instruction
stringclasses 5
values | input
stringlengths 230
19.6k
| output
stringlengths 40
405
|
---|---|---|
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | শনিবার মস্কোতে আয়োজিত বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে হাজার হাজার মানুষ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীরা যেন অংশগ্রহণ করতে পারে, সেই দাবিতে হয় এই বিক্ষোভ। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সক্ষমতা অর্জন করতে জন্য অন্তত ৫০০০ মানুষের স্বাক্ষর জড়ো করতে হয়, যা বিরোধী প্রার্থীরাই জোগাড় করেছে । সবচেয়ে প্রভাবশালী বিরোধী নেতা অ্যালেক্স নাভালনিসহ অন্যান্য বিরোধী দলীয় নেতারাও সমর্থকদের সাথে বিক্ষোভে যোগ দেন। বিরোধী দলের অন্তত ৩০ জন প্রার্থীকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশাসনের কাছে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন যে, প্রশাসনবিরোধী নেতাদের পক্ষে জড়ো করা সমর্থকদের স্বাক্ষর, যে পদ্ধতিতে যাচাই করে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে - তা ভুল। সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে যেন বিরোধী নেতাদের অংশ নিতে দেয়া হয় সে দাবিতে বিক্ষোভ করছে বিক্ষোভকারীরা আরও পড়তে পারেন: নাভালনি কি পুতিনকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন? যেদিন প্রেসিডেন্ট পুতিন প্রকাশ্যে কেঁদেছিলেন কোরিয়া যুদ্ধে '২১ দিনে মারা যাবে ২০ লাখ লোক' বিক্ষোভ সমাবেশে মি. নাভালনি বলেন, "আমরা তাদের দেখিয়ে দেবো যে এটি একটি বিপজ্জনক খেলা। আমরা আমাদের প্রার্থীদের জন্য লড়াই করবো।" তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন যে প্রার্থীদের নির্বাচনের জন্য রেজিস্টার না করা হলে আগামী সপ্তাহে এর চেয়ে বড় পরিসরে বিক্ষোভ আয়োজন করা হবে। এরই মধ্যে লিউবিয়ভ সোবোল নামের এক নারী প্রার্থী নির্বাচনে মনোনয়নের আবেদন বাতিল হওয়ার প্রতিবাদে গত এক সপ্তাহ ধরে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। ফেসবুকে বিক্ষোভের আয়োজকরা জানিয়েছে যে তারা 'দুর্বৃত্ত, জালিয়াত, প্রতারক এবং চোর মুক্ত' রাশিয়ার জন্য বিক্ষোভ করছে। বিক্ষোভকারীরা 'জালিয়াত' মুক্ত রাশিয়া তৈরি করতে চায় যদিও এই বিক্ষোভ র্যালি আয়োজনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনই অনুমতি দেয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়ার দাবিতে হওয়া এক বিক্ষোভ র্যালি থেকে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গত সপ্তাহে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাশিয়ায় ব্যাপকহারে দুর্নীতি বৃদ্ধি এবং জীবনযাত্রার মান নামতে থাকার কারণে সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে; এসব কারণে প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রতি মানুষের সমর্থনও কিছুটা কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। | More than 20,000 protesters have gathered in Moscow demanding free and fair elections in the Russian capital. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ইয়েমেনে ইউএই সমর্থিত একজন মিলিশিয়া। পাশের দেয়ালে আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শেখ জায়েদ আল নাহিয়ানের ছবি। এ বছর মঙ্গল গ্রহে রকেট পাঠিয়েছে তারা। বিতর্কের তোয়াক্কা না করে আরবদের চিরশত্রু ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছে। যেভাবে করোনাভাইরাস সামলেছে, তা নিয়েও প্রশংসিত হচ্ছে দেশটি। শুধু যে সংক্রমণ দ্রুত আটকেছে তা-ই নয়, কারখানায় রাতারাতি উপযুক্ত যন্ত্র বসিয়ে সংক্রমণ নিরোধক পোশাক (পিপিই) তৈরি করে বিমান ভরে ভরে তা অন্য দেশে পাঠিয়েছে। সেই সাথে, ইয়েমেনে ইরানের প্রভাব এবং সোমালিয়া ও লিবিয়ায় তুরস্কের প্রভাব খর্ব করতে ওই দেশগুলোর গৃহযুদ্ধে সম্পৃক্ত হতে পেছপা হয়নি ইউএই। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈদেশিক নীতি যে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গবেষক এবং বিশ্লেষকদের বিশেষ দৃষ্টি কাড়ছে, তাতে সন্দেহ নেই। ইসরায়েলের সাথে চুক্তিকে ট্রাম্প বললেন 'নতুন মধ্যপ্রাচ্যের ভোর' ইসরায়েলের সাথে শান্তিচুক্তি: আমিরাত ও বাহরাইনের পর কি সৌদি আরব? মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ ড. নায়েল শামা সম্প্রতি রয়টারস বার্তা সংস্থায় তার এক বিশ্লেষণে লিখেছেন, কয়েক বছর আগে পর্যন্তও ক্ষুদ্র জনসংখ্যার ছোট যে উপসাগরীয় দেশটির বিশ্ব পরিসরে বলার মত তেমন কোনো ভূমিকাই ছিল না, সেই দেশটির ‘বিশাল উচ্চাভিলাষ‘ নিয়ে গভীর আগ্রহ তৈরি হয়েছে। লক্ষ্য কী তাদের? স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন তাদের এই উচ্চাভিলাষ? এ প্রসঙ্গে বিবিসি'র প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংবাদদাতা ফ্রাঙ্ক গার্ডনার তার এক রিপোর্টে ২১ বছর আগের কসোভো যুদ্ধ চলার সময় তার এক অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেছেন। ‘১৯৯৯ সালের মে মাস তখন। কসোভোর যুদ্ধ এক বছর গড়িয়েছে। আলবেনিয়া-কসোভো সীমান্তে একটি অস্থায়ী শরণার্থী শিবির স্থাপন করেছে আমিরাত রেড ক্রিসেন্ট। ওই শিবিরে তারাই দুবাই-আবুধাবি থেকে রান্নার লোক, হালাল মাংসের জন্য কসাই, টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার, এমনকি একজন ইমামও উড়িয়ে নিয়ে এসেছে। আমিরাতের সৈন্যরাই ভারী অস্ত্র, সাঁজোয়া যান নিয়ে শিবির টহল দিচ্ছে।‘ আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানা থেকে আগের দিন যে হেলিকপ্টারে করে বিবিসির ওই সংবাদদাতা সীমান্তের শিবিরটিতে আসেন, তার চালক ছিলেন আমিরাতের বিমান বাহিনীর এক পাইলট। “শিবিরের বাথরুমে পাশের বেসিনে লম্বা, দাড়িওয়ালা যিনি দাঁত ব্রাশ করছিলেন, তাকে সাথে সাথেই চিনতে পারলাম। তিনি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ (দেশটির বর্তমান যুবরাজ)। ব্রিটিশ রয়াল মিলিটারি একাডেমীর স্নাতক। তখন থেকে তিনিই তার দেশের সামরিক ভূমিকা বাড়ানোর পেছনে মুখ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন।“ খুব ইচ্ছা না থাকলেও বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন শেখ মোহাম্মদ। তিনি জানিয়েছিলেন, ফ্রান্সের সাথে তারা একটি সামরিক কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি করেছেন। চুক্তি অনুযায়ী, ৪০০ ফরাসী ট্যাংক কিনবে ইউএই। বদলে, ফরাসীরা আমিরাত সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেডকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ফরাসী সৈন্যদের সাথে কসোভোতে মোতায়েন করবে।। “যে দেশটির তখনও স্বাধীনতার ৩০ বছর হয়নি, তাদের এমন উদ্যোগ সত্যিই সাহসী ছিল,“ বলছেন ফ্রাঙ্ক গার্ডনার। ইউএই বিমান বাহিনীর মিরেজ-২০০০ যুদ্ধবিমান আবুধাবি থেকে কসোভোর দূরত্ব ২,০০০ মাইল। এত দূরে ছোট একটি উপসাগরীয় রাজতন্ত্রের এই সামরিক উচ্চাভিলাষে বিস্মিত হয়েছিলেন অনেকেই। কসোভোর পরই আফগানিস্তান ইউএই ছিল প্রথম কোনো আরব দেশে যারা নেটো বাহিনীর সমর্থনে ইউরোপে সেনা মোতায়েন করেছিল। এরপর আসে আফগানিস্তান। তালেবানের পতনের পরপরই আমিরাতি সৈন্যরা যে নেটো বাহিনীর সঙ্গী হয়, তা অনেকদিন পর্যন্ত বাকি বিশ্ব তেমন জানতোই না। আমিরাতিরা তখন আফগানিস্তানে স্কুল করে দিয়েছে, মসজিদ বানিয়েছে, খাবার পানির জন্য কুয়ো খুঁড়ে দিয়েছে। “আফগানিস্তানে আমিরাতের তেমন বড় কোনা সামরিক ভূমিকা ছিল না। কিন্তু তারা টাকা-পয়সা এবং ধর্মকে কাজে লাগিয়ে নেটো সৈন্যদের প্রতি স্থানীয় মানুষজনের ক্রোধ-সন্দেহ অনেকটাই প্রশমিত করতে সাহায্য করেছে,“ বলছেন ফ্রাঙ্ক গার্ডনার। ‘ক্ষুদ্র, কিন্তু নির্ভীক‘ মাত্র এক কোটি মানুষের ছোট একটি দেশের মধ্যে এই সামরিক অভিলাষ দেখে সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস মাতিস ইউএইর নাম দিয়েছিলেন ‘লিটল স্পার্টা‘ বা ক্ষুদ্র, কিন্তু নির্ভীক। তারপর গত ২০ বছরে, বিশেষ করে গত এক দশকে, ইউএই'র রাজনৈতিক এবং সামরিক অভিলাষের ডানা অনেকটাই বিস্তৃত হয়েছে। আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক একটি ব্যবসা কেন্দ্র হয়ে ওঠার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে একটি বড় সামরিক শক্তি হয়ে উঠেছে ইউএই। আরব বসন্তের টালমাটাল অবস্থার পরপরই ইউএই মধ্যপ্রাচ্যের নানা জায়গায় প্রকাশ্যে মাথা গলাতে শুরু করে। এখন লোহিত সাগর অঞ্চল এবং পূর্ব আফ্রিকাতেও তাদের ভূমিকা স্পষ্ট হচ্ছে। ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের সমঝোতা: 'আমাদের পিঠে ছুরি মারা হয়েছে' ড. নায়েল শামা লিখেছেন, হর্ন অফ আফ্রিকা অঞ্চলের কয়েকটি দেশে ইউএই অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক খেলোয়াড় হয়ে উঠেছে। প্রধানত আর্থিক সুযোগ সুবিধে দিয়ে তারা কিছু দেশে ‘কিংমেকার‘ হয়েছে, অর্থাৎ তাদের পছন্দমত সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে। আবার অনেক জায়গায় ‘পিসমেকারের‘ ভূমিকা নিচ্ছে তারা। সম্প্রতি ইথিওপিয়া এবং এরিত্রিয়ার মধ্যে দুই দশকের বিরোধ ঘোচানোর পেছনে ইউএই'র বড় ধরণের ভূমিকা ছিল। একই সাথে, ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব এবং বাণিজ্যিক স্বার্থে লোহিত সাগর এলাকার অর্থাৎ মিশর, ইয়েমেন, সোমালিয়া ও সৌদি আরবের চারটি বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে ইউএই সরকারের দুবাই-ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। আফগানিস্তানে ইউএই স্পেশাল ফোর্স ইয়েমেন, এরিত্রিয়া এবং সোমালিল্যান্ডে ছোটোখাটো সামরিক ঘাঁটিও স্থাপন করেছে ইউএই। তাদের সামরিক এবং রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা এখন আর চেপে রাখতেও চাইছে না ইউএই। এক সাক্ষাৎকারে আমিরাতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আনোয়ার গারগাস বিবিসিকে বলেন, “আমরা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ হতে চাই। বিশ্বে ভূমিকা রাখতে চাই।“ তিনি বলেন, সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য "ঝুঁকি নিতে হলেও আমরা তা নেব।" অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন, আরব এবং মুসলিম বিশ্বের বিরাট একটি অংশের রক্তচক্ষুকে পাত্তা না দিয়ে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পিছেনে আমিরাতের অন্যতম উদ্দেশ্য অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং গোয়েন্দা প্রযুক্তি জোগাড় করা। কেন এই আকাঙ্ক্ষা কিন্তু যেখানে তারা নিজেরাই এক ধরনের ঝুঁকির আশঙ্কা করছে, তারপরও ক্ষুদ্র এই রাষ্ট্রটি মধ্যপ্রাচ্য এবং তার বাইরেও তাদের আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করতে শুরু করেছে? অধিকাংশ পর্যবেক্ষক মনে করেন, এই উচ্চাভিলাষের পিছেনে মূল তাড়না একটি - ‘রাজনৈতিক ইসলামের‘ ব্যাপারে আমিরাত শাসকদের, বিশেষ করে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদের, চরম বিরাগ এবং ভীতি। ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন সম্পর্কে আরব বিশ্ব, কতটা রয়েছে ফিলিস্তিনিদের জন্য আবেগ-সমর্থন সে কারণেই ইউএই মিশরে ২০১৩ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মোরসি সরকারের বিরুদ্ধে সেনাঅভ্যুত্থানে মদত দিয়েছে। তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্র সরকার মুসলিম ব্রাদারহুড-সমর্থিত সরকারকে মেনে নিলেও ইউএই তাদের সরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। লিবিয়ায় তারা জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারকে উৎখাতে মিলিশিয়া নেতা খলিফা হাফতারকে সাহায্য করছে। কাতারের বিরুদ্ধে ইউএই‘র প্রধান অভিযোগ যে তারা মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামপন্থীদের সাহায্য করছে। আর মূলত সে কারণেই কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধে তারা সৌদি আরবের সঙ্গী হয়। ড. নায়েল শামা মনে করেন, ইসলামী জঙ্গিবাদকে ইউএই'র শাসকরা অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসাবে দেখে, এবং পূর্ব আফ্রিকায় তাদের সামরিক এবং রাজনৈতিক তৎপরতার প্রধান লক্ষ্যই হলো এই ইসলামী জঙ্গিবাদ দমন। এ বছরই মঙ্গল গ্রহে রকেট পাঠিয়েছে আরব আমিরাত পূর্ব আফ্রিকায় ইউএই'র প্রধান প্রধান টার্গেট হলো বোসাও-ভিত্তিক আল ইত্তেহাদ আল-ইসলামী, এরিত্রিয়ার ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্ট, সুদানের তাকফির ওয়াল হিজরা এবং সোমালিয়ার আল-শাবাব। তুরস্কের সাথে টক্কর এমন কি তুরস্কের এরদোয়ান সরকারের সাথে টক্কর দিতে পিছপা হচ্ছে না ইউএই। এ মাসেই তারা গ্রীসের ক্রিট দ্বীপে গ্রীক সেনাবাহিনীর সাথে যৌথ মহড়ার জন্য যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। ভূমধ্যসাগরের জ্বালানি অনুসন্ধানের অধিকার নিয়ে গ্রীস ও তুরস্কের মধ্যে যখন তীব্র উত্তেজনা চলছে, সেই সময়ে গ্রীসের সাথে এই যৌথ সামরিক মহড়াকে তুরস্ক উস্কানি হিসাবেই দেখছে। সামলাতে পারবে ইউএই? তবে ইউএই খুব দ্রুত এগুতে চাইছে কি-না, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন রয়েছে। উপসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল স্টিভেন্স বিবিসিকে বলেন, “কোনো সন্দেহ নেই ইউএই এখন আরব বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকরী সামরিক শক্তি। তারা যেভাবে যত দ্রুত দেশের বাইরে সেনা মোতায়েন করতে পারে, সেটা অন্য কোনো আরব দেশ এখনও চিন্তাই করতে পারে না।“ কিন্তু, তিনি বলেন, দেশটি খুবই ছোট এবং সক্ষমতারও অনেক ঘাটতি রয়েছে। “ফলে এক সাথে অনেক সমস্যায় হাত দিলে তারা ঝুঁকিতে পড়বে, এবং দীর্ঘমেয়াদে হিতে বিপরীত হতে পারে।“ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা: কার জন্য কী? পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্ভাব্য সামরিক সংঘর্ষকে ইউএই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করে। আর সে কারণেই, ইরান বিরোধী জোটে অবস্থান নিয়েও ইউএই সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্নভাবে ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা ইরানের সাথে সরাসরি কোনো বিরোধে জড়াতে অনিচ্ছুক। তাদের ভৌগলিক অবস্থান, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং বিদেশীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসাবে যে সুনাম তারা প্রতিষ্ঠা করেছে, তাতে নিজের ওপর সংঘাতের যেকোন আঁচের সম্ভাবনা নিয়েও শঙ্কিত ইউএই। ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও যুদ্ধ হলে সংঘর্ষের সম্ভাব্য কেন্দ্র হবে যে এলাকা, সেই হরমুজ প্রণালীর সাথেই আমিরাতের উপকূল। ইয়েমেনে ত্রাণ বিতরণ করছে আমিরাতের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের এলিজাবেথ ডিকিনসন সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকাকে বলেন, “তাদের এলাকায় স্থিতিশীলতা রক্ষার বিষয়ে ইউএই'র বিরাট স্বার্থ রয়েছে। তাদের অবকাঠামোর ওপর কোনও হুমকি তাদের জন্য দুঃস্বপ্ন। অঞ্চলটির সবচেয়ে শক্ত অর্থনীতি বলে তাদের যে সুনাম, যে আস্থা, তা ধসে পড়বে।“ ইউএই'তে বাস করা মানুষের ৯০ শতাংশই বিদেশী। তারাই দেশটির সব ধরণের অবকাঠামো নির্মাণ এবং দেখাশোনা করে। অনিরাপত্তার কারণে বিদেশীরা চলে যেতে শুরু করলে ইউএই অচল হয়ে পড়বে। সে কারণেই ইরানের সরাসরি সমালোচনা থেকে বিরত থাকে ইউএই। গত বছর জুনে যখন ইউএই'র উপকূলের কাছে সৌদি একটি তেলের ট্যাংকারে বিস্ফোরণ হয়, তখনও তারা যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সাথে গলা মিলিয়ে ইরানকে দায়ী করতে রাজী হয়নি। পরে যুক্তরাষ্ট্র যখন পারস্য উপসাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠায়, ঠিক সেই সময়ে হরমুজ প্রণালীর নিরাপত্তা নিয়ে ইউএই তেহরানে একটি প্রতিনিধিদল পাঠায়, যে পদক্ষেপ মার্কিনীরা পছন্দ করেনি। অব্যাহত যুদ্ধে ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়ার মত আরব বিশ্বের এক সময়কার বড় বড় শক্তিধর দেশগুলোর দুর্বলতায় মধ্যপ্রাচ্যে শক্তির যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা পূরণে তৎপর হয়েছে ইউএই। নিজেদের অসামান্য অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, ইরান নিয়ে ভীতি, জঙ্গি ইসলাম নিয়ে উদ্বেগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভূ-রাজনৈতিক নীতির কারণেও ইউএই'র মধ্যে আঞ্চলিক পরাশক্তি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা দিনকে দিন বাড়ছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: যে সাতটি দেশে এখন বাংলাদেশি কর্মীরা সবচেয়ে বেশি যায় বায়োফ্লক: নতুন যে পদ্ধতি বাংলাদেশে দ্রুত বাড়াতে পারে মাছের উৎপাদন কীভাবে একজন স্বৈরশাসককে ক্ষমতা থেকে সরানো যায় | 2020 has been quite a year for the United Arab Emirates - the small but super-rich and mega-ambitious Gulf nation. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | গোটাবায়া রাজাপাকসে তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাজিথ প্রেমাদাসা পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন, এবং সোমবারই হয়তো গোটাবায়া রাজাপাকসে শপথ নিতে যাচ্ছেন। মি. রাজাপাকসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী থাকার সময় তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের যেভাবে দমন করেছিলেন তা নিয়ে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ উঠেছিল। তাকে নিয়ে শ্রীলংকার মুসলিমদের মধ্যেও ভয়-উদ্বেগ আছে। কিন্তু একজন বিতর্কিত রাজনীতিবিদ হয়েও কেন বিজয়ী হলেন তিনি? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গেলে দেখা যাবে, এই নির্বাচনকে ঘিরে শ্রীলংকার জনগণের মধ্যে বিভক্তি ছিল স্পষ্ট । বিশ্লেষকরা বলছেন, মি. রাজাপাকসে সিংহলী সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় বেশি ভোট পেয়েছেন, অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী মি. প্রেমাদাসার জনপ্রিয়তা ছিল সংখ্যালঘু তামিল ও মুসলিমদের মধ্যে। কিন্তু নির্বাচনের আংশিক ফল বেরুনোর পরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে গোটাবায়া রাজাপাকসেই বিজয়ী হতে যাচ্ছেন। গোটাবায়া রাজাপাকসে শ্রীলংকার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সিংহলীদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। তার ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে প্রায় দশ বছর শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন, এবং শ্রীলংকায় তামিলদের সঙ্গে গৃহযুদ্ধ অবসানের কৃতিত্ব দেয়া হয় তাদের। সেসময় গোটাবায়া রাজাপাকসে ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের যেরকম কঠোর এবং নিষ্ঠুরভাবে তিনি দমন করেছিলেন, সেজন্যে তিনি বেশ বিতর্কিত। রাজপাকসে ভাইয়েরা প্রেসিডেন্ট ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী থাকার সময় কয়েকদশকব্যাপি চলা তামিল টাইগার বিদ্রোহ দমন করা হয় - যে যুদ্ধে সব মিলিয়ে এক লক্ষ লোক নিহত হয়েছিল। তা ছাড়াও ২০০৫ থেকে ২০১৫-র মধ্যে সরকার-সমালোচক সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন, তামিলসহ হাজার হাজার মানুষের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লংঘনেরও অভিযোগ ওঠে - কিন্তু গোটাবায়া রাজাপাকসে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে 'ভিত্তিহীন' বলে উড়িয়ে দেন। এবারের নির্বাচনী প্রচারাভিযানেও মি. রাজাপাকসে নিরাপত্তার বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তার বিজয়ে শ্রীলংকার সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলিরা বেশ উৎফুল্ল। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: লাভের জন্য আগাম পেঁয়াজ তুলছেন কৃষকেরা আরামকোর দাম দেড় লক্ষ কোটি ডলার ছাড়িয়ে হোলি আর্টিজান হামলা মামলার রায় ২৭শে নভেম্বর সাজিথ প্রেমাদাসা সাংবাদিকদেরকে একজন ভোটার বলেন, তিনি সবসময়ই চেয়েছিলেন মি. রাজাপাকসেই যেন প্রেসিডেন্ট হন। আরেকজন বলেন, মিস্টার রাজাপাকসে শ্রীলংকার নিরাপত্তার ব্যাপারে যেসব অঙ্গীকার করেছেন, তার সঙ্গে তিনি একমত বলেই তিনি তাকে সমর্থন দিয়েছেন। গত এপ্রিলে শ্রীলংকায় এক ভয়ংকর সন্ত্রাসবাদী হামলার পর এটি ছিল শ্রীলংকায় প্রথম নির্বাচন। ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সম্পর্কিত জঙ্গিরা শ্রীলংকার গির্জা এবং অভিজাত হোটেলগুলোকে টার্গেট করে এই হামলা চালিয়েছিল, যাতে নিহত হয় আড়াইশোর বেশি মানুষ। শ্রীলংকার মুসলিমরা অভিযোগ করেন যে গত সাত মাস ধরে দেশটিতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে একটা ঘৃণা ছড়ানোর অভিযান চলছে, এবং এর পেছনে ছিল কট্টরপন্থী বৌদ্ধ গোষ্ঠীগুলো। বিবিসির জিল ম্যাকগিভারিং বলছেন, শ্রীলংকার মুসলিমরা আড়ালে স্বীকার করেন যে তারা রাজাপাকসের বিজয়ের সম্ভাবনায় ভীত ছিলেন, কারণ তার বিরুদ্ধে মুসলিমবিরোধী উগ্রপন্থীদের সুরক্ষা দেবার অভিযোগ আছে। মুসলিমরা এমনও আশংকা করেছিলেন যে রাজাপাকসে জিতলে সহিংসতা ও বর্ণবাদ বেড়ে যাবে। অবশ্য নির্বাচনের ফল বেরুনোর পর মি. রাজাপাকসে এক টুইটে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, শ্রীলংকার ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষ এই নতুন যাত্রার সাথী। মি. রাজাপাকসে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এখন নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কী ধরনের ব্যবস্থা নেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকবেন অনেকে। অন্যদিকে সাজিথ প্রেমাদাসা ভালো করেছেন তামিল সংখ্যাগরিষ্ঠ উত্তরাঞ্চলে। তিনি জোরালো সমর্থন পেয়েছিলেন তামিল এবং মুসলিমদের কাছ থেকে। কিন্তু শ্রীলংকার বর্তমান সরকারের সঙ্গে মি. প্রেমাদাসার সম্পর্ক তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছিল। শ্রীলংকা গত কিছুদিন ধরে যে অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে দেশটিকে স্থিতিশীল করতে মি. রাজাপাকসে ভূমিকা রাখবেন বলে তার সমর্থকরা আশা করছেন। মি. রাজাপাকসে আরও বলেছিলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হলে তিনি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করবেন। চীনের কাছে শ্রীলংকা যেরকম ঋণগ্রস্ত, সেটি নিয়ে দুদেশের সম্পর্কে বেশ টানাপোড়েন চলছে। শ্রীলংকার রাজনীতিতে এটি বেশ স্পর্শকাতর বিষয়। সে কারণে বিশ্লেষকদের মতে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের কাজটি সহজ হবে না, বিশেষ করে যখন তাকে ভারতের সঙ্গেও একটি ভারসাম্যপূর্ণ বজায় রাখতে হবে। আরো পড়তে পারেন: শ্রীলংকা গৃহযুদ্ধ: এক সময়ের শত্রু এখন স্বামী-স্ত্রী মহিন্দা রাজাপাকশের বিদায়ের পর শ্রীলংকা | Sri Lanka's former wartime defence chief Gotabaya Rajapaksa has won a presidential election that has split the country along ethnic lines. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | আহতদের হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিয়ের অনুষ্ঠান স্থলে একজন আত্মঘাতী হামলাকারী নিজের শরীরে থাকা বিস্ফোরণ দিয়ে উড়িয়ে দেয়। শহরের পশ্চিমে শিয়া অধ্যুষিত একটি এলাকায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে তালেবান এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে এবং অন্য আর কেউ এ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। যদিও কথিত ইসলামিক স্টেট গ্রুপ ও তালেবানসহ সুন্নি মুসলিম জঙ্গিরা বিভিন্ন সময়ে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে অতীতে বিভিন্ন সময় হামলা চালিয়েছিল। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে বিয়ের অনুষ্ঠান স্থলে মৃতদেহগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আফগানিস্তানে বিয়েতে অনেক অতিথি থাকে ও তারা একটি বড় হলঘরে সমবেত হয় যেখানে পুরুষদের থেকে নারী ও শিশুরা আলাদা অবস্থানে থাকে। বিয়েতে আসা একজন অতিথি মোহাম্মদ ফারহাদ বলছেন পুরুষরা যেখানে অবস্থান করছিলেন সেখানে যখন প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় তখন তিনি ছিলেন নারী ও শিশুদের অবস্থানের কাছে। "সবাই চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বাইরে দৌঁড়ে বেরিয়ে যায়,"তিনি বলছিলেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে। "প্রায় বিশ মিনিট ধরে পুরো হলরুমটি ছিলো ধোয়ায় ভর্তি। পুরুষদের প্রায় সবাই হয় নিহত কিংবা আহত। ঘটনার দু ঘণ্টা পরেও সেখান থেকে মৃতদেহ নেয়া হচ্ছে"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের ১৭ বছরের সংকটের অবসান হবে? কাশ্মীর: হাসপাতালের রোগীরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ইসরায়েল ইস্যুতে বিতর্কে পড়া দুই নারী কংগ্রেস সদস্য কারা? যে ছয়টি কারণে আপনার বেতন বাড়তে পারে হাসপাতালের বাইরে স্বজনদের কান্না বিয়ের অনুষ্ঠানে কাজ করা একজন ওয়েটার সৈয়দ আগা শাহ। তিনি বলেন বিস্ফোরণের শব্দ শুনে সবাই দৌড় শুরু করে। "আমাদের বেশ কয়েকজন ওয়েটার নিহত বা আহত হয়েছে"। তালেবানদের একজন মুখপাত্র এক হামলার 'তীব্র নিন্দা' জানিয়েছে। মিডিয়ায় পাঠানো এক বার্তায় জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, "নারী ও শিশুদের টার্গেট করে এ ধরণের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই। এর আগে কী হয়েছিলো ? সর্বশেষ এ হামলার মাত্র দশদিন আগে কাবুল পুলিশ স্টেশনের কাছে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছিলো। সেই হামলার দায় স্বীকার করেছিলো তালিবান। শুক্রবার তালেবান নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার একজন ভাই পাকিস্তানের কোয়েটার কাছে একটি মসজিদে পেতে রাখা বোমায় নিহত হন। সেই হামলার দায় অবশ্য কেউ স্বীকার করেনি। দেশটিতে এখন চরম উত্তেজনা বিরাজ করছেন যদিও তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তির খুব কাছে বলে বলা হচ্ছে। কাতারের দোহায় দু পক্ষের প্রতিনিধিরা শান্তি আলোচনায় অংশ নিচ্ছে। | Burials are taking place in the Afghan capital, Kabul after a bomb exploded at a wedding hall killing 63 people and wounding more than 180. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, শনিবারের হামলা ছিল একটা যুদ্ধ ঘোষণা। প্রশ্ন হচ্ছে: এ নিয়ে কী ঐ দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যেতে পারে? যে মাত্রায় হামলার ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরব তা কোনমতেই এড়িয়ে যেতে পারবে না। এবং ইরানই যে ঐ হামলার জন্য দায়ী সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পর সৌদি আরবকে একটা পাল্টা জবাব দিতেই হবে। ঐ হামলার ঘটনাটি জাতিসংঘ এখন তদন্ত করে দেখছে। সেই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সৌদি সরকার সম্ভবত অপেক্ষা করবে। এর ফলে যে কোন পদক্ষেপ নেয়ার আগে সৌদি সরকার কিছুটা সময় হাতে পাবে। যদিও বিশেষজ্ঞরা সবাই একমত যে ইরানের বস্তুগত সাহায্য এবং নির্দেশনা ছাড়া ঐ হামলার ঘটনা ঘটানো অসম্ভব। বাজির খেলায় ইরান ইরানের তরফ থেকে ঐ হামলার দায়দায়িত্ব শুধু অস্বীকার করলেই যথেষ্ট হবে না। সৌদিরা বলছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দিক হিসেব করলে বোঝা যাবে সেটা ইয়েমেন থেকে আসতে পারে না। সৌদি আরব এবং তার মিত্র দেশগুলো বিশ্বাস করে যে ইরান এই বিষয়ে তাদের বাজির মাত্রা বাড়াতে চায় এই লক্ষ্যে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। গত বছর ইরানের সাথে একটি পরমাণু চুক্তি মি. ট্রাম্প একতরফা-ভাবে প্রত্যাহার করেন এবং নতুন করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ইরানের নেতারা আশা করছেন, পারস্য উপসাগরে যুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়লে বিশ্ব নেতারা টের পাবেন ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কতোটা বিপজ্জনক হতে পারে। ইরানের নেতারা আশা করছিলেন, পরমাণু চুক্তি পালন করার মধ্য দিয়ে এবং ঐ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ণ না করার শর্তে, ইরান ফ্রান্সের কাছ থেকে ১৫০০ কোটি ডলার ঋণ সুবিধে পাবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই পরিকল্পনায় সায় দেননি। শুধু তাই না, গত বুধবার মি. ট্রাম্প মার্কিন অর্থমন্ত্রীকে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়া নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে, ইরান এই বাজিতে দৃশ্যত হেরে গেছে বলেই মনে হচ্ছে। সৌদি আরবের ওপর যে মাত্রায় আঘাত হানা হয়েছে, তা ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনির অনুমোদন ছাড়া ঘটা অসম্ভব ছিল। গত সপ্তাহে মি. খামেনি যে ভাষণ দিয়েছেন তাতে সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগারে হামলার কোন কথা কিংবা ঐ অঞ্চলে যে কোন মুহূর্তে লড়াই বেধে যাওয়ার সম্ভাবনার কথার লেশমাত্র ছিল না। আয়াতোল্লাহ খামেনি বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে পর্যুদস্ত করতে চায়। সম্পর্কিত খবর: সৌদিতে হামলা: বাংলাদেশে তেল সঙ্কট তৈরি করবে? সৌদি তেল স্থাপনায় হামলা: ইরানকে দায়ী করলো যুক্তরাষ্ট্র এর বদলে, ঐ ভাষণে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যে কোন পর্যায়ে আলোচনাকে তিনি খারিজ করে দেন। তবে আজ হোক কাল হোক, আয়াতোল্লাহ খামেনিকে হয়তো তার অবস্থান পরিবর্তন করতে হতে পারে এবং আলোচনার টেবিলে ফিরে যেতে হতে পারে, ইরানের নরমপন্থী নেতারা যেটা আশা করছেন। ইরানের ভঙ্গুর অর্থনীতি ইরানের তেল রপ্তানি এখন শূন্যের কোঠায়। এর অর্থের মজুদ দ্রুত ফরিয়ে আসছে। এখন যা বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে তা দিয়ে মাত্র কয়েক মাস চলবে। ইরানি মুদ্রার মান কমে আসার ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ৪০%। এর ফলে ইরানিদের ক্রয়ক্ষমতা প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। তাই, অনেক ইরানির জীবনযাত্রাই এখন কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সৌদি সামরিক পদক্ষেপের বিপদ তাহলে ইরানকে হটিয়ে দিতে সৌদি আরব কী সামরিক ব্যবস্থা নিতে পারে? তেমন সম্ভাবনা কম বলেই মনে হচ্ছে। ইরানের জনসংখ্যা এখন ৮ কোটি। অন্যদিকে সৌদি আরবের জনসংখ্যা ৩.৩ কোটি। ড্রোন হামলায় জ্বলছে সৌদি আরবের আবকাইক তেল শোধনাগার। ইরান তার অস্ত্রভাণ্ডারে হাজার হাজার মিসাইল মজুদ রেখেছে। সৌদি তেল-ক্ষেত্র, শোধনাগার, সামরিক ঘাঁটি এবং জনবহুল শহরগুলো এর লক্ষবস্তুতে পরিণত হতে পারে। তুলনামুলকভাবে সৌদি আরবের অস্ত্রভাণ্ডারে শত শত চীনা মিসাইল থাকলেও তাদের মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ দুর্বল। সৌদি বিমান বাহিনীতে জঙ্গি বিমানের সংখ্যা ইরানের প্রায় সমান। তবে সৌদি বিমানগুলো বেশ আধুনিক এবং কার্যকর। অন্যদিকে ইরানের বিমান বাহিনীর জঙ্গি বিমানগুলো বেশ পুরনো এবং অদক্ষ। পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ইরানের মিত্ররা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সৌদি আরবের শিয়া জনগোষ্ঠীর সমর্থনও ইরান পাবে। ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরব ইতোমধ্যেই এক দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। এই যুদ্ধের জন্য তার প্রচুর অর্থব্যয় হচ্ছে। তবে যদি সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে কোন সরাসরি লড়াই শুরু হয়, তাহলে দু'পক্ষকেই নির্ভর করতে হবে বিমান বাহিনী এবং ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির ওপর। কিন্তু ঐ যুদ্ধে কোন পক্ষেরই নিরঙ্কুশ বিজয় হবে না। উপসাগর উত্তপ্ত হরমুজ প্রণালীতে চলছে তেলবাহী জাহাজের বহর। পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন সেনা, বিমান এবং নৌবহর মোতায়েন থাকলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোন দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে নারাজ। কারণ, লড়াই শুরু হলে মার্কিন সেনা-ঘাঁটি এবং নৌবহরগুলো ইরানি হামলার ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। এছাড়া, বিশ্বের সর্বমোট তেল চাহিদার এক পঞ্চমাংশ হরমুজ প্রণালী দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেটিও তখন যুদ্ধের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। যুদ্ধের পটভূমিতে মার্কিন নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসছে। এ পরিস্থিতিতে মার্কিন পেট্রোল পাম্পগুলোতে তেলে দাম হঠাৎ করে আকাশ-ছোঁয়া হয়ে গেলে মি. ট্রাম্পের আবার নির্বাচনে জেতার আশা কঠিন হয়ে পড়বে। সৌদি আরবের জন্য মার্কিন সমর্থন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মি. ট্রাম্প চাইছেন, এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে হবে সৌদি আরবকে এবং তাকে সাহায্য করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যে ব্যয় হবে সৌদি সরকার সেটি পুষিয়ে দিলেই তিনি খুশি। ইরানের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার প্রশ্নে সৌদি আরব তার দুই প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনকেও পাশে চায়। ইরানের সাথে সৌদি যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র তার ইয়োরোপীয় মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক সমর্থন চাইতে পারে। কিন্তু সমস্যা হলো ইয়োরোপীয় দেশগুলো মনে করে এখন ইরানকে ঘিরে যে পরিস্থিতি তার সূত্রপাত ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে মি. ট্রাম্পের সরে আসার একক সিদ্ধান্ত। ইরানের ভেতরে যার কট্টরপন্থী রয়েছেন তাদের এখনকার ভাবনা, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রশ্নে পদক্ষেপ না নিয়ে দেশকে আরেকটা যুদ্ধের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কৌশল আসলে কতোটা সুবিবেচকের কাজ হবে। বিবিসি বাংলায় আরও খবর: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেভাবে হুমকি হতে পারে ভারত একশো'র বেশি দেশ ঘুরেছেন যে অন্ধ পর্যটক | Saudi Arabia says it has evidence showing Iran sponsored Saturday's drone and missile attacks on two of its oil facilities, and called on the international community to take action. The question is whether there could be a war. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | পৃথিবীতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ কোটির বেশি গত বছরের ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম যখন 'অজানা' একটি ভাইরাস সংক্রমণের খবর প্রকাশিত হয়, তখন মানুষ ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করতে পারেনি যে সেই ভাইরাসটি পরের ৬ মাসের মধ্যে পুরো পৃথিবীকে ওলট পালট করে দেবে। শুরুর দিকে যখন ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার খবর প্রকাশিত হওয়া শুরু করে তখন বিশ্বের অধিকাংশ দেশের কর্তৃপক্ষই সংক্রমণটিকে ততটা গুরুত্বের সাথে নেয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে যখন লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা দুটোই বাড়তে থাকে, তখন পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটি দেশ বিভিন্ন রকম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে থাকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে। উহান শহরে উদ্ভূত ভাইরাসটি - যেটি বন্যপ্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হয় - এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে প্রায় ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে। ৩১শে ডিসেম্বর করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রথম জানা যাওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী ১ কোটি মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানো পর্যন্ত টাইমলাইন সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো। উহান শহরে উদ্ভূত ভাইরাসটি - যেটি বন্যপ্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হয় - এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে প্রায় ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে। ৩১শে ডিসেম্বর উহান মিউনিসিপাল কমিশন হুবেই প্রদেশের উহান শহরে নিউমোনিয়া রোগীদের একটি ক্লাস্টার শনাক্ত করার কথা জানায়। নতুন এক ধরণের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়। ৪ঠা জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইটে উহান শহরে নিউমোনিয়া রোগীদের একটি ক্লাস্টারের তথ্য প্রকাশ করে। ৫ই জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন ভাইরাসের মাধ্যমে একটি রোগ ছড়িয়ে পড়ার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ভাইরাস সম্পর্কে চীনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদনে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং ভাইরাস থেকে সতর্ক থাকা সংক্রান্ত কিছু উপদেশ লিপিবদ্ধ করা হয়। ১২ই জানুয়ারি চীন নভেল করোনাভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স প্রকাশ করে। ১৩ই জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার খবর জানা যায় থাইল্যান্ডে। ২২শে জানুয়ারি ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় - এই তথ্য প্রথমবার নিশ্চিত করে বিবৃতি দেয় চীনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দল। ২৩শে জানুয়ারি ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের শহর উহানকে চীনের মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। ৩০শে জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। ২রা ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপিন্সে। ততদিনে চীনে তিনশো'র বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে। ১১-১২ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের কারণে হওয়া রোগের আনুষ্ঠানিক নামকরণ করা হয় কোভিড-১৯। ততদিনে বিশ্বব্যাপী ১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় এই রোগে। ১৪ই ফেব্রুয়ারি ইউরোপে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয় ফ্রান্সে। ৭ই মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়ায়। ১১ই মার্চ করোনাভাইরাসকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ১৩ই মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা ঘোষনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৭ই মার্চ ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে একসাথে দেশব্যাপী লকডাউন জারি করে ফ্রান্স। ২৭শে মার্চ পৃথিবীর যে কোনো দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখন পর্যন্ত শনাক্তের হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি কোভিড-১৯ রোগী রয়েছে। ৩রা এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে ৫০ হাজার মানুষ মারা যায়। ৪ঠা এপ্রিল বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়ায়। ১১ই এপ্রিল কোভিড-১৯ এ মৃত্যু বেড়ে দাঁড়ায় এক লাখে। ২৩শে মে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লাখ ছাড়ায়। | Coronavirus has now infected more than four million people globally, according to data collected by Johns Hopkins University. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | কমনওয়েলথের প্রধান ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ বর্তমানে বিশ্বে মানুষের সংখ্যা সাতশো চল্লিশ কোটি। এর প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ, অর্থাৎ দুইশ চল্লিশ কোটি মানুষই কমনওয়েলথের আওতাভুক্ত দেশগুলোয় বাস করে। যাদের বেশিরভাগের বয়সই ত্রিশের নীচে। জনসংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় দেশ ভারত। এই সংখ্যার অর্ধেক মানুষই ভারতে বাস করে। আরো পড়তে পারেন: চাকরিতে কোটাঃ কী আছে বাংলাদেশের আইনে? দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ায় পশ্চিমা আক্রমণ কি আসাদকে দমাতে পারবে? ২. অনেক সদস্য দেশ কখনোই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অংশ ছিল না। ১৯৯৫ সালে মোজাম্বিক আর ২০০৯ সালে রোয়ান্ডা কমনওয়েলথের সদস্য হয়। কিন্তু দেশ দুটি কখনোই ব্রিটিশ কলোনি ছিল না। তবে কয়েকবার সংগঠনটি তাদের সদস্যও হারিয়েছে। নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে জিম্বাবুয়ের সদস্যপদ স্থগিত করা হলে, ২০০৩ সালে রবার্ট মুগাবে কমনওয়েলথ থেকে বেরিয়ে যান। রোয়ান্ডা কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশ হলেও কখনোই ব্রিটিশ সামাজ্যে ছিল না। বরং জার্মানি আর বেলজিয়ামের কলোনি ছিল ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের জেরে পাকিস্তানের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। তবে সাড়ে চার বছর পর তারা আবার সেই পদ ফেরত পান। বর্ণবাদ নিয়ে সমালোচনার জেরে ১৯৬১ সালে কমনওয়েলথ থেকে সরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯৪ সালে তারা আবার এর সদস্য হয়। সর্বশেষ মালদ্বীপ ২০১৬ সালে কমনওয়েলথ থেকে বেরিয়ে যায়। ৩. মাত্র ১৬টি দেশের প্রধান রানী ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ কমনওয়েলথ ভুক্ত মাত্র ১৬টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে রয়েছে। বাকি দেশগুলোর ছয়টিতে নিজেদের রাজা রয়েছে আর ৩১টি দেশ প্রজাতন্ত্র। এই জোটের সবচেয়ে বড় দেশ কানাডা কমনওয়েলথের সবচেয়ে ছোট দেশগুলোর একটি নাউরু ৪. বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত বিশ্বের চারভাগের একভাগ ভূমি কমনওয়েলথভুক্ত। সবচেয়ে বেশি ভূমি রয়েছে কানাডায়। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ায় অনেক ভূমি রয়েছে। তবে বাকি দেশগুলোর বেশিরভাগই ছোট। প্রশান্ত মহাসাগরে ক্ষুদ্রাকৃতির কিছু দ্বীপ দেশও রয়েছে। ৫. নাম পরিবর্তন আধুনিক কমনওয়েলথ গঠিত হয় ১৯৪৯ সালে, যখন এর নাম থেকে 'ব্রিটিশ' শব্দটি সরিয়ে ফেলা হয়। ক্লাবের প্রধান হিসাবে রানীর প্রতি আনুগত্যের বাধ্যবাধকতাও প্রত্যাহার করা হয়। এ পর্যন্ত দুইজন এই সংগঠনের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন কিং জর্জ সিক্স আর রানী এলিজাবেথ দি সেকেন্ড। যদিও তারাই যে সবসময় এর প্রধান হবেন, সেই নিয়ম এখন আর নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে প্রিন্স অফ ওয়েলস ক্ষমতায় এলে তিনিও এর প্রধান হবেন। প্রতিষ্ঠাতা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা আর যুক্তরাজ্য। ২০১২ সালের আগে কমনওয়েলথে কোন সংবিধান ছিল না। সমালোচকরা বলেন, কমনওয়েলথ হচ্ছে কলোনি-উত্তর একটি ক্লাব। তবে সমর্থকদের মতে, এটি সদস্য দেশগুলোর উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। ১৯৬৯ সালে লন্ডনে কমনওয়েল দেশগুলোর সরকার প্রধানদের সম্মেলন ৬. কমনওয়েলথের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি এই জোটের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাজ্য। ভারতও খুব তাড়াতাড়ি প্রথম ধাপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরপরেই রয়েছে কানাডা। সবচেয়ে ছোট অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে টুভালু, নাউরু আর কিরিবাতি। ৭. অন্য কমনওয়েলথ ফরাসি ভাষাভাষী দেশগুলোকে নিয়েও এরকম একটি জোট রয়েছে, যার নাম ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ লা ফ্রানকোফোনি। সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা পাওয়া দেশগুলোকে নিয়ে রয়েছে কমনওয়েলথ অফ ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেটস, যা ১৯৯১ সালে গঠিত হয়। | Commonwealth leaders are meeting in London. Here are seven things about this club of nations that you might not know. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ইউনিসেফ বলছে, বিশ্বজুড়ে গত এক দশকে বাল্য বিয়ে পনের শতাংশ কমে এসেছে। সংস্থাটি বলছে, বর্তমানে প্রতি পাঁচজন নারীর মধ্যে একজনের বিয়ে হয় ১৮ বছর হওয়ার আগেই। কিন্তু এক দশক আগে এই সংখ্যা ছিলো প্রতি চারজনে একজন। ইউনিসেফের রিপোর্ট বলছে, বিশ্বজুড়ে গত এক দশকে বাল্য বিয়ে পনের শতাংশ কমে এসেছে। সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, সেখানে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ের হার প্রায় ৫০ শতাংশ থেকে এখন ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। বাল্য বিয়ের হার বাংলাদেশেও খুব বেশি ছিল, সর্বশেষ ২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে ৫২ শতাংশ মেয়ে বাল্য বিয়ের শিকার হতো। কিন্তু বর্তমানে এই হার কতো সেটা নিশ্চিত করে জানা গেলেও জাতিসংঘ বলছে, বাল্যবিয়ের সংখ্যা কমেছে। কিন্তু এখনও সেটা ৫০ শতাংশের উপরেই রয়ে গেছে। আরো পড়ুন: মুসলিমদের উপর হামলার পর শ্রীলঙ্কায় জরুরী অবস্থা হাটহাজারীর মাদ্রাসায় কেন পোড়ানো হলো হাজারো মোবাইল ফোন? ভারতের কলকাতায় দিনেদুপুরে ৩ বছরের শিশুকে যৌন নিগ্রহ 'গ্রাম থেকে রোহিঙ্গা নারী ও মেয়েরা গুম হয়ে যাচ্ছে' বাংলাদেশে আসছে ইলিশের নুডলস এবং স্যুপ ঢাকায় ইউনিসেফের একজন কর্মকর্তা সোনিয়া সরদার বলছেন, নতুন এই রিপোর্টে তারা দেখছেন বাংলাদেশেও বাল্য বিয়ের হার কমছে। তিনি বলেন, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে এক ধরনের উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। অল্পবয়সী মেয়েরাও এখন তাদের বিয়ে প্রতিরোধে এগিয়ে আসছে। "স্থানীয় প্রশাসন এবং কমিউনিটিতে যেসব সংগঠন কাজ করে তারাও এগিয়ে এসেছে," বলেন তিনি। কিন্তু নারীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে এরকম একটি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নীনা গোস্বামী বলছেন, এবিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়েছে বলে তারা মনে করেন না। তবে তিনি মনে করেন, যেটুকু অগ্রগতি হয়েছে সেটাও সম্ভব হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর দীর্ঘদিনের তৎপরতার কারণে। "এখন মোটামুটি সবাই জানে যে বিয়ের জন্যে ন্যুনতম বয়স হচ্ছে ১৮। হার কমেছে কি বেড়েছে তার চাইতেও এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই না একটি শিশুও যাতে এ ধরনের বিয়ের শিকার হয়," বলেন তিনি। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে বাল্য বিয়ের এই হার এখনও খুব বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অল্পবয়সী মেয়েরাই এখন তাদের বিয়ে ঠেকাতে এগিয়ে আসছে সচেতনতা বাড়ার পরেও কেন এই বিয়ে রোধ করা যাচ্ছে না এই প্রশ্নের জবাবে নীনা গোস্বামী সামাজিক ব্যবস্থাকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, "পরিবারে মেয়ে-শিশুকে এখনও একটি দায়ভার হিসেবে মনে করা হচ্ছে।" তিনি বলেন, আইনে কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের লক্ষ্যে করা আইনের বিশেষ একটি ধারার কারণে এটা ততোটা কার্যকর করা হচ্ছে না। ওই ধারাটিতে বিশেষ পরিস্থিতিতে মেয়েদের ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে দেওয়াকে আইনসম্মত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইউনিসেফ বলছে, ভারতে বাল্য বিবাহ কমানো সম্ভব হয়েছে নারীদের জন্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে। তাদেরকে বাল্য বিয়ের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বুঝিয়ে সচেতন করা হয়েছে। ইউনিসেফ বলছে, বাল্য বিবাহের প্রবণতা এখনও সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায়। কিন্তু তারপরেও ইথিওপিয়াতে এধরনের বিয়ের সংখ্যা এক তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ইউনিসেফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাহারা মরুভূমির আশেপাশের দেশগুলোতে প্রতি তিনজন নারীর একজনের বাল্যকালেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এক দশক আগে এটা ছিলো প্রতি পাঁচজনে একজন। জাতিসংঘের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে বিশ্ব নেতারা ২০৩০ সালের মধ্যে বাল্য বিবাহের অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। | There has been a significant drop in the number of child marriages worldwide, the United Nations children's agency says. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | সহিংসতায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। অনেকের কাছে এখনও বোধগম্য নয় যে ট্রাম্পের কয়েক হাজার সমর্থক কেমন করে দেশটির ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এরকম একটি ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়তে সক্ষম হলো - যখন নির্বাচিত আইনপ্রণেতারা সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয়কে প্রত্যয়ন করার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। সহিংসতার যেসব ছবি ও ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে - সেগুলোতে দেখা যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উন্মত্ত সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলের ভেতরে ঢুকে সেখানে ঘুরে ঘুরে কতোটা তাণ্ডব চালাতে সক্ষম হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকদের দেখা গেছে তারা ভবনের ভেতরে ভাঙচুর চালাচ্ছে, ছবি তুলছে, এমনকি অনেকে তাদের এই তাণ্ডবলীলা সোশাল মিডিয়াতেও সরাসরি সম্প্রচার করেছে। অনেকে ভবনের ভেতর থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে - যেগুলোকে মার্কিন গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। টেলিভিশনে এবং অনলাইন মিডিয়াতে এই আক্রমণের খবর সারা বিশ্বে প্রচার হওয়ার সাথে সাথে অনেকেই সেখানে মোতায়েন থাকা ক্যাপিটল পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভবনটির নিরাপত্তার জন্যে সেখানে প্রায় ২০০০ সদস্যের একটি বাহিনী ক্যাপিটল পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়। প্রশ্ন উঠেছে: এই বাহিনীর নিরাপত্তা ভেদ করে ট্রাম্পের সমর্থকরা কীভাবে ভেতরে ঢুকতে সক্ষম হলো এবং আক্রমণের সময় তারা সেটা প্রতিহত করার জন্য কতোটা চেষ্টা করেছিল। এই আক্রমণের সময় কয়েকজন আইন প্রণেতাকে দরজার পেছনে লুকাতে এবং মেঝেতে শুয়ে পড়তে দেখা গেছে। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে গ্যাসমাস্ক পরিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যায় পুরো ভবন ও তার আশেপাশের এলাকা থেকে দাঙ্গাবাজদের সরিয়ে জায়গাটিকে পুনরায় নিরাপদ ঘোষণা করে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিতে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েক ঘণ্টা সময় লেগেছিল। কিন্তু স্পর্শকাতর এরকম একটি ভবনে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের এতো বড় একটি ঘটনার পর এখনও পর্যন্ত মাত্র গুটিকয়েক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন বিক্ষোভকারী ভেতরে লাফিয়ে পড়ছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ নজিরবিহীন এরকম একটি ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতি মোকাবেলার কোন প্রস্তুতি তাদের ছিল না। সোশাল মিডিয়াতে পোস্ট করা বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রাম্প সমর্থকদের উন্মত্তার মধ্যে পুলিশের সদস্যরা এখানে সেখানে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাদের কাউকে কাউকে অস্ত্র এবং রাসায়নিক স্প্রে বহন করতেও দেখা গেছে। অনলাইনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে এক জায়গায় পুলিশ তাদের তৈরি করা প্রতিবন্ধকতা খুলে দিচ্ছে এবং এর পর ট্রাম্পের সমর্থকরা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করার গেটের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা এই সহিংসতার সময় দেখা গেছে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করার বদলে পুলিশ তাদেরকে ধরে ও পথ দেখিয়ে ভবনের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তারা যাতে ক্যাপিটল হিলের সিঁড়ি ভেঙে নিচে নেমে যেতে পারে সেজন্য সাহায্য করতেও দেখা গেছে। কোন কোন পুলিশ সদস্যকে ভবনের গেটের দরজা টেনে ধরে রাখতে দেখা গেছে যাতে বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে বের হয়ে যেতে পারে। ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ভবনের ভেতরে পুলিশের একজন কর্মকর্তা এক ব্যক্তির সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য পোজ দিয়ে দাঁড়িয়েছেন। প্রাউড বয়েজ নামের একটি চরমপন্থি গ্রুপের সদস্য নিক ওকস তার এরকম একটি সেলফি টুইটারে পোস্ট করেছেন। পরে তিনি সিএনএনকে বলেছেন: "সেখানে হাজার হাজার লোক ছিল। পরিস্থিতির ওপর তাদের কোন নিয়ন্ত্রণ ছিল না। আমাকে কখনও থামানো হয়নি এবং জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি।" বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি পুলিশ। পাশেই আব্রাহাম লিংকনের ভাস্কর্য। ভবনের ভেতরে যারা ভাঙচুর চালিয়েছে তাদের একজনের ছবিতে দেখা গেছে তার মুখে আত্মতৃপ্তির হাসি, তার পা স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির টেবিলের ওপর তোলা। পরে ভবনের ভেতর থেকে বের হয়ে এসে তিনি একটি চিঠি দেখিয়েছেন যা স্পিকারের অফিস থেকে চুরি করে আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে আমেরিকায় গৃহযুদ্ধের সময় যে কনফেডারেট পতাকা ব্যবহার করা হয়েছিল দাঙ্গাকারীদেরকেও সেরকম একটি পতাকা বহন করতে দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ষড়যন্ত্র-তাত্ত্বিক বলে সুপরিচিত এক ব্যক্তিকেও দেখা গেছে মাথায় শিং লাগিয়ে, মুখে রঙ মাখিয়ে সেনেটের একটি চেয়ারের পাশে পোজ দিতে। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স তার কিছুক্ষণ আগে এই চেয়ারটিতে বসে ছিলেন। আরো পড়তে পারেন: ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিলেন, 'দুর্দান্ত সমর্থকদের' প্রশংসাও করলেন ট্রাম্প ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে? মার্কিন কংগ্রেস ভবনের ভেতরে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ আমেরিকার কংগ্রেস ভবনে হামলার ঘটনা কি এই প্রথম? ভাইরাল হওয়া এরকম একটি ছবিতে ডেস্কের ওপর পা তুলে রিচার্ড বারনেটকে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা এখন এই সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তদন্তের আহবান জানিয়েছেন এবং নিরাপত্তার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রতিনিধি পরিষদের একজন সদস্য ও ডেমোক্র্যাট রাজনীতিক ভাল ডেমিংস, যিনি একসময় পুলিশের প্রধান ছিলেন, তিনি বলেছেন, "এটা অবশ্যই বেদনাদায়ক" যে ক্যাপিটল পুলিশ প্রস্তুত ছিল না, তাদের সংখ্যাও ছিল কম এবং এবিষয়ে তাদের পরিষ্কার কোন পরিকল্পনাও ছিল না। এছাড়াও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি মোকাবেলায় এগিয়ে আসবে কীনা, আসলে কখন আসবে - এসব বিষয় নিয়েও সংশয় ও বিভ্রান্তি ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছিল ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্প গড়িমসি করলে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এই বাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন দিতে পারেন। কিন্তু গত বছর কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকারের দাবীতে সারা দেশে যখন ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল - সেসময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিরাপত্তা বাহিনীকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছিলেন। এর পর কৃষ্ণাঙ্গ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেটও ব্যবহার করা হয়। নিরাপত্তা বিষয়ক বিবিসির সংবাদদাতা গর্ডন কোরেরা বলছেন, সবশেষ ঘটনা থেকে এটা বোঝা যায় যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের অধীনে নিরাপত্তাজনিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়েও কীভাবে রাজনীতি হয়েছে। পুলিশ অবস্থান নিচ্ছে ক্যাপিটল হিল ভবনের ভেতরে। জনতার বিক্ষোভের সময় কীভাবে তাদেরকে সামাল দিতে হয় এবিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ক্লিফোর্ড স্টট, ব্রিটিশ সরকারের একজন উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করছেন তিনি, বলেছেন বুধবার ওয়াশিংটনে যা হয়েছে " সে বিষয়ে পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে বড় ধরনের ও বিব্রতকর প্রশ্ন উঠবে।" সিয়াটলে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এখন কাজ করছেন প্রফেসর স্টট। তিনি বলছেন, রাজধানীতে পুলিশের কাজের জটিল কাঠামোর কথা বিবেচনা করলেও বলা যায় যে ট্রাম্পের সমর্থকদের এধরনের সহিংসতার ব্যাপারে তাদের কোন প্রস্তুতি ছিল না। "ক্যাপিটলে যে এরকম কিছু ঘটতে পারে সেবিষয়ে তাদের কাছে তথ্য ছিল। এটা আগে থেকে অনুমান করতে না পারার কারণে এবিষয়ে তাদের যে যথেষ্ট প্রস্তুতি ছিল না সেটা এক ধরনের ব্যর্থতা," বলেন তিনি। তিনি আরো বলেছেন, "এটা শুধু পুলিশের ভূমিকার জটিলতার বিষয় নয়, কী ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে সেবিষয়ে পর্যালোচনারও ঘাটতি রয়েছে। পর্যালোচনা করা হলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেত।" ক্যাপিটল হিলে হামলার সময় আহত একজন পুলিশ অফিসার শুক্রবার মারা গেছেন। সহিংসতায় আরো চারজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ বাহিনীর প্রধানসহ পুলিশের আরো দুজন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার ক্যাপিটল পুলিশের প্রধান নিশ্চিত করেছেন যে হামলার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর ৫০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা আহত হয়েছে। তিনি বলেছেন, তার বাহিনী ও সহকর্মীরা "সাহসিকতার সঙ্গে" হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে মোকাবেলা করেছে। বাহিনীর প্রধান স্টিভ সান্ড বলেছেন, "যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে এরকম সহিংস হামলার ঘটনা অসম্ভব একটি বিষয় এবং আমার ৩০ বছরের পেশাগত জীবনে ওয়াশিংটন ডিসিতে আমি কখনো এরকম ঘটতে দেখিনি।" এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, পুরো ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তার ব্যাপারে কী ধরনের পরিকল্পনা ছিল তারা এখন সেসবও খতিয়ে দেখছেন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। সহিংসতার ব্যাপারে আগে থেকে কী জানা ছিল নির্বাচনের ফল কংগ্রেসে সত্যায়িত করার সময় ট্রাম্পের সমর্থকদের এই সমাবেশ স্বতঃস্ফূর্ত ছিল না। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য ছিল ফলাফলের স্বীকৃতিকে আটকে দেওয়া। এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল পূর্ব-পরিকল্পিত। নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে দিনের পর দিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার কয়েকজন রিপাবলিকান মিত্রের দেওয়া বক্তব্যের পর এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রফেসর স্টট বলেছেন, প্রকাশ্যে অপরাধ করার সময় দাঙ্গাবাজদেরকে যে ধরনের আনন্দ করতে দেখা গেছে সেটাও বেশ মজার বিষয়। "তাদের একটা পরিষ্কার উদ্দেশ্য ছিল। বিক্ষোভকারীরা ধরে নিয়েছিল যে তারা যা করছে সেটা বৈধ। তাদের প্রেসিডেন্ট, কমান্ডার ইন-চিফ, এই প্রেসক্রিপশনে অনুমোদন দিয়েছেন যে তোমরা যাও এবং এরকম করো," বলেন তিনি। হামলার আগে কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থক চরমপন্থিদের ব্যবহৃত অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর নজর রাখা হয়েছিল। দেখা গেছে অতি-দক্ষিণপন্থী গ্রুপগুলো ক্যাপিটল হিলসহ আইন প্রণেতাদের ওপর সহিংসতার উস্কানি দিয়ে হুমকি দিয়েছে। ক্যাপিটল হিলে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কিছু কিছু সমর্থকের পরনে ছিল ""MAGA: CIVIL WAR" এধরনের স্লোগান লেখা পোশাক। সেখানে ৬ই জানুয়ারি ২০২১ এই তারিখও লেখা ছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার মূল স্লোগান ছিল এই মাগা যার অর্থ মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন বা আমেরিকাকে আবার মহান করে তুলুন। বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা গর্ডন কোরেরা বলছেন, কংগ্রেসের সদস্যরা যদি বিক্ষোভকারীদের বাধা দিতো, কিম্বা তাদেরকে যদি জিম্মি করা হতো - তাহলে আরো মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারতো। তিনি বলেন, যেসব ছবি দেখা যাচ্ছে তার ফলে ২০শে জানুয়ারি জো বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহণের দিনের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। দাঙ্গাকারীদের বিরুদ্ধে কি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে? ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স হামলার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় সর্বোচ্চ বিচারের আহবান জানিয়েছেন। বলা হচ্ছে, বিক্ষোভকারীদের অনেককে ছবিতে ও ভিডিওতে যে ধরনের নির্লজ্জ আচরণ করতে দেখা গেছে, তাতে তাদের বিচারের জন্য তথ্য-প্রমাণের অভাব হবে না। ফেসবুক এধরনের বহু ভিডিও মুছে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে যাতে এসব দেখে কেউ উৎসাহিত না হয়। তবে অনেকেই লোকজনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এসব তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে রাখার জন্য। যদিও ক্যাপিটল হিলের ভেতরে যাদের দেখা গেছে তাদের অনেকেই অতি-দক্ষিণপন্থী গ্রুপের পরিচিত ব্যক্তিত্ব। ক্যাপিটল পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে তারা হামলাকারীদের নানাভাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে, যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক একজন আইন কর্মকর্তা চ্যানিং ফিলিপ্স বলেছেন, সরকারি কৌসুলিরা তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ও ফেডারেল পর্যায়ে মামলা করতে পারেন। তিনি জানান, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পদ ধ্বংস করা থেকে শুরু করে হামলার অভিযোগ আনা যেতে পারে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হামলার সঙ্গে জড়িতদের কারো কারো বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক ষড়যন্ত্রের মতো গুরুতর অভিযোগও আনা হতে পারে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে হতে পারে ২০ বছরের কারাদণ্ড। আমেরিকার কংগ্রেস ভবনে ট্রাম্প সমর্থকদের নজিরবিহীন হামলা | With the country still reeling from Wednesday's violence in Washington, serious questions are being asked about how such a massive security breach was able to happen at the heart of US government. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | রিচার্ড আকোটোর কম্পিউটারে ক্লাস। ঘানার কুমসি শহরের এক স্কুলে রিচার্ড আপিয় আকাটো নামে ঐ শিক্ষক ব্ল্যাকবোর্ডে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের নকশা তৈরি করে তা থেকে দিয়ে ছাত্রদের কম্পিউটার প্রযুক্তি সম্পর্কে শিক্ষাদান করেন। ফেসবুকে এই ছবিটি পোস্ট করার সময় মি. আকাটো মন্তব্য করেছেন এই বলে যে ঘানার ক্লাসরুমে আইসিটি শেখানোর অভিজ্ঞতা খুব মজার। তিনি বলেন, "আমি আমার ছাত্রদের খুবই পছন্দ করি। তারা যাতে আমার ক্লাসের পড়া ভালভাবে বুঝতে পারে, তার জন্য যা করার দরকার আমি তাই করবে।" ইন্টারনেটে তার ছবিটি হাজার হাজার বার শেয়ার হওয়ার পর মাইক্রোসফট কর্পোরেশন ঘোষণা করেছে যে তারা তাকে নতুন কম্পিউটার পাঠাবে। মি. আকোটো স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার স্কুলে ২০১১ সাল থেকে কোন কম্পিউটার নেই। কিন্তু সেই শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তির ওপর একটি বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়। ছাত্রদের প্রতি একজন শিক্ষকের এই পরিমান নিষ্ঠা দেখে অনলাইনে অনেকেই তার প্রশংসা করেছেন। আরো দেখুন: শ্রীদেবীর শব গ্রহণকারী কে এই আশরাফ থামারাসারি? বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিবিসি বাংলার দু'টি রেডিও অনুষ্ঠান মালিতে মাইন বিস্ফোরণে চার বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত | A teacher in Ghana who educates his students on computer technology - without any computers - has become a hit online. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | কেনিয়ায় নারীদের নাচের পার্টি কেনিয়ার রাজধানীর একটি শহরতলিতে একটি উষ্ণ সন্ধ্যায়, এক আবাসিক ভবনের বাইরের একটি অংশ ভাড়া করা হয়েছে ডান্স ফ্লোর হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। জোরেশোরে গান বাজছে এবং নারীরা তার তালে তালে নাচছে। "পুরুষদের সাথে কোনও জায়গায় গেলে আপনাকে একটু সাবধানে থাকতে হয়। আপনি সেখানে একা যাওয়ার পরিবর্তে আপনার বন্ধুবান্ধব অথবা কোন পুরুষের সঙ্গে সেখানে যেতে চান," বলছিলেন ২৬ বছর বয়সী জেন। তিনি তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু শানির সাথে এই পার্টিতে এসেছেন। "সুতরাং এমন একটি জায়গা যেখানে সবাই নারী, সেখানে মেয়েরা সাথে সাথেই নিরাপদ বোধ করে এবং আপনি অনুভব করবেন যে আপনি এমন মানুষদের সাথেই আছেন যারা আপনাকে বোঝে।" এই পার্টির নিরাপত্তা বেশ কড়া। শুধুমাত্র কয়েকজন পুরুষকে কিছু সময়ের জন্য ঢুকতে দেওয়া হয়, যারা হয়তো তাদের বান্ধবীকে পার্টিতে পৌঁছে দিতে আসেন। তারপরে, সেই পুরুষদের তাৎক্ষণিকভাবে চলে যেতে হয়। এসব পার্টিতে শুধুমাত্র অংশগ্রহণকারীরাই যে নারী তা নয়। বরং এখানকার বারটেন্ডার, নিরাপত্তা কর্মী, ডিজে, সাউন্ড মিক্সার, এবং পার্টির আয়োজক সবাই নারী। মিশ্র ক্লাব, অর্থাৎ ছেলে-মেয়ে সবার জন্য উন্মুক্ত ক্লাবগুলোয় বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার সময় অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার কারণে শুধুমাত্র নারীদের নিয়ে পার্টির এই ধারণা আসে কয়েকজন নারীর মধ্যে। কেনিয়ার ক্লাবগুলিতে পুরুষরা অযাচিতভাবে নারীদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করে। 'কেনিয়ার নারীদের জন্য একটি কঠিন বছর' শানি বলেন, "যখন আমি জানতে পারলাম যে এটি নারীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তখনই আমি সঙ্গে সঙ্গে সাইন আপ করলাম।" শানি এবং জেন ক্লাবিং বেশ উপভোগ করেন এবং সম্প্রতি টুইটারে তারা এই অল-উইমেন ডান্স পার্টির কথা জানতে পারেন। নারীদের নিয়ে আয়োজিত এই পার্টির নাম রাখা হয়েছে স্ট্রেটলি সিল্ক। এই পার্টির উদ্ভাবক হলেন, কেনিয়ার শিল্প প্রতিষ্ঠান দ্য নেস্ট কালেক্টিভের সদস্য জোকি গুমি, জেরি গাতুনগো এবং আকাটি খাসিয়ানি। এই প্রতিষ্ঠানটি শিল্প, চলচ্চিত্র, সংগীত, ফ্যাশন এবং শিল্পকলার অন্যান্য শাখাগুলো নিয়ে কাজ করে। ২০১৮ সালে তারা এই অল-উইমেন নৃত্য পার্টির আয়োজন শুরু করেন। আর এমন আয়োজনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে ছিল কেবল মজাদার একটি রাতের আড্ডা। "কেনিয়ার নারীদের জন্য ২০১৮ সাল বেশ কঠিন একটি বছর ছিল। প্রতিদিনই সহিংসতার খবর শোনা যেতো। এ ব্যাপারে নারীদের বলার ছিল অনেক। আজকাল মানুষজনও অনলাইন এবং অফলাইনে নির্দ্বিধায় নারী বিদ্বেষ ছড়ায়," বলেন জোকি গুমি। তিনি আরও বলেন, "নারীদের ওপর যৌন নিপীড়নের অনেক খবরও প্রকাশ পায় প্রতিনিয়ত। এমন অবস্থায় আমরা চাইতাম নারীদের শক্তিকে কয়েকগুন বাড়িয়ে নারীদের জন্য উৎসবের একটি স্থান তৈরি করতে। যেখানে নারীদের সচরাচর স্বাগত জানানো হয়না।, বিশেষ করেন নৈশকালীন উৎসবকে ঘিরে তো নয়-ই।" আরও পড়তে পারেন: এ্যান লিস্টার: আধুনিক যুগের 'প্রথম লেসবিয়ান নারী' নারী যদি পুরুষকে মিলনে বাধ্য করে - তা কি ধর্ষণ? অ্যাসিড হামলার শিকার এক বাংলাদেশী নারীর বিজয়ের গল্প সম্প্রতি ধর্ষণ এবং ফেমিইসাইড অর্থাৎ নারীদের হত্যার কয়েকটি আলোচিত ঘটনার কারণে কেনিয়া খবরের শিরোনাম হয়ে আসে। ২০১৮ সালে, আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ২২টি শহরের একটি তালিকা তৈরি করে, যে শহরগুলোয় নারীরা সবচেয়ে বেশি যৌন হয়রানির শিকার হন। সেই তালিকায় নাইরোবি ষষ্ঠ স্থানে উঠে আসে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে কেনিয়ায় যেকোনো জনসমাগমে নারীদের যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার ৫০% আশঙ্কা থাকে। ২০১৯ সালের মে মাসে দেশটির নারী আইনজীবীদের সংগঠন ফেডারেশন অফ উইমেন ল'য়ারস কেনিয়া (ফিদা কেনিয়া) এই সমস্যা সামনে আনে। সংস্থাটি জানায়, কেনিয়ায় চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৫০টিরও বেশি ফেমিসাইড বা নারী হত্যার মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। সব সম্প্রদায়ের নারীদের এই পার্টিতে স্বাগত জানানো হয়। শুধু লেসবিয়ানদের জন্য নয় মুনিরা (২২) এবং খাদিজা (২৫) দুই বন্ধু। প্র্যাকটিসিং মুসলমান হিসাবে, রাতের পার্টির মতো জায়গাগুলোয় তাদের যাওয়ার সুযোগ খুবই কম থাকে। তারা জানায়, যদিও সব ধর্মের নারীরা এই অল উইমেন্স পার্টিতে অংশ নেয়, তবে মুসলমান নারীদের একটু খাপ খাইয়ে নিতে হয়। "যখন আমরা নাচতে যাব তখন আমাদের অনেকেই নিজেদের হিজাবগুলো খুলে ফেলে, ভিড়ের সাথে মিশে যাওয়ার জন্য। যখন আপনাকে হিজাব পরা অবস্থায় কেউ দেখে তখন তারা অবাক হয়ে যায় আর ভাবে, তুমি এখানে কি করছো?" খাদিজা বলেন, "আমাদের ধর্মে অবাধে পুরুষদের সাথে মিশতে নিষেধ করা হয়েছে, এজন্য এরকম একটি স্থান আমাদের জন্য বেশ ভাল।," "শুধুমাত্র নারীদের নিয়ে করা এমন একটি ক্লাব পাওয়া আসলেই দুষ্কর। এমনটা সচরাসচর দেখা যায় না," বলেন মুনিরা। তবে কিছু লোকের মধ্যে একটি বিশ্বাস আছে যে নারীদের আমোদ মানেই এটি সমকামী নারীদের স্থান। এ ব্যাপারে মিজ গুমি বলেন, "আমরা সানন্দে সমকামীদের গ্রহণ করি এবং তাদের নিয়ে উদযাপন করি। এজন্য লোকজন ধারণা করতে পারে যে এটি শুধুই সমকামীদের নিয়ে কোনো আয়োজন। এটা ঠিক যে কিছু অনুষ্ঠান রয়েছে যেগুলো কুইর ইভেন্ট হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত। তবে এই পার্টি তেমনটি নয়। আমরা সবাইকে স্বাগত জানাই। " "এলজিবিটি সম্প্রদায়ের যেসব নারী কেনিয়ার জনসাধারণের হুমকি এমনকি সহিংসতার মুখে পড়েন, তাদের জন্য এই অল উইমেন্স পার্টির দরজা সবসময় খোলা থাকে।" কেনিয়ায় সমকামী যৌনতা অবৈধ, এজন্য ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান দেয়া আছে। এই আইনটিকে বাতিল করার দাবি উঠলেও চলতি বছরের মে মাসে, কেনিয়ার হাই কোর্ট সমকামীদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক আইনটিকে বহাল রাখে। আয়োজকরা চান এই পার্টি তারা আফ্রিকাজুড়ে ছড়িয়ে দিতে। "অনেকেই এটা জানেনা যে নাইরোবিতে একটি বিশাল সমকামী নারী সম্প্রদায় রয়েছে এবং কখনও কখনও আমরা শুধুমাত্র নারীদের সাথে একটি জায়গায় থাকতে চাই যেখানে সবাই আমাদের মতো ভাবে, যেখানে আমি নিরাপদ বোধ করবো।," বলেন ২২ বছর বয়সী অ্যান মারি। যিনি একজন উভকামী বা বাইসেক্সুয়াল। ২৩ বছর বয়সী বিন্তিও একজন সমকামী। তার কাছে অল উইমেন পার্টি এই বছরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়। তিনি এখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। মিজ গুমি আশা করছেন যে এই অল-উইমেন্স ডান্স পার্টি শুধু কেনিয়াতে নয়, পুরো আফ্রিকায় তিনি জনপ্রিয় করে তুলবেন। "ক্লাব সংস্কৃতি এবং নাইট লাইফ অনেক সময় নারীদের জন্য নেতিবাচক অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়ায়। শুধুমাত্র নারী হওয়ার কারণেই তাদের এ ধরণের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।" তিনি বলেন। "মূলধারার ক্লাব সংস্কৃতির দিকে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে আমাদের অবশ্যই নারীদের জন্য এমন একটি স্থান নিশ্চিত করতে হবে যেন তারাও নিরাপদে মূলধারার উৎসবের ভাগীদার হতে পারে।" বলেন মিজ গুমি। | The team behind a new event in Nairobi argues all-women's dance parties can create safe nightlife spaces for women. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | বাংলাদেশে গত ২৫ বছরে ধূমপান কমিয়ে আনায় কোনও পরিবর্তন দেখা যায়নি, গবেষণার তথ্য। চিকিৎসা বিষয়ক জার্নাল দ্য ল্যানসেট-এর প্রতিবেদন বলা হচ্ছে, কোনও কোনও দেশ উচ্চ কর আরোপ, সিগারেটের প্যাকেটে সতর্কবার্তা এবং প্রচার কাজের মাধ্যমে সিগারেটে আসক্তি কিছুটা কমিয়ে আনতে পেরেছে। তবে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন্সে ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এক্ষেত্রে কোনও ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়নি। নারী ধূমপায়ীদের সংখ্যাও কম নয়। ২০১৫ সালের প্রতিবেদন অনুসারে প্রতি ২০ জনের মধ্যে একজন নারী সিগারেটে আসক্ত। সিনিয়র গবেষক ডক্টর ইমানুয়েলা গাকিডোও বলেছেন " বিশ্বে প্রতি চারজনে একজন ধূমপান করছে। অকালে মৃত্যুর প্রধান একটি কারণ ধূমপান। সেইসাথে প্রতিবন্ধীত্বেরও কারণ এটি"। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বহু দশক ধরে তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি চালানোর পরও ধূমপায়ীদের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়েই চলেছে। গবেষকরা বলছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেহেতু সিগারেট বা তামাক কোম্পানিগুলো যেহেতু নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করছে, সে কারণে নৈতিক প্রচার বাড়ানো দরকার। আরও পড়ুন: বিয়ে বাঁচাতে অচেনা লোকের সাথে রাতযাপন রাখাইনে মুসলমানরাই মুসলমানদের হত্যা করছে: সুচি র্যাব নিয়ে স্পর্শকাতর গোপন রেকর্ডিং যাচাই হচ্ছে | Smoking causes one in 10 deaths worldwide, a new study shows, half of them in just four countries - China, India, the US and Russia. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | চীনের ঝেংঝুতে ওবেস ছাত্ররা তাদের ওজন কমাতে সামার ক্যাম্পে যোগ দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি ১০টি দেশের মধ্যে ৯টি দেশেই এই 'ডাবল বারডেন' বা যৌথ সমস্যায় ভুগছে। শুধু দেশ নয়, এমনকি একই পরিবারেও এই সমস্যা বিদ্যমান। শিশুদের স্থুলতা : পৃথিবীর প্রায় সবগুলো দেশের মানুষই কম-বেশি এই রোগে ভুগছে। অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা ২০১৬ সালে ছিল সাড়ে ৮১ কোটি। আর এরপর গত দুই বছরে এই সংখ্যা আরও ৫ শতাংশ বেড়েছে। শিশুদের স্থুলতা যেসব জায়গায় সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এর মধ্যে রয়েছে আফ্রিকা। আবার এই আফ্রিকাতেই শতকরা ২০ শতাংশ শিশু ভুগছে অপুষ্টিতে। আরও পড়তে পারেন: খাবার নিয়ে সাবধান হচ্ছেন বাংলাদেশের নারীরা ক্যান্সারের ঝুঁকি: 'অতিরিক্ত ওজন নারীদের জন্য বেশি মারাত্মক' কাতারের মানুষের ওজন বেশি হয় কেন? বিভিন্ন গবেষণার তথ্য বলছে, উন্নত দেশগুলোর মতো উন্নয়নশীল দেশেও এখন স্থুলতা ছড়িয়ে পড়ছে। চোখ একেবারে কপালে উঠার মতো বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে, স্থুলতায় আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি শিশুর সংখ্যা রয়েছে মাইক্রোনেশিয়া নামে একটি অত্যন্ত ছোট দ্বীপরাষ্ট্রের। দক্ষিণ আফ্রিকাতে প্রতি তিনজন শিশুর একজন স্থুলতায় আক্রান্ত। আর ব্রাজিলে শতকরা ৩৬ ভাগ শিশুই স্থুলতায় আক্রান্ত। আবার খুব অদ্ভুত যে, এই ব্রাজিলেই অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা শতকরা ১৬ শতাংশ। আবার এমনও রয়েছে যে, শিশু দেখতে স্থুল হলেও তার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি থাকায় সে স্থুল শরীর নিয়েও অপুষ্টিতে ভোগে। শুধু শিশু নয়, বড়দের ক্ষেত্রে এমনটি দেখা যায়। ওবেসিটি বা স্থুলতা এখন শুধু পশ্চিমা সমাজের আর অপুষ্টি শুধুমাত্র দরিদ্র দেশের সমস্যা নয়। হাতে কাঁচা টাকা, খরচ করতে মানা নেই : মানুষের জীবনে স্থুলতা ও অপুষ্টিতে ভোগার পেছনে জীবনযাত্রার মান পাল্টে যাওয়ার বিষয়টিকে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ভারত ও ব্রাজিলের মতো দেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসতে শুরু করায় এইসব সমাজে দেখা দিয়েছে নতুন এক মধ্যবিত্ত শ্রেণী। খরচা করার মতন টাকাও তাদের হাতে জমছে। ফলে, পশ্চিমা খাবার বা রেস্তরাঁয় গিয়ে অধিক চিনি, চর্বি, মাংস জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে কিন্তু খাবারে আঁশ জাতীয় বস্তুর পরিমাণ কমে গেছে। চীনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির মফস্বল শহরে দিকে স্থূলতা মাত্র ১০ শতাংশ কিন্তু অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা ২১ শতাংশ। কিন্তু শহুরেদের মধ্যে ব্যাপারটা পুরো উল্টো। এখানে ১৭ ভাগ শিশু স্থুলতায় আর ১৪ শতাংশ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। রেস্তরাঁ। ক্ষুধা নিবারণ : অস্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে শিশুরাই সাধারণত সবচে বেশি আক্রান্ত হয়। কারণ এই বয়সে বেড়ে উঠার জন্য দরকার হয় পুষ্টি। অনেক বাড়িতেই দেখা যায়, বাবা-মা স্থুলতায় আক্রান্ত হলেও একই বাসাতে সন্তানেরা ভুগছে অপুষ্টিতে। গবেষণা বলছে যে, যে সব শিশু অপুষ্টিতে ভোগে জীবনের পরবর্তী সময়ে তাদেরই স্থুলতায় আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বাড়ে। তাই, ক্ষুধা নিবারণের জন্য প্রতিটি দেশেরই একটি নিজস্ব পরিকল্পনা থাকা উচিত। পশ্চিমা দুনিয়া: 'ডাবল বারডেন' বা 'দ্বৈত বোঝা' মূলত উন্নয়নশীল দেশের সমস্যা হলেও উন্নত দেশেও এটি রয়েছে। খোদ যুক্তরাজ্যেই এই সমস্যা তীব্রভাবে বিরাজমান। ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ভুক্ত অন্যান্য দেশেও এই সমস্যা রয়েছে। দিন দিন মানুষের কাছে ফাস্টফুডের চাহিদা বাড়ছে। খাদ্য নির্বাচন : স্থুলতা ও অপুষ্টিতে ভোগার ক্ষেত্রে কে কোন ধরণের খাবার খেতে পছন্দ করে এই পছন্দ-অপছন্দের একটি প্রভাব আছে বলে মনে করা হয়। খাদ্য পছন্দ করার ব্যাপারে আমরা বিভিন্নভাবেই প্রভাবিত হই। খাবারের খরচ, সহজপ্রাপ্যতা, সময়-সংকট, স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে আমাদের জানা-না-জানা ইত্যাদির একটা সরাসরি প্রভাব থাকে খাদ্যাভ্যাসে। তবে, এটি স্পষ্ট যে শৈশবে স্থুলতায় আক্রান্ত হলে পরবর্তী জীবনে ক্যান্সার হওয়াসহ আরও বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মাত্রা বাড়ে। ফলের দোকান। অগ্রগতি: উন্নয়নশীল দেশগুলো স্থুলতার সাথে পাল্লা দিয়ে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ সংক্রান্ত জটিলতা বাড়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত প্রবল। তাহলে এখন করণীয় কি? বলা হচ্ছে, ডাবল বারডেন থেকে মুক্তি পেতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ হচ্ছে। যেমন জাতিসংঘের এমনি একটি অঙ্গিকার-নামায় সই করেছে ব্রাজিল। এর আওতায় স্থূলতা কমানো, খাদ্য তালিকায় চিনির ব্যাবহার কমানো এবং ফল-মূল ও শাক-সবজির পরিমাণও সহ আরও কিছু পদক্ষেপ নেয়ার অঙ্গিকার রয়েছে। আর মেক্সিকো তো আরও এক ধাপ এগিয়ে। তারা তাদের দেশে চিনির উপরে 'সুগার ট্যাক্স' বলে আলাদা একটা ট্যাক্সই বসিয়ে দিয়েছে। যুক্তরাজ্যও একই ধরণের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। কিন্তু দুনিয়া-ব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এই পুষ্টি সংকট মোকাবেলা করতে আরও অনেক উদ্যোগ নিতে হবে। ওবেসিটি বা স্থূলতাকে পশ্চিমা সমাজের আর অপুষ্টিকে দরিদ্র দেশের সমস্যা হিসেবেই মনে করা হতো। কিন্তু আসল চিত্রটা একেবারেই আলাদা। | Obesity is often portrayed as a Western problem, with under-nutrition found in poorer countries. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ইসলামিক স্টেটে যোগ দেয়ার জন্য কিশোর বয়সে যুক্তরাজ্য ছেড়ে গিয়েছিলেন জ্যাক লেটস। মুসলিম হিসেবে ধর্মান্তরিত এই ব্যক্তি এখন কুর্দিশ কারাগারে হেফাজতে আছেন। ১৬ বছর বয়সে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। একবার আত্মঘাতী হামলা চালানোর প্রস্তুতিও তিনি নেন। এমন কথাও স্বীকার করেন মিস্টার জ্যাক। বিবিসি গত অক্টোবরে ২৩ বছর বয়সী এই তরুণের সাক্ষাৎকার নিলেও এতদিন তা প্রচার করা যায়নি। সম্প্রতি জ্যাক লেটসের বাবা-মা, সন্ত্রাসবাদে তহবিল দেয়ার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সাক্ষাতকারটি প্রকাশ করা হল। তারা মূলত জ্যাক লেটসকে টাকা পাঠাতেন। জ্যাক লেটসকে গণমাধ্যম জিহাদি জ্যাক হিসেবেই অভিহিত করে এসেছে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের দুই বছর পর, ২০১৪ সালে তিনি পড়াশোনা ছেড়ে সিরিয়ায় চলে যান। সে সময় তিনি অক্সফোর্ডের একটি স্কুলে এ-লেভেলে পড়তেন। সিরিয়ায় গিয়ে তিনি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএস-এ যোগ দেন। যারা নৃশংস গণহত্যা ও শিরশ্ছেদের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত ছিল। সেখানে তিনি ইরাকি এক নারীকে বিয়ে করেন, যার পরিবারও আইএস এর অনুগত ছিল। তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তান হলেও, জ্যাক তাকে কখনোই দেখতে পারেননি। ২০১৭ সালে তিনি আইএস ত্যাগ করেন। এরপর এক অভিযানে তিনি ধরা পড়লে তাকে পূর্ব সিরিয়ার কুর্দি কারাগারে নিয়ে রাখা হয়। ব্রিটিশ এই নাগরিকের যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব এখনও ছিনিয়ে নেয়া হয়নি। তাছাড়া তার দ্বৈত কানাডীয় নাগরিকত্ব রয়েছে। এই প্রথম তিনি বিবিসির মাধ্যমে আইএসে তার ভূমিকা সম্পর্কে সব খোলাখুলি প্রকাশ করতে রাজি হয়েছেন। অভ্যন্তরীণ বিভ্রান্তির জেরে আইএস ছেড়ে আসার কথা জানান জ্যাক লেটস। 'আমি যা করেছি, তা করেছি' রিপোর্টার কোয়েন্টিন সোমারভিল, কুর্দি নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতে জ্যাকের সাক্ষাতকার গ্রহণ করেন। তিনি বিশ্বাসঘাতক কিনা সে বিষয়ে চ্যালেঞ্জ ছোড়া হলে এই আইএস যোদ্ধা জবাব দেন: "আমি জানি আমি অবশ্যই ব্রিটেনের শত্রু।" "আমি যা করেছি তা, করেছি,"আমি একটা বড় ভুল করেছি।" বলেন তিনি। যারা সারা বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে, সেই উগ্রবাদী গোষ্ঠীতে যোগ দিতে, তিনি কেন যুক্তরাজ্য ত্যাগ করেছিলেন? এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে মিস্টার জ্যাক বলেন, "আমি ভেবেছিলাম আমি পিছনে কিছু রেখে যাচ্ছি আর সামনে ভাল কিছু করতে যাচ্ছি।" তার বাড়ির জীবন আরামদায়ক ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আমার মায়ের সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল, এবং আমার বাবার সঙ্গেও। "আমি আমার বাবার সাথে কাজ করতাম। সে একজন কৃষক ছিলেন ... আমি আসলে তার সাথে কাজ করতে ভালবাসতাম। আমাদের খুব ভাল সম্পর্ক ছিল।" তিনি মনে করেন তার সিরিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্তটি "চিন্তাভাবনার অদ্ভুত সমন্বয়" এবং "অদ্ভুত ধরণের বিভ্রান্তি" থেকে এসেছিল। তিনি বলেন, "আমি সে সময় ভেবেছিলাম এটা এক ধরণের নৈতিকতা। আমার যে সুন্দর জীবন আছে, সেটা কেন অন্যদের নেই? এবং তারপরে, ইসলামী স্টেটের সদস্য হওয়ার চিন্তাটা আসে এই দায়িত্বটা পালন করার জন্যই। "আমি মনে করি এটি সম্ভবত আমার জীবনের আবেগ-চালিত সময় ছিল। আমি খুব আনন্দিত যে আমি মারা যাইনি।" জ্যাক লেটসের কিশোর বয়সের ছবি। 'আমি আমাকে দ্বিতীয় সুযোগ দেব না' সাবেক এই আইএস সদস্য বলেন, এই সংগঠনটি, আত্মঘাতী হামলার জন্য বিস্ফোরক জ্যাকেট পরতে পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করত। তিনিও জঙ্গিদের কাছে এটা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, "যদি যুদ্ধ হয় তবে তিনি প্রস্তুত আছেন। "বিশ্বাস করেন আর নাই করেন, আমি এক পর্যায়ে আত্মঘাতী হামলায় যেতে চাইতাম। কবে জ্যাকেট পরে না। আমি গাড়ী নিয়ে হামলা চালাতে চেয়েছিলেন। যদি আমি সেই সুযোগ পেতাম, আমি করতাম।" তিনি বলেন জ্যাক এখন বিশ্বাস করেন যে আত্মঘাতী হামলা ইসলামী আইনে "হারাম" বা নিষিদ্ধ। তিনি শুরুতে রাক্কাতে বাস করতে ভালবাসতেন। তিনি ফ্রন্ট-লাইনে যুদ্ধ করেছিলেন এবং ইরাকে মারাত্মকভাবে আহত হন। তিনি বলেন, আইএস ছাড়ার প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি হল, তারা মানুষদের খুন করে। যাদের প্রায় সবাই মুসলমান ছিল। "আমার কাছে পুরো পরিকল্পনা ছিল না। আমি ভেবেছিলাম আমি তুরস্কে যাব এবং আমার মাকে ফোন করে বলবো যে, 'আমি যে করেই হোক তোমার সাথে দেখা করতে চাই।' জ্যাক এখন বিশ্বাস করেন যে আত্মঘাতী হামলা ইসলামী আইনে "হারাম" বা নিষিদ্ধ। 'পোস্টার বয়' জ্যাকের বাবা ৫৮ বছর বয়সী জন লেটস এবং ৫৭ বছর বয়সী মা স্যালি লেন, বিচারের মুখোমুখি হন। অভিযোগ ছিল যে, তাদের ছেলে আইএস এ যোগ দেয়ার পর তারা তাকে অর্থ পাঠাতেন বা অর্থ পাঠানোর চেষ্টা করতেন। জ্যাকের বাবা মায়ের বিরুদ্ধে তিন দফা টাকা পাঠানোর অভিযোগ উঠলেও আদালতে একটি প্রমাণিত হয়। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থ সহায়তার অভিযোগ দায়ের করা হয়। যাতে তারা দোষী সাব্যস্ত হন। ব্রিটেনের তাকে দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়ার সুযোগ খুবই কম। তবে "এটা এমন না যে আমি দ্বিতীয়বার সুযোগ দেয়ার জন্য ব্রিটিশ জনগণের কাছে আবেদন করব।"- এমনটাই জানান জ্যাক। "যদি আমি ব্রিটিশ জনগণের জায়গায় হতাম, তাহলে সম্ভবত আমি দ্বিতীয় সুযোগটি দিতাম না।" পশ্চিমা নাগরিক, যিনি কিনা ব্রিটেন থেকে এসেছেন, এমন কাউকে আইএসে নিয়োগ দেয়ার পেছনে দলটির আরও বড় উদ্দেশ্য ছিল। আইএস তাকে ব্যবহার করতো অনেকটা পোস্টার বয় হিসেবে। সবাইকে একটা উদাহরণ হিসেবে দেখানোর জন্য। জ্যাক আইএসের হয়ে যুদ্ধ করার কথা স্বীকার করলেও, তিনি কাউকে হত্যা করেননি বলে দাবি করছেন। দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায়, তিনি কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছেন। আরও পড়তে পারেন: আইএস জঙ্গিরা কি বাংলাদেশে ফেরত আসছে? পাঁচ বছর পর আইএস নেতা আল-বাগদাদির ভিডিও কেন? মামলা লড়তে ব্রিটিশ অর্থ পাবেন আইএস বধূ শামিমা তিনি বিশ্বাস করেন যে কানাডা তার সবকিছু বিবেচনা করে তাকে সেদেশে প্রবেশের অনুমোদন দেবে। এবং তারা কানাডার জন্য সিরিয়া ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে এখনও কোন মন্তব্য করেনি, কিন্তু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যারা সিরিয়ায় ভ্রমণ করছে তারা নিজেরাই নিজেদেরকে বিপদে ফেলছে এবং সেটা যুক্তরাজ্যে জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। স্বরাষ্ট্র সচিব সাজিদ জাভিদ এর আগে বলেছিলেন, আইএসকে সমর্থন করার জন্য যারা সিরিয়ায় গিয়েছে তাদের ফেরত আসা ঠেকাতে তিনি কোন "দ্বিধা করবেন না"। টাইমস-এর সাথে একটি সাক্ষাতকারে মিস্টার জাভিদ বলেন, "যারা ব্রিটেনের ফিরে এসে এখানকার নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে চায় তাদের থামাতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।" | Jack Letts, who left the UK to join the Islamic State group as a teenager, has said he had been an "enemy of Britain". |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | বৈঠকের একটি পরিকল্পিত কার্টুন। তিনি বলেছেন, "সম্মেলনের আগে উত্তর কোরিয়াকে শর্ত পূরণ করতে হবে। যদি সেটা না করে তাহলে এই বৈঠক আরো পরেও হতে পারে।" হোয়াইট হাউজে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের সাথে আলোচনার পর তিনি এসব মন্তব্য করেন। আগামী জুন মাসের ১২ তারিখে সিঙ্গাপুরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, পরমাণু অস্ত্র পরিহার করার জন্যে যুক্তরাষ্ট্র যদি একতরফাভাবে চাপ দিতে থাকে তাহলে তারা নির্ধারিত বৈঠকটি বাতিল করে দেবে। এদিকে, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করে ফেলার ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবাদিকদের আসতে দিতে রাজি হয়েছে পিয়ংইয়ং। এর আগে তাদের ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। আরো কয়েকটি দেশের সাংবাদিকদেরও এজন্যে উত্তর কোরিয়ায় যাওয়ার কথা রয়েছে। আরো পড়তে পারেন: যেভাবে শুরু হলো মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান 'রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা হিন্দুদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে' যে দশটি রোগ প্রাণঘাতী হতে পারে বলা হচ্ছে, পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করার উদ্যোগকে দেখা হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার শুভেচ্ছাসূচক পদক্ষেপ হিসেবে। কিন্তু এও বলা হচ্ছে যে খারাপ আবহাওয়ার কারণে এই উদ্যোগ পিছিয়েও যেতে পারে। বৈঠকের ব্যাপারে দুপক্ষের তরফেই পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মধ্যেও দুই নেতা আলোচনার দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত বৈঠকের প্রায় তিন সপ্তাহ আগে হঠাৎ করে এই অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হলো কেন? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রীয়াজ বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এজন্যে চারটি কারণের কথা উল্লেখ করেছেন। ১. প্রথম কারণ হচ্ছে জন বোল্টনের কিছু মন্তব্য। আলী রীয়াজ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা জন বোল্টনের সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। "তিনি যেভাবে একতরফাভাবে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের কথা বলেছেন এবং লিবিয়া মডেলের কথা উল্লেখ করেছেন সেটা উত্তর কোরিয়ার জন্যে একটা বড় রকমের ভীতি তৈরি করেছে," বলেন মি. রীয়াজ। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর চাপে ২০০৩ সালে লিবিয়া তার গণ-বিধ্বংসী অস্ত্র পরিহারের কথা ঘোষণা করেছিল। লিবিয়ার উপর থেকে তখন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাও ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লিবিয়ার সাথে যুদ্ধে কর্নেল গাদ্দাফি নিহত হন। ২. দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে যৌথ মহড়া। আলী রীয়াজ বলেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়া অলিম্পিকের কারণে পেছানো হয়েছিল। উত্তর কোরিয়া চাইছিল এই মহড়া বাতিল করা হোক। কিন্তু সেটা বাতিল না করে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।" স্যাটেলাইট থেকে তোলা একটি পরমাণু স্থাপনার ছবি। ৩. তিন নম্বর কারণ হচ্ছে, "চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের যে বাণিজ্য লড়াই প্রায় শুরু হতে যাচ্ছে বা হওয়ার মতো পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে সেটাও এর পেছনে পরোক্ষভাবে কাজ করেছে' বলে মনে করেন আলী রীয়াজ। "চীন যেহেতু উত্তর কোরিয়ার বড় সমর্থক এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের যখন এক ধরনের টানাপড়েন চলছে, এরকম একটা পরিস্থিতিতে চীন সম্ভবত উত্তর কোরিয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উপর একটা চাপ তৈরি করতে চাইছে," বলেন তিনি। ৪. আর চতুর্থ হচ্ছে, আলী রীয়াজ মনে করেন, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে যতোটা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়তো তারচেয়েও বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছেন। আলী রিয়াজ বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে বর্তমানে দুটো ধারণা এখন স্পষ্ট। একটি হচ্ছে জন বোল্টনের ধারণা। তিনি মনে করেন এই আলোচনা সফল হবে না। ফলে যুদ্ধের জন্যে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। আর অন্যটি হচ্ছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর ধারণা। তিনি একাধিকবার উত্তর কোরিয়াতে গেছেন। অতীতে তিনি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে বারবার সামরিক অভিযানের কথা বললেও এখন তিনি চাইছেন অন্তত আলোচনাটা হোক। "সম্ভবত হোয়াইট হাউজের কথা বিবেচনা করেই তিনি অনেক দূর পর্যন্ত যেতে চান। এই পার্থক্যের কারণে বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে যে এক ধরনের টানাপড়েন চলছে। এবং এই টানাপড়েনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের উপর চাপ তৈরি করতে চায় উত্তর কোরিয়া," বলেন তিনি। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বেশ কিছু শর্তের কথা বলেছেন যদিও তিনি সেসব প্রকাশ করেননি। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার একতরফাভাবে পরমাণু কর্মসূচি পরিহারের কথা বলছেন। তাহলে কি বাধাটা এখন যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকেই আসছে? এই প্রশ্নের জবাবে মি. রীয়াজ বলেন, একটা শীর্ষ বৈঠকের আগে দুপক্ষকে মাঝামাঝি জায়গায় আসতে হবে যেটা এখনও তৈরি হয়নি। "যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে উত্তর কোরিয়া চায় ওই এলাকাতে যাতে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি না থাকে। সেটা আসলে যুক্তরাষ্ট্র মানতে চাইছে না। এছাড়াও ওই এলাকায় অন্যান্য দেশগুলোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র যে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে উত্তর কোরিয়া সেটাও চায় না। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে একতরফাভাবে উত্তর কোরিয়ার উপর চাপ দিচ্ছে। ফলে শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তুতিটা এখনও তৈরি হয়নি," বলেন তিনি। | US President Donald Trump has said there is a "very substantial chance" a historic summit with North Korea's Kim Jong-un next month may not happen. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে ভিডিওতে দেখা গেছে বলতে "মুসলিমদের হাত থেকে হিন্দুদের সম্মানরক্ষার খাতিরে" এই ঘটনা। সম্প্রতি দিল্লিতে এধরনের সহিংসতা বন্ধের দাবিতে 'শান্তি মিছিল' করেছে ভারতের একটি মুসলিম সংগঠন হত্যার পর কার্যত 'ধর্মীয় কারণে চালানো এই হামলার' ভিডিও ইন্টারনেটে শেয়ার করা হয়। দ্বিতীয় আরেকটি ভিডিওতে অভিযুক্ত হত্যাকারীকে হামলার স্বপক্ষে যুক্তি দিতে শোনা যায় ''মুসলিমদের হাত থেকে হিন্দুদের সম্মানরক্ষার খাতিরে এই হামলা।'' পুলিশ বলেছে সন্দেভাজন ব্যক্তি শম্ভু লাল নামে একজন হিন্দু এবং নিহত ব্যক্তি একজন মুসলমান। রাজস্থানের কোন কোন এলাকায় ইন্টারনেট সেবা ব্যবস্থা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে এবং এই ভিডিও শেয়ার না করার জন্য লোকজনের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে। শান্তি রক্ষায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই হামলার ঘটনা ঠিক কখন ঘটেছে তা স্পষ্ট নয়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সন্দেহভাজন শম্ভু লাল মুসলিমদের সাবধান করে দিয়ে বলছে: ''আমাদের দেশে যদি 'লাভ জিহাদ' চালাতে চান- আপনারও এই পরিণতি হবে।'' বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ভারতের ক্ষুদ্র কয়েকটি কট্টর হিন্দু গোষ্ঠির প্রচারণায় এই 'লাভ জিহাদ' শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই গোষ্ঠিগুলো মুসলমানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে তারা ''হিন্দু নারীদের ভুলিয়ে ভালিয়ে তাদের নিজেদের ধর্ম থেকে সরিয়ে আনার ষড়যন্ত্রে'' লিপ্ত রয়েছে। উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা আনন্দ্ শ্রীবাস্তবা বিবিসি হিন্দিকে জানিয়েছেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছু ''ঘৃণা উস্কে দেওয়া'' ভিডিও শেয়ার করেছে। পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেছেন হামলাকারী এবং নিহত দুই ব্যক্তি একে অপরকে চিনত না এবং তাদের মধ্যে শত্রুতার কোন ইতিহাস নেই। নিহত ব্যক্তির নাম মোহম্মদ আফরাজুল এবং সে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সেখানে কাজ করতে যাওয়া এক দিনমজুর। রাজস্থানের উদয়পুর শহরে গত দশ বছরের ওপর ওই ব্যক্তি কাজ করছে এবং ওই শহরের বাসিন্দা। ''আমরা জেনেছি শম্ভু লালের পরিবারের কারোর ভিন্ন ধর্মে বিয়ে হয়নি। এই ভিডিওগুলোতে সে ঘৃণা ছড়ানো বিবৃতি দিয়েছে। সহিংসতা এড়ানোর জন্য আমরা দুই সম্প্রদায়কে নিয়ে বৈঠক করছি,'' বলে জানান মি: শ্রীবাস্তবা। | Police in the western Indian state of Rajasthan have arrested a man who allegedly hacked another man to death and set him alight before sharing video of the apparent religious attack. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | বিক্ষুব্ধ জনতা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিবিসি এশিয়ার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইসলামের নবী মোহাম্মদকে নিয়ে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালালে ওই তিনজন ব্যক্তি মারা যান। স্থানীয় একজন রাজনীতিবিদের আত্মীয় যিনি ফেসবুকে ওই 'আপত্তিকর' পোস্ট দিয়েছিলেন, তার বাড়ির সামনে বিক্ষুব্ধ মানুষজন তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে বলে বিক্ষোভ করছিল। পুলিশ বিবিসি হিন্দিকে জানিয়েছে, এক পর্যায়ে তারা যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের ওপর পাথর ছুঁড়তে থাকে। ফেসবুকে পোস্ট দেয়া ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে, সেই সঙ্গে ১১০ জন বিক্ষোভকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরো পড়ুন: অযোধ্যায় ভূমিপুজো দিয়ে রামমন্দির নির্মাণ উদ্বোধন করলেন মোদী বিএসএফ-বিজিবি প্রকাশ্য রেষারেষি: বৃহত্তর কোনো বিরোধের ইঙ্গিত? 'হিন্দুদের রক্তস্নান' শিরোনামে ভাইরাল ভিডিওর মানুষটি একজন মুসলিম নাগরিকত্ব নিয়ে শঙ্কিত আসামের যেসব হিন্দু-মুসলিম ব্যাঙ্গালোরের পুলিশ কমিশনার কমল পন্থ বিবিসিকে জানিয়েছেন, "গোটা শহরেই ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। এছাড়া ডি জে হাল্লি এবং কে জি হাল্লি - নামে শহরের দুইটি থানা এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।" সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ৬০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বুধবার 'পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে' রয়েছে বলে পুলিশ টুইট করে জানিয়েছে, পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাস এবং লাঠি চার্জের পরই কেবলমাত্র গুলি চালিয়েছে পুলিশ। পরে কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। কর্নাটকের রাজধানী ব্যাঙ্গালোর। পুলিশ কমিশনার মি. পন্থ বলেছেন, "থানার চারদিক থেকে বড় বড় পাথর ছুঁড়ে আক্রমণ করা হচ্ছিল। হঠাৎই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উত্তেজিত জনতাকে সামলাতে কিছুটা সময় লেগেছে। কিন্তু চারদিক থেকে যেভাবে পাথর ছোঁড়া হচ্ছিল, গুলি চালানো ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না।" রাতের ওই ঘটনার পরে বুধবার সকালেও দেখা গেছে থানার সামনে পুলিশের গাড়ি উল্টে পড়ে আছে, সেগুলি থেকে ধোঁয়া বেরুচ্ছে। কয়েকটি গাড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। আরো পড়তে পারেন: অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে বাংলাদেশে উদ্বেগ, জেলায় জেলায় চিঠি রামকে নিয়ে রসিকতা: অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা ঢাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজার নাকি ১৬ লাখ? গরুর প্রজনন দেখতে বিদেশ যাওয়া হচ্ছেনা সরকারি কর্মকর্তাদের পুলিকেশিনগর থেকে নির্বাচিত জনতা দলের (সেকুলার) বিধায়ক এ শ্রীনিবাস মূর্তির ভাতিজা ওই আপত্তিকর পোস্টটি করেছিলেন, সেটি পরে সরিয়ে নেয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে ওই বিধায়ক মি. মূর্তি সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, "আমার মুসলমান ভাইদের কাছে আবেদন, একজন আইন ভঙ্গকারীর কারণে হানাহানি করবেন না। যা কিছুই হোক, আমরা সবাই ভাই। দোষীর শাস্তি হবেই। আমি আপনাদের সঙ্গেই আছি। দয়া করে শান্তি বজায় রাখুন।" পাশাপাশি কর্ণাটকের আমির-এ-শরিয়ত হজরত মৌলানা শাগির আহমেদও মুসলমানদের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন শান্তি বজায় রাখার জন্য। তিনি বলেছেন, "পুলিশ যখন বলেছে যে অবমাননাকর কাজটির জন্য যে দোষী, তার শাস্তি হবে, তখন শান্তি বজায় রাখাই উচিত। দয়া করে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। সরকার নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে।" | Three people have died in the Indian city of Bangalore after police fired on crowds protesting against an allegedly blasphemous Facebook post. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ভারত শাসিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকেই বিক্ষোভ চলছে সেখানে সেখানাকার একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেছে বিবিসি। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করে যে তাদেরকে তার ও লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে এবং বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয়েছে। অনেক গ্রামের বাসিন্দারাই বিবিসিকে ক্ষতচিহ্ন দেখান, কিন্তু কর্তৃপক্ষের সাথে সেসব অভিযোগ সম্পর্কে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ভারতের সেনাবাহিনী এসব অভিযোগকে 'ভিত্তিহীন ও প্রমাণসাপেক্ষ নয়' বলে দাবি করেছে। অগাস্টের ৫ তারিখ ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাশ্মীরকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়া অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকে তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কার্যত বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে কাশ্মীর। কাশ্মীর অঞ্চলকে ধারণা করা হয় এমন একটি এলাকা হিসেবে যেখানে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সামরিক সদস্যদের অবস্থান রয়েছে, তার ওপর বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সেখানে আরো অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে ভারত সরকার। কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, অ্যক্টিভিস্টসহ প্রায় তিন হাজার মানুষকে আটকও করা হয়েছে। অনেককেই রাজ্যের বাইরের কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব পদক্ষেপ শুধুই রাজ্যটির জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে। গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে ভারতের সেনাবাহিনী কাশ্মীরে সশস্ত্র জঙ্গিবাদ দমনে লড়াই করে যাচ্ছে। ভারতের অভিযোগ, ঐ অঞ্চলের জঙ্গিদের সহায়তা করে পাকিস্তান - যেই অভিযোগ কাশ্মীরের একাংশ নিয়ন্ত্রণ করা পাকিস্তান সবসময়ই অস্বীকার করেছে। অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপ করার সিদ্ধান্তকে ভারতের বিভিন্ন অংশের মানুষ স্বাগত জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী'র এই 'সাহসী' সিদ্ধান্তকে ভারতের গণমাধ্যমও সাধুবাদ জানিয়েছে। আরো পড়তে পারেন: কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের লড়াইয়ের কারণ কী? এক নজরে কাশ্মীর ও ৩৭০ অনুচ্ছেদের ইতিহাস কাশ্মীর: 'বাড়ি বাড়ি গিয়ে যুবকদের তুলে নেয়া হচ্ছে' কাশ্মীর: অন্যান্য রাজ্যের জন্যও কি একটি সংকেত? কাশ্মীর: অনুচ্ছেদ ৩৭০ কেন গুরুত্বপূর্ণ? একজন ভুক্তভোগীর পায়ে নির্যাতনের ক্ষতচিহ্ন, ভারতীয় সেনাদের হাতে নির্যাতিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি সতর্কতা: নিচের বর্ণনা অনেক পাঠকের কাছে অস্বস্তির কারণ মনে হতে পারে আমি দক্ষিণ কাশ্মীরের অন্তত ৬টি গ্রামে ঘুরেছি, যেগুলো গত কয়েকবছরে ভারত বিরোধী সশস্ত্র জঙ্গিবাদের উত্থানের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হতো। সেসব গ্রামের সবগুলোতর বাসিন্দাদের কাছ থেকেই নির্যাতনের একই ধরণের বক্তব্য জানতে পারি। সেসব এলাকার ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি, তবে গ্রামবাসীরা আমাকে তাদের শরীরের ক্ষত দেখিয়ে দাবি করেছেন যে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতেই নির্যাতনের শিকার হয়েছে তারা। একটি গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন যে ভারতের সংসদে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের ঘোষণা আসার সাথে সাথে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালায় সেনাবাহিনী। একটি গ্রামের দু'জন বাসিন্দা, যারা সম্পর্কে দুই ভাই, বলেন ঐদিন সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের বাড়ি থেকে জোর করে বের করে নিয়ে গিয়ে আরো কয়েকজন গ্রামবাসীর সাথে একসাথে দাঁড় করায়। অন্যান্যদের মত ঐ দুই ভাইও নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করতে চায়নি। "তারা আমাদের ব্যাপক মারধর করে। আমরা তাদের জিজ্ঞাসা করি: আমরা কী করেছি? কিন্তু তারা আমাদের কোনো কথাই শোনেনি, কিছু বলেওনি, তারা আমাদের মারতেই থাকে," বলেন দুই ভাইয়ের একজন। "আমার শরীরের প্রতিটি অংশে তারা আঘাত করে। তারা আমাদের লাথি দেয়, লাঠি ও তার দিয়ে মারে, বৈদ্যুতিক শকও দেয়। নির্যাতনের একপর্যায়ে যখন আমরা অজ্ঞান হয়ে যাই তখন বৈদ্যুতিক শক দিয়ে আমাদের জ্ঞান ফিরিয়ে আনে।" "লাঠি দিয়ে মারার সময় আমরা যখন চিৎকার করছিলাম, তখন আমাদের মুখ বন্ধ করার জন্য মুখে কাদা ভরে দেয়।" "আমরা তাদের বারবার বলতে থাকি যে আমরা নির্দোষ। তাদের জিজ্ঞাসা করি কেন আমাদের নির্যাতন করছে। কিন্তু তারা এসব কোনো কথাই শোনেনি।" একজন গ্রামবাসীর পিঠে নির্যাতনের ফলে হওয়া ক্ষতচিহ্ন "নির্যাতনের একপর্যায়ে তাদের বলি যে আমাদের মেরো না, এর চেয়ে গুলি করো। একপর্যায়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে অনুনয় করি যেন আমাদের উঠিয়ে নেয়।" গ্রামের আরেকজন তরুণ জানান, কিশোর ও তরুণদের মধ্যে কে কে পাথর ছুঁড়ে মেরেছে তাদের নাম বলতে সেনা সদস্যরা তাকে বারবার চাপ দিতে থাকে। এই তরুণ ও কিশোররা বিগত কয়েকবছর ধরে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের প্রতিমূর্তি হিসেবে অনেকটাই প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। ঐ তরুণটি সেনা সদস্যদের বলেন যে, তিনি তাদের নাম জানেন না। তারপর সেনা সদস্যরা তার চশমা, জুতা ও কাপড় খুলতে নির্দেশ দেয়। "আমার গায়ের কাপড় খোলার পর তারা আমাকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পেটায়, প্রায় দু'ঘন্টা যাবত। যখনই অজ্ঞান হয়ে যেতাম, তারা বৈদ্যুতিক শক দিতো আমার জ্ঞান ফেরানোর জন্য।" "তারা যদি আবারো আমার সাথে এরকম করে, তাহলে আমি যে কোনোভাবে এর প্রতিরোধ করবো। প্রয়োজনে অস্ত্র হাতে তুলে নেবো।" তরুণটি বলে, সৈন্যরা তাকে সতর্ক করে দেয় যে গ্রামের কেউ যদি কোনো ধরণের বিক্ষোভে অংশ নেয় তাহলে তাদের পরিণতিও একই হবে। গ্রামের মানুষ মনে করে সেনা সদস্যরা এরকম নির্যাতন করেছে যেন গ্রামবাসীরা কোনো ধরণের বিক্ষোভে অংশ নিতে ভয় পায়। নিরাপত্তারক্সীদের দিকে বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুঁড়ে মারলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে বিবিসিকে দেয়া এক বিবৃতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে আনা 'অভিযোগ অনুযায়ী কোনো নাগরিকের সাথে জবরদস্তি করেনি' তারা। "এধরণের কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। এই অভিযোগগুলো শত্রুভাবাপন্ন মানসিকতা থেকে উদ্ধৃত," এরকম দাবি করেন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল আমান আনন্দ। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হলেও 'সেনাবাহিনীর নেয়া পদক্ষেপের কারণে নিহত বা আহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি' বলে মন্তব্য করেন কর্নেল আনন্দ। আমরা বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখতে পাই যে সেখানকার বাসিন্দাদের অনেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। গ্রামবাসীদের ভাষায়, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা 'মুক্তিযোদ্ধা'। কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন কেেড়ে নেয়ার পর সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে শ্রীনগরের সৌরা এলাকায় কাশ্মীরের এই অঞ্চলের একটি জেলাতেই ফেব্রুয়ারিতে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪০ জনের বেশি ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়। এই অঞ্চলেই ২০১৬ সালে জনপ্রিয় কাশ্মীরী জঙ্গি নেতা বুরহান ওয়ানি নিহত হয়, যার পর কাশ্মীরী তরুণদের অনেকেই ভারতের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে যোগ দেয়। কাশ্মীরের ঐ অঞ্চলে একটি সেনা ক্যাম্প রয়েছে এবং সেখানকার সেনা সদস্যরা নিয়মিত ভিত্তিতে জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদদের খোঁজে ঐ গ্রামগুলোতে তল্লাশি অভিযান চালায়। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রায়ই সেনাবাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দ্বন্দ্বের ভুক্তভোগী হতে হয় তাদেরকে। একটি গ্রামের একজন তরুণ জানায়, জঙ্গিদের খবর জোগাড় করে না দিলে তার নামে মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করা হবে বলে তাকে হুমকি দিয়েছিল সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এই কাজে অস্বীকৃতি জানালে তাকে এমন নির্যাতন করা হয় যে দু'সপ্তাহ পরেও সে সোজা হয়ে বিছানায় শুতে পারছে না। "এরকম অবস্থা যদি চলতে থাকে তাহলে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হবো আমি। তারা আমাদের এমনভাবে মারে যেন আমরা মানুষ না, পশু।" নির্যাতনের শিকার আরেকজন বলেন অন্তত ১৫-১৬ জন সেনা সদস্য তাকে মাটিতে ফেলে রড, লাঠি, তার দিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে। "আমার জ্ঞান প্রায় ছিলই না। তারা আমার দাড়ি ধরে এত জোরে টানে যে আমার মনে হচ্ছিল যে আমার দাঁত উপড়ে আসবে।" পরে জ্ঞান ফিরলে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজনের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন যে একজন সৈন্য তার দাড়ি পুড়িয়ে দিতে চাইলেও আরেকজন সৈন্য বাধা দেয়ায় শেষপর্যন্ত তার দাড়ি পুড়ানো হয় নি। আগে থেকেই বিপুল পরিমাণ সেনা সদস্যের অবস্থান থাকা কাশ্মীরে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত সেনা আরেকটি গ্রামে সংবাদদাতা সামির হাশমি এক তরুণের দেখা পান যার ভাই দু'বছর আগে ভারত শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম করা হিজবুল মুজাহিদিন গোষ্ঠীতে যোগ দেয়। তরুণটি জানায়, একটি ক্যাম্পে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং সেখান থেকে সে পায়ে ফ্র্যাকচার নিয়ে বের হয়। "আমার হাত পা বেঁধে উপুর করে ঝুলায় তারা। এরপর দুই ঘন্টার বেশি সময় ধরে আমাকে মারতে থাকে।" কিন্তু সেনাবাহিনী কোনো ধরণের অবৈধ কার্যক্রমের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিবিসিকে দেয়া বিবৃতিতে সেনাবাহিনী মন্তব্য করে যে তারা 'পেশাদার একটি সংস্থা যারা মানবাধিকারের বিষয়টি বোঝে এবং সম্মান করে' এবং তারা 'অভিযোগগুলো দ্রুততার সাথে তদন্ত করছে।' বিবৃতিতে তারা বলে যে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গত পাঁচ বছরে আনা ৩৭টি অভিযোগের ২০টিই 'ভিত্তিহীন' হিসেবে পেয়েছে তারা। ঐ অভিযোগগুলোর মধ্যে ১৫টির তদন্ত হচ্ছে এবং 'শুধুমাত্র ৩টি অভিযোগ তদন্ত করার যোগ্য' বলে মন্তব্য করেছে তারা। ঐ বিবৃতিতে আরো জানানো হয় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। বিবিসি'র আমির পীরজাদা জানান শুরুতে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও ধীরে ধীরে তা উত্তপ্ত রুপ নেয় তবে গত তিন দশকে কাশ্মীরীদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শতাধিক অভিযোগের সংকলন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দু'টি কাশ্মীরী মানবাধিকার সংস্থা। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন কাশ্মীরীদের বিরুদ্ধে হওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোর সুষ্ঠু ও স্বাধীনভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তদন্তের উদ্দেশ্যে তদন্ত কমিশন গঠন করার আহ্বান জানিয়েছে। ঐ অঞ্চলে নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে ৪৯ পাতার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তারা। জাতিসংঘের ঐ প্রতিবেদনটিও প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতের কর্তৃপক্ষ। কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর কাঁদানে গ্যাসে মৃত্যুর অভিযোগ পরিবারের কাশ্মীরে আসলে কী হচ্ছে? | Security forces in Indian-administered Kashmir have been accused of carrying out beatings and torture in the wake of the government's decision to strip the region of its autonomy. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে সাম্প্রতিক এক বিমান দুর্ঘটনার চিত্র। এরকম একটি দেশ হচ্ছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র বা ডিআরসি। সম্প্রতি এই দেশটিতে দুটো দুর্ঘটনার পর বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে বড় রকমের প্রশ্ন উঠেছে। সবশেষ দুর্ঘটনাটি হয়েছে নভেম্বরে, পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমায়। বিমানটি একটি বাড়ির উপরে আছড়ে পড়লে ২৭ জন প্রাণ হারান। এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্ক সারা বিশ্বে বিমান চলাচলের উপর নজর রাখে এবং এবিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। তাদের তথ্য উপাত্তে দেখা যায়, ১৯৪৫ সালের পর আফ্রিকা মহাদেশের এই দেশটিতেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনায় পড়েছে। নর্থ ড্যাকোটা ইউনিভার্সিটির ড্যানিয়েল কাওয়াসি আদজেকুম বলছেন, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে প্রচুর দুর্ঘটনার পেছনে রয়েছে নানা কারণ - ভৌগলিক ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় দুর্বলতা। একই সাথে এই দেশটিতে বিমানে চলাচল করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ,কারণ রাজধানী কিনশাসা থেকে দেশটির ২৫টি বড় বড় শহরের মাত্র চারটি ছাড়া আর কোনটিতেই সড়ক পথে যাওয়া যায় না। দেশটির বিমান বন্দরের অবকাঠামো খুবই সেকেলে ও ভগ্নপ্রায়, বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্যে যে ট্রাফিক ব্যবস্থা ও যন্ত্রপাতি আছে - সেসবও কোন রকমে কাজ চালানোর মতো। এছাড়াও যেসব বিমান ব্যবহার করা হয় সেগুলোও বাতিল হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায়, কিম্বা বহু বছরের পুরনো। ফ্লাইট ক্রু এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে যারা কাজ করেন - তাদের নিয়েও সমস্যা আছে। তাদের ওপর নজরদারি করার মতো তেমন শক্ত কোন ব্যবস্থা নেই। আর কিছু কিছু দুর্ঘটনার জন্যে দায়ী খারাপ আবহাওয়া - প্রবল বৃষ্টিপাত, ঝড়-বাদল। বর্ষাকালে বিমান চলাচলের জন্যে এসবও বড়ো হুমকি হয়ে ওঠে। চলছে উদ্ধার কাজ। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা হয় কোথায় ২০১০ সালের পর থেকে সবচেয়ে বেশি বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তার পরেই রাশিয়া, ক্যানাডা, মেক্সিকো এবং ইন্দোনেশিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্যিকভাবে যেসব রুট ব্যবহৃত হয়, বিশ্বের মধ্যে সেগুলোই সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত। এই পথে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিমান চলাচল করে আর একারণে সেখানে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে বেশি। এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে রাশিয়াতে, ৫৩২। তারপরেই ইন্দোনেশিয়া, যেখানে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫২০ জন। এই দুটো দেশে বিমান যাত্রীর সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের সংখ্যাও। গত ১০ বছরে রাশিয়াতে বিমান-যাত্রীর সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে আর ইন্দোনেশিয়াতে বেড়েছে চার গুণ। এই একই সময়ে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে দুর্ঘটনায় যতো মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, একই সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে নেপালেও। এই দুটো দেশেই এই ১০ বছরে ১৮০ জনের মতো নিহত হয়েছে। নেপালেও বিমান দুর্ঘটনার জন্যে এর ভূ-প্রাকৃতিক কারণকে দায়ী করা হয়। বিমান বন্দর এমন একটি জায়গায় যেখানে পাহাড় কাটিয়ে রানওয়েতে অবতরণ করা অনেক সময়ই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও দুর্বলতা আছে নেপালে। এসব স্বত্বেও দেশটিতে বিমান-যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। যাত্রীর সংখ্যা গত কয়েক বছরে হু হু করে বেড়েছে। ডিআরসির চাইতেও নেপালে যাত্রীবাহী বিমানের সংখ্যা তিনগুণ বেশি। সারা বিশ্বে যতো বিমান চলাচল করে তার মাত্র শূন্য দশমিক এক শতাংশ বিমান চলে ডিআরসিতে। অর্থাৎ বিশ্বে এক হাজার বিমান থাকলে এই দেশে বিমান আছে মাত্র একটি। কিন্তু ২০১০ সালের পর থেকে মোট বিমান দুর্ঘটনার চার শতাংশই ঘটেছে এই দেশে। একারণে এই দেশটির বিমান ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক দেশেই আসা নিষিদ্ধ কিম্বা সীমিত। নেপাল বিমান দুর্ঘটনাঃ যে ক্ষত এখনো শুকায়নি আরো পড়তে পারেন: পাখির ধাক্কায় ভুট্টা ক্ষেতে রুশ বিমান উড়ন্ত বিমান থেকে মৃতদেহ পড়লো বাড়ির বাগানে রানওয়ে চিহ্নিত করে বিমান অবতরণ করালো অটোপাইলট আফ্রিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও বিমান চলাচল খুব একটা নিরাপদ নয়। আফ্রিকার আরো ১৩টি দেশ ছাড়াও এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার কিছু দেশের বিমানও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওঠা-নামার ব্যাপারে কঠোর বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হয়। ডিআরসির জন্যে সবচেয়ে খারাপ বছর ছিল ২০০৭। ওই এক বছরেই আটটি বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। সেসময় আন্তনভের একটি বিমান রাজধানী কিনশাসায় রানওয়ে থেকে বাইরে ছুটে গিয়ে একটি বাজারের ভেতরে ঢুকে পড়ে। ওই দুর্ঘটনায় ২৩৭ জন নিহত হয়। আরো পড়তে পারেন: ঢাকার ৪৪ শতাংশ মানুষ ভুগছে বিষণ্ণতায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় মাদক পরীক্ষার চিন্তা কেন? ভিন্নরকম হওয়ায় এই মানুষগুলোর যত হেনস্থা | While flying is one of the safest ways to travel, in some countries with inadequate regulation and difficult terrain, it can be deadly. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | শেখ নাহিয়ান আল নাহিয়ান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৩২ বছর বয়সী এই মহিলার নাম কেইটলিন ম্যাকনামারা। তিনি ব্রিটেনের সানডে টাইমস পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তার অভিযোগের বিস্তারিত জানিয়েছেন। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে কেইটলিন ম্যাকনামারা ছিলেন আবুধাবীতে। সেখানে তিনি 'হে সাহিত্য উৎসব' আয়োজনের কাজ করছিলেন। তখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৬৯ বছর বয়স্ক মিনিস্টার অব টলারেন্স বা সহনশীলতা বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয় এক নিরালা রাজপ্রাসাদে। কেইটলিন ম্যাকনামারা জানিয়েছেন সেখানেই তার ওপর এই যৌন হামলা চালানো হয়। মন্ত্রী শেখ নাহিয়ান আল নাহিয়ান অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করছেন। তিনি আবুধাবীর রাজপরিবারের একজন সিনিয়র সদস্য। ব্রিটেনে তার যে বাড়ি আছে, সেটির দাম কোটি পাউন্ডের ওপরে। কেইটলিন ম্যাকনামারা ব্রিটেনে ফিরে আসেন এবং গত জুলাই মাসে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে এই কথিত যৌন হামলার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। কয়েকটি কারণে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত এখনো শুরু হয়নি। এর একটি হচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে ভিন্ন দেশে, যা লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের এখতিয়ারের বাইরে। এ ঘটনার ব্যাপারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পুলিশের কাছে কোন অভিযোগ নেই। আর যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে, তিনি যেহেতু রাজপরিবারের সদস্য, তাই তিনি ''সার্বভৌম সুরক্ষা''র অধিকার ভোগ করেন। অর্থাৎ কোন অভিযোগে তার বিচার করা যায় না। কেইটলিন ম্যাকনামারার আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন ব্যারনেস হেলেনা কেনেডি কিউসি। বিবিসি রেডিও ফোরের ''উইমেন্স আওয়ার'' অনুষ্ঠানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি চান ব্রিটিশ সরকার যেন এই ঘটনার ব্যাপারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওপর চাপ দেয়। তবে তিনি স্বীকার করেন যে আইনগতভাবে এটি করা বেশ কঠিন হবে। 'হে ফেস্টিভ্যাল' এ ঘটনায় তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, অভিযুক্ত মন্ত্রী যতদিন তার পদে আছেন, ততদিন তারা আর আবুধাবীতে এই উৎসব করবে না। তবে এ ঘটনার ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিক থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কেবল মন্ত্রী শেখ নাহিয়ান আল নাহিয়ানের একজন আইনজীবী এই অভিযোগ অস্বীকার করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন এবং এই অভিযোগ যেভাবে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়েছে সে ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। শেখ নাহিয়ান ১৯৯২ সাল হতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। নিজ দেশে তিনি বেশ পরিচিত এবং সন্মানিত এক ব্যক্তি। তাকে এখনো পর্যন্ত তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়নি। আরও পড়তে পারেন: কূটনৈতিক ঝড় ব্রিটেনের সঙ্গে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। কিন্তু এই সম্পর্কে মাঝে মধ্যেই মারাত্মক সংকট তৈরি করছে একের পর এক এধরণের কিছু ঘটনা। এবারেরটি সেরকমেরই এক মারাত্মক অভিযোগ। উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্কে এরকম অস্বস্তিকর ঘটনা ঘটছে সেই ১৯৮০ সাল থেকেই। সেবছর ব্রিটেনের একটি টেলিভিশন চ্যানেল আইটিভি-তে 'ডেথ অব এ প্রিন্সেস' বলে এক ডকুমেন্টারি-ড্রামা দেখানো হয়েছিল। এক সৌদি রাজকুমারী এবং তার প্রেমিককে জনসমক্ষে শিরোশ্চেদ করার ঘটনা নিয়ে ছিল অনুষ্ঠানটি। ম্যাথিউ হেজেস বলেছেন, তিনি গুপ্তচর ছিলেন না, পিএইচডির জন্য গবেষণা করছিলেন এই অনুষ্ঠান প্রচার করার পরিণামে ব্রিটেনকে সৌদি আরবের সঙ্গে প্রায় ২৫ কোটি পাউন্ডের ব্যবসা হারাতে হয়। এখন হয়তো অনেকে সেই ঘটনার কথা ভুলে গেছেন। সৌদি আরবে এখন নারী অধিকার পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু বাকি বিশ্বের অবস্থার সঙ্গে তাদের পরিস্থিতির এখনো বিরাট ফারাক। ১৯৮৪ সালে ঘটেছিল আরেকটি ঘটনা। সৌদি আরবে তৎকালীন বিদায়ী ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার জেমস ক্রেইগ এক গোপন কূটনৈতিক বার্তা পাঠিয়েছিলেন লন্ডনে তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে। সেখানে তিনি বলেছিলেন, সৌদি সরকার হচ্ছে 'অযোগ্য এবং তাদের চারপাশের দুনিয়ায় যা ঘটছে সেগুলো থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন, দুনিয়া সম্পর্কে একেবারে অজ্ঞ।' এই অতি গোপন কূটনৈতিক বার্তাটি ফাঁস হয়ে গেল। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতরের জন্য এটি এক সাংঘাতিক বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করলো। ২০১৮ সালে ঘটেছিল আরেক ঘটনা। সেবছর দুবাইতে পিইচডির জন্য গবেষণারত এক ব্রিটিশ ছাত্র ম্যাথিউ হেজেসকে গ্রেফতার করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ব্রিটেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্কে সেটি এক বড় কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। ম্যাথিউ হেজেসের গবেষণা ছিল আরব বসন্তের বিদ্রোহের পর আরব দেশগুলোর নিরাপত্তা বিষয়ে। কিন্তু আরব আমিরাতের কর্মকর্তারা দাবি করলেন, তারা ম্যাথিউ হেজেসের ল্যাপটপে এমন কিছু জিনিস পেয়েছেন, যা প্রমাণ করে তিনি একজন গুপ্তচর। ম্যাথিউ হেজেস এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। ম্যাথিউ হেজেসকে কয়েক মাস ধরে আটকে রাখা হয়। পরে অবশ্য তাকে ক্ষমা করে মুক্তি দেয়া হয়। কিন্তু ম্যাথিউ হেজেস অভিযোগ করেন, বন্দি থাকা অবস্থায় তাকে নির্জন কারাবাসে রেখে তার ওপর মানসিক নিপীড়ন চালানো হয়েছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাত এখনো মনে করে ম্যাথিউ হেজেস একজন গুপ্তচর ছিলেন। কিন্তু ব্রিটেন বলছে, তিনি গুপ্তচর ছিলেন না। এ বছরের শুরুতে কোভিড-১৯ মহামারি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার কিছু আগে লন্ডনের হাইকোর্টে শুরু হয়েছিল এক সাড়া জাগানো আইনি লড়াই। এই মামলার একদিকে দুবাইর শাসক শেখ মোহাম্মদ আল-মাখতুম। অন্যপক্ষে তার সাবেক স্ত্রী , জর্ডানের প্রিন্সেস হায়া। শেখ মোহাম্মদ আল-মাখতুমের সর্বাত্মক চেষ্টা ছিল প্রিন্সেস হায়া যেসব গুরুতর অভিযোগ এনেছেন সেগুলি যেন প্রকাশ না পায়। কিন্তু আদালতের বিচারকদের রায় গেল তার বিপক্ষে। এই রায়ের পর ৭০ বছর বয়সী শেখ মোহাম্মদ আল মাখতুম, যিনি ঘোড়দৌড়ের জগতে খুবই বিখ্যাত, তার ব্যাপারে অনেক গোপন কথা ফাঁস হয়ে গেল। বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতাগুলোর একটি হচ্ছে ব্রিটেনের অ্যাসকট। প্রতিবছর সেখানে শেখ মোহাম্মদকে দেখা যায় ব্রিটেনের রাণীর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে। হাইকোর্টের রায়ের পর বিশ্ব জানতে পারলো, শেখ মোহাম্মদের দুই কন্যা যখন পরিবার ছেড়ে পালাতে চেয়েছিল তখন কীভাবে তিনি তাদের অপহরণের পর অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন। লন্ডনের হাইকোর্টের বিচারক শেখ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে রায়ে আরও বলেছিলেন, তিনি তার সাবেক স্ত্রীকে ভয় দেখানো এবং হয়রানির জন্য অনেক চেষ্টা চালিয়েছেন। প্রিন্সেস হায়া এরপর গত বছর তার সন্তানদের নিয়ে ব্রিটেনে পালিয়ে আসেন। তিনি বলেছিলেন, তিনি তার জীবন নিয়ে শংকিত। আরও পড়ুন: বিতর্কের পরও সৌদি আরবকে কেন অস্ত্র জুগিয়েই চলেছে ব্রিটেন রাজকুমারী 'নিখোঁজ' না সংযুক্ত আরব আমিরাতেই আছেন? প্রিন্সেস হায়া বনাম দুবাইর শেখ: লন্ডনে আইনি লড়াই প্রিন্সেস হায়া গত বছর সন্তানদের নিয়ে লন্ডনে পালিয়ে আসেন এই ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর সেটি বিশ্বে ঘোড়দৌড়ের জগতে বিরাট আলোড়ন তুলেছিল। তখন কেউ কেউ এমন দাবিও তুলেছিলেন, শেখ মোহাম্মদের সঙ্গে যেন সবাই সম্পর্ক ছিন্ন করেন। ব্রিটেনের সঙ্গে ছয়টি উপসাগরীয় দেশের মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত সম্পর্ক সৌদি আরবের সঙ্গে। সৌদি বিচার ব্যবস্থা খুবই অস্বচ্ছ, স্বেচ্ছাচারী এবং সমালোচিত। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু অভিযোগ উঠেছে। অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো সংস্থা এরকম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক ঘটনার তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। কিন্তু ব্রিটিশ শাসনযন্ত্র পরিচালিত হয় যে হোয়াইটহল থেকে, সেখানকার নীতিনির্ধারকরা সৌদি আরবকে দেখেন ভিন্ন আলোকে। তারা মনে করেন মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব ঠেকাতে সৌদি আরবই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা প্রাচীর। এছাড়া উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে কাজ করেন হাজার হাজার ব্রিটিশ নাগরিক। বিশেষ করে প্রতিরক্ষা খাতে। ইয়েমেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সৌদি রাজকীয় বিমান বাহিনী যেসব হামলা চালিয়েছে, সেখানে তারা ব্যবহার করেছে ব্রিটেনের বিক্রি করা যুদ্ধ বিমান এবং বোমা। এই যুদ্ধ যে বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে তা জাতিসংঘের বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে গুরুতর মানবিক বিপর্যয়। তবে যে ঘটনাটি বিশ্বকে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা দিয়েছিল সেটি হচ্ছে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগজির হত্যাকান্ড। ২০১৮ সালের অক্টোবরে তাকে হত্যা করা হয়েছিল ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে। হত্যার পর তার দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়। তার দেহাবশেষ এখনো পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করে, এই ঘটনা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের যোগসাজশে হয়েছে এমন সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। তবে তিনি একথা অস্বীকার করেছেন। জামাল খাশোগজি: সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। গত জুলাই মাসে সৌদি আরব এই ঘটনার জন্য ২০ জন সৌদি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সৌদি আরবের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্কে কোন ধরণের ছেদ ঘটতে দেখা যায়নি। আকাশচুম্বী বিত্তের প্রভাব এতরকম কেলেংকারি যে ব্রিটেনের সঙ্গে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে কোন বিরূপ প্রভাবই ফেলে না তার অনেক কারণ আছে। এই সম্পর্ক যেন সামনের দিনগুলোতে আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যদি না হঠাৎ করে ব্রিটেন তার নীতি পুরোপুরি বদলে ফেলে। মধ্যপ্রাচ্যে যে চলমান অস্থিতিশীলতা, যেখানে ইরান এবং ইসলামিক স্টেটকে ব্রিটেন তার জন্য নিরাপত্তা হুমকি বলে মনে করে, সেখানে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর রাজতন্ত্রকে দেখে তার প্র্রয়োজনীয় মিত্র হিসেবে। ব্রিটেনের রাজকীয় বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো নিয়মিত উপসাগরীয় বিমান ঘাঁটিগুলোতে উড়ে যায়। বাহরাইনে তো ব্রিটেনের একটি স্থায়ী নৌ ঘাঁটি আছে- এইচএমএস জুফাইর। কাতারের সঙ্গে ব্রিটেনের টাইফুন যুদ্ধ বিমানের একটি যৌথ বহর আছে। ওমানও ব্রিটেনকে অনেক ধরণের সামরিক স্থাপনা ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে। ব্রিটেন সেগুলো ক্রমবর্ধমান হারে ব্যবহার করছে। আর তেল এবং গ্যাস বিক্রির অর্থে উপসাগরীয় দেশগুলো যেরকম বিপুল বিত্তশালী হয়ে উঠেছে, সেই কারণতো আছেই। এক সঙ্গে এই ছয়টি উপসাগরীয় দেশের যে বাজার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে তারাই ব্রিটেনের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। এসব দেশ থেকে ব্রিটেনে বিনিয়োগ করা হয় শত শত কোটি পাউন্ড। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি সংবাদপত্র 'দ্য ন্যাশনাল'কে দেয়া সাক্ষাৎকার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন স্বীকারও করেছেন, এই অঞ্চলটি ব্রিটেনের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই এরকম একটা পরিস্থিতিতে নিশ্চিত করে দুটি জিনিস বলা যায়। প্রথমটা হচ্ছে, এরকম আরও অনেক ঘটনার কথা ফাঁস হতে থাকবে। আর দ্বিতীয়ত: উপসাগরীয় আরব দেশগুলো তাদের ভাবমূর্তি ঠিক রাখার জন্য যেসব পাবলিক রিলেশন্স কনসালট্যান্সি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়, আরও বহু বছর ধরে তারা ভালোই ব্যবসা করে যেতে পারবে। | Allegations that have emerged this month made by a British woman who claims she was sexually assaulted by a senior member of the United Arab Emirate's ruling family are shocking. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাটির ছবি তিনি বলেন, নাতানজে পারমাণবিক কেন্দ্রের আগুনের কারণ তারা জানতে পেরেছেন, যদিও এর বিস্তারিত কিছু তিনি জানাননি। তবে আগুনে যেসব যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে সেগুলোর জায়গায় আরও উন্নত যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পারমাণবিক কেন্দ্রটির সেন্ট্রিফিউজ সংযোজন ওয়ার্কশপে আগুন লেগেছিল বলে জানা যাচ্ছে। তবে ইরানের কর্মকর্তারা এ দুর্ঘটনার জন্য সাইবার নাশকতাকে দায়ী করছেন। প্রসঙ্গত, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহৃত হয়। এছাড়া এটি রিয়েক্টর এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়। ইরানের অ্যাটমিক এনার্জি অর্গানাইজেশনের মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি বলেছেন নিরাপত্তাজনিত কারণে কর্মকর্তারা এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন না। "এ ঘটনায় উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে, কিন্তু কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি," বলেন তিনি। ইরানে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আরও কয়েকটি জায়গায় আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মিস্টার কামালভান্দি বলছেন, "এ ঘটনা অ্যাডভান্সড সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন ও উন্নয়নের গতিকে ধীর করতে পারে... ইরান ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের জায়গায় আরও বড় ভবন করবে যাতে আরও আধুনিক উপকরণ সংযোজিত হবে"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কত দ্রুত ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারবে? ইরানের এই রিভোলিউশনারি গার্ডস আসলে কারা? ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তিতে কী আছে? বৃহস্পতিবারের ঘটনা মিস্টার কামালভান্দি বলেন নির্মাণাধীন একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল শেডে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে প্রকাশ করা একটি ছবিতে দেখা যায় ভবনটি আগুনে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। পরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্লেষকরা এটিকে নতুন সেন্ট্রিফিউজ সংযোজন কারখানা হিসেবে শনাক্ত করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইরানি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলছে যে তারা বিশ্বাস করেন এটি সাইবার অ্যাটাকের ঘটনা, তবে তারা কোন প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। আরও যেসব ঘটনা ঘটেছে পারচিন মিলিটারি কমপ্লেক্সের কাছে বিস্ফোরণের ছয়দিন পর নাতানজের আগুনের ঘটনা ঘটলো। ইরান কর্তৃপক্ষ সেখানে গ্যাস ট্যাংক বিস্ফোরণের কথা জানিয়েছে, কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন স্যাটেলাইটে তোলা ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে যে এর কাছে মিসাইল উৎপাদন কেন্দ্র আছে। পারচিন তেহরানের কাছেই একটি জায়গা। পশ্চিমা শক্তিগুলো এটিকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ জায়গা মনে করে। ইরান বরাবরই তাদের পারমাণবিক কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণ দাবি করে। এদিকে রোববার কর্মকর্তারা জানায় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আহভাজে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। নাতানজে অ্যাডভান্সড সেন্ট্রিফিউজ দ্বিগুণ করেছে ইরান কেন নাতানজ গুরুত্বপূর্ণ? তেহরান থেকে প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার দক্ষিণে নাতানজ এবং এখানেই ইরানের সবচেয়ে বড় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সাইট। ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে দেখা গেছে ইরান সম্মত হয়েছিলো যে কম মাত্রার ইউরেনিয়াম উৎপাদন করবে যা পরমাণুভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য তেল উৎপাদন করবে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর গত বছর ইরান এই চুক্তি থেকে সরে আসে। এরপর ইরান নাতানজে অ্যাডভান্সড সেন্ট্রিফিউজ দ্বিগুণ করা হয়েছে বলে জানায়। | A fire that broke out on Thursday at a key Iranian nuclear facility has caused "significant damage", a spokesman for Iran's nuclear energy body has said. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | বাস্তিল দিবসের অনুষ্ঠান এন্টি-ড্রোন অস্ত্র প্রদর্শন করা হয় ডিফেন্স ইনোভেশন এজেন্সি (ডিআইএ) নতুন একটি প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এই লেখকরা ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ঝুঁকি কল্পনা করে বের করে সামরিক কৌশল ঠিক করা, যা হয়তো এখনো কেউ চিন্তা করেনি। এই দলের কর্মকাণ্ড হবে অত্যন্ত গোপনীয়। তারা নানা ধরণের বিষয় বিবেচনায় রেখে কাজ করবেন বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিরক্ষায় ফরাসিদের নতুন ধরণের কলাকৌশল উদ্ভাবনের অংশ হিসাবে এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। উদ্ভাবনী দলের একজন সদস্য বাস্তিল দিবসের সামরিক অনুষ্ঠানের সময় জনতার সামনে একটি জেট চালিত উড়ন্ত বোর্ডের প্রদর্শনী দেখান। এরপর প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো ওই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিওতে মন্তব্য করেন, ''আমাদের সেনাবাহিনী নিয়ে গর্বিত, যারা আধুনিক এবং উদ্ভাবক।'' আরো পড়ুন: ভারত-পাকিস্তানের সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা? প্রতিবেশীদের তুলনায় বাংলাদেশের সামরিক ব্যয়ের চিত্র বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর কী ধরণের সরঞ্জাম আছে? সৌদি আরবের সাথে সামরিক চুক্তি: বাংলাদেশের কী লাভ? দলের একজন উদ্ভাবক বাস্তিল দিবসের সামরিক অনুষ্ঠানের সময় জনতার সামনে একটি জেট চালিত উড়ন্ত বোর্ডের প্রদর্শনী দেখান। এই 'রেড টিমের' সদস্য কারা? এই টিমের মধ্যে রয়েছেন চার থেকে পাঁচজন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক। এই লেখকদের কাজ হবে প্রচলিত সেনাবাহিনীর চিন্তাভাবনার বাইরে গিয়ে ব্যতিক্রমী চিন্তাভাবনা করা। এসব কৌশলের মধ্যে তাদের ভেবে বের করতে হবে যে, সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো এবং বিদেশী রাষ্ট্রগুলো কিভাবে নতুন ধরণের আধুনিক অস্ত্র বা প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে। সেসব মোকাবেলার পরিকল্পনাও তাদের তৈরি করতে হবে। ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি বলেছেন, সামরিক উদ্ভাবনের সম্ভাব্য প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে 'সবরকম উপায়' হাতে রাখতে চায়। বাস্তিল উৎসবের ওই অনুষ্ঠানে আরো প্রদর্শন করা হয়েছিল নেওরোড এফফাইভ মাইক্রোওয়েভ জ্যামার, ড্রোন ধ্বংসে সক্ষম রাইফেলের মতো একটি অস্ত্র যা ওই ড্রোনটিকে পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারে। এখন পরিকল্পনা করা হচ্ছে যে, মালিতে থাকা ফরাসি বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য রোবট সেনা পাঠানো হবে। এই পরিকল্পনাটি এখন বাস্তবায়নের কাজ চলছে। বর্তমানে ব্যবহৃত অনেক সামরিক সরঞ্জাম আবিষ্কারের বহু বহু আগে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর লেখকরা বর্ণনা করে গিয়েছিলেন। তার অনেক পরে সেসবের আবিষ্কার হয়েছে। যেমন পারমাণবিক বোমা। এইচ জি ওয়েলস ১৯১৪ সালে লেখা উপন্যাস 'দি ওয়ার্ল্ড সেট ফ্রি' আণবিক বোমার বর্ণনা করেছিলেন, যা প্রায় ত্রিশ বছর পরে আবিষ্কৃত হয়েছে। জুলভার্নের উপন্যাসে সাবমেরিনসহ এমন অনেক কল্পিত যানবাহনের বর্ণনা রয়েছে, যা সেই সময়ে ছিল না। কিন্তু পরবর্তীতে আবিষ্কৃত হয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কী কারণে গণপিটুনিতে হতাহতের ঘটনাগুলো ঘটছে 'প্রিয়া সাহার বক্তব্য না শুনে ব্যবস্থা নয়' ভারতের সুপারিশে বীর খেতাব পাওয়া পাকিস্তানি সৈনিক উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে বাধার সৃষ্টি করছে সিগারেটের বাট | The French army is to create a "red team" of sci-fi writers to imagine possible future threats. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | তুরস্কের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরসির গায়েবি জানাজায় তার ছবি নিয়ে অনেকে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা । 'আরব বসন্ত' নামে খ্যাত সরকার বিরোধী বিক্ষোভের পর ২০১২ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল তার মাধ্যমে মোহাম্মদ মোরসি প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। ২০১৩ সালের ৩রা জুলাই তাকে মিসরের সেনাবাহিনী উৎখাত করে। কয়েকদিনের সেই সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল মিসরের অবস্থাকে বলা হয় ২০১১ সালে আরব বসন্তের পর সবচেয়ে খারাপ রাজনৈতিক পরিস্থিতি। আরব বসন্তের মুখেই পদত্যাগ করেছিলেন হোসনি মোবারক। ২০১৩ সালে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে সামরিক বাহিনী মি. মোরসিকে সংকট সমাধানে আল্টিমেটাম দিলে, মোরসি তা মানতে অস্বীকার করেন। এরপর সামরিক বাহিনী এক অভ্যুথ্থানের মাধ্যমে তাকে উৎখাত করে। খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন মোরসি উৎখাতের চার মাস পরে, মুসলিম ব্রাদারহুড আন্দোলনের আরো ১৪জন ঊর্ধ্বতন নেতার সঙ্গে মোহাম্মদ মোরসির বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আরো পড়তে পারেন: সিসি'র সাক্ষাৎকার প্রচারে কেন বাধা দিচ্ছে মিসর? মিশরে দিনে স্বাধীন আর রাতে কারাবন্দি যারা একজন সাংবাদিক ও দুইজন সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীকে হত্যায় প্ররোচনা দেবার অভিযোগ আনা হয় মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বেআইনিভাবে আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয় মোরসির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে কায়রোর ইত্তিহাদিয়া প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাসাদের বাইরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ঐ গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল। শুনানির প্রথম দিনে মিঃ মোরসি কাঠগড়া থেকে চিৎকার করে বলেছিলেন, তিনি সেনা অভ্যুত্থানের শিকার এবং তার বিচার করার বৈধতা এ আদালতের নেই। ফাত্তাহ আল-সিসি মোরসিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন পরে হত্যার অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়, কিন্তু বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার ও দমনের অভিযোগে তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরবর্তীতে মোরসির বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ আনা হয়, এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। যদিও পরে সে রায় বাতিল করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের ১৭ই জুন মৃত্যুর সময় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তার বিচার চলছিল। ইসলামপন্থী সংসদ সদস্য মোহাম্মদ মোরসি ১৯৫১ সালে মিশরের শারকিয়া প্রদেশের আল-আদওয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭০ এর দশকে তিনি কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন, এরপর পিএইচডি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। মিশরে ফিরে এসে তিনি জাগাজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান হন। আদালতে হাজিরা দেবার সময় মোরসি এক সময় মুসলিম ব্রাদারহুড আন্দোলনে যোগ দেন তিনি এবং ক্রমে নেতৃত্বে আসেন। ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ পর্যন্ত এই আন্দোলনের হয়ে দেশটির সংসদে স্বতন্ত্র সদস্য ছিলেন। সংসদ সদস্য হিসেবে ভালো বক্তা বলে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন অনেকবার, বিশেষ করে ২০০২ সালে এক রেল দুর্ঘটনার পর কর্মকর্তাদের নিন্দা করে তার দেয়া বক্তব্য খুবই আলোচিত হয়েছিল। ২০১২ সালের এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুসলিম ব্রাদারহুডের ডেপুটি জেনারেল গাইড, মিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী খাইরাত আল-সাতেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়। এরপর মুসলিম ব্রাদারহুডের পক্ষ থেকে মোরসিকে মনোনয়ন দেয়া হয়। মোহাম্মদ মোরসি নির্বাচনী প্রচারণায় মোরসি নিজেকে হোসনি মোবারকের সমর্থকদের পুনরুথ্থানের বিরুদ্ধে একমাত্র কার্যকর বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করেন। গণবিক্ষোভ নির্বাচনে অল্প ব্যবধানে জিতে ২০১২ সালের জুনে মিশরের রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন মোহাম্মদ মোরসি। 'সব মিশরীয়' মানুষের রাষ্ট্রপ্রধান হবার প্রতিশ্রুতি দিলেও সমালোচকদের অভিযোগ, পরবর্তীতে সে প্রতিশ্রুতি তিনি রক্ষা করতে পারেননি। অভিযোগ রয়েছে, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইসলামপন্থীদের একচ্ছত্র আধিপত্যের পথ তৈরি করে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ মোরসি এবং মনে হচ্ছিলো যেন মুসলিম ব্রাদারহুডই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। সেই সঙ্গে দেশটির অর্থনীতি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতেও তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন, এবং বেকারত্ব ছিল প্রকট। এসব অভিযোগে কিছুদিনের মধ্যেই অধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের দাবিতে শুরু হয় ব্যাপক গণবিক্ষোভ। ২০১৩ সালে কায়রোতে বিক্ষোভের সময় নিহত হন শত শত মানুষ ২০১২ সালের নভেম্বর থেকে জনরোষের প্রকাশ ঘটতে থাকে। এই সময়ে নতুন সংবিধানের খসড়া তৈরি করা হচ্ছিল, এবং নিজের ক্ষমতা সুদূরপ্রসারী করার চেষ্টায় মোরসি একটি ডিক্রি জারি করেছিলেন। বিক্ষোভ চলার মধ্যেই, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে নতুন সংবিধানের উপর একটি গণভোটের আগে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও নির্বাচনী এলাকা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে ক্ষমতা দিয়ে মোরসি আরেকটি ডিক্রি জারি করেন। সমালোচকেরা মনে করেন ওই ডিক্রি কার্যত দেশটিতে এক ধরণের সামরিক আইন জারি করার পরিস্থিতি তৈরি করে। মিশরের আদালতে খাঁচার মধ্যে ব্রাদারহুডের নেতাকর্মীরা এরপরই তার সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যাতে ৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল। মোরসির ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশটিতে যেদিন আনন্দ মিছিলের কর্মসূচী দেয়, সেই দিন লক্ষ লক্ষ মানুষ গণবিক্ষোভে যোগ দেয়। সেনা অভ্যুত্থান মোরসিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জনগণের দাবি মানার সময় বেঁধে দিয়েছিল সেনাবাহিনী। ৩রা জুলাই সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী সংবিধান স্থগিত করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়। পরবর্তী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ঐ সরকার দায়িত্ব পালন করবে বলে বলা হয়। সেনাবাহিনীর এ পদক্ষেপকে 'অভ্যুত্থান' বলে নিন্দা জানান মোরসি। আরো পড়তে পারেন: ক্রিকেট তারকা, বিশ্লেষকদের চোখে বাংলাদেশের জয় মিশরের স্কুল থেকে মিকি মাউস কেন বাদ দেয়া হচ্ছে হোসনি মোবারককে উৎখাতের পর নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হন মোরসি সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং নতুন প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি মোরসিকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন। তাকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক সপ্তাহ তার কোন খোঁজ ছিল না। এরপর মোরসির মুক্তি এবং তাকে অবিলম্বে ক্ষমতায় পুনরায় অধিষ্ঠিত করার দাবিতে কায়রোর রাস্তায় নেমে আসেন তার দলের সমর্থকেরা। জবাবে দুটি বিক্ষোভ শিবির ভেঙ্গে দেয় এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের কয়েকজন শীর্ষ নেতৃত্বকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। সন্ত্রাস দমনের নামে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অভিযানে মিশরে প্রায় এক হাজার মানুষ মারা যায় সেসময়। মোরসির উৎখাতের পর দেশটিতে ইসলামপন্থীদের হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পায়, এবং মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। পরবর্তীতে তাদের ওপর চালানো হয় ব্যাপক নিপীড়ন, এবং ফল হিসেবে হাজার হাজার ব্রাদারহুড কর্মী গ্রেফতার বা নিহত হন। অনেকে কাতার এবং তুরস্কে পালিয়ে যান। এরপর মোরসি লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান, মাঝেমধ্যে মামলার হাজিরা দিতে তাকে আদালতে আনা হলেই কেবল তাকে দেখা যেত। | Mohammed Morsi was Egypt's first democratically elected president, but lasted only one year in power before being ousted by the military on 3 July 2013. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ভারতের আহমেদাবাদে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে স্বামী মারা যাওয়ার পর এক নারী তার পুত্রকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন হাসপাতালে যখন তারা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন, তখন দেখলেন স্ট্রেচারের ওপর দুটি ব্যাগে মোড়ানো লাশ পড়ে আছে। গান্ধীনগরের এই হাসপাতালের কর্মীরা জানালেন, কোভিড-১৯ এ মারা গেছে এই দুজন। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে মা-মেয়ে এই ঘটনাটি জানালেন রাজেশ পাঠককে, যিনি সন্দেশ পত্রিকার স্থানীয় সংস্করণের সম্পাদক । মিস্টার পাঠক সেই সন্ধ্যাতেই তার রিপোর্টারদের ফোন করলেন এবং এই ঘটনাটি আরও তদন্ত করে দেখার সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি বলছিলেন, "কারণ তখনো পর্যন্ত সরকারি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গান্ধীনগরে কোভিড-১৯ এ কারও মৃত্যুর কথা জানানো হচ্ছিল না।" পুরো গুজরাট রাজ্যে সেদিন নয়জন মারা গেছে বলে উল্লেখ করা হচ্ছিল। এর পরদিন সন্দেশ পত্রিকার একদল রিপোর্টার সাতটি শহরের যেসব হাসপাতালে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা করা হয়, সেখানে ফোন করা শুরু করলেন। আহমেদাবাদ, সুরাট, রাজকোট, বরোদা, গান্ধীনগর, জামনগর এবং ভাবনগর- এই সাত শহরের হাসপাতালগুলোতে কোভিডে মারা যাওয়া রোগীদের সংখ্যার হিসেব রাখছিলেন তারা। 'সন্দেশ' গুজরাটি ভাষায় প্রকাশিত ৯৮ বছরের পুরনো এক সংবাদপত্র। ঐদিন হতে পত্রিকাটি প্রতিদিন কোভিডে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা প্রকাশ করে যাচ্ছে। তাদের প্রকাশিত সংখ্যা সরকারি হিসেবের কয়েকগুণ। "হাসপাতালগুলোতে আমাদের নিজস্ব সূত্র আছে। আমাদের কোন রিপোর্ট সরকার আজ পর্যন্ত অস্বীকার করেনি। কিন্তু তারপরও আমরা নিজেরা সব তথ্য যাচাই করে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চেয়েছি।" রিপোর্টাররা ২১টি শ্মশানে গিয়ে যাচাই করে দেখেছেন এক রাতেই দুশোর বেশি লাশ দাহ করা হচ্ছিল যারা সবাই কোভিডে মারা গেছে পত্রিকাটি এরপর রিপোর্টার পাঠিয়ে সরেজমিনে কিছু অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করার সিদ্ধান্ত নিল। ১১ এপ্রিল সন্ধেবেলায় দুজন রিপোর্টার এবং একজন ফটোগ্রাফারকে তারা পাঠালো আহমেদাবাদের ১ হাজার ২০০ শয্যার সরকারি হাসপাতালের মর্গে। প্রায় ১৭ ঘণ্টা ধরে সেখানে থেকে তারা দেখলেন, মর্গের কেবল একটি দরোজা দিয়েই ৬৯টি মরদেহ বাইরে এনে অপেক্ষমাণ অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়েছে। পরেরদিন গুজরাটে সরকারি হিসেবে বলা হচ্ছিল পুরো রাজ্যে ৫৫ জন মারা গেছে, এর মধ্যে ২০ জন আহমেদাবাদে। ১৬ই এপ্রিল রাতে এই সাংবাদিকরা চলে গেলেন ১৫০ কিলোমিটার দূরের আহমেদাবাদে। সেখানে তারা ২১ টি শ্মশান পরিদর্শন করলেন। সেখানে তারা লাশ রাখার বডি ব্যাগ এবং লাশ দাহ করার চিতার সংখ্যা গুনলেন। শ্মশানের রেজিস্টার ঘেঁটে পরীক্ষা করলেন এবং কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বললেন। যেসব চিরকুটে মৃত্যুর কারণ লেখা থাকে, সেগুলো দেখলেন। ছবি তুলেন, ভিডিও ধারণ করলেন। তারা দেখলেন, বেশিরভাগ মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ''অসুস্থতা''। অথচ এসব মৃতদেহ দাহ করা হয় সবচেয়ে কঠোর সতর্কতার নিয়ম মেনে। সেই রাতের শেষে তারা গুনে দেখলেন দুশোর বেশি মৃতদেহ সেখানে ছিল। কিন্তু পরেরদিন আহমেদাবাদের সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা ২৫ বলে উল্লেখ করা হলো। পুরো এপ্রিল মাস জুড়ে সন্দেশ পত্রিকার রিপোর্টাররা সাতটি শহরে কোভিডে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা গণনা করে গেছেন কঠোর অধ্যবসায়ের সঙ্গে। ২১শে এপ্রিল তাদের গণনা অনুযায়ী মারা গিয়েছিল ৭৫৩ জন। গুজরাটে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানার পর এটি ছিল একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। এরপর ৫ মে এই পত্রিকার রিপোর্টাররা বরোদা শহরে ৮৩টি মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড করেন। আর সেদিন সরকারি হিসেবে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩। আরও পড়ুন: কুম্ভমেলার তীর্থযাত্রীরা যেভাবে পুরো ভারতে কোভিড ছড়িয়ে দিল ভারতের কোভিড সংকটের ধাক্কায় মোদী ব্র্যান্ডের কতটা ক্ষতি হলো ভারত কোভিড: মোদীর আসন বারাণসী বিপর্যস্ত, ক্ষোভে ফুটছে মানুষ কোভিডে বিপর্যস্ত ভারতে দিশেহারা বাংলাদেশি রোগীরা ফটোগ্রাফার হিতেশ রাঠোর একটি সরকারী হাসপাতালের বাইরে লাইন করে দাঁড়িয়ে থাকা এসব অ্যাম্বুলেন্সের ছবি তোলেন গুজরাটের সরকার অবশ্য মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর কথা অস্বীকার করে বলছে, তারা কেন্দ্রীয় সরকারের বেঁধে দেয়া নিয়ম-কানুন মেনেই গণনা করছে। কিন্তু অন্যান্য সংবাদপত্রের রিপোর্টেও মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর কথিত অভিযোগের ব্যাপারে রিপোর্ট প্রকাশ পেতে থাকে। যেমন ইংরেজি সংবাদপত্র দ্য হিন্দু তাদের এক রিপোর্টে জানায়, তাদের কাছে তথ্য আছে যে, এই সাতটি শহরে ১৬ এপ্রিল কোভিড প্রটোকল মেনে দাহ করা হয়েছে ৬৮৯টি দেহ, অথচ পুরো গুজরাট রাজ্যে সেদিন মৃতের সংখ্যা ৯৪ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, কেবল গত মাসেই হয়তো গুজরাটে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর সংখ্যা দশগুণ কমিয়ে দেখানো হয়েছে। মহামারির কারণে লোকজন শোকপ্রকাশের আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দিতে পারছেন না। কিন্তু সংবাদপত্রগুলো শোক সংবাদে ভরা। আর এসব শোক সংবাদ থেকেও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হচ্ছে: গুজরাটের আরেকটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র গুজরাট সমাচারে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রাজ্যের ভারুচ জেলার একটি শ্মশানে শনিবার যে সংখ্যায় লাশ দাহ করা হয়েছে, তার সঙ্গে সরকারের মৃত্যুর পরিসংখ্যানের কোন মিল নেই: গুজরাটে সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৮০ হাজার মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে সাড়ে আট হাজারের বেশি। করোনাভাইরাস মহামারি মারাত্মকভাবে আঘাত হেনেছে এমন বেশ কিছু শহর থেকে মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হচ্ছে বলে খবর বেরিয়েছে। কিন্তু গুজরাটে যেরকম হারে মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হচ্ছে সেটা বিশাল এবং এজন্যে সেখানে হাইকোর্ট পর্যন্ত রাজ্য সরকারের ভর্ৎসনা করেছে। গুজরাটে এখন ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি। গত এপ্রিলে হাইকোর্টের বিচারকরা বলেছিলেন, "প্রকৃত চিত্র আড়াল করে রাজ্য সরকার এ থেকে কোন ফায়দা পাবে না। বরং সঠিক তথ্য আড়াল করে বা ধামাচাপা দিলে ভয়, এবং আস্থার অভাবের আরও গুরুতর সমস্যা তৈরি হবে, সাধারণ মানুষের মধ্যে আরও আতংক ছড়িয়ে পড়বে।" অনেকের বিশ্বাস, কোভিডে যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগের ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ হিসেবে অন্যান্য যে অসুখে তারা ভুগছিলেন সেটার কথা উল্লেখ করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র আমলা আমাকে জানিয়েছিলেন, কেবল যাদের পরীক্ষা করে কোভিড-১৯ ধরা পড়ছে এবং যারা 'ভাইরাল নিউমোনিয়ায়' মারা যাচ্ছেন, তাদেরকেই কোভিড-১৯ এর মৃত্যুর হিসেবে ধরা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি অবশ্য বলেছেন, "প্রতিটি মৃত্যু তদন্ত করা হচ্ছে এবং একটি 'ডেথ অডিট কমিটি' তার হিসেব রাখছে।" ভারতে ''মিলিয়ন ডেথ স্টাডি'' বলে বেশ বড় একটি গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টোর প্রভাত ঝা। তার মতে, মর্গে বা শ্মশানে মৃতদেহ গণনা করে সেটাকে সরকারি সংখ্যার সঙ্গে তুলনা করা ঠিক হবে না, কারণ সরকারি পরিসংখ্যান আসে কিছুটা দেরিতে। এমনকি যুক্তরাজ্যেও করোনাভাইরাসে মৃতের সরকারি সংখ্যা পরে সংশোধন করা হয়। কারণ কিভাবে এই গণনা করা হবে, সেটা পর্যালোচনা করা হয়েছিল। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়েই করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমিয়ে দেখানো হচ্ছে। গুজরাটে সরকারি হিসেবেই আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখের বেশি ডঃ ঝা বলেন, "মহামারির সময় মৃত্যুর সংখ্যার হিসেব পাঠানো এবং তার রেকর্ড রাখার সিস্টেমটা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে পড়ে। কাজেই তথ্য হালনাগাদ করতে কর্মকর্তারা একটু সময় নেন। কিন্তু তাদের অবশ্যই তথ্য হালনাগাদ করতে হবে, সব মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড করতে হবে। হাসপাতালে আর শ্মশানে বডি ব্যাগ গোনার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টির ব্যাপারটা সেদিক থেকে বেশ ভালো একটা কৌশল, কর্তৃপক্ষ যেন প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে।" তবে যে সাংবাদিকরা এই কাজটা করছেন, তাদের জন্য এটি ছিল ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতা। হিতেশ রাঠোর সন্দেশ পত্রিকায় ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেন। মৃতের সংখ্যা গণনার কাজটি কিরকম যন্ত্রণাদায়ক ছিল তার বর্ণনা দিচ্ছিলেন তিনি। "লোকজন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছিল এবং তারপর বডি ব্যাগে মৃত অবস্থায় বেরিয়ে আসছিল।" শ্মশানে গিয়ে তিনি দেখেন সেখানে লাশের দীর্ঘ মিছিল, দাহ করার আগে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। হিতেশ রাঠোর বলেন, এই দৃশ্য তাকে মনে করিয়ে দিয়েছে "ভারতে নোট বাতিলের পর ব্যাংকগুলোর সামনে মানুষের যে দীর্ঘ লাইন" দেখেছিলেন, সেকথা। নরেন্দ্র মোদী ২০১৬ সালে ভারতীয় রূপীর বড় অংকের নোট বাতিলের বিতর্কিত সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলেন। "পাঁচ বছর পর আমি হাসপাতাল, মর্গ আর শ্মশানের বাইরে একই ধরণের লাইন দেখলাম। তবে এবারের লাইনটা বেঁচে থাকার জন্য মরিয়া চেষ্টা করছে এমন মানুষ আর মরা মানুষদের।" রনক শাহ হচ্ছেন সন্দেশের সেই রিপোর্টারদের একজন, যিনি নানা হাসপাতালে গিয়ে সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তিনি বলছেন, একটি হাসপাতালের লাউডস্পিকারে বাবার মৃত্যু সংবাদ শোনার পর রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে তিন সন্তান যেভাবে বিলাপ করে কেঁদে উঠেছিল, সেটা তাকে প্রচণ্ড-ভাবে ধাক্কা দেয়। "ওরা বলছিল, বাবাকে হাসপাতাল থেকে তুলে বাড়ি নিয়ে যেতে এসেছিল ওরা। কিন্তু সাত ঘণ্টা পর তাদেরকে বাবার লাশ নিয়ে ফিরতে হয়।" সন্দেশ পত্রিকার আরেক রিপোর্টার দীপক মাশলা সেই দলটির নেতৃত্ব দেন যেটি শ্মশানগুলিতে গিয়ে মৃতের সংখ্যা যাচাই করেছে। দীপক বলেন, ভয় আর মানসিক ধাক্কা নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। "আমি দেখেছি বডি ব্যাগে সন্তানের লাশ নিয়ে বাবা-মা এসেছে, শ্মশানের কর্মচারীদের টাকা দিয়ে বলছে, 'দয়া করে আমার সন্তানকে নিয়ে দাহ কর। ওরা এমনকি নিজের সন্তানের লাশ স্পর্শ করতে ভয় পাচ্ছিল।" ইমতিয়াজ উজ্জাইনওয়ালা এই দলের আরেক রিপোর্টার। তার বিশ্বাস মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর হার অনেক ব্যাপক, কারণ তিনি এবং তার সহকর্মীরা মাত্র একটি হাসপাতালের মৃতের সংখ্যা গণনা করেছিলেন। তিনি বলেন, "আহমেদাবাদে ১৭১টির বেশি বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়। সেগুলোর সংখ্যা কিন্তু কেউ গুনছে না।" | On 1 April, the wife and daughter of an editor of a leading newspaper in India's western state of Gujarat went to a state-run hospital to get the daughter a Covid-19 test. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ব্রেন্টন টারান্টের বিরুদ্ধে এখন একটি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ২৮ বছর বয়সী ব্রেন্টন টারান্টকে একটি হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে, এরপর তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ তোলা হবে। ব্রেন্টনকে পারেমোরেমোর অকল্যান্ড জেলখানা, যাকে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে কঠোর জেলখানাগুলোর একটি ভাবা হয়, সেখানে সবার থেকে আলাদা রাখা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইট স্টাফ এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ব্রেন্টন জানিয়েছে যে তাকে কোন দর্শনার্থীর সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না, কোন ফোনও করতে দেয়া হচ্ছে না। আরো পড়তে পারেন: ঢাকার অবৈধ ভবনগুলো টিকে আছে কীভাবে এক নারীর দুই জরায়ু থেকে জন্মালো তিন সন্তান আগুন থেকে পালানোর সিঁড়ি ছিল তালাবন্ধ হামলায় ক্রাইস্টচার্চের আল-নুর মসজিদেই বেশি মানুষ মারা গেছেন ১৫ই মার্চ ক্রাইস্টচার্চে সেই হামলার ধাক্কা এখনো সামলে উঠতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ঘটনার পরের শুক্রবারে হ্যাগলি পার্কে এক স্মরণসভায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন এবং অন্তত কুড়ি হাজার মানুষ নিহতদের স্মরণে সমবেত হয়েছিলেন। ব্রেন্টনের অভিযোগ আসলে কী? হামলার পরদিন ১৬ই মার্চ ব্রেন্টনকে ক্রাইস্টচার্চে আদালতে হাজির করা হয়। এরপরই তাকে অকল্যান্ডের ঐ জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। স্টাফ ওয়েবসাইট জানিয়েছে, ব্রেন্টন ডিপার্টমেন্ট অব কারেকশনে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছে, জেলখানায় সে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, বিশেষ করে ফোন এবং কোন পরিজনের সঙ্গে দেখা করতে পারছে না সে। হামলার পর নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে নিউজিল্যান্ডের আইন অনুযায়ী একজন বন্দি সপ্তাহে একজন বেসরকারি দর্শনার্থীর সঙ্গে অন্তত ৩০ মিনিট কথা বলতে পারবেন এবং সপ্তাহে একবার ফোনে কারো সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। এছাড়া একজন বন্দি যথার্থ খাবার ও পানীয়, বিছানাপত্র, স্বাস্থ্যসেবা ও ব্যয়ামের সুবিধাদি পাবেন। ডিপার্টমেন্ট অব কারেকশনের একজন কর্মকর্তা স্টাফকে জানিয়েছেন, সবার থেকে আলাদা করে তাকে রাখা হয়েছে এবং তাকে সারাক্ষণ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে সে অনেক ন্যুনতম সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে সে অভিযোগ করেছে। অভিযোগ কতটা যথার্থ? নিউজিল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট অব কারেকশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বন্দিদের মানবতা, মর্যাদা এবং সম্মানের সঙ্গে থাকার অধিকার রয়েছে। তবে, কর্তৃপক্ষ বিশেষ পরিস্থিতিতে কোন বন্দির জন্য এ নিয়মের অন্যথা করতে পারে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোন বন্দিকে যদি নিরাপত্তার হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে আলাদা করে রাখা হয়, তাহলে তার ক্ষেত্রে অন্য যে কোন নিয়ম শিথিল হতে পারে। জেলে কী অবস্থায় আছে ব্রেন্টন? ডিপার্টমেন্ট অব কারেকশনের একজন মুখপাত্র নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যে ব্রেন্টন কোন গণমাধ্যম বা দর্শনার্থীর সঙ্গে দেখা করতে পারে না। হ্যাগলি পার্কে স্মরণসভায় কুড়ি হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেয় দেশটির প্রচলিত আইন অনুযায়ী নিরাপত্তার কারণে তার সম্পর্কে কোন তথ্য বাইরে প্রকাশ করা যাবে না। এদিকে, স্টাফ ওয়েবসাইট জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে ব্রেন্টনের থাকার জায়গা থেকে এক কংক্রিট আঙিনায় যাওয়া যায়, যেখানে সে দিনে একবার একঘণ্টার জন্য যেতে পারে। তবে সে সবকিছু নিয়ে অভিযোগ করতে থাকে। এপ্রিলের পাঁচ তারিখ পর্যন্ত ব্রেন্টনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ক্রাইস্টচার্চে পরবর্তী শুনানির দিনে তাকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে আদালতের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। নিউজিল্যান্ডের ক্ষত সারছে যেভাবে ঐ হামলার ধাক্কা সামলাতে নিউজিল্যান্ড যে অভূতপূর্ব প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তাকে সম্মান জানিয়েছে সারা বিশ্ব। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডান বলেছেন, আমরা হেইট বা ঘৃণা এবং ভীতির ঊর্ধ্বে নই। কিন্তু জাতি হিসেবে আমরা দ্রুত সেরে উঠবো। ঐ ঘটনায় ৫০ জন মানুষ মারা গেছেন। এখনো ২২জন মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, এর মধ্যে চার বছর বয়সী একটি শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। | The man accused of killing 50 people in attacks on two New Zealand mosques has lodged a formal complaint over his prison treatment, media say. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | উহানে হাসপাতাল তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং কর্মীরা আশা করছেন যে ছয় দিনে এটি শেষ হবে। বর্তমানে দেশটিতে ১২শর বেশি মানুষে এতে আক্রান্ত রয়েছে এবং ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংক্রমণ শুরু হয় উহান শহরে যেখানে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষের বাস। শহরটির হাসপাতালগুলোতে উদ্বিগ্ন বাসিন্দাদের উপচে পড়া ভীর এবং ফার্মেসিগুলোতে ওষুধের সংকট তৈরি হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, নতুন হাসপাতালে এক হাজার শয্যা থাকবে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম অনলাইনে যে ভিডিও পোস্ট করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে, খনন যন্ত্র এরইমধ্যে ওই স্থানে পৌঁছে গেছে। পুরো এলাকাটি ২৫ হাজার বর্গমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। ২০০৩ সালে বেইজিংয়ে সার্স ভাইরাস মোকাবেলা করতে স্থাপিত আরেকটি হাসপাতালের আদলে এই হাসপাতালটি তৈরি করা হচ্ছে। "এটা মূলত রোগ-অন্তরণ বা রোগীদের আলাদা করে রাখার জন্য একটি হাসপাতাল যেখানে সংক্রমণের শিকার রোগীদের পাঠানো হবে যেখানে সুরক্ষা এবং জীবাণু প্রতিরোধী সরঞ্জাম থাকবে," বলেন হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গ্লোবাল হেলথ এন্ড সোশ্যাল মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক জোয়ান কাউফম্যান। চীন ছয়দিনে কিভাবে হাসপাতাল বানাবে? ২০০৩ সালে বেইজিংয়ে সার্স ভাইরাস মোকাবেলা করতে স্থাপিত আরেকটি হাসপাতালের আদলে এই হাসপাতালটি তৈরি করা হচ্ছে। "চীনের সাধারণত খুব দ্রুত জিনিসপত্র তৈরির রেকর্ড রয়েছে এমনকি এ ধরণের বিশাল বিশাল প্রকল্পের ক্ষেত্রেও," বলেন পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কাউন্সিলের গ্লোবাল হেলথ এর জ্যেষ্ঠ ফেলো ইয়াংঝং হুয়াং। তিনি বলেন যে, ২০০৩ সালে বেইজিংয়ের হাসপাতালটি সাত দিনে তৈরি করা হয়েছিল। তাই এবার মনে হচ্ছে নির্মাণকারী দলটি সেই রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলতে চাইছে। বেইজিংয়ের হাসপাতালের মতোই, উহান সেন্টারটিও আগে থেকেই নির্মিত ভবনে তৈরি করা হবে। "এই কর্তৃত্ববাদী দেশটি শীর্ষ থেকে নিচে বা টপ-ডাউন মোবিলাইজেশন পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে। যার কারণে তারা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়িয়ে এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে তাদের সব পুঁজি নির্দিষ্ট দিকে নিয়োগ করতে পারে।" মিস্টার হুয়াং বলেন, ঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে সারা দেশ থেকে প্রকৌশলীদের এখানে নিয়ে আসা হতে পারে। "প্রকৌশলই হচ্ছে সেই কাজ যাতে চীন খুবই ভাল। দ্রুত গতিতে আকাশচুম্বী ভবন তৈরির রেকর্ড রয়েছে তাদের। এটা পশ্চিমাদের জন্য চিন্তা করাটাই কঠিন। এটা সম্ভব," তিনি বলেন। আর চিকিৎসা সরঞ্জামাদির কথা বলতে গেলে, উহান সেগুলো অন্য হাসপাতাল থেকে আনতে পারে কিংবা সরাসরি কারখানা থেকেও অর্ডার করতে পারে। আরো পড়তে পারেন: সদা পরিবর্তনশীল করোনাভাইরাস কতটা বিপজ্জনক? ভাইরাস আতঙ্কে অবরুদ্ধ একের পর এক চীনা শহর মাস্ক পরে কি ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যায়? করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী এর আগে ২০০৩ সালে বেইজিংয়ে সাত দিনে একটি হাসপাতাল বানিয়েছিল চীন। শুক্রবার, গ্লোবাল টাইমস জানায়, পিপলস লিবারেশন আর্মি থেকে ১৫০ জন চিকিৎসাকর্মী উহানে পৌঁছেছে। তবে নতুন হাসপাতাল তৈরির পর তারা সেখানে কাজ করবে কিনা সে বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করা হয়নি। সার্স মহামারির সময় কী ঘটেছিল? ২০০৩ সালে সার্সের উপসর্গে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য বেইজিংয়ে শিয়াওটাংশান হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছিল। সেটা তৈরি করা হয়েছিল সাত দিনে, যা বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত হাসপাতাল তৈরির রেকর্ড ভেঙ্গেছিল বলে ধারণা করা হয়। চায়না ডট কম ডট সিএন জানায়, ঠিক সময়ে কাজ শেষ করার জন্য প্রায় ৪ হাজার মানুষ দিন রাত কাজ করেছিল। এরমধ্যে একটি এক্স-রে কক্ষ, সিটি কক্ষ, নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিট এবং ল্যাবরেটরি রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে আলাদা পায়খানা ছিল। দুই মাসের মধ্যে সেখানে দেশটিতে সার্স আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এক-সপ্তমাংশকে ভর্তি করা হয়েছিল যাকে দেশটির সংবাদ মাধ্যম "চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে বিস্ময়কর ঘটনা" বলে উল্লেখ করেছিল। সার্সে আক্রান্তের পর চিকিৎসা নিয়ে সবার শেষ শিয়াংটাংশান হাসপাতাল ছাড়েন এক নারী মিস কাউফম্যান বলেন: "স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং নার্স ও অন্যান্য চিকিৎসকদের দেশটির অন্য হাসপাতালগুলো থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল ওই হাসপাতালে কাজ করতে। তাদেরকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল যেখানে কিভাবে সংক্রামক রোগ মোকাবেলা করতে হবে এবং সার্স সনাক্তকরণ এবং সেগুলোকে আলাদা করার কঠোর ও নির্দিষ্ট উপায় উল্লেখ করা হয়েছিল।" তিনি বলেন যে, সার্স মহামারির সময় ব্যয়ভার স্থানীয়ভাবে মেটানো হলেও রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকেও প্রচুর পরিমাণ ভর্তুকি দেয়া হয়েছিল যা দিয়ে কর্মকর্তাদের বেতন ও নির্মাণ কাজে ব্যয় করা হয়। "আমার মনে হয় না যে এর ব্যয়ভার উহান সরকারের উপর পড়বে কারণ এটা এখন সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে," বলেন মিস কাউফম্যান। মিস্টার হুয়াংয়ের মতে, হাসপাতালটি "মহামারি শেষ হয়ে যাওয়ার পরে চুপিসারে পরিত্যাগ করা হয়েছিল।" | The Chinese city of Wuhan is set to complete a hospital in six days in order to treat patients suspected of contracting the coronavirus. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | অনেক মানুষ বিশ্বাস করে বিজ্ঞাপনের জন্য লক্ষ্যবস্তু করতে ফোনে তাদের কথাবার্তা আড়ি পেতে শোনা হচ্ছে। ইন্টারনেটে প্রায়ই পোস্ট দেখা যায়, সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ছাড়া হয়, যেখানে মানুষ দাবি করে যে ফেসবুক এবং গুগলের মত সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের ব্যবহারকারীদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করে এমন প্রমাণ তাদের কাছে আছে। তারা বলে থাকে যে তাদের সূক্ষ্মভাবে বিজ্ঞাপনের জন্য নিশানা করতেই গোপনে তাদের কথা শোনা হয়। সাম্প্রতিক কয়েক মাসে এমন সব ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা গেছে লোকজন হয়ত নির্দিষ্ট কোন পণ্য নিয়ে কথাবার্তা বলেছেন আর তারপরই ঠিক সেই পণ্য নিয়ে অনলাইনে তার কাছে পাঠানো হয়েছে বিজ্ঞাপন। ওয়াণ্ডেরা নামে এক সংস্থার ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মানুষের অনলাইনের এই অভিজ্ঞতা হুবহু অনুকরণ করে দেখেছেন মোবাইল ফোনে বা কোন অ্যাপে গোপনে কারো কথা শোনার কোন তথ্যপ্রমাণ তারা পাননি। গবেষকরা দুটি মোবাইল ফোন একটি ''শ্রবণ কক্ষে'' রাখেন। এর একটি স্যামসাং অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং অন্যটি অ্যাপেল আই ফোন। তিরিশ মিনিট ধরে তারা অনবরত বিড়াল ও কুকুরের খাবারের একই বিজ্ঞাপন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বাজান। তারা একটি নিস্তব্ধ ঘরে দুটি হুবহু একইরকম ফোন রাখেন। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ক্রোম, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব এবং অ্যামাজন-এর মত অ্যাপগুলো চালু অবস্থায় রাখেন। প্রত্যেকটি অ্যাপেই তারা সবরকম অনুমতি খোলা রেখেছিলেন। স্ন্যাপচ্যাটের মত অ্যাপগুলো নিয়ে তাদের পরীক্ষা চালান মোবাইল নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা তারা এরপর প্রত্যেকটি প্ল্যাটফর্ম এবং ওয়েবপেজে গিয়ে কুকুর ও বিড়ালের খাবারের বিজ্ঞাপনগুলো দেখেন। পরীক্ষাকালীন সময়ে তারা ফোনগুলোর ব্যাটারি কতটা ব্যবহার হয়েছে এবং ডেটা কতটা খরচ হয়েছে সেটা পরীক্ষা করে দেখেন। তারা তিনদিন একই সময়ে একই পরীক্ষার পুনরাবৃত্তি করেন। এবং দেখেন ''শ্রবণ কক্ষে'' রাখা ফোনে কুকুর ও বিড়ালের খাবারের কোন বিজ্ঞাপন পাঠানো হয়নি এবং ডেটা বা ব্যাটারির ব্যবহারও অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে যাবার কোন প্রমাণ নেই। বিবিসি বাংলায় পড়ুন: আপনার পকেটের ফোনে লুকিয়ে থাকা গুপ্তচর মৃত স্বজনের সঙ্গে সেলফি? মোবাইল ফোন আমাদের শরীরের কতটা ক্ষতির কারণ? ''শ্রবণ কক্ষে''র ফোনগুলোতে এবং নিস্তব্ধ ঘরে রাখা ফোনগুলোতে ব্যবহারের যেসব চিহ্ণ ছিল,তা একইরকম। ওয়াণ্ডেরা কোম্পানির একজন প্রকৌশলী জেমস ম্যাক বলেছেন: ''ওই তিরিশ মিনিটের মধ্যে আমরা ফোন থেকে যেসব ডেটা পেলাম তা সিরি বা হে গুগল-এর মত ভার্চুয়াল অ্যাসিসটেন্ট-এর ডেটার তুলনায় অনেক কম। যার অর্থ হল ফোনের কথোপকথন যে ক্রমাগত রেকর্ড হচ্ছে এবং তা আই ক্লাউডে ক্রমাগত তোলা হচ্ছে বিষয়টা তেমন নয়।'' ''সেটা যদি হতো, তাহলে ভার্চুয়াল অ্যাসিসটেন্ট যে পরিমাণ ডেটা ব্যবহার করেছে ফোনের ডেটা খরচ সমপরিমাণ হতো,'' মি: ম্যাক বলেন। মোবাইল ফোনের মধ্যে যে মাইক্রোফোন আছে তা গোপনে নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে এমন ধারণা অনেক বছর ধরেই বড় বড় সংস্থাগুলো নাকচ করে দিয়েছে। গত বছর ফেসবুকের প্রধান মার্ক যাকারবার্গ যখন মার্কিন সেনেটে সাক্ষ্যপ্রমাণ দিচ্ছিলেন তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল একরকম করা হচ্ছে কিনা। তিনি সরাসরি সেটা অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানির ওপর অবিশ্বাস বাড়ার কারণে বহু মানুষ এখনও মনে করেন এমনটা আসলে ঘটছে। তবে গবেষণায় একটা জিনিস দেখা গেছে যে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের বেশিরভাগ অ্যাপ নিস্তব্ধ ঘরের ভেতর থাকা অবস্থায় অনেক বেশি ডেটা ব্যবহার করে। তুলনায় অ্যাপল ফোনের অ্যাপ শব্দ বেশি এমন ঘরে ডেটা ব্যবহার করে বেশি। বিশ্লেষকরা বলছেন এটা কেন হচ্ছে সে বিষয়টা এখনও তারা বুঝে উঠতে পারেননি এবং তারা এটা নিয়ে আরও গবেষণা করতে চান। তবে সংস্থার সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী এল্ডার টুভি বলছেন সার্বিক ফলাফল যা তারা দেখেছেন তার ভিত্তিতে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে গুরুত্বপূর্ণ ডেটা বা তথ্য গোপনভাবে হস্তান্তর করা হচ্ছে না। "আমি এটুকু বলব যে আমরা যে প্ল্যাটফর্মগুলো নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছি, সেখানে এধরনের ঘটনা ঘটছে এমন কোন সাক্ষ্যপ্রমাণ আমরা আদৌ পাইনি। এমন হতে পারে যে এটা এমনভাবে হচ্ছে যেটা আমরা জানি না- তবে আমি বলব এটার সম্ভাবনা খুবই কম।" যারা তথ্য নিরাপত্তা খাতের সঙ্গে যুক্ত তারা এই গবেষণার ফলাফলে খুব একটা অবাক হবেন না। তারা অনেক বছর ধরেই জানেন যে বড় বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো আমাদের সম্পর্কে এতটাই জানে যে আমাদের লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপন পাঠানোর জন্য আড়ি পেতে ফোনে আমাদের কথাবার্তা শোনার দরকার তাদের হয় না। বাস্তবতা হল বিজ্ঞাপনদাতাদের অনেক উন্নত ও আধুনিক উপায় জানা আছে যার মাধ্যমে তারা একজনের পছন্দ অপছন্দ জেনে নিতে পারেন। আপনি কোন্ স্থান থেকে ফোন বা ডেটা ব্যবহার করছেন সেই লোকেশনের তথ্য থেকে, আপনার ব্রাউজিং ইতিহাস থেকে, ট্র্যাকিং পিক্সেল বিশ্লেষণ করে তারা অনায়াসে জানতে পারে বা আন্দাজ করতে পারে যে আপনি কী কেনার কথা ভাবছেন। বাস্তবতা হচ্ছে বিজ্ঞাপনদাতাদের অনেক উন্নত ও আধুনিক উপায় জানা আছে যার মাধ্যমে তারা একজনের পছন্দ অপছন্দ জেনে নিতে পারেন। তারা আপনাকে সামাজিক যোগাযোগ সাইটের মাধ্যমে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ করে দিয়ে সহজেই জেনে নিতে পারে আপনি কি খুঁজছেন। এসব প্রযুক্তি ক্রমেই উন্নত হচ্ছে। মোবাইল বিজ্ঞাপন এবং নিরাপত্তা বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন বিজ্ঞাপনদাতাদের হাতে এমন প্রযুক্তি আছে যে আপনি কী চাইছেন তা আপনি ভাল করে বোঝার আগেই আপনার কী ভাল লাগতে পারে তা তারা বুঝে ফেলছেন। তবে গত জুন মাসে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস্-এ নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ স্টোর থেকে ১৭ হাজার মোবাইল অ্যাপ পরীক্ষা করেছিলেন। তারা গোপনে আড়ি পেতে ফোন ব্যবহারকারীর কথোপকথন শোনার কোন তথ্যপ্রমাণ পাননি ঠিকই, কিন্তু তারা দেখেছিলেন যে খুবই অল্প সংখ্যক অ্যাপ ফোন ব্যবহারকারীর ফোনে বিভিন্ন কার্যকলাপের স্ক্রিনশট, এমনকী কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিডিও তৃতীয় কোন সংস্থার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। তবে সেগুলো কোন বিজ্ঞাপন সংস্থা নয়, সেগুলো পাঠানো হয়েছে শুধুমাত্র গবেষণা তথ্যের জন্য। বিবিসি বাংলায় পড়তে পারেন: নারী ক্রু-র শরীরে বাঁধা ৮২টি সোনার বার তারকাদের পাসপোর্ট, এনআইডির কপি নিয়ে হুমকি দেশে দেশে বিধবাদের জন্য যত অমর্যাদাকর রীতি | A mobile security company has carried out a research investigation to address the popular conspiracy theory that tech giants are listening to conversations. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ১৯৫০ সালে বৈশ্বিক গড় আয়ু ছিল ৪৬ । ২০১৫ সাল নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭১ এর বেশি। অনেক দেশে অগ্রগতি সবসময় মসৃণ ছিল- তেমনটি নয়। রোগ-বালাই, মহামারী এবং অপ্রত্যাশিত বিভিন্ন ঘটনা এসে যেন স্মরণ করিয়ে দিয়ে যায় যে, চির দীর্ঘ জীবন কারো অনুদান নয়। অন্যদিকে আরও যেসব কারণে মৃত্যু আমাদের অকালে গ্রাস করতে পারে তার মধ্যে আছে সন্ত্রাসবাদ, যুদ্ধ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ- যা থেকে মোট মৃত্যুর ০ দশমিক ৫ শতাংশের কম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে এখনো বহু মানুষ খুব অল্প বয়সে মারা যাচ্ছে এবং তা হচ্ছে প্রতিরোধযোগ্য নানা কারণে। যখন মানুষ মারা যায় তখন আসলে কীভাবে সে মারা যায়, এবং এটি সময়ের সাথে কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে- এটি সেই গল্প। বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর কারণসমূহ ২০১৭ সালে বিশ্বে মানুষ মারা গেছে প্রায় ৫৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ৫ কোটি ৬০ লাখ। ১৯৯০ সালের তুলনায় যা দশগুণ, কিন্তু যেহেতু বৈশ্বিক জনসংখ্যা বেড়েছে এবং মানুষ আগের চেয়ে গড়ে বেশিদিন আয়ু পাচ্ছে। আরো পড়তে পারেন: দেখুন: আপনি কত দিন বাঁচবেন? ১০১ বছর বেঁচে থাকার ৭টি উপায় হার্ট অ্যাটাক: যে বিষয়গুলো কখনো উপেক্ষা করবেন না যে সাতটি উপায়ে বদলে ফেলবেন নিজের জীবন ৭০% এর বেশি মানুষ অনিরাময়যোগ্য, ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদী রোগে মারা যায়। এসব রোগ মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় না এবং সাধারণত আরোগ্য লাভের গতি খুব ধীর। এককভাবে সবচেয়ে বড় জীবননাশকারী রোগ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ বা হৃদরোগ, যা হৃৎপিণ্ড এবং ধমনীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং প্রতি তিনটি মৃত্যুর জন্য এই রোগ দায়ী। দ্বিতীয় প্রধান কারণ ক্যান্সার - যা প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজনের মৃত্যুর জন্য দায়ী। এছাড়া অন্যান্য অসংক্রামক রোগ যেমন ডায়াবেটিস, শ্বাসতন্ত্রের নির্দিষ্ট কিছু রোগ এবং ডিমেনশিয়া জীবন কেড়ে নেয়া রোগের তালিকার শীর্ষে রয়েছে। প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু বিশ্বে দীর্ঘায়ুর দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা একটি দেশ জাপান। এখনও প্রতিরোধযোগ্য রোগে যে সংখ্যায় লোক মারা যাচ্ছে সে বিষয়টি আরও বেশি হতাশার । ২০১৭ সালে ডায়রিয়ার জটিলতা সংক্রান্ত রোগে মারা গেছে প্রায় ১.৬ মিলিয়ন মানুষ যা শীর্ষ দশটি মৃত্যুর কারণের একটিতে পরিণত করেছে। কোনও কোনও দেশে এটা সবচেয়ে বড় জীবননাশকারী। একই বছর নবজাতকের অসুস্থতা জনিত জটিলতা-যার কারণে জন্মের পর প্রথম ২৮ দিনের মধ্যে বাচ্চার মৃত্যু হয় -তাতে শুধুমাত্র ১.৮ মিলিয়ন শিশু প্রাণ হারিয়েছে । এই মৃত্যুর ধারাবাহিকতা দেশ থেকে দেশে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। জাপানে জন্মের পর ২৮ দিনের মধ্যে ১০০০ শিশুর মধ্যে একটিরও কম মারা যাচ্ছে। কিন্তু সেই তুলনায় বিশ্বের দরিদ্রতম অনেক দেশে প্রতি ২০ জনে একটি শিশু মারা যাচ্ছে। অন্যান্য প্রতিরোধযোগ্য রোগে মৃত্যু ধনী ও দরিদ্র দেশগুলিতে একইভাবে সড়ক দুর্ঘটনা মৃত্যুর উচ্চহারের জন্য দায়ী।২০১৭ সালে ১দশমিক ২ মিলিয়ন প্রাণ গেছে সড়কে। যদিও সাম্প্রতিক দশকগুলোতে অনেক উচ্চ আয়ের দেশে সড়কে মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গেছে, তবে বৈশ্বিকভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় একইরকম রয়ে গেছে। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে আত্মহত্যা এবং একজনের হাতে অন্যের প্রাণ হারানোর ঘটনা প্রায় দ্বিগুন হয়েছে। ব্রিটেনে আত্মহত্যা ১৬ গুণ বেড়েছে এবং ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মৃত্যুর প্রধান কারণ ছিল এটি। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে এবং নিজ নিজ দেশের উন্নতির সাথে সাথে লোকজনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে জায়গা করে নিচ্ছে কী? একটা সময়, এখনকার তুলনায় সংক্রামক রোগব্যাধির এক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা ছিল। ১৯৯০ সালে প্রতি তিনজনের একজনের মৃত্যুর কারণ ছিল সংক্রামক এবং ছোঁয়াচে রোগ। ২০১৭ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে প্রতি পাঁচজনে একজনে। শিশুরা বিশেষ করে সংক্রামক রোগের ঝুঁকিতে থাকে। বেশি দিন আগে নয়, এই ১৯ শতকেই বিশ্বে প্রতি পরিবারে তৃতীয় সন্তানটি পাঁচ বছর বয়স হওয়ার আগেই মারা গেছে। যখন থেকে টিকা কর্মসূচি এবং পরিচ্ছন্নতা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য-সুরক্ষা এবং নিরাপদ পানির বিষয়ে উন্নতি হয়েছে তখন থেকে শিশু মৃত্যুর হার তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমে গেছে। ধনী দেশগুলোতে বর্তমানে শিশু-মৃত্যু তুলনামুলকভাবে বিরল, যদিও গরীব অঞ্চলে এখনো শিশু মৃত্যুহার এই বিশ শতকের প্রথমার্ধে ব্রিটেন এবং সুইডেনের সমান এবং তা ধরে রাখার চেষ্টা চলছে। আধুনিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় একটি বিরাট সাফল্য হচ্ছে বৈশ্বিক শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনা। সাম্প্রতিক দশকগুলিতে প্রতি বছর শিশু মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনা গেছে সংক্রামক এবং সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুর্দান্ত সাফল্যের মাধ্যমে। অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর ঘটনা স্থানান্তরিত হয়েছে বয়স্কদের মধ্যে । বৃদ্ধদের সংখ্যা বাড়ায় এবং দীর্ঘ মেয়াদী নানা অসুস্থতার কারণে অনেক দেশে বয়স্কদের আত্মীয়স্বজন ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা সংক্রান্ত ক্রমবর্ধমান বোঝার বিষয়ে অনেক দেশের ভেতরে উদ্বেগ বাড়ছে। চলমান উন্নয়নকে বিচলিত করে দিতে পারে আকস্মিক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। ১৯৮০ সালের এইচআইভি/এইডস সঙ্কটের ঘটনা এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই মহামারী বিশ্বের সমস্ত অঞ্চলে দেখা দিয়েছিল, কিন্তু মানুষের আয়ুষ্কালের ওপর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব দেখা যায় সাব-সাহারান আফ্রিকায়। অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল থেরাপি, চিকিৎসা এবং এর প্রতিরোধ বিষয়ক শিক্ষা-এগুলোর সমন্বয়ে, এইডস-সম্পর্কিত অসুস্থতায় মৃত্যু বিশ্বে গত দশকে অর্ধেকে নেমে গেছে। এমনকি ধনী দেশগুলোতেও ধারাবাহিক অগ্রগতি কারো দ্বারা প্রদত্ত নয়। গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে আয়ুষ্কাল সামান্য পড়ে গেছে মূলত ওপিওইড মাদক সঙ্কটের কারণে। নতুন মায়েদের ক্ষেত্রেও আয়ুষ্কাল বাড়েনি। প্রায় দশটির মতো দেশ রয়েছে যেখানে আজকের দিনেও অল্পবয়সী কোনও মাকে সন্তান জন্মদানের সময় কিংবা পরে মৃত্যুর মুখে পড়তে হতে পারে, এর মধ্যে আমেরিকাও রয়েছে। এখনো অনেক পথ বর্তমানে সামগ্রিক চিত্রটি অবশ্য ইতিবাচক: মানুষ আগের চেয়ে বেশিদিন বাঁচতে পারছে- যদিও কিছু মানুষ বিশেষ করে শিশুরা প্রতিরোধযোগ্য অসুখে মারা যাচ্ছে। তবে এটাও সত্য যে এখনো বহু পথ পাড়ি দিতে হবে। স্যানিটেশন, পরিচ্ছন্নতা, পুষ্টি, টিকাদান কর্মসূচি এবং মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে আরও উন্নতি এসবই এজন্য গুরুত্বপূর্ণ। চলমান স্বাস্থ্যখাতের উন্নতি চালিয়ে যেতে হলে কী কী কারণে মানুষ মারা যাচ্ছে সেটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'ওজন কমিয়ে বহুমূত্র রোগ সারানো সম্ভব' বালাকোটে '২৯২ জঙ্গী নিহত' এই দাবি সত্য না মিথ্যা? | Around the world, people are living longer. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | প্যারিসের গ্র্যান্ড মসজিদে জামাত এই সনদে সই করার বিষয়টি ফ্রান্সের মুসলমানদের মধ্যে একটা বড়ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ফ্রান্সের বিশেষ করে উদার মানসিকতার ইমামরা এই সনদে স্বাক্ষর করার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক চাপের মধ্যে রয়েছেন। দেশটির নয়টি পৃথক মুসলিম সংগঠনের জোট এই ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অব দ্য মুসলিম ফেইথ বা সিএফসিএম ইমামদের নিয়োগ এবং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে 'ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইমাম' নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছে। ফ্রান্সে এই সনদ নিয়ে বিতর্ক চললেও ফ্রান্সের সরকার এই সনদ কার্যকর করতে এবং ইমামদের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করতে যে বদ্ধপরিকর তার একটা প্রমাণ ফ্রান্সে পাকিস্তানের এক ইমামের সাম্প্রতিক কারাদণ্ড। প্যারিসের উত্তর শহরতলীর একজন পাকিস্তানি ইমাম লুকমান হায়দারকে দিনকয়েক আগে, ২৭শে নভেম্বর, ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে টিকটক প্ল্যাটফর্মে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উস্কানি দিয়ে ভিডিও বার্তা পোস্ট করার জন্য। ২০১৫ সালে ফ্রান্সে যাওয়া এই ইমামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, তিনি টিকটকে তিনটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন, যার প্রথমটিতে তিনি শার্লি এবদোতে ইসলামের নবীর কার্টুন ছাপা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, "মুসলমানরা নবীর জন্য নিজেদের জীবন বলি দিতে প্রস্তুত"। দ্বিতীয়টিতে তিনি "অমুসলিম এবং অবিশ্বাসীদের ওপর হামলার" কথা বলেন এবং বলেন "তাদের স্থান দোজখে"। ২৫শে সেপ্টেম্বর পোস্ট করা শেষ ভিডিওতে তিনি পাকিস্তানি এক হামলাকারীর শার্লি এবেদোর সাবেক দপ্তরের বাইরে ছুরিকাঘাতে চার ব্যক্তিকে জখম করার "সাহসিকতার" প্রশংসা করেন। ইমাম লুকমান হায়দারের সাজা খাটা শেষ হলে তাকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হবে। প্যারিসের গ্র্যান্ড মসজিদে জুমার নামাজ মূল্যবোধের সনদ ইমামদের যে ''প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধের সনদ'''এ স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে, সেই সনদের বয়ানে থাকতে হবে যে, ফরাসী মূল্যবোধকে তারা স্বীকৃতি দেন, ইসলাম ধর্মকে রাজনৈতিক আন্দোলনের আদর্শ হিসাবে তারা প্রত্যাখান করেন এবং মুসলিম গোষ্ঠীগুলোতে 'বিদেশি হস্তক্ষেপ'ও এই বয়ানে নিষিদ্ধ করতে হবে। এই সনদ নিয়ে কীধরনের চাপ তৈরি হয়েছে তা নিয়ে বিবিসির প্যারিস সংবাদদাতা লুসি উইলিয়ামসন কথা বলেছেন মুসলিমদের সাথে। "এই মূল্যবোধের সনদের সবকিছুর সাথে আমরা সকলে একমত নই," বলেছেন ফ্রান্সের মুসলিম কাউন্সিল সিএফসিএম-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্যারিসের গ্র্যান্ড মসজিদের রেক্টর শেম্স এডিন হাফিজ। তবে তিনি বলছেন, "ফ্রান্সে ইসলাম ধর্মের জন্য এটা একটা ঐতিহাসিক যুগ সন্ধিক্ষণ এবং মুসলিম হিসাবে আমরা একটা বড় দায়িত্বের মুখোমুখি"। তিনি বলছেন আট বছর আগে তার চিন্তাভাবনা ছিল অন্যরকম। তিনি বিষয়টা দেখতেন ভিন্ন দৃষ্টিতে। তখন টলুসে এক হামলা চালিয়েছিল ইসলামপন্থী মোহাম্মদ মেরাহ। "প্রেসিডেন্ট (সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট) সারকোজি এ নিয়ে কথা বলার জন্য ভোর পাঁচটায় আমার ঘুম ভাঙিয়েছিলেন," তার মনে আছে। "আমার মনে আছে আমি প্রেসিডেন্টকে বলেছিলাম: 'তার নাম মোহাম্মদ হতে পারে, কিন্তু সে একজন অপরাধী!' আমি অপরাধের সাথে আমার ধর্মকে জড়াতে চাইনি। কিন্তু আজ পরিস্থিতি বদলেছে। ফ্রান্সে ইমামদের সামনে বড় দায়িত্ব রয়েছে।'' ফরাসী সরকারের পরিকল্পনা হল সিএফসিএম-কে ফ্রান্সের ইমামদের একটি নথিভুক্ত রেজিস্টার তৈরি করতে হবে। এই তালিকাভুক্ত ইমামদের প্রত্যেককে এই সনদে স্বাক্ষর করতে হবে এবং সনদে সই করলে তবেই তারা ইমাম হিসাবে স্বীকৃতি এবং অনুমতিপত্র পাবেন। প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ অক্টোবর মাসে মুসলিম গোষ্ঠীগুলোর ওপর ''ব্যাপক চাপ প্রয়োগের'' কথা বলেছেন। কিন্তু ফ্রান্সের জন্য কাজটা কঠিন। কারণ দেশটি নিজেদের 'ধর্মনিরপেক্ষ' বলে গর্ব করে থাকে। মি. ম্যাক্রঁ বলছেন তিনি রাজনৈতিক ইসলামের বিস্তার বন্ধের চেষ্টা করছেন। তিনি ধর্মপালনের ক্ষেত্রে কোনরকম হস্তক্ষেপ করতে চাইছেন না। তিনি এই ধরাণা দিতে চান না যে, তিনি কোন একটি বিশেষ ধর্মকে আলাদা করে দেখছেন। ফ্রান্সের মুসলিম গোষ্ঠীগুলোকে ফরাসী সমাজে সম্পৃক্ত করার, তাদের সমাজের অংশ করে নেবার জন্য সাম্প্রতিক কয়েক বছরে রাজনৈতিক অঙ্গনে চাপ বাড়ছে। ফ্রান্সে ইউরোপের সর্বাধিক সংখ্যক মুসলিমের বাস। দেশটিতে মুসলমান জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫০ লক্ষ। ফ্রান্সের মুসলিমদের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অলিভিয়ের রয় বলছেন এই সনদের দুটি সমস্যা রয়েছে। এক হল বৈষম্য, কারণ এটি শুধু মুসলিমদের লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে। আর দ্বিতীয়টি ধর্মপালনের স্বাধীনতার অধিকার নিয়ে। ''আপনি যে দেশে আছেন সেদেশের আইন মানতে আপনি অবশ্যই বাধ্য,'' তিনি বিবিসিকে বলেন, ''কিন্তু সেই দেশের মূল্যবোধ নিয়ে গর্ব করা আপনার জন্য বাধ্যতামূলক কেন করা হবে। আপনি সমকামী, উভলিঙ্গ অর্থাৎ এলজিবিটিদের বিরুদ্ধে বৈষম্য করতে পারেন না। কিন্তু ক্যাথলিক ধর্মের অনুসারীরা তো সমকামীদের বিয়ে অনুমোদন করে না।'' আরও পড়তে পারেন: ফ্যাশান ডিজাইনার ইমান মেসতাউই বলছেন তার ভাষায় যাকে তাকে ''ঘৃণার চোখে দেখেন'' তাদের কাছ থেকে তিনি নিয়মিত নানাভাবে হয়রানির শিকার হন। এরা হলেন কট্টরপন্থী কিছু মুসলমান যারা তার স্কার্ফ বা ওড়নার ডিজাইন নিয়ে সমালোচনা করেন - তারা বলেন তার ডিজাইন করা স্কার্ফ নারীর চুল পুরোপুরি ঢাকে না। কিন্তু তিনিও মনে করছেন, ''ফরাসী মূল্যবোধে''র সনদে ইমামদের স্বাক্ষর করার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। ফ্রান্সে অনেকেই মুসলিমদের পুরোপুরি ফরাসী হিসাবে মেনে নিতে চায় না। ''দাবিটা খুবই অদ্ভুত। আপনাকে দেখাতে হবে আপনি প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধের সাথে একমত, আপনি নিজেকে দেশটিতে একজন ফরাসি বলে ভাবুন, যেখানে কিন্তু ফরাসিরা আপনাকে ফরাসি বলে মনে করবে না,'' তিনি ব্যাখ্যা করলেন। শিরশ্ছেদ করা শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির মৃত্যুতে মুসলিমদের হয়ে শোক প্রকাশ করেছিলেন ইমাম শালঘৌমি ''আমরা এ দেশে যাই করি না কেন- কর দেয়া থেকে শুরু করে সেনা বাহিনীতে অংশ নেয়া - কখনই কিন্তু সেটা যথেষ্ট মনে করা হবে না। আপনাকে প্রমাণ করতে হবে আপনি সত্যিকার অর্থে ফরাসী: আপনাকে শূকরের মাংস খেতে হবে, মদ পান করতে হবে, হিজাব পরতে পারবেন না, উরুর ওপর স্কার্ট পরতে হবে। এটা রীতিমত হাস্যকর।'' কট্টরপন্থা ও ইমামদের ভূমিকা তবে প্যারিসের উপকণ্ঠে ড্রান্সি মসজিদের ইমাম হাসান শালঘৌমি বলছেন কয়েক বছর ধরে সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটির সরকারকে বাধ্য হয়ে কিছু পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। তার সংস্কারপন্থী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেবার পর থেকে মি. শালঘৌমি এখন লুকিয়ে রয়েছেন। "আমাদের এখানে বাড়তি করণীয় আছে। আমরা যে ফরাসী সমাজের অংশ সেটা আমাদের প্রমাণ করার একটা ব্যাপার আছে। আমরা যে দেশটির আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সেটাও আমাদের দেখাতে হবে," বলেন মি. শালঘৌমি। "কট্টরপন্থীদের কার্যকলাপের কারণেই আমাদের এই মূল্য দিতে হবে।'' ''এটা আমার বিবেকের স্বাধীনতার প্রকাশ'': হিজাব পরার ওপর ফরাসী আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা প্যারিসের বড় মসজিদ গ্র্যান্ড মসজিদের বাইরে জায়নামাজ আর কোরআন নিয়ে নামাজ আদায় করতে এসেছেন চারকি দেন্নাই। ''এই কট্টরপন্থী তরুণরা টাইম বোমা,'' তার বক্তব্য। "আমার মতে ইমামরা তাদের সাথে খুবই নরম আচরণ করেন। দেখুন আমরা ফরাসী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। একইভাবে ইমামকেও আমি শ্রদ্ধা করি। এটা অবশ্যই সম্ভব। আমি তো এটাই করতে চাই।'' কিন্তু ইমামরা তরুণ মুসলমানদের কতটা প্রভাবিত করতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে যেসব তরুণ কট্টরপন্থী মনোভাবের এবং সহিংস পথের অনুসারী। "এটা মোটেই কাজ করবে না," বলছেন অলিভিয়ের রয়, "এর সহজ কারণ হল এরা কিন্তু সালাফি মতবাদে দীক্ষিত হয়নি। আপনি যদি এই সন্ত্রাসীদের জীবন পরিচয় দেখেন দেখবেন রাজনৈতিক ইসলামের ধারার যে মতাদর্শ তারা সেই মতাদর্শের সাথে আদৌ পরিচিত নয়।" কাজেই তাদের সহিংস পন্থার সাথে ইসলামী শিক্ষার কোন সম্পর্ক নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ অলিভিয়ের রয়। তরুণ সম্প্রদায়ের জন্য কৌশল ফ্রান্সের সরকার এই সনদের মাধ্যমে "বিদেশি হস্তক্ষেপ" বন্ধ করার প্রয়াস নিয়েছে। সরকার মনে করছে বিদেশি প্রভাব ঠেকানো, কট্টরপন্থীদের সহিংসতা ও হুমকি প্রতিহত করার জন্য সরকারি কৌশলের একটি অংশ হবে এই সনদ। সরকার চাইছে যেসব তরুণ মনে করছে রাষ্ট্র তাদের দূরে সরিয়ে রেখেছে এই সনদ কার্যকর করে তাদের সমাজে অন্তর্ভূক্ত করা যাবে। সরকার তরুণদের হৃদয় জয় করতে আরও কিছু ব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছে। মি. ম্যাক্রঁ সরকারি স্কুলগুলোতে আরবী ভাষা শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে চান, দরিদ্র এলাকাগুলোতে তিনি বিনিয়োগ বাড়াতে চান এবং তিনি জোর দিয়ে বলেছেন তার সংস্কারের লক্ষ্য কট্টরপন্থী মুসলিমরা যারা ফ্রান্সের আইন এবং মূল্যবোধ প্রত্যাখান করছে। তিনি বলেছেন তিনি মুসলমানদের সার্বিকভাবে লক্ষ্যবস্তু করছেন না। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে এরদোয়ান, ইমরান খানসহ মুসলিম দেশগুলোর ক্ষোভের কারণ কী? আরও পড়তে পারেন: ফ্রান্সে ইসলামপন্থীদের আন্দোলন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদ হাকিম আল-কারুনি ফ্রান্সের সরকারকে ইসলাম বিষয়ে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ''কৌশলের ব্যাপারে আমি খুবই আগ্রহী,'' তিনি বিবিসিকে বলেন। ''এই সরকারি কৌশল খুবই পূর্ণাঙ্গ পরিসরে নেয়া। এখানে সাংস্কৃতিক, এবং সংগঠনের ভূমিকা ও অর্থায়ন বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।'' কিন্তু তিনি বলছেন, এধরনের প্রকল্পে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে সরকারের সম্পৃক্ত করা উচিত, ''কারণ ইসলাম ধর্মের আসল শিক্ষা এবং এই ধর্মের আলো তারাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবার দক্ষতা এবং যোগ্যতা রাখেন। ফ্রান্সের সরকার কখনও সেটা করতে পারবে না।'' এবং "তৃণমূল স্তরের মুসলিমদের'' আস্থা এখানে অর্জন করতে না পারলে এই সনদ কার্যকর করা খুবই কঠিন হবে, বলছেন অলিভিয়ের রয়। ''ধরা যাক্ স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অব দ্য মুসলিম ফেইথ বা সিএফসিএম-কে পুরো অগ্রাহ্য করে তাদের নিজস্ব একজন ইমাম নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিল। তখন সরকার কী করবে?" বলছেন অলিভিয়ের রয়। "সরকারকে হয় সংবিধান বদলাতে হবে এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার ধারণা বাদ দিতে হবে। নাহলে সরকার কখনই মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর সরকার অনুমোদিত ইমাম নিয়োগের একটা ব্যবস্থা সনদ সই করিয়ে কায়েম করতে পারবে না।" প্যারিসের ফ্যাশান ডিজাইনার ইমান মেসতাউই বলছিলেন ২০১৭ সালে তিনি তার পরিবারের সকলকে রাজি করিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁকে ভোট দেবার জন্য। কিন্তু তিনি লক্ষ্য করেছেন ক্ষমতায় আসার পর থেকে মি. ম্যাক্রঁ কীভাবে অভিবাসন ও নিরাপত্তা ইস্যুতে দক্ষিণ পন্থার দিকে "চরমভাবে ঝুঁকেছেন"। "আমি ম্যাক্রঁ-পন্থী ছিলাম," তিনি বলেন। "আমি ভেবেছিলাম আমাদের মুসলমান সম্প্রদায়ের জন্য তিনি সত্যিকার আশা ভরসা। কিন্তু এখন মনে হয় তিনি আমাদের দূরে ঠেলে ব্রাত্য করে দিয়েছেন।" | France's Muslim Council is due to meet President Emmanuel Macron this week, to confirm the text of a new "charter of republican values" for imams in the country to sign. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে হারিয়ে বুধবার পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছেন ব্রিটিশ এমপিরা এখন তাদের জন্য চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট ঠেকাতে আজ একটি বিল আনার সুযোগও তৈরি হলো। তবে ভোটাভুটিতে হেরে যাওয়ার পর বরিস জনসন বলেছেন, তিনি আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব আনবেন। কী হলো ভোটাভুটিতে? আগামী ৩১শে অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ, যেটি ব্রেক্সিট হিসেবে পরিচিত তা কার্যকর হওয়ার কথা। কীভাবে, কোন চুক্তিতে সেই বিচ্ছেদ হবে, এ নিয়েই চলছে এখন আলোচনা। তবে এই বিচ্ছেদ নিয়ে কোন চুক্তি হোক বা না হোক, নির্ধারিত তারিখেই ব্রেক্সিট কার্যকর করার ব্যাপারে অনড় থাকার কথা বলেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আরো পড়ুন: কেন ব্রেক্সিট নিয়ে নাকাল ব্রিটেন ব্রেক্সিট: আর কী বিকল্প হাতে আছে ব্রিটেনের? ব্রেক্সিট চুক্তি না হলে কী ঘটতে পারে? ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কেন সংসদ স্থগিত করতে পারেন? ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, তিনি আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব আনবেন। এ নিয়ে গত কিছুদিন ধরেই বেশ উত্তপ্ত ব্রিটেনের রাজনৈতিক অঙ্গন। এর মধ্যে ছুটি শেষে মঙ্গলবার বৈঠকে বসে ব্রিটেনের পার্লামেন্ট। আগেই এক সভায় বরিস জনসন জানিয়েছিলেন, ব্রেক্সিট নিয়ে নিজ দলের যারা বিরোধিতা করবেন তাদের বহিষ্কার করা হবে। কিন্তু বিরোধী দলের পাশাপাশি নিজ দলের বিদ্রোহী এমপিদের কাছে হাউজ অফ কমন্সে ৩২৮-৩০১ ভোটে হেরে গেলেন তিনি। মিস্টার জনসনের নিজ দলের ২১ জন এমপি যাদের মধ্যে কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীও আছেন তারা এই ভোটাভুটিতে সরকারকে হারাতে বিরোধীদের সাথে যোগ দিয়েছেন। ভোটে জয়ের ফলে আজ বুধবার পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ পেলেন বিরোধী ও বিদ্রোহী এমপিরা। এই ভোটের ফলে চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের বিরোধীরা ব্রেক্সিট বিলম্বিত করতে পার্লামেন্টে বিল আনতে পারবেন। ভোটাভুটির পর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে কিছু বলেছেন বরিস জনসন? ভোটের পর ডাউনিং স্ট্রীট থেকে বলা হয়েছে, যেসব টোরি এমপি বিদ্রোহ করেছে তাদের পার্লামেন্টারি পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হবে। বরিস জনসন বলেছেন, তিনি আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব আনবেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আশা, বহিষ্কার হুমকি ও আগাম নির্বাচনের কথায় বিদ্রোহী এমপিরা হয়তো অবস্থান বদলাবেন। লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের পক্ষে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আর নেই। মিস্টার জনসন বলেছেন, অক্টোবরে নির্বাচনের প্রচেষ্টা চালানো ছাড়া তার কিছু করার নেই। কারণ তিনি বলছেন, দেশের জনগণকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদিও এটিও তার জন্য খুব একটা সহজ হবে না। কারণ ব্রিটেনে ২০১১ সালের একটি আইনে পার্লামেন্টকে পাঁচ বছরের মেয়াদ দেয়া হয়েছে। এখন সেটি পরিবর্তন করতে হলে সংসদে বরিস জনসনের দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন লাগবে। এটি পেতে হলে তার বিরোধী দল লেবার পার্টির সমর্থন দরকার হবে। সেটি মি. জনসনের জন্য খুব একটা সহজ হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমপিরা যদি চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে বিল এনে সেটি পাশ করাতে সক্ষম হয় তাহলে কী হবে? ভোটের ফলের কারণে আজ এমপিরা হাউস অফ কমন্স নিয়ন্ত্রণ করবেন। এর ফলে তারা ব্রেক্সিট ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত বিলম্বিত করার প্রস্তাব দিতে প্রধানমন্ত্রীকে বাধ্য করতে বিল আনার সুযোগ পাবেন। তবে সেটি তখনি ঘটবে যদি এমপিরা ১৯শে অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিটের জন্য একটি নতুন চুক্তি অনুমোদন বা চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট না দেন। ধারণা করা হচ্ছে, সরকার ১৫ই অক্টোবর একটি সাধারণ নির্বাচন করতে চান। তার দুদিন পরেই ব্রাসেলসে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কীভাবে সেনা প্রশিক্ষণ বদলে দিয়েছে নিষেধাজ্ঞা কী প্রভাব ফেলছে ইরান-বাংলাদেশ সম্পর্কে? ডেঙ্গুর প্রকোপ কী কমতে শুরু করেছে? 'পুলিশি পরোয়ানার পরও শামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয়' ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ব্রিটেনের সময় রয়েছে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভোটাভুটিতে সরকার হেরে যাওয়ার পর বিরোধীরা কী বলছে? লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের পক্ষে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আর নেই। তিনি মন্তব্য করেন, ভোটাভুটি হওয়ার আগেই এই বিল পাশ হওয়া উচিত ছিল। এখন পর্যন্ত ২১জন টোরি এমপি, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীও রয়েছেন, তারা সরকারকে হারাতে বিরোধীদের সাথে যোগ দিয়েছেন। তবে বিরোধীদের এখন দাবি, 'নো ডিল ব্রেক্সিট' বা চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট যেন না হয় সেটি আগে নিশ্চিত করা, তারপর যত দ্রুত সম্ভব সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি। | In a dramatic move on Wednesday morning, Britain's new Prime Minister Boris Johnson set in motion the suspension of the UK Parliament - which means MPs have much less time to debate Brexit, the process of the UK leaving the European Union. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | মোহসেন ফখরিযাদে ছিলেন ইরানের গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রধান ইরানের সবচেয়ে সিনিয়র পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিযাদে শুক্রবার তেহরানের কাছে দামাভান্দ কাউন্টির আবসার্দ এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলেও, তিনি মারা যান। হাসান রুহানি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে ইরানের শত্রুদের গভীর "ঘৃণা ও হতাশা" স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। রাষ্ট্রীয় টিভিতে প্রচারিত এক বিবৃতিতে মি.রুহানি "ইহুদিবাদী শাসকচক্রের রক্তরঞ্জিত অশুভ হাতের" উপমা দেন - যা সাধারণত: ইসরায়েলকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। ইসরায়েল এ ব্যাপারে এখনো কোন মন্তব্য করেনি। এর আগে ইরান দেশটির সবচেয়ে সিনিয়র পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিযাদেকে হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকারের ঘোষণা দেয়। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সামরিক উপদেষ্টা হোসেইন দেঘান বলেছেন, এই হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের ওপর বজ্রের মত 'আঘাত হানা' হবে। ইসরায়েল ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ধারণা যে ফখরিযাদে ইরানের গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির পেছনে ছিলেন। তেহরানের কাছে দামাভান্দ কাউন্টির আবসার্দ এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন মি..ফখরিযাদে ২০১৮ সালের এপ্রিলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কে বক্তব্য দেয়ার সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু, ফখরিযাদের নামটি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছিলেন। ইরান সবসময়ই বলে আসছে, এই পারমাণবিক কর্মসূচি তারা শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, "সন্ত্রাসীরা আজ এক বিশিষ্ট ইরানি বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে।" মি. জারিফও এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দোষারোপ করে বলেন, "ইসরায়েলের এতে জড়িত থাকার গুরুতর ইঙ্গিত" রয়েছে। জাতিসংঘের ইরানের রাষ্ট্রদূত মজিদ তখত রাভঞ্চি বলেছেন যে, এই হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, যা এই অঞ্চলে বিপর্যয় ডেকে আনার জন্য করা হয়েছে। ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে এই হত্যার খবর এলো। পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সামরিক পরমাণু অস্ত্র তৈরি দুটি কাজের জন্যই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ২০১৫ সালে ছয়টি বিশ্বশক্তির সাথে এক চুক্তিতে ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের উৎপাদন সীমাবদ্ধ করার কথা বলেছিল। তেহরানের অদূরে দামাভান্দে হামলার দৃশ্য তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পর, ইরান ইচ্ছাকৃতভাবে চুক্তির শর্তগুলোর বরখেলাপ করে আসছিল। ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বিরোধিতা সত্ত্বেও জো বাইডেন জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইরানের সাথে পুনরায় যুক্ত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক প্রধান জন ব্রেনান বলেছেন, ওই বিজ্ঞানীর হত্যাকাণ্ড ছিল একইসঙ্গে "অপরাধমূলক" এবং "অত্যন্ত বেপরোয়া" , যা ওই অঞ্চলে সংঘাতের ঝুঁকি তৈরি করেছে। একাধিক টুইটে তিনি বলেছেন, ফখরিযাদের মৃত্যু "নতুন করে আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব উস্কে দেয়ার পাশাপাশি প্রাণঘাতী লড়াইয়ের ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। মি. ব্রেনান আরও বলেন, "তিনি জানেন না কোনও বিদেশি সরকার ফখরিযাদেকে হত্যার অনুমতি দিয়েছিল কি না।"। মোহসেন ফখরিযাদের সাথে কী হয়েছিল? শুক্রবার ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে: "সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ফখরিযাদেকে বহনকারী গাড়িকে তাদের লক্ষ্যবস্তু করেছিল। ফখরিযাদে মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থার প্রধান ছিলেন। "সন্ত্রাসীদের সাথে তার দেহরক্ষীদের সংঘর্ষ হয়। পরে মি. ফখরিযাদেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে বাঁচানোর জন্য চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালালেও দুর্ভাগ্যক্রমে ব্যর্থ হন তারা।" ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে হামলাকারীরা ওই বিজ্ঞানীর গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। ফার্স নিউজ এজেন্সি এর আগে খবর পেয়েছিল যে আবসার্দ শহরে একটি গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটেছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে যে "তিন থেকে চারজন ব্যক্তি, যাদেরকে সেখানে সন্ত্রাসী বলা হয়েছে", তারা মারা যায়"। ইরান জানিয়েছে, ফকরিযাদেকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে তিনি মারা যান। কেন তাকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছিল? পল অ্যাডামস, কূটনৈতিক সংবাদদাতা, বিবিসি প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে ফখরিযাদেহ স্পষ্টতই একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। দু'বছর আগে বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু সতর্ক করে বলেছিলেন, "তার নাম মনে রাখবেন"। ইরান যখন থেকে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করা শুরু করে, তখন দেখে দেশটি দ্রুত এগিয়ে যায়। স্বল্প-সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ করার পাশাপাশি দেশটি চুক্তির আওতায় অনুমোদিত স্তরের উপরে বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে। ইরানি কর্মকর্তারা সবসময় বলেছেন যে এ জাতীয় পদক্ষেপগুলি বিপরীতমুখী, তবে এসব না হলে গবেষণার উন্নয়ন এবং সার্বিক উন্নয়ন কঠিন হয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এর ইরানের সাবেক রাষ্ট্রদূত আলী আসগর সোলতানি সম্প্রতি বলেছেন যে, "আমরা পিছনে যেতে পারি না।" ইসরায়েলের অভিযোগ অনুযায়ী যদি মোহসেন ফখরিযাদে মূল হোতা হয়ে থাকেন, তবে তার মৃত্যু ইরানের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধার সৃষ্টি করতে পারে। এবং এই বাধা তৈরি করতে কারা প্রচেষ্টা চালিয়েছে সেটাও সামনে আসতে পারে। সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন ইরানের সাথে ওয়াশিংটন আবারও চুক্তিতে ফিরে যাবে। তবে এই হত্যাকাণ্ড দেশটির সাথে ভবিষ্যতের যে কোনও আলোচনাকে জটিল করে তোলার উদ্দেশ্যেও হতে পারে। মোহসেন ফখরিযাদে কে ছিলেন? ফখরিযাদে ছিলেন সর্বাধিক খ্যাতিমান ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী এবং অভিজাত ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কোরের সিনিয়র অফিসার। তার ব্যাপারে পশ্চিমা সুরক্ষা সূত্রগুলো দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে যে, ফখরিযাদে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অত্যন্ত শক্তিশালী এবং সহায়ক একজন ব্যক্তি। ২০১৮ সালে ইসরায়েলের থেকে পাওয়া গোপন নথি অনুসারে তিনি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির একটি কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সে সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন যে তিনি ফখরিযাদেকে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রধান বিজ্ঞানী বলে মনে করেন এবং তার "এই নামটি মনে রাখার" আহ্বান জানিয়েছেন। ২০১৫ সালে, নিউইয়র্ক টাইমস তাকে তুলনা করেছিলেন জে রবার্ট ওপেনহেইমারের সাথে, এই পদার্থবিজ্ঞানী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ম্যানহাটন প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তৈরি করেছিলেন প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র। পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ফখরিযাদে 'আমাদ' প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এটি ছিল ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি গোপন কর্মসূচি যেখানে পারমাণবিক বোমা তৈরির সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা হতো। আরও পড়তে পারেন: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ‘রহস্যময়’ হামলার পেছনে কারা? কত দ্রুত ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারবে? ইসরায়েল আর ইরানের মধ্যে কি যুদ্ধ লেগে যেতে পারে? কেন ইসরায়েল ও ইরান একে অপরের শত্রু? কোন দেশের কত পরমাণু অস্ত্র আছে, কোথায় আছে? ইরানের ইসফাহানে নাটানজ পারমাণবিক ফ্যাসিলিটির স্যাটেলাইট চিত্র। আইএইএর মতে এটি ২০০৩ সালে বন্ধ করা হয়, যদিও মি. নেতানিয়াহু বলেছেন যে ২০১৮ সালে প্রাপ্ত নথিগুলোতে দেখা গেছে যে ফখরিযাদে গোপনে 'আমাদ' প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রেখেছে। আইএইএ দীর্ঘদিন ধরে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি তদন্তের অংশ হিসাবে ফখরিযাদের সাথে কথা বলতে চেয়েছিল। ইরান এই কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের পারমাণবিক বোমা তৈরির বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে বলে সন্দেহ করা হয়। যার কারণে ২০১০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া এবং জার্মানির সাথে ইরান ২০১৫ সালে চুক্তি করে যে তারা তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিনিময়ে তাদের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রাখবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসায় সেটা অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। এ মাসের শুরুর দিকে আইএইএ জানিয়েছিল যে চুক্তির আওতায় ইরানকে যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমোদন দিয়েছিল তারা সেটার চাইতে ১২ গুণ বেশি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে। এদিকে, জানুয়ারিতে ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড কুদস বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি মার্কিন হামলায় নিহত হন। এরপর থেকে আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। | Iran's president has blamed Israel for the killing of a top nuclear scientist on Friday, and said it would not slow down the country's nuclear programme. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানের নাম আরিরাং ম্যাস গেমস। চলবে পুরো সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে। উত্তর কোরিয়ার ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান। এতে অংশ নিচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। অতীতে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে এসব অনুষ্ঠানে শিশুদেরকেও অংশ নিতে বাধ্য করা হয়। এই গেমস আসলে প্রচারণার এক বিশাল উৎসব। বিভিন্ন রঙের কার্ড দিয়ে অংশগ্রহণকারীরা তৈরি করেন বিশাল বিশাল প্রতিকৃতি। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় শক্তি তুলে ধরতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। বিদেশি পর্যটকদের কাছে খুব জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠান। এটি রাজস্ব আয়েরও একটি উৎস। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বেইজিং-এর সাথে অতিরিক্ত ফ্লাইট চালু করা হয়েছে। সবশেষ এই গেমসের আয়োজন করা হয়েছিল ২০১৩ সালে। অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই শিশু। জাতিসংঘ বলছে, এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে শিশুদের বাধ্য করা হয়। প্রত্যেকটি ইভেন্টের টিকেটের দাম প্রায় ৯৩৩ ডলার। | North Korea on Sunday kicked off a huge propaganda festival, featuring enormous co-ordinated displays unlike anything else in the world. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ইউজিন ক্যাসপারস্কি তার সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৯৭ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রাশিয়ানরা তখন বিভিন্ন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মসূচী সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে চাইছিল। কিন্তু ইসরায়েলি গোয়েন্দারা নিজেরাই যখন ওই সফটওয়্যারের গোপনীয়তা ভেদ করতে যায়, তারা রাশিয়ানদেরই তৎপরতার কথা জেনে যায়। ক্যাসপারস্কি অবশ্য বলেছে তাদের এই ধরনের কোনও ঘটনার কথা জানা নেই। সংস্থাটি আরও দাবি করেছে, তারা এর সঙ্গে আদৌ জড়িত নয় বা রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও তাদের কোনও যোগসাজশ কখনও ছিল না। গত মাসেই মার্কিন প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তাদের কোনও কম্পিউটারে ওই রুশ সংস্থার সফটওয়্যার আর ব্যবহার করা হবে না। জানা যাচ্ছে যে ইসরায়েলিরাই না কি মার্কিন প্রশাসনকে এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছিল, তার পরই ক্যাসপারস্কিকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আরো পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট: ‘আরসা’র সত্য অনুসন্ধানে বিবিসি ক্যাসপারস্কি বিশ্বের অন্যতম সেরা অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নির্মাতা হিসেবে স্বীকৃত মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্সি (এনএসএ)-র একজন কর্মী তার বাড়ির কম্পিউটারে ক্যাসপারস্কি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার বসিয়েছিলেন - তার বাড়ির কম্পিউটার থেকেই বহু গোপনীয় নথিপত্র চুরি হয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তবে এনএসএ, হোয়াইট হাউস বা ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাস এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে, তারা রাশিয়ার দূতাবাসকে এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে অনুরোধ করেছিল - কিন্তু তারা সেই অনুরোধের কোনও জবাব দেয়নি। আর ক্যাসপারস্কি সংস্থার পক্ষ থেকেএকটি বিবৃতি জারি করে এই গোটা ঘটনায় তাদের কোনও দায় নেই বলে দাবি করা হয়েছে। তারা বলছে ক্যাসপারস্কি এ বিষয়ে আদৌ অবহিত ছিল না। আমাদের পেজে আরও পড়ুন : 'মিয়ানমার চেয়েছিল রোহিঙ্গারা কখনও না ফিরুক' কীভাবে অ্যামাজনকে ৫০ লক্ষ টাকা ঠকাল দিল্লির যুবক অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রীর সাথে যৌন সম্পর্কও ধর্ষণ: ভারতের আদালত | Israeli spies looked on as Russian hackers breached Kaspersky cyber-security software two years ago, US media report. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | যেখানে গাছের চারাটি লাগানো হয়েছিল সেখানে এখন শুধু হলুদ কিছু ঘাস দেখা যাচ্ছে মি. ট্রাম্প এবং মি ম্যাক্রোঁ দু'জনেই খুব ঘটা করে গাছটি লাগিয়েছিলেন। সেসময় তাদের স্ত্রীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু লাগানোর ক'দিন পরেই গাছের চারাটি সেখান থেকে উধাও হয়ে গেছে। এই গাছটি জন্মেছিল উত্তর-পূর্ব ফ্রান্সের এমন একটি জায়গায় যেখানে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি লড়াই হয়েছিল। ফরাসী প্রেসিডেন্ট মি. ম্যাক্রোঁ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যে যে গভীর সম্পর্ক সেটি মনে করিয়ে দিতেই তিনি এই গাছের চারাটিকে উপহার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। মি.ম্যাক্রোঁ তার এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, "১০০ বছর আগে, মার্কিন সৈন্যরা ফ্রান্সের বিলুতে যুদ্ধ করেছিল আমাদের স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্যে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্যে উপহার হিসেবে নিয়ে যাওয়া আমার এই ওক গাছটি হোয়াইট হাউজে আমাদের সম্পর্কের একটি স্মৃতি হয়ে থাকবে।" কিন্তু বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একজন ফটোগ্রাফার শনিবার যে জায়গাটিতে গাছের চারাটি লাগানো হয়েছিলো সেখানকার একটি ছবি তুলেছেন। দেখা যাচ্ছে গাছটি সেখান থেকে উধাও। সেখানে শুধু এক চিলতে হলুদ ঘাস দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ফরাসী রাষ্ট্রদূত পরে টুইট করে বলেছেন, রোগসংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে গাছের চারাটিকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: হোয়াইট হাউজে ম্যাক্রোঁর গাছটা কোথায় গেল? আগামী ২৪ ঘন্টায় আরও ঝড়ের পূর্বাভাস বাংলাদেশে বজ্রপাত কখন কোথায় বেশি হচ্ছে? গাছটি ইউরোপীয় সেসিল ওক। ব্যাটল অফ বিলু উডে তার জন্ম। সেখানে ১৯১৮ সালে বড় রকমের একটি যুদ্ধ হয়েছিল। প্যারিসের উত্তর-পূবে এই বিলুর যুদ্ধে নিহত হয়েছিল প্রায় ২,০০০ আমেরিকান সৈন্য। সেখান থেকে গাছটিকে নিয়ে যাওয়া হয় আমেরিকায়। লাগানো হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও দপ্তর হোয়াইট হাউজের সবুজ বাগানে। লাগিয়েছিলেন খোদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। কিন্তু লাগানোর চারদিন পরই গাছটি সেখান থেকে নেই হয়ে গেছে। দুই প্রেসিডেন্ট মিলে গাছটি লাগিয়েছিলেন। উপস্থিত ছিলেন তাদের স্ত্রীরাও। গাছের চারাটিকে ঘিরে এই যে রহস্য সে ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি এখনও। কিন্তু চারাটি উধাও হয়ে যাওয়ার পর থেকে অনলাইনে তা নিয়ে নানা রকম জল্পন-কল্পনা শুরু হয়ে যায়। বাগান করা সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইটকে উদ্ধৃত করে ফরাসী একটি রেডিও নেটওয়ার্ক বলছে, ওক গাছ লাগানোর সবচেয়ে ভালো সময় অটাম (হেমন্ত) এর ফলে গাছটির শেকড় মাটির খুব গভীরে যেতে পারে। ফলে পরের গ্রীষ্মে যে পানির অভাব হয় সেটি সে মোকাবেলা করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে ফরাসী রাষ্ট্রদূত বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে যখন কোন গাছপালা কিম্বা প্রাণী নিয়ে যাওয়া হয় তখন সেটিকে আলাদা করে রাখা বাধ্যতামূলক। গাছটিকে পরে আবার লাগানো হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, গাছের শেকড়গুলো প্লাস্টিক দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ও সীমান্ত রক্ষা ওয়েবসাইট বলছে, বিদেশি কোন গাছ নিয়ে আসতে হলে সেটি আগেই পরীক্ষা করে দেখতে হয়। এই খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে সোশাল মিডিয়াতে অনেকেই এই রহস্য নিয়ে কথাবার্তা বলতে শুরু করেন। এটি পরিণত হয় ইন্টারনেট সেনসেশনে। শাবল হাতে দুই প্রেসিডেন্টের ছবিও ভাইরাল হয়ে পড়ে। অনেকেই আশা করছেন যে গাছটি হয়তো আগামী অক্টোবর মাসে আবাার হোয়াইট হাউজের বাগানে ফিরে আসতে পারে। | A tree gifted to President Donald Trump by French President Emmanuel Macron has disappeared from the White House lawn. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | হৃৎপিণ্ড না নামিয়ে পরের গন্তব্যে রওনা হয়ে গিয়েছিল বিমানটি। সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের বিমানটিতে একটি হৃৎপিণ্ড বহন করা হচ্ছিল যেটি বিমান থেকে নামাতে ভুলে যায় বিমানের কর্মীরা। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে হৃৎপিণ্ডটি সিয়াটলে নিয়ে আসা হয় যেন সেখানকার একটি হাসপাতালে হৃৎপিণ্ডের একটি ভাল্ভ প্রতিস্থাপন করা যায়। কিন্তু হৃৎপিণ্ডটি সিয়াটলে নামানোই হয়নি। এরপর বিমানটি যখন সিয়াটল ছেড়ে ডালাসের দিকে রওনা হয়ে প্রায় অর্ধেক পথ পাড়ি দেয়, তার আগ পর্যন্ত বিমানের কর্মীদের মনেও আসেনি যে হৃৎপিণ্ডটি নামাতে ভুলে গেছেন তারা। রোববারে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার গল্প গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় মঙ্গলবারে। প্লেনের ক্যাপ্টেন যখন এই ঘটনার কথা যাত্রীদেরকে বলে তখন বিমানের অধিকাংশ যাত্রীই বিস্মিত হন বলে জানা যায়। কেউ কেউ তাদের স্মার্টফোন ব্যবহার করে হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সার্চ করেন। দেহ থেকে একটি হৃৎপিণ্ড বের করার পর কতক্ষণের মধ্যে তা আরেকটি দেহে প্রতিস্থাপন করতে হয় - এই বিষয়েই সার্চ করেন অধিকাংশ মানুষ। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৪ থেকে ৬ ঘন্টার মধ্যে এই অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করতে হয়। সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের বিমানটি প্রায় ৩ ঘন্টা সময় অতিরিক্ত ভ্রমণ করার পর হৃৎপিণ্ডটি আবার সিয়াটলে ফেরত আসে। তবে সিয়াটল টাইমস পত্রিকা জানায়, বিমানটি সিয়াটলে ফেরার পর টিস্যু সংরক্ষণের জন্য সিয়াটলের একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রেই নিয়ে যাওয়া হয় হৃৎপিণ্ডটিকে। পত্রিকার খবর অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই হৃৎপিণ্ডটিকে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছিল। আরো পড়তে পারেন: 'মুরগির দুনিয়া': কীভাবে পৃথিবীর দখল নিলো এই পাখি 'ইডিয়ট' কেন গুগলে সবচেয়ে বেশি খোঁজা শব্দ? গুগল সার্চে বাংলাদেশীরা যাদের বেশি খোঁজ করেছেন 'বর্ণবাদী' গান্ধীর মূর্তি উৎপাটন গানায় | A US passenger plane travelling from Seattle to Dallas was forced to turn back hours into its flight because a human heart had been left on board. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | লুসির শরীরের চামড়া খুব স্পশকাতর। স্পর্শ লাগলে সেটা যেমন ছিঁড়ে যেতে পারে বা ফোস্কা পড়তে পারে। লুসি বেল লোটের বয়স বিশ বছর এবং তার এপিডারমোলাইসিস বুলোসা (ইবি) নামের একটি বিরল রোগ রয়েছে। এর মানে হলো, তার শরীরের ত্বক সামান্যতম স্পর্শে ছিঁড়ে যেতে পারে এবং ফোস্কা পড়তে পারে। লুসিকে অনেক সময়েই বেদনাদায়ক ক্ষতগুলো বেঁধে রাখতে হয়। যে তরুণদের ইবি নামের এই বিরল রোগ রয়েছে, অনেক সময় তাদের ডাকা হয় 'বাটারফ্লাই চিলড্রেন' বা 'প্রজাপতি শিশু' বলে, কারণ তাদের শরীরের চামড়া প্রজাপতির ডানার মতো ভঙ্গুর। ''বেশিরভাগ সময়ে অনলাইনে আমি যে প্রশ্নের মুখোমুখি হই, সেটা হলো, এটা কি কষ্টকর? আর আমি তখন বলি, হ্যাঁ। ক্ষত বের করা বেশ ভালোই কষ্টকর হতে পারে, '' বলছেন লুসি। ''এই মুহূর্তে আমার গোড়ালিতে একটি বড় ক্ষত রয়েছে, আমি সত্যিই সেটার ব্যথা অনুভব করতে পারি।'' এটা লুসিকে ভেতর থেকেই আহত করতে পারে। উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, কিশোরী বয়সে তার গলায় বেশ কয়েকটি অপারেশন করতে হয়েছে, কারণ তার গলার ভেতরেও এরকম ক্ষত দেখা গিয়েছিল। এ ধরণের রোগে আক্রান্ত মানুষজন অল্পবয়সেই মারা যায়। আরো পড়ুন: চীনে ভাইরাসে শত শত মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা 'সোয়াইন ফ্লু' নিয়ে কি উদ্বেগের কারণ আছে? ২০১৯ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে সেরা আবিষ্কারসমূহ 'আমার বান্ধবী চায়না আমি তাকে নগ্ন অবস্থায় দেখি' ইবি রোগটি বংশগত, যার মানে হলো লুসি এই রোগটি পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পেয়েছেন এবং সেটা ধরার কোন উপায় নেই। রোগীরা এ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয় না। ধারণা করা হয়, বর্তমানে শুধু যুক্তরাজ্যে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের ইবি রোগটি রয়েছে এবং সারা বিশ্বে এই ধরণের রোগীর সংখ্যা পাঁচ লাখ। টেক্সাসের অস্টিন থেকে আসা লুসি বর্তমানে স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রু ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছেন। তিনি বলছেন, তার ইবি রোগ প্রথম সনাক্ত করা হয় তার জন্মের সময়ে। কারণ জন্মের সময় তার শরীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় কোন চামড়া ছিল না। ''যখন একজন সেবিকা আমার শরীর থেকে একটি মনিটরের বাটন সরিয়ে নিতে গেলেন আর শরীরের পুরো চামড়াটি উঠে এলো, তখন তারা বুঝতে পারলো কোন একটা বড় ধরণের সমস্যা রয়েছে,'' লুসি বলছিলেন বিবিসির রেডিও ওয়ান নিউজবিটকে। 'এটা যেনছায়ার মতো' 'আমার সঙ্গে যেন আমার ছায়ার মতো বেড়ে উঠতে থাকে ইবি রোগটি,'' বলছেন লুসি। '' যখন আমি আমার নাম জানলাম, একই সময়ে আমি এটাও জানলাম যে, আমি কী অবস্থায় রয়েছে এবং বুঝলাম যে আমি জীবনসীমায় রয়েছি।'' কিন্তু নিজের অবস্থার কারণে জীবনকে নেতিবাচক ভাবে দেখার পরিবর্তে লুসি বরং ভিন্নভাবে দেখতে শুরু করলেন। এই রোগে আক্রান্তদের জন্য একজন সোচ্চার কণ্ঠস্বর হয়ে উঠলেন লুসি এবং সচেতনতা তৈরিতে কাজ শুরু করলেন। ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকার দেয়া, সচেতনতা তৈরি করা এবং পড়াশোনার পাশাপাশি প্রথম উপন্যাস লেখার কাজও শেষ করেছেন লুসি। ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকার দেয়া, সচেতনতা তৈরি করা এবং পড়াশোনার পাশাপাশি প্রথম উপন্যাস লেখার কাজও শেষ করেছেন লুসি। রোগটির কারণে ছোটবেলায় তাকে স্কুলে পড়াশোনা বাদ দিতে হয়েছে, যা তাকে এ বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে শিখিয়েছে। ''আমি স্কুল ভালবাসতাম। আমি অদ্ভুত একটা বাচ্চা ছিলাম যে। এতটাই মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে, আমি ভেবেছিলাম, আমি হয়তো কখনোই আর কিছু শিখতে পারবো না।'' তিনি বলছেন। ''কিন্তু আমি দেখলাম ইবি রোগ আমার শেখার কোন বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারলো না।'' নিজের ছবি ইন্সটাগ্রামেও পোস্ট করেন লুসি। তিনি বলছেন, এই রোগ নিয়ে টিকে থাকা অন্যান্য মানুষের সঙ্গে সংযোগের জন্য এটা একটি বিশাল মাধ্যম। ''একজন কিশোরী হওয়া কঠিন একটি সময়। কিন্তু এ ধরণে একটি রোগ থাকা, যা আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে দেয়, সেটাকে আরো কঠিন করে তোলে,'' লুসি বলছেন। ''সুতরাং কোন কিশোর-কিশোরী যদি তাদের মতো সমস্যা থাকা কাউকে মিডিয়ায় দেখতে পায়, তাহলে সেটা তাদের সাহায্য করতে পারে।'' এখন তিনি পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে মানুষজনের বার্তা পান, যাদের তার মতো একই ধরণের সমস্যা রয়েছে। ''প্রতিদিন সকালে উঠে আমি মানুষের 'ধন্যবাদ' বার্তা পাই, যা আমার হৃদয় পূর্ণ করে তোলে।'' 'তারা সবাই চমৎকার লোক' লুসির এই আচরণ ইবি কম্যুনিটিতে একেবারে নতুন নয় বলে বলছেন ক্যারোলিন কলিন্স, ইবি বিষয়ক দাতব্য সংস্থা ডেবরার গবেষণা বিভাগের প্রধান। ''আমার দেখা সবচেয়ে ইতিবাচক এবং অগ্রসর তরুণ মানুষদের মধ্যে তারা অন্যতম,'' তিনি বলছেন। ''যখন আমি দেখি যে, তাদের মধ্যে কতজন স্কুলে যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে, চাকরিবাকরি করছে এবং প্রতিকূলতার মুখোমুখি হলেও সাধ্যমত সেরা জীবনযাপন করছে, সত্যি কথা বলতে আমি অবাক হয়ে যায়।। তারা সবাই চমৎকার মানুষ।'' কিন্তু বাস্তবতা হলো ইবি রোগটি আক্রান্তদের জীবন সংক্ষিপ্ত করে দেয়। এখন রোগটির তিনটি ধরণ রয়েছে। লুসি রোগটির যে ধরণে ভুগছেন, ডিসট্রফিক ইবি, সেটির লক্ষণগুলো ছোট আকার থেকে অনেক বড় হয়ে উঠতে পারে। সবচেয়ে চরম হলো জংশনাল ইবি- যা সবচেয়ে বিরল। সামনের সপ্তাহে বিশ্বের ইবি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছেন ক্যারোলিন, যা এই ধরণের রোগের সম্মেলনে সবচেয়ে বড়। লুসিও সেখানে যোগ দিচ্ছেন। ক্যারোলিন বলছেন, ''গত কয়েক বছরে আমরা অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি। কিন্তু এই খাতে আরো অনেক গবেষণার দরকার আছে। যেহেতু এটা বংশগত বিষয়, তাহলে হয়তো বংশগত কিছু চিকিৎসা সমাধান আমরা পেতেও পারি- যেসব চিকিৎসার জন্য সবাই স্বপ্ন দেখছেন।'' ''ইবি রোগের কিছু ধরণের ক্ষেত্রে, কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যেই মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। অন্য রোগীরা হয়তো বিশ, ত্রিশ বা চল্লিশ বছর পর্যন্ত জীবন কাটিয়ে দিতে পারেন।'' কিন্তু লুসির কাছে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ভবিষ্যতের দিকে নজর দেয়া। তাদের কাছে অনেক কাজের একটি তালিকা আছে। ''এ বছরেই সচেতনতা তৈরিতে আমি আরো অনেক বেশি কাজ করতে চাই। অনেকগুলো ইন্টার্নশিপের জন্যই আমার আবেদন করতে হবে এবং সেই সঙ্গে আমার মাস্টার্স ডিগ্রিটাও শেষ করতে চাই।'' ''এটা যদি আমার ওপর নির্ভর করতো, তাহলে সারাজীবন ধরে আমি পড়াশোনা চালিয়ে যেতাম।'' | "I get asked a lot if I feel like I'm on borrowed time... I definitely don't - it's my own. And I'm going to use it to the best of my capabilities." |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ৬০ বছর পর লাইব্রেরীর বই ফেরত দিলো একজন সাবেক ছাত্র কালচার এন্ড সোসাইটিস অফ আফ্রিকা নামের ওই বইটি ওই লাইব্রেরি থেকে নেয়া হয়েছিলো। এখন লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ জরিমানা মওকুফের অঙ্গীকার করেছে। বর্তমান সময়ের হিসেবে সপ্তাহে দেড় পাউন্ড হিসেবে জরিমানার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৭শ পাউন্ড। গনভিল অ্যান্ড কেইউস কলেজের একজন সাবেক ছাত্র বুধবার বইটি ফেরত দিয়েছেন। পরে সেটি নিয়ে যাওয়া হয় মূল বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ ক্যামব্রিজের লাইব্রেরিতে। এক টুইট বার্তায় লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ লিখেছে, "বেটার লেট দ্যান নেভার"। একই সাথে জরিমানা মওকুফের কথাও উল্লেখ করেছে তারা। তারা বলছে, "হয় এটা একটি অসাধারণ বই অথবা তিনি খুবই ধীরগতির একজন পাঠক"। তবে একজন মুখপাত্র বলছেন এটি ঠিক পরিষ্কার নয় যে ওই শিক্ষার্থী এই দীর্ঘ সময় ধরে বইটি ভুলবশত নাকি ইচ্ছাকৃত নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। তবে লাইব্রেরি সিস্টেমে এখনো বইটিকে নিখোঁজ দেখাচ্ছে। বইটি ক্যাটালগ শাখায় দেয়া হয়েছে এবং তারাই শিগগির বইটিকে তালিকাভুক্ত করে নির্ধারিত জায়গায় রাখবেন। আরো পড়ুন: বই পড়া কি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে? দুর্নীতি বিরোধী অভিযান থেকে পুলিশ কেন বাদ | A library book has been returned to a university 60 years late. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | রোববার রাতে ব্রুকলিন সেন্টারে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের কাঁদানে গ্যাস নিক্ষোপ। বিশ-বছর বয়সী এই ব্যক্তির নাম ডন্টে রাইট। ব্রুকলিন সেন্টারের মেয়র কারফিউ জারি করে বিক্ষোভকারীদের বাড়ি ফিরে যেতে বলেছেন। জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির হত্যার দায়ে এক পুলিশ অফিসারের বিচার নিয়ে মিনিয়াপোলিস এমনিতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে আছে। বিক্ষোভের যেভাবে শুরু ব্রুকলিন সেন্টারের পুলিশ সদর দফতরের বাইরে রোববার শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে ডন্টে রাইটের নামে স্লোগান দিতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের মোকাবেলায় প্রস্তুত দাঙ্গা পুলিশ। সম্পর্কিত খবর: 'ভারতীয়রা স্পষ্টতই কৃষ্ণাঙ্গদের ঘৃণা করে' বড় শহর মিনিয়াপোলিস থেকে জায়গাটি মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবর দিচ্ছে, এরপর দাঙ্গা পুলিশ রাস্তায় নামলে উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং জনতা পুলিশের দুটি গাড়ির ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। প্রতিবাদকারীরা সে সময় ডন্টে রাইটের স্মরণে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের সময় কিছু দোকানপাটে লুঠপাট শুরু হলে মেয়র শহরে কারফিউ জারি করেন। উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিবিসির সাংবাদিক স্যামান্থা গ্র্যানভিল ব্রুকলিন সেন্টার থেকে জানাচ্ছেন, বিক্ষোভের মুখে পুলিশ সদস্যরা সদর দফতরের বাইরে ব্যারিকেড তৈরি করেন। তাদের পরনে ছিল দাঙ্গা পুলিশের পোশাক। ব্রুকলিন সেন্টার পুলিশ বিভাগের বাইরে হাঁটু গেড়ে বসে বর্ণবাদ-বিরোধী প্রতিবাদ। শত শত বিক্ষোভকারী ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টায় একটু একটু করে এগুতে তাকে এবং স্লোগান দিতে থাকে: "বিচার না পেলে আমরা শান্তিও পাব না।" বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন ডন্টে রাইটের পরিবার এবং বন্ধুবান্ধব। কী ঘটেছিল ডন্টে রাইটের? এক বিবৃতিতে ব্রুকলিন সেন্টারের পুলিশ বিভাগ জানাচ্ছে, রোববার বিকেলে ডন্টে রাইট ট্রাফিক আইন অমান্য করার পর পুলিশ তার গাড়িকে থামায়। এ সময় পুলিশ জানতে পারে তার নামে আগে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। যখন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে চায় তিনি তখন আবার গাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়েন। এসময় পুলিশ তার ওপর গুলি চালায়। এর পরও তিনি গাড়ি চালিয়ে কিছু দূর গিয়ে আরেকটি গাড়ির সাথে ধাক্কা মারেন। এরপর ঘটনাস্থলেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশের গাড়িতে হামলা। তার সাথে থাকার একজন যাত্রীর গায়েও আঘাত লেগেছে। তবে কোন প্রাণ সঙ্কট নেই। মিনিয়াপোলিসে জর্জ ফ্লয়েড হত্যা মামলার প্রধান আসামী পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনের বিচার গত দু'সপ্তাহ ধরে চলছে। ভিডিওতে দেখা গেছে মি. শভিন নয় মিনিট ধরে মি. ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু চেপে বসেছিলেন। এই দৃশ্য দেখার পর বিশ্বজুড়ে বর্ণবাদ-বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। মি. শভিনের বিচার আরও এক মাস ধরে চরবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবং রায় ঘোষণার সময় আরও গোলযোগ হতে পারে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন। বিবিসি বাংলায় আরও দেখুন: | Tear gas has been fired and a curfew imposed amid angry protests after police fatally shot a black man in a traffic stop in the US city of Brooklyn Center, just north of Minneapolis. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ইয়েমেনের যুদ্ধে এখন পর্যন্ত এক লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে বলে ধারণা করা হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার পর পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রথম ভাষণে বলেন, "ইয়েমেনের যুদ্ধ বন্ধ হতে হবে।" মি. বাইডেনের দুই জন পূর্বসূরির সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের দমনে সৌদি আরবের পরিচালিত অভিযানকে সমর্থন দিয়ে আসছে। ওই সংঘাত ইয়েমেনের লাখ লাখ নাগরিককে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দুর্বল ইয়েমেন সরকার এবং হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে এই সংঘাতের শুরু ২০১৪ সালে। এক বছর পর সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় যখন সৌদি আরব ও আটটি আরব দেশের জোট হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স এতে সমর্থন দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতিতে অন্যান্য বিষয়ে পরিবর্তনের ঘোষণাও দেন মি. বাইডেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে আরও বেশি সংখ্যক শরণার্থী গ্রহণের সিদ্ধান্তও। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ইয়েমেন সংকট: কে কার সঙ্গে কেন লড়াই করছে? সমঝোতা সত্ত্বেও যুদ্ধ চলছে ইয়েমেনে ইয়েমেনের জন্য সংগ্রহ করা ত্রাণ কোথায় যায়? ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিল সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ইয়েমেন? ইয়েমেন সংক্রান্ত ঘোষণার অর্থ কী? হুতিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার মি. বাইডেনের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র এই অভিযানে সমর্থন দেয়া বন্ধ করবে। পাশাপাশি সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে নির্ভুলভাবে আঘাত করতে সক্ষম, এমন যুদ্ধাস্ত্র বিক্রিও বন্ধ করবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে আরব উপদ্বীপ অঞ্চলে আল কায়েদার বিরুদ্ধে চলমান অভিযান এই সিদ্ধান্তে প্রভাবিত হবে না। সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অস্ত্র বিক্রির ওপর এরই মধ্যে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাইডেন প্রশাসন। জাতিসংঘের ভাষ্য অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ইয়েমেন। সেখানকার জনসংখ্যার ৮০ ভাগেরই সহায়তা বা সুরক্ষা প্রয়োজন। জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব-সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় চলছে ইয়েমেনে প্রায় ছয় বছর আগে ইয়েমেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথমবারের মত যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বন্ধ হলে ইয়েমেনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধ হবে না, তবে এই সিদ্ধান্ত রিয়াদ এবং আবুধাবির নেতাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি বার্তা দেবে। ইয়েমেনীদের পাশাপাশি পশ্চিমা কূটনীতিকরাও যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের অভিযানে সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর একটি কারণ ছিল, ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তির কারণে সৃষ্ট সৌদি আরবের ক্ষোভ সামাল দেয়া। এখন ইয়েমেন এবং ইরানে নতুন মার্কিন দূতদের কাজ হবে ইয়েমেনের যুদ্ধ থামানো এবং যুদ্ধের একটি মূল কারণ আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব নিরসনের চেষ্টা করা। ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ | The US is to end its support for offensive operations by its allies in Yemen, which has been devastated by a six-year war in which more than 110,000 people are believed to have died. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য ডেটিং সেবা চালু করা করছেন মার্ক জাকারবার্গ সেই বছরে ব্যবহারকারীদের জন্য যেসব নতুন সেবা তারা চালু করতে যাচ্ছেন, তার মধ্যে রয়েছে সঙ্গী খোঁজার একটি ডেটিং সার্ভিসও। ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক এফএইট ডেভেলপার কনফারেন্সে এই নতুন সেবাটি চালুর ঘোষণা দিয়েছেন মি. জাকারবার্গ। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে গৃহকর্মী, মজদুরদের কে দেখবে? কাজে ফেরা নতুন মায়েদের জন্য দশটি পরামর্শ তিনি বলেছেন, এই যুগল মেলানোর সেবা নিতে হলে ব্যক্তিগত অনেক কিছু শেয়ার করতে হবে এবং খুব তাড়াতাড়িই সেটা চালু হবে। সেখানে ব্যবহারকারীরা একে অন্যকে বার্তা পাঠাতে পারবেন। ''ফেসবুকে ২০ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে, যারা নিজেদের সিঙ্গেল বা সঙ্গী ছাড়া বলে উল্লেখ করেছেন। এখন আমরা যদি তাদের জন্য একটি সার্থক সম্পর্ক তৈরি করে দিতে পারি, তা সবার জন্যই অর্থপূর্ণ হবে।'' বলছেন মি. জাকারবার্গ। তার এই ঘোষণার পর ডেটিং ব্যবসায়ের প্রতিষ্ঠান ম্যাচ গ্রুপের শেয়ারের দাম ২২ শতাংশ পড়ে গেছে। জনপ্রিয় ডেটিং অ্যাপ টিন্ডারের মালিক এই প্রতিষ্ঠানটি, যারা মূলত ফেসবুক প্রোফাইল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। মি. জাকারবার্গ বলছেন, তাদের মুল উদ্দেশ্য ফেসবুক সদস্যদের মধ্যে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি করা। নতুন এই ফিচারে বর্তমান বন্ধু তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের বাইরে রাখা হবে। ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার নিয়ে সমালোচনার মুখে রয়েছে ফেসবুক। মার্ক জাকারবার্গ ঘোষণা দিয়েছেন, এরকম আর ঘটবে না। সেটি ঠেকাতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কথাও তিনি জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক গ্রাহক জানিয়েছেন, নতুন পোস্ট দেয়ার পরে তারা একটি নতুন বার্তা দেখতে পাচ্ছেন, যেখানে জানতে চাওয়া হচ্ছে যে, এটি ঘৃণা বা বিদ্বেষ ছড়ানো মূলক কোন বক্তব্য কিনা এর মধ্যে রয়েছে: এখন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা জানতে পারবেন, তৃতীয় পক্ষের কোন ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ তাদের প্রোফাইল থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে। নিজেদের সম্পর্কে তথ্য মুছে দেয়া যাবে। নিজেদের প্রোফাইলে ব্যক্তিগত বিস্তারিত দেয়া থেকে ভবিষ্যতে বিরত করবে ফেসবুক। ফেসবুকের জন্য নতুন কয়েকটি ফিচারও তিনি ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ইন্সটাগ্রামে ভিডিও চ্যাট আর অগমেন্টেড রিয়েলিটি ফিল্টার যোগ হচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপেও গ্রুপ ভিডিও চ্যাট পদ্ধতি আসবে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক গ্রাহক জানিয়েছেন, নতুন পোস্ট দেয়ার পরে তারা একটি নতুন বার্তা দেখতে পাচ্ছেন, যেখানে জানতে চাওয়া হচ্ছে যে, এটি ঘৃণা বা বিদ্বেষ ছড়ানো মূলক কোন বক্তব্য কিনা। এমনকি জাকারবার্গের বক্তব্যের নিচেও সেটি লেখা রয়েছে। তবে ফেসবুক এখনো এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। | Facebook CEO Mark Zuckerberg has vowed to "fix" Facebook, in what he described as his personal challenge for 2018. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | 'ভোগ আরাবিয়া'র জুন সংস্করণের প্রচ্ছদে সৌদি রাজকুমারী হায়ফা। কিন্তু 'ভোগ' ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তের পক্ষে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, রাজকুমারী হায়ফাকে প্রচ্ছদে এনে তারা সঠিক সম্পাদকীয় সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। আরব দুনিয়ায় নারীর জীবন নিয়ে এখন যেসব ইস্যুতে আলোচনা ও বিতর্ক চলছে, তারা সেটাকেই এর মাধ্যমে তুলে ধরতে চেয়েছেন। 'ভোগ আরাবিয়া'র প্রচ্ছদে রাজকুমারী হায়ফা বিনতে আবদুল্লাহ আল সউদের যে ছবিটি ছাপা হয়, তাতে দেখা যায় তিনি খুবই হালফ্যাশনের পোশাক এবং বুট পরে একটি দামি গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে আছেন। উল্লেখ্য, সৌদি আরবে এমাসেরই ২৪ তারিখ থেকে মেয়েদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার কথা। কিন্তু যে নারী অধিকার কর্মীরা সেদেশে মেয়েদের গাড়ি চালানোর অধিকার অর্জনের আন্দোলন করেছেন, তাদের অনেককেই সম্প্রতি সৌদি কর্তৃপক্ষ গ্রেফতার করে। এদের অনেকে এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। সমালোচকরা বলছেন, 'ভোগ' ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষ এই পুরো বিষয়টিকে উপেক্ষা করেছেন সৌদি রাজকুমারীকে গৌরবময় ভূমিকায় উপস্থাপন করে। 'ভোগ আরাবিয়া'র প্রধান সম্পাদক ম্যানুয়েল আরনট অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থন করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি দাবি করছেন, আরব দুনিয়ায় এখন নারীদের যেসব বিষয় নিয়ে বিতর্ক চলছে, এর মাধ্যমে তারা সেটাকেই গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরতে চেয়েছেন। তার মতে, রাজকুমারী হায়ফাকে প্রচ্ছদে আনার মাধ্যমে তারা বরং সেই বার্তাটিকে আরও বহুগুণ বেশি ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন। বিবিসির কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, "তাৎপর্যপূণ বিষয়ে গঠনমূলক বিতর্ককে আমরা অগ্রাধিকার দেই। এই শক্তিশালী এবং প্রতীকি ছবিটি প্রচ্ছদে প্রকাশ করার মাধ্যমে আমরা সেই কাজটাই করেছি। সৌদি সমাজে নারীর ভূমিকার প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।" জেদ্দার মরুভূমিতে ভোগ ম্যাগাজিনের জন্য সৌদি রাজকুমারীর ফটো সেশন কিন্তু সৌদি আরবে অনেক টুইটারে এই বলে অভিযোগ করেছেন যে সৌদি রাজকুমারী ভোগ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে আসার যোগ্য নন। বিশেষ করে তাকে তো 'ড্রাইভিং ফোর্স' বলে বর্ণনা করার প্রশ্নই উঠে না। তবে অন্য অনেকে ভোগ ম্যাগাজিনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। তারা মনে করেন সৌদি রাজকুমারীকে প্রচ্ছদে এনে নতুন ইতিহাস তৈরি করা হয়েছে। বিবিসির আরব অ্যাফেয়ার্স সম্পাদক সেবাস্টিয়ান আশার বলেছেন, এই বিতর্ক ২০১১ সালের একটি ঘটনার কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। সেবছরও ভোগ ম্যাগাজিন একই ধরনের সমালোচনার মুখে পড়েছিল যখন তারা সিরিয়ার ফার্স্ট লেডি আসমা আসাদকে নিয়ে তাদের গ্লোবাল এডিশনে একটি ফিচার প্রকাশ করে। প্রেসিডেন্ট আসাদ তখন মাত্র বিক্ষোভকারীদের কঠোরভাবে দমন করতে শুরু করেছিলেন। আর ঐ একই সময়ে ভোগ ম্যাগাজিনে আসমা আসাদকে নিয়ে এই ফিচার ছাপা হয়। সৌদি বাদশাহ সালমান গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঘোষণা দেন যে তিনি মেয়েদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন। এ নিয়ে সেখানে বহু বছর ধরে আন্দোলন চলছিল। ভোগ ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাজকুমারী হায়ফা বলেছেন, তিনি বাদশাহর এই সিদ্ধান্তকে সোৎসাহে সমর্থন করেন। ভোগ ম্যাগাজিনের এই সংখ্যাটিতে আরও কয়েকজন নামকরা সৌদি নারীর সাক্ষাৎকার রয়েছে। এদের মধ্যে আছেন ফ্যাশন ডিজাইনার, ফুটবলার এবং এবং আলোকচিত্রী। | Vogue Arabia has defended its use of a princess on its cover to mark "trailblazing women of Saudi Arabia", after being accused of ignoring a crackdown on women's rights activists. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | চীনের বাইরে ফিলিপিন্সে প্রথম কোন ব্যক্তির করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে। ৪৪ বছর বয়সী ওই চীনা ব্যক্তি হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে এসেছিলেন, যেখানে প্রথম ভাইরাসটি সনাক্ত করা হয়েছিল। ফিলিপিন্সে পৌঁছানোর আগেই তিনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে তিনশ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছেন, আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার জনেরও বেশি। বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে হুবেই প্রদেশে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য কয়েকটি দেশ চীন থেকে বিদেশীদের আগমন নিষিদ্ধ করেছে এবং তাদের নিজস্ব নাগরিকদের ফিরিয়ে এনে কিছু সময়ের জন্য তাদের আলাদা করে রাখছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা সার্সের প্রাদুর্ভাবকে ছাড়িয়ে গেছে, যা ২০০৩ সালে ২৪টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে নতুন ভাইরাসের মৃত্যুর হার অনেক কম, ইঙ্গিত করা হচ্ছে যে এটি মারাত্মক নয়। করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী? আরও পড়তে পারেন: ছবিতে উহানের ৩১২ বাংলাদেশির স্বদেশযাত্রা চীন থেকে আগতদের জন্য দুই দেশের সীমান্ত বন্ধ বিমানবন্দরগুলোয় জ্বর মাপার মাধ্যমে ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের সনাক্ত করা হয়। এই মৃত্যু সম্পর্কে যা জানা গেছে ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি উহান থেকে হংকং হয়ে ফিলিপিন্সে গিয়েছিলেন এবং তার সঙ্গে ছিলেন ৩৮ বছর বয়সী এক চীনা নারী। গত সপ্তাহে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত করা গেছে বলে ফিলিপিন্সের স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে শুরুতে ওই ব্যক্তিকে রাজধানী ম্যানিলার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার গুরুতর নিউমোনিয়া দেখা দেয়। ফিলিপিন্সে ডব্লিউএইচও প্রতিনিধি রবীন্দ্র আবেসিংহে, সাধারণ মানুষকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন: "করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনের বাইরে এটিই প্রথম কোন মৃত্যুর ঘটনা। তবে, আমাদের মনে রাখা দরকার যে স্থানীয় কারও সাথে এমনটি হয়নি। এই রোগী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল থেকেই এসেছিলেন।" মিঃ ডিউক বলেছেন, "এই রোগটি প্রতিরোধে বর্তমানে আমরা চীনা দূতাবাসের সাথে কাজ করছি। আর যে ক'জন এতে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের যেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা যায়, সেটাই চেষ্টা করা হচ্ছে।" ওই ব্যক্তির মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হবে বলেও জানান তিনি। এখন ওই ব্যক্তির সাথে কারা একই ফ্লাইটে ভ্রমণ করেছেন তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ফিলিপিন্সের স্বাস্থ্য অধিদফতর। যাতে তাদেরকে আলাদা করে রাখা যেতে পারে। ৩১২ জন বাংলাদেশিকে, চীনের উহান থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাছাড়া, ওই ব্যক্তি পরে অন্য যাদের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন যেমন হোটেল কর্মী, তাদের সবাইকে সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। চীন থেকে আসা বিদেশী যাত্রীদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই এই ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ফিলিপিন্স। এর আগে কেবল হুবেই প্রবেশ থেকে আসা ভ্রমনকারীদের প্রবেশ সীমাবদ্ধ করা হয়েছিল যা প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে। | A man has died of the coronavirus in the Philippines, the first confirmed fatality outside China. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | আইন ইসা শহরের প্রবেশ করেছে সিরিয় সরকারি বাহিনী এর বাইরে দ্রুত একটি যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ানকে টেলিফোন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, তিনি যত দ্রুত সম্ভব ওই এলাকা সফরে যাবেন। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সিরিয় সেনারা মানবিজ শহরে প্রবেশ করেছে। এছাড়া দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর ও গ্রামগুলোতে দ্রুত সিরিয় সৈন্যরা ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে। ফলে এখন হয়ত দ্রুতই তুরস্কের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সাথে তাদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাবে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ১ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সঙ্গে চুক্তির প্রেক্ষাপটেই সিরিয় সেনা মোতায়েনের ঘটনা ঘটলো, যে কুর্দি বাহিনী গত সপ্তাহ পর্যন্ত ছিল মার্কিন মিত্র বাহিনী। কী বলা হয়েছে নিষেধাজ্ঞায়? ওয়াশিংটনে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন নুচিন সাংবাদিকদের বলেছেন, নতুন আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বেশ শক্তিশালী এবং তা তুরস্কের অর্থনীতির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। এক বিবৃতিতে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ বলেছে, "তুরস্কের সরকারের কর্মকাণ্ডে সিরিয়ার ঐ অঞ্চলের নিরপরাধ নাগরিকদের জীবন যেমন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে, তেমনি পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। আবার সেই সঙ্গে ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করার গৌরবকেও ম্লান করে দিয়েছে।" যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা চলতে থাকবে এবং ক্রমে আরো কঠোর হতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত তুরস্ক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করবে, সংঘাত বন্ধ না করবে এবং দীর্ঘমেয়াদী কোন শান্তিচুক্তিতে না আসবে। এর আগে সোমবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নেতারা তুরস্কে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করার ব্যপারে একমত হয়েছেন। জবাবে তুরস্ক বলেছে, 'বেআইনি এবং পক্ষপাতমূলক' আচরণের জন্য ইইউ এর সাথে নিজেদের সম্পর্ক পুনঃমূল্যায়ন করবে দেশটি। সিরিয়ায় কী হচ্ছে? সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রুশ সমর্থিত সরকারি বাহিনী মানবিজ শহরে পৌঁছে গেছে। মানবিজ শহরের যে এলাকায় তুর্কীরা নিজেদের জন্য সেফ জোন বা নিরাপদ অঞ্চল তৈরি করতে চায় সেই পর্যন্ত পৌঁছে গেছে সিরিয় বাহিনী। তুর্কি বাহিনী এবং তাদের মিত্র সিরিয় মিলিশিয়া বাহিনী শহরের কাছে জড়ো হয়েছে। এদিকে, কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সাথে চুক্তিটিকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের জন্য একটি অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা ২০১২ সালের পর থেকে এই প্রথম তার সৈন্যরা ওই এলাকাগুলোতে ফিরতে শুরু করেছে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে এক হাজার মার্কিন সৈন্য যুক্তরাষ্ট্র সরিয়ে নেবার ঘোষণা দেবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাহিনী মোতায়েন করা হলো। আরো পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতি যে নয়টি খাতে পিছিয়েছে বিজেপিকে মুচলেকা দিয়েই কি বোর্ড সভাপতি সৌরভ? কে এই নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ ভাল লেখক হওয়ার জন্য মানতে হবে যে সাতটি টিপস ৫০ বছরে যত্নে গড়া লাইব্রেরি যখন বোঝা | The US has imposed sanctions on Turkish ministries and senior government officials in response to the country's military offensive in northern Syria. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | কে-টু-১৮বি গ্রহের আবহাওয়া মণ্ডলের ৫০ শতাংশই পানি। এই আবিষ্কারের ফলে কেটু-১৮বি নামের গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা তা নিয়ে এখন বিজ্ঞানীরা নতুন করে কাজে নামবেন। দশ বছরের মধ্যে, নতুন মহাকাশ টেলিস্কোপ পরীক্ষা করে দেখতে পারবে কেটু-১৮বি গ্রহের আবহাওয়ামণ্ডলে প্রাণীদেহ থেকে উদ্ভুত গ্যাস উৎপাদিত হতে পারে কিনা। নেচার অ্যাস্ট্রনমি নামে একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে এই গবেষণার বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে। প্রধান বিজ্ঞানী, লণ্ডনের প্রফেসর জিওভান্না টিনেত্তি এটাকে এই আবিষ্কারকে ''বিস্ময়কর'' বলে ব্যাখ্যা করেছেন। "এই প্রথমবারের মত মহাকাশের যে এলাকা বসবাসযোগ্য সেই এলাকার মধ্যে এক গ্রহে আমরা পানির অস্তিত্ব খুঁজে পেলাম। মহাকাশের ওই স্তরের যে তাপমাত্রা তাতে প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব," বলেন। মহাকাশে বসবাসযোগ্য এলাকা এমন একটা অংশ যেখানকার তাপমাত্রা সেখানে কোন গ্রহের ভূপৃষ্ঠে পানিকে তরল অবস্থায় রাখার উপযুক্ত। নতুন এই গ্রহের আকার পৃথিবীর দ্বিগুণেরও বেশি। গ্রহের হিসাবে এটি "মহাপৃথিবী" বা "সুপার আর্থ" হিসাবে বিবেচিত। এখানকার তাপমাত্রা শূণ্য থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে অর্থাৎ যে তাপমাত্রায় পানি তরল অবস্থায় থাকতে পারে। কে-টু-১৮বি গ্রহের দূরত্ব পৃথিবী থেকে ১১১ আলোক বর্ষ অর্থাৎ প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন মিলিয়ন মাইল দূরে। অনুসন্ধানী মহাকাশযান পাঠানোর জন্য যা খুবই দূরে। সামনে এখন একমাত্র পথ হল ২০২০-এর দশকে নতুন প্রযুক্তিসম্পন্ন মহাকাশ টেলিস্কোপ উদ্ভাবন করে তা সেখানে পাঠানো পর্যন্ত অপেক্ষা করা। লণ্ডনের ইউসিএল বিশ্ববিদ্যালয়ের ড: ইঙ্গো ওয়াল্ডম্যান বলছেন এই যান ওই গ্রহের আবহাওয়ামণ্ডল পরীক্ষা করে দেখবে সেখানে কোনরকম জীবিত প্রাণী গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে কিনা। "বিজ্ঞানের জন্য এটাই অন্যতম সবচেয়ে বড় একটি প্রশ্ন এবং যা আমাদের সবসময় ভাবিয়েছে যে মহাজগতে আমরাই একমাত্র প্রাণী কিনা, " বলছেন ড: ওয়াল্ডম্যান। "আগামী দশ বছরের মধ্যে আমরা জানতে পারব মহাজগতের বায়ুমণ্ডলে প্রাণের কারণে অন্য কোনধরনের রাসায়নিক নির্গত হয় কিনা।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: চাঁদের উল্টোপিঠে নামলো চীনের নভোযান মঙ্গলগ্রহে তরল পানির 'হ্রদে'র সন্ধান সৌরজগতের বাইরে গ্রহের সন্ধানে নাসার নতুন মিশন এক্সোপ্ল্যানেট কি? এই আবিষ্কারের পেছনে যে দলটি কাজ করেছে তারা ২০১৬ থেকে ২০১৭র মধ্যে হাবল স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে আবিষ্কৃত গ্রহগুলো পর্যবেক্ষণ করেন। এই গ্রহগুলো যখন তাদের সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে তখন তাদের আলোয় কিধরনের পরিবর্তন হয় তা দেখে তারা এসব গ্রহের বায়ুমণ্ডলে রাসয়নিকের উপস্থিতি গবেষণা করে দেখেন। এগুলোর মধ্যে একমাত্র কে-টু-১৮বি গ্রহে পানির অস্তিত্বের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। পৃথিবীর বুকে প্রাণধারণের জন্য সবচেয়ে জরুরি উপাদান হল পানি। কম্প্যুটার মডেলিং-এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন নতুন এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলের ৫০ শতাংশই পানি। বৈজ্ঞানিক দলের একজন ড: সিয়ারাস বলছেন সৌরজগতের বাইরে বাসযোগ্য একটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে পানির অস্তিত্ব আবিষ্কার "রীতিমত উত্তেজনাকর"। তিনি বলেছেন, "এই আবিষ্কারের ফলে একটা মৌলিক প্রশ্ন এখন আমাদের সামনে- পৃথিবী কি একমাত্র গ্রহ যেখানে জীবন আছে?" দীর্ঘ পথ এভাবে এগোনর একটা অসুবিধা হল যে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা একটা বিষয়ে একমত হতে পারেননি সেটা হল কোন্ গ্যাসের উপস্থিতি প্রাণের অস্তিত্বের ইঙ্গিত বহন করবে। এ বিষয়ে একমত হতে বিজ্ঞানীদের অনেক সময় লেগে যেতে পারে। একজন বিজ্ঞানী বলছেন কয়েকশ গ্রহে গ্যাসের রাসয়নিক উপাদান, কীভাবে এসব গ্যাস সৃষ্টি হয়ে এবং তারপর এই গ্যাস কীভঅবে বায়ুমণ্ডলে থাকে তা নিয়ে একটি সমীক্ষার প্রয়োজন। ''আমাদের সৌর মণ্ডলে পৃথিবীর অবস্থান অনন্য। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে রয়েছে অক্সিজেন, পানি এবং ওজোন। কিন্তু এখন যদি মহাজগতে অনেক দূরে অন্য কোন তারকার কক্ষপথে এমন কোন গ্রহের সন্ধান পাওয়া যায় যেখানে এই সবই রয়েছে তাহলেও সেগুলো ওই গ্রহে বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য কিনা সেটা কিছুটা সাবধানতার সঙ্গেই বলতে হবে, '' বলেন ওই বিজ্ঞানী। ''কাজেই মহাকাশের হাতে গোণা গুটিকয় গ্রহ নয়, বরং কয়েকশ গ্রহ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।'' ইউরোপীয়ান মহাকাশ কেন্দ্র-এর ২০২৮এর মহাকাশ মিশন থেকে আরও তথ্য পাওয়া যাবে এডিনবারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রনমির ড: বেথ বিলর বলছেন দূরের এক তারার আশেপাশের এক গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে তথ্যপ্রমাণ শেষ পর্যন্ত পাওয়া যাবে বলে তার বিশ্বাস। ''এটা হলে মানব জাতির অস্তিত্ব নিয়ে একটা বড়ধরনের মতবদল ঘটবে,'' তিনি বিবিসি নিউজকে বলেন। ''সেটা যখন হবে, তখন এককথায় সেটা হবে যুগান্তকারী একটা মাইলফলক।'' অন্য গ্রহে আগেও পানি পাওয়া গিয়েছিল, কিন্তু প্রাণ থাকার জন্য সেসব গ্রহ হয় ছিল বেশি বড় নয় বেশি উষ্ণ। কে-টু-১৮বি গ্রহটি প্রথম আবিষ্কৃত হয় ২০১৫ সালে এবং এটি কয়েকশ মহা-পৃথিবীর একটি। যেখানে ভূখণ্ডের পরিমাণ পৃথিবী এবং নেপচুনের মাঝামাঝি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশে অবনতি কেন লাদাখে ভারত ও চীনা ফৌজের মধ্যে সংঘর্ষ, হাতাহাতি থানায় এনে অভিযুক্ত ধর্ষকের সাথে বিয়ে: ওসি প্রত্যাহার | Astronomers have for the first time discovered water in the atmosphere of a planet orbiting within the habitable zone of a distant star. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান দেশটির নির্বাচন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মি: এরদোয়ান 'নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা' পেয়েছেন। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, যে ৯৯ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে সেখানে মি: এরদোয়ান ৫৩ শতাংশ ভোট এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাররম ইঞ্জে পেয়েছেন ৩১ শতাংশ ভোট। বিরোধী রাজনৈতিক দল এখনো নির্বাচনে তাঁদের পরাজয় স্বীকার করেনি। তবে তারা জানিয়েছে, ফলাফল যাই হোক না কেন তারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে যাবে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন তুরস্কের সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ যুদ্ধ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ কেন? শেখ হাসিনা যেভাবে আওয়ামী লীগের নেতা হলেন এর আগে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে ভোটের যে ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছিল সেটি নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছিল বিরোধী রাজনৈতিক দল। চূড়ান্ত ফলাফল শুক্রবার প্রকাশ করা হবে। রোববার একই দিনে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তুরস্কে। মি: এরদোয়ান বলেছেন, তাঁর দল এ কে পার্টি সংসদেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তিনি বলেন, "পুরো বিশ্বকে গণতন্ত্রের শিক্ষা দিয়েছে তুরস্ক।" নির্বাচনের পরে তুরস্কে যে নতুন সংবিধান বলবত হতে যাচ্ছে সেখানে প্রেসিডেন্টের হাতে ব্যাপক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদুলু জানিয়েছে সংসদ নির্বাচনে যে ৯৬ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে সেখানে মি: এরদোয়ানের একে পার্টি পেয়েছে ৪২ শতাংশ ভোট এবং তাদের দলে প্রতিন্দ্বদ্বী সিএইচপি পেয়েছে ২৩ শতাংশ ভোট। ইস্তাম্বুলের রাস্তায় এরদোয়ান সমর্থকদের উল্লাস। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ৮৭ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। মি: এরদোয়ান বলেন, " আমি আশা করি নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কেউ নেতিবাচক কিছু করার চেষ্টা করবে না।" বিভিন্ন খবরে জানা যাচ্ছে যে সিএইচপি দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মুহাররম ইঞ্জে তাঁর পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন। কিন্তু বিষয়টি সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও মি: এরদোয়ান আগাম নির্বাচন দিয়েছেন। এ নির্বাচনের পর মি: এরদোয়ান নতুন সংবিধান অনুযায়ী দেশ শাসন করবেন। নতুন সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর পদ বাতিল করা হবে এবং প্রেসিডেন্ট হবেন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। নির্বাচনী প্রচারণার সময় মি: এরদোয়ানের বিরুদ্ধে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ মুহাররম ইঞ্জে অভিযোগ করেন যে তিনি কর্তৃত্ববাদী শাসন চালাচ্ছেন। নির্বাচনে মি: এরদোয়ানের প্রধান প্রতিপক্ষ মুহাররম ইঞ্জে। মি: এরদোয়ানের দল একে পার্টির মূল ভিত্তি হচ্ছে ইসলাম। অন্যদিকে, মি: ইঞ্জের দল মধ্য-বামপন্থী। তুরস্কের নির্বাচনে প্রধান ইস্যু ছিল দেশটির অর্থনীতি। তুরস্কের মুদ্রা লিরার ব্যাপক দরপতন হয়েছে এবং দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১১ শতাংশে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল সন্ত্রাসবাদ। কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট গ্রুপের হুমকি মোকাবেলা করাও তুরস্কের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সংবাদদাতারা বলছেন, শেষ পর্যন্ত ভোটাররা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়েছিলেন। একটি হচ্ছে কুর্দি এবং জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে বিভক্তি এবং অপরটি হচ্ছে ধর্মীয় এবং ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির মাঝে বিভক্তি। আরো পড়ুন: তুরস্কে নির্বাচন: শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে এরদোয়ান? জার্মানি ছেড়ে নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন যে সিরিয়ানরা অস্ট্রিয়ায় বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে সাতটি মসজিদ | Turkish Prime Minister Recep Tayyip Erdogan has won his country's first direct presidential election. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেগান মার্কেল আর মঙ্গলবার তিনি বৈঠক করবেন রাজনৈতিক নেতাদের সাথে। কিন্তু এর মধ্যেই গোল বেধেছে সফরের আগে সান পত্রিকাকে দেয়া একটি সাক্ষাতকারে রাজপরিবারের সদস্য মেগান মার্কেলকে নিয়ে করা একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের নাতি প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী, ডাচেস অব সাসেক্স, মেগান মার্কেলকে ''ন্যাস্টি'' অর্থাৎ ''খারাপ'' বলার কথা অস্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও মিস্টার ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের অডিও টেপ আছে। রোববার অবশ্য টুইট করে মিস্টার ট্রাম্প বলেছেন, "আমি কখনোই মেগান মার্কেলকে ''খারাপ'' বলিনি। এগুলো ফেক নিউজ মিডিয়ার বানানো। সিএনএন, নিউইয়র্ক টাইমস ক্ষমা চাইবে? সন্দেহ আছে"। যুক্তরাজ্য সফরের আগে একটি সংবাদপত্রকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে মিস্টার ট্রাম্প মেগান মার্কেলকে নিয়ে ওই মন্তব্য করেছিলেন। সাবেক মার্কিন অভিনেত্রী মার্কেল মিস্টার ট্রাম্পের একজন কট্টর সমালোচক ছিলেন। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তিনি মিস্টার ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিন্টনকে তিনি সমর্থন দিয়েছিলেন। সে সময় তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নারী বিদ্বেষী ও বিভাজন সৃষ্টিকারী হিসেবেও মন্তব্য করেছিলেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: উইন্ডসর প্রাসাদে হ্যারি-মেগানের রূপকথার বিয়ে আমেরিকার ভিসার জন্য নতুন নিয়ম চালু করা হলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জয়ের পাঁচ কারণ ফাইনালের সময় মাঠে ঢুকে পড়া কে এই নারী রাজকীয় দম্পতি ব্রিটেনের দি সান পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে মেগান মার্কেলের এসব মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিলো। তিনি বলেন, "আমি এটা জানতাম না। আমি আর কী বলতে পারি? আমি জানতাম না তিনি এত ''খারাপ"। তবে ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি আনন্দিত কারণ মেগান মার্কেল রাজপরিবারে যোগ দিয়েছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে মেগান ''ভালো রাজবধূ'' হবেন। "এটা চমৎকার এবং আমি নিশ্চিত যে তিনি ভালো করবেন"। কিন্তু শনিবার দি সান পত্রিকা তাদের ওয়েবসাইটে একটি অডিও রেকর্ডিং পোস্ট করে। এরপরই বিভিন্ন কমেন্টেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যদিও ওই দিনই টুইট করে মেগান মার্কেলকে ''খারাপ'' বলার কথা অস্বীকার করেন মিস্টার ট্রাম্প। প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী, ডাচেস অব সাসেক্স, মেগান মার্কেল মে মাসে তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এখনো তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন এবং ৩-৫ জুন মিস্টার ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফরের সময় তিনি তার সাথে সাক্ষাত করবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। | US President Donald Trump is set to arrive in the UK on Thursday for a two-day working visit. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | . টিকার ব্যাপারে মানুষের মনোভাব জানার জন্য বিশ্বে এযাবতকালের সবচেয়ে বড় জরিপে দেখা যাচ্ছে অনেক অঞ্চলে টিকা সম্পর্কে মানুষের আস্থা একেবারেই কম। বিশ্বের ১৪০টি দেশের এক লাখ চল্লিশ হাজার মানুষের ওপর জরিপটি চালায় যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলকাম ট্রাস্ট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে দশটি বিষয়কে বিশ্বের স্বাস্থ্য খাতের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলে বর্ণনা করছে, তার একটি হচ্ছে টিকা দেয়ার ব্যাপারে মানুষের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব। আরও পড়ুন: রোগ প্রতিষেধক টিকা নিয়ে কেন এত শঙ্কা টিকাদান কর্মসূচী নিয়ে ইটালিতে অসন্তোষ কেন? গুটি বসন্তের শেষ মহামারির ভয়াবহ অভিজ্ঞতা এই বিশ্ব জরিপে এমন অনেক লোকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে যারা বলছে টিকার ব্যাপারে তাদের খুব কমই বিশ্বাস বা আস্থা আছে। যখন তাদের প্রশ্ন করা হয়েছিল টিকা নিরাপদ কীনা, এর উত্তরে: •৭৯ শতাংশ বলেছেন তারা 'মোটামুটি' বা 'দৃঢ়ভাবে' এর সঙ্গে একমত •৭ শতাংশ বলেছেন তারা এব্যাপারে দৃঢ়ভাবে দ্বিমত করেন •১৪ শতাংশ এর পক্ষে বা বিপক্ষে কিছুই বলেননি আর যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল টিকা কতটা কাজ করে: •৮৪ শতাংশ বলেছেন তারা মোটামুটি বা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে টিকা কাজ করে। •৫ শতাংশ বলেছেন তারা মোটামুটি বা দৃঢ়ভাবে দ্বিমত পোষণ করেন •আর ১২ শতাংশ পক্ষে বা বিপক্ষে কিছুই বলেননি কেন এটা এত গুরুত্বপূর্ণ হাম বা এরকম অনেক মারাত্মক সংক্রমণের বিরুদ্ধে যে টিকা সবচেয়ে ভালো সুরক্ষা, এটির অনেক বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আছে। হাম খুবই মারাত্মক রোগ বিশ্ব জুড়ে কয়েকশো কোটি মানুষকে সুরক্ষা দিচ্ছে টিকা। বিশ্ব থেকে যে গুটি বসন্ত নির্মূল করা গেছে, তার পুরো অবদান এই গুটি বসন্তের টিকা। পোলিওর মতো রোগসহ আরও অনেক রোগ এখন নির্মূলের পথে। কিন্তু অন্যদিকে হাম এবং আরও কিছু রোগ নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোকজন টিকা দেয়া এড়িয়ে যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ টিকা সম্পর্কে তাদের ভীতি এবং ভুল ধারণা। ড: অ্যান লিন্ডস্ট্রান্ড বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। তিনি বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। "টিকা দিয়ে প্রতিরোধ করা যায় এমন রোগের বিরুদ্ধে বিশ্বে যে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছিল, তা কিন্তু ভেস্তে যেতে পারে টিকা দেয়া নিয়ে এই দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কারণে।" "এসব রোগ আবার নতুন করে ছড়িয়ে পড়লে সেটাকে আমরা একটা অগ্রহণযোগ্য পশ্চাৎযাত্রা বলেই গণ্য করবো।" হাম আবার ফিরে আসছে যেসব দেশে হাম প্রায় নির্মূল হয়ে গিয়েছিল, সেখানে আবার হামের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলেই নতুন করে হাম রোগের বিস্তার দেখা যাচ্ছে। ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে এর সংক্রমণ ছিল ৩০ শতাংশ বেশি। . কেউ যখন টিকা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন, সেটা যে কারণেই হোক, তা কেবল তাকেই সংক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলছে না, অন্যদেরও ঝুঁকিতে ফেলছে। যখন একটি এলাকায় যথেষ্ট সংখ্যাক মানুষ হামের টিকা নেন, সেটি ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মধ্যে এর ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করে। এই বিষয়টিকে বিশেষজ্ঞরা বলেন 'হার্ড ইমিউনিটি।' অর্থাৎ পুরো জনগোষ্ঠীই তখন সংক্রমণ-প্রতিরোধী হয়ে উঠেন। ওয়েলকাম ট্রাস্টের ইমরান খান বলেন, "আমরা এখন খুবই উদ্বিগ্ন। কারণ যদি অন্তত ৯৫ শতাংশ মানুষ হামের টিকা না নেয়, তখন এই রোগ আবার ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমরা এখন সেটাই দেখছি।" টিকার ব্যাপারে আস্থা কোথায় কম? টিকা দেয়া কতটা নিরাপদ তা নিয়ে সবচেয়ে বেশি অনিশ্চিয়তা কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয়ের কিছু অঞ্চলে। . যেমন ফ্রান্স। ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশের মতো ফ্রান্সেও নতুন করে হামের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সেখানে জরিপে দেখা যাচ্ছে, সেখানে প্রতি তিন জনে একজন মনে করে টিকা দেয়া নিরাপদ নয়। টিকা সম্পর্কে এরকম নেতিবাচক মনোভাব বিশ্বের আর কোন দেশে এত বেশি নয়। টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কেও ফরাসীদের সংশয় অনেক বেশি। সেখানে ১৯ শতাংশ মানুষই মনে করে টিকা রোগ প্রতিরোধে খুব কার্যকর নয়। আর শিশুদের টিকা দেয়া যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেটা মানতে নারাজ দশ শতাংশ ফরাসী। ফ্রান্সে এতদিন শিশুদের জন্য তিনটি টিকা বাধ্যতামূলক ছিল। এখন সেখানে আরও ৮টি টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিবেশি ইটালিতে ৭৬ শতাংশ মনে করে টিকা দেয়া নিরাপদ। ইটালিতে সম্প্রতি আইন করা হয়েছে টিকা না দেয়া শিশুদের স্কুলে নিষিদ্ধ করে। শিশুদের টিকা না দিলে বাবা-মায়ের জরিমানারও বিধান আছে। ইটালির সরকার এসব পদক্ষেপ নিয়েছে টিকাদানের হার কমে যাওয়ার পর। যুক্তরাজ্যে এখনো পর্যন্ত এরকম কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, প্রয়োজনে টিকাদান বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি তারা বাদ দিচ্ছেন না। যুক্তরাষ্ট্রেও হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২৬টি অঙ্গরাজ্যে ৯৮০টি হামের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। উত্তর আমেরিকা আর দক্ষিণ এবং পশ্চিম ইউরোপে ৭০ শতাংশের বেশি কিছু মানুষ বিশ্বাস করেন যে টিকা দেয়া নিরাপদ। কিন্তু বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে কিছুটা তফাৎ আছে। টিকা দেয়ার ব্যাপারে আস্থার অভাব আছে কিছু দেশে যেমন পশ্চিম ইউরোপে টিকা দেয়া নিরাপদ মনে করে ৫৯ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে পূর্ব ইউরোপে ৫০ শতাংশ। ইউরোপে গত বছর সবচেয়ে বেশি হামের সংক্রমণ ধরা পড়েছে ইউক্রেনে (৫৩ হাজার ২১৮টি)। সেখানে মাত্র ৫০ শতাংশ মানুষ মনে করে রোগ প্রতিরোধে টিকা কার্যকর ভূমিকা রাখে। বেলারুশে এই হার ৪৬ শতাংশ, মলডোভায় ৪৯ শতাংশ এবং রাশিয়ায় ৬২ শতাংশ। টিকার ব্যাপারে আস্থা কোন দেশে বেশি স্বল্প আয়ের অঞ্চলগুলিতে বেশিরভাগ মানুষই টিকার ওপর আস্থা রাখে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে উপরে দক্ষিণ এশিয়া।। সেখানে ৯৫ শতাংশ মানুষই একমত যে টিকা দেয়া নিরাপদ। এরপরই আছে পূর্ব আফ্রিকা। সেখানে টিকায় আস্থার হার ৯২ শতাংশ। টিকার ব্যাপারে আস্থা এবং এর কার্যকারিতায় ভরসা রাখেন বাংলাদেশ এবং রুয়ান্ডার প্রায় সব মানুষ। সেখানে নানা রকমের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও টিকাদানের হারে দারুণ সাফল্য পাওয়া গেছে। রুয়ান্ডা হচ্ছে বিশ্বের প্রথম নিম্ন আয়ের দেশ যেখানে সব তরুণীকেই এইচপিভি টিকা দেয়া হয়। এই টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। মিঃ খান বলেন, "টিকাদানের হার বাড়ানোর জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা নেয়া হলে কী অর্জন করা যায়, এটা তারই উদাহারণ।" টিকা নিয়ে কেন মানুষ সন্দিহান জরিপে দেখা গেছে, বিজ্ঞানী, ডাক্তার এবং নার্সদের ওপর যাদের আস্থা বেশি, টিকা দেয়াকে তারাই বেশি নিরাপদ বলে মনে করে। অন্যদিকে সাম্প্রতিককালে যারা বিজ্ঞান, চিকিৎসা বা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্যের খোঁজ-খবর নিয়েছে তাদের ক্ষেত্রেই টিকার ব্যাপারে অবিশ্বাস বেশি। ওয়েলকাম ট্রাস্টের রিপোর্টে অবশ্য কেন টিকার ব্যাপারে মানুষের আস্থা কম, তা খুব বেশি খতিয়ে দেখা হয়নি। তবে গবেষকরা বলছেন, এক্ষেত্রে অনেক কারণ থাকতে পারে। একটা কারণ হতে পারে আত্মতুষ্টি। কোন জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোন রোগ যদি বিরল হয়ে পড়ে, তখন তার বিরুদ্ধে টিকা নেয়া আর অতটা জরুরী বলে মনে নাও হতে পারে। সব ঔষধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। টিকার বেলাতেও তাই। কিন্তু টিকার ক্ষেত্রে কিন্তু ব্যাপক পরীক্ষা চালানো হয় যাতে এটিকে নিরাপদ এবং কার্যকর করা যায়। ইন্টারনেটের যুগে টিকার ব্যাপারে মানুষের উদ্বেগ এবং অবিশ্বাস মূহুর্তেই অনেকের সঙ্গে শেয়ার করা যায়। এর ফলে টিকা সম্পর্কে এমন অনেক কথা ছড়িয়ে পড়ছে, যা মোটেও তথ্যনির্ভর নয়। জাপানে এইচপিভি টিকা সম্পর্কে লোকজনের উদ্বেগ এবং স্নায়বিক সমস্যার সঙ্গে এর সম্পর্ক নিয়ে কিছু কথা ব্যাপক প্রচার পায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে টিকাদানের ব্যাপারে মানুষের আস্থায় ফাটল ধরে। একই ভাবে ফ্রান্সে ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকার ব্যাপারে একটি বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। অভিযোগটা ছিল, সরকার বিপুল পরিমাণে এমন ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা কিনেছে, যেগুলো খুব দ্রুত তৈরি করা হয়েছে এবং এর ফলে এগুলো নিরাপদ নয়। এই দাবির কোন ভিত্তি ছিল না। যুক্তরাজ্যেও এমন কিছু ভুল তথ্য প্রচার হচ্ছিল যেখানে এমএমআর (মামস, মিজেলস, রুবেলা) টিকার সঙ্গে অটিজমের সম্পর্ক আছে বলে দাবি করা হচ্ছিল। ডঃ লিন্ডস্ট্রান্ড বলেন, "এ ধরনের সন্দেহ এবং উদ্বেগ দূর করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের খুব ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া। যাতে তারা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত তথ্যের ভিত্তিতে টিকা দেয়ার সুপারিশ করতে পারেন। যাতে তারা টিকা দেয়ার ব্যাপারে মানুষের মধ্যে যেসব প্রশ্ন এবং উদ্বেগ, তার জবাব দিতে পারেন।" (এই প্রতিবেদন তৈরিতে সাহায্য করেছেন বেকি ডেল, ক্রিস্টিন জিভান্স, ডেভি লোইজু, স্কট জার্ভিস এবং কাটিয়া আর্টসেনকোভা। ) | Public mistrust of vaccines means the world is taking a step backwards in the fight against deadly yet preventable infectious diseases, warn experts. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ড্যান প্রাইস পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে সেই ঘটনার পর, এখনো তিনি ঐ একই বেতন পাচ্ছেন এবং জানিয়েছেন যে উদ্দেশ্যে তিনি এ নিয়ম চালু করেছিলেন সে উদ্দেশ্য বিফলে যায়নি। ড্যান প্রাইস একদিন বন্ধু ভ্যালেরির সঙ্গে পাহাড়ে হাইকিং করতে গিয়ে এক অস্বস্তিকর সত্য বুঝতে পারেন। হাটতে হাটতে ভ্যালেরি বলছিলেন, তার বাড়িওয়ালা হঠাৎই ২০০ ডলার বাড়ি ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে, আর তার ফলে ভ্যালেরির সবকিছুর খরচ বেড়ে গেছে। শুনে প্রাইসের রাগ হলো। প্রাইসের তৎকালীন বান্ধবী ভ্যালেরি ১১ বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন, এর মধ্যে দুই দফা ইরাকে কাজ করেছেন। এখন দুইটি প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে ৫০ ঘণ্টা করে কাজ করেন, তবু সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছিলেন ভ্যালেরি। প্রাইস বলেন, "ও ছিল এমন একজন যে নিজেকে কাজ, সম্মান আর কঠোর পরিশ্রম এসব দিয়ে একজন মানুষকে বিচার করে।" যদিও সেসময় ভ্যালেরি বছরে ৪০ হাজার ডলারের মত রোজগার করতো, কিন্তু সিয়াটলে ভদ্রস্থ একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকার জন্য সে রোজগার একেবারে যথেষ্ঠ ছিল না। পৃথিবীর মানুষে মানুষে অসমতার বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রাইসের তখন ভীষণ রাগ লাগছিল। আর তক্ষুনি হঠাৎ তার মনে হয়েছিল সে নিজেও ওই অসমতার অংশ। ৩১ বছর বয়সেই প্রাইস তখন একজন মিলিয়নিয়ার। কৈশোরে বানানো তার কোম্পানি গ্র্যাভিটি পেমেন্টসের তখন প্রায় দুই হাজার গ্রাহক এবং প্রতিষ্ঠানের মূলধনের পরিমাণ কয়েক মিলিয়ন ডলার। প্রাইস যদিও নিজে বছরে এক মিলিয়ন ডলার রোজগার করত, ভ্যালেরি তাকে বুঝিয়ে দিয়েছিল যে তার নিজের প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মীদের অনেকেই হয়ত অর্থাভাবে কষ্ট করছেন। সেই মুহূর্তে প্রাইস অবস্থা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। আরো পড়ুন: চাকরিতে বস 'ভয়াবহ' হলে কী করবেন? বসের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক বাড়াতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি কর্মচারীর প্রেমে পড়ে চাকরি গেল ম্যাকডোনাল্ডস বসের মেশিন হবে আপনার বস, ছাঁটাই করবে চাকুরি থেকে গ্র্যাভিটির অনুষ্ঠানে ড্যান প্রাইস আইডাহোর গ্রামাঞ্চলে এক খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম ও বেড়ে ওঠা প্রাইস নম্র, ভদ্র এবং কর্মীদের প্রতি সদয় একজন মানুষ। ক্রমে তিনি মার্কিন সমাজে অর্থনৈতিক অসমতার বিরুদ্ধে হয়ে উঠলেন একজন যোদ্ধা। "কারো চাকরী চলে যাচ্ছে, কেউ খালি পেটে ঘুমাতে যাচ্ছে কিংবা কেউ অন্যের কাছ থেকে বেআইনি সুবিধা নিচ্ছে, শুধুমাত্র যাতে আরেকজন নিউইয়র্কে বিশাল কোন টাওয়ারে আরেকটা তলা বাড়াতে পারে কিংবা সোনার চেয়ারে বসতে পারে।" "মানুষের লোভকে নানান নাম দিয়ে আমরা মহিমা-মণ্ডিত করে তুলে ধরি। এর সবচেয়ে খারাপ উদাহরণ হচ্ছে ফোর্বস ম্যাগাজিনের করা ধনীদের তালিকা। অর্থবিত্তে বিল গেটস জেফ বেজোসকে ছাড়িয়ে গেছে---তাতে কার কী এসে যায়?!" মায়ের সঙ্গে ড্যান প্রাইস ১৯৯৫ সালের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্ধেক মানুষ মিলে দেশটির এক শতাংশ ধনী মানুষের চেয়ে বেশি রোজগার করতেন। কিন্তু ওই বছর প্রথমবারের মত দেখা যায়, এক শতাংশ ধনীরা দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের চেয়ে বেশি আয় করেন। কিন্তু এর পর থেকে সেই বিভাজন বেড়েই চলেছে। বিবিসি বাংলার অন্যান খবর: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি সই করার পর এখন তালেবান কী করবে? বাংলাদেশে আটটি রং ফর্সাকারী ক্রিম নিষিদ্ধ ঢাকার বিমানবন্দরে স্বাস্থ্যপরীক্ষা: বিবিসি সংবাদদাতাদের চোখে ধরা যাক আপনি করাচীতে থাকা এক বাঙালি ১৯৬৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সিইও অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা একজন সাধারণ শ্রমিকের চেয়ে ২০ গুণ বেশি বেতন পেতেন। কিন্তু ২০১৫ সালের মধ্যে পরিস্থিতি এতটাই পাল্টে গেছে যে এখন সাধারণ শ্রমিকের তুলনায় অন্তত ৩০০গুণ বেশি বেতন পান একজন শ্রমিক। ব্রিটেনের প্রধান পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শীর্ষ ১০০ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা এখন গড়ে শ্রমিকদের তুলনায় ১১৭ গুণ বেশি বেতন পান। পাহাড়ে বসে মাথায় নতুন 'আইডিয়া' ভ্যালেরির সাথে পাহাড় চূড়ায় বসে প্রাইসের মাথায় এক দারুণ আইডিয়া এলো। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেমান এবং অ্যাঙ্গাস ডিটনের করা এক গবেষণার শিরোনাম ছিলো 'একজন অ্যামেরিকান নাগরিকের সুখী হবার জন্য কত টাকা প্রয়োজন'—সেটা পড়া ছিলো প্রাইসের। তৎক্ষণাৎ তিনি ভ্যালেরিকে প্রতিশ্রুতি দেন, নিজের প্রতিষ্ঠানে তিনি বেতন বৈষম্য কমাবেন, এবং গ্র্যাভিটির কর্মীদের নূন্যতম বেতন বাড়াবেন। হিসেব-নিকেশ করে প্রাইস যে অঙ্কে পৌঁছুলেন, সেটা ছিল ৭০ হাজার ডলার। রোজিটা বার্লো দেখা গেল সেজন্য কেবল নিজের বেতন কমালেই হচ্ছে না, সঙ্গে নিজের দুইটি বাড়ি বন্ধক রাখতে হচ্ছে, পুঁজিবাজারে তার সব শেয়ার এবং নিজের সঞ্চিত সব অর্থ কোম্পানিতে ঢালতে হচ্ছে। একদিন সব কর্মীকে ডেকে তিনি নিজের পরিকল্পনা জানালেন। প্রাইস আশা করেছিলেন, সবাই খুশী হবে। কিন্তু প্রথম ঘোষণার পর দেখা গেল, ঘটনা উল্টো ঘটছে। ঘটনা পুরোপুরি সবাইকে বোঝানোর জন্য কয়েকবার বিষয়টি খোলাসা করতে হয়েছিল তাকে। পাঁচ বছর পর ড্যান বলছেন, তিনি নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদের গবেষণার একটি মূল ব্যাপার ভুলে গিয়েছিলেন। গবেষণার ফলে দেখানো হয়েছিল, সুখী হবার জন্য ৭৫ হাজার ডলার দরকার ছিলো সবার। কিন্তু তারপরেও নতুন নিয়মে প্রতিষ্ঠানের এক তৃতীয়াংশ লোকের বেতন এক লাফে দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল। গ্র্যাভিটি বদলে যায় এরপর নতুন নিয়ম চালুর পর গ্র্যাভিটি আমূল বদলে যায়। লোকবল দ্বিগুণ হয়েছে গত পাঁচবছরে, এবং প্রতিষ্ঠানের আয়ের পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে এক হাজার কোটি ডলারের ওপরে উঠেছে। কিন্তু এসব আর্থিক হিসাবের বাইরেও পরিবর্তন হয়েছে। প্রাইস বলেন, "নতুন নিয়ম চালুর আগে বছরে কর্মীদের গড়ে বাচ্চা নেয়ার হার ছিল শূন্য থেকে দুইজন। কিন্তু গত সাড়ে বছরে আমাদের কোম্পানির কর্মীদের ৪০ টির বেশি শিশু জন্ম নিয়েছে।" গ্র্যাভিটির কর্মীরা গাড়ী উপহার দেয় প্রাইসকে প্রতিষ্ঠানের ১০ শতাংশের বেশি কর্মী যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ব্যয়বহুল শহরে নিজেরা বাড়ি কিনেছেন। পুরনো নিয়মে এ হার ছিল এক শতাংশের কম। নিজেদের পেনশন ফান্ডে কর্মীদের রাখা সঞ্চয়ের হার দ্বিগুণের বেশি হয়েছে, এবং ৭০ শতাংশের বেশি কর্মী নিজেদের ব্যক্তিগত ঋণ শোধ করেছেন এই সময়ের মধ্যে। সমালোচনা কিন্তু এসব অগ্রগতির পরেও প্রাইসকে বহু সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তার সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়ে শত শত লোকের লেখা চিঠি পেয়েছেন প্রাইস, 'অ্যামেরিকার সেরা বস' আখ্যা দিয়ে বহু ম্যাগাজিন তাকে নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করেছে। তবে, গ্র্যাভিটির অনেক গ্রাহক হাতে লেখা চিঠি পাঠিয়ে প্রাইসের উদ্যোগকে 'রাজনৈতিক পদক্ষেপ' বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ঐ সময়ে সিয়াটলে নূন্যতম মজুরী ১৫ ডলার করা নিয়ে বিতর্ক চলছিল, বলা হচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রে সেটাই হবে সবোর্চ্চ নূন্যতম মজুরী। কিন্তু ছোট ব্যবসায়ীরা তাতে রাজি হচ্ছিল না, তাদের দাবি এর ফলে তারা ব্যবসা হারাবেন। প্রাইসের প্রিয় রেডিও প্রেজেন্টার ও ডানপন্থী রাজনীতি বিশ্লেষক রাশ লিমবাগ, ছোটবেলায় রোজ যার অনুষ্ঠান মন দিয়ে শুনতেন, তিনি তাকে 'কম্যুনিস্ট' আখ্যা দেন, এবং ভবিষ্যৎ বাণী করেন যে প্রাইসের প্রকল্প ব্যর্থ হবে। গ্র্যাভিটির দুইজন সিনিয়র কর্মীও পদত্যাগ করেন। জুনিয়র কর্মীদের বেতন রাতারাতি বেড়ে যাওয়া তারা মেনে নিতে পারেননি, তাদের বক্তব্য ছিল এর ফলে কর্মীরা অলস হয়ে পড়বে এবং কোম্পানি ক্রমে অলাভজনক হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি রোজিটা বার্লো গ্র্যাভিটির বিপণন বিভাগের পরিচালক, তিনি বলছেন, বেতন বাড়ার পর থেকে জুনিয়র কর্মীদের মধ্যে উদ্যম বহুগুণ বেড়েছে। সিনিয়র কর্মীদের কাজের ভার কমেছে, কাজের চাপ অনেক কমেছে, এবং তারা এখন বছরের সব ছুটি কাটিয়ে ফেলার সাহস করতে পারেন। প্রাইস একজন কর্মীর গল্প বলছিলেন, যিনি রোজ দেড় ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে অফিসে আসতেন, কিন্তু তার গাড়ির টায়ার ফেটে যেতে পারে এই আশংকায় মানসিক চাপে ভুগতেন, আবার দুর্বল টায়ার বদলে ফেলার মত যথেষ্ট টাকাকড়িও ছিল না তার। "কিন্তু নতুন নিয়মে যখন তার বেতন বাড়লো, এরপর সে অফিসের কাছে বাড়ি ভাড়া নিয়েছে। এখন সে নিজের স্বাস্থ্যের যত্নে অনেক বেশি খরচ করে, রোজ ব্যয়াম করে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খায়।" প্রাইস বলছেন, এমন আরো অনেক উদাহরণ আছে। "বেতন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন কর্মীদের স্বাধীনতা অনেক বেড়ে গেল, আর এ কারণেই গ্র্যাভিটি এত ভালো করেছে। কারণ টাকাকড়ি নিয়ে অনিশ্চয়তা না থাকলে লোকের কঠোর পরিশ্রম করার সামর্থ্য বাড়ে।" এত উদার ছিলেন না প্রাইস বার্লো বলছেন প্রাইস এত উদার ছিলো না আগে। ২০০৮ সালে যখন বৈশ্বিক মন্দা শুরু হল, তখন প্রাইস টাকাকড়ি সঞ্চয় করতে চাইত। সে সময় গ্র্যাভিটির রোজগার ২০ শতাংশের বেশি কমে গিয়েছিল। প্রতিষ্ঠানের ৩৫জন কর্মীর মধ্যে ১২জনকেই ছাটাই করা হয়েছিল। যদিও কয়েক মাস পরেই আবার লাভের মুখ দেখতে শুরু করে গ্র্যাভিটি, কিন্তু প্রাইস তখনো খরচ বাঁচাতে কম বেতন দিতেন। বার্লো নিজে বাড়তি রোজগারের জন্য নিয়মিত অফিসের পর ম্যাকডোনাল্ডসে কাজ করতেন। কিন্তু পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাবার পর প্রাইস তার বেতন বাড়িয়ে ৪০ হাজার ডলার করে দেন। কিন্তু মূল পরিবর্তন আনার জন্য প্রাইসের আরো কয়েক বছর লেগেছিল। "অনেকেই সমস্যা সমাধানের জন্য আমার কাছে আসতো না, বলতো না কম বেতনের জন্য কত সমস্যায় রয়েছে তারা।" তবে ২০১৫ সালের আগেই গ্র্যাভিটি কর্মীদের ২০ শতাংশ বেতন বাড়িয়েছিল, কিন্তু ভ্যালেরির সাথে পাহাড় চূড়ায় সেই কথোপকথনের আগ পর্যন্ত তিনি সাধারণ ভাবনা চিন্তাই করছিলেন। প্রাইসের উদ্যোগে উৎসাহী হয়েছেন অনেকেই। আর প্রাইসের উদ্যোগে চমকিত কর্মীরা তাকেও চমকে দিয়েছে অনেকবার। যেহেতু কর্মীদের বেতন বাড়ানোর জন্য প্রাইসকে তার বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে দিতে হয়েছে, কর্মীরা একবার তাকে একটি গাড়ি কিনে উপহার দিয়েছিলেন। প্রাইস বলছেন, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের মত বিত্তবান হতে ইচ্ছে করে তারও। "ফোর্বস এবং টাইম ম্যাগাজিনের কাভারে নিজের চেহারা দেখতে ইচ্ছা করে আমারো। সব কিছু হঠাৎ ছেড়ে দেয়া সহজ কাজ নয়, কিন্তু আমার জীবন আগের চেয়ে অনেক ভালো এখন।" | In 2015, the boss of a card payments company in Seattle introduced a $70,000 minimum salary for all of his 120 staff - and personally took a pay cut of $1m. Five years later he's still on the minimum salary, and says the gamble has paid off. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেতা অং সান সুচি মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর হত্যা, নির্যাতনে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এ ঘটনায় মিজ সুচির প্রতিক্রিয়ার প্রতিবাদ স্বরূপ 'ফ্রিডম অব সিটি' খেতাব প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ২০০৯ সালে মিজ সুচি যখন মিয়ানমারে তার বাসভবনে অন্তরীন ছিলেন, তখন তাকে এই খেতাব দিয়েছিলো গ্লাসগো নগর কাউন্সিল। গ্লাসগোর লর্ড প্রভোস্ট ইভা বোল্যান্ডার বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নৃশংসতার ব্যপারে উদ্বেগ জানিয়ে, এবং সে ব্যপারে ব্যবস্থা নেবার আহ্বান জানিয়ে তিনি এবং নগরীর কাউন্সিলর মিজ সুচিকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। "আমরা তার যে প্রতিক্রিয়া দেখেছি, তা হতাশাজনক এবং দুঃখের।" রাখাইন রাজ্যে আগুনে পোড়া একটি গ্রাম খেতাব ফিরিয়ে নেবার ঘটনাকে তিনি নজিরবিহীন বলে বর্ণনা করেছেন। অগাষ্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা-নির্যাতন শুরুর পর থেকে প্রাণ বাঁচাতে এ পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। এদিকে, গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি থেকে মিজ সুচিকে দেয়া সম্মানজনক ডিগ্রী ফেরত নেবারও একটি দাবী উঠেছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেটি হবার সম্ভাবনা খুবই কম। মাত্র কয়েকদিন আগেই, রোহিঙ্গা ইস্যুতে 'ইচ্ছাকৃতভাবে উদাসীনতা' দেখানোর অভিযোগে ব্রিটেনের আরেক শহর শেফিল্ডও মিজ সুচিকে দেয়া 'ফ্রিডম অব সিটি' খেতাব প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেফিল্ডের কাউন্সিলর সোরাইয়া সিদ্দিকী বলেছেন, মিজ সুচিকে দেয়া সম্মানটি যদি আমরা চালিয়ে যাই, তাহলে আমাদের শহরের সুনাম প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। আরো পড়ুন: ট্রাম্পের এশিয়া সফর: কী প্রত্যাশা এশিয়ার দেশগুলোর? আরব-ইসরায়েল সংঘাত শুরু যে ৬৭ শব্দের অনুচ্ছেদে এর আগে গত মাসের শুরুতে অক্সফোর্ড শহরের নগর কাউন্সিল মিজ সুচিকে দেয়া সম্মান প্রত্যাহার করে নেবার পক্ষে ভোট দিয়েছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন লাখ লাখ রোহিঙ্গা সেপ্টেম্বরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কলেজে ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত মিজ সুচি পড়েছেন, সেই সেন্ট হিউজ কলেজের কর্তৃপক্ষ তার একটি পোট্রেট নামিয়ে ফেলেছে। তার নোবেল পদক প্রত্যাহারের দাবিতে অনলাইনে এক পিটিশনে কয়েক লাখ মানুষ সই করেছে। যদিও নোবেল কর্তৃপক্ষ সে সম্ভাবনা নাকচ করেছেন। অগাস্টে নতুন করে রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের রাখাইনে প্রথমবারের মত সফরে গিয়ে মিজ সুচি রোহিঙ্গাদের 'ঝগড়াবিবাদ' না করে মিলেমিশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিকভাবে এজন্য তিনি ব্যাপক নিন্দার মুখে পড়েছেন। | Glasgow City Council has unanimously voted to withdraw their offer to award Myanmar's de facto leader leader Aung San Suu Kyi freedom of the city. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে ছড়াচ্ছে বহু গুজব আর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তাই সারা পৃথিবীতে বিজ্ঞানীরা এখন কাজ করছেন যত দ্রুত সম্ভব একটি টিকা উদ্ভাবনের জন্য। কিন্তু এসব গবেষণায় বাধা হয়ে উঠছে অনলাইনে টিকা নিয়ে নানা রকমের গুজব, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, আর ভুয়া তথ্য প্রচার। তবে সুখবর হলো, ইতোমধ্যেই অন্তত ১৩০টি করোনাভাইরাসের টিকা তৈরি করেছে বিভিন্ন দেশে একাধিক কোম্পানি । এর মধ্যে অন্তত: ৩০টি টিকা মানবদেহের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে এবং হচ্ছে, তার কিছু কিছুতে আশাপ্রদ ফলও পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা যে টিকাটি তৈরি করেছেন - তা মানবদেহের ওপর পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এটি নিরাপদ এবং কার্যকর - অর্ধাৎ তা মানবদেহে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী এ্যান্টিবডি এবং টি-সেল তৈরি করে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও খুবই নগণ্য। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশের বড় বড় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো কোটি কোটি টিকা তৈরির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এখন সবাই যে ব্যাপারটির জন্য অপেক্ষা করছেন তা হলো - বড় আকারে হাজার হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা করে এসব টিকার কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া। এর পরই শুধু সম্ভব হবে টিকার বাণিজ্যিক উৎপাদনে শুরু করা। একটা বড় বাধা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব কিন্তু কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, বড় আকারে টিকার পরীক্ষার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এর ব্যাপারে কিছু মানুষের বৈরি মনোভাব এবং নানা রকম ভুল ধারণা। করোনাভািইরাস টিকা পরীক্ষার বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিক্ষোভ ইন্টারনেট এবং সামাজিক মাধ্যমের যুগে এসব ভুল ধারণা বা কুসংস্কার ব্যাপকভাবে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছেন অনেকে। এদের কেউ কেউ আবার নানা রকম উদ্ভট ষড়যন্ত্র-তত্ত্বে বিশ্বাসী। 'টিকা আপনার ডিএনএ বদলে দেবে' ক্যারি ম্যাডেই নামে একজন অস্টিওপ্যাথ একটি ভিডিওতে এক ভুল দাবি করেছেন যে কোভিড-১৯এর এই টিকা যাদের দেয়া হবে তাদের ডিএনএ বদলে যাবে - যেখানে মানবদেহের জেনেটিক তথ্য জমা থাকে। তার এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এতে ডা. ম্যাডেই টিকা কতটা নিরাপদ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দাবি করছেন যে এতে আমরা "জেনেটিক্যালি মডিফাইড প্রাণীতে পরিণত হবো। ক্যারি ম্যাডেই তিনি কোন প্রমাণ ছাড়াই আরো দাবি করেন যে এ্ ভ্যাকসিন মানুষকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি ইন্টারফেসের সাথে যুক্ত করে দেবে। বাস্তবতা হচ্ছে, টিকার কাজ শরীরকে ভাইরাস চিনিয়ে দেয়া এবং তার সাথে লড়াই করতে দেহের রোগপ্রতিরোধী ব্যবস্থাকে জাগিয়ে তোলা। এর মধ্যে এমন কোন উপাদান বা প্রযুক্তি থাকে না যা মানুষের ডিএনএ বদলে দিতে পারে বা তাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইন্টারফেসের সাথে যুক্ত করে দিতে পারে। ডা. ক্যারির সাথে বিবিসি যোগাযোগ করলেও তিনি তার দাবি নিয়ে এ পর্যন্ত কোন ব্যাখ্যা দেন নি। ফেসবুকে বিতর্ক :'আমরা টিকা চাই না' করোনাভাইরাস ও টিকা নিয়ে ফেসবুকে কিছু গ্রুপে প্রচুর বিতর্ক হচ্ছে। কিছু ফেসবুক ব্যবহারকারী দাবি করছেন তারা ভ্যাকসিন চান না, কারণ তাদের "গিনিপিগ" হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলে তাদের ভয় রয়েছে। টিকা গবেষণার গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে এসব পোস্টে বলা হয়, এত দ্রুতগতিতে করা গবেষণায় যে টিকা তৈরি হবে তা কতটা নিরাপদ হবে তা নিয়ে তাদের শংকা আছে। যে সাত উপায়ে আপনি ভুল তথ্য ভাইরাল হওয়া থামাতে পারেন করোনাভাইরাস: গুজবের ডালপালা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা টিকার মানবদেহে পরীক্ষা নিয়ে ছড়ানো হচ্ছে নানা সন্দেহ আর অবিশ্বাস কিন্তু অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের প্রধান ড. এ্যান্ড্রু পোলার্ড বলছেন, নিরাপত্তার ব্যাপারে কঠোর প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই সব ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত টিকার পরীক্ষা যাদের ওপর চালানো হয়েছে তাদের কারো ক্ষেত্রেই কোন বিপজ্জনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় নি। ১৬-১৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছেন তাদের টিকা নেবার পর জ্বর হয়েছে - যা প্যারাসিটামল দিয়ে চিকিৎসা করা যায়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকা গ্রহণকারী প্রথম স্বেচ্ছাসেবক মারা গেছেন বলেও ভুয়া খবর বেরিয়েছিল - যা একেবারেই মিথ্যা। সেই স্বেচ্ছাসেবক পরে বিবিসিকে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন। স্প্যানিশ ফ্লুর টিকা নিয়ে ভুয়া দাবি সামাজিক মাধ্যমে একটি মিম বেরোয় যে ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু মহামারির সময় ৫ কোটি মানুষ টিকার কারণেই মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু এটা একেবারেই মিথ্যা। করোনাভাইরাসের টিকা: বিল গেটসকে নিয়ে এত ষড়যন্ত্র তত্ত্বের নেপথ্যে কী? 'করোনাভাইরাস নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়াবেন না' ১৯১৮র মহামারি নিয়েও অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে টিকার জন্যই নাকি মানুষ মারা গিয়েছিল প্রথম কারণ : যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বলছে, সে সময় কোন টিকাই ছিল না। ব্রিটেন ও আমেরিকার বিজ্ঞানীরা একটি প্রাথমিক স্তরের ব্যাকটেরিয়াল টিকা নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছিলেন এটা ঠিকম কিন্তু এখন আমরা টিকা বলতে যা বুঝি সেটা তা ছিলনা। কারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণ যে ভাইরাস তা তখন কেউ জানতেন না। সেসময় মৃত্যু হয়েছিল প্রধানত দুটি কারণে। একটি হলো ফ্লু সংক্রমণ, আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে ফুসফুসে পানি জমা । ব্র্যাডফোর্ডের অভিজ্ঞতা উত্তর ইংল্যান্ডের একটি শহর ব্র্যাডফোর্ডে করোনাভাইরাসের একটি টিকা পরীক্ষার আগেই নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে। শহরটির রয়াল ইনফার্মারির চিকিৎসক ডা. জন রাইট বলছেন, এতে তারা উদ্বেগ বোধ করছেন । চিকিৎসক ফৌজিয়া হায়াতকে গালিগালাজ করে বার্তা পাঠানো হয়েছিল ডা. রাইট সংক্রামক ব্যাধির একজন বিশেষজ্ঞ। তিনি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কলেরা, এইচআইভি এবং ইবোলা মহামারি মোকাবিলায় কাজ করেছেন। তিনি বলছেন, তাদের একজন কনসালট্যান্ট চিকিৎসক ফৌজিয়া হায়াতকে গালিগালাজ করে বার্তা পাঠানো হয়েছিল যে তারা নাকি জাতিগত সংখ্যালঘু রোগীদের অবহেলায় মারা যেতে দিয়েছেন। বিল গেটস মানুষের দেহে মাইক্রোচিপ বসিয়ে দিতে চান ডা. হায়াত তাকে বলেছেন, ব্র্যাডফোর্ডে গুজব ছড়িয়েছে যে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস কোভিড-১৯এর টিকার মাধ্যমে রোগীদের দেহে মাইক্রোচিপ গুঁজে দিতে চান। পাকিস্তানে নাকি এ নিয়ে খবর প্রচার হয়েছে, এবং সামাজিক মাধ্যমে জাতয়ি ও আন্তর্জাতিকভাবে এসব ধারণা ছড়াচ্ছে। করোনা ভাইরাস: ভুল তথ্য ছড়ানোর মানবিক মূল্য’ দশ বছর আগের সিনেমায় করোনাভাইরাসের পূর্বাভাস? আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের হার্বাল টনিকে কি গোপনে বিষ মেশানো হচ্ছে? ডা. রাইট ডা. রাইট বলছেন, মোহাম্মদ আজীম নামে একজন কোভিড-১৯ রোগী মরণাপন্ন অবস্থায় পৌঁছানোর আগে পর্যন্ত হাসপাতালে আসেননি। কারণ তার ধারণা ছিল যে জাতিগত সংখ্যালঘু রোগীরা কখনো হাসপাতাল থেকে জীবিত বেরুতে পারেন না। সৌভাগ্যক্রমে তিনি অবশ্য ৪৮ দিন ইনটেনসিভ কেয়ারে থাকার পর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়তে পেরেছিলেন। এ্যান্টিবডি টেস্টের বিরোধিতা ডা. রাইট বলছেন, ২০০৭ থেকে ২০১০ - এই তিন বছর ধরে তারা ১২,৫০০ গর্ভবতী মহিলাকে নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছিলেন - যাতে ওই নারীদের সন্তানদের স্বাস্থ্য বিষয়ে নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে এ্যান্টিবডি টেস্টে অংশ নেবার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। "সবকিছুই একটা বিরাট মিথ্যে" ডা রাইট বলছেন, তার হাসপাতালে একজন কর্মী আছেন যিনি সেখানকার ওয়ার্ডগুলোতে কোভিড-১৮ রোগীদের দেখেছেন, কিন্তু তার পরও তিনি অনলাইনে চালু বহু ষড়যন্ত্র তত্ত্বই বিশ্বাস করেন। তিনি মূলধারার সংবাদমাধ্যমের কোন রিপোর্ট দেখেন না। তার কথা - "আমার ওসব দেখতে হয় না। কারণ আমি এমন লোকদের 'ফলো' করি যারা জানে তারা কি বলছে। আমার ভেতরে একটা অনুভূতি কাজ করছে যে পৃথিবীতে যা হচ্ছে - তা একটা বিরাট মিথ্যে। কোন্ জিনিসটা যে সত্যি আর কোনটা নয় - তা কেউ জানে না।" "টিকার মধ্যে একটা কিছু লুকানো থাকবে" কেউ কেউ টিকা নিয়ে উদ্ভট সব আশংকায় ভুগছেন জিসেল রেগেমা ব্র্যাডফোর্ডের সেন্ট লুক'স হাসপাতালের একজন নার্স। তিনি পূর্ব আফ্রিকান শরণার্থীদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন। তার কথা, অনেকেরই বিশ্বাস করোনা ভ্যাকসিন হচ্ছে কৃষ্ণাঙ্গদের উচ্ছেদ করার একটি উপায়। তিনি বলছেন, একটা ভিডিও ছড়িয়েছে যাতে বলা হয় যে আফ্রিকার অতি দরিদ্র মানুষদের মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকা পরীক্ষা করা হবে, এবং সে ভিডিওটি লক্ষ লক্ষবার শেয়ার করা হয়েছে। জিসেল বলেন, কিছু লোক বলছে, লোকে হাসপাতালে গিয়ে আর ফিরে আসছে না। আমি যেহেতু হাসপাতালে কাজ করি তাই আমি জানি ব্যাপারটা সত্য নয়। আমি লোকদের একথা বললে, কেউ কেউ বোঝে, কিন্তু অনেকে এখনো এটা বিশ্বাস করে না। জিসেলের গ্রুপের একজন মহিলা হচ্ছেন কোরিন। তিনি বলছেন, করোনাভাইরাসের টিকা নিরাপদ ও কার্যকর বলে ঘোষণা করা হলেও তিনি তা নেবেন না। ডাক্তাররা বলছেন, টিকা নিয়ে এ ধরণের গুজব এবং মিথ্যে রটনা মোকাবিলা করতে হবে। "না, কখনোই না। কারণ আমি একজন কৃষ্ণাংগ এবং আমরা জানি যে একজন হলেও কালো লোককে সরিয়ে দেয়ার জন্য তৎপরতা চলছে। বছরের পর বছর ধরে চলছে। সেজন্যই আমি টিকা নেবোনা কারণ ওটার ভেতর অনেক কিছু লুকানো থাকবে।" আপনারা কি তাকে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়েছেন? হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নার্সের কাজ করেন এমা ক্লিনটন। তিনি বলছেন, "একজন এশিয়ান রোগী - যার বয়স ষাটের কোঠায় - তিনি হাসপাতালে আসতে ভয় পাচ্ছিলেন। অবশেষে যখন তার পরিবার এ্যাম্বুলেন্স ডাকলো তখনই তিনি মরণাপন্ন, এবং হাসপাতালে আসার এক ঘন্টার মধ্যেই তিনি মারা গেলেন।" "তার শোকাহত ছেলে আমাদের বলছিলেন, "উনি কিভাবে মারা গেলেন। আপনারা কি তাকে কোন বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়েছেন ? আপনারা কি তাকে হত্যা করেছেন?" হাসপাতালের কনসাল্ট্যান্ট ডাক্তার ডেভিড গ্রিনহর্ন বলছিলেন, এধরণের প্রশ্ন করার অর্থ হলো, তার মধ্যে ডাক্তারদের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনার আর কোন উপায়ই নেই। ডাক্তার রাইট বলছেন, টিকা নিয়ে এ ধরণের গুজব এবং মিথ্যে রটনা কেন ছড়াচ্ছে তা আমাদের বুঝতে হবে এবং তা মোকাবিলা করতে হবে। পরিবারের কারো কোভিড-১৯ হলে বাকিরা যে সাতটি কাজ করবেন কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন | Health experts say the only solution to the coronavirus pandemic is a global one. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ই জীন ক্যারল, ২০১৫ সালে এক অনুষ্ঠানে শুক্রবার নিউইয়র্ক ম্যাগাজিনে ই. জিন ক্যারল নামে সেই মহিলার কাহিনি প্রকাশিত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এটা সম্পূর্ণ 'কাল্পনিক' - এবং সেই মহিলাকে তিনি কখনো দেখেননি। তিনি অভিযোগ করেন, মহিলাটি তার নতুন বই বিক্রি করার জন্যই এ অভিযোগ ফেঁদেছেন। তবে মিজ ক্যারল বলছেন, তার ওপর মি. ট্রাম্পের আক্রমণের ঘটনা যখন ঘটেছিল তখন তিনি ব্যাপারটা রিপোর্ট করেন নি, কারণ তার এক বন্ধু বলেছিলেন, ব্যাপারটা আদালতে নিয়ে গেলেও তার মামলা জেতার কোন সম্ভাবনা নেই। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এর আগে ১২ জনেরও বেশি মহিলা যৌন অসদাচরণের অভিযোগ এনেছেন - তবে তিনি তা অস্বীকার করেন। ই. জীন ক্যারল ধর্ষণের অভিযোগে কী বলছেন? প্রকাশিত নিবন্ধে মিজ ক্যারল তার জীবনে অত্যন্ত খারাপ কিছু লোকের হাতে আক্রান্ত হবার ছয়টি অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তিনি বলছেন, ১৯৯৫ সালের শেষ দিকে বা ৯৬-এর প্রথম দিকে বার্গডর্ফ গুডম্যান নামে নিউইয়র্কের এক অভিজাত পোশাকের দোকানে তার সাথে মি. ট্রাম্পের দেখা হয়। নিউ ইয়র্কের এই পোশাকের দোকানটিতেই ওই ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ মিজ ক্যারল চিনতে পেরেছিলেন যে ইনিই সেই রিয়েল এস্টেট টাইকুন বা ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প তাকে বলেছিলেন, একটি মেয়ের জন্য উপহার কিনতেই তার এ দোকানে আসা, এবং মিজ ক্যারলের টিভি অনুষ্ঠানের সুবাদে তিনিও তাকে চেনেন। মিজ ক্যারল বলেন, এর পর তারা কথাবার্তা বলেন, এবং মেযেদের অন্তর্বাস পরা নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করেন। এর পর তারা দু'জনে একটা ড্রেসিং রুমে যান এবং সেখানেই মি. ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প মি ট্রাম্প এবং মিজ ক্যারল উভয়েরই বয়স তখন ৫০ এর কাছাকাছি। তখন ট্রাম্পের স্ত্রী ছিলেন মার্লা মেপলস। মিজ ক্যারল নিবন্ধের শেষে লিখেছেন, মি ট্রাম্পই হচ্ছেন তার জীবনের শেষ খারাপ লোক, এবং ওই ঘটনার পর থেকে তিনি আর কখনো যৌনমিলন করেন নি। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়া কী? মিজ ক্যারল লিখেছেন, তিনি এ ঘটনার কথা দু'জন বন্ধুকে বলেছিলেন। তাদের একজন তাকে পুলিশে খবর দেবার পরামর্শ দেন। কিন্তু অন্য বন্ধুটি বলেন, কাউকে কিছু বলার দরকার নেই। "তার অন্তত ২০০ আইনজীবী আছে, ওরা তোমাকে কবর দিয়ে দেবে।" বিবিসি বাংলায় আরো খবর: আইএস ছেড়ে আসা ব্রিটিশ যুবক মিডিয়াকে যা বললেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন এত প্রধানমন্ত্রী নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কিভাবে কমাবেন বার্গডর্ফ গুডম্যান নিউইয়র্কের একটি অভিজাত পোশাকের দোকান ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই ব্যক্তির সাথে তার কখনো দেখা হয় নি। । "মহিলাটি একটি নতুন বই বিক্রি করার চেষ্টা করছেন এবং এতেই তার উদ্দেশ্যের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এটা কল্পকাহিনি হিসেবেই বিক্রি হওয়া উচিত" - বলেন তিনি। মি. ট্রাম্প বলেন, এ ঘটনার কোন প্রমাণ নেই। মিজ ক্যারল বা নিউইয়র্ক ম্যাগাজিনের সাথে ডেমোক্রেটিক পার্টি কাজ করছে - এরকম প্রমাণ যদি কারো হাতে থাকে, তাহলে হোয়াইট হাউসে খবর দেবারও আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মি ট্রাম্প বলেন, বার্গডর্ফ ডিপার্টমেন্ট স্টোর নিশ্চিত করেছে যে ওই ঘটনার কোন ভিডিও ফুটেজ নেই, এবং সে জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ দেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আবারো যৌন হয়রানির অভিযোগ পর্ন তারকার মুখ বন্ধে টাকা খরচের কথা স্বীকার ট্রাম্পের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এবার মানহানির মামলা | US President Donald Trump has dismissed allegations that he raped a woman in a department store dressing room in the mid-1990s as "fiction". |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | মেয়েদের নিয়ে যৌন হয়রানিমূলক মন্তব্য করায় গ্রেফতার করা হয়েছে ভারতের ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরকে 'বইস লকার রুম' নামের গ্রুপটি ভারতের রাজধানী দিল্লির স্কুলপড়ুয়া কিশোরদের বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রুপটির সদস্যদের চ্যাটের বেশকিছু স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। স্ক্রিনশটগুলো ছড়িয়ে পড়ার পর দিল্লির বিভিন্ন মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতে নারীদের জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ শহরগুলোর একটি মনে করা হয় দিল্লিকে। ২০১২ সালে দিল্লিতে এক মেডিকেল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হলে তুমুল ক্ষোভ তৈরি হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির মত অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির দাবি তোলা হয় বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে। তবে এখনও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়েছে বলে মনে করে না মানুষ। আরো পড়তে পারেন: ভারতে নারীদের প্রতি এতো যৌন সহিংসতা কেন? ইনস্টা-র আড়াল থেকে যৌন লাঞ্ছনার অভিযোগ বৈধ? যৌন হয়রানি: মানহানির মামলা করলেন এম জে আকবর লকডাউনের সময় শিশুরা অনলাইনে বেশি সময় কাটাচ্ছে বলে মনে করেন ক্যাম্পেইনাররা কীভাবে জানা গেলো ইনস্টাগ্রাম গ্রুপটি সম্পর্কে? ইনস্টাগ্রামের অনেক ব্যবহারকারীর নজরে আসার পর গ্রুপটি সম্পর্কে পোস্ট করতে শুরু করে মানুষ। ঐ গ্রুপের সদস্যদের মন্তব্য ও ব্যবহার নিয়েও উঠতে শুরু করে অভিযোগ। গ্রুপের সদস্যরা তাদের সহপাঠী ছাত্রীদের অনুমতি ছাড়াই তাদের ছবি একে অন্যকে পাঠাচ্ছিল এবং তাদের শারীরিক গঠন সম্পর্কে কটু মন্তব্য থেকে শুরু করে তাদের ধর্ষণ করার মত বিষয়েও রসিকতা করছিল। ব্যবহারকারীদের নজরে আসার পর হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারসহ আরো কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছড়িযে পড়ে ঐ গ্রুপের স্ক্রিনশটগুলো। তবে সেসব স্ক্রিনশটগুলো নিয়ে কাজ করা সাইবার বিশেষজ্ঞ শুভম সিং বলেন যে ছড়িয়ে পড়া স্ক্রিনশটগুলোর অনেকগুলোই অতিরঞ্জিত এবং বানানো। প্রাথমিক তদন্ত শেষে শুভম সিং একজনকে দোষী শনাক্ত করেন এবং পুলিশের কাছে তথ্য হস্তান্তর করার পর এক কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিবিসি বাংলার দিল্লি সংবাদদাতা শুভজ্যোতি ঘোষ জানাচ্ছেন, গ্রুপটির সদস্যরা ছিল দিল্লির অভিজাত কয়েকটি স্কুলের কিশোর ছাত্র। স্ক্রিনশটগুলো ছড়িয়ে পড়ে রবিবার। সম্ভবত কোনো একটি স্কুলের কোনো অভিভাবকের নজরে আসে পোস্টগুলো, পরে তিনি সেগুলো সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। পোস্টগুলোতে ছাত্ররা তাদের সমবয়সী অথবা তাদের চেয়ে কমবয়সী মেয়েদের ছবি তাদের অনুমতি ছাড়া শেয়ার করছিল। তবে তার চেয়ে আশঙ্কার বিষয় হলো, তারা কমেন্টে মেয়েদের ধর্ষণ করার পরিকল্পনাও করছিল। এমন পোস্টও দেখা গেছে, যেখানে একটি মেয়েকে গণধর্ষণ করার পরিকল্পনায় সায় দিয়েছে কয়েকজন ছাত্র। ১৫ বছর বয়সী যেই ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আরো ২০ জনের মত ছাত্রকে শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। কী ঘটেছিল? দিল্লি'র ওমেন্স কমিশন ইনস্টাগ্রাম গ্রুপটির বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা করার আহ্বান জানিয়েছে। দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে এবং এই ঘটনায় কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানতে চেয়ে দিল্লির পুলিশের প্রতি একটি নির্দেশনা জারি করেছে তারা। পুলিশ জানিয়েছে তারা এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং জানিয়েছে যে, স্থানীয় একটি স্কুলও এই ঘটনায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে। গ্রুপের সদস্যদের বিস্তারিত পরিচয় এবং তাদের ব্যবহার করা আইপি অ্যাড্রেস জানতে চেয়ে ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষের কাছেও নোটিশ দিয়েছে দিল্লি ওমেন্স কমিশন। তবে এখন পর্যন্তে এই বিষয়ে কিছু জানায়নি ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ। ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব সাইবার সিকিউরিটি ল'য়ের চেয়ারম্যান পাওয়ান দুগ্গাল মন্তব্য করেছেন যে সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানটি এই ঘটনার দায়বদ্ধতা এড়াতে পারে না। "ইনস্টাগ্রাম বলতে পারে না যে তারা এ সম্পর্কে জানতো না। তাদের নিজের থেকে এই ধরণের কন্টেন্ট সরিয়ে নিতে হবে। তারা না পারলে তখন পুলিশের শরণাপন্ন হওয়া যায়।" তিনি মনে করেন সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কগুলোর মত মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি ভারতের মনোভাব 'অতিরিক্ত নরম' হওয়ায় এমন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে লকডাউন জারি করার পর ভারতের বিপুল সংখ্যক শিশু 'পর্ন সাইট' ও 'ডার্ক ওয়েব' সাইটগুলোতে গিয়ে আপত্তিকর কন্টেন্টের সংস্পর্শে আসছে এই ধরণের ব্যবহারের কারণ কী? করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে লকডাউন জারি করার পর বিপুল সংখ্যক শিশু 'পর্ন সাইট' ও 'ডার্ক ওয়েব' সাইটগুলোতে গিয়ে আপত্তিকর কন্টেন্টের সংস্পর্শে আসছে বলে তার সংস্থার নজরে এসেছে বলে মন্তব্য করেন পাওয়ান দুগ্গাল। তিনি বলেন, "গত ৪০ দিনের লকডাউনে শিশুরা ঘরের ভেতরে থাকায় তাদের ব্যবহারে বেশ পরিবর্তন এসেছে। শিশুরা তাদের অনলাইনের কার্যক্রম অভিভাবকদের জানাচ্ছে না।" তবে সিনিয়র মনোবিজ্ঞানী রোমা কুমার বলেন এই ধরণের গ্রুপ লকডাউনের আগেও ছিল। কিন্তু এই সময়ে তাদের উপস্থিতি এবং কার্যক্রমের পরিধি বিস্তার করতে পারে। পাওয়ান দুগ্গাল মনে করেন এই ধরণের আচরণ নিরুৎসাহিত করতে কর্তৃপক্ষের উচিত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে 'শক্ত অবস্থান' নেয়া এবং আইনগতভাবে 'কঠোর শাস্তি' নিশ্চিত করা। ঐ ইনস্টাগ্রাম গ্রুপের সদস্যরা এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনরোষের শিকার হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোয় ঐ সদস্যদের নাম এবং ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল পাবলিক করে দেয়া হয়েছে। মনোবিজ্ঞানী রোমা কুমার অবশ্য মনে করেন সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযুক্তদের নাম ছড়িয়ে দেয়া গঠনমূলক নয় এবং এর ফলে আসলে সমস্যাটির সমাধান হবে না। কিশোর বয়সে শিশুদের জন্য এই ধরণের কথাবার্তা বলা অনেকক্ষেত্রে স্বাভাবিক বলে রোমা কুমার মন্তব্য করেন, "তাদের ক্ষতি করা আমাদের লক্ষ্য নয়। লক্ষ্য হচ্ছে তাদেরকে এই ধরণের ব্যবহার থেকে বের করে আনা।" "ইন্টারনেটের সমস্যা হলো, এখানে শিশুরা এই ধরণের আচরণ করে থাকে এবং তারা মনে করে যে এরকম আচরণই স্বাভাবিক। এর একমাত্র সমাধান দীর্ঘমেয়াদি কাউন্সেলিং, যেন তারা ধীরে ধীরে বুঝতে পারে যে তারা ভুল করছিল।" "তাদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ালে তারা আরো প্রতিবাদী ও ক্ষু্দ্ধ হয়ে উঠবে, আর সমস্যার সমাধানও হবে না। আমরা চাই এই ছেলেরা যেন শোধরায় এবং সুস্থ, সুন্দর নাগরিক হয়ে বেড়ে ওঠে," বলেন রোমা কুমার। | Indian police have taken a 15-year-old boy into custody for participating in an Instagram group chat that shared images of underage girls and made lewd comments about them. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | হাওড়ায় বিক্ষোভকারীদের হাতে জ্বলে যাওয়া বাস। হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর চব্বিশ পরগণা এবং মালদাসহ বিভিন্ন জেলায় রেল আর সড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। হাওড়ার সাঁকরাইলে এবং মুর্শিদাবাদের একাধিক রেল স্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। হাওড়ায় অন্তত পনেরোটি সরকারি ও বেসরকারি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আবার, হাওড়া এবং মুর্শিদাবাদে বিক্ষোভকারীরা জাতীয় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে রাখেন। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় দমকলের একটি গাড়িতেও আগুন দেয়া হয়। মালদায় একটি রেল স্টেশনের কর্মীদের সাথে বিক্ষোভকারীদের হাতাহাতি হয় বলে জানা যাচ্ছে। রেল লাইনের ওপর বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেয়ার ফলে বেশ কয়েকটি জায়গার সঙ্গে রাজ্যের রাজধানী কলকাতার রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। রেল স্টেশন ও চলন্ত ট্রেনে ইটপাটকেল ছোঁড়ার জেরে দূরপাল্লার অনেক ট্রেন বাতিল করা হয়। বাতিল হয় শহরতলীর রেল চলাচলও। হাওড়ায় বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশী অ্যাকশন। পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য এসব জায়গায় পুলিশের শক্তি জোরদার করা হয়। একক নেতৃ্ত্বহীন 'স্বতঃস্ফূর্ত' প্রতিবাদ উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এসব বিক্ষোভের নেতৃত্বে কোন একটি সংগঠন ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বিক্ষোভ হয়েছে স্বতঃস্ফূর্ত। এইসব সহিংসতার পটভূমিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর একটি ভিডিও বার্তা শনিবার সকাল থেকেই স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে প্রচারিত হয়েছে, যেখানে তিনি রাজ্যবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করবেন না, উত্তেজনা বা আতঙ্ক ছড়াবেন না এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানিতে পা দেবেন না। তিনি এটাও বলেছেন যে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা হলে কাউকে ছাড়া হবে না। এর আগে তিনি গণতান্ত্রিক উপায়ে বিক্ষোভ করার পরামর্শ দিলেও পশ্চিমবঙ্গের ক্ষুব্ধ জনগণ তা দৃশ্যত উপেক্ষা করেছে। নাগরিকত্ব আইন: একই বিক্ষোভ, ভিন্ন কারণ নাগরিকত্ব আইনের কপি জ্বালিয়ে দিচ্ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সম্পর্কিত খবর: নাগরিকত্ব বিল নিয়ে জ্বলছে আসাম; নিহত ২ দুই মন্ত্রী শেষ মুহুর্তে কেন ভারত সফর বাতিল করলেন 'বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন থামেনি বলেই এই বিল' পশ্চিমবঙ্গে যে বিক্ষোভ হচ্ছে তার সঙ্গে আসামের বিক্ষোভ-প্রতিবাদের একটা মূল ফারাক রয়েছে। অসমীয়া সংগঠনগুলো নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে কথিত অবৈধ বাংলাদেশীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেয়ার অধিকারের গোটা বিষয়টারই বিরোধিতা করছেন। তারা বলছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পরে বাংলাদেশ থেকে আসামে আসা কোন ধর্মের মানুষকেই নাগরিকত্ব দেয়া যাবে না। এটাই আসাম চুক্তিতে উল্লেখিত রয়েছে। একই সঙ্গে এটাও বলা হচ্ছে যে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেয়াও ভারতের সংবিধানের পরিপন্থী। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে যে বিরোধিতা হচ্ছে, সেখানেও ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেয়া সংবিধানের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রাজ্যের মুসলমানদের আতঙ্ক যে তাদের একটা অংশকে এই আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রহীন বানানো হচ্ছে। এই একই উদ্বেগ রয়েছে আসামের বাংলাভাষী মুসলমানদের মধ্যেও। তারা বলছেন, এনআরসি থেকে যে ১৯ লক্ষ লোকের নাম বাদ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে থেকে অমুসলিমদের নতুন এই আইনের মাধ্যমে নাগরিক করে নেয়া হতে পারে, কিন্তু মুসলমানরা হয়তো বাদই থেকে যাবেন। নাগরিকত্ব রাজনীতির যোগবিয়োগ বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলমানরা। ঘটনাচক্রে, পশ্চিমবঙ্গে এই আইনের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে যেসব মুসলিম সংগঠন তাদের সাথে হাত মিলিয়েছে রাজ্যের দলিত এবং উদ্বাস্তু সংগঠনগুলোর একাংশ। আবার ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস, বামপন্থী দলগুলো এবং মানবাধিকার কর্মীরাও এই আইনটির বিরোধিতা করছেন। অন্যদিকে, বিজেপির উদ্বাস্তু নেতাদের বক্তব্য, নতুন নাগরিকত্ব আইনের ফলে যে শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকে কথিত ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ভারতে চলে আসা অমুসলিম মানুষ - অর্থাৎ মূলত হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা -- নাগরিকত্বের অধিকার পাবেন তা নয়। তারা ছাড়াও পূর্ব পাকিস্তানের সময় যারা চলে এসেছিলেন সেই সব হিন্দু উদ্বাস্তু এবং তাদের সন্তানরা নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকারী হবেন বলে বিজেপি নেতারা দাবি করছেন। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: মুক্তিযুদ্ধের বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না কেন সংগ্রাম সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহের মামলা | Protests in Kolkata against a controversial Indian citizenship law have continued into their second day. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ইরানী টিভিতে দেখানো ধ্বংসপ্রাপ্ত আমেরিকান ড্রোনের কিছু টুকরো এনবিসিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করতে চায়, কিন্তু ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে দেয়া হবে না। এ সপ্তাহে ইরান একটি মানববিহীন আমেরিকান ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করে, এবং তার জবাবে ইরানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিয়েও পরে তা স্থগিত করেন মি ট্রাম্প। তার সেই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করে ট্রাম্প বলেন, ইরানে আঘাত হানার সব প্রস্তুতি যখন সম্পন্ন, তখন তিনি জেনারেলদের জিজ্ঞেস করেন যে এ আক্রমণে কত লোক মারা যেতে পারে? জেনারেলরা তাকে জবাব দেন, ১৫০ জন ইরানি মারা যাবে। তখন মি ট্রাম্প শেষ মুহুর্তে আক্রমণের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন, কারণ তার ভাষায় "এটা আমার ভালো লাগেনি, কারণ চালকবিহীন ড্রোন ভূপাতিত করার জন্য পাল্টা আক্রমণে ১৫০ জন ইরানি মারা যাবে এটা আমার কাছে অসঙ্গত মনে হয়েছে।" আকাশসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ইরান গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনটিকে গুলি করে নামিয়ে দিয়েছিল। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: আইএস ছেড়ে আসা ব্রিটিশ যুবক মিডিয়াকে যা বললেন এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করলেন ট্রাম্প অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন এত প্রধানমন্ত্রী নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কিভাবে কমাবেন আমেরিকান ড্রোন তার পর থেকেই দুটো দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা তৈরি হতে থাকে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানি স্থাপনায় হামলার নির্দেশ দিয়ে তা প্রত্যাহারও করে নিলেও উত্তেজনা এখনও প্রশমিত হয়নি। বরং দুটো দেশের পক্ষ থেকে আক্রমণাত্মক কথাবার্তা অব্যাহত রয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন ড্রোনকে ধ্বংস করায় দেশটির সামরিক বাহিনীর প্রশংসা করেছে। মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে কোন ধরনের আগ্রাসী সিদ্ধান্তই গ্রহণ করুক না কেন, ইরান সেটা প্রতিরোধ করবে। অন্যদিকে, ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ যদি লেগেই যায়, ইরানকে ধ্বংস করে দেওয়া হবে। ইরানের নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "আপনাদের পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে দেয়া হবে না। যদি এ নিয়ে আলোচনায় বসতে চান, ভালো কথা। না হলে ভেঙে পড়া অর্থনীতির মধ্যেই বহু কাল কাটাতে হবে।" মানচিত্রে উপসাগর এলাকা বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশ্লেষক অ্যালান জনস্টন বলছেন, মি. ট্রাম্প ভালো করেই জানেন যে ইরানের উপর সামরিক হামলার একটা বড় রকমের ঝুঁকি আছে। এই যুদ্ধ তখন ইরানের সীমান্ত ছাড়িয়ে খুব দ্রুতই গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এরকম উত্তেজনার মধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা ইরানের আকাশসীমার ভেতর দিয়ে তাদের বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এতিহাদ এয়ারলাইন্স পরিহার করছে হরমুজ প্রণালী ও ওমান উপসাগরের উপর দিয়ে যাওয়া আসা। কিন্তু ইরানের বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের আকাশসীমা নিরাপদ। উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা হিসেবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্কতা এন্ড্রু মারিসন আগামীকাল রবিবার তেহরান সফরে যাচ্ছেন। ইরানকে ঘিরে মার্কিন যুদ্ধ প্রস্তুতি- উদ্দেশ্য কী গুলি করে মার্কিন ড্রোন ফেলে দিল ইরান আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা কতটা? হরমুজ প্রণালী ইরানের কাছে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? | President Trump has said he does not want war but warned Iran it would face "obliteration" if conflict broke out. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | দক্ষিণ গাযা উপত্যাকা রাফা এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা চালায় সোমবার রাতে ফিলিস্তিনিরা জেরুসালেমের উদ্দেশ্যে রকেট ছুড়লে সহিংসতা বাড়তে থাকে। এর জবাবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাযা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের উদ্দেশ্যে বিমান হামলা করে। গাযায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, এই বিমান হামলায় ২০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশু রয়েছে। ইসরায়েলি সেনারা বলছে, হামাস গোষ্ঠীর অন্তত তিনজন সদস্য এ সময় নিহত হয়েছে। সোমবার জেরুসালেমে সংঘর্ষে কয়েকশো' ফিলিস্তিনি আহত হওয়ার পর হামাস পাল্টা হামলার হুমকি দিয়েছিল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস "রেড লাইন অতিক্রম করে ফেলেছে" এবং ইসরায়েল এর জবাব দিয়েছে "শক্ত ভাবে"। গত কয়েক দিনে জেরুসালেমে যে সহিংসতা হচ্ছে, সেটা গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক। ইসরায়েলি পুলিশ এবং ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের মধ্যকার চলমান সংঘর্ষ আরও বড় ধরণের সহিংসতা উসকে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ এবং ইহুদিদের পবিত্র স্থান টেম্পল মাউন্টে ফিলিস্তিনিদের যেতে যে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ হয়েছে ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনি এক যুবক পাথর ছোড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে মঙ্গলবার ভোরে ফিলিস্তিনে রেড ক্রিসেন্ট বলেছে যে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে জেরুসালেম এবং পশ্চিম তীরে সংঘর্ষে সাতশো' জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। বিশ্ব নেতাদের প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, হামাসকে অবশ্যই অতি দ্রুত রকেট হামলা বন্ধ করতে হবে । তিনি আরও বলেন, "দুই পক্ষকেই শান্ত থাকতে হবে"। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি একই রকম ভাবে বলেছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সংঘর্ষের ব্যাপারে গুরুতরভাবে উদ্বিগ্ন। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব টুইট করে বলছেন যে রকেট হামলা "অবশ্যই বন্ধ করতে হবে"। বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করা বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, পশ্চিম তীর, গাযা এবং পূর্ব জেরুসালেমে গুরুতর সংঘর্ষ হচ্ছে, যা তাৎক্ষনিকভাবে বন্ধ করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, গাযা থেকে ইসরায়েলের বেসামরিক লোকের উপর যে ভাবে হামলা করা হয়েছে, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য না। সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠক হলেও কোন বিবৃতি দেয়া হয়নি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে কিন্তু একজন কূটনৈতিক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থাকে বলেছেন যে জাতিসংঘ, মিশর এবং কাতার - যারা ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন - তারা সবাই চেষ্টা করছেন এই লড়াই থামাতে। সহিংসতা উসকে দিল যে বিষয়গুলো শনিবারে সহিংসতার শুরু হয় জেরুসালেমের দামেস্ক গেটে যখন ইসলাম ধর্মের পবিত্র রাত লাইলাতুল আল-কদর উপলক্ষে হাজার হাজার মুসলমান আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করেন। আরও পড়ুন: আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল জেরুজালেমে কেন প্রার্থনার স্থান নিয়ে দ্বন্দ্ব? জেরুজালেম রাজধানীর স্বীকৃতি পেলে বিপদ কোথায়? আরব-ইসরায়েল সংঘাত শুরু যে ৬৭ শব্দের অনুচ্ছেদে এর আগে শনিবার মসজিদ অভিমুখে নামাজীদের নিয়ে যাওয়া অনেক বাস আটকে দেয় ইসরায়েলি পুলিশ। শুক্রবারের সহিংসতার কারণে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তারও করা হয়। ''তারা আমাদের নামাজ পড়তে দিতে চায় না। সেখানে প্রতিদিনই লড়াই করতে হচ্ছে, প্রতিদিনই সহিংসতা হচ্ছে। প্রতিদিনই সেখানে সমস্যার তৈরি হচ্ছে,'' রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন সাতাশ বছরের মাহমুদ আল-মারবুয়া। সহিংসতার পেছনের কারণ ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর থেকেই পূর্ব জেরুসালেম দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। পুরো শহরকে তারা নিজেদের রাজধানী বলে মনে করলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ দেশ তাতে স্বীকৃতি দেয়নি। ফিলিস্তিনিরা দাবি করে, পূর্ব জেরুসালেম হবে তাদের স্বাধীন দেশের রাজধানী। ওই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে, কারণ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের জন্য পূর্ব জেরুসালেমের বাড়িঘর থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার সম্ভাবনায় প্রতিদিনই কলহ তৈরি হচ্ছে। জাতিসংঘ ইসরায়েলের প্রতি আহবান জানিয়েছে যেন যেকোনো ধরনের উচ্ছেদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হয় এবং ''বিক্ষোভকারীদের প্রতি যেন সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখানো হয়''। জোর করে বাস্তুচ্যুত করার যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহবান জানিয়েছে আরব লীগ। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কুম্ভমেলার তীর্থযাত্রীরা যেভাবে পুরো ভারতে কোভিড ছড়িয়ে দিল খালেদা জিয়ার চিকিৎসা: হাল ছাড়ছে না পরিবার কোয়াডে যোগ দিলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক 'খারাপ হবে': চীনা দূত ভালদিমির: ‘রুশ গুপ্তচর‘ তিমির জন্য খোঁজা হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয় বাঁশের ব্যাট হতে যাচ্ছে 'ক্রিকেটারদের স্বপ্ন' | The UN, US and UK have called for more protection for the civilians caught in intense violence between Israel and Palestinian militants. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ইরানি নেতারা বলছেন, তাদের নীতি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে না। তিনি আমেরিকার ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেছেন এবং বলেছেন যে সেই কাজটা তিনি খুব দ্রুতই করবেন। "নষ্ট করার মতো সময় নেই," এবছরের শুরুর দিকে পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক এক সাময়িকীতে একথা লিখেছেন জো বাইডেন। এধরনের বিষয়ে কাজের যে লম্বা তালিকা জো বাইডেনের হাতে রয়েছে তার একটি হচ্ছে ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তিতে পুনরায় যোগ দেওয়া। জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন বা জেসিপিওএ নামের এই চুক্তিটি সই হয়েছিল ২০১৫ সালে। এই চুক্তির লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করা। এতে সই করেছিল ইরান, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ- চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও জার্মানি এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বসূরি বারাক ওবামার শাসনামলের অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখা হয় এই সমঝোতাকে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসার পর পরই এই চুক্তিটি বাতিলের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী বাকি পক্ষগুলোর আপত্তি সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালের মে মাসে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে যান। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটুকু করেই থেমে থাকেন নি, পুরো চুক্তিটি ধ্বংস করে দেওয়ার জন্যেও সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছেন। পরের দু'বছর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ দিয়ে গেছেন। নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। কিন্তু তারপরেও ইরানকে দমানো সম্ভব হয়নি। বরং তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য যেসব প্রযুক্তি প্রয়োজন সেগুলো অর্জনের আরো কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জো বাইডেনের জন্য ইরানের হিসাব মেলানো কঠিন হবে। জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর জো বাইডেন কি পরিস্থিতিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারবেন? বর্তমান সময় এবং আমেরিকার বিভক্ত রাজনীতির মধ্যে তার পক্ষে কি সেটা করা সম্ভব হবে? "তার কৌশল খুব পরিষ্কার। কিন্তু সেটা করা সহজ হবে না," বলেছেন রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউটের ইরান বিশেষজ্ঞ আনিসে বাসিরি তাবরিজি। 'ফিরে যাওয়া নয়' গত দু'বছর ধরে ইরানের ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সেগুলো থেকে জো বাইডেন বাড়তি কিছু সুবিধা পেতে পারেন, যদি তিনি সেগুলো অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেন। এবিষয়ে এখনও তিনি কোন মন্তব্য করেন নি। শুধু বলেছেন চুক্তি অনুসারে ইরানকে কোন কোন বিষয় মেনে চলতে হবে। জানুয়ারি মাসে জো বাইডেন লিখেছিলেন, "তেহরানকে চুক্তিটি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।" কিন্তু ইরানকে সেটা করতে বাধ্য করানোও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ চুক্তি থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের বের হয়ে যাওয়ার পর ইরান তার নিজের কাজে ফিরে যেতে শুরু করেছে। পরমাণু কর্মসূচির ওপর নজর রাখে জাতিসংঘের যে সংস্থাটি সেই আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ তাদের শেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে চুক্তিতে ইরানকে যতোটুকু ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তারা তার চেয়েও ১২ গুণ বেশি ইউরেনিয়াম সংগ্রহ করেছে। সংস্থাটি এও বলেছে ইরানকে যে মাত্রায় (৩.৬৭%) ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তারা তারচেয়েও বেশি মাত্রায় সমৃদ্ধ করার কাজ শুরু করেছে। নিষেধাজ্ঞার জবাবে ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচিতে ফিরে গেছে। অল্প মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বেসামরিক নানা কাজে ব্যবহার করা হয় কিন্তু এর বিশুদ্ধতার মাত্রা বেশি হলে সেটা পরমাণু বোমা তৈরির কাজে ব্যবহার করা হতে পারে আর সেটা নিয়েই পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ। কিন্তু ইরানের কর্মকর্তারা বার বার বলছেন, প্রয়োজন হলে তারা আবার পুরনো চুক্তিতে ফিরে যেতে পারেন। কিন্তু কথা হল এর মধ্যে তারা গবেষণায় যে অগ্রগতি ঘটাবে সেটা তো আর মুছে ফেলা যাবে না। "আমরা তো পেছনে যেতে পারবো না," বলেন আলী আসগর সুলতানিয়েহ, জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক সংস্থায় ইরানের সাবেক দূত। তিনি বলেন, "এখন আমরা একটা পয়েন্ট থেকে আরেকটা পয়েন্টে পৌঁছে যাচ্ছি এবং আমরা এখন এই জায়গাতেই আছি।" রাজনৈতিক চাপ এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঝড় সামাল দিয়েছে ইরান। এখন তাদের নিজেদেরও কিছু দাবি আছে। ইরানি কর্মকর্তারা বলছেন, যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে শুধু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়াই যথেষ্ট হবে না। ইরান আশা করছে, আড়াই বছরের নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের যেসব অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে সেটা পুষিয়ে নিতে তাদেরকে ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। ইরানে আগামী বছরের জুন মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে সংস্কারবাদী ও কট্টরপন্থী শিবিরগুলো এবিষয়ে তাদের অবস্থান তুলে ধরতে শুরু করেছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানি মুদ্রার মূল্য কমে গেছে। বেড়ে গেছে মুদ্রাস্ফীতি। ইরানের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। এখন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার মাধ্যমে জো বাইডেন কি প্রেসিডেন্ট রুহানির সম্ভাবনা চাঙ্গা করার চেষ্টা করবেন? তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নাসের হাদিয়ান-জ্যাজি বলেছেন, দায়িত্ব গ্রহণের আগেই জো বাইডেনকে এবিষয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। "আনুষ্ঠানিক বার্তা দিয়ে তাকে বলতে হবে কোন ধরনের শর্ত ছাড়াই খুব দ্রুত তিনি জেসিপিওএ চুক্তিতে ফিরে যাবেন। এটুকুই যথেষ্ট হবে।" তিনি বলেন, মি. বাইডেন যদি এটা করতে ব্যর্থ হন তাহলে ইরান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ওই অঞ্চলের ষড়যন্ত্রকারীরা চুক্তির বিষয়ে এই দুটো দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুন-প্রতিষ্ঠায় সমস্যা তৈরি করতে পারে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে জো বাইডেনের এখানে কিছু করার ক্ষমতা হয়তো সীমিত। জেসিপিওএ চুক্তির পক্ষে বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে দলীয় অবস্থান পুরোপুরি বিভক্ত। বেশিরভাগ রিপাবলিকান এই চুক্তির বিরোধী। এছাড়াও ওয়াশিংটনে ক্ষমতার ভারসাম্য কী হবে এবং নতুন প্রশাসন কতোটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে সেটা জানুয়ারি মাসে সেনেটের বাকি নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে। নতুন জোট জেসিপিওএ চুক্তিটি কখনো কোন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ছিল না। এর সঙ্গে আরো যেসব দেশ যুক্ত রায়েছে- রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের ভূমিকা রয়েছে এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ইউরোপের দেশগুলো এনিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি ট্রাম্প প্রশাসনের আমলেও চুক্তিটিকে বাঁচিয়ে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে। ফলে এই তিনটি দেশ চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পুনরায় ফিরে আসার সমঝোতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে লন্ডন, প্যারিস এবং বার্লিনে অনেকেই মনে করছেন বিশ্ব পরিস্থিতি আর আগের জায়গাতে নেই এবং পুরনো চুক্তিতে যে খুব সহজেই ফিরে যাওয়া যাবে সেই সম্ভাবনা কম। "ইউরোপের তিনটি দেশ এখন জেসিপিওএ চুক্তির পরবর্তী সমঝোতার ওপর জোর দিচ্ছে," বলেন আনিসে বাসিরি তাবরিজি। ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তিনি বলেন, এরকম কোন চুক্তি হলে ইরানের আঞ্চলিক তৎপরতা এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করাসহ দেশটির পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করে দেওয়ার জন্যেই সেটা করা হবে। কারণ বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিছু আঞ্চলিক শক্তি, যারা জেসিপিওএ চুক্তির বিরোধিতা করেছিল, যেমন ইসরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন- তারা সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য কিছু চুক্তিতে সই করেছে। এসব সমঝোতা হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায়। ফলে এসব দেশ কী চায় সেটা উপেক্ষা করাও এখন কঠিন হবে। সম্প্রতি তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের এক সেমিনারে বক্তব্য দিতে গিয়ে ওয়াশিংটনে আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল-ওতাইবা বলেছেন, "আমরা যদি আমাদের নিরাপত্তার ব্যাপার নিয়ে সমঝোতা করতে চাই তাহলে আমাদেরকে সেখানেও যেতে হবে।" আরো পড়তে পরেন: নতুন বিস্ফোরণের খবর অস্বীকার করছে ইরানের সরকার ইরান-মার্কিন সংঘর্ষের নতুন ঝুঁকি, বিপজ্জনক বাকযুদ্ধ বাইডেনের বিজয়: নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি উপসাগরীয় আরব নেতারা ইরান নিয়ে আতঙ্কিত ভারত, দুই মন্ত্রী তেহরানে ইরানের বিরোধী দলগুলো কতটা শক্তিশালী? তার এই কথা প্রতিধ্বনিত হয়েছে ওই ইন্সটিটিউটের পরিচালক আমোস ইয়াদলিনের কথাতেও। তিনি বলেছেন, "মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের অন্যান্য মিত্রদের সাথে নিয়ে ইসরায়েলও ওই আলোচনায় থাকতে চায়।" সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানও ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। এসব মতামত ও অবস্থানকে গুরুত্ব দিয়ে ইরানের সঙ্গে করা চুক্তিতে ফিরে যাওয়া নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্যে খুব একটা সহজ হবে না। সব পক্ষের চাওয়া পাওয়া একসাথে মেলানোর কূটনীতি তার জন্য রুবিক্স কিউব মেলানোর মতোই কঠিন হবে। ভুলে গেলে চলবে না যে তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে যে গত সপ্তাহে মি ট্রাম্প ইরানের পরমাণু স্থাপনায় আক্রমণের বিষয়টি নিয়ে তার উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু উপদেষ্টারা তাকে এই কাজ করা থেকে বিরত রেখেছেন। ইরানের কাছে রয়েছে বৃহৎ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। কিন্তু নির্বাচনে পরাজয়ের পরেও আন্তর্জাতিক রীতি নীতি উপেক্ষা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন এবং আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিচ্ছেন। তবে জানুয়ারি মাসে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আগে মি. ট্রাম্প যা কিছুই করুন না কেন এটা পরিষ্কার: জো বাইডেনের জন্যে তিনি পরিস্থিতি আরো কঠিন করে রেখে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। ফলে এই সময়ের মধ্যে ইরানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কী করবে সেটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। | US President-elect Joe Biden says the international system is "coming apart at the seams". |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | যুক্তরাজ্যে প্রায় ১.৪ মিলিয়ন দম্পতি একসাথে ব্যবসা পরিচালনা করছে যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটনের ৩৪ বছর বয়সী শ্যন ও'ল্যারি তার স্ত্রী ক্লেয়ারের সাথে কাজ করাটা পছন্দই করেন। তবে এর একটি নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে- বলছিলেন ও'ল্যারি, "আমরা দুজনেই নেতৃত্ব দেবার ব্যাপারে খুব শক্তিশালী চরিত্র, আর এটি অনেকসময় হয়ে দাঁড়ায় ক্ষমতার লড়াই।" ৩৩ বছর বয়সী ক্লেয়ার ২০১৮ সালে শ্যনের প্লাম্বিং ব্যবসার অংশীদার হন এবং এখন ব্যবসার বিপণন এবং হিসেব দেখাশুনা করেন। শ্যন বলছেন তিনি এমন কারো সাথে করতে পছন্দ করেন যাকে তিনি পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারেন। আর ক্লেয়ার বলছেন, তিনি ব্যবসায় এমন দক্ষতা এনেছেন যা শ্যনের অভাব ছিল। আর এটিকে লাভজনক করে তুলতেও সহায়তা করেছেন। অবশ্য খুব চাপের কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে শ্যনের ব্যবসায় এসে নিজের পরিবারকে আরো সময় দিতে পারছেন বলে বিষয়টি সব অর্থেই লাভজনক হয়েছে বলে মনে করেন ক্লেয়ার। যাই হোক, পরিচালনার ক্ষেত্রে দু'জনের বিপরীত পদ্ধতির কারণে অফিসেও কয়েকবার 'উত্তপ্ত অবস্থার' সৃষ্টিও হয়েছিল। যদিও কর্মীদের সামনে কখনও তা নয়। ক্লেয়ার বলেন যে, বাস্তববাদী হয়েও শ্যনের অতি নিখুঁত হবার চেষ্টা অনেক সময়ই বিরক্তি তৈরি করতো। তবে তিনি কখনো কখনো নিজে থেকেই পিছু হটে শ্যনকে নেতৃত্ব দেবার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতেন। এসথার ডুফলো এবং অভিজিৎ ব্যানার্জী তাদের সহকর্মী মাইকেল ক্রেমারের সাথে অর্থনীতিতে নোবেল জিতেছেন। এই ভারতীয় এবং ফরাসী অর্থনীতিবিদের পরিচয় যখন মিজ ডুফলো আর পিএইচডি সুপারভাইজার হিসেবে মি. ব্যানার্জীর কাছে যান। তাদের বিয়ে হয় ২০১৫ সালে। যুক্তরাজ্যে প্রায় ১৪ লাখ দম্পতি একসাথে ব্যবসা পরিচালনা করছেন, সফটওয়্যার সংস্থা ফ্রি এজেন্টের এক সমীক্ষায় পাওয়া গেছে এমন তথ্য। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ভোলায় বিজিবি মোতায়েন, ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম 'পাকিস্তান - ভারত পরমাণু যুদ্ধ ২০২৫ সালে' বাংলা ক্যালেন্ডারে আবারো পরিবর্তন আনলো বাংলাদেশ জেমস স্যাভিল ও তার স্ত্রী লরা গোল্ড এটিও অবাক হবার মতো নয় যে, অনেক জুটিই মনে করেন একসাথে কাজ করতে গেলে নানাবিধ দ্বন্দ্ব তাদের কর্মজীবনে প্রভাব ফেলবে , তাদের মধ্যকার সম্পর্কও নষ্ট হবে। তবে ৪২ বছরের জেমস স্যাভিল তার স্ত্রী লরা গোল্ডসহ আরো দুজন অংশীদারের সাথে যোগাযোগ সংস্থা গোল্ডব্যাগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং বেশিরভাগ সমস্যারই মোকাবিলা করতে পেরেছেন। "একসাথে কাজ করার অনেক বাধা রয়েছে, তবে আমরা শিখেছি আমাদের কাজ ও সম্পর্ককে পৃথক করতে," বলছিলেন মি, স্যাভিল। "আপনাকে বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে পারষ্পারিক শ্রদ্ধা একটি বড় বিষয়। আমাকেও বুঝতে হবে যে আমার স্ত্রী কিছু কাজ আমার চেয়েও ভালো করতে পারে। আর সে তা করেছেও।" "অধিকাংশ মানুষই তাদের কাছের মানুষের সাথে কাজের সময় চিৎকার করে। তবে আমাদের মধ্যে এট হয়েছে সমস্যা সমাধানের অংশ। সুতরাং এর সুবিধা ও অসুবিধা উভয়ই রয়েছে।" একটি দাতব্য সংস্থা ক্লিনিকার প্র্যাকটিসের প্রধান আমান্ডা মেজর বলেন, "অনেক দম্পতির সফলভাবে একসাথে কাজ করার সাথে সাথে কিছু বিষয় তীব্র হয়ে উঠতে পারে। তবে তাদের নিজেদের কাজের জায়গাগুলি স্পষ্ট করতে হবে এবং নিজেদের সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে দায়িত্বের ক্ষেত্রগুলিতে সম্মতি জানাতে হবে।" এসব দম্পতিদের সহকর্মীদের সামনে একে অন্যকে নিয়ে উপহাস করা এড়ানো উচিত। এড়িয়ে চলা উচিত গৃহস্থালি বিষয় নিয়ে বিতর্ক এবং উচিত পক্ষপাতিত্ব প্রদর্শন থেকে বিরত থাকা। "প্রতি সপ্তাহেই কিছু সময় নিজেদের মতো করে কাটানো উচিত। কিছু চমৎকার সময় কাটানো দরকার অফিসের বিভিন্ন বিষয়ের বাইরে," বলছিলেন মিজ আমান্ডা। | Two of the winners of this year's Nobel prize for economics are married to each other. So - what's it like to work to be partners at work with your partner in life? |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | উহানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগী। এই উহান শহর থেকেই চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সূচনা - যা এখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, উহান শহরটি যে প্রদেশের অন্তর্গত - সেই হুবেইয়ের সুস্থ বাসিন্দাদের চলাফেরার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে প্রত্যাহার করা হবে। এক সপ্তাহ ধরে উহানে নতুন কোন করোনাভাইরাস রোগী না পাওয়া গেলেও মঙ্গলবার এক ব্যক্তির দেহে নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বের অনেক দেশই এখন পুরোপুরিভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকেই উহানকে সারা বিশ্ব থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু এখন কর্মকর্তারা বলছেন, যাদের ফোনের অ্যাপে বিশেষভাবে ইস্যু করা সবুজ কোড রয়েছে, তারা আগামী ৮ই এপ্রিল থেকে উহান ত্যাগ করতে পারবেন। উহানের এক গাড়ি নির্মাণ কারাখানায় দুপুরের খাবার খাচ্ছেন শ্রমিকরা। সরকারি হিসেব মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় চীনের মূল ভূখণ্ডে প্রায় ৮০ জনের দেহে নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে ৭৬ জনই সংক্রমিত হয়েছেন ‘বিদেশ থেকে আসা’ ব্যক্তিদের মাধ্যমে। করোনাভাইরাসের এই ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ চীন ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরেও লক্ষ্য করা গেছে। যদিও দুটি দেশই গত কয়েক সপ্তাহে এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে বেশ সফল হয়েছে। সাংহাই থেকে বিবিসির সংবাদদাতা রবিন ব্র্যান্ট জানাচ্ছেন, চীন নিজেকে একটি ‘করোনা-উত্তর’ দেশ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। উহানের রেলওয়ে স্টেশনে অল্প কয়েকজন যাত্রী। গত সপ্তাহের উহানের মেডিকেল কর্মীরা ব্রিটেনকে সতর্ক করেছে এই বলে যে তারা যেন তাদের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের রক্ষার্থে যেন সংক্রমণ-প্রতিরোধী পোশাক-পরিচ্ছদ সরবরাহ করা হয়। করোনাভাইরাসের ‘দ্বিতীয় ঢেউ' নিয়ে চীনের ভেতরে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে বলে তিনি জানাচ্ছেন। এরই মধ্যে চীনের কিছু শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক সোশাল মিডিয়ায় এই তত্ত্ব প্রচার করছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করোনাভাইরাসকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং তারা উহানে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছে। ইতালিতে উহানের আগে থেকেই কোভিড-১৯ উপস্থিত ছিল বলেও তারা বলার চেষ্টা করছেন। বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, এসব বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে চীন তার নিজের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে মানুষের মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে এবং প্রতিষ্ঠিত সত্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য কি যথেষ্ট ভেন্টিলেটর আছে করোনাভাইরাস এলো কোত্থেকে, ছড়ালো কিভাবে- যতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব করোনাভাইরাস: শঙ্কায় আর হয়রানির মুখে দেশে ফেরা প্রবাসীরা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কেন অন্যের থেকে দু'মিটার দূরে থাকবেন করোনাভাইরাস নিয়ে যেসব ভিত্তিহীন পরামর্শে আদৌ কান দেবেন না করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস: বর্তমান অবস্থা শেষ হতে কত সময় লাগবে? | The lockdown in Wuhan, the Chinese city where the global coronavirus outbreak began, will be partially lifted on 8 April, officials say. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন কাশ্মীরের স্কুল ছাত্রীরা মুসলমান-অধ্যুষিত কাশ্মীর উপত্যকায় গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী গ্রীষ্ম ছিল গতবারেরটি। জুলাই মাসে ভারতীয় বাহিনীর হাতে প্রভাবশালী জঙ্গিনেতা বুরহান ওয়ানী খুন হওয়ার পর সেখানে চার মাস ধরে যে অচলাবস্থা চলেছে, তখন সংঘাতে ১০০ জনেরও বেশী বেসামরিক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। চলতি গ্রীষ্মকালটিও খুব একটা ভালো যাবে বলে মনে হচ্ছে না। এই মাসে শ্রীনগরে সংসদীয় যে নির্বাচন হয়েছে, তাতে সহিংসতা হয়েছে আর ভোট পড়েছে রেকর্ড পরিমাণ কম। এমন কিছু ভিডিও বেরিয়েছে যাতে দেখা গেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ভারতীয় শাসনের বিরোধী তরুণদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অনেকে - ফলে আগুনে আরও ঘি পড়েছে। বিক্ষোভ আরও ছড়িয়েছে, ছাত্ররা রাস্তায় নেমে এসেছে। আর খুব বিরল একটা দৃশ্যও চোখে পড়ছে - স্কুলের মেয়েরা পাথর ছুড়ছে, আর তা আঘাত করছে পুলিশের গাড়িকে। মূখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বেখাপ্পা ধরণের একটি জোট সরকার চালাচ্ছেন হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি দলের সঙ্গে। সোমবারে তিনি দিল্লি ছুটে যান কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই আর্জি নিয়ে যাতে "একটি সংলাপের ডাক আর মিটমাটের ইঙ্গিত দেয়া হয়"। রাজনীতিবিদরা বলছেন কাশ্মীরের জন্য সামরিক নয় বরং একটি রাজনৈতিক সমাধান দরকার খবরে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং তাকে বলেছেন যে প্রচণ্ড সহিংসতা এবং জঙ্গি আক্রমণ চলতে থাকা অবস্থায় তাঁরা "উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী ও অবাধ্য গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে কোন আলোচনায় সম্মতি" দিতে পারেন না। সাবেক মূখ্যমন্ত্রী ও আঞ্চলিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আবদুল্লাহ এই বলে সতর্ক করে দিয়েছেন যে ভারত "কাশ্মীর হারাচ্ছে"। মি. আবদুল্লাহ যে পরামর্শ দিয়েছেন, তা দারুণ প্রশংসনীয়। তার পরামর্শ হলো, ভারতের উচিত সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা - পাকিস্তান, বিচ্ছিন্নতাবাদী, মূলধারার রাজনৈতিক দল, কাশ্মীরের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় - এবং কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে "সামরিক নয় বরং একটি রাজনৈতিক পথ" খুঁজে বের করার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করা। কাশ্মীর অঞ্চলে এখন ভারতের ৫০০,০০০ সৈন্য রয়েছে, ফলে এলাকাটি তাদের হাতছাড়া হবে না। কিন্তু বিশ্লেষক শেখর গুপ্ত বলছেন যে কাশ্মীর "ভূখন্ডগত ভাবে নিরাপদ, কিন্তু আমরা একে অনুভূতি-গত আর মানসিকভাবে হারিয়ে ফেলছি"। শ্রীনগরের নির্বাচনে মাত্র ৭ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি এটাই প্রমাণ করে যে কাশ্মীরের "ভূখণ্ডের ওপর আপনার কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকলেও আপনি এর মানুষদের হারাচ্ছেন" - বলছিলেন মি. গুপ্ত। ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তাড়িত করছে কাশ্মীরের তরুণদের তাহলে কাশ্মীরে এমন নতুন কী ঘটছে যা ভারতকে উদ্বিগ্ন করছে, আর সিনিয়র সেনা কর্মকর্তাদের এটা স্বীকার করতে বাধ্য করছে যে পরিস্থিতি সেখানে সত্যিই ভঙ্গুর? একটি হলো, আরও বেশী বেপরোয়া ও বিচ্ছিন্ন একটি তরুণ প্রজন্ম এখন কাশ্মীরে ভারত বিরোধী প্রতিবাদে নেতৃত্ব দিচ্ছে। উপত্যকার ৬০ শতাংশেরও বেশী পুরুষের বয়স ৩০-এর নীচে। এদের বেশীরভাগই বিক্ষুব্ধ ও বিভ্রান্ত। আয়জাজ - বাডগামের ১৯ বছরের তরুণ। তিনি বলছেন যে "ভারতীয় নিপীড়নের মুখে" তাদের প্রজন্ম সব আশা হারিয়েছে, আর তিনি ও তাঁর বন্ধুরা "মত্যুকে আর ভয় করেন না"। তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হলো যে তাঁর জীবনের লক্ষ্য কী ছিলো, তখন তিনি জানালেন যে তিনি একজন আমলা হয়ে কাশ্মীরকে সেবা করতে চেয়েছিলেন। "এটা বলা ভুল যে কাশ্মীরের ঐ যুবক নির্ভীক হয়ে উঠেছে, সে আসলে বিচ্ছিন্ন বোধ করছে, অপমানিত বোধ করছে। তিনি যখন এমনটা বোধ করেন, তখন ভয় আর কাজ করে না। তিনি হয়ে ওঠেন অপরিণামদর্শী। এটা বিচার-শক্তিহীন আচরণ," ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা জুনায়েদ আজিম মাত্তু বলছিলেন বিবিসি সংবাদদাতাকে। চলতি গ্রীষ্মে কাশ্মীরে বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে দ্বিতীয়ত: নতুন প্রজন্মের 'জঙ্গি'রা শিক্ষিত এবং তুলনামূলক ভাবে ধনী পরিবার থেকে আসা। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর যে নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, সেই বুরহান ওয়ানী একটি উচ্চ-শিক্ষিত উচ্চবিত্ত পরিবার থেকে এসেছিলেন। তাঁর পিতা সরকারি স্কুলের একজন শিক্ষক, আর তাঁর ভাই খালিদ - যাকে নিরাপত্তা বাহিনী ২০১৩ সালে হত্যা করে - ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র। ঐ গোষ্ঠীর বর্তমান নেতা জাকির রশীদ ভাট উত্তর ভারতীয় শহর চণ্ডীগড় থেকে প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন। তৃতীয়ত: কাশ্মীরের দুই বছর বয়সী জোট সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারছে না। জোটটি হয়েছে এমন দুটো দলের মধ্যে যাদের একটি - পিডিপি - মসৃণ বিচ্ছিন্নতাবাদকে সমর্থন করে, আর অন্যটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী। তাদের রয়েছে ভিন্ন রকমের আদর্শ, কিন্তু কাজ করছে বিরোধপূর্ণ একটি এলাকায়। চতুর্থত: কাশ্মীরের বিষয়ে সরকারের বার্তা উল্টো ফল দিচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। কিছুদিন আগে মি. মোদী যখন বললেন যে কাশ্মীরি যুবকদেরকে হয় সন্ত্রাস নয়তো পর্যটনকে বেছে নিতে হবে, তখন অনেক কাশ্মীরি তাকে এই বলে অভিযুক্ত করেছেন যে তিনি তাদের দীর্ঘ সংগ্রামকে পাত্তা দিচ্ছেন না। পঞ্চমত: কট্টর হিন্দু গোষ্ঠীগুলোর মুসলমান বিরোধী উগ্র বক্তব্য এবং ভারতের অন্যান্য এলাকায় মুসলিম গবাদি পশু ব্যবসায়ীদের ওপর তথাকথিত গো-রক্ষকদের হামলা উপত্যকার মানুষদের আরও বেশী ভিন্ন মেরুতে ঠেলে দিচ্ছে। কাশ্মীর বিষয়ে পাঁচটি তথ্য: • ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর গত ৭০ বছর ধরে ভারত ও পাকিস্তান কাশ্মীর নিয়ে বিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে • দুটো দেশই পুরো কাশ্মীরের মালিকানা দাবি করে, কিন্তু দখলে রেখেছে আংশিক ভূখণ্ড • ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার তিনটি যুদ্ধের দুটোই হয়েছে কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে • ভারত শাসিত মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীরে ১৯৯৮ সাল থেকে সশস্ত্র বিদ্রোহ চলছে • উঁচু বেকারত্ব ও রাস্তার বিক্ষোভ ঠেকাতে নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর আচরণ নিয়ে অভিযোগ সেখানে সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী অবশ্য বলেছে যে উপত্যকার তরুণরা "ধর্মীয় মৌলবাদ"-এর দিকে ঝুঁকে পড়ছে বলে তারা উদ্বিগ্ন। কাশ্মীরে একজন শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তা, লে. জেনারেল জেএস সাধু, একটি সংবাদপত্রকে বলেছেন যে উদ্বেগের বিষয়গুলো হলো "সন্ত্রাসীদের প্রতি জনসমর্থন, তাদের গুণকীর্তন এবং মৌলবাদের ক্রমশ: ঝুঁকে পড়া"। একজন সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন ধর্মীয় চরমপন্থা "পাথর নিক্ষেপকারীদের চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ"। তিনি বলেন, গত এক দশকে কাশ্মীরে সৌদি-অনুপ্রাণিত ওয়াহাবী মতাদর্শের প্রায় ৩,০০০ মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তবে কাশ্মীরের বেশীরভাগ মানুষের মতে, সরকার উচিত তরুণদের "রাজনৈতিক চরমপন্থায়" জড়িত হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া, এবং ধর্মীয় চরমপন্থা নিয়ে আতঙ্কের বিষয়টি অতিরঞ্জিত এবং ফোলানো-ফাঁপানো। কাশ্মীরের তরুণ বলছে তাঁরা ক্ষুব্ধ ও বিচ্ছিন্ন বোধ করছে অন্যদিকে, চলতি মাসের ভোটে খুব কম ভোটারের উপস্থিতি ঐ অঞ্চলের মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। "যদি মূলধারার রাজনীতিবিদদের মানুষ ভোট দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে মাঠ খালি থাকবে না," বলছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের মি. মাত্তু। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা র'এর সাবেক প্রধান অমরজিৎ সিং দৌলত তাঁর স্মৃতিকথায় লিখেছিলেন "কোন কিছুই ধ্রুব নয়, বিশেষ করে কাশ্মীরের ক্ষেত্রে তো নয়ই"। কিন্তু এখন তরুণদের অরাজকতা ও ক্ষোভ, আর উদ্বিগ্ন জনতার ভারতীয় শাসনের প্রতি বিদ্রোহ মনে হচ্ছে কাশ্মীরে একমাত্র ধ্রুব বিষয়। আরও দেখুন: কাশ্মিরে 'পাথর-ছোঁড়ায়' যোগ দিয়েছে মেয়েরাও | As India's most restive region stares down the abyss of what a commentator calls another "hot summer of violence", the doom-laden headline has returned with a vengeance: Is India losing Kashmir? |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | লুইস ভন আন গুয়েতেমালায় জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই বেড়ে ওঠেন। মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়েতেমালার এই ৪১ বছর বয়সী নাগরিক, ১৮ বছর বয়সে ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যান নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক ইউনিভার্সিটিতে গণিত বিষয়ে পড়াশুনা করতে। এরপরে তিনি পিটসবার্গের কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়াশুনা করেন। লুইস কম্পিউটার বিজ্ঞানের একজন অধ্যাপক হতে চেয়েছিলেন যিনি "মানুষ ভিত্তিক কম্পিউটেশন" বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হবেন। সহজ করে বলতে গেলে এটা বলতে বোঝায় যে, মানুষ এবং কম্পিউটার কিভাবে সবচেয়ে দক্ষতার সাথে জটিল কোন কাজের সমাধান করতে পারে। এ বিষয়ে তার উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তাকে যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানজনক পুরস্কার ম্যাকআর্থার ফেলোশিপ প্রোগ্রাম অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। এটি একই সাথে "মেধাবৃত্তি বা জিনিয়াস গ্রান্ট" নামেও পরিচিত, কারণ এটি পেতে হলে অবশ্যই প্রতিভাবান হতে হয়। মাত্র আট বছর বয়সে কম্পিউটারের প্রতি আকর্ষিত হন লুইস। এরপর লুইস মাত্র ৩০ এর কোটাতেই কোটিপতিতে পরিণত হন, গুগলের কাছে একটি নয় বরং দুটি ব্যবসা বিক্রির মাধ্যমে। সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্টের কাছে তিনি যে প্রযুক্তি বিক্রি করেছিলেন তা এখনো আমরা সবাই ব্যবহার করি যা সম্পর্কে পরে বর্ণনা করা হবে। বর্তমানে, লুইস পিটসবুর্গ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডুয়োলিঙ্গোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান। ডুয়োলিঙ্গো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভাষা শেখার অ্যাপ যা বিশ্বব্যাপী ৩০ কোটি মানুষ ব্যবহার করে। মিষ্টভাষী এবং সুদর্শন লুইস নম্রভাবে বলেন, তার সফলতার পেছনে সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে যে, শিশু বয়স থেকেই তিনি ইংরেজি শেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। জন্মগত ভাবেই এই স্প্যানিশ ভাষা ব্যবহারকারী বলেন, তার চিকিৎসক মা তাকে খুব ছোটবেলা থেকেই ইংরেজি শেখার উপর জোর দিয়েছিলেন। তার মধ্যবিত্ত পরিবারের তখন যথেষ্ট অর্থ ছিল যা দিয়ে তাকে রাজধানী গুয়েতেমালার একটি বেসরকারি ইংরেজি ভাষার স্কুলে পাঠানো হয়েছিল। লুইস বলেন, এটা অবশ্যই তাকে গুয়েতেমালার বেশিরভাগ নাগরিকের তুলনায় কিছুটা বাড়তি সুবিধা দিয়েছিল। বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবে, দেশটির প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা দরিদ্রতার মধ্যে বাস করে, যার ৯% অতি দরিদ্র। অনেকে শিক্ষারই সুযোগ পায় না। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে ডেঙ্গু মোকাবেলায় এসেছে স্মার্টফোন অ্যাপ মোবাইল অ্যাপ কীভাবে ধান ক্রয়ে দুর্নীতি ঠেকাবে পরিচয় অ্যাপ দিয়ে কী তথ্য, কীভাবে যাচাই করা হবে? অ্যাপ দিয়ে যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে হংকংয়ের বিক্ষোভ ডুয়োলিঙ্গো ব্যবহারকারীদের অনেক গুলো প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। ডুয়োলিঙ্গো তৈরির পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে, গুয়েতেমালা বা বিশ্বের অন্য জায়গার মানুষদের জন্য বিনামূল্যে ব্যবহারের মতো একটি ভাষা শেখার অ্যাপ তৈরি করা যাতে তারা অর্থনৈতিক একটি সুবিধা পায় যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বহুভাষী হওয়ার উপর নির্ভরশীল। "আমি এমন কিছু একটা করতে চেয়েছিলাম যা সবাইকে শিক্ষার সমান সুযোগ দেবে," বলেন লুইস। "এরপর আমি ভাষার উপর গুরুত্ব দিলাম কারণ গুয়েতেমালায় বেড়ে ওঠার সময় আমি দেখেছি যে সবাই ইংরেজি শিখতে চায়।" "আর ইংরেজি না-বলা একটি দেশে ইংরেজি জানার মানে হচ্ছে আপনার আয়ের সামর্থ্য বেড়ে দ্বিগুণ হবে। আমি বোঝাতে চাইছি যে, আপনি ইংরেজি জানলে দ্বিগুণ আয় করতে পারবেন। তাই বিনামূল্যে ভাষা শেখার একটি উপায় বের করার পরিকল্পনা সেখান থেকেই আসে, আর সেটাই ডুয়োলিঙ্গো।" ২০০৯ সালে অ্যাপটি নিয়ে কাজ শুরু করেন লুইস এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা সেভেরিন হ্যাকার। সেসময় কার্নেগি মেলনে অধ্যাপক ছিলেন লুইস, এবং সেভেরিন ছিলেন তার একজন শিক্ষার্থী। ভাষাবিজ্ঞান এবং ভাষা মনে রাখার বিশেষত্ব নিয়ে ২০১২ সালে চালু করা হয় ডুয়োলিঙ্গো যাতে প্রাথমিকভাবে ইংরেজি, ফরাসি এবং স্প্যানিশ ভাষা শেখার সুযোগ ছিল। "আমি যথেষ্ট ভাগ্যবান ছিলাম কারণ যখন আমরা শুরু করি তখন আমি একটি টিইডি টক দিয়েছিলাম যা ২০ লাখ মানুষ দেখেছিলো, আর এটি প্রাথমিক অবস্থাতেই ডুয়োলিঙ্গোর জন্য যথেষ্ট ব্যবহারকারীর যোগান দিয়েছিলো।" "কিন্তু এর পর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আমাদের প্রসার হয়েছিল শুধু মাত্র ইতিবাচক কথার জন্য, কারণ এ সময়ের মধ্যে আমরা কোন বিজ্ঞাপন বা বিপণন করিনি।" ডুয়োলিঙ্গো প্রতিষ্ঠানটির সদরদপ্তর পেনসিলভেনিয়ার পিটসবার্গে অবস্থিত। বর্তমানে ডুয়োলিঙ্গোতে ২৮টি ভাষার ১০০টিরও বেশি কোর্স রয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে ইংরেজি, স্প্যানিশ এবং ফ্রেঞ্চ। যদিও আরবি থেকে শুরু করে ইউক্রেনীয় পর্যন্ত সব ধরণের ভাষা শেখার সুযোগ রয়েছে এখানে। সংখ্যালঘুদের ভাষা প্রচারেও গুরুত্ব দেয় ডুয়োলিঙ্গো, ওয়েলস, নাভাজো, গায়েলিক এবং হাওয়াইয়ান ভাষা শেখার কোর্স রয়েছে এতে। স্কটল্যান্ডের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ড. সিলভিয়া ওয়ার্নেকা বলেন, তিনি অভিভূত হয়েছেন এটা জেনে যে, গত বছর গায়েলিক ভাষার কোর্স চালুর জন্য তারা শীর্ষ গায়েলিক ভাষীদের সাথে কাজ করেছে। "অনেকের কাছ থেকে ডুয়োলিঙ্গো সমালোচনার মুখে পড়েছে যারা বলেছেন যে এটি ব্যবহার করে কোন ভাষায় দক্ষতা অর্জন সম্ভব নয়...কিন্তু শেখা শুরু করার জন্য এটি একটি দারুণ উপায়," তিনি বলেন। "অনেকের কাছেই ভাষা শেখাটা বেশ কসরতের ব্যাপার এবং সাপ্তাহিক আনুষ্ঠানিক ক্লাসে অংশ নেয়ার মতো সময়ও তাদের হাতে থাকে না। তাদের জন্য ডুয়োলিঙ্গোর মতো অ্যাপ খুবই মূল্যবান বিকল্প হিসেবে কাজ করে।" ডুয়োলিঙ্গোর এখন বার্ষিক মুনাফা ৯ কোটি ডলার। এরমধ্যে এক কোটি ৫০ লাখ ডলার আসে অ্যাপটির বিনামূল্যে ব্যবহারের সময় যে বিজ্ঞাপন দেখানো হয় তার জন্য। আর বাকি সাত কোটি ৫০ লাখ ডলার মুনাফা আসে এর ২ শতাংশ ব্যবহারকারীর কাছ থেকে যারা টাকা দিয়ে অ্যাপটির বিজ্ঞাপন মুক্ত প্রিমিয়াম ভার্সনটি ব্যবহার করে থাকে। "আপনি যদি ক্রমাগত ডুয়োলিঙ্গো ব্যবহার করেন এবং আপনি যদি আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হয়ে থাকেন তাহলে আপনার আমাদের অর্থ দেয়া উচিত, আমার বুদ্ধিমত্তা এটাই বলে," বলেন লুইস। "কিন্তু আপনি যদি উন্নয়নশীল দেশের নাগরিক হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি তেমন অর্থ না থাকে, তাহলে আপনি ফ্রি ভার্সনটি ব্যবহার করতে পারেন। আমার এটাই মনে হয়।" ডুয়োলিঙ্গোর অফিসে কাজ করছেন কর্মীরা। বর্তমানে ২০০ কর্মী নিয়ে পরিচালিত হয় ডুয়োলিঙ্গো, লুইস আশা করছেন যে, ২০২১ সালে এটি শেয়ার বাজারে আসতে পারবে। তিনি বলেন যে, ব্যবসায়ের বেশিরভাগ অংশ তার কিন্তু এতে স্বল্পমাত্রার অংশীদারিত্ব রয়েছে যাতে বাইরের কিছু বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করেছেন। একটু পেছনের দিকে ফিরে তাকালে, যে দুটি ব্যবসা লুইস গুগলের কাছে বিক্রি করেছেন বলে আমরা উল্লেখ করেছিলাম সেগুলো হলো ইএসপি গেম এবং রিক্যাপচা। ইএসপি যার পূর্ণরূপ হলো এক্সট্রা সেন্সরি পারসেপশন, এটি একটি অনলাইন ভিডিও গেম যেখানে দুই জন মানুষ অংশ নেয় কিন্তু তারা কেউ কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারে না, তাদের একটি ছবি বোঝানোর জন্য শব্দ বাছাই করতে হয়। তারা দুজনই যখন একই শব্দ বাছাই করে তখন তারা এক পয়েন্ট করে পায়, এবং তাদেরকে তখন আরেকটি ছবি দেয়া হয়। ২০০৬ সাল থেকে গুগল এই প্রযুক্তি তাদের ইমেজ সার্চ সফটওয়্যারের উন্নয়নে ব্যবহার করছে। লুইস এবং তার কোম্পানীর একজন ভক্ত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এদিকে, রিক্যাপচা এখন বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত একটি ব্যবস্থা যেখানে গুগল-সংশ্লিষ্ট একটি ওয়েবসাইট আপনাকে কিছু তরঙ্গায়িত বা আঁকাবাঁকা ভাবে লেখা শব্দ শুদ্ধরূপে টাইপ করতে বলে এটা প্রমাণ করতে যে আপনি কথিত "বট(রোবট)" কিংবা কোন ম্যালওয়্যার নন। আনুমানিকভাবে ২০ কোটি মানুষ প্রতিদিন এটা ব্যবহার করে যা লুইস আবিষ্কার করেছিলেন। রিক্যাপচা লুইসের একক মালিকানায় ছিল যা ২০০৯ সালে গুগল তার কাছ থেকে অপ্রকাশিত আট অংকের একটি অর্থ দিয়ে কিনে নেয়। এ বিষয়ে যে অল্প পরিমাণ তথ্য জানা যায় তা হলো, যে শব্দগুলো লিখতে হয় সেগুলো দৈবচয়নের ভিত্তিতে হয় না। এর পরিবর্তে, গুগল যখন পুরনো কোন বইকে ডিজিটাল ভার্সনে রূপান্তরিত করতে গিয়ে যেসব শব্দের পাঠোদ্ধার করতে এর সফটওয়্যারকে বেগ পেতে হয়, সেসব শব্দই নির্বাচন করা হয়। তাই যতবারই আপনি এ ধরণের কোন নিরাপত্তা পরীক্ষায় অংশ নেন ততবারই আপনি গুগলের অবৈতনিক কর্মী হিসেবে কাজ করেন। বলতে গেলে, যখন ১০ হাজার মানুষ একটি নির্দিষ্ট শব্দের বানানের বিষয়ে একমত হয়, তখন গুগল সেটিকে সঠিক ধরে নেয়। ডুয়োলিঙ্গোতে ফিরে গেলে, লুইস বলেন, এতো বেশি সংখ্যক মানুষকে নতুন একটি ভাষা শিখতে সাহায্য করতে পেরে তিনি গর্ববোধ করেন। "আমরা বিনামূল্যে সবার কাছে ভাষা শিক্ষা পৌঁছে দিচ্ছি," তিনি বলেন। | The BBC's weekly The Boss series profiles different business leaders from around the world. This week we speak to Luis von Ahn, co-founder and chief executive of language learning app Duolingo. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | গুয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটি রয়েছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানাচ্ছে , কিম জং-উন যদি এই পরিকল্পনা পাশ করেন তাহলে হুয়াসং-১২ রকেট জাপানের ওপর দিয়ে গুয়াম থেকে ৩০ কিলোমিটার (১৭ মাইল) দূরে সাগরে গিয়ে পড়বে। এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন যুক্তরাষ্ট্রকে আবার পারমাণবিক হামলার হুমকি দিলে, সমুচিত জবাব দেয়া হবে। তারপরই বুধবার উত্তর কোরিয়া জানায়, কৌশলগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা হিসেবে পরিচিত গুয়ামে দেশটি মাঝারি দেকে দূর পাল্লার রকেট নিক্ষেপ করার পরিকল্পনা করছে। এরপর থেকে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। উত্তর কোরিয়ার অনবরত এমন হুমকির আবারো পাল্টা জবাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, উত্তর কোরিয়ার এমন যেকোনো পদক্ষেপ হবে তাদের নিজেদের 'শাসনক্ষমতা শেষ হতে দেখা'। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে পিয়ংইয়ং যদি কোনো যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় তাহলে দেশটির ওপর 'সর্বশক্তি প্রয়োগ করা হবে'। গুয়াম থেকে বিবিসির সংবাদদাতা রুপার্ট উইংফিল্ড হায়েস জানাচ্ছেন, উত্তর কোরিয়ার এমন হুঁশিয়ারিকে 'বাগাড়ম্বরপূর্ণ' মনে করছেন অনেকে। কারণ সেখানকার অনেক মানুষ মনে করেন যদি সত্যিই এমন ধরনের হামলা করে উত্তর কোরিয়া তাহলে সেটি হবে আত্মঘাতী একটি কাজ। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মুহাম্মদ' হলো 'মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা' ‘প্রতি মাসে এক-দুই হাজার করে জমিয়েছি হজের জন্য’ 'ব্রিজ খেলতে দেখলে পরিবার বলতো জুয়া খেলছি' | North Korea says a plan that could see it fire four missiles near the US territory of Guam will be ready in a matter of days. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | নতুন সম্রাটের যুগের নাম 'রেইওয়া', দেখাচ্ছেন জাপানের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ঠিক এই শব্দটি খুঁজতে শুরু করেন জাপানের কর্মকর্তারা যখন সম্রাট বদল হয়ে যায়, নতুন একটি যুগের সূচনা হয়। জাপানের প্রত্যেক সম্রাটের রাজত্বের একটি নাম আছে, যেটি খৃষ্টীয় বর্ষপঞ্জির পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়। সম্রাট পরিবর্তনের পর ১লা এপ্রিল নতুন রাজত্বের নাম ঘোষণা করা হয়। জাপানের নতুন সম্রাটের রাজত্বের নাম ঘোষণা করা হয়েছে 'রেইওয়া', যার বাংলা করলে দাঁড়ায় 'শৃঙ্খলা এবং শান্তি'। এই প্রথমবারের মতো জাপানের একটি প্রাচীন কবিতা থেকে এই নামটি নেয়া হয়েছে। এর আগে সম্রাট আকিহিতোর যুগের নাম ছিল 'হেইসেই', যার অর্থ 'শান্তি অর্জন'। আরো পড়ুন: যে দেশে বৃদ্ধরা ইচ্ছে করে কারাগারে যেতে চায় বিদেশি কর্মীরা স্থায়ী হতে পারবে জাপানে জাপানের যুবরাজ নারুহিরো ১লা মে থেকে সম্রাট হিসাবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন, পাশে তার স্ত্রী প্রিন্সেস মাসাকো কেন একেকটি যুগের নামকরণ? এর একটির উত্তর বাস্তবের সঙ্গে মিলবে, আরেকটি জড়িত দর্শনের সঙ্গে। সম্রাটের যুগের নাম মুদ্রায়, সংবাদপত্রে, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং দাপ্তরিক সব কাগজপত্রে মুদ্রিত হবে। সেই সঙ্গে এটা একটা যুগকে তুলে ধরবে, যেভাবে নব্বই দশক বা ভিক্টোরিয়ান যুগকে বর্ণনা করা হয়। জাপানের সম্রাটের রাজনৈতিক কোন ক্ষমতা নেই, তবে তিনি দেশের সর্বোচ্চ প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হন। বর্তমান সম্রাট, ৮৫ বছরের আকিহিতোর 'হেইসেই' যুগ শুরু হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। ফলে ২০১৯ সালে এসে এই যুগের বয়স দাঁড়াচ্ছে ৩১ বছর। তার যুগ 'শান্তি অর্জন'-এর মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের ভেতরে এবং বাইরে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা। এর আগের যুগ ছিল 'শোউয়া' যার মানে ' সমৃদ্ধ শান্তি'। জাপানের যুদ্ধকালীন সম্রাট হিরোহিতোর এই যুগ ছিল ৬৪ বছর ধরে, যা বিশ্বযুদ্ধ এবং তার পরে জাপানের ঘুরে দাঁড়ানোর পুরো সময়টা জুড়ে চলেছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে চিকিৎসকরা যা বলছেন টিভি চ্যানেলগুলো কেন বিজ্ঞাপন আনতে পারছে না? স্থানীয় নির্বাচনে রাজধানী আঙ্কারায় হারলেন এরদোয়ান সফল বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও ব্রেক্সিট নিয়ে সংকটে স্বেচ্ছায় দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন সম্রাট আকিহিতো এটা কিভাবে বাছাই করা হয়? পণ্ডিত ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে তৈরি করা একটি ছোট্ট তালিকা থেকে এই নতুন যুগের নাম বেছে নেয় জাপানের মন্ত্রিসভা। কোন ক্রমেই যাতে ১লা এপ্রিলের আগে এই যুগের নাম প্রকাশ হয়ে না যায়, সেজন্য মন্ত্রিসভার সদস্যরা সভা শুরু হওয়ার আগে তাদের ফোন এবং স্মার্ট ওয়াচ বাইরে রেখে যেতে হয় বলে জানা গেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ওই যুগের নাম ঘোষণা না করা পর্যন্ত তাদের সভাকক্ষেই থাকতে হয়। সাধারণত চীনের প্রাচীন গল্প-কবিতা থেকে যুগের নামটি বাছাই করা হয়। সাধারণত নতুন যুগের নামকরণ করা হয় যখন একজন সম্রাট মারা যান এবং নতুন একজন সিংহাসনে আরোহণ করেন। তবে এবার বিষয়টি বেশ আলাদা। কারণ সম্রাট আকিহিতো তার সন্তান, যুবরাজ নারুহিতোর জন্য নিজেই সিংহাসন ত্যাগ করছেন। নতুন সম্রাটের যুগ শুরু হবে ১লা মে থেকে। জাপানের নিক্কেই সংবাদ মাধ্যমের তথ্য মতে, গত ৩০ বছরে প্রতিবছর অন্তত একবার নাম বাছাইয়ের অনুশীলন করা হয়েছে। যখন যুগের নামটি বেছে নেয়া হয়, তখন মন্ত্রিসভা একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে, যেখানে বর্তমান সম্রাট সাক্ষর করেন। ২০১৯ সালের জন্য জাপানী ক্যালেন্ডার, যার আরেক নাম 'হেইসেই ৩১' কত মানুষ এই 'সম্রাটের যুগ' ব্যবহার করেন? বলা হচ্ছে, জাপানে বৈশ্বিক প্রভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে এই 'সম্রাটের যুগের' ব্যবহার কমে আসছে। দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ এখন এই পদ্ধতি ব্যবহার করে, যা ১৯৭৫ সালে ছিল ৮২ শতাংশ। যেহেতু উভয় ক্যালেন্ডারেই পশ্চিমা দিনপঞ্জি ব্যবহার করা হয়, ফলে অনেক মানুষ দুইটাই পাশাপাশি ব্যবহার করেন। তবে একজন ব্যক্তিতে এই যুগের নাম বহন করে যেতে হবে। তিনি হলেন বিদায়ী সম্রাট আকিহিতো। রাজত্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পরে জাপানের সম্রাটদের তাদের যুগের নামে নামকরণ করা হয়। সুতরাং ধারণা করা হচ্ছে যে, সম্রাট আকিহিতোর নতুন নাম হবে সম্রাট হেইসেই, যেমনটা হয়েছিল তাঁর পিতা হিরোহিতোর, সম্রাট শোউয়া। | If you had to pick a word to define your country's future, what would it be? |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | হাসপাতালের বেডে পরীক্ষা দিচ্ছেন আলমাজ ডেরেস। পশ্চিম ইথিওপিয়ার মেতু অঞ্চলে ২১ বছর বয়সী এই নারীর নাম আলমাজ ডেরেস। তিনি আশা করেছিলেন সন্তান প্রসবের আগেই তিনি হয়তো পরীক্ষা শেষ করে ফেলতে পারবেন। কিন্তু রমজান মাসের কারণে মাধ্যমিক স্কুলের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যেই প্রসবের ব্যথা উঠলে সোমবার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন এবং সেদিনই তার পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে তিনি সন্তান প্রসব করেন এবং তার আধ ঘণ্টার মধ্যেই পরীক্ষা শুরু হলে তিনি হাসপাতালের বেডেই পরীক্ষার খাতায় উত্তর লিখতে শুরু করে দেন। মিজ আলমাজ বলেছেন, গর্ভকালীন অবস্থায় পড়ালেখা করতে তার তেমন অসুবিধা হয়নি। তবে তার জীবনের এরকম একটি ঘটনার কারণে এবারের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া থেকেও তিনি বিরত থাকতে চাননি। তিনি বলেছেন, তাহলে তাকে আরো একটা বছর অপেক্ষা করতে হতো। পরীক্ষার সময় একজন পুলিশ পাহারা দিচ্ছেন। সোমবার তিনি তিনটি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন- ইংরেজি, আমহেরিক এবং গণিত। বাকি পরীক্ষাগুলো তিনি আগামী দুদিনে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়েই দেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। "পরীক্ষায় বসার জন্যে আমি খুব উদগ্রীব ছিলাম। বাচ্চা জন্ম দেওয়াটা খুব একটা কঠিন ছিল না," বলেন তিনি। তার স্বামী টেডেস টুলু বলেছেন, এরকম অবস্থায় স্ত্রীর স্কুল যাতে হাসপাতালেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করে সেজন্যে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়েছিলেন। ইথিওপিয়াতে পড়ালেখা শেষ করার আগেই ছাত্রীদের স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া একটি সাধারণ ঘটনা। মিজ আলমাজ বলছেন, তিনি এখন দুই বছরের একটি কোর্সে ভর্তি হতে আগ্রহী এবং এর পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করতে চান। তিনি খুব খুশি যে তার পরীক্ষা ভাল হয়েছে। একই সাথে তার নবজাতক শিশুটিও ভাল আছে। | A woman in Ethiopia has taken her exams in a hospital bed just 30 minutes after giving birth. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | তালেবানের গাড়ি বোমা হামলায় কাবুলের এই সুরক্ষিত এলাকায় ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। গত সপ্তাহেই মার্কিন আলোচকরা তালেবানের সাথে একটি খসড়া শান্তি চুক্তির ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন । কিন্তু এর মধ্যেই তালেবান স্বীকার করে যে, কাবুলে গত বৃহস্পতিবার যে আক্রমণে একজন মার্কিন সৈন্য সহ ১২ জন নিহত হয় - সেটি তারাই চালিয়েছে। এর পরই টুইটারে বার্তা দিয়ে মি. ট্রাম্প বলেন, তার সাথে রোববারই ক্যাম্প ডেভিডে তালেবানের শীর্ষ নেতাদের সাথে এক গোপন বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঐ হামলার পর তিনি তা বাতিল করে দিয়েছেন। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিও বলেছেন, তালেবানকে অবশ্যই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। গত এক বছর ধরেই মার্কিন আলোচকদের সাথে তালেবানের শান্তি আলোচনা চলছিল। আফগান সরকারকে বাইরে রেখেই তালেবানের সাথে ওই আলোচনা চালাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র - কারণ প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে তালেবান 'আমেরিকার হাতের পুতুল' বলে মনে করে। গত সপ্তাহেই একটি খসড়া শান্তি চুক্তির ব্যাপারে দু'পক্ষের আলোচকরা একমতও হয়েছিলেন । মনে করা হচ্ছিল যে দু'পক্ষ চুক্তি স্বাক্ষরের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। কিন্তু এখন তা আবার অনিশ্চিত হয়ে পড়লো। কাতারে তালেবানের প্রতিনিধিরা শান্তি আলোচনায় যোগদান করছেন। বিবিসিতে আরও খবর: স্কুল শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্মের টাকা কীভাবে দেয়া হবে রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ কতটা? 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, প্লিজ হংকং-কে রক্ষা করুন' গত বৃহস্পতিবার কাবুলে তালেবানের চালানো এক গাড়ি বোমা আক্রমণে একজন মার্কিন সৈন্যসহ ১২ জন নিহত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তি প্রক্রিয়া বাতিল করে দেন। মি. ট্রাম্প তার টুইট বার্তায় লেখেন, রোববার ক্যাম্প ডেভিডে তার সাথে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ও ঊর্ধ্বতন তালেবান নেতৃবৃন্দের এক গোপন বৈঠক হবার কথা। কিন্তু তালেবান ওই আক্রমণে চালানোর কথা স্বীকার করার পর সাথে সাথে তিনি ওই বৈঠক বাতিল এবং শান্তি আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছেন। দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক অফিসের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে যে মি. ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার জন্য তারা এক জরুরি অভ্যন্তরীণ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। অবশ্য শান্তি আলোচনা যখন চলছিল তখনও তালেবান আফগান ও বিদেশি সৈন্যদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো বন্ধ করে নি। জালমে খলিলজাদ, আফগানিস্তানের জন্য বিশেষ মার্কিন দূত। ঐ শান্তি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ২০ সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে ৫,৪০০ সৈন্য প্রত্যাহার করে নিতো। আফগানিস্তানে এখন যুক্তরাষ্ট্রের ১৪,০০০ সৈন্য রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের টুইটের পর আশরাফ ঘানি বলেছেন, সত্যিকারের শান্তি তখনই সম্ভব যখন তালেবান যুদ্ধ বন্ধ করবে এবং আফগান সরকারের সাথে সরাসরি আলোচনা করতে রাজি হবে। তালেবান-মার্কিন শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক ছিল। কিন্তু অনেকে এ নিয়ে আশাবাদীও হয়েছিলেন। এই প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যাওয়ার খবরে কাবুলের এক মহিলা বিবিসিকে বলেন, "কেন একজন আমেরিকানের মৃত্যুর জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিলেন? এত যে আফগানের মৃত্যু হয়েছে তাদের জীবনের কি তাহলে কোন দাম নেই?" | US President Donald Trump says he has called off peace negotiations with the Taliban that sought to end America's 18-year war in Afghanistan. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | লকডাউনের সময় টুইটার বাড়ি থেকে কাজ করার যে ব্যবস্থা চালু করেছিল, সেটি কার্যকর হওয়ায় কোম্পানি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সেই সঙ্গে কোম্পানি এটিও জানিয়েছে, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর যখন অফিস খোলা হবে, তখন চাইলে কর্মীরা অফিসেও আসতে পারবেন। এর আগে, এই মাসের শুরুর দিকে গুগল ও ফেসবুক জানিয়েছে, বছর শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন। বাড়ি থেকে কাজ করার ঘোষণায় টুইটার বলেছে: ''গত কয়েকমাসে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, আমরা এটা (বাড়ি থেকে কাজ) করতে পারছি। সুতরাং আমাদের কর্মীরা যদি বাড়ি থেকে কাজ করার মতো দায়িত্ব ও পরিস্থিতিতে থাকে এবং তারা যদি বাড়িতে বসেই আজীবন কাজ করতে চায়, আমরা সেই ব্যবস্থা করবো।'' টুইটার তাদের ঘোষণায় আরো বলেছেন, যেসব কর্মীরা অফিসে আসতে আগ্রহী, টুইটার তাদের সেই ইচ্ছাকেও স্বাগত জানাবে। তবে সেক্ষেত্রে কিছু অতিরিক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিশ্বজুড়ে সানফ্রানসিসকো ভিত্তিক এই কোম্পানির চার হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে। আরো পড়ুন: ফেসবুক-মেসেঞ্জার হ্যাক হওয়া ঠেকাবেন যেভাবে যে সাত ধরনের মানুষ ভুয়া তথ্য ছড়ায় ভাইরাল ভুয়া ভিডিওর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সোশাল মিডিয়া গত মার্চ মাস থেকেই এই কোম্পানিটি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে। সেপ্টেম্বরের আগে তাদের অফিস চালু করার সম্ভাবনা নেই। টুইটারের ঘোষণাকে ''যুগান্তকারী'' বলে বর্ণনা করেছেন একজন ডিজিটাল উদ্ভাবন বিশেষজ্ঞ শ্রী শ্রীনিবাসন। স্টোকি ব্রুক ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ জার্নালিজমের এই ভিজিটিং প্রফেসর বলছেন, ''অনেকে হয়তো টুইটারের মতো এত গভীরভাবে বিষয়টিকে গ্রহণ করেনি, কিন্তু কর্ম পরিবেশ কীভাবে আরামদায়ক করে তোলা যায়, তা নিয়ে সিলিকন ভ্যালির এই কোম্পানির কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।'' ''একটা ধারণা আছে যে, বাড়ি থেকে কাজ করার মানে হলে কাজে ফাঁকি দেয়া এবং অফিসে চেহারা দেখানো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কর্মীরা এখন প্রমাণ করছেন যে, তারা বাড়ি থেকে ভালো কাজ করতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় সব কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। অনেকেই আমাকে বলেছেন, বাড়িতে তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে এবং ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন।'' তিনি বলছেন। বিশ্ব জুড়েই কোম্পানিগুলো এখন উপায় বের করার চেষ্টা করছে, কীভাবে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে আস্তে আস্তে অফিসগুলো পুনরায় চালু করা যায়। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন | Twitter has told staff that they can work from home "forever" if they wish as the company looks towards the future after the coronavirus pandemic. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | দু'মাস পর উহানের ট্রেন স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে আবার যাত্রীদের ভিড় বলা হচ্ছে, শহরটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে যাওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত। লোকজনকে শহরের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হলেও কাউকে বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। শহরের রেল স্টেশনে পৌঁছে লোকেরা জানুয়ারি মাসের পর আত্মীয় স্বজনের সাথে এই প্রথম দেখা করতে পারায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন। হুবেই প্রদেশের রাজধানী এই উহান শহরে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং এই রোগে হুবেই প্রদেশে কমপক্ষে তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। সরকারি হিসেবে দেখা যাচ্ছে, চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য ও নাটকীয় হারে কমে গেছে। শুক্রবার সারা দেশে মাত্র ৫৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এদের সবাই চীনের বাইরে থেকে এই ভাইরাসটি নিয়ে এসেছেন বলে বলা হয়। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে উহান শহরে বন্যপ্রাণীর একটি বাজার থেকে আকস্মিকভাবেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। এর প্রকোপ ঠেকাতে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে শহরটিকে শুধু চীন থেকে নয়, সারা বিশ্ব থেকেই বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। এর পর দু'মাসেরও বেশি এই এখানকার সবকিছু বন্ধ ছিল। ফলে কার্যত বন্দী হয়ে পড়ে শহরের এক কোটি দশ লাখেরও বেশি বাসিন্দা। কিন্তু আজ থেকে শহরটি ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া শুরু হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: ভারতে করোনাভাইরাস আসলে কত ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে? ধূমপায়ীদের কি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি? ভারতে যে লোকটি একাই 'সংক্রমিত করেছেন' ৪০ হাজার লোককে করোনাভাইরাস: ভেন্টিলেটর আসলে কী? এটা কেন জরুরি? শহরের ১৭টি ট্রেন স্টেশন এবং পাতাল রেলসহ অল্প কিছু যানবাহন চলাচলও শুরু হয়েছে। লোকজনকে শহরে আসতে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনও কেউ বের হতে পারছেন না। এজন্য তাদেরকে আরো দু'সপ্তাহ অর্থাৎ ৮ই এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। উহান ছাড়া হুবেই প্রদেশের অন্যান্য শহরও বহির্বিশ্বের জন্যে খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় তিন মাস পর উহানে ফিরে এসেছেন ১৯ বছর বয়সী ছাত্র গু লিয়াংকাই। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, তিনি খুব খুশি কারণ পরিবারের সবার সঙ্গে তার আবার দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, "সবাইকে আমি জড়িয়ে ধরতে চেয়েছিলাম, কিন্তু এখন যেহেতু খারাপ সময় যাচ্ছে - তাই আমরা এ থেকে বিরত থাকছি।" শুধু মাত্র তাদেরকেই শহরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে যাদের মোবাইলের একটি অ্যাপে সবুজ রঙ দেখা যাচ্ছে। এই সঙ্কেতের অর্থ তিনি সুস্থ আছেন। বেইজিং থেকে বিবিসির সাংবাদিক স্টিফেন ম্যাকডোনেল বলছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, লোকজনকে ঘরে থাকতে বাধ্য করা, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া এবং বিদেশি নাগরিকদের চীনে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ- এরকম কঠোর পদক্ষেপের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? | The city in China where the coronavirus pandemic began, Wuhan, has partially re-opened after more than two months of isolation. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | আন্তর্জাতিক খেলাধুলার আসরে রাশিয়ার জাতীয় পতাকা নিয়ে কেউ অংশ নিতে পারবে না এর মানে হচ্ছে ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকস এবং ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে রাশিয়ার জাতীয় পতাকা দেখা যাবে না কিংবা রাশিয়ার জাতীয় সঙ্গীত বাজবে না। যেসব রুশ অ্যাথলিট প্রমাণ করতে পারবেন যে তারা বলবর্ধক মাদক ব্যবহার কেলেংকারির সঙ্গে জড়িত নন, তারা অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে আন্তর্জাতিক খেলাধুলায় অংশ নিতে পারবেন। তবে রুশ পতাকার পরিবর্তে একটি নিরপেক্ষ পতাকা নিয়ে তাদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সুইটজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির (ওয়াডা) নির্বাহী কমিটির এক বৈঠকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়। এর আগে রাশিয়ার অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির (রুসাডা) বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় যে এই কেলেংকারির তদন্তে তারা সহযোগিতা করছে না। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তারা ল্যাবরেটরি পরীক্ষার যেসব তথ্য হস্তান্তর করেছিল, তাতে কারসাজি করা হয় বলে অভিযোগ করছে ওয়াডা। রাশিয়ায় সরকারি মদতে খেলাধুলায় ব্যাপকভাবে বলবর্ধক মাদক ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে কয়েক বছর ধরে। এর আগেও তিন বছরের জন্য রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিল, যদিও সিদ্ধান্তটি ছিল বেশ বিতর্কিত। এবারের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য রাশিয়াকে ২১ দিন সময় দেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়ন্সশীপে শটপুটে অংশ নিচ্ছেন এক রুশ প্রতিযোগী ২০১৮ সালের শীতকালীন অলিম্পিকসে রাশিয়ার ১৬৮ জন প্রতিযোগী অংশ নিলেও তাদের রুশ পতাকার পরিবর্তে নিরপেক্ষ পতাকা বহন করতে হয়েছিল নিষেধাজ্ঞার কারণে। ২০১৪ সালে রাশিয়ার সোচিতে যে শীতকালীন অলিম্পিক গেমস হয়েছিল, তখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ডোপিং কেলেংকারির অভিযোগ ওঠে। রাশিয়া সেবার ১৩টি স্বর্ণপদক সহ মোট ৩৩টি পদক জিতেছিল। রাশিয়া একটি দেশ হিসেবে যে কোন ধরণের আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতায় ২০১৫ সাল থেকে নিষিদ্ধ। তবে এবারের এই নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও 'ইউরো ২০২০' ফুটবল টুর্নামেন্টে রাশিয়া অংশ নিতে পারবে। কারণ ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা 'ইউয়েফা'র বেলায় অ্যান্টি ডোপিং সংস্থার নিয়ম-কানুন প্রযোজ্য নয়। 'ইউরো ২০২০' টুর্নামেন্টের স্বাগতিক নগরী হচ্ছে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ। অলিম্পিক গেমসেও অংশ নিতে পারবে না রাশিয়া যেভাবে রাশিয়া এই কেলেংকারিতে জড়ালো রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে ডোপিং এর অভিযোগ ওঠে ২০১৫ সালে। সেবছরের নভেম্বরে রাশিয়ার অ্যান্টি ডোপিং সংস্থা 'রুসাডা' মাদক বন্ধে সহযোগিতা করছে না বলে ঘোষণা করে ওয়াডা। সংস্থার এক রিপোর্টে তখন বলা হয়েছিল, রাশিয়ায় সরকারি মদতেই ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলেটিক্সে ব্যাপকভাবে মাদক ব্যবহৃত হচ্ছে। এরপর ২০১৬ সালে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, রাশিয়ায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চার বছর ধরে ডোপিং কর্মসূচি চলেছে যাতে করে তাদের প্রতিযোগীরা গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন অলিম্পিকসে অংশগ্রহণ করতে পারে। অন্যান্য খবর: নিউজিল্যান্ডের দ্বীপে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাতে নিহত ৫ দুর্নীতির টাকার বেশিরভাগ বিনিয়োগ ফ্ল্যাটে আর জমিতে বিপিএল: জাঁকজমক বনাম ক্রিকেট ২০১৮ সালে রাশিয়ার অ্যান্টি ডোপিং সংস্থা 'রুসাডা'র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিল এই শর্তে যে তারা তাদের মস্কো ল্যাবরেটরিতে ২০১২ হতে ২০১৫ সালে করা সব পরীক্ষার ডেটা ওয়াডার হাতে তুলে দেবে। কিন্তু ২০১৭ সালে ফাঁস করা রিপোর্টের এক কপিতে দেখা যায় ডোপিং টেস্টে মাদক ব্যবহারের ঘটনা ধরা পড়েছে এমন অনেক তথ্য 'রুসাডা' গোপন করেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আজ যে নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হলো তার ফলে দেশটি আগামী চার বছর কোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না। কোন প্রতিযোগিতা আয়োজনেরও চেষ্টা করতে পারবে না। | Russia could face an unprecedented four-year ban from major international sporting events over accusations that it manipulated laboratory doping data. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট এই সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যা সেসব মার্কিন কোম্পানির জন্য প্রযোজ্য হবে যারা বিদেশী টেলিকম ব্যবহার করেন। ধারণা করা হচ্ছে এর ফলে দেশটি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছে। মি. ট্রাম্প নির্দিষ্টভাবে কোন কোম্পানির নাম উল্লেখ করেন নি। এই বিষয়ে আরো পড়ুন: হুয়াওয়ে: চীন-মার্কিন শত্রুতার কেন্দ্রে যে কোম্পানি চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে নিয়ে কেন এত সন্দেহ হুয়াওয়ে বিতর্ক: কতটা সস্তা আর কতটা ভালো? হুয়াওয়ে মোবাইল কোম্পানির বিরুদ্ধে আপত্তি কেন? বিশ্বে টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হুয়াওয়ে। যাই হোক, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এটা প্রধানত চীনের টেলি কমিউনিকেশন কোম্পানি হুয়াওয়েকে লক্ষ্য করে করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, চীনের তৈরি কোম্পানির পণ্য নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। চীনের এই কোম্পানি যারা টেলিকম খাতের যন্ত্র তৈরির সবচেয়ে বড় কোম্পানি তারা অস্বীকার করে বলেছে, তাদের কাজ কোন ঝুঁকি তৈরি করছে না। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মি. ট্রাম্পের এই আদেশর লক্ষ্য হল "বিদেশি প্রতিপক্ষ" থেকে আমেরিকাকে রক্ষা করা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে ভোট প্রচারের সময় কমাতে ইসির নির্দেশ বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পিছনে কোন রাজনীতি? অজগরটি যেভাবে আবার ছেড়ে দেয়া হলো জঙ্গলে | President Donald Trump has declared a national emergency to protect US computer networks from "foreign adversaries". |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | সুরক্ষা সরঞ্জামাদির উৎপাদন বাড়াতে জি-টুয়েন্টিভুক্ত দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়া প্রথম ব্যক্তি থেকে শুরু করে এই সংখ্যা এক লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ৬৭ দিন। পরের ১১ দিনে আরো এক লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়, আর পরের এক লাখে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র চার দিন। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস বলেন, "এখনো এর গতিপথ পাল্টে" দেয়া সম্ভব। তিনি দেশগুলোকে কোভিড-১৯ শনাক্তের পরীক্ষা এবং আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সনাক্ত করার কৌশলের ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। "আমরা কী পদক্ষেপ নেই সেটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়ে একটা ফুটবল ম্যাচ জেতা যায় না। প্রতিরক্ষার সাথে সাথে আক্রমণও করতে হবে।" ফুটবল খেলোয়াড়দের নিয়ে "কিক আউট করোনাভাইরাস" বা "করোনাভাইরাসকে দূর কর" -এমন একটি কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফিফার প্রেসিডেন্ট গিয়ান্নি ইনফানটিনোর সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। ড. টেড্রোস বলেন, মানুষকে ঘরের ভেতরে থাকতে বলা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো পদক্ষেপ ভাইরাসের সংক্রমণের গতি কমিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এগুলোকে প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এটা জিততে সাহায্য করবে না।" করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশগুলোকে "আগ্রাসী ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ" নেয়ার আহ্বান জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ডা. টেড্রোস। "জয় পেতে হলে আমাদের আগ্রাসী আর সুনির্দিষ্ট কৌশল গ্রহণ করতে হবে-প্রতিটি সন্দেহভাজন ব্যক্তির পরীক্ষা করতে হবে, শনাক্ত হওয়া প্রত্যেক ব্যক্তিকে আইসোলেশন ও যত্নে রাখতে হবে, আর তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে।" বিশ্বজুড়ে ব্যাপক হারে চিকিৎসা কর্মীদের আক্রান্ত হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ড. টেড্রোস। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদি বা পিপিই পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকার কারণেই সংক্রমণের শিকার হয়েছেন তারা। "স্বাস্থ্যকর্মীরা তখনই তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারবেন যখন তারা নিজেরা নিরাপদে থাকতে পারবেন," তিনি সতর্ক করে বলেন। করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য কি যথেষ্ট ভেন্টিলেটর আছে করোনাভাইরাস এলো কোত্থেকে, ছড়ালো কিভাবে- যতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব করোনাভাইরাস: শঙ্কায় আর হয়রানির মুখে দেশে ফেরা প্রবাসীরা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কেন অন্যের থেকে দু'মিটার দূরে থাকবেন করোনাভাইরাস নিয়ে যেসব ভিত্তিহীন পরামর্শে আদৌ কান দেবেন না করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস: বর্তমান অবস্থা শেষ হতে কত সময় লাগবে? "আমরা যদি অন্য সবকিছুই ঠিক ঠাক করি কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত না করি, তাহলে অনেক মানুষ মারা যাবে কারণ যে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের সেবা দিতো তারাই অসুস্থ।" তিনি বলেন, পিপিই-কে অগ্রাধিকার দেয়া এবং এর গুরুত্ব নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর অংশীদারদের সাথে মিলে কাজ করছে। একই সাথে বিশ্বজুড়ে এর সংকটের বিষয়টিও তুলে ধরা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান "আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও সমন্বয়ের" আহ্বান জানান এবং বলেন যে, চলতি সপ্তাহে জি-২০ জোটভুক্ত নেতাদের তিনি আহ্বান জানাবেন তারা যাতে সুরক্ষা সরঞ্জামাদি উৎপাদন বাড়ায় এবং সেগুলো রপ্তানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়। সেই সাথে এসব সরঞ্জামের বণ্টন যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী হয় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। কোয়ারেন্টিনে ইতালির বাঙ্গালিরা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ইউরোপের লড়াই শক্তিশালী হয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সোমবার রাতে ঘোষণা দেন যে, "সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া... মানুষকে ঘরের বাইরে বের হতে দেয়া হবে না।" এগুলোর মধ্যে রয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা, প্রতিদিন এক ধরণের ব্যায়াম করা, যেকোন চিকিৎসা সেবার জন্য এবং ঘরে থেকে কাজ করা সম্ভব না হলে কাজে যাওয়ার ক্ষেত্রে মানুষজন বের হতে পারবে। সোমবার পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ৩৩৫ জন মারা গেছে। বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ইতালিতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৬০২ জন। সব মিলিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬০৭৭ জনে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবারের পর এই প্রথম এক দিনে কমসংখ্যক মানুষ মারা গেল। ধারণা করা হচ্ছে যে সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছিল তা কাজ করতে শুরু করেছে। স্পেনে এক দিনে মারা গেছে ৪৬২ জন যা মিলিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২১৮২ জনে-সংখ্যার হিসাবে যা প্রায় ২৭% বেশি। ফ্রান্সে নতুন করে মারা যাওয়া ১৮৬ জনসহ মোট মৃতের সংখ্যা ৮৬০ জন। সেখানে মঙ্গলবার থেকে লকডাউন কঠোর করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শরীর চর্চার মতো কার্যক্রম কঠোরভাবে সীমিত করা হয়েছে এবং খোলা বাজার বন্ধ করা হয়েছে। এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সদস্য ডিক পাউন্ড বলেছেন যে. করোনাভাইরাসের কারণে টোকিও অলিম্পিক এক বছর পেছানো হতে পারে। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এনিয়ে কোন ঘোষণা দেয়নি আইওসি। আপনিও এসব ভুল করছেন না তো? খেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চার সপ্তাহ সময় নিয়েছে আইওসি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা বলেছে যে তারা জাপানে এই গ্রীষ্মে খেলায় অংশ নেবে না এবং গ্রেট ব্রিটেনও বলেছে যে তারাও হয়তো কোন দল পাঠাতে পারবে না। অন্যান্য দেশের অবস্থা কেমন •যুক্তরাষ্ট্রে ৪৮১ জন মারা গেছে এবং রাজ্য ও শহরের গভর্নররা কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা চেয়েছে। •প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তিন রাজ্য যথা- ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। •ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতের সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে বুধবার ভোর থেকেই সব ধরণের অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। •দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বলেছে যে বৃহস্পতিবার থেকে ২১ দিনের লকডাউন কার্যকর করবে তারা। •মহামারি ঠেকাতে একটি "বৈশ্বিক যুদ্ধবিরতির" আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সংঘাত চলতে থাকলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে থাকা মানুষ-"নারী ও শিশু, প্রতিবন্ধী, সংখ্যালঘু ও বাস্তুচ্যুতদেরকেই" সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হবে। | The World Health Organization (WHO) has warned that the coronavirus disease pandemic is "accelerating", with more than 300,000 cases now confirmed. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | চীন থেকে ফেরত আসা অনেক বাংলাদেশিদের প্রথমেই কোয়ারেন্টিনে নিয়ে যাওয়া হয়। এই রোগ এখন ২৬টির বেশি দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশের সরকার। এজন্য ঢাকাসহ দেশের অনেক স্থানে বিশেষ কোয়ারেন্টিন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি আক্রান্ত দেশগুলো থেকে যারা বাংলাদেশ সফরে আসবেন, তাদেরকে দু সপ্তাহ স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে আইইডিসিআর। গত পহেলা ফেব্রুয়ারি চীনের উহান থেকে ৩১২জন বাংলাদেশি ফেরত আসেন, তাদের ঢাকার আশকোনা হজ্ব ক্যাম্প ও সিএমএইচের কোয়ারেন্টিনে দুই সপ্তাহ রাখা হয়। সেখানে তাদের সময়টা কেমন কেটেছে? বিবিসি বাংলার কাছে বর্ণনা করেছেন দুইজন বাংলাদেশি নারী। তাদের একজন আশকোনার হজ্ব ক্যাম্পে ছিলেন, আরেকজন ছিলেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল বা সিএমএইচে। তাদের নাম পরিচয় এখানে প্রকাশ করা হয়নি। আশকোনা হজ্ব ক্যাম্পে যিনি কোয়ারেন্টিনে ছিলেন: চীনের উহান থেকে ৩১শে জানুয়ারি আমরা বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হই। সাধারণত আমার বাসা থেকে বিমানবন্দর যেতে আধঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু সেদিন একটু পরপরই আমাদের গাড়ি থামিয়ে চেক করা হচ্ছিল। আমার উহান ছাড়ার অনুমতি আছে কিনা, সেটা দেখা হচ্ছিল। ফলে বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে আমাদের প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। সেখানেও আমাদের আরেক দফা পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। এরপর আমরা বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হই। করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী? আগেই আমরা জানতাম যে, দেশে ফেরার পর আমাদের কিছুদিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তাই আমাদের একটা মানসিক প্রস্তুতি ছিল। তা নিয়ে আমাদের কোন আপত্তিও ছিল না। কারণ আমরাও চাই, আমাদের কারণে কোনভাবে রোগটি আমাদের দেশে ছড়িয়ে না পড়ে। বিমান থেকে নামার পর আমাদের আশকোনার হজ্ব ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে দেখি, মেঝেতে ঢালাওভাবে অনেক বিছানা রাখা হয়েছে। একেকটি কক্ষে প্রায় ৪০ জন করে থাকতে হচ্ছে। আমরা আশা করেছিলাম, আমাদের পরিবারগুলো অন্তত আলাদা রুম পাবে। কিন্তু সেটা হয়নি। আমার সঙ্গে আমার দুই শিশু সন্তান আর স্বামী ছিলেন। আমাদের মতো এরকম আরো অনেক পরিবার ছিল। প্রথম দিনটি সবাই মিলে সেই গণরুমে একসঙ্গেই থাকা হয়। প্রথম দিনটা একটু কষ্টই লাগছিল। কিন্তু আমরা মেনে নেয়ার চেষ্টা করছিলাম যে, দেশের স্বার্থে সেটা আমাদের মেনে নিতে হবে। পরেরদিকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর আমাদের পরিবারগুলোকে একটি কক্ষ দেয়া হলো। সেটাও বড় একটি কক্ষ। আর ব্যাচেলররা ছিলেন আরেকটি কক্ষে। চীনের উহান থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আমাদের চারজনের জন্য মেঝেতে ম্যাট্রেস দেয়া ছিল। সেগুলো আমরা এক করে নিলাম। সেগুলোকে ঘিরে আমরা সবগুলো পরিবার আলাদা আলাদা ভাবে চাদর ঝুলিয়ে নেয়, ফলে পরিবারের জন্য একটু প্রাইভেসি তৈরি করা হলো। জনপ্রতি একটা করে মেঝেতে বিছানো তোষক, চাদর, বালিশ, কম্বল, মশারি দেয়া হয়েছিল। তবে হজ্ব ক্যাম্পের গণ টয়লেটগুলোই আমাদের সবাইকে ব্যবহার করতে হতো। সেখানে ছেলে-মেয়ে-শিশু বলে আলাদা কোন ব্যাপার নেই। তবে খাবার খুব ভালো ছিল। সকালে রুটি, ডিম, কলা দেয়া হতো। এগারোটার দিকে কলা, লেক্সাস বিস্কিট, সিঙ্গারা, পুরি ইত্যাদি নাস্তা দিতো। দুপুরে দিতো মাছ, ডাল, ভাত। কখনো কখনো সবজি থাকতো। বিকালে দিতো ড্রাই কেক,কলা। প্রতিদিন রাতের খাবারে থাকতো মুরগির মাংস, ডাল, ভাত। আমাদের রুমের সামনে একটি টেবিলে জনপ্রতি প্যাকেট করা খাবার রেখে যাওয়া হতো। যারযার পরিবারের খাবার সবাই নিয়ে আসতো। পানির জন্য মিনারেল ওয়াটারের বোতল দেয়া হতো। তবে আমার ছোট ছেলেটার খাবার খেতে একটু কষ্ট হতো। ওরা চীনের খাবারে অভ্যস্ত ছিল, বাংলাদেশের খাবার ঠিকমতো খেতে পারছিল না। টয়লেটেও সমস্যা হতো। করোনাভাইরাস নিরাপত্তায় যে সতর্কতা প্রয়োজন প্রচুর মশা ছিল। সেই মশা মারার জন্য যখন ঔষধ দিতো, সেটাও তাদের জন্য সমস্যা তৈরি করতো। তবে বাচ্চাদের সঙ্গীর অভাব ছিল না। একটি কক্ষে অনেক বাচ্চা একসঙ্গে থাকায় তারা বেশ হৈচৈ করে সময় কাটাতো। উহানে থাকার কারণে তারা অনেকে একে অপরকে চিনতোও। তবে আমাদের কোন জিনিসের দরকার হলে, টাকা দিয়ে সেটা বাইরে থেকে কিনে আনানো যেতো। সকাল ১১টার মধ্যে টাকা জমা দেয়া হলে, সেটা বাইরে থেকে কিনে এনে দেয়া হতো। আমরাও টুকটাক জিনিসপত্র কিনে আনিয়েছিলাম। কিন্তু আমি ও আমার স্বামী মানসিকভাবে একেবারেই ভালো ছিলাম না। বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তা করতে হতো, মশার কামড় - পরিবেশটাও ততটা ভালো লাগতো না। এককথায় বলা যায়, মানসিকভাবে খারাপই ছিলাম। ১৪ দিন যখন শেষ হলো, তখন মনে হলো সবাই যেন একটা রিলিফ পেলাম। ১৫ই ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে সরাসরি গ্রামের বাড়িতে চলে যাই। এরপরে কয়েকবার ঢাকা থেকে ফোন করে আমাদের খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। কোন অসুস্থতা আছে কিনা, কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাওয়া হয়েছে। সিএমএইচ-এ কোয়ারেন্টিনে থাকা একজনের গল্প উহানেও আমরা অনেকটা কোয়ারেন্টিনের মধ্যে ছিলাম। কারণ সেখানে সবাইকে যার যার বাসায় থাকতে বলা হয়েছিল। কেউ বাইরে বের হতাম না। মাঝে মাঝে স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে পরীক্ষা করে যেতেন, কারো জ্বরজারি হয়েছে কি না। সবাই সুস্থ আছে কি না। পহেলা ফেব্রুয়ারি আমরা বাংলাদেশে আসার পরেই আমাদের সরাসরি আশকোনার হজ্ব ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর ঢালাও বিছানা- পরিবেশ দেশে সত্যিই আমাদের মন খারাপ হলো। কোয়ারেন্টিন মানেতো প্রত্যেককে আলাদা করে রাখার কথা। কিন্তু এখানে গণরুমের মতো একেকটি কক্ষে একসঙ্গে অনেকের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একজনের রোগ থাকলে সেটা তো অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়বে। ঢাকায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার ডেস্ক খাবার-দাবার, আয়োজন ভালো। কিন্তু পরিবার নিয়ে এতোবড় গণরুমে, এতো মানুষের মধ্যে মেঝেতে বিছানো তোষকে করে ঘুমানো- সব মিলিয়ে পরিবেশটা আমার খারাপ লাগছিল। সেখানে একরাত থাকার পর, আমরা আপত্তি জানাই। এরপর আমাদেরসহ আরো কয়েকটি পরিবারকে সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাসপাতালের একটি কক্ষে আমাকে ও আমার দুই সন্তানকে থাকতে দেয়া হয়। এখানকার পরিবেশ সত্যিই ভালো ছিল। ছোট কক্ষটিতে দুইটি খাট, ছোট্ট একটা টেবিল ছিল। দুইটি খাট একত্র করে আমি ও আমার দুই সন্তান পরের দুই সপ্তাহ সেখানে থাকি। তবে টয়লেট বাইরে ছিল। পাশের আরেকটা কক্ষে আমাদের মতোই আরেকটা পরিবার থাকতো। আমার বড় মেয়েটির বয়স দশ বছর। ও খানিকটা অস্থির হয়ে পড়ছিল। কারণ এরকম একটি কক্ষে এভাবে আটকা থাকা কারোই ভালো লাগছিল না। রুমে কোন টিভি না থাকলেও ওয়াইফাই সুবিধা ছিল। এছাড়া টেলিফোনে আমার স্বামীর সঙ্গে (তিনি বাংলাদেশেই ছিলেন), আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে নিয়মিত কথা হতো। তবে প্রথম সাতদিন আমরা রুমের বাইরেই বের হয়নি। তাদেরও হয়তো একটা ধারণা ছিল যে, আমরা সবাই হয়তো আক্রান্ত। সপ্তাহখানেক পর আমার মেয়েটা করিডরে স্কেটিং করতো। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের জের পড়েছে বিমান ভ্রমণেও তারা পাঁচবেলা খাবার দিতো। সকালে থাকতো পাউরুটি, বাটার, জেলি, জুস, ডিম ইত্যাদি। এগারোটার দিকে এককাপ করে দুধ, কোনদিন সেমাই, কমলা দিতো। দুপুরে মাংস, ডাল, ভাত থাকতো। বিকালে দেয়া হতো বিস্কিট চা। রাতে একবাটি করে সবজি, মাছ অথবা মাংস দিতো। অনেক সময় কলিজা থাকতো। সেই সঙ্গে থাকতো ভাত আর ডাল। কেউ কোন ক্রুটি করেনি। কিন্তু আমার মানসিক অনেক চাপ গেছে। ওই সময়ে আসলে দরকার ছিল কেউ আমার বাচ্চাদের দেখবে, আমার একটু রেস্ট হবে। কিন্তু সেটা হয়নি। সবসময় সবার সঙ্গে কথা হতো, কিন্তু বাইরে আসার যে আকুতি, সেটা কমেনি। যেদিন আসার কথা, সেদিন আবার আমাদের আশকোনায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটা অনুষ্ঠান করে আমাদের একটা মেডিকেল সার্টিফিকেট দেয়া হয়, কিছু উপহার দেয়া হয়। বলা হয়েছিল, পরের দশদিনও আমাদের নজরদারিতে রাখা হবে। তবে পরে আর আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়নি। তবে ওনাদের ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছিলেন। যাতে আমাদের কারো দরকার হলে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারি। তবে আমি যে কয়েকদিন ছিলাম, আমি চেষ্টা করেছি সেখানে থাকার। কারণ এটা আমার দেশের জন্য, আত্মীয়স্বজনের জন্য সবার স্বার্থেই ভালো। আমার কষ্ট হলেও সেখান থেকে বেরিয়ে আসার কথা মনে হয়নি। | The "whole world needs to be on alert" to fight the coronavirus, the head of the World Health Organization's Health Emergencies Programme has said. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের মূর্তি বড় হওয়ার সাথে সাথে আমি যতোই ভারতের ঔপনিবেশিক অতীতের বিষয়ে লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করি, ততোই দেখতে পাই যে আমার দেশের বেশিরভাগ মানুষ যুদ্ধকালীন এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেন। ঔপনিবেশিক শাসনের ব্যাপারেও রয়েছে একেক জনের একেক রকমের মতামত। অনেকের কথা হলো ব্রিটিশরা ভারতের জন্য অনেক কিছু করেছে- তারা রেলওয়ের অবকাঠামো নির্মাণ করেছে, তৈরি করেছে ডাক বিভাগ। "তারা তাদের নিজেদের জন্যই এসব করেছে এবং তার ফলে ভারত একটি দরিদ্র ও লুট হয়ে যাওয়া দেশে পরিণত হয়েছে," কেউ কেউ তার জবাব দিয়েছে এভাবে। আমার দাদি সবসময় আবেগের সঙ্গে বলতেন যে কীভাবে তারা "ওইসব বর্বর ব্রিটিশের" বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন। আমি যে ভারতে বড় হয়েছি, এধরনের ক্ষোভ সত্ত্বেও সেদেশে যা কিছু পশ্চিমা অথবা সাদা চামড়ার কেউ কিছু করলে বা বললে সেটাকে অনেক বড় করে দেখা হতো। কয়েক দশকের ঔপনিবেশিক শাসনের কারণে এদেশের মানুষের আত্মবিশ্বাস ধীরে ধীরে মুছে গিয়েছিল। স্বাধীনতার পর গত ৭৩ বছরে ভারতে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তৈরি হয়েছে নতুন এক ভারতীয় প্রজন্ম যারা বিশ্বে নিজেদের দেশের অবস্থানের ব্যাপারে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। তারা এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে যে আমাদের ঔপনিবেশিক শাসনামলের বহু কালো অধ্যায়ের ব্যাপারে এখনও কেন পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাব রয়েছে এবং আমরা কেন সেগুলোর নিন্দা করি না। এরকম কালো অধ্যায়ের একটি হচ্ছে ১৯৪৩ সালে বেঙ্গলের বা বাংলার দুর্ভিক্ষ। সেসময় অনাহারে মারা গেছে কমপক্ষে ৩০ লাখ মানুষ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের যতো মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এই সংখ্যা তার চেয়েও ছয় গুণ বেশি। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে মারা যায় ৩০ লাখ মানুষ। প্রতি বছরেই ব্রিটিশদের যুদ্ধ জয় এবং তাতে নিহতদের স্মরণ করা হয়, কিন্তু এই একই সময়ে ব্রিটিশ-শাসিত বেঙ্গলে যে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছিল সেটা একেবারেই বিস্মৃত হয়ে পড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বর্ণনা করেছেন সে সময় শকুন ও কুকুরে খাওয়া মরদেহ জমিতে ও নদীর ধারে পড়ে থাকার কথা। এতো মৃতদেহের সৎকার করার ক্ষমতাও কারো ছিল না। গ্রামে যাদের মৃত্যু হয়নি তারা খাদ্যের সন্ধানে শহরাঞ্চলে চলে যান। "প্রত্যেককে কঙ্কালের মতো দেখাতো, মনে হতো শরীরের কাঠামোর ওপরে শুধু চামড়া লাগানো," বলেন প্রখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। দুর্ভিক্ষের সময় তার বয়স ছিল মাত্র আট বছর। "ভাত রান্নার সময় যে মাড় তৈরি হয়, লোকজন সেটার জন্য কান্নাকাটি করতো। কারণ তারা জানতো যে তাদেরকে তখন ভাত দেওয়ার মতো কেউ ছিলো না। একবার যে এই কান্না শুনেছে সে তার জীবনে কখনো এই কান্নার কথা ভুলতে পারবে না। এখনো সেসব নিয়ে কথা বলতে গেলে আমার চোখে জল চলে আসে। আমি আমার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।" বেঙ্গলে এই দুর্ভিক্ষের সূত্রপাত হয়েছিল ১৯৪২ সালের এক ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার কারণে। তবে এই পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছিল স্যার উইনস্টন চার্চিল ও তার মন্ত্রিসভার নীতিমালার কারণে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ইতিহাসবিদ ইয়াসমিন খান বলেছেন বার্মা থেকে জাপানিরা বেঙ্গল দখল করতে চলে আসতে পারে এই আশঙ্কায় ওই নীতি গ্রহণ করা হয়েছিলো। "এর পেছনে উদ্দেশ্য ছিল শস্যসহ সবকিছু ধ্বংস করে ফেলা, এমনকি যেসব নৌকায় শস্য বহন করা হবে সেগুলোও। ফলে জাপানিরা যখন আসবে তারা আর সেখানে টিকে থাকার জন্য সম্পদ পাবে না। এই নীতি গ্রহণের ফলে যেসব প্রভাব পড়েছিল ইতিহাসে সেগুলো ভালো করেই লেখা আছে।" ভারতীয় প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা ব্রিটিশ সৈন্যদের লেখা ডায়েরিতে দেখা যায়, উইনস্টন চার্চিলের সরকার ভারতে জরুরি খাদ্য সাহায্য পাঠানোর আবেদন কয়েক মাস ধরে বাতিল করে দিয়েছিল। এর পেছনে কারণ ছিল ব্রিটেনে খাদ্যের মজুত কমে যাওয়ার আশঙ্কা এবং যুদ্ধের বাইরে অন্য কাজে জাহাজ মোতায়েন করা। চার্চিল ভেবেছিলেন দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় স্থানীয় রাজনীতিকরাই অনেক কিছু করতে পারবেন। বিভিন্ন নোটে ভারতের প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারেও কিছু ধারণা পাওয়া যায়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: রবার্ট ক্লাইভের মূর্তি নিয়ে বিতর্ক: জাতীয় বীর নাকি সম্পদ লুন্ঠনকারী নিপীড়ক? বর্ণবাদের অভিযোগে স্থগিত গান্ধীর মূর্তি নির্মাণ ব্রিস্টলের দাস-ব্যবসায়ী কলস্টন কেন এত বিতর্কিত? দুর্ভিক্ষের ত্রাণের বিষয়ে সরকারের এক আলোচনায় ভারত বিষয়ক সেক্রেটারি অব স্টেট লিওপোল্ড এমারি বলেছিলেন যে চার্চিল মনে করতেন, ভারতে কোন সাহায্য পাঠিয়ে লাভ হবে না কারণ "ভারতীয়রা খরগোশের মতো অনেক বাচ্চা প্রসব করে।" ইতিহাসবিদ মিস খান বলেন, "দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির জন্য আমরা তাকে কোনভাবেই দায়ী করতে পারি না। তবে আমরা এটুকু বলতে পারি যে দুর্ভিক্ষ লাঘব করার জন্য তার যখন ক্ষমতা ছিল, সেসময় তিনি কিছু করেননি।" "শ্বেতাঙ্গ ও ইউরোপীয় জীবনকে দক্ষিণ এশীয়দের জীবনের চেয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য আমরা তাকে দায়ী করতে পারি। এটা সঠিক ছিল না কারণ দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় লাখ লাখ ভারতীয় সৈন্যও যুদ্ধ করেছে।" ব্রিটেনে অনেকে দাবি করেন ভারত সম্পর্কে চার্চিল ন্যাক্কারজনক মন্তব্য করলেও তিনি ভারতকে সাহায্য করতে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তাতে বিলম্ব হয়েছে। তবে তার আমলেই লাখ লাখ মানুষ মারা গেছেন অত্যন্ত মৌলিক একটি পণ্য- খাদ্যের অভাবে। অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা এবং সেসময়ে ভারতের ভাইসরয় আর্চিবাল্ড ভ্যাবেল বেঙ্গলের দুর্ভিক্ষকে ব্রিটিশ শাসনামলের অন্যতম বড় এক বিপর্যয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভাবমূর্তির যে ক্ষতি হয়েছিল সেটা অপরিমেয়। দুর্ভিক্ষ থেকে যারা বেঁচে গেছেন তারা এতে অতন্তু ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "ভেতরে ভেতরে একটা আশা ছিল যে ব্রিটিশ সরকার সেসময় ভারতের প্রতি যা করা হয়েছিল তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করবে।" যুক্তরাজ্যেও অনেকে এসব বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। জুন মাসে ব্রিটেনে বর্ণবাদবিরোধী ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের সময় লন্ডনে চার্চিলের একটি মূর্তি বিকৃত করে ফেলা হয়। "আমি মূর্তি ভেঙে ফেলা বা বিকৃত করার পক্ষে নই," বলেন ভারতীয় ইতিহাসবিদ রুদ্রাংশু মুখোপাধ্যায়। "কিন্তু আমি মনে করি এসব মূর্তির নিচের দিকে ধাতব যে পাত থাকে সেখানে পূর্ণ ইতিহাস লেখা উচিত যে চার্চিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একজন বীর নায়ক ছিলেন। আবার এটাও লেখা উচিত যে ১৯৪৩ সালে বেঙ্গলে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্যেও তিনি দায়ী ছিলেন।" বর্তমানের লেন্স দিয়ে অতীতের বিচার করা হলে সারা বিশ্বে হয়তো একজন বীরও খুঁজে পাওয়া যাবে না। ভারতে স্বাধীনতার সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা মোহনদাস গান্ধীও অভিযুক্ত হয়েছেন তার কৃষ্ণাঙ্গবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গির জন্য। তবে তাদের জীবনের সর্বাঙ্গীন সত্য স্বীকার করতে না পারলে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া কঠিন। আমার শিশুকালের আইকন এনিড ব্লাইটনও সমালোচিত হয়েছেন তার বর্ণবাদী ও যৌনবৈষম্যবাদী কাজের জন্য। এখন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হিসেবে আমি ও আমার বোন পিতামাতার বাড়িতে যা রেখে এসেছি, সেখানে এসব অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ আছে। আমি কি এখন সেগুলো সব ছুঁড়ে ফেলে দেব? না। আমার শৈশবে তারা যে সুখস্মৃতি তৈরি করেছেন সেগুলো, আমি এখন যা জানি, তা দিয়ে নষ্ট হবে না। কিন্তু সেসব বই আমি আমার পরিবারের শিশুদের পড়তে দেব না। তাদের সেসব গল্পই পড়া দরকার যেখানে ভারসাম্যপূর্ণ এক বিশ্বের কথা বলা হয়েছে। | I first learnt about Winston Churchill as a child. A character in an Enid Blyton book I was reading kept a picture of him on the mantelpiece in her home because she 'had a terrific admiration for this great statesman'. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | সমালোচকেরা মনে করেন আইনটি প্রতিক্রিয়াশীল এবং আপত্তিকর ওই ব্যক্তি দেশটিতে 'লাভ-জিহাদ' নামে বিয়ের মাধ্যমে হিন্দু মেয়ে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিতকরণ বন্ধে যে নতুন আইন হয়েছে, তার অধীনে প্রথম গ্রেপ্তারের ঘটনা এটি। সম্প্রতি হিন্দু-মুসলিম বিয়ে বন্ধ করার জন্য দেশটিতে ২৪শে নভেম্বর দশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জামিন অযোগ্য--এমন বিধান রেখে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার একটি নতুন আইন পাস করে। সমালোচকেরা আইনটিকে ইসলামোফোবিক বলে আখ্যা দিয়েছেন, এর বিরুদ্ধে দেশে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। উত্তর প্রদেশ ছাড়াও আরো চারটি রাজ্যে 'লাভ-জিহাদ' বিরোধী আইনের খসড়া চূড়ান্ত করছে। বুধবার উত্তর প্রদেশের বারিলি জেলার পুলিশ গ্রেপ্তারের বিষয়টি টুইটারে পোস্ট দিয়ে নিশ্চিত করেছে। যে নারীকে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছিল, তার বাবা বিবিসি হিন্দিকে বলেছেন, তিনি পুলিশে অভিযোগ করেছেন, কারণ ওই ব্যক্তি তার মেয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিল, এবং হুমকি দিচ্ছিল। আইনটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে ভারতে মুসলমান ব্যক্তির সঙ্গে ওই নারীর সম্পর্ক ছিল, কিন্তু বছরের শুরুতে তিনি অন্য একজন পুরুষকে বিয়ে করেন। পুলিশ বিবিসিকে বলেছে, এক বছর আগে ওই নারীর পরিবার ওই মুসলমান ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করেছিল। কিন্তু পরে ওই নারী ফেরত এসে যখন বলেন যে তাকে অপহরণ করা হয়নি, তখন মামলা বন্ধ করে দেয়া হয়। বুধবার গ্রেপ্তারের পর ওই ব্যক্তিকে ১৪ দিনের জুডিশিয়াল কাস্টডিতে পাঠানো হয়েছে। সাংবাদিকদের কাছে তিনি দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ, এবং 'ওই নারীর সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই'। লাভ-জিহাদ বিরোধী আইনটি কী? 'বলপূর্বক' বা 'জালিয়াতি' করে ধর্মান্তরিত করা বন্ধ করার জন্য ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে উত্তর প্রদেশ নভেম্বরে এই আইন পাস করে। অর্ডিন্যান্সটিতে বলা হয়েছে, এই ধরনের ধর্মান্তরের প্রমাণ পাওয়া গেলে সেই বিয়ে 'শূন্য' বা বাতিল বলে বিবেচিত হবে। যারা সেই ধর্মান্তর করাবেন, সেই দোষী ব্যক্তিদের আর্থিক জরিমানা ও সর্বোচ্চ দশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডও হবে। আরো পড়তে পারেন: 'লাভ জিহাদ' : যোগীর আনা অর্ডিন্যান্সের তুলনা হিটলারের আইনের সঙ্গে ভারতে 'লাভ জিহাদে'র বিরুদ্ধে আইন তৈরির উদ্যোগ প্রশ্নের মুখে? ভারতে হিন্দু নারীর মুসলিম স্বামীদের হত্যার হুমকি তথাকথিত 'লাভ জিহাদ' এর বিরুদ্ধে ভারতে আইন করা হচ্ছে অর্ডিন্যান্সটিকে সাধারণভাবে 'লাভ-জিহাদ বিরোধী' আইন বলেই বর্ণনা করা হচ্ছে - যদিও লাভ জিহাদ শব্দ-বন্ধটি অর্ডিন্যান্সের খসড়াতে কোথাও ব্যবহার করা হয়নি। ভারতে মুসলিম যুবকরা যখন কোনও হিন্দু মেয়েকে ভালবেসে বিয়ে করতে যান, সেটাকে বিজেপি ও দেশের বিভিন্ন হিন্দুত্ব-বাদী গোষ্ঠী অনেকদিন ধরেই 'লাভ জিহাদ' বলে বর্ণনা করে আসছে। এই মূহুর্তে মধ্য প্রদেশ, হরিয়ানা, কর্ণাটক এবং আসামও 'লাভ-জিহাদ' ঠেকানোর এই আইন পাসের পরিকল্পনা করছে। এই সব ক'টি রাজ্য পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপি, এবং তাদের বিরুদ্ধে মুসলমান-বিরোধী সেন্টিমেন্ট স্বাভাবিকীকরণের অভিযোগ রয়েছে। সমালোচকেরা মনে করেন আইনটি প্রতিক্রিয়াশীল এবং আপত্তিকর। | Police in India's Uttar Pradesh state have arrested a Muslim man for allegedly trying to convert a Hindu woman to Islam. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | এডউইন ড্রেক ছিলেন প্রথম মার্কিনী যিনি সফলভাবে তেল উত্তোলন করেন তিনি তার পাঠানো ওই বার্তায় বলেছেন, আপনার ঋণ পরিশোধ করুন, হাল ছেড়ে দিন এবং বাড়িতে ফিরে আসুন। ড্রেক আশা করেছিলেন যে, তিনি হয়তো পাথরের ভাজে তেলের সন্ধান বা "রক অয়েল" খুঁজে পাবেন। রক অয়েল হচ্ছে, এক ধরণের বাদামী বর্ণের "অপরিশোধিত" তেল যা কখনও কখনও পশ্চিম পেনসিলভেনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় মাটিতে বুদবুদ আকারে বের হয়। তিনি ভেবেছিলেন যে, এই তেলকে পরিশোধিত করে কেরোসিনে পরিণত করবেন তিনি। যা ল্যাম্প জ্বালানোর কাজে ব্যবহার করা যাবে। আর একই সাথে এটিই হবে ক্রমবর্ধমান হারে দাম বেড়ে চলা তিমির তেলের বিকল্প। এছাড়া এর বাই প্রোডাক্ত বা উপ-জাত পদার্থ হিসেবে যা পাওয়া যাবে তা হলো গ্যাসোলিন। কিন্তু তিনি যদি এর জন্য কোন ক্রেতা খুঁজে না পান তাহলে এটি ফেলেও দেয়া যাবে। আরো পড়তে পারেন: সৌদি আরবে হামলার পর জ্বালানী তেলের দাম বেড়েছে সৌদিতে হামলা: বাংলাদেশে তেল সঙ্কট তৈরি করবে? তেল ক্ষেত্রে হামলার প্রতিশোধ নেবে সৌদি আরব বার্তাটি পাঠানো হলো ঠিকই, কিন্তু ড্রেকের কাছে তখনো এটি পৌঁছায়নি। এরইমধ্যে মাটির নিচে থাকা একটি অপরিশোধিত তেল ভান্ডারে পৌছায় তার ড্রিল। ফলে অতিরিক্ত চাপের কারণে ৬৯ ফুট নিচ থেকে তেল বের হতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত বেঁচে যায় তিমিগুলো এবং পৃথিবীও পরিবর্তিত হতে যাচ্ছিল। কয়েক বছর পরে,মাত্র কয়েক মাইল দক্ষিণে তেল ভান্ডারে কি পরিমাণ মজুদ রয়েছে তার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। পেনসিলভেনিয়ার পিথোলে ১৮৬৪ সালে যখন প্রথম তেল পাওয়া যায়, "তখন সেখানকার ৬ মাইলের মধ্যে ৫০ জন বাসিন্দাও ছিল না," নিউইয়র্ক টাইমসের মতে। ১৮৬৫ সালে পিথোল শহর যখন সেখানে তেলের ব্যবসা জমজমাট ছিল বছর খানেক পরে, পিথোলের বাসিন্দা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। গড়ে ওঠে ৫০টি হোটেল, দেশের সবচেয়ে ব্যস্ত পোস্ট অফিসগুলোর মধ্যে একটি, দুটি টেলিগ্রাফ স্টেশন এবং কয়েক ডজন পতিতালয়। কিছু লোকের ভাগ্য খুলে যায়। কিন্তু বাস্তবে অর্থনীতি বেশ জটিল এবং স্বাবলম্বীও বটে। কিন্তু পিথোল এর কোনটিই ছিল না এবং এক বছরের মধ্যে এটি বিরান হয়ে যায়। এর তেলের মজুদ বেশিদিন টেকেনি। কিন্তু জ্বালানীর জন্য আমাদের তৃষ্ণা বেড়েই যাচ্ছিল। কেননা তেলের উপর ভর করেই আধুনিক অর্থনীতি গড়ে উঠেছিল। বিশ্বের শক্তির উৎসের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি দখল করে রেখেছে তেল। যেটা কিনা কয়লা, পরমাণু, জলবিদ্যুত এবং নবায়নযোগ্য শক্তি- এই তিনটি উৎস মিলিয়ে যা হয় সেটির তুলনায় দ্বিগুন। তেল এবং গ্যাস মিলে আমাদের বিদ্যুৎ শক্তির প্রায় এক চতুর্থাংশ সরবরাহ করে থাকে। প্লাস্টিক তৈরির কাঁচামালও আসে এটি থেকে। আর পরিবহন খাত তো রয়েছেই। এডউইন ড্রেকের হয়তো মাথায় প্রশ্ন থাকতে পারে যে গ্যাসোলিন কে কিনবে, অভ্যন্তরীন জ্বালানি ইঞ্জিন তার এই প্রশ্নেরই যেন উত্তর নিয়ে আসে। গাড়ি থেকে শুরু করে ট্রাক, কার্গো জাহাজ থেকে শুরু করে জেট প্লেন, তেল ভিত্তিক জ্বালানী এখনও মানুষ এবং পণ্যদ্রব্য বিভিন্ন জায়গায় পরিবহন করে থাকে। আর তাই বিস্ময়ের অবকাশ নেই যে, তেলের দাম তাৎক্ষনিকভাবেই বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একক দাম। ১৯৭৩ সালে, যখন আরব রাষ্ট্রগুলো কিছু ধনী জাতির কাছে তেল বিক্রিতে অসম্মতি জানালো, তখন মাত্র ছয় মাসে ব্যারেল প্রতি দাম ৩ ডলার থেকে বেড়ে ১২ ডলারে গিয়ে ঠেকে। এর কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেয়। ১৯৭৮, ১৯৯০ এবং ২০০১ সালে তেলের দাম বাড়ার কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের মন্দা দেখা দিয়েছিলো। অনেক অর্থনীতিবিদ বিশ্বাস করেন যে, ২০০৮ সালের বৈশ্বিক মন্দার পেছনেও আসলে তেলের রেকর্ড পরিমাণ উচ্চ দাম কাজ করেছিল। যদিও ওই মন্দার জন্য এককভাবে ব্যাংক ব্যবস্থাকে দায়ী করা হয়। তাই, তেল থাকলে, অর্থনীতিও সচল থাকে। তাহলে আমরা কেন আসলে উদ্বেগজনকভাবে পণ্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ি? ড্যানিয়েল ইয়েরগিন'র 'ম্যাজিস্টেরিয়াল হিস্টরি অব অয়েল, দ্য প্রাইজ' শুরু হয়েছিলো উইনস্টন চার্চিলের জন্য একটি দ্বন্দ্ব দিয়ে শুরু হয়েছিল। ১৯১১ সালে রয়াল নেভির প্রধান নিযুক্ত করা হয়েছিল চার্চিলকে। তার প্রথম সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে একটি ছিল, সম্প্রসারণবাদী জার্মানীকে মোকাবেলা করতে, এর যুদ্ধ জাহাজ গুলোকে কি ওয়েলশের কয়লা দিয়ে চালিত করা হবে নাকি দূর পার্সিয়া বা ইরানের তেল দ্বারা চালিত করা হবে? কিন্তু এ ধরণের অনিশ্চিত একটি উৎসের উপর কেউ কেন নির্ভর করবে? কারণ, তেল চালিত যুদ্ধ জাহাজ গুলো দ্রুততর, উচ্চ গতি সম্পন্ন, জ্বালানি সামলাতে কম লোকবলের দরকার হয় এবং বন্দুক ও গোলাবারুদের জন্য বেশি জায়গা পাওয়া যায়। খুব স্বাভাবিকভাবেই তেল কয়লার চেয়ে ভাল জ্বালানি ছিল। ১৯১২ সালের এপ্রিলে চার্চিলের দুভার্গ্যজনক পতন আমাদেরকে সেই একই বার্তা দেয় যার উপর ভিত্তি করে আমাদের তেলের উপর নির্ভরতা টিকে আছে এবং তার পর থেকে বৈশ্বিক রাজনীতিকে বদলে দিচ্ছে। চার্চিলের সিদ্ধান্তের পর ব্রিটিশ ট্রেজারি অ্যাংলো-পার্সিয়ান তেল কোম্পানীর বড় অংশ কিনে নেয়। যা আসলে বিপি'র পূর্বসূরী। ১৯০৯ সালে অ্যাংলো পার্সিয়ান তেল কোম্পানীর একটি অংশ ১৯৫১ সালে ইরান সরকার এটিকে সরকারি জাতীয়তাভূক্ত করে। ব্রিটিশরা এর বিরোধিতা করে বলে যে সেটি আসলে তাদের কোম্পানী। ইরানিরা এটিকে তাদের বলে দাবি করে। আর এই বিতর্ক পরের কয়েক দশক ধরে চলেছিল। কয়েক দেশ বেশ ভালই করছিলো। সৌদি আরব বিশ্বের অন্যতম ধনী একটি দেশ তাদের তেল ক্ষেত্রের জন্য। এর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানী সৌদি আরামকোর মূল্য অ্যাপল, গুগল কিংবা আমাজনের চেয়ে বেশি। বিশ্বের ২৮টি স্থানে সৌদি আরবের আরামকোর দপ্তর রয়েছে যাতে প্রায় ৭৬ হাজার মানুষ কাজ করে এখনো সৌদি আরবের অর্থনীতিকে কেউ জাপান বা জার্মানির মতো জটিল কিংবা পরিশীলিত বলে মনে করে না। এটি অনেকটা পিথোলের মতই তবে আরো বড় পরিসরে। অন্যদিকে, ইরাক থেকে ইরান, ভেনেজুয়েলা থেকে নাইজেরিয়া, কিছু কিছু তেল সমৃদ্ধ দেশ আবিষ্কারের পর থেকে উন্নতি করেছে। তবে অর্থনীতিবিদরা এতে "তেলের অভিশাপ" বলে উল্লেখ করেন। হুয়ান পাবলো পেরেজ আলফনজো, ভেনেজুয়েলার তেল বিষয়ক মন্ত্রী ১৯৬০ এর দশকে আরো বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে তিনি বলেন, "এটা শয়তানের মল, আর আমরা এই মলে ডুবে যাচ্ছি।" বেশি পরিমাণে তেল থাকাটা কেন সমস্যা? রপ্তানীর কারণে মুদ্রার মানের উপর প্রভাব পড়ে। যা অভ্যন্তরীনভাবে তেল ছাড়া অন্য যেকোন পণ্যের উৎপাদন মূল্য বাড়িয়ে দিতে পারে। এর মানে হচ্ছে, উৎপাদন কিংবা জটিল সেবা শিল্পের বিকাশ কঠিন হয়ে পড়ে। ঐতিহাসিকভাবে, অনেক রাজনীতিবিদই চেষ্টা করেছেন তার দেশের তেলের বাজারে তাদের নিজেদের এবং মিত্র রাষ্ট্রগুলোর জন্য একচেটিয়া বাজার তৈরি করার। স্বৈরশাসকরাও এর ব্যতিক্রম নয়। কারো কারো জন্য হয়তো টাকা আছে- তবে এ ধরণের অর্থনীতি দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়। আর এ কারণেই আমরা এমন কিছুর আশা করতে পারি যা তেলকে হঠিয়ে দেবে। রুখবে জলবায়ু পরিবর্তনও। কিন্তু তেলের কারণে ব্যাটারি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে না। এর কারণ হচ্ছে, যেসব মেশিন বা যন্ত্র আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ায় সেগুলোকে তাদের শক্তির উৎসটি নিজেদের সাথেই বহন করতে হয়। আর এক্ষেত্রে সেটি যত হালকা হয় ততই ভাল। এক কিলোগ্রাম পেট্রোলে ৬০ কেজি ওজনের ব্যাটারির সমান শক্তি পাওয়া যায়, এবং ব্যাটারির তুলনায় ব্যবহারের পর এটি আর থাকেও না। খালি ব্যাটারি গুলোও পূর্ণ ব্যাটারির সমানই ভারী। বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা ব্যাটারি প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করছে বৈদ্যুতিক গাড়ি গুলোও শেষ মেশ উন্নত হতে শুরু করে। তবে বৈদ্যুতিক জাম্বো জেট গুলো বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। এমন এক সময় ছিলো যখণ মনে হতো যে, তেল হয়তো ফুরিয়ে যাবে-একে বলা হতো "পিক অয়েল"। যা তেলের দাম বাড়িয়ে আমাদেরকে একটি স্বচ্ছ, নবায়নযোগ্য অর্থনীতির দিকে ধাবিত করতো। আসলে, তেলের ব্যবহারের তুলনায় এর আবিষ্কার অনেক দ্রুত হয়েছিল। এটি সম্ভব হয়েছিল "হাইড্রলিক ফ্র্যাকচারিং" বা "ফ্রাকিং" এর জন্য। এটি একটি বিতর্কিত পদ্ধতি যাতে পানি, বালু এবং রাসায়নিক উচ্চ চাপে মাটির নিচে পাম্প করা হতো যাতে করে তেল এবং গ্যাস বেরিয়ে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের মোট অপরিশোধিত তেলের মধ্যে অর্ধেকই আসে ফ্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ফ্র্যাকিং বলতে ঐতিহ্যগত তেল ক্ষেত্রে আবিষ্কার এবং আহরণের পরিবর্তে উৎপাদনকেই বেশি বোঝায়। এটি মানসম্মত এবং দ্রুত উৎপাদনশীলতার কারণে লাভজনকও বটে। এর দাম আসলে কত হবে তার উপর নির্ভর করেই এর উৎপাদন শুরু হবে কি হবে না তার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অনেক সমালোচক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, দীর্ঘ মেয়াদে পরিবেশের উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে। যাই হোক, পারমিয়ান অববাহিকা- যা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্র্যাকিং শিল্পের উৎস, এরইমধ্যে সৌদি আরব এবং ইরাক ছাড়া ওপেকভূক্ত ১৪ দেশের তুলনায় এককভাবেই বেশি উৎপাদন করে। মনে হচ্ছে যে আমরা এখনো শয়তানের মলেই নিমজ্জিত হচ্ছি এবং এটা কিছু সময় ধরে চলতেই থাকবে। | It was 27 August 1859, and a crucial message had been sent. Entrepreneur Edwin Drake's last financial backer had finally lost patience. Pay off your debts, give up and come home, the message read. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | শিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিশিষ্ট সমালোচক অ্যালেক্সেই নাভালনি। তার প্রাথমিক মেডিকেল রিপোর্ট থেকে জানা গেছে যে তিনি একটি তীব্র অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়ায় ভুগছিলেন। যার কারণে তার মুখ ফুলে যায়, চোখ থেকে ক্রমাগত পানি পড়ছে, এছাড়া ঘাড়ে পিঠে, বুকে এবং কবজিতে প্রচুর র্যাশ হয়েছে বলে জানা গেছে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে মস্কোতে শনিবারের বিক্ষোভের ডাক দেয়ার কারণে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে অ্যালার্জি হলে তাকে কারাগার থেকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। নাভালনির চিকিৎসক বলছেন, তার এমন শারীরিক অবস্থাকে শুধুমাত্র অ্যালার্জিক রিয়্যাকশন হিসেবে চিহ্নিত করা অযৌক্তিক। তিনি সন্দেহ করছেন যে নাভালনিকে হয়তো কোন "বিষাক্ত এজেন্ট"-এর সংস্পর্শে আনা হয়েছে। এমন অবস্থায় নাভালনিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়ারও বিরোধিতা করেছেন তিনি। কিন্তু নাভালনিকে এখন পুনরায় জেলে স্থানান্তর করা হবে। স্থানীয় নির্বাচন থেকে বিরোধী প্রার্থীদের বর্জনের বিরুদ্ধে শনিবারের অনুমোদনহীন বিক্ষোভের ডাক দেয়ার কারণে গত সপ্তাহে নাভালনিকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। এই ঘটনার জেরে এ পর্যন্ত ১৪০০জনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে। নাভালনি তার গ্রেফতারের দিন একটি ইন্সটাগ্রাম ভিডিও পোস্ট করে বলেন যে, যখন তিনি তার অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে জগিংয়ের জন্য এবং তার স্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে ফুল কিনতে বের হন, তখনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৪৩ বছর বয়সী এই আন্দোলনকর্মীকে এর আগেও অনেকবার কারাগারে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এই বিশিষ্ট সমালোচক ও বিরোধী ব্যক্তিত্বের ব্যাপারে আর কী কী জানার আছে? ২০১৭ সালের মার্চে মস্কোর একটি আদালতের আপিল শুনানিতে নাভালনি। "চুরি এবং জালিয়াতি" মিস্টার পুতিনের দলকে "জালিয়াতি ও চুরির" আখড়া বলে আখ্যা দিয়েছেন নাভালনি। এই প্রেসিডেন্ট ব্যবস্থাকে "রাশিয়ার রক্তকে চুষে খাওয়ার" সঙ্গে তুলনা দেন তিনি। এছাড়া তার ভাষ্যমতে যে "সামন্তবাদী রাষ্ট্র গড়ে তোলা হয়েছে তা ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন নাভালনি। তিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু তিনি সম্ভবত তার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি। আর সেটা হল, ব্যালট বক্সে পুতিনকে চ্যালেঞ্জ করা। ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর প্রার্থিতা কর্তৃপক্ষ বাতিল করে দিয়েছিল। আরও পড়তে পারেন: ভ্লাদিমির পুতিন: গোয়েন্দা থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে মস্কোতে বিক্ষোভ নাভালনি কি পুতিনকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন? কেননা সে সময় রাশিয়ার একটি আদালত তাকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। কিন্তু নাভালনি কঠোরভাবে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তার অভিযোগ, পুতিনের বিরুদ্ধে তার কঠোর সমালোচনার কারণেই ক্রেমলিন প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে তাকে এমন আইনি প্যাচে ফেলেছে। রাশিয়ার রাজনীতিতে একটি শক্তি হিসাবে নাভালনির উত্থান হয়েছিল ২০০৮ সালের শুরুর দিকে। তখন তিনি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বড় বড় কর্পোরেশনের কথিত দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে ব্লগিং শুরু করেছিলেন। তার কৌশলগুলির মধ্যে একটি ছিল প্রধান তেল সংস্থা, ব্যাংক ও মন্ত্রণালয়গুলোর অংশীদার হয়ে রাষ্ট্রীয় আর্থিক অবস্থার ছিদ্রান্বেষণ করে অদ্ভুত সব প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা। নিজ বার্তাগুলো প্রচারে নাভালনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতেন। যেটা তার রাজনৈতিক ধরণের অংশ। এর মাধ্যমে তিনি সরাসরি নবীনদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তীক্ষ্ণ ভাষা এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রতি আনুগত্য প্রতিষ্ঠার উপহাস তাকে এই পরিচিতি দেয়। বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়ার জন্য কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছেন মিস্টার নাভালনি। সরাসরি বিরোধীতা দুর্নীতির বিরুদ্ধে মিস্টার নাভালনির প্রচারাভিযান শুরুতে কর্পোরেশনগুলোর বিরুদ্ধে হলেও পরে সরাসরি ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড রাশিয়ার বিরুদ্ধে যায়। ২০১১ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে, তিনি কোন প্রার্থী হিসাবে যুদ্ধ করেননি, তিনি তার ব্লগের পাঠকদের ইউনাইটেড রাশিয়াকে বাদ দিয়ে যেকোনো দলের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। সেখানে তিনি ইউনাইটেড রাশিয়াকে "জালিয়াতি ও চোরদের দল" বলে অভিহিত করেছিলেন। কিন্তু সেবার ইউনাইটেড রাশিয়া নির্বাচনে জয়লাভ করে, কিন্তু আগের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় না তারা। এই বিজয়ের পেছনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগে মস্কো এবং অন্য কিছু বড় শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৫ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রথম প্রতিবাদের পর ১৫ দিনের জন্য মিস্টার নাভালনিকে গ্রেফতার করা হয় এবং কারাগারে পাঠানো হয়। তবে ২৪ ডিসেম্বরে মস্কোতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন পরবর্তী সবচেয়ে বড় সমাবেশে তিনি বক্তব্য রাখেন, এতে ১ লাখ ২০ হাজার জন উপস্থিত ছিলেন। মিস্টার পুতিন পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে পুন:নির্বাচনে জয়লাভ করেন এবং রাশিয়ার শক্তিশালী তদন্ত কমিটি নাভালনির অতীত কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্ত শুরু করেন, এমনকি আইনজীবী হিসাবে তার প্রমাণাদি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কিরভ শহরে জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৩ সালের জুলাই মাসে তাকে অল্প সময়ের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়। তখন তার বিরুদ্ধে দেয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ডকে রাজনৈতিক রায় হিসাবে দেখা হয়েছিল। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে মস্কো মেয়র নির্বাচনের প্রচারণার জন্য তাকে কারাগার থেকে বের হওয়ার অনুমোদন দেয়া হয়। সেখানে তিনি ২৭% ভোট নিয়ে পুতিনের সহযোগী সের্গেই সোবিয়ানিনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। একে একটি নাটকীয় সাফল্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল কেননা তার রাষ্ট্রীয় টিভিতে প্রবেশাধিকার ছিল না, কেবলমাত্র ইন্টারনেট এবং মুখের উপর নির্ভর করেই হয়েছে তার সব প্রচার প্রচারণা। ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত রায় দেয় যে, নাভালনির সঙ্গে ন্যায্য বিচার করা হয়নি। এই ঘোষণার পর রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট নাভালনির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেয়। তারপর, ২০১৭ সালে পুন:বিচারে, তাকে দ্বিতীয়বারের মতো দোষী সাব্যস্ত করে পুনরায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি এই রায়কে প্রহসনমূলক দাবি করে বলেন, যে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাকে প্রত্যাহারের উদ্দেশ্যেই এমনটি করা হয়েছে। সবুজ রং ঢেলে হামলা চালানো হয় নাভালনির ওপর। রং দিয়ে নির্যাতন ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে, নাভালনির মুখে অ্যান্টিসেপটিক সবুজ রঙ ছিটকে ফেলা হলে তাকে মস্কোর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে এ ধরণের জেলোন্নাকা (ইংরেজিতে "উজ্জ্বল সবুজ")হামলা দ্বিতীয়বারের মতো হয়। এই রং রাশিয়ার একটি প্রচলিত অ্যান্টিসেপটিক বা জীবাণুনাশক এবং ইউক্রেনের বিক্ষোভে এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। "এটাকে হাস্যকর মনে হলেও এটির যন্ত্রণা নরকের মতো", মিঃ নাভালনি টুইট করেন। এই হামলায় তার ডান চোখের রাসায়নিক দহনের শিকার হয়। নাভালনিকে তার প্রথম বিচার কাজের জন্য কিরভে পৌঁছাতে ১২ ঘণ্টা ট্রেন ভ্রমন করতে হয়েছিল। বর্তমান স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সবচেয়ে সাম্প্রতিক গ্রেফতারের পর নাভালনির হঠাৎ এমন অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণ খুঁজতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন ডাক্তাররা। প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে তিনি তীব্র অ্যালার্জিক রিয়্যাকশনের শিকার হয়েছেন। যার ফলে তার মুখ ফুলে গেছে, চোখের সমস্যা হচ্ছে। আর সারা শরীরে র্যাশ উঠেছে। তবে নাভালনির ব্যক্তিগত ডাক্তার রোববার জানান তিনি তিনি এর আগে কখনও এমন অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হননি। তার ওপরে বিষাক্ত কোন উপাদান প্রয়োগের কারণে এমনটা হতে পারে বলে নাভালনির চিকিৎসক ধারণা করছেন। নাভালনির মেডিকেল টিম জানান, তারা সোমবার নাভালনির সঙ্গে দেখা করতে পেরেছেন এবং তার চুল এবং টি-শার্টের নমুনা স্বাধীনভাবে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছেন। | Putin critic Alexei Navalny has been discharged from a Berlin hospital where he was being treated for Novichok nerve agent poisoning. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আন প্রথম বৈঠকে বসেছিলেন সিঙ্গাপুরে গত জুন মাসে। ওয়াশিংটন সফরকারী উত্তর কোরিয়ার একজন মধ্যস্থতাকারী কিম ইয়ং চোলে শুক্রবার মি: ট্রাম্পের সাথে দেখা করেন। এরপর হোয়াইট হাউজ মি: ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতার মধ্যে দ্বিতীয় দফার বৈঠকের সময় ঘোষণা করে। তবে বৈঠকের স্থান সম্পর্কে এখনও কিছু জানানো হয়নি। ভিয়েতনামে এই বৈঠক হতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে। গত বছরের জুন মাসে সিঙ্গাপুরে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিম জং আনের মধ্যে যে ঐতিহাসিক বৈঠক হয়েছে। আরো পড়ুন: ট্রাম্প-কিম বৈঠক: দিনের কিছু আলোচিত মুহূর্ত কিম-ট্রাম্প বৈঠক: প্রাপ্তি কী, জিতলেন কে? সেই বৈঠকের পর থেকে এপর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করার প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে। এবার বৈঠকে আগের চুক্তির অস্পষ্টতা দূর করা সম্ভব হবে কি না, বিশ্লেষকদের অনেকে সেই প্রশ্ন তুলেছেন। কয়েক মাসের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার দূত কিম ইয়ং চোলের ওয়াশিংটন সফরকে প্রথম পদক্ষেপ বা সামান্য অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছেন। ওয়াশিংটন সফররত উত্তর কোরিয়ার দূত হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করেন। উত্তর কোরিয়ার দূত তাদের দেশের নেতা কিম জং আনের একটি চিঠি মি: ট্রাম্পের কাছে হস্তান্তর করেছেন। চিঠিতে কি আছে, কিম জং আন তার পদক্ষেপের কিছু জানিয়েছেন কি না, তা জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের করার ব্যাপারে কিছু বিষয় থাকতে পারে। দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের কথা ঘোষণা করার পর সেই বৈঠকে আসলে কতটুকু কি হবে, তা নিয়ে নানা রকম আলোচনা শুরু হয়েছে। সিঙ্গাপুর বৈঠকের পর কোন অগ্রগতি কি হয়েছে? সেই বৈঠকের পর প্রাপ্তি আসলে সেভাবে কিছু নেই। এখন পর্যন্ত তেমন কোন অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়নি। ওয়াশিংটন এবং পিয়ংইয়ং এর মধ্যে আলোচনা বা মধ্যস্থতা থমকে ছিল। উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক অস্ত্রের তথ্য বা বিস্তারিত কিছু এখনও জানায় নি এবং অন্যদিকে দেশটির ওপর অবরোধ বহাল রয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ভারতের রোহিঙ্গা শরণার্থীরা কেন বাংলাদেশে ঢুকছে বাংলাদেশ কি গণতন্ত্র থেকে ছিটকে পড়ছে? সুস্থ থাকার জন্য খাদ্যাভ্যাসে যে পরিবর্তন আনা জরুরি 'দ্য এক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার' নিয়ে যত বিতর্ক উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের কোন তথ্য এখনও দেয়নি। অন্যদিকে, কিম জং আন ব্যস্ত ছিলেন বিশ্বে তার ভাবমূর্তি তৈরির কাজে। তিনি প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সম্পর্কের উন্নতি করেছেন। দুই দেশ তাদের সীমান্তে সামরিক বাহিনীর তল্লাশি চৌকিগুলো ধ্বংস করেছে এবং দুই নেতা একে অপরের দেশে সফর করেছেন। উত্তর কোরিয়া এবং চীনের মধ্যেও সম্পর্ক আরও উন্নত হয়েছে। কিম জং আন একাধিকবার চীন সফর করেছেন। সিঙ্গাপুরে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিম জং আনের বৈঠকে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে অস্পষ্টতা ছিল বলে বিশ্লেষকরা বলছেন। সিঙ্গাপুর বৈঠকে আসলে কি হয়েছিল? সেখানে বৈঠকটি ছিল ঐতিহাসিক। চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে রাজি হয়েছে। কিন্তু অনেক বিশ্লেষক দেড় পৃষ্ঠার স্বাক্ষরিত চুক্তিটিকে অস্পষ্ট এবং সারবস্তুহীন বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। তাদের বক্তব্য ছিল, চুক্তিতে পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত করার উত্তর কোরিয়ার প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কোন সময় দেয়া নাই। উত্তর কোরিয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কথা বললে, সেটা তথ্য প্রমাণ দিয়ে যাচাই করে নিশ্চিত হওয়ার বিষয় ঐ চুক্তিতে ছিল না। এখন দ্বিতীয় বৈঠক সামনে রেখে অনেকে আশা করছেন, এবার বিষয়গুলো সুনির্দিষ্টভাবে আসতে পারে। সেটা না হলে আবারও বিষয়গুলো অস্পষ্ট থেকে যাবে। কিম জং আন উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের কর্মসূচি এখন কি অবস্থায় আছে? দেশটি গত জুনের বৈঠকের পর কোন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়নি। তারা একটি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা কেন্দ্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইঞ্জিন সুবিধা ধ্বংস করেছে। কিন্তু গত নভেম্বরে দেশটি নতুন একটি হাইটেক কৌশলগত অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কতটা আছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আনের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকের ব্যাপারে আলোচনা করতে উত্তর কোরিয়ার একজন মধ্যস্থতাকারী এখন ওয়াশিংটনে। হোয়াইট হাউজে মি. ট্রাম্পের সাথে বৈঠকের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সাথে উত্তর কোরিয়ার এই দূত কিম ইয়ং চোলের সাক্ষাতের কথা রয়েছে। | US President Donald Trump is to meet North Korean leader Kim Jong-un for a second summit by the end of February, the White House says. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | বিশ্বের সব দেশের মানুষকে কোভিড-১৯ টিকার আওতায় আনার উপরই আমাদের বাঁচা-মরা নির্ভর করছে। কিন্তু টিকা পৌঁছে দেবার গোটা প্রক্রিয়াটা খুবই জটিল। এর সাথে জড়িয়ে আছে নানা জটিল বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো, সরকারের অনেক পরস্পরবিরোধী প্রতিশ্রুতি, বিশাল আমলাতান্ত্রিক বেড়াজাল এবং বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ নীতি। এসবের ফলে সারা বিশ্বে সবার কাছে টিকা কখন ও কীভাবে পৌঁছে দেয়া হবে সেটা নিরূপণ করা খুব সহজ নয়। ইকোনমিস্ট ইন্টালিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)-এর বৈশ্বিক পূর্বাভাস বিভাগের পরিচালক আগাথ দ্যেমারে এ বিষয়ে সবচেয়ে ব্যাপকভিত্তিক কিছু গবেষণার কাজ করেছেন। এই টিকা সব মানুষের বাহুতে পৌঁছে দেবার জন্য বিশ্ব সর্বমোট কত পরিমাণ টিকা উৎপাদন করতে সক্ষম এবং পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যসেবা দেবার অবকাঠামো কীধরনের সে নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে ইআইইউ। পাশাপাশি এই গবেষণায় তারা আমলে নিয়েছে কোন্ দেশের জনসংখ্যা কত এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আর্থিক সামর্থ্য কতটা। তাদের গবেষণার ফলাফলে স্বাভাবিকভাবেই যে চিত্রটা বেরিয়ে এসেছে সেটা হল ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর সক্ষমতায় বৈষম্য। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ টিকার সরবরাহ রয়েছে আমেরিকা আর ব্রিটেনের কাছে। কারণ ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের কাজে তারা সবচেয়ে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে পেরেছে, ফলে ভ্যাকসিন প্রাপকদের তালিকায় তারা শীর্ষে জায়গা করে নিতে পেরেছে। তাদের অল্প পেছনে রয়েছে অন্য কিছু ধনী দেশ যেমন ক্যানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন জোটের দেশগুলো। অনেক স্বল্প আয়ের দেশ টিকাদান এখনও শুরুই করতে পারেনি। তবে কিছু কিছু দেশ বিস্ময়করভাবে কর্মসূচি চালু করে দিয়েছে, বিশেষ করে মাঝামাঝি অবস্থানে যারা। বিশ্বের কোন্ দেশে টিকা কর্মসূচি কোন্ পর্যায়ে দেখুন নিচে। বিশ্বব্যাপী ভ্যাক্সিন বিতরণ প্রতি ১০০জনে মোট ডোজ ইন্টার্যাকটিভে পুরোটা দেখতে ব্রাউজার আপগ্রেড করুন নোট: এই তথ্য নিয়মিত আপডেট করা হচ্ছে, কিন্তু এখানে প্রতিটি দেশের সর্বশেষ তথ্য নাও থাকতে পারে। মোট টিকা সংখ্যার মানে হচ্ছে মোট প্রদত্ত ডোজ, মানুষের সংখ্যা নয়। এই কারণে, প্রতি ১০০জনের জন্য ডোজের সংখ্যা ১০০র বেশি হতে পারে। সূত্র: ওডাব্লিউআইডি, gov.uk ড্যাশবোর্ড, ওএনএস সর্বশেষ হালনাগাদ হয়েছে: ২২ মার্চ, ২০২১ ৪:১১ PM GMT +৬ কানাডার সব মানুষকে টিকা দেবার জন্য যত ভ্যাকসিন প্রয়োজন দেশটি তার পাঁচ গুণ বেশি টিকা কেনায় গত বছরের শেষ দিকে সমালোচনার মুখে পড়ে কানাডা। তবে যেটা দেখা যায় যে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা পাবার তালিকায় তারা নাম লেখায়নি। এর কারণ হল, ক্যানাডার একটা উদ্বেগ ছিল যে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার ক্ষমতায় থাকলে আমেরিকা রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা বসাবে আর সেই উদ্বেগ থেকে ক্যানাডা ইউরোপের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কারখানাগুলোয় অর্থ লগ্নীর সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তাদের সেই সিদ্ধান্ত সুবিবেচনার হয়নি। ইউরোপের কারখানাগুলো এখন টিকা সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে, এবং সম্প্রতি দেখা গেছে, আমেরিকা নয় বরং ইইউ-ই রফতানির ওপর এখন নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি দিয়েছে। "ইউরোপের বাজারে যথেষ্ট পরিমাণ টিকা যতদিন থাকবে না, ততদিন কানাডার জন্য বড়ধরনের আমদানির পথ বন্ধ থাকবে," বলছেন মিজ আগাথ দ্যেমারে। তবে কিছু কিছু দেশ, যা আশা করা হয়েছিল, তার থেকে অনেক ভাল করছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, জনগোষ্ঠীর শতকরা হিসাবের বিচারে সার্বিয়ার অবস্থান ছিল বিশ্ব তালিকায় আট নম্বরে। ইইউ-র যে কোন দেশের থেকে টিকাদানে সবচেয়ে এগিয়ে আছে সার্বিয়া। তাদের সাফল্যের কারণ আংশিকভাবে টিকাদান কর্মসূচি দক্ষতার সাথে শুরু করা। তবে তারা ভ্যাকসিন কূটিনীতি থেকেও লাভবান হয়েছে। কারণ পূর্ব ইউরোপে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় প্রতিযোগিতায় নেমেছে রাশিয়া আর চীন। যে অল্প ক'টি দেশে রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক ভি এবং চীনা ভ্যাকসিন সাইনোফার্ম ইতোমধ্যেই ব্যবহৃত হচ্ছে, সার্বিয়া তার একটি। কাগজপত্রে সার্বিয়ার জনগণকে পছন্দ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে তারা কোন্ টিকা নিতে চায়- ফাইজার, স্পুটনিক না সাইনোফার্ম। কিন্তু বাস্তবতা হল, বেশিরভাগ মানুষকেই দেয়া হচ্ছে সাইনোফার্ম ভ্যাকসিন। চীন চাইছে দেশটির বাজারে তাদের প্রভাব দীর্ঘ মেয়াদী করতে। যেসব দেশ সাইনোফার্মের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা জনগণকে দেবে, তারা ভবিষ্যতে বুস্টার ডোজ দিতে চাইলে সেজন্যও তাদের চীনের মুখাপেক্ষী হতে হবে। আরও পড়তে পারেন: সংযুক্ত আরব আমীরাতও সাইনোফার্ম টিকার ওপর বেশি নির্ভরশীল। এই মুহূর্তে দেশটিতে যে টিকাদান প্রক্রিয়া চলছে তাতে ৮০% ডোজই সাইনোফার্মের টিকা। আমীরাত স্থানীয়ভাবে সাইনোফার্ম টিকা উৎপাদনের জন্য ওষুধ কারখানা স্থাপনের কাজও চালাচ্ছে। "চীন সেখানে উৎপাদন স্থাপনা তৈরি করছে এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছে, কাজেই চীন সেখানে একটা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে," বলছেন আগাথ দ্যেমারে। "ফলে ভবিষ্যতে কোন কিছুর ব্যাপারে চীনকে না করা গ্রহীতা দেশগুলোর সরকারের জন্য খুবই জটিল হয়ে দাঁড়াবে।" তবে বিশ্বের মহা শক্তিধর একটা দেশ হবার অর্থ এই নয় যে আপনার দেশের জনগোষ্ঠী সবার আগে টিকা পাবে। ইআইইউ-র গবেষণায় আভাস দেয়া হয়েছে যে, বিশ্বে টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে শক্তিধর দুটি দেশ চীন এবং ভারত ২০২২ সাল শেষের আগে যথেষ্ট সংখ্যায় তাদের জনগোষ্ঠীকে টিকা দিয়ে উঠতে পারবে না। কারণ দুই দেশের জনসংখ্যা বিশাল। ফলে দেশ দুটিকে একদিকে এত মানুষকে টিকা দেবার বিষয়টি এবং অন্যদিকে স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি মোকাবেলা করতে হবে। ভারতের কোভিড টিকা উৎপাদনের সাফল্যের পেছনে কৃতিত্বের দাবিদার একজন ব্যক্তি, আদার পুনাওয়ালা। তার সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া পৃথিবীর সর্ববৃহৎ টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। তবে গত বছরের মাঝামাঝি সময় তার পরিবারের সদস্যরা ভাবতে শুরু করেন মি. পুনাওয়ালার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তিনি কোভিড-১৯এর টিকা কার্যকর হবে কিনা তা না জেনেই তার নিজের কোটি কোটি ডলার অর্থ ব্যয় করে এই টিকা উৎপাদনের ব্যাপারে একটা ফাটকা খেলেন। জানুয়ারি মাসে কোভিডের প্রথম টিকাটি, যেটি উদ্ভাবন করছিল অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাযেনেকা, সেটি উৎপাদনের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় ভারত সরকারকে। এখন মি. পুনাওয়ালা তার সংস্থায় প্রতিদিন ২৪ লক্ষ ডোজ টিকা তৈরি করছেন। ভারতের জন্য টিকা সরবরাহ করছে প্রধান যে দুটি সংস্থা, সিরাম তার একটি। এছাড়াও, সিরাম তাদের ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে বাংলাদেশ, ব্রাজিল, মরক্কো এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতেও। "আমরা এখন এই টিকা তৈরি করার পর, আমি মনে করছি এই চাপ এবং এখন যে মাথা খারাপ করে দেবার মত অবস্থা চলছে তার অবসান ঘটবে," তিনি বলছেন। "তবে আসল চ্যালেঞ্জ হল সবাইকে খুশি রাখার চেষ্টা করা। "আমি ভেবেছিলাম সরবরাহ করার জন্য আরও অনেক টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান থাকবে। কিন্তু এই মুহূর্তে দু:খজনক বিষয় হল ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসে এবং সম্ভবত দ্বিতীয় কোয়ার্টারেও সরবরাহ ব্যাপকভাবে যে বাড়বে না, সেটাই দেখা যাচ্ছে।" তিনি বলছেন, টিকার উৎপাদন রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব নয়। "এর জন্য সময়ের দরকার," বলছেন মি. পুনাওয়ালা। "মানুষ মনে করছে যে সিরাম ইনস্টিটিউট ম্যাজিক দেখাতে পারে। হ্যাঁ, আমরা যে কাজ করি তাতে আমরা দক্ষ, কিন্তু আমাদের হাতে তো যাদুর কাঠি নেই।" তবে অন্যদের তুলনায় তিনি এখন সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন। কারণ গত বছর মার্চ মাসে তিনি নতুন জায়গা গড়ে তুলেছেন এবং অগাস্ট মাসে সেখানে রাসায়নিক এবং টিকার কাঁচের ভায়াল মজুত শুরু করেছেন। টিকা উৎপাদন প্রক্রিয়ার সময় কত টিকা তৈরি হচ্ছে তার পরিমাণে অনেকটাই তারতম্য হতে পারে এবং প্রক্রিয়ার অনেকগুলো পর্যায়ে অনেক কিছুই গোলমাল হতে পারে। "এটা একদিকে যেমন বিজ্ঞান, অন্যদিকে তেমনি একটা শিল্প," বলছেন মিজ আগাথ দ্যেমারে। যেসব টিকা প্রস্তুতকারকরা এখন উৎপাদন শুরু করছেন, তাদের ভ্যাকসিন তৈরি করে উঠতে বেশ কিছু মাস লেগে যাবে। এবং ভাইরাসের নতুন ধরন মোকাবেলার জন্য যদি বুস্টার ডোজের প্রয়োজন হয়, সেটার ক্ষেত্রেও একই সমস্যা থাকবে। মি. পুনাওয়ালা বলছেন, তিনি প্রথমে ভারতের জনগণের জন্য টিকা সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবং এরপর তার তালিকায় রয়েছে আফ্রিকা, যেখানে কোভ্যাক্স নামে এক প্রকল্পের মাধ্যমে টিকা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার সংস্থা। কোভ্যাক্স একটি উদ্যোগের নাম যাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ভ্যাকসিন বিষয়ে একটি জোট গ্যাভি এবং মহামারি প্রস্তুতি বিষয়ক কেন্দ্র, সেন্টার ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস বা সেপি। এর উদ্দেশ্য হল পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশে সামর্থ্য অনুযায়ী টিকা পৌঁছন। দরিদ্র দেশগুলো যেভাবে পাবে করোনা টিকা যেসব দেশের আর্থিক সামর্থ্য নেই এক বিশেষ তহবিলের মাধ্যমে তাদের কাছে বিনামূল্যে টিকা পৌঁছন হবে। বাকিদের টিকার জন্য মূল্য দিতে হবে। কিন্তু তাদের তত্ত্ব হল তারা নিজেরা দেন দরবার করার থেকে এই কোভ্যাক্স গোষ্ঠীর মাধ্যমে তারা যদি সেটা করে, আলোচনার মাধ্যমে তাদের জন্য সুলভ মূল্য পাবার বিষয়টি নিয়ে তারাই দেন-দরবার করবে এবং দেশগুলো ভাল দামে টিকা কিনতে পারবে। কোভ্যাক্স ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে টিকা সরবরাহের কাজ শুরুর পরিকল্পনা করছে। ইতোমধ্যে, বহু দেশ নিজস্ব উদ্যোগে আলাদা ভাবে টিকা নিয়ে দেন-দরবার চালানোর ফলে কোভ্যাক্সের পরিকল্পনাএকটা ধাক্কা খেয়েছে। আদার পুনাওয়ালা বলছেন, আফ্রিকার প্রায় প্রত্যেকটি দেশের নেতা স্বাধীনভাবে নিজেরা টিকা পাবার জন্য তার সাথে যোগাযোগ করেছেন। গত সপ্তাহে উগান্ডা ঘোষণা করেছে যে তারা সিরাম ইনস্টিটিউট-এর কাছ থেকে প্রতি ডোজ ৭ ডলার মূল্যে এক কোটি ৮০ লক্ষ ডোজ টিকা কেনার চুক্তি করেছে। কোভ্যাক্স প্রতিটি ডোজ কিনছে ৪ ডলার দামে। কাজেই উগান্ডা এক্ষেত্রে অনেক বেশি অর্থ দিয়ে টিকা কিনতে যাচ্ছে। সিরাম ইনস্টিটিউট বলছে তারা উগান্ডার সাথে কথাবার্তা বলছে, কিন্তু কোনরকম চুক্তি হওয়ার কথা সিরাম অস্বীকার করেছে। মি. পুনাওয়ালা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার সাথে সাথে তার সংস্থা কোভ্যাক্সকে বিশ কোটি ডোজ অ্যাস্ট্রাযেনেকার টিকা সরবরাহ করবে। তিনি কোভ্যাক্সকে আরও ৯০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে ঠিক কখন তা সরবরাহ করা হবে তার কোন সময় তিনি নিশ্চিত করেননি। কোভ্যাক্স টিকাদান কর্মসূচির জন্য দেশগুলোকে তহবিলে আরও অর্থ দান করার আহ্বান জানাচ্ছে তিনি বলছেন এই প্রকল্পে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কিন্তু কিছু সমস্যার মুখেও তারা পড়ছেন বলে তিনি স্বীকার করেছেন। তিনি বলছেন, কোভ্যাক্স অনেকগুলো ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকের সাথে কাজ করছে। তারা টিকার ভিন্ন ভিন্ন দাম চাইছে এবং সরবরাহের জন্য আলাদা আলাদা সময়সূচি দিচ্ছে। তাই কোভ্যাক্স তাদের দাম ও সরবরাহের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে বলে আশাবাদী নন আগাথ দ্যেমারে এবং ইকোনমিস্ট ইন্টালিজেন্স ইউনিট। পরিকল্পনা মাফিক এগোলেও কোভ্যাক্স একটি দেশের জনসংখ্যার ২০ থেকে ২৭%কে এ বছর টিকার আওতায় আনতে পারবে বলে ইআইইউ মনে করছে। "তাদের উদ্যোগ পরিস্থিতির অল্পই বদল ঘটাতে পারবে, তারা যে অবস্থার বিরাট পরিবর্তন করতে পারবেন তা হবে না," বলছেন আগাথ দ্যেমারে। ইকোনমিস্ট ইন্টালিজেন্স ইউনিট-এর পক্ষে দেয়া তার পূর্বাভাসে মিজ দ্যেমারে বলেছেন, কোন কোন দেশে সব মানুষকে টিকাদানের কর্মসূচি শেষ করতে ২০২৩এর শেষ হয়ে যাবে, কোন কোন দেশে সবাইকে টিকা দেয়া কখনই হয়ত শেষ হবে না। তবে সব দেশের জন্য ভ্যাকসিন দেয়াটা জরুরি নাও হতে পারে, বিশেষ করে যেসব দেশে জনসংখ্যার বড় অংশ তরুণ, এবং যেখানে মানুষ খুব বেশি অসুস্থ হচ্ছে না। এধরনের পরিস্থিতি যেসব দেশে রয়েছে, সেখানে ঝুঁকির অবশ্য অন্য একটা দিক রয়েছে। সেটা হল ভাইরাস যদি ছড়ানোর সুযোগ পায়, তাহলে তা চরিত্র পরিবর্তন করবে এবং মানুষের মাধ্যমে অন্য দেশে গিয়ে পৌঁছবে। ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রতিরোধী হয়ে নতুন চেহারা নেয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। তবে, সবকিছুই কিন্তু নেতিবাচক নয়। টিকা তৈরি হচ্ছে আগের যে কোন সময়ের তুলনায় দ্রুত। কিন্তু তারপরেও পৃথিবীর ৭৭০ কোটি মানুষকে প্রতিরোধী টিকা দেয়া বিশাল একটা চ্যালেঞ্জ। এতবড় চ্যালেঞ্জ অতীতে কখনও আসেনি। আগাথ দ্যেমারে মনে করেন সরকারগুলোকে স্বচ্ছ হতে হবে। বাস্তবে কী সম্ভব সে বিষয়ে মানুষকে সত্য কথা জানাতে হবে: "যে কোন সরকারের পক্ষেই এটা বলা খুবই কঠিন হবে যে, 'না - ব্যাপক পরিসরে মানুষকে টিকা দেবার লক্ষ্য অর্জন করতে আমাদের আরও বেশ কয়েক বছর সময় লাগবে।' কোন সরকারই একথা বলতে চাইবে না।" তথ্য সাংবাদিকতার কাজ করেছেন বেকি ডেল এবং নাসোস স্টাইলিয়ানু। বাংলাদেশের সামনে টিকার আর কোন উৎস আছে? | When it comes to the coronavirus vaccine there is one question most people are asking - when will I get it? A handful of countries have set very specific vaccination targets, but for the rest of the world the picture is less clear. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাটিকে এমাসের শুরুতে মালয়েশিয়ায় আটক করা হয়েছিল এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। বিবিসি'র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া প্রতিনিধি জোনাথন হেডের পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী ঐ নৌকায় থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিশজনের বেশি মারা গেছে। কিন্তু বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা আকবর হোসেনকে বাংলাদেশের কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ, গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেন যে, ঐ নৌকাটিকে উদ্ধার করার সময় সেখানে কোনো মৃতদেহ তারা পাননি। তবে প্রায় দুই মাসের মত সময় ধরে নৌকাটি সমুদ্রে ভাসমান থাকাকালীন সময় নৌকায় থাকা কারো মৃত্য হয়েছে কিনা, সেবিষয়ে তাদের এখনো ধারণা নেই বলে জানান কর্মকর্তারা। সংবাদদাতা জোনাথন হেড জানান, এর মধ্যে নৌকাটির সাথে যাদের যোগাযোগ হয়েছিল, তারা বলছেন নৌকাটি গত মাসে মালয়েশিয়ার উপকূলে ভেড়ার উদ্দেশ্যে দু'বার আন্দামান সাগর পারাপার করেছে। প্রায় দুই মাসের মত সময় ধরে নৌকাটি সমুদ্রে ভাসমান ছিল নৌকায় খাবার শেষ হওয়ার পর তারা জেলেদের কাছ থেকে খাবারও কেনার চেষ্টা করে, কিন্তু মালয়েশিয়ায় কড়া লকডাউন থাকায় শেষপর্যন্ত কিনতে পারেনি। রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থাগুলো আশঙ্কা করছে মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলে এবং থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলে এরকম বেশ কয়েকটি শরণার্থীদের নৌকা ভাসমান অবস্থায় থাকতে পারে। ঐ শরণার্থীরা বাংলাদেশ থেকে গিয়েছিলেন না মিয়ানমার থেকে গিয়েছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে এর আগে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গাদের সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন সময়ে পাচারকারীদের আটকও করা হয়েছে। ২০১৭ সালে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চালানো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর চালানো সহিংসতার পর ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। কোস্টগার্ডের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট শাহ জিয়া রহমান বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, "আমরা একটি বড় মাছ ধরা ট্রলার থেকে ৩৮২ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে তাদের টেকনাফের কাছে একটি তীরে এনেছি।" নৌকা থেকে উদ্ধার করা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কয়েকজন "নৌকায় তারা গাদাগাদি করে ছিল। তাদের কাছে কোনো খাবার ছিল না। তারা গত ৫৮ দিন ধরে সমুদ্রে ভাসছে এবং গত সাতদিন ধরে বাংলাদেশের জলসীমার মধ্যে ছিল।" লেফটেন্যান্ট রহমান জানান তারা খবর পাওয়ার পর তিনদিন ধরে খোঁজ করার পর নৌকাটির সন্ধান পান। লেফটেন্যান্ট রহমান জানিয়েছেন, "তারা যেখানে নেমেছে ঐ জায়গাটা আলাদা করে রেখেছি আমরা। তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা না জানার আগ পর্যন্ত আমরা তাদের প্রশ্ন করতে পারছি না।" পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রাজ্যহীন গোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের বাসভূমি মিয়ানমারের সরকার তাদের নাগরিক হিসেবে মেনে নেয় না এবং দীর্ঘ সময় ধরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তারা রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন ও গণহত্যা চালিয়ে আসছে। আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী বেতন না দেয়া, বেতন কাটা, কারখানা লে-অফের অভিযোগ করোনাভাইরাসের প্রকোপে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প টিকে থাকতে পারবে? করোনাভাইরাস: হঠাৎ-দরিদ্রদের খাদ্যের সঙ্গে নগদ টাকাও দিতে হবে বিশ্বের তেল উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণে কমানো হচ্ছে | The coast guard of Bangladesh says it has rescued at least 382 starving Rohingya refugees who had been drifting at sea for nearly two months. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | মঙ্গলবার ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর থেকে জামাল খাসোগজিকে আর দেখা যায়নি। ইস্তানবুলের পুলিশ মনে করছে, কনস্যুলেটের ভেতরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু সৌদি সরকারের দাবি যে, তিনি বেরিয়ে গেছেন। সৌদি আরবের রাজ পরিবারের একসময়কার উপদেষ্টা হঠাৎ করেই তাদের অনুগ্রহ হারিয়ে গত বছর থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন। কিন্তু কে এই জামাল খাসোগজি? কিভাবে তার উত্থান হয়েছিল? তার নিখোঁজের পেছনে কি ভূমিকা রেখেছে? জন্ম ও পেশা মদিনায় ১৯৫৮ সালে জন্মগ্রহণকারী জামাল খাসোগজি যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে পড়াশোনা করেন। আরো খবর: 'খুন হয়েছেন খাসোগজি, প্রমাণ আছে', বলছে একে পার্টি খাসোগজির অন্তর্ধান: হুমকিতে সৌদি-তুরস্ক সম্পর্ক নিখোঁজ জামাল খাসোগিকে নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছেই । এরপর সৌদি আরবে ফিরে আশির দশকে তিনি সাংবাদিক হিসাবে পেশাজীবন শুরু করেন। আঞ্চলিক একটি সংবাদপত্রের হয়ে তিনি আফগানিস্তানে সোভিয়েত অভিযান কাভার করেন। বিবিসি বাংলার অন্যাান্য খবর: গ্রেনেড হামলা: বিএনপির প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? গ্রেনেড হামলা মামলা: যেভাবে ঘটনার শুরু থেকে শেষ পত্রমিতালী করে জীবনসঙ্গী খুঁজে পেয়েছিলেন যারা নারীদের হত্যা করে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করতেন দম্পতি তখন তিনি ওসামা বিন লাদেনের উত্থানের বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে দেখতে পান। আশি এবং নব্বইয়ের দশকে বর্তমানে আল-কায়েদার এই নিহত নেতার বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। সাংবাদিক হিসাবে বিখ্যাত হয়ে ওঠা এরপর তার পেশাজীবনে আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ যোগ হয়। যার মধ্যে কুয়েতের প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধ রয়েছে। নব্বইয়ের দশকে তিনি স্থায়ীভাবে সৌদি আরবে ফিরে আসেন। ১৯৯৯ সালে তিনি ইংলিশ ভাষার আরব সংবাদপত্র আরব নিউজে উপ-সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ২০০৩ সালে আল ওয়াতান সংবাদপত্রের সম্পাদক নিযুক্ত হন, কিন্তু সৌদি ধর্মযাজকদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় দুই মাসের মধ্যে বহিষ্কৃত হন। ইস্তুাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের বাইরে নিখোঁজ জামাল খাসোগজির হবু স্ত্রী হাতিস। এরপর তিনি লন্ডনে এবং ওয়াশিংটনে সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স তুর্কি বিন-ফয়সালের মিডিয়া উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেন, যে প্রিন্স একসময় সৌদি আরবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ছিলেন। ২০০৭ সালে আল ওয়াতানে তিনি আবার ফিরে আসেন, কিন্তু তিন বছর পর নতুন করে আরেক বিতর্কের মুখে তাকে চলে যেতে হয়। ২০১১ সালের আরব বসন্তের সময় তিনি ইসলামপন্থী গ্রুপগুলোর প্রতি সমর্থন জানান, যারা বেশ কয়েকটি আরব দেশে ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠে। ২০১২ তিনি সৌদি আরবের সমর্থনপুষ্ট আরব নিউজ চ্যানেলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যেটি কাতারের চ্যানেল আল জাজিরার প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছিল। কিন্তু বাহরাইনের একজন নামী বিরোধী নেতাকে বক্তব্য দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানোয় প্রচারের ২৪ ঘণ্টা পরেই বাহরাইন-ভিত্তিক এই চ্যানেলটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সৌদি আরব সম্পর্কিত বিষয়ে নির্ভরযোগ্য কণ্ঠ হিসাবে বিবেচিত মি. খাসোগজি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও নিয়মিত প্রদায়ক হিসাবে কাজ করতেন। 'আমাদের, সৌদিদের আরো ভালো কিছু প্রাপ্য' ২০১৭ সালের গ্রীষ্মে সৌদি আরব ত্যাগ করেন সাংবাদিক জামাল খাসোগজি। ওয়াশিংটন পোস্টে তার প্রথম লেখায় তিনি লেখেন, তিনি এবং আরো কয়েকজন স্বেচ্ছা নির্বাসনে এসেছেন, কারণ তাদের ভয়, তাদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে। ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেট। তিনি বলেছেন, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংস্কার বিষয়ে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরোধিতা করায় অসংখ্য মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, আল-হায়াত সংবাদপত্রে তার কলাম বাতিলের জন্য চাপ দিয়েছে সৌদি সরকার এবং তখনকার মার্কিন হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি সৌদি আরবের অতিরিক্ত প্রীতি নিয়ে টুইট না করার জন্যও সতর্ক করে দেয়া হয়। ''আমি বাড়ি ছেড়েছি, আবার পরিবার আর চাকরি হারিয়েছি এবং আমার কণ্ঠ তুলে ধরেছি। এটা না করলে যারা কারাগারে রয়েছে, তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে। যখন অনেকেই কোন কথা বলতে পারছে না, তখন আমি বলছি। আমি সবাইকে জানাতে চাই, সৌদি আরব কখনোই এমন ছিল না, যা এখন হচ্ছে। সৌদিদের আরো ভালো কিছু প্রাপ্য।'' তার কলামে সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, নানা অভিযানের মাধ্যমে আসলে চরমপন্থীদের সরকার উৎসাহিত করছে। যুবরাজকে তিনি রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। মঙ্গলবার ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর থেকে মি. খাসোগিকে আর দেখা যায়নি। স্ত্রীকে ডিভোর্সের সনদ আনার জন্য তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। তার বান্ধবী হাতিস চেঙ্গিস বলছেন, তিনি কনস্যুলেটের বাইরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন, কিন্তু তাকে দেখতে পাননি। তুরস্কের কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের বিশ্বাস, কনস্যুলেটের ভেতরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে এবং তারা ভেতরে প্রবেশাধিকার চেয়েছেন। কিন্তু সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব অভিযোগের ভিত্তি নেই। বিবিসি বাংলার অন্যাান্য খবর: যে ৫টি উপায়ে আপনি বিশ্বের উষ্ণতা কমাতে পারেন বিএনপির সাথে অন্যদের 'ঐক্য' আটকে আছে যে কারণে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে মন্তব্য করায় আলোচনায় রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ কেন পাকিস্তানের উন্নয়নের মডেল | Jamal Khashoggi - a well-known Saudi journalist - went into his country's consulate in Istanbul on 2 October to obtain a marriage document and disappeared. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | গত ৯ই অক্টোবর এই চিঠিটি লেখা হয়, এবং সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর এটা ওয়াশিংটন থেকে আংকারায় পাঠানো হয়। এতে মি. এরদোয়ানকে লক্ষ্য করে মি. ট্রাম্প মন্তব্য করেন: "কঠিন হবেন না। বোকামি করবেন না।" তুর্কী সংসদে বিবিসির সূত্রগুলো জানাচ্ছে, মি. এরদোয়ান ঐ চিঠিকে পুরোপুরিভাবে খারিজ করে দিয়েছেন। এই চিঠি যে দিনটিতে তুরস্কের হাতে পৌঁছায় সেই দিনেই তুর্কী সামরিক বাহিনী সীমান্ত অতিক্রম করে উত্তর সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। উত্তর সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা হয়েছে। অনেকেই বলছেন, এই প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে তুরস্কের সেনা অভিযানের প্রতি একটা 'সবুজ সঙ্কেত' দেয়া হয়েছে। কিন্তু মি. ট্রাম্পের সমালোচনার একটা বড় অংশ এসেছে তার নিজের দলের কাছ থেকে। বিরল এক ঘটনায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুটি দল যৌথভাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে ভর্ৎসনা করেছেন। মি. এরদোয়ানের কাছে লেখা মি. ট্রাম্পের চিঠি। আরো পড়তে পারেন: তুরস্ককে প্রতিহত করতে কুর্দিদের সাথে সিরিয়ার চুক্তি সিরিয়ায় কি ইসলামিক স্টেট ফিরে আসতে পারে? ইসলামিক স্টেট যোদ্ধাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ কী? সংসদের নিম্ন কক্ষ হাউজ অফ রেপ্রেজেনটেটিভে বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ১২৯ সদস্য বুধবার মি. ট্রাম্পের নিন্দা করে যে ভোটের আয়োজন করেন - তাতে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টি সদস্যরাও যোগ দেন। সৈন্য প্রত্যাহার প্রশ্নে মার্কিন সংসদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সাথে মি. ট্রাম্পের বৈঠকে উত্তপ্ত তর্ক-বিতর্ক হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। বৈঠকের এক পর্যায়ে মিজ পেলোসি এবং সিনেট মাইনরিটি লিডার চার্লস শুমাখার বৈঠকে ছেড়ে চলে যান। গত বুধবার মি. ট্রাম্প মন্তব্য করেন, যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের সেনা অভিযানে হস্তক্ষেপ করবে না, কারণ, সিরিয়ার সীমান্ত "আমাদের সীমান্ত না" এবং কুর্দিরাও "কোন ফেরেশতা নন।" তুরস্ক গত সপ্তাহে যে অভিযান শুরু করে তার দু'টি লক্ষ্য: প্রথমত ওয়াইপিজি নামে পরিচিত কুর্দি-সিরিয়ান মিলিশিয়া বাহিনীকে হটিয়ে দেয়া। তুরস্ক কুর্দি মিলিশিয়াদের সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করে। তুর্কী প্রেসিডেন্ট মি. ট্রাম্পের চিঠিকে 'খারিজ করে দিয়েছেন।' তুর্কী অভিযানের দ্বিতীয় লক্ষ্য: উত্তর সিরিয়ায় একটি 'নিরাপদ এলাকা' গড়ে তোলা যেখানে তুরস্কে বসবাসকারী প্রায় ২০ লক্ষ সিরিয়ান শরণার্থীদের এনে বসানো হবে। সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কুর্দিরা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র শক্তি ছিল। ঐ অঞ্চলের পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়লে সেখানে জিহাদি শক্তির পুনরুত্থান হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: পাকিস্তানে যে মুসলিম বিজ্ঞানীর নাম নেয়া হয় না প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তান হত্যা কী করে সম্ভব? | Turkish President Recep Tayyip Erdogan put US President Donald Trump's letter "in the bin", the BBC has been told. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। পেন্টাগন জানিয়েছে, ইরবিল ও আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা হয়েছে। ইরান থেকেই মিসাইলগুলো নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, দেশটির শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে ড্রোন হামলায় হত্যার জবাব হিসাবে এই হামলা করা হয়েছে। তারা এই অভিযানের নাম দিয়েছে 'অপারেশন শহীদ সোলেইমান'। ইরানের স্থানীয় সময় রাত দেড়টার দিকে (বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে চারটা) এই হামলা শুরু হয়। ইরাকের সেনাবাহিনী বলছে, ইরান থেকে ২২টি মিসাইল ছোঁড়া হয়েছিল। আল আসাদ ঘাঁটিতে ১৭ টি মিসাইল হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে দুটি মিসাইল বিস্ফোরিত হয়নি। তবে ইরবিলে যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে তার সবগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৫ হাজারের মতো সৈন্য রয়েছে ইরাকে। মার্কিন হামলায় ইরানি জেনারেল সোলেইমানি নিহত হবার পর ইরাকের পার্লামেন্ট দেশটি থেকে মার্কিন সৈন্যদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। জবাবে আমেরিকা অবশ্য বলেছিল, ইরাক থেকে সরে যাওয়ার কোন পরিকল্পনাই তাদের নেই। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই সাথে এও বলেছিলেন যে, ইরাক থেকে যদি মার্কিন সৈন্যদের চলে যেতে হয় তাহলে দেশটির ওপর এমন অবরোধ আরোপ করা হবে, যা ইরাক 'আগে কখনো দেখেনি'। এরকম ঘটনা প্রবাহের মধ্যেই ইরাকে মার্কিন সেনাদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালালো ইরান। হোয়াইট হাউজ পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য টুইটারে লিখেছেন, 'সব ঠিক আছে'। তিনি সকাল হলেএকটি বিবৃতি দেবেন বলেও তার ওই টুইটে উল্লেখ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, ওই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ও সহযোগীদের সকল কর্মীকে রক্ষায় দরকারি সব ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এই মিসাইল হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম বলেছেন, '' ইরাকের একটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার খবরের ব্যাপারে আমরা সচেতন রয়েছি। প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে অবহিত হয়েছেন এবং তিনি গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন ও জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন।'' ২০০৬ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ইরানের মিসাইল উৎক্ষেপণ -ফাইল ফটো ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড জানিয়েছে, সোলেইমানির হত্যাকাণ্ডের বদলা হিসাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। ''আমেরিকার সব সহযোগীদের আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি, যারা তাদের ঘাঁটিগুলোকে এই সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করতে দিয়েছে, যেখান থেকেই ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হবে, সেটাই লক্ষ্যবস্তু করা হবে,'' ইরানের ইরনা নিউজ এজেন্সিতে একটি বিবৃতিতে বলেছে বাহিনীটি। ওদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ টুইটারে লিখেছেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, কিন্তু নিজেদের আগ্রাসন থেকে রক্ষা করবো। ইরানী টেলিভিশনে প্রচারিত মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার দৃশ্য আরো পড়ুন: সোলেইমানি হত্যা কি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ডেকে আনবে? সোলেইমানি হত্যায় ইরানে কেমন প্রতিক্রিয়া হচ্ছে? কাসেম সোলেইমানির মৃতদেহ ইরানে, জনতার ঢল সোলেইমানির দাফনে পদদলিত হয়ে ৫০ জন নিহত | Iran has launched more than a dozen missiles at two bases in Iraq housing US forces. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | জুম্মার নামাজে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং তুর্কী মন্ত্রিসভার ক'জন সদস্য। এর আগে গত ১০ই জুলাই এক তুর্কী আদালত সাবেক এই গির্জাকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়নি বলে রায় দেয় এবং এর পরেই তুরস্কের ইসলামপন্থী সরকার একে মসজিদ হিসেবে ব্যবহারের পক্ষে আদেশ জারি করে। দেড় হাজার বছরের পুরনো হাইয়া সোফিয়া এক সময় ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থোডক্স গির্জা, পরে তা পরিণত হয় মসজিদে, তারও পর একে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়। বিশ্বের নানা দেশ থেকে এই ভবনটিকে মসজিদে রূপান্তরের সরকারি সিদ্ধান্তের নিন্দা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার প্রথম জুম্মার নামাজের আগে শত শত মানুষ সেখানে জড়ো হন। স্থান সংকুলান না হওয়ায় বহু মুসল্লি মসজিদের বাইরে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। আরো পড়তে পারেন: ৮৬ বছর পর ইস্তাম্বুলের হাইয়া সোফিয়ায় শোনা গেল আজান ধ্বনি তুরস্কের হাইয়া সোফিয়ায় নামাজ পড়া নিয়ে বিতর্কের কারণ কী? তুরস্কের ধর্মমন্ত্রী বলছেন, হাইয়া সোফিয়া মসজিদের ভেতরে এক হাজার মানুষ একসাথে নামাজ পড়তে পারবেন। কিন্তু এর আগেই হাজার হাজার মানুষ মসজিদটির আশেপাশে জুম্মার নামাজ আদায়ের জন্য বসে পড়েন। প্রথম দিনের জামাতে মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের সাথে সামিল হন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান। তুর্কী ধর্মমন্ত্রী আলী এরবাস জানিয়েছেন, নতুন মসজিদের জন্য তিন জন ইমামকে নিয়োগ করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন মেহমেত বয়নুকালিন ইস্তাম্বুলের মারমারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী আইন বিভাগের অধ্যাপক। বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে এক ভাষণে ইস্তাম্বুলের গভর্নর আলী এরলিকায়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলার স্বার্থে জুম্মার নামাজের মুসল্লিদের 'ফেসমাস্ক, জায়নামাজ, ধৈর্য এবং সহানুভূতি' নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করার পরামর্শ দেন। সাহায্যের জন্য মসজিদ ও তার আশেপাশে স্বাস্থ্য কর্মীরা মোতায়েন থাকবেন বলে তিনি জানান। প্রথম জুম্মাকে কেন্দ্র করে হাইয়া সোফিয়া মসজিদ ও তার আশেপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। হাইয়া সোফিয়ায় প্রথম জুম্মার দিনের ভিডিও (সৌজন্যে বিবিসি তুর্কী বিভাগ): হাইয়া সোফিয়ার ইতিহাস: হাইয়া সোফিয়া এখন তুরস্কের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান বলে স্বীকৃত। প্রতিবছর ৩৭ লক্ষ পর্যটক এটি দেখতে আসেন। হাইয়া সোফিয়া মসজিদের ভেতরের দৃশ্য। | The world-famous Hagia Sophia museum in Istanbul - originally founded as a cathedral - has been turned back into a mosque. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | রামমন্দির নির্মানকাজ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী ধর্মীয় অনুষ্ঠানের শেষে মি. মোদী এক ভাষণ শুরুই করেন রামায়ণের একটি পংক্তি উদ্ধৃত করে। তিনি বলেন, "ভগবান রামের কাজ না করলে আমার শান্তি কিসে হবে?" ভূমিপুজো দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীসহ অন্যরা "রামলালা [হিন্দুদের কাছে ভগবান রামের ছোট বয়সের রূপকে রামলালা বলা হয়] অনেকদিন ধরেই একটি অস্থায়ী তাঁবুতে থাকছেন। কয়েক শতাব্দী ধরে যা চলে আসছে - একবার ধ্বংস আরেকবার নির্মাণ - এই চক্র থেকে আজ রাম জন্মভূমি মুক্তি পেল। এই উপলক্ষ্যে ১৩০ কোটি ভারতবাসীকে আমার প্রণাম।" রামচন্দ্রকে ভারতীয় সংস্কৃতির আধার বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তার কথায়, "ভগবান শ্রীরামের মন্দির আমাদের সংস্কৃতির আধুনিক প্রতীক, শাশ্বত আস্থার প্রতীক হয়ে উঠবে। এই মন্দির কোটি কোটি মানুষের মিলিত শক্তির প্রতীক হয়ে উঠবে।" ভাষণের আগে ভূমিপুজো করে তিনি প্রস্তাবিত মন্দিরটির গর্ভগৃহ যেখানে তৈরি হবে, সেখানে একটি রুপার ইট রাখেন। মন্দির তৈরি উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উল্লাস প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে বুধবারই নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার অযোধ্যায় গিয়েছিলেন। সেখানে পৌঁছে তিনি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্দির পরিদর্শন করেন। মি. মোদী ছাড়া ভূমিপুজোর কাছাকাছি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভগবত এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ অতি বিশিষ্ট কয়েকজন হাজির ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন প্রায় তিনদশক ধরে চলতে থাকা রামমন্দির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সাধু-সন্তরাও। তবে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময়ে রামমন্দির আন্দোলনের নেতৃত্ব যারা দিয়েছিলেন, সেই লালকৃষ্ণ আদভানি বা মুরলী মনোহর যোশী এদিন অযোধ্যায় যাননি। আমন্ত্রণ যায়নি রামমন্দির আন্দোলনের আরেক শরিক মহারাষ্ট্রের শিবসেনা দলকেও। তারা ভূমিপুজো চলাকালীনই জানান, "কর সেবকদের আত্মত্যাগ যারা রামমন্দিরের ভূমিপুজোর দিনে ভুলে যায়, তাদের 'রামদ্রোহী' বলা উচিত।" উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের জায়গায় তৈরি করা হচ্ছে রাম মন্দির করোনা মহামারির জন্য ভারতে এখন ধর্মীয় জমায়েত নিষিদ্ধ থাকলেও প্রস্তাবিত রামমন্দিরের ভূমিপুজো অনুষ্ঠানের আশপাশে হাজার হাজার ভক্ত হাজির হয়েছিলেন। অযোধ্যায় উপস্থিত বিবিসি-র সংবাদদাতা সর্বপ্রিয়া সাঙ্গোয়ান জানাচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগই সামাজিক দূরত্ব বিধি বা মাস্ক পরার নিয়ম মানেননি। আরো পড়তে পারেন: মসজিদের জমি অযোধ্যার বাইরে, মুসলিমদের ক্ষোভ বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির বিতর্ক: ফিরে দেখা ইতিহাস 'বাবরি মসজিদ অক্ষত থাকলে কি এই রায় কখনও আসত?' রামমন্দির নির্মান উপলক্ষে সারা দেশেই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির নেতাকর্মীরা উৎসব করেছেন। অন্যদিকে ভারতের মুসলমানদের অনেকেই দিনটিকে কালাদিবস হিসাবে পালন করছেন নিজেদের সামাজিক মাধ্যমের প্রোফাইল কালো রঙ দিয়ে। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এক টুইট করে জানিয়েছে, "বাবরি মসজিদ একটা মসজিদ ছিল আর থাকবে। আয়া সোফিয়া আমাদের কাছে একটা বড় উদাহরণ।" "অনায্য, লজ্জাজনক এবং সংখ্যাগরিষ্ঠকে খুশি করার মতো একটি রায়ের সুযোগ নিয়ে জমির দখল নেওয়া হলেও তার অবস্থান বদলাতে পারবে না কেউ। ভেঙ্গে পড়বেন না। অবস্থা চিরকাল একরকম থাকবে না।" বাবরি মসজিদ আর রামজন্মভূমির জমি নিয়ে যে মামলা সুপ্রীম কোর্ট অবধি গড়িয়েছিল, তাতে মুসলিম পক্ষের হয়ে প্রধান আইনী লড়াই চালিয়েছেন লখনৌয়ের প্রবীণ আইনজীবি জাফরইয়াব জিলানি। অনুষ্ঠান দেখতে সেখানে জমায়েত হয় বহু মানুষ তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "সুপ্রীম কোর্ট তো মেনেই নিয়েছে যে ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছিল। সেই ঘটনারও নিন্দা করেছিল সর্বোচ্চ আদালত। সেখানে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ কী করে বলছেন যে ওখানে কয়েক শতাব্দী ধরে রামলালা অবস্থান করছেন!" "আর আজ সংবিধানকে অন্যভাবেও বুড়ো আঙ্গুল দেখানো হল - একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ধর্ম নিরপেক্ষ দেশের প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের গর্ভনর কীভাবে উপস্থিত থাকেন!! এটা যদি শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান হত, তাতে কিছু বলার ছিল না, কিন্তু এটা তো সরকারী অনুষ্ঠান ছিল," বলছিলেন জাফরইয়াব জিলানি। তবে অনেক মুসলমানই মনে করেন যে সুপ্রীম কোর্টের রায়কে সম্মান জানানোই উচিত। যদিও রামমন্দির নির্মাণের আজকের অনুষ্ঠানকে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বলে মন্তব্য করছিলেন ভারতীয় মুসলিম মহিলা আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জাকিয়া সোমান। মিজ. সোমানের কথায়, "সুপ্রীম কোর্ট মন্দির মসজিদ বিতর্ক নিয়ে যে রায় দিয়েছে, তাকে সম্মান জানানোই উচিত। কিন্তু আজ যে অনুষ্ঠান হল, তা থেকে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আসলে রামজন্মভূমি নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছে, তা তো রাজনৈতিক কর্মকান্ডই ছিল।" | Indian PM Narendra Modi has laid the foundation stone for a Hindu temple in the northern city of Ayodhya. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | মি. বাইডেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিইয়ামিন নেতানইয়াহুর সাথে কথা বলেছেন। মি. বাইডেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিইয়ামিন নেতানইয়াহুকে বলেছেন, সহিংসতা বন্ধে মিশর ও অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে একত্রে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু আবার একই সাথে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধ বন্ধের আহবান জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশের চেষ্টা আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এনিয়ে তিনবার ইসরাইলের সামরিক অভিযান বন্ধে নিরাপত্তা পরিষদের চেষ্টাকে আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল ধরনের চেষ্টা করার জন্য ইসরাইলকে উৎসাহিত করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।" নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২১২ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৬১টি শিশু রয়েছে। যদিও ইসরায়েল বলছে হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু অনিচ্ছাকৃত। ইসরাইলের দাবি নিহতদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি জঙ্গি। তবে গাযার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামার এই দাবি অস্বীকার করেছে। এই সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক আহবান অব্যাহত রয়েছে। গাযায় আটদিন ধরে ভয়াবহ মাত্রায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। গড়ে প্রতিদিন একশ থেকে দেড়শ বার ইসরায়েলি যুদ্ধ বিমান গাযায় উড়ে গিয়ে বোমা ফেলছে। সেইসাথে চলছে সীমান্ত থেকে দূরপাল্লার কামানের গোলা হামাসও গাযা থেকে তেল আবিব সহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে তিন হাজারের বেশি রকেট ছুঁড়েছে, বলছে ইসরাইল। সম্পর্কিত খবর: চলমান সংঘাতে সবচেয়ে বেশি 'প্রাণঘাতী দিন' ছিল রোববার গাযায় এবার কী লক্ষ্য অর্জন করতে চাইছে ইসরায়েল গাযায় ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস হলো আল-জাজিরার অফিস টিকটক-এ যেভাবে ভাইরাল হচ্ছে ইসরায়েল ফিলিস্তিন সংঘাতের খবর গুগল ম্যাপে গাযার স্যাটেলাইট ছবি কেন ঝাপসা | US President Joe Biden has voiced his support for a ceasefire after eight days of violence between Israel and Palestinian militants in Gaza. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানমালায় যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন নরেন্দ্র মোদী। সকাল সাড়ে দশটার পর তাকে বহনকারী বিমানটি ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। উনিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানোর পর বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বিমানবন্দরেই তাকে গার্ড অব অনার এবং লাল গালিচা সম্বর্ধনা দেয় সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল। এ সময় দু দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয় এবং তিনি গার্ড পরিদর্শন করেন। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নরেন্দ্র মোদীকে বহনকারী মোটরবহর তেজগাঁও হেলিপ্যাডে যাবে এবং সেখান থেকে হেলিকপ্টার যোগে সাভার স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি আছে তার। সেখানে তিনি পুষ্পস্তবক অর্পণ, ভিজিটর বইয়ে স্বাক্ষর ও গাছের চারা রোপণ করবেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: মোদীকে কটাক্ষ করার অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ে কিশোর আটক মোদীর ঢাকা সফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে হামলা চালালো কারা? নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর নিয়ে ডান বাম উভয়ের প্রতিবাদ নরেন্দ্র মোদীর সফরের প্রতিবাদে মানববন্ধন স্মৃতিসৌধ থেকে হেলিকপ্টারে ফিরে তিনি যাবেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে। সেখানেও তাকে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখান থেকে তিনি হোটেলে যাবেন এবং পরে বিকেল তিনটায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন তার সাথে সাক্ষাত করবেন। এ বৈঠকের পর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিব জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। রাতে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু-বাপু জাদুঘর উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদী। আগামীকাল তার সাতক্ষীরার শ্যামনগরে যশেশ্বরী মন্দির ও টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থল ও ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি মন্দিরে যাওয়ার কর্মসূচি আছে। নরেন্দ্র মোদীর ঢাকায় আসার কর্মসূচির প্রতিবাদে গত কয়েকদিন বিক্ষোভ করেছে নানা সংগঠন। তার সফরকে কেন্দ্র ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। | India has invited Pakistan's leader Nawaz Sharif to Narendra Modi's inauguration as prime minister, Mr Modi's BJP party has said. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্র যা আমদানি করে - রপ্তানি করে তার চেয়ে অনেক কম কিন্তু সাধারণ মানুষ কিভাবে এই যুদ্ধের ব্যাপারটা টের পাবে? তাদের পকেটে এর জন্য কি কোন টান পড়বে? চীনা পণ্যের ওপর যে ৩ হাজার ৪শ' কোটি ডলারের শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র - তা গত রাত থেকে কার্যকর হয়েছে। আর চীনও তার জবাবে ৫৪৫টি মার্কিন পণ্যের ওপর একই রকম ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে - যার পরিমাণ সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৪শ কোটি ডলারই হবে। চীন বলছে, বিশ্বের অর্থনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাণিজ্য যুদ্ধের শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে পশ্চিমা দেশগুলোতে জিনস, মোবাইল ফোন, ছাতা, এমনকি যৌন খেলনার দামও শিগগীরই বেড়ে যাবে। কারণ এসব পণ্য তৈরি হয় চীনে। শুধু পশ্চিমা দেশ নয়, সারা দুনিয়ার নানা দেশের ওপরই এর প্রভাব পড়বে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'মেড ইন চায়না ২০২৫': কেন এত দুশ্চিন্তায় যুক্তরাষ্ট্র? চীন-আমেরিকা বাণিজ্য যুদ্ধ, জিতবে কে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কারণ সব দেশই আমদানি করা পণ্য ব্যবহার করে। যেমন আপনার হাতের আইফোনটি। এটি ডিজাইন করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে । কিন্তু এটা তৈরি হয়েছে চীনে। শুধু তাই নয়, এর যে নানান যন্ত্রাংশ - সেগুলো আবার তৈরি হয়েছে জাপান বা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো অন্য কোন তৃতীয় দেশে। কাজেই যুক্তরাষ্ট্র এর ওপর কর বসালে এর উৎপাদনের সাথে জড়িত সব দেশের কর্মসংস্থানের ওপরই তার প্রভাব পড়ে। তার পর আছে ওভারহেড খরচ। তাই তার প্রভাবে সারা দুনিয়ার ভোক্তাদের জন্য জন্যই আইফোনের দাম বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চাইছেন আমেরিকার শিল্প এবং এবং কর্মংসংস্থানকে চাঙ্গা করতে, চীনের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র চীনে যত পণ্য বিক্রি করে তার চাইতে বেশি আমদানি করে। আর চীন চায় প্রযুক্তিতে বিশ্বে নতুন নেতা হয়ে উঠতে। তারা মেড ইন চায়না নামে ২০২৫ সাল পর্যন্ত একটা পরিকল্পনাও নিয়েছে। বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে লাভবান হতে পারে বাংলাদেশের মতো দেশ কিন্তু এই বাণিজ্য যুদ্ধ থেকে কি কেউ লাভবান হতে পারে? হ্যাঁ, পারে। যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনকে আরো সস্তায় পণ্য রপ্তানি করতে পারে - তারা হয়তো লাভবান হবে। এরকম দেশগুলোর একটি হচ্ছে বাংলাদেশ, তার তুলা শিল্প। আরো আছে মেক্সিকোর খেলনা উৎপাদনকারীরা। এছাড়া ভিয়েতনাম - যারা পোশাক সেলাই করে। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাণিজ্য যুদ্ধে যেহেতু পণ্যের দাম বেড়ে যায় - তাই শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষরাই , যারা পণ্য কেনে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: গুহায় অক্সিজেন দিতে গিয়ে মারা গেলেন যে ডুবুরি পাঁচটি কলাগাছকে কেন বাঁচাতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা? 'রাস্তায় বের হতে পারবি না, পরিবারকে গুম করে দিবে' | The US-China trade war has escalated in recent days, with both countries announcing new tariffs on each other's goods. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | তখনও অক্ষত ছিল বাবরি মসজিদ। অক্টোবর ১৯৯০ এর পাশাপাশি মুসলিমদের মসজিদ বানানোর জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে অযোধ্যাতেই অন্য কোনও 'বিকল্প' স্থান। বলা হয়েছে, মসজিদ বানানোর জন্য অযোধ্যারই কোনও উল্লেখযোগ্য স্থানে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দিতে হবে। এই মন্দির ও মসজিদ বানানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি ট্রাস্ট গঠনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অযোধ্যার যে ২.৭৭ একর জমিকে বিরোধের মূল কেন্দ্র বলে গণ্য করা হয়, তার মালিকানা দেওয়া হয়েছে 'রামলালা বিরাজমান' বা হিন্দুদের ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের শিশুরূপের বিগ্রহকে। যার অর্থ সেখানে রামমন্দিরই তৈরি হবে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে অযোধ্যা ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-র নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ এদিন সর্বসম্মতিক্রমে এই রায় দেয়। এর আগে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতে বর্তমানে ক্ষমতাসীন বিজেপির শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতেই উগ্র কট্টরপন্থী বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা অযোধ্যার ওই বিতর্কিত জমির ওপর অবস্থিত বাবরি মসজিদের স্থাপনাটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। বাবরি মসজিদ ভাঙার পর ভারতের নানা প্রান্তে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল তাতে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। আজ রায় ঘোষণার সময় বিচারপতিরা ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া) একটি রিপোর্টও উল্লেখ করেছেন, যাতে বলা হয়েছিল বাবরি মসজিদের নিচে একটি স্থাপনা ছিল বলে প্রমাণ মিলেছে - তবে সেই কাঠামোটি ঠিক কীসের তা স্পষ্ট নয়। আরো পড়তে পারেন: 'ওখানে বাবরি মসজিদ থাকলেও কি এই রায় হত?' ফিরে তাকানো: '৯২ সালে বাবরি মসজিদ নিয়ে ঢাকায় যা ঘটেছে ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ভারতে ঐতিহাসিকরা মোটামুটি একমত যে, মুঘল আমলে বাবরের একজন সেনাপতি মীর বাঁকি ১৫২৮ সাল নাগাদ অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে এ দেশের হিন্দু সমাজের একটা বড় অংশ বিশ্বাস করেন, তাদের আরাধ্য দেবতা শ্রীরামচন্দ্রের জন্মস্থানের ওপরই ওই মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। ভারতের ধর্মীয়-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে বহু দশক ধরে সবচেয়ে বিতর্কিত ও রক্তক্ষয়ী ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়ে এসেছে এই বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি বিরোধ। শীর্ষ আদালতের মাধ্যমে সেই বিরোধের নিষ্পত্তির লক্ষ্যেই সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ শনিবার এই রায় ঘোষণা করে। এদিন রায় ঘোষণার পর অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য জাফরিয়াব জিলানি জানিয়েছেন, এই রায়ের মধ্যে অনেক 'স্ববিরোধিতা' ও 'তথ্যগত ভুল' আছে বলে তারা মনে করছেন। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য জাফরিয়াব জিলানি "আমরা এখন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে স্থির করব আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে। সবাই একমত হলে আমরা রিভিউ পিটিশন দাখিল করব", জানিয়েছেন তিনি। এদিকে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন এই রায়কে 'ঐতিহাসিক' বলে বর্ণনা করে একে স্বাগত জানিয়েছে। রায় ঘোষণার পর এদিন সুপ্রিম কোর্টে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দিয়ে হিন্দু সংগঠনগুলোর সমর্থকদের জয়ধ্বনি দিতেও দেখা গেছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতা রাজনাথ সিং এদিনের রায়কে 'ল্যান্ডমার্ক জাজমেন্ট' বলে বর্ণনা করেছেন। দেশবাসীকে তিনি শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে এর আগে টানা চল্লিশ দিন ধরে এই মামলার শুনানি হয়েছে। এদিনের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে ভারতের বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন প্রধান বিচারপতি ছাড়া বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা ছিলেন এস এ বোডবে, ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ ও এস আবদুল নাজির। অযোধ্যার বিতর্কিত ধর্মীয় স্থানটি যে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে, সেখানে ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত বারো হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। অযোধ্যায় কারফিউ জারি রয়েছে গত প্রায় দুসপ্তাহ ধরে। এদিন রায় ঘোষণার আগে গতকাল প্রধান বিচারপতি গগৈ গতকাল শুক্রবারই রাজ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উত্তরপ্রদেশের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছিলেন। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক ও রাজস্থান-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আজ স্কুল-কলেজ সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখা হয়েছে। শনিবার সকালে অযোধ্যার রাস্তায় শনিবার হওয়ার কারণে বেশির ভাগ সরকারি অফিসেও ছুটি। রায় ঘোষণার আগের রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে বলেছিলেন, "অযোধ্যার রায় কারও জয় বা কারও পরাজয় সূচিত করবে না।" "দেশের সামনে এই মুহুর্তে অগ্রাধিকার হল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা", এ কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। তবে এদিন রায় ঘোষণার ঠিক পর পরই তিনি পাঞ্জাবে ভারতের দিক থেকে ভারত-পাকিস্তান যৌথ উদ্যোগে নির্মিত কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধন করেন। কিন্তু সেখানে তার ভাষণে তিনি অযোধ্যা রায়ের প্রসঙ্গ একেবারেই তোলেননি। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল': উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের দায়িত্ব কার আ.লীগের যত সহযোগী সংগঠন: চাবিকাঠি কার হাতে | The disputed holy site of Ayodhya in northern India should be given to Hindus who want a temple built there, the country's Supreme Court has ruled. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | একটি রোগে ঠেকানোর ক্ষেত্রে পুরো বিশ্ব যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, সেটি নজিরবিহীন। কিন্তু এর শেষ কোথায়? মানুষ কবে নাগাদ তাদের স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনে ফিরতে পারবে? ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ১২ সপ্তাহের মধ্যে করোনাভাইরাসের 'ঢেউ উল্টোপথে ঘুরিয়ে' দিতে সক্ষম হবে ব্রিটেন। এর মধ্যে মোটে দেড় সপ্তাহ পার হয়েছে এখন পর্যন্ত। তিনমাসের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসবে, কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পুরোপুরি শেষ হতে অনেক সময় বাকি। সম্ভবত কয়েকবছর পর্যন্ত লাগতে পারে। এটা পরিষ্কার যে যেভাবে বড় বড় শহর বন্ধ রাখা হচ্ছে এবং মানুষের দৈনন্দিন চলাফেরারা উপর বিধি আরোপ করা হচ্ছে, সেটি দীর্ঘমেয়াদি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এভাবে সবকিছু বন্ধ থাকলে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব হবে মারাত্মক। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দেশগুলোকে একটি কৌশল খুঁজে বের করতে হবে। বিধিনিষেধগুলো প্রত্যাহার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার উপায় খুঁজতে হবে। একথা ঠিক যে বিধিনিষেধ আরোপের ফলে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে। এসব বিধিনিষেধ তুলে দিলে সংক্রমণের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাবে। "এখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কৌশল কী হবে এবং সেখান থেকে আমরা কিভাবে বের হয়ে আসবো -এনিয়ে নিয়ে বড় সমস্যা আছে," বলছিলেন এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিষয়ক অধ্যাপক মার্ক উলহাউজ। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর কোন দেশেরই কৌশল নেই। এই কৌশল ঠিক করা বড় ধরণের বৈজ্ঞানিক এবং সামাজিক চ্যালেঞ্জ। এর তিনটি উপায় আছে। ১. টিকা দেয়া ২. বহু মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের ফলে তাদের মধ্যে এনিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে ৩. অথবা স্থায়ীভাবে মানুষ এবং সমাজের আচার-আচরণে পরিবর্তন নিয়ে আসা টিকা আসতে সময় লাগবে ১২ থেকে ১৮ মাস। এই টিকা গ্রহণ করলে করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে আসলেও তারা অসুস্থ হবে না। যত বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দেয়া যাবে ততই ভালো। যদি মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশকে টিকা দেয়া হয়, তাহলে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে না। ইতোমধ্যে আমেরিকায় এক ব্যক্তির দেহে পরীক্ষামূলক-ভাবে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হয়েছে। যে কোন টিকা আবিষ্কার করলে সেটি প্রথমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার করা হয় যে কোন প্রাণির উপর। এক্ষেত্রে বিশেষ অনুমোদন নিয়ে প্রথমেই মানুষের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের জন্য বেশ দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। কিন্তু এটি সফল হবে কিনা কিংবা বিশ্বজুড়ে এই টিকা দেয়া যাবে কি না - সে নিশ্চয়তা নেই। প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে কাশি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলার জন্য জন্য ব্রিটেন যে কৌশল নিয়েছে সেটি হচ্ছে, আক্রান্তের সংখ্যা যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা যাতে হাসপাতালগুলো রোগীতে পরিপূর্ণ না হয়ে যায়। হাসপাতালগুলো রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে গেলে আইসিইউতে জায়গা পাওয়া যাবে না। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। ব্রিটেনের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যালান্সি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কখন কোন পর্যায়ে যাবে সেটি নিয়ে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা দেয়া সম্ভব নয়। লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক নিল ফার্গুসন বলেন, "আমরা সংক্রমণের মাত্রা কমিয়ে রাখার কথা বলছি যাতে করে দেশের একটি কম সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়।" " আমরা যদি দুই বছরের বেশি সময় যাবত এটা করতে পারি তাহলে দেশের একটি বড় অংশ ধীরে ধীরে আক্রান্ত হবে। এর ফলে স্বাভাবিক নিয়মে রোগ প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।" কিন্তু এ কৌশলের মাধ্যমে গড়ে ওঠা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কতদিন টিকবে সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অতীতে করোনাভাইরাসের অন্যান্য ধরণের যেসব সংক্রমণ হয়েছে সেসব ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা খুব ভালো কাজ করেনি। অনেকে মানুষ তাদের জীবনে বেশ কয়েকবার আক্রান্ত হয়েছে। বিকল্প কী? অধ্যাপক উলহাউজ বলেন, তৃতীয় বিষয়টি হচ্ছে আমাদের আচার-আচরণে স্থায়ী পরিবর্তন নিয়ে আসা যার ফলে সংক্রমণের মাত্রা বেশি না হয়। বর্তমানে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তার মধ্যে কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন: কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা কিংবা পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়টি জোরদার করা। "আমরা শুরুতেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সনাক্ত করেছি এবং তারা যাদের সংস্পর্শে গিয়েছে তাদেরও খুঁজে বেরি করেছি। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি।," বলছিলেন অধ্যাপক উলফহাউজ। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর ঔষধ আবিষ্কার করা সম্ভব হলে সেটি অন্য কৌশলগুলো বাস্তবায়নের জন্যও সাহায্য করবে। মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের লক্ষণ দেখা দেয়ার সময় ঔষধ প্রয়োগ করলে তাহলে সেটি অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে যাবার বিষয়টি বন্ধ করতে পারে। অথবা হাসপাতালে চিকিৎসা দেবার মাধ্যমে এই রোগের মাত্রা কমিয়ে আনা যাতে আইসিইউ বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের উপর চাপ কমে। এটি করা সম্ভব হলে সবকিছু বন্ধ করে দেয়া বা লকডাউনের আগে দেশগুলো বেশি রোগী সামাল দিতে পারবে। এছাড়া হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউতে বেশি শয্যার ব্যবস্থা করে অধিক সংখ্যক রোগী সেবা দেয়া সম্ভব। পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য এটিও একটি উপায়। ব্রিটেনের চিকিৎসা বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ক্রিস হুইটির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে বর্তমান পরিস্থিতি তেকে বের হয়ে আসার উপায় কী? তিনি বলেন, " টিকা দেয়াটাই হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদে সমাধান। আমরা আশা করছি এটা যত দ্রুত সম্ভব হবে।" এছাড়া বিজ্ঞান এর একটা সমাধান খুঁজে বের করবে বলে তিনি আশা করেন। করোনাভাইরাস: 'লকডাউন' করা হলো মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা করোনাভাইরাস: শিশুদের কি বন্ধুদের সাথে খেলতে দেওয়া উচিৎ? করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ভারতে 'জনতা কারফিউ' করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে মসজিদে নামাজ নিয়ে কী হবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস ঠেকানোর সুযোগ কতটা কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস | The world is shutting down. Places that were once teeming with the hustle and bustle of daily life have become ghost-towns with massive restrictions put on our lives - from lockdowns and school closures to travel restrictions and bans on mass gatherings. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | সহিংসতা উস্কে দেয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কংগ্রেসে অভিশংসনের যে প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা, সেটি তিনি 'হাস্যকর' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। আগামী ২০শে জানুয়ারি তিনি ক্ষমতা থেকে সরে যাবেন, যখন নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শপথ গ্রহণ করবেন। তবে প্রতিনিধি পরিষদে তাকে অভিশংসনের একটি প্রস্তাবে বুধবার ভোটাভুটি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, ''আমি মনে করি এটা (অভিশংসনের প্রস্তাব) আমাদের দেশের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনবে এবং ব্যাপক ক্ষোভের তৈরি করবে। আমি কোন সহিংসতা চাই না।'' ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার পরে প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে আসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সময় তিনি মেক্সিকো সীমান্তে তোলা দেয়াল দেখার জন টেক্সাসে যাচ্ছিলেন। ওই দাঙ্গায় অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে আর ৬০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে পুলিশের সদস্যরাও রয়েছেন। আরও পড়তে পারেন: ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে? কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে অভিশংসিত হলেন ট্রাম্প ক্যাপিটল ভবনে তাণ্ডব এবং 'ব্র্যাণ্ড আমেরিকার' সর্বনাশ ট্রাম্পের অভিশংসন: এরপর কী ঘটবে? প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার আগে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তারা পুরোপুরি ঠিক আছে। অভিশংসনের প্রস্তাব সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী প্রয়োগ করার জন্য মাইক পেন্সের প্রতি আহবান জানিয়ে একটি প্রস্তাব প্রতিনিধি পরিষদে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও সেটি ব্যর্থ হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সহিসংতা উস্কে দেয়ার অভিযোগে বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিনিধি পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হতে পারে। প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় সেই প্রস্তাব পাস হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সেটি হলে মি. ট্রাম্প হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট যার বিরুদ্ধে দুইবার অভিশংসনের প্রস্তাব পাস হয়েছে। কিন্তু তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হলে সেই প্রস্তাবটি সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে অনুমোদিত হতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রস্তাবে পক্ষে মি. ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির বেশ কিছু সদস্যকেও ভোট দিতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত এই দলের খুব কম সদস্যই নিজেদের দলের প্রেসিডেন্টকে অপসারণের পক্ষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। টেক্সাসে বক্তব্য দেয়ার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ''২৫তম সংশোধনীতে আমার জন্য কোন ঝুঁকি নেই, কিন্তু সেটা উল্টো জো বাইডেন এবং তার প্রশাসনের পেছনেই ফিরে আসবে।'' নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিনেটে রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল ঘনিষ্ঠদের বলেছেন যে, ডেমোক্র্যাটরা যে অভিশংসনের প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে, তাতে তিনি খুশী। কেন্টাকির এই সিনেটর মনে করেন, এই সাজার ফলে রিপাবলিকান দল থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপসারণ করা সহজ হবে। ক্ষমতার অপব্যবহার ও কংগ্রেসের কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে অভিশংসিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সেনেটে শুনানির পর অভিশংসন থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'ব্যক্তিস্বার্থের প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব' আওয়ামী লীগে, কীভাবে দেখছে নেতৃত্ব? দাম কত হবে, আর কারা পাবেন না করোনার টিকা সাফারি পার্কের গরিলা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রিজার্ভ চুরি: রিজাল ব্যাংককে তলব করেছে ফিলিপিন্সের আদালত | US President Donald Trump has said his speech before last week's deadly Capitol riot, when he urged his supporters to march on Congress, was "totally appropriate". |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ভূমিকম্পে ওই এলাকার ভবনগুলো ধসে পড়েছে, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ তারা বলছেন, এতে আহত হয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ। ভূমিকম্পে ওই এলাকার ভবনগুলো ধসে পড়েছে, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। ভূমিধ্বসের কারণে উদ্ধার তৎপরতাও ব্যাহত হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা বলছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভূমিকম্পে সারপল-ই-জাহাব শহরের প্রধান হাসপাতালটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। সীমান্তের ওপারে ইরাকের কুর্দিস্তানেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, সাত দশমিক তিন মাত্রার এই ভূমিকম্পে ইরাকে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। কেন ইরানে এতো ভূমিকম্প বিশ্বের যেসব এলাকায় বার বার এধরনের ভূমিকম্প হয় ইরান তার একটি। এর আগেও দেশটিতে বেশ কিছু বড় আকারের ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর কারণ হচ্ছে, সাধারণভাবে বলা যায়, আরাবিয়া এবং ইউরেশিয়া টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষ। আরাবিয়া প্লেটটি প্রতি বছর কয়েক সেন্টিমিটার করে উত্তরে সরে যাচ্ছে। যেখানে ভূমিকম্প হয়েছে ইরানের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে আরাবিয়া প্লেট ইউরেশিয়া প্লেটটিকে নিচ থেকে ধাক্কা দিচ্ছে। কিন্তু দেশটির উত্তর-পশ্চিমে এই দুটো প্লেট একে অপরকে সরাসরি ধাক্কা দিচ্ছে। এসব সংঘর্ষ থেকেই সেখানে সৃষ্টি হয়েছে জাগরস পর্বতমালার। প্রাথমিকভাবে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, থ্রাস্ট ফল্টের (চাপের কারণে একটি প্লেট যখন আরেকটি প্লেটের উপর উঠে যায়) কারণে এই ভূমিকম্প হয়েছে। এই ভূমিকম্পে কতো মানুষ হতাহত হতে পারেন তার একটি হিসাব অনুমান করার চেষ্টা চলছে। এটা করা হয় ভূমিকম্পের মাত্রা, জনবসতির ঘনত্ব এবং স্থানীয় বাড়িঘর কি ধরনের উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে। এই মডেল থেকে হয়তো প্রকৃত হিসাব পাওয়া যায় না। কিন্তু এই দুর্যোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়। | At least 10 climbers in Iran have died in mountains north of Tehran in an avalanche and blizzards, officials say. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বীকৃতি দেয়ার পর বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে এমনটি ব্রিটেন, ফ্রান্স, সৌদি আরবের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ দেশগুলোও এই স্বীকৃতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই সিদ্ধান্তকে 'অযৌক্তিক' আর 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' বলে বর্ণনা করেছে সৌদি আরব। ফ্রান্স, জার্মানি আর যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারা ওই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে না। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুটেরেস বলেছেন, এটা খুবই গভীর উদ্বেগের সময়। কারণ দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান ছাড়া এর আর কোন বিকল্প নেই। যদিও ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একে স্বাগত জানিয়ে বলছেন, এটা একটি ঐতিহাসিক দিন। বহুদিন ধরে ফিলিস্তিন আর ইসরায়েলের বিরোধের কেন্দ্রে রয়েছে জেরুজালেম শহরটি ফিলিস্তিনে ধর্মঘট আর বিক্ষোভ ডাকা হয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস একে 'অগ্রহণযোগ্য' বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের আসন হারিয়েছে। গাজা ভূখণ্ড পরিচালনাকারী ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস বলছে, মি. ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ওই অঞ্চলে মার্কিন স্বার্থের ক্ষেত্রে 'জাহান্নামের দরজা খুলে দেবে'। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোগান বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত পুরো অঞ্চলকেই, তার ভাষায় 'আগুনের বৃত্তে' ছুড়ে ফেলবে। ইস্তানবুলে মার্কিন কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। শুক্রবার এ নিয়ে আলোচনায় বসবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। পরিষদের ১৫টি সদস্য দেশের আটটি দেশ জরুরী অধিবেশন ডেকেছে, যেসব দেশের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য আর ফ্রান্সের মতো যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশও। শনিবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে আরব লীগ। এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াও। জেরুজালেম শহরটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরৈই ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। শুধু এই শহরটি নিয়ে দশকের পর দশক ধরে থেকে থেকেই সহিংসতা হয়েছে, প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ফলে কোন পক্ষকেই স্বীকৃতি না দেয়ার মার্কিন নীতি চলে আসছে বহুদিন ধরে। কিন্তু বুধবার হোয়াইট হাউসে এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিতর্কিত জেরুজালেম শহরকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত কয়েক দশকের আমেরিকান নীতিকে বদলে দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট আরও ঘোষণা করেছেন যে আমেরিকান দূতাবাস তেল আভিভ থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। | The recognition by US President Donald Trump of Jerusalem as Israel's capital has triggered more than just criticism from America's allies. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | শূন্য শ্রেণীকক্ষ কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল নিয়ে প্রায় দু সপ্তাহ ধরে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে সোমবার কিছু স্কুল খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে যেসব স্কুল খুলে দেয়া হয়েছে এগুলো মূলত সরকারি স্কুল এবং বেসরকারি স্কুলগুলো বন্ধই আছে। যেসব স্কুল খুলেছে তাতে সোমবার ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরে এখনো অবরুদ্ধ অবস্থা বিরাজ করছে। কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, সবচেয়ে বড় শহর শ্রীনগরে দুশোর মতো স্কুল খুলে দিয়েছে তারা। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: এক নজরে কাশ্মীর ও ৩৭০ অনুচ্ছেদের ইতিহাস যেভাবে বদলে যাবে ভারতের অধীন কাশ্মীর কাশ্মীর: 'বাড়ি বাড়ি গিয়ে যুবকদের তুলে নেয়া হচ্ছে' সন্তানদের বাড়িতেই রাখতে চাইছেন অভিভাবকরা কিন্তু সাংবাদিকরা অনেক স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পাননি। অভিভাবকরা বলছেন, নিরাপত্তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। ব্যাপক নিরাপত্তা আয়োজন সত্ত্বেও বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রতিবাদে সেখানে বিক্ষোভ হচ্ছে এবং প্রায়ই তা সহিংস রূপ নিচ্ছে। কাশ্মীর একটি বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ড যার দুটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে ভারত ও পাকিস্তান। ভারত শাসিত অংশ জম্মু ও কাশ্মীর এতদিন বিশেষ মর্যাদা পেলেও সম্প্রতি তাকে দু ভাগ করে রাজ্যের মর্যাদায় নামিয়ে আনা হয়েছে। অংশ দুটিই এখন সরাসরি দিল্লীর শাসনে রয়েছে। তিন দশক ধরে এই কাশ্মীরে চলছে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা, যাতে নিহত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। শুধুমাত্র সরকারি স্কুল খুলে দেয়া হয়েছে বিশেষ মর্যাদা বাতিলকে কেন্দ্র করে মূলত কাশ্মীরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী ধরে এবং সব ধরণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছিল। সম্প্রতি টেলিফোন লাইন কিছুটা চালু হলেও বিক্ষোভ বেড়ে যাওয়ার পটভূমিতে মোবাইল ফোন সেবা ও ইন্টারনেট এখনো বন্ধ আছে। বিবিসি সংবাদদাতারা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে দেয়ার পরিবর্তে বাসায় রাখতেই স্বস্তি পাচ্ছেন, বিশেষ করে মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু না হওয়া পর্যন্ত। বার্তা সংস্থা রয়টার্স একজন স্কুল শিক্ষককে উদ্ধৃত করেছে, যিনি বলেছেন - এ ধরণের 'অনিশ্চিত অবস্থায়' তারা শিক্ষার্থীদের স্কুলে আশা করেন না। তিনি আরও বলেন যে, অনেক স্কুল এখনো বন্ধ বা শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী খুবই কম এসেছে। কর্মকর্তারা বলছেন, তারা বোঝার চেষ্টা করছেন যে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী স্কুলে এসেছে। কর্মকর্তারা বলছেন তারা বোঝার চেষ্টা করছেন যে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী স্কুলে এসেছে তবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে খবর সংগ্রহ করাও কঠিন। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিনিয়তই কাশ্মীর নিয়ে তার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেই চলেছেন। তার মতে, এটা দরকার ছিল অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তার স্বার্থে। কিন্তু কাশ্মীরের জনগণ ও নেতাদের মতে, এটা বিশ্বাসঘাতকতা এবং এ সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের সাথে কোন আলোচনাই হয়নি। বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা থেকেই বন্দী আছেন সেখানকার সুপরিচিত রাজনৈতিক নেতারা। | Some schools re-opened in Indian-administered Kashmir on Monday but few students turned up amid ongoing tensions over the Indian government's shock decision to strip the region of its special status two weeks ago. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | এখানে আপনি কী দেখছেন? দেশটির অভিবাসন বিরোধী একটি গ্রুপের ফেসবুক পেইজে ওই ছবিটি শেয়ার দেয়া হয়েছিল যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিশ্বব্যাপী ছবিটি প্রচুর শেয়ার হয়। ছবিটি ছিল একটি খালি বাসের। জোহান স্লাত্তাভিক নামের এক ব্যক্তি ছবিটি পোস্ট করে জিজ্ঞেস করেছিলেন "এটি দেখে মানুষ প্রথমে কী মনে করবে?" বিবিসি ট্রেন্ডিং দেখেছে এমন ব্যক্তির প্রশ্নের জবাবে ব্যাঙ্গাত্ম অনেক পোস্ট আসতে শুরু করেছিল। "আমিতো প্রথমে দেখে মনে করেছিলাম এখানে সব বোরকা পরা নারী বসে আছে। পরে দেখি এগুলো সব চেয়ার। নারীরা যে বোরকা পড়াটা বিপজ্জনক তা এখনো সবাই মনে করে" -লিখেছিলেন একজন। আরেকজন লিখেছিলেন "আহা, অসহায় নারী। তারা দাস"। মি: স্লাত্তাভিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো সাড়া পায়নি বিবিসি। কিন্তু ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তিনি সে সময় একঘেয়ে সময় কাটাচ্ছিলেন আর সে কারণে ওই ছবিটি পোস্ট করে তিনি দেখতে চেয়েছিলেন মানুষ তা দেখে কী প্রতিক্রিয়া দেয়। সিন্ড্রে বেয়ার নামে এক ব্যক্তি যখন ওই ছবিটি শেয়ার করে তখন সেটি আরো বেশি মানুষের দৃষ্টি আকষর্ণ করে। একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করেন মি: বেয়ার। ওই গ্রুপটির সদস্য হয়ে ছবিটি শেয়ার দেয়া খুব সহজ কাছ ছিল বলে বিবিসিকে জানান তিনি। "আমি এমন একটি ছবি দেখে ভেবেছিলাম এ ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করে প্রতিক্রিয়া জানানোর এটা একটা সুযোগ। প্রথমে ভেবেছিলাম মি: স্লাত্তাভিক মজা করার জন্য পোস্টটি দিয়েছেন। কিন্তু এটি যখন পাবলিক হয়ে যায় তখন দেখলাম ওই গ্রুপটি তা নিয়ে অখুশী ছিল। খালি বাসের সিটকে তারা বোরকা পরিহিত নারী মনে করেছে এই ভুলের কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্রূপ করা হচ্ছিল" বিবিসিকে বলে মি: বেয়ার। মি: স্লাত্তাভিক মি: বেয়ারের পোস্টে মন্তব্যও করেছেন এই বলে যে তিনি কখনো ভাবেননি তার পোস্টটি নিয়ে এভাবে কেউ কখনো চিন্তা করবে এবং এটাকে যে "অভিবাসন নিয়ে সমালোচনা ও অন্ধ বর্ণবাদের বহি:প্রকাশের একটি মাধ্যম ধরা হবে সেটিও আমি বুঝিনি"। যে গ্রুপে ওই ছবিটি পোস্ট করা হয় সেই গ্রুপটি পর্যালোচনা করে মি: বেয়ার বলছেন "গ্রুপটা কিছুটা গোলমেলে মনে হয়েছে। তারা প্রচুর ভুয়া খবর শেয়ার দেয়"। ওই গ্রুপের বাইরে যখন ছবিটি শেয়ার হতে শুরু করলো অনেকে টুইটারে তাদের নিজস্ব মতামত দিতে শুরু করলেন। জার্মানির একজন যেমন মন্তব্য করেন "ডানপন্থীরা এখন বাসের সিটের মাধ্যমে দেখবেন জাতির হুমকি"। অন্যদিকে ইতালির এক ব্যক্তি এই পোস্ট নিয়ে বলেন "নারীদের বোরকার ওপর আক্রমণ, কিন্তু এটাতো শুধুমাত্র বাসের সিট"। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: | A photograph showing an empty bus in Norway has been gaining worldwide attention. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের সাথে টেরিজা মে যাতে করে তারা ব্রেক্সিট এর পরেও শিক্ষা ,চিকিৎসা সেবা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পেতে পারে। তিনি আরও বলেন ইউকে কখনও চায় না যে বর্তমান ব্রিটেনের অভিবাসী কোন ইউরোপীয় নাগরিক দেশ ত্যাগ করুক । আর তিনি আশা করেন এই ব্যবস্থা পারস্পরিক হবে । ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কাউন্সিলের সম্মেলনে মিসেস মে বলেন "কেউ কোন ধরনের কষ্টকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে না।" বর্তমানে ইউকে তে ৩০ লক্ষ ২০ হাজার ইইউ নাগরিক রয়েছেন। যাদের অনেকের মনে ভয় রয়েছে যে তাদেরকে হয়তবা ফেরত পাঠানো হবে। মিসেস মে জোর দিয়ে ইউকে'র ২৭ টি ইইউ পার্টনারদের বলেন দেশটি চায় না কেউ সেখান থেকে চলে যাক বা কারো পরিবার দুভাগ হয়ে যাক। এদিকে তার এই প্রস্তাবে সতর্ক মন্তব্য করতে দেখা গেছে কয়েকজন বিশ্ব নেতাকে। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গোলা মেরকেল এটাকে 'একটা ভাল শুরু' এই বলে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেন ব্রেক্সিটকে ঘিরে অনেক ইস্যু রয়েছে যেগুলো সমাধান করতে হবে। ইইউ এর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন যখন ইউকের পুরো প্রস্তাব সোমবার প্রকাশিত হয় তখন তারা এর 'লাইন বাই লাইন' পড়ে দেখেছে। ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য ইউকের হাতে ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সময় রয়েছে। | EU nationals with a right to permanent residence can stay in the UK after it leaves the EU and enjoy the same rights, a top civil servant has said. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | নগরায়নে বড়ো ভূমিকা আছে কংক্রিটের। কংক্রিটের প্রধান উপাদান এই সিমেন্ট আমাদের চারপাশের পরিবেশ তৈরিতে রেখেছে বড় ভূমিকা, কিন্তু আমরা কি জানি যে এটি প্রচুর পরিমাণে কার্বনও নির্গমন করে থাকে। যুক্তরাজ্যের এক গবেষণা সংস্থা চ্যাটাম হাউজ বলছে, সারা বিশ্বে যতো কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয় তার ৮ শতাংশের উৎস এই সিমেন্ট। বলা হচ্ছে, সিমেন্ট তৈরির শিল্পকে যদি একটি দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাহলে এই খাতটি হবে কার্বন নির্গমনের বিবেচনায় তৃতীয় একটি দেশ যা সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনের জন্যে দায়ী। প্রথম দুটো দেশ হচ্ছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। বিমান চলাচলের জন্যে ব্যবহৃত জ্বালানী থেকে যতো কার্বন নির্গত হয় (২.৫%) তারচেয়েও অনেক বেশি নির্গত হয় এই বাড়িঘর নির্মাণে ব্যবহৃত এই সামগ্রীটি থেকে। শুধু তাই নয়, কৃষি খাত থেকে নির্গত কার্বনের (১২%) পরিমাণের চেয়েও এটি খুব বেশি পিছিয়ে নেই। যেসব দেশ সিমেন্ট উৎপাদন করে তার তালিকার শীর্ষে রয়েছে চীন, তারপরেই ভারত। এরপরেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, তুরস্ক ও মিশর। চীনের সাংহাই শহরের সড়ক অবকাঠামো। এই সিমেন্ট শিল্পের নেতারাও পোল্যান্ডে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। প্যারিস চুক্তি অনুসারে নির্গত কার্বনের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে সিমেন্টের উৎপাদন কমপক্ষে ১৬ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে। এই সিমেন্টের কারণেই সম্ভব হয়েছে বিশ্বের বড় বড় শহর, ভবন, সেতু, বাঁধ, টাওয়ার ব্লকসহ আরো অনেক স্থাপনা নির্মাণ করা। স্থাপত্যের বিচারে দৃষ্টিনন্দন অনেক কিছুই নির্মাণ করা গেছে এই সিমেন্টের কারণে, যার মধ্যে রয়েছে সিডনি অপেরা হাউজ, দিল্লিতে লোটাস টেম্পল, দুবাই-এ বুর্জ খলিফা, ইতালির রাজধানীতে রোমান টেম্পল প্যানথিওন ইত্যাদি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এই সামগ্রী নগরায়নের ক্ষেত্রে রেখে এসেছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। স্থপতি থেকে শুরু করে বাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান -সকলেই এই সামগ্রীটিকে সাদরে গ্রহণ করে থাকে কারণ এর মাধ্যমেই বালি, পাথর, ইট- এসব সামগ্রীকে এক সাথে বাঁধা হয়। আরো পড়তে পারেন: জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে লবণাক্ততা জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ লোনা পানি কীভাবে গর্ভপাত ঘটাচ্ছে নারীদের "এর জন্যে কম খরচ হয়, যেকোনো জায়গায় এটি উৎপাদন করা যায়, এছাড়াও এই সামগ্রীটি ভবন নির্মাণে খুবই কার্যকরী একটি উপাদান," বলেছেন ফেলিক্স প্রেস্টন, চ্যাটাম হাউজের জ্বালানী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, সিমেন্ট ছাড়াও নির্মাণ করা যায়, কিন্তু সেটা খুবই কঠিন," বলেন তিনি। আর একারণেই সারা বিশ্বে বেড়ে চলেছে সিমেন্টের উৎপাদন। ১৯৫০ দশক থেকে ৯০ এর দশক পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে এশিয়ায়। এই সময়কালের মধ্যে সিমেন্টের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৩০ গুণ। ২০১১ থেকে ২০১৩ সালে সবচেয়ে বিশে সিমেন্ট ব্যবহার করেছে চীন। কিন্তু এখন কিছুটা কমে এসেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরে এই নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি দেখা যাবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এবং সাহারা মরুভূমির আশেপাশের দেশগুলোতে। এর পেছনে কারণ দ্রুত নগরায়ন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন। বড় বড় প্রকল্পে নির্মাণে ব্যবহৃত হয় কংক্রিট। আরো পড়তে পারেন: ঐক্যফ্রন্টের অঙ্গীকার দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় পাবনায় কুমির উদ্ধারে শুরু হয়েছে তৎপরতা প্রথম টি২০ তে বাংলাদেশের হার - কারণ বিশ্লেষণ চ্যাটাম হাউজের গবেষণায় বলা হচ্ছে, সারা বিশ্বে ভবনের সংখ্যা আগামী ৪০ বছরে দ্বিগুণ হবে এবং তার ফলে সিমেন্টের উৎপাদনও ২০৩০ সালের মধ্যে এক চতুর্থাংশ বৃদ্ধি পাবে। অনেকেরই হয়তো ধারণা যে এই সিমেন্ট একটি আধুনিক সামগ্রী যা সাম্প্রতিক কালে খুব বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, এর ব্যবহার চলে আসছে গত কয়েক হাজার বছর ধরে। ধারণা করা হয়, আট হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে কংক্রিটের ব্যবহার শুরু হয়। সিরিয়া ও জর্ডানের ব্যবসায়ীরা জড়িত ছিলেন কংক্রিট বাণিজ্যের সাথে। পরে এই কংক্রিটের ব্যবহারে দক্ষ হয়ে ওঠে রোমানরা। ১১৩ থেকে ১২৫ খৃস্টাব্দে তারা নির্মাণ করে প্যানথিওন। এখন প্রশ্ন হলো কার্বন নির্গমনের জন্যে কিভাবে দায়ী এই সিমেন্ট। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সিমেন্ট তৈরির সময় যে রাসায়নিক প্রক্রিয়া ঘটে সেসময় প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়। সিমেন্টের প্রধান উপাদান হচ্ছে ক্লিংকার। এই ক্লিংকার উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় নির্গত হয় সবচেয়ে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড। রোমের প্যানথিওন। সিমেন্ট উৎপাদন করতে গিয়ে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় চুনাপাথর এবং মাটি। এগুলোকে প্রথমে চূর্ণ করা হয়। তারপর এর সাথে মেশানো হয় লোহার আকরিক অথবা ছাই। তারপর এই মিশ্রণকে ঢোকানো হয় বিশালাকৃতির একটি সিলিন্ডারের ভেতরে। সেখানে ১,৪৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মিশ্রণটিকে গলানো হয়। এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় ক্ল্যাসিনেশন। এসময় উপাদানগুলি ভেঙে ক্যালসিয়াম অক্সাইড ও কার্বন ডাই অক্সাইডে পরিণত হয়। তখন তৈরি হয় ক্লিংকার নামের নতুন একটি উপাদান। এগুলো দেখতে মার্বেল বলের মতো, ধূসর রঙের। তারপর ক্লিংকারগুলোকে ঠাণ্ডা করা হয়। এর সাথে মেশানো হয় জিপসাম এবং চুনাপাথর। তখনই তৈরি হয়ে যায় সিমেন্ট। এই প্রক্রিয়ায় প্রচুর কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি হওয়ার কারণে বিজ্ঞানীরা এখন বিকল্প পদ্ধতিতে সিমেন্ট উৎপাদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। | Concrete is the most widely used man-made material in existence. It is second only to water as the most-consumed resource on the planet. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ভারতীয় সেনা বাহিনী বিবিসির কাছে একটি ছবি পাঠিয়ে দাবি করেছে গালওয়ান ভ্যালির সংঘর্ষে চীন এই হাতে তৈরি লোহার রড অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে হিমালয় পর্বতমালায় চীন-ভারতের বিরোধপূর্ণ সীমান্ত অঞ্চলে এই সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত বিশ জন ভারতীয় সৈন্য এবং দুই পারমানবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। চীন তাদের পক্ষে কোন হতাহতের খবর স্বীকার করেনি। সংঘর্ষে প্ররোচনা দেবার জন্য দু পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে। দুই দেশের মধ্যে সীমান্তের এই এলাকা ভালভাবে চিহ্ণিত নয়। এই গালওয়ান উপত্যকার আবহাওয়া অত্যন্ত বৈরি, সেই সাথে এর অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক ওপরে। এলাকাটি যে কোনরকম ভূ-প্রাকৃতিক পরিবর্তনের ঝুঁকির মুখে থাকে, যা স্পষ্ট সীমানা নির্ধারণ আরও কঠিন করে তোলে। আজ বৃহস্পতিবার ভারত সংঘর্ষে চীন ব্যবহার করেছে বলে যে অস্ত্রের ছবি প্রকাশ করেছে, সেটি দেখা যাচ্ছে লোহার রডের ওপর পেরেক পোঁতা হাতে তৈরি একটি অস্ত্র। ভারতীয় সেনা বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসির কাছে এই ছবিটি দিয়ে জানিয়েছে চীন গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষে এই অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অজয় শুক্লা প্রথম এই ছবি টুইটারে দেন এবং এধরনের অস্ত্র ব্যবহারকে "বর্বরতা" বলে বর্ণনা করেন। দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করার বিষয়ে চুক্তি হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। সংঘাত যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই দুই দেশের মধ্যে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি ও বিস্ফোরকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয় ঐ চুক্তিতে। এই ছবি ভারতে টুইটারে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা তাদের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। তবে চীনা বা ভারতীয় কর্মকর্তারা এ নিয়ে কোন মন্তব্য করেনি। ভারতে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে খাড়া পর্বতের প্রায় ১৪ হাজার ফুট (৪,২৬৭ মিটার) উচ্চতায় দুই দেশের সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে এবং কিছু সৈন্য পা পিছলে খরস্রোতা গালওয়ান নদীতে পড়ে গেছেন, যেখানে শৈল প্রবাহের তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের নিচে। বিবিসি বাংলার দিল্লি সংবাদদাতা শুভজ্যোতি ঘোষ বলছেন একটিও গুলি বিনিময় না হবার পরেও কীভাবে সংঘর্ষে ২০জন ভারতীয় সৈন্যের প্রাণহানি ঘটল তা নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক প্রশ্ন উঠতে শুরু করার পর দেশটির সেনা বাহিনী এই ছবি প্রকাশ করেছে এবং ধারণা দিতে চাইছে যে এই সংঘর্ষে চীনের আচরণ কোনও মতেই ''সামরিক বাহিনী সুলভ'' ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও চীনের মধ্যে বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় ছোটখাট সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও ৪৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা ঘটল। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: প্রাণঘাতী সংঘর্ষের জন্য পরষ্পরকে দুষছে ভারত ও চীন চীন-ভারত সংঘাত: কার শক্তি কতটা, কোন্ দেশ কার পক্ষ নেবে লাদাখে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে সামরিক বৈঠকে যা ঘটল গালওয়ান ভ্যালি: পর্বতচূড়ায় ঠান্ডা ও বৈরি এক যুদ্ধক্ষেত্র ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, এই সংঘর্ষে ৪৩জন চীনা সৈন্য হতাহত হয়ে থাকতে পারে, কিন্তু চীন এখনও পর্যন্ত হতাহত নিয়ে কোন তথ্য দেয়নি। কিছু ভারতীয় সৈন্য এখনও নিখোঁজ বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানকে উদ্ধৃত করে এএফপি বার্তা সংস্থা জানাচ্ছে ভারত দুবার সীমান্ত অতিক্রম করে চীনের এলাকায় ঢুকেছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, "ভারতীয় সেনারা চীনা সৈন্যদের ওপর হামলা চালিয়ে প্ররোচনা দিলে সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের মধ্যে বড় ধরনের হাতাহাতি সংঘর্ষ হয়।" বুধবার ভারতীয় সেনা বাহিনীর ট্রাক লাদাখ অভিমুখে যায় কোন গোলাগুলি ছিল না কেন? লাদাখে গালওয়ান নদী উপত্যকায় আবহাওয়া খুবই বৈরি এবং এলাকাটি পাহাড়ের খুবই উঁচুতে। এটি দুই দেশের মধ্যকার ডি-ফ্যাক্টো সীমান্ত, যাকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি বলে তার পশ্চিম অংশে এবং আকসাই চীনের কাছে, যেটি বিতর্কিত একটি অঞ্চল। এটি চীন-শাসিত, কিন্তু এর মালিকানা ভারত দাবি করে। সীমান্তে প্রথাগত অস্ত্র ব্যবহার করে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে এটাই প্রথমবার লড়াই নয়। দুদেশের মধ্যে অস্পষ্টভাবে চিহ্ণিত ৩,৪৪০ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ এলএসিতে ভূখন্ডের মালিকানা নিয়ে দুদেশের মধ্যে মুখোমুখি সংঘাতের ইতিহাস পুরনো। সীমাান্তে শেষবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটে ১৯৭৫য়ে যখন অরুণাচল প্রদেশের একটি প্রত্যন্ত গিরিপথে চারজন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়েছিল। ওই সংঘর্ষের ঘটনাকে সাবেক কূটনীতিকরা আকস্মিক আক্রমণ ও দুর্ঘটনা বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। এরপর আর কোন বুলেট ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেনি। এরপর দুই দেশের মধ্যে ১৯৯৬ সালে চুক্তি হয় যে, এলএসির দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোন পক্ষই গোলাগুলি চালাবে না বা কোন কারণে কোনরকম বিস্ফোরক ব্যবহার করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনাপূর্ণ সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। মে মাসে লাদাখেই সীমান্তবর্তী প্যাংগং লেকে এবং সিকিম ভারত সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি না হলেও দুই পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে | An image has emerged showing a crude weapon purportedly used by Chinese forces in the fatal brawl along China's disputed border with India on Monday. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | হোপ হিকস ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহযোগীদের একজন আর দীর্ঘদিনের উপদেষ্টা তাকে 'হোপস্টার' নামে ডাকতেন মি. ট্রাম্প। মনে করা হয়, তিনি ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহযোগীদের একজন, যে তার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন এবং অনেক সময় সেটি পাল্টাতেও পারতেন। মিস হিকস বলছেন, হোয়াইট হাউজ থেকে যা কিছু পাওয়ার, সবই তার পাওয়া হয়ে গেছে। আরো পড়ুন: বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির নিয়ন্ত্রণ কার হাতে? নেইমার কি এবারের বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন? নির্বাচনী প্রচারের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করা হোপ হিকসকে হোয়াইট হাউজের কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর বা যোগাযোগ পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো গত বছর সেপ্টেম্বরেই। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে এই পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ২০১৫ সাল থেকেই মিস্টার ট্রাম্পের সাথে কাজ করে আসছিলেন ২৯ বছর বয়সী সাবেক এই মডেল। তবে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডারস বলেছেন মিস হিকস কখন প্রশাসন থেকে বিদায় নেবেন সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। এর আগে মঙ্গলবারই হাউজ ইন্টিলেজেন্স কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং খবর পাওয়া যাচ্ছে যে সেখানে তিনি কখনো কখনো মিস্টার ট্রাম্পের পক্ষে নির্দোষ মিথ্যা বলার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্তে কোন অসত্য বলার কথা প্রত্যাখ্যান করেছেন। রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্প শিবিরের সম্পর্ক বিষয়ে এই তদন্তে হোপ হিকস একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হতে যাচ্ছেন বলে মনে করা হয়। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার সময়কার ছবিতে হোপ হিকস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প কে এই হোপ হিকস? কানেক্টিকাটের গ্রীনউইচের হোপ হিকস স্কুল এবং কলেজে খেলাধুলাতে বেশ নামডাক তৈরি করেন। টিনএজার বয়স থেকেই তিনি মডেলিং শুরু করেন এবং একবার রালপ লরেনের মডেল হিসাবেও কাজ করেছেন। আগে তিনি একটি বেসরকারি জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন, যে প্রতিষ্ঠানটি ইভানঙ্কা ট্রাম্পের ফ্যাশন ব্রান্ড এবং ট্রাম্প প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রোপার্টি ব্রান্ডগুলো দেখাশোনা করে। ২০১৪ সালে তিনি ট্রাম্প অর্গানাইজেশনে যোগ দেন। এর পরের বছরই ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে নির্বাচনী প্রচারণা দলে যুক্ত করেন, যদিও তার রাজনৈতিক কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। তাকে 'হোপস্টার' নামে ডাকতেন মি. ট্রাম্প। মনে করা হয়, তিনি ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহযোগীদের একজন, যে তার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন এবং অনেক সময় সেটি পাল্টাতেও পারতেন। তবে কিছুদিন আগে গৃহ নির্যাতনের অভিযোগে পদত্যাগ করা হোয়াইট হাউজ কর্মী রব পোর্টারের ঘটনায় তার নাম আসে। বলা হয়, সে সময় মিস হিকস রব পোর্টারের সঙ্গে প্রেম করছিলেন। মি. পোর্টারের পক্ষে সাফাই গেয়ে একটি প্রাথমিক স্টেটমেন্টও তৈরি করেছিলেন মিস হিকস, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছিল বলে জানা যাচ্ছে। | One of US President Donald Trump's longest-serving aides, Hope Hicks, will return to the White House nearly two years after she resigned. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ম্যুয়েলার প্রতিবেদনের পর থেকেই কোন কোন ডেমোক্র্যাট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ করার দাবি তুলতে শুরু করেছেন 'যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে' প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছেন বলে মার্কিন কংগ্রেসের আইন প্রণেতাদের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের নির্বাচনে পুনরায় বিজয়ী হওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি ইউক্রেনের কাছ থেকে 'বিদেশি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন'। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করার লক্ষ্যে ওই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। তবে অন্যায় কোন কিছু করার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই তদন্তকে 'উইচ-হান্ট' বা কাউকে জোর করে দোষী বানানোর চেষ্টা বলে বর্ণনা করেছেন। এই খসড়া প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন এই তদন্তকে 'অত্যন্ত দেশপ্রেমহীন' বলেও আক্রমণ করেছেন। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি স্টেফানি গ্রিশাম বলেছেন, ডেমোক্র্যাটরা 'অন্যায়ের কোন প্রমাণ উপস্থাপন করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে' এবং এই প্রতিবেদনে 'তাদের হতাশার কথা ছাড়া' আর কিছু নেই। প্রতিবেদনটি এখন কংগ্রেসের বিচার বিভাগীয় কমিটিতে যাবে। বুধবার সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে যে, মি. ট্রাম্পকে অপসারণ করার জন্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হবে কিনা। আরো পড়ুন: ইমপিচমেন্ট কী, কেন ও কিভাবে করা হয়? ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করা কি সত্যি সম্ভব? মার্কিন প্রেসিডেন্টের ফোনালাপ কে শুনতে পারে? প্রতিবেদনে কী বলা হয়েছে? ট্রাম্প-ইউক্রেন ইমপিচমেন্ট তদন্ত রিপোর্টটি মঙ্গলবার প্রকাশ করে হাউজ পার্মানেন্ট সিলেক্ট কমিটি অন ইন্টেলিজেন্স। সেখানে বলা হয়েছে, তদন্তে 'বেরিয়ে এসেছে যে, ২০২০ সালের নির্বাচনে তার পক্ষে বিদেশি সহায়তা পাওয়ার জন্য কয়েকমাস ধরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার দপ্তরকে ব্যবহার করেছেন'। 'ইউক্রেনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ধ্বংস করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রেসিডেন্ট পদে পুন-নির্বাচনের প্রচারণায় সহায়ক হতো, এমন দুইটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত তদন্তের স্বার্থে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করেছেন'। 'প্রেসিডেন্ট দাবি করেছিলেন যে, নতুন নির্বাচিত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদামির জেলেনস্কি প্রকাশে তার (ডোনাল্ড ট্রাম্পের) রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ব্যাপারে তদন্ত শুরু করার ঘোষণা করবেন। সেই সঙ্গে লজ্জাজনক একটি বার্তা দেয়া হবে যে, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া নয়, ইউক্রেন হস্তক্ষেপ করেছিল।' 'অসদাচরণের প্রমাণ অত্যন্ত 'প্রবল' এবং কংগ্রেসের কাজে বাধা দেয়ার ক্ষেত্রে এমন প্রমাণ মিলেছে,' বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। বিবিসির উত্তর আমেরিকার সংবাদদাতা অ্যান্থনি জুর্কারের বিশ্লেষণ লক্ষণীয় নতুন বিষয় যারা দুই সপ্তাহ আগে ইমপিচমেন্ট শুনানিতে অ্যাডাম স্কিফের র সমাপনী বক্তব্য শুনেছেন, তারা হয়তো এই প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ দেখে খুব একটা অবাক হবেন না। তবে তিনশো পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনের মধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন লক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। টেলিযোগাযোগ কোম্পানি এটিএন্ডটি কমিটির তদন্তে রুডি জুলিয়ানির মোবাইল ফোন রেকর্ড সরবরাহ করেছে। এর মাধ্যমে হোয়াইট হাউজের সঙ্গে মি. ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবীর ব্যাপক যোগাযোগ ও তার সময় সম্পর্কে নতুন করে জানা যাচ্ছে। এ বছরের এপ্রিল থেকে শুরু করে রুডি জুলিয়ানি হোয়াইট হাউজের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে অনেকবার টেলিফোনে আলাপ করেছেন, যাদের মধ্যে বিশেষ করে ব্যবস্থাপনা ও বাজেট বিষয়ক দপ্তরের কর্মকর্তারা রয়েছেন, যে সরকারি এজেন্সি ইউক্রেনের জন্য কংগ্রেসের বরাদ্দ করা সামরিক সহায়তা স্থগিত করার কাজটি করেছে। যতদিন পর্যন্ত এসব তথ্য জানা যায়নি, ততদিন পর্যন্ত প্রেসিডেন্টে পক্ষের অনেকের মধ্যে একটি বিতর্ক চলছিল যে, জুলিয়ানি হোয়াইট হাউজের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের স্বতন্ত্রভাবে পরিচালনা করছিলেন। বেশ কয়েকজন সাক্ষী, যাদের মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে মার্কিন রাষ্ট্রদূত গর্ডন সোন্ডল্যান্ড সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, প্রেসিডেন্টের কথা বলে জুলিয়ানি তাদের সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন যেন ইউক্রেনের ওপর চাপ দেয়া হয়, যাতে তারা তদন্ত শুরু করে, যা মি. ট্রাম্পের জন্য রাজনৈতিকভাবে সুবিধা এনে দেবে। এখন জুলিয়ানি এবং হোয়াইট হাউজের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপারটি আরো পরিষ্কার হলো। পরবর্তীতে কী হতে যাচ্ছে? প্রতিবেদনটি অনুমোদন করা এবং কংগ্রেসের বিচার বিভাগীয় কমিটিতে পাঠানো হবে কিনা, সেই প্রসঙ্গে ইন্টেলিজেন্স কমিটিতে যে ভোটাভুটি হয়েছে, তাতে দলগতভাবেই ভোট পড়েছে, পক্ষে ১৩ আর বিপক্ষে ৯। চারজন সংবিধান বিশেষজ্ঞকে নিয়ে বিচার বিভাগীয় প্যানেলের শুনানি শুরু হবে, যারা ব্যাখ্যা করবেন যে, কীভাবে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া কাজ করবে। সেখানে 'সততার' অভাব রয়েছে দাবি করে ওই শুনানিতে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। অতীতে যেসব ইমপিচমেন্ট অভিযোগ আনা হয়েছিল, সেখানেও ক্ষমতার অপব্যবহার, বিচারে বাধা দান এবং কংগ্রেসের অবমাননার মতো অভিযোগ ছিল। বছর শেষ হওয়ার আগেই প্রতিনিধি পরিষদে ইমপিচমেন্ট ইস্যুতে ভোটাভুটি করতে চায় ডেমোক্র্যাটরা, যার ফলে সামনের জানুয়ারিতে সিনেটে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। House Intelligence Committee Chairman Adam Schiff (left) and Speaker of the House Nancy Pelosi রিপাবলিকানরা কী বলছে? খসড়া প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগেই প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকানরা তাদের নিজস্ব ১২৩ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে 'অনির্বাচিত আমলা'দের নিন্দা জানানো হয়, যারা তদন্তে সাক্ষ্য দিয়েছে। সেখানে বলা হয়, তারা 'মৌলিকভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ধরন, বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি এবং সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন'। ওই প্রতিবেদনে ডেমোক্র্যাটদের অভিযুক্ত করে বলা হয়, তারা 'আমেরিকান জনগণের ইচ্ছাকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে' এবং দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই তারা প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করছে। 'ডেমোক্র্যাট কোন সাক্ষীই ঘুষ, চাঁদাবাজি ও অন্য কোন ধরণের অপকর্মের প্রমাণ দিতে পারেনি,' বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব অপরাধ কোন প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ক্ষেত্রে সংবিধানে রয়েছে। তবে রিপাবলিকানদের এসব দাবি নাকচ করে দিয়ে হাউজ ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডাম স্কিফ বলেছেন, 'এটা (রিপাবলিকানদের প্রতিবেদন) শুধুমাত্র একজন দর্শকের জন্যই করা হয়েছে' যিনি হলেন মি. ট্রাম্প এবং তার বিরুদ্ধে আনা অসংখ্য অভিযোগ অগ্রাহ্য করা হয়েছে। লন্ডনে নেটো জোটের সত্তরতম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার সময় মি. ট্রাম্প অ্যাডাম স্কিফের নাম ধরে সমালোচনা করে বলেছেন, তিনি হচ্ছেন একজন 'উন্মাদ', 'খুব অসুস্থ ব্যক্তি' এবং 'মানসিক বিকারগ্রস্ত একজন মানুষ'। অন্যায় কোন কিছু করার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই তদন্তকে 'উইচ-হান্ট' বা কাউকে জোর করে দোষী বানানোর চেষ্টা বলে বর্ণনা করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো কী? ডেমোক্র্যাটরা বলছে, ইউক্রেনকে তদন্তে বাধ্য করার জন্য দুইটি বিষয় ব্যবহার করেছেন মি. ট্রাম্প। একটি হলো ইউক্রেনের জন্য চারশো মিলিয়ন বা ৪০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা, যার এর মধ্যেই কংগ্রেস অনুমোদন করেছে। আরেকটি হলো হোয়াইট হাউজে মি. জেলেনস্কির সঙ্গে একটি বৈঠক। তারা মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মিত্র দেশের ওপর এই রাজনৈতিক চাপ দেয়ার মানে হচ্ছে ক্ষমতার অপব্যবহার করা। দুইটি তদন্তের মধ্যে প্রথমেই মি. ট্রাম্প চাইছিলেন যেন, ইউক্রেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক প্রার্থী জো বাইডেন এবং তার ছেলে হান্টারের ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে। জো বাইডেন যখন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন হান্টার ইউক্রেনের একটি এনার্জি কোম্পানির বোর্ডে যোগ দেন। দ্বিতীয় যে তদন্ত চাইছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, সেটি হলো, ইউক্রেন যেন একটি ষড়যন্ত্র থিওরিতেত সহায়তা করে, যার ফলে এটা বোঝানো হবে যে, ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়া নয়, বরং ইউক্রেন হস্তক্ষেপ করেছিল। ওই থিওরি আগেই বাতিল করে দেয়া হয়েছে এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সর্বসম্মতভাবে বলে আসছে যে, ২০১৬ সালে ডেমোক্র্যাট পার্টির ইমেইল হ্যাকিংয়ের পেছনে মস্কো রয়েছে। ইমপিচমেন্ট কীভাবে হয়? যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রেসিডেন্টকে তার দপ্তর থেকে সরাতে কংগ্রেসের রাজনৈতিক দুইটি প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপটি হলো ইমপিচমেন্ট। শুনানির পরে প্রতিনিধি পরিষদে যদি ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবটি পাস হয়, তাহলে সিনেট এ ব্যাপারে একটি বিচার কার্যক্রম গ্রহণ করতে বাধ্য হবে। সিনেটে দোষী প্রমাণিত এবং প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করতে হলে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার হবে। তবে এক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দলই সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দুইজন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাস হয়েছিল। তাদের একজন হচ্ছেন বিল ক্লিনটন, আরেকজন অ্যান্ড্রু জনসন। তবে তাদের কেউই সিনেটে দোষী প্রমাণিত হননি বা ক্ষমতা থেকেও সরে যেতে হয়নি। ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেছিলেন আরেকজন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন। | Evidence for impeaching US President Donald Trump for misconduct in office is "overwhelming", according to the panel leading the impeachment inquiry. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | রাহুল গান্ধী ও নরেন্দ্র মোদী। ফাইল ছবি রবিবার বিকেলে দিল্লিতে ডাকা এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতে আগামী নির্বাচনের এই তফসিল ঘোষণা করেন দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। এর আগে কংগ্রেস-সহ ভারতের বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করেছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সারা দেশ জুড়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের সুযোগ করে দিতেই ভারতে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন অবশ্য এদিন সেই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে। তারা আরও জানিয়েছে, নির্বাচনের আগে সব দল ও প্রার্থীদের যে 'মডেল কোড অব কন্ডাক্ট' বা আদর্শ আচরণবিধি মেনে চলতে হয়, তা আজ রবিবার থেকেই বলবৎ হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা আরও জানিয়েছেন, গত সাধারণ নির্বাচনে সারা দেশে মোট নয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হলেও এবারে তা কমিয়ে সাত দফায় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা কোথায় কবে ভোটগ্রহণ হবে, তা স্থির করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর 'মুভমেন্ট' এবং কোথায় কবে তাদের পাওয়া যাবে সেই ফ্যাক্টরটি বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান। "যেমন আমরা দেশের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে একসঙ্গে ভোট করাতে চেয়েছি, কারণ সেখানে প্রচুর নিরাপত্তা কর্মীর প্রয়োজন হবে।" "সেখানকার প্রয়োজন মিটলে তারপর অন্যান্য জায়গায় তাদের মুভ করানো হবে", বলেন মি অরোরা। যে সাত দফায় সারা দেশে ভোটগ্রহণ হবে, সেই তারিখগুলো হল ১১ এপ্রিল, ১৮ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ৬ মে, ১২ মে ও ১৯ মে। শেষ দফার ভোট মিটলে তার চারদিনের মাথায় একসঙ্গে সব পর্বের ভোট গোনা হবে। পশ্চিমবঙ্গে লোকসভার আসন আছে মোট ৪২টি। সাত দফার ভোটগ্রহণের প্রতি দিনই ওই রাজ্যের কোনও না কোনও আসনে ভোট নেওয়া হবে। এর আগে ভারতের বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন শাসক দলকে সুবিধে করে দিতেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের টুইট আরো পড়তে পারেন: ভারত পাকিস্তানের টিভি স্টুডিওতে যেভাবে যুদ্ধ হলো মানসা মুসা: সর্বকালের সেরা ধনী যে মুসলিম শাসক 'বাবারা সবশেষ ভোট দিয়েছেন, এবার আমরা দিব' শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতা ও এমপি আহমেদ প্যাটেল পাঁচ দিন আগে টুইট করেছিলেন, 'কেন এখনও ভোটের দিন ঘোষণা করা হচ্ছে না? প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সফর শেষ হওয়ার জন্যই কি নির্বাচন কমিশন অপেক্ষা করছে?' প্রসঙ্গত, গত এক মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সারা দেশে অন্তত ১৫৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন, যেগুলোর মোট খরচ হাজার হাজার কোটি টাকা। ভোটের দিন ঘোষণা হলে যেহেতু আদর্শ আচরণিবিধি চালু হয়ে যায়, তাই তখন আর প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের কোনও উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করতে পারেন না। কিন্তু কমিশন এদিন দাবি করেছে, তাদের তফসিল ঘোষণায় কোনও দেরি হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগকেও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তারা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা বলেছেন, "বর্তমান লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩রা জুন। এর আগে ২০১৪ সালে বিগত লোকসভার মেয়াদ শেষ হয়েছিল সেই বছরের ৩১শে মে। ফলে স্পষ্টতই আমাদের হাতে কয়েকটা বাড়তি দিন ছিল।" এদিকে ভারতে ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা প্রশ্ন তুলেছিল। ভারতে ইভিএম নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির চলছে। ফাইল ছবি কিন্তু কমিশন এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে, ভারতে এবারের নির্বাচনে ইভিএমের প্রয়োগ কোনও ভাবেই সঙ্কুচিত করা হবে না। তবে প্রতিটি ইভিএম যন্ত্রের সঙ্গেই ভিভিপ্যাট (ভোটার ভেরিফায়েবেল পেপার অডিট ট্রেইল) থাকবে, যাতে ইভিএমে-র ফল নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠলে কাগজের ব্যালটের মাধ্যমে তা যাচাই করার সুযোগ থাকবে। এদিকে যে বিতর্কিত কাশ্মীর ভূখন্ড নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান গত সপ্তাহেও যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছিল, সেখানে লোকসভা নির্বাচন হলেও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এখনই করানো হচ্ছে না। ভারত-শাসিত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে বিধানসভা ভেঙে দিয়ে এখন রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম ও ওড়িশা - দেশের এই চারটি রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীরের নাম সেই তালিকাতে নেই। | India's general election will take place in nine phases in April and May, the Election Commission has announced. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | গাযার রুটি বিক্রেতা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাযায় টানা এগারো দিন তীব্র লড়াই চলার পর একটা আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি হয়েছে। গত বেশ কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক এই লড়াইয়ের তীব্রতার কারণে জাতিসংঘ একটা "পুরো মাত্রার যুদ্ধ বাধার'' আশংকা প্রকাশ করেছিল। গোড়াতে গাযা ছিল মিশর অধিকৃত। ১৯৬৭ সালের মধ্য প্রাচ্য যুদ্ধের সময় ইসরায়েল গাযার দখল নেয়। পরে ২০০৫ সালে ইসরায়েল সেখান থেকে তাদের সৈন্য এবং প্রায় ৭ হাজার বসতিস্থাপনকারীকে সরিয়ে নেয়। গাযা এখন নিয়ন্ত্রণ করছে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস। ২০০৭ সালে তৎকালীন ক্ষমতাসীন ফিলিস্তিনি প্রশাসনের ভেতর চরম মতভেদের পর হামাস গাযার নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয়। এরপর থেকে ইসরায়েল এবং মিশর গাযার ভেতর থেকে মালামাল ও মানুষের চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তাদের যুক্তি, জঙ্গীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসাবে এই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে একটা স্বল্পস্থায়ী লড়াই হয়েছিল ২০১৪ সালে। আর এই বছর মে মাসে দুই পক্ষের মধ্যে সহিংস লড়াই তীব্র মাত্রা নেয়। গাযায় সাম্প্রতিক এই লড়াইয়ে বহু ভবন ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেমে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা বাড়ার পটভূমিতে গাযায় সর্বসাম্প্রতিক ১১দিনের রক্তক্ষয়ী এই লড়াই শুরু হয়। এর জেরে সংঘর্ষ হয়েছে শহরে মুসলিম ও ইহুদিদের পবিত্র স্থানে। হামাস ইসরায়েলকে সেখান থেকে সরে যাবার হুঁশিয়ারি দেবার পর ১০ই মে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ শুরু করলে ইসরায়েল পাল্টা বিমান হামলা চালায়। দুই পক্ষের লড়াই এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে, দ্রুত সহিংসতার মাত্রা ২০১৪ সালে ইসরায়েল ও গাযার লড়াইকে ছাপিয়ে যায়। বিদ্যুতের তীব্র সঙ্কট গাযায় এমনি সময়ই প্রতিদিন বিদ্যুত চলে যায়। এই লড়াই শুরু হবার আগে গাযার বাসাগুলোতে পালা করে প্রতিদিন মাত্র আট ঘন্টার জন্য বিদ্যুত দেয়া হতো। আরও পড়তে পারেন: গাযায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত না থাকা সেখানকার জনজীবনে বিরাট একটা সমস্যা সাম্প্রতিক লড়াইয়ে বিদ্যুতের লাইনগুলো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে এবং দেখা দিয়েছে তীব্র জ্বালানি সঙ্কট। জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সমন্বয়কারী দপ্তর (ওচা) বলছে এখন বেশিরভাগ বাসাবাড়িতে বিদ্যুত আসছে দিনে মাত্র তিন চার ঘন্টা করে। কোথাও কোথাও তাও ভেঙে পড়েছে। গাযা ভূখন্ডে বিদ্যুত সরবরাহের একটা বড় অংশ আসে ইসরায়েল থেকে। খুব নগণ্য একটা অংশ উৎপাদিত হয় গাযার একটাই মাত্র বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র থেকে, আর সামান্য অংশ সরবরাহ করে মিশর। গাযার বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র এবং মানুষের বাসাবাড়িতে যে জেনারেটর আছে তার জন্য নির্ভর করতে হয় ডিজেল জ্বালানির ওপর। কিন্তু ইসরায়েল হয়ে যে জ্বালানি গাযায় আসে তা প্রায়শই বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে সাধারণ সময়েও বিদ্যুত সরবরাহ বিঘ্নিত থাকে। লড়াইয়ের ফলে তা এখন আরও তীব্র হয়েছে। সীমান্ত পারাপারের সমস্যা গাযা থেকে চলাচলের ক্ষেত্রে রয়েছে বড়ধরনের সমস্যা। হামাস ২০০৭ সালে গাযায় ক্ষমতা গ্রহণের পর, মিশর গাযার সাথে তাদের সীমান্ত মূলত বন্ধই করে রেখেছে। গত বছর করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর জন্য সীমান্তে আরও বাড়তি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মিশরে যাতায়াতের জন্য রাফা সীমান্ত চৌকি এবং ইসরায়েলে ঢোকা ও বেরনর জন্য এরেজ সীমান্ত পারাপার চৌকি দুটোই ২০২০ সালে প্রায় ২৪০দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয় এবং খোলা হয় মাত্র ১২৫ দিনের জন্য বলে জানাচ্ছে জাতিসংঘ সংস্থা ওচা। মিশর ২০০৭ সাল থেকে গাযার সাথে তাদের সীমান্ত মূলত বন্ধই রেখেছে প্রায় ৭৮ হাজার মানুষ ২০১৯ সালে দক্ষিণের রাফা সীমান্ত দিয়ে গাযা থেকে বাইরে বেরিয়েছিলেন, কিন্তু ২০২০ সালে তা কমে দাঁড়ায় ২৫ হাজারে। উত্তরে এরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে যাতায়াতের সংখ্যাও নাটকীয়ভাবে কমে গেছে ২০২০ সালে - যার কারণ আংশিকভাবে ছিল করোনাভাইরাস ঠেকাতে জারি করা বিধিনিষেধ। এবছর এরেজ সীমান্ত চৌকি দিয়ে গাযা থেকে বেরতে পেরেছেন মাত্র প্রায় ৮ হাজার মানুষ। এদের বেশিরভাগই ছিলেন চিকিৎসা নিতে ইসরায়েলে যাওয়া মানুষ অথবা রোগীর সাথে যাওয়া আত্মীয়স্বজন বা তাদের নিকটজন। সাম্প্রতিক এই লড়াই শুরু হবার আগে এই সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করেছিল। ত্রাণবাহী কিছু গাড়ির বহরকে যাতায়াতের অনুমতি দেয়া হচ্ছিল। এছাড়া সীমান্ত মূলত বন্ধই করে দেয়া হয়। সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কে হামলা জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাযার জনসংখ্যার প্রায় ৮০% বিদেশি ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল। প্রায় দশ লাখ মানুষ খাবার জন্য দৈনন্দিন খাদ্য সহায়তার মুখাপেক্ষী। যাতায়াতের ওপর ইসরায়েল অবরোধ জারি করার ফলে গাযা থেকে ঢোকা ও বেরন মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে মানুষের ব্যবসা বাণিজ্য করার সুযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মিশরের সাথে সীমান্তে মাটির নিচে দিয়ে এই চোরা সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছে বাইরে থেকে খাদ্যসামগ্রী এবং অস্ত্রশস্ত্র আনার জন্য অবরোধের বেড়াজাল ডিঙাতে হামাস সুড়ঙ্গ পথের নেটওয়ার্ক তৈরি করে, যার মাধ্যমে গাযা ভূখন্ডে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে আসা হতো। এই সুড়ঙ্গ থেকেই হামাস তাদের গুপ্ত কমান্ড কেন্দ্রও পরিচালনা করে। ইসরায়েল বলছে জঙ্গীরা এই টানেল বা সুড়ঙ্গ পথ ব্যবহার করে চোখের আড়ালে ঘোরাফেরা করে। ফলে এই সুড়ঙ্গপথগুলো ধ্বংস করতে তারা বিমান হামলা চালিয়েছে। ফলে খাদ্য সরবরাহের চোরা পথও বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। করোনাভাইরাসও স্থানীয় অর্থনীতির জন্য বড়ধরনের বিপর্যয় তৈরি করেছে। বিশ্ব ব্যাংক বলছে গাযা এই অর্থনৈতিক বিপর্যয় সবে মাত্র কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছিল। ফলে এই লড়াই সেই ঘুরে দাঁড়ানোর পথে বড়ধরনের একটা ধাক্কা দিয়েছে। বসবাসও গাযার বাসিন্দাদের জন্য কঠিন সমস্যা গাযা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাযায় আটটি শিবিরে গাদাগাদি করে বাস করেন প্রায় ৬ লক্ষ শরণার্থী। সাধারণত এক বর্গ কিলোমিটার এলাকায় গড়ে বসবাস করেন ৫,৭০০র বেশি মানুষ- যে পরিসংখ্যান লন্ডনের জনঘনত্বের কাছাকাছি। কিন্তু গাযা সিটিতে এক বর্গ কিলোমিটারে বাস করেন ৯ হাজারের অধিক মানুষ। গাযা থেকে রকেট হামলা ও জঙ্গী অনুপ্রবেশ থেকে সুরক্ষার জন্য ইসরায়েল ২০১৪ সালে একটি বাফার জোন ঘোষণা করে। ইসরায়েল ও গাযার মধ্যে বেশ বিস্তীর্ণ এই এলাকা তারা গড়ে তোলে যাতে গাযা থেকে চালানো কোনরকম হামলা থেকে তাদের দেশ নিরাপদ দূরত্বে থাকতে পারে। কিন্তু এই বিস্তীর্ণ এলাকা বাফার জোনের অংশ করে নেওয়ায় স্থানীয় মানুষদের থাকার এবং কৃষিকাজের জন্য জমি অনেকটাই কমে গেছে। গাযার একটি ব্যস্ত রাস্তা আল-মুকতার স্ট্রিট- শহরের প্রাণকেন্দ্র। নিচের টুইটে লড়াইয়ে বিধ্বস্ত রাস্তার ছবি পোস্ট করেছেন এক টুইট ব্যবহারকারী। জাতিসংঘের হিসাব বলছে ২০১৪ সালের যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বা বিধ্বস্ত হয়েছিল ১ লাখ ৪০ হাজার বসতবাড়ি। প্রায় ৯০ হাজার মানুষকে তাদের বসতবাড়ি আবার নির্মাণ করার কাজে তারা সহায়তা দিয়েছিল। ওচা বলছে এখন সাম্প্রতিক এই যুদ্ধের কারণে কয়েকশ বসতবাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে। অনেক বাড়ি মাটিতে মিশিয়ে গেছে। তারা বলছে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে বেশ সময় লেগে যাবে। আরও পড়তে পারেন: স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চাপের মুখে গাযার জন-স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা নানা কারণে সঙ্গিন। জাতিসংঘ সংস্থা ওচা বলছে ইসরায়েল ও মিশরের দিক থেকে অবরোধ, পশ্চিম তীর কেন্দ্রিক ফিলিস্তিনি প্রশাসনের গাযার জন্য অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য বরাদ্দ এবং ফিলিস্তিনি প্রশাসনের মধ্যে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং হামাসের কর্মকাণ্ড সবই গাযার করুণ স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার জন্য দায়ী। জাতিসংঘ গাযায় ২২টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালায়। ইসরায়েলের সাথে পূর্ববর্তী সংঘাতের সময়ই গাযার বেশ কিছু হাসপাতাল ও ক্লিনিক ক্ষতিগ্রস্ত বা বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করা একটি শিশুকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে গাযার কোন রোগীর যদি পশ্চিম তীর বা পূর্ব জেরুসালেমের হাসপাতালে চিকিৎসা নেবার দরকার হয়, তাহলে তাকে আগে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করে তার জন্য অনুমোদন নিতে হবে। তারপর ইসরায়েল সরকারের কাছে গাযা থেকে বেরনর জন্য পাস যোগাড় করতে হবে। ২০১৯ সালে গাযা ভূখন্ড থেকে চিকিৎসা থেকে বেরন আবেদন অনুমোদনের হার ছিল ৬৫%। গত কয়েক মাসে করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রীতিমত প্রবল চাপের মুখে রয়েছে। এপ্রিল মাসে গাযায় প্রতিদিন সংক্রমণের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০০০। মহামারি শুরু হবার পর থেকে গাযায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লক্ষ ৪ হাজার। ভাইরাসে মারা গেছে ৯৪৬জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুঁশিয়ার করেছে যে গাযা ইসরায়েল সীমান্তে বিধিনিষেধের কারণে শত্রুতার শিকার রোগীরা প্রাণ বাঁচানোর জন্য চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত তো হচ্ছেই, এই প্রাণঘাতী ভাইরাস মোকাবেলার কাজও এর কারণে ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে এর কারণে "গুরুত্বপূর্ণ" টিকাদান কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই অবস্থায় মানুষজন যুদ্ধের কারণে এখন আপদকালীন বাসস্থানে গাদাগাদি করে আশ্রয় নেবার কারণে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বড়ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। খাবার ও জীবিকার সঙ্কট জাতিসংঘের হিসাবে গাযায় দশ লাখের ওপর মানুষ "মাঝারি থেকে গুরুতর খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে" শ্রেণিভুক্ত, যদিও সেখানে প্রচুর মানুষ কোন না কোন ধরনের খাদ্য সহায়তা পেয়ে থাকে। ত্রাণের খাদ্যবাহী গাড়ির বহর যাবার জন্য সীমান্ত পারাপারের চৌকিগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু গোলাবর্ষণের কারণে খাদ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। গাযার মানুষের কৃষিকাজ ও মাছধরার ওপর ইসরায়েল যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে তার ফলে গাযার বাসিন্দারা নিজেদের প্রয়োজনের জন্য পর্যাপ্ত খাবার উৎপাদন করতেও অক্ষম। বহু পরিবার থাকেন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের ঘোষিত বাফার জোন এলাকায় গাযার মানুষ চাষবাস করতে পারেন না। এই এলাকা সীমান্তে গাযার দিকে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। এর কারণে গাযায় বছরে আনুমানিক ৭৫ হাজার টন কম ফসল উৎপাদিত হয়। ইসরায়েল গাযার জন্য মাছ ধরার ক্ষেত্রেও সীমানা বেঁধে দিয়েছে। গাযার বাসিন্দাদের উপকূল থেকে মাত্র কিছু দূর পর্যন্ত মাছ ধরার অনুমতি আছে। জাতিসংঘ বলছে এই বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হলে মাছ ধরে গাযার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতে পারত। এবং এলাকার মানুষ সস্তায় প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার সুযোগ পেত। এগারো দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর ইসরায়েল গাযা ভূখন্ড থেকে কোনরকম মাছ ধরার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। গত কয়েক বছরে ইসরায়েল বিভিন্ন সময়ে মাছ ধরার এলাকার সীমানা বিভিন্নভাবে বদলেছে। ফলে গাযার প্রায় ৫ হাজার জেলে ও মৎস্য খাতে সংশ্লিষ্টদের রুজিরোজগারে বড়ধরনের বিঘ্ন তৈরি হয়েছে। পানির নিত্য সঙ্কট গাযার বেশিরভাগ মানুষ পানির সঙ্কটে দিন কাটান। কলের পানি লবণাক্ত এবং দূষিত এবং পানের উপযোগী নয়। রাস্তার কল থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয় গাযা বহু বাসিন্দাকে গাযার বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের বাসায় পাইপ লাইনে পানির সংযোগ থাকলেও ওচা বলছে পরিবারগুলো পানি প্রায় অনিয়মিতভাবে। ২০১৭ সালে পরিবারগুলো কলের পানি পেত প্রতি চার দিন অন্তর মাত্র ৬ থেকে ৮ ঘন্টার জন্য। এর কারণ ছিল পানি পাম্প করার জন্য বিদ্যুতের অভাব। সর্বসাম্প্রতিক এই লড়াইয়ের ফলে এই সমস্যা আরও সঙ্গিন হয়েছে। পানির সরবরাহ আরও কমে গেছে বিদ্যুতের অভাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে তারা মাথা পিছু প্রতিদিন ১০০ লিটার পানির নূন্যতম একটা বরাদ্দ বেধে দিয়েছিল। এই বরাদ্দ ছিল খাওয়া, ধোয়া, রান্না ও গোসল করার প্রয়োজন মেটানোর জন্য নূন্যতম বরাদ্দ। গাযায় পানি ব্যবহারের প্রয়োজনীয় গড় পরিমাণ মাথা পিছু প্রায় ৮৮ লিটার। পয়ঃনিষ্কাশনও আরেকটা বড় সমস্যা। ৭৮% বাসাবাড়ি পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার সাথে যুক্ত থাকলেও বর্তমান ব্যবস্থা তা সামাল দিতে অক্ষম। ওচা বলছে প্রতিদিন ১০ কোটি লিটার অপরিশোধিত অথবা আংশিক পরিশোধিত বর্জ্য ভূমধ্যসাগরে গিয়ে পড়ছে। সমস্যা মোকাবেলার জন্য ২০২১য়ের গোড়ায় নতুন একটি বর্জ্য পরিশোধন প্লান্ট বসানো হয়েছে। সাম্প্রতিক লড়াইয়ে গাযার বেশিরভাগ বাসিন্দা আশ্রয় নিয়েছে স্কুলগুলোতে। ফলে লেখাপড়া ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। শিক্ষাও বিপর্যস্ত গাযার বহু শিশুই জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে লেখাপড়া করে। সাম্প্রতিক যুদ্ধের কারণে বেশিরভাগ স্কুলভবন এখন আশ্রয় কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বোমাবর্ষণ থেকে বাঁচতে পরিবারগুলো এইসব স্কুলভবনে আশ্রয় নিয়ে আছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার হিসাব বলছে পরিস্থিতি সামাল দিতে ২৭৫টি স্কুলের মধ্যে ৬৪% এখন দুই শিফটে স্কুল চালাচ্ছে। এক শিফট সকালে এক শিফট বিকেলে। | Home to 1.9 million people, Gaza is 41km (25 miles) long and 10km wide, an enclave bounded by the Mediterranean Sea, Israel and Egypt. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | মানুষজনকে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আবারো আহবান জানানো হচ্ছে। এদিন মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৫০০ জনের। এ নিয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৯ লাখ ১৭ হাজার ৪১৭ জনের। সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলে। বিশ্বে এখন ২৮ লাখের বেশি নিশ্চিত রোগী শনাক্ত হয়েছে, যাদের অর্ধেকই আমেরিকা মহাদেশের বাসিন্দা। একদিনে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্তে এর আগের রেকর্ড তৈরি হয়েছিল ছয়ই সেপ্টেম্বর। সেদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বে ৩ লাখ ৬ হাজার ৮৫৭ জন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন করোনাভাইরাস কোথায় নতুন রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, রবিবার ভারতে ৯৪,৩৭২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরপরেই বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৫,৫২৩ জন এবং ব্রাজিলে ৪৩,৭১৮ জন। এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতে। আর ব্রাজিল জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে সেখানে ৮৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরেই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রোগী রয়েছে ভারতে। গত সপ্তাহে দেশটি জানিয়েছে যে, অগাস্ট মাসে ভারতে প্রায় বিশ লাখ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। মহামারি শুরু হওয়ার পর কোন একমাসে কোন দেশে রোগী শনাক্তের দিক থেকে এটাই সর্বোচ্চ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে ৬৪ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। জুলাই মাসের তুলনায় এই হার ৮৪ শতাংশ বেশি। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে প্রতিদিনের মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজারের বেশি বেড়ে গেছে। ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত ৪০ লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা বিশ্বের তৃতীয় দেশ। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে এই দেশেই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, ১ লাখ ৩১ হাজার। বিশ্বে করোনাভাইরাসে শনাক্ত মোট রোগীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শনাক্ত হয়েছে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে ৬০ লাখের বেশি রোগী রয়েছে। জুলাই মাসে দেশটিতে রোগী শনাক্তের হার অনেক বাড়লেও, এরপর থেকে কমে এসেছে। তবে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রেকর্ড রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে ১ লাখ ৯৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ভারতে বিশ্বের অন্যত্র পরিস্থিতি কি? করোনাভাইরাসের আবার সংক্রমণ দেখা দিতে পারে, এরকম আশঙ্কার ভেতরেই ইউরোপের দেশগুলোতে নতুন রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত এলাকাগুলোয় স্থানীয়ভাবে লকডাউন জারি করা হচ্ছে। মানুষজনকে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আবারো আহবান জানানো হচ্ছে। পেরু, ইসরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতেও ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। রবিবার অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে ৭০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ- যারা বাড়িতে থাকার আদেশ অমান্য করে বাইরে বের হয়ে এসেছিলেন। মহামারি নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বিনিময় করে, এমন কিছু সামাজিক মাধ্যমের আয়োজনে মেলবোর্নে আড়াইশোর মানুষ একটি প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিয়েছে। নতুন করে করোনাভাইরাস রোগী বাড়তে থাকায় পুরো দেশে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের তালিকায় বাংলাদেশে রয়েছে ১৫ নম্বরে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন মোট ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৫২০ জন। আর কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেলেন ৪,৭৩৩ জন। তবে আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা প্রায় ৬ শতাংশ বাড়লেও, নতুন রোগী শনাক্তের হার ১৪.৭৬ শতাংশ কমেছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে। নতুন আক্রান্ত রোগীর তুলনায় সুস্থ রোগীর সংস্থাও বেড়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: সীমান্তে মিয়ানমারের সেনাদের টহল বৃদ্ধি, বাংলাদেশের উদ্বেগ বোরকা পরে ক্রিকেট খেলার ভাইরাল ছবি নিয়ে কী বলছেন মা মা-ছেলের ক্রিকেট খেলার ছবিতে বোরকা নিয়ে বিতর্ক যে কারণে সমকামী দুই নারী পুলিশের নিরাপত্তায় ভারতে সশস্ত্র প্রহরা | The World Health Organization (WHO) has recorded a record one-day rise in the number of new coronavirus infections, with 307,930 reported over 24 hours. |