instruction
stringclasses 5
values | input
stringlengths 230
19.6k
| output
stringlengths 40
405
|
---|---|---|
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে বৈঠকে যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এসব চুক্তি করতে চেয়েছিলো দেশটি। শেষ পর্যন্ত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের সফরের সময় এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো দেশ দুটির মধ্যে। বৈদেশিক পাওনা পরিশোধে সংকট নিরসনে পাকিস্তানকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে হবে আর সে কারণেই দেশটি আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইছিলো। যে সব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তার মধ্যে আছে বন্দর নগরী গোয়াদরে একটি ওয়েল রিফাইনারি স্থান করা হবে আট বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে। এর বাইরেও জ্বালানি, পেট্রোকেমিকেল ও খনিজ খাত নিয়ে দু'পক্ষ বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। সৌদি যুবরাজের জন্য অভাবী পাকিস্তানের লাল গালিচা সংস্কার নিয়ে মতভেদ কীভাবে নিরসন করবে জামায়াত? ভারতের নানা প্রান্তে কাশ্মীরিদের হেনস্থা, মারধর যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান বলেছেন, "প্রথম ধাপের জন্য এটা বেশ বড় এবং নি:সন্দেহে এটা প্রতি মাসে ও প্রতি বছর বাড়বে। এটা দু'দেশের জন্যই উপকারি হবে"। পাকিস্তান নগদ অর্থের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলো। নানা সমস্যায় জর্জরিত দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ আছে মাত্র আট বিলিয়ন ডলারে। আর সে কারণে বৈদেশিক দেনা পরিশোধে দেশটিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এজন্য একদিকে বন্ধু দেশগুলোর কাছে সহায়তা চাইছেন, আবার দেশের অভ্যন্তরে ভর্তুকির পরিমাণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। এটি আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলে তাদের কঠিন শর্তগুলোর মধ্যে ভর্তুকি কমিয়ে আনার বিষয়টিকে রেখেছে। সৌদি আরব ও পাকিস্তানের সাথে বেশ কিছু বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে যার আর্থিক মূল্য প্রায় বিশ বিলিয়ন ডলার সৌদি যুবরাজের সফর যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের এশিয়া সফরের প্রথম গন্তব্য হলো পাকিস্তান। তিনি মঙ্গলবার ভারত এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবার চীন সফর করবেন। মূলত সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যাকাণ্ডের পর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে এশিয়া সফর করছেন যুবরাজ। গত অক্টোবরে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে খুন হন সাংবাদিক জামাল খাসোগজি। এমন পটভূমিতে সৌদি যুবরাজের পাকিস্তান, ভারত ও চীন সফরকে সমমনা বা বন্ধু ভাবাপন্ন দেশগুলোর সমর্থন উদ্ধারের চেষ্টা হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা দীর্ঘদিনের এবং যুবরাজ এমন সময় এ সফর করছেন যখন ওই অঞ্চলে ইরানের প্রভাব বাড়ছে বলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে তার আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ। আরো পড়তে পারেন: জামাল খাসোগজি: কে এই সৌদি সাংবাদিক খাসোগজি হত্যা ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি সিরিয়ায় ব্রিটিশ-বাংলাদেশী শামীমার সন্তান প্রসব | Saudi Arabia has pledged investment deals worth $20bn (£15.5bn) with Pakistan which is seeking to bolster its fragile economy. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | আমেরিকা আগেও চীনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক আয়োজনের অভিযোগ এনেছে (ফাইল চিত্র) আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও প্রথমবারের মত বলেছেন দক্ষিণ চীন সাগরের যেসব অঞ্চল, চীন নিজের বলে দাবি করছে তা ''সম্পূর্ণ অবৈধ''। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেছেন সিঙ্গাপুরে কৌশলগত একটি পরামর্শ সংস্থার পরিচালক ও সামরিক বিশ্লেষক আলেকজান্ডার নেইল। দক্ষিণ চীন সাগর গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক নৌ চলাচল পথ। তবে বহু বছর ধরে এই সাগরের ছোট ছোট অসংখ্য দ্বীপ, যার অনেকগুলোই প্রবাল দ্বীপ, প্রবালপ্রাচীর এবং দ্বীপগুলোর সম্পদের মালিকানা দাবি করে আসছে ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ এবং অনেকদিন ধরেই এই সাগর ওই অঞ্চলে একটা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন এই এলাকায় তাদের মালিকানার দাবি নিয়ে ক্রমশ আরও বেশি সোচ্চার হয়ে উঠেছে। দেশটি দাবি করছে বিতর্কিত এই এলাকাটি কয়েক শতাব্দী ধরে চীনের অংশ এবং চীন তাদের দাবির সমর্থনে সেখানে সামরিক উপস্থিতি ক্রমান্বয়ে আরও জোরদার করেছে। আমেরিকার প্যাসিফিক কমান্ডের সাবেক অধিনায়ক অ্যাডমিরাল হ্যারি হ্যারিস একসময় এটাকে উল্লেখ করেছিলেন "বালুর সুবিশাল প্রাচীর" হিসাবে। তিনি বলেছিলেন চীনের ঐতিহাসিক প্রাচীর- গ্রেট ওয়াল- যেমন চীনা ভূখণ্ডকে সুরিক্ষত রাখার জন্য তৈরি হয়েছিল, তেমনি সাগরে ওই এলাকাকে সুরক্ষিত করতে চীন জায়গাটি ঘিরে তৈরি করেছে বালুর প্রাচীর। আকাশ থেকে তোলা দক্ষিণ চীন সাগরে ফিয়েরি ক্রস রিফের ছবি। এই প্রবালপ্রাচীর স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের পশ্চিম দিকে অবস্থিত। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীন এবং আমেরিকার মধ্যে তীক্ষ্ম বাদানুবাদ হলেও, দুই দেশ এই বিরোধপূর্ণ এলাকা নিয়ে তাদের মতভেদ এতদিন পর্যন্ত, এক অর্থে, নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সংঘাতের মধ্যেও ওই এলাকার মালিকানা নিয়ে আঞ্চলিক বিবাদে কোন পক্ষ নেয়নি আমেরিকা। তারা শুধু ওই অঞ্চলে তাদের জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা দাবি করে এসেছে। এর মধ্যেই এসেছে কোভিড-১৯ মহামারি। এই করোনা প্রাদুর্ভাব চীন প্রথমদিকে কীভাবে মোকাবেলা করেছে তা নিয়ে আমেরিকার সমালোচনা চীনকে ক্ষুব্ধ করেছে। চীনকে নিয়ে আমেরিকার সমালোচনা এবং মি. পম্পেও-র মন্তব্যকে আপাতদৃষ্টিতে বেশ কিছু পশ্চিমা নেতাকে সমর্থন করতে দেখা গেছে। সব মিলিয়ে দুই শক্তিধর দেশের মধ্যেকার উত্তাপ এখন ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ চীন সাগরেও। উদ্বেগজনক একটা সময়ে সামরিক উত্তেজনা এপ্রিলের গোড়ায় চীনা উপকূলরক্ষীদের একটি জাহাজ প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের কাছে ভিয়েতনামের একটি জেলে নৌকা ডুবিয়ে দেয়। চীন এবং ভিয়েতনাম দুটি দেশই এই দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা দাবি করে থাকে। এর পরপরই বোর্নিও উপকূলের কাছে মালয়েশিয়ার একটি তেল উত্তোলন প্রকল্পের কাজে বাধা দেয় চীনা নৌ বাহিনী ও উপকূল রক্ষীবাহিনীর অধীনস্থ একটি চীনা পর্যবেক্ষণ জাহাজ। এর পরই আমেরিকান নৌবাহিনীর একটি রণতরী এবং অস্ট্রেলিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ কাছাকাছি সাগরে মোতায়েন করা হয়। আমেরিকা প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জ এবং স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জে তাদের নৌবাহিনীর আরও দুটি ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী জাহাজ পাঠালে উত্তেজনা আরও বাড়ে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: বিপজ্জনক চেহারা নিচ্ছে চীন-মার্কিন বৈরিতা, পরিণতি কী? চীন আমেরিকা ঠাণ্ডা লড়াই 'বিশ্বের জন্য ভাইরাসের থেকে বড় হুমকি' বিশ্বে কি নতুন আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হলো? যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হঠাৎ চীনের 'আপোষের বার্তা' কেন দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা ''আগ্রাসনের'' বিরুদ্ধে ফিলিপিন্সের ম্যানিলায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে ২০১৯ সালে। মাত্র কিছুদিন আগেই চীন, দক্ষিণ চীন সাগরের একটা অংশ বন্ধ করে দেয় প্যারাসেল দ্বীপের চারপাশের সমুদ্রে নৌবাহিনীর মহড়া চালানোর জন্য। আমেরিকা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বলে, চীন বিতর্কিত ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে পারে এমন কর্মকাণ্ড না চালানোর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। উত্তরে আমেরিকা এলাকায় তার নৌ-শক্তির প্রদর্শন আরও জোরদার করে আরও রণতরী সেখানে মোতায়েন করে, যা চীনকে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ করে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এই ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ছিল খুবই স্পষ্ট। আমেরিকান নৌবাহিনী ওই এলাকায় তাদের উপস্থিতি এরপর আরও জোরদার করেছে, যার মাধ্যমে দক্ষিণ চীন সাগরে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির মধ্যে বৈরিতা দ্রুত বেড়েছে, এবং একটা কিছু ঘটার আশংকা তৈরি হয়েছে। চীন ও ভারতের মধ্যে বিতর্কিত সীমান্তে সম্প্রতি যে প্রাণঘাতী সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে, হংকংয়ে যেভাবে চীন জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারি করেছে, তাতে অনেকেই মনে করছেন দক্ষিণ চীন সাগরে কোনরকম হুমকি দেখা দিলে তা মোকাবেলায় চীন হয়ত সংযত আচরণ নাও দেখাতে পারে। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের লক্ষ্য কী? চীন মনে করে দক্ষিণ চীন সাগর তার সমুদ্র এলাকার গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। হাইনান দ্বীপে চীনের পারমাণবিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার যে সামুদ্রিক ঘাঁটি রয়েছে শুধু সে কারণেই নয়, চীনের বিশাল বৈশ্বিক উন্নয়ন প্রকল্প, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ হিসাবে সিল্ক রোডের সামুদ্রিক পথও এই সাগর এলাকা। প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জে চীনা পতাকার সামনে চীনা পর্যটকরা ফলে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভবিষ্যত সাফল্যের জন্য এই দক্ষিণ চীন সাগর নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা চীনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীন ২০১২ সাল থেকে দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপগুলোতে উন্নয়ন ও বসতি তৈরির বড়ধরনের কার্যক্রম চালাচ্ছে। দ্বীপগুলোর প্রশাসনিক কাঠামো চীন উন্নত করেছে। প্যারাসেলের দ্বীপগুলোতে ছোট ছোট জেলে গ্রামগুলোতে আধুনিক আবাসন তৈরি করে দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক স্কুল, ব্যাংক, হাসপাতাল এবং মোবাইল যোগাযোগের ব্যবস্থা বসিয়েছে। মূল ভূখণ্ড থেকে পর্যটকরা নিয়মিত প্রমোদতরীতে দ্বীপগুলো ভ্রমণে যায়। উন্নয়নের দ্বিতীয় ধাপে স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জ অধিগ্রহণের কাজও চীন এগিয়েছে। প্রশাসনিক সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে। স্প্র্যাটলির ছোট ছোট প্রবালদ্বীপে গত ছয় বছরে চীন নৌ প্রকৌশল ও সামরিক স্থাপনা গড়ে তুলেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিমান অবতরণ ক্ষেত্র, নৌবাহিনীর রসদের মজুদ ও বিমান ঘাঁটি, গোলবারুদের বাঙ্কার, রেডার ক্ষেত্র এবং ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক সরঞ্জাম। উপগ্রহ ও বিমান পর্যবেক্ষণ ক্যামেরায় এসব স্থাপনার ছবি, সেইসাথে হাসপাতাল, খেলাধুলার কেন্দ্র ও বিভিন্নধরনের ভবনের ছবি ধরা পড়েছে। কোন কোন প্রবাল দ্বীপে গড়ে উঠেছে ফল, সব্জি ও পশু খামার। এমনকী একটি প্রবাল দ্বীপের সামুদ্রিক গবেষণা কেন্দ্রে চীনা বিজ্ঞান অ্যাকাডেমিও স্থাপন করা হয়েছে ২০১৯এর জানুয়ারি মাসে। এসব প্রবাল দ্বীপের বাসিন্দারা ফাইভ-জি মোবাইল ডেটার সুবিধা ভোগ করেন। জেলেদের হাতে এখন পৌঁছে গেছে উন্নত মাছ ধরার নৌকা, তাদের জীবন যাপন সেখানে অনেক স্বচ্ছল হয়েছে। এক কথায় দক্ষিণ চীন সাগরের এই দ্বীপগুলোর চেহারা গত ছয় বছরে অনেক বদলে গেছে। আমেরিকা দক্ষিণ চীন সাগরে আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখতে সেখানে নৌ মহড়া চালায় বলে জানায় আমেরিকা কী করতে চাইছে এসব দ্বীপের উন্নয়নে চীনের ব্যাপক বিনিয়োগ থেকে এটা স্পষ্ট যে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এই সমুদ্র এলাকায় চীন তার মালিকানা প্রতিষ্ঠার জন্য গত কয়েক বছর ধরে পরিকল্পিতভাবে এগিয়েছে। সেখান থেকে ফেরা চীনের জন্য এখন একরকম অসম্ভব। আমেরিকা দক্ষিণ চীন সাগরে সম্প্রতি যে নৌ মহড়া চালিয়েছে, তার উদ্দেশ্য, আমেরিকার যুক্তি অনুযায়ী, ছিল আন্তর্জাতিক ওই "সমুদ্রপথের স্বাধীনতা" সুরক্ষিত রাখা। কিন্তু সম্প্রতি মি. পম্পেও ওই এলাকার ওপর চীনের দাবি "সম্পূর্ণ অবৈধ" বলে আনুষ্ঠানিকভাবে যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেই প্রেক্ষাপটে যে প্রশ্নটা এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে তা হল আমেরিকা আগামীতে কী করতে চাইছে। শুধু ওই দ্বীপগুলোর মালিকানার দাবিদার দেশগুলোর সাথে হাত মেলানো নয়, মি. পম্পেও কি চাইছেন তাদের পাশাপাশি আরও বড় শক্তির দেশগুলোকে সাথে নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে একটা কূটনৈতিক জোট গড়তে? সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে চীনের এই নতুন দ্বীপ রাজ্যগুলোকে গুঁড়িয়ে দেবার ক্ষমতা আমেরিকা অবশ্যই রাখে। কিন্তু তার অর্থ হবে চীনের সাথে সরাসরি যুদ্ধ বাধানো, যেটা চীন এবং আমেরিকা দুজনের কারোর জন্যই বাঞ্ছনীয় হবে না। | Despite all the other issues demanding China's attention this year - the virus, its trade war with the US, Hong Kong's national security law, and a host of economic woes - the South China Sea has been revived in recent months as an arena for serious tensions. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | স্টিভ উইন ক্যাসিনো জগতের একজন হোমড়া-চোমড়া ব্যক্তি শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭৬ বছর-বয়সী কোটিপতি মেসেজ থেরাপিস্টদের যৌন হয়রানি করতেন এবং একজনকে তার সাথে যৌন সম্পর্কে স্থাপনে বাধ্য করেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্ট অনুসারে, সেখানে বলা হয় তারা ডজন-খানেক লোকের সাক্ষাতকার নিয়েছে যারা মি: উইনের সাথে কাজ করেছেন। তাদের বক্তব্যে মি: উইনের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার অভিযোগ এসেছে। প্রায়ই তিনি তার ব্যক্তিগত অফিসে মেসেজ থেরাপিস্টদের হয়রানি করতে বলে অভিযোগ রয়েছে। মেনিকিউর করার কাজ করতেন এমন একজন নারী যিনি মি: উইনের বিরুদ্ধে জোর করে যৌন সম্পর্কে স্থাপনে বাধ্য করার অভিযোগ তুলেছেন, তাকে সাড়ে সাত মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করেছেন এই ক্যাসিনো মোগল। আদালতে দাখিল করা দলিলে এমনই উঠে আসে বলে রিপোর্টে বলা হয়। স্টিভ উইন এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে। মি: উইন অবশ্য কোনধরনের অসদাচরণের অভিযোগ অস্বীকার করে এগুলোকে 'হাস্যকর' বলে মন্তব্য করেছেন। মি: উইন রিপাবলিকান দলের একজন অর্থ-দাতা এবং তহবিল সংগ্রাহক। এই বিষয়টিতে রিপাবলিকানদের নীরবতার কারণে তারা ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির তোপের মুখে পড়েছে। রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির প্রধান রন্না ম্যাকড্যানিয়েল জানিয়েছেন মি: উইনের পদত্যাগপত্র তিনি গ্রহণ করেছেন। এদিকে মি: উইন তার ভাষায় এসব 'অপবাদ' তৈরির জন্য তার প্রাক্তন স্ত্রীকে দোষারোপ করেছেন যার সঙ্গে তার আইনি লড়াই চলছে। | US casino mogul Steve Wynn has resigned as finance chair of the Republican National Committee (RNC) amid sexual harassment allegations. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | গ্রীক দ্বীপপুঞ্জের সমুদ্রসীমায় তুরস্ক একটি জাহাজ পাঠানোর পরে উত্তেজনা বেড়ে যায়। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইন আঙ্কারাকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে "একতরফা কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার" আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার ভোরে ব্রাসেলসে ইইউ নেতাদের বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে, তুরস্ক ও গ্রিস এই অঞ্চলে সংঘর্ষের ঝুঁকি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে একটি সামরিক হটলাইন স্থাপন করেছিল। এই বছরের শুরুর দিকে, তুরস্ক যখন ওই বিতর্কিত অঞ্চলে সম্ভাব্য তেল ও গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের লক্ষ্যে একটি জাহাজ পাঠায় তখনই উত্তেজনা ঘনীভূত হয়। ইইউ কী বলেছে? মিসেস ভন ডের লেইন সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে ইইউ "তুরস্কের সাথে একটি ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সম্পর্ক চায় এবং এটি আঙ্কারার স্বার্থেই কাজে আসবে"। "তবে এই সুসম্পর্ক তখনই প্রতিষ্ঠা সম্ভব যদি তুরস্ক উস্কানি দেওয়া এবং চাপ প্রয়োগ বন্ধ করে" তিনি জানান। "তাই আমরা আশা করি যে এখন থেকে তুরস্ক একতরফা কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবে। আঙ্কারার এ জাতীয় কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের সমস্ত উপায়গুলো ব্যবহার করবে। আমাদের কাছে এমন কিছু উপায় আছে যা আমরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োগ করতে পারি।" গভীর রাতে ওই বৈঠক শেষে ইইউ সদস্যরা ডিসেম্বরে তুরস্কের আচরণ পর্যালোচনা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে এবং তারা "উস্কানিমূলক আচরণ" বন্ধ না করলে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে সম্মতি জানিয়েছে। বৈঠক শেষে অস্ট্রিয়ান চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ টুইটারে পোস্ট করে, বলেছেন: "তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে ইইউ কারণ দেশটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা অব্যাহত রেখেছে।" ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল বলেছেন, ইইউ তুরস্কের সাথে বাণিজ্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছে, তবে ভূমধ্যসাগরে উত্তেজনা না কমলে নিষেধাজ্ঞার হুমকি বহাল থাকবে। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল এবং মিস ভন ডের লেইন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। এ ঘটনার পেছনে কারণ কী? ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বেশ নাজুক। ইইউ-র সদস্য হওয়ার জন্য তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসলেও বারবার তা স্থগিত করা হয়েছে। বিশেষত তুরস্কে ২০১৬ সালের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের বিষয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। এই টানাপড়েন সত্ত্বেও তুরস্ক ইইউর জন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবে রয়ে গেছে। গ্রীসে আসা অভিবাসীদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে ইইউ, তুরস্কের সাথে একটি চুক্তি করে। সেই চুক্তি অনুযায়ী তুরস্ক লাখ লাখ অভিবাসীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। গ্রিস এবং তুরস্ক উভয়ই ন্যাটোর সদস্য, তবে এই দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ এবং সমুদ্রসীমার অধিকার নিয়ে কলহের ইতিহাস বেশ পুরনো। চলতি বছরের অগাস্টে গ্রীক দ্বীপ কাস্তেলরিজোর দক্ষিণে আঙ্কারা তাদের একটি রিসার্চ জাহাজ পাঠালে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গ্রিস, তুরস্ক এবং সাইপ্রাস ওই দ্বীপটির মালিকানা দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। গ্রীস এই পদক্ষেপকে "নতুন করে উত্তেজনা" ছড়িয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছে এবং ইইউ তার সদস্যদের বলেছে তুরস্কের বিরুদ্ধে সাইপ্রাস ও গ্রিসকে সমর্থন জানাতে। গত মাসে ওই জাহাজটি তুরস্কে ফিরে যাওয়ার পরে উত্তেজনা কিছুটা কমে আসে এবং উভয় পক্ষই বলেছে যে তারা আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আরও পড়তে পারেন: ভূমধ্যসাগরে যে কারণে চলছে গ্রিস-তুরস্ক দ্বন্দ্ব তুরস্কের সাথে বিবাদের পর গ্রিসের অস্ত্রসজ্জা তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান কেন নানা মঞ্চে কাশ্মীর প্রশ্ন তুলছেন লিবিয়া ঘিরে তুরস্ক আর ফ্রান্সের বিতণ্ডা এখন তুঙ্গে সামরিক হটলাইন কেন? ব্রাসেলসের ন্যাটোর সদর দফতরে বৃহস্পতিবার তুরস্ক ও গ্রীসের মধ্যে আলোচনার পরে হটলাইনের এই ঘোষণাটি সামনে আসে। নাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, "গ্রিস এবং তুরস্কের উভয়ই ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। এই দুই দেশ গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে আমি তাকে স্বাগত জানাই।" "এই সুরক্ষা ব্যবস্থাটি অন্তর্নিহিত বিরোধ সমাধানের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জায়গা তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে এবং আমরা এটি আরও বিকাশের জন্য প্রস্তুত আছি।" এই ধরনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুটি পক্ষের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব। রাশিয়া এবং আমেরিকা স্নায়ু যুদ্ধের সময় এ ধরণের সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল এবং এটি তখন থেকেই কার্যকর হয়। গ্রীস ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনার কারণে গত মাসে ফ্রান্স দুটি রাফালে যুদ্ধবিমান এবং একটি নৌবাহিনী ফ্রিগেট পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন করে। লিবিয়ার সংকট নিয়ে তুরস্কের সাথে আগে থেকেই ফ্রান্সের বিরোধ চলে আসছিল। | The EU says it could impose sanctions on Turkey over "provocations and pressures" in a row with Greece over energy resources and maritime borders. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | তার কোনো কোনো টুইট খুবই সাধারণ আবার কিছু কিছু বিস্ফোরক ধরনের কেন? ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে তিনি বলেছিলেন, "এটা প্রেসিডেন্ট-সুলভ নয়।" মি. ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এক বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু হোয়াইট হাউজে প্রবেশের পর তিনি যে শুধু টুইটার ব্যবহার করা অব্যাহত রেখেছেন তা নয়, বরং তিনি এই কাজে প্রচুর সময় দিচ্ছেন। দেখা যাচ্ছে, গত এক বছরে তিনি ২,৬০৮টি টুইট করেছেন। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে সাতটিরও বেশি টুইট করেছেন তিনি। তার কোনো কোনো টুইট খুবই সাধারণ আবার কিছু কিছু বিস্ফোরক ধরনের। পরে তিনি তার টুইটার ব্যবহারের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে গিয়ে বলেছেন, "এটা আধুনিক কালের প্রেসিডেন্ট-সুলভ।" আর এই কথাটাও তিনি বলেছেন টুইট করেই। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যতোগুলো টুইট করেছেন সেগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ৩২ শতাংশই তিনি করেছেন সকাল ছ'টা থেকে ন'টার মধ্যে। এই সময়েই তিনি টেলিভিশন দেখেন বেশি। কাকতালীয়ভাবে তার জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান 'ফক্স এন্ড ফ্রেন্ডস' এই সকালেই প্রচারিত হয়। এসব টুইটের বেশিরভাগই নিন্দাসূচক বা সমালোচনাধর্মী। বিশ্লেষণে দেখা গেছে তিনি ৫২৭টি টুইট করেছেন প্রশংসা করে কিন্তু ১,২৩৮টি টুইটে তিনি নিন্দা করেছেন। আর তার বেশিরভাগ আক্রমণেরই লক্ষ্য ছিলো সংবাদ মাধ্যম। আরো পড়ুন: হাসপাতালে বাচ্চা বদল: সিনেমার মতো নাটকীয় ঘটনা দেখা গেছে, ১৯৬টি টুইট করা হয়েছে ফেইক নিউজ, সংবাদপত্র এবং মূলধারার মিডিয়ার সমালোচনা করে। এবং ১৪৭টি টুইটে তিনি সুনির্দিষ্ট করে মিডিয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। ১০০টি টুইট ছিলো সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, তার কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্যসেবা ওবামাকেয়ার সংক্রান্ত। আর হিলারি ক্লিন্টনকে তিনি টুইট করেছেন ৭৯টি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার চারদিনের মাথায় তিনি প্রথম সংবাদ মাধ্যমকে আক্রমণ করে টুইট করেন। ফক্স নিউজকে তিনি প্রশংসা করেন আর তীব্র নিন্দা করেন সিএনএনের। সিএনএনকে আক্রমণ করে তিনি যতো টুইট করেছেন, দেখা গেছে সেগুলো সবচেয়ে বেশি শেয়ার করা হয়েছে। সিএনএনের একটি লোগোর সাথে তার কুস্তি লড়ার ভিডিওটি সাড়ে তিন লাখেরও বেশি লোক পুনরায় টুইট করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইট করা একটি ভিডিও মিডিয়ার বিরুদ্ধে তার টুইট আক্রমণ চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায় ২৮শে মে যেদিন তিনি খুব সকালেই ৬টি টুইট করেন যেগুলোতে তিনি ফেইক নিউজকে আক্রমণ করেছেন। তার জামাতা জেরেড কুশনার রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সাথে গোপনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন এরকম একটি খবর মিডিয়াতে প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘনটার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এসব টুইট করেছিলেন। মিডিয়াকে আক্রমণ করে টুইট ছাড়ার ক্ষেত্রে কিছুটা বিরতি আসে গত অগাস্ট মাসে যখন দুটো হারিকেন যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানে এবং উত্তর কোরিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় সেই দুই সপ্তাহে। এই সময়কালে তিনি ফেইক নিউজ বা মিডিয়াকে আক্রমণ করে কোনো টুইট করেন নি। ক্ষমতায় আসার পর প্রথম সাত মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আন সম্পর্কে মাত্র একবার টুইট করেছেন। এবং সেই টুইটে তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতার প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু তার এক মাস পরেই কিম জং আনকে তিনি 'ম্যাডম্যান' বা 'উন্মাদ' এবং 'বেটে ও মোটা' বলে টুইট করেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইটারে সাবেক অভিনেতা এবং ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সাবেক গভর্নর আর্নল্ড সোয়ার্জনেগারের সাথে বিবাদে লিপ্ত হন। আক্রমণ করেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকেও। | Seven months before his shock election victory, Donald Trump promised a crowd in Rhode Island he would not use Twitter if he became president. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | বাচ্চাদের নিয়ে এ ধরনে সেলফিতে ছেয়ে গেছে সোশাল মিডিয়া বার্কলেজ বলছে, বাচ্চাদের ছবি এবং নানা তথ্য সোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করে বাবা-মায়েরা অজান্তে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলে দিচ্ছেন। ব্যাংকটি হিসাব দিচ্ছে - এর ফলে ২০৩০ সাল নাগাদ ব্রিটেনে অনলাইনে ৬৭ কোটি পাউন্ডের জালিয়াতি হতে পারে। প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোশাল মিডিয়া মানুষের পরিচয় চুরিকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। বার্কলেজ ব্যাংক বলছে - 'বাবা-মায়েরা বুঝতেই পারছেন না যে ভবিষ্যতে তারা তাদের সন্তানদের জালিয়াতি চক্রের টার্গেট করে ফেলছেন, কারণ এসব ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে রয়ে যায়।' পরিচয় চুরি সোশ্যাল মিডিয়াতে এখন জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তায় বাচ্চাদের নাম, বয়স, জন্মতারিখ, বাড়ির ঠিকানা, জন্মের স্থান, মায়ের নাম, স্কুলের নাম, পোষা বিড়াল কুকুরের নাম, প্রিয় ফুটবল ক্লাবের নাম এবং ছবি হরহামেশা পোস্ট করা হচ্ছে। বার্কলেজ সাবধান করছে, এসব বাচ্চারা যখন বড় হবে তখনও তাদের এসব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে রয়ে যাবে। সাইবার অপরাধীরা এসব তথ্য দিয়ে ব্যাংক ঋণ এবং ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতিসহ অনলাইনে কেনাকাটায় ব্যবহার করতে পারে। বার্কলেজ আশঙ্কা করছে, আগামী দশকের শেষ নাগাদ অনলাইনে পরিচয় চুরির ৭৪ লাখ ঘটনা ঘটবে এবং সেগুলোর ৭৫ শতাংশের কারণ হবে সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা এসব তথ্য এবং ছবি। বার্কলেজ ব্যাংকের ডিজিটাল নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান জোডি গিলবার্ট বলছেন, "সোশাল মিডিয়ার কল্যাণে অন্যের পরিচয় চুরির এমন সুযোগ জালিয়াতরা আগে কখনো পায়নি।" মিজ গিলবার্টের কথা -"কোনো তথ্য এবং ছবি পোস্ট করার আগে দুবার ভাবুন, এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে নিয়মিত নজর রাখুন আপনার পোস্টগুলো যেন ভুল হাতে চলে না যায়।" আরও পড়ুন: ঈদের আগে বাজারে জাল নোটের ঝুঁকি, কীভাবে চিনবেন? হৃদরোগ ঠেকাতে সপ্তাহে অন্তত চারদিন ব্যায়াম | "Sharenting" - where parents share personal information about their children on social media - is the "weakest link" in risking online fraud and identity theft, warns Barclays. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | 'ডিক্টেটর', 'আলি জি' চলচ্চিত্রের জন্য তারকাখ্যাতি অর্জন করেছেন সাশা ব্যারন কোহেন 'আলি জি', 'দ্য ডিক্টেটর' এর মত ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রের তারকা নিউ ইয়র্কে এক ভাষণে ফেসবুকের এমন সমালোচনা করেন। পাশাপাশি গুগল, টুইটার ও ইউটিউবের সমালোচনা করে তিনি বলেন যে তারা কোটি কোটি মানুষের মধ্যে অস্বাভাবিক বিষয়বস্তুর জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক প্রচারণাকে কেন্দ্র করে ভুল তথ্য যেন না ছড়ানো হয় তা নিশ্চিত করতে ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান ও সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলো চাপের মধ্যে রয়েছে। অক্টোবরের শেষদিকে টুইটার ঘোষণা দেয় যে ২২শে নভেম্বর থেকে তারা বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার করা থেকে বিরত থাকবে। এই সপ্তাহের শুরুতে গুগল দাবি করেছে যে ব্যক্তির সার্চ হিস্টরি বা ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ঐ ব্যক্তির জন্য বিশেষায়িত বিজ্ঞাপন যেন রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনদাতারা তৈরি না করে, তা নিশ্চিত করবে তারা। বিশ্লেষকদের মতে, এরকম কিছু আইন মানার ব্যাপারে ব্যাপক চাপের মধ্যে রয়েছে ফেসবুক। আরো পড়ুন: মহারাষ্ট্রে মাঝরাতে বিজেপির নাটকীয় ক্ষমতা দখল বাংলাদেশের সাইকেলঃ মমতার প্রস্তাব কি বাস্তবসম্মত? বিজিবি বলছে অনুপ্রবেশকারী, পুলিশ বলছে বাংলাদেশি ফেসবুক তাদের এক বিবৃতিতে বলেছে যে অভিনেতা ব্যারন কোহেন তাদের নীতিগুলো ভুল বুঝেছেন এবং ফেসবুকে ঘৃণা উদ্রেককারী বক্তব্য প্রচার করা নিষিদ্ধ। ব্যারন কোহেন কী বলেছেন? অ্যান্টি-ডিফেমেশন লিগের একটি সম্মেলনে ফেসবুকের প্রধান মার্ক জাকারবার্গের কঠোর সমালোচনা করেন ব্যারন কোহেন। যেসব রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে কিছু মিথ্যা তথ্য দেয়া হয়, অক্টোবরে এক সম্মেলনে সেসব বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ না করার একটি সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছিলেন মার্ক জাকারবার্গ। ঐ বক্তব্যের সমালোচনা করে অভিনেতা ব্যারন কোহেন বলেন, "আপনি যদি তাদের টাকা দেন, তাহলে তারা যে কোনো রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন চালাবে, এমনকি সেটি যদি মিথ্যা হয় তবুও।" "এবং এই নীতি অনুসারে ফেসবুক যদি ১৯৩০'এর দশকে থাকতো, তাহলে তারা হিটলারকেও 'ইহুদি সমস্যার সমাধান' বিষয়বস্তুতে ৩০ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে দিতো।" ব্যারন কোহেন মন্তব্য করেন, সামাজিক মাধ্যম কীভাবে ঘৃণা, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা ছড়ায় তা বুঝে এর ব্যবহার সম্পর্কে নতুন করে চিন্তা করার সময় এসেছে। "আমার মনে হয় আমরা সবাই একটা বিষয়ে একমত হবো যে, ধর্মান্ধ ও শিশু নির্যাতনকারীদের চিন্তাভাবনা প্রসারের উদ্দেশ্যে তাদেরকে বিনামূল্যে একটি প্ল্যাটফর্ম দেয়া মোটেই উচিত হবে না।" | British comedian Sacha Baron Cohen has said if Facebook had existed in the 1930s it would have allowed Hitler a platform for his anti-Semitic beliefs. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | মেয়েদের তুলনায় ছেলেরাই গেমিং এ বেশি আসক্ত ১১তম ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অব ডিজিজেস বা আইসিডি-তে এটিকে 'গেমিং ডিজঅর্ডার' হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ সংক্রান্ত খসড়া দলিলে এই গেমিং আসক্তিকে বর্ণনা করা হয়েছে এমন এক ধরণের আচরণ হিসেবে, যা জীবনের আর সব কিছুর আকর্ষণ থেকে একজনকে দূরে সরিয়ে নেয়। বিশ্বের কিছু দেশে গেমিং আসক্তিকে ইতোমধ্যে একটি প্রধান জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য সহ কিছু দেশে তো ইতোমধ্যে এর চিকিৎসার জন্য প্রাইভেট এডিকশন ক্লিনিক পর্যন্ত রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯২ সালে সর্বশেষ ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অব ডিজিজেস বা আইসিডি তৈরি করেছিল। নতুন গাইডলাইনটি প্রকাশিত হবে এ বছরই। এই গাইডে বিভিন্ন রোগের কোড, লক্ষণ এবং উপসর্গ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকে। চিকিৎসক এবং গবেষকরা এটির সঙ্গে মিলিয়ে রোগ নির্ণয়ের করার চেষ্টা করেন। গেমিং আসক্তিকে কখন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বর্ণনা করা হবে, তার বিস্তারিত থাকছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই গাইডলাইনে। শিশুরা বেশি আসক্ত হয়ে পড়লে চিকিৎসার কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এতে বলা হয়েছে, ১২ মাস সময় ধরে অস্বাভাবিক গেমিং আসক্তি বা আচরণ দেখা গেলে তা নির্ণয়ের পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে যদি অস্বাভাবিক আচরণের মাত্র অনেক বেশি তীব্র হয়, তখন ১২ মাস নয়, তার আগেই ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। যেসব লক্ষণের কথা এতে উল্লেখ করা হয়েছে: •গেমিং নিয়ে নিজের ও্রপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা ( বিশেষ করে কত ঘন ঘন, কতটা তীব্র এবং কত দীর্ঘ সময় ধরে গেমিং করছে, সে বিষয়ে) •গেমিং-কেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া •নেতিবাচক প্রভাব সত্ত্বেও গেমিং অব্যাহত রাখা বা আরও বেশি গেমিং করা লন্ডনের নাইটিংগেল হাসপাতালের টেকনোলজি এডিকশন স্পেশালিস্ট ড: রিচার্ড গ্রাহাম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। "এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর ফলে আরও বিশেষায়িত চিকিৎসার সুযোগ তৈরি হবে। এতে করে এ ধরণের গেমিং আসক্তিকে লোকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে নেবে।" তবে যারা গেমিং আসক্তিকে একটি মানসিক ব্যাধি হিসেবে দেখার বিপক্ষে, তাদের প্রতিও তিনি সহানুভূতিশীল। গেমিং এর নেশা ঠেকাতে অনেক দেশে আইন করতে হয়েছে তিনি স্বীকার করছেন যে অনেক বাবা-মা এ নিয়ে বিভ্রান্ত হতে পারেন। কেবল গেমিং এ উৎসাহী বলে সন্তানদের তারা 'অসুস্থ' বলে ভাবতে পারেন। ড: রিচার্ড গ্রাহাম জানান, বছরে তিনি ডিজিটাল আসক্তির প্রায় ৫০টির মতো কেস দেখেন। এই আসক্তির কারণে এদের ঘুম, খাওয়া-দাওয়া, সামাজিক মেলা-মেশা এবং শিক্ষার ওপর কি প্রভাব পড়ে, সেটার ওপর ভিত্তি করে আসক্তির সমস্যার মাত্রা বোঝার চেষ্টা করা হয়। রোগী দেখার সময় একটা জিনিসকেই তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। এই গেমিং আসক্তি 'নিউরোলজিক্যাল সিস্টেম'কে কতটা প্রভাবিত করছে। এটি চিন্তার ক্ষমতা বা নিবিষ্ট থাকার ক্ষমতার ওপর কি প্রভাব ফেলছে। বিশ্বের অনেক দেশই গেমিং এর আসক্তি নিয়ে চিন্তিত। দক্ষিণ কোরিয়ায় তো সরকার এমন আইন করেছে যাতে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুরা মধ্যরাত হতে ভোর ছটা পর্যন্ত অনলাইন গেম খেলতেই না পারে। জাপানে কেউ যদি একটি নির্দিষ্ট সময়ের বেশি গেম খেলে তাকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। চীনে সেখানকার সবচেয়ে বড় ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট শিশুরা কতক্ষণ গেম খেলতে পারে তার সময় বেঁধে দিয়েছে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হচ্ছে, শিশুরা যদিও প্রচুর সময় স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে কাটায়, কিন্তু তারা তাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে এই ডিজিটাল জগতকে ভালোই খাপ খাইয়ে নিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়েদের তুলনায় ছেলেরাই ভিডিও গেম খেলায় বেশি সময় দেয়। গবেষণক কিলিয়ান মুলান বলেন, "মানুষের ধারণা শিশুরা দিন-রাত চব্বিশ ঘন্টা স্ক্রীনের সামনে বসে থাকছে, আর কিছু করছে না। আসলে তা নয়। আমাদের গবেষণায় আমরা দেখছি, তারা প্রযুক্তিকে নানা কাজে ব্যবহার করছে। এমনকি স্কুলের হোমওয়ার্ক করার জন্যও তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।" "আমরা বড়রা যেভাবে করি, অনেকটা সেভাবে শিশুরাও আসলে তাদের ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারটা সারাদিন ধরেই অন্য অনেক কিছুর ফাঁকে ফাঁকে করছে, একবারে নয়।" | Gaming addiction is to be listed as a mental health condition for the first time by the World Health Organization. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ফটো সাংবাদিক এডি এডামস নগুয়েন ভ্যান লেমকে হত্যার ঘটনার অনেক ছবি তুলেছিলেন ভোঁতা নাকের পিস্তল থেকে গুলিটি বেরিয়ে গেছে। যে হাতে পিস্তলটি ধরা, গুলি বেরিয়ে যাওয়ার পরের মূহুর্তের ধাক্কা সামলাচ্ছে সেই হাত। আর যার মাথার খুলিতে গিয়ে গুলিটি ঢুকছে, সেই বন্দীর মুখ কুঁকড়ে যাচ্ছে গুলির আঘাতে। ছবির ফ্রেমে বাঁ দিকে দাঁড়িয়ে এক সৈন্য। ঘটনার আকস্মিকতায় তার মুখ যেন বিকৃত হয়ে গেছে। একটা মানুষ যে মুহুর্তে মারা যাচ্ছে, ঠিক সেই মূহুর্তের এই ছবিটির দিকে তাকিয়ে অনেকের মনেই হয়তো বিচিত্র সব অনুভূতি খেলা করবে: একটা ধাক্কা, এক ধরণের মানসিক পীড়ন এবং কিছুটা অপরাধবোধ। আরো পড়ুন '২৬৫ মেয়েকে' যৌন হেনস্থা করেছেন ল্যারি নাসার নিজের হৃদপিণ্ড ব্যাগে নিয়ে ঘুরে বেড়ান যে নারী ব্যালিস্টিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই ছবিটিতে ঠিক সেই মূহুর্তটি ধরা পড়েছে যে মূহুর্তে আসলে বুলেটটি গিয়ে ঢুকছিল লোকটির মাথায়। এই ঘটনাটি 'সায়গন এক্সিকিউশন' নামে পরিচিত। ছবিতে যাকে গুলি করতে দেখা যাচ্ছে তিনি দক্ষিণ ভিয়েতনামের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুয়েন নক লোয়ান। আর যাকে গুলি করা হচ্ছে তিনি একটি ভিয়েতকং গেরিলা গ্রুপের নেতা নুয়েন ভ্যান লেম। এই ছবিটি ফটোসাংবাদিক এডি এডামসকে রাতারাতি বিশ্বজোড়া খ্যাতি এনে দিয়েছিল। সারা দুনিয়ায় বিভিন্ন ভাষার সংবাদপত্রে এটি ছাপা হয়। ভিয়েতনাম যুদ্ধের নিষ্ঠুরতা এবং নৈরাজ্য এই একটি ছবিতে যেভাবে ধরা পড়েছিল, তার তুল্য আর কোন ছবি নেই। যুদ্ধের বিরুদ্ধে মার্কিন জনমত গড়ে তুলতেও অবদান রাখে ছবিটি। ভিয়েতনাম যুদ্ধ যে আসলে জেতার নয়, সেই মনোভাব প্রবল হতে থাকে মানুষের মধ্যে। গুলি করে হত্যার সেই মূহুর্তটি ধরা পড়েছিল এডি এডামসের ক্যামেরায় যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ডলফ ব্রিসকো সেন্টার ফর আমেরিকান হিস্টরি'তে সংরক্ষণ করা আছে এডি এডামসের অনেক আর্কাইভ ছবি, দলিল এবং চিঠিপত্র। এই সেন্টারের পরিচালক বেন রাইট বলেন,একটা স্থিরচিত্রে এমন একটা ব্যাপার থাকে, যা ছবিটি যারা দেখছেন তাদেরকে খুব গভীরভাবে নাড়া দেয় এবং সেটা তাদের সঙ্গে থেকে যায় বহু বছর। "এই একই ঘটনার যে ভিডিও ফুটেজ আছে, সেটিও কিন্তু বীভৎস। কিন্তু সেটা দেখে দর্শকের মধ্যে একই ধরণের প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় না।" কী ঘটেছিল সেদিন: ১৯৬৮ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারী সায়গনের রাস্তায় এই ছবিটি তুলেছিলেন এডি এডামস। পিপলস আর্মি এবং ভিয়েতকং গেরিলারা টেট অফেনসিভ শুরু করার দুদিন পরের ঘটনা সেটি। সেদিন আসলে ঠিক কী ঘটেছিল, তার পুরোটা এই ছবি দেখে বোঝা সম্ভব নয়। 'টেট অফেনসিভ' ছিল কমিউনিষ্ট গেরিলাদের এক আকস্মিক অভিযান। অনেকগুলো শহর টার্গেট করে একযোগে হঠাৎ এই আক্রমণ চালানো হয়। দক্ষিণ ভিয়েতনামের বাহিনী এবং মার্কিন বাহিনী রীতিমত হতবুদ্ধি হয়ে পড়ে এই হামলার মুখে। সায়গনের রাস্তায় রাস্তায় চলছিল খন্ড লড়াই। দক্ষিণ ভিয়েতনামের বাহিনী ভিয়েতকং গেরিলাদের একটি গ্রুপের নেতা নুয়েন ভ্যান লেমকে একটি গণকবরের পাশ থেকে আটক করে। সেই গণকবরে ছিল তিরিশ জন বেসামরিক মানুষের লাশ। লেমকে যখন সেনারা ধরে নিয়ে যাচ্ছে, তখন এডি এডামস তার ক্যামেরা হাতে তাদের অনুসরণ করেন। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুয়েন নক লোয়ানের জীপের কাছে। ব্রিগেডিয়ার লোয়ান দাঁড়িয়ে ছিলেন লেমের পাশে। এরপর তিনি তার পিস্তলটি লেমের দিকে তাক করেন। "আমি ভেবেছিলাম হয়তো লেমকে ভয় দেখানোর জন্যই তিনি পিস্তল তুলেছেন। তাই আমি স্বাভাবিকভাবেই আমার ক্যামেরা দিয়ে ছবিটা তুলি", পরবর্তীকালে বলেছিলেন এডি এডামস। বলা হয়ে থাকে লেম নাকি ব্রিগেডিয়ার লোয়ানের এক বন্ধুর স্ত্রী সহ ছয়জনকে খুন করেছিলেন। ব্রিগেডিয়ার লোয়ান তাক করা পিস্তলের ট্রিগার টানলেন। "যদি আপনি দ্বিধা করেন, যদি আপনি আপনার দায়িত্ব পালন না করেন, তাহলে সৈন্যরা আপনাকে মানবে না", নিজের কাজের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছিলেন তিনি। এই ঘটনাটি সাংঘাতিকভাবে আলোড়িত করেছিল মার্কিন জনগণকে 'টেট অফেনসিভ' শুরু হওয়ার প্রথম ৭২ ঘন্টায় ব্রিগেডিয়ার লোয়ান খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন। সায়গনের যেন পতন না হয়, সেজন্যে তিনি সৈন্যদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছিলেন। এডি এডামস বলেছিলেন, এ্ই ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে তার মনে হয়েছিল ব্রিগেডিয়ার লোয়ান একজন ঠান্ডা মাথার হত্যাকারী। তবে ভিয়েতনামের বেশ কিছু এলাকা তার সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর পর এডি এডামস তার মনোভাব বদলান। ভিয়েতনাম থেকে পাঠানো এক লেখায় তিনি বলেছিলেন, ব্রিগেডিয়ার লোয়ান ছিলেন সেই সময়ের ভিয়েতনামের সৃষ্টি। এই ছবির জন্য পরের বছর পুলিৎজার পুরস্কার পান এডি এডামস। এই ছবির জন্য প্রচুর প্রশংসা কুড়ালেও সারা জীবন এটির স্মৃতি তাকে তাড়া করে ফিরেছে। "একজন মানুষ আরেক মানুষকে হত্যা করছে, আর এই ছবি দেখিয়ে আমি অর্থ পাচ্ছি", দুঃখ করে তিনি বলেছিলেন। পুলিৎজার পুরস্কার হাতে এডি এডামস কী ঘটেছিল ব্রিগেডিয়ার লোয়ানের ভাগ্যে: এডি এডামস এবং ব্রিগেডিয়ার লোয়ানের মধ্যে যোগাযোগ অক্ষুন্ন ছিল আরও বহু বছর। ভিয়েতনাম যুদ্ধের শেষের দিকে ব্রিগেডিয়ার লোয়ান পালিয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর মার্কিন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিল বিখ্যাত এই ছবিটির কারণেই। তারা এডি এডামসে অনুরোধ করেছিলেন ব্রিগেডিয়ার লোয়ানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে। কিন্তু এডি এডামস উল্টো ব্রিগেডিয়ার লোয়ানের পক্ষে সাক্ষ্য দেন। তবে শেষ পর্যন্ত ব্রিগেডিয়ার লোয়ানকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি দেয়া হয়। তিনি ওয়াশিংটন ডিসি-তে ভিয়েতনামী খাবারের একটি রেস্টুরেন্ট খোলেন। তবে অতীত তাকে ছাড়েনি। তার বিগত দিনের ইতিহাস জানাজানি হওয়ার পর রেস্টুরেন্ট ব্যবসা মার খায়। অনেকে নাকি তার রেস্টুরেন্টের টয়লেটে তার বিরুদ্ধে আজে বাজে কথা লিখে আসতো। এপি বার্তা সংস্থায় সেসময় এডি এডামসের ফটো এডিটর ছিলেন হল বুয়েল। তিনি বলেন, এই একটি ছবি পুরো ভিয়েতনাম যু্দ্ধের নিষ্ঠুরতাকে ধরে রেখেছে। "যে কোন প্রতীকের মতোই এই একটি ছবি আসলে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত সব যুদ্ধের বর্বরতাকে মূর্ত করে রেখেছে।" | Photojournalist Eddie Adams captured one of the most famous images of the Vietnam War - the very instant of an execution during the chaos of the Tet Offensive. It would bring him a lifetime of glory, but as James Jeffrey writes, also of sorrow. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | চীনের বাসিন্দারা ''উহান জিয়ায়ু'' বলে চিৎকার করছেন, অনুবাদ করলে যার অর্থ হয় ''শক্ত থাকো উহান'' অথবা ''চালিয়ে যাও উহান।'' যে প্রতিবেশীরা আনন্দ ছড়িয়ে দেয় এই ভয়াবহ রোগটির প্রাদুর্ভাব ঘটেছে এমন সময় যখন চীনের অন্যতম বড় একটি উৎসব চন্দ্র বর্ষ উদযাপন চলছে। বিশেষ করে যখন ক্রিসমাস এবং থ্যাকসগিভিং তার সঙ্গে যোগ হয়েছে- সবমিলিয়ে অনেক আনন্দের ব্যাপার। অনেকের কাছে বছরের এটাই একমাত্র সময় যখন তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা হয় এবং খাবার আর টাকাকড়ির মতো উপহার বিনিময় হয়। ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে উহানের বাসিন্দাদের ঘরের ভেতরে থাকার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু শহরের একটি এলাকার কিছু ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা নিজেদের আনন্দে ভরিয়ে তুলতে একটি পথ খুঁজে বের করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষজন তাদের জানালা থেকে ''উহান জিয়ায়ু'' বলে চিৎকার করছেন, অনুবাদ করলে যার অর্থ হয় ''শক্ত থাকো উহান'' অথবা ''চালিয়ে যাও উহান।'' এই বাক্যগুলো একটি ব্লক থেকে আরেকটি ব্লকে ছড়িয়ে যাচ্ছে এবং ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ডে বাসিন্দাদের চিৎকার শোনা যাচ্ছে। এই বাক্যটি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমেও। সামাজিক মাধ্যম ওয়েইবোতে এই বাক্য ''উহান জিয়ায়ু'' এখন একটি ট্রেন্ডিং বাক্য। আরো পড়ুন: আমরা পুরো অবরুদ্ধ: উহান থেকে বাংলাদেশি ছাত্রী চীনে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা একশো ছাড়ালো করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য চীনে করোনাভাইরাস কি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে? উহানের বাংলাদেশিদের বিচলিত না হবার আহ্বান করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী? উহানের সঙ্গে (যেখানে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে) একাত্মতা প্রকাশ করার জন্য চীনের অনেক এলাকার বাসিন্দারা এই বাক্য লেখা ছবি সেখানে পোস্ট করেছেন। ''আমরাও একই সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। উহান জিয়ায়ু, পুরো দেশ তোমাদের সমর্থন দিচ্ছে'' একজন ওয়েইবোতে মন্তব্য করেছেন। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর একশো জনের বেশি মানুষ মারা গেছে, যাদের বেশিরভাগই উহানের বাসিন্দা। রোগটি এখন চীন এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও চীনে রোগটির ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভয় এবং কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে, কিন্তু দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম উহানের বাসিন্দাদের এসব একাত্মতার নানা গল্প গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করছে। উহানের একটি হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মীদের জন্য দু'শ খাবার প্যাকেট তৈরি করেছেন লি বো যে রেস্তোরা মালিক খাবারের দুই'শ প্যাকেট তৈরি করেছেন উহানের নতুন একটি রেস্তোরার মালিক নতুন চন্দ্র বছর উদযাপন করেছেন শহরের চিকিৎসা কর্মীদের জন্য খাবারের প্যাকেট তৈরি করে। এই তথ্য দিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় দৈনিক পত্রিকা চ্যাঙজিয়াঙ। শহরে একমাস আগে নতুন রেস্তোরা চালু করেন লি বো। এজন্য তহবিল সংগ্রহ করার জন্য তিনি তার গাড়ি বিক্রি করে দেন এবং টাকা-পয়সা ধার করেন। কিন্তু ৩৬ বছরের এই ব্যক্তি ব্যবসা পুরোপুরি শুরু করার আগেই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। ফলে শহরের রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায় এবং রেস্তোরাগুলো মরুভূমিতে পরিণত হয়। ''আমি প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি বাসায় শুয়ে শুয়ে চিন্তা করছিলাম যে, কীভাবে আমি আমার ঋণ শোধ করবো,'' দৈনিক চ্যাঙজিয়াঙ পত্রিকাকে তিনি বলছিলেন। ''কিন্তু যখন আমি খবরে দেখলাম যে, হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছে, তখন আমার মনে হলো আমারও কিছু করা উচিত। আমি আমার জায়গা থেকে কিছু করতে চেয়েছিলাম, তা যত সামান্যই হোক না কেন।'' সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইট বেইজিং নিউজের তথ্য অনুযায়ী, উহানের বেশ কিছু হাসপাতালে খাবার সংকট রয়েছে। উহানের দুইজন বাসিন্দা এর আগে বিবিসিকে বলেছেন যে, শহরের বাসিন্দারা খাবার মজুদ করার চেষ্টা করছেন। বাবুর্চিকে সঙ্গে নিয়ে লি বো সারাদিন চেষ্টা করে খাবারের উপকরণ কিনেছেন এবং দুই'শ বাক্স বানানোর মতো খাবার রান্না করেছেন। পরবর্তীতে সেগুলো উহানের শিহে হাসপাতালে চিকিৎসা কর্মীদের ভেতর বিতরণ করা হয়। ওই সংবাদ মাধ্যমকে লি বো বলেছেন,''চিকিৎসা কর্মীরা যাতে গরম খাবার খেতে পারেন, সেজন্য আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। আমার আশা, তাদের যে পুষ্টির দরকার, তারা তা পেয়েছেন যা তাদের জন্য শারীরিকভাবে উপকারী হবে।'' তিনি জানিয়েছেন, যতক্ষণ তার পক্ষে সম্ভব, ততক্ষণ তিনি খাবার সরবরাহ চালিয়ে যেতে চান। ''আমি আশা করছি, আমাদের ভালোবাসার শহরটি খুব তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে।'' ১৫০০০ মাস্ক দান করেছেন হাও জিন যে গ্রামবাসী ১৫০০০ মাস্ক দান করেছেন করোনাভাইরাসের ভীতি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে চীন জুড়ে হাজার হাজার মানুষ মাস্ক কিনে পড়তে শুরু করেছেন, ফলে অনেক স্থানে মাস্কের সংকট তৈরি হয়েছে। মাস্ক এতোটাই দামী বস্তুতে পরিণত হয়েছে যে, ওয়েইবো অনেকে মজা করে লিখেছেন, লুনার নিউ ইয়ারে তারা অর্থকড়ির দামী উপহারের বদলে মাস্ক পেতে বেশি পছন্দ করবেন। উহান যে হুবেই প্রদেশে অবস্থিত, তার পার্শ্ববর্তী চ্যাঙ্গডির একজন গ্রামবাসী হাও জিন সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি প্রায় ১৫০০০ মাস্ক দান করবেন, জিয়াওজিয়াঙ মর্নিং হেরাল্ডের খবর। হাও জিন গতবছর একটি মাস্ক উৎপাদন কারখানায় কাজ করেছেন। তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ওই কোম্পানি তার বেতন দিতে পারেনি। ফলে বেতনের বদলে ক্ষতিপূরণ হিসাবে তাকে ১৫০০০ মাস্ক দেয় কোম্পানিটি, যার বাজার মূল্য ২০ হাজার ইউয়ান ( ২৮৮৩ ডলার)। মাস্কগুলো বাড়িতে নিয়ে এসে সেগুলোর কথা ভুলেই গিয়েছিলেন। কিন্তু মাস্ক সংকটের খবর পড়ার পর তার আবার সেগুলোর কথা মনে পড়ে। ''আমি ভাবলাম, যাদের এগুলো দরকার, তাদের আমি মুখোশগুলো দান করে দেবো। আমি আশা করছি, তাদের কাছে এগুলো বেশি গুরুত্ব পাবে এবং তারাই ভালো ব্যবহার করতে পারবেন।'' নিজের পরিবারের জন্য হাতে গোনা কয়েকটি মাস্ক তিনি রেখে দিয়েছেন এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে কিছু বিতরণ করেছেন। বাকি মাস্কগুলো তিনি দেশবাসীর জন্য দান করে দিয়েছেন। | As the number of coronavirus infections continues to grow, millions of people have gone into lockdown in Wuhan - the centre of the outbreak - to try to stop the virus spreading. But in this time of isolation some people are determined to raise each others' spirits. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | যোগী আদিত্যনাথ বিবিসি হিন্দিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, বিক্ষোভকারীরা ভারতে 'বিভাজনের আগুন' উস্কে দিচ্ছে। ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতাকারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এছাড়া তিনি দাবি করেন, "পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে মুসলমানেরা কষ্টে নেই, সেসব জায়গায় কষ্টে আছে হিন্দু, জৈন এবং শিখরা। সুতরাং তাদের সুরক্ষা প্রয়োজন।" মি. আদিত্যনাথ ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম শীর্ষ নেতা। ভারতের ২০ কোটি মুসলমানের অন্তত এক চতুর্থাংশ এ রাজ্যে বাস করেন। সম্প্রতি তার সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের দমনে, বিশেষ করে মুসলমানদের ওপর অতিরিক্ত বল প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত যোগী আদিত্যনাথ কিন্তু প্রমাণসহ উদাহরণ দেবার পরেও মি. আদিত্যনাথ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে, ৪৭ বছর বয়েসী, সর্বদা গেরুয়া কাপড় পরিহিত, প্রভাবশালী এক হিন্দু মন্দিরের পুরোহিত এই রাজনীতিবিদের জন্য বিতর্কিত মন্তব্য নতুন কোন ব্যাপার নয়। কট্টর মন্তব্য বিশেষ করে মুসলমানবিরোধী মন্তব্যের জন্য তিনি বহুবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। সম্প্রতি ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, যা সংক্ষেপে সিএএ নামে পরিচিত, পার্লামেন্টে পাশ হওয়ার পরে দেশ জুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হলে, কিছু ক্ষেত্রে তার মন্তব্য আরো ক্ষোভ উস্কে দিয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা সব অমুসলমানদের অ্যামনেস্টি বা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় মুসলমানদের টার্গেট করার অভিযোগে এ আইন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে এবং দেশের বহু জায়গায় বিক্ষোভ হচ্ছে। এর মধ্যে শাহীন বাগের বিক্ষোভ উল্লেখযোগ্য, যেখানে শত শত মুসলমান নারী এক মাসের সময় ধরে বিক্ষোভ করছেন। কী বলেছেন আদিত্যনাথ? সরাসরি নাম উল্লেখ না করে মি. আদিত্যনাথ শাহীনবাগের বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে বলেন, "কিছু সম্প্রদায়ের পুরুষ লোকেরা কাপুরুষ, তারা কম্বল মুড়ি দিয়ে বাড়িতে বসে আছে। আর মহিলা ও বাচ্চাদের বাড়ির বাইরে এই আইনের বিরোধিতা করতে পাঠিয়েছে।" ভারতজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা নিয়ে তিনি বলেন, "ভারতে নাগরিকত্ব আইন আগেই প্রণয়ন করা হয়েছিল, দেশভাগের পরেই। এখন কেবল তাতে একটি বাড়তি লাইন যুক্ত করা হয়েছে। এখন তার বিরোধিতা করছে কংগ্রেস। কিন্তু এই আইন যখন প্রণয়ন করা হয় তখন তো তারাই ক্ষমতায় ছিল।" আরো পড়তে পারেন: নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে অস্বস্তি? বিক্ষোভে গুলি: বন্দুকধারী বললো 'ইয়ে লো আজাদি' আইন না বুঝে বিক্ষোভ করছে ছাত্ররা: নরেন্দ্র মোদী উত্তর প্রদেশে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ শুরু মি. আদিত্যনাথ ভারতভাগের জন্য কংগ্রেস পার্টিকে দায়ী করে বলেন, "তাদের দেশভাগের বিরোধিতা করা উচিত ছিল, যার ফল হিসেবে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল।" যদিও 'ভারতে সব নাগরিকের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ' করার অধিকার রয়েছে, স্বীকার করলেও তিনি দাবি করেন শাহীনবাগের বিক্ষোভ 'শান্তিপূর্ণ ছিলো না, এবং সাধারণ বাসিন্দা ও পথচারীদের ব্যাপক ভোগান্তি'র কারণ হয়েছে তা। শাহীন বাগের বিক্ষোভ বরাবর শান্তিপূর্ণ ছিল, তবে এটি দিল্লির অন্যতম ব্যস্ত সড়কের ওপর অবস্থিত, যে কারণে এর কারণে শহরজুড়ে ব্যাপক যানজট হয়েছে শহরে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা জরুরি যানবাহন চলাচলে বাধা দেয়নি। শাহীন বাগের বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে মি. আদিত্যনাথের ক্ষোভ এই প্রথম নয়। বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি কয়েকবার অভিযোগ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল 'বিক্ষোভকারী নারী ও শিশুদের বিরিয়ানি' খাওয়াচ্ছেন। এই অভিযোগ তিনি সামনের শনিবারে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারণায় প্রথম তোলেন, যেখানে তিনি 'হিন্দু জাতীয়তাবাদের' পক্ষে বক্তব্য দিয়ে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সমালোচনা করেন। মি. কেজরিওয়াল বিজেপি এবং মি. মোদীর কট্টর সমালোচক। ২০১৫ সালে তিনি ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে মুখ্যমন্ত্রী হন। নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বানানো ট্রেইলে মি. আদিত্যনাথ বলেন, "আমরা বিরিয়ানি খাওয়া লোক না।" এরপর তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হবার পর মি. মোদী "সন্ত্রাসীদের দমনে বিরিয়ানির বদলে তিনি বুলেট চালিয়েছেন।" বিবিসিকে তিনি জানিয়েছেন, তিনি ঐ বক্তব্যে অটল রয়েছেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: করোনাভাইরাস: বিয়ে বাতিল, শ্রেণীকক্ষ খালি, পাল্টে গেছে জীবন ফেন্সিডিলের বোতল দিয়ে ম্যাপ বানিয়ে বিপাকে বিজিবি সেনেটে অব্যহতি পেলেন ট্রাম্প, পদ হারাতে হচ্ছে না নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন, এবং পুলিশের সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষে অনেকে মারাও গেছেন। বিক্ষোভকারীরা প্রায়শই অভিযোগ করে আসছেন পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করছে। আর এই অভিযোগ মি. আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তর প্রদেশেই সবচেয়ে বেশি, সেখানে এ পর্যন্ত ১৯জন মানুষ মারা গেছেন। এছাড়া মুসলমানদের ওপর হুমকি ও হামলার বহু অভিযোগ রয়েছে। রাজ্যজুড়ে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী, বিশেষ করে মুসলমানদের কারাবন্দী করা হয়েছে। পুলিশের বলপ্রয়োগের অভিযোগ স্বীকার করেননি তিনি। এছাড়া বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনাকে 'জাস্টিফাই' করে বা বৈধতা দিয়ে মি. আদিত্যনাথ বিক্ষোভকারীদের 'সহিংস' অভিহিত করে বলেন, "অস্ত্রধারী ও বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা জনগণের সম্পদ নষ্ট করা শুরু করলে তাদের পুলিশ দিয়ে দমন করা হয়েছে।" আবারো বিক্ষোভকারীদের দমনে এমন উদ্যোগ তিনি নেবেন কি না এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দেন, "হ্যাঁ, তারা যদি কোন আইনের, যেটা বৈষম্যমূলক নয়, তার বিরোধিতা করতে গিয়ে সরকারি সম্পদ বিনষ্ট করে তাহলে তাই করা হবে।" ২০১৭ সালে মি. আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পর থেকে তার সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপকহারে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। জবাবে তিনি বিবিসিকে বলেছেন, "এমন কোন হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। আমার বিরোধিতাকারীরা আমার নামে গুজব রটাচ্ছে, কিন্তু আমাদের প্রশাসন দারুণ গতিতে চলছে।" | Muslims who chose to stay in India when it was partitioned following independence from Britain did the country "no favours", Yogi Adityanath, one of India's most controversial right-wing politicians, has said. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | দীপাবলীতে আতশবাজি পোড়ানোর পরদিন থেকে দিল্লিতে এমন ধোঁয়াশাময় পরিবেশ বিরাজ করছে। হাজার হাজার স্কুল কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে তিন দিনের জন্য। ক্রিকেট ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। এমনকি বায়ু দূষণের ওপর নজরদারির আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও এক মামলা করা হয়েছে, যার শুনানি হবে মঙ্গলবার। পরিস্থিতি আসলে কতটা খারাপ, তা সরেজমিনে দেখতে নেমেছিলাম দিল্লির রাজপথে। দাঁড়িয়েছিলাম দিল্লির প্রাণকেন্দ্র কনট প্লেসের আউটার সার্কলে একটা ব্যস্ত রাস্তার মোড়ের সামনে। সবে মাত্র বিকেল সাড়ে তিনটে বেজেছে, সূর্যাস্ত হতে দুঘন্টারও বেশি বাকি - কিন্তু আকাশে ছেয়ে আছে একটা ধূসর কালচে ধোঁয়াশার আস্তরণ। আলোর তেজ একেবারেই ফিকে, মাত্র পঞ্চাশ মিটার দূরের ট্র্যাফিক সিগনালও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে রাস্তায় গাড়ির ভিড় অবশ্য থেমে নেই, গাড়ির কালো ধোঁয়া পাকিয়ে উঠছে বাতাসে - পথচারীদের অনেকে কিংবা মোটরবাইক ও সাইকেল আরোহীরা মুখোশ চাপা দিয়ে এই বিষবাষ্প থেকে নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করে চলেছেন। আর আজ প্রথম নয় - ভারতের রাজধানীতে এই দু:সহ দূষণ চলছে গত একটানা প্রায় সাতদিন ধরে, দীপাবলীতে আতশবাজির রোশনাই মিলোনোর পর থেকেই। দিল্লি শহরজুড়ে বাতাসে দেখা যাচ্ছে ধোঁয়াশার আস্তরণ। দিল্লিবাসীরা বলছেন, "পরিস্থিতি অবর্ণনীয় - মানুষ শ্বাস নিতে পারছে না, চোখ জ্বলছে। এর চেয়ে খারাপ আর কী হতে পারে?" "অথচ দূষণ নিয়েও রাজনীতি করা হচ্ছে, সবাই জানেন পাঞ্জাব-হরিয়ানাতে ফসল তোলার পর তার গোড়াটা জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্যই দিল্লিতে এই অবস্থা। কিন্তু ভোট হারানোর ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না। মানুষ মরলে সরকারের কী আসে যায়?" বহু বছর দিল্লিতে কাটানো এই শহরের বাসিন্দাদের বলতে কোনও দ্বিধা নেই এতটা খারাপ অবস্থা আগে কখনও হয়নি। সকালে অফিসে বেরোতে গিয়ে রাজেন্দ্র শর্মা যেমন আবিষ্কার করেছেন, তার চোখ দিয়ে অজান্তেই জল পড়ে যাচ্ছে। বাতাসটা স্বাস্থ্যের জন্য এতটাই খারাপ। আসলে দিল্লির বাতাসটা যে বিষাক্ত, সেটা এখন দেখা যাচ্ছে একেবারে খালি চোখেই। কিন্তু এটা ঠিক কতটা বিষাক্ত, জানতে দ্বারস্থ হয়েছিলাম বিশেষজ্ঞদের। বায়ু দূষণ রোধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে দিল্লিতে শত শত মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। পরিবেশ দূষণ নিয়ে দেশের সম্ভবত সবচেয়ে সক্রিয় সংস্থা সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের গবেষক পলাশ মুখার্জি ব্যাখ্যা করছিলেন পরিস্থিতি হঠাৎ করে কেন এতটা খারাপ হয়ে উঠেছে। তিনি বলছেন, "দিল্লিতে দূষণের যেগুলো স্বাভাবিক উৎস, সেগুলো তো আছেই। তার সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে একটা বিশেষ ওয়েদার প্যাটার্ন - অ্যান্টি সাইক্লোন। এতে বাতাসের গতিবেগ প্রায় শূন্যে নেমে গেছে, আর যেটুকু বাতাস আছে তাতে বাইরের পলিউট্যান্টগুলো দিল্লিতে ঢুকছে, কিন্তু দিল্লি থেকে বেরোতে পারছে না।" পলাশ মুখার্জি আরও বলছিলেন, "দিল্লিতে পিএম টু পয়েন্ট ফাইভ সূচকে দূষণের মাত্রা স্বাভাবিক সময়েই, গ্রীষ্মে বা বর্ষায় দুশো বা তিনশোর মতো থাকে - যেখানে ভারতীয় মানদন্ডে নিরাপদ লিমিট হল ষাট। অর্থাৎ বছরের বেশির ভাগ সময়েই এটা চার-পাঁচগুণ বেশি বিপজ্জনক থাকে। আর গত কয়েকদিনে এটা সাড়ে-আটশো নয়শোর কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে, মানে নিরাপদ লিমিটের চেয়ে পনেরো গুণ বেশি বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।" আবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাপকাঠি ধরলে দিল্লির বাতাস এখন নিরাপদ সীমার চেয়ে চল্লিশ থেকে পঁয়তাল্লিশ গুণ খারাপ। দিওয়ালির পরদিন দিল্লির রাস্তার অবস্থা শহরে কেন হাজার হাজার স্কুল বন্ধ, রঞ্জি ট্রফির ক্রিকেট ম্যাচ বাতিল, বাচ্চা ও বয়স্কদের বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে তা বোঝা তাই কঠিন নয়। কনট প্লেসের এক অফিসযাত্রী বলছিলেন, "কুয়াশার সঙ্গে দিল্লির পরিচয় আছে ভালই - কিন্তু এটা কুয়াশা নয়, কারণ এতে চোখ অসম্ভব জ্বলছে। বাড়ির সিঁড়িতে, গাড়ির ওপর নিমেষে পুরু কালো ধুলোর আস্তরণ পড়ে যাচ্ছে। সেদিন আমি তো শুনলাম দিল্লির এই বাতাসে নি:শ্বাস নেওয়া দিনে ৩৫টা সিগারেট খাওয়ার মতোই সমান ক্ষতিকর।" পাশ থেকে তার বন্ধু কিছুটা দার্শনিক ভঙ্গিতে যোগ করেন, "গাড়িঘোড়া যেভাবে রোজ বাড়ছে, আমরা পরিবেশের বারোটা বাজাচ্ছি এবং গাছপালা কেটে চলেছি - তাতে এই জিনিসতো একদিন হওয়ারই ছিল। স্বল্পমেয়াদী ব্যবস্থা নিয়ে আর কিছু করাও যাবে না এখন!" বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাপকাঠি ধরলে দিল্লির বাতাস এখন নিরাপদ সীমার চেয়ে চল্লিশ থেকে পঁয়তাল্লিশ গুণ খারাপ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে গত মধ্যরাতে এই দিল্লিতে পা রেখেছেন, আজ সকালের খবরের কাগজে শিরোনাম হয়েছে 'গ্যাস চেম্বারে আপনাকে স্বাগতম'। কিছুদিন আগেই পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত শহরের বদনাম পেয়েছিল যে শহর - সেই দিল্লি এখন নিজেরই আগেকার সব দূষণের রেকর্ড ভাঙার অপেক্ষায় এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন পরিস্থিতি ১৯৫২ সালে লন্ডনের কুখ্যাত স্মগ, যাতে তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন, তার চেয়েও খারাপ। | India's dreaded pollution season has returned as air quality in the capital Delhi and other northern cities rapidly deteriorated in the last two weeks. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ফ্রান্স ও তুরস্কের দূরত্ব বাড়ছে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে তিনি বিশ্বনেতাদের প্রতি মুসলমানদের রক্ষা করার আহ্বান জানান "যদি ফ্রান্সে মুসলমানেরা দমন-পীড়নের শিকার হন"। ধর্মনিরপেক্ষতা কথা বলে ইসলামের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর ক্ষুব্ধ সমালোচনা করেন মি. এরদোয়ান। ইসলামের নবীর কার্টুন প্রদর্শনের জেরে এক শিক্ষককে হত্যার ঘটনার পর চলা ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষাপটে এমন অবস্থান ব্যক্ত করেন মি. এরদোয়ান। আব্দুল্লাহ আনজোরোভ নামে এক ব্যক্তি গত ১৬ই অক্টোবর স্যামুয়েল প্যাটি নামের ওই স্কুল শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করে। স্যামুয়েল প্যাটি তার ছাত্রদের সামনে বাকস্বাধীনতার উদাহরণ দেখাতে গিয়ে ইসলামের নবীর ওপর করা একটি কার্টুনের ছবি দেখান। এরপর প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ নিহত স্যামুয়েল প্যাটির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, "ফ্রান্স কার্টুন থেকে মুখ ফেরাবে না।" ইসলামের যে কোনো ধরণের চিত্রায়ন বা অঙ্কন ইসলামে নিষিদ্ধ এবং এটা অনেক মুসলমানের অনুভূতিকে আঘাত করে থাকে। তবে ফ্রান্সের জাতীয় পরিচয়ের অন্যতম ব্যাপার হলো ধর্মনিরপেক্ষতা। যেখানে একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর অনুভূতিকে কেন্দ্র করে বাকস্বাধীনতা খর্ব করাকে ফ্রান্স সরকার অনুমতি দেবে না বলে জানিয়েছে। কুয়েত, জর্ডান ও কাতারের কিছু দোকান থেকে ফরাসী পন্য সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কী নিয়ে বিরোধ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে মি. এরদোয়ান সোমবার বলেন, "এখন কোন পণ্য কখনোই কিনবেন না যেটির লেবেলে ফ্রান্সকে কৃতিত্ব দেয়ার উল্লেখ আছে।" দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ইউরোপে ইহুদিদের প্র্রতি যে আচরণ করা হতো এখন মুসলিমদের ওপর একই চর্চা চলছে বলেও উল্লেখ করেন এরদোয়ান। ঘৃণার চর্চা বন্ধ করতে ইউরোপের নেতাদের তিনি এগিয়ে আসতে বলছেন। ইসলাম নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের এতো কড়া কথা বলার কারণে এর আগে এরদোয়ান বলেছিলেন, মি ম্যাক্রঁর উচিৎ নিজের মানসিক সুস্থতা নিয়ে ভাবা। এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ফ্রান্স তুরস্কের দূতকে তলব করেছে। মি. প্যাটিকে হত্যার জের ধরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট 'ধর্মনিরপেক্ষতা' রক্ষায় অবস্থান নেন এবং 'উগ্র ইসলাম'-এর বিপক্ষে অবস্থান নেন। এই হত্যাকান্ডের দুই সপ্তাহ আগেই মি. ম্যাক্রঁ ইসলাম ধর্ম 'সংকটে' আছে বলে বিবৃতি দেন। ফ্রান্সে পশ্চিম ইউরোপের সবচেয়ে বেশি মুসলিম বাস করে। কেউ কেউ অভিযোগ তুলছেন ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ 'ধর্মনিরপেক্ষতা'কে পুঁজি করে মুসলিমদের টার্গেট করছে। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে এরদোয়ান, ইমরান খানসহ মুসলিম দেশগুলোর ক্ষোভের কারণ কী? কী প্রতিক্রিয়া আসছে ইউরোপিয়ান নেতারা ফ্রান্সের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন। জার্মানি ফ্রান্সের সাথে সংহতি জানিয়েছে। জার্মান মুখপাত্র এরদোয়ানের বক্তব্যকে 'অগ্রহনযোগ্য ও মানহানিকর' বলেছে। নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট বলেছেন, তারা ফ্রান্সের পাশে আছে এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সামগ্রিক মূল্যবোধকে তারা এগিয়ে রাখবেন। ইতালিও ফ্রান্সের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছে। তবে ফ্রান্সের বিপক্ষে তুরস্কের সাথে যোগ দিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, ফ্রান্সের বিপক্ষে ইসলামকে আক্রমণ করার অভিযোগ তুলেছেন। কুয়েত, জর্ডান ও কাতারের কিছু দোকান থেকে ফরাসী পন্য সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ, ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াতেও আন্দোলন হয়েছে ফ্রান্সের বিপক্ষে। গুজব ছড়িয়েছিল ফ্রান্সের ফুটবলার পল পগবা ফ্রান্স কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের পর ফ্রান্সের হয়ে খেলবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এরপর তিনি নিজেই তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই তথ্যকে 'মিথ্যা' বলেছেন। তুরস্কের পরিসংখ্যান বিভাগের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, তুরস্ক যে সব দেশ থেকে আমদানি করে তার মধ্যে ফ্রান্স দশম অবস্থানে আছে। ফরাসী গাড়ির কোম্পানি রেনল্ট তুরস্কে বহুল ব্যবহৃত একটি গাড়ি। আরো খবর: বিদেশি মদ রাখার দায়ে ইরফান সেলিমের কারাদণ্ড দুর্গাপুজার সময়ে যেভাবে শোক পালন করেন 'মহিষাসুরের বংশধরেরা' দোহায় অস্ট্রেলিয়ান নারী যাত্রীদের কাপড় খুলে তল্লাশিতে ক্ষোভ মাত্র এক ভোটে নির্ধারিত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের যে নির্বাচনের ফল পর্নোগ্রাফি আসক্তি যেভাবে সব ধারণা বদলে দেয় | Turkish President Recep Tayyip Erdogan has called on Turks to boycott French goods amid a row over France's tougher stance on radical Islam. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | বিরোধী নেতাদের সাক্ষাৎকার বন্ধ করে দেওয়ার পর একটি টিভি চ্যানেলের স্ক্রিন। এর প্রায় এক সপ্তাহ পর ঘটে এরকমই আরেকটি ঘটনা। আরেক বিরোধী রাজনীতিক মরিয়ম নওয়াজের সাক্ষাৎকারও মাঝপথে হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে বিজ্ঞাপনের প্রচার শুরু হয়। সেই অসমাপ্ত সাক্ষাৎকারটি আর দেখানো হয়নি। ইসলামাবাদ থেকে বিবিসির সংবাদদাতা সেকান্দার কিরমানি বলছেন, পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম বর্তমানে কতোটা স্বাধীনতা ভোগ করছে এই দুটো ঘটনাই থেকেই সেটা স্পষ্ট। গত সপ্তাহে দেশটির বড় বড় শহরগুলোতে প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে সাংবাদিকরা সংবাদ মাধ্যমের ওপর এধরনের সেন্সরশিপের প্রতিবাদ করেছেন। সরকার অবশ্য সাংবাদিকদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তাদেরকে 'পক্ষপাতদুষ্ট' বলে উল্লেখ করছে। ওয়াশিংটন সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও মিডিয়ার ওপর সেন্সরশিপের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন: "পাকিস্তানি প্রেসের উপর নিয়ন্ত্রণ আছে এটা বলা একটা কৌতুক।" পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও তাদের বিরুদ্ধে আনা মিডিয়া সেন্সরশিপের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সেকান্দার কিরমানি বলছেন, মিডিয়াতে ইমরান খানের সরকার ও সামরিক বাহিনীর সমালোচনা বন্ধ করার যে চেষ্টা চালানো হয় তার তথ্যপ্রমাণ খুবই পরিষ্কার। এমনকি তার রাজনৈতিক বিরোধীরা যখন দাবি করেন যে তাদেরকে 'অন্যায়ভাবে দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে' - সেটাও চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার যে সূচক প্রকাশ করেছে সেখানেও পাকিস্তানের অবস্থান ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৪২ নম্বরে। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর এধরনের হস্তক্ষেপের কারণে পাকিস্তানের সাথে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, আফগানিস্তান ও ভারতের সাথে। এই সেন্সরশিপের প্রধানতম লক্ষ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের মেয়ে মরিয়ম শরীফ। দুর্নীতির দায়ে তার পিতা কারাগারে সাজা ভোগ করছেন। এমাসের শুরুর দিকে মরিয়ম শরীফ গোপনে ধারণ করা একটি ভিডিও প্রকাশ করেন যা পাকিস্তানের রাজনীতি ও বিচার বিভাগে তোলপাড় ফেলে দেয়। ভিডিওতে দেখা যায় একজন বিচারক - যিনি নওয়াজ শরীফকে কারাদণ্ড দিয়েছেন - তিনি স্বীকার করছেন যে নওয়াজ শরীফকে দোষী সাব্যস্ত করার ব্যাপারে তাকে ব্ল্যাক-মেইল করা হয়েছিল। বিচারক বলছেন, তিনি এরকম কিছু বলেন নি, ভিডিওটি এডিট করা হয়েছে। তবে মরিয়ম শরীফের এই সংবাদ সম্মেলনটি যেসব টিভি সরাসরি সম্প্রচার করছিল, সেসব চ্যানেল কয়েকদিনের জন্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মরিয়ম নওয়াজ। আরো পড়তে পারেন: অস্ত্রের মুখেও সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন মেয়েটি অবশেষে পাকিস্তান ছাড়লেন আসিয়া বিবি একাত্তরের যুদ্ধকে কোন চোখে দেখেছে বলিউড ? অন্যান্য সময়েও টিভি চ্যানেলগুলোতে যখন সমাবেশে দেওয়া মরিয়ম শরীফের বক্তব্য সম্প্রচার করা হয়েছে তখনও মাঝে মধ্যে টিভির আওয়াজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশ করতে চাননি এরকম একজন সাংবাদিক বিবিসিকে বলেছেন, কিভাবে মিডিয়ার ওপর সেন্সরশিপ চালানো হচ্ছে। তিনি বলছেন, কোন টিভি চ্যানেল যখন কোন কিছু লাইভ সম্প্রচার করে তখন সেটা কমপক্ষে ১০ সেকেন্ড সময় পিছিয়ে থাকে। একজন লোক বসে বসে সবকিছু দেখেন। সেখানে আপত্তিকর কিছু মনে হলে তিনি তখনই একটা ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। এই সাংবাদিক বলেন, ওই লোকের চোখে যখনই আপত্তিকর কিছু চোখে পড়ে তখনই সেটা থামিয়ে দিয়ে বিজ্ঞাপন চালিয়ে দেওয়া হয়। ফলে ওই অংশটুকু আর প্রচারিত হয় না। কিন্তু এরকম কিছু করতে ব্যর্থ হলে সরকারি লোকেরা ক্রুদ্ধ হয়ে ফোন করেন, কিম্বা সেনাবাহিনী কিম্বা গোয়েন্দা বিভাগ থেকে লোকজন ওই টিভি অফিসে যান। সাংবাদিকদের ওপর ব্যক্তিগতভাবে চাপ প্রয়োগের পাশাপাশি টিভি চ্যানেলটির ওপরেও নানা উপায়ে চাপ সৃষ্টি করা হয়। "বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলোকে বলে দেওয়া হয় যাতে তারা ওই টিভি চ্যানেলকে বিজ্ঞাপন না দেয়, ক্যাবল অপারেটরদের বলা হয় যে নম্বরে চ্যানেলটি দেখানো হচ্ছিল সেটা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে।" "তারা আমাদের গলার চারপাশে হাত দিয়ে রেখেছে। যখনই মনে করে তখনই চেপে ধরে," বলেন ওই সাংবাদিক। তবে রাজনৈতিক সমালোচনা যে একেবারেই নিষিদ্ধ সেটা বলাও ভুল। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, সংবাদ মাধ্যমে তাকে আক্রমণ করা হয়েছে। মরিয়ম নওয়াজ ছাড়া অন্যান্য রাজনীতিকরা নিয়মিতই টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিচ্ছেন। "কাগজে কলমে হলেও এখানে গণতন্ত্র আছে। মিশরের মতো এখানে করা যাবে না," বলেন মিডিয়া বিশ্লেষক আদনান রেহমাত। তিনি মনে করেন, পাকিস্তানে সেন্সরশিপ হচ্ছে বিরোধী দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সাক্ষাৎকার সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া। কিন্তু এসব দলের দ্বিতীয় কিম্বা তৃতীয় স্তরের নেতারা কিন্তু টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। গত বছর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আগেও সাংবাদিকরা গোয়েন্দা বিভাগগুলো থেকে একই ধরনের চাপের মধ্যে ছিলেন। প্রধান সারির একটি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার কয়েক সপ্তাহের জন্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। হস্তক্ষেপ করা হয়েছিল অত্যন্ত সুপরিচিত একটি ইংরেজি দৈনিকের সার্কুলেশনেও। সাংবাদিক হামিদ মীর। নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ইমরান খানকে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করছে- এধরনের অভিযোগের বিষয়ে তখন আলোচনা করা নিষিদ্ধ ছিল। অনেকেই বলছেন, তিনি ক্ষমতায় আসার পর এই পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। টেলিভিশন উপস্থাপক হামিদ মীর ইমরান খানকে উল্লেখ করছেন 'বেসামরিক স্বৈরশাসক' হিসেবে। তিনি বলছেন, সংবাদ মাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ দিনে দিনে বাড়ছে। তিনি বলছেন, বর্তমানের বিরোধী দলগুলো যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারাও সাংবাদিকদের একইভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, "এজন্যে তারা এখন তার মূল্য দিচ্ছে।" সেন্সরশিপের অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, কিছু কিছু মিডিয়ার নিজেদের স্বার্থ আছে। তারা তার সরকারকে খাটো করার চেষ্টা করছে। বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে করা মামলা নিয়ে তারা যেসব কথাবার্তা বলে সেগুলোও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত। পাকিস্তানে সরকার চাইছে মিডিয়াতে সাজাপ্রাপ্ত রাজনীতিকদের বক্তব্য প্রচার নিষিদ্ধ করতে। আসিফ আলী জারদারি, যার সাক্ষাৎকার সম্প্রচার হঠাৎ করেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, দুর্নীতির অভিযোগে তার বিচার চলছে। অন্যদিকে মরিয়ম নওয়াজও দুর্নীতির একটি মামলায় জামিনে রয়েছেন। মি. জারদারির সাক্ষাৎকারের প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার পর সম্প্রচার বিষয়ে সরকারের একজন উপদেষ্টা ফেরদৌস আশিক বলেছেন, বিচারাধীন থাকার কারণে মি. জারদারির সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়নি। তবে পাকিস্তানের সম্প্রচার নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে বলছে, সাক্ষাৎকারটির প্রচার বন্ধ করার জন্যে তারা কোন নির্দেশ দেননি এবং সাজাপ্রাপ্ত লোকদের বক্তব্য প্রচারের ওপর কোন নিষেধাজ্ঞার কথাও তাদেরকে জানানো হয়নি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থে পরিচালিত ভয়েস অফ আমেরিকার টিভি বুলেটিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই মনে করেন নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের খবর প্রচার করার কারণেই ওই বুলেটিনের প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ করতে চাননি যে সাংবাদিক তিনি বলেছেন, "প্রত্যেকটি মিনিট মনিটর করা হচ্ছে। ইমরান খানের কথা ভুলে যান, ভুলে যান সেনা প্রধানের কথাও। তারা যদি তথ্য মন্ত্রণালয়ের কোন বিবৃতিও পছন্দ করে সেটার একটা স্ক্রিনশট পাঠিয়ে সেটা তারা ব্রেকিং নিউজ হিসেবে প্রচার করতে বলে।" আরো পড়তে পারেন: 'সাঁওতাল পল্লীতে আগুনের ঘটনায় পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই' পাঁচ সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ ১৪টি ব্র্যান্ডের দুধ স্কয়ার হাসপাতালের বিলের বিষয়ে তদন্ত | The interview, between one of Pakistan's best-known TV news anchors, Hamid Mir, and leading opposition politician Asif Ali Zardari, was only a few minutes into its transmission when it was suddenly interrupted by an unscheduled ad break and news bulletin. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | একজন বিক্ষোভকারীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ সারা রাত ধরে পুলিশের সাথে তীব্র এবং সহিংস সংঘর্ষের পর - ভোরবেলা পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ১০০ জনের একটি গ্রুপ বেরিয়ে যাবার চেষ্টা করতে গেলে তারা টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেটের সম্মুখীন হয়। এ নিয়ে তৃতীয়বার তারা ক্যাম্পাস ত্যাগের চেষ্টা করলো। এখানকার ঘটনার বেশ কিছু ছবি বেরিয়েছে, যাতে দেখা যায় টিয়ার গ্যাসের ঘন ধোঁয়ার মধ্যে পুলিশ বিক্ষোভকারী ধরে মাটিতে শুইয়ে ফেলেছে। ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রায় এক হাজার বিক্ষোভকারী আছে বলে হংকংএর একজন গণতন্ত্রপন্থী এমপি জানিয়েছেন। টিয়ারগ্যাসের ধোঁয়ার মধ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে যাচ্ছে কয়েকজন বিক্ষোভকারী পুলিশ এর আগে বলেছিল যে বিক্ষোভকারীরা চিওং ওয়ান রোড সাউথ ব্রিজ - যা ক্যাম্পাস থেকে বেরুনোর আরেকটি পথ - তা দিয়ে তারা বেরিয়ে যেতে পারে, কিন্তু তাদেরকে অস্ত্র ফেলে দিয়ে গ্যাসমুখোশ খুলে ফেলতে হবে। এর আগে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীরা পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে এবং নানা জায়গায় আগুন লাগায়। এর আগের খবরে জানা যায়, ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চলার সময় পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেডের পেছন থেকে পুলিশের দিকে পেট্রল বোমা ও তীর ছুঁড়ে মারলে পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কয়েক মাস ধরেই হংকংয়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলছে পুলিশ কর্মকর্তারা এর কিছুক্ষণ আগেই বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি দেয় যে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে পুলিশের ওপর হামলা বন্ধ করা না হলে তারা বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছুঁড়বে। গত কয়েকমাস ধরে চলা সরকারবিরোধী বিক্ষোভের কারণে অস্থিরতা বিরাজ করছে হংকংয়ে। তবে আধাস্বায়ত্বশাসিত এই চীনা নিয়ন্ত্রণাধীন শহরে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়ে। গত কিছুদিনে উগ্র বিক্ষোভকারীরা বারবার পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের বিক্ষোভ দমনের উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার করছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: হংকং-এ গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হলো একজনের 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, প্লিজ হংকং-কে রক্ষা করুন' হংকং: সঙ্কুচিত হচ্ছে মীমাংসার পথ, উপায় কী চীনের? হংকং বিক্ষোভে চীন কীভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে সোমবার সকালে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা যায় গত কয়েকদিন ধরেই পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে রেখেছে বিক্ষোভকারীরা। রবিবার বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের টিয়ার গ্যাস ও জল কামানের হামলার জবাব দেয় পেট্রল বোমা, ইটপাটকেল ও তীর ছোঁড়ে। পুলিশের একজন কর্মকর্তা হাঁটুতে তীরবিদ্ধ হন । বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লো কেন সোমবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ক্যাম্পাসের দখল নেয়ার জন্য পুলিশ অগ্রসর হতে শুরু করলে বিক্ষোভকারীদের সাথে ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পেট্রল বোমা ছোঁড়ে। ক্রস হারবার টানেলের ওপর একটি সেতুও দখল করে রেখেছে বিক্ষোভকারীরা কিছুক্ষণ সংঘর্ষ চলার পর পুলিশ পিছু হটে যায়। ক্যাম্পাসের ভেতরে তখন শত শত বিক্ষোভকারী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দখল করে রাখা শিক্ষার্থীদের রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে বলা হলেও অনেকেই এখনো ক্যাম্পাসে রয়েছেন। পুলিশের মুখপাত্র লুইস লাউ ফেসবুকে প্রচারিত হওয়া এক বক্তব্যে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "তারা যদি পুলিশ অফিসারদের দিকে পেট্রল বোমা, তীরের মত বিপজ্জনক অস্ত্র নিক্ষেপ অব্যাহত রাখে তাহলে আমাদের গুলি করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।" ক্যাম্পসের ভেতরে তীর-ধনুক হাতে বিক্ষোভকারীদের অবস্থান পুলিশকে সরিয়ে রাখতে বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসের প্রবেশপথে আগুন জ্বালিয়ে বাধা তৈরি করার চেষ্টা করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতি প্রকাশ করে ক্যাম্পাস দখল করা বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাসের দখল ছেড়ে যেতে অনুরোধ করে। শনিবার চীনা সৈন্যরা টি-শার্ট ও হাফপ্যান্ট পরে রাস্তায় বিক্ষোভের ধ্বংসস্তূপ পরিস্কার করে এবং ব্যারিকেড সরিয়ে দেয়। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম হংকংয়ে থাকা চীনা সৈন্যদের - যারা সাধারণত ব্যারাক ছেড়ে বের হয় না - রাস্তায় দেখা গেলো। কেন শুরু হলো বিক্ষোভ সরকারি একটি বিলের বিরোধিতা করতে গিয়ে এই কয়েক মাস আগে হংকং-এ বিক্ষোভের সূত্রপাত। বিলটিতে বলা ছিল, কোনো অপরাধী ব্যক্তিকে কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে চীনের মূল ভূখণ্ডে হস্তান্তর করা যাবে। হংকং চীনের অংশ হলেও এই স্থানটি বিশেষ স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে। কিন্তু হংকং-এর মানুষের মধ্যে এই বোধ তীব্র হচ্ছে যে, বেইজিং তাদের উপরে আরো বেশি মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চায়। চিলি ও লেবাননের মতই হংকং-এর বিক্ষোভেও কাজ হয়েছে। বিতর্কিত বিলটি প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তবু বিক্ষোভ এখনো চলমান। এখন যারা আন্দোলন করছে তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সকল নাগরিকের ভোটাধিকারের দাবি। এছাড়া বিক্ষোভে পুলিশী সহিংসতার স্বাধীন তদন্ত এবং গ্রেফতারকৃত আন্দোলনকারীদের মুক্তির দাবি রয়েছে। তাদের রাজনৈতিক এই কর্মসূচি বিশ্বের আরেক প্রান্তের দেশকেও উদ্বুদ্ধ করেছে। | Several protesters have been arrested while trying to run from a Hong Kong university campus surrounded by police. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | বিবিসির অ্যান্ড্রু মার শো'তে ব্রেক্সিট নিয়ে অবস্থান ব্যাখ্যা করছেন টেরিজা মে। এতে মনে হচ্ছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেজা মে-র সময় শেষ হয়ে এসেছে। তার উপস্থাপিত ব্রেক্সিট চুক্তি এর আগে দু'বার পার্লামেন্টে বিপুল ভোটে হেরে গেছে, এবং তিনি তৃতীয়বারের মতো এটিকে পার্লামেন্ট এনে আবার পাস করানোর চেষ্টা করবেন - এ জল্পনাকে কেন্দ্র করে কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে অসন্তোষ ক্রমাগত বাড়ছে। এমন কি তার মন্ত্রীসভার সিনিয়র সদস্যরাও এখন তার প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে আপত্তি গোপন করতে পারছেন না। অবশ্য টেরেজা মে যদি এই বিরোধিতাকে আমলে না নেন এবং তার পদ আঁকড়ে থাকেন তাহলে এই অসন্তুষ্ট মন্ত্রী-এমপিরা কি করবেন, এটা এখনো স্পষ্ট নয়। কিছু এমপি বলছেন, তারা হয়তো অনিচ্ছাসত্ত্বেও টেরেজা মে'র ব্রেক্সিট চুক্তিটি তৃতীয়বার ভোটে উঠলে তাকে সমর্থন দিতে পারেন। কিন্তু তার শর্ত হবে এই যে, ইউ-র সাথে আগামী আলোচনায় তিনি আর ব্রিটেনকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন না। লন্ডনে ব্রেক্সিট-বিরোধী শোভাযাত্রা। আরো পড়তে পারেন: লাইসেন্স দিয়ে বৈধভাবে স্বর্ণ আমদানি কতটা সম্ভব? সিলেটে বাসের চাকায় ছাত্র পিষ্ট হবার আগের মুহুর্ত গান কেন ছেড়ে দিয়েছিলেন শাহনাজ রহমত উল্লাহ সংবাদপত্রগুলোর রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মিসেস মে'র ওপর তীব্র চাপ তৈরি হচ্ছে এবং মন্ত্রিসভা তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে পারে। অবশ্য ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড বলছেন, মিসেস মে'কে সরিয়ে দেয়াটা ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থা ভাঙতে পারবে না। কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে এক গভীর বিভেদ তৈরি হয়েছে, এবং কিভাবে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করতে পারে, তা নিয়ে রাজনীতিবিদরা কিছুতেই একমত হতে পারছেন না। তাই টেরেজা মে যদি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েও দেন, তা হলেও যুক্তরাজ্যে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তার মৌলিক কোন পরিবর্তন হবে না। | Theresa May is facing the threat of a revolt by Remain-supporting ministers who want her to rule out a no-deal Brexit. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ইস্তাম্বুলে সমর্থকদের সঙ্গে উল্লাস করছেন ইক্রেম ইমামোগলু বেশিরভাগ ভোট গণনার পর দেখা যাচ্ছে, প্রধান ক্ষমতাসীন দল ইক্রেম ইমামোগলু ৭ লাখ ৭৫ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। অথচ এর আগের নির্বাচনের সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে তার ভোটের পার্থক্য ছিল মাত্র ১৩ হাজার। একে পার্টি অনিয়মের অভিযোগ তোলার পর মার্চ মাসের ওই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করা হয়। এই ফলাফলের মাধ্যমে ইস্তাম্বুলে একেপির ২৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটলো। একেপির প্রার্থী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলড্রিম তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান টুইটারে লিখেছেন, ''আমি ইক্রেম ইমামোগলুকে অভিনন্দন জানাচ্ছি যে,প্রাথমিক ফলাফলে তিনি বিজয়ী হয়েছেন।'' এর আগে মি. এরদোয়ান ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, 'ইস্তাম্বুলে যে বিজয়ী হবে, সেই হবে তুরস্কের বিজয়ী।' আরো পড়ুন: 'রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিলে মার্কিন এফ-৩৫ পাবে না তুরস্ক' এরদোয়ান কেন ক্রাইস্টচার্চ হামলার ভিডিও দেখাচ্ছেন সুদান নিয়ে রিয়াদ, কায়রো, আঙ্কারা ও মস্কোর কেন এই আগ্রহ খাসোগির অন্তর্ধান: হুমকিতে সৌদি-তুরস্ক সম্পর্ক শহরের জন্য এই বিজয় নতুন সূচনা বলে বর্ণনা করেছেন ইক্রেম ইমামোগলু ২০০৩ সাল থেকে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী, পরে প্রেসিডেন্ট হিসাবে তুরস্ক শাসন করছেন মি. এরদোয়ান। আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মুস্তাফা কামাল আতার্তুকের পরে তাকেই সবচেয়ে ক্ষমতাশালী শাসন বলে মনে করা হয়। বিজয় বক্তৃতায় রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতা মি. ইমামোগলু বলেছেন, এটা তার শহর এবং দেশের জন্য নতুন সূচনা। কারণ তার সমর্থকরা গণতন্ত্রকে ঠিকঠাক করে দেবেন। তিনি বলেছেন, ''আমরা ইস্তাম্বুলে নতুন একটি পাতা খুলছি। এই নতুন পাতায় থাকবে ন্যায়বিচার, সমতা আর ভালোবাসা।'' তিনি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী বলেও জানিয়েছেন। ৯৯ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা যাচ্ছে, মি. ইমামোগলু ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন আর মি. ইলড্রিম পেয়েছেন ৪৫ শতাংশ। ৪৯ বছরের ইমামোগলু ইস্তানবুলের বেলিকডুযু জেলার মেয়র ছিলেন, তবে মার্চের নির্বাচনের আগে তার নাম খুব কম মানুষই জানতো। অন্যদিকে মি.ইলড্রিম একেপির একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, যখন তুরস্ক প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতিতে পরিবর্তিত হয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন সংসদে স্পিকার হিসাবে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলড্রিম ইস্তাম্বুল কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? এটি হচ্ছে তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর। এখানে প্রায় দেড় কোটি মানুষ বসবাস করে, যেখানে পুরো তুরস্কের জনসংখ্যা মাত্র আট কোটি। ইস্তাম্বুল দেশটির প্রধান ব্যবসা কেন্দ্রও। মি. এরদোয়ানের রাজনৈতিক জীবনের উত্থান শুরু হয়েছিল এই শহর দিয়ে, যখন প্রায় পঁচিশ বছর আগে এই শহরের নিয়ন্ত্রণে আসে একেপি। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইস্তাম্বুলে মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন মি. এরদোয়ান। তুরস্কের মোট জিডিপির প্রায় এক-তৃতীয়াংশের যোগান দেয় ইস্তানবুল। এমনকি মি. এর্দোয়ানের শৈশবের জেলা বেয়োগলুতেও জয় পেয়েছেন মি.ইমামোগলু। এখন ইস্তাম্বুল, ইযমির আর আঙ্কারা, সবগুলো বড় শহরই বিরোধী শিবিরের নিয়ন্ত্রণে চলে গেলো। অনেকে মনে করছেন, এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের যুগের সমাপ্তিপর্ব শুরু হলো। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কুলাউড়া ট্রেন দুর্ঘটনা: রেল নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ আপনার পকেটের ফোনে লুকিয়ে থাকা গুপ্তচর ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা জাপানী শিবিরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বন্দীদের ভয়াবহ জীবন | Turkey's ruling AK Party has lost control of Istanbul after a re-run of the city's mayoral election, delivering a stinging blow to President Erdogan. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | জুন মাস থেকে হংকংয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে চীনের অন্যান্য এলাকা থেকে হংকং যেন আলাদা স্বায়ত্বশাসন উপভোগ করে তা নিশ্চিত করতে হংকংয়ের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিষয়ক আইনের বার্ষিক একটি পর্যালোচনা করা হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন তিনি 'শি জিনপিং, চীন ও সেদেশের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকে এই আইন পাস করেছেন।' তবে এর প্রতিক্রিয়ায় হংকংয়ের সরকার বলেছে যে তারা এই আইনটি পরিস্থিতি সহজ করার ক্ষেত্রে সহায়তা করেনি এবং সেখানকার মানুষের কাছে ভুল বার্তা পাঠিয়েছে। এই আইন বেইজিংকেও ক্ষুদ্ধ করবে - হংকংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যেন মাথা না ঘামায়, আগেই এমন অনুরোধ করেছিল চীনের কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে তারা বেইজিংয়ের মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে। সেসময় রাষ্ট্রদূতকে তারা সতর্ক করে যে হংকং বিষয়ে প্রস্তাবটি আইনে পরিণত হলে যুক্তরাষ্ট্র এর 'পরিণাম ভোগ করবে।' যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চীনের সাথে চুক্তি করতে আগ্রহী ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এই বিলটির এত ব্যাপক সমর্থন ছিল যে ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি ঐ প্রস্তাবের বিরোধিতাও করতেন, তাহলেও এটি আইন হিসেবে পাস হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। মি. ট্রাম্প এর পাশাপাশি আরেকটি বিলও পাশ করেছেন, যা হংকংয়ের পুলিশের কাছে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও স্টান গানের মত অস্ত্র - যেগুলো মিছিল বা ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয় - রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। আরো পড়তে পারেন: হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের বিজয়ের অর্থ কী? 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, প্লিজ হংকং-কে রক্ষা করুন' হংকং এর অর্থনীতি এখনো চীনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ? হংকং বিক্ষোভে চীন কীভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন তিনি 'শি জিনপিং, চীন ও সেদেশের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকে এই আইন পাস করেছেন।' কী আছে আইনে? এ বছরের জুনে হংকংয়ের বিক্ষোভের শুরুর দিকে এই প্রস্তাবটি মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করা হয় এবং গত মাসে বিশাল ব্যবধানে কংগ্রেস এটিকে অনুমোদন দেয়। আইনে বলা আছে: "হংকং চীনের অংশ হলেও তাদের স্বতন্ত্র আইনি ও অর্থনৈতিক নিয়মাবলী আছে। বার্ষিক পর্যালোচনায় যাচাই করা হবে যে হংকংয়ের আইনকে খর্ব করে চীন সেখানকার বেসামরিক স্বাধীনতা এবং আইনের শাসন ক্ষুন্ন করছে কি না।" হংকং যেন তাদের বিশেষ বাণিজ্য মর্যাদা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে যথেষ্ট পরিমাণ স্বায়ত্বশাসন উপভোগ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হংকংয়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। হংকংয়ের বিশেষ বাণিজ্য মর্যাদা বলতে বোঝায়, চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক হংকংয়ের জন্য কার্যকর হবে না। জুন মাসে চীন থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয় হংকংয়ে হংকংয়ের পরিস্থিতি কী? জুন মাসে চীন থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার দাবি নিয়ে হংকংয়ের নাগরিকরা বিক্ষোভ শুরু করলেও পরবর্তীতে এটি পরিণত হয় গণতন্ত্রের সমর্থনে হওয়া বিক্ষোভে। এই বিক্ষোভ ক্রমে সহিংস রুপ নেয়। পুলিশের ওপর বিক্ষোভকারীদের হামলার ঘটনা ঘটে এবং নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিও ছুড়ে। রবিবার হংকংয়ে স্থানীয় কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঐ নির্বাচনে সরকার ও বিক্ষোভকারীদের প্রতি মানুষের মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ঐ নির্বাচনে গণতন্ত্রপন্থীরা বড় ধরণের বিজয় অর্জন করেছে। হংকংয়ের ১৮টি কাউন্সিলের ১৭টিই এখন গণতন্ত্রপন্থী কাউন্সিলরদের নিয়ন্ত্রণে। আরো খবর: জঙ্গিবাদ দমনে বিনিয়োগ বেড়েছে, কিন্তু কৌশল সেই পুরনো আদালত চত্বরে আইএস-এর প্রতীক প্রদর্শন নিয়ে প্রশ্ন ভিসা ফুরিয়ে যাওয়ায় ক্রিকেটার সাইফের জরিমানা কলম্বিয়ায় আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠা ডিলান কে? | US President Donald Trump has signed into law a bill that supports pro-democracy protesters in Hong Kong. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন বিবিসি'র উত্তর আমেরিকা সংবাদদাতা অ্যান্থনি জারখারের বিশ্লেষণ অনুযায়ী এই 'বিতর্ক' ঠিক কীরকম হতে যাচ্ছে তা আগে থেকেই অনেকটা পরিষ্কার ছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশ্য ছিল বাইডেনকে বিব্রত করা, যা নিশ্চিত করতে তিনি ক্রমাগত বাইডেনের কথার মধ্যে তাকে বাধা দিয়েছেন। এর ফলে ৯০ মিনিটের বিতর্কের মধ্যে বেশ কয়েকবার দু'জনের মধ্যে বচসা হয়েছে। ট্রাম্প যেমন প্রশ্ন তুলেছেন বাইডেনের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে, তেমনি বাইডেনও ট্রাম্পকে 'ক্লাউন' বলে কটাক্ষ করেছেন। বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বাইডেন প্রশ্ন করেন যে: "তুমি কি চুপ করবে?" বিতর্কের মধ্যে বাইডেনের কথা থামিয়ে দিয়ে বারবার তাকে বাধা দিয়েছেন ট্রাম্প, জবাবে একপর্যায়ে ডেমোক্র্যাট বাইডেনের স্মিত হাসির সাথে মাথা ঝাঁকিয়ে হতাশা প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না। এমনকি এক পর্যায়ে বিতর্কের সঞ্চালক ক্রিস ওয়ালেস যখন দুই পক্ষকে করোনাভাইরাস নিয়ে আড়াই মিনিট করে বাধাহীনভাবে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেন, তখন বাইডেন ট্রাম্পের ক্রমাগত কথার মাঝখানে বিরক্ত করার প্রবণতাকে কটাক্ষ করে ফোঁড়ন কেটে বলেন: "তার জন্য শুভকামনা।" আরো পড়তে পারেন: দুই রানিং মেট: কমালা হ্যারিস ও মাইক পেন্স ডোনাল্ড ট্রাম্প: টিভি তারকা থেকে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ট্রাম্প ও বাইডেনের অবস্থান কী যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার চাবিকাঠি কোন রাজ্যগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন যেভাবে অন্য দেশের তুলনায় একেবারেই ভিন্ন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন ২০২০: কে এগিয়ে- ট্রাম্প না বাইডেন? ৩রা নভেম্বর নির্বাচনের আগে প্রথমবার বিতর্কে দুই প্রার্থী করোনাভাইরাস প্রসঙ্গ এই বিতর্কে করোনাভাইরাস প্রসঙ্গটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ছিল এবং বিতর্কের শুরুর দিকেই এবিষয়ে আলোচনা হয়। করোনাভাইরাসে দুই লাখ মানুষ মারা যাওয়ায় ট্রাম্পের কাছ থেকে ব্যাখ্যা আশা করছিল মানুষ। তিনি অবশ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন এই বলে যে তিনি পদক্ষেপ না নিলে আরো বহু মৃত্যু হতে পারতো এবং জো বাইডেন ক্ষমতায় থাকলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতো। এর জবাবে বাইডেন ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে দর্শকদের উদ্দেশ্যে সরাসরি প্রশ্ন করেন যে তারা ট্রাম্পকে বিশ্বাস করেন কি না। দীর্ঘ সময় সরকারি দায়িত্বে থাকা জো বাইডেনকে বিতর্কের এক পর্যায়ে ট্রাম্প বলেন, "৪৭ মাসে (ক্ষমতায় থেকে) আমি যা করতে পেরেছি, আপনি ৪৭ বছরে তা পারেননি।" বাইডেনের জবাব ছিল: "এই প্রেসিডেন্টের অধীনে আমরা আরো দুর্বল, অসুস্থ, দরিদ্র ও বিভাজিত হয়েছি।" নির্বাচনের ফলাফল মেনে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দেননি ট্রাম্প নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ বিতর্কের চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনা ছিল নির্বাচনের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে। ঐ অংশে বামপন্থী ও দক্ষিণপন্থী দুই পক্ষই আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। ট্রাম্পের আশঙ্কা ডাকের মাধ্যমে ভোট দেয়া হলে দুর্নীতির সুযোগ থেকে যায়। বাইডেন দাবি জানান, সবগুলো ব্যালট যেন গণনা করা হয় এবং নির্বাচনের ফলাফল সব পক্ষ যেনে মেনে নেন। শেষদিকে তিনি আরো কিছু বলতে চাইলেও ট্রাম্প তাকে আবারো বাধা দিলে সঞ্চালক ওয়ালেস বিতর্কের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। 'বিশৃঙ্খলাপূর্ণ' বিতর্ক সন্ধ্যার শেষটা অনেকটা হঠাৎ করেই হয়। আর এদিনের বিতর্কটা প্রথাগত কোন বিতর্কের মতও ছিল না। এই ধরণের অনুষ্ঠান সাধারণত নির্বাচনের ফলাফলে কোন ভূমিকা রাখে না। আর ট্রাম্প ও বাইডেনের প্রথম বিতর্কটা যতটা গণ্ডগোল ও পাল্টা দোষারোপের মধ্যে শেষ হয়েছে, এর ফলে খুব বেশি মানুষের চিন্তাভাবনা পরিবর্তন হওয়ার খুব একটা সম্ভাবনাও নেই। | The first US presidential debate between Donald Trump and Democratic challenger Joe Biden will take place in Cleveland, Ohio, on 29 September. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | এভাবে সুনামি এসে আঘাত করেছিলেন কেন্দ্রটির দেয়ালে নয় মাত্রার ওই ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে সুনামি তৈরি হয় আর তাতে কার্যত ভেসে যায় হংসু দ্বীপ এবং মারা যায় প্রায় আঠার হাজার মানুষ। বড় ধরণের ঢেউ আঘাত হানে ফুকুশিমা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এবং এর পারমানবিক চুল্লি প্লাবিত হয়ে পড়ে পানিতে, যা বড় ধরণের বিপর্যয়ের সূত্রপাত ঘটায়। কর্তৃপক্ষ একটি এক্সক্লুসিভ জোন তৈরি করে যা দিন দিন বড় হতে থাকে, কারণ ওই কেন্দ্রটি থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হচ্ছিল। ফলে আশেপাশের এলাকা থেকে দ্রুত প্রায় দেড় লাখ মানুষকে সরিয়ে নিতে হয়। ওই ঘটনার এক দশক পরেও ওই এক্সক্লুসিভ জোনটি যেমন ছিলো তেমনই আছে এবং সেখানকার বেশিরভাগ অধিবাসী আর ফিরে আসেনি। কর্তৃপক্ষের ধারনা সেখানকার কাজ শেষ করতে অন্তত চল্লিশ বছর সময় লাগবে এবং এর জন্য জাপানের ইতোমধ্যেই ব্যয় হয়েছে কয়েক ট্রিলিয়ন ইয়েন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কোন দেশের কত পরমাণু অস্ত্র আছে, কোথায় আছে? নন্দাদেবী শৃঙ্গে বরফের নিচে কি পারমাণবিক বোমা লুকানো আছে? পারমাণবিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা চুক্তির কি আসলেই 'নতুন অধ্যায়'? ইউএই‘র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র : সন্দিহান ইরান-কাতার বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়েছিলো কেন্দ্রটিতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কোথায় ছিল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জাপানের ফুকুশিমার ওকুমা শহরে যা দেশটির পূর্ব উপকূলীয় এলাকায় তবে রাজধানী টোকিও থেকে প্রায় ২২০ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে। ২০১১ সালের ১১ ই মার্চ স্থানীয় সময় বেলা পৌনে তিনটায় ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। আঘাত হানার মূল জায়গাটি ছিলো ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মাত্র ৯৭ কিলোমিটার দুরে সেন্দাই শহরে। ওদিকে সুনামি উপকূলে আঘাত হানার আগে সতর্ক হওয়ার জন্য মাত্র দশ মিনিট সময় পেয়েছিলো সেখানকার অধিবাসীরা। তবে ভূমিকম্প, সুনামি ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্ঘটনার কারণে সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত হয়েছেন কি-না তা পরীক্ষা করা হয় যা হয়েছিলো ফুকুশিমায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সিস্টেম থেকে ভূমিকম্প চিহ্নিত হয়েছিলো এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে পারমাণবিক চুল্লি বন্ধ হয়েছিল। তবে কুলিং সিস্টেম চালিয়ে যাওয়ার জন্য জরুরি ডিজেল জেনারেটরগুলো চালু হয়ে যায়। কিন্তু প্রায় ১৪ মিটার বা ৪৬ ফুট উঁচু ঢেউ ফুকুশিমায় আঘাত হানার পর পুরো কেন্দ্র পানিতে সয়লাব হয়ে যায় এবং জরুরি জেনারেটরগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে। কর্মীরা বিদ্যুৎ পুনরায় চালুর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন কিন্তু এর মধ্যেই রিয়েক্টরের মধ্যে পারমানবিক ফুয়েল প্রচণ্ড গরম হয়ে যায় এবং কোরের একটি অংশ গলে পড়ে। এরপর ওই কেন্দ্রে কয়েকটি রাসায়নিক বিস্ফোরণ হয় যাতে পুরো ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রেডিও এক্টিভ উপকরণগুলো লিক হয়ে বেরিয়ে এসে পরিবেশ ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এ কারণেই দ্রুত লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয় এবং এক্সক্লুসিভ জোন তৈরি করা হয়। দুর্ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলো সেখানকার মানুষ কত মানুষ হতাহত হয়েছিলো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বিপর্যয়ে তাৎক্ষনিকভাবে কেউ মারা যায়নি তবে বিস্ফোরণে কেন্দ্রটির ১৬জন কর্মী আহতে হয়েছিলো। আর রিয়েক্টর নিয়ে যারা কাজ করছিলেন তাদের মধ্যে অনেকে রেডিয়েশনে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে কয়েকজনকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে দীর্ঘমেয়াদে এ বিপর্যয়ের ক্ষতি নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৩ সালে যে রিপোর্ট প্রকাশ করে তাতে বলা হয় ওই বিপর্যয় অঞ্চলটিতে ক্যান্সারের হার বাড়ায়নি। জাপানের ভেতর ও বাইরের বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন রেডিয়েশনের ঝুঁকি ছিলো তুলনামূলক কম। কিন্তু অনেকেই বিশ্বাস করেন এর বিপদ ছিলো অনেক বেশি। বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পরও বেশিরভাগ অধিবাসীই আর সেখানকার বাড়িঘরে ফিরে যাননি। ২০১৮ সালে জাপান সরকার ঘোষণা দেয় যে রেডিয়েশনের কারণে একজন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তবে স্থানীয় হাসপাতাল ও বাড়িঘর থেকে লোকজনকে জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নেয়ার সময় কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি ওই দুর্ঘটনাকে সাত মাত্রার দুর্ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেছে যা এ ধরণের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। রাশিয়ার চেরনোবিল এর দ্বিতীয় উদাহরণ। অনেকেই আর বাড়িঘরে ফিরে আসেননি দায় ছিলো কার সমালোচকরা টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার বা সরকারের সমালোচনা করে আসছে কারণ তারা মনে করেন সে সময় দুর্ঘটনা মোকাবেলার যথাযথ প্রস্তুতি ছিলো না। জাপান পার্লামেন্টের একটি স্বাধীন তদন্ত রিপোর্টে বলা হয় যে 'এটি মনুষ্য সৃষ্ট' দুর্ঘটনা এবং এনার্জি কোম্পানিকে দায়ী করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করার জন্য। তবে টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ারের কর্মকর্তারা পরে আদালত থেকে রেহাই পান। ওদিকে ২০১৯ সালে একটি আদালত সরকারকে আংশিক দায়ী বলে আদেশ দিয়ে লোকজনকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়। দশ বছর পর... দশ বছর পরেও জাপানের উত্তর পূর্বাঞ্চলের অনেকগুলো শহর কার্যত বন্ধ আছে এবং কর্তৃপক্ষ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চালিয়েই যাচ্ছে যাতে অধিবাসীরা ফিরে আসতে পারেন। কিন্তু বড় ধরণের চ্যালেঞ্জও আছে। হাজার হাজার শ্রমিক দরকার হবে আগামী ৩০/৪০ বছরে নিরাপদে বিভিন্ন ধরণের পারমাণবিক বর্জ্য সরিয়ে নেয়ার জন্য। রেডিয়েশনের ভয়ে কিছু অধিবাসী সেখানে আর কখনোই না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। | Ten years ago, on a Friday afternoon in March, the most powerful earthquake ever recorded in Japan struck off the country's eastern coast. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | চেংডুর আকাশে আসল চাঁদ রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র পিপলস ডেইলিতে প্রকাশিত এই খবরে বলা হয়েছে, মহাকাশ বিষয়ক বেসরকারি একটি কোম্পানির কর্মকর্তারা বলছেন, ২০২০ সালের মধ্যেই তারা এটিকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করতে চান। কোম্পানিটি বলছে, কৃত্রিম এই উপগ্রহটির আলো এতোটাই তীব্র হবে যে রাতের জন্যে রাস্তায় আর কোন বাতি বসানো লাগবে না। এই ঘোষণার পরপরই এনিয়ে তীব্র কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেনে অনেক বিজ্ঞানীও। কেউ কেউ এই ঘোষণাকে তামাশা বলেও মন্তব্য করেছেন। এই প্রকল্প সম্পর্কে আমরা কী জানি? খুব বেশি জানা যায় নি এখনও। সামান্য যেসব তথ্য আছে তার কিছু কিছু আবার পরস্পরবিরোধী বা সামঞ্জস্যহীন। চেংডু এরোস্পেস সায়েন্স ইন্সটিটিউট মাইক্রোইলেকট্রনিক্স সিস্টেম রিসার্চের উ চুনফেং এক সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছেন। গত সপ্তাহে তাকে উদ্ধৃত করেই পিপলস ডেইলি প্রথম এই খবরটি দিয়েছিল। মি. উ বলেছেন, গত বছর ধরেই তারা এই প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করছেন এবং বর্তমানে এটা বাস্তবায়নের জন্যে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি তাদের হাতে রয়েছে। বলা হচ্ছে, স্ট্রিট লাইটের খরচ বাঁচাবে এই নকল চাঁদ আরো পড়তে পারেন: কৃত্রিম আলোর দূষণে হারিয়ে যাচ্ছে রাতের আঁধার চাঁদ দেখার বিষয়টি চূড়ান্ত হয় কীভাবে? সন্ধ্যায় 'সুপার ব্লু ব্লাড মুন' কিন্তু এর মানে কী? তিনি বলেছেন, ২০২০ সালে তারা আলোর এই স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করবেন। আরেকটি দৈনিক চায়না ডেইলি মি. উ-কে উদ্ধৃত করে বলছে, এই 'বিশাল আয়নাটি' মহাকাশে পাঠানো হতে পারে ২০২২ সালে। এই প্রকল্পের পেছনে সরকারি কোন সমর্থন আছে কিনা দুটো পত্রিকার রিপোর্টেই সেটা পরিষ্কার করা হয়নি। কীভাবে কাজ করবে নকল চাঁদ? চায়না ডেইলি বলছে, কৃত্রিম এই চাঁদটি আসলে কাজ করবে যেভাবে একটি আয়না কাজ করে সেভাবে। কৃত্রিম এই উপগ্রহটি সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে পৃথিবীতে পাঠাবে। বলা হচ্ছে, এই নকল চাঁদ পৃথিবীর ৫০০ কিলোমিটার দূর থেকে এই গ্রহটির চারপাশে ঘুরবে। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনও পৃথিবী থেকে প্রায় একই দূরত্বে অবস্থান করছে। কৃত্রিম আলোর দূষণে হারিয়ে যাচ্ছে রাত, মাইগ্রেনের চিকিৎসায় এন্টিবডি কিন্তু পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ আছে পৃথিবী থেকে তিন লাখ ৮০ হাজার কিলোমিটার উপরে। ফেইক মুনটি দেখতে কিরকম হবে রিপোর্টে তার কোন উল্লেখ নেই। কিন্তু মি. উ বলেছেন, এটি ১০ থেকে ৮০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করবে এবং এর উজ্জ্বলতা হবে আসল চাঁদের আলোর তুলনায় 'আটগুণ' বেশি। তবে তিনি বলেছেন, তাদের নির্মিতব্য এই চাঁদের আলোর উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। কিন্তু...কেন? অর্থ বাঁচানোর জন্যে। শুনতে হাস্যকর মনে হতে পারে কিন্তু চেংডু এরোস্পেসের কর্মকর্তারা বলছেন, রাতের আকাশে একটি ফেইক মুন বসাতে যতো খরচ পড়বে তার চেয়েও বেশি অর্থ ব্যয় হয় রাস্তায় বাতি বসানোর কাজে। কেউ কেউ বলছেন, এটি আলোর দূষণকে আরো তীব্র করবে। চায়না ডেইলি মি. উ-কে উদ্ধৃত করে একটি হিসাব দিয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে- ৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকা উজ্জ্বল রাখতে যতো অর্থ খরচ হয় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বছরে সেখান থেকে ১৭ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। শুধু তাই নয়, কোম্পানিটি বলছে, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর যখন কোন এলাকা রাতের বেলায় অন্ধকারে ডুবে যায় এই ফেইক চাঁদের মাধ্যমে ওই এলাকাটিকেও উজ্জ্বল রাখা সম্ভব হবে। অনেকেই বলছেন, এরকম একটি চাঁদ যদি রাতের আকাশে দেখা যায় সেটা অর্থনৈতিকভাবে লাভজনকই হবে। এটাকে দেখা যেতে পারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হিসেবে। এটা কি সম্ভব? গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেস সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং-এর শিক্ষক ড. মাত্তেও সিরিওত্তি বলেছেন, হ্যাঁ, বিজ্ঞানের দিক থেকে এটি সম্ভব। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে এটিকে মহাকাশে পাঠানোর কথা বলা হচ্ছে, সেটি পূরণ করতে হলে, ওই চাঁদটিকে চেংডুর আকাশে স্থায়ীভাবে থাকতে হবে। কিন্তু মহাকাশ থেকে যখন পৃথিবীর দিকে তাকানো হয় তখন দেখা যায় যে সেটি তুলনামূলকভাবে খুব ছোট্ট একটি জায়গা। "একমাত্র সমস্যা হলো ফলাফল পেতে হলে যতো দূরত্বে এটাকে স্থাপন করতে হবে, এবং এরকম এক কৌণিক অবস্থানে বসাতে হবে, সেটা খুব নির্ভুল হতে হবে। যদি সামান্য একটু এদিক সেদিক হয় তাহলে সেই আলো অন্য এলাকায় গিয়ে পড়বে।" পরিবেশের ওপর প্রভাব? হারবিন ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির পরিচালক ক্যাং ওয়েইমিন পিপলস ডেইলিকে বলেছেন, কৃত্রিম এই চাঁদের আলোটা হবে অনেকটা সন্ধ্যার আলোর মতো। ফলে প্রাণীদের জীবনের ওপর এর তেমন কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। প্রভাব পড়তে পারে রাতে নিশাচর প্রাণীর জীবনের ওপর। তবে চীনে যারা সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করেন তারা এটি নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এর ফলে রাতে চলাচলকারী বা নিশাচর প্রাণীরা বিভ্রান্ত হবে। আবার অনেকেই বলছেন, চীনে অনেক শহরে আলোর দূষণ ঘটে গেছে। এখন সেটা আরো তীব্র হবে। ড. সিরিওত্তি বলেছেন, "আলো যদি খুব বেশি উজ্জ্বল হয় তাহলে সেটা প্রকৃতির রাতের স্বাভাবিকতাকে নষ্ট করবে। এবং ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে প্রাণীরাও।" আবার কথা হলো, আলোর উজ্জ্বলতা যদি কমই হয় তাহলে আর এটা মহাকাশে বসানোর দরকার কী! আরো পড়তে পারেন: খাসোগজি হত্যার কথা স্বীকার করেছে সৌদি আরব কোন গান বা সুর মাথায় গেঁথে যায় কেন? অন্তর্বাস: আরামের দিকেই কি আধুনিক নারীদের আগ্রহ? | A Chinese company has announced ambitious plans to put a "fake moon" into space to brighten the night sky. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | পার্সোনাল ল-তে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে ভারতের মুম্বাইতে মুসলিমদের বিক্ষোভ সমাবেশ (ফাইল চিত্র) পাঁচ ধর্মের পাঁচজন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চ তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে মন্তব্য করেছে, এই প্রথা কোনও ধর্মীয় রীতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হতে পারে না। বেঞ্চের অন্তত তিনজন বিচারপতি তাদের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট বলেছেন, তিন তালাকের প্রথা তাদের মতে কোরান-বিরোধী এবং সে কারণেই এটাকে তারা কিছুতেই ইসলাম-সম্মত বলে মানতে পারছেন না। বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি জাস্টিস কুরিয়েন জোসেফ তার রায়ে একের পর এক কোরানের আয়াত উদ্ধৃত করে মন্তব্য করেছেন তার এ নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই যে 'কোরান কিছুতেই তিন তালাকের রীতিকে সমর্থন করে না'। দেশের সর্বোচ্চ আদালত ছমাসের জন্য তিন তালাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এই সময়সীমার মধ্যে পার্লামেন্টকে তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করার জন্যও বলেছে। সরকারও আদালতে তিন তালাক প্রথা বিলোপের জন্যই সওয়াল করেছিল, যদিও ভারতের মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের যুক্তি ছিল ধর্মীয় বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তিন তালাকের বিরুদ্ধে মোট সাতটি পিটিশন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে আরও দেখুন: ভারতে তিন তালাক প্রথা বাতিলে পাঁচ নারীর লড়াই যেভাবে তিনি 'নায়ক রাজ' হয়ে উঠলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় চার নরখাদকের বিচার ভারতের মুসলিম সমাজে প্রায় চোদ্দোশো বছর ধরে পরপর তিনবার তালাক উচ্চারণের মাধ্যমে স্ত্রী-কে বিচ্ছেদ দেওয়ার যে প্রথা চালু আছে, তার বিরুদ্ধে আদালতে মুসলিম মহিলাদের পক্ষ থেকে মোট সাতটি আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে এমন একজন তালাকপ্রাপ্ত নারীও ছিলেন, যাকে তার স্বামী তালাক দিয়েছিলেন হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে। কিন্তু তিন তালাকে কোর্টের হস্তক্ষেপে প্রতিবাদ জানায় অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড - যাদের যুক্তি ছিল এটা মুসলিমদের নিজস্ব ধর্মীয় রীতি। এদিনের রায়ের পর ল বোর্ডের অন্যতম আইনজীবী ইজাজ মকবুল জানান, "রায়ে গরিষ্ঠ সংখ্যক বিচারক, জাস্টিস কুরিয়েন জোসেফ, জাস্টিস আর এফ নরিম্যান ও জাস্টিস উদয় ললিত মন্তব্য করেছেন তিন তালাক অসাংবিধানিক। তবে বাকি দুজন, চিফ জাস্টিস কেহর ও জাস্টিস নাজির আহমেদের বক্তব্য ছিল ভারতীয় মুসলিমদের ধর্মীয় রীতির অংশ এই প্রথা - আর তাতে সংস্কার আনতে গেলে আইন করেই তা করতে হবে।" "ফলে ছমাসের মধ্যে সেটা করতে তারা পার্লামেন্টকে নির্দেশ দিয়েছেন ও সংবিধানের ১৪২ ধারা অনুযায়ী মুসলিম পুরুষদের তিন তালাক প্রয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। তবে এটা শুধু ইনস্ট্যান্ট তিন তালাকের জন্য প্রযোজ্য - তিন মাস ধরে বা ধাপে ধাপে যে তালাকের প্রথা, তালাকে এহসান বা তালাকে-হাসান সেগুলো যথারীতি চালু থাকবে।" সুপ্রিম কোর্টের ওই সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন পাঁচটি ধর্মের বিচারপতিরা মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রায়ের খুঁটিনাটি পড়েই তারা বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া জানাবেন। তবে সরকারের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সমস্বরে এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এর মাধ্যমে মুসলিম মহিলাদের ওপর দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও অবিচারের অবসান ঘটবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন। ভারতীয় মুসিলম মহিলা আন্দোলনের জাকিয়া সুমান বহু বছর ধরে তিন তালাক বিলোপ করার দাবি জানিয়ে আসছেন। এদিনের রায়ের পর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে তিনি বিবিসিকে বলেন, "মুসলিম সমাজে সংস্কার আর গণতন্ত্র আনার লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ হবে এই রায়।" "সাধারণ মুসলিম নারীরাও আজ তাদের অধিকার নিয়ে সচেতন হচ্ছেন, তাই আমি আশাবাদী। এদেশে যদি সতীদাহ, পণপ্রথা বা পারিবারিক হিংসার বিরুদ্ধে আইন হতে পারে তাহলে তিন তালাকের বিরুদ্ধেই বা কেন নয়? আমি চিরকালই মনে করে এসেছি এটা অসাংবিধানিক - এবং তিন তালাক যে কোরান-সম্মতও নয়, আজকের রায়ে তাও স্পষ্ট হয়ে গেল", বলেন মিস সুমান। তিন তালাক প্রথা আসলে কতটা ইসলাম-সম্মত আর কতটা নয়, তা নিয়েও এদিনের রায়ে বিচারপতিদের একাধিক পর্যবেক্ষণ এসেছে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সাইফ মাহমুদ বলছিলেন, জাস্টিস কুরিয়েনের রায়েই কথাটা সবচেয়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। বহুদিন ধরে তিন তালাক বিলোপের দাবি জানাচ্ছে ভারতীয় মুসলিম মহিলা আন্দোলন তিনি জানান, "জাস্টিস কুরিয়েন কোরান শরিফের একটার পর একটা আয়াত উদ্ধৃত করে রায়ে বলেছেন তিন তালাক অবশ্যই কোরানের চেতনার বিরোধী। আর যেটা কোরান-বিরোধী, তা তো অবশ্যই ইসলাম-বিরোধী হতে হবে।" "জাস্টিস নরিম্যান ও জাস্টিস উদয় ললিত সেই সঙ্গে যোগ করেছেন - এই প্রথা দেশের সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী। এই তিনজনের গরিষ্ঠ রায়ের ফলেই তিন তালাক আজ থেকে দেশে বেআইনি বলে গণ্য হচ্ছে।" তবে এই রায়ের মাধ্যমেই ভারতে তিন তালাক নিয়ে যাবতীয় বিতর্কর অবসান হতে যাচ্ছে তা বোধহয় নয়। দেশের প্রভাবশালী মুসলিম সংগঠনগুলো কীভাবে এতে প্রতিক্রিয়া জানায় এবং সরকারই বা তিন তালাক প্রথার নিরসনে কী ধরনের আইন তৈরির উদ্যোগ নেয়, এখন তার ওপরেই অনেক কিছু নির্ভর করছে। | India's Supreme Court has ruled that the controversial practice of instant triple talaq practised among some Muslims in the country is unconstitutional. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | দীপিকা পাডুকোন বলিউডের সবচেয়ে দামী তারকাদের একজন এই ঘটনায় যে ৬ জনকে তলব করা হয়েছে দীপিকা পাডুকোন তাদের একজন। শনিবার এই একই তদন্তে আরো দুজন অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সুশান্ত সিং রাজপুতের গার্লফ্রেন্ড রিয়া চক্রবর্তীকে এর আগে এ মাসের শুরুতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে তিনি সুশান্ত সিং রাজপুতের জন্য মাদক কিনেছিলেন। কিন্তু এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। এই মামলাটি ভারতের গণমাধ্যমে গত কয়েক মাস ধরে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে এবং নানা রকম জল্পনা চলছে। শনিবার অন্য যে দুজন অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তারা হচ্ছেন সারা আলি খান এবং শ্রদ্ধা কাপুর। এর আগে শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আরেকজন অভিনেত্রী রাকুল প্রীত সিং-কে। ৩৪ বছর বয়স্ক সুশান্ত সিং রাজপুতকে গত ১৪ই জুন মুম্বাইতে তার ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সে সময় পুলিশ বলেছিল তিনি আত্মহত্যা করেছেন। প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে দীপিকা পাডুকোনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কিন্তু পরবর্তীকালে সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এতে বলা হয় তিনি এই আত্মহত্যায় এবং অন্য কিছু অপরাধে প্ররোচনা দিয়েছেন। তবে এসব অভিযোগ রিয়া চক্রবর্তী অস্বীকার করেন। ভারতের তিনটি কেন্দ্রীয় সংস্থা এখন এই মামলার তদন্ত করছে। তবে এসব তদন্তের খুব ছিটেফোঁটা তথ্যই গণমাধ্যম জানতে পারছে। ফলে আদতে কী ঘটেছিল এবং তাতে কারা জড়িত ছিল তা নিয়ে গুজব এবং জল্পনা ব্যাপক রূপ নিয়েছে। মামলা কী নিয়ে ভারতের নারকোটিকস কন্ট্রোল বোর্ড দুটি তদন্ত নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এর একটি রিয়া চক্রবর্তী, তার ভাই এবং রাজপুতের বাসার সাবেক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। এদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সুশান্ত সিং রাজপুতকে গাঁজা সেবনে সহায়তা এবং গাঁজা জোগান দেয়ার অভিযোগে। তবে তারা এরকম কোন কাজে যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, দ্বিতীয় তদন্তটি চলছে বলিউডের তারকাদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে মাদকের ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে। এসব তদন্তের ব্যাপারে কর্মকর্তারা কোন তথ্য জানাচ্ছেন না। যার ফলে এই তদন্ত নিয়ে রহস্য আরো বেশি দানা বাঁধছে। আরও পড়ুন: জেএনইউ নিয়ে দীপিকার 'স্ট্যান্ড' কেন ব্যতিক্রমী? সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে সামাজিক মাধ্যমে তোপের মুখে বান্ধবী রিয়া গ্রেপ্তার হলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী রিয়া চক্রবর্তীর প্রতি সংবাদমাধ্যমের 'শকুনের মত' আচরণের অভিযোগ অভিনেত্রী সারা আলি খানকেও তলব করে নারকোটিকস বোর্ড সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর কয়েক দিনের মধ্যেই সবার মনোযোগ দিয়ে পড়ে রিয়া চক্রবর্তীর ওপর। তাকে ঘিরে অনেক অভিযোগ আর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার তদন্তে নারকোটিকস কন্ট্রোল বোর্ডের কর্মকর্তারা হোয়াটসঅ্যাপে চালাচালি করা মেসেজ পরীক্ষা করে দেখছেন। হোয়াটসঅ্যাপের এসব মেসেজে নাকি রিয়া চক্রবর্তী মাদক নিয়ে কথাবার্তা বলেছেন। ভারতে মারিজুয়ানা সেবন অবৈধ। তবে এটি থেকে তৈরি করা আরেকটি মাদক, যা ভারতে ভাং নামে পরিচিত, সেটি নেয়া বৈধ এবং বহু মানুষ এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে। এই ঘটনার সঙ্গে দীপিকা পাডুকোনের সম্পর্ক কোথায় এটি খুব পরিষ্কার নয়। নারকোটিকস কন্ট্রোল বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করার সময় পাডুকোন এবং তার ম্যানেজার যে সব কথাবার্তা বলেছেন তার সূত্র ধরেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে এরকম খবরই বেরিয়েছে। তবে এসব মেসেজে ঠিক কী আছে সেটা স্পষ্ট নয়। সুশান্ত সিং রাজপুত রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান ২০১৯ সালে অনেকে বলছেন দীপিকা পাডুকোনকে টার্গেট করা হয়েছে, কারণ তিনি গত জানুয়ারি মাসে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের এক বিক্ষোভ দেখতে গিয়েছিলেন। এই ছাত্রদের উপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থক ছাত্ররা হামলা করেছিল। বিজেপির সর্মথকরা অবশ্য দাবি করছেন দীপিকা পাডুকোন তার নতুন চলচ্চিত্রের জন্য প্রচার পাওয়ার লোভে এসব করছেন। বিজেপি এই ছবিটি বর্জন করার জন্য লোকজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। টাইমস অফ ইন্ডিয়া পত্রিকাটি জানাচ্ছে, তদন্ত কর্মকর্তারা যে সমস্ত মাদক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, তারা কয়েকজন অভিনেত্রীর নাম বলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে প্রশ্ন তুলছেন এই তদন্তে কেবলমাত্র অভিনেত্রীদেরই কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, কেন অভিনেতাদের নয়। একজন অভিনেতার মৃত্যুর বিষয় নিয়ে যে তদন্তের শুরু, সেটি এখন একেবারেই ভিন্ন একটি রূপ নিয়েছে। বলিউডের অনেক নামকরা তারকাই যখন এই মামলায় মনোযোগের কেন্দ্রে, তখন মামলাকে ঘিরে মিডিয়ার মাতামাতি এখন একেবারে লাগামহীন হয়ে পড়েছে। এই খবরটিই এখন ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। এ নিয়ে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিছু টেলিভিশন চ্যানেল যেরকম আক্রমনাত্মক ভঙ্গিতে এই ঘটনার খবরা-খবর দিচ্ছে সেটা রীতিমত হাস্যকর রূপ নিয়েছে। রিয়া চক্রবর্তীর পেছনে উঠে-পড়ে লেগেছে ভারতীয় গণমাধ্যম সুশান্ত সিং রাজপুতের আশেপাশের যারা ছিলেন, কয়েক মাস ধরে মিডিয়া তাদের কাউকেই রেহাই দেয়নি। তার চিকিৎসক, বন্ধু, সহকর্মী, পরিবার- এমনকী তার সাবেক বাবুর্চিকে পর্যন্ত খুঁজে বের করা হয়েছে ইন্টারভিউ এবং এক্সক্লুসিভ রিপোর্টের জন্য। যেহেতু তদন্তের ব্যাপারে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছেনা, তাই যেটুকু সামান্য তথ্য পাওয়া গেছে বা যেটুকু তথ্য ফাঁস হয়েছে নিউজ চ্যানেলগুলো তার বিশ্লেষণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা চালিয়েছে। রিয়া চক্রবর্তী যে রাজপুত সিং এর অর্থকড়ির ব্যাপারে জড়িত ছিলেন সেটা প্রমাণ করার জন্য একটা টেলিভিশন চ্যানেল তার ফোনের মেসেজ পর্যন্ত বিশ্লেষণের চেষ্টা করেছেন। একজন অনুষ্ঠান উপস্থাপক একটা মেসেজের প্রতি ইঙ্গিত করেন, যেখানে 'ইমা বাউন্স' বলে একটা কথা ছিল। এই উপস্থাপক কথাটার মানে ব্যাখ্যা করেন এই বলে যে, এর মানে হচ্ছে একটা বাউন্স হওয়া চেক। এই ব্যাখ্যা সোশ্যাল মিডিয়ায় লোকজনের বিনোদনের খোরাক জুগিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন দ্রুতই জানান, ইমা বাউন্স কথাটি ব্যবহার করেন একেবারে নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা। 'আই এম গোয়িং টু লিভ' কথাটার বিকল্প হিসেবে তারা ইমা বাউন্স কথাটি বলে থাকেন। এই ঘটনাটি মিডিয়া যেভাবে কভার করেছে সেটা নিয়ে রীতিমত হাসাহাসি চলছে। অনলাইনে এ নিয়ে অনেক মিম শেয়ার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চলছে গণমাধ্যমের তীব্র সমালোচনা। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এই মামলাটি নিয়ে গণমাধ্যম যে পরিমাণ সময় ব্যয় করেছে সেটা ভারতের সামনে এখন যেসব জ্বলন্ত সমস্যা, তা থেকে নজর ভিন্ন দিকে সরিয়ে দিয়েছে কিনা। কোভিড-১৯ সংক্রমণের দিক থেকে ভারত এখন বিশ্বে দুই নম্বর অবস্থানে। ভারতের অর্থনীতি এখন মারাত্মকভাবে সংকুচিত হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের এখন মারাত্মক অবনতি ঘটছে। আর ঠিক এরকম একটা সময়ে ভারতের গণমাধ্যম মেতে আছে এই ঘটনা নিয়ে। | Bollywood star Deepika Padukone has been questioned by India's narcotics board in an investigation linked to the death of actor Sushant Singh Rajput. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ইয়াদ হালাক ছিলেন অটিস্টিক, তার হত্যাকান্ডকে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। ৩২ বছর বয়সী ইয়াদ হালাক যখন গত ৩০শে মে পূর্ব জেরুসালেমে তার বিশেষ স্কুলে যাচ্ছিলেন তখন ইসরায়েলি পুলিশ তার ওপর গুলি চালায়। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, মি. হালাকের কাছে অস্ত্র আছে বলে তারা সন্দেহ করছিলেন। যখন তাকে থামতে বলা হয়েছিল, তখন না থামায় তাকে গুলি করা হয়। কিন্তু পরে দেখা গিয়েছিল ইয়াদ হালাকের কাছে কোন অস্ত্র ছিল না। এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে এতদিন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করেন নি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। গত রোববার তিনি ইয়াদ হালাকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন, এই ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে বলে তিনি আশা করেন। হাজার হাজার মানুষ তার মৃত্যুতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায় বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: জর্জ ফ্লয়েড হত্যা: মিনিয়াপোলিস পুলিশ বিভাগ ভেঙ্গে দেয়ার চিন্তা টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ৪২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৭শর বেশি সব কিছু চালু হবার পর ‘স্বাস্থ্যবিধি’ অনুসরণে ঢিলেঢালা মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকের আগে তিনি বলেন, “ইয়াদ হালাকের সঙ্গে যা হয়েছে, তা একটি ট্র্যাজেডি। এই লোকটির অটিজম ছিল। খুব স্পর্শকাতর একটা এলাকায় তাকে ভুলক্রমে সন্ত্রাসবাদী বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল।” হালাক পরিবারের আইনজীবী জাদ কাদমানি বলেছেন, পুলিশ অফিসাররা যে অপরাধ করেছেন, এমন সন্দেহ বাড়ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে তদন্তকারী কর্মকর্তারা এই অফিসারদের বিচারের মুখোমুখি করবেন। ইয়াদ হালাককে যেভাবে হত্যা করা হয় ইয়াদ হালাক গত শনিবার জেরুসালেমের ওয়াডি আল জজ থেকে শহরের কেন্দ্রে প্রতিবন্ধী শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের একটি প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। ইসরায়েলি পুলিশের এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, তার হাতে এমন কিছু ছিল, যা পিস্তলের মতো দেখাচ্ছিল। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথমে পুলিশ তাকে থামতে বলে। এরপর তাকে তাড়া করে। এসময় পুলিশ তার ওপর গুলি চালায়। তার দেহে তল্লাশি চালিয়ে কোন অস্ত্র পাওয়া যায়নি। প্রধাননমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এই মৃত্যু একটি 'বিয়োগান্ত' ঘটনা। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, মি. হালাকের বুকে দুবার গুলি করা হয়েছিল। মি. হালাকের চাচাতো ভাই ডাঃ হাতেম আওয়াইয়ি বলেন, অটিজমে ভোগার কারণে অন্য মানুষের সঙ্গে কথা বলতে তার অসুবিধা হতো। ইয়াদ হালাকের মৃত্যুতে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয় ফিলিস্তিনিদের মধ্যে। হাজার হাজার মানুষ তার জানাজায় অংশ নেয়। তার মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় নামে অনেক ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলি। অনেকে তার মৃত্যুকে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে মারা যাওয়া জর্জ ফ্লয়েডের সঙ্গে তুলনা করেন। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘প্যালেস্টিনিয়ান লাইভস ম্যাটার’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছিলেন। গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং বিকল্প প্রধানমন্ত্রী বেনি গ্যানটয বলেছিলেন, এই ঘটনায় ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা ‘সত্যিই দুঃখিত।’ | Prime Minister Benjamin Netanyahu has described the killing of an autistic Palestinian man by Israeli police last month as a "tragedy". |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | হংকং এখনও মূল চীন ভূখণ্ডের চাপের মুখে রয়েছে চীন সরকার বিক্ষোভকারীদের কড়াভাষায় সমালোচনা করেছে। অনেকের মনেই এখন প্রশ্ন চীন কি শেষ পর্যন্ত ধৈর্য হারাবে এবং সরাসরি পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগী হবে? কিন্তু চীনের এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করার আইনগত কতটা অধিকার আছে? হংকং-এ চীনা সামরিক পদক্ষেপের সম্ভাবনা কতটা? চীন কি সৈন্য পাঠাতে পারে? মূল আইন খুবই পরিষ্কার। ১৯৯৭ সালে ব্রিটেন হংকং-এর প্রশাসন চীনের কাছে ফিরিয়ে দেবার পর হংকংএর একটা ছোটখাট নতুন সংবিধান তৈরি করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী যতক্ষণ না হংকং-এ সার্বিকভাবে জরুরি অবস্থা জারি হচ্ছে অথবা হংকং-এ যুদ্ধাবস্থা ঘোষণা করা হচ্ছে, ততক্ষণ চীনের সামরিক হস্তক্ষেপ একমাত্র ঘটতে পারে হংকং সরকার সে অনুরোধ জানালে। এছাড়া ''জন শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এবং দুর্যোগের সময় ত্রাণকাজে''। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: হংকং বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু কে এই জোশুয়া ওং? শিল্ড গার্ল':হংকং বিক্ষোভের প্রতিচ্ছবি যে নারী অ্যাপ দিয়ে যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে হংকংয়ের বিক্ষোভ হংকং-এ পিএলএর (পিপিলস লিবারেশন আর্মি)কয়েক হাজার সৈন্য রয়েছে। তবে বেশিরভাগ বিশ্লেষক বলছেন এই পর্যায়ে পিএলএ বা পিপলস লিবারেশন আর্মির সৈন্যদের হংকংএর রাস্তায় নামানোর বিষয়টা প্রায় চিন্তার বাইরে। ''এটা কাঠামোগত এবং অর্থনৈতিক পরিবেশে একটা নাটকীয় পরিবর্তন নিয়ে আসবে,'' বলছেন হংকং-এ চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইভান চয়। ''এধরনের পদক্ষেপের পরিণতি সূদুর-প্রসারী হতে পারে।'' ড: চয় বলছেন হংকং-এর দায়িত্ব হস্তান্তরের পর থেকে যে ''এক দেশ- দুই পদ্ধতি'' মডেলে হংকং এর শাসন ব্যবস্থা চলে এসেছে, এধরনের পদক্ষেপের ফলে তার ওপর আস্থা পুরো ভেঙে যাবে- এতটাই যে তা সম্ভবত সে বিশ্বাস আর পুনরুদ্ধার করা যাবে না। হস্তান্তরের পর থেকে হংকং-এ পিএলএ-র প্রায় ৫০০০ সৈন্য রয়েছে। ম্যাককোয়ারি ইউনিভার্সিটির গবেষক অ্যাডাম নাই বলছেন এটা মূলত ''চীনা সার্বভৌমত্বের একটা প্রতীকি উপস্থিতি''। তবে ৩১শে জুলাই সেনানিবাস তাদের নীরব ও পরোক্ষ ভূমিকা ভঙ্গ করেছে। প্রতিবাদ নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে সৈন্যরা ক্যান্টনিজ ভাষায় চিৎকার করছে, ''এর পরিণতির জন্য আপনারা পুরো দায়ী থাকবেন!'', সৈন্যরা বিক্ষোভকারীদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং ফুটেজের একটি দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে পুলিশ একটি ব্যানার ধরে রয়েছে যাতে লেখা ''এগোন বন্ধ কর, নাহলে আমরা শক্তি ব্যবহার করব''। সাধারণত অসন্তোষের সময় হংকং পুলিশ এধরনের ভাষা ব্যবহার করে থাকে। হংকং-এ বির্তকিত প্রত্যর্পণ আইনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ চলছে ৯ই জুন থেকে। ড: চয় বলছেন বেইজিং ক্রমাগত চেষ্টা করছে ''হংকং-এর মানুষকে মনে করিয়ে দিতে এমন (সামরিক শক্তি ব্যবহারের) সম্ভাবনা আছে।'' ''তারা এমন পদক্ষেপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিতে চায় না। তাদের আশা এটা একধরনের মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি করবে।'' এ যাবৎ চীনের হংকং বিষয়ক সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী দপ্তর বলে এসেছে যে হংকং পুলিশ অসন্তোষ দমন করতে পারবে সে ব্যাপারে তাদের পূর্ণ আস্থা আছে। তবে তাদের মুখপাত্র ইয়াং গুয়াং এমন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন যে ''যারা আগুন নিয়ে খেলছে, সেই আগুনই তাদের ধ্বংস করবে'' এবং বিক্ষোভকারীরা যেন মনে না করে যে ''সংযমের অর্থ দুর্বলতা''। মি: নাই বিবিসিকে বলেছেন সামরিক হস্তক্ষেপ চীনা সরকারের জন্য মস্ত বড় একটা রাজনৈতিক ঝুঁকি তৈরি করবে, দেশের ভেতর এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। এছাড়াও যে কোনরকম সামরিক হস্তক্ষেপ পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে- আরও প্রতিরোধ গড়ে উঠতে পারে। চীন কি রাজনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে? হংকং-এর রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুরোপুরি গণতান্ত্রিক নয়। বিক্ষোভকারীদের বিরোধিতার পেছনে সেটা একটা কারণ। তারা গণতান্ত্রিক সংস্কারের আহ্বান জানাচ্ছে। অন্যদিকে, চীন হংকং-এর রাজনীতিতে বেশ কিছু হস্তক্ষেপ করেছে। তার থেকেই সর্বসাম্প্রতিক এই বিক্ষোভের জন্ম। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ছবিতে হংকং বিক্ষোভকারীদের পার্লামেন্ট দখল হংকংয়ের অর্থনীতি চীনের জন্য এখনো কতটা গুরুত্বপূর্ণ? ক্যারি ল্যামের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাস্তবতার সঙ্গে তার কোন যোগ নেই। হংকং-এর সংসদ - আইনপ্রণয়নকারী পরিষদ- চীনপন্থী এবং অংশত গণতান্ত্রিক। এর প্রায় অর্ধেক আসনে প্রার্থী নির্বাচিত হন ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে। প্রধান নির্বাহীকে নির্বাচিত করেন প্রধানত বেইজিং-পন্থী একটি নির্বাচনী কমিটি। ভোটারদের মাত্র ৬ শতাংশের ভোটে এই কমিটি নির্বাচিত হয়। সমালোচকরা বলেন ফলে হংকং-এর নেতৃত্বের দায়বদ্ধতা চীনের কাছে - হংকং-এর জনগণের কাছে নয়। ক্যারি ল্যাম নির্বাচিত হন ২০১৭ সালে। বর্তমানে অকার্যকর প্রত্যর্পণ বিলটি তিনিই চালু করেন এবং এই বিক্ষোভে জনরোষের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন। হংকং-এ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডিক্সন মিং সিং বলছেন চীন ''তার ক্ষমতা প্রদর্শনের লক্ষ্যে অনেক কিছুই করেছে...এছাড়াও ক্যারি ল্যামের পদত্যাগের প্রশ্নে প্রবল আপত্তি বজায় রেখেছে, পাশাপাশি প্রত্যর্পণ বিলটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ''বেইজিং যদি ক্যারি ল্যামের পদত্যাগ চায় সেটা কি সম্ভব?'' এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলছেন, ''অবশ্যই। কিন্তু চীন কর্তৃপক্ষ সেটা চায় না, কারণ তারা দেখাতে চায় যে জনগণের দাবিতে তারা নীতি বদলায় না।'' তবে, মিস ল্যাম তার পদ ছেড়ে দিলেও, তার উত্তরসূরীও আসবেন বেইজিং-এর সমর্থনপুষ্ট হয়েই। চীন কি আন্দোলনকারীদের চিহ্ণিত করে পদক্ষেপ নিতে পারে? হংকং-এ বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় প্রত্যর্পণ আইন বিষয়ক বিল নিয়ে। সমালোচকদের আশঙ্কা রাজনৈতিক আন্দোলনকারীদের চীনের মূল ভূখন্ডে নিয়ে যাবার জন্য চীন এই আইন ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছিল। সেখানে তাদের দণ্ড দেওয়া প্রায় নিশ্চিত হয়ে যেত। গুই মিনহাই, চীনা সরকারের একজন সমালোচক যিনি চীনা হেফাজতে রয়েছেন কিন্তু তার আগে তিনি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। ক্যারি ল্যাম বলেছেন এই বিল এখন মৃত। কিন্তু এই বিল না থাকলেও এধরনের আইনের পাশ কাটিয়ে চীনের হংকং-এর নাগরিকদের আটক করার যথেষ্ট দৃষ্টান্ত রয়েছে। যেটা হংকং-এর নাগরিকদের জন্য উদ্বেগের। গুই মিনহাইয়ের হংকংএ একটি বইয়ের দোকান ছিল। তিনি চীনা সরকার বিরোধী বই বিক্রি করতেন। ২০১৫ সালে তিনি থাইল্যান্ডে নিখোঁজ হয়ে যান। এরপর ২০০৩ সালে এক ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে চীনে তিনি ধরা পড়েন। চীনের এক আদালত তাকে দুবছরের কারাদণ্ড দেয়। ২০১৭ সালে তিনি মুক্তি পান, কিন্তু পরের বছরই চীনে একটা রেলগাড়ি থেকে তাকে আবার আটক করা হয়। এরপর থেকে কেউ আর তাকে দেখেনি। হংকং বিক্ষোভকারীরা ভয় পাচ্ছেন তারা নিজেরা ধরা না পড়লেও চীনের মূল ভূখন্ডে তাদের পরিবারের সদস্যরা দমনপীড়নের শিকার হতে পারেন। হংকং-এ এই মুহূর্তে চীনের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ নিয়ে আশংকা বিরাজ করছে। পাশাপাশি বিক্ষোভ দমনে চীনের সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র এখন অর্থনৈতিকভাবে হংকংকে শাস্তি দেয়া। হংকং অর্থনীতির একটা মূল কেন্দ্র। হস্তান্তর চুক্তির অংশ হিসাবে যেসব বিশেষ সুবিধা তাদের দেওয়া হয়েছিল তা হংকংকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করেছে। কিন্তু এরপরেও ১৯৯৭ সালের পর থেকে মূল ভূখন্ডে শেনঝেন আর শাংহাই দ্রুত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সিঁড়ি বেয়ে উঠে এসেছে। এখন হংকং যদি চীনের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানানো অব্যাহত রাখে, তাহলে চীন সরকার বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মূল ভূখন্ডকেই অগ্রাধিকার দেবে এবং চেষ্টা করবে হংকংএর অর্থনীতিকে চাপে রাখতে। তারা চাইবে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে যাতে হংকং তার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য চীনের মুখাপেক্ষী হতে বাধ্য হয়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: মোদী সরকার কি কাশ্মীরকে আরও গভীর সংকটে ঠেলে দিচ্ছে মেগা প্রকল্প কি ঢাকার সড়কে বিড়ম্বনার অন্যতম কারণ? গণমাধ্যম থেকে মুজিবের নাম যেভাবে প্রায় অদৃশ্য হলো | Hong Kong has experienced weeks of unrest now, sparked by opposition to an extradition bill, with increasing outbreaks of violence and strikes causing major disruption. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ব্রিজের নিচে ট্যাঙ্কার, আর ওপরে রুশ বিমান দুটো দেশই একে-অন্যকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেছে । ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পোরোশেংকো বলেছেন, এর প্রতিক্রিয়ায় তিনি পার্লামেন্টে সোমবার সামরিক আইন জারির ঘোষণার জন্য আহ্বান জানাবেন। সংকটের শুরু হয় যখন রাশিয়া অভিযোগ তোলে যে, ইউক্রেনের জাহাজ রুশ সীমানায় ঢুকে পড়েছে। আরো পড়ুন: ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠক: কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? রুশ-বাহিনী সাগরে যেখানে দুদেশের অংশীদারিত্ব আছে সেখানে কের্চ স্ট্রেইট সেতুর নিচে ট্যাংকার স্থাপন করেছিল। ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের মিটিং এর সময় প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পোরেশেঙ্কো রাশিয়ার এহেন আচরণকে "বিনা উসকানিতে এবং উন্মত্ত" বলে বর্ণনা করেছেন। কৃষ্ণ সাগরে এবং ক্রিমিয়ান উপকূলে আজোভ সাগরে উত্তেজনা সম্প্রতি বেড়েছে। সঙ্কট কিভাবে চরম রূপ নিল? ভোরে ইউক্রেনের বারডিযানস্ক এবং নিকোপল যুদ্ধজাহাজ এবং দি ইয়ানা কাপা জাহাজ কৃষ্ণ সাগরের ওডিসি বন্দর থেকে রওনা হয় আযোভ সাগরের মারিউপোলের উদ্দেশ্যে । ইউক্রেন বলছে, রাশিয়া জাহাজের পথ আটকাতে চেষ্টা করে, যদিও এরপর নৌযানগুলো কের্চ স্ট্রেইটের উদ্দেশ্যে চলছিল কিন্তু ট্যাংকার দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়। রাশিয়া ওই এলাকাতে দুটো যুদ্ধবিমান এবং দুটো হেলিকপ্টার ডেকে আনে। তাদের অভিযোগ নৌযানগুলা অবৈধভাবে তাদের জলসীমায় প্রবেশ করেছিল এবং ওই পথে চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে নিরাপত্তার কারণে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: স্বামীর হাতে ধর্ষণ: বাংলাদেশে এক নারীর অভিজ্ঞতা মন্দির চেয়ে অযোধ্যায় লাখ হিন্দু, মুসলিমদের আতঙ্ক ইসির বিবৃতি-বক্তব্য-ভাষা নিয়ে প্রশ্ন কেন একজন নারী কীভাবে বুঝবেন তার পুরুষ সঙ্গী একজন নিপীড়ক? রাশিয়ার জলসীমায় প্রবেশ করার অভিযোগে ইউক্রেনের জাহাজ আটকে দিয়েছে রুশ নৌবাহিনী। ইউক্রেনের নৌবাহিনীর সদস্যরা জানান জাহাজ হামলা মুখে পড়লে তারা ওই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তাদের ছয়জন নাবিক আহত হয়ে বলেও জানানো হয়। রাশিয়ার কর্মকর্তারা অবশ্য পরে নিশ্চিত করে যে তাদের একটি টহল জাহাজ তিনটি ইউক্রেনের জাহাজকে জোর করে জব্দ করে তবে তাদের দাবি কেবল তিনজন নাবিক আহত হয়েছেন। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ বিবিসি নিউজ মস্কোর স্টিভেন রোজেনবার্গ-এর বিশ্লেষণ কয়েক মাস ধরেই রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল। ২০০৩ সালে চুক্তি অনুসারে মস্কো এবং কিয়েভকের্চ স্ট্রেট এবং আযোভ সাগরের আঞ্চলিক পানি ভাগাভাগি করবে। কিন্তু সম্প্রতি রাশিয়া ইউক্রেনের বন্দর হতে আসা বা তার উদ্দেশে যাত্রা করা সমস্ত নৌযান পরিদর্শন শুরু করে। রাশিয়ার শক্তি প্রয়োগ করে ইউক্রেনের নৌযান জব্দ করা, হতাহতের ঘটনা উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু মস্কো কখনো নিজের ঘাড়ে দোষ নেবে না। যখনই রাশিয়া শক্তি প্রয়োগ করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন সাফাই গেয়ে বলেছেন, "আমরা আগে শুরু করিনি"। এর প্রেক্ষাপটে ২০০৮ সালে রাশিয়া -জর্জিয়া যুদ্ধ পর্যন্ত গড়ায়। সুতরাং, রোববার যা ঘটেছে এবং সামনে যা ঘটতে যাচ্ছে তার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পোরোশেংকোর সরকারের উপর দোষারোপ করা হবে-মস্কোর কাছ থেকে এটাই অনুমেয়। আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন কের্চ স্ট্রেইট-এ চলাচলের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করার জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এবং "চরম সংযমের সাথে যেকোনো কাজ করার জন্য সবাইকে" তাগিদ দিয়েছে। নেটো বলেছে, তারা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করে এবং এর আঞ্চলিক অখণ্ডতা, আঞ্চলিক জলসীমায় তার ন্যাভিগেশন অধিকারকে সমর্থন দেয়। নেটো মনে করে, ইউক্রেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের অনুরোধ করেছে এবং মস্কোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের দাবি করেছে। পূর্বের ইতিহাস আজোভ সাগর ক্রিমিয়ার পূর্বে, ইউক্রেনের দক্ষিণে যেএলাকা রাশিয়ার-সমর্থক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে। ইউক্রেনের দুটো বন্দর বার্দিআনস্ক এবং মারিউপোল শস্য রপ্তানি এবং স্টিল উৎপাদন এবং কয়লা আমদানির জন্য চাবিকাঠি। ২০০৩ সালের চুক্তিতে দুদেশের নৌযানের অবাধ চলাচলের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। রাশিয়া সম্প্রতি ইউক্রেনের বন্দর-মুখী কিংবা সেখান থেকে আসা জাহাজগুলো নজরদারি করছে। এ মাসের শুরুর দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সতর্ক করে বলে, তারা এই ইস্যুটিতে উদ্দেশ্যমূলক ব্যবস্থা নেবে। ইউক্রেন গত মার্চ মাসে ক্রিমিয়া থেকে আসা একটি মাছ ধরার নৌযান আটক করার পর থেকে এই তল্লাশি শুরু হয়। মস্কোর ভাষ্য, নিরাপত্তার কারণে এটি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ইউক্রেনের উগ্রপন্থীদের দিকেই সন্দেহ-পূর্ণ ইঙ্গিত করা হয়। ২০১৪ সাল থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইউক্রেন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই শুরুর পর থেকে পূর্ব দানেৎস্ক এবং লূহানস্ক অঞ্চলে ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। রাশিয়া এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্ত্র দিয়ে এবং নিজেদের সৈন্য পাঠিয়ে সহায়তা করছে বলে ইউক্রেন এবং পশ্চিমা শক্তিধর দেশগুলো অভিযোগ করে আসছে। মস্কো অবশ্য এমন অভিযোগ নাকচ করে আসছে, তবে রুশ স্বেচ্ছাসেবকরা বিদ্রোহীদের সহায়তা করছে বলে জানিয়েছে। | Russia has fired on and seized three Ukrainian naval vessels off the Crimean Peninsula in a major escalation of tensions between the two countries. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রচারণা শুরু করেছেন বার্নাা স্যান্ডার্স নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে এক বক্তব্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে অ্যামেরিকার 'সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রেসিডেন্ট' হিসেবে উল্লেখ করেন। ভারমন্ট অঞ্চলের ৭৭ বছর বয়সী স্বতন্ত্র সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের হয়ে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে হিলারি ক্লিন্টনের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। এবার তিনি আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এবার ডেমোক্র্যাটদের হয়ে প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন পেতে আরো অন্তত ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করবেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ম্যাসাচুসেটসের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন, নিউ জার্সির সিনেটর কোরি বুকার আর স্যান অ্যান্টনিওর মেয়র হুলিয়ান ক্যাস্ত্রো। স্যান্ডার্সের প্রচারণায় কী গুরুত্ব পাচ্ছে? স্যান্ডার্স তাঁর বক্তব্যে অঙ্গীকার করেছেন যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি 'মানুষকে ঐক্যবদ্ধ' করবেন। বেশকিছু নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি এবং 'ধনিক শ্রেণী' ও তাদের লোভকে প্রতিহত করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মি. স্যান্ডার্স 'অর্থনৈতিক, সামাজিক, জাতিগত ও পরিবেশগত ন্যায়বিচার' নিশ্চিত করার বিষয়টিতেও কাজ করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে কী বলছেন স্যান্ডার্স? ব্রুকলিনে জন্ম নেয়া মি. স্যান্ডার্স তার বক্তব্যের একপর্যায়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে নিজের তুলনাও তুলে ধরেন। মি. স্যান্ডার্স রঙ বিক্রেতার কাজ করা একজন ইহুদি অভিবাসীর সন্তান হিসেবে অ্যামেরিকায় বড় হয়েছেন, যেখানে মি. ট্রাম্প একজন ধনী রিয়েল এস্টেট ডেভলাপারের পুত্র। "আমার বাবা আমাকে অঢেল সম্পদ দিয়ে যাননি যা দিয়ে বিলাসবহুল অট্টালিকা বা আমোদের জন্য কান্ট্রি ক্লাব তৈরি করা যায়। কিন্তু তিনি আমার সামনে একজন আদর্শ পিতার উদাহরণ তৈরি করে গেছেন, যিনি অর্থ-বিত্ত ছাড়াই অসীম সাহসের সাথে নতুন জীবনের জন্য লড়াই করতে সক্ষম ছিলেন।" মি. স্যান্ডার্স যখন এই বক্তব্য রাখছিলেন সেসময় ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বক্তব্যে ডেমোক্র্যাটদের পরিকল্পনার সমালোচনা করেন এবং পরের নির্বাচনে জয়ের আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেন। কে এই বার্নি স্যান্ডার্স? মার্কিন কংগ্রেসের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে স্বতন্ত্র সিনেটর হিসেবে ছিলেন বার্নি স্যান্ডার্স। তবে ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকানদের হয়ে প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা না করলে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যাবে বলে ডেমোক্র্যাটদের হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন বলে জানান তিনি। তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা করেছেন এবং ১৯৬০ ও ১৯৭০ এর দশকে যুদ্ধবিরোধী এবং নাগরিক অধিকারের জন্য হওয়া আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৯৯০ সালে ৪০ বছরের মধ্যে প্রথম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মার্কিন প্রতিনিধি সভার একজন প্রতিনিধি নির্বাচিত হন মি. স্যান্ডার্স। ২০০৭ সালে সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি প্রতিনিধি সভায় অন্তর্ভূক্ত ছিলেন। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শুরুতে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত না হলেও কয়েকটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তাঁর বিতর্ক প্রচারিত হবার পর হঠাৎই তাঁর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। নিজেকে ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট হিসেবে দাবী করা মি. স্যান্ডার্স এমন একটি অর্থনীতি তৈরি করার প্রত্যাশা করেন 'যা শুধু ধনীদের জন্য নয়, সব পর্যায়ের মানুষের জন্য' কাজ করবে। | US Senator Bernie Sanders has launched his bid to be president in 2020 with an attack on corporate greed and a promise to unleash a "political revolution". |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | পার্লামেন্টে আন্ডারওয়্যার তুলে ধরে প্রতিবাদ জানানো হয় এভাবে। বিচার চলাকালে আদালতে অভিযুক্ত-পক্ষের আইনজীবী বিচারকদের বলেন: "তার পোশাক কেমন ছিল সেটি আপনাদের দেখতে হবে। সে একটি থং (এক ধরনের আন্ডার গার্মেন্টস) পরা ছিল যার সামনের দিকে ছিল লেস লাগানো"। ২৭ বছর-বয়সী অভিযুক্ত ব্যক্তিটি এরপর ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হননি। এই বিতর্কের জেরে একজন আইরিশ সংসদ সদস্য একটি লেসের তৈরি থং পার্লামেন্টে তুলে ধরেন এবং এর মাধ্যমে ধর্ষণের ঘটনায় "নিয়মিতভাবে ভুক্তভোগীকে দোষারোপের" ঘটনাকে সামনে তুলে ধরেন। রুথ কোপিংগার আইরিশ পার্লামেন্টে নীল লেস লাগানো অন্তর্বাসটি তুলে ধরেন মঙ্গলবার। "এখানে এভাবে এই থং প্রদর্শনের বিষয়টি নি:সন্দেহে বিব্রতকর...কিন্তু যখন একজন ধর্ষণের শিকার মানুষ বা একজন নারীর অন্তর্বাস আদালতে প্রদর্শন করা হয় সেই অন্যায্য ঘটনার ক্ষেত্রে তার কেমন অনুভূতি হয় বলে আপনারা মনে করেন?" বিচারে কী ঘটেছে? যে মামলায় অভিযুক্ত লোকটিকে ধর্ষণের ঘটনা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে, তা আইরিশ পত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তি বলেন যে, তার এবং মেয়েটির মধ্যে যে যৌন সম্পর্ক হয়েছিল সেটি ঘটেছিল দুজনের সম্মতিতেই। তার সিনিয়র পরামর্শক এলিজাবেথ ও'কনেল আদালতে তুলে ধরেন, যা ব্যাপকভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং অনলাইনে সিরিজ ধারাবাহিক বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু হয়। "এই প্রমাণাদি কি এই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছে যে মেয়েটি আসামিকে আকৃষ্ট করেছিল এবং কারও সাথে সাক্ষাত করার জন্য এবং কারো সাথে থাকার জন্য ?" সে প্রশ্ন তোলে। আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে যে সে কোন ধরনের কাপড় পরতো। সে এমন একটি থং পরেছিল যেটির সামনের দিকে লেস লাগানো।" বিক্ষোভের শুরু যেভাবে আদালতের রায়ের ওপর প্রকাশনাটি প্রকাশের পরপরই ব্যারিস্টারের যুক্তিতর্ক সমালোচনা করেন ডাবলিনের রেপ ক্রাইসিস সেন্টার-এর প্রধান । যদিও তিনি রায় নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলেননি, তিনি আইনি ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি তুলেছেন। অব্যাহত মিডিয়া নজরদারির মধ্যে আইরিশ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা আদালতে এ ধরনের বক্তব্যে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে। আদালতে এ ধরনের কৌশল উপস্থাপনের প্রতিবাদে আইরিশ নারীরা 'হ্যাশট্যাগ দিস ইজ নট কনসেন্ট' দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তাদের আন্ডার গার্মেন্টস এর আকৃতি, রং এবং ম্যাটেরিয়াল এর ছবি তুলে পোস্ট করতে থাকেন।। অনেকেই অন্যান্য দেশের উদাহরণ তুলে ধরেন যেসব দেশের কঠোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এবং ধর্ষণের বিচারে কী ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বিচারকরা তাদের অপরাধ বিবেচনায় নিতে পারেন। আয়ারল্যান্ডের জাতীয় পার্লামেন্টে লেস লাগানো আন্ডারওয়্যার প্রদর্শনের পর মিজ কপিংগার একজন সমর্থককে বলেন, বিচারক এবং কৌসুলিদের জন্য বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ চালু করতে হবে। এই বিচারকে ঘিরে বিতর্ক স্মরণ করিয়ে দেয় দুজন হাই-প্রফাইল রাগবি খেলোয়াড়ের বিচারকে ঘিরে বিক্ষোভের কথা। তাদেরকে এই বছরের শুরুর দিকে ধর্ষণের ঘটনায় নির্দোষ বলে উত্তর আয়ারল্যান্ডের আদালত। এই ঘটনা সীমান্তের দুইদিকেই ব্যাপক বিতর্কের সূত্রপাত ঘটায়। বুধবার বিভিন্ন আইরিশ শহরে বিক্ষোভ থেকে যে দাবি তোলা হয়েছে আদালতে ভূক্তভোগীকে দোষারোপের ইতি টানতে হবে। কর্ক- যেখানে এই বিতর্কিত বিচারকাজ চলেছে সেখানে আনুমানিক ২০০ মানুষ জড়ো হয়েছে কোর্ট-ভবন এর উদ্দেশ্যে পদযাত্রার জন্য এবং এ যাত্রায় আন্ডারওয়্যার থাকবে। বুধবার পশ্চিমাঞ্চলীয় লিমারিক শহরে বিক্ষোভ হয় এবং দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় ওয়াটারফোর্ড শহরে বিক্ষোভ শুক্রবার। | A series of protests over sexual consent have been taking place in Ireland, a week after a man was acquitted of raping a 17-year-old. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | চীনা মহাকাশ স্টেশন তিয়ানহে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে ওয়েনচাং মহাকাশ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে তিয়ানহে নামের এই মডিউলে রয়েছে নভোচারীদের থাকার জন্য ঘর। চীনের ওয়েনচাং মহাকাশ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে লং মার্চ ফাইভবি নামের রকেটের মাধ্যমে এই মহাকাশ স্টেশনটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। চীন আশা করছে, তাদের নতুন মহাকাশ কেন্দ্রটি ২০২২ সালের মধ্যেই কাজ করতে শুরু করবে। মহাকাশে এখন একমাত্র একটিই স্পেস স্টেশন আছে যেটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন, যেটা চীনকে ব্যবহার করতে দেয়া হয় না। মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে চীন তার কার্যক্রম শুরু করেছে বেশ দেরিতে। মাত্র ২০০৩ সালে চীন প্রথম তার নভোচারীকে কক্ষপথে পাঠায়। চীন তখন ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর মহাকাশ অভিযানের দৌড়ে তৃতীয় দেশ। আরও পড়তে পারেন: এখন পর্যন্ত চীন মহাকাশের কক্ষপথে এর আগে পাঠিয়েছে দুটি স্পেস স্টেশন। তিয়ানগং-১ এবং তিয়ানগং-২- এ দুটিই ছিল পরীক্ষামূলক মহাকাশ স্টেশন। এগুলো ছিল খুবই সাদামাটা ধরনের মডিউল, যেখানে নভোচারীদের তুলনামূলকভাবে অল্প সময় থাকার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। বর্তমানের নতুন তিয়ানগং স্টেশনটির ওজন ৬৬ টন এবং এর অনেকগুলো মডিউল রয়েছে। এই স্টেশন কাজ করতে পারবে অন্তত ১০ বছর। তিয়ানহে হল এই স্থায়ী তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনের মূল অংশ। এটির দৈর্ঘ্য ১৬.৬ মিটার, এবং প্রস্থ ৪.২ মিটার। এই মডিউল মহাকাশ স্টেশনে শক্তি সরবরাহ করবে এবং স্পেস স্টেশনটিকে কক্ষপথে ঘোরাবে। নভোচারীদের থাকার ব্যবস্থা এবং জীবনরক্ষার প্রযুক্তিও থাকবে এই মডিউলে। চীনের অন্তত আরও দশটি একইধরনের উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে কক্ষপথে অতিরিক্ত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম পাঠানো হবে। তাদের পরিকল্পনা হল আগামী বছরের মধ্যে এই স্টেশন চালু করার কাজ সম্পন্ন করার। এই স্টেশনটি ৩৪০ থেকে ৪৫০কিলোমিটার দূরত্বে পৃথিবীর কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করবে। কক্ষপথে প্রদক্ষিণকারী একমাত্র মহাকাশ স্টেশন আইএসএস (ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশন) তৈরি হয়েছিল রাশিয়া, আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপ এবং জাপানের সমন্বিত উদ্যোগে। চীনকে এই উদ্যোগে অংশ নিতে দেয়া হয়নি। আইএসএস-এর ২০২৪ সালে অবসর নেবার কথা অর্থাৎ ওই বছরই এটির কার্যক্ষমতা ফুরিয়ে যাবে। তখন তিয়ানগং-ই হবে পৃথিবীর কক্ষপথে একমাত্র মহাকাশ স্টেশন। চীনে বিবিসির সংবাদদাতা স্টিফেন ম্যাকডোনেল বলছেন, চীন তার মহাকাশ কর্মসূচি দেরিতে শুরু করলেও, অন্য দেশগুলোর সাথে পাল্লা দেবার জন্য তারা এক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়েছে। এবং মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষাও প্রবল। আমেরিকা চীনকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কর্মসূচিতে অংশ নিতে না দেয়ার পর চীন নিজের মহাকাশ স্টেশন নিজেরাই তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। তিয়ানগং যখন পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে, তখন তারা বর্তমান আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের চেয়ে আকারে ছোট হলেও, তাদের স্টেশনটিই হবে পৃথিবীর কক্ষপথে একমাত্র স্পেস ল্যাব। চীন মঙ্গলগ্রহে অভিযান নিয়ে কাজ করছে এবং রাশিয়ার সাথে একযোগে চাঁদে একটি মহাকাশ স্টেশন তৈরি করবে। মি. ম্যাকডোনেল বলছেন, তখন শীতল যুদ্ধকালীন মহাকাশ জয়ের দৌড়ের মত একটা পরিবেশ স্পষ্টতই তৈরি হতে পারে, যেখানে বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুফলের পাশাপাশি বাড়বে অবিশ্বাসের বাতাবরণও। লং মার্চ ফাইভবি ওয়াই টু রকেট যেটির মাধ্যমে তিয়ানহে মডিউল মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে চীনের 'মহাকাশ স্বপ্ন' চীনের মহাকাশ কর্মসূচি বিষয়ক বিশ্লেষক চেন লান এএফপি বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, এই প্রকল্প চীনের জন্য ''বিশাল গুরুত্বপূর্ণ''। "এটি হবে চীনের বৃহত্তম মহাকাশ সহযোগিতা প্রকল্প, কাজেই এটা খুবই বিরাট," তিনি বলেন। চীন তার মহাকাশ কর্মসূচি নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ খোলাখুলিভাবেই বলেছে। চীন মহাকাশ কর্মসূচিতে ব্যাপক পরিমাণ অর্থ ঢেলেছে। ২০১৯ সালে চীনই প্রথম চাঁদের সবচেয়ে বেশি ভেতরে নভোচারীবিহীন রোভার নভোযান পাঠিয়েছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেশটির মহাকাশ কর্মসূচিকে সর্বতোভাবে সাহায্য করছেন এবং চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম প্রায়ই দেশটির "মহাকাশ স্বপ্নের" নানা খবর দিয়ে "জাতিকে উজ্জীবিত" করছে। আরও পড়তে পারেন: | China has launched its first lunar rover mission, the next key step in the Asian superpower's ambitious space programme. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | প্রথম ডোজ নেয়ার তিন সপ্তাহ পরে এসব টিকা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৩৩ শতাংশ সক্ষম বলে দেখা গেছে। এই দুইটি টিকার যে কোনোটির দুই ডোজ নেয়া হলে তা কেন্ট ওয়ান ভ্যারিয়েন্টের মত (ইউকে ভ্যারিয়েন্ট) ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রেও সুরক্ষা দিতে পারে। তবে প্রথম ডোজ নেয়ার তিন সপ্তাহ পরে এসব টিকা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৩৩ শতাংশ সক্ষম বলে দেখা গেছে। তবে কেন্ট ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এটি ৫০ শতাংশ সক্ষম বলে দেখা গেছে। গবেষণা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান, পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড বলছে, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু এড়াতে এসব টিকা আরও বেশি কার্যকরী বলে দেখা গেছে। ফাইজারের টিকা দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার পর সেটি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণ ঠেকাতে ৮৮ শতাংশ কার্যকর বলে দেখা গেছে। আর কেন্ট ভ্যারিয়েন্ট (ইউকে ভ্যারিয়েন্ট) ঠেকাতে সেটা ৯৩ শতাংশ কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে। অন্যদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে ৬০ শতাংশ কার্যকরী বলে দেখা গেছে। আর কেন্ট ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে সেটি ৬৬ শতাংশ কার্যকরী। আরও পড়ুন: চীনা উপহারের টিকা বাংলাদেশে - কারা পাবেন সিনোফার্মের ভ্যাকসিন? টিকায় 'দারুণভাবে' কাজ হচ্ছে: স্কটল্যান্ডে জরিপের ফল শুধু ভারত থেকে করোনাভাইরাসের টিকা আনার সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক ছিল? বাংলাদেশে টিকা পেতে অনিশ্চয়তা, রাশিয়া ও চীন থেকে আনার চেষ্টা বাংলাদেশে এখন অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা দেয়া হচ্ছে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড (পিএইচই) বলছে, দুইটি ডোজের পর কার্যকারিতার এই পার্থক্যের কারণ হতে পারে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজটি ফাইজারের তুলনায় পরে দেয়া হয়ে থাকে। ফাইজারের টিকাটি অনুমোদন পেয়েছেও আগে। অন্যান্য তথ্যে দেখা গেছে, সর্বোচ্চ সক্ষমতা লাভ করতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার বেশি সময় লাগে। পাঁচই এপ্রিল থেকে ১৬ই মে পর্যন্ত চালানো এই গবেষণায় ১২,৬৭৫ জনের ওপর গবেষণা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১,০৫৪ জন ছিলেন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট, যেটি বি.১.৬১৭.২ নামে পরিচিত। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বিষয়টি জানার পর গবেষণায় সব বয়সীদের তথ্য বিবেচনায় নেয়া হয়েছিল। কিন্তু ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এসব টিকা সক্ষম হলেও সেই সক্ষমতার মাত্রা কতটা, তা বোঝার মতো যথেষ্ট তথ্য গবেষণায় ছিল না বলে পিএইচই জানিয়েছে। বিবিসির স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদদাতা নিক ট্রিগেল বলছেন, ভাইরাসের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষার বিষয়টি সবসময়েই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। সুতরাং, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রজেনেকার এই উচ্চ মাত্রার সুরক্ষা দেয়ার ক্ষমতা সবাইকে অনেক বেশি আশ্বস্ত করে তুলেছে। কারণ বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, এগুলোর মাধ্যমে ভাইরাসকে পরাজিত করা যাবে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: লকডাউন বাড়ল আরো এক সপ্তাহের জন্য, তবে বাস-লঞ্চ-ট্রেন চলবে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম দুবাইয়ের 'নিখোঁজ' প্রিন্সেস লতিফার ছবি হঠাৎ ইনস্টাগ্রামে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' | The Pfizer and AstraZeneca coronavirus vaccines are highly effective against the variant identified in India after two doses, a study has found. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ইরানের রেড ক্রিসেন্টের একটি দল ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধান করছে। ইউক্রেনীয় বোয়িং ৭৩৭-৮০০ তেহরানের বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার ঠিক কয়েক মিনিটের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়ে যায়, ওই ঘটনায় আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই। বৈশ্বিক বিমান বিধিমালার অধীনে, এই ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়ার অধিকার ইরানের রয়েছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সাধারণত এসব তদন্তে যুক্ত থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, কয়েকটি দেশই ব্ল্যাক বক্সগুলো বিশ্লেষণ করতে সক্ষম। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে ইরাকের দুটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই এই বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। তবে দুটি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র থাকার কোনও প্রমাণ মেলেনি। সাধারণত মার্কিন সংস্থা বোয়িং সম্পর্কিত যে কোনও আন্তর্জাতিক তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহণ সুরক্ষা বোর্ড ভূমিকা রাখে। তবে বোর্ডকে অবশ্যই অনুমতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুসারে কাজ করতে হয়। ২০২০ সালের ৮ ই জানুয়ারী তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দরের কাছে ১৭৬জন যাত্রী নিয়ে ইউক্রেনীয় বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরে লোকজন ধ্বংসস্তূপের পাশে ভীড় করে। ইরানের রক্ষণশীল মেহের সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত বক্তব্যে ইরানের সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (সিএও) প্রধান আলী আবেদজাদেহ বলেছেন: "আমরা ব্ল্যাক বক্সটি বিমানটির প্রস্ততকারক সংস্থা বোয়িং অথবা যুক্তরাষ্ট্রকে দেব না।" "এই দুর্ঘটনাটি ইরানের বিমান সংস্থা তদন্ত করবে তবে ইউক্রেনীয়রাও উপস্থিত থাকতে পারে," তিনি যোগ করেন। মিঃ আবেদজাদেহ বলেছেন যে এটি এখনও পরিষ্কার নয় যে কোন দেশ এই ব্ল্যাক বক্সগুলো বিশ্লেষণ করবে - যার মধ্যে রয়েছে একটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার। বোয়িং বলছে যে, "তারা যে কোনও প্রয়োজনে সহায়তা দিতে প্রস্তুত"। এদিকে ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন যে, তার দেশ তদন্তে ভূমিকা রাখতে চায় এবং এজন্য তিনি প্রযুক্তিগত সহায়তারও প্রস্তাব দিয়েছেন। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে বিমানের একটি ইঞ্জিনের অংশবিশেষ পাওয়া যায়। কি হয়েছিল? বুধবার কিয়েভে যাওয়ার পথে ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের পিএস-৭৫২ ফ্লাইটের উড়োজাহাজটি ১৭৬ জন আরোহী নিয়ে ইরানে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে থাকা বেশিরভাগ যাত্রী ছিলেন ইরান এবং কানাডার নাগরিক। ইউক্রেনের তেহরান দূতাবাস এই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে প্রথমে ইঞ্জিন ব্যর্থতার কথা বললেও পরে বিবৃতিটি সরিয়ে দিয়ে তারা জানায়, কমিশনের তদন্তের আগে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কোন মন্তব্যই আনুষ্ঠানিক নয়। উড়োজাহাজটি ইরানের রাজধানীর কাছাকাছি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় আবহাওয়া পরিষ্কার ছিল বলে জানিয়েছে ফ্লাইটরেডার-টোয়েন্টিফোর এভিয়েশন ওয়েবসাইট। এছাড়া বিমান সংস্থাটির কর্মকর্তাও বলেছেন যে বিমানটির ক্রুরাও ছিলেন অভিজ্ঞ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছেন, আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত "এই বিপর্যয় সম্পর্কে কোন অনুমান বা মনগড়া তথ্য দেয়া যাবে না।" ইরানী গণমাধ্যম বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে প্রযুক্তিগত সমস্যাকে দায়ী করছে এবং বিমানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে তারা বলছে যে কোনও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়নি। মিঃ আবেদজাদেহ বলেছেন, এই দুর্ঘটনার সাথে সন্ত্রাসবাদের কোন যোগসূত্র নেই, জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মেহের। বিমান সংস্থাটি ২০১৬ সালে বোয়িং- এর "পরবর্তী প্রজন্মের" ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি কিনেছিল বিমানটিতে কারা ছিল? নিহতদের মধ্যে ৮২ জন ইরানি, ৬৩ জন ক্যানাডিয়ান, ১১ জন ইউক্রেনিয়ান, যাদের মধ্যে ৯ জনই ক্রু, ১০ জন সুইডিশ, চারজন আফগান, তিনজন ব্রিটিশ এবং তিনজন জার্মান নাগরিক ছিলেন। নিহতদের মধ্যে ১৫ জন শিশু। তবে পরে জার্মান সরকার বলেছে যে "ইরানের বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে জার্মান নাগরিক আছে কি সে বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই "। ইরানের জরুরি অভিযানের প্রধান জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১৪৭ জন ইরানী ছিলেন। ওই বিমানে ৬৫ জন আরোহীর দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল। মিঃ ট্রুডো জানিয়েছেন, ফ্লাইটে ১৩৮ জন যাত্রী কিয়েভ হয়ে ক্যানাডা যাচ্ছিলেন। মিঃ ট্রুডো বলেন, "যে সমস্ত লোকেরা তাদের বাবা-মা, তাদের বন্ধুবান্ধব, তাদের সহকর্মী বা তাদের পরিবারের কাছে ফিরবে না, তাদের সবারই অনেক সম্ভাবনা ছিল, এই জীবন থেকে তাদের আরও অনেক কিছু পাওয়ার ছিল"। ইউক্রেনীয় এয়ারলাইন্স বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর ফ্লাইটের ডেটা এখন অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে দেখা গিয়েছে যে, বিমানটি তেহরান থেকে ছাড়ার সময় স্বাভাবিকভাবে উড্ডয়ন করেছিল। বিমানের ধ্বংসস্তূপ। প্রায় ৮,০০০ ফিট (২,৪০০ মিটার) উঁচুতে পৌঁছানোর পরে বিমানের ডেটা হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যায়। এটি অস্বাভাবিক। তবে ঘটনাটির কারণ জানানোর ব্যাপারে আমাদের কাছে এই পর্যায়ে কোনও প্রমাণ নেই। পূর্বের কিছু বিমান দুর্ঘটনা তদন্তকারীর মতে, পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আগে ইঞ্জিন ব্যর্থতার কথা বলা ঠিক হবে না। প্রাথমিক পর্যায়ে এই সম্ভাবনাটি উড়িয়ে দেওয়া যায় না তবে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর মতো বিমানটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেটা ইঞ্জিনের ব্যর্থতা থাকা সত্ত্বেও যেন উড়তে পারে। এছাড়াও, যদি ইঞ্জিনে কোন সমস্যা থাকে তাহলে ফ্লাইটের ডেটায় দেখা যাবে যে বিমান আরোহণের গতি কমে গেছে। আরো পড়ুন: 'আমেরিকার মুখে চড় মেরেছি': আয়াতোল্লাহ খামেনি ‘বাতাস দিয়ে খাদ্য’ তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা জেএনইউ নিয়ে দীপিকার 'স্ট্যান্ড' কেন ব্যতিক্রমী? ১০ হাজার উট মেরে ফেলবে অস্ট্রেলিয়া 'জীবনে প্রথম প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নেমেছি' | Iran has said it will not hand over black box flight recorders recovered from a plane that crashed with 176 people on board to manufacturer Boeing or to the US. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১৯৭৭ সালে জিমি কার্টার গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যে। তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল লন্ডনের 'জি সেভেন' শীর্ষ বৈঠকে অংশ নেয়া। তবে ঐ সফরে তিনি নিউক্যাসলও গিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাকি বিশ্বের সম্পর্ক উন্নয়নের এক মহাপরিকল্পনার অংশ ছিল নিউক্যাসল। তাই নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিউক্যাসল সিভিক সেন্টারের বাইরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রায় ২০ হাজার মানুষের সামনে ভাষণের মাধ্যমে বিশ্ব রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেছিলেন মি. কার্টার। ঐ অনুষ্ঠান সম্পর্কে স্থানীয় পত্রিকা ক্রনিকলের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল, "তারা বিমানবন্দর, রাস্তাঘাট, সিভিক সেন্টারের বাইরে সব জায়গায় তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে জড়ো হয়েছিল। এবং তিনি সেই অভ্যর্থনা সাদরে গ্রহণ করেছিলেন।" একসময় এভাবেই ব্রিটিশ জনতা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানাতো। ১৯৭৭ সালে যুক্তরাজ্য সফরে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ১৯৬১ সালে জন এফ. কেনেডি'র যু্ক্তরাজ্য সফরের সময় তাঁকে আর তাঁর স্ত্রী জ্যাকি'কে একনজর দেখার জন্য প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ লন্ডন বিমানবন্দর সংলগ্ন রাস্তায় সারি বেঁধে দাড়িয়েছিল। সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল যুক্তরাজ্যে, যা এত মানুষ জড়ো হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ ছিল। আর সবশেষ যুদ্ধে (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ) যুক্তরাজ্যের সহযোগী ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্টরা যুক্তরাজ্যে আসতো অনেকদিন বিরতির পর। প্রথম সফরকারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন উড্রো উইলসন, যিনি ১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে ব্রিটেন গিয়েছিলেন। এরপর ২৭ বছর পর, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুক্তরাজ্য সফরে যান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা ঐতিহাসিকভাবে ব্রিটেনের রাজপরিবারের কাছ থেকেও সৌহার্দপূর্ণ ব্যাবহার পেয়েছে। পঞ্চাশের দশকের প্রেসিডেন্ট ডুয়াইট আইজেনহাওয়ার রাণীর পছন্দের ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যিনি একমাত্র প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাজপরিবারের অবকাশ যাপনের স্থান বালমোরাল দুর্গে আমন্ত্রিত ছিলেন। প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি'র যুক্তরাজ্য সফরের সময় তাঁকে দেখতে জড়ো হওয়া মানুষ প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের সাথেও বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী হয় রাণীর। ১৯৮২ সালে উইন্ডসর দুর্গে থাকার জন্য রাণী ব্যক্তিগতভাবে মি. রিগ্যানকে নিমন্ত্রণ করেন। ১৯৯৪ সালে বিল ক্লিনটন ও হিলারি ক্লিনটনকে রাজকীয় প্রমোদতরী 'ব্রিটানিয়া'তে রাত্রিযাপনের সম্মান দেয়া হয়। ১৯১৮'তে উইলসনের পর জর্জ বুশ ২০০৩'এ প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাকিংহাম প্রাসাদে রাত্রিযাপন করেন। ১৯১৮ সালে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাজ্য সফর করেন উড্রো উইলসন আর ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সফরে উইন্ডসর অতিক্রম করার সময় রাজপ্রাসাদে এক কাপ চা'য়ের জন্য নিমন্ত্রিত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁর পূর্বসূরিরা যেরকম রাজনৈতিক অভ্যর্খনা পেয়েছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প তা'ও পাবেন না। ১৯৯৭ সালে বিল ক্লিনটন মন্ত্রীসভার সাথে বৈঠক করেছিলেন সেরকমও কোনো কার্যক্রম নেই ট্রাম্পের সফরে। এমনকি ২০১১'তে সফরের সময় প্রেসিডেন্ট ওবামা'র ডাউনিং স্ট্রিট বাগানে বার্গার বানানো বা সংসদের দুই সভাতে ভাষণ, কিছুই থাকছে না ট্রাম্পের সফরে। ২০১১'তে ব্রিটেন সফরের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সাথে বারাক ওবামা এসবের পরিবর্তে মি. ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রীর গ্রামের বাড়ি 'চেকার্স'এ ভ্রমণে যাবেন, ১৯৭০ সালে যেমনটা গিয়েছিলেন রিচার্ড নিক্সন। মি. ট্রাম্পের এই সফর আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় সফর নয়। রাষ্ট্রীয় সফরের পরিকল্পনা থাকলেও তার দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। রাষ্ট্রীয় সফরে ভুলত্রুটি বলাই বাহুল্য, রাষ্ট্রীয় সফরও অনেকসময়ই পরিকল্পনামাফিক হয় না। ১৯৮২ সালে রাণী'র পক্ষ থেকে রোনাল্ড রিগ্যানকে পাঠানো আমন্ত্রণের জবাব দিতে দেরী করেছিল হোয়াইট হাউজ, যার ফলে সেসময় কিছুটা কূটনৈতিক অস্থিরতা তৈরী হয়েছিল। ১৯৮২ সালে উইন্ডসর প্রাসাদে রাণী'র সাথে রোনাল্ড রিগ্যান ১৯৯৭'এ টেমস নদীতে চলমান এক বজরাকে জায়গা করে দিতে লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজ খুলে দেয়ায় বিল ক্লিনটনের বিশাল গাড়িবহরকে কিছুক্ষণের জন্য দু'ভাগে ভাগ হয়ে যেতে হয়। সেসময় প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা রক্ষীরা বেশ ক্ষুদ্ধ হয়েছিলেন। কাজেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই পরিদর্শন যেন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য চেষ্টার অন্ত থাকবে না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সফর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সফরকে উদ্দেশ্য করে বিক্ষোভ প্রদর্শনের নানা ধরণের পরিকল্পনা থাকলেও, তাঁর কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে লন্ডন থেকে চেকার্স, চেকার্স থেকে উইন্ডসর আর উইন্ডসর থেকে স্কটল্যান্ডের যাত্রায় বিক্ষোভকারীদের সাথে তাঁর দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে বিক্ষোভ কার্যক্রম আড়াল করলেও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যুক্তরাজ্যের রজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্য আলোচনায় আসছে এই সফরের আগে। ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বাণিজ্য শুল্ক আরোপ, ইরান পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করা, জেরুসালেমে মার্কিন দুতাবাস স্থানান্তর করা, যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারিসহ নানা সিদআন্তের সমালোচনা করেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। কাজেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের এসপ্তাহের সফরের মাধ্যমে দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গভীরতা | Donald Trump's trip to the UK will be the 12th by a US president. But this working, not state, visit is expected to be different to those that have gone before. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট: নানা দেশে নানা অজুহাতে সরকার এই কাজ করে মারকোস লেমা একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন কোম্পানি 'আইসএডিস' এর প্রতিষ্ঠাতা। তার এই কাজের জায়গাটি প্রতিদিন যাদের উপস্থিতিতে সরগম থাকে, তাদের অনেকের চোখেই বড় স্বপ্ন। কিন্তু যখন ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়, তখন তাদের সবকিছু অংকুরেই যেন নষ্ট হয়ে যায়। একটি ডিজিটাল অধিকার গোষ্ঠী 'একসেস নাউ' বিবিসির সঙ্গে যেসব তথ্য শেয়ার করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে গত বছর ৩৩টি দেশে অন্তত ২০০ বার ইচ্ছেকৃতভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। "যখন এমনটা হয়, তখন এখানে গাড়ি চলাচলও যেন বন্ধ হয়ে যায়। এখানে কেউ আসে না। যদিও আসে, বেশিক্ষণ থাকে না। কারণ ইন্টারনেট ছাড়া তারা এখানে করবেটাই বা কী", বলছেন মারকোস। "একটা সফ্টওয়্যার তৈরি করে দেয়ার জন্য আমরা একটা চু্ক্তি করেছিলাম, কিন্তু আমাদের সেটি বাতিল করে দিতে হয়েছিল, কারণ আমরা সময়মত কাজটা করতে পারতাম না.... এখানে কোন ইন্টারনেট সংযোগ ছিল না। আমাদের আন্তর্জাতিক কাস্টমাররা মনে করতো, আমরা তাদের উপেক্ষা করছি। আসলে ব্যাপারটা তা নয়, আমাদের কিছু করার ছিল না।" আদ্দিস আবাবায় নিজের অফিসে মারকোস লেমা "মোটরবাইক চালকরা খাবার পৌঁছে দেয়ার বদলে বসে থাকে। ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া মানুষ তো অনলাইনে বা অ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার দিতে পারে না", বলছেন মারকোস। "যখন ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়, তখন ব্যবসা-বাণিজ্য আর মানুষের ওপর এর একটা বড় ধাক্কা এসে পড়ে।" বিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ এঘটনা শুধু ইথিওপিয়ায় নয়, আর এর প্রতিক্রিয়া কেবল অর্থনৈতিক নয়। 'একসেস নাউ' তাদের গবেষণায় দেখতে পেয়েছে এভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার কারণে সারা বিশ্ব জুড়ে লাখ লাখ মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে সরকারি কর্মকর্তারা চাইলেই ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিতে পারে। তারা অনেক সময় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয় একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ইন্টারনেট সিগন্যাল বন্ধ করে দিতে। অথবা অনেক সময় একটি নির্দিষ্ট ওয়েব ঠিকানা বা সার্ভিস তারা ব্লক করে দেয়। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, বিশ্বের অনেক দেশের সরকার এখন এটিকে দমননীতির একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। বিবিসি নতুন কিছু তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখতে পাচ্ছে, এভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার সঙ্গে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সময়ের একটা সম্পর্ক আছে। কেবল ২০১৯ সালেই ৬০টি প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে ১২ বার। বিভিন্ন দেশের সরকার অবশ্য যুক্তি দেখায় যে জননিরাপত্তার স্বার্থে বা ভুয়া খবর ছড়ানো বন্ধ করতে তাদের এরকম ব্যবস্থা নিতে হয়। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, ব্যাপারটা মোটেই তা নয়, এটা করা হয় অনলাইনে তথ্য সরবরাহ বন্ধ করতে এবং রাস্তায় যে কোন ধরণের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দমনের লক্ষ্যে। . ২০১৬ সালে জাতিসংঘ ইন্টারনেটের সংযোগকে মানবাধিকার বলে ঘোষণা করেছিল। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) ইন্টারনেটে সবার যুক্ত হওয়ার সুযোগকে অন্যতম লক্ষ্য বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশের নেতারা এই ধারণাটি মেনে নিতে রাজী নন। ২০১৯ সালের অগাষ্টে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যাবি আহমেদ ঘোষণা করেন যে ইন্টারনেট 'পানি' বা 'বাতাস' নয়। কাজেই জাতীয় স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে ইন্টারনেট বন্ধ করার বিষয়টি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেই যাবে। অন্যান্য খবর: মিসরের সাবেক শাসক হোসনি মোবারক মারা গেছেন সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্ত ভারতের ছয় জন বিচারপতি শহরে ট্রাম্প, তবু যেভাবে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল দিল্লি পাপিয়াকে ঘিরে বিতর্কে আওয়ামী লীগে অস্বস্তি তবে মিস্টার অ্যাবির এই ঘোষণায় মারকোস লেমা এখনো ক্ষুব্ধ। "সরকার ইন্টারনেটকে এখনো অতি জরুরী জিনিস বলে ভাবে না। তারা মনে করে ইন্টারনেট মানে কেবল সোশ্যাল মিডিয়া, কাজেই এটার যে একটা অর্থনৈতিক গুরুত্ব আছে, অর্থনীতির ওপর এর কী প্রভাব পড়ে, সেগুলো তারা বুঝতে পারে না।" ভারতে সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের শিকার হয়েছে বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চল ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের শীর্ষে ভারত ২০১৯ সালের যে নতুন তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যায় গত বছর ভারতেই সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় গত বছর ১২১ বার মোবাইল ডাটা বা ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬৭ শতাংশ ক্ষেত্রে এই ইন্টারনেট বন্ধ করার ঘটনা ঘটেছে ভারত শাসিত বিতর্কিত অঞ্চল কাশ্মীরে। মধ্য আফ্রিকার দেশ শাডে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল। ২০১৮ সালে এই ইন্টারনেট শাটডাউন শুরু হয়, চলে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১৫ মাস ধরে। সুদান এবং ইরাকেও ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল। তখন লোকজনকে 'অফলাইনে' তাদের সব কাজ সারতে হয়েছে। তবে এই প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট বন্ধ করার প্রভাব-প্রতিক্রিয়া ছিল ভিন্ন। কোন দেশে হয়তো পুরো দেশেই ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, কোথাও কোন সুনির্দিষ্ট অঞ্চলে, আবার কোন দেশে হয়তো কেবল সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ব্লক করে দেয়া হয়েছিল। অনেক দেশের সরকার ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের জন্য 'থ্রটলিং' বা 'শ্বাসরোধে'র পথ বেছে নেয়, এধরণের ব্ল্যাকআউট মনিটর করা কঠিন। এতে আসলে ইন্টারনেট ডাটা সার্ভিসের গতি খুব ধীর করে দেয়া হয়। যেমন কোন দেশে হয়তো ফোর-জি মোবাইল ডাটা সার্ভিস আছে, কিন্তু সেটিকে টু-জি'তে নামিয়ে আনা হলো যাতে কেউ ভিডিও শেয়ার করতে না পারে বা লাইভস্ট্রীম করতে না পারে। ২০১৯ সালে সুদানে বিক্ষোভের সময় ইন্টারনেট-টেলিফোন সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ২০১৯ সালের মে মাসে তাজিকিস্তানে এরকম ঘটনা ঘটেছিল। সেদেশের প্রেসিডেন্ট তখন স্বীকার করেছিলেন সব ধরণের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বন্ধের জন্য এটা করা হয়েছিল। কারণ তার ভাষায় 'ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সাইটে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা চলার ঝুঁকি আছে।' কিছু কিছু দেশ, যেমন রাশিয়া এবং চীন, এমন এক ধরণের ব্যবস্থা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে যেখানে পুরো দেশের ইন্টারনেটকে বাকী বিশ্ব থেকে একদম বিচ্ছিন্ন করে ফেলা যাবে। ইন্টারনেটের ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা এটি। ডিজিটাল অধিকার গোষ্ঠী 'একসেস নাউ' বলছে, "মনে হচ্ছে যেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পরস্পরের কাছ থেকে শিখছে কিভাবে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং ইন্টারনেট একেবারে বন্ধ করে দেয়ার চরম পদক্ষেপটি কীভাবে নেয়া যায়। তাদের লক্ষ্য সমালোচকদের মুখ বন্ধ করা এবং কোন নজরদারি ছাড়াই মানবাধিকার লঙ্ঘন চালিয়ে যাওয়া।" | From his high-rise desk overlooking the sprawling city of Addis Ababa, Markos Lemma has a pretty good view. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | রাজপরিবারের এই বিয়ের খরচ নিয়ে চলছে নানা হিসেবে নিকেশ। কিন্তু বিয়ে যখন রাজপরিবারের, তখন ওই বিয়েতে কতো খরচ হবে সেটা খুব আন্দাজ করা না গেলেও এটা অনুমান করা খুব একটা কঠিন কিছু নয় যে খরচটা বি-শা-ল। এই বিয়েতে অতিথি হয়ে সারা দুনিয়া থেকে আসবেন কতো নামী দামী আর গুরুত্বপূর্ণ সব ব্যক্তি, আছে নিরাপত্তার মতো বিষয়, একই সাথে জাঁকজমক নানা আয়োজন- সুতরাং শেষ পর্যন্ত খরচের বিলটা যে কয়েক মিলিয়নে গিয়ে ঠেকবে সেটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এতো ভূমিকা টানা হচ্ছে কারণ আগামীকাল শনিবার বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছেন ব্রিটেনের প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কল। এই বিয়ে নিয়ে হৈচৈ চলছে- কী মিডিয়াতে, কী দোকানপাটে, রাস্তাঘাটে, এবং সাধারণ মানুষের মুখে মুখে তো বটেই। আলোচনার নানা বিষয়- বিয়ের অনুষ্ঠানটি কেমন হবে, কেমন দেখাবে বর ও কনেকে, তার সাথে আরো একটি জিনিস নিয়ে আলোচনা হচ্ছে- রাজপরিবারের এই বিয়েতে কতো খরচ হতে পারে আর এজন্যে কি সাধারণ লোকজনকে তাদের পকেট থেকে পয়সা খরচ করতে হবে? নিরাপত্তা খরচ বিয়ে হবে লন্ডনের কাছের শহর উইন্ডসরে। ধারণা করা হচ্ছে, এই বিয়েকে কেন্দ্র করে এক লাখের মতো মানুষ উইন্ডসরে গিয়ে হাজির হতে পারে। বিয়েতে যোগ দেওয়ার জন্যে ৬০০ জন অতিথির কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে রাজপরিবার। আরো ২০০ অতিথি উপস্থিত থাকবেন সন্ধ্যায় নবরাজদম্পতিকে দেওয়া রিসেপশনে। আরো আছেন ১২০০ সাধারণ অতিথি, তার উপস্থিত থাকবেন উইন্ডসর কাসেলের মাঠে। আরো পড়তে পারেন: বিয়ের পর কী করছেন প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কল মালয়েশিয়ার রাজনীতি যেন শেক্সপিয়ারের নাটক যে সেলফি অ্যাপ ফেসবুককে পেছনে ফেলে দিয়েছে ডিউক এন্ড ডাচেস অফ কেমব্রিজের বিয়েতে নিরাপত্তা বাবদ প্রায় ৬৪ লাখ পাউন্ড খরচ করেছিল মেট্রোপলিটন পুলিশ। এতো অতিথির দেখাশোনার জন্যে প্রয়োজন বড় রকমের পরিকল্পনা। আর নিরাপত্তার খরচ তো আছেই। সম্ভবত এই খাতেই খরচ হবে সবচেয়ে বেশি। কতো খরচ হবে নিরাপত্তার পেছনে সেটা নিয়ে নানা কাগজে নানা ধরনের হিসেবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এসব হিসেবে আসলেই কতোটা ঠিক- সেটা জানতে বিবিসির রিয়েলিটি চেক থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা হোম অফিসের সাথে। তারা বলছে, 'জাতীয় নিরাপত্তার' স্বার্থে এই হিসেব প্রকাশ করবে না তারা। টেমস ভ্যালি পুলিশ বলছে, "আমরা আপনাকে কোন নম্বরের হিসেব দেব না, যদিও আমরা জানি যে আপনারা এসব অঙ্কের হিসাব খুব ভালোবাসেন।" তবে একটা হিসেবে আমরা জানি সেটা হলো ডিউক এন্ড ডাচেস অফ কেমব্রিজের বিয়েতে (প্রিন্স চার্লসের বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম এবং ক্যাথরিন) নিরাপত্তা বাবদ মেট্রোপলিটন পুলিশ ( জনগণের করের অর্থ) প্রায় ৬৪ লাখ পাউন্ড খরচ করেছিল। তথ্য অধিকার আইনে এই হিসেব প্রেস এসোসিয়েশনের কাছে প্রকাশ করা হয়েছিল। হবু দম্পতি- প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কল। তবে প্রিন্স হ্যারি ও মিস মার্কলের বিয়ের সাথে উইলিয়াম ও ক্যাথরিনের বিয়ের খরচের তুলনা করা কঠিন। কারণ বিয়ের স্থান ও অতিথির সংখ্যা দুটো বিয়েতে আলাদা। অন্যান্য খরচ বিয়ের অনুষ্ঠান বাবদ ঠিক কতো খরচ হবে কেনসিংটন প্যালেস থেকে সেবিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এর আগে প্রিন্স উইলিয়াম এবং ক্যাথরিনের বিয়েতে কতো খরচ হয়েছে সেটা কখনো প্রকাশ করা হয়নি। যুক্তরাজ্যে ব্রাইডবুক নামে একটি ওয়েবসাইটের হিসেব হচ্ছে- বিয়েতে খরচ হতে পারে প্রায় সোয়া তিনশো কোটি পাউন্ড, নিরাপত্তার খরচসহ। তারা বলছে, কেকের পেছনে খরচ হবে ৫০ হাজার, ফুলের পেছনে এক লাখ ১০ হাজার, খাওয়া দাওয়া বাবদ প্রায় তিন লাখ পাউন্ড ইত্যাদি ইত্যাদি। উইন্ডসর ক্যাসেল এই হিসেবে কীভাবে করা হলো- জানতে চাইলে কোম্পানিটির প্রধান বলেছেন, বিয়ে উপলক্ষে রাজপরিবার যেসব জিনিস কেনাকাটা করেছে, সেগুলোর বাজারদর ধরে এই অর্থ হিসেব করা হয়েছে। তাতে খরচ দাঁড়িয়েছে সোয়া তিন কোটি পাউন্ড। ব্রিটেনের একটি কাগজ মেট্রো বলছে, এদেশে গড়ে একটি বিয়ের পেছনে খরচ হয় প্রায় ১৮ হাজার ডলার। কাগজটি আরো লিখেছে, বিয়ে হবে যেখানে সেই হল ভাড়া হিসেবে খরচ হবে সাড়ে তিন লাখ পাউন্ড। খাওয়া দাওয়ায় আরো প্রায় তিন লাখ। পানীয়ের পেছনে দুই লাখ। পোশাকে তিন লাখ। ফুলের জন্যে এক লাখের বেশি। কেকের পেছনে ৫০ হাজার। গানবাজনার জন্যে আরো তিন লাখ। চুল সাজানো ও মেকাপ ১০ হাজার। এবং বিয়ের আংটি ৬ হাজার পাউন্ড। তবে মনে রাখতে হবে এটা কিন্তু শুধুই অনুমান। কারণ আমরা জানি না যে যারা খাবার দাবার, ফুল কিম্বা কেক সরবরাহ করবে তারা বড় ধরনের কোন ডিসকাউন্ট দেবে কিনা। রাজপরিবারের বিয়ে বলে কথা! কে বহন করছে খরচ? নিরাপত্তার পেছনে যে খরচ হবে সেটা আসবে জনগণের দেওয়া কর থেকে। আপাতত টেমস ভ্যালি পুলিশকে এই খরচ বহন করতে হবে। তবে বিয়ের পরে অনুদান চেয়ে তারা আবেদন করতে পারবে হোম অফিসের কাছে। বাদবাকি খরচ রাজপরিবারের পক্ষ থেকে। | From choosing the cake to the flowers and even the chair-covers, anyone who's ever planned a wedding knows it can be eye-wateringly expensive. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | বৃহস্পতি গ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপে অবস্থিত জেমিনি নর্থ টেলিস্কোপের ইনফ্রারেড থেকে এসব ছবি পাওয়া গেছে। পৃথিবীতে থেকে বৃহস্পতি গ্রহের তোলা এটাই সবচেয়ে সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ। গ্রহটির ছবির এই রেজোল্যুশন পাওয়ার জন্য বিজ্ঞানীরা ' লাকি ইমেজিং' নামের একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন, যা পৃথিবীর অশান্ত বায়ুমণ্ডলের ভেতর দিয়ে দেখার সময় যে ঝাপসা ভাবটি আসে, সেটা দূর করে দেয়। এই কৌশলে লক্ষ্যবস্তুর একাধিক ছবি তোলা হয় এবং যে ছবিগুলোর মান সবচেয়ে ভালো হয়, শুধুমাত্র সেগুলো সংরক্ষণ করা হয়। যখন এরকম সবগুলো 'লাকি শটস' একত্র করা হয়, তখন শুধুমাত্র একটি ছবির তুলনায় অনেক বেশি পরিষ্কার চিত্র পাওয়া সম্ভব হয়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: লকডাউন ভেঙে পড়ায় সরকারের সামনে এখন উপায় কী? হ্যান্ডশেকের যুগ কি শেষ হতে চলেছে, এর বিকল্প কী হতে পারে? ২০১৯ সালের মহাকাশের সেরা কিছু ছবি করোনাভাইরাস: স্কুল বন্ধে শিক্ষা কার্যক্রম ছাড়াও কী হারাচ্ছে শিশুরা? হাবল টেলিস্কোপের মতো টেলিস্কোপগুলো যতটা আলোক তরঙ্গ শনাক্ত করতে পারে, ইনফ্রারেড টেলিস্কোপ তার চেয়ে দীর্ঘতর তরঙ্গদৈর্ঘ্য শনাক্ত করতে পারে। মেঘাছন্ন এবং কুয়াশায় ভরা বৃহস্পতি গ্রহের বায়ুমণ্ডলের শীর্ষস্তর দেখতে এটি অতীতে ব্যবহৃত হতো। যা দিয়ে বিজ্ঞানীরা গ্রহটির অভ্যন্তর বোঝার চেষ্টা করতেন। বিজ্ঞানীরা আরো পরিষ্কারভাবে বোঝার চেষ্টা করছেন যে, এই গ্রহটির বিশাল গ্যাসস্তর নির্ভর আবহাওয়া কীভাবে তৈরি হয়েছে এবং টিকে রয়েছে। বিশেষ করে কয়েক দশক, এমনকি শতাব্দী জুড়ে কীভাবে সেখানকার দুর্দান্ত ঝড়গুলো অব্যাহত থাকে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একটি গবেষণার অংশ হিসাবে এই ইনফ্রারেড ছবিগুলো পাওয়া গেছে। এটি এটি যৌথ গবেষণা কর্মসূচীর অংশ যেখানে হাবল টেলিস্কোপের পাশাপাশি জুনো মহাকাশযান সম্পৃক্ত রয়েছে, যেটি সৌরমণ্ডলের এই পঞ্চম গ্রহটি ঘিরে প্রদক্ষিণ করছে। বৃহস্পতিগ্রহ সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য বৃহস্পতি গ্রহ পৃথিবীর তুলনায় ১১গুণ প্রশস্ত এবং তিনশো গুণ বেশি বড়। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে এটি পৃথিবীর হিসাবে ১২ বছর সময় লাগে এবং এর এটির একেকটি 'দিন' ১০ ঘণ্টার । গঠন প্রণালীতের নক্ষত্রের সঙ্গে এর মিল রয়েছে, এটি বেশিরভাগ হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসে তৈরি। চাপের কারণে হাইড্রোজেন ধাতুর মতো হয়ে রয়েছে বলে মনে করা হয় । এই ধাতুর মতো হাইড্রোজেন সেখানকার চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের উৎস হতে পারে । গ্রহটিতে দেখতে পাওয়া মেঘের উপরের স্তরে অ্যামোনিয়া এবং হাইড্রোজেন সালফাইড রয়েছে। বৃহস্পতিগ্রহের নিম্ন-অক্ষাংশের 'অঞ্চল' পূর্ব-পশ্চিম বাতাস তৈরি করে। গ্রহটিতে যে বিশাল লাল বিন্দু দেখা যায়, সেটা হলো বিশাল ঝড় ভরটেক্স, যা পৃথিবীর চেয়ে বেশি প্রশস্ত বৃহস্পতিগ্রহের যে ছবি আপনি আগে কখনো দেখেন নি | Astronomers have produced a remarkable new image of Jupiter , tracing the glowing regions of warmth that lurk beneath the gas giant's cloud tops. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | সীমান্তে উত্তেজনার পর ভারতে চীন বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এই উত্তেজনা কমানো এবং সংঘাত এড়ানোর জন্য দুই দেশ এখন আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দুদিক থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই উত্তেজনা এবং সংঘাত সম্পর্কে অনেক মিথ্যে এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এরকম কিছু মিথ্যে তথ্য এবং দাবি যাচাই করে দেখেছেন বিবিসির 'রিয়েলিটি চেকের' শ্রুতি মেনন এবং উপাসানা ভাট। দাবি: চীনের সেনাদের সীমান্তে পাঠানোর পর তারা কাঁদছে রায়: বিভ্রান্তিকর এই ভিডিওটিকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার করেছেন কিছু মানুষ। এরপর গত সেপ্টেম্বরে তাইওয়ানের কিছু গণমাধ্যমের নজরে পড়ে ভিডিওটি। তারা এটি প্রচার করে। এরপর ভিডিওটি ভাইরাল হয় ভারতে। সেখানে লোকজন এই বলে চীনা সৈন্যদের উপহাস করতে থাকে যে সীমান্তে পাঠানো হয়েছে বলেই তারা কাঁদছে। ভিডিওটি এপর্যন্ত তিন লাখ বারের বেশি দেখা হয়েছে অনলাইনে। ভারতে 'জি নিউজ' থেকে শুরু করে বড় বড় গণমাধ্যমে এটি প্রচারিত হয়েছে। বিভ্রান্তিকর: ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এই ছবি এই ভিডিওতে দেখা যায় চীনা সৈন্যরা একটি মিনিবাসে চড়ে যাচ্ছে। তারা ম্যান্ডারিন ভাষার একটি জনপ্রিয় সামরিক গান গাইছে। মূলত বাড়ির জন্য মন কাঁদছে এরকম একটি বিষয়ে এই গান। লাল এবং হলুদ রঙের যে উত্তরীয় সৈন্যরা পড়ে আছে, তাতে লেখা, 'সামরিক বাহিনীতে যোগ দাও মর্যাদার সঙ্গে।' কিন্তু বিবিসির রিয়েলিটি চেক এমন কোন প্রমাণ পায়নি, যা দেখে বলা যাবে এই সৈন্যদের ভারত সীমান্তে পাঠানো হচ্ছিল। চীনের গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, এই সৈনিকরা সেনাবাহিনিতে নতুন যোগ দিয়েছে। এরা আনহুই প্রদেশের ইয়াংযু জেলার ফাইয়াং শহরের লোক। পরিবারের সদস্যদের বিদায় দেয়ার পর তারা একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিল। চীনা মেসেজিং অ্যাপ উইচ্যাটে একটি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম গত ১৫ই সেপ্টেম্বর ভিডিওটি নিয়ে একটি বার্তা পোস্ট করে। সেখানে তারা বলছে, এই সৈনিকরা তাদের ব্যারাকে ফিরছিল। এদের মধ্যে পাঁচজন তিব্বত অঞ্চলে দায়িত্ব পালনে স্বেচ্ছায় আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু এই বার্তায় এমন কথা নেই যে এদেরকে সীমান্তে নিয়োজিত করা হয়েছে। কিংবা ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনার কথাও এতে নেই। গত ২২শে সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসের চীনা ভাষার সংস্করণে এই ভিডিওর খবরটি প্রকাশিত হয়। এতে তাইওয়ানের গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় যে তারা এটি নিয়ে মিথ্যে তথ্য প্রচার করছে। পিতা-মাতাকে অশ্রুসজল চোখে বিদায় জানানোর ঘটনার এই ভিডিওকে তারা চীন-ভারত সীমান্তের পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত বলে দেখিয়েছে। দাবি: ভারতীয় সৈন্যরা চীনা লাউডস্পীকার থেকে আসা সঙ্গীতের তালে নাচছে রায়: এটি পুরোনা ভিডিও, সীমান্তে লাউডস্পীকার বসানোর কথা জানার বহু আগের। গত ১৬ই সেপ্টেম্বর ভারত এবং চীন উভয় দেশের গণমাধ্যমে এরকম একটি খবর প্রচারিত হয়। এতে বলা হয়, ভারতীয় সৈন্যদের মনোযোগ অন্যদিকে ফেরানোর জন্য চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি সীমান্ত বরাবার লাউডস্পীকার বসাচ্ছে এবং সেগুলো থেকে পাঞ্জাবী গান বাজাচ্ছে। গণমাধ্যামের রিপোর্টে আরও বলা হয়, চীনা সেনাবাহিনী এমন এক জায়গায় এসব লাউডস্পীকার বসিয়েছে যেটি ভারতীয় সেনাদের ২৪ ঘন্টার নজরদারিতে আছে। ভারত এবং চীন, উভয় দেশের গণমাধ্যমে এই খবরটি প্রচার করা হয় 'সেনাবাহিনীর সূত্র' উদ্ধৃত করে। পুরোনো ভিডিও: সীমান্তে লাউডস্পীকার আসার আগের ছবি এটি কিন্তু এই রিপোর্টের সঙ্গে কোন ছবি ছিল না, কোন ভিডিও চিত্রও শেয়ার করা হয়নি। এরকম ঘটনা যে ঘটেছে, তার ভারতীয় সেনাবাহিনির তরফ থেকেও নিশ্চিত করা হয়নি। কিন্তু তারপরও ভারতে সোশ্যাল মিডিয়া প্রচুর মানুষ এই পুরোনো ভিডিও শেয়ার করেছে। যাতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় সৈন্যরা পাঞ্জাবী গানের তালে তালে নাচছে। বিবিসির রিয়েলিটি চেক দেখেছে, সীমান্তে লাউডস্পীকার বসানোর অনেক আগের ভিডিও এটি। আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে শেয়ার করা একটি ভিডিও রীতিমত ভাইরাল হয়েছিল। এটিতে দেখা যাচ্ছিল, পাঞ্জাবী সঙ্গীতের তালে তালে পাঁচ জন সৈনিক নাচছে। ৮৮,০০০ মানুষ ভিডিওটি দেখেছে। যারা এটি শেয়ার করেছেন, তারা দাবি করছিলেন, লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে ঘটেছে এই ঘটনা। কিন্তু 'রিভার্স-ইমেজ সার্চ' করে দেখা যাচ্ছে এই ভিডিওটি আসলে এবছরের জুলাই মাসের। যদিও ভিডিওটি আসলে ঠিক কোন জায়গায় রেকর্ড করা হয়েছে তা পরিস্কার নয়, ঐ সময়ের বিভিন্ন খবর দেখে বোঝা যায় এটি আসলে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ঘটনা। চীন-ভারত সীমান্তে এটি ধারণ করা হয় বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। দাবি: চীনের একটি বিশাল স্পীকার আছে, যা থেকে খুব জোরে সঙ্গীত বাজিয়ে ভারতীয় সৈন্যদের আহত করা হয়েছে রায়: এই যন্ত্রটি দিয়ে যে সীমান্তে গান বাজানো হয় এরকম কোন প্রমাণ নেই। এটি আসলে লাউড স্পীকার সম্পর্কিত আগের দাবিরই একটি ভিন্ন রূপ। একজন চীনা টুইটার ব্যবহারকারী একটি বিরাট যন্ত্রের এই ভিডিওটি শেয়ার করেন। তিনি দাবি করেন যে, এটি ব্যবহার করা হচ্ছে খুব উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে ভারতীয় সেনাদের অসুস্থ এবং আহত করার জন্য। এটি লাউডস্পীকার নয়, একটি মোবাইল সাইরেন। দুই লাখ বারের বেশি এই ভিডিওটি অনলাইনে দেখেছেন মানুষ। একটি ভারতীয় নিউজ চ্যানেলে পর্যন্ত এই ভিডিওটি দেখানো হয়েছে একই দাবি করে। আসলে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও ক্লিপটি ২০১৬ সালের মার্চ মাসের। ইউটিউবে ভিডিওটি ছাড়া হয়েছিল। যন্ত্রটি বানিয়েছে একটি চীনা কোম্পানি, তারা নিরাপত্তা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি তৈরি করে। ভিডিওটি তাদেরই করা। যে যন্ত্রটির ছবি শেয়ার করা হয়েছে, সেটি আসলে একটি 'মোবাইল ওয়ার্নিং সাইরেন'। এটি বেশ বড়, ওজন প্রায় ৪ দশমিক ৬ টন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোন জরুরি অবস্থার সময় বেসামরিক জনগণকে সতর্ক করতে এই সাইরেন ব্যবহার করা হয়। কোম্পানির ওয়েবসাইটে এই যন্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে এরকম বিবরণই দেয়া আছে। এটি গান বাজানোর কোন লাউডস্পীকার নয়। আর এই সাইরেন চীনা সেনবাহিনী সীমান্তের কাছে ব্যবহার করছে কীনা, সেটাও ঠিক পরিস্কার নয়। আর অন্যদিকে, ভারতের কোন সৈন্যের কানের পর্দা ফেটে গেছে, এরকম খবরও কিন্তু কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। দাবি: ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বহনকারী একটি বাস দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হয়। রায়: বিভ্রান্তিকর, কারণ এই দুর্ঘটনা সীমান্তের কাছে ঘটেনি। এটি ভারত-চীন সীমান্তে নয়, ছত্তিশগড়ের ছবি চীন থেকে একজন টুইটারে ২১শে সেপ্টেম্বর একটি ভিডিও পোস্ট করে, যাতে দাবি করা হয়, সীমান্ত নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতীয়রা মাঝামাঝি জায়গা পর্যন্ত আসতে পারছে না, কারণ 'ভারতীয় সৈন্যরা নিজেরাই মারা পড়ছে, তাদের বাঁচাতেই তারা ব্যতিব্যস্ত।' ভিডিওতে দেখা যায়, একটি সামরিক বাস নদীতে ডুবে যাচ্ছে, কাছে দাঁড়িয়ে আছে ভারতীয় সৈন্যরা। আর নীচের লেখায় দাবি করা হচ্ছে, "লাদাখে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আত্মহত্যার ভয়ংকর চেষ্টা।" এই ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৫,০০০ বার। এই ভিডিওটি আসল, ভুয়া নয়। কিন্তু এই দুর্ঘটনা ভারত-চীন সীমান্তের কাছে নয়। এটি ভারতের মধ্যমাঞ্চলীয় প্রদেশ ছত্তিশগড়ে ঘটেছে। গত সেপ্টেম্বরে বিজাপুর জেলায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বহনকারী এই বাস বন্যায় একাকার হয়ে যাওয়া নদীর পানিতে পড়ে যায়। তখন ভারতীয় গণমাধ্যমে এই দুর্ঘটনার খবর বেরিয়েছে। উল্টে যাওয়া বাসটার ছবিও দেখানো হয়েছিল। তবে সেখানে কেউ মারা যায়নি। | Tensions along the border between India and China remain high after a clash in June which killed at least 20 Indian soldiers. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ভিন্নমত প্রকাশের কোন সুযোগ নেই উত্তর কোরিয়ায়। উত্তর কোরিয়ার সংসদে আনুষ্ঠানিক নাম 'সুপ্রিম পিপলস্ অ্যাসেমব্লি' (এসপিএ) এবং এতে ভোটদান বাধ্যতামূলক। সরকারি তালিকার বাইরে এতে অন্য কোন প্রার্থী বেছে নেয়ার সুযোগ থাকে না। বিরোধী দল বলেও কিছু নেই। এই ধরনের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার ১০০%। সরকার যে জোট তৈরি করবে সেই জোটকেই সর্বসম্মতভাবে ভোট দিতে হবে। উত্তর কোরিয়া সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন। কিম পরিবার বংশপরম্পরায় এই দেশটি শাসন করছে। শাসক পরিবার এবং ক্ষমতাসীন নেতার প্রতি সম্পূর্ণ আনুগত্য দেখানো প্রত্যেক নাগরিকের জন্য বাধ্যতামূলক। কীভাবে ভোট হয়? সরকারের সমর্থনে উল্লাস প্রকাশ করা উত্তর কোরীয়দের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। নির্বাচনের দিনে ১৭ বছর বয়সের ওপর সব নাগরিককে ভোট দিতে হয়। "আনুগত্যের প্রমাণ হিসেবে আপনাকে খুব ভোরে নির্বাচন কেন্দ্রে হাজির হতে হবে," বলছেন উত্তর কোরীয় বিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ ফিয়োদর টার্টিস্কি, "এর মানে হলো সবাই একসাথে হাজরি হওয়ার পর ভোটকেন্দ্র লম্বা লাইন।" এরপর ভোটার যখন ভোটকেন্দ্রে ঢুকবেন, তখন তার হাতে একটি ব্যালট পেপার দেয়া হবে। ব্যালট পেপারে একটাই নাম থাকবে। সেখানে কোন কিছু লিখতে হবে না। কোন বাক্সে টিক চিহ্ন থাকবে না। ভোটার শুধু ব্যালট পেপারটি নিয়ে একটি বাক্সে ভরে দেবে। ভোটের বাক্সটিও সাধারণত খোলা অবস্থায় রাখা হয়। নির্বাচন কেন্দ্রে ভোটের বুথ থাকে। কিন্তু কেউ সেখানে যায় না, বলছেন বিশ্লেষকেরা, কারণ সেটা করা হলে সেই ভোটারের আনুগত্য নিয়ে সন্দেহ তৈরি হতে পারে। আপনি চাইলে ব্যালট পেপারের নামটিও কেটে দিতে পারেন। মি. টার্টিস্কি বলেছেন, কিন্তু সেটা করলে নিশ্চিতভাবেই সরকারের গোপন পুলিশ আপনার সম্পর্কে খোঁজ-খবর শুরু করবে। এধরনের কাজ যারা করেছে, তাদের মধ্যে কয়েকজনকে পাগল আখ্যা দেয়া হয়েছে। কিম পরিবার কয়েক প্রজন্ম ধরে দেশ শাসন করছে। আরও পড়তে পারেন: মোদী সরকার টিকছে কি না, জানা যাবে ২৩শে মে মানসা মুসা: সর্বকালের সেরা ধনী যে মুসলিম শাসক ভারত পাকিস্তানের টিভি স্টুডিওতে যেভাবে যুদ্ধ হলো 'ভোট দেয়া' শেষ হয়ে গেলে ভোটাররা নির্বাচন কেন্দ্রের বাইরে যাবেন এবং সেখানে উপস্থিত অন্যান্য ভোটের সাথে মিলে আনন্দ প্রকাশ করবেন এই কারণে যে দেশের সুযোগ্য নেতাদের প্রতি সমর্থন জানাতে পেরে আপনি খুবই খুশি। "উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে ভোটের দিনটিকে বরাবর একটি উৎসব হিসেবে দেখানো হয়," - বলছেন মিনইয়াং লি। তিনি উত্তর কোরিয়ার ওপর 'এনকে নিউজ' নামে একটি নিউজ ওয়েবসাইটের সাংবাদিক। যেহেতু ভোটদান বাধ্যতামূলক, তাই নির্বাচনের তথ্য বিশ্লেষণ করে কর্তৃপক্ষ জানতে পারে কে ভোট দিতে যায় নি, কিংবা কে দেশ ছেড়ে চীনে পালিয়ে গেছে। সংসদের হাতে তাহলে কী ক্ষমতা রয়েছে? 'সুপ্রিম পিপলস্ অ্যাসেমব্লি' (এসপিএ) মূলত ক্ষমতাহীন, রাজনীতির ভাষায় যাকে রাবার-স্ট্যাম্প সংসদ বলা হয়। প্রতি পাঁচ বছর পর পর সংসদ নির্বাচন হয়। এটিই রাষ্ট্রের একমাত্র আইন প্রণয়নকারী শাখা। "আমি জানি বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো প্রায়ই বলে: 'এসপিএ-র ক্ষমতা খুবই সামান্য,'" বলছেন উত্তর কোরীয় বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ফিয়োদর টার্টিস্কি, "কিন্তু আমি বলবো এর ক্ষমতা আসলে শূন্য।" উত্তর কোরিয়ার আইন তৈরি হয় ক্ষমতাসীন দলের হাতে আর সংসদ শুধুমাত্র সেগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেয়। উত্তর কোরিয়ায় ১৭ বছর থেকে শুরু করে সব বয়সের নাগরিকের ভোটদান বাধ্যতামূলক। তত্ত্বগতভাবে সংসদের হাতে যে ধরনের ক্ষমতা থাকা উচিত তার কিছু মাত্র নেই এসপিএ-র হাতে। সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন পেলে সে দেশের সংবিধানকে বদলে ফেলা সম্ভব। আর সংসদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কিম জং-আনকে তারা ক্ষমতা থেকে অপসারণ করাও সম্ভব, বলছেন বিশ্লেষকরা। তবে সমস্যা হলো এসপিএ-র অধিবেশনও খুব নিয়মিতভাবে হয় না। প্রথম অধিবেশনের ছোট একটি কমিটি গঠন করা হয়, যেটি সংসদের পক্ষ হয়ে কাজ করে। উত্তর কোরিয়ায় কী বিরোধীদল নেই? আপনি হয়তো ভাবতে পারেন উত্তর কোরিয়ায় বিরোধীদলের কোন অস্তিত্বই নেই। কিন্তু জেনে অবাক হবেন যে সে দেশের সংসদে তিনটি দল রয়েছে। কিম জং-আনের নেতৃত্বাধীন ওয়ার্কার্স পার্টির রয়েছে সবচেয়ে বেশি আসন। অন্যদিকে, সোশাল ডেমোক্র্যাট পার্টি আর চন্ডোইস্ট চঙ্গু পার্টির সামান্য কিছু আসন রয়েছে। তবে এই তিনটি দলের মধ্যে বিশেষ কোন তফাৎ নেই। তারা সবাই মিলে তৈরি করেছে এক জোট যেটি মূলত দেশ পরিচালনা করে। এই জোটের নাম 'ডেমোক্র্যাটিক ফন্ট ফর দ্য রিইউনিফিকেশন অফ কোরিয়া।' | North Koreans are voting to elect the country's rubber-stamp parliament, the second such election since Kim Jong-un took power. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | চীনে ফেস মাস্ক ব্যাপক ব্যবহৃত হয় কিন্তু চীনের কত মাস্ক দরকার এবং এগুলো কোথায় উৎপাদিত হয়। যদিও বিশেষজ্ঞরা বরাবরই এসব মাস্কের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দিহান, তারপরেও মুখ ঢাকার মাস্ক সাধারণ মানুষ ও হাসপাতাল স্টাফরা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে। চীনে ভাইরাস এমনভাবে ছড়িয়েছে যে আক্রান্ত কত জন সেটি নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন। কিন্তু একটি আইডিয়া পাওয়ার জন্য হুবেই প্রদেশের অবস্থা দেখা যেতে পারে, যেখান থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে মনে করা হয়। পুরো প্রদেশে মেডিকেল স্টাফ আছে প্রায় পাঁচ লাখ। চীনে স্বাস্থ্য উপদেশ হিসেবে প্রতিনিয়ত মাস্ক পরিবর্তনের পরামর্শ দেয়া হয়। মেডিকেল টীমের জন্য এটি দিনে চারবার। এর মানে হলো প্রতিদিন বিশ লাখ মাস্ক দরকার শুধু মেডিকেল স্টাফদের জন্য। এটা হলো উহানের অন্যতম প্রধান একটি হাসপাতালে অনুসরণ করা একটি প্রক্রিয়া। ভাইরাস আক্রান্ত অন্য প্রদেশগুলোর তথ্য এ মূহুর্তে নেই কিন্তু ধারণা করা যেতে পারে সেখানকার অবস্থাও একই রকম। •তবে প্রায় পাঁচ লাখ গণপরিবহণ কর্মীকে মাস্ক পরিধান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে •এছাড়া দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আরো কিছু পাবলিক প্লেসে জনসাধারণকে মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয় ভেতরে প্রবেশের শর্ত হিসেবে এরপর দেশটিতে সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপকভাবে মাস্ক ব্যবহারের প্রবণতা আছে সেটি স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শে থাকুক আর না থাকুক। তাই এটি বলা খুবই কঠিন যে আসলে কত মাস্ক দেশটিতে দরকার হয়। তবে এটি পরিষ্কার যে এর চাহিদা ব্যাপক এবং সেটিও বাড়ছে। আর এবার নববর্ষের ছুটির পর কাজে ফেরা মানুষের জন্য এ সংখ্যা আরও বেড়ে যাচ্ছে। এন৯৫ রেসপিরেটরি মাস্ক কত মাস্ক চীনে উৎপাদন হয়? সাধারণ পরিস্থিতিতে চীনে প্রতিদিন দুই কোটির মতো মাস্ক উৎপাদিত হয়, যা পুরো বিশ্বের দৈনিক উৎপাদনের অর্ধেক। তবে দেশটিতে নববর্ষের ছুটি আর করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে মাস্কের উৎপাদন এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে এখন যা পাওয়া যাচ্ছে তা চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে মানসম্পন্ন মাস্ক যা বেশি কার্যকর এবং এখন যেটি বেশি প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি হলো এন৯৫ রেসপিরেটর যা এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে করে বাতাসে থাকা ৯৫ভাগ কণাকে ফিল্টার করতে সক্ষম। এগুলো সাধারণ সার্জিক্যাল বা মেডিকেল মাস্কের চেয়ে ভালো, তবে এটিও বারবার পরিবর্তন করতে হয়। দেশটির শিল্প মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী চীন এখন প্রতিদিন প্রায় ছয় লাখ উঁচু মানের মাস্ক উৎপাদন করছে। এন৯৫ রেসপিরেটরি মাস্ক ও সার্জিক্যাল মাস্কের তুলনা এক রিপোর্টে বলা হয়েছে ঝেজিয়াং প্রদেশে প্রতিদিন এ ধরণের দশ লাখ মাস্ক দরকার এবং অন্য প্রদেশগুলো বলছে তারা শুধু এটুকু চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। এর বাইরে হাসপাতালগুলোর বড় ধরণের কোনো মজুদ নেই, সাধারণত তারা দু সপ্তাহের মাস্ক সংগ্রহে রাখে। এখনকার চাহিদা নিয়ে চীনের অনলাইন শপিং সাইট টাওবাও বলছে জানুয়ারিতে দুদিনে তারা আট কোটি মাস্ক বিক্রি করেছে। আরও পড়তে পারেন: মাস্ক পরে কি ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যায়? করোনাভাইরাস: চীনে থাকা বাংলাদেশিরা কেমন আছেন? করোনাভাইরাস নিরাপত্তায় যে সতর্কতা প্রয়োজন চীন কী বিদেশ থেকে মাস্ক পেতে পারে? চীন গত ২৪শে জানুয়ারি থেকে ২রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে প্রায় ২২ কোটি মাস্ক কিনেছে এবং মূলত দক্ষিণ কোরিয়া তাদের এটি সরবরাহ করেছে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে কর্তৃপক্ষ মেডিকেল উপকরণে সব শুল্ক ও ট্যাক্স প্রত্যাহার করে নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান '৩এম' যারা উচ্চ মানের মাস্কের বড় উৎপাদক, তারা বলছে বৈশ্বিক চাহিদা মেটাতে তারা উৎপাদন বাড়াবে। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ক্যামব্রিজ মাস্ক কোম্পানি যারা উচ্চ মানের রেসপিরেটরি মাস্ক উৎপাদন করে তারা বলছে ব্যাপক চাহিদার কারণে তাদের সব মাস্ক বিক্রি হয়ে গেছে। সিঙ্গাপুরের একটি ফার্মেসিতে মাস্ক শেষ হয়ে যাওয়ার নোটিশ আবার তাইওয়ান ও ভারতের মতো কিছু দেশ ফেস মাস্কের মতো কিছু দ্রব্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। তাইওয়ান বলছে তাদের নিজেদের নাগরিককে সুরক্ষা দেয়াটাই তাদের কাছে অগ্রাধিকার এবং মাস্ক কেনার ক্ষেত্রে একটি রেশনিং সিস্টেম চালু করেছে তারা। আবার কিছু দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে এমন আতঙ্ক তৈরি হওয়ার কারণে মাস্ক সংকট দেখা দিয়েছে। ৪ঠা ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ১১ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খরব নিশ্চিত করে। দেশটিতে ইতোমধ্যেই মাস্ক সংকট আছে যদিও কর্তৃপক্ষ বলেছে তারা সাধারণ মানুষকে মুখ ঢাকার মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেনা। | As the coronavirus spreads across China, the authorities there have appealed to other countries to help with supplies of protective face masks. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | বছরের পর বছর হুইলচেয়ারের সাহায্যে চলাফেরা করা জন সেয়ার্ল অবশেষে তার স্ত্রীর সাথে ভ্রমণ করতে পারছেন কয়েকবছর আগেই জন সেয়ার্ল ভেবেছিলেন যে তার জীবনাবসানের সময় ঘনিয়ে এসেছে। তার শরীর ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দিচ্ছিল। তার হাঁটতে সমস্যা হচ্ছিল, ছোট ছোট জিনিস ভুলে যাচ্ছিলেন এবং সেসময় তার মলমূত্রের নিয়ন্ত্রণ হারানো শুরু করেন। ক্যানাডার অন্টারিও এলাকার সাবেক এই প্রকৌশলী এধরণের উপসর্গের সাথে খুব ভালভাবেই পরিচিত ছিলেন। তার বোন ৫০'এর কোঠায় মারা যান আলঝেইমারে। তার বাবাও ৮০ বছর হওয়ার পরপরই ডিমেনশিয়ায় মারা যান। কাজেই তিনি এমন এক ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করা শুরু করেন যেখানে তার সজ্ঞান কোনো উপস্থিতি থাকবে না। "আপনি কোন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন সে বিষয়ে চিন্তা হওয়া শুরু করে তখন। মনে হতে থাকে, তাহলে কী এ পর্যন্তই?" ডাক্তাররা নিশ্চিত করে তাকে কোনো ব্যাধির নাম বলতে পারেননি, যার ফলে ৬৯ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত এই ইঞ্জিনিয়ার আরো ক্রোধান্বিত হন। তার রোগে পার্কিনসন্সের চিকিৎসা করে কোনো ফল পাওয়া যায়নি, তার আলঝেইমারও ছিল না। ২০১৮ সালের মধ্যে ঘরের বাইরে যেতে তার হুইলচেয়ারের সাহায্য নিতে হতো। এমনকি ঘরের ভেতরে হাটতেও তার সাহায্যের প্রয়োজন হতো। "কোনো আশাই আর বাকি ছিল না। আমি প্রতিদিন জানালার পাশে বসে মৃত্যুর অপেক্ষা করতাম।" তার স্ত্রী বারবারা বলেন, "তিনি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে থাকতেন। এরকম অনেক রাত পার হয়েছে যখন আমার মনে হতো যে চিকিৎসার জন্য আমার হয়তো বাড়িটাও বিক্রি করতে হবে।" তবে ডাক্তার আলফোনসো ফাসানসোর সাথে দেখা করার পর থেকেই অবস্থা পাল্টে যায়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প: রাতের আঁধারে নিয়ন্ত্রণ করে কারা প্রবাসীদের ভোটার করার কাজ শুরু হচ্ছে বিদেশে পড়তে ইচ্ছুকদের জন্য দরকারি কিছু তথ্য আরব বিশ্বের কাছে কাশ্মীরের চেয়ে ভারতের গুরুত্ব কেন বেশি টরোন্টোর ওয়েস্টার্ন হাসপাতালের মুভমেন্ট ডিজঅর্ডার ক্লিনিকের নিউরোলজিস্ট মি. ফাসানসো তার মধ্যে নরমাল প্রেশার হাইড্রোসেফালাস বা এনপিএইচ রোগ শনাক্ত করেন। মস্তিষ্কের কোষগুলোতে - যেগুলো মানুষের যোগযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে - যখন অতিরিক্ত পরিমাণ সেরিব্রোস্পাইনাল তরল জমা হয়, তখন এই সমস্যা তৈরি হয়। এই তরল জমা হওয়ার ফলে নাড়াচাড়ায় জটিলতা, স্মৃতি ও চেতনানাশ হওয়ার সম্ভাবনার পাশাপাশি মলমূত্রের নিয়ন্ত্রণ রাখতেও সমস্যা তৈরি হয়। আলঝেইমার, পার্কিনসন্স বা ডিমেনশিয়ার মত পরিচিত ক্ষয়িষ্ণু রোগের ক্ষেত্রেও একই ধরণের উপসর্গ দেখা যায়। হাইড্রোসেফালাস ক্যানাডা নামের একটি সংস্থার ধারণা অনুযায়ী সেদেশে ৫৫'র বেশি বয়সী প্রতি ২০০ জনে একজনের, অর্থাৎ সারাদেশে ৫৭ হাজারের বেশি মানুষের এনপিএইচ রোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হাইড্রোসেফালাস অ্যাসেসিয়েশনের মতে সেখানে ৭ লাখ আমেরিকান এই রোগের ভুক্তভোগী হলেও তাদের মাত্র ২০ ভাগের রোগ নির্ণয় সঠিকভাবে করা হয়েছে। ডাক্তার ফাসানো বলেন, "এনপিএইচ এমন একটি অবস্থা যেটিকে এখনও পরিপূর্ণভাবে বোঝা সম্ভব হয়নি।" তার মতে চিকিৎসা না করা হলে এই রোগে মানুষ বছরের পর বছর নার্সিং হোমে পড়ে থাকতে পারে, এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে জটিলতা তৈরি হলে মারাও যেতে যারে। ২০০৩ সালে মাইগ্রেনের চিকিৎসা করার সময় প্রথমবার এই রোগের নাম জানতে পারেন মি. সেয়ার্ল। এমআরআই করার পর জানা যায় যে তার মস্তিষ্কের প্রকোষ্ঠে কিছু তরল জমা হয়েছে, কিন্তু অন্যান্য পরিচিত উপসর্গ না থাকায় তার রোগ নির্ণয় করা হয়নি। ডা আলফোনসো ফাসানসো বলেন ডিমেনশিয়া থাকা অনেক রোগীই এনপিএইচের শিকার হতে পারেন এরপর দীর্ঘসময় হাঁটাচলা করতে সমস্যা এবং স্মৃতিভ্রম হওয়ার পর ২০১৪ সালে ডাক্তাররা তার মস্তিষ্কের কিছু তরল বের করে দিয়ে বোঝার চেষ্টা করেন যে তার অবস্থার উন্নতি হয় কিনা। মি. সেয়ার্লের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ডাক্তাররা ধরে নেন যে এটি হয়তো এনপিএইচ নয়। এর কয়েকবছর পর তার শরীরের অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকলে তিনি ডা. ফাসানোর সাথে দেখা করে আবারো টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেন। এবার তার স্ত্রী বারবারা তার মধ্যে কিছু ছোটখাটো উন্নতি লক্ষ্য করেন। আর সেই পরিবর্তনগুলো এতই সামান্য ছিল যে তার স্বামী নিজেও সেগুলো লক্ষ্য করেননি। বারবারা বলেন, "আমার স্বামী বিশ্বাসই করেনি যে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়েছে। তার মনে ভয় ছিল যে 'আমি যদি বিশ্বাস করে শেষে দেখি যে আসলে উন্নতি হয়নি, তাহলে অতিরিক্ত হতাশ হয়ে যাবো।'" ডা. ফাসানো তার মাথার ভেতর থেকে সরাসরি তরল বের করে আনার পদ্ধতি অবলম্বন করার পরামর্শ দেন। সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী এনপিএইচের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিই সবচেয়ে বেশি কার্যকর। এক বছরেরও বেশি সময় বাদে বর্তমানে নিজের পুরনো জীবন ফিরে পেতে শুরু করেছেন বলে মন্তব্য করেন মি. সেয়ার্ল। তার স্মৃতির পাশাপাশি চলাফেরার ক্ষেত্রেও উন্নতি হয়েছে। জিমে ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক নিয়ে নিয়মিত শরীরচর্চা করেন তিনি, শরীরের জোর ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে প্রতিদিন হাঁটতেও বের হন। "অস্ত্রোপচার চিকিৎসার কেবল ৫০%, বাকিটা আপনার মানসিকতা", বলেন মি. সেয়ার্ল। মি. সেয়ার্ল ও তার স্ত্রী একসাথে ভ্রমণ করাও শুরু করেছেন। গত শীতে তারা ফ্লোরিডা গিয়েছিল এবং লাস ভেগাস ও জ্যামাইকা যাওয়ার পরিকল্পনাও করছেন। তার স্ত্রী বারবারা বলছেন সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হয়েছে তার স্বামীর মেজাজে। "যেই বিষন্নতা তাকে গ্রাস করেছিল সেটি একেবারেই নেই। তিনি আবারও আগের মত হাসিখুশি হয়েছেন।" ডা, ফাসানসো জানান মি. সেয়ার্লের গল্প গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে, আর তারপর থেকেই ক্লিনিকে বিপুল সংখ্যক রোগী যোগাযোগ করেছেন যারা মনে করেন যে তাদের এনপিএইচ আছে এবং এর আগে যাদের ভুলভাবে চিকিৎসা করা হয়েছে। এনপিএইচ ভুলভাবে নির্ণয় করার সমস্যাটি অনেক জায়গাতেই হয়ে থাকে। তবে ডা. ফাসানসো মনে করেন পার্কিনসন্স বা আলঝেইমারওরোগের ক্ষেত্রেও সঠিক রোগ নির্ণয় হওয়া খুবই জরুরি, বিশেষ করে নিউরোলজিস্টদের দ্বারা যদি তাদের চিকিৎসা হয়ে থাকে। জাপানের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৬৫ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যার প্রায় ৩ ভাগের এনপিএইচ রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান অনুযায়ী ডিমেনশিয়ায় ভোগেন ৬০ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যার ৫ থেকে ৮ শতাংশ। ডাক্তার ফাসানসো বলেন, "আমরা যতটা মনে করি, এই রোগের বিস্তৃতি তার চেয়েও অনেক বেশি। আর এই রোগের চিকিৎসা করও সম্ভব। চিকিৎসার পর রোগীদের জীবনে নাটকীয় পরিবর্তনও আনা সম্ভব।" | When John Searle started to fall down and lose his memory, he thought it was the early signs of dementia. But it turns out he has a rare - and often undiagnosed - condition called normal pressure hydrocephalus. The good news is it's treatable. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ইংরেজি কি 'বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভাষা' হিসেবে টিকে থাকবে? যদি প্রশ্ন করা হয়, কোন দেশ সবচেয়ে বেশি ইংরেজি ভাষীদের উৎসাহ যোগাচ্ছে? কিংবা কোন দেশে মানুষ সবচেয়ে বেশি ইংরেজি ভাষা শিখছে? উত্তর হচ্ছে চীন। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস এর প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, সেখানে প্রায় ৩৫ কোটি (৩৫০ মিলিয়ন) মানুষের ইংরেজিতে অন্তত কিছু না কিছু জ্ঞান রয়েছে। এবং এরকম আরও কমপক্ষে দশ কোটি (১০০ মিলিয়ন) রয়েছে ভারতে। সম্ভবত চীনে আরও অনেক মানুষ রয়েছে যারা সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ ভাষা হিসেবে ইংরেজি কথা বলে যেখানে আমেরিকানরা তাদের ফার্স্ট ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে এটি ব্যবহার করে। (পাঁচজনের মধ্যে একজন আমেরিকান নিজেদের বাড়িতে ইংরেজি ছাড়া অন্যান্য ভাষায় কথা বলে)। কিন্তু ইংরেজি ভাষাটি আর কতদিন "বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভাষা" হিসেবে বিবেচিত হতে যাচ্ছে? দি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্য অনুসারে বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মানুষ এই ভাষায় কথা বলে। কিন্তু ৪০ কোটির কম মানুষের ফার্স্ট ল্যাঙ্গুয়েজ এটি। দোভাষী কিংবা অনুবাদকদের কি সদূর-প্রসারী ভবিষ্যৎ আছে? ইংরেজির চেয়ে বেশি অবশ্যই রয়েছে। এমনকি ইংল্যান্ডেও। উদাহরণ হিসেবে, ঐতিহাসিক বন্দর শহর পোর্টসমাউথে আঞ্চলিক উপভাষা পম্পেই এখনো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে নতুন ফর্মের অনলাইন ইংরেজি এবং আমেরিকান ইংরেজির নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও। ইংরেজি হল বিশ্বের ফেভারিট লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা-অর্থাৎ যখন দুই দেশের দুই ভাষার মানুষকে এর ওপর নির্ভর করতে হয়। যেমন কোন চীনা নাগরিক একজন ফরাসি নাগরিকের সাথে আলাপে দুজনই তাদের ফার্স্ট ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করতে না পেরে তখন নির্ভর করেন ইংরেজি ভাষার ওপরই। বছর পাঁচেক আগেও সম্ভবত সেটাই ঘটতো। কিন্তু এখন আর নয়। সেজন্য ধন্যবাদ দিতে হবে কম্পিউটারে অনুবাদ এবং কণ্ঠ শনাক্তকরণ প্রযুক্তিকে। এর ফলে এখন দুই দেশের দুজন নাগরিক নিজ নিজ দেশের ভাষাতেই কথা বলতে পারছেন এবং একে অন্যের সংলাপ মেশিনের অনুবাদের মাধ্যমে শুনতে পারছেন । সুতরাং বিশ্বের শীর্ষ ভাষা হিসেবে ইংরেজির দিন সম্ভবত ফুরিয়ে এসেছে। এখন অনলাইনে ইংরেজিতে লেখা যেকোনো আর্টিকেল কম্পিউটার কিংবা ট্যাবলেটে কয়েকটি মাত্র ক্লিকেই জার্মান কিংবা জাপানিজে রূপান্তর করে পড়া সম্ভব । তো যেখানে কম্পিউটারই সব গুরুদায়িত্ব নিজের ওপর নিয়ে নিচ্ছে সেখানে আর ইংরেজি শিখতে তোরজোড় কেন? বর্তমানে আন্তর্জাতিক ব্যবসার প্রয়োজনে কিংবা ভিডিও গেমস খেলা ও সাম্প্রতিক বিশ্ব সঙ্গীত শোনার ক্ষেত্রে ইংরেজি না জানলে সেটা কঠিন বিষয়। কিন্তু সবকিছু দ্রুত বদলে যাচ্ছে। বিবিসিতে আরও দেখতে পারেন: কেন হারিয়ে যায় ভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের ভাষা? ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির একজন বিজ্ঞানী গবেষণা করে এমন একটি ট্রান্সলেশন এবং ভয়েস শনাক্তকরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সহায়তা করছেন যার মাধ্যমে কাস্টমার সার্ভিস হেল্প-লাইনে ফান করলে মানুষ নাকি কম্পিউটার কথা বলছে তা বোঝার সাধ্যি থাকবে না। কম্পিউটারে অনুবাদ প্রযুক্তি অদূর ভবিষ্যতে মানব অনুবাদকদের মতই ভাল কিংবা তার চেয়ে বেশি উন্নত হবে না - তার কোন কারণ নেই। কিন্তু এটা কেবল একমাত্র চ্যালেঞ্জ নয়। বহু মানুষ এই ভাষাকে তাদের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ভাষা হিসেবে নিচ্ছে, হাইব্রিড ধরনের ভাষাও ছড়িয়ে পড়ছে। লেখক, দার্শনিক চসারের সময় থেকে ইংরেজির অনেক বদল ঘটেছে। কেবল মাত্র ভারতেই হিংলিশ (হিন্দি ও ইংলিশের সংমিশ্রণ) , বেংলিশ ( বাংলা ও ইংলিশ ভাষার মিশ্রণ) এবং তাংলিশ (তামিল ও ইংলিশ ভাষার মিশ্রণ) তিন রকমের ভাষা নজরে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্রে অনেক হিসপ্যানিক আমেরিকান স্প্যাংলিশ ভাষায় (অর্থাৎ ইংরেজি ও তাদের পূর্ব পুরুষদের ভাষার মিশ্রণ) কথা বলে। কিন্তু ইংরেজির ভবিষ্যৎ কি আসলেই হুমকিতে? ভাষা যোগাযোগের মাধ্যমের চেয়েও বেশি কিছু। এটা একজন মানুষের আত্ম-পরিচয়ের প্রকাশ। ইংরেজি ভাষাটি এখনো তার আধিপত্য ধরে রেখেছে বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিধর দুটো দেশের ভাষা হওয়ায়- একটি আমেরিকা অপরটি ব্রিটেন। কিন্তু এখন বিশেষ করে চীনের অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ার হিসেবে উঠে আসার সাথে সাথে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ভাষাটি। আমেরিকাতেই চাইনিজ ভাষা শেখার আগ্রহ ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। ২০১৫ সালে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, স্কুল শিক্ষার্থীদের চীনা ভাষা শেখার হার দুই বছরের মধ্যে দ্বিগুণ হয়েছে। আর কলেজ পর্যায়ে গত দশকে তা বেড়ে গেছে ৫০ শতাংশ। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে গণিত এবং ভাষা শিক্ষার ভয়াবহ চিত্র তুরস্কের সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ যুদ্ধ যদিও বিশ্বের অনেক এলাকাতে ইংরেজি জানা এখনো সাফল্যের পথে পাসপোর্ট সমতুল্য বিবেচনা করা হয়। যদিও আগামী কয়েক দশক ধরে এর বৈশ্বিক আধিপত্য হ্রাস পেতে পারে। অন্য আর সব ভাষার মত এটিও ক্রামগত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং নতুন চাহিদার সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। কম্পিউটারে অনুবাদ প্রযুক্তি, হাইব্রিড ভাষার বিস্তার, চীনা ভাষার উত্থান- এ সমস্তই ইংরেজির জন্য বাস্তব চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। | English is spoken by hundreds of millions of people worldwide, but do the development of translation technology and "hybrid" languages threaten its status? |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | অনলাইনে শিশুদের ব্যবহারের মাধ্যমে কিভাবে যৌন ব্যবসা করছেন, অন্ধকার জগতের সে গল্প তিনি বিবিসিকে বলেন। যৌনকর্মের উদ্দেশ্যে ১৪ বছর বয়সী একটি বালিকার সাথে দেখা করার কথা ছিল আব্দের রফ কুতেইনেহ'র। ৭৪ বছর বয়সী এই ব্যক্তি দু'সপ্তাহ আগে অনলাইনে বন্ধুত্ব করেন ঐ বালিকার সাথে। এ সময়ের মধ্যে শতাধিক অশালীন মেসেজ পাঠান ঐ বালিকাকে। একটি রেল স্টেশনে বালিকার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। কিন্তু তার বদলে সেখানে ৩৫ বছর বয়সী মিজ. হান্টারকে পান তিনি। মিজ. হান্টারের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ ছিল যেসবের ভিত্তিতে উইন্ডসরের মি. কুইতেনেহ'কে প্রেফতার করে পুলিশ। শ্যাডো হান্টাররা শিশুকামীদের বিরুদ্ধেপ্রায় একবছর যাবত কার্যক্রম চালিয়ে আসছে কেন্টের বাসিন্দা চেলসি হান্টার প্রায় এক বছর ধরে দ্বৈত জীবনযাপন করছেন। সন্তানদের লালন পালন আর ঘরের কাজে পার হয় তার দিন। রাতে তার পরিচয়, ১৪ বছর বয়সী ক্লো। মিজ. হান্টার ও তার স্বামী "শ্যাডো হান্টার" নামের একটি সংঘের সদস্য। এই সংঘের সদস্যরা অনলাইনে অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের সাথে যৌনসম্পর্ক করতে চাওয়া পুরুষদের সাথে কমবয়সী মেয়ে সেজে কথা বলে এবং তাদের সাথে দেখা করতে বিভিন্ন জায়গায় যায়। সংগ্রহ করা প্রমাণ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অনেকক্ষেত্রে পুলিশ হাতেনাতেও ধরতে সক্ষম হয় খদ্দেরকে। যৌন কাজে শিশু ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে চলা তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে এই ধরনের সংঘের কার্যক্রম সাধারণত পুলিশ সমর্থন করে না। শ্যাডো হান্টারের সংগ্রহ করা তথ্য-প্রমাণে মূলত অভিযুক্ত ব্যক্তির অনলাইন চ্যাট হিস্ট্রি বা ভিডিও লগ হয়ে থাকে। মিজ হান্টার বলেন, "অনলাইনে আপনি যতক্ষণ না পর্যন্ত ছদ্মবেশ নিচ্ছেন ততক্ষণ আপনি জানতেও পারবেন না কত ধরণের যৌন শিকারী এখানে ওৎ পেতে রয়েছে।" ২০'এর কোঠা থেকে ৭০'এর কোঠায় হয়ে থাকে খদ্দেরদের বয়স। মিজ. হান্টার বলেন, "যারা পুলিশের কাছে ধরা পড়েন তাদের পরিবারের জন্য খুবই লজ্জাজনক এক পরিস্থিতি তৈরি হয়। কারণ শুরুতেই পুলিশ তাদের বাসা থেকে ঐ ব্যক্তিদের মোবাইল ফোন, কম্পিউটারের মত সব যোগাযোগের যন্ত্র জব্দ করে, যা ব্যক্তির পরিবারকেও অসম্মানজনক অবস্থায় ফেলে।" আগস্ট থেকে শ্যাডো হান্টারে যাোগ দেয়ার পর ৫০ জনেরও বেশী পুরুষের সাথে, যারা শিশুদের সাথে যৌনসম্পর্ক করতে চায়, অনলাইনে চ্যাট করেছেন মিজ. হান্টার। মিজ. হান্টার জানান তার সংগ্রহ করা প্রমাণ যেন আদালতে গ্রহণযোগ্য হয় সেজন্য বেশকিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় তাঁকে। "সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমারা কাউকে অনুরোধ পাঠাই না; তারা আমাদের সাথে বন্ধু হতে চায়।" শ্যাডো হান্টারের জন্য অনেককে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হলেও পুলিশ তাদের কাজের পদ্ধতি পছন্দ করে না "সামাজিক মাধ্যমে বন্ধু হওয়ার পরও আমরা শুরুতে তাদের কোনো মেসেজ পাঠাই না। প্রথমেই আমরা তাদেরকে আমাদের (ছদ্ম)বয়স জানাই এবং তাদের কাছে জানতে চাই তারা এতে খুশী কিনা।" "নিয়ম অনুযায়ী আমরা স্বাভাবিকভাবেই চ্যাট করি তাদের সাথে। তারাই আলোচনা যৌন সংক্রান্ত বিষয়ের দিকে নিয়ে যেতে থাকে এবং অধিকাংশ সময় দেখা করতে চায়। এটা তাদের সিদ্ধান্ত, আমরা কখনো উস্কানি দেই না।" বিবিসিকে সেসব চ্যাটের বেশকিছু স্ক্রিনশট দেখান মিজ. হান্টার যার অধিকাংশই প্রকাশের যোগ্য নয়। বিভিন্ন সময় শ্যাডো হান্টারের কাজের এই প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সংস্থাগুলো। তবে শ্যাডো হান্টার মনে করে, যারা এভাবে শিশুদের সাথে যৌন সম্পর্ক করতে চায়, তাদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের সাহায্য প্রয়োজন । মিজ হান্টার বলেন, "অবশ্যই এটি পুলিশের কাজ, কিন্তু তাদেরও বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।" সমালোচনা স্বত্তেও নিজের কাজ চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর মিজ. হান্টার "এমনকি তারাও আমাদের কাছে স্বীকার করেছে যে আমরা যে পদ্ধতিতে কাজ করি সেটি তাদের পক্ষে পরিচালনা করা সম্ভব নয়," বলেন মিজ .হান্টার। "এসব লোকেরা একটি শিশুকে যে ধরণের মেসেজ পাঠায় সেটি তার শৈশব ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট।" মিজ হান্টার বলেন' "আমার মতে এই ধরণের মানুষের বিরুদ্ধে পুলিশের যথেষ্ট কার্যক্রম নেই। আমরা যেসব মাধ্যম ব্যবহার করি তারা তা ব্যবহার করে না।" "এই অপরাধের বিরুদ্ধে আমি যদি কোনো ভূমিকা রাখতে পারি তাহলে আমি তাই করবো, সেটি পুলিশের ভালো লাগুক আর না লাগুক।" | On a typical evening Chelsea Hunter* collects her children from school, makes them dinner and puts them to bed - and then poses as a girl to chat to men. She has been speaking to the BBC about the murky underworld of online grooming. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | আইফোন ১২ আইফোন ১২ সিরিজের মডেলগুলো হলো- আইফোন ১২, আইফোন ১২ মিনি, আইফোন ১২ প্রো এবং আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স । প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিত করেছে যে এই ফোনসেটের একটি নতুন 'মিনি' মডেল থাকবে, যেটির স্ক্রিন থাকবে ৫.৪ ইঞ্চি। ১৩ই অক্টোবর মঙ্গলবার অ্যাপল প্রধান টিম কুক অনলাইন ইভেন্টটি শুরু করেন হোমপড মিনি ডিভাইস উন্মোচনের মধ্য দিয়ে। প্রধান নির্বাহী টিম কুক বলেন, "ডাউনলোড ও আপলোডের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে ফাইভ জি। আরো হাই কোয়ালিটি ভিডিও স্ট্রিমিং, আরো সংবেদনশীল গেমিং, যোগাযোগের মাত্রায় আরো নতুনত্বসহ অনেক পরিবর্তন আসবে এই প্রযুক্তিতে।" আরো পড়তে পারেন: ফাইভ-জি কি টেলিভিশনকে গিলে ফেলবে? আপনার পকেটের ফোনে লুকিয়ে থাকা গুপ্তচর মোবাইল ফোনের বিবর্তনে ভাঁজ করা স্মার্টফোন লিডার সেন্সর সাধারণত সেল্ফ ড্রাইভিং কার প্রোটোটাইপ ব্যবহৃত হলেও অ্যাপল ছবির ফোকাস ঠিক করতে এটি ব্যবহার করছে আর আইফোন ১২-এ নতুন পাঁচ ন্যানোমিটার প্রসেসে তৈরি এ১৪ বায়োনিক চিপ ব্যবহার করেছে অ্যাপল। ফলে আইফোন ১১ সিরিজের চেয়ে বেশি গতি এবং গ্রাফিক্স পাওয়া যাবে আইফোন ১২-এ। আইফোন ১২ সিরিজের সঙ্গে নতুন 'ম্যাগসেইফ' ফিচারও এনেছে অ্যাপল। ডিভাইসটির পেছনে চুম্বক পাত যোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে ওয়্যারলেস চার্জিং প্যাডে ডিভাইসটি সহজে সঠিক স্থানে বসাতে পারবেন গ্রাহক। আর আইফোনের নতুন মডেলের প্রান্তগুলো আগের মডেলগুলোর তুলনায় অপেক্ষাকৃত তীক্ষ্ণ হবে বলে জানানো হয়েছে। যেসব পরিবর্তন আসছে নতুন আইফোনে চার্জার বিহীন ফোন এই প্রথমবারের মত আইফোনের সাথে কোনো চার্জার অথবা হেডফোন দেয়া হচ্ছে না। অ্যাপল জানিয়েছে, পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অপেক্ষাকৃত বেশি দামী আইফোন ১২ প্রো মডেলে স্ক্রিনটি বড় থাকবে এবং কম আলোয় ছবি তোলার সুবিধার্থে নতুন সেন্সর ব্যবহার করা হবে। ওএলইডি ডিসপ্লেটি নতুন ধরণের পদার্থ দিয়ে সুরক্ষা দেয়া হয়েছে, যেটি সহজে ভাঙ্গবে না সিরামিক শিল্ড অ্যাপল জানিয়েছে, আইফোন ১২'তে আগের মডেলগুলোর মত ৬.১ ইঞ্চি (১৫.৫ সেমি) স্ক্রিন রয়েছে, তবে এখন জমকালো রঙয়ের সেটগুলোর জন্য এলসিডি'র বদলে ওএলইডি প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। অ্যাপল বলছে, এর কারণে নতুন আইফোন আগের চেয়ে ১১% বেশি সরু করে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে তাদের জন্য। তারা আরো জানিয়েছে যে নতুন সেটের স্ক্রিন বেশি রেজোলিউশনের এবং এতে ডিসপ্লের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে 'সিরামিক শিল্ড' ব্যবহার করা হয়েছে যার ফলে হাত থেকে পড়ে যাওয়ার হিসেবে আগের চেয়ে 'চার গুণ বেশি' সুবিধা পাওয়া যাবে। ডেপথ সেন্সর অপেক্ষাকৃত বেশি দামী মডেলগুলোতে বড় আকারের ডিসপ্লে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য সেগুলোকে নতুন করে ডিজাইন করা হয়েছে - আইফোন প্রো'এর স্ক্রিন ৫.৮ ইঞ্চি থেকে ৬.১ ইঞ্চি এবং প্রো ম্যাক্সের স্ক্রিন ৬.৫ ইঞ্চি থেকে ৬.৭ ইঞ্চি। এছাড়াও এই সেটগুলোতে 'লিডার' (লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং) স্ক্যানার সংযুক্ত করা হয়েছে। অপেক্ষাকৃত বেশি দামী মডেলগুলোতে বড় আকারের ডিসপ্লে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য সেগুলোকে নতুন করে ডিজাইন করা হয়েছে এর ফলে ফোনের আশেপাশের পরিবেশের জন্য একটি ডেপথ ম্যাপ তৈরি হয়, যার ফলে কম আলোতে অটোফোকাস 'ছয় গুণ দ্রুততায়' করা সম্ভব। এছাড়া অগমেন্টেড রিয়েলিটির কাজ করার জন্যও এই সেন্সর ব্যবহৃত হতে পারে, যদিও এই ক্ষেত্রে খুব বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়নি। ফাইভ জি স্যামসাং ২০১৯ সালে গ্যালাক্সি এস ১০ ফোন বাজারে ছাড়ে যা ফাইভ জি নেটওয়ার্কে কাজ করে এবং এর পর হুয়াওয়ে, ওয়ান প্লাস ও গুগলও এই ধরণের ফোন বাজারে ছাড়ে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেসব ফোন সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ খুব একটা বেশি নেই। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফরেস্টারের টমাস হাসন বলেন, "অ্যাপল সাধারণত নতুন প্রযুক্তি বাজারে আনে না, তারা একটি প্রযুক্তি পরিপক্ক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে এবং ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে সেই প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করে।" অ্যাপল বলছে তাদের নতুন হোমপড মিনি আগের চেয়ে বেশি থার্ড পার্টি স্মার্ট স্পিকার নিজেদের স্মার্ট স্পিকার 'হোমপড মিনি'র একটি নতুন ভার্সনও বাজারে ছেড়েছে অ্যাপল। এটি আরো ব্যাপক পরিসরের ভয়েস কমান্ড সমর্থন করে। পাশাপাশি এটিতে একটি হোম ইন্টারকম সিস্টেমও রয়েছে। অ্যাপলের প্রথম হোমপড ২০১৮ সালে বাজারে ছাড়া হয়, তবে এখন পর্যন্ত অ্যামাজন ও গুগলের স্পিকারের তুলনায় এটি অনেক পিছিয়ে রয়েছে। | Apple has confirmed its iPhone 12 handsets will be its first to work on faster 5G networks. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | মিউকোর নামের ছত্রাক দেখা যায় মাটিতে, গাছপালায়, সার এবং পচন ধরা ফলে ঐ রোগী, যিনি ডায়াবেটিক, ক্লিনিকের ভেতর সেসময় একজন কান, নাক ও গলার ডাক্তার তার নাকের ভেতর নল ঢুকিয়ে মিউকোমাইকোসিস বা বিপজ্জনক ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত কোষগুলো বের করে আনছিলেন। বিরল এই ছত্রাকের সংক্রমণ খুবই মারাত্মক যা নাক, চোখ এবং কখনও কখনও মস্তিষ্কেও আক্রমণ করে। অন্য চিকিৎসকের কাজ শেষ হলে ডা. নায়ার ঐ রোগীর চোখে অস্ত্রোপচার শুরু করবেন। ঐ রোগীর ওপর তিন ঘন্টার অস্ত্রোপচার চালিয়ে তিনি তার চোখ কেটে বাদ দেবেন। ''জীবন বাঁচাতে তার চোখ আমাকে বাদ দিতে হবে। এই রোগ থেকে বাঁচার আর কোন উপায় নেই,'' আমাকে জানান ডা. নায়ার। ভারতে যখন কোভিড-১৯ সংক্রমণের ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউ কেড়ে নিচ্ছে বহু মানুষের জীবন, তছনছ করে দিচ্ছে জনজীবন, তখন ভারতের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত এখন ধরা পড়ছে কোভিড থেকে আরোগ্যের পথে বা সুস্থ হয়ে ওঠাদের শরীরে বিরল এক সংক্রমণ- যার নাম "ব্ল্যাক ফাঙ্গাস'' বা বৈজ্ঞানিক নাম মিউকোরমাইকোসিস। আরও পড়তে পারেন: মিউকোরমাইকোসিস কী ধরনের সংক্রমণ? মিউকোরমাইকোসিস খুবই বিরল একটা সংক্রমণ। মিউকোর নামে একটি ছত্রাকের সংস্পর্শে এলে এই সংক্রমণ হয়। সাধারণত এই ছত্রাক পাওয়া যায় মাটি, গাছপালা, সার এবং পচন ধরা ফল ও শাকসব্জিতে। "এটা মাটি এবং বাতাসে এমনিতেই বিদ্যমান থাকে। এমনকি নাক ও সুস্থ মানুষের শ্লেষ্মার মধ্যেও এটা স্বাভাবিক সময়ে থাকতে পারে," বলছেন ডা. নায়ার। এই ছত্রাক সাইনাস, মস্তিষ্ক এবং ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। ডায়াবেটিস, ক্যান্সার বা এইচআইভি/এইডস যাদের আছে, কিংবা কোন রোগের কারণে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম এই মিউকোর থেকে তাদের সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। চিকিৎসকরা বলছেন মিউকোরমাইকোসিস থেকে মৃত্যুর আশংকা ৫০%। তাদের ধারণা স্টেরয়েডের ব্যবহার থেকে এই সংক্রমণ শুরু হতে পারে। কোভিড-১৯এ গুরুতরভাবে আক্রান্তদের চিকিৎসায় তাদের জীবন বাঁচাতে এখন স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে। স্টেরয়েড কোভিড-১৯ আক্রান্তদের ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। করোনাভাইরাসের জীবাণুর সাথে লড়াই করতে গিয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যখন অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে, তখন এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে যেসব ক্ষতি হয় সেই ক্ষতি থামানোর জন্যও ডাক্তাররা কোভিডের চিকিৎসায় স্টেরয়েড ব্যবহার করেন। কিন্তু এই স্টেরয়েডের ব্যবহার স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে তো বটেই, এমনকি ডায়াবেটিস নেই এমন কোভিড আক্রান্তদের শরীরের রক্তে শর্করার (ব্লাড সুগার) মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। ধারণা করা হচ্ছে যে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণেই মিউকোরমাইকোসিস সংক্রমণ ঘটছে। কোভিড রোগীদের জীবন বাঁচানোর জন্য স্টেরয়েড একটা জরুরি ওষুধ কাদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি? "ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে সেটা আরও কমে যায়। এর ওপর কোভিড-১৯এর চিকিৎসার জন্য যখন স্টেরয়েড দেয়া হয়, তখন সেটা আগুনে ইন্ধন যোগানোর মত হয়ে দাঁড়ায়," বলছেন ডা. নায়ার। ডা. নায়ার কাজে করেন মুম্বাইয়ের তিনটি হাসপাতালে। করোনাভাইরাসের প্রাণঘাতী দ্বিতীয় ঢেউয়ের তাণ্ডবে ভারতের যেসব শহর মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত, তার একটি হল মুম্বাই। তিনি বলছেন তিনি শুধু এপ্রিল মাসেই এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণে ভোগা প্রায় ৪০ জন রোগীর চিকিৎসা ইতোমধ্যে করেছেন। এদের বেশিরভাগই ছিলেন ডায়াবেটিসের রোগী, যারা কোভিড সংক্রমণের পর বাসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এদের মধ্যে এগারোজনের চোখ অস্ত্রোপচার করে ফেলে দিতে হয়েছে। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ মাত্র তিন মাসের মধ্যে মাত্র ছয়টি শহর - মুম্বাই, ব্যাঙ্গালোর, হায়দ্রাবাদ, দিল্লি এবং পুনেতে তার মাত্র ছয়জন সহকর্মী চিকিৎসক ৫৮ জন রোগীর মধ্যে এই সংক্রমণের খবর জানিয়েছেন। এদের বেশিরভাগই সেরে ওঠার ১২ থেকে ১৫ দিনের মাথায় ছত্রাক সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। মুম্বাইয়ের ব্যস্ত সিয়ন হাসপাতালে গত দুই মাসে এই ভয়ঙ্কর ছত্রাক সংক্রমণের ২৪টি কেসের কথা জানা গেছে। ঐ হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের প্রধান ডা. রেণুকা ব্র্যাডু জানাচ্ছেন এর আগে এই কালো ছত্রাক সংক্রমণ বা মিউকোরমাইকোসিসের শিকার হওয়া রোগীর সংখ্যা পাওয়া গিয়েছিল বছরে ছয়টি। "এখন প্রতি সপ্তাহে দুটি থেকে তিনটি কেস আমরা পাচ্ছি। প্যানডেমিকের মধ্যে এটা ভয়ানক বিপর্যয়কর," তিনি বিবিসিকে জানান। দক্ষিণাঞ্চলীয় ব্যাঙ্গালোর শহরের চোখের সার্জেন ডা. রাঘুরাজ হেগড়ে একই ধরনের চিত্র তুলে ধরেছেন। গত দুই সপ্তাহে তার কাছে মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়ে ১৯জন রোগী এসেছে। এদের বেশিরভাগ অল্প বয়সী। "কেউ কেউ এত অসুস্থ ছিল যে আমরা তাদের অস্ত্রোপচারও করতে পারিনি।" চিকিৎসকরা বলছেন তারা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে এই ছত্রাক সংক্রমণের ভয়াবহতা এবং এত দ্রুত তা ছড়ানোর ঘটনায় খুবই বিস্মিত। গত বছর কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময় এই ছত্রাক সংক্রমণ ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক কম। ডা. নায়ার বলছেন গত দুবছরে তিনি মুম্বাইতে ১০টির বেশি কেস পাননি। "এবছর চিত্রটা খুবই আলাদা হয়ে দাঁড়িয়েছে," তিনি বলছেন। ডা. হেগড়ে বলছেন, ব্যাঙ্গালোরে তিনি তার দুই দশকের চিকিৎসা জীবনে বছরে কখনও একটা বা দুটোর বেশি কেস দেখেননি। আরও পড়তে পারেন: ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বিপর্যস্ত শহরগুলোর একটি মুম্বাই কীধরনের উপসর্গ দেখা দেয়? ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত রোগীদের সাধারণত যেসব উপসর্গ দেখা দেয় তার মধ্যে রয়েছে: চিকিৎসকরা বলছেন বেশিরভাগ রোগীই তাদের কাছে পৌঁছচ্ছে দেরিতে। যখন তারা দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছে। এই পর্যায়ে ডাক্তারের অস্ত্রোপচার করে চোখ ফেলে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। কারণ ছত্রাকের মস্তিষ্কে আক্রমণ ঠেকাতে চোখ বাদ দেয়া ছাড় তখন বিকল্প থাকে না। ভারতের ডাক্তাররা বলছেন, কোন কোন ক্ষেত্রে রোগীরা দুচোখেরই দৃষ্টি হারাচ্ছেন। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে চিকিৎসকদের রোগীর চোয়ালের হাড়ও কেটে ফেলে দিতে হয়েছে। তবে সেগুলো একেবারে মারাত্মক সংক্রমণের ক্ষেত্রে। ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বন্ধ করার জন্য শিরার মধ্যে ইঞ্জেকশন দেবার ওষুধের দাম ভারতীয় মুদ্রায় এক ডোজ ৩,৫০০ রুপি। আর রোগীকে এই ওষুধ দিতে হবে প্রতিদিন আট সপ্তাহ ধরে। এটাই এই রোগের চিকিৎসায় একমাত্র কার্যকর ওষুধ। প্রতিরোধ কি সম্ভব? মুম্বাইয়ের ডায়াবেটিসের চিকিৎসক ডা. রাহুল বক্সি বলছেন, "এই ছত্রাক সংক্রমণ এড়ানো একমাত্র সম্ভব কোভিড-১৯এর রোগীর চিকিৎসার সময় এবং তার সুস্থ হয়ে ওঠার সময় যদি নিশ্চিত করা যায় তাকে সঠিক পরিমাণ স্টেরয়েড দেয়া হচ্ছে, সঠিক সময় ধরে।" তিনি বলছেন গত বছর তিনি ৮০০ জন ডায়াবেটিক কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা করেছেন এবং এদের কেউ কোভিড পরবর্তী ছত্রাক সংক্রমণের শিকার হননি। "রোগী সুস্থ হবার পর বা হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর তার রক্তে শর্করার মাত্রা চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা খুবই জরুরি," বলছেন ডা. বক্সি। সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন এই ছত্রাক সংক্রমণ যদিও সেভাবে মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছয়নি, কিন্তু ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কেন এভাবে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে তার কারণ এখনও সঠিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না। "এই ভাইরাসের ধরনটা আরও প্রাণঘাতী বলে মনে হচ্ছে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা খুবই বেড়ে যাচ্ছে। আর সবচেয়ে উদ্বেগের ব্যাপার হল আক্রান্ত হচ্ছে অনেক তরুণ," বলছেন ডা. হেগড়ে। আরও পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাতটি পরামর্শ | On Saturday morning, Dr Akshay Nair, a Mumbai-based eye surgeon, was waiting to operate on a 25-year-old woman who had recovered from a bout of Covid-19 three weeks ago. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ অনেক বেশি ভয়ঙ্কর হয়েছে বিবিসি নিউজ অনলাইনের এক খবরে বলা হয়েছে, বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্ট ভারতের কয়েকটি রাজ্যে অনেক বেশি সংখ্যায় পাওয়া গেছে। ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের এক কর্মকর্তা অবশ্য জানিয়েছেন, ডাবল মিউট্যান্ট-এর সাথে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সম্পর্ক পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। একটি ভাইরাসের মধ্যে যখন দুই ধরণের পরিবর্তন একত্রে মিলিত হয়, তখন সেটিকে ডাবল মিউট্যান্ট বলা হয়। ভারতের একজন শীর্ষ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেছেন, দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী। এক সংবাদ সম্মেলনে কে বিজয় রাঘবন স্বীকার করেছেন যে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ এতোটা ভয়ঙ্কর হবে, সেটি বিশেষজ্ঞরা অনুমান করতে পারেননি। সংবাদ সম্মেলনে মি. রাঘবন বলেন, "ভাইরাস বেশি মাত্রায় সংক্রমিত হবার ফলে তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী।" তবে তৃতীয় ঢেউ কখন আসতে পারে সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ভারতের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের জায়গা হচ্ছে না। এছাড়া তীব্র অক্সিজেন সংকটের পাশাপাশি মরদেহ সৎকার নিয়েও সংকট তৈরি হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য কয়েকটি রাজ্যে স্থানীয়ভাবে লকডাউন আরোপ করা হলেও দেশজুড়ে লকডাউনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট কোথায় পাওয়া গেছে? ভারতে ১৩ হাজার নমুনা সিকোয়েন্স করে আটটি রাজ্যে সাড়ে তিন হাজারের বেশি নমুনায় উদ্বেগজনক ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া গেছে। গত এক মাসের বেশি সময় যাবৎ সরকার বলছে, বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্ট বর্তমান দ্বিতীয় ঢেউয়ের সাথে সম্পর্কিত নয়। ভারতে সংক্রমণ বৃদ্ধির সাথে ব্রিটিশ, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিল মিউটেশনের কোন সম্পর্ক নেই বলেও উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা। ভাইরোলজিস্ট শহীদ জামিল এর আগে বিবিসিকে বলেন, ভাইরাস মিউটেশনের দিকে ভারত অনেক দেরিতে নজর দেয়া শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে যথাযথভাবে নমুনা সিকোয়েসিং-এর প্রতি জোর দিয়েছে। মি. জামিল বলেন, "ভারতে যত নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, তার মাত্র এক শতাংশ সিকোয়েন্স করা হয়। অন্যদিকে সংক্রমণের সর্বোচ্চ সময়ে ব্রিটেনে সিকোয়েন্স করা হয় ৫-৬ শতাংশ।" ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার যদিও এখন বলছে যে দেশটিতে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সাথে ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়ান্ট-এর সম্পর্ক আছে, তবে একই সাথে তারা একথাও বলছে যে দুটো বিষয়ের মধ্যে সম্পর্ক পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। "রোগের কারণ এবং রোগীদের চিকিৎসা পর্যবেক্ষণ - এ দুটো বিষয়ের মধ্যে পুরোপুরি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এই দুটো বিষয়ের মধ্যে সম্পর্ক ছাড়া সংক্রমণের বিস্তার সম্পর্কে সরাসরি সংযোগ প্রতিষ্ঠা করা কঠিন," বলেন ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল-এর সুজিত সিং। এজন্য বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নিয়ম-কানুন মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার বিমানবন্দরে করোনা ভাইরাস টেস্ট নিয়ে জালিয়াতি শহরে হাঁপানি বেশি হওয়ার কয়েকটি কারণ, যেভাবে সাবধান থাকবেন মমতা ব্যানার্জীর জন্য কি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়াও সম্ভব? | India has said a new variant of the coronavirus first discovered there in March may be linked to a deadly second wave. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | নানা ধর্ম ও বর্ণের হাজার হাজার মানুষের আচরণ বিশ্লেষণ করে ধর্মীয় সহিংসতার পেছনে কারণ বোঝার চেষ্টা করছে সফটওয়্যার। গোত্র বা সম্প্রদায়ের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, তার মতো করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অ্যালগরিদম তৈরি করে আচরণ বোঝার চেষ্টা করছেন। এজন্য নানা গোত্র, বর্ণ এবং ধর্মের হাজার হাজার মানুষের আচরণের অসংখ্য নমুনা তৈরি করা হয়েছে এবং সেগুলো বিশ্লেষণ সফটওয়্যারটি কাজ করছে। নরওয়ে এবং শ্লোভাকিয়া মতো ক্রিশ্চিয়ান প্রধান দেশগুলোয় মুসলিম অভিবাসীরা বসবাস শুরু করার পর উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হলে, সেটি সামলাতে প্রাথমিকভাবে এই প্রযুক্তির পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আশা করছেন, লন্ডনের সন্ত্রাসী হামলার মতো কোন ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্লেষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে এই পদ্ধতি সরকারকে সহায়তা করবে। তবে এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত নন, এমন একজন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নোয়েল সারকে বলছেন, বাস্তব জীবনের পরিস্থিতি সামলাতে হলে এই প্রযুক্তির পেছনে আরো কাজ করতে হবে। ''এটা সত্যিকার অর্থে একটি উপকারী গবেষণা হবে, যখন এটি মানুষের চিন্তার মতো পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে, যখন ধর্মীয় সহিংসতার নানা উপাদান বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা অর্জন করবে।'' বলছেন অধ্যাপক সারকে। সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক একটি সাময়িকীকে এই গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে। আরও পড়তে পারেন: এক বালতি পানি, ব্লাসফেমি এবং আসিয়া বিবির ফাঁসি যে কারণে এই আইরিশ গায়িকা মুসলমান হলেন দুর্গা পূজা যেভাবে হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলো গভীর বিশ্বাস এই গবেষণায় দেখা গেছে, বড় ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো ঘটনায় নানা ধর্ম বর্ণের মানুষ একত্রে শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবেলা করেছে। আবার কোন কোন পরিস্থিতিতে এই মানুষরাই সহিংস হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যখন অন্য কোন দলের বা সম্প্রদায়ের মানুষ একদলের মৌলিক বিশ্বাস বা পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তখনি এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার বিষয়টিও উদাহরণ হিসাবে নেয়া হয়েছে এই প্রকল্পে। হিন্দু আর মুসলমানের মধ্যে তিনদিনের দাঙ্গায় দুই হাজার মানুষ নিহত হয়। মনো তত্ত্ব নর্দান আয়ারল্যান্ডের সহিংসতা নিয়েও এই প্রকল্পে গবেষণা করা হচ্ছে গবেষক জাস্টিন লেন বলছেন, ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক বিষয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির জন্য মানুষের মনো তত্ত্বও আমাদের বুঝতে হয়েছে। কারণ ধর্ম বা সংস্কৃতির গোঁড়ায় রয়েছে মানসিক ধ্যানধারণার বিষয়টি। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, যখন একদল মানুষের ধর্মবিশ্বাস বা মূল্যবোধের ওপর বারবার আঘাত করা হয়, তখন ধর্মীয় সহিংসতার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তারপরেও যাদের মডেল হিসাবে নেয়া হয়েছে, তার মাত্র কুড়ি শতাংশ সহিংসতায় জড়িয়েছে। ''ধর্মীয় সহিংসতা আমাদের মৌলিক আচরণ নয়- সত্যিকার অর্থে আমাদের ইতিহাসে এর উদাহরণ খুবই কম'' বলছেন মি. লেন। ''এটা শুধুমাত্র তখনি ঘটে যখন মানুষের গভীর বিশ্বাসকে আঘাত করা হয় অথবা তারা মনে করে, তাদের বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তখন সেটি রাগ বা সহিংসতার মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে। '' ''আমরা হয়তো অন্যদের ধর্মবিশ্বাস সহজেই গ্রহণ করার জন্য আমাদের মানসিকতা বদলাতে সহায়তা করতে পারি।'' তিনি বলছেন। অন্যদের সম্পর্কে বিরূপ ধারণা গবেষকরা বলছেন, ধর্মীয় সহিংসতা বা সন্ত্রাস বন্ধ করতে হলে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে, যাতে অন্য গোত্রের মানুষকে হুমকি হিসাবে ভাবা না হয়। সবচেয়ে ঝুঁকির তৈরি হয় যখন দুইটি সম্প্রদায়ের আকার অনেকটা একই রকমের হয় এবং তারা প্রতিদিনই নানাভাবে একে অপরের মুখোমুখি হন। অথচ একে অপরকে বিপদের বা হুমকির কারণ বলে মনে করেন। এ ধরণের মুখোমুখি হওয়া সামনাসামনি দেখা হওয়ার মতো নাও হতে পারে। হয়তো সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে পরস্পর মুখোমুখি হচ্ছে। মি লেন বলছেন, ''আমরা হয়তো নিজেদের তথ্য জগতে বসবাস করি, কিন্তু অন্যসব মানুষ সম্পর্কেও আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি, যা নানাভাবে আমাদের মানসিকতাকে প্রভাবিত করছে। কিন্তু হয়তো সেখানে সত্যিকারের মানুষের কোন ভূমিকাই নেই।'' ''ফলে শুধুমাত্র হুমকির ধারণাটাই অনেক সময় সত্যিকার হুমকির মতো শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে এবং প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।'' | Software that mimics human society is being tested to see if it can help prevent religious violence. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | গত ৩০ বছরে সেনজেন অত্যাধুনিক শহর হিসেবে গড়ে উঠেছে এক কোটি কুড়ি লাখ মানুষের এই শহরটি এখন পার্ল নদী অববাহিকায় ডুবতে বসা বিরাট এক নগর মাত্র। চীনের স্মার্ট শহর হবার পরিকল্পনা বিশ্বের বড় পরিকল্পনাগুলোর অন্যতম। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, নজরদারী সংক্রান্ত যে প্রযুক্তি দেশটির হাতে রয়েছে, তা এর নাগরিকদের জীবনমান বাড়াতে পারবে কিনা, নাকি সেসব কেবল তাদের ওপর নজর রাখার কাজেই ব্যবহার হবে। পরিচ্ছন্ন নগর ২০৫০ সালের মধ্যে চীনের শহরগুলোতে আরো ২৯ কোটি কুড়ি লাখ বাসিন্দা বাড়বে। ইতিমধ্যে দেশটির ৫৮ শতাংশের বেশি নাগরিক শহুরে এলাকায় বাস করেন, যেখানে ১৯৮০ সালে মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ শহরে থাকতো। স্মার্ট শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ট্রাফিক সিস্টেম কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশটিতে ৬৬২ টি শহর আছে, এর মধ্যে ১৬০টির বেশি শহরেই অন্তত দশ লাখ বা তার বেশি মানুষ বাস করে। সম্প্রতি বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত স্মার্ট সিটিজ মেলায় শেনজেন অংশ নিয়ে বড় ধরণের প্রদর্শনী করেছে। জিয়াং ওয়েই ডং, শেনজেনের প্রতিনিধি দলের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বিবিসিকে ব্যাখ্যা করছিলেন শহরটি কী ধরণের প্রযুক্তি দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। শহরটির মূল মনোযোগ এখন জনসংখ্যার ওপর। "অন্য শহরের তুলনায় শেনজেন পরিষ্কার", বলেন জিয়াং ওয়েই ডং তিনি বলেন, চীনের শহরগুলোর মধ্যে শেনজেনেই প্রথম বিদ্যুৎ চালিত বাস এবং ট্যাক্সি চালু হয়। স্মার্ট যানবাহনের পাশাপাশি, শহরটিতে নতুন করে স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা চালু হয়েছে, যার মাধ্যমে দূরদূরান্তের প্রদেশ থেকে আসা মানুষের স্বাস্থ্য বিষয়ক রেকর্ড তাৎক্ষণিকভাবে সরবারহ করা যায়। কিন্তু যখন নিরাপত্তার ব্যপারে জানতে চাওয়া হয়, ঐ কর্মকর্তার জবাব তখন ততটা উচ্চকিত ছিলো না। সোশ্যাল ক্রেডিটের মাধ্যমে গণপরিবহনে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া যায় "আমরা কেবল ট্রাফিকের সমস্যার নিয়ে কাজ করি, শেনজেনের নাগরিকদের মনিটর করা হয় না।" কিন্তু কিছুদিন আগে শেনজেন শহরে নজরদারি সংক্রান্ত আরেকটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আগত দর্শনার্থীদের সবাইকে মতামত দিতে হয়েছে। মেলায় প্রত্যেক দর্শনার্থীদের ফেসিয়াল রিকগনিশন এবং কর্তৃপক্ষের দেয়া নানা ধরণের চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে হয়, যার বেশিরভাগের মাধ্যমেই ঐ নাগরিকদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। ডেটা সংগ্রহ চীন আশ্চর্য দ্রুততায় নতুন সব শহর তৈরি করছে, বাড়িঘর আর যানবাহনের ধরণ ও মাধ্যম বদলে ফেলাসহ দেশটির পুরো নাগরিক চিত্রের খোলনলচেই বদলে ফেলা হচ্ছে। এই মূহুর্তে চার কোটি মানুষের থাকার ব্যবস্থা রেখে তৈরি হচ্ছে স্মার্ট শহর। আরো পড়ুন: মার্কিন কিশোরীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা টিকটকের চীনে লক্ষ লক্ষ মুসলমান আটকে শঙ্কিত জাতিসংঘ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বন্দীশিবিরে উইগুর মুসলিমরা এই মানের শহর তৈরি করতে দক্ষতা প্রয়োজন। সপ্তাহ জুড়ে রাস্তায় জ্যাম থাকেবে না, আবার পরিবহনও হতে হবে দূষণ-মুক্ত। কিন্তু সেজন্য নাগরিকদেরও আরো দক্ষ হতে হবে। রাস্তায় আবর্জনা ফেলা, ট্রেনে উচ্চস্বরে গান বাজানো, সড়কে লাল বাতি জ্বলে থাকার সময় মাঝখান দিয়ে দৌড় দেয়া - আপাত দৃষ্টিতে ছোট সমস্যা হলেও সেগুলো আসলে অত ছোট সমস্যা নয়। ২০১৪ সালে সোশ্যাল ক্রেডিট সিস্টেম প্রকাশ করে সরকার। এর মাধ্যমে কিছুটা অরওয়েলিয় (ঔপন্যাসিক জর্জ অরওয়েলের প্রবর্তিত ধারণা) ধারণার মত ভালো আচরণের জন্য নাগরিকেরা পুরষ্কার পাবেন, আর খারাপ আচরণের জন্য সাজা পাবেন। এ বছরের মার্চে, ট্রেনে সিগারেট খাওয়া এবং মেয়াদ-উত্তীর্ণ টিকেট নিয়ে ভ্রমণ করার মত নিয়ম না মানায় শাস্তি হিসেবে দশ লাখের বেশি চীনা নাগরিককে ট্রেন ও প্লেনের টিকেট কিনতে দেয়া হয়নি। চীনে ফেসিয়াল রেকগনিশন প্রযুক্তি ক্রমে আরো বেশি সহজলভ্য হচ্ছে স্মার্ট সিটি প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, চীনের এই সামাজিক স্কোরের ধারণা নিয়ে পরীক্ষা চালানো প্রশংসনীয়, কিন্তু এভাবে শাস্তির ভয়ে বেঁচে থাকা কঠিন। আর যেহেতু সব শহরে একইভাবে এই নিয়ম চালু হয়নি, অনেক সময়ই বেড়াতে আসা বিদেশীরা বিপদে পড়েন। চীনের নাগরিকদের কাছে বিষয়টি অতটা আজব হয়তো লাগে না, কারণ বছরের পর বছর ধরে তাদের আচরণের ওপর সরকার নজর রেখে আসছে। তবে এর অপব্যবহারের আশংকাও রয়েছে। এ বছরের গোড়ার দিকে এই সোশ্যাল ক্রেডিট সিস্টেমের কারণে দেশটির মুসলমান সম্প্রদায়ের ওপর হওয়া নির্যাতনের তথ্য প্রকাশ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। শহুরে মস্তিষ্ক শহরে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার হওয়া সেন্সর এবং অন্যান্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রত্যেক নাগরিক সম্পর্কে ক্রমে আরো বেশি তথ্য সরকারের কাছে জমা হচ্ছে। কিন্তু যখন কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিজেরই বহু নাগরিকের সম্পর্কে ব্যাপক তথ্যের সংগ্রহ থাকে? চীনে আলিবাবা এবং টেনসেন্ট নামে দুইটি বড় অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রাহকের বিপুল তথ্য জমা আছে। আলিবাবা গ্রাহকের মোবাইলের ক্যামেরা এবং জিপিএস লোকেশনের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে। এই তথ্যের মাধ্যমে তারা এক হাজার ট্রাফিক লাইট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এভাবে তারা সত্তর লক্ষ মানুষের শহর হোয়াংজুকে চীনের সবচেয়ে জনবহুল শহরের তালিকায় নিচের দিকে নামিয়ে এনেছে। আবার পশ্চিমা দেশগুলো আগের চেয়ে বেশি হারে চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করছে, যার ফলেও চীনের বিভিন্ন শহরে চাপ বাড়বে বলে ধারণা করা হয়। যদিও কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বস্ত করার জন্য বলে যাচ্ছে যে নজরদারি করা হবে না এবং ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা রয়েছে, কিন্তু কার্যত সে আশ্বাসে ভরসা কতটা রাখা যাবে সেটাই এখন মূল প্রশ্ন। | Thirty years ago, Shenzhen was a fishing village, surrounded by paddy fields. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | শিশু ধর্ষণ নিয়ে ভারতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে এমন এক দিনে শিশু-ধর্ষণের জন্য ফাঁসির সাজা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো মন্ত্রীসভা, যেদিন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ৮ মাস বয়সী এক সদ্যোজাত কন্যাশিশুকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ইন্দোরের পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে শহরের অভিজাত এলাকার ফুটপাথে যখন ওই সদ্যোজাত কন্যা-শিশুটি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়েছিল, তখনই তাকে অপহরণ করে এক যুবক। তাকে একটি হোটেলের বেসমেন্টে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। বেলার দিকে ওই কন্যা-শিশুর দেহ খুঁজে পাওয়া যায়। এই ঘটনায় ওই শিশুটিরই এক দূরসম্পর্কের আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভারতে সম্প্রতি শিশু ধর্ষণের বেশ কয়েকটি ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীরে ৮ বছরের এক কন্যা-শিশুকে সাতদিন ধরে অপহরণ করে গণধর্ষণ ও তারপরে হত্যা করার ঘটনায় সারা দেশে ব্যাপক প্রতিবাদ হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অর্ডিন্যান্স জারি করে 'পকসো আইন' বা শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতন রোধী আইন সংশোধন করা হবে। একই সঙ্গে বদল ঘটানো হবে ভারতীয় দণ্ডবিধিতেও। বর্তমানে আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা হল আজীবন কারাবাস, আর সর্বনিম্ন শাস্তি ৭ বছরের জেল। তবে ধর্ষণের পরে যদি নির্যাতিতা মারা যান বা চলচ্ছক্তিহীন হয়ে পড়েন, সেই সব ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য বছর কয়েক আগে আইন বদল হয়েছে। আরও পড়ুন: পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন নিলেন কিম? রাশিয়ার নিখোঁজ জিহাদী নারীদের ঘিরে রহস্য ভারতে একবছরে ২০ হাজার কন্যাশিশুকে ধর্ষণ ধর্ষণের জন্য ফাঁসির দাবিতে কাশ্মীরে বিক্ষোভ মিছিল ধর্ষিতা শিশুর জীবন নাশের হুমকি বাড়বে? যদিও শনিবার মন্ত্রীসভা আইন বদল করে শিশু-ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে ফাঁসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তবে এ নিয়ে ভারতে বিতর্কও রয়েছে। দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল গত আটদিন ধরে অনশন করছেন ধর্ষকদের জন্য ফাঁসির সাজা দেওয়ার দাবীতে। নির্যাতিতাদের পরিবারগুলিও প্রায় সবক্ষেত্রেই দাবী করে থাকে যে ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডই দেওয়া হোক। অন্যদিকে অনেক নারী ও শিশু অধিকার কর্মীরা মনে করেন যে ধর্ষকদের ফাঁসির সাজার বিধান আনলে ধর্ষিতাকে প্রাণনাশের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। ফাঁসির সাজা হওয়ার আশঙ্কায় সাক্ষ্য-প্রমাণ ধ্বংস করতে তাকে হত্যার পথ নিতে পারে ধর্ষকরা। নারী আন্দোলনের কর্মী শাশ্বতী ঘোষ বিবিসিকে বলেন, "আমি মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী নই। যদি ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়, তাহলে ফাঁসি হওয়াই উচিত। কিন্তু ভয়টা হচ্ছে, যদি ধর্ষণের সাজা ফাঁসি হয়, তাহলে ধর্ষিতার বেঁচে থাকার যেটুকু সম্ভাবনা থাকে, সেটাও শেষ হয়ে যাবে। কারণ তখন ধর্ষক ভাববে, মেয়েটিকে বাঁচিয়ে রাখলে তাকে তো ফাঁসিতে ঝুলতে হবে।" সর্বভারতীয় স্তরে শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'ক্রাই' বলছে - শিশুদের ওপরে নির্যাতন বন্ধের জন্য সরকারকে একটা কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হত, কিন্তু যেভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা কিছুটা 'নীজার্ক রিঅ্যাকশন'।" সংস্থাটির অন্যতম ডিরেক্টর কোমল গানোত্রা বলছেন, "৯৫% ক্ষেত্রেই যেহেতু শিশুর ওপরে নির্যাতনকারীরা তাদেরই পরিচিত, তাই এবার থেকে হয়ত বাড়ির চার দেওয়ালের বাইরে ধর্ষনের ঘটনাগুলো আর বেরবেই না।" অনেক অধিকার আন্দোলন কর্মী এমনে অভিযোগ করেন, ২০১২ সালে দিল্লিতে গণ-ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনার পর আইনে অনেক কড়াকড়ি করা হলেও, ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে ছাড়া কমছে না। ভারতে সব ধরণের অপরাধের যে সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরো বা এন সি আর বি, তাতে দেখা গেছে ২০১৬ সালে সারা দেশে ধর্ষিতা হয়েছে প্রায় কুড়ি হাজার কন্যা শিশু। এই পরিসংখ্যান অবশ্য শুধুই কন্যা-শিশুদের ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের। কিন্তু সমাজকর্মীরা বলছেন একটা বিরাট সংখ্যক পুত্রশিশু বা কিশোরেরাও নিয়মিত যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে ভারতে - যার একমাত্র সরকারী পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছিল ২০০৭ সালে। জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর তথ্যেই দেখা যাচ্ছে যে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৫৭ হাজারেরও বেশী শিশু ধর্ষণের মামলা ভারতের নানা আদালতে চলছে। অভিযুক্তদের শাস্তি পাওয়ার হারও মাত্র ২৮ শতাংশ। | India's lower house of parliament passed a bill on Monday that will see the death penalty handed out to anyone convicted of raping a child under 12. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | জামাল খাসোগজি জামাল খাসোগজি ছিলেন সৌদি সরকারের কড়া সমালোচক। গত বছরের ২০শে অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার পর তাঁকে হত্যা করা হয়। সরকারি কৌশুলিরা দাবি করেছেন যে শৃঙ্খলাভঙ্গকারী কিছু সৌদি এজেন্ট তাকে হত্যা করেছে। জামাল খাসোগজিকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য তাদের পাঠানো হয়েছিল। তুরস্ক এই হত্যাকান্ডের জন্য মোট ১৮ জনকে দায়ী করে বিচারের মুখোমুখি করতে তাদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছিল সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে। এই বিচার সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে এই বিচার সম্পর্কে সৌদি সরকারি গণমাধ্যমেও খুব কমই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। যে ফৌজদারি আদালতে বিচার চলছে তার প্রথম অধিবেশনে মামলার শুনানি হয়েছে। সেখানে ১১ জন আসামি এবং তাদের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগপত্রের একটা কপি চেয়েছেন। এটি পর্যালোচনা করার সময়ও চেয়েছেন। পরবর্তী শুনানির তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি। তুরস্কের কাছে এই মামলার প্রমানাদির জন্য যে অনুরোধ জানানো হয়েছিল, তার উত্তর পাওয়া যায়নি। সৌদি এটর্নি জেনারেলকে উদ্ধৃত করে সৌদি প্রেস এজেন্সি এই খবর দিচ্ছে। আর মামলায় ১১ জন আসামি কারা, সেই তথ্যও প্রকাশ করা হয়নি। এর আগে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, আরও দশ ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ঘটনা সম্পর্কে সৌদি কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত কী বলেছে গত নভেম্বরে সৌদি ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর শালান বিন রাজিহ শালান বলেছিলেন, একজন ইন্টেলিজেন্স কর্মকর্তা এই হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রাণঘাতী ইনজেকশন দিয়ে হত্যা কার্যকর করতে বলা হয়। তুরস্কের সিসিটিভি ক্যামেরায় তোলা কিছু সন্দেহভাজন সৌদি এজেন্টের ছবি। এদের কেউ মামলার আসামি কীনা তা পরিস্কার নয়। তিনি আরও জানিয়েছেন, কিন্তু এই অফিসারের ওপরে আসলে নির্দেশ ছিল জামাল খাসোগজিকে দেশে ফিরিয়ে আনার। মিস্টার শালান জানাচ্ছেন, হত্যার পর জামাল খাসোগজির দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয় এবং এরপর স্থানীয় এক সহযোগীর হাতে তুলে দেয়া হয়। কিন্তু জামাল খাসোগজির দেহাবশেষ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। খাসোগজি হত্যার কথা স্বীকার করেছে সৌদি আরব খাসোগজি হত্যা: কিভাবে সুর পাল্টেছে সৌদি আরব সৌদি আরব: রাজপরিবারের ভেতর কী ঘটছে? আসামিদের পরিচয় সম্পর্কে কোন ক্লু কি পাওয়া যাচ্ছে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে এই হত্যাকান্ডের সময় যে ১৫ জন সৌদি এজেন্ট সেখানে এসেছিল এবং পরে ইস্তাম্বুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ফিরে গেছে, তাদের চিহ্ণিত করেছে তুরস্ক। কিন্তু এদের কেউ এখন এই মামলার আসামিদের মধ্যে আছে কীনা তা স্পষ্ট নয়। পশ্চিমা দেশগুলোর অনেকরই ধারণা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানই এই হত্যাকান্ডের পেছনে রয়েছেন। কিন্তু তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে না। মার্কিন কর্মকর্তারা বারবার বলেছেন যে, যুবরাজ মোহাম্মদের অনুমোদন ছাড়া এরকম একটি হত্যকান্ড ঘটানো সম্ভব নয়। তবে যুবরাজ মোহাম্মদ এই ঘটনায় তার কোন ভূমিকার কথা অস্বীকার করেছেন। | The trial of 11 individuals over the murder of Saudi journalist Jamal Khashoggi has begun in the Saudi capital, Riyadh, state media report. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | অনেকে দেশে নারীদের সন্তান ধারণ এতোটাই কমে গেছে যে জনসংখ্যার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক শিশু নেই। গবেষকরা বলছেন, গবেষণায় যে তথ্য পাওয়া গেছে সেটি বেশ চমকে দেবার মতো। সন্তান জন্ম দেবার প্রবণতা কমে যাবার কারণে এটি সমাজের উপর একটি গভীর প্রভাব ফেলবে। নাতি-নাতনীর চেয়ে দাদা-দাদী কিংবা নানা-নানীর সংখ্যা বেড়ে যাবে। এ অর্থ হচ্ছে সমাজে বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাবে। চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেট-এ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। এ গবেষণায় ১৯৫০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রতিটি দেশের জন্মহারের প্রবণতা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ১৯৫০ সালে একজন নারী তাঁর পুরো জীবনে গড়ে ৪.৭ টি সন্তান জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু ২০১৭ সালে সেটি ২.৪ এ নেমে এসেছে। কিন্তু বিভিন্ন দেশের মধ্যে জন্মহারের ব্যাপক তারতম্য দেখা যায়। নিজারে একজন নারী তাঁর জীবনে গড়ে ৭.১ টি সন্তান ধারণ করছে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নিজার-এ জন্মহার ৭.১ হলেও ভূমধ্যসাগরের দ্বীপ সাইপ্রাসের মহিলারা গড়ে একটি সন্তান জন্ম দিচ্ছেন। অন্যদিকে পশ্চিম ইউরোপের অন্য দেশগুলোর মতো ব্রিটেনের জন্মহার ১.৭। একটি দেশে জন্মহার যদি ২.১ এর নিচে নেমে যায় তাহলে সে দেশের জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। ১৯৫০ সালে যখন এ গবেষণাটি করা হয়েছিল, তখন পৃথিবীর কোন দেশের জনসংখ্যা ২.১ এর নিচে ছিল না। কোন দেশগুলো বেশি প্রভাবিত হচ্ছে? ইউরোপের অধিকাংশ দেশ, আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায় নারীরা কম সন্তান জন্ম দিচ্ছেন। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে সেসব দেশের জনসংখ্যা এখনই কমে যাচ্ছে। কারণ জনসংখ্যার বিষয়টি নানা বিষয়ের উপর নির্ভর করছে। নারীদের সন্তান জন্ম দেবার হার, মৃত্যুহার এবং অভিবাসীদের সংখ্যার উপর নির্ভর করছে এসব দেশের জনসংখ্যা। পৃথিবীর অর্ধেক দেশে এখনো যথেষ্ট সংখ্যায় শিশু জন্মগ্রহণ করছে। কিন্তু এসব দেশ যত অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে যাবে, ততই সন্তান জন্ম দেবার সংখ্যা কমে যাবে। কেন সন্তান জন্ম দেবার হার কমে যাচ্ছে? দক্ষিণ কোরিয়ায় জনসংখ্যা কমে যেতে পারে। প্রথমত, শিশু মৃত্যু কমে গেছে। শিশু মৃত্যু হার কমে গেলে মহিলারা কম সন্তান নেয়। দ্বিতীয়ত, জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সহজলভ্যতা তৃতীয়ত, নারীরা শিক্ষা এবং কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে আসছে অনেক ক্ষেত্রে সন্তান কম জন্ম দেয়া এক ধরনের সফলতা। এর প্রভাব কী হবে? যেসব দেশে নারীরা কম সন্তান জন্ম দিচ্ছে সেসব দেশে যদি অভিবাসীরা না যায় তাহলে সেখানে বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাবে এবং এক পর্যায়ে জনসংখ্যা কমতে থাকবে। অক্সফোর্ড ইন্সটিটিউট অব পপুলেশন এইজিং এর পরিচালক ড. জর্জ লেসন বলেন, এটি খুব খারাপ কোন বিষয় হবে না। কারণ জনসংখ্যার পরিবর্তনের সাথে সমাজও খাপ খাইয়ে নেয়। তিনি মনে করেন, জনসংখ্যার অবস্থার উপর ভিত্তি করে অনেক কিছুই পরিবর্তিত হয়ে যাবে। বর্তমানে ব্রিটেনে চাকরী থেকে অবসরের বয়স ৬৮ বছর। কিন্তু তখন এটি হয়তো আরো বাড়াতে হবে। অধিক জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশ ল্যানসেট-এ প্রকাশিত গবেষণাটি করা হয়েছে রোগের বিশ্লেষণের জন্য। সেখানে বলা হয়েছে, যেসব দেশে জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে কিংবা বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে , সেসব দেশ দুটো বিষয়ের প্রতি নজর দিতে পারে। প্রথমত, অভিবাসীর সংখ্যা বাড়াতে পারে, যেটি তাদের নিজেদের জন্য সমস্যা তৈরি করছে। দ্বিতীয়ত, মহিলারা যাতে বেশি করে সন্তান ধারণ করে সেজন্য নীতি প্রণয়ন করা। কিন্তু এ ধরণের নীতি বেশিরভাগ সময় কোন কাজে লাগে না। বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে শিশুর সংখ্যা কমে গিয়ে ৬৫ বছরের বেশি মানুষের সংখ্যা বাড়বে। এ বিষয়টি নিয়ে জাপান সজাগ রয়েছে। কারণ, দেশটিতে জনসংখ্যা কমছে। কিন্তু পশ্চিমের অনেক দেশে এর প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। কারণ, পশ্চিমা দেশগুলো অভিবাসনের মাধ্যমে সে ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছে। তবে অভিবাসন কোন সমাধান হতে পারে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। | There has been a remarkable global decline in the number of children women are having, say researchers. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | জেসিকা, অ্যারন ও অ্যালিস জেসিকা শায়ারের জবানীতেই শোনা যাক সেই গল্প: ২০০৫ সালে যখন আমার বড় মেয়ের জন্ম হয়, তখন আমি ছিলাম পরিচিতদের মধ্যে প্রথম সমকামী অভিভাবক। অন্য যেসব নারী সমকামী অভিভাবকদের আমি চিনতাম, তারা সবাই আগের সম্পর্কে থাকার সময় বাবা-মা হয়েছে। কিন্তু আমার মেয়ে বন্ধু আর আমি ঠিক করেছিলাম যে আমরা শুরু করবো একেবারে গোড়া থেকে। আমার মেয়ে বন্ধুর পরামর্শ ছিল তার ভগ্নীপতির কাছ থেকে শুক্রাণু গ্রহণ করার। কিন্তু আইনি কিছু বিষয় জানার কারণে আমি তাতে আগ্রহী হইনি। কারণ সমকামী দম্পতিদের সন্তানদের ক্ষেত্রে জন্মদাত্রী মা মারা গেলে সেই সন্তানকে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে সেই শুক্রাণু দাতা বাবার সঙ্গে গিয়ে বসবাস করতে হয় - যাকে সন্তানটি হয়তো চেনেই না। ভাগ্যক্রমে আমরা এমন একটি শুক্রাণু ব্যাংকের খোঁজ পেলাম, যারা বাড়িতে শুক্রাণু সরবরাহ করে। সেখানে দাতাদের এমন কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে হয় যার ফলে তারা আর ভবিষ্যতে এই শিশুদের অভিভাবকত্ব দাবি করতে পারেন না। যেহেতু সে সময় আমি একটি ডক্টরেট থিসিস লিখছিলাম, তাই আমার গর্ভেই প্রথম শিশু জন্মের সিদ্ধান্ত নিলাম আমি ও আমার মেয়েবন্ধুটি - যে তখনকার সমকামী আইন মতে আমার স্ত্রী ছিল। সে আর আমি মিলে ডোনার সংস্থাটি থেকে এমন একজনকে খুঁজে নিলাম যার উচ্চতা এবং ওজন গড়পড়তা, বাদামী রঙের চুল রয়েছে আর খেলাধুলা পছন্দ করে। অ্যালিসকে কোলে নিয়ে জেসিকা ওই শুক্রাণু দাতা তার বর্ণনা সম্পর্কে লিখেছেন যে তিনি একজন লেখক, সংগীতশিল্পী এবং ট্যাক্সি চালক। আমি এবং আমার স্ত্রী রোমান্টিকভাবে ভাবতে শুরু করলাম, তিনি হয়তো এমন একজন যিনি ডেস্কের চাকরি চান না, বরং ট্যাক্সি চালিয়ে নানা মানুষের জীবনের গল্প শুনে চমৎকার কোন উপন্যাস লিখতে চান। এছাড়া ওই দাতার সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে সামান্যই তথ্য ছিল। কিন্তু সাধারণ একজন ছেলে বন্ধুর সম্পর্কে যতটা জানা যায়, তার স্বাস্থ্য বর্ণনা শুনে আমরা যেন অনেক বেশিই জানতে পারলাম। তবে তার কোন ছবি আমরা দেখতে পাইনি। বাড়িতে বসে গর্ভবতী হওয়ার ব্যাপারটি ছিল রোমাঞ্চকর। ক্রেতাদের কাছে যতটা শুক্রাণু আসে, তার পরিমান একটি লিপস্টিকের ঢাকনির অর্ধেকের সমান তরলের মতো। কিন্তু সেটি আসে তিন ফিট লম্বা নাইট্রোজেন ভরা একটি ট্যাংকে করে। গ্লোভস পড়ে সেটির ভেতর থেকে ক্ষুদ্র প্লাস্টিকের বোতলটি বের করতে হয়, তারপর হাতের তালুতে করে গরম করতে হয়। এরপর একটি ক্ষুদ্র সিরিঞ্জের মাধ্যমে সেটিকে গর্ভে স্থাপন করতে হয়। তবে এই পুনর্জীবিত করা শুক্রাণুগুলো শুধুমাত্র একদিন বেঁচে থাকতে পারে। তাই তখন যদি তাদের জন্য কোন ডিম্বাণু অপেক্ষা করে না থাকে, তাহলে এগুলোর সব মারা যাবে। সুতরাং ডিম্বাণুর সঙ্গে শুক্রাণু নিষিক্ত করার বিষয়টি যেন মাসিক একটি মহা অনুষ্ঠানের মতো। আমি দুইবার গর্ভসচাঁর করিয়েছি, যাতে সবদিক থেকেই শুক্রাণুগুলো পরিস্ফুট ডিম্বাণুর সঙ্গে নিষিক্ত হতে পারে। কারণ শুক্রাণুর অন্তত পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে জরায়ুর ভেতর দিয়ে ডিম্বাণু পর্যন্ত পৌঁছাতে। দাতাদের কাছ থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করে গর্ভবতী হওয়ার প্রতিটি ধাপই আমি শিখে নিয়েছিলাম। সাত মাস পরে আমি গর্ভবতী হতে পারলাম। ছোট্ট অ্যালিসকে নিয়ে জেসিকা আমরা দাতার বিষয়টি নিয়ে কোন চিন্তাভাবনাই করিনি। কারণ আমরা ধরেই নিয়েছিলাম, তিনি কখনো দেখা করতে চাইবেন না। বিশেষ করে আমার স্ত্রী চাইতেন না যে তিনি কখনো আমাদের সন্তানদের সঙ্গে পরিচিত হোন। কারণ তার মতে, ভালোবাসাই পরিবার তৈরি করে। আমিও তার সঙ্গে একমত ছিলাম। যখন অ্যালিসের জন্ম হল, সে হল সবদিক থেকে আদর্শ। ডিএনএ নিয়ে আমাদের সব সংশয় দূর হয়ে গেলো। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, এই চমৎকার শিশুটির আরেকটি কপি আমাদের দরকার। তাই আমরা আবার একই দাতার শুক্রাণু চেয়ে ওই শুক্রাণু ব্যাংকে যোগাযোগ করলাম এবং পুনরায় একই প্রক্রিয়া শুরু করা হল। এবার আমার সমকামী সঙ্গী - যিনি আমার স্ত্রী - আমাদের দ্বিতীয় সন্তান গর্ভে ধারণ করলেন। অ্যালিসের জন্মের ১৮ মাস পরে ওর জন্ম হল। দুই মেয়ের মধ্যেই অনেক বিষয়ে মিল দেখা গেল। দুজনেই অনেক লম্বা, লম্বা কিন্তু চাপা মুখ, ছোট নাক এবং অনেক কথা বলার ক্ষমতা। তবে মেয়েদের বয়স যখন এক আর তিন, তখন আমার স্ত্রী ঘোষণা দিলো যে সে আমাদের সম্পর্কের সমাপ্তি টানতে চায়। আমাদের পরিবারে কোন ঝামেলা ছিল না, সুতরাং এই সিদ্ধান্তে আমি খুবই আহত হলাম এবং আমার হৃদয় ভেঙ্গে গেল। তবে সে জানালো যে এই বিষয়ে সে আর কোন কথা বলতে চায় না। পরের কয়েক বছর ধরে সপ্তাহে পাঁচদিন আমি দুই মেয়ের দেখাশোনা করতে লাগলাম। কিন্তু অ্যালিসের বয়স যখন ১০, তখন আমার সাবেক সঙ্গী অ্যালিসকে তার ফোনে ব্লক করে রাখতে শুরু করে, তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং এক ছুটির পরে তার ছোট বোনকে ফেরত দিতেও অস্বীকার করে। এখনো সেই অবস্থাই চলছে। কিন্তু অ্যালিস সবসময়েই তার বোনের কথা ভাবতো। জেসিকা মনে করেন, রক্তের সম্পর্ক নয়, পরিবারের মূল কারণ হবে ভালোবাসা অ্যালিস সব সময়েই জানতো, পরিবার শুধুমাত্র জিনগত কারণেই তৈরি হয় না বা সে কারণে কেউ ভালো অভিভাবকও হতে পারে না। বরং তার জীবনে জিনগত ব্যাপারটির গুরুত্ব সামান্যই। তারপরেও অ্যালিস তার পূর্বপুরুষদের সম্পর্কে ভাবতে শুরু করলো। নিজের জিনগত ঐতিহ্যের বিষয়টি জানতে ১১ বছর বয়সের ক্রিসমাসে তার নানীর কাছে একটি ডিএনএ টেস্টিং কিট চাইলো অ্যালিস। আট সপ্তাহ পরে তার ফলাফল জানা গেল। ওই ওয়েবসাইটের একই ডিএনএ'র আত্মীয়-স্বজনদের তালিকায় আমি ক্লিক করলাম। তবে আমি আশা করিনি যে কিছু বেরিয়ে আসবে। কিন্তু প্রথম যে বিষয়টি সেখানে দেখা গেল: ''অ্যারন লঙ, ৫০ শতাংশ, পিতা''। এর পাশেই ''ব্রিস গ্যালিও, ২৫ শতাংশ, সৎ ভাই''। আমি জানতাম, এমনটা হতে পারে। অ্যারন সম্পর্কে আরেকটু জানার জন্য আমি অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করলাম। দেখা গেল, বিশ্বে অনেক অ্যারন লঙ রয়েছেন। তখন আমি নির্দিষ্ট একজনকে খোঁজার জন্য ফিল্টারিং করতে শুরু করলাম। যেমন শুক্রাণুর একটি ভায়ালে শুক্রাণু দেয়ার তারিখ লেখা ছিল। সেটার মাধ্যমে আমি জন্ম তারিখ আর কলেজের স্নাতকের তারিখ বের করলাম। সেই বয়সের মধ্যে মধ্যে একজন অ্যারন লঙকে পাওয়া গেল, যিনি কাছাকাছি সময়ে সাহিত্যে স্নাতক করেছেন। ইন্টারনেটে তার ছবিতে দেখা গেল তিনি একটি সিল্কের পাগড়ি পড়ে বিশাল বাঁশি বাজাচ্ছেন। তার প্রোফাইলে লেখা রয়েছে, তিনি একজন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ, সিয়াটলে বসবাস করেন। তিনি একজন লেখক ও সংগীত শিল্পী। অন্যসব সামাজিক মাধ্যমে আমি সিয়াটলে বসবাসকারী অ্যারন লঙকে খুঁজে পেলাম যেখানে তার কাজের ঠিকানা এবং প্রতি বছরের ছবি রয়েছে। সিয়াটলে রক্ত সম্পর্কের পিতা অ্যারনের সঙ্গে তার সন্তানরা ও জেসিকা সন্দেহের আর কোন অবকাশ রইলো না। কারণ আমার মেয়েরাও ওই একই চেহারা পেয়েছে। আমি তাড়াতাড়ি ওই ডিএনএ সাইটের মাধ্যমে তার কাছে একটি চিঠি লিখলাম। আমি লিখলাম: ''হাই অ্যারন, আমার দুইটি মেয়ে রয়েছে, যাদের সঙ্গে তোমার ডিএনএ মিল রয়েছে। (আমার সাবেক সঙ্গীর সঙ্গে ছোট মেয়েটি থাকে, তবে সে এই সাইটে নেই) তুমি যদি পারিবারিক ছবি লেনদেন করতে চাও, আমরা এখানে আছি।'' আমি খানিকটা আশংকায় ছিলাম যে সে হয়তো ছোট মেয়েটির ছবি দেখতে চাইবে। অ্যারন তাড়াতাড়ি উত্তর দিল। অনেক তথ্য তিনি শেয়ার করলেন - যা এর মধ্যেই আমি খোঁজখবর করে জেনে ফেলেছি। তিনি জানতে চাইলেন, আমার কোন প্রশ্ন আছে কিনা? আমরা দুজনে সামাজিক মাধ্যমে বন্ধু হওয়ার বিষয়ে একমত হলাম। অ্যারন ৫০ পাতার বিশাল জীবন কাহিনী পাঠালো, যা আমি গোগ্রাসে পড়ে ফেললাম। তিনি বেশ কয়েক বছর একটি ব্যান্ডের সদস্য হিসাবে আমাদের শহরেই ছিলেন। ভাবলাম,কতবার না জানি তাকে সুপার মার্কেটে পাশ কাটিয়েছি!! অ্যালিস, ম্যাডি ও ব্রিস আমি ব্রিসের কাছেও একটি চিঠি লিখলাম, যে সবে স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছে। সে আমাকে জানালো, ম্যাডি নামের ১৯ বছর বয়সী একজন সৎ বোনের খোঁজ পেয়েছে এবং অন্য অভিভাবকদের সঙ্গেও যোগাযোগ আছে। সে জানালো, অ্যারনের মোট ছয় জন সন্তানের কথা সে জানে এবং তার আরেকটি ছোট বোন আছে। তবে একমাত্র বোন ম্যাডি হয়তো অ্যালিসের সঙ্গে একটি সম্পর্ক তৈরির ব্যাপারে আগ্রহী হতে পারে। কয়েকমাস পরে ব্রিস এবং ম্যাডির সঙ্গে সিয়াটলে দেখা করার পরিকল্পনা শুরু হয়। অ্যালিসও দেখতে চাইছিল যে তার সৎ ভাই-বোন এবং অ্যারনের সঙ্গে তার কতটা মিল আছে। আমি তার সঙ্গে যেতে সম্মত হলাম। অ্যারন একটি পার্টির আয়োজন করলো, যেখানে সে তাদের সাবেক সঙ্গী, স্কুল ও কলেজের বন্ধু, সাবেক সব বান্ধবী এবং তাদের সঙ্গী ও সন্তানদের নিমন্ত্রণ করলো। বাড়ির ছাদে সবাই ক্যাম্প করে রক্তের সন্তানদের সঙ্গে দেখার করার বিষয়টি উদযাপন করতে শুরু করলো। এরপর আমরা ভাস্কর্য বাগানে বেড়াতে গেলাম, গাড়িতে করে দূরের একটি শিল্প উৎসবে গেলাম, এক সঙ্গে রাতের খাবার খেলাম। নানা পরিবারের বড় হলেও সিয়াটলে একত্রে মিলিত হয়েছেন শুক্রাণু দাতা অ্যারনের সন্তানরা বেশ কয়েক বছর ধরে আমি একজন পুরুষের সঙ্গে প্রেম করছিলাম, যার নাম অ্যারন ডেভিড। এক ছুটির সময় শুক্রাণু দাতা অ্যারন এ নিয়ে মজা করে বললো, ব্যুরো অব বয়ফ্রেন্ডের ভুলে এক অ্যারনের জায়গায় আরেক অ্যারন চলে গেছে। আমি হাসলাম, তবে সংকোচও বোধ করলাম। কারণ আমি একটি সম্পর্কের মধ্যে ছিলাম আর ডোনার অ্যারন আমার সন্তানদের কাছে একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ, কিন্তু তাই বলে আমার জীবনের কোন অংশ হওয়ার কারণ নেই। তবে আমার সেই ছেলে বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক যখন ভেঙ্গে গেল, তখন আমি ভাবতে শুরু করলাম যে আমার সন্তানের প্রিয় মানুষ কি আমার মানুষ হতে পারে! আর সিয়াটল কি আমাদের নতুন ঠিকানা হয়ে উঠতে পারে! অ্যারনের উদারতা এবং তার সাবেকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার বিষয়টি আমাকে ভাবতে বাধ্য করলো যে একবার সেই চেষ্টা করা যেতে পারে। যখন একটি ছেলে মেয়ে পরস্পরকে ভালোভাসে এবং বিয়ে করে, তখন তারা সন্তানের কথা ভাবে যে তাদের মাধ্যমে তারা নিজেদেরই দেখতে পাবে। আমি এর মধ্যেই অনেক বছর ধরে সেই মানুষের মধ্যে বসবাস করছি। আমি বুঝতে শুরু করলাম, তাকে আমি এর মধ্যেই চিনি এবং অ্যারন হচ্ছে সেই মানুষ যাদের একজনকে (অ্যালিস) আমি সবকিছুর চেয়ে বেশি ভালোবাসি। অনেক দিক থেকেই সে এর মধ্যেই পরিবারের একজন হয়ে গেছে। তার হাসিখুশির প্রবণতা আমার মেয়ের মতো। আর তার দয়ামায়া এবং সামাজিকতা? - তাও আমার মেয়ের মতো। এটা বলা কঠিন যে, আমাদের সম্পর্কে ডিএনএ কোন ভূমিকা রেখেছে কি-না। ২০১৭ সালে অ্যালিস এবং আমি অ্যারনের বাড়িতে উঠে এলাম। এটা এমন বিশাল একটি ভবন যেখানে অ্যারনের আরো অনেক ছেলেপিলে এসে থাকতে পারবে। ম্যাডিও আমাদের সঙ্গে বসবাস করতে এলো। এক দশকের বেশি আগে সন্তান নেয়ার পর এখন অ্যারনের সঙ্গে নতুন পরিবার তৈরি হয়েছে জেসিকার সিয়াটলের কয়েক ঘণ্টার দূরত্বে বসবাস করা অ্যারনের আরেক সন্তানের সঙ্গেও আমাদের দেখা হল এবং তার সঙ্গে আমাদের গার্ল স্কাউট ট্যুরও হয়ে গেল। আমি খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারলাম, একজন মা হিসাবে আমি অ্যালিসের যেকোনো ভাইবোনকেই গ্রহণ করতে পারবো। তাদের জন্য খাবার তৈরি করা, লন্ড্রির কাজ করা বা তাদের যত্ন করার কাজ করতে পারছি। তারা আমার সন্তানের ভাইবোন, আমার নাতি-নাতনির মামা বা খালা হবে। তাদের সবাই হয়তো অ্যারনের মতো দেখতে নয়, তবে অবশ্যই সবাই রক্তের সম্পর্কে জড়িত। অ্যারনের বয়স্ক মা তার বিড়াল সঙ্গে নিয়ে সেখানে থাকতে এলেন। নতুন সম্পর্কের এই পরিবারের মাধ্যমে আমি যেন পরিবারকে নতুন করে চিনতে শিখলাম। শুক্রাণু দাতা বাছাই করতে গিয়ে ডিএনএ'র বিষয়টি নিয়ে আমি ভেবেছিলাম, কিন্তু এখন সেই ডিএনএ'র বিষয়টি যেন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলো। তবে আমি এখনো বিশ্বাস করি, জিন নয় ভালোবাসাই পরিবার তৈরি করে। কিন্তু সেই ভালোবাসার প্রতি খোলামেলা থাকলে সেটি একটি পরিবারে রূপান্তরিত হয় - সবাই আসতে পারে এবং জায়গা করে নিতে পারে। অনেক ধরণের সম্পর্কের জন্যই আসলে অনেক জায়গা থাকে। কে জানে, অ্যারনের আরো কতো জিনগত সন্তান রয়েছে! তার ধারণা, এই সংখ্যা হয়তো ৬৭ জনের মতো হতে পারে। এতজন থাকতে এলে বাড়িটি হয়তো ধসেই যাবে, তবে তাদের সবার জন্যই আমার কাছে স্যান্ডউইচ আছে আর দরজাও খোলা আছে। সব ছবি জেসিকা শায়ারের সরবরাহ করা। | When Jessica Share bought sperm from a sperm bank in order to start a family, she never imagined that more than a decade later she would meet the donor - and would feel a strong attraction to him. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ২০০১ সাল থেকে আফগানিস্তানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায়ই বলেন যে, আমেরিকার দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধ শেষ করে সেনাদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী তিনি। তাই বিবিসি রিয়েলিটি চেক দেখতে চেষ্টা করেছে যে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আফগানিস্তানে কী পরিমাণ ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কী ধরণের বাহিনী পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র? তালেবানদের উৎখাত করতে ২০০১ সালের অক্টোবরে আফগানিস্তানে অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র। তারা জানায়, তালেবানরা ওসামা বিন লাদেন এবং অন্য আল-কায়েদা নেতাদের লালন করেছে যারা ৯/১১ এর হামলার সাথে জড়িত ছিল। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের সংখ্যা বাড়ে কারণ ওয়াশিংটন তালেবানদের অভ্যুত্থান ঠেকানোর জন্য এবং তহবিল পুনর্গঠনের জন্য হাজার হাজার কোটি ডলার ব্যয় করে। মার্কিন সরকারের হিসাব বলছে, ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে দেশটিতে এক লাখ মার্কিন সেনা ছিল, যার কারণে বছরে যুদ্ধের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১০০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের লক্ষ্য সরাসরি সামরিক অভিযান থেকে সরিয়ে আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণে বেশি মনোনিবেশ করার পর ব্যয় বেশ কমে আসে। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালে বার্ষিক ব্যয় নেমে দাঁড়ায় ৪০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাবে জানা যায়, এ বছর ব্যয় হয়েছে ৩৮ বিলিয়ন ডলার। আফগান সামরিক বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে মার্কিন সেনারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের হিসাব মতে, ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক ব্যয় হয়েছে ৭৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর সাথে, মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি এবং অন্য সরকারি সংস্থাগুলোর সাথে মিলে ৪৪ বিলিয়ন ডলার বিভিন্ন ধরণের পুননির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় করেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী সব মিলিয়ে ২০০১ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৮২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে। কিন্তু এতে পাকিস্তানে যে ব্যয় হয়েছে তার হিসাব ধরা হয়নি যাকে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালানোর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির যুদ্ধ প্রকল্পের ব্যয় বা কষ্ট অব ওয়্যার প্রজেক্ট নামে এক স্বতন্ত্র গবেষণায় দাবি করা হয়, আফগান যুদ্ধে ব্যয়ের যে সরকারি হিসাব দেখানো হয়েছে তা যথেষ্ট কম দেখানো হয়েছে। এতে বলা হয় যে, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের জন্য কংগ্রেস এক ট্রিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ তহবিল অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্পের সহ-পরিচালক নেটা ক্রফোর্ড বলেন, "এই ব্যয়ের মধ্যে যুদ্ধ ফেরত সেনাদের জন্য করা ব্যয়, যুদ্ধ সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগে যে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে এবং সংঘর্ষে অর্থায়নের জন্য নেয়া ঋণের সুদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।" এসব কিছু যোগ করা হলে ব্যয় অন্তত দুই ট্রিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে, তিনি বলেন। অর্থ কোথায় ব্যয় করা হয়েছে? বেশিরভাগ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে এবং মার্কিন সেনাদের জন্য বিভিন্ন ব্যয় যেমন খাদ্য, পোশাক, চিকিৎসা সেবা, বিশেষ ভাতা এবং অন্য সুবিধার যোগান দিতে। সরকারি তথ্যে দেখা যায়, গত ১৭ বছরে আফগানিস্তানে যে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে তার ১৬ শতাংশ বা প্রায় ১৩৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে পুননির্মাণ প্রচেষ্টায়। এবং এর অর্ধেক ব্যয় করা হয়েছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী বাহিনী যেমন আফগান জাতীয় সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর পুনর্গঠনে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর অনেক সদস্য এই দীর্ঘ যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে। বাকি অর্থ ব্যয় করা হয়েছে মূলত শাসন এবং অবকাঠামো বিনির্মাণ, অর্থনৈতিক ও মানবিক সহায়তা এবং মাদক বিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণে। ২০০২ সাল থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাদক বিরোধী প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গড়ে দিনে ১.৫ মিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্র ব্যয় করেছে। কিন্তু জাতিসংঘের হিসাব বলছে, ২০১৭ সালে সবচেয়ে বেশি এলাকা জুড়ে আফিমের পপি চাষ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে, পুনর্নির্মাণ প্রকল্প পর্যবেক্ষন করে এমন মার্কিন সংস্থাসমূহ বলছে, গত ১১ বছরে ১৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নষ্ট হয়েছে, "অপচয়, জালিয়াতি এবং অপব্যবহারের কারণে"। তবে এই সংখ্যাটিও অপচয় হওয়া অর্থের "একটি অংশ মাত্র" বলে উল্লেখ করেছে তারা। তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ "প্রায় ক্ষেত্রেই সংঘাত বাড়িয়েছে, দুর্নীতির জন্ম দিয়েছে এবং জঙ্গিবাদে সমর্থন জুগিয়েছে।" মানব ব্যয় বা প্রাণহানির ক্ষেত্রে কতটা ক্ষতি হয়েছে? ২০০১ সালে তালেবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর পর ২৩০০ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে এবং ২০,৬৬০ সেনা আহত হয়েছে। সরকারি হিসাব মতে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর নাগাদ আফগানিস্তানে ছিল প্রায় ১৩ হাজার মার্কিন সেনা। কিন্তু প্রায় ১১ হাজার মার্কিন নাগরিক আফগানিস্তানে থেকে ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেছে। আফগান সামরিক বাহিনী এবং বেসামরিক নাগরিকদের নিহত হওয়ার তুলনায় মার্কিন সেনাদের নিহত হওয়ার সংখ্যা বরাবরই কম ছিল। প্রেসিডেন্ট ঘানি গত বছর বলেন, ২০১৪ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ৪৫ হাজারের বেশি সদস্য নিহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা প্রকাশ করার মিস্টার ঘানির এই সিদ্ধান্ত কিছুটা অস্বাভাবিক, কারণ যুক্তরাষ্ট্র এবং আফগান সরকার সাধারণত হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করে না। যাই হোক, কিছু সংবাদ মাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে বলেছে যে, গত কয়েক বছরে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। গড়ে প্রতিদিন ৩০-৪০ জন নিহত হয় বলে জানানো হয়। আফগানিস্তানে থাকা জাতিসংঘের সংস্থা ইউনাইটেড নেশন অ্যাসিসটেন্স মিশন ইন আফগানিস্তান বা উনামা বলছে, ২০০৯ সালে তারা হিসাব শুরু করার পর এ পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে। | There've been months of negotiations between the US and the Taliban to try to end the conflict and reach a peace deal in Afghanistan. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | জামাল খাসোগজি হাতিস চেংগিস টুইট করে বলেছেন, এ ধরণের জঘন্য হত্যাকাণ্ডের জন্য কখনই কেউ ক্ষমা পতে পারে না। সৌদি সরকারের সমালোচক মি. খাসোগজিকে ২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসুলেটের মধ্যে হত্যা করা হয়। সৌদি সরকার এবং রাজপরিবার দাবি করে আসছে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই, বরঞ্চ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ভেতরের কিছু লোক নিজের সিদ্ধান্তে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে জাতিসংঘ সহ অনেক দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই অজুহাত মেনে নেয়নি। তাদের সন্দেহ - সৌদি যুবরাজ মোহামেদ বিন সালমান নিজেই এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ-দাতা। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: খাসোগজি হত্যার দায়ে সৌদি আরবে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড নতুন সৌদির ক্ষমতাধর নেতা এমবিএস লোকটি কেমন? খাসোগজিকে 'কোরবানির পশু' বলে বর্ণনা করেছিল এক ঘাতক খাসোগজি হত্যার দায় সৌদি আরবের: জাতিসংঘ মৃত্যুর আগে জামাল খাসোগজি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতেন এবং ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। এসব লেখার অনেকগুলোতেই সৌদি রাজপরিবারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা হয়েছে। ইস্তাম্বুলে তার হত্যাকাণ্ডের পর তার লাপাত্তা হয়ে যাওয়া নিয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ নানারকম তত্ত্ব প্রচারের পর একসময় শিকার করে তাকে কনসুলেটের মধ্যে হত্যা করা হয়েছে। তাকে দেশে নিয়ে আসার জন্য পাঠানো একটি গোয়েন্দা দল তাকে হত্যা করেছে। গত বছর ডিসেম্বরে রিয়াদে এক গোপন বিচারকার্যের পর পাঁচজনকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সেসময় জাতিসংঘের একজন র্যাপের্টিয়ার অ্যাগনেস কালামার্ড মন্তব্য করেছিলেন, “বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে।“ হাতিস চেংগিস কী বলেছেন খাসোগজির বাগদত্তা? শুক্রবার হাতিস চেংগিজ টুইটারে লেখেন, জামাল খাসোগজি এখন একজন “আন্তর্জাতিক প্রতীক, তিনি আমাদের সবার ঊর্ধ্বে, ভালোবাসা এবং সম্মানের পাত্র তিনি।“ সুতরাং তার হত্যাকারীদের এভাবে ক্ষমা করে দেওয়া যায় না। মিস চেংগিজ লেখেন, “তার বিয়ের জন্য কাগজপত্র আনতে গিয়ে জামাল তার দেশের কনসুলেটের মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তাকে লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। তাকে হত্যার জন্য সৌদি আরব থেকে লোক যায়।“ তিনি বলেন, জঘন্য এই হত্যাকাণ্ডের হোতাদের ক্ষমা করে দেওয়ার অধিকার কারো নেই, এবং বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তিনি চুপ করবেন না। কী বলছেন খাসোগজির সন্তানরা? সালাহ খাসোগজি নামে নিহত জামাল খাসোগজির যে ছেলে জেদ্দায় থাকেন তার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বাবার হত্যাকাণ্ডের পর যুবরাজ সালমানের সাথে সাক্ষাৎ করছেন সালাহ খাসোগজি তাতে বলা হয়, “পবিত্র রমজানে মাসের পবিত্র রাতে আমরা সৃষ্টিকর্তার বাণী স্মরণ করছি :‘কেউ যদি ক্ষমা প্রদর্শন করে এবং মীমাংসা করে, আল্লাহ তাকে পুরস্কৃত করবেন।‘ “সুতরাং শহিদ জামাল খাসোগজির পুত্ররা ঘোষণা করছি যে যারা আমাদের পিতাকে হত্যা করেছে তাদের আমরা ক্ষমা করে দিচ্ছি, এবং আল্লার সন্তুষ্টি কামনা করছি।“ ইসলামি শারিয়া আইনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন যিনি তার নিকট পরিবার ক্ষমা করলে অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড রহিত করা যেতে পারে। এর আগে সালাহ খাসোগজি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, সৌদি সরকারের তদন্তের ওপর তার আস্থা রয়েছে। অতীতে তিনি এমন বিবৃতিও দিয়েছেন যে তার বাবার মৃত্যুকে পুঁজি করে সৌদি আরবের বিরোধীরাণ্ডের সৌদি নেতৃত্বকে খাটো করতে চাইছে। গত বছর ওয়াশিংটন পোস্টে রিপোর্ট বের হয়েছিল যে বাবার মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ হিসাবে জামাল খাসোগজির সন্তানরা সৌদি সরকারের কাছ থেকে বাড়ি এবং মাসোহারা পাচ্ছেন। | Murdered Saudi journalist Jamal Khashoggi's fiancée has said "no-one has the right to pardon his killers" after his son said he forgave them. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | লাল টাই পড়া পেছনের ব্যক্তিকে জেরি চুন শিং লি বলে সনাক্ত করেছে হংকংয়ের গণমাধ্যম ৫৪ বছরের জেরি চুন শিঙ লি ২০০৭ সালে সিআইএ ছেড়ে হংকংয়ে বসবাস করতে শুরু করেন, যখন তিনি চীনের এজেন্টদের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। আইনজীবীরা বলছেন, এরপরে তিনি চীনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন অভিযানের বিষয়ে অনেক তথ্য তুলে দিয়েছেন। এর ফলে ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে তথ্যদাতাদের একটি নেটওয়ার্ক সনাক্ত করে ভেঙ্গে দেয় চীন। ওই সময়ের মধ্যে অন্তত ২০জন তথ্যদাতাকে হত্যা করা হয়েছে অথবা কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, যাকে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকাণ্ডের সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় বলে বর্ণনা করা হয়। মি. লি কি করেছেন? সিআইএ এজেন্ট হিসাবে ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন লি। ২০১০ সালে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে চীনা গুপ্তচর সংস্থার লোকজন। তারা তাকে প্রস্তাব করে যে, তাকে অনেক অর্থ দেয়া হবে এবং বাকি জীবন 'দেখভাল' করা হবে - যদি তিনি কিছু গোপন তথ্য সরবরাহ করেন। তার হংকং ব্যাংক হিসাবে লাখ লাখ ডলার জমা করা হয়। আরো পড়ুন: চীনে বিদেশি গুপ্তচর ধরিয়ে দিলেই পুরস্কার বিশ্বযুদ্ধের গোপন খবর বয়ে বেড়াচ্ছেন যে নারী গুপ্তচর একজন কূটনীতিক যখন গুপ্তচর হয়ে ওঠেন এরপর মি. লি এমন একটি নথি তৈরি করেন, যেখানে সিআইএ কর্মকাণ্ড এবং মার্কিন এজেন্টদের দায়িত্ব সম্পর্কিত তথ্য ছিল। ২০১২ সালে হাওয়াইতে তার হোটেল কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে একটি পেন ড্রাইভ পায় এফবিআই, যেখানে গোপন তথ্য ছিল বলে মনে করা হয়। সেখানে এমন একটি নোট পাওয়া যায়, যেখানে সিআইএ এজেন্টদের তথ্য, তাদের সত্যিকারের পরিচয়, অপারেশন মিটিংয়ের স্থান ও ফোন নম্বর ছিল। তবে গোপন নথি তৈরির কথা স্বীকার করলেও চীনকে সেগুলো সরবরাহ করা হয়নি বলে তিনি জিজ্ঞাসাবাদে দাবী করেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালে নিউইয়র্ক জেএফকে বিমানবন্দরে মি. লীকে গ্রেপ্তার করা হয়। চীনে সিআইয়ের অপারেশন বিপর্যয় বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসের বাইরে পাহারা দিচ্ছে চীনের পুলিশ ২০১০: চীনের সরকারের আমলাদের ভেতর থেকে সিআইএ-র তথ্য আসা কমে যেতে শুরু করে ২০১১: তথ্য দাতা ব্যক্তিরা নিখোঁজ হয়ে যেতে শুরু করেন। ২০১২: এফবিআই তদন্ত শুরু করে মে ২০১৪: ব্যবসায়িক তথ্য চুরি আর মার্কিন কোম্পানির তথ্য চুরির অভিযোগে পাঁচজন চীনা আর্মি অফিসারকে অভিযুক্ত করা হয়। এরপরে চীন অভিযোগ করে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচরের প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। ২০১৫: বেইজিং দূতাবাস থেকে কর্মীদের সরিয়ে নিতে শুরু করে সিআইএ, কারণ আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে, সরকারি কম্পিউটার থেকে চুরি যাওয়া তথ্যের কারণে এজেন্টদের পরিচয় বের হয়ে যেতে পারে। এপ্রিল ২০১৭: বিদেশী গুপ্তচরদের তথ্য দেয়ার জন্য বিপুল অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করে চীন সরকার। মে ২০১৭: চারজন সাবেক সিআইএ এজেন্ট নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন যে, ২০১০ থেকে ২০১২ অন্তত ২০জন তথ্যদাতাকে হত্যা করা হয়েছে অথবা কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। জুন ২০১৭: চীনের গোয়েন্দাদের কাছে অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য দেয়ার অভিযোগে মার্কিন সাবেক কূটনৈতিক কর্মকর্তা কেভিস মেলোরিকে গ্রেপ্তার ও অভিযুক্ত করা হয়। জানুয়ারি ২০১৮: সাবেক সিআইএ এজেন্ট জেরি চুন শিং লিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ঘূর্ণিঝড়ের ফণী নামটি কোথা থেকে এলো? ঘূর্ণিঝড়ের কোন সতর্ক সংকেতের কী মানে? দেহরক্ষীকে বিয়ে করে রানি বানালেন থাই রাজা মার্গারেট থ্যাচার: যেভাবে রাজনৈতিক জীবনের ইতি | An ex-CIA agent has pleaded guilty to spying for China, the US justice department says, in a case believed to be linked to the dismantling of a US espionage network. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | রোয়ান্ডায় গণহত্যার শিকার কয়েকজনের ছবি। সতর্কবার্তা: এই নিবন্ধে থাকা ছবিগুলো অনেকের কাছে অস্বস্তিকর মনে হতে পারে। কীভাবে ওই গণহত্যা শুরু হয়েছিল? রোয়ান্ডার বাসিন্দাদের মধ্যে ৮৫ শতাংশই হুতু, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে টুটসিরা দেশটির শাসন ক্ষমতায় ছিল। ১৯৫৯ সালে টুটসি রাজতন্ত্র উচ্ছেদ করে হুতুরা। তখন হাজার হাজার টুটসি প্রতিবেশী যেসব দেশে পালিয়ে যায়, তার মধ্যে রয়েছে উগান্ডাও। আরো পড়তে পারেন: আগুনে মাদ্রাসা ছাত্রীর 'শরীরের ৮০ ভাগই পুড়ে গেছে' সবচেয়ে ধনী ৭ নারী: কীভাবে এতো সম্পদের মালিক হলেন পুরনো ঢাকাকে যেভাবে নতুন করতে চায় সরকার যে পোস্টারটি পাকিস্তানে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে রোয়ান্ডার গণহত্যার শিকার হয়েছে আট লাখ মানুষ। নির্বাসিত টুটসির একটি দল বিদ্রোহী একটি বাহিনী গঠন করে যার নাম দেয়া হয় রোয়ান্ডান প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্ট (আরপিএফ)। ওই বাহিনী ১৯৯০ সালে রোয়ান্ডায় অভিযান শুরু করে এবং ১৯৯৩ সালে শান্তি চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলতে থাকে। ১৯৯৪ সালের ৮ই এপ্রিল রাতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুভেনাল হাবিয়ারিমানা এবং বুরুন্ডির প্রেসিডেন্ট সাইপ্রিয়েন নটারিয়ামিনা, যাদের দুজনেই হুতু সম্প্রদায়ের, বহনকারী বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। ওই বিমানে থাকা সব যাত্রী মারা যান। এই ঘটনার জন্য আরপিএফকে দায়ী করে হুতু চরমপন্থীরা এবং খুব তাড়াতাড়ি মানব হত্যার একটি সুপরিকল্পিত কর্মযজ্ঞ শুরু করে। আরপিএফের দাবি ছিল, ওই বিমানটিকে গুলি করেছে হুতুরাই, যাতে তারা গণহত্যার একটি অজুহাত তৈরি করতে পারে। হুতু মিলিশিয়ারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেশিরভাগ মানুষকে হত্যা করেছে। কীভাবে গণহত্যা করা হয়েছে? অতি সতর্কতার সঙ্গে বিরোধী পক্ষের সরকারি কর্মকর্তাদের তালিকা মিলিশিয়াদের হাতে তুলে দেয়া হয়, এবং তারা গিয়ে তাদের সবাইকে পরিবারের সদস্যদের সহ হত্যা করে। তখন প্রতিবেশীরা প্রতিবেশীদের হত্যা করেছে। এমনকি অনেক হুতু স্বামী তাদের টুটসি স্ত্রীদের হত্যা করেছে, কারণ তাদের দাবি, না হলে তাদের হত্যা করা হতো। সেই সময় প্রত্যেকের পরিচয় পত্রে গোত্রের নাম উল্লেখ থাকতো। রোয়ান্ডায় অসংখ্য মানুষের কোন খোঁজ মেলেনি। ফলে মিলিশিয়ারা রোড ব্লক বসিয়ে পরিচয় পত্র যাচাই করতো এবং টুটসিদের হত্যা করতো। বেশিরভাগ সময় এসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে ধারালো ম্যাচেটি (ধারালো ছুরির মতো) দিয়ে, রোয়ান্ডায় যা প্রায় সবার ঘরেই থাকে। হাজার হাজার টুটসি নারীকে আটক করে যৌন দাসী করা হয়। সংখ্যালঘু টুটসিরা হামলার শিকার হয়েছে কেন এটা এত পাশবিক হয়ে উঠেছিল? রোয়ান্ডার সমাজ সবসময়েই কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত, যার প্রশাসনিক কাঠামোকে অনেকটা পিরামিডের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে, যেখানে সরকারের উঁচু মহল থেকে প্রতিটি জেলা পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হয়। তখনকার সরকারি দল, এমআরএনডির একটি যুব শাখা ছিল - যাদের বলা হয় ইন্টেরাহামায়ি - যারা পরবর্তীতে মিলিশিয়ায় রূপ নেয় এবং যারা বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। টানা একশো দিন ধরে চলেছে রোয়ান্ডায় গণহত্যা স্থানীয় গ্রুপগুলোর হাতে অস্ত্র এবং হিট-লিস্ট তুলে দেয়া হয়, যারা ভালোভাবে জানতো যে এসব মানুষকে কোথায় পাওয়া যাবে। হুতু চরমপন্থীরা একটি বেতার কেন্দ্র স্থাপন করে, যার নাম ছিল আরটিএলএম। ওই বেতার কেন্দ্র এবং পত্রিকার মাধ্যমে বিদ্বেষ মূলক প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হতো, মানুষজনকে 'তেলাপোকা' হত্যা করার জন্য বলা হতো, যার মানে টুটসিদের হত্যা করা বোঝানো হতো। যেসব নামী ব্যক্তিদের হত্যা করা হবে, তাদের নাম ওই রেডিওতে পড়ে শোনানো হতো। এমনকি চার্চের যাজক এবং নানদের বিরুদ্ধেও হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার অভিযোগ এসেছে, যাদের শিকার অনেক মানুষ সেসব চার্চে আশ্রয়ের জন্য গিয়েছিলেন। ১০০ দিনের হত্যাযজ্ঞে আট লাখ টুটসি আর প্রগতিশীল হুতুদের হত্যা করা হয়। গণহত্যার সময় বাড়িতে বাড়িতে লেখা থাকতো যে, এর বাসিন্দারা কি হুতু নাকি টুটসি কেউ কি ওই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল? রোয়ান্ডায় জাতিসংঘ এবং বেলজিয়ামের সৈন্য ছিল, কিন্তু গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘ মিশনকে কোন দায়িত্ব দেয়া হয়নি। একবছর আগেই সোমালিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা নিহত হওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে আর কোন আফ্রিকান জাতির লড়াইয়ের মধ্যে ঢুকতে রাজী ছিল না। দশজন বেলজিয়ান সৈনিক নিহত হওয়ার পর বেলজিয়ামের সব সৈন্য এবং জাতিসংঘের বেশিরভাগ সৈনিককে রোয়ান্ডা থেকে সরিয়ে আনা হয়। অভিযোগ আছে যে, গণহত্যা থামাতে কোন পদক্ষেপ নেয়নি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। হুতু সরকারের বন্ধু ফরাসিরা তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার জন্য একটি বিশেষ সেনাদল পাঠায়। তারা পরবর্তীতে একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করলেও অভিযোগ রয়েছে যে, ওই এলাকায় গণহত্যা বন্ধে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি। রোয়ান্ডার বর্তমান প্রেসিডেন্ট পল কাগামে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, তারা গণ হত্যাকারীদের মদদ দিয়েছে, যদিও প্যারিস ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। উগান্ডার সহায়তায় রোয়ান্ডার ক্ষমতা দখল করে টুটসি বিদ্রোহী বাহিনী। কীভাবে এর শেষ হয়েছিল? সুসংগঠিত বাহিনী আরপিএফ উগান্ডার সেনাবাহিনীর সহায়তায় ক্রমেই রোয়ান্ডার বেশিরভাগ এলাকা দখল করে নেয়। ১৯৯৪ সালের ৪ঠা জুলাই এই বাহিনী রাজধানী কিগালির উদ্দেশ্যে অভিযান শুরু করে। তখন প্রতিহিংসার ভয়ে প্রায় ২০ লাখ হুতু-যাদের মধ্যে বেসামরিক লোকজন এবং গণহত্যার সঙ্গে জড়িতরাও ছিল- সীমান্ত অতিক্রম করে প্রতিবেশী গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় আশ্রয় নেয়। তখন দেশটির নাম ছিল জায়ার। অনেকে প্রতিবেশী তানজানিয়া এবং বুরুন্ডিতে আশ্রয় নেয়। টুটসিরা দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ লাখ মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোয় পালিয়ে যায়। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলেছে, ক্ষমতা গ্রহণের পর আরপিএফ যোদ্ধারা হাজার হাজার বেসামরিক হুতু বাসিন্দাকে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে কঙ্গোয় মিলিশিয়াদের ধরতে অভিযান চালানোর সময় আরো অনেক মানুষকে হত্যা করে। তবে আরপিএফ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কঙ্গোয় যারা আশ্রয় নিয়েছিল, তাদের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। সাহায্য সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে, তাদের সহায়তার বেশিরভাগই হুতু মিলিশিয়াদের হাতে পড়েছে। রোয়ান্ডার গণহত্যার জের ধরে এখনো কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে লড়াই চলছে। কঙ্গোর ক্ষেত্রে কী হয়েছিল? কঙ্গোর সেনাবাহিনী আর হুতু মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে যে বাহিনীগুলো যুদ্ধ করছিল, তাদের সহায়তা করতে শুরু করে রোয়ান্ডার বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আরপিএফ। রোয়ান্ডার সহায়তা পুষ্ট বিদ্রোহীরা কঙ্গোর রাজধানী কিনসাসায় অভিযান শুরু করে এবং মোবুতু সেসে সেকো সরকারকে উৎখাত করে লরেন্ট কাবিলাকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতায় বসানো হয়। কিন্তু নতুন প্রেসিডেন্ট হুতু মিলিশিয়াদের দমনে ঢিলেমি করায় নতুন আরেকটি যুদ্ধের শুরু হয়, যাতে জড়িয়ে পড়ে ছয়টি দেশ। বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী খনিজ সম্পদ পূর্ণ দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য লড়াই শুরু করে। ২০০৩ সাল পর্যন্ত চলা ওই লড়াইয়ে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ মারা গেছে বলে ধারণা করা হয়। এখনো রোয়ান্ডা সীমান্তবর্তী এলাকায় বেশ কয়েকটি সশস্ত্র বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। গণহত্যার পর রোয়ান্ডার কারাগারগুলোয় ছিল ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দী। কারো কি বিচার হয়েছে? আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতিষ্ঠা হয়েছে ২০০২ সালে, যার অনেক আগে রোয়ান্ডার গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ফলে এজন্য দায়ীদের বিচার করতে পারবে না এই আদালত। তবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ওই হত্যাযজ্ঞের শীর্ষ ব্যক্তিদের বিচারের জন্য তানজানিয়ার শহর আরুশায় একটি আদালত স্থাপন করে যার নাম 'রোয়ান্ডার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত'। লম্বা এবং ব্যয়বহুল বিচারের পর গণহত্যার জন্য এ পর্যন্ত ৯৩জনের বিচার হয়েছে, যাদের অনেকেই ছিলেন হুতু সরকারের আমলের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তাদের সবাই হুতু সম্প্রদায়ের। রোয়ান্ডার একটি সামাজিক আদালত গণহত্যায় অভিযুক্ত লক্ষাধিক ব্যক্তির বিচার দ্রুত করার জন্য রোয়ান্ডা সামাজিক আদালত তৈরি করে, যার নাম গাসাসা। সংবাদদাতারা বলছেন, বিচার শুরু হওয়ার আগেই অন্তত ১০ হাজার অভিযুক্ত কারাগারে মারা গেছে। ২০১২ সাল পর্যন্ত ১২ হাজার গাসাসা আদালত বসেছে। সাধারণত বাজার বা কোন গাছের নীচে এসব আদালত বসে, যারা প্রায় ১২ লাখ মামলার বিচার করার চেষ্টা করছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সত্য বের করা, বিচার এবং পুনর্মিলন ঘটানো। রোয়ান্ডান ভাষায় গাসাসা মানে হচ্ছে একত্রে বাসা এবং আলোচনা করা। আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিষ্কার শহর হিসাবে কিগালির নাম রয়েছে রোয়ান্ডার বর্তমান পরিস্থিতি কেমন? ছোট্ট ও বিধ্বস্ত দেশটির পুনর্গঠনের জন্য অভিনন্দন পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট কাগামে। তার নীতির কারণে দেশটির দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে। তিনি রোয়ান্ডাকে একটি প্রযুক্তিগত কেন্দ্র বানানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি নিজেও টুইটারে সক্রিয়। তবে তার সমালোচকরা বলেন, তিনি বিরোধিতা সহ্য করতে পারেন না। দেশে বিদেশে তার বেশ কয়েকজন বিরোধী অপ্রত্যাশিতভাবে মারা গেছেন। গণহত্যার বিষয়টি এখনো রোয়ান্ডায় খুবই সংবেদনশীল একটি বিষয় এবং জাতি বা গোত্র নিয়ে কথা বলা বেআইনি। ২০১৭ সালে বিপুল ভোটে তৃতীয় বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন প্রেসিডেন্ট পল কাগামে (মাঝে) সরকার বলছে, বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা ছড়ানো বন্ধ করা এবং রক্তপাত বন্ধ করাই এর উদ্দেশ্য, যদিও অনেকে বলেন এর ফলে আসলে সঠিক পুনর্মিলন হচ্ছে না। মি. কাগামের বেশ কয়েকজন সমালোচকের বিরুদ্ধে গোত্রগত বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। অনেকে মনে করেন, তাদের কোণঠাসা করার জন্যই এসব অভিযোগ। ২০১৭ সালে তিনি তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, যে নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন ৯৮.৬৩ শতাংশ ভোট। | In just 100 days in 1994, about 800,000 people were slaughtered in Rwanda by ethnic Hutu extremists. They were targeting members of the minority Tutsi community, as well as their political opponents, irrespective of their ethnic origin. Warning: Contains graphic images. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ ধূমপায়ীদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে যে, ধূমপান ছাড়ার জন্য ই-সিগারেট সহায়ক হতে পারে। তবে যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ ধূমপায়ীদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে যে, ধূমপান ছাড়ার জন্য ই-সিগারেট সহায়ক হতে পারে। কিন্তু ই-সিগারেট আসলে কতটা নিরাপদ? ই-সিগারেট কীভাবে কাজ করে? এই সিগারেটের ভেতরে নিকোটিন, প্রোপাইলিন গ্লাইকল অথবা ভেজিটেবল গ্লিসারিন এবং সুগন্ধী মিশ্রিত থাকে। কিন্তু তামাকের ভেতর থাকা অনেক বিষাক্ত রাসায়নিকের তুলনায় (যেমন টার এবং কার্বন মনোক্সাইড) নিকোটিন তুলনামূলক কম ক্ষতি করে। নিকোটিনের কারণে ক্যান্সার হয় না, কিন্তু সাধারণ সিগারেটে ভেতরে থাকা তামাকের কারণে ক্যান্সার হতে পারে- যার কারণে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এ কারণেই ধূমপান বন্ধ করতে নিকোটিন গ্রহণের মাধ্যম পরিবর্তনের জন্য অনেক বছর ধরে পরামর্শ দিয়ে আসছে যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। যার মধ্যে রয়েছে গাম, স্কিন প্যাচেস বা মুখে স্প্রে করা। আরো পড়ুন: 'ধূমপান ছাড়তে ই-সিগারেট প্রধান হাতিয়ার হতে পারে' চিকিৎসকের দৃষ্টিতে ধূমপান ছাড়ার ১০টি সহজ উপায় 'মানুষকে ধূমপান, মদ ও মাংস খেতে দিন' দীর্ঘ সময় কাজ করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি আছে -গবেষণা যুক্তরাজ্যের এমপিদের কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তামাকের বা সাধারণ সিগারেটের চেয়ে ই-সিগারেট অনেক কম ক্ষতিকর। এতে কী কোন ঝুঁকি আছে? চিকিৎসক, স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞ, ক্যান্সার নিয়ে কাজ করা দাতব্য সংস্থা বা যুক্তরাজ্যের সরকার, সবাই একমত হয়েছে যে, বর্তমানে যেসব তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাতে সাধারণ সিগারেটের তুলনায় ই-সিগারেট সামান্যই ঝুঁকি বহন করে। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, সিগারেট বা ধূমপানের তুলনায় এভাবে ধোঁয়া নেয়া ৯৫ শতাংশ কম ক্ষতির কারণ হতে পারে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, এগুলো পুরোপুরি ঝুঁকি মুক্ত। ই-সিগারেটের ভেতরে থাকা তরল পদার্থ এবং ধোঁয়া অনেক সময় এমন সব ক্ষতিকর রাসায়নিক বহন করতে পারে, যা সাধারণ সিগারেটের ভেতরেও থাকে। তবে এর মাত্রা অনেক কম। যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা এর আগে ছোট কয়েকটি পরীক্ষায় দেখেছেন, এ ধরণের ধোঁয়া গ্রহণ বা ভ্যাপিং শরীরের ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় পরিবর্তন আনতে পারে। সুতরাং এভাবে ভ্যাপিং বা ধোঁয়া গ্রহণে স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হয় না, এটা এখনি বলা যাবে না। তবে বিশেষজ্ঞরা একমত যে, প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় ই-সিগারেটে ঝুঁকির মাত্রা অনেক কম। ই-সিগারেট কি অন্যদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ? এরকম ধোঁয়া অন্যদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে, এমন কোন প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। প্রচলিত সিগারেটের ধোঁয়ায় আশেপাশের মানুষ যতটা ক্ষতির শিকার হয়, সে তুলনায় ই-সিগারেটের ক্ষতি তেমন একটা হিসাবের মধ্যে পড়ে না। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'চিৎকার করেছি, সবাইকে বলেছি - ওরে বাঁচান' 'ঢাকায় ৩০% রিকশাচালকই জন্ডিসে আক্রান্ত' পাকিস্তান কি বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের কারণ? ভারতে নারী এমপির বক্তব্যে সরগরম সামাজিক মাধ্যম ই-সিগারেট নিয়েও বিতর্ক রয়েছে ই-সিগারেট নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘসময় ধরে বিতর্ক চলছে। স্কটল্যান্ডে এক জরিপে দেখা গেছে, তরুণদের অনেকে ই-সিগারেট ব্যবহার করে পরে ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ মেয়াদে এর প্রভাব কী পড়তে পারে, সে ব্যাপারে গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথাও এখন উঠছে। ই-সিগারেটে কী থাকবে, তা নিয়ে কি কোন আইন আছে? ই-সিগারেটের ভেতর কী থাকবে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় যুক্তরাজ্যের আইন অনেক কড়া। যুক্তরাজ্যের ই-সিগারেটে কতটুকু নিকোটিন থাকবে, তার সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের আইনে নেই। ১৮ বছরের কারো কাছে এ ধরণের সিগারেট বিক্রি করা যাবে না। ই-সিগারেটের ক্ষেত্রে অনেকটা একই ধরণের দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে কানাডা ও নিউজিল্যান্ডে। | San Francisco has become the first US city to ban sales of e-cigarettes until their health effects are clearer. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ডক্টর অ্যান্থনি বিসলি বিবিসিকে বলেন - এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে গত কয়েক দশক ধরে সরকারি অর্থায়ন ক্রমাগত কমেই আসছে। এই ক্ষেত্রে সরকারের সমর্থন বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে অ্যামেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব সাইন্সের একটি বৈঠকে এই মন্তব্য করেন ডক্টর বিসলি। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রেডিও অ্যাস্ট্রোনমি অবজারভেটরির পরিচালক ডক্টর বিসলি মনে করেন যে 'জোতির্বিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রের মত মহাবিশ্বে বুদ্ধিমান প্রাণের খোঁজের বিষয়টিও' গুরুত্বের সাথে নেয়ার সময় হয়েছে। পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিমত্তা অনুসন্ধানের বিষয়টি বিজ্ঞানের ঠিক প্রথাগত গবেষণার ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে পড়ে না। ডক্টর বিসলি'র মন্তব্য এমন সময় এসেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বেসরকারি সংস্থা জানিয়েছে যে নিউ মেক্সিকোর একটি মানমন্দির 'ভেরি লার্জ অবজারভেটরি'কে পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব খোঁজায় অর্থ সহায়তা দেবে তারা। ভেরি লার্জ অবজারভেটরি একটি মানমন্দির যেখানে একাধিক অ্যান্টেনা রয়েছে এবং এই মানমন্দিরে পৃথিবীর সবচেয়ে সুসজ্জিত দূরবীক্ষণ যন্ত্রও রয়েছে বলে মনে করা হয়। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বারক্লি'র যে দলটি মহাকাশে বুদ্ধিমান প্রাণের অস্তিত্ব খোঁজায় নিয়োজিত রয়েছে, সেই দলের প্রধান ডক্টর অ্যান্ড্রু সিয়েমিওন মন্তব্য করেন যে ভেরি লার্জ অবজারভেটরি মহাকাশে প্রাণ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টায় যোগ দেয়ায় এই কাজে সফলতার সম্ভাবনা '১০ গুণ, বা ১০০ গুণও' বেড়ে যেতে পারে। আরো পড়তে পারেন: মহাকাশ নিয়ে এতো মরিয়া কেন চীন? ২০১৯ সালের মহাকাশের সেরা কিছু ছবি মহাকাশ স্টেশনে রাত কাটাতে পর্যটক পাঠাবে নাসা মহাকাশে বসবাসযোগ্য গ্রহে পানির সন্ধান মহাশূন্যে বর্জ্য তৈরির প্রধান উৎস হয়ে উঠছে ভারত? ভেরি লার্জ অবজারভেটরির টেলিস্কোপ, যেটি দিয়ে মহাকাশে প্রাণের অস্তিত্ব খোঁজা হবে, দেখতে অনেকটা এরকম হবে পৃথিবীর বাইরে আসলেই কী প্রাণের অস্তিত্ব আছে? আমাদের পৃথিবীর বাইরে প্রাণীর অস্তিত্ব আছে কিনা বা সত্যিই এলিয়েনের অস্তিত্ব আছে কিনা, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক কখনই শেষ হবার নয়। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে এ বিষয়ে মানুষের কৌতুহল শুধু বেড়েছেই। এ মাসের শুরুতেই বৈজ্ঞানিক মনিকা গ্রেডি মন্তব্য করেছিলেন যে, তিনি 'প্রায় নিশ্চিত' যে জুপিটারের একটি চাঁদ 'ইউরোপা'য় প্রাণের অস্তিত্ব আছে। তবে সেটি হাঁটাচলা করতে পারার বা কথা বলতে পারা কোনো এলিয়েন না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। লিভারপুল হোপ ইউনিভার্সিটির গ্রহ ও মহাকাশ বিষয়ক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনিকা গ্রেডি বলেন, সেখানে যে ধরণের প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যাবে, তা 'অক্টোপাসের বুদ্ধিমত্তার কাছাকাছি প্রাণী' হতে পারে। তিনি মনে করেন ঐ প্রাণীটি ইউরোপার বরফের নিচে থাকতে পারে। বৃহস্পতি গ্রহের যে ৭৯টি চাঁদের সম্পর্কে জানা গেছে, ইউরোপা তার মধ্যে একটি। এটি ১৫ মাইল পুরু বরফের আস্তরণে ঢাকা। এবছরের শুরুতে মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের একটি দল ধারণা প্রকাশ করেন যে তারা যদি মহাকাশে অক্সিজেনের অস্তিত্ব খুঁজে বের করতে পারেন তাহলে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পেতেও সক্ষম হবেন। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পৃথিবীর বাইরে অন্যান্য গ্রহে অক্সিজেন গ্যাস খোঁজার একটি পদ্ধতিও আবিষ্কার করেছেন বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠে মহাকাশ স্টেশন প্রাণের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে মঙ্গলগ্রহে! অধ্যাপক গ্রেডি মনে করেন মঙ্গলগ্রহে প্রাণের সন্ধান পাওয়া গেলেও সেখানে খুব উন্নত বুদ্ধির কোনো প্রাণী পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তিনি বলেন: "মঙ্গলগ্রহে যদি প্রাণের সন্ধান পাওয়াও যায়, সেটি খুবই ক্ষুদ্র আকৃতির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন ধরুন, ব্যাকটেরিয়ার মত।" বৃহস্পতি গ্রহ ও তার কয়েকটি চাঁদ মহাকাশের বার্তা! গত সপ্তাহে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাকাশ থেকে প্রতি ১৬ দিন অন্তর পাঠানো বার্তা শনাক্ত করতে সক্ষম হন। এই ধরণের সিগন্যাল বা বার্তা পাওয়া খুব একটা অস্বাভাবিক নয়, তবে এর আগে আসা এরকম বার্তা একেবারেই এলোমেলোভাবে এসেছে। এরকম ধারাবাহিক বিরতিতে এর আগে সিগন্যাল পাওয়া যায়নি। এই বার্তাগুলো কোথা থেকে আসছে সে বিষয়ে এই মুহুর্তে তারা নিশ্চিত না হলেও এগুলো ব্ল্যাক হোল বা বড় কোনো নক্ষত্র থেকে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, সিগন্যালটি মাঝারি আকারের কোনো ছায়াপথ থেকে আসছে যেটি ৫০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত হতে পারে। পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিমান প্রাণের অস্তিত্ব খোঁজার পরিকল্পনা রয়েছে নাসা'র যেভাবে মহাকাশে প্রাণ খোঁজার পরিকল্পনা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা হিমায়িত গ্রহ বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপাতে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজতে মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। ২০২৩ সালে প্রথম মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। মঙ্গলগ্রহে এরই মধ্যে 'অপরচুনিটি' ও 'ইনসাইট'এর মত মহাকাশযান পাঠিয়েছে নাসা, যেগুলো থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা বোঝার চেষ্টা করেছে মঙ্গলগ্রহে প্রাণের ধরণ আসলে কেমন। এছাড়া আগামী কয়েকবছরেও মঙ্গলগ্রহে বেশ কয়েকটি অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তবে অধ্যাপক গ্রেডির মতে, "পৃথিবী থেকে অন্যান্য গ্রহের দূরত্ব এতই ব্যাপক যে সেসব গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পেতে আমরা আদৌ সফল হবো কিনা তা কখনোই বলা যায় না।" "আর এখন পর্যন্ত মহাকাশ থেকে যেসব সিগন্যাল পাওয়া গেছে, দু:খজনকভাবে সেগুলোর মধ্যে কোনোটাই যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য বা আসল নয়।" আমাদের পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা বা সত্যিই এলিয়েনের অস্তিত্ব আছে কিনা, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক কখনোই শেষ হবার নয় মহাকাশে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা সেবিষয়ে গবেষণা চালাতে একসময় বছরে প্রায় এক কোটি ডলার বিনিয়োগ করতো নাসা। তবে ১৯৯৩ সালে সেনেটর রিচার্ড ব্রায়ানের প্রণীত এক আইনের ফলে বন্ধ হয়ে যায় অর্থায়ন। সেনেটর ব্রায়ান মনে করতেন এই গবেষণায় নিয়োজিত অর্থ অপচয় হচ্ছে। সেসময়ের পর থেকে মহাকাশে বুদ্ধিমান প্রাণের সন্ধানে যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো দেশে সেরকম কোনো সরকারি অর্থায়ন হয়নি। সেসময় পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা হাতে গোনা কয়েকটি গ্রহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা গিয়েছিল। কিন্তু আমরা জানি এখন পর্যন্ত প্রায় চার হাজার গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে। ডক্টর সিয়েমিওন মনে করেন মহাকাশবিজ্ঞানের এই অগ্রগতির ফলেই অনেক বিজ্ঞানী এখন পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিমান প্রাণীর সন্ধান করতে আগ্রহী হয়েছেন। ডক্টর সিয়েমিওন বলেন, "মানুষ রাতের আকাশের দিকে যখনই তাকিয়েছে, তখনই তার মনে হয়েছে 'ওখানে কি কেউ আছে?'" "এই প্রশ্নের জবাব দেয়ার সক্ষমতা এখন আমাদের আছে, যেটিকে হয়তো মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার বলা যাবে।" | The head of one of the US's national observatories says the search for intelligent life elsewhere in the universe needs to be taken more seriously. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | এ নিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মোট ৫,৬৪৫ জনের মৃত্যু হলো। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হলেন মোট ৩ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৫ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থতার হার বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১,৫৬০ জন। প্রতি ১০০ জন আক্রান্তের মধ্যে ৭৮.০৫ জন সুস্থ হয়ে উঠছেন। যেই হার ঠিক এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৬ শতাংশ। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ থেকে মোট সুস্থ মানুষের সংখ্যা ৩ লাখ ২ হাজার ২৯৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১,৫৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২১ লাখ ৫১ হাজার ৭০২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা নমুনার ১০.৪৫ শতাংশের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত পরীক্ষা করা নমুনার মধ্যে ১৮ শতাংশের মধ্যে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন | A further 20 Covid-19 related deaths have been reported in the most recent 24-hour period, according to Department of Health figures. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধ রক্ষায় দীর্ঘ দিন ধরে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জোর প্রচেষ্টার পর আসা খসড়া এই আইনটিতে হোম-স্কুলিংয়ের নিয়ম কানুন এবং হেট স্পিচ বা জাতিবিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য রুখতে কঠোরতা আরোপ করবে। ফ্রান্সে এবং এর বাইরে অনেক সমালোচক তার সরকারকে দুষছেন যে ধর্মকে টার্গেট করতেই এই আইন ব্যবহার করা হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসতেক্স এটিকে "সুরক্ষা আইন" বলে অভিহিত করেছেন যা মুসলিমদেরকে উগ্রতার হাত থেকে মুক্তি দেবে বলে মনে করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এটি "ধর্মের বিরুদ্ধে বা বিশেষ করে মুসলিমদের ধর্মের বিরুদ্ধে" ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়নি। আইনে কী আছে? "প্রজাতন্ত্রের মূলনীতির সমর্থনে" এই আইনটি অনলাইনে হেট স্পিচ বা জাতিবিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য ঠেকাতে বিধি-নিষেধ আরোপ করবে এবং খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার জন্য অন্য মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য জানাতে ইন্টারনেটের ব্যবহার নিষিদ্ধ করবে। গত অক্টোবরে শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে শিরোচ্ছেদের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই আইনকে দেখা হচ্ছে। ইসলামের নবীর কার্টুন শিক্ষার্থীদের দেখানোর কারণে এক হামলাকারীর হাতে নিহত হয়েছিলেন ৪৭ বছর বয়সী প্যাটি। তদন্তে বেরিয়ে আসে যে তার বিরুদ্ধে একটি অনলাইন ক্যাম্পেইন বা প্রচারণা চলছিল। এই আইনের অধীনে গোপনে চলা যেসব স্কুল ইসলামি আদর্শ প্রচার করে সেগুলোর উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং হোম-স্কুলিং বা বাড়িতে শিক্ষার বিষয়টি উপর কড়াকড়ি আরোপ হবে। আইনটি বহুবিবাহের উপরও নিষেধাজ্ঞা দেবে। এর আওতায় একাধিক স্ত্রী রয়েছে এমন আবেদনকারীকে ফ্রান্সে বসবাসের অনুমতি দেয়া হবে না। যেসব চিকিৎসক মেয়েদের কুমারীত্ব পরীক্ষা করবেন তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা বা জরিমানা হতে পারে। মুসলিম সংস্থাগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতার বিষয়ে নতুন নিয়ম আসবে এবং তহবিল পেতে হলে তাদেরকে ফ্রান্সের "প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধে" সমর্থন করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে ধর্মীয় পোশাক পরিধানের উপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল সেটির আওতা বাড়ানো হবে। এই নিষেধাজ্ঞা এখন থেকে যানবাহন কর্মী, সুইমিং পুল এবং মার্কেটে যাওয়ার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। আইনটি কেন প্রয়োজন হল? খসড়া আইনটি এতোদিন বিবেচনাধীন ছিল। কিন্তু কথিত ইসলামপন্থীদের সাম্প্রতিক হামলা এটিকে আবারো এটিকে এজেন্ডা হিসেবে উত্থাপিত হওয়ার পেছনে কাজ করেছে। ফ্রান্সে যে তিনটি হামলা অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে প্যাটির হত্যাকাণ্ড তাদের মধ্যে অন্যতম। অক্টোবরে নিসে একটি চার্চে ছুরি হামলায় তিন জন নিহত হয়। প্যারিসে শার্লি এবদো ম্যাগাজিনের দপ্তরের কাছে সেপ্টেম্বরে ছুরি হামলায় দুই জন গুরুতরভাবে আহত হয়। ২০১৫ সালে এই ম্যাগাজিনের কার্যালয়েই একটি প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছিল জঙ্গীরা। ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সেক্যুলারিজমসহ ফরাসি "প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধে"র একজন কট্টর সমর্থক প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। তিনি ইসলামকে "সংকটে থাকা" ধর্ম হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং শার্লি এবদোর ইসলামের নবীর কার্টুন প্রকাশের অধিকারের প্রতি সমর্থন করেন তিনি। ফ্রান্সে প্রায় ৫০ লাখ মুসলিম জনগণের বসবাস, যা ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বড় মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। প্রতিক্রিয়া কী এসেছে? বেশ কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন মি. ম্যাক্রোঁ। তুরস্কের সাথে সম্পর্কে এরইমধ্যে চির ধরেছে এবং প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এই প্রস্তাবনাকে "খোলা উস্কানি" এবং মি. ম্যাক্রোঁকে "মানসিকভাবে অসুস্থ" বলে মন্তব্য করার পর তা আরো খারাপ হয়েছে। পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং লেবাননে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কুটনীতিক স্যাম ব্রাউনব্যাকও এর সমালোচনা করে বলেছেন: "যখন আপনি কঠোরহস্ত হবেন তখন পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।" খোদ ফ্রান্সেও কিছু বামপন্থী রাজনীতিবিদরা এই প্রস্তাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন যে এই প্রস্তাবনা মুসলিমদের জন্য অসম্মানজনক হতে পারে। লা ম্যঁদে সংবাদপত্র বলেছে, অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায় যারা হোম-স্কুলিং করে থাকে তারাও এই আইনের বিরোধিতা করতে পারে। কিন্তু প্যারিসে থাকা বিবিসির প্রতিবেদক লুসি উইলিয়ামসন বলেছেন, এ ধরণের পদক্ষেপ নিতে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর উপর চাপও ছিল। তিনি বলেন, ফ্রেঞ্চ সেক্যুলারিজমের নামে ইসলামের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি দেশের অভ্যন্তরে জনপ্রিয় হলেও রাষ্ট্রের জন্য নাজুক অবস্থা তৈরি করতে পারে। | The French cabinet has approved a bill aimed at tackling radical Islamists after a series of extremist attacks. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | খামারের তিনশোর মতো কুমির মেরে ফেলেছে ক্রুদ্ধ গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীরা মনে করে এই অভয়রাণ্য থেকে বেরিয়ে গিয়ে কোন একটি কুমির তাদের গ্রামের একজন লোককে হত্যা করেছে। এর প্রতিশোধ নিতেই এসব কুমিরকে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ ও কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রামবাসীদের হামলা থেকে এসব কুমিরকে বাঁচাতে তারা কিছুই করতে পারেন নি। তারা বলছেন, এখন হয়তো যারা এর সাথে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হতে পারে। ইন্দোনেশিয়ার আইনে কুমিরের মতো সংরক্ষিত প্রাণী হত্যা করা অপরাধ এবং এজন্যে শাস্তি হিসেবে জরিমানা অথবা কারাদণ্ডও হতে পারে। পুলিশ বলছে, শুক্রবার সকালে কুমিরের ওই খামার থেকে স্থানীয় একজন গ্রামবাসী যখন শাক-সব্জি সংগ্রহ করছিল, তখন সেখানকার একটি কুমিরের আক্রমণে তিনি প্রাণ হারান। "খামারের একজন কর্মী শুনতে পান যে কেউ একজন সাহায্যের জন্যে চিৎকার করছে। তখন তিনি খুব দ্রুত সেখানে ছুটে যান এবং দেখাতে পান যে একটি কুমির একজনকে আক্রমণ করেছে," বলেন ইন্দোনেশিয়ায় ওয়েস্ট পাপুয়া প্রদেশের ন্যাচরাল রিসোর্সেস কনজারভেশন এজেন্সির প্রধান। শনিবার নিহত গ্রামবাসীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। তারপর কয়েকশো ক্রুদ্ধ গ্রামবাসী ওই অভয়ারণ্যের দিকে ছুটে যায়। এসময় তাদের হাতে ছিল ছুরি, শাবল, হাতুড়ি এবং মুগুর। কুমিরের খামারের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম লিখেছে, উত্তেজিত জনতা প্রথমে খামারের অফিসে হামলা চালায়। তারপর তারা অভয়ারণ্যের ২৯২টি কুমিরকে হত্যা করে। এই খামারটিতে নিউ গিনি ও নোনা পানির কুমিরের চাষ হচ্ছিল। আরো পড়তে পারেন: যে শ্রমিকদের সর্বনিন্ম মজুরী সবচেয়ে বেশি ক্ষমতায় সমতা: বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ যেখানে নারীর হাতে ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠক: কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? | A mob of villagers has killed nearly 300 crocodiles at a sanctuary for the animals in the Indonesian province of West Papua. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | কেজিবির সাবেক গুপ্তচর সার্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ে ইউলিয়া। সলসবারি শহরে একজন সাবেক রুশ গুপ্তচর ও তার মেয়ের ওপর নার্ভ এজেন্ট দিয়ে আক্রমণের ঘটনার পর মিসেস মে এই পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ঐ ২৩ জন কূটনীতিক প্রকৃতপক্ষে গোয়েন্দা কর্মকর্তা, এবং তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটেন ছেড়ে যেতে হবে। বিবিসির সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, স্নায়ু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর অ্যাংলো-রুশ সম্পর্কের এতটা অবনতি এর আগে কখনও ঘটেনি। ব্রিটেনে কেজিবির সাবেক গুপ্তচর কর্নেল সার্গেই স্ক্রিপাল এবং তার কন্যার ওপর স্নায়ু-বিধ্বংসী কেমিকেল এজেন্ট দিয়ে হামলার নিন্দা করে মিসেস মে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে রুশ দূতাবাসের এক তৃতীয়াংশ কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ, নেটো এবং ইয়োরোপীয় ইউনিয়নে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও সেটা কী হবে, সে সম্পর্কে তিনি এখনই কোন ইংগিত দিচ্ছেন না। ইতিমধ্যে নেটো কর্নেল স্ক্রিপালের ওপর ওই আক্রমণকে আন্তর্জাতিক রীতিনীতির গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করে ব্রিটেনের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ অভিযোগ করেছেন, ব্রিটেন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আরও দেখুন: নেপালে ট্যুর বাতিল করছে আতঙ্কিত যাত্রীরা 'চড়ুইপাখি মরে গেলে ক'দিন খায়নি পৃথুলা' ওয়ানডে ক্রিকেটে ৮ উইকেট পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি টেরিজা মে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। | Theresa May says the 23 Russian diplomats kicked out of Britain are "undeclared intelligence officers". |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়ার সম্পর্কের সম্প্রতি আরো অবনতি হয়েছে রাশিয়া আর যুক্তরাষ্ট্র দেশ দুইটির মধ্যে দীর্ঘদিনের বৈরি সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ সেই সম্পর্ক আরো খারাপ করে তুলেছে। পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করা যাক: যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার মধ্যে এতো উত্তেজনা কেন? এজন্য ফিরে যেতে হবে তথাকথিত স্নায়ুযুদ্ধের (১৯৪৫-১৯৮৯)সময়কালে। যুক্তরাষ্ট্র এবং তখনকার সোভিয়েত ইউনিয়ন কখনো যুদ্ধে জড়ায়নি, তবে ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাবার পরেও তাদের মধ্যে পার্থক্য রয়ে গেছে। বর্তমানে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আবার রাশিয়াকে সেই ক্ষমতায় নিয়ে যেতে চান। কখনো কখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানও নিচ্ছে দেশটি। ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রাইমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার পর সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটে। তখন যুক্তরাষ্ট্র এবং আরো কয়েকটি দেশ রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই দুই নেতার বৈঠক কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের পর এই দুই নেতার সম্পর্কের বিষয়টি বিশ্বে সবার নজরদারির মধ্যে রয়েছে। যদিও ওই হস্তক্ষেপের অভিযোগ নাকচ করেছে মস্কো। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করে, মি. ট্রাম্পের পক্ষে রাশিয়া ওই নির্বাচন প্রভাবিত করেছে। নির্বাচনে রাশিয়ার ভূমিকা ছিল কিনা এবং মি. ট্রাম্পের শিবির তাতে কোন সহায়তা করেছে কিনা, সেটি নিয়ে তদন্ত করছেন স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলার। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ, নির্বাচনে হারার কারণে এটি ডেমোক্রেটদের একটি ষড়যন্ত্র। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রচলিত রিপাবলিকান নীতির অনেকটা প্রতিকূলে দাড়িয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আকাঙ্ক্ষার কথা জানান। গত সপ্তাহেই তিনি শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট, জি সেভেন গ্রুপে রাশিয়াকে পুনরায় অন্তর্ভুক্তির পক্ষে সমর্থন দেন। ক্রাইমিয়াকে সংযুক্ত করার পর ওই গ্রুপে রাশিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছিল। আরো পড়ুন: ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক নিয়ে এত ঝামেলা বেধেছে কেন? ভ্লাদিমির পুতিন সম্পর্কে সবাই কী জানতে চায় যেদিন প্রেসিডেন্ট পুতিন প্রকাশ্যে কেঁদেছিলেন এর আগে বিভিন্ন সম্মেলনে সাইড লাইন বৈঠকে অংশ নিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প তারা একে অপরের বিষয়ে কি করছেন? ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা করে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালে তিনি বলেছেন, 'তিনি খুব ভালো নেতা।' গত বছর তিনি মি. পুতিনকে বলেছেন 'টাফ কুকি।' গত মার্চে রাশিয়ার বিতর্কিত নির্বাচনে মি. পুতিনের জয়ে মি. ট্রাম্প অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, যদিও তার উপদেষ্টারা তা না করার জন্যই পরামর্শ দিয়েছিলেন। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে 'খুবই উজ্জ্বল একজন ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিমান এবং বহুমাত্রিক বলে বিভিন্ন সময় মন্তব্য করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তারা কি নিয়ে আলোচনা করবেন? দুই নেতার আলোচনার বিষয়ের মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, রাশিয়ার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, ইউক্রেন আর সিরিয়ার যুদ্ধের বিষয়। ট্রাম্পের মিত্ররা কি নিয়ে উদ্বিগ্ন? গত সপ্তাহেই নেটো দেশগুলোর সঙ্গে একটি সম্মেলনে রাশিয়ার আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি যৌথ বিবৃতিতে সাক্ষর করেন। এখন কি তিনি সেই উদ্বেগের কথা মি. পুতিনকে সরাসরি জানাবেন? ইউরোপীয় মিত্ররা বলছেন, তাদের জানানো হয়নি যে হেলসিংকি বৈঠক থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প আসলে কি অর্জন করতে চাইছেন। আসলে কি আশা করা যেতে পারে? এটা বলা আসলেই কঠিন। এই বৈঠকের ব্যাপারে আগাম ভবিষ্যৎ বাণী করা সম্ভব নয়, তবে মার্কিন উপদেষ্টারা আভাস দিয়েছেন, এখান থেকে বড় কোন ঘোষণা আসার সম্ভাবনা নেই। আরো রহস্য তৈরি হয়েছে যে, দুই নেতা একবার একান্ত বৈঠকে মিলিত হবেন, যেখানে শুধুমাত্র তাদের অনুবাদকরা উপস্থিত থাকবে। তবে অনুমান করা যেতে পারে, দুই দেশ হয়তো আবার আগের মতো কূটনৈতিক উপস্থিতি গড়ে তোলার বিষয়ে সম্মত হতে পারেন। যুক্তরাজ্যে সাবেক রাশিয়ান গুপ্তচরের ওপর নার্ভ গ্যাস হামলার ঘটনার পর থেকে সম্প্রতি তাদের মধ্যে কূটনীতিক বহিষ্কারের 'ইটের বদলে পাটকেল' নীতি চলছিল। বাকি বিশ্বের জন্য এটি কি অর্থ বহন করছে? অনেক অর্থই বহন করছে। সিরিয়া, ইউক্রেন, ক্রাইমিয়াসহ বিশ্বের অনেক জটিল বিষয়ে পরস্পর বিরোধী অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়া-যার প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বেই। রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর অবরোধ সারা বিশ্বের জন্যই ক্ষতিকর বলে মি. পুতিন বর্ণনা করেছেন। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশেষ ভাবে এই বৈঠকের ওপর নজর রাখবে। রাশিয়ার হুমকির কারণে তারা কিছুটা অস্বত্বি মধ্যে রয়েছে, আবার অনেক দেশ তাদের জ্বালানির জন্য রাশিয়ারও ওপরও নির্ভরশীল। মধ্য আর পশ্চিম ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহের যে বিতর্কিত নর্ড স্ট্রিম-২ নামের প্রকল্প নিয়েছে জার্মানি, তাকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই রুটে ইউক্রেন, পোল্যান্ড বা বাল্টিক দেশগুলো থাকবে না। ফলে এসব দেশও এই বৈঠকের দিকে নজর রাখবে। সুতরাং সবমিলিয়ে সারা বিশ্বেরই নজর থাকবে, সোমবারের এই বৈঠকে আসলে কি হতে যাচ্ছে। | US President Donald Trump and his Russian counterpart Vladimir Putin are holding a summit in the Finnish capital, Helsinki. Why is this so hotly anticipated? |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে, সৈন্য প্রত্যাহার আরো কয়েক মাস বিলম্বিত হচ্ছে। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তালেবানের চুক্তি হয়েছিল যে মে মাসের মধ্যে সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। এখন নতুন যে সময়সীমার কথা বলা হচ্ছে তার ঠিক ২০ বছর আগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র এবং পেন্টাগনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছিল। এর আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছিলেন ১লা মে তারিখের মধ্যে সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার কাজ কঠিন হবে। যুক্তরাষ্ট্রে নেটোর নেতৃত্বে প্রায় ১০ হাজার বিদেশি সৈন্য অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে মার্কিন সৈন্যের সংখ্যা আড়াই হাজার। গত দুই দশকের যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে দুই হাজারের মতো মার্কিন সৈন্য। যুক্তরাষ্ট্র এবং নেটোর কর্মকর্তারা বলছেন, সহিংসতা কমানোর ব্যাপারে তালেবান যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেটা তারা পূরণ করতে পারেনি। এই খবরটি জানাতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, তালেবানকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে সৈন্য প্রত্যাহারের এই সময়কালে মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা চালানো হলে "শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তার জবাব দেওয়া হবে।" তিনি বলেছেন, তাড়াহুড়ো করে সৈন্য প্রত্যাহার করা হলে সেটা একটা ঝুঁকি তৈরি করবে বলে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বলেছেন, পর্যালোচনা করে দেখা গেছে আফগানিস্তানে ২০ বছর ধরে চলা "সংঘাতের এই বইটি (অধ্যায়) এখনই বন্ধ করে দেওয়ার সময়।" প্রেসিডেন্ট বাইডেন বুধবার নিজে এই ঘোষণা দেবেন বলে কথা রয়েছে। সন্দেহ নেই কুড়ি বছর আগে তালেবানকে ক্ষমতা থেকে হটানোর পর এখনকার আফগানিস্তান একেবারেই ভিন্ন এক দেশ। কিন্তু অনেকেই যেমন বলছেন যে সৈন্য প্রত্যাহারের পর দেশটি শান্তির পথে অগ্রসর হতে পারে, তেমনি অনেকে আশঙ্কা করছেন যে এর ফলে আফগানিস্তান আবারও সহিংসতায় নিপতিত হতে পারে। আরো পড়তে পারেন: তালেবান হঠাৎ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে, মার্কিন সতর্কতা একাধিক বিয়ে করে অর্থ নষ্ট করছে তালেবানরা, নড়েচড়ে বসছে শীর্ষ নেতা আফগান নারী সাংবাদিক যখন তালেবানের মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র ও নেটোর সৈন্যরা তালেবানের হামলার লক্ষ্য। কাবুলে ইন্সটিটিউট অফ ওয়ার এন্ড পিস স্টাডিজের নির্বাহী সভাপতি তামিম আসে সতর্ক করে দিয়েছেন, "আশা করা যেতে পারে সৈন্য প্রত্যাহারের এই সময়সীমা ঘোষণার ফলে একটা রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে আফগান দলগুলোর ওপর চাপ তৈরি হবে অথবা সিরিয়ার মতো রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধও শুরু হয়ে যেতে পারে।" আফগানিস্তানে বিবিসির সংবাদদাতা সেকান্দার কেরমানি বলছেন, সেখানে অনেকেই মনে করেন যে এই সিদ্ধান্ত তালেবানকে চাঙ্গা করবে, যদিও এটি তালেবানের সঙ্গে হওয়া সমঝোতার লঙ্ঘন। তিনি বলছেন, তারা যে মার্কিন সৈন্যদের ওপর এই অল্প সময়ের মধ্যে হামলা শুরু করবে সেই সম্ভাবনা কম। তার পরেও তালেবান যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই সিদ্ধান্তকে ভালভাবে গ্রহণ করেনি। "আফগান সরকারের কেউ কেউ আশা করেছিলেন যে নতুন বাইডেন প্রশাসন শান্তি প্রক্রিয়ায় আরো কিছু শর্ত বেঁধে দেবে। কিন্তু সেরকম কিছু করা হয়নি।" তিনি বলছেন, "আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে যে ধীর গতিতে শান্তি আলোচনা চলছে তাতে মনে হচ্ছে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের আগে তাদের পক্ষে ক্ষমতা ভাগাভাগির কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো কঠিন হবে।" "তবে অনেকেই আশঙ্কা করছেন তালেবান হয়তো সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে এবং তার পরেই বিজয় অর্জন কিম্বা অন্তত আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাবে।" সেকান্দার কেরমানি বলেন, তালেবানকে প্রতিহত করতে আফগান সরকার এখনও পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার ওপর নির্ভরশীল। রাজধানী কাবুলে এরকম বহু হামলা চালিয়েছে তালেবান। এমাসের শেষের দিকে আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের বিষয়ে তুরস্কে যে সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে, তালেবান তাতে যোগ দেবে না বলে তারা জানিয়ে দিয়েছে। তালেবানের একজন মুখপাত্র মোহাম্মদ নাঈম টুইট করে বলছেন, "সব বিদেশি সৈন্য আফগানিস্তান ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণী কোনো সম্মেলনে আমরা অংশগ্রহণ করব না।" যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বুধবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে নেটোর মিত্র দেশগুলোকে অবহিত করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আফগানিস্তান যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘতম যুদ্ধ এবং এই যুদ্ধে তারা হাজার হাজার কোটি ডলার খরচ করেছে। গত ২০ বছরের এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের দুই হাজারেরও বেশি সৈন্য ও কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যে চুক্তি সই হয়েছিল তাতে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো ১৪ মাসের মধ্যে তাদের সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে যদি তালেবান হামলা না করার ব্যাপারে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বজায় রাখে। একই সাথে তালেবানের পক্ষ থেকে তাদের হাজার হাজার বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। এরপর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দোহায় সরাসরি শান্তি আলোচনা শুরু হয়, কিন্তু এখনও কোন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। সমঝোতার পর তালেবান আন্তর্জাতিক সৈন্যদের ওপর হামলা বন্ধ রাখলেও তারা আফগান সরকারের ওপর আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। অবশ্য তালেবান গত মাসে হুমকি দিয়েছে যে ১লা মে থেকে যেসব বিদেশি সৈন্য আফগানিস্তানে অবস্থান করবে তাদের ওপর হামলা চালানো শুরু হবে। এই আশঙ্কাও আছে যে কার্যকর কোনো সমঝোতায় পৌঁছানোর আগে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহার করা হলে তালেবান ক্ষমতা দখল করে নিতে পারে। আফগানিস্তানে প্রায় ১০ হাজার বিদেশি সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি অক্টোবর ২০০১: যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে আক্রমণ শুরু হয়। ফেব্রুয়ারি ২০০৯: নেটোর সদস্য দেশগুলো আফগানিস্তানে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির অঙ্গীকার করে। যুক্তরাষ্ট্র আরো ১৭ হাজার সৈন্য পাঠানোর কথা ঘোষণা করে। ডিসেম্বর ২০০৯: মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মার্কিন সৈন্য সংখ্যা আরো ৩০ হাজার বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে মোট সৈন্য সংখ্যা দাঁড়াবে এক লাখ। তিনি বলেন ২০১১ সালের মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হবে। অক্টোবর ২০১৪: যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন আফগানিস্তানে তাদের সরাসরি যুদ্ধ অবসানের কথা ঘোষণা করে। মার্চ ২০১৫: আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির অনুরোধের পর প্রেসিডেন্ট ওবামা সৈন্য প্রত্যাহার বিলম্বিত করার কথা ঘোষণা করেন। অক্টোবর ২০১৫: প্রেসিডেন্ট ওবামা ঘোষণা করেন ২০১৬ সালের শেষ পর্যন্ত ৯,৮০০ মার্কিন সৈন্য আফগানিস্তানে অবস্থান করবে। এর আগে তিনি এক হাজার সৈন্য রেখে বাকি সব সৈন্য প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। জুলাই ২০১৬: প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, নিরাপত্তা-জনিত কারণে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৮,৪০০ মার্কিন সৈন্য আফগানিস্তানে থাকবে। নেটোও সৈন্য মোতায়েন রাখার বিষয়ে সম্মত হয়। অগাস্ট ২০১৭: তালেবানের সাথে যুদ্ধ করার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরো সৈন্য পাঠানোর কথা ঘোষণা করেন। সেপ্টেম্বর ২০১৯: তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শান্তি আলোচনা ভেঙে যায়। ফেব্রুয়ারি ২০২০: কয়েক মাস ধরে আলোচনার পর দোহায় তালেবানের সাথে সমঝোতা সই হয় যাতে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে করে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। | US President Joe Biden is set to announce that American troops will leave Afghanistan by 11 September, officials have told US media. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | মিস্টার জনসন বলেছেন, অন্তত তিন সপ্তাহ নতুন নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এগুলোর মধ্যে মানুষ শরীরচর্চার জন্য দিনে এক বার বের হতে পারবে, "অতি জরুরি প্রয়োজনে" কাজে যাওয়া-আসা করতে পারবে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনতে পারবে এবং স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা নিতে যেতে পারবে। জরুরি নয় এমন পণ্যের দোকান-পাট বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং একসাথে বসবাস করে না এমন ক্ষেত্রে দুই জনের বেশি মানুষ এক সাথে জমায়েত হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৩৩৫ জনে পৌঁছেছে। মানুষ যদি নির্দেশনা মেনে না চলে তাহলে পুলিশ তাদের বাধ্য করতে পারবে, জরিমানা করতে এবং সমাবেশ ভেঙ্গে দিতে পারবে, ডাউনিং স্ট্রিট থেকে এক টেলিভিশন ভাষণে এমনটা জানান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। মিস্টার জনসন বলেন, দেশ "জাতীয় জরুরি অবস্থার" মুখে পড়েছে এবং জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা-এনএইচএস-কে রক্ষা করতে এবং প্রাণ বাঁচাতে বাড়িতে থাকাটা দরকার। তিনি জানান, অন্তত তিন সপ্তাহ এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে এবং এটি প্রতিনিয়তই মূল্যায়ন করা হবে। করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য কি যথেষ্ট ভেন্টিলেটর আছে করোনাভাইরাস এলো কোত্থেকে, ছড়ালো কিভাবে- যতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব করোনাভাইরাস: শঙ্কায় আর হয়রানির মুখে দেশে ফেরা প্রবাসীরা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কেন অন্যের থেকে দু'মিটার দূরে থাকবেন করোনাভাইরাস নিয়ে যেসব ভিত্তিহীন পরামর্শে আদৌ কান দেবেন না করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস: বর্তমান অবস্থা শেষ হতে কত সময় লাগবে? সরকারিভাবে জানানো হয় নিচের চারটির যেকোন একটি অবস্থা হলেই কেবল বাড়ির বাইরে বের হওয়া উচিত। এগুলো হলো... •খাবার ও ওষুধের মতো অতি জরুরি পণ্যের দরকার হলে বের হওয়া যাবে। তবে কেনাকাটার জন্য যত কম সম্ভব বাইরে বের হওয়া উচিত। •হাঁটা, দৌড়ানো কিংবা সাইকেল চালানোর মতো একটি শরীরচর্চার জন্য দিনে একবার বের হওয়া যাবে। এগুলো একা করাটাই ভাল কিংবা যার সাথে বাস করেন তার সাথে করা যাবে। •সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন কোন ব্যক্তির চিকিৎসা সেবা বা অন্য কোন সেবা দেয়ার লক্ষ্যে। যেমন, প্রয়োজনে ১৮ বছরের কম শিশুদের তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া। বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্মীরা কিংবা যাদের শিশুরা ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে শনাক্ত করা হয়েছে তারা সন্তানদের স্কুলে নিয়ে যেতে পারবে। •কাজে যাওয়া-আসা করা। তবে যে ক্ষেত্রে বাড়িতে বসে কাজ করা সম্ভব নয় শুধু সেসব কর্মীরাই এই সুযোগ পাবেন। উপরের নির্দেশনাগুলো মেনে চলার সময়ও বাড়ি থেকে বাইরে যথাসম্ভব কম সময় কাটানো উচিত এবং যাদের সাথে তারা বাস করেন না এমন মানুষদের সাথে দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। এছাড়া সব ধরণের সামাজিক কর্মকাণ্ড সরকার নিষিদ্ধ করেছে যার মধ্যে রয়েছে বিয়ে, ব্যাপ্টিজম ও অন্যান্য অনুষ্ঠান। তবে শেষকৃত্য করা যাবে। ডাউনিং স্ট্রিট থেকে এক টেলিভিশন ভাষণে নিষেধাজ্ঞার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যেসব ব্যবসা দরকারি নয় সেগুলো বন্ধ থাকবে। যার মধ্যে রয়েছে: •রেস্তোরাঁ, ক্যাফে এবং কর্মক্ষেত্রের ক্যান্টিন- তবে খাবার পৌঁছে দেয়া এবং কিনে নিয়ে যাওয়া যাবে। •সুপারমার্কেট এবং অন্য যেকোন দোকান যেখানে খাবার বিক্রি করা হয়, যেমন মার্কেটের স্টল •ফার্মেসির মতো "হেলথ শপ" •পেট্রোল স্টেশন, গ্যারেজ এবং গাড়ি ভাড়া দেয়ার ব্যবসা •বাই-সাইকেলের দোকান •হোম এন্ড হার্ডওয়্যার শপ •লন্ড্রি ও ড্রাই ক্লিনিং •পেট শপ •সংবাদসূত্র এবং পোস্ট অফিস •ব্যাংক কমিউনিটি সেন্টারগুলো খোলা থাকবে কিন্তু সেগুলো শুধু জরুরী স্বেচ্ছাসেবা বা গৃহহীন মানুষদের জন্য ব্যবহার করা যাবে। অন্যান্য বিভিন্ন সংস্থা যেমন লাইব্রেরি, জরুরি নয় এমন দোকান-পাট, খেলার মাঠ, বাইরে থাকা ব্যায়ামাগার এবং প্রার্থনালয় বন্ধ থাকবে। শরীরচর্চার জন্য পার্কগুলো খোলা থাকবে কিন্তু মানুষ সংঘবদ্ধ হতে পারবে না। নির্দেশনায় বলা হয়, কমিউনিটি সেন্টারগুলো খোলা থাকবে কিন্তু সেগুলো শুধু জরুরি স্বেচ্ছাসেবা বা জনগণের সেবায় ব্যবহার করা যাবে যেমন ফুড ব্যাংক বা গৃহহীন মানুষদের জন্য সেবা। হোটেল, হোস্টেল, ক্যাম্পসাইট এবং ক্যারাভান পার্কগুলোও বন্ধ থাকবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত যেকোন ব্যক্তি মাত্র ৫ দিনের মধ্যে আড়াই জনকে আক্রান্ত করতে পারে। তার মানে হচ্ছে ওই এক ব্যক্তির কারণে ৩০ দিনের মধ্যে চারশ মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। লন্ডনের ক্ল্যাপহাম কমন পার্ক ছুটির সময়ে হয়ে উঠেছিল যুক্তরাজ্যের জনাকীর্ণ পার্কগুলোর একটি। যদি একজন ব্যক্তি তার সামাজিক উপস্থিতি অর্ধেক কমিয়ে দেন তাহলে ৩০ দিনের মধ্যে তার থেকে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা নেমে আসে ১৫ জনে। 'বাস্তব চ্যালেঞ্জ' পুলিশ বাহিনী বলছে যে, তারা ব্যাপক হারে ফোন কল পাচ্ছে। যেখানে লোকজন নতুন নির্দেশনার আওতায় কী কী রয়েছে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য জানতে চাইছে। নর্দাম্পটনশায়ার পুলিশের প্রধান কনস্টেবল নিক অ্যাডেরলি জনগণকে সতর্ক করে বলেছেন, তারা যাতে তার বাহিনীর ফোন লাইনে অতিরিক্ত ফোন করে তা বিকল করে না রাখে। জাতীয় পুলিশ প্রধানদের কাউন্সিলের চেয়ার মার্টিন হেউইট বলেন, নতুন নিয়ম বাস্তবায়ন করতে সরকার এবং অন্যান্য সংস্থার সাথে মিলে কাজ করছেন তারা। কিন্তু মেট্রোপলিটন পুলিশ ফেডারেশনের চেয়ারম্যান কেন মার্শ বলেন, লন্ডন জুড়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের একটা বড় অংশের মধ্যে অসুস্থতা দেখা দিয়েছে। যার কারণে নতুন নির্দেশনা বাস্তবায়ন "আসলে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দেবে"। "আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি, কিন্তু আমি নিশ্চিত নই যে, এটা বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত সম্পদ আমাদের রয়েছে কিনা," তিনি বলেন। | Strict new curbs on life in the UK to tackle the spread of coronavirus have been announced by the prime minister. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে শীঘ্রই প্রকাশিতব্য বইটিতে মি. বোল্টন দাবি করেছেন, ট্রাম্প চেয়েছিলেন চীন মার্কিন কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য কিনুক। 'দ্য রুম হোয়্যার ইট হ্যাপেনড' নামে বইটি ২৩শে জুন প্রকাশ হবার কথা রয়েছে। জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজ বলেছিল বইটিতে 'টপ সিক্রেট' তথ্য এবং বর্ণনা রয়েছে, যা অবশ্যই বাদ দিতে হবে। তবে মি. বোল্টন সেসময় তা নাকচ করে দিয়েছিলেন। মি. ট্রাম্পের অভিশংসন বিচারের ক্ষেত্রে যেসব প্রশ্ন উঠেছিল, তা মি. বোল্টনের বইটিতে স্থান পেয়েছে। শি জিনপিংকে নিয়ে কী রয়েছে বইটিতে? অভিযোগটি উঠেছে মূলতঃ জাপানের ওসাকায় গত বছরের জুনে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে মি. ট্রাম্প এবং মি. শির মধ্যে হওয়া এক বৈঠক নিয়ে। নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত নতুন বইটির সারসংক্ষেপে মি. বোল্টন দাবি করেছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেছিলেন, কিছু মার্কিন সমালোচক চান চীনের সঙ্গে যাতে নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন মি. ট্রাম্প ভেবেছিলেন মি. শি হয়তো তার ডেমোক্রেটিক প্রতিপক্ষের কথা বলছেন। মি. বোল্টন বলেছেন, "এরপর বিস্ময়করভাবেই মি. ট্রাম্প আলোচনা ২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে ঘুরিয়ে দেন। চীনের অর্থনৈতিক সামর্থ্যের কথা উল্লেখ করে মি. ট্রাম্প নির্বাচনে জেতার জন্য মি. শি'র সাহায্য চান।" "তিনি কৃষকদের গুরুত্বের ওপর এবং দেশটি থেকে চীনের সয়াবিন ও গম ক্রয়ের বর্ধিত হারের ওপর বারবার জোর দিচ্ছিলেন," মি. বোল্টন বলেন। এরপর মি. শি যখন বাণিজ্য আলোচনায় কৃষি উৎপাদনের ওপর জোর দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেন, মি. ট্রাম্প তখন তাকে 'চীনের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ নেতা' বলে মন্তব্য করেন। বই বিতর্ক সংবাদদাতারা বলছেন, নতুন বইয়ের তথ্য মি. ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের ঘটনা মনে করিয়ে দেয়। ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই বইটির প্রকাশনা আটকে দেবার চেষ্টা করছে। ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের অভিযোগ বইটিতে 'ক্লাসিফায়েড' অর্থাৎ 'রাষ্ট্রীয়' গোপনীয় তথ্য রয়েছে। এদিকে, বইটি নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা ধরণের বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মার্কিন ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট লাইথিজার মি. বোল্টনের বক্তব্যকে নাকচ করে দিয়েছেন, তিনি বলেছেন, "চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ঐ আলোচনায় দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জেতার ব্যাপারে কোন আলোচনা হয়নি।" জানুয়ারিতে ডেমোক্রেটিক দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে চাপে ফেলার জন্য সামরিক সহায়তা প্রত্যাহারের অভিযোগে ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হন মি. ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সব অভিযোগ অস্বীকার করেন, এবং রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সেনেটে কোন সাক্ষীর বক্তব্য ছাড়াই দুই সপ্তাহব্যাপী ট্রায়ালের পর নিষ্কৃতি পান মি. ট্রাম্প। ২০১৮ সালের এপ্রিলে হোয়াইট হাউজে যোগ দেন মি. বোল্টন, একই বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি জানান যে তিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু মি. ট্রাম্প বলেছিলেন, প্রেসিডেন্টের সাথে মতানৈক্য হবার কারণে তাকে চাকরীচ্যুত করা হয়েছে। | US President Donald Trump sought help from Chinese President Xi Jinping to win re-election, ex-National Security Adviser John Bolton's new book says. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | কয়েক হাজার মুরগীর আক্রমণে একটি শিয়াল মারা গিয়েছে। (ফাইল ফটো) দেশটির ব্রিটানিতে একটি মুরগীর খাঁচায় শিয়ালটি ঢুকে পড়লে দরজা তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে যায়। আর তারপরেই ঘটে এই অস্বাভাবিক ঘটনাটি। ঐ খাঁচায় ৩,০০০ মুরগী ছিল বলে জানা যাচ্ছে। "এটা এদের সহজাত প্রবৃত্তি। তারা ঠোঁট দিয়ে তাকে (শিয়ালটিকে)আক্রমণ করে", বলেছেন কৃষি বিষয়ক স্কুল গ্রস-চেনের ফার্মিং-এর প্রধান প্যাসকেল ড্যানিয়েল। পরের দিনে খামারের এক কোণে শিয়ালটির লাশ পাওয়া যায়। "এটার ঘাড়ে মুরগীর ঠোকরানোর চিহ্ন ছিল," সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন মি. ড্যানিয়েল। পাঁচ একর জমির উপর করা এই খামারে প্রায় ৬,০০০ মুরগীকে প্রাকৃতিক পরিবেশে পালন করা হয়। এএফপি জানাচ্ছে, দিনের বেলায় খাঁচার দরজা খুলে রাখা হয় যাতে মুরগীগুলো বাইরে ঘুরে-ফিরে বেড়াতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, সেসময়ই শিয়াল শাবকটি মুরগীর খাঁচায় ঢুকে পড়ে। এরপর যখন স্বয়ংক্রিয় খাঁচাটি বন্ধ হয়ে যায়, তখন পাঁচ-ছয় মাস বয়সের এই বাচ্চা শিয়ালটি ভেতরে আটকা পড়ে। "সম্ভবত এতোগুলো মুরগীর আক্রমণে শিয়ালটি ভয় পেয়ে গিয়েছিল", ফরাসী স্থানীয় সংবাদপত্র অয়েস্ট ফ্রান্সকে বলেন মি. ড্যানিয়েল। "তারা (মুরগীগুলো) দলবদ্ধ অবস্থায় খুবই নাছোড়বান্দা হয়ে উঠতে পারে", তিনি জানান। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: মুরগীর ডিমে তা দিচ্ছেন ফরাসী শিল্পী 'মুরগির দুনিয়া': কীভাবে পৃথিবীর দখল নিলো এই পাখি দেশি ও বিদেশী মুরগী চিনুন | Chickens in a school farm in north-western France are believed to have grouped and killed a juvenile fox. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | স্কুলে ক্লাশ শুরুর আগে করোনাভাইরাসের 'হার্বাল টনিক পান করছে ছাত্র-ছাত্রীরা। করোনাভাইরাস সম্পর্কে এরকম ভুল এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা: ১. আফ্রিকাকে নিজেদের ঔষধ আবিস্কার করতে না দেয়ার ষড়যন্ত্র মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রাজোয়েলিনার এক দাবিকে ঘিরে ছড়িয়ে দেয়া একটি ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে শুরু করা যাক। মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট একটি হার্বাল টনিক করোনাভাইরাস সারিয়ে তুলতে পারে বলে দাবি করেছিলেন। তিনি এর নাম দেন কোভিড অর্গানিক্স। করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এই হার্বাল টনিক ব্যবহার করতে বলছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া এরকম কিছু পোস্ট এরপর ছড়িয়ে পড়েছিল, যেগুলোতে দাবি করা হচ্ছিল এই হার্বাল টনিকে গোপনে বিষ মেশানোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এসব পোস্টে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রেসিডেন্ট, অ্যান্ড্রি রাজোলিয়ানেকে প্রস্তাব দেন, হার্বাল টনিকে বিষ মেশালে তাকে মোটা অংকের অর্থ দেয়া হবে। এই ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্র তত্ত্বের মাধ্যমে বলা হচ্ছিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রমাণ করতে চায় যে আফ্রিকার দেশগুলো কখনোই কোভিড-১৯ এর নিজস্ব ঔষধ খুঁজে বের করতে পারবে না, কোনদিন আত্মনির্ভরশীল হতে পারবে না। এই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রথম একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে ফরাসি ভাষায় লেখা একটি পোস্টে দেখা গিয়েছিল। এই ফেসবুক একাউন্টটি চালানো হচ্ছিল অ্যাংগোলা এবং ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কংগো থেকে। ভুয়া খবর: 'মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্টকে করোনাভাইরাসের ঔষধে বিষ মেশানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা' এরপর তানজানিয়ার দুটি সংবাদপত্রে ১৪ই মে এ নিয়ে রিপোর্ট বের হয়। একটি রিপোর্টে দাবি করা হয় প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনা নাকি ফ্রান্স-২৪ নামে একটি টিভি চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে এরকম প্রস্তাব পেয়েছেন। এই ভুয়া খবরটি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে অনলাইনে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়। এটা সত্যি যে ফ্রান্স-২৪ গত ১১ই মে মিস্টার রাজোয়েলিনার একটি সাক্ষাৎকার নেয়। কিন্তু এই সাক্ষাৎকারের কোথাও তিনি একবারও বলেননি যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাকে এরকম অর্থ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিবিসিকে জানিয়েছে, এই খবরটি একেবারেই ভুয়া। আর মাদাগাস্কারের সরকারও এই খবর নাকচ করে দিয়েছে। সরকারের একজন মুখপাত্র লোভা রানোরামোরো বলেছেন, “কোভিড-১৯ এর এই অর্গানিক ঔষধ ছাড়ার পর থেকে প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রাজোয়েলিনাকে জড়িয়ে অনেক মিথ্যে কথা ছড়ানো হয়েছে।” কোভিড-অর্গানিক্স নামের হার্বাল টনিকটি মাদাগাস্কারে এখনো তৈরি হচ্ছে। এটি সেদেশে এবং আফ্রিকার অন্যান্য দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু এটি যে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কাজ করে এমন প্রমান এখনো নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, তারা সনাতনী চিকিৎসা পদ্ধতিতে উদ্ভাবিত যে কোন কিছুকে স্বাগত জানায়, কিন্তু কোন অপরীক্ষিত চিকিৎসার ব্যাপারে তারা সতর্ক থাকতে বলছে। ২. তানজানিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রীর করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি ভুয়া খবর: 'তানজানিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে' একটি অনলাইন প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছিল তানজানিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী উম্মি মোয়ালিমুর করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এটি টুইটারে অনেকে শেয়ার করেছিলেন। তাদের মধ্যে এক নামকরা সাংবাদিকও ছিলেন। কিন্তু এই খবরটি আসলে সঠিক নয়। টুইটারে একটি পোস্টের স্ক্রিনশটকে ভিত্তি করে খবরটি লেখা হয়েছিল। প্রতিবেদনটির লেখক দাবি করেছিলেন, মন্ত্রী নিজে এই টুইট করেছেন। সোয়াহিলি ভাষায় পোস্ট করা টুইটে বলা হয়েছিল, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার করোনাভাইরাস টেস্টের ফল পজিটিভ এসেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমি দূর থেকেই এমনভাবে আমার দেশের সেবা করে যাবো যেন আমি ফ্রন্টলাইনেই আছি।” কিন্তু মন্ত্রীর টুইটার ফিডে আসলে এরকম কোন টুইট নেই। মন্ত্রী নিজে এবং তার মন্ত্রণালয় উভয়েই এই খবরটিকে ভুয়া বলে বর্ণনা করেছেন। নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন ৩. সাউথ সুদানে করোনাভাইরাসের বোগাস ব্যাজ সাউথ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কির এবং অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তারা নাকি এমন এক ‘সুরক্ষা ব্যাজ’ পরছেন, যা করোনাভাইরাস প্রতিহত করে। কিন্তু এই ব্যাজ কাজ করেনি। সাউথ সুদানের প্রেসিডেন্টের প্রেস উইং থেকে ফেসবুকে যে ছবি পোস্ট করা হয়, তাতে দেখা যাচ্ছে, তিনি এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা এমন দুটি ব্যাজ পরে আছেন, যেগুলো আসলে অনলাইনেই কেনা যায়। একটি ব্যাজের নাম ‘এয়ার ডক্টর’, আরেকটির নাম ‘ভাইরাস শাট আউট।’ এসব ব্যাজ দিয়ে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ঠেকানো যায়, এমন কোন প্রমাণ নেই। সাউথ সুদান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বিবিসি। সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদেরকে এসব ব্যাজ সরবরাহ করেছেন এমন এক ব্যক্তি, যিনি দাবি করেছিলেন তিনি জাপান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। সাউথ সুদান সরকারের এই মুখপাত্র বলেছেন, তারা এখন এসব ব্যাজ পরা বন্ধ করে দিয়েছেন, কারণ এগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘অনুমোদিত’ নয়। আর সাউথ সুদানের জাপান দূতাবাস এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্ক থাকার কথাই অস্বীকার করেছে। এরকম অনেক জিনিস বিশ্বের আরও অনেক জায়গায় বিক্রি হচ্ছে। রুশ পার্লামেন্টের কিছু সদস্যকেও এগুলো ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এসব ব্যাজে বা কার্ডে যে পদার্থ ব্যবহার করা হয়, তা আসলে একধরণের ব্লিচিং এজেন্ট ‘ক্লোরিন ডাইঅক্সাইড।’ এই উপাদানটি বেশ ক্ষতিকর। যুক্তরাষ্ট্রের ঔষধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফডিএ এটি ব্যবহারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ার করে দিয়েছিল। সাউথ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কির এবং অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তারা নাকি এমন এক 'সুরক্ষা ব্যাজ' পরছেন, যা করোনাভাইরাস প্রতিহত করে। ৪. প্রেসিডেন্ট মাগুফুলি জনসমক্ষে মাস্ক পরা নিষিদ্ধ করেননি তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলি জনসমক্ষে মাস্ক পরা নিষিদ্ধ করেছেন- এমন একটি ভুয়া খবর ব্যাপকভাবে ছড়ানো হচ্ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এসব পোস্টে দাবি করা হচ্ছিল, প্রেসিডেন্ট মাগুফুলি বলেছেন, জনসমক্ষে মাস্ক পরে ঘুরে বেড়ালে তা মানুষের মধ্যে আতংক ছড়াবে। আর যখন আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ এবং পর্যটন আবার শুরু হবে, তখন এটি বিদেশিদের ভুল বার্তা দেবে। এসব পোস্টে এমন একটি স্ক্রিনশট ব্যবহার করা হচ্ছিল যেটি দেখে মনে হবে প্রেসিডেন্ট এই টুইটটি করেছেন। কিন্তু এটি আসলে ভুয়া। এর সঙ্গে একটি ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিও প্রচার করা হচ্ছিল। প্রেসিডেন্ট তার নিজের শহর চাটো থেকে যে তারিখে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সই করেন বলে বলা হচ্ছিল, বিবিসি যাচাই করে দেখেছে, প্রেসিডেন্ট আসল ঐদিন সেখানে ছিলেন না। ছিলেন ডোডোমা শহরে। প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র খবরটি নাকচ করে দিয়ে এটি বিশ্বাস না করার জন্য মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তানজানিয়ার সরকার জনগণকে প্রকাশ্যে মাস্ক পরতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উৎসাহিত করছে। তবে তানজানিয়ার কর্তৃপক্ষ নিয়মিত করোনাভাইরাসের তথ্য প্রকাশ করছে না। দেশটির প্রেসিডেন্ট করোনাভাইরাসের প্রভাব খাটো করে দেখাতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে। | As coronavirus cases spread through African countries, misleading information continues to be shared on social media and online. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | সের্গেই-এর বন্ধুকে গাড়ি থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর মোবাইল ফোনে একটি বার্তা এলো। তার প্রেমিক জানালেন, গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজের জন্য বিমানবন্দরে যেতে পারছেন না তিনি। তবে তার বদলে এক বন্ধু তাকে গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেবেন। আনাস্তাসিয়ার জন্য সবকিছু এই পর্যন্ত ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু গাড়ি যখন বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছল ঠিক তখন পথ রোধ করে দাঁড়ালো কালো কাঁচ লাগানো একটি গাড়ি। তা থেকে নামতে থাকলো মুখোশ পরা অস্ত্রধারী কয়েকজন। গাড়ি চালক বন্ধুটিকে টেনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল। আনাস্তাসিয়ার সুটকেস খুলে পুরো উল্টে পাল্টে দেখতে শুরু করলেন অস্ত্রধারীরা। তল্লাসিতে সুটকেস থেকে বের হল একটি মোড়ক ভর্তি সাদা এক ধরনের গুড়ো। কালো রঙের বিশেষ বাহিনীর মত পোশাক পরা লোকগুলোর মধ্যে থেকে একজন নারী তার দিকে তাকিয়ে বললেন, "আপনি নিষিদ্ধ দ্রব্য বহন করছেন বলে সন্দেহ করছি আমরা।" হাঁটু গেড়ে বসছেন সের্গেই। এই বাক্য শুনেই আনাস্তাসিয়ার মুখ রক্ত শূন্য হয়ে গেল। মুখে কাঁচুমাচু একরকম হাসি এনে তিনি বলার চেষ্টা করলেন, "আপনাদের কোথাও ভুল হচ্ছে। ওগুলো আমার নয়।" পুরুষদের মধ্যে একজন চিৎকার করে ধমকে উঠলেন। "তাহলে এগুলো কার? অনেক নাটক হয়েছে।" হঠাৎ লোকটি আনাস্তাসিয়ার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন। একটা গোলাপি রঙের ছোট বাক্স বের করলেন নিজের পকেট থেকে। এক টান দিয়ে নিজের মুখোশ খুলে বলে উঠলেন "আমাকে বিয়ে করো।" সে আর কেউ নয় আনাস্তাসিয়ার প্রেমিক সের্গেই। "এক্সট্রিম প্রপোজাল" সের্গেই নিজে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। কিন্তু তার সাথে যারা ছিলেন তারা সবাই "এক্সট্রিম প্রপোজাল" নামে একটি বিশেষ সেবা-দানকারী প্রতিষ্ঠানের সদস্য। সম্প্রতি রাশিয়াতে রীতিমতো একটি ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে যাদের কাজই হল অভিনেতা পাঠিয়ে, নাটক সাজিয়ে বিয়ের প্রস্তাবকে চমকপ্রদ করতে প্রেমিক-প্রেমিকাদের সাহায্য করা। আর তাতে খরচ নানা রকম। বিয়ের প্রস্তাবের পরে সের্গেই ও আনাস্তাসিয়া। এই ধরুন ৭০০ রুবল যা সাড়ে দশ ডলারের মতো। আবার ৬০ হাজার রুবলও পর্যন্ত খরচ পরতে পারে অর্থাৎ ৯০০ ডলার যদি আপনি বিশাল নাটক সাজাতে চান। সের্গেই-এর খরচ পরেছিল ৩০ হাজার রুবল। তার ইচ্ছে ছিল সহকর্মীদের দিয়ে নাটকটি সাজাবেন। কিন্তু তাতে অনুমোদন পাননি। এই বিশেষ বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা আরেক সের্গেই তবে পুরো নাম সের্গেই রডকিন। আরো পড়ুন: ৭০ বছর পর প্রেম পত্র ফেরত পেল প্রেমিক-যুগল সব সময় ইতিবাচক থাকার ৬টি উপায় তিনি বলছেন, ২০১০ সালের দিকে বন্ধুদের জন্য তিনি মজার ছলে এমন নাটক সাজাতেন। কিন্তু পরে সেটিই একটি কোম্পানি দাঁড়িয়ে গেলো চার বছর পর। এখন তারমত একই সেবা দিচ্ছে ১৩ টি প্রতিযোগী কোম্পানি। বাস্তবতার স্বাদ যারা এসব প্রতিষ্ঠানের অভিনেতা হিসেবে কাজ করছেন তাদের মধ্যে সেনা ও পুলিশের জওয়ান রয়েছে। এমন প্রস্তাবের উল্টো ফলও হয়েছে। আর সেকারণে এই সাজানো মাদক বিরোধী অভিযানকে মারাত্মক বাস্তব মনে হয়। নাটককে বাস্তবসম্মত করতে লোকজনকে হাতকড়া পড়ানো, মাটিতে ফেলে তল্লাসি, গাড়ির গায়ে ঠেসে ধরে রাখা এমন অনেক কিছুই তারা করেন। তারা মূলত খণ্ড-কালীন কর্মী কারণ স্থায়ীভাবে এই অভিনেতার কাজ করার জন্য এতটা চাহিদা তৈরি হয়নি। সের্গেই রডকিন একটু আক্ষেপ করে বলছিলেন তার কাছে সেবা নিতে আসা প্রেমিক-প্রেমিকাদের কোন কল্পনাশক্তি নেই। তারা সবাই ওই একই নাটক চায়। আর হল মাদক বিরোধী অভিযান, গ্রেফতার নাটক ইত্যাদি। কদিন আগে রাশিয়াতে ইভান গোলুনভ নামে একজন সাংবাদিক গ্রেফতার হয়েছিলেন। পুলিশের অভিযোগ ছিল তার কাছে মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে। কিন্তু তিনি বলেছিলেন পুলিশই সেগুলো রেখেছে। সেসময় যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। বাচ্চাদের জন্মদিনের পার্টিতেও কাজ করে কোম্পানিগুলো। মনোবিজ্ঞানী পলিনা সলদাতোভা বলছেন, "এই ধরনের বিয়ের প্রস্তাব এক ধরনের ইঙ্গিত দেয় যে দৈনন্দিন জীবনে রাশিয়ার পুলিশের ভূমিকা কেমন। কৌতুক দিয়ে মানুষ তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলোর প্রতি প্রতিক্রিয়া জানায়। এসব তামাশা দিয়ে হয়ত নিজেদের জীবনের অবস্থাকে গ্রহণ করে সাধারণ মানুষজন যে রাশিয়ার পুলিশ আপনার জন্য যেকোনো সময় এসে পরতে পারে।" আর ওদিকে আনাস্তাসিয়া বলছেন শুরুতে মারাত্মক একটা ধাক্কা খেয়েছিলেন তিনি। খুব ভয়ও পেয়েছিলেন। তবে এমন বিয়ের প্রস্তাবে তিনি সের্গেই-এর উপর অনেকদিন রেগে ছিলেন তেমন নয়। তবে এমন প্রস্তাবের উল্টো ফলও হচ্ছে বৈকি। পেনজা অঞ্চলের আলেকজান্ডার তার প্রেমিকা ক্ষেপে গিয়ে বলেছিলেন তিনি তাকে রীতিমতো একটা "হার্ট অ্যাটাক" দিয়েছেন। রেজান এলাকার ইউলিয়া এমন বিস্ময়কর বিয়ের প্রস্তাবের পর তার হাতে তুলে দেয়া ফুলের তোড়া দিয়ে রীতিমতো পিটিয়েছিলেন প্রেমিকাকে। হুইলচেয়ারে প্রেম | Anastasia is expecting her boyfriend Sergei to be waiting for her when her flight arrives at St Petersburg airport. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | নতুন চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ঈদের তারিখ কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ উৎসবের তারিখটি যেভাবে নির্ধারণ করা হয়, তা অনেকের কাছে খুব জটিল বলে মনে হতে পারে। বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ঈদ হয় কেন? এর প্রধান কারণ, ঈদের তারিখ নির্ধারিত হয় নতুন চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। বিশ্বের ১৮০ কোটি মুসলিম ধর্মীয় উৎসব, রীতিনীতি, অনুশাসনের জন্য অনুসরণ করেন ইসলামিক চন্দ্র বর্ষপঞ্জী। এই চন্দ্র বর্ষপঞ্জীর নয় নম্বর মাস হচ্ছে রমজান। রমজান মাস যখন শেষ হয়ে আসে, তখন সবাই পরিস্কার আকাশে এক নতুন চাঁদের অপেক্ষায় থাকেন। প্রতি বছর রমজান মাস গ্রেগরীয়ন ক্যালেন্ডারের তুলনায় ১১ দিন এগিয়ে আসে। এর ফলে প্রতি বছর রমজান মাসের অভিজ্ঞতা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা ভিন্নতর। কারণ বছরের বিভিন্ন সময় দিন দীর্ঘ কিংবা ছোট হয়। জাকার্তায় ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত এক মুসলিম নারী রমজান মাসে মুসলিমদের সূর্যোদয়ের আগে থেকে সূর্যাস্ত পানাহার থেকে বিরত থেকে রোজা রাখতে হয়। যদি মুসলিমরা সৌর বর্ষপঞ্জী অনুসরণ করতো, তাহলে রমজানের সময় প্রতি বছর ঠিক একই মৌসুমে হতো। এর মানে বিশ্বের কোন কোন অংশের মুসলিমদের সব সময় গ্রীস্মের সময় রোজা রাখতে হতো, যখন কিনা দিন সবচেয়ে লম্বা। আর কোন দেশে হয়তো শীতের সময় রোজা রাখতে হতো, যখন দিন ফুরিয়ে যায় দ্রুত। কিন্তু চন্দ্র বর্ষপঞ্জী অনুসরণের সুবিধা হচ্ছে, এটি বিশ্বের সব মুসলিমকে বিভিন্ন মৌসুমে রোজার অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দেয়। প্রতি তেত্রিশ বছরে রমজান মাস ঘুরে ফিরে আবার সৌর বর্ষপঞ্জীর একই সময়ে ফিরে আসে। ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হয় রমজানের পরের মাস শওয়ালের এক তারিখে। বেশিরভাগ মুসলিম দেশে ঈদের তারিখ সরকারিভাবে নির্ধারিত হয়। অনেক দেশে চন্দ্র বর্ষপঞ্জী আগে থেকে নির্ধারিত করা থাকে। ফলে ঈদের তারিখটি আগে থেকেই জানা যায়। কিন্তু অনেক দেশে আকাশে চাঁদ দেখে তারপর ঈদের ঘোষণা দেয়া হয়। টেলিস্কোপে আকাশে ঈদের চাঁদ দেখার চেষ্টা করছেন মালয়েশিয়ার এক মুসলিম এ কারণেই বিভিন্ন দেশে ঈদ হয় ভিন্ন ভিন্ন তারিখে। যেমন সৌদি আরবের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ ঈদের তারিখ ঠিক করে খালি চোখে ঈদের চাঁদ দেখেছেন এমন মানুষদের সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে। অনেক মুসলিম দেশও একই পদ্ধতিতে ঈদের তারিখ নির্ধারণ করে। শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইরানে সরকারই নির্ধারণ করে ঈদের তারিখ। ইরাকে শিয়া এবং সুন্নীরা ভিন্ন ভিন্ন পন্থায় ঈদের তারিখ ঠিক করে। ইরাকে শিয়াদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় নেতা হচ্ছেন গ্রান্ড আয়াতোল্লাহ আলি আল সিসতানি। তিনি সাধারণত ঈদের ঘোষণা দেন। অন্যদিকে সুন্নিরা নির্ভর করে তাদের ধর্মীয় নেতাদের ঘোষণার ওপর। গত বছর অবশ্য বহু বছর পর একই দিনে ঈদ পালন করে ইরাকের শিয়া এবং সুন্নিরা। তুরস্ক সরকারিভাবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সেখানে অ্যাস্ট্রনমিক্যাল বা জ্যোর্তিবিজ্ঞানের হিসেব-নিকেষের ভিত্তিতে ঈদের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা তাদের স্ব স্ব সম্প্রদায়ের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ঈদ পালন করে। সাধারণত তারা যেসব দেশ থেকে অভিবাসী হয়ে ইউরোপে এসেছে, সেসব দেশের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করে। | People around the world have been celebrating Eid al-Fitr, one of Islam's two major holidays. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | হিন্দু করসেবকরা ভেঙ্গে ফেলছে বাবরি মসজিদ আমি অযোধ্যা এসে পৌঁছাই ১৯৯২ সালের ৪ ডিসেম্বর। সেই সন্ধ্যায় অযোধ্যা ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। আমি তখন 'দ্য পাইওনীয়ার' পত্রিকায় কাজ করি। তারা আমাকে এই অ্যাসাইনমেন্টে পাঠিয়েছে। হিন্দু কর সেবক এবং উগ্রপন্থী হিন্দু নেতাদের যে দলটি বাবরি মসজিদ চত্ব্বরে সমবেত হবে, আমাকে তাদের ছবি তুলতে হবে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) হাজার হাজার কর্মী তখন সেখানে জড়ো হয়েছে। এই দলটি ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা। ভারতে যে সব হিন্দু দল এবং গোষ্ঠী সক্রিয়, তাদের আদর্শগত নেতৃত্বে আছে এই আরএসএস। এসব দলের মধ্যে আছে ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপিও, যারা এখন ভারতের শাসনক্ষমতায়। হিন্দু গোষ্ঠীগুলো মনে করে বাবরি মসজিদ যেখানটায় তৈরি করা হয়েছে, সেটি আসলে হিন্দু দেবতা রামের জন্মভূমি। মসজিদের কাছে তারা একটি হিন্দু মন্দির তৈরির পরিকল্পনা করছিল। হিন্দু নেতারা আশ্বাস দিয়েছিলেন তারা মসজিদ স্পর্শ করবেন না। আর তাদের কর্মসূচী মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং সেখানে একটি ধর্মীয় প্রার্থনা আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। একজন বিজেপি এমপির সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন, ৫ই ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার একটা মহড়া হবে। তিনি আমাকে আরও জানিয়েছিলেন, শীর্ষ নেতারা তাকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন এই মহড়ায় যেন সাংবাদিকরা কোনভাবেই হাজির থাকতে না পারে। তিনি আমাকে বললেন,"তবে আপনি আমার বন্ধু এবং আমি আপনাকে বন্ধু হিসেবে এই তথ্যটা দিলাম।" বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার জন্য আগের দিনের মহড়ার দৃশ্য। আমি তখন ছদ্মবেশে এই হিন্দু করসেবকদের সঙ্গে মিশে গেলাম। আমার মাথায় পট্টি বাঁধা, গায়ে গেরুয়া রঙের স্কার্ফ। জ্যাকেটের গায়ে সাঁটা একটা ব্যাজ, যা দেখে সবাইকে সেখানে ঢুকতে দেয়া হবে। মসজিদের অল্প দূরেই একটা ফুটবল মাঠের সমান একটা জায়গায় সবাই জড়ো হচ্ছিল। আমাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হলো। হাজার হাজার মানুষ তখন সেখানে জড়ো হয়েছে যাদের সবার মাথায় পট্টি বাঁধা এবং গায়ে গেরুয়া বসন। ব্যাজ পরা হিন্দু করসেবকরা পুরো জায়গাটি ঘিরে রেখেছে। যে আমাকে সেখানে ঢুকতে সাহায্য করেছিল, সে আমাকে বলেছিল, একমাত্র এভাবেই আপনি এই মহড়ার ছবি তুলতে পারবেন। "আমার কাছাকাছি থাকুন, অন্য করসেবকদের মতো শ্লোগান দিন, ওদের সঙ্গে মিশে যান। এতে করে আপনি নিরাপদও থাকবেন।" তবে আমি হঠাৎ দেখলাম একটা মোটাসোটা লোক আমার সামনে দাঁড়িয়ে আমার ক্যামেরা বন্ধ করতে বলছে। আমি আমার বুকে লাগানো ব্যাজ দেখিয়ে আর সবার মতো জোরে জোরে শ্লোগান দিতে থাকলাম। তখন লোকটি মাথা ঝাঁকিয়ে দূরে দাঁড়ানো একদল মানুষের কাছে যেতে ইঙ্গিত করলো। কিন্তু আমি আমার ক্যামেরায় ছবি তুলতে শুরু করলাম। আমার সামনে তখন অবিশ্বাস্য সব ঘটনা ঘটে চলেছে। শাবল, কুড়াল, বেলচা এবং লোহার রড নিয়ে তখন লোকে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তারা এক বিরাট মাটির ঢিবি ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করছে। সবকিছুই ঘটছিল খুব পরিকল্পিত এবং সুচারুভাবে। এদের দেখে মনে হচ্ছিল না তারা কেবল স্বেচ্ছাসেবক, যেভাবে পেশাদারী কায়দায় তারা কাজ করছিল তাতে মনে হচ্ছিল কিভাবে একটা বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেলতে হবে সেটা তারা ভালোভাবেই জানে। ভারত সরকারের নিয়োগ করা যে লিবারহান কমিশন বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা তদন্ত করেছিল, ২০০৯ সালে তারা তাদের রিপোর্টে এই মহড়ার কথা উল্লেখ করেছিল। এতে বলা হয়েছিল, "কমিশনের কাছে এটি সন্দেহাতীতভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে বিতর্কিত এই কাঠামোটি ভেঙ্গে ফেলার জন্য একটি মহড়া দেয়া হয়েছিল। কমিশনের কাছে এর কিছু ছবিও জমা পড়েছে। তবে এটি ভাঙ্গার জন্য কোন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল কিনা, তার নিশ্চিত প্রমাণ নেই। যদিও কিছু অবস্থাগত প্রমাণ এবং কিছু সাক্ষ্য থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে করসেবকদের এটি ভাঙ্গার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল।" আমি একটা লোকের ছবি তুলেছিলাম, যার মুখ রুমালে ঢাকা ছিল। সবার মধ্যে একমাত্র সেই তার মুখটি আড়াল করে রেখেছিল। মাটির ঢিবিটা যারা ধ্বংস করে সরিয়ে নিচ্ছিল, লোকটি চিৎকার করে তাদের নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছিল। একটি ডানপন্থী হিন্দু গোষ্ঠীর নেতা গোছের বলে মনে হচ্ছিল তাকে। সেজন্যেই সে তার পরিচয় প্রকাশ করতে চাইছিল না। মাটির ঢিবিটা শেষ পর্যন্ত ভেঙ্গে ফেলা হলো। হিন্দু করসেবকরা এরপর সোল্লাসে চিৎকার করতে লাগলো। আমি জ্যাকেটের মধ্যে আমার ক্যামেরা লুকিয়ে ফেললাম এবং সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম। আমি তখনো লোকজনের সঙ্গে শ্লোগান দিচ্ছিলাম। কিন্তু আমার ভেতরে একটা চাপা উত্তেজনা কাজ করছিল। আমিই হচ্ছি একমাত্র আলোকচিত্র সাংবাদিক, যে এই ঘটনার ছবি তুলতে পেরেছি। হাতুড়ি, কোদাল, শাবল হাতে মসজিদ ভাঙ্গার প্রস্তুতি নিচ্ছে হিন্দু করসেবকরা পরের দিন বাবরি মসজিদের কাছেই একটি ভবনের চার তলায় আমরা সাংবাদিকরা অবস্থান নিয়েছিলাম। সেখান থেকে বাবরি মসজিদ দেখা যায়। সেখানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বিজেপির নেতারা যে সভামঞ্চ তৈরি করেছেন, সেটিও চোখে পড়ে। প্রায় দেড় লাখ হিন্দু করসেব সেখানে জড়ো হয়েছে। সেখানে থাকা পুলিশ পর্যন্ত করসেবকদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে শ্লোগান দিচ্ছিল। দুপুরের একটু পর জনতা উন্মত্ত হয়ে উঠলো। যে পুলিশ বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকরা মসজিদ ঘিরে রেখেছিল, তাদের বেষ্টনি ভেঙ্গে ফেললো জনতা। কিছু লোক আমরা যে ভবনে ছিলাম, তার চার তলায় উঠে এলো। তারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালালো। ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেললো। কয়েক মিটার দূরেই যে মসজিদ ভাঙ্গার কাজ চলছে, সেটার কোন 'ফোটোগ্রাফিক' প্রমান যেন না থাকে। মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে মাটিতে মিশিয়ে দেয়া হলো বাবরি মসজিদ। আমি দৌড়াতে দৌড়াতে আমার হোটেলে ফিরে এলাম। লাঠি হাতে একদল হিন্দু করসেবক ততক্ষণে দাঙ্গা শুরু হয়ে গেছে। আমি চারিদিকে পুলিশের সন্ধান করছিলাম, যারা সাহায্য করতে পারবে। কিন্তু লোকজন তখন দোকান বন্ধ করছে, বাড়ির দরোজায় খিল দিচ্ছে। জানালা বন্ধ করছে। যেদিন এভাবে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা হলো, একজন হিন্দু হয়ে আমি সেদিন লজ্জিত বোধ করছিলাম। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা তদন্ত করে যে 'লিবারহান কমিশন' তার সামনে আমি সাক্ষ্য দিয়েছিলাম। এই মামলার শুনানি চলছে যে বিশেষ আদালতে, সেখানে এখনো মাঝে মধ্যে আমাকে ডেকে পাঠায় সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (সিবিআই)। ২৫ বছর হয়ে গেছে। কিন্তু এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছিল, এখনো পর্যন্ত তাদের কারও সাজা হয়নি। (প্রভীন জৈন এখন ভারতের 'ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস' পত্রিকার এসোসিয়েট ফটো এডিটর। তাঁর সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিবিসির অনসুয়া বসু।) | Hindu mobs tore down the 16th Century Babri mosque in India's holy city of Ayodhya on 6 December 1992. The riots that followed killed nearly 2,000 people. A day before the incident, photographer Praveen Jain joined a group of Hindu volunteers to witness what they claimed was a "dress rehearsal" for the demolition. Here, he shares his pictures and tells his story of that day. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | প্রাক্তন কেজিবি কর্মকর্তা ভ্লাদিমির পুতিন, মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্রাসাদে। শাসকরা জন্মসূত্রেই এই ক্ষমতা পান। ভ্লাদিমির লেনিন এই ক্ষমতা অর্জন করেন বিপ্লবের মাধ্যমে; সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারিরা দলের সিঁড়ি বেয়ে নির্বাহী কমিটির সদস্য হয়ে শীর্ষ পদে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকেন। তবে ২০ বছর আগে ভ্লাদিমির পুতিনকে ক্রেমলিনে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। সোভিয়েত নিরাপত্তা সংস্থা- কেজিবির এই প্রাক্তন কর্মকর্তাকে প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলতসিন এবং তার অভ্যন্তরীণ চক্র বেছে নিয়েছিলেন একবিংশ শতাব্দীতে রাশিয়াকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। তবে মিঃ পুতিনকেই কেন? বুদ্ধিমান সহকারী ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন ভ্যালেন্টাইন ইউমাশেভ। ক্রেমলিন কর্মকর্তা হয়ে ওঠা এই সাবেক সাংবাদিক খুব কমই সাক্ষাতকার দিয়েছেন, কিন্তু তিনি বিবিসির সংবাদ দাতার সাথে দেখা করতে এবং তার গল্প বলতে সম্মত হয়েছেন। মি. ইউমাশেভ ছিলেন বরিস ইয়েলতসিনের অন্যতম বিশ্বস্ত সহকারী - তিনি মি. ইয়েলতসিনের মেয়ে তাতয়ানাকে বিয়ে করেন। মিঃ ইয়েলতসিনের চিফ অব স্টাফ হিসাবে মি. ইউমাশেভ ১৯৯৭ সালে মিঃ পুতিনকে ক্রেমলিনে প্রথম কাজ দেন। "ইয়েলতসিনের বিদায়ী প্রশাসনের প্রধান আনাতোলি চুবাইস আমাকে বলেছেন যে তিনি এমন একজন শক্তিশালী ম্যানেজারকে চেনেন, যিনি আমার জন্য একজন ভাল সহকারী তৈরি করে দেবেন," মিঃ ইউমাশেভ বলেন। "তিনি আমাকে ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন এবং আমরা একসাথে কাজ শুরু করি। আমি সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্য করেছিলাম যে পুতিন কতোটা দুর্দান্ত পারদর্শী। যেকোনো আইডিয়া প্রণয়নের ক্ষেত্রে কিংবা যেকোনো ঘটনার বিশ্লেষণ ও যুক্তি উপস্থাপনের ক্ষেত্রে তিনি ভীষণ দক্ষ ছিলেন," আরো পড়ুন: উদারপন্থা 'অচল' হয়ে পড়েছে: পুতিন ভ্লাদিমির পুতিন: গোয়েন্দা থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট যেদিন প্রেসিডেন্ট পুতিন প্রকাশ্যে কেঁদেছিলেন এরপর বিবিসির সংবাদদাতা জিজ্ঞাসা করেন যে, কখন তার মনে হয়ে হয়েছিল এই লোকটি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হতে পারে?- এমনটা ভাবার কোন বিশেষ কারণ ছিল? "ইয়েলতসিনের মনে বেশ কয়েকটি প্রার্থীর নাম ছিল, যেমন বরিস নিমটসভ, সের্গেই স্টেপাশিন এবং নিকোলাই আকসেনেনকো। ইয়েলতসিন এবং আমি সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের নিয়ে অনেক আলোচনা করি। এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে পুতিনকে নিয়েও আলোচনা হয়," বলেন মি. ইউমাশেভ। "ইয়েলতসিন আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন: 'পুতিন সম্পর্কে আমার ধারণা কী?' -জবাবে আমি বলেছি যে, তিনি একজন দুর্দান্ত প্রার্থী বলে আমি মনে করি। আমার মনে হয় আপনার তার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। পুতিন যেভাবে তাঁর কাজগুলো করেন সেটা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হয় যে তিনি আরও কঠিন কাজের জন্য প্রস্তুত আছেন।" পুতিনের কেজিবির অতীত কি তাকে ছেড়ে দিয়েছিল? "কেজিবির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার পর পুতিনের মতো অনেক কেজিবি কর্মকর্তা সংস্থাটি ছেড়ে দেন। এর অর্থ তার সাবেক কেজিবির পরিচয় কোন অর্থ বহন করে না। পুতিন নিজেকে উদার এবং গণতান্ত্রিক হিসাবে উপস্থাপন করেন, যিনি বাজার সংস্কার চালিয়ে যেতে চেয়েছেন।" ১৯৯৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর বরিস ইয়েলতসিন রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব ছাড়ার আগে সেই বছরের আগস্টে ভ্লাদিমির পুতিন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। গোপন উত্তরাধিকার ১৯৯৯ সালের অগাস্টে, বরিস ইয়েলতসিন ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। এটি একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল যে প্রেসিডেন্ট ইয়েলতসিন মিঃ পুতিনকে ক্রেমলিনের জন্য প্রস্তুত করছিলেন। মিঃ ইয়েলতসিনের ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ আরও এক বছর থাকলেও ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে তিনি তাড়াতাড়ি ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাইকে চমকে দেন। মি. ইউমাশেভ বলেন, "নববর্ষের তিন দিন আগে, ইয়েলতসিন পুতিনকে তার দেশের বাসভবনে ডাকেন। তিনি আমাকে এবং তার নতুন চিফ অব স্টাফ আলেকজান্ডার ভোলোশিনকে উপস্থিত থাকতে বলেন। পুতিনকে মি. ইয়েলতসিন বলেন যে তিনি জুলাই অবধি ক্ষমতায় থাকবেন না। সামনের ৩১শে ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগ করবেন। "আমি, ভোলোশিন, পুতিন এবং ইয়েলতসিনের মেয়ে তাতিয়ানা এই হাতে গোনা কয়েকজন এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতেন। এমনকি ইয়েলতসিন তার স্ত্রীকেও এ বিষয়ে কিছু বলেননি।" মিঃ ইউমাশেভকে, ইয়েলতসিনের পদত্যাগের বক্তব্য লেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। " তার এই বক্তব্য লেখা বেশ কঠিন ছিল। কারণ এটি স্পষ্ট ছিল যে এই লেখাটি ইতিহাসে থেকে যাবে। কেননা এই বক্তব্য ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই আমি সেই বিখ্যাত লাইনটি লিখেছি 'আমাকে ক্ষমা করুন' । "১৯৯০ এর দশকে রাশিয়ানদের সেই ধাক্কা ও চাপ সহ্য করতে হয়েছিল। এজন্য ইয়েলতসিনকে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা ছিল বেশ জরুরি।" নতুন বছর অর্থাৎ ১৯৯৯ সালের প্রাক্কালে, বরিস ইয়েলতসিন তার চূড়ান্ত টেলিভিশন ভাষণটি ক্রেমলিনে রেকর্ড করেন। "সেখানে উপস্থিত সবার জন্য এই ঘোষণা ছিল বিশাল এক ধাক্কার মতো। একমাত্র আমি বক্তব্য লেখার কারণে অবাক হইনি। সবাই সেই ঘোষণা শুনে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়ে। খুবই আবেগঘন মুহূর্ত ছিল সেটি।" "তবে খবরটি ফাঁস না হওয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সরকারি ঘোষণাটি প্রচারের জন্য তখনও চার ঘণ্টা সময় বাকি ছিল। তাই গোপনীয়তা রক্ষায় ওই রেকর্ড রুমের সমস্ত লোককে তালাবন্ধ করে রাখা হয়। তাদেরকে কোথাও যেতে দেওয়া হয়নি। আমি টেপটি নিয়ে টিভি স্টেশনে যাই। ভাষণটি মধ্যাহ্নে প্রচারিত হয়েছিল।" ভ্লাদিমির পুতিন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হন। তিন মাস পরে তিনি নির্বাচনে জয় লাভ করেন। ২০০৬ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে জি-এইট শীর্ষ সম্মেলনে অ্যাঙ্গেলা মার্কেল, টনি ব্লেয়ার, জ্যাকস চিরাক, এবং জর্জ ডব্লু বুশের সাথে ভ্লাদিমির পুতিন। 'দ্য ফ্যামিলি'র সদস্য? ভ্যালেন্টাইন ইউমাশেভকে প্রায়শই দ্য ফ্যামিলির সদস্য হিসাবে উল্লেখ করা হয়: এই ফ্যামিলি বা পরিবার বলতে বরিস ইয়েলতসিনের অভ্যন্তরীণ গণ্ডির মধ্যে থাকা কয়েক জনকে বোঝানো হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে ওই কয়েকজন ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে ইয়েলতসিনের ওপর বেশ প্রভাব ফেলেছিল। মিঃ ইউমাশেভ "দ্য ফ্যামিলি"কে "একটি মিথ, একটি মনগড়া আবিষ্কার" বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে সন্দেহ নেই যে, ১৯৯০ এর দশকে প্রেসিডেন্ট ইয়েলতসিনের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার সাথে সাথে ক্রেমলিন নেতা তার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্বের সংকীর্ণ গণ্ডির ওপর তাঁর আস্থা রেখেছিলেন। "পুতিনের অনুগামী লোকজন তার ওপর ওই ধরণের প্রভাব ফেলতে পারে না।" - এমনটাই মনে করেন রাজনীতি বিশেষজ্ঞ ভ্যালেরি সোলোভেই। "পুতিন দুই ধরণের লোকেদের সামনে ঝুঁকে থাকেন: প্রথমত, তার শৈশবের বন্ধুদের সামনে, যেমন রোটেনবার্গ ভাই এবং যারা সোভিয়েত কেজিবিতে সেবা দিয়েছিলেন। "তবে তিনি তাদের আনুগত্যে গলে যান না। ইয়েলতসিন তার পরিবারের সদস্যদের উপর আস্থা রেখেছিলেন। পুতিন কারও উপর নির্ভর করেন না।" ২০০৭ সালে মঙ্গোলিয়ার সীমান্তের কাছে স্নাইপার রাইফেল নিয়ে ভ্লাদিমির পুতিন। 'কোনও আফসোস নেই - রাশিয়ানরা পুতিনের উপর আস্থা রেখেছেন' মি. পুতিন ২০ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতায় রয়েছেন। সেই সময় থেকে, তিনি এমন একটি ক্ষমতার বলয় তৈরি করেছেন যা তাকে ঘিরে আবর্তন করে। তার অধীনে, রাশিয়া একটি ক্রমবর্ধমান স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, যেখানে গণতান্ত্রিক অধিকার এবং স্বাধীনতা সীমিত। "ইয়েলতসিন বিশ্বাস করেন যে তাঁর একটি মিশন ছিল এবং পুতিনেরও তাই আছে," মিঃ সলোভেই বলেছেন। "ইয়েলতসিন নিজেকে ত্রাতা মুসা হিসাবে দেখছেন: তিনি তার দেশকে কমিউনিস্ট দাসত্ব থেকে বের করে এনে শাসন করতে চেয়েছিলেন।" "পুতিনের মিশন হল, অতীতে ফিরে আসা। তিনি সোভিয়েতের পতনকে 'বিংশ শতাব্দীর বৃহত্তম ভূ-রাজনৈতিক বিপর্যয়' উল্লেখ করে তার প্রতিশোধ নিতে চাইছেন। তিনি এবং তাঁর রাজপরিবারের সাবেক কেজিবি কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে সোভিয়েত ইউনিয়নের ধ্বংস পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থার কাজ ছিল।" মি. ইউমাশেভ বলেন, আজকের ভ্লাদিমির পুতিনকে কেউ উদারনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে চেনেন না। এ অবস্থায় বিবিসির সংবাদদাতা প্রশ্ন রাখেন, তাহলে, মি. পুতিনের সাবেক বস কি তাকে এই ক্ষমতা দেওয়ার জন্য এখন আফসোস করছেন? মি. ইউমাশেভ জবাবে বলেন, "আমার কোনও আফসোস নেই," তিনি আরও বলেন: "এটা স্পষ্ট যে রাশিয়ানরা এখনও পুতিনের উপর বিশ্বাস রেখেছেন।" তবুও, মি. ইউমাশেভ মনে করেন যে বরিস ইয়েলতসিনের পদত্যাগ করা সব রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের জন্য একটি শিক্ষা হিসাবে কাজ করবে, শিক্ষাটি হল "পদত্যাগ করা এবং অল্প বয়সীদের জন্য পথ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইয়েলতসিনের জন্য এটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।" | Through the ages, Russian rulers have gained power in different ways. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ মি. ট্রাম্পের আপত্তি সত্ত্বেও কংগ্রেসে পাশ হওয়া এই বিলটিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুমতি দানের স্বাক্ষর করতে গিয়ে, বিলটিকে তিনি 'ফ্লড' বা 'ত্রুটিযুক্ত বিল' বলে আখ্যায়িত করেছেন। রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, নতুন এই বিলের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র আসলে 'পূর্ণমাত্রায় বাণিজ্যকেন্দ্রিক যুদ্ধ' শুরুর প্ররোচনা দিচ্ছে। মি: মেদভেদেভ বলেছেন, "এই যে বিলটিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সই করলেন, এতেই স্পষ্ট হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের গুরুত্ব আসলে কতটা"। রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পুরোপুরি অপদস্থ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস গত সপ্তাহে প্রায় সর্বসম্মতভাবে রাশিয়ার ওপর নতুন করে অবরোধ আরোপের বিল পাশ করে। এই বিল সংসদের দুই কক্ষেই পাশ হওয়ায় নাখোশ ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাই অনেকেই মনে করছিলেন যে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিলটিতে স্বাক্ষর করার সময়ে শেষ মুহূর্তে কোনো একটা অজুহাতে মি: ট্রাম্প হয়তো তাতে স্বাক্ষর নাও করতে পারেন। কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রুশ-অবরোধ বিলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে নিজেকে আরো সমালোচিত করে তুলতে চাননি বলেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো এই বিলে স্বাক্ষর করেছেন বলেও মনে করছেন অনেকেই। ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার ভূমিকা এবং ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার ওপর এই নতুন অবরোধ এলো। গত মাসেই ট্রাম্প-পুতিনের প্রথম বৈঠক হলো জার্মানিতে জি-৭ সম্মেলনে। এর পর দুই দেশই তাদের সম্পর্ক উন্নয়নে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা বিল আবারো উত্তেজনার পারদই বাড়িয়ে দিল বলেও মনে করছে কেউ কেউ। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চান রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করতে তবে, জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার পরেও তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করে যাবে। তিনি বলছেন, "আমি আজকাল সত্যিই এই ভেবে বিস্মিত হই যে, দুনিয়ায় এমন কোনো ইস্যু কি আছে যেটি নিয়ে আপনি রাশিয়াকে অভিযুক্ত করতে পারবেন না! কিন্তু আমরা খিটখিটে শিশুর মতন নই এবং চারিদিকে যা কিছু ঘটে তার সকল কিছু দিয়েই আমরা বিরক্ত বোধ করি না। আমাদের সহযোগীদের সাথে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও, আমরা কাজ করতে উপায় খুঁজবো"। "আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে খুশী করতে চাই বা ওই বিলে কী আছে এইসবের জন্য নয়। বরং আন্তর্জাতিক সমাজের কল্যাণের নিমিত্তে, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র, আমরা একত্রে কাজ করবো এটা বোঝাতে যে, আমরাও সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব নিয়ে কাজ করতে পারি" বলেন রুশ রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া । মার্কিন নির্বাচনে রুশ-হস্তক্ষেপের যে অভিযোগ এনে এই অবরোধ দেয়া হলো, সেই অভিযোগ শুরু থেকেই নাকচ করে আসছে রাশিয়া। নতুন এই অবরোধ বিলের মাধ্যমে রাশিয়ার পাশাপাশি উত্তর কোরিয়া ও ইরানের বিরুদ্ধেও অবরোধ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের ওপর আরোপ করা এই নিষেধাজ্ঞাটিকে পরমাণু চুক্তির লংঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে ইরান। নিষেধাজ্ঞার জবাবে ইরান বলেছে, এর মাধ্যমে অ্যমেরিকা পরমাণু চুক্তির লঙ্ঘন করেছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: | US President Donald Trump has signed a new order that boosts sanctions against North Korea over its nuclear weapons programme. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর সময়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। রোববার এক টুইট বার্তায় মি: ট্রাম্প বলেন, "ইরান যদি যুদ্ধ চায়, তাহলে সেটি হবে ইরানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি।" তিনি ইরানকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তারা যেন আর কখনো যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি না দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করেছে। কয়েকদিন আগেই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে যুদ্ধ চায়না। কিন্তু এখন মি: ট্রাম্পের বক্তব্যে সেখান থেকে সরে আসার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছিলেন যে তিনি আশা করেন ইরানের সাথে কোন যুদ্ধ হবে না। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফও বলেন, যুদ্ধের কোন সম্ভাবনা নেই। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাতঙ্ক, মক্কায় হবে জরুরী বৈঠক ইরানকে ঘিরে মার্কিন যুদ্ধ প্রস্তুতি- উদ্দেশ্য কী মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস আব্রাহাম। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইরানের যুদ্ধ লেগে যাওয়ার সম্ভাবনায় পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সৌদি বাদশাহ সালমান ৩০শে মে মক্কায় এক জরুরী বৈঠকে বসার জন্য আরব লীগ এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর জোট জিসিসি সদস্যদের আমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন। সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, "সংযুক্ত আরব আমিরাতে সমুদ্র সীমায় (সৌদি) বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা এবং সৌদি আরবের মধ্যে দুটো তেল ক্ষেত্রে হুতি সন্ত্রাসীদের হামলার" পরিপ্রেক্ষিতে এই জরুরী বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তি থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই দু'দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলেও, চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স এখনও ইরানের সাথে করা চুক্তি বজায় রেখেছে। বিবিসির প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশ্লেষক জনাথন মার্কাস বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন চান ইরানের সাথে করা এই পরমাণু চুক্তি পুরোপুরি ভেস্তে যাক। ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তার ফলে ইরানের অর্থনীতি দিনে দিনে সঙ্কটে নিমজ্জিত হচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য যেন ইরান তাদের তেল অন্য দেশের কাছে বিক্রি করতে না পারে। এছাড়া গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সবচেয়ে সুসজ্জিত বাহিনী রেভলিউশনারি গার্ডকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ইরানের বিরুদ্ধে কেন রণতরী পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র ট্যাংকারে হামলার 'পেছনে ইরান', মার্কিনীদের ধারণা কাতারে কেন নেমেছে চারটি মার্কিন বি-৫২ বিমান? | US President Donald Trump has issued a stern warning to Iran, suggesting it will be destroyed if a conflict breaks out between the two countries. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | অবশেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন জলবায়ু পরিবর্তন যে আসলেই হচ্ছে তা তিনি স্বীকার করেন পৃথিবীর উষ্ণতা ক্রমে বাড়তে থাকার পেছনে আদৌ মানুষের ভূমিকা আছে কিনা - তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মি. ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে দেয়া সাক্ষাৎকারে কিছুদিন আগে প্রকাশিত হওয়া গবেষণায় পরিবেশ বিজ্ঞানীদের হুঁশিয়ারি সম্পর্কে এসব মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীরা সবাই একমত হয়েছেন যে জলবায়ু পরিবর্তন আসলে মানবসৃষ্ট কারণে ঘটে। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্ত:সরকারি প্যানেল (আইপিসিসি) - যারা জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে গবেষণায় পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় সংস্থা - তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সতর্ক করেছে যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিবেশের তাপমাত্রায় স্বাভাবিক তারতম্য মানুষের কার্যক্রমের প্রভাবে ব্যাপক মাত্রায় পরিবর্তিত হচ্ছে। তাঁদের মতে, বৈশ্বিক শিল্পায়ন শুরু হওয়ার সময় থেকে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, এই গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হলে 'সমাজের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে অতিসত্বর, ব্যাপক আকারে এবং নজিরবিহীন' পরিবর্তন আনতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে ট্রাম্প কী বলেছেন? পরিবেশবিদদের সুপারিশ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবেন কিনা, সেবিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে রবিবারের সাক্ষাৎকারে মি. ট্রাম্প বলেন তাদের 'বড় ধরণের রাজনৈতিক অভিসন্ধি' রয়েছে। "আমার মনে হয় না জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি একটি ভাঁওতা।" "কিন্তু তারা (বিজ্ঞানীরা) যেরকম বলছে তা করতেই হবে, এমনটাও মনে করি না আমি", বলেন মি. ট্রাম্প। মি. ট্রাম্প বলেন এই খাতে তিনি ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করতে যেমন রাজি নন, তেমনি পরিবেশ বিজ্ঞানীদের সুপারিশ বাস্তবায়ন করে লক্ষাধিক কর্মসংস্থানও নষ্ট করতে চান না। একপর্যায়ে মি. ট্রাম্প বলেন যে তাপমাত্রা 'হয়তো আবার খুবই স্বাভাবিক হয়ে যাবে' - তবে তা কীভাবে হতে পারে সেবিষয়ে আলোকপাত করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবিষয়ে আগে কী বলেছেন ট্রাম্প? ২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুটিকে ধাপ্পাবাজি বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন মি. ট্রাম্প। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করার পর থেকে এবিষয়ে পরিষ্কারভাবে কোনো পক্ষই নেননি তিনি। তবে প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবে - এমনটা ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বৈশ্বিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে হওয়া প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র বাদে পৃথিবীর ১৮৭টি দেশ একমত হয়েছিল। প্যারিস চুক্তি থেকে প্রত্যাহারের সময় মি. ট্রাম্প বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য এবং কর্মসংস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না - এমন একটি সমাধান খোঁজার লক্ষ্যে আবারো আলোচনা করতে আগ্রহী তিনি। মি. ট্রাম্পের ঐ বক্তব্যের পর আবারও গুঞ্জন ছড়িয়ে পরে যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে মনগড়া হুমকি বলে মনে করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে জাতিসংঘের মার্কিন দূত নিকি হেইলি পরে নিশ্চিত করেন যে 'জলবায়ু পরিবর্তন যে আসলেই হচ্ছে তা বিশ্বাস করেন মি. ট্রাম্প'। Climate change: How 1.5C could change the world জলবায়ু পরিবর্তন আসলে কতটা ভয়াবহ হুমকি? গত সপ্তাহে প্রকাশিত আইপিসিসি'র প্রতিবেদনে বলা হয় যে শুধুমাত্র বৃহৎ পরিসরে, ব্যয়সাপেক্ষ পরিবর্তনের মাধ্যমেই জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানো সম্ভব। ২০১০ সালের তুলনায় ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নি:সরণ ৪৫% কমিয়ে আনা এবং কয়লার ব্যবহার প্রায় শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকরা সতর্ক করেছেন যে পৃথিবী বাসী যদি জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারে, তাহলে বিশ্বের আবহাওয়া ধ্বংসাত্মক রূপ নিতে পারে। তখন একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, সাগরের পানির তাপমাত্রা ও অম্লতা বৃদ্ধির মত বিপর্যয়ের মুখে পরবে পৃথিবী। এমনকি চাল, গম, ভুট্টার মত প্রয়োজনীয় ফসল উৎপাদনও ব্যাহত হবে ব্যাপকভাবে। | US President Donald Trump has accused climate change scientists of having a "political agenda" as he cast doubt on whether humans were responsible for the earth's rising temperatures. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা অভিজিৎ রায়ের পরিবারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি ঘটনার তদন্তে পুলিশ এবং সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এমন পটভূমিতে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে গোয়েন্দা পুলিশ হত্যাকারীদের শনাক্ত করার কথা তুলে ধরেছে। তবে অভিজ্যিৎ রায়ের পিতা অধ্যাপক অজয় রায় বলছেন, এখনও পুলিশের এসব তৎপরতা তাদের কাছে 'লোক-দেখানো' মনে হচ্ছে। গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একুশে বইমেলার কাছে অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর চার মাসেরও বেশি সময় পার হলেও তদন্তে অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়। এ নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠছে। এমন প্রেক্ষাপটে ঢাকায় আজ এক সাংবাদিক সম্মেলন করে গোয়েন্দা পুলিশ দাবি করেছে, হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত সাত জনকে পুলিশ চিহ্নিত করতে পেরেছে। গোয়েন্দা পুলিশের মুখপাত্র মুনতাসীরুল ইসলাম বলেছেন, অভিজিৎ রায়কে হত্যার ঘটনায় চিহ্নিত সাতজনই সরাসরি জড়িত, এ বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, চিহ্নিতদের একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানে লেখাপড়া করেছে এবং বাকিরা ঢাকায় বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। সাতজনই সচ্ছ্ল পরিবারের এবং তারা আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। তবে এদের কাউকেই পুলিশ এখনও ধরতে পারেনি। অভিজিৎ রায় যেখানে আক্রান্ত হন অভিজিৎ রায়কে হত্যার ঘটনার মাসখানেক পরই গত মার্চ মাসে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় ব্লগার ওয়াশিকুর রহমানকে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় মানুষ হাতেনাতে দুইজনকে ধরেছিল। যে দুই জন মাদ্রাসার ছাত্র ছিল। এই দুটি হত্যাকান্ডের মধ্যে যোগসূত্র থাকতে পারে বলে গোয়েন্দা পুলিশ ধারণা করেছে, এবং অভিজিৎ হত্যাকারীদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে এই দু’জনের বক্তব্য বড় ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। তবে অভিজিৎ রায়ের পিতা অধ্যাপক অজয় রায় পুলিশের এসব তৎপরতাকে লোক দেখানো বলে মনে করছেন। তিনি বলেছেন, জড়িতদের গ্রেফতার এবং দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করা হবে, সেটা তারা এখন দেখতে চাইছেন। তদন্ত এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সরকার এবং পুলিশের আন্তরিকতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। অভিজিৎ রায়কে হত্যার সময় তার স্ত্রী বন্যা আহমেদকেও কুপিয়ে আহত করা হয়েছিল। সম্প্রতি বন্যা আহমেদ লন্ডনে বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সরকার এবং পুলিশের তৎপরতার সমালোচনা করেছেন। তবে গোয়েন্দা পুলিশ বলেছে, এই হত্যাকান্ডে ঘটনায় জনগণ এবং মিডিয়া অগ্রগতি জানতে চায়, সে কারণে তারা জড়িতদের চিহ্নিত করার বিষয় তুলে ধরেছে। চিহ্নিতদের তথ্য পুলিশের কাছে আছে এবং গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলেও পুলিশ দাবি করেছে। | Police in Bangladesh have arrested a man in connection with the murder of atheist writer Avijit Roy. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | গ্রহাণু রাইয়ুগু থেকে পাওয়া পাথর রাইয়ুগু নামে এই গ্রহাণুর টুকরো সংগ্রহ করে তা একটি ক্যাপসুলে ভরে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিল জাপানের মহাকাশ সংস্থা আইএসএএস-র পাঠানো হায়াবুসা-টু মহাকাশযান। যেসব পদার্থ দিয়ে সৌরজগতের সৃষ্টি হয়েছিল, সেগুলোর যে ক'টি এখনো টিকে আছে তার একটি হচ্ছে এই রাইয়ুগু নামের গ্রহাণু। শুধু তাই নয় - মহাশূন্যের গভীর থেকে (ডিপ স্পেস) এই প্রথম বড় পরিমাণে মাটি-পাথর পৃথিবীতে পাঠানো হলো। হায়াবুসা-টু মহাকাশযানটি ২০১৮ সালের জুন মাসে প্রথম রাইয়ুগুতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিল। আর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে হায়াবুসা-২ প্রথমবারের মত সেই এক কিলোমিটার চওড়া গ্রহাণুটির ওপর অবতরণ করে। তার পর ট্যান্টালাম নামে একটি ধাতুর তৈরি বুলেট দিয়ে গ্রহাণুটির ওপর "গুলি করা হয়।" এতে যেসব টুকরো ছিটকে পড়ে সেগুলোকে সংগ্রহ করা হয় একটি নল দিয়ে। বিশুদ্ধ পদার্থ গত ৫ই ডিসেম্বর শনিবার হায়াবুসা-টুর নমুনা বহনকারী ক্যাপসুলটি পৃথিবীতে ফিরে আসে । প্যারাসুটের সাহায্যে এটি অস্ট্রেলিয়ার উমেরা'র মরুভুমিতে নিরাপদে অবতরণ করে। জাপানী বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত ক্যাপসুলটির তিনটি প্রকোষ্ঠের মধ্যে মাত্র একটি খুলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার মরুভূমিতে অবতরণের পর ক্যাপসুলটি নিয়ে যাচ্ছেন একজন কর্মী বাকি দুটি প্রকোষ্ঠের একটিতে রাইয়ুগুর মাটির নিচের পদার্থ সংগৃহীত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই রাইয়ুগু থেকে এমন বিশুদ্ধ পদার্থ সংগ্রহ করতে চেয়েছিলেন যা মহাশূন্যের বিকিরণ বা অন্যান্য কারণে শত কোটি বছরেও পরিবর্তিত হয়ে যায়নি। এ কারণে তাদেরকে বিস্ফোরক ব্যবহার করে তামার তৈরি একটি ক্ষেপণাস্ত্রের মতো জিনিস নিক্ষেপ করে গ্রহাণুটির উপরিতলে আঘাত করতে হয়েছিল। এর ফলে ২০ মিটার চওড়া একটি গর্ত সৃষ্টি হয় রাইয়ুগুর বুকে। এর পর হায়াবুসা-টু তাতে অবতরণ করে এবং ওই গর্ত থেকে সংগ্রহ করে বিশুদ্ধ মহাজাগতিক পদার্থের কণা। বিজ্ঞানীরা ক্যাপসুলের এই প্রকোষ্ঠটি পরীক্ষা করে দেখবেন আরো পরে। জাপানের মহাকাশ সংস্থা আরো ঘোষণা করেছে, ক্যাপসুলের ভেতর থেকে যে গ্যাস সংগ্রহ করা হয়েছে - তাও ওই গ্রহাণু থেকে পাওয়া। আরো পড়তে পারেন: মহাশূন্যের রায়ুগু গ্রহাণু থেকে আনা নমুনা থেকে যা জানা যাবে উল্কাবৃষ্টি, দুই গ্রহের বিরল মিলন ও সূর্যগ্রহণ: ডিসেম্বরের আকাশে বর্ণচ্ছটা নাসা নভোযানের দরোজা আটকে নমুনা ছিটকে পড়ছে মহাকাশে রাইয়ুগুতে হায়াবুসা-২ অবতরণ করে ২০১৯ সালে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, সম্ভবত সংগৃহীত মাটি-পাথরের ভেতরেই ওই গ্যাস আটকে ছিল এবং সেটাই নির্গত হয়েছে। তার মানে হচ্ছে, ডিপ স্পেস বা মহাশূন্যের গভীর থেকে সংগ্রহ করা এটাই প্রথম গ্যাসের নমুনা। আমাদের সৌরজগত যা দিয়ে তৈরি হয়েছিল গ্রহাণুকে বলা যায় সৌরজগত সৃষ্টির ইঁট-পাথর। সৌরজগতে পৃথিবীর মত পাথুরে গ্রহগুলো যে ধরণের শিলা দিয়ে তৈরি - এই গ্রহাণুগুলোও তৈরি সেই একই শিলা দিয়ে। কিন্ত এগুলো কোন কারণে সূর্যের চারদিকে ঘুরতে থাকা কোন গ্রহের সাথে জোড়া লেগে যায়নি, বরং আলাদা ভাবেই মহাশূন্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রোভার থেকে তোলা রাইয়ুগুর উপরিতলের ছবি এগুলোর মধ্যে আবার রাইয়ুগু হচ্ছে একটি বিশেষ শ্রেণীর গ্রহাণু - যা সবচেয়ে প্রাচীন শ্রেণীর মহাজাগতিক পাথর। এগুলোকে বলে সি-টাইপ বা 'কার্বনেশিয়াস এ্যাস্টরয়েড'। প্রাণ সৃষ্টির আদি মালমশলাও এই গ্রহাণুতেই? ধারণা করা হয়, সৌরজগতের জন্মের প্রথম দিকে পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির জন্য পানিসহ আরো যেসব উপাদান দরকার - তা হয়তো এইসব গ্রহাণু থেকেই এসেছিল। ২০১৮ সালে যখন জাপানি মহাকাশযান হায়াবুসা-টু রাইয়ুগুতে পৌঁছায়, তখন এর কুচকুচে কালো রঙ দেখে বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। একারণে মহাকাশযানটি যখন গ্রহাণুটির উপরিতলের কাছাকাছি যায়, তখন নিয়ন্ত্রণকারীদের লেজার সেন্সরগুলোকে এমনকি নতুন করে উচ্চতা মেপে নিতেও হয়েছিল। গ্রহাণুর সাথে সংঘর্ষের পর পৃথিবীর কি হতে পারে | Scientists have been greeted by the sight of jet black chunks of rock and soil from an asteroid after opening a capsule that returned from deep space a week ago. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | জুরিদের রায় ঘোষণার সময় নিউইয়র্কের আদালতে ছিলেন কেইথ রনিয়্যারি প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে বিচার কার্যক্রমের পরে ৫৮ বছরের রনিয়্যারিকে দোষী বলে রায় দেন নিউইয়র্কের আদালতের জুরিরা। তিনি তার 'নেক্সিয়াম' গোষ্ঠীর মধ্যে পিরামিড আদলে যৌনতার জন্য 'দাসী এবং প্রভু' জাতীয় একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। তার বিরুদ্ধে আনা সবগুলো অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে, যার মধ্যে আছে দলবাজি করে অপরাধ করা, যৌনতার জন্য মানব পাচার আর শিশু পর্নগ্রাফি। যদিও এসব অভিযোগে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন মি. রনিয়্যারি, তবে অপরাধের কারণে তার যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে। আইনজীবীরা বলছেন, রনিয়্যারি নিজেকে 'বিশ্বের সবচেয়ে চালাক,' ব্যক্তি হিসাবে দাবি করতেন, যিনি নিজেকে আইনস্টাইন এবং গান্ধীর সঙ্গে তুলনা করতেন। আইনজীবীদের অভিযোগ, তিনি নারীদের মগজ ধোলাই করে দাস হিসাবে সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করতেন এবং তার সঙ্গে যৌন মিলনে বাধ্য করতেন। এদের মধ্যে হলিউডের নায়িকা এবং মেক্সিকোর সাবেক একজন প্রেসিডেন্টের কন্যাও রয়েছে- যারা রনিয়্যারির বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই গোষ্ঠীর অন্য সদস্যরা অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। সেপ্টেম্বর মাসে রনিয়্যারির সাজা ঘোষণা করা হবে। এসব অপরাধে তার যাবজ্জীবন পর্যন্ত সাজা হতে পারে। আরো পড়ুন: ভারতীয় সেক্স গুরুর দেহরক্ষী ছিলেন যে স্কটিশ ভারতে হত্যার দায়ে গুরু রাম রহিম সিংএর যাবজ্জীবন কে এই 'রকস্টার বাবা' গুরু রাম রহিম সিং? মামলার অসংখ্য নথিপত্র নিয়ে যাচ্ছেন কৌসুলি দলের সদস্যরা আদালতে যা জানা গেছে নেক্সিয়ামের ট্যাগ লাইনে বলা হয়েছে, রনিয়্যারি এবং তার অনুসারীরা 'একটি উন্নত পৃথিবী' গড়ার জন্য কাজ করতেন। তবে মামলার সাক্ষীরা আদালতে এই ব্যক্তির আলাদা এক চেহারা তুলে ধরেছেন। আদালতে তুলে ধরা হয়, নেক্সিয়ামের ভেতর 'ডস' নামের আলাদা ও গোপন একটি সমাজ তৈরি করেছিলেন রনিয়্যারি। কৌসুলিদের অভিযোগ, ডসের 'গ্র্যান্ডমাস্টার' হিসাবে তিনি নারীদের শোষণ ও ব্লাকমেইল করতেন, যাদের মধ্যে ১৫ বছরের এক কিশোরীও ছিল। এফবিআই বলছে, নিয়োগের সময় এই নারীদের বলা হতো, এটি পুরোপুরি মেয়েদের একটি সংগঠন। এভাবে তাদের কাছ থেকে স্পর্শকাতর ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করা হতো এবং পরবর্তীতে সেগুলো প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ব্লাকমেইল করা হতো। তবে মি. রনিয়্যারির আইনজীবীরা বলছেন, সব যৌনতার ঘটনাই পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে হয়েছে। আদালতে শুনানির চিত্র নেক্সিয়াম সম্পর্কে কী জানা যায় আলব্যানি ভিত্তিক এই গ্রুপটি নিজেদের পরিচয় সম্পর্কে লিখেছে, ' মানবিক নীতিমালায় পরিচালিত একটি কম্যুনিটি, যারা মানুষকে ক্ষমতাবান করতে চায়।' ১৬ হাজারের বেশি ব্যক্তির সঙ্গে তারা কাজ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকায় তাদের কর্মকাণ্ড রয়েছে। ১৯৯৮ সালে নিউইয়র্কের আলব্যানিতে প্রথম গ্রুপটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যক্তিগত উন্নয়ন কোম্পানি হিসাবে এর যাত্রা শুরু। এই গ্রুপের সদস্য হিসাবে রয়েছেন সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত অনেক নারী ও হলিউডের অভিনেত্রীও। তবে তদন্তকারীরা বলছে, আসলে মেনটরিং গ্রুপের আদলে প্রতিষ্ঠিত হলেও আসলে যৌন পাচারকারীদের একটি সংগঠন, যেখানে নারীদের ওপর যৌন নির্যাতন, পর্নোগ্রাফি আর সংঘবদ্ধ অপরাধ ঘটানো হতো। কুমারিত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করে তোলা এই গোষ্ঠীর সাবেক একজন সদস্য, যাকে আইনজীবীরা ড্যানিয়েলা বলে বর্ণনা করেছেন, তিনি অভিযোগ করেছেন যে, তার ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর্যন্ত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাকে নানাভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে যাতে, রনিয়্যারি তার কুমারিত্ব নিতে পারে। ১৮ বছর হওয়ার পরে রনিয়্যারি তাকে বলেন, ''এখন সময় হয়েছে।'' যৌন মিলন করার জন্য রনিয়্যারি তাকে অফিসের একটি গুদাম ঘরে নিয়ে যান। ড্যানিয়েলার আরেকজন বোনও এই গোষ্ঠীর নেতার যৌন পর্নগ্রাফির শিকার হয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাদের দুই বোনকেই কাল্ট নেতা রনিয়্যারি গ্রুপ সেক্সে বাধ্য করতেন। ''আমরা পুরো সময়টা ধরে কাঁদতাম,'' আদালতে বলেছেন ড্যানিয়েলা। একপর্যায়ে তারা দুই বোনই গর্ভবতী হয়ে পড়েন, তবে রনিয়্যারি তাদের গর্ভপাতে বাধ্য করেন। নেক্সিয়ামের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন স্মলভিলের অভিনেত্রী অ্যালিসন ম্যাক দুই বছর ধরে বেডরুমে আটকে রাখা লরা সলজম্যান নামের ৪২ বয়সী একজন নারী সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, মোটা হয়ে যাওয়া আর আরেকজন পুরুষের সঙ্গে দেখা করতে চাওয়ায় ড্যানিয়েলাকে একটি বেডরুমে দুই বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছিল। ড্যানিয়েলাকে বলা হয়েছিল, তাকে মেক্সিকোয় ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে, যদি সে রনিয়্যারি আর মিজ সলজম্যানকে সন্তুষ্ট করতে না পারে। তখন একই বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও পুরো সময়টা জুড়ে পরিবারের কোন সদস্যের সঙ্গে ড্যানিয়েলাকে দেখা করতে দেয়া হয়নি। এই বন্দীদশা থেকে বাঁচতে তার পরিবার আমেরিকায় থাকলেও একপর্যায়ে মেক্সিকো ফেরত যেতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন ড্যানিয়েলা। দাসী ও প্রভু আদালতে উপস্থাপিত তথ্যে জানা যাচ্ছে, নেক্সিয়ামের ভেতর 'ডস' বা 'ভোউ' নামের আরেকটি গোপন চক্র ছিল। সেখানে অনেকটা পিরামিডের আদলে 'দাসী' আর 'প্রভু' ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছিল। এই চক্রের সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিলেন রনিয়্যারি, পুরো গ্রুপের একমাত্র পুরুষ সদস্য। 'দাসী'দের দায়িত্ব ছিল তাদের নিজেদের জন্য আরো 'দাসীর' নিয়োগ করা, যারা সবাই আসলে রনিয়্যারির সেবায় কাজ করতো। এখানে যোগ দিতে হলে নারীদের এমন সব স্পর্শকাতর তথ্য দিতে হতো, যারা তারা প্রকাশ করতে চান না। যার মধ্যে রয়েছে, নিজের বা পরিবারের সদস্যদের গোপন ছবি বা ভিডিও। এই নারীদের নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চলতে হতো, যাতে তারা শুকনো থাকতে পারেন। তাদের বাড়ির কাজ থেকে রনিয়্যারির যৌন চাহিদা মেটাতে নারীদের প্রস্তুত করার মতো কাজ করতে হতো। গ্রুপের সদস্য নারীদের তলপেটে এই চিহ্ন বসিয়ে দেয়া হতো গুরুর চিহ্ন দিয়ে নারীদের ব্রান্ডিং করা অনেক সময় গ্রুপের নারীদের তলপেটের একটি অংশ পুড়িয়ে রনিয়্যারির নামাঙ্কিত চিহ্ন বসিয়ে দেয়া হতো এবং সেগুলোর ভিডিও করা হতো। আদালতে উপস্থাপিত তথ্য অনুসারে, নেক্সিয়ামের সদস্যদের বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নগ্ন করে এভাবে ব্রান্ডিং করে দেয়া হতো। আদালতে কয়েকজন সাক্ষ্য দিয়েছেন, ওই অনুষ্ঠানে চারটি অনুষঙ্গ থাকতো। বাতাস, মাটি আর পানি, পোড়ানোর কলমটি আগুন হিসাবে বিবেচনা করা হতো। তবে রনিয়্যারির আইনজীবী দাবি করেছেন, নারীরা স্বেচ্ছায় ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন। পুনঃ প্রতিশ্রুতি অনুষ্ঠানের সময় গ্রেপ্তার মিজ সলজম্যান আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, যখন মেক্সিকো বাড়িতে রনিয়্যারিকে গ্রেপ্তার করা হয়, তখন রনিয়্যারির সঙ্গে তিনিসহ সাতজন শীর্ষ 'দাসী' মিলে পুনঃ প্রতিশ্রুতি অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। সেখানে তারা সবাই একত্রে রনিয়্যারির সঙ্গে যৌন মিলন করার মাধ্যমে গ্রুপ এবং রনিয়্যারির প্রতি তাদের আস্থা আর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার কথা ছিল। এই সাতজনের মধ্যে ছিলেন স্মলভিলের নায়িকা অ্যালিসন ম্যাকও। তবে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে এফবিআই এবং মেক্সিকোর এজেন্টরা সেখানে হানা দেয় এবং রনিয়্যারিকে গ্রেপ্তার করে। | Sex cult leader Keith Raniere, has been convicted in New York of charges including racketeering and sex trafficking. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | মিয়ানমারের ভেতর কী হচ্ছে তার প্রথম প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ দিয়েছেন দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রথম এই পুলিশ অফিসারদের দলটি ''বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে আমাকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। আমি তাদের বলেছিলাম আমি পারব না।'' মিয়ানমারের পুলিশ বাহিনীতে নয় বছর ধরে কাজ করেছেন নাইং। এটি তার আসল নাম নয়, নিরাপত্তার কারণে তার নাম বদলে দেয়া হয়েছে। এখন তার বয়স ২৭। তিনি ভারতের উত্তর পূর্বের মিজোরাম রাজ্যে লুকিয়ে রয়েছেন। তার সাথে আমি কথা বলেছি। পালিয়ে আসা দলটির আরও কিছু পুরুষ ও নারী পুলিশ অফিসারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের বয়স বিশের কোঠায়। তারা বলেছেন সেনা বাহিনীর নির্দেশ মানতে অস্বীকার করার পর তারা তাদের দেশ ও চাকরি ছেড়ে পালিয়েছেন। "আমার আশংকা ছিল সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত নিরাপরাধ বেসামরিক মানুষদের হত্যা বা ক্ষতি করতে আমাকে বাধ্য করা হবে," বলেছেন একজন অফিসার। ''আমরা মনে করি সামরিক বাহিনীর একটা নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা ভুল কাজ।'' মিয়ানমারের সেনা বাহিনী, যারা পরিচিত তাৎমাডো নামে, তারা পয়লা ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে গণতন্ত্রপন্থী হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে লাগাতার প্রতিবাদ করছে। অভ্যুত্থানের পর থেকেই হাজার হাজার প্রতিবাদকারী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। এবং তাদের ওপর ক্রমশই অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ৫০জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। মিয়ানমারের পশ্চিমে একটি শহরে পুলিশে নিচু পদমর্যাদার পুলিশ কর্মী নাইং। তিনি বলছেন ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে ওই শহরে বিক্ষোভ বাড়তে শুরু করে। তিনি বলেছেন বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে দুবার তিনি গুলি চালাতে অস্বীকার করার পর তিনি পালানোর সিদ্ধান্ত নেন। "আমার বস-কে আমি বলেছিলাম আমি ওদের ওপর গুলি চালাতে পারব না এবং আমি জনগণের পক্ষ নেব। "সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এতে খুব স্বচ্ছন্দ ছিল না। তারা দিনে দিনে ক্রমশ আরও নির্দয় হয়ে উঠছিল।'' আমি যখন নাইং-এর সাথে কথা বলছিলাম, তখন তিনি তার ফোন বের করে আমাকে তার পরিবারের সদস্যদের ছবি দেখালেন- তার স্ত্রী এবং দুই মেয়ে- একজনের বয়স ৫ আর অন্যজনের বয়স মাত্র ছয় মাস। "তাদের সাথে আমার হয়ত আর দেখা হবে না, আমি চিন্তিত," তিনি আমাকে বলেন। আরও পড়তে পারেন: এই পুলিশদের স্বদেশভূমি মিয়ানমার থেকে দশ মাইলেরও কম দূরত্বে ভারতের উত্তর পূর্বে মিজোরাম রাজ্যে বিবিসি তাদের সাথে দেখা করে আমি তার ও দলের বাকিদের সাথে দেখা করি অজ্ঞাত একটি স্থানে, যেখান থেকে দেখা যায় ভারতের উত্তর পূর্বের পাবর্ত্য রাজ্য মিজোরামের পাহাড়ের মাথা ও উপত্যকা এলাকাগুলো। যেখানে বসে কথা হচ্ছিল সে এলাকাটি তাদের স্বদেশ ভূমি মিয়ানমার থেকে ১০ মাইলেরও কম দূরত্বে। মিয়ানমারের ভেতরে আসলে কী হচ্ছে তার প্রত্যক্ষদর্শী বিবরণ এই প্রথমবারের মত বর্ণনা করলেন দেশটি থেকে প্রথম পালানো এই পুলিশ কর্মীরা। তারা বলছেন মিয়ানমারে গণতন্ত্রকামী বেসামরিক মানুষ যে আইন অমান্য আন্দোলন (সিডিএম) গড়ে তুলেছে, তাতে ক্রমশই যোগ দিচ্ছে আরও পুলিশ অফিসাররা। তারাও সেই যোগদানকারী দলেরই অংশ। তবে এই পুলিশ অফিসাররা আমার কাছে যে দাবি করেছেন, তা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা বিবিসির পক্ষে সম্ভব হয়নি। মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে যে দমনপীড়ন চলছে তাতে বেসামরিক মানুষকে হত্যা করার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ, আমেরিকা এবং আরও বেশ কিছু দেশ। তারা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তবে সামরিক বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে আনা সমালোচনা নাকচ করে দিয়েছে এবং বলেছে তাদের ক্ষমতা গ্রহণের পর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং দেশটিকে একঘরে করা হয়েছে তা মোকাবেলা করতে তারা প্রস্তুত। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার থেকে শতাধিক লোক মিজোরামে পালিয়ে গেছে। মিয়ানমারের স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার থেকে শতাধিক লোক মিজোরামে পালিয়ে গেছে। হতুৎ - তার আসল নাম নয়- বলেছেন সামরিক জান্তা যেদিন নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে ক্ষমতা দখল করল, সেই রাতের কথা তার মনে আছে। অভ্যুত্থানের আগে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল এবং তাদের পুলিশ ফাঁড়ির কাছেই সেনা চৌকি বসানো হয়েছিল। ''এর কয়েক ঘন্টা পরে আমরা শুনলাম সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা হাতে নিয়েছে।" হতুতের বয়স ২২। তিনি বলছেন তাকে এবং অন্য পুলিশ অফিসারদের প্রত্যেকের সাথে একজন করে সেনা সদস্য দেয়া হলো এবং তারা জোড়া বেঁধে রাস্তা টহল দিতে শুরু করল। যেসব গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারী থালা বাসন বাজিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল তাদের গ্রেফতারের হুমকি দেয়া হলো। আরও পড়তে পারেন: হুতুতের বাড়ি মিয়ানমারের বড় একটি শহরে। তিনি বলেছেন তাকেও বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালাতে বলা হয়। কিন্তু তিনি সেই দাবি অগ্রাহ্য করেছিলেন। ''দায়িত্বে থাকা সেনা অফিসার আমাদের নির্দেশ দিলেন পাঁচজনের বেশি লোককে একসঙ্গে আসতে দেখলেই গুলি করবে। মানুষজনকে পেটানো হচ্ছিল। আমি রাতের পর রাত ঘুমাতে পারিনি। ''যখন দেখলাম নিরাপরাধ মানুষকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলা হচ্ছে, আমার বিবেক তখন এই অন্যায় অনাচারে সায় দিতে রাজি হয়নি।" হতুত বলেছেন, তিনি যে পুলিশ ফাঁড়িতে কাজ করতেন সেখান থেকে তিনিই প্রথম পালিয়ে গেছেন। তিনি পালান মোটরবাইকে চেপে । তিনি বলেন ভারতের সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছতে তিনি যখন গ্রামের পর গ্রাম পার হচ্ছিলেন তখন তিনি খুবই ভয়ে ছিলেন। ভারতে পালিয়ে যাওয়া যাদের সাথে আমরা কথা বলেছি তারা তিয়ায়ু নদী পার হয়ে ভারতে ঢুকেছে। ২৫০ মাইল বিস্তৃত এই নদী সেখানে ভারত ও মিয়ানমারের জলসীমা। মিয়ানমার থেকে পালানোরা সীমান্তবর্তী এই তিয়ায়ু নদী পার হয়ে ভারতে ঢুকছেন পুলিশ অফিসারদের যে দলটির সাথে আমরা কথা বলেছি তাদের ধারণা আগামী কয়েকদিনে আরো পুলিশ অফিসার এই পথে ভারতে ঢুকবেন। গ্রেস, যার নাম আমরা বদলে দিয়েছি, যে দুজন নারী পুলিশ সদস্য মিয়ানমার থেকে পালিয়ে ভারতে এসেছেন তাদের একজন। তিনি বলেছেন প্রতিবাদকারীদের ধরপাকড় করতে সৈন্যদের লাঠি এবং রাবারের বুলেট ব্যবহার করতে তিনি দেখেছেন। তিনি একটি ঘটনায় এক দল বিক্ষোভকারীর ওপর কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে দেখেছেন, যে দলে শিশুরাও ছিল। "ওরা আমাদের বলেছিল বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে, আমাদের বন্ধুদের ধরপাকড় করতে, কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি," তিনি বলেন। "পুলিশের কাজ আমরা ভালবাসি, কিন্তু এখন সব নিয়মকানুন বদলে গেছে। আমরা এই নতুন ধারায় কাজ করতে পারছি না।" গ্রেস (আসল নাম নয়) বলছেন পরিবারকে ফেলে রেখে পালাতে তিনি বাধ্য হয়েছেন- তার কোন বিকল্প ছিল না চব্বিশ বছরের এই তরুণী বলছেন মিয়ানমারে তার পরিবারের সবাইকে ছেড়ে চলে আসার বিষয়টি নিয়ে তিনি মনের সঙ্গে অনেক লড়াই করেছেন। বিশেষ করে তার মাকে ছেড়ে আসতে, যিনি হার্টের গুরুতর সমস্যায় ভুগছেন। "আমার বাপমা বৃদ্ধ হয়েছেন, তারাও ভয় পাচ্ছেন। কিন্তু আমাদের বয়স কম। আমাদের পালানো ছাড়া গতি নেই। তাই তাদের ফেলেই পালাতে হয়েছে।" মিয়ানমার ভারতকে বলেছে দুই দেশের "বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থে" তারা যেন পালিয়ে যাওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যর্পণ করে। মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী যোরামথাঙ্গা বলেছেন যারা সেখানে পালিয়ে গেছেন তাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়া হবে। ভারত সরকার পরবর্তীতে কী করবে সে সিদ্ধান্ত জাতীয় পর্যায়ে নেয়া হবে। স্থানীয় মানুষরা আমাদের বলেছেন তারাও ধারণা করছেন আগামী কয়েকদিনে মিয়ানমার থেকে পালানো আরও মানুষ মিজোরামে ঢুকবে। শুধু যে পুলিশ অফিসাররাই ভারতে পালাচ্ছেন তা নয়, আমাদের সাথে দেখা হয়েছে এক দোকানীর যিনি মিয়ানমার থেকে মিজোরামে পালিয়ে গেছেন। গণতন্ত্রকামীদের আন্দোলনে যোগ দিতে অনলাইনে সমর্থকদের উৎসাহ দেবার অভিযোগে কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করার পর তিনি পালান। ইয়াঙ্গনের রাস্তায় টহলরত সেনা পুলিশ "আমি স্বার্থপরের মত পালিয়ে আসিনি," তিনি বলেন। তিনি বলেছেন কেন তিনি সর্বস্ব ফেলে পালিয়ে আসার ঝুঁকি নিয়েছেন। "দেশের ভেতর সবাই উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। "আমি এখানে নিরাপদ, আমি এখান থেকেই এই আন্দোলনকে সমর্থন করতে যা করা দরকার করব। আমি কাজ করব এপাশ থেকে।" | Police officers from Myanmar have told the BBC they fled across the border into India after refusing to carry out the orders of the military which seized power in a coup last month. In some of the first such interviews, more than a dozen defectors told us they escaped, fearing they'd be forced to kill or harm civilians. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | চেংডুতে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট-জেনারেল চীন জানিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে চীনা দূতাবাস বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তের 'অত্যাবশ্যক প্রতিক্রিয়া' ছিল এটি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হিউস্টনের দূতাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারণ চীন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ 'চুরি' করছিল। গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে অস্থিরতা বাড়ছেই। বাণিজ্য এবং করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন বারবার বেইজিংয়ের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। পাশাপাশি হংকংয়ে চীনের বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন জারি করা নিয়েও চীনের সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের প্রতিক্রিয়া কী? চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে দূতাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত 'যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া অযৌক্তিক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় যথাযথ এবং জরুরি' পদক্ষেপ। বিবৃতিতে আরো বলা হয়: "চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বর্তমান পরিস্থিতি যেরকম, চীন তা চায় না। আর এর পুরো দায়ভার যুক্তরাষ্ট্রের।" চেংডুর মার্কিন দূতাবাস ১৯৮৫ সালে স্থাপন করা হয়েছিল এবং বর্তমানে এখানে কর্মকর্তা, স্টাফ মিলিয়ে ২০০'র বেশি মানুষ কাজ করে। বিবিসি প্রতিনিধিদের মতে, স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল তিব্বতের নিকটবর্তী হওয়ায় এই দূতাবাসটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র কেন চীনা দূতাবাস বন্ধ করলো? মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চীনকে জানানো হয় যে এই সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে টেক্সাসের হিউস্টনের চীনা দূতাবাস বন্ধ করে দিতে হবে। সেদিন সন্ধ্যায়ই অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তিকে হিউস্টনের ঐ ভবনের চত্বরে কাগজ পোড়াতে দেখা যায়। মাইক পম্পেও জানিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কারণ চীন 'শুধু যে আমেরিকার বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ চুরি করছিল তাই নয়, ইউরোপের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদও চুরি করছে যার ফলে লাখ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান হারাচ্ছে।' তিনি বলেন, "আমরা পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিতে চাচ্ছি যে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কাছ থেকে কী ধরণের ব্যবহার আমরা আশা করছি। আর যখন তারা তা করবে না, আমরা পদক্ষেপ নেবো।" আরো পড়তে পারেন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হঠাৎ চীনের 'আপোষের বার্তা' কেন সান ফ্রান্সিসকোর চীনা কনস্যুলেটে কেন লুকিয়ে আছেন পলাতক বিজ্ঞানী বিশ্বে কি নতুন আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হলো? থামার আগে যে ক্ষতি করেছে মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব বাংলাদেশের চামড়ার বাজারে? আমার চোখে বিশ্ব: মহামারির হাত ধরে কি আসছে চীন-মার্কিন শীতল যুদ্ধ? বাণিজ্য এবং করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন বারবার বেইজিংয়ের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পাঁচটি দূতাবাসের একটি ছিল টেক্সাসের হিউস্টনের দূতাবাসটি। কেন ঐ একটি দূতাবাসই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত দেয়া হলো, তা পরিষ্কার নয়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্কিন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্তব্য করেছেন যে দূতাবাস বন্ধ করে দেয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের দেখানো কারণ 'অবিশ্বাস্যরকম হাস্যকর।' চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অস্থিরতা কেন বাড়ছে? সম্প্রতি চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অস্থিরতা বাড়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। প্রথমত, মার্কিন কর্মকর্তারা সারাবিশ্বে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে যাওয়ার দায় চাপিয়েছেন চীনের ওপর। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন অভিযোগ তুলেছেন যে ভাইরাসটি চীনের ল্যাবরেটরি থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যদিও তার নিজের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোই বলেছেন যে ভাইরাসটি 'মানবসৃষ্ট বা জিনগতভাবে পরিবর্তিত' নয়। চীন আর যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ থেকে এক ধরণের শুল্ক যুদ্ধেও লিপ্ত রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই অন্যায্যভাবে বাণিজ্য পরিচালনা ও বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ চুরির অভিযোগ তুলেছেন। তবে বেইজিংয়ের একটি ধারণা হলো, অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসেবে চীনের উত্থান ঠেকানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক দ্বন্দ্বের কারণ হংকংয়ে চীনের জারি করা নিরাপত্তা আইন। এই আইন বাস্তবায়ন করার পর যুক্তরাষ্ট্র ঐ অঞ্চলের বিশেষ অর্থনৈতিক সুবিধা বাতিল করে। ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও একটি আইন প্রয়োগ করেছেন যেটি অনুযায়ী হংকংয়ে মানবাধিকার ক্ষুন্ন করা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে চীনের ঘরোয়া বিষয়ে 'হস্তক্ষেপ' হিসেবে চিহ্নিত করে এবং এর সমুচিত জবাব দেয়ার প্রতিজ্ঞা করে। | China has ordered the closure of the US consulate in the south-western city of Chengdu, in a tit-for-tat escalation between the two countries. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | এবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গ্যারি কন গত কিছুদিন ধরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ উচ্চপদস্থ অনেকে বিদায় নিয়েছেন। সে ধারাবাহিকতায় এখন শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টাও পদত্যাগ করবেন। আরো পড়ুন: বার্তাবাহী বোতলটি সমুদ্রে ছোঁড়া হয় ১৩২ বছর আগে মাদ্রাসায় কেন পুড়লো হাজারো মোবাইল ফোন? মি: কন ছিলেন মুক্ত বাণিজ্যের একজন সমর্থক। কিন্তু ইউরোপ থেকে স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর শুল্ক আরোপের যে পরিকল্পনা ট্রাম্প নিয়েছেন, তা নিয়ে এই অর্থনৈতিক উপদেষ্টা খুশি ছিলেন না বলে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। হোয়াইট হাউজ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে মি: কন দেশের সেবা করার বিষয়টিকে বেশ সম্মানের বলে মনে করেন। গত বছর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে কর সংস্কার করেছিলেন সেখানে মি: কন-এর ভূমিকা ছিল। অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে মি: কন-এর ভূমিকার প্রশংসা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিন্তু তাদের দু'জনের মধ্যে সম্পর্ক খুব একটা ঘনিষ্ঠ ছিল না। মি: কন ঠিক কবে নাগাদ পদত্যাগ করবেন সেটি সুনির্দিষ্টভাবে এখনও জানা যায়নি। এদিকে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে মি: কন-এর ভূমিকার প্রশংসা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর আগে এক টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, হোয়াইট হাউজে কোন বিশৃঙ্খলা নেই। এখনও কিছু লোক আছেন যাদের তিনি পরিবর্তন করতে চান। গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হোপ হিকস পদত্যাগ করেন। তিনি ছিলেন হোয়াইট হাউজের কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান। | US President Donald Trump's top economic adviser Gary Cohn is resigning, the White House has said. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | নতুন এই ফ্লু ভাইরাসের সাথে ২০০৯য়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া সোয়াইন ফ্লু-র সাদৃশ্য আছে তারা বলছেন এটি জানা গেছে সম্প্রতি, এটি পাওয়া গেছে শূকরের দেহে, কিন্তু এই ভাইরাস মানুষের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। গবেষকরা উদ্বিগ্ন এই কারণে যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে এবং এভাবে এই ভাইরাস বিশ্ব ব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তারা বলছেন, যদিও অবিলম্বে এই ভাইরাসের এভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা তারা করছেন না, কিন্তু মানুষকে আক্রমণ করার উপযোগী হয়ে ওঠার "সব রকম লক্ষণ" এই ভাইরাসের রয়েছে, যে কারণে এই ভাইরাসকে গভীর পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা জরুরি বলে তারা মনে করছেন। এই ভাইরাসটিও যেহেতু নতুন, তাই মানুষের এই জীবাণুর বিরুদ্ধে কোন ইমিউনিটিই থাকবে না, থাকলেও তা খুবই অল্পমাত্রায় থাকবে। প্রসিডিংস অফ দ্যা ন্যাশানাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস সাময়িকীতে এই বিজ্ঞানীরা লিখছেন যে, শূকরের শরীরে এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নেয়া পদক্ষেপ এবং শূকর পালন শিল্পের কর্মীদের নজরদারিতে রাখার প্রক্রিয়া দ্রুত চালু করা উচিত। বাদুড় থেকে করোনাভাইরস ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয় মহামারির হুমকি বিশ্ব যখন এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসকে বাগে আনতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন বিজ্ঞানীরা খারাপ প্রকৃতির ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, যা রোগ সংক্রমণের ক্ষেত্রে বড়ধরনের হুমকি হয়ে উঠতে পারে, তার সন্ধানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বে সর্বশেষ পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে ফ্লু ভাইরাস- সেটি ছিল ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুর প্রার্দুভাব। তবে প্রথমে সোয়াইন ফ্লু যতটা মারাত্মক ও প্রাণঘাতী হতে পারে বলে ভাবা হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। কারণ অনেক বয়স্ক মানুষের ওই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কিছুটা ইমিউনিটি ছিল। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, সেটার একটা কারণ সম্ভবত এর আগে অন্য যেসব ফ্লু ভাইরাস মানুষকে আক্রান্ত করেছিল তার সাথে সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসের মিল ছিল। ওই সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস-এর বৈজ্ঞানিক নাম A/H1N1pdm09 (এ/এইচ১এন১পিডিএম০৯)। প্রতি বছর ফ্লু-র বিরুদ্ধে যে প্রতিষেধক ভ্যাকসিন মানুষকে দেয়া হয়, এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ওষুধও তাতে অন্তর্ভূক্ত থাকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন এখন চীনে নতুন যে ফ্লু ভাইরাস পাওয়া গেছে তার সাথে ২০০৯-এর সোয়াইন ফ্লু-র মিল আছে। তবে এই নতুন ভাইরাস কিছুটা আলাদা। এই গবেষণার কাজে যুক্ত অধ্যাপক কিন-চোও চ্যাং এবং তার সহকর্মীরা বলছেন, এই ভাইরাস এখনও গুরুতর কোন হুমকি হয়ে ওঠেনি, তবে অবশ্যই এই ভাইরাসকে নজরদারিতে রাখতে হবে। আশংকার কারণ কতটা? নতুন ভাইরাসটির নাম গবেষকরা দিয়েছেন জি৪ ইএ এইচ১এন১ (G4 EA H1N1)। মানুষের শ্বাসনালীতে যে কোষ থাকে সেখানে এই ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি করার এবং বেড়ে ওঠার ক্ষমতা আছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: করোনাভাইরাসের মত মহামারি আগামীতে আরো হবে অন্য প্রাণী থেকে মানুষের দেহে রোগ ছড়াচ্ছে কেন? করোনাভাইরাস: ভাইরাস ছড়ানো বন্যপ্রাণীর সন্ধান চলছে 'সোয়াইন ফ্লু' নিয়ে কি উদ্বেগের কারণ আছে? ভাইরাস ছড়ানোর জন্য যেসব প্রাণীকে সন্দেহ করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে প্যাঙ্গোলিন দুহাজার এগার থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যেসব তথ্য আছে সেগুলো পর্যালোচনা করে তারা দেখেছেন, চীনে যারা কসাইখানায় কাজ করে এবং শূকর ব্যবসার সাথে জড়িত, তাদের মধ্যে সাম্প্রতিক সংক্রমণের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে যে ফ্লু ভ্যাকসিন আছে, তা এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় না বলে দেখা যাচ্ছে। যদিও তারা বলছেন প্রয়োজন হলে এই ভ্যাকসিনকে উপযোগী করে নেয়া সম্ভব। অধ্যাপক কিন-চোও চ্যাং কাজ করেন ব্রিটেনের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি বিবিসিকে বলেছেন: "এই মুহূর্তে আমাদের সবার দৃষ্টি করোনাভাইরাসের দিকে এবং সেটাই হওয়া উচিত। কিন্তু নতুন এই ভাইরাসও একটা সম্ভাব্য বিপদজনক ভাইরাস। এটার দিক থেকে দৃষ্টি সরানো আমাদের উচিত হবে না।" নতুন ভাইরাস এই মুহূর্তে সমস্যার কারণ হয়ে না দাঁড়ালেও, তার বক্তব্য: "এটাকে উপেক্ষা করা উচিত হবে না।" তত্ত্বগতভাবে, একটা ফ্লু মহামারি যে কোন সময় আসতে পারে। কিন্তু তার পরেও এধরনের মহামারি বিরল ঘটনা। মহামারি তখনই ঘটে, যখন নতুন ধরনের একটা জীবাণু আত্মপ্রকাশ করে এবং সহজে ও দ্রুত তা একজন মানুষ থেকে আরেকজন মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। ফ্লু ভাইরাস যেহেতু অনবরত বদলায়, তাই ফ্লু ভ্যাকসিনও ভাইরাসের সাথে পাল্লা দিয়ে নিয়মিত বদলানো জরুরি। সেভাবেই সাধারণত একটা ভাইরাসের মহামারি হয়ে ওঠা ঠেকানো সম্ভব। কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু চিকিৎসা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জেমস উড বলছেন এই গবেষণার কাজ এটাই আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে যে আমরা সবসময়ই নতুন জীবাণুর জন্ম নেয়ার ঝুঁকির মধ্যে বাস করছি। খামারের পশুর শরীরেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এধরনের মহামারি হয়ে ওঠার সম্ভাবনাময় ভাইরাস জন্ম নিচ্ছে। আর মানুষকে যেহেতু পশু খামারে কাজ করতে হয়, যেখানে মানুষকে পশুর খুব কাছাকাছি সংস্পর্শের মধ্যে এসে কাজ করতে হয়, তাই এই ভাইরাসগুলো পশুর শরীর থেকে মানুষের শরীরে ঢোকার আশংকা থেকেই সবসময়ে এধরনের মহামারির একটা বড় ঝুঁকি তৈরি হয়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: চীনে বন্যপ্রাণীর ব্যবসা নিষিদ্ধ করার দাবি করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের জন্য বাদুড় আসলে কতটা দায়ী? | A new strain of flu that has the potential to become a pandemic has been identified in China by scientists. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | বিশ্বের অনেক দেশই গাঁজার ব্যবহারকে বৈধতা দিয়েছে মেক্সিকোর নতুন সরকার গাঁজার 'বিনোদনমূলক ব্যবহার'কে বৈধতা দেয়ার পরিকল্পনা করছে। একই ধরণের পরিকল্পনা রয়েছে লুক্সেমবার্গের পরবর্তী সরকারেরও। অন্যদিকে, গাঁজার ব্যবহারকে বৈধতা দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গণভোট আয়োজন করার চিন্তা করছেন নিউজিল্যান্ডের নেতারা। গাঁজার বিষয়ে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের মানুষ ও সরকারের মনোভাব পরিবর্তনের ধারা বিশ্লেষণ করে অনুমান করা যেতে পারে যে গাঁজার ব্যবহারের জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে অন্যান্য দেশও এর উৎপাদন ও ব্যবসার প্রসারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে। কিন্তু গাঁজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে একের পর এক দেশ কেন তাদের নীতিমালা শিথিল করছে? মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ২০১২ সালে উরুগুয়ে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বিনোদনমূলক ব্যবহারের জন্য গাঁজাকে বৈধতা দিতে যাচ্ছে বলে ঘোষণা করে। তবে এই নীতি প্রণয়নের মূল উদ্দেশ্য ছিল গাঁজার অবৈধ বিক্রি ও চোরাচালান সংশ্লিষ্ট অপরাধ কমিয়ে আনা এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে গাঁজার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা। সেবছরই যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট আর কলোরাডোর প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকরা চিকিৎসা বাদে অন্যান্য কাজে ব্যবহারের জন্য গাঁজার ব্যবহারে বৈধতা দেয়ার নীতির সমর্থন করে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় মার্কিন সরকার দেশটির রাষ্ট্রীয় আইন প্রয়োগে শিথিলতা দেখিয়ে রাজ্যগুলোকে নিজেদের নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী আইন প্রণয়নে উৎসাহ দেয়। যার ফলস্বরুপ ওয়াশিংটন ডিসি'সহ আরো আটটি রাজ্যে গাঁজার বিনোদনমূলক ব্যবহার বৈধতা পায়। অন্যান্য রাজ্যেও গাঁজা ব্যবহার সংক্রান্ত আইনের সাজা কমানো হয়। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের ৩৩টিতেই চিকিৎসা কাজে গাঁজা ব্যবহার বৈধ। গাঁজা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর না উপকারী এ নিয়ে বিতর্ক বহুদিনের আমেরিকার এই পরিবর্তনের হাওয়ায় প্রভাবিত হয়েছে উত্তর আমেরিকার আরো দু'টি দেশ। এবছরের অক্টোবর মাস থেকে গাঁজা বিক্রি ও ব্যবহারকে বৈধতা দিয়েছে কানাডা সরকার। মেক্সিকোও যে গাঁজাকে বৈধতা দেবে তা অনেকটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। নীতিমালায় নানা ধরণের পরিবর্তন এনেছ অন্য অনেক দেশও। গাঁজা বিক্রি অবৈধ হলেও সামান্য পরিমাণে গাঁজা সাথে থাকা বর্তমানে অপরাধ বলে বিবেচিত হয় না ব্রাজিল, জ্যামাইকা ও পর্তুগালে। স্পেনে ব্যক্তিগতভাবে গাঁজা ব্যবহার বৈধ, আর নেদারল্যান্ডসের কফি শপগুলোতে গাঁজা বিক্রি করার অনুমতি রয়েছে। আর চিকিৎসা কাজে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করেছে অনেক দেশই। এছাড়া অনেক দেশই গাঁজার ব্যবহার বিষয়ে নিজেদের মনোভাব ও নীতিমালা পরিবর্তনের বিষয়ে চিন্তা করছে। কীভাবে পরিবর্তন হলো মানসিকতা? অনেক দেশেই গাঁজার বৈধতা পাওয়ার বিষয়টি শুরু হয়েছে গাঁজার ব্যবহার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনোভাব পরিবর্তনের সাথে সাথে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় চিকিৎসা কাজে গাঁজার ব্যবহারের বিষয়ে মানুষের মনোভাব পরিবর্তন হতে থাকে মূলত, জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগতে থাকা শিশুদের শারীরিক যন্ত্রণার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হওয়ার পর। একই ধরণের ধারা লক্ষ্য করা গেছে যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রেও। যুক্তরাজ্যে 'চিকিৎসা কাজে' গাঁজার ব্যবহার বৈধতা পেলেও ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী 'বিনোদনমূলক ব্যবহার' অবৈধই থাকবে। চিকিৎসায় ব্যবহৃত গাঁজার প্যাকেট। গাঁজার ব্যবসার বিস্তৃতি দক্ষিণ আমেরিকার অনেক দেশেই কৃষকদের গাঁজা চাষে উদ্বুদ্ধ করে সেসব দেশের সরকার। পৃথিবীর অনেক দেশেই চিকিৎসার কাজে গাঁজা ব্যবহৃত হচ্ছে, নিকট ভবিষ্যতে আরো অনেক দেশে ব্যবহার শুরু হবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। সম্ভাবনাময় এই খাত থেকে মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যেই বিভিন্ন দেশের সরকার গাঁজা চাষকে গুরুত্ব দেয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ থেকে অনুমান করা যায়, চিকিৎসা কাজে গাঁজার ব্যবহার বৈধ হলে সেই ধারা অনুসরণ করে গাঁজার বিনোদনমূলক ব্যবহার বৈধ করার দাবিও জোরালো হবে, যার ফলে বৈশ্বিক ভাবে গাঁজার ব্যবসা আরো প্রসার লাভ করবে। তবে এখন পর্যন্ত এক দেশ থেকে সীমান্ত পার করে আরেক দেশে গাঁজা নেয়ার ব্যাপারে আইনি বাধা রয়েছে। চিকিৎসা কাজে ব্যবহার করা গাঁজাই শুধুমাত্র আমদানি-রপ্তানির আওতায় পরে এবং আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড নামের একটি সংস্থার দ্বারা এর পরিমাণ ঠিক করা হয়। গাঁজার প্রভাব | Around the world attitudes towards the use of cannabis are shifting. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ঢোলা সাডিয়া সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১১ সালে। কয়েকটি নদীর উপর দিয়ে যাওয়া ঢোলা সাডিয়া সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে। সেতুটি যারা তৈরি করেছে, সেই কোম্পানির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এত দীর্ঘ একটি সেতুর ডিজাইন তৈরি করা এবং সেটির নির্মাণ কাজ প্রকৌশলীদের জন্য ছিল এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। কিন্তু তারপরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এটির কাজ শেষ করা গেছে। অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে যেহেতু প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে ভারতের বিরোধ রয়েছে, তাই এই সেতুটিকে ঐ অঞ্চলে ভারতের সামরিক ও অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে এক বিরাট পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। চীন অরুণাচল প্রদেশকে তার নিজের এলাকা বলে দাবি করে এবং তারা এই অঞ্চলটিকে 'দক্ষিণ তিব্বত' হিসেবে বর্ণনা করে থাকে। তিব্বতের ধর্মীয় নেতা দালাই লামা যখন সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশ সফর করেন, তখন এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল চীন। সেখানে ভারতের সামরিক অবকাঠামো সম্প্রসারণের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানাচ্ছে চীন। তবে ভারত বলছে, অরুণাচল প্রদেশ তাদের এবং সেখানে এরকম অবকাঠামো তৈরি করার অধিকার তাদের আছে। ভারতের সহকারী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী খিরেন রিজিজু এই অরুণাচল প্রদেশেরই মানুষ। তিনি বলেছেন, "চীন যখন দিনে দিনে আরও আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখাচ্ছে, তখন নিজেদের সীমানা রক্ষায় এরকম ভৌত অবকাঠামো তৈরি করার এটাই উপযুক্ত সময়।" তিনি আরও বলেছেন, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অংশ এবং সেটা কেউ পছন্দ করুক আর না করুক এই বাস্তবতার কোন পরিবর্তন হবে না। চীন সীমান্তে সামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরালো করেছে এই দীর্ঘ সেতু ছাড়াও অরুণাচলে একটি দুই লেনের মহাসড়কও তৈরি করছে ভারত। বড় বড় সামরিক পরিবহন বিমান অবতরণ করতে পারে এরকম কিছু অবতরণ ক্ষেত্রের নির্মাণ কাজও দ্রুত এগিয়ে চলেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল গগনজিৎ সিং বলেন, "চীনকে যদি কোন যুদ্ধে মোকাবেলা করতে হয়, তাহলে আমাদের এমন অবকাঠামো দরকার যাতে দ্রুত সেখানে সৈন্য এবং রসদ পাঠানো যায়। এই সেতুটি সেদিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।" আরও পড়ুন: অন্য ভাস্কর্য সম্পর্কে কী বলছে হেফাজতে ইসলাম "ফিলিপিনের মিন্দানাও দ্বীপকে খেলাফত বানাতে চায় আইএস" তিনি আরও বলেন, "১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর দীর্ঘ সময় ধরে ভারত অরুণাচলে কোন সড়ক অবকাঠামো তৈরি করেনি এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে যে চীন যদি আবার কখনো আক্রমণ করে তাদের সৈন্যরা এসব রাস্তাঘাট ব্যবহার করবে। কিন্তু আমার মনে হয় এখন আমরা ঠিক কাজটাই করছি।" ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, চীনের সঙ্গে সীমান্ত প্রতিরক্ষার স্বার্থে সেখানে এরকম অবকাঠামো তৈরি খুব গুরুত্বপূর্ণ। "আমরা শান্তি চাই, কিন্ত সেই শান্তি হতে হবে মর্যাদার সঙ্গে। যারা মনে করে আমরা দুর্বল, তাদের ঠেকানোর সক্ষমতা আমাদের প্রয়োজন।" এই সেতুর কারণে এখন সেখানে পর্যটকদের আনাগোণা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে ভারত ইতোমধ্যে অরুণাচলে দুই ডিভিশন সৈন্য মোতায়েন করেছে। "কিন্তু সৈন্য সংখ্যা বাড়িয়ে কোন লাভ হবে না যদি না সেখানে তাদের দ্রুত চলাচলের জন্য রাস্তা এবং সেতু না থাকে", বলছেন জেনারেল গগনজিৎ সিং। একজন সামরিক প্রকৌশলী বিবিসিকে জানিয়েছেন, ঢোলা সাডিয়া সেতু দিয়ে ষাট টন ওজনের সামরিক ট্যাংক যেতে পারবে। তবে এই সেতু নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যেও অনেক উৎসাহ। এলাকার একজন বাসিন্দা গুনজন সাহারিয়া বলেন, " ছয়টি নদী এসে মিশেছে এমন এক জায়গায় এরকম একটি সেতু তৈরি করা যাবে, সেটি অকল্পনীয় ছিল।" আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোওয়াল বলেন, এটি কেবল একটি সামরিক ব্যাপার নয়। এই সেতু আসাম এবং অরুণাচলের দূর্গম এলাকাগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নেও সহায়ক হবে। নদীর দুই তীরে যারা থাকেন, তাদের যাতায়তের ক্ষেত্রে এখন আগের চেয়ে আট ঘন্টা কম সময় লাগবে। | India has inaugurated a 9.15km (5.68-mile) bridge over the Lohit river, easily its longest ever, which connects the disputed state of Arunachal Pradesh with the north-eastern state of Assam. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ২০১৫ সালের চুক্তিতে থাকা সীমার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ইউরেনিয়াম ইরান মজুদ করেছে বলে বলছে জাতিসংঘ ইউরেনিয়াম, পারমানবিক বোমা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, তবে ইরান সবসময় দাবি করছে যে তার পারমানবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য। দ্যা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) বলছে এখন ইরানের ইউরেনিয়ামের মজুদের পরিমাণ ২,১০৫ কেজি। সংস্থাটি এ দাবি করল ইরানের দুটি সন্দেহভাজন পারমানবিক ক্ষেত্রের একটি পরিদর্শনের পর। তারা বলছে দ্বিতীয় ক্ষেত্রটি তারা চলতি মাসের শেষ দিকে পরিদর্শন করবে। গত বছর থেকে ইরান ইচ্ছাকৃতভাবেই ও অনেকটা প্রকাশ্যেই ছয় বিশ্ব শক্তির সাথে করা পরমাণু চুক্তির অঙ্গীকার থেকে সরে আসতে থাকে। ২০১৫ সালে ওই চুক্তিতে ইরান ছাড়াও চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র স্বাক্ষর করেছিল। পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কত দ্রুত ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারবে? ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তিতে কী আছে? ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে গেলেন ট্রাম্প ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ‘রহস্যময়’ হামলার পেছনে কারা? চুক্তি অনুযায়ী আর্ক শহরে অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম এমন প্লুটোনিয়াম উৎপাদন বন্ধ রাখার বিষয়ে রাজী হয়েছিলো ইরান চুক্তি অনুযায়ী পরমাণু অস্ত্র বানাতে প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়ামের চেয়ে অনেক কম মাত্রায় ইউরেনিয়াম ইরানের উৎপাদন করার কথা। তবে মিস্টার ট্রাম্প চুক্তি থেকে সরে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে ইরানও প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে থাকে। চুক্তি অনুযায়ী ইরানের সর্বোচ্চ ৩০০ কেজি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে থাকার কথা। কম সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম যাতে ইউ-২৩৫ থাকে তিন থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে তা ব্যবহার হয় বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের তেল উৎপাদনে। আর অস্ত্র বানানোর ইউরেনিয়াম অন্তত ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ হতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার জন্য দীর্ঘ সময় লাগে। ইরানের এক সামরিক প্রদর্শনীতে একটি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল গত সপ্তাহে ইরান বলেছিল তারা পরমাণু নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে ঝুলে থাকা ইস্যু সমাধানের লক্ষ্যে ভালো বিশ্বাসেই অস্ত্র পরিদর্শকদের পরিদর্শনের সুযোগ দিচ্ছে। তবে আইএইএ ঘোষণা করা হয়নি এমন পরমাণু দ্রব্যাদি সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর না দেয়া এবং আরো দুটি ক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার না দেয়ায় ইরানের সমালোচনা করেছে। সর্বশেষ বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে ইরান তাদের পরিদর্শকদের পরিবেশগত স্যাম্পল সংগ্রহের সুবিধা দিয়েছে এবং এসব স্যাম্পল পরীক্ষাগারে বিশ্লেষণ করা হবে। | Iran now has more than 10 times the amount of enriched uranium permitted under an international agreement, the UN's nuclear watchdog says. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | দূষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন দিল্লির বাসিন্দারা দিল্লিতে বায়ুদূষণের ভয়াবহতা গত কয়েক বছরে ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বায়ু দূষণের যে মাত্রাকে গ্রহণযোগ্য নিরাপদ সীমা বলে মনে করে, গত ডিসেম্বরে দিল্লির অনেক এলাকায় দূষণের মাত্রা ছিল তার তিরিশ গুণ বেশী। এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে শহরকে বাঁচাতে দূষণবিরোধী বিক্ষোভ, র্যালি,প্রতিবাদ কর্মসূচীসহ নানা ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন দিল্লির বাসিন্দারা। 'দিল্লি ট্রি'জ এসওএস' নামের তেমনই একটি সংস্থার একজন সক্রিয় কর্মী জুহি সাকলানি বলছিলেন শুধু দূষণ রোধে কাজ করলেই হবে না, দিল্লিকে বাঁচাতে নগর পরিকল্পনাবিদদের নতুন ধরণের চিন্তাভাবনা ও পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। মিজ সাকলানি বলেন,"আমরা খুবই জটিল একটি পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। বায়ুদূষণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজের জন্য প্রচুর পরিমাণে গাছও কাটা হচ্ছে দিল্লিতে।" "প্রতিবছর দিল্লির দূষণের পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ও সাধারণ নাগরিকরা এই দূষণ রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে শহরের অবস্থা আরো খারাপ হবে।" তবে বর্তমানে অনেকেই এই দূষণের বিষয়ে সোচ্চার বলে আশা প্রকাশ করেন মিজ. সাকলানি। দিল্লির রাস্তায় প্রায়ই দূষণবিরোধী সমাবেশ,র্যালির মত কার্যক্রম প্রায়ই দেখা যায়। তেমনই একটি র্যালির সামনের সারির লোকজন একটি প্ল্যাকার্ড ধরে রেখেছেন যেখানে লেখা 'আমরা যদি দূষণকে শেষ না করতে পারি তাহলে তা আমাদের ধ্বংস করে দেবে'। দিল্লিতে গত কয়েকবছর ধরে দূষণের মাত্রা বেড়েছে র্যালিতে উপস্থিত সব বয়সী মানুষই বলছিলেন দিল্লিতে বসবাস তাদের জন্য কতটা কঠিন হয়ে পড়েছে। একজন নারী আক্ষেপ করছিলেন যে ১৯৭৩ সালে দিল্লি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে সবুজ রাজধানী। আর এখন যে অবস্থা তা চলতে থাকলে পৃথিবীর রুক্ষতম রাজধানী হবে দিল্লি। মধ্যবয়সী একজন ভদ্রলোক বলেন স্বাভাবিকভাবে নি;শ্বাস নিতে না পারায় তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পরেছেন। দিল্লির বাতাসের এত খারাপ অবস্থা যে তাঁর ফুসফুস ঠিকমতো কাজ করছে না। ঐ বিক্ষোভ সভাতেই একজন বক্তা মহিন্দ্র গোয়েল বলছিলেন উন্নয়ন কার্যক্রমের কারণে কখনো কখনো পরিবেশগত দিকটি কম গুরুত্ব পায়। মি. গোয়েল বলেন, "দিল্লির মত একটি শহরে কর্মসংস্থান তৈরী করতে, জীবনযাত্রার মান ধরে রাখতে উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতেই হবে।" উন্নয়ন কার্যক্রমকে পরিবেশের ওপর অগ্রাধিকার দেয়ার দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হলেও মি. গোয়েল মনে করেন পরিবেশবাদীদের কার্যক্রমে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। "আমার মনে হয় দূষণের বিষয়ে পরিবেশবাদীদের বক্তব্যগুলো দূরদৃষ্টিহীন। এই সমস্যা সমাধানে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর সাথে সংঘবদ্ধ হয়ে যৌক্তিক ও সময়োপযোগী আন্দোলন চালানো প্রয়োজন তাদের", বলে মন্তব্য করেন মি. গোয়েল। গাছ কাটা বন্ধ করতে সম্প্রতি দিল্লি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছে আদালত তবে ক্রমাগত দূষনের কারণে দিল্লির পর্যটন খাত যে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তা নেই কোনো সন্দেহ নেই। বেশ কয়েকবছর ধরে দিল্লিতে বসবাসরত এক নারী বলছিলেন বায়ুদূষণের মাত্রা দিনদিন বাড়তে থাকায় দিল্লিতে কাজ করতে আসা বিদেশী নাগরিকের সংখ্যা দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে। দিল্লিতে বেড়ানোর ইচ্ছা থাকলেও দূষণের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা বাতিল করেছেন অনেক বিদেশী পর্যটকও। তবে সম্প্রতি দিল্রি কর্তৃপক্ষকে আর কোনো গাছ না কাটার নির্দেশনা দিয়েছে আদালত। তাই দিল্লিবাসীরা মনে করছেন, দেরীতে হলেও বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন তারা। | Residents of India's capital Delhi are battling high pollution levels and extreme temperatures due to an unusual dust haze covering the city. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | জাকার্তায় সংসদের বাইরে বিক্ষোভকারীদের সাথে সংঘর্ষ হয় পুলিশের ইন্দোনেশিয়ার সংসদের সামনে ছাড়াও অন্যান্য শহরেও এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। ঐ আইন অনুযায়ী অধিকাংশ গর্ভপাত অপরাধ হিসেব চিহ্নিত হবে এবং প্রেসিডেন্টকে অবমাননাও অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রস্তাবিত বিলটি পাস হতে দেরি হলেও বিক্ষোভকারীরা মনে করছেন শেষ পর্যন্ত সংসদে বিলটি অনুমোদিত হতে পারে। বিতর্কিত বিলটিতে কী রয়েছে? প্রস্তাবিত নতুন অপরাধ আইনে যা যা রয়েছে - প্রাথমিকভাবে মঙ্গলবার সংসদে এই বিলটির বিষয়ে ভোট হওয়ার কথা ছিল - তবে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো শুক্রবার পর্যন্ত ভোট স্থগিত করেন। তিনি বলেছেন, নতুন আইন বাস্তবায়নের আগে আরো বিবেচনা প্রয়োজন। আরো পড়তে পারেন: যৌন নিপীড়ন: রাম মন্দির আন্দোলনের নেতা গ্রেফতার বাংলাদেশে গোপনে যৌন উত্তেজক ঔষধের কাঁচামাল আসছে কেন কর্মস্থলে যৌন হয়রানীর শিকার নারী যা করতে পারে পুলিশের ওপর বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুড়ে মারলে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ছোঁড়ে কেন বিক্ষোভ করছে মানুষ বিলটি পাস হওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব হলেও অনেক ইন্দোনেশিয়ানেরই আশঙ্কা - সংসদে এই বিলটি পাস হতে পারে। আর কয়েকদিন আগে দেশটির দূর্নীতি দমন সংস্থা 'করাপশন ইর্যাডিকেশন কমিশনের' ক্ষমতা সীমিত করে আইন পাস করার ঘটনা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার মানুষের মধ্যে। মঙ্গলবার কী হয়েছে? ইন্দোনেশিয়ার অনেক শহরের রাস্তায় হাজার হাজার বিক্ষোভকারী নেমে আসেন, যাদের অনেকেই ছাত্র। মূল বিক্ষোভ হয় রাজধানী জাকার্তায় - বিক্ষোভকারীরা সংসদের স্পিকার বামবাং সোয়েসাতেয়ো'র সাথে দেখা করার দাবি জানান। আরো পড়তে পারেন: ব্রিটিশ সংসদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কী? এমপি, যুবলীগ নেতাসহ দশজনের ব্যাংক হিসাব তলব মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল শিক্ষার্থীরা কেন ঝরে পড়ছে? বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশই ছিল ছাত্র বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়লে পুলিশ তাদের দিকে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান থেকে পানি নিক্ষেপ করে। বিক্ষোভরত এক নারীর হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা দেখা যায়: "আমার দেহ কোনো সরকারের সম্পত্তি নয়"। সুলাওয়েসি দ্বীপের ইয়োগিয়াকার্তা ও মাকাসা সহ আরো কয়েকটি জায়গায় দ্বিতীয় দিনের মত বিক্ষোভ চলেছে। পশ্চিম জাভা'র ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ বছর বয়সী ছাত্র ফুয়াদ ওয়াহইউদিন রয়টার্সকে বলেন, "দূর্নীতিবিরোধী সংস্থা দূর্নীতির বিরুদ্ধে নয় বরং দূর্নীতিবাজদের পক্ষে। এই নতুন আইনের বিরোধিতা করতে সংসদে যাবো আমরা।" জাকার্তায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাঁচ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। | Police have fired tear gas and water cannons at protesters demonstrating outside the Indonesian parliament over a proposed new criminal code that would ban sex before marriage. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকসহ সবার ফেরা নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতে যারা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন, তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনের হার বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। ধারণা করা হয়, ভারতে প্রায় নয় হাজার অস্ট্রেলিয়ান রয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ৬০০ জনের অবস্থা নাজুক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের হুমকির মুখে যারা দেশে ফিরে আসতে চান, তাদের জন্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত অবিবেচনাপ্রসূত বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিশ্লেষক ড. ভিয়োম শার্মের। তিনি বলেছেন, ''আমাদের পরিবারগুলো ভারতে আক্ষরিক অর্থেই মারা যাচ্ছে...সেখানে তাদের বের করে আনার পথ নেই, আর এখন তাদের পরিত্যাগ করা হলো।'' অস্ট্রেলিয়ার এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ১৪ দিনের মধ্যে যারা ভারতে কাটিয়েছেন, তাদের অস্ট্রেলিয়া প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা এই আদেশ মানবেন না, তাদরে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে, সেই সঙ্গে ৩৭ হাজার পাউন্ড জরিমানাও হতে পারে। এই সিদ্ধান্ত আবার ১৫ই মে পর্যালোচনা করা হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সরকার হালকাভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়নি। ''অস্ট্রেলিয়ার জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা এবং কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা রক্ষা করা, সেই সঙ্গে কোয়ারেন্টিন সেন্টারগুলোয় কোভিড-১৯ রোগীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে রাখার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।'' মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ভারতের সঙ্গে একমত হয়েছে যে, দেশটিতে ভেন্টিলেটর, চিকিৎসা উপকরণ এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম পাঠাবে। ভারতে এ পর্যন্ত এক কোটি ৯০ লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। গত সপ্তাহে দেশটিকে প্রতিদিন তিন লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকেই এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে বেশ কিছু শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটিতে তাতে সংক্রমণের হার প্রায় শূন্যে নেমে এলেও এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় মৃত্যুর হার কম হলেও, এসব নীতির কারণে অনেক অস্ট্রেলিয়ান বিদেশে আটকে পড়েছে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন | Australian citizens returning home from India could face up to five years in jail and fines after the government made the journey temporarily illegal. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | তিনি জানাচ্ছেন লন্ডনের ইমপিরিয়াল কলেজের বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন ছোট্ট একটা কম্প্যুটার চিপ কীভাবে ল্যাবরেটরির কাজ করবে এবং করোনাভাইরাসের বর্তমান পরীক্ষায় সংক্রমণ শনাক্ত করে যে ফল পাওয়া যাচ্ছে এই পদ্ধতিও ঠিক একই ফল দেবে- তফাৎ হলো এই যন্ত্র ফল দিতে সময় নেবে মাত্র ৯০ মিনিট। ইংল্যান্ডের আটটি হাসপাতাল এই যন্ত্র ব্যবহার করে করোনাভাইরাস বহনকারী রোগীদের সফলভাবে এবং দ্রুত শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। ডিএনএনাজ নামে একটি সংস্থা এই যন্ত্রটি তৈরি করছে। তারা বলছে যে কেউ যদি গলা বা নাকের ভেতর থেকে সোয়াব বা নমুনা নিতে পারে, তাহলেই সে এই যন্ত্রটি ব্যবহার করতে পারবে। একটি নীল রংএর কাট্রিজ বা আধারের মধ্যে সোয়াবটা রাখতে হবে, যার ভেতর পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক আছে। আধারটি এরপর জুতার বাক্সের আকারের ছোট একটি যন্ত্রের ভেতর ঢুকিয়ে দিতে হবে, যে যন্ত্র ওই নমুনা বিশ্লেষণ করবে। ওই আধারটি একবার ব্যবহারের পর ফেলে দিতে হবে। আরও পড়তে পারেন: বিজ্ঞানীরা বলছেন যে কেউ নাক ও গলার ভেতর থেকে নমুনা সংগ্রহে সক্ষম হলে এই যন্ত্র সফলভাবে ব্যবহার করতে পারবে মি. গ্যালাহার লিখছেন, এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেট মাইক্রোবে। সেখানে বলা হয়েছে ৩৮৬ জনের কাছ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা ডিএনএনাজ কোম্পানির যন্ত্র দিয়ে এবং পাশাপাশি প্রচলিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দুটি পরীক্ষার ফলাফল তুলনা করা হয়েছে। ''দুটি পরীক্ষার ফলাফল দেখা গেছে একইরকম, যা খুবই আশ্বস্ত হবার মত। বিশেষ করে যখন একটা নতুন প্রযুক্তি আপনি বাজারে আনার চেষ্টা করছেন তখন ফলাফলে তারতম্য না থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ," বলেছেন ইমপিরিয়াল কলেজের অধ্যাপক গ্রেয়াম কুক। ''অনেক পরীক্ষায় দেখা গেছে, হয়ত সেটা দ্রুত করা যাচ্ছে কিন্তু ফলাফল নির্ভরযোগ্য নয়, আবার কোনটায় ফলাফল নির্ভুল কিন্তু সময় লাগছে, কিন্তু এ ক্ষেত্রে দুটোই সফলভাবে অর্জিত হয়েছে।'' ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় যেখানে বলা হচ্ছে রোগীর ভাইরাস নেই, এই যন্ত্রের পরীক্ষাতেও সেই ফলই এসেছে। ল্যাব পরীক্ষা যেখানে বলছে রোগীর ভাইরাস আছে, দ্রুত সময়ের এই পরীক্ষা ৯৪% ক্ষেত্রে একই রেজাল্ট দিয়েছে। এখানে সমস্যা একটা রয়েছে। সেটা হল একটা বাক্স-যন্ত্র দিয়ে একবারে শুধু একটা নমুনাই পরীক্ষা করা সম্ভব। কাজেই কোন প্রতিষ্ঠান যদি একটি বাক্স ব্যবহার করে তাহলে সারা দিনে প্রায় ১৬টার বেশি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে না। অধ্যাপক কুক বলছেন: ''যেসব ক্ষেত্রে আপনার দ্রুত জানা প্রয়োজন কেউ সংক্রমিত কিনা এবং একটা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া যেখানে জরুরি, সেখানে এই যন্ত্র খুবই উপযোগী হবে।'' যেমন তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেছেন গত সপ্তাহে এই যন্ত্র ব্যবহার করে একজন রোগী কোভিড-১৯ আক্রান্ত কিনা তা দ্রুত জানা সম্ভব হয়েছে এবং সাথে সাথে ডেক্সামেথাসোন এবং রেমডেসিভির ওষুধ দিয়ে তার চিকিৎসা শুরু করে দেয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি বলছেন এই যন্ত্র হাসপাতালগুলোর জন্য ভবিষ্যতে খুবই উপযোগী হবে, কারণ এটা ব্যবহার করে খুব দ্রুত তারা শনাক্ত করতে পারবে হাসপাতালে ভর্তি হতে আসা রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নাকি তিনি সাধারণ ফ্লু বা শ্বাসযন্ত্রের অন্য ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বড় বড় জায়গায় যেখানে অনেক মানুষের সমাগম হবে সেখানে পরীক্ষার জন্য এই যন্ত্র হয়ত সঠিক হবে না- যেমন ফুটবল স্টেডিয়ামে। কারণ কোথাও হয়ত ৬০ হাজার দর্শক সমাগম হবে - সবাইকে পরীক্ষা করতে গেলে সেখানে ৬০ হাজার যন্ত্র প্রয়োজন হবে । কিন্তু ছোট ভেন্যুতে বা যেখানে অল্প লোক জড়ো হবে, সেখানে এই যন্ত্র অবশ্যই দ্রুত সংক্রমণ শনাক্ত করতে কার্যকর হতে পারবে। ইংল্যান্ডের অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ারইক, যারা এই গবেষণার সাথে যুক্ত নয়, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লরেন্স ইয়ং বলেছেন এই উদ্ভাবন "সৃজনশীল'' এবং কেউ ভাইরাস বহন করছেন কিনা তা দ্রুত জানতে পারলে সেটা রোগীর দ্রুত চিকিৎসার জন্য যেমন সহায়ক হবে, তেমনি ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতেও এটা খুবই সাহায্য করবে। তবে সব বিজ্ঞানীই বলেছেন এই যন্ত্র ছোট পরিমণ্ডলে উপকারী হবে। কিন্তু মারাত্মক এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকারগুলোকে গণহারে পরীক্ষার ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে হবে। | A rapid test can accurately diagnose a coronavirus infection within 90 minutes without needing a specialist laboratory, say scientists. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ব্রিটেনের একটি স্পার্ম ব্যাংক স্কটল্যান্ডের ডান্ডির এ্যাবারটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. কেভিন স্মিথ বলছেন, পুরুষদের বেশি বয়েস হলে তাদের বাবা হওয়ার পথে অনেক রকম ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রিটেনে এখন একজন পুরুষের সন্তানের পিতা হতে হতে গড়ে ৩৩ বছর বয়েস হয়ে যাচ্ছে। কেভিন স্মিথ বলছেন, বেশি বয়েসে সন্তানের পিতা হওয়া অসম্ভব নয়, কিন্তু এর ঝুঁকিও আছে। "সেটা ঠেকাতে ভবিষ্যতে স্পার্ম ব্যাংকই হয়তো ভবিষ্যতে একটা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে যাবে" - বলেন তিনি। তিনি বলেন, ১৮ বছর বয়েসই একজন পুরুষের শুক্রাণু হিমায়িত করে ব্যাংকে রাখার আদর্শ সময়। জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বা এনএইচএসের মধ্যেই এ ব্যবস্থা থাকা উচিত, তাতে খরচও কম লাগবে। এর ফলে কারো ৪০-এর ওপর বয়েস হয়ে গেলেও তিনি তার অল্পবয়েসের শুক্রাণু ব্যবহার করে সন্তানের পিতা হতে পারবেন, বলছেন কেভিন স্মিথ। বিবিসির সংবাদদাতা জেমস গ্যালাহার জানাচ্ছেন, বেসরকারি স্পার্ম ব্যাংকে শুক্রাণু জমা রাখতে হলে প্রতি বছর ১৫০ থেকে ২০০ পাউন্ড ফি দিতে হয়। কিন্তু ড. স্মিথের এই ভাবনার সমালোচনাও হয়েছে। শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ্যালান পেসি বলছেন, তিনি অনেক দিন এরকম হাস্যকর কথা শোনেন নি। তিনি বলেন, বেশি বয়েসে একজন পুরুষের সন্তানের পিতা হবার যে ঝুঁকির কথা বলা হয় - তা খুবই সামান্য। ব্রিটিশ ফার্টিলিটি সোসাইটি বলছে, মানুষের সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্রে এটা একটা কৃত্রিম ভাবনা। এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ্যাডাম ব্যালেন বলছেন, শুক্রাণু হিমায়িত করলে তার উর্বরতা কমে যায় - তাই এর কোন গ্যারান্টি নেই। সেক্ষেত্রে ওই দম্পতিকে হয়তো আইভিএফ পদ্ধতির ওপর নির্ভর করতে হবে। এই সোসাইটি বলছে, বরং কিভাবে যুবক বয়েসেই স্বামী-স্ত্রী সন্তান নিতে পারে, আবার চাকরিবাকরিও করতে পারে সে দিকেই মনোযোগ দেয়া উচিত। তাদের মতে নারী ও পুরুষের উভয়ের ক্ষেত্রেই বয়েস ২০ বা ৩০-এর কোঠায় থাকতে থাকতেই সন্তান নেয়া উচিত। | The sperm of all 18-year-olds should be frozen for use in later life because of the risks attached with being an older father, a UK bioethicist has argued. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | যুক্তরাষ্ট্রে উত্তর কোরিয়ার সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং হ্যানয়ে কিম জং-আন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কিম হায়ক-চোলকে পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে কিন্তু দেশটির কর্মকর্তাদের এভাবে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার এসব তথ্য আসলে খুব সতর্কতার সঙ্গে দেখা দরকার। কারণ এসব তথ্য যাচাই করা খুব কঠিন আর অনেক সময় সেগুলো ভুল বলেও প্রমাণিত হয়। অতীতে দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম ও সরকার কোন কোন সময় উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তাদের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে বলে জানালেও, কয়েক সপ্তাহ পরে তাদেরকেই আবার দেশটির নেতা কিম জং-আনের আশেপাশে দেখা গেছে। এবার একটি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে সোলের গণমাধ্যম জানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে উত্তর কোরিয়ার সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং হ্যানয়ে কিম জং-আন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কিম হায়ক-চোলকে পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ওই সূত্র আরো জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরো চারজন কর্মকর্তাকেও একই শাস্তি দেয়া হয়েছে। তাদের সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছেন এবং মার্কিন মতলবের বিষয়টি ঠিক মতো ধরতে না পেরে আলোচনার ব্যাপারে দুর্বল পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। আরো জানা যাচ্ছে যে, উত্তর কোরিয়ার নেতার ডান হাত বলে পরিচিত কিম ইয়াঙ-চোল, যাকে হ্যানয় বৈঠক আয়োজন দেখভাল করার জন্য ওয়াশিংটনে পাঠানো হয়েছিল, তাকেও চীন সীমান্তের কাছে শ্রমশিবির ও পুনঃশিক্ষা ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। আরো পড়ুন: কিম-এর মন্তব্যে নুডলস্ খাওয়ার হিড়িক দুই কোরিয়ার ঐতিহাসিক বৈঠক: কৃতিত্ব কি ট্রাম্পের? উত্তর কোরিয়ার জাহাজ আটক করলো যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়া 'ছোট পরিসরের মিসাইল পরীক্ষা করছে' ২০১৮ সালের জুন মাসে হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি কিম হায়ক-চোল প্রতিবেদনটি বিশ্বাস করা যেতে পারে, কারণ গত ফেব্রুয়ারিতে সামিটের পর থেকে এই ব্যক্তিদের আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার ফলাফলে কিম জং-আন সত্যিই ক্রুদ্ধ হয়েছেন এবং এখন হয়তো কাউকে দোষী করার জন্য খুঁজতে শুরু করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার কূটনৈতিক দরকষাকষি কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আনতে পারেনি, যা তাকে বেশ চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। দেশটির ওপর কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। ওয়াশিংটনের সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের আলোচনা বন্ধ হয়ে গেছে। এসব কারণে পিয়ংইয়ংয়ে হয়তো এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, কাউকে না কাউকে এজন্য মূল্য দিতে হবে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, এ সপ্তাহের শুরুর দিকে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় রোডোঙ সিনমুন পত্রিকায় কারো নাম না উল্লেখ করলেও 'প্রতারক' ও 'দলত্যাগীদের' বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, 'যারা দল-বিরোধী' এবং 'বিপ্লব-বিরোধী কর্মকাণ্ড' করেছে, তারা সবাই বিপ্লবের কঠোর বিচারের মধ্য দিয়ে যাবে। সেখানে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি, কিন্তু বার্তাটি পরিষ্কার। অতীতেও কিম জং-আন অনেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছেন। ২০১৩ সালে মি. কিমের প্রভাবশালী ফুফা জং সঙ-থেককে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সেই খবরটি উত্তর কোরিয়া ঘোষণা দেয়ার আগেই দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রকাশ করেছিল। তবে কখনো কখনো এরকম খবর মিথ্যা খবর বলেও প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো গায়িকা হিউন সঙ-ওলের মৃত্যুর খবরটি। ২০১৩ সালে এই পত্রিকাই খবর প্রকাশ করেছিল যে, তার অর্কেস্ট্রার সদস্যের সামনেই তাকে মেশিনগানের গুলিতে মেরে ফেলা হয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ইয়াবা গডফাদার: নাফ নদীতে শুরু, নাফ নদীতেই শেষ কারাবন্দির মৃত্যুর জবাব চায় মানবাধিকার কমিশন ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯: তামিম ইকবালের চোট ও ওভালের প্রস্তুতি নারীদের খাটো স্কার্ট পরতে টাকা দেয় যে কোম্পানি গায়িকা হিউন সঙ-ওলের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও সেটি পরে মিথ্যা প্রমাণিত হয় গত বছর গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের আগে আগে উত্তর কোরিয়ার একটি প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সোলে আসেন পুরোপুরি জীবিত গায়িকা হিউন সঙ-ওল। তিনি এখন উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী নারীদের একজন। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা বাহিনী ২০১৬ সালে বলেছিল যে, সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান রি ইয়ঙ-গিলকে দুর্নীতির দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এর কয়েক মাস পরেই তাকে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেখা যায়- যেখানে তাকে পদোন্নতিও দেয়া হয়েছে। সুতরাং, উত্তর কোরিয়ার ভেতরে থাকা 'গোপন সূত্র' হয়তো একজন সাংবাদিকের অমূল্য সম্পদ হতে পারে, কিন্তু কখনো কখনো সেটি অন্যদের জন্য জটিলতার কারণও হয়ে দাঁড়ায়। কারণ তাদের দাবি পরীক্ষা করে দেখার মতো কোন উপায় নেই। কিম হায়ক-চোলের পরিণতি আসলে কী হয়েছে, তা এখন নিশ্চিতভাবে জানার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দারা। কিন্তু যতদিন পিয়ংইয়ং নিজেরা এ বিষয়ে ঘোষণা না দেবে, ততদিন অন্যদের পক্ষে হয়তো এ বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে না। উত্তর কোরিয়া কেন খরার খবর লুকাচ্ছে | It is being reported across international media that North Korea's nuclear envoy has been executed as part of a purge of officials involved in a failed summit between the US and North Korea. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচের সাথে গুহার ভেতরে তিনদিন ছিলেন ড. হ্যারিস। এরই মধ্যে তিনি খবর পেলেন যে দেশটির উত্তরাঞ্চলে একটি পাহাড়ের গুহার ভেতরে আটকা পড়েছে ১২ জন কিশোর ফুটবলার এবং তাদের কোচ। প্রথম এক সপ্তাহ ওই শিশুদের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে জানা গেল যা তারা থাম লুয়াং নামের একটি গুহার গভীরে আটকা পড়ে আছে। গুহার কোন কোন অংশ পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে ওই বাচ্চারা সেখান থেকে বের হয়ে আসতে পারছিল না। শিশুদের আটকে পড়ার খবর শোনার পর মি. হ্যারিস থাইল্যান্ডে তার হলিডে বাতিল করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন যে তাদেরকে উদ্ধারে তিনি একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করবেন। ওয়াইল্ড বোয়ার ফুটবল দলের কিশোর সদস্যদের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখতে চিকিৎসক রিচার্ড হ্যারিস গুহার ভেতরে গিয়েছিলেন। তিনি তখন সেখান থেকে বেরিয়ে না এসে শিশুদের সাথে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর গুহার ভেতরে তিনদিন ছিলেন তিনি। শিশুদের সবাইকে যে গুহার ভেতর থেকে সফলভাবে বের করা আনা সম্ভব হয়েছে তার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মি. হ্যারিসের। প্রথমে যে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ছেলেদেরকে বের করে আনা হয়েছিল সেটা হয়েছিল তারই নির্দেশনায়। তারপর তিনদিন ধরে জটিল ও বিপদজনক এক অভিযান চালিয়ে এক এক করে তাদের সবাইকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। ড. হ্যারিস, সবার কাছে যিনি পরিচিত হ্যারি নামে, ধারণা করা হচ্ছে, গুহার ভেতর থেকে যেসব উদ্ধারকারী সবার শেষে বেরিয়ে এসেছিলেন, তিনি তাদের একজন। সব শিশুদেরকে যখন গুহার ভেতর থেকে নিরাপদে বের করে আনা হলো তখন সেই আনন্দে যোগ দিতে পারলেন না ড. হ্যারিস। উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়ার পরপরই তিনি খবর পেলেন যে তার পিতা মারা গেছেন। গুহায় ডুবসাঁতারের ব্যাপারে আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত রিচার্ড হ্যারিস। আরো পড়তে পারেন: সীমান্তে যে কারণে কমছে বাংলাদেশী হত্যা কোটা আন্দোলন: দূতাবাসগুলোর বিবৃতির অর্থ কী? পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুরা ভারত ছাড়ছেন কেন পরে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার যে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসে ড. হ্যারিস চাকরি করেন, তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,উদ্ধার অভিযানের সময় ড. হ্যারিস যে ধরনের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলেন সেটা তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে দিয়েছিল। "হ্যারি একজন ধীর স্থির এবং হৃদয়বান ব্যক্তি। বাচ্চাদের উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে গিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার চিন্তা করেন নি।" ড. হ্যারিসকে খুঁজে বের করেছিল ব্রিটিশ ডুবুরিরা। তারপরই তাকে এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে অনুরোধ করা হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার সরকার বলছে, থাই সরকারের খুব উচ্চ পর্যায় থেকে তাকে এই অনুরোধ করা হয়েছিল। আটকে পড়া কিশোর ফুটবলারদের দল। "গুহার ভেতরে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করার ব্যাপারে ড. হ্যারিসের যে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান আছে সেসব কারণে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত। থাই শিশুদের উদ্ধারেও বড় রকমের ভূমিকা ছিল তার," বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী জুলি বিশপ। থাইল্যান্ডের চিয়াং রাই রাজ্যের গভর্নর নারংসাক ওসোতানাকর্ণ, যিনি এই উদ্ধার তৎপরতায় নেতৃত্ব দিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, "অস্ট্রেলিয়ানরা খুব সাহায্য করেছে। বিশেষ করে ডাক্তার হ্যারিস।" বলা হচ্ছে, আটকে পড়া শিশুদেরকে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, সাহস যুগিয়েছেন। এছাড়াও বের হয়ে আসার জন্যে তিনি তাদেরকে প্রস্তুত করেছেন। বিশেষ করে গুহার ভেতরে ডুবসাঁতার দেওয়ার ব্যাপারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও মি. হ্যারিসের বড় ধরনের প্রশংসা হয়েছে। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অনেকে। কেউ কেউ তাকে 'বছরের সেরা অস্ট্রেলিয়ান' হিসেবে ঘোষণা করারও অনুরোধ করেছেন। অভিজ্ঞ এই ডুবুরি পানির নিচে ছবি তোলার ব্যাপারেও দক্ষ। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ক্রিসমাস আইল্যান্ড এবং চীনে গুহার ভেতরে এবং বহু অভিযানে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় ২০১১ সালে এমন এক ঘটনায় একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল যখন তার একজন বন্ধু অক্সিজেনের অভাবে মারা গিয়েছিলেন। বন্ধুর মৃতদেহটি তখন তাকেই গুহার ভেতর থেকে উদ্ধার করে আনতে হয়েছিল। ড. হ্যারিস। | It was his rare combination of talents that led Australian doctor Richard Harris deep into the Tham Luang cave in Thailand. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ৭০ বছরের ইতিহাসে দেখা যায়, পাকিস্তানে কখনও আপাতদৃশ্যের গণতন্ত্র এসেছে। আবার পালাবদল করে এসেছে পুরোপুরি সামরিক সরকার। এই দুই ধরণের ব্যবস্থা যেন বারবার পালাবদল করেছে। আর এই প্রক্রিয়ার মাঝে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পাকিস্তানের সাথে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দ্বন্দ্ব এবং পাকিস্তান হয়ে উঠেছে জঙ্গী এবং সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল। এবারের নির্বাচন নিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সেটাকে কেউ কেউ 'গণতান্ত্রিক অভ্যূত্থানের' ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: যে পীররা প্রভাবিত করেন পাকিস্তানের নির্বাচন পাকিস্তানের এবারের নির্বাচন সর্ম্পকে যা জানা জরুরী পাকিস্তানে নির্বাচন নিয়ে যে পাঁচটি তথ্য জানা দরকার সেজন্য বরাবরের মতো এবারও সন্দেহ করা হচ্ছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে। অতীতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সরাসরি অভ্যূত্থান ঘটিয়েছে, আর তা নাহলে বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটিয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বিভিন্ন সময় নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় এমন কৌশল নিয়েছে, যেন সেই সরকার আবার ক্ষমতায় আসতে না পারে। এসব বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার বন্ধ হয়েছিল ২০০৮ সালে।সে কারণে পাকিস্তানে প্রথমবারের মতো একটি নির্বাচিত সরকার ২০১৩ সালে তাদের মেয়াদ শেষ করতে পেরেছিল। তখন থেকেই আবার পাকিস্তানের গণতন্ত্রের স্রোত উল্টোদিকে বইতে শুরু করেছে। সমালোচকরা বলছেন, সামরিক প্রশাসন অতীতের মতো এখন আবার পূর্ণ ক্ষমতা ফিরে পেতে পুরোনো কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। ১৯৪৭ থেকে সামরিক ও বেসামরিক নেতৃত্বের পালাবদল হয়েছে পাকিস্তানে সন্দেহের পিছনে তিনটি কারণ পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সন্দেহের কেন্দ্রে এসেছে, সেজন্য তিনটি ঘটনাকে প্রমাণ হিসেবে বলা হচ্ছে। প্রথমত, আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফসহ বেছে বেছে বিদায়ী সরকারের কয়েকজনকে অভিযুক্ত করেছে। আইন বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলেছেন, পাকিস্তানে বিচার বিভাগ বিভিন্ন আইন ব্যবহার করে বিদায়ী সরকারের ডানা কেটে দিয়ে বিরোধী পক্ষগুলোর জন্য সুযোগ তৈরি করছে। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শওকত আজিজ সিদ্দিকীর বক্তব্যেও বিষয়গুলো উঠে এসেছে। গত রোববার রাওয়ালপিন্ডি বার এসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে বিচারপতি সিদ্দিকী বলেছেন, গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বিচারবিভাগে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে। নওয়াজ শরিফকে যেন মুক্তি দেয়া না হয়, সেজন্য সংস্থাটি চাপ সৃষ্টি করে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। গত বছর দুর্নীতির অভিযোগে সুপ্রিমকোর্টের আদেশে ক্ষমতাচ্যুত হন নওয়াজ শরিফ।নিম্ন আদালত তাঁকে দশ বছরের সাজা দিয়েছেন।কিছুদিন আগে তিনি দেশে ফিরে জেলে গেছেন। এদিকে, বিচারপতি সিদ্দিকী এমন বক্তব্যও দিয়েছেন যে, তিনি আইএসআই এর বিরুদ্ধে সত্য কথা বলতে ভয় পাননা। তিনি বলেছেন, "আমাকে যদি মেরে ফেলতেও চায়, তারপরও আমি ভয় পাই না।" দ্বিতীয়ত, এবার নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গী সংগঠনগুলোকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, কর্তৃপক্ষ জঙ্গীদের কর্মকান্ড দেখেও না দেখার ভান করছে। তৃতীয়ত, ভোটের প্রক্রিয়ায় বা তা পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনীকে ব্যাপক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের নির্বাচনে প্রধান তিন প্রতিদ্বন্দ্বী নওয়াজ শরীফ, ইমরান খান এবং বিলাওয়াল ভট্টো। এসবের কিছু কিছু আলামত ইতিমধ্যেই দেখা গেছে। নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগের অনেক প্রার্থীকে দল ছেড়ে সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফে যোগ দিতে অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে বাধ্য করা হয়েছে। যারা দল ছাড়ার টোপে রাজি হননি, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে বা তাদের হয়রানি পোহাতে হচ্ছে। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টিও চাপে রয়েছে।দলটির সিনিয়র কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ নতুন করে তোলা হয়েছে। বামপন্থী আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির গুরুত্বপূর্ণ একজন প্রার্থী গত সপ্তাহে পেশোয়ারে আত্নঘাতী হামলায় নিহত হয়েছেন।একই ধরণের হামলায় আরও দু'জন প্রার্থী নিহত হয়। বেলুচিস্তানে ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী একজন প্রার্থি গিজেন মারিকে গৃহবন্দি হিসেবে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু পাশের নির্বাচনী এলাকাতেই জঙ্গী সম্পৃক্ততা আছে, এমন একজন প্রার্থী শফিক মেঙ্গাল নির্বিঘ্নে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। তার মতো নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনগুলোর অনেক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। গণমাধ্যমও অজানা কর্তৃপক্ষ থেকে চাপের মধ্যে রয়েছে। নির্বাচনের বাছাই করা কিছু খবর প্রচারে তাদের বাধ্য করা হচ্ছে। নির্বাচনের ফলাফল কোনো একটি দলের পক্ষে যাবে, তা স্পষ্ট নয়। ফলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তাতে প্রভাব খাটানো সুযোগ থাকে। এমন পরিস্থিতি তৈরির পিছনেও সামরিক বাহিনীর কৌশল রয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আর এই প্রেক্ষাপটে নিরঙ্কুশ গণতন্ত্র আসলে অনেক দূরে বলেই বলা হচ্ছে। আসলে গণতন্ত্রের আড়ালে সামরিক শক্তির অধীনে একটা শাসন ব্যবস্থা বা একটা অভ্যূত্থান হচ্ছে- এই ভয় কাজ করছে বিশ্লেষকদের মাঝে। আরো পড়ুন: পাকিস্তানে নারী ভোটারদের সংখ্যা এত কম কেন? চুম্বনের ভাইরাল সেই ছবি নিয়ে বিতর্কের ঝড় বাংলাদেশে ছাত্রীদের নিয়ে মন্তব্য করে নেপালি মন্ত্রীর পদত্যাগ | A day before Pakistan's 11th national election, the country's dream of undiluted democracy appears to be receding - again. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত চালাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে রাজধানী প্যারিসের উত্তর-পশ্চিমের শহরতলীতে শুক্রবারের এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয় হামলাকারী নিহত ব্যক্তি তার ছাত্রদের ইসলামের নবী সম্পর্কে বিতর্কিত কার্টুন দেখিয়েছিলেন বলে খবর। একটি স্কুলের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে স্থানীয় সময় বিকাল ৫টার দিকে। এই ঘটনায় তদন্ত করছে সন্ত্রাস বিরোধী পুলিশ বিভাগ। ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মি. ম্যাক্রঁ বলেছেন, ঐ শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছে কারণ তিনি 'মত প্রকাশের স্বাধীনতা'র শিক্ষা দিচ্ছিলেন। নিহত ব্যক্তির নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি। আরো পড়তে পারেন: ভারতে ইসলামের নবীকে নিয়ে পোস্টের জেরে সহিংসতা, ৩ জনের মৃত্যু ফেসবুকে ইসলামের নবীকে নিয়ে ‘অবমাননাকর পোষ্ট' দেয়ার দায়ে সাত বছরের দণ্ড শার্লি এব্দো বিতর্কিত কার্টুন আবার ছেপেছে ইসলাম ধর্মকে অবমাননার অভিযোগে ব্লগার গ্রেপ্তার ফরাসী পুলিশের গাড়ি (ফাইল ফটো) হামলার ঘটনার পরপরই হামলাকারীকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করার সময় পুলিশের গুলিতে মারা যায়। হামলাকারী সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য জানায়নি পুলিশ। তিন সপ্তাহ আগে ফরাসী ব্যাঙ্গ রসাত্মক ম্যাগাজিন শার্লি হেবদোর পুরনো অফিসের সামনে দুই ব্যক্তির ওপর হামলা চালিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটে। ২০১৫ সালে শার্লি হেবদোর ঐ অফিসে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়, যেই ঘটনার বিচারকাজ এখনো চলছে। ঘটনা সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে? কনফা-সাঁত-ওনোরিন এলাকায় বড় আকারের একটি ছুরি হাতে নিহত ব্যক্তির ওপর হামলা চালিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করে হামলাকারী। এরপর আক্রমণকারী পালানোর চেষ্টা করলেও স্থানীয়রা পুলিশকে জানালে তারা দ্রত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ সদস্যরা এর্হানি এলাকায় হামলাকারীকে আটকাতে সক্ষম হয়। সেসময় পুলিশ চিৎকার করে হামলাকারীকে আত্মসমর্পণ করতে বলে, কিন্তু হামলাকারী উল্টো পুলিশকে হুমকি দেয়। ঐ পর্যায়ে পুলিশ হামলাকারীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই সে মারা যায়। ফ্রান্সের পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে করা এক টুইটে স্থানীয়দের ঐ অঞ্চল এড়িয়ে চলাচল করতে অনুরোধ করা হয়েছে। কনফা-সাঁত-ওনোরিন এলাকায় তদন্তকাজ চালাচ্ছে পুলিশ নিহত ব্যক্তির পরিচয় কী? লে মঁন্ড পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী নিহত ব্যক্তি ইতিহাস ও ভূগোলের শিক্ষক ছিলেন। শার্লি হেবদো ম্যাগাজিন ইসলামের নবীকে নিয়ে ছাপা হওয়া যেসব কার্টুন মুসলিমদের উষ্মার কারণ হয়েছিল, ঐ ধরণের কার্টুন চিত্র প্রকাশের সাথে বাক স্বাধীনতার সম্পৃক্ততা নিয়ে ক্লাসে ছাত্রদের সাথে আলোচনা করেছিলেন। ফরাসী মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, শার্লি হেবদো ইসলামের নবীর যেসব কার্টুন ছেপেছিল, সেগুলোর একটি বা একাধিক কার্টুন দেখিয়ে ছাত্রদের সাথে আলোচনা করার জন্য এ মাসের শুরুর দিকে কয়েকজন মুসলিম অভিভাবক স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও করেছিলেন। ২০১৫ সালে শার্লি হেবদোর অফিসে হামলায় প্রখ্যাত কার্টুনিস্টসহ ১২ জন মারা যাওয়ার পর থেকে ফ্রান্সে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের একাধিক হামলা হয়েছে। কী প্রতিক্রিয়া হচ্ছে ফ্রান্সে? শুক্রবার ফ্রান্সের জাতীয় সংসদের ডেপুটিরা সংসদে দাঁড়িয়ে নিহতের প্রতি শোক প্রকাশ করেন। এই হামলাকে তারা 'নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা' হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন মরক্কোতে তার সফর সংক্ষিপ্ত করে জরুরি ভিত্তিতে ফ্রান্সে ফিরে যাচ্ছেন। দেশটির শিক্ষামন্ত্রী জ্যঁ-মাইকেল ব্ল্যাঁকোয়ের টুইট করেছেন যে একজন শিক্ষকের ওপর হামলা পুরো ফরাসী প্রজাতন্ত্রের ওপর হামলার শামিল। নিহত ব্যক্তিও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন 'ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের' বিরুদ্ধে একমাত্র জবাব একতা ও দৃঢ়তা। ভারতে ইসলামের নবী মোহাম্মদকে নিয়ে পোস্টের জেরে সহিংসতা, পুলিশের গুলিতে ৩ জনের মৃত্যু | French President Emmanuel Macron has called the beheading of a teacher in a north-western suburb of Paris an "Islamist terrorist attack". |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | এই নির্বাচনকে নরেন্দ্র মোদীর জন্য গণভোট হিসেবে দেখা হচ্ছিল। নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের মধ্যেই লড়াই হয়েছে। সাথে ছিল উভয় দলের মিত্র শক্তিশালী আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলো। পুরো দেশ জুড়ে সাতটি ধাপে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২৩ শে মে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে। তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে বুথ ফেরত জরিপের ফলাফল অতীতে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এই নির্বাচনটিকে অনেকেই নরেন্দ্র মোদীর প্রশ্নে গণভোট হিসেবে দেখছেন। সরকার গঠনের জন্য একটি একটি রাজনৈতিক দল বা জোটকে নির্বাচনে ২৭২টি আসনে জয়লাভ করতে হবে। বুথ ফেরত জরিপ কী বলছে? চারটি বুথ ফেরত জরিপে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির নেতৃত্বে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) বড় ধরণের বিজয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। এসব জরিপে অনুমান করা হচ্ছে, বিজেপির নেতৃত্বে জোট ২৮০ থেকে ৩১৫ টি আসনে জয়লাভ করবে। বিরোধী দল কংগ্রেসের তুলনায় বিজেপি জোট অনেকে এগিয়ে আছে বলে বুথ ফেরত জরিপে বলা হচ্ছে। তবে নেলসন-এবিপি নিউজ-এর যৌথ জরিপে বলা হচ্ছে, বিজেপি জোট ২৬৭ টি আসনে জয়লাভ করবে, যেটি সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে কম। উত্তর প্রদেশে বিজেপি জোট ব্যাপকভাবে পরাজিত হবে বলে এই জরিপে আভাস মিলছে। এই প্রদেশে ৮০টি সংসদীয় আসন রয়েছে। ভারতের অন্য যে কোন চেয়ে উত্তর প্রদেশে আসন সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি উত্তর প্রদেশে ৭১টি আসনে জয়লাভ করেছিল। এবার বুথ ফেরত জরিপে আভাস মিলছে, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের কাছে ৫১ টির মতো আসন হারাতে পারে বিজেপি। আরো পড়ুন: লোকসভা নির্বাচন: যে ১১টি তথ্য জানা দরকার মোদী সরকারের আমলে আতঙ্কে কেন মুসলমানরা? ২৪ বার নির্বাচনে হেরেও হাল ছাড়েননি যে ব্যক্তি বুথ ফেরত জরিপ নিয়ে প্রতিক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করলেন রাহুল গান্ধী। বিজেপি তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি কার্টুন পোস্ট করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নরেন্দ্র মোদী ছোট রাজনৈতিক দলগুলোকে পিষে দিচ্ছেন এবং দুপাশ থেকে মানুষ সে দৃশ্য দেখছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, তিনি এসব বুথ ফেরত জরিপের গল্প বিশ্বাস করেন না। মমতা ব্যানার্জি বলেন, বুথ ফেরত জরিপ 'গুজবের মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কারসাজি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে'। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি টুইটার বার্তায় নির্বাচন কমিশনের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নরেন্দ্র মোদীর সাথে আপোষ করেছে। লোকসভা নির্বাচন ২০১৯: ভারতে সরকার গঠনের প্রক্রিয়াটা কীরকম? | India's Prime Minister Narendra Modi's Bharatiya Janata Party (BJP) is on course to win the general election, exit polls suggest. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | চীনের পিপলস আর্মি এখন এক অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র সজ্জিত বাহিনী চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত ১৩ই অক্টোবর দক্ষিণ গুয়াংডং প্রদেশে পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) একটি ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি তাঁর বক্তৃতায় মেরিন সেনাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন। এরপর অনেক সংবাদপত্রের শিরোনামে এরকম একটা ইঙ্গিত ছিল যে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের অভিযান অত্যাসন্ন। কিন্তু এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, এরকম কিছু সহসা ঘটছে না। তবে চীন বিশেষজ্ঞরা কেন তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ নিয়ে এত জরুরি আলোচনায় মেতেছেন তার কিছু কারণ আছে। তাইওয়ান নিয়ে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের এই মুখোমুখি অবস্থান অনেক দীর্ঘদিনের। চীন দাবি করে, ২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার এই দেশটি তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে ওয়াশিংটন মনে করে, চীন আর তাইওয়ানের যে দীর্ঘ বিচ্ছেদ, সেটির মীমাংসা হতে হবে শান্তিপূর্ণভাবে। তাইওয়ান নিয়ে চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের এই অচলাবস্থা চলছে দশকের পর দশক ধরে। কিন্তু মনে হচ্ছে এই অচলাবস্থা যেন এখন ভঙ্গ হতে চলেছে। শি জিনপিং এর উত্তরাধিকার তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের দ্বন্দ্ব চলছে দশকের পর দশক ধরে তাইওয়ান প্রশ্নে এতদিনের এই স্থিতাবস্থা কেন আর টিকবে না বলে মনে হচ্ছে, তার কিছু কারণ আছে। এর প্রথম কারণটাই হচ্ছেন শি জিনপিং। "শি জিনপিং তাইওয়ানকে ফেরত চান," বলছেন লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল এন্ড আফ্রিকান স্টাডিজের চায়না ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক স্টিভ সাং। "আর শি জিনপিং তাইওয়ানকে ফিরে পাওয়ার এই কাজটা শেষ করতে চান, চীনের পরবর্তী নেতা যিনিই হবেন, তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে।" ওরিয়ানা স্কাইলার মাস্ট্রো হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চীন বিষয়ক এক সামরিক বিশ্লেষক। তিনি বলছেন, শি জিনপিং যখন ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্টের মেয়াদকালের সময়সীমা তুলে দিয়ে কার্যত নিজেকে আজীবনের জন্য প্রেসিডেন্ট বানালেন, তখনই তার মনে এরকম একটা আশংকা তৈরি হয়। "হঠাৎ করেই তাইওয়ান সম্পর্কে তিনি যেটাই বলছিলেন, তার একটা সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ দাঁড়াচ্ছিল। তিনি কখন এই সমস্যার সমাধান চান সেটা কিন্তু এখন নেতা হিসেবে তার বৈধতা এবং তার মেয়াদের বৈধতার প্রশ্নের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে।" অধ্যাপক সাং এর মতে, শি জিনপিং নিজেকে এক বিরাট ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব বলে মনে করেন। তিনি মনে করেন, মাও জেদং থেকে শুরু করে চীনের আগের অনেক বড় বড় নেতা যে কাজ শেষ করতে পারেননি, সেটি শেষ করার দায়িত্ব তার কাঁধে বর্তেছে। তাকেই এটা করতে হবে। আরও পড়ুন: তাইওয়ান কি চীনের অংশ ? নাকি আলাদা দেশ? চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ভূমিকা রেখেছিলেন যে গোপন দূত অল্পের জন্য সংঘর্ষ এড়ালো চীনা ও মার্কিন রণতরী তাইওয়ানের অনেক মানুষ চান পূর্ণ স্বাধীনতা, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ মধ্যপন্থা অবলম্বনের পক্ষে। তিনি বলেন, "দেং শিয়াওপিং তাইওয়ানকে ফিরিয়ে আনতে পারেননি। এমনকি চেয়ারম্যান মাও পর্যন্ত পারেননি। এখন যদি শিজিনপিং তাইওয়ানকে চীনের কাছে নিয়ে আসতে পারেন, তিনি কেবল দেং শিয়াওপিং এর চাইতে বড় নেতা হবেন না, তিনি চেয়ারম্যান মাও এর চেয়েও বড় নেতায় পরিণত হবেন।" শি জিনপিং এর আগে প্রকাশ্যে বলেছেন, "তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে এক করার বিষয়টি চীনের মানুষকে দারুণভাবে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য এক অবশ্যম্ভাবী প্রয়োজনীয় কাজ।" প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীনা জনগণের যে বিরাট পুনরুজ্জীবনের কথা বলছেন, তার সেই পরিকল্পনার সময়সীমা ২০৪৯ সাল। যেবছর আসলে চীনা কমিউনিস্ট বিপ্লবের শতবর্ষপূর্তি। কিন্তু সেটার তো এখনো ৩০ বছর দেরি। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যে অত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে চান না, তার কারণ আছে। চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি এর একটা কারণ হচ্ছে, চীনের সামরিক শক্তি। যদি তাইওয়ান প্রশ্নে কোন যুদ্ধ হয়, এখন সেই যুদ্ধে জেতার ক্ষমতা চীনের আছে। ওরিয়ানা স্কাইলার মাস্ট্রো বলেন, "গত বিশ বছর ধরে যে প্রশ্নটা বেশিরভাগ মানুষ করেছেন, সেটা হলো, যুক্তরাষ্ট্র কি তার মিত্র এবং সহযোগীদের রক্ষায় এগিয়ে আসবে? যুক্তরাষ্ট্রের এরকম সংকল্প কতটা আছে? যুক্তরাষ্ট্র কি তাইওয়ানকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে? এখন কিন্তু এই প্রশ্ন ঘুরে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সাহায্যে এগিয়ে আসবে কিনা তার জায়গায় এখন বরং প্রশ্ন উঠছে, যুক্তরাষ্ট্র কি তাইওয়ানকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে পারবে?" চীনের পিপলস আর্মি ছিল প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেক পিছিয়ে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা যেরকমটা ভেবেছিলেন, তার চেয়ে অনেক দ্রুততার সঙ্গে তারা আধুনিক প্রযুক্তির সামরিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। গত বছরের পহেলা অক্টোবর বেইজিং এ চীনা বিপ্লবের ৭০তম বার্ষিকীতে যে বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজ হয়েছিল, তখন এটি সবার চোখে পড়ে। এই পরিবর্তন ঘটেছে অতি দ্রুত এবং বিশাল আকারে। এই কুচকাওয়াজে ট্যাংক, আর্টিলারি এবং রকেট লঞ্চারের মতো সনাতন সামরিক সরঞ্জাম তো ছিলই। কিন্তু সবচেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল তাদের অত্যাধুনিক কিছু সমরাস্ত্র। এর মধ্যে ছিল শত্রুপক্ষের চোখ ফাঁকি দিতে পারে এমন যুদ্ধবিমান (স্টেলথ জেট) এবং ড্রোন। সেখানে আরও ছিল চীনের তৈরি 'হাইপারসোনিক গ্লাইড ভেহিকেলস।" চীন এসব অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবেলার কথা ভেবে। যদি যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে রক্ষার যুদ্ধে জড়ায়, তখন মার্কিন বিমানবাহী রণতরীতে যেন তারা আঘাত হানতে পারে। দক্ষিণ চীন সাগরে অনেক কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করেছে চীন ক্যাপ্টেন জেমস ই ফ্যানেল যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের সাবেক পরিচালক। ২০১৫ সালে তিনি অবসরে গেছেন। এখন তিনি জেনেভায় সেন্টার ফর সিকিউরিটি পলিসিতে কাজ করেন। তার মতে, "এখন যে দশকটি চলছে, ২০২০ থেকে ২০৩০, এটি হচ্ছে সবচেয়ে বিপদজনক দশক। সাবেক প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং - এরা দুজনেই চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মিকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন তারা ২০২০ সালের মধ্যেই তাইওয়ানের সামরিক বাহিনীকে পরাস্ত করার সক্ষমতা অর্জন করে।" "কাজেই গত বিশ বছর ধরে কিন্তু তারা এই নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করে চলেছে তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য, যাতে তারা তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাতে পারে।" দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতা তাইওয়ানকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সংকল্প কতটা, সেটা কিন্তু ক্রমাগত পরীক্ষা করে চলেছে চীন। তারা দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের ওপর হুমকি মোকাবেলায় কতদূর পর্যন্ত যেতে রাজি। ক্যাপ্টেন ফ্যানেলের মতে, যুক্তরাষ্ট্র বার বার এই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। চীন এই সুযোগে ফিলিপাইনের উপকূলে দক্ষিণ চীন সাগরে স্ক্যারবারো দ্বীপগুচ্ছের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। দক্ষিণ চীন সমুদ্রে যখন চীন একের পর এক কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সেখানে ঘাঁটি বানিয়েছে, তখনও যুক্তরাষ্ট্র কিছু করেনি। দক্ষিণ চীন সমুদ্রে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়া ২০১২ সালের এপ্রিল হতে জুন পর্যন্ত স্ক্যারবারো দ্বীপে যা ঘটেছে, সেটিকে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির বড় ব্যর্থতা বলে মনে করছেন। "আমি বলবো ১৯৭৫ সালে সায়গনে আমাদের দূতাবাস ভবনের ছাদ থেকে হেলিকপ্টারগুলো আকাশে ওড়ার পর স্ক্যারবারো দ্বীপের এসব ঘটনা আসলে এশিয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।" ১৯৭৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র সায়গনে তাদের দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পরিবারের সদস্যদের হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করেছিল। আর এর মাধ্যমে ভিয়েতনাম যুদ্ধের চূড়ান্ত সমাপ্তি ঘটেছিল। ক্যাপ্টেন ফ্যানেল বলেন, "এই ঘটনাটা ছিল এক বড় বিপর্যয়। এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতাকে মারাত্মকভাবে দুর্বল করে দিয়েছে এই ঘটনা। তখন আমরা ফিলিপাইনকে রক্ষায় কিছুই করিনি।" চীন তাইওয়ানকে ফিরে পেতে চায় কারণ এটিকে তারা তাদের দেশের এক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অংশ বলে মনে করে। তবে এটাই কিন্তু একমাত্র কারণ নয়। তাইওয়ান চীনের নিয়ন্ত্রণে আসলে এটি চীনের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ। মার্কিন জেনারেল ডগলাস ম্যাকআর্থারের ভাষায়, তাইওয়ান তখন হয়ে উঠবে চীনের জন্য প্রশান্ত মহাসাগরে এমন এক এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার (বিমানবাহী রণতরী), যেটি কোনদিনই ডুবানো সম্ভব নয়। ওরিয়ানা স্কাইলার মাস্ট্রোর মতে, তাইওয়ান নিয়ে যুদ্ধে যদি চীন বিজয়ী হয়, সেটি এশিয়া মহাদেশের কৌশলগত মানচিত্র পুরোপুরি বদলে দেবে। "যদি তাইওয়ান নিয়ে চীন কোন যুদ্ধ করে এবং জিতে যায়, তারা যে কেবল তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে যুক্ত করবে তা নয়, এটি একই সঙ্গে এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এখন যে ভূমিকা পালন করে, তারও ইতি টানবে। কাজেই চীনের দৃষ্টিকোণ থেকে তারা অনেক ধরণের সুফল এখানে তুলতে পারবে।" ওয়াশিংটনে এখন রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট- দুই দলই মোটামুটি স্বীকার করে যে তাইওয়ানের ব্যাপারে হুমকি বাড়ছে। ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে কয়েকশো কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির এক চুক্তি অনুমোদন করেছে। এসব সমরাস্ত্রের মধ্যে আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য অত্যাধুনিক ক্ষেপনাস্ত্র পর্যন্ত আছে। এই প্রথম তাইওয়ানকে এরকম সমরাস্ত্র দেয়া হচ্ছে। মার্কিন সামরিক বাহিনীকে খাটো করে দেখার ঝুঁকি চীন এখন যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবেলার ক্ষমতা রাখে তবে এটা এখনো পরিস্কার নয়, তাইওয়ান যদি আক্রান্ত হয়, তখন যুক্তরাষ্ট্র কী করবে। ক্যাপ্টেন ফ্যানেল মনে করেন, এরকম অস্পষ্ট অবস্থান এক বড় ভুল। "আমরা ইতিহাস থেকে জানি, কুয়েতের সরকারের প্রতি এরকম সমর্থনের অভাব কীভাবে সাদ্দাম হোসেনের কাছে এমন বার্তা দিয়েছিল যে, তিনি কুয়েত নিয়ে যা খুশি করতে পারেন। আমরা জানি, কোরিয়ান যুদ্ধের সময়, কীভাবে চীন আর রাশিয়ার কাছে একই বার্তা গিয়েছিল যে, কোরিয়ান উপদ্বীপে হামলা চালানো যায়। আমরা যদি পরিষ্কারভাবে না বলি কারা আমাদের মিত্র এবং তাদের রক্ষায় আমরা কতদূর যাবো, তাহলে কিন্তু আমরা তাদের ঝুঁকিতে ফেলে দেব।" তবে অধ্যাপক সাং বলছেন, অতীতের এসব যুদ্ধ থেকে শিন জিনপিং এরও শিক্ষা নেয়ার মতো অনেক কিছু আছে। যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার সমর্থনে এগিয়ে এসেছিল। কুয়েতের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীকে উস্কানি দিয়ে তাদের সংকল্পকে খাটো করে দেখা উচিৎ হবে না চীনের। "যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী কিন্তু লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে খুবই সংকল্পবদ্ধ। যদি চীনারা সেই বিষয়টা বিবেচনায় নেয়, তাহলে কিন্তু তারা নিজেদের হিসেব-নিকেষে আরেকটু সতর্ক থাকবে। আর এতে করে ভুল হিসেবের ঝুঁকিও অনেক কমবে।" যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের সম্পর্ক ১৯৮৯ সালের তিয়ানানমেন স্কোয়ারের হত্যাকান্ডের পর এখন সবচেয়ে খারাপ। কোভিড-১৯ নিয়ে ক্ষোভ এবং সন্দেহ, বাণিজ্য যুদ্ধ, হুয়াওয়ে নিয়ে তদন্ত, পরস্পরের কনস্যুলেট বন্ধ করে দেয়া, সাংবাদিকদের বহিস্কার- এরকম নানা ঘটনা দুদেশের সম্পর্কে তিক্ততা বাড়িয়েছে। তবে দুতরফেই এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনিই হোন, তার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন, এই শত্রুতা পরিহার করার জন্য। চীনের সঙ্গে আবার আলোচনায় লিপ্ত হওয়ার জন্য। তবে বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের মত হচ্ছে, পুরোনো কায়দায় আলোচনায় খুব বেশি ফল পাওয়া যাবে না, সেটা ব্যর্থ হয়েছে। তাদের মতে, নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এক নতুন ধরণের কৌশলের কথা ভাবতে হবে। সেটা হতে হবে অনেক বেশি অকপট, অনেক বলিষ্ঠ। তাইওয়ান এবং এশিয়ার অন্য মিত্রদের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে তার বাধ্যবাধকতা এবং মনোভাব আরও বেশি স্পষ্ট করে বলতে হবে। | Is China preparing to invade Taiwan? It's a question being discussed with feverish intensity on many China forums right now. And what should be one of the top geopolitical concerns for the incoming US president. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | গত দশদিনে ভারত শাসিত কাশ্মীরে প্রায় বাড়তি পঞ্চাশ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদের কারণে জম্মু ও কাশ্মীর অন্য যেকোন ভারতীয় রাজ্যের চেয়ে বেশি স্বায়ত্বশাসন ভোগ করতো। এই ধারাটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এর ভিত্তিতেই কাশ্মীর রাজ্য ভারতের অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। অনুচ্ছেদ ৩৭০ ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের সংবিধান ও একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দেয়। এছাড়া পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়াদি, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বাদে অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তাও দেয়। সোমবার সংসদে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিরোধীদের তুমুল বাধা ও বাগ-বিতণ্ডার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এই মর্মে সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে, যাতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ স্বাক্ষরও করেছেন। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। মন্ত্রীসভার ঐ বৈঠক শুরু হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে একান্ত বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ভারতে সংবিধানের ৩৭০ ধারা নিয়ে বিতর্ক কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের লড়াইয়ের কারণ কি? কাশ্মীরে ১৪৪ ধারা, নেতারা গৃহবন্দী, বন্ধ স্কুল কলেজ কী আছে এই কাশ্মীর সঙ্কটের মূলে যা দুই দেশকে বারবার যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে? এই ৩৭০ অনুচ্ছেদের সুবাদে কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারাই শুধুমাত্র সেখানে বৈধভাবে জমি কিনতে পারতেন, সরকারি চাকরি করার সুযোগ পেতেন এবং সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। ঐ অনুচ্ছেদ বিলোপ করার বিষয়টি বিজেপি'র পুরনো রাজনৈতিক এজেন্ডাগুলোর একটি। এই সিদ্ধান্তের ফলে সেখানে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন জম্মু এবং কাশ্মীর 'ইউনিয়ন টেরিটরি' বা কেন্দ্রীয়ভাবে শাসিত রাজ্য হিসেবে পরিচালিত হবে। লাদাখ কেন্দ্রশাসিত তৃতীয় একটি এলাকা হিসেবে বিবেচিত হবে। কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি টুইট করেছেন যে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকরভাবে ভারতকে ঐ রাজ্যের দখলদার বাহিনী হিসেবে প্রমাণ করেছে। ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর রাজ্যের পুরো অংশের নিয়ন্ত্রণ দাবি করে, তবে উভয় দেশই সেখানকার অংশবিশেষ নিয়ন্ত্রণ করে। গত তিন দশক ধরে ভারত শাসিত কাশ্মীরের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হচ্ছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: কী ঘটতে চলেছে ভারত-শাসিত কাশ্মীরে? কাশ্মীরে বেশি নির্যাতিত হয়েছে বেসামরিক মানুষ কাশ্মীর কি শেষ পর্যন্ত ভারতের হাতছাড়া হতে চলেছে? | India's government has revoked part of the constitution that gives Indian-administered Kashmir special status, prompting fears of unrest. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ১২ই জুন দুই নেতার দেখা হওয়ার কথা রয়েছে, তবে এই বৈঠকের বিস্তারিত জানানো হয়নি এখনও হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেক জানানো হয়েছে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় দুই নেতা দেখা করবেন। তবে পারমাণবিক অস্ত্রের কার্যক্রম বন্ধ করার আগ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে। সিঙ্গাপুরে হতে যাওয়া বৈঠকের খুব সামান্য খুঁটিনাটিই জনসাধারণকে জানানো হয়েছে। দুই নেতার বৈঠকের স্থানও এখনও নিশ্চিত নয়। ধারণা করা হচ্ছে, বৈঠকের প্রধান আলোচনার বিষয় হবে কোরিয় উপদ্বীপে পারমাণবিক অস্ত্র কার্যক্রম বন্ধ করার ইস্যুটি। কয়েকজন বিশ্লেষক ধারণা করছেন দুই কোরিয়ার মধ্যকার দ্বন্দ্বের চূড়ান্ত নিষ্পত্তিও হতে পারে এই বৈঠকের মাধ্যমে। দুই নেতার বহ প্রতীক্ষিত বৈঠকটি শেষপর্যন্ত হবে কিনা তা নিয়েই সন্দেহ ছিল। গতমাসে একপর্যায়ে মি. ট্রাম্প এই বৈঠকটি বাতিলও ঘোষণা করেছিলেন। সোমবার হোয়াইট হাউজ মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স সাংবাদিকদের জানান যে, "উত্তর কেরিয়া সম্পর্কে নিজের জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে প্রতিদিন নির্দেশনা নিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।" আরো পড়ুন: কিম জং-আনের কাছে লেখা চিঠিতে কী বলছেন ট্রাম্প? কিমের সাথে শীর্ষ বৈঠক হতেও পারে, বললেন ট্রাম্প ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠক হবে ১২ই জুন সিঙ্গাপুরে 'নিষেধাজ্ঞা অব্যহত থাকবে' মিজ স্যান্ডার্স জানান, পিয়ংইয়ং'এর ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের "সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ" এর মনোভাব পরিবর্তিত হয়নি। "আমাদের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর আছে এবং তারা সম্পূর্ণরুপে পারমাণবিক অস্ত্র কার্যক্রম বন্ধ না করা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা অব্যহত থাকবে।" তবে গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে উত্তর কোরিয়ার একজন উচ্চপর্যায়ের নেতার সাথে বৈঠকের পর মি. ট্রাম্প জানান 'সর্বোচ্চ চাপ' শব্দটি তিনি আর ব্যবহার করতে চাননা। দুই দেশের আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে বিধায় এধরণের ভাষা ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে চান তিনি। দুই নেতার বৈঠকের আগে উত্তর কোরিয়া বিভিন্ন রকম কূটনীতিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সার্গেই লাভরভ হঠাৎই পিয়ংইয়ং পরিদর্শনে যান। এ বছরের শেষে মি. কিম মস্কো সফর করতে পারেন, এমন পরিকল্পনা চলছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে যে সিরিয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদও উত্তর কোরিয়া সফরের পরিকল্পনা করছেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: নেতার হোটেল বিলের টাকা নেই উ. কোরিয়ার? যে কারণে প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারে পিছিয়ে বাংলাদেশ 'সৌদি থেকে ফেরার পর পরিবারেও ঠাঁই নেই' | The US has said preparations for the 12 June between President Donald Trump and North Korean leader Kim Jong-un in Singapore are going well. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | মেয়েরা সারাক্ষণ আতংকে থাকে কে কখন গোপনে স্পাইক্যামে ছবি তুলছে তা নিয়ে। তথাকথিত স্পাইক্যাম ভিডিও নিয়ে রীতিমত আতংক তৈরি হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার নারীদের মধ্যে। স্কুলে, কর্মক্ষেত্রে, টয়লেটে বা চেঞ্জিং রুমে হরহামেশাই গোপনে মেয়েদের ছবি বা ভিডিও স্পাইক্যামে রেকর্ড করছে পুরুষরা। দক্ষিণ কোরিয়ার আইনে পর্নোগ্রাফি বিতরণ করা নিষিদ্ধ। অথচ এসব ছবি বা ভিডিও আবার শেয়ার করা হচ্ছে অনলাইনে। এরকম ঘটনার শিকার মেয়েদের কাহিনী প্রতিদিনই প্রকাশিত হচ্ছে গণমাধ্যমে। বিষয়টি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এর বিরুদ্ধে রীতিমত গণবিক্ষোভে নেমেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নারীরা। শনিবার রাজধানী সওলের বিক্ষোভে প্রায় ৫৫ হাজার নারী যোগ দেন বলে জানাচ্ছেন বিক্ষোভের আয়োজকরা। এদের বেশিরভাগই টিনএজার, যারাই কিনা এরকম স্পাইক্যাম পর্নোগ্রাফির শিকার হয় বেশি। "আমি আর আমার বন্ধুরা সারাক্ষণ কিন্তু এই স্পাইক্যামের আতংকে থাকি। যখনই কোন পাবলিক টয়লেটে যাই, কোন দেয়ালে বা কোন ছিদ্রের মধ্যে বা দরোজায় কোন সন্দেহজনক কিছু লুকোনো আছে কিনা, তা খেয়াল রাখতে হয়", বলছিলেন ২২ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী। "দক্ষিণ কোরিয়া এখন কী ধরনের একটা দেশে পরিণত হয়েছে? এখানে মেয়েরা এখন প্রস্রাব পর্যন্ত করতে যেতে পারে না, তাদের আতংকে থাকতে হয় যে কেউ গোপনে তাদের ভিডিও করছে কিনা।" গোপনে ছবি তোলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে যোগ দেন হাজার হাজার নারী। দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বের সবচেয়ে অগ্রসর প্রযুক্তির দেশগুলির একটি বলে গর্ব করে। দুর্দান্ত গতির ব্রডব্যান্ড থেকে শুরু করে সর্বাধুনিক স্মার্টফোন, সবকিছুতেই এগিয়ে তারা। পাঁচ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষের হাতেই আছে স্মার্টফোন। কিন্তু এই প্রযুক্তিই আবার সর্বনাশ নিয়ে এসেছে তাদের জন্য। সর্বাধুনিক এই প্রযুক্তিকে এক শ্রেণীর মানুষ গোপনে মেয়েদের ছবি বা ভিডিও তোলার কাজে ব্যবহার করছে। ২০১০ সালে যেখানে 'স্পাইক্যাম অপরাধের' সংখ্যা ছিল ১১০০, গত বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ছ হাজারে। এসব অপরাধের শাস্তি বড় জোর জরিমানা বা স্থগিত জেলবাস, যাকে নারী অধিকার গোষ্ঠীগুলো একেবারেই লঘুদন্ড বলে বর্ণনা করছে। স্পাইক্যাম অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা মূলত পুরুষ। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, স্কুল শিক্ষক, ডাক্তার থেকে শুরু করে গির্জার পাদ্রি, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ অফিসার এমনকি বিচারক পর্যন্ত রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় এই স্পাইক্যামের ব্যাধি এতটাই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে সরকার নিয়ম করেছে, সেখানে যেসব স্মার্টফোন বিক্রি হবে, সেগুলোতে ক্যামেরায় ছবি বা ভিডিও তোলার সময় শাটারে জোরে শব্দ হতে হবে। কিন্তু তাতেও ফল হচ্ছে না। অনেকে স্মার্টফোনে অ্যাপস ডাউনলোড করে এই শব্দ 'মিউট' করে দিচ্ছে। এছাড়া আরও অনেক অত্যাধুনিক ক্যামেরার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। চোখের চশমা, সিগারেটের লাইটার, ঘড়ি, গাড়ির চাবি, এমনটি গলায় পরা টাইয়ের মধ্যে পর্যন্ত লুকিয়ে রাখা যায় এই ক্যামেরা। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন গত মে মাসে এই স্পাইক্যাম মহামারির বিরুদ্ধে কঠোর সাজার বিধান করার আহ্বান জানান। | Tens of thousands of women gathered in Seoul on Saturday calling for a crackdown on spy cam pornography, in one of the country's biggest ever female-only protests. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ভারতে এখন সংক্রমণের এক ভয়াবহ 'দ্বিতীয় ঢেউ' চলছে তবে এটা এখনও জানা যায়নি যে কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্টটি আসলে কতটা ছড়িয়ে পড়েছে, এবং ভারতে এখন সংক্রমণের যে ভয়াবহ 'দ্বিতীয় ঢেউ' চলছে তার জন্য নতুন শনাক্ত এই করোনাভাইরাসটি কতটা দায়ী। ভারত ভ্যারিয়েন্ট ঠিক কী? যে কোনো ভাইরাসই ক্রমাগত নিজের ভেতরে নিজেই মিউটেশন ঘটাতে করতে থাকে অর্থাৎ নিজেকে বদলাতে থাকে, এবং তার ফলে একই ভাইরাসের নানা ধরন তৈরি হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই পরিবর্তন প্রক্রিয়া নিয়ে তেমন মাথাব্যথার প্রয়োজন হয়না, কারণ নতুন সৃষ্ট অনেক ভ্যারিয়েন্ট মূল ভাইরাসের চেয়ে দুর্বল এবং কম ক্ষতিকর হয়। কিন্তু কিছু ভ্যারিয়েন্ট আবার অধিকতর ছোঁয়াচে হয়ে ওঠে - যার ফলে টিকা দিয়ে একে কাবু করা দুরূহ হয়ে পড়ে। করোনাভাইরাসের ভারত ভ্যারিয়েন্ট - যেটার বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.৬১৭ - প্রথম ভারতে শনাক্ত হয় অক্টোবর মাসে। কতটা ছড়িয়েছে এটি? কত দ্রুত এবং কতদূর নতুন ধরনের এই ভাইরাসটি ভারতে ছড়িয়েছে তার সুনির্দিষ্ট ধারণা পেতে যে মাত্রায় নমুনা পরীক্ষা করতে হয় তা এখনও ভারতে সম্ভব নয়। পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩৬১টি নমুনা পরীক্ষায় ২২০টির মধ্যে নতুন ধরনের এই ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। আরও পড়তে পারেন : যে দুটো জিনিসের জন্য চরম হাহাকার ভারতের সেকেন্ড ওয়েভে অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ হয়ে ভারতের হাসপাতালে ২২ রোগীর মৃত্যু করোনা ভাইরাস টিকা: ঘাটতি মেটাতে জোর চেষ্টা বাংলাদেশের করোনা ভাইরাস : দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় ভারতের বিশ্বরেকর্ড ভারতে কোভিড পরীক্ষা করছেন এক নারী। শুক্রবারও নতুন তিন লাখেরও বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ভারতে ওদিকে, সংক্রামক রোগের তথ্য সংগ্রহ এবং আদান-প্রদানে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক সংস্থা জিআইসএইড-এর ডাটাবেজ অনুসারে, এরই মধ্যে কমপক্ষে ২১টি দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত হয়েছে। যাতায়াতের কারণে ব্রিটেনেও করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনটি পাওয়া গেছে। ২২শে ফেব্রুয়ারি থেকে ১০৩ জন কোভিড রোগীর দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে, ভারত থেকে ব্রিটেনে ভ্রমণ প্রায় নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগ এখন করোনাভাইরাসের যে সব ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে গবেষণা করছে সেই তালিকায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টকে ঢোকানো হয়েছে। তবে এখনও তারা বলেনি যে এই ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ে “বিশেষ উদ্বেগের“ কারণ হয়েছে। ভারত ভ্যারিয়েন্ট কি অধিকতর সংক্রামক বা বিপজ্জনক? বিজ্ঞানীরা এখনও জানতে পারেননি যে ভারতে প্রথম শনাক্ত এই করোনাভাইরাসটি অন্যগুলোর তুলনায় দ্রুত সংক্রমণ ঘটায় কিনা, বা এটির বিরুদ্ধে টিকা কার্যকর কিনা। যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ভাইরোলজিস্ট ড জেরেমি কামিল বলেন ভারত ভ্যারিয়েণ্টে শনাক্ত একটি মিউটেশনের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্টে শনাক্ত মিউটেশনের মিল রয়েছে। এই মিউটেশনটি দেহে রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থায় তৈরি অ্যান্টিবডিকে পাশ কাটিয়ে যেতে ভাইরাসকে সাহায্য করতে পারে। সংক্রমণ এবং ভ্যাকসিন নিয়ে আগের বিভিন্ন পরীক্ষায় এটি দেখা গেছে। কিন্তু অনেক বিজ্ঞানী মনে করছেন, বর্তমানে ব্রিটেনে শনাক্ত করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ কাজ করছে। ব্রিটিশ ভ্যারিয়েন্টটি এখন ৫০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে কোভিড পরীক্ষার জন্য লম্বা লাইন ড. কামিল বলেন, "ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ব্রিটিশ ভ্যারিয়েণ্টের চেয়ে অধিকতর সংক্রামক কিনা - তা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। সুতরাং এখনই এটি নিয়ে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।“ কেন ভারত ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে তথ্য খুবই কম? বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এখন পর্যন্ত যে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে তার অধিকাংশই অসম্পূর্ণ। বিজ্ঞানীদের হাতে নমুনার সংখ্যাও খুব কম। ভারতে এই নমুনার সংখ্যা মাত্র ২৯৮, আর সারা বিশ্বে ৬৫৬। সেই তুলনায় ব্রিটিশ ভ্যারিয়েন্টের পূর্ণাঙ্গ নমুনার সংখ্যা কমপক্ষে ৩৮৪,০০০। ভারতের এই ভ্যারিয়েন্ট প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর সারা পৃথিবীতে তা পাওয়া গেছে চারশোরও কম, বলছেন ড. কামিল। ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ কি এটি ? ভারতে ১৫ই এপ্রিল থেকে প্রতিদিন নতুন কোভিড রোগী শনাক্তের সংখ্যা দুই লাখের ওপর। গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত) নতুন সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা প্রায় ৩১৫,০০০। অথচ গত বছর প্রথম দফা সংক্রমণের সময় দিনে সংক্রমণের সর্বোচ্চ সংখ্যা ছিল ৯৩,০০০। শুধু সংক্রমণই নয়, মৃত্যুর সংখ্যাও হু হু করে বাড়ছে। কলকাতায় রাস্তায় মাস্ক মুখে একজন পধচারী “ভারতের উচ্চ জনসংখ্যা এবং ঘনবসতি মিউটেশনের জন্য এই ভাইরাসকে আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে, “ বলছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজির অধ্যাপক রবি গুপ্তা। তবে, ভারতে এখন যে উঁচু মাত্রায় সংক্রমণ দেখা যাচেছ - তার পেছনে বিশাল গণ-জমায়েত এবং সেই সাথে মাস্ক-না-পরা এবং সামাজিক দূরত্ব অগ্রাহ্য করার মত আচরণও কাজ করতে পারে। কেন ভারতে দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ এত বিধ্বংসী ওয়েলকাম স্যাংগের ইন্সটিটিউটের ড. জেফরি ব্যারেট বলছেন, করোনাভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের সাথে ভারতের বর্তমান এই ভয়াবহ পরিস্থিতির যোগসূত্র থাকতে পারে, কিন্তু তা নিয়ে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ এখনও নেই। তিনি বলেন, ভারতীয় এই ভ্যারিয়েন্টটি গত বছরের শেষ দিক থেকেই সেদেশে রয়েছে। “যদি সত্যিই ঐ ভ্যারিয়েন্টের কারণেই বর্তমানের এই উঁচু সংক্রমণ হয়ে থাকে, তাহলে সেটি কাজ করতে কয়েক মাস সময় নিয়েছে। তার অর্থ এটির চেয়ে কেন্ট বি ১১৭ ভ্যারিয়েন্টটি (ব্রিটিশ ভ্যারিয়েন্ট) অনেক বেশি সংক্রামক।“ টিকা কি কাজ করবে? বিজ্ঞানীরা মনে করছে,ন বর্তমানে করোনাভাইরাসের যেসব টিকা রয়েছে তা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীদের চরম অসুস্থ হয়ে পড়া থেকে রক্ষা করবে। তবে নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত অধ্যাপক গুপ্তা এবং তার সহযোগীদের করা একটি গবেষণা রিপোর্ট বলছে, এখন যেসব টিকা রয়েছে করোনাভাইরাসের কিছু ভ্যারিয়েন্ট সেগুলোতে মরবে না। ফলে, নতুন ধরণের ভ্যাকসিন আনতে হবে এবং বর্তমানের টিকাগুলোকে অদল-বদল করতে হবে। তবে, যেসব টিকা এখন তৈরি হয়েছে সেগুলো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বা বিপদ কমাতে সক্ষম। ড কামিল বলেন, “সিংহভাগ মানুষের ক্ষেত্রে যেটা সত্য তা হলো, ভ্যাকসিন নেওয়া বা না নেওয়ার ওপর নির্ভর করবে - তারা সংক্রমণ মুক্ত বা বড়জোর স্বল্পমাত্রায় সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকবেন, নাকি প্রাণ হারানোর ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালে যাবেন।“ তিনি বলেন, “ভ্যাকসিন দেওয়ার সুযোগ পেলে দয়া করে তা লুফে নিন। সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবেন না। শতভাগ অব্যর্থ কোনো ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষায় বসে থাকার মত ভুল করবেন না।“ বিবিসি বাংলায় আরো খবর: বাংলাদেশে পুরুষদের চাইতে নারীদের গড় আয়ু বেশি কেন লকডাউনের মধ্যেই রবিবার থেকে খুলবে দোকানপাট, শপিংমল ঢাকার আরমানিটোলায় আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪জন গ্যাসের চুলায় বিস্ফোরণে ধসে গেল ফ্ল্যাটের দেয়াল, দগ্ধ ১১ জন বাংলাদেশে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৮৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬২৯ কোন ধরণের আগুন কীভাবে নেভাবেন | A coronavirus variant identified in India is being investigated by scientists across the world. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | উহানে যে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে সেরকমই একটি করোনাভাইরাসের আণুবিক্ষনীক চিত্র। একে করোনাভাইরাস বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। কিন্তু এটা আসলে ওই ভাইরাসটির নাম নয়, বরং ভাইরাসের যে গ্রুপ বা দলে এটির অবস্থান সেটির নাম করোনাভাইরাস। এটির সাময়িক একটা নামও দেয়া হয়েছিল ২০১৯-এনকভ হিসেবে। কিন্তু বলার ক্ষেত্রে এটা খুব একটা সহজ নয়। রুদ্ধদ্বারে একদল বিজ্ঞানী এই ভাইরাসটির একটি উপযুক্ত নাম ঠিক করার কসরত করে যাচ্ছিলেন। এখন তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, যে তারা খুব শিগগিরই নাম ঘোষণা করতে যাচ্ছে। এতো সময় লাগলো কেন? "নতুন কোন ভাইরাসের নামকরণ সাধারণত কিছুটা দেরিতে হয় এবং জন স্বাস্থ্যের উপর এটি কী ধরণের প্রভাব ফেলে তার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়, যা যুক্তিসম্মত," বলেন ক্রিস্টাল ওয়াটসন যিনি জনস হপকিন্স সেন্টার ফর হেলথ সিকিউরিটির সহকারী অধ্যাপক এবং জ্যেষ্ঠ স্কলার। "কিন্তু নামকরণকেও অগ্রাধিকার দেয়ার কারণ রয়েছে।" নতুন এই ভাইরাসকে চিহ্নিত করতে বিজ্ঞানীরা একে নোভেল বা নতুন করোনাভাইরাস নামে ডাকছেন। অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে দেখলে মুকুটের মতো স্পাইক বা কাটা থাকে বলে এদের করোনাভাইরাস নামকরণ করা হয়েছে। চীনের উনান প্রদেশের একটি রেলস্টেশনকে জীবাণুমুক্ত করছে স্বেচ্ছাসেবীরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) একে প্রাথমিকভাবে ২০১৯-এনকভ নামে ডাকার সুপারিশ করেছে- যার মধ্যে এটি কোন সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল অর্থাৎ ২০১৯ এবং "এন" দিয়ে নোভেল বা নিউ বা নতুন বোঝায় এবং "কভ" দিয়ে করোনাভাইরাস বোঝায়। তবে এটাই চূড়ান্ত নয়। "বর্তমানে এটির যে নাম আছে তা ব্যবহার সহজ নয় এবং জনগণ এবং মিডিয়া এর অন্য নাম ব্যবহার করছে," বলেন ডা. ওয়াটসন। "আনুষ্ঠানিক নাম না থাকার সমস্যা হচ্ছে মানুষ এটাকে চায়না ভাইরাস বলে ডাকতে শুরু করে, আর এটা নির্দিষ্ট জনগণের জন্য নেতিবাচক হতে পারে।" সোশ্যাল মিডিয়ায় অনানুষ্ঠানিক নাম দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং পরে তা আর পরিবর্তন করাটা কঠিন হয়ে পড়ে, তিনি বলেন। করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী? জরুরী ভিত্তিতে ভাইরাসটির আনুষ্ঠানিক নামকরণ করার দায়িত্ব ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অন ট্যাক্সোনমি অব ভাইরাসেস-আইসিটিভি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের। এর আগের প্রাদুর্ভাবটি এই দলটির জন্য সতর্কতামূলক উদাহরণ ছিল। ২০০৯ সালে এইচওয়ানএনওয়ান ভাইরাসের নাম দেয়া হয়েছিল "সোয়াইন ফ্লু"। এর কারণে মিশর তাদের সব শুকর মেরে ফেলেছিল, যদিও ভাইরাসটি শুকরের মাধ্যমে নয় বরং মানুষের মাধ্যমে ছড়ায়। আনুষ্ঠানিক নাম অনেক সময় সমস্যাও তৈরি করে। ২০১৫ সালে মার্স (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) নামেরও সমালোচনা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। "আমরা দেখেছি যে কিছু কিছু রোগের নামে নির্দিষ্ট কোন ধর্মের বা নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের জন্য নেতিবাচকতা উস্কে দেয়, যার কারণে ভ্রমণ, ব্যবসা-বাণিজ্যে অন্যায় আচরণের মুখে পড়ে তারা, আর অনেক সময় পশু-পাখিদের হত্যাও করা হয়," এক বিবৃতিতে একথা বলে সংস্থাটি। যার কারণে, এটি নীতিমালা প্রণয়ন করে। এই নীতিমালা অনুযায়ী, নতুন করোনাভাইরাসের নামকরণের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় থাকা উচিত নয় সেগুলো হচ্ছে: •ভৌগলিক অবস্থান •মানুষের নাম •জীবজন্তুর নাম বা খাদ্যদ্রব্যের নাম •নির্দিষ্ট কোন সংস্কৃতি বা শিল্পের উদ্ধৃতি এতে বলা হয় যে, নামটি হবে ছোট কিন্তু বর্ণনামূলক- যেমন সার্স (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) কিন্তু নামটি নির্ধারণের জন্য একটি সম্পর্ক বা হুকও দরকার, বলেন বেঞ্জামিন নিউম্যান যিনি ভাইরোলজির একজন অধ্যাপক। আইসিটিভির ১০ সদস্যের গবেষক দলের মধ্যেও তিনি একজন যারা নাম ঠিক করার দায়িত্বে রয়েছেন। "অন্য সব নামের তুলনায় এটি বলতে সহজ হতে হবে।" করোনাভাইরাস নিরাপত্তায় যে সতর্কতা প্রয়োজন দুই সপ্তাহ আগে এই দলটি নাম নির্ধারণের জন্য আলোচনা শুরু করে এবং শেষ মেষ দুই দিনের আলোচনার পর তারা একটি নামের বিষয়ে নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছান, বলেন অধ্যাপক নিউম্যান যিনি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এএন্ডএম ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রধান। তারা এখন নামটি প্রকাশের জন্য একটি বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নালে জমা দিচ্ছে এবং আশা করা হচ্ছে যে, কয়েক দিনের মধ্যেই এটি ঘোষণা করা হবে। জনগণের বোঝাপড়া ছাড়াও আইসিটিভি আশা করছে যে এটির প্রতিষেধক আবিষ্কারের গবেষণায় এটি গবেষকদের সময় বাঁচাবে এবং ঝামেলা কমাবে। "ভবিষ্যতে দেখবো যে আমরা ঠিক নামটি দিতে পেরেছি কিনা," বলেন অধ্যাপক নিউম্যান। "আমার মতো কারো ক্ষেত্রে, একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাইরাসের নামকরণে সহায়তা করতে পারাটা দীর্ঘস্থায়ী এবং পুরো কর্মজীবনের কাজের চেয়ে অনেক বেশি সহায়ক। এটা খুব বড় একটা দায়িত্ব।" | It has infected thousands of people, closed borders and put parts of China into lockdown. But the virus causing the outbreak of illness does not yet have a proper name. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে নরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার হিউস্টনে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ উপস্থিত হওয়া র্যালিটিকে 'ঐতিহাসিক ঘটনা' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন মি. ট্রাম্প। ইভেন্টটির শিরোনাম ছিল 'হাউডি মোদী', যেটিকে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো বিদেশি নেতাকে সংবর্ধনা জানানোর অন্যতম বৃহত্তম আয়োজন হিসেবে বলা হচ্ছে। মি. মোদী ও মি. ট্রাম্প স্টেজে ওঠার আগে ৪০০ জন পারফর্মার ৯০ মিনিট স্টেজে বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। মি. ট্রাম্প দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আমেরিকার সবচেয়ে মহান, একনিষ্ঠ ও সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধুদের একজন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাকে টেক্সাসে পেয়ে আমি রোমাঞ্চিত।" মি. মোদী তার বক্তব্যে বলেন হোয়াইট হাউজে 'ভারতের একজন সত্যিকারের বন্ধু' রয়েছে। মি. ট্রাম্পকে 'উষ্ণ, বন্ধুবৎসল, তেজদীপ্ত ও রসবোধসম্পন্ন' বলে প্রশংসা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এই র্যালি দুই নেতার জন্যই ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাত ধরে অনুষ্ঠানে স্টেজে ওঠেন মোদী ও ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য এটি ছিল ভারতীয়-আমেরিকান নাগরিকদের আস্থা অর্জনের একটি সুযোগ। ঐ নির্বাচনে টেক্সাসে কঠিন লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সাথে নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাত ও দুই নেতার আন্তরিক ছবির মাধ্যমে ভারতের অভ্যন্তরে নেয়া সাম্প্রতিক কঠোর নীতির বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া সমালোচনা হয়তো কাটিয়ে উঠতে পারবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রে সপ্তাহব্যাপী এই সফরের প্রধান উদ্দেশ্য বাণিজ্য বিষয়ক আলোচনা এবং জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেয়া। হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে ডোনাল্ড ট্রাম্প নরেন্দ্র মোদীর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং মন্তব্য করেন যে তিনি ভারত ও ভারতের মানুষের জন্য 'ব্যতিক্রমী' অবদান রেখেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভারতীয়-আমেরিকান সম্প্রদায়ের প্রতি মি. ট্রাম্প বলেন, "আমরা আপনাদের আমেরিকান নাগরিক হিসেবে পেয়ে গর্বিত।" অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিল ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ তবে কাশ্মীরের প্রতি কঠোর নীতি অবলম্বন করায় এ সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় মি. মোদী কিছুটা রুক্ষ অভ্যর্থনা পেতে পারেন। অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের উত্তেজনার সাথে কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের সীমান্তে চলমান অস্থিরতার তুলনা করেন। মি. ট্রাম্প বলেন, "ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র বোঝে যে নিজেদের মানুষকে নিরাপদ রাখতে, আমাদের সীমান্তে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।" | US President Donald Trump and Indian Prime Minister Narendra Modi exchanged warm words of friendship in Texas at a rare mass rally for a foreign leader. |