instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
230
19.6k
output
stringlengths
40
405
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
সমুদ্রে বোতলের বার্তা কি সত্যিই তার প্রাপকের কাছে পৌঁছায়? অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের আরলাই সৈকতে যখন এরকম একটি চিঠি ভরা গুগলি শামুক ধরা বোতল পাওয়া যায়, সেটির ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে তুলে দিয়েছিলেন স্থানীয় একজন ট্যুর অপারেটর। ফেসবুকে সেটির ছবি তুলে দিয়ে ড্যানিয়েল ম্যাকন্যালি লিখেছিলেন, বোতলের মুখ খোলার অপেক্ষায় থাকুন। খোলার পর দেখা যায়, চীনা ম্যান্ডারিন ভাষায় সেই চিঠিটি লেখা। তারা সেটির অনুবাদের জন্য ফেসবুকেই অনুরোধ জানায়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'মুহাম্মদ' কি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম? 'সর্বদলীয় সরকার নয়, নির্দলীয় সরকার চাই' সুনামিতে লন্ডভন্ড সুলাওয়েসি, নিহত প্রায় ৪০০ প্রায় দুই সপ্তাহ আগে বোতলের ছবিটি প্রকাশ করে কুইন্সল্যান্ডের স্থানীয় একজন ট্যুর অপারেটর এরপর যেন সাহায্যের বন্যা হয়ে যায়। র‍্যাচ এলি চিঠিটা পড়ে আবিষ্কার করেন, এটি একটি প্রেমপত্র, যা একজন নাবিক তার প্রেমিকাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন। তিনি ছবিটি শেয়ার করেন এই আশায় যে, ওই নারী চিঠিটির খোঁজ পাবে। চিঠির বর্ণনা অনুযায়ী, ভারত মহাসাগর অতিক্রম করার সময় ওই চিঠিটি লেখেন চীনা নাবিক। বোতলের সেই ভালোবাসার চিঠি সেখানে লেখা, ''আমার হৃদয়ের গভীর থেকে আমার ভালোবাসাকে খুব অনুভব করছি। বাগদানের পরেই আমি সমুদ্রে চলে এসেছি। কিন্তু তার জন্য আমার খুবই খারাপ লাগছে। এই বোতলটি সেই ভালোবাসার একপ্রকার প্রকাশ।'' ''আমার ইচ্ছা হচ্ছে, যদি আমি এখন বাড়িতে ফিরে যেতে পারতাম, যদি আমি যিঙ্গের সঙ্গে সবসময় থাকতে পারতাম।'' তবে তিনি কখনো ভাবেননি যে, কেউ সত্যিই বোতলটি পাবে। নিজের হৃদয়কে শান্ত করতেই বোতলে ভরে বার্তাটি তিনি সমুদ্রে ফেলে দেন। বোতলের ভালোবাসার এই বোতলের ছবি আর চিঠি অস্ট্রেলিয়া আর চীনের সামাজিক মাধ্যমে অসংখ্যবার শেয়ার হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার একজন ব্লগার এই চিঠির বিষয়টি চীনা সামাজিক মাধ্যম ওয়েইবোতে তুলে দিয়ে বন্ধুদের অনুরোধ করেন, '' চীনে একশো ৪০ কোটি মানুষ রয়েছে, আমি খুব বেশি মানুষকে চিনি না, আপনি কি এই নারীকে খুঁজে বের করতে সহায়তা করতে পারেন?'' বোতলের একটি ছবিও সেখানে তুলে দেয়া হয়। এরপর সেটি অসংখ্যবার শেয়ার হয়েছে। এ নিয়ে ওয়েইবোতেও অনেকে আবেগী মন্তব্য করেছেন। তবে এখনো পর্যন্ত চিঠির সেই লেখক বা তার ভালোবাসার নারীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত এই বার্তা সেই নারীর কাছ পর্যন্ত পৌঁছায় কিনা।
Have you ever put a message in a bottle, tossed it out to sea, and wondered where it would end up?
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
এসব দলিলে আরও দেখা যাচ্ছে রাশিয়ার অলিগার্ক বা ক্ষমতাবলয়ের সঙ্গে যুক্ত ধনী গোষ্ঠীপতিরা কিভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাচার করেছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা জারিই করা হয়েছিল যাতে তারা পশ্চিমা দেশগুলোতে টাকা পাচার করতে না পারে। গত পাঁচ বছর ধরে গোপন লেন-দেন, অর্থ পাচার এবং আর্থিক অপরাধ বিষয়ে যেসব গোপন দলিল ফাঁস হয়েছে, তা থেকে সর্বশেষ এসব ঘটনার কথা জানা গেছে। 'ফিনসেন ফাইল‌স' কী? ফিনসেন ফাইলস হচ্ছে ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রায় আড়াই হাজার দলিল। ২০০০ সাল হতে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছিল এসব দলিল। ব্যাংকের গ্রাহকরা আসলে যা করছেন, সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে এসব দলিলে। আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সবচেয়ে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়, এমন ধরনের দলিল এগুলো। ব্যাংকগুলো যখন কোন গ্রাহকের আচরণে সন্দেহজনক কিছু দেখে, তখন তারা এরকম রিপোর্ট পাঠায় মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু এসব দলিল অপরাধ বা বেআইনি কোন কাজের প্রমাণ নয়। এই দলিলগুলো ফাঁস করা হয়েছিল বাজফীড নিউজের কাছে। এরপর সারা বিশ্বের অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব দলিল শেয়ার করা হয়। ৮৮টি দেশের ১০৮টি সংবাদ প্রতিষ্ঠানের কাছে এসব দলিল বিতরণ করা হয়। বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানও এই অনুসন্ধান কাজে যুক্ত ছিল। শত শত সাংবাদিক এই বিপুল পরিমাণ দলিল ঘেঁটে অনুসন্ধান কাজটি চালিয়েছেন। বেশিরভাগ দলিল খুবই টেকনিক্যাল। ব্যাংকগুলো প্রকাশ করতে চায় না, এমন অনেক কাজকর্ম সাংবাদিকরা তাদের অনুসন্ধানের মাধ্যমে উদঘাটন করেছেন। 2,657documents including 2,121 Suspicious Activity Reports ফিনসেন এবং সার্স: এ দুটি সংক্ষিপ্ত শব্দের মানে কী ফিনসেন হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের 'ফাইনান্সিয়াল ক্রাইমস ইনভেস্টিগেশন নেটওয়ার্ক'(FinCEN) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এরা যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টে আর্থিক অপরাধ দমনে কাজ করে । মার্কিন ডলারে যত লেন-দেন হয়, সেটা যদি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও ঘটে থাকে, সেই লেন-দেন নিয়ে প্রশ্ন থাকলে তা ফিনসেনের কাছে পাঠাতে হয়। সার্স হচ্ছে ইংরেজিতে 'সাসপিসিয়াস এক্টিভিটি রিপোর্টস' এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এরকম সন্দেহজনক লেন-দেনের বিষয়গুলো এই সার্সের মাধ্যমে রেকর্ড করে রাখা হয়। কোন ব্যাংকের যদি তাদের কোন গ্রাহকের লেন-দেন নিয়ে সন্দেহ জাগে, তখন এই সার্স রিপোর্ট লিখে তাদের পাঠাতে হয় মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে। এর গুরুত্ব কোথায়? আপনি যদি কোন অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে লাভবান হওয়ার পরিকল্পনা কষে থাকেন, তাহলে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আগে আপনাকে ঠিক করে রাখতে হবে। সেটা হচ্ছে, অর্জিত অবৈধ কালো অর্থ কিভাবে আপনি 'সাদা' করবেন। মানি লন্ডারিং মানে হচ্ছে কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়া। যেমন, মাদক চোরাচালান বা দুর্নীতির মাধ্যমে পাওয়া অর্থ কোন একটা ব্যাংকের একাউন্টে এমনভাবে জমা করা, যাতে করে আগের অপরাধের সঙ্গে এই অর্থের কোন যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া না যায়। ধরা যাক আপনি একজন রুশ অলিগার্ক বা ধনী গোষ্ঠীপতি ব্যবসায়ী। আপনার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যাতে আপনি এসব দেশে অর্থ আনতে না পারেন। এখন অর্থ পাচার করতে গেলে, আপনাকে একই ধরনের 'মানি লন্ডারিং' এর আশ্রয় নিতে হবে। নিয়ম ভেঙ্গে কোন গ্রাহক যেন এভাবে অর্থ পাচার করতে না পারে, বা কালো অর্থ সাদা করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করা ব্যাংকগুলোর কাজ। আরও পড়ুন: কর ফাঁকি কেলেঙ্কারি নিয়ে বিশ্ব জুড়ে তোলপাড় সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনায় দুর্বলতা কোথায়? লাখো কোটি টাকা পাচারের তথ্য কতটা বিশ্বাসযোগ্য? আইন অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই জানতে হবে তাদের গ্রাহক কারা। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একটা সার্স রিপোর্ট পাঠিয়ে দিলেই ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। গ্রাহকদের কাছ থেকে কালো অর্থ নেয়া অব্যাহত রেখে তারা এটা আশা করতে পারে না যে কর্তৃপক্ষই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। যদি ব্যাংকগুলোর কাছেই কোন অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ থাকে, তখন তাদেরই এরকম লেন-দেনে বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচি‌ৎ। ফার্গাস শিয়েল কাজ করেন ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) সঙ্গে। তিনি বলছেন, বিশ্বজুড়ে কী বিপুল পরিমাণ কালো অর্থ পাচার হচ্ছে তার ওপর দৃষ্টিপাতের সুযোগ করেছ দিয়েছে এই ফাঁস হওয়া দলিলগুলো। তিনি বলেন, এই লেন-দেনের সঙ্গে কি বিপুল অংকের অর্থ জড়িত, সেটাও তুলে ধরেছে এসব দলিল। ফিনসেন ফাইলসের দলিলগুলোতে আছে প্রায় দুই লক্ষ কোটি ডলারের লেন-দেনের কথা। অথচ ২০০০ সাল হতে ২০০১৭ সাল পর্যন্ত যত সার্স রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, এই ফিনসেন ফাইলস কিন্তু তার একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ। ফাঁস হওয়া দলিল থেকে যা জানা গেছে: লন্ডন বিশ্বের ব্যাংকিং সেবা ব্যবস্থার এক বড় কেন্দ্র এবারের ফাঁস হওয়া দলিল কেন আলাদা সাম্প্রতিক বছর গুলোতে এরকম আরও অনেক আর্থিক দলিল ফাঁস হয়েছে। এর মধ্যে ছিলঃ তবে ফিনসেন ফাইলস আগের ফাঁস হওয়া দলিলপত্র থেকে একটু আলাদা। এগুলো কেবল একটি বা দুটি কোম্পানির দলিলপত্র নয়। এসব দলিল এসেছে বহু ব্যাংক থেকে। এই দলিলপত্রে ধরা পড়েছে অনেক সন্দেহজনক লেন-দেন যার সঙ্গে জড়িত অনেক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান। যেসব ব্যাংকের মাধ্যমে এসব লেন-দেন হয়েছে, তাদের চোখে বিষয়টি ধরা পড়ার পরও কেন তারা ব্যবস্থা নেয়নি, সে প্রশ্নও উঠেছে। ফিনসেন বলেছে, এসব দলিল ফাঁস হওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে। এতে তাদের নিজস্ব তদন্তে বিঘ্ন হতে পারে। যেসব প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি এসব রিপোর্ট পাঠিয়েছে তাদের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়তে পারে। ফিনসেন অবশ্য গত সপ্তাহে অর্থ পাচার-বিরোধী কার্যক্রম ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে এক প্রস্তাব ঘোষণা করেছে। যুক্তরাজ্যও ঘোষণা করেছে যে, জালিয়াতি এবং অর্থ পাচার প্রতিরোধে তারা কোম্পানি নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্যের নিয়মনীতি সংস্কার করে ঢেলে সাজাচ্ছে।
Leaked documents involving about $2tn of transactions have revealed how some of the world's biggest banks have allowed criminals to move dirty money around the world.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
সাবেক রুশ গোয়েন্দা সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়েকে হত্যার চেষ্টায় স্নায়ুকে আঘাতকারী রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে ঐ রুশ গোয়েন্দা এবং তার মেয়েকে রোববার একটি পার্কে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের উদ্ধারে যাওয়া একজন পুলিশ কর্মকর্তা এখন গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। নার্ভ এজেন্ট কী? নার্ভ এজেন্ট হচ্ছে উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক যা স্নায়ুতন্ত্রকে বিকল বা অকার্যকর করে দিতে পারে এবং দৈহিক কর্মক্ষমতা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সাধারণভাবে মুখ অথবা নাক দিয়ে এই রাসায়নিক দেহে প্রবেশ করানো হয় কিন্তু চোখ বা ত্বক তা শোষণ করতে পারে। 'বিষয়টি অনেক বড় একটি ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে' কাউন্টার টেররিজম পুলিশিং ইউনিটের প্রধান মার্ক রাউলি বলেছেন সরকারি বিজ্ঞানীরা শনাক্ত করেছেন যে তাদের ক্ষেত্রে নার্ভ এজেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এ পর্যায়ে তারা খবরটিকে উন্মুক্ত করতে চাননা। তিনি জানান, বিষয়টি অনেক বড় একটি ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে যেখানে 'হত্যা চেষ্টার' সন্দেহ করা হচ্ছে । ২০০৬ সালে রাশিয়ার আরেকজন গুপ্তচর আলেকজান্ডার লিটভিনেঙ্কোকে বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছিল লন্ডনে। নার্ভ এজেন্ট সাধারণভাবে ক্রিমিনাল গ্যাং বা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো তৈরি করতে পারে তেমনটি নয়। বিশেষ গবেষণাগারে সরকারি নিয়ন্ত্রণে এই রাসায়নিক উৎপাদন করা হয়। এখন এর অবশ্যম্ভাবী সন্দেহ পড়বে রাশিয়ার দিকে। কারণ তাদের শত্রুদের বিষ প্রয়োগে হত্যার রেকর্ড আছে শুধু তাই নয়, সের্গেই স্কিপ্রাল-এর ঘটনার সাথে অন্য মোটিফও আছে। রাশিয়ার একজন সামরিক গোয়েন্দা হিসেবে নিজেরে দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে তিনি এমআইসিক্সকে তথ্য দিতেন. ইউরোপে রাশিয়ার এজেন্টদের সম্পর্কে। বিশ্বাসঘাতকদের হত্যার বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অতীতের এমন ইঙ্গিতও রয়েছে । যদিও মি স্ক্রিপাল যখন ব্রিটেনে আটবছর ধরে বসবাস করছিলেন তেমন সময় কেন তাকে হামলার শিকার হতে হল সে প্রশ্নও রয়েছে। সেইদিন দুপুরে সিটি সেন্টারে যারা ছিলেন তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। যারা বিশেষ করে জিযযিতে খেয়েছেন কিংবা পান করেছেন তাদের কথা শুনবেন। তার এবং তার পাঁচদিন আগে যে দোকানে ৬৬বছর বয়সী মি. স্ক্রিপাল এবং তার ৩৩ বছর-বয়সী মেয়ে পড়ে গিয়েছিলেন সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করা হয়েছে। মিস্টার রাউলি জানান, কয়েকশো গোয়েন্দা, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, বিশ্লেষক এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন। তবে এর তদন্ত শেষ হতে আরও কদিন লেগে যাবে।
A nerve agent was used to try to murder a former Russian spy and his daughter, police have said.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
ট্রাম্প পরিবার হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করছেন। জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর মি: ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে থাকা শুরু করলেও ছেলের পড়ালেখার কথা ভেবে সেখানে না থাকার সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প। কারণ নিউইয়র্কে অবস্থিত ট্রাম্প টাওয়ারের কাছেই ছিল ব্যারনের স্কুল। তবে তখন মেলানিয়া বলেছিলেন সেমিস্টার শেষ হলে ছেলেসহ হোয়াইট হাউজে যাবেন তিনি। মেলানিয়ার এমন সিদ্ধান্ত তখন বেশ আলোড়ন তুলেছিল। অনেকের কাছে বিষয়টা অবাক করার মতোই ছিল। মেলানিয়া ট্রাম্পই প্রথম ফার্স্টলেডি যিনি দ্রুত হোয়াইট হাউজে স্থানান্তর হননি। এমনকি সাবেক ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা ওয়াশিংটনে দ্রুত চলে এসেছিলেন তাঁর মেয়েদের নতুন স্কুলে ভর্তি করানোর কথা ভেবে। তবে পাঁচ মাস পর হোয়াইট হাউজে এসে ফার্স্টলেডি মেলানিয়া যে যথেষ্ট আনন্দিত সেটি টুইটারে তাঁর পোস্ট প্রকাশ পেয়েছে। তিনি ঘর থেকে তোলা হোয়াইট হাউজের বাগানের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তবে মেলানিয়া ও তাঁর ছেলে ব্যারনের হোয়াইট হাউজে স্থানান্তরের কারণে নিউ ইয়র্কের বাসিন্দারা খুশি হবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ ট্রাম্প টাওয়ারে ফার্স্টলেডি ও তাঁর ছেলের অবস্থানের কারণে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল এবং তাদের এই উপস্থিতি ট্রাফিক সমস্যাও তৈরি করেছিল। মেলানিয়া ট্রাম্পের টুইট
Melania Trump and son Barron have moved into the White House - five months after her husband Donald took office.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন শতাধিকের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীনে দুটো হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। তার একটি হুশেনশান হাসপাতাল - যার আয়তন ২৫,০০০ বর্গমিটার। তারা আশা করছেন, এই সোমবারেই হাসপাতালটি চালু করে দেওয়া সম্ভব হবে। উহান শহরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর গত ২৪শে জানুয়ারি এই হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত ৩০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। চীন ও চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪,০০০-এর বেশি। চীনের বাইরে আরো ২২টি দেশে প্রায় ১০০ জনের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সার্স মহামারীকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০০৩ সালে ২৪টিরও বেশি দেশে সার্স ভাইরাসের সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল। সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৮,১০০। করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হয় উহান শহরে। সেখানে এক কোটি দশ লাখ মানুষের বাস। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, হুশেনশান হাসপাতালে ১,০০০ শয্যার ব্যবস্থা থাকবে। এই হাসপাতালটি কতো দ্রুত তৈরি করা হচ্ছে সেটা যাতে লোকেরা দেখতে পায় - সেজন্য এর নির্মাণকাজ চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। টেলিভিশনে হাসপাতাল নির্মাণের এই দৃশ্য দেখছে বহু মানুষ। গ্লোবাল টাইমস নামের পত্রিকা বলছে, চীনে প্রায় চার কোটি মানুষ হাসপাতাল নির্মাণের লাইভ স্ট্রিমিং দেখছে। এই সম্প্রচার এতোই জনপ্রিয় হয়েছে যে সখানে ক্রেইন, বুলডোজার ও ডিগারের মতো যেসব যন্ত্র দিয়ে হাসপাতালটি নির্মাণ করা হচ্ছে সেগুলোও মানুষের কাছে খ্যাতি পেয়ে গেছে। চীনের লোকজনেরা সিমেন্ট মেশানোর একেকটি মেশিনের নাম দিয়েছে - দ্য সিমেন্ট কিং, বিগ হোয়াইট র‍্যাবিট এবং দ্যা হোয়াইট রোলার। ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাস মোকাবেলায় রাজধানী বেইজিং-এ যে শিয়াওতাংশান হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছিল - তার অনুকরণেই হুশেনশান হাসপাতালটি তৈরি করা হচ্ছে উহানে। শিয়াওতাংশান হাসপাতালটি তৈরি করা হয়েছিল মাত্র সাতদিনে। বলা হয় যে দ্রুত গতিতে হাসপাতাল তৈরির বেলায় এটা ছিল বিশ্ব রেকর্ড। একজন কর্মকর্তা ইয়াংঝং হুয়াং বলছেন, চীনে এই হাসপাতালটির মতো প্রকল্প খুব দ্রুত বাস্তবায়নের ইতিহাস আছে। বেইজিং-এর হাসপাতালাটির মতো উহানের এই হুশেনশান হাসপাতালটিও আগে থেকে তৈরি ছোট ছোট ভবন একসাথে জোড়া দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। মি. হুয়াং বলেছেন, নির্মাণ কাজ খুব দ্রুত শেষ করার জন্য সারা দেশ থেকে প্রকোশলীদের উহানে নিয়ে আসা হয়েছে। "প্রকৌশল কাজে চীন খুবই দক্ষ। পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষে এটা কল্পনা করাও কঠিন। কিন্তু এটা করা সম্ভব," - বলেন তিনি। আরো পড়তে পারেন: চার বছর পর বিএনপির হরতাল, সড়কে সীমিত যানবাহন উহানফেরত বাংলাদেশিদের কোয়ারেন্টাইনে যেমন কাটছে চীনা নাগরিকদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিত
The Chinese city of Wuhan is building a hospital in just a few days, to treat patients suspected of contracting the coronavirus.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পঞ্চাশোর্ধ ওই শিক্ষিকার নাম মার্গারেট জিসযিঞ্জার । তিনি এই অভিযোগে ক্যালিফোর্নিয়ার ভিসালিয়ার ইউনিভার্সিটি প্রিপারেটরি হাই স্কুলে তার চাকরিটিও হারিয়েছেন। কৌসুলিরা বলছেন, তিনি দোষী নন বলে দাবি করেন। তার বিরুদ্ধে শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা, প্রহারসহ ছয়টি অভিযোগ আনা হয় । যারজন্য তার সাড়ে তিন বছরের জেল হতে পারে। মিজ জিসযিঞ্জার এক লাক ডলার মুচলেকা দিয়ে শুক্রবার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন । মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও রেডিট-এ পোস্ট করা হলে তাতে দেখা যায় স্কুলটির বিজ্ঞানের শিক্ষক এক ছাত্রকে শ্রেণীকক্ষের একেবারে সামনের দিকে এসে বসতে বলেন। আরও পড়তে পারেন: 'শিক্ষার্থী কতটা অপমানিত হলে আত্মহত্যা করে?' স্কুলে কেমন শাস্তি শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার দিকে ঠেলবে না দায়ী কে - শিক্ষক না অভিভাবক? তিনি তারপর তার কয়েক মুঠো চুল কেটে দেন। ওই সময় শিক্ষার্থীরা ভুল সুরে জাতীয় সঙ্গীত গাইছিল। ছাত্রটির পক্ষের আইনজীবী সিএনএনকে বলেছেন, নিষ্কৃতি পাওয়ার আগ পর্যন্ত তার মক্কেল "সম্পূর্ণ আতঙ্কগ্রস্ত" হয়ে পড়েছিল। এরপর মিজ জিসযিঞ্জার নিজের মাথার ওপরে কাঁচি উঁচু করে ধরে এবং বলতে থাকে "এরপর!" এরপর সে কোন মেয়ে শিক্ষার্থীর চুল কাটার হুমকি দেয়। এই ঘটনার পর টুলারে কাউন্টি অফিসের শিক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তা তার বিবৃতিতে বলেন "ক্লাসরুমে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তাকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখি"।
A US teacher is facing criminal charges after footage showed her forcibly cutting a student's hair during class while singing the national anthem.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
গত বছর অক্টোবর মাসে রঞ্জন গোগৈ ভারতের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন। পঁয়ত্রিশ বছর-বয়স্ক এই নারী এক হলফনামায় গত বছর অক্টোবর মাসে ঘটা দুটি অসদাচরণের অভিযোগ করছেন। এর কিছুদিন আগেই মি. গোগৈ ভারতের প্রধান বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন। তবে এক বিবৃতিতে বিচারপতি গোগৈ এসব "ভুয়া অভিযোগ" "সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার" করেছেন। ভারতের "বিচার ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা বিনষ্ট" করার জন্যই এই অভিযোগ আনা হয়েছে বলে তিনি বলছেন। যৌন নির্যাতনের ওপর হলফ-নামাটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ভারতের আইন অনুযায়ী অভিযোগকারী নারীর পরিচয় প্রকাশ করা যায় না। হলফনামায় ঐ বিবাহিত নারী বলছেন, গত ১০ এবং ১১ই অক্টোবর মি. গোগৈ-এর বাড়ির অফিসকক্ষে নিপীড়নের ঘটনাগুলো ঘটে। ঐ হলফনামায় তিনি জানান, মি. গোগৈ "আমার কোমর জড়িয়ে ধরেন, আমার সর্বাঙ্গে হাত বুলান," এবং শরীর দিয়ে ঐ মহিলার দেহ চেপে ধরেন। ঐ নারী তখন দু'হাত দিয়ে তাকে ধাক্কা মেরে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ভবন। এরপর ঐ নারীকে তিন বার বদলি করা হয় এবং গত ডিসেম্বর মাসে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। মহিলার স্বামী এবং ভাইকেও তাদের চাকরিতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে হলফনামায় বলা হয়েছে।। কী বলছেন প্রধান বিচারপতি? মি. গোগৈ-এর তরফ থেকে প্রথম জবাব আসে সুপ্রিম কোর্টের মহাসচিবের মাধ্যমে। এতে বলা হয় "অভিযোগগুলি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা এবং কুৎসিত"। এতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির সাথে যোগাযোগের কোন সুযোগ ঐ নারীর ছিল না। শনিবার মি. গোগৈ নিজেই সুপ্রিম কোটের একটি বিশেষ বেঞ্চের সামনে এনিয়ে তার বক্তব্য দিয়েছেন। "এসব অভিযোগের জবাব দেয়ার জন্য যে নীচতা, আমি এত নীচে নামতে চাই না," তিনি বলেন, "আমি সুপ্রিম কোর্টের সব কর্মচারির প্রতি সমান শ্রদ্ধা বজায় রাখি।" আরও পড়তে পারেন: 'আমাদের সঙ্গে দাসীর মতো ব্যবহার করা হতো' 'ধর্ম অবমাননা', তোপের মুখে অস্ট্রিয়া প্রবাসী ব্লগার সাপের ভয়ে অফিস যাচ্ছেন না লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট
India's Chief Justice Ranjan Gogoi has been accused of sexual harassment by a former Supreme Court employee.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
গবেষকরা বলছেন, হরমোন থেরাপির সাথে নতুন ধরনের ঔষধের সংমিশ্রণে প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত কোনো কোনো মহিলার ক্ষেত্রে আরো বেশিদিন বেঁচে থাকা সম্ভব। হরমোন থেরাপির সাথে প্যালবোসাইক্লিব ব্যবহার করা হয়েছে এমন আক্রান্ত নারীরা অন্তত ১০ মাস বেশি বেঁচেছে যারা কেবলমাত্র হরমোন থেরাপি পেয়েছে তাদের তুলনায়। স্তন ক্যান্সারঃ চিকিৎসার ১৫ বছর পরেও ফিরে আসতে পারে বাংলাদেশেও কেন মেয়েদের মধ্যে ক্যান্সার বাড়ছে? বিশেষজ্ঞদের মতে এই পরীক্ষামূলক চিকিৎসার ফলাফল খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। কিন্তু তারা এও দেখেছেন যে, এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগটি পুরোপুরি ভালো হয়না এবং সবার ক্ষেত্রে এটি কার্যকরও নয়। প্লাসিবো নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষামূলক ক্লিনিক্যাল গবেষণায় প্যালবোসাইক্লিব প্রয়োগের সুবিধা দেখার চেষ্টা করা হয় ৫২১ জন নারীর ওপর যাদের ফ্লুভার্সট্যান্ট হরমোন থেরাপির চলছিল। তারা অস্ট্রোজেন পজিটিভ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল অর্থাৎ তাদের টিউমারে এইচইআর-২ জিন ছিলনা। বিশেষজ্ঞদের মতে এই পরীক্ষামূলক চিকিৎসার ফলাফল খুবই উৎসাহব্যঞ্জক এই অস্ট্রোজেন পজিটিভ স্তন ক্যান্সার হল ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ অবস্থা, ক্যান্সার আক্রান্ত শতকরা অন্তত ৭০ ভাগের ক্ষেত্রেই রোগটির এই অবস্থাটি দেখা যায়। লন্ডন ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটের গবেষকদের তত্ত্বাবধানে ও রয়্যাল মার্সডেন এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট মিলে করা এই গবেষণায় দেখতে চাওয়া হয়েছিল, প্যালবোসাইক্লিব আক্রান্ত নারীর সামগ্রিক বেঁচে থাকায় এবং কেমোথেরাপি বিলম্বিত করায় প্রভাব ফেলে। বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, যেসব নারীদের টিউমার আগের হরমোন থেরাপিতে ভালো সাড়া দিয়েছিল (যার সংখ্যা ৫২১ জনের মধ্যে ৪১০জন),তাদের বেঁচে থাকার সময় ১০ মাস বেড়ে গড়ে ৩৯.৭ মাসে দাড়ায়। আর যাদের ফ্লুভার্সট্যান্ট হরমোন থেরাপির সাথে প্লাসিবো হিসেবে একটি করে নির্গুণ ওষুধ দেয়া হয়েছিল তাদের বেঁচে থাকা ২৯.৭ মাস। অবশ্য যাদের ক্ষেত্রে আগে হরমোন থেরাপি কার্যকর হয়নি তারা বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারেনি। তিন বছর পর তাদের গবেষণার জন্যে আবারো যখন বিবেচনা করা হয় তখন দেখা যায় যে প্যালবোসাইক্লিব এবং হরমোন থেরাপি উভয়ই যারা ব্যবহার করেছেন তাদের বেঁচে থাকার সংখ্যাও বেশি। সেটি ৪৯.৬% যা ৪০.৮% থেকে বেশি- অর্থাৎ যাদের শুধুমাত্র ফ্লুভার্সট্যান্ট হরমোন দেয়া হয়। এই যৌথ পদ্ধতি প্রয়োগ করা নারীদের একটি অংশের ক্ষেত্রে কেমোথেরাপি দেবার সময় ৯ মাস পর্যন্ত বিলম্বিত হয়। আরো পড়ুন: সাগরের ওপর ৫৫ কি.মি. দীর্ঘ সেতু বানিয়ে ফেললো চীন মানহানির মামলায় মইনুল হোসেন গ্রেপ্তার মাসুদা-মইনুল বিতর্কে ঢুকে পড়লেন তসলিমা নাসরিন সবচেয়ে মূল্যবান সময় এই গবেষণাটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন যে প্রফেসর নিকোলাস র্টানার, তার মতে, "প্যালবোসাইক্লিবের ব্যবহার স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের জন্যে গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি।।" "এটি আক্রান্ত নারীদের তাদের প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটানোর অবকাশ বাড়িয়ে দিতে পারে। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যাভিসারী চিকিৎসা হওয়ায় অনেকের কেমোথেরাপিই এটি বিলম্বিত করেছে। অনেকেই ফিরে গেছেন স্বাভাবিক জীবনে," বলছিলেন মি. টার্নার। যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রফেসর চার্লস শ্যানটন এর ফলাফল কে 'অত্যন্ত উৎসাহ ব্যঞ্জক' বলে অভিহিত করেছেন। প্যালবোসাইক্লিব এনআইসিই-র অনুমোদন পেয়েছে ২০১৭ সালের নভেম্বরে। তবে সাম্প্রতিককাল এটি অস্ট্রোজেন পজিটিভ স্তন ক্যান্সারের নিরাময়ের লক্ষ্যেই ব্যবহার হচ্ছে। বিশেষ করে যাদের রোগটি নির্ণয়ের পরও ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রফেসর চার্লস শ্যানটন এর ফলাফল কে 'অত্যন্ত উৎসাহ ব্যঞ্জক' বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, "যদিও এক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তদের কিছু অতিরিক্ত মূল্যবান মাস বেশী লাগছে এবং একইসাথে এটি পুরোপুরি নিরাময় করেনা ও সবার ক্ষেত্রে কাজও করে না।" "সুতরাং স্তন ক্যান্সারের দুর্বল অংশের বিষয়ে আমাদের আরো বেশি করে জানতে হবে এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যতের জন্যে চিকিৎসা পদ্ধতি আরো বিকশিত করতে হবে।" ব্রেস্ট ক্যান্সার নাউ এর প্রধান নির্বাহী ডেলিথ মর্গানের মতে এই গবেষণা "রোমাঞ্চকর" হলেও আরো পরীক্ষা নিরীক্ষার দাবি রাখে। প্রথম নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন-এ এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয় এবং তা পরিবেশন করা হয় জার্মানির মিউনিখে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব মেডিসিন অনকোলজি কংগ্রেসে। এ নিয়ে লেডি মর্গানের মত হলো যে, সমন্বিত চিকিৎসা পদ্ধতির সংস্কারের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই প্যালবোসাইক্লিব ও ফ্লুভার্সট্যান্ট হরমোন থেরাপির সমন্বিত প্রয়োগ।
Combining a pioneering drug with hormone therapy may extend the survival of some women with advanced breast cancer, a trial suggests.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
২০০৪ সালে আদালতে শুনানির পর ক্যাথলিন ফলবিগ এরপর মনে করুন আপনার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে যে, আপনি সব কটি সন্তানকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেছেন। চারটি ভয়ানক অপরাধের দায়ে আপনাকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, যে অপরাধ আপনি করেননি। আপনার প্রতিক্রিয়া কেমন হবে? অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের হান্টার ভ্যালি এলাকার একজন মা ক্যাথলিন ফলবিগের প্রায় ১৮ বছর আগের অপরাধ নিয়ে এখন এরকম ভাষ্যই শোনা যাচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানাচ্ছেন সিডনি থেকে সংবাদদাতা কোয়েন্টিন ম্যাকডারমট। ক্যাথলিনকে ২০০৩ সালে খুনের মামলায় "অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে দুধর্ষ নারী সিরিয়াল খুনি" বলে আখ্যা দেয়া হয়েছিল। তার চার সন্তানকেই তিনি হত্যা করেছিলেন বলে দোষী সাব্যস্ত হন এবং তিরিশ বছরের কারাদণ্ডের ১৮ বছর সাজা তিনি ইতোমধ্যেই খেটেছেন। কিন্তু এতদিন পর বিজ্ঞানীরা নতুন যেসব তথ্য নিয়ে এসেছেন তাতে এই মামলার রায় সঠিক কি না তা নিয়ে বড় ধরনের সন্দেহ দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে ৯০জন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ একটি পিটিশনে সই করে মিজ ফলবিগকে ক্ষমা প্রদর্শনের এবং তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেবার আবেদন জানিয়েছেন। স্বাক্ষরদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন দুজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, বর্ষসেরা অস্ট্রেলীয় খেতাব পাওয়া দুই ব্যক্তি, একজন প্রধান বিজ্ঞানী এবং অস্ট্রেলীয় এ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জন শিন। তিনি বলেছেন: "এই মৃত্যুর ঘটনাগুলোতে এখন যেসব বৈজ্ঞানিক এবং চিকিৎসাগত তথ্যপ্রমাণ দেখা যাচ্ছে, তাতে এই আবেদনে স্বাক্ষর করাটাই যৌক্তিক মনে করছি।" মিজ ফলবিগকে যদি মুক্তি দেয়া হয়, তাহলে এটি হবে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে ভুল বিচারে শাস্তিপ্রদানের সবচেয়ে খারাপ দৃষ্টান্ত। ২০০৩ সালে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার শুনানিতে ক্যাথলিন ফলবিগ (বামে) পিটিশনে কী আছে? এই পিটিশনে বিজ্ঞান এবং আইনের মধ্যে ব্যাখ্যায় যে বিশাল ফারাক রয়েছে তা উঠে এসেছে। মিজ ফলবিগের রায়ের বিরুদ্ধে বেশ কয়টি আপিল করা হয়েছিল। তাকে দোষী সাব্যস্ত করে দেয়া রায় ২০১৯ সালে যখন পুনঃবিবেচনা করা হয় তখনও অস্ট্রেলিয়ার আইনজীবীরা রায় দেন যে, তার দোষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তারা পরিস্থিতিগত তথ্যপ্রমাণ এবং মিজ ফলবিগের সেসময়কার একটি ডায়রিতে লিপিবদ্ধ কিছু ধোঁয়াটে তথ্যের ওপরই মূলতঃ জোর দেন। "ফলে আইনজীবীদের সামনে একটা মাত্র সিদ্ধান্তে পৌঁছনর রাস্তাই খোলা ছিল যে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে সন্তানদের ক্ষতি করেছেন এবং তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করাটাই ছিল এক্ষেত্রে একমাত্র পদ্ধতি," বলছেন সেসময় মামলার নেতৃত্বদানকারী সাবেক বিচারক রেজিনাল্ড ব্লাঞ্চ। "তথ্যপ্রমাণ যা ছিল তাতে মিজ ফলবিগ ছাড়া আরও কারোর পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব ছিল না।" নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশের সরকার জনগণকে দু বছর আগে আশ্বস্ত করে যে, "সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হয়েছে, তদন্তে কোন ফাঁক রাখা হয়নি।" কিন্তু বিজ্ঞানীরা জোরেসোরে বলতে শুরু করেছেন যে, তাকে দোষী প্রমাণ করার পেছনে যথেষ্ট সন্দেহের কারণ রয়েছে। "বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তা উপেক্ষা করা যায় না," বলেন মানবদেহের জিন বিশেষজ্ঞ গবেষক অধ্যাপক জোসেফ গেয। শিশু ও জন স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষক অধ্যাপক ফিয়োনা স্ট্যানলি বলেন: "চিকিৎসাগত ও বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণকে এই মামলায় অগ্রাহ্য করা হয়েছে এবং বিজ্ঞানকে ছাপিয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে পরিবেশ ও পরিস্থিতিগত তথ্যের ওপর। ফলবিগ সন্তানদের মৃত্যুর ব্যাপারে আমাদের হাতে বিকল্প ব্যাখ্যা রয়েছে।" আরও পড়তে পারেন: ক্যাথলিন ফলবিগের কারাদণ্ডাদেশের পর তার স্বামী ক্রেগ ফলবিগ সাংবাদিকের সাথে কথা বলেন - ২৪শে অক্টোবর ২০০৩ কী সেই ব্যাখ্যা? তারা বলছেন ক্যাথলিন ফলবিগের শরীরে জিনগত একটি পরিবর্তন হয়েছিল যে পরিবর্তন বংশগতভাবে তার দুই মেয়ে সারা ও লরার শরীরে যায় আর সে কারণেই মেয়ে দুটির মৃত্যু ঘটে। ক্যাথলিনের শরীরে জিনের আরেক ধরনের পরিবর্তন হয়, যা ধরা পড়েছে তার দুই ছেলে ক্যালেব এবং প্যাট্রিকের ক্ষেত্রে, যা তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে তারা মনে করছেন, যদিও এই পরিবর্তনটি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে বিজ্ঞানীরা স্বীকার করেছেন। মিজ ফলবিগের দুই কন্যা সন্তানের দেহে পরিবর্তিত এই জিন ২০১৯ সালে প্রথম আবিষ্কার করেন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভাসির্টির ইমিউনোলজি এবং জিনোমিক মেডিসিনের অধ্যাপক ক্যারোলা ভিনুয়েসা এবং তিনিই এই মিজ ফলবিগের মুক্তির দাবিতে এই আবেদনের পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি। তিনি বিবিসিকে বলেন, "পরিবর্তিত এই নতুন ধরনের জিন কারো শরীরে এর আগে আবিষ্কৃত হয়নি। ক্যাথলিনের শরীর থেকে এই জিন তার দুই মেয়ের শরীরে গেছে," তিনি বলেন। "ক্যালএমটু (CALM2) নামে এই জিন থেকে আকস্মিকভাবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে।" এই জিন সম্পর্কে আরও গবেষণা চালান অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা এবং আমেরিকার বিজ্ঞানীরা এবং গত নভেম্বরে তাদের গবেষণার তথ্য চিকিৎসা বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশ পায়। মিজ ফলবিগের দুই কন্যা সন্তানের দেহে পরিবর্তিত জিন ২০১৯ সালে প্রথম আবিষ্কার করেন অধ্যাপক ক্যারোলা ভিনুয়েসা ডেনমার্কের বিজ্ঞানীরা মিজ ফলবিগের শরীরে পাওয়া এই জিনের প্রভাব পরীক্ষা করে দেখতে পান যে এটি বেশ মারাত্মক ধরনের এবং এই জিন যে কোন সময়ে আকস্মিকভাবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ করে দিতে পারে এবং ছোট শিশুরা ঘুমের মধ্যে এর শিকার হয়ে মারা যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন মিজ ফলবিগের দুই কন্যা সন্তানেরই মারা যাবার আগে প্রদাহ হয়েছিল এবং তারা মনে করছেন ওই প্রদাহের কারণে দুই শিশুর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন মিজ ফলবিগের দুই পুত্রসন্তানের শরীরেও বিরল একধরনের জিন পাওয়া গেছে। ইঁদুরের ওপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে এই জিন থেকে খুব শিশু বয়সে দুরারোগ্য মৃগী রোগ হতে পারে যার থেকে মৃত্যু অনিবার্য। জিন বিষয় এই গবেষণার ফলাফল থেকে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন মিজ ফলবিগের চারটি সন্তানই স্বাভাবিক কারণে মারা গেছে। মেলবোর্নের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক স্টিফেন কর্ডনার ২০১৫ সালে এই শিশুদের ময়না তদন্তের রিপোর্ট নতুন করে পর্যালোচনা করে মত দিয়েছিলেন যে, এই শিশুদের খুন করার কোন আলামত তাদের শরীরে নেই। তাদের দম বন্ধ করার কোন লক্ষণও শিশুদের শরীরে ছিল না। তিন বছর পর, ২০১৮ সালে আরেকজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ- ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ম্যাথিউ অর্ড অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে বলেন, "অধ্যাপক কর্ডনারের সাথে আমি একমত যে এই চারজন শিশুর প্রত্যেকেরই যে স্বাভাবিক কারণে মৃত্যু হয়েছে তার স্বপক্ষে ব্যাখ্যা রয়েছে। মিজ ক্যাথলিন ফলবিগের ভাগ্য এখন নির্ভর করছে এই পিটিশনের ফল কী হয় তার ওপরে। নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি আপিল আদালতে সম্প্রতি তার আরেকটি আবেদনের শুনানি হয়েছে। মিজ ফলবিগ প্রথম থেকেই দাবি করে আসছেন তিনি নির্দোষ।
Imagine for a moment what it must feel like if, as a mother, you give birth to four children, one after another, each of whom, as infants, dies from natural causes over a 10-year period.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ভারতের উত্তরাখণ্ডে হিমবাহে বাঁধ ভেঙে গেছে। (ফাইল ছবি) উত্তরাখণ্ড রাজ্যের একটি উপত্যকা দিয়ে বাঁধ ভেঙে ব্যাপক হারে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। নিখোঁজদের বেশিরভাগই ওই এলাকার দুটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। হতাহতদের উদ্ধারে সহায়তার জন্য দুর্গত অঞ্চলে দেশটির সেনা, আধাসামরিক বাহিনীর কয়েকশ সদস্য ও সামরিক হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ঘটনাটি তদন্ত করছেন যদিও এটি হিমবাহ ধসের কারণে হয়েছে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। কর্তৃপক্ষ বলছে যে এ পর্যন্ত ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার এক টুইট বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন যে তিনি উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, "প্রতিনিয়ত কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলছি এবং উদ্ধারকর্মীদের মোতায়েন, উদ্ধার কাজ এবং ত্রাণ কার্যক্রমের ব্যাপারে আপডেট নিয়ে যাচ্ছি।" "ভারতবাসী উত্তরাখণ্ডের পাশে আছে এবং সেখানকার সবার সুরক্ষার জন্য তারা প্রার্থনা করছে।" বিশ্বজুড়ে নেতারাও নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, "আমরা ভারতের জনগণ এবং উত্তরাখণ্ডের উদ্ধারকর্মীদের সাথে রয়েছি, যারা হিমবাহ ধসের ফলে ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলায় কাজ করছে।" "ভারতের প্রতি যুক্তরাজ্য সংহতি জানিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় যে কোনও সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।" আরও পড়তে পারেন: উত্তরের পাঁচটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে ভারতে হিমবাহ ধসে ভেসে গেল বিদ্যুৎকেন্দ্র, বহু হতাহতের আশঙ্কা বরফ জমিয়ে হিমালয়ের জল সঙ্কট মোকবেলা সম্ভব? পাহাড়ি ভূমিধ্বস। উত্তরাখণ্ড পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে এই হিমবাহ ধসের ঘটনা ঘটে এবং ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নামে বাঁধটি ভেসে যায়। প্রবল পানির তোড়ে তপোবন অঞ্চলের ধৌলি গঙ্গা নদীর তীরে গড়ে ওঠা আরেকটি বিদ্যুৎ প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একজন প্রত্যক্ষদর্শী এই ভয়াবহ বন্যাকে বলিউড সিনেমার দৃশ্যের সাথে তুলনা করেছেন। ভিডিওতে দেখা গেছে যে বন্যার পানিতে ওই অঞ্চল পুরো তলিয়ে গেছে। যেদিকে বন্যার পানি যাচ্ছে সব ধ্বংস করে ফেলছে। জরুরি কর্মীরা এর আগে বহু গ্রামবাসীকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছিল, কর্তৃপক্ষ পরে জানায় যে বন্যার মূল বিপদটি কেটে গেছে। জরুরি উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসাবশেষের নীচে সুড়ঙ্গের ভেতরে আটকা পড়া ১৬ জন শ্রমিককে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে, প্রায় ৩০ জন মানুষ একটি সুড়ঙ্গে আটকা পড়েছে এবং জরুরি উদ্ধারকর্মীরা তাদের উদ্ধারের জন্য রাত জেগে কাজ করছিল। উত্তরাখণ্ড, পশ্চিম হিমালয়ের কয়েকটি এলাকা বন্যা এবং ভূমিধসের ঝুঁকিতে রয়েছে। কয়েক দশকের সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভয়াবহ বন্যায় ২০১৩ সালের জুনে অন্তত ৬০০০ মানুষ মারা গিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। রবিবারের এই বিপর্যয়ের পরে পরিবেশবাদীরা এমন একটি সংবেদনশীল পাহাড়ি এলাকায় বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ কতোটা যৌক্তিক হয়েছে সেটা পর্যালোচনার আহ্বান জানায়। "পাহাড়ি এলাকার নদী অববাহিকায় এ ধরণের হিমবাহ ধস সাধারণ ঘটনা" উত্তরাখণ্ড স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের পরিচালক এম.পি.এস. বিশত সংবাদ সংস্থা এএফপিকে এ কথা বলেন। "এই অঞ্চলে বিশাল ভূমিধসের ঘটনাও প্রায়শই ঘটে থাকে" সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী উমা ভারতী বলেছেন যে, তিনি এর আগে সরকার থাকাকালীন গঙ্গা ও তার শাখা নদীতে বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
Dozens of people are missing and feared dead after a piece of a Himalayan glacier fell into a river and triggered a huge flood in northern India.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
চীন সামরিক সরঞ্জামের আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে বেশী এগিয়েছে নৌ এবং বিমান বাহিনীর ক্ষেত্রে লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-আইআইএসএস এর বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, নিজস্ব সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে ওয়াশিংটন যেমনটি ভেবেছিল সেই মাত্রা অনেকটাই ছাড়িয়ে গেছে চীন এবং রাশিয়া। এর মধ্যে চীন তার সামরিক সরঞ্জামের আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে বেশি এগিয়েছে বিশেষ করে নৌ এবং বিমান বাহিনীর ক্ষেত্রে। আইআইএসএস-এর ১৯৫৯ সালের বৈশ্বিক বিবেচনায় সামরিক দক্ষতা এবং প্রতিরক্ষা ব্যয়ের বার্ষিক মূল্যায়নকে কেন্দ্র করে, এই সামরিক ভারসাম্য বিবেচনা করা হয়েছে। অবশ্য সামরিক ক্ষেত্রে চীনের রূপান্তর এক সময়ে খুব বেশি হয়নি। তবে এখন অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য হারে চীনের সামরিক সমৃদ্ধি এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে তাকে ওয়াশিংটনের নিকট প্রতিদ্বন্দ্বীই বলা যেতে পারে। আরও পড়ুন: চীন-আমেরিকা বাণিজ্য যুদ্ধ, জিতবে কে? বাংলাদেশ-মিয়ানমার সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা? প্রতিবেশীদের তুলনায় বাংলাদেশের সামরিক ব্যয়ের চিত্র ভারসাম্যের গতি পরিবর্তন? গত সপ্তাহের শেষ দিকে 'দ্য মিলিটারি ব্যাল্যান্স ২০১৮' বা ২০১৮ সালের বার্ষিক সামরিক ভারসাম্য প্রতিবেদন প্রকাশের পর আইআইএসএস-এর কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলেছেন বিবিসির প্রতিবেদক। প্রতিবেদনটিতে তিনি বিভিন্ন পরিসংখ্যান এবং সংক্ষিপ্তসার থেকে আরো বিস্তারিত বোঝার চেষ্টা করেছেন যে বিশ্বের সামরিক শক্তির উত্থানের গতি প্রকৃতি। অতি দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বা আলট্রা লং রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল থেকে শুরু করে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধ বিমান- এসবের উদ্ভাবন চীনের অগ্রগতি এবং অসাধারণ প্রযুক্তিগত ক্ষমতারই প্রকাশ। একটি সশস্ত্র চীনা ড্রোন বিমান মার্কিন ভাবনারও সীমা ছাড়িয়ে গেছে চীন গত বছর টাইপ-৫৫ ক্রুজার- ছিল তাদের বহরে সংযোজিত সর্বশেষ যুদ্ধ জাহাজ- যা কিনা ন্যাটো-র অন্তর্ভুক্ত যে কোনো নৌ বাহিনীর জন্যেই ভাবনার বিষয় হতে পারে। এখন চীন কাজ করছে এমন একটি বিমানবাহী রণতরী নিয়ে, যা কিনা সবধরনের সুযোগ সুবিধা নিয়ে যুগ্ম সামরিক সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। অস্ত্রশস্ত্র, বিমান প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে পদাতিক আক্রমণের সবধরনের ব্যবস্থাই রয়েছে তাতে, ঠিক যেমনটি যুক্তরাষ্ট্রেরও রয়েছে। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে চীন রাশিয়ার কাছ থেকে উন্নত সামরিক প্রযুক্তি পেয়েছিল। সেটি তাদের সহায়তা করে নৌ আর বিমান বাহিনীকে শক্তিশালী করতে। এখন বেশি আলোচনায় আছে চীনের ফিফথ জেনারেশন ফাইটার বা পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। যাতে কিনা রয়েছে 'স্টেলথ প্রযুক্তি', যার ফলে এটির সুপারসনিক বা শব্দের চেয়ে বেশি গতি সম্পন্ন এবং অতি সূক্ষ্ম বিমান প্রযুক্তি দিয়ে নির্মিত। তবে ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-এর বিশেষজ্ঞদের এ নিয়ে কিছু সন্দেহ রয়েছে। তাদের একজনের মতে, "নিচ দিয়ে উড়ে যেতে সক্ষম এমন বিমান চালানোর ক্ষেত্রে চীনা বিমান বাহিনীর এখনো উপযুক্ত কৌশলে উন্নতি করতে হবে। সেই সাথে চতুর্থ প্রজন্মের বিমানের প্রযুক্তির আরো কিছু সংমিশ্রণ ঘটাতে হবে এই পঞ্চম প্রজন্মের বিমানে"। থাই সেনাবাহিনী ব্যবহার করছে চীন নির্মিত এই ট্যাংক তারপরও এক্ষেত্রে চীনের অগ্রগতি সুস্পষ্ট বলেই মত দেন তিনি। বিশেষ করে এয়ার টু এয়ার বা বিমান থেকে বিমানে আঘাত করে এমন ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে এটি যেকোনো পশ্চিমা শক্তির সাথে পাল্লা দিতে পারে বলেই মনে করেন সেই সামরিক বিশেষজ্ঞ। শীতল যুদ্ধের শেষে এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র অনেক বেশি এগিয়ে থাকলেও চীন এখন সে অবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে আইআইএসএস-এর বিশ্লেষণ। বিশেষ করে চীনের দূর পাল্লার এয়ার টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা তাকে সে অবস্থায় নিয়ে এসেছে। আইআইএসএস-এর 'মিলিটারি ব্যাল্যান্স' এর রচয়িতা বলছেন যে ২০২০ সাল পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে চীন এই ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন ঘটিয়ে যাচ্ছে। তবে আধুনিকায়নের হিসেবে পিছিয়ে আছে চীনের পদাতিক বাহিনী। চীনা সামরিক বাহিনী ব্যবহৃত অন্তত অর্ধেক সমরাস্ত্রকে আধুনিক হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। তবে সেখানেও থেমে নেই চীন। ২০২০ সাল পর্যন্ত উন্নয়নের একটি লক্ষ্যমাত্রা ধরে তারা 'যান্ত্রিক' এবং 'তথ্যগত' বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। চীন এসব সমরাস্ত্রের উন্নতি করে যাচ্ছে স্পষ্টতই একটি কৌশলকে সামনে রেখেই। সমরবিদ্যার ভাষায় একে বলা যায় 'এন্টি এক্সেস এরিয়া ডিনায়াল', এতে চীনের লক্ষ্য মার্কিন বাহিনীকে যতটা সম্ভব তার ভূমি থেকে দূরে রাখা। সেই কৌশলকে মাথায় রেখেই দূর পাল্লার বিমান হামলা ও নৌ বাহিনীর সক্ষমতা বাড়িয়ে যাচ্ছে চীন, যা কিনা মার্কিন রণতরীকে প্রশান্ত মহাসাগরের দূরবর্তী স্থানেই প্রতিহত করতে পারে। চীন কেবলমাত্র সমরাস্ত্রের উন্নতি ঘটিয়েই প্রবল পরাশক্তি হচ্ছে না। অস্ত্র রপ্তানির বাজারেও চীনের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা তাৎপর্যপূর্ণ। মানববিহীন যুদ্ধবিমান যা ড্রোন নামেই বেশি পরিচিতি পেয়েছে তার বাজারের হিসেবই যদি করা যায়। যুক্তরাষ্ট্র যদিও সবার আগে একে বিশ্বে পরিচিত করে তোলে। আর তাদের তৈরি এসব মানববিহীন যুদ্ধবিমান বিক্রিতেও মার্কিনীরা কেবল বেছে নেয় খুব কাছের মিত্রদের যেমন যুক্তরাজ্য বা ফ্রান্স। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: যেসব কারণে গাঁজা বৈধ করতে যাচ্ছে ক্যানাডা বিচার-বহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে সরকারপন্থী ১০ বুদ্ধিজীবী রোজার সময় ঋতুস্রাব নিয়ে নারীদের লুকোচুরি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে দ্যা পিপলস লিবারেশন আর্মির তবে চীনের এমন কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। 'মিলিটারি ব্যাল্যান্স'-এর তথ্য মতে চীনের তৈরি সশস্ত্র মানববিহীন যুদ্ধ বিমান কিনেছে মিশর, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে শুরু করে মিয়ানমার পর্যন্ত। অস্ত্র বাণিজ্যের দিক থেকে চীন এখন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে উদীয়মান হুমকি। বিশ্লেষকদের মতে, চীন যেসব অস্ত্র বিক্রি করে সেগুলো পশ্চিমা অস্ত্রের অন্তত ৭৫ ভাগ সক্ষমতা সম্পন্ন, কিন্তু দাম সেগুলোর প্রায় অর্ধেক, বাণিজ্যের বিচারে যা আসলে অবশ্যই খুবই লাভজনক পরিস্থিতি। স্থলযুদ্ধের সমরাস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে অবশ্য চীন এখনো কিছুটা পিছিয়ে। তাদের এখনো রাশিয়া বা ইউক্রেনের অস্ত্রের ক্রেতাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে। তবে ২০১৪ সালে কিয়েভ যখন থাইল্যান্ডে তাদের ট্যাঙ্ক বিক্রি করতে ব্যর্থ হলো তখন সেই বাজার দখল করলো চীনের ভিটিফোর ট্যাঙ্ক। আইআইএসএস-এর বিশ্লেষকদের মতে চীন এখন আফ্রিকার কিছু দেশের কথা মাথায় রেখে ট্যাঙ্ক তৈরি করছে। যেখানে রাস্তাঘাট খুব উন্নত নয়- সেসব দেশের জন্যে হালকা ওজনের ট্যাঙ্ক বানানোর চেষ্টা চলছে। চীনের অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ভাবন কেবল তাদের প্রতিবেশীদেরই নয়, অন্য অনেক দেশকেই এখন চিন্তায় ফেলছে। পশ্চিমা দেশগুলো বিমান যুদ্ধের প্রযুক্তি আর সক্ষমতার দিক দিয়ে অন্তত তিন দশক আধিপত্য বিস্তার করে আসলেও এখন চীনের কৌশল সেটিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে। চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করা চীনের সামরিক প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম ক্রেতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতার বাড়িয়ে তুলছে। একটি পশ্চিমা ইউরোপীয় দেশকে হয়তো কখনো চীনের সাথে সরাসরি যুদ্ধ করতে হবে না। তবে অন্যদের হাতে অত্যাধুনিক চীনা অস্ত্রের মুখোমুখি হয়তো তাদের হতেই পারে।
China's modernisation of its armed forces is proceeding faster than many analysts expected.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
অনেকে বলছেন ভোট বাড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। ফেব্রুয়ারি মাসে এই জল্লাদ পদের জন্য বিজ্ঞাপন দেয়া হলে ১০০টির বেশি আবেদন পরেছিল। বিজ্ঞাপনে প্রার্থীদের 'শক্তিশালী নৈতিক চরিত্র' থাকতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিলো। আরো পড়ুন: মৃত্যুদণ্ড: বিশ্বের কতগুলো দেশে এখনো চালু আছে সমকামিতার জন্য মৃত্যুদণ্ড: পিছু হটলো ব্রুনেই ইমাম ছাড়াই আ্যালাবামার মুসলিম বন্দীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর? বিজ্ঞাপনে আরও বলা ছিল যোগ্য প্রার্থীকে 'মানসিকভাবে শক্ত' হতে হবে এবং ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী শুধুমাত্র শ্রীলংকান পুরুষরাই এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলা হয়েছে তারপরও দুইজন নারী ও দুইজন মার্কিন নাগরিক আবেদন করেছিলেন। অবশেষে দুইজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যাদের দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির কারা কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র। দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড বিরোধীরা এর প্রতিবাদ করছেন। পাঁচ বছর আগে দেশটির সর্বশেষ জল্লাদ ফাঁসির বেদী দেখার পর পদত্যাগ করেছিলেন। গত বছরও একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো কিন্তু তিনি ভয়ে কাজেই আসেননি। যে কারণে হঠাৎ এই নিয়োগ দেশটিতে ১৯৭৬ সালের পর থেকে আর কোন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি। ওই বছর থেকে দেশটিতে কোন অপরাধের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিষয়টি স্থগিত রাখা হয়েছিলো। কিন্তু এখন সেই স্থগিতাদেশ শেষ হচ্ছে চারটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মাধ্যমে। এই জল্লাদদের নিয়োগের পরই দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা ঘোষণা দিয়েছেন যে মাদক ব্যাবসার সাথে জড়িত ওই চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। কেন মৃত্যুদণ্ড প্রথা আবার চালু করছে শ্রীলংকা? শ্রীলংকায় খুন, ধর্ষণ এবং মাদক কারবারিদের জন্য শাস্তি হল মৃত্যুদণ্ড। ১৯৭৬ সালের পর মৃত্যুদণ্ড প্রথা আবার চালু করছেন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। কিন্তু শাস্তি ঘোষণা করা হলেও ১৯৭৬ সালের পর থেকে কোন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়না। প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা বলছেন, দেশটিতে মাদক কারবারিদের মোকাবেলা করতেই মৃত্যুদণ্ড প্রথা আবার চালু করা হচ্ছে। এই বছরের শেষের দিকে দেশটিতে নির্বাচন রয়েছে। রাজনীতির বিশ্লেষকরা বলছেন, এর ফলে তার ভোট বেড়ে যেতে পারে। প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা বলেছেন, "আমি মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেছি। তাদেরকে এখনো জানানো হয়নি। আমরা এখনি তাদের নামও ঘোষণা করতে চাইনা কারণ তাতে কারাগারে অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে।" তিনি বলছেন শ্রীলংকায় দুই লাখের মতো মাদকাসক্ত ব্যক্তি রয়েছে এবং কারাগারে যারা সাজা ভোগ করছেন তাদের ৬০ শতাংশই মাদকদ্রব্য সম্পর্কিত ঘটনার সাথে জড়িত। মৃত্যুদণ্ড প্রথা আবার চালু করার সিদ্ধান্তের পর অবশ্য পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনার শিকার হচ্ছে শ্রীলংকা। অন্যান্য খবর: সড়ক দুর্ঘটনা: হাসপাতালে নেয়ার পথে এত মৃত্যু কেন? প্লাস্টিক ব্যাগের বাচ্চাটিকে নিতে আগ্রহী শত পরিবার লন্ডনে এসে যেভাবে খুনি হয়ে উঠলো খুরাম বাট
Sri Lanka has recruited two hangmen as it prepares to carry out four executions - the first in 43 years.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
কারাগরের আঙ্গিনায় বন্দী তাতিয়ানা কোরেইয়া দ্যা লিমা। "আয়নায় নিজেকে দেখে এত অদ্ভুত লাগছিল! দেখে চিনতেই পারছিলাম না।" বলছিলেন ২৬-বছর বয়সী লিমা। বারো বছরের সাজা মাথায় নিয়ে দুই সন্তানের এই মা জেল খাটছেন। ব্রাজিলে কারাবন্দীর মোট সংখ্যা বিশ্বের চতুর্থ। কারাগারের ভেতরের শোচনীয় অবস্থা নিয়ে প্রায়ই তুমুল আলোচনা চলে। পাশাপাশি রয়েছে ধারণ ক্ষমতার বেশি বন্দী এবং কারাগারের ভেতরে গুণ্ডা দলের দৌরাত্ম্য, মাঝে মধ্যেই যা থেকে দাঙ্গা হাঙ্গামা তৈরি হয়। লিমাকে মূল কারাগার থেকে সরিয়ে ইটুয়ানার যে কারাগারে নেয়া হয়েছে সেটি পরিচালনা করে 'অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্যা প্রোটেকশন অ্যান্ড অ্যসিসটেন্স টু কনভিক্টস (এপ্যাক) নামে একটি সংস্থা। গার্ডবিহীন জেলখানা ব্রাজিলে অন্য কারাগারের চেয়ে এই কারাগারটি একেবারেই ভিন্ন। এখানে নেই কোন কারারক্ষী। নেই কোন অস্ত্র। মূল কারাগারে যেখানে বন্দীদের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট পোশাক, সেখানে এই কারাগারটিতে লিমা তার নিজের কাপড়ই পরতে পারেন। তার সেলে রয়েছে আয়না, মেকআপ করার সরঞ্জাম। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: আমিরাতের বিপুল অর্থ সাহায্য ফিরিয়ে দিচ্ছে দিল্লি ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি সংঘাতের মূলে যে দশটি প্রশ্ন বিশ্বের সবচেয়ে নিঃসঙ্গ মানুষের গল্প তাতিয়ানা এবং তার বান্ধবী ভিভিয়েন বলছেন, আগের কারাগার তাদের 'নারীত্ব কেড়ে নিয়োছিল'। ব্রাজিলের কারা সঙ্কটের পটভূমিতে এপ্যাক পরিচালিত কারাগারগুলি অনেক বেশি নিরাপদ, সস্তা, এবং মানবিক বলে স্বীকৃতি পাচ্ছে। গত ২০শে মার্চ ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলের রনডোনিয়া এলাকায় এপ্যাক পরিচালিত একটি কারাগারের উদ্বোধন করা হয়। সারা দেশে এধরনের ৪৯টি কারাগার রয়েছে। এখানে যে ধরনের বন্দীদের আনা হয় তাদের বেশিরভাগই আসে মূল কারা ব্যবস্থা থেকে। এরা যে তাদের অপরাধের জন্য অনুশোচনা করছেন সেটা তাদেরকে প্রমাণ করতে হয়। নিয়মিত শ্রম দেয়া এবং শিক্ষা গ্রহণ করার ব্যাপারে এই কারাগারের যেসব নিয়মকানুন রয়েছে তা কঠোরভাবে পালন করা হয়। কারাগারে রয়েছে 'কনজ্যুগাল সুইট', যেখানে রয়েছে ডাবল বেড খাট। দেখা করতে আসা স্বামীদের সাথে বন্দীরা এখানে 'ঘনিষ্ঠ সময়' কাটাতে পারেন। কারাগারের একপাশে গিয়ে দেখা গেল নারীরা সাবানের বোতলে লেবেল লাগাচ্ছেন। বন্দীদের তৈরি এই তরল সাবান বাইরে বিক্রি করা হবে। প্রথম এপ্যাক কারাগার স্থান করা হয় ১৯৭২ সালে। একদল ক্যাথলিক খ্রিস্টান এটি তৈরি করেছিলেন। এখন এভিএসআই ফাউন্ডেশন নামে ইতালির একটি এনজিও এবং ব্রাজিলের সাবেক কারাবাসীদের একটি প্রতিষ্ঠান এর অর্থায়ন করে থাকে। ব্রাজিলের মূল কারাগারগুলিতে দাঙ্গা ফ্যাসাদ নিয়মিত ঘটনা। এভিএসআই ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি জ্যাকোপো সাবাতিয়েলো বলছেন, তাদের কারাগারের মূল নীতি হচ্ছে কঠোর পরিশ্রম এবং অন্যের প্রতি ভালবাসা। "আমরা সব বন্দীকে তাদের নাম ধরে ডাকি। নাম্বার দিয়ে কোন বন্দীর পরিচয় দেই না।" শুশ্রূষা এই কারাগারের বন্দীদের ডাকা হয় 'রিকুপারেন্দোস' নামে অর্থাৎ যাদের আরোগ্যলাভের প্রক্রিয়া চলছে। এক্যাপ বন্দীদের পুনর্বাসনের দিকে জোর দিয়ে থাকে। বন্দীদের সারাদিন ধরে কাজ এবং পড়াশুনা করতে হয়। কখনও কখনও স্থানীয় লোকজনের সাথে কাজ করতে হয়। কোন বন্দী পালানোর চেষ্টা করলে মূল কারা ব্যবস্থার হাতে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। মি. সাবাতিয়েলো বলছেন, এপ্যাকের কারাগারে মারামারির দু'একটা ঘটনা ঘটলেও খুন রাহাজানির মতো কোন বড় অপরাধের নজির নেই। তিনি বলছেন, কারাগারে কোন রক্ষী না থাকায় উত্তেজনা কম থাকে। এখানে কিছু নারী রয়েছেন যারা যাবজ্জীবন সাজা খাটছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ ভায়াবহ অপরাধ ঘটিয়েছেন। "আমি এখনও আমার পুরনো বন্দী সংখ্যা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছি," বলছেন আগিমারা পাত্রিসিয়া সিলভিয়া কাম্পোস। মাদক চোরাচালানের দায়ে মূল কারাগারে তাকে চার মাস কাটাতে হয়েছিল। "আমাদের গাদাগাদি করে থাকতে হতো। ছোট একটা ঘরে ২০ জন বন্দী। ঘুমাতে হতো নোংরা তোষকের ওপর," বলছিলেন তিনি, "আর যে খাবার দেয়া হতো তা মুখে তোলার মত ছিল না।" এপ্যাক কারাগরের দেয়াল লিখন: ভালবাসা ত্যাগ করে কেউ পালায় না। তার সাথে দেখা করতে আসা আত্মীয়দের নগ্ন করে তল্লাশি করা হতো বলে তিনি জানালেন। কাম্পোস যে পরিবেশের কথা বলছেন তা ব্রাজিলের কারা ব্যবস্থার একটা বড় সঙ্কটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রাজিলে প্রায়ই নারীদের কারাগারে যেতে হয় তার পুরুষ সঙ্গীর অপরাধের জন্য। এরপর দাগী আসামীদের মধ্যে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। অনেকেই কারাগারের মধ্যেই অপরাধের তালিম নেন। "আমি যখন জেলে যাই, তখন এই ধরনের অপরাধ সম্পর্কে আমার কোন ধারনাই ছিল না," বলছেন কাম্পোস, "আমার পাশে যে মহিলা ঘুমাতো সে তার প্রতিবেশীর মাথা কেটে ফেলেছিল। এবং সেই কাটা মাথা একটি সুটকেসে ভরে রেখেছিল।" দুই সন্তানের জননী এখন আট বছরের জেল খাটছেন। ব্রাজিলের একজন বিচারক আন্তোনিও দ্যা করাভালহো বলছেন, মূল কারা ব্যবস্থায় কাজ এবং শিক্ষার মাধ্যমে দণ্ড কমানোর প্রথা থাকলেও এটা প্রয়োগ করা হয় সামান্যই। তিনি এপ্যাক কারা ব্যবস্থার একজন সমর্থক। "মূল কারা ব্যবস্থার বর্তমান হাল খুব দু:খজনক। ব্রাজিলের বিচার ব্যবস্থার মধ্যে থেকে বন্দীর মানবাধিকার রক্ষা করতে চাইলে এপ্যাক ব্যবস্থাই সবচেয়ে কার্যকারী," তিনি বলেন। আরও পড়তে পারেন: অং সান সূ চির অভিযোগে 'হতাশ' বাংলাদেশ কোরবানির 'সেলফি' নিষিদ্ধ ভারতের উত্তরপ্রদেশে করণজিৎ কৌরই কি আসল সানি লিওন? গরাদের আড়ালে যে প্রেম তাতিয়ানা কোরেইয়া দ্যা লিমা যখন এপ্যাক কারাগারে ঢোকেন তখন তার সুযোগ সুবিধে ছিল কম। জেলের মধ্যে স্বাধীনতা ভোগ করতে হলে তাকে সেই সুবিধে অর্জন করতে হবে। এটা সব নতুন কারাবন্দীর জন্য প্রযোজ্য। কোন একজন বন্দী যখন ধাপে ধাপে অগ্রসর হয়, তখন এক পর্যায়ে তাকে স্বল্প সময়ের জন্য বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। প্রায়ই বাইরের জগতের সাথে বন্দীদের সখ্যতা গড়ে ওঠে। এভাবেই লিমা খুঁজে পেয়েছেন তার ভালবাসার পুরুষকে। সহ-বন্দী ভিভিয়েন কাম্পোসকে সাথে নিয়ে সেলের মধ্যে বসে তিনি বলছিলেন কিভাবে তার সাথে পরিচয় ঘটলো সেই পুরুষটির, যিনি নিজেও শহরের অন্য প্রান্তে আরেকটি এপ্যাক কারাগারের বন্দী। এপ্যাকের এই কারাগারের দেয়ালে লেখা রয়েছে: ভালবাসা ত্যাগ করে কেউ পালায় না।
On the first day in her new cell, Tatiane Correia de Lima did not recognise herself.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে ২০১৬ সালে প্রায় কুড়ি হাজার শিশু ধর্ষিত হয়েছে, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে আরও প্রায় ১২,০০০ শিশু। ফাইল ফটো আর শিরোনামে না আসা শিশু ধর্ষণের সংখ্যাটা আরও বহুগুণ বেশি। ২০১৬ সালে - একবছরেই ভারতে ধর্ষিত হয়েছে প্রায় কুড়ি হাজার শিশু বা কিশোরী। ভারতের জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যানে তেমনটাই উঠে এসেছে। তবে ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার শিকার যে সেখানে শুধু কন্যা শিশুরাই হচ্ছে তা নয়। প্রায় ১০ বছর আগে প্রকাশিত একমাত্র পরিসংখ্যানে দেখা গেছে মোট যত শিশুর ওপরে যৌন হেনস্থা হয়, তার অর্ধেকেরও বেশি ছেলেশিশু বা কিশোর। কিন্তু সমাজকর্মীরা বলছেন, ভারতে শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতনের প্রকাশিত পরিসংখ্যানটি মোট ঘটনার কিছু অংশমাত্র। শিশুদের অধিকার নিয়ে সারা দেশ জুড়েই কাজ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'ক্রাই'। তারই পূর্বাঞ্চলীয় ডিরেক্টর অতীন্দ্রনাথ দাস ব্যাখ্যা করছিলেন, "শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতনের ঘটনাগুলো ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে চলেছে গত প্রায় এক দশক ধরে। কিন্তু গত তিনবছরে সংখ্যাটা লাফিয়ে বেড়েছে। তার অর্থ এই নয় যে এরকম ঘটনা আগে হত না। কিন্তু হঠাৎ করে সংখ্যাটা বেড়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক।" সাম্প্রতিক সময়ে এমন বেশ কিছু শিশু ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে, যা রীতিমতো শিহরন জাগানো। ২০১৫ সালে দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্য কর্ণাটকে আট বছরের একটি কন্যা শিশুকে অপহরণ করার ছবি ধরা পড়ে সিসিটিভি-র ফুটেজে। পরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়, তার মুখে প্লাস্টিক গুঁজে দিয়ে চুপ করিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ধর্ষণ ছাড়াও প্রায় ১২ হাজার কন্যা-শিশুর ওপরে যৌন নির্যাতন চলেছে, আর যৌন হেনস্থা ঘটেছে নয়শোরও বেশী কন্যা-শিশুর সঙ্গে। কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'দীক্ষা'র প্রধান পারমিতা ব্যানার্জী বলছিলেন, "যৌন নির্যাতনটা আগেও চলত, এখনও চলে। কোনও না কোনোভাবে যৌন হেনস্থা হয় নি, এমনভাবে বোধহয় ভারতের কোনও মেয়েই বড় হয় না - সেটা ভিড় বাসে শরীরে হাত দেওয়া থেকে শুরু করে আরও গুরুতর কিছু - যাই হোক না কেন। আগে আমরা মেয়েরা মুখ খুলতাম না - ভয়ে, লজ্জায়, কিন্তু এখন মুখ খুলতে শুরু করেছে একটু একটু করে।" নারী আন্দোলনের কর্মী অধ্যাপক শাশ্বতী ঘোষও বলছিলেন, "অ্যাবসলিউট নাম্বারে যৌন নির্যাতন বেড়েছে তো বটেই, কিন্তু এখন বিষয়গুলো সামনে আসছে আগের থেকে অনেক বেশী। শিশু সুরক্ষা সম্বন্ধে অভিভাবক থেকে শুরু করে পুলিশ - সকলেরই সচেতনতা বেড়েছে। এখন কোনও শিশুর ওপরে যৌন নির্যাতন হলে প্রথমেই রিঅ্যাক্ট করে এই বলে যে 'একটা বাচ্চার সঙ্গে এরকম করে পার পেয়ে যাবে!' এই ধারণাটা বদল হয়েছে বলেই যৌন নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে অনেকে সাহস পাচ্ছেন এখন।" আরও পড়তে পারেন: যুদ্ধবিমান ভূপতিত করার জবাবে সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা সৌদি নারীদের বোরকা পরতে হবে না জেলখানায় কষ্টে আছেন খালেদা জিয়াঃ মওদুদ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আট মাসের একটি শিশুকে ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। (ফাইল ছবি) যৌন নির্যাতনের শিকার অর্ধেকই ছেলেশিশু সমাজকর্মীরা বলছেন একটা বিরাট সংখ্যক পুত্র-শিশু বা কিশোররাও নিয়মিত যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে ভারতে - যার একমাত্র সরকারী পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছিল ২০০৭ সালে। কথা বলেছিলাম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রাজকের প্রধান দীপ পুরকায়স্থর সঙ্গে। "ছেলেদের ওপরে যৌন নির্যাতনের পরিসংখ্যান খুব একটা পাওয়া যায় না। একমাত্র ওই ২০০৭ সালের সংখ্যাটা ছাড়া। আমরা যারা এই বিষয়টা নিয়ে কাজ করি, তাদের একটা ধারণা ছিলই যে কী সংখ্যায় ছেলেদের ওপরে যৌন নির্যাতন চলে। আর সরকারী তথ্যে দেখা যাচ্ছে মোট যত শিশুর ওপরে যৌন নির্যাতন হয়, তার প্রায় অর্ধেক পুত্র-শিশু বা কিশোর। তার পরে আর কোনও তথ্য আমাদের হাতে নেই," বলছিলেন মি. পুরকায়স্থ। শিশু ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার কারণ কী শিশুদের ধর্ষণ বা তাদের ওপরে যৌন নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার কারণ রয়েছে একাধিক। কেউ বলছেন ইন্টারনেটে পর্ণোগ্রাফি সহজলভ্য হয়ে যাওয়া। কারও মতে বিকৃত যৌন চাহিদা মেটানোর সব থেকে সহজ টার্গেট হয়ে উঠছে শিশুরা, কারণ তারা অরক্ষিত আর তাদের ওপরে কী ঘটছে, সেটা তারা বুঝতে অক্ষম। এইসব নানা কারণেই শিশু ধর্ষন বা শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতন ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। কলকাতায় যৌন হেনস্থার ব্যাপারে শিশুদের সচেতন করে তোলার কাজ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দীক্ষা। তার প্রধান পারমিতা ব্যানার্জীর কথায়, "অনেকগুলো কারণ আছে। এর মধ্যে পিডোফিলিয়া নিশ্চিতভাবেই মানসিক বিকৃতি। কিন্তু বাসে-ট্রামে মেয়েদের শরীর ছোঁয়ার মতো যেসব ঘটনা ঘটে, সেগুলো কিন্তু ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য। এর বাইরে একটা কারণ হল ছোটবেলায় যেসব পুরুষ হেনস্থার শিকার হয়েছেন কোনও না কোনও ভাবে, তাদের একটা অংশও কিন্তু পরবর্তীতে নিজেরা হেনস্থা করছেন মেয়েদের।" ক্রমবর্ধমান হারে শিশুদের যৌন লালসার শিকার বানানোর পিছনে রয়েছে কুসংস্কারও। অন্তত দেড়শো বছর আগের ছাপা বটতলার বই নামে পরিচিত তথাকথিত অশ্লীল সাহিত্যেও এই কুসংস্কারের উল্লেখ আছে যেখানে বলা হয়, কন্যা-শিশু অথবা কুমারী নারীদের সঙ্গে যৌন সংসর্গ করলে নানা যৌন রোগ নিরাময় হয়। নিউ লাইট স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রধান উর্মী বসু বলেন,"আমরা যৌন কর্মী এবং তাঁদের সন্তানদের নিয়ে কাজ করি। আমাদের সঙ্গে যারা আছেন, তাঁদের অনেকেরই বয়স ৬০/ ৬৫ এমনকি ৭০। তাঁদের কাছ থেকেই জেনেছি, বহু মানুষ এটা মনে করেন যে কুমারী নারী বা শিশুদের সঙ্গে যৌন সংসর্গ করলে তাদের নিজেদের শরীরে বাসা বেঁধে থাকা যৌনরোগ নিরাময় হয়। ভারতের বহু প্রদেশে এই ধারণা প্রচলিত রয়েছে। " সমাজকর্মী পারমিতা ব্যানার্জীও এইডস আক্রান্তদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। শিশুদের ওপরে ক্ষমতা প্রদর্শন সহজ, তেমনই যৌন লালসা মেটানোর পরে ভয় দেখিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে রাখা আরও সহজ। সমাজকর্মীরা বলছেন ভারতে বিরাট সংখ্যক পুত্র-শিশু বা কিশোরও নিয়মিত যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে স্কুল ও পরিবার থেকে শিক্ষা অনেক স্কুলেই আজকাল ছোট-বয়স থেকেই মেয়েশিশুদের শেখানো হচ্ছে কোন স্পর্শ বা আদর করাটা ভাল, কোনটা খারাপ। কোনটা গুড টাচ, কোনটা ব্যাড। আর কেউ খারাপভাবে ছুঁলে যে সেটা মাকে বলতেই হবে, সেটাও বোঝানো হচ্ছে শিশুদের। পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী বলছিলেন, "ভালো স্পর্শ আর খারাপ স্পর্শ নিয়ে পাঠ দেওয়াটা এখনও মূলত অভিজাত স্কুলগুলিতেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু সরকারী স্কুলেও যাতে এগুলো শেখানো হয়, তার জন্য আমরা স্কুল সিলেবাস কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বিষয়টা পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করবেন বলে কথা দিয়েছেন।" "শুধু মেয়েদের শেখালে তো চলবে না, ছোট ছেলে বা সদ্য-কিশোরদেরও এই পাঠটা দেওয়া দরকার যে একটা মেয়ে মানেই শুধু শরীর নয় - সে সব অর্থেই ছেলেদের সমান। অথচ উল্টোটাই মনে করে বহু ছোট ছোট ছেলেরাও। বদলাতে হবে এই মানসিকতা," বলছিলেন শাশ্বতী ঘোষ। হাজার হাজার মামলা, বিচার সময় মতো শেষ হয় না শিশুদের ধর্ষণ বা তাদের ওপরে যৌন নির্যাতনের ঘটনা কিছুটা বেড়ে চলার একটা কারণ হল- নির্যাতনকারীরা অনেক সময়েই অপরাধ করেও পার পেয়ে যায়। যেটা দেখে ওইরকম ঘটনা ঘটাতে উৎসাহিত হয় আরও অনেকে। পরিসংখ্যানও বলছে, শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতনের ঘটনার বিচার সময় মতো শেষ হয় না। জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর তথ্যেই দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৫৭ হাজারেরও বেশী শিশু ধর্ষণের মামলা ভারতের নানা আদালতে চলছে। অভিযুক্তদের শাস্তি পাওয়ার হারও মাত্র ২৮ শতাংশ। এর মধ্যে শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতন বা হেনস্থার ঘটনা ধরা হয় নি। আরও যা পড়তে পারেন: সাগর-রুনি হত্যা: তদন্তে গাফিলতি না ধামাচাপার চেষ্টা হজে গিয়েও যৌন হয়রানি: টুইটারে নারীদের প্রতিবাদ সুখী হওয়ার পাঁচটি উপায়: অধ্যাপকের পরামর্শ পরিসংখ্যান বলছে, শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতনের ঘটনার বিচার সময় মতো শেষ হয় না। কেন শিশু ধর্ষণের হাজার হাজার মামলা জমে আছে? কলকাতা হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ভারতী মুৎসুদ্দি বিবিসি বাংলাকে বলেন, "এইধরনের মামলা তো শুধু নয়, ভারতের আদালতে লক্ষ লক্ষ মামলা ঝুলে আছে। একটা সাধারণ ব্যাখ্যা হল বিচারকের সংখ্যা অপ্রতুল।"। মিসেস মুৎসুদ্দি আরও বলছিলেন, " শিশুদের যৌন নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে যে 'পকসো' আইন হয়েছে, সেখানে কিন্তু যথেষ্ট ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেমন এই মামলার বিচার পৃথক আদালতে এক বছরের মধ্যেই শেষ করার কথা রয়েছে। কিন্তু কোনও জায়গাতেই আলাদা কোর্ট হয় নি, একবছরে মামলা শেষ করাও হয় না। পৃথক পুলিশ টীম তৈরি করার কথা বলা হয়েছে আইনে, সেটাও মানা হয় না। তাই অন্য মামলার সঙ্গেই শিশুদের ওপরে যৌন নির্যাতনের মামলা একই আদালতে চলতে থাকে আর বছরের পর বছর ঝুলে থাকে।" আবার এই বিতর্কও রয়েছে যে শিশুদের ধর্ষক বা নির্যাতনকারীদের কতটা শাস্তি দেওয়া হবে, তা নিয়ে। কেউ মনে করেন তাদের মৃত্যুদণ্ডই দেওয়া উচিত। কিন্তু এই প্রশ্নও রয়েছে যে দিল্লির বাসে গণ-ধর্ষিতা ও খুন হওয়া নির্ভয়ার ধর্ষকদেরও তো চরম শাস্তি দিয়েছে আদালত - তারপরেও কি ধর্ষণ কমেছে? নারী আন্দোলনের কর্মী শাশ্বতী ঘোষ বলছিলেন, "আমি মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী নই। যদি ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়, তাহলে ফাঁসি হওয়াই উচিত। তবে তখন ধর্ষক ভাববে, মেয়েটিকে বাঁচিয়ে রাখলে তাকে তো ফাঁসিতে ঝুলতেই হবে।" মিজ. ঘোষ যে আশঙ্কার কথা বলছিলেন, ভারতে অনেক কন্যা-শিশুর সঙ্গে বাস্তবিকই সেটাই ঘটছে - ধর্ষণের পরে তাকে হত্যা করা হচ্ছে - যাতে কোনও প্রমাণ না থাকে।
An eight-month-old baby girl has been raped, allegedly by her cousin, in the Indian capital Delhi.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
নোবুকাজু কুরিকি নোবুকাজু কুরিকি নামে ৩৫ বছর বয়েসের এই পর্বতারোহীকে সোমবার সকালে তার তাঁবুর বাইরে মৃত অবস্থায় খুঁজে পান শেরপারা। নেপাল সরকারের একজন কর্মকর্তা এ খবর জানিয়েছেন। তার মৃতদেহ এখন রাজধানী কাঠমান্ডুতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করার জন্য মি. কুরিকির এটি ছিল অষ্টম চেষ্টা। ঠিক কী পরিস্থিতিতে তার মৃত্যু হয় তা জানা যায় নি। এর আগে ২০১২ সালে এভারেস্টে ওঠার চেষ্টার সময় প্রচন্ড ঠান্ডায় মি. কুরিকির হাতের আঙুলে ফ্রস্টবাইট বা ঠান্ডাজনিত ক্ষত দেখা দেয়। এর পর তার নয়টি আঙুলই কেটে বাদ দিতে হয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'বাংলাদেশে মাদকাসক্ত ফিলিপিনের চেয়েও বেশি' ফটো শেয়ার: 'বাচ্চাদের ঝুঁকিতে ফেলছেন বাবা-মা' ঈদের বাজারে জাল নোটের ঝুঁকি, কীভাবে চিনবেন? মাউন্ট এভারেস্ট পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কিন্তু তাতেও তিনি উদ্যম হারান নি। ২০১৫ সালে তিনি মাত্র একটি আঙুল নিয়েই এভারেস্টে আরোহণের জন্য আবার নেপালে ফিরে আসেন। সবশেষ এ বছরের চেষ্টার বিবরণ তিনি ফেসবুকে ভিডিও আপডেট দিয়ে জানাচ্ছিলেন। সবশেষ বার্তাটি তিনি দেন রোববার। তাতে তিনি লেখেন, এ পর্বতে ওঠা কত কষ্টকর তা তিনি অনুভব করতে পারছেন। সোমবার সকালে এভারেস্টের ২৯ হাজার ২৯ ফিট উঁচু শৃঙ্গের ৪ হাজার ৬শ ফিট নিচে ক্যাম্প-টুতে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ মাসেই এমন একজন চীনা পর্বতারোহী এভারেস্টে ওঠেন - যিনি ১৯৭৫ সালে ফ্রস্টবাইটের কারণে তার দুই পা হারিয়েছিলেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: চাকরিতে বিদেশীদের নিয়োগ নিয়ে কী বলছে মানুষ? নারীর পেটে যেভাবে এলো একশোর বেশি কোকেন ক্যাপসুল হৃদরোগ ঠেকাতে সপ্তাহে অন্তত চারদিন ব্যায়াম
A Japanese mountaineer who has previously lost nine fingers to frostbite is nearing the final stage of an attempt to climb Mount Everest.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
ওইসিডি প্রধান বিশ্বব্যাপী বড়ধরনের দীর্ঘ মেয়াদী অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ওইসিডির মহাপরিচালক এঞ্জেল গুরিয়া বলেছেন এই মহামারি থেকে যে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে তার থেকে বেশি বড় হয়ে উঠেছে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এর আকস্মিকতা। তিনি বিবিসিকে বলেছেন কেউ যদি ভাবে দেশগুলো দ্রুত তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতি সামলে উঠতে পারবে তাহলে সেটা হবে একটা "স্তোক বাক্য"। ওইসিডি সরকারগুলোর কাছে আহ্বান জানিয়েছে তারা যেন তাদের ব্যয় নীতি ভুলে গিয়ে দ্রুত ভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে এবং ভাইরাসের চিকিৎসার পেছনে মনোযোগ দেয়। করোনাভাইরাস গুরুতর আকারে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির হার অর্ধেক কমে তা ১.৫%-এ দাঁড়াবে বলে সম্প্রতি যে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছিল, মি. গুরিয়া বলেছেন তাও এখন খুবই আশাবাদী একটা পূর্বাভাস বলেই মনে হচ্ছে। মি. গুরিয়া বলছেন কত মানুষ চাকরি হারিয়েছেন এবং কোম্পানিগুলোর কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে বিভিন্ন দেশের জন্য এই ক্ষতি সামাল দিতে "বেশ অনেক বছর লেগে যাবে"। তিনি বলেছেন আগামী কয়েক মাসে বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির দেশগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেবে। এবং আর্থিক ক্যালেন্ডারের পর পর দুটি কোয়ার্টার ধরে এই মন্দা চলতে থাকবে। "বিশ্বব্যাপী মন্দা যদি নাও হয়, তারপরেও বিশ্বের অনেক দেশে একেবারেই কোন প্রবৃদ্ধি হবে না অথবা কোন কোন দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হবে নিম্নমুখী, তিনি বলেন। ''এসব দেশের মধ্যে বড় বড় অর্থনীতির দেশও থাকবে। ফলে সার্বিকভাবে এবছর প্রবৃদ্ধি হবে নিম্নমুখী এবং প্রবৃদ্ধির হার আবার উর্ধ্বমুখী হতে অনেকদিন সময় লাগবে," তিনি বলেন। ওইসিডি বলছে বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসের সংক্রমণ অর্থনীতির ওপর একটা আকস্মিক আঘাত। গুরুতর আকস্মিক আঘাত মি. গুরিয়া বলেছেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় যে বিরাট অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা আমেরিকায় ১১ই সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলা পরবর্তী বা ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর অর্থবাজারে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল এবারের আঘাত তার চেয়েও অনেক আকস্মিক। তিনি বলেছেন: "এর কারণ হল এই প্রাদুর্ভাবের ফলে যে বেকারত্ব তৈরি হবে, তা সামাল দেওয়া কতটা কঠিন হবে তা আমরা জানি না। আসলে কত লোক যে বেকার হবেন, সেটাই এখনও স্পষ্ট নয়। আমাদের কাছে এটাও জানা নেই যে ছোট ও মাঝারি কত লাখ লাখ প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ইতিমধ্যেই ক্ষতির মুখে পড়েছে।" বিভিন্ন দেশের সরকার ইতোমধ্যেই কর্মী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাহায্য করার জন্য নজিরবিহীন নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। যুক্তরাজ্যের নীতি নির্ধারকরা ঘোষণা করেছেন করোনা মহামারির কারণে যারা কাজে যেতে পারছেন না সরকার তাদের বেতনের একটা বড় অঙ্ক সরকারি কোষাগার থেকে দেবে। মি. গুরিয়া সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ ঋণ নেবার তাদের যেসব নীতিমালা আছে, সব "ছুঁড়ে ফেলে দিন এবং এই সংকট মোকাবেলা করুন।" অবশ্য তিনি এমন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন যে ঋণ সংকটে জর্জরিত দেশগুলোর জন্য আরও ঋণের বোঝা এবং আরও ব্যয় ঘাটতি তাদের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী আর্থিক সংকট তৈরি করবে। আশু উত্তরণ নেই মি. গুরিয়া বলছেন ধনী দেশগুলোর জোট জি-টোয়েন্টির নীতি নির্ধারকরা মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও মনে করছিলেন যে এই সংকট থেকে উত্তরণ অনেকটা ইংরেজি V অক্ষরের মত হবে, অর্থাৎ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হঠাৎ করে এক ধাক্কায় ধসে পড়বে, কিন্তু তা দ্রুত আবার এক লাফে মাথা তুলে দাঁড়াবে। "আমি বলব তখনও সেটা খুবই আশাবাদী একটা ধারণা ছিল," তিনি বলেন। "আমি ওই 'ভি' অক্ষরের মত কোন প্রক্রিয়ার সঙ্গে একমত নই। আমরা এখন এ বিষয়ে নিশ্চিত যে এটা কখনই 'ভি' অক্ষরের মত কাজ করবে না। আমার মনে হয় এটা ইংরেজি 'U' এর মত দাঁড়াবে। অর্থাৎ অর্থনীতির ধস নিচের তলায় থাকবে বেশ লম্বা সময় ধরে,'' তিনি বলেন। ''তারপর এর থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে আমার বক্তব্য হল এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে এটা ইংরেজি L অক্ষরের মত দাঁড়িয়ে যেতে পারে, অর্থাৎ এর থেকে বেরিয়ে আসা অসম্ভব হবে," তিনি বলেন। ওইসিডি বলছে এই করোনা মহামারি মোকাবেলার জন্য চার স্তরে পরিকল্পনা নিতে হবে। •বিনা খরচে সংক্রমণ পরীক্ষার ব্যবস্থা, •ডাক্তার এবং নার্সদের জন্য ভাল সরঞ্জামের ব্যবস্থা, •যারা নিজেরা কাজ করেন তাদের সহ কর্মীদের বেতন বাবদ নগদ অর্থের ব্যবস্থা, এবং •ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কর আদায়ের ব্যাপারে সময় ছাড় দেয়া। মি. গুরিয়া বলেছেন এই পরিকল্পনা সরকারগুলোকে নিতে হবে ঠিক যেভাবে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর ইউরোপের অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল সেই পর্যায়ে।
The world will take years to recover from the coronavirus pandemic , the Organisation for Economic Co-operation and Development has warned.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
আইএস যোদ্ধাদের বিচারের সম্মুখীন করার তাগিদ ট্রাম্পের আইএস'এর বিরুদ্ধে চলা সবশেষ যুদ্ধে ৮০০ জনের বেশি আইএস যোদ্ধা যৌথ বাহিনীর হাতে ধরা পরেছে। ইরাক-সিরিয়া সীমান্তের বাঘুজ অঞ্চলে আইএস যোদ্ধাদের শেষ ঘাঁটিতে মার্কিন সমর্থিত কুর্দিশ বাহিনীর হামলা চলার সময় এমন টুইট করলেন মি. ট্রাম্প। আটককৃত আইএস যোদ্ধারার বর্তমানে কুর্দিশ সৈন্যদের হেফজতে রয়েছেন। বেশ কিছুদিন ধরিই মি. ট্রাম্প বলে আসছেন যে আইএস সাম্রাজ্য 'পতনের মঞ্চ প্রস্তুত।' শামীমার সন্তান প্রসব, নাগরিকত্ব অনিশ্চিত 'আইএস বধূ' ব্রিটিশ ছাত্রী শামিমা দেশে ফিরতে চান জামায়াতকে কতটা নাড়া দিয়েছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক ভারতের নানা প্রান্তে কাশ্মীরিদের হেনস্থা, মারধর আইএস যোদ্ধাদের সম্পর্কে যা বলেছেন ট্রাম্প টুইটে মি. ট্রাম্প লিখেছেন, "এই আইএস যোদ্ধাদের ইউরোপেই যাওয়ার কথা আর সেখানে তারা ছড়িয়ে পড়ুক, তা যুক্তরাষ্ট্র চায় না। অন্যরা যে কাজ করতে সক্ষম তা সম্পন্ন করতে প্রচুর অর্থ ও সময় ব্যয় করি আমরা।" অন্যথায় আটককৃত আইএস সৈন্যদের মুক্ত করে দিতে যুক্তরাষ্ট্র বাধ্য হবে বলে লেখেন মি. ট্রাম্প। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারাও রবিবার সানডে টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে বলেছেন যে, তাদের আশঙ্কা আটক হওয়া সৈন্যদের বিচারের আুতাধীন করা না হলে তারা ইউরোপের জন্য হুমকি হিসেবে প্রতীয়মান হতে পারে। যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার পররাষ্ট বিষয়ক প্রধান অ্যালেক্স ইয়ঙ্গার শুক্রবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে সিরিয়ায় পরাজিত হতে থাকলেও নতুন করে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ। জিহাদিরা দক্ষতা অর্জন করে অন্যান্য জঙ্গীদের সাথে সম্পৃক্ততা নিয়ে ইউরোপে ফিরে এসে সেখানকার নিরাপত্তাকে আরো বেশি হুমকির মুখে ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন মি. ইয়ঙ্গার। মি. ট্রাম্পের এই টুইট এমন সময় এলো যখন বাংলাদেশী বংশদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক শামীমা বেগম, যিনি আইএস যোগ দিতে যুক্তরাজ্য ছেড়ে গিয়েছিলেন, যুক্তরাজ্যে ফেরার আবেদন করেছেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাংলাদেশী অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রীন এলাকা থেকে আরো দুজন বান্ধবী সহ শামীমা বেগম আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। শামীমা বেগম একটি ছেলে শিশুর জন্ম দিয়েছেন বলে তার পরিবারের আইনজীবী জানিয়েছেন। ব্রিটেন থেকে যে কয়েকশ মুসলিম ছেলে-মেয়ে আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া ও ইরাকে গিয়েছিল, তাদেরকে ফিরে আসতে দেওয়া উচিৎ কি উচিৎ নয়- তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে ফিরে আসছে কত সংখ্যক আইএস যোদ্ধা লন্ডনের কিংস কলেজের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্যা স্টাডি র‍্যাডিকালাইজেশনের এক গবেষণা অনুযায়ী, পশ্চিম ইউরোপের দেশ ফ্রান্স, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যের মত দেশগুলো থেকে প্রায় ৬ হাজার নাগরিক ইসলামিক স্টেটে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে সিরিয়া ও ইরাকে পাড়ি দিয়েছিল। ঐ গবেষণা অনুযায়ীক পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে প্রায় ১৮০০ জনের মতো আইএস যোদ্ধা এখন পর্যন্ত ফিরে এসেছে। আইএস পতনরে দ্বারপ্রান্তে থাকলেও জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী এখনো ইরাক ও সিরিয়ায় ১৪ হাজার থেকে ১৮ হাজার সৈন্য রয়েছে তাদের। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো ফেরত আসা এই নাগরিকদের অপরাধের তদন্ত, ঝুঁকি মূল্যায়ন, বিচার এবং পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। ২০১২ সালের পর থেকে সিরিয়া ও ইরাকে জন্ম নেয়া শিশুদের যারা এই আইএস যোদ্ধাদের সাথে ইউরোপে প্রবেশ করার উদ্যোগ নিচ্ছে, তাদের প্রত্যেকের ঘটনা আলাদা আলাদা করে যাচাই করারও উদ্যোগ নিচ্ছে দেশগুলো।
President Donald Trump has told the UK and other European allies to take back and put on trial more than 800 Islamic State (IS) fighters captured in the final battle against the group.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
তুরসুনে জিয়াউদুন এই নারীদের একজন হচ্ছেন তুরসুনে জিয়াউদুন। বিবিসিকে দেয়া তার এই বর্ণনা কোন কোন পাঠককে বিচলিত করতে পারে। "তখন কোন মহামারি চলছিল না কিন্তু ওই লোকগুলো সবসময়ই মুখোশ পরে থাকতো" - বলছিলেন তুরসুনে জিয়াউদুন। "তারা স্যুট পরতো, পুলিশের পোশাক নয়। কখনো কখনো তারা আসতো মধ্যরাতের পরে। সেলের মধ্যে এসে তারা ইচ্ছেমত কোন একজন নারীকে বেছে নিতো। তাদের নিয়ে যাওয়া হতো করিডোরের আরেক মাথায় 'কালো ঘর' বলে একটি কক্ষে। ওই ঘরটিতে নজরদারির জন্য কোন ক্যামেরা ছিল না।" জিয়াউদুন বলেন, বেশ কয়েক রাতে তাকে এভাবেই নিয়ে গিয়েছিল ওরা। "হয়তো এটি আমার জীবনে এমন এক কলঙ্ক - যা আমি কখনো ভুলতে পারবো না"- বলছিলেন তিনি। "এসব কথা আমার মুখ দিয়ে বের হোক - এটাও আমি কখনো চাইনি।" শিনজিয়াং প্রদেশে চীনের এইসব গোপন বন্দী শিবিরের একটিতে তুরসুনে জিয়াউদুন বাস করেছেন মোট ৯ মাস। তিনি বলছেন, ওই সেলগুলো থেকে প্রতিরাতে নারীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হতো, তার পর মুখোশ পরা এক বা একাধিক চীনা পুরুষ তাদের ধর্ষণ করতো। জিয়াউদুন বলেন - তিনি নিজে তিনবার গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। প্রতিবারই দুই বা তিন জন লোক মিলে এ কাজ করে। 'কোন দয়ামায়া দেখানো চলবে না' এসব বন্দী শিবিরে কোন কোন অনুমান অনুযায়ী ১০ লাখেরও বেশি নারী পুরুষকে রাখা হয়েছে। চীনের বক্তব্য, উইঘুর ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের পুন:শিক্ষণের জন্যই এসব শিবির। উত্তর পশ্চিম চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের তুর্কিক মুসলিম সংখ্যালঘু এই উইঘুরদের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, চীনা সরকার উইঘুরদের ধর্মীয় ও অন্য স্বাধীনতার ক্রমে ক্রমে হরণ করেছে এবং গণ-নজরদারি, বন্দীত্ব, মগজ ধোলাই এবং জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ পর্যন্ত করানোর এক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই নীতির উদগাতা। ২০১৪ সালে উইঘুর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের চালানো এক সন্ত্রাসী হামলার পর তিনি শিনজিয়াং সফর করেছিলেন। এর পরপরই - মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসের পাওয়া গোপন দলিল অনুযায়ী - তিনি স্থানীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যে এর জবাবে ব্যবস্থা নেবার সময় 'কোন রকম দয়ামায়া দেখানো চলবে না।" তুরসুনে জিয়াউদুন এখন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন মার্কিন সরকার গত মাসে বলেছে, শিনজিয়াংয়ে চীনের এসব কর্মকাণ্ড গণহত্যার শামিল। চীন একে "মিথ্যা ও উদ্ভট অভিযোগ" বলে বর্ণনা করেছে। এসব বন্দী শিবিরের ভেতর থেকে বাসিন্দাদের কারও বক্তব্য খুবই দুর্লভ। তবে সাবেক বন্দী ও প্রহরীদের বেশ কয়েকজন বিবিসিকে বলেছেন, তারা পরিকল্পিত গণধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও অত্যাচারের শিকার হয়েছেন বা এর প্রমাণ পেয়েছেন। তুরসুনে জিয়াউদুন এখন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। শিনজিয়াং থেকে পালিয়ে গিয়ে প্রথম কিছুকাল তিনি ছিলেন কাজাখস্তানে। সেখানে তিনি সার্বক্ষণিক ভয়ের মধ্যে ছিলেন যে তাকে বোধহয় আবার চীনে ফেরত পাঠানো হবে। তার মনে হতো, তিনি বন্দী শিবিরে যে পরিমাণ যৌন নির্যাতন দেখেছেন ও তার শিকার হয়েছেন - সে কাহিনি সংবাদমাধ্যমকে বললে তাকে শিনজিয়াং ফেরত পাঠানোর পর আরো নির্যাতনের শিকার হতো হতো। তার ওপর এসব ঘটনা বর্ণনা করাও ছিল একটা লজ্জার বিষয়। জিয়াউদুন যা বলছেন, তা পুরোপুরি যাচাই করা অসম্ভব, কারণ চীনে রিপোর্টারদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তবে তার বর্ণনার খুঁটিনাটির সাথে শিনজিয়াং বন্দী শিবির সম্পর্কে বিবিসির হাতে থাকা অন্যান্য তথ্য ও বর্ণনা মিলে যায়। কাজাখ নারী গুলজিরা শিনিজিয়াংএর বন্দী শিবিরে ১৮ মাস ছিলেন, এমন আরো একজনের সাথে বিবিসির কথা হয়েছে। তিনি হচ্ছেন কাজাখ নারী গুলজিরা আউয়েলখান। তাকে বাধ্য করা হয়েছিল উইঘুর নারীদের কাপড় খুলে তাদের উলঙ্গ করতে, এবং তারপর তাদের হাতকড়া লাগাতে। তার পর তিনি ওই নারীদের একটি ঘরে রেখে যেতেন - যেখানে থাকতো কয়েকজন চীনা পুরুষ। পরে, তার কাজ ছিল ঘরটা পরিষ্কার করা। "আমার কাজ ছিল ওই মেয়েদের কোমর পর্যন্ত কাপড়চোপড় খোলা এবং এমনভাবে হাতকড়া লাগানো যাতে তারা নড়তে না পারে। তাদের ঘরে রেখে আমি বেরিয়ে যেতাম। "তার পর সেই ঘরে একজন পুরুষ ঢুকতো। সাধারণত বাইরে থেকে আসা কোন চীনা লোক, বা পুলিশ। আমি দরজার পাশে নিরবে বসে থাকতাম। লোকটি ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে আমি ওই নারীটিকে স্নান করাতে নিয়ে যেতাম।" গুলজিরা বলছিলেন, "বন্দীদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরী ও কমবয়স্ক মেয়েদের পাবার জন চীনা পুরুষরা টাকাপয়সা দিতো।" এতে বাধা দেয়া বা হস্তক্ষেপ করার কোন ক্ষমতা তার ছিল না। কিছু সাবেক বন্দীকেও বাধ্য করা হতো প্রহরীদের সাহায্য করতে। সেখানে পরিকল্পিত ধর্ষণের ব্যবস্থা ছিল কিনা প্রশ্ন করে গুলজিরা আওয়েলখান বলেন, "হ্যাঁ, ধর্ষণ।" আরো পড়তে পারেন: বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বন্দীশিবিরে উইগুর মুসলিমরা উইগর মুসলিম নারীদের জোর করে বন্ধ্যা করছে চীন- রিপোর্ট চীনে উইগর মুসলিম নির্যাতনের ব্যাপারে যা জানা গেছে গুলজিরা আউয়েলখান কিছু মেয়ে - যাদের সেল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল - তারা আর কখনো ফিরে আসেনি, বলছিলেন জিয়াউদুন। যারা ফিরে এসেছিল তাদের হুমকি দেয়া হয়েছিল - কি ঘটেছে তা যেন তারা কাউকে না বলে। শিনজিয়াং প্রদেশের চীনের নীতি বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ এ্যাড্রিয়ান জেঞ্জ বলছিলেন, এই রিপোর্টের জন্য যেসব সাক্ষ্যপ্রমাণ তারা পেয়েছেন তা ভয়াবহ এবং তারা আগে যা ভেবেছিলেন - তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুতর। জিয়াউদুনের কাহিনি শিনজিয়াং প্রদেশের ওই এলাকাটি কাজাথাস্তান সীমান্তের পাশেই এবং সেখানে বহু জাতিগতভাবে কাজাখ লোকও বাস করে। জিয়াউদুনের বয়স ৪২ । তার স্বামীও একজন কাজাখ। ২০১৬ সালে তারা কাজাখস্তানে পাঁচ বছর থাকার পর শিনজিয়াং ফিরে গেলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। কয়েকমাস পরে পুলিশ তাদের বলে যে তাদেরকে উইঘুর ও কাজাখদের একটি সভায় যোগ দিতে হবে। সেখানেই তাদের গ্রেফতার ও বন্দী করা হয়। প্রথম দিকে তাদের বন্দী অবস্থায় ভালো খাবার দেয়া হতো, ফোনও দেয়া হতো। এক মাস পরে তার পেটে আলসার ধরা পড়লে জিয়াউদুন ও তার স্বামীকে ছেড়ে দেয়া হূয়। তার স্বামীর পাসপোর্ট ফেরত দেয়া হলে তিনি কাজাখস্তানে ফিরে যান, কিন্তু জিয়াউদুনের পাসপোর্টটি দেয়া হয়নি। ফলে তিনি শিনজিয়াংএ আটকা পড়েন। এই বন্দীশিবিরেই ২০১৭ ও ২০১৯ সালে রাখা হয়েছিল জিয়াউদুনকে এ অবস্থায় ২০১৮ সালের মার্চ মাসে তাকে একটি থানায় রিপোর্ট করতে বলা হয়। সেখানে গেলে পুলিশ তাকে জানায়, তার আরো "শিক্ষা" দরকার। জিয়াউদুন জানান এর পর তাকে কুনেস কাউন্টিতে সেই একই বন্দীশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, ততদিনে কেন্দ্রটি আরো উন্নত করা হয়েছে এবং তার সামনে নতুন বন্দী নামানোর জন্য সব সময় বাসের ভিড় লেগে থাকতো। বন্দীশিবিরে আনার পর তাদের অলংকার খুলে ফেলা হয়। জিয়াউদুনের কানের দুল ছিঁড়ে নেয়া হলে তার কান দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। একজন বয়স্ক মহিলা - যার সাথে পরে জিয়াউদুনের বন্ধুত্ব হয় - তার মাথার হিজাব টেনে খুলে নেয়া হয়, রক্ষীরা লম্বা পোশাক পরার জন্য তার প্রতি চিৎকার করতে থাকে। "সেই বয়স্ক মহিলাটির অন্তর্বাস ছাড়া আর সব কাপড় খুলে নেয়া হয়। মহিলাটি দু হাত দিয়ে তার লজ্জা ঢাকা চেষ্টা করতে থাকেন।" "তিনি অঝোরে কাঁদছিলেন, আর তার অবস্থা দেখে আমিও কাঁদছিলাম" - বলছিলেন জিয়াউদুন। বন্দী অবস্থায় কয়েক মাস ধরে তাদের বিভিন্ন প্রচারণামূলক অনুষ্ঠান দেখানো হতো। তাদের চুলও কেটে ছোট করে দেয়া হয়েছিল। জিয়াউদুনকে তার স্বামী সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতো পুলিশ। বাধা দিলে তাকে একবার এমনভাবে পেটে লাথি মেরেছিল যে তার রক্তপাত হতে থাকে। অন্য বন্দীরা প্রহরীদের ব্যাপারটা জানালে তারা বলেছিল, "মেয়েদের এরকম রক্তপাত স্বাভাবিক ব্যাপার।" বাংকবেড-বিশিষ্ট একেকটি কারাকক্ষে ১৪ জন নারীকে রাখা হতো। তাতে ছিল একটি বেসিন ও একটি টয়লেট। প্রথম দিকে যখন রাতে মেয়েদের তুলে নিয়ে যাওয়া হতো তখন জিয়াউদুন ব্যাপারটা বুঝতে পারেননি। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো এই মেয়েদের অন্য কোথাও নিযে যাওয়া হচ্ছে। পরে ২০১৮ সালের মে মাসের কোন এক দিন, জিয়াউদুন এবং আরেকটি মেয়েকে - যার বয়স ছিল ২০এর কোঠায় - তুলে নিয়ে একজন মুখোশপরা চীনা পুরুষের হাতে তুলে দেয়া হয়। দুজনকে নেয়া হয় দুটি আলাদা ঘরে। যে মহিলাটি তাদের সেল থেকে নিয়ে এসেছিল - সে ওই লোকদের জানায় যে সম্প্রতি জিয়াউদুনের রক্তপাত হয়েছে। বন্দীশিবিরের ভেতরে - গোপন ক্যমেরায় তোলা ছবি একথা বলার পর একজন চীনা লোক তাকে গালাগালি করে। মুখোশ পরা লোকটি বলে "ওকে অন্ধকার ঘরে নিয়ে যাও।" "মহিলাটি আমাকে সেই অন্ধকার ঘরে নিয়ে যায়। তাদের হাতে একটা ইলেকট্রিক লাঠির মত ছিল - সেটা কি জিনিস আমি জানি না। সেটা আমার যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেয়া হলো, আমাকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্যাতন করা হলো।" সেই মহিলাটি তখন আমার শারীরিক অবস্থার কথা বলে বাধা দেয়ায় নির্যাতন বন্ধ হলো, আমাকে সেলে ফেরত পাঠানো হলো। ঘন্টাখানেক পর দ্বিতীয় মেয়েটিকেও সেলে ফিরিয়ে আনা হলো - যাকে জিয়াউদুনের পাশের ঘরে পাঠানো হয়েছিল। "তার পর থেকে মেয়েটি একেবারে অন্যরকম হয়ে যায়। সে কারো সাথে কথা বলতো না। এক একা বসে শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতো। ওই সেলের অনেকেই এমন হয়ে গিয়েছিল।" শিক্ষাদানের স্কুল সেলের পাশাপাশি বন্দীশিবিরগুলোর আরেকটা অংশ ছিল স্কুলের শ্রেণীকক্ষ। এখানে শিক্ষক এনে বন্দীদের "নতুন করে শিক্ষাদান" করা হতো - অধিকারকর্মীদের মতে যার লক্ষ্য ছিল উইঘুর ও অন্য সংখ্যালঘুদের তাদের সংস্কৃতি, ভাষা ও ধর্ম ভুলিয়ে দিয়ে চীনা সংস্কৃতির মূলধারায় তাদের দীক্ষিত করা। বন্দীদের চীনা ভাষা শিক্ষা দিতে যাদের বাধ্য করা হতো তাদের একজন ছিলেন কেলবিনুর সেদিক। তিনি শিনজিয়াংএর একজন জাতিগতভাবে উজবেক নারী। সেদিক পরে চীন থেকে পালিয়ে যান, এবং তার অভিজ্ঞতা প্রকাশ্যে বর্ণনা করেন। গুলজিরা আওয়েলখান, তার গ্রামের বাড়িতে বিবিসিকে তিনি বলেন, "নারীদের ক্যাম্পগুলো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হলেও তিনি ধর্ষণের কথা শুনতে পেতেন, এর আভাসও পেতেন। একদিন পরিচিত একজন চীনা মহিলা পুলিশকে তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন যে ব্যাপারটা সত্যি কিনা। সেই মহিলা পুলিশটি তাকে জানায় যে হ্যাঁ, গণধর্ষণ এখানকার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। চীনা পুলিশ শুধু যে ধর্ষণ করে তাই নয়, মেয়েদের ইলেকট্রিক শক দেয়, ভয়াবহ সব নির্যাতন করে। সেই রাতে সেদিক ঘুমাতে পারেননি, শুধু কেঁদেছেন। উইঘুর হিউম্যান রাইটস প্রজেক্টের সামনে দেয়া এক জবানবন্দীতে সেদিক বলেন, তিনি মেয়েদের নির্যাতনের জন্য ইলেকট্রিক স্টিক নামে একটা জিনিসের কথা শুনেছেন - যা মেয়েদের শরীরে ঢুকিয়ে দেয়া হতো। ঠিক যেমনটা জিয়াউদুন বর্ণনা করেছেন। সেদিক জানান, "চার রকম করে ইলেকট্রিক শক দেয়া হতো। চেয়ার, দস্তানা, হেলমেট - আর পায়ুপথে স্টিক দিয়ে ধর্ষণ।" "পুরো ভবন জুড়ে মেয়েদের আর্তনাদের প্রতিধ্বনি শোনা যেতো। আমি দুপুরের খাবারের সময়, বা কখনো কখনো ক্লাস থেকেও তা শুনতে পেতাম" - বলেন সেদিক। ক্যাম্পে শিক্ষক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হওয়া আরেক নারী সায়রাগুল সাউৎবে বিবিসিকে বলেন, ধর্ষণ ছিল খুবই সাধারণ ঘটনা। রক্ষীরা যাকে চাইতো, তাকেই তুলে নিয়ে যেতো। তিনি বলেন, তিনি একটি ভয়াবহ ও প্রকাশ্য গণধর্ষণের ঘটনা দেখেছেন। "একটি ২০-২১ বছরের মেয়েকে ১০০ জন বন্দীর সামনে নিয়ে আসা হয়, তাদের বাধ্য করা হয় স্বীকারোক্তি দিতে। এবং তার পর পুলিশ পালাক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে সবার সামনে। সে সময় তারা অন্য বন্দীদের ওপর নজর রাখছিল। তাদের কেউ বাধা দেবার চেষ্টা করলে, চোখ বন্ধ করলে, অন্যদিকে তাকালে, বা হাতের মুঠি শক্ত করলেই তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল শাস্তি দেবার জন্য।" সায়রাগুল বলেন, "মেয়েটির চিৎকার শুনে আমার মনে হচ্ছিল যেন আমি মরে যাচ্ছি।" জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ জিয়াউদুন সেই বন্দী শিবিরে ছিলেন মাসের পর মাস। বন্দীদের সেখানে চুল কেটে দেয়া হতো। তারা ক্লাসে যেতো, তাদের এমন সব ডাক্তারি পরীক্ষা করা হতো যার কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যেতো না, তাদের বড়ি খেতে হতো, প্রতি ১৫ দিনে একবার করে 'টিকা' দেয়া হতো - যার ফলে তাদের বমি বমি লাগতো, শরীর অসাড় হয়ে যেতো। কোন কোন নারীর দেহে জোর করে জন্মনিরোধক আইইউডি লাগিয়ে দেয়া হতো, কাউকে বা বন্ধ্যাকরণ করানো হতো। সায়রাগুল, যিনি বন্দী শিবিরে প্রকাশ্য গণধর্ষণের সাক্ষী এ নিয়ে বার্তা সংস্থা এপি একটি অনুসন্ধান চালানোর পর চীনা সরকার বিবিসির কাছে একে 'সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন' বলে আখ্যায়িত করে। বন্দীদের চীনা দেশপ্রেমের গান গাইতে হতো ঘন্টার পর ঘন্টা, দেখতে হতো শি জিনপিংকে নিয়ে তৈরি দেশপ্রেমমূলক টিভি অনুষ্ঠান। শি জিনপিং সংক্রান্ত বইয়ের অনুচ্ছেদও মুখস্ত করতে হতো তাদের। মুখস্থ বলতে না পারলে খাবার দেয়া হতো না। জিয়াউদুন বলছিলেন, "ক্যাম্পের বাইরের জীবনের কথা ভাবতে ভুলে যাবেন আপনি। এটা কি মগজ ধোলাইয়ের জন্য নাকি ইনজেকশনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া - তা আমি জানি না। কিন্তু পেট ভরে খাবার ইচ্ছে ছাড়া আর কিছুই আপনি চিন্তা করতে পারবেননা। না খাইয়ে রাখাটা এতই ভয়াবহ।" বই মুখস্থ করার পরীক্ষায় ফেল করলে বিভিন্ন রঙের কাপড় পরিয়ে আলাদা করা হতো বন্দীদের, তার পর চলতো মারধর এবং অনাহারে রাখা। বন্দী শিবিরের একজন সাবেক রক্ষী চীনের বাইরের একটি দেশ থেকে ভিডিও লিংকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন। তার এসব বক্তব্য যাচাই করা যায়নি, তবে তার বর্ণনা অন্য একটি ক্যাম্প থেকে পাওয়া দলিলপত্রের সাথে মিলে যায়। এই রক্ষীটি বলেন, তিনি বন্দীশিবিরে ধর্ষণ সম্পর্কে কিছু জানেন না, তবে বন্দীদের বৈদ্যুতিক শক দেয়া হতো এটা স্বীকার করেন। চীনে কাজ করা একজন সাবেক ব্রিটিশ কূটনীতিক চার্লস পার্টন বলেন, এতে কোন সন্দেহ নেই যে শি জিনপিংএর নীতি অনুযায়ীই এগুলো করা হচ্ছে। মি. শি অথবা অন্য শীর্ষ পার্টি কমকর্তারা কি ধর্ষণ ও নির্যাতনের নির্দেশ বা অনুমোদন দিয়েছেন? এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "তারা নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে অবহিত"। 'তারা সারা শরীরে কামড়াতো' জিয়াউদুন বলেন, "নির্যাতনকারীরা শুধু ধর্ষণই করতো না, সারা শরীরে কামড়াতো। আপনি বুঝবেন না যে তারা মানুষ না পশু। শরীরের কোন অংশই তারা বাকি রাখতো না, সবখানে কামড়াতো আর তাতে বীভৎস সব দাগ হয়ে যেতো।" "তিনবার আমার এ অভিজ্ঞতা হয়েছে"- বলে জিয়াউদুন। তার সেলে থাকা আরেকটি মেয়ে জিয়াউদুনকে বলেছিল, তাকে আটক করা হয়েছিল বেশি বেশি সন্তান জন্ম দেয়ার কারণে। বিশ্লেষকরা বলেন, উইঘুরদের ব্যাপারে চীনা নীতির প্রণেতা শি জিনপিং এই মেয়েটিকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং তিনদিন বাদে সেলে ফিরে আসার পর দেখা যায় - তার শরীরেও একই রকম কামড়ের দাগ। "সে কোন কথা বলতে পারছিল না, আমাকে জড়িয়ে ধরে শুধু কাঁদছিল" - বলেন তিনি। চীনা সরকারের প্রতিক্রিয়া চীনা সরকার ধর্ষণ ও অত্যাচার সম্পর্কে বিবিসির প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেয়নি। একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, এগুলো বন্দীশিবির নয়, বরং বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের কেন্দ্র। চীনা সরকার সকল জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর অধিকার সমানভাবে রক্ষা করে এবং নারী অধিকারকে ব্যাপক গুরুত্ব দেয়।" বন্দী শিবিরের পর জিয়াউদুনের জীবন জিয়াউদুন মুক্তি পান ২০১৮ সালে। তার পাসপোর্ট ফেরত দেয়া হয়, এবং তিনি কাজাখস্তানে পালিযে যান। পরে উইঘুর মানবাধিকার প্রকল্পের সহায়তায় তিনি আমেরিকায় যান, এবং সেখানেই থাকার পরিকল্পনা করছেন। তার স্বামী এখনো কাজাখস্তানে আছেন। যুক্তরাষ্ট্রে তার বাড়িওয়ালির সাথে জিয়াউদুন যুক্তরাষ্ট্রে যাবার এক সপ্তাহ পরই তার জরায়ু কেটে বাদ দেয়া হয় - তার ওপর চালানো নির্যাতনের চিকিৎসার অংশ হিসেবে। "আমি মা হওয়ার সুযোগ হারিয়েছি" - বলেন তিনি। কিছু স্বাধীন গবেষণায় দেখা গেছে, শিনজিয়াং প্রদেশে গত কয়েক বছরে জন্মহার অনেকটা কমে গেছে। বিশ্লেষকরা অনেকে একে 'জনসংখ্যাগত গণহত্যা' বলে অভিহিত করেছেন। উইঘুর জনগোষ্ঠীর অনেকে মদ্যপানের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। "তারা বলে, লোকজনকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমি বলবো, যারা ক্যাম্প থেকে ছাড়া পাচ্ছে তারা আসলে শেষ হয়ে গেছে" - বলেন জিয়াউদুন। তার মতে, আসলে পরিকল্পনা ছিল এটাই - নজরদারি, বন্দীত্ব, বিমানবিকীকরণ, বন্ধ্যাকরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ। "তাদের লক্ষ্য হচ্ছে সবাইকে ধ্বংস করা" জিয়া‌উদুন বলছিলেন, "আর সবাই সেটা জানে।"
Women in China's "re-education" camps for Uighurs have been systematically raped, sexually abused, and tortured, according to detailed new accounts obtained by the BBC. You may find some of the details in this story distressing.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
লস অ্যাঞ্জেলসের একটি স্কুলে বন্দুক হামলার জন্য প্রস্তুতি মহড়া হচ্ছে স্কুলে বন্দুক হামলার ঘটনায় প্রতিবছরে নিহতদের সংখ্যার তালিকা তৈরি করার উদ্দেশ্যে করা এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০১৮ সালের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে কাজ করা পত্রিকা 'এডুকেশন উইক' স্কুলে গোলাগুলির ঘটনার তালিকা তৈরি করা শুরু করে। তখন থেকে এপর্যন্ত মোট ২৩টি ঘটনা নথিবদ্ধ করেছে তারা যেসব ক্ষেত্রে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আরও পড়তে পারেন: তালেবানকে অস্ত্র দিচ্ছে রাশিয়া? আফগানিস্তানে ট্রাম্পের কৌশল নিয়ে অনিশ্চয়তা সিরিয়ায় হামলা: যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে? যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে বছরে প্রায় ১৮০ দিন স্কুল খোলা থাকে; অর্থাৎ গত বছরে, গড়ে প্রতি আট দিনে একটি করে হামলা হয়েছে কোনো না কোনো স্কুলে। স্কুলে গোলাগুলির ঘটনা পর্যালোচনা করা আরেকটি গবেষণা থেকে জানা যায়, ১৯৭০ সাল থেকে শুরু করে এপর্যন্ত হিসেব করলে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ঘটনা ঘটেছে ২০১৮ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা সংস্থা এবং ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি, যারা ভিন্ন পদ্ধতিতে স্কুলে বন্দুক হামলার ঘটনা লিপিবদ্ধ করে, তারা বলছে এবছরে স্কুলে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে ৯৪টি। ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডের স্কুলে বন্দুক হামলায় ১৭ জন নিহত হয় কখনোই 'স্বাভাবিক' নয় বছরব্যাপী 'এডুকেশন উইক' এর কার্যক্রম চালানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল একটাই - স্কুলে গোলাগুলির কোনো ঘটনাই যেন 'স্বাভাবিক' হিসেবে কখনো বিবেচিত না হয় সেটি নিশ্চিত করা এবং এসব ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রত্যেককে স্মরণ করার গুরুত্ব মনে করিয়ে দেয়া। পাশাপাশি, এই বিষয়ে তথ্য একত্রিত করাও ছিল এই প্রকল্পের পেছনে একটি অন্যতম প্রধান কারণ। মার্কিন গণমাধ্যমে স্কুলে বন্দুক হামলার বিষয়টি ব্যাপক গুরুত্বের সাথে জায়গা পেলেও প্রতি মাসে সারা দেশে ঠিক কতগুলো এ ধরণের হামলা হচ্ছে এবং তাতে হতাহতের সংখ্যাটা কত - সেবিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট পরিসংখ্যান কখনোই ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের আগ্নেয়াস্ত্র বিষয়ক আইন: পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র বহন এবং এর ব্যবহার সংক্রান্ত আইনে কড়াকড়ি আরোপ করার জন্য প্রচারণা চালিয়ে আসছে বেশ কয়েকটি সংস্থা। তবে এর পাশাপাশি, স্কুলের শিক্ষক এবং কর্মচারীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়ার পক্ষে কথা বলার লোকও কিন্তু কম নেই। স্কুলে বন্দুক হামরার প্রতিবাদে হওয়া এক র‍্যালিতে সন্তানহারা এক মা স্কুলে গোলাগুলির ঘটনাগুলো বিশ্বের অধিকাংশ সংবাদমাধ্যমের অন্যতম প্রধান শিরোনাম হিসেবে জায়গা পেলেও, এর মধ্যে অনেকগুলো ঘটনা রয়ে গেছে লোকচক্ষুর আড়ালেই। যেমন গত মাসে ভার্জিনিয়া রাজ্যের একটি প্রাথমিক স্কুল থেকে সন্তানকে আনতে গেলে একজন অভিভাবকের পায়ে গুলি লাগার ঘটনাটি। অন্য আরেকজন অভিভাবকের পকেটে থাকা বন্দুকটি থেকে ভুলক্রমে গুলি বের হয়ে ঐ অভিভাবকের পায়ে গুলি লাগায় এই ঘটনাটি ঘটে। অথবা, মার্চে ম্যারিল্যান্ডের একটি স্কুলে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের গুলিতে দু'জন কিশোরের আহত হওয়ার ঘটনাটি - যেখানে ধরা পরার পরপর অভিযুক্ত কিশোর হাতের বন্দুক ব্যবহার করে আত্মহত্যা করে এবং পরবর্তীতে আহত দু'জনের মধ্যে একজন ১৬ বছর বয়সী কিশোরী মারা যায়। স্কুলে গোলাগুলির ঘটনার বিষয়ে পরিসংখ্যান বা সংখ্যায় হেরফেরের অন্যতম প্রধান কারণ গোলাগুলির ঘটনার সংজ্ঞায়নের বৈপরীত্য। স্কুলে বন্দুক হামলা বন্ধ করার দাবিতে প্রচারণায় স্কুলরে শিক্ষার্থীরা সংখ্যার হিসেবে 'সবচেয়ে খারাপ বছর' যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা সংস্থার হিসেব অনুযায়ী এবছরে যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে ৯৪টি - যা যে কোনো বছরে হওয়া বন্দুক হামলার ঘটনার চেয়ে সংখ্যায় অনেক বেশি। এর আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০০৬ সালে হওয়া ৫৯টি হামলার ঘটনা। এই হিসেবে, স্কুলে বন্দুক হামলায় মৃত্যু এবং আহত হওয়ার ঘটনার ক্ষেত্রেও সবচেয়ে খারাপ বছর ২০১৮। এবছরে এরকম ঘটনায় মোট হতাহতের সংখ্যা ১৬৩ জন; এর আগে ১৯৮৬ সালে সর্বোচ্চ ৯৭ জন হতাহত হয়েছিল। ৭০' এর দশকে প্রতিবছরে এই ধরণের ঘটনায় গড়ে হতাহতের সংখ্যা ছিল ৩৫ এর নীচে, যেখানে এবছর সেটি বেড়েছে তার প্রায় পাঁচ গুণ। মন্টানা'র একটি স্কুলে বন্দুক হামলা বিষয়ক মহড়া সমাধান অনিশ্চিত স্কুলে বন্দুক হামলা বা গোলাগুলির ঘটনা কীভাবে মোকাবেলা করা উচিৎ, সেবিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকেরা একত্রিত হয়ে কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেননি। স্কুলে আগ্নেয়াস্ত্র প্রবেশের বিপক্ষে যেমন একদল সোচ্চার, তেমনি নিরাপত্তা রক্ষার্থে স্কুলের ভেতরে আরো বেশি বন্দুক রাখার পক্ষেও প্রচারণা চালাচ্ছে আরেকটি দল। দুই পক্ষই বিভিন্ন ধরণের যুক্তি উপস্থাপন করে নিজেদের জন্য জন সমর্থন জড়ো করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু দু:খজনক বিষয় হলো, কোন পন্থা অবলম্বন করলে স্কুলে গোলাগুলি এবং হামলা বন্ধ করা যেতে পারে সেবিষয়ে এখনও কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষের কোনো পক্ষই।
This year, 113 people have been killed or injured in school shootings in the United States.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
১১ই এপ্রিল থেকে অস্ত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা আইনটি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন জাসিন্ডা আরডের্ন। গত শুক্রবার দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যার ঘটনার পর থেকে আলোচনায় চলে আসে দেশটির অস্ত্র আইন বিষয়টি। মিজ আরডের্ন বলেছেন, তিনি আশা করছেন আগামী ১১ই এপ্রিলের মধ্যে নতুন আইনটি কার্যকরী হবে। তিনি জানান, নিষিদ্ধ ঘোষণা করা অস্ত্রের জন্য একটি বাই-ব্যাক স্কিম চালু করা হবে এবং সেটি করা হবে যাতে করে আইনটি চালুর আগে এ ধরনের অস্ত্র কেনার জন্য হিড়িক না পড়ে যায়। "এখন, হামলার ঘটনার ছয় দিন পরে, আমরা নিউজিল্যান্ডে সব ধরনের সামরিক কায়দার সেমি-অটোমেটিকের (এমএসএসএ) এবং অ্যাসল্ট রাইফেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করছি,"-বলেন প্রধানমন্ত্রী মিজ আরডের্ন। ‌তিনি আরও বলেছেন, এছাড়া যেসব অংশ-বিশেষ যুক্ত করে অস্ত্রকে এমএএসএ-তে রূপান্তর ঘটানো যায় আনুষঙ্গিক সে ধরনের অস্ত্রও নিষিদ্ধ হবে, সেই সাথে সমস্ত উচ্চ-শক্তি সম্পন্ন ম্যাগাজিনও। কেন ক্রাইস্টচাচে মসজিদে হামলাকারীর নাম বলেননি জাসিন্ডা আরডার্ন? মিজ আরডের্ন বলেন, কর্মকর্তারা ধারণা করছেন বাই-ব্যাক স্কিমের ব্যয় "যেকোনো স্থানে ১০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের সমাজের মানুষের নিরাপত্তার জন্য আমরা এই মূল্য অবশ্যই পরিশোধ করবো।" এ বিষয়ে দেশটির পুলিশ বিষয়ক মন্ত্রী স্টুয়ার্ট ন্যাশ বলেছেন, "আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, নিউজিল্যান্ডে আগ্নেয়াস্ত্রের মালিকানা বিশেষ এক ধরনের সুবিধা, এটা কোনও অধিকার নয়।" বুধবার ক্রাইস্টচার্চে নিহতদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান হয়। অস্ত্র আইনের সংস্কার মন্ত্রিসভায় অনুমোদন বিশ্বব্যাপী বর্ণবাদ প্রতিহত করার আহ্বান আরডার্নের 'অস্ত্র কেনায় ভারতই পৃথিবীতে এক নম্বর'
New Zealand will ban all types of semi-automatic weapons and assault rifles following the Christchurch attacks, Prime Minister Jacinda Ardern has said.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
আলি ফৌজি পাঁচ মিনিটের মধ্যে একটা বোমা বানিয়ে ফেরতে পারেন আলি ফৌজি ছিলেন জেমা ইসলামিয়ার একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। জেমা ইসলামিয়া হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার একটি জঙ্গী গোষ্ঠী - যাদের সাথে আল-কায়েদার সম্পর্ক আছে। ইন্দোনেশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জঙ্গী হামলা হয়েছিল ২০০২ সালে বালিতে, যাতে ২০০ লোক নিহত হয়। ওই আক্রমণের জন্য জেমা ইসলামিয়াকে দায়ী করা হয়। “আমার ভাইয়েরা বালি দ্বীপের পর্যটন এলাকার কেন্দ্রস্থলে বোমা আক্রমণটি চালিয়েছিল। এটা ছিল একটা বড় আকারের বোমা।“ ওই গোষ্ঠীটি ইন্দোনেশিয়ায় বড় বড় হোটেল এবং কিছু পশ্চিমা দেশের দূতাবাসে আরো কয়েকটি বোমা হামলা চালায়। গোষ্ঠীটির মূল ঘাঁটি ছিল পূর্ব জাভার লামোগানে আপাতদৃষ্টিতে নিভৃত একটি গ্রাম টেঙ্গুলুনে। এখন অবশ্য আলি ফৌজির মিশন একেবারেই অন্যরকম। তিনি সাবেক জিহাদিদের সহিংসতার জীবন ত্যাগের কাজে সহায়তা করেন। তা ছাড়া দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার জঙ্গী গ্রুপগুলোতে নতুন ছেলেরা যেন যোগ না দেয় – সে জন্যও কাজ করেন তিনি। আলি ফৌজি বলছেন, “বাস্তবতা হলো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে নতুন লোক নিয়ে আসার কাজটা অনেক সহজ। “তাদের শুধু একটা ট্রিগার টিপতে হয়, আর অনেক লোক তাদের সাথে যোগ দেয়। কিন্তু ডি-র‍্যাডিক্যালাইজেশন বা উগ্রপন্থা থেকে মানুষকে সরিয়ে আনতে সময় লাগে অনেক। এটা করতে হয় ধাপে ধাপে।“ আলি ফৌজিকে তার এই নতুন মিশনের জন্য ব্যক্তিগতভোবে অনেক চড়া ‍মূল্য দিতে হচ্ছে। “আমাকে যে ঝুঁকি নিতে হচ্ছে তা অত্যন্ত তীব্র। শুধু মৌখিক আক্রমণ নয়, রয়েছে হত্যার হুমকি। কিন্তু সত্যি বলতে কি আমি ভয় পাই না – কারণ আমি জানি আমি যা করছি তা সঠিক। আমি এ কাজ করার জন্য যে কোন সময় মরতে প্রস্তুত।“ বালিতে ২০০২ সালের বোমা হামলায় বিধ্বস্ত নাইটক্লাব । কীভাবে জঙ্গী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিলেন আলি ফৌজি? আলি ফৌজি আর তার ভাইয়েরা জঙ্গী গোষ্ঠীতে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন মোবাইল ফোনে বিদেশের নানা যুদ্ধের ভিডিও দেখে। জাভার নিভৃত গ্রামে বসে তারা দেখতেন আফগানিস্তান, বসনিয়া আর ফিলিস্তিনের যুদ্ধের ভিডিও। ‍“আমরা দেখতাম বেসামরিক লোকদের ওপর বর্বর আক্রমণের ভিডিও। আমি চাইতাম অত্যাচারীদের হাত থেকে মুসলিম জনগণকে রক্ষা করার জন্য জিহাদ করতে। তখন বয়স কম, রক্ত গরম। আমি চাইতাম পাল্টা লড়াই করতে।“ আলি ফৌজির ভাইয়েরা মুজাহিদীনের হয়ে যুদ্ধ করতে গেলেন আফগানিস্তানে। আলি ফৌজি দেশ থেকে বেশি দূরে যান নি। তিনি যোগ দিলেন দক্ষিণ ফিলিপিনে একটি মুসলিম আবাসভূমি প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াইরত ইসলামী জঙ্গিদের সাথে। “আমি আসলেই চেয়েছিলাম যেন সেখানে আমার মৃত্যু হয়। আমি সব সময়ই আমার মৃত্যুর কথা কল্পনা করতাম” – বলেন তিনি। “আমি বিশ্বাস করতাম আমার যদি যুদ্ধে মৃত্যু হয় তাহলে আমি সোজা বেহেশতে চলে যাবে এবং ফেরেশতাদের সাথে আমার দেখা হবে। আমাদের ওস্তাদরা একথাই আমাদের প্রতিদিন বলতেন।“ দেশে ফেরার পর কী করলেন তারা আলি ফৌজির ভাইয়েরা দেশে ফেরার পর তারা বিদেশে যা শিখেছিলেন - তা প্রয়োগ করতে শুরু করলেন । ২০০২ সালের অক্টোবর মাসে বালির কুটা এলাকায় নাইটক্লাবগুলো লক্ষ্য করে দুটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় যে দলটি – তাতে ছিলেন তারা। এই দ্বীপটি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল। ‍“আমি টিভিতে সেই ঘটনা, এবং এত বেশি মৃতদেহ দেখে স্তম্ভিত হলাম” বললেন আলি ফৌজি – “এ ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ সরাসরি আমাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে পড়লো।“ তার দুই ভাই আলি গুফরন এবং আমরোজির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হলো ওই ঘটনায়। তৃতীয় ভাই আলি ইমরনের হলো যাবজ্জীবন কারাদন্ড। আলি ফৌজির তৃতীয় ভাই আলি ইমরন। বালির বোমা হামলার জন্য তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। আলি ফৌজি জোর দিয়ে বলেন, তিনি বালির বোমা হামলায় জড়িত ছিলেন না। তিনি অন্য কয়েকটি সন্ত্রাস-সম্পর্কিত অপরাধের জন্য তিন বছর জেল খাটলেন। আর সে সময়ই তার জীবন নাটকীয়ভাবে নতুন এক দিকে মোড় নিল। বোমা হামলার শিকারদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ “পুলিশ আমার সাথে খুবই মানবিক আচরণ করেছিল। যদি তারা আমার ওপর অত্যাচার করতো তাহলে হয়তো আমার পরের সাত প্রজন্ম ইন্দোনেশিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতো'' – বলছেন আলি ফৌজি। ‍“আমরা পুলিশকে ঘৃণা করতাম। মনে করতাম, ওরা সাক্ষাৎ শয়তান। এভাবেই আমাদের শেখানো হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। তখনই আমার পুরো দৃষ্টিভঙ্গী একেবারেই পাল্টে গেল।“ তার দলের চালানো আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন যারা – তাদের সাথে দেখাও করেছিলেন আলি ফৌজি। “আমি কেঁদেছিলাম। আমাদের বোমায় যে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছিল তা দেখে আমার মন ভেঙে গিয়েছিল। তার পরই আমার মধ্যে যুদ্ধের দূত থেকে পরিবর্তিত হয়ে একজন শান্তির যোদ্ধায় পরিণত হবার ইচ্ছে তৈরি হয় ।“ শান্তি চক্র টেংগুলুন গ্রামের প্রধান মসজিদে থেকে মাগরেবের আজান হচ্ছে। মাসজিদের পাশে একটি চারকোণা খালি জায়গা। সেখানেও পেতে দেয়া হলো জায়নামাজ। এই জায়গাটির পাশেই ‌ ‘শান্তি চক্রের’ অফিস। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সাল থেকে গড়ে তুলছেন আলি ফৌজি। তার উদ্দেশ্য উগ্রপন্থা থেকে মানুষকে ফিরিয়ে আনা। আজকের নামাজে ইমাম হচ্ছেন বালির বোমা হামলার শিকার হওয়া দুজন। তাদেরকে সম্মানিত অতিথি করে নিয়ে আসা হয়েছে সেই গ্রামে – যে গ্রাম ছিল সেই আক্রমণের জন্য দায়ী জঙ্গিদের এক সময়কার ঘাঁটি। টেংগুলুন গ্রামে আলি ফৌজির সংগঠনের সভা আলি ফৌজি বলছেন, ‍“আমি প্রায়ই ওই হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের এখানে নিয়ে আসি। কারণ তাদের সাথে সাক্ষাতের মধ্যে দিয়েই আমার মনে পরিবর্তন এসেছিল।“ মঞ্চের পাশে একটি পর্দায় দেখানো হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ায় সকল বোমা হামলার পরের ভয়াবহ ধ্বংসলীলার ভিডিও। এই সভা প্রকৃতপক্ষেই নজিরবিহীন। কারণ এতে আগতদের মধ্যে আছে পুলিশের লোকেরা – যারা এই গ্রামের লোকদের গ্রেফতার করেছেন। আবার সেই লোকেরাও আছেন যারা সন্ত্রাসের দায়ে জেল খেটেছেন। তারা এখানে এসে শুনছেন সেই বোমা হামলাগুলোর শিকারদের কথা। অশ্রূসজল চোখে তারা বর্ণনা করছেন তাদের মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার কথা। শ্রোতাদের মধ্যে একজন হলেন ৩৩ বছর বয়স্ক জুলিয়া মহেন্দ্র। তার বাবা আমরোজি বালির আক্রমণে জড়িত থাকার জন্য মৃত্যুদণ্ড হয়। তার দণ্ড যখন কার্যকর করা হয় তখন জুলিয়া মহেন্দ্র ছিলেন ১৬ বছরের কিশোর। আমরোজিকে সংবাদমাধ্যম নাম দিয়েছিল ‘সহাস্য ঘাতক” –কারণ বিচারের সময় তার মধ্যে কোন গ্লানি দেখা যায়নি, তিনি হাসছিলেন এবং মৃত্যুদণ্ড নিয়েও তার কোন চিন্তা ছিল না। সভার পর জুলিয়া মহেন্দ্র বোমা হামলার দুই শিকারের সাথে কথা বললেন। তাদের আলিঙ্গন করলেন, হাত ধরলেন, বার বার দু:খ প্রকাশ করলেন। তিনি বলছেন,‍ “আমি দু:খ প্রকাশ করছি এই জন্য নয় যে আমি কোন অপরাধ করেছি। কিন্তু তিনি ছিলেন আমার বাবা, এবং এই লোকেরা আমার পরিবারের একটা কাজের শিকার। আমার দায়িত্ব আছে আমার বাবার পক্ষ থেকে দু:খ প্রকাশ করার। “ মহেন্দ্র পিতার মৃত্যুদন্ডের প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন জুলিয়া মহেন্দ্রর জীবনও বিস্ময়কর সব পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গেছে। জুলিয়া মহেন্দ্র। তার বাবা আমরোজির মৃত্যুদন্ড হয়েছে ২০০২ সালের বালি বোমা হামলার জন্য ‍“আমার বাবার যখন মৃত্যুদন্ড কার্যকর হলো –তখন আমি চেয়েছিলাম প্রতিশোধ নিতে। আমিও চেয়েছিলাম বোমা বানানো শিখতে“ – স্বীকার করলেন তিনি। “কিন্তু সময়ের বিবর্তনে এবং আমার দুই চাচা আলি ফৌজি এবং আলি ইমরনের উপদেশ-পরামর্শে আমি ধীরে ধীরে উপলব্ধি করলাম - সেটা হবে ভুল পথ। আমি তথন সন্ত্রাসীদের মধ্যে পরিবর্তন আনার যে প্রকল্প তারা শুরু করেছেন তাতে যোগ দিলাম।“ মহেন্দ্র বলছেন. “‍আমি অনেক পথ পেরিয়ে এখানে এসে পৌঁছেছি। কিন্তু এখন আমি বুঝতে পেরেছি যে জিহাদ মানে যুদ্ধ করা বা মানুষ হত্যা নয়। নিজের পরিবারের জন্য পরিশ্রম করাটা জিহাদ হতে পারে।“ মহেন্দ্র বলছেন একদিন রাতে তার ঘুমন্ত শিশুপুত্রের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে তার চোখে জল আসে, তিনি তার নিজের পিতার কথা ভাবতে থাকেন। তিনি বলছেন “আমি যার ভেতর দিয়ে গেছি – আমি চাই না আমার ছেলে তার মধ্যে দিয়ে যাক। আমি যদি আমার বাবার পথ নিতাম তাহলে আমার সন্তান পরিত্যক্ত হতো। আমি বুঝেছিলাম, সত্যিকার জিহাদ হবে তাদের যত্ন নেয়া, সুরক্ষা দেয়া।“ তবে মহেন্দ্র বলেন তার কিছু বন্ধু ইন্দোনেশিয়ার কয়েকটি জঙ্গি গ্রূপে যোগ দিয়েছে – যাদর সাথে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর কিছু যোগাযোগ আছে। “কেন লোকে ওই পথে যায় তার অনেক কারণ আছে। তার অর্থনৈতিক অবস্থা, করার মতো কিছু না থাকা, তাদেরকে কি শেখানো হয়েছে, কারা তাদেরকে প্রভাবিত করেছে – এমন অনেক কিছু।“ জেলে বন্দীদের মধ্যেও কাজ করেন আলি ফৌজি লামোঙ্গান কারাগারের দরজায় টোকা দিলেন আলি ফৌজি। তার পরিচিত জায়গা এটি। এখানে তিনি প্রায়ই আসেন তার পরিবারের কারাভোগরত সদস্যদের সাথে দেখা করতে। তবে শুধু তাই নয়, নতুন বন্দীদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেবার জন্যও কাজ করেন তিনি। “উগ্রপন্থা থেকে মানুষকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমি যেভাবে কাজ করি তা কোন তত্ত্বের ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়। আমি কাজ করি আমার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে।“ “আমি একজন যোদ্ধা এবং সন্ত্রাসী ছিলাম। তাই আমি এখানে আসি তাদের একজন বন্ধু হিসেবে।“ এ জন্য বাধারও সম্মুখীন হয়েছেন আলি ফৌজি। যেহেতু তিনি পুলিশের সাথে কাজ করেন , তাই কিছু লোক তাকে দেখে একজন বিশ্বাসঘাতক হিসেবে। “তারা বলে, আমি পুলিশ বা তারা রক্ষীদের চাইতেও বড় কাফির। অনলাইনে আমাকে নিয়মিত গালাগালি করা হয়, ফোনে হুমকি দেয়া হয়। কিন্তু তাতে কিছু এসে যায় না। আমি এটা সামলাতে পারি।“ আলি ফৌজি বলছেন, ২০১৬ সাল থেকে তার প্রতিষ্ঠান ৯৮ জনের সাথে কাজ করেছে, এবং তার মধ্যে দু‌জন জেল থেকে বেরিয়েই আবার জঙ্গি তৎপরতায় যোগ দিয়েছে। “উগ্রপন্থা থেকে ফিরিয়ে আনা সহজ নয় কারণ আমাদের মানুষের আবেগ এবং চিন্তাধারা নিয়ে কাজ করতে হয়। তাই আপনাকে সঠিক ওষুধ দিতে হবে, এবং এ ক্ষেত্রে আমরা কখনো কখনো ভুল করি। “ সুমার্নো জেমা ইসলামিয়ার অস্ত্রশস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলেন তবে কখনো কখনো তারা সফলও হন। সুমার্নো হচ্ছেন – আলি ফৌজির ভাষায় - তাদের একটি সাফল্যের কাহিনি। সুমার্নোর কাহিনি সুমার্নো আমাকে তাদের গ্রামের বাইরে একটি রাস্তার পাশের শুকনো ক্ষেতে নিয়ে গেলেন। তিনি বললেন – বালি বোমা হামলার পর এখানেই তিনি জেমাহ ইসলামিয়ার অস্ত্রশস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলেন। সুমার্নো তিন বছর জেল খাটার পর আলি ফৌজির সহায়তা নিয়ে একটি ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেন। এটি একটি ছোট ট্রাভেল কোম্পানি – যা ইন্দোনেশিয়া থেকে হজযাত্রীদের মক্কায় নিয়ে যাবার প্যাকেজ দেয়। গ্রাম থেকে গাড়িতে ২০ মিনিট দূরের পাসিরানে তাদের অফিস। সুমার্নো বলছেন, তিনি এ ব্যবসার মাধ্যমে সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দিতে চান এবং তার সহিংসতার জীবন পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চান। তিনি বলছেন, প্রথম দিকে তিনি তার মক্কেলদের তার অতীতের কথা বা এমনকি কোন গ্রামে তার জন্ম – তাও বলতেন না। তবে এখন তিনি আর এসব কথা গোপন করেন না। ‍“আমি লোককে আমি বলি, আমি আলি গুফরন আর আমরোজির সম্পর্কীয় ভাই – যাদের বালির বোমা হামলার জন্য মৃত্যুদন্ড হয়েছে। একথাও বলি যে আমি তাদের দলে ছিলাম - কিন্তু আল্লাহকে ধন্যবাদ যে আমি সেই নষ্ট চিন্তা থেকে মুক্ত হয়েছি। সেই আমিই আপনাদের মক্কা যাত্রার গাইড।“ ‘আফটার-স্কুল‌’ ক্লাব এই গ্রামের মসজিদের পাশে একটি ঘরে ছেলেমেয়েরা তাদের স্কুলের সময় শেষ হয়ে যাবার পরও কোরান শিক্ষার ক্লাস করে। এখানে যারা আসে তাদের কারো কারো পিতামাতা সন্ত্রাসের অভিযোগে জেলে আছে। এই স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে আছেন আলি ফৌজির স্ত্রী লুলু, আর আলি ইমরনের স্ত্রী জুমরোত্তিন নিসা। লুলু বলেন, তারা এই ছেলেমেয়েদের শেখান যে পৃথিবীর সবাই এক মতবাদে বিশ্বাস করে না। আফটার-স্কুল কার্যক্রম চালাচ্ছেন লুলু ফৌজি ‍“আমাদের গ্রামে এমন অনেকে আছে যারা মুসলিম নয়, এবং যতক্ষণ তারা আমাদের ধর্মে হস্তক্ষেপ না করছে – ততক্ষণ আমাদের তাদেরকে সম্মান করতে হবে ।“ তবে লুলু বলছেন, তারা সবাইকে বোঝাতে পারেননি। “আমাদের নতুন মিশনের পক্ষে বা বিপক্ষেও অনেক লোক আছে। যারা এখনো জঙ্গি তারা আমাদের পছন্দ করে না। তারা আমাদের সাথে দূরত্ব রক্ষা করে। বালির হামলায় বহু নিরপরাধ মানুষ নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে মুসলিমও ছিল। এটা আমাদের গোষ্ঠীর মধ্যে পরিবর্তন এনেছে, তবে অনেকে আছে যারা বদলায়নি।“ পূর্ব জাভার গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলা গত বছর মে মাসে পূর্ব জাভার তিনটি গির্জায় আক্রমণ চালায় আত্মঘাতী হামলাকারী একটি পুরো পরিবার। একটি গির্জায় হামলা চালায় পরিবারটির পিতা। আরেকটিতে তার দুই পুত্র। আর তৃতীয়টিতে বিস্ফোরণ ঘটায় তার স্ত্রী এই ১২ ও ৯ বছরের দুই কন্যা। তারা ছিল জামাহ আরসারুত দাওলা (জে এ ডি) নামে একটি নেটওয়ার্কের সদস্য যাদের সাথে আইএসের যোগাযোগ আছে। জে এ ডি ইন্দোনেশিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। লুলু ফৌজি বলছিলেন, নারীরা এরকম আক্রমণে অংশ নিচ্ছে এটা দেখে তিনি স্তম্ভিত হয়েছেন। “আমার স্বামী সন্ত্রাসের জন্য কারাভোগরতদের সুপথে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে, অনেক ক্ষেত্রে সফল হয়েছে। কিন্তু কিছু লোক এখনো উগ্রপন্থীই আছে, আমরা কখনো এটা সম্পূর্ণ দূর করতে পারবোনা।“ গ্রামের পথ দিয়ে গাড়িতে যাবার সময় আলি ফৌজির ফোনে একের পর এক কল আসছিল। একবার তিনি কথা বললেন, সন্ত্রাসের দায়ে জেল খেটে ছাড়া পাওয়া একজনের সাথে – যে একটা থাকার জায়গা পাবার জন্য সহায়তা চাইছে। আরেকজন মহিলা ফোন করে বললেন, তার ছেলেকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। “আমাদের এলাকার বেশ কিছু লোক সিরিয়া ও ইরাকে আইএসের হয়ে যুদ্ধ করতে গেছে। ক’দিন আগে একজন আইএস সদস্যকে পুলিশ আটক করেছে। এর অর্থ – তারা আছে এবং তারা ইন্দোনেশিয়ার জন্য হুমকি। “ আলি ফৌজি বলছেন, উগ্রপন্থা এবং অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে একটা লড়াই চলছে। “ আমরা যদি পরিশ্রম করি এবং এলাকার মানুষদের আমাদের পাশে পাই তাহলে এখনো আমি এ যুদ্ধে জয়ী হবার আশা করি।“
"I am an expert bomb maker. I can make bombs in just five minutes."
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
জুম্বা নাচ বন্ধ করতে সরকারকে চিঠি দিয়েছে ইরানের একটি ক্রীড়া ফেডারেশন ইরানের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে এক চিঠি দিয়ে 'স্পোর্টস ফর অল' নামের ফেডারেশনকে বলেছে, জুম্বা নাচ সহ কিছু কর্মকান্ড ইসলামিক আদর্শের বিরোধী - এগুলো বন্ধ করে দেয়া হোক। ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ফেডারেশন ইরানের একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং তারা দেশটি বিভিন্ন প্রদেশে বিভিন্ন খেলার ক্ষেত্রে কাজ করে। তারা ওই চিঠিতে লিখেছিল: 'জুম্বা'র মতো কিছু কর্মকান্ডের মধ্যে 'শরীরের ছন্দময় নড়াচড়া এবং নাচের ভঙ্গিমা রয়েছে' - যা কোনো নামেই চলতে পারে না। তাদের প্রেসিডেন্ট আলি মাজদারার কথায়, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে সর্বোচ্চ ইসলামী আদর্শ এবং ইরানের ইসলামী প্রজাতন্ত্রের ক্রীড়া কাঠামোর ভেতরে থেকেই অ্যাথলেটিকসের উন্নয়ন ঘটানো। চিঠিটির একটি কপি অনলাইনে প্রকাশ করে ইরানের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তবে আন্তর্জাতিক স্পোর্টস ফর অল এসোসিয়েশন 'তাফিসা' বলেছে, ইরানের ফেডারেশনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তাদের কোন কথা বলার ক্ষমতা নেই। এই চিঠির খবর বেরুনোর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ব্যাপক সমালোচনা করেন অনেক ইরানি। টুইটারে একজন মন্তব্য করেন, এই চরমতম 'দায়েশী'(ইসলামিক স্টেট গ্রুপের একটি নাম) খবরের জন্য ফেডারেশনটির অস্কার পাওয়া উচিত। আরেকজন টুইটারে লেখেন: "এতদিন ইসলামের প্রতি হুমকি ছিল হিজার না পরা, মেয়েদের মাঠে গিয়ে খেলা দেখা, গানের অনুষ্ঠান করা, বা মেয়েদের হাত-পায়ের লোম তুলে ফেলা। এবার তার সাথে যোগ হলো - 'জুম্বা'।" তেহরানের একটি জিমের ম্যানেজার একটি সংবাদপত্রকে বলেন, আমরা ইরানে ১২-১৩ বছর ধরে জুম্বা নাচ শিখিয়ে আসছি। তারা যদি এটা নিষিদ্ধ করে, তাহলে আমরা অন্য নাম দিয়ে এটা আবার চালু করবো। এটা খুবই লাভজনক, তাই স্পোর্টস ক্লাবগুলো একে উপেক্ষা করতে পারে না। ইরানে মেয়েদের জন্য পুরুষদের ফুটবল ম্যাচ দেখতে যাওয়া নিষিদ্ধ। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: নিউইয়র্কে কূটনীতিক গ্রেপ্তার: বাংলাদেশের প্রতিবাদ বাংলাদেশে পাহাড় ধসে নিহতের সংখ্যা এখন ১২৫ দুধ-সংকট কাটাতে বিমানে কাতার যাচ্ছে ৪ হাজার গরু 'ইরান ও তুরস্কের খাবার সৌদি আরবের চেয়ে ভালো'
A call made by a local sports federation to ban Zumba dance classes across Iran has angered many online.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
তাসলিমা ওয়ানি তার ছেলেকে শেষ দেখেছেন এক বছর আগে ৬ই আগস্ট রাতে তাসলিমা ওয়ানি আর তার পরিবার ছিলেন গভীর ঘুমে। হঠাৎ দরোজায় জোরে জোরে ধাক্কার শব্দে তারা জেগে উঠলেন। তার আগের দিন দিল্লিতে ভারত সরকার এমন এক ঘোষণা দিয়েছেন, যা পুরো দেশকে স্তম্ভিত করেছে। যে সাংবিধানিক ধারাবলে জম্মু এবং কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছিল, সেটি সরকার বাতিল করে। জম্মু এবং কাশ্মীর রাজ্যকে দুই ভাগে ভাগ করে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। পুরো কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে এক অভূতপূর্ব কারফিউ জারি করে বন্ধ করে দেয়া হয় সব ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাসলিমা ওয়ানির বাড়িতে যারা এসেছিল, তারা সেনাবাহিনী আর পুলিশের এক যৌথ দল। "ওরা চিৎকার করে আমাদের দরোজা খুলতে বলছিল। আমরা ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম", বলছিলেন তিনি। "ওরা আমাকে ঘরের ভেতরে পাঠিয়ে দিল। তারপর আমার দুই ছেলেকে ঘরের বাইরে নিয়ে গেল। ওদের ১৫ মিনিট ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলো। তারপর ওরা চলে গেল।" কিন্তু পরে আবার তারা ফিরে এলো। এবার তারা বড় ছেলে ১৯ বছরের নাদিমকে বললো, এক প্রতিবেশির বাড়ি চিনিয়ে দেয়ার জন্য তাদের সঙ্গে যেতে হবে। সেটাই ছিল ছেলের সঙ্গে তাসলিমা ওয়ানির শেষ দেখা। নাদিমকে একটি পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে আটক করা হয়। এরপর পাঠিয়ে দেয়া হয় এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরে উত্তর প্রদেশ রাজ্যের এক জেলখানায়। এক বছর ধরে কাশ্মীরে অবরুদ্ধ অবস্থা চলছে নাদিম ওয়ানি সম্পর্কে ভারতীয় পুলিশের একটি গোপন ফাইল বিবিসি দেখেছে। এটিতে নাদিম ওয়ানিকে একজন 'ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার' বা প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মী বলে বর্ণনা করা হয়েছে। কাশ্মীরের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর যেসব সদস্য সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত নয়, কিন্তু অন্যান্য কাজে সাহায্য করে, তারাই হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর ভাষায় 'ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার।' নাদিম ওয়ানির বিরুদ্ধে আরও যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে আছে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়ে পোস্টার লাগানো। সেসময় নাদিমের বয়স ছিল ১৫। তাসলিমা ওয়ানি বলেন, "আমি আমার ছেলেকে জানি। ও চরমপন্থী নয়। ও কখনো কোন বেআইনি কাজে অংশ নেয়নি। আমি সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, দয়া করে আমার ছেলেকে মুক্তি দিন।" মিসেস ওয়ানির স্বামী মোহাম্মদ আশরাফ ওয়ানি গত এক বছরের মধ্যে মাত্র একবার জেলে তার ছেলেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন। নাদিমের মতো আরও হাজার হাজার কাশ্মীরি এভাবে জেলখানায় বন্দী হয়ে আছে। গত বছরের ৫ই আগস্টের আগে শুরু হওয়া এক ব্যাপক নিরাপত্তা অভিযানে তাদের ধরা হয়। এই অভিযান অব্যাহত ছিল কয়েক সপ্তাহ ধরে। রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, অ্যাক্টিভিস্ট থেকে শুরু করে যাদের বিরুদ্ধেই কোন প্রতিবাদ-বিক্ষোভে যোগ দেয়ার অভিযোগ আছে, বা চরমপন্থীদের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করা হয়, তাদেরকেই ধরা হয়েছে। কাউকে ধরে জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। অনেককে গৃহবন্দী করা হয়েছে। কাশ্মীরের তিনজন সাবেক মুখ্যমন্ত্রীকেও আটক করা হয়। তাদের একজন এখনো গৃহবন্দী। ভারত সরকারের এই পদক্ষেপ স্বদেশে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। কিন্তু ভারত সরকার দাবি করে, কাশ্মীর অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এর দরকার আছে। কারণ সেখানে সম্প্রতি চরমপন্থীদের তৎপরতা বেড়েছে। হাজার হাজার কাশ্মীরিকে আটক করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের জেলখানায় পাঠিয়ে দেয়া হয় নাদিম সহ অনেক কাশ্মীরিকেই আটক করা হয়েছিল বিতর্কিত এক জননিরাপত্তা আইন, পাবলিক সেফটি এ্যাক্টে (পিএসএ)। এই আইনে কোন অভিযোগ না এনেই কাউকে দুবছর পর্যন্ত আটক রাখা যায়। এই ব্যাপক অভিযানে গত কাশ্মীরিকে আটক বা কারাবন্দী করা হয় তা স্পষ্ট নয়। গত বছরের ২০শে নভেম্বর সরকার পার্লামেন্টে জানিয়েছিল, আগস্টের ৪ তারিখ হতে তারা মোট ৫ হাজার ১৬১ জনকে গ্রেফতার করে। এদের কতজনের বিরুদ্ধে পাবলিক সেফটি অ্যাক্টে অভিযোগ আনা হয়েছে বা কতজন এখনো বন্দী তা জানা যায়নি। 'নিখোঁজ' হয়ে যাওয়া কাশ্মীরিদের বাবা-মায়েরা মিলে গড়ে তুলেছেন একটি নাগরিক সংগঠন । আদালতের যেসব নথি তারা সংগ্রহ করেছেন, তাতে দেখা যায়, ২০১৯ সালে পাবলিক সেফটি অ্যাক্টে আটক কাশ্মীরিদের আটকাদেশ চ্যালেঞ্জ করে মোট ৬৬২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৪১২টিই করা হয় ৫ই আগস্টের পর। কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় কুমারের কাছে বিবিসি এধরণের গ্রেফতারের তথ্য জানতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন, 'এরকম স্পর্শকাতর তথ্য' তার পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে কাশ্মীরিদের বিক্ষোভ কাশ্মীরের মানবাধিকার কর্মীদের ধারণা, এসব গণগ্রেফতার এবং আটক করার ঘটনা সেখানকার মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে করা। শ্রীনগরের একজন মানবাধিকার কর্মী পারভেইজ ইমরোজ বলেন, "এসব গ্রেফতারের উদ্দেশ্য জনগণকে চুপ করিয়ে দেয়া। অনেককেই ধরা হয়েছে পাবলিক সেফটি অ্যাক্টে। কাউকে কাউকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা ভয় ছড়িয়ে দিতে পেরেছে। সরকার এটা নিশ্চিত করতে চেয়েছিল কেউ যেন তাদের বাড়ি ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে নতুন আইনের প্রতিবাদ না করে।" একই কথা বললেন শ্রীনগরের সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার হারুন রেশি। "৫ই আগস্ট যা করা হয়েছিল, তা এক বিরাট ঘটনা। ভারত সরকার জানতো এটা কাশ্মীরে গণঅসন্তোষ তৈরি করবে। তারা এর বিরুদ্ধে কোন প্রতিক্রিয়া শোনা যাক, সেটা তারা চায়নি", বলছেন তিনি। আরও পড়ুন: ভারতশাসিত কাশ্মীর কতটা বদলেছে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর? কঠিন এক বাস্তবতার মুখোমুখি কাশ্মীর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেভাবে হুমকি হতে পারে ভারত কাশ্মীরে কি এখন 'ঝড়ের আগের শান্ত অবস্থা' চলছে? বন্দী দশা থেকে যারা মুক্তি পেয়েছেন, তারা বলছিলেন, আটক থাকার সময় তাদের কী যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। কাশ্মীরের একটা আঞ্চলিক অনলাইন পত্রিকা 'কাশ্মীরিয়াত।' এটির সম্পাদক কামার জামান কাজি জানান, কয়েকটি 'টুইট‌' করার ব্যাখ্যা চেয়ে তাকে একবার তলব করা হয়। এর কদিন পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলখানায় বন্দী থাকার পুরো সময় ধরে এই একটি শার্টই পরে ছিলেন কামার জামান কাজি ৫ই আগস্টের আগে পুরো কাশ্মীর অঞ্চলে ব্যাপক সৈন্য সমাবেশ ঘটানো হচ্ছিল। সরকার তখনো কোন ইঙ্গিত দেয়নি, কী ঘটতে চলেছে। পুরো অভিযানটির প্রস্তুতি চলছিল খুবই গোপনে। ২৬শে জুলাই কামার জামান কাজি একটি টুইট করেন, যাতে তিনি এই সৈন্য চলাচল নিয়ে কথা বলেন। তার টুইটটি স্থানীয় পুলিশের নজরে পড়ে। এরপর তাকে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন তাকে আটক করা হয়। ৮ই আগস্ট তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় ভারত শাসিত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের কেন্দ্রীয় জেলে। "সেখানে আমাদের উলঙ্গ করে করে রাখা হয়। আমরা বাধা দেয়ার চেষ্টা করি, কিন্তু পারিনি", বলছিলেন তিনি। মিস্টার কাজি জানান, সেখানেই তাকে বলা হয়েছিল, পাবলিক সেফটি অ্যাক্টে তাকে আটক করা হয়েছে। তাকে এখন উত্তর প্রদেশের বেরিলি জেলে পাঠিয়ে দেয়া হবে। "ওরা যখন আমাদের সামরিক বিমানে তুলছিল, তখন আমরা উর্দূ কবি ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের সেই প্রতিরোধের কবিতা আবৃত্তি করছিলাম, 'হাম দেখেঙ্গে।' মিস্টার কাজির পরিবার জানতেন না, তাকে কোথায় রাখা হয়েছে। তারা কাশ্মীরের চারটি জেলখানায় ঘুরে তার খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাদের ৫২দিন লেগেছিল মিস্টার কাজির হদিস পেতে। যখন তারা কামার জামান কাজিকে খুঁজে পেলেন, দেখলেন, তার পরনে তখনো সেই শার্টটি, যেটি পরে তিনি থানায় পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন। একজন ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট তার বিরুদ্ধে জারি করা আটকাদেশটি প্রত্যাহার করে নেয়ার পর মিস্টার কাজি মুক্তি পেয়েছেন। তিনি আমাকে জেলখানায় পরা সেই টি শার্টটি দেখাছিলেন। সেটির জীর্ণ অবস্থা, ১১৯ টি ছিদ্র সেটিতে। "সবচেয়ে বাজে ব্যাপার ছিল, আমি বার বার অনুরোধ করার পরও জেলখানায় ওরা আমাকে কোন কাগজ-কলম দেয়নি। নয় মাস ধরে যে যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে আমি গিয়েছি, সেগুলো আমি লিখতে চেয়েছিলাম।" এ সপ্তাহের শুরুতে মিস্টার কাজিকে আবার গ্রেফতার করা হয়েছে একটি রিপোর্ট লেখার জন্য। কর্তৃপক্ষ তার পরিবারকে বলেছে, ৬ই আগস্টের পর যখন কারফিউ তুলে নেয়া হবে, তখন যেন তারা জামিনের আবেদন করে। পুরো কাশ্মীর জুড়ে হাজার হাজার পরিবার তাদের প্রিয়জনের নিরাপত্তা নিয়ে এখনো উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে করোনাভাইরাস মহামারির পর। সারা বেগম আশা করছেন তার ছেলেরা করোনাভাইরাসে মারা যাওয়ার আগে অন্তত তিনি তাদের একবার দেখতে পাবেন এরকম একটি পরিবারের মা সারা বেগম। তার ছেলে ওয়াসিম আহমদ শেখ গত বছরের ৮ই আগস্ট হতে জেলে বন্দী। সেদিন তিনি থানায় গিয়েছিলেন পুলিশের সঙ্গে দেখা করতে। তার আগের দিন পুলিশ ওয়াসিমদের বাড়িতে এসেছিল তার সন্ধানে। তার বিরুদ্ধে পুলিশের দিকে ঢিল ছোঁড়া এবং চরমপন্থীদের সাহায্য করার অভিযোগ আনা হয়। আটক করার পর ওয়াসিমকেও বহু দূরে উত্তর প্রদেশের এক জেলখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকে এখনো পর্যন্ত পরিবারের কেউ ওয়াসিমকে দেখেননি। মা সারা বেগমের আশংকা, তিনি বা তার ছেলে দুজনের কেউ একজন হয়তো করোনাভাইরাসে মারা যাবেন, তার আগে মা-ছেলের মধ্যে আর দেখা হবে না। "আমরা দুজন এক সঙ্গে মরতে চাই। আমার আদরের সন্তানকে আমি গত ১১ মাসে একবারও দেখিনি", কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন তিনি। "আমি সরকারের কাছে আবেদন করছি, তারা আমার ছেলেকে যদি মুক্তি দিতে নাও চায়, তাকে যেন অন্তত কাশ্মীরের কোন জেলখানায় নিয়ে আসে।"
India's federal government detained thousands of people ahead of a controversial move to strip the state of Jammu and Kashmir of its semi-autonomous status on 5 August 2019. One year later, many of them have been charged with serious offences and are still languishing in jails across India. BBC Hindi's Majid Jahangir reports.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সরে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স-৮ অথচ বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স-৮কে বাণিজ্যিকভাবে মাত্র ২০১৭ সাল থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে। গত বছর অক্টোবর মাসে লায়ন এয়ার বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স-এর একটি বিমান ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। সেই ঘটনায় প্রাণ হারায় ১৮৯ জন। অথচ এই বিমানটির বয়স তিন মাসেরও কম ছিল। একইরকমভাবে ইথিওপিয়ায় বিমানটিও উড়াল দেয়ার কয়েক মিনিটের মাথায় বিধ্বস্ত হয়। আরও পড়তে পারেন: ইথিওপিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, 'বেঁচে নেই কেউ' বিমান ছিনতাই চেষ্টা নিয়ে কর্তৃপক্ষের যত বক্তব্য বিমান থেকে চালানো হামলার জায়গা নিয়ে বিভ্রান্তি কীসের? বিমানটি অন্য বিমান থেকে কিভাবে আলাদা? জাকার্তা ভিত্তিক এভিয়েশন বিশ্লেষক গেরি সোয়জাতমান বিবিসিকে বলছিলেন, বোয়িং ৭৩৭ এর উইং এর তুলনায় সেটির ইঞ্জিনটা অপেক্ষাকৃত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন। বিষয়টি বিমানের ভারসাম্যের উপরে প্রভাব ফেলে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি কমিটি ইঙ্গিত করেছিল যে, বিমানে যদি কোনও গোলযোগ ঘটে তাহলে সেই বার্তা পাইলটকে জানাতে বিমানের কোনও একটি সেন্সরকে সংকেত দিতে হয়। কিন্তু এই বিষয়টিতেই কিছুটা ঝামেলা ছিল। ৭৩৭ এর মডেলের বিমানের সেন্সর এবং এর সাথে সম্পৃক্ত সফটওয়ার তার আগের মডেলের চেয়ে আলাদা ছিল। কিন্তু সেন্সরের এই বিষয়টি নিয়ে পাইলটকে কিছুই জানানো হয়নি। তবে, ইন্দোনেশিয়ায় বিমানটি কেন বিধ্বস্ত হয়েছিল তার চূড়ান্ত কারণ এখনো জানা যায়নি। ইথিওপিয়ার ঘটনার পর এভিয়েশনের সাথে সম্পৃক্তরা বলছেন, এই সেন্সর ইস্যুটি সম্পর্কে নিশ্চয়ই পাইলটকে আগে থেকেই অবহিত করা হয়েছিল। কিন্তু, ইথিওপিয়ার বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেও সেন্সর ইস্যুর মতন কিছুই ঘেঁটেছে কিনা তা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছুই জানা যায়নি। এভিয়েশন বিশ্লেষক জন স্ট্রিকল্যান্ড বলেছেন, এই এয়ারক্রাফটটি ছিল একেবারে নতুন। ইন্দোনেশিয়ায় বিধ্বস্ত বিমানটি যে ধরণের ছিল এটিও একইরকম ছিল। তাই এই তথ্যটির দিকে সবাই মনোযোগ নিবদ্ধ করবে। তবে, কেন ইথিওপিয়ার ঘটনাটি ঘটলো - সেই কারণ নির্ণয় করতে আরও ব্যাপক অনুসন্ধানের দরকার আছে বলেও তিনি মনে করেন। বোয়িং এর বক্তব্য কী? রোববারে বোয়িং-এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতি পাঠিয়ে বলা হয়েছে, তাদের টেকনিক্যাল টিম তৈরি আছে। ইউএস ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের অধীনে যে কোনও মুহূর্তে তারা টেকনিক্যাল সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। ইথিওপিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হয় বিপুল মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় তারা শোকও প্রকাশ করেছে। বোয়িং-এর ইতিহাসে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ছিল সবচেয়ে দ্রুত বিক্রি হতে থাকা এয়ারক্রাফট। সারা দুনিয়ার ১০০টি বিভিন্ন অপারেটরের পক্ষ থেকে ৪,৫০০ এয়ারক্রাফটের অর্ডার ছিল। ইথিওপিয়ার দুর্ঘটনার তদন্তের ফল পেলেই রেগুলেটর ও এয়ারলাইন্সগুলো তাদের করণীয় ঠিক করবে।
The Ethiopian Airlines tragedy marks the second fatal crash within five months involving a new type of Boeing aircraft.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার ক্ষণ গণনা করা হয়। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তটি অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টায়। এসময় একদিকে যেমন উদযাপন অনুষ্ঠিত হয় তেমনি বিক্ষোভও করেছে ব্রেক্সিট বিরোধীরা। স্কটল্যান্ডে মোমবাতি জ্বালিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে, স্কটল্যান্ড গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে মত দিয়েছিল। এদিকে লন্ডনের পার্লামেন্ট স্কয়ারে পার্টি করেছে ব্রেক্সিটপন্থীরা। বরিস জনসন প্রতিজ্ঞা করেছেন যে তিনি দেশকে ঐক্যবদ্ধ রেখে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার এক ঘণ্টা আগে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন: "অনেকের জন্য এই মুহূর্তটি বিস্ময়কর আশা জাগানিয়া মূহুর্ত, এমন একটি মুহূর্ত যেটি তারা কখনো আসবে বলে ভাবেনি।" "আর অনেকেই রয়েছে যারা এক ধরণের ক্ষতি এবং শঙ্কা অনুভব করছেন।" "তৃতীয় একটি পক্ষও রয়েছে-আর তাদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি- যারা এটা ভেবে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন যে পুরো এই রাজনৈতিক গোলযোগ কখনো শেষ হবে না।" "আমরা এই সব অনুভূতিই বুঝি এবং সরকার হিসেবে আমাদের দায়িত্বটাও বুঝি-আমার দায়িত্ব হচ্ছে পুরো দেশকে ঐক্যবদ্ধ করে সবাইকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।" তিনি বলেন যে, "ইইউ তার সব শক্তিমত্তা এবং প্রশংসনীয় গুণাবলী দিয়ে গত ৫০ বছরে এমনভাবে বিকশিত হয়েছে যা আর এই দেশের জন্য উপযুক্ত নয়।" সামাজিক মাধ্যমে জাতীর উদ্দেশ্যে এক বার্তা দেন বরিস জনসন "আজ রাতে বলার মতো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে এটাই যে, এটা কোন শেষ নয় বরং শুরু মাত্র," তিনি বলেন এবং "এটি প্রকৃত জাতীয় নবায়ন এবং পরিবর্তনের একটি মুহূর্ত।" যুক্তরাজ্যে এই মুহূর্তটি কেমন ছিল? আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপ ত্যাগের ক্ষণ গণনা চলে এবং পুরো দেশ জুড়ে পাব এবং সামাজিক ক্লাবগুলোতে ব্রেক্সিট পার্টি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রেক্সিট উদযাপন করতে পার্লামেন্ট স্কয়ারে জমা হয় শত শত মানুষ। সেসময় তারা দেশাত্মবোধক গান গায় এবং নাইজেল ফারাজের মতো শীর্ষ ব্রেক্সিটপন্থীদের বক্তৃতায় সমর্থন দিয়ে আনন্দ করে। পার্লামেন্ট স্কয়ারে উল্লাস করে ব্রেক্সিটপন্থীরা ব্রেক্সিট পার্টির নেতা বলেন: "আজ আমরা এমনভাবে উদযাপন করবো যেমনটা এর আগে আর কখনো করিনি।" "এই মহান জাতীর আধুনিক ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় মুহূর্ত।" এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থীরা হোয়াইটহলে বিক্ষোভ করে এবং ইউনিয়নকে "আন্তরিক বিদায়" জানায়। স্কটল্যান্ডে ব্রেক্সিট বিরোধী র‍্যালী এবং মোমবাতি জ্বালিয়ে শোক জানানো হয়। মিশ্র প্রতিক্রিয়ার দিনটিতে আরো যেসব উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড হয়েছে সেগুলো হলো: •ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইউনিয়ন পতাকা সরিয়ে ফেলা হয়। •সান্ডারল্যান্ড-প্রথম শহর যেখান থেকে ২০১৬ সালের গণভোটের সময় ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রথম সমর্থন এসেছিল, সেখানে মন্ত্রীসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। •১০ ডাউনিং স্ট্রিটে একটি লাইট শো হয় এবং মলগুলোর বাইরে ইউনিয়ন পতাকা টাঙানো হয়। •এই মুহূর্তটিকে চিহ্নিত করতে ৫০ পেন্সের নতুন একটি মুদ্রা ছাড়া হয়। ডোভারের হোয়াইট ক্লিপসে ইউরোপ-পন্থী একটি দল একটি বার্তা তুলে ধরে নর্দান আয়ারল্যান্ডে, বর্ডার কমিউনিটি নামে ব্রেক্সিট বিরোধী একটি প্রচারণা গ্রুপ আয়ারল্যান্ডের কাছে আরমাঘ নামে সীমান্ত এলাকায় বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ করে। ঠিক ১১টার সময় স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজন ইইউ এর একটি পতাকার ছবি টুইট করেন এবং বলেন: "স্বাধীন দেশ হিসেবে ইউরোপের কেন্দ্রে ফিরে আসবে স্কটল্যান্ড।" স্কটল্যান্ডের জন্য একটি বাতি জ্বালিয়ে রাখুন বা #লিভ এ লাইট অন ফর স্কটল্যান্ড উল্লেখ করে একটি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়। কার্ডিফে ওয়েলসের ফার্স্ট মিনিস্টার মার্ক ড্রেকফোর্ড বলেন, ওয়েলস ইইউ ত্যাগের পক্ষে ভোট দিলেও এটি একটি "ইউরোপীয় জাতি" হয়েই থাকবে। আরো পড়তে পারেন: ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ ৩১শে জানুয়ারি ব্রেক্সিট নিয়ে সমঝোতা, তবুও অনিশ্চয়তার কালো মেঘ প্রধানমন্ত্রী জনসন কি রানিকে বিভ্রান্ত করেছেন স্কটিশ পার্লামেন্টের বাইরে এরইমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শূন্যতা অনুভব করার কথা জানিয়ে র‍্যালী করে ইইউ পন্থীরা এখন কী হবে? যুক্তরাজ্য যে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নেই- তা এই মুহূর্তে খুব কম টের পাবে দেশটির নাগরিকরা। ইইউ এর বেশিরভাগ আইন বলবত থাকবে- যার মধ্যে রয়েছে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ যখন পরিবর্তনের সময় বা ট্রানজিশন পিরিয়ড শেষ হয়ে যাবে তার আগ পর্যন্ত জনগণের মুক্ত চলাফেরা। ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর ধাপ কানাডার সাথে থাকা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য সম্পর্কের মতোই যুক্তরাজ্য ইইউ এর সাথে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করতে যাচ্ছে। কিন্তু ইউরোপীয় নেতারা সতর্ক করেছে যে সময় সীমা শেষ হওয়ার আগে চুক্তি করতে বেশ বেগ পেতে হবে যুক্তরাজ্যকে। ইউরোপ কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে? ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিল থেকে ব্রিটিশ পতাকা সরিয়ে নেয় কর্মকর্তারা। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন বলেছেন, বাণিজ্য আলোচনায় ব্রিটেন এবং ব্রাসেলস তাদের নিজ নিজ অধিকারের পক্ষে লড়াই করবে। তিনি যুক্তরাজ্যের যেসব নাগরিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান "যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নে অবদান রেখেছে এবং একে শক্তিশালী করায় ভূমিকা রেখেছে" এবং বলেন, ইইউ-তে যুক্তরাজ্যের শেষ দিনটি ছিল "আবেগময়"। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো বলেন: "৭০ বছরের মধ্যে প্রথম মাঝ রাতে একটি দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করবে।" "এটি একটি ঐতিহাসিক সতর্ক সংকেত যা আমাদের সব দেশের শোনা উচিত।" ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল সতর্ক করে বলেন: "যুক্তরাজ্য ইইউ'র মান থেকে যত দূরে সরে যাবে, একক বাজারে এর প্রবেশাধিকার তত কমবে।" ব্রেক্সিট পার্টির এমইপিরা একজন ব্যাগপাইপারের পেছনে পেছনে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট থেকে বেরিয়ে আসে। যুক্তরাষ্ট্র কী বলছে? যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন: "আমি আনন্দিত যে, ব্রিটিশ নাগরিকদের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখিয়ে ইউকে এবং ইইউ একটি ব্রেক্সিট চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।" "যুক্তরাজ্যের পরবর্তী অধ্যায়ের শুরু থেকে আমরা তাদের সাথে শক্তিশালী, উৎপাদনশীল এবং সমৃদ্ধ সম্পর্ক গড়ে তোলা অব্যাহত রাখবো।" যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ওয়াশিংটনের রাষ্ট্রদূত উডি জনসন বলেন, ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের "দীর্ঘ সমর্থন" রয়েছে। এক বিবৃতিতে মিস্টার জনসন বলেন, যুক্তরাজ্যের সাথে আমেরিকার "বিশেষ সম্পর্ক" "ব্রিটেন যে নতুন যুগের সূচনা করছে সেখানে আরো সমর্থন করবে, বিকশিত এবং শক্তিশালী হবে।" ব্রাসেলসের গ্র্যান্ড প্লেস ইউনিয়ন জ্যাক পতাকার রঙে আলোকিত করা হয় বেলজিয়াম এবং ব্রিটেনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রকাশ করতে। এখানে কীভাবে পৌঁছালো ব্রিটেন? তৃতীয়বারের চেষ্টায় ১৯৭৩ সালের পহেলা জানুয়ারি তৎকালীন ইউরোপীয় ইকোনমিক কমিউনিটিতে যোগ দেয় ব্রিটেন। এর দুই বছর পর এক গণভোটে এই জোটে থাকার পক্ষে ব্যাপক সমর্থন আসে। নিজের দলের এমপি এবং নাইজেল ফারাজের ইউকে ইনডিপেনডেন্স পার্টির অব্যাহত চাপের মুখে ২০১৬ সালের জুনে কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এ নিয়ে আরেকটি গণভোটের আয়োজন করেন। মিস্টার ক্যামেরন ইইউ-তে থাকার পক্ষে প্রচারণা চালান কিন্তু আরেক কনজারভেটিভ নেতা বরিস জনসনের ইইউ ত্যাগের পক্ষে প্রচারণার মুখে খুবই কম ভোটে হেরে যান তিনি। ইউরোপের পক্ষে পড়ে ৪৮ভাগ ভোট আর বিপক্ষে পরে ৫২ভাগ ভোট। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিস্টার ক্যামেরনের উত্তরসূরি টেরিজা মে, তার তৈরি করা ইইউ ছাড়ার চুক্তি পার্লামেন্টে প্রাথমিকভাবে পাস করালেও তা চূড়ান্ত করাতে বার বার ব্যর্থ হন এবং পরে তার জায়গায় আসেন মিস্টার জনসন, যিনি নিজেও তার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে পারেননি। গত বছর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত আগাম নির্বাচনে ৮০ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় পেয়েছিলেন মিস্টার জনসন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, "ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন" করবেন তিনি। ক্রিসমাসের আগে প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট চুক্তিতে অনুমোদন দেন এমপিরা এবং সেই বিলটি চলতি বছরের শুরুর দিকে আইনে পরিণত হয়।
The UK has officially left the European Union after 47 years of membership - and more than three years after it voted to do so in a referendum.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
চাঁদের পৃষ্ঠে চীনের পতাকা চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন চাঁদের পৃষ্ঠে তাদের পতাকার ছবি প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার চাঁদের পাথরের নমুনা নিয়ে ফেরার আগে মহাকাশ যান চ্যাং'ই-৫ এর ক্যামেরা দিয়ে ঐ ছবিগুলো তোলা হয়েছে। ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো-১১ অভিযানের সময় যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবার চাঁদে কোনো দেশের পতাকা স্থাপন করে। পরে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযানের সময় যুক্তরাষ্ট্রের আরো পাঁচটি পতাকা চাঁদের পৃষ্ঠে স্থাপন করা হয়। স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবির বরাত দিয়ে ২০১২৩ সালে নাসা জানায় যে ঐ পাঁচটি পতাকা এখনও রয়েছে, তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা সূর্যের তীব্র রশ্মিতে সেগুলো এতদিনে সাদা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আরো পড়তে পারেন: চাঁদের উল্টোপিঠে নামলো চীনের নভোযান চাঁদ থেকে পাথর-মাটি তুলে আনছে চীনা রকেট চাঁদের অদেখা অংশে চীনের অভিযান বোমা মেরে চাঁদ কেন উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল নাসা চাঁদের মালিকানা আসলে কার? চাঁদে মানুষ নামার ঘটনা সাজানো মনে করেন যারা চাঁদের নিকটবর্তী অংশের উত্তর-পশ্চিম অংশে পতাকাটি স্থাপন করা হয়েছে। ছবিতে ডানদিকে দেখা যাচ্ছে পতাকাটি অভিযান সম্পর্কে চীন কী বলেছে? রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিচালিত গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা তাদের খবরে বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপোলো মিশনের সময় অনুভূত হওয়া 'উত্তেজনা এবং অনুপ্রেরণা'র কথা মনে করিয়ে দেয় চীনের পতাকাটি। চীনের পতাকাটি দুই মিটার চওড়া এবং ৯০ সেন্টিমিটার লম্বা বলে গ্লোবাল টাইমসকে জানিয়েছেন প্রকল্পটির নেতৃত্ব দেয়া লি ইয়ুনফেং। ১৯৬৯ সালে চাঁদে প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা স্থাপন করা হয় মহাকাশযান চ্যাং'ই-৫ চাঁদের পৃষ্ঠের মাটি ও পাথরের নমুনা নিয়েছে। চীনের প্রথম চন্দ্রাভিযানে যাওয়া মহাকাশযান চ্যাং'ই-৩ থেকে তোলা ছবিতে চাঁদের পৃষ্ঠে প্রথমবার চীনের পতাকা দেখা যায়। ২০১৯ সালে চ্যাং'ই-৪ মহাকাশযান চাঁদের অন্ধকার পৃষ্ঠেও চীনের পতাকা নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে ঐ দু'বারের কোনো কোনোবারই আক্ষরিক অর্থে কাপড়ের তৈরি পতাকা ছিল না, মহাকাশযানের পৃষ্ঠে আঁকা চীনের পতাকার ছবি তোলা হয়েছিল সে সময়। চ্যাং'ই-৫ মিশনটি সাত বছরের মধ্যে চীনের তৃতীয় সফল চন্দ্র অভিযান। চাঁদের পৃষ্ঠে এরপর আরো ৫টি মার্কিন পতাকা স্থাপন করা হয়
China has planted its flag on the Moon, more than 50 years after the US first planted the Stars and Stripes there.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
ইউরোপের অনেক দেশের চেয়ে তুরস্কে কোভিড১৯-এ মৃত্যুর সংখ্যা কম। চীন এবং ব্রিটেনের তুলনায় বেশ দ্রুত গতিতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে তুরস্কে। অনেকে আশংকা করেছিল যে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা অনেক বাড়বে। তুরস্কের অবস্থা হয়তো ইটালির মতো হয়ে উঠতে পারে - এমন আশংকাও ছিল। কিন্তু প্রায় তিন মাসের মাথায় এসেও সেটি ঘটেনি। এমনকি তুরস্কে পুরোপুরি লকডাউনও দেয়া হয়নি। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ৪৩৯৭ জন। কিন্তু অনেক চিকিৎসক মনে করেন প্রকৃত অর্থে মৃতের সংখ্যা এর দ্বিগুণ হতে পারে। কারণ, যারা পরীক্ষার মাধ্যমে কোভিড১৯ রোগী হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে, তাদের মধ্যে কেউ মারা গেলে সেটিকে পরিসংখ্যানে দেখানো হয়। কিন্তু তারপরেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ংকর দিনগুলোতে তুরস্কে মৃতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। অস্বাভাবিক লকডাউন বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, তুরস্কের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সম্পর্কে শেষ কথা বলার সময় এখনো আসেনি। কারণ, বহু দেশে এখনে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। তবে ব্রিটেনের কেন্ট ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজির শিক্ষক জেরেমি রসম্যান বলেন, তুরস্ক বেশ পরিষ্কারভাবেই একটি বড় ধরণের দুর্যোগ পাশ কাটিয়ে গেছে। "যে কয়েকটি দেশ মোটামুটি দ্রুততার সাথে টেস্ট করেছে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা মানুষদের সনাক্ত করার মাধ্যমে তাদের আলাদা করেছে, তদের মধ্যে তুরস্ক অন্যতম," বলেন মি: রসম্যান। তিনি বলেন, যে কয়েকটি দেশ সংক্রমণের বিস্তার কমাতে সক্ষম হয়েছে তুরস্ক তাদের মধ্যে অন্যতম। তুরস্কে পুরোপুরি লকডাউন দেয়া হয়নি, তবে নানা বিধি-নিষেধ ছিল। তুরস্কে যখন সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছিল তখন দেশটিতে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। এর মধ্যে ছিল - গণ পরিবহনসহ বিভিন্ন জায়গায় বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার, রেস্টুরেন্ট ও কফি-শপ বন্ধ করা, জনবহুল জায়গায় শপিং বন্ধ রাখা এবং মসজিদে জমায়েত বন্ধ করা। যাদের বয়স ৬৫ বছরের বেশি এবং ২০ বছরের কম তাদের পুরোপুরি বাসায় আটকে রাখা হয়েছিল। এছাড়া ছুটির দিনগুলোতে কারফিউ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বড় শহরগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ইস্তাম্বুল শহর। এই শহরটি তার ছন্দ হারিয়েছে - হৃৎস্পন্দন ছাড়া হৃদপিণ্ডের মতো অবস্থা হয়েছে ইস্তাম্বুল শহরের। কিভাবে ভাইরাস খুঁজে বের করা হয়েছে? তুরস্কে ধীরে ধীরে বিধি-নিষেধ শিথিল করা হচ্ছে। তবে চিকিৎসক মালিক নূর আসলান এখনো বেশ সতর্ক। ইস্তাম্বুল শহরের পুরনো অংশে জনবহুল এলাকায় জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করেন তিনি। আক্রান্ত ব্যক্তি কাদের সংস্পর্শে এসেছেন সেটি খুঁজে বের করার কাজ করে এমন একটি দলের নেতৃত্বে দিচ্ছেন মালিক নূর আসলান। তুরস্কে এ ধরণের ৬০০০ দল আছে। তিনি বলেন " আমরা মনে করি, আমরা একটা যুদ্ধের ভেতরে আছি। আমাদের সদস্যরা বাড়িতে যাওয়া ভুলে গেছে। আমরা বলি ঠিক আছে - আধঘণ্টা শেষ। কিন্তু তারা বাড়িতে যাবার চিন্তা করেনা। কারণ, তারা জানে এটা তাদের কর্তব্য যাতে ভাইরাস অন্য কারো মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে।" বাড়িতে বসে কোভিড-১৯ চিকিৎসা: যে ছয়টি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাস চিকিৎসার ওষুধ আমরা কবে পাবো? মৃত্যুফাঁদ পেরিয়ে ইতালিতে যাওয়া এক বাংলাদেশীর গল্প করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন ড. মালেক নূর আসলান তারা মার্চের ১১ তারিখ থেকেই আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা লোকজনদের খুঁজে বের করার কাজ শুরু করেছেন। দেশটিতে হাম রোগে আক্রান্তদের খুঁজে বের করার কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা আছে তুরস্কের। "পরিকল্পনা তৈরি করা ছিল। আমরা সেগুলো শুধু বের করে কাজে লাগানো শুরু করেছি।" ইস্তাম্বুল শহরের পুরনো অংশে দুজন চিকিৎসকের সাথে আমরা গিয়েছিলাম। আমারা পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট পরিধান করেছি। সাথে ছিল করোনাভাইরাস শনাক্তকরণর অ্যাপ। সরু একটি রাস্তার ভেতরে একটি অ্যাপার্টমেন্টে গিয়েছিলাম আমরা। এই ভবনের একটি ফ্ল্যাটে দুজন কোয়ারেন্টিনে আছেন, যাদের বন্ধু কোভিড১৯ পজিটিভ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টেস্টের ফলাফল দেয়া হয়েছে। আমরা যাবার পর তারা দরজায় এসে দাঁড়ালেন। তাদের দুজনের বয়স ২০ বছরের কিছু বেশি হবে। দু'জনের মুখেই ছিল মাস্ক। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের দু'জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলো এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেটার ফলাফল জানা যাবে। তাদের দু'জনের মধ্যে যখন মৃদু সংক্রমণ দেখা দিল তার একদিনের মধ্যেই পরীক্ষা করা হলো। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তুরস্ক প্রধান ড. ইরশাদ শেখ মনে করেন, তুরস্কের কাছ থেকে কিছু শেখার আছে। "প্রথম দিকে আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম। প্রতিদিন ৩৫০০ সংক্রমণ ছিল। টেস্ট করার বিষয়টি কাজে লেগেছে। টেস্টের ফলাফলের জন্য পাঁচ-সাতদিন অপেক্ষা করতে হয়নি," বলছিলেন মি: শেখ। এছাড়া কোয়ারেন্টিন, আইসোলেশন এবং কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তবে আক্রান্ত রোগীদের যেভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সেটি নিয়ে এখনো মন্তব্য করার সময় আসেনি বলে মনে করেন তিনি। কোভিড১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন-এর ব্যবহার করছে তুরস্ক। কোভিড১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন-এর ব্যবহার নিয়ে এরই মধ্যে বিশ্বে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু এই ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে তুরস্কে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ওষুধ নিয়ে পক্ষে জোরালো অবস্থান তুলে ধরলেও সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক গবেষণায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনকে কোভিড১৯ এর ওষুধ হিসেবে বাতিল করে দিয়েছে। কোভিড১৯ রোগীদের ঝুঁকি বিবেচনা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই ওষুধকে তাদের তালিকা থেকে স্থগিত করেছে। চিকিৎসা ও বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে কোভিড১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করলে হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এতে ভালোর চেয়ে খারাপ বেশি হতে পারে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। তুরস্কের একটি হাসপাতালে ঢোকার জন্য আমাদের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। যে হাসপাতালটিতে আমরা গিয়েছি সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েক হাজার কোভিড১৯ রোগীর ক্ষেত্রে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করা হয়েছিল। এই হাসপাতালটির নাম ড. শেইট ইলহান ভারাঙ্ক হসপিটাল। সরকারি এ হাসপাতালটি দুই বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বেশ প্রশস্ত এবং উজ্জ্বল এই হাসপাতালটিতে কোভিড১৯ চিকিৎসা দেয়া হয়। এই হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক নুরেটিন ইইত বলেন, একেবারে শুরুতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি বলেন, "অন্যান্য দেশ বেশ দেরিতে এই ওষুধ ব্যবহার করছে। বিশেষত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। আমরা এটা শুরুতেই ব্যবহার করি। এ ওষুধের ব্যাপারে আমাদের কোন দ্বিধা নেই। আমরা বিশ্বাস করি এটা কার্যকরী, কারণ আমরা ফলাফল পেয়েছি।" চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় হাকিম সুকুক। প্রধান চিকিৎসক নুরেটিন ইইত বলেন, শুরুতেই চিকিৎসা দেবার মাধ্যমে ভাইরাসের আগে হাঁটতে চায় তুরস্ক। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের পাশাপাশি অন্যান্য ওষুধ এবং প্লাজমা থেরাপি ও অক্সিজেন দেয়া হয়। ড. ইইত বলেন, তার হাসপাতালে কোভিড ১৯ রোগে মৃত্যুর হার এক শতাংশের নিচে। এই হাসপাতালটির আইসিইউ'র বেড খালি রয়েছে। তারা রোগীদের আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটরের বাইরে রাখার চেষ্টা করে। এখনো শেষ হয়নি তুরস্কের সরকার কোভিড১৯ মহামারিকে যেভাবে মোকাবেলা করেছে সেটি নিয়ে দ্বিমত রয়েছে দেশটির মেডিকেল এসোসিয়েশনের। সংস্থাটি বলছে সরকারের অনেক ভুল ছিল। এসব ভুলের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দীর্ঘ সময় যাবত সীমান্ত খোলা রাখা। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তুরস্কের কিছু প্রশংসা করেছে। তুরস্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান মি. শেখ বলেন, সংক্রমণ এখনো পুরো মাত্রায় উঠেনি। সামনের দিনগুলো আরো মানুষ আক্রান্ত হবে। কোভিড১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর জন্য তুরস্কের কিছু সুবিধা রয়েছে। দেশটির জনসংখ্যার একটি বড় অংশ তরুণ এবং হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেডের সংখ্যা অনেক। তুরস্ককে একটি সফল উদাহরণ হিসেবে দেখা হলেও এখনো চূড়ান্ত কথা বলার সময় আসেনি। কারণ ঘটনাপ্রবাহ এখনো শেষ হয়নি।
Covid-19 came late to Turkey - on 11 March - but soon singed every corner of the country. Within a month all 81 provinces had been affected.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
ছবিতে মনমোহন সিং এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অনুপম খের মনমোহন সিংকে নিয়ে তৈরি এই বায়োপিকের নাম 'দ্য এক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার।' ছবিতে দেখা যায় তিনি জাঁকজমকপূর্ণ অফিস কক্ষে বসে আছেন। কংগ্রেসের তৎকালীন প্রধান সোনিয়া গান্ধী যখন তাকে কোন নির্দেশ দেন, তখন মনমোহন সিংকে যেন কিছুটা হতবুদ্ধি দেখায়। মনমোহন সিং এর ব্যক্তিত্ব নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। অনেকেই মনে করেন তাকে বোঝা বেশ দুরূহ। সমালোচকরা বলছেন, এই ছবিটি হতে পারতো তার এই দুর্বোধ্য ব্যক্তিত্বের ওপর আলোকপাত করার একটা চেষ্টা। কিন্তু তার পরিবর্তে এটি আসলে তার ওপর আক্রমণের একটি চেষ্টায় পরিণত হয়েছে। একজন সমালোচকের মতে, এটি আসলে খুবই বাজে একটা 'প্রপাগান্ডা ফিল্ম'। এই ছবিতে মনমোহন সিং এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নামকরা বলিউড তারকা অনুপম খের। মনমোহন সিং, তার মতে, একজন জ্ঞানী রাজনীতিক- যাকে অনেকেই ভুল বোঝেন বা একেবারেই বুঝতে পারেন না। অনুপম খেরের মতে নির্মাতাদের চেষ্টা ছিল এই ছবির মাধ্যমে মনমোহন সিং-এর প্রতি মহাকাব্যিক শ্রদ্ধা নিবেদনের। কিন্তু খুব কম সমালোচকই আসলে একমত হবেন যে এই ছবিতে মনমোহন সিং-এর সঙ্গে সুবিচার করা হয়েছে। ছবিটির চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে মূলত মিস্টার সিং এর মিডিয়া উপদেষ্টা সঞ্জয় বারু'র স্মৃতিকাহিনীর ওপর নির্ভর করে । মনমোহন সিং-এর বয়স এখন ৮৬। তিনি ২০০৪ সাল হতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দুই দফায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এই সাবেক শিক্ষক এবং আমলা ছিলেন প্রচার বিমুখ এবং সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দিতেন খুব কম। মনমোহন সিং পড়াশোনা করেছেন কেমব্রিজ এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। কাজ করেছেন জাতিসংঘ এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান ছিলেন। এরপর কংগ্রেসের শাসনামলে অর্থমন্ত্রীও হয়েছেন। তিনি সুবক্তা নন। রাজনৈতিক কলাকৌশলেও অতটা ভালো নন। তাকে আসলে কখনো কোন নির্বাচনে জিততে হয়নি। কারণ তিনি ছিলেন ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য, যেখানে সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে হয় না। অনেকের মতে, মিস্টার সিং এর নেতৃত্ব শেষ পর্যন্ত বিরোধিতার মুখে পড়েছিল তার নিজের দল কংগ্রেসেই। সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মনমোহন সিং। বাঁয়ে কংগ্রেসের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী। ছবিটির নাম যে 'দ্য এক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার', তার কারণ, মিস্টার সিং ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ পেয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী নিজে ঐ পদে যেতে অস্বীকৃতি জানানোর পর। যদিও সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বেই সেই নির্বাচনে কংগ্রেস জয়ী হয়। ইটালিয়ান বংশোদ্ভূত সোনিয়া গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে সেটি নিয়ে তীব্র সমালোচনা হবে, এমন আশংকাতেই তিনি ঐ পদে যেতে আগ্রহী হননি। কিন্তু মানুষের ধারণা ছিল, প্রধানমন্ত্রী না হলেও কংগ্রেসের নেত্রী হিসেবে সোনিয়া গান্ধীই ছিলেন আসল ক্ষমতাধর। মানুষের এই বদ্ধমূল ধারণা কখনো মনমোহন সিং ভাঙ্গতে পারেননি। সঞ্জয় বারু তার স্মৃতিকথায় লিখেছেন, দিল্লীতে তখন একধরনের দ্বৈত ব্যবস্থা চলছিল। সরকার চালাতেন মনমোহন সিং। আর দল চালাতেন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে এই ব্যবস্থা আর কাজ করেনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিস্টার সিং-এর স্বাধীনতা খর্ব হতে থাকে। আরও পড়ুন: ভারত কি মুসলিমদেরও দেশ নয়? আলোচনায় 'মুল্ক' হিন্দি ছবিতে কিভাবে দেখানো হয়েছে 'তিন তালাক' কাশ্মীর উত্তেজনায় পাকিস্তানে বন্ধ ভারতীয় সিনেমা ব্যক্তিগত সততার জন্য মনমোহন সিং-এর খ্যাতি ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে সরকারের বেশ কয়েকটি দুর্নীতির কেলেংকারি প্রকাশ পায়। ২০১৪ সালে বিজেপির কাছে কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়ের জন্য এটিকে অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয়। এই বায়োপিক যে একেবারে কিছুই হয়নি, তা নয়। ছবিটা অনেকটা ডকুমেন্টারী ধাঁচের এবং এটি দর্শকও টানছে বেশ। 'দ্য এক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার' ছবির একটি দৃশ্য। কিন্তু সমালোচকরা মোটেই খুশি নন। তারা এটিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করছেন। একজনের মতে, "এই ছবির নির্মাণ শৈলিতে শিল্পের কোন ছাপ নেই।" আরেক সমালোচক লিখেছেন, "মনমোহন সিংকে এই ছবিতে মেরুদন্ডহীন ক্রন্দনরত শিশুর মতে করে চিত্রিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার যেসব অর্জন তার কোন স্বীকৃতি এতে নেই। কেবল ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তির বিষয়টি ছাড়া।" কলামিস্ট ভির সাংভি লিখেছেন, কংগ্রেসবিরোধী প্রচারণার জন্য এই ছবি একটি সুবিধেজনক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আরেক সমালোচক শুভ্রা গুপ্তা একই মত জানিয়ে বলেছেন, নির্বাচন যখন সামনে, তখনই যে এই ছবিটি মুক্তি দেয়া হলো এটা কোন 'এক্সিডেন্ট' নয়। মনমোহন সিং ছিলেন ভারতের প্রথম শিখ প্রধানমন্ত্রী। তাই মনমোহন সিংকে এভাবে চিত্রিত করায় তারাও ক্ষুব্ধ। অক্ষয় খান্না অভিনয় করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টার চরিত্রে। ভারতে রাজনীতিকদের নিয়ে বায়োপিক খুব কমই হয়। আর কেউ যদি সত্যি ঘটনা তুলেও ধরে, সেটা সহ্য করার ক্ষমতাও ভারতীয় রাজনীতিকদের কম। ১৯৭৫ সালে ভারতে কংগ্রেস সরকার যে জরুরী অবস্থা জারি করেছিল, তার সমালোচনা করে তৈরি একটি ছবি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। 'দ্যা এক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার' ছবিতে মনমোহন সিং এর মিডিয়া উপদেষ্টার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অক্ষয় খান্না। তিনি অবশ্য ছবিটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। "ভারতের মতো একটি রাজনীতি সচেতন দেশে আপনি যদি একটি অকৃত্রিম রাজনৈতিক ছবি বানান, যাতে সত্যিকারের মানুষ এবং সত্যিকারের ঘটনা থাকবে, তাহলে লোকে এতে নানা রকম প্রতিক্রিয়া দেখাবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। অনেক রকমের মতামত এখানে আসবে। সেটাই প্রত্যাশিত। যদি এটা না ঘটতো তাতেই আমি বরং হতাশ হতাম।" তাঁর মতে, "শেষ বিচারে এটি একটি ছবি মাত্র, কোন ভূমিকম্প বা সুনামি নয়। কাজেই এ নিয়ে এত বেশি বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।"
Manmohan Singh was one of India's longest serving prime ministers and widely regarded as the architect of the country's economic reforms. But critics say a new Bollywood biopic months before a general election reduces him to a caricature. Sudha G Tilak reports.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
জর্জ বুশ সিনিয়র আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ শুক্রবার রাতে তার বাবার মৃত্যুর কথা জানান। গত কয়েকবছর ধরে তার শরীর ভালো যাচ্ছিল না। গত এপ্রিলে রক্তের সংক্রমণ নিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মাত্র সাত মাস আগেই তার স্ত্রী বারবারা বুশও মারা যান। কে ছিলেন জর্জ বুশ সিনিয়র? ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত মাত্র এক দফায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। অবশ্য তার আগে দু দফায় তিনি প্রেসিডেন্ট রেগানের সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। কিন্তু ঐ চার বছরে আন্তর্জাতিক পরিসরে একাধিক ঐতিহাসিক ঘটনায় তাকে ব্যতিব্যস্ত থাকতে হয়েছিল। পূর্ব ইউরোপে কম্যুনিজমের অবসান এবং ১৯৯০ সালে সাদ্দাম হোসেনের কুয়েত দখলের ঘটনা তার সময়েই ঘটে। পূর্ব ইউরোপে কম্যুনিজমের অবসানের পর মি. বুশ বলেছিলেন, "নতুন এক সুবাতাস বইতে শুরু করেছে, মুক্তির গন্ধ নিয়ে গন্ধ নিয়ে এক নতুন পৃথিবীর জন্ম হচ্ছে।" সাদ্দাম হোসেনের কুয়েত দখলের পর তাকে সেখান থেকে হঠাতে তিনিই আন্তর্জাতিক এক সামরিক কোয়ালিশন তৈরি করেন। জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি, কিন্তু তার বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয় যে তিনি আমেরিকার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন দিচ্ছেন না। ফলে ১৯৯২ সালের নির্বাচনের তিনি বিল ক্লিনটনের কাছে পরাজিত হন। টেক্সাসে জ্বালানি তেলের ব্যবসা শুরু করে মাত্র ৪০ বছর বয়সে মি. বুশ কোটিপতি বনে গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনি মার্কিন নৌবাহিনীতে ছিলেন। ১৯৪৪ সালে জাপানিদের গুলিতে তার বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল। রাজনীতিতে ঢোকেন ১৯৬৪ সালে।
Former US President George HW Bush has died at the age of 94 at home in Houston, Texas.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
আন্তর্জাতিক আদালতে অং সান সু চি এই আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে চালানো এক সেনা অভিযানে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নিহত হয় এবং ৭ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। অং সান সু চি বলেন, মামলায় যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ''অসম্পূর্ণ এবং বেঠিক''। তার কথায়, ওই সেনা অভিযানের পেছনে গণহত্যা চালানোর অভিপ্রায়ের কোন প্রমাণ নেই। মিজ সু চি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের পরিস্থিতি উপলব্ধি করা সহজ নয়, এবং ২০১৭ সালের আগস্টের ঘটনাবলী শুরু হয়েছিল যখন স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো পুলিশ ফাঁড়ির ওপর আক্রমণ চালায়। তবে তিনি স্বীকার করেন, মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনী হয়তো মাত্রাতিরিক্ত রকমের শক্তি প্রয়োগ করে থাকতে পারে। মিজ সু চি আরো বলেন, যদি মিয়ানমারের সৈন্যরা যুদ্ধাপরাধ করে থাকে তাহলে তাদের বিচার করা হবে। জাতিসংঘের আদালত কক্ষে অং সান সু চি বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: হেগের আদালতে শুনানি শুরু, রোহিঙ্গা শিবিরে দোয়া রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার: পাথরের মতো বসে ছিলেন সু চি গণহত্যার স্বীকৃতি দিন: সু চি'র উদ্দেশ্যে নোবেলজয়ীরা তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার রাখাইন প্রদেশের বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ। অং সান সু চি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রধান বাসভূমি রাখাইন প্রদেশে গোলযোগের ইতিহাস কয়েক শতাব্দীর, এবং এ সংঘাতকে আরো গভীর করতে পারে এমন কিছু না করতে আইসিজে'র প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ওআইসির সদস্য রাষ্ট্র গাম্বিয়ার করা এই মামলায় অভিযোগ করা হয় যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সেদেশের রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। মিয়ানমারে গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের কারণে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া অং সান সুচি, এক সময় ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে নন্দিত ব্যক্তিত্ব - কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার ভূমিকার কারণে সেই তিনিই বিশ্বের বহু দেশের নিন্দা ও ধিক্কারের পাত্র হন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মিজ সু চিকে দেয়া সম্মাননা প্রত্যাহার করে নেয়। গণহত্যার মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে মিজ সুচির হাজিরাকে তাই এক নাটকীয় ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছিল। তার আগমন উপলক্ষে দ্য হেগে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: ১৫ মাসের জন্য বাংলাদেশে এসে ৫০ বছর কাটালেন বিপিএলের বাণিজ্য: সফল নাকি ব্যর্থ যুক্তরাজ্য নির্বাচন: ইসলাম ও ইহুদি বিদ্বেষ যখন ইস্যু শাড়ি পরে নোবেল নিলেন এসথার, ধুতি পরে অভিজিৎ
Myanmar's leader Aung San Suu Kyi has defended her country against allegations of genocide at the UN International Court of Justice (ICJ).
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
সৌদি আন্দোলনকারী আজিজা আল ইউসেফ গাড়ি চালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এদের আটক করার পেছনে কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু জানা যাচ্ছে না। তবে মানবাধিকার কর্মীরা অভিযোগ করছে যে সৌদি নারীদের কণ্ঠ রোধ করতেই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে 'বিদেশি শক্তি'র সাথে সম্পর্ক থাকার কারণেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মোট আটক ব্যক্তিদের সংখ্যা সাত। এদের মধ্যে দু'জন পুরুষ। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন লাউজাইন আল-হাতলুল এবং এমান আল-নাফজান। এরা দুজনেই সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছিলেন। আগামী ২৪শে জুন মেয়েদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার কথা রয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, মিজ নাফজান এবং মিজ নুর ২০১৬ সালে সরকারের কাছে এক পিটিশনে সই করেছিলেন যেখানে সৌদি নারীদের ওপর পুরুষদের অভিভাবকের কর্তৃত্ব বিলোপ করার ডাক দেয়া হয়। আরো দেখুন: ঝুঁকিপূর্ণ ক্যাম্প থেকে দেড় লক্ষ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে উইন্ডসর প্রাসাদে হ্যারি-মেগানের রূপকথার বিয়ে ২০১৬ সালে ক্যানাডায় এক অনুষ্ঠানে লাওজাইন আল-হাথলুল (সর্বডানে।) ছবিতে সাসেক্সের নতুন ডাচেস মেগান মার্কলকেও দেখা যাচ্ছে (সর্ব বাঁয়ে)। এই কর্তৃত্বের কারণে সৌদি নারীরা নিজের ইচ্ছেমত বিয়ে করতে পারেন না, একা একা বিদেশে যেতে পারেন না, এবং পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন না। মিজ হাথলুলকেও এপর্যন্ত দু'বার গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৪ সালের একটি ঘটনায় তিনি গাড়ি চালিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেতে চেয়েছিলেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, গত ১৫ই মে তাদের সবাইকে আটক করা হয়। কিন্তু তাদের গ্রেফতারের পেছনে কর্তৃপক্ষ কোন কারণ দেখায়নি। সৌদি সরকার গত সেপ্টেম্বর মাসেই নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার দেয়ার ঘোষণা করেছিল। কিন্তু সেই সংস্কার কার্যকর হবে জুন মাস থেকে।
Saudi authorities have arrested seven women's rights advocates, weeks before the kingdom is due to lift its ban on women driving, rights groups say.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
সূর্যমুখী বিপ্লব নামে পরিচিত একটি বিক্ষোভ এই ঐকমত তৈরির ধারণার জন্ম দিয়েছে। প্রতিদিনের ব্রেক্সিট জটিলতা, ক্যাপিটল হিল নিয়ে অন্তহীন কেলেঙ্কারি অথবা ফ্রান্সের ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলন- আজকাল যেন অর্থবহ আপোষের জায়গাটি নাটকীয়ভাবে সঙ্কুচিত হয়ে গেছে। তার পরিবর্তে, এখন সময় হল ঘটনার গভীরে গিয়ে নিজের দাবির জন্য শুধু লড়ে যাওয়া। কোন আত্মসমর্পণ করা নয়। এটি আরও গভীর অস্থিরতার ইঙ্গিত দেয় - যেমন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে যদি এতো মতবিরোধ থাকে তাহলে গণতন্ত্র আরও পঙ্গু হয়ে যায়। বিষয়গুলো এমনটা না হয়ে যদি অচলাবস্থা ভাঙতে এবং নির্বাচনী প্রতিনিধিদের আবার একত্রিত করতে নতুন কোন উপায় পাওয়া যেতো তাহলে কেমন হতো? ট্রাম্পকে ঘিরে কিংবা ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে যে বিতর্ক রয়েছে, তার থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে একটি সমাধান পাওয়া যেতে পারে। গত পাঁচ বছর ধরে, তাইওয়ান এসব জটিল বিষয়ে সহজ সিদ্ধান্ত নেওয়ার নতুন একটি উপায় তৈরি করেছে। সেখানে রাজনীতির সাথে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়েছে তারা। কিছু সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এতে অধিকাংশকে ঐকমত আনা গেছে যেখানে অন্য অনেক উপায় টিকতে পারেনি। এটি শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে, যখন তাইওয়ান একটি বাণিজ্য বিলকে কেন্দ্র করে বিভক্ত হয়ে যায়। অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন যে এই আইন হংকংয়ের মতো তাদের দেশকেও চীনের আরও কাছে নিয়ে যাবে। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে প্রায় আড়াইশো শিক্ষার্থী তাইওয়ানের পার্লামেন্টে হামলা চালায়। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টে প্রবেশ করে এবং সপ্তাহব্যাপী পার্লামেন্ট দখল করে রাখে যা কিনা সানফ্লাওয়ার রেভল্যুশন বা সূর্যমুখী বিপ্লব হিসাবে পরিচিতি পায়। কারণ তারা সূর্যমুখী ফুলকে আশার প্রতীক হিসাবে উপস্থাপন করেছিল। "বিক্ষোভকারীদের পার্লামেন্টে প্রবেশের আগের রাতে আমি সেখানে ছিলাম," অড্রে তাং বলেন। তিনি তাইওয়ানের ক্রমবর্ধমান নাগরিক হ্যাকারদের শীর্ষস্থানীয় সদস্য ছিলেন যারা এই প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিল। এবং বিক্ষোভের ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকার এক পর্যায়ে এই হ্যাকারদের সহায়তা চায়। কিছু হ্যাকারদের সরকারে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং সে সময় তাং-কে তাইওয়ানের ডিজিটাল মন্ত্রী করা হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল একটি নতুন প্রক্রিয়া ডিজাইন করা যাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ একই ছাদের নীচে যোগ দিতে পারে এবং নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। তবে এই প্রক্রিয়াটির পক্ষে জনমত তৈরি করতে হয়েছিল যেন সরকার একে নতুন আইন ও বিধিবিধানে রূপান্তর করতে পারে। তাদের এই উদ্ভাবনের নাম ছিল ভি-তাইওয়ান - "ভি" অক্ষরটি দিয়ে ভার্চুয়াল বোঝানো হয়েছে-এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য আগ্রহী দলগুলো বিতর্কিত ইস্যুগুলো নিয়ে সুচিন্তিত মতামত দিতে পারে। এটি প্রথমে, ঘটনায় জড়িতদের কাছ থেকে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যগুলো খুঁজে বের করে এবং সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করে। তারপরে ব্যবহারকারীরা পল.ইস নামে একটি বিশেষ সামাজিক মিডিয়া নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে। এই স্ক্রিনশটটি পল.ইস- এর মাধ্যমে চলমান উবারের আলোচনার প্রক্রিয়াটি দেখা যায়। এর মাধ্যমে তারা কোন বিষয় কীভাবে সমাধান করা উচিত সে সম্পর্কে বিবৃতি তৈরি করে এবং অন্যান্যদের বিভিন্ন পরামর্শের সঙ্গে একমত বা দ্বিমত পোষণ করে জবাব দেয়। এভাবে তারা একবার "মোটামুটি ঐকমতে" পৌঁছে গেলে, লাইভস্ট্রিম বা মুখোমুখি সভার আয়োজন করা হয় যাতে অংশগ্রহণকারীরা নির্দিষ্ট সুপারিশগুলি নিয়ে নিতে পারে। রাইড-হেইলিং রো প্ল্যাটফর্মটি প্রথমে উবারের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করার কাজ করতো। রাইড পরিষেবাটি তাইওয়ানে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যার কারণে প্রচলিত ট্যাক্সি শিল্প সংশ্লিষ্টরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। কারণ মার্কিন সংস্থাটি এই উবার চালকদের জন্য পেশাদার লাইসেন্স রাখা বা একই ধরণের বীমা রাখার কোন শর্ত আরোপ করেনি। স্থানীয় সংস্থাগুলির মতো তাদের করও দিতে হত না। গ্রাহকরাও অবশ্য উবারের কারণে কম ভাড়ার পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধাগুলো উপভোগ করছিল। অচলাবস্থা ভাঙার জন্য, ভি-তাইওয়ান বিভিন্ন বিতর্কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে অনলাইনে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। পল.ইস তাদের সবাইকে নিজেদের সংকীর্ণ জায়গা থেকে তুলে সামনে আনে। এটি মূলত সবার মতবিরোধের অনেকগুলো অক্ষের মধ্যে বিচরণ করে একটি মানচিত্র তৈরি করে। সেখানে দেখা যায় যে তাদের পুরো বিতর্ক জুড়ে কোন কোন বিষয়গুলো বেশি উঠে এসেছে। এভাবে বিভিন্ন মনোভাবের বিভিন্ন দলের উত্থান হয়। ভি-তাইওয়ান প্রক্রিয়াটি অংশগ্রহণকারীদের সাধারণ অবস্থানে আনার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ট্যাক্সি চালক, উবার চালক, উবার যাত্রী এবং অন্যান্য যাত্রীরা মানচিত্রের চার কোণে নিজস্ব মতামতের এমন চারটি খুঁটি তৈরি করে। সেখানে কোন রিপ্লাই বা জবাবের বোতাম ছিল না, তাই তারা একে অপরের পোস্টগুলোকে ঘিরে ট্রল করতে পারেনি। এবং যে বার্তাগুলো তাদের চার ভাগে ভাগ করেছে সেসব বার্তা দেখানোর পরিবর্তে সেগুলোকে অদৃশ্যমান রাখা হয়। বরং যেগুলো মতামত অপর কোন দলের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে বা কাছাকাছি যাচ্ছে সেগুলোকে সামনে আনা হয়। বিভিন্ন গ্রুপ থেকে শুরু করে নিজেদের সমর্থন পাওয়ার বিষয়টি অনেকটা অক্সিজেনের মতো কাজ করে। এই প্রক্রিয়াটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কলিন মেগিল বলেছেন, "তথ্যের কাঠামোটি পরিবর্তন করলে আপনি ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরতে পারবেন"। প্রযুক্তিগতভাবে, এই ধাক্কা সাময়িক হলেও রাজনৈতিকভাবে এর প্রভাব ছিল অনেক। গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডিং বা অপমানের বিস্তারকে উৎসাহিত করার পরিবর্তে, এখানে ঐকমতের সন্ধান করা হয়। তাং বলেন, "এর ফলে মানুষেরা তাদের মতামত খুব সূক্ষ্মভাবে তুলে ধরার প্রতিযোগিতা করে যা বেশিরভাগের মন জয় করতে পারে।" "তারা খরগোশের গর্ত অনুসন্ধানের পরিবর্তে পারস্পরিক মিলগুলো আবিষ্কার করতে অনেক বেশি সময় ব্যয় করে।" মেজাজ ঠিক করা বিতর্ক অব্যাহত থাকা অবস্থাতেই এই মানুষগুলো যখন আরও বেশি বেশি তাদের মতামত দিচ্ছিল তখন পোল.ইসে দেখা যায় যে চারটি দল দুটি হয়ে গেছে। "অবিচ্ছিন্নভাবে, তিন বা চার সপ্তাহের মধ্যে, আমরা এমন একটি আকার খুঁজে পাই যেখানে বেশিরভাগ সময় বেশিরভাগ লোকেরা বেশিরভাগ বিবৃতিতে একমত হয়।" তাং বলেন, " একমাস পরে, "একমত হওয়া বিষয়গুলো" উত্থিত হয়, যা সবার সমর্থন পায়। ভি-তাইওয়ান অন্যান্য বিরোধের মধ্যে অনলাইন অ্যালকোহল বিক্রয় সম্পর্কে মতবিরোধ নিষ্পত্তি করতে ব্যবহৃত হয়েছে। এভাবে একটি দল ৯৫% সমর্থন অর্জন করতে পারে। তারা বলে, "ট্যাক্সি শিল্পের পরিচালনা ও মান উন্নত করার জন্য সরকারের এই সুযোগ কাজে লাগানো উচিত যাতে উবারের মতো ট্যাক্সিতেও চালক ও গ্রাহকরা একই মানের পরিষেবা উপভোগ করতে পারে।" এই বছরের জুলাইয়ে, ভি-তাইওয়ান, ই-যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও একটি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত সভা পর্যন্ত পৌঁছায় এবং আয়োজকরা অংশগ্রহণকারীদের একটি সহযোগী মেজাজে রাখার চেষ্টা করেছিল। ঘরটিতে হালকা আলো জ্বলছিল, প্রত্যেকে একসাথে খাবার খেয়েছিল এবং টেবিলে কেবলমাত্র সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয় যেগুলো ইতিমধ্যে পোল.ইস চিহ্নিত করেছে। এবং সেখানে শুধুমাত্র একমত হওয়া বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা হয়। এটি তাদের অ্যাপের মাধ্যমে শুধু ভোট দিতে বলেনা। এর কাজ ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। ভি-তাইওয়ান অংশগ্রহণকারীদের কেবল উত্তর নির্ধারণের জন্য নয়, বরং প্রশ্ন বের করতে এজেন্ডা-সেটিংয়ের ক্ষমতা দেয়। এবং এটি এক পক্ষের চাইতে আরেক পক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বেশি না কম সেটা বের করার দিকে লক্ষ্য রাখেনা। বরং তাদের মতের মিলগুলো খুঁজে বের করে। যখন মত পার্থক্যগুলো ঐকমতে রূপান্তরিত হয় সরকার এ নিয়ে কাজ করতে পারে। নতুন পাস হওয়া বিধান অনুযায়ী লাইসেন্সপ্রাপ্ত চালকদের উবারে যোগ দেয়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এবং নিয়মিত ট্যাক্সিগুলিকে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। আরও পড়তে পারেন: ফেসবুক-মেসেঞ্জার হ্যাক হওয়া ঠেকাবেন যেভাবে ফেসবুকে ইসলাম অবমাননা: ধর্মীয় নাকি রাজনৈতিক বিষয় বিপ্লবের আইডি কে হ্যাক করলো তা এখনো অজানা উবারের পরে, এটি ১১টি আইন, বিধিবিধান এবং আরও আটটি বিল যেগুলো কিনা এখনও আইন হয়নি সেগুলোর এজেন্ডা ঠিক করার কাজে নামে। অনলাইনে অ্যালকোহল বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ, প্রতিশোধমূলক পর্নোগ্রাফি বন্ধে নতুন আইন সবকিছুই তার মধ্যে রয়েছে। তবে এর সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। ভি তাইওয়ান এখনও বাস্তব, জাতীয় ইস্যু নিয়ে কোন পরীক্ষা করেনি। এবং এটি সম্পূর্ণ অনলাইন প্রক্রিয়ায় হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে যে এতে ডিজিটালি কম পারদর্শী অথচ চিন্তাশীল গোষ্ঠী বাদ পড়তে পারে। তবে তাইওয়ানের পরীক্ষা আমাদের সবার জন্য বড় ধরণের শিক্ষা হতে পারে। গণতন্ত্রকে কোনও বিশেষ আকারে জীবাশ্ম বা হিমায়িত করার প্রয়োজন নেই। যা বিকশিত হয় তা-ই সম্ভবত টিকে থাকতে পারে, এমনকি সমৃদ্ধ হতে পারে। এই পৃথিবীতে তারা যে চাপ ও চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হয় সেগুলো দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে।
There is one thing that practically everyone can agree on: politics has become bitterly divided.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
ভারতে বহু মানুষ এখন বিশ্বাস করে নরেন্দ্র মোদী একজন ঈশ্বর-প্রেরিত ত্রাণকর্তা যিনি সব সমস্যার সমাধান করে দেবেন। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি পর পর দুটো সাধারণ নির্বাচন জিতেছে। শুধু জেতেইনি, বিপুল সমর্থন নিয়ে জিতেছে। কিছু রাজ্যে বিধান সভা নির্বাচনে হারলেও বিজেপি এখন সর্ব-ভারতীয় একটি দলের চেহারা নিচ্ছে। অন্যদিকে, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ক্রমান্বয়ে দুর্বল হচ্ছে এক সময়কার মহা-প্রতাপশালী ও ভারতের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেওয়া এই দলটি যেন তাদের রাজনৈতিক শক্তি এবং সম্ভাবনার অনেকটাই নি:শেষ করে ফেলেছে। মি. মোদীকে সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ করার কোনো শক্তি যে তাদের অবশিষ্ট রয়েছে বা তৈরি হচ্ছে তার বিন্দুমাত্র কোনো লক্ষণ চোখে পড়ছে না। বিজেপির দুই বর্তমান কাণ্ডারি - নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সুহাস পালশিকার বলছেন, কংগ্রেসের পর ভারতে বিজেপি দ্বিতীয় কোনো দল যারা “প্রভাবশালী একটি রাজনৈতিক দল ব্যবস্থা“ গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছে। প্রথম ছিল ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস যারা ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারত শাসন করেছে। কিন্তু ১৯৮৪ সালে রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের পর বিজেপিই একমাত্র এবং প্রথম দল যারা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। মি. পালশিকার বলছেন, ইন্দিরা গান্ধীর পর নরেন্দ্র মোদী “একমাত্র রাজনৈতিক নেতা যিনি সত্যিকার অর্থে প্রায় পুরোটা ভারত জুড়ে সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পেরেছেন।“ মোদীর ‘সম্মোহন‘ বিজেপির নির্বাচনী সাফল্যের মূলেই রয়েছে মি. মোদীর সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব এবং সেই সাথে ধর্মীয় মেরুকরণ ও কট্টর জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রসার। আরো পড়তে পারেন: দুর্গাপূজার ওপর বিধিনিষেধে হিন্দুত্ববাদীরাই বিজেপির ওপর খাপ্পা তথাকথিত 'লাভ জিহাদ' এর বিরুদ্ধে ভারতে আইন করা হচ্ছে মুঘল জমানাকে অস্বীকার করে কী প্রমাণ করতে চান আদিত্যনাথ? আরএসএস ক্যাডারদের শরীর-চর্চার প্রধান উদ্দেশ্য হিন্দু ঐক্যের ধারণা শক্ত করা বিজেপির এই রাজনীতির প্রচার এবং প্রসারের পেছনে রয়েছে অক্লান্ত নিবেদিতপ্রাণ কর্মীর বিশাল এক নেটওয়ার্ক। এসব কর্মীর অনেকেই বিজেপির আদর্শিক পথ-প্রদর্শক কট্টর হিন্দু সংগঠন আরএসএস-এর (রাষ্ট্রীয় স্বয়ং-সেবক সংঘ) বা তাদের “জঙ্গি সহোদর“ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) তৃণমূল স্তরের নেতা-কর্মী। তহবিলের কোনো সঙ্কট নেই বিজেপির। সাম্প্রতিক বছরগুলোকে দলটি নানা সূত্র থেকে প্রচুর “অস্বচ্ছ“ তহবিল পাচ্ছে। সেইসাথে ভারতের মূলধারার সংবাদমাধ্যমের বড় একটি অংশের নি:শর্ত সমর্থন পাচ্ছে তারা। তবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিনয় সিতাপতি বলছেন, বিজেপি এবং সেই সাথে আরএসএস-এর এই রাজনৈতিক সাফল্যের রহস্য জানতে আরো পেছনে যেতে হবে। অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং লালকৃষ্ণ আদভানির মধ্যে মতভেদ ছিল। তবে তাতে বিজেপি ভেঙ্গে যায়নি। হিন্দু ঐক্যের ওপর সদ্য প্রকাশিত ‘যুগলবন্দী: মোদীর আগের বিজেপি‘ শীর্ষক বইতে মি. সিতাপতি লিখেছেন, বিজেপির সাফল্যের কারণ তারা 'ঐক্যকে' বিশেষ প্রাধাণ্য দিয়েছে। ৯৫ বছরের কট্টর হিন্দু সংগঠন আরএসএসের ক্যাডারদের হিন্দু ধর্মের ইতিহাসের “অদ্ভুত বিকৃত“ ব্যাখ্যা শেখানো হয় যেখানে বলা হয় “মহান জাতি হয়েও হিন্দুরা পরাজিত হয় কারণ তারা এক অন্যের পিঠে ছুরি মারে, এবং তারা ঐক্যবদ্ধ নয়,“ বলছেন অধ্যাপক সিতাপতি যিনি অশোকা ইউনিভার্সিটিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং আইনের শিক্ষক। ইতিহাসের খণ্ডিত অংশ তুলে ধরে ক্যাডারদের মনে এই ধরণের বিশ্বাস প্রথিত করা হয়। সেই সাথে শেখানো হয় জোটবদ্ধ শরীর-চর্চা। বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেভাবে টিম-বিল্ডিং করা হয় অনেকটা সেই ধাঁচে আরএসএসের ক্যাডারদের একসাথে কুচকাওয়াজ করানো হয়, একজনের কাঁধে আরেকজন দাঁড়িয়ে পিরামিড তৈরি করানো হয় এবং নানা ধরণের জোটবদ্ধ খেলাধুলো করানো হয়। “এগুলো করে প্রধানত ক্যাডারদের মধ্যে ঐক্যের ধারণা এবং গুরুত্ব বোঝানো হয়। আরএসএসের মূলমন্ত্রই হচ্ছে হিন্দু ঐক্য এবং তার প্রতি বিশ্বাস। ঐক্যের এই মন্ত্র ক্যাডার-ভিত্তিক অন্যান্য দলের থেকে অনেকটাই আলাদা", বিবিসিকে বলেন অধ্যাপক সিতাপতি। হিন্দু ঐক্য বিজেপির প্রধান লক্ষ্য ভারতের হিন্দুদের - যারা দেশের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ - ঐক্যবদ্ধ করা এবং তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের পক্ষে ভোট দেওয়ানো। সে কারণে, বিজেপি হিন্দু ধর্মের ভেতর জাতপ্রথার বাস্তবতাকে চাপা দিয়ে রাখতে তৎপর, এবং সেই সাথে “ইসলাম বিদ্বেষকে“ উস্কানি দেওয়া, এবং একই সাথে, অধ্যাপক সিতাপতির মতে, প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্রের গুরুত্ব প্রচার করা বিজেপির প্রধান কাজ। তবে অন্য সব রাজনৈতিক দলের মত বিজেপির ভেতরেও বিভিন্ন নীতি-আদর্শ নিয়ে মতভেদ হয়েছে। দলের প্রতিষ্ঠাতা দুই নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং লালকৃষ্ণ আদাভানির মধ্যে বিভিন্ন সময় যে টক্কর লেগেছে তার প্রমাণ রয়েছে। যেমন, ২০০২ সালে গুজরাটে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার পরও ঐ রাজ্যের ক্ষমতায় নরেন্দ্র মোদীর রয়ে যাওয়া নিয়ে তখনকার প্রধানমন্ত্রী মি. বাজপেয়ী এবং তার মন্ত্রীসভার কিছু সদস্যের আপত্তি ছিল। কিন্তু তারপরও বিজেপিতে ঐক্য নষ্ট হয়নি। “এটা অনেকটা অসুখী কোনো পরিবারের মত যার সদস্যরা মতভেদ সত্ত্বেও একসাথে থাকে,“ বলছেন অধ্যাপক সিতাপতি। যে কোনো রাজনৈতিক দলের ভেতর নানামুখী স্বার্থ কাজ করে, নানা উপদল থাকে এবং এই সব অন্তর্কলহ এবং কোন্দল সত্ত্বেও সম্মোহনী ব্যক্তিত্বের নেতা, আদর্শ এবং সাংগঠনিক শক্তির কারণে দল ঐক্যবদ্ধ থাকে। ভারতের ক্ষেত্রে আরেকটি উপাদান যোগ হয় - জাতপাত। মতবিরোধ, নেতাদের ইগো এবং উপদলীয় কোন্দলে ভারতে অনেক রাজনৈতিক দলই বিভিন্ন সময়ে ভেঙ্গে গেছে। এমনকি কংগ্রেসের মত দল ভেঙ্গে রাজ্যস্তরে সফল আঞ্চলিক দল তৈরি হয়েছে। কিন্তু বিজেপির ক্ষেত্রে এখনও তেমনটি ঘটেনি। মি. বাজপেয়ী এবং মি. আদভানির পর এখন দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মি. মোদী এবং অমিত শাহ। আরএসএসের সমর্থনপুষ্ট এই দল এখনও অটুট। “এটি গোপন কোনো বিষয় নয় যে অনেক বিজেপি নেতা মি. মোদীকে পছন্দ করেন না। অনেক বিজেপি, ভিএইচপি এবং আরএসএসের নেতার আমি সাক্ষাৎকার নিয়েছি যারা আদর্শের প্রতি মি. মোদীর আনুগত্য এবং তার নির্বাচনের জেতার ক্ষমতার প্রশংসা করেন। কিন্তু একইসাথে অনেকেই মনে করেন তিনি নিষ্ঠুর, আত্মপ্রচারলোভী এবং কিছুটা অসামাজিক, “ বলেন অধ্যাপক সিতাপতি। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: 'বাংলার উন্নয়নে অবাঙালীদের অবদান বেশি': দিলীপ ঘোষ সিঙ্গাপুরে চালু হচ্ছে ল্যাবরেটরিতে তৈরি মুরগীর মাংস ভারতে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে বিতর্কে জাস্টিন ট্রুডো ‘অস্বাভাবিক রাজনৈতিক দল‘ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মিলন বৈষ্ণব তাই মনে করেন বিজেপি একটি “অস্বাভাবিক রাজনৈতিক দল।“ “এটি আসলে আদর্শভিত্তিক অনেকগুলো হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনের রাজনৈতিক শাখা। এই নেটওয়ার্ক ভিত্তিক মডেলের কারণে বিজেপি তাদের সাথে সম্পর্কিত তৃণমূল হিন্দু সংগঠনগুলোর কাছ থেকে প্রচুর সমর্থন ও শক্তি পায়। বিস্তৃত এই নেটওয়ার্কের কারণে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা শেষ পর্যন্ত তাঁবুর নীচেই থেকেই যায়, “ বলছেন অধ্যাপক বৈষ্ণব যিনি ওয়াশিংটনে গবেষণা সংস্থা কার্নেগী এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের একজন সিনিয়র ফেলো। তবে তার অর্থ এই নয় যে বিজেপির ভেতর কোনো ভিন্নমত অবশিষ্ট নেই। “তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই বিদ্রোহীরা বুঝতে পারে বেরিয়ে গেলে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে। ফলে তারা আবার ফিরে আসে। এর প্রধান কারণ বিজেপির আদর্শিক ভিত্তি এতই শক্ত সেটাই আঠার মতো দলকে বেঁধে রাখছে,“ বলছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রাহুল ভার্মা ভারতীয় রাজনীতিতে আদর্শের ভূমিকা নিয়ে একটি বইয়ের অন্যতম লেখক তিনি। সম্ভাব্য বিপদ তবে বিজেপির এই ঐক্য যে আজীবন অটুট থাকবে তা অনুমান করা এখনই কঠিন। অন্য দল থেকে বেরিয়ে আসা বা দুর্নাম বা অপরাধের কারণে বহিষ্কৃত রাজনীতিকদের চোখ বন্ধ করে বিজেপিতে নেওয়া হয়। এটাই তাদের নীতি। রাহুল ভার্মা মনে করেন, এ কারণে এক সময় হয়ত দলের আদর্শিক “বিশুদ্ধতায়“ জং ধরবে। “কতদিন বিজেপি এই স্ববিরোধী নীতিকে সামলাতে পারবে?“ প্রশ্ন মি. ভার্মার। যতক্ষণ দল নির্বাচনে জিতছে ততক্ষণ যে পারবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সে কারণেই নির্বাচন বিজেপির অস্তিত্বের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। মি. ভর্মা বলছেন, বিজেপির সামাজিক ভিত্তি বিস্তৃত হচ্ছে, কিন্তু তাদের নেতৃত্ব এখনও প্রধানত উঁচু বর্ণের হিন্দুদের হাতে। তার মতে, এটি আরেকটি সমস্যা যেটাকে ভবিষ্যতে বিজেপিকে বিপদে ফেলতে পারে। সমালোচকরা বলেন, বিজেপির নির্লজ্জ কুণ্ঠাহীন সংখ্যাগরিষ্ঠতার রাজনীতি ভারত রাষ্ট্রের মৌলিক ধারণার চরিত্র বদলে দিচ্ছে যে ধারণার ভিত্তি ছিল সহিষ্ণুতা এবং ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধ। “ভারত নিয়ে তাদের (বিজেপি, আরএসএস) ধারণারই বিজয় হয়েছে। কারণ তারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে গেছে।" বলছেন অধ্যাপক সিতাপতি।
There is little doubt that the Hindu nationalist Bharatiya Janata Party (BJP), which has ruled India uninterruptedly since 2014, has become the country's dominant party.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
সারা বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে ১৩৭ জন নারী তাদের সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যদের হাতে খুন হচ্ছেন। জাতিসংঘের ড্রাগ ও অপরাধ সংক্রান্ত দপ্তর তাদের এক গবেষণায় এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। তারা বলছে, এসব তথ্য থেকে বোঝা যায় "নারীরা যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়িতেই তাদের নিহত হওয়ার ঝুঁকি হয়তো অনেক বেশি।" গবেষণায় বলা হয়, গত বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে সারা বিশ্বে ৮৭,০০০ নারী নিহত হয়েছেন। তাদের অর্ধেকেরও বেশি মারা গেছেন তাদেরই ঘনিষ্ঠ লোকজনের হাতে। জাতিসংঘের এই পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রায় ৩০,০০০ নারী নিহত হয়েছেন তাদের খুব কাছের সঙ্গী বা পার্টনার এবং বাকি ২০,০০০ মারা গেছেন তাদেরই কোন না কোন একজন আত্মীয়ের হাতে। আরো পড়তে পারেন: স্বামীর হাতে ধর্ষণ: বাংলাদেশে এক নারীর অভিজ্ঞতা লোনা পানি কীভাবে গর্ভপাত ঘটাচ্ছে নারীদের রাস্তায় হেনস্থার শিকার হলে কী করবেন? নিপীড়ক সঙ্গী চিনবেন যেভাবে জাতিসংঘের ড্রাগ ও অপরাধ সংক্রান্ত দপ্তরের সংগৃহীত তথ্যে দেখা যায়, ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ডের হিসেবে পুরুষের খুন হওয়ার হার নারীর তুলনায় চারগুণ বেশি। তারা বলছেন, সারা বিশ্বে প্রতি ১০টি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে আটজনই পুরুষ যারা অন্যের হাতে খুন হচ্ছেন। তবে এই একই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঘনিষ্ঠ কোন পুরুষ সঙ্গী বা পার্টনারের হাতে খুন হওয়া প্রতি দশজন মানুষের মধ্যে আটজনেরও বেশি নারী। রিপোর্ট বলছে, "ঘনিষ্ঠ পার্টনারের সহিংসতার কারণে প্রচুর সংখ্যক নারীকে প্রাণ হারাতে হচ্ছে।" ৪৭ জন নারী, ২১টি দেশ, একদিন সরকারি সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য থেকে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে জাতিসংঘ। ২০১৮ সালের ১লা অক্টোবর সারা বিশ্বে যতো নারী অন্য একজনের হাতে নিহত হয়েছেন - সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সেসব খবরের ওপর বিশ্লেষণ করেছে বিবিসি। তাতে দেখা গেছে, ২১টি দেশে ৪৭ জন নারী নারী-পুরুষ সংক্রান্ত কারণে নিহত হয়েছেন। এসব হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে এখনও তদন্ত চলছে। এখানে এরকম কিছু হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরা হলো। এসব খবর প্রাথমিকভাবে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং পরে বিবিসি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে এসব খবর যাচাই করে দেখেছে। জুডিথ চেসাং, ২২, কেনিয়া জুডিথ চেসাং এবং তার বোন ন্যান্সি ১লা অক্টোবর সোমবার জমি থেকে তাদের ফসল তুলছিলেন। তিন সন্তানের মা জুডিথ, সম্প্রতি তিনি তার স্বামী লাবান কামুরেনের কাছ থেকে আলাদা হয়ে গেছেন। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার বাবা মায়ের গ্রামে কাছে ফিরে যাওয়ার। দুই বোন যখন জমিতে কাজ করছিলেন, তখনই তিনি সেখানে এসে হাজির হন এবং জুডিথের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করেন। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, তারপর গ্রামবাসীরা তাকেও হত্যা করেছে। নেহা শারদ চৌধুরী, ১৮, ভারত নেহা শারদ চৌধুরী তার ১৮তম জন্মদিনে নিহত হন। সন্দেহ করা হচ্ছে, পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে তাকে হত্যা করা হয়েছে। সে তার প্রেমিকের সাথে তার জন্মদিন উদযাপন করছিল। পুলিশ বিবিসিকে জানিয়েছে যে তার পিতামাতা এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। সেদিন সন্ধ্যায় নেহা তাদের বাড়িতে নিহত হন এবং এই হত্যাকাণ্ডের জন্যে তার পিতামাতা এবং আরো একজন পুরুষ আত্মীয়কে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের এখনও তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত তিনজনই এখন কারাগারে এবং বিচারের অপেক্ষায়। অভিযুক্তদের পরিবারের কাছ থেকে বিবিসি জানতে পেরেছে যে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করবেন। পরিবারের ইচ্ছের বাইরে প্রেমে পড়া ও বিয়ে করার কারণে প্রত্যেক বছর কয়েকশো মানুষ নিহত হয়। এসব হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত সংখ্যা কতো সেবিষয়ে সরকারি তথ্য পাওয়া কঠিন। কারণ এধরনের হত্যকাণ্ডের ঘটনা পুলিশের কাছে খুব কমই রিপোর্ট করা হয়ে থাকে। জয়নব সেকানভান, ২৪, ইরান স্বামীকে হত্যা করার কারণে ইরানি কর্তৃপক্ষ জয়নব সেকানভানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। কুর্দী অধ্যুষিত অঞ্চলে একটি দরিদ্র ও রক্ষণশীল পরিবারে তার জন্ম হয়েছিল। উন্নত জীবনের সন্ধানে একজনকে বিয়ে করার স্বপ্ন নিয়ে কিশোর বয়সেই তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, তার স্বামী তাকে নির্যাতন করতো। তাকে তালাকও দিতে চাইতো না। পুলিশের কাছে এব্যাপারে অভিযোগ করা হলেও পুলিশ তাকে গুরুত্ব দেয়নি। স্বামীকে খুন করার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তখন তার বয়স ছিল ১৭। তার সমর্থক এবং অ্যামনেস্টি বলছে, স্বামীকে হত্যা করার অভিযোগের বিষয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, যেসব নারী তাদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গীকে হত্যা করেন তাদেরকে দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। সান্দ্রা লুসিয়া হামার মোওরা, ৩৯, ব্রাজিল সান্দ্রা লুসিয়া হামার মোওরা তার ১৬ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন আউগোস্ত অ্যাগুয়ের রিবেইরুকে। তারা পাঁচ মাস ধরে আলাদা ছিলেন। তখন তার স্বামী তাকে হত্যা করে। স্থানীয় পুলিশ বিবিসির কাছে নিশ্চিত করেছে যে তার ঘাড়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। পরে তারা তার স্বামীর মোবাইল ফোনে করা একটি ভিডিও উদ্ধার করেছেন যেখানে তাকে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করতে দেখা যাচ্ছে। সেখানে তিনি বলছেন, তার স্ত্রী সান্দ্রা অন্য একজন পুরুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। সান্দ্রা তার সাথে প্রতারণা করেছে। পরে অবশ্য ওই স্বামী তাদের শোওয়ার ঘরে আত্মহত্যা করেছেন। ম্যারি এমিলি ভালাত, ৩৬, ফ্রান্স ম্যারি এমিলিকে তার স্বামী সেবাস্টিয়ান ভালাত ছুরি মেরে হত্যা করেছে। বিয়ের চার বছর পর থেকেই তারা আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। স্বামী পরে পুলিশের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তার কয়েকদিন পর স্বামী নিজেও কারাগারের ভেতরে আত্মহত্যা করেছেন। আরো পড়তে পারেন: রাজনীতি নিয়ে মাশরাফির ব্যাখ্যায় আলোচনার ঝড় ট্রাম্পকে টুইটারে জ্ঞান দিয়ে ভাইরাল আসামের তরুণী ইউক্রেনের জাহাজ জব্দ করলো রাশিয়া, উত্তেজনা চরমে
An average of 137 women across the world are killed by a partner or family member every day, according to new data released by the United Nations Office on Drugs and Crime (UNODC).
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
সিরিয়ায় অন্তত ১০৬টি রাসায়নিক আক্রমণ চালানো হয়েছে সাত বছরে যে গৃহযুদ্ধে সাড়ে তিন লাখেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে, অগণিত লোক ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে - তাতে কিভাবে বিজয়ের এত কাছাকাছি আসতে পারলেন মি. আসাদ? বিবিসি প্যানোরামা আর বিবিসি আরবি বিভাগের সাংবাদিকরা এক যৌথ অনুসন্ধান চালিয়ে দেখেছেন, এই যুদ্ধ জয়ের জন্য মি. আসাদের কৌশলে এক বড় ভুমিকা পালন করেছে রাসায়নিক অস্ত্র। বিবিসি প্যানোরামার নওয়াল আল-মাগাফি রিপোর্ট করছেন, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত সিরিয়ায় মোট ১০৬টি রাসায়নিক আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে বলে বিবিসির অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে। সে সময় দামেস্কের উপকণ্ঠে একাধিক এলাকায় রাসায়নিক অস্ত্রের আক্রমণ চালানো হয়। নার্ভ গ্যাস সারিন বা ওই জাতীয় কোন গ্যাসের আক্রমণে কয়েক শ লোক নিহত হয়। সেই আক্রমণে আক্রান্ত লোকদের ছটফটানোর দৃশ্য সারা পৃথিবীকে স্তম্ভিত করে। পশ্চিমা দেশগুলো এর জন্য মি. আসাদের সরকারি বাহিনীকে দায়ী করলেও, মি আসাদ তার বিরোধীদের দায়ী করেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ফিরে দেখা: সিরিয়া যুদ্ধের সাত বছর সিরিয়া: আসাদের যুদ্ধের অপ্রতিরোধ্য গতি পূর্ব ঘুটায় রাসায়নিক হামলায় আক্রান্ত শিশু সবচেয়ে বেশি রাসায়নিক হামলা হয় উত্তর পশ্চিমের ইদলিব প্রদেশে, তবে এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী হামা, আলেপ্পো এবং পূর্ব ঘুটাতেও বহু রাসায়নিক আক্রমণ হয়। এসব এলাকার সবগুলোই আক্রমণের সময় বাশার আসাদ-বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। আসাদের বাহিনীর অভিযানের সাথে তাল মিলিয়ে রাসায়নিক আক্রমণ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আক্রমণগুলো চালানো হয়েছে সরকারি বাহিনীর অভিযানের সাথে তাল মিলিয়ে। চ্যাথাম হাউসের গবেষক ড. খতিব বলছেন, "সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠী যখনই চেয়েছে স্থানীয় লোকজনকে ভয় দেখাতে, বা কঠোর বার্তা দিতে - তখনই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। রাসায়নিক অস্ত্র যে শুধু ভীতিকর তাই নয়, এটা অপেক্ষাকৃত সস্তা ও সুবিধাজনকও বটে - কারণ যুদ্ধের কারণে শাসকগোষ্ঠীর সামরিক ক্ষমতা অনেকটা কমে গেছে।" লোকজনকে ভয় দেখিয়ে পালাতে বাধ্য করার জন্য রাসায়নিক অস্ত্র ড. খতিব বলেন, আক্রমণের একটা প্যাটার্ন দেখা গেছে। সিরিয়ায় মূলত এই এলাকাগুলোতে রাসায়নিক আক্রমণ চালানো হয় সরকারবিরোধীদের দখল করা এলাকায় প্রথমে সাধারণ বোমা দিয়ে আক্রমণ চালানো হয়। তার পর চালানো হয় রাসায়নিক অস্ত্র হামলা, যাতে বহু হতাহত হয় এবং স্থানীয় লোকজন ভয়ে পালিয়ে যায়। এভাবেই শাসকগোষ্ঠী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে স্থানীয় লোকদের তাড়িয়ে তা পুনর্দখল করার জন্য রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে। কিভাবে আলেপ্পোতে প্রয়োগ হয়েছে এই মডেল একটা দৃষ্টান্ত হচ্ছে বিদ্রোহীদের হাত থেকে সরকারি বাহিনীর আলেপ্পো পুনর্দখল। বিবিসির তথ্যে জানা যায়, আলেপ্পো শহরের ওপর সরকারি বাহিনীর অভিযানের সময় ২০১৬ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে মোট ১১টি ক্লোরিন গ্যাস আক্রমণ হয়। এর মধ্যে শেষ দু'দিনে চালানো হয় পাঁচটি আক্রমণ। সবগুলোই হয় বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এবং চালানো হয় বিমান থেকে। এর পর সরকারবিরোধী যোদ্ধারা এবং তাদের সমর্থকরা আত্মসমর্পণ করে এবং এলাকা ছেড়ে যেতে রাজি হয়। এ শহরটিতে যুদ্ধের শেষ কয়েক সপ্তাহে ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি লোক পালিয়ে যায়। এটা ছিল গৃহযুদ্ধের এক মোড় বদলকারী ঘটনা। সিরিয়ার সরকার অবশ্য কখনোই ক্লোরিন আক্রমণের কথা স্বীকার করে নি। দুমায় দৃশ্যত সরকারি বাহিনীর নিক্ষিপ্ত একটি রকেট পূ্র্ব ঘুটা শহরেও আক্রমণের একই প্যাটার্ন দেখা গেছে। দেখা যাচ্ছে রাসায়নিক অস্ত্র হামলা এবং সরকারবিরোধীদের বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারানো দুটোই ঘটেছে মোটামুটি একই সময়ে। বিদ্রোহীরাও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে তদন্তে ধারণা পাওয়া যায় যে, সরকারি বাহিনী ছাড়া অন্যরাও রাসায়নিক অস্ত্র হামলা চালিয়েছে। গোটা পাঁচেক আক্রমণ ইসলামিক স্টেটের চালানো বলে প্রমাণ মিলেছে। সিরিয়ান সরকার এবং রাশিয়া বিভিন্ন বিদ্রোহীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক আক্রমণের অভিযোগ আনলেও আইএস ছাড়া অন্য কোন গোষ্ঠী রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে এমন বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নি। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ব্যাপারে বিবিসিকে কোন সাক্ষাতকার বা কোন প্রশ্নের জবাব দেয় নি সিরিয়ার সরকার। প্যানোরামার দলকে দামেস্ক ও দুমায় যাবার অনুমতিও দেয়া হয় নি। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: বিএনপি কেন যোগ দিল আরো একটি জোটে 'অযথা চাপ' তৈরি করছিল বিকল্পধারা: বিএনপি মহাসচিব 'নিজেকে তখন রাজকুমারী মনে হচ্ছিলো ' ঢাকার রাস্তায় সম্পাদকদের নজিরবিহীন মানববন্ধন হিম-টু: 'মেয়েদের ডেট করতে ভয় পাচ্ছে আমার ছেলে'
After seven devastating years of civil war in Syria, which have left more than 350,000 people dead, President Bashar al-Assad appears close to victory against the forces trying to overthrow him.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
বেলজিয়ামের শিল্পী ডেলফাইন বোয়েল (বামে) দাবি করেন যে দ্বিতীয় আলবার্ট তাঁর পিতা। তিনি যদি ডিএনএ নমুনা জমা না দিতেন তাহলে তাকে প্রতিদিন পাঁচ হাজার ইউরো জরিমানা গুনতে হতো। ৮৪ বছর বয়সী সাবেক এই রাজা গত এক দশকেরও বেশি সময় যাবত পিতৃত্বের বিষয়টি নিয়ে আইনগত লড়াই করছেন। ৫১ বছর বয়সী বেলজিয়ামের শিল্পী ডেলফাইন বোয়েল দাবি করেন যে তার 'বাবা হচ্ছেন বেলজিয়ামের সাবেক রাজা দ্বিতীয় আলবার্ট'। কিন্তু দ্বিতীয় আলবার্ট সে দাবি খারিজ করে দিচ্ছেন। ১৯৯৩ সালে থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন দ্বিতীয় আলবার্ট। এই বছরের শেষের দিকে এ পিতৃত্বের দাবির বিষয়ে আদালতের রায় হতে পারে। ব্রাসেলস-এর একটি আদালত গত ফেব্রুয়ারি মাসে নির্দেশ দিয়েছিল যে তিনমাসের মধ্যে সাবেক এই রাজাকে ডিএনএ নমুনা জমা দিতে হবে। অন্যথায় শিল্পী বোয়েলের পিতা হিসেবে তিনি গণ্য হবেন। ১৯৯৯ সালে রাজা দ্বিতীয় আলবার্টের স্ত্রী সম্পর্কে একটি জীবনীতে বেরিয়ে আসে যে রাজার একটি অবৈধ সন্তান আছে। বিষয়টি নিয়ে বেলজিয়ামের গণমাধ্যমে নানা ধরণের গল্প ছড়িয়ে পড়ে। ২০০৫ সালে মিস বোয়েল এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে রাজা দ্বিতীয় আলবার্ট তার পিতা। মিস বোয়েল-এর মা দাবি করেন, ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত মি: আলবার্টের সাথে তার প্রণয় ছিল। মি: আলবার্ট তখন ছিলেন যুবরাজ। ১৯৯৩ সালে মি: আলবার্টের বড় ভাই যখন ৬২ বছর বয়সে মারা যায়, তখন তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে সিংহাসনের দায়িত্ব নেন। খারাপ স্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ করে ২০১৩ সালের জুলাই মাসে দায়িত্ব ছেড়ে দেন রাজা দ্বিতীয় আলবার্ট। এরপর মিস বোয়েল তার পিতৃত্বের দাবি নিয়ে আদালতে যান। কারণ রাজা থাকা অবস্থায় যে কোন ধরণের মামলা থেকে তার দায়মুক্তি রয়েছে। ২০১৮ সালে আদালত নির্দেশ দেয়, মি: আলবার্টকে ডিএনএ নমুনা জামা দিতে হবে। কিন্তু সাবেক রাজা আদালতের এই নির্দেশ মানেন নি । বেলজিয়ামের সংবিধানে রাজতন্ত্র থাকলেও সেখানে রাজার ভূমিকা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। ১৯৫৯ সালে মি: আলবার্ট বিয়ে করেন এক ইটালিয়ানকে। তাদের দুটো কন্যা এবং একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
The former king of Belgium, Albert II, has refused to undergo DNA testing in a case aimed at proving he fathered a love-child in the 1960s.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
২০২০ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করবে কে? কিন্তু নির্বাচনের কোন পর্যায়ে কি হতে যাচ্ছে? ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য গত বছর থেকে দলের ভেতরে একে অপরকে টেক্কা দেয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সামনের কয়েক মাসে আমরা দেখতে পাবো নির্বাচনে কে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে মাঠে নামেন। ককাস থেকে শুরু করে কনভেনশন, হোয়াইট হাউজে যাওয়ার দৌড়ের বিষয়ে যা কিছু জানা উচিত, সেটাই এখানে তুলে ধরা হলো। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হবে? যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২০ সালের তেসরা নভেম্বর। প্রধান দল কোনগুলো? অন্য অনেক দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রে অনেক রাজনৈতিক দল নেই। দেশটিতে প্রধানত দুইটি দলই বেশি ভোট পেয়ে থাকে: ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান পার্টি। আধুনিক উদারনীতিতে বিশ্বাস করে ডেমোক্র্যাট পার্টি- যারা রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ, সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, সাশ্রয়ী মূল্যের শিক্ষা, সামাজিক কর্মসূচী, পরিবেশ সংরক্ষণ নীতি এবং শ্রমিক ইউনিয়নে বিশ্বাস করে। আরো পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন: আলোচনায় যে ৫টি বিষয় ট্রাম্পকে ভোট দেয়ায় ভাঙলো ২২ বছরের সংসার ইমপিচমেন্ট কী, কেন ও কিভাবে করা হয়? আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে এত আগ্রহ কেন? ডেমোক্র্যাট দলের খচ্চর আর রিপাবলিকান দলের হাতি আমেরিকার দুই দল রাজনীতি ব্যবস্থার প্রতীক এই দলের সর্বশেষ প্রার্থী ছিলেন হিলারি ক্লিনটন, যিনি গত নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরেছেন। রিপাবলিকান পার্টি, যে দলটি গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি অথবা জিওপি নামেও পরিচিত- আমেরিকান রক্ষণশীলতার প্রচারণা করে। যেমন সীমিত সরকারি নিয়ন্ত্রণ, কম কর হার, মুক্তবাজার পুঁজিবাদ, বন্দুকের অধিকার, নিয়ন্ত্রণ মুক্ত শ্রমিক ইউনিয়ন এবং অভিবাসন ও গর্ভপাতের মতো ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরোপ করায় বিশ্বাসী দল। অন্যান্য ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলো- যেমন লিবার্টারিয়ান, গ্রীন, ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টিও কখনো কখনো প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী মনোনয়ন ঘোষণা করে। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ডেমোক্র্যাট পার্টির মনোনয়ন চাইছেন এখন কি হচ্ছে? এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দেশজুড়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যাকে বলা হয় প্রাইমারিস। যুক্তরাষ্ট্রে সংবিধানে এই 'প্রাইমারি' সম্পর্কে কিছুই বলা নেই- সুতরাং পুরো ব্যাপারটি নির্ধারিত হয় দল এবং রাজ্য আইন অনুযায়ী। যেভাবে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, ঠিক সেভাবেই, তবে দল নয়, বরং স্টেট সরকার প্রাইমারি নির্বাচনের আয়োজন করে থাকে। রাজ্য আইনে নির্ধারিত হয় যে, এই প্রাইমারি রুদ্ধদ্বার কক্ষে হবে কিনা ( অর্থাৎ যারা শুধুমাত্র দলের রেজিস্টার্ড বা তালিকাভুক্ত, তারাই ভোট দিতে পারবেন ) নাকি খোলা হবে (যেখানে যেকোনো ভোটার ভোট দিতে পারবেন)। একজন প্রার্থী যদি প্রাইমারিতে বিজয়ী হন, তারা তখন স্টেটের সব প্রতিনিধির বা আংশিক প্রতিনিধিকে জয় করবেন, যা নির্ভর করে দলের আইনের ওপর। এই প্রতিনিধিরা দলের চূড়ান্ত সম্মেলনে তার পক্ষে ভোট দেবেন। এরপরে দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। এই প্রাইমারি নির্বাচন পদ্ধতি পুরোপুরিই আমেরিকান একটা ব্যবস্থা। তবে অস্ট্রেলিয়া এবং ইসরায়েলে অনেকটা একই ধাচে প্রার্থীদের পূর্ব-বাছাই প্রক্রিয়া রয়েছে। ফেব্রুয়ারির তিন তারিখ আইওয়ায় ডেমোক্র্যাট পার্টির ককাসের মাধ্যমে ডেমোক্র্যাটদের মনোনয়ন দৌড় শুরু হচ্ছে ককাস কি? হাতেগোনা কয়েকটি স্টেটে, যেমন আইওয়ায় প্রাইমারির পরিবর্তে ককাস (রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক সমিতি) রয়েছে। স্টেট জুড়ে প্রতিটি এলাকায় ককাসের আয়োজন করে দল। যেহেতু ককাস রাজ্য সরকার আয়োজন করে না, ফলে দলগুলো তাদের নিয়ম-নীতির ব্যাপারে (যেমন কে ভোট দিতে পারবে) বেশ শিথিলভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ডেমোক্র্যাট ককাসে কোন ব্যালটে ভোট হয় না। এখানে ভোট হয় কক্ষের ভেতর দলবদ্ধভাবে দাড়িয়ে ভোট দেয়ার মাধ্যমে। সুপার টিউসডে কি? এটা হচ্ছে সেই দিন, যেদিন বেশিরভাগ স্টেট এবং টেরিটরি তাদের প্রাইমারি নির্বাচন অথবা ককাসের আয়োজন করে থাকে। এ বছর সুপার টিউসডে অনুষ্ঠিত হবে তেসরা মার্চ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা প্রায় আঠারো মাস ধরে চলে সবমিলিয়ে কেমন সময় লাগবে? ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয়ে পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে আগামী জুন মাস পর্যন্ত প্রাইমারি এবং ককাস অনুষ্ঠিত হবে। বলা হয় যে, ডেমোক্র্যাট পার্টির মনোনয়নের ব্যাপারে এই সময়ের ভেতরেই আঁচ পাওয়া যাবে। কারণ প্রার্থীরা প্রতিটি প্রাইমারি বা ককাসের মাধ্যমে তার পক্ষের প্রতিনিধি সংগ্রহ করে ফেলবেন। যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সে প্রচারণা চালানোর নির্দিষ্ট সময় বেধে দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রার্থীরা যতদিন ইচ্ছা তাদের প্রচারণা চালাতে পারেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেনশিয়াল প্রচারণা প্রায় ১৮ মাস ধরে চলে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ট্রাম্প কখন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন? ডেমোক্র্যাট দলের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ১৩ই জুলাই থেকে ১৬ই জুলাই, যেখানে দলের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। রিপাবলিকান জাতীয় সম্মেলন আরেকটু পরের দিকে হবে, ২৪শে অগাস্ট থেকে ২৭শে অগাস্ট পর্যন্ত। (জাতীয় সম্মেলনে ঘোষণা না করা পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান প্রার্থীর আনুষ্ঠানিক প্রার্থী নন।) এরপরে আমাদের চারটি বিতর্কের জন্য অপেক্ষা করতে হবে যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স তাদের ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি হবেন। প্রেসিডেন্ট বিতর্কের ব্যাপারে ১৯৮৭ সালে গঠিত একটি নিরপেক্ষ কমিশন এই বিতর্কের আয়োজন এবং পরিচালনা করবে। তিনটি প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কের প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে ২৯শে সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়ানায়। বাকি দুইটি হবে সেখানেই অক্টোবরে। ভাইস প্রেসিডেন্ট বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে উটাহে সাতই অক্টোবর। সাধারণ ভোটারদের ভোটে হারলেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো ইলেকটোরাল ভোটে বিজয়ী পাঁচ প্রেসিডেন্টের একজন জর্জ ডব্লিউ বুশ সাধারণ নির্বাচনে কীভাবে বিজয়ী হন একজন প্রার্থী? (ক্লু: প্রার্থীর দরকার মাত্র ২৭০ ভোট) পপুলার ভোট-প্রত্যেক প্রার্থী ভোটারদের যে ভোটগুলো পান- তার সঙ্গে তেসরা নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের জয়ী হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। কারণ আমেরিকান প্রেসিডেন্ট সরাসরি ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত হন না। বরং তিনি নির্বাচিত হন একদল কর্মকর্তাদের ভোটে, যাদের বলা হয় 'ইলেকটোরাল কলেজ' - যা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান দ্বারা নির্ধারিত এবং রাষ্ট্র ও কেন্দ্রীয় আইনের এক জটিল ব্যবস্থা। থিওরি বা তত্ত্ব অনুযায়ী, ইলেকটোরাল কলেজ সেই প্রার্থীকে বাছাই করে নেন, যিনি সর্বাধিক ভোট পান। কিন্তু সবসময়েই সেটা হয় না। যে প্রার্থী ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে ২৭০টি ভোট পান, তিনিই হোয়াইট হাউজের দৌড়ে বিজয়ী হন। এর ফলে প্রার্থীদের কাছে কিছু কিছু রাজ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কারণ যেসব স্টেটে জনসংখ্যা বেশি, সেসব স্টেটে ইলেকটোরাল ভোটও বেশি থাকে। ফলে কোন প্রার্থীর পক্ষে সাধারণ ভোটারদের বেশি ভোট পাওয়ার পরেও ইলেকটোরাল ভোট কম পাওয়ায় হারতে হতে পারে। যেটা ঘটেছে ২০০০ সালে আল গোরের ক্ষেত্রে এবং ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের ক্ষেত্রে। ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির সঙ্গে সব আমেরিকান একমত নন ইলেকটোরাল কলেজ কী এবং কীভাবে সেটা কাজ করে? 'ইলেকটোরাল কলেজ' হচ্ছে কর্মকর্তাদের একটি প্যানেল, যাদের 'ইলেকটোরস' বলা হয়- প্রতি চার বছর পর পর এটি গঠিত হয়, যারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টকে বাছাই করেন। কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্বের অনুপাতে প্রতিটি স্টেটের ইলেকটোরস সংখ্যা নির্ধারিত হয়: যা নির্ধারিত হয় স্টেটে সিনেটরের সংখ্যা (প্রত্যেক স্টেটে দুইজন) এবং প্রতিনিধি পরিষদে প্রতিনিধির (যা জনসংখ্যার অনুপাতে) যোগফল মিলে। সবচেয়ে বড় ছয়টি স্টেট হলো ক্যালিফোর্নিয়া (৫৫), টেক্সাস (৩৮), নিউইয়র্ক (২৯), ফ্লোরিডা (২৯), ইলিনয় (২০) এবং পেনসিলভেনিয়া (২০)। এই পদ্ধতির ফলে ছোট রাজ্যগুলোকে আরো বেশি গুরুত্ব দেয়, যার অর্থ হচ্ছে একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে অবশ্যই পুরো দেশজুড়ে ভোট পেতে হবে। ভার্জিনিয়ায় ভোট দিচ্ছেন একজন ভোটার দোদুল্যমান, লাল এবং নীল স্টেট কী? রিপাবলিকান দুর্গ বলে পরিচিত স্টেট যেমন আইডাহো, আলাস্কা, এবং দক্ষিণের অনেক রাজ্যকে বলা হয় 'রেড স্টেট' বা 'লাল রাজ্য'। ডেমোক্র্যাট প্রাধান্য পাওয়া স্টেটগুলো যেমন ক্যালিফোর্নিয়া, ইলিনয়, এবং উত্তরপূর্ব এলাকার স্টেটগুলোকে বলা হয় 'ব্লু স্টেট' বা নীল রাজ্য। সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান স্টেট হচ্ছে সেসব রাজ্য যেগুলো প্রার্থীদের কারণে ভোট এদিকে বা ওদিকে যেতে পারে। যেসব রাজ্যে বিজয়ী হওয়া সম্ভব নয়, অনেক সময় সেসব রাজ্যে প্রচারণা বিনিয়োগ বা প্রার্থীদের পাঠানো হয় না। ফলে ওহাইয়ো বা ফ্লোরিডার মতো দোদুল্যমান রাজ্যগুলোকেই মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। ২০২০ সালের এরকম দোদুল্যমান স্টেট হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে অ্যারিজোনা, পেনসিলভেনিয়া এবং উইসকনসিন স্টেটকে। যুক্তরাষ্ট্রে অনলাইনে ভোট দেয়ার কোন ব্যবস্থা নেই ভোটাররা কতক্ষণ ভোট দিতে পারেন? অন্য আরো অনেক বিষয়ের মতো যুক্তরাষ্ট্রে এটাও নির্ভর করে স্টেটগুলোর ওপর। বেশিরভাগ স্টেটে আগাম ভোটের সুযোগ দেয়া হয়। যার ফলে তালিকাভুক্ত ভোটাররা নির্বাচন দিনের আগেই তাদের ভোট দিতে পারেন। সেখানে ডাকযোগে ভোট দেয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। যারা অসুস্থতা, প্রতিবন্ধিতা, ভ্রমণ ও স্টেটের বাইরে পড়াশোনার কারণে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন না, তাদের জন্য ডাকযোগে ভোট দেয়ার সুযোগ রয়েছে। যারা নির্বাচনের দিন ভোট দিতে যাবেন, তাদের সশরীরে ভোট কেন্দ্রে হাজির হয়ে ভোট দিতে হবে। প্রতিটি স্টেট তাদের ভোট গণনার কাজ করে এবং সাধারণত সেই রাতেই বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়ে থাকে। প্রত্যেক প্রার্থী একটি নির্বাচনী রাতের পার্টি আয়োজন করেন ইলেকটোরাল ভোটে যদি কেউ বিজয়ী না হয়, তাহলে কী হবে? যদি কোন একক প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠ ইলেকটোরাল ভোট না পান, তাহলে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা শীর্ষ তিন প্রার্থীর ভেতর থেকে একজনকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে বাছাই করবেন। বাকি দুইজন প্রার্থীর ভেতর থেকে একজনকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে বাছাই করবে সিনেট। যদিও এরকম ঘটনা বিরল, তবে একবার এটা ঘটেছিল। ১৮২৪ সালে এভাবেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জন কুইনসি অ্যাডামস। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দায়িত্ব হস্তান্তর নিয়ে আলোচনা করছেন নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিজয়ী ঘোষণার পরে কী ঘটে? নির্বাচনের পর সংক্ষিপ্ত রূপান্তরকালীন সময় কাটে, যখন নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের বাছাই করেন এবং পরিকল্পনা তৈরি করেন। জানুয়ারি মাসে নতুন প্রেসিডেন্ট (অথবা পুননির্বাচিত প্রেসিডেন্ট) অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শপথ গ্রহণ করেন। আমেরিকান সংবিধানের বিশতম সংশোধনী - যা ১৯৩৩ সালে হয়- নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে যে, এই অভিষেক অনুষ্ঠান হবে ২০শে জানুয়ারি। কংগ্রেসে একটি অনুষ্ঠানের পর একটি প্যারেডের মাধ্যমে নতুন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউজে পরবর্তী চার বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করতে আসেন।
The race for the White House has begun in earnest, and the outcome of the 2020 US general election will have an impact around the world. So what stage are we at now and how do you win the presidency?
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
মানসা মুসার মক্কা ভ্রমণে তাঁর সাথে ছিলেন ১২০০০ দাস-দাসী এবং আরো ৬০,০০০ মানুষের এক বিশাল বহর। তবে সর্বকালের সেরা ধনীর সম্পদের কাছাকাছিও তিনি নেই। সেই খেতাবের মালিক মানসা মুসা, ১৪ শতকে পশ্চিম আফ্রিকার এই মুসলিম শাসক এতটাই ধনী ছিলেন যে তার দানশীলতার কারণে একটি পুরো দেশের অর্থনীতিতে পর্যন্ত ধস নেমেছিল। "মুসার সম্পদের যে শ্বাসরুদ্ধকর বর্ণনা পাওয়া যায় তাতে আসলে তিনি যে কতটা সম্পদশালী এবং ক্ষমতাশালী ছিলেন তা ধারণা করাও কঠিন,"- বিবিসিকে বলেন রুডলফ বুচ ওয়ার, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। "কারো পক্ষে যতটা বর্ণনা করা সম্ভব তার চেয়েও ধনী ছিলেন মানসা মুসা,"- ২০১৫ সালে মানি ডট কমের জন্য লেখেন জ্যাকব ডেভিডসন। ২০১২ সালে একটি মার্কিন ওয়েবসাইট, সেলিব্রিটি নেট ওর্থ তাঁর মোট সম্পদের মূল্য ৪০ হাজার কোটি ডলার বলে একটি ধারণা দেয়। তবে অর্থনীতির ইতিহাসবিদরা একমত যে সংখ্যা দিয়ে তাঁর সম্পদের কোন সঠিক ধারণা দেয়া একরকম অসম্ভব। সর্বকালের সেরা ১০ ধনী •মানসা মুসা (১২৮০-১৩৩৭, মালি সাম্রাজ্যের রাজা) সম্পদের পরিমাণ ধারণা করা সম্ভব নয়। •অগাস্টাস সিজার (৬৩ খ্রিস্টপূর্ব- ১৪ খ্রিস্টাব্দ, রোমান সম্রাট)৪.৬ লাখ কোটি ডলার। •ঝাও সু (১০৪৮-১০৮৫, চীনের সং সাম্রাজ্যের সম্রাট শেনজং) সম্পদ অপরিমাপযোগ্য। •আকবর (১৫৪২-১৬০৫, ভারতের মুঘল সম্রাজ্যের সম্রাট) সম্পদ অপরিমাপযোগ্য। •এন্ড্রু কার্নেগি (১৮৩৫-১৯১৯, স্কটিশ-মার্কিন শিল্পপতি) ৩৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার। •জন ডি রকাফেলার (১৮৩৯-১৯৩৭, মার্কিন ব্যবসায়ী) ৩৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার। •নিকোলাই আলেক্সান্দ্রোভিচ রোমানভ (১৮৬৮-১৯১৮, রাশিয়ার জার) ৩০ হাজার কোটি ডলার। •মীর ওসমান আলী খান (১৮৮৬-১৯৬৭, ভারতীয় রাজপরিবারের সদস্য) ২৩ হাজার কোটি ডলার। •উইলিয়াম দ্য কনকারার (১০২৮-১০৮৭, ইংল্যান্ডের রাজা) ২২ হাজার ৯৫০ কোটি ডলার। •মুয়াম্মার গাদ্দাফি (১৯৪২-২০১১, লিবিয়ার দীর্ঘ সময়ের শাসক) ২০ হাজার কোটি ডলার। সূত্র: মানি ডট কম স্বর্ণের রাজা ১২৮০ সালে একটি শাসক পরিবারেই জন্ম মানসা মুসার। তিনি ক্ষমতায় আসার আগে মালি সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন তাঁর ভাই মানসা আবু-বকর। ১৩১২ খ্রিস্টাব্দে আবু-বকর সিংহাসন ত্যাগ করে একটি অভিযানে বের হন। চতুর্দশ শতকের সিরীয় ইতিহাসবিদ শিহাব আল-উমারির বর্ণনা অনুযায়ী, আটলান্টিক মহাসাগর এবং তার ওপারে কী আছে তা নিয়ে মারাত্মক কৌতুহলী ছিলেন আবু-বকর। বলা হয় ২ হাজার জাহাজ এবং হাজার-হাজার পুরুষ, নারী এবং দাস-দাসী নিয়ে সমুদ্রে পাড়ি জমান তিনি, এবং এরপর আর কখনো ফিরে আসেননি। প্রয়াত মার্কিন ইতিহাসবিদ আইভান ভ্যান সারটিমার মতো অনেকেই মনে করেন আবু-বকর শেষপর্যন্ত দক্ষিণ আমেরিকায় পৌঁছুতে পেরেছিলেন। যদিও এর কোন প্রমাণ নেই। যাইহোক, উত্তরাধিকার সূত্রে ভাইয়ের ফেলে যাওয়া রাজত্বের শাসনভার নেন মানসা মুসা। তাঁর শাসনামলে মালি রাজত্বের আকার বাড়তে থাকে। তিনি তার রাজত্বে আরো ২৪ টি শহর যুক্ত করেন, যার একটি ছিল টিম্বাকটু। তাঁর রাজত্ব বিস্তৃত ছিল ২,০০০ মাইলজুড়ে, আটলান্টিক মহাসাগর থেকে শুরু করে বর্তমান নিজার, সেনেগাল, মৌরিতানিয়া, মালি, বুর্কিনা ফাসো, গাম্বিয়া, গিনি-বিসাউ, গিনি এবং আইভোরি কোস্টের বড় অংশ ছিল তার রাজত্বে। কাতালান অ্যাটলাস মানচিত্রে এভাবেই মানসা মুসার ছবি আঁকা হয়। এই বিশাল সাম্রাজ্যের সাথে তাঁর আয়ত্ত্বে আসে মূল্যবান খনিজ সম্পদ- বিশেষ করে স্বর্ণ এবং লবণ। ব্রিটিশ মিউজিয়ামের হিসেবে মানসা মুসার শাসনামলে তৎকালীন বিশ্বে যে পরিমাণ স্বর্ণের মজুত ছিল তার অর্ধেকই ছিল মালিতে। আর তার সবটারই মালিক ছিলেন মানসা মুসা। "শাসক হিসেবে মধ্যযুগের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদটির প্রায় অফুরান যোগান ছিল মানসা মুসার,"- বিবিসিকে বলেন ক্যাথলিন বিকফোর্ড বারজক, নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আফ্রিকাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ। "বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলো তার সাম্রাজ্যে স্বর্ণ এবং অন্যান্য পণ্যের ব্যবসা করতো, সেই বাণিজ্য থেকে আরো সম্পদশালী হয়ে ওঠেন মানসা মুসা"। আরো পড়তে পারেন: ভারতের সবচেয়ে ধুমধামের বিয়ে ঘিরে যত হৈচৈ আজিজ খান যেভাবে বাংলাদেশের ডলার বিলিওনিয়ার কার আয়ু বেশি: ধনী না গরিবের? বিশ্বে সবচেয়ে কম বয়সে কোটিপতি হলেন যে নারী মক্কার উদ্দেশ্যে মানসা মুসা মালি সাম্রাজ্যে স্বর্ণের বিশাল মজুত থাকলেও, এই রাজত্ব বহির্বিশ্বে অতটা পরিচিত ছিল না। তবে ধর্মপ্রাণ মুসলিম মানসা মুসা যখন সাহারা মরু এবং মিশর পার হয়ে মক্কায় হ্জ্জ্ব পালনের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, তখনি সেই অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করলো। মানসা মুসার মক্কা যাত্রা তাকে এবং মালিকে মানচিত্রে স্থান করে দেয় - ১৩৭৫ সালের কাতালান অ্যাটলাস মানচিত্রের বলা হয় ৬০,০০০ মানুষের একটি দল নিয়ে মালি ত্যাগ করেন মুসা। তার সেই দলে ছিলেন সম্পূর্ণ মন্ত্রী পরিষদ, কর্মকর্তারা, সৈনিক, কবি, ব্যবসায়ী, উটচালক এবং ১২,০০০ দাস-দাসী। একইসাথে খাবারের জন্য ছিলো ছাগল এবং ভেড়ার এক বিশাল বহর। মরুর বুক দিয়ে যেন একটি শহর চলছিল। যে শহরের এমনকি একজন দাসের গায়েও স্বর্ণখচিত পারস্যের সিল্কের জামা। শহরের সাথে চলছিল শত-শত উটের আরেকটি বহর, যার প্রতিটির পিঠে শত-শত সের খাঁটি স্বর্ণ। দেখার মত দৃশ্য ছিল সেটি। সেই দেখার মত মানুষ পাওয়া গেল যখন পুরো ক্যারাভানটি কায়রোতে পৌঁছুল। কায়রোর স্বর্ণধস কায়রোতে মানসা মুসার ভ্রমণ সেখানকার বাসিন্দাদের মনে এতটাই দাগ কেটেছিল যে তাঁর ভ্রমণের ১২ বছর পর যখন আল-উমারি শহরটিতে যান, তখনো মানুষের মুখে মুখে ছিল মানসা মুসার স্তুতিবাক্য। কায়রোতে তিন মাস অবস্থানের সময় তিনি যে হারে মানুষকে স্বর্ণ দান করেছেন তাতে পরবর্তী ১০ বছর ঐ পুরো অঞ্চলে স্বর্ণের দাম তলানিতে গিয়ে পৌঁছায়, অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্মার্টঅ্যাসেট ডট কমের এক হিসেবে, মানসা মুসার মক্কা যাত্রার ফলে স্বর্ণের যে অবমূল্যায়ন হয় তাতে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে তৎকালীন সময়ে ১৫০ কোটি ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছিল। ফেরার পথে আবারো মিশর পার হন মানসা মুসা। অনেকের মতে যেসময় দেশটির অর্থনীতিকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন তিনি। চড়া সুদে তিনি বেশকিছু স্বর্ণ ধার করে সেগুলো তিনি বাজার থেকে তুলে নেন। আবার অনেকে বলেন, তিনি এত বেশি খরচ করেন যে তাঁর স্বর্ণ শেষ হয়ে যায়। লন্ডনের স্কুল অফ আফ্রিকান এবং ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের লুসি ডুরান বলেন, মালির চারণকবি, যারা কিনা গানের সুরে ইতিহাস বর্ণনা করতেন, তারা মানসা মুসার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। "তিনি মালির এত বেশি স্বর্ণ দান-খয়রাত করেন যে তারা (চারণকবিরা) তাদের গানে মানসা মুসার প্রশংসা করেন না। কারণ তারা মনে করেন, তিনি দেশটির সম্পদ বিদেশের মাটিতে নষ্ট করেছেন"। হৃদয়ে ছিল শিক্ষা মানসা মুসা তার তীর্থযাত্রায় যে প্রচুর পরিমাণ স্বর্ণ খরচ অথবা নষ্ট করেছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে তার এই অতি দানশীলতাই তাকে বিশ্বের নজরে এনে দেয়। মানসা মুসা আক্ষরিক অর্থেই মালি এবং নিজেকে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে দেন। ১৩৭৫ সালের একটি কাতালান মানচিত্রে টিম্বাকটুর ওপরে একজন আফ্রিকান রাজাকে স্বর্ণের টুকরো হাতে বসে থাকার ছবি দেখা যায়। তিনিই মানসা মুসা। দূর-দুরান্ত থেকে মানুষজন টিম্বাকটু দেখতে আসা শুরু করেন। উনিশ শতকেও টিম্বাকটু ছিল কিংবদন্তীর হারিয়ে যাওয়া এক স্বর্ণের শহর। ভাগ্যান্বেষণে ইউরোপ থেকেও পরিব্রাজকেরা খোঁজ করতেন এই টিম্বাকটুর। আর এর পেছনে মূল কারণটিই ছিল ৫০০ বছর আগে মানসা মুসার সেই শাসনামল। মক্কা থেকে বেশ কয়েকজন ইসলামী চিন্তাবিদকে সাথে নিয়ে আসেন মানসা মুসা। যাদের মধ্যে ছিলেন নবী মোহাম্মদের সরাসরি বংশধর এবং একজন আন্দালুসিয়ান কবি ও স্থপতি আবু এস হক এস সাহেলি, যাকে কিনা বিখ্যাত জিংগারেবার মসজিদের নকশাকার হিসেবে ধারণা করা হয়। মানসা মুসা সেই কবিকে পারিশ্রমিক হিসেবে ২০০ কেজি স্বর্ণ দিয়েছিলেন বলে কথিত আছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৮২ লক্ষ মার্কিন ডলার। শিল্প এবং স্থাপনায় উৎসাহ দেয়ার পাশাপাশি তিনি সাহিত্যক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা দেন, স্কুল, লাইব্রেরি এবং মসজিদ তৈরিতে অর্থ দান করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই টিম্বাকটু হয়ে ওঠে শিক্ষার কেন্দ্র এবং সারাবিশ্ব থেকে মানুষজন সেখানে পড়তে আসা শুরু করে, যা পরবর্তীতে পরিচিত হয় সাংকোর বিশ্ববিদ্যালয় নামে। ধনী সেই রাজাকে পশ্চিম আফ্রিকায় শিক্ষার প্রসারের অগ্রদূত হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যদিও সেই সাম্রাজ্যের বাইরে তার সেই গল্প খুব কম মানুষই জানতে পেরেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল বলেছিলেন, "ইতিহাস লেখে বিজয়ীরা"। ১৩৩৭ সালে ৫৭ বছর বয়সে মানসা মুসার মৃত্যুর পর তার ছেলেরা আর সেই সাম্রাজ্য ধরে রাখতে পারেনি। ছোট রাজ্যগুলো একে একে বেরিয়ে যেতে থাকে এবং একসময় পুরো সাম্রাজ্য ধসে পড়ে। ১৩২৭ সালে জিংগারেবার মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেন মানসা মুসা। পরবর্তীতে ইউরোপিয়দের আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন ছিল প্রতাপশালী সম্রাট মানসা মুসার কফিনের শেষ পেরেক। "মধ্যযুগের ইতিহাসকে এখনো অনেকটা পশ্চিমা ইতিহাস হিসেবেই দেখা হয়,"- মানসা মুসার কাহিনী কেন এতটা প্রচারিত নয় তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন ব্লক মিউজিয়ামের পরিচালক লিসা করিন গ্রাজিও। "কয়েক'শ বছর পরে না এসে, মানসা মুসার সময়ে মালি যখন সামরিক এবং অর্থনৈতিক শক্তিতে সবার শীর্ষে ছিল, তখন যদি ইউরোপিয়রা আফ্রিকায় আসতো- তাহলে হয়তো পুরো বিষয়টা অন্যরকম হতো," বলেন মিস্টার ওয়ার।
Amazon founder Jeff Bezos is the richest man in the world, according to the 2019 Forbes billionaires' list released this week. With an estimated fortune of $131bn (£99bn) he is the wealthiest man in modern history.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
ইমানুয়েল ম্যাক্রন এবং তার প্রতিদ্বন্ধী ম্যারি লে পেন উভয় এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগের রাতে তিনি বলেন সবায় জানতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা ঝুঁকির মধ্যে পরতে পারে। তিনি মূলত এসময় আমেরিকার নির্বাচনের সময় রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে হ্যাকিং এর অভিযোগ উঠে সেটাকে ইঙ্গিত করেন। ইমানুয়েল ম্যাক্রন এবং তার প্রতিদ্বন্ধী ম্যারি লে পেন উভয় এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। বিবিসির প্যারিস সংবাদদাতা বলছেন এই হ্যাকিং এর ঘটনা নির্বাচনের ফলাফলে খুব বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে না। এ বিষয়ে ফরাসি কর্তৃপক্ষ গতকাল শনিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ফাঁস হওয়া তথ্য নির্বাচনের প্রাক্কালে কেউ প্রচার করলে ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হবেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওলান্দ বলেছেন সম্ভাব্য বিজয়ী ইমানুয়েল ম্যাক্রন যে বড় ধরণের হ্যাকিং এর শিকার হয়েছে সেটার জবাব দেয়া হবে। তবে সেখানকার কয়েকজন বাসিন্দা বলছিলেন এই ঘটনা তাদেরকে একেবারেই বিস্মিত করেনি। এখানে একজন বলছেন আমরা জানি এখানে বিদেশি শক্তি কাজ করছে যারা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চায়। আরেকজন ব্যক্তি বলছেন এর আগেও এমনটা হয়েছে। এখন আমরা আধুনিক যুগে বাস করছি, তাই ব্যাপারটা হচ্ছে কম্পিউটারের মাধ্যমে। ফ্রান্সের নির্বাচনী ব্যবস্থা অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্বে যদি কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচনে অংশ নেবেন শীর্ষ দুই প্রার্থী। ২৩ তারিখের নির্বাচনে ৯৬ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা যাচ্ছে, ২১.৪ শতাংশ ভোট পাওয়া উগ্র-ডানপন্থী এন এফ পার্টির নেতা মারি লে পেনের সাথে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২৩.৯ ভাগ ভোট পাওয়া ম্যাক্রন। মিজ লে পেন ২০১১ সালে তার বাবার কাছ থেকে ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতৃত্ব নেন এবং এরপর থেকে দলের চরমপন্থি অতীত থেকে সরে আসার চেষ্টা করছেন। অপরদিকে ৩৯ বছর বয়সী সাবেক বিনিয়োগ ব্যাংকার, মি. ম্যাক্রন প্রেসিডেন্ট ওলাদের অধীনে অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। নির্বাচনের প্রধান একটি ইস্যু বেকারত্ব। দেশটিতে বেকারত্বের হার ১০ শতাংশ। ২৮ টি ইইউ-ভুক্ত দেশের মধ্যে বেকারত্বের দিক দিয়ে ফ্রান্সের অবস্থান অষ্টম। আরেকটি প্রধান ইস্যু নিরাপত্তা। ফ্রান্স এখনো জরুরী অবস্থার মধ্যে রয়েছে। কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, ইরাক এবং সিরিয়ায় যুদ্ধে যাওয়া শত-শত ফরাসী মুসলিম তরুণ হয়তো দেশে ফিরে নানা ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করবে। এখন যে প্রার্থাী জয় লাভ করুন না কেন তার উপর অনান্য চ্যালেঞ্জের আগে এই দুই সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে।
French President François Hollande has promised to "respond" after a hacking attack targeted presidential candidate Emmanuel Macron.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
পাকিস্তানের পার্ল কন্টিনেন্টাল হোটেলে হামলার দায় স্বীকার করেছে স্থানীয় একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের বন্দরনগরী গোয়াদারে বিলাসবহুল পার্ল কন্টিনেন্টাল হোটেলে তিনজন বন্দুকধারী হামলা করে শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটার দিকে। এর পরপরই নিরাপত্তা বাহিনী হোটেলটিকে ঘিরে ফেলে। কর্মকর্তারা বলেছেন, বন্দুকধারীরা হোটেলের দ্বিতীয় তলার একটি অংশে অবস্থান নিয়ে অনেকটা সময় ধরে গুলি ছুঁড়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীও পাল্টা অবস্থান নিয়ে অভিযান চালালে শেষপর্যন্ত বন্দুকধারী তিনজনই নিহত হয়। আরও পড়তে পারেন: জেরুসালেমে ইহুদী গোষ্ঠীর প্রথম সন্ত্রাসবাদী হামলা গাজায় ইসরায়েলী হামলা অব্যাহত রাখার আদেশ শ্রীলঙ্কা হামলা: মুসলিম সংখ্যালঘুদের অবস্থা কেমন? বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, চীনা এবং অন্য বিদেশী বিনিয়োগকারীদের তারা টার্গেট করেছিল। যে এলাকায় হোটেলে এই হামলা হয়েছে, সেই গোয়াদার এলাকায় চীন শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি চীনা বিনিয়োগের বিরুদ্ধে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, চীন সেখানে যে বিনিয়োগ করছে, তাতে স্থানীয়দের কোনো লাভ হবে না। পার্ল কন্টিনেন্টাল হোটেলেও নিয়মিত চীনাসহ অনেক বিদেশী থাকতেন। তবে হোটেলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, রমযানের কারণে অতিথি কম ছিল এবং যে ক'জন অতিথি ছিল, তাদের দ্রুত নিরাপদে সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছিল। গোয়াদার বন্দর পাহারা দিচ্ছে একজন সৈন্য (ফাইল ফটো) ঘটনার সম্পর্কে আরও যা জানা যাচ্ছে পার্ল কন্টিনেন্টাল হোটেলে শনিবার বিকেলে একদল বিদেশী বিনিয়োগকারির সাথে পাকিস্তান সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের একটা বৈঠক ছিল। বন্দুকধারীরা ঐ বৈঠকে অংশগ্রহণকারিদের টার্গেট করে হামলা চালিয়েছিল। হোটেলের প্রবেশ পথে একজন নিরাপত্তা রক্ষী হামলাকারীদের বাধা দেয়, তখন তারা ঐ নিরাপত্তা রক্ষীকে হত্যা করে হোটেলে ঢুকে যায়। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই নিরাপত্তা বাহিনী হোটেলে এসে অবস্থান নিলে তাদের সাথে বন্দুকধারীদের অনেক সময় ধরে গোলাগুলি হয়। পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশে কয়েকটি বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা আছে
Three gunmen who stormed a five-star hotel in the restive Pakistani province of Balochistan, killing at least one guard, have been shot dead by security forces, officials say.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে মিয়ানমারের জনতা। নিষেধাজ্ঞার আওতায় সামরিক নেতারা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসাও পড়বে। এছাড়া এই পদক্ষেপের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সরকারের এক বিলিয়ন তহবিলেও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের হাত দেয়ার পথ বন্ধ করে দেয়া হল। রাজধানী নেপিডোতে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার সময় এক নারী মাথায় গুলি লাগার পর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ার সময়ে এই নিষেধাজ্ঞা এলো। মিয়া ঠয়ে ঠয়ে খাইং নামে ওই নারী মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের জলকামান, রাবার বুলেট এবং গুলি করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার সময় আহত হন। আরো পড়ুন: অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলো বলছে যে, গুলি লাগার কারণে যেরকম ক্ষত হয় তার ক্ষতটিও সেরকম। সম্প্রতি দেশটিতে গণজমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং রাতে কারফিউ জারি থাকলেও গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। পুলিশ শক্তি ব্যবহারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়ার পর আরো গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও এখনো কারো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এর আগে এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সু চির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি বার্মা নামেও পরিচিত। মি. বাইডেন কী চাইছেন? মি. বাইডেন সেনা অভ্যুত্থান বাতিল করে অং সান সু চি'সহ বেসামরিক নেতাদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। দরকার হলে আরো পদক্ষেপ নেয়ার অঙ্গীকার জানিয়ে তিনি বলেন, "বার্মার মানুষ তাদের আওয়াজ তুলছে এবং পুরো বিশ্ব তা দেখছে।" "বিক্ষোভ বাড়ার সাথে সাথে গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চাকারীদের উপর সহিংসতা বাড়াটা অগ্রহণযোগ্য এবং আমরা এটি চ্যালেঞ্জ করেই যাবো," তিনি বলেন। তিনি বলেন, তার প্রশাসন চলতি সপ্তাহেই নিষেধাজ্ঞার আওতায় প্রথম দিকে কারা কারা থাকবেন তাদের নির্ধারণ করবে। যদিও মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের কারণে এরই মধ্যে মিয়ানমারের কিছু সামরিক নেতা কালো তালিকাভুক্ত রয়েছেন। "আমরা রপ্তানিতেও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে যাচ্ছি। মার্কিন যেসব সম্পদ বার্মিজ সরকারকে সুবিধা দেয় সেগুলো জব্দ করবো, তবে স্বাস্থ্য সেবা, সুশীল সমাজের সদস্য এবং যারা বার্মার জনগণকে সরাসরি সহায়তা তাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত থাকবে," তিনি বলেন। এর মধ্য দিয়ে গত মাসে ক্ষমতায় আসার পর মি. বাইডেন প্রথমবারের মতো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন। মিয়ানমারের সর্বশেষ অবস্থা কী? চলমান বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের মধ্যেই সামরিক বাহিনী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এবং আরো বেশি মানুষকে গ্রেফতার করছে। সম্প্রতি যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশনে কর্মরত ব্যক্তি যারা সামরিক বাহিনীর আনা ভোট জালিয়াতির অভিযোগের পক্ষে সমর্থন জানাতে অসম্মতি জানিয়েছিল। নভেম্বরের ওই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় সু চি'র দল এনএলডি। ১৯ বছর বয়সী মিয়া ঠয়ে ঠয়ে খাইংয়ের গুলিবিদ্ধ হওয়ার স্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বিক্ষোভকারীরা। এদিকে মিয়া ঠয়ে ঠয়ে খাইং এখনো রাজধানীর একটি হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। আজ তার বয়স ২০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। তার বোন মিয়া থা টো নয়ে যিনিও ওই বিক্ষোভে ছিলেন তিনি জানান যে, তার বোনের সেরে ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ। "এটা হৃদয় ভেঙ্গে যাওয়ার মতো," তিনি বলেন। "আমাদের শুধু মা আছেন। বাবা আগেই মারা গেছেন।" "চার ভাইবোনের মধ্যে আমি সবার বড়। ও সবার ছোট। আমি মাকে বোঝাতে পারছি না। আমাদের কোন ভাষা নেই।" এর আগে ১৯৮৮ এবং ২০০৭ সালে দেশটির দশকব্যাপী সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। ১৯৮৮ সালের বিক্ষোভে কমপক্ষে ৩,০০০ বিক্ষোভকারী মারা যায় এবং ২০০৭ সালে ৩০ জন মারা গিয়েছিল। দুই ঘটনাতেই হাজার হাজার মানুষকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। মানুষ কেন বিক্ষোভ করছে? সাধারণ নির্বাচনের পর এনএলডি পার্টি বিপুল ব্যবধানে জয় পাওয়ার পর গত পহেলা ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা নেয় সামরিক বাহিনী। সামরিক বাহিনী বিরোধী একটি দলকে সমর্থন দিচ্ছে যারা নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সু চির মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে। পার্লামেন্টের নতুন অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে আগে সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে। মিজ সু চি গৃহবন্দী রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে ওয়াকি-টকি ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এনএলডির আরো অনেক নেতাও আটক রয়েছেন। মিয়ানমার: কিছু মৌলিক তথ্য • মিয়ানমার বার্মা নামেও পরিচিত, ১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সামরিক জান্তা সরকারের শাসনের অধীনে থাকার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে 'জাতিচ্যুত বা পারিয়া রাজ্য' হিসেবে দেখা হতো • ২০১০ সালে ধীরে ধীরে ক্ষমতা ছাড়তে শুরু করে সামরিক বাহিনী, যার জেরে ২০১৫ সালে অবাধ নির্বাচন হয় এবং বিরোধি নেত্রী অং সান সু চি'র নেতৃত্বে পরের বছর সরকার গঠিত হয়। • রাখাইন রাজ্যে কথিত সন্ত্রাসীদের দমনে সামরিক অভিযানের কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়, যাকে জাতিসংঘ "জাতিগত নিধনের উদাহরণ হিসেবে" উল্লেখ করে। • অং সান সু চি এবং তার সরকারকে পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনী উৎখাত করে। এর আগে নভেম্বরের নির্বাচনে জয় পেয়েছিল এনএলডি দল।
US President Joe Biden has issued an executive order to impose sanctions on the leaders of Myanmar's coup.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
বাংলাদেশের ইসলামিক ফাউন্ডেশনও গত ১৪ই মার্চ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভা কক্ষে দেশের জ্যেষ্ঠ আলেমদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ের পর জানিয়েছে, রোজা রেখে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে কোন সমস্যা নেই। ''আলোচনায় উপস্থিত আলেম সমাজ একমত পোষণ করেছেন যে, যেহেতু করোনাভাইরাসের টিকা মাংসপেশিতে গ্রহণ করা হয় এবং তা সরাসরি খাদ্যনালী বা পাকস্থলীতে প্রবেশ করে না, সেহেতু রমজান মাসে রোজাদার ব্যক্তি দিনের বেলায় শরীরে টিকা গ্রহণ করলে রোজা ভঙ্গ হবে না,'' ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। রমজানের সময় দিনের বেলায় মুসলমানরা খাবার ও পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। ইসলামিক শিক্ষায় বলা হয়, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত শরীরের ভেতরে কিছু প্রবেশ করানো থেকে মুসলমানদের বিরত থাকা উচিত। কিন্তু লিডসের একজন ইমাম, কারী আসিম বলছেন, টিকা যেহেতু পেশীতে দেয়া হয়, রক্তের শিরায় যায় না, এটি পুষ্টিকর কিছু নয়, সুতরাং টিকা নিলে রোজা ভঙ্গ হবে না। ''ইসলামী চিন্তাবিদদের বেশিরভাগের দৃষ্টিভঙ্গি হলো যে, রমজানের সময় টিকা নেয়া হলে সেটা রোজা ভঙ্গ হয় না, '' বিবিসিকে বলছেন মি. আসিম, যিনি যুক্তরাজ্যের মসজিদ এবং ইমামদের জাতীয় উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান। মুসলমান কম্যুনিটির জন্য তাঁর বার্তা হলো: ''আপনি যদি টিকা নেয়ার উপযুক্ত হন এবং টিকা নেয়ার আমন্ত্রণ পান, তাহলে আপনার নিজেকেই জিজ্ঞেস করতে হবে, আপনি কি টিকা নেবেন যা এর মধ্যেই কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে, নাকি কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নেবেন, যা আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে এবং যার ফলে হয়তো পুরো রমজানই হারাতে পারে, হয়তো হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকারও হতে পারে।'' যুক্তরাজ্যে স্বাস্থ্য সেবা নটিংহ্যাম এবং ব্রাইটনের মতো অনেক কেন্দ্র তাদের কার্যক্রমের সময় বাড়িয়েছে, যাতে মুসলমানরা তাদের রোজা ভঙ্গের পর সেখানে টিকা নিতে আসতে পারেন। আরও পড়ুন: রমজানে নিরাপদ থাকার জন্য টিকা নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ড. শেহলা ইমতিয়াজ-উমর তবে পূর্ব লন্ডনের সার্জারি প্রজেক্টের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক ড. ফারজানা হুসেইন বলছেন, দিনের বেলায় টিকা নেয়া থেকে বিরত থাকার আসলে কোন প্রয়োজন নেই। ''আমরা জানি, রমজানের সময় কোভিডের টিকা নেয়া নিয়ে অনেক মুসলমানের মধ্যে সংশয় রয়েছে। অনেকে বিশ্বাস করেন, এই সময় ইনজেকশন নিলে তাদের রোজা ভেঙ্গে যাবে,'' তিনি বলছেন, ''কিন্তু এটা একেবারেই তা নয়, কারণ এর মাধ্যমে আসলে শরীরে কোন খাবার প্রবেশ করছে না।'' তিনি বলেন, ''কোরানে বলা আছে, তোমার জীবন রক্ষা করা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: 'একটা জীবন বাঁচানো মানে হলো পুরো মানব জগতকে বাঁচানো।' সুতরাং একজন মুসলমান হিসাবে টিকা নেয়া একটা দায়িত্ব।'' যুক্তরাজ্যের মুসলমানদের মধ্যে টিকা নেয়ার হার বৃদ্ধি করার জন্য অনেক মসজিদেও টিকাদান কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইপসোস মোরির একটি জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে টিকা গ্রহণের হার জানুয়ারি যা ছিল ৭৭ শতাংশ, মার্চ নাগাদ তা বেড়ে হয়েছে ৯২ শতাংশ। আগামী বুধবার থেকে রমজান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে, যখন মসজিদে একত্রে নামাজ পড়া, অথবা একত্রে ইফতার করার চল রয়েছে। যুক্তরাজ্যে যদিও সম্প্রদায়গত প্রার্থনায় কোন বাধা নেই, তবে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করার বিষয়টি সবাইকে মেনে চলতে হবে এবং কোন একটি ঘরে একাধিক বাসার লোকজনের মেলামেশায় নিষেধ রয়েছে। যুক্তরাজ্যের ইসলামিক মেডিকেল এসোসিয়েশন রমজানের সময় মসজিদগুলোর জন্য একটা নির্দেশনা জারি করেছে। সেখানে তারা তারাবীহ নামাজ সংক্ষিপ্ত আকারে পড়ার পরামর্শ দিয়েছে, সেই সঙ্গে যথেষ্ট বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখার কথা বলেছে। তারা বলছে, ইমামদের অবশ্যই সঠিকভাবে ডাবল মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ডার্বির একজন চিকিৎসক এবং এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি ড. শেহলা ইমতিয়াজ-উমর বিবিসিকে বলেছেন, ''কোভিড মহামারির কারণে আমাদের কম্যুনিটির ভেতর অনেক ক্ষয়ক্ষতি হতে দেখেছি। সুতরাং আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, এবারের রমজানে যেন কোনভাবেই মুসলমানরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।'' ''দুঃখজনক ব্যাপার হলো, গত বছর আমাদের সম্প্রদায়ের অনেকের ক্ষতি হয়েছে, এবারও হচ্ছে। কিন্তু আমরা যদি টিকা গ্রহণ করতে থাকি এবং নিজেদের সুরক্ষার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করি, আমরা এই রমজানে কিছু স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমরা নিশ্চিত করতে পারবো।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর:
Islamic scholars and NHS leaders are urging Muslims not to let fasting over Ramadan stop them getting a Covid jab.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ভারতের সেনাবাহিনীর একটি ড্রোন, ২০১৭ সালের মার্চে ছবিটি তোলা চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হুমকি মোকাবেলা ব্যুরোর কর্মকর্তা হাঙ শুইলি সেদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে। তবে তারিখ বা স্থানের বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানান নি। সিনহুয়া বার্তা সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, ''ভারত চীনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।'' দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। আরো পড়ুন: ট্রাম্পের ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির জন্য কি ইঙ্গিত দিচ্ছে? মন্দির না মসজিদ: কী চায় অযোধ্যার বাসিন্দারা? তিনি জানান, এখন ড্রোনটির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছে চীনের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। যদিও চীনের এসব বক্তব্যের বিষয়ে এখনো কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি ভারত। ভারত, চীন আর ভূটান সীমান্তের ডকলাম অংশে চীনের একটি রাস্তা তৈরি নিয়ে গত গ্রীষ্ম থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। বেশ কিছুদিন উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর ভারত ও চীন উভয়েই সেখান থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিয়ে আসে। দুই দেশের মধ্যে অনেক অমীমাংসিত ভূমি রয়েছে, যা নিয়ে প্রায়ই উত্তেজনা তৈরি হয়। ১৯৬২ সালে দুই দেশের মধ্যে একবার বড় ধরণের যুদ্ধও হয়। বিবিসি বাংলার আরো খবর: গুজরাটই কি হতে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির ওয়াটারলু? নাস্তিকদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে পুরো বিশ্ব টেরিজা মে’কে হত্যার চেষ্টায় ব্রিটিশ-বাংলাদেশি? মেয়েকে আনতে গিয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত দুদিন ধরে উধাও
An Indian drone has "invaded China's airspace and crashed" on its territory, Chinese state media said.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল হরমুজ প্রণালীতে 'ন্যাশনাল পার্সিয়ান গালপ ডে' তে অংশ নিয়েছে ইরানের সেনারা ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, এতেই বেশ পরিষ্কার প্রমাণ রয়েছে। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, কেমন হতে যাচ্ছে পরবর্তী পরিস্থিতি? যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে? কিংবা কতটা মারাত্মক হতে পারে ওয়াশিংটন এবং তেহরানের পূর্ণ-মাত্রার বিমান ও নৌ সংঘর্ষ? এ বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করেছেন বিবিসির কূটনৈতিক সংবাদদাতা জনাথন মার্কাস। পেন্টাগনের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার হামলার শিকার তেল ট্যাংকার দুটির একটি থেকে অবিস্ফোরিত একটি লিমপেট মাইন সরিয়ে নিচ্ছে ইরানি একটি ছোট তরীর ক্রুরা। যাকে এই যুদ্ধে প্রকৃত ঘটনা প্রতিষ্ঠার প্রথম শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে ইরান এবং ট্রাম্প প্রশাসন- উভয় পক্ষের সমালোচনাই বিষাক্ত। গত মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে জাহাজে চারটি লিমপেট মাইন হামলার মতোই শুরু থেকেই এ ঘটনার সাথেও সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে ইরান। তবে দুটো ঘটনার জন্যই তেহরানকে দোষারোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে যে, এই বাকযুদ্ধ শেষ মেষ সংঘাতে রূপ নিতে পারে। আরো পড়ুন: হরমুজ প্রণালী ইরানের কাছে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? তেলের ট্যাংকারে হামলার পেছনে ইরানের হাত? মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাতঙ্ক, মক্কায় হবে জরুরী বৈঠক ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখছেন পম্পেও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও দ্রুত ও স্পষ্টভাবেই ইরানের দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, "এই মূল্যায়ন" গোয়েন্দা তথ্য, ব্যবহৃত অস্ত্র, অভিযান পরিচালনায় প্রয়োজনীয় সক্ষমতা, সাম্প্রতিক সময়ে জাহাজে ইরানের হামলা এবং যেহেতু ওই এলাকায় থাকা কোন প্রক্সি গ্রুপের এ ধরণের সূক্ষ্ম অভিযান পরিচালনার মতো সক্ষমতা না থাকার ভিত্তিতে করা হয়েছে। এ অভিযোগ দ্রুতই নাকচ করেছে ইরান। উল্টো এই ঘটনা সাজানো উল্লেখ করে পাল্টা দোষারোপ করেছে দেশটি। ইরানের এক কর্মকর্তা বলেন, "কেউ" ইরানের সাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্পর্ক খারাপ করতে চাইছে। অস্বাভাবিক কালক্রম? সাধারণভাবে মার্কিন নৌবাহিনীর ভিডিওটি বিশ্বাসযোগ্যই বটে। কিন্তু এর পরও আসলে অনেক প্রশ্ন থেকে যায়। মার্কিনীদের বর্ণনা অনুযায়ী, প্রাথমিক বিস্ফোরণের কিছু সময় পর এটি রেকর্ড করা হয়েছিলো, যখন কিনা ইরানিরা প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা করছিলো। তবে এই হামলার কালক্রম সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ হওয়া দরকার। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কখন এই মাইনগুলো জাহাজে স্থাপন করা হয়েছিলো? ওই এলাকায় শক্তিশালী মার্কিন নৌ উপস্থিতি থাকায় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের বেশ সক্ষমতা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। তাই আরও তথ্য সামনে আসা উচিত। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজগুলোর ময়না তদন্তও আরও তথ্য উদঘাটন করবে। যাইহোক, মার্কিন এই দাবির প্রভাব আরও অনেক সুদূরপ্রসারী। ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, ইরান ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মিস্টার পম্পেও এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, "পুরো ঘটনা আমলে নিলে বোঝা যায়, এ ধরণের উস্কানিহীন হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষার প্রতি হুমকি, নৌ চলাচলের স্বাধীনতার উপর আক্রমণ এবং উত্তেজনা বাড়ানোর অগ্রহণযোগ্য প্রচারণা।" এসব স্থূল অভিযোগের পর প্রশ্ন আসে, এগুলো ঠেকাতে কি ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের? সমন্বিত কুটনৈতিক তৎপরতা হতে পারে এক ধরণের উদ্যোগ, যাতে আন্তর্জাতিক মিলিত নিন্দা জানানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইরানকে আরও কোণঠাসা করা যায়। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: মুখ্যমন্ত্রী দাবী মানার পরও ধর্মঘটে অনড় ডাক্তাররা ঈদের মৌসুমে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বাড়ছে কেন? ভাগ্নে অপহৃত, ফেসবুকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আল্টিমেটাম বিয়ের রাতে এক নারীর দুর্বিষহ যৌন মিলনের অভিজ্ঞতা ইরানের ইসলামিক রেভ্যূলিউশনারি গার্ডের ১৫০,০০০ সক্রিয় সদস্য রয়েছে তবে এ বিষয়ে খুব একটা সন্দেহ নেই যে, ভুল কিংবা সঠিক, অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা তেহরানের উপর চাপ প্রয়োগ করে বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। রেভ্যূলিউশনারি গার্ড কর্পসের মতো স্বাধীন নৌ-শক্তি পরিচালনাকারী গ্রুপগুলো হয়তো পাল্টা আঘাতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাহলে এখন কি হবে? যুক্তরাষ্ট্র কি শাস্তিস্বরূপ সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার চিন্তা করছে? উপসাগরীয় অঞ্চল এবং তার বাইরে মিত্রদেশগুলো কি চিন্তা করবে? আর সামরিক পদক্ষেপের পরিণতিই বা কি হবে? ভয়ংকর সময় বাস্তবিকপক্ষেই বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে যে, হামলার শিকার হলে ইরান সরাসরি বা তার মিত্র দেশগুলোর সহায়তায় হাইব্রিড যুদ্ধের সূচনা করতে পারে। জাহাজ পরিচালনা ও অন্যান্য টার্গেটে ব্যাপকহারে হামলা শুরু করতে পারে, বাড়তে পারে তেল ও বীমার দাম। যা আসলে আরও শাস্তিমূলক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেবে। তবে কোন পক্ষই এ ধরণের বিপজ্জনক সংঘাতের শঙ্কার বিষয়ে আগ্রহী হবে না। অবশ্য কেউ ভাবে না যে, ইরান বা যুক্তরাষ্ট্র, দুপক্ষই পূর্ণমাত্রার সংঘাত শুরু করতে চায়। আমেরিকানদের জন্য, পর্যাপ্ত সামরিক শক্তি থাকা সত্বেও ইরানের বিরুদ্ধে বিমান ও নৌ হামলা সব ধরনের বিপদ ডেকে আনবে। এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, অনেক সময় অনেক অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নিলেও বিদেশে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে ধৈর্যশীল ছিলেন। তার শাসনামলে সিরিয়ায় বিমান হামলা ছিলো মূলত প্রতীকী। এখন শঙ্কা হচ্ছে, পরিস্থিতি না বুঝে হলেও, মার্কিন প্রশাসনে একটা শোরগোল তুলেছে ইরান যা শাস্তিমূলক ব্যবস্থাকে উস্কে দিতে পারে। আসল বিপদ হচ্ছে, পরিকল্পিত নয় বরং দুর্ঘটনা বশত যুদ্ধের সূচনা। তেহরান ও ওয়াশিংটন দুপক্ষই সংকট সমাধানের ইঙ্গিত দিলেও কেউই তা সঠিকভাবে গ্রহণ করছে না। উদাহরণস্বরূপ, উপসাগরীয় এলাকায় মার্কিন অবকাঠামোকে হুমকি হিসেবে দেখতে পারে ইরান। আর নিজেদের দোরগোড়ায় এ ধরণের হুমকি কখনোই সহ্য করবে না তারা। ধরা যাক, এই বার্তাকে ভুল ভাবে নিতে পারে ইরানের রেভ্যূলিউশনারি গার্ড কর্পস। হরমুজ প্রণালী গুরুত্বপূর্ণ একটি সমুদ্রপথ তারা ভাবতে পারে যে, উপসাগরের জলসীমায় মার্কিনীদের তুলনায় বেশি স্বাধীনতা ভোগের অধিকার রয়েছে তাদের। যা মানে না আমেরিকানরা। অন্য কথায় বলতে গেলে, তারা ভাবতে পারে যে, তাদেরকে "জোর করে খামে ঢুকানোর" চেষ্টা চলছে। যার জন্য ওয়াশিংটন ও তার মিত্রদের শাস্তি পেতেই হবে। এটা উদ্দেশ্যমূলক ও উদ্দেশ্যহীন যেকোনো ধরণের সংঘাত উস্কে দেয়ার রেসিপি। এগুলো খুবই খারাপ সময়। জার্মানি আর ফ্রান্সের মতো ওয়াশিংটনের মিত্ররা এরইমধ্যে সাবধানতার আহ্বান জানিয়েছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বাস করে। তবে এক্ষেত্রে নিজের উপসংহার নিজে টানতে চায় তারা। "আমরা আমাদের আলাদা মূল্যায়ন করবো, এ বিষয়ে আমাদের নিজেদের প্রক্রিয়া রয়েছে", বিবিসির টুডে অনুষ্ঠানকে বলেন জেরেমি হান্ট। তিনি বলেন, "আমেরিকার মূল্যায়ন বিশ্বাস না করার কোন কারণ নেই। কারণ তারা আমাদের নিকটতম মিত্র।" তবে যেকোনো পদক্ষেপ মিস্টার ট্রাম্পের হিসাব করেই নেয়া উচিত। তিনি যখন প্রথমে ক্ষমতায় আসেন তখন হোয়াইট হাউসে অনেক এমনকি রিপাবলিকান বিদেশ নীতি বিশেষজ্ঞ ছিলেন যারা তার প্রশাসনের সাথে কাজ করতে চাননি। তাদের অভিযোগ, বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ে ট্রাম্পের মারাত্মক ও অনিশ্চিত পদ্ধতি সংকট ডেকে আনবে। আর অনেক সময় মনে হয়েছে উত্তর কোরিয়া ও সিরিয়ার সাথে সংকট তৈরি হবে। তবে শেষমেশ তা আর হয়নি। এখন হোয়াইট হাউসের উপর নতুন করে সংকট আগত। এর প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী মারাত্মক প্রভাব শুধু মধ্যপ্রাচ্যে পরবে না বরং গালফ ও অন্যান্য এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী অংশীদার ও মিত্রদের উপর পরবে। যাদের অনেকেই জানেন না যে এই প্রেসিডেন্ট ও তার অনন্য কূটনৈতিক ধারার সাথে কিভাবে মানিয়ে নিতে হবে।
The crisis in the Gulf has moved up a gear, with the US providing the first element of the intelligence it insists demonstrates that Iran was responsible for Thursday's attacks on two oil tankers in the Gulf of Oman.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
এ বছর বিশ্বে ১ কোটি ৮১ লক্ষ মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ২০১২ সালের তুলনায় ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও বিশ্বে বাড়ছে। দারিদ্র নয়, বরং জীবনযাপন মানের কারণে এটি ঘটছে। ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার(আইএআরসি) বলছে, প্রতি পাঁচজন পুরুষের মধ্যে একজন আর প্রতি ছয়জন নারীর মধ্যে একজন ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে। ওই প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে যে, এ বছর বিশ্বে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর অর্ধেকই ঘটবে এশিয়ার দেশগুলোয়। বাংলাদেশের অবস্থা কেমন? আইএআরসির হিসাবে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৭৮১ জন। আক্রান্ত তালিকায় মুখের ক্যান্সার, ফুসফুস, ব্রেস্ট, জরায়ু মুখের মতো ক্যান্সার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের সংখ্যা যেখানে ৮২ হাজার ৭১৫জন, নারীদের সংখ্যা ৬৭ হাজার ০৬৬জন। বাংলাদেশের মেয়েরা স্তন ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে চিকিৎসকরা বলছেন বাংলাদেশে ২০১৮ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার মানুষ। তবে বাংলাদেশে নারীদের মৃত্যুর শীর্ষে রয়েছে স্তন ক্যান্সার। এরপরেই রয়েছে জরায়ু মুখ এবং গল ব্লাডারের ক্যান্সার। আরো পড়তে পারেন: 'ক্যান্সার হবার পর থেকে সংসার বলতে কিছুই নাই' কর্মস্থলে বৈষম্যের শিকার ক্যান্সার আক্রান্তদের অনেকেই 'আমি তো সুস্থ আমি কেন ডাক্তারের কাছে যাবো?' বাংলাদেশের জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাবিবুল্লাহ তালুকদার (রাসকিন) বিবিসি বাংলাকে বলছেন, তুলনামূলক ভাবে এখনো বাংলাদেশে ক্যান্সার আক্রান্তদের হিসাবে পুরুষদের তুলনায় নারীদের হার কিছুটা কম। কিন্তু নারীদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ছে। কেন নারীদের মধ্যে আক্রান্তের হার বাড়ছে? সর্বশেষ এই গবেষণা বলছে, বিশ্বের অন্তত ২৮টি দেশে ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের মৃত্যুর প্রধান কারণ ফুসফুসের ক্যান্সার। এছাড়া নারীদের ব্রেস্ট ক্যান্সার আর অন্ত্রের ক্যান্সার রয়েছে। তবে মেয়েদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। ক্যান্সার অনেক পরিবারের জন্যই বিরাট এক দুর্যোগ গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী মেয়েদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বাড়ার কারণে মেয়েদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হারও বাড়ছে। বিশেষ করে ইউএসএ, হাঙ্গেরি, ডেনমার্ক, চীন এবং নিউজিল্যান্ডসহ ২৮টি দেশে এই প্রবণতা দেখা গেছে। ড. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলছেন, ''নারীদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার হার বৃদ্ধির একটি বড় কারণ তাদের জীবনযাত্রার পরিবর্তন। এখন মেয়েরা অনেক বেশি পথেঘাটে বের হচ্ছেন, কর্মজীবী হচ্ছেন অনেকেই সিগারেট বা মদ্যপানে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। তারা এখন অনেক বেশি পথেঘাটে ধোয়াধুলার মধ্যে কাজ করছেন। বাচ্চাকে বুকের দুধ না খাওয়ানো, অনিয়মিত খাবার বা ফ্যাটি খাবার খাওয়াও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: রোহিঙ্গা ফেরানোর ব্যর্থতায় বাংলাদেশকে দুষলেন সু চি ভুয়া ঠিকানায় ভর্তি: ১৫ বছর পাবনা মানসিক হাসপাতালে আলিবাবা'র জ্যাক মা সম্পর্কে পাঁচটি তথ্য আইফোন ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ডিসপ্লে নিয়ে নতুন সেট তিনি বলছেন, ''বাংলাদেশের নারীরা সবাই ধূমপান না করলেও, নারীদের বড় একটি অংশ পানের সঙ্গে জর্দা, সাদাপাতা বা এ ধরণের তামাকজাত খেয়ে থাকেন। সেটাও কিন্তু ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।'' ''একসময় মেয়েদের জরায়ু মুখের ক্যান্সার বেশি হলেও এখন স্তন ক্যান্সার বেশি হচ্ছে। মুখ গহ্বরের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হারও বাড়ছে।'' আগের তুলনায় ক্যান্সারের মতো রোগে নারীদের সচেতনতা বাড়ায় এ ধরণের ঘটনা বেশি সনাক্ত হচ্ছে বলে চিকিৎসকরা বলছেন। বিশেষ করে স্তন ক্যান্সারের মতো ক্ষেত্রে নারীরা এখন অনেকেই নিয়মিত পরীক্ষা করাচ্ছেন। সঠিক সময়ে চিকিৎসা বাংলাদেশের চিকিৎসকরা বলছেন, ক্যান্সারের লক্ষণগুলো ধরতে না পারা বা সঠিক সময়ে চিকিৎসকের কাছে না যাওয়া বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর বড় কারণ। বাংলাদেশে বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতাল মাত্র চারটি ড. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলছেন, অনেক সময় লক্ষণগুলো দেখা দিলেও সেটা অবহেলা করে চিকিৎসকের কাছে আমরা যাই না বা নিজেরাই কোন ওষুধ খেয়ে ফেলি। ফলে পরে যখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া হয়, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। ফলে ওজন কমে যাওয়া, দুই সপ্তাহের বেশি খুসখুসে কাশি, পায়খানা বা মাসিকের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া, হঠাৎ গলা ভেঙ্গে যাওয়া, মাঝে মাঝে জ্বর আসা ইত্যাদি হলেই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এসব অন্য কারণেও হতে পারে। কিন্তু ক্যান্সার হলে প্রথমদিকেই ধরা পড়বে এবং চিকিৎসা পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যবস্থা মি. তালুকদার বলছেন, বাংলাদেশে এখন সব ধরণের ক্যান্সারের চিকিৎসা রয়েছে। হরমোন থেরাপি, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি থেকে শুরু করে সব ধরণের ওষুধও পাওয়া যায়। বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে বলে চিকিৎসকরা বলছেন তবে এসব সেবার বেশিরভাগই ঢাকা কেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে। ঢাকার বাইরে কয়েকটি মেডিকেল কলেজে সীমিত আকারে চিকিৎসা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসার জন্য রোগীদের ঢাকায় আসতে হচ্ছে। কয়েকটি সরকারি বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতালের বাইরেও বেসরকারি ভাবে অনেক হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে অনেক রোগীর তুলনায় সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা কম হওয়ায় রোগীদের সেবা পেতে কিছুটা সময় লাগে। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় খরচ অনেক কম বলে চিকিৎসকরা বলছেন। তবে আগের তুলনায় ক্যান্সারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানুষের সচেতনতা বাড়ছে বলে তিনি জানান।
There will be 18.1 million new cases of cancer and 9.6 million people will die with the disease this year worldwide, a report predicts.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
উত্তর সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক অভিযান। তুরস্কের কাছে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। তবে অতি সম্প্রতি তুরস্ক রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় করেছে। তো এখন কোন কোন দেশ তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং এর ফলে তারা এখন কার কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে পারে? কারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে? ইউরোপের ন'টি দেশ তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। দেশগুলো হচ্ছে: চেক প্রজাতন্ত্র, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, সুইডেন এবং যুক্তরাজ্য। এদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে কানাডাও। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রি অব্যাহত রাখবে ব্রিটেন, কিন্তু অস্ত্র রপ্তানির জন্যে নতুন লাইসেন্স দেওয়া হবে না কারণ এসব অস্ত্র সিরিয়ায় তুর্কী সামরিক অভিযানে ব্যবহার করা হতে পারে। জার্মানি ও স্পেন বলছে, তাদের নিষেধাজ্ঞা শুধু নতুন চুক্তির ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রির ওপর কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি অনুমোদন করেনি। তবে এই জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে নিজেদের দেশের কঠোর নীতি গ্রহণের পক্ষে একমত হয়েছেন। "এই অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার তেমন বড় কোন প্রভাব পড়বে না, আঙ্কারার সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে," বলেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ইওভন্নি-স্টেফানিয়া এফস্থাতিও। "তবে সিরিয়ায় ব্যবহার করা হতে পারে এমন অস্ত্রের বাইরেও যদি নিষেধাজ্ঞাকে সম্প্রসারিত করা যায়, তাহলে সেটা তুরস্কের প্রতিরক্ষা খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে," বলেন তিনি। তুরস্কের কাছে কারা অস্ত্র সরবরাহ করে? ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তুরস্ক ছিল বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অস্ত্র আমদানীকারক দেশ। ঐতিহাসিকভাবে অস্ত্রের জন্যে তুরস্ক মূলত নির্ভর করতো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে তার নেটো মিত্রদের কাছে। তুরস্কের কাছে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র রপ্তানি করতো যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশটির কাছে যতো অস্ত্র বিক্রি করা হয়েছে তার ৬০% করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর ইউরোপের যেসব দেশ তুরস্কের কাছে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করে সেগুলো হচ্ছে: ফ্রান্স, স্পেন এবং ব্রিটেন। ১৯৮০ ও ১৯৯০ এর দশকে তুরস্কে যখন সামরিক বাহিনীর ব্যাপক ক্ষমতা ছিল তখন দেশটির কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির হার রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে যুদ্ধ বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার, ট্যাঙ্ক, জাহাজসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি যা তুরস্কের সামরিক বাহিনী এখনও ব্যবহার করছে। কিন্তু অস্ত্র কেনার জন্যে তুরস্ক সম্প্রতি ঝুঁকেছে রাশিয়ার দিকে। ইতোমধ্যে মস্কোর কাছ থেকে ২৫০ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয়ও করেছে আঙ্কারা। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে তুরস্কেরই নিজেদের জোট নেটো। তারা বলছে, তুরস্ক যদি নেটোর শত্রু দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় করে তাহলে তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে, কারণ নেটোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে তুরস্কের সামরিক বাহিনীও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের কাছে তাদের অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান এফ-৩৫ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। আরো পড়তে পারেন: তুরস্ককে প্রতিহত করতে কুর্দিদের সাথে সিরিয়ার চুক্তি ট্রাম্পের চিঠি ‘ডাস্টবিনে ফেলে দিলেন' এরদোয়ান তুরস্ক কি আমেরিকার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে? তুরস্কের ভৌগলিক অবস্থা এমন যে সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও নেটোর কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, মোতায়েন করা হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করার রাডার ব্যবস্থাও। এমনকি তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে নেটোর কমান্ড অপারেশনও পরিচালিত হচ্ছে। তুরস্কের আদানা শহরের কাছে একটি বিমান ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি পরমাণু বোমাও মোতায়েন করা রয়েছে। তুরস্কের নিজস্ব অস্ত্র গত এক দশকে তুরস্ক দেশের ভেতরেও অস্ত্র শিল্প গড়ে তুলেছে। তাদের উদ্দেশ্য বিদেশি সরবরাহকারীদের ওপর নির্ভরতা কমানো। তুর্কী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগলু সম্প্রতি বলেছেন যে "তুরস্ক এখন তাদের সামরিক সরঞ্জামাদির ৭০% নিজেরাই তৈরি করে। একই সাথে তুরস্ক এখন প্রচুর অস্ত্র রপ্তানিও করে।" প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ইওভন্নি-স্টেফানিয়া এফস্থাতিও বলেছেন, "দেশটির সামরিক চাহিদা তারা নিজেরাই কতোটা মেটাতে পারছে সেটা সুনির্দিষ্টভাবে পরিমাপ করা সহজ নয়।" ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালে তুরস্কের অস্ত্র রপ্তানি ১৭০% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত তুরস্ক ছিল রপ্তানিকারকদের তালিকার ১৪ নম্বরে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুর্কমেনিস্তানের কাছেই তারা সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করে থাকে। আরো পড়তে পারেন: যুক্তরাজ্যে একটি লরি থেকে ৩৯ মৃতদেহ উদ্ধার ভারত সফরের ক্যাম্পে আসেনি কোনো ক্রিকেটার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিকেও অব্যাহতি
Many European states have suspended arms exports to Turkey following its military incursion into northern Syria.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ভারতে স্যানিটারি পণ্যে ১২% কর আরোপের সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা তৈরী হয় ভারত সরকার এই কর আরোপের এক বছর পর তা বাতিল করার ঘোষণা দিল। সব ধরণের মাসিক সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিষয়ক পণ্যের ওপর ১২% কর সহ সব পণ্যের ওপর আরোপ করা হয় জিএসট নামে পরিচিত এই কর। এর বিরুদ্ধে প্রচারণাকারীরা বলেন, ভারতের মত একটি দেশে যেখানে এমনিতেই মাসিক নারীদের মাসিক সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সচেতনতা নেই বললেই চলে, সেখানে এরকম একটি কর আরোপ করলে এ ধরণের পণ্যের ব্যবহারে আরো নিরুৎসাহিত হবে মানুষ। ভারতে আনুমানিক প্রতি পাঁচজন নারীর মধ্যে চারজনই স্যানিটারি প্যাডের মত প্রয়োজনীয় পণ্যের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। নারীদের মাসিক সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা নিয়ে কাজ করা একটি দাতব্য সংস্থা সাচ্চি সাহেলির প্রতিষ্ঠাতা সুরভি সিং এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে রয়টার্সকে বলেন: "মাসিকের সময় ছোট মেয়েদের ও নারীদের স্কুলে যাওয়া এবং কর্মক্ষেত্রে যাওয়া অব্যাহত রাখতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।" "এই সিদ্ধান্ত নারীদের উন্নয়নে ও সত্যিকার কর্মক্ষমতা প্রকাশে উৎসাহ দেবে", বলেন মিজ. সিং। ভারতে মেয়েদের পড়াশোনা ছাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ পিরিয়ড। স্যানিটারি প্যাড কেনার সামর্থ্য না থাকায় অনেক মেয়ে বাধ্য হয় ঘরে থাকতে। নারীর ঋতুকালীন পরিচ্ছন্নতা বা নিরাপদ ব্যবস্থাপনা না থাকার অন্যতম কারণ সমাজের রক্ষণশীলতা। অনেক নারীই কাপড়ের টুকরো ব্যবহার করেন, যা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত না থাকলে রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। কাজেই ভারতের সরকার স্যানিটারি প্যাডকে বিলাস দ্রব্যের আওতায় ফেলে এর উপর ১২% কর আরেপের সিদ্ধান্ত দেয়ার সাথে সাথেই সক্রিয়তা কর্মীরা এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানো শুরু করে। এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য একটি গণআবেদনে ৪ লোখের বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেন। হিন্দিতে এই করকে বলা হচ্ছিল 'লহু কা লাগান', যার অর্থ 'রক্ত কর'। মাসিক সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিষয়ক পণ্য কেনার সামর্থ্য না থাকা শুধু যে ভারতের সমস্যা, তা নয়। যুক্তরাজ্যের দাতব্য সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে ২১ বছর বয়সের নীচে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের ১০ ভাগ স্যানিটারি পণ্য কেনার সামর্থ্য রাখে না। যুক্তরাজ্যে স্যানিটারি পণ্যের ওপর কর বাতিলের জন্য নানা ধরণের আন্দোলন চললেও, এখনো ৫% কর আরোপিত রয়েছে। আরো পড়ুন: ভারতে স্যানিটারি প্যাড বিপ্লবের নেপথ্য নায়ক বাংলাদেশে পিরিয়ড নিয়ে সচেতনতা নেই কেন? মাসিক নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা দূর করছেন উগান্ডার পুরুষরা মেয়েদের পিরিয়ড বিষয়ে 'ছেলেদেরও জানতে হবে' মাসিক বন্ধ হওয়া আর ধর্ষণই যেখানে নারীদের রুটিন
India has scrapped its 12% tax on all sanitary products following months of campaigning by activists.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ক্যালিফোার্নিয়ায় সন্ত্রাসী আক্রমণের পর থেকেই কর্মকর্তারা নজর দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এর ফলে, মার্কিন ভিসার আবেদনকারীদের প্রায় সবাইকে তাদের ফেসবুক এবং টুইটার একাউন্টের বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। ভিসার আবেদনের আগেকার পাঁচ বছরে তাদের সোশাল মিডিয়ায় কি পরিচিতি ছিল - তার সকল তথ্য জানাতে হবে আবেদনকারীকে। যারা ইমিগ্র্যান্ট এবং নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা চান - তাদের সম্পর্কে তথ্য যাচাই বাছাই করার জন্য এই তথ্য ব্যবহৃত হবে। তাদেরকে আরো দিতে হবে গত পাঁচ বছরের সব টেলিফোন নাম্বার, ইমেইল ঠিকানা এবং ভ্রমণের ইতিহাস। আবেদনকারীদের জানাতে হবে যে তারা আগে কোন দেশ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন কিনা। এ ছাড়া আবেদনকারীর কোন আত্মীয় সন্ত্রাসবাদী কাজে জড়িত ছিলেন কিনা তাও জানাতে হবে। এ আইন কার্যকর হলে বহু দেশের লোকেদের জন্যই যুক্তরাষ্ট্রে আসা কঠিন হবে যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স এবং জার্মানির নাগরিকদের - যারা যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা মুক্ত ভ্রমণ সুবিধা পান - তাদের ওপর এ প্রস্তাবের কোন প্রভাব পড়বে না। কিন্তু ভারত, চীন বা মেক্সিকোর মতো দেশের ভ্রমণার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০১৫ সালে সেন্ট বার্নাডিনোতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ১৪ জন নিহত হবার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নজরদারি শুরু হয়। কারণ কর্তৃপক্ষ তখন বলেছিল যে মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে আক্রমণকারীদের উগ্রপন্থায় দীক্ষিত হবার আভাস ছিল, কিন্তু তারা তা চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এর পর গত মে মাসে নিয়ম করা হয় যে কর্মকর্তারা প্রয়োজনে কারো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্মকান্ড পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন। নাগরিক অধিকার গ্রুপগুলো এধরণের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। আরো পড়তে পারেন: যিশু: ইতিহাসের চোখে তাঁর আসল চেহারাটি কেমন চিকিৎসা শিক্ষায় পুষ্টিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্তি কতটা জরুরি?
The Trump administration has said it wants to start collecting the social media history of nearly everyone seeking a visa to enter the US.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
নির্ভয়া ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদন্ড পাওয়া প্রাপ্তবয়স্ক চার আসামীর বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয়েছে এই ঘটনায় নিহত তরুণী ভারতে 'নির্ভয়া' নামে পরিচিতি পেয়েছিল - আর চাঞ্চল্যকর সেই মামলার পর ভারতে বদলে গিয়েছিল ধর্ষণের সংজ্ঞা ও শাস্তিও। আগামী ২২ শে জানুয়ারি সকাল ৭টায় ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত চারজন ব্যক্তি --- পবন গুপ্ত, মুকেশ সিংহ, বিনয় শর্মা এবং অক্ষয় ঠাকুর সিংহকে ফাঁসিতে ঝোলানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে নির্ভয়ার পরিবার যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের ফাঁসি কার্যকর করতে পাতিয়ালা হাউস কোর্টে আর্জি জানিয়েছিলো। আরো পড়তে পারেন: 'নির্ভয়া'র ধর্ষণকারীদের ফাঁসির দন্ড বহাল ধর্ষণ মোকাবেলায় ভারতের বিচার ব্যবস্থা কতটা কার্যকর 'নির্ভয়া' ধর্ষণের নৃশংসতাকেও যা হার মানাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারির আর্জিও জানিয়েছিলেন নির্ভয়ার মা-বাবা। গত ১৮ই ডিসেম্বর সেই আবেদনের শুনানি শুরু হলে, ৭ই জানুয়ারি পর্যন্ত রায় স্থগিত রাখেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সতীশ অরোরা। সেসময় আদালতের মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন নির্ভয়ার মা আশা দেবী। বিচারককে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, "যেখানেই যাচ্ছি অপরাধীদের অধিকারের কথা শোনানো হচ্ছে আমাদের। আমাদের অধিকারের কী হবে?" "আইনের কাছে আমাদের হাত-পাও বাঁধা", বলে সেসময় তাঁকে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন বিচারক। তার পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে বিষয়টি নিয়ে শুনানি শুরু হয়। দিল্লির তিহার জেল থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারকের সঙ্গে কথা বলে চারজন দোষী। নির্ভয়া ধর্ষণের ঘটনায় ভারত জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল তাদের বক্তব্য শোনার পর বিকাল ৫টা নাগাদ রায় ঘোষণা করেন বিচারক। ২০১২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর রাতে দিল্লিতে চলন্ত বাসে ২৩ বছরের তরুণী নির্ভয়াকে গণধর্ষণ করেছিল ওই চার জন। গণধর্ষণের পর শারীরিক নিপীড়ন চালিয়ে নগ্ন অবস্থায় চলন্ত বাস থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল নির্ভয়াকে। নির্ভয়া এবং তার পুরুষ বন্ধুর উপর নৃশংস অত্যাচার চালায় তারা। সেই মামলায় আগেই ওই চার জনকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ২৩ বছর বয়সী নির্ভয়াকে গণধর্ষণ করে হত্যার দায়ে ছয় আসামির মধ্যে চারজনের ফাঁসির আদেশ দেয় দিল্লির ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। ২০১৪ সালে দিল্লি হাইকোর্ট চারজনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখে। ২০১৭ সালে সেই রায় পুনর্বিবেচনা করে দেখতে আদালতে আর্জি জানিয়েছিল অন্যতম অভিযুক্ত অক্ষয় ঠাকুর সিং। গত মাসেই অবশ্য তার সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে।
India's Supreme Court has upheld the death sentences of four men convicted of the gang rape and murder of a student in Delhi.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
অনুষ্ঠানের আগে প্রাচীন রীতিতে প্রার্থনা সিত্রা* ভেবেছিলেন এটি অফিসেরই কোন একটা মিটিং। একটি ত্রাণ সংস্থায় কাজ করেন তিনি। স্থানীয় দুজন কর্মকর্তা বললেন, যে প্রকল্পটি তাকে দেখতে হয়, সেটির বাজেট যাচাই করে দেখার দরকার আছে। সেজন্যে তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে হবে সিত্রাকে। ২৮ বছর বয়সী সিত্রা একা একা দুজন পুরুষের সঙ্গে বৈঠকের কথা শুনে শুরুতে একটু নার্ভাস বোধ করছিলেন। কিন্তু অফিসে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে উদগ্রীব ছিলেন তিনি। কাজেই সব দুশ্চিন্তা দূরে ঠেলে তিনি এই বৈঠকে গেলেন। মিটিং শুরু হওয়ার এক ঘন্টা পর এই দুজন বললেন, তারা বাকি মিটিং করতে চান অন্য একটি জায়গায়। সিত্রাকে তারা সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেদের গাড়িতে উঠতে বললেন। কিন্তু সিত্রা বললেন, তিনি তার নিজের মোটরসাইকেলেই যাবেন। একথা বলে তিনি মোটরসাইকেলে উঠে চাবি ঢোকালেন। ঠিক তক্ষুনি আরেকদল পুরুষ এসে তাকে তুলে নিল। বালি থেকে আরও পূর্বে প্রত্যন্ত এক দ্বীপ সুম্বা "ওরা যখন আমাকে জোর করে গাড়িতে ঢোকাচ্ছে, তখন আমি লাথি মারছিলাম এবং চিৎকার করছিলাম। আমার নিজেকে খুব অসহায় লাগছিল। গাড়ির ভেতর দুজন লোক আমাকে ঠেসে ধরে রাখলো", বললেন তিনি। "আমি জানতাম আমার কপালে কী ঘটতে যাচ্ছে।" তাকে বিয়ের জন্য অপহরণ করা হচ্ছে। বিয়ের জন্য পাত্রী অপহরণ সুম্বার অনেক পুরনো আর বিতর্কিত এক রীতি। স্থানীয়দের কাছে এই প্রথা 'কাউয়িন ট্যাংক্যাপ' নামে পরিচিত। কিভাবে এটি সেখানে চালু হয়েছিল, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। সাধারণত পাত্র বা বরের পরিবার বা বন্ধুরা মিলে কনেকে অপহরণ করে নিয়ে আসে। ইন্দোনেশিয়ার নারী অধিকার গোষ্ঠীগুলো অনেকদিন ধরেই এই প্রথা বিলোপের দাবি জানাচ্ছে। কিন্তু তারপরও বালির পূর্বদিকে সুম্বা দ্বীপের একটি অংশে এটি চালু আছে। ঘোড়ায় চড়ে পাসোলা উৎসবে যোগ দিতে এসেছে সুম্বানিজ যুবকরা। সম্প্রতি দুটি কনে অপহরণের ঘটনার ভিডিও নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। ব্যাপক সমালোচনার মুখে ইন্দোনেশিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার এখন এই প্রথাটি বিলোপ করতে বলছে। 'আমার মনে হচ্ছিল আমি মারা যাচ্ছি' গাড়ির ভেতর থেকে সিত্রা কোন রকমে তার প্রেমিক এবং বাবা-মাকে একটা মেসেজ পাঠাতে পারলেন। গাড়ি ততক্ষণে এসে পৌঁছেছে সনাতনি আমলের এক বাড়ির সামনে। কাঠের খুঁটির তৈরি বাড়িটির চালা চূড়াকৃতির। সিত্রা এবার বুঝতে পারলেন, যারা তাকে অপহরণ করেছে, তারা আসলে তার বাবার দিকের দূরসম্পর্কের আত্মীয়। "সেখানে বহু মানুষ অপেক্ষা করছিল। আমি আসার সঙ্গে সঙ্গে তারা একটি ঘন্টা বাজালো এবং আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে দিল।" ইন্দোনেশিয়ার সুম্বা দ্বীপে খ্রীষ্টধর্ম্ এবং ইসলাম ধর্মের পাশাপাশি কিছু প্রাচীন প্রকৃতি পুজার রীতি এখনো চালু আছে। নানা ধরণের অনুষ্ঠান আর বলি দেয়ার মাধ্যমে সেখানে আত্মাকে তুষ্ট করার চেষ্টা করা হয়। সিত্রা বলেন, "সুম্বার মানুষ বিশ্বাস করে যখন আপনার কপালে পানির স্পর্শ লাগবে, তখন আর আপনি সেই ঘরের বাইরে যেতে পারবেন না। আমি বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছিলাম কী হচ্ছে। কাজেই যখন তারা আমার কপালে পানি ছোঁয়ানোর চেষ্টা করলো, আমি মুখ ফেরানোর চেষ্টা করলাম, যাতে পানি আমার কপালে না লাগে।" একটি ঐতিহ্যবাহী সুম্বা গ্রাম। বাড়ির চালার উপর থাকে অনেক উঁচু একটি চূড়া। তাকে যারা আটকে রেখেছিল, তারা অবশ্য বারবার বলছিল, তারা সিত্রাকে ভালোবাসে বলেই এই কাজ করেছে। এই বিয়ে মেনে নেয়ার জন্য তারা সিত্রাকে নানাভাবে চেষ্টা করছিল। "কাঁদতে কাঁদতে আমার গলা শুকিয়ে গেল। আমি মাটিতে পড়ে কাঁদছিলাম। আমার হাতে তখনো ধরা আছে মোটরসাইকেলের চাবি। আমি সেটি দিয়ে আমার পেটে মারছিলাম, সেখানে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছিলাম। বড় বড় কাঠের খুঁটিতে আমি মাথা ঠুকছিলাম। আমি যে এই বিয়ে করতে চাইনা, আমি চাচ্ছিলাম সেটা তারা বুঝুক। যাতে আমার জন্য তাদের মনে করুণা জাগে।" এর পরের ছয়দিন সিত্রাকে কার্যত এই ঘরে বন্দী করে রাখা হয়। বসার ঘরে তাকে ঘুমাতে হচ্ছিল। "আমি সারারাত কাঁদতাম, মোটেই ঘুমাতাম না। আমার মনে হতো আমি মারা যাচ্ছি।" সেই বাড়িতে সিত্রাকে যে পানি বা খাবার দেয়া হতো, সেটা তিনি খেতে অস্বীকৃতি জানালেন। তার সন্দেহ, এই খাবার বা পানি খাইয়ে তাকে বশীভূত করা হবে। "যদি আমরা তাদের খাবার খাই, তখন আমরা তো এই বিয়েতে রাজী হয়ে যাব।" সিত্রাকে গোপনে খাবার আর পানি সরবরাহ করতো তার বোন। সিত্রার পরিবার তখন নারী অধিকার সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। গ্রামের মুরুব্বিদের মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে অনেক আলাপ-আলোচনার পর সিত্রাকে মুক্ত করা হলো। দরকষাকষির কোন সুযোগ নেই একটি নারী অধিকার সংগঠন 'পেরুয়াটি' গত ৪ বছরে এরকম ৭টি কনে অপহরণের ঘটনা রেকর্ড করেছে। তাদের বিশ্বাস, ইন্দোনেশিয়ার এই দ্বীপটির প্রত্যন্ত এলাকায় এরকম বহু ঘটনাই ঘটছে। এদের মধ্যে সিত্রাসহ মাত্র তিনজনকে মুক্ত করা গেছে। সম্প্রতি যে দুটি ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল, তার মধ্যে একটি মেয়ের বিয়ে এখনো টিকে আছে। পূর্বপুরুষদের কবরে প্রাচীন রীতি অনুযায়ী প্রার্থনা করছে সুম্বানিজ নারী পেরুয়াটির স্থানীয় কর্মকর্তা আপ্রিসা তারানু বলেন, "ওদের এই বিয়ে মেনে নিতে হয়েছে, কারণ এছাড়া তাদের আর কোন উপায় নেই। 'কাওয়িন ট্যাংক্যাপ' বা জোর করে কনে নিয়ে আসার ব্যাপারটা অনেক সময় পারিবারিক মধ্যস্থতায় বিয়ের মতো ব্যাপার। এখানে মেয়ের মতামত মোটেই গ্রাহ্য করা হয় না।" তিনি বলেন, যারা শেষ পর্যন্ত এরকম বিয়ে থেকে বেরিয়ে আসতে পারে, তাদের নিজেদের সমাজে হেয় চোখে দেখা হয়। "এদেরকে পুরো সমাজের জন্য অসন্মান বলে বর্ণনা করা হয়। লোকে বলে, তাদের আর বিয়ে হবে না, তাদের কখনো সন্তান হবে না। এসব কারণে অনেক মেয়ে এরকম ঘটনার শিকার হওয়ার পরও বিয়ে মেনে নেয়।" সিত্রার ক্ষেত্রেও এসব কথাই বলা হয়েছিল তিন বছর আগে অপহরণের ঘটনার পর। কিন্তু সিত্রা শেষ পর্যন্ত তার প্রেমিকের সঙ্গেই ঘর বাঁধতে পেরেছেন। তাদের এখন সুখের সংসার। ভাইরাল হওয়া যে অপহরণের ভিডিও কনে অপহরণের রীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি করে। "ঈশ্বরের কৃপায় আমি আমার প্রেমিককে বিয়ে করতে পেরেছি। আমাদের এখন এক বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান আছে।" এই প্রথা বিলোপের অঙ্গীকার স্থানীয় ইতিহাসবিদ ফ্রান্স ওরা হেবি মনে করেন, এই প্রথাটি আসলে সুম্বার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ নয়। কিছু লোক তাদের পছন্দের মেয়েকে জোর করে বিয়ে করার জন্য এটি ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, স্থানীয় নেতা এবং কর্তৃপক্ষের দিক থেকে কোন বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেয়া হয় না বলেই এটি এখনো চলছে। "এর বিরুদ্ধে কোন আইন নেই। যারা এই প্রথা চালু করে, তাদের হয়তো সামাজিকভাবে নিন্দা করা হয়, কিন্তু এর বিরুদ্ধে কোন আইনি শাস্তির ব্যবস্থা নেই, নেই কোন সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ।" নারী অধিকার মন্ত্র্রী বিনটাং পুস্পায়োগা তবে এবার এরকম অপহরণের বিরুদ্ধে জাতীয় পর্যায়ে যেরকম শোরগোল হয়েছে, তারপর সুম্বার আঞ্চলিক নেতারা একটি যৌথ ঘোষণায় সই করেছেন। এ মাসের শুরুতে এই ঘোষণায় তারা এরকম জোর করে কনে অপহরণের রীতি প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ার নারী অধিকার মন্ত্রী বিনটাং পুস্পায়োগা এই ঘোষণা সই করার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে জাকার্তা থেকে সুম্বায় আসেন। অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "অভিভাবক এবং ধর্মীয় নেতাদের কাছ থেকে আমরা জেনেছি, এভাবে কনে অপহরণের ঘটনা, যা কিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, তা আসলে সুম্বার আসল ঐতিহ্য এবং রীতির অংশ নয়।" তিনি এই রীতিকে 'নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা' বলে বর্ণনা করেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, সরকার এর বিরুদ্ধে আরও ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, এই ঘোষণা স্বাক্ষরের মধ্য দিয়েই এটি শেষ হয়ে যাচ্ছে না। নারী অধিকার গোষ্ঠীগুলো সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, 'এটি অনেক দীর্ঘযাত্রার একটি প্রথম পদক্ষেপ মাত্র।' সিত্রা বলেছেন, সরকার যে এখন এই ঘটনার দিকে নজর দিচ্ছে, সেজন্যে তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি যে নির্মম অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন, আর কেউ সেরকম দুর্ভাগ্যের মুখোমুখি হবেন না বলে আশা করছেন তিনি। "অনেকের মনে হতে পারে, এটা আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া একটা রীতি। কিন্তু এটা এখন একটা সেকেলে রীতি, এ যুগে এর স্থান নেই। কাজেই এটা বন্ধ করতে হবে, কারণ এটা মেয়েদের ক্ষতি করছে।" *সিত্রা ছদ্মনামটি ব্যবহার করা হয়েছে তার প্রকৃত পরিচয় গোপন রাখার জন্য
Indonesian officials are vowing to end the controversial custom of bride kidnapping on the remote island of Sumba, after videos of women being abducted sparked a national debate about the practice.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
২৫২ ফুট লম্বা যাত্রীবাহী জেট বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কিছুটা বিলম্ব করে আকাশে উড়লো গত বছর প্রতিষ্ঠানটির দুটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৩৪৬ জন আরোহীর প্রাণহানির জেরে ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়ার পর নিজেদের সুনাম কিছুটা টেনে তোলার চেষ্টা করছে বোয়িং। এর অংশ হিসেবেই এই পরীক্ষা চালানো হলো। সিয়াটল থেকে ফ্লাইটটি শুরু হয় এবং চার ঘণ্টা ধরে চলে। প্রবল বাতাস থাকার কারণে চলতি সপ্তাহে এর আগে এ ধরণের দুটি প্রচেষ্টা বাতিল করা হয়। এমিরেটসের সাথে যুক্ত হওয়ার আগে বিমানটির আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার। ২৫২ ফুট লম্বা যাত্রীবাহী বিমানটি চলতি বছরেই উদ্বোধন করার কথা ছিল কিন্তু কিছু কারিগরি ত্রুটির কারণে তা পেছানো হয়। বোয়িং এর সফল ৭৭৭ মিনি জাম্বো বিমানের আরো উন্নত ও বড় সংস্করণ হচ্ছে ৭৭৭এক্স বিমানটি। বিমানটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ডানা ভাঁজ করতে পারবে এবং বাণিজ্যিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইঞ্জিন রয়েছে এটির। "একটি কোম্পানি হিসেবে আমরা যেসব দুর্দান্ত কাজ করতে সক্ষম এই বিমানটি সেটারই প্রমাণ," বলেন ৭৭৭এক্স এর মার্কেটিং পরিচালক ওয়েন্ডি সোয়ার্স। বোয়িং বলছে যে তারা ৩০৯ টি বিমান বিক্রি করেছে যার প্রতিটির মূল্য ৪৪২ মিলিয়ন ডলার। বিমানটিতে ৩৬০ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতা থাকবে। আগামী বছর এমিরেটসে ফ্লাইট শুরুর আগে বিমানটির আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার। গত বছর মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে দুটি ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর বোয়িং কিছুটা সংকটে পড়েছে-প্রথমটি হয় ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ায় এবং পরেরটি হয় গত মার্চে ইথিওপিয়ায়। অভিযোগ ওঠে যে কাস্টমারদের চাহিদা পূরণ করতে নিরাপত্তার বিষয়টিকে নিশ্চিত না করেই বিমানগুলো সরবরাহ করা হয়েছে- এমন অভিযোগের পর কয়েক দফা তদন্তের মুখে পড়ে বোয়িং। বিমানটির আবারো ফ্লাইটের জন্য অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কোম্পানিটি। বোয়িংয়ের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বিমান ৭৩৭ ম্যাক্স বাজার থেকে সরিয়ে নেয়ার পর প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার লোকসানের মুখে পড়ে কোম্পানিটি। আরো খবর: চীনের পক্ষে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না, বলছেন বিজ্ঞানীরা সীমান্ত হত্যায় বিএসএফের দোষ দেখছেন না খাদ্যমন্ত্রী গুপ্তধনের সন্ধানে: আলেকজান্ডারের হারানো মুদ্রা চিঁড়ে নিয়ে হঠাৎ কেন সরগরম ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া
Boeing has successfully completed the first test flight of the world's largest twin-engined plane, the 777X.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
বিহারের ভাগলপুরে এমনকি ছিচকে চোরদেরও ধরে থানায় নিয়ে চোখ ফুটো করে অ্যাসিড ঢেলে অন্ধ করে দেওয়া হতো ১৯৮০ সালের ভারত। বিহার রাজ্যের ছোটো একটি শহর ভাগলপুরের পুলিশ ছিঁচকে অপরাধীদের শিক্ষা দিতে নির্যাতনের যে পথ নিয়েছিল তাতে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিল পুরো দেশতো বটেই, একই সাথে বাকি বিশ্বও। প্রায় ৪০ বছর পর বিবিসির ইকনুর কৌর কথা বলেছেন 'অপারেশন গঙ্গাজল' নামে কুখ্যাত ঐ পাশবিক পুলিশী নির্যাতনের কিছু প্রত্যক্ষদর্শী এবং এক ভুক্তভোগীর সাথে। ভাগলপুরের ঐ পুলিশী পাশবিকতা নিয়ে ২০১৭ সালে তথ্যচিত্র বানিয়েছিলেন অমিতাভ প্রসার। ১৯৮০ সালে তিনি ছিলেন বয়সে কিশোর, স্কুলের ছাত্র। বিবিসির কাছে একদিনকার এক দৃশ্যের স্মৃতিচারণ করছিলেন মি. প্রসার। "১৯৮০ সালে আমি একদিন স্কুলে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম রাস্তায় একটি লোক যন্ত্রণায় ছটফট করছে এবং চিৎকার করে মানুষজনের কাছে সাহায্য চাইছে। আশপাশে কিছু মানুষ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখছে, কিন্তু কেউই এগুচ্ছে না। কাছে গিয়ে দেখলাম মানুষটার দুটো চোখের জায়গায় গর্ত। দরদর করে রক্ত বেরুচ্ছে।" "পরে শুনলাম পাশের থানার পুলিশ অ্যাসিড দিয়ে তাকে অন্ধ করে রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে চলে গেছে।।" ১৯৮০ সালে ভাগলপুরে অপরাধীদের ধরে এনে অন্ধ করে দেওয়ার যে নীতি স্থানীয় পুলিশ নিয়েছিল, তার শিকার ৩৩ জনের একজন ছিল ঐ ব্যক্তি। অ্যাসিডে দগ্ধ চোখ (ফাইল ফটো) অমিতাভ প্রসারের বয়স ছিল মাত্র ১৩। "ঐ বয়সে তখন আমি ঠিক বুঝতে পারিনি কত বড় ইস্যু ছিল এটি। আমরা শিশু কিশোররা তখন শুনতাম পুলিশ এলাকার একজন কুখ্যাত ডাকাতকে শাস্তি দিয়ে কী সাংঘাতিক ভালো কাজ করেছে। আমার মনে আছে লোকটি সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিল, আর মানুষজন যেন তার ঐ যন্ত্রণা দেখে মজা পাচ্ছিল।" ১৯৮০ সালের দিকে বিহারে অপরাধ বাড়ছিল। তা দমনে ভাগলপুরের পুলিশ বিচার-বহির্ভূত পাশবিক এক নির্যাতনের পথ নিয়েছিল। সন্দেহভাজন অপরাধীদের বিচারের জন্য আদালতে না পাঠিয়ে তাদের দুই চোখে অ্যাসিড ঢেলে সারাজীবনের মত তাদের অন্ধ করে দিচ্ছিল । এক তরুণ আইনজীবীর লড়াই রামকুমার মিশ্র ছিলেন সে সময় ভাগলপুর আদালতের একজন তরুণ আইনজীবী। বিবিসিকে তিনি বলেন কীভাবে একদিন তিনি সেই ভয়াবহ নির্যাতন সম্পর্কে জানতে পারলেন। "আমি একদিন আদালতে দেখলাম দুটো লোকের চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছে। শুনলাম তাদের দুজনের চোখ ফুটো করে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয়েছে।" "আমি দেখলাম তাদের দুই চোখেই গর্ত, এবং সেখান থেকে রক্ত বেরুচ্ছে। তারা আমাকে বললো, পুলিশের সাথে একজন ডাক্তার ছিল যে তাদের চোখে সাইকেলের চাকার স্পোক ঢুকিয়ে দেয়। তারপর অ্যাসিড ঢেলে নিশ্চিত করে যে তারা অন্ধ হয়েছে।" ঐ দুজনকে দেখার পর রামকুমার মিশ্র ভাগলপুরের সবগুলো পুলিশ স্টেশনে যান। সেখানে গিয়ে নির্যাতনের শিকার এমন আরো মানুষকে দেখতে পান। "১৯৮০ সালে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে অগাস্ট মাস পর্যন্ত এরকম ঘটনা ঘটেছে, এবং সে সময় আমি নির্যাতনের শিকার অনেক মানুষকে দেখেছি।" মি. মিশ্র নির্যাতনের শিকার এমন ৩৩ জনের পক্ষে মামলা লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। বিহার পুলিশের অপারেশন গঙ্গাজলের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন তিনি। স্পোক দিয়ে খুচিয়ে তারপর অ্যাসিড প্রথম দিকে যে কজনকে এভাবে অন্ধ করে দেওয়া হয় তাদের একজন ছিলেন উমেশ যাদব। পুলিশ তাকে চুরির অভিযোগে ধরেছিল। বিবিসিকে মি. যাদব বলেন সেদিনের কথা। "তখন আমার বয়স ছিল ২০। একদিন আমি বাড়ির দিকে যাচিছলাম। হঠাৎ দেখলাম কজন পুলিশ আমাকে অনুসরণ করছে। ভয়ে আমি সাইকেল থেকে নেমে দৌড় দিলাম। একসময় পুলিশ আমাদের ধরে এমন মারা মারলো যে একসময় আমার প্রায় অজ্ঞান হয়ে পড়ার জোগাড় হলো।" এরপর তরুণ উমেশ যাদবকে থানায় নেওয়ার পর চোখ ফুটো করে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয়। "থানার ডেপুটি সুপার আমার চোখে অ্যাসিড ঢেলে দিয়েছি। আমি ব্যথায় চিৎকার করতে করতে একসময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম। " ধরার পর সন্দেহভাজন অপরাধীদের কারাগারে নেওয়া হতো না সেসময়। ভাগলপুর পুলিশ শহরের এক কোনায় একটি ক্যাম্প তৈরি করেছিল। সেখানে একজন ডাক্তারের সাহায্য নিয়ে তারা সেসব অপরাধীদের অন্ধ করে দিত। আইনজীবী রামকুমার মিশ্র বলেন, কারাগারে আনার আগেই তাদের সন্দেহভাজন অপরাধীদের ভিন্ন ভিন্ন পুলিশ স্টেশনে নিয়ে গিয়ে অন্ধ করে দেয়া হয়েছে। "তাছাড়া, অমরপুর নামে একটি এলাকায় অন্ধ করার জন্য একটি আলাদা ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছিল।" চোখে 'গঙ্গার পবিত্র জল' পুলিশের হাতে অন্ধত্বের শিকার উমেশ যাদব বলেন, তাকে অন্ধ করার পর আরো অনেককে একইভাবে অন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তাকে অন্ধ করার পরপরই আরো নয়জনকে ধরে আনা হয়েছিল এবং তারাও অন্ধ হয়ে যায়। আইনজীবী মি মিশ্রের মত উমেশ যাদবও একই ব্যাখ্যা দিলেন। প্রথমে সাইকেলের চাকার স্পোক চোখে ঢুকিয়ে ফুটো করা হতো। তার সেই ফুটো দিয়ে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হতো। উমেশ যাদব বললেন, অ্যাসিড চোখে ঢালার আগে পুলিশ বলতো 'এবার তোকে পবিত্র জল দেওয়া হবে।' "তারা (পুলিশ) বলতো এই গঙ্গা জল দেওয়ার পর যন্ত্রণা কমে যাবে। আসলে তারা অ্যাসিড ঢালতো যাতে আমরা পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যাই।" শ্রীনগরে পুলিশের বেধড়ক পিটুনি (ফাইল ফটো)। পুলিশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে ভারত শাসিত কাশ্মীরে ভাগলপুর পুলিশ তাদের এই অমানবিক নির্যাতনকে ইতিবাচক ইমেজ দেওয়ার জন্য অভিযানের নাম দিয়েছিল 'অপারেশন গঙ্গাজল'। "ব্যাপারটা এমন যেন পবিত্র গঙ্গাজল দিয়ে কোনো কিছু পবিত্র করা হয় তেমনি অ্যাসিড ব্যবহার করে পুলিশ সমাজ থেকে অপরাধ, অন্যায় ধুয়ে দিচ্ছে," বলছিলেন আইনজীবী রামকুমার মিশ্র। ১৯৮০ সালের মে মাসে ঐ আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে একটি চিঠি লেখেন। সেই চিঠির সূত্র ধরে মামলা রুজু হয়ে তদন্ত শুরু হয়। ১৯৮৪ সালে বিহারের ৩০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে এতদূর এগুতে অনেক ঝামেলা, হুমকি-ধমকি সহ্য করতে হয়েছে মি. মিশ্রকে। আরো পড়তে পারেন: ইন্টারনেটে এক শিক্ষকের আইএস বিরোধী লড়াই ইরাকি বাহিনী যখন কুয়েত দখল করে নিয়েছিল বার্লিন দেয়াল পতন যেভাবে বদলে দিয়েছিল পৃথিবী বিহারের ভাগলপুরে থানায় নিয়ে চোখে অ্যাসিড ঢেলে চিরতরে অন্ধ করে দেয়া হয়েছিল ত্রিশেরও বেশি লোককে (ফাইল ফটো) "পুলিশ আমাকে অনেক হুমকি দিয়েছে। একদিন একদল পুলিশ আমাকে জোর করে একটি হোটেলে ঢোকায়। আমার দিকে রিভলবার তাক বলে একজন বলে, তোমাকে এখন মেরে ফেলবো। আমি বললাম ঠিক আছে মেরে ফেল।" "আমার স্ত্রী সবসময় খুব উদ্বেগে থাকতো। আমাকে বলতো - তুমি করছো কী। কেন করছো। শুধু আমার বাবা আমাকে বলতো, তুমি যদি বিশ্বাস করো এই কাজ তোমার করা উচিৎ, তুমি করো।" রামকুমার মিশ্র বললেন, এই নির্যাতন যে পুলিশ একাই নিজেদের সিদ্ধান্তে করেছিল, তা নয়। এর পেছনে রাজ্য সরকারের নেতৃস্থানীয়দের সায় ছিল। "মুখ্যমন্ত্রী, বিচার বিভাগ, পুলিশ সবারই এতে হাত ছিল, এবং তারা সবাই মিলে একে অপারেশন গঙ্গাজল নামকরণ করেছিল।" চরম ক্ষুব্ধ ইন্দিরা গান্ধী ভাগলপুরের এই ঘটনা প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর, ভারতের লোকসভায় তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সংসদে আবেগময় কণ্ঠে এক বক্তৃতা দেন যেখানে তিনি বলেন, এই ঘটনার কথা শুনে তিনি অসুস্থ বোধ করছেন। তবে ভাগলপুরের সিংহভাগ মানুষের এ নিয়ে কোনো অনুতাপ ছিলনা। তাদের কথা ছিল- অপরাধীদের শিক্ষা হওয়া উচিৎ। "আমি যখন বাজারে যেতাম। সবাই আমার দিকে আঙ্গুল তুলে বলতো দেখ দেখ এই সেই উকিল। এই লোকই এই শহরের সর্বনাশ করছে। পুলিশ অপরাধীদের অন্ধ করছে, কিন্তু এই উকিল সুপ্রিম কোর্টে নালিশ করেছে।" "আমি যেন একঘরে হয়ে পড়েছিলাম। একমাত্র আমার বাবা ছাড়া আমার পাশে কেউই ছিল না।" পুনে শহরে বধিরদের একটি বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ। (ফাইল ফটো)। ভারতে পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তদন্তের পর ১৫ জন পুলিশের সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তাদেরকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আদালত নির্দেশ দেয় অন্ধ করে দেওয়া লোকগুলোর প্রত্যেককে ৫০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রতি মাসে সাড়ে সাতশ রুপি করে পেনশন দিতে হবে। কিন্তু তারপর কী বিহারে এ ধরনের পাশবিক নির্যাতন বন্ধ হয়েছিল? "তারপরও অপরাধীদের অন্ধ করে দেওয়ার চল পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এখনও এটা চলছে," বিবিসিকে বলছিলেন তথ্যচিত্র নির্মাতা অমিতাভ প্রসার। ২০১৭ সালে তিনি ভাগলপুরের বিষয়টি নিয়ে 'আইজ অব ডার্কনেস' নামে একটি তথ্যচিত্র বানান। জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছে সেটি। "এত বছর পরও ঐ ঘটনা আমি মন থেকে মুছে ফেলতে পারিনি। ঐ যে দৃশ্য আমি কিশোর বয়সে দেখেছিলাম তা এখনও আমাকে তাড়া করে।" ঐ পাশবিকতার শিকার হয়েছিলেন যে ৩৩ জন, তাদের ১৮ জন দারিদ্রে ভুগে মারা গেছেন। বাকিরা টিকে থাকার জন্য প্রাণপণে লড়াই করছেন। তাদের একমাত্র সম্বল মাসে সাড়ে সাতশ রুপির পেনশন। আরো পড়তে পারেন: বাংলাদেশের জেলেরা সমুদ্রে হাঙর ধরায় আগ্রহী কেন? মার্কিন কিশোরীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা টিকটকের নিরাময় কেন্দ্রে গিয়েই পরিচয় মাদকের সাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম রায়ে পুলিশের শাস্তি
Warning: Some readers may find details in this article upsetting.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
পাকিস্তানের একটি বন্যার ছবি, যেখানে বন্যায় বাস্তুচ্যুত মানুষজনের বেশিরভাগই নারী জাতিসংঘের গবেষণা বলছে, জলবায়ুর পরিবর্তনে যে মানুষজন বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের আশি শতাংশই নারী। পরিবারের সদস্যদের যত্ন আর খাবারের মতো দায়িত্ব তারা নেয়ায় বন্যা এবং খরায় তারা আরো বেশি সংকটে পড়েন। আরো পড়ুন: চাকরির কোটা শিথিলের প্রজ্ঞাপন: কতটা সন্তুষ্ট আন্দোলনকারীরা? বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন এত বাড়লো কীভাবে? এ কারণে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে এই নারীদের ক্ষমতায়নের বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। উদাহরণ হিসাবে বলা হয়েছে, মধ্য আফ্রিকায় লেক চাদের ৯০ শতাংশ শুকিয়ে যাওয়ায় সেখানকার নারীরা ভয়ানক বিপদে পড়েছে। নারীদের এখন অনেক বেশি কষ্ট করে পানি সংগ্রহ করতে যেতে হয়। লেক চাদ শুকিয়ে যাওয়ায় পানির জন্য সেখানকার নারীদের এখন অনেক বেশি কষ্ট করতে হয় গবেষণায় জানা যাচ্ছে, এটা শুধুমাত্র প্রান্তিক এলাকার লোকজনের সমস্যাই নয়। সারা বিশ্বেই নারীরা পুরুষদের তুলনায় কম ক্ষমতা ভোগ করছেন এবং বেশি দারিদ্রের মুখোমুখি হচ্ছেন। চাকরি, আশ্রয় বা অবকাঠামোর অভাব দুর্যোগ এই নারীদের আরো বিপদে ঠেলে দেয়। অক্সফামের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০৪ সালের সুনামির পর যেখানে তিনজন পুরুষের বিপরীতে একজন নারী রক্ষা পেয়েছেন। কারণ জানা না গেলেও, সারা বিশ্বেই একই ধরণের উদাহরণ দেখা গেছে। ফলে সারা বিশ্বেই জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষেত্রে সরকারি বেসরকারিভাবে নারীদের আরো অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পরিবেশ বিজ্ঞানী ডায়ানা লিভারম্যান বলছেন, ''বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যাতে সব বড় সিদ্ধান্তে তাদের অংশগ্রহণ থাকে।'' ''কারণ জলবায়ু পরিবর্তন ক্ষমতার কোন লড়াই নয়, এটা টিকে থাকার লড়াই।'' আরো পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার নেতার সাথে বৈঠকে ট্রাম্পের সম্মতি মোবাইল ফোন আমাদের শরীরের কতটা ক্ষতির কারণ? যৌন হয়রানির অভিযোগ জানাতে ফেসবুকে আশ্রয়
Women are more likely than men to be affected by climate change, studies show.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
ব্রিটিশ এই বিজ্ঞানী কৃষ্ণ গহ্বর এবং আপেক্ষিকতা তত্ত্ব নিয়ে তাঁর কাজের জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত। স্টিফেন হকিং মি. হকিং এর তিন সন্তান লুসি, রবার্ট এবং টিম বলেছেন "আমরা দু:খের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের প্রিয় বাবা আজ মারা গেছেন। তিনি একজন বড় বিজ্ঞানীই ছিলেন না তিনি ছিলেন একজন অসাধারণ মানুষ, যাঁর কাজ বহু বছর বেঁচে থাকবে"। আরো পড়ুন: স্টিভেন হকিং: রসিক এবং খেয়ালী এক বিজ্ঞানী স্টিভেন হকিং: ছবিতে বর্ণাঢ্য জীবন
Veteran TV presenter Keith Chegwin has died aged 60 after a long illness, his family has said.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
গতবছর সন্তানের মা হওয়া নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডের্ন দীর্ঘদিনের সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ডের সাথে বাগদান সম্পন্ন করলেন প্রধানমন্ত্রীর একজন মুখপাত্র এ খবরটি নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে মিজ আরডার্ন-এর বাম হাতের আঙ্গুলে ডায়মন্ডের আংটি শোভা পেতে দেখা যায় এবং এরপর থেকে এই যুগলের এনগেজমেন্টের খবর ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে মিজ আরডার্ন-এর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইস্টার সানডের দিনে বাগদান সম্পন্ন করেন এই যুগল। গতবছর এই দু'জন তাদের প্রথম সন্তান লাভ করেন। তাদের এই কন্যা সন্তানের নাম নিভ টে আরোহা। এই বছরের জানুয়ারি মাসে বিবিসির ভিক্টোরিয়া ডার্বিশায়ার মিজ আরডার্নকে প্রশ্ন রেখেছিলেন মিস্টার গেফোর্ডকে তিনি কখনো বিয়ের প্রস্তাব দেবেন কি-না? জবাবে তিনি বলেছিলেন, "না, আমি কখনো তেমনটি করবো না। আমি তাকে এমন যন্ত্রণা আর পীড়নের মধ্যে রাখতে চাই যেন সেই সে নিজেই বিষয়টি উপস্থাপনের তাড়না বোধ করে"। জাসিন্ডা আরডের্ন: ভালবাসা দিয়ে 'হৃদয় জয়' করলেন যিনি কেন ক্রাইস্টচাচে মসজিদে হামলাকারীর নাম বলেননি জাসিন্ডা আরডার্ন? নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর নিজের নেতৃত্বের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন মিজ আরডার্ন। মিজ আরডার্ন এর আগে বলেছিলেন, মিস্টার গেফোর্ড তাদের সন্তানকে দেখভালের জন্য বাড়িতেই অবস্থান করবেন। রেডিও নিউজিল্যান্ডকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমি খুব, খুব সৌভাগ্যের অধিকারী"। জাসিন্ডা আরডার্ন এবং ক্লার্ক গেফোর্ড তাদের প্রথম সন্তান লাভ করেন গতবছর এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন মিস্টার গেফোর্ডের দায়িত্ববোধের কথা। "আমার পাশে এমন একজন সঙ্গী রয়েছেন, যিনি যৌথ-দায়িত্বের বিশাল অংশের ভার গ্রহণ করেছেন। কারণ তিনি কেবল একজন শিশু রক্ষণাবেক্ষণকারী নন, তিনি একজন পিতাও"। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, ২০১২ সালে একটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে মিজ আরডার্ন এবং মি. গেফোর্ড-এর প্রথম দেখা হয়েছিল। মিজ আরডার্ন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় সন্তানের জন্ম দেয়া দ্বিতীয় কোন বিশ্ব নেতা। প্রথম জন ছিলেন পাকিস্তানের দুইবারের প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন যেসব খবর: ফণী নিয়ে কতটা আতঙ্কের কারণ রয়েছে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবে উড়িষ্যায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা, নিহত ৩ বাংলাদেশে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াল ৫টি ঘূর্ণিঝড় কোথায় লুকিয়ে আছেন আইএস নেতা আল-বাগদাদী? জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ ভারতের
New Zealand PM Jacinda Ardern says she regrets sharing an anecdote about her recent meeting with US President Donald Trump with her friends.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
যত্নের ব্যাপারটা তখনি ঘটে যখন রোগী এবং চিকিৎসকের সাক্ষাতটা নিয়মিত হয় ইউনিভার্সিটির অব এক্সেটার এর গবেষকরা বলছেন মানুষের চিকিৎসার যে ব্যবস্থা রয়েছে তাতে করে জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এই সম্ভাবনাকে অবহেলা করা হয়। চিকিৎসকরা বলছেন তারা চিহ্নিত করেছেন রোগীদের তাদের 'নিজেদের ডাক্তার' দেখানোর বিষয়টা। তারা সেসব ডাক্তারের কাছে দেখানোর জন্য লম্বা সময় ধরে অপেক্ষা করতেও অসুবিধা বোধ করে না। গবেষণা প্রতিবেদনটি বিএমজে ওপেন এ প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে নয়টা দেশ যাদের মধ্যে রয়েছে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা এবং দক্ষিণ কোরিয়া। ২২টি গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ১৮ টি গবেষণা বলছে দুই বছর ধরে একই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেয়াটা অন্যান্য রোগীদের তুলনায় মৃত্যুর হার কমিয়ে দিয়েছে। গবেষকরা বলছেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনায় এটাতেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত। ইউনিভার্সিটির অব এক্সটার অধ্যাপক ফিলিপ ইভান্স বলছেন "যত্নের ব্যাপারটা তখনি ঘটে যখন রোগী এবং চিকিৎসকের সাক্ষাতটা নিয়মিত হয়। তারা একে অপরকে জানতে এবং বুঝতে পারে। এটাই দুইজনের মধ্যে ভালো যোগাযোগ স্থাপন করে, রোগীর মনেও সন্তুষ্টি তৈরি করে।" আরো পড়তে পারেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিরোধিতা করেছিলেন যারা হামলা-গ্রেফতারে উত্তেজনা কোটা সংস্কার আন্দোলনে মসজিদের ইমাম যেভাবে খৃস্টানদের জীবন বাঁচালেন
Patients who see the same doctor again and again have lower death rates, a study suggests.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
ভারতে নগরায়ন বাড়ছে দ্রুত গতিতে। দেশটির সরকার তাই দেশ জুড়ে কিছু শহরকে আধুনিকায়নের পরিকল্পনা করে বড়সড় বিনিয়োগ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ভারতের নির্বাচনকে সামনে রেখে বিবিসির রিয়েলিটি চেক প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি ও প্রতিশ্রুতির বিষয়গুলো পরীক্ষা করে দেখছে। ২০১৫ সালে ভারতের সরকার পাঁচ বছরে ১০০ শহরকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করে। বাস্তবতা: প্রকল্পের সময়সীমা বিলম্বিত হয়েছে কারণ কর্মসূচির শুরুতে শহরগুলোকেই চিহ্নিত করা যায়নি। আর খুব অল্প পরিমাণ অর্থই বরাদ্দ করা হয়েছে। স্মার্ট সিটি আসলে কী? ভারতের সরকারের কথায় স্মার্ট সিটির একক কোনো সংজ্ঞা নেই। কিন্তু এর অঙ্গীকার ছিলো নির্ধারিত একশ শহরের জীবনমান উন্নয়নে বেশি অর্থ বরাদ্দ হবে। সরকারের স্মার্ট সিটি মিশনের আওতায় যে একশ শহরকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তার শেষ তালিকাটি এসেছে মাত্র ২০১৮ সালে অর্থাৎ গত বছর। ফলে মূল প্রকল্প পিছিয়ে গিয়েছে এবং নতুন সময়সীমা হয়েছে ২০২৩ সালে। আরো পড়তে পারেন: চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ মসজিদে হামলাকারীর ভারতীয় নির্বাচন: চায়ের গ্লাসেও 'চৌকিদার' স্লোগান কেন? এক নারীর দুই জরায়ু থেকে জন্মালো তিন সন্তান ভারতের সরকার পাঁচ বছরে ১০০ শহরকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছিলো। প্রজেক্টগুলো কি বাস্তবায়ন হচ্ছে? চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকার পাঁচ হাজারেরও বেশি প্রকল্প অনুমোদন করেছে যার জন্য ব্যয় হবে প্রায় ২৯ বিলিয়ন ডলার। সরকার বলছে, ৭১৫ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে আর ২ হাজার ৩০৪টি প্রকল্প বাস্তবায়নের আওতায় রয়েছে। যদিও সরকারি তথ্য থেকেই দেখা যায়, বরাদ্দ ও প্রকৃত ব্যয়ের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। জানুয়ারিতে অবশ্য সরকার স্বীকার করেছিলো যে মোট বরাদ্দের মাত্র ২১ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। যদিও এ অর্থ ব্যয় নিয়েও অনেক প্রশ্ন রয়েছে। হাউজিং ও ল্যান্ড রাইটস নেটওয়ার্ক নামের একটি এনজিও স্মার্ট সিটি মিশনকে নাম দিয়েছে স্মার্ট ছিটমহল প্রকল্প হিসেবে। বিশ্লেষকদের যুক্তি - নতুন প্রকল্পে যত জোর দেয়া হচ্ছে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য ততটা মনোযোগ নেই। সরকার বলছে, এজন্য তারা নানা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে। সরকারের দাবি, গত বছর থেকে স্মার্ট সিটি প্রকল্প গতি পেয়েছে। সরকারের একজন মন্ত্রী হরদিপ সিং পুরি অবশ্য বিবিসিকে বলছেন, ২০১৯ সালের মধ্যে ৫০টি শহরের কাজও যদি শেষ হয় তাহলে সেটিও হবে বিশ্বের এ ধরণের কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত গতির বাস্তবায়ন। আরো পড়তে পারেন: ঢাকার সব বহুতল ভবন পরিদর্শন করা হবে: মন্ত্রী ঢাকার অবৈধ ভবনগুলো টিকে আছে কীভাবে
India's urban population is growing rapidly and is expected to reach 600 million in the next decade.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
স্টিভ ইস্টারব্রুকের বাৎসরিক বেতন ছিল ১৬ মিলিয়ন ডলার ম্যাকডোনাল্ডস বলছে, যদিও সম্মতির ভিত্তিতেই মি. ইস্টারব্রুক ঐ সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, তবুও অধস্তন কর্মচারীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে তিনি কোম্পানির বিধি ভেঙ্গেছেন। কর্মচারীদের কাছে এক ই-মেল বার্তায় জাতিতে ব্রিটিশ মি. ইস্টারব্রুক তার প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন তার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। তিনি লেখেন, "কোম্পানির বিধি মেনে আমি পরিচালনা বোর্ডের সাথে একমত হয়েছি যে আমার এখানে থাকা উচিৎ নয়।" ১০ বছরেও পচেনি ম্যাকডোনাল্ডসের যে বার্গার বিবাহবিচ্ছেদ ৫২ বছর বয়সী মি ইস্টারব্রুকের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই। তারপরও অধস্তনের সাথে প্রেম করাকে অপরাধ হিসাবে দেখেছে ম্যাকডোনাল্ডস। ১৯৯৩ সালে তিনি লন্ডনে একজন ম্যানেজার হিসাবে ম্যাকডোনাল্ডসে ঢোকেন, এবং তারপর তরতর করে শীর্ষে উঠতে থাকেন। ২০১১ সালে তিনি ম্যাকডোনাল্ডস ছেড়ে প্রথমে পিজ্জা এক্সপ্রেস এবং পরে আরেকটি জনপ্রিয় এশীয় রেস্তোরা চেইন ওয়াগামামার প্রধান নির্বাহী হিসাবে কাজ করেন। মি ইস্টারব্রুক ২০১৩ সালে আবারো ম্যাকডোনাল্ডসে যোগ দেন ব্রিটেন এবং উত্তর ইউরোপ অপারেশন্সের প্রধান হিসাবে। ২০১৫ সালে তিনি মার্কিন এই ফাস্ট ফুড জায়ান্টের প্রধান নির্বাহী হন। ম্যাকডোনাল্ডসের মেনু থেকে শুরু করে দোকানের সাজসজ্জা ঢেলে সাজানো এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যের ইমেজ তৈরির পেছনে মি. ইস্টারব্রুকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাকডোনাল্ডসের শেয়ারের দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। ম্যাকডোনাল্ডস কোম্পানির ব্যবসা বাড়াতে অসামান্য ভূমিকা রাখার পরেও শুক্রবার ম্যাকডোনাল্ডসের পরিচালনা বোর্ড তাকে প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রেম নিয়ে কোম্পানি বিধি ম্যাকডোনাল্ডসের বিধিতে রয়েছে- কোনো ম্যানেজার তার অধস্তনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে পারবেন না। পরিচালনা বোর্ড মনে করেছে, অধস্তনের সাথে প্রেমে জড়িয়ে মি ইস্টারব্রুক একদিকে যেমন বিধি ভঙ্গ করেছেন, অন্যদিকে তিনি তার বিবেচনা বোধের প্রতি সুবিচার করেননি। এর আগে তার বেতন নিয়ে সমালোচনা মুখোমুখি হয়েছিলেন মি. ইস্টারব্রুক। ২০১৮ সালে যেখানে ম্যাকডোনাল্ডস কর্মীদের গড় বেতন ছিল বছরে ৭৪৭৩ ডলার, সেখানে তার নিজের বেতন ছিল বছরে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ ডলার। গত বছর বিশ্বের শীর্ষ কম্পিউটার চিপ নির্মাতা ইনটেলের প্রধান নির্বাহী ব্রায়ান ক্রানিচকে একই কারণে চাকরি হারাতে হয়েছিল। কোম্পানির একজন অধস্তন কর্মচারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ফাঁস হয়ে গেলে তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।
McDonald's has fired its chief executive Steve Easterbrook after he had a relationship with an employee.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
বর্তমানে যুক্তরাজ্য জুড়ে অন্তত ২২টি বেসরকারি ক্লিনিক রয়েছে, যারা যৌনি পর্দা পুনরুদ্ধারের অস্ত্রোপচার করে থাকে। যে নারীরা এই শল্যচিকিৎসার সহায়তা নেন, তাদের বেশিরভাগই রক্ষণশীল পরিবার থেকে আসা মুসলমান নারী। বিয়ের আগে তারা যৌন সম্পর্ক করেছেন, সেটা তাদের স্বামী বা পরিবার বুঝতে পারলে সমাজচ্যুত, এমনকি হত্যাও করতে পারে, এমন আশঙ্কায় নারীরা এই ঝুঁকি নেন। তারা এমন একটি প্রক্রিয়ার সহায়তা নেন, চিকিৎসা ব্যবস্থায় যাকে বলা হয় 'রিভার্জিনাইজ' যার অর্থ পুনরায় কুমারী করে তোলা। এটি 'হাইমেনোপ্লাস্টি' নামেও পরিচিত। এখানে শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে যোনি প্রবেশপথের ঝিল্লির একটি স্তর, যেটি অনেকে 'সতীচ্ছদ' বলে বর্ণনা করে থাকেন, সেটি পুনরায় তৈরি করে দেয়া হয়। চিকিৎসায় কোন সুবিধা নেই যে নারীদের বিয়ের রাতে তাদের সতীত্বের পরীক্ষা দিতে হয়, সেখানে অক্ষত যৌনিপর্দা তার কুমারীত্বের প্রমাণ বলে মনে করা হয়। কিন্তু এই অস্ত্রোপচারের কোন চিকিৎসাগত সুবিধা নেই, শুধুমাত্র নারীদের ভীতি এবং লজ্জাকে ব্যবহার করে এটি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন অধিকার কর্মীরা। এ কারণে তারা এ ধরণের অস্ত্রোপচার বন্ধ করার দাবি করছেন। কিন্তু বিপরীতভাবে বলা হয়, এটি নিষিদ্ধ করা হলে যে নারীরা এ ধরণের অস্ত্রোপচারের সহায়তা নিতে বাধ্য হন, সেই মুসলমান নারীদের জন্য বিপদ বাড়িয়ে দেবে। যুক্তরাজ্যের জেনারেল মেডিকেল কাউন্সিলের (জিএমসি) গাইডলাইন অনুযায়ী, এ ধরণের অস্ত্রোপচারের আগে রোগীদের সম্মতির সময় জিজ্ঞেস করতে হবে যে, তারা কি কোনরকম চাপের কারণে বা অন্য কোন ব্যক্তির চাপ প্রয়োগের ফলে এ ধরণের কাজ করছেন কিনা। আরো পড়ুন: ভারতের যেসব নববধুদের কুমারীত্বের পরীক্ষা দিতে হয় বাংলাদেশে কুমারী মা বা স্বীকৃতিহীন শিশুর আশ্রয় কোথায়? বিয়ের রাতে এক নারীর দুর্বিষহ যৌন মিলনের অভিজ্ঞতা সতীত্ব রক্ষার বিনিময়ে শিক্ষা বৃত্তি নিয়ে বিতর্ক আন্দোলনকারীরা বলছেন, ভয়ে এবং লজ্জার কারণে মুসলমান নারীরা এধরণের অস্ত্রোপচার করছেন ভয়ের মধ্যে বসবাস মিডল ইস্টার্ন উইমেন এন্ড সোসাইটি অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা হালালেহ তাহেরি বিবিসি নিউজকে বলেছেন, মরক্কোর একজন ছাত্রী লন্ডনে লুকিয়ে আছেন, কারণ তিনি শুনতে পেয়েছিলেন যে, তাকে হত্যা করার জন্য তার বাবা লোক ঠিক করেছে। ২০১৪ সালে পড়াশোনার জন্য লন্ডনে আসার পর, ওই ছাত্রীর সঙ্গে এক ব্যক্তির পরিচয় হয় এবং তারা একত্রে থাকতে শুরু করেন। যখন এই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন তার পিতা, তখন তিনি তাকে মরক্কোয় ফিরে আসতে বলেন। সেখানে একটি ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে 'কুমারীত্বের' পরীক্ষা করার পর তার পিতা জানতে পারেন, তার যৌনি পর্দা (হাইমেন) আর অক্ষত নেই। এরপরে তিনি পালিয়ে লন্ডনে চলে আসেন। কিন্তু এরপর থেকে তিনি ভয়ে জীবন কাটাচ্ছেন, কারণ তার আশঙ্কা, তার পিতা হয়তো জানতে পারবে যে, তিনি কোথায় বসবাস করছেন। মরক্কোয় জন্ম নেয়া, ৪০ বছর বয়সী একজন সহকারী শিক্ষক বিবিসিকে বলছেন, বিশ বছর বয়সের সময় তাকে একবার এই পরীক্ষাটি করানো হয়। কিন্তু তিনি আর কল্পনাও করতে পারেন না যে, তার ছেলেমেয়ের কখনো এরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হবে। ''আমি কখনোই তাদের ক্ষেত্রে এরকম করবো না। আমি তাদের মুক্তভাবে বেঁচে থাকা শেখাতে চেষ্টা করি।'' যৌনাঙ্গে কসমেটিক সার্জারি করেছেন, এরকম নারীদের সংখ্যা যুক্তরাজ্যে বাড়ছে বিয়ের রাত সানডে টাইমস পত্রিকার একটি অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমানে যুক্তরাজ্য জুড়ে অন্তত ২২টি বেসরকারি ক্লিনিক রয়েছে, যারা যৌনি পর্দা পুনরুদ্ধারের অস্ত্রোপচার করে থাকে। প্রায় এক ঘণ্টার একটি অস্ত্রোপচারের জন্য তারা তিন হাজার পাউন্ড পর্যন্ত নিয়ে থাকে। নারী অধিকার কর্মীরা বলছেন, এসব ক্লিনিক মুসলমান নারীদের ভয়কে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করছেন। কারণ বিয়ের রাতে তাদের কুমারীত্ব নেই, জানতে পারলে কি ঘটতে পারে, তা নিয়ে ওই নারীরা ভয় পান। অনেক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে এসব প্রক্রিয়ার বর্ণনা রয়েছে। লন্ডন গায়ানে সেন্টার নারীদের উদ্দেশ্যে ওয়েবসাইটে লিখেছে, বিয়ের পরে যদি স্বামীরা বুঝতে পারে যে, তাদের যৌনি পর্দা ভেঙ্গে গেছে, তাহলে বিয়েটি ভেঙ্গে যেতে পারে। ওই ক্লিনিকের মন্তব্য জানার জন্য যোগাযোগ করেছে বিবিসি নিউজ, কিন্তু এখনো কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। 'ভয়ঙ্কর চর্চা' যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, এই 'ভয়ঙ্কর চর্চা' বন্ধ করার পথ খুঁজে বের করার উপায় খুঁজে দেখবেন। কিন্তু কীভাবে সম্ভাব্য একটি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে, তা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি দেশটির স্বাস্থ্য বিষয়ক দপ্তর। মিস তাহেরি বলছেন, ''যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে এই নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারটি কার্যকর করা না হলে মেয়েদের মৃত্যুও হতে পারে।'' লন্ডন স্কুল অব মেডিসিন এবং নারী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. খালিদ খান, যিনি এরকম প্রক্রিয়া নিজের চোখেই দেখেছেন, তিনি বলছেন, একে নিষিদ্ধ করা যথার্থ কাজ হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত রোগীদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে তথ্য দেয়া হচ্ছে, তখন সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারটি প্রত্যেক নারীর ওপরেই থাকা উচিত। ''আমার বিশ্বাস, চিকিৎসকদের আসল উদ্দেশ্য হলো নির্যাতনের হাত থেকে নারীদের রক্ষা করা,'' তিনি বলছেন। যুক্তরাজ্যে এসব অস্ত্রোপচার করতে তিন হাজার পাউন্ড লাগতে পারে। মানসিকভাবে সহায়তা ব্রিটিশ সোসাইটি ফর পেডিয়াট্রিক এন্ড এডোলেসেন্ট গায়নাকোলজির চেয়ারপার্সন নাওমি ক্রুচ মনে করেন, নারী ও শিশুরা এমন একটি প্রক্রিয়ায় নিগৃহীত হচ্ছে, যার চিকিৎসাগত কোন উপকারিতা নেই। তিনি বলছেন, ''চিকিৎসকদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে জিএমসির গাইডলাইনে পরিষ্কারভাবে বলে দেয়া হয়েছে।'' ''চিকিৎসা খাতের একজন পেশাদার ব্যক্তি হিসাবে একটি শপথের মধ্যে আমরা থাকি যে, রোগীদের কোন ক্ষতি করা যাবে না এবং সম্মানজনক সেবা দিতে হবে। কিন্তু এ ধরণের প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া হলে সেটা নিরীক্ষা এবং বিশ্লেষণের জন্য উন্মুক্ত থাকা উচিত।'' জিএমসির শিক্ষা ও মাণ বিষয়ক পরিচালক কোলিন মেলভিল বলেছেন, ''রোগীদের দুর্বলতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারটি প্রথমেই চিকিৎসকের বিবেচনায় নেয়া উচিত, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'' সম্মতি নিয়ে প্রশ্ন ''অন্যদের চাপের কারণে যদি কোন রোগী এই প্রক্রিয়াটি করতে চান, তাহলে তার সম্মতি হয়তো স্বেচ্ছায় আসেনি। একজন চিকিৎসক যদি বুঝতে পারেন যে, একটি শিশু বা তরুণী কসমেটিক সহায়তা চান না, তাহলে সেটা আর করা উচিত নয়,'' তিনি বলছেন। যৌনাঙ্গের অন্য আরো কয়েকটি অস্ত্রোপচার, যেমন লিবিয়াপ্লাস্টি (যার মাধ্যমে যৌনাঙ্গের আকার ছোট অথবা পরিবর্তন করা হয়) ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, বিশেষ করে তরুণীদের মধ্যে । যুক্তরাজ্যের সব ধরণের পরিবেশ থেকে আসা তরুণীরা এর মধ্যে রয়েছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, এসব অস্ত্রোপচারের আগে নারীরা যথেষ্ট মানসিক সহায়তা পাচ্ছেন না। আন্দোলনকারীরা বলছেন, এসব অস্ত্রোপচারের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে এখনো খুব একটা জানা নেই এবং এগুলো করার আগে নারীরা যথেষ্ট মানসিক সহায়তা পাচ্ছেন না। মিস তাহেরি বলছেন, ''এই নারীরা কোন কোন পর্যায়ে নিজেদের একজন মানুষ হিসাবে না দেখে শুধুমাত্র আকাঙ্ক্ষার একটি বস্তু হিসাবে দেখছেন।'' ''মুসলমান নারীদের ক্ষেত্রে এর কারণ হচ্ছে লজ্জা পাওয়া থেকে নিজেদের রক্ষা অথবা শাস্তির ভয়।'' ''অন্যদের ক্ষেত্রে বিষয়টি হলো, নিজেদের শরীর নিয়ে তাদের সন্তুষ্টির অভাব এবং তাদের নিয়ে সমাজ কী বলে, সেটাই বেশি গুরুত্ব দেয়া।''
Campaigners are urging the government to outlaw "virginity repair" surgery.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
শাস্তি হিসেবে চাবুক মারার প্রথা বিলুপ্ত করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনায় বলা হয় চাবুক মারার বদলে কারাদণ্ড বা জরিমানার মত শাস্তি দেয়া হবে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উদ্যোগে দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি সংস্কারের অংশ হিসেবে এই পরিবর্তন করতে যাচ্ছে তারা। ভিন্ন মতাবলম্বীদের কারাদণ্ড দেয়া এবং সাংবাদিক জামাল খাসোগজিকে হত্যার ঘটনায় সম্প্রতি সৌদি আরবের সমালোচনা হয়েছে। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ক্যাম্পেইনারদের মতে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ মানবাধিকার পরিস্থিতি যেসব দেশে, সৌদি আরব তাদের মধ্যে একটি। সেখানে সাধারণ মানুষের বাক স্বাধীনতা খুবই সীমিত এবং সরকারের সমালোচকদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৫ সালে ব্লগার রাইফ বাদাউইকে সাইবার অপরাধ এবং ইসলাম অবমাননার দায়ে জনসম্মুখে চাবুক মারার শাস্তি দেয়ার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছিল সরকারের নেতিবাচক ভাবমূর্তি চাবুক মারার শাস্তির বিষয়টি শেষবার বিশ্বব্যাপী আলোচনা তৈরি করেছিল ২০১৫ সালে, যখন ব্লগার রাইফ বাদাউইকে সাইবার অপরাধ এবং ইসলাম অবমাননার দায়ে জনসম্মুখে চাবুক মারার শাস্তি দেয়া হয়। রাইফ বাদাউইকে দশ বছরের জেল এবং এক হাজার চাবুক মারার শাস্তি দেয়া হয়েছিল। বাদাউই'র কারাদণ্ড চলাকালীন ঐ এক হাজার চাবুক প্রতি সপ্তাহে দফায় দফায় মারার কথা ছিল। ২০১৫'র জানুয়ারিতে তাকে ৫০ বার চাবুক মারাও হয়। কিন্তু ঐ ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর সৌদি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। ফলস্বরুপ রাইফ বাদাউইর চাবুক মারার শাস্তি স্হগিত করা হয়। বিবিসি'র আরব সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক সেবাস্টিয়ান আশারে'র মতে, ঐ ঘটনা সৌদি আরব সরকারের ভাবমূর্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। আর সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই চাবুক মারার প্রথা চিরতরে নিষিদ্ধ করতে চাইছে তারা। আরো পড়তে পারেন: সৌদি আরবে কি পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে ইরান-মার্কিন সংঘর্ষের নতুন ঝুঁকি, বিপজ্জনক বাকযুদ্ধ করোনাভাইরাস: দেহে জীবাণুনাশক ইঞ্জেকশনের পরামর্শ ট্রাম্পের করোনাভাইরাস: বাংলাদেশের অর্থনীতির কোন জায়গায় বেশি ক্ষতি হচ্ছে?
Saudi Arabia is to abolish flogging as a form of punishment, according to a legal document seen by media outlets.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
জো ম্যাকসোরলি বলছেন বহুমূত্রের জন্য ওষুধ খাওয়া বন্ধ করতে পেরে তিনি বিরাট স্বস্তিবোধ করছেন। ইংল্যাণ্ডে বেশ কিছু রোগীর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। তারা বলছেন বহুমূত্র রোগের জন্য নিয়মিত ওষুধ খাওয়া বন্ধ রাখতে এবং রোগ ঠেকিয়ে রাখতে এই পদ্ধতি একটা সমাধানের পথ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আগে ধারণা করা হতো টাইপ-টু ডায়াবেটিস যা জীবনযাপনের কারণে হয়, তা একবার হলে সেই রোগে সারা জীবন ভুগতে হবে এবং দিনে দিনে তা আরও খারাপের দিকে যাবে। নতুন গবেষণা সেই ধারণাকে পাল্টে দিয়েছে। যুক্তরাজ্যে প্রতি ১৬জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন টাইপ-টু বহুমূত্র রোগের শিকার। টাইপ-টু ধরনের বহুমূত্র রোগে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণবিহীন হয়ে পড়ে এবং এর থেকে নানাধরনের জটিলতা তৈরি হয়, যেমন দৃষ্টির সমস্যা, হৃদরোগ এবং অঙ্গহানি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: হার্ট অ্যাটাক: যে বিষয়গুলো কখনো উপেক্ষা করবেন না হার্ট অ্যাটাক: যেসব স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অবহেলা নয় মিষ্টি কি আসলেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? 'আমি ১২ সপ্তাহে ১৭ কিলো ওজন কমিয়েছি' ৫৮ বছর বয়স্ক জো ম্যাকসোরলি থাকেন স্কটল্যাণ্ডের গ্লাসগো শহরের কাছে। ছয় বছর আগে তার টাইপ-টু ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। তাকে চিকিৎসক দুরকম ওষুধ দেবার পরেও তিনি তার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। বিবিসি নিউজকে তিনি বলেন: ''আমার মনে হয়েছিল এখন সারা জীবন যতদিন বাঁচব আমাকে ওষুধ খেয়ে যেতে হবে।'' প্রথমদিকে তিনি যখন প্রতিদিন কম ক্যালরির তরল খাবার পরীক্ষামূলকভাবে খেতে শুরু করেছিলেন, তার খুব কষ্ট হয়েছিল। ব্যাপারটা খুব কঠিন মনে হয়েছিল । কিছু অল্পদিনের মধ্যেই তিনি সুফল পেতে শুরু করেন। ১২ সপ্তাহের মধ্যে তার ওজন ৯০ কেজি থেকে ৭৩ কেজিতে নেমে আসে। মি: ম্যাকসোরলি বলছেন এরপর যখন তিনি আবার তরল ছেড়ে সবরকম খাবার শুরু করলেন তখনই ছিল সবচেয়ে কঠিন সময়। ''শুধু শেকের মত তরল খেয়ে থাকাটা ছিল আমার জন্য যাত্রার প্রথম ধাপ।" "তবে নিজের ভাগ্য নিজের হাতে তুলে নেবার জন্য সেটা আমাকে পরবর্তী ধাপে পৌঁছে দিয়েছিল।" এর দুবছর পর জো ম্যাকসোরলির ওজন ৭৭ কেজিতে স্থিতিশীল হয়। এখন জো প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করেন এবং অবসরগ্রহণের পর মানুষকে জীবনযাপনের ধারা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেবার কথা চিন্তাভাবনা করছেন। স্কটল্যাণ্ডে মি: ম্যাকসোরলি সহ ১৪৯ জন ১২ থেকে ৩০ সপ্তাহ কম ক্যালরির খাবার খাওয়ার এক কর্মসূচিতে অংশ নেন। ওজন কমানোর জন্য তাদের কম ক্যালরির শুধু তরল খাবার এবং পানীয় খেতে হতো। ওজন কমার পর কয়েক সপ্তাহ ধরে তাদের ধীরে ধীরে আবার সাধারণ খাবার খেতে দেয়া হয়। এক বছর পর এদের মধ্যে ৬৯ জন রোগমুক্ত হন। মাত্র ৪ শতাংশ রোগীকে শর্করা কমাতে ওষুধের সাহায্য নিতে হয়। আর দুবছর পর এদের মধ্যে ৫৩জন রোগমুক্ত থেকে যান এবং তাদের কোনরকম ওষুধ খেতে হয় না। প্রতি মাসে তাদের সঙ্গে বৈঠক করে কীভাবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হয়। তাদের ওজন যদি আবার বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়, তাদের সাহায্য করার জন্য আবার তরল খাবার খেয়ে ওজন কমানোর কর্মসূচিতে যোগ দেবার জন্য উৎসাহিত করা হয়। 'ওজন কমানোই কি সবকিছু' এই গবেষণার সঙ্গে জড়িত অধ্যাপক রয় টেইলর বলছেন: ''এই ফলাফল বহুমূত্র রোগীদের জন্য খুবই আশাব্যঞ্জক। এতদিন মনে করা হতো টাইপ-টু ডায়াবেটিস একবার ধরলে আর ফেরার পথ নেই- সেই যুগের ওপর এবার যবনিকা ফেলার পথ খুলে গেছে।'' তারা বলছেন যারা ওজন কমিয়ে বহুমূত্র রোগ ঠেকানোর কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন তারা গড়ে ১০ কেজির মত ওজন কমিয়েছেন এবং তা ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু লণ্ডনে কিংস কলেজের ড: নিকোলা গেস বলছেন ওজন কমানোটাই যে একমাত্র পথ তা এখুনি বলা যাবে না। ''কারণ খুব কম সংখ্যক হলেও কয়েকজন রোগীর ক্ষেত্রে এই রোগ আবার ফিরে এসেছে।'' ''সেটা কেন হয়েছে তা বুঝতে আরও গবেষণার প্রয়োজন।'' ''হয়ত এমনটা হয়ে থাকতে পারে, ওজন কমানো তাদের জন্য একশভাগ করেনি যারা টাইপ-টু ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন অনেকদিন ধরে অথবা তাদের বংশগত জিন এক্ষেত্রে একটা ভূমিকা রেখেছে।'' তবে টাইপ-টু ডায়াবেটিস একটি জটিল রোগ। এই রোগের নিরাময় বা প্রতিরোধ যে সকলের জন্য একভাবে কাজ করবে এক্ষুণি তা বলা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাজ্যের ডায়াবেটিস ইউকে সংস্থা যারা এই গবেষণার জন্য অর্থায়ন করেছে।
Consuming 850 calories a day for three months and then keeping the weight off can arrest type-2 diabetes for at least two years, a study suggests.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
পিওংইয়াং ঠাণ্ডা নুডলস্‌: প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন'র জন্য কিম জং-আনের উপহার। দুই নেতার আনুষ্ঠানিক করমর্দনের পর হাল্কা কথা-বার্তা এবং হাস্যরসের সুযোগ ছিল। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে মি: কিম বলেন, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন'র জন্য তার দেশের বিখ্যাত ঠাণ্ডা নুডলস্‌ নিয়ে এসেছেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মি: কিম বলেন: ''আমি খবরের দিকে নজর রাখছিলাম এবং দেখলাম লোকজন খাবার-দাবার নিয়ে অনেক কথা বলছে। তাই আমি প্রেসিডেন্ট মুনের জন্য পিওংইয়াং থেকে ঠাণ্ডা নুডলস্‌ নিয়ে এসেছি।'' আরেকটি অনুবাদে বলা হয়, তিনি বলেন এই নুডলস্‌ তারা 'বহু দূর' থেকে নিয়ে এসেছেন ... কিন্তু তারপরই কৌতুক করে বলেন, ''আহা, আমাদের হয়তো এত দূর বলা উচিত না''। তার এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বিশাল কোন ব্যাপার না হলেও, দক্ষিণ কোরিয়ায় পিওংইয়াং ঠাণ্ডা নুডলস্‌-এর জন্য এক রকম উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে। দক্ষিণের ঠাণ্ডা নুডলস্‌-এর দোকানের সামনে ক্রেতাদের লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে, এবং সামাজিক মাধ্যমে 'পিওংইয়াং ঠাণ্ডা নুডলস্' নিয়ে কথা-বার্তা শীর্ষ বৈঠকের চেয়ে বেশি হচ্ছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: দুই কোরিয়ার ঐতিহাসিক বৈঠক: কৃতিত্ব কি ট্রাম্পের? উত্তর কোরিয়া কেন পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে? কোরিয়া যুদ্ধে '২১ দিনে মারা যাবে ২০ লাখ লোক' কিম জং আন বাজরা দিয়ে তৈরি 'পিওংইয়াং ন্যাংমিয়াং' ঠাণ্ডা নুডলস্‌ মি: কিম দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের জন্য নিয়ে এসেছেন, এবং কোরিয়া হেরাল্ড পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী এই নাম টুইটারে ট্রেন্ডিং শব্দগুলোর শীর্ষে চলে যায়। একজন টুইট করেছেন, ''কিম জং-আন ঠাণ্ডা নুডলস্‌ নিয়ে জোক করেছেন। এখন সেটাই শীর্ষ বৈঠকের চেয়ে বেশি ট্রেন্ড করছে। হোয়াট দ্য ...'' আরেকজন বিস্ময় প্রকাশ করে টুইট করেছেন, ''দুই কোরিয়ার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ঘটনা ঘটছে আর দক্ষিণ কোরিয়ায় মাঠ-পর্যায়ে প্রতীকী প্রতিক্রিয়া হচ্ছে পিওংইয়াং ঠাণ্ডা নুডলস্‌ (#ন্যাংমিয়াং)-এর জন্য লম্বা লাইন। ভাবলাম বিষয়টি বেশ মজাদার।'' এই উন্মাদনা সামাজিক মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ ছিল না। দক্ষিণ কোরিয়ার যেসব রেস্টুরেন্টের মেনুতে এই ঠান্ডা নুডলস্‌ রয়েছে, সেখানে লাইন দিয়ে পিওংইয়াং ন্যাংমিয়াং খাওয়ার হিড়িক পড়ে গেছে। পিওংইয়াং ন্যাংমিয়াং খাওয়ার হিড়িক: নুডলস্‌ দোকানের সামনে ক্রেতাদের লম্বা লাইন। সাংজু হান ইন্সটাগ্রামে একটি সেলফি দিয়ে লিখেছেন, ''দুই কোরিয়ার শীর্ষ বৈঠক উদযাপন করার জন্য আমি লাঞ্চে ঠাণ্ডা নুডলস্‌ খেয়েছি।'' ''আমি যখন আসি তখন এখানে লম্বা লাইন ছিল। রেস্টুরেন্টে বসার কোন জায়গা ছিল না। ঠাণ্ডা নুডলস্‌ খাওয়ার জন্য আমাকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমার বিশ্বাস সবাই একই কারণে এই রেস্টুরেন্টে এসেছেন,'' মি: সাংজু বিবিসিকে বলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা এক রিপোর্টে বলে, পূর্ব সোলে অবস্থিত একটি রেস্টুরেন্টে এত ভিড় যে গাড়ি পার্ক করার জায়গা ছিল না। সোলের আরেকটি রেস্টুরেন্টে অপেক্ষমাণ লোকজন তাদের নাম ডাকার সাথে সাথে চিৎকার করে বলে উঠছে, ''এবার পিওংইয়াং ন্যাংমিয়াং খাওয়া যাক, কিম জং-আনের সাথে খেতে হবে!''
Kim Jong-un may have made history by crossing the military line into South Korea, but it was a throwaway quip about cold noodles that began the most unexpected of crazes.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
আর-টু: স্বয়ং-চালিত এই গাড়ি ব্যবহার করা হবে মানুষের বাড়িতে মালামাল পৌঁছে দেয়ার জন্য। নিউরো নামের একটি কোম্পানি এই গাড়িটি তৈরি করেছে মূলত একটি ডেলিভারি ভ্যান হিসেবে। গাড়িটির নাম দেয়া হয়েছে আর-টু। এটি টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনে পরীক্ষা করা হবে। এই প্রথম কোন চালকবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামছে, যেটিতে মানুষের বসার বা চালানোর কোন ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। এপর্যন্ত যত চালকবিহীন গাড়ি তৈরি করা হয়েছে, তার সবকটিতেই এমন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে দরকার হলে একজন চালক গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। আর-টু সেদিক থেকে ব্যতিক্রম। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন মন্ত্রী এলেইন চাও বলেছেন, যেহেতু গাড়িটির সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় মাত্র ২৫ মাইল, তাই এধরনের নিয়ম এই গাড়িটির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার কোন মানে হয় না। কিন্তু ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্ট বলেছে, এটি যখন রাস্তায় পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে, তখন এর ওপর অনেক বেশি নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে। এই আর-টু কখন কোথায় পরীক্ষা করা হচ্ছে তা সেখানকার লোকজনকে জানাতে হবে। নিউরোর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ডেভ ফারগুসন একটি ব্লগ পোস্টে জানিয়েছেন, চালকবিহীন গাড়ির ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। "গাড়ি চলাচলের বিদ্যমান নিয়মকানুনের অবশ্যই আধুনিকায়ন দরকার, কারণ কোন চালক বা আরোহী ছাড়া একটি গাড়ি রাস্তায় চলবে, এটা কখনো আমাদের কল্পনাতেই ছিল না। কাজেই 'স্বয়ং-চালিত গাড়ির প্রযুক্তি' নিয়ে যাতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো যায়, যাতে এগুলো নিরাপদে ব্যবহার করা যায়, সেজন্যে এই শিল্পের সবার কাজ করা উচিৎ।" জেনারেল মোটরস একই ধরনের একটি স্বয়ং-চালিত গাড়ি তৈরি করছে। তারাও তাদের গাড়িটির পরীক্ষার জন্য অনুমতি চেয়েছে। নতুন ডিজাইন রাডার, থার্মাল ইমেজিং এবং ৩৬০-ডিগ্রি ক্যামেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে পথ চলবে আর-টু নিউরোর গাড়িগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে কোন চালক বা আরোহী কেউই থাকবে না। তাদের আর-টু ডিজাইনের গাড়িতে কোন সাইড ভিউ মিরর বা উইন্ডস্ক্রীনও নেই। তবে এটির পেছনে একটি ক্যামেরা থাকবে, যাতে গাড়ির পেছনের রাস্তার ওপর সর্বক্ষণ নজর রাখা যায়। অন্যান্য খবর: করোনাভাইরাস: রুশ মিডিয়ায় মার্কিন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত মিজানুর রহমান আজহারি কি সত্যি মালয়েশিয়া গেছেন? শামীমা বেগমকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব চাইতে বলা হলো গাড়িটির আকৃতি ডিমের মতো, যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ গাড়ির চেয়ে এটির আকার ছোট। এটিতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত দুটি কম্পার্টমেন্ট আছে, যাতে মালামাল রাখা যাবে। দরোজাগুলো খুলবে উপরের দিকে। যখন এটি কারও বাড়িতে মালামাল ডেলিভারি দিতে যাবে, তখন প্রাপককে একটি কোড দিয়ে দরোজা খুলতে হবে। আর-টু রাস্তায় চলাচলের জন্য রাডার, থার্মাল ইমেজিং এবং ৩৬০-ডিগ্রি ক্যামেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে। নিউরো এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে যে হিউস্টনে যখন পরীক্ষামূলকভাবে আর-টু চালানো হবে, তখন এটি ডোমিনো'স পিৎজার পিৎজা থেকে শুরু করে সুপারমার্কেট চেন ক্রুগার বা ওয়ালমার্টের মালামাল ডেলিভারি দেবে। নিউরো নামের কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেছেন গুগলের দুজন সাবেক প্রকৌশলী। জাপানি প্রতিষ্ঠান 'সফটব্যাংক' এটিতে বিনিয়োগ করেছে।
The first self-driving vehicle designed without basic human controls such as steering wheels, pedals or side view mirrors has been granted permission to test on US roads.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল যে সুস্থ মানুষের মাস্ক পরার তেমন প্রয়োজন নেই সংস্থাটি বলছে মাস্ক পরলে 'জীবাণু বহনকারী ড্রপলেট' থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে নতুন গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্বের বেশ কিছু দেশ এর মধ্যেই প্রকাশ্য স্থানে মাস্ক পরার উপদেশ দিয়েছে। কিছু দেশে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলকও করা হয়েছে। এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল যে সুস্থ মানুষের মাস্ক পরার প্রয়োজন আছে, এ সম্পর্কে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কোভিড-১৯ এর টেকনিক্যাল বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মারিয়া ভ্যান কেরখোভ রয়টার্সকে বলেন যেসব জায়গায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে সেসব জায়গায় মানুষকে 'কাপড়ের মাস্ক - যেটি মেডিক্যাল মাস্ক নয়' পরার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সবসময়ই বলে এসেছে যে মেডিক্যাল ফেস মাস্ক শুধু অসুস্থ এবং অসুস্থদের সেবার সাথে জড়িতদের ব্যবহার করা উচিত। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেশ কী? সংস্থাটি বলছে গত কয়েক সপ্তাহে চালানো গবেষণার ওপর ভিত্তি করে নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ডা ভ্যান কেরখোভ বলেন, "আমরা সব দেশের সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছি যেন তারা জনসাধারণকে মাস্ক পরতে উৎসাহিত করে।" পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিও বলছে যে অনেক রকম সুরক্ষা উপকরণের মধ্যে মাস্ক একটি। তবে মানুষ যেন মনে না করে যে মাস্ক পরলে তিনি ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিশ্চিতভাবে সুরক্ষিত থাকবেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস বলেন, "শুধু মাস্ক কখনো আপনাকে কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষিত রাখবে না।" বিশেষজ্ঞরা কয়েক মাস যাবত বলে আসছিলেন যে মাস্ক মানুষকে মিথ্যা নিরাপত্তার একটা ধারণা দেবে এবং মাস্কের চাহিদা বেড়ে গেলে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দেয়া ব্যক্তিরা - যাদের মাস্ক পরা জরুরি - হয়তো মাস্ক পাবেন না। নির্দেশনায় বড় পরিবর্তন নতুন এই উপদেশ দেয়ায় মাস্ক পরা না পরা নিয়ে নির্দেশনায় বড় পরিবর্তন আনলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা কয়েক মাস যাবত বলে আসছিলেন যে মাস্ক মানুষকে মিথ্যা নিরাপত্তার একটা ধারণা দেবে এবং মাস্কের চাহিদা বেড়ে গেলে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দেয়া ব্যক্তিরা - যাদের মাস্ক পরা জরুরি - হয়তো মাস্ক পাবেন না। ঐ যুক্তিগুলো এখনো বাতিল করে দিচ্ছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, তবে তারা বলছে সংক্রমণের বিষয়ে নতুন তথ্য-প্রমাণ উঠে এসেছে। তারা বলছে সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণায় উঠে আসা তথ্যের - উপসর্গ প্রকাশের আগের কয়েকদিন মানুষ ব্যাপক আকারে সংক্রমণ করতে পারে, আবার অনেকে ভাইরাস আক্রান্ত হলেও কোনো উপসর্গই দেখা যায় না তাদের মধ্যে - ভিত্তিতে নতুন নির্দেশনা তৈরি করেছে তারা। কাজেই যেসব জায়গায় দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব নয় - গণপরিবহন, শরণার্থী শিবির, জনবহুল দোকানপাট - সেখানে ঘরে তৈরি করা মাস্ক পরলে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে। যাদের বয়স ষাটের ওপর এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে, তারা আরো উন্নত মেডিকেল গ্রেড মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
The World Health Organization (WHO) has changed its advice on face masks, saying they should be worn in public where social distancing is not possible to help stop the spread of coronavirus.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
মি. নাভালনি বিমানে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে তার মুখপাত্র জানাচ্ছেন তিনি বলছেন তাদের সন্দেহ মি. নাভালনির চায়ে কিছু মিশিয়ে দেয়া হয়েছিল। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে তার অবস্থা স্থিতিশীল তবে সঙ্কটজনক। চুয়াল্লিশ বছর বয়স্ক মি. নাভালনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কড়া সমালোচক ছিলেন। জুন মাসে সাংবিধানিক সংস্কারের ভোটকে তিনি একটা "অভ্যুত্থান" বলে বর্ণনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন ওই সংস্কার "সংবিধানের লংঘন"। ওই সংস্কারের ফলে মি. পুতিন আরও দুই মেয়াদ ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। চায়ের সাথে বিষ? মি. নাভালনি ২০১১ সালে যে দুর্নীতি বিরোধী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কিরা ইয়ারমিশ তার তথ্য সচিব। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেছেন: "আজ সকালে মি. নাভালনি টোমস্ক শহর থেকে মস্কোয় ফিরছিলেন। "ফ্লাইটে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিমানটিকে ওমস্ক শহরে জরুরি অবতরণ করতে হয়। অ্যালেস্কেই-কে বিষ খাওয়ানো হয়েছে।" তিনি আরও বলেন: "আমাদের সন্দেহ তার চায়ের সাথে কোনরকম বিষ মিশিয়ে দেয়া হয়েছিল। তিনি সকাল থেকে ওই চা ছাড়া আর কিছু খাননি। "চিকিৎসকরা বলছেন বিষাক্ত পদার্থ গরম পানীয়ের মাধ্যমে শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তিনি এখন হাসপাতালে অচেতন।" ওমস্কের জরুরিকালীন হাসপাতাল যেখানে মি. নাভালনি চিকিৎসাধীন মিস ইয়ারমিশ পরে টু্‌ইট করে জানিয়েছেন যে মি. নাভালনিকে ভেন্টিলেটারে রাখা হয়েছে এবং তিনি কোমায় আছন্ন। হাসপাতালে এখন প্রচুর পুলিশ রয়েছে। তিনি বলেন চিকিৎসকরা প্রথম দিকে তাদের সাথে তথ্য শেয়ার করছিলেন, কিন্তু এখন তারা বলছেন বিষ সংক্রান্ত পরীক্ষা করতে দেরি হবে। "তারা এখন কাল ক্ষেপণ করতে চাইছে। এবং তারা যা জানে সেটা আমাদের বলছে না।" তিনি স্থানীয় সময় দুপুর ২:৫৮-তে (গ্রেনিচ মান সময় সকাল ৮:৫৮) টুইট করে বলেন মি. নাভালনির অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। তিনি এখনও অচেতন। 'বিষ প্রয়োগ নিশ্চিত নয়' তাস বার্তা সংস্থা ওমস্ক জরুরিকালীন হাসপাতালের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলেছে: "অ্যালেক্সেই আনাতোলেইভিচ নাভালনি - জন্ম ১৯৭৬। পয়সনিং ইনটেনসিভ কেয়ার।" তবে হাসপাতালের একজন শীর্ষস্থানীয় ডাক্তার পরে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন যে মি. নাভালনিকে বিষ দেওয়া হয়েছে কি না সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। যদিও "স্বাভাবিক বিষক্রিয়া" হয়ে থাকতে পারে এমন একটি ধারণা করা হচ্ছে। ওই ডাক্তার আনাতোলি কালিনিচেঙ্কো বলেছেন মি. নাভালনির অবস্থা স্থিতিশীল, যদিও তার অবস্থা গুরুতর। প্রাণ সংশয় আছে কি না সে বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেননি। সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে মি. নাভালনিকে বিমানবন্দরের রানওয়েতে স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: পুতিনের সমালোচক নাভালনির ভয়াবহ অ্যালার্জি নাভালনি কি পুতিনকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন? সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে মস্কোতে বিক্ষোভ বিমানবন্দরের রানওয়েতে মি. নাভালনিকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলার ভিডিওএকজন সামাজিক মাধ্যমে দেখছেন আরেকটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে বিমানের ভেতর মি. নাভালনি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। বিমানের যাত্রী পাভেল লেবেদেফ বলছেন: "বিমান যাত্রার শুরুতেই তিনি টয়লেটে যান এবং ফিরে আসেননি। তিনি খুবই অসুস্থ বোধ করছিলেন। তারা তাকে সাহায্য করতে পারছিল না। তিনি যন্ত্রণায় চিৎকার করছিলেন।" সোশাল মিডিয়ায় আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে মি. নাভালনি টোমস্ক বিমানবন্দরের একটি ক্যাফেতে বসে এক কাপ কফি খাচ্ছেন। ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থা বলছে ক্যাফের মালিক দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরা পরীক্ষা করে দেখছেন সেখান থেকে কোন তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় কিনা। কে এই অ্যালেক্সেই নাভালনি? সরকারের দুর্নীতি প্রকাশ করে দেবার মধ্যে দিয়ে রাজনীতিতে তার নাম উঠে আসে। তিনি মি. পুতিনের ইউনাইটেড রাশিয়া দলকে উল্লেখ করেছিলেন "অসৎ ও চোরেদের দল" বলে, এবং বেশ কয়েকবার তাকে জেলে যেতে হয়েছে। মি. পুতিনের ইউনাইটেড রাশিয়া সংসদীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপি করেছে বলে প্রতিবাদ করার পর তাকে ২০১১ সালে ১৫ দিনের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়। মি. নাভালনিকে ২০১৩র জুলাইয়ে তছরূপের অভিযোগ অল্পদিনের জন্য জেলে পাঠানো হয়, তবে তিনি বলেন এই দণ্ডাদেশ ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি ২০১৮র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু প্রতারণার দায়ে তিনি আগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এই কারণ দেখিয়ে তাকে প্রার্থিতা দেয়া হয়নি। মি. নাভালনির মতে এটাও ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। জুলাই ২০১৯য়ে মি. নাভালনিকে আবার কারাগারে পাঠানো হয় অননুমোদিত প্রতিবাদ বিক্ষোভ সংগঠনের জন্য। কারাগারে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসকরা বলেন তার "কোন কিছুর স্পর্শ থেকে চামড়ার প্রদাহ" হয়েছে। কিন্তু মি. নাভালনি বলেন তার কোনদিন কোন কিছু থেকে অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া আগে হয়নি। তার নিজের চিকিৎসক বলেন তিনি "কোন বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে'' এসেছিলেন। মি. নাভালনিও বলেছিলেন তার ধারণা তাকে বিষ দেয়া হয়েছে। মি. নাভালনির ওপর ২০১৭ সালে অ্যান্টিসেপটিক রং দিয়ে হামলা চালানো হলে তার ডান চোখ রাসায়নিক থেকে গুরুতর পুড়ে যায়। গত বছর তার দুর্নীতি বিরোধী ফাউন্ডেশনকে সরকারিভাবে "বিদেশি গুপ্তচর সংস্থা" বলে ঘোষণা করা হয়। ফলে এই সংস্থার কর্মকাণ্ডের ওপর সরকার কঠোর নজরদারি শুরু করে।
Russian opposition figure Alexei Navalny is unconscious in hospital suffering from suspected poisoning, his spokeswoman has said.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী থেকে আমরা চাঁদের যে দিকটা দেখতে পাই - তার উপরিতলে পানির অস্তিত্ব আছে। নাসা নিশ্চিত করেছে যে পৃথিবী থেকে আমরা চাঁদের যে দিকটা দেখতে পাই - তার উপরিতলে (সারফেস) পানি অণুর অস্তিত্ব আছে। কোন একদিন চাঁদের মাটিতে একটি ঘাঁটি তৈরির যে আশা তাদের আছে - তাকে অনেকখানি বাড়িয়ে দিল এই আবিষ্কার। "আমরা আগেই আভাস পেয়েছিলাম যে চাঁদের যে অংশে সূর্যের আলো পড়ে, সেখানে পানি থাকতে পারে, তবে এখন আমরা জানি যে হ্যাঁ, চাঁদের মাটিতে সত্যিই পানি আছে" - বলেন নাসা'র মহাকাশ-পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক পল হার্টজ। নেচার এ্যাস্ট্রনমি নামে একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে এক নিবন্ধে আবিষ্কারটির কথা জানিয়েছে নাসার স্ট্রাটোস্ফেরিক অবজারভেটরি ফর ইনফ্রারেড এ্যাস্ট্রনমি - সংক্ষেপে 'সোফিয়া'। পানির অণুতে দুটি হাইড্রোজেন ও একটি অক্সিজেনের পরমাণু আছে। সোফিয়া বলছে, এর আগেও চন্দ্রপৃষ্ঠে কিছু হাইড্রোজেনের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল, কিন্তু তা পানির আকারে আছে কিনা তা স্পষ্ট হয়নি। তবে এবার চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধে ক্লাভিয়াস নামে একটি জ্বালামুখে পানির অণুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই পানির পরিমাণ কতটুকু? নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের ফেলো কেসি হনিবল বলছেন, তাদের উপাত্ত থেকে দেখা যায়, এক ঘনমিটার চাঁদের মাটিতে প্রায় ১২ আউন্সের একটি বোতলের সমান পানি আছে। তুলনা হিসেবে বলা যায়, পৃথিবীতে সাহারা মরুভূমির মাটিতে যতটুকু পানি আছে তার পরিমাণও চাঁদের মাটিতে থাকা পানির ১০০ গুণ। নাসা নিশ্চিত করেছে যে এক ঘনমিটার চাঁদের মাটিতে প্রায় ১২ আউন্সের একটি বোতলের সমান পানি আছে। তাই বলা যায়, চাঁদের মাটিতে পানির পরিমাণ খুবই কম - কিন্তু তা সত্ত্বেও এটি নতুন কিছু প্রশ্ন তুলছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে । সেগুলো হলো: পানি কীভাবে সৃষ্টি হয়? কীভাবে তা চাঁদের বাতাসশূন্য পরিবেশে টিকে থাকতে পারে? এই পানিকে কি ভবিষ্যতের মহাকাশচারীদের পক্ষে সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে আরো গবেষণা দরকার - বলছেন নাসার আরেকজন বিজ্ঞানী জ্যাকব ব্লিচার। চাঁদের দুই মেরুর যে অংশগুলোতে কখনোই সূর্যের আলো পড়ে না - সেখানে জ্বালামুখগুলোতে বরফের অস্তিত্ব আগেই নিশ্চিত করেছিলেন বিজ্ঞানীরা । ব্রিটেনের মিল্টন কীন্সের ওপেন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী হানা সার্জেন্ট বিবিসিকে বলেন, সবশেষ আবিষ্কার থেকে বোঝা যাচ্ছে যে আমরা আগে যা অনুমান করেছিলাম তার চেয়ে চাঁদে আসলে অনেক বেশি পানি আছে। ফলে চাঁদের পানিকে কাজে লাগানোর সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেল বলে তিনি বলছেন। অনেক কাজে লাগানো যেতে পারে চাঁদের এই পানির মজুত কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পল হেইন বলছেন, হয়তো চাঁদের মাটিতে শত শত কোটি বরফের মজুত আছে। তাই এ আবিষ্কারের ফলে একসময় বিজ্ঞানীদের কাজের জন্য এগুলো অনুসন্ধানের সম্ভাবনা তৈরি হলো। রকেট ফুয়েল তৈরি সহ অনেক কাজে লাগানো যেতে পারে চাঁদের পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চাঁদের পানি আহরণ করার উপায় বের করা গেলে সেখানকার বরফ ও পানি একটা 'চান্দ্র অর্থনীতির' ভিত্তি হতে পারে। বিবিসির বিজ্ঞান সংবাদদাতা লরা ফস্টার বলছেন, হয়তো একদিন চাঁদের বুকের এ পানি মানুষের পান করার জন্য, খাদ্য চাষ করার জন্য বা রকেটের জ্বালানি তৈরির জন্য ব্যবহার করা যাবে - যা মহাশূন্যে আরো দূরের কোন অভিযানের সময় কাজে লাগবে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা এর আগেই জানিয়েছে ২০২৪ সালে তারা চাঁদে নারী ও পুরুষ নভোচারী পাঠাবে এবং ২০৩০এর দশকে মঙ্গলগ্রহে অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে একে কাজে লাগানো হবে। তা ছাড়া, রকেটের জ্বালানি তৈরির কাজটাও চাঁদের বুকে করতে পারলে তা পৃথিবীতে উৎপাদন এবং বহন করে নেবার চাইতে অনেক সস্তা হবে। হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন দিয়েই মহাকাশযানের জ্বালানি তৈরি হয় এবং এ কাজে তারা হয়তো চাঁদের পানিই ব্যবহার করতে পারবেন। আরো পড়তে পারেন: চাঁদের বুকে প্রথম নারী পা রাখবেন ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদের অদেখা অংশে চীনের অভিযান বোমা মেরে চাঁদ কেন উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল নাসা মঙ্গল গ্রহে কি প্রথম যাওয়া উচিত একজন নারীর? চাঁদে মানুষ নামার ঘটনা সাজানো মনে করেন যারা
A Nasa spacecraft has found further tantalising evidence for the existence of water ice at Mercury's poles.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
বিয়ের দিনে অ্যাডাম এবং র‍্যাকেল গনযালেজ। কিন্তু স্ত্রী র‍্যাকেল খুব দৃঢ়ভাবে চেয়েছিলেন যে তিনি সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনবেনই। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর, খুব ভোরবেলায় র‍্যাকেল গনজালেস তাদের বসার ঘরে এসে দেখতে পেলেন তার স্বামী চোখে বিভ্রান্ত এক দৃষ্টি নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছেন। আর এমন ভঙ্গীতে কথা বললেন যেন তিনি এক অপরিচিত নারী। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল যে র‍্যাকেল আসলে কে, সে সম্পর্কে তার কোন ধারণাই নেই। র‍্যাকেল বলছিলেন, "আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম: তুমি কোথায় আছো তা কি তুমি জানো? বলতো এটা কত সাল? তুমি কি আমার নাম বলতে পারবে? আর এসব প্রশ্নের উত্তরে অ্যাডাম বললেন: না!" এরপর মিজ র‍্যাকেল অ্যাডামকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেন যে, এটা তাদেরই বাসা, র‍্যাকেলই তার স্ত্রী এবং তাদের তিনটি সন্তান আছে। শুনে অ্যাডাম কাঁদতে শুরু করলেন। এরপর অ্যাডাম বলেছিলেন, "আমার আইডি খুঁজে পেতে হবে, আমার ফোন আর আইডি কোথায়?" র‍্যাকেল অ্যাডামকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যে পোশাক পরে তৈরি হতে বললেন। তার তখন মনে হয়েছিল যে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে বাধার ফলেই হয়তো অ্যাডামের মারাত্মক কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। ২০১১ সালে আক্রমণের পর হাসপাতালে অ্যাডাম। যখন অ্যাডাম তার আলমারি খুললেন তখন জানতে চাইলেন যে তার স্যুট-টি কোথায়। র‍্যাকেল তখন বললেন যে, তার আসলে কোনও স্যুট নেই। এরপর খুব ধীরে ধীরে তৈরি হয়ে অ্যাডাম র‍্যাকেলকে অনুসরণ করলেন, কেননা তিনি হাসপাতালের রাস্তাও ভুলে গিয়েছিলেন। র‍্যাকেল অ্যাডামের প্রতি খুবই কোমল ব্যবহার করছিলেন, কেননা তিনি জানতেন যে এর আগে এক নারী অ্যাডামকে হত্যার চেষ্টা করার পরই সে তার স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছিলেন। পুরনো ঘটনা ২০১১ সালের ঘটনা, অ্যাডামের বয়স তখন ৩৫। টেক্সাসে থাকতেন তিনি আর চাকরি করতেন এটিএন্ডটি নামের বড় একটি টেলিকম কোম্পানিতে, আর সেইসাথে লুববক-এর গির্জাতেও ছিলেন খুব সক্রিয়। প্রথম স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি হবার পরপরই তার সাথে নতুন একজন নারীর সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু সেই সম্পর্কের ইতি ঘটে এক মারাত্মক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে। তার নতুন বান্ধবী তাকে মাথার পেছনে ধাতব কোনও দণ্ড দিয়ে আঘাত করে গ্যারেজের ছাদে ঝুলিয়ে রেখে চলে যায়, যেন এভাবেই তার মৃত্যু ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে অন্তত তিনবার তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাবার মতো অবস্থা হয়েছিল। প্রতিবারই প্যারামেডিকরা সেই অবস্থা থেকে তাকে ফিরিয়ে আনে। চার মাস কোমায় থাকার পর পুরোপুরি জ্ঞান ফেরে তার। পুরনো ছবি দেখিয়ে র‍্যাকেল অ্যাডামের স্মৃতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন। "যখন আমার জ্ঞান ফিরলো, আমি কিছুতেই মনে করতে পারলাম না যে আসলে আমি কে, আমি মনে করতে পারছিলাম না যে আমার বিয়ে হয়েছিল, বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল এবং আমার দুটি সন্তান আছে," বলছিলেন অ্যাডাম। তিনি পুরো একবছর হাসপাতালে ছিলেন, সেখানে আবার তিনি শিখলেন কিভাবে হাঁটতে হয়, কিভাবে কথা বলতে হয়। কিন্তু তার পূর্ব জীবনের স্মৃতি আর ফেরেনি। মাসখানেক পর যখন তার ছেলে আর মেয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় হয়, অ্যাডাম মনে মনে একটা চ্যালেঞ্জ অনুভব করেছিলেন। "কিভাবে একজন বাবা তার নিজের জৈবিক সন্তানকে ভুলে যেতে পারে?"বলছিলেন অ্যাডাম। বাড়িতে যখন তিনি ফিরলেন, পুরো বাড়িতে সাজিয়ে রাখা প্রচুর ছবি, পুরষ্কার দেখে কিছুই তিনি চিনতে পারেননি। "আমি বোঝার চেষ্টা করেছি যে এই অ্যাডাম লোকটা কেমন ছিল। আমি কি এই ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবো?" অ্যাডাম তার পুরনো পেশায় আর ফিরে যেতে পারেননি। ভয় করতেন যে হয়তো আগের মতো করে আর জীবনধারণ করা তার পক্ষে সম্ভব হবেনা। এমনকি নিজের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কেও তার কোনও স্মৃতি ছিল না। ছেলেমেয়েসহ গনযালেজ দম্পতি। আরও পড়তে পারেন: ক্রিকেট: সাকিবের অধিনায়কত্ব ও রশিদের স্পিন ভীতি ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে এবার ইফতার হবেনা এশিয়া কাপে উড়ছে নারী ক্রিকেটাররা, উন্নতির রহস্য এরপর তিনি সেই শহর ছেড়ে নতুন করে জীবন শুরুর সিদ্ধান্ত নেন। অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের শহর ফিনিক্স-এ চলে আসেন অ্যাডাম গনজালেস আর একজন কেবল টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ শুরু করেন। নতুন জীবনের শুরু দু'হাজার বারো সালে ৩০-বছর বয়সী এক মার্কেটিং ম্যানেজারের সাথে অ্যাডামের অন-লাইন ডেটিং এর মাধ্যমে পরিচয় হয়, আর তিনিই হলেন র‍্যাকেল। তার তখন নিজরেও একটি মেয়ে ছিল। একদিন তারা এক রেস্টুরেন্টে দেখা করতে চাইলেন। র‍্যাকেল সেখানে অন্তত সেখানে ৩০ মিনিট অপেক্ষায় ছিলেন। পরে জানা যায় যে, অ্যাডাম তাকে ভুল রেস্টুরেন্টে আসতে বলেছিলেন। "অ্যাডাম এতটাই লজ্জিত ছিল এবং ক্ষমাপ্রার্থী ছিল যে আমার মনে হলো, ঠিক আছে প্রত্যেকেই ভুল করে থাকে," বলছিলেন র‍্যাকেল। অ্যাডামের কথায় টেক্সান টানও তার পছন্দ হয়েছিল। অবশেষে যখন দু'জনার দেখা হলো তখন অ্যাডাম পরেছিলেন লেদার জ্যাকেট আর জিনস। আর তাতেই র‍্যাকেলের কাছে তাকে দুর্দান্ত সুপুরুষ বলে মনে হয়েছিল। আর অ্যাডাম নিষ্পলক তাকিয়ে ছিলেন র‍্যাকেলের টোল পড়া সুন্দর হাসির দিকে। এরপর থেকেই তাদের ঘন ঘন দেখা হতে শুরু হয়। তারা ২০১৫-এর জুলাইতে বিয়ে করেন আর দু'পক্ষের ছেলেমেয়েসহ একসাথে থাকতে শুরু করেন। গির্জায় নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলছেন। কিন্তু ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের এক সকালে দু'জনের একসাথে চলার চার বছরের সব স্মৃতি হারিয়ে ফেলেন অ্যাডাম। হাসপাতালে যখন অ্যাডামের চিকিৎসা চলছিল, তখন সে জানায় যে একজনকেই কেবল সে বিশ্বাস করতে পারে। আর তিনি হলেন তার মা। এরপর অ্যাডামের মা এসে তাকে আশ্বস্ত করে যে, র‍্যাকেলই তার স্ত্রী। "তো তখন থেকেই কিছুটা বিশ্বাস এলো তার প্রতি আর এরপর থেকেই তাকে নানা ধরনের প্রশ্ন করতে শুরু করলাম," বলছিলেন অ্যাডাম। "এই সুন্দরী আর রহস্যময়ী নারীকে নতুন করে জানার এক উত্তেজনা কাজ করতে শুরু করলো তখন।" এরপর থেকে তারা নানা বিষয়ে আলোচনা শুরু করে। তাদের আলাপ চলতো সারাদিন কখনো সারারাত। সেল ফোন থেকে পুরনো ছবি দেখিয়ে র‍্যাকেল মনে করিয়ে দেবার চেষ্টা করতো নানা বিষয়। অ্যাডাম এমনকি র‍্যাকেলের কাছে তাদের ম্যারেজ সার্টিফিকেট পর্যন্ত দেখতে চেয়েছে। তবে এরসবই সবসময় খুব ইতিবাচক ছিলনা। একবার অ্যাডামের মনে হয় যে, তাদের আলাদা হয়ে যাওয়াই ভালো। তবে দুঃখ পেলেও হাল ছাড়েননি র‍্যাকেল। এরপর বাসায় ফিরে এলে র‍্যাকেল তাকে শেখাতে শুরু করে রান্না করা। র‍্যাকেলের সংসার, সন্তান পালন সবকিছুই মুগ্ধ করতে শুরু করে অ্যাডামকে। সন্তানরাও তাদের জীবনের আকস্মিক পরিবর্তনকে নিজেদের মতো করে মোকাবিলা করতে শুরু করেছিল। দ্বিতীয়বারের মতো যখন অ্যাডামের স্মৃতিভ্রংশ হয় তখন অ্যাবির বয়স ১২, লুলুর ছিল ১৫ আর এলিজার ১৭ বছর। ডিজনিল্যাণ্ড ভ্রমণের স্মৃতি। তারা খুব বিস্ময়ের সাথে তাদের বাবা'র বিভিন্ন কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করতো। একে অন্যকে তারা জড়িয়ে ধরে থাকতো সে সে সময়। মেয়েটি তার বাবা'র স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে মনে করিয়ে দিতে চাইতো যে সে কিভাবে জিমনেশিয়ামে তাদের ব্যায়াম করা শিখিয়েছে। আবার ফিরে আসা অ্যাডামের অ্যামনেশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার তিন মাস পর ২০১৬-এর ডিসেম্বরের সকালে জেগে উঠে আবারো তার পরিচিত ভঙ্গীতে ডেকে ওঠেন তার স্ত্রীকে। যেন তিনি ফিরে গেছেন তার বিয়ের আগের সময়ে। এরপর সবকিছু শোনার পর অ্যাডাম বলেন, "কি করে আমি তোমাকে ভুলে ছিলাম র‍্যাকেল?" অ্যাডাম অনেক স্মৃতিই পুনরুদ্ধার করতে পেরেছেন, তবে আগের তিনটি বছর তার হারিয়েই রইলো। কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার কথাও তার স্মরণে আসেনা যেমন র‍্যাকেলের সাথে বিয়ের ঘটনাটি। ভুলে গেছেন পরিবারের সাথে ডিজনিল্যান্ড যাওয়ার ঘটনাও। র‍্যাকেল খুব সতর্কতার সাথে পরিবারের নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার উপকরণ সাজিয়ে রাখেন, যাতে করে অ্যাডামের স্মৃতি ফিরে পেতে সুবিধা হয়। ডাক্তাররা এমআরআই, ক্যাটস্ক্যান, ইকোকার্ডিওগ্রামের মতো নানা ধরনের পরীক্ষা করে দেখেছেন অ্যাডামকে। তবে দ্বিতীয়বারের স্মৃতি হারাবার কারণ বুঝতে পারেননি। এখন গনজালেস দম্পতি তাদের ভবিষ্যতের জন্যে কাজ করে যাচ্ছেন। অ্যাডাম আবার তার কর্মজীবনে ফিরেছেন আর হয়েছেন গির্জার যাজক। র‍্যাকেলের মনে হয় যে তাদের বিবাহিত জীবনে এক অন্য ধরনের বিপর্যয় ঘটে গিয়েছিল, কিন্তু সেটি তাদের সম্পর্ককে করেছে আরও মধুর।
Adam and Raquel Gonzales had been together for five years when he woke up one morning with no idea who she was - he had lost all memory of marrying her. But Raquel was determined to win him over again.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ব্যাঙ্গালোরে তিন বছর কাজ করে দেশে ফেরার সময় ধরা পড়েছিলেন এই বাংলাদেশিরা। অক্টোবর, ২০১৮ গতকাল বুধবারেও শাহবাজ নামে একজন অন্যতম প্রধান অভিযুক্তকে বন্দুকযুদ্ধের পর আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানাচ্ছে। ইতোমধ্যে পাশের রাজ্য কেরালা থেকে এই ঘটনার ভিক্টিম ওই নারীকেও শহরে নিয়ে আসা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তরা ও ভিক্টিম, সকলকেই যেহেতু ''অবৈধ বাংলাদেশি'' বলে চিহ্নিত করা হয়েছে তাই এই ঘটনাটি নিয়ে ব্যাঙ্গালোরেও তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অ্যাক্টিভিস্ট ও মানবাধিকার আইনজীবীরা ভিক্টিমের আইনি অধিকারের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, আবার অনেকে মনে করছেন ব্যাঙ্গালোরকে ''অনুপ্রবেশ-মুক্ত করার'' এটা একটা সুযোগ। আরও পড়তে পারেন: ব্যাঙ্গালোরের পুলিশ কমিশনার কমল পন্থ-কে টুইট করে নাভিনের মত অনেকেই বলছেন, ব্যাঙ্গালোর থেকে সব অবৈধ বাংলাদেশিকে এখনই তাড়ানো দরকার। পারভিন সুতারের মত কেউ কেউ আবার প্রশ্ন তুলছেন পুলিশের নাকের ডগায় এরা এতদিন ধরে শহরে ছিল কীভাবে? ব্যাঙ্গালোর পুলিশ ও বাহিনীর কর্মকর্তারাও নিয়মিত সাংবাদিক বৈঠক করে ও টুইট করে এই তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানাচ্ছেন। বস্তুত ব্যাঙ্গালোর শহরে বাংলাদেশিদের কথিত অনুপ্রবেশের ইস্যু নিয়ে চর্চা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এক বাংলাদেশি তরুণীর ধর্ষণের মর্মান্তিক ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সপ্তাহখানেক আগে পুলিশ যে অভিযান শুরু করেছে, তা গোটা বিষয়টিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে অন্তত তিনজন আলাদা আলাদা ঘটনায় পুলিশি অভিযানের সময় পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইও বলেছেন, প্রথমে তারা ভিডিওটির ''লোকেশন'' নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না - কিন্তু এখন খুব দ্রুত গতিতে ''কোনও হস্তক্ষেপ ছাড়াই'' তদন্ত এগিয়ে চলছে। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ব্যাঙ্গালোরের একটি এনজিও-র কর্মী ও অ্যাক্টিভিস্ট আর কলিমুল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, সেখানে অবৈধ বাংলাদেশিরা কিন্তু এতকাল পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই থেকেছেন। তিনি জানাচ্ছেন, "আসলে এই শহরে বাংলাদেশিদের মধ্যেও দুটো শ্রেণি আছে। একদল নারী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত, অভিজাত এলাকায় বড় বড় অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করে তারা দেহব্যবসা চালায়।" "বাংলাদেশিদের এরকম প্রায় গোটা তিরিশেক গ্যাং আছে, তারা আয়েশি জীবন কাটায়। শহরের বহু ছাত্র, চাকরিজীবী তাদের গ্রাহক।" "আর এক দল বস্তিবাসী, পৌরসভার ঠিকাদারের হয়ে তারা ময়লা কুড়িয়ে কোনওক্রমে বাঁচে - কিন্তু এদের ছাড়া ব্যাঙ্গালোরের এক দিনও চলবে না।" আরও পড়তে পারেন : বাংলাদেশি তকমা দিয়ে বস্তি গুঁড়িয়ে দিল ব্যাঙ্গালোর পুলিশ ব্যাঙ্গালোরে 'অবৈধ বাংলাদেশী' তকমা দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান 'ভারত থেকে বাংলাদেশে গোপনে পুশব্যাক চলছে' অবৈধ বাংলাদেশিরা থাকেন, এই সন্দেহে ব্যাঙ্গালোরে ভেঙে দেওয়া একটি বস্তি।- (২০১৮) "পুলিশ সবই জানে, দুধরনের লোকই তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখে চলে - সাপ্তাহিক হফতা বা রোলকলের পয়সাও নিয়মিত পুলিশের কাছে পৌঁছে যায়।" সুপরিচিত মানবাধিকার আইনজীবী মৈত্রেয়ী কৃষ্ণান আবার বিবিসিকে বলছিলেন, এই ঘটনায় ব্যাঙ্গালোর পুলিশ কিন্তু প্রথম থেকেই ''জেনোফোবিক'' বা ভিনদেশিদের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে। মিস কৃষ্ণানের কথায়, "সবার আগে এটা একটা ধর্ষণের ঘটনা। সেটায় গুরুত্ব না-দিয়ে পুলিশ প্রথম থেকেই যেভাবে বলতে শুরু করেছে এটা অবৈধ বাংলাদেশিদের কাজ, সেটা খুব দুর্ভাগ্যজনক ও জেনোফোবিক।" "ভিক্টিমের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, তাকে আশ্রয় দেওয়া সেটা আগে জরুরি ছিল - এবং সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে তিনি কিন্তু ক্ষতিপূরণ পাওয়ারও অধিকারী।" "তিনি ভারতীয় না বাংলাদেশি সেটা এখানে বিচার্য নয় - তার নাগরিকত্ব কোথাকার তাতেও কিছু যায় আসে না।" বছর দেড়েক আগে হাওড়া রেল স্টেশনে রেলকর্মীদের হাতে একজন বাংলাদেশি নারীর গণধর্ষণের ঘটনায় আইনজীবী চন্দ্রিমা দাস তার হয়ে যে মামলা করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট তাতে ভিক্টিমকে দশ লক্ষ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। মৈত্রেয়ী কৃষ্ণান এখানে সেই মামলারও দৃষ্টান্ত টানছেন - এবং বলছেন ভারতে তদন্ত শেষ হওয়া বা সাজাভোগের পরই অভিযুক্তদের বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার প্রশ্ন উঠবে। ব্যাঙ্গালোরে অরবিন্দ লিম্বাভালি বা তেজস্বী সুরিয়া-র মতো বিজেপি নেতারা অতীতে বহুবার অবৈধ বাংলাদেশি তাড়ানোর ডাক দিয়েছেন। অরবিন্দ লিম্বাভালি এখন কর্নাটক সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী, এর আগে তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে একাধিকবার অবৈধ বাংলাদেশিদের বস্তি উচ্ছেদে বা ঘরবাড়ি ভাঙায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। দক্ষিণ ব্যাঙ্গালোরের বিজেপি এমপি তেজস্বী সুরিয়া দক্ষিণ ব্যাঙ্গালোরের এমপি তেজস্বী সুরিয়া পার্লামেন্টে নিজের বক্তৃতায় দাবি করেছেন, অবৈধ বাংলাদেশিরা ''জঙ্গী কার্যকলাপে যুক্ত হয়ে'' ব্যাঙ্গালোরের নিরাপত্তার জন্য বড় বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছেন। কিন্তু সস্তা রাজনীতি ছাড়া তাতে বিশেষ কিছুই হয়নি, মনে করেন ব্যাঙ্গালোরের বহু বছরের বাসিন্দা ও তথ্য-প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞ সুরঞ্জন সেন। মি. সেন বিবিসিকে বলছিলেন, "অবৈধ বাংলাদেশিরা ব্যাঙ্গালোরে তেমন কোনও বড় রাজনৈতিক ইস্যু নয়। তবে বিজেপি নেতারা এটা ক্রমাগত বলে যান, ফলে শহরে কোনও চুরি-ছিনতাই হলে বাংলাদেশিরা শহরে ক্রাইম বাড়াচ্ছে এরকম খবর চলে আসে।" "আর তারা শহরে থাকলেও যেহেতু মোটামুটি একই বাংলা ভাষাতেই কথা বলেন, তাই বাইরের লোকজন অত বুঝতেও পারেন না এরা বাংলাদেশের মুসলিম না কি পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা মুসলিম।" "এক-দুবছর আগে শহরে একটা বস্তি উচ্ছেদের পর জানা গেল ওটা পুরোটাই নাকি ছিল বাংলাদেশিদের একটা 'চাউল' (বস্তি), ওখানেই তারা থাকতেন।" অবৈধ বাংলাদেশি সন্দেহে ব্যাঙ্গালোরে আটক একজন নারী। ফাইল ছবি "তারপর দেখা গেল জনমতও আবার বিভক্ত হয়ে গেল ... একদল বলতে লাগলেন এত বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শহরে এলেন কী করে প্রশাসন আগে তার জবাব দিক।" "আর এক দল বললেন যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক।" "কিন্তু তারপর যথারীতি আবার সব থিতিয়েও গেল।'' ''ফলে কিছুদিন পর এরকম এক একটা ঘটনা ঘটে, তারপরেই ব্যাঙ্গালোর সবাই আবার নড়েচেড়ে বসে," বলছিলেন সুরঞ্জন সেন। গত এক সপ্তাহের ঘটনাক্রমে বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশে 'টিকটক রিদয়' বা 'রাফি' নামে পরিচিত দুষ্কৃতীদের হাতে পাচার হওয়া তরুণীর গণধর্ষণ আরও একবার ব্যাঙ্গালোরের সেই পুরনো বিতর্ককে সামনে নিয়ে এসেছে।
Police in the southern Indian city of Bangalore say they have arrested five people in connection with an attack on a Tanzanian student.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
ওয়ারসতে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেতে যাচ্ছেন মি: ট্রাম্প। তবে জার্মানিতে যাবার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পোল্যান্ডে সংক্ষিপ্ত সফরে গেছেন । রাজধানী ওয়ারস'তে আজ এক ভাষণও দেবেন মি: ট্রাম্প। পোল্যান্ডের রক্ষণশীল সরকারের সাথে দেখা করা ট্রাম্পের জন্য কেন বা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে মার্কিন কূটনীতিক ও বিশ্লেষকেরা নানা মতামতও তুলে ধরছেন। পোল্যান্ডের ক্ষমতাসীন ল এন্ড জাস্টিস পার্টির প্রধান জ্যারোস্লো ক্যাকজিয়ানস্কি বলছেন, ইউরোপের অনেক দেশ বিশেষ করে ব্রিটেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন সফরকে সহজভাবে দেখছেন না। কেন পোল্যান্ডেই প্রথম গেলেন ট্রাম্প? ১. উষ্ণ অভ্যর্থনা পোল্যান্ডে যে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বন্ধুত্বপূর্ণ উষ্ণ অভ্যর্থনা দেয়া হবে সেটা আগে থেকেই বুঝা যাচ্ছিল। মাসখানেক আগে মি: ট্রাম্পের এই সফরসূচি প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস। তখন থেকেইপোলান্ডের ক্ষমতাসীন ল' অ্যান্ড জাস্টিস পার্টিতে সাজ সাজ রব উঠেছে। অন্যদিকে হ্যামবুর্গের কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে জি-২০ সম্মেলনের ভবনের বাইরে অন্তত এক লাখ বিক্ষোভকারী জমা হবে। খুব তাড়াতাড়ি ব্রিটেন সফরে যাবেন ট্রাম্প এবং সেখানেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু পোল্যান্ডে হোয়াইট হাউজ খুব স্বাভাবিকভাবেই নি:শ্বাস নিতে পারবে। ১৯৪৪ সালে নাৎসি দখলদারদের বিরুদ্ধে ওয়ারশ বিদ্রোহে প্রায় ২ লাখ পোলিশ নাগরিককে জীবন দিতে হয়েছিল। ক্রাসিনস্কি স্কয়ারে তাদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধের সামনে আজই বক্তব্য রাখবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এ কারণে সাজানো হয়েছে ওই এলাকা। স্থানীয় একটি পত্রিকায় বলা হয়েছেবাসে করে সংসদের সদস্যদের ক্রাসিনস্কি স্কয়ারে নিয়ে যাওয়া হবে, কারণ পোল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ চায় মি: ট্রাম্পের ভাষণের সময় যেন আশেপাশে যেন হাজার হাজার মানুষের ভিড় থাকে ও পরিবেশটাও যেন হয় বন্ধুসুলভ। তবে বাস নিয়ে এমন ভিড় করার বিষয় নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে। অনেকে মনে করছেন এটা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। "বিরাট কোনো ভুল না করে থাকলে প্রত্যেক আমেরিকান প্রেসিডেন্টই অনেক জনপ্রিয় ও এখানে আসলে তারা উষ্ণ অভ্যর্থনা পাবে যা খুব স্বাভাবিক"-বলছিলেন ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্সের অধ্যাপক পোলিশ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ আলেক্স স্কেজেরবিয়াক। ১৯৪৪ সালে ওয়ারস বিদ্রোহে নিহতদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধের সামনে আজ ভাষণ দেবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ২. একই পথের পথিক বিশ্লেষকেরা অনেক ক্ষেত্রে পোল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রকে একই পথের পথিক হিসেবে মনে করছেন। দুদেশের প্রধানই প্রথমে জাতীয় স্বার্থের বিষয়টা দেখে ও সে বিষয়েই সরাসরি কথা বলে। জলবায়ু পরিবর্তন বা অভিবাসন দুই ক্ষেত্রেই এখন পোল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অবস্থান এক। ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপ থাকা সত্ত্বেও অভিবাসন ঠেকাতে মরিয়া পোল্যান্ডের রক্ষণশীল সরকার। কিছুদিন আগে পোলিশ প্রেসিডেন্ট মি: ক্যাজনিয়াস্কি বলেছিলেন যেসব অভিবাসীরা ইউরোপে যাচ্ছে তারা বিপজ্জনক রোগ বহন করছে। অভিবাসন নিয়ে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা নিয়েও মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রশ্ন তুলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন ট্রাম্পের এই সফর দুই দেশের জন্যই লাভজনক। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের মাধ্যমে পোল্যান্ডের মর্যাদা বাড়ছে। যদিও সমালোচকেরা বলছেন ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে ইউরোপ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করছে পোল্যান্ড সরকার। ইউরোপের একটি বড় দেশে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেতে যাচ্ছেন ট্রাম্প যে দেশের সরকার তারই মতো মতাদর্শ শেয়ার করে। ২০০১ সালে পোল্যান্ড সফরকালে বিদেশ নীতি নিয়ে এক ভাষণ দেন জর্জ ডব্লিউ বুশ। ৩. সামরিক খাতে খরচ করো, তুমিও পাবে প্রতিরক্ষা খাতে সম্প্রতি নিজেদের জিডিপির ২ শতাংশ ব্যয় করতে রাজি হয়েছে পোলান্ড। মে মাসের শেষে নেটোর বকে বৈঠেকে মি: ট্রাম্প নেটোর সামরিক খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির কথাই বলেছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে আজকের ভাষণে তিনি পোল্যান্ডের প্রশংসা করবেন। পোল্যান্ডে বর্তমানে ৯০০ মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। ৪. ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে তিরস্কার? পোল্যান্ড সফরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প 'থ্রি-সি সামিট' তিনটি সমুদ্রের সম্মেলনের কথা বলবেন, বাল্টিক, আদ্রিয়াটিক ও কৃষ্ণ সাগরের মধ্যেকার বারোটি জাতিকে একত্রিত করবে পোলিশ ও ক্রোয়েশিয়ান উদ্যোগের একটি অংশ এটি। মি: ট্রাম্প এই উদ্যোগকে প্রশংসার চোখেই দেখছেন যেখানে ইউরোপিয় অনেক কূটনীতিক এই পরিকল্পনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। অধ্যাপক স্কেজেরবিয়াক বলছেন, "যুক্তরাষ্ট্র আবারো দেখাতে চাইছে যে ইউরোপিয়ান এলিটদের সঙ্গে তারা ঘনিষ্ঠ হতে চায় না এবং যুক্তরাষ্ট্র এতে খুশি"। ৫. গ্যাস বাণিজ্য গ্যাসের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল পোল্যান্ড। পোলিশ সরকার চেষ্টা করছে এই নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে এবং গত মাসে প্রথমবারের মতো মার্কিন ন্যাচারাল গ্যাসের একটি সরবরাহ দেশটিতে এসেছে। ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্যও এটা একটা বিজয়। পোল্যান্ড এবং অন্যান্য পূর্ব-ইউরোপিয় দেশগুলোতে শক্তি বা গ্যাসের যে উৎস রয়েছে তাতে পরিবর্তন বা বৈচিত্যা আনার কৌশলও আছে তাদের। অন্যদিকে হোয়াইট হাউজ চায় তার দেশের গ্যাস বিশ্বজুড়ে বিক্রি করতে। 'থ্রি-সি সামিট' বা ত্রি-সমুদ্র সম্মেলনে এই বিষয়টিও তুলে ধরবেন মি: ট্রাম্প। আরো পড়তে পারেন: ঢাকার যে রেস্টুরেন্টে বিদেশি প্রবেশ নিষিদ্ধ 'অনেক মানুষকে গোপনে আটকে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী' প্রেমে আর যৌনতায় আগ্রহ হারাচ্ছে জাপানী তরুণরা ‘ইসলামিক স্টেট’ এর প্রধান আল-বাগদাদী কোথায়?
Russian President Vladimir Putin will meet US President Donald Trump for the first time this week on the sidelines of the G20 summit in Hamburg, Germany.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
তেহরানের কাছে দামাভান্দে যেখানে হামলার ঘটনাস্থল তেহরানের কাছে দামাভান্দ কাউন্টির আবসার্ড এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। ইরানের বার্তা সংস্থাগুলো বলছে আততায়ীরা প্রথমে তার গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে এবং তার পর তাকে গুলি করে। পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাকে ইরানের গোপন পরমাণু কর্মসূচির পেছনে প্রধান মাথা বলে মনে করে। এবং মনে করে দেশটির গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিতে মি ফখরিযাদে মূল ভূমিকা রাখছেন। কূটনীতিকরা তাকে "ইরানে বোমার জনক" বলে বর্ণনা করতেন। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ যারিফ এই ঘটনাকে "সন্ত্রাসী কাজ" বলে বর্ণনা করে ইসরায়েল জড়িত থাকার দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন। 'এই কাপুরুষোচিত কাজ - যেখানে ইসরায়েলি ভূমিকার গভীর ইঙ্গিত আছে - প্রমাণ করছে আততায়ীরা যুদ্ধবাজে মরিয়া,'' মি. যারিফ এক টুইট বার্তায় বলেন। ইরান সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে বলে নতুন করে উদ্বেগ বেড়েছে। এরই মধ্যে এই হত্যার ঘটনা ঘটল। বেসামরিক খাতে পারমাণবিক জ্বালানি তৈরির জন্য এবং একইসঙ্গে সামরিক কাজে ব্যবহারযোগ্য পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের জন্য সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম একটি আবশ্যিক উপাদান। ইরান সবসমেয়েই বলে এসেছে তারা শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্যই একমাত্র তাদের পরমাণু কর্মসূচি ব্যবহার করে। ২০১৮ সালের মে মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে একটি বক্তৃতার সময় মি. ফখিরাযাদের নাম বিশেষভাবে উল্লখ করে বলেছিলেন তিনিই ইরানের গোপন কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কী ঘটেছে? ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে: "মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থার প্রধান মোহসিন ফখরিযাদেকে নিয়ে যে গাড়িটি যাচ্ছিল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সেই গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায়। "তার দেহরক্ষী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে এরপর সংঘর্ষ হয়। এতে মি. ফখরিযাদে গুরুতরভাবে আহত হন এবং দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। "চিকিৎসা কর্মীরা তাকে বাঁচানোর সবরকম চেষ্টা করলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা ব্যর্থ হন এবং তিনি মারা গেছেন।" আরও পড়তে পারেন: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ‘রহস্যময়’ হামলার পেছনে কারা? কত দ্রুত ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারবে? ইসরায়েল আর ইরানের মধ্যে কি যুদ্ধ লেগে যেতে পারে? কেন ইসরায়েল ও ইরান একে অপরের শত্রু? কোন দেশের কত পরমাণু অস্ত্র আছে, কোথায় আছে? হামলার ঘটনায় মি. ফখরিযাদে গুরুতর আহত হন, পরে হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি মারা যান বলে ইরান জানাচ্ছে ইরানের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে হামলাকারীরা বিজ্ঞানীর গড়ির ওপর গুলি চালিয়েছে। ফার্স সংবাদসংস্থা তাদের একটি খবরে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের খবর দিয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তারা বলেছিল সেখানে তিন থেকে চারজন হামলাকারী ছিল। যাদের সন্ত্রাসী বলে বলা হয়েছে এবং ফার্সের খবর অনুযায়ী তাদের হত্যা করা হয়েছে। প্রতিক্রিয়া ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ যারিফ এই ঘটনাকে "সন্ত্রাসী কাজ" বলে বর্ণনা করেছেন। এক টুইট বার্তায় ইসরায়েলের জড়িত থাকার দিকে তিনি ইঙ্গিত করেছেন। তিনি আন্তজার্তিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা যেন এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী কাজ বলে নিন্দা করে। ইরানের রেভরল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার বলেছেন এই হত্যাকান্ডের প্রতিশোধ নেওয়া হবে। ২০১৫ সালে বিশ্ব পরমাণু চুক্তির অধীনে ইরানকে একমাত্র নাতাঞ্জে তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্রটি চালু রাখার অনুমতি দেয়া হয় ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ইরানের চারজন পরমাণু বিজ্ঞানী আততায়ীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন এবং এইসব হত্যার ঘটনায় ইসরায়েল জড়িত বলে ইরান অভিযোগ করেছে। কে ছিলেন মোহসিন ফখরিযাদে? মোহসিন ফখরিযাদে ইরানের সবচেয়ে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থার প্রধান। তিনি ইরানের রেভরল্যুশনারি গার্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও ছিলেন। তাকে কূটনীতিকরা "ইরানে বোমার জনক" বলে বর্ণনা করতেন। ইসরায়েল এবং পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে তিনি ইরানের খুবই ক্ষমতাশালী ব্যক্তি এবং ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রধান স্তম্ভ। ২০১৮ সালে ইসরায়েল বলেছিল তাদের হাতে যেসব গোপন নথিপত্র এসেছে সেগুলো অনুয়ায়ী ইরানের পরমাণু কর্মসূচির তিনি প্রধান রূপকার। মি. ফখরিযাদের নেতৃত্বেই ইরানের পরমাণু কর্মসূচি গড়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেসময় বলেছিলেন "ওই নামটা মনে রাখবেন"- তিনি বলেছিলেন ইরানের পরমাণু কর্মসূচির তিনিই প্রধান বিজ্ঞানী। ২০১৫ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস তার তুলনা করেছিল জে রবার্ট ওপেনহাইমারের সাথে। মি. ওপেনহাইমার দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় ম্যানহাটান প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যে প্রকল্পের অধীনে প্রথম আণবিক বোমা তৈরি করা হয়। মি. ফখরিযাদের হত্যার ঘটনা নিয়ে ইসরায়েল এখনও কোন মন্তব্য করেনি।
Iran's most senior nuclear scientist Mohsen Fakhrizadeh has been assassinated near the capital Tehran, the country's defence ministry has confirmed.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নির্ভর করবে ইরান এই হামলার কী জবাব দেয় এবং কোন সংঘর্ষ হলে তার প্রকার কী রকম হয়, তার ওপরে। তবে স্বল্পমেয়াদে এর কিছু সম্ভাব্য প্রভাব পড়তে পারে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিক প্রাইমারি প্রেসিডেন্ট বাছাই পর্বে, যা মাত্র একমাসের মাথায় শুরু হতে যাচ্ছে। এ বছর নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একজন যুদ্ধকালীন প্রেসিডেন্ট? প্রথাগতভাবে যখন যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রেসিডেন্ট বড় ধরণের পররাষ্ট্রনীতির সংকটে থাকেন, সে অন্তত তাকে জনসমর্থনের দিক থেকে অন্তত কিছুদিনের জন্য কিছুটা সুবিধা এনে দেয়। 'পতাকার চারদিকে দাঁড়াও' মনোভাব ১৯৯১ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের সময় প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচডব্লিউ বুশের জন্য সহায়ক হয়েছিল। নাইন ইলেভেন বোমা হামলা এবং আফগানিস্তানে বোমা হামলার পর তখনি প্রেসিডেন্ট বুশের জনপ্রিয়তা রেকর্ড ছুঁয়েছিল। সেগুলো ছিল বড় ধরণের সামরিক সংশ্লিষ্টতা। তবে যখন ঘটনাগুলো ছোট হয়, তখন তার প্রভাব বোঝাও মুশকিল হয়ে পড়ে। ২০১১ সালে লিবিয়ায় বিমান হামলার পরে বারাক ওবামার জনপ্রিয়তার পারদে কোন পরিবর্তন হয়নি। যখন রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ায় মিসাইল আক্রমণ করেন, তখন তার জনপ্রিয়তার পারদ সামান্য উঠেছিল। যদিও তার প্রেসিডেন্সির পুরো সময়টা জুড়ে তার জনপ্রিয়তা প্রায় একই রকম দেখা গেছে। সোলেইমানি হত্যার পর প্রথম জরিপে দেখা গেছে যে, যেভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন, তা নিয়ে জনমনে দ্বিমত তৈরি হয়েছে। তবে মি. ট্রাম্প অন্য যা কিছুই করেছেন, সেখানেও এরকম দ্বিমত দেখা গেছে। জনসংখ্যার একটি অংশ তার পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন। আবার আরেকটি অংশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট সতর্কতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। ছোট সামরিক বিজয় বা রক্তাক্ত লড়াই যাই হোক না কেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির ক্ষেত্রে সব শেষ ফলাফল অনেকটা একই রকম থাকে। আরো পড়ুন: 'মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিনীদের দিন শেষ হয়ে গেছে' 'ট্রাম্প ইরানে হামলা করলে সেটি হবে যুদ্ধাপরাধ' পরমাণু চুক্তি আর না মানার ঘোষণা দিলো ইরান ইরাকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার সংক্রান্ত চিঠি নিয়ে বিভ্রান্তি ড্রোন হামলার প্রতিবাদে ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ হয়েছে রিপাবলিকান সমর্থন এক্ষেত্রে অবশ্য ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দলের সমর্থকদের কাছ থেকে সমর্থন পাবেন-যেটা তিনি সবসময়ে তার বিতর্কিত বা আলোচিত সব পদক্ষেপেই পেয়েছেন। হাফিংটন পোস্টের জরিপে দেখা গেছে, ৮৩ শতাংশ রিপাবলিকান ওই ড্রোন হামলাকে সমর্থন করেন। সামাজিক মাধ্যমে যারা সোলেইমানি হামলার জের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে ট্রাম্পিয়ান একপ্রকার জবাব দেয়া হচ্ছে সমর্থকদের পক্ষ থেকে ''তোমার ক্ষতির জন্য দুঃখিত।'' বেবিলন বি নামের একটি রক্ষণশীল ঘরানার ফান ওয়েবসাইটে ডেমোক্র্যাটদের নিয়ে মজা করা হচ্ছে যে, সোলেইমানির মৃত্যুতে তারা আমেরিকান পতাকা অর্ধনমিত করে রাখছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই নাটকের ফলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট ঘটনাবলী থেকে জাতীয় নজর অন্যদিকে সরে গেছে এবং সিনেটে শুনানি বিলম্বিত হচ্ছে। সোমবার সকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেশ কয়েকটি টুইটেও সে বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। '' আমাদের দেশের এই ইতিহাসের সময় যখন আমি খুব ব্যস্ত, তখন রাজনৈতিক ধাপ্পাবাজির মধ্যে সময় কাটানো দুঃখজনক,'' তিনি লিখেছেন। ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ সোলেইমারি হামলার পর ডেমোক্র্যাট শিবিরে যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলন আবার চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে, যা ইরাক যুদ্ধের পর থেকে স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। বার্নি স্যান্ডার্স, ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে চাওয়াদের একজন, খুব দ্রুত তার শান্তিকামী মনোভাব তুলে ধরেছেন। ''আমি ভিয়েতনামের ব্যাপারে ঠিক বলেছিলাম, আমি ইরাকের ব্যাপারে ঠিক বলেছিলাম। ইরানের সঙ্গে একটি যুদ্ধ এড়াতে আমার সাধ্যমত সব কিছুই আমি করবো,'' যুদ্ধবিরোধী প্রয়াসের অংশ হিসাবে একটি টুইটে তিনি লিখেছেন। ''আমাকে কারো কাছেই ক্ষমা চাইতে হবে না।'' টুলসি গ্যাবার্ড, আরেকজন প্রার্থী জোর দিয়ে বিরোধিতা করছেন যাকে তিনি ''শাসক বদলানোর যুদ্ধ'' বলে বর্ণনা করেন, বলেছেন, সোলেইমানি হত্যাকাণ্ড হচ্ছে যুদ্ধে উস্কানি দেয়ার মতো, যা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান বিরোধী। তাদের এই বক্তব্য ডেমোক্র্যাট অপর প্রার্থীদের বিপরীত। অন্য প্রার্থীরা কাশেম সোলেইমানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধে সহায়তার সমালোচনা করেন তবে তবে হামলার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পিট বুটিগয়েন বলেছেন, '' কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তা নিয়ে অনেক গুরুতর প্রশ্ন আছে এবং এর জের হিসাবে যা ঘটতে পারে, তার জন্য কী আমরা প্রস্তুত আছি?'' এলিজাবেথ ওয়ারেন সোলেইমানিকে একজন 'হত্যাকারী' বলে বর্ণনা করেছেন। অ্যামি ক্লোবোচার ওই অঞ্চলের থাকা যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ স্যান্ডার্সের দিকে পাল্টা তীর ছুড়েছেন এই বলে যে, তিনি ওই হামলাকে 'গুপ্ত হামলা' বলে যে বর্ণনা করেছেন, তা দেশদ্রোহিতার সামিল। তবে এই শব্দটি বেশ কয়েকজন ডেমোক্র্যাট প্রার্থীই উচ্চারণ করেছেন। ''ইনি এমন একজন ব্যক্তি যার হাতে আমেরিকানদের অনেক রক্ত লেগে রয়েছে,'' বলছেন মি. ব্লুমবার্গ। ''ওই জেনারেলকে হত্যা করে আমরা ভুল কিছু করেছি, এমন কেউ মনে করেন বলে আমি মনে করি না।'' এ নিয়ে দলের প্রগতিশীল এবং মধ্যপন্থীদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। এর ফলে স্বাস্থ্যখাত পেছনে ফেলে ইস্যু হয়ে উঠেছে এই হামলার ঘটনাটি। ইরান সংকট যদি আরো ঘনীভূত হয়ে ওঠে, তাহলে হয়তো তখন আলোচনার মূল বিষয় হয়ে উঠবে সামরিক শক্তি ব্যবহারের বিষয়টি। জো বাইডেনের চ্যালেঞ্জ কাশেম সোলেইমানির ওপর হামলা নিয়ে হাফিংটন পোস্টের জরিপে বেশ কয়েকটি সুসংবাদ বেরিয়ে এসেছে রিপাবলিকান পদপ্রার্থী জো বাইডেনের জন্য, যেখানে ৬২ শতাংশ ডেমোক্র্যাটিক সমর্থক বলেছেন যে, ইরান প্রসঙ্গে তারা জো বাইডেনকে বিশ্বাস করেন। ফলে তিনি স্যান্ডার্স এবং ওয়ারেনের চেয়ে বেশ এগিয়ে রয়েছেন। তাদের ক্ষেত্রে এই হার ছিল ৪৭ শতাংশ। এ ধরণের প্রতিক্রিয়া অবাক হওয়ার কিছু নেই কারণ জো বাইডেনের পররাষ্ট্র ইস্যুতে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি আট বছর ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং দীর্ঘদিন সিনেট আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির প্রধান ছিলেন। তবে এই রেকর্ড পুরোপুরিই যে আশীর্বাদ তা বলা যাবে না। মধ্যপ্রাচ্য এই ইস্যুতে আবার জো বাইডেনের ২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধে প্রসঙ্গ ফিরে আসছে, যেখানে তিনি ওই যুদ্ধকে সমর্থন করেছিলেন। আইওয়ায় একজন ভোটারের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেছেন, যখন তিনি ইরাক যুদ্ধের সমর্থনে ভোট দিলেও, শুরু থেকেই ওই সংকট সামলাতে প্রেসিডেন্ট বুশের প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বিরোধিতা করে আসছেন। ওই যুদ্ধের আগে এবং পরে সমর্থনের কথা জানিয়ে আসছেন বাইডেন। তবে ২০০৫ সালের শুরু দিকে যুদ্ধের সমর্থনে ভোট দেয়ার জন্য অনুশোচনার কথা প্রকাশ করেন। যতই তিনি ইরাক যুদ্ধ নিয়ে তালগোল পাকাবেন, ততই গণমাধ্যম প্রশ্ন তুলবে তিনি কি বিভ্রান্তিকর বা অতিরঞ্জিত তথ্য দিচ্ছেন কিনা এবং এটাকে তার একটি দুর্বলতা হিসাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে বিরোধীরা। আর কোন অক্সিজেন নয় গাদা গাদা ব্রেকিং নিউজের ভিড়ে ডিসেম্বরের ইমপিচমেন্ট নিয়ে গণমাধ্যমে ততটা মনোযোগ কাড়তে পারেননি ডেমোক্র্যাটরা। এখন যখন সেটি সিনেটে শুনানিতে যাবে, তখন আরেক আলোচনার প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ইরান। এটা রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন চাওয়া কোরি বুকার, ডেভাল প্যাট্রিক, টম স্টেয়ার এবং আরো কয়েকজন প্রার্থীর জন্য দুঃসংবাদ। যারা এখনো দৌড়ে রয়েছেন কিন্তু জরিপ বলছে, প্রাইমারির জন্য তারা বেশ পিছিয়ে পড়েছেন। ভোটাররা যদি দেশের বাইরের বিষয় নিয়ে বেশি মনোযোগী হয়ে পড়ে, তখন ক্লোবুচারের মতো প্রার্থীদের তহবিল সংগ্রহেও সমস্যা তৈরি করবে। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ের প্রচারণায় সেই প্রার্থীই বেশি সুবিধা পাবেন যিনি শেষের দিকে বেশি আলোচনায় থাকবেন। যেখানে ইরান সংকট ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে, সেটার ফলাফল জানতে হয়তো আরো খানিকটা অপেক্ষা করতে হবে।
It was inevitable that the fallout from the US airstrike that killed Iranian General Qasem Soleimani would spill into presidential politics. Everything spills into presidential politics these days, and this is without a doubt a major story.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গুয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একটি ঘাটি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে ফের পারমাণবিক হামলার হুমকি দিলে, সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেবার ঘন্টাখানেকের মধ্যেই এই হুমকি দিল উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, কৌশলগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা হিসেবে পরিচিত গুয়ামে দেশটি মাঝারি দেকে দূর পাল্লার রকেট নিক্ষেপ করার পরিকল্পনা করছে। গুয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটি রয়েছে। এই বিবৃতির পর দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। কৌশলগতভাবে গুয়াম যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এর আগে ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত এক সংবাদে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া ইতোমধ্যেই এমন ক্ষুদ্রকায় পারমাণবিক ওয়ারহেড তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে, যা কোন ক্ষেপণাস্ত্রের ভেতরে বসিয়ে সেটিকে কার্যকর করা সম্ভব হবে। আরো পড়ুন: গৃহকর্মী আনার এক সার্ভিস নিয়ে সৌদি আরবে বিতর্ক ভারতে গরু নিয়ে তুলকালাম, চামড়া শিল্প নিয়ে উদ্বেগ 'ব্রিজ খেলতে দেখলে পরিবার বলতো জুয়া খেলছি' সেক্ষেত্রে ওয়াশিংটন পোস্টের খবর সঠিক হলে, উত্তর কোরিয়া সত্যি পরমাণু অস্ত্র গড়ে তুলেছে এবং মনে করা হচ্ছে, ধারণার চেয়ে দ্রুত গতিতে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে আঘাত হানতে পারবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনের সূত্র ধরেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এদিকে, মাত্র দুদিন আগেই উত্তর কোরিয়ার ওপরে নতুন করে আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার অনুমোদন দিয়েছে জাতিসংঘ।
North Korea has said it is considering carrying out missile strikes on the US Pacific territory of Guam.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
জর্জ ফ্লয়েডের শেষকৃত্যে তার কন্যা জিয়ানা ফ্লয়েড ও স্ত্রী রক্সি ওয়াশিংটন টেক্সাস রাজ্যের হিউস্টনের গির্জায় জর্জ ফ্লয়েডের স্মরণে বক্তব্য প্রদানকারীরা স্মরণ করেন সদ্যপ্রয়াত ওই ব্যক্তিকে, যার 'একমাত্র অপরাধ ছিল কৃষ্ণাঙ্গ হয়ে জন্ম নেয়া।' জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার সাথে জড়িত চারজন পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত এবং অভিযুক্ত করা হয়েছে। গির্জা থেকে গাড়িবহর তার মরদেহ হিউস্টন মেমোরিয়াল গার্ডেন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার সমাধিস্থ হওয়ার কথা রয়েছে। আরো পড়তে পারেন: জর্জ ফ্লয়েড হত্যা: মিনিয়াপোলিস পুলিশ বিভাগ ভেঙ্গে দেয়ার চিন্তা হাজার হাজার সেনা পাঠানোর হুমকি দিলেন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে কারফিউ জারি, ব্যাপক সংঘাত জর্জ ফ্লয়েডের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কফিনে ফ্লয়েডের এক ভাগনি ব্রুক উইলিয়ামস আইনে পরিবর্তন আনার আহ্বান জানান, কারণ তার মতে কৃষ্ণাঙ্গদের অসুবিধায় ফেলার জন্যই কিছু আইন তৈর হয়েছে। তিনি বলেন, "আইন এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন আফ্রিকান-আমেরিকানদের সিস্টেম কাজ না করে। এই আইন পরিবর্তন করতে হবে। আর কোনো বিদ্বেষমূলক অপরাধ দেখতে চাই না।" এ বছরের নভেম্বরে হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে ভিডিওর মাধ্যমে শোকবার্তা পাঠান। তিনি বলেন, "জর্জ ফ্লয়েডের জন্য বিচার যখন পাওয়া যাবে, তখনই সত্যিকার অর্থে আমেরিকা সব বর্ণের মানুষের সমান বিচার নিশ্চিত করার পথে এগিয়ে যাবে।" মি. ফ্লয়েড সম্পর্কে 'জঘন্য' মন্তব্য করার অভিযোগে এ সপ্তাহের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাপের তীব্র সমালোচনা করেন জো বাইডেন। তবে ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মি. বাইডেন কৃষ্ণাঙ্গদের শতভাগ সমর্থন পাবেন - এমন ধারণা থেকে কিছুদিন আগে এক মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তিনি বলেছিলেন আফ্রিকান-আমেরিকানরা 'কৃষ্ণাঙ্গই নয়', যদি তারা ট্রাম্পকে ভোট দেয়। শেষকৃত্যে জড়ো হওয়া ব্যক্তিরা 'আই ক্যান্ট ব্রিদ' ব্যাজ পরেন শেষকৃত্য অনুষ্ঠান হিউস্টনের ফাউন্টেন অব প্রেইস গির্জায় অনুষ্ঠিত শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০০ অতিথি উপস্থিত ছিলেন, বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ ও সেলেব্রিটিও ছিলেন সেখানে। স্থানীয় ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্য আল গ্রিন মন্তব্য করেন, "জর্জ ফ্লয়েডের একমাত্র অপরাধ ছিল যে তিনি কৃষ্ণাঙ্গ ছিলেন।" নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা বর্ষীয়ান অ্যাক্টিভিস্ট আল শার্পটন বলেন, "আমি দেখতে পাচ্ছি পৃথিবীর যত জায়গায় যেসব মানুষ দাসদের দিয়ে কাজ করাতো, তাদের নাতি-নাতনিরা নিজেদের পিতামহদের মূর্তি ভেঙে ফেলছে।" মি. ফ্লয়েডের স্মরণে তিনি বলেন, "ঈশ্বর তাকে এমন একটি বিপ্লবের মধ্যমণির পদে আসীন করেছেন, যা সারাবিশ্বকে পরিবর্তন করবে।" ওদিকে মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ মি. ফ্লয়েডের শেষকৃত্যের স্মরণে স্থানীয় বাসিন্দাদের ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড নীরবতা পালন করতে অনুরোধ করেন। মারা যাওয়ার আগে ঠিক এই পরিমাণ সময় একজন পুলিশ কর্মকর্তা জর্জ ফ্লয়েডকে মাটির সাথে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে রাখেন।
The funeral of George Floyd, an African American whose death in police custody spawned global outrage, has heard impassioned pleas for racial justice.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
মি. রটেনবার্গ (ডানে) এবং মি. পুতিন (বামে)এর মধ্যে ব্যবসা ও বন্ধুত্বের কারণে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বিশাল এই প্রাসাদ নিয়ে সম্প্রতি চালানো এক তদন্তের খবর সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় গত সপ্তাহে এবং দশ কোটি মানুষ ইতোমধ্যেই এই তদন্তের কেন্দ্রে থাকা প্রাসাদের ভিডিওটি দেখেছেন। এ সপ্তাহের গোড়াতে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন তার প্রতিপক্ষ আলেক্সি নাভালনি তার প্রাসাদ দাবি করে যে বিলাসবহুল অট্টালিকার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছেন, সে প্রাসাদ কখনই তার নয়। মি. পুতিনের ঘনিষ্ঠ মি. রটেনবার্গ আজ (শনিবার) প্রকাশ্যে দাবি করেছেন এটির মালিক তিনি। ভিডিওতে অভিযোগ করা হয় কৃষ্ণ সাগরের তীরে এই প্রাসাদোপম অট্টালিকার অর্থায়ন করেছেন মি. পুতিনের কোটিপতি বন্ধুরা। বলা হয় এই প্রাসাদে রয়েছে জুয়া খেলার ক্যাসিনো, বরফের ওপর স্কেটিং করার রিংক এবং আঙুরের ক্ষেত। মি. রটেনবার্গ এই প্রাসাদ তার বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা এসেছে ক্রেমলিন পন্থী ম্যাশ টেলিগ্রাম নামে একটি চ্যানেলে পোস্ট করা একটি সাক্ষাতকারের মাধ্যমে। এরপর এই খবর নিশ্চিত করে খবর প্রকাশ করেছে ইন্টারফ্যাক্স সংবাদ সংস্থা। আরও পড়তে পারেন: "কয়েক বছর আগে এই অট্টালিকার সাথে জড়িত কিছু পাওনাদারের সাথে আমার একটি চুক্তি হয় এবং কয়েক বছর আগে এই সম্পত্তির মালিকানা আমার হাতে আসে,'' মি. রটেনবার্গকে উদ্ধৃত করে তার তথ্য দপ্তর জানায়। প্রাসাদটি নিয়ে তৈরি ভিডিওতে দাবি করা হয় এই বিলাসবহুল প্রাসাদে রয়েছে জুয়া খেলার ক্যাসিনো, বরফের ওপর স্কেটিং করার রিংক এবং আঙুরের ক্ষেত। মি. রটেনবার্গ বলেন আগামী ''দুই বছরের মধ্যে'' এই সম্পত্তিটি তৈরির সব কাজ সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন এটি একটি অ্যাপার্টমেন্ট হোটেল হিসাবে তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই প্রাসাদ নিয়ে বিতর্ক কেন? এমাসের গোড়ায় ক্রেমলিনের সমালোচক এবং বর্তমানে কারারুদ্ধ রাশিয়ার বিরোধী রাজনীতিক আলেক্সি নাভালনি একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করার পর থেকে এই সম্পত্তি নিয়ে রাশিয়ায় বিরাট বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তথ্যচিত্রে অভিযোগ করা হয়েছে তাদের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে যে এই সম্পত্তির মূল্য ১.৩৭ বিলিয়ন বা একশ ৩৭ কোটি ডলার এবং এটির মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে ''ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঙ্কের ঘুষের অর্থ'' দিয়ে। বিবিসির সাংবাদিক টিম হোয়েওয়েল এই রহস্যজনক প্রাসাদ নিয়ে প্রথম খবর করেন ২০১২ সালে। ওই প্রতিবেদনে তিনি মি. পুতিনের সাবেক একজন ব্যবসায়িক সহযোগীকে উদ্ধৃত করে করেন যিনি অভিযোগ করেছিলেন যে এই অট্টালিকা মি. পুতিনের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য তার সুনির্দিষ্ট মাপজোক এবং চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু সেসময় মি. পুতিনের একজন মুখপাত্র এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট মি. পুতিন এই প্রাসাদের মালিক তিনি বা তার পরিবারের কোন সদস্য নন বলে সরাসরি এই অভিযোগ নাকচ করে দেন। এবং তিনি ওই ভিডিওটিকে 'একঘেঁয়ে' বলে বর্ণনা করেন। এই প্রাসাদ নিয়ে অভিযোগ ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটকসহ রাশিয়ার সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহান্তে মি. নাভালনির সমর্থনে রাশিয়া জুড়ে যে বিক্ষোভ হয়েছে এই প্রাসাদের সাথে মি. পুতিনের জড়িত থাকার অভিযোগ তাতে বড়ধরনের ইন্ধন জুগিয়েছে। বহু বছরের মধ্যে এটাই ছিল মি.পুতিনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। রুশ ব্যবসায়ী আর্কাদি রটেনবার্গ এক সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জুডো খেলার সঙ্গী ছিলেন। আর্কাদি রটেনবার্গ কে? মি. রটেনবার্গ রাশিয়ায় বিশাল এক ব্যক্তিত্ব। সেতু এবং গ্যাস পাইপলাইনের মত অবকাঠামো নির্মাণের বিশাল এক সংস্থার মালিক তিনি। ছোটবেলা থেকেই তিনি মি. পুতিনের সাবেক একজন বন্ধু বলে জানা যাচ্ছে এবং এই রুশ ব্যবসায়ী এক সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জুডো খেলার সঙ্গী ছিলেন। গত বছরের শেষ দিকে মি. রটেনবার্গ এবং তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে লন্ডনের বার্কলেস ব্যাংকের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার এবং নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে গোপনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ প্রকাশ পায়। এই রুশ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আমেরিকা ২০১৪ সালে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তখন তাকে "রুশ নেতার ঘনিষ্ঠ মহলের'' একজন সদস্য হিসাবে বর্ণনা করেন আমেরিকান কর্মকর্তারা। তারা দাবি করেন যে মি. পুতিনের ঘনিষ্ঠ এই মহল ''পুতিনের প্রিয় প্রকল্পগুলো'' বাস্তবায়নে তাকে সাহায্য করছে।
Russian oligarch Arkady Rotenberg says he is the owner of an opulent Black Sea mansion, not President Vladimir Putin, as the leaders' critics had alleged.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
চীনে সন্তান ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন নারীর সংখ্যা কমে গেছে। দেশটিতে সন্তান জন্মদানে সক্ষম নারীর সংখ্যা ইদানীং কমে যাচ্ছে। অথচ দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে সেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০০ সালের পর এখন সবচাইতে বেশি। গত বছর চীনে এক কোটি আশি লক্ষের বেশি শিশু জন্ম নিয়েছে। যার হার তার আগের বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালের মধ্যে দেশটিতে আরো দুই কোটি শিশু জন্ম নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনে ১৯৭৯ সাল থেকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ হিসেবে এক সন্তান নীতিমালা অনুসরণ করা হচ্ছিলো। অর্থাৎ দম্পতিরা একটির বেশী সন্তান নিতে পারতো না। সেই নীতি বাস্তবায়ন করতে দেশটিতে রাষ্ট্র কর্তৃক জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ ও গর্ভপাতের অভিযোগ রয়েছে। ছেলে সন্তানের আশায় কন্যা সন্তান ও ভ্রূণ হত্যার ঘটনাও ঘটেছে প্রচুর। যার কারণে চীনে নারীর সংখ্যাও কমে গেছে। আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে আগুন লাগার কারণ খুঁজে পেয়েছে স্যামসাং এক সন্তান নীতিতে কেমন ছিল চীনের জীবন চীনে কোনও ভাইবোন ছাড়া বড় হয়েছে লক্ষ লক্ষ শিশু। সেই নীতি বছর খানেক আগে শিথিল করা হয়েছে। এখন দেশটিতে দম্পতিরা দুটি সন্তান নিতে পারছেন। আর এর পর থেকেই জনসংখ্যার হার বাড়তে শুরু করে। এক বছরে প্রায় দুই কোটি শিশুর জন্ম যেকোন দেশের জন্য বিশাল একটা ব্যাপার। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এরপরও তা চীনের জন্য যথেষ্ট নয়। প্রায় চল্লিশ বছর ধরে এক সন্তান নীতিমালা থাকার কারণে সেখানে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে গেছে। মানুষজন বয়স্ক হতে শুরু করেছে, কিন্তু সেই তুলনায় তরুণ প্রজন্ম তৈরি হয়নি। আর বয়স্ক জনসংখ্যা দেশটির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়ার সামর্থ্য রাখে না। একই সাথে সন্তান জন্মদানেও সক্ষম নয়। এতে করে শ্রম দিতে সক্ষম প্রতি বছর এমন পঞ্চাশ লাখ জনশক্তি হারাচ্ছে দেশটি, এবং সেটি চলতে থাকবে আগামী আরো অনেক বছর। যতদিন পর্যন্ত না আগামী কয়েক বছরে নতুন জন্ম নেয়া শিশুরা যুব শক্তিতে পরিণত হচ্ছে।
China is the world's most populous country, with a continuous culture stretching back nearly 4,000 years.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ইতিহাসের ভয়াবহতম পানি সংকটে পড়বে ভারত ভারতের ২৪টি রাজ্য থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে নিটি আয়োগ রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই সংকট সামনের দিনগুলোতে বরং আরও তীব্র হবে। ভারতের ২১টি নগরীতে আগামী দু বছরের মধ্যেই ভূগর্ভস্থ পানি ফুরিয়ে যাবে বলে এতে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। এই পানি সংকটের কারণে ভারতের খাদ্য নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়তে পারে। কারণ ভারতের ৮০ শতাংশ পানিই ব্যবহৃত হয় কৃষিতে। ভারতের নগরী এবং শহরগুলোতে গ্রীস্মকালে প্রতি বছরই পানির সংকট তৈরি হয়। কারণ বেশিরভাগ নগরী এবং শহরেই বাড়ি বাড়ি পাইপে পানি সরবরাহ করার মতো অবকাঠামো নেই। পল্লী অঞ্চলেও পরিস্কার পানির সংকট আছে। সেখানে অনাবৃষ্টির কারণে অনেক সময় ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করা যায় না। কারণ অনাবৃষ্টির সময় লোকে এখন আগের চেয়ে আরও বেশি মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করে। পানির চাহিদা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। নিটি আয়োগ রিপোর্টে বলা হচ্ছে, প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ ভারতীয় মারা যায় পানীয় জলের সংকটের কারণে। ভারতের নগরী এবং শহরগুলো যেভাবে দ্রুত বাড়ছে, তাতে নগরাঞ্চলে পানির চাহিদা আরও বাড়বে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ পানির চাহিদা হবে তখনকার সরবরাহ ক্ষমতার দ্বিগুণ। পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় কিছু কিছু ভারতীয় রাজ্য অন্য রাজ্যের তুলনায় ভালো করছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। যেমন গুজরাট, মধ্য প্রদেশ এবং অন্ধ্র প্রদেশ। কিন্তু কিছু রাজ্যের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। যেমন উতর প্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার এবং ঝাড়খন্ড। ভারতের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা এসব রাজ্যেই থাকে। ভারতের কৃষি উৎপাদনের বেশিরভাগটাই আসে এসব রাজ্য থেকে।
India is facing its worst-ever water crisis, with some 600 million people facing acute water shortage, a government think-tank says.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
হামলার স্থানটি ঘিরে রেখেছে ফ্রান্সের পুলিশ তার পরিচয় এখনো জানা যায় নি। সেন্ট্রাল প্যারিসে অপেরা ডিস্ট্রিক-এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বর্ণনা করছিলেন মানুষজন ভয়ে রাস্তা থেকে দৌড়ে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের ভিতরে আশ্রয় নিয়েছে। এই হামলার উদ্দেশ্য কি ছিল সেটা তাৎক্ষণিক-ভাবে এখনো জানা যায় নি। পরে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ দাবি করেছে, তাদের একজন সৈন্য এই হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে যাত্রীদের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা শুরু করে ওই হামলাকারী। সে কয়েকটি বার ও রেস্তোরায়ও হামলার প্রবেশের চেষ্টা করে। পুলিশ তাকে প্রথমে চেতনানাশক গুলি ছুড়ে অচেতন করে আটকের চেষ্টা করে। কিন্তু সেটি সম্ভব না হওয়ায় তাকে গুলি করে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ''আবারো ফ্রান্স থেকে রক্ত ঝরলো, কিন্তু শত্রুদের এক ইঞ্চি স্বাধীনতাও দেয়া হবে না।''
A man carrying a knife has killed four people at the police headquarters in Paris where he worked, according to French media.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
ইরানের সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলা করার যে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তা ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে এবং তার কর্মকর্তারা দ্রুত জানিয়ে দিয়েছেন যে, সেরকম কোন কিছু আলোচনা হচ্ছে না। এর আগে তিনি ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একজন জেনারেলকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, একটি সরকার তখনই এ ধরণের পদক্ষেপ নিতে পারে, সেটা যদি আত্মরক্ষার জন্য হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, তারা ভবিষ্যৎ হামলা ঠেকানোর জন্য এটি করেছেন। তবে জাতিসংঘের বিচার বহির্ভূত হত্যা বিষয়ক স্পেশাল র‍্যাপোটিয়ের অ্যাগনেস কালামার্ড তাদের ওই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন। তিনি একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, জাতিসংঘ চার্টারে যা রয়েছে, ওই হামলা তার মধ্যে পড়ে না। আরো পড়ুন: ইরানকে কখনই পারমানবিক অস্ত্র বানাতে দেবনা- ট্রাম্প আমেরিকার বিমান ঘাঁটিতে মিসাইল ছুঁড়লো ইরান সোলেইমানি হত্যা ট্রাম্পকে নির্বাচনে সহায়তা করবে? ইরান-আমেরিকা সংঘাতে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা কোথায় ৩৩ আর্চিস ব্রিজ, ইরানের একটি সাংস্কৃতিক স্থাপনা যুক্তরাষ্ট্রের যে সামরিক কর্মীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মতো অভিযোগ উঠেছে, তাদের একজন স্পেশাল অপারেশন্স চিফ এডওয়ার্ড গ্যারাগারের বিষয়ে তিনি প্রশংসা করে বলেছেন, 'কঠিন ব্যক্তি'। যেখানে সামরিক ব্যক্তি এবং অভিযানের ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্প কথা বলেন, তা সেসবের আইনের চোখে বৈধতার ব্যাপারটিকে অস্পষ্ট করে তোলে। যেমন কোন সাংস্কৃতিক স্থাপনার ওপর হামলা ১৯৫৪ সালের হেগ কনভেনশন ফর দি প্রোটেকশন অফ কালচারাল প্রোপার্টির মতো আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করে। কিন্তু তিনি তার বক্তব্যের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, বিপক্ষ কমান্ডাররা বেআইনি পন্থায় কাজ করছে, সুতরাং আমেরিকাকেও সেটাই করা উচিত। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ''আমাদের লোকজনের ওপর তাদেরকে নির্যাতন করতে দেয়া হচ্ছে আর আমরা তাদের সাংস্কৃতিক স্থাপনা স্পর্শ করতে পারবো না? এভাবে হয় না।'' আন্তর্জাতিক আইন নাকচ করে দেয়ার মাধ্যমে তিনি এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদেরও বিস্মিত করে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার বলেছেন, ''আমি পুরোপুরি নিশ্চিত যে আমাদের প্রেসিডেন্ট, কমান্ডার ইন চিফ এ ধরণের কোন বেআইনি আদেশ দেবেন না।'' দায়িত্ব পালনকালে গোপন ড্রোন অভিযানের পক্ষে ২০১৯ সালে ব্যাখ্যা তুলে ধরেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এটা ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য আরেকটা অসামান্য বছর যেখানে তার এবং মন্ত্রিসভার মধ্যে মতবিরোধ প্রকাশ্যে বেরিয়ে এসেছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট নন যিনি এ ধরণের জ্বলন্ত বানী অথবা আগ্রাসী সামরিক নীতি দিয়ে জনগণকে হতভম্ব করে দিয়েছেন। শত বছর ধরে এসব নীতির ক্ষেত্রে বিতর্ক হয়েছে এবং প্রেসিডেন্টে সঙ্গে জনগণের ক্ষোভের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসেরই একটি অংশ। ৪৫তম প্রেসিডেন্ট দপ্তরের দায়িত্ব নেয়ার অনেক আগে, রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট নেতাদের সেসব সামরিক এবং গোয়েন্দা অভিযানগুলোর ব্যাপারে গোপনে তদারকি করতে দেয়া হয়েছে, যেগুলোর ক্ষেত্রে আইন আর বেআইনের সীমার অস্পষ্টতা রয়েছে। প্রেসিডেন্টদের অনেকে তাদের নীতিগুলো ন্যায়সঙ্গত করার চেষ্টায় মিলিটারি ফোর্সের ব্যবহারের অনুমোদন (এইউএমএফ) নামের একটি আইনের অনুমোদন নিয়ে লড়াই করেছেন। এই আইনে যারা ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলায় সহায়তা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে প্রেসিডেন্টরা ওই আইনকে বিস্তৃত করে ব্যাখ্যা করেছেন এবং বিশ্ব জুড়ে সামরিক অভিযানের বৈধতা দিতে সেটির ব্যবহার করেছেন। বারাক ওবামা তার দায়িত্ব পালনকালে গোপন ড্রোন হামলার অন্তত ৫৪০টি আদেশ দিয়েছেন। তথাকথিত 'উন্নত জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতির' অনুমোদন দিয়েছিলেন জর্জ ডব্লিউ বুশ, যেখানে নির্যাতনের পদ্ধতি হিসাবে মুখে কাপড় দিয়ে পানি ঢালাসহ অন্যান্য কৌশল খাটানো হতো। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন যে, এভাবে বিমান হামলা আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইনের লঙ্ঘন, তবে মি. ওবামা বিমান হামলার আইনি ভিত্তি রক্ষা করে চলেছেন। তার উপদেষ্টারা যুক্তি দেন যে, যাদের বিরুদ্ধে হামলা করা হয়েছে, তারা আমেরিকানদের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করছিলেন, ফলে তাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানো আন্তর্জাতিক আইনের মধ্যেই পড়ে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওবামার বিরুদ্ধে সমালোচনা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রেসিডেন্সিয়াল ইতিহাসবিদ রুৎজারর্স ডেভিড গ্রিনবার্গ বলছেন, প্রেসিডেন্টের বিমান হামলাকে দেয়া হয়েছে যুদ্ধের সবচেয়ে খারাপ বর্বরতাকে সীমাবদ্ধ করা হিসাবে। তার পূর্বসূরি জর্জ ডব্লিউ বুশ অবশ্য হাতে গোনা কিছু বিমান হামলার অনুমোদন দিয়েছিলেন। তবে তিনি যুদ্ধবিগ্রহকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তথাকথিত 'উন্নত জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতির' অনুমোদন দিয়েছিলেন তিনি, যেখানে নির্যাতনের পদ্ধতি হিসাবে মুখে কাপড় দিয়ে পানি ঢালাসহ অন্যান্য কৌশল খাটানো হতো। ইতিহাসবিদ ডেভিড গ্রিনবার্গ বলছেন, ''ইরাক যুদ্ধ এবং নির্যাতন কৌশলের কারণে বুশকে স্মরণে রাখতে হবে।'' তারও আগে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বিচার বহির্ভূত পথ বেছে নিয়েছিলেন, যার মাধ্যমে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীদের অন্য একটি দেশে নিয়ে যাওয়া হতো, যেখানে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হতো। ক্লিনটন ও অন্য প্রেসিডেন্টরা তাদের নীতির আইনগত ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। 'ইন্ডিয়ান রিম্যুভাল অ্যাক্টে' স্বাক্ষর করেছিলেন অ্যান্ড্রু জ্যাকসন, যে আইনের বলে আমেরিকার আদিবাসী ইন্ডিয়ানদের তাদের জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। শত বছর আগে আগে অ্যান্ড্রু জ্যাকসন, যিনি ১৮০০ সালের শুরুর দিকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, ঠিক একই কাজ করেছিলেন। তিনি 'ইন্ডিয়ান রিম্যুভাল অ্যাক্টে' স্বাক্ষর করেছিলেন, যে আইনের বলে আমেরিকার আদিবাসী ইন্ডিয়ানদের তাদের জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। অনেকে বলেন, তাদের জোর করে উচ্ছেদ করার ঘটনা ছিল 'বর্বরতা,'' বলছেন গ্রিনবার্গ। কিন্তু সেখানে অন্তত নিয়ম মেনে চলার একটা অজুহাত ছিল। কিন্তু সেরকমভাবে নিজের নীতিকে আবদ্ধ করার কোন দরকার বোধ করেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, বলছেন ইতিহাসবিদ গ্রিনবার্গ। ''আপনি চাইলেই কোন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বোমা ফেলতে পারেন না। কিন্তু তিনি যেন উল্লাসের সঙ্গে সেটা করতে চলেছেন।'' ট্রাম্পের সমর্থকরা বলছেন, তাঁর আড়ম্বরপূর্ণ ভাষা সত্ত্বেও আগের প্রেসিডেন্টদের তুলনায় তিনি সামরিক নীতির ক্ষেত্রে অনেক বেশি নিয়মনিষ্ঠ। হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের একজন বিশ্লেষক জেমস কারাফানো বলছেন, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আসলে কী করছেন, তা নিয়ে সতর্ক ছিলেন ট্রাম্প- যারা হচ্ছে সবচেয়ে রক্ষণশীল এবং সবচেয়ে সংযত। অন্য অনেক বিশ্লেষক বলেন, আসল সমস্যা হলো প্রেসিডেন্টদের অনেক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে এবং তারা কোন বিষয়কে অনেক দূর টেনে নিয়ে যেতে পারেন। ''তারা তাদের ক্ষমতাকে এমন কার্যক্রমে ব্যবহার করেছিল, যা আমরা অবৈধ, অনৈতিক বলে মনে করি- আপনি যেভাবেই বলেন না কেন,'' বলছেন অ্যান্ড্রু বাসিভিচ, পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান কুইনসি ইন্সটিটিউটের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলছেন, যুগে যুগে প্রেসিডেন্টরা আইনের সীমা নিয়ে ঠেলাঠেলি করেছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ভবিষ্যতে তাহলে কি ঘটতে চলেছে?
President Donald Trump's action and words directed at Iran have led his critics to accuse him of breaking international law. But he's not the first US president to endure this criticism in the theatre of war.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
সেপ্টেম্বরের শেষদিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছে ঐ অঞ্চলে একটি মেসেজিং অ্যাপে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায় যে সেনাবাহিনীর পোশাক পরা দুই আর্মেনিয়ান আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। আরেকটি ভিডিওতে ঐ দুই আর্মেনিয়ান নাগরিককে হাত বাঁধা অবস্থায় গুলি করতে দেখা যায় আজারবাইজানের সেনাবাহিনীকে। নিহত হওয়া দুই ব্যক্তিকে শনাক্ত করার পাশাপাশি তাদের পরিচয়ও প্রকাশ করেছে আর্মেনিয়ার কর্তৃপক্ষ। ইউরোপের মানবাধিকার পরিস্থিতি নজরদারির কাজে নিয়োজিত শীর্ষ সংস্থা কাউন্সিল অব ইউরোপ নিশ্চিত করেছে যে তারা ভিডিওটি হাতে পেয়েছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করবে। ককেশাস পর্বতমালার অঞ্চলটিতে ২৭শে সেপ্টেম্বর দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। তারপর থেকে দুই পক্ষের যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিক সহ কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছে। ঐ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত হলেও এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ করে জাতিগত আর্মেনিয়ানরা। ১০ই অক্টোবর প্রথম দফায় এবং ১৮ই অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সমঝোতা হলেও সংঘাত অব্যাহত থাকে। এরই মধ্যে ঐ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষকে ঘরছাড়া হতে হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার সংঘাত কি বৃহত্তর যুদ্ধে রূপ নিতে পারে? সিরিয়ানদের যুদ্ধ করতে আজারবাইজানে পাঠানো হচ্ছে নাগোর্নো-কারাবাখ: যেখানে যুদ্ধের কৌশল বদলে দিয়েছে তুর্কী ড্রোন আজেরীদের জাতীয় সত্ত্বা ঘিরে আছে স্বদেশ হারানোর যে ক্ষত আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধ: নাগোর্নো-কারাবাখে গিয়ে যা দেখেছে বিবিসি আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে আবার লড়াই শুরু হাদরুতে দুইজন আর্মেনিয়ান আটকের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে ভুয়া ভিডিও দুই পক্ষের সেনাবাহিনীই যুদ্ধবন্দী এবং প্রতিপক্ষের সৈন্যদের মরদেহের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছে বলে দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধবন্দীদের আঘাত করার বা হত্যা করার যেই ভিডিওগুলো প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলো থেকে মাত্র দুটি ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে পেরেছে বিবিসি। টেলেগ্রাম চ্যানেলগুলোতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে আজারবাইজানের একজন যুদ্ধবন্দীকে এক আর্মেনিয়ান সেনার দ্বারা গুলিবিদ্ধ হতে দেখা যায়। কিন্তু ঐ ভিডিওটি আসলে রাশিয়ার একটি ভিডিও, যেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ২০১৩ সালে প্রথমবার শেয়ার করা হয়েছিল। বিবিসি যে ভিডিও দু'টো যাচাই করতে পেরেছে, সেগুলো টেলিগ্রামে আজারবাইজানের সমর্থক একটি নামহীন রুশ চ্যানেলে গত সপ্তাহে প্রকাশ করা হয়েছিল। কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার দ্বন্দ্ব ভিডিওতে কী রয়েছে? প্রথম ভিডিওতে দুইজন আর্মেনিয়ান নাগরিককে বন্দী করার চিত্র দেখা যায়। ঐ ভিডিওতে আজারবাইজানের বাচনভঙ্গিতে রুশ ভাষায় আদেশ দিতে শোনা যায় এক ব্যক্তিকে। তিনি বন্দীদের অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিচ্ছিলেন। প্রথম ভিডিওর পরপরই দ্বিতীয় ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়, যেখানে ঐ দুই বন্দীকে হত্যার দৃশ্য দেখা যায়। দুইজন বন্দীর হাত পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল এবং তাদের শরীর আর্মেনিয়া ও অস্বীকৃত অঞ্চল নাগোর্নো-কারাবাখের পতাকায় আবৃত ছিল। তারা ছোট একটি দেয়ালের ওপর বসে ছিল। ঐ পর্যায়ে আজারবাইজানি ভাষায় কেউ একজন নির্দেশ দেয়: "তাদের মাথায় তাক করো।" এরপর একাধিক গুলির শব্দ শোনা যায় এবং দুই বন্দীকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখা যায়। যুদ্ধের কারণে বহু মানুষ শরণার্থী হয়ে পড়েছেন। ভিডিওকে 'ভুয়া' দাবি আজারবাইজানের বিবিসি নিশ্চিত করেছে যে দুই ভিডিওতেই নির্দেশ প্রদানকারী ব্যক্তি আঞ্চলিক বাচনভঙ্গিতে কথা বলা আজারবাইজানি নাগরিক। আর প্রথম ভিডিওতে দেখতে পাওয়া বন্দীদেরই দ্বিতীয় ভিডিওতে হত্যা করা হয়। আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভিডিওগুলোকে ভুয়া হিসেবে দাবি করেছে এবং এই ধরনের ভিডিও প্রকাশ করে উস্কানি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে। ভিডিও ক্লিপগুলো অবশ্য প্রকাশিত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সরিয়ে নেয়া হয়। তর পরদিনই আজারবাইজানের প্রসিকিউটর জেনারেল ঘোষণা দেন যে ঐ ভিডিওগুলো যে ভুয়া, তা তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। এই সড়কটি আর্মেনিয়া থেকে গেছে নাগোর্নো-কারাবাখে। ভিডিওগুলো কী আসলেই ভুয়া? প্রকাশিত হওয়া দু'টি ভিডিও যাচাই করে বিবিসি নিশ্চিত হতে পেরেছে যে সেগুলো হাদরুত অঞ্চলে নেয়া হয়েছে, দক্ষিণ নাগোর্নো-কারাবাখের ফুজুলি অঞ্চলের কাছের যেই শহরে তুমুল যুদ্ধ হয়েছে। ৯ থেকে ১৫ই অক্টোবরের মধ্যে কোনো সময় ভিডিওগুলো রেকর্ড করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজারবাইজান ৯ই অক্টোবর হাদরুত শহরের দখল নেয়ার দাবি করলেও তার তিনদিন পরও শহরটির দখলকে কেন্দ্র করে তীব্র যুদ্ধ হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে। বেলিংকাট ওপেন সোর্স তদন্তকারীরা প্রথমবার ঐ ভিডিওগুলোর সত্যতা নিয়ে বিশ্লেষণ প্রকাশ করে। তাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী: "ভিডিওতে আটক হওয়া দুই ব্যক্তি আর্মেনিয়ান যোদ্ধা যারা ৯ থেকে ১৫ই অক্টোবরের মধ্যে আজারবাইজানের সেনাদের, সম্ভবত স্পেশাল ফোর্স, হাতে আটক হওয়ার অল্প সময় পর মারা গেছে।" আজারবাইজানের অনলাইন কমেন্টেটররা ঐ ভিডিও ক্লিপের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন করলেও বিবিসি যেসব সেনা বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তারা মনে করেন যে ভিডিওটি আসল। সাবেক ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা বিবিসিকে নিশ্চিত করেন যে: "এগুলো আসল বুলেট এবং এটি আসল হত্যাকাণ্ড। এটিকে সাজানো মনে করার কোনো কারণ আমি দেখি না।" তিনি বলেন যে একটি গুলির ক্ষত থেকে মাথার মগজ সদৃশ বস্তু বের হয়ে আসতেও দেখা গেছে। চার দশক ধরে দুই দেশের মধ্যে চলছে এই দ্বন্দ্ব। আর্মেনিয়ার বক্তব্য কী? আর্মেনিয়ার মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা আরমান তাতোইয়ান আনুষ্ঠানিকভাবে বন্দীদের হত্যা করার ঘটনাকে 'অনস্বীকার্য যুদ্ধাপরাধ' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, "এই ভিডিওগুলিতে দেখা যায় যে আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর সদস্যরা বন্দীদের অপমান করে এবং চূড়ান্ত অপমানের মধ্য দিয়ে তাদের হত্যা করে।" তিনি জানান ইউরোপিয়ান আদালতে আর্মেনিয়ার প্রতিনিধি এরই মধ্যে ঐ ভিডিওগুলোর কপি চেয়েছেন। মি. তাতোইয়ান জানিয়েছেন যে তিনি ঐ ভিডিওগুলোর কপি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পক্ষকে পাঠাবেন। হাদরুত অঞ্চলের ঐ ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর যুদ্ধরত দুই পক্ষই বিবৃতি দিয়ে অনেক যুদ্ধবন্দীর নাম প্রকাশ করেছে। আজারবাইজান দুইজন বন্দীর চিকিৎসা সেবা পাওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে আর্মেনিয়ানরা কারাবাখের একটি হাসপাতালে এক আজারবাইজানি বন্দীর চিকিৎসা পাওয়ার ছবি প্রকাশ করেছে। যুদ্ধাপরাধ কী?
Videos of a potential war crime have emerged as fighting rages around the disputed territory of Nagorno-Karabakh between Azerbaijan and ethnic Armenians.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রচুর ব্যাগের ভেতর সংরক্ষণ করতে হয়। এভাবে কলোরাডোর রকি পর্বতমালার মাঝখানে গোপন একটি ভবনে মৃত প্রাণীর এক ভাণ্ডার গড়ে তোলা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে চলা পশু পাচারের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে প্রধান ভূমিকা পালন করছে ইউএস ফিস অ্যান্ড ওয়াইল্ড-লাইফ সার্ভিসে এবং ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ প্রপার্টি রিপোসিটরি-এটি বন সংরক্ষণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং অনন্য সংস্থা। মার্কিন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা বিভিন্ন বন্দরে এবং অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদে আটক করা অবৈধ বন্যপ্রাণী এবং পণ্য নিয়ে আসা হয়। ২২ হাজার বর্গফুট আয়তনের গুদামঘরটিতে বারো লাখের বেশি ধরনের মৃত বাঘ, হাতির শুঁড়ের বাতি, হাজার হাজার ভালুকের নখ, চিকিৎসা শাস্ত্রের বিভিন্ন পণ্য থেকে প্যাঙ্গোলিনের চামড়ার কাউবয় বুটজুতো ইত্যাদি উপকরণ মজুদ রয়েছে । এলিসা ডাহলবার্গ এবং সারাহ মেটযার -যাদের উদ্দেশ্য সচেতনতা তৈরি এটা যেন আলাদীনের মৃত্যুর গুহা। এই সংগ্রহশালাতে কেবল মৃত পশু-প্রাণী রাখা হয় তেমনটি নয়, বরং বিরল গাছপালা এবং গাছ থেকে তৈরি পণ্যও রয়েছে। এসবের অনেক পণ্য বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা প্রজাতি সংরক্ষণের আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুসরণ করে আনা। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে গত বিশ বছরে এসেছে সাতটি নতুন রোগ জিনগত পরিবর্তন-ঘটানো মানবশিশু তৈরি করা কি উচিত? শিক্ষা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ সারা মেটযার চারবছর ধরে সংগ্রহশালায় কাজ করেছেন। তার কাছে এটা কেবল প্রাণীদের কোন অন্তিম ঠিকানা নয় কিন্তু এটি নতুন কোনও সূচনা ঘর যেখানে এসব পণ্যের নতুন করে শুরু করার সুযোগ। "এটা কোন সমাধি ক্ষেত্র নয়, তাদের নতুন এক উপায়ে নতুন উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো হয়েছে। এটা ভুল ধারণা যে, যেসব বস্তু আমাদের কাছে আসে সেগুলো এরপর কেবল চিরকালের জন্য তা বসিয়ে রাখা হয়, এবং ধুলোয় মলিন নয়, আসলে তা নয়। এসব বস্তু যেন তার প্রজাতির প্রতিনিধি। এসব উপকরণ যখন প্রথম জব্দ করা হয় হুবহু সেরকম রাখা হয়েছে। বন্যপ্রাণী নিয়ে বৈশ্বিক ব্যবসা বহু প্রাণী বিলুপ্তির বড় একটি কারণ। অক্টোবর মাসে আমেরিকা এবং ব্রিটেনের এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, পৃথিবীর প্রতি পাঁচটি মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে একটি পাচারকারীদের শিকার হয়ে নিয়ে আসা হয় এবং বন্যপ্রাণীর বাজারে বেচে দেয়া হয়। কেবল মাত্র সাতজন কর্মী , মূলত সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহার করা সম্পদ, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ, বন সংরক্ষক এবং শিক্ষাবিদদের নিয়ে চালু করা হয়েছিল এই সংগ্রহশালা। কেবলমাত্র ছোট্ট একটি অংশ সাধারণ ব্যক্তিদের উন্মুক্ত, এবং সেটা পূর্বানুমতি সাপেক্ষে নির্দিষ্ট দিনে হতে হবে। ইউএস ফিস অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ সার্ভিসের ন্যাশনাল ফরেনসিক গবেষণাগারের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হতো এই সংগ্রহশালা, কিন্তু ১৯৯০ এর দশকে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, এই সংগ্রহশালার নিজস্ব স্থান দরকার এবং সুতরাং এই স্থান নির্ধারণ করা হয়। "বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, চিড়িয়াখানা, প্রাকৃতিক নিদর্শন-কেন্দ্র এবং যাদুঘর-এসব বিভিন্ন সত্ত্বা পরিবেশগত শিক্ষার কাজ করে অথবা সংরক্ষণ কাজ অবশ্যই এখানে কিছু উপকরণের অভিগমনের অধিকার পাবে শিক্ষাগত এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য"। সব প্রাণীকে এমনভাবে শ্রেণীবিন্যাস করা হয় যাতে তারা কাছাকাছি থাকতে পারে। সংরক্ষণাগারের পক্ষ থেকে বিদেশ থেকে কেবল প্রাণী, উদ্ভিদ বা জীবজন্তু আমদানি করা হয় তেমনটি নয়। এর একটি পূর্নাঙ্গ শাখা রয়েছে যারা অবৈধভাবে পাচারের সময় ধরা পড়া উত্তর আমেরিকার পশু-প্রাণী নিয়ে কাজ করে। মিজ মেটযার বলেন, "এইসব বন্দরের প্রবেশ পথে এবং অপরাধ তদন্তের সময় জিজ্ঞাসাবাদের সময় আসলে যা জব্দ করা হয়, তার হিসেবে এখানে আপনি যা দেখবেন তা সিন্ধুতে কেবল একটি বিন্দুর মত। আমরা কী গ্রহণ করছি সে ব্যাপারটি খুবই সুনির্দিষ্ট কারণ আমরা নির্দিষ্ট কিছু প্রজাতি তুলে ধরতে চাই যেগুলো অবৈধ চোরা-কারবারীদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। অনেক অনেক ফ্যাশন আইটেম দিয়ে ভরা সংগ্রহশালাটি। গতমাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প-এর প্রশাসন বিপন্ন প্রজাতি রক্ষার আইনের বড় ধরনের পরিবর্তনের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করে। বর্তমানে এটি আমেরিকায় ১৬০০-র বেশি প্রজাতির সুরক্ষা দিচ্ছে। এই পরিবর্তনের ফলে বিপন্ন গাছপালা এবং প্রাণী ও প্রজাতিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেয়া সুরক্ষা অপসারিত হবে এবং বিপন্ন প্রজাতির তালিকা থেকে প্রজাতির বাদ পড়ার প্রক্রিয়া সহজ করবে। এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন নিরপেক্ষ বন সংরক্ষকরা। বড় বড় বিড়ালের সমাহার ঘটেছে সেখানে। এই গুদামঘরে মৃত বিশাল বিশাল বিড়াল রয়েছে, তারা নানা রকম ভঙ্গিমায় রয়েছে। এর কারণ বড় বিড়ালের চামড়া এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ সবসময়ই খুবই মূল্যবান শিক্ষাগত উপকরণ। "আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু প্রজাতিকে তুলে ধরার জন্য এগুলো ব্যবহার করছি এবং যেগুলো খুব খুব বেশি মাত্রায় হারিয়ে যাওয়ার হুমকিতে সেগুলোর বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি", বলেন মিজ মেটযার এসব উপকরণ যেভাবে আটক করা হয়েছিল সংগ্রহশালায় ঠিক সেরকমই রাখা হয়েছে। কর্মীরা নতুন আসা উপকরণ সাজাচ্ছে। "আমরা এগুলো কোনভাবেই পরিবর্তন করছি না। এগুলো যেভাবে আমাদের কাছে আসবে সেভাবেই রাখা হাবে"। "যখন দর্শনার্থীরা বা স্কুল শিক্ষার্থীরা আসে তারা এগুলোর সাথে একাত্ম হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে প্রশংসা কুড়ানো, সচেতনতা বাড়ানো, এবং এসব প্রজাতি সম্পর্কে জানানো সম্ভব" এমনই মনে করেন মিজ মেটযার। প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই সংগ্রহশালাকে আরো হাতের নাগালের আনার চিন্তাভাবনা চলছে। এই গুদামে কমপক্ষে তিন হাজার ভাল্লুকের নখযুক্ত থাবা রয়েছে। এই ভবনটি কোনও মিউজিয়াম বা যাদুঘর নয়, বলেন মিজ মেটযার, "এইসব বস্তু সংরক্ষণ করার জন্য নয়, এগুলো দূর করার জন্যই আমরা কাজ করছি"। সমগ্র ব্যবস্থাটি পরিচালিত হয় অনন্য এক উপায়ে অর্জিত এক তহবিলের অর্থ থেকে। আর তা হল নির্দিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকের সময় বিভিন্ন জরিমানা এবং ফি থেকে অর্জিত অর্থ। কোন কোন উপকরণ বাজেয়াপ্ত করার পরে সংগ্রহশালায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে বছরে বছর খানেকও পেরিয়ে যেতে পারে। এই সংগ্রহশালার কোন প্রাণীর আকার-গড়ন পরিবর্তন করা হয়না। যেমন আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে থাকা এই মৃত বাঘটি যেন মানুষ খেকো বিশাল বিড়াল কখনো কখনো বাড়ি পরিচ্ছন্ন করার সময় কেউ কেউ এই সংগ্রহশালায় কোন উপকরণ দান করতে আগ্রহী হলে তারা চাইলে এর বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রমও চালাতে পারে। পুরনো প্রজন্মের যেরকম মূল্যবোধ ছিল তরুণ প্রজন্মের মূল্যবোধ একইরকম নয়, বলেন মিজ মেটযার। "সুতরাং তাদের কাছে এসব উপকরণের জন্য একইরকম সহজাত মূল্যায়ন পাবে না, এবং একই সাংস্কৃতিক বন্ধন হবে না। ফলে তারা এটিকে দায়বদ্ধ-ভাবে নিষ্পত্তি করে দিতে চায় এ ধরনের কোন সংগ্রহশালায়।" অন্যান্য খবর: জীবন বাজি রেখে ব্রিটেনে আসতে মরিয়া ভিয়েতনামীরা চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে সাকিবের বিরুদ্ধে নোটিস ফেসবুকে ইসলাম অবমাননা: ধর্মীয় নাকি রাজনৈতিক বিষয়
Just outside Denver a huge warehouse holds a strange assortment of objects - among them are stuffed tigers, elephant trunks and pangolin cowboy boots. This is the front line in the fight against a deadly global trade.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
মনিকা লিউনস্কি, বামে ও স্টর্মি ড্যানিয়েলস, ডানে। গত শতাব্দীর ১৯৯০ এর দশকে ওই কেলেঙ্কারির জেরে সেসময় প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টনকে ইমপিচ করা অর্থাৎ সংসদীয় বিচারের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অপসারণ করার কথাও উঠেছিল। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেলাতেও এরকম একটি কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে এসেছে। এই আলোচনা পর্ন-তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সাথে তার যৌন সম্পর্ককে কেন্দ্র করে। তাহলে মি. ট্রাম্পের ক্ষেত্রেও কি একই ধরনের পরিণতি হতে পারে? তিনিও কি টিকে যেতে পারবেন এই ঘটনায়? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই পর্ন-তারকার সাথে ২০০৬ সালে কথিত সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন। মি. ক্লিনটনের কেলেঙ্কারির বেলাতেও যেমন যৌনতার চেয়ে সত্য/ মিথ্যা বলার উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছিল, ঠিক তেমনটা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেলাতেও। এই দুটো ঘটনার মধ্যে কোথায় কোথায় মিল আর কোথায় অমিল? ক্লিনটন-লিউনস্কির ওই কেলেঙ্কারি ট্রাম্প-ড্যানিয়েলস ইস্যুতে কি ধরনের ভূমিকা রাখছে... ক্লিনটন-লিউনস্কি: পেছন ফিরে দেখা "ওই নারীর সাথে আমার কোন যৌন সম্পর্ক ছিলো না"- ১৯৯৮ সালে করা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের এই উক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্মরণীয় ও আলোচিত উক্তিগুলোর একটি। তার এই বক্তব্য সত্যও ছিলো না। পরে প্রমাণ হয়েছে যে হোয়াইট হাউজের শিক্ষানবিশ, তরুণী মনিকা লিউনস্কির সাথে তার 'সম্পর্ক' হয়েছিল। মিজ লিউনস্কির এক বান্ধবী এবং সহকর্মী লিন্ডা ট্রিপ গোপনে তাদের এক আলোচনা রেকর্ড করেছিলেন যাতে তিনি ওই সম্পর্কের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে সেটা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। আরো পড়তে পারেন: পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তির পেছনে যে ৭টি কারণ ভাতে চুল: শিশু গৃহকর্মী হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা মাদকবিরোধী অভিযান: প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি মনিকা লিউনস্কির সাথে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন। সেসময় প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা করেছিলেন সরকারি এক কর্মকর্তা পলা জোন্স। ওই মামলায় লিখিতভাবে বিবৃতি দিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল মিজ লিউনস্কিকে। তখন তিনি তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। পরে অবশ্য ওই মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। শপথ নিয়েও প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন নিজেও এধরনের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন। এবং তখনই তার বিরুদ্ধে শপথ-ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। ট্রাম্প-স্টর্মি: কী হয়েছিল পর্ন অভিনেত্রী স্টর্মি ড্যানিয়েলস বলেছেন, ২০০৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তার যৌন সম্পর্ক হয়েছিল এবং সেটা হয়েছিল দু'জনের সম্মতিতেই। সেটা অবশ্য তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার বহু আগে। মি. ট্রাম্প তখন ছিলেন এক টিভি তারকা। দ্য অ্যাপ্রেন্টিস নামে জনপ্রিয় একটি রিয়েলিটি টিভি শো উপস্থাপনা করতেন তিনি। স্টর্মি ড্যানিয়েলস বলেছেন, সেটা একবারই হয়েছে, এক গল্ফ টুর্নামেন্টের সময় হোটেলের একটি কক্ষে। এর পরেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল বলে তিনি দাবি করছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও বিল ক্লিনটন। এধরনের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বলা হচ্ছে, এরকম হয়ে থাকলে ঘটনাটি ঘটেছে মি. ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া যখন সন্তানসম্ভবা ছিলেন, সেসময়। এবছরের শুরুর দিকে আরেকটি চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশিত হয় যে মি. ট্রাম্পের একজন আইনজীবী স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন এবিষয়ে তার মুখ বন্ধ রাখার জন্যে। এবং অর্থের বিনিময়ে সেই সমঝোতাটি হয়েছিল ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে আগে। তারপর থেকে মি. ট্রাম্প নিজে এবং তার আইনজীবীরা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে অর্থ দেওয়ার ব্যাপারে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে এই অর্থ দেওয়ার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঠিক কতোটা জানতেন। কথিত এই সমঝোতাকে বাতিল ঘোষণা করতে মিজ ড্যানিয়েলস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। তার অভিযোগ- যে সমঝোতার কথা বলা হচ্ছে সেটি অকেজো, কারণ তাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সই করেন নি। অন্যদিকে, মি. ট্রাম্পের আইনজীবীরা তার কাছ থেকে দুই কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চাইছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে তিনি এমন একটি সমঝোতার কথা ফাঁস করে দিয়েছেন যেটি করার কথা ছিল না। এখন এই পরিস্থিতিতে এরকম একটি কেলেঙ্কারি বেলাতে যেসব যুক্তি দেওয়া হচ্ছে সেগুলো একটু তুলনা করে দেখা যেতে পারে। "ট্রাম্পের যখন ওই সম্পর্ক ছিল তখন তিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন না।" সত্য। কিন্তু অর্থ পরিশোধ করা হয়েছিল যখন তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্যে লড়ছিলেন। এখানে কিছু আইনগত বিষয় থাকতে পারে। অর্থটা যদি এই প্রচারণা তহবিল থেকে দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে সেটা হবে কেন্দ্রীয় আইনের লঙ্ঘন। ওয়াশিংটনে মনিকা লিউনস্কি। "প্রেসিডেন্টের যৌন জীবন আমাদের কোন বিষয় নয়" ঠিকই। কেউ যদি তার স্ত্রী বা স্বামীর সাথে প্রতারণা করেন তাহলে তাকে ইমপিচ করা যায় না। কিন্তু ক্লিনটনের বেলায় লোকজনের যুক্তি ছিল যে প্রেসিডেন্ট যদি শপথ নিয়ে এবিষয়ে মিথ্যে বলে থাকেন, তাহলে হয়তো তিনি আরো অনেক বিষয়েও মিথ্যে বলে থাকতে পারেন। ট্রাম্পের বেলাতেও তার সমালোচকরা একই ধরনের বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ তুলছেন। তারা বলছেন, গোপনে এধরনের অর্থ দেওয়ার ঘটনায় মনে হচ্ছে, সেখানে ব্ল্যাকমেইলের মতো বিষয়ও থাকতে পারে। "কেলেঙ্কারি ট্রাম্পের গায়ে লাগে না" এখনও পর্যন্ত অনেকেই মনে করেন, মনিকা লিউনস্কির সাথে ক্লিনটনের এই সম্পর্ক তার মেয়াদের সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনাগুলোর একটি। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কেলেঙ্কারিকে ঘিরে এখনও অনেক কিছু ঘটছে। তিনিও কি এরকম একটি কথিত সম্পর্কের পর টিকে যেতে পারবেন? শেষ পর্যন্ত কীভাবে এই নাটকের পরিসমাপ্তি ঘটে সেটা বলার সময় এখনও আসেনি। স্টর্মি ড্যানিয়েলস। কীভাবে টিকে গিয়েছিলেন ক্লিনটন, কী হবে ট্রাম্পের বেলায়? বিল ক্লিন্টনকে কখনো ক্ষমতাচ্যুত করা হয়নি। হাউজ রিপাবলিকান তাকে ইমপিচ করেছিল কিন্তু পরে সেনেটে তাকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়। তারপর ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। এখন স্টর্মি কেলেঙ্কারি কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পতনের কারণ হতে পারে? আইনজীবীরা বলছেন, এটা নির্ভর করছে অনেক কিছুর উপর- এরকম কি আর কখনো হয়নি, তাদের মধ্যে আর কোন সমঝোতা হয়েছিলো কিনা যেটা আমরা এখনও জানতে পারিনি ইত্যাদির উপর। অনেকে মনে করছেন, ডেমোক্র্যাটরা যদি কংগ্রেসে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে, স্টর্মি ড্যানিয়েলস কেলেঙ্কারির ঘটনায় ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব আনতে তারা দ্বিধা করবে - কারণ তা না হলে ক্লিনটনের বেলায় তারা যেসব যুক্তি তর্ক দিয়েছিলেন সেগুলোই তাদেরকে এখন হজম করতে হবে। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বেশিরভাগ যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনাতেই এরকমটা হয়ে থাকে। একজন আইনজীবী বলেছেন, "যৌন কেলেঙ্কারির যেসব বিষয় খুব সহজে হজম করা যায় লোকজন প্রথমে সেগুলো হুড়মুড় করে খেতে থাকে কিন্তু পরে তারা যার যার দলীয় অবস্থান ও বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে ভাগ হয়ে যায়।"
In the 1990s, an affair between US President Bill Clinton and White House intern Monica Lewinsky caused a global furore and an impeachment.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ ছাড়াও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ 'ঘৃণা উদ্রেককারী' বক্তব্য ছড়ানো এবং সন্ত্রসবাদকে উস্কানি দেয়ার অভিযোগও এনেছে। বর্তমানে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা মি. নায়েকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২.৮ কোটি ডলার (২.১ কোটি পাউন্ড) মূল্যের অবৈধ সম্পদের মালিক। মি. নায়েক অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এছাড়া ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে 'ঘৃণা উদ্রেককারী' বক্তব্য ছড়িয়ে দেয়া এবং সন্ত্রসবাদকে উস্কানি দেয়ার অভিযোগও এনেছে। ৫৩ বছর বয়সী মি. নায়েক তাঁর টেলিভিশন চ্যানেল 'পিস টিভি'র মাধ্যমে কট্টরপন্থী ইসলামী মতবাদ প্রচার করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতে পিস টিভির সমম্প্রচার নিষিদ্ধ হলেও বিশ্বব্যাপী এই চ্যানেলের ২০ কোটি দর্শক রয়েছে। দুবাই ভিত্তিক এই চ্যানেলের মালিকানা ইসলামিক নিসার্চ ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থার - যেই সংস্থাটির প্রধান জাকির নায়েক নিজেই। ২০১৬ সালের পয়লা জুলাই ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা চালানো বন্দুকধারীদের একজন 'পিস টিভি'র মাধ্যমে হামলায় উৎসাহিত হয়েছিল - এমন অভিযোগ ওঠার পর বাংলাদেশেও পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়। বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের একটি আদালতে মি. নায়েকের বিরুদ্ধে আর্থিক অপরাধের অভিযোগ এনে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দাবি করে যে তিনি অপরাধমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে লক্ষাধিক ডলার অর্থ আয় করেছেন। সংস্থাটি দাবি করে, মি. নায়েক 'বিতর্কিত এবং সন্দেহজনক উৎস' থেকে পাওয়া অর্থ ব্যবহার করে ভারতে ভূমির মালিক হয়েছেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য অর্থায়ন করেছেন, যেসব অনুষ্ঠানে তিনি নিজে 'উস্কানিমূলক বক্তব্য' দিয়েছেন। মি. নায়েক অবশ্য দাবি করেছেন তিনি বৈধ পন্থাতেই অর্থ আয় করেছেন। কে এই জাকির নায়েক? ধর্মের প্রতি জাকির নায়েকের মৌলিক ধারণা সবসময়ই বিতর্কিত ছিল। মুম্বাইয়ের মুসলমান অধ্যুষিত এলাকা ডংগ্রিতে ১৯৬৫ সালে এক ডাক্তার পরিবারে তার জন্ম । ডংগ্রি একসময় কুখ্যাত ছিল চোরাকারবারী, অপরাধী জগত এবং গুন্ডাদের আখড়ার জন্য এবং এই এলাকা তার দুর্নাম কখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি।ৱ আরও পড়ুন: ধর্ম-বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ জাকির নাইকের বিরুদ্ধে 'জাকির নায়েকের প্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ করা সঠিক সিদ্ধান্ত' জাকির নায়েকের এনজিওতে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি ২০১৬ সালে ঢাকায় হামলার পর ভারতে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এলাকাটি দাউদ ইব্রাহিমসহ কুখ্যাত অপরাধীদেরও আবাসস্থল। তার পিতা ছিলেন চিকিৎসক, তার বড়ভাইও চিকিৎসক। সেন্ট মেরিস হাইস্কুলে লেখাপড়া শেষ করে তিনি মুম্বাইয়ের টোপিওয়ালা ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়েন। ১৯৯১ সালে ডাক্তারি ছেড়ে দিয়ে ডংগ্রিতেই তিনি গড়ে তোলেন ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবরে জানা যায়, আটক হওয়া অনেক আল-কায়েদা অনুসারী তাদের জবানবন্দীতে বলেছে যে তারা জাকির নায়েকের দ্বারা দারুণভাবে প্রভাবিত হয়েছে। ২০১০ সালে 'অগ্রহণযোগ্য ব্যবহার' এবং বিতর্কিত বক্তব্য প্রদানের জন্য যুক্তরাজ্যে প্রবেশ নিষিদ্ধ হয় মি. নায়েকের। তবে তিনি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন ২০১৬ সালে ঢাকার হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর। বাংলাদেশের গণমাধ্যম দাবি করেছিল যে হামলাকারীদের একজন জাকির নায়েকের বক্তব্য থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। ঐ মাসেই বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ 'পিস টিভি'র সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে। ২০১৬ সালের নভেম্বরে ভারতের কাউন্টার টেররিজম এজেন্সি ধর্মকে পূঁজি করে ঘৃণা ছড়ানো এবং অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য মি. নায়েকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনে। এরপর ২০১৭ মালে মি. নায়েক মালয়েশিয়ায় চলে যান। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ফণী এখন উড়িষ্যা অতিক্রমের পর রাতে আঘাত হানবে বাংলাদেশে বাংলাদেশে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াল ৫টি ঘূর্ণিঝড় সাংবাদিক মায়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার পেতে ছেলের লড়াই
Indian prosecutors have charged controversial Islamic preacher Zakir Naik with money laundering.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ভারতে প্রথম জীবন রক্ষাকারী বোন কাভ্যিয়া সোলাঙ্কি। কাভ্যিয়া সোলাঙ্কির জন্ম ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে। এবছরের মার্চ মাসে, তার বয়স যখন দেড় বছর, তার দেহ থেকে অস্থিমজ্জা সংগ্রহ করে সেটা তার সাত বছর বয়সী বড় ভাই অভিজিৎ-এর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। অভিজিৎ থ্যালাসেমিয়ায় ভুগছিল। এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর রক্তে অক্সিজেন পরিবহনকারী হিমোগ্লোবিন কণার উৎপাদনে ত্রুটি দেখা দেয় যার ফলে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বিপজ্জনকভাবে হ্রাস পায়। একারণে অভিজিৎকে প্রচুর রক্ত দিতে হতো। "২০/২২ দিন পর পর তাকে ৩৫০ থেকে ৪০০ মিলিলিটার রক্ত দেওয়ার দরকার হতো। তার বয়স ছয় বছরে পৌঁছানোর আগেই তাকে ৮০ বার রক্ত দেওয়া হয়," বলেন তার পিতা সাহদেভসিন সোলাঙ্কি। এই পরিবারটি থাকে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের সবচেয়ে বড় শহর আহমেদাবাদে। তিনি বলেন, "আমার বড় কন্যার পর অভিজিৎ-এর জন্ম হয়। আমরা খুব সুখী একটা পরিবার ছিলাম। তার বয়স যখন মাত্র ১০ মাস তখন আমরা জানতে পারলাম যে সে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। আমরা সবাই ভেঙে পড়লাম। সে খুব দুর্বল ছিল। তার রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা ঠিক মতো কাজ করতো না এবং এর ফলে সে প্রায়শই অসুস্থ হয়ে পড়তো।" "আর যখন আমি জানতে পারলাম যে এই রোগের কোন চিকিৎসা নেই তখন আমার কষ্ট দ্বিগুণ হয়ে গেল," বলেন. মি সোলাঙ্কি। যেভাবে শুরু কী কারণে তার সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়েছে সেটা বোঝার জন্য তিনি এই অসুখের ওপর প্রচুর লেখাপড়া করতে শুরু করেন। একই সঙ্গে এর কী ধরনের চিকিৎসা আছে সেটা জানতেও তিনি মোটামুটি গবেষণা চালান এবং এবিষয়ে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি জানতে পারেন এই রোগ থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠার জন্য একটি চিকিৎসা আছে আর সেটি হলো অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন। তখন তিনি এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিতে লাগলেন। কিন্তু সমস্যা হলো এই পরিবারের আরো যারা সদস্য আছে তাদের কারো অস্থিমজ্জার সঙ্গে অভিজিৎ-এর অস্থিমজ্জা ম্যাচ করছিল না। এমনকি তার বড় বোনের সাথেও মিল পাওয়া গেল না। অভিজিৎ-কে ২০/২২ দিন পর পর রক্ত দিতে হতো। অভিজিৎ এর পিতা ২০১৭ সালে একটি লেখা পড়েন যেখানে "জীবন রক্ষাকারী ভাই বোনের" কথা বলা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে কারো শরীরে অঙ্গ, কোষ বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের জন্য উপযোগী করে ওই ব্যক্তির ভাই কিম্বা বোনের জন্ম দেওয়ার কথা এবং তাদেরকে "জীবন রক্ষাকারী ভাই বোন" বলা হয়। তখন তিনি এবিষয়ে আরো বেশি কৌতূহলী হন এবং পরে ভারতের একজন প্রখ্যাত ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ ড. মনীষ ব্যাঙ্কারের শরণাপন্ন হলেন। সন্তান অভিজিৎ-এর চিকিৎসার জন্য থ্যালাসেমিয়া-মুক্ত ভ্রূণ তৈরির জন্য তিনি তখন ওই চিকিৎসককে চাপ দিতে লাগলেন। মি. সোলাঙ্কি বলেন, তারা "জীবন রক্ষাকারী ভাই বোন" জন্ম দেওয়ার পথ বেছে নিয়েছেন কারণ তাদের কাছে এছাড়া আর কোন বিকল্প ছিল না। কাভ্যিয়ার জন্ম একটি হাসপাতাল থেকে সোলাঙ্কির পরিবারকে বলা হলো যে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের জন্য ম্যাচ করে এরকম একটি টিস্যুর সন্ধান তারা পেয়েছেন, তবে সেটি যুক্তরাষ্ট্রে। এর পেছনে খরচও পড়বে খুব বেশি- ৫০ লাখ থেকে এক কোটি রুপি। এছাড়াও দাতা যেহেতু অভিজিৎ-এর কোন আত্মীয় নয় সেকারণে তাতে সফল হওয়ার সম্ভাবনা মাত্র ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। বিজ্ঞানের যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাভ্যিয়াকে জন্ম দেওয়া হয়েছে তাকে বলা হয় প্রি-ইমপ্ল্যানটেশন জেনেটিক ডায়াগনোসিস। এই পদ্ধতিতে প্রথমে ভ্রূণ পরীক্ষা করে দেখা হয় যে তাতে কোন রোগ আছে কিনা, থাকলে এর জন্য দায়ী জিনটিকে শনাক্ত করে তার ত্রুটি সংশোধন করা হয়। মি. সোলাঙ্কি বলেছেন, কাভ্যিয়াকে তিনি এখন সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন। আরো পড়তে পারেন: রক্ত দেয়ার আগেই জেনে নিন কিছু জরুরি তথ্য জিন সম্পাদনা কি বদলে দেবে ভবিষ্যতের মানব শিশুকে জিনগত পরিবর্তন-ঘটানো মানবশিশু তৈরি করা কি উচিত? চীনে মায়ের গর্ভস্থ শিশুর জিন পাল্টে দেয়ার দাবি ভারতে এই প্রযুক্তিটি গত কয়েক বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এই প্রথম এর সাহায্যে সেদেশে "জীবন রক্ষাকারী বোন" এর জন্ম দেওয়া হলো। ড. ব্যাঙ্কার বলেছেন, ভ্রূণ তৈরি করা, স্ক্রিনিং করা এবং অভিজিৎ-এর সঙ্গে সেটি ম্যাচ করে কিনা - এসব পরীক্ষা করে দেখতে তার ছয় মাসের মতো সময় লেগেছিল। তার পর সব কিছু যখন ঠিকঠাক মতো হলো তখন সেই ভ্রূণ স্থাপন করা হলো মাতৃগর্ভে। জন্মের পরে "কাভ্যিয়ার জন্মের পর আমাদেরকে আরো ১৬ থেকে ১৮ মাস অপেক্ষা করতে হলো যাতে তার ওজন বেড়ে ১০/১২ কেজি হয়। তার পর এই মার্চ মাসে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হলো। তার পর আমরা আরো কয়েকমাস অপেক্ষা করলাম অভিজিৎ-এর শরীর কাভ্যিয়ার অস্থিমজ্জা গ্রহণ করেছে কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য," তিনি বলেন। মি. সোলাঙ্কি বলেন, "প্রতিস্থাপনের পর সাত মাস চলে গেছে এবং এর পর অভিজিৎকে আর কোন রক্ত দিতে হয়নি।" "সম্প্রতি আমরা তার রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখেছি। তার হিমোগ্লোবিন এখন ১১ এর উপরে। ডাক্তাররা বলেছেন ও সুস্থ হয়ে গেছে।" অভিজিৎ-এর শরীরে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের অপারেশনটি করেছেন ড. দীপা ত্রিভেদি। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, প্রতিস্থাপনের পর কাভ্যিয়ার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গিয়েছিল। ফলে তার শরীরের যেখান থেকে অস্থিমজ্জা নেওয়া হয়েছিল সেখানে কয়েকদিনের জন্য ব্যথা ছিল। কিন্তু এখন সেটা পুরোপুরি সেরে উঠেছে।" "কাভ্যিয়া ও অভিজিৎ- তারা দুজনেই এখন পুরোপুরি সুস্থ," বলেন তিনি। মি. সোলাঙ্কি বলেছেন, কাভ্যিয়ার আবির্ভাব তাদের জীবন আমূল বদলে দিয়েছে। "অন্য ছেলেমেয়েদের চেয়ে আমরা এখন ওকে বেশি ভালবাসি। সে শুধু আমাদের সন্তান নয়, সে আমাদের পরিবারের একজন জীবন রক্ষাকারীও। আমরা তার কাছে চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকবো।" প্রথম জীবন রক্ষাকারী ভাই এরকম জীবন রক্ষাকারী ভাই কিম্বা বোন জন্ম দেওয়ার ঘটনা প্রথম ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ২০ বছর আগে। তার নাম ছিল অ্যাডাম ন্যাশ। ছয় বছর বয়সী বোনের চিকিৎসার জন্য তাকে জন্ম দেওয়া হয়েছিল। তার বোন ফ্যানকোনি এনিমিয়া নামের একটি দুরারোগ্য অসুখে ভুগছিল। এটি একটি জেনেটিক রোগ। ভারতে চার কোটিরও বেশি মানুষ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। সেসময় অ্যাডাম ন্যাশকে জন্ম দেওয়ার ঘটনা নিয়ে বহু বিতর্ক হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল আসলেই কি তার জন্ম প্রত্যাশিত ছিল নাকি শুধু তার বোনকে বাঁচানোর জন্য "চিকিৎসা সামগ্রী" হিসেবে তাকে জন্ম দেওয়া হয়েছে। তখন অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন এই প্রযুক্তি কি শেষ পর্যন্ত "আরো উন্নত মানব" কিম্বা নিজেদের চাহিদা ও পছন্দ মতো "ডিজাইনার শিশু" তৈরির প্রচেষ্টায় পর্যবসিত হয় কিনা। পরে ২০১০ সালে ব্রিটেনেও যখন এরকম জীবন রক্ষাকারী এক শিশুর জন্ম দেওয়া হয় তখন আবারও এই বিষয়ে বিতর্ক শুরু হয়। কাভ্যিয়ার জন্মের পর এখন ভারতেও সেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। নৈতিকতার বিতর্ক "এর নীতি নৈতিকতা নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে বিতর্ক চলছে। জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট বলেছেন, শুধুমাত্র আপনি লাভবান হবেন সেজন্য কাউকে ব্যবহার করা উচিত নয়," বলেন প্রফেসর জন ইভান্স, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক তিনি। মানব জিন সম্পাদনার নীতি নৈতিকতা বিষয়েও একজন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ইভান্স। "পিতামাতার উদ্দেশ্য কী সেটা আমাদের দেখতে হবে। আপনি কি আপনার অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসার জন্য তাকে জন্ম দিতে চান? যদি তাই হয়, তাহলে একজন শিশুর অনুমতি ছাড়াই তাকে আপনি ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন," বলেন তিনি। প্রফেসর জন ইভান্স বলেন, জীবন রক্ষাকারী এই শিশুটিকে কী কাজে ব্যবহার করা হবে সেই প্রশ্নও উঠবে। "একটি দিক হচ্ছে- মাতৃ-জঠরে ভ্রূণের নাভির সঙ্গে মায়ের ফুলের সংযোজক নালী থেকে কোষ সংগ্রহ করা হয়, আবার আরেকটি দিক হচ্ছে- কোন অঙ্গ নেওয়ার জন্যও এধরনের শিশুর জন্ম দেওয়া হয়। অস্থিমজ্জা সংগ্রহের বিষয়টি এর মাঝামাঝি পর্যায়ে পড়ে- এমন নয় যে এখানে কোন ঝুঁকি নেই কিন্তু এটা আবার অঙ্গ নেওয়ার মতো ক্ষতিকর কিছু নয়। অঙ্গ প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হলে অনেক সময় দাতার স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে," বলেন প্রফেসর ইভান্স। তবে তার মতে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো- এর শেষ কোথায়? "এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ একটি জায়গা এবং এর সীমা বেঁধে দেওয়াও খুব কঠিন। হয়তো অস্থিমজ্জার জন্য এরকম জীবন রক্ষাকারী ভাই কিম্বা বোনের জন্ম দেওয়া হলো কিন্তু এটা কি সেখানেই থেমে যাবে? এর ফলে যে মানুষের বর্তমান জিনে পরিবর্তন ঘটানো হবে না সেটা কে নিশ্চিত করবে?" তিনি বলেন, ব্রিটেনে এবিষয়ে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে যেখান থেকে জেনেটিক পরিবর্তনের জন্য অনুমোদন নিতে হয়। ফলে সেখানে এই ঝুঁকি এড়ানোর একটা উপায় আছে। "কিন্তু ভারতে এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা খুব একটা শক্তিশালী নয়। এবং এটা হচ্ছে প্যান্ডোরার বক্স খুলে দেওয়ার মতো বিষয়," বলেছেন সাংবাদিক ও লেখক নমিতা ভান্ডারে। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে বার বার রক্ত দিতে হয়। "সোলাঙ্কি পরিবার ঠিক কাজ করেছে কিনা আমি সেটা বিচার করতে চাই না। এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে পিতা মাতা হিসেবেও আমিও হয়তো ঠিক এই কাজটাই করতাম।" "কিন্তু আমাদের যা প্রয়োজন তা হচ্ছে এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কাঠামো। অন্তত এবিষয়ে বিতর্ক হওয়া প্রয়োজন। চিকিৎসার সঙ্গে যেসব পেশাজীবী জড়িত কিম্বা শিশুর অধিকার নিয়ে যারা কাজ করেন শুধু তাদের মধ্যে নয়, এই বিতর্কে সবার অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। এরকম কোন বিতর্ক ছাড়াই এই শিশুটির জন্ম দেওয়া হয়েছে। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কী করে সবার নজর এড়িয়ে গেল?" মিস ভাণ্ডারের প্রশ্ন। নৈতিকতার বিষয়ে শিশুটির পরিবার কাভ্যিয়া ও অভিজিৎ-এর পিতা মি. সোলাঙ্কি, যিনি গুজরাট সরকারের একজন কর্মকর্তা, বলেছেন, "বাইরের কোন ব্যক্তির তার পরিবারকে বিচার করা ঠিক নয়।" "আমাদের পরিবারের পরিস্থিতি এরকম। কোন একটা কাজের পেছনে লোকজনের উদ্দেশ্য কী সেটা আপনাকে দেখতে হবে। আমাকে বিচার করার আগে নিজেকে আমার স্থানে বসিয়ে দেখুন," বলেন তিনি। "সব পিতামাতা সুস্থ সন্তান চায় এবং আপনি যদি আপনার সন্তান সুস্থ করে তুলতে চান সেখানে অনৈতিকতার কিছু নেই। মানুষ নানা কারণে সন্তান নেয়- কেউ নেয় সন্তান তাদের ব্যবসা দেখাশোনা করবে এই কারণে, কেউ নেয় একারণে যে তাদের সন্তান পরিবারের নাম বহন করবে, আবার কেউ একমাত্র সন্তানকে সঙ্গ দেওয়ার জন্যেও আরো একটি সন্তান নিয়ে থাকে।" ড. ব্যাঙ্কার বলেন, "প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা যদি রোগমুক্ত শিশুর জন্ম দিতে পারি তাহলে আমরা কেন সেটা করবো না?" "যে দুটো মৌলিক বিষয় ভারতে নিশ্চিত করতে হবে তা হলো এর নিয়ন্ত্রণ ও নিবন্ধনের ব্যবস্থা। কেউ একজন এর অপব্যবহার করতে পারে এই কারণে প্রযুক্তির ব্যবহার আমরা অস্বীকার করতে পারি না," বলছেন ড. ব্যাঙ্কার। ভারতে কোন শিশুর ডাউন্স সিন্ড্রোম আছে কিনা অর্থাৎ তার কোষে ক্রোমোজোমের ত্রুটি আছে কিনা সেটি ওই শিশুর জন্মের আগেই স্ক্রিনিং করে দেখা হয় ১৯৭০ এর দশক থেকে। ড. ব্যাঙ্কার বলেন, জিন-এলিমিনেশন প্রায় সেরকমই এক প্রযুক্তি। এর উদ্দেশ্য হলো পরবর্তী প্রজন্মের জিন থেকে সেই ত্রুটি দূর করা। তিনি বলেন, সোলাঙ্কির ক্ষেত্রে তারা যেটা করেছেন তা "একবার করার মতো একটি প্রক্রিয়া এবং এতে ঝুঁকিও অনেক কম।" তিনি বলেন, ফলাফলই নির্ধারণ করে দেয় যে প্রক্রিয়ায় এটি করা হয়েছে সেটি ঠিক ছিল কীনা। "এই চিকিৎসার আগে অভিজিৎ-এর ২৫ থেকে ৩০ বছর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ছিল, এখন সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেছে, ফলে এখন সে স্বাভাবিক গড় আয়ু পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারবে।" ক্যান্সার চিকিৎসায় বাংলাদেশে যোগ হল নতুন প্রযুক্তি
The story of India's first "saviour sibling" has made national headlines. It has also raised questions about the ethics of using technology to create a child only to save or cure a sibling in a country with poor regulatory systems. The BBC's Geeta Pandey in Delhi reports.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
অগাস্টের ৫ তারিখের পর থেকে কাশ্মীরের রাস্তাঘাট অনেকটা জনশূন্যই রয়েছে অগাস্টে ভারত সরকার কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয়ার পর থেকে গত চার মাস ধরে সেখানকার মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছে না। এ কারণে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার না করতে পারায় হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিচ্ছে। মেসেজিং সেবাদানকারী হোয়াটসঅ্যাপের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ফেসবুক বলেছে ইন্টারনেট সংযোগ ফিরে পাওয়ার পর ব্যবহারকারীদের নতুন করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলোতে যুক্ত হতে হবে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী ভারতে। সেখানে এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪০ কোটি। আরো পড়ুন: কাশ্মীর: ১০০ দিন পর কতোটা স্বাভাবিক জনজীবন কাশ্মীর: সর্বনাশের ঝুঁকি, তবুও বাকি বিশ্বের অনীহা কাশ্মীরে কি 'ইসরায়েলি মডেল' চাপাতে চায় ভারত? পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেভাবে হুমকি হতে পারে ভারত ইন্টারনেট বন্ধ রাখার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন একদল কাশ্মীরি। কিছুদিন আগের ছবি বিবিসিকে হোয়াটসঅ্যাপের একজন মুখপাত্র বলেন, "বিশ্বের সবখানে ব্যবহারকারীদের নিরাপদ যোগাযোগের সুবিধা দিতে চায় হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু নিরাপত্তার খাতিরে কোনো অ্যাকাউন্ট ১২০ দিন নিষ্ক্রিয় থাকলে সেগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়।" "এই ঘটনা যখন ঘটে, ঐ অ্যাকাউন্টগুলো আপনা থেকেই সব গ্রুপ থেকে বের হয়ে যায়। ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়ার পর আবার নতুন করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিতে হবে তাদের।" অগাস্টে ভারত শাসিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করার পর থেকে সেখানকার সাধারণ মানুষের জন্য ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রাহমানইয়াম জয়শঙ্কর বলেছেন, সামাজিক মাধ্যম ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে সেখানকার মানুষের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব তৈরি করা হচ্ছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে পীর-সুফিদের রাজনীতির ভবিষ্যৎ বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের প্রতীক যে পাঁচ বিক্ষোভকারী ভরপেট খাওয়া বাংলাদেশিরাও কেন অপুষ্টির শিকার ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কড়াকড়ি
Users in Indian-administered Kashmir are being kicked off WhatsApp because of inactivity, the BBC has learned.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ভিডিও থেকে নেওয়া। লস অ্যাঞ্জেলস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার আগে ফেলে দেওয়া তেলে কমপক্ষে ৬০ জন, যাদের অনেকেই ছাত্র-ছাত্রী, অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই তেলের সংস্পর্শে তাদের ত্বকে চুলকানি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। পরে তাদেরকে চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছে। তাদের কারো অবস্থা গুরুতর নয়। সাধারণত জরুরী অবতরণের আগে দুর্ঘটনা এড়াতে বিমান থেকে কিছু তেল ফেলে দেওয়া হয়। তবে বিমান চলাচল সংক্রান্ত আইনে বলা আছে, এই তেল ফেলা যাবে শুধুমাত্র নির্ধারিত কিছু স্থানে এবং আকাশের অনেক উপর থেকে। ডেল্টা এয়ারলাইন্সের বিমানটির ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিলে সেটি বিমানবন্দরে ফিরে আসছিল। এই খবর নিশ্চিত করে ডেল্টা থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবতরণের সময় বিমানের ওজন কমাতে বিমানটি থেকে তেল ফেলে দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, এই তেল পড়েছে কমপক্ষে ছ'টি স্কুলের ওপর। এরকম একটি স্কুল পার্ক এলিমেন্টারি স্কুল যা বিমানবন্দর থেকে ১৬ মাইল দূরে। বিমান থেকে তেল ফেলার সময় ওই স্কুলের দুটো ক্লাসের শিশুরা স্কুলের বাইরে ছিল। এতো ছোট ছোট শিশুদের ওপর বিমানের তেল পড়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় শহরের মেয়র এলিজাবেথ এলসান্তার। আরো পড়তে পারেন: কুয়াশা ঢেকে ফেলেছিল ঢাকাকে, বিমান ওঠানামা বন্ধ বোয়িং ম্যাক্স ৭৩৭ বিমান তৈরি আপাতত বন্ধ ঘোষণা বিমান দুর্ঘটনা: নিরাপত্তার জন্যে কী করছে কর্তৃপক্ষ বিমান থেকে ফেলে দেওয়া তেল পড়েছে স্কুলের শিক্ষার্থীদের ওপর। যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র অ্যালেন কেনিতজার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, "এই ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তেল ফেলার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নিয়ম আছে।" "এসব নিয়মে বলা আছে এমন নির্ধারিত জায়গায় তেল ফেলতে হবে যেখানে লোকজন নেই, এবং ফেলতে হবে খুব উপর থেকে যাতে করে মাটিতে পড়ার আগেই তেল ছড়িয়ে পড়তে পারে।" অনেক বিমান, বিশেষ করে দূর পাল্লার ফ্লাইটের সময়, এতো তেল নিয়ে উড়ান শুরু করে যা তাদের অবতরণের সময় সর্বোচ্চ যতো ওজন হওয়ার কথা তার চাইতেও বেশি হয়। সাধারণত পথে তেল পুড়ে যাওয়ার কারণে ধীরে ধীরে বিমানটির ওজনও কমে আসে। কিন্তু বিমানটি যখন কোন কারণে তার ফ্লাইট সংক্ষিপ্ত করে অবতরণ করতে বাধ্য হয় তখন এর ওজন এতো বেশি থাকে যা নিরাপদে অবতরণ করানো বিপদজনক হয়ে দাঁড়ায়। এবং সেকারণেই পাইলটকে বিমান থেকে খুব দ্রুত তেল ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তবে সব বিমান থেকে তেল ফেলার এই সুবিধা নেই। বিমানের পাখার ভাল্বের সাহায্যে নির্দিষ্ট পরিমাণে কিছু তেল পাম্প করে বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। আরো পড়তে পারেন: পুশব্যাক নিয়ে কিছুই জানতাম না: বিবিসিকে মমতা 'অবাস্তব' নিয়ম আর যা নিয়ে আলোচিত এবারের বিপিএল পিতার সহায়তায় কিশোরীকে বছর ধরে ধারাবাহিক ধর্ষণ
A passenger plane has dumped fuel over several schools as it made an emergency landing at Los Angeles International Airport.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
তালেবানের প্রস্তুতি কি শান্তির নাকি যুদ্ধের জন্য? মাথায় কালো পাগড়ি, গায়ে আতরের খুশবু- দলের প্রবীণ সদস্য মি. হেখমাত তালেবানে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৯০এর দশকে, যখন দেশের বেশিরভাগ এলাকায় তারা তাদের শাসন কায়েম করেছিল। তালেবান আমাদের দেখাল তাদের এখনও কতটা পরাক্রম। রাস্তার দুধারে সারি দিয়ে দাঁড়ানো ভারী অস্ত্রে সজ্জিত তাদের সদস্যরা, একজনের হাতে রকেট চালিত গ্রেনেড উৎক্ষেপক, আরেকজনের হাতে আমেরিকান বাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া এম-ফোর বন্দুক। বালখ্ একসময় দেশের অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল একটি এলাকা ছিল; এখন এটি দেশের অন্যতম সবচেয়ে সহিংস এলাকা। স্থানীয় সামরিক কমান্ডার বারিয়ালাইয়ের নামে এলাকার সবাই খুবই ভীত সন্ত্রস্ত থাকে। তিনি বললেন, "সামনে মূল বাজারের ওখানেই সরকারি বাহিনী রয়েছে, কিন্তু তারা তাদের ডেরা থেকে বের হতে পারে না। এই এলাকার মালিক হল মুজাহেদীনরা"। আফগানিস্তানের বেশিরভাগ অংশের চিত্র একইরকম: সরকার শহর এবং বড় বড় শহরতলীগুলো নিয়ন্ত্রণ করে, কিন্তু তাদের চারপাশ ঘিরে রয়েছে তালেবান। আশপাশের বিস্তীর্ণ গ্রাম এলাকা জুড়ে রয়েছে তালেবানের নিয়ন্ত্রণ। প্রধান সড়কগুলোয় বিক্ষিপ্ত চৌকিতে তালেবান জঙ্গীরা তাদের উপস্থিতি জানান দেয়। তালেবান সদস্যরা গাড়ি থামায়, যাত্রীদের প্রশ্ন করে এবং বুঝিয়ে দেয় এই এলাকায় কর্তৃত্ব তাদেরই। তালেবানের গোয়েন্দা বিভাগের স্থানীয় প্রধান আমীর সাহিব আজমল আমাদের বললেন, তারা খোঁজ নিয়ে জানতে চেষ্টা করে সরকারের সাথে কাদের যোগাযোগ আছে। "আমরা খোঁজ পেলে তাদের গ্রেপ্তার করব, বন্দী করব," তিনি জানালেন। "তারপর আমাদের আদালতে তাদের সোপর্দ করব। তারাই ঠিক করবে এরপর তাদের ভাগ্যে কী আছে।" তালেবান মনে করে তারাই জয়ী হয়েছে। গ্রিন টি-র পেয়ালা হাতে নিয়ে হাজি হেখমাত ঘোষণা করলেন, "আমরা যুদ্ধে জিতেছি, হেরেছে আমেরিকানরা"। আমেরিকান বোমায় বিধ্বস্ত এক মসজিদের বাইরে একজন তালেবান যোদ্ধা আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে শেষ মার্কিন সৈন্যদের প্রত্যাহারের তারিখ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেছিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর অর্থ হল, সেখানে মার্কিন সেনারা মে মাসের পরেও থাকছে। গত বছর ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তালেবানের চুক্তি হয়েছিল যে পয়লা মে-র মধ্যে সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। মি. বাইডেনের সিদ্ধান্তে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তালেবানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। তার পরেও তালেবানের মনোবল চাঙ্গা রয়েছে। আরও পড়তে পারেন: "আমরা সব কিছুর জন্য প্রস্তুত," বললেন হাজি হেখমাত। "আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত, এবং জিহাদের জন্যও পুরো তৈরি।" তার পাশে বসা একজন সামরিক অধিনায়ক যোগ করলেন: "জিহাদ ধর্মাচরণেরই অংশ। আল্লাহর পথে সংগ্রাম, আপনি যতই করুন না কেন, কখনই ক্লান্ত হবেন না।" বালখ্ জেলায় তালেবানের ছায়া মেয়র হাজি হেখমাত। তালেবানে তিনি যোগ দেন ১৯৯০য়ের দশকে। গত বছর তালেবানের "জিহাদ" নিয়ে আপাতদৃষ্টিতে কিছু পরস্পর-বিরোধিতা দেখা গেছে। আমেরিকার সাথে চুক্তি সই করার পর তারা আন্তর্জাতিক বাহিনীর ওপর হামলা চালানো থেকে বিরত ছিল। কিন্তু আফগান সরকারের সাথে লড়াই তারা থামায়নি। হাজি হেখমাত অবশ্য কোনরকম পরস্পর-বিরোধিতার কথা আদৌ স্বীকার করেন না। "আমরা চাই ইসলামী সরকার যা শরিয়া আইন মোতাবেক দেশ শাসন করবে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা জিহাদ অব্যাহত রাখব।" তালেবান আফগানিস্তানের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে ক্ষমতার ভাগাভাগিতে আগ্রহী কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে হাজি হেখমাত কাতারে দলের রাজনৈতিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করলেন, "তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা মেনে নেব," তিনি বারবার একথা বললেন। তালেবান নিজেদের শুধু একটা বিদ্রোহী গোষ্ঠী বলে মনে করে না, মনে করে তারা সরকারের দায়িত্ব নেবার অপেক্ষায় একটি দল। তারা নিজেদের "ইসলামিক আমিরাত অফ আফগানিস্তান" বলে উল্লেখ করেন। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতার দখল নেবার পর এই নামই তারা ব্যবহার করতেন। ১১ই সেপ্টেম্বর ২০০১এর হামলার পর তাদের আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয়। এখন তারা একটা আধুনিক "ছায়া" সরকারের কাঠামো গড়ে তুলেছে। তারা যেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে, সেসব এলাকায় বিভিন্ন দৈনন্দিন সেবার দায়িত্ব সুনির্দিষ্টভাবে তাদের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। তালেবান মেয়র, হাজি হেখমাত আমাদের এলাকা ঘুরিয়ে দেখালেন। আমাদের দেখালেন একটি প্রাথমিক স্কুল। সেখানে জাতিসংঘের দান করা বই নিয়ে লেখাপড়া করছিল অল্পবয়সী ছেলে ও মেয়েরা। ১৯৯০এর দশকে ক্ষমতায় থাকাকালীন তালেবান নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ করেছিল, যদিও সেকথা তারা প্রায়ই অস্বীকার করে। এমনকি এখনও অন্যান্য এলাকায় একটু বেশি বয়সী মেয়েদের ক্লাস করার অনুমতি দেয়া হয় না বলে খবরে শোনা যায়। কিন্তু অন্তত এই এলাকায়, তালেবান বলছে, তারা সক্রিয়ভাবে নারী শিক্ষায় উৎসাহ দিচ্ছে। "তাদের লেখাপড়া শেখা গুরুত্বপূর্ণ, তারা হিজাব পরলে কোন সমস্যা নেই," বলেন তালেবানের স্থানীয় শিক্ষা কমিশনের দায়িত্বে থাকা মওলাওয়ি সালাহউদ্দীন। তিনি বলছেন, মাধ্যমিক স্কুলে নারী শিক্ষিকার পড়ানোর অনুমতি রয়েছে, তবে তার হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। "তারা শরিয়া মানলে কোন সমস্যাই নেই।" অনেকের আশংকা তালেবান আবার ক্ষমতায় গেলে মেয়েদের শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে স্থানীয় সূত্রগুলো আমাদের বলেছে যে, তালেবান পাঠ্যক্রম থেকে শিল্প এবং নাগরিকত্ব বিষয়ক ক্লাসগুলো বাদ দিয়েছে। সে জায়গায় ইসলামি বিষয়ে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। এছাড়া জাতীয় পাঠ্যক্রম মেনেই ক্লাস চালানো হচ্ছে। তালেবান নিজেদের কন্যাকে কি স্কুলে পাঠায়? "আমার মেয়ে খুবই ছোট, কিন্তু সে একটু বড় হলে আমি তাকে স্কুলে এবং মাদ্রাসায় পাঠাব, যদি সেখানে শরিয়া মানা হয় এবং হিজাব পরতে দেয়া হয়," বলেন মওলাওয়ি সালাহউদ্দীন। সেখানে কর্মীদের বেতন দেয় সরকার, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে। সারা দেশ জুড়ে দুটি ধারার পদ্ধতি চলছে। কাছেই, একটি ত্রাণ সংস্থা পরিচালিত একটি স্বাস্থ্য ক্লিনিকেও একই ব্যবস্থা চলছে। তালেবান নারী কর্মীদের কাজ করতে দিচ্ছে, কিন্তু রাতের বেলা তাদের সাথে একজন পুরুষ অভিভাবক থাকা আবশ্যক। নারী ও পুরুষ রোগীদের আলাদাভাবে দেখা হয়। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে তথ্য চাইলেই পাওয়া যায়। তালেবান অবশ্যই চেয়েছে যে আমরা যেন তাদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখি। স্থানীয় এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নারীদের কাজ করার অনুমতি রয়েছে, কিন্তু রাতে তাদের সাথে একজন পুরুষ অভিভাবক থাকতে হয় স্কুল থেকে ঘরে ফেরা এক ঝাঁক স্কুল ছাত্রী যখন আমাদের গাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল, তখন হাজি হেখমাত বেশ উত্তেজিত ভঙ্গিতে তাদের হাত নাড়লেন। আমাদের বলার চেষ্টা করলেন- আমরা যা দেখব বলে আশা করেছিলাম বাস্তব সেটা নয়। তবে নারী অধিকার নিয়ে তালেবানের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে উদ্বেগ এখনও রয়ে গেছে। তাদের দলে কোন নারী প্রতিনিধিত্ব নেই। ১৯৯০এর দশকে নারীদের ঘরের বাইরে কাজ করার অনুমতি ছিল না। বালখ্ জেলার গ্রামগুলোর ভেতর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাবার সময়, আমাদের চোখে পড়ল অনেক নারী। তাদের অনেকেই বোরকা না পরেই ঘোরাফেরা করছিলেন। তবে স্থানীয় বাজারে কোন নারী দেখলাম না। হাজি হেখমাত জোর দিয়ে বললেন, তাদের বাজারে যাবার ওপর কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে রক্ষণশীল সমাজে মেয়েরা সাধারণত বাজারে যায় না। আমাদের ঘোরাফেরার সময় সবসময় তালেবান সদস্যরা আমাদের সাথে সাথে ছিলেন। এবং যে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার সাথে আমাদের কথা হয়েছে, তারা সকলেই বলেছেন তারা তালেবানকেই সমর্থন করেন। তারা বলেছেন নিরাপত্তা এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তালেবান যেভাবে কাজ করেছে তাতে তারা কৃতজ্ঞ। "সরকার যখন এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত, তখন আমাদের লোকজনকে তারা জেলে পুরতো এবং তাদের ছাড়িয়ে আনার জন্য ঘুষ দাবি করত," বলছিলেন প্রবীণ এক বাসিন্দা। "আমাদের মানুষ প্রচুর ভোগান্তির শিকার হয়েছে, এখন আমরা অনেক স্বস্তিতে আছি।" তালেবানের চরম রক্ষণশীল মূল্যবোধের সাথে বেশিরভাগ গ্রামীণ এলাকায় কোন সংঘাত নেই। কিন্তু বিশেষ করে অনেক শহর এলাকায় এমন একটা আশংকা রয়েছে যে, তারা ১৯৯০এর দশকে যে কট্টর ইসলামিক আমিরাত প্রতিষ্ঠা করেছিল, ক্ষমতায় এলে সেটা তারা আবার ফিরিয়ে আনবে। বহু তরুণ গত দুই দশক ধরে যে স্বাধীন পরিবেশে বড় হচ্ছিল তারা সেই স্বাধীনতা হারাবে বলে তাদের আশংকা রয়েছে। তালেবান শরিয়া প্রতষ্ঠা করতে চায় আফগানিস্তানে একজন স্থানীয় বাসিন্দা পরে আমাদের সাথে কথা বলেন তার নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে। তিনি আমাদের বলেন তালেবান আমাদের সাথে সাক্ষাৎকারে যা বলেছে, বাস্তবে তারা তার চেয়ে অনেক বেশি কট্টর। দাড়ি কাটার কারণে তারা গ্রামবাসীদের চড় মেরেছে, বা মারধর করেছে, বা গানবাজনা শোনার জন্য তারা স্টিরিও সেট ভেঙে দিয়েছে বলে তিনি জানান। "তাদের কথা শোনা ছাড়া মানুষের কাছে আর কোন বিকল্প নেই," বিবিসিকে তিনি বলেন, "এমনকি ছোটখাট ব্যাপারেও তারা গায়ে হাত তোলে। মানুষ ভয় পায়।" হাজি হেখমাত ১৯৯০য়ের দশকে তালেবানের অংশ ছিলেন। তালেবানের তরুণ যোদ্ধারা আমাদের সাথে যদিও খোলামেলা ভাবে মিশছিল এবং ছবি ও সেলফি তুলছিল খোলা মনে, কিন্তু মি. হেখমাত প্রথমদিকে আমাদের ক্যামেরা দেখেই পাগড়ি দিয়ে তার মুখ ঢেকে ফেললেন। তারপর হেসে বললেন "পুরনো অভ্যাস"। পরে আমাদের ছবি তুলতে বাধা দেননি। তালেবানের পুরনো শাসনামলে ছবি তোলা নিষিদ্ধ ছিল। একজন বাসিন্দা বিবিসিকে বলেছেন মানুষ স্থানীয় তালেবান নেতাদের অমান্য করতে ভয় পায় আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, আগে ক্ষমতায় থাকাকালীন তারা কোন ভুল করেছিলেন? আবার ক্ষমতায় এলে তারা কি একই ভাবে কাজ করবেন? "তালেবান আগে যেমন ছিল, এখনও ঠিক তেমনই আছে। তুলনা করতে চাইলে বলব - কিছুই বদলায়নি," বলেছেন হাজি হেখমাত। তিনি বলেন: "তবে, অবশ্যই ব্যক্তি বদলেছে। তাদের কেউ আগের চেয়েও কঠোর, কেউ আগের চেয়ে নরম। এটাই তো স্বাভাবিক।" যে "ইসলামিক সরকার" তারা গড়তে চান, সেটা বলতে তারা কী বোঝাচ্ছেন, সে বিষয়ে তালেবান ইচ্ছাকৃতভাবেই কিছুটা অস্পষ্টতা দেখালেন। কিছু বিশ্লেষক এটাকে দেখছেন, দলের ভেতর কট্টরপন্থী এবং কিছুটা উদারপন্থীদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব হিসাবে। দল কী দুই ধরনের মতাদর্শের সহাবস্থান মেনে নিতে পারবে? ক্ষমতায় গেলেই সেটা দলের জন্য একটা বিরাট পরীক্ষা হয়ে দাঁড়াবে বলে তারা মনে করছেন। আমরা দুপুরে খেতে বসে শুনলাম দূর থেকে অন্তত চারটে বিমান হামলার শব্দ। মি. হেখমাত বললেন, "ওটা অনেক দূরে, চিন্তার কারণ নেই।" আমেরিকান বাহিনী তালেবানের অগ্রযাত্রা ঠেকিয়ে রাখতে গত কয়েক বছর তাদের বিমান শক্তি ব্যবহার করেছে। যদিও গত বছর তালেবানের সাথে চুক্তি সই করার পর থেকে আমেরিকা তার সামরিক অভিযান উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে দিয়েছে। অনেকেরই আশংকা আমেরিকান সৈন্য পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেয়ার পর তালেবান সামরিক পথে দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করবে। হাজি হেখমাত বলছেন আফগানিস্তানের সরকার, যাকে তালেবান "কাবুল প্রশাসন" বলে উল্লেখ করে, তারা দুর্নীতিবাজ এবং অ-ইসলামিক। তার মত তালেবান নেতারা আফগানিস্তানের বর্তমান প্রশাসনের সাথে আপোষ করতে কতটা পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ আছে, যদি না তালেবানের শর্ত সরকার মেনে নেয়। "এটা জিহাদ," হাজি হেখমাতের পরিস্কার বক্তব্য, "এটাই ধর্মপালন। আমরা ক্ষমতার জন্য লড়ছি না, আল্লাহ এবং তাঁর বিধান কায়েমের জন্য লড়ছি। আমরা এই দেশে শরিয়া প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমাদের পথে যেই বাধা সৃষ্টি করবে, আমরা তার বিরুদ্ধে লড়ব।"
Driving to Taliban-controlled territory doesn't take long. Around 30 minutes from the northern city of Mazar-e-Sharif, passing large craters left by roadside bombs, we meet our host: Haji Hekmat, the Taliban's shadow mayor in Balkh district.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ভারতে লাখ লাখ মানুষ খোলা জায়গায় মলত্যাগ করে থাকে। তারা বলছে, কেন্দ্রীয় রাজ্য মধ্যপ্রদেশের একটি গ্রামে সড়কের পাশে বসে দুটো দলিত শিশু বুধবার যখন পায়খানা করছিল তখন তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। তাদের একজনের নাম রশ্নি (১২) এবং আরেকজন অভিনাষ (১০)। ওই দুটো শিশুর পরিবার বিবিসির হিন্দি বিভাগকে জানিয়েছে যে তাদের বাড়িতে কোন টয়লেট নেই। ভারতে লাখ লাখ মানুষ খোলা জায়গায় মলত্যাগ করে থাকে। এর ফলে প্রায়শই ঝুঁকির মুখে পড়ে নারী ও শিশুর জীবন। ভারতের দলিত সম্প্রদায় হিন্দু ধর্মানুসারে নিম্ন বর্ণের একটি গোষ্ঠী। তাদের সুরক্ষার জন্যে বহু আইন করার পরেও তারা এখনও নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। পুলিশ কর্মকর্তা রাজেশ চান্ডেল বিবিসিকে বলেছেন, "দুটো শিশুকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।" "যে দু'জনকে আটক করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদেরকে এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে," বলেন তিনি। বুধবার সকালে এই ঘটনার পরপরই পুলিশ রামেশ্বর ইয়াদভ এবং হাকিম ইয়াদভ নামের উচ্চ বর্ণের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। রশ্নি ও অভিনাষ আত্মীয়। অভিনাষের পিতামাতা রশ্নিকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং তার পর থেকে সে রশ্নিদের বাড়িতেই বসবাস করছিল। অভিনাষের পিতা মনোজ বলছেন, তিনি একজন দিনমজুর। বাড়িতে টয়লেট বানানোর মতো আর্থিক সামর্থ্য তার নেই। রাতের বেলায় নারীরা যখন টয়লেট করতে বাড়ির বাইরে যায়, প্রায়শই তাদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে যায়। 'টয়লেট নিয়ে' বিড়ম্বনায় নরেন্দ্র মোদী ও বিল গেটস পরিবেশ রক্ষার জন্য 'একদিন পর পর মলত্যাগ করুন' ভারতে এবার খোলা জায়গায় মলত্যাগ নিয়ে চলচ্চিত্র ভারতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাতে বাড়িতে টয়লেট বসাতে পারে সেজন্যে সরকার যে ভর্তুকি দিয়ে আসছিলো তার সুবিধাও মনোজ নিতে পারেন নি বলে তিনি জানিয়েছেন। ভারতে প্রকাশ্যে মলত্যাগ বন্ধ করার জন্যে সারা দেশে টয়লেট নির্মাণের লক্ষ্যে সারা দেশে 'স্বচ্ছ ভারত মিশন' নামে একটি প্রকল্প চালু আছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে এই প্রকল্প উদ্বোধন করার সময় এবছরের অক্টোবর মাসের মধ্যে তার দেশকে 'খোলা জায়গায় মলত্যাগ' থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভারত সরকার মনোজের গ্রাম ভাবখেদিকে ইতোমধ্যেই 'প্রকাশ্যে মলত্যাগের' মতো ঘটনা থেকে মুক্ত বলে ঘোষণা করেছিল। গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতে সম্প্রতি টয়লেট নির্মাণ বেড়ে গেলেও পানি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের কারণে বহু মানুষ এখনও খোলা জায়গাতেই মলত্যাগ করছে। এবিষয়ে মানুষের আচরণেও খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। তবে অনেকেই মি. মোদির এই কর্মসূচির প্রশংসা করেছেন। এজন্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন সম্প্রতি তাকে সম্মাননাও দিয়েছে। ফাউন্ডেশনটি বলছে, "স্বচ্ছ ভারত মিশনে বিশ্বের বাকি দরিদ্র দেশগুলোর জন্যে একটি উদাহরণ হতে পারে।" আরো পড়তে পারেন: ডোনাল্ড ট্রাম্প: অভিশংসন প্রচেষ্টার পেছনে কী? প্রকাশ্যে মলত্যাগ করায় শিশু হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার সবচেয়ে বেশি আয় করা শীর্ষ ক্ষুদে তারকারা জলবায়ু পরিবর্তন: জাতিসংঘের 'রেড-অ্যালার্ট' টয়লেট বৃত্তান্ত: কমোডে কীভাবে বসবেন?
Police in India say two Muslim men have been lynched by a mob which accused them of trying to steal cows for slaughter.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
জাহাজটিতে করে কয়লা পরিবহন করা হতো, যা উত্তর কোরিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্য বিচার বিভাগ বলছে, ওই জাহাজটিতে করে কয়লা পরিবহন করা হতো, যা উত্তর কোরিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্য। তবে দেশটির কয়লা রপ্তানির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই প্রথমবারের মতো নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করার কারণে উত্তর কোরিয়ার কোন জাহাজ আটক করলো যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি এই পদক্ষেপ নিয়েছে এমন সময় যখন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে। এদিকে এক সপ্তাহের কম ব্যবধানে দ্বিতীয় দফা মিসাইল পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। স্বল্প মাত্রার ওই মিসাইল ৪২০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার মিসাইল টেস্টের সঙ্গে এই জাহাজ আটক ঘটনার কোন যোগসূত্র নেই। আরো পড়ুন: পুতিন-কিম শীর্ষ বৈঠক: কার স্বার্থ কোথায় উত্তর কোরিয়ার সাধারণ মানুষ যেভাবে বেঁচে আছেন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিরোধে শেষ ট্রাম্প-কিম বৈঠক সংসদ নির্বাচন: উত্তর কোরিয়া স্টাইল এক সপ্তাহের কম ব্যবধানে দ্বিতীয় দফা মিসাইল পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া জাহাজটি সম্পর্কে কি জানা যাচ্ছে? 'ওয়াইজ অনেস্ট' নামের ওই জাহাজটিকে ২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রথম ইন্দোনেশিয়ায় আটক করা হয়। সে বছর জুলাই মাসে সেটি জব্দ করার আবেদন করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ইন্দোনেশিয়া জাহাজটিকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়। এখন সেটি যুক্তরাষ্ট্রের পথে রয়েছে। মার্কিন কৌসুলি জেফরি এস বের্ম্যান বলছেন, ''আমাদের অফিস জানতে পেরেছে যে, জাহাজের নিবন্ধন গোপন করে উত্তর কোরিয়া উন্নত মানের কয়লা বিদেশী ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে।'' ''তারা এর মাধ্যমে শুধু নিষেধাজ্ঞাই লঙ্ঘন করেনি, বরং এই জাহাজের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ায় ভারী যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বার বার নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।'' এই জাহাজের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ মার্কিন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ডলারে দেয়া হতো বলে জানা যাচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষকে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্র ও মিসাইল পরীক্ষার জের ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক অনেক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েছে উত্তর কোরিয়া। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বিমান দুর্ঘটনা: নিরাপত্তার জন্যে কী করছে কর্তৃপক্ষ যুদ্ধজাহাজ নিয়ে রাজীব প্রমোদ ভ্রমণে গিয়েছিলেন? বাজারে ৫২টি খাদ্যপণ্যেই ভেজাল: বিক্রি চলছে গণপরিবহনে নারীর জন্য বিপদ সংকেতগুলো কী? কিম-ট্রাম্প শীর্ষ বৈঠক শেষ পর্যন্ত বিফল হয় উত্তর কোরিয়া আর যুক্তরাষ্ট্র কি আবার বন্ধু হতে পারবে? বর্তমান ঘটনা পর্যালোচনায় ধারণা করা হচ্ছে যে, দুই দেশ আবার চরম বৈরি অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। তবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা আবার শুরু করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় রয়েছেন উত্তর কোরিয়া বিষয়ক মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি স্টিফেন বিয়েগান। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ মিসাইল টেস্টের ব্যাপারে কেউই 'খুশী' নয়। প্রথমবারের মতো কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে গত বছর উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরে আরো একটি বৈঠক হলেও কোরিয়ান উপসাগরে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে কোন অগ্রগতি হয়নি। গত বছর কোরিয়ান নেতা কিম জং-আন বলেছিলেন, তিনি পারমাণবিক কর্মসূচী বন্ধ করে দিতে পারেন এবং আন্তঃমহাদেশীয় অস্ত্র পরীক্ষা করবেন না, তবে সেসব কর্মসূচী বন্ধ হয়নি।
The US says it has seized a North Korean cargo ship, accusing it of violating international sanctions.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
মাদক গ্যাং গুলো মৃতদেহ গুম করতে এসব জায়গা ব্যবহার করে রাস্তার পাশেই একটি বাড়ি থেকে একটি গলিত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার পর গত মে মাস থেকেই মানুষজন এলাকা ছাড়তে শুরু করেছে। গত মাসেই একজন অপহৃত ব্যক্তি পালিয়ে এসে পুলিশকে যে ঠিকানা দিলো সেখানে গিয়ে পুলিশ পেলো একটি মৃতদেহ আর তিনটি বিচ্ছিন্ন মস্তক। এ বছরেই সব মিলিযে পনেরটির বেশি খুন হয়েছে হালিস্কো রাজ্যের এই রাজধানী শহরে। এর বাইরে শহরটির গোরস্তানগুলোতে সৎকার করা হয়েছে আরো অনেক মৃতদেহ যেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন বাড়ি থেকে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বিএনপি: তৃণমূলে হতাশা, কৌশল নিয়ে প্রশ্ন ভিডিও গেম খেলে জুটবে ভালো কাজ আসাম এনআরসি: বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগ কতটা? বিএনপি: তৃণমূলে হতাশা, কৌশল নিয়ে প্রশ্ন বানোয়াট ষড়যন্ত্র তত্ত্ব চিনবেন কীভাবে? "আপনি ভয় অনুভব করতে পারবেন" দেশটিতে ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার মানুষের নিখোঁজ হবার রিপোর্ট হয়েছে পুলিশের কাছে। নিঃসন্দেহে এটা একটা ভীতিকর তথ্য। অপরাধীরা ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে এসে মৃতদেহ মাটি চাপা দিয়ে রাখছে। এর ফলে ব্যক্তি সেসব সম্পত্তিতে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধারের পথে তৈরি হচ্ছে আইনি বাধা। তল্লাশি দলকে অনেক ক্ষেত্রে কংক্রিট খুঁড়তে হচ্ছে মৃতদেহ বের করে আনার জন্য। স্থানীয়দের কেউ কেউ চিৎকার শুনে বা মাংস পোড়ার গন্ধ পেয়ে পুলিশকে জানালেও খুব কম সংখ্যকই এটা করার সাহস পায়। লা এস্তান্সিয়ার একজন অধিবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলছিলেন, "আপনি ভীতিটা বুঝতে পারবেন। এটা অনুভব করা যায়।" ২০০৬ সাল থেকে মেক্সিকো সরকার যখন মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে সৈন্য মোতায়েন করলো এরপর বের হলো অনেকগুলো গণকবর। এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ২০০৬ থেকে ১৬ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অন্তত ১৯৭৮টি এরকম গোরস্তানের সন্ধান মিলেছে। পুলিশকে কিছু জানাতে ভয় পায় অধিবাসীরা 'মৃতের জন্য খনন' পুরো মেক্সিকো জুড়ে নিখোজ স্বজনের দেহাবশেষ খুঁজে পেতে মরিয়া হয়ে নানা জায়গা খনন করে দেখছেন। আর অনানুষ্ঠানিক এসব অনুসন্ধান থেকে বেরিয়ে আসছে আতঙ্কজনক খবর। ২০১৬ সালে পূর্বাঞ্চলীয় ভারাকুয রাজ্যে একটি জায়গায় পাওয়া যায় ২৯৮ টি মৃতদেহ ও ছিন্ন বিচ্ছিন্ন কয়েক হাজার হাড়গোড়। গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে একত্র করে এমন একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গুয়াদালুপে আগুইলার নিজেও তার সন্তানের খোঁজ করছেন যিনি ২০১১ সাল থেকে নিখোঁজ আছেন। "এখানে শহরের মধ্যে মৃতদেহ বহন করে নেয়াও ঝুঁকির কাজ। আবার কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে অনুসন্ধান করাও কঠিন কারণ এজন্য সার্চ ওয়ারেন্ট দরকার হয়"। আট বছর ধরে সন্তানকে খুঁজছেন এই মা যুদ্ধের শহর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন গুয়াদালাজারায় যাদের মাটি চাপা দেয়া হয়েছে তার জন্য দায়ী দুটি গ্যাং। এর মধ্যে একটি হলো মেক্সিকো সরকারের বিবেচনায় দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী অপরাধমূলক সংগঠন 'হালিস্কো নিউ জেনারেমন কার্টেল'। আরেকটি হলো 'নুয়েভা প্লাজা'। মূলত সিজেএনজি ভেঙ্গেই নুয়েভার জন্ম হয়েছিলো ২০১৭ সালে। ওই কর্মকর্তা বলেন এসব গ্যাং ভূস্বামীদের কাছ থেকে জমিভাড়া নেয় আর তখন বিবেচনাও করা হয়না যে ওই জায়গা কি কাজে ব্যবহার করা হবে। "তারা পরিত্যক্ত বা অব্যবহৃত সম্পত্তি নিয়ে সেখানে নির্যাতন কেন্দ্র বা গোরস্তান বানায়"। পুলিশ কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলছেন অন্য রাজ্যগুলোতেও অপরাধীদের এধরণের কাজের বিস্তার হতে পারে। কোনো বাড়িতে মৃতদেহ পেলে এভাবে বন্ধ করে দেয় পুলিশ কেউ দেখছেনা ২০১৮ সালে হালিস্কো রাজ্য সরকার ও ফেডারেল সরকার দুটোতেই পরিবর্তন এসেছে। হালিস্কোর ফরেনসিক প্রধান অক্টাভিও কোটেরো বলছে নতুন নেতৃত্বও গুম সংকটের দিকে যথার্থ দৃষ্টি দিচ্ছেনা। তার মতে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উদ্ধারের ঘটনায় এমন পর্যায়ে গেছে যে এগুলো চিহ্নিত করার সক্ষমতা আর নেই। মি. কোটেরোর কন্যাকেও গত জুলাই থেকে পাওয়া যাচ্ছেনা। এখনো জানা যায়নি সে আসলে কোথায়। মি. কোটেরো বলছেন, "আসলে এদিকে আরও দৃষ্টিই নেই"।
The only hint that anything is wrong in La Estancia, a leafy suburb of the Mexican city of Guadalajara, are the dozens of "for sale" signs posted outside the houses.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
সামাজিক মাধ্যমে দাবানলের মত ছড়াচ্ছিল কিউএ্যানন ব্যাপারটা ছড়াচ্ছে ইন্সটাগ্রামের মত সামাজিক মাধ্যমে। এটি একটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব - যাকে বলা হয় কিউএ্যানন। এর মূল কথাটা হলো: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক গোপন যুদ্ধ চালাচ্ছেন। যুদ্ধটা মার্কিন সরকার, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সংবাদ মাধ্যমের জগতের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু লোকের বিরুদ্ধে। এই লোকেরা এলিট শ্রেণীর - তারা শয়তানের উপাসক এবং পিডোফাইল, অর্থাৎ শিশুকামী। এটাই মূল গল্প, তবে এর বহু শাখাপ্রশাখা রয়েছে, এবং এর সাথে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প যোগ হচ্ছে। এসব উদ্ভট গল্পে বিশ্বাস করে হাজার হাজার লোক। তারা মনে করেন একদিন হিলারি ক্লিনটনের মত কিছু বিখ্যাত লোককে এসব অভিযোগে গ্রেফতার করে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। কিউআনোন: ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্ধ এক ভক্তকূলের সাথে করোনাভাইরাসের কী সম্পর্ক? নতুন সংযোজনটা কী? হিউস্টনের বাসিন্দা ২৪ বছরের জেড ফ্লুরি। সম্প্রতি তার বন্ধুদের সাথে এসএমএসে আলাপ হয় এ বিষয়ে যে - ডেমোক্রেটিক পার্টির এলিটরা শিশু পাচারের একটা চক্র পরিচালনা করছেন। ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে শিশু নিপীড়নের অভিযোগ। জেড এসব মিথ্যে দাবির পাল্টা জবাব দেবার চেষ্টা করলেন, কিন্তু পারলেন না। জেড ফ্লুরি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিবেদিতপ্রাণ সমর্থকদের মধ্যে এগুলো দাবানলের মত ছড়াচ্ছে। হিউস্টন থেকে ১ হাজার মাইল দূরে ফ্লোরিডায় থাকেন টম লং। তিনি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেন না, তবে তার ফেসবুক ফিড এখন সয়লাব হয়ে যাচ্ছে এসব ষড়যন্ত্র তত্ত্বে। একমাত্র 'রক্ষাকর্তা' ট্রাম্প বিভিন্ন পোস্টে দাবি করা হচ্ছে - ওই সব শিশু পাচারকারীদের হাত থেকে আমেরিকাকে রক্ষা করতে পারেন একমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প। "এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা, কিন্তু তা ছড়াচ্ছে তো ছড়াচ্ছেই" - বলছিলেন লং। অবশ্য বলা দরকার যে ট্রাম্পের বিরোধীদের মধ্যে থেকেও যে ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব একেবারে ছড়াচ্ছে না তা নয়। জো বাইডেন সমর্থকদের একটি গোষ্ঠী সম্প্রতি গুজব ছড়ায় যে মি. ট্রাম্পের করোনাভাইরাস পজিটিভ হবার খবর আসলে ভুয়া। মূলধারায় পৌঁছে যাচ্ছে এসব উদ্ভট তত্ত্ব কিউএ্যানন হচ্ছে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। বিবিসির গবেষণায় দেখা গেছে, এ নিয়ে মন্তব্য, শেয়ার এবং লাইক হয়েছে ১০ কোটিরও বেশি। ফেসবুকে সবচেয়ে বড় কিউএ্যানন গ্রুপটির লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের সংখ্যা ৪ কোটি ৪০ লাখ। তুলনা করে দেখা যায়, ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারের মতো বিশ্বব্যাপি সাড়া তোলা আন্দোলনের যে প্রতিক্রিয়া হয়েছে - কিউএ্যাননের প্রতিক্রিয়া তার প্রায় দু-তৃতীয়াংশ। সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলো শুরুতে এটা ঠেকানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু সমর্থকরা নানা কৌশলে, নতুন নতুন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে আবার ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম আর টুইটারের সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। টম লং অবশ্য কিউএ্যাননের কট্টর সমর্থকরা এখনো একটা প্রান্তিক গোষ্ঠী বলা যায়। সেপ্টেম্বর মাসে পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক গবেষণায় বলা হয় - অর্ধেক আমেরিকানই এদের নাম শোনেনি। কিন্তু তা হলেও এটা ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ লোকের কাছে পৌঁছে গেছে। মানুষের উদ্বেগ তৈরি করেছে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের উর্বর ক্ষেত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের পটভূমিতে মানুষের মনের অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগের মধ্যে এসব তত্ত্ব ছড়ানোর উর্বর ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সিরাকিউজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হুইটনি ফিলিপস বলছেন, খুব কম আমেরিকানই বিশ্বাস করে যে শয়তানের উপাসক এলিটরা শিশু নিপীড়নের চক্র চালাচ্ছে - তবে কিউএ্যাননের অন্য নানা গুজব কিন্তু মানুষের মনে জায়গা করে নিচ্ছে। কিউএ্যানেনর শ্লোগান: যেখানে আমাদের একজন যাচ্ছে, সেখানে আমরা সবাই যাবো "এর মধ্যে একটা হলো ডিপ স্টেট - সরকারের মধ্যে লুকানো আরেকটি সরকার - যারা ট্রাম্পকে হেয় করার চেষ্টা করছে। কিউএ্যানন এ ধারণা সৃষ্টি করেনি, কিন্তু এটা ছড়ানোয় বড় ভুমিকা রেখেছে" বলেন তিনি। জেনারেশন কিউ? জেড ফ্লুরি তার বন্ধুদের সাথে কথা বলতে গিয়ে দেখেছেন, তাদের কেউ কেউ এখন মনে করছেন ডেমোক্রেটরা একটা অশুভ শক্তি, এবং ট্রাম্প হচ্ছেন একজন ত্রাতা। তিনি উদ্বিগ্ন যে এটা হয়তো তাদের ভোটের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে। হুইটনি ফিলিপস মনে করেন, কিউএ্যাননের আসল বিপদটা হলো - এতে গণতন্ত্র জিনিসটাকেই প্রত্যাখ্যান করার একটা ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছে। ফেসবুক সহ সামাজিক মাধ্যমগুলো সক্রিয় হয়ে উঠেছে এ ব্যাপারে। তারা বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ, একাউন্ট বা পোস্ট নিষিদ্ধ করছে, বিধিনিষেধ আরোপ করছে। কিন্তু তার পরও নানা উপায়ে ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকদের ফিরে আসতে দেখা গেছে সামাজিক মাধ্যমে। তবে ফেসবুক এখন কিউএ্যাননেন সকল একাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ নিষিদ্ধ করেছে। তবে এসব পদক্ষেপ কিউএ্যাননের জনপ্রিয়তার ওপর কোন প্রভাব ফেলবে কিনা তা কেউ বরতে পারে না। টম লং অবশ্য মনে করেন ক্ষতি যা হবার তা এর মধ্যেই হয়ে গেছে। যে দেশে তিনি বড় হয়েছেন - সে দেশ এখন তার কাছেই যেন অচেনা হয়ে গেছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ডোনাল্ড ট্রাম্প: টিভি তারকা থেকে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন যেভাবে অন্য দেশের তুলনায় একেবারেই ভিন্ন জো বাইডেন: এবারের দৌড় হোয়াইট হাউসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার চাবিকাঠি কোন রাজ্যগুলোতে
The US election campaign is full of talk about the pandemic, the Supreme Court and police reform. But millions of Americans are tuning into an entirely different conversation.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
সৌদি আরবের বর্তমান শাসক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার বাইডেনের প্রশাসন এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়েছে যে, তুরস্কের ইস্তানবুলে গিয়ে খাসোগজিকে "ধরতে বা খুন" করতে যে অভিযান চালানো হয়েছিল, যুবরাজ মোহাম্মদ ওই পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকজন সৌদি নাগরিকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও খোদ যুবরাজের ওপর এমন কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। সৌদি আরব এই প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে যে এটি "নেতিবাচক, মিথ্যা এবং অগ্রহণযোগ্য"। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ, যিনি কার্যত দেশটির শাসক, তিনিও এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে তার জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। খাসোগজি যখন তুরস্কের ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন তখনই তাকে হত্যা করে তার দেহ খণ্ড বিখণ্ড করা হয়। ৫৯ বছর বয়সী এই সাংবাদিক একসময় সৌদি সরকারের উপদেষ্টা এবং রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তবে এক পর্যায়ে তিনি সব আনুকূল্য হারান এবং ২০১৭ সালে নিজেই যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে চলে যান। সেখান থেকে তিনি ওয়াশিংটন পোস্টে একটি মাসিক কলাম লিখতেন, যেখানে তিনি যুবরাজ মোহাম্মদের নীতির সমালোচনা করেন। আরও পড়তে পারেন: খাসোগজি হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন কারা এই ১৫ জন? খাসোগজি হত্যা: 'বলির পাঁঠা' জেনারেল আসিরি? খাসোগজি হত্যাকাণ্ড: যে গল্পের শেষ নেই জামাল খাসোগজি, সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক প্রতিবেদনে কী লেখা আছে? যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, "আমরা ধারণা করছি সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ইস্তানবুলে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজিকে গ্রেফতার বা হত্যার জন্য একটি অভিযানের অনুমোদন দিয়েছিলেন," ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ হলেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের ছেলে এবং দেশটির বর্তমান শাসক। গোয়েন্দা প্রতিবেদনটিতে এমন ধারণার পেছনে তিনটি কারণ উল্লেখ করা হয়, যা এটা পরিষ্কার করে যে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদই ওই অভিযানের অনুমোদন দিয়েছিলেন। এই প্রতিবেদনে খাসোগজির হত্যার সাথে জড়িত বা দায়ী ব্যক্তিদের নাম দেওয়া হয়েছে। তবে এতে বলা হয়েছে, "খাসোগজির ক্ষতি করার পরিকল্পনায় আর কারা কারা সামিল ছিল সেটা এখনও আমরা পুরোপুরি জানি না। সৌদি কর্তৃপক্ষ এই হত্যার পেছনে, একদল এজেন্টকে দোষারোপ করছে, যারা বিরোধীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছিল। এছাড়া সৌদি আদালত প্রাথমিকভাবে পাঁচ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিলেও গত সেপ্টেম্বরে বিচারক সেই সাজা কমিয়ে প্রত্যেককে ২০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। ২০১৯ সালে, জাতিসংঘের বিশেষ দূত অ্যাগনেস ক্যালামার্ডের অভিযোগ, সৌদি আরব ইচ্ছাকৃতভাবে এবং আগে থেকে পরিকল্পনা করেই খাসোগজিকে হত্যা করেছে। সেইসঙ্গে এ ঘটনায় সৌদি আরবের আদালত যে রায় দিয়েছে তা "ন্যায়বিচারের পরিপন্থী" উল্লেখ করে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। জো বাইডেন সাংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যার প্রতিবেদন পড়ে বাদশাহ সালমানের সাথে কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি সম্পর্কে, এই ঘটনা কী বার্তা দেয়? এই প্রতিবেদন প্রকাশের অল্প সময়ের মধ্যেই, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন কয়েকজন সৌদি নাগরিকের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন। যাকে "খাসোগজি ব্যান" বলা হয়। মি. ব্লিংকেন বলেন, "যাদেরকে উদ্দেশ্য করে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তারা নিজ দেশের বাইরেও ভিন্নমত দমনে ভয়াবহ সব কার্যকলাপের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত।" "যেসব অপরাধী কোন বিদেশি সরকারের হয়ে ভিন্নমতের মানুষদের লক্ষ্যবস্তু বানায়, তাদেরকে আমেরিকান মাটিতে পা রাখতে দেয়া হবে না," তিনি সতর্ক করেন। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগও ক্রাউন প্রিন্সের আশেপাশের কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরমধ্যে রয়েছে: তার অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী, সাবেক উপ গোয়েন্দা প্রধান আহমাদ আসিরি, সেইসঙ্গে তার ব্যক্তিগত সুরক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী, যারা হত্যার সাথে জড়িত ছিল অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ধারণা করেছিল যে ক্রাউন প্রিন্সই এই হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন। তবে তিনি যে জড়িত ছিলেন সে অভিযোগ মার্কিন কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে বলেননি। বিশ্বের বৃহত্তম তেল রফতানিকারী দেশ সৌদি আরব মধ্য প্রাচ্যে আমেরিকার প্রধান মিত্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি আরবের মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের বিষয়ে তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে দৃঢ় অবস্থান নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বাদশাহ সালমানের সাথে ফোনালাপ করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। "যুক্তরাষ্ট্র যে সার্বজনীন মানবাধিকার এবং আইনের শাসনকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে", বাইডেন সেই বিষয়টি ফোনালাপে নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। জামাল খাসোগজি হত্যা: সৌদি সমালোচকরা যেভাবে গুম হয়ে যান বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে যে, সৌদি আরবের সাথে অস্ত্র চুক্তি বাতিল করার বিষয়েও বাইডেন প্রশাসন চিন্তাভাবনা করছে। কারণ এই চুক্তি মানবাধিকারকে উদ্বেগের মুখে ফেলেছে। ভবিষ্যতে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রয় শুধুমাত্র "প্রতিরক্ষামূলক" অস্ত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়টিও বিবেচনা করছে বাইডেন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে যে, এই অপরাধের পেছনে দায়ীদের খুঁজে বের করতে যথাযথভাবে তদন্ত করা হয়েছে এবং ন্যায়বিচারের করা হয়েছে। "এটা সত্যিই দুঃখজনক যে এই প্রতিবেদনটি যেসব তথ্য দিয়েছে সব অযৌক্তিক ও ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। "এবং এই ত্রুটিপূর্ণ প্রতিবেদনটি এমন সময় প্রকাশ করা হল যখন সৌদি আরব এই জঘন্য অপরাধের স্পষ্ট নিন্দা জানিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে যাতে এ ধরণের ঘটনা আর না ঘটে।" সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটির নেতৃত্ব, সার্বভৌমত্ব এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করে এমন সব পদক্ষেপও তারা প্রত্যাখ্যান করছে। বারবারা প্লেট উশার। বিশ্লেষণ, বারবারা প্লেট উশার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদদাতা এ ঘটনায় মোহাম্মদ বিন সালমান সাধারণ মানুষের রোষানলে পড়লেও তিনি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে পার পেয়ে গেছেন। যদিও তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি, জাতিসংঘের বিশেষ রিপোর্টার অ্যাগনেস ক্যালামার্ডসহ বহু অ্যাকটিভিস্ট আহ্বান জানিয়েছিল। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন খুব সতর্কতার সাথে পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তিনি তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সৌদি আরবকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করতে চান তেমনি আবার সৌদি আরবের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চান। কারণ মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে সৌদি আরব বেশ বড় ভূমিকায় আছে যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেমন: ইয়েমেনের যুদ্ধ শেষ করা, ইরানকে পুনরায় পরমাণু চুক্তিতে যুক্ত করা, ইসলামপন্থী চরমপন্থিদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং আরব-ইসরায়েলি সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়া। তবে প্রেসিডেন্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো যুবরাজ মোহাম্মদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করবেন না। এর পরিবর্তে মি. বাইডেন তার বাবা বাদশাহ সালমানের সাথে কাজ করছেন। জামাল খাসোগজির হত্যাকাণ্ডের পেছনে জড়িত সন্দেহভাজন। খাসোগজিকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছিল? খাসোগজি তার তুর্কি বাগদত্তাকে বিয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে যান। ক্রাউন প্রিন্সের ভাই প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের কাছ থেকে তিনি এই আশ্বাস পান যে, কনস্যুলেটে যাওয়াটা তার জন্য নিরাপদ হবে। সে সময় প্রিন্স খালিদ, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। যদিও প্রিন্স খালিদ ওই সাংবাদিকের সাথে তার যোগাযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। সৌদি আইনপ্রণেতাদের মতে, খাসোগজি আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে তার সঙ্গে খুনিদের ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে তারা জোর করে খাসোগজির শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রচুর ওষুধ দেয়। অতিরিক্ত মাত্রার ওষুধের ফলে খাসোগজি সেখানেই মারা যান। এরপর তার দেহটি খণ্ড বিখণ্ড করা হয় এবং ওই টুকরোগুলো কনস্যুলেটের বাইরে থাকা স্থানীয় একটি সহযোগীর কাছে দেয়া হয়, আইনপ্রণেতারা বলেছেন। খাসোগজির দেহাবশেষ কখনও পাওয়া যায় নি। তুরস্কের গোয়েন্দা বিভাগ হত্যাকাণ্ডের অডিও রেকর্ডিংটি সামনে আনার পর সেটার লিখিত প্রতিবেদনে বিশদ বিবরণ প্রকাশ পায়।
A US intelligence report has found that Saudi Crown Prince Mohammed bin Salman approved the murder of exiled Saudi journalist Jamal Khashoggi in 2018.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
শহরটির অর্ধেক এখন সমুদ্রপৃষ্ঠের নীচে অবস্থান করছে। নির্দিষ্ট সময় স্থান এখনো ঠিক হয় নি কিন্তু প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো পার্লামেন্টে ১৬ই অগাস্ট এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। কেন জাকার্তা থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে রাজধানী তার কারণ বের করা খুব কঠিন না। কারণ প্রতিবছর ১ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার দেবে যাচ্ছে শহরটি। শহরটির অর্ধেক এখন সমুদ্রপৃষ্ঠের নীচে অবস্থান করছে। শহরটি একটা জলাভূমির উপর রয়েছে কারণ এখানে জাভা সাগর রয়েছে এবং ১৩টি নদী বয়ে যাচ্ছে শহরটির উপর দিয়ে। এর যানজটের অবস্থা ভয়াবহ। ২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা যায় এই বড় শহরটির যানজট বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ যানজট। সরকারের মন্ত্রীদের পুলিশ পাহারায় নির্দিষ্ট সময়ে মিটিং এ পৌছানোর জন্য যেতে হয়। শহুরে এলাকায় ৩০ মিলিয়ন লোকের বাস। এত বড় জনসংখ্যার জন্য মাত্র ২-৪% ময়লা পানি বিশুদ্ধ করা হচ্ছে। নতুন রাজধানী হতে পারে কালিমানটান। এই পরিবর্তনের জন্য ৩৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে। এর জন্য ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার হেক্টর জমির প্রয়োজন হবে। যেখানে ৯ লক্ষ থেকে এক দশমিক পাঁচ মিলিয়ন লোকের বাসস্থান করা হবে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া কোনভাবেই প্রথম দেশ না , যে দেশ তাদের রাজধানী সরিয়ে অন্য স্থানে নিচ্ছে। এর আরো বেশ কিছু উদাহরণ রয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প: রাতের আঁধারে নিয়ন্ত্রণ করে কারা 'আমার বেঁচে থাকার কোনো আশাই ছিল না' বিদেশে পড়তে ইচ্ছুকদের জন্য দরকারি কিছু তথ্য ১. কাজাখাস্তান ১৯৯৭ সালে প্রেসিডেন্ট নুর সুলতান নাজারবেইভ সিদ্ধান্ত নেন প্রধান শহর আলমাতি থেকে রাজধানী সরিয়ে নেবেন। কান সাটআর। যেটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় তাবু। এর নকশা করেন নরমান ফস্টার তিনি ধুলোমাখা এক প্রদেশ বেছে নিলেন। যেটা ৭৫০ মাইল উত্তরে। তিনি প্রথমে যে কাজটি করলেন সেটা হল নাম পরিবর্তন করা। তিনি এর নাম আকমোলা তকে আসতানা করলেন। যার অর্থ 'সাদা কবর'। এরপর তিনি বিশ্বের নানা স্থান থেকে স্থাপত্যবিদদের নিয়ে আসলেন। একেবারে মাটি থেকে তিনি তার রাজধানী তৈরি করা শুরু করলেন। এর অন্যতম চমকপ্রদ ল্যান্ডমার্কটি হল কান সাটআর। যেটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় তাবু। এর নকশা করেন নরমান ফস্টার। এর মধ্যে শপিং মল এবং বিনোদন কমপ্লেক্স রয়েছে। সেখানে আরো রয়েছে বেতারেক টাওয়ার, প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস আরো অনেক অবকাঠামো। এর সবকিছু সম্ভব হয়েছিল কাজাখাস্তানের উদীয়মান তেল ক্ষেত্রের জন্য। ২০১৮ সালে অর্থনীতি বেড়েছে ৪.৮%। কৃতজ্ঞতাবশত প্রেসিডেন্ট নাজারবেইভ মার্চে যখন ক্ষমতা ছেড়ে দেন তখন তাকে সম্মান জানিয়ে সংসদের ভোটে শহরটির নাম তার নামে করা হয়। এখন কাজাখের রাজধানী বিশ্বের দ্বিতীয় শীতলতম শহর, প্রথমে রয়েছে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটার। যার নাম এখন নুর সুলতান সিটি। মিয়ানমার নেপিডো শহরটি লন্ডনের চেয়ে চারগুণ বড় কিন্তু জনসংখ্যা ভগ্নাংশ পরিমাণ। এর অর্থ ছিল 'রাজার স্থান'। কি কারণে বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন থেকে নেপিডোতে রাজধানী সরিয়ে আনা হল সেটা কখনো পরিষ্কার করা হয়নি। ৩৭০ কি.মি. দুরে বড় শহর ইয়াঙ্গুন যার আগের নাম ছিল রেঙ্গুন। সেই সময় বিবিসিকে দেশটির তথ্য মন্ত্রী বলেছিলেন স্থানটি কৌশলগত দিক দিয়ে ভাল। কিন্তু বিশ্লেষকরা এড়িয়ে গেছেন বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে। কি কারণে ইয়াঙ্গুনে রাজধানী সরিয়ে নেয়া হল সেটা কখনো পরিষ্কার করা হয়নি। তারা বলেছেন এটা হতে পারে সেনাবাহিনী ভয় পাচ্ছে কোন বিদেশি শক্তি এসে দখল করে নেয় আবার অনেকে মনে করতেন সীমান্তে জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর বেশি করে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। একটা পরিকল্পিত রাজধানীর শহরের সব চিহ্ন এখানে আছে। যে রাস্তাটা সংসদ ভবন থেকে প্রেসিডেন্ট প্যালেস এর দিকে গেছে সেটা ২০ লেন চওড়া। যানজট নেই বললেই চলে। ঝকঝকে শপিং মল, দামি হোটেল যেসব খালি পড়ে আছে। এখানে একটা সাফারি পার্ক, একটা চিড়িয়াখানা, এবং অন্তত তিনটি স্টেডিয়াম আছে। দেশটির অন্যান্য স্থানে বিদ্যুৎ না থাকলেও রাজধানীতে সবসময় বিদ্যুৎ থাকে। বলিভিয়া বলিভিয়ার দুটি রাজধানী ছিল। একটি শাকরে এবং অন্য টি লা পায। ১৮৯৯ সালে লা পাযের সাথে সংক্ষিপ্ত গৃহযুদ্ধে হেরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত শাকরে ছিল মূল রাজধানী। এরপর সংসদ এবং সিভিল সার্ভিস বলিভিয়ার বড় শহর লা পাযে সরে গেলো, কিন্তু বিচারবিভাগ শাকরে তে থেকে গেল। সংসদ এবং সিভিল সার্ভিস বলিভিয়ার বড় শহর লা পাযে ১৮২৫ সালে বলিভিয়া যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন শাকরে ছিল দেশটির কেন্দ্রবিন্দু। এর জনসংখ্যা দুই লাখ ৫০ হাজার যেখানে লা পাযের রয়েছে এক দশমিক সাত মিলিয়ন। ২০০৭ সালে সংসদ এবং সরকারকে শাকরে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছিল। ফলাফল, লা পাযে সর্ববৃহৎ বিক্ষোভ তৈরি হয়। বিষয়টাকে অনেকে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসেবে দেখে। প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস এর পশ্চিমের উচ্চভূমির গরিব সমর্থক এবং তার প্রতিপক্ষ পূর্বের ধনীদের মধ্যে। তাই সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। বলিভিয়াতে এখন দুটি রাজধানীই রয়েছে। নাইজেরিয়া ১৯৯১ সাল পর্যন্ত নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস দেশটির রাজধানী ছিল। আবুজাতে রাজধানী স্থানান্তরের অনেক কারণ ছিল। আবুজা ছিল পরিকল্পিত শহর। প্রথমত এটার ভৌগলিক অবস্থান। আবুজা ছিল দেশটির কেন্দ্রে। মাইদুগুড়ি থেকে সড়কে লাগোসে যেতে সময় লাগতো দুই দিন কারণ যেতে হত ১৬শ কি.মি পথ পাড়ি দিয়ে। সেই তুলনায় আবুজা ছিল কাছে। লাগোস ছিল ঘনবসতিপূর্ণ। সাব সাহারান আফ্রিকার অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর ছিল এটা। এটাও ছিল অনেক কারণের মধ্যে একটি। আবুজা রাজনৈতিক এবং জাতিগত ভাবে ছিল নিরপেক্ষ। যেখানে লাগোস গড়ে উঠেছিল প্রাকৃতিক-ভাবে সেখানে আবুজা ছিল পরিকল্পিত শহর। যেটা ছিল নাইজেরিয়ায় প্রথম। যানজটের জন্য লাগোস কুখ্যাত, শুরুতেই আবুজার রাস্তার পরিকল্পনা করা হয়েছে চওড়া করে। জাতীয় সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট , সুপ্রিম কোর্ট, ন্যাশনাল এসেম্বলি এবং প্রেসিডেন্ট ভবন আবুজাতে। যাইহোক অনেক কেন্দ্রীয় সংস্থা এখনো অনানুষ্ঠানিক-ভাবে লাগোসে রয়েছে। পর্তুগাল ১৩ বছর ধরে পর্তুগালের রাজধানী লিসবন ছিল না বরং এটা ছিল রিও ডি জেনরিও। কারণ কি? নেপোলিয়ন। পেনিনসুলা যুদ্ধের সময় ফ্রান্স তিন বার পর্তুগাল দখল করে। ১৮০৭ সালের ডিসেম্বরের আগে ব্রাগানজা রাজ পরিবার এবং আদালত ব্রাজিলে যান যেটা একটা পর্তুগিজ কলোনি ছিল। রিও এক সময় পর্তুগালের রাজধানী ছিল তারা ১৮০৮ সালের মার্চে রিওতে পৌছায়। ১৯ শতকে রিও ছিল একটি উঠতি শহর। সেখানে সোনা, ডায়মন্ড এবং চিনি ছিল আর ছিল দাস। ডম জোআও ৬ষ্ঠ প্রিন্স রিজেন্ট ইউনাইটেড কিংডম অব পর্তুগাল, ব্রাজিল, এবং দ্যা আলগারভেস তৈরি করেন। এটা ব্রাজিলকে একটা কলোনি থেকে পর্তুগালের সমমর্যাদায় নিয়ে যায়। ব্রাজিল সেসময় আরো প্রশাসনিক স্বাধীনতা পেল। যখন রানী ১৮১৬ সালে মারা যান , তিনি হয়ে যান রাজা। ১৮২১ সালে পর্তুগীজ আদালত লিসবনে ফিরে আসে এবং ১৯৯০ সালের রাজতন্ত্র শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানেই ছিল।
Indonesia is moving its capital city away from Jakarta, according to the country's planning minister.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
গত বছরের তুলনায় এবছর বেড়েছে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা সামাজিক মাধ্যমের জনপ্রিয় এই সংস্থাটি জানিয়েছে যে, গত বছর মাসে অন্তত একবার লগ ইন করা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ৯%। নানা কেলেঙ্কারি ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকে বিজ্ঞাপনদাতারা নিরুৎসাহিত হবেন - এমন আশঙ্কা অমূলক প্রমাণিত হয়েছে। গত বছরটিতে ফেসবুকের বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় ৩০%। ফেসবুক বর্জন করতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সংস্থা নানা প্রচারণা চালালেও উল্টো বেড়েছে ফেসবুকের আয়। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন সংস্থাটি 'বৃহৎ সামাজিক বিষয়গুলোতে জোর দেয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার মৌলিক ধারায় পরিবর্তন এনেছে।' গত জুলাইয়ের পর থেকেই ফেসবুকের শেয়ারের মূল্য প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে যায়। সেসময়ই প্রতিষ্ঠানটির আয়ের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়; তখন আগের দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল ফেসবুকের। তবে শেষপর্যন্ত তারা ৯% বেশি আয় করেছে এমন একটা বছরে, যখন ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি ফাঁসের পর তাদের ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়েই সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। ফেসবুক ব্যবহারকারীদেরকে না জানিয়েই লাখ লাখ গ্রাহকের তথ্য নিজেদের বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহার করেছিল রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা। এই তথ্য ফাঁস হলে আলোড়ন শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ স্বীকার করেছিলেন তারা 'ভুল করেছেন'। ফেসবুকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ফেসবুক প্রধান। কিন্তু গ্রাহকের অজ্ঞাতে বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশে তাদের তথ্য ব্যাবহার করার এই খবর রটে গেলে, ফেসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গকে ব্রিটিশ সংসদে তলব করা হয়। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এ বিষয়ে তাদের 'ভুল হয়েছিল' স্বীকার করেন এবং গ্রাহকদের তথ্য তৃতীয় পক্ষের হাতে চলে যাবার এই ঘটনাটিকে 'গ্রাহকদের সাথে বিশ্বাসভঙ্গ' করার সামিল বলে ফেসবুকে দেয়া বিবৃতিতে মন্তব্য করেছিলেন সেসময় । তারপরও ২০১৮ সালে ফেসবুকের মোট মুনাফা ছিল ২২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১৭ সালের চেয়ে ৩৯% বেশি। ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পেয়েছে ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনে; তবে যুক্তরাষ্ট্র আর ক্যানাডায় ব্যবহারকারী সংখ্যা একইরকম ছিল।
The number of Facebook users has continued to rise despite a series of data privacy scandals and criticism over its attempt to stem toxic content.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
মিলানের একটি মেট্রো স্টেশন। গোটা ইউরোপে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ইতালি। এই দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ইতালিতে সনাক্ত নতুন আক্রান্তের খবর ঘোষণা দিয়েছে। বুধবারও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায় যে প্রথমবারের মতো ভাইরাসটি চীনের বাইরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে এই ভাইরাসটি বিস্তার লাভ করেছিল। গত বছরের ডিসেম্বরের পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী, প্রায় ৪০টি দেশের আশি হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংখ্যক চীনের বাসিন্দা। কোভিড-১৯, নামে এই ভাইরাসের ফলে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, এ পর্যন্ত ২,৭০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মিলানের বিখ্যাত নাইট লাইফটি ভাইরাসির প্রকোপে খারাপভাবে প্রভাবিত হয়েছে। ইতালির পরিস্থিতি কী? বুধবার দিনশেষে, কর্তৃপক্ষ মোট ৪০০জন আক্রান্তের খবর প্রকাশ করে - মঙ্গলবার রাতের পর এই আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ জনের মতো বৃদ্ধি পেলো। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে এর উত্তরের শিল্পাঞ্চল - মিলানের আশেপাশের এলাকা, লম্বার্ডি, এবং ভেনিসের কাছে ভেনেটো শহরে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে। এতে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১২জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সরকারি কর্মকর্তারা জনসাধারণকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন এবং রোগের বিস্তার রোধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন। স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে এবং বেশ কয়েকটি পাবলিক ইভেন্ট বাতিল করা হয়েছে। প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এগারোটি শহরের - মোট ৫৫,০০০ বাসিন্দাকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। আশঙ্কা রয়েছে যে এই প্রাদুর্ভাবের ফলে ইতালি অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পড়তে পারে। মিলানে বিবিসির মার্ক লোভেন জানিয়েছেন, শহরের ক্যাফেগুলো জনশূন্য থাকায় এবং অনেক হোটেলের বুকিং বাতিল হয়ে যাওয়ার কারণে এমনটা আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইইউর স্বাস্থ্য কমিশনার স্টেলা কিরিয়াকাইডস, রোমে ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করার পরে সাংবাদিকদের বলেন: "এটি উদ্বেগজনক একটি পরিস্থিতি, তবে আমাদের অবশ্যই আতঙ্কিত হয়ে হালা ছেড়ে দেয়া ঠিক হবে না।" "এই ভাইরাসটি সম্পর্কে এখনও অনেক বিষয় অজানা রয়ে গেছে। বিশেষত এর উৎস এবং এটি কীভাবে ছড়িয়েছে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।" আরও পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস কি বিশ্ব মহামারীতে রূপ নিতে পারে চীনের পক্ষে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না, বলছেন বিজ্ঞানীরা চীন এবং সেই ভাইরাস, যা সবকিছুকেই হুমকিতে ফেলছে ইউরোপ এবং এর বাইরের পরিস্থিতি কেমন? গত দুই দিনে অস্ট্রিয়া, ক্রোয়েশিয়া, গ্রিস, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, জর্জিয়া এবং উত্তর ম্যাসেডোনিয়া তাদের প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর প্রকাশ করেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ইতালিতে থাকা মানুষের সংস্পর্শে ছিলেন। স্পেন, ফ্রান্স এবং জার্মানিতে আরও কয়েকজন আক্রান্তের সংখ্যা ঘোষণা করা হয়। ডাবলিনে ৭ ও ৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইতালির সাথে ছয় জাতির রাগবি ম্যাচ পিছিয়ে দিয়েছে আয়ারল্যান্ড। যুক্তরাজ্যে, এখন পর্যন্ত ১৩ জন আক্রান্তের খবর রিপোর্ট করা হয়েছে, করোনাভাইরাস সনাক্তের পরীক্ষা বাড়ানো হচ্ছে যাতে লোকেরা ফ্লুর মতো লক্ষ্মণ দেখা দিলেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে পারেন। ইউরোপের বাইরে, আলজেরিয়া, ব্রাজিল এবং পাকিস্তানও তাদের প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর জানিয়েছে। ব্রাজিলিয়ান আক্রান্তের খবরটি লাতিন আমেরিকায় এই ভাইরাসের প্রবেশের বিষয়টি সামনে এনেছে। ইরান - মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান হটস্পট - গত সপ্তাহে দেশটিতে মোট ১৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এবং ১৩৯জন আক্রান্তের খবর প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার দেশটির সরকার জানিয়েছে যে, কোন শহর ও শহরতলীকে আলাদা করে রাখার কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সত্ত্বেও তারা এমন সিদ্ধান্তের কথা জানায়। ইরানি কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষকে প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল 'কওম' শহরে না যাওয়ার জন্য বলেছে, তবে তারা এখনও সেখানকার কোন মাজার বন্ধ করেনি। এই মাজারগুলোয় প্রতি বছর লাখ লাখ শিয়া তীর্থযাত্রীরা ভিড় করেন। চীনের বাইরে সংক্রমণের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকা দক্ষিণ কোরিয়ায় বুধবার পর্যন্ত মোট ১২০০ জন সংক্রমিত এবং ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গ্রিসে করোনাভাইরাস আক্রান্ত একজনের খবর পাওয়া গেছে। মহামারী অনিবার্য নয় ফিলিপা রক্সবি, বিবিসির স্বাস্থ্য প্রতিবেদক করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র ধীরে ধীরে চীন থেকে সরে পুরো বিশ্বে এসে দাঁড়িয়েছে, বিশেষত ইউরোপে। এই পরিস্থিতিতে খারাপ সংবাদের মতো মনে হলেও এর ইতিবাচক দিকও রয়েছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যার দিকে চীনের অবস্থান শীর্ষে হলেও প্রতিদিন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসছে। এটি ইঙ্গিত করে যে, ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে দেশটির লোকজনকে বাড়িতে থাকার যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, জনসমাগমস্থলে না যেতে এবং ভ্রমণে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, সেই প্রচেষ্টা কাজে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, চাইলে এখনও এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এবং এই ভাইরাসের সংক্রমণ যে বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার নেবে সেটাও অনিবার্য নয়। এই প্রাদুর্ভাবের ফলে যুক্তরাজ্য সরকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছে। জনসাধারণকে নিরাপদ রাখার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন হলেও সেটা যেন অবশ্যই ভারসাম্যপূর্ণ ও দায়িত্বশীল উপায়ে হয়।
The number of coronavirus cases in Italy has jumped to 400, amid international efforts to contain the spread of the deadly outbreak.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
যৌন হয়রানির শিকার প্রায় ৬৩ শতাংশ নারী বিবিসিকে জানিয়েছেন, ঘটনার পর তারা এ বিষয়ে কোনো রিপোর্ট করেননি বা কাউকে জানাননি। অন্যদিকে যৌন হয়রানির শিকার ৭৯ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন এ বিষয়টি তারা নিজেদের মধ্যেই চেপে রেখেছিলেন। বিবিসি রেডিও ৫ লাইভ-এর জন্য যে সংস্থাটি জরিপ চালায় তারা দুই হাজারেরও বেশি মানুষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছে। হলিউডের অন্যতম প্রযোজক হার্ভে ওয়েনস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পরই এই জরিপ চালানো হয়। সম্প্রতি হলিউডের বেশ কয়েকজন নায়িকা বলেছেন অস্কারজয়ী প্রযোজক মি: ওয়েনস্টেইনের কাছে কী ধরনের যৌন হয়রানির শিকার হন। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় 'মি টু' হ্যাশ ট্যাগে অনেক নারী-পুরুষ জানিয়েছেন কীভাবে তারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। দুই হাজার ৩১ জন প্রাপ্তবয়স্ক ওপর বিবিসির রেডিও ৫ লাইভ জরিপ চালায়। ওই জরিপে প্রায় ৫৩ শতাংশ নারী ও ২০ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন তারা কর্মক্ষেত্রে বা শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অপ্রীতিকর মন্তব্য শুনেছেন আর বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। জরিপে আরও দেখা গেছে, এক-চতুর্থাংশ মানুষ অপ্রিয় বা অশ্লীল কৌতুক শুনেছেন। এছাড়া, প্রতি সাত জনে অন্তত একজন অযাচিত বা অশ্লীল স্পর্শের শিকার হয়েছেন। আরো পড়তে পারেন: ভারতের সিনেমা হলে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো নিয়ে চ্যালেঞ্জ কেটামিন মাদক হিসেবে বাংলাদেশে থেকে পাচার নামী অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ফেসবুকে সারাহ তাঁর শিক্ষক ও অধ্যাপকের মাধ্যমে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। আর প্রতি ১০ জনে একজন নারী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। কর্মস্থলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা বসদের কাছ থেকে পুরুষদের তুলনায় নারীরাই বেশি হয়রানির শিকার হন এবং জরিপে জানা গেছে প্রায় ৩০ শতাংশ নারী ছিলেন বসদের টার্গেট। অন্যদিকে, পুরুষরাও এমন হয়রানির শিকার হয়েছেন, তবে তাদের সংখ্যা নারীদের তুলনায় কম- প্রায় ১২ শতাংশ। জরিপে উঠে এসেছে প্রতি ১০ জনে একজন নারী যৌন হয়রানির কারণে শিক্ষাক্ষেত্র বা কর্মক্ষেত্র ত্যাগ করেছেন। ক্যামব্রিজের সারাহ কিলিকয়নে বিবিসি নিউজকে জানান, শিক্ষাক্ষেত্রে দুজন মানুষ তাকে যৌন হেনস্তা করেছিলেন। কিশোরী বয়সে স্কুল শিক্ষক এবং কলেজে ওঠার পর সেখানকার একজন অধ্যাপক সারাহকে যৌন হয়রানির মধ্যে ফেলেন। বিবিসিকে সারাহ বলেন "আমি জানি আমাদের আশেপাশেই অনেক মানুষ আছে যারা যৌন শিকারী, খুব কম মানুষই আছে যারা তাদের নিষ্ক্রিয় করতে পারে"। 'নোংরা ও অস্বস্তিকর' নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানিয়েছেন কর্মক্ষেত্রে নারী বসের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন তিনি। তিনি জানান "আমার ওই নারী বস সবসময় আমার পোশাক, আমার দেহসহ সবকিছু নিয়ে প্রশংসা করতো। আমার বুকের লোম নিয়ে কথা বলতো এবং আমি নারীদের মধ্যে কী বেশি পছন্দ করি তা জানতে চাইতো"। "আমার অন্য নারী সহকর্মীরা এটা শুনে হাসতো। কিন্তু এসব কথা শুনে নোংরা বোধ করতাম অস্বস্তিকর লাগতো"। কর্মক্ষেত্রে পুরুষ বস যৌন হয়রানির মধ্যে ফেলেছেন এমন কথা চেপে যান অনেক নারী। 'ভয়ে অচল হয়ে পড়া' লেবার এমপপ জেস ফিলিপস ও ম্যারি ক্রেইগ নিজেদের শৈশবের অভিজ্ঞতা সবার সাথে শেয়ার করেছে। যৌন হয়রানির শিকার ব্যক্তিরা যেন নিজেদের অভিজ্ঞতা আড়ালে না রাখে সেটাকে উৎসাহিত করতেই মিস ফিলিপস শৈশবের যৌন হয়রানির অভিজ্ঞতা জানান লন্ডনের এক পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দেবার সময়। এমনকি কর্মক্ষেত্রেও বাজে অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। মিস ফিলিপস জানান, এক অনুষ্ঠানে তার বস যখন তাকে যৌন হেনস্তা করছিল তখন তিনি 'ভয়ে অচল হয়ে পড়েছিলেন'। মিস ক্রেইগ জানান সাত বছর বয়সে তাকে যৌন হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছিল। স্কুলের খেলার মাঠে ১২ জন ছেলে তাকে চুমু দেয়ার খেলার মধ্যে আটকে ফেলেছিল। বিবিসির এই জরিপ ছাড়াও গত বছর প্রকাশিত টিইউসির জরিপেও উঠে আসে যে ব্রিটেনে অর্ধেকেরও বেশি নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়, যার বেশিরভাগই খবরে আসে না।
Half of British women and a fifth of men have been sexually harassed at work or a place of study, a BBC survey says.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
দাঙ্গা পুলিশের সাথে এক বিক্ষোভকারীর সংঘাত সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যতম এই বিক্ষোভ র‍্যালিগুলোতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত থাকলেও হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। মস্কোতে দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করছে, এমনও দেখা গেছে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সমালোচকদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি অ্যালেক্সেই নাভালনি গত রবিবার গ্রেফতার হওয়ার পর বিক্ষোভের ডাক দেন। গত অগাস্টে রাশিয়ায় মি. নাভালনির ওপর স্নায়ু বিকল করার বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয়। তারপর থেকে তিনি চিকিৎসার জন্য বার্লিনে ছিলেন। আরো পড়তে পারেন: বিষ থেকে বেঁচে যাওয়ার পর এবার মস্কো গিয়ে আটক হলেন নাভালনি পুতিনের সমালোচক নাভালনির ভয়াবহ অ্যালার্জি স্নায়ুর ক্ষতিকারক নভিচক বিষ কী ও কীভাবে কাজ করে? পুতিনের প্রতিপক্ষকে ‘বিষ প্রয়োগের’ অভিযোগ রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের শহর ভ্লাদিভস্তক থেকে এক বিক্ষোভকারীকে আটকের দৃশ্য গত রবিবার বার্লিন থেকে মস্কোতে ফেরার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্যারোলের শর্ত ভাঙ্গার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাকে। মি. নাভালনি দাবি করেছেন যে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। ওভিডি ইনফো নামে একটি বেসরকারি সংস্থা, যারা র‍্যালি পর্যবেক্ষণের কাজ করে থাকে, জানিয়েছে প্রায় ৩,১০০ মানুষকে আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে ১,২০০ জনের বেশি মস্কো থেকে। বিক্ষোভের মধ্যে মি. নাভালনি'র স্ত্রী ইউলিয়াকেও কিছুক্ষণের জন্য আটক করে পুলিশ। তিনি ঐ ঘটনার একটি ছবিও তার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন। এ বিষয়ে ক্রেমলিন কোনো মন্তব্য করেনি। বিভিন্ন জায়গায় অননুমোদিত বিক্ষোভ করায় বিক্ষোভকারীদের আটক করে পুলিশ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মস্কো, সেইন্ট পিটার্সবার্গ, সাইবেরিয়াসহ প্রায় ১০০ শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে মানুষ। কিশোর ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিরা পর্যন্ত বিক্ষোভে অংশ নেয়। বিক্ষোভকারীরা মি. নাভালনির মুক্তি দাবি করে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের ধারণা অনুযায়ী, মস্কোর র‍্যালিতে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ অংশ নেয়। তবে রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্যমতে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা ৪ হাজার। পর্যবেক্ষকরা বলছেন রাশিয়ায় এই মাত্রার বিক্ষোভ আগে কখনো দেখা যায়নি আর মস্কোতে গত দশ বছরের মধ্যে এত বড় পরিসরে বিক্ষোভ হয়নি। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিঘ্নিত রাশিয়ায় শনিবার মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিঘ্নিত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে, তবে বিক্ষোভের সাথে এই ঘটনার সম্পর্ক আছে কিনা জানা যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ টিকটকে বিক্ষোভ কর্মসূচিকে সমর্থন করে অসংখ্য ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে এবং মি. নাভালনি সম্পর্কে ভাইরাল মেসেজ শেয়ার করা হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার মিডিয়া পর্যবেক্ষণকারী আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠান 'রসকমনাদযোর' টিকটকের কাছে দাবি জানিয়েছে যেন 'অপ্রাপ্তবয়স্কদের বেআইনি কাজে উৎসাহ দেয়' - এরকম যে কোনো কন্টেন্ট তারা সরিয়ে নেয়। রাশিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিভাবকদের অনুরোধ জানিয়েছে যেন তারা তাদের সন্তানদের কোনো বিক্ষোভে অংশ নিতে না দেয়।
Russian police have detained more than 3,000 people in a crackdown on protests in support of jailed opposition leader Alexei Navalny, monitors say.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
এই প্রাণীটি এর মধ্যেই বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ এই প্রজাতির সদস্য রয়েছে মাত্র ২০০টি। পোপা পর্বতের নামানুসারে বানরটির নামকরণ করা হয়েছে পোপা লাঙ্গুর। তবে এই প্রাণীটি এর মধ্যেই বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ এই প্রজাতির সদস্য রয়েছে মাত্র ২০০টির মত। লাঙ্গুর হচ্ছে গাছের পাতা খায়, এমন ধরণের বানর, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় যে প্রজাতি দেখা যায়। এই প্রজাতির বানরটির বৈশিষ্ট্য হলো, এদের চোখে চশমাসদৃশ গাঢ় বর্ণের বৃত্তাকার রিং রয়েছে যা আলাদা করে চোখে পড়ে। আর এর গায়ের পশমের বর্ণ ধূসর। জিন গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীতে ১০ লাখ বছর আগে যেসব বানর ছিল বলে গবেষণায় জানা গেছে, তাদের চেয়ে এই পোপা লাঙ্গুর বানরের প্রজাতি আলাদা। আবাসস্থল ক্ষতি এবং শিকারের কারণে বানরের এই প্রজাতিটি বিলুপ্তির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আরো পড়তে পারেন: কথা বলতে শুরু করেছে ভারতের ‘বানর-কন্যা’ বানরের সেল্‌ফি নিয়ে আদালতে মামলা হারানো ফোনে বানরের তোলা সেলফি? বানরের কারণে ইন্টারনেটের গতিতে বাঁধা মাউন্ট পোপার নাম অনুসারে এই বানরটির নামকরণ করা হয়েছে পোপা লাঙ্গুর। বুনো বানরের মল-মূত্র থেকে পাওয়া ডিএনএ বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা অনেকদিন ধরেই ধারণা করছিলেন যে, মিয়ানমারে বানরের নতুন প্রজাতি রয়েছে। তবে এতদিন ধরে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় তারা লন্ডন, লেইডেন, নিউইয়র্ক এবং সিঙ্গাপুরের প্রাকৃতিক ইতিহাসের জাদুঘরগুলোয় থাকা বানরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে শুরু করেন। মিয়ানমারে প্রথমদিকের অভিযাত্রীরা এসব নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন, কিন্তু যেগুলো তেমনভাবে পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়নি। সেই নমুনা থেকে পাওয়া ডিএনএ বুনো বানরের সঙ্গে যাচাই করে দেখার পর নতুন এই প্রজাতিটি শনাক্ত করেন বিজ্ঞানীরা। মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের জঙ্গলে পোপা লাঙ্গুরের এই প্রজাতিটি পাওয়া গেছে। পোপা পর্বতের তীর্থস্থানগুলোর কাছাকাছি অভয়ারণ্যে এদের বেশিরভাগ বসবাস করে। সংরক্ষণবাদী গ্রুপ ফনা অ্যান্ড ফ্লোরা ইন্টারন্যাশনালের ফ্রাঙ্ক মোমবার্গ বলেছেন, বৈজ্ঞানিকভাবে এই বিশ্লেষণ বানরটির সুরক্ষায় কাজে আসবে। তিনি বিবিসি নিউজকে বলেছেন, ''সদ্য আবিষ্কৃত পোপা লাঙ্গুর এর মধ্যেই চরম বিপন্ন এবং বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা একটি প্রাণী। সুতরাং তাদের মধ্যে যেগুলো এখনো বেঁচে আছে, সেগুলো রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর নিরাপত্তায় স্থানীয় কমিউনিটির পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরের সহায়তাও নিতে হবে।'' এখন এই প্রজাতির ২০০ থেকে ২৫০ প্রাণী বেঁচে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় স্বীকার না করা 'বিব্রতকর': জো বাইডেন 'নূর হোসেনের শরীরে শ্লোগান লিখেছিলাম আমি' আমেরিকার নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তদন্ত করে যা পেয়েছে বিবিসি মানসিক হাসপাতালে পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগ পোপা মাউন্টের তীর্থস্থানগুলোর কাছাকাছি অভয়ারণ্যে এদের বেশিরভাগ বসবাস করে। মিয়ানমার এক দশক আগে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের কাছে নিজেদের মেলে ধরতে শুরু করার পর নতুন ধরণের সরীসৃপ, উভচর নানা প্রাণীর আবিষ্কার হয়েছে। কিন্তু বানরের নতুন প্রজাতি আবিষ্কারের ঘটনা বিরল। জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের প্রাইমেট জেনেটিক্স ল্যাবরেটরির ক্রিস্টিয়ানা রোস বলেছেন, আবাসস্থানের ক্ষতি এবং শিকারের কারণে প্রাণীটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। ''শিকার একটি বড় সমস্যা। কিন্তু তার চেয়েও বড় সমস্যা হলো তাদের আবাসস্থান প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে সেটা কমে যাওয়া, বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।'' তিনি বলেছেন। জুলজিক্যাল রিসার্চ জার্নালে এই আবিষ্কারের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। হারানো মোবাইলে বানরের সেলফি ও ভিডিও
A monkey that is new to science has been discovered in the remote forests of Myanmar.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
বাণিজ্যিক জাহাজে ব্রিটিশ পতাকা কিন্তু এটা অস্বাভাবিক নয়। বরং অনেক সময়েই দেখা যায় যে, জাহাজটি এমন একটি দেশের পতাকা নিয়ে চলাচল করছে, যার মালিক একেবারেই ভিন্ন দেশের লোক। কিন্তু কেন এটা করা হয়? তাতে কি সুবিধা? কেন লাইবেরিয়া, পানামা আর মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ বেশি দেখা যায়? সাগরে চলাচলকারী প্রতিটি বাণিজ্যিক জাহাজকে কোন না কোন দেশে নিবন্ধন করতে হয় এবং সেই দেশের পতাকা ওই জাহাজটি বহন করবে। দেশটিকে বলা হয় ফ্ল্যাগড স্টেট। ওপেন রেজিস্ট্রি পদ্ধতিতে, যাকে অনেক সময় 'সুবিধা অনুযায়ী পতাকা' বলেও বর্ণনা করা হয়, জাহাজ যেকোনো দেশে তালিকাভুক্ত হতে পারে, জাহাজের মালিক অন্য দেশের হলেও তাতে কোন সমস্যা নেই। তবে অন্য পদ্ধতিগুলোয় পতাকার বিষয়ে বেশ কড়াকড়ি রয়েছে যে, এসব জাহাজের মালিক কে হতে পারবে এবং কিভাবে জাহাজ পরিচালনা করা হবে। যে দেশে নিবন্ধন করা হয়, সে দেশের আইনকানুন জাহাজটিকে মেনে চলতে হয়। পানামা, মার্শাল আইল্যান্ড আর লাইবেরিয়া হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ফ্ল্যাগ স্টেট বা পছন্দের পতাকার দেশ। আরো পড়ুন: ব্রিটিশ পতাকাবাহী ট্যাংকার আটক করলো ইরান হরমুজ প্রণালী ইরানের কাছে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা কতটা? ব্রিটিশ পতাকাবাহী জাহাজ স্টেনা ইমপেরো যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যিক জাহাজের তালিকায় প্রায় তেরশো জাহাজ তালিকাভুক্ত রয়েছে। এই লাল পতাকার ব্যানারের দলে যুক্তরাজ্য, ক্রাউন ডিপেন্ডেনসিস (আইল অফ ম্যান, গার্নসে, এবং জার্সি) এবং যুক্তরাজ্যের ওভারসিজ টেরিটরি (অ্যানগুলিয়া,বারমুডা, দ্যা ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, দ্যা কেইম্যান আইল্যান্ড, দ্যা ফকল্যান্ড আইল্যান্ড, জিব্রাল্টার, মন্টসেরাত, সেন্ট হেলেনা এবং দ্যা টার্ক ও কাইকোস আইল্যান্ড) মিলে বিশ্বের নবম বৃহত্তম জাহাজ বহরে পরিণত হয়েছে। নিজে দেশ ছেড়ে কেন অন্য দেশের পতাকা? অনেকগুলো বাণিজ্যিক কারণ বিবেচনায় রেখে জাহাজ মালিকরা নিবন্ধন করার দেশটিকে বাছাই করেন। এসবের মধ্যে রয়েছে সেখানকার আইনকানুন, করের হার, সেবার মান- বলছেন ম্যারিটাইম নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আয়োনিস চাপসোস। তিনি বলছেন, গ্রীস হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জাহাজ মালিকের দেশ। কিন্তু সেখানকার বেশিরভাগ জাহাজই গ্রীসের পতাকা বহন করে না। এর একটি বড় কারণ, সেখানে এজন্য অনেক বেশি অংকের ট্যাক্স দিতে হয়। বরং 'ফ্ল্যাগ স্টেট, অনেক সময় দেখা যায় যেগুলো একটু গরীব দেশ, তারা জাহাজ নিবন্ধন করে অর্থ আয় করার সুযোগ পায়। যেমন জাহাজ নিবন্ধন খাত থেকে পানামার অর্থনীতিতে প্রতিবছর কোটি কোটি ডলার যোগ হয়। এখানকার নিবন্ধন পদ্ধতির কারণে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে জাহাজের কর্মীদের নিয়োগ দেয়া যায়, যা কোম্পানির খরচও অনেক কমিয়ে আনে। এই 'সুবিধা অনুযায়ী পতাকা' পদ্ধতির অনেক সমালোচনা রয়েছে, বিশেষ করে এর দুর্বল নিয়মাবলী আর তদারকির অভাব, যা এমনকি অনেক সময় আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলের নিয়মের বিরুদ্ধে চলে যায়। যদিও গত তিন দশক ধরে জাহাজ চলাচলের রীতিনীতির বিশেষ উন্নতি ঘটতে দেখা গেছে। তবে এখনো এই ব্যবস্থার অনেক সমালোচনা করা হয়। ভিন্ন দেশের পতাকাবাহী হওয়ার কারণে অনেক সময় মজুরি বৈষম্য বা খারাপ কাজের পরিবেশর জন্য মালিকের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে, বলছে আন্তর্জাতিক ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কাস ফেডারেশন। ব্রিটিশ ইরানিয়ান নাগরিক নাজনিন যাগারি-র‍্যাটক্লিফকে ইরান আটক করে রাখায় ইরানের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক আগে থেকেই তিক্ত হয়ে উঠেছে। ছবিতে মেয়ের সঙ্গে নাজনিন কার দায় বেশি? কোন দেশে নিবন্ধন করার পর পতাকা বহনের পাশাপাশি ওই জাহাজের ওপর ওই দেশের আইন কার্যকর হবে। পতাকাবাহী জাহাজের কোন অপরাধের জন্য দায়দায়িত্ব বহন করবে যে দেশে তালিকাভুক্ত হয়েছে, সেই দেশটি। যার মানে হলো নিবন্ধন দেয়ার সময় প্রতিটা জাহাজকে জরিপ এবং যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে, বলছে আইএমও। যেসব দেশে জাহাজ তালিকাভুক্ত হয়, প্রতিটা দেশই আন্তর্জাতিক ম্যারিটাইম চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এবং চুক্তির শর্তগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছে। যেসব বিধিবিধানের মধ্যে রয়েছে জাহাজ কিভাবে তৈরি হবে, নকশা, সরঞ্জাম এবং কিভাবে জাহাজটি পরিচালিত হবে ইত্যাদি। জাতিসংঘের কনভেনশন ফর দি ল' অফ দি সী অনুযায়ী, সমুদ্রে চলাচলের সময় জাহাজে যেন সবরকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে, সেটা নিশ্চিত করবে নিবন্ধন করা দেশটি, যাদের পতাকা ওই জাহাজে রয়েছে। পারস্য উপসাগরে একটি বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নরওয়ের মালিকানাধীন কিন্তু মার্শাল আইল্যান্ডে নিবন্ধনকৃত জাহাজ ফ্রন্ট অলটেয়ার নিবন্ধনের বিষয়গুলো কে দেখে? এটা খুব অস্বাভাবিক ব্যাপার নয় যে, কোন একটা দেশে জাহাজ নিবন্ধন এবং ওই দেশের পতাকা জাহাজটি বহন করলেও, এই নিবন্ধনের পুরো কাজটি হয়তো করা হচ্ছে আরেকটি দেশে। লাইবেরিয়ার উদাহরণ দেখা যাক, যেখানে জাহাজ নিবন্ধনের কাজটি করে একটি আমেরিকান কোম্পানি, যাদের সদর দপ্তর ওয়াশিংটন ডিসিতে। ভূমিবেষ্টিত মঙ্গোলিয়ার নিবন্ধন দপ্তর সিঙ্গাপুরে অবস্থিত। কোমোরোসের নিবন্ধন হয় বুলগেরিয়া থেকে। ভানুয়াটুর জাহাজ নিবন্ধন অফিস রয়েছে নিউইয়র্কে। জাহাজ নিবন্ধনের এই অস্বাভাবিক পদ্ধতি অনেক সময় নিরাপত্তা ঝুঁকিরও তৈরি করে। নিবন্ধনকারী কোন দেশের পক্ষে তালিকাভুক্ত হওয়া সব জাহাজকে নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয়, বলছেন মি. চাপসোস, যদিও ওই জাহাজটি হয়তো ওই দেশেরই একটি বর্ধিত অংশ। আর এটা সেসব দেশের জন্য আরো কঠিন যাদের হয়তো ছোট আকারের নৌবাহিনী রয়েছে, যেমন র‍য়্যাল নৌবাহিনী, কিন্তু বাণিজ্যিক জাহাজের বিশাল বহর রয়েছে।
The cargo ship Stena Impero, seized by Iran last week, was sailing under a British flag - but it was owned by a Swedish company and had no British nationals on board.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
খবরে বলা হচ্ছে, ইরানের কয়েকটি নৌকাকে তেলের ট্যাংকারের কাছ থেকে সরিয়ে দিয়েছে নৌবাহিনীর জাহাজ এইচএমএস মন্ট্রোস মুখপাত্র জানান, এইচএমএস মন্ট্রোস নামের জাহাজটি তিনটি ইরানী নৌকা এবং তেলের ট্যাংকার 'ব্রিটিশ হেরিটেজ'এর মধ্যে অবস্থান নেয়ার আগে ইরানী নৌযানগুলোকে মৌখিকভাবে সতর্কও করে। ইরানের এ ধরণের কার্যক্রম 'আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী' বলে মন্তব্য করেন ঐ মুখপাত্র। তবে ইরান তেলের ট্যাংকার আটক করার প্রচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের একটি ট্যাংকার আটক করার ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার বিষয়ে আগে থেকেই হুমকি দিয়ে আসছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে করা মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে, তাদের ধারণা অনুযায়ী ব্রিটিশ হেরিটেজ ট্যাঙ্কারটি পারস্য উপসাগর ছেড়ে হরমুজ প্রণালীর দিকে যাওয়ার সময় ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পোরেশনের কয়েকটি নৌকা সেটির দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। গতসপ্তাহে ব্রিটিশ রয়্যাল ম্যারিন জিব্রাল্টারের কর্তৃপক্ষকে একটি ইরানী তেলের ট্যাংকার আটক করতে সহায়তা করে। কারণ তাদের কাছে প্রমাণ ছিল যে সেটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গে সিরিয়ার দিকে যাচ্ছিল। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় একজন ইরানী কর্মকর্তা বলেছিলেন যে, ঐ ইরানী জাহাজ না ছাড়লে প্রতিশোধ হিসেবে একটি ব্রিটিশ জাহাজ আটক করা উচিত। এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো জন্য তেহরানে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকেও ডেকে পাঠায় ইরান। তারা বলেছে, এটি 'এক ধরণের দস্যুবৃত্তি'। আরো পড়তে পারেন: তেলের ট্যাংকারে হামলার পেছনে ইরানের হাত? ট্যাংকারে হামলার 'পেছনে ইরান', মার্কিনীদের ধারণা ইরান কেন ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়িয়েছে? 'যুদ্ধ বাধলে নিশ্চিহ্ন হবে ইরান', বলছেন ট্রাম্প গতসপ্তাহে ব্রিটিশ রয়্যাল নেভি ইরানের একটি তেলের ট্যাংকার আটক করে। সাম্প্রতিক এই দ্বন্দ্ব এমন একটি সময়ে দেখা দিল যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ইরানের সাথে যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক সম্পর্কও খুব একটা ভাল যাচ্ছে না। জুন মাসে দু'টি তেলের ট্যাংকারে হামলা হওয়ার ঘটনায় 'প্রায় নিশ্চিতভাবে' ইরান জড়িত বলে মন্তব্য করার পর দু'দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটেছে। যুক্তরাজ্য সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন: "তেলের ট্যাংকার আটকানোর চেষ্টার এই কার্যক্রম আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী। আমরা এই বিষয়ে চিন্তিত এবং ঐ অঞ্চলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছি।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: পদত্যাগ করলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত পদ্মা সেতু তৈরিতে মানুষের মাথা লাগার গুজব কেন? বিশ্বকাপের ফরম্যাট বদলানো উচিত, বলছেন কোহলি যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে শত্রুতার কারণ কী?
Iranian boats tried to impede a British oil tanker near the Gulf - before being driven off by a Royal Navy ship, the Ministry of Defence has said.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাড়ছে মানসিক অবসাদ ও আত্মহত্যার প্রবণতা। সামনের মাসে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ সম্মেলনে ২০০৭ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার শীর্ষক একটি বিশ্লেষণধর্মী পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হবে। এ ধরণের জরিপ, পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর। গত নয় বছরে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ৫৬ শতাংশ। সবশেষ ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ি ব্রিটেনে ১৪৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত আত্মহত্যার হার কমলেও ২০০৭ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা ৫৬ শতাংশ বেড়ে যায়। একে জরিপে দেখা যায় পুরুষ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার বেশি হলেও ইদানিং নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই প্রবণতা বেড়েই চলছে। ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের পর্যন্ত জননীতি গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিশ্লেষণে এমন চিত্রই উঠে আসে। এক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা তেমন কাজে আসেনা বলে জানান হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডক্টর রেমন্ড নক। ব্রিটেনে আত্মহত্যার বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে প্রজেক্ট ৮৪ নামের প্রচারণা। তবে ব্যাকিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার অ্যান্থোনি সেলডোন জানান, "যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভিন্ন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতো তাহলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যা ও মানসিক অবসাদের হার অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব হতো। " তবে এই পরিসংখ্যানগুলো শিক্ষার্থীদের ধরণ, তারা কোথায় কি নিয়ে পড়াশোন করছে সে বিষয়গুলো নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করেনি। একারণে এই তথ্যগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার ঝুঁকির বিষয়টি নিশ্চিত করতে ব্যবহার করার জন্য অনুপযোগী। এমনটিই জানালেন জাতীয় পরিসংখ্যান অধিদফতর। এক্ষেত্রে তারা প্রতিটি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঝুঁকি বুঝতে বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে কাজ করার কথা জানায়। অর্থনৈতিক মন্দার পর থেকে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণায় দেখা যায়, অর্থনৈতিক মন্দার পর থেকে তাদের এই সমস্যা বাড়ছে। অথচ এ বিষয়ে কোন বিশ্লেষণধর্মী গবেষণা হয়নি বলে হতাশা প্রকাশ করেন গবেষক এডওয়ার্ড পিঙ্কনে। এর পেছনে তিনি উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় কিছু পদ্ধতিগত সমস্যাকে দায়ী করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়লেও এ ধরণের সমস্যা প্রকাশ করার প্রবণতা গত বছর ৫ গুন বাড়ায় পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন হবে বলে আশা করছেন গবেষক এডওয়ার্ড। আরো পড়ুন:ভারতে ঘণ্টায় কেন একজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করছে? আত্মহত্যা করেছেন কিউবার নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রোর ছেলে বাবার অ্যাসিড থেকে বাঁচার ১৭ বছর পর আত্মহত্যা তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে সাহায্য করার পাশাপাশি তাদের সঠিক শিক্ষা দেয়া, সতর্ক করা সেইসঙ্গে মিলেমিশে থাকার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে পারলে এই ঝুঁকি আরো কমিয়ে আনা সম্ভব। এক্ষেত্রে সমস্যা অঙ্কুরে থাকতেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
The suicide rate among UK students is higher than among the general population of their age group, claim researchers.