instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
230
19.6k
output
stringlengths
40
405
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
ইরানের সাথে একটি সহযোগিতামূলক চুক্তি সই করেছে চীন। চুক্তির বিস্তারিত এখনো প্রকাশিত হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে যে, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইরানের তেল কিনবে চীন। পাশাপাশি ইরানে কিছু বিনিয়োগও করবে চীন। নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানে বিদেশী বিনিয়োগ অনেকটা বন্ধই রয়েছে। চীনের সুবিস্তৃত 'বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ' কর্মসূচীতে সর্বশেষ সংযোজন এটি। বিশ্ব শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে এমন সব যোগাযোগ বাড়াতেই হবে বেইজিংকে। গত বছর এই সহযোগিতা চুক্তির খসড়া ফাঁস হওয়ার পর অনেক ইরানি নাগরিক চীনের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। বেল্ট এন্ড রোডসের চুক্তিগুলো সাধারণত চীনের স্বার্থই রক্ষা করে থাকে। এদের মধ্যে কিছু প্রাথমিকভাবে আকর্ষণীয় মনে হলেও শেষ পর্যন্ত ছোট ও গরীব দেশগুলোর জন্য সেগুলো গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যখন তারা দেখেছে যে চুক্তির উদ্দেশ্য থেকে ছিটকে পড়েছে তারা। ইরান চীনের চেয়ে আকারে ছোট হলেও দেশটির বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ এবং প্রতিবাদী বৈদেশিক নীতির কারণে এর একটি স্বকীয়তা রয়েছে। নতুন চুক্তি ইরান ও আমেরিকার মধ্যে দ্বন্দ্বের রসদ যোগাবে। আরো পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানের অর্থনীতি। ইরান এবং ওয়াশিংটনে বাইডেন প্রশাসন-দুপক্ষই বলেছে যে, তারা ইরানের পরমাণু কর্মসূচী নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক চুক্তিতে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের যোগ দেয়ার পক্ষে। এই চুক্তি যৌথ সমন্বিত কর্ম পরিকল্পনা (জেসিপিওএ) হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সাথে চুক্তিটিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। তিনি দাবি করেছিলেন যে, ইরানকে পরমাণু অস্ত্র লাভে নিরস্ত্র করার চেয়ে তার প্রক্রিয়া বেশি সহজ ছিল। ইরানি এবং আমেরিকানরা পরস্পরের দিকে তাকিয়ে ছিল, দু পক্ষেরই আশা ছিল অপরপক্ষ প্রথম পদক্ষেপটি নিক। কারণ কেউই আসলে আগে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তৈরি ছিল না। এখন চীনের সাথে যেহেতু ইরান একটি চুক্তি সই করেছে এবং এই দেশটিও যেহেতু জেসিপিওএ-র অংশ, তাই ধারণা করা হচ্ছে যে, সহযোগিতা শুধু তেল বিক্রির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। কারণ নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে ইরানের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমঝোতায় ইরানকে সুবিধা দেবে বলে ধরা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার দুই পূর্বসূরির মতোই মধ্যপ্রাচ্য থেকে নজর সরিয়ে আরো আকর্ষণীয় ও কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এশিয়া-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের দিকে বেশি নজর দিতে চান। কিন্তু কার্যত এটা অসম্ভব, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এমন বিষয় প্রচুর পরিমাণেই রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। এই বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ইরান এবং এর পারমানবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা, যেটি তাদের নেই বলে দাবি করে ইরান। ইরান ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের আরো তিনটি দেশ সফর করেছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যপ্রাচ্য থেকে নজর সরায়নি, কিন্তু সামনে এগোয়নি তারা। মধ্যপাচ্যে আমেরিকার অবস্থান আরো পোক্ত করার অনিচ্ছা তার প্রতিদ্বন্দ্বিদের জন্য সুযোগ বয়ে এনেছে। সিরিয়ার যুদ্ধে জড়ানোর মাধ্যমে রাশিয়া ওই অঞ্চলে সোভিয়েত ইউনিয়ন যুগের ভূমিকা পুনরুদ্ধারের একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে। চীন বিশ্বাস করে যে, দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের অপূরণীয় পতন হবে। চীন নিজেকে একবিংশ শতাব্দী ও পরবর্তীর বিশ্বের উদীয়মান শক্তি হিসেবে মনে করে। আর এ পর্যায়ের শক্তিধর কোন রাষ্ট্র আসলে মধ্যপ্রাচ্যকে বাদ দিয়ে এগিয়ে যেতে পারে না। ইরানের মতো স্বল্প মেয়াদে সুবিধা নেয়ার চেয়ে কৌশলগত এই সহযোগিতা হয়তো উপসাগরীয় অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদে চীনের জন্য বেশি গুরুত্ব বহন করে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুধু তেহরানে চুক্তি সইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। জিবুতিতে সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করেছে চীন। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র চায়না ডেইলি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, তিনি পঞ্চমুখী একটি পরিকল্পনার সূচনা করেছেন যার উদ্দেশ্যে "ফিলিস্তিন-ইসরায়েল আলোচনা শুরু, ইরানের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবন এবং এই এলাকায় একটি সুরক্ষা কাঠামো গড়ে তুলে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা।" এ ধরণের বিষয়গুলো পশ্চিমা কূটনীতিকরাও বলে থাকেন। তবে স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যকে নিজেদের অধিকারে আছে বলেই ধরে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি তাই চেক সই করা ছাড়া অন্য ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিত্রদের মধ্যপ্রাচ্য থেকে দূরেই রেখেছে। লোহিত সাগরে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এরিমধ্যে তাদের প্রথম বৈদেশিক সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলেছে, যেটি পড়েছে জিবুতিতে। এটি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত জাহাজ চলাচলে অঞ্চলের উপর নজরদারি করে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর আফ্রিকা কমান্ড থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। বেইজিং কি ইরান উপসাগরীয় এলাকায় তাদের নৌবাহিনীর পদচিহ্ন আঁকতে চায়, যে এলাকাকে নিজেরে হ্রদ বলে মনে করে আমেরিকা? জো বাইডেন এবং তার প্রশাসন হয়তো ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তি বা জেসিপিওএ-তে ফিরে আসার একটা পথ বের করে নেবে। নিজেদের স্বার্থেই তারা এটি করবে। তবে বিশ্বের সবচেয়ে অস্থিতিশীল এলাকায় চীন যে তাদের অবস্থান দৃঢ় করার চেষ্টায় গতি আনার ইঙ্গিত দিচ্ছে সেটা আমেরিকার জন্য অস্বস্তিকর হবে।
China and Iran signed a deal over the weekend that their foreign ministers said was designed as a strategic partnership to last for the next quarter of a century.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ধসে পড়া ভবনের ভেতর উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে কর্মীরা। ভেঙে পড়া ভবনের নীচে বা ধ্বংসস্তুপের ভেতর কোনো মানুষ চাপা পড়ে আছে কিনা সেটিই এখন সবার আগে খতিয়ে দেখছে উদ্ধারকারী দলগুলো। এ বছর পৃথিবীতে যত ভূমিকম্প হয়েছে তার মধ্যে ভয়াবহতম বলে বিবেচনা করা হচ্ছে ইরান-ইরাক সীমান্তে ঘটে যাওয়া এই ভূমিকম্পটিকে। গতকাল সোমবারের এই ভূমিকম্পে যত মানুষ নিহত হয়েছে তাদের বেশিরভাগই ইরানের সীমান্ত থেকে মাত্র দশ মাইল দূরে অবস্থিত পশ্চিমাঞ্চলের শহর সারপোল-এ-জাহাব এবং কেরমানশাহ প্রদেশের বাসিন্দা। সারপোল-এ-জাহাব শহরের প্রধান হাসপাতালটিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আহতদের চিকিৎসা দিতে এটি হিমশিম খাচ্ছে বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির খবরে বলা হয়েছে। ভূমিকম্পের পর ব্যাপক ভূমিধ্বস হওয়ায় উদ্ধার কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে এবং গ্রামীন এলাকায় পৌঁছাতে উদ্ধারকারীদের বেগ পেতে হচ্ছে। ভূমিকম্পে ওই এলাকার ভবনগুলো ধসে পড়েছে, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ ভূমিকম্পে একটি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেটি হয়তো যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং বাঁধের আশপাশে বসবাসরত মানুষদের অন্যত্র সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে । নানান জায়গায় বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আর প্রচুর ভবন ভেঙে পড়ায় শহরের অসংখ্য মানুষ ঠান্ডার মধ্যে পার্কে ও রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। একটি ত্রাণ সংস্থা জানাচ্ছে, ভূমিকম্পের পর অন্তত ৭০ হাজার মানুষ এখন আশ্রয়প্রার্থী। ইরানের সরকারি হিসেব জানাচ্ছে, এই ঘটনায় ৪১৩ জন নিহত হয়েছে। নিহতের সেই তালিকায় এমনকি কিছু সৈন্য এবং কিছু সীমান্তরক্ষীও রয়েছে বলে জানিয়েছে, দেশটির আর্মি কমান্ডার-ইন-চিফ। এই ভূমিকম্পে ইরাকে ৯জন নিহত হয়েছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্টের এক মুখপাত্র। বিবিসি বাংলার আরো খবর: রোহিঙ্গা নির্যাতন: মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাফাই হায়দ্রাবাদে ভিক্ষুক ধরিয়ে দিলে ৫০০ রুপি পুরস্কার সেক্সের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি পুরুষদেরই বেশি যেখানে ভূমিকম্প হয়েছে
A huge rescue effort is under way after a powerful earthquake struck Iran's mountainous border with Iraq, killing more than 400 people and injuring more than 7,000.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
ইন্দোনেশিয়ায় গত ১৭ই এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখন প্রশ্ন উঠেছে, এই নির্বাচনের জন্য দেশটিকে বড় ধরণের মূল্য দিতে হয়েছে কিনা। যেই মূল্য তাদের নির্বাচন কর্মকর্তাদের জীবন দিয়ে দিতে হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় নির্বাচনকে ঘিরে ভোটের সময় এবং পরবর্তী কয়েকদিনের মাথায় ৫০০ জনেরও বেশি নির্বাচনী কর্মকর্তা মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ভোট প্রক্রিয়ার আয়োজন ও গণনা করার অতিরিক্ত চাপ ও ক্লান্তি তাদের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই নির্বাচনে দেশব্যাপী ৭০ লাখ কর্মকর্তা অংশ নিয়েছিল। এখন প্রশ্ন উঠেছে যে, ইন্দোনেশিয়ায় গড় মৃত্যুহারের চাইতে কি এই মারা যাওয়ার পরিমাণ বেশি। নাকি নির্বাচনের কারণে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে? আরও পড়তে পারেন: ৫০০ জন ভোটারের কাছে পৌঁছতে হাজার কি.মি. পাড়ি পশ্চিমবঙ্গে ভোট প্রচারের সময় কমাতে ইসির নির্দেশ মোদী-অমিত শাহকে কি ভয় পাচ্ছে নির্বাচন কমিশন? কতজন কর্মকর্তা মারা গেছেন? ১৭ই এপ্রিলের ভোটটি ছিল বড় ধরণের একটি প্রশাসনিক মহড়া, যেখানে ভোটার সংখ্যা ১৯ কোটিরও বেশি। ১৮ হাজার দ্বীপ দিয়ে গঠিত এই দেশটির আয়তন প্রায় ২০ লাখ বর্গ কিলোমিটার। ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচন কমিশন বিবিসিকে জানায়, ভোটে ৭৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫০০ কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন, যার মধ্যে ৫৬ লাখ ৭২ হাজার ৩০৩ জন বেসামরিক কর্মী। বাকিরা ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় থাকা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। আর সমস্ত ভোটের গণনা করা হয়েছে হাতে হাতে। বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশিত হওয়া প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অনেক জয়গায় নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ভোট গণনা শেষ করতে সারারাত ধরে সব কর্মকর্তা ভোট গুনে গিয়েছেন, আবার অনেকে গণনা করা অবস্থাতেই পরদিন পর্যন্ত টানা জেগে ছিলেন। নির্বাচন কমিশন জানায় যে ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত ২৭০ জনেরও বেশি কর্মী অতিরিক্ত কাজের চাপে মারা গেছেন। ঐ বিবৃতিতে আরো বলা হয় যে, নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ১,৮৭৮ জন। পরে এই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫৫০ জন ছাড়িয়ে যায়। ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া বেশিরভাগই বেসামরিক কর্মকর্তা। মৃত্যুর সংখ্যা কি স্বাভাবিকের চাইতে বেশি ছিল? নির্বাচনের সাথে জড়িত ৭০ লাখেরও বেশি কর্মকর্তার মধ্যে যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী মারা গেছেন তার সঙ্গে দেশটির জাতীয় মৃত্যুহারের একটি তুলনা করা হচ্ছে। প্রশ্ন হল, নির্বাচনের কারণে এই মৃত্যুর সংখ্যা কি স্বাভাবিক মৃত্যুহারের তুলনায় বেশি ছিল? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৭ সালের তথ্য অনুসারে, ইন্দোনেশিয়ার প্রতিবছর ১,০০০ জনে ৭.১৬ জনের মৃত্যু হয়। এখন এই মৃত্যুহারের হিসাব ওই ৭০ লাখ কর্মকর্তার হিসাবের সাথে মেলানো হয়, তাহলে প্রতিদিন মারা যাওয়ার কথা রয়েছে প্রায় ১৩৭ জনের। ধরা যাক, প্রত্যেক নির্বাচনী কর্মকর্তা চার দিন ধরে এই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিল - অর্থাৎ ভোটের প্রস্তুতি, ভোট গ্রহণ এবং পরবর্তী গণনা পর্যন্ত। দেশটির জাতীয় মৃত্যু হারের উপর ভিত্তি করে, এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৫৪৮ জন মানুষের মারা যাওয়ার কথা। ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচন কমিশন থেকে দেয়া হিসাবের সাথে এই হিসাব অনেকটাই মিলে যায়। জাভার একজন নির্বাচন কর্মকর্তা ব্যালট পেপার দেখছেন। কোন গোষ্ঠী সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেকটাই অনুমান নির্ভর এই হিসাবে কারও বয়স, লিঙ্গ, স্বাস্থ্য শর্তাবলী বা অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করা হয়নি। ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যে কর্মকর্তারা মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগের বয়স ৫০ বছরের বেশি ছিল। সুতরাং এটা পরিষ্কার যে সামগ্রিক জনসংখ্যার তুলনায় নির্বাচন কর্মীদের মৃত্যু হার বেশি। অব্যাহত বিতর্ক নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের যে অবস্থায় কাজ করতে হয়েছে সেটা তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনে মৃত্যু নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে কয়েকটি স্বাস্থ্য পরিস্থিতির তালিকা তৈরি করা হয়। হৃদরোগ, স্ট্রোক, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, মেনিনজাইটিস এবং সেপিসিসসহ মৃত্যুর জন্য দায়ী বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য শর্তাদি তালিকাভুক্ত করা হয়। ক্লান্তি ও চাপের মুখে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের অনেকেই ভোট গণনা শেষ করার জন্য ২৪ঘন্টা বা তার বেশি সময় ধরে কাজ করেছিলেন। সবকিছু প্রস্তুত হওয়ার কয়েক দিন আগে থেকেও অনেকে কাজ করেছেন। ইন্দোনেশিয়ায় ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৯ কোটি। তাছাড়া এপ্রিলে আবহাওয়াও উষ্ণ ছিল। কর্মকর্তাদের মৃত্যু নিয়ে এই বিতর্কের কারণে এখন থেকে দেশটির যেকোনো নির্বাচনে কর্মকর্তাদের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কাজের মধ্যে নির্দিষ্ট সময় পর পর বিরতি রাখার পাশাপাশি কার্যপ্রবাহের যথাযথ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও কথা চলছে। ইন্দোনেশিয়াকে এশিয়ার অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র - যেমন ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাচনের বিষয়গুলোর দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
Indonesia held presidential, national and regional elections last month in one of the biggest voting exercises held on a single day anywhere in the world.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ সবসময়ই অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পাকিস্তানিদের বিক্ষোভ। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলছে, জঙ্গি গ্রুপগুলোকে মোকাবেলা করতে ইসলামাবাদ ব্যর্থ হওয়ায় এই অর্থ সাহায্য বাতিল করা হয়েছে। তারা বলছে, জঙ্গি মোকাবেলায় পাকিস্তান কার্যত কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এর আগে, পাকিস্তান থেকে আরো ৫০ কোটি ডলারের একটি সাহায্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে শত শত কোটি ডলার অর্থ সাহায্য দেওয়া সত্ত্বেও ইসলামাবাদ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রতারণা করছে। পেন্টাগনের মুখপাত্র লে. কর্নেল কোন ফকনার বলেছেন, অন্যান্য আরো যেসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের 'জরুরী ভিত্তিতে অগ্রাধিকার' দেওয়া দরকার এই অর্থ এখন সেসব খাতের পেছনে খরচ করা হবে। তবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার জন্যে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন। পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কড়া অভিযোগ তুলেছে যে দেশটির ভেতরে যেসব সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এসব জঙ্গি গ্রুপের মধ্যে রয়েছে হাক্কানি নেটওয়ার্ক এবং আফগান তালেবান। "সব সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে আমরা পাকিস্তানের উপর আমাদের চাপ অব্যাহত রাখবো," শনিবার এক বিবৃতিতে একথা বলেন কর্নেল ফকনার। তিনি বলেন, "এই অর্থ সাহায্য আগে স্থগিত করা হয়েছিল। এই অর্থ এখন অন্যত্র খরচ করা হবে।" পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে বৈঠক করার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর খুব শীঘ্রই ইসলামাবাদে যাওয়ার কথা রয়েছে। এবং তার এই সফরের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অর্থ সাহায্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলো। এর আগে জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ঘোষণা করেছিল যে তারা পাকিস্তানকে নিরাপত্তা খাতে দেওয়া তাদের অর্থ সাহায্য কাটছাট করতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা আরো অনেক দেশই পাকিস্তানের দিকে দীর্ঘদিন ধরে আঙ্গুল তুলে বলে আসছে যে পাকিস্তানের ভেতরে তৎপরত সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আফগানিস্তানের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তারা সেখানে হামলা পরিচালনা করছে। কিন্তু ইসলামাবাদ এই অভিযোগ সবসময়ই প্রত্যাখ্যান করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে পাকিস্তান সরকার থেকে এখনও পর্যন্ত কোন মন্তব্য করা হয়নি। আরো পড়তে পারেন: ঢাকার পল্টনে যে তিনটি দাবী জানালো বিএনপি গ্রীষ্ম মণ্ডলে ফসল ধ্বংসের কারণ হবে পোকামাকড় ‘ভূতুড়ে জাহাজটি’র গন্তব্য ছিল বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র পাকিস্তান। কিন্তু সম্প্রতি এই সম্পর্কে চিড় ধরেছে। তবে এর আগে গত জানুয়ারি মাসে যখন এরকম একটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল তখন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল: "পাকিস্তান কখনও অর্থের জন্যে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি। করেছে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে।" ইসলামাবাদ বলছে, "প্রচুর রক্তপাত ও সম্পদের বিনিময়ে পাকিস্তান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।" কারা এই কথিত নেটওয়ার্ক হাক্কানি নেটওয়ার্ক একটি জঙ্গি গ্রুপ যাদের তৎপরতা মূলত প্রতিবেশী আফগানিস্তানে। কাবুলের দীর্ঘদিনের অভিযোগ যে পাকিস্তানের সহযোগিতায়ই নেটওয়ার্কের জঙ্গিরা আফগানিস্তানের ভেতরে ঢুকে সন্ত্রাসী তৎপরতা পরিচালনা করছে। এই গ্রুপটির সাথে সম্পর্ক আছে আফগান তালেবানের। আফগান সরকারের জন্যে বড়ো ধরনের হুমকি এই আফগান তালেবান বাহিনী। আফগান তালেবানের সাথে সম্পর্ক আছে পাকিস্তানি তালেবানের যারা বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানের ভেতরে হামলা চালিয়েছে। এই হাক্কানি নেটওয়ার্ক এবং আফগান তালেবান আফগানিস্তানের ভেতরে বেশকিছু হামলা চালিয়েছে যাতে নিহত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য ও কর্মকর্তারাও। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের অভিযোগ যে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আএসআই এসব জঙ্গিদের সমর্থন দিচ্ছে। পাকিস্তান কেন তাদের সমর্থন দেবে? পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অভিযোগ যে দেশটি তাদের পররাষ্ট্র নীতির স্বার্থে আফগান তালেবানকে ব্যবহার করে থাকে। ১৯৭৯ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে সৈন্য পাঠানোর পর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই আফগানিস্তানের ভেতরে জঙ্গিদের অর্থ সাহায্য ও প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করে। ২০০১ সালের পর থেকে আফগানিস্তান যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে সেখানে পশ্চিমা সৈন্য কিম্বা রসদ পাঠানো হয় এবং আল কায়দার মতো জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই-এ তারা পশ্চিমা দেশগুলোকে সহায়তা দেয়। কিন্তু অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, এর মধ্যেও পাকিস্তান জঙ্গিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়া অব্যাহত রেখেছে। তারা বলছেন, পাকিস্তানের লক্ষ্য হচ্ছে আফগানিস্তানে ভারতের প্রভাব সীমিত করা।
The US military says it is cancelling $300m (£230m) in aid to Pakistan over what it calls Islamabad's failure to take action against militant groups.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
তারা চাইছেন, জীবাশ্ম-ভিত্তিক জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ করা হোক এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি থেকে মানুষকে রক্ষা করা হোক। সুইডেনের কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গের শুরু করা এই বিক্ষোভে সামিল হওয়ার জন্য ১১ লক্ষ শিশু ২০শে সেপ্টেম্বর তাদের ক্লাস বর্জন করে। বিশ্বের প্রায় ১৫০টি দেশে যে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়, এখানে তার কিছু ছবি: মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া ব্রিটিশ টিভি ব্রডকাস্টার এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আন্দোলনকারী স্যার ডেভিড অ্যাটেনবোরোর ছবি নিয়ে একজন বিক্ষোভকারী (ওপরে)। ব্যাঙ্কক, থাইল্যান্ড ব্যাঙ্ককের প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবশে মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভকারীরা মৃত মানুষের মতো পড়ে থাকেন। বার্লিন, জার্মানি বার্লিনের ব্র্যান্ডেনবার্গ গেট-এর সামনে জড়ো হন জলবায়ু পরিবর্তনের বিক্ষোভকারীরা। এডিনবরা, ব্রিটেন এডিনবরায় বিক্ষোভ লন্ডন, ব্রিটেন লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারের বিখ্যাত নেলসনস কলামের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলে। কেমব্রিজ, ব্রিটেন সাদাম্পটন, ব্রিটেন সাদাম্পটনে এক্সিটিংশন রেবেলিয়নস রেড লেবেল-এর সদস্যরা লাল পোশাক পরে বিক্ষোভে অংশ নেন। ব্রাসেলস, বেলজিয়াম ঢাকা, বাংলাদেশ ঢাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানোর আন্দোলনে যোগ দেন। কার্বন নি:সরণ কমানোর দাবিতে ঢাকার একটি স্কুলে মানব বন্ধন। নাইরোবি, কেনিয়া ওয়ারশ, পোল্যান্ড লজ, পোল্যান্ড প্রাগ, চেক প্রজাতন্ত্র প্রাগের কেন্দ্রস্থলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিক্ষোভ চলে। কেজন সিটি, ম্যানিলা ম্যানিলার পূর্বপ্রান্তে কেজন সিটিতে ফিলিপিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। নয়া দিল্লি, ভারত কলকাতা, ভারত সানুর সৈকত, বালি, ইন্দোনেশিয়া জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া কেপটাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা
Street protests demanding urgent action on climate change have attracted hundreds of thousands of marchers in more than 2,000 locations worldwide.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
খাওয়ার সময় বাচ্চাদের জন্য মোবাইল স্ক্রিন নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করছেন ব্রিটিশ চিকিৎসক কর্মকর্তারা। প্রতি ঘণ্টা অন্তর শিশুদের অবশ্যই মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে চোখ সরানো উচিত, তারা বলছেন। শিশুদের নিরাপদ রাখতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর আরো ভূমিকা রাখা উচিত বলে তারা মনে করেন। শিশু কিশোরকে নিরাপদ রাখতে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ব্রিটেনের চিকিৎসা কর্মকর্তারা। নিজের ক্ষতি এবং আত্মহত্যার মতো প্রবণতা রুখতে ইন্সটাগ্রামের সঙ্গে ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বৈঠক করতে যাচ্ছেন, এমন খবর প্রকাশের সময় এই তথ্য জানা গেল। ইন্সটাগ্রামের কিছু উপাদানের কারণে কিশোরী মলি রাসেলের আত্মহত্যার জের ধরে এই বৈঠকটি হতে যাচ্ছে। কিশোরীর বাবার অভিযোগ, ফেসবুকের মালিকানাধীন ইন্সটাগ্রাম তার সন্তানকে হত্যায় সহায়তা করেছে। আরো পড়ুন: মোবাইলের সামনে শিশুদের কত সময় থাকা উচিৎ? মোবাইল ফোন আমাদের শরীরের কতটা ক্ষতির কারণ? মলি রাসেলের বাবার অভিযোগ, ফেসবুকের মালিকানাধীন ইন্সটাগ্রাম তার সন্তানকে হত্যায় সহায়তা করেছে। যন্ত্র ব্যবহারের সময় কিছু সতর্কতা এবং পদ্ধতি অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন ব্রিটেনর প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তারা, যেগুলো অনুসরণ করে শিশুদের নিরাপদ রাখা যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে: বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী - গুরুত্ব পাচ্ছে যে বিষয়গুলো 'বিদ্যুৎ ঘাটতির দেশ থেকে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্তের দেশ' প্রতিবন্ধীদের জন্য চালু হলো নতুন ইমোজি কেন ভিয়েতনামকে বেছে নিলেন ট্রাম্প? মোবাইল বা কম্পিউটারের পর্দা আসলে শিশুদের জন্য কতটা ক্ষতিকর সেটা নিশ্চিত না হলেও বিভিন্ন তথ্য অনেক সময় তাদের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ঊঠতে পারে বলে বলছেন মোবাইল পর্দা শিশুদের জন্য কতটা ক্ষতিকর? ব্রিটেনের গবেষকদের একটি দল এই বিষয়টি যাচাই করে দেখেছেন। তারা বলছেন, যদিও বেশ কয়েকটি গবেষণায় মোবাইল পর্দার সঙ্গে রাগ ও বিষণ্ণতার মতো নেতিবাচক ফলাফলের মিল পাওয়া গেছে, কিন্তু এ নিয়ে এখনি কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা যাবে না। এমনটা হতে পারে যে, যাদের আগে থেকেই মানসিক সমস্যা রয়েছে, তারাই যন্ত্রের প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পড়েন, বলছেন একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা ডেমি স্যালি। তা হলেও, এ ব্যাপারে আরো গবেষণা করে পুরোপুরি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত স্ক্রিন ব্যবহারে সতর্ক হওয়া দরকার, আর সেজন্যই অভিভাবকদের জন্য এসব পরামর্শ। যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অফ সাইকিয়াট্রিস্টসের ড. বের্নাদকা ডুবিকা বলছেন, ''মোবাইল পর্দা এবং মানসিক সমস্যার সঙ্গে কোন যোগসূত্র আছে কিনা, তা নিয়ে এখনো যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।" "তবে এটা ঠিক যে, ইন্টারনেটে অল্পবয়সীদের জন্য রাগ, আত্মহত্যা বা নিজের ক্ষতি করার মতো উপাদান রয়েছে, যা কারো জন্য নিঃসন্দেহে ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।''
Mobile phones should be banned from the dinner table and bedtimes as part of a healthy approach to devices, the UK's four chief medical officers have said.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
হাসপাতালে ডাক্তারদের সাথে মোহাম্মদ “‍আমার শুধু মনে আছে, তারা আমাকে প্রশ্ন করেছিল যে কিছু ওষুধ দিয়ে তারা আমাকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করতে পারে কিনা – তারপর আমি বললাম ‌‌'হ্যাঁ‌। আর কিছুই আমার মনে নেই” – বলছিলেন মোহাম্মদ। মোহাম্মদ হোসেনের বয়স ৫১, তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি পাঁচ সপ্তাহ সংজ্ঞাহীন ছিলেন। যখন তার জ্ঞান ফিরলো তখন তার মানসিক অবস্থা একেবারেই তালগোল পাকিয়ে গিয়েছিল। তার চারপাশে মাস্ক, জীবাণু-প্রতিরোধী ঢাকনা, আর গাউনপরা লোকজন দেখে নিশ্চয়ই তার মনে হচ্ছিল তিনি এক বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির জগতের মধ্যে এসে পড়েছেন। তিনি মনেই করতে পারছিলেন না - কিভাবে তিনি এখানে এলেন। পুরো এপ্রিল মাসটার কোন স্মৃতি তার মধ্যে ছিল না। ব্র্যাডফোর্ডে কোভিড-১৯এ আক্রান্ত হবার পর আমাদের হাসপাতালের আইসিইউতে নিতে হয় মোট ৪৯ জন। তার মধ্যে অধিকাংশকেই ভেন্টিলেশন দিয়ে রাথতে হয়। এর মধ্যে ৭ জন এখন পর্যন্ত ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। মোহাম্মদ তাদের মধ্যে একজন। মোহাম্মদ বলছিলেন, তাকে যখন অচেতন করে রাখা হয়েছিল – তখন তিনি স্বপ্ন দেখছিলেন যে তার পরিবারের ওপর একটা সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। সংজ্ঞা ফিরে আসার পর তিনি অস্থির হয়ে উঠছিলেণ। ব্র্যাডফোর্ডের কেন্দ্রীয় মসজিদের জানাজা থেকেই সংক্রমণ ছড়ায় ‍“আমার মনে একটা সন্দেহ বাতিক কাজ করছিল। মনে হচ্ছিল - এই লোকগুলো আমাকে একটা ফাঁদে ফেলার চেষ্টার চেষ্টা করছে। কী হচ্ছে? এসবের মানে কী?‍” সংকটজনক অবস্থা থেকে চেতনা ফিরে আসার পর এ ধরণের বিভ্রান্ত মানসিক অবস্থা অনেকেই মধ্যেই দেখা যায় – বলছিলেন ব্র্যাডফোর্ড হাসপাতালের আইসিইউ কন্সালট্যান্ট ডা. ডেবি হর্নার। ‍“তাদের চারপাশে কী হচ্ছে তা নিয়ে রোগীর মধ্যে নানা রকম সন্দেহ-উদ্বেগ দেখা দেয়। খুবই স্বাভাবিক। যদি রোগী জেগে উঠে জানতে পারে যে এর মধ্যে এক মাস পার হয়ে গেছে, এবং তার চারপাশে অদ্ভূত পোশাক পরা কিছু লোক ঘোরাঘুরি করছে – তখন এটা হতেই পারে।“ অনেক সময় রোগীদের এ ব্যাপারে ভেন্টিলেটর দেবার আগেই জানিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু মোহাম্মদের ক্ষেত্রে তা সম্ভব ছিল না। তার অবস্থা অত্যন্ত দ্রুত খারাপ হয়ে পড়েছিল। তিনি অসুস্থ হন মার্চ মাসে, তার পিতা নূর হোসেনের জানাজার পরই। মৃত্যুর সময় নূর হোসেনের বয়স ছিল ৯০এর কোঠায়। তিনি ব্রিটেনে এসেছিলেন ১৯৬০-এর দশকে, ব্র্যাডফোর্ডে কারখানায় কাজ করতে। তার পরিবারকে ব্রিটেনেই বড় করেছেন তিনি। “তার সবসময়ই ইচ্ছা ছিল যেন তার জন্মস্থান মিরপুরে – তার ভাইয়ের কবরের পাশে - তাকে সমাহিত দেয়া হয়। আমি তার সেই ইচ্ছা পূরণ করেছি – বলছিলেন মোহাম্মদ। নূর হোসেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সৈনিক ছিলেন। বার্মায় যুদ্ধ করেছেন, একজন দৃঢ়চেতা প্রকৃতির লোক ছিলেন তিনি। তিনি মারা যান মার্চের ১০ তারিখে। সেদিন বিকেল থেকেই তার শেষকৃত্যের জন্য স্থানীয় লোকেরা জড় হতে থাকেন। তার পরিবার ছিল অনেক বড় এবং ব্র্যাডফোর্ডে একটি সম্মানিত পরিবার, তাই যুক্তরাজ্যের নানা জায়গা থেকে লোক এসেছিলেন তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। ব্র্যাডফোর্ডের কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রথম দিনের জানাজায় ছিলেন প্রায় ৬০০ লোক। ডাক্তার জন রাইট পরদিন মোহাম্মদ, তার মা আর স্ত্রীকে নিয়ে তার পিতার মরদেহ সহ পাকিস্তানেন পথে প্লেনে উঠলেন। কিন্তু ব্র্যাডফোর্ডে ফিরে আসার পরও আরো দু‌দিন ধরে শ্রদ্ধা নিবেদন চললো। বারোই মার্চ বৃহস্পতিবার এক ভোজে সমবেত হলেন পাঁচশো লোক। এক সপ্তাহের মধ্যেই দেখা দিল করোনাভাইরাসের উপসর্গ এর এক সপ্তাহ পর থেকেই লোকের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমলের লক্ষণ দেখা দিতে লাগলো। প্রথম অসুস্থ হলো মোহাম্মদের এক ২৪ বছর বয়স্ক ভাতিজা। তাকে নেয়া হলো ব্র্যাডফোর্ড হাসপাতালের আইসিইউতে। একে একে ওই পরিবারের আরো তিন জন অসুস্থ হলেন। আরো একজনকে হাসপাতালে নিতে হলো। আত্মীয়স্বজনদের মধ্যেও আরো কয়েকজন আক্রান্ত হলেন, তাদের কয়েকজন গেলেন ব্রাডফোর্ড আর ওল্ডহ্যামের হাসপাতালে। স্পষ্টই বোঝা গেল যে ব্র্যাডফোর্ড বা অন্য কোথাও থেকে জানাজায় আসা কেউ একজন ছিলেন করোনাভাইরাস সংক্রমিত এবং তার থেকেই এটা অনেক লোকের মধ্যে ছড়িযে পড়েছে। মোহাম্মদের ছেলে হারুন একজন রেডিওলজিস্ট। তিনি বলছিলেন, “জানাজায় আসা লোকেরা হাত মিলিয়েছে, পরস্পরের সাথে কথা বলেছে। আর তাতে বোঝাই যাচ্ছে কত দ্রুত এই ভাইরাস ছড়িয়েছে।“ “এর কয়েকদিন পরই সারা ব্রিটেনে লকডাউন কার্যকর করা হয়। কিন্তু তার আগেই মানুষের মধ্যে এই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল – যদিও আমরা কেউ তা বুঝতে পারিনি। ফলে কোন লোকসমাগম হলেই তার মধ্যে অন্তত একজন সংক্রমিত লোক থাকতে পারে - এ সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছিল“ – বলছিলেন হারুন। হারুন বললেন, তার পরিবারের আটজন সদস্য ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, এবঙ তার মধ্যে তিন জন মারা যান। ডাক্তার রাইট বলছিলেন, তারা ওই সময়টায় অনেক রোগী পেয়েছেন যারা বিয়ে, পার্টি বা শেষকৃত্যের মত পারিবারিক অনুষ্ঠানে গিয়ে সংক্রমিত হয়েছিলেন। এর কারণ হচ্ছে এসব অনুষ্ঠানে আগতরা ঘনিষ্ঠ শারীরিক সংস্পর্শে আসেন। তারা কোলাকুলি করেন, হ্যান্ডশেক করেন – যার ফলে উচ্চ মাত্রায় সংক্রমণ ঘটে। মোহাম্মদ পাকিস্তান থেকে ফিরেছিলেন ১৮ই মার্চ। তার আগেই হারুন এবং তার ভাইয়ের দেহে উপসর্গ দেখা দেয়। “‍আমরা অন্যদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু এক বাড়িতে থাকলে সেটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। কারণ একটা বাড়ির বাথরুম, ফ্রিজ, কিচেন সবাই ব্যবহার করে।‍ মোহাম্মদের আগে থেকেই এ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা ছিল – তাই তিনি সংক্রমণের বহলে কী হবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন। কিন্তু সেই শনিবারই তার দেহে লক্ষণ দেখা দিল। পরের ৯ দিন মোহাম্মদ বাড়িতে বসে থাকলেন, কিন্তু তার অবস্থা ক্রমে খারাপ হতে লাগলো। তার ছেলেরা তখন জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলেন। তাকে হাসপাতালে নিতে এ্যাম্বুলেন্স এলো। ‍“আমরা তার সাথে এ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত গেলাম। সেটা ছিল খুবই আবেগপূর্ণ একটা মুহূর্ত, কারণ আমরা তার সাথে যেতে পারিনি, কখন আবার তাকে দেখতে পাবো তাও জানতাম না।“ মোহাম্মদ ব্র্যাডফোর্ড রয়াল ইনফার্মারি হাসপাতালে এসে দেখলেন, ওয়েটিং রুমে বসে আছেন তারই চাচা, তার মুখেও অক্সিজেন মাস্ক লাগানো। কয়েকদিন পরই তিনি মারা যান। মোহাম্মদের মুখের ভেতর দিয়ে টিউব ঢুকিয়ে তাকে ভেন্টিলেটর দেয়া হলো। ‍“এ সময় রোগীকে গভীরভাবে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়, এবং তার দেহের পেশীগুলো ওষুধ দিয়ে অচল করে রাখা হয়ে যাতে দেহে অক্সিজেন ঢুকতে পারে”- বলেন ডেবি হর্ণার। “এসময় প্রতিদিন দু’‌‌বার মোহাম্মদকে উপুড় করে শোয়ানো হয় – যাতে তার ফুসফুসের বিভিন্ন অংশে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে তার শরীরে যত বেশি সম্ভব অক্সিজেন ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়। একদল রেডিওলজিস্ট মিলে এ কাজটা করে থাকেন।‍“ প্রথম দিকে ডাক্তারদের ধারণা ছিল যে কোভিড-১৯ মূলত ফুসফুসের রোগ এবং রোগীকে সংজ্ঞাহীন করে ভেন্টিলেশন দেয়াটাই হচ্ছে জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসা। কিন্তু পরে তারা সিপিএপি নামে অন্য এক ধরণের ভেন্টিলেটর ব্যবহার করতে শুরু করেন – যা মূলত সরাসরি ফুসফুসে অক্সিজেন পাঠাতে থাকে। এ পদ্ধতির কার্যকারিতাও স্পষ্ট হয়েছে। প্রাথমিক উপাত্তে দেখা যায়, ব্র্যাডফোর্ড রয়াল ইনফার্মারিতে রোগীদের মুত্যুহার ২৩ শতাংশ – যা ব্রিটেনের জাতীয হারের চেয়ে কম। তবে আইসিইউতে মৃত্যুর হার যুক্তরাজ্যের অন্যান্য এলাকার মতো ৫০ শতাংশই ছিল। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন ইনটেনসিভ কেয়ার থেকে বের হবার পর মোহাম্মদ হোসেনকে সুস্থ হবার জন্য দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। প্রতিদিন দু‌বার উপুড় করে শোয়ানোর সময় তার কাঁধে চোট লাগে এবং তিনি ডান হাত খুব বেশি নাড়াতে পারতেন না। ফলে তার খেতে অসুবিধা হতো। এ জন্য তাকে বাড়তি ফিজিওথেরাপি নিতে হয়। মোহাম্মদ হোসেন তার চিকি৭সার জন্য ডাক্তার-নার্সদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছিলেন। “ শুধু চিকিৎসা নয়, তাদের মানবিক আচরণও আপনাকে সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করে।একদিন নানা রকম টেস্ট করা ফাঁকে ডাক্তার আমাকে আনারসের জুস খেতে দিলেন। আমার সেটাকে বেহেশতের পানীয় মনে হচ্ছিল” - বলছিলেন মোহাম্মদ। মোহাম্মদ সংজ্ঞাহীন ছিলেন মোট পাঁচ সপ্তাহ। সেই সময়টা সবাইকে হোয়াটসএ্যাপে তার চিকিৎসার খবর জানাতেন তার ছেলে হারুন। গত মঙ্গলবার মোহাম্মদ যখন হাসপাতাল ত্যাগ করলেন, তখন তাকে রীতিমত সংবর্ধনা দিয়েছিলেন তার ওয়ার্ডের স্টাফরা। তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেবার সময় স্বজনদের একটা চমক দিয়েছিলেন হারুন। “আমি যখন বাবাকে হাসপাতাল থেকে আনতে গেলাম আমি কাউকে বলিনি। পরিবারের সবাইকে জানালাম, তারা যেন আমাদের বাড়িতে আসেন, কথা আছে। তারা এসে দেখলেন, আব্বা আরামকেদারায় বসা। সবাই অবাক হযে গেল। সে ছিল এক দারুণ মুহূর্ত“ – বলছিলেন হারুন। মোহাম্মদ এখন সুস্থ হয়ে উঠছেন, বাগানে গিয়ে বসছেন। তবে অল্পতেই হাঁপিয়ে যান। পুরোপুরি সেরে উঠতে সময় লাগবে, তবে তার চারপাশে এখন প্রিয়জনরা আছেন। হারুনের মা-ও এখন পাকিস্তান থেকে ফিরে এসেছেন। ফলে পুরো পরিবার আবার একসাথে হয়েছে। সবাই খুব খুশি।
In March, before the lockdown began, the Hussain family held a big funeral in Bradford's Grand Mosque. Tragically, many mourners fell ill with Covid-19, including the dead man's son, Mohammed. But while three family members died, Mohammed eventually pulled through, writes Dr John Wright of the Bradford Royal Infirmary.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ভোটের প্রক্রিয়ায় রাশিয়ায় বা ইরানের সরাসরি যুক্ত থাকার কোন প্রমাণ মেলেনি। মার্কিন সরকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনে বিজয়ী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে "বিভ্রান্তিমূলক এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ" ছড়িয়েছিল মস্কো। তবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলে বিদেশি কোন সরকারের কোন হাত ছিল না বলেও জানানো হয়। তবে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ বারবারই অস্বীকার করেছে রাশিয়া। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের কার্যালয় থেকে ১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে একে রাশিয়া এবং ইরানের "প্রভাব খাটানোর অভিযান" হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, রাশিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়িয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে আস্থা মুছে ফেলার জন্য গুজব ছড়াতে প্রচারণাও চালানো হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মিডিয়া, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং ট্রাম্পের মিত্রদের কাছে বাইডেন বিরোধী বক্তব্য ছড়িয়েছে। আরো পড়ুন: প্রেসিডেন্ট বাইডেন মি. ট্রাম্পকে পরাজিত করেন এবং গত ২০শে জানুয়ারি তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেন। প্রতিবেদনে বলা হয় যে, রাশিয়া যখন মি. ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত করতে কাজ করছিল, ইরান তখন তার সমর্থন দুর্বল করতে "বহুমাত্রিক গোপন প্রভাব প্রচারণার" কাজ করছিল। সাবেক প্রেসিডেন্ট ইরানের উপর "সর্বোচ্চ চাপ" প্রয়োগের নীতি অনুসরণ, ক্ষতিকর নানা ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন এবং দুই দেশের মধ্যে বাকযুদ্ধের সূত্রপাত করেছিলেন। ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ করে আসলেও "অত্যন্ত দৃঢ় বিশ্বাসের" সাথে প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয় যে, ভোটের আগে দেশটি কোন ধরণের "প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা চালায়নি।" সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও রাশিয়ার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। এতে বলা হয়, "চীন যুক্তরাষ্ট্রের সাধে সম্পর্কে স্থিতিশীলতা চায়। আর তাই নির্বাচনের ফল যাই হোক না কেন সেটি প্রভাব বিস্তারের ঝুঁকির বিপরীতে সুবিধাজনক নয় বলে বিবেচনা করেছে।" প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনের প্রক্রিয়া এবং চূড়ান্ত ফল- কোনটাই বিদেশি রাষ্ট্র দ্বারা প্রভাবিত হয়নি। এই প্রতিবেদনটি এমন এক সময় প্রকাশিত হল যখন দেশটির বিচার বিভাগ এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের যৌথ তদন্তের ফলও একই রকম পাওয়ার কথা জানানো হয়। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয় যে, "রাশিয়া এবং ইরানের প্রচারণা কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে টার্গেট করেছিল যারা কিছু নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা আপস আপস করেছিল যারা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজ করেছিল।" তবে প্রতিবেদনে বলা হয় যে, প্রভাব বিস্তার করার এসব প্রচেষ্টার সবই ছিল পরোক্ষ। নথিগুলোতে বলা হয়, "ভোট প্রক্রিয়ার কোন কারিগরি বিষয় বদলে ফেলে ভোটার নিবন্ধন, ব্যালটে ভোটদান, ভোট গণনা কিংবা ফল ঘোষণা, কোন বিষয়েই বিদেশী কোন শক্তি হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছিল এমন কোন ইঙ্গিত আমাদের কাছে নেই..." গত বছরের অগাস্টে মার্কিন গোয়েন্দা কমিউনিটি বলেছিল যে, চীন, রাশিয়া এবং ইরান আসছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। তদন্তে উঠে আসে যে রাশিয়া মি. বাইডেনকে কলঙ্কিত করতে চাইছিল। আর চীন এবং ইরান মি. ট্রাম্পের পরাজয় চেয়েছিল।
Russian President Vladimir Putin is likely to have authorised attempts to influence last year's US election in favour of former President Donald Trump, intelligence officials say.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
বরিস জনসনের পদক্ষেপের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সভাপতি লেডি হেইল এ নিয়ে মঙ্গলবার এক ঐতিহাসিক রায়ে বলেছেন, ওয়েস্টমিনিস্টার সংসদের দুটি কক্ষের অধিবেশন স্থগিত করার আদেশটি তাই বাতিল বলে বিবেচিত হবে। সুপ্রিম কোর্টের ১১ জন বিচারকের একটি বিশেষ প্যানেল সর্বসম্মতভাবে এই রায় দেন। চলতি মাসের গোড়ার দিকে মি. জনসন পাঁচ সপ্তাহের জন্য সংসদ অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। তার সরকারের নতুন নীতিমালা সংসদে রানির ভাষণের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য এই সময়টুকু প্রয়োজন বলে সে সময় তিনি যুক্তি দেখান। এই রায় দেয়ার সময় আদালত যেসব আইনগত দিক বিবেচনা করেছে তার প্রধান দিকগুলো এখানে তুলে ধরা হলো: রানিকে পরামর্শ দেয়ার বৈধতা পার্লামেন্ট স্থগিতের প্রশ্নে রানিকে যে পরামর্শ দেয়া দেয়া হয়েছিল তার বৈধতা বিচার করার অধিকার আদালতের রয়েছে কি না, তাই ছিল এই মামলার মূল বিবেচ্য বিষয়। আদালত মনে করছে, এই প্রশ্নে মীমাংসা করার অধিকার তার রয়েছে। রায় ঘোষণা করছেন ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সভাপতি লেডি হেইল। সম্পর্কিত খবর: সুপ্রিম কোর্টের রায়: 'পার্লামেন্ট স্থগিত অবৈধ' লেডি হেইল তার রায় উল্লেখ করছেন, কয়েক শতাব্দী ধরে সরকারের কাজের আইনগত বৈধতা বিচার করার এখতিয়ার আদালতের রয়েছে। ১৬১১ সালে তৎকালীন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী রাজাও আইনের বাইরে যেতে পারেন না বলে আদালত মনে করে। সংসদীয় গণতন্ত্রের কার্যকারিতা সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলছে, আগামী ৩১শে অক্টোবর ব্রেক্সিটের মধ্য দিয়ে আমূল পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে, তার আগে দীর্ঘ সময় ধরে সংসদ স্থগিত রাখা হয়েছে যার প্রভাব পড়েছে সংসদীয় গণতন্ত্রের ওপর। এই বিষয়টিও আদালত বিবেচনা করেছে। আদালত তার রায়ে বলছে, এসব পরিবর্তন নিয়ে পার্লামেন্ট, বিশেষভাবে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে হাউস অফ কমন্স-এর কথা বলা অধিকার রয়েছে। সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারার ওপর তাই সরকারি সিদ্ধান্ত ছিল চরম। স্থগিতাদেশের পক্ষে যুক্তিহীনতা আদালত রায়ে উল্লেখ করেছে, পার্লামেন্টের অধিবেশনের স্থগিতাদেশের পেছনে যুক্তিগুলো সরকারপক্ষ তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। রানির ভাষণের প্রস্তুতির জন্য যেখানে নিয়ম-মাফিক চার থেকে ছয় দিনের প্রয়োজন হয়, সেখানে পাঁচ সপ্তাহ আগে কেন সংসদ স্থগিত করার প্রয়োজন হলো তার কোন ব্যাখ্যা সরকারের কাছে ছিল না। ওয়েস্টমিনস্টার, ব্রিটেনের সংসদ। পাশাপাশি, সংসদ স্থগিত করা এবং অধিবেশনের ছুটির বিষয়টিও নিয়েও কোন ব্যাখ্যা নেই বলে লেডি হেইল রায়ে উল্লেখ করেন। সে কারণেই আদালত মনে করছে, রানিকে সংসদ স্থগিত করার সরকারি পরামর্শটি ছিল বেআইনি যার ফলে সংসদ তার ওপর ন্যস্ত সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের সুযোগ পায়নি। সংসদের বাইরে থেকে চাপানো সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সভাপতি লেডি হেইল তার রায়ের এক জায়গায় বলছেন, সরকার যুক্তি দেখাচ্ছে যে সংসদ স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি সংসদের নিজস্ব ব্যাপার এবং ১৬৮৮ সালের নাগরিক অধিকারের সনদ অনুযায়ী এ নিয়ে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারে না। কিন্তু লেডি হেইল বলেন, অধিবেশন স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি বাইরে থেকে সংসদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি সংসদের কার্যক্রমের অংশ ছিল না। সংসদ সদস্যরা এই প্রশ্নে কোন ধরনের আলোচনা বা ভোটদানের সুযোগ পাননি বলে তিনি রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন। আদালতের বাইরে মি. জনসনের একজন বিরোধী। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: 'টয়লেট নিয়ে' বিড়ম্বনায় নরেন্দ্র মোদী ও বিল গেটস বগুড়ায় বিপুল পরিমাণ ছেঁড়া টাকা উদ্ধার মাংসপেশিতে টান পড়লে কী করবেন এর পর কী ঘটতে পারে? ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট বলছে, পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্তটি সংসদ এবং বিশেষভাবে স্পিকারকেই নিতে হবে। অন্য কোন বাধা না থাকলে অতি দ্রুত পার্লামেন্টের দুটি কক্ষের অধিবেশন চালু করা যায়। লেডি হেইল তার রায়ের পক্ষে যুক্তি দেখান এই বলে যেহেতু স্থগিতাদেশটি ছিল অবৈধ, তাই সংসদের অধিবেশন স্থগিত হয়নি বলে বিবেচিত হবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক প্যানেলের ১১ জন সদস্যই এই প্রশ্নে একমত বলে তিনি রায়ে উল্লেখ করেন।
The UK Supreme Court has ruled unanimously that Prime Minister Boris Johnson's suspension of Parliament broke the law .
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
তিব্বতে জন্মগ্রহণকারী বাইমাডাজে আঙওয়াংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তিনি নিউইয়র্কে থাকা চীনের নাগরিকদের কর্মকাণ্ডের তথ্য পাচার করতেন। তিব্বতে জন্মগ্রহণকারী বাইমাডাজে আঙওয়াংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তিনি নিউইয়র্কে থাকা চীনের নাগরিকদের কর্মকাণ্ডের তথ্য পাচার করতেন। এছাড়া তিব্বতি সম্প্রদায়ের মধ্যে গোপনে তথ্য দিতে পারে, এমন সম্ভাব্য ব্যক্তিদের শনাক্ত করার কাজ করতেন। মঙ্গলবার এই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নিউইয়র্ক পুলিশের কম্যুনিটি অ্যাফেয়ার্স ইউনিটে কর্মরত ছিলেন। দোষী প্রমাণিত হলে তার ৫৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। কৌঁসুলিদের তথ্য অনুযায়ী, পুলিশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের রিজার্ভ সেনাবাহিনীর একজন সদস্য দিয়েলে আঙওয়াং। তিনি সেখানে সিভিল অ্যাফেয়ার্স বিশেষজ্ঞ হিসাবে কাজ করতেন। চীনা কনস্যুলেটের দুইজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আরো পড়তে পারেন: বিশ্বে কি নতুন আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হলো? চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব কি পরিণতি ডেকে আনতে পারে? শুধু চীনা বংশোদ্ভূত হওয়ার কারণেই ভারত যে নাগরিকদের বন্দী করেছিল চীন আমেরিকা ঠাণ্ডা লড়াই 'বিশ্বের জন্য ভাইরাসের থেকে বড় হুমকি' শহরের তিব্বতি নাগরিকদের সম্পর্কে তথ্য দেয়ার পাশাপাশি, তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চীনা কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ করার মাধ্যমে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তাদের প্রবেশাধিকার তৈরির চেষ্টা করেছেন। আদালতে দাখিল করা নথিপত্রে জানা যাচ্ছে, আঙওয়াং তার চীনা কর্মকর্তাদের বলেছেন যে, তিনি নিউইয়র্ক পুলিশের মধ্যে ঊর্ধ্বতন পদে যেতে চান যাতে তিনি চীনকে আরও সহায়তা করতে পারেন এবং দেশকে উজ্জ্বল করে তুলতে পারেন। তার বিরুদ্ধে অর্থ গ্রহণ সম্পর্কে জাল বিবৃতি তৈরি করা এবং একটি আনুষ্ঠানিক তদন্তে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালতের নথিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি চীন থেকে অনলাইনে একাধিকার ভালো অংকের অর্থ গ্রহণ করেছেন। তার পিতা ছিলেন চীনের সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির একজন সদস্য। তার মাও পার্টির একজন সদস্য এবং চীনের সাবেক সরকারি কর্মকর্তা। নিউইয়র্ক পুলিশ কমিশনার ডেরমট এফ শেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ''ফেডারেল অভিযোগে যেভাবে বলা হয়েছে, বাইডামাজে অন্যান্য প্রতিটি শপথ ভঙ্গ করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে, মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্য হিসাবে এবং পুলিশ বিভাগের সদস্য হিসাবে সব শপথ ভঙ্গ করেছেন।'' চীনের প্রত্যন্ত একটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী প্রধান স্বায়ত্তশাসিত এলাকা হচ্ছে তিব্বত। বেইজিংয়ের দাবি, চীনের শাসনামলে সেখানকার অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে অধিকার কর্মীদের দাবি, চীন সেখানে অব্যাহতভাবে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় আগ্রাসন চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। যদিও বেইজিং এসব অভিযোগ অস্বীকার করে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: শীতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার কতোটা প্রস্তুত 'সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের ফ্লাইট জটিলতা কাটছে' অর্থপাচার কেলেঙ্কারি: ফাঁস হওয়া 'ফিনসেন ফাইলস' সম্পর্কে যা জানা দরকার মিশরের কূপে আড়াই হাজার বছরের পুরনো কফিন, রহস্যের গন্ধ
A New York City Police Department officer has been charged with acting as an illegal agent for China.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৫০০'র বেশী স্থাপনা যুক্তরাজ্য থেকে স্ক্যান্ডিনেভিয়া হয়ে জাপান পর্যন্ত অনেক দেশেই আরো কয়েকদিন এই তাপদাহ অব্যাহত থাকার কথা। অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে কয়েক হাজার মানুষের হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াকে কেন্দ্র করে জাপান কিছুদিন আগে জাতীয় দুর্যোগ অবস্থা ঘোষণা করে। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া, পূর্ব কানাডা, আলজেরিয়া ও নরওয়েতে উচ্চ তাপমাত্রা সংক্রান্ত বিভিন্ন নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে এবছর। ওমানে রাতের তাপমাত্রার মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস - যা ওমানের ইতিহাসের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার হিসেবে সবচেয়ে বেশি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: সুইডেনে অভিবাসন কঠিন হচ্ছে কেন? বৃষ্টির ঘ্রাণ কেন ভালো লাগে আমাদের? যে কারণে নাগরিকত্ব নিয়ে শঙ্কায় আছে আসামের বাংলাভাষীরা গ্রীসে দাবানলে মারা গিয়েছে অন্তত ৮০জন সুইডেনের উত্তরাঞ্চলের দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে উত্তরের মেরু এলাকায়। গ্রীসের এথেন্সের কাছে দাবানলে এরই মধ্যে মারা গেছেন অন্তত ৮০ জন। যেসব দেশে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি? জুলাই মাসের শুরু থেকে অনেক দেশেই তাদের নিয়মিত গড় তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে। যেসব দেশে গড় তাপমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে সেগুলো হলো: যুক্তরাজ্য, স্ক্যান্ডিনেভিয়া (মূলত নরওয়ে আর সুইডেন), পূর্ব কানাডা, পূর্ব সাইবেরিয়ার বেশকিছু এলাকা, জাপান ও কাস্পিয়ান সাগর সংলগ্ন এলাকা। পাকিস্তানে এবছর অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে মারা গিয়েছে ৬০ জনের বেশী মানুষ যেসব দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে সেগুলো হলো: স্পেন ও পর্তুগাল সহ দক্ষিণ ইউরোপের কয়েকটি অঞ্চল, রাশিয়ায় উত্তর সাইবেরিয়ার কিছু অঞ্চল ও দক্ষিণ আমেরিকার সর্বদক্ষিণাঞ্চল। কোপার্নিকাস জলবায়ু পরিবর্তন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী তৈরি করা মানচিত্র অনুযায়ী ইউরোপের সবচেয়ে উষ্ণ জুলাই ছিল ২০১০'এ। সেসময় গড়ের চেয়ে দুই ডিগ্রি বেশী তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হয়। এবছরের জুলাইও ইউরোপের উষ্ণতম জুলাই মাসগুলোর মধ্যে অন্যতম হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জুন মাস কতটা উষ্ণ ছিল? যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার্স ফর এনভায়রনমেন্টাল ইনফরমেশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৮৮০ সালের পর থেকে পঞ্চম উষ্ণতম জুন মাস ছিল এবছর। উষ্ণতম জুন ছিল ২০১৬ সালে। তখন বিশ্বের তাপমাত্রা গড়ের চেয়ে ০.৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশী ছিল। অতিরিক্ত উষ্ণতা বিশ্বজুড়ে ঐ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রার চেয়ে বেশী তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়া টানা ৪২তম জুন এবং টানা ৪০২তম মাস ছিল জুন ২০১৬। জাপানে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে ঘোষণা করা হয়েছে জাতীয় দুর্যোগ তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ কী? বিশ্বের নানা জায়গায় তাপমাত্রা বৃদ্ধির কোনো একটি সুনির্দিষ্ট কারণ নেই। বিবিসি'র বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ডেভিড শুকম্যান বলেন, "অবাক করা বিষয় হলো, বর্তমানে একই সময়ে একাধিক তাপদাহ অনুভূত হচ্ছে।" "পরিবেশ বিজ্ঞানীরা এমনটাও বলছেন না যে প্রতিবছরই এমন তাপদাহ থাকবে। কিন্তু তাঁরা বলছেন মাত্রাতিরিক্ত উষ্ণ আবহাওয়ার সম্ভাবনা দিন দিন বাড়বে", বলেন মি. শুকম্যান। কী?
Countries across the world have been facing extremely high temperatures this summer.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
মাউন্ট এট্‌নার আগুন এবং ধোঁয়া দেখার জন্য প্রতিবছর ট্যুরিস্ট এবং বিজ্ঞানীরা জড়ো হন। তারা হিসেব করে বলছেন, সিসিলি দ্বীপের ওপর এই আগ্নেয়গিরি বছরে ১৪ মিলিমিটার করে ভূমধ্যসাগরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ব্রিটেনের ওপেন ইউনিভার্সিটির ভূবিজ্ঞানের গবেষক ড. জন মার্ফি বলছেন, মাউন্ট এট্‌নার এই সরে যাওয়ার দিকে সতর্কভাবে নজর রাখতে হবে। কারণ এর ফলে নানা ধরনের ঝুঁকি তৈরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। "আমি বলবো এখন পর্যন্ত এ থেকে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই," তিনি বলছেন, "তবু এই আগ্নেয়গিরি দিকে সতর্ক নজর রাখতে হবে।" সাধারণ বিবেচনায় বছরে ১৪মি.মি. -- কিংবা ১০০ বছরে ১.৪ মিটার -- সরে যাওয়া খুব বেশি বলে মনে নাও হতে পারে। মাউন্ট এট্‌নার অবস্থান সিসিলির পূর্ব উপকূলে। কিন্তু ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি, যাদের মধ্যে আগে এধরনের প্রবণতা দেখা গিয়েছে, তাদের কারণে মারাত্মক ভূমিধ্স নানা ধরনের সঙ্কট তৈরি হয়েছে বলে ভূবিজ্ঞানীরা বলছেন। ড. জন মার্ফি মাউন্ট এট্‌না সম্পর্কে গবেষণা চালিয়েছেন প্রায় ৫০ বছর ধরে। এই গবেষণায় তিনি এই পর্বতের নানা জায়গায় জিপিএস স্টেশন বসিয়েছেন। সামান্য নড়াচড়া হলেও এই স্টেশনের যন্ত্রে তা ধরা পড়বে। এসব যন্ত্র থেকে গত ১১ বছরে উপাত্ত থেকেই বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন যে মাউন্ট এট্‌না এখন দক্ষিণ-পূর্বমুখী হয়ে একটু একটু করে ভূমধ্যসাগরের দিকে সরে যাচ্ছে।
Europe's most active volcano, Mount Etna, is sliding towards the sea.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
স্বজনেরা যেকোনো মূল্যেই হোক এটি উদ্ধার করার দাবি জানাচ্ছেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরের ১৫ তারিখ ৪৪ জন ক্রু নিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলো এআরএ সান হুয়ান নামের সাবমেরিনটি। ঠিক এক বছর একদিন পর এই ১৬ই নভেম্বর সেটির সন্ধান মিলেছে আটলান্টিক সমুদ্রের ২,৯৫০ ফিট নিচে। দেশটির নৌবাহিনীর কমান্ডার গেব্রিয়েল আত্তিস নিশ্চিত করেছেন, সাবমেরিনটি পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। এর কাঠামো পুরোপুরি ভাঙাচোরা অবস্থায় পাওয়া গেছে। চারিদিকে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় পাওয়া গেছে এর ধ্বংসাবশেষ। সেগুলো ২২৯ ফিট পর্যন্ত দূরে ছড়িয়ে রয়েছে। আরো পড়ুন: নিখোঁজ সাবমেরিন থেকে মিললো স্যাটেলাইট সংকেত সাবমেরিন থেকে মহিলা সাংবাদিকের অন্তর্ধান রহস্য মার্কিন একটি অনুসন্ধানকারী সংস্থা ওশান ইনফিনিটি এটি খুঁজে পায়। একটি আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর আর্জেন্টিনা বেসরকারি এই সংস্থাটিকে নিয়োগ দিয়েছিলো। কী হয়েছিলো সাবমেরিনটির? আটলান্টিক সমুদ্রের ২৯৫০ ফিট নিচেসেটির সন্ধান মিলেছে সাবমেরিনটি। এআরএ সান হুয়ান দক্ষিণ আমেরিকার একদম দক্ষিণাংশে একটি নিয়মিত টহল অভিযানে ছিল। পথে সেটির বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায় গোলযোগ দেখা দেয়। বিষয়টিকে তখন যানটির ব্যাটারিতে 'শর্ট সার্কিট' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিলো সাবমেরিন থেকে। সেসময় মিশন বাদ দিয়ে তখনই তাদের ফিরে আসতে বলা হয়েছিলো। নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র গত বছর বলছিলেন, সাবমেরিনটির ব্যাটারিতে পানি ঢুকেছিল; যার কারণে শর্ট সার্কিট হয়েছে। গত বছর নভেম্বরের ১৫ তারিখ স্থানীয় সময় সাড়ে সাতটায় সাবমেরিন থেকে জানানো হয় যে, সকল ক্রু ভালো আছেন। এটাই ছিল সাবমেরিনটির সাথে সর্বশেষ যোগাযোগ। পারমাণবিক বিস্ফোরণের উপর নজরদারি করে এমন একটি সংগঠন এর আট দিন পর জানিয়েছিল যে তারা সাবমেরিনটির সর্বশেষ অবস্থানের ৬০ কিলোমিটার উত্তরে এক ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছে। নৌবাহিনীর কমান্ডার গেব্রিয়েল আত্তিস নিশ্চিত করেছেন যে সাবমেরিনটি পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। কী বলছে আর্জেন্টিনার সরকার ও স্বজনেরা? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর্জেন্টিনার নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সেটি উদ্ধারের 'ক্ষমতা নেই' আর্জেন্টিনার সরকারের। তিনি বলছেন, "সাবমেরিনটি সমুদ্রপৃষ্ঠে তোলা অসম্ভব নয় তবে তা খুবই জটিল ব্যাপার। আর তার মানে হল তা খুবই ব্যয়বহুল।" ঠিক কী কারণে সাবমেরিনটি এভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে সেটি পরিষ্কার নয়। কিন্তু সেটি উদ্ধার করার আকুতি জানাচ্ছেন স্বজনেরা। সাবমেরিনটি নিখোঁজ হওয়ার ঠিক এক বছরে তারা ক্রুদের স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পরদিনই সাবমেরিনটি খুঁজে পাওয়া যেন তাদের জন্য বাড়তি কিছু বয়ে এনেছে। সাবমেরিনটির একজন ক্রুর বাবা হোর্হে ভিয়ারিয়াল বলেছেন, "আমরা ওদের খুঁজে পেয়েছি। আমরা এখন সত্যের খোঁজ করবো। আমাদের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের শুরু।" স্বজনেরা যেকোনো মূল্যেই হোক এটি উদ্ধার করার দাবি জানাচ্ছেন। অন্যান্য খবর: ভিডিও গেম ফতোয়া নিয়ে ইমামরা কেন বিভক্ত বোরকার বিরুদ্ধে সৌদি নারীদের অভিনব প্রতিবাদ
Argentina's defence minister has said it "does not have the means" to raise a missing submarine which disappeared with 44 crew on board, after its wreck was found beneath the Atlantic.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
কানাডা এবং ব্রিটেনের নেতারা এই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত দাবি করেন। সে ঘটনায় ১৭৬ জন যাত্রী এবং ক্রুদের সবাই নিহত হয়েছে। তবে বিমানটিতে মিসাইল আঘাত করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইরান। ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের মিসাইল হামলার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বিমান বিধ্বস্ত হবার খবর আসে। মার্কিন গণমাধ্যম অনুমান করছে, যাত্রীবাহী বিমানটিকে ইরান হয়তো আমেরিকার যুদ্ধ বিমান ভেবে ভুল করতে পারে। কারণ যে সময়টিতে যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে তার কিছুক্ষণ আগে ইরান মিসাইল হামলা চালিয়েছে। ফলে আমেরিকার দিক থেকে সম্ভাব্য হামলার আশংকা করেছিল ইরান। আমেরিকার গোয়েন্দা সূত্র উদ্ধৃত করে সিবিএস টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বলছে, সে সময় স্যাটেলাইটে দুটি মিসাইলের সংকেত পাওয়া গেছে। এরপরই বিস্ফোরণের আরেকটি সংকেত পাওয়া যায়। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেছেন, বিমানটিতে আসলে কী ঘটেছিল সে বিষয়ে তার সন্দেহ রয়েছে। অন্যদিকে ইরান বলছে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির ব্ল্যাক-বক্স আমেরিকা কিংবা বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা বোয়িং-এর কাছে হস্তান্তর করা হবেনা। যদিও ঘটনার আনুষ্ঠানিক তদন্তে যোগ দেবার জন্য ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বোয়িংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বিমান চলাচলের আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী তদন্তে নেতৃত্ব দেবার অধিকার রয়েছে ইরানের। তবে বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা সাধারণত তদন্তের সাথে সম্পৃক্ত থাকে। মিসাইল হামলা সম্পর্কে কী বলা হচ্ছে? কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তিনি বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সূত্র থেকে যে তথ্য পেয়েছেন তাতে মনে হচ্ছে যাত্রীবাহী বিমানটি মিসাইলের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত-ভাবে হতে পারে বলে মি: ট্রুডো উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কানাডার মানুষের মনে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে এবং তাদের উত্তর জানা দরকার। তবে বিষয়টি নিয়ে কাউকে দোষারোপের সময় এখনো আসেনি বলে তিনি মন্তব্য করেন। ইউক্রেন এয়ারলাইন্সের সে বিমানটিতে কানাডার ৬৩জন নাগরিক ছিল, যারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ হয়ে টরন্টো যাবার কথা ছিল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে একমত পোষণ করেছেন। মি: জনসন বলেন, ঘটনাটি নিয়ে কানাডার সাথে ব্রিটেন ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। কানাডা সফররত ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, ইরান ভ্রমণ না করার জন্য ব্রিটিশ নাগরিকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আমেরিকা এবং ইরাকের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজউইক বলেছে, মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পর ইরানের বিমান-বিধ্বংসী ব্যবস্থা তখন হয়তো কার্যকর ছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে পেন্টাগন এখনো আনুষ্ঠানিক কোন মন্তব্য করেনি। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী ওলেক্সি ড্যানিলভ ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হবার তিনটি কারণ কারণ থাকতে পারে। এগুলো হচ্ছে . . ড্রোন কিংবা অন্য কোন উড়ন্ত বস্তুর সাথে মাঝ আকাশে সংঘর্ষ . কারিগরি ত্রুটির কারণে ইঞ্জিন বিস্ফোরণ . সন্ত্রাসী হামলার অংশ হিসেবে বিমানের ভেতরে কোন বিস্ফোরণ ঘটানো ইরান কী বলছে? ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার প্রধান আলী আবেদজাদেহ বলেন, বিমানটি যখন বিমানবন্দর এলাকা ছেড়ে যাচ্ছিল তখন সেটি পশ্চিমমুখী ছিল। একটি সমস্যার কারণে সেটি ডান দিকে মোড় নিয়ে বিমানবন্দরের দিকে পুনরায় ফিরে আসছিল তখন সেটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বলেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হবার আগে আগুন জ্বলতে দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ইমাম খোমেনি বিমান বিমানবন্দরে ফিরে আসার আগে বিমানের পাইলট সাহায্য চেয়ে কোন বার্তা পাঠাননি। "বিমানটিতে মিসাইল আঘাত বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবে অসম্ভব। এ ধরণের গুজব অযৌক্তিক," বলেন মি: আবেদজাহ। ইরান সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিমান বিধ্বস্ত হবার জন্য ইরানকে দায়ী করা একটি 'মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ'।
Western countries say they have evidence that an Iranian missile shot down a Ukrainian plane close to Tehran airport on Wednesday.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
লাল কেল্লার প্রাঙ্গণে বিক্ষোভকারী কৃষক। এনিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে এবং এতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে হাজার হাজার কৃষক পায়ে হেঁটে এবং ট্রাক্টর চালিয়ে শহরে প্রবেশ করে। কয়েকটি জায়গায় কৃষকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে ফেলে এবং তাদের জন্য নির্ধারিত রুটে না গিয়ে অন্য দিকে এগিয়ে যায়। ভিডিও: লাল কেল্লায় ওড়ে শিখ নিশান বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: নতুন কৃষি বিলের বিরুদ্ধে ভারতে কেন আগুন জ্বলছে? ভারতে হাজার হাজার কৃষকের আন্দোলনে কার্যত অবরুদ্ধ রাজধানী দিল্লি পেঁয়াজের বীজ চাষ করে কোটি টাকার ব্যবসা পঙ্খীরাজ-জামাইভোগ-লক্ষ্মীজটা - যে হাজারো ধান হারিয়েছে বাংলাদেশ নরেন্দ্র মোদি সরকারের 'নতুন বাজার বান্ধব' সংস্কারের বিরুদ্ধে ভারতের ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘ এই কৃষক আন্দোলন চলছে প্রায় দুই মাস ধরে। সরকার প্রস্তাবিত আইনটি আপাতত স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে কিন্তু কৃষকরা বলছে তারা আইনটির বাতিল চায়। কয়েক দফা আলোচনার পর পুলিশ মঙ্গলবারের সমাবেশের অনুমতি দিয়েছিলো এই শর্তে যে তারা কোনোভাবেই প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের বিঘ্ন ঘটাবে না। দিল্লির ছয়টি প্রবেশপথ থেকে কর্মসূচি শুরুর কথা ছিলো কৃষকদের। পুলিশ এর সবগুলোই অবরোধ করে রেখে কর্মসূচি পালনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রুট ঠিক করে দেয়। কিন্তু সিংঘু, টিকরি ও গাজিপুর -এই তিনটি জায়গায় কৃষকরা ব্যারিকেড ভেঙ্গে, পায়ে হেঁটে ও ট্রাক্টরে করে মিছিল শুরু করে। এক পর্যায়ে একদল কৃষক মুঘল শাসকদের তৈরি লাল কেল্লা কমপ্লেক্সে পৌঁছে যায় এবং স্তম্ভ বেয়ে উঠে খালসা পতাকা উড়িয়ে দেয়। তবে ভারতের জাতীয় পতাকাটিতে তারা হাত দেয়নি বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে। সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক জরুরি বৈঠকে বসেছেন বলে স্থানীয় সংবাদমদ্যমগুলো খবর দিচ্ছে। লাল কেল্লার গুম্বুজে খালসা পতাকা ওড়ানো হচ্ছে। যে আইন নিয়ে কৃষকরা এতো বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাতে কৃষিকে উন্মুক্ত বাজার ব্যবস্থার আওতায় নেয়া হয়েছে আর এটিই কৃষকদের ক্ষুব্ধ করেছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তার বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার সংস্কারের পক্ষে। "মি. মোদীকে অবশ্যই এই কালো আইন ফিরিয়ে নিতে হবে," গাজিপুর সীমান্তে একজন কৃষক বলছিলেন বিবিসিকে। কয়েকদিন ধরে কৃষকরা ট্রাক্টর চালিয়ে এসে দিল্লি সীমান্তে সমবেত হচ্ছিলো সরকার প্রস্তাবিত আইনটি আপাতত স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে কিন্তু কৃষকরা বলছে তারা আইনটির বাতিল চায়। এর আগে দিল্লির সীমান্তে প্রায় দু মাস অবস্থান ধর্মঘট করেছিলো কৃষকরা। অনেক ট্রাক্টরে ভারতের জাতীয় পতাকা রাখা হয়েছে ধারণা করা হচ্ছে দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান চলায় পুলিশের সাথে কৃষকদের আরও সংঘর্ষ হতে পারে। বার্ষিক প্যারেডে সশস্ত্র বাহিনী তাদের সর্বশেষ যুদ্ধ উপকরণ প্রদর্শনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্য তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে তুলে ধরছে। তবে করোনা মহামারির কারণে এবারের আয়োজনকে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। দিল্লির প্রাণকেন্দ্রে প্রবেশ করছে কৃষকরা।
A rally against agriculture reforms in India turned violent on Tuesday, after protesting farmers broke through police barricades to storm Delhi's historic Red Fort complex.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ক্যারিন এবং তার ছেলে জ্যঁ পিয়ের, গণহত্যার সময় ধর্ষণের কারণে জন্ম নেয়া হাজারো শিশুর একজন। জ্যঁ-পিয়ের বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর সময় একটি ফর্মে তার বাবা-মায়ের নাম জানতে চাওয়া হয়েছিলো। আর ঠিক ওই সময়েই নিজের বাবা সম্পর্কে জানার আগ্রহ তৈরি হয় তার মধ্যে। "আমি তাকে চিনি না- আমি তার নাম জানি না," তিনি বলেন। সতর্কতা: এই প্রতিবেদনের অনেক তথ্য কারো কারো কাছে অস্বস্তিকর মনে হতে পারে। ঘরে বাবা না থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু ছিল না: কারণ ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডার গণহত্যায় ৮০০,০০০ মানুষ নিহত হওয়ায় অনেক শিশুই ছিলো পিতৃহীন। কিন্তু তারা তাদের বাবার নাম জানতো। অনেক সময়ই গ্রামে মানুষের মুখে গুঞ্জন শুনেছে সে, এমনকি কয়েকবার নামও শুনেছে- কিন্তু পুরো সত্য জানতে বছরের পর বছর সময় লেগে যায় তার। তার মা ক্যারিন তাকে যে ঘটনা শুনিয়েছিলেন তা "একবারেই মেনে নেয়ার মতো না।" "তার কাছে অনেক ধরণের তথ্য ছিল। সে গুজব শুনেছে। গ্রামের সবাই জানে যে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলাম আমি। আর এতে আমার করার মতো তেমন কিছুই ছিল না" তিনি(ক্যারিন) বলেন। "আমার ছেলে জিজ্ঞাসা করতে থাকে যে তার বাবা কে। কিন্তু আমি বলতে পারিনি যে আমাকে ধর্ষণ করা ১০০ জন পুরুষের মধ্যে তার বাবা আসলে কে।" "আমি পালিয়ে যেতে পারিনি" ১৯৯৪ সালে ১০০ দিনের গণহত্যার সময় ধর্ষণের কারণে ঠিক কত শিশু জন্ম গ্রহণ করেছিলো তার সঠিক সংখ্যা জানা যায় না। সংঘাত বা যুদ্ধ সম্পর্কিত যৌন নির্যাতন বন্ধে কাজ করে যাচ্ছে জাতিসংঘ- কারণ যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয় ধর্ষণকে। এপ্রিলে শুরু হওয়া ১০০ দিনের গণহত্যার ২৫ বছর পালন করেছে রুয়ান্ডা সিরিয়া থেকে শুরু করে কলোম্বিয়া কিংবা ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো থেকে শুরু করে গত বছর মিয়ানমারেও ধর্ষণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। জাতিসংঘ ঘোষিত যুদ্ধে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসকে সামনে রেখে ধর্ষণের শিকার মানুষেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ হ্যাশট্যাগ #EndRapeinWar ব্যবহার করে নিজেদের গল্প জানাচ্ছেন। তবে যারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তাদের পক্ষে ওই ঘটনার ২৫ বছর পরে এসেও সেগুলো আবার মনে করা খুব সহজ ব্যাপার নয়। ক্যারিনের ঘটনা শুনলে বোঝা যায়, সত্য বলতে গিয়ে কেন তিনি তার ছেলে বড় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন। ১০০ দিনের গণহত্যার সময় ধর্ষণের কারণে মোট কত শিশু জন্ম নিয়েছে তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি প্রথম যখন তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তখন তিনি তার ছেলের বয়সীই ছিলেন। তিনি ছিলেন তুতসি নারী এবং শিশুদের মধ্যে যারা হুতু প্রতিবেশী, যোদ্ধা আর সেনাদের হাতে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন বলে মনে করা হয় সেই লাখো নারীদের একজন। তখন গণহত্যা মাত্র শুরু হয়েছিলো। তখনো তার মুখের দুপাশে রামদা সদৃশ বস্তুর আঘাতে সৃষ্ট ক্ষত থেকে রক্ত পড়তো। যার কারণে এখনো তার খেতে এবং কথা বলতে সমস্যা হয়। তার উপর আক্রমণকারীরা যারা এতদিন তার সম্প্রদায়েরই মানুষ ছিল, তারা তাকে টেনে হিঁচড়ে একটি গর্তের কাছে নিয়ে যায়, যেখানে আগে থেকেই একটি স্কুলের পুরুষ, নারী আর শিশুদের হত্যার পর মরদেহগুলো জড়ো করছিলো তারা। কিন্তু তার ক্ষত আর ব্যথার পরেও ক্যারিন জানতেন যে তিনি মরতে চান না। সেনাদের হাতে ছোট গাছ ও লাঠির দ্বারা যৌন নির্যাতনের ফলে তার দেহে অভাবনীয় ক্ষতি হবে, একথা জেনেও মরতে চাননি তিনি। তবে এরপর যখন আরেকটি দল তার উপর হামলে পরে তার সারা শরীরে কামড়ের ক্ষত তৈরি করে তখন আর বেঁচে থাকতে চাননি তিনি। "এখন আমি তাড়াতাড়ি মরতে চাই। আমি অনেক বার মরতে চাই।" নিজের ছেলেকে সত্য ঘটনা বলতে কয়েক বছর সময় লেগেছিলো ক্যারিনের কিন্তু এটা ছিল তার দুর্ভোগের শুরু মাত্র। যে হাসপাতাল তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলো সেটিতেও হামলা চালিয়ে দখলে নেয় হুতু যোদ্ধারা। "আমি পালাতে পারিনি। আমি যেতে পারিনি কারণ আমার সব কিছুই ছিল ভাঙা," তিনি বলেন। "যেকেউ চাইলেই আমার উপর যৌন নির্যাতন করতে পারতো। এমনকি তারা যদি আমার উপর প্রস্রাব করতে চাইলেও তা করতে পারতো।" রুয়ান্ডার প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্টের সেনারা হাসপাতালটি দখল মুক্ত করার পরেই শেষমেশ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেয়েছিলেন ক্যারিন। পরে ফিরেছিলেন তার গ্রামে-দুর্বল, বিধ্বস্ত, রক্তাক্ত কিন্তু জীবিত অবস্থায়। যখন চিকিৎসকরা তাকে খুঁজে বের করেন তখন তিনি গর্ভবতী ছিলেন। যা চিকিৎসকদের জন্য ছিল একটি বড় ধাক্কা। "আমি জিজ্ঞাসা করছিলাম যে আমি আসলে কি করবো। কারণ আমার শরীরে অবশিষ্ট বলতে তেমন কিছুই ছিল না। আমি ভাবতে পারতাম না যে কি হতে যাচ্ছে। "যখন শিশুটি জন্ম নিলো, আমি বুঝতে পারি নি কি হল। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে এই শিশুটি আমার থেকেই জন্ম নিয়েছে। আমি সারাক্ষণ ভাবতাম যে আমার সাথে আসলে কি হল। জন্মানোর পর আমি বাচ্চাটিকে রেখে দেই। যদিও তার প্রতি আমার কোন ভালবাসা ছিল না।" আরো পড়তে পারেন: যেভাবে ১০০ দিনে ৮ লাখ মানুষ হত্যা করা হয় কেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস? 'মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হয়তো গণহত্যা চলেছে' "পরিত্যক্ত শিশু" এমন গল্প-কিংবা এর চেয়ে একটু হয়তো আলাদা- গত ২৫ বছর ধরে রুয়ান্ডার শিশুদের কাছে শত শত বার বলা হয়েছে। তবে জনসমক্ষে বলা হয়েছে খুবই কম। "ধর্ষণ একটি ট্যাবু। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষের পরিবর্তে দোষারোপ বা লজ্জার মুখে পরতে হয় ধর্ষণের শিকার নারীকে," বলেন সারভাইভারস ফান্ড (সারফ) এর প্রধান নির্বাহী স্যাম মুনডেরেরে। গণহত্যার সময় ধর্ষণের শিকার মা ও শিশুদের শিক্ষা এবং মানসিক সহায়তায় ফাউন্ডেশন রুয়ান্ডা কর্মসূচী নামে একটি প্রকল্পের সমন্বয়ে কাজ করে সারফ। তিনি বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে, ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কারণে অনেক স্বজনেরাই মাকে তার সন্তান পরিত্যাগ করতে বলে। অনেক ক্ষেত্রে আবার বিয়ের সম্পর্ক পর্যন্ত ভেঙ্গে যায়। সম্ভব হলে নারীরা গোপনে এই শিশুদের লালন করে। ফলে জ্যঁ পিয়েরের মতো ফর্ম পূরণ করার সময় অনেক শিশুরাই বুঝতে পারে যে তাদেরকে গর্ভে ধারণ করা হয়েছিলো মাত্র। "বিষয়টি এখন এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, মায়েরা তার শিশুদের বলছেন কিভাবে গণহত্যার পর তারা জন্মেছিলো। তবে অনেকের কাছে এটা বলা অনেক সহজ যে, তার বাবা যুদ্ধে মারা গিয়েছিলো। " "কিন্তু বাচ্চারা যখন বড় হয় তখন তারা বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন করতে শুরু করে। যার কারণে অনেক সময় সত্য বলতে বাধ্য হয় মায়েরা।" স্যাম বলেন, বছরে পর বছর ধরে, ফাউন্ডেশন রুয়ান্ডা মায়েদের এ বিষয়ে সহায়তা করে চলেছে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সত্য ঘটনা শিশুদের মধ্যে মানসিক আঘাত তৈরি করে। "এমন ঘটনার প্রভাব দীর্ঘদিন ধরে থেকে যেতে পারে। এমনকি এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মেও এটি প্রভাব বিস্তার করে," তিনি বলেন। স্যাম একজন তরুণীর কথা বলেন, যিনি তার বাবার বিষয়টি তার নতুন স্বামীর কাছ থেকে গোপন করেছিলো। কারণ, তার মতে, এটি জানলে তার বিবাহিত জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব পরার আশঙ্কা ছিল। তারপর আরেকজন মায়ের কথা বলেন তিনি, যিনি তার মেয়ের প্রতি খারাপ আচরণ করতেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন যে, তার বাজে স্বভাবের পেছনে তার জন্মের প্রক্রিয়া দায়ী ছিল। আর ক্যারিনের মতো অনেক মা রয়েছেন যারা তাদের সন্তানের জন্য কোন মমতা অনুভব করেন না। যার প্রভাব এখনো পর্যন্ত পুরোপুরি বোঝা সম্ভব হয়নি। "আমাদের চিন্তার বাইরেও অনেক প্রভাব থাকে," বলেন স্যাম। "এসব তরুণদের নিজেদেরই অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। আমরা সহায়তা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। যাতে তারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তারা যাতে বুঝতে পারে যে, রুয়ান্ডার আর দশজন তরুণের মতোই স্বাভাবিক তারা।" সম্পর্কের আঘাত শেষমেশ ক্যারিন জ্যঁ-পিয়েরেকে তার ১৯ কিংবা ২০ বছর বয়সে গর্ভধারণ এবং সন্তান জন্মদানের পুরো ঘটনাই বলেন। ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডা থেকে পালানোর সময় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এক নারী পিয়েরে সেটা মেনে নেন। কিন্তু এখনো তার মনে হয় যে, তার জীবনে তার বাবার কমতি রয়েছে। যাইহোক আশ্চর্যজনকভাবে, তার মায়ের উপর যে ব্যক্তি হামলা করেছিলো তাকে ঘৃণা করে না সে। আর, ক্যারিনও তাকে ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি বলেন, বাস্তবিক সত্য হচ্ছে, "আমার জন্য অন্যতম কষ্টের বিষয় ছিলো তাদের সম্পর্কে ভাবা। কিন্তু যখন আমি ক্ষমা করলাম, আমার ভালো লাগতে শুরু করলো।" জ্যঁ পিয়েরে বলেন, "তার প্রতি আমার কখনো রাগ হয়নি।" "মাঝে মাঝে আমি তার সম্পর্কে ভাবি, আমার মনে হয়, জীবনে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমার বাবাকে পাশে পেলে আমার অনেক ভালো লাগতো।" একজন মেকানিক হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নেয়ার চিন্তা করছেন জ্যঁ এবং এক সময় তার নিজেরও একটা পরিবার থাকবে। "আমি আমার পরিবারকেও সাহায্য করতে চাই," তিনি বলেন। যদিও তার জন্য অর্থের প্রয়োজন আর অর্থই আমার কাছে তেমন নেই। আর ক্যারিন, বড় হওয়ার পর জ্যঁ পিয়েরের সাথে সম্পর্ক মজবুত করতে কাউন্সেলিংয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। "আমি এখন মনে করি এটাই আমার সন্তান।" সারফের সহায়তায় কেনা নতুন বাড়ির সিঁড়িতে বসে দূর পাহাড়ের দিকে তাদের তাকিয়ে থাকা দেখলে পোক্ত সম্পর্কের আঁচ পাওয়া যায়। গ্রামের পাশেই তাদের বাড়িটি- সেই গ্রাম, যে গ্রামে বেড়ে উঠেছেন ক্যারিন, যে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন একসময়। সেই গ্রাম যেখানে পিয়েরেকে শুধু একজন তরুণ নামে ডাকা হতো। কিন্তু এখন সবকিছু শান্ত। পরিবার আর সম্প্রদায়, সবাই তাদেরকে মেনে নিয়েছে। "তারা জানে যে দীর্ঘ সময় ভয়ংকর অভিজ্ঞতার শোকে স্তব্ধ হয়ে পার করেছি আমি এবং এখানে আমি সুখী," ক্যারিন বলেন। আর জ্যঁ পিয়েরে তার মাকে নিয়ে গর্বিত। "এটা বোঝাটা একটু কঠিন কিন্তু আমি তার উন্নতিতে খুব খুশী হয়েছি।" "তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে তিনি যেভাবে নিয়েছেন। ভবিষ্যৎ এবং সামনে এগিয়ে যাওয়া নিয়ে তিনি যেভাবে ভাবেন তা আমার খুবই পছন্দ"
A 24-year-old Rwandan whose mother was raped in the genocide tells the BBC how he came to learn of the circumstances of his birth. Their names have been changed because of the shame surrounding rape, which still exists to this day.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রাণ হারানোদের স্মরণ করছেন চিকিৎসকরা। অনেকটা বিরল এই স্বীকারোক্তি করেন জীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের পরিচালক লি বিন। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে চীনের প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়ে নানা সমালোচনা তৈরি হওয়ার পর এই মন্তব্য আসলো। তিনি বলেন, চীন এখন এর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাবে। মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এরইমধ্যে উত্তর কোরিয়াকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে চীন। সাংবাদিকদের মি. লি বলেন, "চীনের শাসন ব্যবস্থার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ ছিল এই মহামারি। আর বড় ধরণের মহামারি সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যকার দুর্বলতাকে এটি সামনে নিয়ে এসেছে"। চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, উহানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেরি করেছে দেশটি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে সতর্ক করতেও ব্যর্থ হয়েছে। ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বানও নাকচ করে দিয়েছে চীন। গত এপ্রিলে ইউরোপের এক প্রতিবেদনে, ভাইরাস সংকট নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়। একজন চিকিৎসক যিনি কর্তৃপক্ষকে ভাইরাসটি সম্পর্কে ডিসেম্বরেই সতর্ক করতে চেয়েছিলেন তাকে "মিথ্যা তথ্য বানাতে" নিষেধ করা হয়। পরে লি ওয়েনলিয়াং নামে ওই চিকিৎসক কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে উহানের একটি হাসপাতালে মারা যান। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য মতে, চীনে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৪,৬৩৭ জন মারা গেছে। আর আক্রান্ত হয়েছে ৮৪ হাজারের বেশি মানুষ। পুরো বিশ্বে এখনো পর্যন্ত মারা গেছে ২ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ। আর প্রায় ৪০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকা-পয়সা কি ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম? শত দুঃসংবাদের মাঝেও কিছু মন-ভালো করা খবর বিরল স্বীকারোক্তি বিবিসির এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার এডিটর সেলিয়া হ্যাটন বলেন, ভুল করার বিষয়টি স্বীকার করাটা চীনের নেতাদের ক্ষেত্রে বেশ বিরল। লি বিন বলেছেন, স্বাস্থ্য কমিশন এর পুরো ব্যবস্থাকে কেন্দ্রীয়করণ করে এবং বিশালাকার তথ্য ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করবে। ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে দেশে এবং বাইরে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে চীন। ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বেশ কয়েক জন প্রাদেশিক এবং স্থানীয় কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে দলটির শীর্ষ কোন নেতার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। গণমাধ্যমের উপর সেন্সরশিপ এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার আহ্বানের বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি বেইজিং। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং আন কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্যের জন্য শি চিন পিংকে অভিনন্দন জানানোর পর দেশটিকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে চীন। উত্তর কোরিয়া বলছে যে তাদের দেশে এখনো পর্যন্ত কোন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এমনিতেই ভগ্নদশা। এর মধ্যে গুরুতর কোন সংক্রমণ দেখা দিলে তা সামাল দেয়া মুশকিল হয়ে যাবে।
The coronavirus pandemic is a "big test" that has exposed weaknesses in China's public health system, a senior official has told Chinese media.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
দাহ করার আগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লঙ্কান মুসলমানদের প্রতিবাদের দৃশ্য এর আগে সংখ্যালঘুদের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলতে বা দাহ করতে বাধ্য করা হলেও তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছিলো কারণ ইসলাম ধর্মে মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার নিয়ম নেই। ভারত মহাসাগরের মান্নার উপসাগরে ইরানাথিবু দ্বীপটি এখন করোনায় মারা যাওয়া মুসলিম ও খ্রিস্টানদের জন্য নির্ধারণ করেছে শ্রীলংকা সরকার। এ দ্বীপটি রাজধানী কলম্বো থেকে তিনশ কিলোমিটার দুরে এবং দাফনের জন্য এই দ্বীপকে নির্বাচিত করার কারণ হিসেবে এর কম ঘনবসতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও জাতিসংঘ এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি তুলেছে। কলম্বো গেজেট জানিয়েছে যে সরকারের মুখপাত্র কেহেলিয়া রামবুকভেলা বলেছেন দ্বীপটির এক পাশে এজন্য একটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের নিরাপদে দাফনের জন্য পর্যাপ্ত গাইডলাইন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বিশ দিনের শিশুর মরদেহ জোর করে দাহ, ক্ষোভে ফুঁসছেন শ্রীলঙ্কার মুসলিমরা কতটা উদ্বেগে পড়েছেন শ্রীলঙ্কার মুসলিমরা শ্রীলংকায় মৃত মুসলমানদের কবর না দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে শ্রীলংকার মুসলিমদের অভিযোগ, করোনাভাইরাস সংক্রমণের সুযোগ নিয়ে তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে কিন্তু বিষয় হলো পুড়িয়ে ফেললে ইনফেকশন ছড়াবে না-এমন কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। বরং দাহ করাকে একটি সাংস্কৃতিক চর্চা হিসেবেই দেখা হয়। মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ হাই কমিশনার বলেছেন দাহ করার নীতি মুসলিম, ক্যাথলিক ও কিছু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং তাদের পরিবারের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। কিছু মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারা শ্রীলংকা সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। "এটি একটি হাস্যকর সিদ্ধান্ত," বলছেন শ্রীলংকা মুসলিম কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিলমি আহামেদ। "এটা একেবারেই বর্ণবাদী এজেন্ডা"। অনেকে মনে করেন ২০১৯-এ শ্রীলংকার চার্চ ও হোটেলে আত্মঘাতী হামলার পর মুসলিমদের ‌ভীতির পাত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে ওদিকে ওই দ্বীপের একজন ধর্মযাজক মাধুথিন পাথিনাথার বলেন সরকারের সিদ্ধান্তে স্থানীয়রাও কষ্ট পেয়েছে। "আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করি। এটা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য ক্ষতিকর হবে"। তিনি বলেন ওই দ্বীপে আড়াইশোর মতো তামিল বসবাস করে যারা ৯০এর দশকে গৃহযুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলো। শ্রীলংকায় মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেক ক্ষোভ আছে। তবে গত সপ্তাহে বাধ্যতামূলক দাহ করার নীতি থেকে সরকার সরে আসার ঘোষণা দিলে তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্তও তাদের জন্য অবমাননাকর বলে মনে করা হচ্ছে। শ্রীলংকায় করোনায় আক্রান্ত এ পর্যন্ত মারা গেছ ৪৫০ জন কিন্তু এর মধ্যে তিনশ জনই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ইমরান খানের সফরের পর সংখ্যালঘুদের দাফনের সিদ্ধান্ত আসে শ্রীলংকা সরকারের তরফ থেকে।
A remote island has been chosen by Sri Lanka's government for the burial of Covid-19 victims from the minority Muslim and Christian communities.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
হামলার বিষয়ে ব্রিফ করছেন কর্ণেল মালকি তারা বলছে আঠারোটি ড্রোন আর সাতটি ক্রুজ মিসাইল একটি জায়গা থেকেই ছোঁড়া হয়েছিলো কিন্তু এগুলো ইয়েমেন থেকে ছোড়া হয়নি বলেই দাবি তাদের। ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা অবশ্য আগেই এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে শনিবারের ওই হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। একই সঙ্গে দেশটি যে কোনো হামলার স্বীকার হলে পাল্টা জবাব দেয়া হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রও দাবি করেছিলো যে ওই হামলার পেছনে ইরানই ছিলো। বুধবার সৌদি আরবে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও একে 'অ্যাক্ট অব ওয়ার' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন এ ঘটনার জবাব দেয়ার জন্য 'অনেক বিকল্প' ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। "চূড়ান্ত একটি বিকল্প আছে এবং এছাড়া আরও বিকল্পও আছে। এবং আমরা দেখবো। আমরা শক্তিশালী অবস্থানে আছি"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: সৌদিতে হামলা: বাংলাদেশে তেল সঙ্কট তৈরি করবে? সৌদি আরবে হামলার পর জ্বালানী তেলের দাম বেড়েছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর উত্তেজনা সৌদি তেল শোধনাগারের ওপর ড্রোন হামলা কিসের ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে তেল-ক্ষেত্রে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে কি প্রমাণ পেলো সৌদি আরব প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে ওই হামলার প্রমাণাদি উপস্থাপন করে সৌদি আরব যাতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু ধ্বংসাবশেষ রাখা হয়েছিলো। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল মালকি বলেছেন যারা যা উপস্থাপন করেছেন সেটিই প্রমাণ করে হামলা এসেছিলো উত্তর দিক থেকে এবং সেটি 'প্রশ্নাতীতভাবেই ইরান দ্বারা পরিচালিত'। কর্নেল মালকি অবশ্য বলেন, তারপরেও তারা যেখান থেকে হামলা হয়েছে সেই পয়েন্টটি চিহ্নিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। যে সব ধ্বংসাবশেষ ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়েছে তারমধ্যে ইরানের ইউএভি বা চালকবিহীন উড়ন্ত বাহনের 'ডেল্টা উইং' ছিলো বলেও দাবি করা হয়। "কম্পিউটারে ইউএভি ডাটা পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে এটি ইরানের", বলছেন মিস্টার মালকি। তিনি বলেন ১৮টি চালকহীন বাহন দিয়ে হামলা হয় আবকাইক তেল শোধনাগারে এবং সাতটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করে দুটি জায়গায়। এর মধ্যে চারটি খুরাইজ তেলক্ষেত্র ও তিনটি পড়ে আবকাইকে। কর্নেল মালকি বলেন যেসব ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে সেগুলো এসেছিলো উত্তর অভিমুখে। তিনি ম্যাপ ও ক্ষয়ক্ষতির ছবিসহ আবকাইকে চালকবিহীন যানের হামলার ভিডিও প্রদর্শন করেন। তবে ঠিক কোথা থেকে হামলাটি এসেছে সে জায়গাটি চিহ্নিত করা যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন এটি বের করা মাত্রই প্রকাশ করা হবে। হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে সৌদি আরব ইরান কি বলছে? ইরানের দিক থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো আসেনি। বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে ইরানের একটি কূটনৈতিক নোট দেয়া হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, "ইরানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হলে তা দ্রুতই ইরানের জবাবে পাবে"। রয়টার্স ইরানের প্রেসিডেন্টের একজন উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে বলেছে সংবাদ সম্মেলন দেখাচ্ছে যে সৌদি আরব ওই হামলার বিষয়ে 'কিছুই জানেনা'। ওদিকে ইয়েমেন হুতি বিদ্রোহীদের একজন মুখপাত্র বলছে স্যাটেলাইট থেকে নেয়া ছবিগুলো বানানো এবং সৌদি আরব প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি চেপে গেছে। সামরিক মুখপাত্র বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইয়াহইয়া সারিয়া জোর দিয়ে বলেছেন যে হুতিরাই হামলা চালিয়েছে। হামলার পর আবার তেল উত্তোলন শুরু করে সৌদি আরব পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে যাচ্ছে? যদিও যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কার করে বলেছে যে তাদের বিশ্বাস ইরানই হামলার পেছনে কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প সামরিক জবাবে খুব একটা উৎসাহী নন। বুধবার তিনি বলেছেন সামরিক সংঘাতে জড়ানো সহজ কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের অন্য ঘটনার অভিজ্ঞতা হলো পরে এটি জটিল হয়ে উঠে। তবে সৌদি আরবের ব্রিফিং এর আগে মি. ট্রাম্প ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আরও তথ্য পাওয়া যাবে। ওদিকে মাইক পম্পেও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের সাথে দেখা করে আলোচনা করেছেন। আর হামলার বিষয়ে তদন্ত করতে আসা জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা সৌদি আরব ছেড়ে গেছেন।
Saudi Arabia's defence ministry has shown off what it says is wreckage of drones and cruise missiles that proves Iranian involvement in weekend attacks on two oil facilities.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
আজারবাইজানের সীমান্ত শহর তোভুজে আর্মেনিয় গোলায় বিধ্বস্ত একটি বাড়ির বাসিন্দাদের সাথে কথা বলছেন স্থানীয় এমপি ১০ই জুলাই থেকে আর্মেনিয়ার উত্তর-পশ্চিমে তাভুশ সীমান্তে দুই দেশের সৈন্যরা ট্যাংক এবং কামানের মত ভারী অস্ত্র নিয়ে লড়াই করছে। আজারবাইজানের সরকারি হিসাবেই একজন মেজর জেনারেল র‌্যাঙ্কের কর্মকর্তা সহ তাদের ১১ জন সৈন্য মারা গেছে। আর্মেনিয়া স্বীকার করেছে একজন মেজর এবং একজন ক্যাপ্টেনসহ তাদের চারজন সৈন্য মারা গেছে, যদিও আজেরিরা দাবি করছে, ঐ সংখ্যা “শতশত“। দুপক্ষই বলছে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতেও গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে, যাতে মানুষজন মারা যাচ্ছে। পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার হুমকি রুশ পত্রিকা প্রাভদা আজারবাইজান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল ভাজিফ দারগিয়াখিলকে উদ্ধৃত করে লিখেছে আজারবাইজানের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে কোনো স্থাপনায় হামলা হলে আর্মেনিয়ার মেটসামোর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হবে। সীমান্তে বাঙ্কার সুরক্ষার জন্য টায়ার নিয়ে যাচ্ছে আর্মেনিয় সৈন্যরা ঐ মুখপাত্র বলেন, “আর্মেনিয়া যেন মনে রাখে যে আমাদের সেনাবাহিনীর হাতে এমন ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। আমাদের কোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বিশেষ করে মিনগেচভিক জলাধারে আঘাত করলে, আর্মেনিয়াকে ট্রাজেডি ভোগ করতে হবে।“ মঙ্গলবার রাতে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আটকাতে দেওয়া বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে হাজার হাজার মানুষ সহিংস বিক্ষোভ করে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরুর দাবি করে। জাতীয় পতাকা নিয়ে মানুষজন স্লোগান তুলেছে “নাগোরনো কারাবাখ আজারবাইজানের“, “দ্রুত সৈন্য পাঠাও“। এ ধরণের পরিস্থিতির পর আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র মাথা ঠাণ্ডা রাখার জন্য দুই দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন “যুক্তরাষ্ট্র খুবই উদ্বিগ্ন“, এবং তিনি দুই দেশের মধ্যে দ্রুত শান্তি প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, আজারবাইজানকে রক্ষার জন্য বিন্দুমাত্র দ্বিধা তিনি করবেন না। দুই প্রতিবেশীর শত্রুতার ইতিহাস নাগোরনো কারাবাখ নামে বিতর্কিত একটি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মুসলিম আজারবাইজান এবং ক্রিস্টান আর্মেনিয়ার মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয় করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় যাদের স্বাস্থ্য সমস্যা আছে তাদের কী করতে হবে ২০১৬ সালের যুদ্ধে নাগোরনো কারাবাখের আর্মেনিয় মিলিশিয়ারা আজারবাইজানের লক্ষ্যবস্তুতে গোলা ছুঁড়ছে এই দুই দেশই সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল, তখনও নাগোরনো কারাবাখ নিয়ে তাদের বিরোধ ছিল। সেসময় অঞ্চলটি আজারবাইজানের অংশ হিসাবে থাকলেও এখানকার জনসংখ্যার সিংহভাগই জাতিগত-ভাবে আর্মেনিয়, আর সেটাই সমস্যার মূলে। সোভিয়েত আমলে নাগোরনো কারাবাখ স্বায়ত্তশাসন ভোগ করতো। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার পর ১৯৮৮ সালে আজারবাইজান নাগোরনো কারাবাখের আঞ্চলিক সরকারকে উৎখাত করে। সাথে সাথেই সেখানকার জাতিগত আর্মেনিয়রা কার্যত বিদ্রোহ শুরু করে দেয়। নাগোরনো কারাবাখের আঞ্চলিক পার্লামেন্টে ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক ভোট করে আর্মেনিয়ার সাথে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। শুরু হয়ে যায় ঐ এলাকার আজেরি এবং আর্মেনিয়দের মধ্যে জাতিগত সংঘাত । সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার পর ১৯৯২ সালের শীতে জাতিগত ঐ সংঘাত স্বাধীন আজারবাইজন এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে পুরাদস্তুর যুদ্ধের রূপ নেয়। রক্তক্ষয়ী ঐ যুদ্ধে আজারবাইজান থেকে প্রায় আড়াই লাখের মত জাতিগত আর্মেনিয়কে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছিল। অন্যদিকে নাগোরনো কারাবাখ ছাড়তে হয়েছিল প্রায় লাখখানের আজেরিকে। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ১৯৯৪ সালের মে মাসে যুদ্ধবিরতি হলেও আর্মেনিয়া নাগোরনো কারাবাখের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়ে সেখানে জাতিগত আর্মেনিয়দের ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়। নাগোরনো কারাবাখ আজারবাইজানের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অংশ হলেও এটির নিয়ন্ত্রণ আর্মেনিয়ার হাতে যা আজেরিরা কখনই মেনে নেয়নি। ফলে যুদ্ধবিরতি মাঝে মধ্যেই ভেঙ্গে পড়ে এবং ২০১৬ সালে দুই দেশের মধ্যে চারদিনের রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধ হয় যা রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সের হস্তক্ষেপে থামে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, চার বছর বাদে আবারো পুরাদস্তুর একটি যুদ্ধ লেগে যাওয়ার হুমকি তৈরি হয়েছে। আর্মেনিয়া সীমান্তে ব্যাপক সৈন্য সমাবেশের দাবিতে রাজধানী বাকুতে আজেরিদের বিক্ষোভ কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন এখন এই মহামারির মধ্যেও বিপজ্জনক এই পরিস্থিতি তৈরি হলো? ১৯৯৪তে যুদ্ধবিরতির পর থেকে ‘মিনস্ক গ্রুপ‘ নামে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সের কূটনীতিকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল নাগোরনো কারাবাখ সংকট নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি আপোষ মীমাংসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিবিসির ককেশাস অঞ্চল বিষয়ক সংবাদদাতা রেয়হান দিমিত্রিভ বলছেন, গত তিন দশক ধরে পরিস্থিতির কোনো অগ্রগতি না হওয়া নিয়ে আজারবাইজানের মধ্যে হতাশা দিনদিন বাড়ছে। তিনি বলেন, “আজেরিরা দেখছে যে যুদ্ধের প্রায় তিন দশক পরও নাগোরনো কারাবাখ এবং আজারবাইজানের কমপক্ষে সাতটি দখল হয়ে যাওয়া এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনিয়া।“ গত সপ্তাহের আজেরি প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ খোলাখুলি বলেন, আন্তর্জাতিক এই মীমাংসা “অর্থহীন।“ তার দুদিন না যেতেই সীমান্তে শুরু হয় এই লড়াই। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নব্বই দশকের তুলনায় আজারবাইজানের অর্থনৈতিক এবং সামরিক শক্তি এখন অনেকটাই বেড়েছে। ২০১৭ সালে আজারবাইজান সামরিক খাতে যে ব্যয় করেছে তা আর্মেনিয়ার পুরো বছরের বাজেট। ফলে, আজেরিদের মধ্যে নাগোরনো কারাবাখের বাস্তবতা পরিবর্তনের সংকল্প শক্ত হচ্ছে।
Iran has warned that renewed fighting between its neighbours Azerbaijan and Armenia could escalate into a wider regional war.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জো বাইডেন এই সপ্তাহে টেক্সাস অঙ্গরাজ্য এই মামলাটি করে। সেখানে বলা হয় জর্জিয়া, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া এবং উইসকনসিনের নির্বাচনের ফলাফল বৈধ না। এই চারটি স্টেটে জো বাইডেন বিজয়ী হয়েছেন। এই মামলাটিতে ১৯ টা স্টেটের অ্যাটর্নি জেনারেল এবং কংগ্রেসের ১২৭ জন রিপাবলিকান সদস্যের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট মামলা খারিজ করার কারণ হিসেবে বলেছে টেক্সাসের কোন আইনি সক্ষমতা নেই মামলাটি করার। আদালত বলেছেন "যখন অন্য একটি স্টেট তাদের নির্বাচন করে তখন টেক্সাসের সেই নির্বাচনে কোন বিচারিক আগ্রহ থাকতে পারে না"। এই আদেশ মি.ট্রাম্পের জন্য আরো একটা ধাক্কা। কারণ এর আগে তিনি কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই বলেছিলেন নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। এর আগে পেনসিলভানিয়াতে জো বাইডেনের জয়ের বিরুদ্ধে করা আরেকটি মামলা খারিজ করে আদালত। নির্বাচনের পর থেকেই মি. ট্রাম্প এবং তার সমর্থকরা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলে কয়েক ডজন মামলা করেছে। কিন্তু কোনটায় জো বাইডেনের জয়কে উল্টে দেয়ার কাছাকাছি আসতে পারেনি। মার্কিন ইলেকট্রোরাল কলেজ ভোটে ডেমোক্রাটিক প্রার্থী জো বাইডেন মি. ট্রাম্পকে ৩০৬-২৩২ হারিয়ে দেন। মি. বাইডেন দেশব্যাপী মি. ট্রাম্পের চেয়ে ৭০ লক্ষ ভোট বেশি পান। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: মরক্কো-ইসরায়েল চুক্তি: উত্তর আফ্রিকায় নতুন সংঘাত-দলাদলির রেসিপি করোনা ভাইরাস : আগামী ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা হবে অনলাইনে মুজিব ভাস্কর্য: ইসলামপন্থীদের আলোচনার প্রস্তাবে সরকার রাজি বাংলাদেশ থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার রেলপথ চালু হতে যাচ্ছে
The US Supreme Court has rejected an unprecedented attempt to throw out election results in four battleground states that was backed by President Donald Trump.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
অনলাইনে পোস্ট করা এক ভিডিওতে জনগণের সাহায্য চান আসমা আজিজ সে নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর পাকিস্তানে নারীদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি আবারো আলোচনায় এসেছে। লাহোরের আসমা আজিজ সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে তার ন্যাড়া মাথা এবং চোট পাওয়া মুখমণ্ডলের চিত্র উঠে এসেছে। আসমা আজিজের স্বামী মিয়া ফয়সাল এবং তার একজন ভৃত্যকে পুলিশের জিম্মায় নেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত মি. ফয়সাল স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে এই ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর পারিবারিক সহিংসতা থেকে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে আরো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক টুইট বার্তায় লিখেছে যে এই ধরণের ঘটনা রোধে 'কাঠামোগত পরিবর্তন' জরুরি। আরো পড়তে পারেন: যে নারী স্বামীর গায়ে আগুন দিয়েছিলেন আইনজীবী হয়ে পরিবারের সম্পদ ফিরিয়ে আনলেন সন্তান ফোরজি সেবার নামে যা দেওয়া হচ্ছে তা 'স্রেফ প্রতারণা' যেভাবে জানা যায় ঘটনাটি ২৬শে মার্চ পোস্ট করা ভিডিওতে মিজ আজিজ অভিযোগ করেন যে দুইদিন আগে নির্যাতনের শিকার হন তিনি। স্বামীর আদেশ অনুযায়ী স্বামীর বন্ধুদের সামনে নাচতে অস্বীকৃতি জানালে ঐ বন্ধুদের সামনেই তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। লাহোরের অভিজাত ডিফেন্স হাউজিং অথরিটি অঞ্চলের একটি বাসায় এই ঘটনা ঘটে। মিজ আজিজ বলেন, "সে (স্বামী) তার কাজের লোকদের সামনেই আমার কাপড় খুলে নেয়। আমার মাথা ন্যাড়া করার সময় কাজের লোকরা আমাকে ধরে রেখেছিল। চুল কাটার পর সেগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়।" "আমার কাপড় রক্তাক্ত হয়ে ছিল। আমাকে একটি পাইপের সাথে বেঁধে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়। সে আমাকে নগ্ন করে ঝুলিয়ে রাখার হুমকি দিয়েছিল।" মিজ. আজিজ জানান তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দাখিল করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে গড়িমসি করে। তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে যে, মিজ আজিজ থানায় জানানোর পরপরই তার বাসার দিকে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়, কিন্তু তার বাসা তালাবন্ধ ছিল এবং ডিফেন্স হাউজিং অথরিটির কর্তৃপক্ষ তাদের ঢুকতে বাধা দেয়। মিজ আজিজের পোস্ট করা ভিডিওটি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শেহরেয়ার আফ্রিদির চোখে পড়ার পর তিনি পুলিশকে অভিযোগ দাখিল করার নির্দেশ দেন এবং তারপর পুলিশ এবিষয়ে পদক্ষেপ নেয়। পরদিন অভিযুক্ত মি. ফয়সাল এবং তার এক ভৃত্য রাশিদ আলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে করা একটি মেডিকেল রিপোর্টে মিজ আজিজের হাত, গাল এবং বাম চোখের কাছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন এবং ফোলা ভাব পাওয়ার উল্লেখ ছিল। এই ঘটনায় মামলা করার ক্ষেত্রে প্রচলিত ধারায় মামলা দায়ের না করে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কঠোর আইনের অধীনে মামলা করার পরামর্শ দেন মিজ আজিজের আইনজীবী। বুধবার লাহোর পুলিশের কাছে দাখিল করা কাগজপত্রে আইনজীবীরা দাবি করেন যে এই ঘটনায় সমাজে 'অস্থিরতা এবং উদ্বেগ' ছড়িয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহে পুলিশকে মি. ফয়সাল বলেন মাদকের প্রভাবে তার স্ত্রী নিজের চুল কাটতে শুরু করেন এবং তিনি নিজেও মাদক সেবন করে তার স্ত্রীর কাজ শেষ করতে সহায়তা করেছেন কেবল। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক রোষ তৈরি হয়। পাকিস্তানে পারিবারিক সহিংসতার বিষয়টি নিয়েও অনেককেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। সামাজিকভাবে রক্ষণশীল পাকিস্তানে নারী অধিকারের বিষয়টি বহুবছর ধরেই বিভিন্ন রকম কোন্দল এবং বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। জাতিসংঘের ২০১৬ সালের লিঙ্গ বৈষম্য সূচকে ১৮৮টি দেশের মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান ছিল ১৪৭ তম। নারীদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক মর্যাদা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের রেকর্ড অসন্তোষজনক। নারী ও মেয়ে শিশুদের সাথে সহিংসতার ঘটনা ঘটে অহরহ। এসব বিষয় নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা বলেন পরিসংখ্যান দিয়ে এই সমস্যা কতটা প্রকট তা বোঝা সম্ভব নয়; কারণ এমন অনেক ঘটনার ক্ষেত্রেই কখনো অভিযোগ করা হয় না। পাকিস্তানে মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া নারী দিবসের পদযাত্রার বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছিল কিছু রক্ষণশীল দল। পরে সামাজিক মাধ্যমে আয়োজকদের অনেককে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকিও দেয়া হয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: বায়ু দূষণ কমলে যে ৫টি উপকার পাবেন আপনি যেসব খাবারে প্রতি পাঁচ জনে একজনের অকাল মৃত্যু হচ্ছে ভোট নিয়ে ভারতে মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের নীরবতা কেন?
A Pakistani woman has publicly accused her husband of beating her and shaving her head for refusing to dance for him and his friends, in a case that has raised new concerns about women's safety in the country.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ভ্যারিয়েন্টগুলোর নতুন নাম দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা অনুযায়ী সংস্থাটি এখন থেকে যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বোঝাতে গ্রিক অক্ষর ব্যবহার করবে। সে অনুযায়ী এখন থেকে যুক্তরাজ্য ভ্যারিয়েন্টের নাম হবে আলফা, দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের নাম বেটা আর ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের নাম হবে ডেল্টা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এর ফলে এসব ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আলোচনা সহজ হবে এবং নাম থেকে কিছুটা কলঙ্ক দুর করতে সহায়তা করবে। করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্টগুলো এতদিন যেদেশে চিহ্নিত হয়েছিলো সে দেশের নামেই সেগুলোকে বলা হতো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই প্রথমবার ভ্যারিয়েন্টগুলোর আনুষ্ঠানিক একটি নাম দিলো। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে কোভিড ভাইরাস, যা জেনে রাখা জরুরি কেন ও কিভাবে তৈরি হয় করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়্যান্ট, কতোটা ক্ষতিকর? চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হঠাৎ বাড়লো কেন নতুন উপসর্গ নিয়ে যেসব চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে আফ্রিকান ভ্যারিয়ান্ট কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় চিকিৎসকরা বলছেন, নতুন ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্তদের নতুন উপসর্গ দেখছেন তারা এর আগে গত অক্টোবরে বি.১.৬১৭.২ ভ্যারিয়েন্ট ভারতে চিহ্নিত হওয়ার পর এর প্রচলিত নাম হয়ে যায় 'ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট' যা নিয়ে এই মাসেই তীব্র সমালোচনা করেছে ভারত সরকার। এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিক্যাল হেড মারিয়া ভ্যান কারখভ টু্‌ইট করেছেন, "ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিতকরণ কিংবা রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে কোন দেশকেই কলঙ্কিত করা উচিৎ নয়"। একই সাথে তিনি ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ব্যাপক মনিটরিং এবং এর বিস্তার রোধে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত শেয়ার করার আহবান জানান। ওদিকে ভ্যারিয়েন্টগুলোর নামের তালিকা ইতোমধ্যেই সংস্থার ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। তবে এগুলো ভ্যারিয়েন্টগুলোর বৈজ্ঞানিক নামের স্থান নেবে না। আবার যদি ভ্যারিয়েন্টের সংখ্যা ২৪ পেরিয়ে যায় তাহলে গ্রিক অক্ষর আর দেয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে নামকরণের নতুন পদ্ধতি ঘোষণা করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভাইরাসের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবেই পরিবর্তন ঘটে থাকে "আমরা বি.১.৬১৭.২ নাম পরিবর্তনের কথা বলছি না। কিন্তু চেষ্টা করছি যাতে সবাইকে আলোচনায় সহায়তা করা যায়। যাতে সহজে প্রকাশ্যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা যায়," বলছিলেন মারিয়া ভ্যান কারখভ। সোমবার এক বিজ্ঞানী যুক্তরাজ্য সরকারকে সতর্ক করে বলেছে, দেশটি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রথম পর্যায়ে আছে যার কিছুটা আসতে পারে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট অর্থাৎ ডেল্টা থেকে। করোনার এই ভ্যারিয়েন্টটি যুক্তরাজ্য ভ্যারিয়েন্ট অর্থাৎ আলফার চেয়ে দ্রুতগতিতে ছড়ায় বলে ধারণা করা হয়। অন্যদিকে ভিয়েতনাম আবার এই দুই ধরণের সমন্বয়ে তৈরি হওয়া একটি ধরণ চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন এটা বাতাসের মাধ্যমে দ্রুত ছড়াতে পারে এবং তিনি এটিকে 'খুব বিপজ্জনক' হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
The World Health Organization (WHO) has announced a new naming system for variants of Covid-19.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
যুদ্ধক্ষেত্রে ব্রিটিশ বাহিনী বিবিসি প্যানোরমা এবং ব্রিটিশ পত্রিকা সানডে টাইমসের এক অনুসন্ধান দল ১১জন ব্রিটিশ গোয়েন্দার সঙ্গে কথা বলেছে, যারা জানিয়েছেন ঐ দুটি দেশে যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত হবার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঐসব হত্যাকাণ্ডের জন্য সৈন্যদের বিচার শুরু হওয়া উচিত ছিল। যদিও অপরাধ ধামাচাপা দেবার অভিযোগ প্রমাণবিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। কী দেখা গেছে অনুসন্ধানে? ব্রিটিশ বাহিনী যখন ইরাকের নিয়ন্ত্রণ নেয়, সে সময় হওয়া যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্ত করেছে ইরাক হিস্টোরিক অ্যালেগেশন টিম বা ইহাট। একইভাবে আফগানিস্তানে হওয়া যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্ত করেছে অপারেশন নর্থমুর নামে আরেকটি প্রকল্প। রিয়াদ আল-মোসায়ি, নিহত ইরাকি পুলিশ সদস্য এই দুইটি তদন্তের ভিত্তিতে নতুন সব তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি প্যানোরমা এবং সানডে টাইমসের তদন্ত দল। ব্রিটিশ সরকার পরে ইহাট এবং অপারেশন নর্থমুর দুইটি তদন্তই বন্ধ করে দিয়েছিল। ফিল শাইনার নামে একজন আইনজীবী ইহাটের কাছে এক হাজারের বেশি কেসস্টাডি জমা দিয়েছিলেন, কিন্তু ইরাকে মক্কেল পাবার জন্য তিনি মধ্যস্থতাকারীদের অর্থপ্রদান করেছিলেন, এমন অভিযোগ ওঠার পর তাকে ঐ মামলার আইনজীবী হিসেবে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এরপরই ঐ তদন্ত দুইটি সরকার বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু ইহাট এবং অপারেশন নর্থমুরের সাবেক গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, মূলত অপরাধ তদন্ত বন্ধ করার জন্য সরকার ফিল শাইনারের ঘটনাটিকে অজুহাত হিসেবে কাজে লাগায়। ইহাট এবং অপারেশন নর্থমুরের তদন্ত করা কোন ঘটনারই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। ইহাট তদন্ত দল কী বলছে? ইহাটের একজন গোয়েন্দা প্যানোরমাকে বলেছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আদতে সৈন্য বা অফিসার, কারো বিরুদ্ধেই কোন ব্যবস্থাই নেয়নি। তারা এর দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। রিয়াদের ভাই দেখাচ্ছেন কোথায় তা ভাইকে গুলি করা হয়েছিল আরেকজন গোয়েন্দা বলেছেন, যারা যুদ্ধাপরাধের শিকার হয়েছেন, তাদের বাজেভাবে থামিয়ে দেয়া হয়েছে। "আমি একে বিরক্তিকর বলবো। এবং আমার ওই পরিবারগুলোর জন্য খারাপ লেগেছে...তারা বিচার পাচ্ছে না। একজন ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে আপনি কিভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেন?" যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ওঠা বেশ কয়েকটি ঘটনা প্যানোরমা নতুন করে অনুসন্ধান করেছে। এর মধ্যে ইহাটের তদন্ত করা এমন একটি ঘটনা রয়েছে, যেখানে ২০০৩ সালে বসরায় টহল চলাকালে একজন ইরাকি পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেন একজন ব্রিটিশ সৈন্য। রিয়াদ আল-মোসায়ি নামে ঐ পুলিশ সদস্যকে একটি সরু গলির মধ্যে গুলি করা হয়েছিল, পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান। ঘটনাটি তদন্ত করেছিলেন মেজর ক্রিস্টোফার সাস-ফ্রাঙ্কসেন, তিনি সেসময় ঐ ব্রিটিশ সৈন্যের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন । ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্রিটিশ সেনার কাজকে বৈধতা দিয়ে মেজর সাস-ফ্রাঙ্কসেন তদন্ত শেষ করেন। তার বক্তব্য ছিল, ঐ ইরাকি পুলিশ কর্মকর্তা প্রথমে গুলি ছুড়েছিলেন, এবং ব্রিটিশ সৈন্য কেবল আত্মরক্ষার্থে গুলি করেছিলেন। আরো পড়ুন: ব্রিটিশদের সহায়ক আফগান অনুবাদকরা চরম বিপাকে 'আফগানিস্তানের ৭০ শতাংশ এলাকাতেই তালেবান' চট্টগ্রামে গ্যাস বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আরেকজন ব্রিটিশ সৈন্য ঐ ঘটনার সাক্ষী এবং তিনি নিশ্চিত করেছেন ইরাকি পুলিশ সদস্যই প্রথমে গুলি চালায়। ইহাট গোয়েন্দারা দুই বছর ধরে এ ঘটনার তদন্ত করেন এবং ঘটনার সাক্ষী বলে দাবি করা সৈন্যসহ মোট ৮০জন ব্রিটিশ সৈন্যের সাক্ষাৎকার নেন। কিন্তু তিনি গোয়েন্দাদের জানান যে তিনি ঐ সরু গলিতে ছিলেন না। ইহাটের কাছে দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, "মেজর সাস-ফ্রাঙ্কসেনের তদন্ত প্রতিবেদন যথার্থ নয়, এবং এতে বলা হয়েছে যে আমি একজন প্রত্যক্ষদর্শী, যা সত্য নয়।" তিনি জানান যে তিনি একটি মাত্র গুলির শব্দ শুনেছেন, যার মানে দাঁড়ায় যে, ইরাকি পুলিশ সদস্য মোটেও গুলি ছোঁড়েননি। ইহাট অন্য যাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে তারাও সেটি নিশ্চিত করেছেন। গুলি করে হত্যার জন্য ঐ সৈন্যের এবং ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য মেজর সাস-ফ্রাঙ্কসেনের বিচার হওয়া উচিত বলে গোয়েন্দারা তাদের রিপোর্টে সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু সামরিক বাহিনীর কৌঁসুলিরা কাউকে বিচারের মুখোমুখি করেননি। মেজর সাস-ফ্রাঙ্কসেনের বক্তব্য মেজর সাস-ফ্রাঙ্কসেনের আইনজীবী জানিয়েছেন, "আমার মক্কেল ইহাটের তদন্ত সম্পর্কে কিছু জানেন না, এবং ইহাটের প্রাপ্ত প্রমাণাদির মান সম্পর্কেও মন্তব্য করতে পারবেন না। এবং সে তদন্তে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে ব্রিটিশ আইনে কেন কোন সৈন্যকে বিচারের মুখোমুখি করা যায়নি, তাও তিনি বলতে পারবেন না।" নর্থমুর তদন্তকারীদের বক্তব্য ২০১৪ সালে সন্দেহভাজন ৫২টি হত্যার অভিযোগ তদন্তে ব্রিটিশ সরকার অপারেশন নর্থমুর শুরু করেছিল। রয়্যাল মিলিটারি পুলিশ গোয়েন্দারা কোন আফগান সাক্ষীকে জেরা করার আগেই সরকার ঐ তদন্ত বন্ধ ঘোষণা করে। নর্থমুর দলের একজন গোয়েন্দা বলেছেন, "দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলার আগে আমি আমার কাজ শেষ করতাম না। কাজ শেষ করার পর যদি দেখেন আপনার কাছে কেবলমাত্র ব্রিটিশ তরফের ভাষ্য আছে, তাহলে এটা কিভাবে তদন্ত হলো?" "আমার বক্তব্য হচ্ছে, ওই প্রতিটি মৃত্যুর তদন্ত হওয়া উচিত এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া উচিত।" সরকার কী বলছে? প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আইন মেনে ওইসব দেশে অপারেশন চালানো হয়েছে এবং যেকোনো অভিযোগের পূর্ণ তদন্ত করা হয়েছে। এবং ঐসব দেশে যুদ্ধাপরাধের ঘটনা ঘটেছে বলে বিবিসির যে দাবি, তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। যুদ্ধাপরাধ নিয়ে প্যানোরমার এই প্রতিবেদন সোমবার ১৮ই নভেম্বর বিবিসি ওয়ানে প্রচারিত হবে।
The UK government and armed forces have been accused of covering up the killing of civilians by British troops in Afghanistan and Iraq.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
জ্যাকুইন ডেভিস বলছেন, দেহরক্ষী হতে হলে তাকে অনেক কিছু জানতে হবে জ্যাকুইন বলছেন, ''যখন আমি প্রথম এই পেশায় আসি, তখন এটা ছিল পুরোপুরি পুরুষ কেন্দ্রিক একটি জায়গা। তারা সবসময়ে চাইতো আমি যেন শুধু নারী বা শিশুদের বিষয়গুলো দেখভাল করি-যা ছিল খুবই অদ্ভুত। যেন তারা সবাই আমার বাবা।'' ১৯৮০ সালে পুলিশ বিভাগে চাকরিতে ঢোকার কিছুদিন পরেই জ্যাকুইন বেসরকারি নিরাপত্তা খাতে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেন, কারণ এটা তাকে নানা ধরণের কাজের সুযোগ দেবে। পেশার কারণে তিনি বিশ্বের নামীদামী পাঁচ বা ছয় তারকা হোটেলে থেকেছেন। তিনি বলছেন, ''কিন্তু প্রতিদিনই ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাজ করার পর সেসব উপভোগের সময় থাকেনা। '' এর বাইরে একজন দেহরক্ষীকে সবচেয়ে বড় মূল্য দিতে হয় তার ব্যক্তিগত জীবনের। ''আপনি হয়তো আট-দশ সপ্তাহ বাড়িতেই যেতে পারবেন না।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: সরকারের হুমকিতে দেশ ছেড়েছি: সুরেন্দ্র সিনহা তিন তালাক শাস্তিযোগ্য অপরাধ: ভারতে নির্বাহী আদেশ রোহিঙ্গা নির্যাতন: প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে আইসিসি জ্যাকুইন ডেভিসের জীবন নিয়ে 'ক্লোজ' নামের একটি চলচ্চিত্র বানাচ্ছে নেটফ্লিক্স যখন আগেভাগে পরিকল্পনা করে ক্লায়েন্টদের জীবনের ঝুঁকি দূর করতে হয়, তখন সেটি সিনেমা বা নাটকের চেয়েও নাটকীয় হয়ে ওঠে। অপহরণের শিকার কয়েকজন তেল কর্মীকে উদ্ধার করতে গিয়ে নজরদারির অংশ হিসাবে জ্যাকুইনকে ইরাকের রাস্তায় বোরকা পড়ে ঘুরতে হয়েছে। একটি উদ্ধার অভিযানের কাহিনী ''একবার আমাদের পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ধাওয়া করেছিল এবং আমরা কাশ্মীরে ঢুকে পড়ি। কাশ্মীরের বিদ্রোহীরা পাকিস্তানি সেনাদের দিকে গুলি ছুড়তে শুরু করলে আমরাও তার মধ্যে পড়ে যাই।'' বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের বিজনেস ডেইলির কাছে একটি ঘটনা বর্ণনা করছিলেন জ্যাকুইন। সদ্য বিবাহিত স্বামীর সঙ্গে পাকিস্তানে যাওয়া ২৩ বছর বয়সী একজন ব্রিটিশ নারীকে উদ্ধার করতে নিজের দল নিয়ে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন জ্যাকুইন। ব্রিটেনে থাকা তার মা জানতে পারে, যে পাকিস্তানে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। তখন তিনি মেয়েকে উদ্ধারের জন্য জ্যাকুইনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যে ভিলায় তাকে আটকে রাখা হয়েছিল, একরাতে জ্যাকুইন সেখানে প্রবেশ করে তাকে বিছানার সঙ্গে হাতকড়া লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। '' সে আমাদের জানায়, সে তিনমাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাকে ধর্ষণ করা হচ্ছে, খেতে দেয়া হয়না এবং মারধর করা হচ্ছে। আমি তখন তাকে বললাম, আমি আবার আসবো এবং তোমাকে নিয়ে যাবো।'' কিন্তু হঠাৎ একটি ফোন কলে তারা জানতে পারেন যে, তাদের পরিচয় ফাঁস হয়ে গেছে। ''বেনজির ভুট্টোর জন্য আমি একসময় কাজ করেছি। তিনি আমাকে চিনতে পারেন এবং ধারণা করেন, নিশ্চয়ই আমি কাউকে উদ্ধার করার জন্য এখানে এসেছি।'' এর মানে, তাদের খুব দ্রুত কাজ করতে হবে। বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা চাহিদা বেড়েছে। টেরেসা মে'র মতো রাজনীতিবিদদের চারপাশে সবসময়েই দেহরক্ষীদের দেখা যায় ''একজন ট্যাক্সি ড্রাইভারকে ঘুষ দিয়ে আমরা বাড়িটির গেট ভেঙ্গে প্রবেশ করি'' তিনি বলছেন। এরপর সেই মেয়েটিকে উদ্ধার করে পাহাড়ি পথ ধরে একটি গাড়িতে করে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু পাকিস্তানি আর্মি তাদের ধাওয়া করে। তারপর তারা ভারত হয়ে সেই মেয়েকে ব্রিটেনে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। জ্যাকুইন বলছেন, গত ৩০ বছরে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন অনেক নারী এই পেশায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে, যদিও পুরো যুক্তরাজ্য জুড়ে নারী দেহরক্ষীর সংখ্যা এখনো মাত্র ১০জন। জ্যাকুইন বলছেন, দেহরক্ষী হিসাবে যারা কাজ করবেন, তাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, তারা ক্লায়েন্টের বন্ধু নন। ''তাহলেই আপনার দৃষ্টি পরিষ্কার থাকবে আর যখন দরকার হবে, তখন আপনি ঠিক পদক্ষেপ নিতে পারবেন।'' দেহরক্ষী বলতে যেরকম কালো চশমা পড়া একজন কাউকে মানুষ বুঝে থাকে, বাস্তবে সেটা নাও হতে পারে, বলছেন জ্যাকুইন। বরং তার পোশাকের চেয়ে মস্তিষ্ক অনেক বেশি খাটাতে হয়। হয়তো তাকে নামী রেস্তোরায় ক্লায়েন্টের সঙ্গে বসে খেতে হয়, বিখ্যাত ক্লাবে বিকালের নাস্তায় ঠিক পোশাকে এবং আদবকায়দার সঙ্গে চা খেতে হয়। বিশ্বের চলমান নানা বিষয়ে কথা বলার জন্য খোঁজখবর রাখতে হয়। এই পেশার ঝুঁকির বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছেন না জ্যাকুইন। কিন্তু তিনি বলছেন, ''কোন চাকরি নিয়েই তো আর উদ্বেগে থাকা যায় না।'' জ্যাকুইন ডেভিসের এই জীবন নিয়ে একটি চলচ্চিত্র বানানোর পরিকল্পনা করছে নেটফ্লিক্স। বিবিসি বাংলার আরো খবর: ‘আমার স্বামীকে হত্যা করা হয় ভিন্ন জাতের বলে’ আপনাকে বলা হলো পদত্যাগ করবেন, আপনি করছেন না
Jacquie Davis, who says she was the first woman to become a bodyguard in the UK, has protected royals and celebrities, rescued hostages and carried out undercover surveillance in her 30 years in the industry. Now her own life has inspired a Netflix thriller starring Noomi Rapace.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
স্যার কিম ডারখ টেরিজা মে বলছেন, স্যার কিমের এই সিদ্ধান্ত 'গভীর দুঃখের বিষয়।' এরআগে, রাষ্ট্রদূত মিস্টার ডারখ বলেন, তার জন্য এই দায়িত্ব পালন করে যাওয়া "অসম্ভব।" তাকে পূর্ণ সমর্থন দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন টোরি নেতৃত্ব প্রত্যাশী প্রার্থী বরিস জনসন। গত সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, স্যার কিমের সাথে বিষয়টি নিয়ে বোঝাপড়ায় যাবে না যুক্তরাষ্ট্র। আরো পড়তে পারেন: গোপন বার্তায় ট্রাম্পকে নিয়ে যা বলেছেন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ফাঁস হওয়া ব্রিটিশ ইমেইল সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে পদত্যাগ করছেন এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করলেন ট্রাম্প ট্রাম্প প্রশাসনকে 'অদ্ভুত এবং নিষ্ক্রিয়' উল্লেখ করে স্যার কিমের ই-মেইল প্রকাশ পাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে "একজন মূর্খ ব্যক্তি" বলে মন্তব্য করেছেন। পররাষ্ট্র দপ্তরে দেয়া এক চিঠিতে স্যার কিম বলেন, তার অবস্থান নিয়ে বিতর্ক শেষ করতে চেয়েছেন তিনি। বলেছেন, "আমি যেভাবে দায়িত্ব পালন করতে পছন্দ করি বর্তমান অবস্থায় সেটি সম্ভব নয়।" স্যার কিমের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত তার পক্ষে ব্যাপক সমর্থন তৈরি করলেও টোরি নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে থাকা প্রার্থী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিবিসি'র প্রতিবেদক জেমস ল্যান্ডাল বলছেন, হোয়াইটহলের সূত্রমতে, মঙ্গলবার রাতে টোরি নেতৃত্ব নিয়ে অনুষ্ঠিত বিতর্কে মিস্টার জনসন স্যার কিমকে সমর্থন দিতে অসম্মতি জানানোর পর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আরেক প্রার্থী জেরেমি হান্ট মিস্টার জনসনকে বারবার প্রশ্ন করেন যে, প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি স্যার কিমকে স্বপদে বহাল রাখবেন কিনা। তবে এ প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি তিনি। তবে এটা স্পষ্ট যে, মিস্টার জনসন বুধবার বিকেলে স্যার কিমের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন। মিস্টার জনসনের কাছের এক সূত্র জানায়, স্যার কিমের অবদান এবং কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেছেন মিস্টার জনসন এবং দাবি করেন যে দুই জনের এই আলাপ উষ্ণ ও আন্তরিক ছিল। স্যার কিমের পদত্যাগের পর মিস্টার জনসন বলেন, তিনি ছিলেন 'একজন চমৎকার কূটনীতিক' এবং ই-মেইল যেই ফাঁস করে থাকুক না কেন সে 'ব্রিটিশ সরকারি কর্মকর্তাদের চরম ক্ষতিসাধন করেছে।' স্যার কিমের প্রতি তিনি কেন আরো বেশি সমর্থন দেননি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, "সরকারি কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক পরিধিতে টেনে আনা ঠিক নয়।" ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রী স্যার অ্যালান ডানকান, যিনি কিনা টোরি নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় মিস্টার হান্টকে সমর্থন করেন, তিনি বলেছেন, স্যার কিমকে সমর্থন না করা মিস্টার জনসনের 'অবমাননাকর অবহেলা।' "নিজের স্বার্থের জন্য তিনি আসলে এই দারুণ কূটনীতিককে বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছেন," বলেন মি. ডানকান। মিস্টার জনসনের সমর্থক স্যার মাইকেল ফ্যালন বিবিসির নিউজ নাইটকে বলেন, স্যার কিমের অবস্থান, "মঙ্গলবার রাতের বিতর্কের অনেক আগেই" গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। আর তিনি মনে করেন যে, রাষ্ট্রদূত ওই বিতর্ক দেখেননি। তিনি বলেন, মিস্টার জনসনের বিরুদ্ধে এই সমালোচনা 'রাজনীতিকীকরণের একটি বাজে প্রচেষ্টা' এবং তিনি এরইমধ্যে নিশ্চিত করেছেন যে 'তিনি আমাদের সব কূটনীতিককেই সমর্থন করেন।' লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেন, মিস্টার জনসন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে "মধুর বাণিজ্য চুক্তি" করতে চেয়েছিলেন এবং স্যার কিমের প্রতি তার সমর্থন হীনতা প্রমাণ করে যে, "ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না তিনি।" টোরি এমপি এবং পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান টম টুগেন্ডহাট এক টুইটে বলেন, "নেতারা তাদের কর্মীদের সমর্থন করেন। তারা তাদের উৎসাহ দেন এবং যখন তার ব্যর্থ হয় তখন তাদের রক্ষা করেন।" আরেক টোরি নেতৃত্ব প্রত্যাশী প্রার্থী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী মিস্টার হান্ট বিবিসিকে বলেন, স্যার কিম 'তার দায়িত্ব পালন করছিলেন' এবং তার পদত্যাগ 'ব্রিটিশ কূটনীতির একটি কালো দিন।' আরো পড়তে পারেন: পদ্মা সেতু তৈরিতে মানুষের মাথা লাগার গুজব কেন? খাদ্যে ক্যান্সারের অণুজীব খুঁজে দেবে মোবাইল অ্যাপ নতুন নিষেধাজ্ঞার কবলে পাকিস্তানের গণমাধ্যম ভারতকে আঘাত হানতে আল-জাওয়াহিরির বার্তা ২০১৭ সালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় ওয়াশিংটনে স্যার কিম ডারোচের সাথে মিস্টার জনসনের ছবি মিসেস মে বলেন, স্যার কিমের প্রতি পুরো মন্ত্রীসভার সমর্থন রয়েছে এবং ব্রিটেনের প্রতি তার সারা জীবনের অবদানের জন্য "কৃতজ্ঞতায় ঋণী করেছেন।" তিনি বলেন, সরকারি কর্মীদের "পূর্ণ এবং আন্তরিক মতামত" দেয়ার অধিকার থাকা উচিত। বিবিসির কূটনৈতিক প্রতিবেদক জেমস ল্যান্ডাল তার বিশ্লেষণে প্রশ্ন তোলেন, বরিস জনসনের কারণেই কি এটা হয়েছে? সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রীর গত রাতের বিতর্কে স্যার কিমকে সমর্থন না দেয়ার ব্যর্থতাই কি রাষ্ট্রদূতের পদত্যাগের পেছনে মূল কারণ হিসেবে কাজ করেছে? স্যার কিম যেহেতু এবিষয়ে জনসম্মুখে কথা বলছেন না তাই এবিষয়ে অন্যদের বক্তব্যের উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে। হোয়াইট হলের নির্ভরযোগ্য সূত্রের মতে, মিস্টার জনসনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমালোচনা না করা এবং স্যার কিমকে সমর্থন না দেয়ার সিদ্ধান্তই মূল অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। আপনি যদি কূটনীতিক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া দেশে প্রতিকূলতার মুখে পড়েন তাহলে আপনার লন্ডনের সমর্থন দরকার হবে। আর সেখানে আপনার ভবিষ্যৎ বস যদি আপনাকে তা দিতে অসম্মতি জানায় তাহলে সে ইঙ্গিত আপনাকে বুঝতে হবে। আর তাই নিশ্চিতভাবেই গত রাতের বিতর্কে ওয়াশিংটনে থাকা আমাদের কর্মীর প্রতি মিস্টার জনসনের টানা ছয় বার সমর্থন না দেয়ার সিদ্ধান্ত আসার পর তার বিরুদ্ধে ওয়েস্টমিনস্টার এবং হোয়াইটহলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। মিস্টার জনসনের সমর্থকরা এর বিপক্ষে অনেক ধরণের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। অনেকে আবার এই পদত্যাগকে রাজনীতিকীকরণ করার জন্য মিস্টার হান্টের সমর্থকদের দোষারোপ করছেন। অনেকে আবার বলেছেন যে, স্যার কিমের সাথে বোঝাপড়ায় না যেতে ট্রাম্পের ঘোষণার পর এবং বিতর্কের আগেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে ওয়েস্টমিনস্টারে কেউ কেউ এই বক্তব্যকে বিশ্বাসও করছেন। হাউস অব কমন্সে, টেরিজা মে এমপিদের বলেন যে, "চাপ রয়েছে এমন পরিস্থিতিতে আমাদের মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা রক্ষার দিকেই বেশি মনোযোগ দেয়া উচিত।" তিনি আসলে কি বোঝাতে চেয়েছেন তা আন্দাজ করা মোটেও কঠিন নয়। কূটনীতি সার্ভিসের প্রধান স্যার সিমন ম্যাকডোনাল্ড বলেন, তার কর্মজীবনে প্রথমবার তিনি দেখছেন যে, একজন রাষ্ট্রপ্রধান একজন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে সমর্থন দিতে অসম্মতি জানাচ্ছেন। তিনি এই ফাঁসের ঘটনাকে "বিদ্বেষপরায়ণ" বলে উল্লেখ করে স্যার কিমের উদ্দেশ্যে বলেন, "আপনি আমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো।" রিপাবলিকান সিনেটর এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থক লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, স্যার কিম রাষ্ট্রদূত হিসেবে "অসামান্য অবদান" রেখেছেন এবং তার পদত্যাগ "একটি হতাশাজনক মুহূর্ত।" "একজন রাষ্ট্রদূতকে বিপদগ্রস্থ হওয়ার ভয়হীনভাবে তার সরকারের সাথে কথা বলার অধিকার থাকতে হবে,"তিনি বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেন, যুক্তরাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে "অসম্মানজনক" আচরণ করছেন মিস্টার ট্রাম্প স্যার কিমের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ক্যাবিনেট সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্ভিসের প্রধান স্যার মার্ক সেডউইল বলেন, পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে তিনি যা বোঝেন সেটি হচ্ছে "এটা খুবই দুঃখজনক বিষয় যে, মারাত্মক বিশ্বাস ভঙ্গের পর আপনাকে এই অবস্থানে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।" ক্যাবিনেট অফিস মিনিস্টার ডেভিড লিডিংটন বলেন, এই পরিস্থিতির কারণে তিনি "ক্ষুব্ধ" এবং এর ফলে সিভিল সার্ভিসের উচ্চ পর্যায়ে "বেশ বড় ধরণের আঘাত তৈরি হয়েছে।" সিভিল সার্ভিসের সাবেক প্রধান লর্ড ও'ডনেল বিবিসিকে বলেন, মিসেস মে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়েই আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্যার কিমের উত্তরসূরি নির্বাচন করা হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো আজ সকালে এই ভেবে ঘুম থেকে উঠবেন যে, যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত কে হবে সে বিষয়ে ভেটো দেয়ার ক্ষমতা আছে তার। তবে স্যার কিমের সার্ভিসের অবসান ট্রাম্পের টুইটারের রঙিন মন্তব্যের কারণে হয়নি বরং জনসম্মুখে স্যার কিমের সাথে কাজ না করার ঘোষণার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। এই প্রভাবও বেশ সাথে সাথেই পাওয়া গেছে। একটি ভোজের দাওয়াত থেকে স্যার কিমকে বাদ দেয়া হয়। পরে মিনিস্টার লিয়াম ফক্সের সাথে একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে পারেননি তিনি। এটা পরিষ্কার ছিল যে, তাকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়া হয়েছে এবং একজন রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার প্রবেশাধিকার গুলোই মুখ্য। এটা ছাড়া তার পক্ষে দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়। আরো স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, এটা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের বিশেষ সম্পর্কে কখনোই সমতা ছিল না, এটা কখনোই দুই সমকক্ষ পক্ষের সম্পর্ক ছিল না কিন্তু এখন এটা পুরোপুরি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র জানে যে, ব্রিটেন আন্তর্জাতিকভাবে একা হয়ে পড়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকেই এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এ ঘটনায় ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই সুযোগটিকেই নির্দয় ভাবে ব্যবহার করেছেন। ফাঁস হওয়া ওই ই-মেইলে স্যার কিম বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি না যে এই প্রশাসন ক্রমে আরো স্বাভাবিক; কম অকার্যকরী; কম অনিশ্চিত; কম বিভক্ত হতে যাচ্ছে; বরং এটা কূটনৈতিকভাবে অদ্ভুত এবং নিষ্ক্রিয়।" ২০১৭ সালের ওই ই-মেইলে বলা হয়, হোয়াইট হাউসে "অন্তর্ঘাত ও বিশৃঙ্খলার" গুজব বেশিরভাগই সত্য। সরকার এই স্মারকলিপি প্রকাশের ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে এবং পুলিশকেও তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Sir Kim Darroch has resigned as UK ambassador to the US, as a row over leaked emails critical of President Trump's administration escalates.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
সৌদি হামলায় ইয়েমেনে হতাহতদের বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক এর তিনটি মিসাইল সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ লক্ষ্য করে ছোড়া হয়। মিসাইলের টুকরো নীচে পড়ার সময় একজন সৌদি নাগরিক নিহত হয়েছে। রবিবারই ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে সৌদি জোটের হস্তক্ষেপের তিনবছর পূর্তি হয়েছে। আর সেই উপলক্ষেই এই হামলা। হুতি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, তারা সৌদি আরবের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছে, তার মধ্যে রিয়াদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও রয়েছে। ইয়েমেন সংকট: কে কার সঙ্গে লড়াই করছে? মানব ইতিহাসের অন্যতম প্রাচীন বসতি আর আরব বিশ্বের সবচেয়ে গরীব দেশ ইয়েমেন। গৃহযুদ্ধে দেশটি পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কে কার সঙ্গে লড়াই করছে? সানার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে হুতি বিদ্রোহীদের কাছে যুদ্ধ কিভাবে শুরু হলো? ইয়েমেনের লড়াইয়ের শুরুটা হয় আরব বসন্ত দিয়ে, যার মাধ্যমে আসলে দেশটিতে স্থিতিশীলতা আসবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু ঘটেছে উল্টোটা। ২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহকে তার ডেপুটি আবদারাবুহ মানসুর হাদির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য করে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হাদিকে অনেকগুলো সংকটের মুখোমুখি হতে হয়। আল কায়েদার হামলা, দক্ষিণে বিছিন্নতাবাতী আন্দোলন, মি. সালের প্রতি অনেক সামরিক কর্মকর্তার আনুগত্য। এর বাইরে দুর্নীতি, বেকারত্ব আর খাদ্য সংকট তো রয়েছেই। আর নতুন প্রেসিডেন্টের দুর্বলতার সুযোগে ইয়েমেনের যাইডি শিয়া মুসলিম নেতৃত্বের হুতি আন্দোলনের কর্মীরা সাডা প্রদেশ এবং আশেপাশের এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এ সময় অনেক সুন্নিরাও তাদের সমর্থন যোগায়। এরপর বিদ্রোহীরা সানা অঞ্চলেরও নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নেয়। পরের মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর এডেন থেকে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট হাদি। হুতি আর নিরাপত্তা বাহিনীগুলো সাবেক প্রেসিডেন্ট সালেহের প্রতি অনুগত। এরপর তারা পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করে। তাদের পেছনে ইরান সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হয়। এ পর্যায়ে মি. হাদি দেশের বাইরে পালিয়ে যান। কিন্তু মি. হাদিকে ইয়েমেনে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে সৌদি আরব আর অন্য আটটি সুন্নি দেশ একজোট হয়ে ইয়েমেনে অভিযান শুরু করে। এই জোটকে লজিস্টিক আর ইন্টেলিজেন্স সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য আর ফ্রান্স। ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ সালেহকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য করা হয় এরপর কি হচ্ছে? তিনবছরের এই লড়াই দুই পক্ষকেই পর্যুদস্ত করে তুলেছে। একটি যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের তিনটি সংস্থার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। চারমাসের লড়াইয়ের পর সরকারপন্থী বাহিনী এবং দক্ষিণাঞ্চলের সুন্নি উপজাতীয় গোত্রগুলো বিদ্রোহীদের এডেনে আসা ঠেকিয়ে দিয়েছে। ২০১৫ সালে অগাস্টে এডেনের অবতরণ করে এবং হুতিদের তাড়িয়ে দেয়। প্রেসিডেন্ট হাদি নির্বাসনে থাকলেও, তার সরকার অস্থায়ীভাবে এডেনে কার্যক্রম শুরু করে। তবে হুতিরা সানা এবং টিয়াজে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে এবং সেখান থেকেই সৌদি আরবে মর্টার আর মিসাইল ছুড়ে মারছে। আর দুপক্ষের এই বিরোধে সুযোগ নিচ্ছে আল কায়েদা ইন দি আরব পেনিনসুলা আর ইসলামিক স্টেট গ্রুপ। তারা দক্ষিণে বেশ কিছু স্থান দখল করে নিয়েছে। ২০১৭ সালে নভেম্বরে রিয়াদে ইয়েমেনের মিসাইল পড়ার পর দেশটির চারদিকে অবরোধ জোরালো করে সৌদি আরব। তবে জাতিসংঘ বলছে,এর ফলে দেশটিতে কয়েক দশকের সবচেয়ে বড় দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে। ২০১৫ সালের মার্চে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে হস্তক্ষেপ করে ইয়েমেনের বিদ্রোহী আর সরকারি বাহিনীর মধ্যে ফাটলগুলো কোথায়? হুতি আর মি. সালেহ একটি জোট গঠন করলেও সেখানে এর মধ্যেই ফাটল দেখা দিয়েছে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে সানার বড় মসজিদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি সশস্ত্র লড়াইয়ে বহু মানুষ হতাহত হয়। মি. সালেহ তখন সৌদি আরবকে প্রস্তাব করেন যে, তারা যদি অবরোধ তুলে নেয় আর ইয়েমেনে হামলা বন্ধ করে, তাহলে নতুন সম্পর্ক হতে পারে। হুতিরা পাল্টা জবাবে তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের অভিযোগ আনে যে, তিনি এই জোটে কখনোই বিশ্বাস করতেন না। হুতিরা সানার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য অভিযান শুরু করে। ৪ঠা ডিসেম্বর তারা ঘোষণা দেয় যে, মি. সালেহ রাজধানী থেকে পালানোর সময় নিহত হয়েছেন। এর এক সপ্তাহ পরে সরকারি বাহিনীর মধ্যেও লড়াই বেধে যায়। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দাবি করে, ১৯৯০ সালে যে উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের যে ইউনিয়ন তৈরি হয়, সেটি ভেঙ্গে আলাদা একটি রাষ্ট্র গঠন করা হবে। এ নিয়ে মি. হাদির পক্ষের সৈন্যদের সঙ্গে তাদের বিরোধ তৈরি হয়। এ বছর জানুয়ারিতে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তোলার পর উত্তেজনা আরো বেড়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রী আহমেদ বিন ডাগারের পদত্যাগও দাবি করেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এডেনের সরকারি দপ্তর আর সামরিক ঘাটিগুলোর নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। ফলে এই পরিস্থিতি সৌদি জোটের মধ্যেও জটিলতার তৈরি করেছে। কারণ সৌদি আরব মি. হাদিকে সমর্থন করছে, অন্যদিকে জোটের শরীক সংযুক্ত আরব আমিরাত সমর্থন করছে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের। সাধারণ মানুষদের কি মূল্য দিতে হচ্ছে? সংক্ষেপে, ইয়েমেনের পরিস্থিতি হলো, যেমনটা জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব-সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়। গত তিনবছরে ৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। দেশটির ৭৫ শতাংশ মানুষের জরুরী মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। অন্তত সোয়া কোটি মানুষের বেচে থাকার জন্য জরুরী খাদ্য সহায়তা দরকার। প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষের জানা নেই, তাদের পরবর্তী বেলার খাবার জুটবে কিনা। পাঁচ বছরের নীচের ৪ লাখ শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে, যা তাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে। দেশটিতে স্বাস্থ্য সেবা ভেঙ্গে পড়েছে, কলেরা আর ডিপথেরিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। পাঁচ বছরের নীচের ৪ লাখ শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে, যা তাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে। ইয়েমেন সংকট নিয়ে সারা বিশ্ব কি করছে? ইয়েমেনে যা কিছুই ঘটছে, তা যেন আঞ্চলিক দেশগুলোরই ব্যাপার। তবে দেশটি অস্থিরতার মধ্যে থাকলে তা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য হামলার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। ইয়েমেনের আল কায়েদাকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর জঙ্গি সংগঠন বলে বলছে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। কারণ তাদের প্রযুক্তিগত সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ আছে। তবে ইয়েমেনের এই সংকটকে সৌদি আরব আর ইরানের মধ্যে আঞ্চলিক ক্ষমতার লড়াই হিসাবেও দেখা হচ্ছে। কৌশলগত ভাবে ইয়েমেনের নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেশটি বাব আল-মানডাবের ওপর বসে আছে, যা রেড সি আর গালফ অফ এডেনের সংযোগস্থল। এখান থেকেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেলের সরবরাহ হয়ে থাকে।
Saudi forces say they have shot down seven missiles launched into Saudi territory by Houthi rebels in Yemen.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ক্রিস ক্রেবসকে ডোনাল্ড ট্রাম্পই নিয়োগ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে 'অত্যন্ত ভুল' মন্তব্য করার জন্য তিনি সাইবার সিকিউরিটি এবং ইনফ্রাসট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (সিসা) প্রধান ক্রিস ক্রেবসকে বরখাস্ত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হারলেও পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মি. ট্রাম্প এবং কোনরকম তথ্য প্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। তবে এই নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে 'সবচেয়ে সুরক্ষিত' নির্বাচন হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী কর্মকর্তারা। মি. ক্রেবস সম্প্রতি হোয়াইট হাউজের অসন্তুষ্টির কারণ হয়ে উঠেছিলেন, কারণ সিসা'র একটি ওয়েবসাইট ছিল রিউমার কন্ট্রোল বা গুজব নিয়ন্ত্রণ নামে, যেখানে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য খণ্ডন করা হতো। তার বেশিরভাগ প্রভাব পড়েছে স্বয়ং প্রেসিডেন্টের ওপরেই। গত সপ্তাহেই পদত্যাগ করেছিলেন সিসা'র সহকারী পরিচালক ব্রায়ান ওয়ার। হোয়াইট হাউজ থেকে তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। তবে বরখাস্ত হলেও এ নিয়ে কোন আক্ষেপ দেখা যায়নি মি. ক্রেবসের বক্তব্যে। বরখাস্ত হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মি. ক্রেবস যে টুইট করেছেন, সেখানে বরং তিনি মি. ট্রাম্পের একটি অভিযোগ খণ্ডন করেছেন, যেখানে মি. ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে, অনেকগুলো রাজ্যে তার ভোট জো বাইডেনের নামে পাল্টে দিয়েছে। মি. ক্রেবস টুইটারে বলছেন, ''নির্বাচনী পদ্ধতি জালিয়াতির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ৫৯ জন নির্বাচনী নিরাপত্তা কর্মকর্তা একমত হয়েছেন যে, আমাদের জানা মতে কোন ঘটনাতেই এরকম অভিযোগের ভিত্তি নেই এবং প্রযুক্তিগতভাবেও সেটা সম্ভব নয়।'' যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তর হোমল্যান্ড সিকিউরিটির গুটিকয় শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনি একজন, গত সপ্তাহে যারা ঘোষণা করেছেন যে, তেসরা নভেম্বরের নির্বাচনটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সুরক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমেরিকায় জো বাইডেনের জয়, যেসব সুবিধা পেতে পারে বলে বাংলাদেশ আশা করছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন যেভাবে অন্য দেশের তুলনায় একেবারেই ভিন্ন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন ২০২০: ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি কী ও কীভাবে কাজ করে জো বাইডেন জয়ী, কিন্তু এখন কী হবে? প্রেসিডেন্ট হবার পর সবার আগে যেসব পদক্ষেপ নেবেন জো বাইডেন আমেরিকায় জো বাইডেনের বিজয়: বাকি দুনিয়ার জন্য এর অর্থ কী সিসা'র ওয়েবসাইটে দেয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ''যদিও আমরা জানি যে, প্রমাণ ছাড়াই অনেক অভিযোগ ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানোর সুযোগ আছে, তবে আমরা নিশ্চিত করে বলছি, নির্বাচনের নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে আমাদের পুরো আস্থা রয়েছে, আপনাদেরও সেটা রাখা উচিত।'' যদিও এই বিবৃতিতে কোথাও মি. ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করা হয়নি। নির্বাচনের একজন আইনি বিশেষজ্ঞের একটি টুইটের পাল্টা জবাব দিয়ে তিনি টুইটারে লিখেছিলেন, ''দয়া করে এমন সব টুইট শেয়ার করবেন না যেখানে ভোটিং মেশিন নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ রয়েছে, সেটা প্রেসিডেন্টের হলেও।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মুজিব ভাস্কর্য: 'আওয়ামী লীগের নিজের ঘরেই সাপ ঢুকেছে' মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে দরকার র‍্যাপিড টেস্ট: বিশেষজ্ঞ মালয়েশিয়ায় অবৈধ শ্রমিকদের নতুন সুযোগ: যেসব শর্ত পূরণ করতে হবে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর 'কী বা করার ছিল' সাকিব আল হাসানের?
Donald Trump says he has fired a top election official who contradicted the US president's claims of voter fraud.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর গত বছরের অক্টোবর মাসে সিলেটে কলেজ ছাত্রী খাদিজা বেগমকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র এবং ছাত্রলীগের স্থানীয় এক নেতা বদরুল আলম। এই হামলার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং এ নিয়ে সারাদেশে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিলো। কিন্তু এটা বাংলাদেশে একেবারে নতুন কোন ঘটনা তো না। আমাদের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই পুরুষকে শক্তিশালী আর নারীকে দুর্বল হিসাবে দেখা হয়। এটা স্বল্পশিক্ষিত থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষিত, সব শ্রেণির মধ্যেই দেখা যায়। সমাজ ব্যবস্থা বা পরিবারের কারণে অনেকেই এমন মানসিকতায় বড় হয় যে, নারীরা দুর্বল, তাদের উপর অত্যাচার করা যায়। এমন অত্যাচার সমাজেও যেন গৃহীত হয়ে আসছে। যেহেতু আইনের শাসন শক্তিশালীভাবে প্রয়োগ হয় না, এ ধরণের অপরাধে দায়ীদের শাস্তি হয় না, তাই ধারাবাহিকভাবে এটি চলে আসছে। প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে বেশিরভাগ সময় ভুক্তভোগীরা সুবিচার পান না। আবার অনেক সময় শাস্তি দেয়া হলেও, সেটা নামমাত্র, যেন টোকেন হিসাবে একটি শাস্তি দেয়া হয়। ফলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবেও তাদের মধ্যে এ ধরনের কাজ করতে ভয় হয় না। আসলে মূল্যবোধের ক্ষেত্রে একটি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দূরত্ব রয়েছে। নারীদের প্রতি মূল্যবোধের অভাবের যে পরিবেশ থেকে সে বড় হয়, সেই কারণেই কিন্তু এ ধরণের নির্যাতনের ঘটনাগুলো ঘটে থাকে। হামলার পর খাদিজাকে ঢাকার হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসা নিতে হয় একটি পরিবারে মেয়েদের সাথে কিরকম ব্যবহার করা হচ্ছে, আচার আচরণ সে পরিবার থেকেই শেখে। আবার আমাদের যে পাঠ্যপুস্তকগুলো রয়েছে, সেখানেও মেয়েদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বা সামাজিক মূল্যবোধগুলো সেভাবে শেখানো হয় না। কিছুদিন আগেই একটি জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৮০ শতাংশ নারী কোন না কোন সহিংসতার শিকার হয়। এদের ৭২ শতাংশই সেটি প্রকাশ করে না। অনেক সময় সেটি সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয় না। হয়তো এসব বলার সেই সংস্কৃতি বা অভ্যাস নেই। তাই এটা অব্যাহতভাবে চলছে। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দুর্বলতা বা মূল্যবোধের অভাবের কারণেই আসলে এ ধরণের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে পরিবার থেকে যে দুর্বলতা বা মূল্যবোধ ধারণ করে বড় হয়, সেটা সবসময়েই রয়ে যায়। এবং সেজন্যই একজন অত্যাচারী, ধনী বা গরীব, সমাজের যে কোনো স্তর থেকেই আসতে পারে।
Bangladesh's Supreme Court has upheld the death sentence of an Islamist leader, Abdul Kader Mullah.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমাগত বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে মি: পম্পেও এ মন্তব্য করেন। রাশিয়া সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা চায় ইরান যেন একটি 'স্বাভাবিক দেশের' মতো আচরণ করে। তিনি সতর্ক করে বলেন, আমেরিকার স্বার্থ আক্রান্ত হলে তারা সমুচিত জবাব দেবে। ইতোমধ্যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোন যুদ্ধ হবেনা। গত সপ্তাহে উপসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধ জাহাজ এবং যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া সফরকালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভের সাথে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি বলেন, নীতিগতভাবে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে কোন যুদ্ধ চায়না। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিয়াকে আহবান জানিয়েছেন, তারা যাতে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে। জবাবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ সেটি নাকচ করে দিয়েছে। মি: ল্যাভরভ বলেন, যেভাবে নিকোলাস মাদুরোকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে সেটি 'অগণতান্ত্রিক'। আরো পড়ুন: ট্যাংকারে হামলার 'পেছনে ইরান', মার্কিনীদের ধারণা সৌদি তেলবাহী জাহাজে 'গুপ্ত হামলা' ইরানের বিরুদ্ধে কেন রণতরী পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি। ইরান কী বলেছে? এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়তোল্লাহ খামেনির বক্তব্য দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সাথে যে পরমাণু চুক্তি বাতিল করেছেন সেটির বদলে ভিন্ন কোন চুক্তির বিষয়ে আমেরিকার সাথে কোন আপোষ করবে না ইরান। মি: খামেনি বলেন, "আমরা যুদ্ধ চাইনা, তারাও যুদ্ধ চায়না।" সোমবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি দেশটির ধর্মীয় নেতাদের সাথে এক বৈঠক করেছেন। সে বৈঠকে মি: রুহানি বলেন, ইরানকে কেউ ভয় দেখানোর সাধ্য কারো নেই। তিনি বলেন, ইরান এ সংকট কাটিয়ে উঠবে এবং মাথা উঁচু করে টিকে থাকবে। গত দু'দিনের মধ্যে পারস্য উপসাগরের একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকায় - সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোট চারটি জাহাজে রহস্যজনক 'অন্তর্ঘাতী আক্রমণের' ঘটনা ওই অঞ্চলে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়, মার্কিন তদন্তকারীরা ধারণা করছেন যে এর পেছনে রয়েছে ইরান বা ইরানের সমর্থিত কোন গোষ্ঠী। অবশ্য এ ধারণার পক্ষে কোন তথ্যপ্রমাণ দেওয়া হয় নি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বাংলাদেশ ও কানাডার অর্থনীতির পার্থক্য কতটা? যে ৫২টি পণ্য সরিয়ে নিতে বলেছে হাইকোর্ট নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ ডলার 'ঘুষ' দিলো শিশু
US Secretary of State Mike Pompeo has said the United States does not seek a war with Iran, amid rapidly growing tensions between the two countries.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
আপনার বয়সী একজন মানুষ কোন দেশে কতদিন বাঁচতে পারেন, কিংবা বাকি জীবনের কতটা সুস্থ থাকতে পারেন - তা দেখতে হলে আপনার তথ্যগুলো পূরণ করুন। দুঃখিত, আবার চেষ্টা করুন! দয়া করে আপনার ইন্টারনেট সংযোগটি পরীক্ষা করুন এবং 'ফলাফল দেখুন' ট্যাবটিতে পুনরায় চেষ্টা করুন সম্ভাব্য আয়ু আপনার জীবনের আর কতটা সময় সুস্থভাবে কাটবে? সম্ভাব্য আয়ু: আপনি বনাম বিশ্ব জন্মের সময় দেশভেদে গড় আয়ু (বছর) জন্মের সয়ম বিশ্বব্যাপী গড় সম্ভাব্য আয়ু হলো 72 বছর - পুরুষদের 70, মহিলাদের 75; কিন্তু বয়সের সাথে সাথে এটি পরিবর্তিত হয়। যেমন 69 বছর বয়সী কোন মানুষ গড়ে আরো 17 বছর বেশি বাঁচার আশা করতে পারেন। আপনি যদি সম্ভাব্য গড় আয়ুর ক্যালকুলেটরটি দেখতে না পারেন, তাহলে এখানে ক্লিক করুন। আরো পড়ুন: দেখুন: আপনি কতদিন তারুণ্য ধরে রাখতে পারবেন ১০১ বছর বেঁচে থাকার ৭টি উপায় অত্যধিক যৌন আসক্তি কি আসলেই 'নেশা'? দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ায় সম্ভাব্য আয়ু জানতে ক্যালকুলেটরটি ব্যবহার করুন। কীভাবে এই ক্যালকুলেটর কাজ করে? গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজেস স্টাডি'র সর্বশেষ উপাত্ত থেকে এই হিসাবটি করা হয়েছে। বয়স, লিঙ্গ এবং দেশ অনুযায়ী একজন ব্যক্তির কত বছর বাঁচার সম্ভাবনা থাকে সেটি হলো সম্ভাব্য আয়ু। সম্ভাব্য গড় আয়ু হিসেব করতে গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজেস স্টাডি বিভিন্ন বয়সে একটি দেশের মৃত্যুহার ব্যবহার করেছে। সম্ভাব্য বাকি জীবনে একজন ব্যক্তি কত বছর সুস্থতা আশা করতে পারেন তার উপর ভিত্তি করে 'আপনি কত বছর সুস্থভাবে বাঁচার আশা করতে পারেন' তা নির্ণয় করা হয়েছে। ফলাফলে মৃত্যুহার এবং অক্ষমতাকে ধ্রুবক হিসেবে ধরা হয়েছে। ক্যালকুলেটরটি তৈরি করেছেন: টম কালভার, নাসোস স্টেলিয়ানাও, বেকি ডেল, নিক ট্রিগল, র‍্যানসাম পিনি, প্রিনা সাহা, জো রীড এবং এলিনোর কেইন। ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে কিভাবে ব্যায়াম করবেন
Life expectancy is rising globally - people born in 2016 will on average live seven years longer than those born 25 years ago.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতেও বন্যা হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বর্ষাকালে, জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত, দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরো খারাপ হতে শুরু করেছে। দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্কে আরো উত্তাপ ছড়িয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। সীমান্তের দুই পাশের বাসিন্দারা নিজেদের দু:খ-কষ্টের জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে। চলতি বছর বন্যা পরিস্থিতি এই অঞ্চলে বেশ খারাপ আকার ধারণ করেছে। ভারত এবং নেপালের মধ্যে প্রায় ১৮০০ কিলোমিটার অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে। নেপাল থেকে ভারতের উত্তরাঞ্চলে প্রায় ৬০০০ নদী ও জলধারা প্রবাহিত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে ভারতের গঙ্গা নদীতে প্রায় ৭০ শতাংশ পানি আসে নেপাল থেকে প্রবাহিত এসব নদী এবং জলধারা থেকে। যখন এসব নদীতে পানি বেড়ে যায়, তখন নেপাল এবং ভারতে বন্যা দেখা দেয়। গত কয়েকবছর যাবত নেপালের সীমান্তে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে, নেপাল থেকে ভারতের দিকে যে বন্যার পানি প্রবাহিত হয় সেটিকে আটকে দেবার জন্য ভারতের সীমান্তে নদীর ভেতরে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। দুই বছর আগে নেপালের পূর্বাঞ্চলে গিয়ে বিবিসি দেখতে পেয়েছে যে শুধু বন্যার পানি আটকে দেবার জন্য ভারতীয় অংশে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। নেপাল বলছে এ ধরণের অবকাঠামোর কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই বাঁধ নিয়ে নেপালের দিক থেকে আপত্তি তোলার পর ২০১৬ সালে সীমান্তে উভয় দেশের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। নেপাল বলছে এ ধরণের ১০ টি বাঁধ রয়েছে যেগুলো নেপালের ভেতরে হাজার-হাজার হেক্টর জমি প্লাবিত করছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, সীমান্তে যেসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো রাস্তা। কিন্তু নেপালের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব স্থাপনা প্রকৃত পক্ষে বাঁধ, যার মাধ্যমে ভারতের গ্রামগুলোকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করা হচ্ছে। নেপালের দক্ষিণাঞ্চলে গাউর নামক এলাকা গত বেশ কয়েকদিন যাবত পানিতে প্লাবিত। কর্মকর্তারা আশংকা করছেন এনিয়ে যে কোন সংঘাতের সূচনা হতে পারে। "অনেক আতঙ্কের পর ভারতীয় অংশে বাঁধের কয়েকটি গেট খুলে দেয়া হয়েছে এবং এতে আমরা উপকৃত হয়েছি," বলছিলেন নেপালের আর্মড পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা কৃষ্ণা ধাকাল। ভারতীয় কর্মকর্তারা কোন প্রশ্নের জবাব দেননি। দুই দেশের কর্মকর্তারা এ বিষয়টি নিয়ে বছরের পর বছর যাবত আলোচনা করে যাচ্ছেন। কিন্তু তাতে কোন ফলাফল আসেনি। নেপাল এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্কে আরো উত্তাপ ছড়িয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। প্রাকৃতিকভাবে ভারসাম্য রক্ষার বিষয়গুলো না থাকার কারণে বর্ষাকালে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে। আরও পড়তে পারেন: উত্তরের পাঁচটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে আমিরাতের বিপুল অর্থ সাহায্য ফিরিয়ে দিচ্ছে দিল্লি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দিয়েও কেন বন্যা ঠেকানো যাচ্ছে না? নেপালের আলোচক এবং কূটনীতিকরা নিজ দেশের ভেতরে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন। অনেকে মনে করেন নেপালের কর্মকর্তারা ভারতের কাছে বিষয়টি কার্যকরী-ভাবে তুলে ধরতে পারছেন না। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে ভারতীয় অংশে কোন বন্যা হচ্ছে না। ভারতের বিহার রাজ্যে প্রায় ২০ লাখ মানুষ এ বছর বন্যার কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। কোসি এবং গণ্ডক - এই দুটো নদীতে যখন পানি বৃদ্ধি পায় তখন বিহারে বন্যা পরিস্থিতি নাজুক আকার ধারণ করে। এই দুটো নদী গঙ্গায় গিয়ে পড়েছে। ভারতীয় অংশে বন্যার জন্য নেপালকে দায়ী করা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সীমান্তে নদীতে যে বাঁধ দেয়া হয়েছে সেটি পরিচালনা করে ভারত সরকার। এই বাঁধ যদি নেপালের অংশেও হয়, তবুও ভারত সরকার এটি পরিচালনা করে। ১৯৫৪ এবং ১৯৫৯ সালে কোসি এবং গণ্ডক নদী নিয়ে ভারত এবং নেপালের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে সেটির আওতায় বাঁধ পরিচালনা করে ভারত। এই বাঁধগুলো প্রধানত নির্মাণ করেছে ভারত। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ কাজ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন। কিন্তু নেপালের মানুষ মনে করছে এতে তাদের কোন উপকার হচ্ছে না। কোসি নদীতে এই ব্যারাজ পরিচালনা করে ভারত। অন্যদিকে ভারত সরকার এসব বাঁধকে একটি ভালো উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করছে। তারা দেখানোর চেষ্টা করছে, অভিন্ন নদীর পানির কতটা ভালোভাবে এবং সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ লাগানো যায়। কোসি নদীতে যে বাঁধ দেয়া হয়েছে সেখানে ৫৬ টি বন্যা নিয়ন্ত্রণ গেট রয়েছে। নেপালের তরফ থেকে অভিযোগ রয়েছে, বর্ষাকালে এ নদীতে যখন পানি বিপদসীমায় পৌঁছে যায়, তখন ভারত সেসব গেট খুলে দেয় না। ফলে নেপালে বন্যার আশংকা তৈরি হয়। এই কোসি নদী দীর্ঘ সময় যাবত 'বিহারের দু:খ' হিসেবে পরিচিত ছিল। এর আগে কয়েকবার এই নদীর পানিতে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ২০০৮ সালে যখন এই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে যায়, তখন কয়েক হাজার মানুষ মারা যায় এবং ভারত ও নেপালে ৩০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়। যেহেতু এই নদীতে নির্মিত বাঁধ ৭০ বছরের পুরনো সেজন্য এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বড় ধরণের বন্যার আশংকা রয়েছে। নেপালের অনেক নদী চুর পর্বতমালার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই পর্বতমালার প্রতিবেশ এরই মধ্যে হুমকির মধ্যে পড়েছে। এক সময় এই পর্বত নদীর পানি নিয়ন্ত্রণ করতো এবং ভারত ও নেপাল অংশে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনতো। প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি খারাপ আকার নিচ্ছে। কিন্তু বন উজাড় হয়ে যাওয়া এবং খনিজ সম্পদ উত্তোলনের কারণে পাহাড়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ভারতের উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে ব্যাপক আকারে নির্মাণ কাজের কারণে চুর পাহাড়ের প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাকৃতিকভাবে ভারসাম্য রক্ষার বিষয়গুলো না থাকার কারণে বর্ষাকালে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই। এই অঞ্চলের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টি শুধু নেপালের সমতল ভূমির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়। ভারতের উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের জন্যও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। গাছপালা রক্ষা না করা এবং খনিজ সম্পদ আহরণ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার কারণে ভারত নেপালের সমালোচনা করছে। এখন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ বর্ষাকাল সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা করা মুশকিল। বিশেষজ্ঞরা আশংকা করছেন, পানি নিয়ে ভারত এবং নেপাল - এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বিষয়টি আরো জটিল আকার ধারণ করতে পারে।
When it comes to water resources, relations between India and Nepal have never been easy.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর অনেক গুলো আফটার শক অনুভূত হয়। ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল এলাজিগ প্রদেশের সিভরিস শহরে। ভূম্পিকম্পের কারণে ভবন ধসে পড়ে, যার কারণে রাস্তায় বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয় স্থানীয় বাসিন্দারা। কম্পন অনুভূত হয়েছে পার্শ্ববর্তী সিরিয়া, লেবানন এবং ইরানেও। তুরস্ক প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। ১৯৯৯ সালে পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমিত শহরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৭ হাজার মানুষ মারা যায়। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্য ০৮:৫৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরী ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মতে, ভূম্পিকম্প আঘাত হানার পর ৬০টি আফটার শক বা পরাঘাত অনুভূত হয়। এটি জানায়, প্রায় ৪০০ উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে, যাদের সাথে বাস্তুচ্যুতদের জন্য বিছানা এবং তাঁবু রয়েছে। আফটার শকের কারণে বাসিন্দাদের ক্ষতিগ্রস্ত ঘরে ফিরতে নিষেধ করা হয়েছে। এলাজিগের গভর্নর জানান তার প্রদেশে আট জন মারা গেছেন। একইসাথে পার্শ্ববর্তী মালাতিয়া প্রদেশের গভর্নর জানিয়েছে যে সেখানে ছয় জন মারা গেছেন। টেলিভিশনে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায় যে, ধ্বংস্তুপের নিচ থেকে জীবিতদের উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জরুরী সেবাদানকর্মীরা। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশে সুনামি হওয়ার কতটা ঝুঁকি আছে? ফিলিপিন্সের আগ্নেয়গিরিতে 'বিপজ্জনক অগ্নুৎপাতের' আশঙ্কা ভূমিকম্প মোকাবেলা: প্রতিশ্রুতি এবং বাস্তবতার ফারাক ভূমিকম্পের কারণে ভবনগুলো ধ্বসে পড়ে। "এটা খুবই ভয়ংকর ছিল- আসবাবপত্র আমাদের উপর এসে পড়ে। আমরা বাইরে বেরিয়ে আসি," সংবাদ সংস্থা এএফপি ৪৭ বছর বয়সী এলাজিগ শহরের বাসিন্দা মেলাহাত কানের উদ্ধৃতি দিয়ে দিয়ে একথা বলে। ভূমিকম্পটি যে এলাকায় আঘাত হেনেছে তা রাজধানী আঙ্কারা থেকে সাড়ে পাঁচশ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত দুর্গম এবং জনবিরল এলাকা হওয়ার কারণে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির খবর আসতে সময় লাগতে পারে। ওই এলাকায় রাতের তাপমাত্রা নিয়মিতভাবে শূন্য ডিগ্রির নিচে নামায় সেখানে বিছানা, তাঁবু এবং কম্বল পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। টাইগ্রিস নদীর উৎপত্তিস্থল হাজার লেকের পাড়ে অবস্থিত সিভরিস একটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা যেখানে প্রায় ৪ হাজার মানুষ বাস করে।
At least 31 people have been killed and more than 1,600 injured in a powerful earthquake in eastern Turkey.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
লাখ লাখ ইথিওপীয়রা দেশটির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিল। বৃহত্তর এই কর্মসূচির বিষয়টি নজরে আসে চলতি বছরের জুলাই মাসের একটি দিনে। যে দিন সারা দেশের মানুষ সাড়ে তিনশ কোটি গাছের চারা রোপণে এগিয়ে আসে। অগাস্টের শেষের দিকে, সরকার দাবি করে যে তারা এই লক্ষ্য অনেকটাই অর্জন করেছে। তবে এত অল্প সময়ে এতোগুলো গাছ রোপণ করা কি সম্ভব এবং সরকারের যে সামগ্রিক লক্ষ্য পূরণ হয়েছে এমন কোন প্রমাণ কি রয়েছে? গ্রিন লিগ্যাসি ইনিশিয়েটিভ নামে পরিচিত এই প্রচারণাটি পরিচালনা করেছেন দেশটির নোবেলে শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। বিশ্বজুড়ে রাজনীতিবিদরা তাদের দেশের বন পুনরুদ্ধারের জন্য ইথিওপিয়াকে উদাহরণ হিসাবে নিয়েছেন। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন এবং কৃষিকাজের যে ক্ষতিকারক প্রভাব রয়েছে তার বিপরীতে কী করা যেতে পারে, ইথিওপিয়া সেই শিক্ষাও দিয়েছে বলে মনে করেন বিশ্বনেতারা। যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক নির্বাচনী প্রচারণার সময়, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো আরও লাখ লাখ গাছ লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং উদাহরণ হিসেবে তারা ইথিওপিয়ার উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন। লেবার পার্টি ২০৪০ সালের মধ্যে দুইশ' কোটি গাছ, কনজারভেটিভরা প্রতি বছর কমপক্ষে তিন কোটির বেশি গাছ এবং গ্রিন পার্টি ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০ কোটি গাছ লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কানাডাও ১০ বছরের মধ্যে দুইশ কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করছে। এই বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে সরকারী কর্মকর্তাদের যুক্ত করার জন্য কয়েকটি সরকারী অফিস বন্ধ রাখতে হয়। রেকর্ড ভাঙা প্রচেষ্টা ইথিওপিয়া চলতি বছরের ২৯শে জুলাই একদিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, যার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল সারা দেশে ২০ কোটি গাছের চারা রোপণ করা। পরে সরকার ঘোষণা করে জানায় যে এই লক্ষ্য আরও প্রসারিত করা হয়েছে, তারা এখন ১২ ঘণ্টার মধ্যে ৩৫ কোটির বেশি গাছের চারা রোপণ করার লক্ষ্য স্থির করেছে। ওইদিন ইথিওপিয়া জুড়ে মোট ৩৫ কোটি ৩৬ লাখ ৩৩ হাজার ৬৬০টি গাছ রোপণ করা হয় বলে জানানো হয়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে (জিডব্লিউআর) আনুষ্ঠানিকভাবে নাম লেখানোর জন্য দেশটির সরকার এই দিনটিকে ঘিরে নানা প্রচারণা চালায়। তবে জিডব্লিউআর বিবিসিকে জানিয়েছে যে তারা এখনও এতোগুলো গাছ লাগানোর কোন প্রমাণ পায়নি। "আমরা আয়োজকদের উৎসাহিত করব তারা যেন বিষয়টিকে পর্যালোচনার করতে আমাদের রেকর্ড পরিচালনাকারী দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন," বলেন জিডব্লিউআর-এর মুখপাত্র জেসিকা স্পিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় রোপণ করা গাছের মোট সংখ্যা নিয়ে এবং রেকর্ডের সত্যতা যাচাই সম্পর্কে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তারা বলছে যে, গাছ লাগানোকে ঘিরে তার দেশ ইতিমধ্যে বেশিরভাগ প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। আরও পড়তে পারেন: 'এক বছর সতেজ থাকবে' যে আপেল কার্বন-ডাই-অক্সাইড থেকে কি প্লাস্টিক তৈরি হতে পারে বিশ্বের মানুষদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র সাতটি গাছ ইথিওপিয়ার এই কর্মসূচিকে অনেক দেশ উদাহরণ হিসেবে নিয়েছে। চারশো কোটি গাছ লাগানো কি সম্ভব? তিন মাসের মধ্যে চারশো কোটি গাছ লাগানোর মানে হল প্রতিদিন কমপক্ষে সাড়ে চার কোটি গাছের চারা রোপণ করতে হয়েছে। যদি বাম্পার রোপণের দিনটির কথা ধরা হয় যেদিন ৩৫ কোটি গাছের চারা রোপণ করা হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। তারপরও তিন মাসের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য অন্যান্য প্রতিটি দিনে ৪০ লাখেরও বেশি গাছ রোপণ করতে হয়েছে। ইথিওপিয়ার সরকারের পরিকল্পনা ছিল তার দেশের ৬৫ লাখ হেক্টর গ্রামীণ জমিতে ‌এই গাছ লাগানো। প্রতি হেক্টরে গড়ে আনুমানিক ১,৫০০ গাছও যদি লাগানো হয়, তাহলে চারশো কোটি গাছ লাগানোর জন্য ওই বিশাল পরিমাণ জমি অবশ্যই যথেষ্ট। তবে কী ধরণের চারাগাছ রোপণ করা হয়েছিল সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। বিবিসির কাছে বৃক্ষ রোপণের এই একমাত্র হিসাবটি ইথিওপিয়ার সরকারই সরবরাহ করেছে। সেই হিসাব অনুযায়ী, জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত তিন মাসে সাড়ে তিনশ কোটি গাছ লাগানো হয়েছে। আরও ১৩০ কোটি গাছের চারা জন্মালেও রোপণ করা হয়নি। আবাদি জমির প্রয়োজনীয়তার সাথে ভারসাম্য রেখেই গাছের চারা রোপন করতে হবে। আপনি এত গাছ গুনবেন কিভাবে? এগুলো কারও পক্ষে গুনে গুনে বের করা সম্ভব না। তবে আনুমানিক ধারণা নিতে বিবিসির সংবাদদাতা একটি নতুন বৃক্ষ রোপণ অঞ্চলে গিয়ে কিছু চারাগাছের ছবি তুলে আনেন। ওই সংবাদদাতাকে দেশটির উত্তরাঞ্চলের শুষ্ক আবহাওয়ার টাইগ্রে অঞ্চলে পাঠানো হয়েছিল। বিবিসি একটি স্যাটেলাইট ইমেজিং সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে, যারা হাই-রেজোলিউশনের ছবি নিয়ে কাজ করে। তারা বিবিসিকে জানায় যে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নতুন রোপণ করা চারাগুলি সনাক্ত করা কঠিন হবে। চারাগুলোর মাথা ছোট এবং কাণ্ড সরু হওয়ায় এগুলোকে ঝোপঝাড় বা অন্যান্য আবাদি জমি থেকে আলাদা করা যায় না। জাতিসংঘের বনাঞ্চল বিশেষজ্ঞ টিম ক্রিস্টোফারসন বিবিসিকে জানান যে ইথিওপিয়ার এই বন পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি তাকে অনেক উৎসাহ দিয়েছে, কিন্তু তিনি গাছ লাগানোর চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে কোন রায় দিতে পারেননি। "ইথিওপিয়া গাছ লাগানোর পাশাপাশি ওই গাছগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও লালনপালনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সহায়তা চেয়েছিল।" মি. ক্রিস্টোফারসন বিবিসিকে আরও বলেন, "বিশ্বব্যাপী বন উজাড় মোকাবেলার অংশ হিসেবে ইথিওপিয়া সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে দেড় কোটি হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত বন ও প্রকৃতি পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।" ইথিওপিয়ার কোটি কোটি গাছ লাগানোর উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটি নিয়ে পরিবেশবিদরা প্রশংসা করলেও এ বছর ঠিক কতগুলো গাছ লাগানো হয়েছে তা মূল্যায়নে তেমন কোন কাজ করা হয়নি। এই গাছগুলো রোপণের জন্য যেভাবে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল সেটাও এই সমস্যার আরেক কারণ হতে পারে। ইথিওপিয়াকে আরও সবুজ করে তুলতে সহায়তার জন্য এ বছরের জুলাইয়ে, ইইউ এবং ইথিওপিয়ার সরকারের মধ্যে চার কোটি ডলার অর্থায়নের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ইথিওপিয়ার স্থানীয় সব সংস্থাগুলোকে নির্দিষ্ট সংখ্যক গাছ লাগানোর জন্য তহবিল সরবরাহ করা হয় এবং এতে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই যে তারা আসলে যে পরিমাণ গাছের চারা রোপণ করেছে তার চাইতে বেশি গাছ রোপণের কথা স্থানীয় কর্মকর্তাদের জানিয়েছে। ওই কর্মকর্তারাই এই সংখ্যাগুলো যোগ করে জাতীয় পর্যায়ের পরিসংখ্যানটি তৈরি করেছে। টাইগ্রে অঞ্চলে রোপন করা চারাগুলোর বেড়ে ওঠার জন্য পানির প্রয়োজন। আসন্ন পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ প্রকৃত সংখ্যা যাই হোক না কেন, এতে কোন সন্দেহ নেই যে ইথিওপিয়ার সরকার তার দেশের মারাত্মক বন উজাড়ের সমস্যা মোকাবেলায় খুব বড় একটি প্রচেষ্টা চালিয়েছে। পঞ্চাশ বছর আগেও, ইথিওপিয়ার প্রায় ৪০% বনাঞ্চল ছিল। আজ সেই সংখ্যা ১৫% শতাংশে নেমে এসেছে। সাম্প্রতিক বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচিটি যদি এই সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য হয় তবে রোপণ করা চারাগুলোয় নিয়মিতভাবে পানি দিতে হবে। এতোগুলো গাছের রক্ষণাবেক্ষণে বিপুল পরিমাণ পানির প্রয়োজন। অথচ ইথিওপিয়ায় এই পানিই অনেক মূল্যবান। কারণ সেখানে প্রয়োজন অনুপাতে পানির ঘাটতি রয়েছে। তবে গাছ লাগানোর মাধ্যমে দেশটি বেশি পরিমাণে পানি ধরে রাখার মতো উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে।
Ethiopia undertook a major national reforestation programme this year, with the ambitious target of planting four billion trees in just three months.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ইরাকে মোক্তাদা আল-সদরের সমর্থকদের যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী বিক্ষোভ এতে অন্তত তিন ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রথম কোন রকেট হামলায় বাগদাদে কোন মার্কিন দূতাবাস কর্মী আহত হলেন। এখনো পর্যন্ত হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি কোন গ্রুপ। তবে, যুক্তরাষ্ট্র ইরাকের সামরিক বাহিনীর ইরান-সমর্থিত অংশের বিরুদ্ধে আগে থেকে অনুযোগ জানিয়ে আসছে। ইরাকি প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদি এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এ ধরণের ধারাবাহিক হামলার ফলে ইরাক আবার যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, "আমাদের কূটনৈতিক সুযোগসুবিধা ও নিরাপত্তা দেয়ার যে বাধ্যবাধকতা ইরাকি কর্তৃপক্ষের রয়েছে, তাদের তা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।" সাম্প্রতিক সময়ে ইরাকে দূতাবাস এবং ইরাকি সামরিক ঘাঁটিগুলো হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে যেখানে মার্কিন বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতির কারণে ইরাকে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এ মাসের শুরুতে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার ঘটনা এর মধ্যে অন্যতম। জেনারেল সোলেইমানি নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের সামনে দুই দফায় রকেট হামলা হয়। মার্কিন হামলায় নিহতদের মধ্যে আরো রয়েছেন আবু মাহদি আল-মুহানদিস, যিনি ইরান সমর্থিত কাটাইব হেযবোল্লাহ মিলিশিয়া বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। ইরাকি প্রভাবশালী শিয়া নেতা মোক্তাদা আল-সদর দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ সংগঠিত করেছেন, তাদের দাবি মার্কিন বাহিনীকে ইরাক ছাড়তে হবে। সোলেইমানি নিহত হবার আগে সদরের সমর্থকেরা ইরাকে ব্যাপক সরকার বিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছে, কিন্তু সোলেইমানি নিহত হবার পর সেই বিক্ষোভ এখন মার্কিন বাহিনীর ইরাক ছাড়ার দাবি তুলেছে। শনিবার থেকে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সরকারবিরোধী অবস্থান ধর্মঘট থেকে সরে যাচ্ছে মানুষজন। আরো খবর: 'মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিনীদের দিন শেষ হয়ে গেছে' মিসাইল হামলার পর ইরান 'ক্ষান্ত দিয়েছে' - ট্রাম্প ইরান-আমেরিকা সংঘাতে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা কোথায় করোনাভাইরাস: লক্ষ্মণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য তিন হাজার বছর পর মমির কণ্ঠে স্বর দিলেন বিজ্ঞানীরা আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন
At least three rockets struck the US embassy in the Iraqi capital, Baghdad, on Sunday.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
পালক শর্মার টুইটের পর তাকে নানা হুমকি শুনতে হচ্ছে ভারতের চন্ডীগড়ে ডিজে-র কাজ করেন বর্ণিকা কুণ্ডু। গত শুক্রবার রাতে তিনি যখন বাসায় ফিরছিলেন তখন তার গাড়িকে পেছন থেকে গাড়ি নিয়ে কয়েকজন ছেলে ধাওয়া করে বলে তিনি অভিযোগ করেন। ওই ছেলেদের মধ্যে একজন ছিলেন ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপির একজন প্রথম সারির রাজনীতিকের ছেলে, বিকাশ বারালা। বিবিসির গীতা পাণ্ডে জানাচ্ছেন মি: বারালাকে বুধবার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং পুলিশ বলছে তার বিরুদ্ধে "উত্যক্ত করা, মদ খেয়ে গাড়ি চালানো এবং অপহরণের চেষ্টার" অভিযোগ আনা হয়েছে। বর্ণিকার অভিযোগ তাকে "গাড়ি নিয়ে পেছু-ধাওয়া এবং প্রায় অপহরণের" চেষ্টা করা হয় এবং তাকে যে "ধর্ষণ ও হত্যা করে কোনো খানা-খন্দে ফেলে দেওয়া হয়নি" তার কারণ তিনি বিপদে বলে পুলিশের সাহায্য চাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে তাকে উদ্ধার করে। মিস কুণ্ডু ফেসবুকে তার এই ঘটনা সম্পর্কে পোস্ট দেবার পর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় এবং মিস কুণ্ডুর এই ঘটনার জন্য হরিয়ানা রাজ্যের শীর্ষ বিজেপি রাজনীতিক রামবীর ভাট্টি মেয়েটির ওপরই দোষারোপ করেন। "মেয়েদের মাঝরাতে বাইরে বেরন উচিত নয়," সিএনএন নিউজ এইট চ্যানেলকে একথা বলেন মি: ভাট্টি। "মেয়েটি এত রাতে গাড়ি চালাচ্ছিল কেন? দিনকাল ভাল না। আমাদের নিজেদের দেখাশোনা নিজেদেরই করতে হবে।" মি: ভাট্টি এরপর টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন "বাপ-মায়েদের উচিত তাদের সন্তানদের দেখা। সন্তানদের রাতে ঘুরে বেড়াতে দেওয়া তাদের উচিত নয়। বাচ্চাদের সময়ে ঘরে ফেরা উচিত। রাতের বেলা কেন তারা বাইরে ঘুরবে?" ঘটনার শিকার যে মেয়ে তাকে "লজ্জা দিয়ে" রাজনীতিকের এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এবং মেয়েরা রাতের বেলা তাদের ঘুরে বেড়ানোর ছবি পোস্ট করছে #AintNoCinderalla এই হ্যাশট্যাগে- অর্থাৎ আমি রূপকথার সেই সিন্ডারেলা নই যে রাত বারোটা বাজার আগেই আমাকে বাসায় ফিরতে হবে। গীতা পাণ্ডে বলছেন এই প্রচারণার উদ্যোক্তা বিরোধী কংগ্রেস দলের সোসাল মিডিয়া সেলের প্রধান দিব্যা স্পন্দনা। তিনি দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের জনপ্রিয় চলচ্চিত্রাভিনেত্রী পর্দায় যার নাম রম্যা। তিনি প্রশ্ন তোলেন মেয়েরা কেন মাঝরাতের পর বেরতে পারবে না? "মি: ভাট্টির কাছে আমার প্রশ্ন মেয়েদের উপর কারফিউ জারি করার তিনি কে? আমি জানতে চাই আমাদের দিকে তিনি কেন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন? এটা খুবই পশ্চাদপদ মনোভাব," বিবিসিকে বলেন মিজ স্পন্দনা। দিব্যা স্পন্দনা এই প্রচারণার উদ্যোক্তা এবং তার টুইট এই প্রতিবাদের সূচনা দিব্যা স্পন্দনা সোমবার তার হোয়াটসআপ গ্রুপে কিছু মেয়েদের উদ্দেশ্যে বার্তা পাঠান: "একজন 'নেতা' যার যে কোন বিষয়ে কথা বলা সাজে না, তার মুখে এমন পশ্চাদপদ মন্তব্য তোমরা কতবার শুনেছো? আমার উত্তর হবে- প্রায়ই।" "এখন তারা বলছে আমরা কখন বাসা থেকে বেরব অথবা বেরব না- এটা বন্ধ হওয়া দরকার," তিনি বলেন। এরপর তিনি টুইটারে তার রাতে বেরনর ছবি পোস্ট করেন এবং অন্যদেরও তা করার আহ্বান জানান। তার এই আহ্বান মেয়েদের মধ্যে দ্রুত সাড়া ফেলে এবং এধরনের ঘটনায় সবসময় মেয়েদের উপর দোষ চাপানোর প্রতিবাদ জানাতে শত শত মেয়ে ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে তাদের ছবি পোস্ট করতে শুরু করে। প্রথম যে কয়জন মেয়ে 'মাঝরাতের সেলফি' পোস্ট করেন তাদের মধ্যে ছিলেন ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জ্জীর মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জ্জী। তিনি লেখেন : "আমি রাত বারোটায় বাড়ির বাইরে- তার মানে এই নয় যে আমাকে ধর্ষিতা, নির্যাতিতা বা ধাওয়ার শিকার হতে হবে। আমার সাতদিন ২৪ ঘন্টা সম্মান পাবার অধিকার আছে।" আরো পড়ুন: প্রসূতি মৃত্যু বন্ধে বাংলাদেশি ডাক্তারের অভিনব পদ্ধতি 'ব্রিজ খেলতে দেখলে পরিবার বলতো জুয়া খেলছি' ভারতে গরু নিয়ে তুলকালাম, চামড়া শিল্প নিয়ে উদ্বেগ শর্মিষ্ঠা মুখার্জ্জীর টুইট অনেকেই এরপর নানাধরনের প্রতিবাদী মন্তব্য পোস্ট করেন সামাজিক মাধ্যমে। যেমন নিচের বার্তায় পূজা লেখেন: "প্রিয় পশ্চাদপদ ভারত- আমার যা খুশি আমি তাই করব- রাতে অথবা দিনে। ভুলেও ভেবো না আমাকে থামানোর অধিকার তোমার আছে।" পূজার টুইট ঘরের বাইরে বেরনর সময় হয়েছে- টুইট #AintNoCinderella শারিকা মেননের টুইট বার্তা সাংবাদিক পালক শর্মা তার যে ছবি পোস্ট করেন তাতে দেখা যায় তিনি পানীয়ে চুমুক দিচ্ছেন এবং ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে চোখ মারছেন । তিনি লেখেন -এখন মাঝরাত- আমি বাইরে। তার এই ছবি ও বার্তাকে ''দু:সাহসী'' মন্তব্য করে অনেকেই তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। পালক শর্মার টুইটের পর তাকে নানা হুমকি শুনতে হচ্ছে তবে বিবিসিকে পালক শর্মা বলেছেন, ''গত দুদিনে আমি প্রচুর হুমকিও পেয়েছি। লোকে আমাকে পতিতা-এধরনের মন্তব্যও করেছে।'' ''ভাবুন- আমি একজন সাংবাদিক, আমি সরকার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াতে কাজ করি। তা সত্ত্বেও আমার টুইটের জন্য আমাকে হুমকি শুনতে হচ্ছে,'' তিনি বলেন। ''তবে আমি ভয় পাইনা,'' মিস শর্মা বলেন। ''এসব আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না, আমরা এদের ভয়ে গুটিয়ে যাব না। আমরা সিন্ডারেলা নই - যে বারোটার আগেই আমাদের ঘরে ফিরে আসতে হবে।'' এই প্রচারণায় সুর মেলাচ্ছেন অনেক মহিলা। বিবিসির গীতা পান্ডে বলছেন অন্তত তাদের মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে না তারা ভীত।
Women in India have been posting photographs of themselves enjoying a night out on social media in response to a politician who said a woman who was chased in her car by two men "should not have gone out so late at night".
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
অং সান সু চি ও শি জিনপিং মি. শি-এর মিয়ানমার সফরের দ্বিতীয় দিনে এই ভুল অনুবাদের বিষয়টি নজরে আসে। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শনিবার মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। সেসময় দুটো দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়। এই বৈঠকের বিষয়ে বার্মিজ ফেসবুক পোস্টে চীনা প্রেসিডেন্টের নাম ইংরেজিতে ভুল অনুবাদ করা হয়। সেখানে চীনা প্রেসিডেন্টের নাম উল্লেখ করা হয় 'মি. শিটহোল' যার অর্থ 'মল ভর্তি গর্ত' এবং এই অনুবাদটি পোস্ট করা হয়েছে অং সান সু চি ও তার অফিসের অ্যাকাউন্ট থেকে। এই ত্রুটির জন্যে দুঃখ প্রকাশ করে ফেসবুক শনিবারেই একটি বিবৃতিতে দিয়েছে এবং ভুল অনুবাদের জন্যে দোষ দিয়েছে 'কারিগরি ত্রুটিকে।' ফেসবুকের একজন মুখপাত্র এন্ডি স্টোন বলেছেন, "ফেসবুকে বর্মী ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদের ক্ষেত্রে কারিগরি যে ত্রুটি ছিল সেটা আমরা ঠিক করে ফেলেছি।" "এরকম হওয়া ঠিক হয় নি। এরকম যাতে আবারও না ঘটে সেজন্যে আমি ব্যবস্থা নিচ্ছিল," বলেন তিনি। বর্মী ভাষা মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় ভাষা এবং দেশটির দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ এই ভাষাতে কথা বলেন। আরো পড়তে পারেন: ট্রাম্পের 'শিটহোল' শব্দটি নিয়ে সাংবাদিকদের বিড়ম্বনা ট্রাম্পের 'বর্ণবাদী মন্তব্যে' বিশ্ব জুড়ে নিন্দার ঝড় 'আমি বর্ণবাদী নই': ডোনাল্ড ট্রাম্প মিয়ানমার সরকারের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা অনুবাদ। ফেসবুক স্বীকার করেছে বর্মী থেকে ইংরেজি অনুবাদে মি. শি-এর নাম ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এই ডাটাবেজে কোন শব্দ না থাকলে ফেসবুক সেটা অনুমান করে অনুবাদ করে, আর সেটা করা হয় ওই শব্দটির সিলবল বা ছন্দের সাথে মিলে এরকম আরেকটি শব্দ দিয়ে। কোম্পানিটি বলছে, চীনা প্রেসিডেন্টের নাম অনুবাদ করতে গিয়ে ফেসবুকের ডাটাবেজ 'Xi' শব্দটির সাথে মিলে যায় এরকম একটি শব্দ 'Shi' খুঁজে পায়। ওখানে থেকেই চলে আসে 'শিটহোল' শব্দটি। রবিবার সকাল পর্যন্ত অং সান সু চি ও মিয়ানমার সরকারের অফিসিয়াল ফেসবুক পাতায় বর্মী থেকে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদের ফাংশনটি কাজ করছিল না। খবরে বলা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর নামের অনুবাদের এই ত্রুটির খবর চীনা সংবাদ মাধ্যমে সেন্সর করা হয়েছে। চীনে তথ্যের প্রবাহ সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক নির্যাতনের বিষয়ে অং সান সু চি-এর নীরবতা এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে তার বক্তব্য তুলে ধরার কয়েক সপ্তাহ পরেই চীনা প্রেসিডেন্ট মিয়ানমারে তার সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। গত দুই দশকে চীনের কোন রাষ্ট্র প্রধানের এটাই প্রথম মিয়ানমার সফর। আরো পড়তে পারেন: এক ঘণ্টার মধ্যে চার খুন করে আত্মহত্যা করলো খুনী শিশুটিকে স্কুলে আসতে মানা করা হয় যে কারণে অভিযোগ 'নির্লজ্জ, বেআইনি': ট্রাম্পের আইনি দল অনুবাদ করা সম্ভব না যেসব শব্দের
Facebook has apologised for translating Chinese President Xi Jinping's name from Burmese to English into an obscenity on its platform.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
অসামরিকীকৃত এলাকাটিতে কিম জং-আনের সাথে করমর্দন করে একটি ছবি তোলার পর এই পদক্ষেপকে 'বড় অগ্রগতি' হিসেবে উল্লেখ করেন মি. ট্রাম্প। তবে সমালোচকরা এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ বলে অভিহিত করছেন। কিন্তু অন্যান্যদের মতে, এই পদক্ষেপের কারণে ভবিষ্যতের আলোচনার পথ সুগম হতে পারে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কার্যক্রম বন্ধ করার বিষয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এই দুই নেতার শেষ আলোচনা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়া সমাপ্ত হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত হওয়া ঐ ব্যর্থ বৈঠকের পর এবারই সাক্ষাৎ করছেন দুই নেতা। আরো পড়তে পারেন: নাগরিকত্ব তালিকায় না থাকায় কি আত্মহত্যা বাড়েছে? বরগুনা হত্যাকাণ্ড: ঘটনাস্থলে থাকলে আপনি কী করতেন? ধর্ষণে বাধা দেয়ায় মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া, আটক ২ ডোনাল্ড ট্রাম্প-কিম জং আন: শত্রু না বন্ধু? কেন গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে এই বৈঠককে? এই বৈঠকের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে খুব বেশি সময় পাওয়া যায়নি বিধায় এটিকে কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছবি তোলার একটি উপলক্ষই মনে করছেন অনেকে। তবে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধ করার পথে দুই দেশের চলমান আলোচনার অগ্রগতির প্রাথমিক লক্ষণও মনে করা হচ্ছে এই সাক্ষাৎকে। সিঙ্গাপুরে মি. ট্রাম্প এবং মি. কিমের ঐতিহাসিক প্রথম সাক্ষাতের সময় উত্তর কোরিয়ার বিতর্কিত পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধ করার আলোচনা সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে। সেসময় কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলকে 'সম্পূর্ণভাবে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত' করার বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছায় দুই নেতাই, তবে কেউই পরিষ্কার করেনি এর মাধ্যমে কী বোঝাচ্ছেন তারা। উত্তর কোরিয়ার সীমান্তের ভেতরে করমর্দন করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং-আন এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে তাদের দ্বিতীয় বৈঠকে আশা করা হয় যে, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর কিছু মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার বদলে তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম হস্তান্তর করবে দেশটি। তবে কোন নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার করা হবে, সেবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারায় ঐ বৈঠকটিও ব্যর্থ হয়। এরপর দুই নেতার মধ্যে আলোচনা থেমে গেলেও গত কয়েক সপ্তাহে দু'জনের চিঠি আদান প্রদান হয়েছে বলে জানা যায়। পানমুনজম গ্রামের অসামরিক অঞ্চলের পাশে দক্ষিণ কোরিয়ার একজন সেনা আসামরিকীকৃত অঞ্চল কী? ১৯৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর প্রায় ৪ কিলোমিটার প্রস্থ এবং ২৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট একটি এলাকাকে অসামরিক অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়, যেটি কোরিয় উপদ্বীপকে বিভাজিত করেছে। সংজ্ঞা অনুযায়ী যদিও ঐ অঞ্চলে কোনো সামরিক স্থাপনা বা ব্যক্তি নেই, এর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সামরিকায়িত এলাকাগুলোর মধ্যে মনে করা হয়। দুই কোরিয়ার মধ্যে সব আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় সামরিক সীমানির্দেশকারী লাইনের পরে অবস্থিত পানমুনজম গ্রামের 'জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়া' বা যৌথ নিরাপত্তা অঞ্চলে।
Donald Trump has become the first sitting US president to set foot in North Korea, after meeting Kim Jong-un in the area dividing the two Koreas.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
২০১৭ সালে মেক্সিকোর মাদক ব্যবসায়ী 'এল চাপো' গুজমানকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কোকেন এবং হেরোইন সরবরাহ সহ অর্থ পাচার এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত ছিলেন ৬১ বছর বয়সী গুজমান। তার চূড়ান্ত সাজা এখনো ঘোষণা করা না হলেও ধারণা করা হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি পেতে পারেন তিনি। মেক্সিকোর একটি কারাগার থেকে সুরঙ্গ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পাছ মাস পর ২০১৬'র জানুয়ারিতে গ্রেপ্তার হন তিনি। ২০১৭ সালে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মেক্সিকোর কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীদের চক্র 'সিনায়োলা কার্টেল'এর নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আরো পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে কুখ্যাত অপরাধীর বিচারের চারটি তথ্য রাষ্ট্রীয় কৌসুলিদের মতে যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী ঐ চক্র। এগারো সপ্তাহের বিচারিক কার্যক্রম শেষে ব্রুকলিনের একটি আদালত তাকে দোষী হিসেবে রায় দেন। গুজমানের সহযোগীদের অনেকেই তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। কে এই 'এল চাপো?' 'এল চাপো' মানে 'বেঁটে' - যিনি একসময় বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একজন ছিলেন - মেক্সিকোর উত্তারঞ্চলের মাদক ব্যবসার চক্রের মূল হোতা। সময়ের সাথে সাথে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক চোরাচালানের বৃহত্তম উৎসগুলোর একটি হয়ে ওঠে এই চক্র। সেই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালের ফোর্বসের বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকার ৭০১ নম্বরে জায়গা হয় গুজমানের। সেসময় গুজমানের আনুমানিক মূল্য নির্ণয় করা হয়েছিল ১ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রে লক্ষ লক্ষ টন কোকেন পাচারে সহায়তা সহ হেরোইন, মেথ্যাম্ফেটামিন ও মারিজুয়ানা উৎপাদন ছাড়াও বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও ধারণা করা হয়, ভাড়াটে গুণ্ডা ব্যবহার করে 'শত শত' হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনার পেছনে ছিলেন তিনি। জড়িত ছিলেন বিরোধীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও অপহরণের মত ঘটনার সাথেও। সাবেক সহযোগী সিফুয়েন্তে (বামে) দাবি করেন গুজমান (ডানে) ২০১২ সালে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকেও ঘুষ দিয়েছিলেন কী তথ্য প্রকাশিত হয়েছে আদালতে? মেক্সিকোর মাদক চোরাচালানকারীর জীবনের বিস্ময়কর অনেক দিক প্রকাশিত হয় আদালতে। অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীদের মাদক সেবন করিয়ে ধর্ষণ করতেন - আদালতের নথিতে এমন অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: কেন বসবাস জীবন্ত আগ্নেয়গিরির ঠিক নিচেই ? ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবির গুলি: কারণ নিয়ে নানা বক্তব্য ‘গর্ভবতীদের নিয়োগ দিতে চান না চাকুরীদাতারা’ তার সাবেক সহযোগী কলম্বিয়ান মাদক পাচারকারী অ্যলেক্স সিফুয়েন্তের ভাষ্য অনুযায়ী, গুজমান বিশ্বাস করতেন কমবয়সী মেয়েদের সাথে যৌনতা তাকে 'জীবন' দিতো। তাই তার সবচেয়ে কমবয়সী যৌনসঙ্গীকে - যার বয়স ছিল ১৩ - তিনি 'ভিটামিন' নামে সম্বোধন করতেন। আদালতে সিফুয়েন্তে এমন অভিযোগও করেন যে গুজমান ২০১২ সালে মেক্সিকোর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এনরিকে পেনা নিয়েতো'কে ১০ কোটি ডলার দিয়েছিলেন। গুজমানকে আটক করার জন্য চলা অভিযান থামানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১২ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর এল চাপো'র কাছে ২৫ কোটি ডলার দাবি করেন বলেও উঠে আসে সিফুয়েন্তের জবানবন্দীতে। তবে মি. পেনা নিয়েতো এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। আরেকজন সাক্ষী নিজে গুজমানকে অন্তত তিনটি খুন করতে দেখেছেন বলে বিবরন দিয়েছেন। গুজমানের সাবেক দেহরক্ষী ইসাইয়াস ভালদেজ রিওস জানান, বিপক্ষের মাদক চক্রে যোগ দেয়ার কারণে দু'জনকে নৃশংসভাবে নির্যাতনের পর মাথায় গুলি করে হত্যা করে গুজমান। এরপর তাদের মরদেহ আগুনে ছুড়ে ফেলার নির্দেশ দেন। আরেকটি ঘটনায় আরলানো ফেলিক্স চক্রের এক সদস্যকে জীবন্ত মাটি চাপা দেয়ার আগে আগুনে পুড়িয়ে নির্যাতন করেছিলেন বলে জানা যায় রিওসের জবানীতে। গুজমানের স্ত্রী এমা করোনেল বিচারের সময় উপস্থিত ছিলেন আরেক মাদক চক্রের প্রধানের ভাই তার সাথে হাত না মেলানোয় ঐ ব্যক্তিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে গুজমানের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে। ২০১৫ সালে মেক্সিকোর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্বলিত আল্টিপ্লানো কারাগার থেকে গুজমানের পালানোর ঘটনার বিস্তারিতও উঠে আসে আদালতে। সেসময় তার ছেলেরা কারাগারের কাছে জায়গা কেনে এবং গুজমানের কাছে কারাগারে একটি জিপিএস ঘড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে যেন সুরঙ্গ খুঁড়ে সরাসরি তার কাছে যাওয়া সম্ভব হয়। পরবর্তীতে বিশেষভাবে তৈরি মোটরসাইকেল চালিয়ে ঐ সুরঙ্গ দিয়ে পালান এল চাপো। স্ত্রী এবং রক্ষিতাদের ওপর নজর রাখতে নিজের ফোনে স্পাই সফটওয়্যার ব্যবহার করতেন গুজমান। ঐ সফটওয়্যারের কল্যাণে আদালতে তার পাঠানো অনেক মেসেজ প্রমাণ হিসেবে পেশ করতে সক্ষম হয় এফবিআই। কেন গুরুত্ব পাচ্ছে এই বিচার? যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মেক্সিকোর ড্রাগ কার্টেলের যতজন প্রধানের বিচার হয়েছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে কুখ্যাত গুজমান। মেক্সিকোতে মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত সহিংসতায়, যেগুলো মূলত মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের সাথে কার্টেলগুলোর এবং কার্টেলদের নিজেদের মধ্যে সংঘটিত হয়, গত এক দশকে এক লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। মেক্সিকোতে পুলিশের হেফাজত থেকে দু'বার পালিয়ে এবং অসংখ্যবার গ্রেপ্তার এড়িয়ে আলোচনায় আসেন গুজমান। গুজমানকে বহন করা গাড়িবহর ব্রুকলির ব্রিজের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় ব্রিজে সবধরণের চলাফেরা বন্ধ করে দেয়া হতো তার নিজের এলাকার অনেকের দৃষ্টিতে গুজমান বীরোচিত এক ব্যক্তিত্ব। সেসব এলাকায় তাকে উৎসর্গ করে লোকগানও প্রচলিত আছে। জেল থেকে পালানোর পর ২০১৬ সালে মেক্সিকোর এক জঙ্গলে থাকার সময় হলিউড অভিনেতা শন পেন'কে একটি সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানে নিজেকে বিশ্বের শীর্ষ হেরোইন, কোকেন, মেথ্যাম্ফেটামিন ও মারিজুয়ানা সরবরাহকারী বলে দাবি করেন। কৌসুলিদের বক্তব্য অনুযায়ী, অতীতে গুজমান সাক্ষীদের ভয় দেখানো ও হত্যার সাথেও জড়িত ছিলেন। সেকারণে এই বিচারের জুরিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি এবং তাদেরকে সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষীসহ ব্রুকলিনের আদালতে আনা-নেওয়া করা হতো।
Mexican drug kingpin Joaquín "El Chapo" Guzmán has been found guilty on all 10 counts at his drug-trafficking trial at a federal court in New York.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
আবকাইক শহরে আরামকোর বৃহত্তম তেল শোধনাগার প্রকল্পে অগ্নিকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। সৌদি রাষ্ট্রীয় খাতের প্রতিষ্ঠান আরামকো পরিচালিত দুটি তেল শোধনাগারে এই হামলার দায় স্বীকার করে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। কিন্তু মি. পম্পেও তাদের সেই দাবি নাকচ করে দেন। সৌদি আরবের জ্বালানী মন্ত্রী বলেছেন, এই হামলার কারণে অপরিশোধিত তেল উৎপাদন দৈনিক ৫৭ লাখ ব্যারেল হ্রাস পেয়েছে। দেশটির দৈনিক তেল উৎপাদনের অর্ধেকের সমান এটা। সংবাদদাতারা বলছে, বিশ্বের তেলের মূল্যে এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব থাকবে। টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, আবাকাইক শহরে আরামকোর বৃহত্তম তেল শোধনাগার প্রকল্পে বিরাট অগ্নিকাণ্ড হচ্ছে। এসময় খুরাইস তেলক্ষেত্রে দ্বিতীয় একটি ড্রোন আক্রমণ ঘটে যা সেখানেও অগ্নিকাণ্ড সৃষ্টি করে। পশ্চিমাদের সমর্থিত সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনের সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। ওদিকে দেশটির হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন দেয় ইরান। এ হামলার জন্য যদি বিদ্রোহীরা দায়ী হয়ে থাকে, তাহলে ইয়েমেন থেকে সৌদি আরবের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত কয়েকশো মাইল পথ উড়িয়ে নিতে হয়েছে হামলাকারী ড্রোনগুলোকে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা এখন খতিয়ে দেখছেন হামলাগুলো চালানোর জন্য ড্রোনের পরিবর্তে উত্তর দিক থেকে ইরান কিংবা ইরাকে তাদের শিয়া মিত্রদের ছোঁড়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে ঘটেছে কিনা। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। মাইক পম্পেও'রবক্তব্য: এক টুইট বার্তায় মি. পম্পেও বলেন, ইয়েমেন থেকেই যে ড্রোনগুলো এসেছিল, তার 'কোন প্রমাণ নেই'। তার বর্ণনায় বিশ্বের তেল সরবরাহে এটি ছিল একটি নজিরবিহীন হামলা। "আমরা পৃথিবীর সব জাতিকে আহ্বান জানাই ইরানের এই হামলার প্রকাশ্য ও দ্ব্যর্থহীন নিন্দা জানাতে", যোগ করেন মি. পম্পেও। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের জ্বালানী সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের সাথে কাজ করবে উল্লেখ করে মি. পম্পেও আরো বলেন, "এই আগ্রাসনের জন্য ইরানই দায়ী"। হোয়াইট হাউজ বলছে, সৌদি আরব যাতে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে এজন্য তাদেরকে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আরো খবর: উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের বন্দরে নামতে দিল ইটালি গুপ্তচর কবুতর, কাক আর ডলফিনের কথা শুনেছেন? রোবট আসছে! কী ঘটবে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে?
US Secretary of State Mike Pompeo has blamed Iran for Saturday's drone attacks on Saudi oil facilities.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
গত ডিসেম্বরে তিনি জানিয়েছিলেন যে চতুর্থ ধাপের অগ্নাশয়ের ক্যান্সারে ভুগছেন তিনি ১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটনে লিংকন মেমোরিয়ালের সামনে 'আই হ্যাভ এ ড্রিম' শিরোনামের যে বিখ্যাত ভাষণ দিয়েছিলের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং, ঐ সমাবেশের আয়োজকদের মধ্যে একজন ছিলেন জন লুইস। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট নেতা ছিলেন জন লুইস। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তিনি জানিয়েছিলেন যে চতুর্থ ধাপের অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ভুগছেন তিনি। জন লুইস কীভাবে হয়ে ওঠেন নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অন্যতম নেতা? ১৯৬৩ সালের ২৩শে অগাস্ট যেই সমাবেশে মার্টিন লুথার কিং তার ঐতিহাসিক 'আই হ্যাভ এ ড্রিম' ভাষণ দেন, ঐ সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন দশ জন, তার মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন জন লুইস - মার্টিন লুথার কিং'এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সেদিন সাদা-কালো সকল ধর্মবর্ণের আমেরিকানই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশ থেকে এসে ওয়াশিংটনে সমবেত হয়েছিল, তাদের দাবি ছিল বর্ণবৈষম্যের অবসান। জন লুইসের বয়েস তখন মাত্র ২৩। তিনিও ছিলেন ওই সমাবেশের একজন বক্তা। ১৯৬৩ সালের অগাস্টে ঐতিহাসিক সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছেন জন লুইস ঐ সমাবেশের বক্তাদের মধ্যে শুথুমাত্র জন লুইস'ই বেঁচে ছিলেন। জন লুইসের নিজের শৈশব কেটেছে বর্ণবৈষম্যের মধ্যে। ১৯৪০ সালে আলাবামার ট্রয় শহরে জন্ম হয় তার। আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলে কৃষ্ণাঙ্গ শিশু হিসেবে বেড়ে ওঠার সময়ই তীব্র বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয় তাকে। সেসময় আলাবামা রাজ্যে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের একসাথে পড়ালেখা করার বিষয়ে বিধিনিষেধ ছিল। জন লুইস ট্রয় স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করতে চাইলেও সেটিতে শুধু শ্বেতাঙ্গদেরই পড়ার অধিকার ছিল। এর কারণে ১৭ বছর বয়সে আলাবামা রাজ্য ত্যাগ করেন তিনি, যোগ দেন টেনেসির আফ্রিকান-আমেরিকান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আরো পড়ুন: অহিংস আন্দোলন কিভাবে দুনিয়া বদলে দিতে পারে? নিজের হত্যা সম্পর্কে কি জানতেন মার্টিন লুথার কিং? ২০১৫ সালে বারাক ওবামা ও জন লুইস এরই মধ্যে নিজ শহর ট্রয়ে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদনপত্র পাঠান। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার আবেদনপত্রের বিপরীতে কোনো জবাবই দেয়নি। ট্রয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় জন লুইসের চিঠির উত্তর না দেয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। তার হতাশার কথা জানিয়ে মার্টিন লুথার কিংকে চিঠি লিখেন জন লুইস। জবাবে কিং জন লুইসকে মন্টেগোমেরির টিকিট পাঠান, যেন তিনি সেখানে গিয়ে কিংয়ের সাথে দেখা করতে পারেন। মার্টিন লুথার কিংয়ের সাথে জন লুইসের ঐ সাক্ষাৎই ছিল তাদের প্রথম সাক্ষাৎ এবং পরবর্তীতে জন লুইসের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা হওয়ার পথে প্রথম ধাপ। ছাত্রজীবনের প্রায় পুরোটা সময়েই আফ্রিকান-আমেরিকানদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন জন লুইস। ১৯৬১ সালে গণপরিবহণে কৃষ্ণাঙ্গদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে যেই ১৩ জন 'ফ্রিডম রাইডার' যাত্রা শুরু করেন, জন লুইস ছিলেন তাদের একজন। সেসময় আমেরিকার কোনো গণপরিবহণে বা পাবলিক প্লেসে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি পাশাপাশি দাঁড়ানো আইনত দণ্ডনীয় ছিল। এই নিয়মের প্রতিবাদ করতে ১৩ জন প্রতিবাদকারী - যাদের ৭ জন শ্বেতাঙ্গ ও ৬ জন কৃষ্ণাঙ্গ ছিলেন - ওয়াশিংটন থেকে নিউ অরলিন্স পর্যন্ত বাসে ভ্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়াল সহকারী গ্রেফতারের পর ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে সাহেদ-সাবরিনা আন্তর্জাতিক সংবাদ শিরোনাম হওয়ায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধের দামামা শুরুর দিকে ভার্জিনিয়া বা নর্থ ক্যারোলাইনা অঞ্চলে ঝামেলা না পোহালেও সাউথ ক্যারোলাইনার রক হিলের একটি বাস স্টেশনে শ্বেতাঙ্গ গুণ্ডাদের আক্রমণের শিকার হন তারা। তাদের অপরাধ ছিল শুধু শ্বেতাঙ্গদের ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত একটি ওয়েটিং রুমে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন তারা। সেদিন লুইসকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়। সেদিন তার ওপর আক্রমণ করা এলউইন উইলসন ২০০৯ সালে এক অনুষ্ঠানে সবার সামনে লু্ইসের কাছে ক্ষমা চান এবং নিজের ভুল স্বীকার করেন। ১৯৬৩ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে লিংকন মেমোরিয়ালে আড়াই লাখ মানুষের সামনে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের গুরুত্ব সম্পর্কে বক্তৃতা দিয়েছিলেন জন লুইস। ঐ বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, "পুলিশের মার খেতে খেতে আমরা ক্লান্ত। আমাদের লোকেরা কারাগারে যেতে যেতে ক্লান্ত। আর জবাবে বলা হয় 'ধৈর্য্য' ধরতে। আর কতদিন ধৈর্য্য ধরে থাকবো। আমরা আমাদের স্বাধীনতা চাই এবং এখনই চাই।" 'আই হ্যাভ এ ড্রিম' নামে খ্যাত হওয়া মার্টিন লুথার কিং-এর ওই ভাষণ সারা আমেরিকা জুড়ে টেলিভিশনে প্রচার হয়েছিল। তাৎক্ষণিকভাবেই সেটি স্বীকৃতি পেয়েছিল এক ঐতিহাসিক ভাষণ হিসেবে। আমেরিকার সিভিল রাইটস আন্দোলনের ক্ষেত্রে এটা ছিল উচ্চতম মুহুর্তগুলোর একটি। ড. কিং-এর স্বপ্নের আমেরিকার সেই রূপকল্প সেদেশেই শুধু নয় - তার বাইরেও মানুষের মনে দাগ কেটেছিল। জন লুইস (বাম থেকে তৃতীয়) ও ড. মার্টিন লুথার কিং (মাঝে) ১৯৬৫ সালে এক পদযাত্রায় জন লুইসের কাছে - ড. কিং শুধু একজন স্বপ্নদ্রষ্টাই ছিলেন না, ছিলেন একজন বন্ধুও। ২০১৩ সালে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জন লুইস বলেছিলেন 'আজকের আমেরিকায় মার্টিন লুথার কিং'এর বিখ্যাত উক্তিগুলোর অনুরণন এখনো হচ্ছে।' গত কয়েকবছর যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত আইন, নীতিমালা ও বিবৃতির কঠোর সমালোচনা করেছেন জন লুইস। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানও বয়কট করেছিলেন তিনি। নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়া স্বত্ত্বেও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের সমালোচনা করতে পেছপা হননি তিনি। জন লুইস বলতেন, "তুমি যখন দেখবে যে কিছু একটা অন্যায়, অবিচার হচ্ছে, তখন তার বিরুদ্ধে কথা বল। তোমার তখন এর বিরুদ্ধে কিছু বলতে হবে, কিছু করতে হবে।" "লড়াইয়ে বুঝে শুনে নেমো, কিন্তু যখন সময় আসবে তখন অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ও লই করতে পিছপা হবে না।"
Rep John Lewis, a leader in the civil rights movement and later US congressman, has died at the age of 80.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
শুহাদা বলছেন, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তিনি গর্বিত তিনি জানিয়েছেন নাম পরিবর্তন করে তিনি নিজের নাম রেখেছেন শুহাদা। উনিশশো নব্বই সালে রিলিজ করা 'নাথিং কমপেয়ার্স টু ইউ' গানটির জন্যে তিনি সবচেয়ে সুপরিচিত। ওই বছরের সবচেয়ে হিট গানের তালিকায় ছিল এই গানটি। টুইটারে দেয়া বার্তায় তিনি তাকে সাহায্য করার জন্য অন্য মুসলমানদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর এই সিদ্ধান্ত "যেকোনো বুদ্ধিমান ধর্মতত্ববিদের সফরের স্বাভাবিক পরিণতি"। তিনি নিজের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যাতে দেখা যাচ্ছে যে তিনি আজান দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার শেখ ড. উমর আল-কাদরী নামের একজন আইরিশ ইমাম একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ওই ভিডিওতে দেখা যায় যে গায়িকা সিনিড ও'কনর ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস স্থাপনের জন্য কলেমা পাঠ করছেন। টুইটার বার্তায় আইরিশ গায়িকা আরও বলেন, সব ধর্মশাস্ত্রের অধ্যয়ন শেষ পর্যন্ত ইসলামের দিকেই ধাবিত হয়। তিনি বলেন যে তিনি একজন মুসলমান হতে পেরে গর্বিত। তবে ধর্ম নিয়ে ও'কনর এই প্রথমবারের মত কথা বলেছেন, তা নয়। ১৯৯২ সালে তিনি একটি মার্কিন টেলিভিশনের এক লাইভ অনুষ্ঠানে পোপের ছবি ছিঁড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। সাত বছর পর মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া একটি চার্চ তাকে যাজক হিসেবে ঘোষণা করে। তবে যেহেতু ক্যাথলিক চার্চ নারীদের যাজক হওয়া অনুমোদন করে না, তাই তার ওই অনুষ্ঠানটিও তারা অনুমোদন করেনি। গত বছর অবশ্য সিনিড ও'কনর আইনগতভাবে নিজের নাম পরিবর্তন করেন এবং নতুন নাম রাখেন মাগদা ড্যাভিট। ১৯৯৯ সালে সিনিড ও'কনরকে যাজক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন কেন সবসময় মিয়ানমারের পক্ষে? 'জামায়াত হারিয়ে যায় নি, পরিস্থিতি বুঝে এগুচ্ছে' ২০৭০ সালে ইসলাম হবে সবচেয়ে বড় ধর্ম
Irish singer Sinéad O'Connor has announced she has converted to Islam.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
নারী বন্দীদের শোধরানোর ক্ষেত্রে কারাগার কেন অকেজো হয়ে প্রমাণ হচ্ছে? তাহলে নারী বন্দীদের শোধরানোর ক্ষেত্রে কারাগার কেন অকেজো প্রতিপন্ন হচ্ছে? আর এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্যই-বা কি চেষ্টা চলছে? লিসার জীবন একটি জালিয়াতির মামলায় ২০১১ সালে মাস তিনেক জেল খেটেছিলেন লিসা। মাস তিনেক শুনতে খুবই কম সময়। কিন্তু লিসার মনোজগৎ ও তার বাস্তব জীবনের উপর এর ভয়ংকর প্রভাব পড়েছিল। কন্যাদের থেকে দূরে জেলে বসে বসে সে নিজের সক্ষমতা নিয়ে নানাবিধ দুশ্চিন্তায় জর্জরিত হয়েছে। এর ফলে একটা সময়ে তার মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। আরো পড়তে পারেন: জেলে বন্দী মায়ের শিশুদের দিন কাটে কিভাবে? নারী আন্দোলনকারীদের জেলে পুরেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ জেল থেকে ছাড়া পাবার পরই যেন অনেক নারীর জীবনে প্রকৃত বিড়ম্বনার শুরু হয় জেলের সময়টাতে সে তার কন্যাদেরকে কারাগারে তাকে দেখতে আসতে বারণ করেছিল। কারণ সে চায়নি তিক্ত অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে তার মেয়েরা যাক। কিন্তু এরপরও লিসার শেষ রক্ষা হয়নি। জেল থেকে ছাড়া পাবার পরই যেন তার জীবনে প্রকৃত বিড়ম্বনার শুরু! তাকে দেখা মাত্রই লোকেরা কানাঘুষা শুরু করতো। কি মুদী দোকান, কি পড়ার গলি বা কি তার মেয়েদের স্কুলের সামনে অপেক্ষারত অন্য শিশুদের অভিভাবকেরা। সবখানেই চলত এমন। এই অবস্থায় এমনকি স্কুল থেকে নিজের মেয়েদের আনতে যেতেও আতঙ্কিত থাকতেন লিসা। এই অভিজ্ঞতার বর্ণনা করতে গিয়ে লিসা বলছিলেন, "জেলখানায় থাকার চেয়েও এই পরিস্থিতি বিচ্ছিরি"। উইমেন ইন চ্যারিটি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের দেয়া তথ্য মত ২০১৭ সালে যত নারী কারাগারে গেছে তাদের শতকরা ৮৪ ভাগই মূলত সহিংস নয় এমন অপরাধে অভিযুক্ত। যেমন মামুলি চুরি বা অন্যের চুরির মাল-সামাল বিক্রি বাট্টা বা বন্দোবস্ত করা, কর পরিশোধ না করা— এই জাতীয় সব অপরাধ। ছোটোখাটো অপরাধের কারণেই নারীরা স্বল্পমেয়াদী শাস্তি পায়। আর এ কারণেই নারীদের মধ্যে হয়তো পুনরায় অপরাধ করার প্রবণতা বেশি। কিন্তু, দেশটির জাস্টিস মিনিস্ট্রির এক প্রতিবেদনে গত বছর জানা গেছে, স্বল্পমেয়াদে কারাভোগ করে যারা, তাদের মধ্যে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সব লিঙ্গের মানুষদের ক্ষেত্রেই পুনরায় অপরাধের প্রবণতা লক্ষণীয়। তবে, কিছু ব্যাখ্যা দাবী করছে, বছর খানেকের কম সময় সাজা খাটে যে সব নারী অপরাধী তাদের ক্ষেত্রে পুনরায় অপরাধের প্রবণতাটা বেশি। নারী বন্দীদের নিয়ে আরেকটি ভয়ংকর তথ্যও বেরিয়ে এসেছে। সাবেক বন্দী ইয়াসমিন আখতার এখন সামাজিক সহায়তা কর্মী হিসাবে কাজ করেন জানা যাচ্ছে, জেলখানায় নারী বন্দীরা পুরুষদের তুলনায় অন্তত দুইগুণ বেশি মানসিক স্বাস্থ্য সহযোগিতার প্রয়োজন অনুভব করেন। দি হাওয়ার্ড লিগের দেয়া তথ্য মতে, জেলখানায় প্রতি ৫ জন নারী বন্দীর মধ্যে একজন বন্দী নিজেকে শারীরিকভাবে আঘাত করে থাকে। হাওয়ার্ড লীগের প্রধান নির্বাহী ফ্রান্সিস ক্রুক বলেছেন, জেল-জীবন সবার জন্যই একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা। কিন্তু নারীদের জন্য এটি তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি ভয়ংকর। নারীদের ক্ষেত্রে এমনকি মাত্র কয়েক সপ্তাহ জেল খাটার পর দেখা যায়, সে তার চাকরী, তার গৃহ এমনকি কোনও কোনও ক্ষেত্রে সে তার সন্তানদের উপরে অধিকারও হারায়। জাস্টিস সেক্রেটারি ডেভিড গাউক গত জুনে বলেছেন, সকল বন্দীদের মধ্যে মূলত নারী বন্দীদের অবস্থাই সবচে বেশি নাজুক। তিনি আরো মনে করেন, মামুলি অপরাধের জন্য নারীদেরকে জেলে পুরে দেয়া কোনও প্রকৃত সমাধান নয়। দেশটির সরকার কমিউনিটি সার্ভিসের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে নারীদেরকে জেলে পাঠানো থেকে দূরে রাখার একটা ব্যবস্থা করার কথা ভাবছে। আর এ জন্য দুই বছরে ৫০ লাখ পাউন্ডের মত খরচ ধরা হয়েছে। মি. ক্রুক এর ভাষায়, "কারাগার কোনও কাজে আসে না"। নারী বন্দীদের নিয়ে আরও জানা যাচ্ছে, তাদের অন্তত ৬০ ভাগ আসলে বাড়িতে নিপীড়নের শিকার। ইয়াসমিন আখতার নামে এশিয়ান একজন কারাভোগকারী অভিজ্ঞতা থেকে জানাচ্ছিলেন, তিনি যখন জেলে ছিলেন পরিবারের লোকেরা বলেছে তিনি বাইরে কাজে গেছেন। কারণ তার পরিবার এই কলঙ্কের দায় নিতে চায়নি। মিজ. আখতার কাজ করেন বার্মিংহামে প্রবেশন সার্ভিসে। মূলত নারী বন্দীদের বিভিন্ন সহযোগিতা করেন তিনি। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানাচ্ছিলেন যে, কারাগারে যে কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা ছিল সেটি তাকে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে বেশ সাহায্য করেছে। সাবেক বন্দী ম্যারি-ক্লেয়ার ও'ব্রাইয়েন বলছিলেন, অনেকের সহযোগিতায় তিনি ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছিলেন, কিন্তু বহু নারীর ভাগ্যেই তা জোটে না ম্যারি-ক্লেয়ার ও'ব্রাইয়েন ১৪ মাস জেল খেটেছিলেন। বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালিয়ে একজনকে হত্যার দায়ে তিনি শাস্তি পেয়েছিলেন। ৩৭ বছর বয়স্কা ও'ব্রাইয়েন বলছিলেন, অনেকের সহযোগিতায় তিনি ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছিলেন। কিন্তু বহু নারীর ভাগ্যেই তা জোটে না। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি নিউ লিফ নামে একটি সাপোর্ট প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। জেলের সাবেক কয়েদীদের সহায়তায় এটি কাজ করে। বন্দীরা মুক্ত হয়ে সমাজে ফিরলে তাদেরকে কর্মসংস্থানে সাহায্য করে এই প্রতিষ্ঠান। মিনিস্ট্রি অফ জাস্টিস বলছে, নারীদের কমিউনিটি প্রভিশানের উপরেই তারা অধিক জোর দিতে আগ্রহী। তবে, এজন্য অর্থায়ন একটা জরুরী বিষয়। উইমেন ইন প্রিজন-এর প্রধান নির্বাহী কেট প্যারাডিন বলছিলেন, যে পরিমাণ অর্থায়ন এখন তাদের আছে তা যৎসামান্য মাত্র। যদি এই খাতে টাকার পরিমাণ না বাড়ে তাহলে হয়তো অসুবিধাজনক এবং নাজুক অবস্থানে থাকা নারী ও তাদের পরিবারের জন্য প্রকৃতার্থেই মুস্কিল হবে বলেও তিনি মনে করেন। যদি এই নারী বন্দীদের জীবনে বদল আনা না যায় তাহলো হয়তো দিন শেষে এই সমাজ একটা ভঙ্গুর ব্যবস্থাতেই পরিণত হবে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বিশটি ডাকটিকেট: পাক-ভারত শত্রুতায় নতুন উপকরণ 'সর্বদলীয় সরকার নয়, নির্দলীয় সরকার চাই' সুনামিতে লন্ডভন্ড সুলাওয়েসি, নিহত প্রায় ৪০০ ভারতে যেসব হিন্দু মন্দিরে নারীদের প্রবেশ নিষেধ
Women make up just under 5% of the prison population in England and Wales, yet they are more likely than men to reoffend. Why doesn't prison work for women and what is being done to improve outcomes for them?
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ওবামা প্রশাসন গত বছর সেনাবাহিনীতে প্রকাশ্যেই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করার নীতি নিয়েছিল। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, সামরিক বিশেষজ্ঞদের সাথে তিনি আলোচনা করেছেন এবং এ কারণে 'ডাক্তারি খরচ ও কাজে বিঘ্নও' ঘটছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের নীতি উল্টে যাচ্ছে। ট্রাম্প আমলে এসে আগের সরকারের সেই পরিকল্পনা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস। আর এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বুধবার এক টুইটে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরকে সেনাবাহিনীতে না নেওয়ার কথা বললেন। মি: ট্রাম্প বলেছেন, "আমাদের সামরিক চূড়ান্ত লক্ষ্য থাকতে হবে বাহিনীকে যুদ্ধ জয়ের দিকে। সেদিকে দৃষ্টি রেখেই তাদের এগিয়ে যেতে হবে। তাদের ওপর বিপুল ডাক্তারি খরচের বোঝা চাপানো যায় না কিংবা তাদের কাজে কোনো ধরনের বিঘ্নও ঘটতে দেওয়া যায় না।" এছাড়া কয়েকজন রিপাবলিকানও সামরিক বাহিনীতে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের কাজ করার বিরোধিতা করেছেন। মার্কিন সেনাবাহিনীতে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা নিয়ে গত বছর 'দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট র‌্যান্ড করপোরেশন' এর এক হিসাবে বলা হয়েছে, মার্কিন বাহিনীতে ১২ লাখ সক্রিয় সদস্যের মধ্যে ২ হাজার ৪৫০ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ আছে। মি: ট্রাম্পের সমালোচনাকারীরা বলছেন, নির্বাচনী প্রচারণাকালে যুক্তরাষ্ট্রে সমলিঙ্গের মানুষদের অধিকারের বিষয়ে সমর্থনের যে কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প , এখনকার এই সিদ্ধান্তে ব্যতিক্রম রূপই প্রকাশ পাচ্ছে। তখন তিনি বলেছিলেন "আমি আপনাদের জন্য লড়াই করবো"। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ‘নেহরু ছাড়া ভারতে অন্য কোনো চিন্তাবিদ নেই না কি?’ 'পানির নীচে রাস্তা ভালো', ট্রাফিকের সাইনবোর্ড যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হবে পেট্রোল ও ডিজেলচালিত গাড়ি স্বামীগৃহ হারাচ্ছেন মিয়ানমারের ধর্ষিতা রোহিঙ্গা নারীরা
US President Donald Trump says transgender people cannot serve in "any capacity" in the military.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
হামলার পর বন্দী শিবিরটির বাইরে জড়ো হতে শুরু করেন অনেকে। আহত হয়েছেন আরও ৮০ জন। জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার বলছে, বিমান হামলার কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। খালিফা হাফতার এর নেতৃত্বে সরকার বিরোধীরা অবশ্য এই হামলার জন্য সরকারি বাহিনীকে দায়ী করেছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই আফ্রিকা অঞ্চলের বাসিন্দা। লিবিয়া থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন তারা। আরো পড়তে পারেন: লিবিয়ার সাগরতীরে ভেসে এসেছে ৮৭টি মৃতদেহ খালিফা হাফতারঃ লিবিয়ার নতুন নেতা? কেন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাচ্ছে বাংলাদেশিরা? ইতিহাসের সাক্ষী: গাদ্দাফির যুগে লিবিয়া এখানকার সরকার পরিচালিত বন্দী শিবিরে হাজার হাজার অভিবাসীকে আটকের পর রাখা হয়। যেগুলোর বেশিরভাগই দেশটির সংঘাত-পূর্ণ এলাকাগুলোর কাছাকাছি অবস্থিত। ২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে অপসারণ ও হত্যার পর থেকেই সংঘাতের কারণে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। হামলা সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে? জরুরী সেবা বিভাগের মুখপাত্র ওসামা আলি জানান, হামলার সময় তাজুরা বন্দী শিবিরে ১২০ জন অভিবাসী একটি হ্যাঙ্গারে অবস্থান করছিলেন। ত্রিপোলির পূর্বাঞ্চলে হামলাস্থল তাজুরায় কাজ করছেন জরুরী সেবা কর্মীরা লিবিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ডা. খালিদ বিন আত্তিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসকে তিনি বলেন, "প্রায় সব জায়গায় মানুষ ছিল। শিবিরটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। যেখানে সেখানে মানুষ কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিলো। অনেকেই মানসিক আঘাতে হতবিহবল হয়ে গিয়েছিলো। বিচ্ছিন্ন ছিল বিদ্যুৎ সংযোগও।" "আমরা পুরো এলাকা পরিষ্কারভাবে দেখতে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসার পর যা দেখলাম তা ভয়ংকর ছিল। রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। মানুষের শরীরের টুকরোও পড়ে থাকতে দেখেছি," তিনি বলেন। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, হামলা সম্পর্কে 'গভীরভাবে উদ্বিগ্ন'। হামলার জন্য দায়ী কে? জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল-সেরাজ অভিযোগ করেন, স্ব-নিয়ন্ত্রিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি ওই শিবিরে হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, এই "জঘন্য অপরাধ" "পূর্বপরিকল্পিত" ও "নিখুঁত"। তবে খলিফা হাফতার নেতৃত্বাধীন ওই বাহিনী এলএনএ বলছে, যে এলাকায় হামলাটি হয়েছে সেখানেই সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছেন তারা। বাহিনীটি গত সোমবার ঘোষণা দেয় যে, প্রচলিত যুদ্ধের সব কৌশল ব্যর্থ হওয়ায় ত্রিপলিতে বিভিন্ন জায়গায় বিমান হামলা চালাবে তারা। এলএনএ জানায়, বন্দী শিবিরের কাছেই সরকারের একটি শিবির লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় তারা। যার জবাবে পাল্টা শেল ছোড়ে সরকারি বাহিনী। ওই শেলগুলোর একটি দুর্ঘটনাবশত অভিবাসী বন্দী শিবিরে আঘাত করে। বন্দী শিবিরের বাইরে জড়ো হওয়া অনেকেই ছিলেন উদ্বিগ্ন লিবিয়ায় যুদ্ধ কেন চলছে? কোন কর্তৃপক্ষই লিবিয়ার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি। চরমভাবে অস্থিতিশীল দেশটির নিয়ন্ত্রণ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক এবং সামরিক গোষ্ঠীর হাতে। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে একটি প্রধানমন্ত্রীর সারাজের নেতৃত্বাধীন এবং অপরটি জেনারেল হাফতারের নিয়ন্ত্রণাধীন। গত এপ্রিলে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে জেনারেল হাফতার। গত চার দশক ধরে লিবিয়ার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন জেনারেল হাফতার। ১৯৮০র দশকে মত বিরোধের জেরে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনের আগ পর্যন্ত গাদ্দাফির কাছের মিত্র ছিলেন তিনি। ২০১১ সালের আন্দোলনের পর দেশে ফিরে পূর্বাঞ্চলে নিজের শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলেন তিনি। সমর্থন পান ফ্রান্স, মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের। গাদ্দাফি সংশ্লিষ্টতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ থাকার কারণে তার প্রতি মানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে বেনগাজি এবং এর আশেপাশের এলাকাগুলো থেকে কথিত ইসলামপন্থী জঙ্গিদের বিতাড়িত করায় অনেকে তাকে কৃতিত্ব দেন। লিবিয়ায় অভিবাসীরা কতটা অসহায়? লিবিয়ার রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সুযোগে সেখানে মানব পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আফ্রিকা অঞ্চলের অভিবাসীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। লিবিয়ার কোস্টগার্ডের হাতে আটক ইউরোপগামী অভিবাসীদের বন্দী শিবিরগুলোর করুণ দশার চিত্র বারবারই তুলে ধরেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
An attack has killed up to 40 migrants at a detention centre on the outskirts of the Libyan capital Tripoli, government officials say.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
গানের অন্যতম দুইজন শিল্পী প্রতিবেশী দুই দেশের বৈরিতা নতুন নয়। কাশ্মীর নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ আরো ওপরে উঠেছে। এমন প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ভারত এবং পাকিস্তানের একদল তরুণ শিল্পীর গাওয়া একটি গান, যাকে উদ্যোক্তারা বলছেন 'পিস অ্যানথেম' বা শান্তির জাতীয় সঙ্গীত। 'ভয়েস অব রাম' নামে শান্তির পক্ষে প্রচারণা চালানো ফেসবুক ভিত্তিক একটি গ্রুপ গত রাতে গানটি পোষ্ট করেছে। ১২ ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় সাড়ে তিন লাখ বার দেখা হয়েছে ভিডিওটি। দশ হাজারের মত শেয়ার করা হয়েছে গানটি। পাকিস্তানি শিল্পীদের মধ্যে নাতাশা বেগও গান গেয়েছেন এই ভিডিওতে ভিডিওর শুরুতেই পর্দায় ভেসে ওঠে একটি বাক্য "শিল্পের জন্য আমরা যখন সীমান্ত খুলে দেই, তখন শান্তির দেখা মেলে"। দেখা যায়, একটি গানেরই প্রথম অংশে পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত 'পাক সার জমিন সাদ বাদ' গাইছেন একদল শিল্পী। পরের অংশে সেই শিল্পীদেরই দেখা যায় ভারতের জাতীয় সঙ্গীত 'জনগনমন অধিনায়ক জয় হে' গাইছেন। এদের কাউকে কাউকে রেকর্ডিং স্টুডিও থেকে, আবার কাউকে কাউকে দুই দেশের বিভিন্ন লোকেশনে গানে গলা মেলাতে দেখা যায়। গানটি শেষে পর্দায় ভেসে ওঠে "আসুন শান্তি পক্ষে দাড়াই"। 'ভয়েস অব রাম' এর প্রধান চলচ্চিত্রকার এবং রাজনৈতিক আন্দোলন কর্মী রাম সুব্রামানিয়ন বলেছেন, অনেক মানুষই আছেন যারা শান্তির পক্ষে কথা বলতে ভয় পায়। তাদের অযৌক্তিক ভীতি দূর করার জন্য এই ভিডিও। গানটি নিয়ে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা সমালোচনা। পাকিস্তানের ডন পত্রিকা একে 'অবাক করা' উপহার হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলছে গানটি শুনতে বেশ ভালো। গত বছর কাশ্মীর নিয়ে সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হবার পর থেকে দুই তরফের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশের মধ্যে শান্তির কোন উদ্যোগ বা বিনিময়কে উভয় দেশের জাতীয়তাবাদীরা বিশ্বাসঘাতক বলে আখ্যায়িত করার একটি সাধারণ প্রবণতা দুই দেশেই আছে।
Pakistan is celebrating its 70th Independence Day on 14 August, with historic rival India following one day later.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
আলিসা মিলানো এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, "মেয়েদের নিজের শরীরের ওপর আইনগত অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা গর্ভধারণের ঝুঁকি নিতে পারিনা"। যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর মধ্যে সর্বশেষ জর্জিয়া গর্ভপাতের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে আইন প্রণয়ন করেছে। কিন্তু এর প্রতিবাদে যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকার যে আহবান মিস মিলানো জানিয়েছেন তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অবশ্য #সেক্স স্ট্রাইক টুইটারে যুক্তরাষ্ট্রে অনেকে তাদের টুইটে দিতে শুরু করেছেন। আরো পড়ুন: গর্ভপাত করাতে পুরুষের অনুমতি লাগবে মেয়ের গর্ভপাত করাতে আদালতের দ্বারস্থ বাবা-মা গর্ভপাত নিষিদ্ধের প্রতিবাদে ধর্মঘট, বন্ধ ঘরের কাজও কথিত 'হার্ট-বিট বিল' জর্জিয়ার গভর্নর ব্রায়ান ক্যাম্প মঙ্গলবার স্বাক্ষর করেছেন। আগামী বছরের প্রথম দিন থেকে আইনটি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। অ্যালিসা মিলানো তার টুইটে লিখেছেন, "আমাদের প্রজনন অধিকার বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে। যতদিন শরীরের ওপর নারীর আইনগত নিয়ন্ত্রণ না আসবে ততদিন আমরা গর্ভধারণের ঝুঁকি নিতে পারিনা। শরীরের স্বায়ত্তশাসন ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত যৌন সম্পর্ক করা থেকে বিরত থেকে আমার সাথে যোগ দিন"। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'দশ মিনিট দেরি হলে আমরা সবাই মারা যেতাম' কেন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাচ্ছে বাংলাদেশিরা? যে ৫২টি পণ্য সরিয়ে নিতে বলেছে হাইকোর্ট নিজের গর্ভে নাতনির জন্ম দিলেন মার্কিন নারী বিলটিতে কী আছে? কেন এই বিল নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে? নতুন এ আইনে মায়ের গর্ভধারণের পর ভ্রূণের হার্ট-বিট পাওয়ার পর গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সাধারণত গর্ভধারণের ছয় সপ্তাহ পর গর্ভজাত শিশুর হার্ট-বিট তৈরি হয়। যদিও অনেক সময় নারীরা কিছুটা লক্ষ্মণ ছাড়া ছয় সপ্তাহে টেরই পাননা যে তিনি গর্ভধারণ করেছেন। এমনকি মর্নিং সিকনেস নামে গর্ভধারণের পর যে শারীরিক লক্ষ্মণ প্রকাশ পায় তাও নয় সপ্তাহ সময় লাগে। নতুন এ আইনটি অবশ্য আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এর আগে কেন্টাকিতে একজন বিচারক এমন একটি আইন আটকে দিয়েছিলেন। মিসিসিপি রাজ্যেও এমন আইন পাশ হয়েছে তাও আদালতে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। যৌন ধর্মঘট বলতে কী বোঝায়? মিস মিলানো শনিবার টুইটটি করেছেন। এরপর তিনি নিজে ও তার তৈরী হ্যাশট্যাগ সেক্স স্ট্রাইক টুইটারে অনেকটা ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছে। প্রায় ৩৫ হাজার লাইক আর ১২ হাজার বার রি-টুইট হয়েছে তার টুইট। অভিনেত্রী বেটি মিডলারও মিস মিলানোকে সমর্থন করে টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, "আমি আশা করি জর্জিয়ার নারীরা যৌন সম্পর্ক করা থেকে বিরত থাকবেন এমন লজ্জার বিষয়টি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত"। যদিও অনেকে আবার এ ধারণার সমালোচনাও করছেন। একজন লিখেছেন সেক্স স্ট্রাইক একটি খারাপ ও যৌনময় আইডিয়া। এর আগে আইনটি পাশের সময় ৫০ জন অভিনেতা ওই রাজ্যে ফিল্ম ও টেলিভিশন প্রডাকশন বয়কটের প্রস্তাব দিয়েছেন। অন্য অভিনেতারাও বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হচ্ছেন। যদিও অনেকেই আবার এর বাইরে রয়েছেন। মোশন পিকচার্স এসোসিয়েশন এর মুখপাত্র ক্রিস অর্টম্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন জর্জিয়ায় ফিল্ম ও টেলিভিশন প্রডাকশনের সাথে ৯২ হাজার চাকরীর বিষয় জড়িত। গভর্নরের অফিসের তথ্য অনুযায়ী রাজ্যের ফিল্ম ও টেলিভিশন প্রডাকশন ইন্ডাস্ট্রি ২০১৮ সারে দুই দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার আয় করেছিলো। অন্যান্য খবর: কেন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাচ্ছে বাংলাদেশিরা? 'দশ মিনিট দেরি হলে আমরা সবাই মারা যেতাম' শিশু ধর্ষণের ঘটনা কি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে? যে ৫২টি পণ্য সরিয়ে নিতে বলেছে হাইকোর্ট
Actress and #MeToo activist Alyssa Milano has urged women to take part in a "sex strike" to protest against a new abortion law in the state of Georgia.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
দিল্লিতে সংঘর্ষের সময় যানবাহনে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। বিতর্কিত নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেয়া আন্দোলনকারীদের মধ্যে রোববার থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশকারী অমুসলিমদের নাগরিক হওয়ার অনুমতি দেয়। হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার বলছে, এর ফলে ভারত ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা মানুষের অভয়াশ্রমে পরিণত হবে। সমালোচকরা বলছেন, এই বিলটি মুসলমানদের একঘরে করতে বিজেপি এজেন্ডার একটি অংশ। গত বছর এটি পাস হওয়ার পরে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয় এবং এর মধ্যে কয়েকটি বিক্ষোভ সহিংস আকার নেয়। তবে দিল্লিতে এখন পর্যন্ত হওয়া সব বিক্ষোভই ছিল শান্তিপূর্ণ। আরও পড়তে পারেন: মসজিদে আগুন দেয়ার যে ঘটনা বিতর্কের কেন্দ্রে দিল্লির দাঙ্গা উপদ্রুত জাফরাবাদে যা দেখছেন বিবিসির সংবাদদাতা দিল্লি সহিংসতা: সোনিয়া গান্ধীর প্রশ্ন, অমিত শাহ কোথায়? এটি কখন শুরু হয়েছিল? রাজধানীর কেন্দ্র থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে উত্তর-পূর্ব দিল্লির তিনটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে রোববার এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করছিল তাদের অবরোধের বিরুদ্ধে এক কিলোমিটার ব্যবধানে পাল্টা বিক্ষোভ করে এই আইনের সমর্থকরা। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এরসঙ্গে বিজেপির এক নেতা কপিল মিশ্র যুক্ত বলে জানা গেছে, যিনি নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে সপ্তাহব্যাপী অবস্থান নেয়া বিক্ষোভকারীদের হুমকি দিয়েছেন, তাদের বলেছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত ছাড়ার পরে তাদের জোর করে উচ্ছেদ করা হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার প্রথম আনুষ্ঠানিক সফরে ২৪ থেকে ২৬শে ফেব্রুয়ারি ভারতে অবস্থান করেন। দিল্লির রাস্তায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ। কী হচ্ছে এখন? বুধবার নতুন করে কোন সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি, তবে শহরটি পরপর তিন রাত দাঙ্গার কবলে পড়ায় আবার যেকোনো সময়ে হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে। এই সহিংসতা কেবল নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে হচ্ছে না। এটি এখন সাম্প্রদায়িক রূপ নিয়েছে এবং আশেপাশের কয়েকটি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষজনকে তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে আক্রমণ করা হচ্ছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে, একদল লোক হাতে লাঠি-সোটা, লোহার রড এবং পাথর নিয়ে রাস্তায় ঘোরাফেরা করছে এবং হিন্দু ও মুসলমানরা মুখোমুখি হচ্ছে। ঘটনাস্থলে থাকা বিবিসি সাংবাদিকরা বলছেন, এসব পাড়ার প্রধান সড়কগুলোর অবস্থা এখন বেশ থমথমে। বিবিসি হিন্দির ফয়সাল মোহাম্মদ বলেছেন, "রাস্তাগুলোয় পাথর এবং ভাঙ্গা কাঁচের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। ভাঙ্গা ও পোড়া যানবাহনগুলো এবড়োথেবড়োভাবে ছড়িয়ে আছে এবং আগুন জ্বলতে থাকা ভবনগুলো থেকে বেরিয়ে আসা ধোঁয়ার কুণ্ডলি বাতাসকে ভারি করে তুলেছে।" দিল্লিতে সংঘর্ষে কমপক্ষে দুটি মসজিদ ভাঙচুর হয়েছে 'একটি ছেঁড়া কোরান' সহিংস দাঙ্গাকারীরা মুসলমানদের বাড়িঘর ও দোকানপাট লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বিবিসি হিন্দির ফয়সাল মোহাম্মদ বলেছেন যে, তিনি আংশিকভাবে পোড়া মসজিদ দেখতে পেয়েছেন, সেখানে কোরানের পৃষ্ঠাগুলো মাটিতে এদিকে সেদিকে পড়ে ছিল। মঙ্গলবার বিকেলে আরেকটি মসজিদ ভাঙচুর হয়। সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিও ফুটেজে মসজিদের মিনারের শীর্ষ থেকে এক ব্যক্তিকে চাঁদ তারা সম্বলিত ক্রিসেন্ট চিহ্নটি টেনে তুলে ফেলতে দেখা যায়। এখন পর্যন্ত নিহতদের যতো নাম প্রকাশ করা হয়েছে তার ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে হিন্দু মুসলমান উভয়ই রয়েছে। ওইসব হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক মানুষ। হাসপাতাল ঘুরে এসে বিবিসি সাংবাদিকরা বলছেন যে, তারা গুলিবিদ্ধ ক্ষতসহ বিভিন্ন ধরণের আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভিড় করতে দেখেছেন। সংবাদদাতারা বলেছেন যে, হাসপাতালটিতে একধরণের ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। এবং আহতদের মধ্যে অনেকে "বাড়ি ফিরে যেতে খুব ভয় পাচ্ছেন।" প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দাঙ্গায় অংশ নেয়া বেশ কয়েকজনকে হাতে বন্দুক বহন করতে দেখা যায়। এবং ছাদ থেকে গুলি ছোঁড়া হয়েছে খবর পাওয়া গেছে। হাসপাতালের কর্মকর্তারাও নিশ্চিত করেছেন যে আহতদের অনেকের শরীরেই গুলির ক্ষত রয়েছে। এই সংঘর্ষে প্রতিবাদকারীদের ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে আলাদা হতে দেখা যায়। কর্তৃপক্ষ কী করছে? মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র এমএস রন্ধাওয়া সাংবাদিকদের বলেছেন যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং "পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ" মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি আধাসামরিক বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো যথেষ্ট প্রস্তুতি তাদের ছিল না। এবং তারা সংখ্যায় ছিলেন অনেক কম। সহিংসতায় রতন লাল নামে এক কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি পুলিশ। দিল্লির পুলিশ বাহিনী, রাজ্য প্রশাসনের পরিবর্তে মি. মোদীর ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে সরাসরি সব তথ্য জানায়। রাজধানীতে সহিংসতা নিয়ে আলোচনা করতে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। উত্তর প্রদেশ রাজ্যের সাথে দিল্লির যে সীমান্তের ভাগ রয়েছে - এই অঞ্চলগুলো তার কাছাকাছি এবং এই সীমান্ত এখন আটকে দেওয়া হয়েছে। এলাকার স্কুলগুলো বন্ধ করার পাশাপাশি এবং বেশ কয়েকটি এলাকায় জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। জনগণকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার তিন দিন পর বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শান্তির আবেদন জানিয়ে করা টুইটে বলেন, "খুব শীঘ্রই শান্তিপূর্ণ এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা জরুরি।" এই সংঘর্ষে প্রতিবাদকারীদের ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে আলাদা হতে দেখা যায়। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতে ডানপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদের পুনরুত্থান দেখা যায়। এমনকি ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুনর্নির্বাচিত হলে এই জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বর্তমানে অশান্ত এই সময়টি তার জন্য এক প্রকার বিব্রতকর পরিস্থিতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক সফরে ভারতে গেছেন। এবং গত দুই দিন সেখানেই অবস্থান করেছেন। সহিংসতা বাড়ার কারণে এবারে মি. ট্রাম্পের সফরের খবর অনেকটাই ধামাচাপা পড়ে গেছে। তবে এটি জাতীয় এবং বৈশ্বিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়ে উঠে এসেছে।
Thirteen people have been killed in Delhi in the deadliest violence the Indian capital has seen in decades.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
টেরিজা মে এর আগে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে তার প্রথম চেষ্টাও চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। কী প্রভাব পড়তে পারে? টেরিজা মের প্রস্তাব দ্বিতীয় দফায় ভেস্তে যাওয়ার পর, ব্রিটেনের অর্থনীতিতে এর কী প্রভাব পড়বে জানতে চাইলে ব্রিটেনের সোয়ানসি ইউনিভার্সিটির শিক্ষক রোযেন আযাদ চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেন, এটা নির্ভর করবে ব্রিটেন কোনও ডিল বা চুক্তি নিয়ে বেরোতে চায় কি-না তার ওপর। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার আরেক দফা ভোট হবে। মিস্টার চৌধুরী মনে করেন, "পুরো বিষয়টা এখন নির্ভর করবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর।" তিনি বলেন, সামনে ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচন। তারা হয়তো দুই বছরের জন্য সময় দেবে। "বাজারে প্রচণ্ড অনিশ্চয়তা দেখা দেবে। দেখবেন যে, আজই ডলার ও ইউরোর বিপরীতে পাউন্ডের ব্যাপক পতন হয়েছে।" "যুক্তরাজ্যে বিনিয়োগ গত একবছরে অনেক কমে গেছে। অনিশ্চয়তা যদি আরও বিরাজ করে অর্থনীতির জন্য সেটি খুবই খারাপ অবস্থা হবে"। এক গবেষণার তথ্য তুলে ধরে মিস্টার চৌধুরী বলেন, গবেষণা দেখা গেছে যে, কোনও ডিল (চুক্তি) নিয়ে যদি না বের হয়, তাহলে যুক্তরাজ্যের জিডিপি ৮% নেমে যাবে। আরো পড়ুন: ব্রেক্সিট নিয়ে পাঁচটি প্রশ্ন ও তার উত্তর কেন ব্রেক্সিট নিয়ে নাকাল ব্রিটেন ব্রেক্সিট: আবারো হারলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে ব্রিটেনের সামনে এখন পথ কী? ১. চুক্তিহীন ব্রেক্সিট ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে গেলে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে বসবাসরত ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য ব্রিটেন একটি সুবিধাজনক চুক্তি করতে চাইছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ও কোম্পানিগুলো কী ধরনের সুবিধা পাবে - সেটিও একটি বিষয়। ব্রিটেন কোনও চুক্তি বা ডিল চায় কি-না সেটা জানা যাবে ১৩ই মার্চের পর। অধ্যাপক রোযেন চৌধুরী বলছেন, "ট্রেড ডিল বা বাণিজ্যিক চুক্তি যেগুলো হচ্ছে খুব ছোট কয়েকটি দেশের সাথে হচ্ছে। জাপানের সাথে কোনও বাণিজ্য চুক্তি এখনো হয়নি।" "লোকজনের কাছে সব খবর যথাযথভাবে পৌঁছানো এবং তখন লোকজন যৌক্তিকভাবে বিবেচনা করতে পারবে। তখন হয়তো তারা বলতেও পারবে যে, আমরা ব্রেক্সিট চাইনা," বলেন তিনি। ২. প্রধানমন্ত্রীর খসড়া চুক্তির ওপর আরেক দফা ভোট প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে দ্বিতীয় দফায় হেরে গেলেও সবচেয়ে সাদাসিধে উপায় হবে হয়তো হাউজ অব কমন্সে তার খসড়া চুক্তিটি আরেক দফা ভোটাভুটিতে নিয়ে যাওয়া। দু-দফা হারলেও তৃতীয় দফায় পেশ করা যাবে না এমন কোনও আইন নেই। ৩. পুনরায় আলোচনা ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে সরকার একেবারে নতুন করে আলোচনার প্রস্তাব দিতে পারে এবং সেটা হয়তো সময়সাপেক্ষ হবে। ৪. ফের গণভোট অন্যথায় পুনরায় গণভোটের আয়োজন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। নতুন করে গণভোটের জন্য আইনে নতুন সংযোজন প্রয়োজন হবে এবং কারা ভোটার হতে পারবে সেটা নির্ধারণ করতে হবে। অধ্যাপক রোযেন চৌধুরী বলেন, "আমার মনে হয়, লোকজনের মতামত জানার জন্য আবার একটা গণভোট দিন, যেটার কথা অনেকেই বলছে, তাহলে দেখা যাক লোকজন কী সিদ্ধান্ত নেয়।" "কারণ লোকজন যখন ভোট দিয়েছিল তারা অনেকেই ভেবেছিল ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া হয়তো খুব সহজ হবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সেটা খুব মৃসণ নয়।" কিন্তু আরেকটি গণভোটের সম্ভাবনা কতটা বাস্তবসম্মত - এই প্রসঙ্গে রোযেন চৌধুরীর বিশ্লেষণ হচ্ছে, "বৃহস্পতিবার ভোটের পর এটা বোঝা যাবে। ডিলে(দেরি) করতে চায় কি-না।" "সেক্ষেত্রে হয়তো এক থেকে দেড়-বছর সময় দেয়া হতে পারে। এই সময়কালে দীর্ঘসূত্রতা এবং বাজারে অনিশ্চয়তা থেকেই যাবে। এই সময়ের মধ্যে লোকজনকে একটি দ্বিতীয় অপশন দেয়া হতে পারে বলে আমার মনে হয়।" ৫. সাধারণ নির্বাচন আহ্বান টেরিজা মে এই অচলাবস্থা নিরসনে এবং তার চুক্তির বিষয়ে রাজনৈতিক সমর্থন পেতে সবচেয়ে ভালো উপায় হিসেবে সাধারণ নির্বাচনের আহ্বান করতে পারেন। নির্বাচন আহ্বান করার ক্ষমতা তার নেই। কিন্তু ২০১৭ সালের মত তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাচনের জন্য সংসদ সদস্যদের ভোটের আহ্বান জানাতে পারেন। সেজন্য দুই-তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থন প্রয়োজন হবে। ৬. পুনরায় অনাস্থা ভোট যেকোন সময় আরেক দফা অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা যেতে পারে। আইন অনুসারে, প্রতি পাঁচবছর পরপর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা সে হিসেবে ২০২২ সালে নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু সরকারের প্রতি আস্থা-অনাস্থা প্রশ্নে এমপিদের ভোট যেকোনসময় হতে পারে। ৭. নো ব্রেক্সিট ইউরোপীয় আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ব্রিটেন চাইলে এককভাবে ব্রেক্সিট বাতিল করতে পারবে। আরো পড়ুন: ব্রেক্সিট ভোট: এরপর কী ঘটতে পারে? এক রাতেই কীভাবে বদলে যেতে পারে ব্রিটেন ব্রেক্সিট নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছন এত কঠিন হচ্ছে কেন?
Prime Minister Theresa May has suffered another Commons defeat after MPs voted down her approach to Brexit talks.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
এ দশকের মধ্যেই চীন হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি আগে যে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল তার পাঁচ বছর আগেই এটা ঘটবে বলে বলা হচ্ছে। সেন্টার ফর ইকনোমিক্স এ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) নামে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি বলছে, করোনাভাইরাস মহামারি এবং তার অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়া চীনের অনুকুলে কাজ করেছে। সিইবিআর বলছে, করোনাভাইরাস সংকট চীন যেভাবে সামাল দিয়েছে তার ফলে চীনের অর্থনীতিতে দু শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। কেন্দ্রটি বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি আগামী বছরই জোরালোভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, কিন্তু চীনের অর্থনীতিতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি ঘটবে গড়ে ৫.৭ শতাংশ করে। এক বছর আগেও মনে করা হচ্ছিল যে অর্থনীতির আকারের দিক থেকে চীন ২০৩০এর দশকের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িযে যাবে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: করোনার পর যেভাবে চীনের অর্থনীতি আবার পুরো সচল করোনাভাইরাসের জন্য কী মাশুল দিচ্ছে চীন? বিশ্ব অর্থনীতি স্বাভাবিক হতে কতদিন লাগতে পারে? যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের অথনীতির আয়তনের ব্যবধান কমে আসছে কিন্তু সিইবিআর বলছে, বৈশ্বিক কোভিড-১৯ মহামারির সময় চীনের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের আগেই সংকট কাটিয়ে উঠেছে, এবং ২০২০ সালে তাদের প্রবৃদ্ধি হবে ২ শতাংশ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এ বছর ৫ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই চীনের সাথে তার বৃহত্তম প্রতিদ্বন্দ্বীর ব্যবধান কমে আসবে, বলছে সিইবিআর। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটি এখন মনে করছে, ডলারের হিসেবে চীনের অর্থনীতির মূল্যমান যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবার ঘটনাটি ঘটে যাবে আগে যা হিসেব করা হয়েছিল - তার পাঁচ বছর আগেই। সিইবিআরের ডেপুটি চেয়ারম্যান ডগলাস ম্যাকউইলিয়ামস বলছেন, "এ পূর্বাভাসের বড় খবরটি হলো চীনের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি ঘটছে দ্রুতগতিতে। আমরা ধারণা করছি ২০২৫ সালে তাদের বর্তমান পাঁচসালা পরিকল্পনার মধ্যেই তারা একটি উচ্চ-আয়ের অর্থনীতিতে পরিণত হবে, এবং - আমরা এক বছর আগেও যা মনে করছিলাম তার পাঁচ বছর আগেই - তারা যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে।" চীন করোনাভাইরাস সংকট দ্রুতগতিতে কাটিয়ে উঠেছে রিপোর্টটি বলছে, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চীনের অংশ ২০০০ সালে ছিল ৩.৬ শতাংশ যা এখন বেড়ে ১৭.৮ শতাংশ হয়েছে। এটা আরো বাড়বে এবং ২০২৩ সাল নাগাদ চীন উচ্চ-আয়ের দেশে পরিণত হবে - যখন তার মাথাপিছু আয় হবে ১২,৫৩৬ ডলারের বেশি। তবে তখনও যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর চাইতে চীনের জীবনযাত্রার মান অনেক নিচুতে থাকবে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের মাথাপিছু আয় হচ্ছে ৬৩,০০০ ডলারেরও বেশি। রিপোর্টটিতে আরো বলা হয়, ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত। অন্য এশিয়ান দেশগুলোও বৃহৎ অর্থনীতিগুলোর তালিকায় ওপর দিকে উঠে আসবে। তা ছাড়া রিপোর্টে আরো বলা হয়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ সত্বেও ব্রিটেনের অর্থনীতি ভালো করতে থাকবে এবং আগামী ১৫ বছরে ১.৮ শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি হবে।
China will overtake the US to become the world's largest economy by 2028, five years earlier than previously forecast, a report says.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানে যাবেন না ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট লেখেন, "যারা জানতে চেয়েছে তাদের বলছি,আমি ২০শে জানুয়ারির অভিষেক অনুষ্ঠানে যাচ্ছি না।" এমন এক সময় একথা ঘোষণা করলেন মি. ট্রাম্প, যখন ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনে গত বুধবার ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলায় উস্কানি দেবার জন্য ডেমোক্র্যাটরা ভাইস প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন, সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে অপসারণ করার জন্য। মি. ট্রাম্পের টুইট অবশ্য ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এখন পর্যন্ত এরকম কিছু করার ইঙ্গিত দেননি। রাজধানী ওয়াশিংটনের এই ক্যাপিটল ভবনের সিঁড়িতেই নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানটি হয়ে থাকে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরোধীরা বলছেন, তারা তাকে অভিশংসনের প্রক্রিয়াও শুরু করতে পারেন, যদিও তা সম্পন্ন হবার সম্ভাবনা কম - কারণ মি. ট্রাম্পের মেয়াদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি আছে। বুধবারের হামলায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা সহ পাঁচ জন নিহত হয়েছে। ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবন মি. ট্রাম্প হবেন উত্তরসূরীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে না যাওয়া চতুর্থ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সবশেষ এমন ঘটনা ঘটেছিল ১৮৬৯ সালে। সেবার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট এ্যান্ড্রু জনসন - পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ইউলিসিস গ্র্যান্টের সাথে একই ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যেতে অস্বীকার করেছিলেন। আরো পড়ুন: ক্যাপিটল হিলে হামলা: নিরাপত্তা ব্যর্থতা নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠেছে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ট্রাম্পের এই ‘ইউ টার্ন‘ কেন
US President Donald Trump has said he will not attend the inauguration of his successor, Joe Biden, on 20 January.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ক্লডিয়া - একজন 'সুপার পু' ডোনার কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি নিজের মল অন্যদের দান করেন। কারণ ডাক্তাররা বের করেছেন যে ক্লডিয়ার মলে এমন 'উৎকৃষ্ট মানের ব্যাকটেরিয়া আছে, যা অন্যের দেহে প্রতিস্থাপন করে বিভিন্ন পেটের রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। ক্লডিয়ার বয়স ৩১। তিনি এটাকে রক্তদানের মতই স্বাভাবিক ব্যাপার বলে মনে করেন। তিনি বলছিলেন, "আমার অনেক বন্ধু মনে করে এটা একটা জঘন্য এবং উদ্ভট ব্যাপার। কিন্তু এটা আমাকে বিচলিত করে না। এটা দান করা খুবই সহজ এবং আমি চিকিৎসা গবেষণায় অবদান রাখতে পেরে খুশি।" এই 'মল প্রতিস্থাপন' কিভাবে কাজ করে তা বলা দরকার এখানে। মনে রাখতে হবে এটা কোন জঘন্য ব্যাপার নয়, বরং একটা জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসা। মানুষের পেটের ভেতরকার নাড়িভুঁড়ি অর্থাৎ অন্ত্রের মধ্যে বাস করে অসংখ্যরকম অণুজীব। কিন্তু বর্তমান যুগে মানুষ যে এ্যান্টিবায়োটিক খায় - তা অনেকসময় শরীরের ভালো এবং খারাপ দু'ধরণের ব্যাকটেরিয়াকেই নির্বিচারে মেরে ফেলে। ব্যাকটেরিয়া নির্মূল হয়ে যাবার পর যে বিরান পরিবেশ তৈরি হয় -তাতে 'ক্লস্ট্রিডিয়াম ডিফিসিল' নামে বিশেষ এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া বংশবৃদ্ধি ঘটাতে থাকে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: অভিনব চিকিৎসা পদ্ধতি 'মল-প্রতিস্থাপন' মানুষের বৃহদন্ত্র এবং ক্ষুদ্রান্ত্র এর ফলে এমন ডায়রিয়া হয় যার সাথে রক্তপাত, জ্বর এবং পেট ব্যথা হতে পারে - এবং অনেকক্ষেত্রে এটা এত গুরুতর চেহারা নেয় যে রোগী মারা যায়। এই পরিস্থিতিতে আরো এ্যান্টিবায়োটিক দেয়ার চাইতে ভালো বিকল্প হিসেবে বেরিয়ে এসেছে এই 'মল প্রতিস্থাপন' চিকিৎসা। অর্থাৎ একজন সুস্থ ব্যক্তির মল থেকে ভালো ব্যকটেরিয়াগুলো সংগ্রহ করে তা রোগীর মলদ্বার দিয়ে শরীরে ঢুকিয়ে দেয়া। ক্লডিয়ার মলে নাকি এত বেশি ভালো ব্যাকটেরিয়া আছে যে তা রীতিমত বিরল। বিজ্ঞানীরা একে বলছেন 'সুপার পু' (super poo) - যার মধ্যে ভালো ব্যাকটিরিয়ার চমৎকার সমন্বয় ঘটেছে। এবং ক্লডিয়া হচ্ছেন একজন 'সুপার ডোনার' বা দাতা। ক্লডিয়া একজন ভেগান অর্থাৎ নিরামিষভোজী, আর নিরামিষভোজীরা ভালো মল-দাতা হতে পারেন - এটা জানার পরই তিনি একজন ডোনার হতে আগ্রহী হন। ক্লস্ট্রিডিয়াম ডিফিসিল নামের অণুজীব অবশ্য ভেগানদের মল যে অন্যদের চেয়ে 'ভালো' এমন কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ এখনো নেই। বিজ্ঞানীরা এখনো গবেষণা চালাচ্ছেন যে কেন 'সুপার পু'-ওয়ালারা এত বিরল। নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটির ড. জাস্টিন ও'সুলিভান একজন অনুজীব বিশেষজ্ঞ। তার কথা, "সুপার পু কেন এত বিরল এটা বের করতে পারলে আমরা শুধু যে মল প্রতিস্থাপনে সাফল্য বাড়াতে পারবো তাই নয়, আলঝেইমারস ডিজিজ, হাঁপানি এবং মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস-এর মতো ব্যাকটেরিয়াঘটিত অন্য রোগেরও চিকিৎসায় একে কাজে লাগানো যেতে পারবে।" ব্রিটেনের ওয়েস্ট হার্টফোর্ডশায়ার হাসপাতালের একজন কনসালট্যান্ট ডাক্তার জন ল্যান্ডি বলছিলেন, "কি কারণে একজন সুপার পু ডোনার হন, তা আমরা এখনো জানি না। এদের পাওয়াও খুবই বিরল।" "আমাদের দাতারা যেন স্বাস্থ্যবান হন এবং তাদের দেহে কোন রোগ না থাকে -এটা অবশ্যই আমরা নিশ্চিত করি। কিন্তু তাদের মলে সব রকমের মাইক্রোবায়োম আছে কিনা তা আমরা পরীক্ষা করে দেখি না। " ক্লডিয়া ক্যাম্পেনেলা ড. ও'সুলিভ্যানের গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের মলে বহু রকমের অণুজীব আছে, এবং যাদের প্রতিস্থাপিত মল রোগীর দেহের সাথে 'ম্যাচ করে' তারাই আসলে চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি সাফল্য এনে দেন। তবে ভবিষ্যতে এমন পদ্ধতিও বৈজ্ঞানিকরা বের করার চেষ্টা করছেন মল প্রতিস্থাপন না করে বিকল্প কোন পথে চিকিৎসা করা যায়। কিন্তু তার আগে তাদের জানতে হবে ঠিক কিভাবে এই মল প্রতিস্থাপন কাজ করে। তাহলে হয়তো রোগীদের জন্যও এমন পন্থা বের করা যাবে - যাতে অন্যের মল ব্যবহার করতে হবে না, রোগীর মনে কোন বিতৃষ্ণা সৃষ্টি করবে না। ক্লডিয়া মনে করেন - সেটা যতদিন না হচ্ছে ততদিন এ ব্যাপারটা সম্পর্কে মানুষের মনে মল প্রতিস্থাপন সম্পর্কে যে বাজে ধারণা আছে সেটা ত্যাগ করতে হবে।
Claudia Campanella, 31, works as a student support administrator at a UK university, and in her spare time she is a poo donor.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
পাঞ্জাবে ৩০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। কারণ সন্দেহ করা হচ্ছে, তাদের সবার দেহে এই রোগ সংক্রমিত হয়েছে মাত্র একজনের কাছ থেকে। সত্তর-বছর বয়সী বলদেব সিং সম্প্রতি করোনাভাইরাসে মারা গেছেন। আর এই ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে তার মৃত্যুর পর। এই ব্যক্তি একজন শিখ ধর্মপ্রচারক। সম্প্রতি তিনি ইতালি এবং জার্মানি সফর শেষে দেশে ফেরেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর জন্য স্বেচ্ছায় জন-বিচ্ছিন্ন থাকার যেসব উপদেশ রয়েছে তিনি তার কোনটাই মেনে চলেন নি বলে কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানান। ভারতে মোট করোনাভাইরাস রোগীর নিশ্চিত সংখ্যা ৬৪০। এর মধ্যে ৩০ জন রোগী পাঞ্জাবের। তবে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ভারতে করোনাভাইরাস রোগী আসল সংখ্যা অনেক বেশি হবে। ভারতে রোগীর পরীক্ষার হারও অনেক কম। তবে সম্প্রতি পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। একশো ত্রিশ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতে করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তার ফল হবে বিপর্যয়কর। তার মৃত্যুর কিছুদিন আগে শিখ ধর্মের একটি উৎসব হোলা মহল্লা উপলক্ষে বলদেব সিং বড় ধরনের এক জনসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। ছয়দিনব্যাপী ঐ উৎসবে প্রতিদিন প্রায় ১০,০০০ মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। মি. সিংয়ের মৃত্যুর পর তার ১৯জন আত্মীয়র দেহে পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনাভাইরাস আক্রান্ত করোনাভাইরাসের বিস্তার বেড়েছে, তাই নমুনা সংগ্রহের আওতা বাড়ছে বাংলাদেশে আরো ৪ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত বাংলাদেশে, দু'জন চিকিৎসক বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত এখন যুক্তরাষ্ট্রে অমৃতসরের কেন্দ্রস্থরে পুলিশ কমান্ডোেদর প্রহরা। “এপর্যন্ত আমরা ৫৫০ ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পেরেছি যারা সরাসরিভাবে তার সংস্পর্শে এসেছিল। কিন্তু এই সংখ্যা এখন বাড়ছে,” পাঞ্জাবের একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, “ তিনি যেখানে থাকতেন তার আশেপাশে ১৫টি গ্রাম আমরা এপর্যন্ত সিল করে দিয়েছি।" পাশের জেলার পাঁচটি গ্রামও লকডাউন করা হয়েছে। তবে ভারতে এত বেশি সংখ্যায় মানুষকে কোয়ারানটাইনে পাঠানোর ঘটনা এটাই প্রথম না। রাজস্থানের ভিলওয়ারা শহরের একদল ডাক্তার যারা নিজেরাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের মাধ্যমে বহু লোকের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঐ শহরের কাছের গ্রামগুলিতে ৭,০০০ মানুষ এখন কোয়ারানটাইনে রয়েছেন। ভারতে এখন ২১ দিনব্যাপী লকডাউন চলছে। কিন্তু খাবার এবং ওষুধ কেনার জন্য মানুষের ঘরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর?
Indian authorities in the northern state of Punjab have quarantined around 40,000 residents from 20 villages following a Covid-19 outbreak linked to just one man.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
সাময়িকীটির চূড়ান্ত বাছাইয়ের তালিকায় ছিলেন আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদি, ভ্লাদিমির পুতিন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উবার ট্যাক্সি কোম্পানির প্রধান ট্রাভিস কালানিক। এদের পেছনে ফেলে শীর্ষ ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হয়েছেন এঙ্গেলা মেরকেল। ১৯২৭ সালের পর থেকে মিসেস মেরকেল নিয়ে মাত্র চারজন মহিলা সেরা ব্যক্তিত্বের সম্মান পেলেন। টাইম ম্যাগাজিন ইউরোপের অভিবাসন সংকট এবং ঋণ সমস্যা মোকাবেলায় মিসেস মেরকেলের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে। সাময়িকীর সম্পাদক ন্যান্সি গিবস্‌ বলেছেন মিসেস মেরকেল ''নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন যা আজকের দুনিয়ায় বিরল।'' ইসলামিক স্টেট নেতা আবু বকর আল বাগদাদি দ্বিতীয় স্থানে এবং তৃতীয় স্থানে এসেছেন আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। মিস গিবস্‌ মিসেস মেরকেল প্রসঙ্গে লিখেছেন, ''তিনি নিজের দেশের কাছ থেকে যা চেয়েছেন তা চাইতে অনেক রাজনীতিকই সাহস পাবেন না- তার সেই সাহসিকতার জন্য, স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের জন্য এবং নৈতিকতাকে ভিত্তি করে নেতৃত্ব দেওয়া যা আজকের বিশ্বে বিরল- এসবের কারণেই তিনি টাইম ম্যাগাজিনের ২০১৫-র সেরা ব্যক্তিত্ব হয়েছেন।'' ইউরোপের শরণার্থী ও গ্রিসের আর্থিক সঙ্কট, সেইসঙ্গে প্যারিস হামলার প্রসঙ্গে টেনে মিস গিবস আরও লিখেছেন, ''এই সবগুলো ক্ষেত্রেই এগিয়ে এসেছেন মিসেস মেরকেল। তার কঠিন শর্ত বজায় রেখেও গ্রিসকে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন- ইসলামী মৌলবাদের শিকার যারা তাদের শরণার্থী হিসাবে গ্রহণ করেছেন তিনি।'' টাইম ম্যাগাজিন পাঠকদের ভোট আহ্বান করলেও বিজয়ী নির্বাচনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন সম্পাদকরা। এর আগে এই খেতাবপ্রাপ্তদের তালিকায় অ্যাডল্ফ হিটলার, জোসেফ স্তালিন, মহাত্মা গান্ধী, উইন্সটন চার্চিল ও রিচার্ড নিক্সন-এর পাশাপাশি এখন যোগ হল ৬১ বছর বয়সী এঙ্গেলা মেরকেল-এর নাম।
Time Magazine has named German Chancellor Angela Merkel as its "Person of the Year".
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ছয় সপ্তাহের লড়াইয়ের পর চুক্তি হলো আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান এ চুক্তিকে তার এবং তার জনগণের জন্য 'খুবই বেদনাদায়ক' বলে আখ্যায়িত করেছেন। আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রায় ছয় সপ্তাহ লড়াইয়ের পর এ চুক্তি হলো। অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের বলে স্বীকৃত কিন্তু ১৯৯৪ সাল থেকে আর্মেনিয়ার নৃগোষ্ঠীগুলো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সে বছর একটি যুদ্ধবিরতি হলেও কোনো চুক্তি ছিলো না। সেপ্টেম্বরে লড়াই শুরুর পর থেকে অনেকবার অস্ত্রবিরতি হলেও সেগুলো সব ব্যর্থই হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধ: নাগোর্নো-কারাবাখে গিয়ে যা দেখেছে বিবিসি বন্দী 'হত্যা'র ভিডিও প্রকাশ, যুদ্ধাপরাধের তদন্ত দাবি আর্মেনিয়ার নাগোর্নো-কারাবাখ: যেখানে যুদ্ধের কৌশল বদলে দিয়েছে তুর্কী ড্রোন আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলো সমঝোতা হলো কি নিয়ে মঙ্গলবার থেকেই কার্যকর হয়েছে শান্তি চুক্তিটি। নতুন চুক্তির আওতায় আজারবাইজানের হাতেই থাকবে নাগোর্নো কারাবাখ। আর্মেনিয়া আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিকটবর্তী আরও কিছু এলাকা থেকে সরে যাবে। অনলাইনে এক টেলিভিশন ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন রাশিয়ার শান্তিরক্ষীরা ফ্রন্টলাইনে টহল দেবে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন যে ১ হাজার ৯৬০ জনকে তারা মোতায়েন করবে। শান্তিরক্ষা প্রক্রিয়ায় তুরস্কও অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহ্যাম আলিয়েফ। মিস্টার আলিয়েফ অনলাইনে ভাষণের সময় ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ছিলেন। মিস্টার পুতিন বলেছেন, সমঝোতার আওতায় বন্দী বিনিময়ের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং একই সাথে সব অর্থনৈতিক ও যোগাযোগ সংযোগে উন্মুক্ত হবে। চুক্তির বিরোধিতা করে আর্মেনিয়ার রাজধানীতে বিক্ষোভ কী ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট আলিয়েফ বলেছেন সমঝোতাটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে এবং আর্মেনিয়া তা মেনে নিতে অনেকটা বাধ্য হয়েছে। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী পাশিনিয়ান বলছেন তিনি যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং সেরা বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। "এটা কোনো বিজয় নয় কিন্তু নিজেকে পরাজিত না ভাবলে এখানে কোনো পরাজয় নেই," মিস্টার পাশিনিয়ান বলছিলেন। নাগোর্নো কারাবাখে আর্মেনিয়ান নেতা আরাইখ হারুতুনিয়ান বলেছেন দ্রুত যুদ্ধ শেষ করতে তিনি তার সম্মতি দিয়েছেন। তবে আর্মেনিয়ার রাজধানীতে বিপুল সংখ্যক মানুষ জমায়েত হয়ে এ চুক্তির বিরোধিতা করেছে। তারা এ সময় পার্লামেন্ট ও সরকারি ভবনে ভাংচুর করেছে। প্রায় দেড় মাস আগে বিরোধপূর্ণ এই অঞ্চলটি নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুটো দেশের মধ্যে এর আগেও সংঘর্ষ হয়েছে। নাগোর্নো-কারাবাখের রাজধানী স্টেপানাকার্টের কাছে পাহাড়ের ওপর গড়ে উঠেছে শুষা শহর। এর ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া সড়ক যুক্ত হয়েছে আর্মেনিয়ার সঙ্গে।
Armenia, Azerbaijan and Russia have signed an agreement to end military conflict over the disputed enclave of Nagorno-Karabakh.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
ক্যানাডা এবং নেদারল্যান্ডসে বিদেশে গাঁজা রপ্তানি শুরু করেছে। ক্যানাডা এবং নেদারল্যান্ডস দেশের বাজারে গাঁজা বিক্রির পর এখন বিদেশেও রপ্তানি শুরু করেছে। অস্ট্রেলিয়া এই দুটি দেশকে টেক্কা দিতে চায়। এজন্য তারা আইন পরিবর্তন করার পরিকল্পনা করছে। ওদিকে উরুগুয়ে এবং ইসরায়েলেরও একই রকম পরিকল্পনা রয়েছে। ক্যান্সারের কেমোথেরাপী চিকিৎসায় রোগীর মাথা ধরা ও বমিভাব কমাতে, এইডসের রোগীর ক্ষুধা জাগাতে, এবং পুরোনো বাত ও মাংসপেশীতে ব্যথা দূর করতে ডাক্তাররা গাঁজার ব্যবহারে অনুমতি দিয়ে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বলছেন, তাদের এই পরিকল্পনার ফলে দেশের মধ্যে রোগীরাও উপকৃত হবেন। ঐ দেশ ২০১৬ সালেই চিকিৎসায় গাঁজার ব্যবহার আইনসিদ্ধ করেছে। তবে বিনোদনের জন্য গাঁজার ব্যবহার অস্ট্রেলিয়ায় এখনও নিষিদ্ধ। আরো দেখুন: বিকাশ ব্যবহার করে অর্থ পাচার হয় যেভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কি আসলেই নিউক্লিয়ার সুইচ আছে? মি. হান্ট বলছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে অস্ট্রেলীয় গাঁজা চাষীরাও আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন। সারা বিশ্বে চিকিৎসার জন্য যে গাঁজা চাষ হয় তার অর্থকরী মূল্য ২০২৫ সাল নাগাদ ৫৫০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে গাঁজার ব্যবহারের ওপর নিষেধ্জ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে।
The Australian government has said it aspires to be the world's leading exporter of medicinal cannabis.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
এই চিকিৎসক বলেছেন অল্প মাত্রায় গাঁজা শিশুটির বদমেজাজ নিয়ন্ত্রণ করবে। আর এমন প্রেসক্রিপশন লিখে এখন তার ডাক্তারি নিয়ে রীতিমতো টানাটানি শুরু হয়েছে। ডাক্তারি লাইসেন্স থাকবে কি থাকবে না সেনিয়ে এখন তাকে লড়াই করতে হচ্ছে। কেন এমন প্রেসক্রিপশন? ২০১২ সালে শিশুটির বাবা ডাঃ উইলিয়াম এইডেলম্যানের কাছে তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। শিশুটি স্কুলে খুব বদমেজাজি আচরণ করছিলো। ডাঃ এইডেলম্যান রোগ নির্ণয় করে বলেন শিশুটির 'বাইপোলার ডিসঅর্ডার' এবং এডিএইচডি রয়েছে। এই দুটিই গুরুতর মানসিক রোগ। ডাঃ এইডেলম্যান তার চিকিৎসায় বলেছেন অল্প মাত্রায় গাঁজা শিশুটির বদমেজাজ নিয়ন্ত্রণ করবে। আরো পড়ুন: গাঁজা ব্যবহার স্বাস্থ্যকে কতটা প্রভাবিত করে? গাঞ্জাপ্রেনিউর: কানাডায় গাঁজা ব্যবসায়ীদের উত্থান তিন কেজির বদলে এক কেজি গাঁজা, '৯৯৯' ফোন কিন্তু বিপত্তিটা ঘটলো যখন স্কুলের নার্সকে দুপুরের খাবার সময় শিশুটিকে গাঁজা দিয়ে তৈরি বিস্কুট খেতে দেয়ার জন্য বলা হল। শিশুটির বাবাও ছোটবেলায় একই মানসিক সমস্যায় ভুগেছেন। তিনি বলেছেন বড় হওয়ার পর যখন গাঁজা সেবন শুরু করেন তখন অনেক সুস্থির বোধ করেছেন তিনি। বিশ্বব্যাপী এখন অনেক দেশেই চিকিৎসায় গাঁজার ব্যবহার বৈধ করা হচ্ছে। গাঁজা সেবন করার পর মানুষজনের প্রতি তার আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়েছে বলে জানান তিনি। এই বাবার দাবি তার দুই ছেলের উপরেও গাঁজা একই ধরনের ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে। কী হয়েছিল চিকিৎসকের? ডাঃ এইডেলম্যানের চিকিৎসা নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়াতে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। ওই বোর্ড বলছে শিশুটির রোগ নির্ণয়ে ভুল করেছেন এই চিকিৎসক। শিশুটিকে গাঁজা দেবার জন্য নয়, তবে ভুল রোগ নির্ণয়ের জন্য তার ডাক্তারি লাইসেন্স বাতিল করার সুপারিশ করে বোর্ড। ডাঃ এইডেলম্যান এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। তার আইনজীবী বলছেন সাময়িকভাবে লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি ঠেকাতে পেরেছেন ডাঃ এইডেলম্যান। এখন নতুন করে শুনানি হবে। ১৯৯৬ সাল থেকে ক্যালিফোর্নিয়াতে চিকিৎসার জন্য গাঁজার ব্যবহার বৈধ। এমনকি শিশুদের ক্ষেত্রেও। বিশ্বব্যাপী এখন অনেক দেশেই চিকিৎসায় গাঁজার ব্যবহার বৈধ করা হচ্ছে। ডাঃ এইডেলম্যান বলছেন তিনি নিজে অন্তত এক হাজার রোগীকে গাঁজা সেবনের পরামর্শ দিয়েছেন। অন্যান্য খবর: প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি কিভাবে দেখছেন ডাক্তাররা পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হলো যেভাবে দুর্নীতির সূচক: বাংলাদেশের 'বিব্রতকর' অবনতি
A California doctor is fighting for his licence after he prescribed cannabis cookies to a four-year-old boy.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় একমাস ধরে ১২ লাখ মানুষের দৈনিক শারীরিক কার্যক্রমের তালিকা করেন এবং তাদের মানসিক অবস্থা বর্ণনা করেন। গবেষণায় পাওয়া যায়, ব্যায়ামের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা ব্যায়াম না করা ব্যক্তিদের চেয়ে প্রতিমাসে ১.৫টি কম 'বাজে দিন'এর অভিজ্ঞতা করে থাকেন। সবচেয়ে বেশী ইতিবাচক অভিজ্ঞতা হয় যারা দলগত খেলা, সাইক্লিং এবং ফুসফুস ও হার্টের ব্যায়াম করে থাকেন। সব বয়স ও লিঙ্গের মানুষই শরীরচর্চার ফলে মানসিকভাবে ভাল বোধ করেন। ঘরের কাজ কর ও শিশুদের দেখাশোনা করাও এই তালিকার মধ্যে পরে। ল্যান্সেট সাইকিয়াট্রি জার্নালে প্রকাশিত হওয়া এই গবষেণা এখন পর্যন্ত এই ধরণের যে কোনো গবষেণার মধ্যে সবচেয়ে বড় আকারের। তবে শারীরিক কার্যক্রম ব্যায়ামের কারণেই যে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর শরীরচর্চার প্রভাব বিষয়ক পূর্ববর্তী গবেষণায় মিশ্র ফল পাওয়া গিয়েছে। কিছু গবেষণা অনুযায়ী, কম পরিমাণে শরীরচর্চা করলে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয় এবং মানসিক অবস্থা ভালো না থাকার কারণেও শরীরচর্চার আগ্রহ কমে যায়। শরীরচর্চা করলে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ডায়বেটিসের সম্ভাবনা কমে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে আগেই। এই গবেষণায় অংশ নেয়া প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা জানান, প্রতিমাসে গড়ে ৩.৪ দিন তারা মানসিকভাবে অপ্রসন্ন থাকেন। আর যারা শরীরচর্চা করেন তারা গড়ে প্রতিমাসে দুইদিন মানসিক বিষন্নতায় ভোগেন। বিষন্নতার কারণে আগে যাদের চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে শরীরচর্চা আরো বেশী ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিষন্নতায় ভোগা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ব্যায়াম করেন বা শারীরিকভাবে সক্রিয়, তারা গড়ে প্রতিমাসে ৭ দিন মানসিকভাবে অপ্রসন্ন থাকেন যেখানে শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিরা মাসে ১১ দিন অবসন্নতায় ভোগেন। কতক্ষণের জন্য শারীরিকভাবে সক্রিয় ছিলেন এবং কতদিন পরপর শরীরচর্চা করেন সেটিও গুরুত্বপূর্ন। প্রতি দুইদিনে ৩০ থেকে ৬০ মিনিট শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকাকে সবচেয়ে বেশী কার্যকর বলে মনে করা হয়। অতিরিক্ত ব্যায়ামে হিতে বিপরীত তবে অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকয়িাট্রির সহযোগী অধ্যাপক অ্যাডাম চেকরুড বলেন, "এমন একটা ধারণা ছিল যে যত বেশী ব্যায়াম করা হবে ততই মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। তবে আমাদের গবেষণা বলে বিষয়টি এমনও নয়।" তিনি জানান মাসে ২৩ বারের বেশী ব্যায়াম করলে বা ৯০ মিনিটের চেয়ে বেশী সময় ধরে ব্যায়াম করলে মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপের দিকেও যেতে পারে। দলগত খেলাধূলার ইতিবাচক দিক হলো তা ব্যক্তিতে সামাজিকভাবে মানুষের সাথে সম্পৃক্ত রেখে একাকিত্ব বোধ করার সম্ভাবনা কমায়। যার ফলে মানুষের মধ্যে সহনশীলতা তৈরী হয় ও অবসন্নতা দূর হয়।
Regular physical activity lasting 45 minutes three to five times a week can reduce poor mental health - but doing more than that is not always beneficial, a large US study suggests.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে তাদের প্রথম পরিচয়। পায়াল ও কাঞ্চনের (তাদের আসল নাম নয়) প্রথম দেখা হয় ২০১৭ সালে। তারা দুজনেই পুলিশ হতে চেয়েছিলেন। এজন্যে তারা যোগ দিয়েছিলেন পুলিশের প্রশিক্ষণ শিবিরে। তাদের যখন প্রথম সাক্ষাৎ হয় তারা ভাবতেও পারেন নি যে তারা একে অপরের প্রেমে পড়ে যাবেন। ভারতীয় আইনে সমকামিতা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত ছিল। কিন্তু পায়াল ও কাঞ্চনের দেখা হওয়ার এক বছর পর অর্থাৎ ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় যে সমকামিতা কোন অপরাধ নয়। কিন্তু আইনের পরিবর্তন হলেও সমকামী সম্পর্কের প্রতি ভারতীয় সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি তো আর বদল হয়নি। সমাজে এধরনের সম্পর্ক গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের দুজনের বয়স ২৪। পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে তারা একসঙ্গে বসবাস করছেন ২০১৮ সাল থেকে। এর মধ্যে তাদের এই সম্পর্ক গত মাসে আবার আলোচনায় চলে আসে যখন তারা জীবনের নিরাপত্তার ব্যাপারে হাই কোর্টে হাজির হয়েছিলেন। পায়াল ও কাঞ্চন পুলিশের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেন। পায়াল বলেন, "আমাদের পরিবারই আমাদের সম্পর্কের বিরুদ্ধে। তারা আমাদের হুমকি দিচ্ছে।" আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদেরকে সশস্ত্র পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা প্রদানের আদেশ দেয়। পরিবারের সম্মান রক্ষার্থের নামে পরিবারেরই কোন সদস্যের হাতে আরেক সদস্য হত্যার ঘটনা ভারতের মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে খুব একটা অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। পরিবার থেকে তাদের হুমকি দেওয়া হয় বলে তারা অভিযোগ করেছেন। আরো পড়তে পারেন: যে পাঁচজনের লড়াইয়ে ভারতে সমকামিতা বৈধ হল নারী সমকামীরা কীভাবে গোপন ভাষায় কথা বলে? অপরাধী চক্রের ফাঁদে জিম্মি হচ্ছে সমকামীরা 'সমকামী বলে আমি এখন পরিবারের বিষফোঁড়া' এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ভারতে পরিবারের ইচ্ছার বাইরে কাউকে বিয়ে করা কিম্বা পছন্দের বাইরে গিয়ে কারো সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর কারণে প্রতি বছর কয়েকশো মানুষকে হত্যা করা হয়। পায়াল ও কাঞ্চন গুজরাটের দুটো প্রত্যন্ত গ্রামে বড় হয়েছেন যেখানে সমাজ এখনও রক্ষণশীল ও পুরুষতান্ত্রিক। তারা দুজনেই বলেছেন এই মানসিকতা ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে সমস্ত বাধা বিপত্তি ডিঙ্গিয়ে তারা পুলিশের মতো একটি বাহিনীতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন যেখানে পুরুষের আধিপত্য। তারা বলেছেন, ২০১৭ সালে তারা যখন পুলিশ বাহিনীতে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন তখন প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে হওয়ার কারণে বাহিনীর কেউ তাদের সঙ্গে ঠিক মতো কথা বলতো না। বাকি সদস্যরা এসেছিল বড় বড় শহর থেকে। শুরু থেকেই তারা দুজনে বাকিদের থেকে আলাদা হয়ে পড়েন। প্রশিক্ষণের সময় এই দুই নারীকে একটি ঘরে থাকতে দেওয়া হয়েছিল। সারা দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর সন্ধ্যার সময় তারা দিনে যা যা হয়েছে সেসব নিয়ে আলাপ করতেন। এই আলোচনা খুব দ্রুতই তাদের নিজেদের জীবন ও পরিবারের গল্পে গিয়ে পৌঁছায় এক সময় তাদের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে যায়। "কাঞ্চন যদি আমার কাপড় ধোয় তো আমি ওর জন্য রান্না করি। সময়ের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো গভীর হলো। প্রশিক্ষণ শেষ হলেও আমরা যাতে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারি সেজন্য আমরা ফোন নম্বর বিনিময় করি," বলেন পায়াল। ভারতে সুপ্রিম কোর্ট ২০১৮ সালে সমকামিতাকে বৈধ ঘোষণা করে। প্রশিক্ষণ শেষে কাকতালীয়-ভাবে একই শহরে তাদের পোস্টিং হলো। তারা দুজনেই তখন পুলিশের একটি কোয়ার্টারে একই কক্ষে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন। "পায়ালের যদি নাইট ডিউটি থাকতো, আমি বাড়ির কাজ সামলাতাম। আর আমাকে যদি রাতে কাজ করতে হতো, পায়াল বাড়ির সব কাজ করতো," কাঞ্চন বলেন। "আমাদের কাজ নিয়ে আমরা খুব খুশি ছিলাম। সময় যতোই গড়াতে লাগলো আমাদের জীবনও একে অপরের সঙ্গে আরো বেশি করে জড়িয়ে পড়লো।" এই সময়টাতেই তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। "২০১৭ সালের ৩১শে ডিসেম্বর, নব বর্ষের আগের মুহূর্তে, ঘড়িতে রাত ১২টা বাজার আগে আমরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরি। সেটাই বোধ হয় ছিল প্রথমবারের মতো জড়িয়ে ধরা এবং তখন আমাদের একেবারে ভিন্ন ধরনের অনুভূতি হয়," বলেন কাঞ্চন। এর পরই দুটো পরিবারের দিক থেকেই তাদের বিয়ের ব্যাপারে কথা উঠতে শুরু করে। কাঞ্চনের পরিবার তার জন্য উপযোগী একজন পাত্র খুঁজে বের করতে লেগে যায়। এসময় তারা দুজনেই পরিবারের চাপ এড়িয়ে চলতে সক্ষম হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ কোয়ার্টারে থাকা তাদের সহকর্মীরা তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে জানতে পারে। পায়াল ও কাঞ্চন তখন একথা তাদের পরিবারকেও জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। "তারা একেবারে ভেঙে পড়লো," বলেন পায়াল। ভারতের মুম্বাই শহরে সমকামীদের মিছিল। এই দুই নারী বলেন তার পর থেকে তাদের পরিবার তাদের উপর সর্বক্ষণ নজর রাখতে শুরু করে। তারা কী করে, কোথায় যায় এসবের খোঁজ খবর নিতে থাকে। কিন্তু এবছরের শুরুর দিকে পরিস্থিতি আসলেই খারাপ দিকে মোড় নেয়। "একদিনের ঘটনা, আমরা যখন ডিউটিতে ছিলাম তখন আমার পরিবার আমার কাজের জায়গায় চলে আসে। রাস্তার মাঝখানে তারা আমাদের গাড়ি থামিয়ে শাসাতে থাকে," বলেন পায়াল। "তারা একবার পুলিশ কোয়ার্টারেও আসে। আমাদের নাম ধরে গালি গালাজ করতে থাকে।" তিনি বলেন, "এই ঘটনার অল্প কিছু দিন পরে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। তখনই আমরা নিরাপত্তার জন্য আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।" তাদের পক্ষে দেওয়া আদালতের রায়ে তারা খুশি। তারা বলছেন, এর ফলে তারা এখন নিজেদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে কিছু চিন্তা ভাবনা করার সময় পাচ্ছেন। কাঞ্চন বলেন, "করোনাভাইরাসের মহামারি শেষ হয়ে গেলে আমরা হানিমুনে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে যেতে চাই।" এই দম্পতি ভবিষ্যতে একটি শিশু দত্তক নেওয়ার ব্যাপারেও আগ্রহী। ভারতে সমকামিতা আর অবৈধ না হলেও সমকামী নারী পুরুষের বিয়ের ব্যাপারে এখনও সেরকম কোন ব্যবস্থা নেই। তাদের অধিকার এবং শিশু দত্তক নেওয়ার বিষয়েও স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। তবে কাঞ্চন ও পায়াল বেশ আশাবাদী। পায়াল বলেন, "আমাদের বয়স এখন মাত্র ২৪। আমরা এখন কিছু অর্থ সঞ্চয় করতে চাই ও একটি শিশুকে দত্তক নিতেই চাই। তাকে ভালো শিক্ষা দিয়ে গড়ে তুলতে চাই একজন সফল মানুষ হিসেবে।" স্কেচ এঁকেছেন নিকিতা দেশপাণ্ডে। নিরাপত্তার কারণে দুই নারী পুলিশের নামও বদলে দেওয়া হয়েছে। সমকামিতা এখনো যেসব দেশে শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Payal and Kanchan fell in love as they trained to become policewomen. But their love has faced resistance and they have faced threats, forcing them to go to court to seek protection from their own families, reports BBC Gujarati's Bhargav Parikh.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ফ্রান্সের নিস শহরে নটরড্যাম গির্জার বাইরে সশস্ত্র ফরাসি পুলিশের প্রহরা। অভিযুক্ত ২১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ইতালির রেড ক্রসের কাগজ উদ্ধার করা হয়। গত মাসে এক অভিবাসীবাহী নৌকায় ইতালির ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে আসার পরে ওই কাগজটি তাকে দেয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। পুলিশ তাকে গুলি করায় তিনি গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন। নিস শহরের নটরড্যাম গির্জায় বৃহস্পতিবারের হামলার শিকার একজনকে প্রায় শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ বলেছেন যে এটি একটি "ইসলামপন্থী সন্ত্রাসী হামলা"। মি. ম্যাক্রঁ বলেন, "গির্জা এবং স্কুলের মতো জনসমাগম স্থানগুলোতে সুরক্ষার জন্য সৈন্য সংখ্যা তিন হাজার থেকে বাড়িয়ে সাত হাজার করা হবে। দেশটিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।" বৃহস্পতিবারে ছুরিকাঘাতের এই ঘটনা এ মাসের শুরুর দিকে প্যারিসের উত্তর-পশ্চিমের একটি স্কুলের কাছে আরও একটি হামলার কথাই মনে করিয়ে দিয়েছে। কয়েকজন ছাত্রকে নবী মোহাম্মদের বিতর্কিত কার্টুন দেখানোর কারণে কয়েকদিন পর স্যামুয়েল প্যাতি নামে একজন শিক্ষককে শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ড ফ্রান্সে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়। মি. ম্যাক্রঁ কার্টুন প্রকাশের অধিকার রক্ষায় কট্টোরবাদী ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করলে তুরস্ক ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। নিস হামলার সন্দেহভাজনকে পুলিশ গুলি করার আগে সে বারবার "আল্লাহু আকবর" বলে চিৎকার করছিল বলে জানা গেছে। বর্তমানে, সন্ত্রাসবিরোধী প্রসিকিউটররা এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। হামলাকারীর কাছ থেকে একটি কোরান, দুটি টেলিফোন এবং একটি ১২ ইঞ্চি ছুরি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধান সন্ত্রাসবিরোধী প্রসিকিউটর জ্যঁ-ফ্রাসোয়া রিকার্ড। "আমরা হামলাকারীর একটি ব্যাগও পেয়েছি। এই ব্যাগের পাশে দুটি ছুরি ছিল যা আক্রমণে ব্যবহৃত হয়নি," তিনি আরও বলেন। পুলিশ সূত্র বলছে হামলাকারীর নাম ব্রাহিম আউইসাউই। হামলার পরে গির্জার আশেপাশের এলাকা ঘেরাও করা হয়। নিস সফরের পরে, মি. ম্যাক্রঁ তার বক্তব্যে বলেন: "যদি আমাদের আবারও আক্রমণ করা হয় তবে সেটা হবে আমাদের স্বাধীনতার মূল্যবোধের ওপর হামলা, আমাদের মাটিতে মুক্তভাবে চলার ওপর হামলা, যা কোন সন্ত্রাসবাদের সামনে মাথানত করবে না। "আমি আবারও স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা কোনও কিছু সমর্পণ করব না।" বৃহস্পতিবার আরও দুটি জায়গায় হামলা হয়েছে, একটি দক্ষিণ ফ্রান্সে এবং আরেকটি সৌদি আরবে। পুলিশকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হুমকি দেওয়ার পর ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় আভিগনন শহরের কাছে মন্টফ্যাভেটে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে, সৌদি আরবের জেদ্দায় ফরাসী কনস্যুলেটের বাইরে এক প্রহরীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত এক সন্দেহভাজনকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। আহত প্রহরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আরও পড়তে পারেন: ফ্রান্সের প্রতি সমর্থন ভারতে ট্রেন্ডিং, ম্যাক্রঁ বন্দনায় বিজেপি নেতা থেকে নেটিজেনরা ফ্রান্সে 'সন্ত্রাসী হামলা', তিনজন ছুরিকাঘাতে নিহত ফরাসী পণ্য বর্জন: আরব দেশগুলোকে বয়কট ঠেকানোর আহ্বান ফ্রান্সের কারা নিস হামলার শিকার হয়েছে? বৃহস্পতিবার সকালে গির্জার ভেতরে ওই তিনজনের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। দু'জন গির্জার ভেতরেই মারা যান। ৬০ বছর বয়সী এক নারীর প্রায় শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল, এবং ৫৫ বছর বয়সী ব্যক্তির গলা কাটা হয়। হামলার শিকার ওই ব্যক্তি গির্জার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে। ৪৪ বছর বয়সী অপর এক নারী বেশ কয়েকবার ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েও পাশের একটি ক্যাফেতে পালাতে সক্ষম হন, তবে পরে তিনি মারা যান। পরে জানা যায় যে, একজন প্রত্যক্ষদর্শী অ্যালার্ম বাড়াতে সক্ষম হন। নাগরিকদের বিশেষ সুরক্ষা দিতে নগর কর্তৃপক্ষ এই অ্যালার্মটি স্থাপন করেছিল। গির্জার কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দা ক্লোই বিবিসিকে বলেছেন: "আমরা রাস্তায় অনেক লোকজনকে চিৎকার করতে শুনেছি। আমরা জানালা থেকে দেখলাম যে সেখানে অনেক অনেক পুলিশ এসেছে, এবং অনেক গুলির শব্দও পাই।" চারজন পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং হামলাকারীকে গুলি করে তাকে আটক করা হয় বলে পরেই সন্ত্রাসবিরোধী প্রসিকিউটর জানান। চার বছর আগে ফ্রান্সের এই নিস শহর ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছিল। ২০১৬ সালের ১৪ই জুলাই বাস্তিল দিবসের দিন একজন তিউনিসীয় জনতার ওপর দিয়ে দ্রুত গতিতে ট্রাক চালিয়ে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৮৬জন নিহত হন। ফ্রান্সসহ ইউরোপের প্রতিবেশী দেশ থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, মিশর, কাতার এবং লেবাননসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার এই হামলার নিন্দা জানায়।
A Tunisian man who killed three people in a church in France only recently arrived in Europe, officials say.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
মিনেয়াপোলিসের মেয়র বলছেন যে, সহিংসতা এখনই থামানো দরকার। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ব্যাপক মাত্রায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের উপর টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছুড়েছে দাঙ্গা পুলিশ। কয়েকটি শহরে পুলিশের যানে আগুন দেয়া হয়েছে। এই সংঘর্ষের জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ভাষায় "লুটেরা এবং বিশৃঙ্খলাকারীদের" দোষারোপ করেছেন। গত সোমবার মিনেয়াপোলিসে পুলিশের হেফাজতে থাকার সময় মারা যান ৪৬ বছর বয়সী আফ্রিকান আমেরিকান নাগরিক মি ফ্লয়েড। ৪৪ বছর বয়সী শ্বেতাঙ্গ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চউভিনকে তার মৃত্যুর জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং সোমবার তাকে আদালতে তোলার কথা রয়েছে। অনলাইনে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় যে, বেশ কয়েক মিনিট ধরে মি. ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু গেড়ে বসে রয়েছেন মি চউভিন। সেসময় মি ফ্লয়েড বারবারই বলছিলেন যে তিনি নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না। ওই সময়ে উপস্থিত থাকা আরো তিন পুলিশ কর্মকর্তাকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। বিক্ষোভের সবশেষ পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৩০ শহরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিকাগোতে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা। জবাবে পুলিশও পাল্টা টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। শনিবার বেশ কয়েক জনকে আটক করা হয়। লস এঞ্জেলেসে পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়ার পর বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোঁড়ে পুলিশ। ছবিতে দেখা যায় যে, পুলিশের গাড়ির উপর দাড়িয়ে রয়েছে বিক্ষোভকারীরা। লসএঞ্জেলেসের রাস্তায় পুড়িয়ে ফেলা গাড়ির উপরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করে মানুষ। দ্বিতীয় দিনের মতো ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসের বাইরে অবস্থান নিয়েছে অনেক বিক্ষোভকারী। জর্জিয়া, আটলান্টায় শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা ভাংচুর চালানোর পর জান-মালের নিরাপত্তায় সেখানে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। মিনেয়াপোলিস, নিউইয়র্ক, মায়ামি, আটলান্টা এবং ফিলাডেলফিয়ায় বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। জর্জিয়া, আটলান্টায় একটি পুলিশ লাইনের কাছে বিক্ষোভের সময় আতশবাজির বিস্ফোরণ ঘটে। অন্যান্য শহরের সাথে মিনেয়াপোলিস, আটলান্টা, লস এঞ্জেলেস, ফিলাডেলফিয়া, পোর্টল্যান্ড এবং লুইসভিলে রাতভর কারফিউ জারি করা হয়েছে। যাইহোক, অনেক শহরে বিক্ষোভকারীরা কারফিউ ভেঙ্গে ব্যাপক হারে লুটপাট চালিয়েছে। শুক্রবার মিনেসোটায় ন্যাশনাল গার্ডের কয়েকশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ন্যাশনাল গার্ড যুক্তরাষ্ট্রের সংরক্ষিত সামরিক বাহিনী যাদেরকে অভ্যন্তরীণ জরুরী অবস্থা সামাল দিতে প্রেসিডেন্ট কিংবা রাজ্যের গর্ভনর ডাকতে পারে। ট্রাম্প কী বলেছেন? শনিবার সন্ধ্যায় মি. ট্রাম্প বলেছেন যে মি ফ্লয়েডের মৃত্যু "আমেরিকাবাসীকে ভয়, ক্রোধ এবং শোকে নিমজ্জিত করেছে।" "শান্তিপ্রিয় প্রতিটি আমেরিকানের সামনে বন্ধু হিসেবে দাঁড়াবো আমি," ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে টেলিভিশনে ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। বিলিয়নিয়ার এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের নির্মিত মহাকাশযানে করে নাসার দুই নভোচারীকে কক্ষপথে পাঠানোর কর্মসূচীতে গিয়ে একথা বলেন তিনি। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের পানি এবং খাবার বিতরণ করে মিনেসোটার বাসিন্দারা। প্রেসিডেন্ট "লুটেরা এবং বিশৃঙ্খলাকারীদের" কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন যে তাদের এ ধরণের কাজ মি. ফ্লয়েডের স্মৃতিকে অসম্মান করবে। তিনি বলেন, যা প্রয়োজন ছিল তা হচ্ছে, "ঘৃণা নয় বরং আরোগ্য লাভ করা, বিশৃঙ্খলা নয় বরং ন্যায়বিচার।" "আমি ক্ষুব্ধ জনগণের কর্মকাণ্ড সহ্য করবো না- এটা চলবে না," তিনি বলেন। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার জন্য মিনেয়াপোলিসের মেয়র, যিনি একজন ডেমোক্রেট, তাকে দোষারোপ করেছেন। তিনি ক্ষমতায় আসার পর এটা সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। তিনি বলেন, বিক্ষোভ যদি নিয়ন্ত্রণে নেয়া না হয় তাহলে ন্যাশনাল গার্ডের সেনারা সেটি নিয়ন্ত্রণে নেবে। তার বিরোধী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন অভিযোগ তুলেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গোঁড়ামির পালে হাওয়া দিচ্ছেন এবং মি. ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। জর্জ ফ্লয়েডের সাথে কী হয়েছিল? সোমবার রাতে পুলিশ একটি মুদি দোকান থেকে ফোন পায় যেখান থেকে অভিযোগ জানানো হয় যে, মি ফ্লয়েড একটি নকল ২০ ডলারের নোট দিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে পুলিশের গাড়িতে তোলার চেষ্টা করার সময় তিনি মাটিতে পড়ে যান এবং বলেন যে তিনি ক্লসট্রোফোবিক বা আবদ্ধতায় তার ভয় কাজ করে। পুলিশের মতে, তিনি কর্মকর্তাদের শারীরিকভাবে বাধা দিয়েছিলেন এবং তাকে হাতকড়া পরানো হয়। তবে ওই ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়নি যে বাধা দেয়াটা কিভাবে শুরু হয়েছিল। মি. চউভিনের হাত যখন তার গলায় ছিল, মি. ফ্লয়েড বারবারই বলছিলেন যে, "দয়া করুন, আমি শ্বাস নিতে পারছি না" এবং "আমাকে মারবেন না"। পুলিশকে বার বারই মি. ফ্লয়েড জানান যে তিনি শ্বাস নিতে পারছেন না। স্থানীয় চিকিৎসাকর্মী প্রাথমিকভাবে ময়না তদন্তের পর জানিয়েছেন যে, মি. ফ্লয়েডের গলায় ওই পুলিশ কর্মকর্তার হাঁটু আট মিনিট ৪৬ সেকেন্ড ধরে চেপে ছিল, অর্থাৎ মি. ফ্লয়েড সাড়াহীন হয়ে যাওয়ার পরও আরো তিন মিনিট বেশি সময় ধরে এটা চলে। মি. চউভিন তার হাঁটু সরিয়ে নেয়ার দুই মিনিট আগে আরেক কর্মকর্তা মি. ফ্লয়েডের ডান হাতের কব্জিতে স্পন্দন খোঁজার চেষ্টা করেও পাননি। তাকে হাসপাতালে নেয়া হয় এবং ঘণ্টা খানেক পরে সে মারা গেছে বলে জানানো হয়। প্রাথমিক ময়না তদন্তে মি. চউভিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগসহ "আঘাতজনিত শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসরোধের" কোন প্রমাণ মেলেনি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মি. ফ্লয়েডের হৃদরোগজনিত সমস্যা ছিল এবং এই দুইয়ের সমন্বয়ে তার দেহে প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের পদক্ষেপের কারণে "তার মৃত্যু ত্বরাণ্বিত হয়েছে।" মি. ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় মি. চউভিনের বিরুদ্ধে থার্ড-ডিগ্রি মার্ডার এবং সেকেন্ড ডিগ্রি বেআইনি ও অনিচ্ছাকৃত নরহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। মি. ফ্লয়েডে পরিবার এবং তার আইনজীবী বেঞ্জামিন ক্রাম্প এই "অভিযোগ আনাকে স্বাগত" জানিয়েছেন কিন্তু উল্লেখ করছেন যে, "একটু দেরি হয়ে গেছে।" পরিবার বলছে যে তারা ফার্স্ট ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ আনতে চান এবং সেই সাথে এ ঘটনায় জড়িত তিন পুলিশ কর্মকর্তারই গ্রেফতার দাবি করেন।
Curfews have been imposed in multiple cities in the US, after unrest and protests have spread across the country over the death of an unarmed black man, George Floyd, in police custody.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
কৃষি বিলের প্রতিবাদে পাঞ্জাবে কৃষক পরিবারের বধূদের রেল রোকো আন্দোলন এদিন সকালে দিল্লির প্রাণকেন্দ্র রাজপথে, ইন্ডিয়া গেটের ঠিক সামনে একদল আন্দোলনকারী একটি ট্রাক্টর জ্বালিয়ে দিয়ে এই বিলগুলোর বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কৃষি বিলের বিরুদ্ধে এদিন অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, প্রতিবাদ হয়েছে দক্ষিণের কর্নাটক বা তামিলনাডুতেও। কৃষিপণ্যের জন্য সরকারের 'ন্যূনতম সহায়ক মূল্য' বা এমএসপি বহাল থাকবে, সরকারের এই আশ্বাসের পরও কৃষক বিক্ষোভ কীভাবে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে? বস্তুত কৃষিখাতে সংস্কারের লক্ষ্যে আনা নতুন একগুচ্ছ বিলের বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন কৃষক সংগঠন একযোগে প্রতিবাদ শুরু করেছিল শুক্রবার থেকেই। সেদিন বিক্ষোভকারীদের রাজধানীর সীমান্তে নয়ডাতে আটকে দেওয়া হলেও এদিন সকালে কিন্তু পাঞ্জাবের একদল যুব কংগ্রেস কর্মী কড়া নিরাপত্তার ফাঁক গলে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের সামনে হাজির হয়ে যান। বিলগুলোর প্রতিবাদ করে মোদী ক্যাবিনেট থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অকালি দলের হরসিমরত কাউর ট্রাকে করে তারা লুকিয়ে নিয়ে এসেছিলেন একটি ট্রাক্টর, সেটিকে রাজপথের ওপর নামিয়ে তারা আগুন ধরিয়ে দেন। দিল্লি পুলিশ পরে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করলেও এই নিরাপত্তার গাফিলতি কীভাবে হল সে প্রশ্নও উঠছে - কারণ ঘটনাস্থল থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বেই ভারতের পার্লামেন্ট ও রাষ্ট্রপতি ভবন। এবং আরও যে প্রশ্নটা বেশি করে উঠছে, তা হল দেশের কৃষক বিক্ষোভ কি আরও তীব্র আকার নেবে? চাষীরা সরকারের সহায়ক মূল্য আর পাবেন না? সরকার দাবি করছে, স্বামীনাথন কমিটির রিপোর্ট বাস্তবায়ন করে এবং কৃষিখাতের দালাল বা মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের ভূমিকাকে খর্ব করে এই বিল চাষীদের জন্য নানা সুবিধা বয়ে আনবে। কিন্তু আন্দোলনরত চাষীদের আশঙ্কা, বিভিন্ন কৃষিপণ্যের জন্য তারা যে এতদিন সরকারের বেঁধে দেওয়া 'ন্যূনতম সহায়ক মূল্য' পেতেন, এই বিলগুলো পাস হওয়ার পর সেই নিশ্চয়তা আর থাকবে না। বিজেপি-নেতৃত্বাধীন শাসক জোট থেকে বেরিয়ে গিয়ে তাদের সবচেয়ে পুরনো শরিক অকালি দলের সুখবীর সিং বাদলও ঠিক এই যুক্তিই দিচ্ছেন। নতুন বিলে সরকার নিয়ন্ত্রিত এই কৃষি মান্ডিগুলো অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে তার কথায়, "দুমাস ধরে বিজেপিকে আমরা বোঝাতে চেষ্টা করেছিলাম এই বিলগুলো পাঞ্জাব-সহ সারা দেশের কৃষকদের চরম সর্বনাশ করবে, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। ফলে ওই জোটে থাকা আমাদের পক্ষে আর সম্ভব হয়নি।" অর্থনীতিবিদ সৈকত সিংহরায়ের মতে, "বিভিন্ন কৃষিপণ্যের জন্য সরকারের নির্ধারিত সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তার বদলে বৃহৎ পুঁজিপতি বা কর্পোরেটদের মর্জির ভরসায় থাকা - ভারতের কৃষকরা এটাই আসলে মেনে নিতে পারছেন না।" নীলকর সাহেবরা এক সময় যেভাবে দাদন দিয়ে কৃষকদের নীলচাষে বাধ্য করতেন, নতুন সিস্টেমে ছোট জমির মালিক ক্ষুদ্রচাষীরা অনেকটা একই রকম আশঙ্কায় ভুগছেন বলেও তার পর্যবেক্ষণ। পার্লামেন্টে বিলগুলোর তীব্র প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই দলের এমপি দোলা সেন বিবিসিকে বলছিলেন, "দেশে খাদ্যাভাবের সময়, মহামারির সময় যখন আরও বেশি করে কৃষিতে প্রোটেকশন আর মনিটরিং দরকার, ঠিক তখনই এই বিলগুলোর মাধ্যমে কৃষিখাতকে ওপেন করে দিল, একেবারে খুলে দিল!" "কর্পোরেট হাঙরদের হাতে দেশের কৃষিকে তুলে দেওয়ার বিরোধিতা তো আমাদের করতেই হবে", বলছিলেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের এমপি দোলা সেন মোবাইলের মতো কৃষির বাজারেও শুধু কর্পোরেটরা? ভারতের পার্লামেন্টে পাস হওয়া বিতর্কিত এই তিনটি কৃষি বিলের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী কৃষকদের আন্দোলন শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকেই। অব্যাহত এই তুমুল বিক্ষোভে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে কৃষক সংগঠনগুলো সড়ক ও রেলপথও অবরোধ করেছেন। বুলন্দশহরের এক ক্ষুদ্র চাষী রতন লাল বলছিলেন, "যে ছোট বা মাঝারি আড়তদাররা এখন আমাদের পণ্য কিনে নেন তাদের হঠিয়ে বড় কর্পোরেটদের নিয়ে আসতেই এই বিল।" "ঠিক যেভাবে মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে জিও আর এয়ারটেল ছাড়া আর সব প্লেয়ার বাজার থেকে আজ উধাও, ঠিক সেভাবেই শুধুমাত্র বড় পুঁজিপতিদের কাছে ফসল বেচতে আমাদের বাধ্য করা হচ্ছে।" মীরাটের কৃষক বলীরাম আবার মনে করেন, "বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার চাপেই সরকারের এই পদক্ষেপ। বরং বিভিন্ন কৃষিপণ্যের জন্য মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস বা এমএসপি দিতে সরকার পার্লামেন্টে কেন বিল আনছে না?" রাজনীতিবিদ ও অ্যক্টিভিস্ট যোগেন্দ্র যাদব বলছিলেন, পাস হওয়ার মাত্র পাঁচদিনের বিরুদ্ধে সারা দেশের সব রাজ্যে ও সব কৃষক সংগঠন মিলে যেভাবে এই বিলের প্রতিবাদে নেমেছে তা ভারতে আগে কখনও হয়নি। ওড়িশার একটি ধানক্ষেত, কৃষিকাজে যাচ্ছেন একদল নারী তার কথায়, "পাঞ্জাবের পাটিয়ালা থেকে তামিলনাডুর সালেম সর্বত্র কৃষকরা একটাই দাবি জানাচ্ছেন - আমাদের মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইসের গ্যারান্টি চাই।" বিলগুলোতে ঠিক আছেটা কী? ঠিক আটদিন আগে পার্লামেন্টে পাস হওয়া যে তিনটি বিলকে ঘিরে এই ধুন্ধুমার - তার প্রথমটিতে সরকার নিয়ন্ত্রিত পাইকারি কৃষিবাজার বা মান্ডিগুলো কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে। দ্বিতীয় বিলটি ফসলের আগে থেকে ঠিক করে রাখা দামে চুক্তিভিত্তিক চাষ বা কনট্রাক্ট ফার্মিংয়ের পথ প্রশস্ত করবে। আর ব্যবসায়ী বা উৎপাদকরা চাল-ডাল-আলু-পেঁয়াজ ইত্যাদি কতটা মজুত করতে পারবেন, এই মুহুর্তে তার ওপর যে সরকারি নিয়ন্ত্রণ আছে তৃতীয় বিলটি সেটাই বিলোপ করবে। বিলের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে সিনিয়র ক্যাবিনেট মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি আবার বলছিলেন, "কৃষিমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত বারবার নানা মঞ্চে আশ্বস্ত করেছেন, এসএসপি থাকবে - চিন্তার কিছু নেই।" "বস্তুত কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথনের রিপোর্টে চাষীদের যে উপযুক্ত এমএসপি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল, নতুন বিলগুলো সেটাই নিশ্চিত করবে এবং ভারতে কৃষির জন্য 'এক দেশ, এক বাজার' প্রতিষ্ঠা করবে।" কৃষি বিলের পক্ষে প্রচারে নেমেছেন সিনিয়র ক্যাবিনেট মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি অনেক বিশেষজ্ঞ অবশ্য মানছেন, এই বিলগুলো সংস্কারমুখী - এবং ভারতের কৃষিতে তা হয়তো কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনও আনতে পারে। তবে বিলটা নিয়ে যথেষ্ঠ আলাপ-আলোচনা হয়নি, আর সমস্যা সেখানেই। কৃষি অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ ড: হাসরাত আলি বিবিসিকে বলছিলেন, "বিলটা আনা হয়েছে তাড়াহুড়ো করে, এটা আনার আগে অনেক সেমিনার-সিম্পোসিয়াম-আলোচনা দরকার ছিল, কৃষকদের মত নেওয়া উচিত ছিল।" "সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি একটা কথা বলতেন, সরকার হয়তো সংখ্যা দিয়েই গড়া যায়, কিন্তু সরকার চালাতে হয় সহমত দিয়ে, অর্থাৎ সব দলকে সঙ্গে নিয়ে। এখানে সেটা একেবারেই করা হয়নি।" বিজেপি জোটের কাছে পার্লামেন্টে সংখ্যা থাকলেও এই বিলগুলো নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য তারা গড়তে পারেনি, তা স্পষ্ট। ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ গত রাতে বিলগুলোতে সই করে তা আইনে পরিণত করে দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তার বাড়ির দোরগোড়ায় ট্রাক্টর জ্বালিয়ে কৃষকরাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তাদের বিক্ষোভ সহজে থামছে না।
Tens of thousands of farmers in India have taken their protest against agricultural reforms right to the heart of the capital Delhi.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
বৈষম্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ লেবাননে হাজার মাইল দূরের কোনো দেশে যখন আন্দোলন শুরু হয়, তখন প্রায় একই বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে, কীভাবে আন্দোলনকে সংগঠিত করা যায় এই নিয়ে বিক্ষোভকারীরা একে অপরের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পায়। আন্দোলনকারীদেরকে কোন বিষয়গুলোকে পথে নামতে বাধ্য করেছে তার একটা চিত্র এখানে তুলে ধরা হলো। বৈষম্য যারা আন্দোলনে যোগ দিয়েছে তাদের একটি বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরেই নিজের দেশে নিজেকে বঞ্চিত মনে করে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ কোনো সেবার মূল্য বৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্ত এই ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে সরব মাহাথির মূল্য দিচ্ছেন পাম তেলে? কিভাবে পদবী হারালেন থাই রাজার সঙ্গী 'শীতের আগেই এক লাখ রোহিঙ্গা যাচ্ছে ভাসানচরে' ভোলায় হিন্দুদের বাড়ি, মন্দিরে হামলার ঘটনাও ঘটেছিল গ্রাফিতি, কার্টুন আর দেয়াল লিখন যখন প্রতিবাদের ভাষা দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইরাকে বিক্ষোভ একুয়েডর এই অক্টোবরেই একুয়েডরে দেখা দেয় প্রবল বিক্ষোভ। সরকারি খরচ কমানোর অংশ হিসেবে সরকার হঠাৎ করেই জ্বালানীতে ভর্তুকি বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পরামর্শে অর্থনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, বহু বছর ধরে চলে আসা এই ভর্তুকি যখন সরকার বন্ধের ঘোষণা দেয় তখনই বিক্ষোভের শুরু। ভর্তুকি বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তের পর দেশটিতে পেট্রোলের দাম অনেক বেড়ে যায়। মূল্যবৃদ্ধির এই ভার বহন করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় বলে জানিয়েছেন অনেকেই। আদিবাসী গোত্রের বাসিন্দারা আশঙ্কা করছিলেন, জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে তাদের দৈনন্দিন যাতায়াত ও খাদ্য খরচ বেড়ে যাবে এবং এর বড় কোপটা পড়বে গ্রামীণ জনগণের ওপর। ফলে, বিক্ষোভকারীরা সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এবং ভর্তুকির দাবীতে আন্দোলনে নেমে রাজপথ বন্ধ করে দেয়, সংসদে হামলে পড়ে এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায়। অবশেষে, আন্দোলনের মুখে সরকার পিছু হঠে এবং জ্বালানী তেলে ভর্তুকি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে। বার্সেলোনা বিমানবন্দরের বাইরে বিক্ষোভ চিলি চিলিতে আন্দোলন দানা বাঁধার পেছনেও রয়েছে মূল্যবৃদ্ধি। জ্বালানী তেলের উচ্চ মূল্য এবং দেশটির দুর্বল মুদ্রার কারণ দেখিয়ে চিলি সরকার বাস ও মেট্রোর ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের মতে, এই সিদ্ধান্ত ছিল গরীবের উপরে সরকারের আরেকটি খাঁড়ার ঘা। গত শুক্রবারে আন্দোলনকারীরা যখন নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, ঠিক সেসময় প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরাকে ইতালিয়ান এক অভিজাত রেস্তোরাঁয় খেতে দেখা যায়। এই ছবিটিকে অনেকেই ব্যাখ্যা করছেন এই বলে যে, চিলির রাজনৈতিক অভিজাতদের সাথে সাধারণ জনতার যে দুস্তর ফারাক দেখা গিয়েছে এটি তারই প্রতিচ্ছবি। দাক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম ধনী দেশ চিলি। কিন্তু দেশটিতে তীব্রভাবে ধন-বৈষম্য বিরাজমান। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনোমিক কো-অপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্টের যে ৩৬টি দেশ রয়েছে তার মধ্যে চিলিতেই সবচেয়ে বেশি আয় বৈষম্য রয়েছে। একুয়েডরে যেমন জ্বালানী তেলের ভর্তুকি বন্ধের সিদ্ধান্ত সরকার প্রত্যাহার করেছে, চিলিতেও ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সরকার বাতিল করেছে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা এখন আরো বিবিধ অভিযোগের প্রেক্ষিতে আন্দোলন করছে। আন্দোলনে অংশ নেয়া এক শিক্ষার্থী রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলছিলেন, 'এটি কেবল মেট্রোর ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে একটা মামুলী বিক্ষোভ নয়। বরং এটি হচ্ছে বহু বছর ধরে গরীবদের উপরে চলে আসা নিপীড়ন ও জুলুমের প্রতিবাদ'। লেবানন লেবাননেও বিক্ষোভ ছড়িয়েছে কর আরোপের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে। হোয়াটসঅ্যাপ কলের উপরে কর আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় লেবানিজ সরকার। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে অর্থনৈতিক সমস্যা, বৈষম্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ ফুঁসে ওঠে। যদিও ঋণের ভার বাড়ছে, তবু আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠীদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্যাকেজ নিয়ে সরকার নানান অর্থনৈতিক সংস্কার করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সাধারণ মানুষেরা বলছেন, সরকারের অব্যবস্থাপনা এবং দেশের অর্থনৈতিক নীতি-নির্ধারণীর বলি হিসেবে তারা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। বৈরুতে বিক্ষোভে অংশ নেয়া আব্দুল্লাহ বলছিলেন, 'শুধু হোয়াটসঅ্যাপের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমরা এখানে আসিনি। আমরা এখানে সব কিছুর প্রতিবাদে এসেছি— জ্বালানি, খাদ্য, রুটি— সবকিছু'। লন্ডনে বিক্ষোভ দুর্নীতি যত বিক্ষোভ চলছে তার অধিকাংশের কেন্দ্রে রয়েছে সরকারের দুর্নীতি। দুর্নীতির সাথে বৈষম্যের একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। লেবাননে বিক্ষোভকারীরা বলছেন, অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে তাদের যখন জেরবার হচ্ছে তখন দেশের নেতা-নেত্রীরা তাদের পদ-পদবী কাজে লাগিয়ে ঘুষ দুর্নীতিসহ নানান কায়দায় নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। বিক্ষোভে অংশ নেয়া ৫০ বছর বয়সী লেবানীজ নাগরিক রাবাব বলছেন, 'এখানে আমি বহু কিছুই ঘটতে দেখেছি। কিন্তু এমন দুর্নীতিগ্রস্থ সরকার আমি লেবাননে কখনো দেখিনি'। চলতি সপ্তাহের সোমবারে সরকার একটি সংস্কার প্যাকেজ অনুমোদন দিয়েছে। বিক্ষোভ সামাল দেবার উপায় হিসেবে, এই প্যাকেজের আওতায় রাজনীতিবিদদের বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইরাক ইরাকেও চলমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা জানিয়ে এর ইতি টানার আওয়াজ তুলেছে ইরাকি জনতা। ইরাক সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের অভিযোগ, মেধার ভিত্তিতে সরকারী কাজে নিয়োগ না দিয়ে জাতিগত ও অন্যান্য বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, জনগণের টাকার শ্রাদ্ধ করে নেতা-নেত্রীরা নিজেরা এবং তাদের অনুসারীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবনে 'পাবলিক ফান্ড' বা সরকারী কোষাগারের অর্থ কোনো কাজেই আসছে না। ছবিতে চিলি, হংকং ও লেবাননের বিক্ষোভ মিশর দুর্নীতির অভিযোগে মিশরীয় সরকারের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে। স্পেনে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলীর ডাকে গত সেপ্টেম্বরে মিশরে বিক্ষোভ দেখা দেয়। মি. আলী মিশরীয় প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং সেনাবাহিনীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। সরকারি ফান্ডের টাকা প্রেসিডেন্ট সিসি এবং তার সরকার অপব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলেন মি. আলী। সরকারের কৃচ্ছতা নীতির কারণে ভোগান্তিতে থাকা সাধারণ মানুষের ছিল একই অভিযোগ। রাজনৈতিক স্বাধীনতা কোনো কোনো দেশে বিক্ষোভকারীরা চলমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রাজনৈতিক স্বাধীনতার অভাবে তারা এক ধরণের বন্দীদশায় থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। হংকং সরকারি একটি বিলের বিরোধিতা করতে গিয়ে এই গ্রীষ্মে হংকং-এ বিক্ষোভের সূত্রপাত। বিলটিতে বলা ছিল, কোনো অপরাধী ব্যক্তিকে কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে চীনের মূল ভূখণ্ডে হস্তান্তর করা যাবে। হংকং চীনের অংশ হলেও এই স্থানটি বিশেষ স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে। কিন্তু হংকং-এর মানুষের মধ্যে এই বোধ তীব্র হচ্ছে যে, বেইজিং তাদের উপরে আরো বেশি মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চায়। চিলি ও লেবাননের মতই হংকং-এর বিক্ষোভেও কাজ হয়েছে। বিতর্কিত বিলটি প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তবু বিক্ষোভ এখনো চলমান। এখন যারা আন্দোলন করছে তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সকল নাগরিকের ভোটাধিকারের দাবি। এছাড়া বিক্ষোভে পুলিশী সহিংসতার স্বাধীন তদন্ত এবং গ্রেফতারকৃত আন্দোলনকারীদের মুক্তির দাবি রয়েছে। তাদের রাজনৈতিক এই কর্মসূচী বিশ্বের আরেক প্রান্তের দেশকেও উদ্বুদ্ধ করেছে। একুয়েডরে সহিংস প্রতিবাদ বার্সেলোনা কাতালান বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে কারাবন্দী করার প্রতিবাদে স্পেনের বার্সেলোনার রাস্তায় নেমে আসে লাখ লাখ মানুষ। ২০১৭ সালে বার্সেলোনায় যে 'অবৈধ' গণভোট আয়োজন করা এবং স্বাধীনতা ঘোষণার কারণে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু এই রায় ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই জনপ্রিয় একটি অ্যাপের মাধ্যমে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে, হংকং-এ প্রতিবাদকারীদের মতন একই কায়দায়, 'এল পার্ট এয়ারপোর্ট' এলাকায় সকলে জড়ো হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, বিমানবন্দর অভিমুখে যে তরুণেরা আসছিলেন তাদেরই একদল স্লোগান দিয়ে বলছিলেন: 'আমরাও দেখাবো আরেক হংকং'। পুলিশ যদি জল কামান বা টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে তাহলে কিভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে সেই বিষয়ে কাতালান বিক্ষোভকারীরা নিজেদের মধ্যে গ্রাফিক্সের মাধ্যমে তথ্য ছড়িয়ে একে অপরকে সতর্ক করেছে। এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনার বিক্ষোভে অংশ নেয়া একজন বলেন, 'এখন মানুষের রাস্তায় নামতে হবে; সকল বিদ্রোহের সেখানেই শুরু, হংকং-এর দিকে তাকিয়ে দেখুন।' বলিভিয়া বিতর্কিত পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস যখন নির্বাচনে পুনরায় জয় লাভ করতে যাচ্ছিলো তখন বলিভিয়াতে মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং সংঘর্ষে জড়ায়। প্রেসিডেন্ট সর্বোচ্চ কয় মেয়াদে থাকতে পারবে এই বিষয়ক বিধানকে মি. মোরালেস যখন বাতিল করার পরামর্শ দিয়েছিল ২০১৬ সালে এক গণভোটের মাধ্যমে মানুষ তার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছিল। কিন্তু আদালতে গিয়ে মি. মোরালেসের পার্টি নিজেদের পক্ষে রায় পায় এবং টানা চতুর্থ বারের মতন তার আবার প্রেসিডেন্ট হবার পথ উন্মুক্ত হয়। মিসরেও বিক্ষোভ চলছে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্ব জুড়ে চলতে থাকা বিক্ষোভগুলোর মধ্যে অনেক জায়গায় অন্যতম বিষয় পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন। 'এক্সটিংশান রেবেলিয়ন' আন্দোলনের অংশ হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে জলবায়ু পরিবর্তন টেকাতে সরকারগুলোর কাছ থেকে আশু পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানি, স্পেন, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স ও নিউজিল্যান্ড আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানি, স্পেন, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স ও নিউজিল্যান্ডের মতন দেশগুলোতেও বিক্ষোভ চলছে। আন্দোলনকারীরা গ্লু বা আঠা দিয়ে নিজেদেরকে রাস্তা ও গাড়িতে আটকে দিয়ে ব্যস্ত নগর জীবনে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ান আন্দোলনকারী জেন মর্টন বলেন, 'সরকার যতক্ষণ না জলবায়ু ও বাস্তুসংস্থানকে একটি জরুরি পরিস্থিতি হিসেবে ঘোষণা না দেয় এবং আমাদের বাঁচাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নেয় ততক্ষণ এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই'। অস্ট্রেলিয়া ও ভারত ১৬ বছর বয়সী সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবেরির প্রভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তরুণ-তরুণীরাও স্কুল বয়কট আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে। গতমাসে কয়েক লাখ মানুষ সারা পৃথিবী জুড়ে 'গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক'-এ অংশ নিয়েছে। প্যাসিফিক আইল্যান্ড থেকে শুরু করে মেলবোর্ন, মুম্বাই, বার্লিন ও নিউ ইয়র্কেও সেই আন্দোলনের ঢেউ লেগেছে। আন্দোলনে অংশ নেয়া একজন বলছিলেন, 'তোমাদের শিক্ষা দিতেই আমরা স্কুল বয়কট করেছি'।
In recent weeks, mass protests have broken out in countries from Lebanon to Spain to Chile and Bolivia. All are different - with distinct causes, methods and goals - but there are some common themes that connect them.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী। নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে এই কর্মকর্তাদের প্রথমত প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যদি তাদের ব্যক্তির মালিকানায় কোন সম্পদ থাকে সেগুলোর সব জব্দ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও এর সংশ্লিষ্ট কোনও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন করতে পারবে না তারা। নিষেধাজ্ঞায় থাকা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং লাইং -ও রয়েছেন। এছাড়া বাকি তিন কর্মকর্তা হলেন, ডেপুটি কমান্ডার ইন চিফ সো উইন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থান এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং অং। নিষেধাজ্ঞার ওই ঘোষণায় মিয়ানমারের পরিবর্তে 'বার্মা' শব্দটি ব্যবহার করা হয়। মিয়ানমারের সেনা প্রধান মিন আং লাইং। যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেও বলেন, তারাই প্রথম কোন দেশ বার্মিজ সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে নির্বিচারে হত্যা ও সহিংসতার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে এই কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। দুই বছর আগের সেই সহিংসতার যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে। জাতিসংঘের মিশন এর আগে জানিয়েছে যে, রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সহিংসতা বন্ধে যদি আরও আগে পদক্ষেপ নেয়া হতো তাহলে রাখাইনে গণহত্যার অভিযোগে এই বার্মিজ সেনাদের দুই বছর আগেই দোষী সাব্যস্ত করা যেত। রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া পদক্ষেপগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে কঠোর। ওই সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন থাকবে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। আরও পড়তে পারেন: মিয়ানমার আর্মির বিরুদ্ধে নতুন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রোহিঙ্গা শিবিরে কোন্দল, বসছে সিসিটিভি ক্যামেরা রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ড: সাজাপ্রাপ্ত সাত সেনাকে মুক্তি ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যাপক দমন অভিযান চালানো হয়। এমন পরিস্থিতিতে কয়েক ধাপে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছে এই রোহিঙ্গারা।
The US has imposed sanctions on Myanmar's top general and three senior officers, accusing them of human rights violations against Rohingya Muslims.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
গত কয়েক বছরে কাতার ও তুরস্কের সম্পর্কে যে উন্নতি হয়েছে তার প্রকাশ ঘটেছে কাতারের এই গাড়িটিতে লাগানো স্টিকারে, এখানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও কাতারের আমীরের ছবি দেখা যাচ্ছে। এই মন্তব্যের সাথে একটি ছবিও পোস্ট করেন তিনি, যে ছবিতে দেখা যায় কাতারের সুপারমার্কেটগুলোতে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে তুরস্কের ব্র্যান্ডের সব দুধের বোতল। গত সপ্তাহের তুরস্ক থেকে দুধ, ডিম, দুই, মুরগির মাংস এবং জুসের সব খাদ্যপণ্য বিমানযোগে পাঠানো হয় কাতারে। উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর কাতারের ওপর অবরোধ আরোপের ফলে দেশটিতে যেন খাদ্য সংকট তৈরি না হয় সেই প্রচেষ্টাতেই দুগ্ধজাত পণ্যসামগ্রী পাঠাচ্ছে তুরস্ক। গত মঙ্গলবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছিলেন, কাতারের ওপর আরবদেশগুলোর এমন অবরোধ অমানবিক এবং অনৈসলামিক। "কাতারের ক্ষেত্রে এক গুরুতর ভুল করা হচ্ছে। তাদের বিচ্ছিন্ন করার এই চেষ্টা অমানবিক এবং ইসলামী মূল্যবোধের বিরোধী। এটা কাতারকে মৃত্যুদণ্ড দেবার সামিল"-বলেছিলেন মি: এরদোয়ান। কাতারকে অবরোধ থেকে বাঁচাতে খাদ্যনিরাপত্তা ছাড়াও সামরিক ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রশাসন। কিন্তু কাতারকে রক্ষায় কেন এত আগ্রহ তুরস্কের? প্রায় দুই সপ্তাহ আগে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশ 'সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেয়ার' অভিযোগে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। তাৎক্ষণিকভাবে তুরস্কের প্রতিক্রিয়া ছিল, কোনো পক্ষ না নেয়া এবং বিরোধ নিষ্পত্তিতে সংলাপের মধ্যস্থতা করা। কিন্তু দুদিনের মধ্যেই নাটকীয়ভাবেই কাতারের পক্ষ নেয় আঙ্কারা। প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এই অবরোধের সমালোচনা করেছেন খুবই কড়া ভাষায় । কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়ার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটি প্রত্যাখ্যান করে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন -তুরস্ক যেভাবে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে, কাতারের অবস্থানও তাই। কাজেই মানুষকে বোকা বানানো বন্ধ করা উচিত। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের এই বক্তব্যের পরের দিন বুধবার কাতারে যান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোলু। সেখানে তিনি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল নির সঙ্গে বৈঠক করেন। সাম্প্রতিক সময়ে কাতারের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। টুইটারে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন কাতারের এক বাসিন্দা ২০১৫ সালে সামরিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে দুই দেশ। এ ছাড়া কাতারে সামরিক ঘাঁটিও তৈরি করেছে তুরস্ক। সেখানে বর্তমানে কয়েকশো তুর্কি সেনা মোতায়েন থাকলেও এটি পাঁচ হাজারে উন্নীত করা যাবে। কাতার সংকট সৃষ্টির কয়েকদিনের মধ্যেই দেশটিতে আরও সেনা মোতায়েনের একটি বিল পার্লামেন্টের মাধ্যমে অনুমোদন করিয়ে নেয় আঙ্কারা প্রশাসন। সামরিক ঘাঁটিতে ভবিষ্যত মোতায়েনের বিষয়টি সমন্বয় করতে সোমবার তিন কর্মকর্তাকে কাতারেও পাঠিয়েছে তুরস্ক। কয়েকটি প্রতিবেদন এটাও বলা হয়েছে যে কাতার শুরুতে পদাতিক সেনা, পরে নৌবাহিনীর সদস্য এবং এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আরববিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর দোহাকে অন্যতম মিত্র হিসেবে আঙ্কারার অবস্থানের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু কারণ রয়েছে। গত বছর প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের বিরুদ্ধে সেনা সদস্যদের একাংশের অভ্যুত্থানের ব্যর্থ চেষ্টার সময় প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সংহতি প্রকাশ করেছিলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি। অভ্যুত্থান চেষ্টার পর মি: এরদোয়ানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাতারের বিশেষ বাহিনীর ১৫০ সদস্যের একটি ইউনিট তুরস্ক পাঠানো হয়েছিল বলেও খবর পাওয়া যায়। ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠেয় ফুটবল বিশ্বকাপের আগে দেশটিতে বিনিয়োগের চিন্তা করছেন তুরস্কের ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া দুই দেশের সরকারের মধ্যে আদর্শিক ঐক্যও রয়েছে। মিশরভিত্তিক ইসলামপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুড ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে 'সন্ত্রাসী সংগঠন' হিসেবে মনে করে না দুই দেশই। তাছাড়া, মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরসিকে উৎখাতে ২০১৩ সালের সেনা অভ্যুত্থানকে নিন্দা জানিয়েছিল দুদেশই। আবার সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো ইসলামপন্থী বিদ্রোহীগোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিচ্ছে কাতার ও তুরস্ক। ইরানের প্রতিও দেশ দুটির দৃষ্টিভঙ্গি একই রকম। দুই পক্ষই স্বীকার করে, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তি হলো ইরান। আর ইরানের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের অব্যাহত বিষোদ্গারের রাজনীতি থেকে সরে এসে উভয়পক্ষই সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেছে। অন্যদিকে, চলতি সংকটে কাতারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে ইরানও। তুরস্কের মতোই ইরানও কাতারে খাদ্য সরবরাহের সঙ্গে সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করেছে। পাশাপাশি কাতারে বিপুল বিনিয়োগও করেছে তুরস্ক। দোহায় বিদেশি বিনিয়োগকারী দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কের অবস্থান সপ্তম। ২০১৫ সালে দেশটিতে ৪২ কোটি ডলারের বেশি রপ্তানি করে তুরস্ক। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সাল থেকে কাতারে ১২৬ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়িয়েছে তুরস্ক। ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠেয় ফুটবল বিশ্বকাপের আগে দেশটিতে বিনিয়োগের চিন্তা করছেন তুরস্কের ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে তুরস্কের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও বেশ কিছু অস্ত্র চুক্তি করার কথা ভাবছে কাতার। এসব কারণে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কাতারের পাশে তুরস্ক কেন এসে দাঁড়িয়েছে। অবিলম্বে কাতার সংকটের সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। সৌদি আরবকে সরাসরি সমালোচনা না করলেও প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এই সংকটের সমাধানে বাদশাহ সালমানকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কাতারের ওপর অবরোধের প্রতিবাদের তুরস্কে বিক্ষোভ
"Thank you Turkey for the milk!" posted one Twitter user from Qatar, along with a picture taken in a supermarket whose shelves were full of Turkish-brand bottles.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
ম্যাথিউর বয়স এখন ১৩। সে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেছে। ম্যাথিউ নামের এই বালকের বয়স যখন আট বছর তখন তার মা ও সৎ পিতা তাকে সিরিয়াতে নিয়ে গিয়েছিল। এর দু'বছর পর সেখানে তৈরি করা ভিডিওতে সে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে হুমকি দিয়ে বলতো আমেরিকার মাটিতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে। এখন তার বয়স ১৩। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী তাকে ২০১৮ সালে দেশে ফিরিয়ে আনে এবং তার পর থেকে গত এক বছর ধরে সে তার পিতার সাথে বসবাস করছে। এই প্রথম সে কোন সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছে। বিবিসিকে ম্যাথিউ বলেছে, "যা হওয়ার হয়ে গেছে। এগুলো সব পেছনের ঘটনা। আমার বয়স তখন এতো কম ছিল যে আমি এসবের কিছুই বুঝতাম না।" যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার পর তাকে কাউন্সেলিং সেবা দেওয়া হয়েছে। ম্যাথিউর সৎ পিতা মুসা এলহাসানি ২০১৭ সালে ড্রোন হামলায় মারা গেছে বলে ধারণা করা হয়। তার মা সামান্থা স্যালিকে সন্ত্রাসবাদের অর্থ যোগান দেওয়ার দায়ে সাড়ে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মা সামান্থা স্যালি, সৎ পিতা মুসা এলহাসানির সাথে ম্যাথিউ। যেভাবে সিরিয়াতে যায় পাঁচ বছর আগে ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে আমেরিকার সাধারণ এই পরিবারটি তুরস্ক হয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় চলে যায়। "আমরা অন্ধকারের মধ্যে দৌড়াতে থাকি। রাতের বেলা। অনেক জায়গাতেই কাঁটাতারের বেড়া ছিল। অনেক কিছুই আমি বুঝতে পারছিলাম না। আমাকে দৌড়াতে হচ্ছিল," বিবিসিকে বলে ম্যাথিউ। এক সময় তারা গিয়ে পৌঁছায় ইসলামিক স্টেটের তথাকথিত রাজধানী রাক্কা শহরে। তার সৎ পিতা এলহাসানিকে পাঠানো হয় সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি আইএসের চোরাগোপ্তা হামলাকারীতে পরিণত হন। "আমরা যখন রাক্কা শহরে গিয়ে পৌঁছলাম প্রচুর আওয়াজ শুনতে পেতাম, সাধারণত গোলাগুলির শব্দ। একবার বেশ কিছু বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো, কিছুটা দূরে। সে কারণে আমাদের তেমন একটা দুশ্চিন্তা ছিল না।" ম্যাথিউর ভিডিও সিরিয়াতে চলে যাওয়ার দু'বছর পর তার মা অর্থ চেয়ে আমেরিকায় তার এক খালার কাছে একটি ইমেইল পাঠাল। এসব ইমেইলে ম্যাথিউর মারাত্মক ধরনের কিছু ভিডিও সংযুক্ত করা হতো। একটি ভিডিওতে দেখা গেল এলহাসানি ম্যাথিউকে আত্মঘাতী বেল্ট পরতে জোর করছে। তার সৎ পিতার নির্দেশনায় তাকে বলতে শোনা গেল বিস্ফোরক দিয়ে সে কীভাবে আমেরিকার সৈন্যদের হত্যা করবে। আরো পড়তে পারেন: অনলাইনে ইসলামিক স্টেটের বিশাল গোপন তথ্যভান্ডার আইএসের হাজার হাজার বিদেশী জিহাদির পরিণতি কি বিশ্বের কোথায় কোথায় এখনও তৎপর ইসলামিক স্টেট ম্যাথিউকে যখন সিরিয়াতে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তার বয়স ছিল ৮ বছর। আরেকটি ভিডিওতে তাকে এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে একটি একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে প্রস্তুত হতে দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন বাহিনী যখন রাক্কা শহরে বিমান হামলা জোরদার করলো একদিন তাদের কাছের একটি বাড়ি বোমা পড়ে বিধ্বস্ত হল। ২০১৭ সালের অগাস্ট মাসের মধ্যে রাক্কা মোটামুটি একটি বিধ্বস্ত শহরে পরিণত হল। কিন্তু ইসলামিক স্টেট তখনও দাবি করে যাচ্ছিল যে যুদ্ধে তারাই জয়ী হচ্ছে। তখন ম্যাথিউকে বাধ্য করা হল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে এরকম বার্তা দিয়ে ভিডিওতে বক্তব্য রাখতে। ইসলামিক স্টেট তখন একটি ভিডিও ছাড়ল যাতে দেখা গেল ম্যাথিউ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হুমকি দিচ্ছে। "ট্রাম্পের প্রতি আমার বার্তা: তিনি ইহুদিদের পুতুল। আল্লাহ আমাদেরকে জয়ী আর তোমাদের পরাজিত করার অঙ্গীকার করেছেন," ম্যাথিউ বললো এই কথাগুলো তাকে মুখস্থ করানো হয়েছিল। "রাক্কা কিম্বা মসুলে এই যুদ্ধ শেষ হচ্ছে না। এই যুদ্ধ শেষ হবে তোমাদের মাটিতে। ফলে প্রস্তুত হও। যুদ্ধ মাত্র শুরু হয়েছে।" ম্যাথিউ বলে এই ভিডিওতে অংশ নেওয়া ছাড়া তার কাছে আর কোন বিকল্প ছিল না। না হলে তার সৎ পিতা রাগে ফেটে পড়তেন। "তিনি মানসিকভাবে স্থির ছিলেন না।" এর কিছুদিন পর এলহাসানি ড্রোন হামলায় নিহত হন বলে ধারণা করা হয়। "আমি খুশি হয়েছিলাম কারণ আমি তাকে পছন্দ করতাম না। আমরা সবাই আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলাম।" মা সামান্থা স্যালি। সিরিয়া থেকে যেভাবে পালাল ম্যাথিউর মা সামান্থা স্যালি তখন মানব পাচারকারীদের অর্থ দিয়ে চার সন্তানকে সাথে নিয়ে আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। একটি ট্রাকে করে আইএসের তল্লাশি চৌকি পার হওয়ার সময় ট্রাকের পেছনে রাখা ব্যারেলের ভেতরে ম্যাথিউকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। কুর্দিদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় গিয়ে পৌঁছানোর পর তাদেরকে একটি বন্দী শিবিরে আটক করে রাখা হল। সেসময় মা স্যালির সঙ্গে প্রথম কথা বলতে পেরেছিল বিবিসি। তখন তিনি বলেছিলেন যে তার স্বামী তাকে ধোঁকা দিয়ে সিরিয়াতে নিয়ে গেছে। স্বামীর পরিকল্পনার বিষয়ে তার কোন ধারণা ছিল না বলে তিনি জানান। তিনি বলেন রাক্কায় থাকার সময় একবার তার স্বামী তার উপর সহিংস হয়ে উঠেছিলেন। স্যালি জানান, দাস হিসেবে তারা দুটো ইয়াজিদি কিশোরীকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। তার স্বামী তাদেরকে নিয়মিত ধর্ষণ করতো। দেশে ফিরে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার পর কারাগারে থাকার সময়েও স্যালি একই ধরনের কথা বলে গেছেন। যদিও স্যালি বলেছেন যে তিনি তার স্বামীকে সমর্থন দিয়েছেন মাত্র। তিনি মনে করেন স্বামীকে সমর্থন দিয়ে আইএসে যোগ দেওয়ার মধ্যে দোষের কিছু নেই। কিন্তু বিবিসির অনুসন্ধানে অন্য ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। মুসা এলহাসানি পরিবারের একজন সদস্য বলেছেন, পরিবারটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে চলে আসার কয়েক মাস আগে থেকেই স্যালির স্বামী মুসা আইএসের সমর্থক ছিলেন। বাড়িতে বসেই তিনি আইএসের প্রচারণা-ধর্মী নানা রকমের ভিডিও দেখতেন। সামান্থা স্যালির একজন বন্ধুও বলেছেন যে স্যালি একবার তাকে বলেছিলেন যে তার স্বামী তাকে জানিয়েছিলেন "পবিত্র যুদ্ধে" যোগ দেওয়ার জন্য তার কাছে ডাক এসেছে। ম্যাথিউ এখন তার পিতা জুয়ানের সাথে বসবাস করে। তারা মাছ ধরতে বের হয়েছে। বিবিসি আরো জানতে পেরেছে যে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে আসার আগে স্যালি বেশ কয়েকবার হংকং গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি কমপক্ষে ৩০ হাজার ডলার নগদ অর্থ এবং স্বর্ণ জমা রেখেছিলেন। জেলখানায় প্রায় এক বছর থাকার পর স্যালি তার গল্প বদলাতে শুরু করেন এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থ যোগান দেওয়ার দায় স্বীকার করে নেন। ধারণা করা হচ্ছে, সাজা কমানোর উদ্দেশ্যে তিনি এই অপরাধের কথা স্বীকার করেন। সরকারি আইনজীবীরা বলছেন তার স্বামীর আইএসে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে স্যালি কেন সাহায্য করেছিলেন তার উত্তর হয়তো কখনোই জানা যাবে না। কিন্তু স্যালির আইনজীবী বলেছেন তার স্বামী তাকে সবসময় নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সে কারণে তিনি এটা করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ইসলামিক স্টেটের আনুগত্য স্বীকারকারী এই দশজন কি বাংলাদেশি
An American boy who was made to threaten President Donald Trump in an Islamic State group video says it was "sweet relief" to return to the US.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
স্নাতক ডিগ্রী লাভের দিন নার্গিস লোকের কথায় কান না দিয়ে সেদিন তার বাবা ভুল করেননি, সেটা প্রমাণ করাই এখন ২১ বছর বয়সী নার্গিসের একমাত্র লক্ষ্য। মেয়েদের পড়াশুনা নিয়ে দেশব্যাপী সচেতনতার কাজ করেন তিনি, আর এ বছর তিনি বিবিসির ১০০ নারী আয়োজনের একজন নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৭ সালে পরিবারের পাঁচ নম্বর মেয়ে হয়ে জন্মাবার পরপরই আমার ফুফু এবং অন্য আত্মীয়রা আমার মাকে অনেক চাপ দিয়েছিল, যেন তিনি আমার বাবাকে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি দেন। পুত্র সন্তান লাভের আশায় আফগানিস্তানে দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিয়ে খুবই সাধারণ ঘটনা। বিশেষ করে অনেকেই বিশ্বাস করে, পুনরায় বিয়ে করলে পুরুষের পুত্র সন্তান লাভের নতুন সুযোগ তৈরি হয়। আমার মা অনুমতি দিতে রাজি হননি। আরো পড়ুন: বাংলাদেশের যে নারী বিবিসির ১০০ নারীর তালিকায় ১০০ নারী: ক্যামেরার পেছনে ছায়ায় লুকিয়ে যারা বাবার সঙ্গে নার্গিস তখন সবাই বাবাকে পরামর্শ দিলো কারো ছেলে বাচ্চার সঙ্গে আমাকে যেন বদলে নেয়া হয়। আশ্চর্য, আমাদের গ্রামে এমন একটা পরিবার পাওয়াও গেলো, যারা নিজেদের ছেলে বাচ্চাকে আমাদের পরিবারে দিয়ে দিতে রাজিও হয়েছিল। বিনিময়ে আমাকে দিয়ে দিতে হত তাদের। এভাবে সন্তান পরিবর্তনের কথা আফগানিস্তানে সচরাচর শোনা যায় না। কিন্তু উপার্জনক্ষম হওয়ায়, এখানে ছেলে বাচ্চার কদর সবসময়ই বেশি। কিন্তু আমার বাবার মন-মানসিকতা ছিলো অন্যদের চেয়ে একেবারেই আলাদা। তখন বাবা বলেছিলেন তিনি কিছুতেই আমাকে অন্য কারো কাছে দিয়ে দেবেন না, কারণ তিনি আমাকে ভালোবাসেন, আর একদিন সবার কাছে তিনি প্রমাণ করবেন ছেলেরা যা পারে মেয়েরাও তাই-ই করতে পারে। আমার পরিবারের জন্য সেটা খুব দুঃসময় ছিলো। পুত্র সন্তান জন্ম দিতে না পারায় আমার মাকে নিয়মিত খোটা ও কটু মন্তব্য শুনতে হতো। বিবিসি নিউজ বাংলার অন্যান্য খবর: দলীয় প্রার্থীদের মাথাব্যথার কারণ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা? যে রায়ের পর নড়েচেড়ে বসেছে বাংলাদেশ সরকার সংসদ নির্বাচন: সব দল সমান সুযোগ পাচ্ছে কি? ১৭ বছরের ছেলেকে বিয়ে করায় ভারতীয় নারী গ্রেফতার তরুণদের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন নার্গিস বাবা সামরিক বাহিনীতে কাজ করতেন। তিনি সোভিয়েত সমর্থিত সরকারের সময় সেনা বাহিনীতে ছিলেন আর আমার জন্মের সময়টাতে ধর্মীয় মৌলবাদীরা ক্ষমতায় ছিলো। ফলে গ্রামের বহু পরিবারই আমাদের সঙ্গে মিশত না। কিন্তু তাতেও বাবা দমে যাননি। দেশ ছেড়ে পালিয়ে পাকিস্তানে ১৯৯৮ সালে যখন তালিবান আমাদের জেলার নিয়ন্ত্রণ নিলো, তখন বাবা পালিয়ে পাকিস্তানে চলে যান। কিছুদিন পরে আমরাও দেশ ছেড়ে তার কাছে চলে যাই। সেখানে জীবনযাপন অনেক কঠিন ছিলো। বাবা একটা জুতার কারখানার ম্যানেজারের কাজ পেলেন। সেখানেই বোধহয় ঘটলো তাদের জীবনের সেরা ঘটনা, পাঁচটি মেয়ের পর তাদের একটি ছেলে সন্তান হলো। দেশে ফেরা তালিবান শাসনের অবসান হলে ২০০১ সালে আমরা আফগানিস্তানে ফিরে আসি। নারী শিক্ষা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করেন তিনি কিন্তু গত কয়েক বছরে আমাদের ঘরবাড়ি বেদখল হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে আমাদের থাকার জায়গা ছিলো না, আমরা চাচার বাড়িতে থাকতাম। আর রক্ষণশীল সমাজের মধ্যে থেকেও আমি আর আমার বোন পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকি। দুই বছর আগে আমি কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ নম্বর নিয়ে পাবলিক পলিসির ওপর স্নাতক ডিগ্রী লাভ করি। আর সবকিছুতে বাবা আমাকে সমর্থন জুগিয়ে গেছেন। কয়েক বছর আগে আমি আর আমার বোন একবার ক্রিকেট খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। যেহেতু এদেশে মেয়েরা খুব বেশি মাঠে গিয়ে খেলা দেখেনা, সে কারণে আমাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব আলোচিত হয়েছিল। কিন্তু সেটা নিয়ে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছিল আমাদের। কেউ বলেছিল আমরা নির্লজ্জ, কেউ বলেছিল আমরা সমাজে বেহায়াপনা ছড়াতে চাই, কেউ কেউ এমনকি আমাদের আমেরিকার চর বলেও গালি দিয়েছিল। কিন্তু ফেসবুকের কমেন্ট দেখে বাবা আমাকে বলেছিলেন, "মূর্খদের পাত্তা না দিয়ে তুমি ঠিক কাজটাই করেছো। জীবন খুব ছোট, যতটা পারো উপভোগ করো।" বোন আর ছোট ভাইয়ের সঙ্গে নার্গিস ক্যান্সারে ভুগে এ বছরের শুরুতে বাবা মারা গেছেন, আর আমি আমার সব সময়ের সবচেয়ে বড় আশ্রয় হারিয়েছি। মেয়েদের স্কুল তিন বছর আগে আমি যখন মেয়েদের জন্য একটা স্কুল খুলতে চাইলাম, বাবা আমাকে বলেছিলেন, আমাদের সমাজ বাস্তবতায় সেটা প্রায় অসম্ভব একটি কাজ হবে। তাছাড়া নিরাপত্তার কারণে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া ছেলেদের জন্য কঠিন কাজ। সেজন্য তিনি ভেবেছিলেন ওটাকে যদি মাদ্রাসা বা এরকম কিছু নাম দেয়া যায়, তাহলে হয়তো তেমন বাধার মুখে পড়তে হবে না। এর মধ্যে আমি নারী শিক্ষা, স্বাস্থ্য আর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে এমন বেশ কয়েকটি এনজিও বা বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেছি। আমার অনেক দিনের স্বপ্ন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়বো। বই পড়তে খুব ভালো লাগে আমার—বিশেষ করে পাওলো কোয়েলহোর লেখা। আপোষ করবো না আমি নিজের পছন্দে বিয়ে করতে চাই, আমার পরিবার আমাকে সেই অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু আফগানিস্তানে লোকজন সেটা খুব ভালো চোখে দেখে না। আমার বাবার মত গুণাবলীর অধিকারী কাউকে চাই আমি, যিনি মন মানসিকতায় আমার বাবার মত হবেন। কারণ পরিবার খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার, অনেক সময় দেখা যায় হয়তো আপনি সব দিক দিয়ে ভালো একজন মানুষকে বিয়ে করলেন, কিন্তু তার পরিবারের সঙ্গে আপনি মানিয়ে নিতে পারলেন না। আমি চাই আমার জীবন সঙ্গী আমাকে আমার লক্ষ্যে পৌঁছুতে সাহায্য করবেন।
When Nargis Taraki became the fifth girl born to her parents in Afghanistan, her parents were told they should swap her with another baby in the village.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
ভ্লাদিমির পুতিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বৈঠকের বিষয়টি আগে প্রকাশ করা হয়নি। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, এ মাসের শুরুতে জার্মানিতে জি২০ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভ্লাদিমির পুতিন আনুষ্ঠানিক শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হবার কয়েক ঘণ্টা পর, তারা দ্বিতীয় দফায় আরেকটি বৈঠক করেন, যা এ পর্যন্ত গোপন রাখা হয়েছিল। একজন রুশ দোভাষীর উপস্থিতিতে মি. ট্রাম্প প্রায় এক ঘণ্টা মি. পুতিনের সঙ্গে আলাপ করেন। তবে কি নিয়ে আলাপ করেছিলেন দুই নেতা সে বিষয়ে কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউজ। আরো পড়ুন: সীতাকুন্ডের 'অজ্ঞাত' রোগটি আসলে হাম বসিরহাটে দাঙ্গার পেছনে জামায়াত, বললেন মমতা এদিকে, ওয়াশিংটন পোস্টও একই রকম খবর জানিয়েছে। পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জি২০ সম্মেলনে ডিনারের মাঝপথে নিজের আসন ছেড়ে উঠে মি. ট্রাম্প মি. পুতিনের পাশের একটি খালি চেয়ারে বসে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সে সময় একাই ছিলেন। তবে, মি. পুতিনের সঙ্গে ছিল তার দোভাষী। এমন সময় এ খবর প্রকাশিত হল যখন ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার সম্পৃক্ততা ছিল কি না, তা নিয়ে ওয়াশিংটনে তদন্ত চলছে। সে তদন্তে সর্বশেষ মি. ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড জন ট্রাম্প জুনিয়র এবং তার নির্বাচনী প্রচারণা দলের সাবেক ব্যবস্থাপক পল ম্যানাফোর্টের সাথে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন সিনেট কমিটির তদন্তকারীরা।
US President Donald Trump and Russian counterpart Vladimir Putin had another, previously undisclosed conversation at this month's G20, the White House has confirmed.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
আসামে উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন শওকত আলী ভারতের নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণের মাত্র কদিন আগে এ ঘটনাটি ঘটে। সেদিন আসামের উত্তর-পূর্ব এলাকার মুসলমান ব্যবসায়ী শওকত আলী কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ বেশ কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল মানুষ তার ওপর হামলা চালায়। আক্রমণকারীরা তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে। তারপর ময়লা কাদার ওপর হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করে। "আপনি কি বাংলাদেশী?" তার ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে হামলাকারীদের একজন। "আপনি এখানে গরুর মাংস বিক্রি করেন কেন?" মি. আলীর দিকে আঙুল উঁচিয়ে এ প্রশ্ন করে আরেকজন। শওকত আলীর এ লাঞ্ছনার ঘটনা দেখতে ওইখানে উৎসাহী অনেক লোকই ভিড় করেছিল। তবে আলীর সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসে নি। তারা মোবাইলে পুরো ঘটনাটির দৃশ্য ধারণ করছিল। আরো পড়তে পারেন: মশা আমদানি করে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানোর উপায় গ্রিনল্যান্ড: যে দেশে বুধবার 'গর্ভপাত দিবস' যে নির্বাচনে মারা গেলেন পাঁচশো'র বেশি কর্মকর্তা উদ্ধার হওয়া নবজাতকটিকে কার হেফাজতে দেয়া হবে? ওই ঘটনার পরে গ্রামবাসী মি.আলীকে সহানুভূতি জানাতে এসেছিল 'এটি আমার বিশ্বাসের ওপর আঘাত' ঘটনার এক মাস পর। এখনো মি. আলী ঠিকমত হাঁটতে পারেন না। আমি মি. আলীর সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়িতে গেলাম। বাজার থেকে সামান্য দূরে শ্যামল সবুজ শস্যক্ষেত পার হয়ে তার বাড়ি। সেটিও সবুজে ঘেরা। আটচল্লিশ বছর বয়সী লোকটি বিছানায় পা ভাঁজ করে বসেছিল। সেইদিনের ঘটনার কথা বলতে গিয়ে তার চোখ ছলছল করে উঠল। "তারা আমাকে লাঠি দিয়ে মেরেছে, আমার মুখে লাথি মেরেছে," মাথা ও পাঁজরের ক্ষতচিহ্নগুলো দেখিয়ে বলছিলেন মি. আলী। তার পরিবার কয়েক দশক ধরে তাদের ছোট খাবারের দোকানটিতে ঝোলওয়ালা গরুর মাংস বিক্রি করে আসছেন, তবে আগে কখনো এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। হিন্দুরা যেহেতু গরুকে পবিত্র মনে করে এজন্য ভারতের অনেক প্রদেশে গরুর মাংস বিক্রি করায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে আসামে গরুর মাংস বিক্রি করা আইনত বৈধ। শওকত আলী শুধু শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হননি, তার সামাজিক মর্যাদাও হারিয়েছেন। দুর্বৃত্তরা এই ধর্মপ্রাণ মুসলমান লোকটিকে শূকরের মাংস খেতে বাধ্য করেছে। মি. আলীকে শূকরের মাংস খাওয়ানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সেদিন তাকে তারা জোর করে শূকরের মাংস প্রথমে চাবাতে ও পরে গিলে খেতে বাধ্য করে। "বেঁচে থাকার আর কোনো মানে হয় না আমার," তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। বলেন, "এটি আমার সমস্ত বিশ্বাসের ওপর আঘাত।" আমাদের সাক্ষাতের দিন স্থানীয় মুসলমান কমিউনিটির দশ-বারোজন নেতা মি. আলীর খোঁজ নিতে তার বাসায় এসেছিলেন। তার এ বিবরণ শুনে তাদের মধ্যে কয়েকজন কেঁদে ফেলেন। তারা নিজেরাও এখন আর নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারছেন না। আরেকটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে অনেকেই এ প্রশ্ন তুলেছেন যে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়, যাদের সংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি ২০ লাখ, তাদের অধিকার এখানে ঠিক কতটা সমুন্নত রয়েছে? গরুর মাংস বিক্রি করার কারণে বা বিক্রির সন্দেহে হামলার ঘটনা ভারতে বেড়েই চলেছে। শওকত আলীর ঘটনা এর সাম্প্রতিক উদাহরণ। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত 'হিউম্যান রাইটস ওয়াচ' এর এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৫ এর মে থেকে ২০১৮ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ভারতের ১২ টি প্রদেশে ৪৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬ জনই মুসলমান। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান, মিশেল বাচেলে, তার বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, 'সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন-হামলার ঘটনা বাড়ছে, বিশেষ করে মুসলমান এবং যারা ঐতিহাসিকভাবে বঞ্চনার শিকার, যেমন দলিত সম্প্রদায় (আগে যাদেরকে 'অস্পৃশ্য' বলা হত), তাদের লক্ষ্য করে আক্রমণের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।' ভারতে স্বাধীনতার কাল থেকেই সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, দাঙ্গা-হাঙ্গামায় সব ধর্মের মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াটা এদেশের একটা প্রধান অনাকাঙ্খিত বিষয়। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এখন যারা এ দেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত তারা এসব ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ বিষয়ে তারা নীরবতার সংস্কৃতি পালন করছে। এক সভায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ মুসলমানদেরকে 'উইপোকা' বলে সম্বোধন করেন। মাত্র কয়েকবছর আগে ভারতে এক নৃশংস গণধর্ষণের পরে যা ঘটেছিল সেটি এর একটি জ্বলন্ত উদাহরণ বটে। গত বছরের জানুয়ারিতে ভারতের কাশ্মীর অংশের কঠুয়া জেলায়, আট বছর বয়সী এক মুসলমান মেয়ে ঘোড়াকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যাওয়ার পথে অপহৃত হয়। এক সপ্তাহ ধরে তাকে একটি হিন্দু মন্দিরের ভেতর আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়। এসময় তার উপর চেতনানাশক প্রয়োগ করা হয় এবং শেষে তাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। পুলিশ তাদের রিপোর্টে জানায়, যাযাবর বাকারওয়াল সম্প্রদায়কে (মেয়েটি ওই সম্প্রদায়ের) শিক্ষা দিতে কিছু হিন্দু লোক সংঘবদ্ধভাবে পরিকল্পনামাফিক এ কাজ করেছিল, যাতে তারা ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এক বছর পার হয়ে গেছে। কঠুয়ার দুর্গম অঞ্চলে সেই মেয়েটির বাড়ি এখনো সার্বক্ষণিক পুলিশ প্রহরায় রয়েছে। 'তারা বলেছে, এটা মুসলমানের মেয়ে-একে মেরে ফেল, তাহলে ওরা ভয় পাবে আর এই এলাকা ছেড়ে চলে যাবে', চোখের পানি মুছতে মুছতে বলছিলেন মেয়েটির বাবা। একসময় তাদের ছোট্ট মেয়েটি যে বাড়িতে থাকত সে বাড়ি ছেড়ে যেতে নারাজ তার বাবা-মা। যদিও তাদের নিরাপত্তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে। "আমরা বাড়ির বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছি, এখনো আমাদের জীবনের ঝুঁকি রয়ে গেছে," মেয়েটির মা জানালেন। "আমরা বাইরে গেলে লোকজন আমাদেরকে অকথ্য গালাগাল করে, মারধর করার হুমকি দেয়।" আট বছর বয়সী শিশুটির এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে হাজারো লোক রাস্তায় নেমেছিল, প্রতিবাদ জানিয়েছিল। কিন্তু দোষী প্রমাণিত হওয়া ওই আটজন হিন্দুর পক্ষ নিয়ে স্থানীয় লোকজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। তারা মেয়েটি ও তার অসহায় পরিবারের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করার বদলে হত্যাকারীদের সমর্থন জানিয়েছে। হত্যাকারীদের পক্ষে যারা রাস্তায় নেমেছিল তাদের মধ্যে চৌধুরী লাল সিং ও চন্দর প্রকাশ গঙ্গা নামে ক্ষমতাসীন বিজেপির দুই মন্ত্রীও ছিলেন। লোকসভা নির্বাচন ২০১৯: তরুণ ভোটারদের ভাবনা মি. সিং ওই সময় এক প্রতিবাদ সমাবেশে বলেন, "এই একটা মেয়ে মারা গেছে আর এখানে এত তদন্ত হচ্ছে। অথচ এখানে কত মেয়ে মারা যায়।" প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গণধর্ষণের ঘটনায় নিন্দা জানালেও তাঁর দলের ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেন নি। পরে সপ্তাহব্যাপী তীব্র বিক্ষোভের মুখে তারা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব এরপরও এসব ব্যক্তির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তিনি বলেন, "পার্টি চায়নি মি. গঙ্গা ও মি. সিং পদত্যাগ করুক। তারা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ মিডিয়া এমনভাবে তাদেরকে উপস্থাপন করেছে যেন তারা ধর্ষকদের পক্ষ নিয়েছেন।" এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এমন আরো বেশ কিছু ঘটনা আছে যেখানে বিজেপির সদস্যরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের প্রতি বীতশ্রদ্ধা জানিয়ে প্রকাশ্যে দাঙ্গাবাজদের পক্ষ নিয়েছে। বিজেপি হিন্দু জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল। এ দলটিতে এমন বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা আছেন যারা মনে করেন ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। যদিও দলটির নেতারা বারবারই বলেছেন, তারা সংখ্যালঘু বিদ্বেষী নন। ২০১৫ সালে, মোহাম্মদ আখলাক নামের পঞ্চাশ বছর বয়সী এক মুসলমানকে গরু জবাই করার সন্দেহে ইট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হত্যাকারীদের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্বাচনী সমাবেশে অংশ নিতে দেখা গেছে। বিজেপির এই বিতর্কিত নেতা, ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্যের জের ধরে সম্প্রতি ভারতের নির্বাচন কমিশন যার নির্বাচনি প্রচারণা কয়েকদিনের জন্য স্থগিত করেছে, তাকে মোদীর সঙ্গে বহুবার একই মঞ্চে দেখা গেছে। সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রী জয়ন্ত সিনহা, যিনি মোদির কেবিনেটের অন্যতম সদস্য, সম্প্রতি বিবিসিকে জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে একজন মুসলমান গরু ব্যবসায়ীকে হত্যাকাণ্ডের দায়ে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড থেকে বাঁচাতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অর্থ দিয়েছেন তিনি। বিবিসি হিন্দির সাংবাদিক যুগল পুরোহিতের নেয়া এক সাক্ষাৎকারে মি. সিনহা বলেন, অভিযুক্তদের বাঁচাতে তিনি সাহায্য করেছেন কারণ তারা সবাই বিজেপির সদস্য এবং তিনি মনে করেন তাদেরকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট অরুন্ধতী রায়, বিজেপি সরকারের সমালোচনায় যিনি সবসময় সোচ্চার, তিনি মনে করেন, একটি গোষ্ঠী এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস পাচ্ছে কারণ তারা ওপরমহল থেকে সুরক্ষাকবচ পেয়েছে। তারা জানে যে তাদের কিছুই হবে না। লোকসভা নির্বাচন ২০১৯: ভারতে সরকার গঠনের প্রক্রিয়াটা কীরকম? তিনি বললেন, 'শুধু নেতারা যা করছে তা নয়, মানুষকে ক্রমাগত যেসব বিদ্বেষ ও উস্কানি দেওয়া হচ্ছে তা তাদের মনে কী ধরনের প্রভাব ফেলছে সেটাও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। যে বিষ তাদের অন্তরে সহজেই প্রবেশ করানো হচ্ছে তা কিন্তু সহজে বের করা যাবে না। এটা অনেক কঠিন কাজ।' তবে বিজেপির মুখপাত্র নলিন কোহলি বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি মনে করেন তার দলের নীতির সঙ্গে বিদ্বেষমূলক অপরাধ বা 'হেইট ক্রাইম' এর কোনো সম্পর্কই নেই। তিনি বলেন, জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্টগুলিতে মিথ্যা পরিসংখ্যান ব্যবহার করে কাল্পনিক ইস্যুকে বাস্তব প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়। মি. কোহলি আরো বলেন, মোদি সরকারের সময়ে বিজেপি সব ধর্মের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে। এটি কোনো সাম্প্রদায়িক দল নয়। বিজেপি সর্বভারতীয় দল, ভারতের ১৩০ কোটি মানুষের দল। তবে ভারতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, বিজেপি দ্বিতীয়বারের মত নির্বাচিত হলে এ দেশটি সংখ্যাগরিষ্ঠের (মেজরিটারিয়ান) দেশে পরিণত হবে। দলটির ইশতেহারে বলা হয়েছে, ভারতে অবৈধভাবে বসবাসরত সব বাংলাদেশীদের দেশ থেকে বের করে দেয়া হবে। দলটি বেশ কিছু ধর্মের অনুসারীদের আশ্রয় দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এসব ধর্মের মধ্যে রয়েছে- সনাতন, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, শিখ, পার্সি এবং জৈন ধর্মাবলম্বীরা। তবে লক্ষ্য করার মত ব্যাপার হল, মুসলমানরা এ তালিকায় নেই। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সভা-সমাবেশে মুসলমান অভিবাসীদের 'উইপোকা', 'সন্ত্রাসী' বলেছেন। শুধু তাই-ই নয়, তাদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে নানা ধরনের বক্তব্যও দিয়েছেন তিনি। আসামের গোয়ালপাড়া জেলায় গ্রামবাসীদের একটি অংশ গোলবৈঠকে বসেছে। তাদের অনেকেরই হাতে পরিবারের সদস্যদের ছবিসম্বলিত কাগজ। গত বছর তাদেরকে বলা হয়েছে তাদের পারিবারিক ইতিহাস নথিভুক্ত করতে এবং প্রমাণ করতে যে তারা ভারতীয়। এক্ষেত্রে তারাই ভারতীয় হিসেবে গণ্য হবে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার একদিন আগে, অর্থাৎ ২৪শে মার্চ ১৯৭১ এর আগে আসামে প্রবেশ করেছে। আসাম প্রদেশের এক শিশু নিজের পরিচয়পত্র হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে চার সন্তানের মা উফান তার হাতের কাগজটি খুলল। সেখানে সবচেয়ে ওপরে তার স্বামীর ছবি, যিনি গত বছর মারা গেছেন। এর নিচে তার চার সন্তানের ছবি। উফানের পরিবারের জন্ম ভারতে হলেও তাদের কারো নাম সরকারি নথিভুক্ত নয়। এনআরসি'তে (ন্যাশনাল রেজিষ্ট্রার অব সিটিজেনস) তারা কেউ নাম লেখাননি। চল্লিশ লাখ লোক-যাদের অধিকাংশই মুসলমান- এ তালিকাভুক্ত নন। উফানের ভয় এই নিয়ে যে, যে দেশকে সে নিজের দেশ বলে জানে সেখান থেকে তাকে হয়ত বের করে দেয়া হবে। একই আশঙ্কায় রয়েছেন মোহাম্মদ শামসুল। তিনি জানালেন, তার বাবা এবং দাদা দুজনেরই জন্ম আসামে। সরকারি নথিতে তাদের নামও রয়েছে। সব কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও এনআরসি'তে তার নাম নেই। 'আমরা সারাক্ষণ আতঙ্কে রয়েছি।আমাদের ভয় হয় যে, আজ রাতেই হয়ত পুলিশ এসে আমাদের ধরবে। আমার পরিবারকে কোন শরণার্থী শিবিরে নিয়ে যাবে।' যদিও বিজেপি বলছে তাদের এ আইন শুধুমাত্র অবৈধ অভিবাসীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু এটি ব্যবহার করে মুসলমানদের তাড়ানোর আশঙ্কা থেকেই গেছে। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যই ভারতের শক্তি। ভারতের সংবিধানে সব ধর্মের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধনের কথা বলা হয়েছে। তবে অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে ভারতের বর্তমান শাসকদল দেশটির এই অসাম্প্রদায়িক নীতির আর তোয়াক্কা করছে না।
A little more than a year since Narendra Modi's right-wing Hindu nationalist BJP swept to power in India, there are fears that religiously motivated violence may be on the rise. Some say the BJP has bred a culture of intolerance towards minorities that has left even Hindus nervous of speaking out.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে বিবিসিকে তার পরিবারের সদস্যরা জানান, বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর তিনি মারা গেছেন। এপ্রিল থেকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিন দশক ক্ষমতায় থাকার পর ২০১৭ সালের নভেম্বরে সেনা অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যূত হন তিনি। জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতার পর হওয়া প্রথম নির্বাচনে ১৯৮০ সালে জয় লাভ করে প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। ১৯৮৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বিলুপ্ত ঘোষণা করে দেশের প্রেসিডেন্ট হন। ১৯২৪ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রোডেশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন রবার্ট মুগাবে। ১৯৬৪ সালে রোডেশিয়ার সরকারের সমালোচনা করায় এক দশকেরও বেশি সময় কারাবাস করেন তিনি। ১৯৭৩ সালে কারাগারে থাকাকালীন সময়েই জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়নের - যেই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি - প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। আরো পড়তে পারেন: গ্রেস মুগাবে: স্টেট হাউজের টাইপিস্ট থেকে ফার্স্টলেডি 'কেবল ঈশ্বরই আমাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারে' ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার আগে স্ত্রী গ্রেস মুগাবেকে নিয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন রবার্ট মুগাবে রবার্ট মুগাবের উঠে আসা এবং রাজনৈতিক জীবন: ১৯২৪: রবার্ট মুগাবের জন্ম। পরে প্রশিক্ষণ নেন শিক্ষকতায় ১৯৬১: ঘানার স্যালি হেফ্রনকে বিয়ে করেন ১৯৬৩: ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরোধিতার ধারাবাহিকতায় জানু-পিএফ পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৬৪: বন্দিত্ব বরণ, প্রায় দশ বছর রোডেশিয়ার কারাগারে ছিলেন তিনি ১৯৮০: ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর জিম্বাবুয়ের প্রধানমন্ত্রী হন, জয়লাভ করেন স্বাধীনতা উত্তর নির্বাচনে। ১৯৮১ : নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন ১৯৮৭ : প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ১৯৯৪: প্রতিবেশী দক্ষিণ আফ্রিকায় জাতিগত বিদ্বেষ অবসানের অন্যতম দৃঢ় সমর্থক ১৯৯৬: গ্রেস মারুফুকে বিয়ে করেন ২০০০: গণভোটে পরাজয়। শ্বেতাঙ্গদের কৃষি খামার অধিগ্রহণ। ২০০২: প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে জয়লাভ ২০০৮: প্রথম দফা নির্বাচনে হেরে যান। দ্বিতীয় দফায় সমর্থকদের ওপর ব্যাপক হামলার প্রেক্ষাপটে তার প্রতিদ্বন্ধী সরে দাঁড়ান ২০০৯: নির্বাচনের প্রতিপক্ষ মর্গান সাভাঙ্গিরাইকে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত ২০১১: উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্যে জানা যায় রবার্ট মুগাবে প্রস্টেট ক্যান্সারে ভুগছেন ২০১৭: দীর্ঘদিনের সহযোগী ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গকওয়াকে বরখাস্ত এবং এরপরই নিজ দল জানু-পিএফ ও সামরিক বাহিনীর ক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগে বাধ্য হন
Robert Mugabe, the Zimbabwean independence icon turned authoritarian leader, has died aged 95.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
মি. রুইজ এবং মিস পেরেস তাদের জীবনযাত্রার ভিডিও ইউটিউবে পোস্ট করে খ্যতিবান হতে চেয়েছিলেন। পেড্রো রুইজ তার বুকের সামনে একটি ডিকশনারি ধরে রাখেন এবং গার্ল-ফ্রেন্ড মোনালিসা পেরেসকে বলেন গুলি চালাতে। কিন্তু ১.৫ ইঞ্চি পুরু ডিকশনারি ভেদ করে গুলি তার বুকে গিয়ে লাগে। পরে ডাক্তাররা মি. রাইজকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ছয় মাস আগে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের হ্যালস্টাড-এ। মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, মি. রুইজ এবং মিস পেরেস তাদের জীবনযাত্রার ভিডিও প্রতিদিন ইউটিউবে পোস্ট করতেন। তারা নানা ধরনের প্র্যাংক বা রসিকতাও করতেন অনলাইনে। কিন্তু সেগুলো ছিল নির্দোষ রঙ্গরসিকতা। টুইট: "আমি এবং পেড্রো সম্ভবত খুবই বিপজ্জনক এক ভিডিও শ্যুট করবো। এটা তারই পরিকল্পনা, আমার না।" আরও দেখুন: বাংলাদেশের মানুষ কি অসুখী হয়ে উঠছে? মন্ত্রী মান্নান: হেলিকপ্টার দূর্ঘটনায় একা বেঁচেছিলেন যিনি কাঠমান্ডু ছাড়ার অনুমতি পেল ৭ যাত্রী কিন্তু গত বছর জুন মাসে তারা পরীক্ষা চালিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেন যে একটি বন্দুকের গুলি ডিকশনারি ভেদ করতে পারে কী না। তাদের ধারণা ছিল গুলি ডিকশনারি ভেদ করতে পারবে না। তারা ভেবেছিলেন সেই ভিডিওটি ইউটিউবে পোস্ট করা হলে সেটি ভাইরাল হবে এবং তারা বিখ্যাত হয়ে উঠবেন, এই ছিল তাদের আশা। এই পরীক্ষার সময় সেখানে অন্তত ৩০ জন দর্শক উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী মত মিস পেরেস তার শক্তিধর ডেজার্ট ঈগল বন্দুক দিয়ে মি. রুজের বুকে গুলি চালান। গুলি লাগার পর মি. রুইজ পড়ে যান। জরুরি ফোনে ডাক্তাররা ডাকা হয়। কিন্তু মি, রুইজকে বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনা নিয়ে যে মামলা হয় তাতে প্রমাণিত হয় যে মি. রুইজ নিজেই চেয়েছিলেন তার ওপর গুলি চালানো হোক। এরপর অনিচ্ছাকৃত খুনের জন্য মিস পেরেস আদালতে দোষ স্বীকার করেন। আদালত তার বিরুদ্ধে লঘু দণ্ডের রায় দেয়।
A US woman has been sentenced to six months' imprisonment for shooting dead her boyfriend in a botched stunt they hoped would go viral on YouTube.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
রবিবার দুপুরে হওয়া ঐ দুর্ঘটনায় কিশোরীর দুইজন আত্মীয় মারা যায় ২০১৭ সালে ক্ষমতাসীন দলের একজন আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে ঐ কিশোরী। ১৯ বছর বয়সী ঐ কিশোরী তার আইনজীবী এবং দু'জন আত্মীয়কে নিয়ে গাড়ি করে যাওয়ার সময় একটি লরি ঐ গাড়িকে আঘাত করে। দুর্ঘটনায় ঐ কিশোরীর দুই আত্মীয় মারা গেছেন এবং তার আইনজীবীও গুরুতর জখম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ধর্ষণের অভিযোগ তোলার পর অভিযুক্ত আইনপ্রণেতা কুলদীপ সিং সেঙ্গারকে গ্রেফতার করা হয়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা রাকেশ সিং বিবিসি হিন্দিকে জানিয়েছেন যে, ট্রাক চালক ও ট্রাকের মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: পেঁপে পাতার রস, নারিকেল তেল ডেঙ্গু নিরাময়ে উপকারী? পাঁচ সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ ১৪টি ব্র্যান্ডের দুধ ঢাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি এমন হলো কেন কালো কালি দিয়ে মুছে দেয়া হয়েছিল ট্রাকের রেজিস্ট্রেশন প্লেট। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে যে, ট্রাকটির রেজিস্ট্রেশন প্লেট এবং নম্বর প্লেট কালো কালি দিয়ে মুছে দেয়া ছিল। রাজ্যের বিরোধী দলগুলো এই ঘটনার একটি কেন্দ্রীয় তদন্ত দাবি করেছে। তারা বলছে, এরকম পরিস্থিতিতে এই দুর্ঘটনা 'সন্দেহজনক'। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকাকে বলেছেন যে, এই ঘটনা 'হত্যার চেষ্টা' হতে পারে। রবিবার দুপুরে যখন দুর্ঘটনা ঘটে, তখন দুর্ঘটনার শিকার কিশোরী তার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা করতে একটি কারাগারে যাচ্ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে যে, ঐ কিশোরী ও তার পরিবারকে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেয়া হয়েছিল। ধর্ষণের অভিযোগে একবছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন কুলদীপ সেঙ্গার। তবে পুলিশ স্বীকার করেছে যে রবিবার দুর্ঘটনার সময় 'তাদের সূত্র অনুযায়ী তাদের সাথে নিরাপত্তা ছিল না'। এনডিটিভি'কে পুলিশ কর্মকর্তা এমপি ভার্মা বলেন, "সেদিন তারা হয়তো পুলিশের নিরাপত্তা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।" কুলদীপ সেঙ্গার তাকে অপহরণ করে এবং ধর্ষণ করেছিল অভিযোগ এনে এপ্রিল মাসে ঐ কিশোরী উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাড়ির সামনে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তার পরদিন অভিযোগকারী কিশোরীর বাবা কারাগারে মারা যান। অভিযোগ রয়েছে যে কারাগারে থাকা কুলদীপ সেঙ্গার এবং তার সমর্থকদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তার মৃত্যু হয়েছিল। গতবছর ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এই মামলার দায়্ত্বি নেয়ার পর সেঙ্গার এবং আরো দশজনকে গ্রেফতার করে।
A teenager who accused a ruling party lawmaker of rape in 2017 has been seriously injured in a road accident in India's northern Uttar Pradesh state.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
বায়ে জাস্টিন ট্রুডো এবং ডানে আব্দুল সালাম মাফতুন উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানের আব্দুল সালাম মাফতুন দেখতে অনেকটাই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মতো এবং এজন্যে তিনি দেশটিতে বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন। টেলিভিশন চ্যানেলে গানের এক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি হয়ে গেছেন একজন তারকা- 'আফগান স্টার।' একজন বিচারক এই দু'জনের চেহারার সাদৃশ্য তুলে ধরেছেন, এবং মি. মাফতুন এখন সবশেষ আটজন প্রতিযোগীর সাথে পৌঁছে গেছেন ট্যালেন্ট শোর চূড়ান্ত পর্বে। বাদাখশান প্রদেশে মি. মাফতুন বিয়ের অনুষ্ঠানে গান গেয়ে শোনান। জাস্টিন ট্রুডো সম্পর্কে তার কোন ধারণাই ছিল না। "সোশাল মিডিয়াতে তার ছবি দেখার আগ পর্যন্ত জাস্টিন ট্রুডো সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না," বার্তা সংস্থা এএফপিকে একথা বলেছেন মি. মাফতুন। সামাজিক মাধ্যমে তাকে নিয়ে মাতামাতি চলছে। "আমাদের চেহারার মধ্যে যে এতো মিল সেটা আমার জয়ের সম্ভাবনাকে ৫০% বাড়িয়ে দিয়েছে," বলেন তিনি। তারা দুজন যে দেখতে এক রকম তার বহু ছবি আফগানরা পোস্ট করছেন সোশাল মিডিয়াতে। এই অনুষ্ঠানের একজন বিচারক, আফগান-কানাডীয় শিল্পী কায়েস উলফাৎ, তিনি যখন ১২ জন শিল্পীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন তখনই তিনি আবিষ্কার করেন যে মি. ট্রুডোর সাথে মি. মাফতুনের চেহারার দারুণ রকমের মিল রয়েছে। "আমি দেখলাম যে তিনি দেখতে আমার প্রধানমন্ত্রীর মতো," বলেন তিনি। "এটা নিয়ে তখন অনুষ্ঠানের আয়োজকদের মধ্যে হাসাহাসি শুরু হয়ে গেল।" এই মিলটার কথা তখন টেলিভিশনের অনুষ্ঠানেও তুলে ধরা হলো। এবং তারপরই মি. মাফতুন হয়ে গেলেন আফগানিস্তানের নতুন সেলেব্রিটি। টুইটারে দু'জনের ছবি দিয়ে পোস্ট। "তারপর থেকেই তিনি ভাইরাল হয়ে গেলেন," বললেন মি. উলফাৎ, "সোশাল মিডিয়াতে এখন সবাই তাকে নিয়ে কথা বলছে।" 'আফগান স্টার' অনুষ্ঠানটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। তালেবান সরকারের পতন ঘটার চার বছর পর ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয় এই ট্যালেন্ট শো। তারপর থেকেই জঙ্গি গ্রুপটি এই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার জন্যে হুমকি দিয়ে আসছে। তাদের বক্তব্য: এটি ইসলামবিরোধী। মি. মাফতুন সাধারণ রোমান্টিক প্রেমের গান করেন যেগুলো লোক সঙ্গীত থেকে নেওয়া। দারি এবং পশতু এই দুই ভাষাতেই গান করেন তিনি। গান গাওয়ার সময় তার পরনে থাকে তার প্রদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। বাদাখশান প্রদেশে বিয়ের অনুষ্ঠানে গান করেন মি. মাফতুন। গান এবং উপস্থাপনা- এই দুটো দিয়েই তিনি বিচারক এবং একই সাথে দর্শকদেরও মন জয় করে নিয়েছেন। এই শো এর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১শে মার্চ। ফার্সি নতুন বছরের ঠিক আগে। কিন্তু মি. মাফতুন বলেছেন, শোতে তিনি বিজয়ী না হলেও তার কোন দুঃখ নেই কারণ ইতোমধ্যেই গান গেয়ে তার উপার্জন আগের চাইতে অনেক বেড়ে গেছে। তিনি বলছেন, এখন তিনি চান তিনি যার মতো দেখতে সেই কানাডীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। কারণ "তিনি একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব এবং আমি হলাম আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত এলাকার একজন গরিব মানুষ।"
One is the leader of a G7 nation and the other is a wedding singer, but their striking likeness could sway a TV talent contest in Afghanistan.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
ক্রিস্তো কারামান শুরুতে ভেবেছিলেন এস্তোনিয়ার দুই তরুণের বানানো ওয়েবসাই কেউ বিশ্বাস করবে কি-না নিজের 'চরম বোকামী'র জন্য যখন তিনি পারলে নিজেকেই লাথি মারেন, তখন তিনি জানতেনই না যে তাঁর এই বোকামী থেকেই জন্ম নিতে যাচ্ছে এমন এক ব্যবসা, যার বর্তমান আর্থিক মূল্য ১২০ কোটি ডলারেরও বেশী। ব্যবসাটির আইডিয়া তাঁর মাথায় আসে ২০০৮ সালে, যখন তিনি লন্ডনে ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন। এস্তোনিয়া থেকে আসা ক্রিস্তোর বয়স তখন ২৮ বছর। সেবার তিনি ক্রিস্টমাসের বোনাস পেলেন ১০ হাজার পাউন্ড। এস্তোনিয়াতে সুদের হার তখন লন্ডন থেকে অনেক বেশী। তাই ক্রিস্তো ঠিক করলেন তিনি তাঁর ইউকে চলতি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বোনাসের টাকাটা এস্তোনিয়ায় নিজের সঞ্চয়ী হিসাবে পাঠিয়ে দেবেন, ফলে অনেক বেশী টাকা তিনি সেখানে সুদ হিসেবে পাবেন। আরো পড়তে পারেন: প্রথম দেখায় প্রেম, সেদিন থেকেই শুরু নতুন ব্যবসা হাল না ছাড়া ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সাফল্যের কাহিনী আপনার কাটা চুলে কোটি টাকার ব্যবসা ব্যবসায় আফগানিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ কোম্পানির দ্বিতীয় বৃহত্তম অফিস এস্তোনিয়ার রাজধানী তিলিনে "যা ভেবেছিলাম ঠিক তাই করলাম। আমার ইউকে ব্যাংককে ১৫ পাউন্ড ফি দিয়ে ১০ হাজার ডলার পাঠিয়ে দিলাম। কিন্তু এক সপ্তাহ পরে দেখি আমার এস্তোনিয়ান অ্যাকাউন্টে আমার ধারণার চেয়ে ৫০০ পাউন্ডের সমপরিমান অর্থ কম জমা হয়েছে," বলছিলেন ক্রিস্তো, যার বয়স এখন ৩৮। "খোঁজ নিতে শুরু করলাম আসলে ঠিক কী হয়েছে, আর সহজেই বুঝলাম কত বড় বেকুব আমি"। "আমি বোকার মত আশা করছিলাম যে (বার্তা সংস্থা) রয়টার্স ও ব্লুমবার্গে যে মুদ্রা বিনিময় হার আমি দেখেছিলাম, আমার ইউকে ব্যাংক সেই হারই আমাকে দেবে," বলছিলেন ক্রিস্তো। "কিন্ত ব্যাংক আমার ক্ষেত্রে যে বিনিময় হার ব্যবহার করেছিল, তা ছিল ৫ শতাংশ কম। আমার ব্যাংক এবং অন্য সব ব্যাংকই তাই করে, তাদের ব্যবসার জন্য। এটা ছিল আমারই ভুল"। নিজেকে নিয়ে বিরক্ত ক্রিস্তো অবশ্য তখনই পণ করে বসেন যে তিনি বিদেশে টাকা পাঠানোর এমন এক উপায় খুঁজে বের করবেন যেখানে ব্যাংকের কোন হাতই থাকবে না। শুরুতে এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি এবং তাঁর এস্তোনিয়ার বন্ধু তাভেত হিনরিকাস। টেলিযোগাযোগ কোম্পানি স্কাইপের এই পরিচালকের সঙ্গে তিনি অনানুষ্ঠানিকভাবে টাকা-পয়সা লেনদেন করতেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: নেপালের রিপোর্টে দায়ী ইউএস বাংলার পাইলট আফগানিস্তানে কিভাবে ঢুকেছিল সোভিয়েত বাহিনী প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি কিভাবে দেখছেন ডাক্তাররা সুন্দরবনে স্যাটেলাইটযুক্ত কচ্ছপগুলো কিভাবে এলো? ক্রিস্তো বলছেন যে তিনি এবং তাভেত নেতৃত্বের কাজ শেয়ার করেন এটা কাজ করছিলো কারণ কিস্তো প্রায়ই পাউন্ডের সঙ্গে তখনকার এস্তোনিয়ান মুদ্রা ক্রুন-এর বিনিময় করতেন। আর তাভেত করতেন উল্টোটা। তাঁরা এক্ষেত্রে বেছে নিতেন দিনের গড় বিনিময় হার, অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট দিনে যেসব দামে একটি মুদ্রা বেচাকেনা হয়, তার গড় দাম। কিছুদিনের মধ্যে তাঁরা এস্তোনিয়ান বন্ধুদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন - এরা এস্তোনিয়া এবং দেশের বাইরে থাকা বন্ধুদের একটি দল। তাঁরা সবাই ঠিক একইভাবে মুদ্রা বিনিময় করা শুরু করেন। আর ঠিক তখনই ক্রিস্তো এবং তাভেত বুঝতে পারেন যে এটিকে একটি ব্যবসায় পরিণত করা যেতে পারে। তাই ২০১১ সালে তাঁরা লন্ডনে চালু করেন 'ট্রান্সফারওয়াইজ' - এটি একটি আর্থিক প্রযুক্তি বা "ফিনটেক" ওয়েবসাইট, যা ব্যবহার করে যেকেউ দেশের বাইরে অন্য মুদ্রায় অর্থ পাঠাতে পারেন, আর এ ক্ষেত্রে বিনিময় হার হবে দিনের গড় বিনিময় হার এবং ফি হবে একেবারে নির্দিষ্ট - মাত্র ০.৫ শতাংশ। আজ 'ট্রান্সফারওয়াইজ' একটি দুনিয়াজোড়া ব্যবসা, আর এতে বিনিয়োগ করেছেন ভার্জিনের মালিক স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন এবং পেপ্যালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ম্যাক্স লেভচিন। ক্রিস্তো প্রতি বছর ক্রিস্টমাস আর নববর্ষে আফ্রিকায় যান মটর সাইকেল নিয়ে প্রথম বছরে ক্রিস্তো এবং তাভেত ব্যবসার পেছেনে নিজেদের জমানো টাকা ঢেলেছেন। শুরুর দিকে একজন-দু'জন করে কাস্টমার পেয়েছেন তাঁরা। এর-ওর কাছ থেকে শুনে গ্রাহকরা এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করতেন। কিন্তু পরে একটি প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে ইতিবাচক রিভিউর পর গ্রাহক সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে শুরু করে। আইনগত ঝামেলা এড়াতে ক্রিস্তো ও তাভেত ব্রিটেনের তৎকালীন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস অথোরিটির কাছ থেকে অনুমতি এবং লাইসেন্স নিয়ে নেন ওয়েবসাইট শুরুর আগেই। ২০১২ সালে তাঁরা বিনিয়োগকারী খুঁজতে শুরু করেন, কিন্তু প্রথমে কেউ এগিয়ে আসতে চায়নি। "আমরা জনা পনের বিনিয়োগকারীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সবাই ফিরিয়ে দিয়েছিল," বলছিলেন ক্রিস্তো। "ইউরোপের কেউ আমাকে ছুঁতে চাইছিলো না। ওই সময়ে ইউরোপীয়রা অ্যামেরিকানদের চেয়ে কম ঝুঁকি নিতে চাইতো"। "তাই আমরা প্রথম বিনিয়োগটি নিই নিউইয়র্কের একটি ছোট তহবিল থেকে, যাদের নাম আইএ ভেঞ্চারস"। স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন ২০১৪ সালে ট্রান্সফারওয়াইজে বিনিয়োগ করেন 'ট্রান্সফারওয়াইজ' এরপর ধীরে ধীরে বেড়ে উঠেছে। সব মিলিয়ে বিনিয়োগ পেয়েছে ৩০.৫ কোটি ডলার। চল্লিশ লক্ষ মানুষ এখন এই অ্যাপ ব্যবহার করে, আর ৫০টি দেশের ৪৯টি মুদ্রার বিনিময়ে এটি ব্যবহার করা হয়। কোম্পানিটি বলছে, প্রতি মাসে 'ট্রান্সফারওয়াইজ' ব্যবহার করে ৩০০ কোটি পাউন্ড বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়। 'ট্রান্সফারওয়াইজ'-এর দ্বিতীয় বৃহত্তম অফিস এস্তোনিয়ার রাজধানী তালিন-এ। এর বার্ষিক লাভের পরিমান ৬২ লক্ষ পাউন্ড। আর কর্মীর সংখ্যা ১,৪০০। বিশ্বে কোম্পানিটির ১০ অফিস রয়েছে ফিনটেক বিষয়ক লেখক ক্রিস স্কিনার বলছেন, 'ট্রান্সফারওয়াইজ' খুব দ্রুত বেড়ে উঠেছে কারণ সস্তায় মানুষজন এটি ব্যবহার করতে পারে, আর এটি ব্যবহারে কোন লুকানো খরচ নেই। "আমরা যখন শুরু করি, তখন অনেক কিছুই অজানা ছিল," বলছিলেন ক্রিস্তো। "এস্তোনিয়ার দু'জনের তৈরি একটি ওয়েবসাইট কি কেউ বিশ্বাস করবে? আমরা যে সমস্যার সমাধান করতে চাই, সেই সমস্যা কি আর কারো আছে? "আসলে বিশ্বের অনেক মানুষের ঠিক একই সমস্যা ছিল, আর তাঁরা আমাদের বিশ্বাসও করেছিলেন"।
The BBC's weekly The Boss series profiles a different business leader from around the world. This week we speak to Kristo Kaarmann, co-founder and chief executive of money transfer business TransferWise.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
বাঘুজের একটি ভবনের ওপর এসডিএফের পতাকা ওড়াচ্ছে তাদের সৈন্যরা কুর্দি-নেতৃত্বাধীন বাহিনী এসডিএফ বলছে, সিরিয়ার ছোট্ট একটি গ্রাম বাঘুসে ছিল আইএসের শেষ ঘাঁটি - এবং সেখানে তারা নিজেদের পতাকা উড়িয়েছে। এসডিএফের মিডিয়া অফিসের প্রধান মুস্তাফা বালি এক টুইট বার্তায় 'তথাকথিত খিলাফতের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ' এবং 'আইসিসের দখল করা সব এলাকা শত ভাগ মুক্ত করার' খবর জানান। একসময় আইএস-এর শক্তি যখন তুঙ্গে - তখন তারা সিরিয়া এবং ইরাকের ৮৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার ভূখন্ড নিয়ন্ত্রণ করতো। আয়তনের দিক থেকে সেটি ছিল ব্রিটেনের সমান। সেখানকার বাসিন্দা এক কোটি লোকের ওপর তারা জঙ্গি ধর্মীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করেছিল। তেল বিক্রি, চাঁদাবাজি, অপহরণ এবং ডাকাতি করে তারা শত শত কোটি ডলার আয় করেছিল। সারা বিশ্ব থেকে হাজার হাজার যোদ্ধা আইএস-এর পক্ষে লড়াইয়ে যোগ দিয়েছিল। বাঘুজে আই এসের ফেলে যাওয়া অস্ত্র কিন্তু সিরিয়ার সরকারি বাহিনী এবং কুর্দি-প্রধান এসডিএফ বাহিনীর সাথে যুদ্ধে হারতে হারতে তারা শেষ অবস্থান নিয়েছিল পূর্ব সিরিয়ার বাঘুসে। এখন তাদের সেই ঘাঁটিরও পতন ঘটলো। এসডিএফ আইসএস-এর বিরুদ্ধে চুড়ান্ত লড়াই শুরু করে গত মার্চ মাসে। কিন্তু সেই অভিযানের তীব্রতা কিছুটা কমে আসে যখন জানা যায় যে আইএস-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বিভিন্ন ভবন, তাঁবু আর সুড়ঙ্গগুলোতে বহু বেসামরিক মানুষ আশ্রয় নিয়ে আছেন। একসময় ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করেছিল আইএস লড়াই থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য হাজার হাজার নারী ও শিশু সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বিবিসির সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, ভূখন্ডের নিয়ন্ত্রণ চলে গেলেও আইএস-কে এখনও বিশ্ব নিরাপত্তার বিরুদ্ধে একটা প্রধান হুমকি বলে মনে করা হয়। আইএস-এর প্রভাব ঐ এলাকায় এখনও নি:শেষ হয়ে যায়নি। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: আর্থিক খাতে সাইবার ক্রাইম ঠেকানো যাচ্ছেনা কেন? জি এম কাদেরকে অব্যাহতি দিলেন এরশাদ ১৯৭১: ভারতকে যেভাবে সাহায্য করে ইসরায়েল জয়সূচক চিহ্ন দেখাচ্ছেন এসডিএফের একজন নারী সৈনিক নাইজেরিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তান এবং ফিলিপিন্সে এখনও বহু আইএস অনুসারী রয়ে গেছে। ইরাকে ২০০৩ সালের মার্কিন অভিযানের পরবর্তীকালে 'ইরাকী আল-কায়েদা' থেকে 'ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক'-এর জন্ম হয়। ২০১১ সালে তারা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যোগ দেয়। সিরিয়ার রাক্কা হয় তাদের রাজধানী। তাদের নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি গোষ্ঠীটির নতুন নাম দেন ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এ্যান্ড দি লেভান্ট (সিরিয়া) - সংক্ষেপে আইসিস বা আইসিল। বাঘুজের পতনের খবর জানাচ্ছেন এসডিএফের কমাণ্ডার জিয়া ফুরাত তারা মসুল এবং তিকরিত সহ অনেক ইরাকি শহর এবং সিরিয়ার বৃহত্তম হোমস তেলক্ষেত্র দখল করে নেয়। এর পর ২০১৪ সালে জিহাদি গ্রুপটি 'খিলাফত' প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় - যার নাম হয় ইসলামিক স্টেট। আইএস যোদ্ধারা ইরাকের ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের লোকদের হত্যা এবং ইয়াজিদি নারীদের যৌনদাসীতে পরিণত করে। তারা পশ্চিমা জিম্মিদের শিরশ্ছেদের বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রচার করে। ওই বছর সেপ্টেম্বর থেকে মার্কিন বাহিনী তাদের ওপর বিমান হামলা শুরু করে। বাঘুজের যুদ্ধের কারণে হাজার হাজার লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে পালায় তবে বাঘুজে পরাজয়ের পরও মার্কিন কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে আইএস-এর ১৫ থেকে ২০ হাজার সশস্ত্র সদস্য ওই অঞ্চলে সক্রিয় রয়েছে। এর অনেকগুলোই 'স্লিপার সেল' অর্থাৎ তারা এখন গোপনে অবস্থান করছে এবং আইএস পুনর্গঠিত হওয়া শুরু করলেই তারা আবার ভেসে উঠবে। বাঘুজের পতন যখন অত্যাসন্ন তখনও আই এস তাদের কথিত মুখপাত্র আবু হাসান আল-মুহাজিরের একটি অডিও বার্তা প্রচার করেছিল। তাতে তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন খিলাফত শেষ হয়ে যায় নি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: খেলাফতের পর আইএসের ভবিষ্যৎ কী আইএসের হাজার হাজার বিদেশী জিহাদির পরিণতি কি শেষ ঘাঁটিগুলো ছেড়ে পালাচ্ছে আইএস যোদ্ধারা সহিংস জিহাদের প্রতি আকর্ষণের পেছনে কী কাজ করে
The Kurdish-led Syrian Democratic Forces (SDF) says the Islamic State group's five-year "caliphate" is over after the militants' defeat in Syria.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
কয়েক বছর ধরে রাশিয়ায় দুর্নীতি বিরোধী প্রচার চালাচ্ছিলেন আলেক্সেই নাভালনি মি. নাভালনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে সোচ্চার সমালোচক। গত মাসে রাশিয়ার সাইবেরিয়া এলাকা থেকে বিমানে যাত্রার সময় ফ্লাইটের ভেতর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাকে বিমানে করে বার্লিনে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। এরপর থেকে তিনি কোমায় আছেন। নভিচকের নাম শেষবার খবরে এসেছিল ২০১৮ সালে। তখন ব্রিটেনের সলসবেরি শহরে রাশিয়ার সাবেক এক গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ে ইউলিয়ার ওপর নভিচক বিষ প্রয়োগ করে হামলার অভিযোগ করা হয়েছিল। রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ মি. নাভালনি এবং এর আগে মি. স্ক্রিপাল ও তার মেয়ের বিষক্রিয়ায় তাদের কোনরকম ভূমিকার কথা অস্বীকার করেছে। ৬৬ বছর বয়সী সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ে ৩৩ বছরের ইউলিয়াকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। দুজনেই পরে সেরে ওঠেন। নভিচক সামরিক মানের স্নায়ুর ক্ষতিসাধনকারী বিষগুলোর মধ্যে একটি। আমরা কতটুকু জানি এই বিষ সম্পর্কে? এটি উদ্ভাবিত হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নে রুশ ভাষায় নভিচক নামের মানে ''নবাগত''। ১৯৭০ এবং ১৯৮০র দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন উচ্চ ক্ষমতার স্নায়ুর ক্ষতিকারক যেসব রাসায়নিক বিষ তৈরি করেছিল এই নভিচক সেই দলে পড়ে। এধরনের বিষ চতুর্থ স্তরের রাসায়নিক অস্ত্র হিসাবে পরিচিত এবং 'ফোলিয়েন্ট' এই সাংকেতিক নামের এক সোভিয়েত কর্মসূচির আওতায় এটি তৈরি করা হয়। ড. ভিল মির্জায়ানফ নামে একজন রসায়নবিদ ১৯৯০এর দশকে রুশ সংবাদমাধ্যমে এই নভিচকের কথা প্রথম প্রকাশ করেন। পরে তিনি রাশিয়া থেকে পালিয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে প্রকাশ করা 'স্টেট সিক্রেটস' (রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য) নামে তার বইয়ে তিনি নভিচকের রাসায়নিক ফর্মূলা ফাঁস করেন। আমেরিকার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা ১৯৯৯ সালে উজবেকিস্তানে যান সেখানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্যতম সর্ববৃহৎ রাসায়নিক অস্ত্র পরীক্ষার একটি কেন্দ্র ভেঙে ফেলার এবং সেটিকে বিষমুক্ত করার লক্ষ্যে। ড. মির্জায়ানফ জানান, সোভিয়েত ইউনিয়ন ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে নভিচক সীমিতভাবে উৎপাদন ও পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করতো। এই রাসায়নিক বিষ এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল যাতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এর উপস্থিতি ধরতে না পারেন। এই গোষ্ঠীভুক্ত রাসায়নিক বিষগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে মারাত্মক। ভিএক্স নার্ভএজেন্ট নামে এই জাতের অন্য যেসব রাসায়নিক বিষ রয়েছে, তার থেকে পাঁচ বা আটগুণ বেশি ক্ষতিকারক এই নভিচক বিষ। ''সারিন গ্যাস বা ভিএক্স-এর মত রাসায়নিক বিষের চেয়েও বেশি বিপদজনক এবং বেশি উন্নত মানের বিষ এই নভিচক এবং এটি শনাক্ত করা অনেক বেশি কঠিন,'' বলছেন ব্রিটেনের রেডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক গ্যারি স্টিফেন্স। নভিচক বিষের প্রভাব কতদিন স্থায়ী হয়? নভিচকের বিষক্রিয়া কতদিন স্থায়ী হয় এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের দ্বিমত রয়েছে। ড. ভিল মির্জায়ানফ বলছেন, এটা অনেক মাস ধরে স্থায়ী হয় না। কিন্তু বিজ্ঞানী ভ্লাদিমির উগলেফ, যিনি দাবি করেন স্ক্রিপাল পরিবারকে যে নভিচক বিষ দেয়া হয়েছিল সেটির উদ্ভাবক তিনি, তার মতে এই বিষ "খুবই স্থিতিশীল''। অন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রাসায়নিক বিষ টেকসই ভাবে তৈরি করা হয়েছে এবং এটির বিষক্রিয়া বেশ কয়েকমাস এমনকী কয়েক বছর ধরে স্থায়ী হতে পারে। বিশেষ করে যদি এই বিষ কোন পাত্রের ভেতর মজুত রাখা হয়, তাহলে তার ক্ষমতা দীর্ঘদিন পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে। ''স্নায়ুর এই বিষ নভিচক, উবে যায় না। এটি পানির মধ্যেও মিশে যায় না অর্থাৎ পানিতে মিশলেও এর গঠন বদলায় না,'' বলেছেন লন্ডনে ইউনিভার্সিটি কলেজের রসায়নের অধ্যাপক অ্যানড্রিয়া সেলা। একটা সমস্যা হল নভিচক নিয়ে গবেষণা হয়েছে কম এবং স্নায়ু ক্ষতিকারক অন্যান্য রাসায়নিক বিষের চাইতে এই বিষ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় কম। এছাড়াও এই বিষ কতদিন শরীরে কাজ করে সে বিষয়ে সরকারিভাবে কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য নেই। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: পুতিনের প্রতিপক্ষকে ‘বিষ প্রয়োগের’ অভিযোগ পুতিনের সমালোচক নাভালনির ভয়াবহ অ্যালার্জি 'নার্ভ গ্যাস প্রয়োগে হত্যা করা হয় কিম জং নাম-কে' নভিচক দেখতে কেমন? কিছু কিছু নভিচক তরল পদার্থ, আবার নভিচক কঠিন পদার্থ হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে নভিচক ব্যবহার করা হয় অতি সূক্ষ্ম পাউডার হিসাবে। কিছু নভিচক এমন ধরনের রাসায়নিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার হয়, যেখানে বিষটি রাখা হয় দুটি অপেক্ষাকৃত কম বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান হিসাবে। এতে বিষটি মজুত রাখা, পরিবহন করা বা এটি ব্যবহার করার সময় এটা কম বিষাক্ত থাকে, এবং যারা বিষটি নিয়ে কাজ করছে তাদের জন্য এটা ক্ষতিকর হয় না। কিন্তু প্রয়োগ করার পর এর বিষ পুরো মাত্রায় কার্যকর হয়ে ওঠে। ব্রিটেনের সলসবেরি শহরে যেখানে সের্গেই ও ইউলিয়া স্ক্রিপালকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল সেখানে তদন্তের কাজ করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিষটি প্রয়োগ করা হলে দুটি উপাদান মিশ্রিত হয়ে পুরো সক্রিয় হয়ে ওঠে। ''এধরনের রাসায়নিক বিষ তৈরি করা সহজ, কারণ যেসব উপাদান দিয়ে এটা তৈরি হয় সেসব উপাদান নিষিদ্ধ নয়,'' বলছেন অধ্যাপক স্টিফেনস। কয়েকটি নভিচক খুব দ্রুত কাজ করতে পারে অন্যান্য রাসায়নিক অস্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি বিষাক্ত ও মারাত্মক নভিচক। কাজেই কোন কোন জাতের নভিচক খুব দ্রুত কাজ শুরু করতে পারে - প্রয়োগের ৩০ সেকেন্ড থেকে দুই মিনিটের মধ্যে। এই বিষ শরীরে কাজ করে খাদ্যদ্রব্যের মাধ্যমে বা নি:শ্বাসের মাধ্যমে সেটা শরীরে ঢুকলে। চামড়ার মধ্যে দিয়েও এই বিষ শরীরে ঢুকতে পারে। এর উপসর্গ অন্য স্নায়ু ক্ষতিকারক বিষের মতই নভিচক বিষ কাজ করে অন্যান্য স্নায়ু ক্ষতিকারক বিষের মতই। এই বিষ মস্তিষ্ক থেকে শরীরের মাংসপেশীতে বার্তাবাহী স্নায়ুগুলোর কাজ বন্ধ করে দেয়। এতে শরীরের বিভিন্ন বহু স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। ড. মির্জায়ানফ বলেছেন, এই বিষক্রিয়ার প্রথম উপসর্গ হল চোখের মণি ছোট হয়ে চোখে অন্ধকার দেখা। বিষের পরিমাণ বেশি হলে খিঁচুনি হতে পারে এবং নি:শ্বাসের কষ্ট দেখা দিতে পারে, তিনি বলেন। ''এরপরই শুরু হয় ঘন ঘন খিঁচুনি এবং বমি এবং তারপর প্রাণ সংশয় দেখা দিতে পারে।'' গত মাসে সন্দেহভাজন বিষ প্রয়োগের পর থেকে আলেক্সেই নাভালনি কোমায় রয়েছেন। ড. মির্জায়ানফ বলছেন, এই বিষক্রিয়া থামানোর জন্য ওষুধ হিসাবে অ্যাট্রোপিন এবং অ্যাথিন ব্যবহার করা হয়, তবে এগুলো ব্যবহার করে রোগীকে সারিয়ে তোলা যায় না। কেউ যদি এই রাসায়নিক বিষের সংস্পর্শে আসে তার কাপড়চোপড় সব খুলে দিতে হয় এবং সাবান ও পানি দিয়ে তার চামড়া পুরো পরিষ্কার করতে হয়। তার চোখও ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হয় এবং তাকে অক্সিজেন দেবার ব্যবস্থা করতে হয়। আর কেউ নভিচক তৈরি করেছে? ড. মির্জায়ানফ বলছেন, ''রাশিয়া যেহেতু এই নভিচক বিষ উদ্ভাবন করেছে, রাশিয়ারই এই রাসায়নিক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং রাশিয়া এই বিষকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে। ফলে এই রাসায়নিক ব্যবহার করে বিষাক্ত অস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়া রাশিয়া পুরো আয়ত করেছে।'' জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেছেন, সোভিয়েত আমলে উদ্ভাবিত এই স্নায়ুর ক্ষতিকারক বিষ তৈরি দেশটি ১৯৯২ সালে বন্ধ করে দিয়েছে, এবং যা মজুত ছিল তার পুরোটাই ২০১৭ সালে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। সেপ্টেম্বর ২০১৭য় রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা ওপিসিডাব্লিউ নিশ্চিত করে যে রাশিয়ায় মজুত ৩৯,৯৬৭ টন রাসায়নিক অস্ত্র পুরো নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু নভিচক রাসায়নিক বিষের কথা কখনও ওই সংস্থাকে সরকারিভাবে জানানো হয়নি। এবং যে রাসায়নিক দিয়ে নভিচক জাতীয় বিষ তৈরি করা হয়েছে তা কখনও নিয়ন্ত্রণ বা পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা হয়নি, কারণ এগুলোর রাসায়নিক গঠনপ্রকৃতি সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কোন তথ্য পাওয়া যায় নি, বলেছেন লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যালেস্টেয়ার হে।
The German government says Russia's opposition leader, Alexei Navalny, has been poisoned with a Novichok nerve agent.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বন্যায় এবার গ্রীস্মকালীন ফসল মার খাওয়ার পর সেখানে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। কোন কোন নগরীতে প্রতি কিলোগ্রাম পেঁয়াজ ষাট সেন্টেও বিক্রি হচ্ছিল। দিল্লি থেকে বিবিসি বাংলার শুভজ্যোতি ঘোষ জানান, ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড আছে, তার প্রধান অমিত যাদবের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার একথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সব দেশে ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি অবিলম্বে বন্ধ হচ্ছে। ভারতে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ হয় মহারাষ্ট্রে। সেখান থেকে যেমন পেঁয়াজ রপ্তানি করা যাবে না, তেমনি কর্ণাটক বা তামিলনাডু থেকেও পেঁয়াজ রপ্তানি করা যাবে না। এই বিবৃতিতে অবশ্য রপ্তানি বন্ধের কোন কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে ধরে নেয়া হচ্ছে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ে যে অস্থিরতা চলছে, সেটাই এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশ গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহেও ভারত একেবারে আচমকা বাংলাদেশসহ সব দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমদানি করার ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর বাংলাদেশের ব্যাপক নির্ভরতা রয়েছে। গত বছরের ঐ সিদ্ধান্তের পর সাথে সাথেই বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অগ্নিমূল্য হয়ে উঠেছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল কয়েক মাস। ভারত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ। প্রতি বছর দেশটি প্রায় ২০ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করে। দক্ষিণ এশিয়ার রন্ধনপ্রণালীতে পেঁয়াজ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। ভারতের পেঁয়াজের ওপর বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, মালয়েশিয়া এবং শ্রীলংকাও ব্যাপকভাবে নির্ভর করে।
India's government has banned the export of onions after the vegetable doubled in price in the past week.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
মামলায় শাহরুখ খান এবং আমির খানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। গত জুনে বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর এ ধরণের পদক্ষেপ আসলো। পুলিশের ধারণা, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমগুলো মাসের পর মাস ধরে এ সম্পর্কিত মামলা নিয়ে নানা ধরণের সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। মামলা করা এসব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শাহরুখ খান, আমির খান এবং সালমান খানের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। "আসামীদের চালানো নোংরা প্রচারণার কারণে বলিউডের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জীবিকা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে," মামলায় বলা হয়। সম্প্রতি কয়েক মাস ধরে ওই অভিনেতার মৃত্যুর খবরই ভারতীয় মিডিয়ায় প্রাধান্য পেয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৪ জন প্রযোজক এবং চারটি চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রতিষ্ঠান মিলিতভাবে দুটি ভারতীয় মিডিয়া চ্যানেল এবং চার জন উপস্থাপকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তবে তারা এখনো অভিযোগের বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি। মামলায় উল্লেখ করা হয়, "বলিউডের সদস্যদের গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে, পুরো বলিউডকে অপরাধীর মতো উপস্থাপন করে এর সদস্যদের সম্মানের প্রতি অপূরণীয় ক্ষতি করা হয়েছে, বলিউডকে মাদক সংস্কৃতির সাথে এক করে দেখানো হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের মনে বলিউডকে অপরাধমূলক কাজের প্রতিশব্দ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।" আরো পড়ুন: গত ১৪ই জুন ৩৪ বছর বয়সী মি. রাজপুতের মরদেহ তার মুম্বাইয়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়। সেসময় পুলিশ বলেছিল যে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু পরে তার পরিবার তার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়াসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে এসব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন রিয়া চক্রবর্তী। এরপর থেকে বলিউডের বিভিন্ন অভিনেতা এমনকি দীপিকা পাড়ুকোনকেও জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে মি. রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তের অংশ হিসেবে। তবে কারো বিরুদ্ধেই কোন অভিযোগ আনা হয়নি। তিনটি সংস্থা বর্তমানে এই মামলার তদন্ত করছে। তদন্তকারীদের কাছ থেকে পাওয়া সামান্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে মি. রাজপুতের সাথে কী ঘটেছিল এবং কারা দায়ী- সে বিষয়ে নানা ধরণের গুজব এবং অনুমান ছড়িয়ে পড়ছে।
Some of Bollywood's biggest production companies have filed a law suit against "irresponsible reporting" by some Indian media outlets.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
মোহাম্মদ মোরসি কায়রোতে আদালতকক্ষে একটি মামলার বিচার চলার সময় সংজ্ঞা হারানোর পর তিনি মারা যান বলে মিশরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন খবর দিয়েছে। সাতষট্টি বছর বয়স্ক মোহাম্মদ মোরসি তার বিরুদ্ধে আনা এক গুপ্তচরবৃত্তির মামলায় হাজিরা দিচ্ছিলেন। ফিলিস্তিনি হামাস গোষ্ঠীর সাথে সন্দেহজনক যোগাযোগ রাখার অভিযোগ এনে ওই মামলা করা হয়েছিল। মিশরের 'আরব বসন্ত' নামে খ্যাত সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর ২০১২ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল তার মাধ্যমে মোহাম্মদ মোরসি প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। আরো পড়তে পারেন: মুসলিম ব্রাদারহুড আন্দোলনের এখন কি অবস্থা্? তিনি ছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা এবং মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এক বছর পরই তার বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ শুরু হয় এবং সেনাবাহিনী মি. মোরসিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে। তখন থেকেই তিনি কারাবন্দী আছেন। মোরসি ক্ষমতাচ্যুত হবার পর তার সমর্থক এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে মিশরের কর্তৃপক্ষ। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিশরের নেতা হন আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি, যিনি এখন মিশরের প্রেসিডেন্ট। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে ডাক্তার ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে ডাক্তারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ: প্রতিকার কী? জাদু দেখাতে গিয়ে নদীতে নিখোঁজ জাদুকর প্রবাসীদের নিয়ে হঠাৎ কী হলো ঢাকার বিমানবন্দরে
Egypt's former President, Mohamed Morsi, has died while standing trial.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
কয়েকটি দেশে এর মধ্যেই করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া শুরু হয়েছে কিন্তু এখন কী হচ্ছে? মাত্র ১০ মাস পরেই কিছু দেশে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া শুরু হয়ে গেছে, আর এসব ভ্যাকসিন যারা তৈরি করেছে - সেই কোম্পানিগুলোর নাম এখন লোকের মুখে মুখে ফিরছে। এর ফলে, বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস দিচ্ছেন যে কমপক্ষে দু-তিনটি ভ্যাকসিন-উৎপাদক কোম্পানি - আমেরিকার মডার্না, জার্মানির বায়োএনটেক এবং তাদের অংশীদার বৃহৎ আমেরিকান কোম্পানি ফাইজার - এরা আগামী বছর সম্ভবত শত শত কোটি ডলার অর্থ আয় করতে চলেছে। কিন্তু এর বাইরে ভ্যাকসিন-উৎপাদকরা ঠিক কত টাকা কামাবে তা এখনো ঠিক স্পষ্ট নয়। বলা হচ্ছে, এই ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়ায় যেভাবে অর্থসংস্থান করা হয়েছে এবং যতগুলো ফার্ম এই উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় যোগ দিয়েছে - তাতে বড় অংকের মুনাফা করার সুযোগ হয়তো খুব বেশিদিন স্থায়ী হবে না। ভ্যাকসিন তৈরির এই দৌড়ে অর্থসংস্থান করেছে কে? ভ্যাকসিনের প্রয়োজন ছিল জরুরি। তাই বিভিন্ন দেশের সরকার এবং দাতারা টিকা তৈরি এবং তার পরীক্ষার প্রকল্পগুলোতে কোটি কোটি পাউণ্ড পরিমাণ অর্থ ঢেলেছে। গেটস ফাউণ্ডেশনের মত দাতব্য সংস্থাগুলোও এতে অর্থ-সহায়তা দিয়েছে, এমনকি আমেরিকান কান্ট্রি মিউজিক তারকা ডলি পার্টন এবং আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা-র মতো অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও অর্থ দিয়েছেন। কোভিডের টিকা আবিষ্কারে কে কত অর্থ ব্যয় করেছে বৈজ্ঞানিক উপাত্ত বিশ্লেষণকারী কোম্পানি এয়ারফিনিটি বলছে, সব মিলিয়ে সরকারগুলো দিয়েছে ৬৫০ কোটি পাউন্ড। এ ছাড়া অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলো দিচ্ছে প্রায় ১৫০ কোটি পাউণ্ড। কোম্পানিগুলো নিজেরা বিনিয়োগ করেছে মাত্র ২৬০ কোটি পাউণ্ড - তবে এর মধ্যে অনেকে আবার বাইরের তহবিলের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। কোভিডের ভ্যাকসিনে বিনিয়োগের পেছনে ফার্মগুলোর জটিল হিসেব বড় ফার্মগুলো কেন ভ্যাকসিন প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে তাড়াহুড়ো করেনি তার বেশ কিছু কারণ আছে। অতীতে দেখা গেছে, বিশেষ করে জরুরি স্বাস্থ্য সংকটের সময় টিকা তৈরি করাটা খুব একটা লাভজনক হয়নি। কারণ এই টিকা উদ্ভাবন করতে অনেক সময় লাগে, তা ছাড়া এটা যে কাজ করবে তার নিশ্চয়তাও কম। দরিদ্র দেশগুলোয় বিপুল পরিমাণ টিকা সরবরাহ করা হয়, কিন্তু তাদের উচ্চ মূল্য দেয়ার আর্থিক সঙ্গতি নেই। তা ছাড়া টিকা দিতে হয় মাত্র একবার কি দু'বার। অন্যদিকে যেসব ওষুধের চাহিদা ধনী দেশগুলোতে বেশি এবং যেগুলো প্রতিদিন নিতে হয় - তা উৎপাদন করে অর্থ আয়ের সুযোগ অনেক বেশি। জিকা বা সার্স ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য যেসব কোম্পানি কাজ শুরু করেছিল তারা সেটা করতে গিয়ে একবার হাত পুড়িয়েছে। বিভিন্ন টিকা বিক্রি হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন দামে অন্যদিকে ফ্লু'র টিকার প্রতি বছর কয়েকশ কোটি ডলারের বাজার রয়েছে। এ ছাড়াও আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে ফ্লুর মতই কোভিড-১৯ পৃথিবীতে অনেক দিন স্থায়ী হবে, এবং তা থেকে রক্ষার জন্য বছরে বছরে 'বুস্টার' টিকা নিতে হবে। তার মানে হলো - যে ফার্ম সবচেয়ে কার্যকর এবং সবচেয়ে সাশ্রয়ী ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারবে - তা ততই লাভজনক হবে। ভ্যকসিনের কত দাম নিচ্ছে কোম্পানিগুলো? বেশি কিছু কোম্পানি - বিশেষ করে যারা বাইরে থেকে অর্থায়ন পেয়েছে - তারা এটা দেখাতে চায় না যে একটা বৈশ্বিক সংকট থেকে তারা মুনাফা করছে। বৃহৎ আমেরিকান ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি জনসন এ্যান্ড জনসন, এবং যুক্তরাজ্যের এ্যাস্ট্রাজেনেকা (যারা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক বায়োটেক কোম্পানির সাথে কাজ করছে) - তারা তাদের উৎপাদনমূল্যটুকু পুষিয়ে যাবে এমন দামে ভ্যাকসিনটি বিক্রি করার অঙ্গীকার করেছে । এ্যাস্ট্রাজেনেকা এখন প্রতিটি টিকা ৪ ডলার বা ৩ পাউণ্ড দামে বিক্রি করছে - যা সবচেয়ে সস্তা করোনাভাইরাসের টিকা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বাংলাদেশে কবে আসছে ভ্যাকসিন? ভ্যাকসিন নিতে মানুষের আগ্রহ কতটা? হাসপাতালগুলো ফিরিয়ে দিল, মানুষ দুটি শেষ পর্যন্ত মরেই গেল করোনার পর যেভাবে চীনের অর্থনীতি আবার পুরো সচল মডার্না নামের একটি ছোট বায়োটেকনোলজি ফার্ম তাদের টিকার যে দাম ধার্য করেছে তা অনেক বেশি - প্রতি ডোজ ৩৭ ডলার পর্যন্ত। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই ফার্মের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কিছু মুনাফা করা। তবে তাদের ভ্যাকসিনটি অত্যন্ত ঠাণ্ডা অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় পাঠাতে হয়, এবং সেই খরচ টিকার দামের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এর মানে অবশ্য এই নয় যে এই টিকার দাম বেঁধে দেয়া হয়েছে। সাধারণত ফার্মসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো একেক দেশে একেক দামে টিকা বিক্রি করে - সাধারণত সরকারগুলোর কত দামে কেনার সাধ্য আছে তার ওপর এটা নির্ভরশীল। এ্যাস্ট্রাজেনেকা অঙ্গীকার করেছে যে যতদিন মহামারি আছে ততদিন তারা টিকার দাম কম রাখবে। তার মানে হচ্ছে আগামী বছরই এর দাম বেড়ে যেতে পারে। তবে তা নির্ভর করে মহামারির গতি কোন দিকে যায়। বার্কলের ইউরোপিয়ান ফার্মাসিউটিক্যাল গবেষণার প্রধান এমিলি ফিল্ড বলছেন, এমুহূর্তে ধনী দেশের সরকারগুলো ভ্যাকসিনের জন্য চড়া দাম দেবে - কারণ তারা চাইছে মহামারির অবসান ঘটাতে এখন যাই পাওয়া যায় তাই কিনে ফেলতে । তবে তিনি বলছেন, পরে যখন আরো নানা ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে তখন প্রতিযোগিতার কারণেই দাম অনেক কমে যাবে। ফাইজার টিকা তৈরিতে বাইরের সাহায্য নেয়নি, কিন্তু বায়োএনটেক জার্মান সরকারের সহায়তা নিয়েছে তবে এ সময়টার মধ্যে যে প্রাইভেট ফার্মগুলো - বিশেষ করে ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো যাদের অন্য কোন কিছু বিক্রি করার নেই - তারা লাভের কথা না ভেবেই ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে এমনটা আশা না করাই ভালো - বলছেন রাসমুস বেখ হ্যানসেন, এয়ারফিনিটির প্রধান নির্বাহী। কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, এসব কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যেই বেশ খানিকটা ঝুঁকি নিয়েছে, দ্রুত কাজ করেছে এবং গবেষণা ও উৎপাদন খাতে বড় অংকের বিনিয়োগও করেছে। ফলে ভবিষ্যতে তাদের নতুন আবিষ্কার করতে হলে তাদের পুরষ্কার দরকার - বলছেন মি. হ্যানসেন। তবে কেউ কেউ যুক্তি দেন, এই সংকটের আকার এত বড় ছিল এবং সরকারগুলো এত অর্থ ব্যয় করেছে যে একে স্বাভাবিক ব্যবসার উপযুক্ত সময় বলা যায় না। তাদের কি প্রযুক্তি বিনিময় করা উচিৎ? যেহেতু সংকট এত গুরুতর ছিল, তাই অনেকে আহ্বান জানিয়েছেন যে ভ্যাকসিনের পেছনের যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান তা সমন্বয় করা উচিত যাতে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মত দেশগুলোতে অন্যান্য ফার্মগুলো তাদের নিজেদের বাজারের জন্য ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারে। মেডিসিন্স ল' এ্যান্ড পলিসি নামে একটি গবেষণা সংস্থার পরিচালক এলেন টি হোন বলছেন, "সরকারি অর্থায়নের একটা শর্তই হওয়া উচিত ছিল এ ব্যাপারটা। কোন রকম শর্ত ছাড়াই এ পরিমাণ অর্থ তাদেরকে দেয়াটা সুবিবেচনার কাজ হয়নি।" তিনি বলছেন, বড় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো প্রথমে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দৌড়ে যোগ দিতে খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি। কিন্তু যখন সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা অর্থায়নের অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে এলো - তখনই তারা কাজ শুরু করেছিল। সবচেয়ে বেশি টিকার অর্ডার পেয়েছে অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকা তাই সেই গবেষণার ফল থেকে শুধু তারা কেন মুনাফা করবে - এ প্রশ্ন করেন তিনি। "ওই আবিষ্কারগুলো এখন কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত হচ্ছে, এই জ্ঞান অন্য কাউকে দেয়া হবে কিনা তার নিয়ন্ত্রণও এসব কোম্পানির হাতেই" - বলছিলেন তিনি। তার মতে, এ ক্ষেত্রে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের যতটুকু বিনিময় হচ্ছে তা যথেষ্ট নয়। ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো কি বিশাল অংকের মুনাফা করবে? বিভিন্ন দেশের সরকার এবং বহুজাতিক সংস্থাগুলো ইতোমধ্যেই শত শত কোটি ডোজ টিকা নির্ধারিত মূল্যে কেনার অঙ্গীকার করেছে। তাই আগমিী কয়েক মাসে ফার্মগুলো চেষ্টা করবে কত দ্রুত এই অর্ডারগুলো সরবরাহ করা যায়। যারা ধনী দেশগুলোর কাছে ভ্যাকসিন বিক্রি করবে তারা তাদের বিনিয়োগ থেকে লাভ করতে শুরু করবে। কিন্তু এ্যাস্ট্রাজেনেকার মত কোম্পানি সবচেয়ে বেশি ডোজ টিকা সরবরাহ করার চুক্তি করলেও - তারা তাদের খরচ উঠিয়ে নিতে পারবে মাত্র - তার চেয়ে বেশি কিছু পাবে না। প্রথম চুক্তিগুলো অনুযায়ী ভ্যাকসিন সরবরাহের পর পরিস্থিতি কি হবে তার পূর্বাভাস দেয়া মুশকিল। এটা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে, যেমন - ভ্যাকসিন নেবার পরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতদিন স্থায়ী হবে, কতগুলো টিকা সাফল্য পাবে, উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থা কত সুষ্ঠুভাবে কাজ করবে। এমিলি ফিল্ড মনে করেন - মুনাফা করার সুযোগ হবে খুবই সাময়িক। ভবিষ্যতে হয়তো সরকারগুলো মহামারি প্রতিরোধে আরো বেশি ব্যয় করবে তা ছাড়া প্রথম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারীরা যদি তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বিনিময় না-ও করে, মনে রাখতে হবে পৃথিবীতে ৫০টিরও বেশি ভ্যাকসিন এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। মিজ ফিল্ড বলেন, "দু বছরের মধ্যে এমন হতে পারে যে বাজারে অন্তত ২০টি টিকা এসে যাবে। তখন এর জন্য চড়া দাম হাঁকা খুব কঠিন হয়ে যাবে।" তার মতে, দীর্ঘমেয়াদে কোম্পানির সুনাম একটা বড় ভুমিকা পালন করতে পারে। সফল ভ্যাকসিন হয়তো কোভিড থেরাপি বা অন্য কোন সামগ্রী বিক্রির পথও খুলে দিতে পারে। সেদিক দিয়ে বিচার করলে, এয়ারফিনিটির রাসমুস বেখ হ্যানসেন মনে করেন - পুরো শিল্পই হয়তো এতে লাভ করবে। হয়তো এই মহামারিজনিত সংকটের 'রূপোলি রেখা' এটিই। তিনি মনে করেন, সরকারগুলো হয়তো মহামারি দমনের কৌশলের ক্ষেত্রে সেভাবেই বিনিয়োগ করবে, যেভাবে এখন তারা প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগ করে। আরএনএ প্রযুক্তির সাফল্য আরেকটি আশার কথা হলো, শেয়ারবাজারে মডার্না ও বায়োএনটেকের মূল্য যেভাবে বেড়েছে - তার একটা কারণ হলো তাদের আরএনএ প্রযুক্তির একটা প্রমাণ মিলেছে তাদের আবিষ্কৃত টিকার মধ্যে দিয়ে। "এর কার্যকারিতা দেখে সবাই মুগ্ধ হয়েছেন, এবং এটা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে" - বলেন এমিলি ফিল্ড। কোভিডের আগে বায়োএনটেক ত্বকের ক্যানসারের একটি টিকার ওপর কাজ করছিল। আর মডার্না কাজ করছে ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের একটি আরএনএ-ভিত্তিক টিকা আবিষ্কারের জন্য। এগুলোর কোন একটি যদি সফল হয় - তাহলে তাদের অর্জন হবে বিরাট। করোনা ভাইরাস: টিকা উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেয়া তুর্কী বংশোদ্ভূত জার্মান মুসলিম দম্পতি
At the start of the pandemic, we were warned: it takes years to develop a vaccine, so don't expect too much too soon.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন আমেরিকায় সর্বাধিক আক্রান্তের হার দেশটির জন্য 'কৃতিত্বের' "আমি এটাকে একটা সম্মান হিসাবে দেখছি, এটা একটা ভাল লক্ষণ, কারণ এর মানে আমাদের পরীক্ষা অনেক ভাল হচ্ছে," হোয়াইট হাউসে একথা বলেছেন মি. ট্রাম্প। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসাব অনুযায়ী আমেরিকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ। দেশটিতে ভাইরাসে মারা গেছে প্রায় ৯২ হাজার মানুষ। আমেরিকার পরেই রয়েছে রাশিয়া। সেখানে নিশ্চিতভাবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় তিন লাখ। মি. ট্রাম্প কী বলছেন? আমেরিকায় করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরু হবার পর সোমবার মি. ট্রাম্প তার মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক করেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "দেখুন, আপনারা যখন বলেন আমেরিকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, তার কারণ কিন্তু আমরা অন্য সব দেশের তুলনায় সবেচয়ে বেশি পরীক্ষা করছি।'' "কাজেই আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত, আমার কাছে এটা কোন খারাপ বিষয় নয়,'' তিনি বলেন, ''আমার চোখে এটা একটা কৃতিত্বের ব্যাপার, একটা ভাল জিনিস, কারণ আমাদের পরীক্ষার কাজটা সবার থেকে ভাল হচ্ছে।'' প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকার পরীক্ষা সক্ষমতা সবচেয়ে ভাল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি আরও বলেন: ''কাজেই আমার মতে একটা সম্মানের নিদর্শন। আসলেই একটা সম্মানের নিদর্শন।" ''আমাদের পরীক্ষা ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন পেশার কর্মীরা যেসব কাজ করছেন তার প্রতি একটা বিশাল সম্মানের বিষয় এটা।'' আমেরিকার কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল জানাচ্ছে তারা মঙ্গলবার পর্যন্ত ১ কোটি ২৬ লক্ষ মানুষকে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করেছে। মি. ট্রাম্পকে সাংবাদিকরা প্রশ্নে করেছিলেন তিনি লাতিন আমেরিকা থেকে ভ্রমণের পর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বিবেচনা করছেন কি না, বিশেষ করে ব্রাজিলে। কারণ আমেরিকা আর রাশিয়ার পর এখন করোনাভাইরাস আক্রান্তের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এই প্রশ্নের উত্তরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই মন্তব্য করেন। ডেমোক্রাটিক ন্যাশানাল কমিটি মি. ট্রাম্পের ওই মন্তব্যের সমালোচনা করে এই টুইট বার্তায় বলেছে আমেরিকায় ১৫ লাখ মানুষ কোভিড আক্রান্ত হওয়াটা "নেতৃত্বের সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয়।" নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন আমেরিকায় কি পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা হয়েছে? যদিও সংখ্যার হিসাবে আমেরিকা অন্য সব দেশের তুলনায় বেশি পরীক্ষা চালিয়েছে, কিন্তু জনসংখ্যার মাথা পিছু হিসাবে আমেরিকায় সর্বাধিক সংখ্যক পরীক্ষা হয়নি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিজ্ঞান সাময়িকী আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটার তথ্য এই খবর দিচ্ছে। তাদের চার্ট অনুযায়ী প্রতি ১০০০ জনের মধ্যে পরীক্ষার হিসাবে আমেরিকা ১৬তম স্থানে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার থেকে এই হিসাবে আমেরিকা এগিয়ে। কিন্তু আইসল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া এবং ক্যানাডা জনসংখ্যার আনুপাতিক হিসাবে পরীক্ষা চালানোর ব্যাপারে আমেরিকার থেকে ওপরে রয়েছে। আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটার সংকলিত পরীক্ষা বিষয়ক তথ্য গত সপ্তাহে আমেরিকা প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার লাখ মানুষের কোভিড নাইনটিন পরীক্ষা করেছে বলে জানাচ্ছে কোভিড ট্র্যাকিং প্রকল্প নামে স্বেচ্ছাসেবীদের একটি উদ্যোগ। তবে হার্ভাড গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আশীষ ঝা গত সপ্তাহে কংগ্রেসের এক শুনানির সময় জানান: "আমেরিকায় সব কিছু আবার নিরাপদে খুলে দেবার জন্য প্রতিদিন নয় লাখের বেশি মানুষকে পরীক্ষা করা প্রয়োজন। এখন আমরা মাত্র এর এক তৃতীয়াংশ করছি।'' করোনাভাইরাসের পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে আমেরিকায়। যদি দেশটির জনসংখ্যার মাথাপিছু আনুপাতিক হিসাবে আমেরিকার স্থান ছয় নম্বরে। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী আমেরিকার ওপরে রয়েছে বেলজিয়াম, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স। আমেরিকায় করোনাভাইরাসের পরীক্ষা নিয়ে দুই দলের মধ্যেই সমালোচনা হয়েছে। গত সপ্তাহে সেনেটের এক শুনানিতে রিপাবলিকান পার্টির মিট রমনি আমেরিকায় পরীক্ষার রেকর্ড-এর সমালোচনা করে বলেন, ''এই পরীক্ষা নিয়ে বড়াই করার কিছু নেই'' কারণ তিনি বলেন, ''ফেব্রুয়ারি ও মার্চে আমরা কিছুই করিনি।''
President Donald Trump has argued it is "a badge of honour" that the US has the world's highest number of confirmed Covid-19 infections.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র যে ধরনের আক্রমণের পরিকল্পনা করছে তাতে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সহযোগিতা নেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তাতে যেসব সমরাস্ত্র ব্যবহার করা হবে সেগুলো যুদ্ধজাহাজ, জঙ্গিবিমান ও ডুবোজাহাজ থেকে নিক্ষেপ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেসব যুদ্ধবিমান থেকে অস্ত্র নিক্ষেপ করা হবে সেগুলো সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বাইরে অবস্থান করবে এবং সেখান থেকেই হামলা চালাবে। অথবা ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করা হবে যা নিয়ন্ত্রণ করা হবে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে। রুশ কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়েছেন, এসব ক্ষেপণাস্ত্রকে গুলি করে মাটিতে নামিয়ে আনার পাশাপাশি যেসব জায়গা থেকে এসব নিক্ষেপ করা হবে সেগুলোকেও তারা ধ্বংস করে দেবে। কিন্তু এই যুদ্ধে যেসব শক্তিধর দেশ অংশ নেবে বলে এখনও পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে তাদের কাছে কি ধরনের অস্ত্র আছে? রাশিয়া এবং সিরিয়া এর জবাব দিতে পারে কিভাবে? যুক্তরাষ্ট্র: প্রতিরক্ষা বাজেট- ৬০,০০০ কোটি ডলার যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস ডোনাল্ড কুক ইতোমধ্যেই ভূমধ্যসাগরে অবস্থান করছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখান থেকে সিরিয়ার রাসায়নিক স্থাপনাগুলোতে ক্রুজ মিসাইল দিয়ে আঘাত করা হবে। এর ফলে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার ঝুঁকি কমে আসবে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা এক বছর আগে, যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মার্কিন নৌবাহিনির দুটো ডেস্ট্রয়ার থেকে ৫৯টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিলো। সেটা চালানো হয়েছিলো সিরিয়ার হম্স প্রদেশের শায়রাত বিমানঘাঁটিতে। ওয়াশিংটন বলেছে, এই বিমানঘাঁটি রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ করে রাখার জন্যে ব্যবহার করা হচ্ছিলো। যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক আক্রমণের মাত্র ৭২ ঘণ্টা আগে এসব রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিলো বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত একটি শহরের উপরে। এই টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু দিক আছে- এটি খুব নিচ দিয়ে উড়ে যায় এবং এটিকে শনাক্ত করা কঠিন। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি থেকে অল্প তাপ নির্গত হয় যার ফলে ইনফ্রারেড ডিটেকশনের মাধ্যমে এটি ধরা সম্ভব হয় না। টমাহক ক্রুজ মিসাইল যুদ্ধবিমান বহনকারী বেশ কিছু যুদ্ধজাহাজও পারস্য উপসাগরে মোতায়েন করছে মার্কিন নৌবাহিনি। তবে সেগুলোর এখনই সিরিয়ার আকাশসীমার ভেতরে ঢুকে হামলা চালানোর সম্ভাবনা নেই। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি হচ্ছে কাতারে। সেখানে আছে এফ-১৬ জঙ্গিবিমান, যা ওয়ার্টহগ নামেও পরিচিত। তুলনামূলকভাবে এগুলো খুব দ্রুত পরিচালনা করা সম্ভব। এফ- ১৬ খুব নিখুঁতভাবে হামলা চালাতে পারে বলে এর সুখ্যাতি আছে। সারা বিশ্বে যতো সামরিক বিমান আছে তার মধ্যে এটিকে সবচেয়ে কার্যকর উপায়ে ব্যবহার করা যায়। এর পাল্লা প্রায় ২,০০০ মাইল। এর ফলে অন্য যেকোন যুদ্ধবিমানের চেয়ে এটি বেশি সময় ধরে রণাঙ্গনে অবস্থান করতে পারে। আমেরিকার এছাড়াও আছে সাবসনিক বি-৫২ বোমারু বিমান। এই যুদ্ধবিমানটিকে ওয়াশিংটন এই অঞ্চলে এর আগেও ব্যবহার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এর আগে উত্তর সিরিয়ার সাথে তুরস্কের সীমান্তে কুর্দীদের ছোট্ট একটি শহর কোবানেকে তাদের বিমানঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছে। সেখানে সামরিক ট্রান্সপোর্ট বিমান সি ১৩০ এবং সি ১৭ পরিচালনা করা হয়েছে, যাতে করে সৈন্য এবং যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সি ১৭ সামরিক পরিবহন বিমান রাশিয়া: প্রতিরক্ষা বাজেট -৬,৯০০ কোটি ডলার রাশিয়া যে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোন আক্রমণ প্রতিহত করার হুমকি দিয়েছে তাতে প্রশ্ন উঠেছে যে রাশিয়া কি তাদের উন্নত এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর করবে? এটি এখনও পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। রাশিয়ার একটি জেট বিমান ভূপাতিত হওয়ার পর তারা বহুস্তরের এই বিমানবিধ্বংসী ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেটি কাজ করেছে নিরোধক হিসেবে কিন্তু কখনো ব্যবহৃত হয়নি। রাশিয়ার ক্ষমতা এটি তিন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে। করতে পারে খুব দ্রুত গতিতে ও নিখুঁতভাবে। ২৫০ মাইলের মধ্যে বিমান কিম্বা ক্ষেপণাস্ত্রকেও লক্ষ্য করতে পারে। এর সাহায্যে সিরিয়ার বেশিরভাগ এলাকাকেই হামলার হাত থেকে রক্ষা করার জন্যে কভারেজ দেওয়া সম্ভব। রাশিয়া বলছে, এই ব্যবস্থার সাহায্যে এর সাহায্যে তারা যেকোন যুদ্ধবিমানকে ধ্বংস করতে সক্ষম। কিভাবে কাজ করে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে এস ৪০০ প্রতিরোধী ব্যবস্থা থেকে কিভাবে কোন বস্তুকে চিহ্নিত করে, সম্ভাব্য ঝুঁকি যাচাই এর পর সেটিকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। এটি একসাথে ১২টি ক্ষেপণাস্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। একসাথে হামলা চালাতে পারে ৬টি বস্তুকে লক্ষ্য করেও। কিংস কলেজ লন্ডনে ওয়ার স্টাডিজ বিভাগের ড. মার্টিন এস নাভিয়াস বলেছেন, এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে যুদ্ধের কৌশল জটিল হয়ে পড়েছে। সাধারণত বিমান হামলা চালিয়ে কোন একটি দেশের ভূমি থেকে আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ক্ষমতা ধ্বংস করে দেওয়া হয় কিন্তু সিরিয়ার ভেতরে রাশিয়ার এই প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাধা হয়ে উঠতে পারে। এর পাল্লা সিরিয়ার আকাশসীমার বাইরেও বিস্তৃত। এর অর্থ হলো সিরিয়াকে লক্ষ্য করে কিছু নিক্ষেপ করা হলে সেটি সিরিয়ার ভেতরে আসার আগেই ধ্বংস করে ফেলা সম্ভব। অনেক বিশ্লেষক এস-৪০০ প্রতিরোধী ব্যবস্থার ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। সিরিয়াতে রাশিয়ার আরো কয়েক ধরনের যুদ্ধবিমান মোতায়েন রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে সুখয় -২৪ বোমারু বিমান, সুখয়-২৫ যুদ্ধবিমান, বহু ভূমিকা পালন করতে পারে এরকম জঙ্গি বিমান, পরিবহন বিমান, গোয়েন্দা বিমান এবং হেলিকপ্টার গানশিপ। এসবের অনেকগুলোই আছে হেমেইমিম বিমানঘাঁটিতে। বিদ্রোহীদের উপর বিমান হামলার জন্যে এটিই রাশিয়ার প্রধান ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনী শায়রাত ঘাঁটিও ব্যবহার করছে বলে খবরে বলা হচ্ছে। সেখান থেকে মিগ ২৪ এবং মিগ ৩৫ অ্যাটাক হেলিকপ্টার পরিচালনা করা হচ্ছে। রাশিয়ার হেলিকপ্টার গানশিপ ক্রেমলিন বলেছে, ভূমধ্যসাগরে রস্তভ-অন-ডন ডুবোজাহাজ থেকে তারা সিরিয়ায় বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে এর আগে কালিবর ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। কাসপিয়ান সাগরের যুদ্ধজাহাজ থেকেও তারা রকেট ছুঁড়েছে যা কিনা সিরিয়াতে আই এসের উপর আঘাত হেনেছে বলে রাশিয়া দাবি করেছে। রাশিয়া সম্প্রতি সিরিয়ার বন্দর শহর তারতুস থেকে তাদের রণতরী প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে বিভিন্ন খবরে জানা গেছে। ব্রিটেন: প্রতিরক্ষা বাজেট - ৫,০০০ কোটি ডলার বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, সিরিয়ার যুদ্ধে সামরিক বিমান মোতায়েন করতে ব্রিটেন প্রস্তুত। এসবের মধ্যে রয়েছে, যুদ্ধবিমান যা সাইপ্রাসে রাফ এক্রোতিরি ঘাঁটিতে অবস্থান করছে। এবং যেকোন সময় এসব বিমানকে যুদ্ধের জন্যে কাজে লাগানো যেতে পারে। ওই ঘাটিতে আছে ব্রিটেনের আটটি সুপারসনিক টর্নেডো যুদ্ধবিমান। ব্রিটেনের ক্ষমতা এগুলো নামানো হয়েছিলো ১৯৮২ সালে। সম্প্রতি এগুলোর সাথে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করা হয়েছে। ওই অঞ্চলে সক্রিয় আছে রাফ টাইফুন যুদ্ধিবিমানও। গত কয়েক বছরের এসবের সাহায্যে ইরাকে বেশ কয়েকটি হামলা চালানো হয়েছে। এর সাহায্যে লেজার নিয়ন্ত্রিত পেভওয়ে বোমা এবং ব্রিমস্টোন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। বিমান থেকে মাটিতে আঘাত হানার ব্রিমস্টোন ক্ষেপণাস্ত্র রাডার দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এগুলোর একটির ওজন ৪৯কেজি। ১ দশমিক ৮ মিটার লম্বা এবং একটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার ডলার। মধ্যপ্রাচ্যে ব্রিটেনের মনুষ্যবিহীন বিমান আছে, আছে ১০টি রিপার ড্রোন। ইরাক ও সিরিয়ার যুদ্ধে এগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। রিপার ড্রোন ৫০,০০০ ফুট উপরে যেতে পারে এবং এর পাল্লা ১,১৫০ মাইল। এটি হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র বহন করে। এছাড়াও যুক্তরাজ্যের আছে নজরদারি বিমান রিভেট। যেকোন ধরনের আবহাওয়ার মধ্যে এটি কাজ করতে পারে। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে এটি ব্যবহার করা হয়েছে। রিপার ড্রোন এমকিউ-৯ রিমোট দিয়ে ভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় ভূমধ্যসাগরে ব্রিটেনের বর্তমানে কোন ডুবোজাহাজ নেই। এবং সেখানে এরকম সাবমেরিন পাঠাতে হলে সময়ও লাগবে। ফ্রান্স: প্রতিরক্ষা বাজেট - ৩৪০০ কোটি ডলার ফরাসী নৌবাহিনীর পরমাণু শক্তি পরিচালিত শার্ল দ্য গল এয়ারক্রাফ্ট কেরিয়ার ওই অঞ্চলে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে বর্তমানে সেটিতে বড় ধরনের মেরামতের কাজ চলছে। এই জাহাজের ওজন ৩৮,০০০ টন। এরকম জাহাজ ফ্রান্সের একটিই আছে। এটি বহু ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা বহন করতে পারে। বহন করতে পারে ১,৯০০ সৈন্যও। বর্তমানে ফ্রান্স যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারক্রাফ্ট কেরিয়ার ইউএসএস জর্জ এইচ ডাব্লিউ বুশে তাদের সৈন্য মোতায়েন করেছে প্রশিক্ষণ ও যৌথ অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্যে। ফ্রান্সের শার্ল দ্য গল রণতরী এছাড়াও ফ্রান্স জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমীরাতে তাদের বেশ কিছু মিরাজ ও রাফাল বিমান মোতায়েন করেছেন। সিরিয়া ও ইরাকে ইসলামিক স্টেটের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে তারা এটি ব্যবহার করেছে। এক একটি যুদ্ধবিমান ২৫০কেজি ওজনের লেজার নিয়ন্ত্রিত চারটি বোমা বহন করতে পারে। ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ বলেছেন, সাম্প্রতিক রাসায়নিক হামলার জেরে যদি সিরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয় তাহলে তাতে সিরিয়ার সরকারের মিত্রদের উপর কোন হামলা পরিচালিত হবে না। হবে সিরিয়ার সরকারের রাসায়নিক ক্ষমতার উপর। তবে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটা তিনি বলেন নি। সিরিয়া: প্রতিরক্ষা বাজেট- ২০০ কোটি ডলার ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।। তবে তারপরেও এটি যেকোন যুদ্ধবিমানের জন্যে হুমকি। কারণ এর ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র খুব দ্রুত যেকোন যুদ্ধবিমানকে আঘাত করে মাটিতে নামিয়ে আনতে পারে। এই ব্যবস্থা একসময় ছিলো খুবই ক্ষমতাসম্পন্ন। এটি থেকে এস-২০০ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। নেটো এটির নাম দিয়েছে এসএ-৫ গামন। তবে এটি সম্প্রতি আরো উন্নত করা হয়েছে। তাতে রাশিয়ার এসএ-২২ এবং এসএ-১৭ ধরনের অস্ত্র যুক্ত করা হয়েছে। সিরিয়ার কাছে রয়েছে রাশিয়ার এসএ-২২ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র একটি রাডার দিয়ে এস-২০০ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এটি ২১৭কেজি ওজনের বিস্ফোরক বহন করতে পারে। সিরিয়ার আছে চীনের সরবরাহ করা স্পর্শকাতর কিছু রাডার ব্যবস্থা। এরই মধ্যে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী শায়রাত বিমানঘাঁটি পুনর্দখল করে নিয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র এই ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিলো। এর আছে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ দুটো রানওয়ে। এক ডজনেরও বেশি হ্যাঙ্গার, ভবন ও মজুদ রাখার ব্যবস্থা। সিরিয়ান এয়ার ফোর্স সু ২২ এবং মিগ ২৩ এই ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। তবে বেশিরভাগ বিমানই পুরনো। এগুলো ব্যবহার করতে হলে বড়ো ধরনের মেরামত-কাজের প্রয়োজন।
US President Donald Trump has told Russia to "get ready" for a missile strike on its ally Syria in response to a recent alleged chemical attack near Damascus.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ভারত জুড়ে ক্ষোভ এবং ধিক্কার তৈরি করেছিল এই ঘটনা ঘটনার শিকার আট বছরের মুসলিম শিশুটি একটি যাযাবর উপজাতির। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে কাঠুয়া শহরের কাছে জঙ্গলে তার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। এই ঘটনায় যে আটজন হিন্দু পুরুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল, কট্টর ডানপন্থী হিন্দুগোষ্ঠীগুলো তাদের মুক্তি দাবি করার পর এ নিয়ে ব্যাপক হৈচৈ শুরু হয়েছিল। অভিযুক্ত আটজনই তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে। এদের মধ্যে ছিল একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা, চারজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং একজন বালক। ঘটনার শিকার শিশুটির মা দুজন আসামীকে সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। এই দুজন হচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা সানজি রাম এবং পুলিশ কর্মকর্তা দীপক খাজুরিয়া। এই দুজনকেই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। গুজ্জার মুসলিম উপজাতিকে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য এই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমার মেয়ের মুখ এখনো আমাকে তাড়া করছে। এই বেদনা থেকে আমি কোনদিন মুক্তি পাব না। আমি যখন আমার মেয়ের বয়সী অন্য শিশুদের খেলতে দেখি, তখন আমার মন ভেঙ্গে যায়।" বাদী পক্ষের আইনজীবী আদালতের রায়কে দেশের সাংবিধানিক মর্মের বিজয় বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "ধর্ম নির্বিশেষে পুরো দেশ এই মামলার জন্য লড়েছে।" আরও পড়ুন: মুসলমান হঠাতেই জম্মুতে ধর্ষণ ও খুন ৮ বছরের শিশুকে? কাশ্মীরে আট বছরের মেয়েকে ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কাশ্মীরের ধর্ষণ ও হত্যা নিয়ে সরব হতে এত দেরী কেন? কাঠুয়া ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনা ভারতের সবচেয়ে আলোচিত একটি মামলা। এই ঘটনা নিয়ে ভারতে যে শোরগোল শুরু হয়, তার জের ধরে দেশটিতে এক নতুন আইন করা হয় যাতে বারো বছরের কম বয়সী শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের সাজার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কাঠুয়ায় আট বছরের মেয়েটিকে যেরকম নৃশংসতার শিকার হতে হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার উঠে ভারতে। ঘটনার বিবরণ প্রকাশিত হওয়ার পর শিউরে উঠেছিল মানুষ। কিন্তু ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপির দুজন মন্ত্রী যখন এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার আসামীদের সমর্থনে সমাবেশে যোগ দেন, তখন বিষয়টি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। অভিযুক্তদের সঙ্গে যাযাবর মুসলিম উপজাতির জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। তদন্তকারীরা তখন বলেছিলেন, গুজ্জার সম্প্রদায়কে ভয় দেখানোর জন্যই আট বছরের মেয়েটিকে টার্গেট করেছিল অভিযুক্তরা।
Eight men accused of the rape, torture and murder of an eight-year-old Muslim girl in Indian-administered Kashmir have pleaded not guilty in a specially convened fast-track court.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
কুয়েতের অনেক দোকান থেকে ফরাসি পণ্য সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে যে, উগ্র সংখ্যালঘুদের পক্ষ থেকে এই বয়কটের 'ভিত্তিহীন' ডাক দেয়া হয়েছে। কুয়েত, জর্ডান এবং কাতারের কিছু কিছু দোকান থেকে ফরাসি পণ্য সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া লিবিয়া, সিরিয়া এবং গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভও দেখা গিয়েছে। শ্রেণীকক্ষে ইসলামের নবীর কার্টুন দেখানোর পর এক শিক্ষককে হত্যার ঘটনায় মি. ম্যাঁক্রর মন্তব্যের পর এই প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। প্রেসিডেন্ট বলেন যে, স্যামুয়েল পাটি নামের ওই "শিক্ষক খুন হয়েছিলেন কারণ ইসলামপন্থীরা আমাদের ভবিষ্যৎ চায়", কিন্তু ফ্রান্স "আমাদের কার্টুন ছাড়বে না"। ইসলামের নবীর চিত্রাঙ্কন মুসলিমদের জন্য গুরুতর আপত্তির জায়গা হয়ে ওঠার কারণ হচ্ছে, ইসলামী ঐতিহ্য অনুযায়ী মুহাম্মদ এবং আল্লাহর প্রতিকৃতি তৈরি কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু ফ্রান্সে জাতীয় পরিচয়ের অন্যতম অংশ হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা বা "লেইসিতে"। কোন নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের অনুভূতির রক্ষার জন্য বাক-স্বাধীনতা কমিয়ে আনা হলে তা জাতীয় ঐক্য কমিয়ে আনবে বলে জানানো হয়। রবিবার, মি. ম্যাক্রঁ এক টুইটে ফরাসি মূল্যবোধের প্রতি পক্ষে তিনি বলেন, "আমরা কখনোই এটা বিসর্জন দেবো না।" তুরস্ক এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতারা ম্যাক্রঁর প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে অভিযোগ তুলেছেন যে তিনি "বিশ্বাসের স্বাধীনতা" কে কদর করছেন না এবং ফ্রান্সের লাখ লাখ মুসলিমদের কোণঠাসা করছেন। রবিবার, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এর্দোয়ান বলেন, ইসলামের প্রতি মি. ম্যাক্রঁর দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে তার "মানসিক চিকিৎসা করানো দরকার।" শনিবার একই মন্তব্যের জন্য তুরস্কে থাকা ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল দেশটি। বয়কট কতদূর গড়িয়েছে? রবিবার জর্ডান, কাতার ও কুয়েতের অনেক দোকানের তাক থেকে সরিয়ে নেয়া হয় ফরাসি পণ্য। ফ্রান্সে তৈরি হওয়া চুল এবং সৌন্দর্য পণ্য ডিসপ্লে-তে রাখা হয়নি। কুয়েতে প্রধান একটি রিটেইল ইউনিয়ন ফরাসি পণ্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। বেসরকারি ইউনিয়ন অব কনজ্যুমার কো-অপারেটিভ সোসাইটি বলে,ইসলামের নবীকে "বার বার অসম্মান" করার কারণে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক বিবৃতিতে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তের কথা স্বীকার করে লিখেছে: "বয়কটের এই ডাক ভিত্তিহীন এবং অবিলম্বে বাতিল করা উচিত। সেই সাথে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে উগ্র সংখ্যালঘুদের পরিচালিত সব হামলাও বন্ধ করা উচিত।" আরব দেশগুলোতে ফরাসি পণ্য বয়কটের আহ্বান অনলাইনে প্রচারিত হচ্ছে। বিভিন্ন আরব দেশ যেমন সৌদি আরবে অনলাইনে এ ধরণের বয়কটের আহ্বান জানানো হচ্ছে। আরব বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ সৌদি আরবে ফরাসি সুপারমার্কেট চেইন শপ "ক্যাফৌউ" বয়কট করা নিয়ে হ্যাশট্যাগ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ট্রেন্ডিং ইস্যু হিসেবে উঠে এসেছে। এদিকে, লিবিয়া, গাজা এবং উত্তর সিরিয়ার তুরস্ক সমর্থিত সশস্ত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ফরাসি বিরোধী ছোট ছোট বিক্ষোভও অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফ্রান্স কিভাবে এই বিতর্কে জড়ালো? মি. পাটির হত্যার পর ইসলামের নামে উগ্রতার বিপক্ষে এবং ফরাসি ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে মি. ম্যাক্রঁর অবস্থান মুসলিম বিশ্বের অনেকেরই ক্ষোভের কারণ হয়েছে। তুরস্কের মি. এরদোয়ান এক বক্তব্যে বলেন: "ইসলাম এবং মুসলিমদের নিয়ে ম্যাক্রঁর মতো ব্যক্তিদের কী সমস্যা?" এর মধ্যে পাকিস্তানের নেতা ইমরান খান ফরাসি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন যে তিনি "কোন কিছু না বুঝেই তিনি ইসলামকে আক্রমণ করছেন"। এক টুইটে তিনি বলেন, "প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ ইউরোপ এবং পুরো বিশ্বে থাকা মুসলিমদের অনুভূতিকে আঘাত করেছেন।" চলতি মাসের শুরুর দিকে, ওই শিক্ষকের হত্যার আগেই মি. ম্যাক্রঁ ফ্রান্সে "মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদীদের" রুখতে কঠোর আইন তৈরির পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। তিনি ইসলামকে "সংকটে" থাকা ধর্ম উল্লেখ করে বলেন, ফ্রান্সের প্রায় ৬০ লাখ মুসলিম "কাউন্টার সোসাইটি" তৈরির চিন্তা করছে। ফ্রান্সে ইসলামের নবীর প্রতিকৃতি আঁকার অন্ধকার রাজনৈতিক ইতিহাস রয়েছে। ভারতে ইসলামের নবী মোহাম্মদকে নিয়ে পোস্টের জেরে সহিংসতা, পুলিশের গুলিতে ৩ জনের মৃত্যু ২০১৫ সালে তার কার্টুন প্রকাশের পর ফরাসি ব্যঙ্গ-পত্রিকা শার্লি এবদোর ১২ জন এক হামলার মারা গিয়েছিল। পশ্চিম ইউরোপের মুসলিম সম্প্রদায় মি. ম্যাক্রঁর বিরুদ্ধে তাদের ধর্মকে দাবিয়ে রাখার অপচেষ্টা এবং তার এই প্রচারণা ইসলামোফোবিয়াকে বৈধতা দেয়ার ঝুঁকি তৈরি করবে বলে অভিযোগ করেন।
France has urged Middle Eastern countries to end calls for a boycott of its goods in protest at President Emmanuel Macron's defence of the right to show cartoons of the Prophet Muhammad.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ভারতে মুসলিমদের অস্পৃশ্যতা নিয়ে আলোচনা হয় না। হিন্দু বর্ণভেদ প্রথার কারণে ভারতে দলিতদেরকে সমাজের একেবারে 'নীচু জাত' হিসেবে বিবেচনা করে অত্যন্ত ঘৃণা ও উপেক্ষার চোখে দেখা হয়। কিন্তু কেবল হিন্দু সম্প্রদায়েই নয়, ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যেও যে 'অস্পৃশ্য' বা 'দলিত' মুসলিম আছে— সেই তথ্যই উঠে এসেছে দেশটিতে পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। ভারতে বর্তমানে প্রায় ১৪ কোটি মুসলিম নাগরিক আছে। এদের একটা বিরাট অংশই হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত। মনে করা হয়, হিন্দু জাত-পাত প্রথার নিগ্রহ থেকে রক্ষা পেতেই নিম্নবর্ণের হিন্দুদের এই ধর্ম বদল। সাধারণত, ইসলাম সকল মানুষের সমতার কথা বলে। আর মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থেও বর্ণভেদ প্রথার কোনো উল্লেখ নেই। তাই, সামাজিক-চর্চায় অস্পৃশ্যতার বিষয়টি বিরাজমান থাকলেও এর বিরুদ্ধে মুসলিম সমাজ তেমন উচ্চ-বাচ্য নেই। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সময় এসেছে বলেই মনে করছেন গবেষকেরা। গবেষক প্রশান্ত কে ত্রিবেদী, শ্রীনিবাস গোলি, ফাহিমুদ্দিন ও সুরিন্দর কুমার মিলে ভারতের ১৪টি জেলার মোট সাত হাজারের বেশি বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ২০১৪ এর অক্টোবর থেকে ২০১৫ এর এপ্রিল পর্যন্ত ভারতের উত্তর প্রদেশে চলে এই গবেষণার তথ্য সংগ্রহ। আরো পড়ুন: মুসলিমকে রক্ষা করায় হত্যার হুমকিতে পুলিশ কর্মকর্তা ভারতে দলিত হত্যার কিছু কাহিনি ভারতে দলিতদের ঘোড়ায় চড়াও অপরাধ? দলিতদের বিক্ষোভে উত্তাল ভারত, নিহত ৫ গবেষণায় যা উঠে এসেছে: অনেকে মনে করেন, দলিত মুসলিম এবং খ্রিষ্টানদের জন্য কিছু পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। শুধু ভারতীয় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায় নয় এমনকি শিখদের মধ্যেও বর্ণ-ভেদ দেখা যায়। তবে, পার্সিরা কিছুটা ব্যতিক্রম। এই গবেষণার পর গবেষক প্রশান্ত কে ত্রিবেদী বলেছেন, দলিত হিন্দুদের মতই দলিত মুসলিম ও খ্রিষ্টানদেরকেও আলাদাভাবে কিছু সামাজিক সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ব্যবস্থা চালু করা উচিত। তবে, এই গবেষণার ফলাফলে যে চিত্র উঠে এসেছে তার মোদ্দা কথা দাঁড়াচ্ছে এমন যে, ভারতে কেউ হয়তো তার জাত পরিত্যাগ করার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু সে জাতকে ছাড়তে চাইলেও জাত তাকে ছাড়বে না। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ভারতে 'ধর্মীয় ঘৃণা' নিয়ে সাবেক শীর্ষ আমলাদের উদ্বেগ 'মানুষের মনে মুসলিম বিদ্বেষের বিষ ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে' রাজস্থানে প্রকাশ্যে মুসলিম হত্যার নেপথ্যে কী?
Untouchability is worse than slavery, said Dr Bhimrao Ambedkar, one of India's greatest statesmen and the undisputed leader of the country's Dalits.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
নিস শহরে ছুরি নিয়ে চালানো হামলায় নিহত একজনের আত্মীয় গির্জার সামনে আহাজারি করছেন। নিস শহরের মেয়র ক্রিশ্চিয়ান এসট্রসি বলেছেন ''নত্রে ডেম গির্জার মধ্যে এই সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।'' একজন নিহত ব্যক্তি যিনি গির্জায় প্রার্থনা করতে এসেছিলেন তার ''প্রায় শিরশ্ছেদ'' করা হয়েছে। হামলার পরপরই সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মি. এসট্রসি এটাকে ''ইসলামী- ফ্যাসিবাদ'' বলেছেন এবং বলেছেন সন্দেহভাজন ব্যক্তি " বারবার আল্লাহু আকবর" ধ্বনি দিচ্ছিল। এমানুয়েল ম্যাক্রঁ ঘটনাস্থলে গেছেন। ফ্রান্সের জাতীয় সন্ত্রাস দমন বিষয়ক কৌঁসুলি খুনের তদন্ত শুরু করেছেন। মি. এসট্রসি এই হত্যাকাণ্ডকে শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির সাম্প্রতিক হত্যার সাথে তুলনা করেছেন। এ মাসে গোড়ার দিকে প্যারিসের উপকণ্ঠে একটি স্কুলের ক্লাসরুমে ইসলামের নবীর কার্টুন দেখানোর সূত্রে ঐ স্কুল শিক্ষককে স্কুলের কাছে শিরশ্ছেদ করা হয়। তবে নিস শহরের হামলার ঘটনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে পুলিশ এখনও পর্যন্ত কিছু বলেনি। তবে ইসলামের নবীর কার্টুন প্রকাশের পক্ষ সমর্থন করে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর সাম্প্রতিক মন্তব্যে মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে এবং কয়েকদিন ধরেই কিছু দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। কোন কোন দেশে ফরাসি পণ্য বর্জনেরও ডাক দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আজ বৃহস্পতিবার আরও দুটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। একটি ফ্রান্সে এবং অন্যটি সৌদি আরবে। ফ্রান্সে আভিন্ন্যুয়ার কাছে মঁফাভেত শহরে পুলিশকে হ্যান্ডগান নিয়ে হুমকি দেয়ার পর এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আর জেদ্দাতে ফরাসি দূতাবাসের বাইরে একজন রক্ষীর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ঐ রক্ষীকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আরও পড়তে পারেন: গির্জায় হামলার কয়েক মিনিট পর সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করা হয় নিস শহরের ঘটনা সম্পর্কে কি জানা যাচ্ছে? নিহত তিনজনের মধ্যে দুজন গির্জার ভেতর মারা গেছে। একজন বৃদ্ধা নারী এবং একজন পুরুষ। খবরে বলা হচ্ছে ওই পুরুষকে গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে। আরেকজন নারী ছুরিকাহত অবস্থায় কাছের একটি কফির দোকানে পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন। তিনি পরে মারা গেছেন। পরে খবরে জানা গেছে, একজন প্রত্যক্ষদর্শী শহরে যে বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে তার মাধ্যমে সতর্কসঙ্কেত দিতে সমর্থ হন। গির্জার কাছে থাকেন শ্লো নামে এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেছেন: "আমরা রাস্তায় অনেক লোকের চেঁচামেচি শুনতে পাই। জানলা দিয়ে দেখি প্রচুর, প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ আসছে। বন্দুকের গুলির আওয়াজ শুনতে পাই। অনেক গুলির আওয়াজ।" পুলিশ বলছে স্থানীয় সময় সকাল নয়টার কিছু পর হামলার ঘটনা ঘটে সাংবাদিকতার ছাত্র টম ভ্যানিয়ার হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তিনি বিবিসিকে বলেন রাস্তায় লোকজন কান্নাকাটি করছিল। চার বছর আগে নিস শহরে একটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এক ব্যক্তি সমুদ্র সৈকতে জনতার ভিড়ের ওপর দিয়ে ট্রাক চালিয়ে দিয়েছিল। ওই ঘটনায় মারা গিয়েছিল ৮৬ জন মানুষ। কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়েছে? ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ফ্রান্সের সৈকত শহর নিস-এর কেন্দ্রীয় এলাকায় মানুষজনকে না যাবার পরামর্শ দিয়েছেন। জেরাল্ড দারমানিন বলেছেন প্যারিসে মন্ত্রণালয়ের একটি জরুরি বৈঠক তিনি ডাকছেন। আরও দেখতে পারেন: ফ্রান্সের বিরুদ্ধে এরদোয়ান, ইমরান খানসহ মুসলিম দেশগুলোর ক্ষোভের কারণ কী? প্যারিসের জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের মাঝখানে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়েছে। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এসময় কোভিড-১৯এর যে লকডাউন আজ রাত থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে সে বিষয়ে বিস্তারিত ঘোষণা দিচ্ছিলেন। "দেশের সামনে এটা খুবই গুরুতর মাপের নতুন একটা চ্যালেঞ্জ সে বিষয়ে সন্দেহ নেই," তিনি বলেন। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। মুসলিম সংগঠন, ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অফ দ্য মুসলিম ফেইথ নিস শহরে ছুরি নিয়ে চালানো হামলার নিন্দা করেছে। এবং হতাহত ও তাদের পরিবারের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
Three people have been killed in a knife attack at a church in the southern French city of Nice.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সাপের কামড় মারাত্মক একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। "প্রথমবার খুবই ভয়ংকর ছিল কারণ আমি জানতাম না ঠিক কী হতে পারে। মনে হচ্ছিল আমার হাতটা হাতুড়ির আঘাতে ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে," বলেন তিনি। "শেষবারের কামড়টি প্রাণঘাতী হতে পারতো। কিন্তু আমি যেহেতু কিছু ওষুধ বহন করছিলাম তাই আমার জীবনটা বেঁচে গেছে।" ড. উইলিয়াম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন কর্মকর্তা। সর্প-দংশনের বিষয়ে গবেষণা করেন তিনি। তার উদ্দেশ্য সাপের কামড়ের চিকিৎসার ওষুধ উদ্ভাবন করা। চার মিনিটে একজনের মৃত্যু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সাপের কামড় একটি মারাত্মক ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা। কিন্তু এবিষয়ে কেউ গুরুত্ব না দেওয়ায় এনিয়ে তেমন আলোচনা হয় না। তাদের হিসেবে সারা বিশ্বে প্রতি চার মিনিটে একজন সাপের কামড়ে মারা যাচ্ছেন। হাজার হাজার মানুষ সাপের কামড় খাওয়ার পরেও হয়তো বেঁচে আছেন। কিন্তু তাদের শরীর বিকৃত হয়ে গেছে কিম্বা শরীরের কোন একটি অঙ্গ কেটে ফেলে দিতে হয়েছে। সাধারণত দরিদ্র মানুষেরা সর্প-দংশনের শিকার হন সবচেয়ে বেশি। এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি প্রকট আফ্রিকা, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার দরিদ্র দেশগুলোর দরিদ্র এলাকাগুলোতে। কৃষকরা যখন প্রতিদিন তাদের ফসল ফলাতে মাঠে যাচ্ছেন, ঠিক তখনই তারা সর্প-দংশনের শিকার হচ্ছেন। শিশুদের সাপে-কাটার হারও খুব বেশি। ড. ডেভিড উইলিয়ামস এই পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যুক্তরাজ্যের ওয়েলকাম ট্রাস্ট। সাপের বিষের চিকিৎসায় ওষুধ আবিষ্কারের লক্ষ্যে ওয়েলকাম ট্রাস্ট আট কোটি পাউন্ড বিনিয়োগ করেছে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে নতুন একটি পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করতে যাচ্ছে। সাপে কামড়ালে যা হয় ড. উইলিয়ামস বলেছেন, "যাদেরকে সাপে কাটে তারা এমনিতেই দরিদ্র এলাকার মানুষ। আর সাপে কাটার পর, যদি তারা বেঁচে থাকার মতো সৌভাগ্যবান হন, তাদের অবস্থা হয় আরো শোচনীয়।" পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সারা বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ২৭ লাখ মানুষ সাপের বিষে আক্রান্ত হন। এই বিষ সাপের কামড়ের কারণে রক্তে ছড়িয়ে পড়তে পারে, আবার সাপ কারো চোখেও তার বিষ মুখ থেকে নিক্ষেপ করতে পারে। সর্প-দংশনে প্রতি বছর ৮১ হাজার থেকে এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়াও সাপের কামড়ের কারণে চার লাখের মতো মানুষ স্থায়ীভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ে। সাপের বিষের কারণে মানুষ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে, কিডনি অকার্যকর হয়ে যেতে পারে, প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে পারে অথবা শরীরের কোন একটি অঙ্গও হয়তো কেটে ফেলতে হতে পারে। অনেক সময় সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যু হয়। আবার কেউ প্রাণে বেঁচে গেলেও এই অভিজ্ঞতা ভয়াবহ। আরো পড়তে পারেন: সাপ দেখিয়ে পুলিশের স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা অজগরটি যেভাবে আবার ছেড়ে দেয়া হলো জঙ্গলে সাপ দেখলে কী করবেন? সাপের কামড়ের ফলে অনেকের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলতে হয়। ওয়েলকাম ট্রাস্টের পরিচালক ও বিজ্ঞানী অধ্যাপক মাইক টার্নার বলছেন, "বিষ-নিরোধী সঠিক ওষুধটি থাকলে জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনাও বেশি থাকে। ফলে এতো এতো মানুষের মৃত্যুর পেছনে যৌক্তিক কোনো কারণ নেই।" এই চিকিৎসা ব্যয়বহুল। যাদের এটা দরকার তারা এটা সময়মতো পায় না। সাপের কামড় খাওয়ার পর লোকজন দ্রুত হাসপাতালেও যেতে পারে না। কখনও কখনও তারা যদি হাসপাতালে পৌঁছাতেও পারে, সেখানে প্রশিক্ষিত ডাক্তার থাকে না, আবার কখনো কখনো সেখানে দরকারি ওষুধ কিম্বা জিনিসপত্র থাকে না। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সাপের কামড় খাওয়ার পর লোকজন ওঝার মতো স্থানীয় বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে হাজির হয়। সর্প-দংশনের চিকিৎসার ব্যাপারে তাদের আধুনিক কোন ধারণা নেই। কীভাবে তৈরি হয় ওষুধ সর্পবিষ-নিরোধী চিকিৎসা গত একশো বছর ধরে প্রায় একই রকমের। এই ওষুধ তৈরি করা ব্যয়সাপেক্ষ। ঘোড়ার রক্ত থেকে সংগৃহীত এন্টিবডি থেকে এই ওষুধ তৈরি করা হয়। সারা বিশ্বে এধরনের ওষুধ যতো প্রয়োজন তার মাত্র এক তৃতীয়াংশ তৈরি করা হয়ে থাকে। ঘোড়ার শরীরে দীর্ঘ সময় ধরে অল্প অল্প পরিমাণে সাপের বিষ দেওয়া হয়। ফলে ঘোড়ার তেমন কোন ক্ষতি হয় না। ওয়েলকাম ট্রাস্টের বিজ্ঞানী ড. ফিলিপ প্রাইস বলেন, "পরে ঘোড়ার শরীর থেকে রক্ত নেওয়া হয়। সেখান থেকে সংগৃহীত এন্টিবডিকে বিশুদ্ধ করা হয়। ওই এন্টিবডি সাপের বিষকে নির্বিষ করে দেয়।" সব সাপের বিষের জন্যে সব ওষুধ কাজ করে না। তিনি বলেন, কোনো মানুষের শরীরে এটা সরাসরি ঢুকিয়ে দেওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এই ঝুঁকির অর্থ হলো যে ব্যক্তিকে সাপে কেটেছে তাকে হাসপাতালে গিয়ে এই চিকিৎসা নিতে হবে। এজন্যে হয়তো অনেক সময় লেগে যেতে পারে। আর তখন মানুষের জীবন কিম্বা শরীরের কোন অঙ্গ রক্ষা করাও কঠিন হয়ে পড়তে পারে। আরেকটি বড় সমস্যা হলো এসব ওষুধের অনেকগুলো কার্যকর নাও হতে পারে। কারণ একেক ধরনের সাপের জন্য কাজ করে একেক ধরনের এন্টি-ভেনম ওষুধ। যেমন আফ্রিকাতে যেসব ওষুধ পাওয়া যায় সেগুলোর ৯০ শতাংশই অকার্যকর বলে ধারণা করা হয়। সাপের কামড়ের চিকিৎসার জন্যে কী কী ওষুধ কার্যকর আছে তার কোন আন্তর্জাতিক ও স্বীকৃত তালিকাও নেই কোথাও। কিন্তু তারপরেও ড. উইলিয়ামস মনে করেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সাপের কামড় মোকাবেলায় যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সেটা পূরণ করা খুব কঠিন কাজ নয়। তিনি নিজেও এনিয়ে পাপুয়া নিউগিনিতে বহু বছর কাজ করেছেন। "পাপুয়া নিউগিনিতে ২০০৩ সালে প্রত্যেক চারটি শিশুর একটি শিশু সাপের কামড়ে মারা যেত। আর এখন প্রত্যেক ৫০ জনের মধ্যে একজনেরও কম মারা যায়।" ড. উইলিয়ামস বলেন, প্রচুর মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায় ঠিকই, কিন্তু এটা ঠেকানো রকেট বিজ্ঞানের মতো কঠিন কিছু নয়। "এজন্যে দরকার নিরাপদ ও কার্যকরী এন্টি-ভেনম, প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী।" আরো পড়তে পারেন: গ্রিনল্যান্ড: যে দেশে বুধবার 'গর্ভপাত দিবস' মশা আমদানি করে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানোর উপায় যে নির্বাচনে মারা গেলেন পাঁচশো'র বেশি কর্মকর্তা উদ্ধার হওয়া নবজাতকটিকে কার হেফাজতে দেয়া হবে?
David Williams has been bitten by a snake six times.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের ব্যাপারে মি: ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়ন করা হলো হোয়াইট হাউজ অগ্রাধিকার দিচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিকে। মি: ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুসালেমে স্থানান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখন যুক্তরাষ্ট্র্র তাদের দূতাবাস জেরুসালেমে স্থানান্তর করে মি: ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিই পূরণ করেছে। মি: ট্রাম্প ঐতিহাসিক এবং বলিষ্ঠ কিছু পদক্ষেপ নিতে পছন্দ করেন। তিনি দেখাতে চান যে, তাঁর পূর্বসুরিরা যা করতে পারেননি, সেটা তিনি করছেন। তাঁর পররাষ্ট্র নীতি এখন পর্যন্ত ভালই চলছে বলা যায়। জেরুসালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের এই পদক্ষেপের পেছনে শক্ত লবিং ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে ডানপন্থী আমেরিকান ইহুদি যারা রক্ষণশীল বার্তা দেয়, তাদের একটা প্রভাব রয়েছে মি: ট্রম্পের নীতি নির্ধারকদের উপর। খৃষ্টান ধর্ম যারা মনে প্রাণে পালন করেন, জেরুসালেম নিয়ে তাদের যে বক্তব্য আছে, সেই বক্তব্য আসে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের কন্ঠে। "তিন হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে রাজা ডেভিডের আমলে ঈশ্বরের সিদ্ধান্তে জেরুসালেম ছিল ইসরায়েলের রাজধানী। ডালাসের ধর্ম প্রচারক রবার্ট জেফ্রিজ বাইবেল উদ্ধৃত করে আমাকে বলেছিল।" গাজায় ফিলিস্তিনীদের বিক্ষোভে ইসরায়েলী বাহিনীর গুলিতে হতাহতের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় শান্তি প্রক্রিয়া কী তাহলে এগুবে? ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর রেকর্ডকৃত বার্তায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় চুক্তির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেছিলেন। জেরুসালেমের সমস্যা সমাধানে সবপক্ষের জন্য একটা শক্ত চুক্তির কথাও তিনি তুলে ধরছিলেন। কিন্তু হোয়াইট হাউজ এখনও কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি কোন পথে সমাধান সম্ভব, যুক্তরাষ্ট্রই বা কিভাবে সমাধান চাইছে, সে ব্যাপারে হোয়াইট হাউজ কিছুই বলছে না। হোয়াইট হাউজ সমাধানের উপায় তৈরি করছে বলেই বলা হচ্ছে। আরো পড়ুন: অসলো শান্তি চুক্তি: কীভাবে সম্ভব হয়েছিল? মার্কিন দূতাবাস এখন জেরুসালেমে, বিপদ কোথায়? এয়ারলাইন্সের মেনুতে 'ফিলিস্তিন' নিয়ে বিতর্কের ঝড় মধ্যপ্রাচ্যের সাবেক একজন মধ্যস্থতাকারী ডেভিড মিলার বলেছেন, মি: ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার এবং তার আইনজীবী মনে করেন, ফিলিস্তিনিদের বাস্তবতা বুঝিয়ে সমাধানের উপায় বের করা যেতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, তাদের দূতাবস স্থানান্তর করার ফলে জেরুসালেম ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এখন জেরুসালেমের সীমানা চূড়ান্তভাবে নির্ধারণের ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ফিলিস্তিনীদের হতাহতের যে ঘটনা ঘটেছে, সেই প্রেক্ষাপটে তারা এখন শোকাহত এবং ক্ষুব্ধ। তাদের পক্ষে অন্য কোন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার সম্ভবনা কম। ইসরাইলী বাহিনীর গুলিতে নিহতদের জানাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনী অংশ নেন তাহলে পরিস্থিতি কী বিস্ফোরণের দিকে এগুচ্ছে? গাজা সীমান্তে সহিংসতা এবং হতাহতের ঘটনার পর ট্রাম্প প্রশাসন যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, তাতে তারা ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে। হোয়াইট হাউজ গাজার হামাস নেতাদের দায়ী করে বলেছে যে, তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ‌ইসরায়েলকে উস্কানি দিয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এদিকে ইসরায়েলে অর্থনৈতিক অবরোধের প্রেক্ষাপটে হতাশ ফিলিস্তিনীদের সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভের ব্যাপারে এখন হামাস সরাসরি নির্দেশ দিচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, জঙ্গী সংগঠন হামাস এখন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের দূর্বলতার কথা তুলে ধরে নিজেরা অবস্থান তৈরি করছে। গত ২৫ বছর ধরে কথা চললেও জেরুসালেম নিয়ে কোন সমাধান হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারগুলোও সবসময় ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে। ফলে পরিস্থিতি এখন খারাপের দিকেই এগুচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
"Our greatest hope is for peace." Those were the words of Donald Trump in a recorded message at the Jerusalem ceremony.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
বরিস জনসন বলছেন, দরকারে কোন চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিদায় নেবে। এর নানা রকম আনুষ্ঠানিকতা যখন শেষ হবে তখন বরিস জনসন যুক্তরাজ্যের জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন। যুক্তরাজ্য কোন চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিদায় নেবে কিনা সেই সম্ভাবনার মুখোমুখি দাড়াতে হবে তাকে। চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট অর্থ কী? সোজা কথায় এর অর্থ দাঁড়াবে এত বড় পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে দেশটির বিভিন্ন খাত ও জনগণকে কিছুটা সামলে নেয়ার সময় দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে কোন সাময়িক চুক্তি ছাড়াই বিদায় নিতে হবে। দেশটিকে রাতারাতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক মুদ্রা বাজার ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানিতে যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেত যুক্তরাজ্য সেটি আর তারা পাবে না। ইউ সদস্য দেশগুলো থেকে এতদিন আমদানি হতো এমন পণ্যের উপর কর বসে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্য তার দাম বেড়ে যাবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেসব সংস্থার সাথে যুক্তরাজ্য সম্পর্কিত যেমন, ইউরোপিয়ান আদালত বা ইউরোপিয়ান পুলিশ, এরকম অনেকগুলো সংস্থা থেকে যুক্তরাজ্যকে বের হয়ে যেতে হবে। অক্টোবরের মধ্যে চুক্তি না হলে রাতারাতি ব্রেক্সিট সম্পন্ন হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাৎসরিকে বাজেটে যুক্তরাজ্যকে কোন অর্থ দিতে হবে না। বর্তমানে তা বছরে নয়শত কোটি পাউন্ড। এটা কি ঠেকানো সম্ভব? সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে দেশটির পার্লামেন্টে যে চুক্তি প্রস্তাব করেছিলেন সেটি হল যুক্তরাজ্য ২১ মাসের একটা সময় পাবে বিশাল এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে। তার এই প্রস্তাব সংসদে তিনবার প্রত্যাখ্যান করেছেন সংসদ সদস্যরা। এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাজ্য তার জন্য লাভজনক চুক্তি নিয়ে দরকষাকষির সুযোগ পেতো। আরো পড়ুন: বরিস জনসন: ব্রিটেনের বিতর্কিত নতুন প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিট ইস্যু বোঝার সহজ সূত্র এখন যদি কোন ধরনের চুক্তি ছাড়াই হঠাৎ বিদায় নেয়ার সম্ভাবনা এড়াতে হয় তাহলে দেশটির বিচ্ছেদের ব্যাপারে পরিকল্পনা নিয়ে সংসদে নতুন আইন পাশ করতে হবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে সময় নিতে সমর্থ হতে হবে অথবা ব্রেক্সিট বাতিল করতে হবে। পার্লামেন্টে টেরিজা মে'র প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হবার পর ব্রেক্সিটের সময়সীমা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ব্রেক্সিটের সমর্থকরা মনে করেন বাণিজ্যের উপর প্রভাব খুব দ্রুতই কাটিয়ে উঠবে যুক্তরাজ্য। বরিস জনসনের অবস্থান কী? ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই যেকোনো মূল্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ নিশ্চিত করতে চান বরিস জনসন। সেরকমটাই তিনি বলেছেন এক রেডিও সাক্ষাৎকারে। তিনি বলেছেন, দরকারে কোন চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিদায় নেবে। আরো পড়ুন: টেরিজা মে-র ব্রেক্সিট চুক্তি এভাবে হারলো কেন? ব্রেক্সিট নিয়ে পাঁচটি প্রশ্ন ও তার উত্তর তিনি বলেছেন টেরিজা মে'র প্রস্তাব পুরো বাতিল করে নতুন চুক্তির খসড়া করবেন তিনি। ওদিকে ইউরোপীয় কমিশনের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অরসুলা ফন ডার লায়েন নভেম্বরের ১ তারিখ দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ব্রেক্সিটের জন্য সময় দেয়ার ব্যাপারে তিনি সমর্থন দেবেন। তবে যুক্তরাজ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে কিভাবে বের হয়ে যাবে সে ব্যাপারে চুক্তি নিয়ে নতুন কোন আলাপ হবে না। সব কিছুর জন্য একদমই কম সময় রয়েছে হাতে। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট অবশ্য এখন গ্রীষ্মের বিরতিতে রয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অরসুলা ফন ডার লায়েন নভেম্বরের ১ তারিখ দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। বাণিজ্যের জন্য যে অর্থ দাঁড়াবে চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট মানে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ মনে করেন। যুক্তরাজ্যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে বলে তারা মনে করেন। চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট মানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কোন বাণিজ্য চুক্তি করার সময় থাকবে না। তাদের মধ্যে বাণিজ্য হবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী। তার অর্থ হল ইউরোপের অন্যান্য দেশে যুক্তরাজ্য কিছু বিক্রি করতে চাইলে তার উপর শুল্ক আরোপ হবে। একই বিষয় ঘটবে যখন ইউরোপের অন্যান্য দেশের পণ্য যুক্তরাজ্যে ঢুকবে। মুক্ত সীমান্তের সুবিধা অনুযায়ী খুব কড়াকড়ি ছাড়া পণ্যের আনাগোনা সম্ভব। কিন্তু চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট মানে বন্দরে বা সীমান্তে এখন দু পক্ষই একে অপরের পণ্যে প্রবেশের আগে অনেক কড়াকড়ি হবে। তাতে কোন কিছু আমদানি রপ্তানি সময় সাপেক্ষ হয়ে পড়বে। যদিও যুক্তরাজ্য বলছে শুরুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আসা ৮৭ শতাংশ পণ্যের প্রবেশে তারা কোন শুল্ক আরোপ করবে না। ব্যক্তির জন্য এর যা অর্থ দাঁড়াবে সাধারণ মানুষের জীবনে এর নানাবিধ প্রভাব পড়বে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে ভিসা মুক্ত যাতায়াতের সুবিধাও হারাবে যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা। এখন যেমন কাজের জন্য সহজে একে অপরের দেশে যেতে পারছে ইউরোপের দেশের মানুষজন। চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট মানে সেটি বন্ধ হয়ে যাবে। চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট হলে যুক্তরাজ্যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। তার মানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নানা দেশে যুক্তরাজ্যের সেসব লোকজন নানা খাতে কাজ করতেন তাদের জন্য বিষয়টি কঠিন হয়ে পড়বে। সে হোক আইনজীবী বা ব্যাংকার। পণ্যের উপরে শুল্ক আরোপ হলে, বন্দরে সময় বেশি লাগলে বা বাণিজ্যে নানা সুবিধা বাতিল হলে বহু পণ্যের দাম বাড়বে। বিশেষ করে খাদ্য পণ্যে দাম বাড়লে তার প্রভাব অবশ্যই সাধারণ মানুষজনের গায়ে লাগবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে আরেকটি সুবিধা হল যেকোনো সদস্য দেশে গিয়ে স্বাস্থ্যগত কোন সমস্যায় পরলে ইউরোপিয়ান হেলথ ইনস্যুরেন্স কার্ড নামে একটি বিশেষ বীমা ব্যবস্থার আওতায় যেকোনো সদস্য দেশের সরকারি হাসপাতালে বিনা পয়সায় চিকিৎসার সুবিধা পান নাগরিকেরা। সেটি আর থাকছে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্য। যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে গেলে মোবাইল ফোনে রোমিং চার্জ আরোপ হতে পারে। যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নানা দেশে বাস করছেন তাদের বিদেশী হিসেবে বিভিন্ন নতুন আইনের আওতায় পরতে হতে পারে। যেমন ধরুন ব্রিটেনের ড্রাইভিং লাইসেন্স আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে কার্যকর থাকবে না। অন্যান্য খবর: কাটা মাথা আতঙ্ক জেঁকে বসেছে প্রত্যন্ত গ্রামে প্রিয়া সাহার বক্তব্য নিয়ে সরকার কি অস্বস্তিতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী: কমছে নাকি বাড়ছে?
Boris Johnson has been elected new Conservative leader in a ballot of party members and will become the next UK prime minister.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
মৃতদেহ একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী খুঁজে পেয়েছে বলে খবরে প্রকাশ (ফাইল ছবি) আটক নারী, ৪৮ বছর বয়স্ক ইউমি ইওশিমো বলেছেন দশ বছর আগে তার মা মারা গেলে মায়ের মৃতদেহ তিনি লুকিয়ে রাখেন কারণ টোকিওতে যে ফ্ল্যাটে তারা মা মেয়ে একসাথে থাকতেন, তিনি "সেই ফ্ল্যাট ছাড়তে চাননি''। পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ পেয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার শরীরের কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। কিন্তু ওই মহিলা কখন এবং কীভাবে মারা গেছেন, কর্তৃপক্ষ এখনও সেটা বের করতে পারেনি। আরও পড়তে পারেন: মিস ইওশিমোর বাসাভাড়ার অর্থ বকেয়া থাকায় তাকে ওই ফ্ল্যাটবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করা হয়। এরপর ওই বাসা পরিষ্কার করার জন্য যে পরিচ্ছন্নকর্মীকে সেখানে পাঠানো হয়েছিল, সেই ফ্রিজারের ভেতর ওই লাশ খুঁজে পেয়েছে বলে খবরে জানানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে ওই মহিলার মৃতদেহ বেঁকিয়ে ফ্রিজারে ঢোকানো হয়েছিল। টোকিওর কাছে চিবা শহরের এক হোটেল থেকে মিস ইওশিমোকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
Police in Japan have arrested a woman after the body of her dead mother was discovered in a freezer in her flat.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
নাসার আশঙ্কা ভারতের সাম্প্রতিক অ্যান্টি-স্যাটেলাইট টেস্ট আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে বিপদের মুখে ফেলতে পারে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র প্রধান সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, গত সপ্তাহে ভারতের ওই পরীক্ষার জেরে মহাকাশে চারশোরও বেশি 'স্পেস ডেব্রি' , অর্থাৎ ধ্বংস হওয়া স্যাটেলাইটের বিপজ্জনক টুকরো তৈরি হয়েছে। ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা কিন্তু দাবি করছেন, লো অরবিটে তৈরি হওয়া ওই সব ডেব্রি খুব দ্রুতই পৃথিবীতে নেমে আসবে বা বিলীন হয়ে যাবে - ফলে তা থেকে বড় কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই। গত বুধবার ভারত যখন সফলভাবে মহাকাশে স্যাটেলাইট ধ্বংস করার কথা ঘোষণা করেছিল, তখন তাদের এটাও জানা ছিল যে এই পরীক্ষার ফলে যে সব স্পেস ডেব্রি তৈরি হবে তার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে সমালোচনারও সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র প্রধান জিম ব্রাইডেনস্টাইন যেরকম কঠোর ভঙ্গীতে এর বিপদের দিকটি তুলে ধরেছেন অতটা ভারতও কিন্তু আশা করেনি। নাসার প্রধান জানিয়েছেন, "ভারতের চালানো ওই একটা টেস্ট থেকে তৈরি হওয়া চারশোরও বেশি ডেব্রি আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি"। যার অন্তত ষাটটা ডেব্রি আমরা ট্র্যাক করতে পারছি, আর তার মধ্যে থেকে অন্তত চব্বিশটা তো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কক্ষপথেরও ওপরে চলে গেছে। এটা একটা 'টেরিবল, টেরিবল থিং' - মানে সাঙ্ঘাতিক বিপজ্জনক ঘটনা। স্পেস স্টেশনে মহাকাশচারীরা এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ নিরাপদ আছেন ঠিকই - তবে দশ দিনের ভেতর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কোনও ডেব্রি আঘাত করতে পারে, সেই ঝুঁকি এখন অন্তত ৪৪ শতাংশ বেড়ে গেছে। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-র প্রধান ড: জি সতীশ রেড্ডি বলেছেন নাসার এই মূল্যায়নের সঙ্গে তারা মোটেও একমত নন। ড: রেড্ডি বলছেন, "অ্যান্টি-স্যাটেলাইট টেস্টের জন্য আমরা কিন্তু ইচ্ছে করেই লো অরবিট বা কম উচ্চতার নিশানা বেছে নিয়েছিলাম - কারণ একটি দায়িত্ববান রাষ্ট্র হিসেবে মহাকাশের বিভিন্ন অ্যাসেট যাতে অক্ষত থাকে, নিরাপদ থাকে সেটা দেখাও আমাদের দায়িত্ব ছিল।" "আর তা ছাড়া যেটুকু ডেব্রি তৈরি হয়েছে সেটাও খুব দ্রুত মিলিয়ে যাচ্ছে, আমরাও ঠিক সেটাই চেয়েছিলাম"। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে রেকর্ড করলো ভারত মহাকাশ থেকে ভারতের বাতাস কেন দেখতে ভিন্ন ভারত-পাকিস্তান: পারমাণবিক অস্ত্রে কে এগিয়ে? ধ্বংস করা স্যাটেলাইটটিকে জানুয়ারীতেই মহাকাশে পাঠানো হয়েছিলো ওই পরীক্ষার দিনই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিবৃতি দিয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল, এমনভাবে লোয়ার অ্যাটমসফিয়ারে ওই পরীক্ষা চালানো হয়েছে যাতে কোনও ডেব্রি-ই না তৈরি হয়। হলেও সেগুলো মাত্র কয়েক সপ্তাহের ভেতর পৃথিবীর বুকে চলে আসবে বলেও দাবি করা হয়েছিল। দিল্লিতে সিনিয়র কূটনৈতিক সংবাদদাতা দেবীরূপা মিত্রও বলছিলেন, সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছিল বড়জোর পঁয়তাল্লিশ দিনের ভেতর ডেব্রি-র সমস্যা মিটে যাবে। ভারতের একটা বড় ভরসা ছিল, বারো বছর আগে চীন যে একই ধরনের পরীক্ষা করেছিল তার হাজার কয়েক ডেব্রি এখনো মহাকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে। সেই জায়গায় ভারতের সামান্য কিছু ডেব্রি লো অরবিটেই সীমাবদ্ধ থাকবে, এমনটাই বলার চেষ্টা হয়েছিল। "কিন্তু এখন নাসার বক্তব্য থেকে মনে হচ্ছে বিপদের ঝুঁকি অতটা তুচ্ছ নয় - আর তাই ভারতকে এখন এই ডেব্রি-জনিত আক্রমণটা সামলাতে হচ্ছে"। ভারতে ডিআরডিও-র সাবেক প্রধান ও বর্তমানে নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে সারস্বতও জানাচ্ছেন, ২০১২তেও ভারতের এই ধরনের অ্যান্টি-স্যাটেলাইট পরীক্ষা করার সামর্থ্য ছিল। তবে মহাকাশে ডেব্রি যাতে কম হয়, সে জন্য তারা প্রথমে ইলেকট্রনিক সিমুলেশন ও তা সফল হলে পরে আসল স্যাটেলাইট নিশানা করার কথা বলেছিলেন। গত সপ্তাহের সফল টেস্টে ডেব্রি যাতে যথাসম্ভব কম হয়, ভারতের বক্তব্য তার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নাসার পর্যবেক্ষণ বলছে, সে চেষ্টা সফল হয়নি এবং ভারতের পদক্ষেপ মহাকাশকে নতুন করে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে।
Nasa has called India's destruction of a satellite a "terrible thing" that could threaten the International Space Station (ISS).
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
তুরস্ককে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এর মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে দেশটিকে যে তারা কোনটি ক্রয় করবে- যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বিমান নাকি রাশিয়ার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকারকে চিঠি পাঠিয়ে এ আল্টিমেটাম জানিয়ে দিয়েছেন। ওই চিঠিতে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন- তুরস্ক একই সাথে দুটি অর্থাৎ আমেরিকার এফ-৩৫ অত্যাধুনিক জেট ফাইটার এবং রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম পেতে পারে না। রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে কয়েকমাস ধরেই টানাপড়েন চলছে। আমেরিকার যুক্তি হল- রাশিয়ার প্রযুক্তি ন্যাটোর প্রতিরক্ষা পদ্ধতির জন্য হুমকি বরং যুক্তরাষ্ট্র খুশী হবে যদি তাদের প্যাট্রিয়ট এন্টি এয়ারক্রাফট সিস্টেম ক্রয় করে তুরস্ক। তুরস্ক যদিও ইতোমধ্যেই একশ এফ-৩৫ যুদ্ধ বিমান কিনতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এবং এফ-৩৫ কর্মসূচীতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বোমারু বিমানগুলোর যন্ত্রাংশ তৈরি করবে তুর্কি কোম্পানিই। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: সিরিয়ার যুদ্ধ: বড় দেশগুলির কার কী অস্ত্র আছে? যেসব ভুলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারলো বাংলাদেশ মহাকাশ স্টেশনে রাত কাটাতে পর্যটক পাঠাবে নাসা এস-৪০০ প্রযুক্তি না নিতে তুরষ্ককে হুঁশিয়ার করেছে যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে কী পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে ? মিস্টার শানাহান ওই চিঠিতে বলেছেন যে রাশিয়ার এস-৪০০ প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ নিতে তুর্কি লোকবল রাশিয়ায় গেছে এ খবরে যুক্তরাষ্ট্র 'অসন্তুষ্ট'। "এস-৪০০ গ্রহণ করলে তুরস্ক এফ-৩৫ পাবে না। তোমাদের এখনো সময় আছে এস-৪০০ এর বিসয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের।" প্রথম চারটি এফ-৩৫ ইতোমধ্যেই তুরস্ককে হস্তান্তরের কথা থাকলেও সেগুলো এখনো তুরস্কের হাতে দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মঙ্গলবার বলেছেন, এস-৪০০ চুক্তি এগিয়ে নিতে তাদের মনোভাব দৃঢ়। তিনি বলেন, "দুঃখজনকভাবে এখনো কোনো ইতিবাচক প্রস্তাব আসেনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে।" ন্যাটো জোটে তুরস্ক দ্বিতীয় বৃহত্তম অংশগ্রহণকারী দেশ। ওদিকে রাশিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, দু মাসের মধ্যে এস-৪০০ তুরস্ককে দেয়া শুরু করবে রাশিয়া। এস-৪০০ মিসাইল প্রযুক্তি কী? এস-৪০০ প্রযুক্তি 'ট্রিউমফ' হল বর্তমান বিশ্বে ভূমি থেকে আকাশে মিসাইল নিক্ষেপের সবচেয়ে উন্নততর প্রযুক্তি। এটার আওতা হচ্ছে ৪০০ কিলোমিটার এলাকা। একটি এস-৪০০ প্রযুক্তি দিয়ে একনাগাড়ে ৮০টি লক্ষ্যে আঘাত করা যায়। রাশিয়া জানিয়েছে, স্বল্প উচ্চতার ড্রোন থেকে শুরু করে যেকোন উচ্চতায় বিমান এবং দূরপাল্লার মিসাইলে আঘাত হানতে সক্ষম এই প্রযুক্তি।
Turkey has been given a deadline of the end of July to choose between buying US fighter jets and Russian anti-aircraft missile systems.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
পুলিশ বলছে, নবী মুহাম্মদকে অবমাননার অভিযোগে ঐ ব্লগারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা বরগুনার আমতলীতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় ঐ ব্লগারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আসাদুজ্জামান নূর, যিনি আসাদ নূর নামে পরিচিত। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন,আসাদ নুর ফেসবুক, ইউটিউব এবং ব্লগে অডিও-ভিডিও এবং লেখনীর মাধ্যমে ইসলামের নবী মুহাম্মদকে অবমাননা করেছেন, এমন অভিযোগে জানুয়ারি মাসে একটি মামলা হয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার পর থেকে পুলিশ আসাদ নুরকে খুঁজছিল। আরো পড়ুন:মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী পরিচালক গ্রেপ্তারের নেপথ্যে কঠোর নিরাপত্তায় আজ শুরু হচ্ছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসব শিক্ষকরা কেন বসেছিলেন আমরণ অনশনে এই মামলায় এর আগে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মিঃ শহীদুল্লাহ বলেছেন, আসাদ নুর যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সেজন্য পুলিশ ইমিগ্রেশনে অ্যালার্ট দিয়ে রেখেছিল। সে প্রেক্ষাপটে গতরাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে, ঢাকার বিমানবন্দর থানার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আসাদ নুর গতকাল কাঠমান্ডু যাবার জন্য বিমানবন্দরে গেলে সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়। এখন সংশ্লিষ্ট থানা তাকে আদালতে উপস্থাপন করবে।
Malaysian police have detained a Saudi journalist accused of insulting the Prophet Muhammad in a tweet.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
একাকীত্ব যে কোন বয়সের মানুষকে গ্রাস করতে পারে। তিনি মনে করেন, একাকীত্ব নিয়ে সমাজের প্রচলিত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে, কেউ যদি একাকীত্ব বোধ করে সেটা স্বীকার করতে পারার মতো মানসিকতা তৈরিতে একটি জাতীয় সংলাপের প্রয়োজন। লন্ডনে এক সম্মেলনে ট্রেসি ক্রাউচ বলেন "সরকার আমাদের জন্য বন্ধু তৈরি করতে পারবে না", কিন্তু "সামাজিক সংযোগ" বাড়ানোর কিছু কৌশল এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। আরও পড়তে পারেন: একাকীত্ব কাটিয়ে ওঠার ৯টি উপায় 'দেহ ঘড়িতে' গোলমাল হলেই খারাপ হবে মেজাজ সামাজিক মাধ্যমে প্রেম-বিয়ে-সম্পর্ক; মেয়েদের কতটা স্বাধীনতা দিয়েছে? এবং একাকীত্ব দূর করতে কোন বিষয়গুলো ভাল কাজ করবে সে বিষয়েও ভাল প্রমাণ পেতে সহায়তা করবে। মন্ত্রী আরও বলেছেন, একাকীত্বকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার মানসিকতা অনেকটা এমন হতে পারে, "এক দশক আগে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য কোন অবস্থায় ছিল"। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত একাকীত্বের কৌশল সামনের সপ্তাহে প্রকাশ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেখানে বয়স্কদের একাকীত্বের বিষয়টিকে সেভাবে গুরুত্ব দেয়া হবেনা। তবে একাকীত্বের অনুভূতিগুলো কিভাবে মানুষের জীবনে বহুবার গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে সে বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। ব্রিটেনের একাকীত্ব বিষয়ক মন্ত্রী ট্রেসি ক্রাউচ। গৎবাঁধা ধারণার সমাপ্তি: এটি নিয়ে একটি সাধারণ ভ্রান্ত ধারণা আছে যে, একাকীত্বের এই সমস্যা জীবনের শেষ পর্যায়ে দেখা দেয়। এ বিষয়ে একাকীত্ব দূর করার বিষয়ে এক প্রচারণায় বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। দাতব্য সংস্থাগুলোর একটি জোট সেই সম্মেলনের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছিল। ওই সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, তিনি বিচ্ছিন্নতার নেতিবাচক প্রভাব দেখে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছেন। অল্পবয়সী ছেলে মেয়ে থেকে শুরু করে যারা নতুন বাবা মা হয়েছেন, এমন কেউ যারা তাদের পরিবারের থেকে আলাদা হয়ে পড়েছেন, কোন ঘটনায় ভীষণ শোকগ্রস্ত অথবা যারা জীবন সায়াহ্নে রয়েছেন তাদের সবাইকে এই একাকীত্ব গ্রাস করতে পারে। এই একাকীত্বের অনুভূতি থেকে বড় ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যার হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, "এই ধরণের স্বাস্থ্য-ঝুঁকি সে পরিমাণ গুরুত্ব দিয়ে মোকাবিলা করা উচিত যেভাবে কিনা ধূমপান বা স্থূলতা মোকাবিলা করা হয়।" এবং এই কৌশল প্রতিটি ক্ষেত্রে যেমন পরিবহন, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসহ সব জায়গায় প্রয়োগ করতে হবে। অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকির মতো একাকীত্বকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছে। একাকীত্বের এজেন্ডা: মন্ত্রী এটা উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে যেসব স্থানীয় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান একাকীত্বে দূর করার ক্ষেত্রে বড় ধরণের প্রভাব ফেলতে পারতো, সেগুলো কঠোর নীতিমালার মুখে পড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার পর্যায়ে এবং স্থানীয় সরকার পর্যায়ে যেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিলো সেগুলো হয়তো কিছু মানুষের সঙ্গে তাদের কমিউনিটির সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে। মিস ক্রাউচ বলেন, "একাকীত্বে ভোগার পরও আপনার কিছুই হয়নি এমন ভান করার কোন যুক্তিই নেই" কোন বক্তব্য নেই যা ঘটেছে না," বলেছেন এম ক্রাউচ। এই সমস্যাটি কতোটা বিস্তৃত ও প্রকট সে বিষয়ে এই কৌশল একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মন্ত্রী আরও বলেছেন, জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর একাকীত্ব পরিমাপের জন্য আরও "সামঞ্জস্যপূর্ণ" সংজ্ঞা তৈরি করবে, যেটা কিনা একাকীত্ব হ্রাস করার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো কাজ করবে, সে বিষয়ে আরও ভাল প্রমাণ সরবরাহ করবে। কিন্তু মিস ক্রাউচ সম্মেলনে বলেন, একাকীত্ব রাজনৈতিক এজেন্ডা বাড়িয়ে দিয়েছিল। "সরকার এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলোর একটি হিসেবে একাকীত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে।"
Loneliness should be recognised as a problem for all age groups, says Tracey Crouch, the minister about to reveal England's first loneliness strategy.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
End of Instagram post, 1 ইরান তার পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করলে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত রাখার বিষয়ে বিভিন্ন দেশের মতৈক্যে যে চুক্তি হয়েছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে অবনতি ঘটেছে। মি: ট্রাম্প তার এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বলেন ওই চুক্তির "গোড়ায় গলদ'' ছিল এবং ইরানের ওপর উল্টে তিনি আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। ইরান এতে হতাশ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ইরান অন্যভাবে বা পরোক্ষে তার অসন্তোষ তুলে ধরতে চাইছে। গতকাল শুক্রবার দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আলাতোল্লা আলি খামেনেই তেহরানের এক বই মেলা থেকে তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিটি সাদামাটা - তিনি একটি বই কৌতূহল নিয়ে পড়ছেন- কিন্তু তার হাতের এই বইটি নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বইটি মাইকেল উল্‌ফের লেখা বই ''ফায়ার এবং ফিউরি''-র ফার্সি ভাষায় অনুবাদ। এই বইয়ে দাবি করা হয়েছিল হোয়াইট হাউসের ভেতরের অবস্থা বিশৃঙ্খল। বইটি প্রকাশের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন বইটি লেখা ''মনগড়া গল্প'' নিয়ে এবং লেখক মি: উল্‌ফ একজন ''ভণ্ড"। বইটি জানুয়ারি মাসে প্রকাশ পাবার পর তা রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। পর্যবেক্ষকদের মন্তব্য ছিল বইটি ''বিস্ফোরক'' কারণ এই বই-এ মি: ট্রাম্পের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। বইয়ে বলা হয়েছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একজন অধৈর্য ব্যক্তি, তিনি নীতির গভীরে যেতে অক্ষম, তিনি এক কথা বারবার বলেন, এবং তার বক্তব্য অস্বচ্ছ। এতে আরও দাবি করা হয়েছিল যে মি: ট্রাম্প বন্ধুদের স্ত্রীদের পেছনে ছোটেন এবং তার মেয়ে ইভাঙ্কা বাবার আড়ালে বাবার চুলের স্টাইল নিয়ে ব্যঙ্গ করেন। ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে মি: ট্রাম্প আমেরিকান সমর্থন প্রত্যাহার করে নেবার পর পরই ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি কার্যত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে পরোক্ষে তির্যক মন্তব্য করেছিলন। আর দিন কয়েকপরই আয়াতোল্লা খামেনেই-এর এই ছবি পোস্ট করা হল। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে গেলেন ট্রাম্প ইরান পরমাণু চুক্তি: ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে হতাশা ও ক্ষোভ ইরান সরকারের সঙ্গে এই পারমাণবিক চুক্তিতে আমেরিকার পক্ষে সই করেছিলেন মি: ট্রাম্পের পূর্বসুরী বারাক ওবামা। এই চুক্তিতে সম্মতি স্বাক্ষর দিয়েছিল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ- আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়া এবং জার্মানি। বুধবার আয়াতোল্লা খামেনেই বলেছিলেনে মি: ট্রাম্প বহু-দেশ ভিত্তিক এই পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে এসে ''ভুল করেছেন''। ''প্রথম দিন থেকেই আমি বলে এসেছি: আমেরিকাকে বিশ্বাস কোরো না,'' মি: খামেনেই বলেন। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ছবিতে আরও দেখা যায় যে ধর্মীয় নেতা মিঃ খামেনেই বই বিক্রেতার সঙ্গে বই মেলায় খোশ গল্প করছেন এবং বই পড়ছেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: পাকিস্তানে 'হাযারা' সম্প্রদায় 'জাতিগত নিধনের' শিকার মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট আলঝেইমার্স রোগ শনাক্ত করার পাঁচটি উপায়
Three days ago, ties between the US and Iran took a significant turn for the worse.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
চীন বলছে তারা যখন ভাইরাস মোকাবেলায় ব্যস্ত তখন এই তদন্তের আহ্বান অনভিপ্রেত। ব্রিটেনে চীনের একজন শীর্ষ কূটনীতিক চেন ওয়েন বিবিসিকে বলেছেন এই দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং এটা করা হলে এই মহামারি মোকাবেলায় চীন যেভাবে কাজ করছে তা ব্যাহত হবে। কোভিড নাইনটিনের উৎস এবং প্রথমদিকে কীভাবে তা ছড়িয়েছে সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেলে তা এই রোগ মোকাবেলায় সহায়তা করবে। গত বছর উহান শহরে একটা বন্যপ্রাণী বিক্রির বাজার থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি বলে ধারণা করা হয়। ইতোমধ্যে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের একটি রিপোর্টে অভিযোগ আনা হয়েছে চীন এই সঙ্কট সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছিল। ওই রিপোর্টে বলা হয়, রাশিয়া এবং কিছুটা কম করে হলেও চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও তার প্রতিবেশি দেশগুলোকে লক্ষ্য করে "ষড়যন্ত্র তত্ত্ব" ছড়ায়। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় চীনের ভূমিকা নিয়ে বারবার চীনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। আমেরিকায় মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের কর্তৃপক্ষ এই ভাইরাসের বিস্তার বন্ধে চীন যথেষ্ট ব্যবস্থা নেয়নি এমন অভিযোগে চীনা সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছে। তবে উহানের এক গবেষণাগারে এই ভাইরাস তৈরি করা হয়েছিল এমন জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। চীনের আপত্তি কোথায়? এই মহামারির প্রায় শুরুর সময় থেকে আহ্বান জানানো হয় যে, আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের চীনে যেতে দেয়া হোক যাতে তারা তদন্ত করে দেখতে পারে কোথা থেকে এই ভাইরাস ছড়ালো। গত বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন আগামী সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষদের বার্ষিক বৈঠকে তিনি এই তদন্তের জন্য চাপ দেবেন। এই পরিষদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জন্য নীতি নির্ধারক। অস্ট্রেলিয়া এই পরিষদের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য। এই বৈঠকে বর্তমান মহামারি থেকে "শিক্ষা নিয়ে" আগামীতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা মোকাবেলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবার কথা রয়েছে। তবে মিস চেন বিবিসিকে বলেছেন তার দেশ আন্তর্জাতিক তদন্তের বিষয়ে মত দেবে না। "নিরপেক্ষ তদন্তের প্রস্তাব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত," তিনি বলেছেন। "আমরা এই মুহূর্তে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছি। এই ভাইরাস দমন করার জন্য আমরা পুরোমাত্রায় মনোযোগ দিচ্ছি। এখন তদন্তের কথাবার্তা কেন উঠছে? এই তদন্ত শুধু আমাদের লড়াইয়ে ব্যাঘাত ঘটাবে তাই নয়। আমাদের সম্পদও অন্য খাতে ব্যবহার করতে হবে।" "এই উদ্যোগ রাজনৈতিক বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। এতে কেউ রাজি হবে না। এই তদন্ত কারো কোন কাজে আসবে না।" মিস চেন বলেন এই ভাইরাসের উৎস নিয়ে অনেক গুজব ছড়িয়েছে। এধরনের বিভ্রন্তিমূলক তথ্য বিপদজনক বলে তিনি দাবি করেন এবং বলেন এটা একটা ''রাজনৈতিক ভাইরাস এবং করোনাভাইরাসের মত একইরকম বিপদজনক''। তার থেকেও বেশি বিপদজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন। করোনাভাইরাস: বিশ্বে মৃত ও আক্রান্ত কোথায় কত? বাংলাদেশে কোন জেলায় কতজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে যেসব ভুয়া স্বাস্থ্য পরামর্শ এড়িয়ে চলবেন চীনের সঙ্গে বিবাদে জড়াতে চায় না ইইউ বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা গর্ডন করেরা বলছেন ইউরোপীয় দেশগুলোর সরকাররা এই স্পর্শকাতর সময়ে চীনের সঙ্গে একটা কূটনৈতিক বিবাদে জড়াতে এখনও পর্যন্ত অনাগ্রহ দেখিয়েছে। তিনি বলছেন ইউরোপের অনেক দেশ এই সঙ্কট সামাল দেবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সরঞ্জামের জন্য চীনের ওপর নির্ভর করছে। তারা চায় চীনের সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদানের পথগুলো খোলা রাখতে, যার মাধ্যমে তারা বুঝতে চায় এবারের ভাইরাস প্রাদুর্ভাব কীভাবে ঘটল এবং ভবিষ্যতে কীভাবে এধরনের ঘটনা ঠেকানো যাবে। এই আদানপ্রদানও যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গেই তাদের করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটেনের একটি নিরাপত্তা সংস্থার চীন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। রুসি নামে এই সংস্থার বিশেষজ্ঞ চালর্স পার্টন বলেছেন: "বাগাড়ম্বর এবং সংঘাতের পথে হাঁটার সময় এখন নয়। কারণ বিষয়টি অনেক জটিল।" তবে গর্ডন করেরা বলছেন আমেরিকায় চীনের এই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপকভাবে রাজনীতি করা হচ্ছে, বিশেষ করে সেখানে নির্বাচনের মুখে রাজনৈতিক পয়েন্ট স্কোর করতে চীনের বিরুদ্ধে কে কতটা কঠোর হতে পারে এবং ভাইরাস কোথা থেকে এল, কীভাবে ছড়ালো এসব দাবি কে কতটা জোর গলায় করতে পারে তার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে । কী আছে ইইউর রিপোর্টে? ইইউ তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে চীনা কর্মকর্তারা এবং দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম এই ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে তাদের দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছে। উহান থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তির কথা তারা এড়িয়ে গেছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে চীনে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কিছু সামাজিক যোগাযোগ চ্যানেলে এমন তত্ত্ব ছড়ানো হয়েছে যে আমেরিকার সামরিক কর্মকর্তাদের সফরের সঙ্গে এই ভাইরাস ছড়ানোর সম্পর্ক আছে। রিপোর্টের লেখক আরও বলেছেন রাশিয়া ইউরোপে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম - তাদের দাবি অনুয়ায়ী - এই সঙ্কট মোকাবেলায় ইইউর ভূমিকাকে খাটো করে সমন্বিত প্রচার চালিয়েছে।
China has rejected calls for an independent international investigation into the origin of the coronavirus.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফ্লোরিডাতে রক্ষণশীলদের এক সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট এই মন্তব্য করেন। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম কোথাও ভাষণ দিলেন মি. ট্রাম্প যাতে তিনি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ এখন "সবার আগের পরিবর্তে সবার শেষে চলে গেছে।" অরল্যান্ডোতে রবিবার কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্স সিপিএসির সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তিনি যে ভাষণ দিয়েছেন তা থেকে বোঝা যায় রিপাবলিকান পার্টির ভেতরে এখনও তার প্রভাব রয়েছে। এই সম্মেলনকে যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীলদের একটি প্রভাবশালী সমাবেশ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং রিপাবলিকান পার্টির দিক নির্দেশনার বিষয়ে এটিকে বিবেচনা করা হয় ব্যারোমিটার হিসেবে। ১৯৭৪ সাল থেকে এই সম্মেলনটি হয়ে আসছে। সম্মেলনের পরিবেশ ছিল পুরোপুরি ট্রাম্পপন্থী। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই সম্মেলনে আরো যারা বক্তব্য রেখেছেন তাদের মধ্যে ছিলেন টেক্সাসের সেনেটর টেড ক্রুজ এবং মি. ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারে এখনও নিষিদ্ধ মি. ট্রাম্প। জানুয়ারি মাসে ক্যাপিটল হিলে সহিংস হামলার এসব প্ল্যাটফর্ম তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি ফ্লোরিডাতে তার গল্ফ কোর্সের রিসোর্টে বসবাস করছেন। আরো পড়তে পারেন: দাঙ্গার আগে দেয়া বক্তব্য 'সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য' - ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় 'উস্কানি' দেয়ায় আবারো অভিশংসিত ট্রাম্প ট্রাম্প সমর্থকরা যেভাবে ঢুকে পড়ে ক্যাপিটল ভবনে সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কয়েকজন সমর্থক। কী বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? চুয়াত্তর বছর বয়সী সাবেক প্রেসিডেন্ট যখন ভাষণ দিতে মঞ্চে আরোহণ করেন তখন তার সমর্থকরা চিৎকার করে তাকে স্বাগত জানায়। এসময় অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল না। "আজ আমি আপনাদের সামনে দাঁড়িয়েছি এটা ঘোষণা করতে যে চার বছর আগে আমরা সবাই মিলে যে অবিশ্বাস্য যাত্রা শুরু করেছিলাম সেটা এখনও শেষ হয়ে যায়নি," বলেন তিনি। "আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে আমরা এখানে জড়ো হয়েছি। আমাদের আন্দোলনের ভবিষ্যৎ, আমাদের দলের ভবিষ্যৎ এবং আমাদের প্রিয় দেশের ভবিষ্যৎ।" নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ব্যাপারে যেসব কথাবার্তা শোনা যাচ্ছিল সেগুলোকে তিনি গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, "এসব ফেক নিউজ বা ভুয়া খবর।" এর পর তিনি কৌতুক করে বলেন, "এটা কি দারুণ ঘটনা হবে না? চলুন আমরা নতুন একটা দল করি যাতে আমাদের ভোট বিভক্ত হয়ে যায় এবং আমরা আর কখনো জিততে পারব না।" "আমাদের আছে রিপাবলিকান পার্টি। এই দলটি এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি একতাবদ্ধ এবং শক্তিশালী হয়ে উঠবে," বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়া এবং ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়লেও মি. ট্রাম্প তার ভোটারদের কাছে এখনও প্রচণ্ড জনপ্রিয়। গত সপ্তাহে তার ভোটারদের ওপর একটি জরিপ চালানো হয়েছে এবং তাতে দেখা গেছে তিনি যদি রিপাবলিকান পার্টি ছেড়ে একটি নতুন দল গঠন করেন, সমর্থকদের ৪৬% তাকেই ভোট দেবেন। সিপিএসি সম্মেলনে দেওয়া ভাষণেও তিনি দাবি করেন যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের কারণে তিনি ডেমোক্র্যাটসদের কাছে হেরে গেছেন। এসময় তিনি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ারও ইঙ্গিত দেন। বলেন, "কে জানে আমি তাদেরকে তৃতীয়বারের মতো পরাজিত করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিতে পারি।" প্রেসিডেন্ট বাইডেন সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি বাইডেন প্রশাসন খারাপ করবে কিন্তু তারা কতটা খারাপ করবে আমাদের কেউ সেটা কল্পনা করতে পারবে না।" রক্ষণশীলদের অনেকেই এখনও ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমর্থক। রাজনীতিতে ফিরলেন ট্রাম্প? যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির একজন বিশ্লেষক অ্যান্থনি জুর্কার বলেন, এক মাস দৃশ্যপটের বাইরে থাকার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিরে এসেছেন। আর এজন্য তিনি এই সম্মেলনকেই বেছে নিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আভাস দিলে সম্মেলনে উপস্থিত সবাই তাকে সমর্থন জানিয়েছেন বলেও তিনি জানান। অ্যান্থনি জুর্কার বলেন, "রিপাবলিকান দলের ভেতরে তার প্রভাব অটুট আছে তবে আরো একটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি তার এই প্রভাব কতটা কাজে লাগাতে পারবেন তা এখনও পরিষ্কার নয়।" মি. ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে রিপাবলিকান আইন-প্রনেতারা মোটামুটি তার প্রতি অনুগত ছিলেন। কিন্তু প্রতিনিধি পরিষদে ১০ জন তাকে অভিশংসিত করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর সেনেটে বিচার চলাকালে সাতজন ভোট দিয়েছেন তাকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য। কংগ্রেসে রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল সাবেক প্রেসিডেন্টের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন এবং বিচারে খালাস পাওয়ার পর ক্যাপিটল হিলের সহিংসতায় উস্কানি দেওয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেন। তবে শেষ পর্যন্ত মি. ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করার বিরুদ্ধে তিনি ভোট দিয়েছেন। এর পর ডোনাল্ড ট্রাম্প মি. ম্যাককনেলের সমালোচনা করে তাকে "একগুঁয়ে, গোমড়া-মুখো" বলে উল্লেখ করেন। ট্রাম্পকে কিভাবে মনে রাখবে আমেরিকার মানুষ?
Donald Trump says he has no plans to launch a new political party, telling a conservative conference in Florida that it would split the Republican vote.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া প্রদেশে তিনটি গীর্জায় হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩জন ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় বিস্ফোরণ ও গুলিতে চার বেসামরিক নাগরিক ও চার হামলাকারী নিহত হয়েছিলেন। সেবারই প্রথম ইন্দোনেশিয়ায় হওয়া কোনও জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করে আই-এস। পরবর্তীতে বলা হয় জাকার্তায় হামলাকারীরা ইন্দোনেশিয়া ভিত্তিক জেমাহ আনসারুত দৌলা ( জেএডি) জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য, যারা অতীতে নিজেদের আই-এস এর সাথে সম্পৃক্ত বলে দাবী করেছিল। তার পর থেকেই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় জঙ্গি তৎপরতা বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করে আই-এস। আরো পড়ুন: পরিবারের সবাই যখন আত্মঘাতী হামলাকারী 'আমি যে কত মানুষ হত্যা করেছি তা মনে নেই' আই-এস কীভাবে এই অঞ্চলকে প্রভাবিত করে? জাকার্তা হামলার পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রচারণা বাড়ায় আই-এস। সমর্থকদের আরো আক্রমণের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে ও সরকারকে হুমকি দেয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ভিডিওতে তারা ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকদের ব্যবহার করে। ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল গ্যাতত নুর্মান্তায়ো ২০১৭'তে এক বক্তব্যে বলেন যে ইন্দোনেশিয়ার প্রায় সব প্রদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে আই-এস। ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমানের মৌলবাদী চিন্তাধারীরা ইন্টারনেট ও জিহাদি ওয়েবসাইট থেকে দীক্ষা-প্রাপ্ত নবাগত সদস্য অথবা পুরনো প্রজন্মের জঙ্গিদের সমর্থক। তবে আগের প্রজন্মের জঙ্গিবাদীদের সাথে বর্তমানে সক্রিয়দের খুব একটা সম্পর্ক নেই মনে করা হচ্ছে। আই-এস এর সাথে নিজেদের সম্পর্ক আছে বলে দাবী করেছে ৩০ টির মত ইন্দোনেশিয়ান দল। যাদের মধ্যে কয়েকটি দল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আই-এস এর আনুষ্ঠানিক প্রদেশ তৈরি করার বিষয়েও সোচ্চার ছিল। গত কয়েকবছরে সিরিয়া ও ইরাকে আই-এস এর পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে অনেকে দেশত্যাগ করেছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার এসব জিহাদি গোষ্ঠীর অন্যতম প্রভাবশালী নেতা মনে করা হয় জেএডি'র নেতা আমান আব্দুর রহমানকে, যিনি গত ১২ বছর ধরে ইন্দোনেশিয়ায় কারাগারে রয়েছেন। সমর্থকদের সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিচারকার্য চলছে। বর্তমানে যেই কারাগারে তিনি রয়েছেন সেটিকে বিশ্লেষকরা আই-এস সমর্থক জঙ্গিদের চারণভূমি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ইন্দোনেশিয়া কীভাবে এই সঙ্কট মোকাবেলা করছে? ২০০২ এ বালির একটি নাইটক্লাবের বাইরে আল কায়েদার সাথে সম্পর্ক থাকা জঙ্গিদের করা বোমা হামলায় ২০২ জন মারা যায়। এরপর ইন্দোনেশিয়ার নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী উগ্রপন্থী দলগুলোর ওপর কঠোর অভিযান চালায়। ঐ অভিযানে ব্যাপক গ্রেফতার ও পরিকল্পিত হত্যাসহ ইন্দোনেশিয়ান জঙ্গিদের মনোভাব পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে নানা ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ছাড়া পাওয়া জঙ্গিদের পুনর্বাসনের জন্যও নেয়া হয় বিভিন্ন উদ্যোগ। বালির বোমা হামলার পর ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ প্রায় ৮০০ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে আর ১০০ জনের বেশী জঙ্গিকে হত্যা করা হয়। ২০০২ সালে বালিতে বোমা হামলায় মারা যায় ২০০'র বেশ মানুষ ইন্দোনেশিয়ায় হওয়া জঙ্গি হামলা ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সুরা-বায়া'র তিনটি গির্জায় হওয়া সর্বশেষ হামলায় ১১ জন নিহত হওয়ার ঘটনাটি ২০০৫ এর পর ইন্দোনেশিয়ায় হওয়া সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলা। ২০০৫ এ বালিতে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে ২০ জনের বেশী মানুষ মারা যায়। তবে গত কয়েকবছরে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের বেশ কয়েকটি করা হামলা হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বিদেশি সামরিক দূতরা কেন রোহিঙ্গা শিবিরে যাচ্ছেন কেন ইসরায়েল ও ইরান একে অপরের শত্রু? কুয়ালালামপুরে ফিলিস্তিনি হত্যা: নেপথ্যে মোসাদ?
Indonesia, the world's largest Muslim-majority country, is among several nations in South East Asia that have suffered attacks in recent years by groups said to be linked to so-called Islamic State (IS).
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
অক্সিজেনের অভাবের কারণে হাসপাতাল থেকে রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া এখন একটি সাধারণ বিষয়ে রূপ নিয়েছে। যন্ত্রণায় কাতর এক স্কুল শিক্ষিকার টেলিফোন কলে আজ সকালে আমার ঘুম ভাঙল। তার ৪৬ বছর বয়সী স্বামী দিল্লির অক্সিজেন নেই এমন একটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন। আজও তো একই অবস্থা, আমি নিজেকে বললাম। এমন একটি শহরে আজ আরো একটি দিন শুরু হলো যেখানে অনেকের জন্যই শ্বাস নেওয়া বিলাসবহুল ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। আমরা লোকজনের সঙ্গে ফোনে কথা বললাম। জরুরি এসওএস বার্তা পাঠালাম। যখন ফোনে কথা বলছিলাম ওপাশে মনিটরের বিপ বিপ শব্দ হচ্ছিল। এর মধ্যেই ওই নারী জানালেন যে তার স্বামীর অক্সিজেনের স্যাচুরেশন বিপজ্জনকভাবে কমতে কমতে দাঁড়িয়েছে ৫৮। এর কিছুক্ষণ পর সেটা বেড়ে হল ৬২। এই স্যাচুরেশন ৯২ এর নিচে নেমে গেলেই সাধারণত ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করার কথা বলা হয়। ওই শিক্ষিকা আমাদের বললেন, স্যাচুরেশন বেড়ে যাওয়ায় তিনি খুশি। তার স্বামীর এখনও জ্ঞান আছে এবং তিনি কথা বলছেন। কোভিড রোগীদের জরুরি চিকিৎসায় কাজ করছে আমার এরকম এক চিকিৎসক বন্ধুকে টেক্সট মেসেজ পাঠালাম। "স্যাচুরেশন ৪০ এর নিচে নেমে গেলেও রোগী প্রচুর কথা বলে," ওই বন্ধু আমাকে মেসেজের জবাব দিল। অক্সিজেন, অক্সিজেন, আপনি কি আমাকে অক্সিজেন দিতে পারেন?" বেডের অভাবের কারণে এক বেডে দুজন রোগীকেও রাখা হচ্ছে। খবরের কাগজ হাতে তুলে নিলাম: সুপরিচিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ ২৫ জন রোগী মারা গেছেন। হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছে জরুরি কেয়ার সেন্টারে অক্সিজেনের প্রেশার কমে গিয়েছিল এবং অনেক রোগীকে ম্যানুয়ালি অক্সিজেন দিতে হয়েছে। পত্রিকার প্রথম পাতায় একটি ছবি ছাপা হয়েছে: দু'জন পুরুষ আর একজন নারীকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে একটি সিলিন্ডার থেকে। লোকজনের অসতর্কতা আর সরকারের অবহেলার কারণে আজ এই তিন ব্যক্তি এরকম একটা অবস্থায় পড়ে গেছে যে তাদেরকে বেঁচে থাকার জন্য এখন অক্সিজেন ভাগ করে নিতে হচ্ছে। পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে তাদের একজনের ৪০ বছর বয়সী এক ছেলে মাত্র কয়েকদিন আগে একই হাসপাতালের সামনে মারা গেছেন, যিনি একটি শয্যার জন্য সেখানে অপেক্ষা করছিলেন। তবে তিনি একটি স্ট্রেচার সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ভারতীয়রা এখন এসব পেলেই কৃতজ্ঞ হয়ে পড়ছে। তাদের কথা হলো প্রিয়জনকে বাঁচাতে হাসপাতালের বেড অথবা ওষুধ কিম্বা অক্সিজেন দিতে না পারলেও, অন্তত মৃতদেহ রাখার জন্য চাকাওয়ালা একটি স্ট্রেচার তো দিতে পারেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: মোদীর ভাষায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ 'ভারতীয়দের দু:খ সইবার পরীক্ষা' করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনটি আসলে ঠিক কী? যে দুটো জিনিসের জন্য চরম হাহাকার ভারতের সেকেন্ড ওয়েভে অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ হয়ে ভারতের হাসপাতালে ২২ রোগীর মৃত্যু কোভিডে মারা যাওয়া এক ব্যক্তিকে দাহ করার সময় বাইরে তার আত্মীয় স্বজনদের আহাজারি। দিন যত গড়াতে লাগল, বুঝতে পারলাম পরিস্থিতির আসলে কোন পরিবর্তন হয়নি। রোগীরা মারা যাচ্ছে কারণ সেখানে অক্সিজেন নেই। এখনও ওষুধের সঙ্কট। এবং এসব ওষুধ বিক্রি হচ্ছে কালো বাজারে। অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে কেনাকাটা করছেন এবং মজুদ করে রাখছেন যেন আমরা একটা যুদ্ধের মধ্যে আছি। নানা দিক থেকে আসলেই আমরা একটা যুদ্ধের মধ্যে আছি। ওই শিক্ষিকা আবার ফোন দিলেন। অক্সিজেন মাপার জন্য হাসপাতালের অতিরিক্ত কোন ফ্লো মিটার নেই। ফলে তার নিজেকেই এটি যোগাড় করতে হবে। সিলিন্ডার থেকে রোগীকে যখন অক্সিজেন দেওয়া হয় তখন এই যন্ত্রটি দিয়ে অক্সিজেনের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আমরা ফোনে লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। টুইটারে আবেদন জানালাম। কেউ একজন এই যন্ত্রটি সংগ্রহ করতে সক্ষম হলেন। সরকার যা কিছুই বলুক না কেন, পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। রোগীদের বাঁচাতে অক্সিজেনের ট্যাংকার সময় মতো শহরে আসতে পারছে না। হাসপাতালে কোন বেড নেই। নেই ওষুধও। ভারতের মধ্যে দিল্লির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনেক উন্নত। কিন্তু শহরের ৯৯% আইসিইউ এখন রোগীতে পূর্ণ। এমনকি ভারতের বিত্তবান শ্রেণি তাদের সামনেও এখন এসব সুবিধা নেই: একটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক দুপুর বেলা আমাকে ফোন করলেন। তিনিও তার পরিচিত অসুস্থ এক রোগীর জন্য অক্সিজেনের সিলিন্ডার খুঁজছেন। আমি যে অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে থাকি, তার বাসিন্দারা জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য কিছু অক্সিজেন কনসেনট্রেটর (আশেপাশের বাতাস থেকে অক্সিজেন সংগ্রহের যন্ত্র) কেনার চেষ্টা করছে। এই ভবনে ৫৭ জন বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছে এবং তাদেরকে বাড়িতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। নিজেকে রক্ষা করার দায়িত্ব এখন রোগীদের ওপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকের জন্য এটা হচ্ছে ধীর গতিতে ক্রমশ মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হওয়া। কোভিড-১৯ এরকমই এক ভয়ানক রোগ। "যদি আমি মারা যেতে থাকি, আমার মৃত্যু হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি কিন্তু বেঁচে আছি," নিউরোসার্জন পল কালানিথি তার 'হোয়েন ব্রেথ বিকামস এয়ার' গ্রন্থে একথাটি লিখেছেন। আজকের ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মুমূর্ষু এই রোগীদের জন্য যেন খুব সামান্যই মুক্তি অপেক্ষা করছে।
"Oxygen, oxygen, can you get me oxygen?"
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
করোনাভাইরাস মহামারির পর বাংলাদেশে গার্মেন্টস খাতের অনেক অর্ডার বাতিল করে দিয়েছে বিদেশি ক্রেতারা। ক্যালি রাসেল বলছেন যুক্তরাজ্যের খুচরা পোশাক বিক্রেতারা তাদের চুক্তি বাতিল করে দেবার ফলে বাংলাদেশে পোশাক কারখানাগুলোতে বিক্রি না হওয়া পোশাকের পাহাড় জমে উঠেছে। বত্রিশ বছর বয়স্ক ব্যবসায়ী ক্যালি রাসেল এখন ঠিক করেছেন এসব পোশাক তিনি বাক্সে ভরে যুক্তরাজ্যে অর্ধেক দামে বিক্রি করবেন। বাক্সগুলো তৈরি করা হবে খদ্দেরদের পছন্দ বিবেচনায় নিয়ে। এই বিক্রির অর্থ পাঠানো হবে বাংলাদেশে যেসব পোশাক শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন তাদের সাহায্য করতে। অনলাইনে পোশাক বিক্রির প্ল্যাটফর্ম ম্যলজি-র প্রধান নির্বাহী মি. ক্যালি রাসেল তার এই নতুন উদ্যোগের নাম দিয়েছে 'লস্ট স্টক'। যারা পোশাক কিনতে চান তাদের একটা ফর্ম পূরণ করে জানাতে হবে তাদের সাইজ (মাপ) এবং কীধরনের পোশাক তার পছন্দ। এরপর এক বাক্স পোশাক যার আসল দাম ৭০ পাউন্ড তা তিনি কিনতে পারবেন অর্ধেক দামে অর্থাৎ ৩৫ পাউন্ডে। এরপর বাংলাদেশে এইসব পোশাক বাক্সে প্যাক করা হবে এবং পাঠানো হবে যুক্তরাজ্যে। খদ্দেররা পোশাক আলাদা আলাদা করে পছন্দ করতে পারবেন না। কিন্তু প্রত্যেক খদ্দেরের পছন্দ বিবেচনায় নিয়ে বাক্স তৈরি করা হবে। তিনি জানান: ''বিবিসির নিউজ অনলাইনে একটি খবর পড়েছিলাম, যেখানে পোশাক কারখানার একজন কর্মী বলেছিলেন, 'করোনা ভাইরাস থেকে আমার শ্রমিকরা মারা না গেলেও, না খেয়ে তারা মারা যাবে,' তখন আমার মনে হয়েছিল, আমার তো এই ব্যবসায় কিছু যোগাযোগ আছে। দেখি আমি যদি ওদের সাহায্যে কিছু করতে পারি।'' করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের ক্ষতি নিয়ে পড়ুন আকবর হোসেনের রিপোর্ট। ''আমার বিভিন্ন পরিচয়ের সূত্র ধরে আমি বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোর সাথে যোগাযোগ করার পর এখন দুই কোটি পাউন্ড মূল্যের পোশাক আমাদের হাতে এসেছে। এ মাসের শেষের মধ্যে আমরা পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিককে সাহায্য করতে চাই, এবং বছরের শেষ নাগাদ সেটা বাড়িয়ে এক লাখ শ্রমিককে সহায়তা করার পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি," বলেন মি. রাসেল। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: লকডাউনের মধ্যেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ কেন? ‘তিন ঘণ্টার রাস্তা আসছি দুইদিনে, খরচ হইছে ৪০০০ টাকার মত’ শুধু শ্রমিকদের বেতন দেবার জন্যই প্রণোদনা পাবে বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত ক্যালি রাসেল (ডানে), সঙ্গে লস্ট স্টকের সহ প্রতিষ্ঠাতা ক্যালাম স্টুয়ার্ট ও জেমি সাদারল্যান্ড মি. রাসেল বলছেন এইসব অর্ডার বাতিল হয়ে যাওয়া পোশাক কিছু অর্থ তো আনবে। তিনি বলেন: ''এগুলো ২০২০-র বসন্তকালীন ও গ্রীষ্মকালীন অর্ডারের মাল। বিক্রেতারা জানে না কখন তাদের দোকানগুলো আবার খুলবে। তাই তারা তাদের অর্ডার বাতিল করে দিয়েছে। ''এইসব বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো যখন বাংলাদেশি পোশাক কারখানার সাথে চুক্তি করেছিল, তখন ওই চুক্তিতে একটি বিশেষ ধারা রাখা হয়েছিল, যার আওতায় অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে চুক্তি আইনত বাতিল করার এখতিয়ার এই দোকানগুলোর ছিল। "আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চুক্তিটা এমন যে খুচরা বিক্রেতারা পোশাক কারখানাগুলোকে মাল হাতে পেলে তবেই পাওনা অর্থ দেবে। কাজেই গার্মেন্টস কারখানাগুলো তাদের কাপড়, অন্যান্য সরঞ্জাম ও মজুরি বাবদ যে অর্থ ব্যয় করে তাতে উৎপাদনের খরচের সব ঝুঁকি ও দায় তাদের ওপরই বর্তায়। "আমরা এখন চাইছি এই অর্ডারের যাতে পুরোপুরি বরবাদ না হয়ে যায়। এতে কারখানার শ্রমিক কর্মচারীদের কিছুটা সাহায্য হবে আর আমাদের খদ্দেররাও লাভবান হবে।'' বাংলাদেশে ৪০ লাখের বেশি শ্রমিক গার্মেন্টসে কাজ করেন। বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮০ শতাংশের বেশি পোশাক। মি. রাসেল বলেন ব্রিটেন যদি এখন লকডাউনের বিধিনিষেধ তুলে নিতে শুরুও করে, তাহলেও বাংলাদেশের জন্য পোশাক খাতে যেসব অর্ডার লাইনে রয়েছে সেগুলো আবার সামাল দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে অন্তত এক বছর সময় লেগে যাবে। বাংলাদেশের অর্থনীতির একটা বড় ভিত দেশটির তৈরি পোশাক শিল্প খাত। ''এই খাতে আমাদের যে যোগাযোগ আছে এবং আমাদের যে সাধ্য আছে তা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে আমরা সাহায্য করতে চাই এবং আমাদের আস্থা আছে যে আমরা কিছু একটা নিশ্চয়ই করতে পারব,'' তিনি বলেন। মি.রাসেল এবং তার দুই সহযোগী ক্যালাম স্টুয়ার্ট ও জেমি সাদারল্যান্ড বাংলাদেশে সাজিদা ফাউন্ডেশনের সাথে কাজ করছেন। সাজিদা ফাউন্ডেশনের মুহিমিন চৌধুরী বলছেন: "লস্ট স্টকের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা খুশি। কারণ গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলোর দিক থেকে এই দুর্ভাগ্যজনক ব্যর্থতা কিছুটা হলেও লাঘব করতে লস্ট স্টকের এই উদ্যোগ সাহায্য করবে," জানান তিনি। করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস: স্বাদ-গন্ধ কমলেই রেড অ্যালার্ট করোনাভাইরাস কীভাবে শরীরের ক্ষতি করে? আপনার কি দ্বিতীয়বার কোভিড ১৯ সংক্রমণ হতে পারে? নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি?
An Edinburgh businessman is trying to help thousands of Bangladeshi garment workers hit by cancelled orders during the coronavirus outbreak.