঙ্গে একমত। আর যদি পানীয়ের প্রসঙ্গ আসে? সে প্রশ্নই আসেন না। শুধুমাত্র ২৯ শতাংশ নারী চিন্তা করে যে একা একা কোনো পুরুষের সঙ্গে খেতে বসা কোনো সমস্যার বিষয় নয়। যদিও মর্নিং কনসাল্টের সহায়তায় এই জরিপটিতে মাত্র সাড়ে তিন হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে। তবে এই জরিপের ফলাফল গ্রহণযোগ্য বলে মত দিয়েছে ৬২ শতাংশ রিপাবলিকান , অন্যদিকে ৭১ শতাংশ ডেমোক্রেট বলেছে এমনটা হতে পারে। একইভাবে ধর্মীয়ভাবেও একলা নারী-পুরুষ বসে খাওয়াটা গ্রহণযোগ্য কিনা তা নিয়েও বিপরীতধর্মী মতামত পাওয়া গেছে। দেখা গেছে যারা বেশি শিক্ষিত তাদের কাছে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু যারা এখনো কলেজে পড়া শুরু করেনি তাদের কাছে এমনভাবে খেতে বসার বিষয়টা গ্রহণযোগ্য নয়। এ নিয়ে বিবিসি পাঠকেরাও ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার স্টিফেন যেমন মাইক পেন্সের উদাহরণ টেনে বলেছেন, তিনি তার বৈবাহিক জীবন ভালো রাখার চেষ্টা করছেন। তার সম্মান রাখছেন। "এটা আসলে বুদ্ধিমানের মতো চিন্তা। যে যুগে কার্দাশিয়ানের মতো মডেলকে স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয় সেই যুগে মাইক পেন্সের এমন ভাবনা সত্যিই প্রশংসনীয়"-বলেন স্টিফেন। আরো পড়ুন: আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল বাদশাহকে সৃষ্টিকর্তার সাথে তুলনা করায় সৌদি লেখক বরখাস্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ: সুপ্রিম কোর্ট সিএনএনকে ‘পিটানোর’ ভিডিও পোস্ট করলেন ট্রাম্প | Many eyebrows were raised when it emerged US Vice-President Mike Pence would not dine alone with a woman who was not his wife. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ডক্টর কুমার একজন সমাজবিজ্ঞানী, থাকেন দিল্লির উপকণ্ঠে গাজিয়াবাদে। "আমাদের এলাকায় তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে আমি গিয়েছি এবং তাদের সবাই বলেছে তাদের আর কোন টিকার ডোজ নেই," বলছেন তিনি। এর মধ্যে একটি ৫০ শয্যার হাসপাতাল তিনি যে এলাকায় থাকেন, তার খুব কাছেই। সেই হাসপাতালে কাউন্টারের একজন কর্মী তাকে বললেন, "আমাদের টিকার মজুদ একেবারে শূন্য এবং আমরা এখন আর নতুন কোন বুকিং নিচ্ছি না । কারণ আমরা যখন লোকজনকে বলি যে আমাদের আর টিকার মজুদ নেই, তখন লোকজন ঝগড়া বাঁধিয়ে দেয়।" ডক্টর কুমার আরেকটি হাসপাতালেও টিকার বুকিং দিতে গিয়ে ব্যর্থ হন। সেখানকার কর্মকর্তারা বলেছেন, বুধবার সন্ধ্যাতেই তাদের টিকা ফুরিয়ে গেছে। সেখানকার একজন কর্মচারী তাকে বললেন, "লোকজনকে ফিরিয়ে দেয়া ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই।" ভারত এখন কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ধাক্কার সঙ্গে লড়ছে। গত ১লা এপ্রিল হতে সেখানে প্রতিদিন পরীক্ষায় ৯০ হাজারের বেশি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ছে। অন্যদিকে সরকার টিকাদান কার্যক্রম চালাতে এখন রীতিমত হিমসিম খাচ্ছে। অন্তত ছটি রাজ্য বলছে, তাদের টিকার সংকট চলছে। অথচ কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করে যাচ্ছে, টিকার কোন ঘাটতি নেই, যথেষ্ট মজুদ আছে। ভারতের নতুন সংক্রমণের অর্ধেকেরও বেশি ধরা পড়ছে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে। সেখানে টিকাদান কর্মসূচি একেবারে থমকে গেছে। রাজ্য সরকার বলছে, তাদের হাতে আছে আর মাত্র ১৫ লাখের মতো টিকার ডোজ, যেটা দিয়ে বড়জোর তিন দিন চলবে। রাজ্যের রাজধানী মুম্বাইয়ের এবং কোলহাপুর, সাংলি এবং সাতারা জেলার টিকাদান কেন্দ্র গুলো বন্ধ হয়ে গেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে সাংবাদিকদের বলেছেন, "যদি তিন দিনের মধ্যে নতুন টিকা এসে না পৌঁছায়, আমাদের পুরো টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ করে দিতে হবে।" ভারতে এ পর্যন্ত দশ কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেছেন, টিকার সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে যে কথা বলা হচ্ছে তা একেবারেই ভিত্তিহীন। তিনি দাবি করছেন, চার কোটির বেশি টিকার ডোজ এখনো মজুদ আছে বা সরবরাহ করা হচ্ছে। তিনি বরং উল্টো রাজ্যগুলোকে দোষারোপ করছেন এই বলে যে, তারা তাদের টিকাদান অভিযানের দুর্বলতা থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর জন্য বারেবারে ধরনের অভিযোগ করে যাচ্ছেন। মিস্টার বর্ধন মনে করেন, যেসব রাজ্য টিকার সংকট আছে বলে অভিযোগ করছে, তারা আসলে তাদের ফ্রন্ট-লাইন ওয়ার্কারদের পর্যন্ত এখনো পর্যন্ত টিকা দেয়নি। তার এ কথা হয়তো পুরোপুরি সত্য নয়। কোন কোন রাজ্যে আসলেই টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে যেসব রাজ্য দ্রুত টিকা দেয়ার কাজটি করতে পেরেছিল। একথা বলছেন দিল্লি-ভিত্তিক একটি থিংক ট্যাংক, অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ওম্মেন সি কুরিয়ান। তিনি আমাকে জানালেন, এই সংকটের পেছনে হয়তো আছে অন্য কারণ। তাঁর মতে, ভারতের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন ক্ষমতা যতটুকু বলে দাবি করে, তার সঙ্গে প্রকৃত উৎপাদন ক্ষমতার হয়তো একটা ফারাক আছে। এই সংকটের শুরুটা হয়তো সেখান থেকে। ভারতের টিকাদান কর্মসূচী বিশ্বের বৃহত্তম। গত ১৬ জানুয়ারি ভারতে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া শুরু হয়। তাদের লক্ষ্য ছিল জুলাই মাস নাগাদ ২৫ কোটি মানুষকে টিকা দেয়া। শুরুতে টিকাদান কর্মসূচি কেবলমাত্র সীমিত রাখা হয়েছিল স্বাস্থ্যকর্মী এবং ফ্রন্ট-লাইনের কর্মীদের জন্য । তবে এরপর ধাপে ধাপে ৬০ বা তার বেশি বয়সী, তারপর ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সী যাদের মধ্যে অন্য কোন অসুস্থতা আছে তাদের, এবং ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে সবার জন্য এই কর্মসূচী সম্প্রসারিত করা হয়। ভারতে যে দুটি টিকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে তার একটি হচ্ছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মিলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড, অন্যটি ভারতীয় কোম্পানি ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন। রোববার পর্যন্ত এই টিকার দশ কোটি ডোজ দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৩০ লক্ষ দোষ টিকা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও ভারত এ পর্যন্ত ৬ কোটি ৪৫ লক্ষ ডোজ টিকা বিশ্বের ৮৫টি দেশে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে কিছু টিকা উপহার হিসেবে আর কিছু বাণিজ্যিক চুক্তির অংশ হিসেবে দেয়া হয়। এই চুক্তি হয়েছিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যে। আর বাকী টিকা পাঠানো হয় কোভ্যাক্স স্কিমের আওতায়, যার নেতৃত্বে আছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এসে ধাক্কা দেয়ার পর সেখানে টিকার চাহিদা বেড়ে গেছে টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের এক বিরাট শক্তি, তাদের সমকক্ষ কেউ নয়। ভারতের রয়েছে এক বিশাল টিকাদান কর্মসূচি এবং বিশ্বের ৬০ ভাগ টিকা ভারতে তৈরি হয়। ভারতে প্রায় আধা ডজন টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আছে, এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া। এটি বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ভারতে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সব প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে টিকাদান কর্মসূচি এক বিরাট এবং অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে এই টিকাদান কর্মসূচির লক্ষ্য যদি অর্জন করতে হয়, এটিকে আরো দ্রুততর করা প্রয়োজন। কিন্তু এটা ঠিক পরিষ্কার নয় ভারতের যথেষ্ট পরিমাণে টিকা আছে কিনা এবং টিকাদান কর্মসূচি আরও সম্প্রসারিত করার সক্ষমতা রাজ্যগুলোর আছে কিনা। যে মূল প্রশ্নটা নিয়ে অনেক দিন ধরে জল্পনা চলছে, তা হলো, ভারতের আসলে টিকাদান কর্মসূচি আরো দ্রুততর করা বা তরুণদের জন্যও টিকা কর্মসূচি সম্প্রসারণ করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ টিকার মওজুদ আছে কিনা। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন ভারত লক্ষ লক্ষ ডোজ টিকা বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে এবং ভ্যাকসিন ডিপ্লোমেসির শোরগোল তুলে যে কাজটি করেছে সেটা সঠিক ছিল কিনা। ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট, যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা তৈরি করে, স্থানীয়ভাবে যেটি কোভিশিল্ড নামে পরিচিত, এ নিয়ে কিছু ইঙ্গিত দিয়েছে। গত সপ্তাহে সিরাম ইন্সটিটিউট বলেছে, তাদের টিকা উৎপাদনে সক্ষমতার ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে। সিরাম ইন্সটিটিউটের প্রধান আদর পুনাওয়ালা ভারতীয় টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভারতের সমস্ত মানুষকে দেয়ার মতো টিকার ঘাটতি আছে তাদের। সিরাম ইন্সটিটিউট বলছে তারা ভারতে প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে ছয় থেকে সাত কোটি টিকা সরবরাহ করছে এবং এ বছরের শুরুতে টিকার উৎপাদন শুরু হওয়ার পর প্রায় সমপরিমাণ টিকা তারা অন্যদেশগুলোতে রপ্তানি করেছে। গত জানুয়ারিতে এই প্রতিষ্ঠানটি বিবিসিকে জানিয়েছিল, তারা তাদের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা প্রতিমাসে ১০ কোটিতে উন্নীত করতে চায়। কিন্তু এখন তারা বলছে তারা জুন মাস শেষ হওয়ার আগে হয়তো এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না। কারণ গত জানুয়ারিতে পুনে শহরে তাদের একটি উৎপাদন স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডে যে ক্ষতি হয়েছিল সেটি ঠিক করতে তাদের সময় লাগছে। কিন্তু ঐ অগ্নিকাণ্ডের পর মিস্টার পুনাওয়ালা বলেছিলেন যে তাদের টিকা উৎপাদনের ওপর এর কোন প্রভাব পড়বে না। তিনি আরও বলেছিলেন যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তাদের কিছু বিকল্প উৎপাদন স্থাপনা তৈরি আছে। সিরাম ইন্সটিটিউট বলছে তাদের কোম্পানির আর্থিক অবস্থার উপর যে চাপ তৈরি হয়েছে সেটাও তাদের টিকা উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে। আদর পুনাওয়ালা একটি ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে সরকারের কাছে ৪০ কোটি ডলার সহায়তা চাইছেন যাতে তাদের টিকাদানের স্থাপনা আরো বাড়ানো যায়। সিরাম ইন্সটিটিউট প্রতিটি টিকার ডোজ দুই ডলারে ভারত সরকারের কাছে বিক্রি করছে এবং মিস্টার পুনাওয়ালা বলছেন এই দরে তারা তাদের কোম্পানির টিকা উৎপাদন ক্ষমতা আরও বাড়াতে পারছেন না। গুজরাটের এক গ্রামে ইটখোলার শ্রমিকদের টিকা দিতে এসেছেন একদল স্বাস্থ্যকর্মী আদর পুনাওয়ালা ভারতের এনডিটিভিকে বলেন, "এটা আমাদের খরচের হিসেবে ছিল না, কারণ কথা ছিল আমরা অনেক বেশি রপ্তানি করবো এবং যে সমস্ত দেশে রপ্তানি করা হবে সেসব দেশ থেকে আমরা খরচটা তুলে আনবো। সেটাতো আর ঘটছে না, কাজেই এখন আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নতুন কিছু উদ্ভাবনী পথ খুঁজতে হচ্ছে, যাতে করে আমরা ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার এই সময়টাতে সাহায্য করতে পারি।" স্পষ্টতই ভারতের টিকার স্বল্পতা সারা পৃথিবীর উপরে একটা বিরাট প্রভাব ফেলেছে। গত মাসে ভারত সাময়িকভাবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। সিরাম ইন্সটিটিউট বলছে তারা জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে তিন কোটি ডোজ রপ্তানি করেছে। এটি তাদের রপ্তানি ক্ষমতার প্রায় অর্ধেক। এর ফলে এখন রপ্তানির ক্ষেত্রে তিন হতে চার কোটি ডোজ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আদর পুনাওয়ালা ভারতের আরেকটি টিভি চ্যানেল সিএনবিসি-টিভি-এইটিনকে বলেন, "আমরা তাদেরকে বলেছিৱ, ভারতে এখন টিকার চাহিদা এত বেশি যে, আমাদেরকে এখন রপ্তানির চাইতে ভারতের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকাকে বলেন, টিকা সরবরাহে দেরি হতে থাকায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের প্রতিষ্ঠানকে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে এবং ভারত সরকারও এই বিষয়টি অবগত আছে। আরও পড়ুন: টিকা উৎপাদনে হঠাৎ সমস্যার কারণ কি ভারত না আমেরিকা? করোনাভাইরাস টিকা রপ্তানি সাময়িক স্থগিত করলো ভারত দাম কত হবে, আর কারা পাবেন না করোনার টিকা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের কিছু এলাকায় টিকার যে সংকট দেখা দিয়েছে তার কারণ হয়তো সরবরাহের ক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যা বা অসুবিধা। আর যারা টিকা তৈরি করছে তারাও আসলে সারা পৃথিবী থেকে অর্ডার নিয়ে তাদের সাধ্যের অতিরিক্ত বিক্রি করে বসে আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, "সংক্রমণের হার যখন আবার বাড়তে শুরু করেছে এবং টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে যে দ্বিধা দ্বন্দ্ব ছিল সেটা কমতে শুরু করেছে, তখন টিকার চাহিদা বাড়তেই থাকবে। কাজেই আমাদের কারো ভালোভাবে পরিকল্পনা করতে হবে।" এই মুহূর্তে অবশ্য ভারতের হাতে খুব বেশি বিকল্প নেই। জুন মাস নাগাদ ভারতে আরেকটি নতুন টিকা, সম্ভবত 'স্পুটনিক' অনুমোদন পাওয়ার কথা। সিরাম ইন্সটিটিউট যুক্তরাষ্ট্রের নোভাভ্যাক্সের সঙ্গে মিলে যে টিকাটি আবিষ্কার করেছে, সেটি সেপ্টেম্বরের আগে পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। "কাজেই ভারতকে এখন টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে। ভারতে কোভিড-১৯ এর মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে হলে ১২ কোটি বয়স্ক মানুষকে অতি দ্রুত টিকা দেয়া ছাড়া কোন পথ নেই। এটা করতে হবে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই। এর সঙ্গে লাগবে একটি পরিকল্পিত প্রচারাভিযান, যাতে স্থানীয় সরকার, সিভিল সোসাইটি, ধর্মীয় নেতা- সবার সহযোগিতা লাগবে," বলছেন ওমেন সি কুরিয়েন। | For the past two days, Sanjay Kumar has been trying to get himself and his ageing mother vaccinated against coronavirus in the northern Indian state of Uttar Pradesh. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | বিক্ষোভকারীদের দখলে ওয়াশিংটনে কংগ্রেস ভবন এ ঘটনায় বিস্মিত ও স্তব্ধ হওয়ার প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্বের রাজনৈতিক নেতারা। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ ঘটনাকে "লজ্জাজনক দৃশ্য" বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সাথে "শান্তিপূর্ণ এবং সুশৃঙ্খল ক্ষমতা হস্তান্তরের" আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, "ট্রাম্প এবং তার সমর্থকদের উচিত শেষ পর্যন্ত আমেরিকার ভোটারদের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া এবং গণতন্ত্রের পদদলন না করা।" এক বিবৃতিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ বলেছেন, "এটা পুরোপুরি অসুস্থ এবং হৃদয়বিদারক দৃশ্য। রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল কোন দেশে এ ধরণের ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচনের ফলকে বিতর্কিত করা হয়- আমাদের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে এর কোন স্থান নেই।" এক বিবৃতিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ইতিহাস সঠিকভাবেই ক্যাপিটলের উপর এই আক্রমণকে মনে রাখবে, আর সেটি হচ্ছে "এই মুহূর্তটি প্রচণ্ড অসম্মান এবং এই জাতির জন্য লজ্জাজনক।" কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, "গণতন্ত্রের উপর এই আঘাতের ঘটনায়" "কানাডিয়ানরা প্রচন্ড বিরক্ত"। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্ন্দান্দেজ জো বাইডেনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন এবং সহিংসতার ঘটনার প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন। একইভাবে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভান দোকে সহিংসতাকে প্রত্যাহার করে কংগ্রেসের সদস্যদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্টিয়ান পিনেরা "গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার পদক্ষেপের" নিন্দা জানিয়েছেন। ক্যাপিটলের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা "আজ একটি কালো দিন ছিল" বলেন পেন্স সহিংসতার পরও সেনেটে অধিবেশন শুরু হওয়ার পর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে আজকের দিনটি একটি কালো দিন হিসেবে উল্লেখ থাকবে।" এর আগে ভাইস-প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেছিলেন যে, হামলার সময়েও ক্যাপিটল হিল ছেড়ে যাননি পেন্স। সেনেটের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা পেন্স সব সময়ই কংগ্রেসের নেতৃত্ব, পুলিশ এবং বিচার ও প্রতিরক্ষা বিভাগের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন যাতে "ক্যাপিটলকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কংগ্রেস আবার শুরু করা যায়।" পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, "যারা আজ ক্যাপিটলে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছেন, আপনার জয়ী হতে পারেননি।" "সহিংসতা কখনো বিজয়ী হয় না। স্বাধীনতা বিজয়ী হয় এবং এটা এখনো জনগণের হাউজ। আমরা যেহেতু আবার এই চেম্বার শুরু করছি, বিশ্ব আবার একবার দেখবে যে, অভূতপূর্ব সহিংসতা এবং ভাংচুরের মধ্যেও আমাদের গণতন্ত্রের দৃঢ়তা এবং শক্তি কতটা মজবুত।" "যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আবার একত্রিত হয়েছেন।" মিচ ম্যাককনেল ক্যাপিটলে প্রবেশ করছেন। রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেন, "আজকের এই অস্থির জনতা ছাড়াও মার্কিন কংগ্রেস এর চেয়ে অনেক বড় হুমকি মোকাবেলা করেছে।" "তারা আমাদের গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত করতে চেয়েছিল, তারা পারেনি, তারা পরাজিত হয়েছে।" তিনি বলেন, পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বৈধতা দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে। ডেমোক্রেটিক সেনেটর চাক শুমার বলেন, "৬ই জানুয়ারিকে এখন আমরা আমেরিকার ইতিহাসের সেই অল্প কয়েকটি তারিখের সাথে যুক্ত করতে পারি যেগুলো কুখ্যাত হয়ে থাকবে।" সহিংসতায় এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় শোকও জানিয়েছেন তিনি। "এটি আমাদের গণতন্ত্রের উপর এমন একটি দাগ যা ধোয়ার পরও সহজে যাবে না। ৪৫তম প্রেসিডেন্টের সর্বশেষ, ভয়াবহ এবং লাগামহীন শাসনের উদাহরণ- সন্দেহাতীতভাবে তিনি ছিলেন সবচেয়ে নিকৃষ্ট।" শুমার বলেন, এই হামলাকারীদের বিক্ষোভকারী বলা যায় না। তারা "অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী" যারা "আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব করে না।" এদিকে ক্যাপিটলে সহিংসতার জের ধরে হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সারাহ ম্যাথিউ পদত্যাগ করেছেন। "ট্রাম্প প্রশাসনের সেবা করার সুযোগ আমার জন্য সম্মানের ছিল এবং যে নীতি আমরা বাস্তবায়ন করেছি সেগুলোর জন্যও আমি গর্বিত," তিনি বলেন। "কংগ্রেসের হলে যেহেতু আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে তাই আজ আমাকে যা দেখতে হয়েছে তার জন্য আমি খুব বিরক্ত।" নিরাপত্তা রক্ষীদের হটিয়ে ক্যাপিটল দখলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। ম্যাথিউ জানিয়েছেন যে তার পদত্যাগ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। সেই সাথে তিনি বলেন যে, "আমাদের দেশে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর দরকার।" এর আগে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ এবং ট্রাম্পের সাবেক প্রেস সেক্রেটারি স্টিফানি গ্রিশাম এই হট্টগোলের মধ্যেই পদত্যাগ করেন। কিন্তু ক্যাপিটলের উপর হামলার সাথে এর কোন যোগসূত্র আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কী ঘটেছিল? আমেরিকার আইন-প্রণেতারা যখন নভেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশনে বসেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক তখন আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল-এ ঢুকে পড়ে। কয়েক ঘণ্টা ভবন কার্যত দখল করে রাখার পর বিক্ষোভকারীরা ধীরে ধীরে ক্যাপিটল প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাইরে চলে যেতে থাকে। রাজধানী ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টার কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু সান্ধ্য আইন শুরু হবার পরও শত শত বিক্ষোভকারীকে রাজপথে জটলা পাকাতে দেখা গেছে। দুপুরের পরই আমেরিকার রাজধানীতে নাটকীয় দৃশ্যে দেখা যায় - শত শত বিক্ষোভকারী ভবনটিতে ঢুকে পড়ছে আর পুলিশ কংগ্রেস সদস্যদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে। কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলের ভেতরে ট্রাম্প সমর্থক বিক্ষোভকারী জো বাইডেন ঘটনাকে একটি 'বিদ্রোহ' বলে আখ্যায়িত করেন, আর মি. ট্রাম্প একটি ভিডিও বার্তায় তার সমর্থকদের বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। এই শোরগোলের মধ্যে মি. বাইডেনের জয় অনুমোদন করার জন্য কংগ্রেস অধিবেশন স্থগিত করা হয়। এটি ছিল আমেরিকার সংসদের দুই কক্ষ - হাউস অফ রেপ্রেসেন্টেটিভ বা প্রতিনিধি সভা এবং সেনেট-এর যৌথ অধিবেশন। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, ক্যাপিটল ভবন নিরাপদ হওয়ায় স্থানীয় সময় রাত ৮টায় তারা যৌথ অধিবেশন আবার শুরু করবেন এবং জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করবেন। নারী গুলিবিদ্ধ হামলা চলাকালে ভবনের ভেতরে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করার খবর পাওয়া গেছে এবং অন্তত একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একজন নারী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন বলছে, গুলিবিদ্ধ নারী মারা গেছেন। হাউস অফ রেপ্রেসেন্টেটিভ এর সভাকক্ষের প্রবেশদ্বারে অস্ত্র তাক করার দৃশ্য দেখা গেছে। কাঁদানে গ্যাসও ব্যবহার করা হয়েছে। ভবনের ভেতরে বিক্ষোভকারীদের ''আমরা ট্রাম্পকে ভালোবাসি' শ্লোগান দিতে দিতে মিছিল করতে দেখা গেছে। একজন ট্রাম্প সমর্থকের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে সে সেনেট-এর সভাপতির আসনে বসে আছে। 'নজিরবিহীন আক্রমণ' মি. ট্রাম্প তার ভিডিওতে তার সমর্থকদের বাড়ি ফেরার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি আবারো দাবী করেন জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাট দল নির্বাচন চুরি করেছে যদিও তিনি কোন প্রমাণ দিতে পারেন নি। ''আমি তোমাদের বেদনা বুঝি, আমি জানি তোমরা কষ্ট পেয়েছ,'' তিনি বলেন. ''তোমাদের এখন বাড়ি ফিরতে হবে, আমাদের শান্তি দরকার, আমরা চাইনা কেউ আহত হোক।'' জো বাইডেন বলেন এই বিক্ষোভ 'একটি বিদ্রোহের সমতুল্য এবং এখনই তার অবসান হওয়া উচিত।'' ''এই সময় আমাদের গণতন্ত্র এক নজিরবিহীন আক্রমণের মুখে,'' মি. বাইডেন বলেন। দিনের শুরুতে হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক ''আমেরিকা বাচাও'' নামক একটি গণজমায়েতে অংশ নিতে ওয়াশিংটনে আসে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই জনসভায় ভাষণ দিয়ে জো বাইডেনের বিজয় অনুমোদন করার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন। | World leaders have condemned violent scenes in Washington after supporters of US President Donald Trump stormed the Capitol building on Wednesday. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মিস্টার কাভানাকে মিথ্যা শনাক্তকরণ যন্ত্রে পরীক্ষা দেয়ার জন্য দাবি তুলেছেন সিনিয়র ডেমোক্র্যাট সদস্যরা। এই প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু জনসম্মুখে প্রকাশ করার নয়, এবং তদন্ত বিস্তৃতভাবে সম্পাদন করা হয়নি বলে বেশ সমালোচনাও রয়েছে। তদন্ত চলার মাঝেই মিস্টার কাভানাকে মিথ্যা শনাক্তকরণ যন্ত্রে পরীক্ষা দেয়ার জন্য দাবি তুলেছেন সিনিয়র ডেমোক্র্যাট সদস্যরা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী একজন ক্রিস্টিনা ব্লেসি ফোর্ড এরইমধ্যে এই পরীক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু এই পরীক্ষা কতটা নির্ভুল? কীভাবে তা কাজ করে? পলিগ্রাফ টেস্ট কী? সংক্ষেপে বলা যায়, পলিগ্রাফ টেস্টে বিভিন্ন ধরনের শরীরিক প্রতিক্রিয়া ধারণ করা হয় যার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয় যে একজন ব্যক্তি সত্য কথা বলছে কি-না। সাধারণত রক্তচাপ কেমন, শ্বাস-প্রশ্বাসের পরিবর্তন এবং হাতের তালু ঘামছে কি-না, নাড়ির গতি- এগুলোই তার মাপকাঠি হিসেবে কাজ করে। "পলিগ্রাফ অন্য যেকোনো মিথ্যা শনাক্তকরণ কৌশলের মতই যা মিথ্যা বলার পরোক্ষ প্রভাব পরিমাপ করে"- বলছিলেন ফরেনসিক মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ ড. সোফি ভান ডের জি, যিনি এবিষয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। তিনি বলেন, "মিথ্যা বলার ফলে মানসিক চাপ বেড়ে যেতে পারে ...এবং মিথ্যা শনাক্তকরণ পরীক্ষার মাধ্যমে আচরণগত এবং মানসিক পরিবর্তনগুলো দেখা যায় যা মানসিক স্ট্রেস-এর সময় হয়ে থাকে।" সুতরাং পলিগ্রাফ টেস্ট সরাসরি প্রতারণা এবং মিথ্যাকে পরিমাপ করে না, কিন্তু একজন ব্যক্তি কথা বলার সময় সাক্ষাতকার-গ্রহীতাকে প্রতারিত করছে কি-না তা দেখতে সক্ষম। এই তথ্য পরে অন্যান্য সবকিছুর সাথে ব্যবহার করা হয় এবং ওই ব্যক্তি সত্য বলছে কিনা সেটা নির্ণয় করা হয়। কীভাবে কাজটি করা হয়? বিশ্বের নানা প্রান্তে পলিগ্রাফ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। জাপান, রাশিয়া এবং চীনে তা প্রচলিত। সবখানেই এর প্রযুক্তি এবং প্রক্রিয়া এখনও একই রয়ে গেছে। অধ্যাপক ডন গ্রুবিন, যিনি ব্রিটেনে পলিগ্রাফ পরীক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, তিনি বলেন, " এখানে একটি অনুশীলন টেস্টও হয় যেখানে প্রচুর প্রশ্ন করা হয়।" ওই ব্যক্তিকে সহজ স্বাভাবিক অনুভূতি দেয়াও এর উদ্দেশ্য যাতে সে স্বস্তির পরিবেশ পায় এবং কিভাবে প্রক্রিয়াটি কাজ করতে পারে সেটিও সে বুঝতে পারে। সব সরঞ্জাম এক সাথে যুক্ত করার আগে সব প্রশ্নের ব্যাপারেও তার সম্মতি নেয়া হয়। "তাকে কোনও আচমকা প্রশ্ন করা হয় না। কারণ সেটা নিজে একটা ট্রিগার জাগিয়ে তুলবে"- বলেন অধ্যাপক গ্রুবিন। "অর্থাৎ আপনাকে কী প্রশ্ন করা হতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে আপনি অবগত।" পলিগ্রাফ টেস্টে বিভিন্ন ধরনের শরীরী প্রতিক্রিয়া ধারণ করা হয় যার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয় যে, একজন ব্যক্তি সত্য কথা বলছে কি-না। আরো পড়তে পারেন: মিরসরাইয়ে বিস্ফোরণে দু'জন নিহত, র্যাব বলছে জঙ্গি নির্বাচনকালীন সরকার বিতর্কে বিএনপি বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলার একের পর এক অভিযোগ আসছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরঞ্জামগুলো যুক্ত করার পর এর সাথে রক্তচাপ ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য একটি মনিটর, আঙ্গুল ও হাতের তালুতে তড়িৎ প্রবাহের পরিবর্তন লক্ষ্য করার জন্যে দুটি নল বক্ষ এবং পাকস্থলীর আশেপাশে যুক্ত করা হয়। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে আপনি এসব সরঞ্জামের সাথে তাকে যুক্ত করা হবে কিন্তু কক্ষটির ভেতরে তাকে থাকতে হবে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা। প্রশ্নকর্তা বেশকিছু নির্দিষ্ট প্রশ্ন করবেন এবং তারপরে মূল প্রশ্নগুলোর প্রতিক্রিয়া তুলনা করে দেখবেন। পরীক্ষার পরে আরেকটি সাক্ষাৎকার দিয়ে যাচাই কাজ শেষ হয় যেখানে ওই ব্যক্তিটি যেকোনো প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে তার ব্যাখ্যা তুলে ধরার সুযোগ পাবেন। প্রতারণা করা সম্ভব? বিশেষজ্ঞদের মতে তা সম্ভব। প্রফেসর গ্রুবিন বলেন, যে কোনও ব্যক্তি পলিগ্রাফ টেস্টকে হারাতে পারে কিন্তু সেজন্য অবশ্যই তাকে প্রশিক্ষিত হতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের মাদকের সাহায্য নেয়ার চেষ্টা করে অনেকে, কিন্তু তারা সাফল্য পায় না। তিনি এও বলেন যে, বেশিরভাগ পরীক্ষকই শনাক্তকরণ বানচালের এধরনের কোনও প্রকাশ্য চেষ্টা ধরে ফেলতে পারেন। আসলেই কার্যকর? ১৯২১ সালে যখন এর উদ্ভাবন হল তখন থেকেই পলিগ্রাফের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে যন্ত্রটিকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল। এটা কতোটা নির্ভুলভাবে কাজ করবে তা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এর মৌলিক বিষয়ে ত্রুটি রয়ছে। এটা ছলচাতুরী ধরতে পারে না, যা এর মূল সমস্যা" এমনটাই মনে করেন অধ্যাপক অ্যালডার্ট ভ্রিজ। তিনি এই বিষয়ের ওপর প্রচুর লেখালেখি করেছেন। "মিথ্যাবাদীরা প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবার সময় উদ্দীপনা দেখায়, যা যারা সত্য বলছেন তারা করবেন না," বলেন তিনি। বিশেষজ্ঞ ড. সোফি ভান ডের জি বলেন, এটা কখনো কখনো নিষ্পাপ মানুষকেও অপরাধী বলে উপস্থাপন করতে পারে। পলিগ্রাফ শুরুর প্রথমদিকে ১৯২২ সালে ওয়াশিংটনে কর্মকর্তারা "ফলে যাদের এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তারা মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাবেন। তাই মিথ্যা শনাক্ত করার ক্ষেত্রে এটি বেশ ভাল হলেও, সত্য শনাক্ত করার ক্ষেত্রে তা খুব একটা ভাল নয়," বলেন তিনি। তবে অধ্যাপক গ্রুবিন বলেন, কেন এই শনাক্তকরণ পরীক্ষা ভুল হতে পারে তার অনেক কারণ আছে। প্রশ্নগুলি দুর্বল হতে পারে এবং তার ফলে ফলাফল ভুল হতে পারে। তিনি বলেন, "যদি পরীক্ষক প্রশিক্ষিত হযন, পরীক্ষা সঠিকভাবে পরিচালনা করা হয় এবং যদি সঠিক নিয়ন্ত্রণ থাকে তবে ৮০% -৯০% ক্ষেত্রে নির্ভুল উত্তর পাওয়া যেতে পারে।" তবে বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলেন, পলিগ্রাফির অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে এবং বিভিন্ন কারণে এথেকে ভুল ফলাফল পাওয়া যেতে পারে। | In a secure basement room of the US Capitol building, senators are reading a secretive FBI report into allegations of sexual misconduct made against Supreme Court nominee Brett Kavanaugh. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | থাই কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালে ৫১ কোটি ৬০ লাখ মেথ ট্যাবলেট জব্দ করে পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার বাহত বা প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ পাউন্ড দিয়ে হোন্ডা সিআর-ভি ট্রাকটি কিনে নেন এক ক্রেতা। গত বছর একটি মাদক মামলায় ওই ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছিল যেটি চলতি মাসে নিলামে বিক্রি করা হয়। কিন্তু যখন এটিকে মেরামতের জন্য গ্যারেজে পাঠানো হয় তখন এক মিস্ত্রি ট্রাকের বাম্পারে ৯৪ হাজার ইয়াবা বড়ি খুঁজে পান। কর্তৃপক্ষ বলছে, ভবিষ্যতে তারা এ বিষয়ে আরো ভাল ভাবে তল্লাশি করবে। "নিয়ম অনুযায়ী আমরা যেসব যানবাহন পাই তার সবগুলোতেই তল্লাশি চালাই এবং এই ট্রাকটিও ব্যতিক্রম ছিল না। যাই হোক সেসময় আমরা কিছু খুঁজে পাইনি, কারণ বড়িগুলো খুব ভালভাবে লুকানো ছিল," ব্যাংকক পোস্টকে একথা বলেন দেশটির মাদক নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের মহাসচিব নিয়ম তার্মস্রিসুক। মিস্টার তার্মস্রিসুক বলেন, ইয়াবা বড়িগুলো যা কিনা মেটাঅ্যামফেটামিন এবং ক্যাফেইনের মিশ্রণ- ট্রাকটির বাম্পারের পেছনে একটি গোপন কুঠরিতে কয়েকটি বাক্সে লুকানো ছিল। আরো পড়তে পারেন: থাইল্যান্ডের গুহায় যেভাবে চলছে উদ্ধার অভিযান থাইল্যান্ডে পাচারের সময় বাংলাদেশের উপকূল থেকে ১২ জন উদ্ধার গুহা থেকে বের হওয়ার অপেক্ষায় বাকিরা ইয়াবা বড়ি গত বছর উত্তরাঞ্চলীয় চিয়াং রাই এলাকা থেকে গাড়িটি জব্দ করার সময় এর পেছনের আসন থেকে এক লাখ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছিল। মিস্টার তার্মস্রিসুক বলেন, আগের উদ্ধার করা বড়ির সাথে নতুন করে পাওয়া বড়ি যোগ করা হবে এবং এগুলো উদ্ধারকারী মিস্ত্রি ও গাড়ির বর্তমান মালিককে তাদের সহযোগিতার জন্য পুরস্কৃত করা হবে। থাইল্যান্ডে ইয়াবা মানে হচ্ছে "ক্রেজি মেডিসিন" যা সাধারণত মিয়ানমার থেকে থাইল্যান্ডে পাচার করা হয় এবং সেগুলো সস্তায় লাল কিংবা গোলাপি বড়ি হিসেবে বিক্রি করা হয়। ২০১৮ সালে থাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ ৫১ কোটি ৬০ লাখ মেথ ট্যাবলেট জব্দ করে। বিবিসি বাংলার আরো খবর: আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন রান করেও যে কারণে তামিম ইকবাল আলোচনার কেন্দ্রে কীভাবে উৎখাত হয়েছিল ইরানের মোসাদ্দেক সরকার বিদেশ থেকে আসার সময় আনতে পারবেন যা কিছু | Thailand's anti-drugs authority has apologised after it accidentally auctioned off a car hiding tens of thousands of amphetamine tablets. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | গৌরি আর রোশান এক সময় শত্রু, এখন সুখী পরিবার ২৬ বছর বয়সী গৌরি ছিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদী তামিল টাইগার্সদের শিশু যোদ্ধা। তাদের মতে, যারা লড়াই করতো রোশানের মতো মানুষদের দ্বারা সৃষ্ট অত্যাচারী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, "সিংহলীদের দেখা বা তাদের সাথে কথা বলিনি আমি। আমরা ভাবতাম তারা খারাপ মানুষ এবং আমাদেরকে হত্যা করবে।" আর রোশানের জন্য বিদ্রোহীরা ছিল ঘৃণিত শত্রু। ২৬ বছর ধরে চলা যুদ্ধে যাদের বোমা হামলা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে নিষ্পাপ মানুষের। "আমরা একে অপরকে শত্রু ভাবতাম," বলছিলেন ২৯ বছর বয়সী রোশান। তিনি বলেন, "কিন্তু এখন আমরা সুখী দম্পতি। আমাদের মেয়ে আমাদের ভালোবাসার প্রতীক।" তাহলে কোন পরিবর্তন তাদের এক হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিল? তারা এখন নিজেদের একটা বাড়ি তৈরি, একটা গাড়ি কেনা আর ছোট্ট সেনুলি চামালকাকে স্কুলে পাঠানোর স্বপ্ন দেখে। আরো পড়তে পারেন: শোকের দিনে গণ শেষকৃত্য, প্রাণ হারালো যারা শ্রীলংকা হামলা: কী কারণে এমন ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড হামলার অভিযুক্ত মূল হোতাকে নিয়ে উদ্বেগ ছিল মুসলিমদের "আমার এক বন্ধু মারা গিয়েছিল" শ্রীলংকায় সহিংসতা শুরু হয় ১৯৮৩ সালে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলীদের একটা অংশের মধ্যে বাড়তি জাতীয়তাবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার ক্ষোভে তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা হামলা চালিয়ে ১৩ সেনাকে হত্যা করে। এই ঘটনা তামিল বিরোধী দাঙ্গার জন্ম দেয়। যাতে প্রাণ হারায় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীটির কয়েক'শ সদস্য। গৌরির জীবনে যুদ্ধ ছিল নিয়মিত বিষয়ের মতোই। তবে এটা স্থায়ীভাবে বদলে যায় ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে। যখন গৌরি জানতে পারে, তার বড় ভাই শুভ্রমানিয়াম কান্নান ট্রাক্টর চালানোর সময় গোলার আঘাতে আহত হয়েছেন। ভাঙা মন নিয়ে বড় ভাইকে খুঁজতে গিয়ে বিদ্রোহীদের হাতে অপহৃত হন তিনি। ১৬ বছর বয়সী গৌরিকে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দিয়ে যুদ্ধে পাঠায় তারা। "আমি দেখলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাচ্ছে মানুষ" বলেন গৌরি। তিনি বলেন, "আমার এক বান্ধবী বোমার আঘাতে আহত হয়। আমরা তাকে ওঠানোর চেষ্টা করি। কিন্তু সে একটি সায়ানাইড ক্যাপসুল চিবিয়ে খেয়ে আত্মহত্যা করে। কারণ তার ক্ষতগুলো এতই মারাত্মক ছিল যে বেঁচে থাকাটা তার কাছে নিরর্থক ছিল।" "আমাদের গোসল এবং খাবারের কোন সুব্যবস্থা ছিল না। এক সময় আমার মনে হতে লাগলো যে বেঁচে থেকে লাভ কী?" কেন্দ্রীয় শহর দাম্বুলার মতো এ ধরণের বাসে বোমা হামলা দেখেই নিরাপত্তা বাহিনীতে যোগ দেন রোশান ২০০৪ সালে ১৪ বছর বয়সে যুদ্ধ তার থাবা বিস্তার করে রোশানের জীবনে। বিচ্ছিন্নতাবাদী আর সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকার মাঝে অবস্থিত ভাবুনিয়া জেলায় রোশানের পারিবারিক গ্রামে হিন্দু নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে আঘাত হানে বিদ্রোহীদের ছোড়া একটি বোমা। এর পরপরই বোমা হামলায় সামরিক-বেসামরিক মানুষদের মৃত্যুর ক্ষোভে বাবা আর চাচাত ভাই-বোনদের মতোই সরকারি নিরাপত্তা বিভাগে যোগ দেন রোশান। "আমরা প্রায় প্রতিদিনই হামলার খবর শুনতাম।" বলেন রোশান। তিনি জানান, সংঘাতে নিজের এক ভাইকে হারান তিনি। "মানুষ ভীত ছিল। মারা পরার ভয়ে এক সাথে কোথাও ঘুরতেও যেতো না কেউ।" ২০০৯ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রায় এক লাখ মানুষ প্রাণ হারায় এই সহিংসতায়। ২০১৫ সালে এক প্রতিবেদনে, অন্যায় হত্যাকান্ডের জন্য দুপক্ষকেই দায়ী করে জাতিসংঘ। এতে বলা হয়, নির্যাতন আর ধর্ষণের মতো অপরাধের সাথে জড়িত নিরাপত্তা বাহিনী। আর বয়স্ক ও শিশুদের জোর করে যুদ্ধে যেতে বাধ্য করেছে বিদ্রোহীরা। জাতিসংঘের মতে, গৃহযুদ্ধের শেষের দিকে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়, নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে উত্তরাঞ্চলে শক্ত ঘাঁটি তৈরি করে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা প্রায় এক মাস যুদ্ধ করেছে গৌরি। হৃদযন্ত্রে ত্রুটি থাকার কারণে গৌরিকে মুক্ত করে দেন তার দলনেতা। এর পরেই শ্রীলংকার সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে গৌরি। সরকারি পুনর্বাসন কর্মসূচীতে পাঠানো আরও অনেক বিদ্রোহীদের সাথে ছিলেন তিনি। বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব থাকলেও সিংহলীদের সাথে মিশে গৌরি অনুভব করে যে, তারাও "মানুষ"। এরপর সরকারি নিরাপত্তা বিভাগে যোগ দেন তিনি। উত্তরাঞ্চলে কিছু খামার প্রতিষ্ঠা করেছিলো সরকার। আর উদয়নকাট্টুতে এরকমই একটি খামারে পরিচয় হয় গৌরির হবু স্বামীর সাথে। রোশানের ইউনিফর্মে একটি ব্যাজ ঠিক করছেন গৌরি ২০১৩ সালে সেখানে নিয়োগ পান গৌরি। আর সেখানে এক বছর আগে থেকেই কাজ করছিলেন রোশান। তবে তামিল-ভাষী মানুষদের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় বেশ ঝামেলায় ছিলেন তিনি। রোশানের দোভাষী হিসেবে কাজ করতেন গৌরি। যে তার জীবন বদলে দিয়েছিলেন। গৌরি বলেন, "তিনি নিশ্চয়ই একা হয়ে পড়েছিলেন। আমি চাইতাম তিনি যেন ভাল থাকেন। তাই বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে আসতাম।" খুব দ্রুতই তারা পরস্পরের প্রতি অনুভূতি বুঝতে পারেন। "আমি তাকে বলেছিলাম, আমি তাকে তার মায়ের চেয়েও বেশি ভালোবাসি" গৌরি বলেন। রোশান বলেন, "আমি যখন ছুটিতে যেতাম যখন গৌরি কান্নাকাটি করতো। সে নিশ্চিত হতে চাইতো যে টিকে থাকার মতো পর্যাপ্ত অর্থ আমার কাছে আছে কী না।" নিজেদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ করলে প্রচলিত নানা কুসংস্কারের মুখে পড়তে হয় তাদের। রোশানের এক আত্মীয় বলেন, "সিংহলী অনেক মেয়ে থাকতে তামিল কোন মেয়ের পেছনে কেন পড়ে আছিস?" যুদ্ধের কারণে শুধু বোমা হামলার শিকার গাড়ির ধ্বংসাবশেষই নয়, অনেক কুসংস্কারও মোকাবেলা করতে হয়েছে এই দম্পতিকে রোশানের মা তাদের বিয়ের বিপক্ষে ছিলেন। সাবেক তামিল টাইগার যোদ্ধা গৌরির বোনও বিপক্ষে ছিলেন। তার ধারণা ছিল সিংহলী কাউকে বিয়ে করলে সম্প্রদায় থেকে বের করে দেয়া হবে গৌরিকে। আর তার স্বামীও তাকে মারপিট করবে। তারা বলেন, পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা দেখে দুই পরিবার তাদেরকে মেনে নিতে রাজি হয়। "ধীরে ধীরে সব কিছু ঠিক হয়ে যায়", গৌরি বলেন। এমনকি রোশানের মাও মৃত্যুর আগে সেনুলি চামালকার আগমনে অনেক বেশি খুশি হয়েছিলেন। "আমাদের ছোট্ট ফেরেশতা আমাদেরকে আরও বেশি কাছে এনেছে" তিনি বলেন। এখন গৌরির পরিবারের সাথে থাকেন এই দম্পতি। গৌরি বলেন, রোশান আমার বোনের "সবচেয়ে পছন্দের দুলাভাই" হয়েছেন। ২০১৪ সালে বিয়ে করেন এই দম্পতি। সেনুলি চামালকারকে হিন্দু আর বৌদ্ধ দুই ধরণের মন্দিরেই নিয়ে যান তারা। তাদের কাছে বিভক্তি এখন শুধুই অতীত। যাই হোক, ইস্টার সানডে হামলায় আড়াই'শ মানুষের প্রাণহানি এবং এর জেরে মুসলিম বিরোধী মনোভাব দেশটিকে নতুন করে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এই দম্পতি। গৌরি বলেন, "যেকোনো যুদ্ধে কোন এক পক্ষের মানুষ মারা যায় না। ধর্ম আর বিশ্বাসের বাইরেও অনেক মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় যুদ্ধ।" "আমরা আরেকটা যুদ্ধ চাই না," গৌরি বলেন। | To watch Gauri Malar and Roshan Jayathilake playing with their 11-month-old daughter, you'd never guess that just 10 years ago they were mortal enemies. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | কেপটাউনের চারদিকেই পানি কিন্তু এর খুব কমই পানযোগ্য মোহাম্মেদ আলীঈ'র বাসা। ব্যবহৃত পানি সংরক্ষণে সহায়তা করছে তার মেয়ে আর এসব কারণেই বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের আগ্রহের অন্যতম কেন্দ্রে থাকা জায়গাগুলোর মধ্যে এটিও একটি। কিন্তু খুব সহসাই এ শহরটির 'বিখ্যাত' হয়ে উঠতে পারে আরও একটি কারণে, আর সেটি হলো সম্ভবত কেপটাউনই হতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম পানি হীন শহরে। আরও পড়ুন আইপিএল নিলামের বিস্ময় কে এই নেপালি তরুণ? ‘যখন বুঝতে পারলাম আমার বিয়ে হয়েছে এক নপুংসকের সঙ্গে’ খালেদা মামলার রায়কে ঘিরে কেন এত শঙ্কা-বিতর্ক? সাম্প্রতিক উপাত্তগুলো আভাস দিচ্ছে যে মার্চের শুরুতেই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে কেপটাউনের অধিবাসীরা কিংবা ভ্রমণরত পর্যটকরা। এ সংকট বা সমস্যার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে যে গত তিন বছরে ইতিহাসের সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে সেখানে। অন্যদিকে দিনে দিনে শহরটিতে জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে। শহরের প্রায় চল্লিশ লাখ অধিবাসীকে সংরক্ষণ করা পানি ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে তাও আবার দিনে কোনভাবে ৮৭ লিটারের বেশি নয়। খাবার, গোসল, টয়লেট কিংবা আনুষঙ্গিক সব দরকারের জন্যই এটুকু বরাদ্দ। গাড়ী ধোয়া বা সুইমিং পুলে পানি রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রেশনের পানি নেয়ার জন্য এভাবেই ভীড় করে মানুষ কেপটাউনেই বসবাস করেন বিবিসির মোহাম্মেদ আলীঈ। এই ভয়াবহ পানি সংকটের মধ্যে জীবন কেমন চলছে-তার একটি বিবরণ দিয়েছেন তিনি নিজেই। "আমার স্ত্রী এখন আর শাওয়ার নেন না। তিনি দেড় লিটারের মতো পানি ফুটিয়ে তার সাথে এক লিটারের মতো টেপ ওয়াটার মিশিয়ে তার ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যবহার করেন। আবার একবার ব্যবহৃত পানি আমরা সংরক্ষণ করি টয়লেটে ব্যবহারের জন্য"। তিনি জানান কেপটাউনের অন্য অধিবাসীদের মতোই তার পরিবারের চার সদস্যও সংরক্ষণ করা পানি ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। সন্তানরা গোসল সারে মাত্র দু মিনিটের মধ্যে। তীব্র খরার সময় পানি ব্যবহারের সীমা ৫০ লিটারে নামিয়ে আনেন কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের সব প্রচেষ্টা আসলে ডে-জিরোকে বিলম্বিত করা। পানির মূল্য হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে কেপটাউনের মানুষ পানি সংকট নিয়ে ক্ষোভও বাড়ছে কেপটাউনের অধিবাসীদের মধ্যে ডে-জিরোর নির্ধারণ হয়ে আছে ১২ই এপ্রিল, যেদিন কেপটাউনের পানি সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। কিন্তু ৫০ লিটার পানি ব্যবহার মাত্র- এটি সত্যিই কঠিন সেখানকার মানুষের জন্য, কারণ সাধারণত একবার শাওয়ার বা গোসলের সময় প্রতি মিনিটে দরকার হয় ১৫ লিটার পানি। কিংবা টয়লেটে ফ্ল্যাশে প্রতিবার দরকার হয় ১৫ লিটারের মতো পানি। কেপটাউনের পানি বিষয়ক তথ্য: পানি ব্যবহারের সীমা: প্রতি অধিবাসী ৮৭ লিটার, পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে ৫০ লিটার। ডে জিরো: ১২ এপ্রিল ডোমেস্টিক ব্যবহার: ৭০% পানিই গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার হয় প্রয়োজন ছাড়া টয়লেট ফ্ল্যাশ নয়, প্রতি ফ্ল্যাশে লাগে ১৫ লিটার পানি। শাওয়ার বা বেসিনে ব্যবহৃত পানি টয়লেট,গাড়ী ধোয়া বা বাগানের কাজে ব্যবহার। পানির এমন সংকটের সাথে মানুষ যেমন অভ্যস্ত হচ্ছে তেমনি এ নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ অভিযোগও। | Cape Town, home to Table Mountain, African penguins, sunshine and sea, is a world-renowned tourist destination. But it could also become famous for being the first major city in the world to run out of water. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | এক অর্থে বলা যায় তিনি ভালই করছেন। তিনি ও তার মিত্ররা কংগ্রেসে করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য একটি থোক আর্থিক প্রস্তাব পাশ করিয়েছেন। দ্বিতীয় আরেকটি বিশাল অর্থ তহবিল পাশ করানোর কাজেও অগ্রগতি হচ্ছে। এটি কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যয়বরাদ্দ যেটি বাইডেন প্রশাসন সার্বিকভাবে ব্যাখ্যা করছে "অবকাঠামো" খাতের ব্যয় হিসাবে। জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, আমেরিকার গরিষ্ঠসংখ্যক জনগণ মি. বাইডেনকে সমর্থন করছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রেসিডেন্ট মেয়াদে এই সময় যেখানে ছিলেন তার থেকে অনেকটা এগিয়ে আছেন জো বাইডেন। মি. বাইডেনকে তার ক্যাবিনেটের শীর্ষ পদগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বড়ধরনের কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি। বিচার বিভাগেও তিনি খুব বেশি নতুন মুখ আনেননি। অনেক আমেরিকানই প্রশাসনিক কাজকর্ম তিনি যেভাবে স্থিরতার সাথে কিন্তু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য রেখে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেটা পছন্দ করছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট মেয়াদে অবিরত যে নাটকীয় পরিস্থিতি দেখা গেছে, তার পর মি. বাইডেনের ধীরস্থির প্রশাসনিক স্টাইলে অনেকেই স্বস্তিবোধ করছেন। তবে আমেরিকান প্রেসিডেন্টদের পারফরমেন্সের ইতিহাস দেখলে মি. বাইডেনের জনপ্রিয়তার মাপকাঠি কিন্তু নিচের দিকে, যেটা তার অর্জনের ঝুলিতে একটা নেতিবাচক দিক। তিনি দুই দলের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার এবং "এই গৃহযুদ্ধের" অবসান ঘটানোর কথা বলেছিলেন। কিন্তু তিনি যেসব আইন প্রণয়ন করতে চাইছেন, তাতে এখনও কংগ্রেসের রিপাবিলকান সদস্যদের সমর্থন তিনি পাননি। তার অভিবাসন নীতির বাস্তবায়ন হয়েছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এবং ডান ও বাম দুদিক থেকেই তিনি সমালোচনার শিকার হয়েছেন। স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বন্দুক নিয়ন্ত্রণের মত বিষয়গুলোতে তার নীতি কতটা সাফল্য আনতে পারবে - তা এখনও অনিশ্চিত। বাইডেন প্রশাসন মাত্র তার যাত্রা শুরু করেছে। তবে ক্ষমতা গ্রহণের ১০০ দিন পর প্রেসিডেন্ট কোথায় দাঁড়িয়ে, চাপের মুখে তার নতুন প্রশাসন কী অর্জন করতে পারল, তার একটা মূল্যায়ন করার রীতি অনেক দিনের পুরনো। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রে তার অর্জনের একটা খতিয়ান। করোনাভাইরাস প্রথম ১০০ দিনে তার সাফল্য ও ব্যর্থতার খতিয়ান দেখতে গেলে যে বিষয়টা বিচারের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাওয়া দরকার - সেটা হল করোনাভাইরাস মহামারি তিনি কীভাবে মোকাবেলা করেছেন। মি. বাইডেন যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন কোভিড-১৯ থেকে আমেরিকানদের মৃত্যুর হার প্রায় প্রতিদিনই ছিল ৩০০০ করে। এখন মৃত্যু হার সাত দিনের গড় হিসাবে দিনে ৭০৭ এবং এই সংখ্যা কমছে। এই সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ তার প্রশাসনের নেয়া ভ্যাকসিন কর্মসূচি। মি. বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ক্ষমতা হাতে নেয়ার প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে তিনি দশ কোটি ডোজ টিকা দেবেন। প্রথম একশ দিনে আমেরিকা সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এখন বিশ কোটি ডোজের বেশি টিকা প্রদান করা হয়েছে। আমেরিকার প্রাপ্ত বয়স্ক জনসংখ্যার প্রায় ৫২% ইতোমধ্যেই অন্তত এক ডোজ ভ্যাক্সিন পেয়েছেন। তিনি যখন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন, টিকা বিতরণের বিষয়টি ছিল বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে। মি. ট্রাম্পের শাসনামলে টেস্টিং এবং পিপিই বিতরণের ক্ষেত্রে সমন্বয়ের ব্যাপারে অনেক সমস্যা ছিল। ডেমোক্র্যাট প্রশাসন কোভিড মোকাবেলায় অতিরিক্ত অর্থ বিল পাশ করিয়ে তহবিল বাড়িয়েছে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয়ের ব্যবস্থা নিয়ে টিকাদান কর্মসূচিতে গতি সঞ্চার করেছে। এখন বাইডেন প্রশাসনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ - টিকা নিতে অনাগ্রহী আমেরিকানদের ভ্যাক্সিন নিতে উদ্বুদ্ধ করা এবং কোভিড মহামারি ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা। আরও পড়তে পারেন: অর্থনীতি কোভিডের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ছিল মি. বাইডেনের প্রথম অগ্রাধিকার। কিন্তু মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার তার প্রেসিডেন্সির দ্বিতীয় বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি যখন ক্ষমতা হাতে নেন তখন ২০২০এর লকডাউনের কারণে আমেরিকার অর্থনীতি ব্যাপকভাবে সঙ্কুচিত হয়েছিল। গোড়া থেকেই তার প্রশাসন এবং কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা প্রবৃদ্ধি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে বিশাল অঙ্কের সরকারি তহবিল অনুমোদন করেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে যে ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলারের সাহায্য প্যাকেজ পাশ করা হয় তার আওতাভুক্ত ছিল বহু আমেরিকানের জন্য সরাসরি অর্থ সাহায্য, বাড়তি বেকার ভাতা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রাজ্য সরকারগুলোর জন্য অর্থ তহবিল। এছাড়া শিশুদের জন্য যে সহায়তা প্যাকেজ দেয়া হয়েছে, অনুমান করা হচ্ছে তা আমেরিকায় তরুণদের মধ্যে দারিদ্রের হার অর্ধেকে নামিয়ে আনবে। অর্থনীতিবিদরা আভাস দিয়েছেন যে ২০২১ সালে আমেরিকার প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬%। ১৯৮০ দশকের পর প্রবৃদ্ধির এত নিম্ন হার দেখা যায়নি। মহামারির দীর্ঘ মেয়াদী অর্থনৈতিক প্রভাব মি. বাইডেনের জন্য বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে এই মুহূর্তে বেকারত্ব কমছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আবার খুলতে শুরু করেছে এবং শেয়ার বাজার চাঙ্গা হচ্ছে। সেটা আপাতত প্রেসিডেন্টের জন্য স্বস্তির খবর। অভিবাসন অভিবাসনের ক্ষেত্রে মি. বাইডেন বড়ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন। মধ্য আমেরিকা থেকে আসা শরণার্থীদের পুর্নবাসন সংক্রান্ত ইস্যুগুলো নিয়ে অনেক জটিলতা এখনও রয়ে গেছে। সীমান্ত দিয়ে শরণার্থীদের ঢোকার ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনের সময় যেসব কঠোর আইনকানুনগুলো ছিল মি. বাইডেন তার অনেকগুলোই কিছু অংশে শিথিল করলেও অভিবাসন আন্দোলনকারীরা সেগুলো যথেষ্ট বলে মনে করছেন না। অভিবাসীদের অনুপ্রবেশের হার যদি না কমে এবং এর ফলে সীমান্ত এলাকাগুলোর মানুষদের জন্য যদি সমস্যা সৃষ্টি হয়, সেটা খবরের শিরোনাম হবে এবং তখন সেটা বাইডেন প্রশাসনের জন্য বড়ধরনের রাজনৈতিক মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কিস্টোন পাইপলাইনের বিরুদ্ধে পরিবেশবাদী এবং নেটিভ আমেরিকান গোষ্ঠীগুলো এক দশকের বেশি সময় ধরে লড়াই করে আসছে। পরিবেশ মি. বাইডেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে তার প্রচারাভিযান চালানোর সময় থেকেই পরিবেশ রক্ষা নিয়ে সরব ছিলেন। তার প্রচারণা যতই গতি পেয়েছে ততই তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবেলার ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি পরিবেশ সংক্রান্ত নীতি সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি দ্রুত প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে আমেরিকাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন, কিস্টোন এক্সএল তেলের পাইপলাইন নির্মাণের কাজ বাতিল করে দিয়েছেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া কিছু কিছু আইনবিধি আবার ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। গত সপ্তাহে তিনি আমেরিকার কার্বন নির্গমনের মাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০% কমিয়ে ২০০৫ সালের চেয়েও তা কমনোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার আন্তর্জাতিক "জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন"এ কাজের চেয়ে হয়ত কথা হয়েছে বেশি, কিন্তু মি. বাইডেন যে ২ ট্রিলিয়ন ডলার অবকাঠামো উন্নয়ন বাজেট পাশের প্রস্তাব দিয়েছেন তাতে দূষণ-মুক্তভাবে জ্বালানি উৎপাদন, বিদ্যুতচালিত গাড়ির জন্য সহায়তা, জলবায়ু গবেষণা খাতে অর্থ সাহায্য ও জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষেত্রগুলো দূষণমুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পররাষ্ট্র নীতি মি. বাইডেন তার প্রেসিডেন্ট মেয়াদ শুরুর সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আমেরিকাকে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের "আমেরিকা প্রথম" এই পররাষ্ট্র নীতি থেকে সরিয়ে আনবেন। ক্ষমতার প্রথম ১০০ দিনে মি. বাইডেনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অর্জন হল আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহারের চূড়ান্ত পর্যায় নিশ্চিত করা। তবে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল মি. ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট মেয়াদকালেই। মি. ট্রাম্প ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তি থেকে আমেরিকাকে প্রত্যাহার করে নেবার পর সেই চুক্তিতে ফেরত যাবার জন্য আলোচনার প্রক্রিয়া মি. বাইডেন তেমন দ্রুততার সাথে শুরু করতে পারেননি। এখানেও তিনি খুব বড় কোন চমক এখনও পর্যন্ত দেখাতে পারেননি। মি. বাইডেন তার পূর্বসুরীর তুলনায় রাশিয়ার প্রতি আরো কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি ব্যাংকের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, যা জোরদার করা হলে রাশিয়ার ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দল চীনা প্রতিনিধিদের সাথে মানবাধিকার লংঘন নিয়ে বাকযুদ্ধে জড়িয়েছে। বাইডেন প্রশাসন আমেরিকার মিত্র দেশগুলোর সাথে একজোট হয়ে স্বৈরতান্ত্রিক সরকারগুলোকে মোকাবেলার লক্ষ্যে একটা জোটবদ্ধ উদ্যোগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে পররাষ্ট্র নীতির দিক দিয়ে মি. বাইডেনের প্রথম ১০০ দিন মূলত কথা, পর্যালোচনা এবং মূল্যায়নের পর্যায়ে রয়ে গেছে। সেখানে নতুন কোন নীতি গ্রহণের উদ্যোগ দেখা যায়নি। চীনের সাথে বাণিজ্যে শুল্ক ব্যবস্থা বজায় রেখেছেন জো বাইডেনও বাণিজ্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট মেয়াদের আগে আমেরিকায় বাণিজ্যের ব্যাপারে দুই দলের নেতারাই প্রাধান্য দিয়েছেন মুক্ত বাণিজ্যকে এবং তারা বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক চুক্তিভিত্তিক বাণিজ্যকে মুক্ত বাজার ব্যবস্থা ও বাণিজ্য বৃদ্ধির পথ হিসাবে দেখেছেন। কিন্তু মি. ট্রাম্প তার শাসনামলে সেই ধারা বদলে দিয়েছিলেন। তিনি জোর দিয়েছিলেন শুল্ক ব্যবহারের ওপর এবং আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষায় তিনি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপকে উৎসাহিত করেছেন। প্রবীণ রাজনীতিক মি. বাইডেন তার প্রথম ১০০ দিনে মি. ট্রাম্পের আনা পরিবর্তনগুলো বদলানোর খুব একটা উদ্যোগ নেননি। চীনের ওপর শুল্ক তিনি বজায় রেখেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে অ্যালুমিনিয়ম বাণিজ্যে তিনি আবার শুল্ক বসিয়েছেন। ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেনের ক্ষেত্রে তিনি কিছু কিছু শুল্ক শিথিল করেছেন বটে, কিন্তু বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষায় শুল্ক ব্যবহারের ট্রাম্প নীতি থেকে সরে আসার ব্যাপারে তার কোন আগ্রহ অন্তত প্রথম ১০০ দিনে তিনি দেখাননি। | President Joe Biden has finished his first full day in office. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে বান্দিয়াগ্রা জেলার নয়টি গ্রামে এই পরিকল্পনা নিয়ে পরীক্ষাও চালিয়েছে গবেষকদের একটি দল। সাধারণ গুল্ম থেকে ফুল সরিয়ে ফেলা হচ্ছে ফলে বয়স্ক, নারী ও ক্ষতিকারক পোকামাকড় যেগুলোর মাধ্যমে সাধারণত ম্যালেরিয়া ছাড়ায়-সেসব পোকামাকড় মেরে ফেলা সম্ভব হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ফুলের মধু ছাড়া 'নানী বা দাদী" মশা ক্ষুধায় মারা যায় শেষ পর্যন্ত। বয়স্ক স্ত্রী মশাদের মারতে পারলে ম্যালেরিয়ার বিস্তার রোধ করা সম্ভব। অ্যানোফিলিস প্রজাতির এসব মশা তাদের লালাগ্রন্থিতে ম্যালেরিয়ার জীবানু বহন করে এবং কোনো মানুষকে কামড়ালে রক্তে সেই জীবানু দিয়ে দেয়। জীবানুবাহিত ওই ব্যক্তির মাধ্যমেই ম্যালেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে। স্ত্রী মশাগুলোও উর্বর হয়ে পড়ে আর ভালো রক্ত খুঁজে এবং ডিমও তৈরি করে যেসব ডিমের মধ্যে ওই পরজীবী বাস করে। মাত্র দশদিনের মধ্যেই ম্যালেরিয়া জীবানুবাহিত নতুন আরেকটি মশা মানুষের মধ্যে এই রোগ সংক্রমণ করার জন্য উপযোগী হয়ে উঠে। মানুষের মধ্যে ম্যালেরিয়া সংক্রমণের পাশাপাশি নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ফুলের মধুর ওপরও নির্ভর করে স্ত্রী মশাগুলো। মালির বান্দিয়াগ্রা জেলায় এমন কিছু ঝোপঝাড় আছে যা ম্যালেরিয়া জীবানু বহন করতে পারে এমন মশার চারণভূমি। সেখানে ফুলের এমন ঝোপ আছে যেখান থেকে অনায়াসে মধু খেতে পারবে স্ত্রী মশাগুলো। মালির বিশেষজ্ঞরা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের সাহায্য নিয়ে উদ্যান সংক্রান্ত একটি পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালান যেটার মাধ্যমে তারা দেখতে চেয়েছেন গাছের ফুল সরিয়ে ফেলার মাধ্যমে স্থানীয় মশাগুলো মেরে ফেলা সম্ভব হয় কিো। তারা নয়টি গ্রাম বেছে নেন-এর মধ্যে ছয়টি গ্রামে প্রচুর ফুল গাছ ও ফুলের ঝোপঝাড় এবং বাকি তিনটি গ্রামে তেমনভাবে ফুলের ঝোপঝাড় নেই। গ্রামগুলোতে আলোর মাধ্যমে মশা ধরার ব্যবস্থাও করেন তারা। বাগানের মাধ্যমে মশা সংকলন বন্ধ করা যায় কিনা সেটা দেখাও উদ্দেশ্য ছিল। গ্রামগুলো থেকে ফুল ছেঁটে ফেলার পর অন্তত ৬০ শতাংশ মশা কমে যায়। আর জরুরি বিষয় হলো, যে তিনটি গ্রামে একেবারেই ফুল ছিলনা আর ভিন্ন উপায়ে বাগান করা হচ্ছিল সে গ্রামগুলো থেকে বয়স্ক স্ত্রী মশা একেবারে নির্মূল হয়ে গেল। ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত গবেষণায় বলা হচ্ছে, মশাগুলো ক্ষুধায় মারা গেছে। প্রফেসর জো লাইনস বলছেন "এর মাধ্যমে এটাই বুঝা গেল কোনো ধরনের ওষুধ ব্যবহার না করে আমরা পরিবর্তন আনতে পারি"। আরো পড়ুন: কাতারের ওপর অবরোধ অব্যাহত থাকবে: সৌদি আরব 'মা অসুস্থ, স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছে ৮ বছর আগে, দেশে যেতে চাই' ফরহাদ মজহার কাদের লক্ষ্য হতে পারেন? ‘ইসলামিক স্টেট’ এর প্রধান আল-বাগদাদী কোথায়? | Gardening could be a powerful weapon against malaria, culling mosquito populations by cutting off their food supply, say researchers. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | কিন্তু তারপরও হাসপাতালে থাকা অণুজীবের মধ্যে এখন বিশ্বের সবচেয়ে আতঙ্কজনক নামগুলোর মধ্যে একটি ক্যানডিডা অরিস। বিশ্বজুড়ে এই ফাঙ্গাসের আক্রমণে মহামারি দেখা দেয়ার উপক্রম হয়েছে। গবেষণা বলছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণেই বৃদ্ধি পাচ্ছে এর সংক্রমণের হার। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র সিডিসি বলছে, এর ঝুঁকি কমাতে হলে, এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণের শিকার হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে কারা রয়েছে তা জানতে হবে। নতুন এই সুপার বাগ সম্পর্কে আপনাকে যা যা জানতে হবে তা হল- ক্যানডিডা অরিস কী? ক্যানডিডা অরিস বা সি. অরিস হচ্ছে এক ধরণের ইস্ট বা ফাঙ্গাস বা ছত্রাক যা মানব দেহে সংক্রমণ তৈরি করতে পারে। সাধারণ ছত্রাক যেমন ক্যানডিডা অ্যালবিকান্সের মতো মুখ ও গলায় ক্ষত তৈরির মতো সংক্রমণ তৈরি করে এটি। ২০০৯ সালে জাপানে টোকিও মেট্রোপলিটন গেরিয়াট্রিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর কানের ভেতর প্রথম পাওয়া যায় এই ছত্রাক। আরো পড়তে পারেন: আইসিইউ-তে মৃত ৮০ শতাংশ রোগীর শরীরে সুপারবাগ যেসব খাবারের মাধ্যমে দেহে ঢুকছে অ্যান্টিবায়োটিক গরুর দুধে অ্যান্টিবায়োটিক আসে কীভাবে বেশিরভাগ সময়ই ক্যানডিডা ছত্রাক আমাদের ত্বকে কোন ধরণের ক্ষতি না করেই বসবাস করে। তবে আমরা যদি অসুস্থ হয়ে পড়ি কিংবা সংবেদনশীল কোন স্থান যেমন রক্তস্রোত কিংবা ফুসফুসে চলে গেলে এটি সংক্রমণ তৈরি করতে পারে। ওষুধ প্রতিরোধী অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে অনেক দেশে গবেষণা চলছে কী ধরণের অসুস্থতা তৈরি করে এটি? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সি. অরিস মানব দেহে রক্তপ্রবাহে সংক্রমণ তৈরি করে। এছাড়া নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস ব্যবস্থা, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র, দেহের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গ এবং ত্বকেও সংক্রমণ তৈরি করতে পারে। এর সংক্রমণ বেশ মারাত্মক। সারা বিশ্বে,যারা সি. অরিসের সংক্রমণে আক্রান্ত হন তাদের ৬০ ভাগই মৃত্যুবরণ করেন। এই ছত্রাক সাধারণত ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ায় এর সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়াও, অনেক সময়ই সি. অরিসের সংক্রমণকে অন্য কোন অসুস্থতা বলে ভুল করা হয়। যার কারণে দেয়া হয় ভুল চিকিৎসা। তার মানে হচ্ছে, এর ফলে রোগীকে হয় বেশিদিন ধরে চিকিৎসা নিতে হবে অথবা তার অবস্থা আরও বেশি খারাপ হয়ে পড়বে। "যুক্তরাজ্যের বেশ কিছু হাসপাতালে এই ছত্রাকের সংক্রমণ মহামারি আকারে দেখা দেয়ায় পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের কাছে সহায়তা চাওয়া হচ্ছে," বলেন রোগ নিয়ন্ত্রণ প্র্যাকটিশনার ও ইউসিএল ক্লিনিক্যাল লেকচারার ডা. এলাইন ক্লাউটম্যান-গ্রিন। তিনি আরো বলেন: "হাসপাতালের পরিবেশে বেঁচে থাকে সি. অরিস। তাই একে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। যেহেতু নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন তাই এর সংক্রমণ সনাক্ত হলে তা রোগী এবং হাসপাতাল উভয়ের জন্যই উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে।" ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য ও জাতীয় সংক্রমণ পরিসেবা বিভাগের মেডিক্যাল অণুজীববিজ্ঞানী ডা. কলিন ব্রাউন দাবি করেন, "জাতীয় স্বাস্থ্য পরিসেবা বিভাগের আওতায় যেসব হাসপাতালে সি. অরিসের সংক্রমণ অতিমাত্রায় দেখা দিয়েছে, সেসব হাসপাতালগুলোতে আসলে এই ছত্রাকে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি।" তিনি বলেন, "সি. অরিসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষজ্ঞ মতামত ও সংক্রমণ প্রতিরোধী নানা ব্যবস্থার বিষয়ে সহায়তা দিতে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাথে জনস্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে।" সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা নিয়ে কি চিন্তিত হওয়া উচিত? সাধারণত সি. অরিসের সংক্রমণ সচরাচর খুব একটা হয়না। তবে আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতাল কিংবা নার্সিং হোমে থাকেন, এবং চিকিৎসার কারণে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হয় তাহলে সি. অরিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কারণ অ্যান্টিবায়োটিক সি. অরিসের সংক্রমণরোধী ভাল ব্যাকটেরিয়াও মেরে ফেলে। যেসব রোগীদের দীর্ঘদিন ধরে থাকেত হয় তাদের ক্যানডিডা অরিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ৬০ জন রোগী সি. অরিসের সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ দপ্তর জানিয়েছে, ধীরে ধীরে বিশ্বের অনেক দেশেই সি. অরিসের সংক্রমণের খবর মিলছে। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশেই এই ছত্রাকের সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের এপ্রিলে গ্রিসে এই সংক্রমণের খবর মেলে। সি. অরিস সাধারণ ওষুধ প্রতিরোধী কেন? যেসব রোগীরা সি. অরিসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগের মধ্যেই ফ্লুকোনজলের মতো সাধারণ ছত্রাক রোধী ওষুধ আর তেমন কাজ করছে না বলে প্রতিপন্ন হয়েছে। এর মানে হচ্ছে, এসব ওষুধ সি. অরিস নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে না। এ কারণে সি. অরিসের সংক্রমণের চিকিৎসায় অপেক্ষাকৃত কম প্রচলিত ছত্রাক রোধী ওষুধ ব্যবহার করা হয়। তবে এসব ওষুধের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে সি. অরিস। ডিএনএ পরীক্ষায় পাওয়া যায় যে, সি. অরিসের ছত্রাক রোধী ওষুধ প্রতিরোধক জিনের সাথে সি. আলবেনিয়ান্সের জিনের বেশ মিল রয়েছে। তার মানে হচ্ছে, ওষুধ প্রতিরোধী জিনগুলো এক প্রজাতি থেকে আরেক প্রজাতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের হাসপাতালের আইসিইউতে পাওয়া গেছে সুপার বাগের অস্তিত্ব সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধিকে জলবায়ু পরিবর্তন কিভাবে প্রভাবিত করেছে? এক গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সি. অরিস ছত্রাক বেশি তাপমাত্রায় বেঁচে থাকতে বাধ্য হওয়ায় এর সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। বেশিরভাগ ছত্রাকই কম তাপমাত্রায় মাটিতে বসবাস করতে পছন্দ করে। কিন্তু বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায়, উচ্চ তাপমাত্রার সাথে খাপ-খাইয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে সি. অরিস। আর এর কারণে, মানুষের দেহে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়ায় তাদের জন্য মানব দেহে বেঁচে থাকা সহজ। সংক্রমণের সংখ্যা কমাতে কী করা যেতে পারে? সংক্রমণের সংখ্যা কমাতে হলে প্রথমেই সনাক্ত করতে হবে যে, এই ছত্রাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে কারা রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা দানকারী কর্মীদের জানতে হবে যে, যারা চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিন হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমে কাটান, তারাই এ ধরণের সুপার বাগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে সবচেয়ে বেশি থাকেন। সব হাসপাতালে সি. অরিস একইভাবে সনাক্ত করা হয় না। অনেক সময় এর সংক্রমণকে মুখ ও গলায় ক্ষতের মতো সাধারণ ছত্রাকের সংক্রমণ বলে মনে করা হয় এবং ভুল চিকিৎসা দেয়া হয়। উন্নত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হলে প্রাথমিক পর্যায়েই সি. অরিসের সংক্রমণ সনাক্ত করা সম্ভব। আর এর ফলে সঠিক চিকিৎসা দেয়ার মাধ্যমে অন্য রোগীদের মধ্যে এর সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব। সি. অরিস বেশ শক্তিশালী এবং এটি খোলা পরিবেশে অনেক দিন ধরে বেঁচে থাকতে পারে। সাধারণ ডিটারজেন্ট এবং সংক্রমণরোধী রাসায়নিক দিয়ে একে মেরে ফেলা যায় না। যেসব হাসপাতালে এই সুপার বাগের সংক্রমণ ধরা পড়েছে সেখানে উপযুক্ত পরিষ্কারক রাসায়নিক ব্যবহার করে এর সংক্রমণ রোধ করা যেতে পারে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ডেঙ্গু জ্বর: ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ কতটা আছে ডিসি-র খাস কামরার সেক্স টেপ নিয়ে তদন্ত হবে ইলিশ গাইড: নদীর ইলিশ যেভাবে চিনবেন রোহিঙ্গারা আসার পর যেভাবে বদলে গেলো বিস্তীর্ণ ভূ-দৃশ্য | The drug-resistant fungus, Candida auris , was only discovered 10 years ago, but is now one of the world's most feared hospital microbes. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | আগুন নেভাতে ব্যবহৃত গাড়ির উইন্ডশিল্ডে বৃষ্টির পানি সিডনি থেকে মেলবোর্ন পর্যন্ত পূর্ব উপকূলীয় এলাকায় মাঝারি ধরণের বৃষ্টি হয়েছে। তবে নিউ সাউথ ওয়েলসের কিছু কিছু এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু রবিবার রাতে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছে যে, বৃহস্পতিবার নাগাদ তাপমাত্রা আবারো বেড়ে যাবে। তারা আরো বলছে, ভিক্টোরিয়া এবং নিউ সাউথ ওয়েলসে যে ব্যাপক আগুন জ্বলছে তা মিলে গেলে একটি মেগা ফায়ার বা বিশালাকার আগুন তৈরি হতে পারে। "স্বস্তির কোন সুযোগ নেই," সোমবার সকালে সতর্ক করে একথা বলেছেন নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রধান গ্ল্যাডসি বেরেজিকলিয়ান। আগুনের কারণে যারা গৃহহীন হয়ে পড়েছেন সেসব হাজারো মানুষকে সহায়তা দেয়া অব্যাহত রেখেছে কর্তৃপক্ষ। "এখন উদ্ধার তৎপরতা চালানোর সময়, যারা ঘর হারিয়েছে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে," মিস বেরেজিকলিয়ান বলেন। এই ছুটিতে, দাবানলের সবচেয়ে খারাপ কিছু দিন পার হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় বৃষ্টির কারণে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও বাতাস এখনো মারাত্মকভাবে দূষিত। ক্যানবেরায় অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল গ্যালারি সোমবার বন্ধ রাখা হয়েছিল "দর্শনার্থী, কর্মকর্তা এবং শিল্পকর্মের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা কমিয়ে আনতে"। রাজধানীর অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিও বন্ধ ছিল। ভিক্টোরিয়ার ভূ-তাত্ত্বিক ব্যুরো সতর্ক করে বলেছে, মেলবোর্ন শহরের বিভিন্ন এলাকা ও এর আশেপাশের অনেক অঞ্চলে দৃষ্টিসীমা এক কিলোমিটারের কম। এই ছুটিতে, দাবানলের সবচেয়ে খারাপ কিছু দিন পার হয়েছে, যখন শত শত বাড়ি-ঘর, স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয় ছোট ছোট শহর এবং বড় শহরগুলোতেও ছিল লাল আকাশ, ছাই আর ধোঁয়ার ছড়াছড়ি যা বাতাসকে ভারী করে তুলেছে। কিন্তু সোমবার, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে দাবানলের শিকার রাজ্যগুলোতে কোন জরুরী অবস্থা ছিল না। ভিক্টোরিয়া রাজ্যে ২৫টি স্থানে সতর্কতামূলক "ওয়াচ এন্ড অ্যাক্ট" অ্যালার্ট এবং সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় একটি এ ধরণের অ্যালার্ট জারি ছিল। এনএসডাব্লিউ-তে, সব ধরণের আগুন কমে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এমন অর্থাৎ সর্বনিম্ন সতর্কতা মাত্রায় এসেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কমিশনার শেন ফিৎজসিমন্স। যাই হোক ভিক্টোরিয়ার জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার অ্যান্ড্রু ক্রিস্প সতর্ক করে বলেছেন, "পরিবেশ আবারো উষ্ণ হবে" এবং আগুন "আবারো বেগবান হবে।" সোমবার সকালে, ভিক্টোরিয়ার করিয়ং এলাকার দাবানল এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের কোসিউজকো ন্যাশনাল পার্কের দুটি দাবানলের মাঝে মাত্র ১০ কিলোমিটারের ব্যবধান ছিল। "এটা পরিবর্তিত এবং গতিশীল অবস্থা ধারণ করবে," উল্লেখ করে তিনি সতর্ক করেন, এই দুটি দাবানল সীমান্ত এলাকায় এক হয়ে যাবে যা কিছুতেই থামানো "সম্ভব নয়"। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৬৯ হাজার মার্কিন ডলার ত্রাণ সহায়তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া আরো ২ বিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার আগামি দুই বছরে পুনর্বাসন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য বরাদ্দ করা হবে। কমলা থেকে ধূসর হচ্ছে নিউ সাউথ ওয়েলসে বিবিসির সংবাদদাতা সাইমন অ্যাটকিনসন বলেন, ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আর ধূসর দিগন্তের কারণে ইডেনের জেটিটিকে অনেকটা ইংলিশ উপকূলীয় শহরের মতো মনে হচ্ছে। তবে শনিবার রাতেই এটি কল্পনা করা কঠিন ছিল যখন আগুনের হুমকি এবং কমলা রঙের আকাশের কারণে- নিরাপত্তার জন্য শত শত মানুষ এখানে পানির কাছে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। শনিবারে নিউ সাউথ ওয়েলসের ইডেন এমনি দেখাচ্ছিল ইডেনের অ্যাডেলেইডে সোমবার বৃষ্টি হয় বেশিরভাগই এখন চলে গেছে। আগুনের হুমকি কমে যাওয়ায় অনেকে বাড়িতে ফিরে গেছে। জেটি আসল তেমন নিরাপদ নয়- কর্তৃপক্ষের এমন সতর্কতার পর অনেকে আবার বড় শহরে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে চলে গেছে। বৃষ্টি আসলেই অবাক করা এবং আকাঙ্ক্ষিত ছিল, এবং এটি ধোঁয়া ও বাতাস থেকে কিছুটা স্বস্তিও দিয়েছে। তবে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে যে গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, তাতে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো ইডেনের মানুষেরও অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার মতো অবস্থা হয়েছে। এছাড়া উপকূলের কাছাকাছি নৌবাহিনীর যে জাহাজগুলো এখনো উদ্ধার কাজে সহায়তা করছে তা এটিই ইঙ্গিত দেয় যে, দুর্যোগ এখনো শেষ হয়নি। অস্ট্রেলিয়া অন্যতম ভয়ঙ্কর দাবানলের মৌসুমগুলোর একটি পার করছে। যার পেছনে কাজ করেছে রেকর্ড পার করা তাপমাত্রা এবং মাসের পর মাস ধরে চলা খরা। প্রতিবছরই দেশটিতে দাবানল হয় তবে এ বছর স্বাভাবিকের তুলনায় এটি অনেক ভয়াবহ ছিল। এই ছুটিতে, মিস্টার মরিসন সতর্ক করে বলেছিলেন যে, এই সংকট কয়েক মাস ধরে চলবে। গত সেপ্টেম্বরে আগুন শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৪ জন মারা গেছে। রাজধানী ক্যানবেরার বাতাসের মান সম্প্রতি বিশ্বে সবচেয়ে খারাপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আগুনে যারা ঘর-বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়েছে তাদের সহায়তায় একটি সংস্থা চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন মিস্টার মরিসন। দাবানলে তার প্রতিক্রিয়ার জন্য কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি- এই সংকটের মধ্যেও হাওয়াইয়ে ছুটি কাটাতে যাওয়ার কারণেও সমালোচনা শুনতে হয়েছে তাকে। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ এবং মিস্টার মরিসনের লিবারেল পার্টির সহকর্মী বলেন, তিনি ভাবতেন যে, প্রধানমন্ত্রী হয়তো "তার সর্বোচ্চ চেষ্টা" করছেন, কিন্তু বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ক্যানবেরার নেতৃত্ব দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, "এই দেশে আমাদের জাতীয় জ্বালানি নীতিমালা নেই এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়েও কোন জাতীয় উদ্যোগ নেই।" "যদি অস্ট্রেলিয়ার মতো একটি দেশ নেতৃত্ব দিতে না পারে তাহলে এ বিষয়ে অন্য কোন দেশ কেন নেতৃত্ব দিলো না সে বিষয়েও আমরা তাদেরকে দোষারোপ করতে পারবো না।" | Rain has fallen in fire-ravaged parts of Australia and temperatures have dropped - but officials have warned that blazes will "take off" again. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | আসারাম বাপু তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উত্তরাঞ্চলীয় যোধপুর শহরের একটি আদালত তার রায়ে বলেছে, আসারাম বাপু ২০১৩ সালে ওই শহরের একটি আশ্রমে ১৬ বছর বয়সী একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চতর আদালতে আপিল করতে পারেন। ব্যাপক পুলিশী নিরাপত্তার মধ্যে যোধপুরের জেলের ভেতরেই একটি বিশেষ আদালত কক্ষ তৈরি করে আসারাম বাপুকে নাবালিকা ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় বুধবার সকালে। ওই জেলেই ২০১৩ সাল থেকে আটক রয়েছেন আসারাম বাপু। এক নারী সহকর্মীসহ আসারাম বাপুর আরও চার সহকারী এই ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত। সারা বিশ্বে ৭৭ বছর বয়সী এই গুরুর চারশোর মতো আশ্রম রয়েছে যেখানে তিনি মেডিটেশন ও যোগ ব্যায়াম সম্পর্কে তার অনুসারীদের শিক্ষা দিয়ে থাকেন। আরো পড়তে পারেন: সংক্ষেপে জেনে নিন উত্তর কোরিয়া সংকট ব্যাকটেরিয়া কিভাবে মানুষের মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে? টরোন্টো হামলাকারী নারীদের ঘৃণা করতেন? ভারতের গুজরাট রাজ্যেও আরো একটি ধর্ষণের মামলায় তার বিচার চলছে। রায় ঘোষণা উপলক্ষে যোধপুর শহরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রায়ের ফলে গুরুর সমর্থকরা সহিংসতা করতে পারেন এই আশঙ্কা থেকেই এই ব্যবস্থা। আসারাম বাপু তার ভক্তদের মেডিটেশন ও যোগ শেখান এর আগে আরেক ধর্মগুরু - গুরমিত রাম রহিম সিং ইনসানও একাধিক নারীকে ধর্ষণের দায়ে এখন জেল খাটছেন। রাম রহিমকে যেদিন পাচকুইয়ার বিশেষ আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছিল, সেদিন তার হাজার হাজার ভক্ত গোটা শহরে দাঙ্গা লাগিয়ে দিয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আজ যোধপুর শহরকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানে উপস্থিত বিবিসি সংবাদদাতারা। অপশক্তি তাড়ানোর নামে ধর্ষণ ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী অভিযোগ করে যে নিজের আশ্রমেই তাকে ধর্ষণ করে আসারাম বাপু। উত্তরপ্রদেশের সাহারাণপুরের বাসিন্দা ওই কিশোরীর পরিবার ঘটনার আগে পর্যন্ত আসারাম বাপুর কট্টর ভক্ত ছিল। সেখানে আসারাম বাপুর একটা আশ্রমও বানিয়ে দিয়েছিলেন নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা। দুই মেয়েকে ভাল শিক্ষা দেওয়ার জন্য 'বাপু'র আশ্রমে পাঠিয়েছিলেন তাদের পিতা। পুলিশের চার্জশীট অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ৭ অগাস্ট ওই আশ্রম থেকে ফোন পান নির্যাতিতার বাবা। বলা হয় তার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরের দিন ওই আশ্রমে গেলে তার বাবাকে জানানো হয় যে ওই কিশোরীর ওপরে অপশক্তি ভর করেছে। একমাত্র আসারাম বাপুই তাকে সুস্থ করে তুলতে পারবেন। সেই আশায় ছিন্দওয়াড়া থেকে নির্যাতিতার পুরো পরিবারই রাজস্থানের যোধপুরে আসারাম বাপুর আশ্রমে যান। ওই কিশোরীকে সুস্থ করে তোলার নাম করে ১৫ই অগাস্ট সন্ধ্যায় নিজের ঘরে তাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে আসারাম বাপু। আরেক ধর্মগুরু - গুরমিত রাম রহিম সিং ইনসানও একাধিক নারীকে ধর্ষণের দায়ে এখন জেল খাটছেন। ঘটনার পরে একাধিকবার ওই পরিবারকে ঘুষ দিতে চাওয়া হয়েছে, এমন কি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তবুও ওই কিশোরী গত ৫ বছর ধরে তার নিজের বয়ানেই অটল থেকেছে। কে এই আসারাম বাপু বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে ১৯৪১ সালে জন্ম নেওয়া আসারামের আসল নাম অসুমল হরপলানি। দেশভাগের পরে তার পরিবার ভারতে চলে আসে। ৬০-এর দশকে দীক্ষা নিয়ে অসুমল থেকে আসারাম হন তিনি। ১৯৭২ সালে গুজরাটের আহমেদাবাদের সবরমতি নদীর তীরে নিজের প্রথম আশ্রমটি গড়ে তোলেন তিনি। ধীরে ধীরে গুজরাটের নানা জায়গায়, আর পরে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে আশ্রম গড়ে তোলেন আসারাম। ভক্তদের মধ্যে অটল বিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আদভানী, কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিং, কমলনাথ, মোতিলাল ভোরা যেমন ছিলেন, তেমনই সবথেকে নামকরা দর্শনার্থীদের মধ্যে ছিলেন নরেন্দ্র মোদীও। তবে ২০০৮ সালে আসারামের এক আশ্রমে দুই নাবালকের হত্যার ঘটনা সামনে আসার পর থেকে সব রাজনৈতিক দলের নেতা-মন্ত্রীরাই ধীরে ধীরে দূরে সরে যান। এই গুরুর বিরুদ্ধে বহু মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। তার প্রভাব গত কয়েক দশকে ভারতের সীমানার বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। তার ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুসারে সারা দুনিয়ায় তার ভক্তের সংখ্যা চার কোটির মতো। সারা ভারতে তার কোটি কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ রয়েছে। বলা হয় তার মোট সম্পত্তির পরিমান প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগেও তদন্ত চলছে। জামিনের চেষ্টা গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই জামিন পাওয়ার জন্য দেশের সেরা আর সব থেকে দামী উকিলদের কাজে লাগিয়েছিলেন আসারাম বাপু। তার পক্ষ নিয়ে নানা সময়ে আদালতে আইনি লড়াই চালিয়েছেন রাম জেঠমালানি, রাজু রামচন্দ্রন, সুব্রহ্ম্যনিয়াম স্বামী, সিদ্ধার্থ লুথরা, সলমান খুর্শিদ, কে টি এস তুলসী বা ইউ ইউ ললিতের মতো বাঘা বাঘা আইনজীবীরা। তবুও ১১ বার তার জামিনের আবেদন খারিজ করে বিভিন্ন আদালত। তার বিচারকে ঘিরে বিতর্ক ভারতে গুজরাট রাজ্যের সুরাট শহরে ২০০২ সাল থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে আরো একজন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার বিচার চলছে। এই দুটো মামলায় অন্তত পাঁচজন সাক্ষী গত পাঁচ বছরের বিভিন্ন সময়ে হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন মারাও গেছেন। তার বিরুদ্ধে লেখালেখির কারণে সাংবাদিকের উপরেও হামলা করা হয়েছে। এসব হামলার ঘটনাও পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। যারা হামলার শিকার হয়েছেন তাদের পরিবার বলছে, গুরু এবং তার অনুসারীরা এসব হামলা চালিয়েছে। আসারাম বাপুর পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ সবসময় অস্বীকার করা হয়েছে। | A self-styled Indian spiritual guru who claims millions of followers worldwide has been given a life sentence for raping a 16-year-old girl. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ভিক্টর অরবান, ভ্লাদিমির পুতিন, রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান তুরস্ক এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা রকম পোস্ট দেবার কারণে শত শত লোককে গ্রেফতার করেছে। রাশিয়ায় লোকজনকে হুমকি দেয়া হচ্ছে ভুয়া খবর বা ফেইক নিউজ বলে বিবেচিত হতে পারে এমন যে কোন কিছুর জন্য শাস্তি হিসেবে কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে। পোল্যান্ডকে নিয়ে ইতোমধ্যেই ভয় তৈরি হয়েছে যে সেখানে গণতন্ত্র বানচাল হবার পথে, আর হাঙ্গেরিতে গণতন্ত্র এখন কার্যত নেই হয়ে গেছে। ব্যাপারটা নিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন বিবিসির বেশ ক’জন সাংবাদিক। তুরস্ক: এরদোয়ানের জন্য ‘সুবর্ণ সুযোগ’ বিবিসির অরলা গেরিন লিখছেন, তুরস্কের মানবাধিকার আন্দোলনকারীরা মনে করেন মি. এরদোয়ানের হাতে এখনই এত ক্ষমতা রয়েছে যে তার আরো ক্ষমতার জন্য করোনাভাইরাস সংকট ব্যবহারের দরকার নেই। নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তুরস্ক বিষয়ক পরিচালক এমা সিনক্লেয়ার-ওয়েব বলছেন, এদেশের ব্যবস্থা এখন এতটাই এক-কেন্দ্রিক যে আরো ক্ষমতা দখলের কোন প্রয়োজন নেই। তবে তিনি বলছেন, এর মধ্যে একটা চেষ্টা হয়েছিল, সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরো বাড়ানোর প্রস্তাব ছেড়ে দিয়ে লোকে এটা কিভাবে নেয় - তা পরীক্ষা করে দেখার। এ প্রস্তাব লুকোনো ছিল করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়া মোকাবিলার জন্য কিছু অর্থনৈতিক পদক্ষেপের বিলের মধ্যে। এমা সিনক্লেয়ার-ওয়েব বলছেন, এর লক্ষ্য ছিল – সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো যেন সরকারের নিয়ন্ত্রণ আর সেন্সরশিপ মানতে বাধ্য হয় এমন ব্যবস্থা করা। প্রস্তাবটি অবশ্য হঠাৎ করেই বাদ দেয়া হয়েছে তবে এমা সিনক্লেয়ার-ওয়েব মনে করেন ভবিষ্যতে এটা আবার ফেরত আসতে পারে। করোনাভাইরাস লকডাউন অমান্যের জন্য জরিমানা করা হচ্ছে তুরস্কে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব সংক্রান্ত তথ্য কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোভিড ১৯ নিয়ে উস্কানিমূলক’ পোস্টের জন্য শত শত লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডাক্তাররা এ নিয়ে কথা বলতে সাহস পান না। তুরস্কের মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের আলি সেরকেজোগলু বলে - ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকমীরা গত ২০ বছরে এ পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। আইনজীবী হুরেম সোনমেজ বলছেন, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জন্য এই করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব এক সুযোগ নিয়ে এসেছে – কারণ মহামরির পরিস্থিতি সমাজ এবং বিরোধীদল দুর্বল হয়ে পড়েছে। রাশিয়ায় পুতিনের উচ্চাভিলাষের পথে কাঁটা হয়ে এসেছে মহামারি বিবিসির মস্কো সংবাদদাতা স্টিভ রোজেনবার্গ বলছেন, এ বছর জানুয়ারি মাসেই মনে হচ্ছিল যে ক্রেমলিন যেন সবকিছু নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছে। পোলিশ টেলিভিশনে প্রেসিডেন্ট দুদার ভাষণ কথা ছিল, রাশিয়ার সংবিধানে পরিবর্তন হবে, ভ্লাদিমির পুতিন আরো দু মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। তার পর ২২শে এপ্রিল জাতীয় ভোট হবে যাতে রুশ জনগণ এ পরিবর্তন অনুমোদন করবে। মি. পুতিনের সমালোচকরা যতই বলুন যে এটা এক সাংবিধানিক অভ্যুত্থান, কিন্তু এটাই যে হবে তা ছিল যেন অবধারিত। কিন্তু কোভিড ১৯ এসে সবকিছু আটকে দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন ভোট পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। এখন ক্রেমলিনের সমস্যা হলো শেষ পর্যন্ত ভোট যখন হবে - তখন কি নতুন সংবিধান অনুমোদনের ব্যাপারে রুশরা অত আগ্রহী থাকবেন? তা ছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক সমস্যা, মন্দা, লক্ষ লক্ষ চাকরি ছাঁটাই – এগুলো তো আছেই। সাধারণত রুশরা এসব সমস্যার জন্য আমলা ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের দায়ী করে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দোষারোপ করে না। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় কিনা তা দেখতে কড়া নজরদারি চলছে কিন্তু ইতিহাস বলে – নিজের অর্থকষ্ট চরমে উঠলে তাদের রাগ গিয়ে পড়ে দেশের নেতার ওপর। যা এখন মনে হচ্ছে অনিবার্য। হয়তো এ জন্যই ক্রেমলিনের নেতা সম্প্রতি আঞ্চলিক গভর্নরদের ওপর করোনাভাইরাস মোকাবিলার দায়িত্ব দিয়েছেন। মি. পুতিনের সমর্থকরা এখন বলবেন এরকম জাতীয় সংকটের সময়ই রাশিয়ার দরকার একজন শক্তিধর স্থিতিশীল নেতা। ক্রেমলিনের সমালোচকরা ইতোমধ্যেই নিয়ন্ত্রণ কুক্ষিগত করার জন্য করোনাভাইরাস সংকটকে ব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন। পার্লামেন্টে এর মধ্যে দ্রুত একটি আইন পাস হয়েছে, যাতে ভাইরাস নিয়ে 'মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য' কঠোর শাস্তির বিধান আছে – পাঁচ বছর কারাদন্ড অথবা ২৫ হাজার ডলার জেল। কোয়ারেন্টিন বলবৎ করার জন্য যে নজরদারির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা নিয়েও উদ্বেগ আছে। আর লকডাউন মানে হলো, জনসমাগম বন্ধ, বিরোধীদলের কোন প্রতিবাদ সমাবেশ করাও বন্ধ। করোনাভাইরাস সংকটে কিভাবে ক্ষমতা সংহত করছেন ভিক্টর অরবান হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট থেকে বিবিসির নিক থর্প বলছেন, হাংগেরির ক্ষমতাধর প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি - দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার পরিবর্তে - নিজের হাতে আরো ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য করোনাভাইরাস সংকটকে ব্যবহার করছেন। বিবিসি বাংলায় করোনাভাইরাস নিয়ে আরো যা রয়েছে: লকডাউনের মধ্যে জমায়েত, রিকশার গ্যারেজে জামাতে নামাজ করোনাভাইরাস নিয়ে রাজনীতিবিদরা যেসব ভুয়া তথ্য ছড়িয়েছেন করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে কারা পাচ্ছেন পিপিই? করোনাভাইরাসের লিঙ্গ বৈষম্য: কেন পুরুষরা বেশি মারা যাচ্ছে? গত ১১ই মার্চ তার তার ফিডেজ সরকার দেশে বিপদজনক পরিস্থিতি ঘোষণা করে – যাতে মহামারি মোকাবিলার পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। কিন্তু তার পরই মি. অরবান তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা ব্যবহার করে অনির্দিষ্টকালের জন্য এর মেয়াদ বাড়িয়ে দেন। ফলে সরকারের হাতে এখন ক্ষমতা আছে যতদিন খুশি ডিক্রির মাধ্যমে দেশ শাসন করার, এবং কখন বিপদ কেটে যাবে তা-ও ঠিক করবে তারাই। এতে হাঙ্গেরির গণতন্ত্র শেষ হয়ে গেছে বলে সমালোচকরা অভিযোগ করছেন কিন্তু দেশটির বিচারমন্ত্রী বলেছেন, এর দরকার ছিল এবং জরুরি অবস্থা শেষ হলেই অথরাইজেশন এ্যাক্ট নামে আইনটি উঠে যাবে। তবে দেশটির সাংবিধানিক আইন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সোলতান সিয়েন্তে বলছেন, যেহেতু এখন সরকারই ঠিক করবে যে কখন দেশে বিপজ্জনক পরিস্থিতির অবসান হয়েছে – তাই পার্লামেন্ট তার নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা সরকারের হাতে ছেড়ে দিয়ে কার্যত আসলে “আত্মহত্যা করেছে।“ অবশ্য পার্লামেন্ট এখনো আছে, সাংবিধানিক আদালতও আছে, তা ছাড়া ২০২২ সালে নির্বাচন হবার কথা। তবে মি. অরবানের ফিডেজ পার্টির বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে পার্লামেন্টে। সাংবিধানিক আদালতেও তার পছন্দের লোকরা বসে আছেন। তবে যদি ২০২০-এর শেষ নাগাদ দু-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বহাল রাখতে পারেন মি. অরবান তাহলে তিনি সুপ্রিম কোর্টের একজন নতুন প্রধান নিয়োগ করতে পারবেন। জার্মানিতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের হার কমে আসছে সেটা করতে পারলে তার ক্ষমতা হবে অপ্রতিহত। পোল্যান্ডে কেন ক্ষমতায় থাকতে মানুষের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে সরকার? বিবিসির ওয়ারশ’ সংবাদদাতা এ্যাডাম ইস্টন জানাচ্ছেন, মে মাসে দেশটিতে যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবার কথা - তার আগে সমালোচনা হচ্ছে যে কেন সরকার মহামরির মধ্যে এ নির্বাচন করছে? ব্যাপার হলো, প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেই দুদা হচ্ছেন সরকারের মিত্র এবং এখন ভোট হলে জনমত জরিপ অনুযায়ী তিনিই নিশ্চিতভাবে জিতবেন। ক্ষমতাসীন দল বলছে, এ নির্বাচন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা, আর ডাকযোগ ভোট হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ। যদিও বিরোধীদল এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও এ ভোট কতটা নিরাপদ হবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিরোদীদল বলছে, জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে নির্বাচন পেছানো হোক, কিন্তু সরকার তাতে রাজি নয়। সরকার আরো বলছে, তিনি যদি পুনঃনির্বাচন করতে না পারেন তাহলে তারা মি. দুদাকে আরো দু বছর ক্ষমতায় রাখতে সাংবিধানিক পরিবর্তন আনার এক প্রস্তাব সমর্থন করবে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, মে মাসে নির্বাচন হলে তা অবাধ -সুষ্ঠ হবে না। কারণ প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারছে না, আর ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট সরকারি মিডিয়ার সুবিধা নিয়ে জনসংযোগ করছেন। পোল্যান্ডের সরকার চায়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এখনি হযে যাক, কারণ করোনাভাইরাসের কারণে মন্দা দেখা দিলে মি. দুদার জেতার সম্ভাবনা কমে যেতে পারে। তখন সরকারের জন্য আগামী তিন বছর তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করানো অসুবিধাজনক হবে। মানবাধিকার কর্মী মালগোরিয়াতা জুলেকা বলছেন, কীভাবে একটি সংকটকে ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি সুবিধা হাসিল করে নেয়া যায় – এটা হচ্ছে তার “টেক্সটবুক” উদাহরণ। | Some of Europe's leaders have been accused of taking advantage of a public health crisis to clamp down on dissent and bolster their power. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | একজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী হিসাবে ছয়মাস ধরে যে কষ্টকর অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গেছেন কার্লি ক্লার্ক, সেই সময়ের নানা প্রোট্রেট ছবি তুলে রেখেছেন তিনি। ''আমার নিজের চুল আমার হাতে, কাপড়ে লেগে থাকতো আর বাথরুমে পড়ে থাকতো। মাথা ধোয়ার পরে চুল আঁচড়ালে চুল পড়া শুরু হয়ে যেতো।'' ''আয়নায় আমি দেখতে পেতাম, আস্তে আস্তে আমার চেহারা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে।'' একজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী হিসাবে ছয়মাস ধরে যে কষ্টকর অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গেছেন কার্লি ক্লার্ক, সেই সময়ের নানা পোর্ট্রেট ছবি তুলে রেখেছেন তিনি। সবশেষে তিনি তার বাবাকে অনুরোধ করেন যেন তিনি তার মাথা থেকে শেষ চুলগুলো কেটে ফেলে দেন। তখন তার বয়স মাত্র ২৬ বছর। ''আমার মাথা ভর্তি চুল ছিল। আর এখন আমাকে দেখতে একজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর মতোই লাগে',' তিনি বলছেন। আরো পড়তে পারেন: আমেরিকার কংগ্রেসে অভিশংসিত হলেন ট্রাম্প ট্রাম্পের অভিশংসন: এরপর কী ঘটবে? ট্রাম্পের অভিশংসন: এরপর কী ঘটবে? ইমপিচমেন্ট কী, কেন ও কিভাবে করা হয়? কার্লি ক্লার্কের যখন ২০১২ সালে ক্যান্সার ধরা পড়ে, তখন সে নিজের শেষ দিনগুলোর ছবি তুলতে শুরু করে। এই ছবিগুলো তোলার ছয় মাস আগে কার্লি ক্যানাডার একটি স্বপ্নচারী মেয়ে ছিলেন, যিনি ভ্যাঙ্কুভারে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের প্রজেক্ট হিসাবে শহরতলীর দারিদ্রের নানা ছবি তুলছিলেন। তবে ২০১২ সালের পরের ছয়মাস ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। তার সমস্যার মধ্যে রয়েছে নিউমোনিয়া থেকে অ্যাজমা। চিকিৎসকরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এই লড়াইয়ের সময় তার ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু তিনি সেসব কিছুই আর গুরুত্ব দেননি। ''এই অসুস্থতা, তা যাই হোক না কেন, আমার জীবনধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে দেবো না,'' তিনি বলেছেন। আরো পড়ুন: ক্যান্সার নিয়ে যে সুখবর আসছে আগামী দিনগুলোয় কী করে বুঝবেন আপনার স্তন ক্যান্সার হতে পারে? ক্যান্সার চিকিৎসার সময় যেসব খাবার নিষেধ মুরগির ডিম থেকে পাওয়া যাবে ক্যান্সার প্রতিরোধী ওষুধ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আগে কার্লি কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের প্রজেক্ট হিসাবে শহরতলীর দারিদ্রের নানা ছবি তুলছিলেন তিন মাস পরে কার্লি নিজের বুকের এবং শরীরের পেছন দিকে কষ্ট কমানোর জন্য আরো বেশি মরফিনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন, যাতে তিনি একটু ঘুমাতে পারেন। বিশেষ যত্ন পাওয়ার জন্য ক্যানাডার চিকিৎসকদের পরামর্শে বাড়িতে, ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন কার্লি। সেখানে ২০১২ সালের মার্চে তার শরীরে হজকিন লিম্ফোমা নামের একটি বিরল ও আগ্রাসী ধরণের ক্যান্সারের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তার বাম দিকের ফুসফুস ও বুকের দেয়ালে আঙ্গুর আকৃতির একটি টিউমার বড় হয়ে উঠেছে। নিজের পাশাপাশি হাসপাতালের অন্যান্য ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের ছবি তুলতে শুরু করেন কার্লি তার পরিবারের জন্য এই সংবাদ মেনে নেয়া ছিল কষ্টকর একটা ব্যাপার। ''আমার বাবা-মার মনে হলো, কেউ যেন তাদের পাকস্থলী কেটে বের করে নিয়েছে। আমাদের পরিবারে ক্যান্সারের খুব বেশি ইতিহাস ছিল না।'' ''আমার ছেলেবন্ধুও ভেঙ্গে পড়লো। সে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ইংল্যান্ডে চলে এলো আমার সঙ্গে থাকার জন্য।'' ''আমার জীবন যেন ধীর গতিতে চলতে শুরু করলো। ওষুধের পর ওষুধ, অন্তহীন পরীক্ষা, বিশাল সূচ, গলার ভেতর দিয়ে পাইপ ঢুকানো আর এসবের মধ্যে আশা করা যে একদিন এসব কষ্টের দিন শেষ হবে,'' বলছেন কার্লি। কার্লির বাম দিকের ফুসফুস ও বুকের দেয়ালে আঙ্গুর আকৃতির একটি টিউমার ধরা পড়ে। সে সময় পৃথিবী সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি, এবং নিজের সম্পর্কেও, পাল্টে যাচ্ছিল। সেসব সময় ছবিতে তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। ''আমি ভাবলাম, সৃষ্টিশীল কিছুর মধ্যে ব্যস্ত হলে হয়তো এই কঠোর বাস্তবতা থেকে নিজেকে বের করে নিতে পারবো এবং আমার বর্তমান মানসিক আঘাত সামলে উঠতে পারবো,'' কার্লি বলছেন। রিয়েলিটি ট্রমা হচ্ছে তার আত্মছবির একটি ধারাবাহিক, যেখানে হাসপাতালের ভেতর ও বাইরে তার জীবন পাল্টে যাওয়ার ছবি রয়েছে। কার্লি ক্লার্কের ওষুধপত্র ছোট বা বড় সাক্ষাৎ, যাই হোক না কেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে যখন তখন ট্রাইপড এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহারের স্বাধীনতা দিয়েছে। অনেক সময় চিকিৎসক এবং সেবিকারা তার জন্য ক্যামেরার শাটার টিপে দিয়েছে। কার্লি চেয়েছেন, তার কাজ যেন অন্যদেরও উৎসাহিত করতে পারে যাতে তারা চেহারায় ক্যান্সারের ছাপ পড়লেও সেটার মুখোমুখি দাঁড়াতে পারেন। সেটা যেন তাদের পরিচয়কে মুছে ফেলতে না পারে। দুই মাসেই ১২ কেজি ওজন হারিয়েছিল কার্লি এবং তাকে নিয়মিত রক্ত দেয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। তখন তার ঘনঘন হাসপাতালে যাওয়ার দরকার হয়ে পড়ছিল। সবচেয়ে খারাপ অবস্থার সময় তিনি প্রায়ই অচেতন বা ঘুমিয়ে পড়তেন, হাসপাতালের প্রায় সব খাবার খেতে অনীহা প্রদর্শন করছিলেন। কোন পড়াশুনা করতে পারছিলেন না। এমনকি নিজের ছবি তুলতে বা ছেলে বন্ধুকে ফোন করতেও ক্লান্ত লাগতো। কেমোথেরাপি নিচ্ছেন কার্লি ক্লার্ক তার কাশির সঙ্গে মাঝে মাঝে রক্ত বেরিয়ে আসতে শুরু করছিল। কিন্তু তারপর একদিন, প্রায় তিন মাসের কেমোথেরাপির পর, তার কাশি বন্ধ হয়ে গেল। তার অন্যান্য লক্ষণগুলো কমে গেল। তিনি ভাবলেন, চিকিৎসায় কাজ হতে শুরু করেছে। বায়োপসিতেও সেটা নিশ্চিত হওয়া গেল যে, ক্যান্সার হারতে শুরু করেছে। জীবন সম্পর্কে তার ধারণা আবার বদলে গেল। ''অসহায়ত্ব বদলে যেন আশাবাদ তৈরি হতো শুরু করলো- এবং তারপরে আনন্দ। যখন আপনি মৃত্যুর খুব কাছাকাছি আসবেন, তখন আপনি আপনার জীবন পুরোদমে কাটাতে চাইবেন।'' হাসপাতালের ওয়ার্ড কষ্টের স্থান থেকে যেন অন্য কিছুতে রূপান্তরিত হয়ে গেল। হাসপাতাল কর্মীরা বন্ধু হয়ে উঠছে, এমনকি কোন কোন রোগীও। সেখানে এক বয়স্ক দম্পতি ছিল, যাদের ভিন্ন ধরণের লিউকেমিয়া ছিল। অনেক সময় কার্লির সঙ্গে একই দিনে তাদেরও চিকিৎসা দেয়া হতো। একদিন এক স্বামী জানালেন, তার স্ত্রী আর ক্রিসমাস দেখতে পারবে না। 'আমি সেই ভদ্রমহিলাকে জড়িয়ে ধরলাম। তারা কখনোই আমার স্মৃতি থেকে মুছে যাবে না।'' চিকিৎসা চলার সময় হাসপাতালে কার্লি ক্লার্ক কার্লি যত ভালো বোধ করতে শুরু করলো, ততই সে বাইরের জগতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে শুরু করলো। তার ছেলেবন্ধু এবং বন্ধুরা তাকে প্রায়ই দুপুরের খাবারের জন্য বাইরে নিয়ে যেতো, অনেক সময় গাড়িতে করে সৈকতে বেড়াতে নিয়ে যেতো। সহপাঠী এবং শিক্ষকদের কাছ থেকে সে বুঝতে শুরু করলো যে, তার ছবিগুলো অন্যান্য মানুষকে স্পর্শ করতে শুরু করেছে। কার্লি বলছেন, এসব ছবিতে শুধুমাত্র ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের শারীরিক বা মানসিক প্রভাবের বিষয়গুলো আসেনি, বরং, এটা যে ভীতিকর নয়, সেটাই ফুটে উঠেছে। ''যেসব ছবি আমি তুলেছিলাম, সেগুলো যখন দেখি, তা আমাকে শক্তি যোগায় কারণ এসব ছবিতে আমি জীবনপ্রান্তের শেষ সীমায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু আমার ভেতরের একটা অংশ তখনো বলতো যে, আমি সেটা কাটিয়ে উঠতে পারবো।'' হাসপাতালের বিছানায় কার্লি, ওষুধে প্রতিক্রিয়ায় পিঠে লালচে র্যাশ অন্যান্য ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের এসব ছবি দেখাতে শুরু করেছেন কার্লি। তাদের অনেকের ছবির পোর্ট্রেটও তিনি তুলতে শুরু করেছেন। সে সময় অনেকের মুখে হাসিও ফুটে ওঠে। কার্লি বলছেন, ''এটা যদি সত্যি হয় যে, একটু হাসি বা সহায়তা, আন্তরিকতা একজন মানুষের আবেগকে পরিবর্তন করতে পারে, দিনকে উজ্জ্বল করতে পারে, তাহলে একটি ইতিবাচক ছবি একজনের জীবন পরিবর্তনেও সহায়তা করতে পারবে'।' ''এটা হয়তো কারো কারো মানসিক শক্তির কারণ হতে পারে এবং তাদের ইচ্ছাশক্তিকে জাগিয়ে তুলতে পারে যাতে তারা কষ্টের ভেতর দিয়ে গেলেও আশাবাদ ধরে রাখতে পারেন যে, খুব তাড়াতাড়ি এই কষ্টের শেষ হবে। আমার মতে, সব কঠিন সময়ের মধ্যেই এটাই মানুষকে ধরে রাখে'' কার্লি বলছেন। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যখন কার্লির চিকিৎসার সমাপ্তি হয়, তখন সে তার এই যাত্রাপথের পুরো সময়টা পেছন ফিরে যেন দেখতে পেলেন। ১৫টি রোল আর দেড়শ ছবি- এবং তিনি ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। কেমোথেরাপির এক পর্যায়ে কার্লি ক্লার্ক এটা ছিল তার জীবনে উৎসব করার একটি সময়। কিন্তু যখন তারা বাড়িতে ফেরার সময় এলো, সেটা তার জন্য সহজ ছিল না। যখন তিনি তার অব্যবহৃত ওষুধপত্র বাক্সে ভরে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিলেন, তখন বরং তার খারাপ লাগতে শুরু করলো যে, তিনি আর এই হাসপাতালে থাকছেন না। ''হাসপাতালের কর্মীরা এবং কোন কোন রোগী যেন আমার পরিবারের সদস্য হয়ে উঠেছিল। আমরা অনেক মাস ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলাম।'' কয়েকমাস পরে কার্লি ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যান এবং ছেলেবন্ধুর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। পরবর্তীতে বেশ কয়েকবার তিনি বাড়িতে আসেন এবং বছরে দুইবার ফলোআপের জন্য হাসপাতালে যান। যতবার তিনি সেখানে গিয়েছেন, তিনি পুরনো সেই মানুষগুলোকে দেখতে পান। আরোগ্য হয়ে ওঠার পর কার্লি ক্লার্ক চিকিৎসা শেষ হওয়ার কয়েক বছর পরে যখন একবার পরামর্শ নেয়ার জন্য সেই হাসপাতালে কার্লি গেলেন, সেখানকার অপেক্ষা কক্ষে একজন নারীকে দেখতে পেলেন। ইনি ছিলেন সেই নারী, যার সম্পর্কে তার স্বামী বলেছিলেন যে, তিনি ক্রিসমাস পর্যন্ত বাঁচবেন না। ''আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, যে ইনিই সেই নারী। সময়টা যেন সুন্দর হয়ে গেল।'' কার্লি তখন চারপাশের মানুষের তথ্য সংগ্রহ করে রাখার একটা তাগিদ বোধ করলেন। ২০১৪ সালে তিনি কয়েকমাস ভারতে কাটান। তার সেই ভ্রমণের ছবি ২০১৮ সালের আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র পুরস্কার পেয়েছে। সেই বছরই তার রিয়েলিটি ট্রমার 'লাস্ট ডে অফ কেমোথেরাপি' ছবিটি পোর্ট্রেট অব ব্রিটেন অ্যাওয়ার্ডের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পায়। যারা সফলভাবে চিকিৎসা শেষ করতে পেরেছেন যখন তার ইমেইলের ইনবক্স নানা ধরণের পুরস্কার অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে ভরা আর তার ক্যালেন্ডারে নানা ছবি তোলার কর্মসূচীতে ভরপুর, তখন তিনি স্থানীয় হাসপাতাল সেন্ট উলফ্রেডে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের জীবনের শেষ সময়কার ছবি তোলার একটি প্রজেক্ট গ্রহণ করলেন। তিনি চাইছিলেন, কীভাবে অন্তিম অসুস্থতা মানুষের মানসিকতার ওপর প্রভাব ফেলে এবং কীভাবে মানুষ তাদের শেষ সময়গুলো কাটায়, কীভাবে শেষ বিদায় জানায় বা শখ মেটায়, সেগুলোর তথ্যচিত্র তৈরি করতে। কিন্তু গতবছরের সেপ্টেম্বর মাসে তার ভাই, লি-এর একটি টেলিফোন পেয়ে তার সেই পরিকল্পনা থমকে যায়। তিনি বোনকে জানালেন, তাদের ছোটভাই জো-র হজকিন লিম্ফোমা ক্যান্সার ধরা পড়েছে- যে ক্যান্সার ছয় বছর আগে কার্লির হয়েছিল। ''আমরা দুজনেই টেলিফোনের দুই প্রান্তে কাঁদতে শুরু করলাম,'' কার্লি বলছেন। এই ছবির শিরোনাম 'লাস্ট ডে অব কেমোথেরাপি' জোর বয়স তখন মাত্র ১৬ বছর এবং কলেজে ভর্তি হয়েছে। কার্লির তুলনায় তার ক্যান্সার প্রাথমিক দিকে ছিল কিন্তু কার্লির মতো সেও রোগ সনাক্ত হওয়ার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। ''সে তার পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য প্রস্তুত ছিল না, আমরা কেউই ছিলাম না,'' কার্লি বলছেন। যতটা সম্ভব স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছিল জো, মেয়েবন্ধুর সঙ্গে সময় কাটিয়ে, গাড়ি চালনা শিখে এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে। কিন্তু যত বেশি সে হাসপাতালে যাতায়াত করতে শুরু করলো, তার পড়াশোনার ফলাফলে প্রভাব পড়তে শুরু করলো এবং বন্ধু সংখ্যাও কমে গেল। ভাইয়ের সঙ্গে আরো বেশি সময় কাটানোর উদ্দেশ্যে এ বছরের শুরুর দিকে কার্লি জানতে চাইলেন, সে তার কিছু ছবি তুলতে পারে কিনা। জো রাজি হলেন। ভারতে ছবি তোলার সময় কার্লি ক্লার্ক জো-র বয়স যখন অনেক কম, তখন বাড়ি ছেড়েছিল তার চেয়ে ষোল বছরের বড় কার্লি। কিন্তু তার একমাত্র বোন হিসাবে সে সব সময়েই তার প্রতি দায়িত্ব বোধ করেছে। ছোট থাকার সময় কীভাবে ছবি আঁকতে হয়, সেটা সে শিখিয়েছে। পরবর্তীতে কার্লি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য লন্ডন চলে যায়, তখন মাঝেমাঝে তাদের দেখা সাক্ষাৎ হতো। প্রতিটি সাক্ষাতের সময় কার্লি দেখতে পেতো জো খানিকটা লম্বা হয়েছে, গলা খানিকটা ভারী হয়েছে। কিন্তু এখন হাসপাতালের ওয়ার্ডে ক্যামেরার পেছনে তাকিয়ে কার্লি বুঝতে পারছে, তার ছবিতে জো-র বড় ধরণের পরিবর্তন ফুটে উঠছে। তার সোনালী চুলগুলো পড়ে যেতে শুরু করেছে। কার্লি বুঝতে পারছিল, তার মতো মাথা একেবারে কামানোর আগে এভাবেই চুল পড়তে থাকবে। পরবর্তী ধাপে কেমোথেরাপির জন্য যে স্টেরয়েড দেয়া হচ্ছিল জোকে, তা তাকে দেখতে বয়স্ক করে তুলছিল এবং তার ওপর নাটকীয় পরিবর্তন এনে দিচ্ছিল। আরো বেশি পরামর্শ এবং সহায়তার জন্য কার্লির ওপর নির্ভর করতে শুরু করলো জো। রোগ সনাক্ত হওয়ার আগে কার্লি এবং জোর ছবি ছোট থাকার সময় কার্লিকে ক্যান্সারের ভেতর দিয়ে যেতে দেখেছে জো, সে জানতো এই রোগ তার বোনের ওপর কী প্রভাব ফেলেছে। সেই সঙ্গে সে এটাও দেখেছে যে, তার বোন ক্যান্সারকে হারিয়ে দিয়েছে। ''যখন তার ভেতর দ্বিধা বা সন্দেহ তৈরি হয়, তখন তার ভেতর এটা আশাবাদ তৈরি করে, ইতিবাচকভাবে ভাবতে শেখায় যে, আমি এই রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করেছিলাম,'' কার্লি বলছেন। কারণ জো-র ক্যান্সার বেশি গুরুতর পর্যায়ে যায়নি। সুতরাং কার্লি ধারণা করছিল, তার আরোগ্য লাভ তাড়াতাড়ি হবে এবং তার ছবির পর্বও কম হবে। এই পর্বটি হবে একজন তরুণের জীবন, যে ক্যান্সার থেকে সেরে উঠেছে। কিন্তু জো-র প্রথম দফার কেমোথেরাপি সফল হয়নি। ''খবরটি সবাইকে হতভম্ব করে দেয়। আমাদের সম্পর্ক যেন বদলে যায়, এটা যেন অনেকটা অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে,'' কার্লি বলছেন। সিটি স্ক্যানের জন্য অপেক্ষা করছেন জো আবার ভেঙ্গে পড়ে জো। তাকে আরো চারমাসের কেমোথেরাপি আর কোষ প্রতিস্থাপনের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। তার যেসব চুল গজিয়েছিল, সেগুলো আবার পড়ে যায়। জো জানায়, সে আর আলোকচিত্রের বিষয় হতে চায় না - যে সিদ্ধান্তের কারণ উপলব্ধি করতে পারে কার্লি এবং সম্মান করে। তবে প্রায় একমাস পরে সে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। ''তার যে বিষয়টি আমার ভালো লাগে তা হলো সে ইতিবাচকভাবে ভাবছে। সে জানতো, কি ঘটতে চলেছে এবং তার চোখ দূর থেকেই ঝলমল করতে শুরু করেছে,'' কার্লি বলছেন। ''এটা প্রমাণ করে যে, সে কতটা বদলে গেছে এবং একজন তরুণ ক্যান্সার রোগী হিসাবে সে নিজের অবস্থাকে মেনে নিয়েছে'।' রঙিন চুল সহ জো চিকিৎসকের পরামর্শের বিরুদ্ধে গিয়ে কোষ প্রতিস্থাপন চিকিৎসা বন্ধ করে দেয় জো। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় হচ্ছিল তার-শ্বাসকষ্ট হওয়া, চামড়ার সমস্যা, ডায়রিয়া ইত্যাদি। দাতা কোষ যদি গ্রহীতা কোষকে আক্রমণ করে তাহলে তার জীবন কঠিন করে দিতে পারে। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কিছুদিনের মধ্যে মে মাসে তার স্ক্যান রিপোর্ট পরিষ্কার এলো। এর মানে হলো তার উপশম পর্যায় শুরু হবে এবং সে পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে যেতে পারবে, লি-র বিয়েতে অংশ নিতে পারবে। পরবর্তী কয়েক মাস ধরে তার অবস্থা পর্যালোচনার জন্য নিয়মিত অ্যাপয়েন্টমেন্ট করা হলো চিকিৎসকের সঙ্গে, কিন্তু তার ওজন যতটা বেড়েছিল সেটা আমার কমে গেল এবং সবশেষে আবার চুল গজাতে শুরু করলো। সিটি স্ক্যান করা হচ্ছে জো-র কার্লি বলছেন, তার ছবি দেখে পরিষ্কার বুঝতে পারা যায় যে, যখন সে এবং জো'র শরীর ও মন একটি অন্তহীন গন্তব্যের দিকে যাচ্ছিল, তখন তারা কী অবস্থার ভেতর দিয়ে গেছে। ''যেসব ছবি আমি তুলেছি, আমার এবং জোর, অনেক কষ্টের অভিজ্ঞতা মনে করিয়ে দেয়। তবে সেই সঙ্গে সেগুলো এটাও মনে করিয়ে দেয় যে, এ ধরণের কঠোর সময়ের মধ্যে মানব শরীর কতটা সক্ষমতা প্রকাশ করতে পারে'' বলছেন কার্লি। ''এসব ছবি হয়তো সেই সময়ের খানিকটা আভাস তুলে ধরতে পারে। কিন্তু আমার আশা হলো দর্শকরা শুধুমাত্র ভীতিকর দিকটাই দেখবে না, বরং ক্যান্সার থেকে বেঁচে ফেরার প্রতিশ্রুতি এবং এই রোগে ভোগা মানুষদের অসাধারণ আশাবাদের ব্যাপারটিও দেখতে পারবে।'' কেমোথেরাপি দেয়া হচ্ছে জোকে | When Carly Clarke was diagnosed with cancer in 2012, she set out to photograph how she changed during what could have been the last days of her life. Seven years on, by cruel coincidence, she is at her brother's side, photographing him going through the same ordeal. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | নতুন সনাক্ত হওয়া এই ভাইরাসের আগে আরো ছয় ধরণের করোনাভাইরাস সনাক্ত করা হয়েছে যা মানুষকে আক্রান্ত করে নতুন এই ভাইরাসে ৫০ জন আক্রান্ত হওয়ার কথা নিশ্চিতভাবে জানা গেছে বলে জানানো হয়, কিন্তু যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন এই সংখ্যা এক হাজার ৭শ জনেরও বেশি। গত ডিসেম্বরে ইউহান শহরে সনাক্ত হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত দুই জন শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় মারা গেছে। "গত সপ্তাহের তুলনায়ও এ সপ্তাহে আমি অনেক বেশি উদ্বিগ্ন," বলেন রোগ প্রাদুর্ভাব বিষয়ক বিজ্ঞানী অধ্যাপক নিল ফার্গুসন। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের গ্লোবাল ইনফেকশাস ডিজিজ অ্যানালাইসিস এর এমআরসি সেন্টার এই গবেষণাটি করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাজ্য সরকার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো সংগঠনের পরামর্শক হিসেবে কাজ করে থাকে। সিঙ্গাপুর এবং হংকং ইউহান থেকে আগত বিমান যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করেছে। শুক্রবার থেকে নিজেদের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর যথা সান ফ্রান্সিসকো, লস এঞ্জেলেস এবং নিউইয়র্কে একই ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। আক্রান্তের সংখ্যা কিভাবে হিসাব করা হয়েছে? এই সমস্যাটি কতটা ভয়াবহ হবে তা নির্ভর করে অন্যান্য দেশে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার কতটি ঘটনা পাওয়া যায় তার উপর। যদিও এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চীনের ইউহান শহরকে কেন্দ্র করেই রয়েছে, তবে থাইল্যান্ডে দুই জন এবং জাপানে একজন আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। "এ জন্যই আমি ভয় পাচ্ছি," বলেন অধ্যাপক ফার্গুসন। তিনি বলেন: "ইউহান শহর থেকে রোগটি অন্যান্য দেশের তিন জন ব্যক্তির মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে, তার মানে হচ্ছে আক্রান্তের এই সংখ্যা বাস্তবে আরো অনেক বেশি হতে পারে যা হয়তো এখনো নজরে আসেনি।" এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন সংখ্যা পাওয়া অসম্ভব কিন্তু আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ-যা ভাইরাসের উপর নির্ভর করে, স্থানীয় জনসংখ্যা এবং ফ্লাইটের তথ্য থেকে এ সম্পর্কিত একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে। ইউহান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি এক কোটি ৯০ লাখ মানুষ ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এই বিমানবন্দর ব্যবহার করে প্রতিদিন মাত্র ৩ হাজার ৪০০ মানুষ আন্তর্জাতিক সফর করে থাকে। এ বিষয়ে বিস্তারিত হিসাব, বিজ্ঞান বিষয়ক একটি জার্নালে প্রকাশের আগে যেটি অনলাইনে পোস্ট করা হয়েছে তাতে দেখা যায় যে, ১৭০০ মানুষ এই রোগে এখনো পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: 'সোয়াইন ফ্লু' নিয়ে কি উদ্বেগের কারণ আছে? শীতকালে শিশুদের রোগ থেকে দূরে রাখবেন যেভাবে ২০১৯ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে সেরা আবিষ্কারসমূহ বেইজিংয়ের দক্ষিণের ইউহান শহরে প্রথম নতুন এই ভাইরাস সনাক্ত করা হয়। এটার অর্থ কী? অধ্যাপক ফার্গুসন বলেন, "এখনই হুঁশিয়ারি দেয়াটা একটু অগ্রিমই হয়ে যায়" কিন্তু তিনি গত সপ্তাহের তুলনায় এখন "আরো বেশি উদ্বিগ্ন" বলে জানান। চীনের কর্তৃপক্ষ বলছে, এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার কোন ঘটনা এখনো দেখা যায়নি। বরং ভাইরাসটি আগে শুধু পশু-পাখিকে আক্রান্ত করলেও এটি এখন আরো শক্তিশালী হয়েছে এবং এটি মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে। এই ভাইরাসটি ইউহানের একটি সিফুড এবং বন্যপ্রাণীর বাজারের আক্রান্ত পশু থেকে এসেছে বলেও জানানো হয়। অধ্যাপক ফার্গুসন বলেন: "মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাটিকে আগের চেয়ে আরো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত।" "করোনাভাইরাস সম্পর্কে আমরা যা জানি তা বিশ্লেষণ করে আমার যে ধারণা সেটি হচ্ছে যে, শুধুমাত্র পশুর সংস্পর্শ এতো বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার একমাত্র কারণ হতে পারে না।" কোন একটি ভাইরাস কিভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তা জানাটাই এটির হুমকি পরিমাপের অন্যতম উপায়। ভাইরাসটি আসলে কী? আক্রান্ত রোগীদের কাছ থেকে ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে তা গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। চীনের কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই সংক্রমণ যে ভাইরাসের কারণে হচ্ছে সেটি আসলে এক ধরণের করোনাভাইরাস। অনেক ধরণের করোনাভাইরাস রয়েছে, কিন্তু শুধু ছয় ধরণের ভাইরাস মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে। নতুন ভাইরাস-সহ এটি হবে সপ্তম। একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে দেখা দেয় সাধারণ সর্দি, কিন্তু মারাত্মক ধরণের সংক্রমণ বা সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সংক্ষেপে সার্স হচ্ছে এক ধরণের করোনাভাইরাস। যাতে ২০০২ সালে ৮০৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছিল এবং এদের মধ্যে ৭৭৪ জন মারা গিয়েছিল। ভাইরাসের জিনগত বৈশিষ্ট্য (জেনেটিক কোড) বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, মানুষকে আক্রান্ত করা অন্য করোনাভাইরাসের তুলনায় সার্সের সাথে এটির বেশি মিল রয়েছে। এই ভাইরাসের কারণে রোগীরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় এবং এদের মধ্যে দুই জন মারা যায়। অন্য বিশেষজ্ঞরা কী বলছে? ওয়েলকাম মেডিকেল রিসার্চ চ্যারিটির পরিচালক ডা. জেরেমি ফারার বলেন: "এই মহামারি থেকে আরো অনেক কিছু আসতে পারে।" "অনিশ্চয়তা এবং তথ্যের ফাঁক রয়েই যায়, তবে এটা পরিষ্কার যে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের একটা নূন্যতম মাত্রা তো রয়েছেই।" "চীন এবং অন্যান্য দেশ থেকে আমরা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাচ্ছি এবং এই সংক্রমণের ধরণ অনুযায়ী, আরো অনেক দেশে এ ধরণের আরো অনেক সংক্রমণের ঘটনা রয়েছে।" নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোনাথন বল বলেন: "যে বিষয়টা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে, গবেষণাগারে ব্যাপক হারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া এ ভাইরাসে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা বলাটা খুব কঠিন।" "কিন্তু আমাদের হাতে আরো তথ্য আসার আগ পর্যন্ত এই সংখ্যাটাকে আমাদের গুরুত্বের সাথে নিতে হবে, ৪১টি ক্ষেত্রে পশু থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ার তথ্য রয়েছে, তবে সনাক্ত হয়নি এমন আরো অনেক সংক্রমণ রয়েছে বলেও আশঙ্কা রয়েছে।" বিবিসি বাংলার আরো খবর: পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ঘোষণা লিবিয়ার পরিস্থিতি এতো জটিল হলো কিভাবে? সামরিক বাহিনীর পক্ষে খামেনির সাফাই | The number of people already infected by the mystery virus emerging in China is far greater than official figures suggest, scientists have told the BBC. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | যুক্তরাষ্ট্রের আগে যুক্তরাজ্যে বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের ব্যবহার শুরু হয়। ভ্যাকসিন বণ্টনের কাজ তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত জেনারেল গুস্তাভ পেরনা বলেছেন, এই সপ্তাহান্তেই ভ্যাকসিনের প্রথম ৩০ লাখ ডোজ যুক্তরাষ্ট্রের "সব রাজ্যে" পৌঁছে দেয়া হবে। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনটি ৯৫% সুরক্ষা দেয় এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনেরও (এফডিএ) ছাড়পত্র পেয়েছে। শনিবারও যুক্তরাষ্ট্রে কোভিডের কারণে মারা যায় ৩ হাজার ৩০৯ জন। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই তথ্য বিশ্বের যেকোন জায়গার চেয়ে ঐদিনে মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি। যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বর থেকে করোনাভাইরাসের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। আরো পড়ুন: ফাইজার/বায়োএনটেকের টিকা জরুরী ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়ার পর মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন-এফডিএ বলেছে এই মহামারিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন। এই ভ্যাকসিনটিতে অনুমোদন দিতে এফডিএ'র উপর ট্রাম্প প্রশাসন চাপ দিয়ে আসছিল। এরইমধ্যে যুক্তরাজ্যে এই ভ্যাকসিনটির ব্যবহার শুরু হয়েছে। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল পেরনা, যিনি মার্কিন সরকারের টিকাদান কর্মসূচী অপারেশন ওয়ার্প স্পিডের বিষয়ে বলেন যে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভ্যাকসিনগুলো পরিবহনের জন্য শিপিং কন্টেইনারে তোলা হবে। জেনারেল গুস্তাভ পেরনা "সোমবার বিভিন্ন রাজ্যের ১৩৪টি স্থানে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে। পরে মঙ্গলবারে আরো ৪২৫টি এবং বুধবার আরো ৬৬টি স্থানে ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম চলবে।" তিনি বলেন। পরের সপ্তাহে ফাইজার/বায়োএনটেকের প্রথম চালানের সব টিকা সরবরাহ শেষ হবে এবং আশা করা হচ্ছে যে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে। জেনারেল পেরনা সাংবাদিকদের বলেন যে, তিনি শতভাগ নিশ্চিত যে কোভিডের মতো শত্রুকে পরাজয়ে প্রয়োজনীয় এই ডোজগুলো সুরক্ষিতভাবে পরিবহন করা হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন যে, যদিও এই কাজটি করতে সপ্তাহ খানেক লাগবে কিন্তু "প্রতিটি আমেরিকান ভ্যাকসিনের আওতায় আসার আগ পর্যন্ত আমরা থামবো না।" ফাইজারের ভ্যাকসিন এরইমধ্যে যুক্তরাজ্য, কানাডা, বাহরাইন এবং সৌদি আরবের অনুমোদন পেয়েছে। এসব দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রও স্বাস্থ্যকর্মী এবং কেয়ার হোমে থাকা বাসিন্দাদের সবার আগে ভ্যাকসিন দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্রাধিকারের তালিকার বাইরে থাকা মার্কিনীরা জানুয়ারির দিকে ভ্যাকসিন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এপ্রিল থেকে স্বাভাবিকভাবেই ভ্যাকসিন সবার আওতায় আসবে। ভ্যাকসিন নিয়ে এফডিএ কী বলেছে? খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন-এফডিএ'র প্রধান স্টিফেন হান বলেন, ""যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্ব জুড়ে যে মহামারি এতো পরিবারকে আক্রান্ত করেছে তার বিরুদ্ধে লড়তে এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।" তিনি বলেন যে, "উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার পরই" এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, "ভ্যাকসিনটি সুরক্ষা, কার্যক্ষমতা এবং উৎপাদন মানের দিক থেকে এফডিএ'র কঠোর, বৈজ্ঞানিক মানদণ্ড পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।" খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন-এফডিএ'র প্রধান স্টিফেন হান বৃহস্পতিবার, এফডিএ'র চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা ভ্যাকসিনটির জরুরী ব্যবহার অনুমোদন করে। ২৩ সদস্যের একটি প্যানেল নিশ্চিত করে যে, ভ্যাকসিনটির কার্যক্ষমতা এর ঝুঁকির তুলনায় অনেক বেশি। এফডিএ বলছে যে, জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন আর পূর্ণ অনুমোদন এক নয়। পূর্ণ অনুমোদন পেতে হলে ফাইজারকে আলাদা করে আবেদন করতে হবে। মার্কিন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এর আগে বলা হয়েছিল যে, শুক্রবারের মধ্যে ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দিতে মি. হানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং তা না হলে তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। তবে এসব প্রতিবেদন "অসত্য" বলে উল্লেখ করে মি. হান বলেন, চাপের মুখে পড়ে সংস্থাটি টিকার পরীক্ষায় সুরক্ষার সাথে কোন আপোষ করেনি। ভ্যাকসিনটি কীভাবে কাজ করবে? করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে ফাইজার/বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনটিই একমাত্র ভ্যাকসিন যেটি টেস্টের শেষের দিকে গিয়েও উল্লেখযোগ্য ফলাফল দেখাতে পেরেছে। এটি নতুন ধরণের এমআরএনএ ভ্যাকসিন, যেটি মহামারির ভাইরাসটির জেনেটিক কোডের একটি ক্ষুদ্র অংশ নিয়ে শরীরকে শেখায় যে কিভাবে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়তে হবে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে। এফডিএ বলে, "ভ্যাকসিনে কোভিড-১৯ ভাইরাসের ছোট এক টুকরো এমআরএনএ রয়েছে যা দেহের কোষকে ভাইরাসের স্বাতন্ত্র্য স্পাইক প্রোটিন তৈরির নির্দেশ দেয়।" "যখন একজন ব্যক্তি ভ্যাকসিনটি গ্রহণ করেন, তখন তার দেহ স্পাইক প্রোটিনের কতগুলো কপি তৈরি করে, যা রোগ সৃষ্টি করে না, কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শেখায় যে কিভাবে সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হয়, যা কোভিডে-১৯ এর বিরুদ্ধে একটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সহায়তা করে।" সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন রাজ্যের ১৩৪টি স্থানে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে। ২১ দিনের ব্যবধানে ভ্যাকসিনটির দুটি ডোজ দেয়া হয়। এরমধ্যে দ্বিতীয় ডোজটি একটি বুস্টার ডোজ। প্রথম ডোজটি দেয়ার পর থেকেই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হতে শুরু করে কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার সাত দিন পর এটি পূর্ণ শক্তিশালী হয়। ভ্যাকসিনটিকে অবশ্যই অত্যন্ত কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয় যার কারণে এটির বিতরণ প্রক্রিয়া কঠিন। ফাইজার জানায়, বিশেষভাবে তৈরি কন্টেইনার যা ড্রাই আইস ব্যবহার করে ভ্যাকসিনটিকে জমিয়ে রাখতে সহায়তা করে সেটিতে করে সরাসরি টিকাদানের স্থানে এটি সরবরাহ করা হবে। ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিটি মার্চ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রকে ১০কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দিতে রাজি হয়েছে। জুন নাগাদ মডার্না এবং জাতীয় স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের তৈরি আরেকটি ভ্যাকসিনের ২০কোটি ডোজ পাওয়ার কথা রয়েছে। তবে ভ্যাকসিনটি যুক্তরাষ্ট্রে এখনো অনুমোদন পায়নি। | The US public will start receiving the Pfizer/BioNTech coronavirus vaccine from Monday after it was authorised for emergency use, officials say. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | মেমফিসের নাগরিক অধিকার জাদুঘরে মার্টিন লুথার কিংয়ের শেষ ভাষণের অংশবিশেষ মার্টিন লুথার কিং মারা যাওয়ার আগের সপ্তাহে একটি বর্জ্য বহনকারী লরিতে করে তিনি মেমফিস পৌঁছেছিলেন। এর দুই মাস আগে দুইজন কৃষ্ণাঙ্গ পরিচ্ছনতা কর্মী - একোল কোল এবং রবার্ট ওয়াকার- ঝড়ের সময় তাদের লরিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে লরির ভেতরে পিষ্ট হয়ে তারা মারা যান। তাদের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। এরপরই শহরের শতাধিক কৃষ্ণাঙ্গ কর্মী ধর্মঘট পালন করে। আরো পড়ুন: ইতিহাসের সাক্ষী: আই হ্যাভ এ ড্রিম চীনে কি গোপন সফর করছেন উত্তর কোরিয়ার কিম? এপ্রিলের একটি ঝড়ো রাতে মার্টিন লুথার কিং যখন মেমফিসের মেসন টেম্পলের দুই হাজার মানুষের সামনে দাঁড়ান, সেটি ছিল কোল এবং ওয়াকার সহ আরো অনেক কৃষ্ণাঙ্গ কর্মীদের সমর্থনের উদ্দেশ্যে। তবে তাঁর ভাষণ ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে ছিল না। ভাষণের ১১ মিনিট পর্যন্ত সেই ধর্মঘট নিয়ে কোনো কথা বলা হয়নি। ভাষণের শেষ অংশটি ছিল ভবিষ্যদ্বাণীর মত। "আমাদের সামনে কঠিন সময় আসছে, কিন্তু আমাকে তা আর প্রভাবিত করে না, কারণ আমি পর্বতের চুড়ায় আরোহণ করেছি এবং আমি আর কিছুই পরোয়া করি না," উপস্থিত মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন ড. কিং। "অন্য যে কারো মত আমিও লম্বা সময় বাঁচতে চাই, জীবনের দৈর্ঘ্য মূল্যবান। কিন্তু সে বিষয়ে আর চিন্তিত নই আমি।" "আমি শুধু ঈশ্বরের ইচ্ছাপূরণ করতে চাই. আর তিনি আমাকে পর্বতারোহণের ক্ষমতা দিয়েছেন। এবং আমি সেখান থেকে প্রতিশ্রুত ভূমি দেখতে পেয়েছি। " "আমি সেখানে হয়তো আপনাদের সাথে যেতে পারবো না। তবে আমি আপনাদের জানাতে চাই, আমরা, একত্রিত স্বত্বা হিসেবে সেই প্রতিশ্রুত ভূমিতে যাব।" "আজ আমি অত্যন্ত খুশী; আমি কোনোকিছু নিয়েই চিন্তিত নই; আমি আর কোনো মানুষের ভয় পাই না। আমি সৃষ্টিকর্তার আগমনীর জ্যোতি দেখেছি।" এর পরের দিন ড. কিং তাঁর হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ডান গালে গুলিবিদ্ধ হন। বুলেটটি তাঁর চোয়াল ভেঙে মেরুদন্ডে আঘাত করে এবং শেষপর্যন্ত তিনি মারা যান। যেই মোটেলে ড. কিংকে হত্যা করা হয় তা এখন একটি জাদুঘর ড. কিং কি জানতেন কি হতে যাচ্ছিল? ভাষণ দেয়ার দিন সকালে ড. কিং বিমানে করে জর্জিয়ার আটলান্টা থেকে মেমফিসে আসেন। বিমানটি নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরীতে ছাড়ে। পাইলট যাত্রীদের বলে, "বিলম্বের জন্য দু:খিত, কিন্তু প্লেনে ড. মার্টিন লুথার কিং আছেন।" নিরাপত্তার খাতিরে সবকিছুই বারবার পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছিল। পাইলট যাত্রীদের আরো বলেন, "আমরা প্লেনটি সারা রাত পাহাড়া দিয়ে রেখেছি।" ড. কিংয়ের জীবনে সবসময় মৃত্যুর ছায়া লেগেই ছিল। মৃত্যু তাঁর পিছুপিছু ঘুরেছে সবসময়ই। ড. কিং বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জোনাথন বলেন, "ড. কিং জানতেন লম্বা সময় যাবত শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী দলগুলো আর বিভিন্ন গুপ্তচররা তাঁকে অনুসরণ করছিল।" "তিনি জানতেন অনেক মানুষই তাঁকে হত্যা করতে চায়। শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদীদের বাহিনী অনেক মানবাধিকার কর্মীদের হত্যা করেছিল- এবং তিনি তাদের মধ্যে সবচেয়ে খ্যাতনামা ছিলেন।" মেমফিসে ড. কিংয়ের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মিছিল ১৯৬৫ সালে মন্টেগোমেরি বাস বয়কটের সময় ড. কিংয়ের বাসায় বোমা হামলা করা হয়। ১৯৫৮-তে নিউ ইয়র্কে একজন মানসিকভাবে অসুস্থ কৃষ্ণাঙ্গ নারী তাঁকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। ১৯৬৩ তে আলাবামার বার্মিংহামে মঞ্চের ওপর একজন শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদীর আক্রমণের শিকার হন তিনি। একবছর পর ঐ একই শহরে প্রচারণা চালাতে যান তিনি। অধ্যাপক রিয়েডার, যিনি ড. কিংয়ের বন্ধু অ্যান্ড্রু ইয়ং আর ওয়াইাট ওয়াকারের সাথে কথা বলেছিলেন, বলেন ড. কিং সফরের আগে তাঁদের সতর্ক করেছিলেন। ড. কিং তাঁর বন্ধুদের বলেছিলেন, "আমরা বুল কনরের শহরে যাচ্ছি। এমনও হতে পারে আমাদের কয়েকজন সেখান থেকে বেঁচে নাও ফিরতে পারি।" (বুল কনর সেসময়কার নাগরিক অধিকার কার্যক্রম বিরোধী একজন স্থানীয় রাজনীতিবিদ ছিলেন) ড. কিংয়ের কাজের ওপর সবসময়ই মৃত্যুর ছায়া ছিল। কিন্তু শুধু যে তিনি আর তাঁর সহকর্মীরাই মৃত্যুভয়ে থাকতেন তা নয়। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ১৯৬০ এর দশক সংঘাতপূর্ণ, ভয়ঙ্কর একটি সময় ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে সেটি ছিল দাঙ্গা (হারলেম, ফিলাডেলফিয়া, লস অ্যাঞ্জেলস, ডেট্রয়েট), যুদ্ধ (ভিয়েতনাম) আর হত্যার (জন এফ কেনেডি, ম্যালকম এক্স, ড. কিং, রবার্ট এফ. কেনেডি) দশক। ১৯৬৩ সালে জন এফ কেনেডির হত্যার পর ড. কিং তাঁর স্ত্রীকে বলেছিলেন "আমার ভ্যাগ্যেও এই আছে। আমি বারবার তোমাকে বলেছি, এটা অসুস্থ এক সমাজ।" কিন্তু শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদীদের সাথে কৃষ্ণাঙ্গদের ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব ড. কিংকে দুর্বল করে দিতে থাকে বলে বলেন অধ্যাপক রিয়েডার। মেমফিসের ভাষণের আগে ড. কিং "মানসিকভাবে দুর্বল" হয়ে পরেন বলে জানান মি. রিয়েডার। মি. রিয়েডার বলেন, "রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ড. কিং যেমন সমাজের জন্য সংগ্রাম করছিলেন, আমেরিকান তৎকালীন সম্প্রদায় তার বিপরীত দিকে অগ্রসর হচ্ছিল।" "শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বেড়েছিল আমেরিকার উত্তরাঞ্চলে। দক্ষিণাঞ্চলের নেতা, আলাবামার গভর্নর, ড. কিংয়ের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী জর্জ ওয়ালেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করছিলেন।" "আদর্শগতভাবে তরুণ কৃষ্ণাঙ্গরা ও নাগরিক অধিকার আন্দোলনের কর্মীরা ড. কিংয়ের প্রচার করা খ্রিস্টীয় অহিংস মতবাদ থেকে সরে যাচ্ছিল।" ১৯৬৮ সালে মার্টিন লুথার কিং একপর্যায়ে হতাশ হয়ে গেলেও ড. কিং আন্দোলন চালিয়ে যান। তিনি অধিকার আদায়ের আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। সেই আন্দোলনের ধারা হিসেবেই মেমফিসের মেসন টেম্পলের এক ঝড়ো রাতে কৃষ্ণাঙ্গ কর্মীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ভাষণ দেন তিনি। তাঁর বয়স ছিল ৩৯ বছর। অধ্যাপক রিয়েডার বলেন, "তিনি কয়েকদিন পরে তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন কি না সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু তিনি জানতেন যে মৃত্যু তাঁর পিছে ঘুরছে।" মেমফিসের ঐ ভাষণের শেষদিকে ড. কিং ১০ বছর আগে নিউ ইয়র্কে ছুরিকাহত হওয়ার ঘটনা নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন সেদিন হাঁচি দিলে তিনি মারা যেতেন। আর তাহলে তাঁর দেখা হোতো না নাগরিক অধিকার বিল, 'আই হ্যাভ এ ড্রিম' ভাষণ, সেলমা আন্দোলনসহ আরো অনেক অবিস্মরণীয় মুহুর্ত। মেমফিসের মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি সেদিন বলেন, "আমি খুবই খুশী যে সেদিন আমি হাঁচি দেইনি।" কাজেই তাঁর শেষ কথাগুলো তাঁর আসন্ন মৃত্যুর সম্ভাবনা বা অনুমান সম্পর্কে আলোকপাত নয়। পরবর্তী প্রজন্মের হাতে বিপ্লবের দায়িত্ব হস্তান্তরের একটি প্রচেষ্টা ছিল এটি। অধ্যাপক রিয়েডারের ভাষ্যমতে, "তিনি বলেছেন আমি যদি অর্জনে নাও থাকি, আমরা একসাথে এটা অর্জন করবো।" "তিনি নিশ্চয়তা দেন যে তিনি বেঁচে না থাকলেও কৃষ্ণাঙ্গরা একাত্ম হয়ে আন্দোলন সফল করবে। " "মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতিকালে তিনি হতাশাগ্রস্ত ছিলেন না। ঐ ভাষণের শেষ কথা দিয়ে তিনি আন্দোলন এবং নিজের জন্য সমাধিস্তম্ভ তৈরী করেছে।" "পুরো ভাষণে যে বার্তা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে তা হোলো আমাদের গর্বিত হওয়ার অনেক কিছু আছে। আমার মতে, তিনি বলতে চেয়েছেন, আমি যদি মারাও যাই, আমার জীবন নিয়ে আমি খুশী। আমাদের প্রতিশ্রুত ভূমির উদ্দেশ্যে যাত্রার পথে আমি আমার দায়িত্ব পালন করে গেলাম।" আরো পড়ুন: ‘ধূমপায়ী’ বন্য হাতিকে ঘিরে বিজ্ঞানীদের বিস্ময় গায়ের রংয়ের ওপর নাগরিকত্ব দেয়া হয় যে দেশে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ: যে লেখা পাল্টে দেয় ইতিহাস | Fifty years ago, Martin Luther King gave his final speech. Did he conclude by predicting his assassination? |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | 'হিলারি' নামের একটি ধারাবাহিক তথ্যচিত্রের অংশ হিসাবে তিনি ওই মন্তব্য করেন। 'হিলারি' নামের একটি ধারাবাহিক তথ্যচিত্রের অংশ হিসাবে তিনি ওই মন্তব্য করেন। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের পাবলিক জীবন নিয়ে ওই তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। মনিকা লিউনস্কির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তদন্তকারীদের কাছে মিথ্যা বলার অভিযোগে ১৯৯৮ সালে বিল ক্লিনটনকে ইমপিচ করা হয়। কিন্তু সিনেটের শুনানিতে তিনি রেহাই পান। তাদের ওই সম্পর্কের সময় মিজ লিউনস্কি ছিলেন হোয়াইট হাউজে ২২ বছর বয়সী একজন শিক্ষানবিশ। মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এবং তথ্যচিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান 'হুলু'কে মি. ক্লিনটন বলেছেন, ''আমি যা করেছি, তা খারাপ ছিল, কিন্তু এটা এরকম ছিল না যে, কাজটা আমি ভেবেচিন্তে করেছি।'' আরো পড়ুন: মনিকা থেকে স্টর্মি: দুই যুগের দুই রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি অনলাইনে হয়রানী বন্ধ করুন: মনিকা লিউনস্কি ওই সম্পর্কের জন্য প্রতিদিন অনুশোচনায় ভোগেন মনিকা লিউনস্কি ''আপনি নিজেকে একটা টলটলায়মান অবস্থায় দেখতে পাবেন- আপনি হয়তো ১৫ রাউন্ডের লড়াইয়ের জন্য নেমেছেন, তারপর দেখতে পেলেন সেটা ৩০ রাউন্ডের লড়াই হয়ে গেছে। এরপর আপনার সামনে এমন কিছু আসলো যে, সবকিছু থেকে আপনার চিন্তাভাবনা সরিয়ে নিতে পারলেন। সবার জীবনেই চাপ রয়েছে, অসন্তোষ এবং ভীতি ইত্যাদি রয়েছে- বছরের পর বছর ধরে চলা মানসিক চাপ, উদ্বেগ সামলাতে আমি সেসব কাজ করেছি।'' ১৯৯০ এর দশকের শেষদিকে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মনিকা লিউনস্কির সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রধান খবর হয়ে ওঠে। প্রথমে ওই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন মি. ক্লিনটন। তবে পরবর্তীতে স্বীকার করেন যে, তার সঙ্গে ' অসঙ্গত ঘনিষ্ঠ শারীরিক সংস্পর্শ' হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে মার্কিন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার পর মি. ক্লিনটনের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল-''ওই নারীর সঙ্গে আমার কোন যৌন সম্পর্ক ছিল না''। মিজ লিউনস্কি উল্লেখ করেনে যে, সাবেক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মতিতে হয়েছে কিন্তু তিনি একে 'ক্ষমতার চরম অপব্যবহার' বলে বর্ণনা করেছেন। ''তার 'শক্তিশালী অবস্থান' রক্ষার জন্য যখন আমাকে একটি বলির ছাগল বানানো হয়েছিল তখন কোনও 'আপত্তি' আসেনি.....,'' ২০১৪ সালে ভ্যানিটি ফেয়ার পত্রিকাকে বলেছিলেন মিজ লিউনস্কি। তিনি বলেছেন, সেই সময় পরে কী হতে পারে, তা নিয়ে তার সামান্যই ধারণা ছিল। সেই সম্পর্ক করার জন্য তিনি প্রতিদিনই অনুশোচনায় ভোগেন। ওই তথ্যচিত্রে মি. ক্লিনটন বলেছেন, তাদের সম্পর্কের কারণে মনিকা লিউনস্কির জীবন বিশেষভাবে চিহ্নিত হয়েছে, ভাবতেও তার ভয়ানক খারাপ লাগে। ''বছরের পর বছর ধরে আমি দেখতে চেয়েছি সে যেন একটি স্বাভাবিক জীবন ফিরে পায়। কিন্তু স্বাভাবিক জীবনের মানে একেকজনের কাছে একেকরকম,'' তিনি বলছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশসহ সাত দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ কুয়েতের রাজপরিবারের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি আরব 'দুবাইয়ের শেখ মোহাম্মদ অপহরণ এবং হুমকির জন্য দায়ী' বিবিসি বাংলার জরিপে শ্রেষ্ঠ বাঙালি: ১১- তিতুমীর মনিকা লিউনস্কির সাথে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন। ওই ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাইলে হিলারি ক্লিনটন বর্ণনা করছিলেন যে, তিনি কতটা ভেঙ্গে পড়েছিলেন। ''ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই আহত হয়েছিলাম এবং আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে, তুমি মিথ্যা বলেছ। এটা ছিল ভয়ানক এবং আমি বলেছিলাম, এটা যদি জনসম্মুখে প্রকাশ পায়, তাহলে চেলসির কাছে তোমাকেই বলতে হবে।'' তিনি ব্যাখ্যা করছিলেন যে, খবর প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর কেন তিনি ' তার (ক্লিনটনের) সঙ্গে কোন কিছু না করার সিদ্ধান্ত নেন।' ''আমি আমার স্বামীর সঙ্গে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। অনেকে হয়তো মনে করেন যে, আমি ঠিক কাজটি করেছি এবং অনেকে মনে করেন আমার সিদ্ধান্ত ছিল ভুল"। মি. ক্লিনটন ওই তথ্যচিত্রে বলেছেন, তাদের কন্যার কাছে এই সম্পর্কের বিষয়ে বলার ব্যাপারটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। | Former President Bill Clinton says his affair with Monica Lewinsky was a way of managing his anxieties. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | নিষেধাজ্ঞার কারণে বেড়ে গেছে দাম ও কমেছে স্থানীয় মুদ্রার দাম যদিও ওয়াশিংটন এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। ইরানের জন্য আমেরিকার বিশেষ প্রতিনিধি ব্রায়ান হুক বলেছেন, "ইরানের জনগণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রেখেছে"। যদিও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলছেন, ফার্মাসিউটিক্যালসের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে কারণ ঔষধ কিনতে আর্থিক লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কোন ধরণের ঔষধ ইরান আমদানি করে? প্রয়োজনীয় প্রায় সব মৌলিক ঔষধই ইরান নিজে উৎপাদন করে কিন্তু যখন এডভান্সড মেডিসিনের প্রসঙ্গ আসে তখন দেশটিকে আমদানির ওপরই নির্ভর করতে হয়। এক হিসেবে দেখা যায়, ইরানের প্রয়োজনীয় ঔষধের চার শতাংশ তাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তবে আমদানি করা ঔষধ ও তাদের মূল্যের ওপর কম তথ্যই পাওয়া যায়। বিবিসির পার্সিয়ান সার্ভিস তাদের দর্শকদের কাছ থেকে ঔষধের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি জানতে পেরেছে। একজন ভুক্তভোগী বলছেন গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধ পেতে যে সমস্যা হচ্ছে তার কথা। "ঔষধটি পেতে আমাকে অন্য কয়েকটি শহরে যেতে হয়েছে যে সেখানকার ফার্মেসিগুলোতে আছে কিনা। কয়েকটিতে আছে কিন্তু দাম এতো বেশি যে আমার ক্রয়ক্ষমতার বাইরে"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: হরমুজ প্রণালী ইরানের কাছে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? আমেরিকার সাথে যুদ্ধ হলে ইরান ধ্বংস হবে - ট্রাম্প ইরান বিপ্লবের পর কী হয়েছিল খোমেনির সহযোগীদের একটি ঔষধের দোকান বিবিসি ইরানের অভ্যন্তরে একজন ঔষধ আমদানীকারকের সাথেও কথা বলেছে। তিনি বলছেন গত দু'বছরে ঔষধের ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং দামও বেড়ে গেছে। বিশেষ করে অচেতন করা, ক্যান্সার চিকিৎসা ও ডায়াবেটিসের ঔষধ পাওয়াটাই কঠিন হয়ে উঠেছে। এছাড়া ইরান সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে স্বাস্থ্য ও মেডিকেল সেবার খরচ বেড়েছে ১৯ শতাংশ। তবে ঔষধের এই ঘাটতি ও দাম বাড়ার পেছনে আরও অনেক কারণ থাকতে পারে। নিষেধাজ্ঞা কিভাবে কার্যকর হচ্ছে? ইরানের সাথে বিশ্বশক্তিগুলোর পরমাণু চুক্তির পর ২০১৬ সালে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু ২০১৮ সালে আবার যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে যা কার্যকর হয় শিল্প ও ব্যাংক খাতে। তবে ঔষধের মতো মানবিক সরবরাহ এবং এসবের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো শাস্তির আওতায় থাকা উচিত নয়। "কিন্তু সমস্যা হলো, ব্যবসা চালু রাখতে হলে একটি ব্যাংক পেতে হবে এসব বিষয়ে লেনদেনের জন্য," বলছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ রিচার্ড নিপিয়ো। ইরানিরা বলছে মেডিকেল উপকরণ বা যন্ত্রপাতির দামও বেড়ে গেছে তিনি বলছেন ব্যাংক পাওয়াটাই একটা বড় সমস্যা। আবার সব ঔষধ বা মেডিকেল সেবা নিষেধাজ্ঞার বাইরে নয়। ইউকে ফিন্যান্সের পরিচালক জাস্টিন ওয়াকার বলছেন, "মানবিক সেবার বাণিজ্য ও পেমেন্ট ইরানের সত্যিই জটিল বিষয়"। ঔষধ যাচ্ছে ইরানে ? ইরানের সরকারি হিসেবে গত ১৬ মাসের ঔষধ ও উপকরণ আমদানির একটি চিত্র পাওয়া গেছে। সেপ্টেম্বর ২০১৮তে আমদানি ১৭৬ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিলো এবং এরপরই এটি কমতে শুরু করে। চলতি বছর জুড়ে ৬০ শতাংশ কমে মাত্র ৬৭ মিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। কিন্তু সব তথ্য পাওয়া কঠিন হওয়ায়, নিশ্চিত করে বলা যায়না যে এটি নিষেধাজ্ঞার জন্যই হয়েছে। ইরানের বাণিজ্যিক অংশীদার ইইউ'র কাছ থেকেও কিছু তথ্য পাওয়া যায়। গত বছর নভেম্বরে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর ইরানের কাছে ঔষধ সামগ্রীর বিক্রিও কমে যায় আগের তুলনায়। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ ইরানের সাথে বাণিজ্যে ঝুঁকি জাস্টিন ওয়াকার বলছেন, ব্রিটেনের ব্যাংকগুলোর জন্য মেডিকেল সামগ্রী ইরানে পাঠানো কঠিন তাই এখন সীমিত আকারে ব্যবসা হচ্ছে। আসলে নিষেধাজ্ঞার পর ইরানের সাথে বাণিজ্য পদ্ধতিই ঔষধ আমদানি কঠিন করে তুলেছে। এ কারণেই গুরুত্বপূর্ণ ঔষধের সংকট দেখা দিয়েছে ও দাম বেড়ে যাচ্ছে ইরানের বাজারে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক বিধিনিষেধ এড়িয়ে ইউরোপীয়রা সহায়তার যে পরিকল্পনা নিয়েছে তার দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান জানাচ্ছে ইরান। যদিও এটি রাজনৈতিকভাবে আসলেই কঠিন। | Iran says sanctions are preventing lifesaving drugs from reaching the country, despite special exemptions for medical supplies. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | টি-সিরিজকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন পিউডিপাই টি-সিরিজ মূলত বলিউডের ছবির ট্রেইলার, মিউজিক ভিডিও ইত্যাদি ইউটিউবে শেয়ার করে। অন্যদিকে পিউডিপাই ভিডিও গেমের ধারাবিবরণী এবং নানা ধরণের কমেডি পোস্ট করেন। পিউডিপাই'র আসল নাম হচ্ছে ফেলিক্স শেলবের্গ। ইউটিউবে শীর্ষস্থান ধরে রাখার জন্য টি-সিরিজের সঙ্গে তার লড়াই চলছে গত কয়েক মাস ধরে। তবে শেষ পর্যন্ত টি-সিরিজের কাছে শীর্ষ স্থান হারিয়েছেন তিনি। তবে পিউডিপাই তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে একটি ভিডিও পোস্ট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তবে পিউডিপাই এই ভিডিওতে একথাও বলেছেন, তাকে পেছনে ফেলে ইউটিউবের শীর্ষে যেতে বলিউডের প্রতিটি গান ব্যবহার করতে হয়েছে একটা বিরাট কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানকে। সোমবার ইউটিউবে পিউডিপাই এর তুলনায় টি-সিরিজের সাবস্ক্রাইবার ছিল সাড়ে ১৫ হাজার বেশি। উল্লেখ্য ইউটিউবে পিউডিপাই এর সাবস্ক্রাইবার হচ্ছে ৯২ মিলিয়ন, অর্থাৎ নয় কোটি বিশ লাখ। টি-সিরিজ মূলত বলিউডের ফিল্ম এবং গানের ভিডিও শেয়ার করে ইউটিউবে টি-সিরিজের কাছে যেন পিউডিপাইকে শীর্ষস্থান হারাতে না হয়, সেজন্যে সম্প্রতি তার সমর্থকরা নানা ধরণের তৎপরতা চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের সুপারবোলে তার সমর্থকরা 'পিউডিপাই টি শার্ট' পরে হাজির হয়। এর আগে কিছু সমর্থক সারা দুনিয়া জুড়ে হাজার হাজার প্রিন্টার হ্যাক করে সেখান থেকে পিউডিপাইকে সাবস্ক্রাইব করার আহ্বান জানিয়ে মেসেজ প্রিন্ট করে। অন্যান্য খবর: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে চিকিৎসকরা যা বলছেন ব্যাংকের ঋণের সুদের হার কেন কমছে না? টিভি চ্যানেলগুলো কেন বিজ্ঞাপন আনতে পারছে না? টি-সিরিজের মালিক ভুষণ কুমার অবশ্য সম্প্রতি বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি মনে করেন না তাদের সঙ্গে ফেলিক্স শেলবের্গ কোন প্রতিযোগিতা আছে। "আমি এই প্রতিযোগিতা নিয়ে মোটেই মাথা ঘামাচ্ছি না। আমি বুঝতে পারছি না কেন পিউডিপাই এটাকে এত গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে।" "আমি তো আমার শিল্পীদের বলিনি ইউটিউব চ্যানেলে আমাদের সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর জন্য তারা এরকম বার্তা দিক? আমরা এসবের মধ্যে নেই।" পিউডিপাইর আসল নাম ফেলিক্স শেলবের্গ টি-সিরিজ একটি প্রোডাকশন কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন ভুষণ কুমারের বাবা ১৯৮৩ সালে। প্রথম দিকে তারা ভক্তিমূলক সঙ্গীত রেকর্ড করে তা ক্যাসেটে বিক্রির জন্য ছাড়তো। ২০১১ সালে টি-সিরিজের প্রথম ভিডিও ছাড়া হয় ইউটিউবে। অন্যদিকে মিস্টার শেলবের্গ তার পিউডিপাই চ্যানেল শুরু করেন আট বছর আগে। এক সময় তিনি পরিণত হন ইউটিউবের সবচেয়ে বেশি উপার্জনকারী তারকায়। তবে ইউটিউবের সবচেয়ে বেশি সাবস্ক্রাইবড চ্যানেল কিন্তু এখনো ইউটিউব নিজেই। তাদের মিউজিক ভিডিও চ্যানেলের ফলোয়ার হচ্ছে ১০৫ মিলিয়ন বা দশ কোটি ৫০ লাখের বেশি। | Swedish gamer and video-maker PewDiePie lost his crown as the YouTube star with the most subscribers. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | লাখ লাখ মানুষকে সিনোফার্ম টিকা দেওয়া হয়েছে এটি পশ্চিমা দেশগুলোর বাইরে প্রথম কোন দেশের উদ্ভাবিত টিকা যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেল। চীনে এবং অন্যান্য দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ইতোমধ্যেই এই টিকা দেয়া হয়েছে। এ যাবত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুধু ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন এবং মর্ডানার ভ্যাক্সিনের অনুমোদন দিয়েছে। তবে বিশেষ করে আফ্রিকা, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার অপেক্ষাকৃত দরিদ্র দেশগুলোর নিজস্ব স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের তাগিদে চীনা ভ্যাক্সিন অনুমোদন করেছে। প্রথম দিকে, চীন তাদের কোভিড টিকাগুলো সম্পর্কে আন্তর্জাতিকভাবে খুবই কম তথ্য প্রকাশ করায় চীনা ভ্যাক্সিনগুলোর কার্যকারিতা সম্পর্কে অনেকদিন থেকেই নিশ্চয়তার অভাব থেকে গেছে। কিন্তু শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে সিনোফার্মের ভ্যাক্সিনের "নিরাপত্তা, কার্যকারিতা এবং মান" যাচাইয়ের পর তা তারা অনুমোদন করেছে। এই টিকা উদ্ভাবন করেছে বেইজিং ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিকাল প্রডাক্টস্। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে অন্যান্য অনুমোদিত ভ্যাক্সিনের তালিকায় এখন সিনোফার্ম যুক্ত হবার পর "যেসব দেশ স্বাস্থ্য কর্মী এবং ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে কোভিড-১৯এর টিকা পেতে চাইছে, তাদের জন্য ভ্যাক্সিন কর্মসূচি দ্রুত গতিশীল করার সম্ভাবনা তৈরি হল।" সংস্থাটি ১৮ ও তার বেশি বয়সীদের দুই ডোজে এই ভ্যাক্সিন দেবার সুপারিশ করেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চীনের তৈরি আরেকটি কোভিড ভ্যাক্সিন সিনোভ্যাককেও অনুমোদন দেয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে রাশিয়ার তৈরি 'স্পুটনিক ভি' টিকা এখনও মূল্যায়নের পর্যায়ে রয়েছে। আরও পড়তে পারেন: বেইজিংয়ে সিনোফার্মের টিকা দেখাচ্ছেন একজন স্বাস্থ্যকর্মী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমর্থন কেন গুরুত্বপূর্ণ? বিশ্বে স্বাস্থ্য বিষয়ক শীর্ষ এই সংস্থার ছাড়পত্র জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর জন্য ভ্যাক্সিনের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা বিষয়ে একটা সবুজ সঙ্কেত হিসাবে কাজ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস বলেছেন এতে করে বিভিন্ন দেশের "নিজস্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো জাতীয় পর্যায়ে তাদের অনুমোদন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার ব্যাপারে আস্থা পাবে।" এর আরেকটি ইতিবাচক দিক হল বৈশ্বিক কোভ্যাক্স কর্মসূচিতে এখন এই ভ্যাক্সিনকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। ধনী ও দরিদ্র দেশগুলো যাতে ভ্যাক্সিন পাবার ব্যাপারে বৈষম্যের শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে গত বছর এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। চীনা ভ্যাক্সিনকে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দেবার এই সিদ্ধান্ত কোভ্যাক্স প্রকল্পকে আরও সুসংহত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভ্যাক্সিন সরবরাহের ব্যাপারে এই প্রকল্প হিমশিম খাচ্ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাবার আগে সিনোফার্মের টিকা বেশ ব্যাপকভাবেই ব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছিল। আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী ইতোমধ্যেই ৬কোটি ৫০ লাখ ডোজ সিনোফার্ম টিকা মানুষের শরীরে দেয়া হয়ে গেছে। চীন ছাড়া আর যেসব দেশে এই টিকা ব্যবহার করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান এবং হাঙ্গেরি। জরুরি ব্যবহারের জন্য সিনোফার্মের অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কারিগরি উপদেষ্টা দল। তারা এই টিকার ক্লিনিক্যাল তথ্য-উপাত্ত এবং এটি তৈরির পদ্ধতিগত খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্ত নেয়। তারা জানায় কোভিড-১৯ এর উপসর্গ এবং হাসপাতালে ভর্তি হবার মত পরিস্থিতি ঠেকানোর ক্ষেত্রে এই ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা ৭৯%। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে তারা লক্ষ্য করেছে যে ক্লিনিকাল পরীক্ষায় ষাটোর্ধ্ব অল্প কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।ফলে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর জন্য টিকার কার্যকারিতা পুরোপুরি নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে তারা বলেছে এই ভ্যাক্সিন বয়স্ক মানুষদের ওপরও কেন সমানভাবে কার্যকর হবে না তার কোন কারণ তারা খুঁজে পাননি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন চীনের অন্য ভ্যাক্সিন সিনোভ্যাক সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে। সংস্থার বিশেষজ্ঞরা শুক্রবার জানান এই টিকা সম্পর্কে তাদের মতামত জানানোর আগে তারা বাড়তি কিছু তথ্যের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। এই ভ্যাক্সিনটিরও লাখ লাখ ডোজ ইতোমধ্যেই সেইসব বেশ কিছু দেশে পাঠানো হয়েছে যেসব দেশ জরুরি ভিত্তিতে এই টিকা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। টিকা নিতে আগ্রহী হলে যেসব বিষয় আপনার জানা থাকা জরুরি চীনা টিকার বিশেষত্ব কী? চীনা ভ্যাক্সিনের একটা প্রধান বিশেষত্ব হল এটি সাধারণ রেফ্রিজেটারে ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়- অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মতই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে "মজুত রাখার এই সুবিধার" কারণে সিনোফার্ম ভ্যাক্সিন "যেসব দেশে সম্পদের অভাব রয়েছে সেসব দেশের জন্য খুবই উপযুক্ত হবে"। চীনের দুটি টিকাই বর্তমানে যেসব কোভিড টিকা ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ করে ফাইজার ও মর্ডানার টিকার থেকে খুবই ভিন্নভাবে কাজ করে। চীনের ভ্যাক্সিন তৈরি করা হয়েছে চিরাচরিত টিকা পদ্ধতি অনুযায়ী। যেখানে জীবাণুকে নিষ্ক্রিয় করে টিকা তৈরি করা হয়। এতে ভাইরাসের মৃত অংশ ব্যবহার করে তৈরি ভ্যাক্সিন শরীরে প্রবেশ করানো হয়, যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এই ভাইরাসকে চিনতে পারে। এতে জীবাণু শরীরের প্রবেশ করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় হয়ে উঠে রোগের গুরুতর সংক্রমণ ঠেকাতে পারে। | Chinese authorities have given conditional approval for general public use of a coronavirus vaccine developed by state-owned drugmaker Sinopharm. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প ফোনালাপে রাশিয়ায় চলমান পুতিনবিরোধী বিদ্রোহ এবং যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার মধ্যকার একমাত্র অবশিষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে কথা হয়। রাশিয়ার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয় মি. পুতিন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। দুই পক্ষ থেকেই বলা হয়েছে যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তারা যোগাযোগ রক্ষা করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মি. পুতিনের বিষয়ে যথেষ্ট কঠোর ছিলেন না বলে অভিযোগ তোলেন সমালোচকরা। এর আগের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও - যার অধীনে জো বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন - রাশিয়ার বিষয়ে কিছুটা দুর্বল ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ক্রাইমিয়ার সংযুক্তি, পূর্ব ইউক্রেনে আক্রমণ এবং সিরিয়ার ওপর জোর প্রয়োগ করার ইস্যুগুলোতে ক্রেমলিনের ওপর যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ না থাকার অভিযোগ তোলা হয় ওবামা প্রশাসনের ওপর। আরো পড়তে পারেন: আমেরিকায় নির্বাচন ২০২০: চীন ও রাশিয়া কাকে বিজয়ী হিসেবে দেখতে চায়? চীন চায় ট্রাম্প হেরে যাক, রাশিয়া বাইডেনকে বিপদে ফেলতে উন্মুখ: গোয়েন্দা রিপোর্ট জো বাইডেনকে কেন অভিনন্দন জানাচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট পুতিন ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন গোয়েন্দারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতি সবসময় নাক গলিয়ে আসছে রাশিয়া। ফোনালাপ বিষয়ে হোয়াইট হাউজ ও ক্রেমলিনের মন্তব্য কী? "প্রেসিডেন্ট বাইডেন পরিষ্কার করেছেন যে, রাশিয়ার যেসব পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রকে বা তার মিত্রদের ক্ষতি করে, সেসব পদক্ষেপের বিপক্ষে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে যুক্তরাষ্ট্র শক্ত পদক্ষেপ নেবে", বলে জানানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এক বিবৃতিতে। মঙ্গলবার বিকালের ফোনালাপ সম্পর্কে হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয় যে দুই প্রেসিডেন্ট 'সোলার উইন্ডস' সাইবার হামলা, অ্যালেক্সেই নাভালনিকে বিষপ্রয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেন। তবে ফোনালাপ বিষয়ে ক্রেমলিনের বিবৃতিতে দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যকার উষ্ণ কথাবার্তার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। রাশিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন মি. পুতিন 'রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে সেটি দুই দেশের জন্য ভালো - এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য সহায়ক বলে চিহ্নিত' করেছেন। ক্রেমলিনের বিবৃতিতে উল্লিখিত হয়: "রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতার মধ্যে আলোচনা অনেকটা ব্যবসায়িক এবং খোলামেলা ধাঁচের ছিল।" দুই নেতা ওবামার সময়ে করা 'নিউ স্টার্ট' নামের একটি চুক্তি নতুন করে নবায়ন করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রাগারে মিসাইল, লঞ্চার এবং ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা সীমিত করার বিষয়ে ছিল চুক্তিটি। আগামী মাসেই এই চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল আর ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। কোনো দ্বন্দ্ব চান না বাইডেন জো বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ডোনাল্ড ট্রাম্প যতটুকু শক্ত ছিলেন ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর, তিনি তার চেয়ে বেশি কঠোর থাকবেন। দুই নেতার ফোনালাপ সংক্রান্ত খবরে বলা হচ্ছে, রাশিয়া যে ২০২০ ও ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছে, মি. বাইডেন এই বিষয়টি জানেন বলে মি. পুতিনকে বলেছেন। এছাড়া সাইবার ষড়যন্ত্র বা কোনো ধরণের আক্রমণ প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত বলেও মি. পুতিনকে জানিয়েছেন তিনি। জো বাইডেন এবং তার পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক দল ইউরোপ সম্পর্কে মি. পুতিনের অভিসন্ধি এবং মানবাধিকার ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নেবে। তবে তারা কোনো ধরণের দ্বন্দ্ব চায় না। বরং তারা সম্পর্ক বজায় রাখা এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখার মনোভাব জ্ঞাপন করেছেন। | US President Joe Biden has warned Russian leader Vladimir Putin about election meddling in their first call as counterparts, the White House says. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ১৯৮৮ সালে সাদ্দাম হোসেন বাহিনীর অভিযানে নিজ স্বজনদের হারান তৈমুর আবদুল্লা আহমেদ। "শুধু আমার মা আর বোনেরা নয়, তারা আমার সব আত্মীয়-স্বজনদের হত্যা করেছিল।" তাদের অপরাধ এটাই ছিল যে - তারা সাদ্দাম হোসেনের ইরাকে কুর্দি পরিচয়ের মানুষ। তৈমুর আবদুল্লা আহমেদ ১৯৮৮ সালের মে মাসে সেই দিনের কথা প্রায় প্রতিটি দিন মনে করেন, সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর। তখন তিনি প্রায় নিশ্চিত মৃত্যু থেকে বেঁচে ফিরতে পেরেছিলেন - তবে সেই ফেরা হয়েছে শারীরিকভাবে, মানসিকভাবে নয়। তিনি বিবিসিকে বলেন, "আমি ওইদিনই আসলে মারা গিয়েছিলাম। সেই কবরস্থানে আমার মা ও বোনদের সাথে আমার হৃদয়ের মৃত্যু হয়েছিল।" তবে তিনি যে পুরোপুরি অক্ষত ছিলেন তা নয়। বাহুতে ও পিঠে গুলি লেগেছিল তার। কিন্তু তারপরেও তিনি অন্ধকারের মধ্যে গর্ত থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বের হতে পেরেছিলেন এবং এ কারণেই তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। ওই নৃশংসতার স্মৃতি আহমেদের মনে এখনও খুব স্পষ্টভাবে গেঁথে আছে এবং সেদিনের পুঙ্ক্ষানুপুঙ্ক্ষ বর্ণনা দিতে পিছপা হন না। "আমি দেখলাম একটি গুলি আমার মায়ের মাথায় আঘাত করল এবং এর প্রভাবে তার স্কার্ফ খুলে গেল। আরেকটা বুলেট আমার বোনের গালের ভেতরে ঢুকে তার মাথা থেকে বেরিয়ে যায়।" "আমার অন্য বোনের বাহুতে গুলি করা হয়েছিল এবং রক্ত পানির মতো প্রবাহিত হচ্ছিল," তিনি বলেন। যখন তৈমুর ঘুমাতে যান বা কোনও শিশু বা তরুণ বয়সী মেয়েদের দেখেন, তখন এই দৃশ্যগুলো বারবার তার মনে ফ্ল্যাশব্যাক হয় এবং তিনি চিন্তা করতে থাকেন যে তার পরিবারের সাথে কী হয়েছিল। "আমি আর কখনও একজন সাধারণ মানুষের মতো বাঁচতে পারব না," তিনি বলেন, "যতবার আমি এসব নিয়ে ভাবি, আমি মরে যাই।" তৈমুরের এখন বয়স ৪৩ বছর। বিবিসিকে তিনি জানান তাঁর বেঁচে থাকা এবং ন্যায়বিচারের দাবির এক অসাধারণ গল্প। আরও পড়তে পারেন: যে যুদ্ধে মানুষ মরেছে লাখ লাখ, জেতেনি কেউ ইরাকি বাহিনী যখন কুয়েত দখল করে নিয়েছিল সাদ্দাম হোসেনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করছে ইরাক তোপজায়া সামরিক ঘাঁটি। সচেতনতা নেই জুনে, ইরাকি কর্তৃপক্ষ সেই জায়গাটি খনন করতে শুরু করে যেখানে আহমেদ বিশ্বাস করেন যে তার পরিবারের মানুষদের মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা এই খোঁড়াখুঁড়ির বিষয়ে তৈমুরকে কিছু জানাননি। তারা কুর্দি অঞ্চলে লাশগুলো পুনরায় দাফনের পরিকল্পনা করছে। এতে তৈমুর ভীষণ রেগে যান - তিনি জানান যে এমন গোপনীয়ভাবে দেহাবশেষগুলো স্থানান্তরিত করার কোন অর্থ নেই। "আমি চাই সমগ্র বিশ্ব আমাদের লোকদের সাথে কী ঘটেছিল তা দেখুক। আমি চাই যে গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগ মুহূর্তে যে নিরীহ শিশুটি মা'কে আঁকড়ে ধরে ছিল, তাদের মৃতদেহ ক্যামেরা জুম করে দেখাক।" তিনি মনে করেন যে এই গণহত্যার বর্বরতা সম্পর্কে খুব কম মানুষ অবগত আছে এবং তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে কাউকে প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখেননি। আহমদ এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, কিন্তু বন্ধুরা যখন তাকে খবর দেন যে ওই গণকবরটি খোঁড়াখুঁড়ি করা হবে তখন তিনি দ্রুত ইরাকে ফিরে আসেন। তিনি এখন গণকবরটি তোলা রোধে লড়াই করছেন যেখানে তাঁর মা, বোন এবং নিকটাত্মীয়দের দেহাবশেষ রয়েছে। গণকবরে নিহতদের পরিচয় অনুসন্ধান করা হচ্ছে। কুর্দি গণহত্যা গত এক দশকে ইরাকে অনেক কুর্দি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইরাকি সরকার বলেছে যে, এমন অন্তত ৭০ টি গণকবর রয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ১৭ টি খোলা হয়েছে। ইরান-ইরাক যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে সাদ্দাম হুসেইন ইরাকের উত্তরে বসবাসকারী কুর্দিদের বিরুদ্ধে "আল-আনফাল" নামে একটি সামরিক অভিযান চালিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি গোষ্ঠীকে শাস্তি দেয়া, যারা ইরানীদের সহযোগিতা করেছিল এবং আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল কুর্দিদের স্ব-শাসিত সমাজ ভেঙ্গে দেয়া। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে যে, পদ্ধতিগত জাতিগত নির্মূলে প্রায় এক লাখ মানুষ নিহত হন, যাদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে কুর্দি সূত্রগুলো বলছে যে মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। প্রায় এক লাখ ৮২ হাজার জন। ওই গণহত্যায় তৈমুর একমাত্র ব্যক্তি যিনি বেঁচে ফিরেছিলেন। বদলে গিয়েছিল গ্রামের মেজাজ সাদ্দাম হোসেইনের বাহিনীর হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কার কথা শুনে ১৯৮৮ সালের এপ্রিল মাসে তৈমুরের পরিবার ও গ্রামের মেজাজ কীভাবে বদলে গিয়েছিল তা এখনও তার স্পষ্ট মনে আছে। "ইরাকের উত্তরাঞ্চলের গ্রামগুলো একে একে ঘেরাও করা হয়েছিল।" তৈমুরে যতদূর মনে আছে যে তাঁর গ্রামে পুরোপুরি তাঁর বর্ধিত পরিবারের সদস্যরা ছিলেন, যারা বেশিরভাগ কৃষক ছিলেন। কুলাজো গ্রামটি ছিল অনেক জনবহুল এবং চারিদিকে পাহাড়ের মাঝখানে ছোট এই গ্রামটি ছিল। তৈমুর বলেন, "যদি ওই অঞ্চলটি কেউ ভালোভাবে না চেনেন তাহলে আমাদের গ্রাম খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন।," তবে সাদ্দামের শাসনামলে সরকারের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক কুর্দিদের অভাব ছিল না। "ইরাকের সহযোগী এই কুর্দিরাই আমাদের গ্রামগুলোয় ইরাকি বাহিনীকে পথ দেখিয়ে এনেছিল।" এপ্রিল মাসের একটি দিনে গ্রামের ১১০ জনের সবাইকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। "তারা বলেছিল: 'আমরা জনগণের জন্য একটি শিবির খুলেছি এবং আপনারা সেখানে খুব আনন্দের সাথে বাস করতে পারবেন। সেখানে পানি থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ সব ধরণের সেবা রয়েছে" কেউ কেউ দল বেঁধে সামরিক গাড়িতে চড়ে বসেছিল। তবে তৈমুরের পরিবার তাদেরকে নিজের ট্র্যাকটারে করে অনুসরণ করে। একটি সামরিক ঘাঁটিতে তৈমুর কে তার বাবার থেকে আলাদা করে ফেলা হয়। সেটাই ছিল তাদের শেষ দেখা। পৃথকীকরণ অবশেষে তাদের উত্তর ইরাকের তোপজায়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে নিয়ে, সবার থেকে পুরুষদের আলাদা করে ফেলা হয়। সেইসঙ্গে তাদের সঙ্গে থাকা সব জিনিষপত্র লুট করে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়। বাবা আবদুল্লা আহমেদকে ওই শেষ বারের মতো দেখেছিলেন তৈমুর। পরে সামরিক বাহিনী তাকে তাঁর দুই বোন, মা, খালা এবং অন্যান্য তরুণ-তরুণীদের সাথে প্রায় এক মাস ধরে আটকে রাখে। মে মাসের এক উত্তপ্ত দিনে, সব নারী এবং শিশুদের তিনটি সম্পূর্ণ ঢাকা সামরিক ট্রাকে তুলে দক্ষিণের অজানা গন্তব্যে কয়েক ঘণ্টা চালিয়ে নিয়ে যায়। আহমেদ বলেছেন, "ট্রাকের ভেতরে খুব গরম ছিল। উত্তাপ ও ক্লান্তির কারণে দুটি মেয়ে সেখানেই মারা যায়।" "এরপর তারা মাঝখানে কোথাও থামে এবং আমাদের কিছু পানি খেতে দেয়।" "পানিতে কিছু রাসায়নিক মেশানো ছিল - যা আমাদের অসাড় করে দেয়। এরপর তারা আমাদের চোখ বেঁধে, হাত বেঁধে আবারও ট্রাকে ধাক্কা দিয়ে তুলে নিয়ে যায়।" তৈমুর কোনভাবে নিজেকে মুক্ত করতে এবং চোখে বাঁধা কাপড় সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হন। গণকবর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। গোলাগুলি পাঁচ মিনিট পরে, ট্রাকগুলো তাদের চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছে যায়। দরজাগুলি খোলার পরে তিনি দেখতে পান বুলডোজার দিয়ে পাশাপাশি তিনটি গর্ত খোঁড়া হচ্ছে। "আমি দেখলাম দুজন ইরাকি সেনা একে-৪৭ রাইফেল হাতে নিয়ে ওই গর্তের দিকে তাক করে আছে।" নারী এবং শিশুদের- এমনকি এক মাস বয়সী শিশুদের ট্রাক থেকে নামিয়ে গর্তে ধাক্কা দিয়ে ফেলা হয়। "হঠাৎ সৈন্যরা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে - তারা একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীকেও গুলি করে হত্যা করে, যিনি আর ক'দিন পরেই হয়তো জন্ম দিতে চলেছিলেন। তার পেট ছিঁড়ে টুকরো হয়ে যায়।" তৈমুরকে তার বাম বাহুতে গুলি করা হয়েছিল। তিনি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন এবং কী করবেন বুঝতে পারছিলেন না। "আমি মারা যাওয়ার ভান করলাম। আমার মাথার আশেপাশে কাঁধে এবং পায়ের পাশ দিয়ে গুলিবর্ষণ হচ্ছিল। পুরো মাটি যেন কাঁপছিল। এক মুহূর্তে জায়গাটা রক্তে রঞ্জিত হয়ে যায়।" তৈমুর পিঠে আরও দু'বার গুলিবিদ্ধ হন এবং আজও তিনি তার শরীরে সেই গুলির দাগ বয়ে বেড়াচ্ছেন। "আমি আমার মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিলাম," তিনি বলেন। একটি বেদুইন পরিবার নিজেদের জীবন বাজি রেখে তৈমুরকে আশ্রয় দিয়েছিল। অব্যাহতি আহমেদ বিশ্বাস করেন, তার অন্য বোনকে পাশের গর্তে হত্যা করা হয়েছিল। "তখন আমার বয়স বারো বছর ছিল, আমার বোনদের মধ্যে বড়জনের বয়স ছিল ১০ বছরের মতো। আর বাকি দুজনের বয়স সম্ভবত আট এবং ছয় বছর।" গোলাগুলি বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। সৈন্যরা চলে যাওয়ার পরে তৈমুর গর্ত থেকে বের হয়ে আসেন। তিনি হেঁটে হেঁটে, হামাগুড়ি দিয়ে মরুভূমির দিকে ছুটতে থাকেন এবং একটি তাঁবুর কাছে এসে থামেন। ওই তাঁবুটি ইরাকি বেদুইন পরিবারের ছিল। "যেহেতু আমাকে হাসপাতালে নেওয়া বিপজ্জনক ছিল, তাই তারা আমাকে ঐতিহ্যবাহী গ্রাম্য কবিরাজের কাছে নিয়ে যায়, তাদের ওষুধগুলোয় আমার গুলির ক্ষত সেরে ওঠে," -তিনি বলেন। ওই ইরাকি পরিবার একটি কুর্দিশ ছেলেকে আশ্রয় দেওয়ার মারাত্মক পরিণতি সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত ছিল, তবুও তারা তাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে তৈমুরের যত্ন নিয়েছিল। "আমি জানতাম যে আমার একজন আত্মীয় ইরাকি সেনাবাহিনীতে চাকরি করছেন। আমি তার সাথে যোগাযোগ করি এবং তিন বছর পর কুর্দি অঞ্চলে চলে আসি।" আনফাল অভিযানে সাদ্দাম বাহিনী কুর্দিদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। সংগ্রাম ১৯৯১ সালে তিনি কুর্দি অঞ্চলে পৌঁছানোর পরে শীঘ্রই তার বেঁচে থাকার খবর ছড়িয়ে পড়ে। "যখন আমার বেঁচে থাকার গল্পটি প্রকাশ পায় তখন থেকেই ইরাকি বাহিনী এবং কুর্দি সহযোগীরা আমার সন্ধান করতে শুরু করে। তখন আমার বয়স হয়েছিল ১৫ বছর।" তৈমুর তার অত্যাচারীদের থেকে বাঁচতে লুকোচুরি শুরু করেন। এক পর্যায়ে, তাকে তার আত্মীয়ের বাড়ি ছেড়ে পুড়ে যাওয়া গ্রামগুলোর ধ্বংসাবশেষে লুকিয়ে থাকতে হয়। "আমি কুর্দিদের খালি গ্রামগুলোয় একা থাকতাম। আমার কোনও খাবার ছিল না। মাঝে মাঝে আমাকে গাছের পাতা খেতাম," সে বলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়, এবং যুক্তরাষ্ট্রে তার আশ্রয়ের আবেদন গৃহীত হয়। "১৯৯৬ সালে, আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাই এবং একটি গাড়ির যন্ত্রাংশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করি। আমি এখনও এই ব্যবসাই করছি," তিনি বলেন। কর্মকর্তারা জানান নিহতের ব্যক্তিগত জিনিষপত্র লাশের পরিচয় সনাক্তে কাজে আসে। কবর সন্ধান করা ২০০৯ সালে, তৈমুর ইরাকে ফিরে যান। সে সময় তিনি তাঁর মা ও বোনদের মাটিচাপা দেয়া স্থানটি সন্ধান করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। তিনি বাগদাদের ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে সামাওয়াহ অঞ্চলে গিয়ে ওই বেদুইন পরিবারকে খুঁজে পান যারা তাকে আশ্রয় দিয়েছিল। "আমি তাদের বলেছিলাম যে আমাকে সেই তাঁবুর স্থানে নিয়ে যেতে যেখানে আমি তাদের সাথে প্রথম দেখা করেছিলাম। তারা যখন আমাকে সেই জায়গায় নিয়ে যায়, তখন আমি আমার অন্তর্দৃষ্টি ব্যবহার করি এবং কবরের সন্ধান পেতে সক্ষম হই।" ধূ ধূ মরুভূমিতে কোন কিছুর অনুসন্ধান করা কোনও সহজ কাজ ছিলনা। "কবরটি যখন দেখলাম আমি কাঁপছিলাম। আমি কাঁদছিলাম।" "আমি অনুভব করলাম যে ঈশ্বর আমাকে হয়তো এই একটি কারণে বাঁচিয়ে রেখেছেন। ঈশ্বর আমাকে একটি বড় লক্ষ্য দিয়েছেন এবং সেটা হল সেই নিরীহ মানুষদের নিয়ে কথা বলা, যাদের আর কথা বলার শক্তি নেই।" তৈমুর তার পরিবারের সদস্যদের দেহাবশেষ সাবধান ফিরিয়ে আনতে রাজনীতিবিদদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছিলেন। "আমি ইরাকি সরকারের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম এবং তাদের বলেছিলাম যে এই কবর সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তারা যেন আমাকে অবহিত করেন।" "আমার মা ও বোনদের একটি ছবিও আমার কাছে নেই। আমি কবরস্থানে থাকতে চেয়েছিলাম কোনটি আমার মা এবং আমার বোন এবং আমি তাদের দেহাবশেষ নিয়ে একটি ছবি তুলতে চাই।" তবে ইরাকি কর্তৃপক্ষ অপেক্ষা করেনি। "তারা আমার উপস্থিতি ছাড়াই কবরস্থানের কাজ শুরু করেছে," তিনি বলেন। দক্ষিণ ইরাকে একটি গণকবর তোলার কাজ চলছে। অসম্ভব কাজ ওই কবরটি থেকে ১৭০টিরও বেশি লাশ উদ্ধার করা হয়। যেখানে তৈমুর বিশ্বাস করেন যে তার আত্মীয়দের হত্যা করা হয়েছিল। ইরাকি কর্মকর্তারা বলেছেন যে আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগের বিষয়টি কুর্দি প্রশাসনের ওপর নির্ভর করে। কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকারের মুখপাত্র ফাওদ ওসমান তাহা বলেছেন," প্রত্যেক ভুক্তভোগীর স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করা আমাদের পক্ষে কঠিন। তৈমুর [আহমেদ] যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। আমরা এই দেশে বসবাসকারী লোকদের প্রতি মনোনিবেশ করছি। " "স্বজনদের জানানোর আগে লাশগুলি প্রথমে আমাদের পরীক্ষা করতে হবে। আমরা এমন কোনও ক্লু খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেছি যা লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে সাহায্য করবে যেমন পোশাক বা আইডি কার্ড বা তারা কোথা থেকে এসেছেন এমন কোন চিহ্ন।" তিনি বলেন যে, আরও পরীক্ষার জন্য দেহাবশেষ থেকে ডিএনএ নমুনা নেওয়া হবে এবং প্রতিটি মরদেহকে আলাদা কোড নম্বর দেওয়া হবে। "পরিবারগুলো সনাক্ত করার পরে আমরা তাদের মৃতদেহগুলি তাদের নিজ শহর বা গ্রামে নিয়ে যেতে এবং একটি বিশেষ শেষকৃত্যানুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের কবর দিতে সহায়তা করব।" "আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার চাই। তবে আমার মন্ত্রণালয়ের কাজ যুদ্ধাপরাধীদের অনুসরণ করা নয়। আমরা প্রমাণ সংগ্রহ করি এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করার জন্য বিশেষ আদালতে পাঠাই," তাহা বলেছেন। গণকবরে অসংখ্য মানুষের লাশ। বিচার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ছুটে আসার পরে, তৈমুর মরুভূমির মাঝখানে শিবির স্থাপন করেন। তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের গর্তটি খনন করতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। যেখানে তাঁর মা ও দুই বোনের দেহাবশেষ রয়েছে বলে তারা বিশ্বাস। "আমি এখানেই থাকবো। আমি কবর রক্ষা করতে সব ধরণের চেষ্টা করে যাব।" তৈমুর জানান যে তিনি স্থানীয় রাজনীতিবিদদের মনোভাব দেখে বিরক্ত হয়ে আছেন। যারা আরও একটি গণকবর সন্ধানের কৃতিত্ব নিতে আগ্রহী। "কুর্দি গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে হবে। আমাদেরকে এই ঘটনার পেছনে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।" | "I saw my mum getting killed in front of my eyes. I couldn't protect her. After that I saw two of my sisters getting killed." |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ১৯৬৯ সালের ২৭ জুন এল সালভেডর ফুটবল দল। সে সংঘাতটি এখনো ফুটবল যুদ্ধ হিসেবে স্মরণ করা হয়। মেক্সিকো সিটির আজটেকা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ৯০ মিনিট খেলা শেষে ২-২ গোলে ড্র ছিল। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটি ছিল হন্ডুরাস এবং এল সালভেডর-এর মধ্যে তৃতীয় ম্যাচ। ১৯৭০ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এর আগে দুই দেশের কেউ বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলতে পারেনি। হন্ডুরাসে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকরা ১-০ গোলে জয়লাভ করে। এরপর ফিরতি ম্যাচে এল সালভেডর তাদের দেশের মাটিকে ৩-০ গোলে হারায় হন্ডুরাসকে। ফলে চূড়ান্ত আরেকটি ম্যাচ খেলার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তৃতীয় ম্যাচে খেলা যখন অতিরিক্ত সময়ে ১১ মিনিট পর্যন্ত গড়ায় তখন এল সালভেডর আরেকটি গোল দিয়ে এগিয়ে এগিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে জয়লাভ করে মাঠ ছাড়ে এল সালভেডর। এল সালভেডর-এর হাজার-হাজার মানুষ হন্ডুরাস ত্যাগ করে। সেই ম্যাচের ৫০ বছর পরে গোলদাতা রদ্রিগেজ বলেন, " আমি যখন গোল করি, তখন আমার মনে হয়েছিল যে তাদের পক্ষে এতো কম সময়ে গোল শোধ করা সম্ভব না। জয়ের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত ছিলাম।" সেই ম্যাচের তিন সপ্তাহের মধ্যে উভয় দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ১৯৬৯ সালে এল সালভেডর-এর জনসংখ্যা ছিল ৩০ লাখ। দেশটি নিয়ন্ত্রণ করতো জমির মালিকরা। কৃষকদের জন্য খুব কম জমি ছিল। অন্যদিকে এল সালভেডর-এর তুলনায় হন্ডুরাস ছিল পাঁচগুণ বড় এবং জনসংখ্যা ছিল ২৩ লাখ। হন্ডুরাসও নিয়ন্ত্রিত হতো জমির মালিকদের দ্বারা। ফলে এল সালভেডর-এর অনেক মানুষ হন্ডুরাসে যেত কৃষিজমিতে চাষাবাদের আশায়। একই সাথে মার্কিন ফলের কোম্পানিগুলোতে কাজ করার একটি আশাও ছিল তাদের মনের ভেতরে। ততদিনে এল সালভেডর-এর প্রায় তিন লক্ষ মানুষ হন্ডুরাসে গিয়ে বসবাস করছিল। এ বিষয়টি হন্ডুরাসের কৃষকদের মনে ক্ষোভ তৈরি করে। ক্ষোভ প্রশমনের জন্য দেশটির সরকার ভূমি সংস্কার আইন করে। এই সংস্কারের উদ্দেশ্য অধিক জমির মালিক কিংবা আমেরিকার ফল কোস্পানীগুলো নয়। যেসব জায়গায় এল সালভেডর থেকে অভিবাসীরা বসবাস করছে সেগুলো ছিল লক্ষ্যবস্তু। দুই দেশ যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করে এক পর্যায়ে এল সালভেডর থেকে আসা অভিবাসীদের বিতাড়ন শুরু করে হন্ডুরাস সরকার। একই সাথে দু্ই দেশের মধ্যে স্থল এবং সমুদ্র সীমা নিয়ে বিরোধ ছিল। সে সময়ের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে বই লিখেছেন ড্যান হেজড্রন। তিনি বলেন, " সে যুদ্ধটি ছিল ভূমি নিয়ে । একটি ছোট দেশে অধিক সংখ্যক মানুষের বসবাস।" যখন হন্ডুরাস থেকে অভিবাসীদের বিতাড়ন শুরু হয়, তখন এল সালভেডর-এর সরকার তাদের সামাল দিতে হিমশিম কেতে শুরু করে। তখন দেশটির ভূমি মালিকরা সরকারকে চাপ দিতে থাকে সামরিক পদক্ষেপ নেবার জন্য। সংবাদপত্রে নানা ধরনের নির্যাতন এবং ধর্ষণের কাহিনীও ছাপা হয়। দুই দেশের মধ্যে যখন উত্তেজনা চরমে তখন ফুটবল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। খেলোয়াড় রদ্রিগেজ বলেন, " আমাদের মনে হয়েছিল এল সালভেডরকে জেতানো দেশপ্রেমের মতো দায়িত্ব।আমরা সবাই হেরে যাবার আতঙ্কে ছিলাম। মনে হয়েছিল যদি হেরে যাই তাহলে সে অপমান আমাদের বাকি জীবন তাড়িয়ে বেড়াবে।" "কিন্তু সে জয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা অবহিত ছিলাম না। আমরা জানতাম না যে এ জয় যুদ্ধের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হবে।" জুন মাসের ২৭ তারিখে মেক্সিকোর রাজধানীতে যখন হন্ডুরাস এবং এল সালভেডর ফুটবল ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল , তখন খবর আসে যে এল সালভেডর কূটনীতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে হন্ডুরাসের সাথে। রদ্রিগেজ বলেন, "সে গোলটি ছাড়াও যুদ্ধ হতোই।" পরবর্তীতে উভয় দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘাত আরো জোরদার হয়েছে। এল সালভেডর তাদের সৈন্যদের হন্ডুরাসের ভেতরে আক্রমণ করার নির্দেশ দেয়। যুদ্ধ বিমান থেকে বোমা ফেলার নির্দেশও দেয়া হয়। অন্যদিকে হন্ডুরাসও প্রতিশোধের জন্য তৈরি হয়ে যায়। একপর্যায়ে ১৮ জুলাই আমেরিকার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়। কিন্তু এ কয়েকদিনে প্রায় তিন হাজার মানুষ মারা যায়, যাদের মধ্যে বেশিরভাগ হন্ডুরাসের বেসামরিক নাগরিক। অনেকে বাস্তু-চ্যুত হয়। রদ্রিগেজ-এর বয়স এখন ৭৩ বছর। তিনি বলেন, " জয় নির্ধারনী সে গোলটি নিয়ে আমার গর্ব ছিল সবসময়।" " একটা বিষয়ে আমি নিশ্চিত যে খেলায় আমাদের বিজয়কে রাজনীতিবিদরা এল সালভেডর-এর ইমেজ বাড়ানোর জন্য কাজে লাগায়।" কিন্তু উভয় দেশের খেলোয়াড়রা পরষ্পরকে শত্রু বলে মনে করতো না। রদ্রিগেজ বলেন, তারা শুধু খেলার মাঠে পরস্পরকে খেলার প্রতিপক্ষ মনে করতো। | In 1969, El Salvador and Honduras fought a four-day conflict that cost thousands of lives and displaced thousands more - a bloody struggle still remembered as the Football War. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ভ্যাটিকানের একজন সাবেক কূটনীতিককে গ্রেফতার করা হয়েছে শিশু পর্নোগ্রাফির অভিযোগে ক্যাথলিক চার্চগুলোর যাজকদের হাতে শিশু নির্যাতন বন্ধ করা যাচ্ছে না কেন? এই প্রশ্ন নতুন করে সামনে এসেছে এই গ্রেফতারের ঘটনার পর। কার্লো আলবার্টো ক্যাপেলা নামের এই যাজক যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাটিকানের কূটনীতিক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এক বিবৃতিতে ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ বলেছে, অভিযোগ তদন্তের পর এই যাজকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। আর সেই গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ভ্যাটিকানকে জানিয়েছিলেন যে, ভ্যাটিকানের এই কূটনীতিক পর্নোগ্রাফি আইন অমান্য করে থাকতে পারেন। সেই অভিযোগের তদন্ত করে এখন তাঁকে গ্রেফতার করা হলো। ২০০৪ সালে তিনি যাজকের পাশাপাশি ভ্যাটিকানের কূটনীতিক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে সেখান থেকে ফেরত আনা হয়েছিল ২০১৭ সালে। পোপ ফ্রান্সিস আরো পড়তে পারেন: সুপারস্টার সালমান খানের বেলায় ভিন্ন বিচার? সিরিয়ায় আবারো গ্যাস আক্রমণ: অন্তত ৭০ জন নিহত পার্কের প্রেম-ভালোবাসা প্রচার হলো টিভিতে পোপ ফ্রান্সিসের বিভিন্ন পদক্ষেপের পরও যাজকদের হাতে শিশুদের যৌন হয়রানি বন্ধ করা যাচ্ছে না কেন? ফ্রান্সিস পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর পরই সেই ২০১৩ সালে শিশুদের যৌন নির্যাতন বন্ধ করে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু খুব একটা লাভ হয়নি। গত বছরেরই যাজকদের হাতে শিশু নির্যাতনের শত শত অভিযোগ আসে। সেই প্রেক্ষাপটে ২০১৭ সালেই পোপ ফ্রান্সিস যৌন নির্যাতন বা হয়রানির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই ঘোষণার চিঠি পাঠানো হয়েছিল বিশ্বের ক্যাথলিক চার্চগুলোর যাজকদের কাছে। তাতে পোপ ফ্রান্সিসের বক্তব্য ছিল, "আমি চাই আমাদের কেউ যেন এ ধরণের জঘন্য অপরাধ না করে।যৌন নির্যাতনের এই অপরাধ এমন এক পাপ, যা আমাদের লজ্জিত করে।" তারপরও কিন্তু যাজকদের হাতে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে। ক্ষতিগ্রস্তদেরই অনেকে মনে করেন, নানান পদক্ষেপের কথা পোপ বলেছেন ঠিকই, কিন্তু অভিযুক্তদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা সম্ভব হয়নি। সেকারণে যাজকদের হাতে শিশু নির্যাতন পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। | Police at the Vatican have arrested a priest who previously worked at the Holy See's US embassy on suspicion of possessing child pornography. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ভিডিওটিতে একজন চীনা অভিনেতাকে ভারতীয় সাজানো হয়েছে ইংরেজিতে তৈরি করা ওই ভিডিও ক্লিপে অভিযোগ করা হয়েছে ভারত 'পাপ' করছে। ভিডিওতে একজন চীনা অভিনেতা পাগড়ি পরে ভারতীয়দের ইংরেজি বলার ভঙ্গীও নকল করেছেন। চীনের সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া এই ক্লিপটি প্রকাশ করেছে বুধবার - যাতে চীন ও ভারতের মধ্যে চলমান ডোকলাম সঙ্কট নিয়ে একটি চ্যাট শো বা আলোচনা-অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়েছে। কিন্তু এই ক্লিপটিকে ঘিরে ভারতে একই সঙ্গে বিস্ময়, বিভ্রান্তি আর তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কিন্তু এই ভিডিও ক্লিপে আছেটা কী? 'সেভেন সিনস অব ইন্ডিয়া' বা 'ভারতের সাতটি পাপ' শীর্ষক এই ভিডিওতে টেলি-তারকা ও অভিনেত্রী ডিয়ের ওয়াং ডোকলামকে ঘিরে ভারতের বিরুদ্ধে চীনের যে সব অভিযোগ - সেগুলোই তুলে ধরেছেন। 'দ্য স্পার্ক' নামে শিনহুয়া সম্প্রতি ইংরেজিতে যে অনলাইন চ্যাট শো সিরিজ শুরু করেছে, এটি তারই সাম্প্রতিকতম পর্ব। বিস্ময় আর ক্ষোভ মেশানো গলায় তাকে সেখানে বলতে শোনা যাচ্ছে ভারত 'আন্তর্জাতিক সব আইন লঙ্ঘন করছে' এবং নিজেদের 'বেআইনি পদক্ষেপকে ঢাকতে নানা ধরনের অজুহাত তৈরি করছে'। ডিয়ের ওয়াং ওই ভিডিও ক্লিপে ভারতের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগগুলো তুলে ধরেছেন তার এই স্বগতোক্তির মাঝে মাঝেই এসেছে একজন 'ভারতীয়'র সংলাপ - যেখানে একজন চীনা অভিনেতাকে পাগড়ি, সানগ্লাস আর বেমানান দাড়ি দিয়ে ভারতীয় সাজানো হয়েছে। ভিডিওর মাধ্যমে হাসির উদ্রেক করতে ওই 'ভারতীয়'কে মাথা দুলিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। সে ইংরেজিতে কথাও বলে টেনে টেনে, ভারতীয় অ্যাকসেন্ট ব্যবহার করে। ভিডিওর একটি দৃশ্যে সে একটি কাঁচি তুলে ধরে আর একজন অভিনেতার উদ্দেশে - যে আপাতদৃষ্টিতে চ্যাট শোতে ভুটানের প্রতিনিধিত্ব করছিল। এর উদ্দেশ্যও ছিল স্পষ্ট - চীন যে মনে করে ভারত তাদের প্রতিবেশী, হিমালয়ের পার্বত্য দেশ ভুটানকে 'বুলি' করে বা ভয় দেখায় - সেটাই এর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। নীল পোশাক পরা এই অভিনেতা ভিডিওতে ভুটানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এই ভিডিওটি স্পষ্টতই বিদেশি শ্রোতা-দর্শকদের কথা মাথায় রেখে বানানো হয়েছে। কারণ এর পুরোটাই ছিল ইংরেজিতে - এবং এটি প্রকাশ করা হয়েছে শিনহুয়ার ইউটিউব, টুইটার ও ফেসবুক ফিডে, যার সবগুলোই চীনে নিষিদ্ধ। চীনেও বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই অনলাইন চ্যাট শো-র লক্ষ্যই হল প্রাসঙ্গিক নানা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে চীনের দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরা এবং সেটার একটা আন্তর্জাতিক সংস্করণও রাখা। এই শো-র আগের পর্বগুলোতেও চীন-ভারত সম্পর্ক ও তাদের মধ্যে সংঘাতের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও আমেরিকা-চীনের সম্পর্কও এই শো-তে আলোচিত হয়েছে। তবে তার সবগুলোই এই নতুন পর্বটির চেয়ে অনেক বেশি সংযত ও শালীন ভঙ্গীতে পরিবেশিত হয়েছিল। ভারতীয়রা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে? ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এই ভিডিওটির তীব্র সমালোচনা করে বলা হচ্ছে এটি অত্যন্ত রেসিস্ট বা বর্ণবাদী একটি পরিবেশনা। 'দ্য হিন্দুস্তান টাইমস' পত্রিকা বলছে শিনহুয়া 'ভারতীয়দের বিদ্রূপ করে' এমন একটি রেসিস্ট ভিডিও রিলিজ করেছে - যেটিতে বিশেষ করে 'সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়কে আক্রমণের নিশানা করা হয়েছে'। নিউজ পোর্টাল 'কুইন্ট' বলেছে ডোকলাম সঙ্কটকে কেন্দ্র করে চীনা সংবাদমাধ্যম যে আগ্রাসী ভাষায় কথাবার্তা বলছে এটি তারই আর একটি চেষ্টা। 'ইন্ডিয়া টুডে'-র মতে ভারতকে ব্যঙ্গবিদ্রূপ করার চেষ্টায় চীন এখানে 'আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে'। ভারতে সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই ভিডিওটি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে এই ভিডিও ডোকলাম সঙ্কট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু নতুন বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছে। ডোকলামের বিতর্কিত অঞ্চলে আসলে কোন দেশের সার্বভৌমত্ব আছে, ফেসবুকে তা নিয়ে অনেকেই আবার নানা যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি তুলে ধরছেন। ভারত, ভুটান ও চীনের সীমানা যেখানে মিশেছে, সেই ডোকলামে গত দুমাসেরও বেশি সময় ধরে ভারত ও চীনের সেনারা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে রয়েছে। ডোকলাম উপত্যকায় চীন এমন একটি রাস্তা বানোনোর উদ্যোগ নিয়েছে, যেটি ভুটানের এলাকা বলে ভারত দাবি করছে। আর তাকে ঘিরেই শুরু হয়েছে ভারত ও চীনের মধ্যে এই সামরিক উত্তেজনা - যা এখনও কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আমাদের পেজে আরও পড়তে পারেন : লাদাখের লেকের ধারে চীন-ভারতের হাতাহাতি ডোকলাম থেকে সেনা না সরালে ভারতকে ফল ভোগ করতে হবে: চীন চীনের সাথে শান্তি চেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ভারতীয় বক্সার বিশ্লেষণ: ভারত-ভুটান সম্পর্ক কোন্ পথে? | Chinese state media have released a propaganda video that lambasts India over a border dispute, sparking accusations of racism. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | এখনও পর্যন্ত ১২ জন মানুষ চাঁদের মাটিতে পা ফেলেছে। রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস বলছে, এবিষয়ে তারা চীনের জাতীয় মহাকাশ সংস্থার সঙ্গে একটি চুক্তিতে সই করেছে। দুটো দেশের সরকারের পক্ষে রাশিয়া ও চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নেতারা এই চুক্তিতে সই করেছেন। তারা বলছেন, গবেষণার জন্য তারা চন্দ্রপৃষ্ঠে কিম্বা চাঁদের কক্ষপথে অথবা উভয় স্থানেই কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লুনার সায়েন্টিফিক রিসার্চ সেন্টার বা আইএলআরএস। এবিষয়ে উভয় দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা থেকে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে রাশিয়া ও চীন ছাড়া অন্য কোনো দেশও চাইলে এই কেন্দ্রটি ব্যবহার করতে পারবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "স্টেশনটি সবার জন্য খোলা থাকবে।" এই ঘোষণাটি এমন এক সময়ে এলো যখন রাশিয়া মহাকাশে প্রথমবারের মতো মানুষসহ যান পাঠানোর ৬০ বছর পূর্তি উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশটি ১৯৬১ সালের এপ্রিল মাসে ইওরি গেগারিনকে প্রথম মহাকাশে পাঠিয়েছিল। উদ্দেশ্য কী রাশিয়া ও চীনের উভয় সংস্থা থেকে দেওয়া বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক এই চান্দ্র কেন্দ্রের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালিত হবে যার মধ্যে রয়েছে চাঁদে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো এবং বিভিন্ন কাজে এই উপগ্রহটিকে ব্যবহার করা। "চীন এবং রাশিয়া তাদের সংগৃহীত অভিজ্ঞতা মহাকাশ বিজ্ঞান, গবেষণা এবং মহাকাশ সংক্রান্ত প্রযুক্তি ও যন্ত্র-সামগ্রী তৈরি এবং এসব ব্যবহারে কাজে লাগাবে। চাঁদে একটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন নির্মাণের জন্য তারা যৌথভাবে একটি পরিকল্পনা তৈরি করবে," বিবৃতিতে বলা হয়েছে। বিবৃতিটি আরো বলছে, চাঁদে মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা, নকশা তৈরি, নির্মাণ এবং এটি পরিচালনায় রাশিয়া ও চীন একসাথে কাজ করবে। নাসাও আবার চাঁদের গবেষণায় ফিরতে আগ্রহী। শিল্পীর চোখে চন্দ্রপৃষ্ঠে নভোচারী মহাকাশে বর্তমানে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন বা আইএসএস নামের একটি গবেষণা কেন্দ্র আছে যেখানে নভোচারীরা অবস্থান করছেন। প্রায় ২০ বছর আগে সেটি মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত মহাকাশে এটিই একমাত্র স্টেশন যেখানে মানুষ অবস্থান করছে। চাঁদ এবং মহাকাশের আরো গভীরে গবেষণা পরিচালনার জন্য একটি তথ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার ব্যাপারেও চীন ও রাশিয়া সম্মত হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। মহাকাশে চীনের শক্তি চীনের মহাকাশ কর্মসূচির বিষয়ে একজন গবেষক চেন লান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, "এই প্রকল্পটি অনেক বড় একটি ঘটনা।" "আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণায় চীনের দিক এটাই হবে সবচেয়ে বড় সহযোগিতা। ফলে এটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ," বলেন তিনি। মহাকাশ গবেষণায় তুলনামূলকভাবে অনেক দেরিতে নেমেছে চীন এবং গত ডিসেম্বর মাসে দেশটি চাঁদে চাঙ্গ'ই-৫ নামে একটি মহাকাশ যান পাঠিয়েছিল যা চাঁদের বুক থেকে পাথর ও 'মাটি' সংগ্রহ করে পৃথিবীতে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এপর্যন্ত মাত্র তিনটি দেশ চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে আনতে পেরেছে। চাঁদে চীনের এই অভিযানকে মহাকাশে চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তিবৃদ্ধির একটি প্রদর্শন হিসেবে দেখা হচ্ছে। মহাকাশ গবেষণায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন প্রচুর অর্থও বিনিয়োগ করেছে। আরো পড়তে পারেন: চাঁদের পৃষ্ঠে পতাকা স্থাপন করলো চীন চাঁদ থেকে পাথর-মাটি তুলে আনছে চীনা রকেট ছবি: মঙ্গল গ্রহ দেখতে কেমন মঙ্গল গ্রহে নাটকীয় অবতরণের পর এখন যেসব অনুসন্ধান চালাবে নাসার নভোযান মঙ্গল গ্রহে কয়টি অভিযান সফল হয়েছে? শিল্পীর চোখে চাঁদের কাছে একটি মহাকাশ যান। চীন এখন চাঁদের অভিমুখে চাঙ্গ'ই-৭ নামে একটি যান পাঠানোর জন্য কাজ করছে। রাশিয়ার এসংক্রান্ত পরবর্তী কর্মসূচির লুনা ২৭। এই দুটো প্রকল্পেরই লক্ষ্য চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে গবেষণা চালানো। মহাকাশ গবেষণার সূচনায় বড় ধরনের ভূমিকা ছিল রাশিয়ার কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে। এর আগে একমাত্র রাশিয়াই নভোচারীদেরকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারত কিন্তু গত বছর মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেস-এক্সের সাফল্যের পর রাশিয়ার সেই ক্ষমতা এখন আর একচেটিয়া নেই। আমেরিকার পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রও কিছু পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে যাতে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশটির চাঁদ সংক্রান্ত গবেষণায় ফিরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। দেশটির এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে আর্টেমিস যাতে একজন নারী ও পুরুষ চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে। অন্যান্য খবর: ছাত্রকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, কী বলছেন অভিযুক্ত শিক্ষক নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলা করলেন কার্টুনিস্ট কিশোর মেরে, মাদক গুঁজে দিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় - কী করছে কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ছয় জনের দেহে ইউকে ভ্যারিয়ান্ট শনাক্ত ১৯৭২ সালের পর এটাই হবে মানুষের প্রথম চাঁদে অবতরণ। মানুষ প্রথম চাঁদের মাটিতে পা ফেলেছিল ১৯৬৯ সালের ২০শে জুলাই। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা নাসার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এপর্যন্ত ১২ জন নভোচারী চাঁদে নেমেছিলেন। | China and Russia have announced plans to build a lunar space station. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | টিকাটির নির্মাতারা বলছেন, এটি ৯৫ শতাংশ কার্যকরী এবং বড় ধরণের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে না। তবে এখনো টিকাটির গণ-পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ হয়নি। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে এবং কোনরকম তথ্য প্রকাশ না করেই গত অগাস্ট মাসে স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের জন্য স্পুটনিক ভি নামের টিকার লাইসেন্স দেয় রাশিয়া। এখন সেটির ব্যবহারও শুরু হয়েছে। টিকাটির নির্মাতারা বলছেন, এটি ৯৫ শতাংশ কার্যকরী এবং বড় ধরণের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে না। তবে এখনো টিকাটির গণ-পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ হয়নি। এই সপ্তাহেই টিকার প্রথম দুইটি ডোজ পাওয়ার জন্য নাম তালিকাভুক্ত করেছেন হাজার হাজার মানুষ। তবে রাশিয়া মোট কতো টিকা তৈরি করতে পারবে, সেটা এখনো পরিষ্কার নয়। এই বছরের শেষ নাগাদ টিকাটির উৎপাদকরা ২০ লাখ টিকা তৈরি করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন, স্কুল, স্বাস্থ্য সেবা আর সমাজকর্মীদের আগে টিকাটি দেয়া হবে। তবে যতো টিকা আসতে থাকবে, এই তালিকা তখন আরও বড় হতে শুরু করবে। এসব পেশার বাসিন্দারা অনলাইনে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে শহরের ৭০টি স্থানে টিকা দেয়ার জন্য বুকিং দিতে পারবেন। আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে রাশিয়া কি লুকোচুরি করছে? রাশিয়ার টিকায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতার লক্ষণ করোনাভাইরাসের 'রুশ টিকার' পর সামাজিক মাধ্যমে পুতিন মিমের বন্যা ফাইজারের তৈরি করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদন দিল যুক্তরাজ্য বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে এবং কোনরকম তথ্য প্রকাশ না করেই গত অগাস্ট মাসে স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের জন্য টিকার লাইসেন্স দেয় রাশিয়া। এখন পর্যন্ত রাশিয়ায় ২৩ লাখ ৮২ হাজার ১২জন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪১ হাজার ৭৩০ জনের। রাশিয়ায় এই মহামারির কেন্দ্র হয়ে উঠেছে মস্কো, যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মস্কো থেকে বিবিসির সংবাদদাতা সারাহ রেইন্সফোর্ড বলছেন, রাশিয়ার সরকার লকডাউনের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বরং দ্রুত কার্যকরী টিকা আবিষ্কারের ওপর জোর দিয়েছে। কিছুদিন আগে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে ফাইজার/বায়োএনটেকের করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, এমএইচআরএ বলছে,করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ সক্ষম এই টিকাটি এখন ব্যবহারের জন্য নিরাপদ। তবে অনুমোদন দেয়া হলেও জনগণের মধ্যে এখনো টিকাটির আনুষ্ঠানিক প্রয়োগ শুরু হয়নি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: আমেরিকার সাথে সংঘাতে তৈরি হচ্ছে চীন: মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান চাঁদের পৃষ্ঠে পতাকা স্থাপন করলো চীন ধরা পড়ল পুতুলের পেটের ভেতরে বিরল সরীসৃপ পাচারের ঘটনা করোনাভাইরাস: মহামারির শুরু কি চীনে নাকি অন্য কোন দেশে | Russia is starting its Covid-19 vaccination programme, with clinics in the capital Moscow inoculating those most at risk from the virus. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | নাগোর্নো-কারাবাখের যুদ্ধে আর্মেনিয়ার সেনারা আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান দুই পক্ষ যে পরিমাণ হতাহতের কথা জানিয়েছে, তার চেয়ে মৃত্যুর এই সংখ্যাটি অনেক বেশি। মি. পুতিন বলেছেন যে তিনি প্রতিদিন একাধিকবার দুই পক্ষের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং এই যুদ্ধে কোন এক পক্ষের সমর্থন করবেন না। তিনি জানিয়েছেন, এই যুদ্ধে আজারবাইজানকে সমর্থন করা তুরস্কের সাথে ভিন্নমত পোষণ করে মস্কো। নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন মি. পুতিন। নাগোর্নো-কারাবাখে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে যুদ্ধবিরতির সমঝোতায় পৌঁছানো হলেও শেষপর্যন্ত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়নি। আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান দুই দেশ একে অপরকে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার জন্য দোষারোপ করেছে। আরো পড়তে পারেন: আজেরীদের জাতীয় সত্ত্বা ঘিরে আছে স্বদেশ হারানোর যে ক্ষত নাগোর্নো কারাবাখ যুদ্ধ: দুদিকেরই সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ,আপোষহীন নাগোর্নো-কারাবাখ: যেখানে যুদ্ধের কৌশল বদলে দিয়েছে তুর্কী ড্রোন তুরস্ক কেন আজারবাইজানকে সমর্থন দিচ্ছে এবং তারা কতো দূর যেতে পারে? ১৯৯৪ সালের পর থেকে এই অঞ্চলে সবচেয়ে সহিংস যুদ্ধ এটি পুতিন কী বলেছেন? আর্মেনিয়ায় রাশিয়ার সেনা ঘাঁটি রয়েছে, ওদিকে আজারবাইজানের সাথেও রাশিয়ার সম্পর্ক ভাল। টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, "দুই পক্ষেরই প্রচুর পরিমাণ হতাহত হয়েছে। উভয় পক্ষেই দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।" ভাষণে মি. পুতিন জানান যে নিহতের সংখ্যা শীঘ্রই পাঁচ হাজার স্পর্শ করতে যাচ্ছে। দুই পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো সংখ্যার চেয়ে মি. পুতিনের জানানো নিহতের সংখ্যা অনেক বেশি। আনুষ্ঠানিকভাবে পাওয়া সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, নিহতের সংখ্যা ছিল এক হাজারের কম। নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ২৭শে সেপ্টেম্বর থেকে ঐ অঞ্চলে ৮৭৪ জন সেনাসদস্য এবং ৩৭ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। আজারবাইজানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে ৬১ জন আজেরী বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন। কিন্তু সেনাবাহিনীর কতজন মারা গেছেন, সেবিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার দ্বন্দ্ব মি. পুতিন জানিয়েছেন, এই ইস্যু নিয়ে তিনি আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। "আমি প্রতিদিন একাধিকবার তাদের সাথে ফোনে কথা বলি", বলেন পুতিন। মি. পুতিন জানিয়েছেন, এই যুদ্ধে তুরস্কের অবস্থানের সাথে ভিন্নমত পোষণ করেন তিনি। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকেও নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তুরস্ক জানিয়েছে যে আজারবাইজান চাইলে এই যুদ্ধে আজেরীদের সেনা সহায়তা দেবে তুরস্ক। শুক্রবার ওয়াশিংটনে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট মন্ত্রী মাইক পম্পেওর সাথে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। কারাবাখের রাজধানী স্টেপানাকার্টের এক বৃদ্ধা যিনি তীব্র লড়াইয়ের মাঝেও তার বাসা ছেড়ে না যেতে বদ্ধপরিকর নাগোর্নো-কারাবাখের সবশেষ খবর কী? গত সপ্তাহে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির সমঝোতা হলেও দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ অব্যাহত ছিল এবং শত শত মানুষ মারা গেছে। বৃহস্পতিবারও বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধ হওয়ার খবর জানানো হয়েছে আজারবাইজানের পক্ষ থেকে। তারা অভিযোগ করেছে যে আর্মেনিয়া আজারবাইজান লক্ষ্য করে তিনটি ব্যলিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। আর্মেনিয়া ঐ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে আর্মেনিয়াও একাধিক এলাকায় গোলাগুলির খবর প্রকাশ করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মার্তুনি গ্রাম ও তার আশেপাশের অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে 'এই পর্যায়ে' কোনো কূটনৈতিক সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব নয়। ককেশাস পর্বতমালায় পাহাড়ঘেরা আজেরী একটি গ্রাম যে কারণে এই অঞ্চল নিয়ে বিরোধ পূর্ব ইউরোপে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলা সংঘাত পূর্ণ এলাকার নাম নাগোর্নো-কারাবাখ। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাবার পর থেকে আর্মেনিয়া আর আজারবাইজানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে বিতর্কিত এই এলাকা কার তা নিয়ে। দুই প্রতিবেশী দেশ একে অপরের চরম শত্রুতে পরিণত হয়েছে এই নাগোর্নো কারাবাখ ভূখণ্ডকে কেন্দ্র করে। আর্মেনীয়দের জন্য এই এলাকা তাদের প্রাচীন খ্রিস্টীয় সংস্কৃতির শেষ ধারক হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ। আর আজেরীদের জন্য কারাবাখ মুসলিম সংস্কৃতির একটা প্রাণকেন্দ্র, তাদের ঐতিহ্যবাহী মুসলিম কবি ও সঙ্গীতজ্ঞদের পবিত্র জন্মস্থান। সোভিয়েত সাম্রাজ্য যখন ১৯৮০র দশকের শেষ দিকে ভেঙে পড়তে শুরু করে, তখন নাগোর্নো-কারাবাখের আঞ্চলিক পার্লামেন্ট আর্মেনিয়ার অংশ হিসাবে থাকার পক্ষে ভোট দেয়। এর জেরে শুরু হয় যুদ্ধ। মারা যায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। রাশিয়া তখন একটা যুদ্ধবিরতি করার ব্যাপারে মধ্যস্থতা করেছিল। সেটা হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। কিন্তু যুদ্ধবিরতি হলেও কখনও দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে কোন শান্তিচুক্তি হয়নি। ফলে বিতর্কিত এই ছিটমহল সরকারিভাবে আজারবাইজান ভূ-খন্ডের অংশ হিসাবে থেকে গেলেও, বিচ্ছিন্নতকামী জাতিগত আর্মেনীয়রা কারাবাখ এবং আশেপাশের সংযুক্ত আরও সাতটি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল: | Russian President Vladimir Putin has said that almost 5,000 people have been killed in fighting between Azerbaijan and Armenian forces over the disputed Nagorno-Karabakh region. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | দীর্ঘদিনের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে স্বজনের কাছে ফিরলেন একদল ইউক্রেনীয় পরস্পরের হাতে আটক থাকা প্রায় ৭০ জন জন বন্দি শনিবার রাশিয়ার মস্কোতে এবং ইউক্রেনের কিয়েভ বিমান বন্দরে অবতরণ করেছেন। রাশিয়া যাদের ছেড়ে দিয়েছে তাদের মধ্যে কিছু ইউক্রেনীয় সৈন্য ও চলচ্চিত্রকার আছেন। অন্যদিকে, ইউক্রেইন যাদের মুক্তি দিয়েছে তাদের মধ্যে যেমন আছেন সাংবাদিক এবং একজন ইউক্রেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী ভলোদিমির জেমাখ, যাকে ২০১৪ সালে একটি মালয়েশীয় যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করার জন্য দায়ী করা হয়। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির ইয়েলেনস্কি বলেছেন, মুক্তির আগে মি. জেমাখকে নিবিড়ভাবে জেরা করা হয়েছে। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফ ব্লক এতে দু:খ প্রকাশ করেছেন। মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সের বিমানটি নেদারল্যান্ডস থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। ভলোদিমির জেমাখ পূর্ব ইউক্রেনে রুশ-সমর্থিত বিদ্রোহীদের একজন কমান্ডার, এবং ২০১৪ সালের ঘটনার ব্যাপারে তার সাথে নেদারল্যান্ডসের তদন্তকারীরা কথা বলতে চান। ঐ ঘটনায় বিমানটির ২৯৮ জন আরোহীর সবাই নিহত হন। এবছরের গোড়ার দিকে ভলোদিমির জেমাখকে ইউক্রেইন আটক করে। বিবিসি বাংলায় আরও খবর: চাঁদের বুকে ভারতের অবতরণ কেন ব্যর্থ হলো? আফগানিস্তানে নারীবাদী রেডিও চালান সাহসী যে নারী ইন্টারনেট থেকে কি বের হয়ে আসা সম্ভব? বিবিসির একজন সংবাদদাতা বলছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যেকার সম্পর্কের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হচ্ছে এই বন্দি বিনিময়। কারণ ২০১৪ সাল থেকে সামরিক সংঘাত চলছে এ দুই দেশের মধ্যে । বিশেষ করে রাশিয়া যখন ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয় এবং পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়া সমর্থিত বিদ্রোহী তৎপরতা শুরু হয় - তার পর থেকে দু দেশের সম্পর্কে গুরুতর অবনতি ঘটেছে। এতে ইউক্রেনের ডোনিয়েৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলে অন্তত ১৩,০০০ লোক মারা গেছে। প্রেসিডেন্ট ইয়েলেনস্কি মনে করেন, এই বন্দি বিনিময় হতে পারে পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধ অবসানের পথে প্রথম পদক্ষেপ। এপ্রিল মাসে নির্বাচিত হয়েই তিনি রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নকে তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে ঘোষণা করেছিলেন। | Russia and Ukraine have completed a long-awaited exchange of prisoners. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | খোলামেলা পোশাক এবং যৌন বক্তব্য সংবলিত গানের কারণে নিকি মিনাজের বিশেষভাবে পরিচিত রয়েছে ১৮ই জুলাই জেদ্দা ওয়ার্ল্ড ফেস্টে এই র্যাপারের অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। সৌদি আরবে বিনোদনের ওপর থেকে কড়াকড়ি তুলে নেয়া আর শিল্প খাতের প্রসারের সর্বশেষ উদাহরণ এই কনসার্ট। তবে ঘোষণাটি আসার পর থেকেই টুইটার, ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছেন ব্যবহারকারীরা। ''কল্পনা করুন যে, তিন বছর কোমায় থাকার পর আপনি জেগে উঠলেন আর প্রথমেই শুনতে পেলেন যে, নিকি মিনাজ সৌদি আরবে একটি সংগীত উৎসবে গান গাইতে যাচ্ছেন। আমি সত্যি মনে করতাম যে, অন্য একটা পৃথিবীতে আমি চলে গেছি।'' একজন লিখেছেন। আরো পড়ুন: সৌদি আরবে কি পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে সৌদি আরব - ইরান দ্বন্দ্ব: কে কার বন্ধু? সৌদি আরব-ইসরায়েল গোপন আঁতাতের কারণ কি কবির তানেজা প্রশ্ন তুলেছেন, আয়োজকরা নিকি মিনাজের সঙ্গে যোগাযোগ করার আগে গুগলে তার সম্পর্কে জেনে নিয়েছে কিনা? আরেকজন প্রশ্ন করেছেন যে, আয়োজকরা নিকি মিনাজের সঙ্গে যোগাযোগ করার আগে গুগলে তার সম্পর্কে জেনে নিয়েছে কিনা? ''সৌদি আরবের কেউ নিশ্চয়ই নিকি মিনাজের ব্যাপারে গুগল করেনি, কেউ কি করেছে?'' টুইটারে লিখেছেন কবির তানেজা। তবে সব প্রতিক্রিয়া যে এরকম হালকা ধরণের তা নয়। একজন টুইট করেছেন যে, ইসলামের পবিত্র নগরী মক্কার কাছাকাছি বিবেচনায় মিনাজের অনুষ্ঠান আয়োজন করা অসঙ্গত হবে। টুইটারে একটি ভিডিওতে মাথায় হিজাব পড়া একজন নারী প্রশ্ন তুলেছেন, কেন এই সংগীতশিল্পীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ, যখন সৌদি নারীদের বোরকা পড়া বাধ্যতামূলক। ''তিনি তার নিতম্বর ঝাঁকিয়ে গান গাইবেন আর গার সব গানই যেখানে যৌনতা ঘিরে, আর এরপর আপনি আমাকে বোরকা পড়তে বলবেন, সেটা কিভাবে হয়?''তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। তবে নিকি মিনাজের অনুষ্ঠান নিয়েই সৌদি আরবে প্রথম এ ধরণের বিতর্ক শুরু হয়েছে তা নয়। এর আগে মারায়া ক্যারিকে সৌদি আরবে অনুষ্ঠান না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল মানবাধিকার কর্মীরা। যদিও তিনি সেই আহ্বানে সাড়া দেননি। সৌদি আরবের বিনোদন বিভাগের প্রধান, তুর্কি আল আল-শেখ জানুয়ারিতে একটি টুইট করে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের কথা জানিয়েছেন শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পর র্যাপার নেলি সমালোচনার মুখে পড়েন। বেশ কিছুদিন ধরে দেশটির বিনোদনের ওপর থেকে বেশ কিছু কড়াকড়ি তুলে নিয়েছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, যিনি দেশটির অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে চান। দেশটির বিনোদন বিভাগের প্রধান, তুর্কি আল-শেখ জানুয়ারিতে একটি টুইট করে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের কথা জানিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, '' আল্লাহ চাইলে, পরবর্তী ধাপের বিনোদনের মূল লক্ষ্য হবে নানা উৎসব, সার্কাস, মোবাইল থিম পার্ক, তরুণ-তরুণীদের বিনোদনের জন্য নানা কর্মসূচী নেয়া আর দেশীয় বিনোদন কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করা।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে সাতটি তথ্য জেনে রাখুন 'গণমাধ্যম কিছু বণিক-গোষ্ঠীর হাতে চলে গেছে' ক্যান্সারের জন্য মোটা শরীর কতটা দায়ী? ক্যান্সারের জন্য মোটা শরীর কতটা দায়ী? | Nicki Minaj has been announced as a headline act for a music festival in Saudi Arabia, prompting confusion on social media over how her typically revealing outfits and explicit lyrics would go over in the ultra-conservative kingdom. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ভারতের বেশিরভাগ মুসলিম কাজ করেন অনানুষ্ঠানিক খাতে অল্প আয়ে এই মামলায় যে ৩২ জন জীবিত অভিযুক্ত, তাদের মধ্যে ছিলেন সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী এল কে আদভানি এবং আরও অনেক সিনিয়র বিজেপি নেতা। বুধবারের রায়ে এদের সবাইকে খালাস দেয়া হয়েছে। আদালত বলেছে, ১৯৯২ সালে এই মসজিদটি ধ্বংস করেছে অচেনা 'সমাজ-বিরোধীরা' এবং এই হামলা পূর্ব-পরিকল্পিত ছিল না। মসজিদটি ধ্বংস করতে সময় লেগেছিল মাত্র চার ঘন্টা। এই কাজটি করা হয়েছে হাজার হাজার মানুষের চোখের সামনে। এটি ধ্বংসের আগে যে এই কাজের মহড়া দেয়া হয়েছে, এতে যে স্থানীয় পুলিশের প্রচ্ছন্ন সম্মতি ছিল এবং হামলাকারীদের যে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছিল - এমন বিশ্বাসযোগ্য বিবরণ দিয়েছেন অনেক প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী। তবে তারপরও আদালত এরকম রায় দিয়েছে। গত বছর ভারতের সুপ্রিম কোর্টও বলেছিল, এটি ছিল এক ''সুপরিকল্পিত ঘটনা'' এবং ''আইনের শাসনের এক গুরুতর লঙ্ঘন''। তাহলে অভিযুক্তরা যে খালাস পেলেন এটাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে? সাধারণভাবে এই রায়কে দেখা হচ্ছে ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা কতটা ঢিমে-তালের এবং বিশৃঙ্খলাপূর্ণ- তারই আরেকটা নজির হিসেবে। অনেকের আশংকা, কয়েক দশক ধরে বিচার বিভাগের ওপর যেরকম নগ্ন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চলেছে, প্রয়োজনীয় তহবিল দেয়া হয়নি এবং এর সক্ষমতা দুর্বল করা হয়েছে, তাতে এটিকে আর সংস্কার করা সম্ভব নয়। কিন্তু এই রায় একই সঙ্গে আরেকটি বিষয়ের ওপর তীব্র আলোকপাত করেছে- সেটি হচ্ছে কীভাবে ভারতের ২০ কোটি মুসলিমকে ক্রমশই এক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে পরিণত করা হচ্ছে। ভারতে নরেন্দ্র মোদীর হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপির শাসনে মুসলিমদের কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়া যে দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতন্ত্র বলে কথিত, তার বহুত্ববাদী এবং ধর্মনিরপেক্ষ ইতিহাসের যে কোন সময়ের চেয়ে মুসলিমরা এখন ভারতে নিজেদের অনেক বেশি অপমানিত বলে মনে করে। ভারতে বাস করে প্রায় বিশ কোটি মুসলিম গরুর মাংস খাওয়ার কারণে কিংবা গাড়িতে গরু নিয়ে যাওয়ার কারণে মুসলিমদের পিটিয়ে হত্যা করেছে উন্মত্ত জনতা। ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের কাছে গরু এক পবিত্র প্রাণী। মিস্টার মোদীর সরকার আইনে দ্রুত গতিতে এমন সব সংস্কার এনেছে, যাতে করে প্রতিবেশি দেশগুলোর অমুসলিমরা ভারতে আশ্রয় পায়। ভারতের মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ রাজ্য জম্মু এবং কাশ্মীর তারা কয়েক টুকরো করে ভেঙ্গে দিয়েছে। সাংবিধানিক স্বায়ত্বশাসন হরণ করেছে। এবছর একটি মুসলিম ধর্মীয় গোষ্ঠী দিল্লিতে এক ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজন করার পর করোনাভাইরাস ছড়ানোর জন্য কেবল মুসলিমদের ওপরই দোষ চাপানো হয়। মহামারির মধ্যে যখন হিন্দুদের বড় ধর্মীয় সমাবেশ হয়েছে, সেটিকে কিন্তু একই রকমের নিন্দা আর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি গণমাধ্যম বা রাজনীতিকদের কাছ থেকে, একইভাবে দোষ চাপানোর চেষ্টাও চোখে পড়েনি। এখানেই শেষ নয়। গত শীত মৌসুমে বিতর্কিত এক নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দাঙ্গায় উস্কানি দেয়ার কথিত অভিযোগে মুসলিম ছাত্র আর কর্মীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, জেলে ঢোকানো হয়েছে। অথচ দাঙ্গায় উস্কানি দেয়া অনেক হিন্দু মুক্তভাবে ঘুরে বেড়িয়েছে। অনেক মুসলিমের মতে, ভারতে মুসলিমদের যেভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে, বাবরি মসজিদের ঘটনার রায় আসলে তারই ধারাবাহিকতা মাত্র। ভারতীয় মুসলিমদের মধ্যে এই বিচ্ছিন্নতার বোধ একেবারেই বাস্তব। মিস্টার মোদীর দল তাদের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরের আদর্শ নিয়ে কোন রাখ-ঢাক করে না। জনপ্রিয় টেলিভিশন নিউজ চ্যানেলগুলো প্রকাশ্যেই মুসলিমদের দানবরূপে চিত্রিত করার কাজ চলে। ভারতের এক সময়ের অনেক শক্তিশালী আঞ্চলিক দল, যারা তাদের জনগণের পাশে দাঁড়াতো, তারাও যেন মনে হচ্ছে মুসলিমদের পরিত্যাগ করেছে। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সমালোচকরা বলেন, এরা কেবল ভোটের স্বার্থে মুসলিমদের ব্যবহার করে, বিনিময়ে তাদের কিছু দেয় না। আর মুসলিম সম্প্রদায়ের নিজেদেরও এমন নেতা কমই আছেন, যারা তাদের হয়ে কথা বলবে। গত বছর নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছিলেন মুসলিমরা "মুসলিমরা এই পুরো ব্যবস্থার ওপর তাদের বিশ্বাস হারাচ্ছে। তাদের মনে হচ্ছে তারা কোণঠাসা হয়ে গেছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম- কেউই আসলে মুসলিমদের জন্য কিছু করছে না", বলছেন দিল্লি ভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থা 'সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের' গবেষক আসিম আলি। সত্যি কথা বলতে কী, ভারতে মুসলিমদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠিতে পরিণত করার ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ভারতে মুসলিমদের একই সঙ্গে দুটি বোঝা বইতে হচ্ছে। একদিকে তাদের ''দেশ বিরোধী'' বলে তকমা দেয়া হয়, আবার একই সঙ্গে বলা হয় ভারতে ''মুসলিম তোষণ'' চলছে। কিন্তু ইতিহাসবিদরা বলছেন, এখানে পরিহাসের বিষয় হচ্ছে, মুসলিমরা অন্যায্য সুবিধে পাচ্ছে- হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের এরকম কথা অনেক ভারতীয় বিশ্বাস করছে। বাস্তবে ভারতের মুসলিমরা কোন ধরণের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেনি। ভারতের বড় বড় নগরীগুলিতে মুসলিমদের ক্রমাগত বেশি হারে কিছু নির্দিষ্ট মহল্লায় ঠেলে দেয়া হচ্ছে। ভারতের সবচেয়ে সুসজ্জিত পুলিশ বাহিনী, ফেডারেল পুলিশ বাহিনীতে ২০১৬ সালে মুসলিম পুলিশ অফিসার ছিল ৩ শতাংশেরও নীচে। অথচ মুসলিমরা ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ। একটি রিপোর্টে বলা হয়, ভারতের শহুরে মুসলিম জনগোষ্ঠির মাত্র ৮ শতাংশ এমন কাজ করেন যেখানে নিয়মিত বেতন মেলে। এটি ভারতের জাতীয় গড় হারের তুলনায় অনেক কম। প্রাথমিক স্কুলগুলোতে মুসলিম শিশুদের ভর্তির হার যদিও বেশ উঁচু, কিন্তু হাইস্কুলে যেতে যেতে এরা ঝরে পড়ে। এর মূল কারণ অর্থনৈতিক বঞ্চনা। ভারতের পার্লামেন্টে মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব ক্রমাগত কমছে। পার্লামেন্টের নির্বাচিত নিম্নকক্ষে এখন মুসলিম সদস্য ৫ শতাংশের নীচে। অথচ ১৯৮০ সালে এটি ছিল ৯ শতাংশ। ২০১৪ সালে যখন বিজেপি ক্ষমতায় এলো, তখন তাদের একজনও মুসলিম এমপি ছিল না। ভারতের ইতিহাসে একজনও মুসলিম এমপি ছাড়া কোন দলের ক্ষমতায় আসার সেটাই প্রথম ঘটনা। মিস্টার মোদী এবং তার দলের নেতারা সবসময় দাবি করে চলেছেন যে তারা কোন ধর্মের বিরুদ্ধে বৈষম্য করেন না। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলে থাকেন, তার পেছনে অনেক মুসলিম দেশের সমর্থন আছে। তার সরকারের যে ব্যাপক জনকল্যাণ কর্মসূচি, সেটির সুফল সব দরিদ্র ভারতীয়ের কাছেই পৌঁছাচ্ছে। তারা যে জাতের বা যে ধর্মের মানুষই হোক না কেন। বিজেপি বরং উদারপন্থী বিরোধী দলগুলোকে ''ধর্মনিরপেক্ষতার ভেকধারী'' বলে বর্ণনা করে থাকে। উন্মত্ত হিন্দু জনতা ভেঙ্গে ফেলছে বাবরি মসজিদ অনেকে মনে করেন, বিজেপির এই অভিযোগ কিছুটা সত্য। এর উদাহারণ হিসেবে তারা কমিউনিস্টদের দিকে ইঙ্গিত করেন, যারা তিন দশকের বেশি সময় ধরে পশ্চিমবঙ্গ শাসন করেছে। কমিউনিস্টরা স্পষ্টভাষায় নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করে। পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ হচ্ছে মুসলিম। কমিউনিস্টরা তাদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিয়েছিল। অথচ গবেষণায় দেখা গেছে, গুজরাটের মুসলিমরা অর্থনৈতিকভাবে এবং মানব উন্নয়ন সূচকে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিদের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে আছে। যদিও গুজরাটে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চলে, সেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে রয়েছে উত্তেজনা। তবে ভারতের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক মির্জা আসমের বেগ এটিকে ব্যাখ্যা করছেন এভাবে, "ভারতের বাজার অর্থনীতির কোন ধর্ম নেই। কাজেই গুজরাটের মতো রাজ্য, যেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য বেশ ভালো, সেখানে হিন্দু এবং মুসলিম, উভয়েই ভালো উপার্জন করছে।" কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপি যে ধরণের ধর্মভিত্তিক নির্বাচনী রাজনীতির চর্চা করে, তাতে করে মুসলিমদের ''আলাদাকরণ'' করা হয়েছে। আরও পড়ুন: 'তাহলে আডভানি-জোশীরা সেদিন মঞ্চে মিষ্টি বিলি করছিলেন কেন?' কেন ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত? দুই ভারতীয় মুসলিম নারী মুসলিম হওয়ায় হোটেল থেকে শিক্ষকদের তাড়িয়ে দেয়া হল পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ক্রিস্টোফে জাফরেলট বলেন, "কিভাবে আপনি মেরুকরণের কাজটা করবেন? এটা আপনি করবেন অন্যদেরকে আপনার পরিচয়ের প্রতি একটা হুমকি হিসেবে চিত্রিত করে।" ক্রিস্টোফে জাফরেলটের মতে, ভারত এখন এক ধরণের ''এথনিক ডেমোক্রেসির'' দিকে যাচ্ছে, যা এথনিক জাতীয়তাবাদ থেকে উৎসারিত। এর মূলে আছে একধরণের ''শ্রেষ্ঠত্বের'' বোধ। তবে সবকিছু এখনো অন্ধকারে হারিয়ে যায়নি। এক তরুণ মধ্যবিত্ত গোষ্ঠির উত্থান ঘটছে, দেশভাগের ভূত যাদের ঘাড়ে চেপে নেই। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল, তখন সেখানে এই তরুণ, স্পষ্টভাষী মুসলিম নারী-পুরুষদের দেখা গেছে ভারতের রাস্তায়। ভারতীয় মুসলিম সম্প্রদায় এক ঘরকুনো এবং নির্বাক সংখ্যালঘু বলে যে গৎবাঁধা ছবি, সেটা তারা ভেঙ্গে দিয়েছে। এলাকায় এলাকায় এখন গড়ে উঠেছে কমিউনিটি কোচিং ক্লাস। সেখানে তরুণ মুসলিমদের ভারতের মর্যাদাপূর্ণ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জহির আলি বলছেন, ভারতের অনেক তরুণ মুসলিম এখন তাদের মুসলিম পরিচয়কে ইতিবাচক হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা তাদের মত প্রকাশে মোটেই কুন্ঠিত নয়। কিন্তু তার মতে, শেষ পর্যন্ত বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় অভিযুক্তদের খালাস দেয়ার এই ঘটনা ভারতীয় মুসলিমদের মধ্যে উৎকন্ঠা এবং অবিচারের বোধ আরও গভীর করবে। "অনেক দিক থেকেই, এটা আসলে পুরো সম্প্রদায়কে পরিত্যাগ করার সামিল। তাদের মধ্যে একধরণের 'ক্ষমতাহীনতার' বোধ তৈরি হচ্ছে। বহু বছর ধরে মুসলিমদের তাদের নিজেদের সম্প্রদায়ের নেতারা, হিন্দু নেতারা এবং সব রাজনৈতিক দল কেবল নিজস্ব স্বার্থে ব্যবহার করেছে। দারিদ্র তাদের অবস্থাকে আরও শোচনীয় করে তুলেছে", বলছেন তিনি। | Nearly three decades, 850 witnesses, more than 7,000 documents, photographs and videotapes later, a court in India found no-one guilty of razing a 16th-Century mosque which was attacked by Hindu mobs in the holy city of Ayodhya. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | The moment divers discover the missing boys পানিতে ডুবে যাওয়া গুহার ভেতর থেকে তাদেরকে শেষ পর্যন্ত বের করে আনতে সক্ষম হয়েছেন ডুবুরিরা। তাদের আটকে পড়া, বেঁচে থাকা এবং উদ্ধার করার কাহিনি সারা বিশ্বের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাদের নিখোঁজ হওয়ার নয় দিন পর তাদের সম্পর্কে প্রথম জানা গিয়েছিল। গুহার মুখে রেখে যাওয়া তাদের সাইকেলের সূত্র ধরে ব্রিটিশ ডুবুরিরা তাদের খুঁজে বের করেন। তখনই প্রথম জানা যায় যে তারা থাম লুয়াং নামের ওই গুহার আড়াই মাইলেরও বেশি গভীরে আটকা পড়ে আছে। গুহাটির কোথাও কোথাও এমনভাবে প্লাবিত হয়ে যায় যে সেপথ দিয়ে শিশুরা বের হয়ে আসতে পারছিল না। তাদের খোঁজ পাওয়া আগে নয় দিন ধরে এই ফুটবলারদের দলটিকে গুহার অন্ধকারের ভেতরে বেঁচে থাকতে হয়েছে। তাদের খোঁজে কীভাবে তল্লাশি চালানো হচ্ছে সেসম্পর্কে তখনও পর্যন্ত তাদের কোন ধারণা ছিল না। কিন্তু এই এক সপ্তাহেরও বেশি সময় কীভাবে বেঁচে ছিল তারা? বলা হচ্ছে, পাহাড়ের ভেতরে চুইয়ে পড়া ফোটা ফোটা পানি, ওয়াইল্ড বোয়ার নামক ফুটবল দলের একজন সদস্যের জন্মদিন উপলক্ষে তারা যে স্ন্যাকস বা খাবার দাবার সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলেন সেসব খেয়ে এবং মেডিটেশন বা ধ্যান করেই তারা এতোদিন নিজেদের জীবন রক্ষা করেছেন। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, তাদেরই একজনের জন্মদিন উপলক্ষে সারপ্রাইজ পার্টি করার জন্যে তারা গুহার ভেতরে ঢুকেছিলেন। কিন্তু পরে প্রবল বৃষ্টির কারণে গুহার ভেতরে পানি ঢুকতে শুরু করলে তারা পালাতে পালাতে গুহার এতোটা গভীরে চলে গেছেন। জন্মদিনের ওই ছেলেটির নাম পীরাপাত সম্পিয়াংজাই, ২৩শে জুন, সেদিন তার বয়স হয়েছিল ১৭ বছর, এবং ওই দিনেই তারা গুহার ভেতরে ঢুকেছিল। ২৩শে জুন থেকেই এই বাচ্চাদের আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। কিশোর ফুটবলারদের সাথে কোচের এই ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছিল। তার জন্মদিন উপলক্ষে দলের অন্যান্য ছেলেরা খাবার কিনে নিয়ে গিয়েছিল, এবং ধারণা করা হচ্ছে গুহার ভেতরে আটকা পড়ার পর এসব স্ন্যাক্স খেয়েই বাচ্চারা বেঁচে ছিল। বলা হচ্ছে, এই কিশোর ফুটবলারদের কোচ একাপল চানতাওং, বাচ্চাদের জন্যে প্রয়োজনীয় খাবার কমে যাওয়ার আশঙ্কায় গুহার ভেতরে এসব খাবার খেতে রাজি হননি। ফলে ২রা জুলাই ডুবুরিরা যখন এই ফুটবল দলটিকে গুহার ভেতরে খুঁজে পেলেন, তখন শারীরিকভাবে সবচেয়ে দুর্বল ছিলেন কোচ একাপল। তাদের সন্ধান পাওয়ার পর তাদেরকে বাইরে থেকে খাবার দেওয়া শুরু হয়। "এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে সহজে হজম হয় এরকম খাবার, শক্তিদায়ক খাদ্য যেগুলোতে মিনারেলও ভিটামিন মেশানো হয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শেই তাদেরকে এসব খাবার দেওয়া হয়," বলেছেন উদ্ধারকারী দল থাই নেভি সিলের প্রধান এডমিরাল আরপাকর্ন ইওকোংকাওয়ে। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত জন্মদিনের খাবার খেয়েই বেঁচে ছিলো তারা। কর্তৃপক্ষ এও বলেছে, গুহার দেওয়াল থেকে যেসব পানি চুইয়ে চুইয়ে পড়েছে সেসব পানি খেয়েছে বাচ্চারা। কারণ গুহায় প্লাবিত হয়ে যাওয়া বৃষ্টির পানি ছিল ঘোলা ও নোংরা। এই কিশোরদের উদ্ধার করার পর চিকিৎসকরা তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বলেছেন, তারা ভালো আছে। উদ্ধাকারীরা গুহার ভেতরে খাবার দাবার ও অক্সিজেনের বোতল নিয়ে যান। আরো পড়তে পারেন: সীমান্তে যে কারণে কমছে বাংলাদেশী হত্যা কোটা আন্দোলন: দূতাবাসগুলোর বিবৃতির অর্থ কী? পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুরা ভারত ছাড়ছেন কেন "তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা ভাল। মানসিকভাবেও তারা সুস্থ আছে," বলেছেন থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের একজন পরিদর্শক থংচাই লের্তওলিরাতানাপং। তবে তিনি বলেছেন যে বেশিরভাগ শিশুরই গড়ে দুই কেজি করে ওজন কমেছে। উষ্ণতা সাধারণত প্লাবিত হয়ে যাওয়া কোন গুহার ভেতরে কেউ বেশি সময় ধরে আটকা পড়ে থাকলে তার হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ব্রিটিশ কেভিং এসোসিয়েশনের সাবেক প্রধান এন্ডি এভিস বিবিসিকে বলেছেন, "বিশ্বের ওই এলাকায় গুহার ভেতরে বাতাসের তাপমাত্রা বেশিই হয়ে থাকে।" তারপরেও ওই কিশোররা সতর্কতা হিসেবে কিছু ব্যবস্থা নিয়েছিল। থাই কর্মকর্তারা বিবিসিকে বলেছেন, "নিজেদের উষ্ণ রাখার জন্যে তারা গুহার ভেতরে পাঁচ মিটার গভীর একটি গর্ত খুঁড়েছিল। পাথর দিয়ে এই সুড়ঙ্গটা তৈরি করেছিল তারা। নিজেদের উষ্ণ রাখতে তারা ওই সুড়ঙ্গের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছিল।" উদ্ধারকারীরা কয়েকদিন ধরে অভিযান চালিয়ে কিশোর ফুটবলারদের খুঁজে পায়। বাতাস শিশুরা যখন গুহার ভেতরে আটকা পড়ে তখন বাতাস প্রাথমিকভাবে দুশ্চিন্তার কোন কারণ ছিল না। "বেশিরভাগ গুহাই প্রাকৃতিকভাবে নিশ্বাস নিতে পারে," বলেন যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় গুহা উদ্ধার কমিশনের সমন্বয়কারী আনমার মির্জা, "গুহার ভেতরেও বাতাস ঢুকতে ও বের হতে পারে। গুহার যেসব জায়গায় লোকজন যেতে পারে না সেখানে কিন্তু বাতাস প্রবাহিত হয়।" কিন্তু তারপরেও যতো দিন গড়িয়েছে বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা ততোটাই কমে গেছে। বলা হচ্ছে, শিশুরা যেখানে আশ্রয় নিয়েছিল সেখানে অক্সিজেনের স্বাভাবিক মাত্রা হওয়ার কথা ছিল ২১ শতাংশ। কিন্তু সেটা নেমে গিয়েছিল ১৫ শতাংশে। পরে বাচ্চাদের কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দিয়েছিল ডুবুরিরা। থাই নেভির সাবেক একজন ডুবুরি গুহার গভীরে অক্সিজেনের বোতল সরবরাহ করে ফেরার পথে নিজেই অক্সিজেনের অভাবে মারা যান। মানসিক অবস্থা আরেকটি বড় দুশ্চিন্তা ছিল শিশুদের মানসিক অবস্থা। কারণ তাদেরকে থাকতে হয়েছে গাঢ় অন্ধকারের ভেতের, দিনের পর দিন। সূর্যের আলো বহুদিন তাদের কাছে পৌঁছায়নি। সময় সম্পর্কেও তাদের কোন ধারণা ছিল না যে কখন রাত আর কখন দিন হচ্ছে। এমনকি তাদের খোঁজে বাইরে যে বড় ধরনের তল্লাশি চলছিল সেসম্পর্কেও তাদের কোন ধারণা ছিল না। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে শিশুদের শান্ত রাখতে একটা বড় ভূমিকা ছিল তাদের কোচের। মানসিক চাপ মোকাবেলায় তিনি তাদেরকে মেডিটেশন করিয়েছেন গুহার ভেতরে। ফুটবল কোচ হওয়ার আগে তিনি ছিলেন একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু। কর্মকর্তারা বলছেন, একই সাথে গুহার বাতাস যাতে বেশি ব্যবহার করা না হয়ে যায় সেবিষয়েও সচেতন ছিলেন তিনি। পরে যখন উদ্ধাকারীরা বাচ্চাদের কাছে গিয়ে পৌঁছায় তখন তারা তাদের পরিবারের জন্যে লিখে পাঠায় চিঠি। এরকম এক চিঠিতে কোচ শিশুদের পিতামাতার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তাদেরকে গুহার ভেতরে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। কিন্তু অভিভাবকরা পাল্টা জবাবে বলেছেন যে এজন্যে তারা কোচকে দায়ী করেন না। তবে গুহার ভেতর থেকে লেখা চিঠিতে কোচ লিখেছিলেন, "আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, শিশুদের রক্ষা করতে আমার পক্ষে যতোটা করা সম্ভব আমি তার পুরোটাই করবো।" | After nine days trapped in darkness in a cave in Thailand, 12 boys and their football coach have been found alive. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বর্ণবাদ-বিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা তাদের মধ্যে ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস এর নামকরা সব সদস্যরা রয়েছেন। তারা অবশ্য এই অভিযোগের বিষয়ে কোন মন্তব্য করেন নি। আইনজীবীরা তাদেরকে দুর্নীতি এবং মানি লন্ডারিং এর দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। অর্থমূল্যে যার পরিমাণ প্রায় সাত লাখ ডলার। ১৯৯৪ সালে বর্ণবৈষম্য শেষ হওয়ার পর ম্যান্ডেলা ছিলেন দেশটির প্রথম কৃষাঙ্গ নেতা। ২০১৪ সালে প্রথম এই দুর্নীতির অভিযোগগুলো উঠতে থাকে। ইস্টার্ন কেপ এর কুনুতে, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে, ম্যান্ডেলার সেই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বিশ্বের নানা দেশ থেকে রাষ্ট্রপ্রধানরা আসেন। নেলসন ম্যান্ডেলা মৃত্যুতে গোটা দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের মধ্যে ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কয়েকজন ব্যবসায়ী এবং ক্ষমতাসীন এএনসির আরও বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য রয়েছেন। আইনজীবীদের অভিযোগ যারা শোক জানাতে এসেছিলেন তাদের পরিবহণের জন্য ভুয়া অর্থব্যয়ের হিসেবে দেখিয়েছে। একই সঙ্গে ইস্ট লন্ডনে যেসব ভেন্যুতে স্মরণ-সভার আয়োজন করা হয়েছিল সেখানেও একই রকম অভিযোগ উঠেছে। এদিকে তারা জামিন পেয়ে গেছে এবং মার্চের পাঁচ তারিখে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বর্ণবাদ-বিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা মৃত্যুতে গোটা দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতে এ ধরণের দুনীতি এবং জালিয়াতির খবর অনেককেই হতবাক করেছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: জিয়ার 'বীর উত্তম' খেতাব বাতিলের উদ্যোগে আওয়ামী লীগের লাভ লোকসান কোরান তেলাওয়াতের ‘অপূর্ব এক কণ্ঠ’ নূরীন মোহামেদ সিদ্দিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা উদ্বেগ, কী বলছে কর্তৃপক্ষ পুকুরে বিষ কিংবা মড়ক থেকে মাছ রক্ষার উপায় কী | Fifteen people in South Africa are facing fraud charges relating to the funeral of the former president, Nelson Mandela, in 2013. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | জিনোম সিকোয়েন্সিং এর মাধ্যমে এই শিশুটির রোগ নির্ণয় সম্ভব হয়েছে সামনের বছর থেকে গুরুতর অসুস্থ ব্রিটিশ শিশু যারা কোন অজানা-রোগে আক্রান্ত, তাদের জিনোম বিশ্লেষণ করা যাবে বলে জানা গেছে। কিভাবে কাজ করবে? জিনোম সিকোয়েন্সিং বা ডিএনএ-এর ক্রমবিন্যাস হচ্ছে একজন মানুষের দেহে থাকা তার সকল জেনেটিক কোডকে একের পর এক বিন্যস্ত করা এবং অনুসন্ধান করা যে সেখানে কোথাও কোন অসামঞ্জস্য ঘটেছে কিনা। এডেনব্রুক হাসপাতাল ও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রকল্পের আওতায় এই কাজটি করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় যে, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকা প্রতি চারজন শিশুর একজন জেনেটিক ডিজ-অর্ডার বা জিনগত-বৈকল্যের শিকার। বিরল এক জেনেটিক ডিজ-অর্ডার নিয়ে জন্মেছিল সেরেন নামে শিশুটি এ প্রকল্পে কাজ করার সময় গবেষকেরা দুই তিন সপ্তাহের মধ্যেই জিনোম ক্রমবিন্যাস করে দিতে পেরেছেন এবং তার ভিত্তিতে অনেক ক্ষেত্রে পরে শিশুর চিকিৎসায় পরিবর্তনও আনা হয়েছে। জিনোম ক্রমবিন্যাসের ক্ষেত্রে প্রত্যেক শিশু এবং তাদের বাবা-মা উভয়েরই জিনোম ক্রমবিন্যাস করা হয়েছে। আর এর মাধ্যমেই দেখা হয়েছে যে, শিশুর জিনোমে কোথাও কোন ত্রুটি ঘটে গেছে কিনা। 'দ্রুত অর্থপূর্ণ ফল' নেক্সট জেনারেশান চিলড্রেন বা পরবর্তী প্রজন্মের শিশু নামের একটি গবেষণা প্রকল্পের আওতায় এডনব্রোক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকা প্রায় ৩৫০ জন শিশুর জিনোম ক্রমবিন্যাস করা হয়েছে। প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, শিশু মায়ের গর্ভে আসার সময়েই স্বয়ংক্রিয়ভাবেই জিনগত ত্রুটির বিষয়টি ঘটে গেছে। আরো পড়ুন: পাকিস্তানে শত শত শিশু কেন এইচআইভিতে আক্রান্ত? শিশুকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে কিভাবে আগ্রহী করবেন অতিরিক্ত মোটা শিশুরা বেশি রাগী হয় - গবেষণা অর্থাৎ বাবা বা মায়ের এই ত্রুটি থাকার কারণে উত্তরাধিকারসূত্রে শিশুরা জিনগত ত্রুটিটি পায়নি বরং সেটি ছিল একটি স্বয়ংক্রিয় ঘটনা। কোন ধরণের রোগ নির্ণয় করা যাবে? যে শিশুদের জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে তাদের মধ্যে জন্মগত অস্বাভাবিকতা, স্নায়বিক অসুস্থতা যেমন মৃগীরোগ, হজম সংক্রান্ত সমস্যা ও শরীরের বৃদ্ধি কম হওয়ার মতন রোগী ছিল। এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছেন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল জেনেটিক্স ও নিউরো ডেভেলপমেন্টের অধ্যাপক লুসি রেমন্ড। মিজ রেমন্ড বলেছেন, "এটি খুবই আশ্চর্যের বিষয় যে মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পুরো জিনোম ক্রমবিন্যাস করে এখন একটা অর্থপূর্ণ ফল জানিয়ে দেয়া যায়। কিন্তু আমার চিকিৎসক-জীবনের শুরুতে আমরা একটা সামান্য জিন খুঁজে পেতে বছরের পর বছর লেগে যেতো।" অধ্যাপক রেমন্ড বলেছেন, ২০২০ সাল থেকে পুরো ইংল্যান্ডে জেনোমিক মেডিসিন সার্ভিস চালু হবে। বিবিসি বাংলায় দেখুন: শিশুর বিকাশে যা ভুলে যাওয়া উচিত নয় অর্থাৎ কোন শিশুর রোগ ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না এমন কোন রোগ নিয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি হলে তার জন্যে জিনোম ক্রমবিন্যাস সেবা পাওয়া যাবে। এটি চালু হলে ইংল্যান্ডই হবে পৃথিবীর প্রথম কোন দেশ যেখানে এমন সেবা পাওয়া যাবে। পরিবারগুলোর জন্য এর মানে কী? প্রথমত, খুব দ্রুত রোগ নির্ণয়। এটি ঘটেছিল মৃগী রোগে আক্রান্ত দুই বছর বয়সী শিশু মিলি-মেই এর বাবা-মা ক্লেইরি কোল ও ক্রিস ডেলির ক্ষেত্রে। গত বছর, গুরুতর অবস্থায় মিলি-মেইকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার বাবা-মাকে জিনোম ক্রমবিন্যাসের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। মিলি-মেই এর মা ক্লেইরি বলেছেন, "আমার মেয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকতে থাকতেই আমাদেরকে জিনোম ক্রমবিন্যাসের ফলাফল জানানো হয়েছিল। পরে এর ভিত্তিতেই একটি ওষুধে পরিবর্তন আনা হয়েছিল।" কারণ সেই ওষুধটি ছিল তার মেয়ের যে ধরণের মৃগীরোগ সেটির জন্য ক্ষতিকর। ক্লেইরি বলেছেন, "ওষুধটা বদলানোর সাথে সাথেই বিরাট একটা পার্থক্য দেখ গেলো।" মিলি-মেই এর বাবা ক্রিস বলছিলেন, তার মেয়ের যে জিনগত সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই হয়েছে। বাবা-মায়ের থেকে মিলি-মেই'র কাছে এটি পরিবাহিত হয়নি। অধ্যাপক রেমন্ড বলেছেন, এখন থেকে বাবা-মায়েদেরকে আর রোগ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন ধরণের বিশেষজ্ঞের কাছে ছোটাছুটি করে একই কাহিনী বারংবার বলতে হবে না। বরং এখন সেই সময়টা তারা শিশুর পরিচর্যায় কাজে লাগাতে পারবেন। এখন এক হাজার পাউন্ডের চেয়ে কম অর্থে জিনোম ক্রমবিন্যাস করা যায়। এর ফলে, রোগ নির্ণয়ের জন্য বারবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে যে খরচ হয় তা কমে আসবে বলে মনে করছেন অধ্যাপক রেমন্ড। জিনোম ক্রমবিন্যাসের ফলে পরিবারগুলো আর কী সুবিধা পাবে? কেটি ও পিকেনের মেয়ে সেরেন কেন মারা গিয়েছিল, তা জানা গিয়েছিল এই জিনোম ক্রমবিন্যাস থেকে। আর এর মাধ্যমেই তারা জানতে পেরেছিলেন যে, তাদের ছেলে রেইস রোগাক্রান্ত হয়নি। সেরেনের জন্ম ২০১৭ সালে। আপাতদৃষ্টিতে সে সুস্থ-সবলই ছিল। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সে অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে মাত্র ১৩ সপ্তাহের মাথায় সে মারা যায়। সেরেন ও তার বাবা-মায়ের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা ছিল। সেটাই পরে জিনোম ক্রমবিন্যাসের জন্য পাঠানো হয়। পরে, সেখানেই তার জিনগত একটি গুরুতর অসংগতির কথা জানা যায়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে কেটি আবারো গর্ভবতী হলে এই দম্পতি এডেনব্রুক হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করে এবং গর্ভজাত সন্তান কোনো ঝুঁকিতে আছে কিনা জানতে চায়। সেরেনের ক্ষেত্রে মা-বাবা দুজনের থেকেই ত্রুটিযুক্ত জিন পরিবাহিত হয়েছিল। কিন্তু জানা যায় যে, কেটির গর্ভজাত সন্তানের কোনো সমস্যা হয়নি। | Genome sequencing is set to revolutionise the diagnosis of rare childhood conditions, according to researchers in Cambridge. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | আদালতে হতাহতের স্বজনরা যাচ্ছেন, যারা সাজার শুনানিতে এসেছেন হতাহতের স্বজনরা আদালতে যাচ্ছেন, যারা সাজার শুনানিতে এসেছেন চারদিন ধরে এই শুনানি চলবে। মসজিদে আগুন ধরিয়ে দিয়ে 'যত বেশি সম্ভব মানুষকে হতাহত' করার পরিকল্পনাও ছিল তার। অস্ট্রেলিয়ান ওই নাগরিক ৫১ জনকে হত্যা, ৪০ জনকে হত্যার চেষ্টা এবং সন্ত্রাসবাদের একটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। উনত্রিশ বছরের ব্রেন্টন টারান্টকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে, যেখানে কোনরকম প্যারোলের সুযোগ থাকবে না। নিউজিল্যান্ডে এর কাউকে এরকম সাজা দেয়া হয়নি। এই সাজার রায় দেখার জন্য হতাহতদের অনেক স্বজন বিদেশ থেকেও এসেছেন, যাদের নিউজিল্যান্ডে এসে কোয়ারেন্টিনেও থাকতে হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: যেভাবে অল্পের জন্য বেঁচেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা মসজিদে হামলা: খুতবায় ক্রাইস্টচার্চ মসজিদের ইমাম যা বললেন মুসলিমদের সাথে একাত্মতায় নিউজিল্যান্ডে নারীদের মাথায় স্কার্ফ 'অন্যদের বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন দিলেন আমার স্ত্রী' ব্রেন্টন টারান্ট পাকিস্তান সফরে গিয়ে যা বলেছিলেন ক্রাইস্টচার্চ হামলা: প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়েছিলেন যারা আদালতে পুলিশ বেষ্টনীতে ব্রেন্টন টারান্ট গত বছরের ১৫ই মার্চ ক্রাইস্টচার্চের দুইটি মসজিদে বন্দুক নিয়ে গুলি করতে শুরু করে ওই হামলাকারী। গুলি করার দৃশ্য সে সরাসরি অনলাইনে সম্প্রচার করে। শুক্রবারের নামাজের সময় আল নূর মসজিদে তিনি প্রথম হামলা করেন। এরপর গাড়ি চালিয়ে পাঁচ কিলোমিটার দূরের লিনউড মসজিদে গিয়ে আবার হামলা করে আরও মানুষ হত্যা করেন। এই হামলায় পুরো বিশ্ব স্তম্ভিত হয়ে যায়। এরপর নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইনেও তড়িৎ পরিবর্তন আনা হয়। সেই সময় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা ক্রাইস্টচার্চে অবস্থান করছিল। দলের কয়েকজন সদস্য এমনকি হামলার শিকার হওয়া একটি মসজিদে নামাজও পড়তে গিয়েছিল। সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তারা। সাজার শুনানিতে যা বলা হচ্ছে ক্রাইস্টচার্চে সোমবার থেকে শুরু হওয়া সাজার শুনানি চারদিন ধরে চলবে। কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের কারণে আদালত কক্ষ প্রায় খালিই রয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভিডিও ফিডের মাধ্যমে শহরের অন্যান্য আদালত কক্ষে হাজার হাজার মানুষ আদালতের কার্যক্রম দেখছে। ধুসর রঙের পোশাক এবং তিনজন পুলিশ কর্মকর্তার বেষ্টনীতে বন্দুক হামলাকারী পুরো সময় চুপচাপ রয়েছেন বলে জানা গেছে। মাঝে মাঝে তিনি রুমের অন্যত্র বসে থাকা বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি এবং হতাহতদের স্বজনদের দিকে তাকিয়ে দেখছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বার্নাবি হাওয়েজ আদালতকে বলেছেন, ওই হামলার জন্য বন্দুকধারী বহু বছর ধরে পরিকল্পনা করছিল। তার উদ্দেশ্যে ছিল ''যত বেশি সম্ভব মানুষকে হতাহত করা।'' নিউজিল্যান্ডের মসজিদ সম্পর্কে হামলাকারী তথ্য সংগ্রহ করে। মসজিদের নকশা, অবস্থান এবং আরও বিস্তারিত সব তথ্য সংগ্রহ করে। তার উদ্দেশ্য ছিল, মসজিদে সবচেয়ে ব্যস্ত সময়ে সে হামলা করবে। ক্রাইস্টচার্চ হামলায় স্ত্রীকে হারিয়েছেন ফরিদ উদ্দীন মসজিদে হামলার আগে তিনি ক্রাইস্টচার্চ শহর পরিদর্শন করেন এবং তার প্রাথমিক লক্ষ্যস্থল, আল নূর মসজিদের ওপর একটি ড্রোন উড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করেন। আল নূর মসজিদ এবং লিনউড ইসলামিক সেন্টারের বাইরে তিনি অ্যাশবার্টন মসজিদে হামলার পরিকল্পনা করছিলেন। তৃতীয় মসজিদে যাবার পথে তাকে আটক করা হয়। আদালতে আরও বলা হয়, আল নূর মসজিদের বাইরে যারা নিরাপদ আশ্রয়ে লুকানোর চেষ্টা করছিলেন, তাদের ওপরেও গুলি করেন ব্রেন্টন টারান্ট। এদের একজন আনসি আলিবাভা, মসজিদের বাইরে পড়ে থাকা তার শরীরের ওপর তিনি গাড়ি চালিয়ে দেন। আদালতে জানানো হয়, হামলাকারী টারান্ট যখন গাড়ি চালিয়ে লিনউড ইসলামিক সেন্টারের দিকে যাচ্ছিলেন, গাড়ি থামিয়ে পলায়নপর একজন আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ব্যক্তিকে তিনি গুলি করেন। একজন ককেশীয় ব্যক্তির দিকেও তিনি বন্দুক তাক করেন, পরে হেসে গাড়ি চালিয়ে চলে যান। গ্রেপ্তারের পর তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, তার পরিকল্পনা ছিল হামলার পরে মসজিদ আগুনে পুড়িয়ে দেয়া। লিনউড মসজিদের ভাঙা জানালা। আদালতে নিজের পক্ষে নিজেই বক্তব্য দিয়েছেন ব্রেন্টন টারান্ট। প্রথম দিকে তিনি অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছিলেন। তবে সশরীরে বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে তিনি সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। তার কমপক্ষে ১৭ বছরের সাজা হতে পারে। কিন্তু মামলার প্রধান বিচারক হাইকোর্টের বিচারপতি ক্যামেরন ম্যান্ডারের ক্ষমতা রয়েছে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার, যেখানে কোন প্যারোলের সুযোগ থাকবে না। নিউজিল্যান্ডে এর আগে কাউকে এরকম সাজা দেয়া হয়নি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: করোনাভাইরাস রোগীদের জন্য প্লাজমা থেরাপির অনুমোদন দিলো যুক্তরাষ্ট্র করোনাভাইরাসের টিকা তৈরিতে কেন এই প্রতিযোগিতা বিশ্বের সবচেয়ে উত্তপ্ত জায়গায় যেভাবে থাকে মানুষ সামাজিক মাধ্যমে নারী ও শিশুদের ছবিতে কারা, কেন খারাপ মন্তব্য করে? | The man who killed 51 people at two mosques in New Zealand in 2019 had plans to target a third mosque, his sentencing hearing has heard. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | সারা ইফতেখার নামে এই নারী হাডারসফিল্ড থেকে অংশ নেবেন। সারা ইফতেখার নামে এই নারী হাডারসফিল্ড থেকে অংশ নেবেন। তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে আরো ৪৯ জনের সাথে। তার বয়স ২০ বছর। তিনি মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করেন। প্রায়ই তাকে ইন্সটাগ্রামে নিজের ছবি পোষ্ট করতে দেখা যায়। ছবিগুলোতে তাকে পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরতে দেখা যায়। মিস হাডারসফিল্ড ২০১৮ বিজয়ী হওয়ার পর তিনি বলেছিলেন ফাইনালে উঠতে পারাটা সত্যিই "অসাধারণ" । দেখুন: আপনি কত দিন বাঁচবেন? ১০১ বছর বেঁচে থাকার ৭টি উপায় মিস ইফতেখারের ছোটবেলা থেকেই মেকআপের প্রতি আগ্রহ ছিল। তিনি বলছেন "তবে আমি আশা করেনি আমি ইতিহাস সৃষ্টি করবো। আমি গর্বিত"। "দিন শেষে হয়তো দেখা যাবে আমি একাই প্রতিযোগিতায় হিজাব পরেছি। যাইহোক , আমি একটা সাধারণ মেয়ে এবং আমি মনে করি আমাদের সবার সমান সুযোগ রয়েছে"। তিনি আরো যোগ করেন মিস ইংল্যান্ড প্রতিযোগিতায় তিনি অংশ নিচ্ছেন "একটু মজা করার জন্য"। তিনি বলেন "যদি আমি আমাকে ঢেকে রাখি এবং উগ্র পোশাক না পরি সেটা কেন একটা ইস্যু হবে? আমি অন্য প্রতিযোগিদের মতই একজন" "আমি যদি এই বার্তাটাই বাইরে ছড়িয়ে দিতে পারি, তাহলে সৌর্ন্দয্য প্রতিযোগিতাই অংশ নিতে অনেকেই আগ্রহী হবেন "বলছিলেন মিস ইফতেখার। | A Muslim law student became the first hijab-wearing woman to take part in the Miss England final. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তরাঞ্চলে রোরাইমা, একার, রনডোনিয়া এবং আমাজোনা রাজ্যে, পাশাপাশি মাতো গ্রোসো ডো সুল এলাকাতে। তবে, হ্যাশট্যাগ #PrayforAmazonas ব্যবহার করে সামাজিক মাধ্যমে আগুনের যেসব ছবি শেয়ার করা হয়েছে বা এই আগুনের যেসব ছবি আপলোড করা হচ্ছে, সেগুলো কয়েক দশকের পুরনো বলে প্রমাণিত হয়েছে এবং অনেক ছবি আদৌ ব্রাজিলেরই নয়। তাহলে আসল পরিস্থিতিটা কেমন আর সেই পরিস্থিতি আসলেই কতটা খারাপ? এ বছর আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে অনেক বেশি ব্রাজিলে আমাজনের উষ্ণমণ্ডলীয় বনাঞ্চলে ২০১৯ সালে ব্রাজিলিয়ান স্পেস এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী রেকর্ডসংখ্যক দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। দ্য ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ (আইএনপিই) বলছে তাদের উপগ্রহ থেকে সংগৃহীত তথ্যে দেখা যাচ্ছে ২০১৮-র একই সময়ের তুলনায় এবছর আগুন লাগার ঘটনা ৮৫ শতাংশ বেড়েছে। সরকারি হিসাব বলছে এবছরের প্রথম আট মাসে ব্রাজিলের জঙ্গলে ৭৫ হাজারের বেশি দাবানল হয়েছে। ২০১৩ সালের পর এই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। পুরো ২০১৮ সালে বনাঞ্চলে মোট আগুন লাগার সংখ্যা ছিল ৩৯,৭৫৯। শুকনো মৌসুমে আমাজনের জঙ্গলে দাবানল একটা প্রচলিত ঘটনা। সেখানে শুকনো মরশুমের সময়কাল জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। এই দাবানল তৈরি হতে পারে প্রাকৃতিক কারণে, যেমন বাজ পড়লে। কিন্তু কৃষক এবং কাঠুরেরাও ফসল উৎপাদনের জন্য অথবা পশু চরানোর জন্য জমি পরিষ্কার করার কারণে জঙ্গলে আগুন দিয়ে থাকে। আন্দোলনকারীরা বলছে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেয়ার বলসোনারোর পরিবেশ বিরোধী কথাবার্তা এভাবে জঙ্গল সাফ করার কাজকে আরো উৎসাহিত করেছে। এর জবাবে, মি: বলসোনারো এর দায় চপিয়েছেন বেসরকারি সংস্থাগুলোর ওপরে। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে সন্দেহপ্রবণ ব্যক্তি। তিনি বলেছেন বেসরকারি সংস্থাগুলো সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য নিজেরাই এই আগুনগুলো লাগিয়েছে। পরে অবশ্য তিনি স্বীকার করেছেন যে এই দাবানল বন্ধ করার মত সম্পদ সরকারের হাতে নেই। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চল সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দেশটির উত্তরাঞ্চলে। রোরাইমা, একার, রনডোনিয়া এবং আমাজোনাস্ সব এলাকাতেই গত চার বছরের (২০১৫-২০১৮) তুলনায় গড়ে আগুন লাগার ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: অ্যামাজনের ধোঁয়া ঢেকে দিয়েছে বহুদূরের আরেক শহর ক্যালিফোর্নিয়ায় ভয়াবহ দাবানল পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে অতিরিক্ত উষ্ণতা রোরাইমাতে দাবানলের ঘটনা বেড়েছে ১৪১%, রনডোনিয়াতে ১১৫% এবং আমাজোনাস্-এ ৮১%। দক্ষিণে মাতো গ্রোসো ডো সুল রাজ্যে আগুন লাগার হার বেড়েছে ১১৪%। ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় রাজ্য আমাজোনাস্ জরুরি অবস্থা জারি করেছে। জ্বলন্ত আগুন থেকে প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া ও কার্বন নির্গত হচ্ছে আগুন থেকে কুণ্ডলি পাকিয়ে ওঠা ধোঁয়া আমাজনের গোটা এলাকা জুড়ে এবং আশেপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপারনিকাস অ্যাটমসফিয়ার মনিটরিং সার্ভিসের (ক্যামস্) তথ্য অনুযায়ী এই ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে আটলান্টিকের উপকূল পর্যন্ত। এমনকি ২০০০ মাইলেরও (৩,২০০ কিমি) বেশি দূরে সাও পাওলোর আকাশ এই ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে গেছে। ব্রাজিলের পারার মত কোন কোন জায়গায় এধরনের দাবানল কয়েক একর জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে এই আগুন থেকে ব্যাপক পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হচ্ছে, যার পরিমাণ এবছর ২২৮ মেগাটনের সমপরিমাণ দাঁড়িয়েছে। ক্যামস্ সংস্থাটি বলছে এই পরিমাণ ২০১০-এর পর সবচেয়ে বেশি। এই ধোঁয়া থেকে কার্বন মনোক্সাইডও নির্গত হচ্ছে। কাঠ পোড়ালে সচরাচর এই গ্যাস নির্গত হয়। ক্যামস্ যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে খুবই চড়া মাত্রায় বিষাক্ত এই গ্যাস কার্বন মনোক্সাইড দক্ষিণ আমেরিকার উপকূল ছাড়িয়ে এখন আরও দূরে ছড়িয়ে পড়ছে। আমাজন অরণ্যাঞ্চলে তিরিশ লক্ষ প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ রয়েছে। সেখানে বসবাস করেন ১০ লাখ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির মানুষ। এই বনাঞ্চল বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই বিশাল অরণ্যাঞ্চলের গাছপালা প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ান টন কার্বন শুষে নিয়ে বিশ্বের উষ্ণায়ন মোকাবেলা করে। কিন্তু গাছ যখন কাটা হয়, অথবা পুড়িয়ে ফেলা হয়, তখন যে কার্বন গাছের মধ্যে সঞ্চিত থাকে তা বায়ুমণ্ডলে আবার মিশে যায় এবং উষ্ণমণ্ডলীয় এসব বৃক্ষের কার্বন শুষে নেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়। এই আগুনের প্রভাব পড়েছে আরও যেসব দেশে ৭.৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা বিস্তৃত আমাজন বেসিনের আরও বেশ কিছু দেশ এ বছরের ব্যাপক দাবানলের কবলে পড়েছে। ব্রাজিলের পর দ্বিতীয় সর্বাধিক আগুনের ঘটনা ঘটেছে ভেনেজুয়েলায়। সেখানে দাবানল হয়েছে ২৬ হাজারটি। তৃতীয় স্থানে রয়েছে বলিভিয়া যেখানে আগুনের ঘটনা ঘটেছে ১৭ হাজারের বেশি। বলিভিয়া সরকার দেশের পূর্বাঞ্চলে দাবানল নেভানোর কাজে সহায়তা করার জন্য একটি বিমানের মাধ্যমে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ভাড়া করেছে। প্রায় ছয় বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে বলিভিয়ার বনাঞ্চল। ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে অতিরিক্ত জরুরিকালীন কর্মী। এবং আগুনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পশুপাখিদের জন্য অভয়ারণ্য তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন লুসি রজার্স, নাসোস স্টাইলিয়ানু এবং মাইক হিলস্। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জুম্মার নামাজের পরেই বিক্ষোভ, সংঘর্ষ বাবাকে হত্যা করেও রাশিয়ানদের হৃদয় ছুঁয়েছে তিন বোন 'ইন্ধনদাতা এনজিওগুলোর তালিকা করছে বাংলাদেশ' | Thousands of fires are ravaging the Amazon rainforest in Brazil - the most intense blazes for almost a decade. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ছাপানো বই কি একদিন উঠে যাবে? পিয়ার্সন আরও জানিয়েছে, শিক্ষার্থীরা এখন থেকে ছাপানো পাঠ্যপুস্তক কেবল ধার করতে পারবে। এসব বইয়ের নতুন সংস্করণও আর অতটা ঘন ঘন বেরুবে না। পিয়ার্সন চাইছে, ছাত্র-ছাত্রীরা যেন তাদের প্রকাশ করা ই-টেক্সট বুকই বেশি কেনে। এসব ই-টেক্সটবুক সব সময় আপডেট করা হবে। পিয়ার্সনের প্রধান জন ফ্যালন বলেছেন, তাদের মোট বিক্রির প্রায় অর্ধেকের বেশি আসে ডিজিটাল থেকে। কাজেই তারা সংবাদপত্র, সঙ্গীত বা সম্প্রচার শিল্পের মতো একই পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের শিক্ষা বিষয়ক সামগ্রীর বেশিরভাগই এখন ডিজিটাল ফর্মেই পাওয়া যাবে। পিয়ার্সনের মোট আয়ের ২০ শতাংশ আসে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন কোর্সের পাঠ্যসামগ্রী বিক্রি থেকে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীরা খরচ বাঁচানোর জন্য নতুন পাঠ্যবই কেনার চেয়ে বরং পুরোনো পাঠ্যবই ধার করছে বেশি। এটি বন্ধ করার জন্য পিয়ার্সন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা ছাপানো পাঠ্যবইয়ের নতুন সংস্করণ আর বের করবে না। পিয়ার্সন এর আগে তিন বছর অন্তর অন্তর তাদের পাঠ্যবইয়ের নতুন সংস্করণ বের করতো। জন ফ্যালন বলেন, আমরা হয়তো আরও অনেক বছর ছাপানো টেক্সট বই ব্যবহার করবো, কিন্তু লেখাপড়ার ক্ষেত্রে ছাপানো বইয়ের ভূমিকা ক্রমেই সীমিত হয়ে আসবে। "আমরা অন্যদের সঙ্গে আলোচনা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমেই নতুন কিছু শিখি। এক্ষেত্রে একটি ডিজিটাল পরিবেশ কিন্তু অনেক বেশি কার্যকর।" "ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তক ক্রমাগত আপডেট করা যায়, সেখানে ভিডিও দেয়া যায় এবং শিক্ষার্থীরা কেমন করছে তার মূল্যায়নও তাদের দেয়া যায়।" তবে ডিজিটাল পাঠ্যসামগ্রী যেভাবে নিয়মিত চাঁদা দিয়ে কিনতে হয়, তার ফলে পাঠ্যপুস্তকের লেখকরা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশংকা আছে। যেমনটি ঘটেছে মিউজিক স্ট্রীমিং সার্ভিস চালু হওয়ার পর শিল্পীদের ক্ষেত্রে। পিয়ার্সনের প্রধান জন ফ্যালন তবে পিয়ার্সনের প্রধান জন ফ্যালন এরকম আশংকা উড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, তারা বইয়ের লেখকরা যাতে দীর্ঘ সময় ধরে ভালো উপার্জন করতে পারেন সেরকম ব্যবস্থা রাখবেন। তিনি মনে করেন, 'নেটফ্লিক্স এবং স্পটিফাই জেনারেশন' কোনকিছু কিনে নিজের সংগ্রহে রাখতে আগ্রহী নয়, তারা সবকিছু 'ভাড়া' নিতে চায়। পিয়ার্সনের ব্যবসায় সংকট চলছিল অনেকদিন ধরে, তাদের বিক্রি এবং মুনাফা কমছিল। সেজন্যে তারা এটিকে ঢেলে সাজানোর এক কষ্টকর প্রক্রিয়া শুরু করে। পিয়ার্সন পাঠ্যপুস্তক ছাপানো বন্ধ করে দেয়ার এই পরিকল্পনা প্রথম বাস্তবায়ন করবে যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর ধাপে ধাপে অন্য দেশের বাজারেও তারা একই কাজ করবে। অন্যান্য খবর: রংপুরেই দাফন করা হচ্ছে এরশাদকে চাঁদে যাওয়া নিয়ে সোভিয়েত ও আমেরিকার লড়াই ইরানের পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘন গুরুতর নয় -ইইউ | The world's largest education publisher has taken the first step towards phasing out print books by making all its learning resources "digital first". |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | সন্ত্রাসী তৎপরতায় ইন্ধনের অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া প্যারিসের একটি মসজিদ ছোটে ছোট জানালাওয়ালা ইস্পাতের ঢেউটিনের তৈরি গুদামের মত দেখতে এই মসজিদে এখন তালা। বাইরে একটি নোটিস টাঙ্গানো হয়েছে যাতে লেখা আছে ‘কট্টর ইসলামি তৎপরতায় লিপ্ত থাকা এবং শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে টার্গেট করে সোশাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করার কারণে‘ সরকার এই মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে। ইতিহাসের শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে হত্যা এবং শিরশ্ছেদ করার প্রতিক্রিয়ায় কট্টর ইসলামের বিরুদ্ধে ফরাসী সরকার ‘দ্রুত এবং কঠোর‘ সব পদক্ষেপ নিচ্ছে। মসজিদ-সংগঠন বন্ধ, বাড়িতে তল্লাশি চলছে, গাদা গাদা নতুন তদন্ত - এমন আরো নতুন নতুন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের কথা প্রতিদিন যেভাবে শোনা যাচ্ছে যে তা মনে রাখাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। “ভীতি এখন অন্য পক্ষের ওপর চাপবে“ - দুদিন আগে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁর উচ্চারিত এই বাক্যটি এখন মুখে মুখে ঘুরছে। সরকারের দেওয়া হিসাবে ১২০টি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। কট্টর ইসলামি মতবাদ প্রচারের অভিযোগে বেশ কিছু সংগঠন এবং সমিতি বাতিল করা হয়েছে। সন্ত্রাসে অর্থ জোগানোর রাস্তা বন্ধের কৌশল নেয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের জন্য বাড়তি সাহায্যের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেই সাথে, পোস্ট-ভিডিও-ছবির ওপর নজরদারি বাড়াতে সোশাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর ওপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর শাসনামলে বেশ কিছু সন্ত্রাসী হামলায় ফ্রান্সে পুলিশের সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন মারা গেছে। কিন্তু তার সরকারের কাছ থেকে এমন তৎপরতা আগে চোখে পড়েনি। ফ্রান্সে ইসলাম-বিদ্বেষের অভিযোগে মুসলিমদের সমাবেশ এখন কেন এত শক্ত পথ নিচ্ছেন তিনি? ফরাসী জনমত জরিপ সংস্থা আইএফওপি‘র পরিচালক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক জেরোম ফোরকোয়া বিবিসিকে বলেন, এবারের হত্যাকাণ্ডটি ছিল ভিন্নতর - একজন শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছে এবং অত্যন্ত ‘পাশবিক‘ কায়দায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার মতে, এ কারণেই সরকার এবার অত্যন্ত কঠোর। “আমরা এখন আর শুধু সংগঠিত জিহাদি নেটওয়ার্কের মোকাবেলা করছি না,“ মি ফোরকোয়া বলেন, “আমরা এখন এমন এক সন্ত্রাসীকে দেখলাম যার কট্টরপন্থায় দীক্ষা এদেশে বসেই হয়েছে।“ তিনি বলেন, “সরকার এখন মনে করছে যে শুধু আইন-শৃঙ্খলার বেড়ি দিয়ে এই সন্ত্রাসের মোকাবেলা সম্ভব নয়। তাদেরকে এখন সামাজিক নেটওয়ার্ক সামলাতে হবে, কারণ ট্র্যাজিক এই হত্যাকাণ্ড চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে কীভাবে এসব নেটওয়ার্ক জনগণের মধ্যে ঘৃণার বীজ ছড়িয়ে দিচ্ছে। পুরো এই ব্যবস্থাটি বদলাতে হবে।“ মি ফোরকোয়া বলেন, দু বছর আগে তাদের প্রতিষ্ঠানের এক জনমত জরিপে এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষক বলেছিলেন ধর্মনিরপেক্ষতার ইস্যুতে সংঘাত এড়াতে তারা ক্লাসরুমে ‘সেলফ-সেন্সরশিপের‘ পথ বেছে নিয়েছেন। এই বিশ্লেষক মনে করেন, ফ্রান্সের আইনের বিরুদ্ধে এই যে ‘আদর্শিক হুমকি‘ তা মোকাবেলায় এই সরকার যে পথ নিচ্ছে তা সঠিক। কিন্তু ম্যাক্রঁ সরকারের এই কৌশল নিয়ে ভিন্নমতও রয়েছে ফ্রান্সে। ফ্রান্সের ন্যাশনাল সেন্টার পর সায়েন্টিফিক রিসার্চের সমাজবিজ্ঞানী ল্যঁরা মুচ্চেলি মনে করেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ ‘মাত্রাতিরিক্ত‘ তৎপরতা দেখাচ্ছেন এবং তার পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। তার মতে, মি ম্যাক্রঁর মাথায় এখন বিশেষ করে ২০২০ সালের নির্বাচনের কথা ঘুরছে। “ম্যাক্রঁ আগুনে ঘি ঢালছেন,“ বিবিসিকে বলেন মি. মুচ্চেলি। “তিনি চাইছেন জনগণ যেন মনে না করে যে তিনি ডানপন্থী বা কট্টর ডানপন্থীদের চেয়ে এক পা হলেও পিছিয়ে। তাঁর প্রধান লক্ষ্য ২০২২ সালের নির্বাচন জেতা। উনবিংশ শতাব্দী থেকেই তাদের (কট্টর ডানপন্থীদের) প্রধান টার্গেট অভিবাসন এবং নিরাপত্তা।“ গত সপ্তাহে একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই ইস্যুতে অধিকাংশ মানুষ ইসলাম ও অভিবাসী-বিদ্বেষী রাজনীতিক মারি ল পেনের ওপর ভরসা করেন। ১৮ মাস পর যে নির্বাচন হচ্ছে সেখানে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন মারি ল পেন। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ বিদেশে ভাবমূর্তি গড়তে এবং দেশে অর্থনৈতিক সংস্কারে প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হলেও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ইস্যুতে জনগণের মধ্যে যথেষ্ট আস্থা তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছেন। পক্ষান্তরে, তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মারি ল পেন যেভাবে ইসলামকে ফ্রান্সের জাতীয় সত্ত্বার জন্য হুমকি হিসাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচুর মানুষ তা বিশ্বাস করছে। স্যামুয়েল প্যাটি হত্যাকাণ্ডের পর ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ ইসলামের সমালোচরা করেছেন। সাংস্কৃতিক সংঘাত ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই মি ম্যাক্রঁ নিরাপত্তা হুমকি এবং ধর্মনিরপেক্ষতার ভেতর একটি বিভেদ-রেখা বজায় রাখার সচেতন চেষ্টা করে গেছেন। অনেকদিন ধরে তিনি হিজাব, বুরকিনি বা স্কুলে হালাল খাবার দেওয়ার মত বিতর্কিত ইস্যুতে মতামত দেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন। তবে ধর্মের সাথে ফ্রান্সের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সংঘাত এতটাই তীব্র যে এ নিয়ে চুপ থাকা প্রায় অসম্ভব। সেপ্টেম্বর মাসে একটি পার্লামেন্টারি কমিটিতে এক শুনানির সময় হিজাব পরা একজন মুসলিম নারী কথা বলা শুরু করার সাথে সাথে মি. ম্যাক্রঁর দল অ্যঁ মাকশের এমপি অ্যান-ক্রিস্টিন ল্যাং কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান।পরে ঐ এমপি বলেন, “আমাদের গণতন্ত্রের হৃদস্পন্দন যেখানে সেই পার্লামেন্টের ভেতর হিজাব পরিহিত কাউকে আমি মেনে নিতে রাজী নই।“ ফ্রান্সে সরকারি চাকুরে - যেমন শিক্ষক বা নির্বাচিত মেয়র - কর্মস্থলে এমন কিছু পরতে বা ব্যবহার করতে পারেন না যাতে তার ধর্মীয় বিশ্বাস প্রকাশিত হয়। তবে সাধারণ মানুষের ওপর তেমন কোনো বিধিনিষেধ নেই। তারপরও একজন অভিভাবক হিজাব মাথায় দিয়ে তার বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেতে পারবেন কিনা অথবা বুরকিনি অর্থাৎ আপাদমস্তক সাঁতারের পোশাক পরা কাউকে বিচে যেতে দেওয়া উচিৎ কিনা - তা নিয়ে ফ্রান্সে বিতর্ক কখনই থামেনি। কট্টর ডানপন্থীরা সবসময় বলে বেড়ান যে মুসলিমদের তোষণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বামপন্থীরা এসব বিতর্ক তোলাকে ইসলামোফোবিয়া বা ইসলাম বিদ্বেষ বলে আখ্যা দেন। এসব বিতর্কের মাঝেই এ মাসে ক্লাসে মত প্রকাশের স্বাধীনতা পড়াতে গিয়ে নবীর কার্টুন দেখানোর ইস্যুতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে। আরো পড়তে পারেন: ফরাসী পণ্য বর্জন করার ডাক দিলেন তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান 'বয়কট ফ্রান্স' বাংলাদেশেও, ম্যাক্রঁর দেশ কি ইমেজ সংকটের মুখে ফ্রান্সের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের দাবি ঢাকার এক বিক্ষোভে ইসলাম শান্তি ও ভালোবাসার ধর্ম, একে শ্রদ্ধা করতে হবে: পল পগবা স্যামুয়েল প্যাটিকে হত্যার পর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে ফ্রান্সে। আন্তর্জাতিক মাত্রা শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ যেভাবে দেখাচ্ছেন দেশের ভেতর তার জনপ্রিয়তা বাড়ুক বা কমুক বাইরের দুনিয়ায়, বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে, তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা এখন তুঙ্গে। লিবিয়া, বাংলাদেশ, গাজা এবং তুরস্কে বিক্ষোভ হয়েছে। তুরস্কের সাথে বাক-যুদ্ধ বেড়েছে। তুরস্কসহ কিছু মুসলিম দেশে ফরাসী পণ্য বর্জনের ডাক দেয়া হচ্ছে। ফরাসী প্রেসিডেন্ট গত সপ্তাহে ফ্রান্সের ধর্মনিরপেক্ষ নীতি ধরে রাখা প্রসঙ্গে ‘ফ্রান্স কখনই কার্টুন আঁকা বন্ধ করে দেয়নি‘ বলে যে মন্তব্য করেন তা নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান মি. ম্যাক্রঁর মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রতিবাদে ফ্রান্স তুরস্ক থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে এসেছে। তবে ফ্রান্স এবং তুরস্কের মধ্যে বৈরিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গে লিবিয়ায় অস্ত্র সরবরাহ, পূর্ব ভূমধ্যসাগরে গ্যাস অনুসন্ধান এবং সিরিয়ায় কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে তুরস্কের সামরিক অভিযান - এসব নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাদানুবাদ চরমে উঠেছে। এখন একজন শিক্ষকের হত্যাকান্ডের পর মি ম্যাক্রঁ যেভাবে সাড়া দিচ্ছেন তাতে এই দুই দেশের বিরোধে নতুন এক মাত্রা যোগ হয়েছে। রাজনীতি এবং বিদেশনীতির পাশাপাশি এখন যোগ হয়েছে ধর্ম। | The mosque in Pantin, north-eastern Paris, was among the first signs that something this time was different. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ওয়াশিংটনের ক্যাপিটলে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা। গত সপ্তাহের ভয়াবহ দাঙ্গার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীকে ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠানো হয়েছে। ট্রাম্প সমর্থকরা ৫০টি রাজ্যের রাজধানীতে সশস্ত্র সমাবেশ করতে পারে বলে হুঁশিয়ারি করেছে এফবিআই। এই কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেই গত শুক্রবার ডিসি থেকে এক অস্ত্রধারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছে এমন পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে যা সরকারের ইস্যু করা নয়। নিরাপত্তা চৌকিতে তল্লাশি চালানোর সময় ওই ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫০৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। তবে ওয়েসলে অ্যালেন বিলার নামে ওই ব্যক্তিকে পরে পুলিশি হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং ওয়াশিংটন পোস্টকে জানানো হয় যে ওয়াশিংটনে আগ্নেয়াস্ত্র আনার তার কোন উদ্দেশ্য ছিল না, তিনি জানিয়েছেন যে তিনি একটি বেসরকারি সুরক্ষা সংস্থার সাথে কাজ করতেন। "ডিসিতে হারিয়ে যাওয়ার পরে আমি একটি চৌকিতে পৌঁছাই কারণ আমি গ্রামের মানুষ," তিনি বলেন। "আমি তাদেরকে অভিষেক অনুষ্ঠানের ব্যাজটি দেখাই যেটা আমাকে দেয়া হয়েছিল।" কর্তৃপক্ষ ওয়াশিংটনে নিরাপত্তা জোরদার করার মধ্যেই এই আটকের ঘটনা ঘটলো। এছাড়া রাজধানী থেকে কয়েক মাইল দূর পর্যন্ত বহু রাস্তা কংক্রিটের ব্যারিকেড এবং ধাতব বেড়া দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে। অভিষেক অনুষ্ঠানে যে ন্যাশনাল মলে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হতো, এই স্থানটি সিক্রেট সার্ভিসের অনুরোধে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই সংস্থাটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সুরক্ষায় বিশেষভাবে কাজ করে। মিশিগান রাজ্যের রাজধানী ল্যানসিঙের চারপাশে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। বাইডেনের দল ইতোমধ্যে আমেরিকানদের বলেছেন, তারা যেন কোভিড ১৯ মহামারির বিষয়টি মাথায় রেখে দেশটির রাজধানীতে ভ্রমণ এড়িয়ে চলেন। স্থানীয় কর্মকর্তারাও বলছেন, মানুষের উচিৎ হবে এই অভিষেক অনুষ্ঠান আলাদাভাবে দেখা। রোববারকে ঘিরে বিক্ষোভ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কারণ ট্রাম্পপন্থী ও ডানপন্থী অনলাইন নেটওয়ার্কগুলোর পোস্টে এই দিনেই সশস্ত্র বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়েছে। পরে কঠোর নিরাপত্তার দিকটি উল্লেখ করে কিছু মিলিশিয়া তাদের অনুসারীদের উপস্থিত না হওয়ার জন্য বলেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুই বার অভিশংসনের মুখে পড়ার মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটলো। বিক্ষোভকারীদের উস্কানি দেয়ার অভিযোগে তিনি এখন সেনেটের বিচারের মুখোমুখি। গত ৬ই জানুয়ারি তার সমর্থকদের ক্যাপিটল হিলে সহিংস অবস্থান নেয়ায় তাকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয়কে কংগ্রেসকে অনুমোদন দেয়ার দিনেই এমন ঘটনা ঘটে। কংগ্রেসের ওই অধিবেশন বানচাল করার উদ্দেশ্যে এমন হামলা চালানো হয়। ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গা। আরও পড়তে পারেন: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে? কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে অভিশংসিত হলেন ট্রাম্প ক্যাপিটল ভবনে তাণ্ডব এবং 'ব্র্যাণ্ড আমেরিকার' সর্বনাশ ট্রাম্পের অভিশংসন: এরপর কী ঘটবে? ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্যমতে বেকড আলাস্কা নামে পরিচিত ডানপন্থী মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে গ্রেফতার করা হয় যার আসল নাম অ্যান্থাইম জোসেফ জিওনেট। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ এনে বলা হয়েছে যে তাকে শুক্রবার টেক্সাসের হিউস্টন থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং ক্যাপিটলে সহিংস প্রবেশ ও বিশৃঙ্খল আচরণসহ দুটি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। | All 50 US states and the District of Columbia (DC) are on alert for possible violent protests this weekend, ahead of President-elect Joe Biden's inauguration on Wednesday. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | সানা ইরশাদ মাট্টু এ বছর মার্চ মাস থেকে ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছিল। কিন্তু সে সময়ই বাকি বিশ্বের মতো ভারতের কোভিড-১৯ মহামারি দেখা দেবার পর সেই লকডাউন আবার ফিরে আসে। ফলে গত এক বছর সময়কাল কাশ্মীরের মানুষের জন্য ছিল আবদ্ধ জীবন, ক্রোধ আর আতঙ্কের এক বছর। কিভাবে তারা পার করেছেন এ সময়টা - তা তাদেরই মুখ থেকে শুনতে বিবিসি কথা বলেছে ১২ জন কাশ্মীরীর সাথে। সানা ইরশাদ মাট্টু, ২৬ গত চার বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন সানা ইরশাদ মাট্টু। "আমাদের এ লাইনে ব্যক্তিগত জীবন আর পেশাগত জীবনের মধ্যে কোন ফারাক নেই" - বলছিলেন মিজ মাট্টু, "আমরা আগেও লকডাউনের জীবন পার করেছি। কিন্তু গত এক বছর সময়টা জুড়েই আমাদের মনে জেঁকে বসেছিল ছিল একটা ভয়ের অনুভূতি।" "আমরা জানতাম না কি হচ্ছে। আমাদের যোগাযোগের পদ্ধতি বদলে গেল। নিজের মনের কথা অন্যদের জানাতে আমাদের নানা কৌশল বের করতে হয়েছিল।" মিজ মাট্টু বলছিলেন, রিপোর্টারদের ব্যাপারে নিরাপত্তা বাহিনীর বৈরী মনোভাব আগে থেকেই ছিল। কিন্তু আগস্ট মাসের পর থেকে তা অনেক বেশি কঠোর হয়ে ওঠে। "এখন সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাদের খবরের সূত্র প্রকাশ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। আমি যদি সামাজিক মাধ্যমে কিছু লিখতে যাই তার আগে আমাকে দু-তিনবার ভাবতে হয় যে আমাকে তো একটা না একটা কাজ করতে হবে।েএই ভয়টা সব সময়ই মনের মধ্যে কাজ করছে।" আলতাফ হুসেইন আলতাফ হুসেইন, ৫৫ আগস্ট মাসের ৫ তারিখের পরের পরিস্থিতিতে যারা প্রথম প্রাণ হারিয়েছিলেন - তাদের অন্যতম হচ্ছেন আলতাফ হুেসেইনের ছেলে। ১৭ বছরের তরুণ উসাইব আলতাফ নিরাপত্তা বাহিনীর হাত থেকে পালানোর সময় নদীতে ঝাঁপ দিলে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়। নিরাপত্তা বাহিনী তাকে তাড়া করার অভিযোগ অস্বীকার করে। এক বছর পরও তার মৃত্যু সরকারিভাবে স্বীকার করা হয় নি। যে হাসপাতলে উসাইব মারা গিয়েছিল - সেই হাসপাতালও তার পরিবারকে ডেথ সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকার করেছে। সে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ফুটবল খেলতে, ফিরে এলো কফিনে, লাশ হয়ে। পুলিশ বলে সেদিন কেউ মারা যায় নি। উসাইব যে নিহত হয়েছে তা পুলিশ স্বীকারই করে না। আমার হাতে সাক্ষী আছে কিন্তু তারা এখনো মামলা নিতে অস্বীকার করে চলেছে। আমরা থানায় গিয়েছি, আদালতে গিয়েছি - কিন্তু বিচার পাইনি।" মুনিফা নাজির মুনিফা নাজির, ৬ নিরাপত্তা বাহিনী আর বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এক সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে গিয়েছিল মুনিফা। সে সময় তার ডান চোখে কিছু একটা এসে লাগে - সম্ভবত গুলতি দিয়ে ছোঁড়া পাথর। "আমি অনেকদিন হাসপাতালে ছিলাম, তবে আমার সেসময়ের কথা খুব বেশি মনে নেই। আমি আমার স্কুলের পড়া ভুলে গেছি। আমি ১০০-র মধ্যে ১০০ পেতাম। চোখ ভালো হয়ে গেলে আমি একজন ডাক্তার হতে চাই। আমি ডাক্তারদের পছন্দ করি কারণ তারা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে্।" মুনিফার বাবা স্থানীয় একটি বার্তা সংস্থার ক্যামেরাম্যান। তিনি বলছেন, তার মেয়ের ডান চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। মুনিফাকে তিনি স্কুল থেকে ছাড়িয়ে এনেছেন, কারণ এখন তার স্কুলের বেতন দেবার সঙ্গতি নেই। "আমি শুধু ছায়া দেখতে পাই। আমি বই পড়তে পারি না, আমি কোথাও যাই না। ডাক্তাররা বলেছিল আমি ১৫ দিন পরই স্কুলে যেতে পারবো, কিন্তু এখন এক বছর পেরিযে গেছে।" বলছিল মুনিফা। ফারুক আহমদ ফারুক আহমেদ, ৩৪ ফারুক আহমেদের জীবন ছেঁড়া কাঁথা থেকে ধনী হয়ে ওঠার গল্পের মতোই। খুব অল্প বয়স থেকেই তাকে জীবিকার সন্ধানে নামতে হয়েছিল। তখন তিনি কাজ শুরু করেছিলেন ভারতশাসিত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের এক বাস ডিপোতে হেলপার হিসেবে। পরে ২০০৩ সালে তার স্ত্রীর সোনার গহনা আর তার নিজের সঞ্চয় মিলিয়ে তিনি নিজেই একটি বাস কেনেন। এখন তিনি ব্যবসায় অংশীদার নিয়েছেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। তিনি এখন সাতটি বাসের মালিক। কিন্তু সমস্যা হলো - মি. আহমেদের সবগুলো বাসই এখন বসে আছে। কারণ এ বছর এই কাশ্মীরের লকডাউনে যেসব খাতে চরম আঘাত লেগেছে তার মধ্যে পরিবহন অন্যতম। "কিচুদিন আগেই আমরা সবগুলো বাসের ইনস্যুরেন্স পলিসিগুলো নবায়ন করেছি চার লাখ রুপি খরচ করে। কিন্তু আয় করতে পারিনি একটি পয়সাও। আমার সাতজন কর্মচারী, তারা প্রায় না খেয়ে আছে। কিন্তু আমার নিজের পরিবারই যখন বিপর্যস্ত - তখন অন্যের পরিবারকে আমি কিভাবে সাহায্য করবো? আমার মতো লোকেরা একটা সম্মানজনক জীবিকার জন্য আমাদের সহায় সম্পত্তি বিক্রি করেছি। আমরা যদি উপার্জন না করি তাহলে দেনা শোধ করবো কিভাবে?" ঋণ শোধ করার জন্য মি. আহমেদকে এখন দিনমজুরের মত কাজ করতে হচ্ছে। ইকরা আহমদ ইকরা আহমেদ, ২৮ ইকরা আহমেদের নিজের ফ্যাশন ডিজাইনিংএর ব্যবসা আছে। তিনি বলছেন, তিনি এই কেরিয়ার বেছে নিয়েছেন কারণ তিনি চাননি যে তার ওপর অন্য কেউ ছড়ি ঘোরাক। ইকরা বলছেন, তিনি তার কাজের মধ্যে দিয়ে কাশ্মীরী সংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে চান। তার পোশাক সবই বিক্রি হয় অনলাইনে। "এখানে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়াটা আমার ব্যবসার ওপর এক বিরাট আঘাত হেনেছে। টুজি ইন্টারনেট আমার জন্য সহায়ক নয়। আমার ক্রেতা আছে সারা দুনিয়াজুড়ে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া আর দুবাইতে।" "কিন্তু আমার বেশিরভাগ ক্রেতাই কাশ্মীরী এবং তারা টুজি ইন্টারনেটের কারণে আমার পণ্যগুলোর ছবি দেখতে পাচ্ছে না। আগে আমি প্রতি সপ্তাহে ১০০-১১০টা অর্ডার পেতাম, কিন্তু এখন আমি পাচ্ছি মাত্র পাঁচ কি ছ'টা।" আন্তর্জাতিক ক্রেতারা দেরিতে পণ্য সরবরাহ হলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কিচুদিন আগে ইকরার সাথে যোগাযোগ করেন একজন ক্রেতা এবং তাকে অভিনন্দন জানান - কারণ তার কাছে অর্ডারের পণ্যটি এসে পৌঁছেছে ৬ মাস পর। আরেকজনকে তিনি সময়মত টেক্সট মেসেজের জবাব দিতে পারেন নি ইন্টারনেট বন্ধ থাকার জন্য -ফলে তাকে আরেকটি মেসেজ পাঠিয়ে তিরস্কার করেন ওই ক্রেতা। ইকরা বলছেন, তার মনে হচ্ছেনা যে এভাবে তিনি ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন। "প্রতিমাসে আমার খরচ হয় দুই লাখ রুপি। আমি যদি কোন উপার্জন না করি তাহলে কীভাবে আমি আমার সাতজন কর্মচারীকে বেতন দেবো?" বলেন তিনি। বদরুদ দুজা বদরুদ দুজা, ২৪ বদরুদ দুজা একজন আইনের ছাত্র। কিন্তু এখন তারই বেছে নেয়া এ পেশা সম্পর্কে মোহ কেটে যাচ্ছে তার। "একজন আইনের ছাত্র হিসেবে আমি ভারতের সংবিধান, গণতন্ত্রের চেতনা, মৌলিক অধিকার, এবং যখাযথ আইনী প্রক্রিয়ার মতো বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশোনা করি। কিন্তু এগুলো এখন কিছু শব্দ ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা যে দুর্গ গড়ে তুলেছিল তা এখন ভেঙে পড়ছে। আমরা আমাদের ব্যক্তিগত স্বাথীনতাগুলো হারাচ্ছি। ছাত্র-শিক্ষক সবার জন্যই আইন পড়াটা এখন একটা পরিহাসে পরিণত হয়েছে।" "আগে কথা বলাটা ছিল একটা উপশমের মতো । কিন্তু এখন এ কারণে আপনার জেল হয়ে যেতে পারে। আমি কাশ্মীরের একটি মানবাধিকার সংক্রান্ত এ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করি। আমি দেখেছি মিডিয়ার সাথে কথা বলার অপরাধে একজন লোককে ধরে নিয়ে পুলিশ ভ্যানে তোলা হচ্ছে।" "আমাদের চেতনা ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। আমাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে চূড়ান্ত নিরাশা। যারা আইন রক্ষা করার জন্য বেতন নিচ্ছে তারাই এটা লংঘন করছে এটা দেখার জন্য আমরা আইন পড়ছিলাম না। এখন আমি অন্য কোন একটা কাজের সন্ধানে আছি।" মঞ্জুর ভাট মঞ্জুর ভাট, ২৯ কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছে যে দল সেই ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির মিডিয়া উইংএর প্রধান হচ্ছেন মঞ্জুর ভাট। তিনি এই দলে যোগ দিয়েছেন বলে তার পরিবার ও বন্ধুরা তাকে পরিত্যাগ করেছে। কিন্তু মি. বাট বলছেন, বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে তিনি জাহান্নামে যাবেন না। তিনি বরং মনে করেন - তিনি এটা করে এ অঞ্চলের মানুষদের সহায়তা করছেন। তার কথা - "আমার লক্ষ্য ক্ষমতা বা টাকা কামানো নয় বরং অন্যের জীবনে পরিবর্তন আনা। আমাদের তরুণরা হাতে বন্দুক তুরে নিচ্ছে, কিন্তু এটা কোন সমাধান নয়। কাশ্মীরে যারা মারা যাচ্ছে তারা আমারও ভাই কিন্তু সহিংসতা এর জবাব হতে পারে না।" জাভেদ আহমদ জাভেদ আহমদ, ৩৫ গত ২৫ বছর ধরে শ্রীনগরের নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত ডাল লেকে নৌকা চালাতেন জাভেদ আহমদ। পর্যটকদের ডাল লেকের এপার-ওপার ঘোরানোই ছিল তার পেশা, এবং এতে ভালোই রোজগার হতো তার। প্রতিদিন মোটামুটি ৫০০ রুপি আয় হতো তার। "আর এখন আমাকে সবজি বিক্রি করে বেঁচে থাকতে হচ্ছে, কিন্তু লকডাউনের মধ্যে সজির ক্রেতাই বা কোথায়?" জাভেদ আহমদ বলছিলেন, এখন তাকে ছেলেমেয়েদের স্কুলের বেতন দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। "আমাদের ভবিষ্যৎ শেষ করে দেয়া হয়েছে। পর্যটকরা এখানে আসছে না কারণ তারা আতংকিত। কাশ্মীরের সবার জন্যই এখন এক কঠিন সময় যাচ্ছে। কিন্তু সবচাইতে বেশি দুরবস্থায় পড়েছে পর্যটন খাত।" মি. আহমদ বলছেন সরকার প্রতি নৌকাচালককে ১০০০ রুপি করে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিন্তু এ টাকা দিয়ে তার বিদ্যুতের বিলও হবে না। "আমার সব আশা শেষ হয়ে গেছে । এখন আমি আল্লাহর হাতে সব ছেড়ে দিয়েছি।" ফালাহ শাহ ফালাহ শাহ, ১২ ফালাহ শাহ একজন স্কুল ছাত্রী। তিনি বলছেন, কাশ্মীরে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা থেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন। "ভারতের অন্যত্র শিক্ষার্থীরা সেরা শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। আর আমি এমন একটা স্তরে আছি যেখানে আমি প্রাথমিক শিক্ষা থেকেই বঞ্চিত হচ্ছি। আমরা যদি এ সময় গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা না পাই তাহলে ভবিষ্যতে কিভাবে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলো পাস করবো?" "আমি বিজ্ঞান আর গণিতের মূল ধারণাগুলো নিয়ে সমস্যায় পড়ছি। কিন্তু ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন থাকায় আমি সমাধানগুলো সন্ধান করতে পারছি না। এখন ইন্টারনেট ফিরে এলেও তার গতি খুবই ধীর। এখন একটা বই খুলে পড়াটাও অর্থহীন হয়ে পড়েছে কারণ আমার বিষয়গুলো নিয়ে ধারণাটাই তৈরি হয় নি।" ফালাহ বলছেন, তিনি তার স্কুল, শিক্ষক এবং বন্ধুদের অভাব বোধ করছেন। "আামি বাড়ির বাইরে যাই না। এক বছর ধরে আমি এখানে বন্দী হয়ে আছি। অন্য কোন রাজ্যে যদি এক বছর ধরে লকডাউন থাকতো, তাহলে ছাত্রছাত্রীরা বাইরে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ করতো। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করতেও পারছি না কারণ তাতে আমাদের জেলে যেতে হতে পারে।" সাজিদ ফারুক সাজিদ ফারুক, ৪৩ সাজিদ ফারুক একজন হোটেল মালিক। তিন প্রজন্মের ব্যবসায়ী পরিবার তাদের। কিন্তু এখন তিনি বলছেন, কাশ্মীরে তিনি আর কোন ভবিষ্যৎ দেখছেন না। তিনি বলছিলেন ১৯৯০ থেকে তিনি এই রাজ্যে যে মৃত্যু আর সহিংসতা দেখে আসছেন - তার কথা। সে সময় এ রাজ্যে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে এক জঙ্গী অভ্যুত্থানের সূচনা হয়েছিল। "এই হোটেলটা গড়ে তুলতে তিন প্রজন্ম লেগেছে। কিন্তু ১৯৯০ সাল থেকে আমরা আসলে কোন মতে টিকে আছি।" তিনি বলছেন, এখানে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। "আমার হোটেল চালু থাকুক বা না থাকুক আমাকে ২ লাখ রুপি বিদ্যুতের জন্য দিতে হয়। এর ওপরে অন্যান্য সার্ভিসের চার্জ আছে। আমি তো দেখতে পাচ্ছি না যে কীভাবে অবস্থার উন্নতি হবে।" "যখন কাশ্মীরিরা শোক পালন করে, তখন বাকি দেশ উল্লাস করে। যা বাকি দেশ উদযাপন করে, আমরা তা তা নিযে শোক করি। কাজেই সবকিছুই এখন রাজনৈতিক হয়ে গেছে। সবকিছুর মধ্যেই সংঘাত। এরকম পরিস্থিতিতে কি ব্যবসা চলতে পারে?" বিলাল আহমদ বিলাল আহমদ, ৩৫ বিলাল আহমদ হচ্ছেন কাশ্মীরের একজন ফল চাষী। এ অঞ্চলের কৃষি থেকে আয়ের একটা বড় উৎস হচ্ছে এই ফল চাষ। তিনি বলছেন, সম্প্রতি আবহাওয়া আর লকডাউন মিলে তিনি এখন এমন এক অবস্থায় পড়েছেন যখন তাকে হয়তো চাষের জমিটাও বিক্রি করে দিতে হতে পারে। এবার আগেভাগেই বরফ পড়ার কারণে তার আপেল আর পীচের গাছগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার ওপর শ্রমিক সংকটের কারণে তিনি তার ফসলের পরিচর্যা করতে পারেন নি, ফলে ফলন হয়েছে কম। "আমরা এক বছর ধরে অলস বসে আছি। আপেল থেকে আমার আগে এক থেকে দেড় লাখ রুপি আয় হতো, কিন্তু এবার আমি মাত্র ৩০ হাজার টাকা আয় করেছি। আমার ভাই ১২০০ বাক্স পীচ উৎপাদন করেছে কিন্তু এর বেশির ভাগটাই তাকে ফেলে দিতে হয়েছে - কারণ কোন ক্রেতা নেই।" "এরকম অবস্থা চলতে থাকলে আমার হযতো জমিটাই বিক্রি করে দিতে হবে। আমি তেমন লেখাপড়া করিনি তাই আমার অন্য কোন কাজ করারও উপায় নেই।" মোহাম্মদ সিদিক মোহাম্মদ সিদিক, ৪৯ মোহাম্মদ সাদিক মৃৎশিল্পের কাজ করেন। কিন্তু তিনি বলছেন কাঁচামালের অভাবের কারণে তার কাজ এখন একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। রাজ্য সরকার সম্প্রতি স্থানীয় লোক নয় এমন ঠিকাদারদের বালু আর পাথর উত্তোলনের পারমিট দিয়েছে। তার ফলে মি. সিদিকের মতো স্থানীয়রা বেকার হয়ে পড়েছেন। "সরকার মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ করেছে, কারণ হিসেবে তারা বলছে আদালতের আদেশ হয়েছে। কিন্তু আদালত এতদিন কি করছিল? বিচারপতিরা কি আমাদের মত গরিব লোকদের পরিবারের কথা ভেবেছিলেন?তারা কি আমাদের না খাইয়ে মারতে চায়?" "লকডাউনের কারণে আমার পণ্য সব অবিক্রীত পড়ে আছে। আমি নতুন পণ্য বানানো বন্ধ করে দিয়েছি। তার পরিবর্তে আমি এখন কাজ করছি দিনমজুর হিসেবে।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ভারতশাসিত কাশ্মীর কতটা বদলেছে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর? কাশ্মীরের জন্য বিশেষ আইন কেন বিতর্কিত? কাশ্মীর: কী করতে পারে পাকিস্তান, ক্ষমতা কতদূর কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের লড়াইয়ের কারণ কী? যেভাবে বদলে যাবে ভারতের অধীন কাশ্মীর | On 5 August 2019, the Indian government stripped Kashmir of its constitutionally guaranteed special status and split the region into two federally-run territories. A stringent curfew was imposed and thousands detained along with a communications black-out. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সংসদ স্থগিত ঘোষণার সিদ্ধান্ত "অবৈধ" ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ বা ব্রেক্সিটকে ঘিরে যে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে, সুপ্রিমে কোর্টের এই সিদ্ধান্ত তা আরও বাড়াবে। ব্রিটেন কীভাবে ইইউ থেকে বের হবে, কখন বের হবে কিংবা আদৌ বের হবে কিনা তা নিয়ে দেশটি এখন এক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। ব্রিটিশ সংসদের দুটি কক্ষই অর্থাৎ হাউস অফ কমন্স এবং হাউস অফ লর্ডস ১০ই সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত রয়েছে ১৪ই অক্টোবর পর্যন্ত। এই স্থগিতাদেশ ব্রিটেনে সরকারি পরিভাষায় পরিচিত ''প্রোরোগ'' নামে। অক্টোবরের ৩১ তারিখে ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার কথা রয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: আদালতে কেন হারলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সুপ্রিম কোর্টের রায়: 'পার্লামেন্ট স্থগিত অবৈধ' ব্রেক্সিট নিয়ে বরিস জনসনের হাতে চার বিকল্প ব্রিটিশ রাজনীতিতে এখন সবেচয়ে আলোচিত ও বিতর্কিত বিষয় হল ব্রেক্সিট সংসদ স্থগিত করে দেবার এই সময়টা নিয়েই তৈরি হয় বিতর্ক। কারণ এর ফলে ব্রেক্সিটের জন্য নির্ধারিত তারিখের আগে সংসদ অধিবেশনের সময় সীমিত হয়ে যায়। ব্রেক্সিট সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব মন্ত্রীদের কাছে চাওয়ার অথবা সরকারের আইনকানুন খুঁটিয়ে দেখার সুযোগ এমপিদের জন্য সীমিত করে দেওয়া হয়। বিরোধী দলের ঊর্ধ্বতন এমপিরা এই পদক্ষেপকে "ক্যু' বলে ব্যাখ্যা করেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে সরকার সংসদের বর্তমান অধিবেশন শেষ করে দেবার জন্য এই পদক্ষেপ নিচ্ছে যাতে করে আগামী কর্মসূচিতে নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব আনা যায়। মঙ্গলবারের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে প্রধানমন্ত্র্রীর এই পদক্ষেপ সংসদের দায়িত্বপালনে বাধা সৃষ্টি করেছে এবং এর জন্য আদালত সরকারকে দায়ী করেছে। আদালত তার রায়ে বলেছে গ্রীষ্মকালীন বিরতির পর এবং ৩১শে অক্টোবরের আগে যে আট সপ্তাহ সংসদ চলার কথা ছিল তার মধ্যে পাঁচ সপ্তাহ সংসদ বন্ধ রাখা স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী সংসদ স্থগিত রাখার প্রথার মধ্যে পড়ে না। যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে বিচারকদের প্যানেল বরিস জনসনের সংসদ স্থগিত করার পদক্ষেপের আইনি চ্যালেঞ্জের শুনানি করছেন এখন সংসদের অবস্থান কী হবে? আদালতের রায়ে বলা হয়েছে সংসদ স্থগিত করার নির্দেশটি ছিল অবৈধ। কাজেই সংসদ কখনই কার্যত স্থগিত হয়নি। রায়ে বলা হয়েছে যে ''সংসদ যেহেতু স্থগিত বা 'প্রোরোগ' করা হয়নি, তাই এখন কী হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে খোদ সংসদ।'' হাউস অফ কমন্সের স্পিকার, জন বারকো, বলেছেন তিনি সংসদের কার্যক্রম আবার শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন এবং বুধবার সকালে আবার সংসদ বসতে যাচ্ছে। বরিস জনসন বিবিসিকে বলেছেন: ''আদালেতের এই রায় আমরা মেনে নেব, কারণ বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। ''তবে আমি বলতে বাধ্য যে আমি বিচারকদের সঙ্গে মোটেই একমত নই, আমি মনে করি এই রায় সঠিক নয়। ''কিন্তু আমরা এই রায় মেনে নেব এবং সংসদ অধিবেশন অবশ্যই আবার শুরু হবে।'' বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন সংসদ অধিবেশন আবার চালু করার দাবি জানিয়েছেন। ব্রেক্সিট-বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির একজন এমপি, টম টুগেনধাত, তিনি কমন্স সভায় বসে আছেন এমন একটি ছবি টুইট করেছেন যার নিচে ক্যাপশান লেখা: ''আমরা বসে পড়েছি...'' সরকারের জন্য এর অর্থ কী? বিবিসির রাজনীতি বিষয়ক সহকারী সম্পাদক নর্মান স্মিথ বলছেন প্রধানমন্ত্রীকে সুপ্রিম কোর্ট ''একেবারে ধুয়ে দিয়েছে''। সব পক্ষ থেকে সমালোচনার বন্যা বইছে। ব্রেক্সিট বিরোধী আন্দোলনকারীরা দাবি করছে সংসদ স্থগিত করার বিষয়ে সরকার ব্রিটেনের রানিকে ভুল পথে চালিত করেছে। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বরিস জনসনকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন: ''বরিস জনসনকে বলছি, তার নিজের ঐতিহাসিক ভাষা অনুযায়ী, তিনি নিজের অবস্থান বিবেচনা করুন এবং... ব্রিটেনের সবচেয়ে কম সময়ে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী হবার ইতিহাস গড়ুন।'' ব্রেক্সিট পার্টির চেয়ারম্যান, রিচার্ড টাইস, বিবিসিকে বলেছেন, ''বরিস জনসনকে হয়ত পদত্যাগ করতে হবে,'' অন্যদিকে দলটির নেতা নাইজেল ফ্যারাজ বলেছেন, এটা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সম্ভবত ''তার সবচেয়ে নিকৃষ্ট রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।'' সংসদে স্কটল্যাণ্ডের ন্যাশানাল পার্টির নেতা, ইয়েন ব্ল্যাকফোর্ড টুইট করেছেন: ''বরিস জনসন মিথ্যাচার করেছেন, মিথ্যা বলেছেন, এখন আদালত বলেছে তিনি অবৈধ কাজ করেছেন। তার পদত্যাগ করা উচিত।'' প্রধানমন্ত্রীর জন্য এটা বিরাট একটা ধাক্কা। এই রায় তার রাজনৈতিক জীবনের জন্য বিরাট একটা ক্ষতি। কিন্তু ব্রেক্সিট প্রশ্নে ব্রিটিশ রাজনীতি এখন যেভাবে বিভক্ত, তাতে বহু ব্রেক্সিট-পন্থী এমপি তার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে। তারা চাইবে না এই মুহূর্তে নেতা পরিবর্তনের ঝুঁকি নিতে। ব্রেক্সিটের জন্য এর অর্থ কী? আনুষ্ঠানিকভাবে, কিছুই বদলায়নি কিন্তু এর ফলে চুক্তি ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার বিষয় নিয়ে চাপ দেবার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হাত এখন দুর্বল হয়ে যাবে। ইতোমধ্যেই ৩১শে অক্টোবর চুক্তি ছাড়া ইইউ ত্যাগ করা বন্ধ করে আইন পাশ করা হয়েছে। এই আইনে বলা হয়েছে বাণিজ্য, সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ এবং অভিবাসন বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভবিষ্যত সম্পর্ক কী হবে তা নির্ধারণ করে তবেই ব্রিটেন ইইউ ছাড়বে - বিনা চুক্তিতে ইইউ ছাড়া যাবে ন। ১৯শে অক্টোবরের মধ্যে যুক্তরাজ্য ও ইইউ-র মধ্যে যদি কোন চুক্তিতে মতৈক্য না হয়, এবং এমপিরা যদি চুক্তি ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে রাজি না হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার জন্য আইনত ইইউ-র কাছে আবেদন করতে হবে। এই রায় ব্রেক্সিট বিরোধী আন্দোলনকারীদের সাহায্য করবে। কিন্তু বরিস জনসন এটা মোটেই চাননি। তাই সুপ্রিম কোর্টে তার এই পরাজয়ের ফলে ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করতে পথ বের করার সুযোগ এখন তার সীমিত হয়ে যাবে। এছাড়াও, সংসদ স্থগিত না হওয়ার অর্থ এখন দাঁড়াবে, সরকার যাতে চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট করার সুযোগ না নিতে পারে তার জন্য এমপিরা এখন নতুন আইন আনার বা নতুন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য আরও সময় হাতে পাবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নে বিবিসির ইউরোপ বিষয়ক সম্পাদক ক্যাটিয়া অ্যাডলাার টুইট করেছেন, এই রায়ে ইউরোপ ''হতভম্ব''। তারা বোঝার চেষ্টা করছে এর ফলে ব্রেক্সিট নিয়ে দর কষাকষির ওপর কীধরনের প্রভাব পড়তে পারে। ব্রেক্সিট-বিরোধীরা হয়ত এটাকে দেখছে তাদের একটা বিজয় হিসাবে, কিন্তু ব্রিটিশ রাজনীতিতে ব্রেক্সিটকে ঘিরে সঙ্কট ও বিভ্রান্তি এর ফলে আরও গভীর হয়েছে। | A legal challenge over Prime Minister Boris Johnson's decision to suspend Parliament has been rejected in the High Court. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | চীনের হাইলংজিয়াং প্রদেশের এই বাৎসরিক আয়োজন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বরফ ও তুষার উৎসবগুলোর একটি। রাতে রঙিন আলোকসজ্জায় অপরূপ হয়ে উঠেছে বরফের প্রাসাদ। দুই লাখ কুড়ি হাজার কিউবিক মিটার বরফ ও তুষার দরকার হয়েছে এই উৎসবে। বরফের খণ্ড জোড়া দিয়ে ও খোদাই করে বানানো হয়েছে বিশাল আকারের প্রাসাদ। বিশাল আকারের বরফের প্রাসাদে নীল আলোর আবহ দেখে চমৎকৃত দর্শক। এমনকি বাষ্পচালিত ট্রেনও ছিল। অবশ্যই বরফে খোদাই করা। হারবিন শহরের এই উৎসব শুরু হয়েছিল ১৯৬৩ সালে। চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় কয়েক বছর বিরতির পর আবার ১৯৮৫ সালে তা শুরু হয়। ভাস্কর্য ছাড়াও ছিল আইস হকি, ফুটবল, স্কেটিং এবং স্কি প্রতিযোগিতা। সংহুয়া নদীতে রক্ত জমে যাওয়ার মতো ঠাণ্ডা পানিতে সাতার প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া সাহসী প্রতিযোগী। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ গণবিয়ে। যে আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন ৪০ যুগল। গণ বিয়ের আয়োজনে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর দম্পতিরা। হারবিন বরফ ও তুষার উৎসব চলবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। | The Harbin International Ice and Snow Sculpture Festival in China held its opening ceremony on Sunday 5 January, amid fireworks and celebrations. |