instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
230
19.6k
output
stringlengths
40
405
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
কিম জং আনকে স্বাগত জানানোর জন্য নুয়েন ফু চং ছিয়াত্তর-বছর বয়সী নুয়েন ফু চং গত ১৪ই এপ্রিল অসুস্থ হওয়ার পর থেকে রীতিমত উধাও হয়ে গেছেন। মি. চং গত শুক্রবার দেশটির সাবেক একজন প্রেসিডেন্টের শেষকৃত্যে অনুপস্থিত থাকায় তাকে নিয়ে জল্পনা কল্পনা আরও জোরদার হয়। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা আসেনি। অথচ ওই অনুষ্ঠানে তারই সভাপতিত্ব করার কথা। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ভিয়েতনাম যুদ্ধের মোড় পাল্টে দেয়া সেই ছবি দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী পাড়ি দিচ্ছে ঢাকা অঞ্চল ঘূর্ণিঝড়ের কোন সতর্ক সংকেতের কী মানে? উত্তর কোরিয়া 'ছোট পরিসরের মিসাইল পরীক্ষা করছে' শিশুকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে কিভাবে আগ্রহী করবেন অত্যন্ত গোপনীয় ওই শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের আগে সরকারি একজন মুখপাত্র বলেছেন, কাজের চাপ ও আবহাওয়া প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলেছে। তিনি বলেন মি. চং শিগগিরই কাজে ফিরবেন কিন্তু রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়ায় তাকে নিয়ে জল্পনা কল্পনা বাড়তে থাকে। নুয়েন ফু চং "একদলীয় শাসনের অধীনে ভিয়েতনামে দলীয় নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সুস্বাস্থ্যের বিষয়টি দেশটিকে একটি স্থিতিশীল জাতি হিসেবে তুলে ধরে বলে মনে করা হয়," বলছিলেন বিবিসি ভিয়েতনাম সার্ভিসের নিউই এডিটর জিয়াং নুয়েন। "গত নভেম্বরে ভিয়েতনাম আইন পাশ করে যাতে দলীয় নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।" মি. নুয়েন বলেন, এটি করা হয় গুজব থেকে তাদের সুরক্ষা দিতে। এসব গুজবকে তারা সরকারবিরোধী আক্রমণ বলে মনে করে এবং এ আইন ইতোমধ্যেই স্থানীয় সাংবাদিকদের সতর্ক করেছে বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে। বয়স ও আপোষহীন ভাবমূর্তি সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট চং তার দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের কারণে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। ওই অভিযানে কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ও পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মি. চং সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হ্যানয় সফরের সময় তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
The leader of Vietnam has not been seen in public for nearly three weeks, fuelling speculation over his health.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
জিপের সামনে বাঁধা মানব ঢাল বাডগাম জেলায় রুজু করা ঐ মামলাতে ৫৩ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের বিরুদ্ধে অপহরণ ও একজন নাগরিকের জীবন বিপদে ফেলার অভিযোগও আনা হয়েছে। সেনাবাহিনী নিজেরাও ঐ ঘটনার আলাদা তদন্ত করছে। তবে তারা দাবি করছে, পাথর নিক্ষেপকারীদের হাত থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়েই সেনা কমান্ডার ঐ রাস্তা নিয়েছিলেন। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারও অবশ্য এই ইস্যুতে সেনাবাহিনীর পাশেই দাঁড়িয়েছে। চারদিন আগে ভারত-শাসিত কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ্ নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন, যাতে দেখা যায় ভারতীয় সেনারা এক কাশ্মীরিকে তাদের জিপের সামনে বেঁধে রাস্তা দিয়ে টহল দিচ্ছে। আর ঐ ব্যক্তিকে জিপের সামনে বেঁধে রাখা হয়েছে। পনেরো সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপে কিছুটা অস্পষ্ট আওয়াজে সেনাদের এটাও বলতে শোনা যায় - 'পাত্থরবাজ' অর্থাৎ যারা পাথর ছুঁড়বে তাদের এই হালই হবে। এই ভিডিও নিমেষে ভাইরাল হয়ে ওঠে। কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ঢিল ছুঁড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে প্রতিবাদকারীরা আরো দেখুন: গণভোটের ফল বাতিল চায় তুরস্কের প্রধান বিরোধীদল আজানের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বিতর্কে গায়ক সনু নিগম গরু মেরে কন্যাদান: বরের বয়স ৮, কন্যার ৫ একজন নিরীহ কাশ্মীরিকে ভারতীয় সেনারা যেভাবে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদও শুরু হয়ে যায় উপত্যকা জুড়ে। এমনই একটি প্রতিবাদের নেতৃত্বে দেওয়া, রাজ্যের ল্যানগেট আসনের এমএলএ ইঞ্জিনিয়ার রশিদ বলছিলেন, এই ঘটনা সারা দুনিয়ার সামনে ভারতীয় সেনার আসল চেহারা ফাঁস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, সারা দুনিয়ায় নিজেদের সবচেয়ে শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনী বলে ভারতীয় সেনারা যে দাবি করে থাকে, তা যে বিরাট একটা জালিয়াতি ও ধোঁকা, তা এতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিব্রত সেনাবাহিনীও এই ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দেয়। তবে সেই সঙ্গেই তারা জানায়, প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে ওই ভিডিওটি ৯ই এপ্রিলের, যেদিন বাডগামে উপনির্বাচন চলছিল। পাথর-নিক্ষেপকারীরা সেনা-জওয়ানদের ঘিরে ফেলেছে, এটা বুঝেই সংঘর্ষ এড়ানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে তাদের কমান্ডার মানবঢাল ব্যবহার করেছিলেন, এই যুক্তিও দিচ্ছে সেনা সূত্রগুলো। তবে রাজ্যের শাসক দল পিডিপি-ও গোটা ঘটনায় তাদের অস্বস্তি এড়াতে পারছে না। রাজ্য সরকারের মুখপাত্র সুহেল বুখারির কথায়, "একের পর এক ভিডিও - যেগুলো বেশিরভাগ ভোটের দিন তোলা - যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। এর কোনটায় সেনা জওয়ানদের স্থানীয়দের হাতে হেনস্থা হতে দেখা যাচ্ছে। আবার কোনটায় তারা কাশ্মীরিদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন। "তবে আমি মনে করি ভারতীয় সেনারা যে নৈতিকতা ও পেশাদারিত্বের মান সৃষ্টি করেছে, তাতে তাদের এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করা উচিত, এবং তারা তা করছেও।" তবে মানবঢাল ব্যবহারের ঘটনায় জনরোষ বাড়ছে, এটা বুঝেই রাজ্য সরকার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার অবশ্য মনে করছে, আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যেই সেনারা এমন চরম রাস্তা নিয়েছেন, এ জন্য তাদের দায়ী করাটা ঠিক নয়। দিল্লিতে বিজেপির পলিসি রিসার্চ গ্রুপের অনির্বাণ গাঙ্গুলি বিবিসিকে বলছিলেন, "সেনাধ্যক্ষ জেনারেল বিপিন রাওয়াত তো আগেই সতর্ক করেছিলেন যে জঙ্গি-দমনের কাজে সেনাবাহিনীকে বাধা দিলে অসামরিক জনতার বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এই পাথর নিক্ষেপকারীদের ইতিহাস - এরা কারা, কারা এদের মদত দেয় বা পয়সা জোগায় সে তো আমরা জানিই।" "ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলে, কিছু এদিক-ওদিক হলে তারা সঙ্গে সঙ্গে নিজেরাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু তাই বলে কেউ যদি ভাবেন কাশ্মীরে যাই ঘটুক, সেনারা নিজেদের হাত পেছনে বেঁধে রাখবে আর চোখে ঠুলি পরে থাকবে, সেটাও কিন্তু ঠিক হবে না।" ভারত-শাসিত কাশ্মীরে যে আফস্পা বা সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বিশেষ ক্ষমতা আইন জারি আছে, তাতে সেনা সদস্যরা আইনি রক্ষাকবচ পেয়ে থাকেন। ফলে এই মানবঢাল ব্যবহারের ঘটনায় কোনও সেনা সদস্যের শাস্তি হবে, সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ। তাই কাশ্মীরে স্থানীয় মানুষের মন জয় করার যুদ্ধ যে তাদের জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
A military officer accused of using a man as a human shield in Indian-administered Kashmir has won a commendation from the army chief.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
এবার ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি আজারবাইজানের বাকুতে ৪৩তম বৈঠকে বসেছে। সেখানে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নতুন কোন কোন যায়গাগুলোকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হবে। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় তারা যেসব নতুন নিদর্শন বা স্থানের নাম সংযুক্ত করেছেন তার কয়েকটি ছবি। আইসল্যান্ডের ভাখনাইওকুল ন্যাশনাল পার্ক আইসল্যান্ডের মোট সীমানার ১৪ শতাংশ জুড়েই রয়েছে এই ভাখনাইওকুল ন্যাশনাল পার্ক। বরফে আচ্ছাদিত এবং আগ্নেয়গিরির বৈশিষ্ট্য সম্বলিত পুরো অঞ্চলটি দারুণ দৃষ্টিনন্দন। এখানে বিশাল অঞ্চল জুড়ে রয়েছে শুকিয়ে যাওয়া অগ্নুৎপাত। ফ্রান্সের অস্ট্রাল ভূমি ও সমুদ্র অনেকগুলো দ্বীপ সম্বলিত এই অঞ্চলটি। বিশ্বের সবচাইতে বেশি পাখি এবং সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী বাস করে এখানে। বিরল কিং পেঙ্গুইন দেখতে পাওয়া যাবে এখানে গেলে। ভারতের জয়পুর নগরী ভারতের উত্তর পশ্চিমে রাজস্থান প্রদেশের রাজধানী জয়পুরকে বলা হয় "গোলাপি নগরী"। কারণ শহরের ভবনগুলোকে দুর থেকে গোলাপি মনে হয়। এখানে বহু প্রাচীন ভবন রয়েছে। এমনকি শহরটি প্রথম যখন প্রতিষ্ঠা হয় সেই ১৭২৭ সালের সময়কার ভবনও রয়েছে। দারুণ সব কারুকার্য দিয়ে সাজানো এসব ভবন। জাপানের প্রাচীন সমাধি জাপানের ওসাকা শহরে এরকম ৪৯ টি প্রাচীন সমাধি রয়েছে। এগুলো তৈরি হয়েছে তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দী। এই সমাধিগুলোর নানান আকৃতির। যেমন এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে তালার ছিদ্রের মতো আকৃতির সমাধি। এটির নামকরণ করা হয়েছে ২৯০ খ্রিষ্টাব্দে জন্মানো সম্রাট নিনতোকুর নামে। এটি জাপানের সর্ববৃহৎ সমাধি । ইরাকের ব্যাবিলন ইরাকের অবস্থিত প্রাচীন মেসোপটেমিয়া নগরীকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বহুদিন যাবত চেষ্টা চালাচ্ছিল ইরাকের কর্তৃপক্ষ। দেশটির যুদ্ধ ও সংঘাতময় রাজনীতির কারণে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাবিলন নগরী। তবে সম্প্রতি এর অতীত গৌরব সংরক্ষণে নানা ধরনের কাজ চলছে। বাগান, মিয়ানমার মিয়ানমারের প্রাচীন রাজধানী বাগান। ছবিতে যেগুলো দেখছেন এগুলো বৌদ্ধ মন্দির। সবুজ প্রকৃতির মধ্যে এমন হাজার মন্দির আগে থেকেই পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। লাওসের বয়াম সদৃশ প্রাচীন স্থাপনা লাওসের ঝিংখাওয়াং অঞ্চলে পাথর দিয়ে তৈরি এরকম হাজার হাজার বয়াম সদৃশ বস্তু রয়েছে। প্রত্নতত্ত্ববিদরা মনে করেন এগুলো লৌহ যুগে তৈরি। কেন এগুলো তৈরি করা হয়েছিলো সেটি এখনো অনেক রহস্যময়। অনেক প্রত্নতত্ত্ববিদ মনে করেন এগুলো সম্ভবত মরদেহ সৎকারে ব্যবহৃত হতো।
Every year, natural and cultural landmarks from around the world are singled out for their "outstanding universal value" to humanity.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
সুদানের আইনে মেয়েরা মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারতো না, পুরুষদের সঙ্গে মিশতে পারতো না, উচ্চশিক্ষা এবং চাকুরিতে তাদের অধিকার খর্ব করা হয়েছিল। সুদানে গণতন্ত্রের জন্য যারা আন্দোলন করছেন তারা এসব পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একই সাথে সরকার দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের দলকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে এবং দলটির সব সম্পদ জব্দ করেছে। মি. আল বশিরের দল এসব সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলে বর্ণনা করেছে। তীব্র গণ আন্দোলনের মুখে তিন দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা ওমর আল বশির কয়েক মাস আগে ক্ষমতাচ্যুত হন। সুদানে ওমর আল বশির এবং তার দল ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি যে কঠোর ইসলামী অনুশাসন জারি করেছিল, সেখানে ভিন্নমত প্রকাশের কোন সুযোগ ছিল না। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কুখ্যাত ছিল একটি জন-শৃঙ্খলা আইন, যা দিয়ে মানুষের, বিশেষ করে নারীদের সামাজিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা হতো। মেয়েরা মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারতো না, পুরুষদের সঙ্গে মিশতে পারতো না, উচ্চশিক্ষা এবং চাকুরিতে তাদের অধিকার খর্ব করা হয়েছিল। পুরুষদের মতো ট্রাউজার পরলে সেটার শাস্তি ছিল ৪০ ঘা চাবুক। আরো পড়তে পারেন: একজনের ব্যবহারে ইন্টারনেট সংযোগ ফিরল সুদানে সুদানে বহু বিক্ষোভকারীর প্রাণহানি, সঙ্কট বাড়ছে সুদান: মিসরের চেয়ে বেশি পিরামিড যে দেশে সুদানের নতুন প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদক। সুদানে এই আইনটির প্রয়োগও ছিল বৈষম্যমূলক, রাজধানী খার্তুমে ধনী পরিবারের নারীরা ট্রাউজার্স পরে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের কিছু হতো না, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই আইনে শাস্তি পেতেন পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের দরিদ্র নারীরা। সাবেক প্রেসিডেন্টের দল বিলুপ্ত সুদানের নতুন প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদক আজ শুধু নারীদের নিয়ন্ত্রণকারী আইনই বাতিল করেননি, একই সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্টের দলকেও বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন। এই দলটি প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সংগঠন, সুদানে সমাজের প্রতিটি অংশ তারা নিয়ন্ত্রণ করতো। এখন এই দল বিলুপ্ত করার ফলে সুদানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা অনেক সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সুদানে সামনের কয়েক বছরের মধ্যে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এই অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনকে। আরো পড়তে পারেন: পেঁয়াজ: বাংলাদেশ কি পারবে ভারত-নির্ভরতা কাটাতে? অপারেশন গঙ্গাজল: যে নির্যাতনে স্তম্ভিত হয়েছিল ভারত জাপান কীভাবে এমন পরিচ্ছন্ন দেশ হয়ে উঠলো
Sudan has repealed a restrictive public order law that controlled how women acted and dressed in public.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
স্থূলতা এবং ক্যান্সারের মধ্যে সম্পর্ক পরিষ্কারভাবে উঠে এলেও, এর পেছনে কি ধরণের জৈবিক প্রক্রিয়া কাজ করছে তা এখনো সম্পূর্ণভাবে ধারণা করা যায়নি। তারা জানাচ্ছে, অন্ত্র, কিডনি, ওভারিয়ান এবং লিভার ক্যান্সারের কারণ যতটা না তামাকের ধূমপান থেকে হচ্ছে তার থেকে বেশি হচ্ছে অতিরিক্ত ওজনের কারণে। তারা আরও বলছে, লাখ লাখ মানুষ ক্যান্সারের ঝুঁকিতে আছে তাদের ওজনের কারণে। এবং এসব মোটা মানুষদের ক্যান্সারের আশঙ্কা ধূমপায়ীদেরকেও ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু ওবেসিটির ফলে ক্যান্সার ঝুঁকির বিষয়টি নিয়ে এর নতুন বিলবোর্ড ক্যাম্পেইন নিয়ে তারা সমালোচনার মুখে পড়েছে। সেখানে ফ্যাট-শেমিং বা শারীরিক স্থূলতা নিয়ে অসম্মানজনক বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছে তারা। তবে এই অভিযোগে এই দাতব্য সংস্থাটি এই প্রথমবার অভিযুক্ত হল তেমনটি নয়। গত ফেব্রুয়ারিতেই কমেডিয়ান এবং ক্যাম্পেইনার সোফি হাগেন এই ক্যাম্পেইনের সমালোচনার জন্য টুইটারকে বেছে নেন। ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে বলছে যে, তারা ওভার-ওয়েট বা মেদবহুল হওয়ার জন্য লোকজনকে দোষারোপ করছে না। আবার ক্যান্সারের জন্য ক্ষতিকরের দিক বিবেচনায় ধূমপান এবং স্থূলতা সরাসরি তুলনীয় বলে তারা উল্লেখ করছে না, তবে দুটোই ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। আরও পড়ুন: মোটা হয়েও আপনি অপুষ্টিতে ভুগছেন? পৃথিবীর সব চেয়ে আলসে দেশ কোনগুলো? মোটা হলেই কি হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে? ব্রিটেনে ক্যান্সারের প্রতিরোধ-যোগ্য কারণগুলোর মধ্যে ধূমপান প্রধান। এর পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ওবেসিটি। কিন্তু তারা বলছে, অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী বা স্থুল হওয়ায় প্রতিবছর প্রায় ২২ হাজার ৮০০ ক্যান্সারের ঘটনা ঘটছে, আর ধূমপানের কারণে ঘটছে ৫৪ হাজার ৩০০ ঘটনা। স্থূলতা এবং ধূমপানের কারণে যে চারটি ক্যান্সারের ঘটনা সচরাচর ঘটছে- •অন্ত্র- প্রায় ৪২ হাজার নতুন ক্যান্সারের ঘটনা যার মধ্যে ওভারওয়েট বা স্থূলতার কারণে ৪,৮০০ এবং ধূমপানের কারণে ২৯০০টি। •কিডনি: সর্বমোট ১২ হাজার ৯০০ ক্যান্সার আক্রান্তের মধ্যে অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার কারণে ২৯০০ এবং ধূমপানের কারণে ১৬০০ জন আক্রান্ত। ·লিভার- সর্বমোট ৫৯০০ জনের মধ্যে অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার জন্য ১৩০০ এবং ধূমপানের জন্য ১২০০ জন এবং ·ওভারিয়ান: মোট ৭,৫০০ জন আক্রান্ত এবং প্রতিবছর অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা ৪৯০ জনের ক্যান্সারের জন্য দায়ী, যেখানে ধূমপান দায়ী ২৫ জনের ক্ষেত্রে। সার্বিকভাবে ব্রিটেনে ক্যান্সারের প্রতিরোধ-যোগ্য কারণগুলোর মধ্যে ধূমপান প্রধান। এর পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ওবেসিটি-বলছে সিআরইউকে। কিন্তু যেসময়টাতে ধূমপানের হার কমে আসছে, তখন ওবেসিটি বা স্থূলতা বাড়ছে, যেটাকে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন। সে কারণে টোরি নেতা বরিস জনসন পর্যালোচনা ছাড়া সুগার ট্যাক্স বর্ধিত না করার ঘোষণা দিলে তাদের পক্ষ থেকে সেই সতর্কবার্তা আসে। কোমল পানীয় থেকে মিল্কশেক-এর ওপর ট্যাক্স বর্ধিত করার পরিকল্পনা বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, মিস্টার জনসন নিজের ওজন নিয়ে কৌতুক করে বলেছিলেন, ট্যাক্স আরোপ করায় অন্তত যারা এটা বহন করার সামর্থ্য রাখেন তাদের আহত করতে তিনি "খুব খুব অনিচ্ছুক" ছিলেন। তিনি পরামর্শ দেন, "আমরা লোকজনে হাটতে, সাইকেল চালাতে এবং সাধারণত আরও বেশি ব্যায়াম করতে উৎসাহিত করছি"। বিলবোর্ডে স্থুলতার ঝূঁকি সম্পর্কে তথ্য যুক্তরাজ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ স্থুল। ব্রিটেনের এ সম্পর্কিত আরও যেসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ- •১৩.৪ মিলিয়ন স্থুল প্রাপ্তবয়স্ক আছে যারা ধূমপান করে না • ৬.৩ মিলিয়ন প্রাপ্ত বয়স্ক ধূমপায়ী রয়েছে যারা স্থুল নয় •১.৫ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি যারা একইসঙ্গে স্থুল এবং ধূমপায়ী স্থূলতা এবং ক্যান্সারের মধ্যে সম্পর্ক পরিষ্কারভাবে উঠে এলেও, এর পেছনে কি ধরণের জৈবিক প্রক্রিয়া কাজ করছে তা এখনো সম্পূর্ণভাবে ধারণা করা যায়নি। চর্বি কোষ অতিরিক্ত হরমোন তৈরি করে এবং বৃদ্ধি করে যা কোষগুলোকে বিভক্ত হয়ে পড়তে বলে। এটা ক্যান্সার কোষ তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। শারীরিক সক্রিয়তা বা কর্মশক্তি হয়তো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মোটা হলে বা অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী হলেই যে একজন মানুষের নিশ্চিতভাবে ক্যান্সার হবে তেমনটা নয়, কিন্তু সেটা ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়। এবং এই ঝুঁকি বেড়ে যায় যখন সে আরও বেশি ওজন লাভ করে এবং যত দীর্ঘসময় ধরে সে অতিরিক্ত শারীরিক ওজন বহন করে চলে। ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে'র তথ্য অনুসারে ১৩টি ভিন্ন ভিন্ন ক্যান্সার স্থূলতার সাথে সম্পর্কিত- •স্তন ক্যান্সার(মেয়েদের মেনোপজের পরে) •অন্ত্রের ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াটিক বা অগ্নাশয় ক্যান্সার. •খাদ্যনালীর ক্যান্সার, •লিভার ক্যান্সার •কিডনি ক্যান্সার •পাকস্থলীর উপরের অংশ, •গল-ব্লাডার • জরায়ু •ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয় •থাইরয়েড •ব্লাড ক্যান্সার •মস্তিষ্কের ক্যান্সার। স্থূলতা ও ক্যান্সারের এই সম্পর্ক যদিও শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দেখা গেছে, তবে স্বাস্থ্যসম্মত আদর্শ ওজন শিশুদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এই দাতব্য সংস্থাটি বলছে , প্রতিবছর ব্রিটেনে অতিরিক্ত ওজনের ফলে যা ঘটে- •ধূমপানের চেয়ে ১৯০০-র বেশি অন্ত্রের ক্যান্সার •১৪০০-র বেশি কিডনির ক্যান্সার •৪৬০-র বেশি ওভারিয়ান ক্যান্সার •১৮০-র বেশি লিভার ক্যান্সার। দেশটির ওবেসিটি সমস্যাকে আরও কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য সরকারের উচিত উদ্যোগ নেয়া, এমনটাই মনে করছেন ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে-র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক লিন্ডা বোল্ড। অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং পানীয়ের বিজ্ঞাপন সীমিত করার ক্ষেত্রে সরকার ধীর গতিতে এগুচ্ছে, বলছে ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। তারা বলছে, "আমরা ধূমপানের সাথে সম্পর্কিত স্বাস্থ্য ঝুঁকির ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন হলেও, ওবেসিটি মোকাবেলায় উদ্যোগ কম নেয়া হয়েছে, যেটা এখন ক্যান্সারের প্রধান একটি কারণ"। এনএইচএস ইংল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইমন সিভেন্স বলেছেন, স্থুলকায়তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এনএইচএস একা জয়ী হতে পারবে না। "আমেরিকার ক্ষতিকর এবং ব্যয়বহুল উদাহরণ সামনে রেখে যদি আমরা তা এড়াতে চাই,তাহলে বিভিন্ন পরিবার, খাদ্য ব্যবসায়ী এবং সরকার-সবাইকে তাদের নিজেদের যার যার অবস্থানে থেকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে"।?
Obesity now causes more cases of four common cancers in the UK than smoking, according to a charity.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
বিতর্কিত স্মারক ডাটিকেটের সেট পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এই বৈঠকের প্রস্তাব করেছিলেন। ভারত রাজী হয়েছিল। আশা করা হচ্ছিল, পাকিস্তানে নতুন সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে দুই বৈরি প্রতিবেশীর মধ্যে নতুন করে এক শান্তি প্রক্রিয়ার সূচনা হতে পারে। ২০১৪ সালে শান্তি আলোচনা ভেঙ্গে যাওয়ার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ে দুই দেশের মধ্যে কোনো কথাবার্তাই হয়নি। কিন্তু ভারত শেষ মূহুর্তে বৈঠকটি বাতিল করে দেয়। বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানোর সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তানের 'অশুভ পরিকল্পনা' প্রকাশ হয়ে গেছে এবং বিশ্বের কাছে প্রধানমন্ত্রী ইমরানে খানের 'আসল রূপ' বেরিয়ে পড়েছে। কেন হঠাৎ এতোটা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলো ভারত। ইসলামাবাদ থেকে বিবিসির মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বলছেন অন্যতম প্রধান কারণ, এক সেটা স্মারক ডাকটিকেট। কাশ্মীরি জঙ্গি নেতা বুরহান ওয়ানিকে হত্যার প্রতিবাদে পাকিস্তানের লাহোর বিক্ষোভ (ফাইল ছবি) কী আছে ঐ ডাকটিকেটে? পাকিস্তানের ডাক বিভাগ সম্প্রতি "ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে নির্যাতন" শিরোনামে ২০টি টিকেটের একটি সেট প্রকাশ করেছে। একেকটি টিকেটে ভারত-শাসিত কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নির্যাতনের ওপর প্রকাশিত বিভিন্ন ঘটনার ছবি রয়েছে। যেমন, কথিত রাসায়নিক অস্ত্রের শিকার মানুষদের ছবি রয়েছে, ছররা বন্দুকের গুলিতে আহত মানুষের ছবি রয়েছে, "ভুয়া পুলিশ এনকাউন্টারের" ছবি রয়েছে। একটি ডাকটিকেটে ২০১৬ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত জনপ্রিয় কাশ্মীরি জঙ্গি নেতা বুরহান ওয়ানির ছবি রয়েছে। তাকে বর্ণনা করা হয়েছে "মুক্তির প্রতীক" হিসাবে। বুরহান ওয়ানির হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনও ভারত-শাসিত কাশ্মীরে অসন্তোষ চলছে। ফারুক আহমেদ দার নামে যে কাশ্মীরী যুবককে ভারতের সেনাবাহিনীর একটি জীপের সামনের বাম্পারে বেঁধে গাড়ি চালানো হয়েছিল, সেই ছবিও রয়েছে একটি ডাকটিকেটে। প্রতিটি টিকেটের বাঁদিকে উর্দুতে একটি বাক্য লেখা রয়েছে - "কাশ্মীর একদিন পাকিস্তান হবে।" এর আগে ১৯৬০ সালে পাকিস্তান আরেকবার কাশ্মীর নিয়ে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করেছিল। সেখানে পাকিস্তানের মানচিত্রের মধ্যে কাশ্মীরকে দেখানো হলেও ভিন্ন রঙ দেওয়া হয়েছিল। টিকেটে লেখার সুরও ছিল অপেক্ষাকৃত অনেক নরম - "জম্মু ও কাশ্মীর; চূড়ান্ত ভবিষ্যৎ এখনও অনির্ধারিত।" আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আইনে পরকীয়া কি ফৌজদারি অপরাধ? মিষ্টি কি আসলেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? রোহিঙ্গা সংকটকে আন্তর্জাতিকীকরণের বিরোধী চীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজে নিউ ইয়র্কে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বৈঠকের প্রস্তাব করেছিলেন এই ডাক টিকেট প্রকাশের সিদ্ধান্ত কার ? পাকিস্তান ডাক বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে বিবিসিকে বলেন, যে কেউই স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশের প্রস্তাব করতে পারেন। "প্রস্তাব ডাক বিভাগের অনুমোদন পেলে তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে। ডাকটিকেটের বিষয়ের সাথে যদি বৈদেশিক সম্পর্কের কোনো সম্পর্ক থাকে, তাহলে তা পাঠানো হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয় প্রধানমন্ত্রীর অফিস।" এই ডাকটিকেট প্রকাশিত হয় ২৪শে জুলাই, পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের একদিন আগে। অর্থাৎ ইমরান খানের ক্ষমতা গ্রহণের ২৫ দিন আগে। পর্যবেক্ষকদের তাই ধারণা ভারতের সাথে সম্পর্কে কট্টর মতবাদ পোষণ করেন, সরকারের ভেতর এমন কিছু ব্যক্তির সিদ্ধান্তেই এই ডাকটিকেট প্রকাশিত হয়েছে। কেমন বিক্রি হচ্ছে? পাকিস্তানে ডাক টিকেট সংগ্রহকারীরা বলছেন, কাশ্মীরের ওপর স্মারক এই ডাকটিকেট বিদেশে ভালো বিক্রি হচ্ছে। বিশটির এক সেট বিক্রি হচ্ছে ছয় মার্কিন ডলারে। ইসলামাবাদে একজন ডাক কর্মকর্তা জানান, গত কদিনে তিনি শ তিনেক সেট বিক্রি করেছেন। এক সেটের দাম ১.৩০ মার্কিন ডলার। মাত্র ২০,০০০ সেট ছাপা হয়েছে। প্রায় সবই বিক্রি হয়ে গেছে। বিশেষ করে এ নিয়ে বিতর্কের খবর প্রকাশের পর চাহিদা বেড়ে যায়।
The foreign ministers of India and Pakistan were supposed to meet this week on the sidelines of the UN General Assembly in New York.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
স্টেডিয়ামে জাপান সমর্থক। গতকাল মঙ্গলবার রাতেও রাশিয়ায় মাঠের একই অবস্থা ছিল জাপান ও কলম্বিয়ার ম্যাচের পর। জাপান সমর্থকদের আনন্দ উল্লাস করার কারণ ছিল যেহেতু তারা ২-১ গোলে জিতেছে। দক্ষিণ আমেরিকার কোন দলের বিরুদ্ধে এটাই জাপানের প্রথম জয়। খেলার মাঠে কলম্বিয়াকে ধরাশায়ী করার পর জাপানের সমর্থকরা কিন্তু গ্যালারিতে শুধু আনন্দ উল্লাসেই মেতে থাকেনি, বরং তারা গ্যালারি পরিষ্কার করতে ব্যস্ত হয়ে যান। স্টেডিয়ামের ভেতরে দর্শকদের সারিতে ও আসনে যেসব আবর্জনা ছিল সেগুলো তারা নিজেরাই পরিষ্কার করতে শুরু করে। এসময় তাদের হাতে ছিল ময়লা কুড়িয়ে নেওয়ার বড় বড় ব্যাগ। খেলা শেষ হওয়ার পর তারা ঘুরে ঘুরে ময়লা আবর্জনা এসব ব্যাগে ভরে স্টেডিয়াম পরিষ্কার করতে থাকেন। তাদের কথা হলো- "ভেতরে ঢুকে আমরা স্টেডিয়ামটিকে যে অবস্থায় পেয়েছি, এটিকে আমরা সেরকমই রেখে যেতে চাই।" জাপানি ফুটবল সমর্থকরা যে এধরনের কাজ এই প্রথম করেছে তা নয়। এর আগেও বিভিন্ন খেলার পরে তারা দল বেঁধে স্টেডিয়াম পরিষ্কার করেছে। আরো পড়তে পারেন: সেনেগালের যে গোলটি নিয়ে বিতর্ক বিশ্বকাপ ২০১৮: রাশিয়ার জন্মহার বাড়াবে ফুটবল? রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত নজর কেড়েছেন কারা 'হিজাবের নিচে বই খাতাপত্র লুকিয়ে রাখতাম' ঠাণ্ডা থাকতে গিয়ে বাড়ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা "এটা তো শুধু ফুটবল সংস্কৃতির অংশ নয়, এটা জাপানি সংস্কৃতিরই অংশ," বিবিসিকে একথা বলেছেন ফুটবল সাংবাদিক স্কট ম্যাকিনটার, যিনি জাপানেই থাকেন। বিশ্বকাপের খবর সংগ্রহ করতে তিনি এখন রাশিয়ায়। গতকালের ময়লা পরিষ্কারের অভিযান দেখে তিনি মোটেও বিস্মিত হননি। "অনেকেই বলে থাকেন যে ফুটবল হচ্ছে সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি। অর্থাৎ ফুটবল দেখে বোঝা যায় কার সংস্কৃতি কেমন। জাপানি সমাজের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে- সবকিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আছে সেটা নিশ্চিত করা। সব ধরনের খেলাধুলাতেই দর্শকরা একই আচরণ করে থাকে। ফুটবলেও একই রকম," বলেন তিনি। শৈশব থেকেই এই অভ্যাস সেনেগালের সমর্থকদেরকেও এবারের বিশ্বকাপে স্টেডিয়াম পরিষ্কার করতে দেখা গেছে। তবে জাপানিরাই এই কাজটি শুরু করেছিল এবং এজন্যে তারা আজ বিখ্যাত। বিদেশি যেসব দর্শক সেদিন খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন তাদের অনেকেই জাপানিদের এই উদ্যোগে সেদিন অবাক হয়েছেন। "তাদের কেউ কেউ হয়তো আসনের উপর খাবারের প্যাকেট কিম্বা বোতল রেখে যেতে পারেন। তখন জাপানিরা পেছন থেকে তাদের কাঁধে টোকা মেরে বলবে তাদের দায়িত্ব এসব আবর্জনা পরিষ্কার করা কিম্বা বাড়িতে নিয়ে যাওয়া," বলেন মি. ম্যাকিনটার। জাপানিদের আনন্দ উল্লাস। এই অভ্যাস জাপানিদের মধ্যে গড়ে উঠে তাদের শৈশব থেকেই। "স্কুলে ছেলেমেয়েদেরকে যেসব আচরণ শেখানো হয়, স্টেডিয়ামে তার কিছুটা অংশ আমরা দেখতে পাই। জাপানের ছোট ছোট শিক্ষার্থীরাই তাদের স্কুলে ময়লা পরিষ্কার করে থাকে," বলেন ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক স্কট নর্থ। "শিশু বয়স থেকে বারবার এই কাজটির উপর জোর দেওয়ার কারণে এটি বেশিরভাগ লোকেরই আচরণের ভেতরে ঢুকে যায়," বলেন তিনি। "আবর্জনা পরিষ্কার করা এবং এসবের রিসাইক্লিং-এর ব্যাপারে জাপানিরা অত্যন্ত সচেতন। বিশ্বকাপেও জাপানিরা এই কাজটা অত্যন্ত গর্বের সাথে করেছে। সোশাল মিডিয়াতে এসব ছবি, ভিডিও পোস্ট করে তারা তাদের সেই গর্ব বাকি বিশ্বের সবার সাথে শেয়ার করে নিয়েছে," ব্যাখ্যা করেন অধ্যাপক নর্থ। সাংবাদিক স্কট ম্যাকিনটার বলেন, "বিশ্বকাপ দেখতে বিভিন্ন দেশের মানুষ একটা জায়গায় জড়ো হয়- এটা একটা দারুণ ঘটনা। এখান থেকে একজন মানুষ আরেকজনের কাছে এরকম অনেক কিছু শিখতে পারে, বিনিময় করতে পারে তাদের চিন্তাভাবনা এবং অভিজ্ঞতাও। এটাই হলো ফুটবলের সৌন্দর্য।"
After a heated World Cup match, the stands are usually left with food waste, cups and wrappers scattered in the heat of the moment.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
পাকিস্তানে অনার কিলিং বা সম্মান রক্ষার্থে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নতুন নয় ঘটনাটি ঘটেছে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াজিরিস্তানের দুর্গম এক এলাকায়।। পরিবারের দুই মেয়েকে গুলি করে হত্যা করে পরিবারেরই এক সদস্য। পাকিস্তানের পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। ওয়াজিরিস্তানের একটি দুর্গম এলাকায় এক লোকের সাথে দুই কিশোরীর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসে। পাকিস্তানের পুলিশের বরাত দিয়ে শীর্ষ এক দৈনিক ডনে খবর আসে, খাইবার পাখতুনখাওয়ার সীমান্তবর্তী এক গ্রামে বৃহস্পতিবার বিকেলে হত্যা করা হয় ঐ কিশোরীদ্বয়কে। একজনের বয়স ছিল ১৬ এবং আরেকজনের ১৮। ডন পত্রিকার হাতে ভিডিওটি এসেছে এবং তারা বলছে ভিডিওতে দেখা গেছে এক যুবক ভিডিওটি ধারণ করছিলেন, যেখানে তিনটি মেয়ে উপস্থিত ছিলো এবং জায়গাটি ছিল নির্জন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অন্তত এক বছর আগের ভিডিও এটি, সম্প্রতি এটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের একজন পুলিশ অফিসার বলেন, "এখন আমাদের দায়িত্ব তৃতীয় মেয়েটি ও যুবকের প্রান বাঁচানো।" পাকিস্তানে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, দেশটিতে নারী ও মেয়েদের ওপর সহিংসতা একটা ভয়াবহ সমস্যা। প্রতি বছর এক হাজারের বেশি অনার কিলিং হয় দেশটিতে। অনার কিলিং নিয়ে আরো খবর: পাকিস্তানে কান্দিল বালোচের হত্যাকারী ভাইয়ের সাজা ভিন্ন বর্ণে বিয়ে: মেয়েকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারলো বাবা পাকিস্তানে 'অনার কিলিং'এর অভিযোগে ৩ জনের যাবজ্জীবন
Two teenage girls have been murdered in a so-called "honour killing" in north-west Pakistan following a video circulated on the internet.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
এখনও পর্যন্ত ৬ ধরনের করোনাভাইরাস সম্পর্কে জানা গেছে। এক কোটিরও বেশি মানুষের শহর উহানে নতুন করে ১৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। রাজধানী বেইজিং-এ আক্রান্ত হয়েছে আরো দুজন এবং শেনঝেনে এখনও পর্যন্ত একজন আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এনিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০০ জনে। এর মধ্যে তিনজন মারাও গেছেন। কিন্তু যুক্তরাজ্যে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা সরকারি হিসেবের চাইতেও অনেক বেশি। তাদের ধারণা প্রায় ১,৭০০ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। ভাইরাসটির নাম করোনাভাইরাস। লোকজন এই ভাইরাসে এমন এক সময়ে আক্রান্ত হচ্ছে যখন চীনে নতুন বছরে উদযাপনের জন্যে লাখ লাখ মানুষ ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বছরের এই সময়ে তারা এক সপ্তাহের মতো ছুটি কাটায় যখন তারা নিজেদের গ্রামের বাড়িতে পরিবারের কাছে বেড়াতে যায়। একারণে এই ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কিছুটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। চীনে স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ভাইরাসটি প্রতিরোধ-যোগ্য এবং একে নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব। কর্মকর্তারা বলছেন, যারাই উহান শহর ছেড়ে অন্যান্য শহরে যাবে তাদের প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা হবে। বেশিরভাগ আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে চীনের উহান শহরে। কখন থেকে শুরু স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গত ডিসেম্বর মাসে উহানে প্রথম এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত করেছিলেন। তারা বলছেন, এটি করোনাভাইরাসের একটি প্রজাতি। এই ভাইরাসের ফলে লোকজন নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হয়েছে। তবে ভাইরাসের এই ধরনটি সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায় নি। ধারণা করা হয় যে একটি বাজার থেকে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে কিন্তু এটি ঠিক কিভাবে ছড়িয়ে পড়ছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা এখনও সেটা নিশ্চিত করতে পারেন নি। চীনের বাইরে আরো তিনটি দেশেও এই ভাইরাসটি পাওয়া গেছে। দেশগুলো হচ্ছে- দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং জাপান। নতুন এই ভাইরাসের প্রকোপ সার্স ভাইরাসের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। সার্স ভাইরাসও এক ধরনের করোনাভাইরাস। ২০০০ সহস্রাব্দের শুরুর দিকে সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৭৪ জন নিহত হয়ে যাচ্ছে। মূলত এশিয়ারই বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছিল। নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এর সাথে সার্স ভাইরাসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আরো পড়তে পারেন: রহস্যময় ভাইরাস আরো ছড়িয়েছে, বাংলাদেশে সতর্কতা স্বাস্থ্য: হৃদরোগ ঠেকাতে খাদ্যভ্যাসে ৫টি পরিবর্তন ২০১৯ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে সেরা আবিষ্কারসমূহ ধারণা করা হয় এই সি ফুডের বাজার থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। কর্মকর্তারা এই ধারণা পরীক্ষা করে দেখছেন। আমরা কী জানি উৎস: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরো পড়তে পারেন: হাসিনার গাড়িবহরে গুলির ঘটনায় ৫ পুলিশের ফাঁসি রাজকীয় দায়িত্ব ত্যাগ ছাড়া উপায় ছিল না: প্রিন্স হ্যারি জাস্টিন ট্রুডোর দাড়ি এবং দাড়ি-র রাজনীতি
The number of people infected with a new virus in China tripled over the weekend, with the outbreak spreading from Wuhan to other major cities.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
একটি রোহিঙ্গা গ্রামে ঘরবাড়িতে আগুন জ্বলছে যদি আপনি রাস্তার লোকজনের সাথে রাখাইন রাজ্যে কী ঘটছে তা নিয়ে কথা বলেন, তাহলে আপনি 'রোহিঙ্গা' শব্দটিই শুনতে পাবেন না। বিবিসির বার্মিজ সাভিসের স ইয়াং নাইং লিখছেন, সংখ্যালঘুদের মিয়ানমারে বর্ণনা করা হয় 'বাঙালি' বলে। এ দেশে মূলধারায় রোহিঙ্গাদের কি ভাবে দেখা হয় - এতেই তার একটা আভাস পাওয়া যায়। এই দৃষ্টিভঙ্গী অনুযায়ী, রোহিঙ্গারা হচ্ছে 'বিদেশি' - বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসী - যাদের ভাষা ও সংস্কৃতি আলাদা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাখাইন প্রদেশের সহিংসতাকে দেখা হচ্ছে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা হিসেবে, কিন্তু মিয়ানমারে এটি দেখা হয় জাতীয় সার্বভৌমত্ব-সংক্রান্ত বিষয় হিসেবে। উত্তর রাখাইনে যে সেনা অভিযান চলছে তার প্রতি সমর্থনও এখানে ব্যাপক। এখানে বরং আন্তর্জাতিক মিডিয়ার খবরকেই দেখা হচ্ছে 'একপেশে' হিসেবে। যে রোহিঙ্গা মুসলিমরা সহিংসতার হাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের দুর্দশার খবর এখানে সংবাদমাধ্যমে যথেষ্ট প্রচার পায় না। রাখাইন এলাকায় দেশী বা বিদেশি সাংবাদিকের প্রবেশের ব্যাপারেও কঠোর কড়াকড়ি আছে। তিন লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গার বাংলাদেশে পালিয়ে যাবার খবর মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যমে নেই স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে 'সন্ত্রাসী আক্রমণ' এবং সহিংসতার কারণে যে 'অ-রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী' বাড়িঘর হারিয়েছে - তার ওপর জোর দেয়া হয়। বিভিন্ন শহরে 'আরসা চরমপন্থী বাঙালি সন্ত্রাসীদের' আক্রমণ বা 'বড় আক্রমণের পরিকল্পনা' করছে - এমন খবরও এখানকার পত্রিকায় এসেছে। এসব খবরে বলা হচ্ছে, সেনাবাহিনী নয় বরং 'জঙ্গী গ্রুপগুলোই গ্রাম পুড়িয়ে দিচ্ছে', এবং রোহিঙ্গারা যে বাংলাদেশে পালিয়ে যাচ্ছে এ কথার কোন উল্লেখ এসব রিপোর্টে থাকে না। মিয়ানমারের সরকারি ইনফরমেশন কমিটি 'সন্ত্রাসী' শব্দটির ব্যবহার নিশ্চিত করে থাকে। এই নির্দেশ যাতে মেনে চলা হয়, এ জন্য কমিটি সংবাদমাধ্যমের প্রতি হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা রকম ভুয়া খবর ও ছবি সমাজে বৈরিতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিয়ানমারের জাতীয়তাবাদী গ্রুপগুলো এমন ধারণা প্রচার করছে যে 'রোহিঙ্গা মুসলিমরা একটি হুমকি, কারণ তারা চার স্ত্রী এবং বহু সন্তান নিতে পারে।' রাখাইনে অনেকে মনে করে, জনসংখ্যা বাড়লে তারা একদিন তাদের সব জমি নিয়ে নেবে। সাধারণ লোকের সাথে কথা বললেও এই শত্রুতার অনুভুতি খুব স্পষ্ট বোঝা যায়। একজন মহিলা - যার বয়স তিরিশের কোঠায় - বললেন, "তারা লেখাপড়া শেখে না, তাদের কোন চাকরিও নেই। তাদের প্রচুর বাচ্চাকাচ্চা। আপনার প্রতিবেশীর যদি অনেক বাচ্চা থাকে এবং সব সময় চেঁচামেচি করতে থাকে - আপনি কি তা পছন্দ করবেন?" রোহিঙ্গাদের গ্রামে পুড়িয়ে দেয়া একটি বাড়ি আরেক মহিলা, তিনি লোকের বাড়িতে কাজ করেন গৃহপরিচারিকা হিসেবে। তিনি বলছেন, "ওরা লোক ভালো নয়। আমি ওদের পছন্দ করি না। তবে হ্যাঁ, এক হাতে তালি বাজে না।" বোঝা গেল, মহিলাটি জানেন যে এ সংঘাতের দুটি পক্ষ আছে। অবশ্য এমনও অনেকে আছেন, যারা রোহিঙ্গাদের দুর্দশার প্রতি সহানুভুতিশীল, যদিও তারা বেশি কথা বলতে চান না। একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার বলছিলেন," আমার মনে হয় অনেক বাঙালি মুসলিম মারা গেছে। আমার ধারণা সরকারি বাহিনী তাদের অনেককে হত্যা করেছে, কারণ কিছু এলাকা আছে যেগুলো দুর্গম বা বিচ্ছিন্ন।" "এ ব্যাপারে জাতিসংঘের কিছু করা উচিত" - বললেন তিনি। বিবিসি বাংলার আরো খবর:
Around the world there is growing condemnation of Myanmar's treatment of the Rohingya minority, but in Yangon the view is very different, as Saw Yan Naing from BBC Burmese reports.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
চার আঙ্গুল তুলে বিশেষ কায়দায় শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। তবে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে দেশটির অর্থনীতির অবনতি হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় ১২% এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে তুর্কী মুদ্রা লিরার মূল্য রেকর্ড পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে তুরস্কের এই অর্থনৈতিক দুর্দশা আরো বেশি খারাপ হয়েছে। মি. এরদোয়ান ২০০৩ সালের মার্চ মাসে যখন তুরস্কের নেতা নির্বাচিত হন, সেসময় এক ডলারে পাওয়া যেত ১ দশমিক ৬ লিরা। কিন্তু এখন এক ডলারের মূল্য আট লিরারও বেশি। তার শাসনামলের শুরুর দিকে দেশে বড় ধরনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটেছিল, হয়েছিল ব্যাপক উন্নয়নও। ইসলাম নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে বর্তমানে তিনি আলোচিত এক রাজনীতিকে পরিণত হয়েছেন। সামরিক পেশি সাম্প্রতিক কালে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বহির্বিশ্বে তার শক্তি প্রদর্শনের জন্য খুব বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন যা অনেক দেশকে ক্ষুব্ধ করেছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা জোট নেটোতে তুরস্কের মিত্র দেশগুলোও তুর্কী প্রেসিডেন্টের এই তৎপরতায় ক্ষুব্ধ। লিবিয়া ও সিরিয়ার সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে তুরস্কের সামরিক বাহিনী। ককেশাস অঞ্চলে নাগর্নো-কারাবাখকে কেন্দ্র করে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যে যুদ্ধ চলছে তাতেও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েছে তুরস্ক। দুটো দেশের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হওয়ার আগে তুরস্ক ও আজারবাইজান মিলে চালিয়েছে যৌথ মহড়া। যুদ্ধে আজারবাইজানকে সরাসরি সমর্থন দিয়ে অনেক দেশের সমালোচনার শিকার হয়েছে তুরস্ক। আজারবাইজান ও তুরস্কের যৌথ সামরিক মহড়া। আজারবাইজানিরা ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক-ভাবে তুরস্কের ঘনিষ্ঠ। এছাড়াও তেলসমৃদ্ধ এই দেশটিকে তেল রপ্তানির জন্য নির্ভর করতে হয় তুরস্কের ওপর। তাদের তেলের পাইপলাইন গেছে তুরস্কের ভেতর দিয়ে। কিন্তু রাশিয়া কয়েক শতাব্দী ধরে এই ককেশাস অঞ্চলে তাদের প্রভাব বিস্তার করে আসছে। লিবিয়া ও সিরিয়া এবং সবশেষ ককেশাসে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রভাব বিস্তারের আকাঙ্ক্ষা ও সেই লক্ষ্যে সামরিক তৎপরতার কারণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও তার বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে সম্প্রতি গ্যাসের যে বিশাল ভাণ্ডারের খোঁজ পাওয়া গেছে সেটিও উঠে এসেছে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ভূ-রাজনৈতিক এজেন্ডায়। সাইপ্রাসের সমুদ্র উপকূলে গ্যাসের সন্ধানে তুরস্কের তৎপরতায় সাইপ্রাস ও গ্রিসের সরকার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এই দুটো দেশই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য। এবিষয়ে ই.ইউও প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে সতর্ক করে দিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর চাপ অবজ্ঞা করে মি. এরদোয়ান উত্তর সাইপ্রাসে তুর্কী জাতীয়তাবাদী নেতাদের স্বঘোষিত সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তুরস্কই একমাত্র দেশ যারা এই স্বীকৃতি দিল। সম্প্রতি ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ ফ্রান্সে ইসলামপন্থীদের দমনে তৎপর হলে এবং ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করলে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ফরাসি প্রেসিডেন্টের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার কথা বলেছেন। ফরাসী পণ্য বয়কটেরও ডাক দিয়েছেন তিনি। এতো ফ্রান্স ক্ষুব্ধ হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, বহু আগে থেকেই প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের বেশ কিছু ইসলামপন্থী এজেন্ডা রয়েছে। মিশরে নিষিদ্ধ-ঘোষিত রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে রয়েছে তার আদর্শগত মিল। হাইয়া সোফিয়া ভবনটিকে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সম্প্রতি মসজিদে রূপান্তরিত করেন। আরো পড়তে পারেন: সাধারণ আরবদের মধ্যে হুহু করে বাড়ছে তুরস্কের এরদোয়ানের জনপ্রিয়তা তুরস্ক কেন আজারবাইজানকে সমর্থন দিচ্ছে এবং তারা কতো দূর যেতে পারে? ম্যাক্রঁকে 'মানসিক চিকিৎসা' করাতে বলে ফ্রান্সের রোষানলে এরদোয়ান তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান কেন নানা মঞ্চে কাশ্মীর প্রশ্ন তুলছেন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা-কর্মীদের মতো তিনিও চার আঙ্গুল তুলে স্যালুট দেওয়ার জন্য পরিচিত। এভাবে শুভেচ্ছা জানানোকে বলা হয় 'রাবা'। এবছরের জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক একটি ভবন হাইয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরিত করেন। এতে বহু খ্রিস্টান ও পশ্চিমা দেশ ক্ষুব্ধ হয়েছে। দেড় হাজার বছর আগে এই ভবনটি নির্মিত হয়েছিল গির্জা হিসেবে। অটোমান টার্কের আমলে এটিকে মসজিদে পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু পরে কামাল আতাতুর্ক ভবনটিকে যাদুঘরে পরিণত করেন, যা ধর্মনিরপেক্ষ নতুন তুরস্কের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। অভ্যন্তরীণ রাজনীতি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের নেতৃত্বে ইসলামপন্থী দল জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি বা একেপি ২০১৯ সালে সারা দেশের স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে জয়লাভ করে। কিন্তু বড় তিনটি শহর- ইস্তাম্বুল, রাজধানী আঙ্কারা এবং ইজমিরে তার দল পরাজিত হয়। ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচনে বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির কাছে একেপির পরাজয় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জন্য ছিল একটি বড় ধরনের ধাক্কা। কেননা মি. এরদোয়ান ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত এই চার বছর এই শহরের মেয়র ছিলেন। আর এই শহরেই তার দুর্গের পতন ঘটেছে। মূলত তুরস্কের রক্ষণশীল গ্রামীণ এলাকা এবং আনাতোলিয়ার ছোট ছোট শহরগুলোই প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের দল একেপির ভোটের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। মুসলিম মূল্যবোধের পক্ষে সরাসরি বক্তব্য দেওয়ার কারণে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বহু তুর্কীর কাছে জনপ্রিয়। যেখান থেকে শুরু এই ইস্তাম্বুল শহরেই মি. এরদোয়ানের উত্থানের শুরু। বর্তমানে এই শহরের জনসংখ্যা দেড় কোটিরও বেশি। তার প্রেসিডেন্ট হয়ে ওঠার যাত্রার শুরুতে এই শহর ছাড়াও রাজধানী আঙ্কারায় স্থানীয় নির্বাচনে সাফল্য অর্জন করে তারই দল একেপি। এর পর দলটি ধীরে ধীরে তুরস্কের প্রধান রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে মি. এরদোয়ান ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট হন ২০১৪ সালের অগাস্ট মাসে। তিনি তুরস্কের দ্বাদশ প্রেসিডেন্ট। ২০১৮ সালের জুন মাসে প্রথম রাউন্ড নির্বাচনে ব্যাপক ভোটে বিজয়ী হয়ে মি. এরদোয়ান দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এর আগের বছর ২০১৭ সালে সংবিধান সংশোধনের ওপর অনুষ্ঠিত বিতর্কিত এক গণভোটেও তিনি জয়ী হন। ফলে একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ওঠেন তিনি। ফলে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের হাতে যেসব ক্ষমতা চলে আসে: প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে তার বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নও আরো জোরালো ভাবে শুরু হয়। ২০১৬ সালে আঙ্কারায় নাটকীয় এক রাত: ট্যাঙ্কের সামনে দাঁড়িয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সমর্থকরা। অভ্যুত্থান থেকে প্রাণে রক্ষা তার বিরোধীদের ওপর এই দমন অভিযান শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের বিরুদ্ধে পরিচালিত এক অভ্যুত্থান চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর। সেসময় সামরিক বাহিনীর দিক থেকে তার ক্ষমতা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল। তার জবাবে শুরু হয় - পাইকারি গ্রেফতার ও নাম মাত্র বিচার। পশ্চিমা দেশগুলোর রাজনীতিকরাসহ মানবাধিকার গ্রুপগুলো প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের এই দমন-পীড়ন অভিযানের তীব্র সমালোচনা করে। তুরস্কে ১৯৬০ সালে এবং এর পরে বিভিন্ন সময়ে আরো তিনবার সামরিক বাহিনী দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছে। তুর্কী সামরিক বাহিনী তুরস্ককে কামাল আতাতুর্কের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবেই দেখতে আগ্রহী। সামরিক বাহিনীর এই হস্তক্ষেপের ঘটনায় জাতীয়তাবাদীদের প্রভাব "ডিপ স্টেট" বা রাষ্ট্রের ভেতরে আরেকটি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের দল এই সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা খর্ব করতে সর্বদাই সচেষ্ট ছিল। ২০১৬ সালের ওই ব্যর্থ অভ্যুত্থানে কমপক্ষে ২৪০ জন নিহত হয়। সেসময় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান মারমারিসের একটি অবকাশ কেন্দ্রে ছুটি কাটাচ্ছিলেন এবং বলা হয় যে তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন। অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার ১২ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে তিনি তার নিয়ন্ত্রণ পুন-প্রতিষ্ঠা করে অভ্যুত্থানের পরিকল্পনাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তখন জাতীয় টেলিভিশনের পর্দায় হাজির হন এবং ইস্তাম্বুলে তার সমর্থকদের বিশাল সমাবেশে যোগ দান করেন যেখানে তিনি নিজেকে "প্রধান অধিনায়ক" হিসেবে ঘোষণা করেন। তবে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ওপর এই ঘটনায় কী ধরনের চাপ তৈরি হয়েছিল সেটা বোঝা যায় এর পরের একটি ঘটনায়। বিদ্রোহী সৈন্যদের গুলিতে নিহত তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর জানাজায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি জনসমক্ষে কেঁদে ফেলেন। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সমালোচকরা তাকে একজন স্বৈরাচারী হিসেবে অভিহিত করেন। তারা বলেন ভিন্নমতের প্রতি মি. এরদোয়ান মোটেও সহনশীল নন, যারাই তার বিরোধিতা করেন তাদেরকে তিনি কঠোর হস্তে দমন করেন। তাদের মধ্যে ১৬ বছর বয়সী শিশু থেকে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় জয়ী সাবেক মিস তুর্কীও রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে অপমান করার অভিযোগে ওই শিশুকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আর প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে একটি কবিতা শেয়ার করায় সাবেক মিস তুর্কীকেও পড়তে হয়েছিল বড় ধরনের বিপদে। সাংবাদিকদের মুক্তির দাবিতে তুরস্কে বিক্ষোভ। সমালোচনা দমন মি. এরদোয়ান জাতীয় পর্যায়ে ক্ষমতায় আসেন ২০০৩ সালে। সরাসরি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালের অগাস্ট মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে ১১ বছর তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তুরস্কে একসময় প্রেসিডেন্টের পদটি আলঙ্কারিক হলেও এখন তিনিই সর্বসময় ক্ষমতার অধিকারী। ফলে তার বিরুদ্ধে সমালোচনা করা এখন কঠিন। কেউ তার বিরোধিতা কিম্বা সমালোচনা করলে তাকে পড়তে হচ্ছে রোষানলে। ভিন্নমতের ওপর এই দমন-পীড়নের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। এর জের ধরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়েছে। পরিণতিতে স্থবির হয়ে গেছে এই জোটে তুরস্কের যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়াও। ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর ৫০ হাজারেরও বেশি লোক গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন সৈনিক, সাংবাদিক, আইনজীবী, পুলিশ অফিসার, শিক্ষক এবং কুর্দী রাজনীতিক। কর্তৃপক্ষ দেড় লাখেরও বেশি সরকারি কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে। এছাড়াও তার দল একেপির বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শনেরও অভিযোগ উঠেছে। ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার জন্য প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে দায়ী করেছেন। মি. এরদোয়ানের একসময় ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন এই ধর্মীয় নেতা। সারা বিশ্বেই মি. গুলেনের সমর্থকদের একটি নেটওয়ার্ক সক্রিয়। তার মধ্যে রয়েছে গুলেন স্কুল। এছাড়াও বহু তুর্কীর জীবনে তার হিজমেত আন্দোলনেরও বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে। তবে ফেতুল্লাহ গুলেন একেপি সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান পরিকল্পনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মি. এরদোয়ানের কর্তৃত্ববাদী শাসন শুধু তুরস্কের সীমান্তের ভেতরেই সীমিত নেই। তার দেহরক্ষীরা যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকদের হয়রানি করেছে, টেলিভিশনে মি. এরদোয়ানের সমালোচনা করায় জার্মানিতে একজন জার্মান কমেডিয়ানের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা হয়েছে। আঙ্কারায় প্রেসিডেন্টের বিলাসবহুল প্রাসাদ। ক্ষমতার উত্থান রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের জন্ম ১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। একজন উপকূল-রক্ষীর সন্তান তিনি। বেড়ে উঠেছেন তুরস্কের কৃষ্ণ সাগর সমুদ্র উপকূলে। তার বয়স যখন ১৩, তার পিতা সন্তানদের আরো ভালো লেখাপড়া করানোর স্বপ্ন নিয়ে ইস্তাম্বুলে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেন। কিশোর এরদোয়ান বাড়তি কিছু অর্থ রোজগারের জন্য রাস্তায় লেবুর শরবত এবং রুটি বিক্রি করতেন। ইসলামিক স্কুলে লেখাপড়া করেছেন তিনি। পরে ইস্তাম্বুলের মারমারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। একজন পেশাদার ফুটবলারও ছিলেন তিনি। মুসলিম পুনর্জাগরণ প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ইসলামি মূল্যবোধ আরোপের চেষ্টা করছেন- সমালোচকদের এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, ধর্মনিরেপক্ষতার বিষয়ে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তিনি বলেছেন, তুর্কীরা যাতে আরো খোলামেলাভাবে তাদের ধর্ম পালন করতে পারেন, সেই অধিকারকে তিনি সমর্থন করেন। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের অনেক সমর্থক তাকে "সুলতান" নামে ভূষিত করেছেন যা অটোমান সাম্রাজ্যের সময়ে ব্যবহার করা হতো। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় অফিসগুলোতে নারীদের হিজাব পরার ওপর কয়েক দশক ধরে যে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল সেটা ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তবে বিচার বিভাগ, সামরিক বাহিনী এবং পুলিশ নতুন এই আইনের বাইরে ছিল। এছাড়াও মি. এরদোয়ান ব্যভিচারকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করার উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন, চালু করার চেষ্টা করেনে "অ্যালকোহলমুক্ত এলাকা"- সমালোচকরা বলছেন, এসবই এরদোয়ানের ইসলামপন্থী আকাঙ্ক্ষাকে প্রমাণ করে। স্ত্রীর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। ব্যক্তিগত জীবন একটি বিলাসবহুল প্রাসাদে থাকেন তুর্কী প্রেসিডেন্ট। সমালোচকরা বলেন, এটাও তার উচ্চাকাঙ্ক্ষী মনোভাবের প্রতীক। বিশাল আয়তনের এলাকায় প্রচুর অর্থ খরচ করে এই ভবন নির্মাণের কারণেও তিনি সমালোচিত হয়েছেন। চার সন্তানের পিতা মি. এরদোয়ান বলেছেন, কোন মুসলিম পরিবারের জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা উচিত নয়। ২০১৬ সালের মে মাসে তিনি একবার বলেছিলেন, "আমরা আমাদের বংশধরের সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি করবো।" মাতৃত্বের উচ্চ প্রশংসা করেন মি. এরদোয়ান। নারীবাদীদের সমালোচনা করেন। তবে তিনি বলেন, নারী ও পুরুষকে সমানভাবে দেখা উচিত নয়। টাইম লাইন ১৯৪৫: রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের জন্ম ১৯৭০-১৯৮০: ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোতে সক্রিয় ছিলেন, নেকমেতিন এরবাকান্স ওয়েলফেয়ার পার্টির সদস্য ১৯৯৪-১৯৯৮: ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন, সামরিক কর্মকর্তাদের ক্ষমতা দখলের আগ পর্যন্ত, ওয়েলফেয়ার পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয় ১৯৯৯: জনসমক্ষে জাতীয়তাবাদী একটি কবিতা পড়ার জন্য তার চার মাসের জেল হয়েছিল। কবিতার কয়েকটি লাইন ছিল এরকম: "মসজিদগুলো আমাদের ব্যারাক, গম্বুজগুলো আমাদের হেলমেট, মিনারগুলো আমাদের বেয়নেট এবং বিশ্বাস হলো আমাদের সৈন্য।" অগাস্ট ২০০১: আব্দুল্লাহ গুলকে সাথে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামপন্থী দল একেপি ২০০২-২০০৩: পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে একেপি, এরদোয়ান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন জুন ২০১৩: ইস্তাম্বুলে গেজি পার্কে ভবন নির্মাণের একটি প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রতিবাদকারীদের ওপর আক্রমণ করে নিরাপত্তা বাহিনী ডিসেম্বর ২০১৩: এরদোয়ান সরকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, তিনজন মন্ত্রীর সন্তানদের গ্রেফতার করা হয়, এরদোয়ান এজন্য গুলেনপন্থীদের দায়ী করেন। অগাস্ট ২০১৪: তুরস্কে এই প্রথমবারের মতো সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মি. এরদোয়ান জুলাই ২০১৬: সামরিক বাহিনীর ভেতরে ব্যর্থ অভ্যুত্থান থেকে রক্ষা পান এপ্রিল ২০১৭: প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক গণভোটে জয়ী হন।
From humble beginnings Recep Tayyip Erdogan has grown into a political giant, reshaping Turkey more than any leader since Mustafa Kemal Ataturk, the revered father of the modern republic.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ফ্রান্সে সম্প্রতি বর্ণবৈষম্য, ইসলামোফোবিয়া এবং পর্দা করার অধিকার নিয়ে বিক্ষোভ হয় মিলা নামে এই ১৬ বছর বয়েসী কিশোরীটিকে একজন মুসলিম ব্যক্তি 'নোংরা লেসবিয়ান' বলে মন্তব্য করার পর সে অনলাইনে ওই পোস্ট দেয়। এই পোস্টের পর তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয় এবং এরপর থেকে সে আর স্কুলে যায়নি। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক চরম আকার ধারণ করার পর টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে মিলা তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে অস্বীকৃতি জানায়। যদিও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে রেখেছে সে। ইনস্টাগ্রাম পোস্টকে কেন্দ্র করে ফ্রান্সে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রশ্নে তুমুল বিতর্ক চলছে। ফান্সে কোনো জাতীয় ব্লাসফেমি আইন নেই, আর সংবিধানও কট্টরভাবে ধর্ম নিরপেক্ষ। পুলিশ প্রাথমিকভাবে দু'টি বিষয়ে তদন্ত করেছে: প্রথমটিতে দেখা হয়েছে মিলা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেয়ার জন্য দায়ী কি-না; অপর তদন্তটির বিষয় হচ্ছে, তাকে অনলাইনে যেসব আক্রমণ করা হয়েছে, সেটি নিয়ে। মঙ্গলবার ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্তফ ক্যাস্তানার দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বলেন, মিলা ও তার পরিবারকে সুরক্ষা দিচ্ছে পুলিশ। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করে পোস্ট দিয়েছিলো মিলা কী বলছে মিলা? টিএমসি চ্যানেলের অনুষ্ঠান কোটিডিয়েন-এ উপস্থিত হয়ে মিলা সেইসব মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, যারা 'শান্তিপূর্ণভাবে' তাদের ধর্ম পালন করে, এবং তার বক্তব্যের 'অশালীনতার' জন্য দুঃখপ্রকাশ করে। কিন্তু একইসাথে সে তার বক্তব্যের পক্ষে অবস্থান নেয়। সাক্ষাৎকারে সে বলে, "আমি যা বলেছি তা নিয়ে আমার কোন অনুশোচনা নেই। এটা একেবারেই আমার নিজস্ব চিন্তা।" মিলা জানায়, এই বিতর্কের কারণে তার জীবন 'কার্যত থমকে আছে'। তাকে 'এসিডে ঝলসে দেওয়ার, আঘাত করার এবং জনসমক্ষে নগ্ন করার কিংবা জীবন্ত কবর দেবার' হুমকি দেয়া হয়েছে। এসব হুমকির কারণে তাকে স্কুল ছাড়তে হয়েছে। সোমবার ফ্রান্সের শিক্ষামন্ত্রী জাঁ মিশেল ব্লঙ্কে বলেন, কর্তৃপক্ষ তাকে "শান্তিপূর্ণভাবে স্কুল ফিরিয়ে নেবার চেষ্টায় আছে, যাতে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে"। যেভাবে বিতর্কের সূত্রপাত: মিলা গত ১৮ই জানুয়ারি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি সরাসরি সম্প্রচার করার পর বিতর্কের শুরু। সেখানে সে তার সেক্সুয়ালিটি নিয়ে কথা বলার পর একজন মুসলিম কমেন্টদাতা মিলাকে 'ডার্টি লেসবিয়ান' হিসেবে অভিহিত করেন। জবাবে মিলা একটি পোস্ট দেয়, যেখানে সে ইসলাম সম্পর্কে কড়া বক্তব্য সম্বলিত কথাবার্তা লেখে। সমালোচকদের চোখে, মিলার বক্তব্য ছিল আক্রমণাত্মক। এরপর কেউ কেউ তাকে হত্যার হুমকি দেয়। অন্যরা মিলার ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করে দেয়। ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অব দ্য মুসলিম ফেইথের প্রধান মোহাম্মদ মুসাবির বক্তব্য, যত মারাত্মক বক্তব্যই একজন মানুষ দিয়ে থাকুক না কেন, তাতে কোনভাবেই হত্যার হুমকি দেয়া জায়েজ হয় না। মিলার একদল সমর্থকগোষ্ঠিও দাঁড়িয়ে গেছে, যারা একটি হ্যাশট্যাগ চালু করেছে, যা রীতিমত ট্রেন্ডিং হয়েছে ফ্রান্সজুড়ে। #JeSuisMila অর্থ 'আমিই মিলা'। বিরোধীরা পাল্টা হ্যাশট্যাগ #JeNeSuisPasMila চালু করেছে। ফরাসী বিচারমন্ত্রী নিকোল বেলুবে বলেন, কিশোরীকে হত্যার হুমকি একেবারেই 'অগ্রহণযোগ্য'। অবশ্য মিজ বেলুবে এও বলেন, কোন ধর্মের উপর আঘাত দেয়ার অর্থ "বিবেকের স্বাধীনতার ওপর আঘাত দেয়ার শামিল।" কিন্তু ফরাসী সিনেটর লরেন্স রসিনিয়োল মিজ বেলুবের এই বক্তব্যের জবাবে সংবিধান উদ্ধৃত করে বলেছেন, ফ্রান্সে "কোন ধর্মের অনুসারীদের অপমান করা নিষিদ্ধ। কিন্তু যে কেউ ধর্মকে বা এর প্রতীককে অপমান করতে পারে"। পরে মিজ বেলুবে অবশ্য বলেন, তার বক্তব্য যথেষ্ট 'বিচক্ষণ ছিল না'। মিলার প্রচারণাকে অবশ্য কট্টর ডানপন্থীরা পছন্দ করেছে। ন্যাশনাল র‍্যালি-র নেতা মারি লো পেন বলেছেন, "গত ৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর চাইতে বেশি সাহস আছে মিলার"। যারা মুসলমানদের 'কলঙ্কিত' করে কিংবা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সাথে ইসলামকে জড়িয়ে ফেলে, তাদের ব্যাপারে গত অক্টোবরে সতর্ক করে দিয়েছিলেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন।
A teenager has sparked a national debate about blasphemy in France after an Instagram post calling Islam a "religion of hate".
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
পড়াশোনা ছিল নাঈমার কাছে একইসঙ্গে আতঙ্ক আর বিলাসিতার মতো। কিন্তু সেখানকারই এক মেয়ে সব বাধা পেরিয়ে অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। এখন তিনি প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন একজন সাংবাদিক হওয়ার জন্য। বিবিসির সংবাদদাতাকে তিনি জানান তার সেই সংগ্রামের গল্প। "আমি আমার শৈশব আতঙ্কে কাটিয়েছি," বলেন, কোয়েটার সরদার বাহাদুর খান উইমেন্স ইউনিভার্সিটির ছাত্রী নাঈমা জেহরি। "এখনও এটা নিয়ে ভাবলে আমার মেরুদণ্ড কেঁপে ওঠে।" পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের খুজদার জেলার জেহারি জামশার একটি উপজাতি গ্রামে বেড়ে ওঠেন নাঈমা। তিনি বলেন, তার শৈশব একটি সময়ে হয়, যখন তার অঞ্চলে আইনহীনতা শিখরে ছিল। গণমাধ্যমের খবর জুড়ে শুধুই ছিল বেলুচ পুরুষদের ওপর লক্ষ্য করে বিভিন্ন পরিকল্পিত হামলা, অপহরণ ও হত্যার ঘটনা। ভয়, পক্ষপাত, এবং অস্ত্র ছিল সর্বত্র। বেলুচিস্তান পাকিস্তানের সবচেয়ে গরীব প্রদেশ। এটি বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি সহ্য করেছে। এই প্রদেশের দূরবর্তী পাহাড়ি গ্রামগুলোতে, জনজীবন সাধারণত দুর্বিসহ, বিশেষ করে নারীরা ভুক্তভোগী সবচেয়ে বেশি। বলেন নাঈমা। "আমার শৈশব কেটেছে দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করে। আমরা সাত ভাইবোন এবং আমার বাবা আমাদের ফেলে রেখে অন্য একজন নারীকে বিয়ে করেছিলেন। আমার মা শিক্ষিত ছিলেন না, তাই আমাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারিবারিক দান খয়রাতের উপর নির্ভর করতে হয়েছিল। "শিক্ষা ছিল একটি বিলাসিতা, যা আমরা বহন করতে পারিনি।" নাঈমা বর্তমানে কোয়েটার একটি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। নাঈমার জন্য, শিক্ষা অর্জনই ছিল একটি সংগ্রামের মতো। ১০ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি গ্রামে সরকার পরিচালিত মেয়েদের অবৈতনিক মানে বিনা খরচে পড়াশোনা করা যায় এমন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তেন। কিন্তু স্কুলটি বন্ধ করে দেয়া হয়। তিনি বলেন, স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নেতা সমর্থিত দুষ্কৃতিকারীরা ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল স্কুলটি দখল করে রাখে। এবং তারা মেয়েদের ওই স্কুলভবন থেকে দূরে রাখার জন্য স্কুলটির প্রবেশদ্বারে বড় ধরণের ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। বিবিসি স্বাধীনভাবে এই তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি। কিন্তু বেলুচিস্তানে এই ধরনের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক কিছু না। "পুরো এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরাও করা হয়েছিল। সেখানে সবসময় ছয় থেকে আটজন সশস্ত্র ব্যক্তি পাহারায় থাকতো। মনে আছে, ছোটবেলায় প্রতিদিন এমন দৃশ্যের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতাম। সশস্ত্র ব্যক্তিরা সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আমরা ভয় পেতাম। আমি সবসময়ই ভয়ে থাকতাম যে তারা আমাকে যেকোনো সময় বুঝি গুলি করবে।, "বলেছেন নাঈমা। "ওই ব্যক্তিরা শালওয়ার কামিজ অর্থাৎ ঢোলা পাঞ্জাবি আর ঢোলা পায়জামা পরে থাকতো। তাদের হাতে বন্দুক ছিল। তাদের মুখ সবসময় রুমাল দিয়ে ঢাকা থাকতো। শুধুমাত্র তাদের চোখ দেখা যেতো।" 'তোমাদের মেয়েদের স্কুলে পাঠিও না' নাঈমা বলছেন, সশস্ত্র পুরুষরা কখনোই বাচ্চাদের হুমকি দেয়নি। তবে তারা দুটি উদ্দেশ্য ধারণ করতো। প্রথমত, মেয়েদের শিক্ষা থেকে দূরে রাখা, যেন নৃগোষ্ঠী প্রধানের সশস্ত্র বাহিনী মেয়েদের স্কুল ক্যাম্পাসকে তাদের গোপন আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। " মানুষের কাছে তাদের এটি পরিষ্কার বার্তা ছিল, আর সেটা হল আপনার মেয়েরা স্কুলে পাঠাবেন না।" গ্রামের এর প্রভাব ছিল ভয়াবহ, বিপর্যয়কর। কেননা সরকারি শিক্ষকরা এমন পরিবেশে কাজ করার সাহস পেতেন না। নাঈমা এবং অন্য কয়েকজন মেয়েকে কাছাকাছি গ্রামের আরেকটি স্কুলে ভর্তি করা হয়, কিন্তু এটি ছিল শুধুই একটি আনুষ্ঠানিকতা। বাবা মায়েরা তাদের মেয়েদের ওইসব স্কুলে পাঠাতেন বিনামূল্যে রান্নার তেল পাওয়ার জন্য। - যা একটি আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা সরবরাহ করতো। বেলুচিস্তানের সমাজ কঠোরভাবে পিতৃতান্ত্রিক। যেন ওই এলাকায় মেয়েদের স্কুলে আসার হার বাড়ানো যায়- কিন্তু পড়ালেখা শেখানোর বিষয়টি কোন গুরুত্ব পেতো না। মেয়েরা তাদের উপস্থিতি রেজিস্টার খাতায় লিখে যার যার বাড়ি ফিরে যেতো। পড়ালেখার কিছুই হতো না। নাঈমা বলেন, শিক্ষকরা একদিকে যেমন ভয়ে থাকতেন। আবার অনেকে আংশিকভাবে দুর্নীতিগ্রস্তও ছিলেন। তিনি বলেন, "আমাদের এই এলাকায় এমন অনেক স্কুলের কথা উল্লেখে আছে, যা শুধুই রয়েছে কাগজে কলমে। এসব স্কুলে শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া হয়, এবং এজন্য তারা নিয়মিত বেতনও পান। - কিন্তু এসব স্কুল সম্পূর্ণরূপে অকার্যকর।" এরিমধ্যে, বেলুচিস্তান তার চিরাচরিত সহিংস রূপে ফিরে যায়। যার মূল্য দিতে হয় নাঈমার পরিবারকে। এক বছরের মধ্যেই নাঈমার দুই মামার অপহরণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নাঈমা বলেন, যে তার দুই মামা হঠাৎ করেই গায়েব হয়ে যান, এক মাস পর তাদের বুলেট-বিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আরও পড়তে পারেন: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন এত প্রধানমন্ত্রী সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় ৬৫ শতাংশ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মাদ্রাসা নয়, সাধারণ শিক্ষা থেকেই জঙ্গি হয়েছে বেশি "আমি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ছিলাম। তারা বয়স কম ছিল, পূর্ণ জীবনী শক্তির দুজন মানুষ। আমি তাদের মৃত্যুর শোক অনেক দিনেও কাটিয়ে উঠতে পারিনি।" কিন্তু এই দুর্ঘটনা, নাঈমাকে তার শিক্ষা চালিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগায়। মাধ্যমিক স্কুল শেষ করার পর তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেলেও, তিনি সেই বাধা তার পড়ালেখায় আসতে দেননি। "আমার শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার মতো সাধ্য আমার পরিবারের ছিলনা।, এবং তারা সবসময় গ্রামবাসীদের চাপে থাকতো।" কারণ স্থানীয় মেয়েদের স্কুলে পড়াশুনা করার জন্য উৎসাহিত করা হয়নি, তিনি বলেন - হয় তারা মাদ্রাসায় পড়বে নাহলে বাড়ির কাজকর্ম করবে। এর বাইরে কিছুনা। "এদিকে আশেপাশে ভণ্ডামিও কম ছিলনা। নারীদের শিক্ষার জন্য বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হতো না ঠিকই, কিন্তু ক্ষেতে চাষাবাদের কাজে পুরুষদের সাহায্য করার সময়, কোন বাধা নেই। যারা বাসায় থাকে, তারা সূচিকর্মের মাধ্যমে জীবিকা অর্জন করেন - কিন্তু নারীরা এই কাজের জন্য কিছুই পেতো না। নারীদের কাজ থেকে উপার্জিত মজুরি পুরুষরাই দখল করে খরচ করতো।" নাঈমা বাড়ি থেকেই তার পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং প্রাইভেট ক্যান্ডিডেট হিসাবে পরীক্ষায় অংশ নেন। এভাবে যখন তিনি হাইস্কুল শেষ করেন, তখন কিছু সময়ের জন্য তার শিক্ষা বাধার মুখে পড়ে, কারণ তার ভাইরা এর বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু তার মামাদের খুনের ঘটনা তাকে তার জীবনের নতুন উদ্দেশ্য খুঁজে নিতে সাহায্য করে। তিনি উল্লেখ করেন যে এসব ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে সম্পূর্ণ নীরবতা ছিল, এবং এটি তার মনের উপর একটি দাগ ফেলে যায়। তিনি বলেন, "বেলুচরা কি মানুষ না? তাদের জীবনকে কেন গণ্য করা হবেনা? আমি এতে অনেক দু:খ পেয়েছিলাম। মানুষ আর কবে বেলুচদের প্রতি তাদের সহানুভূতি ও সংবেদনশীলতা দেখাবে?"- এমন অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান। পড়াশোনা শেষে সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন নাঈমা। 'আমার মানুষদের গল্প বলতে চাই' আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোর বেলুচিস্তান থেকে রিপোর্ট করার অনুমতি নেই। যদি না তাদের কাছে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয় - যা তারা খুব কমই পায়। এই প্রদেশের সহিংসতার বিষয়ে যেকোনো প্রতিবেদন করার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের মূলধারার সংবাদমাধ্যমের ওপরেও ছিল গোপন নিষেধাজ্ঞা। নাঈমা যখন বেলুচিস্তানের একমাত্র মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা জানতে পারেন, তখন তিনি তার পরিবারকে তার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন। তার ভাইয়েরা এই প্রস্তাবের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করেছিলেন। শুধুমাত্র একজন চাচা/মামা তাকে সমর্থন দেন এবং এক বছরের জন্য তার পড়াশোনার ফি পরিশোধ করেন। তারপরে, তার খরচ চালানোর মতো আর কেউ ছিল না। কোন ব্যবস্থাও ছিল না। এমন অবস্থায় তিনি দাতব্য সংস্থা ইউএসএইড- এর স্পন্সরকৃত স্কলারশিপের জন্য আবেদন করেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়। এখন তার শিক্ষা সম্পূর্ণরূপে চলছে। নাঈমা বলেন, "আমি একজন সাংবাদিক হতে চাই, যেন আমি আমার মানুষ গল্প বলতে পারি, বেলুচিস্তানের মানুষদের"। এবং আমি তোমাদের বলতে চাই যে আমি ভয় পাব না ... আমি সবসময় সত্যের সাথেই দাঁড়াবো।"
For years, armed men surrounded a girls' school in a village in Pakistan's Balochistan province, to prevent the girls going inside. But one eventually made it to university and is now training to become a journalist. She told the story of her struggle to the BBC's Shumaila Jaffrey.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
আসিয়া বিবি: অবশেষে নির্দোষ প্রমানিত হলেন। এই মামলাকে ঘিরে পাকিস্তান কার্যত বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। ইসলামের নবী মোহাম্মদকে অবমাননার অভিযোগে আসিয়া বিবিকে ২০১০ সালে ফাঁসির দন্ড দেয়া হয়। প্রতিবেশিদের সঙ্গে ঝগড়ার সময় তিনি নবীর অবমাননা করেন বলে অভিযোগ করা হয়। আসিয়া বিবি সব সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন। কিন্তু গত আট বছর ধরে তাকে কারাগারে নিঃসঙ্গ অবস্থায় রাখা হয়েছে। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায়কে যুগান্তকারী বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কট্টরপন্থীরা এরই মধ্যে তীব্র বিক্ষোভ শুরু করেছে। পাকিস্তানের কট্টরপন্থী ইসলামী গোষ্ঠীগুলো ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার অভিযোগের জন্য কঠোর সাজার পক্ষে। রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য পাকিস্তানের করাচী, লাহোর এবং পেশাওয়ার শহরে কট্টরপন্থীরা জড়ো হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসার্ম আসিয়া বিবির মামলার রায় ঘোষণা করে তাকে মুক্তির নির্দেশ দেন। আসিয়া বিবি লাহোরের কাছে শেখুপুরা কারাগারে বন্দী আছেন। বিচারকরা তাদের রায়ে বলেন, "বাদী পক্ষ তাদের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানে একেবারেই ব্যর্থ হয়েছেন"। ব্লাসফেমির জন্য ফাঁসির দাবিতে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ তারা আরও বলেছেন, ঠুনকো প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে এই মামলা করা হয়েছে। এতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। আর আসিয়া বিবিকে যখন উন্মত্ত জনতা হত্যার হুমকি দিচ্ছিল, সেই অবস্থায় তার কাছ থেকে কথিত ধর্ম অবমাননার স্বীকৃতি আদায় করা হয়। বিচারকরা তাদের রায়টিতে কোরান এবং ইসলামের ইতিহাস থেকে প্রচুর উদ্ধৃতি দিয়েছেন। রায়টি শেষ হয়েছে নবী মোহাম্মদের একটি হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে, যাতে অমুসলিমদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। আদালতে যখন রায় ঘোষণা করা হয়, তখন আসিয়া বিবি সেখানে ছিলেন না। কারাগারে যখন তার কাছে এই খবর এসে পৌঁছায়, তিনি তা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। টেলিফোনে তিনি এএফপি বার্তা সংস্থাকে বলেন, "যা শুনছি তা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। এখন কি আমি বাইরে যেতে পারবো? ওরা কি আমাকে বাইরে যেতে দেবে?" আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বোরকাধারী তিন মহিলার হত্যা মিশন পাকিস্তানে সহিংসতা ঠেকাতে সেনাবাহিনী তলব পাকিস্তানে সাবেক এক পপশিল্পীর বিরুদ্ধে ব্লাসফেমি মামলা আসিয়া বিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ কী? আসিয়া বিবির পুরো নাম আসিয়া নরিন। ২০০৯ সালে তিনি নিজের গ্রামের প্রতিবেশী কয়েকজন মহিলার সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়েছিলেন। সেখান থেকে এই মামলার শুরু। আসিয়া এবং তার প্রতিবেশিরা গাছ থেকে ফল পাড়ছিলেন। তখন এক বালতি পানি নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। আসিয়া একটি কাপে করে ঐ বালতির পানি খেয়েছিলেন। তখন অন্য মহিলারা বলেন, যেহেতু আসিয়া অমুসলিম, তার স্পর্শ করা ঐ পানি তারা খেতে পারবেন না, কারণ ঐ পানি এখন নোংরা হয়ে গেছে। মামলায় বাদীপক্ষ অভিযোগ করেছিল, এ নিয়ে ঝগড়া শুরু হওয়ার পর গ্রামের মহিলারা আসিয়াকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হতে বলেন। কিন্তু তখন আসিয়া নবী মুহাম্মদ সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। সালমান তাসির: আসিয়ার পক্ষ নেয়ায় হত্যা করা হয় তাকে আসিয়ার বিরুদ্ধে যারা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ করেছিল, তারা পরে আসিয়াকে তার বাড়িতে গিয়ে মারধোর করে। তারা দাবি করছে, এই মারধোরের সময় আসিয়া নাকি ইসলাম অবমাননার দোষ স্বীকার করেন। এরপর আসিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ব্লাসফেমি নিয়ে কেন এত বিভক্ত পাকিস্তান আসিয়া বিবির মামলা নিয়ে পাকিস্তান এতটাই বিভক্ত হয়ে পড়ে যে সেখানে এই বিতর্কে পাঞ্জাব রাজ্যের গভর্ণর সালমান তাসিরকেও প্রাণ দিতে হয়। তিনি ব্লাসফেমি আইনের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে গুলি করে হত্যা করে তারই দেহরক্ষী। শুধু তাই নয়, হত্যাকারী দেহরক্ষী মুমতাজ কাদিরকে যদিও এই হত্যার দায়ে ফাঁসি দেয়া হয়, তাকে পাকিস্তানের কট্টরপন্থী ইসলামী দলগুলো তাদের নায়কে পরিণত করে। ইসলামাবাদের উপকন্ঠে মুমতাজ কাদরির সমাধি সৌধ তাদের জন্য রীতিমত তীর্থস্থানে পরিণত হয়। এমনকি মুমতাজ কাদরির সমর্থকরা একটি রাজনৈতিক দল পর্যন্ত গঠন করে। এরা ব্লাসফেমি আইন রদ করার বিপক্ষে । গত নির্বাচনে এই দল প্রায় বিশ লাখ ভোট পেয়েছে। ইসলাম হচ্ছে পাকিস্তানের রাষ্ট্রধর্ম। সেখানে ব্লাসফেমি আইনে ইসলামের অবমাননার সর্বোচ্চ সাজা হচ্ছে মৃত্যুদন্ড। কিন্তু এই আইন অনেক ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগত শত্রুতা চরিতার্থ করার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে। তারা এই আইন বাতিলের পক্ষে। আসিয়া বিবির কন্যা এবং স্বামী। পাকিস্তানে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত তারা। পাকিস্তানে এই আইনে প্রথম মৃত্যুদন্ডের সাজা পাওয়া মহিলা হচ্ছেন আসিয়া। পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইনে সবচেয়ে বেশি সাজা পেয়েছেন সংখ্যালঘু আহমদীয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। বহু খ্রীস্টানও এই আইনে সাজা ভোগ করেছেন। যদিও পাকিস্তানের জনসংখ্যার মাত্র এক দশমিক ছয় শতাংশ হচ্ছেন খ্রীস্টান। ব্লাসফেমি আইনে পাকিস্তানে আজ পর্যন্ত কারও ফাঁসি হয়নি। কিন্তু ব্লাসফেমির অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তাদের অনেককে খুন করা হয়েছে। আসিয়া বিবির জন্ম ১৯৭১ সালে। তিনি চার সন্তানের মা। তাকে ব্লাসফেমি আইনে মৃত্যুদন্ড দেয়ার ঘটনার আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দিত হয়। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর এখন আসিয়া বিবিকে মুক্তি দেয়া হলে তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানে সহিংস বিক্ষোভের আশংকা করা হচ্ছে। তার পরিবারও নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত। বেশ কয়েকটি দেশ আসিয়া বিবিকে আশ্রয় দিতে চেয়েছে। মুক্তির পর আসিয়া বিবি এবং তার পরিবার দেশত্যাগ করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
Pakistan's top court has rejected a challenge to the acquittal of a Christian woman on blasphemy charges.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে কড়াকড়ির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে কাশ্মীরের শিশুরা সেই উত্তেজনা শিখরে ওঠে অগাস্ট মাসে, যখন ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের আইনে পরিবর্তন আনে ভারত সরকার, যার ফলে হতবাক হয়ে যায় পুরো বিশ্ব। তবে কাশ্মীর এমন একটি অঞ্চল যা বরাবরই উত্তেজনার কারণ। ১৯৪৭ সালে ভারতে ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসন অবসানের পর থেকে কাশ্মীর নিয়ে তিন দফা যুদ্ধ করেছে ভারত ও পাকিস্তান। আশির দশকের পর থেকে দফায় দফায় পাকিস্তানের সমর্থনপুষ্ট ইসলামপন্থী আন্দোলনের ঘটনা ঘটেছে, যাতে নিহত হয়েছে অন্তত ৭০হাজার মানুষ। কেন ২০১৯ সাল অঞ্চলটির জন্য এতো অস্থিরতার? পাকিস্তান ভিত্তিক জইশ-ই-মুহাম্মদ জঙ্গি গ্রুপ সংশ্লিষ্ট একটি হামলার মধ্য দিয়ে বছরটি শুরু হয়েছিল। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামার ২২ বছর বয়সী এক তরুণ সেনাবাহিনীর একটি কনভয়ে বিস্ফোরক নিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায়, যাতে নিহত হয়েছিল অন্তত ৪০জন সেনা সদস্য। এক বছর আগে থেকে নিখোঁজ ছিল ওই তরুণ। হামলার পরপরই তরুণের ভিডিও পোস্ট করে হামলার কৃতিত্ব দাবি করে জইশ-ই-মোহাম্মদ। এই হামলার পরে ১৯৭১ সালের পর আবার সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তান ভূখণ্ডে অভিযান পরিচালনা করে ভারত। ২৬শে ফেব্রুয়ারি ভারতীয় জেট বিমান বালাকোট অঞ্চলে উড়ে গিয়ে, তাদের ভাষায়, জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রশিক্ষণ শিবিরে বোমা ফেলে। এই হামলায় ভারতের অন্ততপক্ষে দুইটি বিমান বিধ্বস্ত হয় এবং একজন ভারতীয় পাইলটকে আটক করে পাকিস্তান। এটা পাকিস্তানকে বিশেষ সুবিধা এনে দেয়। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে বালাকোট সংঘর্ষের সময় ভারতীয় পাইলটকে আটক করতে পারা পাকিস্তানকে বেশ সুবিধাজনক অবস্থান এনে দেয়। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারতীয় বিমান হামলার সময় একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয় তা সত্ত্বেও, 'শুভেচ্ছার নিদর্শন' হিসাবে আটক পাইলটকে দ্রুত ভারতে ফেরত পাঠিয়ে দেয় পাকিস্তান। এই পদক্ষেপকে বিদেশের কিছু মহল প্রশংসা করলেও, অনেকে একে দেখেছেন উত্তেজনা বৃদ্ধি হওয়া ঠেকাতে পাকিস্তানের প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে, যে জন্য দেশটির সামরিক বাহিনী প্রস্তুত নয়। পাকিস্তান আরো একধাপ এগিয়ে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে জঙ্গি গ্রুপগুলোর দপ্তর বন্ধ করে দেয়। স্পষ্টতই ভারতের হুমকির মুখে আন্তর্জাতিক মতামত সন্তুষ্ট করার জন্য এই পদক্ষেপ নেয় দেশটি। এর মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী - ডানপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদী একজন নেতা - পুলওয়ামা এবং বালাকোট অভিযান, উভয় ঘটনাকে দেশে তার নির্বাচনী প্রচারণায় সমর্থন আদায়ের জন্য ব্যবহার করেন এবং তিনমাস পরের সাধারণ নির্বাচনে বিশাল জয় লাভ করেন। তার এই বিজয়ের ডানায় ভর করেই গত অগাস্ট মাসে তিনি কাশ্মীরকে একীভূত করার পদক্ষেপ নেন, যা তাকে পার্লামেন্টে অপ্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষমতা এনে দেয়। আরো পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের লড়াইয়ের কারণ কী? 'আসুন নতুন জম্মু-কাশ্মীর, নতুন লাদাখ' গড়ি: মোদী কাশ্মীর: সর্বনাশের ঝুঁকি, তবুও বাকি বিশ্বের অনীহা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেভাবে হুমকি হতে পারে ভারত কিন্তু আবারো পাকিস্তানের পক্ষ থেকে একই ধরণের কোন পাল্টা জবাব আসে না। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বরং মিছিল আর কাশ্মীরের সমর্থনে বিবৃতি দেয়ার মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ রাখেন। পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র এর মধ্যে ঘোষণা দেন যে, সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানে সেনারা জাগ্রত অবস্থায় রয়েছে এবং শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের লাইন অব কন্ট্রোলে পাকিস্তানি সেনা চৌকিগুলোয় সফর করার ছবি প্রকাশ করেন। তবে পাকিস্তানের যেসব জাতীয়তাবাদী গ্রুপগুলো ভারতীয় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে জনসমর্থন তৈরির চেষ্টা করছিল, তাদের নিরুৎসাহিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। জাতীয়তাবাদী বিক্ষোভকারীরা যখন অক্টোবর মাসে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর থেকে ভারত শাসিত কাশ্মীরে প্রবেশের চেষ্টা করে, তাদের ঠেকিয়ে দেয় পাকিস্তানের সেনারা। বিক্ষোভকারীরা দাবি করছিলেন যে, জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাশ্মীরের যেকোন স্থানে যাতায়াত করার অধিকার তাদের রয়েছে। সাবেক সাংবাদিক এবং কাশ্মীরের অধিকার আন্দোলন কর্মী জুলফিকার আলী বলছেন, ''আমরা কঠোর একটি স্থানে আটকে গেছি। ভারত সবসময়েই কাশ্মীরের জনগণের শত্রু, কিন্তু পাকিস্তানও তাদের সাথে ঠিক আচরণ করেনি।'' পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলছেন, কাশ্মীর ইস্যুতে তিনি ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে চান দশকের পর দশক ধরে কীভাবে বিরোধ তৈরি হয়েছে? ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার আগে কাশ্মীর ছিল একটি মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য, যার শাসক ছিলেন একজন হিন্দু রাজা। কিন্তু যখন ভারত ভাগ হয়ে মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের জন্ম হলো, তখন কোন পক্ষেই যোগ না দিয়ে কাশ্মীরের রাজা স্বাধীন থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই যখন পাকিস্তান দেশটির উত্তর পশ্চিম এলাকা থেকে রাজার শাসন উচ্ছেদ করতে সশস্ত্র আদিবাসী যোদ্ধাদের পাঠায়, তখন প্রথম এখানে সহিংসতার শুরু হয়। বাধ্য হয়ে কাশ্মীরের রাজা ভারতের সঙ্গে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সংঘর্ষের ফলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দুই ভাগ হয়ে যায় কাশ্মীর। পাকিস্তান পরবর্তীতে এর একটি ছোট অংশ চীনকে দিয়েছিল। ভারতের তখন ক্ষমতায় ছিল কিছুটা উদার নীতির কংগ্রেস পার্টি, যারা কাশ্মীরের রাজাকে একীভূত হতে বাধ্য না করে বরং ১৯৪৮ সালের জুন মাসে পুরো কাশ্মীর জুড়ে একটি গণভোট আয়োজনের অনুরোধ নিয়ে জাতিসংঘে যায় - যাতে দেশটির জনগণ ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত জানাতে পারে যে, কোন দেশের সঙ্গে তারা যেতে চায়। তবে দেশভাগের পর উত্তর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বৈরিতার কারণে এরকম কোন গণভোট আয়োজন করতে দুই পক্ষ একমত হতে পারেনি। এর মধ্যে ভারতে সংসদীয় গণতন্ত্র অব্যাহত থাকে, কিন্তু পাকিস্তানের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা চলে যায় সামরিক বাহিনীর হাতে, যা কাশ্মীরের বিরুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ১৯৬৫ সালে ভারত বিরোধী এক আন্দোলনের সময় কাশ্মীরের গ্রামবাসীদের পোশাকে হাজার হাজার নিয়মিত সেনা সদস্যকে পাঠায় পাকিস্তান। ফলে দ্বিতীয়বারের মতো ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়, যাতে পাকিস্তান পরাজিত হয়। উনিশশো আশির দশকে হাজার হাজার প্রশিক্ষিত ইসলামপন্থী জঙ্গি সদস্যদের ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ভেতরে পাঠায় পাকিস্তান, যারা সেখানে দশকের পর দশক জুড়ে সন্ত্রাস কায়েম করে রাখে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে নাইন ইলেভেন হামলার পরে তাতে লাগাম পড়াতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। কাশ্মীরে এখনো যে কোনো ধরণের প্রতিবাদ বিক্ষোভ নিষিদ্ধ নতুন ধরণের জাতীয়তাবাদ কি শুরু হতে পারে? ক্ষুদ্র আকারে এবং চোখের আড়ালে হলেও কাশ্মীরে জঙ্গি কর্মকাণ্ড অব্যাহতই থাকে। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপের প্রধান এবং কাশ্মীরের একজন আইনজীবী ড. নাজির জিলানী এজন্য পাকিস্তানের নেতৃত্বকে দায়ী করেন, যারা কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাবনাও আনতে পারে নি। তবে অন্য অনেকে বলছেন, পাকিস্তানের নেতৃত্ব অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে যে, কাশ্মীর ইস্যুতে একমাত্র সমাধান হতে পারে পাকিস্তানের সঙ্গে রাজ্যটির একীভূত করা। উদার জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী একটি স্বাধীন কাশ্মীরের ধারণাকে গ্রহণ করতে পারবে না ইসলামী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী পাকিস্তান। ''যখন উনিশশো সত্তরের দশকে কাশ্মীরের একাংশে প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকার চালু করে পাকিস্তান, তখন সেখানে অংশ নেয়া প্রার্থীদের একটি প্রতিশ্রুতিতে স্বাক্ষর করতে হতো যে, তারা পাকিস্তানের প্রতি অনুগত থাকবে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে,'' বলছেন আফ্রাসিয়াব খাত্তাক, পাকিস্তানের স্বাধীন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক প্রধান ও একজন আইনজীবী ও রাজনীতিক। এর ফলে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে জাতীয়তাবাদীদের জন্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে, যারা পাকিস্তান ও ভারত, উভয় দেশ থেকেই মুক্ত স্বাধীন কাশ্মীর চান। তিনি বলছেন, ''আশির দশকে কাশ্মীরে জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ) নামের একটি উদার জাতীয়তাবাদী গ্রুপকে প্রথমদিকে সমর্থন দিয়েছিল পাকিস্তান, যেন তারা ভারতের বিরুদ্ধে একটি আন্দোলন শুরু করতে পারে। কিন্তু সেটা ছিল একটি হিসাবি পদক্ষেপ। ১৯৬৫ সালে তারা লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়।" ''কিন্তু যখন জনআন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে, ইসলামাবাদ দ্বিতীয় চিন্তা করতে শুরু করে এবং তাদের ইসলামপন্থী বাহিনীগুলোকে ভারত ও জেকেএলএফ, উভয় লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্য পাঠায়।'' কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে পাকিস্তান, ভারত ও চীন তাহলে নতুন বছরে ভারত, পাকিস্তান ও কাশ্মীরের জন্য কী অপেক্ষা করছে? যেভাবে কাশ্মীরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে এবং গত চারমাস ধরেই অব্যাহত রয়েছে, তা বিশেষভাবে লক্ষ্য করার মতো। মি. খাত্তাক বিশ্বাস করেন, কাশ্মীরকে একীভূত করে নেয়ার ফলে নতুন করে কাশ্মীরের জাতীয়তাবাদের উত্থান হতে পারে। তার সফলতা নির্ভর করবে যে কারা তাদের জিহাদি পরিচয়ের বাইরে গিয়ে আন্দোলনটি করতে পারে। জুলফিকার আলী একমত পোষণ করে বলছেন, ''কাশ্মীরের বাসিন্দারা উপলব্ধি করতে পারছে যে, স্বাধীনতা অর্জনের জন্য তারা বাইরের শক্তির ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। তারা এটাও বুঝতে পারছে যে, তাদের এই আন্দোলন হতে হবে পুরোপুরি নিজস্ব এবং অহিংস।'' ''যেহেতু বেশিরভাগ জাতীয়তাবাদী নেতা হয় ভারতের কারাগারে অথবা বিদেশে, তরুণদের মধ্যে থেকে নতুন এক নেতৃত্ব বেরিয়ে আসতে পারে।''
The year 2019 has been one of dramatic political eruptions in Kashmir, a Himalayan region divided between and disputed by Pakistan and India.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দমনে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং জল-কামানও ব্যবহার করে। গত সপ্তাহে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। বিবিসির বার্মিজ সার্ভিস জানতে পেরেছে অন্তত দুজন বিক্ষোভকারী গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। গতকাল সামরিক সরকার আরও নতুন বিধিনিষেধ জারি করলেও আজ চতুর্থ দিনের মতো এই বিক্ষোভ চলছে। কিছু শহরে বড় জনসমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। সামরিক শাসক জেনারেল মিন আং লাইং বিক্ষোভকারীদের এই বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বিক্ষোভকারীরা নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চি এবং তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির নেতাদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছে। সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর সু চিকে বন্দী করা হয়। সেনাবাহিনী দেশে এক বছরের জন্য জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে। সেনাবাহিনী কোন প্রমান ছাড়া দাবি করছে যে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিল। পরিস্থিতি যেভাবে সংঘাতের দিকে গেল মঙ্গলবার সকালে পুলিশ নেপিডোতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে জল-কামান ব্যবহার করতে শুরু করে। কিন্তু পানির তোড়ের মুখেও বিক্ষোভকারীর পিছু হটেনি বলে জানাচ্ছে রয়টার্স বার্তা সংস্থা। বিক্ষোভকারীরা 'সামরিক একনায়কতন্ত্রের অবসান চাই' বলে শ্লোগান দেয়। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাস্তায় জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি পুলিশ এরপর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করতে ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। তারপর বিক্ষোভকারীদের ওপর রাবার বুলেট চালায়। বিবিসির বার্মিজ সার্ভিস নেপিডোর এক হাসপাতালে এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিক্যাল অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছে। তিনি জানিয়েছেন, দুজন বিক্ষোভকারী গুরুতর আহত হয়েছে। এদের একজনের মাথায় এবং একজনের বুকে আঘাত লাগে। আরেকটি ক্লিনিকের জরুরী বিভাগের এক ডাক্তার জানান, তিনি এমন তিনজনকে চিকিৎসা দিয়েছেন যারা সম্ভবত রাবার বুলেটে আহত হয়েছে। তাদের এখন প্রধান এক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অনেক অসমর্থিত খবরে দাবি করা হচ্ছে অনেক জায়গায় পুলিশ পক্ষ ত্যাগ করে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে। অনেক জায়গায় পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙ্গে বিক্ষোভকারীদের যেতে দিয়েছে। বিবিসির দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া সংবাদদাতা জনাথান হেড জানিয়েছেন, এটা স্পষ্ট যে পুলিশ অফিসাররা এখন বিক্ষোভকারীদের দমনে আগের চেয়ে অনেক বেশি কঠোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এখনো তারা প্রাণহানি হতে পারে এমন ধরণের বল প্রয়োগ করছে না। মিয়ানমারে ১৯৮৮ এবং ২০০৭ সালে কয়েক দশক ধরে চলা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দমনের সময় অনেক বিক্ষোভকারী নিহত হয়। বিক্ষোভকারীরা কী বলছে ইয়াঙ্গনে জাতিসংঘের একটি ভবনের সামনে জড়ো হচ্ছিলেন যে বিক্ষোভকারীরা, তাদের একজন বিবিসির বার্মিজ সার্ভিসকে বলেছেন, "পাঁচ জনের বেশি মানুষের জমায়েত যে নিষিদ্ধ তা আমরা জানি। কিন্তু তারপরও আমরা এখানে এসেছি, কারণ আমাদের প্রেসিডেন্ট এবং আমাদের জননী সু চিকে মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত আমাদের বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে হবে।" একজন নারী বিক্ষোভকারী বলেন, "তরুণদের একটা ভবিষ্যৎ আছে, কাজেই আমরা কোনভাবেই এটা মেনে নিতে পারি না... আমরা লড়াই চালিয়ে যাব, যতক্ষণ তাদের মুক্তি দেয়া না হয়‍।" মানবাধিকারের ক্ষেত্রে অং সান সু চির ভূমিকা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচিত হলেও স্বদেশে তিনি তুমুল জনপ্রিয়। ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনি বিপুল জয় পান। অং সান সু চির মুক্তি দাবি করছে বিক্ষোভকারীরা সামরিক বাহিনীর প্রতিক্রিয়া কী? সোমবার জেনারেল মিন অং লাইং অভ্যুত্থানের পর প্রথম টেলিভিশনে ভাষণ দেন। ভাষণের বেশিরভাগ অংশ জুড়েই জেনারেল অং লাইং ব্যাখ্যা দেন কেন এবং কোন পরিস্থিতিতে তাকে এই অভ্যুত্থান করতে হয়েছে। তিনি বলেছেন, আটক নেতা অং সান সু চি নভেম্বর মাসে যে নির্বাচনে ব্যাপক ভোটে বিজয়ী হয়েছে বলা হচ্ছে তা নিরপেক্ষ ছিল না। আরও পড়ুন: তিনি বলেছেন, নভেম্বরে নির্বাচনে অনিয়মের যেসব অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন বলেছে অনিয়মের কোন প্রমাণ তারা পাননি। জেনারেল অং লাইং খুব দ্রুতই নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ীদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নতুন একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ২০১১ সালে পর্যন্ত ৪৯ বছর ধরে মিয়ানমারে যে সেনাশাসন চলেছে, তার অধীনে সবকিছু তা থেকে ভিন্ন হবে।
Police in Myanmar have fired rubber bullets during a demonstration in the capital Nay Pyi Taw, as thousands defied a ban on protests.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
কারফিউ এর সময় পুলিশের গুলিতে ১৩ বছরের ছেলে নিহত হওয়ার পর পরিবারের শোক। নাইরোবির এক হাসপাতালে সন্তান জন্ম দিতে এসেছেন এক নারী। ৩২ সপ্তাহের অন্তসত্ত্বা। ডা. শীলা আটিয়েনোকে* সার্বক্ষণিক নজর রাখতে হচ্ছে তার ওপর। এরকম কাজ তিনি এর আগেও বহুবার করেছেন। কিন্তু এবারের শিশু জন্ম নেয়ার ঘটনাটি ঘটছে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে। সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা এই নারীকে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরীক্ষায় দেখা গেছে তিনি কোভিড-নাইনটিনে আক্রান্ত। কাজেই আর দশটি স্বাভাবিক সন্তান জন্মদানের ঘটনা এটি নয়। ডা. আটিয়েনো একজন ধাত্রীবিদ্যা ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। তার সঙ্গে আছেন আরও কয়েকজন ডাক্তার। যেসব গর্ভবতী নারীর করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তাদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব এই দলটির ওপর। করোনাভাইরাসের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। খুবই নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে ডা. আটিয়েনোর জীবন। তিনি নিজেও দুই শিশু সন্তানের মা, দুজনের বয়সই দুই এর নীচে। তিনি আমাকে বলছিলেন, “আমি এমন সব গর্ভবতী মায়েদের দেখাশোনা করছি যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত, খুবই কঠিন মনে হয় ব্যাপারটা।” “আমাকে এখনই কোন রোগীর সিজারিয়ান সেকশন করতে হবে। এর মানে হচ্ছে রোগীর দেহের অনেক রক্ত এবং বডি ফ্লুইডের সংস্পর্শে আসতে হবে আমাকে। অপারেশন করার সময় আমার শরীর যদিও ঢাকা থাকবে খুবই সুরক্ষিত স্যুটে। এই স্যুটটি পরলে বেশ গরম লাগে, আর মোটেও আরামদায়ক নয়।” “আর যখন আমি বাড়ি ফিরে যাই, বাচ্চারা দৌড়ে আসবে আমার কোলে উঠার জন্য। কিন্তু কাপড়-চোপড় বদলে, গোসল করে, স্যানিটাইজার মেখে পরিচ্ছন্ন না হওয়া পর্যন্ত আমি ওদের ছুঁতে পারি না।” “মানসিকভাবে, আবেগের দিক থেকে, এটা বেশ কঠিন। কিন্তু আমার তো কোন উপায় নেই- নতুন শিশুকে এই পৃথিবীতে নিয়ে আসা, সেটাই আমার কাজ। সেটা পৃথিবীতে মহামারি থাকুক আর না থাকুক।” গির্জায় মাত্র ছয়জনকে নিয়ে ফ্রান্সিস আর ভেরোনিকার বিয়ে নববিবাহিত দম্পতি তরুণ দম্পতি ফ্রান্সিস এবং ভেরোনিকা গিটোংগা হানিমুনে এসেছেন নিয়াহুরুরু এলাকায় তাদের গ্রামের বাড়িতে। নাইরোবি থেকে জায়গাটা প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে। তারা তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান করেছেন গত ৫ই এপ্রিল। প্রায় ৫০০ জনকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু যখন শেষ পর্যন্ত তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানটি হলো, গির্জায় ঢুকতে দেয়া হয়েছিল মাত্র ৬ জনকে। বর, কনে, এক দম্পতি এবং দুজন যাজক। আর কেউ বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমতি পাননি- না তাদের বাবা-মা, পরিবার, না কোন বন্ধু-বান্ধব, গ্রামবাসী। কোভিড-নাইনটিনের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য যেসব বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে, তাতে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারছেন না বহু মানুষ। এই দম্পতি যখন বাড়িতে একটা বিয়ের অনুষ্ঠান করলেন, সেখানে যেতে পেরেছিলেন মাত্র ১২ জন। করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে সব কিছু স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান স্থগিত রাখতে পারতেন। কিন্তু তারা সিদ্ধান্ত নিলেন, এর মধ্যেই বিয়ে করবেন। আমি তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, এটি নিয়ে তাদের কোন দুঃখ আছে কীনা যে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব তাদের অনুষ্ঠানে আসতে পারলেন না। “না, আমাএদর কোন দুঃখ নেই”, বললেন মিস্টার গিটংগা, যিনি নিয়াহুরুরুর গির্জায় কাজ করেন। ‍‍“আমাদের মনে হচ্ছিল ঈশ্বর যেন আমাদের বলছেন, বিয়েটা করে ফেলতে। আমি আর ভেরোনিকা তো একে অন্যকে গভীরভাবে ভালোবাসি। গির্জায় ঈশ্বরের সামনে আমরা দুজন এক সঙ্গে জীবন বাঁধবো, সেটাই তো আমরা সবসময় চেয়েছি।” মিস্টার গিটংগা আমাকে বললেন, কোভিড-নাইনটিন কেবল তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাই বদলে দেয়নি, কিছু অপ্রত্যাশিত সুফলও এনেছে। “বিয়ের অনুষ্ঠান করতে আমাদের খরচ করতে হতো প্রায় তিন লাখ কেনিয়ান শিলিং (২৮০০ ডলার)। কিন্তু অতিথিরা না আসায়, খাবারের খরচ এবং হল ভাড়ার খরচ বেঁচে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত মাত্র ৫০ হাজার শিলিং খরচ হয়েছিল।” “এখন আমরা কেনিয়ার নানা জায়গা থেকে অনেক ফোন কল পাচ্ছি তরুণদের কাছ থেকে। আমরা যে ধুমধাম করে বিয়ে করে অনেক ধার-দেনায় পড়িনি, এরকম জাঁকজমকহীনভাবে বিয়ে করলাম, সেটা নাকি তাদের অনুপ্রাণিত করেছে।” এক বিশ্ব মহামারীর মাঝখানে মিস্টার এবং মিসেস গিটংগার এই বিয়ে আসলেই একটি সত্যিকারের ভালোবাসার কাহিনি। কেনিয়ার এক ‘নতুন স্বাভাবিক পরিস্থিতি‌’তে এরকম ছোট্ট, অন্তরঙ্গ এবং কম খরচের বিয়েই হয়তো আমরা দেখবো। একটি শোকার্ত পরিবার করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকার যখন সন্ধ্যার পর কারফিউ জারি করেছিল, তখন ১৩ বছরের এক বালক ইয়াসিন হোসেইনকে গুলি করে হত্যা করেছিল পুলিশ। এরকম ঘটনার শিকার ইয়াসিন একা হয়নি। দেশজুড়ে পুলিশ কঠোর হাতে যখন এই কারফিউ জারি করেছে, তখন তাদের মার খেয়ে হাত-পা ভেঙ্গেছে বহু মানুষের, গুরুতর আহত হয়েছেন অনেকে। কেনিয়ার এই পুলিশ বাহিনীর শ্লোগান আবার “সবার সেবায় নিয়োজিত।” কোভিড-নাইনটিন যেন রাষ্ট্রের মদতে নতুন বর্বরতার দরোজা খুলে দিল। ইয়াসিনের বাবা হোসেইন মোয়োর কন্ঠে ঝরে পড়লো কেনিয়ার বহু মানুষের ক্ষোভ। তার ছেলের জানাজায় তিনি বলেছিলেন, ‍“দিনের বেলায় আমাদের ভাইরাসের ভয়ে থাকতে হয়, আর রাতের বেলায় থাকতে হয় পুলিশের সন্ত্রাসের ভয়ে।” ইয়াসিনের কবরের পাশে প্রার্থনা করছে তার বন্ধুরা এবং আত্মীয়-স্বজন কেনিয়ার বেশিরভাগ মানুষ কাজ করেন অর্থনীতির অনানুষ্ঠানিক খাতে, তাদের আয়-রোজগার খুবই সামান্য। রেডিও-টেলিভিশনে এখন শোনা যায় তারা এখন এক সঙ্গে তিন শত্রুর মোকাবেলা করছেন- করোনাভাইরাস, ক্ষুধা আর পুলিশ। বিদ্রুপের শিকার এক রাজনীতিক জেমস ওরেংগো এক সুপরিচিত রাজনীতিক। বিরোধী দল অরেঞ্জ ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট থেকে নির্বাচিত একজন সেনেটর। কেনিয়ার সাধারণ মানুষের মনোভাব তিনি ভালোই আঁচ করতে পারেন। তিনি একজন আইনজীবীও। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে সেনেটের এক অধিবেশনে তিনি খারাপ আইন পাশ করার বিপদ সম্পর্কে হুঁশিয়ার করে দিয়েছিলেন। ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন তারা যেন নিজেদের বেশি নিরাপদ না ভাবেন। “অনেক সময় কিন্তু বিপ্লবের সন্তানরাই এর শিকার হন…সরকার নিজেই তাদের নিজেদের লোকজনকে ধ্বংস করে। আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, এই সরকার কিন্তু আমাকে যতটা না শাস্তি দেবে, তার চেয়ে আপনারা বেশি শাস্তি পাবেন, আমি আপনাদের বলে রাখছি। আর এক বছর পর আপনারা আমার অফিসে এসে আমার কাছে কান্নাকাটি করবেন, যাতে আমি আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করি।” জেমস ওরেঙ্গো দেশটির বিরোধীদলের জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। কেনিয়ায় তার এই কথাটি এখন হরহামেশাই উল্লেখ করেন লোকজন। কিন্তু কিছুদিন আগে মিস্টার ওরেংগো যখন একটি টুইট করেন, তখন তিনি জনগণের মনোভাব বুঝতে ভুল করেছিলেন। তিনি টুইটে লিখেছিলেন, ‍“নিজে গাড়ি চালিয়ে পার্লামেন্টে গিয়েছিলাম কোভিড-নাইনটিন টেস্ট করাতে। এই বিশ্ব মহামারি মোকাবেলায় নির্দেশনা মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” তার এই টুইটের যে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হলো, তা মারাত্মক। কেনিয়ার একজন ক্রুদ্ধ হয়ে পাল্টা টুইট করলেন, “আমরা সাধারণ মানুষ তাহলে কোথায় যাব? রাজনীতিকরা তাহলে সত্যিই মনে করেন নিজে গাড়ি চালানো বিরাট এক বাহাদুরি? এই দেশের হয়েছেটা কী”? কোভিড-নাইনটিন সংকটের পর গণমাধ্যমে যে রাজনীতিকদের আর অতটা দেখা যাচ্ছে না, সেটা যেন কেনিয়ার মানুষ বেশ উপভোগ করছেন। কেনিয়ার গণমাধ্যম যেন একটা অলিখিত নিয়ম মেনে চলছে- রাজনীতিকদের আপাতত নিউজ এজেন্ডার বাইরে রাখো যদি না তারা মেডিক্যাল বা প্রাসঙ্গিক কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে এই সংকট নিয়ে কথা বলেন। রাজনীতিকরা নিশ্চয়ই দুঃশ্চিন্তায় আছেন- তাদের ছাড়া জীবনে যদি কেনিয়ানরা অভ্যস্ত হয়ে যায় তখন কি হবে? সৌভাগ্যবান বন্দী কোভিড-নাইনটিনের কারণে কেনিয়ায় এখন অনেক বিচার কাজ ডিজিটাল হয়ে গেছে। ম্যাজিস্ট্রেটরা তাদের নির্দেশ জারি করছেন ভিডিও লিংকে। বিশ্বজুড়ে গভর্নররা দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন এই ভেবে যে, বন্দীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে কিনা। সুপারমার্কেট থেক বাইবেল চুরির অভিযোগ আনা হয়েছিল এমন একজন এর সুবিধাভোগী। পুলিশ কাস্টডিতে থাকা লোকটি ভিডিও লিংকে ম্যাজিস্ট্রেটের কথা শুনছিলেন। যখন শুনলেন, বিচারক কোন বন্ড ছাড়াই তাকে জামিন দিয়েছেন এবং বিচার চলাকালীন সময়ে তাকে বন্দী থাকতে হবে না, তখন তিনি বেশ খুশি। কোভিড-নাইনটিন মোকাবেলায় সরকার কারাগারগুলোতে চাপ কমাতে চাইছে। প্রায় ৪ হাজার ৮শ মানুষকে এর মধ্যেই মুক্তি দেয়া হয়েছে। বাইবেল চুরির মামলা হয়েছে যার বিরুদ্ধে, তিনি নিশ্চয়ই এখন অন্য কেনিয়ানদের সঙ্গে প্রার্থনায় যোগ দেবেন– ঈশ্বর যেন কোভিড-নাইনটিনের মহামারি থেকে তাদের রক্ষা করে। জীবন যে আর আগের মতো থাকবে না, এটা একদম পরিস্কার। *এই ডাক্তারের আসল নাম ব্যবহার করা হয়নি, কারণ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি তার নেই।
In our series of letters from African journalists, Joseph Warungu looks at how coronavirus has changed the lives of Kenyans, from birth to death.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
নির্বাচনের ফল নিয়ে সমর্থকদের উল্লাস বেইজিং বিরোধী আন্দোলন শুরুর পর এই প্রথম হংকংয়ে কোন নির্বাচন হলো, আর তাতে বিপুল সংখ্যক ভোটার ভোট দিয়েছেন। ভোটের ফলাফলে মিস লামের নেতৃত্বের সমালোচনা এবং চলমান বিক্ষোভের প্রতি জন সমর্থনের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন। হংকংয়ে মিস লাম একটি বিতর্কিত প্রত্যর্পণ আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেবার পর থেকে তার বিরোধিতায় বিক্ষোভ শুরু হয়, যা ক্রমেই সহিংস হয়ে উঠেছে। সোমবার অনলাইনে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মিস লাম বলেছেন, নির্বাচনের ফলের প্রতি সরকার শ্রদ্ধাশীল। তিনি বলেছেন, "অনেকেই মনে করছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের অসন্তুষ্টি এবং সমাজের গভীরে নিহিত সংকটের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই ফলাফলে।" ক্যারি লামের জনপ্রিয়তায় ধস্ নেমেছে বিবৃতিতে তিনি আরো বলেছেন, "সরকার জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য গুরুত্বের সঙ্গে শুনবে এবং বিবেচনা করবে।" এদিকে,এ বিজয়ের পর চীন এখনো কোন আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। কিন্তু জাপানে সফররত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, "যাই ঘটুক না কেন, হংকং সব সময় চীনের একটি অংশ। হংকংয়ে গোলমাল করার চেষ্টা কিংবা এর সমৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা কাজে আসবে না।" হংকংয়ের জন্য এর মানে কী? হংকংয়ের ডিসট্রিক্ট কাউন্সিলরদের খুব সামান্য রাজনৈতিক ক্ষমতা থাকে। তারা মূলত স্থানীয় ইস্যু, যেমন গণপরিবহনের রুট বা পয়ঃনিষ্কাশনের মত বিষয় নিয়ে কাজ করেন। মূলত রাজনৈতিক ক্ষমতা না থাকা বা কম থাকার কারণেই এই নির্বাচন নিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে তেমন আগ্রহ থাকে না। কিন্তু এই কাউন্সিলররাই ১১৭ জন সদস্যকে নির্বাচন করেন, যারা ১২০০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে যাবেন যে কমিটি হংকংয়ের প্রধান প্রশাসককে নির্বাচন করবেন। যাকে পরে চীন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ দেয়। আরো পড়তে পারেন: হংকং-এর বাংলাদেশীরা ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন হংকং বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু কে এই জোশুয়া ওং? শিল্ড গার্ল':হংকং বিক্ষোভের প্রতিচ্ছবি যে নারী অ্যাপ দিয়ে যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে হংকংয়ের বিক্ষোভ হংকংয়ের এই ব্যাপক বিজয়ের মানে হচ্ছে, এবার ওই ১১৭ জনের সব কজন সদস্যই হতে যাচ্ছেন গনতন্ত্রপন্থী নেতা। ফলে ২০২২ সালে যখন নতুন প্রশাসক নিয়োগের সময় আসবে তখন নিঃসন্দেহে তাদের প্রতিপত্তি অনেক বেশি থাকবে। কিন্তু এই ফলাফলের একটি প্রতীকী মানে আছে, সেটি হলো জনগণ এই প্রথম ক্যারি লামের বিষয়ে নিজেদের মতামত জানানোর সুযোগ পেয়েছে। যদিও হংকংয়ের কর্তৃপক্ষ এবং চীনের সরকার তাদের সবার হয়ত আশা ছিল সেখানকার নীরব জনতা যারা বিক্ষোভে নামেনি তাদের মতামত সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে।
Hong Kong's leader Carrie Lam has said the government will "seriously reflect" after local elections saw massive gains by pro-democracy candidates.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
জার্মানিতে আবার ৬০ বছরের কমবয়সীদের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা স্থগিত জার্মানিতে এ পর্যন্ত মোট ২৭ লক্ষ লোককে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩১ জনের মধ্যে একটি বিরল ধরনের রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা গেছে। যাদের এ সমস্যা দেখা দেয় তারা প্রায় সবাই মাঝবয়সী বা তার চেয়ে কমবয়স্ক মহিলা। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কয়েকটি দেশে এর আগেও এই একই সমস্যার কথা উল্লেখ করে সতর্কতামূলক কারণে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু তার কিছু দিন পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ উভয়েই এই টিকা নিরাপদ ও কার্যকর বলে মত দেবার পর আবার এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া শুরু হয়। কানাডাতেও এর আগে ৫৫ বছরের কম বয়সীদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া স্থগিত করা হয়েছিল। সোমবার তারা আবার এই স্থগিতাদেশ জারির সুপারিশ করেছে। কানাডায় এ পর্যন্ত ৩০০,০০০ লোককে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া হয়েছে তবে সেখানে রক্ত জমাট বাঁধার কোন খবর পাওয়া যায়নি। অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলছে, তারা তাদের উপাত্তসমূহ পরীক্ষা করে দেখছে যে - 'থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া' নামে এই অতি বিরল রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা লক্ষ লক্ষ লোকের একটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই যতগুলো ঘটে থাকে - তার চেয়ে বেশি পরিমাণ ঘটছে কিনা। অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার থেকে যেসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার খবর দেয়া হয়েছে টিকার সাথে তার কোন যোগাযোগ নেই বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে যুক্তরাজ্যে এক হিসেব অনুযায়ী - অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণকারী ১ কোটি ১০ লাখ লোকের মধ্যে পাঁচ জনের 'সেরেব্রাল সাইনাস ভেই থ্রম্বোসিস বা সিএসভিটি নামে এই রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা গেছে। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। "এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার কোন ঝুঁকির প্রমাণ এখনো নেই" বিবিসির স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদদাতা নিক ট্রিগল বলছেন, লক্ষ লক্ষ লোককে একটি টিকা দেবার পর কিছু লোক যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে বা মারা যায় - তাহলে তার অর্থ এই নয় যে টিকার কারণেই এটা হয়েছে। এমন হতে পারে যে তা স্বাভাবিক অন্য কোন কারণে হয়েছে। তিনি বলছেন, জার্মানিতে যে রক্ত জমাট বাঁধার কথা বলা হচ্ছে তা অতি বিরল এবং কত লোকের এটা হতে পারে তা বলা কঠিন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: কেন অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই বাংলাদেশে করোনার টিকাদান কর্মসূচী কি গভীর সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছে? অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা পর্যালোচনা করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিক ট্রিগল বলছেন, যেটা জানা যায় এ ধরনের রক্ত জমাট বাঁধা মহিলাদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়, এবং জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি খেলে এর ঝুঁকি বাড়ে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিলে যে এমন রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বেড়ে যায় - এমন ধারণার পক্ষে এখন পর্যন্ত কোন প্রমাণ নেই। এই টিকা নিতে'আপত্তি করবেন না' আংগেলা মার্কেল জার্মান চ্যান্সেলর আংগেলা মার্কেল বলেছেন, কোন টিকা বা ওষুধ নেয়া যে নিরাপদ এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ থাকা চলবে না। প্রতিটি সন্দেহ এবং প্রতিটি ব্যক্তির দৃষ্টান্তকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে - এটা জানার মধ্যে দিয়েই টিকার ব্যাপারে মানুষের আস্থা তৈরি হয়। আংগেলা মার্কেল - যার বয়স ৬৬ - বলেছেন, তার যখন পালা আসবে তখন অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিতে তিনি কোন আপত্তি করবেন না। জার্মানিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেন্স স্পাহন এবং ১৬টি রাজ্যের মন্ত্রীরা এক জরুরি বৈঠকে ৬০ বছরের কম বয়সীদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন। অবশ্য ৬০ বছরের কম বয়স্ক জার্মানরা এখনো অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিতে পারবেন - তবে ডাক্তারের বিবেচনাসাপেক্ষে, এবং টিকা গ্রহণকারীর ঝুঁকি যাচাই এবং এ ব্যাপারে গ্রহণকারীকে বিস্তৃত ব্যাখ্যা দেবার পরই। যারা ইতোমধ্যেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজটি নিয়েছেন তাদের দ্বিতীয় ডোজ নেবার ক্ষেত্রে বাড়তি পরামর্শ এপ্রিল মাসের শেষে দেয়া হবে। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: কাদের মির্জা কেন আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় 'সীমাবদ্ধতা রয়েছে' বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ রোগী, শনাক্তের হার প্রায় ২০%
Germany is suspending routine use of the Oxford-AstraZeneca Covid-19 vaccine for people aged below 60 because of a risk of rare blood clots.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
এটা হচ্ছে প্যারাগুয়ের পূর্বাঞ্চলের অ্যাচে নামের আদিবাসী একটি সম্প্রদায়ের একজন ব্যক্তির বক্তব্য, যা তিনি নৃবিজ্ঞানী কিম হিল আর ম্যাগদালেনা হার্টাডোকে বলেছিলেন। তিনি ব্যাখ্যা করে বলছিলেন, দাদী বাড়ির ছোটখাটো কাজ এবং বাচ্চাদের দেখাশোনা করতেন। কিন্তু যখন তিনি আর কোন কাজ করতে পারছিলেন না, তখন আর আবেগি হওয়ার দরকার নেই। নিষ্ঠুরভাবে মাথায় কুড়াল দিয়ে আঘাত করে তাদের হত্যা করা হতো। তবে বয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রে নিয়ম ছিল আলাদা। তাদের দূরে কোথাও পাঠিয়ে দেয়া হতো এবং বলা হতো যেন আর ফিরে না আসে। প্রবীণদের প্রতি আমাদের কী দায়িত্ব রয়েছে? এটি মানবজাতির মধ্যে পুরানো একটি প্রশ্ন। সেটার উত্তর: সমাজ ভেদে অনেকভাবে তা পরিবর্তিত হয়েছে। আরেকজন নৃবিজ্ঞানী, জ্যারেড ডায়মন্ড বলছেন, এরকম রীতি শুধুমাত্র আচে সম্প্রদায়ের ভেতরেই রয়েছে, এমন নয়। পাপুয়া নিউগিনির কুয়ালঙ সম্প্রদায়ের মধ্যে যখন একজন নারীর স্বামী মারা যায়, তখন তার ছেলের প্রধান দায়িত্ব হয়ে ওঠে মাকে গলা টিপে হত্যা করা। আরো পড়ুন: স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা 'দীর্ঘ রোগমুক্ত জীবন' নিশ্চিত করে বাংলাদেশে বয়স্ক মানুষের জন্যে কী করছে সরকার কাজে টিকে থাকার লড়াইয়ে জিতলেন ১০২ বছরের বৃদ্ধ চল্লিশের পর ধীরে হাঁটা 'দ্রুত বুড়ো হবার লক্ষ্মণ' জঙ্গলের গভীরে বসবাস করে শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে আচে জনগোষ্ঠী আর্কটিকে চুচচি তাদের সম্প্রদায়ের বয়স্ক মানুষদের উৎসাহিত করে যেন তারা তাদের নিজেদের হত্যা করে। তাহলে পরবর্তী জীবনে অনেক ভালো পুরস্কার পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। কিন্তু অন্য অনেক গোত্র পুরো আলাদা ধরণের ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। সেখানে তরুণরা বৃদ্ধদের কথা মতো পরিচালিত হয়, যাকে বলা হয় 'জিরোন্টোক্রেসি'। অনেক ক্ষেত্রে এমনকি আশা করা হয় যে, তরুণরা খাবার চিবিয়ে দেবেন, যাতে বয়স্কা এবং দাঁতহীন পিতা-মাতারা সেগুলো সহজে খেতে পারেন। আগে সাধারণভাবে একটি ধারণা করা হতো যে, যতক্ষণ আপনার দেহ পুরোপুরি অচল হয়ে না পড়ছে, ততক্ষণ কাজ করে যাবেন। কিন্তু সেই ধারণা আর সত্য নয়। পেনশন আমাদের অনেকেই আশা করি যে, একটি নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছে পেনশন পাবো, যা অতীতে আমরা যে কাজ করেছি, তার মূল্যায়ন। অর্থাৎ এখন আমরা আর কাজ করবো না, কিন্তু অতীত কাজের স্বীকৃতি ভোগ করবো। প্রাচীন রোমেও সৈনিকদের জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালু ছিল। আসলে 'পেনশন' শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ 'পেমেন্ট' থেকে। কিন্তু শুধুমাত্র উনিশ শতকে এসে সেটা সেনাবাহিনীর বাইরের ছড়িয়ে পড়ে। রাষ্ট্রব্যবস্থায় পেনশন প্রথম চালু হয় জার্মানিতে, ১৮৯০ দশকে, যা চালু করেছিলেন তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর অট্টো ভন বিসমার্ক। কিন্তু বয়স্ক মানুষদের সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি এখনো বিশ্বে একটি সমস্যা হয়েই রয়ে গেছে। এক তরুণ চুকচি শিশু বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বয়স্ক মানুষ কোন পেনশন পায় না। আবার অনেকে এতো সামান্য অর্থ পেনশন হিসাবে পান, যা দিয়ে তাদের ভরণপোষণ চলে না। অনেক দেশে তরুণ প্রজন্মকে এমনভাবে গড়ে তোলা হয় যে, আশা করা হয় একসময়ে তারা বয়স্কদের দেখভাল করবে। কিন্তু সেই আশা পূর্ণ হওয়ার ব্যাপারটি অনেক সময় চ্যালেঞ্জ হিসাবে থেকে যায়। অনেক বছর ধরে অর্থনীতিবিদরা সতর্ক বার্তা দিয়ে আসছেন যে, পেনশন ব্যবস্থায় একটি সংকট তৈরি হতে যাচ্ছে। সমস্যাটি আসলে ভৌগলিক। অর্ধশতক আগে, ধনী দেশগুলোর একটি সংস্থায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থাভুক্ত (ওইসিডি) দেশগুলোর গড়পড়তা ৬৫ বছর বয়সী একজন নারী আরো ১৫ বছর বেঁচে থাকার আশা করতে পারতেন। এখন তারা আশা করতে পারেন বিশ বছর। আবার এই সময়ের মধ্যে পরিবার প্রতি শিশু জন্ম হার এসব দেশে ২.৭ থেকে কমে ১.৭-এ নেমে এসেছে, অর্থাৎ নির্ভর করার মতো পরবর্তী প্রজন্মের সংখ্যা কমেছে। এর অনেকগুলি প্রভাব রয়েছে, কিছু ভালো এবং কিছু খারাপ। ১৮৮১ সালে জার্মান পার্লামেন্টকে বিসমার্ক বলেন, যাদের বয়স হয়ে গেছে বা অসুস্থ, তারা নিজেদের ব্যয় নির্বাহের জন্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে ভাতা পাবেন পেনশনের ক্ষেত্রে পরিস্থিতিটা হলো-ভবিষ্যতে আরো অনেক বেশি মানুষ অবসর নেবে, কিন্তু তাদের সাহায্য করার জন্য নতুন করদাতাদের সংখ্যা কমে যাবে। ১৯৬০ এর দশকে একজন বয়স্ক পেনশনভোগীর বিপরীতে ১২জন করদাতা ছিলেন, এখন সেই সংখ্যা আটের নিচে। ২০৫০ সাল নাগাদ সেটি চারে নেমে আসবে। সরকারি এবং বেসরকারি- উভয় পেনশন ব্যবস্থা যেকারণে এখন ক্রমেই ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। চল্লিশ বছর আগে বেশিরভাগ আমেরিকান 'সংজ্ঞায়িত-সুবিধা' পরিকল্পনার ভেতরে ছিলেন, যার মানে হলো, আপনি নির্দিষ্ট করে জানবেন যে, অবসরগ্রহণ কালে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন। কিন্তু বর্তমানে সেই সংখ্যা প্রতি দশজনে একজন। অর্থাৎ বেশিরভাগ সংস্থা আগের মতো সুবিধা দিচ্ছে না। নতুন ধারা হলো 'সংজ্ঞায়িত-অবদান' স্কিম, যার মানে হলো আপনি অবসরের পরে কতটা পাবেন, তার বদলে আপনি জানছেন যে, আপনার নিয়োগকর্তা আপনার পেনশন হিসাবে কতটা দেবেন। এর কারণ হলো, পেনশনের পরে সুনির্দিষ্ট সুবিধাগুলো দিতে গেলে চাকরিদাতাদের জন্য বেশি ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে। মার্কিন গৃহযুদ্ধের লড়াইয়ে জেন জেনওয়ের কেসটি বিবেচনা করা যায়। তার সামরিক পেনশন অনুযায়ী তিনি মারা যাওয়ার পর তার একজন পোষ্য পেনশন সুবিধা পাওয়ার কথা। যখন তার ৮১ বছর বয়স, তখন তিনি ১৮ বয়সী এক তরুণীকে বিয়ে করেন। মার্কিন সেনাবাহিনী ২০০৩ সাল পর্যন্ত তার বিধবা স্ত্রীকে পেনশন সুবিধা দিয়েছে, যা গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রায় ১৪০ বছর পর পর্যন্ত। অর্থনীতিবিদরা সামনে বিপদ দেখছেন। কারণ অনেক কর্মী অবসরে যাবেন এবং তাদের পেনশন হয়তো তাদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম হবে। এ কারণে সারা বিশ্বের সরকার কর্মীদের উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে যেন, তারা নিজেদের জন্য আরো বেশি করে সঞ্চয় করেন। বর্তমান কর্মশক্তির ওপরে পেনশন নির্ভর করে কিন্তু দূর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মানুষজনকে কাজ করানো সহজ নয়। এক জরিপে দেখা দেখে, ৫০ বছরের নীচে অর্ধেকের কম মানুষ চিন্তা করে, অবসরের পরের অর্থনৈতিক ভাবনা তাদের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় নয়। যখন কেউ প্রথম বাড়ি কেনার জন্য অর্থ সঞ্চয় করে কিংবা নতুন একটি পরিবার শুরু করে, তখন নিজের বয়স্ক ভবিষ্যৎ নিয়ে কেউ ভাবতে চায় না। হয়তো নিজেকে সেই বয়স্ক চেহারায় কেউ দেখতে চায় না। অর্থনীতিবিদরা এই সমস্যার সমাধানে একটি 'চতুর' পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। সেটি হলো কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেনশন স্কিমের অন্তর্ভুক্ত করা এবং পরবর্তী বেতন বৃদ্ধি থেকে আরো বেশি করে সঞ্চয় খাতে নিয়ে যাওয়া। এই পদ্ধতি বেশ ভালো কাজ করেছে। কিন্তু সেটা মৌলিক জনসংখ্যাগত সমস্যার সমাধান করছে না। যত অর্থই সঞ্চয় করুন না কেন, বর্তমান পেনশনভোগীদের সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য তাদের বর্তমান কর্ম প্রবাহ চালু রাখতে হবে। যারা নিয়মিত কাজ করে কর দেবেন, অবসর ভোগীদের সম্পত্তি ভাড়া নেবেন অথবা পেনশন তৈরি করা কোম্পানিগুলোয় কাজ করবেন। অনেকে মনে করেন, বয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির আমূল পরিবর্তন দরকার। হয়তো অবসরের চিন্তার বদলে অতীতের মতো এখন এভাবে ভাবা উচিত যে, যতদিন কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে, ততদিন কাজ করে যাওয়া। কিন্তু অতীত সমাজের ভয়াবহ রীতি আমাদের থমকে দেয়। ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোনের প্রস্তাবিত পেনশন ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রতিবাদের বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন প্যারিসের অপেরা নৃত্যশিল্পীরাও প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায় তখন কি বয়স্করা আমাদের কাছে আশা করবেন যে, আমরা তাদের খাবার চিবিয়ে দেবো, নাকি নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে মাথায় কুড়াল মেরে তাদের বিদায় করা হবে? কারণ আদিবাসী গোত্রগুলোর চিন্তা ছিল, বয়স্করা পরিবারে যে অবদান রেখেছে, তাদের ভরণপোষণের ব্যয় সেগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। আচের মতো আদিবাসী গোত্রের কাছে সেই খরচ অনেক, কারণ খাদ্যের সন্ধানে তাদের প্রায়ই এদিক সেদিক ভ্রমণ করতে হয়। সেই তুলনায় বর্তমান সমাজগুলো অনেক ধনী এবং ভালো অবস্থায় রয়েছে- ইচ্ছা করলে আমরা পেনশন বাড়ার খরচ বহন করতে পারবো। কিন্তু সেখানেও কিছুটা জটিলতা রয়েছে। যখন কেউ অবসরে যান, তখন তিনি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠেন এবং তরুণদের দিকনির্দেশনা দিতে পারেন। কিন্তু জ্ঞানের ধরণ পাল্টে গেছে- কারণ স্কুল আর উইকিপিডিয়া, ইন্টারনেট থাকতে কে আর দাদা-দাদীর কাছে শিখতে যায়? এতোদিন পর্যন্ত বয়স্কদের ব্যাপারে যেভাবে ভাবা হতো বা দেখা হতো, হয়তো তার পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। তবে আমরা যদি মর্যাদাপূর্ণ একটি বৃদ্ধ বয়স চাই, তাহলে সেটা নিয়ে এখনি ভাবা উচিত, সেটা পরিষ্কারভাবে বলা উচিত এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
"I customarily killed old women. They all died, there by the big river. I didn't used to wait until they were completely dead to bury them. The women were afraid of me."
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
কল্পিতচিত্র: চীনের দূরের অংশে নামবে চ্যাং'ই-৪ নামের রোবটযান চাং'ই-৪ নামের এই অভিযানে চাঁদে 'ভন কারমান ক্র্যাটার' নামের যে অংশে রোবট যানটি নামবে, চাঁদের সেই অংশটি কখনো পৃথিবীর দিকে ঘোরে না। ফলে এই অংশটি নিয়ে বরাবরই মানুষের আগ্রহ রয়েছে। শিচ্যাং উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে রোবটটি পাঠানো হয়েছে। এর মাধ্যমে চাঁদের পাথর আর মাটির নমুনা সংগ্রহের এই পথ উন্মুক্ত হচ্ছে চীনের জন্য। তবে জানুয়ারি মাসের আগে এই চন্দ্র রোবটটি চাঁদে অবতরণ করতে পারবে না। আরো পড়ুন: বোমা মেরে চাঁদ কেন উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল নাসা চাঁদ দেখার বিষয়টি চূড়ান্ত হয় কীভাবে? মহাকাশে এবার 'মেইড ইন চায়না' নকল চাঁদ! 'ভর কারমান ক্র্যাটার' নামে চাঁদের ওই অংশটি নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ অনেকদিনের পুরনো। কারণ এখানে চাঁদের সবচেয়ে পুরনো আর নানা উপাদানে সমৃদ্ধ এলাকা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর আইকন বেসিন অবস্থিত। ধারণা করা হয়, কোটি কোটি বছর আগে একটি বিশাল উল্কাপিণ্ডের আঘাতের কারণে এই এলাকাটি তৈরি হয়েছিল। এই মিশনের মাধ্যমে ওই এলাকার ভৌগলিক বৈচিত্র্য এবং পাথর ও মাটির বৈশিষ্ট্য বোঝা যাবে বলে বিজ্ঞানীর আশা করছেন। চাঁদের অন্ধকার দিক পৃথিবী থেকে সবসময়ে চাঁদের একটি অংশই দেখা যায়। কারণ চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে যে সময় নেয়, আবার একই সময় নিজের অক্ষ পথে ঘুরতেও সেই সময় লাগে। ফলে পৃথিবীর দিকে সবসময় চাঁদের একটি মুখই থাকে। যদিও ওই অংশটিকে বিজ্ঞানীরা 'ডার্ক সাইড' বা 'অন্ধকার দিক' বলে ডেকে থাকেন, কিন্তু সেখানেও আসলে সমান হারে সূর্যের আরো পড়ে। বিজ্ঞানীদের এই 'অন্ধকার দিক'-এর আসলে এভাবে অর্থ করা যেতে পারে, যে অংশটি পৃথিবীর মানুষ দেখেনি। পৃথিবীর কাছাকাছি অংশের তুলনায় এই দূরের অংশটি বেশ আলাদা। এখানে জমাট পুরনো ভূত্বক রয়েছে, যার চারদিকে রয়েছে অসংখ্য গর্ত তবে পৃথিবীর কাছাকাছি অংশের তুলনায় এই দূরের অংশটি বেশ আলাদা। এখানে জমাট পুরনো ভূত্বক রয়েছে, যার চারদিকে রয়েছে অসংখ্য গর্ত। সেখানে বেশ কিছু অশ্বখুর আকৃতির আগ্নেয়গিরি জাত শিলা রয়েছে, যেরকমটা রয়েছে পৃথিবীর কাছের অংশেও। যে শক্তির কারণে দক্ষিণ মেরুর আইকন বেসিনের তৈরি হয়েছে, সেটি হয়তো চাঁদের ওপরের আবরণ ভেঙ্গে অনেক গভীরে চলে গেছে। সেক্ষেত্রে চাং'ই-৪ এর কাজ হবে, এসব উপাদান পরীক্ষা করে পৃথিবীর এই একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের ইতিহাস আবিষ্কার করা। বিবিসি নিউজ বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে মি-টু আন্দোলন: কী হতে পারে পরিণতি চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে নিয়ে কেন এত সন্দেহ নির্বাচনের খবর সংগ্রহ নিয়ে উদ্বেগ কতটা যুক্তিযুক্ত এই মিশনের আরেকটি লক্ষ্য হবে, চাঁদের অপর পাশে একটি বেতার যোগাযোগের পরিবেশ তৈরি করা এবং সেখানে ভবিষ্যতের টেলিস্কোপ স্থাপনের জন্য একটি ক্ষেত্র তৈরি করা। ৩ কেজি আলুর বীজ আর ফুলের বীজ এই মিশনের মহাকাশযানটিতে করে ৩ কেজি আলুর বীজ আর ফুলের বীজ নিয়ে যাচ্ছে, যা দিয়ে চাঁদে জীববিজ্ঞানের কিছু পরীক্ষা চালানো হবে। কৃত্রিম পরিবেশ তৈরির 'চাঁদের ছোট জীবমণ্ডল' নামের এই নকশাটি চীনের ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনায় করা হয়েছে। ''চাঁদে আমরা বীজের অঙ্কুরোদগম এবং আলোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি পরীক্ষা করে দেখতে চাই'' চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়াকে এর আগে বলেছেন এই গবেষণা প্রকল্পের প্রধান লিউ হানলোং। প্রকল্পের প্রধান নকশাকার শেই জেঙশিন বলেছেন, ''এই ক্ষুদ্র জীবমণ্ডলের তাপমাত্রা আমাদের অবশ্যই ১ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে রাখতে হবে এবং আর্দ্রতা ও পুষ্টির ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।'' যেহেতু চাঁদের ওই অংশটি পৃথিবী থেকে দেখা যায় না, তাই মিশন যানটিকে কুয়িকিয়াও নামের একটি কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে এসব তথ্য পৃথিবীতে পাঠাতে হবে। এই বছরের মে মাসে ওই উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করেছে চীন। এই মহাকাশযানটি হচ্ছে চাং'ই-৩ এর পরবর্তী সংস্করণ। ২০১৩ সালে চাঁদে ওই যানটি পাঠিয়েছিল চীন। ২০১৩ সালে চাঁদে নেমেছিল চীনের ইয়ুতু রোবটযান চাঁদ নিয়ে চীনের পরিকল্পনা এই যানটিতে দুইটি ক্যামেরা রয়েছে। একটি অংশ তেজস্ক্রিয়তা যাচাই করতে পারে এবং আরেকটি অংশ মহাকাশের স্বল্পমাত্রার তরঙ্গ পর্যালোচনা করতে পারে। চাঁদের ভূপৃষ্ঠের নীচে কি আছে, সেটি পরীক্ষা করে দেখার জন্য একটি রাডার রয়েছে। এমন কিছু যন্ত্র রয়েছে, যেটি খনিজ উপাদান সনাক্ত করে বিশ্লেষণ করতে পারে। চাঁদ নিয়ে গবেষণায় চীনের বিশাল কর্মসূচীর অংশ হচ্ছে এই মিশন। প্রথম এবং দ্বিতীয় চাং'ই মিশনের উদ্দেশ্য ছিল কক্ষপথ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ। তবে তৃতীয় আর চতুর্থ মিশনের লক্ষ্য চাঁদের ভূপৃষ্ঠ। চাং'ই পাঁচ আর ছয়ের লক্ষ্য হবে চাঁদ থেকে সংগৃহীত পাথর আর মাটির নমুনা ফিরিয়ে এনে গবেষণাগারে যোগান দেয়া। বিবিসি নিউজ বাংলার অন্যান্য খবর: হামাসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব জাতিসংঘে নাকচ কারা 'হ্যাক' করছেন নিজেদের শরীর, আর কেন? যেখানে হোটেলে মিলবে আধাগ্লাস পানি 'প্রতিদিন আমি ধর্ষণের শিকার হয়েছি'
China has launched the first mission to land a robotic craft on the far side of the Moon, Chinese media say.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখে। তবে, গবেষকরা দেখেছেন যে একেক ধরণের খাবারের পরিবেশগত প্রভাব একেক রকম। পরিবেশ সচেতন অনেকেই এখন প্লাস্টিকের ব্যাগ এবং প্লাস্টিকের স্ট্র ব্যবহার বাদ দিয়েছেন। চেষ্টা করছেন যতোটা সম্ভব নিজের ব্যবহার্য জিনিষগুলো পুনর্ব্যবহার করার, যেন উষ্ণতা কয়েক ডিগ্রী কমানো যায়। তবে আপনি কি ভেবে দেখেছেন আপনার সাপ্তাহিক বাজার এই বিশ্বের পরিবর্তনে কতোটা ভূমিকা রাখতে পারে? বিবিসি রেডিও ফাইভ তাদের কুল প্ল্যানেট সিজনে এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত তথ্যচিত্র প্রচার করে। সেখানে তারা এটা খোঁজার চেষ্টা করেছে যে আমাদের প্রাত্যহিক বাজারে ছোটখাটো কোন পরিবর্তনগুলো কিভাবে আমাদের গ্রহের ওপর বড় ধরণের প্রভাব ফেলতে পারে। ল্যানক্যাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাই বার্নার্স লি গিয়েছিলেন বাজার করতে। তিনি একাধারে একজন জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিশেষজ্ঞ। বাজার করতে গিয়ে কয়েকটি খাবারের উদাহরণ সামনে আসে। আরও পড়তে পারেন কীভাবে পৃথিবী রক্ষায় অবদান রাখবেন? 'আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব' পোশাক হতে পারে খাদি বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব ইট তৈরিতে বাধা কোথায়? লাল মাংসের কিমা। মাংস এবং মাছ বেশিরভাগ মানুষই বাড়িতে মাছ মাংস খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোয়। ভেবে দেখুন সপ্তাহের ওই বিশেষ দিনগুলোর ডিনারে গড়ে কি পরিমাণ গ্রিল মুরগি, সসেজ, নুডুলস ইত্যাদি খাওয়া হয়? অধ্যাপক বার্নার্স-লি বলেছেন যে গরুর মাংস বিশ্বের সর্বোচ্চ কার্বন উৎপাদনকারী মাংস। তিনি বলেন, মুরগি পরিবেশের জন্য অপেক্ষাকৃত ভাল। সঙ্গে তিনি এটাও জানান, "উদ্ভিদজাত খাবার অর্থাৎ শাক সবজির উৎপাদনের চাইতে সব ধরণের মাংসের উৎপাদন বেশ সহজ। এতে কৃষিকাজের মতো সময় ও শ্রম দিতে হয়না।" মাছ সম্পর্কে অধ্যাপক বার্নার্স-লি পরামর্শ দিয়েছেন মাছ খাওয়া কমিয়ে আনতে। যেমন প্রতিদিনের পরিবর্তে প্রতি সপ্তাহে এক অথবা দুই বেলায় মাছ খাওয়া সীমিত রাখা। এবং প্রতিবারই বিভিন্ন ধরণের মাছ খাওয়ার চেষ্টা করা। তবে সবচেয়ে ভাল উপায় হল নিরামিষভোজী হয়ে যাওয়া। যদি আপনি নিরামিষাশী হওয়ার কথা ভাবতেই রা পারেন, তাহলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আপনি বাদ দিতে না পারেন, অন্তত মাংস খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করতে পারেন। যদি আপনার প্রতিদিন মাংস খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে সপ্তাহে মাত্র একটি দিন বেছে নিন যেদিন আপনি কোন মাংস খাবেন না। এই ছোট পরিবর্তন পরিবেশে বড় ধরণের প্রভাব ফেলবে। ২০১৮ সালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা যায় যে, গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমাণ অর্ধেকেরও বেশি হ্রাস করা হবে যদি আমরা সবাই সপ্তাহে রেড মিট খাওয়ার পরিমাণ এক বেলায় নামিয়ে আনতে পারি। ব্রোকোলি। ফল এবং সবজি: ফল এবং সবজি সবসময়ের জন্য সবচেয়ে ভাল এবং টেকসই খাবার। তবে এর কিছু ব্যতিক্রম আছে বলে মনে করেন অধ্যাপক বার্নার্স-লি। "আপনার কাছে থাকা ফল বা সবজিটি যে মৌসুমে ফলন হয় এটা যদি ওই সময়ের পরিবর্তে অন্য কোন মৌসুমে আপনার হাতে আসে তাহলে সেটি খাওয়ার আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করে নেবেনে এটি এখানে এলো কিভাবে? "যদি ওই ফল ও সবজি দেখতে অনেক তরতাজা হয় তাহলে ধরে নিতে পারেন যে এটি আপনার দেশের নয়। বিদেশ থেকে বিভিন্ন উপায়ে আমদানি করা হয়েছে। হয় এটি পানিপথে এসেছে না হলে আকাশপথে। আর এসব পরিবহনে প্রচুর পরিমাণে কার্বন নির্গত হয়েছে। উড়োজাহাজের একটি ফ্লাইটেই কয়েকশ টন জ্বালানি পোড়ানো হয়। একইভাবে হয় নৌযানের ক্ষেত্রেও। যদি শীতকাল চলে যাওয়ার পরও আপনার শীতের ফল খেতে ইচ্ছা করে তাহলে সবচেয়ে ভাল উপায় হল সেই ফল ও সবজিগুলোকে হিমায়িত সংরক্ষণ করা। প্রফেসর বার্নার্স-লি বলেছেন: "খাবার হিমায়িত অবস্থায় অনেকদিন পর্যন্ত টাটকা ও সুস্বাদু থাকে।" তবে এতেও কার্বন নির্গমনের প্রশ্ন থেকে যায়। কেননা রেফ্রিজারেটর থেকেও কার্বন নির্গত হয়। আপেল এবং রাস্পবেরি। তবে অধ্যাপক বার্নার্স লি বলেছেন, ফ্রিজ থেকে যে পরিমাণ কার্বন নির্গত হয় সেটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো নয়। আবার বারো মাস ফলন হয় এমন অনেক সবজি রয়েছে যেগুলো কিনা উচ্চমাত্রার কার্বন নি:সরণের জন্য দায়ী। যেমন কচি ব্রোকোলি। আমরা সবসময় ধরে নিই যে এটি অন্য সব ব্রোকোলির মতোই। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, এই বিশেষ ধরণের ব্রোকোলিটি বিপুল পরিমাণ কার্বন নির্গমন করে থাকে। কেননা বিশ্বের বেশিরভাগ ব্রোকোলি আসে বিভিন্ন দেশ থেকে আকাশপথে। গোলাপ ফুল। ফুল: যদি আপনি ফুল খুব ভালবাসেন এবং দিনটাকে রঙিন করে তুলতে মাঝে মাঝে একগুচ্ছ ফুল কেনেন। তাহলে সেই ফুল কেনার ক্ষেত্রেও আনতে পারেন কিছুটা পরিবর্তন। সবার পছন্দের গোলাপ বা লিলি ফুল সাধারণত দুইভাবে বাজারে আসে। প্রথমত উষ্ণ ঘরে উৎপাদনের মাধ্যমে এবং দ্বিতীয়ত আকাশ পথে আমদানি হয়ে। আবার দুটি বিষয়ও হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি পটারি প্লান্ট বা টবের গাছ কিনতে পারেন। অথবা ফুলের মৌসুম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন। যখন দেশেই উৎপাদিত তাজা ফুল হাতে পাবেন। মুরগির মাংস অপেক্ষাকৃত পরিবেশবান্ধব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। গোল্ডেন রুলস: পরিবেশের বিষয়ে সচেতনতার ক্ষেত্রে অধ্যাপক মাইক বার্নার্স লি কিছু গোল্ডেন রুলস বা নিয়মের কথা বলে গেছেন। সেগুলো হল:  প্রিয় খাবারটি পরে খাওয়ার জন্য রেফ্রিজারেটরে সঠিক নিয়মে সংরক্ষণ করে রাখুন। যেন আমদানি করা খাবার খেতে না হয়।
Food production is responsible for a quarter of all greenhouse gas emissions, contributing to global warming, according to a University of Oxford study.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
প্যালেডিয়াম স্বর্ণের চেয়েও দামি ধাতু গত দুই সপ্তাহে এই ধাতুর দাম লাফ দিয়ে ২৫ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় যার মূল্য এখন দ্বিগুণ। এক আউন্স (২৮.৩৫ গ্রাম) প্যালেডিয়ামের দাম দুই হাজার পাঁচশ ডলার যেটা স্বর্ণের দামের চেয়ে অনেক বেশি। যে হারে এই ধাতুর দাম বাড়ছে তাতে করে খুব শীঘ্রই এর দাম কমার কোন সম্ভাবনা নেই। কিন্তু প্রশ্ন হল এই প্যালেডিয়াম ধাতু টা কি? কী কাজে এটার ব্যবহার হয়? এবং কেন এটার দাম হু হু করে বাড়ছে? প্যালেডিয়াম কী? এটা দেখতে সাদা চকচকে ধাতু। ধাতুটি প্লাটিনাম ধাতু যে গোত্রের সেই একই গোত্রের। এই ধাতুর গোত্রে রুথেনিয়াম, রেডিয়াম, অসমিয়াম এবং ইরিডিয়ামও রয়েছে। রাশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিশ্বের বেশিরভাগ প্যালেডিয়াম পাওয়া যায়। খনি থেকে অন্যান্য ধাতু বিশেষ করে প্লাটিনাম এবং নিকেল থেকে নিষ্কাসিত বাইপ্রোডাক্ট বা উপজাত এই প্যালেডিয়াম। এটা কী কাজে ব্যবহার করা হয়? গাড়ির একটা গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ 'ক্যাটালিটিক কনভার্টার' তৈরির জন্য এটা মূলত বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করা হয়। এই ক্যাটালিটিক কনভার্টার গাড়ির দূষিত গ্যাস নির্গমন কমাতে সাহায্য করে। প্যালেডিয়ামের ৮০ শতাংশের বেশি এই যন্ত্রে ব্যবহার করা হয় যেটা বিষাক্ত গ্যাস কার্বন মনোঅক্সাইড এবং নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড কে কম ক্ষতিকর নাইট্রোজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং জলীয় বাষ্পে রূপান্তরিত করে। সম্প্রতি এই ধাতুর দাম এতই বেশি হয়েছে যে বিশ্বব্যাপী গাড়ির ক্যাটালিটিক কনভার্টার চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। ক্যাটালিটিক কনভার্টার গাড়ি থেকে সরিয়ে ফেলা তুলনামূলক সহজ লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ বলছে ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে সে সংখ্যায় চোর ধরা পরেছে সেটা গত বছরের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি। কেন এর দাম বাড়ছে? এক কথায় বলতে গেলে চাহিদার তুলনায় যোগান কম, সেই কারণেই এর দাম বাড়ছে। ২০১৯ সালে যে পরিমাণে এই ধাতু উৎপাদন করা হয় তখনি পূর্বাভাস দেয়া হয় আগামী আট বছরে বিশ্বে এর যে পরিমাণ চাহিদা হবে তার অনেক নিচে এর যোগান রয়েছে। দাম যে হারে বাড়ছে, তার ফলে খনি শ্রমিকদের প্লাটিনাম এবং নিকেলের চেয়ে প্যালেডিয়াম উৎপাদনের প্রতি জোর দেয়া হয়েছে। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এই যে ঘাটতি সেটা থেকেই যাবে। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা যে দেশটি ৪০ শতাংশের কাছাকাছি উৎপাদন করতো গত সপ্তাহে তারা বলছে, প্লাটিনাম গোত্র যার মধ্যে পেলেডিয়ামও রয়েছে তার উৎপাদন কমে ১৩.৫ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০১৯ সালের নভেম্বরের সাথে ২০১৮ সাথে নভেম্বরে তুলনা করলে এই পরিমাণ অনেক কম। এদিকে গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে প্যালেডিয়ামের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে গেছে এর পেছনে কারণও রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে বিশেষ করে চীনে, পেট্রোল চালিত গাড়ী থেকে বায়ু দূষণ কমানোর নিয়ম-কানুন কঠোর রয়েছে । একই সময়ে ইউরোপে গাড়ি থেকে ডিজেল নির্গমন নিয়ে যে কেলেঙ্কারি হল সেটারও প্রভাব পরেছে। এর ফলে গ্রাহকরা ডিজেল চালিত গাড়ি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে থাকে, যেখানে ক্যাটালিটিক কনভার্টারের প্লাটিনাম ব্যাবহার করা হত। তারা এখন পেট্রোল চালিত গাড়ির দিকে ঝুঁকছেন যেখানে কনভার্টরে প্যালেডিয়াম ব্যবহার করা হয়েছে। আবার এই মাসের শুরুর দিকে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তিও এই ধাতুর দাম বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের নির্বাচনী প্রচারে হামলা একজন প্রিন্স যিনি নিজেই নিজের পথ তৈরি করেছেন নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের?
The price of the precious metal palladium has soared on the global commodities markets.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
মিনেসোটার সেন্ট পল থেকে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মূর্তি সরিয়ে ফেলে বিক্ষোভকারীরা জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বেশ কিছু দিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্টু জুড়ে, বিভিন্ন জায়গায় আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ঐ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র বাদেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়েছে - যেখানে সমাজ ব্যবস্থা থেকে বর্ণবাদসহ সব ধরণের বৈষম্যের অবসানের দাবি তুলেছে মানুষ। আর গত কয়েকদিন ধরে এই বিক্ষোভে নতুন এক অনুষঙ্গ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, আর তা হলো বিক্ষোভকারীরা অনেক জায়গায় অনেক ঐতিহাসিক নেতা বা বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের ভাস্কর্য ভাঙচুর করছে কিংবা উপড়ে ফেলছে। ব্রিটেনের 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' বিক্ষোভকারীরা ব্রিস্টল শহরে এডওয়ার্ড কলস্টোনের একটি মূর্তি ভেঙে ফেলে। আর খোদ আমেরিকায় ভাঙ্গা হয়েছে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের ভাস্কর্য। দাবি তোলা হয়েছে যে কনফেডারেট জেনারেলদের নামে যেসব সেনানিবাস রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, সেগুলোর নাম পরিবর্তন করতে হবে। বস্টনে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মূর্তির মাথা ভেঙে ফেলা হয় বিশ ডলারের নোট চলমান বিক্ষোভ দুনিয়াকে কতটা পাল্টাবে তা হয়তো আরও পরে বোঝা যাবে, তবে যে ঘটনার কারণে এই বিক্ষোভের শুরু, সেটির সঙ্গে জড়িত ছিল মাত্র ২০ ডলারের একটি নোট। জর্জ ফ্লয়েডের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল যে তিনি ২০ ডলারের একটি জাল নোট দিয়ে একটি দোকান থেকে সিগারেট কেনার চেষ্টা করছিলেন। কর্তৃপক্ষ দোকানদার ও জর্জ ফ্লয়েডের কথোপকথনের একটি অনুলিপি প্রকাশ করে, যেখানে দাবি করা হয় জর্জ ফ্লয়েড যে নোটটি দিয়েছিলেন, দোকানের কর্মচারী সেটিকে জাল হিসেবে সন্দেহ করার পর ফ্লয়েডের কাছে বিক্রি করা সিগারেট ফেরত চান। পুলিশের কাছে দোকানদারের করা ফোনের ভিত্তিতে তৈরি করা সেই অনুলিপিটিতে বলা হয় যে দোকানদার সন্দেহ করেছিল যে ঐ ব্যক্তি 'মাতাল' এবং 'নিয়ন্ত্রণহীন' অবস্থায় রয়েছে। তবে সংবাদ সংস্থা এনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দোকানটির মালিক মাইক আবুমায়ালেহ জানান, জর্জ ফ্লয়েড তার দোকানের নিয়মিত খদ্দের ছিলেন এবং কখনোই কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেননি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া আরেক সাক্ষাৎকারে মাইক আবুমায়ালেহ বলেন যে ঘটনার দিন তিনি দোকানে থাকলে পুলিশকে ফোন করার প্রয়োজনই হতো না এবং জর্জ ফ্লয়েডও হয়তো বেঁচে থাকতেন। ঘটনার কিছুক্ষণ পর ঐ দোকানে যাওয়া এক প্রত্যক্ষদর্শী নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে বলেন, দোকানের এক কিশোর কর্মচারী সেদিন পুলিশকে ফোন করেছিল, কারণ জাল নোট সন্দেহ হলে পুলিশকে ফোন করাই নিয়ম। ঐ প্রত্যক্ষদর্শী আরো বলেন, পরে ফ্লয়েডের পরিণতি দেখে ঐ কর্মচারী 'আত্মগ্লানি'তে ভুগছিলেন। কালো মানুষ পণ্য ব্রিস্টল শহরের এডওয়ার্ড কলস্টন ছিলেন সপ্তদশ শতাব্দীর একজন দাস ব্যবসায়ী। ১৬৭২ থেকে ১৬৮৯ পর্যন্ত এডওয়ার্ড কলস্টনের জাহাজে করে প্রায় ৮০ হাজার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষকে আমেরিকায় ক্রীতদাস হিসেবে পাঠানো হয় বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। ব্রিস্টল শহরের বিকাশ ও সমৃদ্ধির ইতিহাসের সঙ্গে দাস ব্যবসা সরাসরি জড়িত রয়েছে। তাই কয়েক শতাব্দী ধরে ব্রিস্টলে কলস্টনের স্মৃতিকে সম্মানিত করা হচ্ছে। তবে ব্রিস্টলের অনেক মানুষ আবার অনেক দিন ধরেই এই ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কলস্টনের মূর্তিটি সরিয়ে ফেলার পর অনেকে দাবি তুলছেন, ব্রিটেনে নানা জায়গায় বর্ণবাদ ও দাস ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট আরো অনেকের যেসব ভাস্কর্য আছে - সেগুলোও অপসারণ করতে হবে। ঐ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি এলাকাতেও একইভাবে বিক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রতিবাদকারীরা। বিভিন্ন শহরে এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা ও ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত ব্যক্তির মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের ওপরও সম্প্রতি চাপ এসেছে গৃহযুদ্ধের সময়কার কয়েকজন কনফেডারেট নেতার নামানুসারে দেয়া সেনাঘাঁটির নাম পরিবর্তন করার। `কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান হিসেবে আমি আতঙ্কিত` কেন মূর্তি ভাঙছে বিক্ষোভকারীরা? বিক্ষোভকারীরা দাবি করছে যে বর্ণবাদ, দাসপ্রথা বা দাস ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের মূর্তি প্রকাশ্যে রাখা চলবে না। যদি ইতিহাসের প্রয়োজনে সেগুলোকে রাখতেই হয়, তবে সেগুলোকে যাদুঘরে স্থানান্তরিত করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে গত কয়েকদিনে ইতালীয় অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। তিনি সেই ব্যক্তি যিনি ষোড়শ শতাব্দীতে আমেরিকায় এসে স্থানীয়দের দাস হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মানুষ কলম্বাসের স্মৃতিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। অনেক স্কুলে কলম্বাসের জীবনীতে তাকে 'নতুন পৃথিবীর আবিষ্কারক' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু আমেরিকার আদি অধিবাসীরা বহু বছর ধরেই এই চলের বিরোধিতা করে আসছে। তাদের বক্তব্য, কলম্বাসের অভিযানই আমেরিকার ঔপনিবেশিক শাসনের এবং আদি আমেরিকান অধিবাসীদের গণহত্যার পেছনের কারণ। মিনেসোটা ও ভার্জিনিয়া রাজ্য এবং বস্টন ও মিয়ামি শহরে কলম্বাসের মূর্তি ভাঙা হয়েছে। বুধবার ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডে কনফেডারেট প্রেসিডেন্ট জেফারসন ডেভিসের একটি মূর্তি উৎপাটন করে বিক্ষোভকারীরা। ব্রিস্টলে কলস্টনের মূর্তি নামিয়ে টেনে-হিঁচড়ে নদীতে ফেলে দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি রাজ্য ছিল যাদের পরিচিতি ছিল কনফেডারেট রাজ্য হিসেবে, যারা একত্রিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলাদা সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র গঠন করার দাবি জানিয়েছিল। পরে আমেরিকার গৃহযুদ্ধে কনফেডারেটদের পরাজয় হয়। কনফেডারেট রাজ্যগুলো দাস প্রথার সমর্থক ছিল এবং দাস প্রথাকে বৈধতা দেয়ার পক্ষে ছিল তারা। আর এই কারণেই কনফেডারেট নেতাদের মূর্তি অপসারণের দাবি জানাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। তাদের মতে, বর্ণবৈষম্য ও বর্ণবিদ্বেষহীন আমেরিকা প্রতিষ্ঠা করতে হলে বর্ণবাদকে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠা করা নেতাদের মহিমান্বিত করা বন্ধ করতে হবে। আর বিভিন্ন জায়গায় তাদের স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার মাধ্যমেই শুরু করতে হবে সেই কার্যক্রম। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শহর এবং সংগঠন কনফেডারেট নেতাদের মূর্তি এবং কনফেডারেট মতবাদ প্রকাশ করে এমন প্রতীক সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্ণবৈষম্যের সাথে জড়িত থাকায় এসব প্রতীক অপসারষণের দাবি করা হয়ে আসছিল অনেকদিন ধরেই।
Violence has erupted in cities across the US over the death of African-American George Floyd, after he was physically restrained by police in Minneapolis.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
এই মহামারির সময় বিবিসি এধরনের কয়েকশ ভুয়া তথ্য তদন্ত করেছে। এর থেকে বিবিসির একটা ধারণা জন্মেছে এসব বিভ্রান্তিকর তথ্যের হোতা কারা- আর কেনই বা তারা এগুলো করছে। সাত ধরনের মানুষ আছে যারা এসব মিথ্যা খবর শুরু করে এবং ছড়ায়। রসিক বা ভাঁড় লন্ডনের মানুষকে খাওয়ানোর জন্য শহরের বিশাল ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে সরকার বিপুল পরিমাণে রান্নার আয়োজন করেছে, হোয়াটসঅ্যাপে সরকারি বার্তা বলে এমন একটা ভয়েস মেসেজ পেলে সেটা কি আসলে বিশ্বাস করা উচিত? কিন্তু অনেক মানুষ আছেন যারা তা বিশ্বাস করেন। এটা ব্যঙ্গ না রসিকতা না কি ভাঁড়ামো, তা তারা ধরতে পারেন না- বিশেষ করে এই কঠিন সময়ে। আরেকটি উদাহরণ- রসিকতা করতে সরকারের নামে এমনই একটি ভুয়া বার্তা তৈরি করেছিল এক ব্যক্তি। বিভিন্ন লোকের কাছে সেই মেসেজ পাঠিয়ে বলা হয়েছিল - আপনি বাসা থেকে খুব বেশি বেশি বের হয়েছেন। ফলে আপনাকে জরিমানা করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি মনে করেছিল যারা লকডাউন বিধি মানছে না এতে তারা ভয়ে পেয়ে ঘরে থাকবে। ওই ব্যক্তি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তার অনুসারীদের মেসেজটি শেয়ার করারও পরামর্শ দিয়েছিল। মেসেজটি খুবই সিরিয়াসলি নেয় কিছু মানুষ এবং একসময় ওই এলাকার উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা তাদের ফেসবুক গ্রুপে সেটি পোস্ট করে। "আমি ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইনি," ওই ব্যক্তি জানায়। তার আসল নাম সে কোথাও প্রকাশ করেনি। তবে মেসেজ যারা সত্যি হিসাবে নিয়েছে দোষটা তাদের ঘাড়েই চাপিয়ে সে লিখেছে: "সামাজিক মাধ্যমে সব স্ক্রিনশট কি বিশ্বাস করতে হবে? ইন্টারনেটে তথ্য কীভাবে যাচাই বাছাই করতে হয় তা আসলে বুঝতে শিখুন।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: লকডাউনে হচ্ছে না, ইমিউনিটি এখন বাংলাদেশের একমাত্র পথ: বিশেষজ্ঞ কী কারণে নমুনা সংগ্রহের কাজ হারালো আইইডিসিআর? সীমান্তবর্তী নো-ম্যানস ল্যান্ডে থাকা ভারসাম্যহীন নারী বাংলাদেশি প্রতারক আরেকদল মানুষ আছে যারা এই মহামারির মওকায় কিছু অর্থ কামাতে সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের নাম দিয়ে ভুয়া টেক্সট ছড়াচ্ছে। এরকম একটি প্রতারণামূলক টেক্সট ছড়ানো হয় মার্চ মাসে। দাবি করা হয় সরকার ত্রাণ বাবদ মানুষকে অর্থসাহায্য দেবে। তাই মানুষকে তাদের ব্যাংকের বিস্তারিত তথ্য জানাতে বলা হয়। এই টেক্সট বার্তার ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে অনেকে। কিন্তু যেহেতু এটি টেক্সটের মাধ্যমে ছড়ানো হয়, তাই এর হোতা কে তা খুঁজে বার করা কঠিন। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই করোনাভাইরাসের সুযোগ নিয়ে ভুয়া তথ্য দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেবার চেষ্টা করছে কিছু প্রতারক। ইমেলের মাধ্যেমেও ভুয়া খবর দিয়ে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টা চলছে। যেমন "করোনাভাইরাসের চিকিৎসা বিষয়ে জানতে ক্লিক করুন" বা "এই প্রাদুর্ভাবের কারণে আপনি কর ফেরত পাবেন"। রাজনীতিক শুধু ইন্টারনেট জগতের অজানা ও গুপ্ত অপরাধীদের কাছ থেকেই যে এধরনের ভুয়া খবর আসছে তাই নয়। গত সপ্তাহে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশ্ন তোলেন করোনাভাইরাসের রোগীর শরীরে অতি-বেগুনি রশ্মি দিয়ে বা ব্লিচ জাতীয় জীবাণুনাশক ইনজেকশন দিয়ে তাকে সারিয়ে তোলা সম্ভব কি না। এটা ছিল পুরো একটা জল্পনা এবং প্রকৃত তথ্যকে আমলে না নিয়ে করা মন্তব্য। পরে অবশ্য তিনি বলেছিলেন ব্যঙ্গ করে একথা তিনি বলেন। কিন্তু তার ওই মন্তব্যের সূত্র ধরে বহু মানুষ হটলাইনে ফোন করে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় জীবাণুনাশক ব্যবহার করা যাবে কি না তা জানতে চান। শুধু আমেরিকার প্রেসিডেন্টই নন, চীনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন যে কোভিড নাইনটিন উহানে নিয়ে এসেছে আমেরিকান সেনাবাহিনী। রাশিয়ায় রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এবং ক্রেমলিনপন্থী টুইটার অ্যাকাউন্টে এই ভাইরাস প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ষড়যন্ত্র তত্ত্ববাদী এই ভাইরাস নিয়ে যে অনিশ্চয়তা রয়েছে তার সুযোগ নিয়ে তৈরি হচ্ছে নানাধরনের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব। ব্রিটেনে ভ্যাকসিন গবেষণার ট্রায়ালে অংশ নেয়া প্রথম ভলান্টিয়ার মারা গেছেন এমন একটি ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেন ভ্যাকসিন বিরোধী ও ষড়যন্ত্র তত্ত্বের উদ্ভাবক বেশ কিছু ফেসবুক গ্রুপ। খবরটি অবশ্যই ছিল ভুয়া। করোনাভাইরাস ছড়ানোর সঙ্গে ফাইভ-জি-র যোগাযোগ রয়েছে বলে ইউটিউবে পোস্ট করা ডেভিড আইক নামে একজনের সাক্ষাৎকার ফাইভ জি নিয়ে ভুয়া খবরটির জন্ম দিয়েছিল। সাক্ষাৎকারটি পরে সরিয়ে নেয়া হয়। মি. আইক পরে লন্ডনের একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে আসেন। ব্রিটেনের সম্প্রচার মান ভঙ্গ করার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয় ওই চ্যানেলের বিরুদ্ধে। তার ফেসবুক পেজ পরে বন্ধ করে দেয়া হয়। ফেসবুক জানায় "তার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ভুয়া তথ্য ক্ষতিকর" এই কারণ দেখিয়ে তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ওই ভুয়া খবরের জের ধরে ব্রিটেনে ফাইভ-জি ফোনের সিগনাল মাস্তুলের ওপর বেশ কয়েকটি হামলা চলানো হয়। ভেতরের লোক অনেক সময় ভুল খবর আসে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকেও। যেমন চিকিৎসক, অধ্যাপক, বা হাসপাতাল কর্মী। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই "ভেতরের লোকরা" গুরুত্বপূর্ণ কেউ নন। যেমন একটি খবর ছড়ান ইংল্যান্ডের এক নারী। খুবই ত্রস্ত কণ্ঠে রেকর্ড করা ওই বার্তায় তরুণ ও সুস্থ করোনা রোগীদের মধ্যে ভয়াবহ মৃত্যুর হার সম্পর্কে তিনি আশংকাজনক পূর্বাভাষ দেন, যা ছিল সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওই নারী বলেন তিনি অ্যম্বুলেন্সে কাজ করেন এবং কাজের সূত্রে ভেতরের খবর তিনি জানেন। মন্তব্য করার জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি উত্তর দেননি। তিনি যে আসলেই স্বাস্থ্যকর্মী তার পক্ষে কোন প্রমাণ দেবার অনুরোধেও সাড়া দেননি। বিবিসি অনুসন্ধানে জেনেছে তার দাবি অসত্য। আত্মীয়স্বজন সাধারণত উৎকণ্ঠিত গলায় রেকর্ড করা বার্তা বা উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে লেখা মেসেজ মানুষকে উদ্বিগ্ন করে। তারা এইসব মেসেজ বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করে। অনেককেই ফেসবুকে এধরনের মেসেজ দিয়ে লিখতে দেখা গেছে "যদি সত্যি হয়ে থাকে"। এক নারী বলেছেন, "প্রথমে মনে হয়েছিল এটা ঠিক কি না। কিন্তু আমার আর বোনের একেবারে ছোট বাচ্চা আছে। আমার একটু বড় বয়সের বাচ্চাও আছে। আমাদের বাসায় ঝুঁকির অনেক কারণ আছে।" এরা ভাবেন অন্যদের সাহায্য করছেন তথ্য দিয়ে। কিন্তু তারা অবশ্যই জানেন না যেসব মেসেজ তারা শেয়ার করছেন তা সঠিক নয়। তারকা ও ব্যক্তিত্ব শুধু আপনার চাচা চাচী বা পরিবারের অন্য ঘনিষ্ঠজনই নন, সামাজিক মাধ্যমের মূলধারায় ভুয়া খবর ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পেছনে অনেকসময় থাকেন তারকা বা বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরাও। বেশ কিছু খবর এভাবে ছড়ানোর পেছনে গায়ক, অভিনেতারাও আছেন। রয়টার্স ইনস্টিটিউট তাদের এক সাম্প্রতিক জরিপে দেখেছে সামাজিক মাধ্যমে তারকাদের অনুসারীর সংখ্যা যেহেতু অনেক, তাই তাদের পোস্ট থেকে আসা খবর খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে। মানুষ সেগুলো বিশ্বাসও করে। শুধু সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম নয়, টেলিভিশনেও অনেক সময় মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের মতামত, মন্তব্য মানুষ গুরুত্বের সঙ্গে নেয় এবং তা ছড়িয়ে দেয় সামাজিক মাধ্যমে। করোনাভাইরাসের বিস্তারের সঙ্গে ফাইভ জি-র যোগাযোগ নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের ভিত্তি রয়েছে বলে ব্রিটেনের এক পরিচিত সাংবাদিকের মন্তব্য এধরনের বিভ্রান্তিমূলক খবরে ইন্ধন জুগিয়েছিল। পরে অবশ্য তিনি স্বীকার করেন তার মন্তব্য 'অবিবেচকের মত' ছিল। করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন টাকা-পয়সা কি ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম? চা, কফি বা গরম পানি খেয়ে কি ভাইরাস দূর করা যায়? কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয়
Conspiracy theories, misinformation and speculation about coronavirus have flooded social media. But who starts these rumours? And who spreads them?
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
অকুস্থলে দূর্ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। এরা সকলেই ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন এবং লকডাউনের কারণে রেললাইন ধরেই পায়ে হেঁটে গ্রামে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। মৃতদের মধ্যে কয়েকটি শিশুও আছে। পাঁচজনকে আহত অবস্থায় ঔরঙ্গাবাদের সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যে এলাকায় দুর্ঘটনাটি হয়েছে, সেখানকার স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন যে ওই শ্রমিকরা মধ্য প্রদেশের দিকে যাচ্ছিলেন রেললাইন ধরেই। এবং ক্লান্তিতে লাইনের ওপরেই ঘুমিয়ে পড়েন। শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ একটি মালগাড়ি তাদের ওপর দিয়ে চলে যায়। লকডাউনের কারণে ভারতে ট্রেন চলাচল সাধারণ ভাবে বন্ধ থাকলেও মালগাড়ি যাতায়াত করছে এবং ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের নিজের রাজ্যে ফেরানোর জন্য বিশেষ কিছু ট্রেনও চলতে শুরু করেছে এক সপ্তাহ ধরে। লকডাউনের শুরুতে এরকম হাজার হাজার শ্রমিককে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। তবে ওই শ্রমিকদের সম্ভবত ধারণা ছিল না যে মাঝে মাঝে মালগাড়ি বা বিশেষ ট্রেন চলাচল করছে। ঔরঙ্গাবাদের পুলিশ সুপারিন্টেডেন্ট মোক্ষদা পাটিল বিবিসির মারাঠি বিভাগকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কবলে পড়া সব শ্রমিকই জালনা নামের এক জায়গায় ইস্পাত কারখানায় কাজ করতেন এবং এরা মধ্যপ্রদেশের ভুসাওয়ালের দিকে যাচ্ছিলেন। তাদের ধারণা হয়েছিল ভুসাওয়াল থেকে তার নিজেদের গ্রামে ফেরার ট্রেন ধরতে পারবেন। যেখানে দুর্ঘটনা হয়েছে, সেখান থেকে তাদের কাজের জায়গাটির দূরত্ব প্রায় ৩৬ কিলোমিটার। ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোতে দুর্ঘটনাস্থলের যেসব ছবি এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে রেললাইনের ওপরে বেশ কিছু আটার রুটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। এই দুর্ঘটনা নিয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে গিয়ে রেল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, "ট্রেনের চালক যখন দেখতে পান যে কিছু মানুষ রেললাইনের ওপরে শুয়ে আছেন, তখনই তিনি ব্রেক কষে ট্রেনটি থামানোর চেষ্টা করেন।। পথের পাশে বিশ্রাম নিচ্ছেন একদল ঘরমুখী শ্রমিক ও তাদের পরিবার। ‌‌``কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। ট্র্রেনটি তাদের ধাক্কা মারে। গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।" যদিও রেললাইন ধরে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে গিয়ে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল, কিন্তু ২৪শে মার্চ হঠাৎই লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ার পর থেকে অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া বহু শ্রমিক ওইভাবেই পায়ে হেঁটে কয়েকশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গ্রামে ফিরেছেন। অনেকের সঙ্গেই স্ত্রী, সন্তানরাও ছিলেন। এরকম বহু ছবি আর ভিডিও সামাজিক মাধ্যম এবং গণমাধ্যমে দেখা গেছে, যেখানে খিদের জ্বালায় কাঁদতে কাঁদতেই ছোট্ট শিশুরা বাবা মায়ের হাত ধরে হাঁটছে। কোথাও আবার কোনও শ্রমিকদের সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকেও হেঁটে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? এর আগেও পায়ে হেঁটে গ্রামে ফেরার ক্লান্তিতে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের। পশ্চিম বা দক্ষিণাঞ্চলের শিল্পোন্নত রাজ্যগুলিতে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যার মতো রাজ্যগুলি থেকে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা বলছেন হঠাৎ লকডাউন হয়ে যাওয়ায় মালিকরা বেতন দিচ্ছেন না, আর জমানো পুঁজিও প্রায় তলানিতে। এই অবস্থায় শুধুই ভরসা সরকার বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর দেওয়া খাবার। সেই খাবারও বেশিরভাগ আটকিয়ে পড়া শ্রমিকই দিনে একবার করেই পাচ্ছেন। তাই শত শত কিলোমিটার পথ হেঁটে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে।
At least nine people have been killed in an explosion at a fireworks factory in the western Indian state of Maharashtra, police say.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
মরক্কো মরুভূমির প্রান্তে বায়ু বিদ্যুতের জন্যে টার্বাইন তারা দেখেছেন যে, বায়ু বিদ্যুতের টার্বাইন এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ দ্বিগুণ করে তুলতে পারে। বিজ্ঞান সাময়িকী 'সায়েন্স'-এ প্রকাশ পাওয়া একটি গবেষণাপত্রে তারা এমনটাই বলেছেন। সৌর বিদ্যুৎ প্যানেলের একই ধরনের প্রভাব রয়েছে যদিও সেটি ভিন্নভাবে কাজ করবে। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য যে এই নবায়নযোগ্য শক্তির বৃহৎ পরিসরে প্রসার এই সাহারা অঞ্চলেরই পরিবর্তন আনবে। বিজ্ঞানীরা দেখার চেষ্টা করেছিলেন যে, কী হতে পারে যদি এই ৯ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার অঞ্চলকে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল দিয়ে ঢেকে দেয়া যায়। সৌর বিদ্যুৎ প্যানেলের একইধরনের প্রভাব রয়েছে যদিও সেটি ভিন্নভাবে কাজ করবে। তারা এই অঞ্চলটির প্রতি মনোযোগী হয়েছিলেন কেননা এই বিশাল জনবিরল অঞ্চল থেকে যে পরিমাণ সৌর শক্তি এবং বায়ু শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে পরিণত করা সম্ভব তা মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের প্রায় কাছাকাছি। গবেষকদের ধারণা, মরুভূমিতে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের জন্যে ব্যাপক পরিমাণে এসব স্থাপন করলে তা থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে তা বর্তমান সময়ের চারগুণ। এর আগেও গবেষণায় দেখা গিয়েছিল যে, বায়ু বিদ্যুৎ ও সৌর বিদ্যুতের জন্যে স্থাপিত প্যানেল ও টার্বাইন প্রভাব ফেলে তাপমাত্রার ওপর। কিন্তু এই গবেষণায় আরো প্রমাণ হয় যে এসব প্রভাব ফেলে উদ্ভিদের ওপরেও। এই বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের প্রধান ড. ইয়ান লি বলেন, "আমাদের এই মডেল থেকে যে ফলাফল আমরা পাচ্ছি তাতে দেখা যায় যে, সাহারায় এইসব সৌর এবং বায়ু বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট বৃষ্টিপাত বাড়াবে, বিশেষ করে সাহল অঞ্চলে। ২০ মিলিমিটার থেকে বেড়ে বাৎসরিক বৃষ্টিপাত হবে ৫০০মিলিমিটার।" "ফলস্বরূপ গাছপালার উৎপন্নের হার বাড়বে ২০%।" গবেষণাটিতে দেখা যায়, সাহারার দক্ষিণের আধা শুষ্ক অঞ্চল সাহলের যেখানে বায়ু বিদ্যুতের প্ল্যান্ট ছিল সেখানে প্রতিদিন ১.১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে নতুন দুটি ধানের জাত উদ্ভাবন পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হতে আরও চার বছর বিলম্ব? কীভাবে টার্বাইন এবং সৌর প্যানেল বৃষ্টিপাত বাড়ায়? বায়ু বিদ্যুতে টার্বাইনের পাখার ঘূর্ণন বায়ুমণ্ডলের উপরের গরম বাতাসকে মিশ্রিত করে। যার ফলে বাষ্পীভবনের সৃষ্টি হয়, বৃষ্টিপাত ঘটায় এবং গাছপালা জন্মাতে সাহায্য করে। "বাতাসের ঘনত্ব বাড়ায় এই টার্বাইনের ঘূর্ণন এবং বায়ুকে নিম্নচাপ অঞ্চলে প্রবাহিত করে," বলছিলেন ড. লি। আর এর ফলে বাতাস ঠাণ্ডা হয়, আর্দ্রতা বাড়ে এবং বৃষ্টিপাত বাড়ায়, এভাবেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন তিনি। গবেষণা রিপোর্টটি বলছে, সৌর প্যানেল মূলত ভূমণ্ডলে সূর্যের আলোর প্রতিফলন কমায়। এটি এলবেডো এফেক্ট হিসেবে পরিচিত। ইতিবাচক এলবেডো এফেক্ট ৫০ ভাগ বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি এবং গাছপালা জন্মাতে সাহায্য করে থাকে। মানুষ কিভাবে উপকৃত হবে? খুব ভালোভাবে, বলছেন গবেষকরা। "এই মডেল যে ইঙ্গিত দিচ্ছে তাতে করে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধিতে এই অঞ্চলের কৃষিতে একটি টেকসই পরিবর্তন আনবে। উদ্ভিদের জন্ম গবাদি পশুর খাদ্য ঘাটতি মেটাবে, তাদের সংখ্যা বাড়াবে," বলছিলেন ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের ড. সাফা মোতেশারেই, যিনি এই গবেষণাপত্রের লেখকদের অন্যতম। তার মতে, সাহারা, সাহেল বা মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমি অঞ্চলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বাস। আর সেখানে এমন পরিবর্তন স্থায়ী সমাধান দেবে একইসাথে বিদ্যুৎ, খাদ্য এবং পানির। কিন্তু তাপমাত্রার বৃদ্ধিতেও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যে খারাপ, তাই না? গবেষণাপত্রটির লেখকরা বলছেন, ঐসব টার্বাইন এবং সৌর প্যানেলের থেকে সৃষ্ট তাপ খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। ড. লি বলছেন, "গ্রীনহাউজ হাউজ গ্যাসের কারণে বৃদ্ধি পাওয়া তাপমাত্রার তুলনায় এসব স্থানীয় বায়ু ও সৌর বিদ্যুৎ প্লান্টের দ্বারা সৃষ্ট উষ্ণতা একেবারেই কম।" আরো পড়ুন: ‘আমি ওভারব্রিজে দাঁড়িয়েছিলাম ঝাঁপ দেবো বলে’ ঢাকার প্রধান সড়কে লেগুনা বন্ধ নিয়ে বিতর্ক স্বল্প পরিসরে এই ধরনের নবায়নযোগ্য শক্তির প্ল্যান্ট কি কার্যকর? এই গবেষণা পত্রের লেখকরা পৃথিবীর অন্য-প্রান্তের মরু অঞ্চলে একই ধরনের বিষয়ের প্রভাবের দিকে লক্ষ্য রেখেছিলেন। তারা দেখেছেন যে, অল্প পরিসরে সৌর প্যানেল এবং বায়ু বিদ্যুতের টার্বাইন প্রকৃতিতে প্রভাব খুব বেশি ফেলতে পারেনা। ড. লি এর মতে বৃহৎ পরিসরে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বেশি কার্যকর হবে। আমরা কি তাহলে মরু অঞ্চলে বৃহৎ পরিসরে এমন কাজ শুরু করতে পারি? "হ্যাঁ, আমি তো তাই মনে করি," বলেন ড. লি। তার মতে, সাধারণ মানুষ, নীতি নির্ধারক এবং বিনিয়োগকারীদের কাছে যেন এই গবেষণার মূল বার্তাটি পৌছায়। যাতে করে সৌর বিদ্যুৎ ও বায়ু বিদ্যুৎ-এর প্ল্যান্টগুলি থেকে সমাজ, পরিবেশ ও প্রতিবেশে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব আসে।
Installing huge numbers of solar panels and wind turbines in the Sahara desert would have a major impact on rainfall, vegetation and temperatures, researchers say.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ইথিওপিয়া পরিকল্পিত এই বাঁধটি নির্মিত হলে সেটা হবে আফ্রিকার সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। গত বছর দীর্ঘ আলোচনার পর নীল নদ নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য এ বছরের ১৫ই জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেটারও অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ইথিওপিয়া পরিকল্পিত এই বাঁধটি নির্মিত হলে সেটা হবে আফ্রিকার সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলে নীল নদের উৎস নদী ব্লু নীলে ২০১১ সালে বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু করে ইথিওপিয়া, যেখান থেকে নীল নদের ৮৫ শতাংশ পানি প্রবাহিত হয়। তবে বিশাল এই বাঁধ নিয়ে মিশর ও ইথিওপিয়ার মধ্যে বিরোধ শুরু হয়েছে, যার মধ্যে পড়েছে সুদান। অনেকের আশঙ্কা, এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধও শুরু হয়ে যেতে পারে। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। কেন এ নিয়ে এতো বিবাদ? এই বিতর্কের মুল কেন্দ্রে রয়েছে বিশাল একটি বাঁধ যা নিয়ে মিশরের আশঙ্কা যে, এর ফলে ইথিওপিয়া, নদীটির পানির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবে। জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন নদীর পানি সরিয়ে ফেলে না তবে এর ফলে নদীটির স্রোত প্রবাহের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধার, যা অনেকটা লন্ডনের সমান এবং ৭৪ বিলিয়ন কিউবিক মিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন, সেটা ভরতে সময় যত বেশি লাগবে, নদীটির প্রবাহের ওপর ততই কম প্রভাব পড়বে। ছয় বছর ধরে সেটি করতে চায় ইথিওপিয়া। কিন্তু মিশর চায়, এর চেয়েও বেশি সময় ধরে যেন সেটি করা হয়, ফলে নদীর পানি প্রবাহের ওপর হঠাৎ করে কোন প্রভাব পড়বে না, বিশেষ করে জলাধার ভরার সময়ে। আরো পড়ুন: ফারাক্কা: যে ফর্মুলায় পানি ভাগাভাগি করে ভারত-বাংলাদেশ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দিয়েও কেন বন্যা ঠেকানো যাচ্ছে না? ‘আর কত বাঁধ দেবে তিস্তার ওপরে?’ ইথিওপিয়ার পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেছেন, জুলাই মাস নাগাদ তারা জলাধারে পানি ভরতে শুরু করবেন মিশর, সুদান এবং ইথিওপিয়া মিলে চার বছর ধরে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কিন্তু কেনা অগ্রগতি হয়নি। ফলে এখন মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইথিওপিয়ার পানিসম্পদ ও জ্বালানিমন্ত্রী বেকেলে সেলেশি অভিযোগ করেছেন, কোন চুক্তিতে পৌঁছানোর ইচ্ছা নেই মিশরের। তবে মিশরের পানি সম্পদ মন্ত্রী মোহামেদ আবদেডল আতেকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, আলোচনায় সবগুলো পক্ষ সব বিষয়ে স্বচ্ছতা অর্জন করেছে, যার মধ্যে বাঁধের পানি ভরাটের মতো বিষয়ও রয়েছে। মিশর কেন এতো ক্ষুব্ধ? পানির জন্য নীল নদের ওপর ৯০ ভাগ নির্ভর করে মিশর। ঐতিহাসিকভাবেই মনে করা হয় যে, নীল নদের স্থিতিশীল পানি প্রবাহ থাকাটা মিশরের টিকে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে নীল নদের পানিকে পবিত্র বলে মনে করা হয়। ১৯২৯ সালের একটি চুক্তি (পরবর্তীতে ১৯৫৯ সালের আরেকটি চুক্তিতে) মিশর এবং সুদানকে নীল নদের পানির প্রায় সমস্ত অধিকার দেয়া হয়। ঔপনিবেশিক আমলের সেসব নথিপত্রে নদীটির উজানে যে প্রকল্প পানি প্রবাহে প্রভাব ফেলতে পারে, সেখানে ভেটো দেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়। কিন্তু কোন নথিপত্রেই চুক্তির বাইরে থাকা দেশগুলোকে অংশ করা হয়নি, যার মধ্যে রয়েছে ইথিওপিয়াও, যাদের ব্লু নীলের পানি নীল নদে অনেক বেশি অবদান রাখে। ইথিওপিয়া বলছে, শতবর্ষ পুরনো ওসব চুক্তি মানতে তারা বাধ্য নয় এবং ২০১১ সালে আরব জাগরণের পরপরই তারা বাঁধের কাজকর্ম শুরু করে। কিন্তু মিশরের আসল চিন্তা হলো, নীল নদে যদি পানি প্রবাহ কমে যায়, তাহলে সেটি লেক নাসেরকে প্রভাবিত করবে। যার ফলে মিশরের আসওয়ান বাঁধে পানির প্রবাহ কমে যাবে, যেখান থেকে মিশরের বেশিরভাগ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। মিশরের আরো আশঙ্কা, ইথিওপিয়ার বাঁধের কারণে নীল নদের পানি প্রবাহ কমে যাবে, যা দেশটির নাগরিকদের পানির প্রধান উৎস। নীল নদের পানির প্রবাহ যদি অনেক কমে যায়, তাহলে সেটি দেশটির নদীপথে পরিবহন ব্যবস্থাকেও হুমকির মুখে ফেলবে এবং কৃষকদের কৃষি ও পশুপালনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ব্লু নীল নদের ওপর বাঁধ তৈরি করছে ইথিওপিয়া কেন এতো বড়ো বাঁধ তৈরি করতে চায় ইথিওপিয়া? প্রায় চারশো কোটি ডলার খরচ করে বাঁধটি তৈরি করতে চাইছে ইথিওপিয়া। এটি নির্মাণ শেষ হলে প্রায় ছয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইথিওপিয়ায় বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। দেশটির ৬৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনো বিদ্যুৎ সুবিধার বাইরে বাস করে। এই বাঁধ থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে, তা দেশটির নাগরিকদের জন্য পর্যাপ্ত হয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোকেও রপ্তানি করা যাবে। নিজেদের সক্ষমতার একটি প্রতীক হিসাবেও এই বাঁধকে দেখতে চায় ইথিওপিয়া। এই বাঁধ তৈরিতে বাইরের অর্থায়ন নিচ্ছে না দেশটি। সরকারি বন্ড এবং প্রাইভেট ফান্ড থেকে বাঁধটি তৈরি করা হচ্ছে। ফলে এই বাঁধের ব্যাপারে অন্য দেশের কথা বলাকে অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বৈদেশিক হস্তক্ষেপ বলে মনে করছে ইথিওপিয়া। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: পাকিস্তানে টেস্টে বাধা কি নিরাপত্তা নাকি রাজনীতি? বরফে এসওএস লিখে কী করে উদ্ধার হলেন টাইসন ব্রিটেনে থাকতে বাংলাদেশী শেফের ১৬ বছরের লড়াই এক টেস্টে মুশফিকরা পাবেন ছয় লাখ, কোহলিরা কতো? নীল নদ মিশরের পানির প্রধান উৎস ইথিওপিয়া ছাড়া আর কোন দেশ কি উপকৃত হবে? হবে। প্রতিবেশী সুদান, দক্ষিণ সুদান, কেনিয়া, জিবুতি এবং ইরিত্রিয়া এই বাঁধ থেকে উপকৃত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর অনেক দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে। সুদানের জন্য একটি সুবিধা হলো যে, এই বাঁধের কারণে সেখানকার নদীর পানি প্রবাহ সারা বছর ধরে একই রকম থাকবে। কারণ সাধারণত অগাস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে পানি প্রবাহ বেড়ে গিয়ে অনেক সময় বন্যা দেখা দেয়। বিতর্ক কি যুদ্ধে গড়াতে পারে? আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, এই বিতর্কের সমাধান না হলে দেশগুলো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। ২০১৩ সালে গোপন ভিডিওতে দেখা যায় যে, বাঁধ তৈরি কেন্দ্র করে ইথিওপিয়ার বিরুদ্ধে একগাদা বৈরি পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তাব করছে মিশরের রাজনৈতিকরা। মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি বলেছেন, নীল নদের পানি নিয়ে তাদের অধিকার রক্ষায় মিশর সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আর গত বছরের অক্টোবরে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবিয় আহমেদ বলেছেন, কোন শক্তিই ইথিওপিয়াকে বাঁধ নির্মাণ থেকে দমাতে পারবে না। ২০২০ সালের মধ্যে বাধের কাজ শেষ করছে চায় ইথিওপিয়া ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ গত বছর সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, বাঁধ নিয়ে দেশগুলো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের এতে জড়িয়ে পড়া থেকে বোঝা যায় যে, পরিস্থিতি কতখানি গুরুতর এবং অচলাবস্থা ভাঙ্গা কতটা জরুরি। এই অচল অবস্থা কাটাতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চেয়েছে মিশর, যা প্রথমে মানতে চায়নি ইথিওপিয়া। তবে পরে রাজি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দুইটি দেশের মধ্যে সংঘর্ষ হলে সেটি লাখ লাখ মানুষের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। এর ফলে সুয়েজ খাল, হর্ন অফ আফ্রিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পথও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এখন তাহলে কি ঘটবে? আসছে ১৫ই জানুয়ারি একটি ডেটলাইন ঠিক করা হয়েছে, যে সময়ের মধ্যে উভয় দেশের পানি সম্পদ মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় গত নভেম্বর মাসে একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। তারা যদি ১৫ই জানুয়ারির মধ্যে কোন চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম না হন, তাহলে আলোচকরা নতুন এক মধ্যস্থতাকারী নির্ধারণ অথবা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সিদ্ধান্তের জন্য পাঠাবেন।
The latest talks to resolve the dispute between Ethiopia and Egypt over the future of a giant hydropower project on the Nile River are due to resume in Washington later.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
২,৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে এমভি রোসাস জাহাজ বৈরুত বন্দরে পৌঁছেছিল ২০১৩ সালে এত বিশাল পরিমাণ ভয়ানক দাহ্য পদার্থ ছয় বছরের ওপর শহর কেন্দ্রের এত কাছে কোন নিরাপদ ব্যবস্থা না নিয়ে এভাবে গুদামঘরে কীভাবে রেখে দেয়া হল তা নিয়ে দেশটির জনগণ ক্ষোভে ফুঁসছে। তারা এটা বিশ্বাস করতে পারছে না। যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে বন্দর নগরীর বিস্তীর্ণ জনপদ তার উৎসের নাম সরকার করছে না, কিন্তু এটা জানা যাচ্ছে যে মলডোভিয়ান পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি রোসাস ২০১৩র নভেম্বর মাসে ঠিক ঐ পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে বৈরুতে নোঙর করেছিল। দেখুন নিচের ভিডিওতে ভয়াবহ সেই বিস্ফোরণের মুহূর্ত: লেবানন বিস্ফোরণের মুহুর্ত রাশিয়ান মালিকানাধীন জাহাজটি জর্জিয়ার বাটুমি থেকে যাত্রা শুরু করে ২০১৩-র সেপ্টেম্বর মাসে। সেটির গন্তব্য ছিল মোজাম্বিকের বেইরা। জাহাজটিতে ছিল ২,৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। এই রাসায়নিক সাধারণত আসে ছোট গোল টুকরোর আকারে। কৃষিকাজে সারের জন্য এই রাসায়নিক ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তবে জ্বালানি তেলের সঙ্গে মিশিয়ে এটা দিয়ে বিস্ফোরক তৈরি করা যায়, যা খনিতে বিস্ফোরণের কাজে এবং নির্মাণ শিল্পে ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। পূর্ব ভূমধ্যসাগর দিয়ে যাবার সময় রোসাস জাহাজটিতে কিছু "কারিগরি ত্রুটি" ধরা পড়ে এবং জাহাজটি বৈরুত বন্দরে নোঙর করতে বাধ্য হয়। এই তথ্য এসেছে জাহাজ শিল্পের সাথে জড়িত ২০১৫ সালের একটি প্রতিবেদনে, যেটি শিপিংঅ্যারেস্টেডডটকম নামে একটি নিউজলেটারে প্রকাশিত হয়েছিল। ঐ প্রতিবেদন লিখেছিলেন জাহাজের কর্মীদের পক্ষের লেবানীজ আইনজীবীরা। বৈরুত বন্দরের কর্মকর্তারা রোসাস জাহাজটি পরিদর্শন করেন এবং সেটিকে "সমুদ্র যাত্রার জন্য নিষিদ্ধ" ঘোষণা করেন বলে জানাচ্ছেন আইনজীবীরা। জাহাজের বেশিরভাগ কর্মীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়। পাঠানো হয়নি শুধু জাহাজের রুশ ক্যাপ্টেন বরিস প্রোকোশেফ এবং আরও তিনজনকে, যারা ইউক্রেনিয়ান বলে বলা হয়। মি. প্রোকোশেফ বৃহস্পতিবার রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেন যে, রোসাস-এ লিকেজের কিছু সমস্যা হচ্ছিল কিন্তু জাহাজটির সমুদ্র যাত্রার জন্য কোন সমস্যা ছিল না। তিনি আরও বলেন, জাহাজটির মালিক জাহাজটিকে বৈরুতে পাঠান সেখান থেকে ভারী যন্ত্রপাতির বাড়তি কিছু মাল জাহাজে তোলার জন্য। উদ্দেশ্য ছিল দেশটির অর্থনৈতিক অসুবিধার মধ্যে তাদের সহায়তা করা। কিন্তু জাহাজের কর্মীরা ওইসব ভারী যন্ত্রপাতি নিরাপদে জাহাজে তুলতে পারেনি। এরপর জাহাজের মালিক বন্দরের যে ভাড়া তা যখন দিতে ব্যর্থ হন, তখন লেবাননের কর্তৃপক্ষ জাহাজটি সেখানে জব্দ ক'রে সেটি বসিয়ে দেয় বলে তিনি জানান। বৈরুত বিস্ফোরণ নিয়ে আরও পড়তে চাইলে: এর অল্প কিছুদিন পর, রোসাস-এর মালিক জাহাজটি সেখানে পরিত্যাগ করেন। আইনজীবীরা বলছেন মালবাহী জাহাজটি যারা চার্টার বা ভাড়া করেছিলেন এবং জাহাজটি নিয়ে যারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তারা সব পক্ষই জাহাজটি নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। পাওনাদারদের দিক থেকেও নানাধরনের আইনী দাবিদাওয়া ছিল। ইতোমধ্যে, জাহাজের ভেতর তখনও যেসব নাবিক ও কর্মী ছিলেন তাদের রসদ ও খাবার দ্রুত ফুরিয়ে আসছিল। আইনজীবীরা বলেছেন তারা বৈরুতের জরুরিকালীন বিচারকের কাছে আবেদন করেন, যাতে ঐ ক্রু-দের নিজেদের দেশে ফিরে যাবার অনুমতি দেয়া হয়। আইনজীবীরা বিশেষভাবে জোর দিয়ে বলেন "ওই জাহাজে যে রাসায়নিক রয়েছে তা খুবই 'বিপজ্জনক' প্রকৃতির এবং ক্রুরা জাহাজে ঝুঁকির মধ্যে থাকছেন"। এমভি রোসাস-এর ক্যাপ্টেন বরিস প্রোকোশেফ (ডানে) এবং আরেকজন কর্মী বরিস মুসিনচাক ২০১৪র গ্রীষ্মে বৈরুত বন্দরে বস্তা ভরা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মজুতের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। বিচারক শেষ পর্যন্ত ক্রুদের জাহাজ থেকে নামার অনুমতি দেন এবং ২০১৪ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষ জাহাজ থেকে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের চালান "১২ নম্বর ওয়্যারহাউস"এ স্থানান্তরিত করেন। ওই গুদামঘরটি ছিল বিশাল শস্য গুদামগুলোর পাশে। আইনজীবীরা জানাচ্ছেন ওই রাসায়নিকের চালান "হয় নিলামে তোলার অথবা যথাযথভাবে নষ্ট করে ফেলার অপেক্ষায় ছিল"। "ওই রাসায়নিক ছিল চরম বিস্ফোরক পদার্থ। সে কারণেই আমরা যখন জাহাজে ছিলাম সেগুলো জাহাজের মধ্যেই রাখা ছিল...ওই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট খুবই উচ্চ ঘনত্বের ছিল," বলছেন মি. প্রোকোশেফ। তিনি আরও বলেছেন: "এই বিস্ফোরণে যারা হতাহত হয়েছে তাদের জন্য আমি দু:খিত। কিন্তু স্থানীয় কর্তৃপক্ষের, দায়ী লেবানীজদের এর জন্য শাস্তি হওয়া উচিত। তারা এই মাল নিয়ে কোনরকম ব্যবস্থা নেয়নি, মোটেও মাথা ঘামায়নি।" বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার হাসান কোরায়েতেম এবং লেবাননের শুল্ক বিভাগের মহাপরিচালক, বদরি দাহের, দুজনেই বুধবার বলেন যে তারা এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা বিচারবিভাগকে সেখানে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুত রাখার বিপদ সম্পর্কে বারবার সতর্ক করে দিয়েছেন এবং সেখান থেকে এগুলো সরিয়ে ফেলার প্রয়োজনীয়তার কথা বারবার বলেছেন। অনলাইনে যেসব নথিপত্র পোস্ট করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে শুল্ক কর্মকর্তারা বৈরুতের জরুরিকালীন বিচারকের (জাজ অফ আর্জেন্ট ম্যাটারস্) কাছে চিঠি লিখে কীভাবে ওই চালান বিক্রি করে দেয়া যায় বা নষ্ট করে ফেলা যায় সে বিষয়ে নির্দেশ চেয়েছেন। ২০১৪ থেকে ২০১৭-র মধ্যে তারা অন্তত ছয়বার এ ব্যাপারে চিঠি লিখেছেন। বন্দরে ধ্বংসের চিত্র স্থানীয় টিভি চ্যানেল ওটিভি-কে মি. কোরায়েতেম বলেছেন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিভাগও সতর্ক বার্তা দিয়ে চিঠি লিখেছিল। গণপূর্ত মন্ত্রী মিশেল নাজির, যিনি এ বছরের শুরুতে দায়িত্ব নেন, তিনি আল জাজিরা টিভিকে বলেছেন এ বছরের জুলাইয়ের শেষ দিকে তিনি প্রথম বন্দরে এই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের উপস্থিতির কথা জানতে পারেন। তিনি সোমবার এ ব্যাপারে মি. কোরায়েতেমের সাথে এ নিয়ে কথা বলেন। এর পরের দিনই, মঙ্গলবার অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের ওই গুদামে আগুন থেকে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই বিস্ফোরণে অন্তত ১৩৭জন এখন পর্যন্ত মারা গেছেন, আহতের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। আরও বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। বন্দর কর্মকর্তারা বলছেন তারা সেখান থেকে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সরিয়ে ফেলার জন্য আগেই অনুরোধ জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন বলেছেন রোসাস মালবাহী জাহাজের জব্দ করা কার্গো মোকাবেলায় এই ব্যর্থতা "অগ্রহণযোগ্য" এবং "দোষী ব্যক্তিদের ও যাদের গাফিলতি এজন্য দায়ী তাদের বিচারের এবং তাদের সর্বোচ্চ কঠোর শাস্তির" প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন। তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট গুদামজাত করার এবং তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে যেসব কর্মকর্তা ছিলেন তাদের গৃহবন্দী করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার।
Lebanon's government has blamed the huge blast that devastated parts of Beirut on the detonation of 2,750 tonnes of ammonium nitrate stored at the city's port.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
হামলার শিকার কিনিয়ামার একটি মসজিদ। কিছু জায়গায় মুসলিমদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে খবরে প্রকাশিত হয়েছে। এ পর্যন্ত সহিংসতায় একজন মারা গিয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে। শ্রীলংকার বিভিন্ন শহরে দাঙ্গাকারীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। কয়েকদিন আগে ইস্টার সানডে'তে শ্রীলংকার কয়েকটি গির্জা ও অভিজাত হোটেলে একযোগে ইসলামপন্থী জঙ্গীদের হামলার ঘটনায় ২৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। হামলার পর থেকেই দেশটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দেশের সকলকে শান্ত থাকার জন্যে আহ্বান জানিয়েছেন শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহ। উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে গত মাসের ভয়াবহ এই হামলার তদন্ত কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। স্থানীয় সময় রাত ৯টা থেকে শুরু হয়ে সাত ঘন্টা ধরে বলবৎ ছিল এই রাত্রিকালীন কারফিউ। শ্রীলংকার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত শহর কিনিয়ামায় একটি মসজিদের দরজা-জানালা ভাংচুর করেছে আক্রমণকারীরা। মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ কোরানের কয়েকটি কপিও মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আরো পড়তে পারেন: শ্রীলংকা হামলা: এক হামলাকারীকে ঠেকালেন যিনি শ্রীলংকা হামলা: কী কারণে এমন ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড 'আমরা ভাবিনি এই লোকটা আমাদের মারতে এসেছে' কিনিয়ামায় মসজিদে আসা মানুষের মোটর সাইকেলও ধ্বংস করা হয় বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মসজিদের ভবনের তল্লাশির দাবি জানিয়ে জনতা সেখানেও পুলিশী অভিযানের দাবি উঠালে তারই এক পর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার আগে মসজিদের নিকটস্থ একটি জলাশয়ে অস্ত্র আছে কিনা সেই বিষয়ে অনুসন্ধান করতে অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, ফেসবুকে এক ব্যক্তির দেওয়া বিতর্কিত একটি পোস্টের পর খ্রিস্টান-প্রধান শহর চিলৌ-তে মুসলিমদের কিছু দোকান ও মসজিদে আক্রমণের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া ৩৮ বছর বয়সী সেই মুসলিম ব্যবসায়ীকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করা হয়। দেশটির উত্তর-পশ্চিমের পুত্তালাম জেলায় এক ব্যবসায়ীর দোকানে ক্রুদ্ধ জনগণ আক্রমণ করার পর ছুরিকাঘাতে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। হেট্টিপোলা শহরেও তিনটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে, দাঙ্গা-হাঙ্গামা আরো ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ আরো কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শ্রীলংকার ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার সিংহভাগই বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। সেখান প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ মুসলিম। গত মাসে শ্রীলংকায় যে হামলা হয়েছে ইসলামী জঙ্গীরাই সেটি করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আর হামলায় নিজেদের দায় স্বীকার করে ঘোষণা দিয়েছে ইসলামিক স্টেট বা আইএস। আরো পড়তে পারেন: খালেদাকে কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর: আইনমন্ত্রী যা বললেন বিএসটিআই-এর তালিকা নিয়ে বাজারে যাচ্ছেন ভোক্তারা বাংলাদেশ ও কানাডার অর্থনীতির পার্থক্য কতটা?
Sri Lanka has imposed a nationwide curfew for the second night in a row after a wave of anti-Muslim violence in the wake of the Easter bombings.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
এক হাজারের বেশি দোকানে বিক্রি হয় কুকুর ও বিড়ালের মাংস হ্যানয় পিপলস কমিটি বলছে, হ্যানয় যে একটি সভ্য এবং আধুনিক রাজধানী, সেই ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে লোকজন কুকুরের মাংস খাওয়ার কারণে। এছাড়া কুকুরের মাংস খেলে জলাতংক বা লেপটোপিরোসিসের মতো রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও তারা সতর্ক করে দিয়েছে। হ্যানয়ের প্রায় ১০০০ দোকানে এখনো কুকুর এবং বিড়ালের মাংস বিক্রি হয়। বিড়ালের মাংস খাওয়া বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছে হ্যানয় পিপলস কমিটি। ভিয়েতনামে কুকুরের মাংসের মতো অত জনপ্রিয় নয় বিড়ালের মাংস। কিন্তু তারপরও অনেক জায়গায় বিড়ালের মাংস কিনতে পাওয়া যায়। এসব প্রাণীকে যে অনেক সময় নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয় সেকথা উল্লেখ করেছে হ্যানয় কর্তৃপক্ষ। ভিয়েতনামে কুকুরের মাংস খাওয়া বাদ দিচ্ছেন অনেকে হ্যানয়ে আনুমানিক ৪, ৯০,০০০ কুকুর ও বিড়াল আছে। এদের বেশিরভাগই পোষা প্রাণী। আরও পড়ুন: খ্রিস্টান যাজকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে সরব সন্ন্যাসিনীরা বাংলাদেশে গুজবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামছে সরকার ছিনতাইকারী ধরে পুরস্কার পেলেন ঢাকার যে তরুণী কুকুরের মাংস খাওয়া নিয়ে ভিয়েতনামের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গীতে সাম্প্রতিককালে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বহু মানুষই এখন আর কুকুরের মাংস খাওয়া পছন্দ করে না, বলছেন বিবিসির ভিয়েতনামী ভাষা বিভাগের সাংবাদিক লিন নগুয়েন। সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যানয় কর্তৃপক্ষের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেক মানুষ। কিন্তু অনেকে বলেছেন, ভিয়েতনামের মানুষ সহজে কুকুরের মাংস খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করবে বলে তারা মনে করেন না। ফেসবুকে ডাং নগোক কোয়াং নামে একজন বলেছেন, কুকুরের মাংস পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা ঠিক হবে না। কারণ সেটা হবে মানুষের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ। পরিবর্তে তিনি কুকুরের মাংসের ওপর বেশি হারে কর বসানো এবং শুধু নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে কুকুরের মাংস বিক্রির পরামর্শ দিয়েছেন।
Officials in Vietnam's capital Hanoi are urging residents to stop eating dog meat as it could hurt the city's reputation and lead to diseases like rabies.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
জান টিপিং এবং আন্নালান নাভারাতনামকে বিয়ের জন্য বিশেষ অনুমতি দেয়া হয়। ৩৪ বছর বয়সী নার্স জান টিপিং এবং ৩০ বছর বয়সী চিকিৎসক আন্নালান নাভারাতনাম লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালের গ্রেড টু তালিকাভুক্ত একটি চ্যাপেলে বিয়ে করেন। তাদের এই বিয়ের অনুষ্ঠান লাইভ-স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয় যাতে স্বজনরা বাড়িতে বসেই অংশ নেন। এই যুগল জানায়, এখনো পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকার কারণে তারা বিয়ের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মিস টিপিং এবং মি. নাভারাতনাম তাদের আসল বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করেছিলেন। আগামী অগাস্টে তাদের ওই মূল বিয়ের পরিকল্পনা ছিল। তারা ভেবেছিলেন যে, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড আর শ্রীলঙ্কা থেকে তাদের স্বজনরা হয়তো আসতে পারবেন না। এর পরিবর্তে সাউথ লন্ডনের তুলসি হিল এলাকার এই বাসিন্দারা তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান এগিয়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন। মিস. টিপিং বলেন, কর্মক্ষেত্রে বিয়ে করাটা একটু অদ্ভুত মনে হচ্ছে। মিস টিপিং একজন জরুরী সেবা বিভাগের নার্স। তিনি বলেন, তারা এই সিদ্ধান্ত নেন কারণ "আমরা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যাতে সবাই আনন্দ করতে পারে, সবাই এখনো সুস্থ, যদিও আমাদের স্বজনরা আমাদেরকে স্ক্রিনেই দেখছে।" ২৪শে এপ্রিল অনুষ্ঠিত তাদের বিয়েকে তারা "অন্তরঙ্গ" ও "চমৎকার" বলে উল্লেখ করেছেন, কিন্তু বলেন যে, তারা দুজনেই যে জায়গাটাতে কাজ করেন সেখানে বিয়ে করাটা "অদ্ভুত" মনে হচ্ছে। মি. নাভারাতনাম একজন চিকিৎসক হিসেবে সেন্ট থমাস হাসপাতালে এক বছর ধরে কাজ করছেন। তিনি বলেন, "খুবই খুশি কারণ আমরা একে অপরের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে পেরেছি।" নব দম্পতির জন্য ভার্চুয়াল অভ্যর্থনা, নাচ এবং বক্তব্যের ব্যবস্থা করা হয়। রেভারেন্ড মিয়া হিলবর্ন যিনি বিয়ের পুরো বিষয়টি পরিচালনা করেছেন তিনি বলেন, "এই আয়োজনের অংশ হতে পেরে তিনি শিহরিত"। এদিকে বিয়ের খবর শোনার পর এক টুইটে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক লিখেছেন, "এটা চমৎকার।" কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
A nurse and doctor who had to cancel their wedding due to the coronavirus outbreak have got married at the hospital where they work.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
মার্কিন প্রেসিডেন্টের একজন সহকারী সবসময় 'ফুটবল' নিয়ে তার সঙ্গে সঙ্গে থাকেন কিন্তু তার কি আসলেই পারমানবিক বোমার কোন সুইচ আছে? একটি পরমাণু বোমা ছোড়া রিমোটে টিভির চ্যানেল পরিবর্তন করার মতো কোন সহজ কাজ নয়। অবাক ব্যাপার হলো, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে 'বিস্কুট' আর 'ফুটবলের' মতো বিষয়। তবে আক্ষরিক অর্থে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোন পরমাণু বোমার সুইচ নেই। তাহলে তার কি আছে? ২০শে জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে বারাক ওবামার সঙ্গে একটি কালো চামড়ার ব্রিফকেস নিয়ে একজন ব্যক্তিগত সহকারী প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেই কালো ব্রিফকেসসহ মি. ট্রাম্পের সহকারী হয়ে যান। আরো পড়তে পারেন: বিকাশ ব্যবহার করে অর্থ পাচার হয় যেভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে নতুন ১০ বিস্ফোরক তথ্য এই ব্রিফকেসটি 'নিউক্লিয়ার ফুটবল' নামে পরিচিত। পরমাণু অস্ত্র নিক্ষেপ করতে হলে এই ব্রিফকেসটি দরকার হবে। কখনোই এই 'ফুটবল' মার্কিন প্রেসিডেন্টের অদূরে থাকবে না। গত অগাস্টে একজন বিশেষজ্ঞ সিএনএনকে বলেছেন, যখন মি. ট্রাম্প গলফ খেলেন, তখনো এই 'ফুটবল' তার সঙ্গে পুরো মাঠ জুড়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। 'ফুটবলে'র মধ্যে কি আছে? কিন্তু কেউ যদি কখনো এই পরমাণু ফুটবলের ভেতরে উকি দেয়ার সুযোগ পান, তিনি হতাশ হবেন। কারণ সেখানে কোন সুইচ বা বোতাম নেই, কোন ঘড়ি নেই যেটা টিক টিক করে চলছে। সেখানে আছে কিছু যোগাযোগের যন্ত্রপাতি, এবং কিছু বই যেখানে যুদ্ধের পরিকল্পনা আছে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তার জন্য এসব পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু 'বিস্কুটে'র মধ্যে কি আছে? 'বিস্কুট' হচ্ছে এমন কিছু কার্ড, যার মধ্যে কিছু গোপন কোড রয়েছে, যা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সবসময় থাকার কথা। এটা সবসময় 'ফুটবল' থেকে আলাদা থাকে। কখনো যদি প্রেসিডেন্ট কোন পরমাণু বোমা হামলার নির্দেশ দেন, এসব কোড দিয়ে তার নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের একজন সাবেক সহকারী রবার্ট বাজ প্যাটারসন দাবি করেছেন, মি. ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে একবার তার কোডগুলো হারিয়ে ফেলেন। তিনি এসব কোড অন্যসব ক্রেডিট কার্ডের সঙ্গে তার ট্রাউজারের পকেটে রাখতেন। মনিকা লিউনস্কির সঙ্গে স্ক্যান্ডাল যেদিন প্রকাশিত হয়, সেদিন মি. ক্লিনটন স্বীকার করেন যে, ওই কোডগুলো তিনি বেশ কিছুদিন ধরে খুঁজে পাচ্ছেন না। কিভাবে প্রেসিডেন্ট পরমাণু বোমা হামলা করবেন? একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরমাণু হামলা চালাতে পারেন। যখন তিনি নিজের পরিচয় নিশ্চিত করবেন, তিনি হামলা চালাতে জয়েন্ট চীফস অব স্টাফের চেয়ারম্যানকে আদেশ দেবেন। এরপর এই আদেশটি যাবে নেব্রাস্কায় ইউএস স্ট্যাটেজিক কমান্ড হেডকোয়ার্টারে। তারা সংশ্লিষ্ট হামলাকারী ইউনিটকে নির্দেশটি পাঠাবে। সেটা সাগর, স্থল বা পানির নীচের কোন সাবমেরিনও হতে পারে। সংকেতের মাধ্যমে হামলা চালানোর আদেশটি দেয়া হবে, যে সংকেতের একটি কপি ওই হামলাকারী ইউনিটেও সংরক্ষিত রয়েছে। প্রেসিডেন্টের আদেশ কি প্রত্যাখ্যাত হতে পারে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেশটির সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চীফ। সংক্ষেপে, তিনি যা বলবেন, সেটাই হবে। কিন্তু সেখানেও কিছু ফাঁক রয়েছে। গত ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের পরমাণু হামলার কর্তৃত্ব পরীক্ষা করে দেখেছে। কংগ্রেসে সাক্ষ্য দেয়ার সময় ইউএস স্ট্রাটেজিক কমান্ডের সাবেক প্রধান সি রবার্ট কেহলার বলছেন, তিনি প্রেসিডেন্টে পরমাণু বোমা হামলার আদেশ অনুসরণ করবেন, যদি তা আইনসম্মত হয়। ''অন্য কোনরকম পরিস্থিতি দেখা দিলে, আমি হয়তো বলতে পারি যে, আদেশটি বাস্তবায়নের জন্য আমি প্রস্তুত নই।''তিনি বলছেন। একজন সিনেটর তার কাছে জানতে চান, ''তখন কি হবে''? তার সরল উত্তর, ''আমি জানি না''। কংগ্রেস কমিটির সদস্য তখন হেসে ফেলেন। বিবিসি বাংলার আরো খবর: বাংলাদেশে মন্ত্রিসভায় রদবদল কিসের ইঙ্গিত জাপানে চালের পিঠা খেয়ে কেন লোক মারা যায় বাংলাদেশে সব বিদেশি মাছেই কি ক্ষতিকর রাসায়নিক? মুসলিম তরুণের সঙ্গে দেখা করায় মেয়েদের উপর হামলা
US President Donald Trump has boasted that his nuclear button is "much bigger" and "more powerful" than North Korean leader Kim Jong-un's.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ফক্স অ্যাণ্ড ফ্রেন্ডসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মি ট্রাম্প বলেন, তাকে যদি ইমপিচ করা হয় তাহলে শেয়ার বাজারে বিপর্যয় নেমে আসবে এবং ''সবাই খুব গরীব হয়ে যাবে''। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার নিজের ইমপিচমেন্টের সম্ভাবনা নিয়ে মুখ খোলেননি বললেই চলে। তবে এই সাক্ষাৎকারেও তিনি দাবি করেছেন, তার ভাষায় যে ''দারুণ কাজ'' করছে তাকে তুমি কিছুতেই ইমপিচ করতে পারো না। মি: ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোয়েন নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করার অভিযোগে নিজের দোষ স্বীকার করার পর মি: ট্রাম্প এই মন্তব্য করেছেন। মি: কোয়েন বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই তিনি কাজ করেছিলেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ মেনে নিলেন ট্রাম্প সমর্থকদের আস্থা এখনো ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপরই সমর্থকদের আস্থা এখনো ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপরই মি: কোয়েন বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই তিনি কাজ করেছিলেন। তবে সংবাদদাতারা বলছেন নভেম্বরে মধ্য-মেয়াদের নির্বাচনের আগে মি: ট্রাম্পের প্রতিপক্ষরা তাকে ইমপিচ করার চেষ্টা করবেন বলে মনে হয় না। কেন ট্রাম্প বলছেন বাজারে ধস নামবে? ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মি: ট্রাম্প বলেছেন, "যে দারুণ কাজ করছে তাকে কেন ইমপিচ করা হবে সেটা আমি বুঝতে পারছি না।'' "আমি বলে রাখছি আমাকে যদি কখনও ইমপিচ করা হয়, বাজারে ধস নামবে, সবাই দারুণ গরীব হয়ে যাবে।'' নিজের মাথার দিকে দেখিয়ে মি: ট্রাম্প বলেন, ''এর কারণ- এই যে মাথাটা- এই মাথাটা কাজ না করলে অর্থনীতিতে যেসব পরিসংখ্যান দেখবেন তা অবিশ্বাস্য হয়ে উঠবে।'' 'হাশ মানি' বা 'মুখ বন্ধ রাখার অর্থ' নিয়ে বিতর্ক কেন? মাইকেল কোয়েন বলেছেন ২০১৬র নির্বাচনী প্রচারণার সময় দুজন নারীর ''মুখ বন্ধ রাখার'' জন্য তিনি তাদের অর্থ দিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে এই দুই নারীর একজন পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস্ এবং অন্যজন প্লেবয় মডেল ক্যারেন ম্যাকডুগাল। এই দুই নারীই দাবি করেছেন মি: ট্রাম্পের সঙ্গে তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আদালতে শপথ নিয়ে মি: কোয়েন বলেছেন তিনি তাদের মুখ বন্ধ রাখতে অর্থ দিয়েছিলেন মি: ট্রাম্পের ''নির্দেশে'' এবং 'এর মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে প্রভাবিত করা''। তবে মি: ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন ওই দুই নারীকে অর্থ দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা বিধি লংঘন করা হয় নি। তিনি বলেছেন ওই অর্থ তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দিয়েছিলেন, প্রচারণার জন্র বরাদ্দ অর্থ থেকে নয়। তবে এ বিষয়ে তিনি বলেন তিনি জেনেছেন ''অনেক পরে''। পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মি: ট্রাম্প জুলাই মাসে মি: কোয়েন একটি অডিও টেপ প্রকাশ করেন যেখানে নির্বাচনের আগে তিনি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প এর মধ্যে একটি পেমেন্ট নিয়ে আলোচনা করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মি: কোয়েনের বিরুদ্ধে বানিয়ে বানিয়ে কাহিনি তৈরি করার অভিযোগ এনেছেন এবং বলেছেন তিনি তার সাজা হালকা হতে পারে এই আশা থেকে এসব কথা সাজিয়েছেন। দুই নারীকে অর্থ দেওয়া কি নির্বাচনী আইনের লংঘন? মুখ বন্ধ রাখার জন্য দেওয়া অর্থ ''হাশ মানি''র কথা নির্বাচনী প্রচারণার সময় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়নি। প্রশ্ন হচ্ছে ওই অর্থ মি: ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সম্মানহানি ঠেকানোর জন্য দেয়া হয়েছিল নাকি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে তার ভাবমূর্তি যাতে ক্ষুণ্ণ না হয় তার জন্য দেয়া হয়েছিল? আমেরিকান নির্বাচনী আইন অনুযায়ী নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে এমন যে কোন আর্থিক লেনদেনের বিষয় নির্বাচন কমিশনকে জানানোর নিয়ম। এই অর্থ নিয়ে মি: ট্রাম্পকে যদি বিচারের মুখোমুখি করতে হয়, তাহলে সেটা সাধারণ আদালতে করা যাবে না, কারণ তিনি ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু অভিশংসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কংগ্রেস তাকে বিচারের কাঠগড়ায় তুলতে পারে। সেক্ষেত্রে তদন্তকারীদের প্রমাণ করতে হবে যে নির্বাচনের কারণে তিনি মি: কোয়েনকে ওই অর্থ দিয়েছিলেন।
US President Donald Trump has responded to speculation that he might be impeached by warning that any such move would damage the economy.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
দীর্ঘদিন যাবত মোটর নিউরন ডিজিজের সাথে লড়াই করে মারা গেলেন স্টিভেন হকিং তিনি ছিলেন রসবোধ সম্পন্ন একজন মানুষ, বিজ্ঞানের একজন জনপ্রিয় দূত এবং তিনি সব সময় নিশ্চিত করতেন যেন তাঁর কাজ সাধারণ মানুষেরা সহজে বুঝতে পারেন। তাঁর লেখা বই 'এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম' অনেকটা ধারণার বাইরে বেস্ট সেলার বা সবচেয়ে বিক্রিত বইয়ে পরিণত হয়। যদিও এটা পরিষ্কার না ঠিক কতজন পাঠক এই বইয়ের শেষ পর্যন্ত যেতে পেরেছেন। আরো পড়ুন: স্টিভেন হকিং: ছবিতে বর্ণাঢ্য জীবন পদার্থবিজ্ঞানী স্টিভেন হকিং মারা গেছেন অনলাইনে হিট স্টিফেন হকিংএর পিএইচডি থিসিস জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থান পৃথিবীর ক্ষতি করবে: স্টিফেন হকিং জীবদ্দশায় তিনি বেশ কিছু টেলিভিশন প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন এবং তার কৃত্রিম কণ্ঠস্বরে কথা বলেছেন। স্টিভেন উইলিয়াম হকিং ১৯৪২ সালে ৮ই জানুয়ারি অক্সফোর্ডে জন্ম নেন। তাঁর বাবা ছিলেন একজন জীববিজ্ঞানের গবেষক এবং তিনি স্টিভেন হকিং-এর মাকে নিয়ে জার্মানের বোমার আঘাত থেকে বাঁচার জন্য লন্ডনে পালিয়ে আসেন। হকিং লন্ডন এবং সেন্ট অ্যালবানস এ বেড়ে ওঠেন। তিনি অক্সফোর্ডে পদার্থবিদ্যার ওপর প্রথম শ্রেণীর ডিগ্রী অর্জন করে ক্যামব্রিজে কসমোলজির উপর স্নাতকোত্তর গবেষণা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তার মোটর নিউরন ডিজিজ ধরা পড়ে। কেমব্রিজে গবেষণা করার সময় তাঁর মোটর নিউরন রোগ ধরা পরে যেটা তাকে প্রায় সম্পূর্ণভাবে অচল করে দেয়। ১৯৬৪ সালে যখন তিনি তাঁর প্রথম স্ত্রী জেন কে বিয়ে করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন চিকিৎসকরা বলে দেন তিনি বড় জোর দুই থেকে তিন বছর বাঁচবেন। কিন্তু রোগটি যতটা দ্রুততার সাথে ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছিল তার চেয়ে কম গতিতে ছড়ায় তার শরীরে। ১৯৮৮ সালে তিনি তার বই 'এ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম' প্রকাশ করেন। বইটির প্রায় এক কোটি কপি বিক্রি হয়- যদিও লেখক জানতেন যে বইটির পরিচিতি হয়েছে "পঠিত হয়নি এমন সর্বাধিক বিক্রিত বই" হিসেবে। তাদের তিন সন্তান আছে। ১৯৮৮ সালের মধ্যে হকিং এর অবস্থা এমন হল যে শুধুমাত্র কৃত্রিম উপায়ে কথা বলতে পারতেন তিনি। তারকাখ্যাতি স্টিভেন হকিং দেখান যে কৃষ্ণগহ্বর কিভাবে শক্তিক্ষয় করতে করতে শূন্যে মিলিয়ে যায়, পরবর্তীতে যা হকিং বিকিরণ নামে পরিচিতি পায়। কঠিন গাণিতিক হিসেব এবং পরীক্ষা ছাড়া বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিষয় তুলে ধরার অসাধারণ ক্ষমতার কারণে তিনি বিশেষভাবে পরিচিতি পান। তবে তার "থিওরি অফ এভরিথিং" বা "সবকিছুর তত্ত্ব" মানুষকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে- যাতে তিনি ধারণা দেন যে মহাবিশ্ব কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যেই বিবর্তিত হয়। "এই মহাবিশ্বের শুরু কীভাবে হলো- এমন সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে এসব নিয়ম", তিনি বলেন "কবে এর শেষ হবে? কীভাবে শেষ হবে? এসবের উত্তর যদি আমরা জানতে পারি, তাহলে আমরা আসলেই ঈশ্বরের মন বুঝতে পারবো"। 'দ্য থিওরি অফ এভরিথিং' চলচ্চিত্রে স্টিভেন স্টিভেন চরিত্রে অভিনয় করেন এডি রেডমেইন। বিখ্যাত মার্কিন কার্টুন সিম্পসনেও তার তারকা খ্যাতির চিহ্ন দেখা যায়- সিম্পসনের একটি পর্বে দেখানো হয় যে তিনি একটি পানশালায় কার্টুনটির কেন্দ্রীয় চরিত্র হোমারের সাথে মদ্যপান করছেন এবং মহাবিশ্ব ডোনাট আকৃতির, হোমারের এমন একটি ধারণা চুরি করার চেষ্টা করছেন। এছাড়াও তাকে বিবিসির জনপ্রিয় কমেডি সিরিজ রেড ডোয়ার্ফ, মার্কিন সিরিজ স্টার ট্রেক: নেক্সট জেনারেশন এবং বিগ ব্যাং থিওরির কয়েকটি পর্বে দেখা যায়। তার ভঙ্গুর শারীরিক অবস্থা সত্ত্বেও তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লুকেসিয়ান অধ্যাপক হিসেবে তার কাজ চালিয়ে যান এবং ২০০১ সালে তার দ্বিতীয় বই- ইউনিভার্স ইন এ নাটশেল প্রকাশিত হয়। খেয়ালী তিনি বিশ্বাস করতেন যে তার অসুস্থতা তার জন্য কিছু উপকারও এনে দিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, অসুস্থ হবার আগে তিনি জীবন নিয়ে বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন। অবশ্য তার শারীরিক অবস্থা অবধারিতভাবেই তাকে অন্যদের ওপর নির্ভরশীল করে তোলে। তিনি প্রায়সময়ই তার প্রথম প্রথম স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা বলতেন, যিনি ২০ বছরেরও বেশি তার দেখাশোনা করেছেন। যদিও তিনি যখন তার একজন নার্সের জন্য প্রথম স্ত্রীর সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেন তখন তার বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজনরা বেশ অবাক হয়েছিলেন। ১৯৯৫ সালে তিনি তার সাবেক নার্সকে বিয়ে করেন। ২০০০ সাল নাগাদ আঘাতের কারণে তিনি বেশ কয়েকবার কেমব্রিজের একটি হাসপাতালে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নেন। ঐসময় একটি অভিযোগ আসে যে তিনি কয়েক বছর যাবত নানাভাবে মৌখিক এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করে। তবে তিনি ছিলেন বেশ খেয়ালী। তার হুইলচেয়ারটিই তিনি প্রায়সময় বেপড়োয়াভাবে চালাতেন এবং হকিং বারবার বলেন যে, তার এসব আঘাত কোন নির্যাতনের কারণে হয়নি। পরে বিষয়টি নিয়ে পুলিশও আর আগায়নি। ২০০৭ সালে তিনি প্রথম চলৎশক্তি হীন ব্যক্তি হিসেবে একটি বিশেষ বিমানে ওজনশূন্যতার অভিজ্ঞতা নেন। মানুষকে মহাকাশ ভ্রমণে উৎসাহ দেয়ার জন্যই তিনি এটি করেছেন বলে জানান। "আমার বিশ্বাস পারমাণবিক যুদ্ধ, জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে তৈরি ভাইরাস অথবা অন্য কোন কারণে পৃথিবীতে প্রাণের অবসান হতে পারে। মানুষ যদি মহাকাশে না যায় তাহলে আমার মনে হয় মানবজাতির কোন ভবিষ্যৎ নেই। যেকারণে আমি মানুষকে মহাকাশে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে চাই"। ২০১৪ সালে স্টিফেন হকিংয়ের জীবন নিয়ে তৈরি হয় 'থিওরি অফ এভরিথিং' চলচ্চিত্র। জেন হকিংয়ের বর্ণনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় চলচ্চিত্রটি। ডিসকভারি চ্যানেলের সাথে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, পৃথিবীর বাইরে কোন বুদ্ধিমান জীবনের উপস্থিতি আছে এমন ধারণা করাটা সম্পূর্ণ যৌক্তিক এবং এলিয়েন বা ভিনগ্রহবাসীরা প্রাকৃতিক সম্পদের খোঁজে পৃথিবীতে অভিযান চালাতে পারে। আরো পড়ুন: বেসরকারি বিমান খাতকে কতটা প্রভাবিত করবে? কীভাবে করা হয় বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত? মরদেহ সনাক্ত কঠিন হচ্ছে, দেশে আনতে সময় লাগবে বিমানের 'ব্ল্যাক বক্স' আসলে কী?
Stephen Hawking - who died aged 76 - battled motor neurone disease to become one of the most respected and best-known scientists of his age.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
পাঁচ তারকা এ স্যান্টোসা হোটেলটিতে ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠক হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজ থেকে এটি নিশ্চিত করা হয়েছে। ঐতিহাসিক এ শীর্ষ বৈঠকটি আগামী ১২জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এ বৈঠকের অনেক বিষয় এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। উত্তর কোরিয়ার নেতা এবং কোন মার্কিন প্রেসিডেন্টর মধ্যে এটি হবে প্রথম বৈঠক। গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, পরিকল্পনা সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আরো পড়ুন: উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সংকট নিয়ে কতটা উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত? যেসব বিষয় প্রাধান্য পাবে ট্রাম্প-কিম বৈঠকে স্যান্টোসার শান্ত এ সৈকতে এক সময় অনেক রক্তপাত হয়েছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারা স্যান্ডার্স এক টুইটার বার্তায় নিশ্চিত করেছেন যে শীর্ষ বৈঠকটি সিঙ্গাপুরের স্যান্টোসা দ্বীপের পাঁচ তারকা কাপেল্লা হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে। যে ৬৩টি দ্বীপের সমন্বয়ে সিঙ্গাপুর দেশটি গঠিত হয়েছে স্যান্টোসা দ্বীপ সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই দ্বীপটি ৫০০ হেক্টর জায়গার উপর গড়ে উঠেছে। মূল ভূখণ্ড থেকে এ দ্বীপটি কাছে। এখানে প্রচুর বিলাসবহুল হোটেল এবং অভিজাত গলফ কোর্স রয়েছে। তবে স্যান্টোসা দ্বীপের একটি কালো অধ্যায় রয়েছে। দস্যুতা, রক্তপাত এবং যুদ্ধের ইতিহাস রয়েছে এ দ্বীপের। উনিশ শতকে ব্রিটেনের অধীনস্থ একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে সিঙ্গাপুরের আবির্ভাব ঘটে। একটি পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে স্যান্টোসা দ্বীপকে। ভারত এবং চীনের মধ্যে যে সমুদ্র পথ আছে সেটির মাঝখানে সিঙ্গাপুরের অবস্থান। ফলে সিঙ্গাপুরের আলাদা একটি গুরুত্ব রয়েছে। ব্রিটিশ শাসনের পূর্বেই সিঙ্গাপুর ছিল একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছিল। এখানে ব্যবসায়ীদের আসা-যাওয়া যেমন ছিল, তেমনি দস্যুদের আনাগোনাও ছিল। স্যান্টোসা দ্বীপটি 'মৃত্যুর দ্বীপ' হিসেবে পরিচিত ছিল। কারণ এ দ্বীপ দস্যুতার জন্য পরিচিত ছিল। ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের আত্নসমর্পনের পর সিঙ্গাপুর জাপানের হাতে চলে যায়। তখন জাপানীরা এ দ্বীপটিকে 'সায়োনান' অর্থাৎ 'দক্ষিণের বাতি' নামে নতুন নামকরণ করে। সে দ্বীপে নৃ-তাত্ত্বিক চীনা সম্প্রদায়ের বসবাস ছিল। জাপান-বিরোধীদের সেখান থেকে সরানোর নামে বহু মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। পর্যটনের নানা আকর্ষনীয় দিক আছে স্যান্টোসা দ্বীপে। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী চীনা পুরুষদের বিভিন্ন জায়গায় ডেকে নিয়ে মেশিনগান দিয়ে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে সাগরে ফেলে দেয়া হয়। যেসব জায়গায় হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল তার মধ্যে বর্তমানে কাপেল্লা হোটেলের সামনে সমুদ্র সৈকত অন্যতম। ১৯৭০ সালে সিঙ্গাপুর সরকার দ্বীপটির নামকরণ করে স্যান্টোসা, যার অর্থ 'শান্তি'। এরপর দ্বীপটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়। এ দ্বীপে গড়ে উঠেছে অনেক ব্যয়বহুল আবাসন প্রকল্প। এখানে একেকটি বাড়ির দাম কয়েক মিলিয়ন ডলার। সে সাথে রয়েছে বিলাসবহুল, গলফ কোর্স এবং নানা ধরনের অভিজাত রেস্টুরেন্ট। সিঙ্গাপুরে বৈঠক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার নেতা আগ্রহ ছিল। চিকিৎসার জন্য তিনি সিঙ্গাপুর যান। মূল ভূখণ্ডের কাছ হওয়ায় স্যান্টোসা দ্বীপ বেশ নিরাপদ। এ দ্বীপে যাওয়ার জন্য যেসব প্রবেশ পথ আছে সেগুলোকে খুব সহজেই নিরাপদ রাখা যায়। সেখানে যাওয়ার জন্য একটি ক্যাবল কার লাইন, একটি মনোরেইল লাইন এবং যানবাহন চলাচলের একটি টানেল রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা আলোচনায় যদি কোন বিরতি নিতে চান, তাহলে সেখানে গলফ কোর্সও রয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুতে পারেন: ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠক হবে ১২ই জুন সিঙ্গাপুরে নেতার হোটেল বিলের টাকা নেই উ. কোরিয়ার? কিম জং-আনের কাছে লেখা চিঠিতে কী বলছেন ট্রাম্প? কিমের সাথে শীর্ষ বৈঠক হতেও পারে, বললেন ট্রাম্প
The much-anticipated meeting between US President Donald Trump and North Korean leader Kim Jong-un will take place at a hotel on the Singaporean island of Sentosa, the White House has confirmed.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
রুবা ও ইনারা এখন আইভিএফ পদ্ধতির সাহায্য সন্তান নিতে চান রুবা, যার মাধ্যমে তাদের মিলবে স্বাস্থ্যকর একটি ভ্রূণ । যদিও সাকিব ভরসা রাখতে চাইছেন সৃষ্টিকর্তার ওপর। তবে অনেক আত্মীয়-স্বজন চান এই দুজন আলাদা হয়ে যাক এবং পুনরায় বিয়ে করুক। ব্রিটেনের ব্র্যাডফোর্ডে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা রুবা বিয়ের আগে কেবল দুইবার পাকিস্তানে বেড়াতে গিয়েছিলেন। প্রথমবার তার বয়স ছিল চার বছর এবং এরপর যখন যায় তখন তার বয়স ছিল বারো বছর। এখন যে মানুষটির সাথে তিনি আবদ্ধ সেই মানুষটির কথাও তিনি সেভাবে স্মরণ করতে পারেনা। তার সাথে কখনো একসাথে সময় কাটাতে পারেননি রুবা। রুবার বয়স যখন ১৭ তখন ছেলেটির বয়স ছিল ২৭ । ছেলেটি চালক হিসেবে কাজ করতেন। আরও পড়তে পারেন: সীমা ও হৃদয়ের জীবন বদলে দিয়েছেন যে ফটোগ্রাফার বিশ্বজুড়ে নারীদের সন্তান জন্ম দেয়া কমে যাচ্ছে? আপনার সন্তান কেবল দুরন্ত নাকি মানসিক সমস্যাগ্রস্থ? এত অল্পবয়সে বিয়ে করার মোটেই ইচ্ছা ছিল না রুবা বিবির। তার ইচ্ছা ছিল এ লেভেল শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার। কিন্তু তিনি তার স্কুল সার্টিফিকেট শেষ করার আগেই পাকিস্তানে তার বাবা মা তার বিয়ে দিয়ে দেন কাজিন সাকিব মেহমুদের সাথে।। "আমি খুবই নার্ভাস ছিলাম কারণ তাকে আমি একটুও চিনতাম না। আমি ছিলাম খুবই লাজুক প্রকৃতির এবং বেশি কথা বলতাম না। ছেলেদের প্রতি আমার কোনও আগ্রহ ছিলনা। আমি শুধু বাবা-মাকে বলেছিলাম আমার স্কুল শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এসব না করতে। " পাকিস্তানে তিন মাসের মাথায় রুবা গর্ভবতী হয়ে পড়লে, দুমাস পর তিনি ব্রাডফোর্ডে ফিরে আসেন। এত দ্রুত সন্তান ধারনের বিষয়টি তাকে বিচলিত করে তোলে, কিন্তু বিষয়টি আবার আনন্দিতও করে তাকে। ২০০৭ সালে যখন তাদের পুত্র হাসানের জন্ম হয় তিনি আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে স্বামী সাকিবকে জানান যে সবকিছু ঠিকঠাক আছে। যদিও বাচ্চাটি প্রচুর ঘুমচ্ছিল এবং তাকে খাওয়াতে বেশ সমস্যা হচ্ছিল। রুবা ভেবেছিলেন "বিষয়টি স্বাভাবিক"। কয়েক সপ্তাহ পরে হাসানকে চেক আপের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান রুবা এবং চিকিৎসক তাকে দেখে নোট করলেন যে হাসানের নিতম্ব অসাড় হয়ে আছে। "তিনি বাচ্চাটিকে রেফার করতে চাইলেন কিন্তু আমি ভেবেছিলাম বিষয়টি মামুলি। তারা কিছু টেস্ট দেন এবং তারপর আমাকে ফোনে বলা হয় পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলাফলের জন্য শিশু-বিভাগে যেতে"। রুবা বলেন, "টেস্টের রিপোর্ট দেখার পর চিকিৎসক জানান খুব খারাপ খবর আছে। তিনি আমার হাতে একটি লিফলেট দিয়ে বললেন আমার ছেলের এই সমস্যা রয়েছে এবং এটা খুবই বিরল।" "আমার জন্য এটি সহ্য করা ছিল ভয়াবহ ব্যাপার, আমি কেবল কাঁদছিলাম। আমি বাড়িতে ফিরে স্বামীকে পাকিস্তানে ফোন দিলাম, সে আমাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিল। বলছিল, সবাইকেই সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয় এবং আমরাও আমাদের সমস্যা একসাথে মোকাবিলা করবো।" রুবার কোনো ধারণা ছিলনা যে তিনি এবং তার স্বামী(কাজিন) দুজনের শরীর আই-সেল বা রিসিসিভ জিন (প্রচ্ছন্ন জিন) বহন করছে যা একটি শিশুর সঠিক বৃদ্ধি ও বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে। এই ঘটনার সাতমাস পরে সাকিব যুক্তরাজ্যে যাওয়ার ভিসা পান এবং প্রথমবার নিজের ছেলেকে কোলে তুলে নেয়ার সুযোগ হয় তার। "সে বলে বাচ্চাকে দেখে মনে হচ্ছিল স্বাভাবিক একটি শিশু। সে বসতো না বা হামাগুড়ি দিতো না কিন্তু আমার স্বামী বলে, কোন কোন শিশু এসব ক্ষেত্রে দেরিতে করে থাকে।" জানান রুবা। ইনারা মারা যায় দুই বছর বয়সে। কিন্তু সমবয়সী অন্যান্য শিশুদের সাথে মেলালে নিজের বাচ্চার মধ্যে অনেক পার্থক্য দেখত পেতেন রুবা। হাসানের বৃদ্ধি হচ্ছিল খুব ধীরে ধীরে এবং বুকে ইনফেকশন নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া-আসার মধ্যেই ছিল। এরপর ২০১০ সালে যখন তাদের পরবর্তী শিশুর জন্ম হয় তখন বিভিন্ন পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যায় যে তিনিও বিরল আই-সেল রোগে আক্রান্ত। তৃতীয়বারের মত সন্তান ধারণের আগে রুবা লিডসের একজন মুসলিম পীর মুফতি যুবায়ের বাটের কাছে জান পরামর্শ নিতে। জানতে চান , ধর্মীয়ভাবে এমন কি করা যেতে পারে যাতে করে তার গর্ভাবস্থায় আই-সেল সমস্যা থাকলেও তা থেকে রক্ষা করবে তাকে? তিনি তাকে বলেন এমন ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে কিন্তু তাকে(রুবা) আরও সতর্ক হতে হবে। ওই ব্যক্তি তাকে বলেন, "আপনার যদি যেকোনো অবস্থাতেই বাচ্চা মারা যায় অথবা সে যদি দ্রুত মারা না-ও যায়, তবু সে অসুস্থ থাকবে। যথেষ্ট কারণ আছে তার ভেতরে আত্মা প্রবেশের আগে তাকে শেষ করে দিতে হবে।" রুবা সিদ্ধান্ত নেয় যে সে গর্ভপাত ঘটাবে না। ২০১৫ সালে সে যখন তৃতীয় সন্তানে ইনারাকে গর্ভে ধারণ করে, তখন সে মেডিকেল স্ক্যান নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য চিকিৎসকদের অনুরোধ উপেক্ষা করে। "আমি স্বাভাবিক গর্ভাবস্থার মতো করে বিষয়টিকে দেখাতে চেয়েছি। আমার মাথার ভেতর কোনো সন্দেহ ঢুকতে দিতে চাইনি। আমি অ্যাবরশন করাতে চাইছিলাম না, তাই আমি প্রেগন্যান্সিকে এনজয় করতে চাইছিলাম।" "আমি আমার স্বামীকে বলেছিলাম এই শিশুটিও অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি আছে। সে বলে, " বেশ। আমার মনে হয় সে বিষয়ে সন্দেহ আছে- আমি জানতাম খারাপ যা কিছু ঘটবে তা আমাদের দুজনের জন্যই সমান।" রুবা ও সাকিব দম্পতির প্রথম সন্তান হাসাম কিন্তু ইনারাও জন্ম নিল আইসেল ডিজঅর্ডার নিয়ে। "আমি সত্যিই খুশি হয়েছিলাম যে আমি একটি সন্তান পেয়েছি কিন্তু যখন তাকে দেখলাম আমরা যেন কিছুটা বুঝতে পারি। আমি দুঃখিত এবং হতাশ হয়ে গেলাম, আমরা একটা সুস্থ বাচ্চা আশা করেছিলাম। আমি জানতাম না কতটা কষ্টের মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হবে, কিন্তু আমার স্বামী খুশি ছিল। প্রায় এক বছর আগে ইনারা মারা গেল, দু বছর বয়সে। গত ডিসেম্বরে চেস্ট ইনফেকশনের কারণে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে দ্রুত তার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। "ইয়র্কের চিকিৎসকরা তাকে বাঁচাতে শতভাগ চেষ্টা করেছেন। আমি আশা নিয়ে থাকলো দেখতে পাচ্ছিলাম তার কত কষ্ট। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে অচেতন রাখা হয়েছিল। বেশিরভাগ সময় আমি তাকে আমার হাতে ধরে রাখতাম।, তারপর তার পাশে শুয়ে থাকতাম। আমার স্বামী বুঝে গিয়েছিল যে সে তার জীবনের শেষ নি:শ্বাসটুকু নিচ্ছিল।" এই দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান আলীসাবাহ ছয়টি মিসক্যারেজ এবং তিনটি শিশু মৃত্যুর শোকে হতবিহবল রুবা, ইনারার মৃত্যুর শেষদিকে আবারও গর্ভবতী ছিলেন কিন্তু সেটাও তিনি বুঝতে পারেননি। তিনি জানান ইনারার মৃত্যুর পর তার বাচ্চাদের দুর্ভাগ্য এবং কাজিনকে বিয়ের বিষয়টির মধ্যে একটা যোগসূত্র খুঁজে পান রুবা। কাজিনদের মধ্যে বিয়ে ২০১৩ সালে চিকিৎসা বিষয়ক জার্নাল ল্যাঞ্চেট একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে বলা হয়, ব্র্যাডফোর্ডে জন্ম নেয়া ৬৩% পাকিস্তানি মায়েদের কাজিন অর্থাৎ চাচাতো-মামাতো-খালাতো ভাইদের মত নিকটাত্মীয়দের সাথে বিয়ের সম্পর্কে আবদ্ধ হতে দেখা যায় এবং তাদের জন্মগত বৈকল্য নিয়ে শিশু জন্মদানের ঝুঁকি দ্বিগুণ। জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেয়া শিশু বিশেষ করে হার্টের কিংবা নার্ভের সমস্যা নিয়ে জন্ম হার রক্ত সম্পর্কের আত্মীয়দের মধ্যে এখনো অল্প কিন্তু তা ৩% থেকে বেড়ে ৬% হয়েছে। বাবার সাথে ইনারা ইনারার মৃত্যুর পর ব্রিটেনে নিজেদের আত্মীয়রা রুবা এবং সাকিবকে সুস্থ সন্তান পাওয়ার জন্য একে অপরের কাছ থেকে স্বেচ্ছায় বিচ্ছেদের পথ বেছে নেয়ার উপদেশ দিতে থাকেন। এর মাধ্যমে দুজনের পুনরায় বিয়ে করার এবং অন্য কারো সাথে সংসার করে সুস্থ শিশু জন্মদানের সুযোগ হবে -তাদের যুক্তি। "আমরা বলেছি না" রুবা বলেন, "আমার স্বামীর বক্তব্য হল 'সৃষ্টিকর্তা যদি সন্তান দিতে চান তাহলে তোমার মাধ্যমেই দিতে পারবেন। তিনি তোমার মাধ্যমে আমাকে বাচ্চা দিয়েছিলেন, তিনিই তোমার মাধ্যমে সুস্থ বাচ্চা দিতে পারবেন। না আমি আবার বিয়ে করছি, না তুমি।" যদিও ২০০৭ সালে রুবা বিয়ে করতে অনিচ্ছুক থাকলেও সেই বিয়ের ১০ বছর পরে এসে তিনি বিচ্ছিন্ন হতে চান না। "বাচ্চার জন্য স্বজনরা আমাদের আপোষে বিচ্ছিন্ন করতে চায়। কিন্তু তার সাথে সুস্থ সন্তান হলে সেই অনুভূতি আর অন্য আরেকজনের সাথে বিয়ে করে বাচ্চা হলে কি একই অনুভূতি হবে? সন্তান হয়তো পাবো কিন্তু সুখী বিবাহিত জীবন নয়।" এখন তাদের সামনে একটাই সম্ভাবনা-আইভিএফ। এটার মাধ্যমে চিকিৎসকরা ভ্রূণের অবস্থা পরীক্ষ করতে পারবেন, এতে তারা আই-সেল ডিজিজকে রিজেক্ট করে রুবার পেটে স্বাস্থ্যকর ভ্রূণ স্থাপন করতে পারবেন। রুবা যদিও বলেন, তার স্বামী সাকিব এই বিষয়টিতে বিশ্বাসী নন। তিনি ভরসা রাখতে চান সৃষ্টিকর্তার ওপরে। তবে অপেক্ষা করে সময় নষ্ট করতে চাননা রুবা। রুবা জানেন না সামনে কী ঘটতে যাচ্ছে। এই দম্পতির করুন কাহিনী পরিবারের মধ্যে অন্য অনেকের কাজিন ম্যারিজ বা রক্তের সম্পর্কের নিকটাত্মীয়র মাঝে বিয়ের বিষয়ে অনীহা তৈরি করেছে এমনকি রুবার নিজের ভাই এ ধরনের বিয়েকে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
Ruba and Saqib both carry a gene for an incurable condition, which means their children have a one-in-four chance of dying in early childhood. They've already lost three. Ruba now wants IVF, to select a healthy embryo. Saqib is putting his trust in Allah. And some relatives want them to separate and remarry.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
এই গবেষণায় ৪,৫৫৭টি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। দেখা গেছে, এর মধ্যে মাত্র ৩৪টি ঘটেছে যৌন সম্পর্ক করার সময় কিম্বা এর এক ঘণ্টার মধ্যে। এবং এদের মধ্যে ৩২জনই পুরুষ তবে যৌন সম্পর্কের কারণে হঠাৎ করেই হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা খুব কমই ঘটে থাকে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ওপর পরিচালিত একটি গবেষণায় একথা বলা হয়েছে। এই গবেষণায় ৪,৫৫৭টি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। দেখা গেছে, এর মধ্যে মাত্র ৩৪টি ঘটেছে যৌন সম্পর্ক করার সময় কিম্বা এর এক ঘণ্টার মধ্যে। এবং এদের মধ্যে ৩২জনই পুরুষ। সিডার্স-সিনাই হার্ট ইন্সটিউটের সুমিত চঘ বলেছেন, যৌন সম্পর্কের সাথে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সম্পর্কের ওপর এই প্রথম এরকম একটি গবেষণা পরিচালিত হলো। অ্যামেরিকান হার্ট এসোসিয়েশনের এক সভায় গবেষণার এই প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, হৃদযন্ত্র যখন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না এবং হঠাৎ করে সেখানে হৃদকম্পন বন্ধ হয়ে যায় তখনই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা ঘটে। তারা বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়তে পারে এবং তার নিশ্বাস গ্রহণও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর দ্রুত চিকিৎসা না হলে তার মৃত্যুরও আশঙ্কা রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। হৃদযন্ত্রে যখন রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। যৌন সম্পর্কের কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এটি আগে জানা থাকলেও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সাথে এর সম্পর্কের ব্যাপারে আগে কিছু জানা ছিলো না। ক্যালিফোর্নিয়ায় ড. চঘ এবং তার সহকর্মীরা ২০০২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত হাসপাতালে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ফাইলগুলো পরীক্ষা করে দেখেছেন। যৌন সম্পর্কের কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এটি আগে জানা থাকলেও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সাথে এর সম্পর্কের ব্যাপারে আগে কিছু জানা ছিলো না। তারা বলছেন, যৌন সম্পর্কের কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি ১ শতাংশেরও কম। গবেষকরা বলছেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশিরভাগই পুরুষ এবং মধ্যবয়সী। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন হার্ট অ্যাটাকের পর যৌন সম্পর্ক শুরু করার ব্যাপারে রোগীদেরকে চার থেকে ছয় সপ্তাহ অপেক্ষা করার জন্যে পরামর্শ দিয়ে থাকে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ব্যাপারে কিছু তথ্য:
Sudden cardiac arrest is associated with sexual activity far more often in men than women, research suggests.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
গ্যাসের লাইনে ফুটো হয়ে একটা বিস্ফোরণ ঘটেছিল করাচীতে, কিন্তু সেখানে কোন সহিংসতা হয়নি। পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছিল যে সৈন্যরা সিন্ধু প্রদেশের পুলিশ প্রধানকে অপহরণ করেছে। শীর্ষস্থানীয় এক বিরোধী রাজনীতিককে গ্রেফতার করতে পুলিশকে বাধ্য করার জন্যই নাকি ঐ পুলিশ প্রধানকে অপহরণ করা হয়। এই খবরের পরই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে করাচীতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে বলে খবর প্রচার করা হতে থাকে। পাকিস্তানি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরটি সীমান্তের ওপারে ভারতীয় গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে অনেক দ্রুত। তবে সেখানে ঘটনার বিবরণ বিস্তৃত হয় অনেক দূর। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হতে থাকে, পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর করাচীর বহু পুলিশ অফিসার নিহত হয়েছে। করাচীর রাস্তায় ট্যাংক দেখা গেছে। টুইটারে একটি ভুয়া ভিডিও চালাচালি হতে থাকে যেটিতে নাকি করাচীর এই কথিত গৃহযুদ্ধের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এর কোন কিছুই আসলে সত্য নয়। এই রাজনীতিকের গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যা ঘটেছিল, তাতে স্থানীয় পুলিশ এবং বিরোধী রাজনৈতিকরা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে কোন সহিংসতাই ঘটেনি। পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্য রয়েছে তিক্ত বৈরিতা। এই দুটি দেশ যে একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালায় সেটাও মোটামুটি জানা। ১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর এ পর্যন্ত ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে তিনটি যুদ্ধ হয়েছে। গতবছর পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন কিছু নেটওয়ার্ককে ফেসবুক নিষিদ্ধ করেছিল। একইভাবে ভারতপন্থী কিছু আন্তর্জাতিক ভুয়া নিউজসাইট এবং থিংক ট্যাংকের আসল চেহারা উন্মোচিত হয়েছিল। মূলত ইউরোপের দেশগুলোতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার জন্য এসব ভারতপন্থী ভুয়া নিউজ সাইট এবং থিংক ট্যাংক চালানো হয়। তবে এবারের ঘটনায় অনেক ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট এবং নামকরা সংবাদ প্রতিষ্ঠান থেকে পর্যন্ত লাখ লাখ ফলোয়ার এবং পাঠকের কাছে এই খবরটি প্রচার করা হয়েছে, যে খবরটি ছিল একদম ভুয়া। 'অস্তিত্বহীন জায়গায় যুদ্ধ' ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে এ পর্যন্ত তিনবার যুদ্ধ হয়েছে মঙ্গলবার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের জামাতা সাফদার আওয়ানকে গ্রেফতারের ঘটনাকে ঘিরে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। এই গ্রেফতারের ঘটনার ব্যাপারে পাকিস্তানের সেনা প্রধান এখন একটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগের দিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে করাচীতে বিরোধী দলগুলোর এক বিরাট সমাবেশ হয়। করাচী হচ্ছে সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী। সেখানে বিরোধী দলগুলোর জোরালো সমর্থন আছে। মঙ্গলবার রাতে একটি প্রায় অপরিচিত টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা হয় যে করাচীতে সৈন্যদের সঙ্গে পুলিশের যুদ্ধ শুরু হয়েছে। করাচীর রাস্তায় ট্যাংক নেমেছে। অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। প্রথম এই টুইট কে করেছিলেন তার স্পষ্ট নয়। বিবিসি অনেক খোঁজখবর নিয়েও @drapr007 নামের এই টুইটার অ্যাকাউন্টটি কে চালায় সে সম্পর্কে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি। এই টুইটের এক ঘন্টা পর একই অ্যাকাউন্ট থেকে আরেকটি টুইট করা হয়। এবারের টুইটে ব্রেকিং নিউজ হ্যাশট্যাগ দিয়ে বলা হয়, করাচীর গুলশান-ই-বাগ এলাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং সিন্ধু পুলিশের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি চলছে। বিরোধী দলের জনসভার পর করাচীতে উত্তেজনা বাড়ছিল যারা করাচী শহর চেনেন, তারা জানেন যে সেখানে গুলশান-ই-বাগ নামে কোন এলাকার অস্থিত্বই নেই। কিন্তু বেশিরভাগ পাঠক তো আর সেটি জানেননা। আর করাচীতে কোন লড়াই আসলে চলছিল না। সেখানে রাস্তায় কোন ট্যাংকও দেখা যায়নি। কিন্তু করাচীর এই কথিত গৃহযুদ্ধের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লো। একটি গ্যাস লাইনে বড় বিস্ফোরণের পর এই গুজব যেন আরও ডালপালা ছড়ালো। এবার অনেক ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে এবং বড় বড় ভারতীয় গণমাধ্যমে এই কথিত 'গৃহযুদ্ধের' খবর প্রচার করা শুরু হলো। এর মধ্যে সিএনন-নিউজএইটিন, জি নিউজ এবং ইন্ডিয়া টুডে পর্যন্ত ছিল। করাচীতে লড়াই চলছে বলে ভুয়া খবর যেসব ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এই গৃহযুদ্ধের খবর প্রচার করা হচ্ছিল, তার একটি প্রশান্ত প্যাটেল নামে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবীর। তিনি একের পর এই টুইটে দাবি করতে থাকেন করাচীতে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে পুলিশ এবং সেনাসদস্য নিহত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রেডিওতে দেশাত্মবোধক গান বাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি মার্কিন নৌবাহিনি করাচী বন্দরে আসতে যাচ্ছে, এরকম খবর দিয়েও টুইট করেন তিনি। বিবিসির রিয়েলিটি চেক টিম কিছু কিছু অ্যাকাউন্ট এবং ওয়েবসাইট যাচাই করে দেখেছে, যেগুলো থেকে করাচীতে গৃহযুদ্ধ চলছে বলে ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছিল। এই অ্যাকাউন্ট এবং সাইটগুলো সিন্ধু পুলিশের বলে দেখানো হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এসব অ্যাকাউন্ট বা সাইট আসলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে দেখতে পেয়েছে বিবিসির রিয়েলিটি চেক টিম। ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়, যেখানে করাচীর লড়াইয়ের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করা হয়। এই ঝাপসা এবং প্রায় অন্ধকার ভিডিওতে দেখা যায় কিছু যুবক একটি ভবনের দিকে হেঁটে যাচ্ছে। ভবনটির একপাশে আগুন জ্বলছে। যুবকরা মনে হচ্ছে যেন পাকিস্তানের সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে দিতে পাথর ছুঁড়ছে। এই ভিডিওটি আদৌ পাকিস্তানে ধারণ করা কিনা বা এটি আসলো বানানো কিনা, সেটি বিবিসি যাচাই করতে পারেনি। ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড একটি অধুনা বিলুপ্ত ভারতীয় কোম্পানির নামে নিবন্ধিত হয়েছিল ২০১৮ সালে। তাদের একটি টুইটার একাউন্ট ২০১৫ সাল থেকে সচল। এই টুইটার অ্যাকাউন্টটি কাউকে ফলো করে না। তবে এই অ্যাকাউন্টটি যারা ফলো করেন, তাদের মধ্যে দুজন হচ্ছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা। সমন্বিত অপপ্রচার ইন্ডিয়া টুডে'র মতো নিউজ সাইটেও বেরিয়েছে ভুয়া খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের এসব দাবি অবশ্য সাথে সাথেই চ্যালেঞ্জ করা হয় পাকিস্তানের মূলধারার গণমাধ্যমে। ভারতীয় গণমাধ্যমের এসব রিপোর্ট নিয়ে টুইটারে বহু মানুষ বিদ্রুপ-হাসাহাসি করেছেন সারাদিন। 'সিভিলওয়ারকরাচী', 'ফেইকনিউজ' এবং 'ইন্ডিয়ানমিডিয়া' হ্যাশট্যাগে তারা অনেক রঙ্গ রসিকতা মূলক পোস্ট এবং মিম শেয়ার করেন টুইটারে। আরও পড়ুন: পাকিস্তানের নামকরা সঙ্গীতশিল্পী এবং অভিনেতা ফখরে-ই-আলম টুইট করেন: "করাচীর গৃহযুদ্ধ এত ভয়াবহ আকার নিয়েছে যে ফুড পান্ডায় অর্ডার করা আমার নিহারি আর বিরিয়ানি ডেলিভারি দিতে আসা ছেলেটিকে মাইনফিল্ডের ভেতর দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে আসতে হয়েছে। খাবারের সঙ্গে তাকে তার একে-ফরটি-সেভেন, আরপিজি এবং নাইনএমম পিস্তলও বহন করতে হয়েছে।" লেখিকা বিনা শাহ লিখেছেন, "আমি করাচীতে থাকি। আমি মাত্রই মুদি দোকান, বেকারি ঘুরে, বাজার সেরে, কিছু কাপড়-চোপড় কিনে ঘরে ফিরেছি। করাচীতে যদি গৃহযুদ্ধ চলে থাকে আমি সেটি কোথাও দেখিনি।" অনেকে এসব ভুয়া খবরকে ভারতী গণমাধ্যমের 'সমন্বিত অপপ্রচার' বলে বর্ণনা করেন। 'সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পর্কহীন অপপ্রচার‌' হরতোষ সিং বাল ভারতের একটি নামী নিউজ ম্যাগাজিন ক্যারাভানের রাজনৈতিক সম্পাদক। তিনি বিবিসিকে বলেন, "এই দুটি দেশেই মিডিয়ার একটি অংশ এরকম খেলায় ব্যস্ত, তারা যা করে তার সঙ্গে সাংবাদিকতার কোন সম্পর্ক নেই।" নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন সিনিয়র ভারতীয় সাংবাদিক বলেন, ভারতীয়রা পাকিস্তানের এমন একটি চিত্র তুলে ধরতে চায় যে পাকিস্তানের পতন ঘটছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং পুলিশের মধ্যে এরকম বিরোধের খবর সেই সেই বয়ানের সঙ্গে ভালোই যায়। "এসব ভুয়া তথ্য যেসব টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচার করা হচ্ছে, সেগুলো পরীক্ষা করলেই দেখা যাবে এরা আসলে ভারতের ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক।" পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ডিজিটাল স্ট্রাটেজি বিষয়ক উপদেষ্টা আরসালান খালিদ বলেন, ভারতীয় মিডিয়ার তরফে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সমন্বিত অপপ্রচারের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। টুইটার তার ঘোষিত নীতিমালা কতটা মেনে চলছে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। ফেইক নিউজের ব্যাপারে তাদের নীতিমালা কী, বিবিসি বার বার চেষ্টা করেও টুইটারের কাছ থেকে সে প্রশ্নের কোন জবাব পায়নি। (বিবিসির রিয়েলিটি চেক এবং বিবিসি মনিটিরিং এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছে।) বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর:
Fake news has been widely circulating on Indian sites and social media this week, claiming a civil war had broken out in the Pakistani city of Karachi.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
জানাজায় অংশ নিতে আসে বিপুল পরিমাণ মানুষ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শুক্রবার ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় হত্যা করা হয় সোলেইমানিকে। জানাজার নামাজের ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনি। এক পর্যায়ে তাকে কাঁদতে দেখা যায়। সোলেইমানি হত্যার কঠোর প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছে ইরান এবং রবিবার তারা ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে নিজের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ৬২ বছর বয়সি সোলেইমানি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সামরিক অভিযানের প্রধান ছিলেন এবং যাকে যুক্তরাষ্ট্র একজন সন্ত্রাসী হিসেবেই দেখতো। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, সোলেইমানি মার্কিন কূটনীতিক এবং ইরাক ও ওই অঞ্চলের অন্য জায়গায় থাকা মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের উপর "আসন্ন এবং ভয়াবহ হামলার ষড়যন্ত্র" করছিলেন। কাসেম সোলেইমানির নামাজে জানাজায় নেতৃত্ব দেন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি সোলেইমানির জানাজায় কী হয়? রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয় যে, তেহরানের রাস্তায় বিশাল জনসমাগম হয়েছে জানাজা ঘিরে। সোলেইমানিকে দেশটিতে জাতীয় নায়ক এবং সর্বোচ্চ নেতা খামেনির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান ব্যক্তি হিসেবে দেখা হতো। জানাজায় অনেক মানুষকেই কাঁদতে দেখা গেছে। কেউ কেউ সোলেইমানির ছবি আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। মানুষ সোলেইমানির কফিন মাথার উপর দিয়ে বয়ে নিয়ে চলে এবং "আমেরিকার মৃত্যু" বলে স্লোগান দিতে থাকে। সোলেইমানির মেয়ে জয়নাব সোলেইমানি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য যুক্তরাষ্ট্র "কালো দিন" দেখবে। "পাগল ট্রাম্প, তুমি ভেবো না যে আমার বাবার শাহাদাতের মধ্য দিয়ে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে," তিনি বলেন। সোমবারের জানাজার পর, জেনারেলের মরদেহ শিয়া ইসলামের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত কোমে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে মঙ্গলবার কেরমানে তার গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হবে। তেহরানে সোলেইমানির পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট রূহানি বলেন: "আমেরিকানরা আসলেই বুঝতে পারেনি যে তারা কত বড় ভুল করেছে।" সোলেইমানিকে ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি বলে মনে করা হতো "এই এলাকার উপর থেকে যেদিন আমেরিকার নোংরা হাত কেটে ফেলা হবে, সেদিনই তার রক্তের বদলা পূরণ হবে।" ইরানের প্রতিক্রিয়া: রবিবার ইরান ঘোষণা দিয়েছে যে, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির কোন শর্ত তারা আর মেনে চলবে না। ওই চুক্তিতে, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিনিময়ে ইরান পরমাণু সক্ষমতা কমাতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু এক বিবৃতিতে, ইরান বলেছে যে, পরমাণু সমৃদ্ধকরণের সামর্থ্যে, মাত্রায়, মজুদ করায়, গবেষণা বা উন্নয়নের ক্ষেত্রে আর কোন সীমাবদ্ধতা মানবে না। এই চুক্তির তিন ইউরোপীয় দেশ জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য ইরানকে চুক্তির শর্ত মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। রবিবার, ইরাকি এমপিরা, বিদেশি সেনাদের দেশত্যাগের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। এর আগে, ইসলামিক স্টেট গ্রুপকে পরাজিত করতে সহায়তা করার জন্য মার্কিন বাহিনীকে ইরাকে স্বাগত জানানো হয়। ইরানের কুদস বাহিনীর নতুন প্রধান- যার নেতৃত্বে সোলেইমানি ছিলেন- তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিতাড়িত করার অঙ্গীকার করেছেন। ট্রাম্প কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে? ইরানের হুমকির পর, মিস্টার ট্রাম্প বলেন যে, সোলেইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে কোন পদক্ষেপ নেয়া হলে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা হামলা চালাবে, আর সেটা হবে "অনেকটা অতর্কিতভাবে"। তিনি বলেন, তেহরান যদি আমেরিকান নাগরিক বা মার্কিন সম্পদে হামলা চালায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের ৫২টি সাইটে হামলা চালাতে প্রস্তুত এবং তা "খুব দ্রুত ও কঠোর" হবে। আরো খবর: ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দিল্লিতে ছাত্র-শিক্ষকদের ওপরে মুখোশধারীদের হামলা বিমানের মুনাফা: দেনা শোধ না করে লাভ কতটা যৌক্তিক? বিদেশি ফুটবলারদের সম্পর্কে কীভাবে তথ্য যাচাই হয় চুল শুকানোর যন্ত্র দিয়ে মাঠ শুকানোর চেষ্টা
Huge crowds have packed the streets of the Iranian capital Tehran for the funeral of military commander Qasem Soleimani.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
প্ল্যাকার্ডটি সোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায়। নারী দিবসের একদিন আগে করাচীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ বছর বয়সী এই দু'জন শিক্ষার্থী পোস্টার তৈরির একটি সেশনে অংশ নিয়েছিলেন। তারা এমন একটি পোস্টার বানাতে চেয়েছিলেন যাতে সবার দৃষ্টি পড়ে। এজন্যে নানা আইডিয়া নিয়ে তারা চিন্তাভাবনা করতে শুরু করেন। সেসময় তাদের পাশের একজন বান্ধবী দুটো পা দু'পাশে ছড়িয়ে বসেছিল। এটা দেখেই তারা একটি পোস্টার বানানোর আইডিয়া পেয়ে যান। রুমিসা মনে করেন, নারীরা কীভাবে বসবে তা নিয়ে প্রচুর কথাবার্তা হয়। "আমাদেরকে খুব মার্জিত হতে হবে। আমাদের শরীরের আকার আকৃতি যাতে দেখা না যায় সেজন্যে সচেতন থাকতে হবে। পুরুষরা যখন পা ছড়িয়ে বসে তখন সেদিকে কেউ তাকিয়েও দেখে না।" কিন্তু রুমিসা যে প্ল্যাকার্ডটি তৈরি করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে সানগ্লাস চোখে দেওয়া এক নারী নিঃসঙ্কোচে পা ছড়িয়ে বসে আছেন। তার বান্ধবী রাশিদা তখন একটি শ্লোগান লিখে দিয়েছেন। মেয়েদেরকে যে "কীভাবে বসতে হবে, হাঁটতে হবে, কথা বলতে হবে" এসব নিয়ে উপদেশ দেওয়া হয় সেবিষয়েই তিনি লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন। তারা তখন একটি শ্লোগানের ব্যাপারে একমত হয়ে লিখেন: "এই আমি ঠিকমতো বসেছি।" হাবিব বিশ্ববিদ্যালয়ে এই দুজনের প্রথম দেখা হয়েছিল। তারপর একসময় তারা ভাল বন্ধু হয়ে যান। নিজেদের জীবনের সব অভিজ্ঞতা থেকে নারী অধিকারের ব্যাপারে তাদের মধ্যে একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছিল। রুমিসা বলেন, তাকে প্রতিদিনই বিয়ে করার কথা শুনতে হয়। এজন্যে তাকে পরিবার থেকে চাপও দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যে তিনি অবিবাহিত থাকতে পেরেছেন, সেটা তার কাছে "একটা ব্যক্তিগত বিজয়ের" মতো মনে হয়। রাশিদা বলেছেন, রাস্তায় তাকে প্রতিদিনই নানা ধরনের হেনস্থার শিকার হতে হয়। এজন্যে তারা দুজনেই 'আওরাত' বা নারী সমাবেশে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রুমিসা ও রাশিদা নারী অধিকারের ব্যাপারে খুবই সোচ্চার। আরো পড়তে পারেন: নারী অধিকার কর্মীরাও কি 'মি-টু' এড়িয়ে যাচ্ছেন? স্বামীর হাতে ধর্ষণ: বাংলাদেশে এক নারীর অভিজ্ঞতা 'মি টু' ক্যাম্পেনারদের নিজের বাবারাই যখন কাঠগড়ায় "চারদিকে এতো নারী তাদের অধিকারের জন্যে চিৎকার করছেন- এটা ছিল একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। আমার ধারণা যারাই সেখানে অংশ নিয়েছিলেন তারা তখন নারীর শক্তি সম্পর্কে কিছুটা হলেও অনুভব করতে পেরেছিলেন," বলেন রুমিসা। পাকিস্তানে এর আগেও নারীরা এরকম বড় বড় সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন দেশে নারী ও পুরুষের সমতা কতোখানি এবিষয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম ১৪৯টি দেশের যে তালিকা তৈরি করেছিল তাতে পাকিস্তানের অবস্থান ছিল একেবারে নিচের দিক থেকে দুই নম্বরে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ইয়েমেনে। পাকিস্তানে নারীদের পারিবারিক সহিংসতার শিকার হওয়া, জোরপূর্বক বিবাহ, যৌন নির্যাতন এসব খুব সাধারণ ঘটনা। এমনকি পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে নারীদেরকে হত্যা করার খবরও মাঝে মাঝেই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। নারীদের ওই সমাবেশে আরো অনেকেই নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু রক্ষণশীল এই দেশটিতে রুমিসা ও রাশিদার তৈরি পোস্টারটি ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সমাবেশ আয়োজনকারীদের একজন মনিজা বলছেন, "নারীদের শরীরকে যৌনতা হিসেবে দেখা হয়। বলা হয় যে নারীদেরকে শরীর ঢেকে রাখতে হবে এবং তারা ঘরের বাইরে যাবে না। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।" রুমিসা মনে করেন সেদিন যে সাড়ে সাত হাজার নারী জড়ো হয়েছিল সেটা রক্ষণশীল পুরুষদের ভাবিয়েছে। অনেকেই হয়তো ব্যাপারটা ঠিকমতো নেয়নি যে নারীরা এভাবে চিৎকার করছে। "অনেকে মনে করে এটা ইসলামের বিরোধী। কিন্তু আমরা সেটাকে এভাবে দেখি না। আমার ধারণা ইসলামে নারীকে যথেষ্ট মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।" ওদের তৈরি প্ল্যাকার্ডের ছবিটি ইন্টারনেটে পোস্ট করা হলে সোশাল মিডিয়াতে সেটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এনিয়ে তখন প্রচুর আলোচনা শুরু হয়ে যায়। একজন ফেসবুকে লিখেছেন, "আমি আমার মেয়ের জন্যে এধরনের সমাজ চাই না।" আরেকজন লিখেছেন, "আমিও একজন নারী। কিন্তু এই ছবিটার ব্যাপারে খুব একটা স্বস্তি বোধ করছি না।" আরেকজন লিখেছেন, "এটা নারী দিবস, দুশ্চরিত্রাদের দিবস নয়।" রুমিসার পরিচিত অনেকে ব্যক্তিগতভাবে তাকে বার্তাও পাঠিয়েছেন। তারা বলেছেন, "আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না তোমার মতো কেউ একজন এটা করেছে। তুমি এমন একটি ভদ্র পরিবারের মেয়ে।" তার পরিবারের কোন কোন সদস্য তার বাবা মাকেও বলেছেন, তাকে যেন আর এধরনের সমাবেশে যেতে দেওয়া না হয়। কিন্তু সামাজিক এই চাপের পরেও রুমিসার পিতামাতা তাদের মেয়ের সিদ্ধান্তের সাথে একমত। ওই সমাবেশে আরেকটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল- "আমার শরীর, আমার সিদ্ধান্ত।" নারী পুরুষ উভয়েই এই পোস্টারের সমালোচনা করছে। পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলের খবর অনুসারে, করাচীর একজন ধর্মীয় নেতা এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বলেছিলেন, "আমার শরীর আমার সিদ্ধান্ত.. তাহলে পুরুষের শরীর পুরুষের সিদ্ধান্ত....তারা যার উপরেই চায় তার উপরেই উঠে যেতে পারে।" পরে অনেকে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। নারীদের এই সমাবেশে পাকিস্তানে নারীবাদী আন্দোলনের মধ্যেও বিভেদ সৃষ্টি করেছে। রুমিসা বলেন, "অনেকে বলছেন এসব কোন বিষয় না। নারীদের এরকম আচরণ করা উচিত নয়। আমার অনেক নারীবাদী বান্ধবীও মনে করে যে এই পোস্টারটা অপ্রয়োজনীয়।" তারা মনে করেন যে এই পোস্টারের মাধ্যমে পাকিস্তানের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতি অসম্মান দেখানো হয়েছে। একজন বলেছেন, "যারা মনে করে এরকম পোস্টারের মাধ্যমে নারীর অধিকার আদায় করা যাবে তারা বিভ্রান্ত জিহাদিদের মতো, যারা মনে করে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করে বেহেশতে যাওয়া যায়।" এই বিতর্কের পরেও রুমিসা মনে করেন তিনি ঠিক পোস্টারটিই বানিয়েছেন। এটা নিয়ে তার কোন দুঃখ নেই। আমি খুশি যে এটা এতো মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে।" 'চিনির কোমল পানীয় ডেকে আনতে পারে আগাম মৃত্যু' ক্যান্সার নিয়ে যে সুখবর আসছে আগামী দিনগুলোয় বিশ্বের কোথায় কোথায় এখনও তৎপর ইসলামিক স্টেট
When Rumisa Lakhani and Rashida Shabbir Hussain created a placard for an International Women's Day march in Pakistan, they had no idea just how much it would place them at the centre of a fierce national debate.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
সুমাত্রা বাঘ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধ্বস হলে সিনকা চিড়িয়াখানার বাঘের খাঁচাটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক পর্যায়ে ১৮ মাস বয়সী বাঘ দুটি পালিয়ে যায়। শনিবার ট্রাঙ্কুইলাইজার তীর ছুড়ে অর্থাৎ চেতনানাশক দিয়ে একটি প্রাণীকে ধরা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু অন্য বাঘটি আক্রমণাত্মক আচরণ করায় একে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। এর আগে ওই বাঘটিকে ট্রাঙ্কুইলাইজার তীর ছুড়ে শান্ত করার চেষ্টা করা হলেও সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। শুক্রবার গভীর রাতে প্রাণীগুলি পালিয়ে যাওয়ার পর চিড়িয়াখানার ৪৭ বছর বয়সী এক কর্মীকে বাঘের ঘেরের কাছে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, তার শরীরে কামড়ের ক্ষত এবং আঁচড়ের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। আরও পড়তে পারেন: পার্বত্য চট্টগ্রামের বনে আবারও বাঘ ছাড়ার চিন্তা, সমীক্ষা প্রস্তাবের অনুমোদন সুন্দরবনে আটটি বাঘ বেড়ে যাওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ সুন্দরবনে বাঘ শুমারি: কিভাবে হয় ক্যামেরা ট্র্যাপিং? ভারতেই সবচেয়ে নিরাপদ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার? বাঘ এছাড়া ঘেরের কাছাকাছি একটি উটপাখি এবং একটি বানরসহ বেশ কয়েকটি মৃত প্রাণী পাওয়া যায়। বাঘ দুটো পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পশ্চিম কালিমন্টানের সিঙকাওয়াং শহরে বড় ধরণের অভিযান পরিচালনা করা হয়। কাছাকাছি থাকা আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় পুলিশ এবং লোকজনকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়। কর্মকর্তারা দুটি প্রাণীকে জীবন্ত ধরার আশা করলেও একটি বাঘের ওপর গুলি চালাতে বাধ্য হন বলে জানান। স্থানীয় সংরক্ষণ সংস্থার প্রধান সাদাতা নূর আদিরামন্ত এএফপিকে বলেছেন, "আমরা প্রথমে একটি ট্রাঙ্কুইলাইজার বন্দুক দিয়ে চেষ্টা করেছি কিন্তু এটি কাজ করেনি, তাই আমরা বাঘটিকে গুলি করতে বাধ্য হই। কারণ বাঘটি খুবই আক্রমণাত্মক আচরণ করেছিল"। "আমরা ভয় পেয়েছিলাম যে এটি হয়তো পালিয়ে আশেপাশের এলাকার দিকে চলে যাবে," তিনি আরও বলেন "যদিও আমরা বাঘটিকে জীবিত অবস্থায় ধরার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, তবে আমাদের অগ্রাধিকার হল মানুষের সুরক্ষা" বেঁচে যাওয়া বাঘটিকে চিড়িয়াখানায় ফিরিয়ে নিতে একটি খাঁচা প্রস্তুত করা হয়েছে। সেটার ভেতরে এমন অনেক প্রাণী রাখা হয়েছে যেন বাঘটি সেগুলো শিকার করে খাওয়ার লোভে ভেতরে প্রবেশ করে। চিড়িয়াখানার চারপাশে ঘন জঙ্গলে পলাতক বাঘেদের খুঁজে বের করতে ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছিল। স্থানীয় পুলিশ প্রধান সিএনএন ইন্দোনেশিয়াকে বলেছেন, "বাঘ দুটিকে খুঁজে পেতে আমাদের বেশ কষ্ট হয়েছিল।" তবে কর্মকর্তারা ট্রাঙ্কুইলাইজার তীর ছুড়ে একটি বাঘকে জীবিত অবস্থায় ধরতে সক্ষম হন। প্রাণী বিশেষজ্ঞরা এখন চিড়িয়াখানায় নজরদারি করছেন। সুমাত্রা বাঘ বিপন্ন হয়ে পড়েছে, বনের ভেতরে এই প্রজাতির বাঘের সংখ্যা ৪০০টিরও কম করে ধারণা করা হচ্ছে। আরো খবর: সেনাবাহিনীর সরঞ্জাম কেনা নিয়ে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকার যা বলছে দেশব্যাপি টিকাদান শুরু, প্রথম দিন যারা পাচ্ছেন ভ্যাকসিন বাংলাদেশের যে ছয়টি নতুন গন্তব্য এখন পর্যটকদের আগ্রহের শীর্ষে কৃষকের বাজারে বিক্রি হওয়া 'জিন আলু' সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে
A zookeeper has been killed after two critically endangered Sumatran tigers escaped from a zoo on Borneo island.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
উদ্ধারকর্মীদের একজনের সাথে গুহার ভেতরে আটকাপড়া কিশোররা ওই ভিডিওতে তারা এক এক করে নিজেদের পরিচয় দেয়, কখনো কখনো তাদের হাসতে দেখা যায়। তারা আরো জিজ্ঞেস করছিল, খাবার কত তাড়াতাড়ি আসবে। তাদের গা গরম রাখার জন্য ফয়েলের কম্বল দেয়া হয়েছে - ভিডিওতে দেখা যায়, সেটা গায়ে জড়িয়ে তারা বসে আছে। তাদের কারো কারো গায়ে আঁচড় লেগেছিল - একজন সামরিক ডাক্তার তার চিকিৎসা করেছেন। উদ্ধারকারীরা নানা পরিকল্পনার কথা বিবেচনা করছেন, তবে থাই সেনাবাহিনী বলেছে এমনও হতে পারে যে আটকাপড়া দলটিকে উদ্ধার করতে চার মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। এই কিশোররা যেন তাদের পরিবারের সাথে কথা বলতে পারে সে জন্য গুহায় টেলিফোন লাইন বসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত এ চেষ্টা সফল হয় নি। তাদের উদ্ধার করার কোন উপায় এখনো ঠিক হয় নি। উদ্ধারকারীরা এখনো নানা বিকল্প বিবেচনা করছেন। গুহা থেকে পানি বের করার কাজ চলছে যদি সত্যি তাদের উদ্ধার করতে কয়েক মাস লেগে যায় - তাহলে মাটির প্রায় এক কিলোমিটার নিচে ওই অন্ধকার গুহায় এই বাচ্চারা কিভাবে এত দিন টিকে থাকবে? আটকাপড়া দলটির কাছে ইতিমধ্যে খাদ্য আর চিকিৎসা পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু তাদের মনের ওপর এই গুহাবন্দী অবস্থার কি প্রভাব পড়বে? অনেকের হয়তো মনে আছে, ২০১০ সালে চিলিতে একটি খনিতে একদল শ্রমিক আটকা পড়েছিলেন, যাদের প্রায় ৭০ দিন পরে পাহাড়ে সুড়ঙ্গ কেটে উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু থাইল্যান্ডের ঘটনাটি তার তুলনায় ভিন্ন কারণ, আটকা পড়াদের একজন বাদে সবাই একেবারেই বাচ্চা ছেলে। অবরুদ্ধ অবস্থায় তারা ভীত, অস্থির এবং মানসিকভাবে বিচলিত হয়ে উঠতে পারে। উদ্ধারকাজের ঝুঁকিগুলো। এ ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে মন খুলে কথা বলা এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগের সুযোগ তাদের মনোবল বাড়িয়ে দেবে - বলছিলেন লন্ডনে শিশু মনোবিজ্ঞানী ড. আন্দ্রেয়া ডানিজ। এ কথা ভেবেই গুহাটিতে টেলিফোন সংযোগ দেবার ব্যবস্থা করছে থাই কর্তৃপক্ষ। তার আগে পর্যন্ত দুজন করে ডুবুরি দলটিকে সঙ্গ দেবেন। আলোর অভাব অবরুদ্ধ অবস্থায় একটা বড় চ্যালেঞ্জ হলো আলোর অভাব। গুহাটির ভেতরে দিন ও রাতের পার্থক্য বোঝার মতো আলো নেই, তাই মানুষের দেহ-ঘড়ির ছন্দ তখন নষ্ট হয়ে যায়। এতে যে শুধু ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলে তাই নয়, তাদের মানসিক অবস্থা, মলমূত্র ত্যাগের অভ্যাস এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কাজও বিঘ্নিত হয়। তবে যেহেতু তারা একটা দলে আছে তাই হয়তো টিকে থাকার জন্য তাদের মধ্যে একটা ঐক্য গড়ে উঠবে - বলছিলেন আমেরিকার ভার্জিনিয়ার রিচমন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডোনেলসন আর. ফরসাইথ। বাইরে অপেক্ষমান আটকাপড়াদের আত্মীয়স্বজনরা তিনি বলছিলেন, তাদের মধ্যে পরস্পরকে দোষ দেয়া, নৈরাশ্য, ক্রোধ বা নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা দেখা দিতে পারে কিন্তু তাদের একটি দলে খেলার অভিজ্ঞতা তাদের ঐক্যের জন্য সহায়ক হতে পারে। এ কিশোরদের উদ্ধার করার পরেও তাদের মনের ওপর এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেল্থের মনোবিজ্ঞানী প্রফেসর স্যান্ড্রো গালিয়া বলছেন, যে শিশুরা এই পর্যায়ের ট্রমা বা মানসিক বিপর্যয়ের শিকার হয় - তাদের পরবর্তীতে বিষণ্ণতা, দুশ্চিন্তা, মুড ডিজঅর্ডার বা হঠাৎ রেগে যাওয়ার মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেবার ঝুঁকি আছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: গুহায় আটক ছেলেদের সাথে থাকতে চান দুই চিকিৎসক 'গুহায় আটকাপড়া থাই দলটির বেরুতে কয়েকমাস লেগে যাবে' গুহা থেকে ১৩ জনকে বের করার সম্ভাব্য উপায়গুলো কী? গুহায় আটকে পড়লে কী করতে হবে? থাইল্যান্ডের ফুটবল দলকে অবশেষে জীবিত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গেছে
A new video has been released of the 12 boys and their football coach trapped in a Thai cave, in which they say they are in good health.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
অল্ট নিউজ বলছে আসলে ২০০৬ সালে ছবিটি তুলেছিলেন স্পেনের এক আলোকচিত্রী অল্ট নিউজ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি খবরে বুধবার দেখানো হয়, মন্ত্রণালয় তাদের বার্ষিক রিপোর্টে ওই ছবিটি ব্যবহার করে দাবি করেছে সীমান্ত এলাকায় তারা ফ্লাডলাইট বসিয়েছে। কিন্তু ওই ওয়েবসাইটটি জানায়, ২০০৬ সালে স্প্যানিশ আলোকচিত্রী হাভিয়ার মোয়ানো ওই ছবিটি তুলেছিলেন সেউটা দ্বীপে। এই চরম বিব্রতকর অভিযোগ ওঠার পর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকে এর আগেও সরকারি প্রেস বিবৃতি বা রিপোর্টে ভুয়ো কিংবা ফোটোশপ করা ছবি ব্যবহারের জন্য অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। ভারতের সরকারি পরিচালনাধীন প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো ২০১৫ সালে চেন্নাইয়ের বন্যা সরেজমিনে পরিদর্শরত প্রধানমন্ত্রী মোদির একটি ছবি টুইট করেছিল - যেটি পরিষ্কার বোঝা গিয়েছিল যে এডিট করা! অল্ট সংবাদ সংস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুনতম কারসাজিটি ধরিয়ে দেওয়ার পর ভারতেই অনেকে সরকারকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করছেন। সরকারি রিপোর্টে ভুল ছবি ব্যবহার নিয়ে ভারতীয়দের টুইটারে ব্যঙ্গবিদ্রূপ এনডিটিভি ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, এই ঘটনা সামনে আসার পর স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব মেহরিষি কর্মকর্তাদের কৈফিয়ত তলব করেছেন। তিনি বলেছেন, "যদি দেখা যায় এটা মন্ত্রণালয়ের ভুল, তাহলে আমরা অবশ্যই ক্ষমা চাইব।" ভারতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্তে চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ রোখার জন্য অবশ্য সত্যিই ফ্লাডলাইট বসানোর কাজ শুরু করেছে। বার্ষিক প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে এরই মধ্যে ৬৪৭ কিলোমিটার বা ৪০২ মাইল এলাকাতে ফ্লাডলাইট বসানো হয়ে গেছে। কিন্তু এই তথ্যের সঙ্গে কীভাবে একটি ভুল ছবি প্রতিবেদনে জায়গা করে নিল, সেটাই এখনও বোঝা যাচ্ছে না বলে কর্মকর্তারা বলছেন। আমাদের পেজে আরও পড়ুন : লন্ডনের আগুন কীভাবে ভাঙল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তানিমার বিয়ের স্বপ্ন লন্ডনে আগুন: 'আর কেউ বেঁচে থাকার আশা নেই' বলছে উদ্ধারকর্মীরা গুরুংয়ের বাড়িতে তল্লাসির পর ফুঁসছে দার্জিলিং স্পেন-মরক্কো সীমান্তের কাছে সেউটা, যেখানে আসলে ছবিটা তোলা হয়েছিল
Twitter users are ridiculing India's home ministry for using a picture from Morocco's border with a Spanish territory to highlight its work.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
সনদে পরিবর্তন এনে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের প্রতি সুর কিছুটা নরম করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চল শাসন করা হামাস সশস্ত্র পন্থায় এতদিন ইসরায়েলকে ধ্বংস করার আহ্বান জানিয়ে এসেছে। কিন্তু ১৯৮৮ সালের সনদে পরিবর্তন এনে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের প্রতি সুর কিছুটা নরম করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস। আরো পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার কিমের সঙ্গে দেখা হবে সম্মানের: ট্রাম্প জাকারবার্গকে বাড়িতে পেয়ে মুগ্ধ আমেরিকান দম্পতি কীভাবে ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন এরদোয়ান? নতুন ঘোষিত নীতিমালায় বলা হচ্ছে তারা ইহুদীদের বিরুদ্ধে নয় তবে তারা সেই ইহুদীবাদের বিপক্ষে যা কিনা ভূমধ্যসাগর এবং জর্ডান নদীর মধ্যবর্তী এলাকা দখল করে আছে। হামাস সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী গাজী হামাদ বিবিসি-কে বলেন যে তারা স্বাধীনতার জন্যে লড়ছেন। মিস্টার হামাদ বলছেন, ' এখন থেকে হামাস পুরো বিশ্বকে বোঝাতে পারবে যে তারা প্রতিদিনই তাদের স্বাধীনতা এবং সম্মানের জন্যে লড়ছে। আমরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়ছি এই জন্যে নয় যে তারা ইহুদি, বরং আমরা লড়ছি তাদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধ, তাদের আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে।' মিশর এবং আরব দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে হামাস নেতারা হামাসের নতুন নীতিকে একেবারেই বিশ্বাস করছে না ইসরায়েল। জাতিসংঘে নিযুক্ত তাদের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানোন বলছেন, 'এটি একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, এদের একমাত্র লক্ষ্য ইসরায়েল রাষ্ট্রের ধ্বংস। তাদের বক্তব্য ইসরায়েলের পাশাপাশি কোনো রাষ্ট্র গড়ার কথা বলে না, বরং ইসরায়েলকে তা পুরোপুরি সরিয়ে দিতে চায়। এটি খুবই দুঃখজনক। আমরা তাদের নতুন সনদটি গ্রহণ করতে পারছি না।' মিশরের ইসলামপন্থী সংগঠন, মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে সখ্যতা না রাখার বিষয়েও উল্লেখ করা হয়েছে হামাসের নতুন নীতিমালায়। পশ্চিমা বিশ্ব, উপসাগরীয় আরব দেশগুলো এবং মিশরের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্যেই হামাসের এই উদ্যোগ বলে জানানো হচ্ছে।
The Palestinian militant group Hamas has published a new policy document - the first since its founding charter.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
নতুন ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিষেধক তৈরিতে কাজ করছে বিজ্ঞানীরা এর আগে অনেকবার এরকম পরিস্থিতিতে পড়েছে বিশ্ব। শুধু গত পাঁচ বছরেই বিশ্বে ইবোলা, জিকা, মার্স (মিডল ইসট রেস্পিরেটরি সিনড্রোম) নামের আরেক ধরণের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। এখন '২০১৯ এনকভ' নামের ভাইরাসের সংক্রমণ শঙ্কায় ফেলেছে সারা বিশ্বকে। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে হাজার হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছে এবং ১৭০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। আগের রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাগুলোর সাথে যদি তুলনা করা হয়, তাহলে দেখা যায় যে সেসব ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করতে বিজ্ঞানীদের কয়েক বছর লেগে গিয়েছিল। তবে এবার ভাইরাসটি চিহ্নিত করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে এই ভাইরাস ছড়ানো বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন ধরণের গবেষণা শুরু হয়। চীনের কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুত এই ভাইরাসের জেনেটিক কোড জানিয়ে দেয়। এর ফলে বিজ্ঞানীরা সহজে একটি ধারণা তৈরি করতে পারেন যে এই ভাইরাসটি কোথা থেকে এসেছে, ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে এটির প্রকোপ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং এই ভাইরাস থেকে মানুষকে কীভাবে রক্ষা করা সম্ভব হবে। প্রযুক্তির উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন রোগ নিরাময়ের উদ্দেশ্যে গবেষণায় অর্থায়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের দ্রুত উদ্যোগের ফলে দ্রুততার সাথে এই ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির উদ্যোগ নেয়া সম্ভব হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস: বিশ্ব কি জরুরি অবস্থা জারির দ্বারপ্রান্তে? করোনাভাইরাস: বিভ্রান্তিও ছড়াচ্ছে ভাইরাসের মতোই কীভাবে এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস চীনের ভাইরাস আক্রান্ত উহানের একাত্মতার গল্প ঘ্রীষ্মের শুরুতে মানবদেহে প্রতিষেধকের পরীক্ষা শুরু করতে পারবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা প্রতিষেধক তৈরিতে অভূতপূর্ব দ্রুততা স্যান ডিয়েগোর ইনোভিয়ো'স ল্যাবরেটরিতে সম্ভাব্য প্রতিষেধক তৈরির উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানীরা অপেক্ষাকৃত নতুন ধরণের ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন। প্রতিষেধকটিকে এখন পর্যন্ত বলা হচ্ছে 'আইএনও-৪৮০০', যেটি এই গ্রীষ্মে মানুষের মধ্যে পরীক্ষা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইনোভিও'র গবেষণা বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কেট ব্রোডেরিক বলেন: "চীন এই ভাইরাসের ডিএনএ সিকোয়েন্স জানানোর পর আমরা ল্যাবের কম্পিউটারে প্রবেশ করাই এবং তিন ঘন্টার মধ্যে একটি প্রতিষেধক ডিজাইন করি।" "আমাদের প্রতিষেধক ভাইরাসের ডিএনএ সিকোয়েন্স ব্যবহার করে মানবদেহে থাকা ভাইরাসের বিশেষ কিছু অংশে আঘাত করে এবং আমাদের বিশ্বাস দেহ তখন ঐ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম হবে।" প্রতিষেধকের প্রধান উপাদান তৈরির উদ্দেশ্যে ল্যাবে তৈরি করা হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া ইনোভিও বলছে প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষের দেহে চালানো পরীক্ষাগুলো যদি সফল হয়, তাহলে আরো বড় পরিসরে পরীক্ষা চালানো হবে। আর ঐ পরীক্ষাটি 'এ বছরের শেষভাগে' চীনের ভাইরাস আক্রান্ত এলাকায় পরিচালনার পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি। ভাইরাস সংক্রমণ ঐ সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসবে কিনা, তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। কিন্তু ইনোভিওর পরিকল্পনা যদি সফল হয়, তাহলে এরকম রোগ ছড়ানোর পরিস্থিতিতে সবচেয়ে দ্রুতবেগে সফলভাবে প্রতিষেধক তৈরির নজির স্থাপিত হবে। এই ধরনের একটি ভাইরাস - ২০০২ সালে সার্স - শেষবার যখন চীনে ছড়িয়ে পড়ে, তখন চীনের কর্তৃপক্ষ অনেকদিন পর ঐ রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করে। তাই যে সময় প্রতিষেধক তৈরির কাজ শুরু হয়, ততদিনে ভাইরাস সংক্রমণ প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছিল। ২০১৯-এনকভ এর টাইমলাইন বিভিন্ন দেশের সরকার এবং মানবতাবাদী সংগঠনের অর্থায়নে পরিচালিত সংস্থা কোয়ালিশন অব এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সেপি) নামের একটি সংস্থা প্রতিষেধক তৈরিতে নিয়োজিত গবেষণাগারগুলোর অর্থায়ণ করছে। পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা ভাইরাসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর নতুন ধরণের রোগের প্রতিষেধক তৈরির উদ্দেশ্যে এই সংস্থা তৈরি করা হয়। এই সংস্থার প্রতিষেধক গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক ডক্টর মেলানি স্যাভিল বলেন, "রোগ ছড়িয়ে পড়া যেন মানবজাতির জন্য হুমকিস্বরুপ না হয় তা নিশ্চিত করা এবং নতুন ধরণের রোগের প্রতিষেধক তৈরিতে কাজ করাই এই সংস্থার উদ্দেশ্য।" বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণা এই নতুন করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে কাজ করছে, এমন আরো দু'টি প্রকল্পে কাজ করছে সংস্থাটি। একটি 'মলিকিউলার ক্ল্যাম্প' প্রতিষেধক তৈরির উদ্দেশ্যে কাজ করছে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়, যেটি 'শরীরকে একাধিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিষেধক তৈরি করতে সাহায্য করে।' যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালার্জি ও সংক্রামক রোগ বিষয়ক জাতীয় সংস্থার সাথে ম্যাসাচুসেটসের মডার্না ইনকর্পোরেশন যুক্ত হয়ে প্রতিষেধক তৈরির উদ্দেশ্যে গবেষণা করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন প্রতিষেধকের বৈশ্বিক প্রয়াসের সমন্বয় করছে। তারা জানিয়েছে, সেপি'র অর্থায়নে পরিচালিত তিনটি গবেষণা প্রকল্প ছাড়াও অন্যান্য সংস্থাগুলোর গবেষণাগুলোর ওপরও নজর রাখছে তারা। নতুন করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির প্রচেষ্টা বেশ জোরেসোরে চললেও গবেষণা এখনও একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এ ধরণের রোগের প্রতিষেধক তৈরির জন্য ক্লিনিকাল ট্রায়াল বেশ সময়সাপেক্ষ এবং সবচেয়ে কার্যকরভাবে চালানো সম্ভব হয় যখন রোগটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে, ঐ সময়ে। করোনাভাইরাস: লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী? বর্তমানে গবেষণাগারগুলোতে তৈরি করা প্রতিষেধকগুলো যে চীনে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি প্রোগ্রাম বিভাগের আনা মারিয়া হেনাও-রেস্টরেপো বলেন: "আমার একটা কাঠামো তৈরি করেছি, যার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কাদের তৈরি করা প্রতিষেধক সবার আগে ব্যবহার করা হবে।" "বিশেষজ্ঞরা তৈরি করা প্রতিষেধকগুলোর গ্রহণযোগ্য নিরাপত্তা মাত্রা, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার যথাযথ প্রতিক্রিয়া ও প্রতিষেধকের পর্যাপ্ত যোগানের মত বিষয়গুলো বিবেচনা করবে।" মানুষের ওপর কোন প্রতিষেধক পরীক্ষা করা হবে তা কিছুদিনের মধ্যে নিশ্চিত করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
A deadly new virus. Thousands of people infected. No cure. No vaccine.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
চীন কর্তৃপক্ষ যেভাবে সামাল দিচ্ছে তা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে হুবেই স্বাস্থ্য কমিশনের পার্টি সেক্রেটারি এবং কমিশনের প্রধান চাকরি হারানোদের মধ্যে রয়েছে। যাদের এ পর্যন্ত অপসারণ করা হয়েছে তাদের মধ্যে এরাই সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। স্থানীয় রেড ক্রসের উপপরিচালককে অপসারণ করা হয়েছে 'অনুদান পরিচালনার' ক্ষেত্রে 'দায়িত্ব পালনে অবহেলা'র কারণে। অপসারিত এই দুই পার্টি অফিসিয়ালের জায়গায় ওয়াং হেসেংকে বসানো হবে। তিনি চায়না ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের উপ পরিচালক। মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা সোমবার শুধুমাত্র হুবেই প্রদেশেই ১০৩ জন মারা গেছে। যেটা একদিনে এত মানুষ মারা যাওয়ার একটা রেকর্ড। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সংখ্যা এখন ১০১৬জন। তবে রবিবারের তুলনায় নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ২০ শতাংশ কমেছে। সংখ্যায় সেটা আগে ছিল ৩০৬২ জন এখন ২৪৭৮ জন। হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশন নিশ্চিত করেছে যে, সোমবার ২০৯৭ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে যেটা আগের দিনের তুলনায় কম। সংকট মোকাবেলা না করতে পারায় অপসারণ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা যাচ্ছে, হুবেই এবং অন্যান্য প্রদেশে শত শত মানুষকে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে, তদন্ত করা হচ্ছে, সতর্ক করা হচ্ছে। কিন্তু নির্দিষ্ট পদ থেকে সরিয়ে নেয়া মানে এই নয় যে তাকে বরখাস্ত করা হবে। এটার আরেকটা অর্থ দাড়ায় তার 'পদাবনতি'। চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিংপিং স্বাস্থ্য কর্মীদের দেখতে যান সোমবার পদ থেকে সরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি কর্মকর্তারা ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে শাস্তি পেতে পারেন। যেমন রেড ক্রসের উপপরিচালক ঝাং কুইন-কে পার্টির পক্ষ থেকে সতর্ক করা এবং প্রশাসনিক মারাত্মক ত্রুটি হিসেবে ধরা হবে। এই মাসের শুরুতে উহান ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস এর উপপরিচালককে "পার্টির পক্ষ থেকে গুরুতরভাবে সতর্ক করা হয়েছে এবং তার ব্যর্থতাকে মারাত্মক প্রশাসনিক ত্রুটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, কারণ ফেস মাস্ক সরবরাহ সংক্রান্ত নীতিমালা ভঙ্গ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে"। হুয়াংগ্যাং-এর স্বাস্থ্য কমিশনের প্রধানকেও সরিয়ে নেয়া হয়েছে। হুবেই প্রদেশে উহানের পরে এটিই সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়া শহর। সম্প্রতি এই সংকট মোকাবেলা করতে না পারার কারণে চীনের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানুষ ক্রমেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে একজন চিকিৎসকের মৃত্যুর পর ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয় যার সতর্কবার্তা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আরো পড়ুন: রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারডুবি, বহু হতাহতের আশঙ্কা নিষেধাজ্ঞায় বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার পুরুষের জন্য প্রশ্ন, দাঁড়িয়ে না বসে? প্যারাসাইট: যাদের জীবন উঠে এসেছে অস্কারজয়ী ছবিতে
China has "removed" several senior officials over their handling of the coronavirus outbreak - as the death toll passed 1,000.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
গুগল আর্থে গাযার খুব কম রেজল্যুশনের ছবি দেয়া ফিলিস্তিনি অঞ্চল গাযার ওপর সাম্প্রতিক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়টির প্রতি আবারও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন গবেষকরা। কোন এলাকায় যখন এরকম হামলা হয়, তখন ঠিক কোথায় হামলাটি হয়েছে, বাড়িঘর কতটা ধ্বংস হয়েছে, কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে- সেসব জানার জন্য গবেষকরা গুগল ম্যাপের ওপর অনেকখানি নির্ভর করেন। এর পাশাপাশি তারা অন্যান্য উন্মুক্ত সূত্র থেকে এবং প্রকাশ্যে যেসব তথ্য ইতোমধ্যে পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করেন। "আমরা যে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি অঞ্চলের কোন হাই-রেজল্যুশনের ছবি পাই না, সে কারণে আমাদের কাজ অনেকটাই বাধাগ্রস্ত হয়," বলছিলেন সামির। উন্মুক্ত সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করে তদন্তের কাজ করেন তিনি। ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি অঞ্চলের অধিকাংশ জায়গাই গুগল আর্থে ঝাপসা করে রাখা। সেখানে স্যাটেলাইটে তোলা কম-রেজল্যুশনের ছবিই দেয়া আছে। কিন্তু স্যাটেলাইট কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে এর চেয়ে আরও অনেক হাই-রেজল্যুশনের ছবি পাওয়া যায়। গুগল আর্থের ছবিতে গাযার রাস্তায় এমনকি একটি গাড়ি পর্যন্ত দেখা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু এর সঙ্গে তুলনা করলে, উত্তর কোরিয়ার মতো কঠোর গোপনীয়তার দেশের রাজধানী শহর পিয়ং ইয়ং পর্যন্ত গুগল আর্থে পরিষ্কার দেখা যায়। সেখানে রাস্তায় চলা গাড়ি তো বটেই, এমনকি রাস্তার প্রতিটি মানুষকে পর্যন্ত আলাদা করে দেখা সম্ভব। আরো পড়ুন: বামে গুগল আর্থে গাযার খুব কম রেজল্যুশনের ছবি। ডানে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়ং এর স্পষ্ট ভালো মানের সাম্প্রতিক ছবি। স্যাটেলাইটের এসব ছবি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধ বা সংঘাতের খবর বা তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে স্যাটেলাইটে তোলা ছবি এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবে এসব ছবিতে যদি খুব স্পষ্টভাবে খুঁটিনাটি সবকিছু দেখা যায়, সেটি সামরিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে। ইসরায়েল এবং গাযার মধ্যে যে সর্বশেষ সংঘাত শুরু হয়েছে, সেখানে দুপক্ষ পরস্পরের দিকে বিভিন্ন ভবন এবং স্থাপনা লক্ষ্য করে যেসব বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে, তদন্তকারীরা সেসব হামলার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাইছেন স্যাটেলাইটের ছবি দেখে। কিন্তু গুগল আর্থে গাযার বেশিরভাগ ছবি খুবই কম রেজল্যুশনের এবং ঝাপসা। বেলিংক্যাট নামের একটি সাইটের সাংবাদিক এরিক টোলার এক টুইটে লিখেছেন, "গুগল আর্থে সবচেয়ে সাম্প্রতিক ছবি হচ্ছে ২০১৬ সালের এবং সেগুলো একেবারেই বাজে। আমি এলোপাথাড়ি সিরিয়ার কিছু গ্রামাঞ্চলের ওপর জুম করেছিলাম, সেখানে পর্যন্ত ২০১৬ সালের পর বিশটির বেশি ছবি দেয়া আছে, আর সমস্ত ছবি বেশ হাই-রেজল্যুশনের।" গুগল বলছে, তারা খুব ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর বেলায় নিয়মিতভাবেই নতুন ছবি যোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু গাযার বেলায় সেটা মোটেই করা হয়নি। উচ্চ রেজল্যুশনের ছবি কি পাওয়া যায়? গত বছর পর্যন্ত ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি অঞ্চলের কী মানের স্যাটেলাইট ছবি মার্কিন কোম্পানিগুলো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সরবরাহ করতে পারবে, তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের বিধিনিষেধ ছিল। মূলত ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞা দেয়। ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এ সংক্রান্ত আইনটি করা হয়। কাইল-বিংগাম্যান অ্যামেন্ডমেন্ট (কেবিএ) নামের একটি আইনে এটি লেখা আছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাকাশ কর্মসূচির প্রধান আমনন হারারি গতবছর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, "আমরা সবসময় চাই আমাদের সবচেয়ে কম রেজল্যুশনের ছবি যেন দেয়া হয়। আমরা সবসময় চাই ছবিতে যেন আমাদের খুব পরিষ্কারভাবে দেখা না যায়, যেন একেবারে ঝাপসা দেখায়।" কেবিএ নামের আইনটির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইট ছবি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ইসরায়েল বা ফিলিস্তিনি এলাকার কেবল কম রেজল্যুশনের ছবিই বিক্রি করতে পারে, যার পিক্সেলের সাইজ কোনভাবেই দুই মিটারের (সাড়ে ছয় ফুট) কম হতে পারবে না। এর মানে হচ্ছে একটা গাড়ির সাইজের বস্তু ছবিতে কোনমতে ঠাহর করা যাবে মাত্র, এর বেশি নয়। সামরিক ঘাঁটিগুলোর ছবি ঝাপসা করে দেয়ার নজির বিরল কোন ঘটনা নয়। কিন্তু কেবিএ হচ্ছে এধরনের একমাত্র আইন, যার বলে একটি পুরো দেশকে ঝাপসা করে রাখা হয়েছে। এই আইনে কিন্তু কেবল ইসরায়েলের কথা বলা আছে, অথচ ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোর বেলাতেও এটি প্রয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু মার্কিন কোম্পানির বাইরে আরও অনেক কোম্পানি এখন স্যাটেলাইটে তোলা অতি উচ্চমানের ছবি সরবরাহ করতে পারে, যেমন ফরাসি কোম্পানি এয়ারবাস। এর ফলে বেশি রেজল্যুশনের ছবি বিক্রির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়ছে। গত বছরের জুলাই মাসে কেবিএ নামের আইনটি বাতিল করা হয়, এবং এর ফলে এখন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার সেদেশের কোম্পানিগুলোকে ইসরায়েল এবং ঐ অঞ্চলের বেশি রেজল্যুশনের ছবি সরবরাহ করতে দিচ্ছে (এখন প্রতিটি পিক্সেলের সাইজ ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ছোট হতে পারবে, ফলে একজন মানুষের অবয়বও ছবিতে দেখা যাবে।) ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি অঞ্চলের স্যাটেলাইট ছবির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য সফল প্রচারণা চালান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং শিক্ষক মাইকেল ফ্রাডলি। তিনি জানান, তারা মূলত বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্যই এই কাজে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। "আমাদের প্রকল্পে আমরা একটা ধারাবাহিক তথ্য সূত্রের ওপর নির্ভর করতে চাইছিলাম। কাজেই অধিকৃত ফিলিস্তিনি এলাকার খুব উচ্চ রেজল্যুশনের ছবি আমাদের দরকার ছিল, যা আমরা তুলনা করতে পারি সেই অঞ্চলের অন্য কোন এলাকার সঙ্গে।" তাহলে গাযার ছবি কেন এত ঝাপসা বিবিসি কথা বলেছে গুগল এবং অ্যাপলের সঙ্গে, যাদের ম্যাপিং অ্যাপে স্যাটেলাইটে তোলা ছবি দেখা যায়। অ্যাপল বলেছে তারা শীঘ্রই তাদের ম্যাপ নতুন ৪০ সেন্টিমিটার রেজল্যুশনের ছবি দিয়ে আপডেট করবে। বামে: গুগল আর্থে গাযার হানাডি টাওয়ারের এখনকার ছবি। ডানে : হাই রেজল্যুশনের ছবিতে দেখা যাচ্ছে টাওয়ারটি ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে গুগল জানিয়েছে, তাদের ছবিগুলো অনেক ধরনের সরবরাহকারীর কাছ থেকে আসে এবং "যখন বেশি রেজ্যুলেশনের ছবি পাওয়া যায়, তখন তারা তাদের ম্যাপে সেগুলো দেয়ার সুযোগ বিবেচনা করে।" তবে গুগল বলছে, এই মূহূর্তে এরকম ছবি শেয়ার করার কোন পরিকল্পনা তাদের নেই। বেলিংক্যাট ওয়েবসাইটের একজন ওপেন-সোর্স অনুসন্ধানী গবেষক নিক ওয়াটার্স এ নিয়ে টুইটারে লিখেছেন, "বর্তমান ঘটনাবলীর গুরুত্ব বিবেচনা করে আমি কিছুতেই বুঝতে পারি না, কেন এই এলাকার ছবিগুলো ইচ্ছে করে নিম্নমানের করে রাখা হবে।" এসব ছবি আসলে কারা তোলে? গুগল আর্থ বা অ্যাপল ম্যাপসের মতো প্ল্যাটফর্ম তাদের স্যাটেলাইট ছবির জন্য নির্ভর করে সেসব কোম্পানির ওপর, যারা এই স্যাটেলাইটগুলোর মালিক। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় দুটি কোম্পানি হচ্ছে ম্যাক্সার এবং প্ল্যানেট ল্যাবস। এই দুটি প্রতিষ্ঠান এখন ইসরায়েল এবং গাযার বেশ উচ্চ রেজল্যুশনের ছবি সরবরাহ করছে। ম্যাক্সার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "মার্কিন আইনে সাম্প্রতিক পরিবর্তনের পর ইসরায়েল এবং গাযার ছবি এখন শূন্য দশমিক ৪ মিটার (৪০ সেন্টিমিটার) রেজল্যুশনে সরবরাহ করা হচ্ছে।" আর প্ল্যানেট ল্যাবস জানিয়েছে, তারা এখন ৫০ সেন্টিমিটার রেজল্যুশনের ছবি সরবরাহ করে। কিন্তু যারা ওপেন-সোর্স বা উন্মুক্ত সূত্র থেকে সংগ্রহ করা তথ্য দিয়ে অনুসন্ধান চালান, তারা খুব বেশি নির্ভর করেন বিনামূল্য ব্যবহার করা যায় এমন ম্যাপিং সফটওয়্যারগুলোর ওপর। কাজেই উচ্চ মাত্রার রেজ্যুলেশনের ছবি তারা চাইলেই সরাসরি পান না। বেশি রেজল্যুশনের ছবিতে কী জানা যায় স্যাটেলাইটে তোলা ছবি নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন বন উজাড় বা দাবানলের ওপর নজর রাখা। কিংবা বিশ্বের নানা প্রান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ফাঁস করা। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষকরা স্যাটেলাইট ছবির সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান প্ল্যানেট ল্যাবসের সঙ্গে ২০১৭ সালে একত্রে কাজ করেছিলেন মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর হাতে কীভাবে রোহিঙ্গা গ্রামগুলো ধ্বংস হয়েছে তা দেখাতে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের গ্রাম কীভাবে ধ্বংস করা হয়েছিল তা স্যাটেলাইটের ছবিতে ধরা পড়ে স্যাটেলাইটে তোলা ছবি তাদের সাহায্য করেছিল দুশোর বেশি রোহিঙ্গা গ্রাম কতটা ধ্বংস হয়েছে তা যাচাই করে দেখতে। তারা সামরিক বাহিনীর অভিযানের আগে এবং পরে ৪০ সেন্টিমিটার রেজল্যুশনের ছবি তুলনা করে কাজটি করেছিল। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা তাদের গ্রামে সামরিক বাহিনী আক্রমণ চালিয়েছে বলে যেসব দাবি করেছিল, এসব ছবিতে তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। চীনের শিনজিয়াং অঞ্চলে কী ঘটছে তার ওপর নজর রাখার ক্ষেত্রেও স্যাটেলাইটে তোলা ছবি কাজে দিয়েছে। সেখানে উইঘুর মুসলিমদের 'নতুন করে শিক্ষা' দেয়ার জন্য যেসব কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে, তা ধরা পড়েছিল এসব ছবিতে। ২০১৯ সালের এক স্যাটেলাইট ছবিতে চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের হোটান এলাকায় উইঘুরদের জন্য তৈরি এক শিবির। কোথায় এসব শিবির তৈরি করা হয়েছে, এগুলো কত বড় এবং এসব শিবিরের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য জানা গিয়েছিল স্যাাটেলাইটে তোলা এসব ছবি দিয়ে।
Why is Gaza, one of the most densely populated places in the world, blurry on Google Maps?
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
শিজিনপিং এবং মাও জেদং এখন থেকে তাকে চ্যালেঞ্জ করার যে কোনো পদক্ষেপকে কম্যুনিস্ট পার্টির শাসন ক্ষমতার বিরুদ্ধে হুমকি হিসাবে বিবেচনা করা হবে। এর ফলে ক্ষমতা, প্রতিপত্তি এবং মর্যাদার বিচারে মি শি এখন দলের প্রতিষ্ঠাতা মাও জেদংয়ের সমপর্যায়ে উঠে গেলেন। মাও জেদংয়ের পর তিনিই হয়ে উঠেছেন চীনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এবং প্রভাবশালী নেতা। দলের মেনিফেস্টোতে 'নতুন যুগে চীনা সমাজতন্ত্র নিয়ে শি জিনপিংয়ের মতাদর্শ' ঢোকানোর এই প্রস্তাব অনুমোদনে বেইজিংয়ে গ্রেট হলে দলের ২,০০০ প্রতিনিধি হাজির হয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা বলছেন, প্রস্তাবে কারো কোনো আপত্তি রয়েছে কিনা তা জানতে চাওয়া হলে উপস্থিত কম্যুনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিরা সমস্বরে চেঁচিয়ে ওঠেন - না নেই। ফলে, এখন থেকে চিনা কম্যুনিস্ট পার্টির ৯ কোটি সদস্যের পাশাপাশি স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে কল-কারখানার শ্রমিকদের চিনা সমাজতন্ত্র সম্পর্কে বর্তমান নেতা শি জিনপিংয়ের 'মতাদর্শ' পড়তে হবে। এর আগেও দাং শাওপিং সহ গুটিকয়েক নেতার 'দর্শন' বা 'ভাবনা-চিন্তা' দলের সংবিধানে স্থান পেয়েছে। কিন্তু মাও জেদং ছাড়া কোনো নেতারই দর্শনকে 'মতাদর্শ' হিসাবে মর্যাদা পায়নি। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এখন থেকে হয়তো মাও-এর রেড-বুকের মত শি জিনপিংয়ের মতাদর্শ সম্বলিত কোনো পুস্তিকা চিনে প্রায় বাধ্যতামূলক পাঠ্য হিসাবে আবির্ভূত হবে। শি জিনপিং শি জিনপিংয়ের 'মতাদর্শ' আসলে কী? প্রথম দেখলে বা শুনলে 'শি জিনপিং মতাদর্শ'কে নেহাতই অস্পষ্ট কথামালা বলে মনে হতে পারে। কিন্তু একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে, ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই চীনা কম্যুনিজম নিয়ে তিনি এসব কথাই বলে যাচ্ছেন। তার ১৪টি মূলনীতিতে তিনি চীনের শাসন ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে কম্যুনিস্ট পার্টির ভূমিকাকে জোর দিয়েছেন। মি শির মতাদর্শের মধ্যে আরো রয়েছে : -"পরিপূর্ণ সংস্কার" এবং "নতুন ভাবনা-চিন্তা" -"মানুষ এবং প্রকৃতির সহাবস্থানের" প্রতিশ্রুতি । পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিশেষ জোর দিচ্ছেন শি জিনপিং। -"চীনা সেনাবাহিনীর ওপর কম্যুনিস্ট পার্টির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ।" -"এক দেশ দুই নীতি" এবং "মাতৃভূমির একত্রীকরণ" যেটাকে পর্যবেক্ষকরা ব্যাখ্যা করছেন হংকং এবং তাইওয়ানের ব্যাপারে মি শি'র অবস্থান। বেইজিং থেকে বিবিসির চীনা বিষয়ক সম্পাদক ক্যারি গ্রেসি বলছেন, চিনা কম্যুনিস্ট পার্টিতে এখন শি জিনপিং শাসনামলকে "নতুন যুগ" হিসাবে জোরালো-ভাবে প্রচার করা হচ্ছে। নতুন এই যুগকে দেখা হচ্ছে আধুনিক চিনের তৃতীয় অধ্যায় হিসাবে। প্রথম অধ্যায়টি ছিলো যখন মাও জেদং গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত চীনকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। দ্বিতীয় অধ্যায় ছিলো যখন দাং শাওপিং চীনকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের পথে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর তৃতীয় অধ্যায়টি হলো বর্তমান সময় যখন শি জিনপিং চীনকে আরো ঐক্যবদ্ধ করেছেন, চিনের সমৃদ্ধি বাড়িয়েছেন এবং দেশের ভেতর এবং দেশের বাইরে চীনের প্রতিপত্তি এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছেন।
China's ruling Communist Party has voted to enshrine Xi Jinping's name and ideology in its constitution, elevating him to the level of founder Mao Zedong.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
রবার্ট মুলার তিনি ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি প্রেসিডেন্টকে অপসারণে একটি চক্রান্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে তার সম্পর্কে সমালোচকরা অভিযোগ করে থাকেন। আর তার সমর্থকরা বলছেন, তিনি একজন অক্লান্ত সরকারি চাকুরে যিনি কিনা সত্য প্রকাশের লড়াই করছেন। কিন্তু এতসব গোলমালের মাঝেও স্পট-লাইটের ঝলকানি তার ওপর। সুতরাং শিরোনামে উঠে আসা মানুষটি আসলে কেমন? এফবিআই এজেন্ট লরেন সি অ্যান্ডারসন গ্যাবনের রাজধানী লিবারভিলে একটি খুনের ঘটনার তদন্ত করছিলেন। হঠাৎ তিনি একটি জরুরি ফোনকল পেলেন। অপরপ্রান্ত থেকে একটি কণ্ঠ জানালো যে দুইবছর আগে ২০০১ সালে এফবিআইর পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া রবার্ট মুলার তার সাথে কথা বলতে চাইছেন। বিষয়টি তার মধ্যে বিস্ময় ও বিরক্তির উদ্রেক করলো জানিয়ে বিবিসিকে তিনি বলেন, "আমি ভাবছিলাম এখানে সম্ভাব্য এমন কি ঘটছে যেটা জানতে তিনি ফোন করেছেন?" কয়েক সপ্তাহ আগেই প্যারিসে একটি বাসে করে যাওয়ার সময় লরেন একজন ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে সে মারা যায়, কিন্তু লরেন মরণাপন্ন সেই ব্যক্তিকে সিপিআর দিতে কয়েক সারি সিট অতিক্রম করে লাফিয়ে যান এবং পরে মেডিকেল টিম পৌঁছানোর পর রাস্তার ধারে বসে মৃত ব্যক্তির স্ত্রীকে সান্ত্বনা দেন। গ্যাবনে মিস্টার মুলারের কলটি আসার পর মিজ এন্ডারসন যখন ফোন কানে তুলে নেন তখন শুরুতেই মিস্টার মুলার তাকে সেই ঘটনার জন্য ধন্যবাদ জানান। "আমি শুনেছি যে একজন মানুষের জীবন বাচাঁতে আপনি চেষ্টা করেছেন, সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ"। বিবিসি বাংলার আরো খবর: বাংলাদেশে নষ্ট মোবাইল ফেরতে টাকা দেবার উদ্যোগ ছাত্রীর বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে বিপাকে মাদ্রাসা শিক্ষক যে দেশে বৃদ্ধরা ইচ্ছে করে কারাগারে যেতে চায় ১৯৬২ সালের ছবি যখন মি মুলার স্কুল হকি টিমের সদস্য এবং ১২ নম্বর জার্সি পরনে, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ১৮ নম্বর জার্সি পরা। মিজ অ্যান্ডারসনের জন্য এটা দারুণ এক স্মৃতি এবং তিনি মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে মিস্টার মুলারের চরিত্রের তাৎপর্যপূর্ণ দিক প্রকাশ পায় । "তিনি আমার সাথে কথা বলতে এবং ফোন করতে তার সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝেও এই সময় বের করেছেন এমন এক সময় যখন বিশ্বজুড়ে বিশৃঙ্খলা চলছে" বলেন মিজ এন্ডারসন। "কেউ যখন সঠিক কাজটি করেন তখন সেটিকে গুরুত্বের সাথে নেন তিনি, তার কাছে এটা গুরুত্বপূর্ণ"। রবার্ট মুলারের দৃঢ় নৈতিকতা বোধ ১৯৪৪ সালে ম্যানহ্যাটনের বিত্তশালী এক পরিবারে রবার্ট শন মুলার (তৃতীয়) জন্মগ্রহণ করেন এবং নিউজার্সির প্রিন্সটনে বেড়ে ওঠেন। এরপর নিউ হ্যাম্পশায়ারের সেন্ট পলস বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হয় তাকে যেখানে তার দৃঢ় নৈতিক মূল্যবোধের বিষয়টি তার সহপাঠীদের নজরে পড়ে। সেন্ট পলস-এ পাচঁবছর ধরে তার সহপাঠী ম্যাক্সোয়েল কিং সে সময়কার কথা স্মরণ করে বলেন, "তিনি ছিলেন গম্ভীর ধরনের ব্যতিক্রমী একজন তরুণ। একেবারে চুলচেরা-ভাবে সঠিক লাইন মেনে চলতেন - অত্যন্ত লক্ষ্যভেদী এবং অত্যন্ত নিবেদিত-প্রাণ" । স্কুলের বাইরের একটি স্ন্যাকসের দোকানের একটি ঘটনার কথা স্মরণ করেন তিনি। "বোর্ডিং স্কুলের বাচ্চারা অনেক ব্যঙ্গাত্মক ধরনের মজা করতে পারে। একবার কাউকে নিয়ে আমরা মজা করছিলাম এবং আমার মনে আছে বব (মিস্টার মুলার) উঠে দাঁড়ালো এবং সে জায়গা ছেড়ে চলে গেল। সে বুঝিয়ে দিল যে এটা তার পছন্দ নয়"। মিস্টার মুলারকে চেনে এমন অনেক ব্যক্তিই তার ন্যায়-অন্যায় এবং ঠিক-বেঠিক বিষয়ে গভীর বোধ-এর বিষয়টি উল্লেখ করবে। তার বিষয়ে বর্ণনার জন্য 'ল অ্যান্ড অর্ডার ম্যান' কিংবা 'স্ট্রেইট-অ্যারো' কথাগুলো নিয়মিতভাবে প্রযোজ্য। কিন্তু সহপাঠী মিস্টার কিং বলছেন, এ ধরনের আড্ডায় যোগ দিতে অনিচ্ছুক হলেও তা মিস্টার মুলারের জনপ্রিয়তাকে কমিয়ে দিতে পারেনি, যার পেছনে তার খেলা-ধুলার ক্ষেত্রে দক্ষতার একটা বড় প্রভাব ছিল। মিস্টার কিং বলেন, "সে ছিল একসঙ্গে একজন ফুটবলার, হকি এবং ল্যাক্রোজ খেলোয়াড়। আমার যতদূর মনে পড়ে এই তিনটি দলের প্রতিটির ক্যাপ্টেন ছিল সে"। "সে ছিল দারুণ একজন টিম মেম্বার এবং সবাই যে কারণে তাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতো সেটা হল তার মধ্যে নিজেকে জাহির করার প্রবণতা ছিল না। বর্তমান চরিত্রের মতই তখনো তিনি ছিলেন অকপট ব্যক্তিত্বের অধিকারী"। পাবলিক সার্ভিসের প্রতি স্কুল যে গুরুত্বারোপ করেছিল সেটাও জোর দিয়ে বলেন মিস্টার কিং। "তাতে সাড়া দিয়েছিলাম আমাদের অনেকে এবং চাকরি করে জীবন চালাতে চাইতাম। ববের ক্ষেত্রে...দেখলাম যে সে স্কুলের জন্য এবং খেলাধুলার জন্য আত্মোৎসর্গ করেছিল, এবং আমাদের অনেকেরই প্রত্যাশা ছিল বড় হয়ে সে পাবলিক সার্ভিসে কিছু একটা করবে" তাদের প্রত্যাশাই মিলে গেল যখন মিস্টার মুলার রাজনীতি নিয়ে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া শেষ করে মেরিন সদস্য হিসেবে তালিকাভুক্ত হল এবং তাকে ১৯৬৮ সালে ভিয়েতনামে পাঠানো হল। ভিয়েতনাম যুদ্ধে নৌসেনা হিসেবে যোগ দেন রবার্ট মুলার। বিরল এক সাক্ষাতকারে ২০০২ সালে মিস্টার মুলার তার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন। " মেরিন সেনা হিসেবে যাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল যে, আমরা একজন দারুণ প্রিয় বন্ধুকে হারিয়েছিলাম, একজন মেরিন সেনাকে, সে ছিল প্রিন্সটনে আমার একবছরের সিনিয়র। তিনি আরও বলেন, "আমাদের মধ্যে থেকে অনেকেরই মনে হয়েছিল যে তার পথ অনুসরণ করতে হবে"। লেফটেন্যান্ট হিসেবে মিস্টার মুলার এক প্লাটুন সৈন্যের নেতৃত্ব দিতেন এবং যুদ্ধক্ষেত্রে একাধিকবার আহত হয়েছেন। সাহসিকতার জন্য ব্রোঞ্জ স্টার সহ নানারকম সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন। তার অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে উদ্ধৃত বক্তব্যে বলা হয়, " সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মুলার নির্ভীক-ভাবে এক অবস্থান থেকে আরেক অবস্থানে ছুটে গেছেন তার নিজের নিরাপত্তার কথা সম্পূর্ণভাবে পরোয়া না করে"। যুদ্ধ থেকে ফেরার পর তিনি ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটিতে আইন বিষয়ে ১৯৭৩ সালে গ্রাজুয়েশন করেন। একটার পর একটা আইন বিষয়ক চাকরি করেন। প্রথম সান ফ্রান্সিসকোতে এবং এরপরে বোস্টনে তিনি প্রসিকিউটর এবং তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং আন্তর্জাতিক মানি লন্ডারিং বিষয়ে কাজ করেন। ১৯৯০ সালে তিনি বিচার বিভাগে যোগ দেন যাকে অনেকেই মনে করেন তার ক্যারিয়ারের এক বিস্ময়কর বাঁক হিসেবে। "এনিমিস: এ হিস্ট্রি অব দি এফবিআই" গ্রন্থের লেখক টিম ওয়েইনার বলছেন, "তিনি বিচার বিভাগ থেকে কোন একটি ল ফার্মে চলে যেতে পারতেন এবং বাকি জীবনটা প্রচুর অর্থ রোজগার করে কাটাতে পারতেন। কিন্তু তার পরিবর্তে তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে ফৌজদারি অপরাধের কৌঁসুলি হিসেবে কাজ শুরু করেন যেটি মূলত একটি এন্ট্রি লেভেলের পদ।" তিনি ওয়াশিংটনে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একধরনের নৈতিক বাধ্য-বাধকতা অনুভব করেন, যেখানে মাদকের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ড মহামারীতে রূপ নিয়েছিল। ২০০১ সালের অগাস্টে সিনেটে সর্বজনীনভাবে তিনি এফবিআই প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন, এবং এই পদের জন্য তিনিই সমস্ত বিশেষজ্ঞদের কাছে পছন্দসই ছিলেন। পরের মাসে সেপ্টেম্বরে তিনি দায়িত্ব নেন। ২০০১ সালে এফবিআই ডিরেক্টর নিযুক্ত হন রবার্ট মুলার কিন্তু তিনি ডিরেক্টরের রুমের দরোজা দিয়ে প্রবেশের ঠিক এক সপ্তাহ পর ঘটে যায় নাইন ইলেভেনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা, যেখানে প্রায় ৩ হাজার মানুষ নিহত হয়, এবং এরপর তার ভূমিকা পুরোপুরি পাল্টে যায়। "আপনি নিশ্চই কল্পনা করতে পারছেন তার কর্মক্ষেত্রে দ্বিতীয় সপ্তাহটি কেমন হতে পারে"। মিস্টার ওয়েইনার বলেন, "তার দায়িত্ব নেয়া গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই গভীর সংকটের মুখোমুখি সংস্থায় পরিণত হয়। ...এটা ছিল ৯৫% শ্বেতাঙ্গদের এবং সংস্থাটি তার মূল ও প্রাথমিক কাজ যেটি সেই গোয়েন্দা কার্যক্রম-সেটাই তারা ঠিকমত করতে পারেনি।" তার মতে, "রবার্ট মুলার ডিরেক্টর হিসেবে ১২ বছরে যেটা করেছেন, এফবিআইকে ২১ শতকের সেবা এবং আইনের অধীনে গোয়েন্দা পরিসেবা হিসেবে গড়ে তুলেছেন।" নাইন-ইলেভেনের পর রবার্ট মুলারের সাথে সন্ত্রাস-বিরোধী কার্যক্রমে কাজ করেছেন সাবেক এফবিআই এজেন্ট আলি সুফিয়ান। তিনিও একমত বিষয়টিতে। "এফবিআইকে ঐতিহাসিক আইন প্রয়োগের ফোকাস থেকে গুপ্তচরবৃত্তিক সংস্থা হিসেবে পুনর্গঠন কার্যকর-ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন।" তিনি বিভাগকে আধুনিকায়ন করতে উদ্যোগ নেন, যে বিভাগটিতে এজেন্টরা একজন অপরের কাছে ইমেইলে ফাইল পর্যন্ত পাঠাতে পারছিলেন না। লরেন এন্ডারসন মনে করেন, "তিনি বাধ্য ছিলেন কারণ নাইন ইলেভেনের ঘটনা এফবিআইতে নাটকীয় পরিবর্তন আনতে বাধ্য করে এবং আমি বলতে পারি যে, এই ধরনের পরিবর্তন আনার চেষ্টা ছিল খুবই কঠিন। " "তার সিদ্ধান্তগুলো তাকে এজেন্টদের একটা বড় অংশের সমর্থন এনে দিল যারা মনে করতেন যে তিনি এফবিআইকে ধ্বংস করছেন। অনেকসময় লোকজনকে তা উত্তেজিতও করে তুলতো বলে জানান মিজ এন্ডারসন। ফলে যেকোনো ব্রিফিং এ নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন করার জন্য তার পক্ষ থেকে অনুরোধ থাকাটা খুব একটা অস্বাভাবিক ছিলনা। " যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক ডগলাস চার্লস বলেন, ," নাইন-ইলেভেন এর জের ধরে নজরদারি পদ্ধতিগুলোর শিথিলতার জন্য মি মুলারকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। তিনি এছাড়াও আরেকটি বিষয় সামনে তুলে আনেন-২০০৪ সালে যখন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ সন্ত্রাস মোকাবেলার পদক্ষেপ হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্সিকে (এনএসএ) আমেরিকার জনগণের ওপর গুপ্তচরবৃত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন তখন মিস্টার মুলার ইস্তফা দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন, এই বিষয়টি প্রেসিডেন্টকে পিছু হটতে বাধ্য করে। "সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মার্কিন নাগরিকদের স্বাধীনতা খর্ব হতে পারে- সে বিপদ সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন তিনি" বলেন টিম ওয়েইনার, যিনি ২০১৬ সালের নির্বাচনের পর মিস্টার মুলারের সাথে মেক্সিকো সিটিতে কিছুসময় একসাথে অতিবাহিত করেছিলেন। কেমন মানুষ হিসেবে মিস্টার মুলারকে দেখেছেন তিনি? "আমি এমন একজনকে দেখলাম যিনি বাহ্যিক-ভাবে অত্যন্ত কেতাদুরস্ত হয়ে চলেন...তার পোশাক আশাক এমন যেন সময়টা ১৯৫৬ সাল এবং রেডিওতে ফ্রাংক সিনাত্রা আর হোয়াইট হাউজে এইজেনআওয়ার" বলেন মি ওয়েইনার। ২০১৭ সালের মে মাসে বিশেষ কনসেল হিসেবে নিযুক্ত হবার পর রাশিয়া ইস্যুতে তদন্তের নেতৃত্ব-দান শুরুর পর থেকে মিস্টার মুলারের শান্ত, নিরপেক্ষ মনোভাব নিয়ে অনেক কথা-বার্তা হয়েছে। তদন্ত বিষয়ে খুব সামান্য তথ্য ফাঁস হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জনসম্মুখে তিনি কদাচিৎ কথা বলেছেন। এফবিআই প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ঘটে নাইন ইলেভেন হামলার ঘটনা। মিজ এন্ডারসন বলেন, "মূল বিষয় হল তার কাছ থেকে আমরা একেবারে কিছুই শুনিনি" মিডিয়ায় কথা বলার বিষয়ে তিনি খুবই অনিচ্ছুক। তিনি অভিযোগের সূত্র ধরে এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বিষয়ে কথা বলেন। প্রিন্সটনে মিস্টার মুলারের স্কুলের ইতিহাস এবং পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের অধ্যাপক জুলিয়ান যেলিযার বলেন, "নীরব থাকার একধরনের উপকারিতা রয়েছে। বর্তমান সময়কালে সবাই উচ্চকণ্ঠ, প্রেসিডেন্ট নিজেও, সবাই সবসময় কিছু একটা বলে যাচ্ছে। নীরব থাকার ফলে তা একধরনের রহস্যময় শক্তি যোগ করে। বহু মানুষ এমনভাবে আঘাত করে কথাবার্তা চালিয়ে যেতে থাকে যে কখনো কখনো তা আবার সংশোধনেরও প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। মিস্টার মুলারের নিজের কাজের প্রতি ফোকাস করার ফলে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস রয়েছে"। তবে মিস্টার মুলারকেও এর শিকার হতে হয়েছে । প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে অত্যন্ত সাংঘর্ষিক এবং অসম্মানজনক হিসেবে অভিহিত করেছেন। কিন্তু মিজ এন্ডারসন যিনি এফবিআই ডিরেক্টর হিসেবে মিস্টার মুলারের সম্পূর্ণ মেয়াদকালেই তার অধীনে কাজ করেছেন - তিনি আশা করেন না যে তদন্তের ব্যাপারে তার সতর্ক অবস্থান শিগগিরই বদলে যাবে, তার ওপর কঠিন বাক্যবাণেো আঘাত আসা সত্ত্বেও। "আমি এই ব্যাপারে বাজি ধরে বলতে পারি যে, যতক্ষণ পর্যন্ত কংগ্রেসের সামনে কথা বলতে বাধ্য না হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা তার কাছ থেকে কিছুই শুনতে পাবোনা" বলেন মিজ এন্ডারসন। "তার কাজই আসলে এ ব্যাপারে কথা বলবে সে ব্যবস্থাই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি"।
He seldom gives interviews and is rarely seen in public. Yet Robert Mueller, the man who led the investigation into alleged Russian interference in the 2016 US election, is one of the most talked about people in America.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
জামাল খাসোগজিকে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসুলেটের ভেতরে খুন করা হয়। ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসুলেটে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে জামাল খাসোগজি খুন হন। আসামীদের মধ্যে রয়েছেন দুজন যারা একসময় সৌদি আরবের ক্ষমতাধর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের শীর্ষ সহকারী ছিলেন। মি. খাসোগজি সৌদি যুবরাজের কঠোর সমালোচকদের একজন ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি সরকারও আলাদা একটি বিচারকার্য চালিয়েছে, অসম্পূর্ণ বলে যার প্রবল সমালোচনা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড এবং এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দা প্রিন্স সালমানের ভাবমূর্তিকে সম্পূর্ণভাবে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। প্রিন্স মোহাম্মদ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ইস্তাম্বুলের এই মামলায় তুর্কী সরকারি কৌঁসুলিরা অভিযোগ করছেন সৌদি গোয়েন্দা বিভাগের উপপ্রধান এবং রাজদরবারের গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা সৌদ আল-কাহ্তানি মি. খাসোগজির হত্যার পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং একটি সৌদি খুনি দলকে নির্দেশনা দিয়েছেন। মামলার বাকি ১৮ জন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে যে এরা শ্বাসরোধ করে মি. খাসোগজিকে হত্যা করেছে। সৌদি সাংবাদিকের মরদেহ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তুর্কী কর্মকর্তারা বলছেন, তার দেহটিকে খণ্ড-বিখণ্ড করা হয় এবং অজানা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। জামাল খাসোগজি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতেন। তিনি ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় কাজ করতেন। আসন্ন বিয়ের কাগজপত্র জোগাড়ের জন্য তিনি ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসুলেটে গিয়েছিলেন। জাতিসংঘ অভিযোগ করেছে মি. খাসোগজিকে ইস্তাম্বুলের এই সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরেই হত্যা করা হয়। সম্পর্কিত খবর: খাসোগজির হত্যাকারীদের ক্ষমা করেছে পরিবার, ক্ষিপ্ত প্রেমিকা জামাল খাসোগজিকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল খাসোগজিকে 'কোরবানির পশু' বলে বর্ণনা করেছিল এক ঘাতক ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি খবর দিচ্ছে, মি. খাসোগজির বাগদত্তা হাতিস চেংগিস এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র‍্যাপোর্টিয়ার অ্যাগনেস কালামার্ড বিচার চলার সময় উপস্থিত রয়েছেন। সৌদি কর্তৃপক্ষ প্রথমদিকে এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছিল। পরে তারা স্বীকার করে যে এটা একদল সৌদি দুর্বৃত্তের কাজ। মি. খাসোগজির হত্যার ওপর সৌদি আরবে যে বিচার হয়েছে, তাতে আদালত গত ডিসেম্বর মাসে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে এবং তিনজনের জেল হয়েছে। কিন্তু ঐ বিচারকার্য হয়েছে গোপনে এবং আসামীদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ এবং কিছু পশ্চিমা দেশ বিশ্বাস করে যে যুবরাজ সালমানই মি. খাসোগজির হত্যাকাণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করছেন।
Twenty Saudi nationals have gone on trial in absentia in Turkey for the murder of the journalist Jamal Khashoggi in 2018.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
সমকামীতা চীনে অবৈধ নয়। 'রিলা' নামে ঐ অ্যাপের ৫০ লক্ষের বেশি ব্যবহারকারী ছিল। রিলা অ্যাপটি এখন অ্যান্ড্রয়েড বা অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া এটার ওয়েব সাইট ডিলিট করা হয়েছে। কিন্তু এসব করার কারণ কী? কেন এটা বন্ধ করা হয়েছে সেটা এখনো পরিষ্কার না। গত সপ্তাহে এর ব্যবহারকারীরা হঠাত আবিষ্কার করেন যে অ্যাপটি তারা ব্যবহার করতে পারছেন না। সমকামীতা নিয়ে রক্ষণশীল মনোভাব লক্ষ্য করা যায় দেশটিতে। তবে রিলা'র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে " রিলা সব সময় তোমাদের সাথে ছিলো এবং ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করো"। রক্ষণশীল মনোভাব: চীনের রাষ্ট্রীয় ইন্টারনেট রেগুলেটরি সংস্থা সাইবার স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব চাইনা এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি। সমকামীতা চীনে অবৈধ নয়। তবে ২০০১ সাল পর্যন্ত সমকামীতাকে মানসিক অসুস্থতা হিসেবে দেখা হতো। এবং এখনো এর বিরুদ্ধে একটা রক্ষণশীল মনোভাব লক্ষ্য করা যায় দেশটিতে।
A Chinese dating app for lesbians that has more than five million users has been shut down.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
সায়রা আটেস ও লুদোভিক মোহামেদ জাহেদ চান এমন আরো মসজিদ তৈরি করতে। ভবনের পিছন দিকে গেলে দেখা যাবে একটি সিঁড়ি। ওই সিঁড়ি বেয়ে কয়েক ধাপ ওপরে ওঠলেই দেখা যাবে সাদা রংয়ের সাধারণ একটি ঘর। ঘরের প্রবেশমুখেই কয়েকটি জুতা সাজিয়ে রাখা এবং সেই ঘরটিতে কয়েকজন মানুষ নামাজ পড়ছেন। কারণ, এটি একটি মসজিদ। মুসলমানদের নামাজের জন্য এই ঘরটি যাজকদের কাছ থেকে ভাড়া নেয়া হয়েছে , কিন্তু পাশাপাশি গির্জার কার্যক্রমও চলছে। কিন্তু মসজিদটি যে শুধু তার অবস্থানের জন্য ব্যতিক্রম তা নয়। বার্লিনের নতুন এই মসজিদটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো-এখানে নারী ও পুরুষ একসাথে নামাজ আদায় করেন। এমনকি শুক্রবারের নামাজের ইমামতি করেন নারীরা। এছাড়া সমকামী এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরাও এই মসজিদে অবাধে আসতে পারেন। "আমাদের মসজিদ সবার জন্য খোলা" বলছেন মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা সায়রা অ্যাটেস। তুর্কী বংশোদ্ভুত এই জার্মান নাগরিক নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করেন। নারী-পুরুষ একসাথে নামাজ আদায় করছেন "প্রত্যেক সমাজের মানুষ এখানে আসতে পারবেন। আমরা ওপরওয়ালা নই। আমরা জানিনা কে ভালো মুসলিম, কে খারাপ। যে কেউ এখানে আসতে পারে, সে সমকামী নাকি হিজড়া সে প্রশ্ন করার আমরা কেউ নই"- বলেন সায়রা অ্যাটেস। দ্য ইবনে রুশদ গ্যেথে মসজিদ কর্তৃপক্ষ বলছে, মুসলিমদের প্রতি অন্য ধর্মের মানুষদের ধ্যান ধারণা পাল্টানোর লক্ষ্যে এই মসজিদ। তবে এই মসজিদটি ঘিরে ব্যাপক সমালোচনাও তৈরি হয়েছে। মিস আটেস শখানেক হত্যার হুমকি পেয়েছেন। বিশেষ করে আরব বিশ্ব ও তুরস্ক থেকে চরমপন্থাদের হুমকি এসেছে। এমনকি তুরস্কের একটি টিভিতে ভুয়া খবরও ছড়ানো হয় যে ওই মসজিদে কোরআন নিচে ফেলে অবমাননা করা হয়েছে। তুরস্কের ধর্মবিষয়ক কর্তৃপক্ষ এবং মিশরের কর্মকর্তারা বলছেন, ওই মসজিদে যা হয় তা 'ইসলামিক নয়'। গাম্বিয়া থেকে জার্মানি বেড়াতে আসা এক মুসলিম নাগরিকের মতে "মসজিদটিতে নারী ও পুরুষ একসাথে নামাজ পড়ছে। নারী-পুরুষ একসাথে নামাজ প্রার্থনায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে"। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ক্যান্সার চিকিৎসায় সাহায্য করবে স্বর্ণ: গবেষণা প্রথমবারের মতো স্বামীর নাম ধরে ডাকলেন যারা চীনের সাথে শান্তি চেয়ে বিপদে ভারতীয় বক্সার সেন্ট জোহানেস দেখতে অনেকটা ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রোটেস্ট্যান্ট গির্জার মতো।
With its red-brick spire and stained-glass windows, St Johannes looks like any other 19th-Century Protestant church.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
চীনে নিখোঁজ শিশুদের ছবি। বিবিসির এক প্রতিবেদনে উঠে আসে যে, সংখ্যালঘু উইগর মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেক শিশুর বাবা-মা হয় জেলে, না হয় ক্যাম্পে বন্দী আছেন। পাশাপাশি উইগর মুসলিম শিশুদের জন্য বোর্ডিং স্কুল তৈরির জন্য দেশটিতে ব্যাপক ভিত্তিতে একটি প্রচারণা কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, শিশুদেরকে তাদের মুসলিম কমিউনিটি থেকে বিচ্ছিন্ন করতেই মূলত এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে, এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়াওমিং। আরো পড়তে পারেন: মোবাইল অ্যাপ দিয়ে উইগরদের ওপর নজরদারি করছে চীন চীনে উইগর মুসলিম নির্যাতনের ব্যাপারে যা জানা গেছে চীনের মুসলিম বন্দী শিবিরগুলো এখন 'বৈধ' রবিবারে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, "শিশুদেরকে তাদের অভিভাবকদের থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে না। মোটেও না।" কিন্তু বিবিসি এর আগে তথ্য-প্রমাণ দিয়ে দেখিয়েছে যে, শিনজিয়াং-এর একটি এলাকাতেই ৪০০ এর অধিক শিশু বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে, উগ্রবাদকে মোকাবেলা করতে উইগর সম্পদ্রায়ের সদস্যদের শিক্ষায় সম্পৃক্ত করা হচ্ছে এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন তথ্য প্রমাণে দেখা যায় যে, এমনকি নিজের বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে নামাজ পড়া বা হিজাব পড়া বা তুরস্কে কারো সাথে যোগাযোগ থাকার কারণেও অনেককে আটক করা হচ্ছে। চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়াওমিং। এই ব্যবস্থায় দশ লাখেরও বেশি মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাবা-মাকে আটক করার পর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় যে শিশুটিকে 'সেন্ট্রালাইজ কেয়ার' বা কেন্দ্রীয় পরিচর্যার আওতায় নেয়া হবে কিনা। শিনজিয়াং-এর স্থানীয় একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেসব শিশুর বাবা-মাকে আটক করা হয় তাদেরকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানেই শিশুদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয় এবং এই শিশুদেরকে ভালোভাবে দেখ-ভাল করার নির্দেশ দেয়া হয়। শিশুদেরকে বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন করার এই বিষয়টি নিয়ে বিবিসির হয়ে গবেষণা করেছেন যেই ড. আদ্রিয়ান জেঞ্জ। তিনি বলেছেন, বোর্ডিং স্কুলগুলোতে মূলত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোকে সাংস্কৃতিকভাবে রি-ইঞ্জিনিয়ারিং বা নতুন করে পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়। তার এর মতে, বোর্ডিং স্কুলে রাখার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মূলত শিনজিয়াং -এর সরকার এমন একটি প্রজন্ম তৈরি করছে যারা নিজের ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বেড়ে উঠছে। উইগর সম্পদ্রায়ের হাজার হাজার মানুষ তুরস্কে পাড়ি জমিয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ ব্যবসা-বাণিজ্য করতে, কেউ নিজের পরিবারের সদস্যদের দেখতে আর কেউ-বা পাড়ি জমিয়েছেন ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে পালিয়ে বাঁচতে।
China's ambassador to the UK has denied that Muslim children in western Xinjiang are being systematically separated from their parents.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
'শিশুদের পরিত্যাগ করা নিষিদ্ধ'', ভেনেজুয়েলার সড়কের পাশের দেয়াল জুড়ে এই বার্তা লিখে রেখেছেন শিল্পী এরিক মেহিকানো। মেহিকানো বলছেন, তিনি মানুষজনকে সতর্ক করতে চান যে, ভেনেজুয়েলায় এমন কিছু বিষয় অব্যাহতভাবে ঘটছে, যা আগে কখনোই স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়নি। দেশটির অর্থনীতির অব্যাহত পতন ঘটছে। প্রতি তিনজন ভেনেজুয়েলানের মধ্যে অন্তত একজন নূন্যতম পুষ্টিমানের খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জাতিসংঘ খাদ্য কর্মসূচীর একটি গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অনেকে জন্মনিরোধ কিনতে পারেন না, ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের বিষয়টিও অনেকটা নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। গর্ভপাত বিরোধী আইনের কড়াকড়ির কারণে নারীদের সামনে বিকল্পও খুব কম। অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই একটি দাতব্য সংস্থা ২০১৮ সালে জানিয়েছে যে, সড়কে শিশুদের পরিত্যাগ করা বা আবাসিক ভবনের প্রবেশ দ্বারে শিশুদের রেখে যাওয়ার মতো ঘটনা অন্তত ৭০% বেড়ে গেছে। ভেনেজুয়েলার সরকার এ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ের কোন সরকারি তথ্য উপাত্ত প্রকাশ করেনি। দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয় অথবা শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সরকারি সংস্থাও এসব ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি। কিন্তু যেসব সমাজকর্মী এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে বিবিসি কথা বলেছে, তারা নিশ্চিত করেছেন যে, পরিত্যাগ করা শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে অনানুষ্ঠানিকভাবে দত্তক নেয়ার সংখ্যাও। অভাবী শিশুদের খাবার জোগাতে ভেনেজুয়েলায় গড়ে উঠেছে এরকম সামাজিক খাবার ব্যবস্থা 'শর্টকাট' কারাকাসের অন্যতম দরিদ্র এলাকাগুলোর একটিতে শিশুদের রক্ষা কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে কাজ করেন নেলসন ভিলাসমিল। তিনি বলছিলেন, বিশৃঙ্খল আর সামান্য তহবিলের দত্তক ব্যবস্থার কারণে বেপরোয়া পিতা-মাতারা 'শর্টকাট' পথ বেছে নেন। যেমন শিশু টমাসের (আসল নাম নয়) গল্পটি এরকম একটি ঘটনা। তার জন্ম হয়েছিল কারাকাসের একটি দরিদ্র মাতার ঘরে, যিনি মনে করেছিলেন যে, শিশুটিকে বড় করে তোলা তার পক্ষে সম্ভব নয়। যে স্ত্রীরোগ বিশারদের সামনে টমাসের জন্ম হয়, তিনি সহায়তা করতে রাজি হন। তিনি বলছেন, এটাই প্রথম ঘটনা নয় যে, কোন মা তার শিশুকে বড় করতে অপারগ বোধ করেন। ''তবে প্রথম যখন শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করান, তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা মন বদলে ফেলেন। কিন্তু সবসময়ে সেটা ঘটে না আর সেজন্যই একটি সমাধান খুঁজে বের করা দরকার।'' তিনি তার একজন রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। চল্লিশ বছর বয়সী তানিয়া (আসল নাম নয়) নামের সেই নারী একটি সন্তান নেয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন, কিন্তু গর্ভধারণ করতে পারছিলেন না। প্রথমে তিনি টমাসকে দত্তক নেয়ার কথা ভাবেন। পরে সিদ্ধান্ত বদলে তার বন্ধু এক দম্পতির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন, যারা টমাসকে নিজের সন্তান হিসাবে গ্রহণ করতে রাজি হন। কোন সন্দেহ তৈরি যাতে না হয়, সেজন্য তাদের দ্রুত শিশুটির জন্ম নিবন্ধন করতে হতো। ফলে তানিয়া কর্মকর্তাদের আড়াইশো ডলার ঘুষ দেন, যাতে তারা আসল মায়ের নামের বদলে সেই বন্ধুর নাম টমাসের মা হিসাবে তালিকাভুক্ত করে। এখন ভেনেজুয়েলার একটি গ্রামে সেই বন্ধু পরিবারে বড় হয়ে উঠছে টমাস। কয়েকদিন আগে টমাসের হাটতে শেখা উদযাপন করেছে পরিবারটি। তানিয়া বলছিলেন, টমাসের ভালোর জন্য তিনি প্রচলিত দত্তক নেয়ার পদ্ধতিকে পাশ কাটিয়েছেন, সেজন্য কখনোই অনুশোচনা বোধ করেন না। ''আমি কখনোই এরকম কিছু করার কথা চিন্তা করিনি। কিন্তু ভেনেজুয়েলায় বৈধ দত্তক নেয়ার পদ্ধতি কাজ করে না এবং শিশুটিকে একটি সরকারি এতিমখানায় অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে বড় হতে হতো,'' তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন। 'ফাঁদে আটকে পড়া' মায়ের সম্মতিতেই টমাসকে নতুন পরিবারে দিয়ে দেয়া হয়, কিন্তু ভেনেজুয়েলায় এমন নারীদের শোষণ করার মতো লোকের কমতি নেই। যেমন ইসাবেল (আসল নাম নয়) যখন দ্বিতীয়বার গর্ভধারণ করেন, তখন তার স্বামী মারা যান। ফলে দ্বিতীয় সন্তানটিকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে তিনি ভাবতে শুরু করেন। ''আমি একা ছিলাম এবং ভয় পাচ্ছিলাম যে, আমি হয়তো আমার সন্তানকে ঠিকমতো খাওয়াতে পারবো না।'' পরিচিত একজনের পরামর্শে এক দম্পতির সঙ্গে দেখা করতে তিনি ত্রিনিদাদের একটি দ্বীপে চলে যান। ওই দম্পতি তার সন্তানকে দত্তক নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহী বলে জানিয়েছিল। তাকে বলা হয়েছিল যে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর থেকেই দত্তকের দিয়ে দেয়ার জন্য তার ওপর চাপ দেয়া শুরু হয়। কলম্বিয়ান একজন নারী চাপ দিতে শুরু করেন। ''আমাকে বলা হয়েছিল যে, সব কিছুই আইন মাফিক হবে এবং কখনোই সন্তানের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে না। কিন্তু ত্রিনিদাদে যাওয়ার পর আমি বুঝতে পারলাম যে, আমি আসলে একটা মানব পাচারকারী চক্রের জালে আটকে পড়েছি।'' ''আমাকে সবসময়েই নজরদারি করা হতো।'' ইসাবেল বলছেন, তিনি যে বাসায় ছিলেন, সেখান থেকে তাকে বের হতে দেয়া হতো না। ভেনেজুয়েলায় ফেরত যাবার যে রিটার্ন টিকেট দেয়ার কথা ছিল, সেটাও তাকে কখনোই আর দেয়া হয়নি। ভেনেজুয়েলায় অনেক দরিদ্র পরিবার সন্তানদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিমাণের খাবার যোগাড় করতে পারছে না বিচ্ছিন্নতা কয়েক সপ্তাহ পরে ত্রিনিদাদের একটি হাসপাতালে অপরিণত শিশুর জন্ম দেন ইসাবেল। তিনি শিশুটিকে রেখে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন কিন্তু জন্মের পরপরই কলম্বিয়ান একজন নারী এবং একজন পুরুষ তার ওপর চাপ দিতে শুরু করে। ওই ব্যক্তি নিজেকে একজন আইনজীবী বলে দাবি করেছিলেন। ''তারা আমাকে বলে যে, নতুন পিতামাতা পার্কিং লটে অপেক্ষা করছে এবং আমাকে কিছু ইংরেজি কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে, যা আমি বুঝতে পারছিলাম না। সেই সঙ্গে শিশুটিকে তাদের কাছে তুলে দিতে হবে।'' প্রথমে তাতে রাজি হননি ইসাবেল। কিন্তু পরের সপ্তাহে তাকে আটকে রাখা ব্যক্তিরা চাপ বাড়িয়ে যায়। তার খাবার, ওষুধ এবং ন্যাপি সরিয়ে নিয়ে যায়। ''অবশেষে আমি আমার সন্তানের জীবন বাঁচানোর জন্য আর ভেনেজুয়েলায় ফেরত আসার জন্য ছেলেটিকে তাদের কাছে তুলে দিতে বাধ্য হই,'' কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলছিলেন। বেসরকারি একটা সংস্থার সহযোগিতায় এখন সন্তানকে ফেরত আনার আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইসাবেল। শিশুটি এখন ত্রিনিদাদ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। বর্তমানে তিনি সপ্তাহে একদিন সন্তানকে দেখতে পান। ইসাবেল বলছেন, সন্তানকে ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত তিনি হাল ছাড়বেন না।
"Dumping babies is forbidden," the sign created by Eric Mejicano reads. The Venezuelan artist posted the signs on walls across Venezuela after a newborn was found in the rubbish near his apartment block in the capital, Caracas.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
বঙ্গোপসাগর হচ্ছে সাইক্লোন সৃষ্টির জন্য একেবারে আদর্শ জায়গা বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে রেখেছে যে তটরেখা, সেখানে বাস করে প্রায় ৫০ কোটি মানুষ। বিশ্বের ইতিহাসে যতসব ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হেনেছে, তার বেশিরভাগই হয়েছে এই বঙ্গোপসাগরে। ‌'ওয়েদার আন্ডারগ্রাউন্ড‌' নামের একটি ওয়েবসাইটে বিশ্বের ৩৫টি সবচাইতে ভয়ঙ্কর মৌসুমী ঘূর্ণিঝড়ের তালিকা রয়েছে। এই তালিকার ২৬টি ঘুর্ণিঝড়ই বঙ্গোপসাগরে। ঘূর্ণিঝড় আম্পান, যেটি বুধবার বিকেল নাগাদ বাংলাদেশ এবং ভারতের উপকূলে আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেটি হবে এধরণের ২৭তম ঘূর্ণিঝড়। ভারতের আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ঘূর্ণিঝড়টি যখন উপকূলে আঘাত হানবে, তখন এটি ভয়ংকর শক্তিশালী হয়ে উঠবে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘন্টায় ১৯৫ কিলোমিটার (১২১ মাইল)। জলোচ্ছাস হবে প্রায় দোতলা বাড়ির উচ্চতায়। বঙ্গোপসাগরে কেন এত বেশি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় হয় আবহাওয়াবিদদের মতে, সামূদ্রিক জলোচ্ছাস সবচেয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠে অবতল আকৃতির অগভীর বে বা উপসাগরে। মৌসুমী ঘূর্ণিঝড়ের তীব্র বাতাস যখন এরকম জায়গায় সাগরের পানিকে ঠেলতে থাকে, তখন ফানেল বা চোঙার মধ্যে তরল যে আচরণ করে, এখানেও তাই ঘটে। সাগরের ফুঁসে উঠা পানি চোঙা বরাবর ছুটতে থাকে। ২০১৯ সালের মে মাসে ভারতের পূর্ব উপকূলে আঘাত হেনেছিল সাইক্লোন ফনি “এরকম ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের টেক্সটবুক উদাহারণ হচ্ছে বঙ্গোপসাগর,” বলছেন আবহাওয়াবিদ এবং ওয়েদার আন্ডারগ্রাউন্ডের একজন লেখক বব হেনসন। তবে বঙ্গোপসাগরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় আরও বাড়তি কিছু বৈশিষ্ট্য। যেমন সমূদ্রের উপরিতল বা সারফেসের তাপমাত্রা। বলছেন ভারতের আবহাওয়া দফতরের প্রধান ডি. মহাপাত্র। এটি পরিস্থিতিকে আরও বিপদজনক করে তোলে। "বঙ্গোপসাগর খুবই উষ্ণ এক সাগর", বলছেন তিনি। পৃথিবীর নানা অঞ্চলে আরো অনেক উপসাগর আছে যেখানে উপকূল বরাবর এই ধরনের জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকি আছে। যেমন লুইজিয়ানার গালফ কোস্ট। "কিন্তু বিশ্বের আর যে কোন উপকূলের চাইতে বঙ্গোপসাগরের উত্তর উপকূল এই ধরনের সার্জ বা জলোচ্ছ্বাসের সবচাইতে বেশি ঝুঁকিতে আছে", বলছেন বব হেনসন। আর এই উপকূলজুড়ে যেরকম ঘনবসতি, সেটা ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশ্বের প্রতি চারজন মানুষের একজন থাকে বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেশগুলিতে। আম্পান নিয়ে কেন এত বেশি উদ্বেগ এই উদ্বেগের প্রধান কারণ এটি একটি ‌'সুপার সাইক্লোন‌'। এই ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি হবে প্রতি ঘন্টায় ১৩৭ মাইল বা ২২০ কিলোমিটারের বেশি। আম্পান আসছে। উত্তাল হয়ে উঠছে সমুদ্র। ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের জেলেরা মাছ ধরার নৌকা উঠিয়ে রাখছেন। সম্পর্কিত খবর: 'আম্পান' নিয়ে ভারতে হুঁশিয়ারি: মনসুনের আগে বঙ্গোপসাগরে এরকম ঝড় এই শতাব্দীতে প্রথম ঘূর্ণিঝড় আম্পান: উপকূলীয় জেলাগুলোতে জলোচ্ছ্বাসের আশংকা আর সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় বহু ধরনের বিপদ নিয়ে আসে। প্রথমত: প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে। দ্বিতীয়ত: ঝড়ের সঙ্গে সঙ্গে সামূদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ধেয়ে আসবে। আর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রচন্ড ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হবে, যাতে বন্যা দেখা দেবে। বঙ্গোপসাগরে বা আরব সাগরে যেসব ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, প্রতি দশ বছরে তার মাত্র একটি হয়তো এরকম প্রচন্ড ক্ষমতা বা শক্তির ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। উনিশশো সত্তর সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের ভোলায় যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল, সেটি ছিল বিশ্বের ইতিহাসের সবচাইতে প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড়। এতে মারা গিয়েছিল প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ। এই ঘূর্ণিঝড়ের সময় যে জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল তার উচ্চতা ছিল ১০ দশমিক ৪ মিটার বা ৩৪ ফুট। ইতিহাসবিদ ডক্টর সুনিল অমৃত, যিনি হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান, তিনি বলছেন বঙ্গোপসাগরে সাম্প্রতিক সময়ে আরও বেশি ঘনঘন প্রচণ্ড মাত্রার ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে। ২০০৮ সালের মে মাসে বার্মার উপকূলে আঘাত হেনেছিল সাইক্লোন নার্গিস। সেই সাইক্লোনে অন্তত ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল এবং ২০ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছিল। একজন সাংবাদিক এই ঘূর্ণিঝড়ের বর্ণনা দিয়েছিলেন এভাবে: “মনে হচ্ছে যেন কাগজের ওপর আঁকা একটি ছবির ওপর কেউ এক বালতি পানি ঢেলে দিয়েছে। অনেক যত্ন করে আঁকা লাইনগুলো (বদ্বীপের নদীপথ) মুছে গেছে। যে কাগজের ওপর ছবিটি আঁকা হয়েছিল সেটি যেন দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।” ভারতের সর্বশেষ কোন সুপার সাইক্লোন আঘাত হেনেছিল ১৯৯৯ সালে। তখন উড়িষ্যা রাজ্যে প্রায় দশ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। ঐ সাইক্লোনের পর আমি উপদ্রুত এলাকায় গিয়েছিলাম। ঘুরে বেরিয়েছিলাম সবচাইতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো। আমার মনে আছে, খাদের মধ্যে পড়ে ছিল পঁচা-গলা লাশ। নিহতদের শবদেহ যখন চিতায় পোড়ানো হচ্ছিল তখন আকাশ যেন ঢেকে গিয়েছিল চিতার আগুনের ধোঁয়ায়। বঙ্গোপসাগরের সুপার সাইক্লোনের অবারিত ক্রোধ কতটা বিধ্বংসী হতে পারে, সেটা আমি তখন প্রথম বুঝতে পেরেছিলাম।
The Bay of Bengal, notes historian Sunil Amrith, is an "expanse of tropical water: still and blue in the calm of January winter, or raging and turbid at the peak of the summer rains".
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
রোববার রাতে নিজের গলফ ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তিনি বরং তিনি এখন সাংবাদিকদের বলছেন, "আমি বর্ণবাদী নই। আপনারা ইন্টারভিউ করেছেন এমন সব ব্যক্তিদের মধ্যে আমিই সবচেয়ে কম বর্ণবাদী"। মূলত প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বর্ণবাদের অভিযোগ সম্পর্কিত ইস্যুতে এটিই তার প্রথম জবাব। রোববার রাতে নিজের ওয়েস্ট পাম বীচে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল গলফ ক্লাবে হোয়াইট হাউজের দায়িত্বে থাকা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছিলেন তিনি। আগে থেকেই নানা মন্তব্যের জন্য আলোচিত সমালোচিত মিস্টার ট্রাম্প এবার বিপাকে পড়েন যখন সেনেটরদের সঙ্গে এক বৈঠকে করা তার একটি মন্তব্যকে নিয়ে। সেখানে তিনি বলেন, "এসব 'শিটহোল' দেশের লোকজন সবাই কেন কেন আমাদের দেশে আসছে"? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নাকি হোয়াইট হাউজে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেট দলীয় সেনেটরদের সঙ্গে এক বৈঠকে এভাবেই হেইতি,এল সালভাডর এবং আফ্রিকান দেশগুলোকে বর্ণনা করেছেন। এই বৈঠকে তিনি সেনেটরদের সঙ্গে অভিবাসন নিয়ে কথা বলছিলেন। এরপরই এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। ডেমোক্রেট সেনেটর ডিক ডারবিন মিস্টার ট্রাম্পকে বর্ণবাদী ভাষা প্রয়োগের দায়ে অভিযুক্ত করেন। তবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে রিপাবলিকানদের তরফ থেকে। আরও পড়ুন ট্রাম্পের 'শিটহোল' শব্দটি নিয়ে সাংবাদিকদের বিড়ম্বনা ট্রাম্পের 'বর্ণবাদী মন্তব্যে' বিশ্ব জুড়ে নিন্দার ঝড়
President Donald Trump has denied that he is racist, after a row broke out over his alleged use of the word "shithole" to describe African nations.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
সান্না ম্যারিন হতে যাচ্ছেন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী চলতি সপ্তাহেই তিনি শপথ নিতে যাচ্ছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। মূলত নারীদের নেতৃত্বে থাকা একটি কোয়ালিশন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন তিনি। বর্তমানে তিনি দেশটির পরিবহন মন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী আনত্তি রিনি পদত্যাগের পর সান্না ম্যারিনকেই প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য বেছে নিয়েছে তার দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। নারীদের নেতৃত্বে থাকা পাঁচটি দলের সমন্বয়ে গঠিত একটি মধ্য-বাম ধারার কোয়ালিশন সরকারের নেতৃত্ব দিবেন তিনি। ডাক বিভাগের ধর্মঘট মোকাবেলাকে কেন্দ্র করে আস্থা ভোটে হেরে পদত্যাগ করেছেন মিস্টার রিনি। এখন সান্না ম্যারিন যখন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিবেন তখন তিনি হবে এ মূহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়েসী প্রধানমন্ত্রী। কমবয়সী সরকার প্রধানদের মধ্যে এ মূহুর্তে আছেন নিউজিল্যান্ডের ৩৫ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন এবং ইউক্রেনের ৩৯ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী ওলেকসি হোনচারুক। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: যে দশটি বই জীবনে একবার হলেও পড়া উচিত দুর্নীতির টাকার বেশিরভাগ বিনিয়োগ ফ্ল্যাটে আর জমিতে রোহিঙ্গা গণহত্যার জবাব দিতে হেগের পথে সু চি শিল্পকর্মের লাখ ডলারের কলাটি খেয়ে ফেললেন এক শিল্পী খুবই অল্প ভোটের ব্যবধানে আস্থা ভোটে জয়ী হয়ে মিস ম্যারিন সাংবাদিকদের বলেছেন, "আস্থা পুনর্গঠনে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে"। তার বয়স নিয়ে প্রশ্ন ছিলো সাংবাদিকদের তরফ থেকে কিন্তু সেটি তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, "আমি কোনোদিন আমার বয়স বা লিঙ্গ নিয়ে ভাবিনি। আমি যে কারণে রাজনীতিতে এসেছি তা নিয়েই ভেবেছি এবং সে কারণেই আমাকে ভোট নিয়ে নির্বাচিত করেছে মানুষ"। মিস ম্যারিন হবেন দেশটির তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। গত এপ্রিলের সাধারণ নির্বাচনে তার দল বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে আবির্ভূত হয় আর সে কারণেই তার দল প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দিতে পারে যিনি কোয়ালিশন সরকারের নেতৃত্ব দিবেন। ফিনিশ ব্রডকাস্টার ওয়াইএলই'র তথ্য অনুযায়ী সান্নে ম্যারিন সিঙ্গেল মায়ের সন্তান। তার পরিবারে তিনিই প্রথম যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ফিনল্যান্ড এ মূহুর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্সির দায়িত্বে আছে। আরো খবর: দুর্নীতির টাকার বেশিরভাগ বিনিয়োগ ফ্ল্যাটে আর জমিতে রোহিঙ্গা গণহত্যার জবাব দিতে হেগের পথে সু চি রোহিঙ্গা শিবিরে সহিংসতার মূলে ইয়াবার টাকার ভাগ
Finland's Sanna Marin is to become the world's youngest prime minister at the age of 34.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
কোভিড-১৯ এ আকান্ত হয়ে কম সংখ্যক তরুণকে আইসিইউতে নিতে হলেও হাসপাতালে নিতে হয়েছে অনেকেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিব টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস বলেছেন তরুণদের পদক্ষেপ 'আরেক ব্যক্তির জীবন ও মৃত্যুর পার্থক্য' গড়ে দিতে পারে। ভাইরাসের প্রকোপে বয়স্ক ব্যক্তিদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি হওয়ার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গাতেই তরুণদের মধ্যে এই ভাইরাস সম্পর্কে কম সতর্ক থাকার প্রবণতা দেখা দেয়ার প্রেক্ষিতে এই কথা বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মারা গেছে। প্রায় ৩ লাখ মানুষের মধ্যে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শুরুতে যেরকম ধারণা করা হচ্ছিল যে করোনাভাইরাসের কারণে বয়স্ক ব্যক্তিরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন, নতুন কয়েকটি পরিসংখ্যান প্রকাশিত হওয়ার পর সেই ধারণা পাল্টানোর সময় এসেছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। করোনাভাইরাস এলো কোত্থেকে, ছড়ালো কিভাবে- যতসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ৎসংক্রমণ রোধে যেভাবে কাজ করেছেন সিঙ্গাপুরের গোয়েন্দারা করোনাভাইরাস: শিশুদের কি বন্ধুদের সাথে খেলতে দেওয়া উচিৎ? করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস ঠেকানোর সুযোগ কতটা কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ করোনাভাইরাস: লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা থাকতে হবে কীভাবে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস নতুন পরিসংখ্যান যুক্তরাষ্ট্রের করোনাভাইরাস আক্রান্তদের প্রাথমিক তথ্য উপাত্ত নিয়ে করা পরিসংখ্যানে উঠে আসে যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তরুণদের ঝুঁকিও কম নয়। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ঐ পরিমাণ পরীক্ষা করা হচ্ছে না যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে এই ভাইরাসে আসলে কে সংক্রমিত হচ্ছে এবং কীভাবে এটি তাদের ক্ষতি করছে। আগের পরিসংখ্যান থেকে ধারণা করা হচ্ছিল তরুণদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তরুণদের মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যতটুকু মনে করা হচ্ছিল তা তারচেয়ে বেশি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ২ হাজার ৫০০ জন করোনাভাইরাস আক্রান্তের তথ্য পর্যালোচনা করা হয় প্রতিবেদনটি তৈরিতে। সেখানে দেখা যায় ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে যাদের হাসপাতালে নিতে হয়েছে তাদের ২০% এর বয়স ২০ থেকে ৪৪ এর মধ্যে - আর ৩৮% এর বয়স ২০ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে। এটি সত্যি যে যারা কোভিড-১৯ এর কারণে মারা গেছেন তাদের সিংহভাগই বয়স্ক। বৈশ্বিক হিসেবে ৮৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়সী যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের প্রায় ১৫% মারা গেছেন। ৪০ বছরের কম বয়সী আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এই হার ০.২%। তবে এর মানে এই নয় যে তরুণরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হচ্ছেন না। সিডিসি'র রিপোর্টে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে বিশ এবং ত্রিশের কোঠায় বয়স যাদের, তারা যে হারে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন তা ৫০ বা ৬০ এর কোঠায় থাকা মানুষের হাসপাতালে যাওয়ার হারের চেয়ে খুব একটা কম না। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: করোনাভাইরাস: দেশে দেশে বিপর্যয়ের সর্বশেষ নিজের সুরক্ষা নিয়ে শঙ্কিত ডাক্তার-নার্সরা, চীনের সাহায্য চাওয়া হবে বাংলাদেশের পবর্তারোহী ওয়াসফিয়া নাজরীন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সংক্রমণ রোধে যেভাবে কাজ করেছেন সিঙ্গাপুরের গোয়েন্দারা ইরানের একটি হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা চলছে নিবিড় পরিচর্যা প্রয়োজন হচ্ছে কাদের? সিডিসি'র প্রতিবেদনে উঠে আসে যে তরুণদের মধ্যে বড় একটা অংশকে হাসপাতালে নিতে হলেও তাদের খুব কম সংখ্যককেই নিবিড় পরিচর্যায় বা আইসিইউতে নিতে হয়েছে। কিন্তু ঐ সংখ্যাটা অল্প হলেও তা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ ফেলে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত ইতালির সরকারি তথ্য থেকে দেখা যায় যে আইসিইউ'তে ভর্তি হওয়া ১২% রোগীর বয়স ১৯ থেকে ৫০ এর মধ্যে। ফ্রান্সের পরিসংখ্যানেও তরুণদের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়ানোর হার বেশি হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু এই ধরণের তথ্য সম্পর্কে সন্দিহান হওয়ার অবকাশও রয়েছে। অন্য অনেক দেশের মতই যুক্তরাষ্ট্রেও করোনাভাইরাসের পরীক্ষা তিনটি বিশেষ ধরণের ক্ষেত্রে করা হয়েছে - যারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত একা থেকে এসেছেন এবং অসুস্থতার লক্ষ্মণ প্রকাশ করেছেন, করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া কারো সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির এবং যাদের মধ্যে উপসর্গগুলো স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এই তথ্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে সংগ্রহ করা হয়েছে, কাজেই এই তথ্য বিভ্রান্তিকর চিত্র প্রকাশ করতে পারে এবং আসলে কোন বয়সের মানুষের ওপর কতটুকু প্রভাব ফেলছে সেসম্পর্কে সঠিক চিত্র নাও প্রকাশ করতে পারে। হার্ভার্ডের টিএইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক মার্ক লিপসিচ আশঙ্কা প্রকাশ করেন এখন পর্যন্ত তরুণদের মধ্যে ভাইরাসের উপসর্গ সীমিত আকারে দেখা গেলেও এই অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত সব দেশ থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করেই দেখা যায় যে ১৯ বছরের কম বয়সী মানুষ ভাইরাসের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, যদিও বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিতভাবে জানে না এরকম হওয়ার কারণ কী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কী বলছে? জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর সপ্তর থেকে এক অনলাইন নিউজ কনফারেন্সে সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস বলেন: "বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তরুণরা যে নিরাপদ, তা নয়।" "তরুণদের প্রতি আমার একটি বার্তা রয়েছে। আপনারা সম্পূর্ণ নিরাপদ নন। ভাইরাস আপনাদের কয়েক সপ্তাহের জন্য হাসপাতালে থাকতে বাধ্য করতে পারে, এমনকি এর ফলে মৃত্যুও হতে পারে।" "আপনারা যদি অসুস্থ নাও হন, আপনারা কোথায় যাচ্ছেন সেই সিদ্ধান্ত আরেকজনের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।" ইতালিতে কোভিড-১৯ রোগে মারা যাওয়া মানুষের গড় বয়স সাড়ে ৭৮ বছর। নিউ ইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী চীনে করোনাভাইরাসের কারণে মারা যাওয়া ৫০ বছরের কম বয়সী মানুষের হার ১% এর চেয়েও কম। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এখন সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বা সামাজিক বিচ্ছিন্নতার বদলে 'ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সিং' বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহামারি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মারিয়া কেরখোভ রয়টার্সকে বলেন, "আমরা চাই মানুষ যেন যোগাযোগ রক্ষা করে। "আমরা চাই ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষ যেন যোগাযোগ রক্ষা করে চলে। কারণ এই মহামারি পরিস্থিতিতে আপনার শারীরিক অবস্থা ঠিক রাখার মত সমান গুরুত্বপূর্ণ আপনার মানসিক অবস্থা ঠিক রাখা।"
Young people are not immune from coronavirus and must avoid socialising and communicating it to older, more vulnerable people, the World Health Organization (WHO) has warned.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
জেরুজালেম, ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সঙ্কটের কেন্দ্রে যে শহর তা দিলে, ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর যুক্তরাষ্ট্র হবে প্রথম রাষ্ট্র যারা জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। স্বভাবতই ইসরায়েল সন্তুষ্ট, কিন্তু ফিলিস্তিনিরা ছাড়াও পুরো আরব বিশ্বের নেতারা সাবধান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়াকেই নস্যাৎ করবে। এমনকী আমেরিকার ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরব বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত "পুরো মুসলিম বিশ্বের জন্য চরম এক উস্কানি।" কিন্তু কেন জেরুজালেম মধ্যপ্রাচ্যে এত স্পর্শকাতর একটি ইস্যু? প্রাচীন এই শহরটি ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি বিরোধের একদম কেন্দ্রে। শুধু এই শহরটি নিয়ে দশকের পর দশক ধরে থেকে থেকেই সহিংসতা হয়েছে, প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য সংবাদদাতা ইয়োল্যান্ডে নিল বলছেন, জেরুজালেমের অবস্থার যে কোনো পরিবর্তনের প্রভাব নানাবিধ এবং তা যে কোনো সময় আয়ত্তের বাইরে চলে যেতে পারে। প্রথম কথা, ধর্মীয় দিক থেকে জেরুজালেম বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর একটি শহর। ইসলাম, ইহুদি এবং খ্রিস্টান ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র ধর্মীয় স্থাপনার অনেকগুলোই এই শহরে। এছাড়া, এর রাজনৈতিক গুরুত্ব হয়তো এখন ধর্মীয় গুরুত্বকেও ছাপিয়ে গেছে। ইসরায়েল বলে "অভিন্ন জেরুজালেম তাদের চিরদিনের রাজধানী।" আসলে ১৮৪৮ সালে ইসরায়েলি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরপরই ইসরায়েল জেরুজালেমের পশ্চিমাংশে দেশের সংসদ ভবন স্থাপন করে। ১৯৬৭ সালে আরবদের সাথে যুদ্ধে জিতে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমও দখল করে নেয় এবং পুরো জেরুজালেম শহরটিকে ইসরায়েলি রাষ্ট্রের অংশ হিসাবে ঘোষণা করে। ইসলাম, খ্রিস্টান এবং ইহুদিদের পবিত্রতম স্থাপনার অনেকগুলোই এই শহরে ফিলিস্তিনিরা কি বলে? ফিলিস্তিনিরা কোনোদিনই পূর্ব জেরুজালেমের দখল মেনে নেয়নি। তারা সবসময় বলে আসছে পূর্ব জেরুজালেম হবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী। ফিলিস্তিনি নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার অর্থ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণাকে কবর দিয়ে দেওয়া। তাদের কথা, জেরুজালেম তাদের না থাকলে, কোনো টেকসই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন কখনই সম্ভব হবেনা। যদিও গত দশকগুলোতে পূর্ব জেরুজালেমের বহু জায়গায় ইহুদি বসতি বানিয়েছে, কিন্তু তারপরও এখানকার সিংহভাগ বাসিন্দা ফিলিস্তিনি যারা শত শত বছর ধরেই এই শহরে বসবাস করছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও মেনে নিয়েছে, জেরুজালেম শহরের মর্যাদা, মালিকানা নির্ধারিত হবে ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চূড়ান্ত শান্তি রফার অংশ হিসাবে। জাতিসংঘের প্রস্তাবে তা লিখিত আকারে রয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত কোনো দেশই জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি। সমস্ত বিদেশি দূতাবাস তেল আবিবে, যদিও জেরুজালেমে অনেকে দেশের কনস্যুলেট রয়েছে। এতদিনের সেই নীতি এখন ভাঙছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ছবিতে আগুন দিচ্ছে ফিলিস্তিনিরা ট্রাপ কেন এই ঝুঁকি তিনি নিচ্ছেন? হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা বলছেন, "প্রেসিডেন্ট নেহাতই একটি বাস্তবতা মেনে নিচ্ছেন"। তাদের কথা, ইসরায়েলকে বাড়তি সুবিধা দেওয় তার উদ্দেশ্য নয়। তারা বলার চেষ্টা করছেন - জেরুজালেমের সীমানা নিয়ে ইসরায়েলের অবস্থান এখনও আমেরিকা মেনে নিচ্ছেনা, সেটা ঠিক হবে চূড়ান্ত শান্তি মীমাংসায়। ফিলিস্তিনিরা কোনোভাবেই তাতে ভরসা পাচ্ছেনা। তাদের কথা, মি ট্রাম্প জেরুজালেমে ইসরায়েলের তৈরি ডজন ডজন অবৈধ ইহুদি বসতিগুলোতে স্বীকৃতি দিয়ে দিচ্ছেন। ওয়াশিংটনে বিবিসির সংবাদদাতা বারবারা প্লেট-উশেরও বলছেন, নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইহুদিদের সমর্থন পেতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন - জিতলে তিনি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেবেন এবং মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করবেন। তিনি সেই প্রতিশ্রুতি রাখছেন। সংবাদদাতা বলছেন, এই স্বীকৃতি দিয়ে মি ট্রাম্প যে পরে প্রতিদান হিসাবে শান্তি চুক্তি ত্বরান্বিত করতে ইসরায়েলের ওপর চাপ দেবেন, তার কোনো ইঙ্গিতই নেই।
US President Donald Trump will recognise Jerusalem as Israel's capital, senior administration officials have said.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
বার্বি হাউজ নিয়ে এভার সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিওটি ছিয়াশি লাখ বার দেখা হয়েছে এ ধরণের ভিডিওগুলোর কী প্রভাব পড়ছে শিশুদের ওপর? এগুলোর কী কোন ক্ষতিকারক দিক আছে? নয় বছরের ভেরেটির জন্য খেলনার বিস্তারিত পর্যালোচনার ভিডিওগুলো একটা বিশাল সুযোগ এনে দিয়েছে যার মাধ্যমে সে বোঝার চেষ্টা করছে যে, বড়দিনের জন্য কোন খেলনাগুলো নেবে। এসব ভিডিওতে শিশুরা, কখনো কখনো আরো কয়েকজনের সহায়তায় প্যাকেট থেকে খেলনা খুলে বের করে এবং সেগুলো নিয়ে খেলা করে। ভেরেটি বিশেষভাবে শপকিন্স, লেগো এবং হ্যারি পটার খেলনার ভিডিওগুলো ইউটিউবে দেখতে পছন্দ করে। ইউটিউব হচ্ছে এ ধরণের ভিডিওর প্রধান প্লাটফর্ম। ''এখানে একটা বিজ্ঞাপনের চেয়ে অনেক বেশি তথ্য পাওয়া যায়। এটা দেখতেও বেশি ভালো লাগে কারণ এসব ভিডিওতে জানা যায় যে এসব খেলনা কীভাবে কাজ করে এবং কীভাবে সেটি নিয়ে খেলতে হয়।'' আরো পড়ুন: সবচেয়ে বেশি আয় করা শীর্ষ ক্ষুদে তারকারা ইউটিউবে ১৭৬ কোটি টাকা আয় সাত বছরের রায়ানের অনলাইনের ভুল তথ্য থেকে শিশুকে যেভাবে রক্ষা করবেন মেয়েটির জন্য ১৪ বছরের উপহার রেখে গেলেন মৃত্যুপথযাত্রী ক্রিসমাসের তালিকা সংক্ষিপ্ত করতে খেলনা প্যাকেট থেকে বের করে বর্ণনা ভিডিও দেখতে পছন্দ করে ভেরেটি হার্টফোর্ডশায়ারের সেন্ট আলবানসে বসবাসকারী ভেরেটি নিজেও ভিডিও বানাতে পছন্দ করে, যদিও সেটা শুধুমাত্র তার পরিবার এবং বন্ধুদের দেখার জন্য। ''আমি চাই না সবাই আমার ভিডিও দেখুক, কারণ তাহলে হয়তো তারা সেগুলো নিয়ে মজা করবে এবং খারাপ মন্তব্য করবে।'' ভেরেটি আরো বলছে, ''অনেক সময় মানুষ নিচু আচরণ করে।'' ইউটিউবে এ ধরণের ভিডিও যে শিশুরা শুরু করেছে, তাদের মধ্যে প্রথমদিকের একজন হলো রায়ান কাজি, যখন তার বয়স ছিল মাত্র চার বছর। প্রথম দিকের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সে একটি বিশাল ডিম খুলছে, যার ভেতরে একশো ধরণের জিনিসপত্র রয়েছে। ওই ভিডিওটি একশো কোটি বারের বেশি দেখা হয়েছে। গত বছর ইউটিউবে সবচেয়ে আয় করা তারকা হলো রায়ান, যার আয় ছিল ১৭ মিলিয়ন পাউন্ড। মূলতঃ বিভিন্ন খেলনা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি আর নিজের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সে এই অর্থ আয় করেছে। লেস্টারের বাসিন্দা আট বছর বয়সী এভা তার এই সাফল্যকে ছাড়িয়ে যেতে চায়। তিন বছর বয়সে এভা'স টয় নামে সে একটি ইউটিউব চ্যানেল চালু করেছে। সেখানের একটি ভিডিও, যাতে তাকে বার্বি হাউজ খোলা এবং খেলা করতে দেখা যায়, সেটি ছিয়াশি লাখ বারের বেশি দেখা হয়েছে। তার মা লিনসে ব্রাউন বলছেন, এভা সবসময়েই একজন শিল্পী এবং ভিডিও করতে পছন্দ করে। ''এভা সিদ্ধান্ত নেয় যে কোন খেলনাগুলো নিয়ে কে খেলবে। আমরা বুঝতে পারে, যখন তারা বাবা এসব ভিডিও সম্পাদনা করেন, সেটা দেখে সে অনেক কিছু শিখছে। শিশুরা তার সঙ্গে বেশ একাত্মবোধ করে।'' সব খেলনাই স্থানীয় দাতব্য সংস্থায় দান করে দেয় এভা, যার মধ্যে রয়েছে একটি বিশেষ চাহিদার স্কুল। সে খুব ভালোভাবে জানে, তার অনেক অনুসারী, যারা ফিলিপিন্সে বাস করে, তার মতো এতটা ভাগ্যবতী নয়। ''অভিভাবক হিসাবে এটা খুব হতাশার যে, আপনি একটা খেলনার পেছনে অনেক খরচ করলেন, অথচ পরে সেটা একটা আবর্জনায় পরিণত হলো। সুতরাং আমাদের আশা, অভিভাবকদের আমরা সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবো যে, বড়দিনের সময় আসলে কোন খেলনাগুলো কেনা ভালো হবে।'' তিনি বলছেন। রায়ান কাজি গতবছর ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি আয় করা তারকা। তার একটি ভিডিও একশো কোটি বারের বেশি দেখা হয়েছে শৈশবকালীন খেলাধুলা নিয়ে গবেষণাকারী, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী গবেষক ডেভ নেল বিশ্বাস করেন, এসব ভিডিও-র একটি ইতিবাচক দিক আছে, যদি সেটা শিশুদের খেলনা নিয়ে খেলা করতে উৎসাহিত করে এবং সেগুলো ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে। ''শৈশবে খেলা করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের ভাষা শিক্ষা দেয় এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখায়, কীভাবে অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি এবং যোগাযোগ করতে হয়, যা আসলে আসলে সম্পর্কের অভিজ্ঞতা তৈরি করে। সুতরাং খেলা করতে উৎসাহিত করে এমন সব কিছুই ভালো,'' তিনি বলছেন। তবে পারস্পরিক যোগাযোগ এবং সামাজিকতার অভাবের বিষয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ''যখন শিশুরা খেলনা নিয়ে খেলা করে, তখন তারা সমস্যা সমাধান এবং সৃষ্টিশীল মনোভাবের থাকে, তারা নিজেরা জানার চেষ্টা করে কীভাবে খেলনাটি কাজ করে অথবা এটা নিয়ে আর কী করা যেতে পারে। এসব ভিডিও দেখার ফলে তাদের আর সেটা করা হয় না।'' এসব ভিডিওর প্রভাব যেখানে সাত বছরের যমজ অলিভার এবং টমাসের ওপর পড়েছে, তা পছন্দ করতে পারছেন না তাদের মা, সাফোকের বাসিন্দা তিন সন্তানের জননী এমা কোনেল-স্মিথ। ''এসব খেলনা খুবই দামি এবং তাদের যদি সেটা কিনে দেয়া সম্ভব না হয়, তাহলে শিশুরা অপ্রাপ্তির কষ্টে ভোগে,''তিনি বলছেন। ''আর এসব ভিডিও এতো লম্বা যে শিশুটা তখন আর অন্য কোন দিকেই তাদের চোখ সরাতে চায় না।'' তার তিন বছর বয়সী কন্যা তিতলি এসব ভিডিও দেখতে চায়, কিন্তু মিসেস কোনেল-স্মিথ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তাকে আর এগুলো দেখতে দেবেন না। ''এসব খেলনার ভিডিও অল্পবয়সী শিশুদের উদ্দেশ্যে বানানো যেখানে শিশুদের অনেক ভাষা ব্যবহার করা হয়। বাচ্চারা যখন এসব ভিডিও দেখে, তারাও সেসব শব্দ বলতে থাকে, অনেক সময় তারা বুঝতে পারে না এসব শব্দের ব্যবহার কীভাবে করা উচিত।'' নিজের সন্তানদের ইউটিউবে খেলনা খোলার ভিডিও দেখতে দেন না এমা কোনেল-স্মিথ দুই সন্তানের মা এমা ওরোলোর 'শিশু সংস্কৃতি এবং খেলা' বিষয়ে লিখেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, এ ধরণের বিষয়গুলো অনেক সময় আসক্তির জন্ম দিতে পারে। এই ধারা কমে যাওয়ার কোন লক্ষণও তিনি দেখছেন না। ''সারা বিশ্বের শিশুদের দৃষ্টি এসব ভিডিওর প্রতি, যারা এসব খেলনা বের করা, খেলা করার উপাদানগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে। এসব ভিডিওতে কোন বর্ণনা নেই, কোন চরিত্র নেই, কোন সমাপনী নেই। ফলে একটি শিশুর পক্ষে এ থেকে বেরিয়ে আসা বা অর্থবোধকভাবে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই।'' ''এই অভিজ্ঞতাটি অনেকটা সম্মোহনী শক্তির মতো এবং এসব ভিডিও দেখার ফলে শিশুদের আচরণে নেতিবাচক প্রভাব বলে অনেক অভিভাবক অভিযোগ করেছেন।'' ব্রাজিলে শিশুদের জন্য কোনরকম বিজ্ঞাপন দেয়া অবৈধ। সেখানকার সরকারি কৌঁসুলি ইউটিউবের এসব ভিডিওর বিষয় ধরে একটি মামলা করেছেন। ইউটিউবের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, এর মাধ্যমে শিশুদের উদ্দেশ্যে অপব্যবহারমূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে শিশু ইউটিউবার রায়ান কাজির বিরুদ্ধে সম্প্রতি ফেডারেল ট্রেড কমিশনে (এফটিসি) একটি মামলা করেছে দেশটির ওয়াচডগ গ্রুপ। তাদের অভিযোগ, সে খুব ছোট শিশুদের ভুল বুঝিয়ে নিজের কাজে ব্যবহার করছে, যারা একটি বিজ্ঞাপন ও পর্যালোচনার পার্থক্য বুঝতে সক্ষম নয়। ইউটিউবের মালিক প্রতিষ্ঠান গুগল সম্প্রতি একটি নতুন ব্যবস্থা চালু করেছে, যার ফলে শিশুদের উদ্দেশ্যে কোন কনটেন্ট বা বিষয়বস্তু হলে সেটা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকতে হবে, যাতে তারা 'টার্গেটেড অ্যাডভার্ট' (কাউকে লক্ষ্য করে প্রচারিত বিজ্ঞাপন) বন্ধ করতে পারে। এই ভিডিওটি ২৭৬ মিলিয়নবার দেখা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে স্পাইডারম্যানের পোশাক পড়া ছোট একটি শিশু একটি খেলা গাড়ি বের করে সংযোজন করে নিচ্ছে শিশুদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনজনিত একটি মামলায় এফটিসির সঙ্গে সমঝোতার অংশ হিসাবে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুক্তরাজ্যে ইউটিউবের একজন মুখপাত্র বলেছেন, টাকার বিনিময়ে প্রচারের উদ্দেশ্যে বানানো যেসব ভিডিও এটি ঘোষণা করে না বা ইউটিউবের শিশুদের অ্যাপে পাওয়া যায় না বলে ঘোষণা করে, সেসব ভিডিও তারা খুব তাড়াতাড়ি বাতিল করে দিচ্ছে। তবে ভিডিওতে দেখানোর বিনিময়ে শিশুদের যেসব খেলনা দেখা হচ্ছে, এ নিয়ে অবশ্য কোন বিধিবিধান নেই। যখন নতুন খেলনা প্যাকেট থেকে বের করার বা খেলার ভিডিও সারা বিশ্বে লাখ লাখ দেখা হচ্ছে, তখন অভিভাবকদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, এগুলো কি শিশুদের ক্রিসমাসের উপহার বাছাই করার জন্য ভালো একটি উপায় নাকি আসলে তাদের শিশুদের শোষণ করার একটি উপায় মাত্র। আরো পড়তে পারেন: রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রমাণ নিয়ে দ্য হেগে বাংলাদেশ দল 'বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন থামেনি বলেই এই বিল' পুলিশের সতর্কতা পোস্টার কি দায় এড়ানোর চেষ্টা? ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে মন্তব্য: শাজাহান খান যা বলছেন অজয় রায়ের মৃত্যু: 'বড় অধ্যায়ের সমাপ্তি'
Children around the world are currently trying to decide which toys to put on their Christmas list. Some browse catalogues for inspiration or look in toy shops and watch TV adverts, while others are turning to toy unboxing videos to make up their minds. What is the appeal of these videos, and are they in any way harmful?
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
কিম যাচ্ছেন পুতিনের কাছে। কিন্তু এই বৈঠকে কার কী স্বার্থ? এই সফরের কোন তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি। তবে ক্রেমলিন জানিয়েছে এপ্রিলের দ্বিতীয় ভাগে এই সাক্ষাৎ হবে। রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর শহর ভ্লাদিভস্তকে তাদের মধ্যে এই বৈঠক হবে বলে জল্পনা চলছে। দুদেশের অভিন্ন সীমান্ত থেকে এই ভ্লাদিভস্তক বন্দর মাত্র কয়েক ঘন্টার পথ। কিছুদিন আগে হ্যানয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং আনের সর্বশেষ শীর্ষ বৈঠক কার্যত ভেঙ্গে যাওয়ার পর এখন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে এই বৈঠকের আয়োজন চলছে। তবে এবারের এই শীর্ষ বৈঠকে দুই পক্ষের আলোচনার বিষয় একেবারেই ভিন্ন। মস্কো-পিয়ং ইয়ং সম্পর্ক রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার এরকম সর্বশেষ শীর্ষ বৈঠক হয়েছে ২০১১ সালে। তখন রাশিয়ার নেতা ছিলেন প্রেসিডেন্ট মেদভিয়েদেফ, তার সঙ্গে বৈঠকটি হয়েছিল কিম জং আনের বাবা কিম জং ইলের। ভৌগোলিক দিক থেকে রাশিয়া আর উত্তর কোরিয়ার মধ্যে এরকম বৈঠকের গুরুত্ব আছে। দুদেশের আছে অভিন্ন সীমান্ত, যদিও তা খুব বেশি দীর্ঘ নয়। আর রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ভ্লাদিভস্তক সেখান থেকে কাছেই। অন্যদিকে প্রায় আট হাজারের মতো উত্তর কোরীয় অভিবাসী কাজ করে রাশিয়ায়। তবে অনেকের অনুমান, এদের সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে। তবে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যেহেতু জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আছে, তাই এই অভিবাসী কর্মীদের সবাইকে এবছরের মধ্যেই উত্তর কোরিয়ায় ফেরত পাঠাতে হবে। উত্তর কোরিয়ার ওপর মস্কোর প্রভাব কতটা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন একসময় উত্তর কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিল। উত্তর কোরিয়া তাদের প্রাথমিক পরমাণু প্রযুক্তি পেয়েছিল রাশিয়ার কাছ থেকেই। তবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর এই সম্পর্কে ভাটা পড়ে। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে যখন রাশিয়ার সম্পর্ক আবার খারাপ হতে শুরু করে, তখন আবার উত্তর কোরিয়া-রাশিয়া সম্পর্কে বরফ গলতে শুরু করে। "শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু, এমন এক নীতি নেয় মস্কো", বলছেন সওলের কোকমিন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর আন্দ্রে লানকভ। উত্তর কোরিয়া কী চায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক যে ভেঙ্গে যাবে, সেটা উত্তর কোরিয়া আশা করেনি। তারা আশা করেছিল, সেখানে কোন একটা আপোষরফা হবে, যার ফলে উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল হবে। প্রফেসর লানকভ বলছেন, "আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উত্তর কোরিয়াকে বেশ কাবু করে ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের অবস্থান না বদলায়, তাহলে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার সম্ভাবনা কম। সেক্ষেত্রে তাদের বাইরের বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ খুঁজতে হবে।" উত্তর কোরিয়া আর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে এক সময় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল "এজন্যে পিয়ং ইয়ং যেদেশের সঙ্গেই সুযোগ আছে, সেদেশের সঙ্গেই সম্পর্ক ভালো করতে চাইবে। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে দেখাতে চাইবে, আমরা একঘরে নই", বলছেন অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটির আলেক্সি মুরাভিয়েভ। রাশিয়া এক্ষেত্রে একটি আকর্ষণীয় বিকল্প উত্তর কোরিয়ার জন্য। আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিরোধে শেষ ট্রাম্প-কিম বৈঠক কিম-ট্রাম্প বৈঠক: প্রাপ্তি কী, জিতলেন কে? কেন ট্রাম্প এবং কিম বিশ্বকে চমকে দিতে পারেন আলেক্সি মুরাভিয়েভ বলছেন, "এক্ষেত্রে মিস্টার কিমকে এর পূর্ণ কৃতিত্ব দিতে হয়। তিনি কূটনীতির উঁচু দান খেলায় বেশ দক্ষ। নিজের শাসন টিকিয়ে রাখা আর উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় তাকে এটা করতে হচ্ছে।" বিশ্বের দুই বড় বড় শক্তির দ্বন্দ্বকে ব্যবহার করে সেখান থেকে যতটা সম্ভব সুবিধে আদায় করে নেয়া, এটাই উত্তর কোরিয়ার কৌশল। কাজেই রাশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে সেটা চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কার্ড হিসেবে খেলতে চান কিম জং আন। কিম-ট্রাম্প শীর্ষ বৈঠক শেষ পর্যন্ত বিফল হয় এখানে মস্কোর স্বার্থ কী প্রেসিডেন্ট পুতিন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আনের সঙ্গে সাক্ষাতে বেশ আগ্রহী। কিন্তু ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠক শুরু হওয়ার পর তাকে যেন সাইডলাইনে বসে এতদিন অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। হ্যানয় শীর্ষ সম্মেলন ব্যর্থ হওয়ার পর এখন হয়তো মস্কোর জন্য খেলার মাঠে ফিরে আসার এটাই সুযোগ। যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মতো রাশিয়ারও অস্বস্তি আছে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রধর দেশ হওয়া নিয়ে। তবে ওয়াশিংটন যেখানে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত দেখতে চায়, সেখানে মস্কোর লক্ষ্য পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা। এটা রাশিয়ার জন্য একধরণের মান-মর্যাদারও ব্যাপার। তারা দেখাতে চায় যে এই পুরো ইস্যুতে তাদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। আর যদি তারা এই সংকট সমাধানে একটা অবদান রাখতে পারে, তাহলে তো কথাই নেই - তারা প্রমাণ করতে পারবে যে এই অঞ্চলে রাশিয়াই প্রধান শক্তি।
North Korean leader Kim Jong-un has arrived in Russia for his first ever talks with Vladimir Putin.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
এয়ার ইন্ডিয়া ভারতের সবচেয়ে পুরনো যাত্রীবাহী বিমান সংস্থা। এ নিয়ে যে নোটিশ জারি করা হয়েছে তাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে: "ঘোষণার পর সামান্য সময় থামতে হবে, তারপর যথেষ্ট উদ্দীপনার সঙ্গে শব্দটি বলতে হবে।" এই নির্দেশ প্রকাশের সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যাপক হাস্যরস ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, শুধু দেশপ্রেমের বুলি দিয়ে কি লোকসানের মুখে থাকা বিমান সংস্থাকে বাঁচানো সম্ভব হবে? এয়ার ইন্ডিয়া ২০০৭ সাল থেকে কোন লাভের মুখ দেখেনি। সরকার সম্প্রতি এর মালিকানার অংশ বিক্রি করতে চাইলেও কেউ সে ব্যাপারে কোন আগ্রহ দেখায়নি। 'জয় হিন্দ' বলার এই নির্দেশটি এমন এক সময়ে এল যখন পাকিস্তানের সাথে সংঘাত নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতে জাতীয়তাবাদী চেতনা তুঙ্গে। কাশ্মীর নিয়ে সংঘাতের জেরে ভারতের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মিছিল। তবে ভারতের মধ্যে অনেকেই এয়ার ইন্ডিয়ার 'জয় হিন্দ' বলার নির্দেশকে সমর্থন জানালেও, বিমান যাত্রায় ইন-ফ্লাইট ঘোষণার সময় প্রতিবার কিভাবে 'জয় হিন্দ' বলা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে এটা নিয়ে ঠাট্টা-তামাসাও করেছেন। যেমন, টুইটারে একজন লিখেছেন: "ভদ্রমহিলা এবং মহোদয়গণ, ঝড় আসছে, জয় হিন্দ। সিট বেল্ট বেঁধে রাখুন, জয় হিন্দ। এখন আর টয়লেটে যেতে পারবেন না, জয় হিন্দ।" আরেকজন লিখেছেন: "ভদ্রমহিলা এবং মহোদয়গণ, আপনার ফ্লাইটে ১০ ঘন্টা বিলম্ব হবে। জয় হিন্দ।" একজন তো পরামর্শ দিয়েছেন, যাত্রীদের মধ্যে কে কত জোরে 'জয় হিন্দ' বলতে পারে তা নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে। পুরষ্কার হিসেবে বিজয়ী যাত্রীকে ফ্রি আপগ্রেড দেয়া হবে। এয়ার ইন্ডিয়া ভারতের সবচেয়ে পুরোনো যাত্রীবাহী বিমান সংস্থা। এর গ্রাহক সেবার মান নিয়ে প্রায়শই সমালোচনা হয়। সর্বসম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের সিটে ছারপোকার প্রাদুর্ভাব নিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়েছিল।
India's national airline has told its crew to end every in-flight announcement with the patriotic phrase, "Jai Hind" (Hail the motherland) - and this has tickled social media users.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
শত শত শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী এই মশাল মিছিলে যোগ দেয় মশাল হাতে শত শত শ্বেতাঙ্গ এই মিছিলে শ্লোগান দেন "ইহুদীরা আমাদের জায়গা নিতে পারবে না" এবং "শ্বেতাঙ্গদের জীবনের মূল্য আছে।" ভার্জিনিয়ার শার্লোটসভিল শহরের ক্যাম্পাসে এই মিছিলের সময় বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। শার্লোটসভিল শহরের মেয়র শ্বেতাঙ্গ জাতীয়বাদীদের এই মিছিলকে 'বর্ণবাদী' বলে বর্ণনা করে এর নিন্দা করেছেন। বর্ণবাদ বিরোধীরা এর বিরুদ্ধে আজ সেখানে বড় আকারে বিক্ষোভ আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন। শার্লোটসভিল শহরে জেনারেল রবাট ই লি-র যে মূর্তি রয়েছে, সেটি অপসারণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমেরিকার গৃহযুদ্ধে জেনারেল লী দাস প্রথা টিকিয়ে রাখার পক্ষে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন। যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের সময় দক্ষিণের অঙ্গরাজ্যগুলো দাস প্রথা টিকিয়ে রাখার পক্ষে লড়েছিল। অনেক অঙ্গরাজ্যেই এখনো দাস প্রথার পক্ষের কনফেডারেটপন্থীদের মূর্তি রয়েছে। এমনকি অনেক জায়গায় সরকারী ভবনে পর্যন্ত এখনো কনফেডারেট পতাকা উড়ানো হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বর্ণবাদ বিরোধীদের আন্দোলনের মুখে অনেক জায়গাতেই কর্তৃপক্ষ এ ধরণের মূর্তি অপসারণ করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীরা অবশ্য ক্ষুব্ধ। ভার্জিনিয়ায় শার্লোটসভিলে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের এই বিক্ষোভের আয়োজক জেসন কেসলার অভিযোগ করছেন, তাদের শহরে এখন শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। সেজন্যেই তারা এই বিক্ষোভ করছেন। তাঁর ভাষায়, "শ্বেতাঙ্গরা অনেক সহ্য করেছে, তারা আর নিতে পারছে না।" বিক্ষোভে যোগদানকারীরা মশাল বহন করে, যাকে অনেকে শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী গোষ্ঠী 'কু ক্লাক্স ক্লান' এর সঙ্গে তুলনা করেন। মিছিলটি যখন ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে থমাস জেফারসনের মূর্তির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, তখন সেখানে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। শ্বেতাঙ্গ চরমপন্থীদের এই বিক্ষোভের নিন্দা করেছেন অনেকে। শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের এই মিছিলের তীব্র সমালোচনা করে শালোর্টসভিলের মেয়র মাইক সিগনার বলেন, "এটি ছিল ঘৃণা, গোঁড়ামি, বর্ণবাদ এবং অসহিষ্ণুতার এক কাপুরোষোচিত মিছিল"। শালোর্টসভিলকে মোটামুটি একটি উদারপন্থী শহর বলে মনে করা হয়। গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শহরের ৮৬ শতাংশ ভোটার হিলারি ক্লিনটনের পক্ষে ভোট দেন। কিন্তু নগর কর্তৃপক্ষ জেনারেল লীর মূর্তি অপসারণের উদ্যোগ নেয়ার পর শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীরা সেখানে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর শ্বেতাঙ্গ চরমপন্থীরা নতুন করে উজ্জীবিত হয়েছে বলে মনে করেন অনেক পর্যবেক্ষক। কু ক্লাক্স ক্লানের সমর্থকরা গত মাসেও ভার্জিনিয়ায় প্রকাশ্যে মিছিল করেছিল।
Hundreds of US white nationalists have rallied at the University of Virginia, protesting against plans to remove a statue of a confederate general.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
শুক্রাণু দান করতে পুরুষরা আগ্রহী হচ্ছেন না ব্রিটেনে সংস্থাটির প্রধান লরা উইটজেন্স বলছেন, শুক্রাণু দানের ব্যাপারে পুরুষদের শৌর্য-বীর্যের কথা তুলে ধরে তাদেরকে আরো উৎসাহিত করতে তারা একটি বিশেষ কর্মসূচির পরিকল্পনা করছেন। ডেনমার্কে এরকম একটি সফল প্রচারণা- কার্টুন সুপারহিরোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, যুক্তরাজ্যেও পুরুষদের এভাবে উৎসাহিত করা সম্ভব। ধারণা করা হচ্ছে এসংক্রান্ত একটি আইনে পরিবর্তনের কারণে পুরুষরা এগিয়ে আসছে না। আগে শুক্রাণু-দাতাদের নাম পরিচয় গোপন রাখা হলেও ২০০৫ সালে এই আইনে পরিবর্তন আনা হয় যেখানে দাতার পরিচয় প্রকাশের কথা বলা হয়েছে। স্পার্ম ব্যাঙ্কে গবেষণা চলছে এই শুক্রাণু থেকে যাদের জন্ম হবে সেইসব শিশুর অধিকার থাকবে তাদের ‘পিতার’ নাম জানার। যদিও শুক্রাণু-দাতা ওই শিশুর আইনগত কোনো অভিভাবক হবেন না। শুক্রাণু ব্যাঙ্কের প্রধান বলেন, বিজ্ঞাপনে যদি বলা হয়: ‘হে পুরুষ আপনি আপনার শৌর্য-বীর্য তুলে ধরেন, দেখান আপনি কতোটা ভালো’ তাহলে হয়তো পুরুষরা এগিয়ে আসতে পারেন। ব্রিটেনে শুক্রাণু-দাতার সমস্যা মোকাবেলায় এই বার্মিংহামে এই ব্যাঙ্কটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো। দাতার সংখ্যা কম হওয়ায় অনেক সময় বিদেশি দাতা কিম্বা অনিবন্ধিত দাতাদের কাছ থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করতে হয়েছে। এই ব্যাঙ্কটি আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে দেশের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে শুক্রাণু সরবরাহ শুরু করবে। আগ্রহী দাতাদেরকে বেশকিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। তারপর সেই শুক্রাণু পরীক্ষা করে ফ্রোজেন অবস্থায় জমা রাখা হয়। প্রত্যেক দানের জন্যে ওই পুরুষকে দেওয়া হয় ৩৫ পাউন্ড। এই অর্থ বাড়ানোর কথাও বলা হচ্ছে। কিন্তু ব্যাঙ্কের প্রধান বলছেন, যদি কেউ মনে করেন যে শুক্রাণু দান করে মাসে ২০০ পাউন্ড আয় করা যায় তাহলে হয়তো অনেকেই তাদের স্বাস্থ্য সমস্যা গোপন করতে শুরু করবে।
Just nine men are registered as donors a year after the opening of Britain's national sperm bank in Birmingham.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
সব সামাজিক মাধ্যম ওয়েবসাইটকে একই নীতিমালা মেনে চলার জন্য নতুন আইন প্রণয়ন দাবি জানিয়েছেন মার্ক জাকারবার্গ। ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত হওয়া এক লেখায় ফেসবুকের প্রধান দাবি করেন, ক্ষতিকর কন্টেন্ট যাচাই-বাছাই করার দায়িত্ব শুধুমাত্র প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর কাছে থাকা তাদের জন্য অতিরিক্ত চাপ তৈরি করবে। মি. জাকারবার্গ চারটি ক্ষেত্রে নতুন আইনের দাবি জানান: "ক্ষতিকর কন্টেন্ট, নির্বাচনের বিশুদ্ধতা, গোপনীয়তা এবং তথ্যের বহনযোগ্যতা।" নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হামলার ভিডিও বন্দুকধারী লাইভ স্ট্রিম করার দুই সপ্তাহ পর এই বক্তব্য এলো। মি. জাকারবার্গ লিখছেন যে ফেসবুক 'একটি স্বাধীন কর্তৃপক্ষ গঠন করছে যেন মানুষ আমাদের সিদ্ধান্তের (কী পোস্ট করা হচ্ছে এবং কোন পোস্ট সরিয়ে নেয়া হচ্ছে) বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারে।' প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও এই সংক্রান্ত নতুন আইন যেন বাস্তবায়ন করা হয় সেবিষয়েও জোর দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, এই নতুন নিয়মগুলো সব ওয়েবসাইটের জন্য একই হওয়া উচিত - সেক্ষেত্রে 'ক্ষতিকর কন্টেন্ট' ছড়িয়ে পড়া দ্রুতবেগে রোধ করা সম্ভব। আরো পড়তে পারেন: চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ মসজিদে হামলাকারীর ভারতীয় নির্বাচন: চায়ের গ্লাসেও 'চৌকিদার' স্লোগান কেন? এক নারীর দুই জরায়ু থেকে জন্মালো তিন সন্তান মার্ক জাকারবার্গ কী চাইছেন? সংক্ষেপে মি. জাকারবার্গ নিম্নোক্ত দাবিগুলো তুলে ধরেন: ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার প্রেক্ষিতে এর আগে ফেসবুক ঘোষণা দিয়েছিল যে তারা লাইভ স্ট্রিমিং সেবায় কড়াকড়ি আরোপ করার চিন্তা করছে। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে 'শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ' এবং 'বিচ্ছিন্নতাবাদী' মতবাদ প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করারও ঘোষণা দেয়া হয়। শুক্রবার থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ক্ষেত্রে ফেসবুকে প্রকাশিত রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের সাথেও বিভিন্ন তথ্য সংযুক্ত করা শুরু করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ - যেমন এই বিজ্ঞাপন কে দিয়েছেন এবং বিজ্ঞাপণের পেছনে কী পরিমাণ অর্থ খরচ করা হয়েছে।
Mark Zuckerberg says regulators and governments should play a more active role in controlling internet content.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ইতালির মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী জুজেপ্পে কন্টে মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং জরুরী ভ্রমণের ক্ষেত্রেও অনুমোদন নেয়ার কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন যে, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে থাকা মানুষদের সুরক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, "হাতে আর সময় নেই।" সোমবার ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬৬ থেকে ৪৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে। চীনের পর এটি সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশ। সরকারি হিসাব বলছে, রবিবার থেকে নিশ্চিতভাবে আক্রান্তের সংখ্যাও ২৪% বেড়েছে। ইতালির ২০টি এলাকার সবকটিতে ভাইরাস আক্রান্তের খবর মিলেছে। ঘরে থাকুন: প্রধনমন্ত্রী জুজেপ্পে কন্টে বলেন, সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে মানুষকে ঘরে থাকতে হবে। "আমাদের এখানে সংক্রমণ দ্রুত হারে বাড়ছে...আর সেই সাথে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে," সন্ধ্যায় দেয়া এক ভাষণে তিনি একথা বলেন। "পুরো ইতালি একটি সংরক্ষিত এলাকায় পরিণত হবে," তিনি বলেন। "ইতালির স্বার্থে আমাদের সবাইকেই কিছু না কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আর এটা এখনই করতে হবে।" "এজন্যই সংক্রমণ ঠেকাতে এবং নাগরিকদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা দিতে আমি আরো বেশি দৃঢ় ও কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।" লা রিপাবলিকা সংবাদপত্রকে দেয়া এর আগে এক সাক্ষাৎকারে প্রাদুর্ভাব নিয়ে তিনি বলেন: "এই মুহূর্তে আমার চার্চিলের সেই পুরনো কথা মনে পড়ছে...এটা আমাদের সবচেয়ে অন্ধকারতম সময়, কিন্তু আমরা এটি অতিক্রম করবো।" নিষেধাজ্ঞাগুলো কী কী? মিস্টার কন্টে এক কথায় নিষেধাজ্ঞা বোঝাতে বলেছেন, "বাড়িতে থাকুন"- সেই সাথে জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। "রাতের জীবন আর থাকবে না; আমরা এগুলোর অনুমতি দিতে পারি না কারণ এগুলো সংক্রমণের উপলক্ষ তৈরি করে," তিনি বলেন। ফুটবল ম্যাচসহ সব ধরণের খেলাধুলার অনুষ্ঠান সারা দেশে বাতিল করা হয়েছে। স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও ৩রা এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সরকার বলছে, শুধুমাত্র যাদের এমন কোন দাপ্তরিক কাজ রয়েছে যা বাতিল করা সম্ভব নয় কিংবা এমন কোন পারিবারিক জরুরি অবস্থা তৈরি হয়েছে যা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয় শুধু তারাই ভ্রমণ করতে পারবে। বিমান যেসব যাত্রী আসা-যাওয়া করবেন তাদের সবাইকেই প্রমাণ করতে হবে যে তারা অসুস্থ নন। ট্রেন স্টেশনে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। বিভিন্ন বন্দরে প্রমোদ জাহাজ নোঙর করার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ একে কীভাবে দেখছে? সোমবার ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর অংশ হিসেবে কারাবন্দীদের সাথে সব ধরণের সাক্ষাৎ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণার পর জেলের ভেতরে দাঙ্গায় সাত জন বন্দী নিহত হয়। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সান্তা'আন্না কারাগারে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। ধারণা করা হচ্ছে যে, কারাবন্দীরা জেলের একটি হাসপাতালে হেরোইনের বিকল্প হিসেবে মেথাডোনের খোঁজে হামলা চালালে ওই মাদকের মাত্রাতিরিক্ত সেবনের কারণে দুই জন প্রাণ হারায়। রোমে একটি কারাগারের বাইরে বিক্ষোভ করছে কারাবন্দীদের স্বজনরা। কর্তৃপক্ষ জানায়, মিলানের সান ভিত্তোর কারাগারে বন্দীরা একটি সেল ব্লকে আগুন দিয়ে জানালা দিয়ে ছাদে উঠে ব্যানার নাড়াতে থাকে। দক্ষিণাঞ্চলের ফোজিয়া শহরের একটি কারাগারে বিক্ষোভের সময় কয়েক ডজন বন্দী জেল ভেঙ্গে বাইরে বেরিয়ে আসে। অনেকেই তাৎক্ষনিকভাবে গ্রেফতার করা হয়। তবে নয় জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। ইতালির নেপলস, রোম ও উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি কারাগারে এখনো দাঙ্গা চলছে। বন্দীদের স্বজনদের বিক্ষোভের সময় মোদেনায় একটি কারাগারের দরজায় পাহারা দিচ্ছে কারারক্ষীরা। বিশ্বের অন্যান্য স্থানে কী হচ্ছে? পুরো বিশ্বে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ১১১০০০ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৩৮৯০ জন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, দেশটিতে এখন যারাই পৌঁছাবে তাদের সবাইকে স্বেচ্ছায় ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে এই রোগে আরো ৪৩ জন মারা যাওয়ার কথা জানানো হয়। মধ্য ফেব্রুয়ারির পর থেকে দেশটিতে ৭১৬১ জন আক্রান্ত এবং ২৩৭ জন মারা গেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে আরো বেশি বলে ধারণা করা হয়। চীনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা থাকলেও দেশটিতে একদিনে নতুন করে ৪০ জন আক্রান্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে যা গত ২০শে জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন। যদিও দেখা যাচ্ছে যে দেশটিতে সংক্রমণের হার কমে আসছে, তবু শঙ্কা থাকছে যে, হয়তো সব ঘটনা নজরে আসছে না। অন্যান্য স্থানের কী অবস্থা? •বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে যে, বিশ্বব্যাপী মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়ার "সম্ভাবনা খুবই বাস্তব।" •ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে কানাডা- ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভাঙ্কুভারে এক প্রবীণ নিবাসে একজন আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। •ফ্রান্সে সংস্কৃতি মন্ত্রী ফ্র্যাংক রিস্টার সরকারের প্রথম সদস্য যিনি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তার দলের সদস্যরা বলেছে যে, গত সপ্তাহের বেশ কয়েক দিন তিনি পার্লামেন্টে কাটিয়েছেন। যেখানে আরো অনেকে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গেছে। •যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে •হাজার হাজার আরোহী নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে করোনাভাইরাসের কারণে সাগরে আটকে পড়া একটি প্রমোদ জাহাজ সান ফ্রান্সিসকোর কাছে অকল্যান্ড বন্দরে নোঙর করেছে •প্রাদুর্ভাবের অর্থনৈতিক ক্ষতি ও অর্থনৈতিক সংকটের আশঙ্কার মুখে সারা বিশ্বের শেয়ার বাজারে ধস অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশে শনাক্ত করোনাভাইরাস: প্রতিরোধে যা করবেন
Italy has extended its emergency coronavirus measures, which include travel restrictions and a ban on public gatherings, to the entire country.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসাবে জন বোল্টন আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন আমেরিকার বিচার বিভাগের যুক্তি ছিল বইটিতে যেসব বিষয় রয়েছে তা ছাপানোর আগে যথাযথভাবে যাচাই করে দেখা হয়নি। ওয়াশিংটন ডিসিতে আমেরিকার ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক রয়েস ল্যামবার্থ বলেছেন, মি. বোল্টন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে একটা "জুয়া খেলেছেন'' এবং "দেশকে ক্ষতির মুখে ফেলেছেন"। কিন্তু তিনি তার রায়ে বলেছেন, প্রকাশনাটিতে ''নিরাপত্তাজনিত যেসব উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ইঞ্জাংশনই যে তার যথাযথ প্রতিকার যুক্তরাষ্ট্রের সরকার তা প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। বিবিসি বাংলায় পড়তে পারেন কী আছে এই বইয়ে: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে দশটি মারাত্মক দাবি মি. বোল্টনের বই - দ্য রুম হোয়্যার ইট হ্যাপেন্ড (যে ঘরে এসব ঘটেছে) বাজারে বেরোচ্ছে ২৩শে জুন। এই বইয়ে মি. বোল্টন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এমন একজন প্রেসিডেন্ট হিসাবে তুলে ধরেছেন, যার সব সিদ্ধান্তের পেছনে উদ্দেশ্য একটাই- প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার জয়লাভ। এই বইয়ে মি. বোল্টন যেসব দাবি করেছেন তার বেশিরভাগেরই ভিত্তি ব্যক্তিগত কথাবার্তা এবং ফলে সেগুলো যাচাই করা অসম্ভব। ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যেই মি. বোল্টনের এসব দাবি নস্যাৎ করার চেষ্টা করেছে। মি. ট্রাম্প বলেছেন এই বই ''মিথ্যা কাহিনি এবং আষাঢ়ে গল্পে ভরা"। বইয়ে যেসব অভিযোগ বা দাবি রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
A US judge has rejected a request by President Donald Trump to stop the publication of a memoir by his former National Security Adviser, John Bolton.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ঘরে গাছপালা লাগানো মন ও শরীর ভালো রাখে বলে মনে করা হয় কিন্তু এগুলো পরিবেশের জন্য কতটা কতটা উপকারী? চারাগাছ উৎপাদন থেকে শুরু করে , পুনরায় ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পট তৈরিসহ ব্রিটেনের উদ্যানবিদ, উদ্ভিদবিদ এবং পরিবেশবিদরা আপনার এই উদ্যানের শখ টিকিয়ে রাখার জন্য নানা কাজ করে যাচ্ছেন। বাসায় ছোট বাগান করা প্রবণতা বাড়ছে বলে জানিয়েছে রয়্যাল হর্টিকালচারাল সোসাইটি (আরএইচএস), যা ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালের শেষ ছয়মাসে প্রায় ৬০শতাংশ বেড়েছে। এই প্রবণতাকে পরিবেশ বান্ধব এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার সহস্রাব্দ বলে মনে করা হয়, যারা তাদের শহরের ছোট বাসায় সবুজ তৈরির চেষ্টা করছেন এবং ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল যুগে কিছু 'বাস্তব' লালন-পালন করছেন। যুক্তরাজ্যে প্রতি ১৬ থেকে ২৪ বছরের পাঁচজন ব্যক্তির মধ্যে অন্তত চারজনের বাসায় কোন একটি গাছ রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত এক পঞ্চমাংশ গাছ কিনেছেন তাদের স্বাস্থ্য ও ভালো থাকার কথা চিন্তা করে বলে আরএইচএসের জরিপে বেলিয়ে এসেছে। আরো পড়ুন: হিমালয়ঃ তুষারের রাজ্যে বাড়ছে সবুজের সীমানা ইথিওপিয়া কি এই বছর চারশো কোটি গাছ লাগিয়েছিল? হাজার বছর ধরে পৃথিবীর বুকে বেঁচে আছে যেসব গাছ ইউক্যালিপটাস গাছের জন্যে আগুন ছড়িয়েছে? যুক্তরাজ্যে ঘরে গাছ লাগানোর বিষয়টি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে 'প্ল্যান্ট মাইলস' গাছ নিয়ে মানুষের আগ্রহ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বেশ কিছু অনলাইন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এখন একেবারে বাড়িতে গাছপালা পৌঁছে দিচ্ছে। লন্ডনের সবচেয়ে বড় অনলাইন গাছ বিক্রেতা দাবি করা প্যাচ এদের মধ্যে অন্যতম। তারা তাদের গাছগুলোকে ডাক নাম দেয় যেমন 'চ্যাজ' অথবা 'বিগ কেন', যাদেরকে তাদের সম্ভাব্য 'গাছের পিতামাতার' কাছে দিয়ে দেয়া হবে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফ্রেডি ব্লাকেট বলছেন, গাছ মানুষের মধ্যে 'শান্তি, আনন্দ আর স্বাচ্ছন্দ্য' এনে দিতে পারে। প্যাচের গাছ এবং উদ্ভিদগুলো নেদারল্যান্ডসে জন্মানো হয়। এরপরে গাছ সরবরাহের আদেশ পাওয়ার পর সেগুলো যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসা হয়। ফলে অতিরিক্ত গাছ আমদানি হয় না। কিন্তু এর ফলে 'প্লান্ট মাইলস' তৈরি হতে পারে বলে বলছেন ফে কেনওয়ার্থি, প্ল্যান্টসোয়াপ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে সহ-প্রতিষ্ঠাতা, যারা স্থানীয়ভাবে গাছপালা হাতবদলের জন্য উৎসাহিত করে থাকে। ''যেহেতু অনেক গাছ বিদেশ থেকে নিয়ে আসা হয়, তাদের পরিবহনের সময় অনেক ইকোলজিক্যাল ফুটপ্রিন্ট তৈরি হতে পারে।'' যদিও বেশিরভাগ গাছপালা নেদারল্যান্ডস থেকে আসে, কিন্তু অর্কিড আসে ইন্দোনেশিয়া থেকে এবং হালকা রঙের কিছু গাছ আসে কেনিয়া এবং জিম্বাবুয়ে থেকে। ''আমার অনেকেই পরিবেশ রক্ষা করার জন্য আন্তর্জাতিক ভ্রমণ কমিয়েছি, কিন্তু আপনারা গাছপালা এখনো বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে শিপিং করা হচ্ছে।'' তবে উদ্যান বিজ্ঞানী এবং বিবিসির উপস্থাপক জেমস ওয়াঙের কাছে এভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গাছ পাঠানোর বিষয়টি কোন উদ্বেগের বিষয় নয়। তার বাসায় পাঁচশো উদ্ভিদ বা গাছপালা রয়েছে। ''আপনি যখন কোন গাছের জন্য চাহিদা জানাবেন, তখন কোন উদ্যানে যাওয়ার চেয়ে আপনি অনেক কম কার্বন ফুটপ্রিন্ট রাখবেন, কারণ এসব গাছের আকার খুবই ছোট।'' তিনি বলছেন। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, গাড়িতে করে কোন উদ্যানে যাওয়ার চেয়ে একবার বাসায় গাছ সরবরাহে পরিবেশগত প্রভাব অনেক কম পড়ে। ফে কেনওয়ার্থির সঙ্গে সহ প্রতিষ্ঠাতা সারাহ রোউসেয়ু আর বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের অনেক ক্রেতা ব্রিটেনের সরবরাহকারীদের তুলনায় আমস্টারডামের কাছাকাছি বসবাস করেন। তিনি বলেন, উষ্ণ জলবায়ুর মধ্যে গাছ উৎপন্ন করে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হলে যুক্তরাজ্যের কাছাকাছি আর কোন গ্রিনহাউজ তৈরির প্রয়োজন পড়বে না। সেই সঙ্গে তিনি বলছেন, যেসব গাছের চাহিদা নেই, অথবা কলম তৈরি করা অথবা বীজ থেকে গাছ উৎপন্ন করা সবসময়েই বাসাবাড়িতে যারা গাছের বাগান করেন, তাদের জন্য ভালো বিকল্প হতে পারে। মিজ কেনওয়ার্থি বলছেন, পাশাপাশি এতে নতুন গাছের সঙ্গে আসা অতিরিক্ত প্যাকেজিং করার বিষয়টি এড়ানো যেতে পারে- কারণ প্যাকেট করার জন্য প্লাস্টিকের হাঁড়ি ব্যবহার করা হয়। প্লাস্টিকের হাঁড়ি প্লাস্টিক বিরোধী প্রচারণা কর্মী অ্যামি মার্ক বলছেন, পুনরায় ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এসব প্লাস্টিকের পট বা হাঁড়ি দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিতে পারে। ওয়েস্ট এন্ড রিসোর্স অ্যাকশন প্রোগ্রামের (ডব্লিউআরএপি) বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের মাত্র ১০ শতাংশ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এসব প্লাস্টিকের হাঁড়ি গ্রহণ করে থাকে। অনেক সময় এগুলো সংগ্রহ করা হয় না, কারণ এগুলো বিষাক্ত বলে মনে করা হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে এসব হাঁড়ি তৈরি হয় কালো প্লাস্টিক দিয়ে, যা পুনঃপ্রক্রিয়া করার কেন্দ্রে বাছাই মেশিনগুলো সনাক্ত করতে পারে না। ফলে সেগুলোর ঠাই হয় ভাগাড়ে। এমনকি অনেক স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কালো নয়, এমন গাছের হাঁড়িগুলোও নিতে চায় না। ফলে সহজে পুনঃ ব্যবহার করা যায় এমন হাঁড়ি বা পচন উপযোগী হাঁড়ি তৈরির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে। ফলে এখন হর্টিকালচারাল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন এবং আরএইচএস গার্ডেন অনেক সময় গাছের পটগুলো পুনঃব্যবহার অথবা ফিরিয়ে নেয়ার প্রকল্প চালু করেছে। 'কিডস অ্যাগেইনস্ট প্লাস্টিক' নামের একটি দাতব্য সংস্থা পরিচালনা করেন মিজ মিক, তার ছোট বোন এলাকে নিয়ে। তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন যে, মানুষ যেন গাছ কেনার সময় সেটির হাঁড়ি নিয়ে প্রশ্ন করেন যে, এটা কি আবার ব্যবহার করা যাবে? অথবা এমন কোন জায়গা কি আছে যেখানে পরিবেশ উপযোগী হাঁড়ি পাওয়া যাবে? 'কিডস অ্যাগেইনস্ট প্লাস্টিক' নামের একটি দাতব্য সংস্থা পরিচালনা করেন মিজ মিক, তার ছোট বোন এলাকে নিয়ে। পিট শৈবাল রক্ষা ঘরে পরিবেশ সম্মত গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে সেটি কীভাবে সরবরাহ করা হয়েছে, শুধু এটাই গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং সেখানে কী জন্মানো হচ্ছে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। উদ্ভিদবিদ ড.ট্রেভর ডাইনসের মধ্যে প্রধান সমস্যা হলো জীব সারের মধ্যে পিট শৈবাল ব্যবহার করা। যুক্তরাজ্যের জলাবদ্ধ অঞ্চলে পাওয়া মাটির পদার্থটি পচনশীল উদ্ভিদের পদার্থ দ্বারা তৈরি এবং এটি হতে হাজার হাজার বছর সময় নিতে পারে। ''বাণিজ্যিকভাবে এগুলো উত্তোলন শুরু হলে পাঁচশো বছর ধরে তৈরি হওয়া এসব পদার্থ এক বছরেই শেষ হয়ে যেতে পারে,'' বলছেন সংরক্ষণ বিষয়ক ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা প্লান্টলাইফের কর্মকর্তা ড. ডাইনস। তার পরামর্শ, গাছ কেনার সময় মানুষের দেখা উচিত সেখানে মাটি বা সার হিসাবে কী ব্যবহৃত হচ্ছে। অথবা অর্কিড বা ক্যাটটাসের মতো এমন গাছ কেনা, যার জন্য এরকম পিট শৈবাল ব্যবহার করা হয়না। ঘরের গাছ কি বাতাস পরিষ্কার করে? ঘরের গাছ কি বাতাস পরিষ্কার করে? গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে আর অক্সিজেন নির্গত করে, এর মানেই এই নয় যে, তারা পরিবেশের দূষণ বন্ধ করে বাতাস পরিষ্কার করে রাখছে। পরিবেশ বিষয়ক পরামর্শক ও এ বিষয়ে পিএইচডি করা কার্টিস গুয়াব দেখতে পেয়েছেন যে, ঘরের একটি কক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কার্বনডাই অক্সাইড সরিয়ে ফেলতে পারে গাছ বা উদ্ভিদ। কিন্তু সেটা নির্ভর করে কী ধরণের গাছ এবং সেগুলো কতগুলো রয়েছে, তার ওপরে। সেই সঙ্গে রুমটি কতোবড় এবং গাছের মাটির ভেতরে কতটা পানি রয়েছে। ''উদ্ভিদে যে পরিমাণ জল সরবরাহ করা হয়, তার ওপর নির্ভর করে গাছটি কতটা কার্বন ডাই অক্সাইড সরাতে পারবে, ঠিক যেমনটা মানুষের ক্ষেত্রেও ঘটে। আপনার শরীরে যদি পানিশূনত্য থাকে অথবা আপনি অতিরিক্ত পানি খেয়ে ফেলে, তাহলে আপনিও পুরোপুরি সুস্থ বোধ করবেন না।,'' তিনি বলছেন। বিবিসি উপস্থাপক জেমস ওয়াংয়ের বাাসায় পাঁচশোর বেশি গাছ রয়েছে ঘরের গাছ কি তাহলে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর? ওয়াঙ বলছেন, যা কিছুই আমরা করি না কেন, সেটার একটা কার্বন ফুটপ্রিন্ট তৈরি করে, কিন্তু সেটা পরিবেশের ওপর কতটা প্রভাব ফেলছে, তা নিয়ে আতংকিত হওয়া ঠিক নয়। তবে তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন, যদি ক্রেতারা যদি যতটা সম্ভব টেকসই পরিবেশ রক্ষা করতে চান, তাহলে তাদের উচিত সরবরাহকারীদের সঙ্গে পিট শৈবাল ব্যবহার নিয়ে কথা বলা, বিশেষ কিছু গাছপালা এড়িয়ে চলা এবং কলম বা বীজ থেকে তৈরি হয়, এমন গাছপালার প্রতি আগ্রহী হওয়া। ''এর কোনটাই কঠিন কোন কাজ নয়। তবে এর প্রতিটা পদক্ষেপই পরিবেশ রক্ষায় সাহায্য করতে পারে।'' তিনি বলছেন।
Cultivating an indoor plant is thought to have positive effects on mental health and wellbeing, and a snap of a succulent is a sure way to get some Instagram likes. But just how green are your fingers?
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ফ্রান্স নেটোর সমুদ্র অভিযান থেকে নিজেদের সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছে তুরস্কের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে যে তুরস্ক লিবিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ''মানছে না'' দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে তুরস্ক, লিবিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লংঘন করায় অপারেশন সি গার্ডিয়ান নামে সাগরে নেটোর নিরাপত্তা অভিযানে ফ্রান্স এখন অংশ নেবে না। তবে কয়েক সপ্তাহ আগে ফ্রান্স অভিযোগ করে যে, তুরস্কের জাহাজ, ভূমধ্যসাগরে ফরাসী রণতরীকে লক্ষ্য করে তাদের অস্ত্র তাক করেছে, যে অভিযোগ তুরস্ক জোরেসোরে অস্বীকার করেছে । লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে জড়িতদের পক্ষ সমর্থনের ব্যাপারে নেটো জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মতভেদ রয়েছে। নেটো সমর্থিত বাহিনী ২০১১ সালে কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে তেল সমৃদ্ধ দেশটি সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে আফ্রিকা থেকে ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রধান একটা ট্রানজিট দেশ হয়ে উঠেছে লিবিয়া। বর্তমানে লিবিয়ায় জাতিসংঘের সমর্থন পুষ্ট সরকার বিদ্রোহী নেতা জেনারেল খালিফা হাফতারের বাহিনীর সাথে লড়ছে। লিবিয়ার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের বড় অংশ এই মুহূর্তে খালিফা হাফতারের বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। ফ্রান্স কেন ভূমধ্যসাগরে নেটোর অভিযান থেকে সরে যাচ্ছে? লিবিয়ার সঙ্কট, উত্তর সিরিয়ায় তুরস্কের ভূমিকা, এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল উত্তোলন নিয়ে সাম্প্রতিক কয়েক মাসে ফ্রান্সের সাথে তুরস্কের সম্পর্ক ক্রমশই তিক্ত হয়ে উঠেছে। কিন্তু তাদের সম্পর্কে বড়ধরনের চিড় ধরে ১০ই জুন, যখন ফরাসী রণতরী কুরবে লিবিয়ার উপকূলে তানজানিয়ার পতাকাবাহী মালবাহী জাহাজ সারকিন পরিদর্শন করতে যায়। কুরবের লক্ষ্য ছিল দেখা যে, সারকিন অস্ত্র চোরাচালান করছে কিনা। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: লিবিয়াতেও কি 'সিরিয়ার খেলা' খেলছেন পুতিন আর এরদোয়ান? খালিফা হাফতারঃ লিবিয়ার নতুন নেতা? লিবিয়ার পরিস্থিতি এতো জটিল হলো কিভাবে? তুরস্ক তাদের অস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে তিনবার ফ্রান্সের কুরবে জাহাজটি থামায় বলে অভিযোগ করেছে ফ্রান্স। নেটোর 'অপারেশন সি গার্ডিয়ান' তৎপরতার উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে নৌচলাচলের স্বাধীনতার ওপর নজর রাখা এবং নৌচলাচলকে সন্ত্রাসী হামলার হুমকি থেকে রক্ষা করা। যে ঘটনা নিয়ে বিতণ্ডা সে সময় ফরাসী জাহাজ কুরবে নেটোর এই তৎপরতায় অংশ নিচ্ছিল। কিন্তু এর পর আসল ঘটনা কী ঘটেছিল তা নিয়েই বেঁধেছে এই বিতণ্ডা। ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, তুরস্কের জাহাজ এ সময় সারকিন জাহাজটিকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। তুরস্কের বক্তব্য ছিল ওই জাহাজে চিকিৎসা সরবরাহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু ওই সময় তুরস্কের জাহাজ তাদের ফ্রিগেট রণতরী কুরবেকে লক্ষ্য করে আগ্রাসী আচরণ করে। এমনকী তিন বার তুরস্ক কুরবেকে লক্ষ্য তাদের অস্ত্র তাক করে বলে ফ্রান্স অভিযোগ করে। তুরস্ক ফ্রান্সের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে তাদের ওই যোগাযোগ বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। ফ্রান্স নেটোর প্রতি ওই ঘটনার তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে। দুই দেশই সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে পরস্পরের বিরুদ্ধে কটূক্তি করেছে। সোমবার ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তুরস্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন "তুরস্ক নেটোর একটি সদস্য দেশ হওয়া স্বত্ত্বেও লিবিয়ার সংঘাতে দেশটি ঐতিহাসিক এবং অপরাধমূলক ভূমিকা নিয়েছে"। আর এরপর মঙ্গলবার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেভলুত কাভুসগ্লু বলেন যে, উত্তর আফ্রিকার এই দেশটিতে ফ্রান্স একটা "বিধ্বংসী" ভূমিকা পালন করছে। তিনি অভিযোগ করেন ফ্রান্স "লিবিয়ায় রাশিয়ার উপস্থিতি আরও বাড়ানোর" চেষ্টা করছে। বৃহস্পতিবার তিনি আরও বলেন কুরবে রণতরীটি নিয়ে এমন অভিযোগ তোলার জন্য ফ্রান্সের ক্ষমা চাওয়া উচিত। খবরে জানা যাচ্ছে নেটোর 'অপারেশন সি গার্ডিয়ান' তৎপরতা থেকে ফ্রান্স নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবার পর ফ্রান্সের একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন "নেটোর মিত্র দেশ যেখানে জোটের দেয়া নিষেধাজ্ঞার প্রতি সম্মান দেখায় না, সেখানে এই জোটের সাথে আমাদের রণজাহাজ নিয়োজিত রাখার কোন মানে হয় না"। ২০১১ সাল থেকে গৃহযুদ্ধ চলছে লিবিয়ায় বিবিসির প্রতিরক্ষা সংবাদদাতা জনাথান মার্কাস এর বিশ্লেষণ তুরস্ক দ্রুতই নেটোর জন্য চলার পথে 'জুতোয় পাথর' হয়ে উঠেছে। এই মিত্র জোটে তুরস্কের অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে যেসব প্রশ্ন উঠেছে, তার মধ্যে সর্বসাম্প্রতিকটি ঘটল ফ্রান্সকে ঘিরে। লিবিয়া নিয়ে নেটোর অবস্থানকে ঘিরে এই উত্তেজনার আগে সিরিয়ার সঙ্কটে মধ্যস্থতা নিয়েও তুরস্ক আর নেটোর প্রধান শরীক দেশগুলোর মধ্যে একইধরনের মতবিরোধ দেখা গেছে। এই মতভেদ প্রকট হয় যখন বল্টিক প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা অনুমোদনের ব্যাপারে তুরস্ক এমনকী তাদের মতদান ঝুলিয়ে রাখে। এরপর রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েও জোটের সাথে তুরস্কের মতভেদ হয়। এর ওপরে রয়েছে তাদের দীর্ঘদিনের প্রতিপক্ষ দেশ ও নেটোর সদস্য গ্রিসকে নিয়ে ভূমধ্যসাগর এলাকায় আরও বিস্তৃত পরিসরে উত্তেজনার বিষয়টি। জোটের কার্যপরিধির মধ্যে যেটা গ্রহণযোগ্য তুরস্ক সেই সীমা বারবার ছাড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেছে। তবে এই মুহূর্তে কোভিড-১৯ মহামারির দিকে সব দেশের দৃষ্টি অনেকটাই সরে যাবার ফলে এবং নেটোর ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিকূল ও দ্বিমুখী একটা দৃষ্টিভঙ্গির কারণেও এই উত্তেজনা হয়ত প্রশমিত হবে বলেই আশা করা যেতে পারে। . প্রেক্ষাপট লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে জড়িত দুই পক্ষের পেছনেই আন্তর্জাতিক সমর্থন আছে। তুরস্ক, ইতালি এবং কাতার ত্রিপলিতে এই মুহূর্তে শাসনক্ষমতায় আছে যে জিএনএ সরকার (গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশানাল অ্যাকর্ড) তাদের মদত দিচ্ছে। অন্যদিকে রাশিয়া, মিশর ও সংযুক্ত আরব আমীরাত সমর্থন করে জেনারেল হাফতারকে। ধারণা করা হয় যে, ফ্রান্সও জেনারেল হাফতারের সমর্থক, যদিও ফরাসী সরকার বারবার একথা অস্বীকার করেছে। জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞায় লিবিয়াতে কোন সৈন্য মোতায়েন করা যাবে না এবং অস্ত্র পাঠানো নিষিদ্ধ। কিন্তু তা খুবই কম কার্যকর হয়েছে। তুরস্ক ২০১৯ সালে জিএনএ সরকারের সাথে একটি সামরিক চুক্তি করে এবং জানুয়ারি মাসে দেশটিতে সৈন্য মোতায়েন করে। গত মাসে জিএনএ বাহিনী অবশেষে ত্রিপলির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায় যার পেছনে মূল কারণ ছিল তুরস্কের সহযোগিতা। জেনারেল হাফতার শহরের উপকণ্ঠ থেকে তার সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয় বলে খবর পাওয়া যায়। মে মাসে ফাঁস হওয়া জাতিসংঘের এক রিপোর্টে বলা হয় যে, ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন পরিচালিত রাশিয়ার ওয়াগনার গ্রুপ থেকে কয়েক'শ সৈন্য লিবিয়ায় জেনারেল হাফতারের সমর্থনে কাজ করছে। বলা হয় ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন প্রেসিডেন্ট পুতিনের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী। আবার এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে যে এই ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে সৈন্যরা লিবিয়া ছেড়ে চলে যাচ্ছে, যদিও এই খবর নিশ্চিত করা যায়নি।
France has temporarily pulled out of a Nato security operation amid a major row with Turkey.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসিপ তাইপ এরদোয়ান ১৫ বছর ধরে তুরস্কের শাসনভারে থাকা প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান মঙ্গলবার পার্লামেন্টে দেয়া ভাষণে বলেছিলেন, "যদি একদিন দেশের জনগণ বলে ওঠে যথেষ্ট হয়েছে। তাহলে আমরা সরে দাঁড়াবো।" আরো পড়ুন: 'হ্যাশট্যাগ ইউনাইটেড': ইউটিউব মাতানো ফুটবল দল শিশুদের 'মানসিক সমস্যা তৈরি করছে' সোশ্যাল মিডিয়া এরদোয়ানের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অসংখ্য তুর্কি হ্যাশট্যাগ #তামাম যার অর্থ "যথেষ্ট" লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেছে। যার মানে দাঁড়ায় তারা ১৫ বছর ধরে যথেষ্ট সহ্য করেছে। মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে এই হ্যাশট্যাগ প্রায় ২০ লাখ বার ব্যবহার হয়। সেখানে অনেকেই প্রেসিডেন্ট ও তার ক্ষমতাসীন দল একে পার্টির তীব্র সমালোচনা করে। তুর্কি রাজনীতিক মেরাল আকসেনের এই হ্যাশট্যাগ # তামাম প্রচারণায় যুক্ত হয়েছেন। বিষয়টি জনমনে সাড়া তোলায় ওই রাতেই সরকারি অ্যাকাউন্টগুলো এক হয়ে হ্যাশট্যাগ #দেভাম লিখে পাল্টা প্রচারণা শুরু করে। যার অর্থ "চালিয়ে যাও"। এটি এখন পর্যন্ত ৩ লাখ বার ব্যবহার হয়েছে। অর্থনীতি ও বৈদেশিক নীতি গবেষণা কেন্দ্রের সাইবার গবেষক অধ্যাপক আকিন উভার, এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রচারাভিযানকে ইন্টারনেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক হ্যাশট্যাগ যুদ্ধগুলোর একটি বলে আখ্যা দেন। এক ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারী এই #তামাম এবং #দেভামের মধ্যে যুদ্ধকে সুপারহিরোদের লড়াইয়ের সঙ্গে তুলনা করেন। এই হ্যাশট্যাগ যুদ্ধকে অনেকে সুপারহিরোদের লড়াইয়ের সঙ্গে তুলনা করেন। বিরোধী রিপাবলিকান পিপলস পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মুহাররেম ইন্স মন্তব্য করেছেন, এরদোয়ানের সময় শেষ হয়ে এসেছে। এরদোয়ানের সময় শেষ হয়ে এসেছে বলে টুইট করেছেন বিরোধীদলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মুহাররেম ইন্স। সিরিয়ান কার্টুনিস্ট ইয়াদ ওয়াউইল এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে একটি ছবি শেয়ার করছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, "মিস্টার এরদোয়ান হয়তো এই তামাম মন্তব্যে ভয় পেয়েছেন।" "মিস্টার এরদোয়ান এই তামাম হ্যাশট্যাগ প্রচারণায় ভয় পেয়েছেন।" হাজার হাজার মানুষ কেবল হ্যাশট্যাগ #তামাম লিখেই টুইট করেছেন। আবার অনেকে এরদোয়ান বিরোধী স্লোগান যুক্ত করে কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে পোস্ট শেয়ার করেছেন। কেউ খুব কড়া ভাষা ব্যবহার করেছেন কেউবা ভদ্রতার সঙ্গে ক্ষোভ উগ্রে দিয়েছেন। ভিন্ন আঙ্গিকে সরকারবিরোধী তামামের প্রচারণা। হ্যাশট্যাগের এমন ভাইরাল প্রচারণা এবং এরমধ্যে কিছু তীব্র প্রতিক্রিয়াশীল পোস্ট থাকা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তুরস্কে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার কারণে এখনো বেশ জনপ্রিয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভোসৌলু হ্যাশট্যাগ #দেভাম ব্যবহার করে জানান, সরকার আমাদের শুভকামনা নিয়ে আরো সমৃদ্ধ এবং শক্তিশালী তুরস্ক গঠনে কাজ করে যাবে। #দেভাম ব্যবহার করে প্রচারণা চালাচ্ছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভোসৌলু। অনেক এরদোয়ান সমর্থকরা হ্যাশট্যাগ # দেভাম পোস্ট করে প্রেসিডেন্টের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। জানতে চেয়েছেন তারা যথেষ্ট বলতে কি বোঝাতে চাইছে? সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যথেষ্ট হয়েছে? তুরস্ক স্বাধীনভাবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সেটা যথেষ্ট? মাতৃভূমি? রাষ্ট্র? কোনটা যথেষ্ট আছে? অনেকে এই এরদোয়ানবিরোধী #তামাম প্রচারণার সঙ্গে ২০১৩ সালের সরকারবিরোধী গেজি পার্ক আন্দোলনের তুলনা দিয়েছেন। বিপণিকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ইস্তাম্বুলের গেজি পার্ক দখলকে কেন্দ্র করে সে বছর দেশব্যাপী সরকারবিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিলো। সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হ্যাশট্যাগ #আয়াগাকাল্ক বা রুখে দাঁড়াও প্রচারণা ব্যাপক সাড়া ফেলে। তায়লান কুলাচৌলু পোস্টে জানান, কর্তৃপক্ষ এই তামাম ইস্যুটি নিয়ে ক্ষেপে গিয়েছে। কারণ এটি তাদের গেজি পার্ক নিয়ে টুইটারের সেই ভাইরাল প্রচারণার কথা মনে করিয়ে দেয়। এই হ্যাশট্যাগ যুদ্ধের সঙ্গে গেজি পার্ক আন্দোলনের তুলনা দিয়েছেন অ্যাকটিভিস্ট তায়লান কুলাচৌলু। তুরস্কে সেন্সরশিপ বেশ কড়া হওয়া সত্ত্বেও সরকারের সমালোচনায় এই হ্যাশট্যাগ তামাম ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। টুইটারের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন ২০১৭ থেকে জানা যায় সামাজিক গণমাধ্যম থেকে কন্টেন্ট মুছতে বলার জন্য তুরস্ক প্রথম সারির দেশ ছিলো। বিশিষ্ট আইনজীবী কারিম আল্টিপারমাকে মতে, সরকারের এমন নিয়ন্ত্রণ আরোপের মধ্যেও যদি ১০ লাখ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই তামাম শব্দটি ব্যবহার করে, তাহলে একই ধারণা পোষণ করে চুপ থাকা মানুষের সংখ্যা আরো অনেক বেশি। আইনজীবী কারিম আল্টিপারমাকের টুইট। তুর্কি কর্তৃপক্ষ এর আগে টুইটার এবং ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার সাইটগুলোতে প্রবেশের সুযোগ সীমিত করার পাশাপাশি উইকিপিডিয়ায় প্রবেশের সব পথ বন্ধ করে দিয়েছিলো। পরে উইকিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস, সেই হ্যাশট্যাগের উদাহরণ টেনে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে উইকিপিডিয়া অবরোধ তুলে নিয়ে জনগণের কথা শোনার" আহ্বান জানান। উইকিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলসের টুইট।
A campaign calling for the Turkish President Recep Tayyip Erdogan to step down has flooded social media.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
অনেকে মনে করেন বাদুড় থেকে বর্তমান করোনাভাইরাসের উৎপত্তি। কোভিড-১৯ এর মতো রোগের বৃদ্ধির জন্য তারা প্রাণীজাত প্রোটিন বা আমিষের তীব্র চাহিদা, পরিবেশের কথা বিবেচনা না করে করা কৃষিকাজ এবং জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন। তারা বলছেন, এধরনের রোগের ব্যাপারে খুব একটা নজর দেওয়া হয় না, কিন্তু এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে প্রতি বছর ২০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব রোগের কারণে আর্থিক ক্ষতিও কম নয়। বলা হচ্ছে, কোভিড-১৯ রোগের ফলে আগামী দু’বছরে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে নয় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইবোলা, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস এবং সার্স – এসবও জুনটিক রোগ। এগুলো শুরু হয়েছে প্রাণী দেহে, পরে সেখান থেকে ছড়িয়েছে মানবদেহে। কিন্তু প্রাণী থেকে এসব রোগ মানুষের মধ্যে আপনা-আপনি আসে না। ব্রাজিলে বাঁধ ভেঙে একটি বাড়ি ধ্বসে পড়েছে। জাতিসংঘের পরিবেশ ও গবাদিপশু সংক্রান্ত গবেষণা ইন্সটিউটের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এসব ভাইরাস মানবদেহে আসে প্রাকৃতিক পরিবেশে হস্তক্ষেপের কারণে। এসব হস্তক্ষেপের মধ্যে রয়েছে জমির ক্ষতিসাধন, বন্যপ্রাণীর ব্যবহার, প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ এবং জলবায়ুর পরিবর্তন। গবেষকরা বলছেন এসবের কারণে মানুষ ও প্রাণীর সম্পর্কে পরিবর্তন ঘটছে। “গত শতাব্দীতে আমরা অন্তত ছয় বার নোভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখেছি,” বলেন ইঙ্গার এন্ডারসেন, জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব এবং পরিবেশ কর্মসূচির প্রধান নির্বাহী। “কোভিড-১৯ এর আগে গত দুই দশকে জুনটিক রোগের কারণে ১০০ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।” তিনি বলেন, “এ ধরনের রোগে প্রত্যেক বছর নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে ২০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব অসুখের মধ্যে রয়েছে অ্যানথ্রাক্স, বোভাইন যক্ষা এবং জলাতঙ্ক।” তিনি বলেন, গবাদিপশুর ওপর অতিরিক্ত মাত্রায় নির্ভরশীলতা এবং বন্যপ্রাণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই এসব ঘটছে। করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয় করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় যাদের স্বাস্থ্য সমস্যা আছে তাদের কী করতে হবে মিস এন্ডারসেন এরকম একটি উদাহরণ টেনে বলেন যে গত ৫০ বছরে মাংসের উৎপাদন ২৬০% বৃদ্ধি পেয়েছে। “আমরা কৃষিকাজ বাড়িয়েছি, বনাঞ্চলে অবকাঠামোর সম্প্রসারণ ঘটিয়ে সেখান থেকে সম্পদ আহরণ করছি।” তিনি বলেন, “মানুষের শরীরে যতো সংক্রামক রোগ হয় তার ২৫ শতাংশের সাথে বাঁধ, সেচ, কারখানা, খামারের সম্পর্ক রয়েছে। ভ্রমণ, পরিবহন এবং খাদ্য সরবরাহের চক্র - এসবের ফলে সীমান্ত ও দূরত্ব মুছে গেছে। জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার পেছনে জলবায়ুর পরিবর্তনও দায়ী।” ভবিষ্যতে এধরনের মহামারি ঠেকাতে কী ধরনের কৌশল নিতে হবে সেবিষয়ে সরকারগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই গবেষণা প্রতিবেদনে। এতে জমির পরিকল্পিত ব্যবহার, জীব বৈচিত্র বাড়ানো এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় আরো বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে। “বিজ্ঞানে এটা স্পষ্ট যে বন্যপ্রাণীর যথেচ্ছ ব্যবহার এবং পরিবেশ ধ্বংস করার কারণে মানবদেহে জুনটিক রোগের সংক্রমণ বাড়ছে।” তিনি বলেন, এসব বন্ধ করা না হলে আগামীতে প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে রোগের প্রবাহ বাড়তেই থাকবে। “ভবিষ্যতে এসব রোগের প্রকোপ প্রতিরোধে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় আমাদের আরো বেশি সচেষ্ট হতে হবে।” বিবিসি বাংলায় আরো খবর: একদিনে করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে আরও ৫৫ জনের মৃত্যু বান্দরবানে দুই গ্রুপের গোলাগুলি, নিহত ছয়জন করোনা ভাইরাস ঠেকাতে ‘হার্ড ইমিউনিটি’র কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন
Zoonotic diseases - which jump from animals to humans - are increasing and will continue to do so without action to protect wildlife and preserve the environment, UN experts have warned.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
চীনা ও ভারতীয় সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষের একটি দৃশ্য। কর্তৃপক্ষ বলছ, ৩৮-বছর বয়সী এই ব্যক্তি ওই সংঘাতের বিষয়ে "বিদ্বেষপরায়ণ হয়ে সত্যকে বিকৃত করেছে।" চীনা পুলিশের পক্ষ থেকে এই ব্লগারের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে তার বংশনাম কিউ। ভারতীয় ও চীনা সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এধরনের কথিত আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ অন্তত সাতজনকে আটক করা হয়েছে এবং সবশেষ এই ব্লগারকে গ্রেফতার করা হলো। গত বছরের জুন মাসে এই সংঘর্ষ হয় যাতে ৪৫ বছরের ইতিহাসে বিরোধপূর্ণ ভারত-চীন সীমান্তে প্রথমবারের মতো প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। চীনে ২০১৮ সালে একটি আইন পাস করা হয় যেখানে "দেশের বীর ও শহীদদের নামে কলঙ্ক রটানো" নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে চায়না ডেইলি পত্রিকার একটি কলামে বলা হয়েছে এধরনের 'অপরাধের' জন্য চীনের ফৌজদারি আইনের আওতায় এখনই কোন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা যাবে না, কেননা এই আইনটির সংশোধনী এখনও কার্যকর করা হয়নি। বলা হচ্ছে, আগামী মাস থেকে সংশোধিত আইনটি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এবং তার পরেই এই আইনের আওতায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে। চায়না ডেইলির একজন কলামিস্ট বলেছেন, "আটক ব্লগার যদি এই কাজটি আর মাত্র দশদিন পরে করতেন, তাহলে তিনিই হতেন এই আওতায় সাজাপ্রাপ্ত প্রথম ব্যক্তি। এটা খুবই দুঃখজনক।" আরো পড়তে পারেন: মুসলিম উইঘুরদের বিরুদ্ধে চীনা কার্যক্রমকে গণহত্যার স্বীকৃতি দিলো কানাডা চলমান বিসিএস পরীক্ষাগুলো পেছানোর পরিকল্পনা নেই: পিএসসি ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের মধ্যে অসন্তোষ, অনেকে 'ফিরে যেতে' চায় "বীরদের নামে কলঙ্ক রটানো" নানজিং জননিরাপত্তা ব্যুরো থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে কিউ নামের এই ব্লগারকে আটক করা হয়েছে ১৯শে ফেব্রুয়ারি। তার বয়স ৩৮। স্থানীয় রিপোর্ট অনুসারে মাল্টিব্লগিং সাইট ওয়েইবোতে তার ২৫ লাখ অনুসারী রয়েছে। তবে বিবিসির পক্ষে এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয়নি কেননা তার অ্যাকাউন্ট ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওয়েইবোর পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে ঘোষণা করা হয় যে মি. কিউর অ্যাকাউন্ট এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বলা হচ্ছে ব্লগার কিউ আটক হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। বলেছেন যে তিনি, "নেটের লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই অবৈধ আচরণ করেছেন, ওয়েইবোতে তথ্যের বিকৃতি ঘটিয়েছেন এবং যেসব বীর সৈনিক সীমান্ত রক্ষা করছিল তাদের নামে কলঙ্ক রটিয়েছেন।" তার পর থেকেই তিনি "ঝগড়া ও সমস্যা তৈরিতে প্ররোচনা দেওয়ার" অভিযোগে আটক রয়েছেন। নিহত চারজন চীনা সৈন্যের একজনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন। চীনে সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ আনা একটি সাধারণ ঘটনা। চীন ও ভারতীয় সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মন্তব্য করার অভিযোগে আরো কিছু ব্যক্তি আটক রয়েছেন, তবে তারা ঠিক কী বলেছেন সেবিষয়ে কিছু প্রকাশ করা হয়নি। চীন গত সপ্তাহেই প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে যে ভারতের লাদাখ অঞ্চলের গালওয়ান ভ্যালিতে ভারতীয় সৈন্যদের সংগে সংঘর্ষে তাদের চারজন সৈন্য নিহত হয়েছে। এর আগে ভারতের পক্ষ থেকে ওই সংঘর্ষে ২০ জন চীনা সৈন্য নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেসময় চীন সরকার তাদের সৈন্য হতাহত হওয়ার কথা স্বীকার করে নিলেও কোনো সংখ্যার কথা উল্লেখ করেনি। চীনের সামরিক সংবাদ মাধ্যমে পিএলএ ডেইলিতে বলা হয়, "যেসব সৈন্য তাদের যৌবন, রক্ত এবং জীবন দিয়েছে তাদেরকে বীর হিসেবে সম্মানিত করা হয়েছে।" নিহত সব সৈন্যকে মরণোত্তর পুরষ্কারও দেওয়া হয়। আরো পড়তে পারেন: চীন ও ভারতের মধ্যে এই সীমান্ত বিরোধ কয়েক দশকের। এর একটি বড় কারণ হিসেবে প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত ঠিক মতো চিহ্নিত না হওয়াকেই দায়ী করা হয়। নদী, হ্রদ, তুষারে ঢাকা পাহাড় ও পর্বতসঙ্কুল দুর্গম এলাকাটিতে সীমান্ত চিহ্নিত করা খুব কঠিন। কোথায় চীন আর কোথায় ভারত অনেক জায়গাতেই সেটা স্পষ্ট নয়। ফলে অনেক জায়গাতেই দু'দেশের সৈন্যরা মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসে যখন সংঘাতের মতো ঘটনা ঘটে। তবে দুটো দেশের মধ্যেই এরকম পরিস্থিতিতে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করার বিষয়ে সমঝোতা রয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি মাসেও ভারতের সিকিম সীমান্তে চীন ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে, যাতে উভয়পক্ষের সৈন্যরা আহত হয়। তার পর থেকে দুটো দেশই সেসব জায়গা থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে সম্মত হয় এবং এই কাজটাই এখন চলছে।
Police in China have arrested a blogger over comments he made about Chinese soldiers who died in a Himalayan border clash with Indian troops last year.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
তিনি বলেন, ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে বিমান হামলার মধ্য দিয়ে সোলেইমানির "সন্ত্রাসের রাজত্বের অবসান" হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সামরিক অভিযানে কুদস বাহিনীর প্রধান ছিলেন সোলেইমানি। ইরান অঙ্গীকার করেছে যে, তার মৃত্যুর পেছনে দায়ীদের বিরুদ্ধে "কঠোর প্রতিশোধ" নেয়া হবে। এই হত্যার মধ্য দিয়ে ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনাকে নতুন করে উস্কে দিয়েছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলছে, এর সতর্কতা হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে ৩ হাজার অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হবে। এরই মধ্যে, ইরাকের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছে, সোলেইমানিকে হত্যার ২৪ ঘণ্টা পরই দেশটিতে আরো একটি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে ইরাকের একজন সামরিক সূত্র জানিয়েছে, নতুন এই বিমান হামলায় ৬ জন মারা গেছে। স্থানীয় সময় শনিবার সকালে ইরাকের মিলিশিয়াদের একটি গাড়ি বহর লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়। ওই এলাকায় লড়াইরত আমেরিকার নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী এ হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি বলেছেন? ফ্লোরিডায় নিজের মার-এ-লাগো রিসোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে মিস্টার ট্রাম্প শুক্রবারের হামলার বিষয়ে বলেন: "যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী একটি ত্রুটিহীন ও নির্ভুল বিমান হামলা চালিয়েছে যাতে বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী কাসেম সোলেইমানি নিহত হয়েছে।" আরো পড়ুন: সোলেইমানি হত্যা কি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ডেকে আনবে? সোলেইমানি হত্যা: এখন কেন এই ঝুঁকি নিলেন ট্রাম্প সোলেইমানি হত্যায় ইরানে কেমন প্রতিক্রিয়া হচ্ছে? জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার খবর নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন তিনি বলেন: "সোলেইমানি আমেরিকার কূটনীতিক এবং সামরিক ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে খুব শিগগিরই বাজে ধরণের হামলার পরিকল্পনা করছিলেন কিন্তু আমরা তার সে কাজ ধরে ফেলেছি এবং তাকে হত্যা করেছি।" ইরান কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে? সোলেইমানির মৃত্যুর পর এক বিবৃতিতে, দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি বলেন: "স্রস্টার উদ্দেশ্যে তার যাত্রা, তার পথ বা মিশনকে থামাতে পারবে না, অপরাধীদের জন্য কঠোর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে যারা তার এবং অন্য শহীদদের রক্তে হাত রাঙিয়েছে।" জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া এক চিঠিতে, ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তাখত রাভাঞ্চি বলেন যে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে তেহরানের। কাশেম সোলেইমানি কে ছিলেন? ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি মনে করা হতো ৬২ বছর বয়সী সোলেইমানিকে। ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) এর এলিট ইউনিট কুদস ফোর্স সরাসরি আয়াতোল্লাহ আলি খামেনির কাছে জবাবদিহি করতো। সেখানে এর নেতৃত্বে থাকা সোলেইমানিকে বীরত্বপূর্ণ জাতীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেখা হতো। কুদস বাহিনীকে তার ২১ বছরের নেতৃত্বের সময় ইরান লেবাননে হেজবুল্লাহ এবং অন্যান্য ইরান-পন্থী চরমপন্থিদের সহায়তা দিয়েছে; ইরাক এবং সিরিয়ায় সামরিক অবস্থান শক্তিশালী করেছে; সিরিয়ার দীর্ঘ গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করেছে।
President Donald Trump said the US killed Iran's top military commander Qasem Soleimani "to stop a war, not to start one".
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
মধ্যপ্রাচ্যের সবর্ত্র সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে এই খবর তবে অনেক সংবাদমাধ্যমই মার্কিন সেনেটার লিণ্ডসে গ্র্যায়াম এই সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করে যে মন্তব্য করেছেন তা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে, যেখানে তিনি বলছেন আমেরিকার এই পদক্ষেপ ওই অঞ্চলে রাশিয়া ও ইরানের অবস্থান আরও শক্ত করবে। আমেরিকার 'বিপর্যয়কারী প্রত্যাহার সিদ্ধান্ত' অবশ্য ইরানের সম্প্রচার মাধ্যমগুলো এই খবর মোটামুটি নিরপেক্ষভাবে প্রচার করেছে। আর রক্ষণশীল সংবাদপত্রগুলো এই পদক্ষেপকে আমেরিকান সরকারের পরাজয় হিসাবে তুলে ধরে উল্লাস প্রকাশ করেছে। হেমায়াত সংবাদমাধ্যম এই সিদ্ধান্তকে বর্ণনা করেছে "বিপর্যয়কারী প্রত্যাহার" বলে। আর খোরাসান মি: গ্র্যায়ামকে উদ্ধৃত করে লিখেছে "এই সময়ে আমেরিকার সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ইরান ও বাশার আল-আসাদের জন্য একটা বড় বিজয়।" কট্টরপন্থী দৈনিক জাভান যেটি প্রভাবশালী ইসলামিক রেভলিউশন গার্ড কোরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত, তারা বলছে সিরিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরানের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে সেটি মেনে নেওয়া ছাড়া আমেরিকার সামনে এখন আর কোন বিকল্প নেই। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: সিরিয়ার পরিস্থিতি আসলে কোন পর্যায়ে আছে? ফিরে দেখা: সিরিয়া যুদ্ধের সাত বছর 'আমাকে ৬ মাস ধরে প্রত্যেক দিন ধর্ষণ করা হতো' ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ যারিফ-এর (বামে) সঙ্গে রুশ ও তুর্কী পররাষ্ট্র মন্ত্রী। ইরানী মন্ত্রী সিরিয়ার সঙ্কট সমাধানে পশ্চিমা দেশগুলোকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। এরদোয়ানকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখানো হচ্ছে তুরস্কে খবরের শিরোনাম হয়েছে এই সংবাদ। বেশ অনেকগুলো সংবাদমাধ্যম বলছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে এক টেলিফোন কথোপকথনের সময় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তুরস্কের প্রায় সবগুলো প্রধান সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় শিরোনাম হয়েছে এই খবর। উত্তর সিরিয়ায় তুরস্ক আক্রমণ চালিয়ে সিরিয়ান কুর্দিশ পিপলস্ প্রোটেকশান ইউনিট বা ওয়াইপিজির যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ের যে পরিকল্পনা নিচ্ছিল সেই পটভূমিতে এই সিদ্ধান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াইপিজি সেখানে আমেরিকান বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠির বিরুদ্ধে লড়ছিল। তুরস্ক মনে করে ওয়াইপিজি নিষিদ্ধ-ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়াকার্স পার্টিরই (পিকেকে) একটা অংশ এবং ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের তারা "সন্ত্রাসী" বলে মনে করে। সরকারপন্থী সংবাদমাধ্যমগুলো এই পদক্ষেপকে ওই অঞ্চলে এরদোয়ানের প্রভাবের ফসল বলে তুলে ধরছে। এধরনের একটি সংবাদপত্র আকসাম বলছে ফোরাত নদীর পূর্বাঞ্চলে সিরিয়ার যে এলাকায় তুরস্ক আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সেই অঞ্চল নিয়ে তুরস্কের "সুদৃঢ় অবস্থান"-এর কারণেই আমেরিকা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে। গুনস ও তুর্কিয়ে নামে অন্য পত্রিকাগুলো লিখেছে এই সিদ্ধান্তে ওয়াইপিজি "স্তম্ভিত"। কুর্দি টিভি বলছে আমেরিকান সৈন্য এখনও দেশটিতে রয়েছে। তবে সিরিয়ায় কুর্দি সংবাদমাধ্যমগুলো এই সিদ্ধান্তে অবশ্যই বিস্মিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে আমেরিকান সৈন্য ইতিমধ্যেই প্রত্যাহার শুরু করেছে এমন খবরের মধ্যেই রুড টিভি চ্যানেল জোর দিয়ে বলেছে সিরিয়া ডেমোক্রাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)-এর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাগুলোর কাছে আমেরিকান সৈন্যরা এখনও অবস্থান করছে। এসডিএফ ওয়াইপিজির নেতৃত্বাধীন আরব, সিরিয়ান এবং কুর্দি মিলিশিয়াদের জোট। আরও একটি চ্যানেল উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় একজন কুর্দি কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নিয়েছে যিনি বলছেন, "এখানে মার্কিন সেনা অধিনায়কসহ কেউই হোয়াইট হাউসের এই সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে কিছুই জানে না।" এই কর্মকর্তা আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে আমেরিকান সেনা প্রত্যাহার "সিরিয়া এবং গোটা এলাকার ওপর প্রভাব ফেলবে।" রাশিয়ার স্বাগত জানানোর পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে এই ঘোষণার খবর গুরুত্ব পেয়েছে সিরিয়ান সংবাদমাধ্যমেও। সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা সানা এই খবর দিয়েছে দীর্ঘ পরিসরে। রাশিয়া এই সিদ্ধান্তকে যে স্বাগত জানিয়েছে সেটাকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে এবং রুশ সরকারের মন্তব্য উদ্ধৃত করে তারা লিখেছে: "ওয়াশিংটন বুঝতে পারছে সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যে উদ্যোগ চলছে তার বিরোধিতা আমেরিকার স্বার্থের পরিপন্থী হচ্ছে।" সিরিয়া সরকারের মুখপত্র বাথ নিউস সাইট এবং বিরোধী মুখপত্র এনাব বালাদি এই খবরের ভিন্ন আঙ্গিকের ওপর জোর দিয়েছে। 'তুরস্ক, ইরান, রাশিয়া ও আসাদের বিজয়' আরব দুনিয়া জুড়ে আমেরিকান সেনা প্রত্যাহারের এই খবর পত্রপত্রিকাগুলোতে উল্লেখযোগ্য স্থান পেয়েছে। অনেক ভাষ্যকারই এই সিদ্ধান্তকে ব্যাখ্যা করেছে "বিস্ময়কর" এবং "স্তম্ভিত হবার মত" বলে। লণ্ডন ভিত্তিক দৈনিক আল-আরব এটাকে বলেছে "তুরস্ক, ইরান, রাশিয়া এবং আসাদের বিজয়।" আল-কুদস্ আল-আরাবি সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে: "আমেরিকান সেনা প্রত্যাহারের ফলে সৃষ্ট শূণ্যস্থান পূরণ করার চেষ্টা করবে রাশিয়া, তুরস্ক এবং ইরানের মত গুরুত্বপূর্ণ বর্হিশক্তিগুলো।" আরব দুনিয়ায় সৌদি অর্থায়নে পরিচালিত আল-আরাবিয়া এবং কাতারি আল-জাজিরার মত গুরুত্বপূর্ণ টিভি দুটি চ্যানেলই মি: গ্র্যায়ামের মন্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। মস্কো এই সিদ্ধান্তকে যে স্বাগত জানিয়েছে আল-জাজিরা তাকে উল্লেখ করেছে "রাজনৈতিক সমাধানের পথে সত্যিকার সম্ভাবনার" দিকে একধাপ অগ্রগতি হিসাবে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ভুয়া খবরের দায়ে ১৫ ফেসবুক পেজ ও একাউন্ট বন্ধ প্লেনে প্রথম ভারতীয় নারী: কে এই 'মিসেস সেন'? 'মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপি ছাড়ার একমাত্র কারণ নয়'
Media outlets across the Middle East are still grappling with the unexpectedness of the US decision to withdraw its troops from Syria but the decision is broadly welcomed.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ফ্রান্সের একটি স্থানীয় সুইমিং পুলে মুসলিম নারীরা বুরকিনি পরে সাঁতার কেটেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক অধিকার নিয়ে রোজা পার্কস যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, সেটার অংশ হিসেবে রবিবার গ্রিনোবেল শহরে একদল নারী বুরকিনি পরে সুইমিং পুলে নামেন। দ্য জিন বর্ন নামে এই সুইমিং পুলটি ফ্রান্সের আরো অনেক সুইমিং পুলের মধ্যে একটি, যেখানে বুরকিনি পরা নিষেধ। দেশটির অনেকেই মনে করেন এই সুইমস্যুট রাজনৈতিক ইসলাম এবং অসঙ্গতিপূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক। গত মাসে "অপারেশন বুরকিনি" নামে একটা প্রচারণা শুরু করে সিটিজেন অ্যালায়েন্স অব গ্রিনোবেল এর সদস্যরা। তারা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, এটা মুসলিম নারীদের অধিকার। সুইমিং পুলে কী ঘটেছিল? সুইমিং পুলে আসার পর এইসব নারীরা পোশাক বদলে বুরকিনি পরেন। সেইসময় লাইফগার্ড যারা ছিলেন তারা তাদের সতর্ক করে বলেন সুইমস্যুট হিসেবে বুরকিনি পরা যাবে না। এই নিষেধাজ্ঞার পরেও এই নারীরা সুইমিং পুলে নামেন এবং একঘণ্টা যাবৎ গোসল করেন। তাদের অনেকেই এটা করতে পেরে আনন্দ উল্লাস করছেন। পরে ওই নারীদেরকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং প্রত্যেককে নিয়ম ভাঙ্গার অপরাধে ৪০ ডলার জরিমানা করে। বিবিসির সাথে আলাপকালে হাসিবা এবং লাতিফা নামে দুইজন বিক্ষোভকারী বলেছেন, তাদের অন্যান্য নাগরিকদের মত একই রকম অধিকার থাকা দরকার। হাসিবা বলছিলেন "আমাদের একটা স্বপ্ন আছে। আমরা আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে গ্রীষ্মের গরমে পাবলিক সুইমিং পুলে যাবো, অন্যদের সাথে মজা করবো। যেটা অন্য সবাই করে থাকে আমরা সেটাই করতে চাই।" লাতিফা বলছিলেন, "আমাদের উচিত ফ্রান্সের বৈষম্যমূলক এই নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করা উচিৎ। আমরা আসলে সরকারি যেসব সুযোগ-সুবিধা আছে, সেসব থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।" বুরকিনি কী? বুরকিনি শব্দটি বোরকা এবং বিকিনি শব্দের মিশ্রণ। ফ্রান্সের দক্ষিণে একজন মুসলিম নারী বুরকিনি পরে সাঁতার কাটছেন। বুরকিনি মুসলিম নারীদের জন্য বাজারে আনা হয়, যাতে করে মুসলিম নারীরা পাবলিক সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতে পারেন। এই সুইমস্যুটটি সারা শরীর ঢেকে রাখে শুধু মুখ এবং পায়ের পাতা দেখা যায়। কিন্তু বুরকিনি ফ্রান্সে বিতর্কিতই থেকে গেল। ফ্রান্সের বেশ কয়েকটি শহরের কর্তৃপক্ষ এই পোশাকটাকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করে। ২০১০ সালে ফ্রান্স ইউরোপের মধ্যে প্রথম দেশ যারা জনসম্মুখে সম্পূর্ণ মুখ ঢাকা বোরকা নিষিদ্ধ করে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন: বৃষ্টি নামবে কবে? পাকিস্তানের টিকে থাকা নাকি নিউজিল্যান্ডের এগিয়ে যাওয়া অস্ত্রের মুখেও সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন মেয়েটি
Muslim women in France are disobeying the rules at a local swimming pool by wearing burkinis.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
লাখ লাখ রোহিঙ্গা প্রাণভয়ে মিয়ানমার ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এমন তথ্য দিচ্ছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সংস্থাটির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ ধরনের বিষয় ঠেকানোর প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও, এই সামাজিক নেটওয়ার্কটিকে এখনো মিয়ানমারের এই মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেয়ার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। রয়টার্স বলছে, কিছু কিছু পোস্ট ছয় বছর ধরে অনলাইনে রয়েছে। ফেসবুকে নিয়মনীতি মোতাবেক জাতিগত কোন গোষ্ঠীর ওপর "সহিংসতা কিংবা অমানবিক" আক্রমণ নিষিদ্ধ। আরো পড়ুন: এক বছরেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কেন শুরু হলো না? কক্সবাজারে কেন বাড়ছে পাহাড়-ধসের ঝুঁকি? রোহিঙ্গা নারী: যাদের মেকাপ আসে প্রকৃতি থেকে যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সামাজিক নেটওয়ার্ক ফেসবুক এ ধরনের আক্রমণাত্মক পোস্ট শনাক্ত করার ক্ষেত্রে সাধারণত সাইট ব্যবহারকারীদের ওপর নির্ভর করে, এর সফটওয়্যার বার্মিজ ভাষা বুঝতে যথেষ্ট দক্ষ নয়। বিবিসির অনুসন্ধান বলছে, ফেসবুক সব ধরনের ফ্ল্যাগড ম্যাটেরিয়াল(যা নিয়ে কারও আপত্তি আছে) সরিয়ে ফেলেছে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলে স্কুল অব ল -এর হিউম্যান রাইটস সেন্টারের সাথে যৌথভাবে অনুসন্ধান চালানো হয়েছিল। এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর বিষয়টি আরও চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে যাতে করে তারা এ ধরনের সমস্যা মোকাবেলায় আরও বিনিয়োগ বাড়ায়। এর আগে জাতিসংঘেরর তরফ থেকে সমালোচনার মুখে পড়ে ফেসবুক, সেইসাথে মার্কিন এবং ব্রিটিশ রাজনৈতিক নেতারাও সমালোচনা করেন। ২০১৭ সাল থেকে ৭০০,০০০ রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার ছেড়েছে যাদের অনেকেই এখন বাংলাদেশের শরণার্থী ক্যাম্পে রয়েছে। তারা জানিয়েছে, বার্মিজ সৈন্যরা এবং সন্ত্রাসীরা তাদের সম্প্রদায়ের লোকজনকে হত্যা, ধর্ষণ এবং বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। ব্রিটেন বলছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদে ফিরে যাওয়ার উপায় তৈরি করতে হবে মিয়ানমারকে। মিয়ানমারের সেনারা বলছে, তারা রোহিঙ্গা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং রাখাইন রাজ্যে বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করে হামলার অভিযোগ তারা অস্বীকার করেছে। রয়টার্স বলছে, তাদের হাতে আসা অধিকাংশ রোহিঙ্গা-বিরোধী মন্তব্য, ছবি এবং ভিডিও বার্মিজ ভাষায় পোস্ট করা। সেগুলোতে যা বলা হয়েছে: • রোহিঙ্গাদের গুলি করার আহ্বান, আগুন লাগিয়ে দেয়া এবং শুকরকে খাওয়াতে বলা হয়, • গণহত্যার দাবি, একজন লিখেছেন, "আমরা তাদের সাথে লড়াই করবো, ঠিক যেভাবে হিটলার ইহুদির দমন করেছেন" • মুসলিম-বিরোধী পর্নোগ্রাফিক অশ্লীল ছবি, • তাদেরকে কুকুর, এবং ধর্ষণকারী হিসেবে তুলে ধরা। এক বিবৃতিতে ফেসবুক স্বীকার করেছে যে, ঘৃণাত্মক মনোভাব ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে কারা দায়ী সেটি খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে তারা পিছিয়ে ছিল, "মিয়ানমারের মত দেশে যেখানে বহু লোক প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।" "আমরা ভুল তথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে এবং ঘৃণা উসকে দেয়া ঠেকাতে সাধ্যমত কঠোর পরিশ্রম করছি"। গত বছর পণ্য নীতি এবং কার্যক্রম পরিচালনা বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে, অফলাইন থাকা অবস্থায় সম্ভাব্য ক্ষতি ঠেকাতে রিপোর্ট করা কন্টেন্টে দ্রুত সাড়া দেয়া, সক্রিয়ভাবে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য শনাক্ত করার পদ্ধতির উন্নতি। রয়টার্স বলছে মিয়ানমার সম্পর্কিত বেশিরভাগ তথ্য ফেসবুক আরেকটি ফার্ম অ্যাকেঞ্চার থেকে আউট-সোর্স করেছে, যেখানে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের রিপোর্ট হলে তা যাচাইয়ের জন্য ৬০ জন ব্যক্তির ওপর নির্ভর করা হয়। মিয়ানমারে ৫০ মিলিয়ন মানুষের বাস, তাদের মধ্যে ১৮ মিলিয়ন নিয়মিতভাবে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে। গত মার্চে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা জানান, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ উসকে দেয়া পেছনে ফেসবুক ব্যবহারের "বড় ধরনের ভূমিকা ছিল"। এরপর ফেসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গকে জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় সামাজিক এই নেটওয়ার্কের সম্পৃক্ততার বিষয়ে মার্কিন সিনেটরদের কাছে জবাবদিহিতার মুখে পড়তে হয় । মিয়নমারের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী সেসময় তিনি স্বীকার করেন যে তার প্রতিষ্ঠানের আরও বেশি কিছু করা প্রয়োজন ছিল এবং দেশটিতে যা ঘটেছে তাতে "ভয়াবহ ট্রাজেডি" বরে বর্ণনা করেন। ফেসবুক করেছে এরকম তিনটি নির্দিষ্ট বিষয় তুলে ধরেন তিনি- • বার্মিজ ভাষা জানে এমন ডজন-খানেক কন্টেন্ট রিভিউয়ার আনা হয়, • মিয়ানমারের সিভিল সোসাইটির সাথে কাজ ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে মিয়ানমারের সাথে পণ্য আদান-প্রদান। ব্রিটেনের ডিজিটাল, সংস্কৃতি, গণমাধ্যম এবং খেলাধুলা সংক্রান্ত বিভাগ যারা ফেকনিউজ বা ভুয়া খবর নিয়ে নিজস্বভাবে তদন্ত করেছে, তারা বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য মোকাবেলায় ফেসবুকের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তার তথ্যে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। কত সংখ্যায় ভুয়া অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করা গেছে এবং তা সরিয়ে দেয়া হয়েছে সে সম্পর্কে কোন তথ্য দিতে পারেননি তিনি। কমিটি তাদের রিপোর্টে জানায়, সামাজিক মাধ্যমটি "রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার বন্ধ করতে কোনকিছু করেছে" - এমন প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
More than 1,000 anti-Rohingya posts featuring calls for their murder among other hate speech were live on Facebook last week, according to Reuters.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
উহানের জনসংখ্যা এক কোটি দশ লাখ - লন্ডনের মত শহরের জনসংখ্যার থেকেও বেশি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়ে বলেছে পরিকল্পনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। তবে উহানের প্রত্যেকটি এলাকাকে বলা হয়েছে কীভাবে তারা এলাকার প্রতিটি মানুষকে দশদিনের মধ্যে পরীক্ষা করতে পারবে তার বিস্তারিত পরিকল্পনা জানাতে হবে। উহানে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয় এবং গত সপ্তাহ শেষে সেখানে আবার নতুন করে ছয়জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এর আগে, তেসরা এপ্রিলের পর থেকে সেখানে কোন নতুন সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়েনি। এগারো সপ্তাহ ধরে কঠোর লকডাউনে থাকার পর ৮ই এপ্রিল থেকে সেখানে লকডাউন তুলে নেওয়া শুরু হয়। কিছু সময় ধরে মনে হচ্ছিল সেখানে জীবনযাত্রা আবার স্বাভাবিক হয়ে আসছে। স্কুল খুলেছিল, দোকানপাট ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছিল এবং গণপরিবহনও খুলে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু একটি আবাসিক ভবন এলাকা থেকে শুরু হয়ে একগুচ্ছ মানুষের মধ্যে আবার নতুন করে সংক্রমণ দেখা দেয়ায় শহরটিতে জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে ওঠা এখন আবার নুতন করে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। 'দশ দিনের লড়াই' দ্য পেপার নামে সংবাদপত্রের এক রিপোর্টে সেখানকার অভ্যন্তরীন একটি নথিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে শহরের প্রতিটি এলাকার প্রত্যেক মানুষকে দশদিনের মধ্যে পরীক্ষা করার পরিকল্পনা তৈরি করে তা মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে পেশ করতে হবে। প্রত্যেক এলাকায় বাসিন্দার সংখ্যা হিসাবে নিয়ে এবং ঐ এলাকায় বর্তমানে সক্রিয়ভাবে সংক্রমণ ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছে কি না তা বিবেচনায় নিয়ে তাদের নিজস্ব পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। এই নথিতে এই পরীক্ষা পরিকল্পনার নাম দেয়া হয়েছে 'দশ দিনের লড়াই'। এতে আরও বলা হয়েছে পরীক্ষার সময় বয়স্ক মানুষ এবং যারা গাদাগাদি করে এক আবাসস্থলে থাকে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। তবে গ্লোবাল টাইমস নামে এক সংবাদপত্র উর্ধ্বতন স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলছে গোটা শহরের প্রতিটি মানুষকে পরীক্ষা করা অসম্ভব এবং বিশাল ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার। উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝংনান হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের পরিচালক পেং ঝিয়ং বলেছেন শহরের গোটা জনগোষ্ঠিকে পরীক্ষা করার বদলে স্বাস্থ্যকর্মী, যারা ঝুঁকির মুখে এবং যারা কোন আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছে তাদের লক্ষ্য করে এই পরীক্ষা কার্যক্রম চালানো উচিত। উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন পরিচালক বলেছেন যে উহানের জনগোষ্ঠির একটা বড় অংশ - অর্থাৎ ৩০ থেকে ৫০ লাখ মানুষকে ইতোমধ্যেই পরীক্ষা করা হয়ে গেছে। এবং বাকি ৬০ থেকে ৮০ লাখ মানুষকে দশদিনের মধ্যে পরীক্ষা করার "সক্ষমতা" উহানের আছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: দু'মাস পর আবার খুলেছে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহান করোনাভাইরাস: স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্বলতার কথা স্বীকার করলো চীন চীন এবং সেই ভাইরাস, যা সবকিছুকেই হুমকিতে ফেলছে কিছু সময় ধরে মনে হয়েছে উহানে স্বাভাবিক জীবন ফিরতে শুরু করেছে চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েবো-তে মানুষ প্রশ্ন তুলছে মাত্র দশদিনের মধ্যে এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে পরীক্ষা করা সম্ভব কি না। "এত লোককে পরীক্ষা করা অসম্ভব," বলছেন এক ব্যক্তি। তিনি আরও প্রশ্ন করেছেন এর জন্য খরচ হবে কত? আরেকজন বলছেন চীনের অন্যান্য অংশের সঙ্গে যোগাযোগ আবার খুলে দেবার আগে উহানের এই পরীক্ষা কার্যক্রম চালানো উচিত ছিল। কোন ঝুঁকি নেয়া নয় বেজিং থেকে বিবিসির সংবাদদাতা স্টিফেন ম্যাকডোনেল বলছেন উহানে এই মড়কের সূত্রপাত হয়েছিল। এই উহান যখন ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এনে লকডাউন তুলল, তখন মানুষ কিছুটা স্বস্তিবোধ করেছিল যে তারাও এই ত্রাস থেকে একদিন মুক্তি পাবে। ফলে প্রথম লকডাউনে যাওয়া ওই শহরে আবার ভাইরাস ফিরে আসার খবরটা মানুষকে হতাশ করবে। চীনা সরকারের লক্ষ্য ছিল দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের ঝুঁকি ঠেকানোকে অগ্রাধিকার দেয়া। ফলে উহানে তিন দিন আগে নতুন সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়ায় ১০০০ কিলোমিটার দূরে বেজিংয়ে কর্তৃপক্ষ যে নতুন করে উদ্বেগে পড়বে সেটাই স্বাভাবিক। এখন যে আবাসিক এলাকায় ৮৯ বছর বয়স্ক এক বৃদ্ধের থেকে পাঁচজন সংক্রমিত হয়েছে, আগে বলা হয়েছিল তিনি পজিটিভ নন, কিন্তু তিনি জীবাণুবাহক হতে পারেন। ঐ আবাসিক ভবনের ম্যানেজারকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন এভাবে স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার একটা উল্টো বিপদও আছে। এধরনের পদক্ষেপ নিলে তারা হয়ত ভবিষ্যতে সংক্রমণের খবর চেপে যাবে। সমস্যা ঢাকা না রেখে তা মোকাবেলার দিকে নজর দেয়াটা যেহেতু এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই স্টিফেন ম্যাকডোনেল মনে করেন খারাপ খবর কেউ দিলে তাকে শাস্তি দেয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়টিও চীনা কর্তৃপক্ষকে এখন বিবেচনা করে দেখতে হবে। চীনের পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির সাতজন সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি গত সপ্তাহেই একটা বৈঠক করেছেন এধরনের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে আগাম সতর্ক সংকেত ব্যবস্থা কীভাবে আরও উন্নত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে। চীনে সোমবার মাত্র একজনের আক্রান্ত হবার খবর দেয়া হয়েছে যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা সেখানে দাঁড়িয়েছে ৮২,৯১৯ এবং মৃতের সংখ্যা বলা হয়েছে ৪,৬৩৩। উহান স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে সেখানে কয়েকশ মানুষ উপসর্গ না দেখালেও জীবাণু বহন করছে বলে তাদের ধারণা এবং তাদের ওপর তারা নজর রাখছে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
The Chinese city of Wuhan is drawing up plans to test its entire population of 11 million people for Covid-19, state media report.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
অবৈধ আন্তর্জাতিক বাজারে ভালুকের পিত্তাশয়ের দাম খুবই চড়া বেশ কয়েকবছর ধরে ইয়ারলিন নামের ওই ব্যক্তি পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। ভালুক চোরা-শিকারের এই ঘটনা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ প্রথম সজাগ হয় যখন ভারতের এক জাতীয় পার্কে একটি মৃত ভালুকের লিঙ্গবিহীন দেহ পাওয়া যায়। "ইয়ারলিন পার্ধি-বেহেলিয়া নামে এক যাযাবর উপজাতি গোষ্ঠির যারা বিশ্বাস করে প্রাণীর লিঙ্গ খেলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়," জানাচ্ছেন মধ্যপ্রদেশের বনবিভাগের কর্মকর্তা রীতেশ সিরোথিয়া। তবে তিনি বলেছেন ইয়ারলিনকে ১৯শে অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়েছে পশ্চিম ভারতের গুজরাট রাজ্য থেকে। তিনি আরো জানিয়েছেন আটক ব্যক্তি মধ্য ভারতে অবৈধ বাঘ শিকারি চক্রের অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। মধ্য ও পশ্চিম ভারতে বাঘসহ বিপন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণী চোরা-শিকার এবং এসব প্রাণীর দেহাংশ নিয়ে ব্যবসার বেশ কয়েকটি মামলার সঙ্গে ইয়ারলিন জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশের চোখ এড়াতে ওই ব্যক্তি অনেকগুলো ভিন্ন পরিচয় ব্যবহার করতো। ইয়ারলিনের বিরুদ্ধে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এবং সে অথবা তার কোন আইনজীবী এখনও পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেননি। বুধবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে এবং তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ''আমরা তাকে খুঁজে বের করার এবং ধরার জন্য একটা বিশেষ সেল গঠন করেছিলাম। ছয় বছর ধরে তোকে আমরা ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি,'' জানান মি. সিরোথিয়া, যিনি বনবিভাগের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের প্রধান। মধ্য প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জঙ্গলে মূলত এই পার্ধি-বেহেলিয়া উপজাতির মানুষের বসবাস। তারা মূলত শিকার করে জীবনধারণ করে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বিপন্ন কচ্ছপ পাচারে ধরা পড়েও বারবার জামিন ভারতেই সবচেয়ে নিরাপদ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার? বাঘ-সিংহ বা জিরাফ কি একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে? ইয়ারলিনের বিরুদ্ধে শ্লথ বা কালো ভালুক এবং বাঘ অবৈধভাবে শিকার করার অভিযোগ রয়েছে। অন্যান্য বিপন্ন প্রজাতির পশু চোরাশিকারের সঙ্গেও সে জড়িত বলে অভিযোগ। বন্যপ্রাণী শিকার ভারতে অবৈধ, এমনকী আদিবাসী বা উপজাতি গোষ্ঠির মানুষদের জন্যও। যদিও প্রথাগত জীবনধারণের তাগিদে বা তাদের বন্য আচার পালনের জন্য গোপনে শিকার অব্যাহত রয়েছে। ভারত সরকার বলছে তারা বনজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীল আদিবাসী গোষ্ঠিগুলোর জন্য বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করছে। কিন্তু এইসব সম্প্রদায়ের মানুষ এখনও সমাজের প্রান্তিক পর্যায়েই রয়ে গেছে এবং তাদের জীবনযাপনের ধারা বদলায়নি। ইয়ারলিনকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয় ২০১৩ সালে। পুলিশ ওই সময় কান্হা জাতীয় পার্কে দুটি শ্লথ বা কালো ভালুকের লিঙ্গবিহীন মৃতদেহ খুঁজে পাবার পর তাকে আটক করে। ভালুক দুটির দেহ থেকে যৌনাঙ্গ ছাড়া পিত্তথলিও সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এক বছর কারাগারে রাখার পর তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় এবং এরপর থেকে সে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। ভালুকের শরীরের পিত্ত যা যকৃৎ থেকে তৈরি হয় তা সঞ্চিত থাকে তার পিত্তথলিতে। শত শত বছর ধরে ভালুকের পিত্ত চীনের প্রথাগত ওষুধে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং অবৈধ আন্তর্জাতিক বাজারে ভালুকের পিত্তথলি বা পিত্তাশয় চড়া দামে বিক্রি হয়। মি. সিরোথিয়া বলেছেন মহারাষ্ট্র এবং মধ্য প্রদেশ রাজ্যে ইয়ারলিনের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও বনজ সম্পদ নিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় তার বিরুদ্ধে এই মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি মামলায় তার বিরুদ্ধে বাঘ চোরা শিকারের অভিযোগ রয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: নুসরাত হত্যা: ১৬ জন আসামীর সবার মৃত্যুদণ্ড ক্রিকেটারদের ধর্মঘট প্রত্যাহার, বোর্ডের সাথে রফা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ কোন সময়ে সবচেয়ে ভাল কাজ করে
Indian police have hailed the arrest of a notorious suspected poacher who they say killed sloth bears and ate their penises as a "very important catch".
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
সাধারণত যে টিকা আবিষ্কারে এক দশকের বেশি সময় লেগে যায়, সেটা মাত্র ১০ মাসেই আবিষ্কার করেছেন অক্সফোর্ডের গবেষকরা। ফাইজার ও মডার্না যখন দাবি করছে তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের সাফল্য এক্ষেত্রে ৯৫%, তখন এই খবরটিকে একই সাথে হতাশাব্যঞ্জক এবং বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বলা হচ্ছে অন্য টিকা দুটির তুলনায় অক্সফোর্ডের টিকাটি হবে অনেক সস্তা, সংরক্ষণ এবং দুনিয়ার প্রতিটি কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দেয়া হবে অপেক্ষাকৃত সহজ। সুতরাং নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ যদি এই টিকা অনুমোদন করে, সেটি মহামারি মোকাবেলার ক্ষেত্রে এই টিকাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। একই সাথে এমন তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে যে ভ্যাকসিনটিকে আরো নিখুঁত করে তোলা গেলে এটিরও সাফল্যের হার বেড়ে ৯০ শতাংশে পৌঁছে যাবে। যুক্তরাজ্যের সরকার এর মধ্যেই অক্সফোর্ডের টিকার ১০ কোটির চাহিদা জানিয়েছে, যা দেশটির পাঁচ কোটি মানুষকে দেয়ার সুরক্ষা দেয়ার জন্য যথেষ্ট। আরও পড়তে পারেন: অক্সফোর্ডের গবেষকরা বলছেন, মানব পর্যায়ের পরীক্ষায় তারা ৭০ শতাংশ সফলতা দেখতে পেয়েছেন। পরীক্ষায় কী দেখা গেছে? যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিল জুড়ে ২০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী অক্সফোর্ডের টিকার মানব পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। গবেষকরা বলছেন, মানব পর্যায়ের পরীক্ষায় তারা ৭০ শতাংশ সফলতা দেখতে পেয়েছেন। তবে কৌতূহলোদ্দীপক ব্যাপার হলো, স্বেচ্ছাসেবীদের একটি অংশের মধ্যে এই টিকার ৯০ শতাংশ সফলতা পাওয়া গেছে, যাদের প্রথমে টিকার অর্ধেক ডোজ দেয়া হয়, পরে বাকিটা দেয়া হয়েছিল। কখন টিকা পাওয়া যাবে? যুক্তরাজ্যের জন্য এর মধ্যেই ৪০ লাখ টিকা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। আরও নয় কোটি ৬০ লাখ টিকার সরবরাহ বাকী রয়েছে। তবে যে কর্তৃপক্ষ টিকার নিরাপত্তার দিকগুলো, কার্যকারিতা এবং মাণের বিষয় তদারকি করে, সেই কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয়ার পরেই এই টিকার ব্যবহার শুরু করা যাবে। তবে যুক্তরাজ্য একটি ব্যতিক্রমী ধরণের গণ টিকা কর্মসূচী শুরু করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। সেজন্য সর্দিকাশি বা শিশুদের টিকা দেয়ার যে বার্ষিক কর্মসূচী পালন করা হয়ে থাকে, সেখানে কিছু কাটছাঁট করা হতে পারে। বয়স্ক সেবা কেন্দ্রের বাসিন্দা আর কর্মীরা সবার আগে টিকা পাবেন। এরপরেই পাবেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৮৫ বছর বয়সের ওপরের ব্যক্তিরা। এরপরে বয়সের ধাপ অনুযায়ী বাকি সবাই টিকা পাবেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: আমেরিকায় নির্বাচন: ট্রাম্প কি এখনও ভোটের ফলাফল উল্টে দিতে পারেন আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে কী বিপদ হবে, সমাধান কী? চেনা যে একুশটি গাছ-পাতা-ফুল-ফলের রয়েছে রোগ সারানোর ক্ষমতা ব্যাংকে সাইবার হামলার আশংকা: কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে
The coronavirus vaccine developed by the University of Oxford is highly effective at stopping people developing Covid-19 symptoms, a large trial shows.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
বেশ কিছু সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ দেশটির চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুর্জ এ ঘটনাকে 'ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলা' আখ্যায়িত করে জানিয়েছেন যে বন্দুকধারীদের একজন নিহত হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন হামলাকারীদের একজনকে এখনো খুঁজছে পুলিশ। ভিয়েনায় ইহুদিদের প্রধান প্রার্থনাকেন্দ্রের কাছে গুলির ঘটনা ঘটলেও হামলাকারীদের টার্গেট সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শহরের মেয়র মিখাইল লুডভিগ জানাচ্ছেন, নিহতদের একজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহত একজন নারী মারা যান হাসপাতালে নেয়ার পর। ধারনা করা হচ্ছে আরও অন্তত ১৪ জন হাসপাতালে আছে যার মধ্যে ছয়জনের অবস্থা মারাত্মক। আহতদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও আছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ফ্রান্সে 'সন্ত্রাসী হামলা', তিনজন ছুরিকাঘাতে নিহত টার্গেট ইউরোপ: বহু ভুয়া ওয়েবসাইট বানিয়েছে ভারত হারাম আল-শরিফ কেন এত স্পর্শকাতর একটি স্থান? ভিয়েনার মসজিদ কেন সরকারের তোপের মুখে? বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে করোনাভাইরাস বিস্তার ঠেকাতে দেশতে নতুন বিধিনিষেধ কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা আগে এ হামলার ঘটনা ঘটলো। অনেক মানুষই তখন পানশালা ও রেস্তোরাঁয় ছিলেন যা এখন থেকে নভেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ ইউরোপের নেতারা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় রাত আটটায় গুলি শুরু হয় হামলা সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে? পুলিশ বলছে ঘটনাটির সূত্রপাত হয়েছে ইহুদিদের একটি সিনাগগের কাছে যা শহরটির প্রধান উপাসনালয় হিসেবে সুপরিচিত। ইহুদি সম্প্রদায়ের নেতা ওসকার ডাচ টুইট করে বলেছেন, স্থানীয় সময় রাত আটটার দিকে (জিএমটি: সন্ধ্যে ৭ টা) হামলা শুরুর সময়ে সিনাগগটি বন্ধ ছিলো। তবে ক্রনেন যেইটাং নামে একটি পত্রিকার খবরে বলা হচ্ছে, সিনাগগ প্রহরার দায়িত্বে থাকা একজন কর্মকর্তাও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। যদিও প্রাথমিকভাবে এটি এখনো পরিষ্কার নয় যে কতজন হামলাকারী এ হামলায় অংশ নিয়েছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে অস্ট্রিয়ার গণমাধ্যম বলছে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের তল্লাশির সময় এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া ভিডিওতে গুলির শব্দ শোনা গেছে ও এবং রাস্তায় লোকজনকে দৌড়াতে দেখা গেছে। গুলি শুরুর সময় কাছেই একটি রেস্তোরাঁয় ছিলেন ক্রিস ঝাও। বিবিসিকে তিনি বলছেন, "আমরা আতশবাজির মতো কিছু শব্দ শুনছিলাম। ২০-৩০ টি শোনার পর আমরা ভাবলাম বন্দুকের গুলি। এরপর আমরা অ্যাম্বুলেন্স দেখলাম। কাছেই রাস্তায় একজনকে পড়ে থাকতে দেখেছি"। বড় ধরণের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এলাকাবাসীকে ওই এলাকা এড়িয়ে যেতে ও গণপরিবহন ব্যবহার না করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ চেক প্রজাতন্ত্রের পুলিশ বলছে হামলাকারীরা এ পথ ধরে আসতে পারে আশংকায় তারা অস্ট্রিয়া সীমান্তে তল্লাশি শুরু করেছে।
Gunmen armed with rifles have opened fire in six different locations in central Vienna, killing three people and wounding several more, police say.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
নাজিব রাযাকের সাথে সংশ্লিষ্ট বাড়িগুলো থেকে পাওয়া অলংকার ওয়ানএমডিবি নামের একটি রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিলের দুর্নীতির তদন্তের অংশ হিসেবে এগুলো পাওয়া যায়। এতে রয়েছে ১৬ লাখ ডলার দামের স্বর্ণ এবং হীরার নেকলেস, ১৪টি টিয়ারা এবং ২৭২টি হারমিস ব্যাগ। নাজিব রাযাকের ওই বিনিয়োগ তহবিলের শত শত কোটি ডলারের কোন হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। মে মাসে নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। পুলিশ বলছে, মালয়েশিয়ার ইতিহাসে একবারে এত বিপুল পরিমাণ মূল্যবান সামগ্রী কখনো বাজেয়াপ্ত হয় নি। পুলিশ কর্মকর্তা অমর সিং বলেন, এত বিপুল পরিমাণ সামগ্রী আগে কখনো বাজেয়াপ্ত করা হয় নি। এসব সামগ্রীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল অলংকার। সবচেয়ে দামী অলংকারটি ছিল ১৬ লাখ ডলার দামের একটি নেকলেস। আরো পাওয়া গেছে ৫৬৭টি হ্যান্ডব্যাগ - যার মধ্যে ছিল নগদ প্রায় ৩ কোটি ডলার। আরো ছিল ৪২৩টি ঘড়ি, ২৩৪টি সানগ্লাস। পুলিশ কর্মকর্তা অমর সিং বলেছেন, এত সামগ্রী পাওয়া গেছে যে তাদের তা গুণতে এবং মূল্য হিসেব করতে পাঁচ সপ্তাহ লেগেছে। নাজিব রাযাক ও তার স্ত্রী রোজমা নাজিব রাযাকের স্ত্রী রোজমার পরিচিত তৈরি হয়েছিল তার শপিং-প্রীতিএবং দামী ব্রান্ডের জিনিসের প্রতি আকর্ষণের জন্য। তাকে ফিলিপিনের সাবেক ফার্স্ট লেডি ইমেলদা মার্কোসের সাথেও তুলনা করা হতো - যিনি তার বিলাসদ্রব্য এবং জুতোর প্রতি আসক্তির জন্য বিখ্যাত ছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগে বলা হয় যে মি. নাজিব ওয়ানএমডিবি থেকে ৭০ কোটি ডলারআত্মসাৎ করেছেন, যে অভিযোগ তিনি সবসমই অস্বীকার করেছেন। মে মাসের নির্বাচনের মি, নাজিবের পরাজয়ের পেছনে দুর্নীতির অভিযোগ এক বড় কারণ ছিল বলে মনে করা হয়। নির্বাচনে জয়ী হন তারই সাবেক মিত্র মাহাথির মোহাম্মদ। নির্বাচনের পর মি. নাজিবকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে,এবং তার দেশের বাইরে যাওয়াও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
Malaysian police have seized a trove of jewellery, handbags and cash worth up to $273m (£206m) from properties linked to former prime minister Najib Razak and his wife Rosmah Mansor.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
মোবাইল ফোন হাতে একজন বিক্ষোভকারী বোঝার চেষ্টা করছেন সেখানে চলমান বিক্ষোভ ও আন্দোলনে অংশগ্রহনকারীদের সংখ্যা কেমন। সংগঠকরা বলছেন যে, টনির মতো স্বেচ্ছাসেবকরা এমন শত শত টেলিগ্রাম গ্রুপ পরিচালনা করছেন। যার মাধ্যমে হংকংয়ে দানা বাঁধা এক বিক্ষোভ পরিণত হয়েছে সরকার বিরোধী আন্দোলনে। বিতর্কিত এক প্রত্যর্পন আইনের বিরোধিতা করতে সম্প্রতি প্রায় বিশ লাখেরও বেশী মানুষ রাস্তায় নেমেছে বলে তাদের দাবি। দেশের সার্বভৌমত্বকে খর্ব করতে পারে - এমন আশঙ্কায় প্রস্তাবিত বিলটির প্রতিবাদে হংকং-এ একের পর এক বিক্ষোভের ধারাবাহিকতা দেখেছে সবাই। রিয়েল-টাইম ভোটিং প্রস্তাবিত বিলটির প্রতিবাদে অনেকেই নামে বেনামে বিভিন্ন মেসেজিং গ্রুপে যোগ দিচ্ছেন। আর সেই সাথে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন এনক্রিপ্টেড মেসেজিং চ্যাট গ্রুপ। কোন কোন গ্রুপে ৭০ হাজারের মতো সক্রিয় সদস্য রয়েছে যা কিনা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় এক শতাংশ। অনলাইন এসব গ্রুপে কেউ হয়তো বিক্ষোভ সম্পর্কিত সবশেষ তথ্য বা প্রতিবেদন প্রচারের দায়িত্বে থাকেন, কারো কাজ অনলাইন ক্রাউড বাড়িয়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দেয়া আর কেউ বা প্রতিবাদকারীদের বিভিন্ন বিষয়ে সতর্ক করে দেয়। হংকং এর সড়কে বিক্ষোভবাকারীদের ব্যাপক সমাগম একইসাথে আইনজীবী বা চিকিৎসকদের ছোট ছোট অনলাইন গ্রুপও রয়েছে, যারা প্রতিবাদকারীদের আইনী পরামর্শ বা প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে সাহায্য করে থাকে। বিক্ষোভকারীরা বলছেন যে, এইসব অনলাইন সমন্বয়করা তথ্য প্রচারের জন্যে সুবিধাজনক ও তাৎক্ষণিক নানা উপায় বের করে থাকে। পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারনের জন্যে অনেক সময় এসব চ্যাটগ্রুপ রিয়েল-টাইম ভোট এর ব্যবস্থাও করে থাকে। যেমনটি হয়েছিল ২১শে জুনে হংকং পুলিশের সদরদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে কিনা তা নির্ধারন করতে, যখন অন্তত ৪০০০ প্রতিবাদকারী টেলিগ্রাম গ্রুপে ভোট দেন। পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ চালিয়ে যাবার পক্ষে সেখানে ৩৯% ভোট পরে- যদিও তারপরের প্রায় ছয় ঘন্টা সে ভবন অবরুদ্ধ ছিল। এই বিক্ষোভ পরিচালনায় অন্যান্য অ্যাপও ব্যবহার করা হচ্ছে। এই সপ্তাহে, একটি বেনামী গ্রুপ ক্রাউডফান্ডিং ওয়েব সাইটের মাধ্যমে প্রায় অর্ধ মিলিয়ন ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেছে। তাদের পরিকল্পনা, এই অর্থ দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তারা বিজ্ঞাপন দেবে, যাতে করে হংকং-এর এই বিতর্কিত বিল নিয়ে যেন জি টুয়েন্টি সামিটে আলোচনা করা হয়। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, নেতৃত্বহীন এই বিক্ষোভটিকে প্রযুক্তির শক্তি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের মতে, অনলাইন সমন্বয়করা তথ্য প্রচারের জন্যে সুবিধাজনক ও তাৎক্ষণিক নানা উপায় বের করে থাকে গোপন পরিচয় হংকং ব্যাপ্টিস্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যপক এডমান্ড চেং বলেন, "কর্তৃপক্ষের প্রতি তীব্র অবিশ্বাসের বহি:প্রকাশ এই অনলাইন বিক্ষোভ। আমব্রেলা মুভমেন্টের বহু নেতাই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং কারা বরণ করেছেন"; ২০১৪ সালের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তিনি এ কথা বলেন। এ বছরের এপ্রিল মাসে সেই আন্দোলনের ৯ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তারা জনসাধারনকে উস্কানি দেবার চেষ্টা করেছেন। "আপনি যদি কোনো বিক্ষোভকে সংগঠিত করতে চান তবে বহু ধরনের অভিযোগের সম্মুখীন আপনাকে হতেই হবে", বলছিলেন টনি। হংকংয়ের এই বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই অনলাইন নজরদারি এড়াতে বিভিন্ন পন্থা ব্যবহার করে থাকেন। ২৫ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী, যার নাম জনি, সে বলছিল, "আমরা যখন কোনো আন্দোলনের মধ্যে থাকি তখন নগদ টাকায় চলি, কোনো এটিএম ব্যবহার করি না।" জনি যখন কোনো প্রতিবাদে যোগ দেয় তখন একটি পুরোনো মডেলের মোবাইল ফোন এবং নতুন সিম কার্ড ব্যবহার করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকটি অনলাইন গ্রুপ-এর অ্যাডমিনিস্ট্রেটররা বলেন যে, কিছু মানুষ তাদের অনলাইন ফুটপ্রিন্ট লুকাতে একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে থাকে। বিবিসি'কে তারা বলেন, "আমাদের কারো কারো কাছে থাকে তিন থেকে চারটি ফোন, একটি আইপ্যাড, ডেস্কটপ ও নোটবুক। একজন ব্যক্তি পাঁচ থেকে ছয়টি অনলাইন অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।" আরও পড়তে পারেন: হংকং বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু কে এই জোশুয়া ওং? হংকং বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু কে এই জোশুয়া ওং? বিশ্বের কোন শহরটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল আর কোনটি সস্তা যেভাবে সুরক্ষা নিশ্চিত করছেন বিক্ষোভকারীরা টনির বিশ্বাস, অনলাইন ভোটিং এর মাধ্যমে নেয়া সিদ্ধান্তের ফলে কোন একজন ব্যক্তি বিশেষকে অভিযুক্ত করা সম্ভব নয়। তার দাবি যে এসব অনলাইন চ্যাট গ্রুপের অ্যাডমিনিস্ট্রেটররা কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত নন এবং অনলাইনে পোস্ট করা কারো মতামতের ওপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। "সরকার নিশ্চয়ই আন্দোলনে অংশ নেয়া প্রতিটি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে চায় না। আর এটা সম্ভবও নয়" বলছিলেন টনি। তবে আইন প্রয়োগকারীরা ভিন্ন উপায় অনুসরন করতে পারে বলেও তার আশঙ্কা রয়েছে। "প্রভাবশালীদের বেছে বেছে গ্রেপ্তার করে অন্যদের জন্যে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পারে সরকার", টনির মত। যেমন ১২ই জুন টেলিগ্রাম গ্রুপ এর একজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে গ্রেপ্তার করা হয় আইন-প্রণয়ন কমপ্লেক্সের চারপাশের সড়ক অবরোধের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে। গ্রেপ্তার হওয়া এমন কজন আন্দোলনকারীদের আইনজীবী বন্ড এনজি বলেন যে, এতে করে কর্তৃপক্ষ বোঝাতে চায় - যদিও আপনি ইন্টারনেটে লুকিয়ে থেকেই কাজ করছেন, তা স্বত্ত্বেও তারা আপনার বাড়িতে এসেই আপনাকে গ্রেফতার করতে পারে।
In a tiny room on the edge of a nondescript building complex sits an unlikely participant in Hong Kong's protest movement. Behind his laptop computer, Tony (not his real name) monitors scores of groups on private messaging app Telegram and online forums.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ইস্তান্বুলে বিরোধী দল সিএইচপির সমর্থকদের উল্লাস। বিরোধী দল এবং মি. এরদোয়ানের দল একেপি - উভয়ই তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর ইস্তান্বুলের মেয়র পদে জয় লাভ করেছেন বলে দাবি করছেন। তবে তুরস্কের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ইস্তান্বুলেও বিরোধী দল এগিয়ে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের দল একেপি'র নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয়ভাবে পৌর নির্বাচনে ৫১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন। মি. এরদোয়ান এর আগে বলেছিলেন, এই নির্বাচনের ওপর তার দেশ এবং তার দলের 'টিকে থাকা' নির্ভর করছে। এই নির্বাচন এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন তুরস্ক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা যাচাইয়ের গণভোট হিসেবেও দেখা হচ্ছে এই নির্বাচনকে। মেয়র এবং কাউন্সিল নির্বাচনের জন্য তুরস্কের ৫.৭ কোটির বেশি মানুষ নিবন্ধিত ছিলো। আরো পড়তে পারেন: যে পত্রিকায় শুধু ভাল খবর ছাপা হয় যেভাবে কাজ করবে বায়ু পরিশোধনকারী সাইকেল খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে আঙ্কারায় সমর্থকদের সাথে কথা বলার সময় মি এরদোয়ান তার ভুলত্রুটি শোধরানোর প্রতিজ্ঞা করেন। নির্বাচনের ফলাফল কী? তুরস্কের গণমাধ্যম জানিয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী রিপাবলিকান পিপল'স পার্টির (সিএইচপি) প্রার্থী মানসুর ইয়াভাস আঙ্কারায় পরিস্কারভাবে বিজয়ী হয়েছে। তবে ইস্তান্বুলের মেয়র নির্বাচনে সিএইচপি এবং মি. এরদোয়ানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) উভয়ই সামান্য ব্যবধানে জয় পেয়েছে বলে দাবি করছে। সিএইচপি প্রার্থী একরেম ইমামোগলু বলেছেন, তিনি প্রায় ২৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। অন্যদিকে একেপি বলছে, তাদের প্রার্থী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইয়ালদিরিম ৪ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। দু'জন প্রার্থীই ৪০ লাখ ভোট পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সিএইচপি দাবি করেছে, তারা তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ইজমিরেও জয় লাভ করেছে। সিএইচপি নেতা কেমাল কিলিচদারোগলু বলেছেন, "মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে ভোট দিয়েছে।" অন্যদিকে মি. এরদোয়ান আঙ্কারায় তার সমর্থকদের সাথে কথা বলার সময় ইঙ্গিত দেন যে তারা ইস্তান্বুলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের আগে তুরস্কের অর্থনীতি পুনর্গঠনে মনোযোগ দেবেন বলে দাবি করেন তিনি।
The party of Turkey's President Recep Tayyip Erdogan has lost control of the capital, Ankara, in local elections, in a blow to his 16-year rule.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
পাকিস্তান ছেড়েছেন আসিয়া বিবি ব্লাসফেমির অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসিয়া বিবি আট বছর জেল খাটেন। পরে সুপ্রিম কোর্ট তাকে মুক্তির আদেশ দেন ২০১৮ সালে। তিনি ২০১০ সালে প্রতিবেশীর সাথে বিবাদে জড়ালে ইসলামের নবী মোহাম্মদ নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগ উঠে। আসিয়া বিবি নিজে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। আসিয়া বিবি অবশ্য সব সময় তার বিরুদ্ধে আনা এমন অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইনে কোন অমুসলিম নারী হিসাবে প্রথম দণ্ডিত হয়েছেন পাঁচ সন্তানের মা আসিয়া বিবি। এই বিষয়ে আরো পড়ুন: পাকিস্তানে আসিয়া বিবিকে বাঁচাতে স্বামীর আকুতি আসিয়া বিবিকে আশ্রয় দিতে চায় কানাডা প্রাণভয়ে পাকিস্তান ছেড়ে পালালেন আসিয়া বিবির আইনজীবী এক বালতি পানি, ব্লাসফেমি এবং আসিয়া বিবির ফাঁসি ব্লাসফেমির কারণে পাকিস্তানে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। আসিয়া বিবি মুক্তি পাওয়ার পরেই তার স্বামী এবং আইনজীবী বলেছিলেন তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। তারা পাকিস্তান থেকে চলে যেতে চেয়েছিলেন এবং বেশ কয়েকটি দেশ তাদেরকে আশ্রয় দেবে জানিয়েছিল। এর মধ্যে ছিল কানাডা। তবে তিনি কোন দেশে গেছেন সেই বিষয়ে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ এখনো কিছু জানায় নি। তবে তার আইনজীবী সাইফ উল মালুক বিবিসিকে বলেছেন, আসিয়া বিবি ইতিমধ্যে কানাডা পৌঁছেছেন। সেখানে তার দুই মেয়েকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসিয়া বিবির আরেকটি নাম আসিয়া নরেন। দেশ ত্যাগের আগে তাকে একটা গোপন স্থানে রাখা হয়েছিল। গত বছর অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্ট তার সাজা বাতিল করে দিলে পাকিস্তানে সহিংস বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করেছিল ধর্ম অবমাননা আইনের সমর্থকরা। অন্যদিকে, আরেকটি পক্ষ তার মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিল। বিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বিন লাদেন: মৃত্যুর আট বছর পর আল-কায়েদা এখন কোথায়? 'রমজান' কীভাবে 'রামাদান' হয়ে উঠেছে ভারতে আইএস জঙ্গিরা কি বাংলাদেশে ফেরত আসছে?
Asia Bibi, a Pakistani Christian woman who spent years on death row after being convicted of blasphemy, has left the country, officials have confirmed.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও বাকিংহ্যাম প্যালেসে রানীর সঙ্গে দুপুরের খাবার, প্রিন্স অফ ওয়েলস আর ডিউক অফ কেমব্রিজের সঙ্গে রাতের খাবারও রয়েছে তার কর্মসূচীর তালিকায়। কিন্তু কেন এতোটা গুরুত্ব পাচ্ছেন বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন আসা এই যুবরাজ? এর কারণ শুধুমাত্র এটা নয় যে, তিনি সৌদি আরবের নেপথ্য শাসক। আরেকটি বড় কারণ ব্রেক্সিটের পর সৌদি আরবের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক অন্য মাত্রা পেতে যাচ্ছে। আরো পড়ুন: 'নার্ভ গ্যাসে সৎভাইকে হত্যা করেছে উত্তর কোরিয়া' বার্তাবাহী বোতলটি সমুদ্রে ছোঁড়া হয় ১৩২ বছর আগে ২০৩০ সালের মধ্যে তেলের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বাজার নির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলতে চাইছেন সৌদি যুবরাজ এর বাইরে আরো কয়েকটি কারণও রয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে নিরাপত্তাগত কারণে ব্রিটেনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ব্রিটেনে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে গোপন তথ্য দিয়েছে সৌদি আরব। আবার ইরানের হুমকি মোকাবেলায় সাইবার বিশেষজ্ঞের সহায়তা চাইছে সৌদিরা। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির কাছে কয়েক বিলিয়ন পাউন্ডের অস্ত্রও বিক্রি করতে করছে ব্রিটেন, যার উপর হাজার হাজার ব্রিটিশের চাকরি টিকে রয়েছে বলে মন্ত্রীরা মন্তব্য করেছেন। কিন্তু সৌদি যুবরাজের এই সফর হয়তো তারচেয়েও বেশি কিছু। সৌদি আরবে যে অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু করেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, সেই সংস্কারের দিকে তিনি আন্তর্জাতিক সমর্থনও আদায় করতে চাইছেন। বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করাও তার অন্যতম উদ্দেশ্য। সৌদি তেল কোম্পানিকে পেতে আগ্রহী লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ ২০৩০ সালের মধ্যে তেলের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বাজার নির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলতে চাইছেন সৌদি যুবরাজ। আর এখানেই ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের অনেক সুযোগ রয়ে গেছে। শিক্ষা, বিনোদন, পর্যটন, স্বাস্থ্য- সব খাতেই ব্রিটিশদের দক্ষতা রয়েছে, যা তাদের দেশটিতেও নতুন বাজারে অনেকটা এগিয়ে রাখবে। আবার সৌদি আরব থেকেও বিনিয়োগ পেতে চায় যুক্তরাজ্য। বিশেষ করে সৌদি রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি, আরামকোকে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে পেতে চাইছে ব্রিটিশরা। অন্য কথায় বলতে গেলে, ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের নতুন বন্ধু, নতুন বাজার আর অর্থের যোগান দরকার হবে। আর এসবের জন্য সৌদিরা ব্রিটেনের তালিকার একেবারে উপরের সাড়িতেই রয়েছে।
Mohammed bin Salman is just 32 years old. He is Saudi Arabia's crown prince - not its head of state - and he has only been in his post for nine months.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
তার অসহায় অবস্থা দেখে মজা করে একজন উদ্ধারকর্মী বলেছিলেন, সে শীতের জন্য ভালোই চর্বি জমিয়েছে। বর্ষ পরিক্রমায় এসব কিছু খবর এসেছে, যা সবার নজর কেড়েছিল। এর কিছু ছিল মজার, কিছু অভিনব। এখানে সেরকম কয়েকটি খবর তুলে ধরা হলো। সেই সঙ্গে গুরুত্বের বিচারে সেসব খবরের মধ্যে বিজয়ী এবং রানার-আপ নির্ধারণ করা হলো। এর অনেকগুলোর সঙ্গেই পশু প্রাণীর ব্যাপার জড়িয়ে আছে। পশু উদ্ধারের বছর বিজয়ী এই অসহায় মোটা ইঁদুরটি জার্মানির বেনশেইম শহরের একটি ম্যানহোলের ঢাকনায় গত বছর আটকে পড়ে। তাকে পরবর্তীতে উদ্ধার করা হয়, কিন্তু তার আগেই তার সেই অসহায় মুহূর্তের ছবি তুলে রাখেন পথচারীরা। তার অসহায় অবস্থা দেখে মজা করে একজন উদ্ধারকর্মী বলেছিলেন, সে শীতের জন্য ভালোই চর্বি জমিয়েছে। রানার-আপ (১) তেল উত্তোলন কেন্দ্রের কর্মীরা গত এপ্রিল মাসে হতবাক হয়ে যান, যখন তারা দেখতে পান যে, একটি ধূসর রঙের কুকুর সমুদ্রে সাতার কাটছে। থাইল্যান্ডের উপকূল থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরে তেল উত্তোলন কেন্দ্রের কর্মীরা গত এপ্রিল মাসে হতবাক হয়ে যান, যখন তারা দেখতে পান যে, একটি ধূসর রঙের কুকুর সমুদ্রে সাতার কাটছে। সম্ভবত সেটি কোন ট্রলার থেকে পড়ে গিয়েছে। তারা নিরাপদে তাকে তুলে আনেন এবং নাম দেন বোনরোড. থাইল্যান্ডের ভাষায় যার অর্থ 'উদ্ধারকৃত'। রানার আপ (২) এক্ষেত্রে প্রাণীটি উদ্ধারকৃত হওয়ার পরিবর্তে উদ্ধারকারী হিসাবে আর্বিভূত হয়েছে। গত বছর বুনো আগুনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরির কর্মী রোনাল্ড রেগ্যান পাঁচশো ছাগল ভাড়া করেন, যাদের কাজ হচ্ছে ভবনের আশেপাশে দাহ্যজাতীয় সব পাতা বা ঝোপ খেয়ে শেষ করে ফেলা। এরপরে যখন অক্টোবর মাসে সেখানে বুনো আগুন দেখা দেয়, আগুনটি এগিয়ে এসে সেই স্থানে থেকে যায়, যেখানে ছাগলগুলো ঝোপঝাড় খেয়ে ফাঁকা করে রেখেছে। 'ছবিই সব কথা বলছে' পুরস্কার বিজয়ী স্কুলের যাওয়ার সময় তার পোশাক ছিল খুব পরিপাটি, চমৎকার। কিন্তু স্কুল শেষে সে যখন বাসা ফিরে আসে, তখন তাকে দেখতে যুদ্ধ বিধ্বস্তের মতো লাগছিল। গত অগাস্ট মাসে আপনারা হয়তো অনেকেই পাঁচ বছর বয়সী লুসির রোমাঞ্চভিযানের কথা শুনেছেন। স্কুলের যাওয়ার সময় তার পোশাক ছিল খুব পরিপাটি, চমৎকার। কিন্তু স্কুল শেষে সে যখন বাসা ফিরে আসে, তখন তাকে দেখতে যুদ্ধ বিধ্বস্তের মতো লাগছিল। স্কুলে যাওয়া ও আসার দুইটি ছবি তুলে রাখেন তার মা। সেই ছবি স্কটল্যান্ডের একটি পত্রিকায় ছাপা হওয়ার পরে সারা বিশ্বে ভাইরাল হয়ে যায়। রানার-আপ ইডি ওকোরো তার বান্ধবীর পেছনে দাঁড়িয়ে গোপনে একটি ছবি তুলেছিলেন, হাতে এনগেজমেন্ট রিং। ইডি ওকোরো তার বান্ধবীর পেছনে দাঁড়িয়ে গোপনে একটি ছবি তুলেছিলেন, হাতে এনগেজমেন্ট রিং। তার বান্ধবী রিং পেয়ে তার প্রস্তাবে 'হ্যাঁ' জবাব দিয়েছিলেন। এই ছবিটিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায়। বছরের সেরা ফিট বিজয়ী ব্রেস্ট ক্যান্সারে চিকিৎসা হওয়ার ঠিক এক বছর পরে সারাহ টমাস বিশ্বের প্রথম মানুষ হিসাবে না থেমেই চতুর্থবারের মতো ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন। প্রায় ৫৪ ঘণ্টা ধরে তিনি সাতার কাটেন, এরপরে মন্তব্য করেন, আমি ভালোই ক্লান্ত হয়েছি। রানার-আপ এর কাছাকাছি আরেকটি কাজ করেছেন জেসমিন প্যারিস, যিনি ২৬৮ মাইল দৌড়ের রেকর্ড ভেঙ্গেছেন ১২ ঘণ্টার বেশি ব্যবধানে। এ সময় তিনি নিয়মিতভাবে তার ছোট বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য থেমেছেন আর দিনে মাত্র তিন ঘণ্টার জন্য ঘুমিয়েছেন। পুরো দৌড়টি তিনি শেষ করেছেন ৮২ ঘণ্টা, ১২ মিনিট এবং ২৩ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে। আর এই দৌড়ে অংশ নিয়েছেন এমন সময় যখন তিনি তার পিএইচডি থিসিস লিখছেন। সবচেয়ে উদ্ভাবনী সাড়া বিজয়ী কপিরাইটার জোশ থম্পসনকে যখন একটি মিটিংএর জন্য ডাকা হলো, তিনি বুঝতে পারছিলেন যে, তাকে চাকরির পদটি বন্ধ ঘোষণা করবে কর্তৃপক্ষ। তার ম্যানেজার তাকে পরিবারের একজন সদস্যকে নিয়ে আসতে বলেছিলেন, যাতে এই বক্তব্য জানার সময় তাকে সহায়তা করতে পারেন, যা নিউজিল্যান্ডের আইন অনুযায়ী করতে হয়। কিন্তু পরিবারের সদস্যকে আনার তিনি দুইশ ডলার দিয়ে 'জো' নামের একজন জোকারকে ভাড়া করে আনেন। পুরো মিটিং এর সময় পাশে বসে ছিলেন জো। রানার-আপ এই পুরস্কার পাচ্ছেন জাপানের নিনজা ইতিহাসের শিক্ষার্থী এইমি হাগা, যিনি পরীক্ষা শেষে তার শিক্ষকের কাছে একটি সাদা খাতা জমা দেন। তার অধ্যাপক বুঝতে পারেন যে, সেখানে অদৃশ্য কালি দিয়ে লেখা হয়েছে, যা নিনজাদের একটি কৌশল ছিল। এই লেখা বের করতে হলে কয়েক ঘণ্টা ধরে সেটি ভিজিয়ে রেখে সয়াবিন তেল মেখে লেখাটি বের পাঠোদ্ধার করতে হয়। খোলা মাঠে লুকিয়ে থাকার পুরস্কার বিজয়ী প্রত্যন্ত আবেরডেনশায়ারে একটি খোলা মাঠে যখন অনেকগুলো পাথরের বস্তু গোল করে সাজিয়ে রাখা দেখতে পেলেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা, তারা ভেবেছিলেন এগুলো হয়তো কয়েক হাজার বছরের পুরনো। প্রত্যন্ত আবেরডেনশায়ারে একটি খোলা মাঠে যখন অনেকগুলো পাথরের বস্তু গোল করে সাজিয়ে রাখা দেখতে পেলেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা, তারা ভেবেছিলেন এগুলো হয়তো কয়েক হাজার বছরের পুরনো। তারা এ নিয়ে তদন্ত শুরু করলেন। কিন্তু তারা খুবই অসন্তুষ্ট হলেন যখন জানলেন, এগুলো আসলে মাত্র ২০ বছরের পুরনো আর গ্রামের একজন কৃষক এভাবে সাজিয়ে রেখেছেন। রানার-আপ যখন দক্ষিণ আফ্রিকার কমেডিয়ান ট্রেভর নোয়াহ ফেব্রুয়ারিতে অস্কার পুরস্কারে বেস্ট পিকচার নমিনেশন ফর ব্ল্যাক প্যান্থার ঘোষণা করছিলেন, তিনি শিওয়া জিহোয়া ভাষায় বলেন, ''আবেলুনগু আবাজি উবু নডিয়াজোকা।' তিনি তার অর্থ বলে দেন, আলাদা আলাদাভাবে লড়াই করার চেয়ে এই সময়ের মতো আমরা যখন একত্রে লড়াই করবো, তখন আমরা বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবো।'' কিন্তু তিনি যে প্রবাদটি বলেছিলেন, তার আসল অর্থ হচ্ছে, 'সাদা মানুষরা জানে না যে, আমি মিথ্যা কথা বলছি'। তবে দর্শকদের মধ্যে কেউ তার রসিকতাটি ধরতে পারেন নি। ২০১৯ সালের সবচেয়ে রোমাঞ্চপ্রিয় পশু বিজয়ী বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বের করেছেন যে, ইঁদুর যদি ছোট গাড়ি চালায়, তাহলে তা তারা কম অস্বস্তি বোধ করে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউভার্সিটি অব রিচমন্ডের বিজ্ঞানীরা ওই গবেষণাটি করেছেন। রানার-আপ রাশিয়ার একটি ঈগলের শরীরে এসএমএস ট্রান্সমিটার বেধে দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা, যাতে তারা সেটির গতিবিধি বুঝতে পারেন। কিন্তু ঈগলটি একসময় দেশের বাইরে অন্য দেশে চলে যাওয়ায়। ফলে কিছুদিন পরে রোমিং চার্জ হিসাবে বিশাল অংকের টেলিফোন বিল আসে, যা হতভম্ব করে দেয় বিজ্ঞানীদের। উড়োজাহাজে অদ্ভুত ব্যবস্থা বিজয়ী এটাই হয়তো বিশ্বের প্রথম আর একমাত্র ব্লাক হোলের ছবি। মস্কোর একটি বিমানবন্দর থেকে গত অগাস্ট মাসে একটি এয়ারবাস জেট ২৩৩জন যাত্রী নিয়ে টেকঅফ করার পরেই গাংচিলের একটি দলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুইটি ইঞ্জিনই নষ্ট হয়ে যায়। তেল ভর্তি বিমানটি নিয়ে বিমানের পেটের ওপর ভর করে একটি ভুট্টা খেতে অবতরণ করতে সমর্থ হন পাইলট। সে সময় তিনি সামনের চাকা নামান নি, যাতে এগুলোর সাথে ঘষা খেয়ে কোনরকম স্ফুলিঙ্গ তৈরি না হয়, যা ভুট্টা খেতে এবং পরে বিমানটিতে আগুন ধরিয়ে দিতে পারতো। এভাবেই বিমানের সব যাত্রীর জীবন বাঁচান পাইলট, যাকে অনেকটা অলৌকিক বলে বর্ণনা করা হয়। রানার-আপ এই সাহসী পাইলট আল্পসের বরফ ঢাকা ঢালু থেকে গত জানুয়ারি মাসে একজন সি একটি পাহাড় থেকে আহত একজন স্কাইয়ারকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা বিজয়ী এটাই হয়তো বিশ্বের প্রথম আর একমাত্র ব্লাক হোলের ছবি। ব্ল্যাক হোলটি পাঁচশো মিলিয়ন ট্রিলিয়ন কিলোমিটার দূরে এবং আমাদের বিশ্বের চেয়ে প্রায় তিন মিলিয়নগুণ বড়। রানার-আপ গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, একজন মানুষের বাম অণ্ডকোষের সঙ্গে ডান অণ্ডকোষের তাপমাত্রার কোন পার্থক্য আছে কিনা। এই গবেষণাটি হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের রসিকতার পুরস্কার স্পুফ নোবেল প্রাইজ জিতেছে। এই গবেষণার জন্য ফরাসি একজন পোস্টম্যানকে ৯০ মিনিট নগ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিলেন।
Congratulations, you've made it through another year of news.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সিআইএ'র ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, তারা এই এর প্রমাণ খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণা, এরকম একটি হত্যাকান্ড ঘটানোর অভিযান কেবলমাত্র যুবরাজের অনুমতি নিয়েই হতে পারে। তবে সৌদি আরব এরকম দাবিকে মিথ্যা বলে বর্ণনা করেছে। তারা বলছে, যুবরাজ এই হত্যা পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স শনিবার বলেছেন, সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যাকারীদের বিচার হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও (বাঁয়ে) এবং সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রী আদেল আল জুবেইর (মাঝখানে) এর সঙ্গে যুবরাজের ভাই খালেদ বিন সালমান (ডানে)। পাপুয়া নিউ গিনিতে এক সম্মেলনে অংশ নেয়ার সময় তিনি বলেন, "এই হত্যার জন্য যারা দায়ী তাদের সবাইকে এর দায় নিতে বাধ্য করতে যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।" অক্টোবরের ২ তারিখে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে জামাল খাসোগজিকে হত্যা করা হয়। তার মৃতদেহ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তুরস্ক বলছে, সৌদি আরবের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এই হত্যার নির্দেশ এসেছিল। ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, খাসোগজিকে হত্যার নির্দেশ যে সরাসরি সৌদি যুবরাজের কাছ থেকে এসেছে, সেটি সিআইএ ধারণা করছে অংশত একটি ফোন কলের ভিত্তিতে। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভাই প্রিন্স খালেদ বিন সালমান, যিনি যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি রাষ্ট্রদূত, তিনি নাকি জামাল খাসোগজিকে ফোন করেছিলেন। জামাল খাসোগজির মৃতদেহ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। যুবরাজের নির্দেশেই নাকি তিনি খাসোগজিকে ফোন করে আশ্বাস দেন যে, ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে তিনি যেতে পারেন, তার কোন বিপদ হবে না। তবে রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালেদ বিন সালমান দাবি করছেন, জামাল খাসোগজির সঙ্গে এক বছর ধরে তার কোন যোগাযোগ হয়নি। জামাল খাসোগজির হত্যাকান্ড সম্পর্কে সিআইএ'র এই সর্বশেষ মূল্যায়ন সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন এখনো কোন মন্তব্য করেনি।
The CIA believes that Saudi Crown Prince Mohammed bin Salman ordered the murder of journalist Jamal Khashoggi, according to US media reports.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
রাহুল গান্ধী স্বাধীন ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের একেবারে কেন্দ্রস্থলে অবস্থান এই নেহরু-গান্ধী রাজনৈতিক পরিবারের। রাহুল গান্ধীর প্রপিতামহ জওহরলাল নেহরু ছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। তার পিতামহী ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। আর পিতা রাজীব গান্ধী ছিলেন ভারতের তরুণতম প্রধানমন্ত্রী। এবারের নির্বাচনের আগে পর্যন্ত বলা যেতো, ২০১৪ সালে কংগ্রেসের ফলাফলই ছিল সবচাইতে খারাপ। সেবার কংগ্রেস মাত্র ৪৪টি আসনে জিতেছিল, আর এবার জিতেছে ৫২টি আসনে। কিন্তু এবার একটা বাড়তি আঘাত হলো, উত্তর প্রদেশের আমেথিতে রাহুল গান্ধী হেরে গিয়ে পার্লামেন্টে তার নিজের আসনটিও খুইয়েছেন। অবশ্য আগামী পার্লামেন্টে রাহুল গান্ধীকে বসতে দেখা যাবে - কারণ কেরালার একটি আসন থেকেও তিনি নির্বাচন করেছিলেন এবং তাতে তিনি জিতেছেন। কিন্তু আমেথি'তে রাহুলের পরাজয়ের গুরুত্ব-তাৎপর্য অনেক। বিবিসির গীতা পান্ডে লিখছেন, রাহুল গান্ধীর পারিবারিক পূর্বসুরীদের চিরকালের পাকা আসন এই আমেথি । সেখান থেকে তার পিতামহী ইন্দিরা, বাবা রাজীব ও মা সোনিয়া সবাই জিতেছিলেন, এমনকি রাহুল নিজেও গত ১৫ বছর ধরে ওই আসনে জিতে আসছিলেন । তাই আমেথিতে রাহুলের হেরে যাওয়া এক বিরাট অপমান। গান্ধী-নেহরু পরিবারের বংশলতিকা শুধু তাই নয়, রাহুল হেরেছেন বিজেপি'র স্মৃতি ইরানীর কাছে - যিনি অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিবিদ হয়েছেন। মনে রাখা দরকার, এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস জিতবে এমনটা খুব কম লোকই ভেবেছিলেন, কিন্তু তারা অন্তত এটুকু আশা করেছিলেন যে ২০১৪-র নির্বাচনের চাইতে এবার ভালো ফল করবে কংগ্রেস। সেটা হয় নি, এবং ঠিক এটাই পার্টির ভেতরে-বাইরে সবাইকে অবাক করেছে। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব কি প্রশ্নের মুখে? রাহুল গান্ধী ফলাফলের পর বলেছেন, ভয় পাবার কিছু নেই, তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং শেষপর্যন্ত তারা বিজয়ী হবেন। কিন্তু লখনৌ শহরে কংগ্রেসের অফিসে যে ক'জন কর্মী টিভির পর্দায় তাদের দলের পর্যুদস্ত হবার খবর দেখছিলেন, তাদের কাছে সে সম্ভাবনা এক মরীচিকা বলেই মনে হচ্ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মী বলছিলেন, "আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা খুবই কমে গেছে, আমাদের প্রতিশ্রুতি লোকে বিশ্বাস করছে না। অন্যদিকে মি. মোদী তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন কিন্তু লোকে তার কথা এখনো বিশ্বাস করছে।" তাকে জিজ্ঞেস করো হলো, কেন? জবাবে তিনি বললেন, "সেটা আমরাও বুঝতে পারছি না।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে পদত্যাগ করছেন মোদীর জয় বাংলাদেশের জন্য চিন্তার বিষয়: রওনক আম পাড়ার ক্যালেন্ডার নিয়ে মানুষ কতটা সচেতন? রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের এমন ফলাফলের পর রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়ে নিশ্চয়ই প্রশ্ন উঠবে, উঠছেও। অনেক বিশ্লেষকই তার পদত্যাগ দাবি করছেন। সমস্যা হলো, আগের মতোই এসব দাবি আসছে পার্টির বাইরে থেকে। কংগ্রেসের নেতারা এসব দাবি কানে তুলবেন না, এটাই মনে হয়। দিল্লীর বাতাসে গুজব ভাসছে যে রাহুল গান্ধী নাকি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস রাজনীতিবিদ মণিশংকর আইয়ার বলেছেন, এ পরাজয়ের কারণ নেতৃত্ব নয়। "কংগ্রেস তার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলবে না, মি. গান্ধী পদত্যাগ করতে চাইলেও তা মানবে না।" স্থানীয় অনেক নেতার কথায় রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বের চাইতেও দলের ভেতরের অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং নির্বাচনে প্রচার-কৌশলে ভুলভ্রান্তিই ছিল কংগ্রেসের আসল সমস্যা। ব্যক্তিত্বের লড়াইয়ে হেরে গেছেন রাহুল কংগ্রেসের বিশ্লেষকরা আড়ালে ঠিকই স্বীকার করেন যে নরেন্দ্র মোদীর জনসম্মোহনী ব্যক্তিত্বের সাথে লড়াইয়ে রাহুল বরাবরই পিছিয়ে পড়ছেন। তাদের মতে কংগ্রেসের সামনে এক বিরাট বাধা হলো 'ব্র্যান্ড মোদী'। ব্যক্তিত্বে লড়াইয়ে হেরে যাচ্ছেন রাহুল, বলছেন অনেকে তারা বলেন, নরেন্দ্র মোদী তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন কিন্তু তার কথা এখনো লোকের মনে আস্থা সৃষ্টি করতে পারে। আর রাহুল গান্ধীর সমালোচনা হচ্ছে যে তার কোন আকর্ষণী শক্তি নেই, লোকজনের সাথে তিনি সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন না, তিনি দিকভ্রান্ত এবং প্রায়ই নানা রকম রাজনৈতিক ভুল করে বসেন। মি. মোদী নিজেই অনেকবার বলেেছন যে রাহুল গান্ধী এ অবস্থানে এসেছেন নিজের যোগ্যতায় নয়, বরং পারিবারিক যোগাযোগের কারণে। কংগ্রেসের সদস্যরাও জনান্তিকে বলেন, রাহুল একজন সহজ-সরল মানুষ, প্রতিপক্ষের যে কৌশলী ধূর্ততা - তা তার নেই। গান্ধী পরিবারের বংশানুক্রমিক ঐতিহ্য এখন সুদূর অতীতের বিষয় নেহরু-গান্ধী পরিবার থেকে ভারতের তিন জন প্রধানমন্ত্রী এসেছেন ঠিকই - কিন্তু সে পরিবারের ঐতিহ্য এখন কিছুটা ম্লান হয়ে গেছে। এ যুগের ভারতের উচ্চাভিলাষী তরুণদের কাছে জওহরলাল নেহরু ও ইন্দিরা গান্ধী আর প্রাসঙ্গিক নন, তাদের অবদান অনেক দূর অতীতের ইতিহাস মাত্র। নির্বাচনী লড়াইয়ে যোগ দিয়েছিলেন প্রিয়াংকা গান্ধীও একালের প্রজন্মের কাছে বরং কংগ্রেসের ২০০৪-২০১৪ শাসনকালের বিতর্ক-দুর্নীতিই প্রধান। এটা স্পষ্ট যে এই প্রজন্মের কাছে রাহুল গান্ধী তার 'ভিশন' বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। কংগ্রেসের নেতারা তাদের এই বিপর্যয়ের জন্য রাহুল গান্ধীকে দোষ দিতে চান না। তবে একজন বলেছেন, রাহুল গান্ধীর একজন 'অমিত শাহ' দরকার - যিনি তার জন্য নির্বাচনী বিজয়ের একটা কৌশল তৈরি করতে পারবেন। যেমনটা বিজেপির প্রেসিডেন্ট নরেন্দ্র মোদীর জন্য করেছেন। আসলে, সাম্প্রতিক কালে রাহুল গান্ধীর ইমেজ আগের চাইতে খানিকটা উন্নত হচ্ছিল বলেই বলা যায়। ফেব্রুয়ারি মাসে যখন তার বোন প্রিয়াংকা গান্ধী উত্তর প্রদেশের প্রচারণায় যোগ দেন - তখন অনেকে মনে করেছিলেন হয়তো এই দুই গান্ধী কিছু ঘটিয়ে ফেলতেও পারেন। অনেক দিন ধরেই কিছু কংগ্রেস সমর্থক বিশ্বাস করতেন যে রাহুল নয়, বরং প্রিয়াংকাই হচ্ছেন সেই 'গান্ধী' - যিনি এ পরিবারের বংশানুক্রমিক রাজনীতিকে রক্ষা করতে পারেন। কিন্তু প্রিয়াংকা গান্ধী সে দায়িত্ব নিতে ইচ্ছুক ছিলেন না। মনে করা হয় রাহুল ও প্রিয়াংকার সম্পর্কও ঘনিষ্ঠ। তাই এখন ভাইকে হটিয়ে দেবার কোন পরিকল্পনায় বোন অংশ নেবেন এমন সম্ভাবনা কম. তবে প্রিয়াংকা হয়তো আগামীতে একটা বৃহত্তর ভুমিকা নিতে পারেন। আমেথির আসনে রাহুল গান্ধীকে হারিয়েছেন স্মৃতি ইরানী কংগ্রেস কি আবার উঠে দাঁড়াতে পারবে? শেষ পর্যন্ত এটাই বলা হচ্ছে যে, কংগ্রেস পার্টির ভারতকে যেমন করে গড়তে চায় - 'সেই ভিশন' ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু মি. মোদী যেভাবে ভারতের রাজনৈতিক হৃৎস্পন্দন ধরতে পেরেছেন এবং তা প্রভাবিত করেছেন - কংগ্রেস সেখানে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের আত্মানুসন্ধান করতে হবে, কেন এটা ঘটলো তা বের করতে হবে, বলছেন দলটির নেতারা। তারা আরো বলছেন, নির্বাচনের ফল যতই খারাপ হোক, রাহুল গান্ধীর পাশে তারা থাকবেন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, শুধু রাহুল নয় আরো অনেক নেতাই তো হেরে গেছেন। সব নির্বাচনেই এটা হয়, অনেকে জেতেন, অনেকে হারেন। এরা আরো মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ১৯৮৪ সালে এই বিজেপিই মাত্র দু'টি আসন পেয়েছিল। "তারা সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে এখানে আসতে পারে, তাহলে আমরাও পারবো।" আরো পড়তে পারেন: পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি'র উত্থানের তাৎপর্য কী? ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদীর বিজয় কী বার্তা দিচ্ছে আবার মোদী সরকার: কী প্রত্যাশা হবে বাংলাদেশের?
On Thursday when Indian PM Narendra Modi won a landslide victory in the Indian elections, Rahul Gandhi, the scion of the Nehru-Gandhi dynasty and leader of India's Congress party, emerged at the other end, battered and mauled.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
সিবিএস টেলিভিশনকে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল-সিসি অনুষ্ঠানটিতে দেয়া সাক্ষাৎকারের একপর্যায়ে মি. সিসি নিশ্চিত করেন যে মিসরীয় সেনাবাহিনী সিনাই পর্বতমালায় জিহাদি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। ২০১৩ সালে মিসরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে চালানো সহিংস অভিযানকেও সমর্থন করেন মি. সিসি। মিসরে কোনো রাজনৈতিক বন্দী থাকার বিষয়টিও অস্বীকার করেন তিনি। সিবিএস জানিয়েছে সাক্ষাৎকারটি রেকর্ড করার কিছুক্ষণ পরই তাদেরকে অনুরোধ করা হয় যেন সেটি প্রচার না করা হয়। তবে এবিষয়ে তৎক্ষণাৎ কোনো মন্তব্য করেনি মিসর সরকার। প্রেসিডেন্ট সিসি কী বলেছেন? প্রেসিডেন্ট সিসি'র সাথে সাক্ষাৎকারের অনুলিপি প্রকাশ না করলেও সিবিএস বলেছে ২০১৩ সালে মি. সিসি'র নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর যেই অভিযানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় আসা মোহাম্মদ মোরসি'র সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে, সেই অভিযানকে সমর্থন করেছেন মি. সিসি। ২০১৩ সালের ১৪ই অগাস্ট নিরাপত্তা রক্ষীদের দ্বারা কায়রোর রাবা আল-আদাউইয়া স্কয়ার আর নাহদা স্কয়ারে বিক্ষোভরত মানুষকে ছত্রভঙ্গ করার সময় ৯শ'র বেশি মানুষ মারা যায়। দুইদিন পর রামসেস স্কয়ারে মারা যায় আরো ১২০ জন। আরো পড়তে পারেন: রাখাইনে পুলিশ ফাঁড়িতে বৌদ্ধ বিদ্রোহীদের হামলা জাতীয় পার্টির কেউ মন্ত্রী হবেন না: এরশাদ মহাকাশ নিয়ে এতো মরিয়া কেন চীন? ২০১৩ সালের ১৪ই অগাস্ট নিরাপত্তা রক্ষীদের দ্বারা কায়রোর রাবা আল-আদাউইয়া স্কয়ার আর নাহদা স্কয়ারে ৯শ'র বেশি মানুষ মারা যায় সেসময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা মি. সিসি'কে সিবিএস জিজ্ঞাসা করে যে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছোঁড়ার নির্দেশ তিনিই দিয়েছিলেন কিনা। জবাবে তিনি বলেন, "৪০ দিনের বেশি সময় ধরে সেখানে হাজার হাজার সশস্ত্র বিক্ষোভকারী অবস্থান নিয়েছিল। আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করার সব ধরণের শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি চেষ্টা করেছি।" এই ঘটনা সম্পর্কে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে যে সেখানে কিছু সশস্ত্র মানুষ ছিল, আর বিক্ষোভ দমনের পদ্ধতি দেখে ধারণা করা যায় যে ঐ সহিংসতা পূর্ব-পরিকল্পিত ছিল এবং এটিকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। ২০১৩ সাল থেকে মিসরে অন্তত ৬০ হাজার মানুষকে রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে আটকে রাখা হয়েছে - এই প্রশ্নের জবাবে মি. সিসি বলেন, "আমি জানি না তারা এই সংখ্যা কোথা থেকে পেলো। যখনই সংখ্যালঘু কোনো গোষ্ঠী তাদের চরমপন্থী মতবাদ সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে তখনই আমরা তাদের দমন করি।" উত্তর সিনাইয়ে জঙ্গীদের আক্রমণ প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে মিসরীয় বাহিনী কেন সাক্ষাৎকারটি প্রচার করতে দিতে চায় না মিসর? সিবিএস কর্তৃপক্ষ জানায়, 'দ্যা সিক্সটি মিনিটস' নামের অনুষ্ঠানটির কর্মীদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত মিসরীয় রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয় যেন সেটি প্রচার না করা হয়। কিন্তু সিবিএস রোববার রাতে অনুষ্ঠানটি প্রচার করবে বলে জানিয়েছে। রাষ্ট্রদূতের নাম প্রকাশ না করলেও সিবিএস বলেছে সরকার বিরোধী মতবাদে বিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে মিসরে যে ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়, ঐ ধরণের খবর 'প্রচারিত হোক তা মি. সিসি'র সরকার চায় না।' উত্তর সিনাই পর্বতমালায় জঙ্গী দমনের উদ্দেশ্যে ইসরায়েলের সাথে একজোট হয়ে কাজ করার খবরটিও মিসরে বিতর্ক তৈরি করতে পারে। ১৯৭৯ সালে শান্তিচুক্তি করার আগে চারটি যুদ্ধ হয় মিসর ও ইসরায়েলের মধ্যে।
The CBS television network says it has rejected a request by Egypt's envoy to the US not to broadcast an interview with President Abdul Fattah al-Sisi.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার পর মিয়ানমারে গণ বিক্ষোভ শুরু হয় মিয়ানমারে। মিয়ানমারে জাতিসংঘের দূত ক্রিস্টিন স্ক্রেনার বার্গেনার জানিয়েছেন, দেশটির বিভিন্ন স্থান থেকে ভয়াবহ ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা রক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের দিকে রাবার বুলেটের পাশাপাশি আসল গুলিও ছুঁড়েছেন। পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার পর মিয়ানমারে গণ বিক্ষোভ শুরু হয় মিয়ানমারে। মিয়ানমারে সেনা শাসনের অবসান ঘটিয়ে অং সান সু কি স'হ নির্বাচিত নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করছে মানুষজন। সামরিক অভ্যুত্থান এবং বিক্ষোভ দমন করার উদ্দেশ্যে মিয়ানমার সরকারের নেয়া সহিংস পদক্ষেপের বিশ্বজুড়ে সমালোচনা হলেও মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত সব ধরণের সমালোচনা উপেক্ষা করেছে। বুধবারের মৃত্যুর ঘটনার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ বৈঠক আহ্বান করেছে যুক্তরাজ্য। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে। আরো পড়তে পারেন: সেনাবাহিনীর শক্ত নিয়ন্ত্রণ থেকে কেন বের হতে পারছে না মিয়ানমার? মিয়ানমার অভ্যুত্থান: সেনাবাহিনীর হুমকি উপেক্ষা করে রাস্তায় লাখো মানুষ মিয়ানমারের নাগরিকদের বহিষ্কার করলো মালয়েশিয়া আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ওপর আসল গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে 'তারা সরাসরি গুলি করা শুরু করে' মিয়ানমারে জাতিসংঘের দূত মিজ স্ক্রেনার বার্গেনার জানিয়েছেন, অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন মারা গেছেন এবং 'বহু' আহত হয়েছেন। তিনি জানান, একটি ভিডিও ক্লিপে পুলিশকে দেখা যায় একজন বিক্ষোভকারীকে গুলি করতে। "অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেসব অস্ত্র ব্যবহার করেছে সেগুলো ৯ মিলিমিটার সাব মেশিনগান ধরণের অস্ত্র, অর্থাৎ আসল গুলি ব্যবহার করা হয়েছে বিক্ষোভকারীদের ওপর", বলেন তিনি। মিয়ানমারের ভেতর থেকে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে যে ইয়াঙ্গুনসহ বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর কোন সতর্কবার্তা না দিয়ে সরাসরি গুলি করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মধ্য মায়ানমারে মনইওয়া অঞ্চলে অন্তত ছয় জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া তথ্যে স্থানীয় একজন সাংবাদিক জানান যে সেখানে আরো অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএফপি'কে একজন স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক জানিয়েছেন, মিইঙ্গিয়ান অঞ্চলে পুলিশের গুলিতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ঐ অঞ্চলের এক বিক্ষোভকারী রয়টার্সকে বলেন, "তারা আমাদের দিকে জলকামান নিয়ে আক্রমণ করেনি, ছত্রভঙ্গ হওয়ার কোন সতর্কবার্তাও দেয়নি। তারা সরাসরি আমাদের দিকে গুলি চালিয়েছে।" মান্ডালায় এলাকার একজন বিক্ষোভকারীও জানান যে তার বাসার কাছেই বিক্ষোভকারীদের দিকে কোনো সতর্কবার্তা না দিয়েই গুলি ছোঁড়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। "তারা সরাসরি গুলি করা শুরু করে। তারা রাবার বুলেটও ব্যবহার করেছে, কিন্তু আসল বুলেটও ব্যবহার করা হয়েছে সাধারণ মানুষকে নির্দয়ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে।" সাধারণ মানুষের মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় সেনাবাহিনী কোন মন্তব্য করেনি। সেনাবাহিনীর অনড় অবস্থান মিয়ানমারের সংকট বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালেও দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে সামরিক অভ্যুত্থানের পর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলায় প্রস্তুত তারা। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জেনারেলদের বিরুদ্ধে জাতিসংঘকে 'অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ' নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের দূত মিজ স্ক্রেনার বার্গেনার। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর উপ প্রধানের সাথে আলোচনার সময় এই বিষয়ে কথা বলেন মিজ স্ক্রেনার বার্গেনার। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর উপ প্রধানের জবাব সম্পর্কে নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের মিজ স্ক্রেনার বার্গেনার বলেন, "তার জবাব ছিল, আমাদের অল্প সংখ্যক বন্ধুর সাথে পথ চলা শিখতে হবে।" বুধবারের সহিংসতার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, "মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দ্বারা তাদের নিজেদের দেশের সাধারণ মানুষের ওপর হওয়া নির্যাতনের বিরুদ্ধে সব দেশকে একসাথে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।" ঐতিহাসিকভাবে মিয়ানমারের সাথে সুসম্পর্ক থাকা চীনের প্রতি তিনি বিশেষভাবে আহ্বান জানান যেন তারা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে আলোচনা করে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যুত্থানের সমালোচনা করেনি রাশিয়া আর চীনের বিরোধিতার কারণে। চীন ও রাশিয়া মিয়ানমারের পরিস্থিতিকে তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা হিসেবে মনে করে।
At least 38 people were killed in Myanmar on Wednesday in what the UN described as the "bloodiest day" since the coup took place a month ago.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
খ্রীস্টান ধর্মের কোনো শীর্ষ নেতা এই প্রথম সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন। খ্রীস্টান ধর্মের কোনো শীর্ষ নেতা এই প্রথম সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন। আন্ত:ধর্মীয় একটি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে আবুধাবি'র যুবরাজ শেখ মোহাম্মেদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের আমন্ত্রণে আবুধাবি সফর করবেন পোপ। ঐতিহাসিক এই সফরের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার এক জমায়েতে উপস্থিত হবেন পোপ, যেখানে ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ উপস্থিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইয়েমেন যুদ্ধের বিষয়ে খ্রীস্টান ধর্মের শীর্ষনেতা কী বলেন - সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এই সফর বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। ইয়েমেনে অবরোধ করা সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক হিসেবে আরব আমিরাতও রয়েছে, যেই অভিযান সমালোচনা করে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন পোপ। গতবছরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পোপ আহ্বান করেছিলেন যেন 'ইয়েমেনে চলমান মানবিক বিপর্যয়কে আরো দুর্বিষহ' করে তোলা না হয়। আরো পড়ুন: ইয়েমেন সংকট: কে কার সঙ্গে কেন লড়াই করছে? শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ইয়েমেন? আরব আমিরাতে প্রায় ১০ লাখ রোমান ক্যাথলিক রয়েছেন, যাদের সিংহভাগ ফিলিপিন্স বা ভারতীয় বংশদ্ভূত। বৃহস্পতিবার পাঠানো এক ভিডিও মেসেজে পোপ বলেন, "ভিন্ন ধর্মের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে ইতিহাস তৈরি করার সুযোগ দেয়ার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।" সংযুক্ত আরব আমিরাতকে তিনি 'সহাবস্থান, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং ভিন্ন সংস্কৃতি ও সভ্যতার মিলনস্থল' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আবুধাবি সফরকালে পোপ কায়রো'র আল-আজহার মসজিদের প্রধান ইমাম শেখ আহমেদ আল-তায়েবের সাথে দেখা করবেন। আল আজহার মসজিদের প্রধান ইমামের পদবিকে সুন্নি মুসলিম শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর হিসেবে গণ্য করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, পোপ ফ্রান্সিসের আরব আমিরাত সফর পার্শ্ববর্তী দেশ সৌদি আরবে গীর্জা তৈরিতে সেদেশের সরকারকে উদ্বুদ্ধ করবে। সৌদি আরবে বর্তমানে অমুসলিম যে কোনো ধরণের উপাসনালয় নিষিদ্ধ। আরো পড়তে পারেন: ছাত্রীর বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে বিপাকে মাদ্রাসা শিক্ষক আয়না নিয়ে যত অদ্ভুত ধারণা 'ধর্ষকের ইহাই পরিণতি' চিরকুট লিখে কারা হত্যা করছে
Pope Francis has arrived in the United Arab Emirates for the first ever visit by a pontiff to the Arabian peninsula.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
পুরো মুঘল রাজবংশে নুর জাহান ছিলেন একমাত্র নারী শাসক জন্মের সময় তার নাম দেয়া হয়েছিল মিহরুন নিসা। কিন্ত স্বামী মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর পরে তাঁর নাম পাল্টে রেখেছিলেন নুর জাহান (জগতের আলো)। ইংল্যান্ডে রাণী প্রথম এলিজাবেথের জন্মের কয়েক দশক পরে তাঁর জন্ম। কিন্তু রাণী এলিজাবেথের চেয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র্যপূর্ণ এক সাম্রাজ্য শাসন করেছেন নুর জাহান। ষোড়শ শতকের শুরু হতে পরবর্তী প্রায় তিনশ' বছর ধরে ভারতবর্ষ শাসন করেছে মুঘলরা। তারা ছিল ভারতের সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী রাজবংশ। মুঘল সম্রাট এবং মুঘল রাজ পরিবারের নারীরা ছিলেন শিল্প, সঙ্গীত এবং স্থাপত্যকলার বিরাট সমঝদার। তারা বিশাল সব নগরী, প্রাসাদোপম দূর্গ, মসজিদ এবং সৌধ তৈরিতে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। কিন্তু পুরো মুঘল রাজবংশের একমাত্র নারী শাসক নুর জাহানকে নিয়ে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশে এখনো ছড়িয়ে রয়েছে অনেক লোকগাঁথা। উত্তর ভারতের আগ্রা এবং উত্তর পাকিস্তানের লাহোর, মুঘল আমলের দুটি বড় নগরী। এই দুই জায়গাতেই নুর জাহান সম্পর্কে শোনা যাবে অনেক কিংবদন্তী। প্রবীন নারী এবং পুরুষ, ট্যুর গাইড থেকে শুরু করে ইতিহাসে আগ্রহী মানুষ আপনাকে জানাবে কিভাবে জাহাঙ্গীর এবং নুর জাহান পরস্পরের প্রেমে পড়েন। কিভাবে নুর জাহান একটি মানুষ খেকো বাঘকে মেরে রক্ষা করেছিলেন একটি গ্রামের মানুষকে। যদিও নুর জাহানের প্রেম, তার সাহসিকতার অনেক কাহিনী ছড়িয়ে আছে, মুঘল প্রাসাদের অন্দরমহলে তাঁর রাজনৈতিক ক্ষমতা, প্রতিপত্তি এবং আকাঙ্খার সম্পর্কে বিস্তারিত খুব কমই জানা যায়। নুর জাহান ছিলেন একজন কবি, একজন দক্ষ শিকারি এবং খুবই সৃজনশীল এক স্থপতি। আগ্রায় তার তৈরি করা নকশাতেই নির্মাণ করা হয়েছিল তার বাবা-মার সমাধি সৌধ। পরে এই স্থাপত্য রীতিই নাকি তাজ মহলের স্থাপত্য নকশার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। মুঘলদের পুরুষ শাসিত জগতে নুর জাহান ছিলেন এক অসাধারণ নারী। কোন রাজকীয় পরিবার থেকে তিনি আসেননি। কিন্তু তারপরও সম্রাটের হারেমে তার উত্থান ঘটে এক দূরদর্শী রাজনীতিক হিসেবে। তিনি সম্রাট জাহাঙ্গীরের সবচেয়ে প্রিয়তম স্ত্রীতে পরিণত হন। বিশাল মুঘল সাম্রাজ্য আসলে তিনি এবং সম্রাট জাহাঙ্গীর মিলে একসঙ্গেই শাসন করতেন। শিল্পীর দৃষ্টিতে শিকারি নুর জাহান কিন্তু যে যুগে অন্দর মহলের বাইরে নারীর কোন স্থান ছিল না, সেই যুগে তিনি কিভাবে এত শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলেন? নুর জাহানের জন্ম হয়েছিল ১৫৭৭ সালে কান্দাহারের কাছে (আজকের আফগানিস্তানে)। তার পরিবার ছিল ইরানের এক অভিজাত বংশের। কিন্ত সাফাভিদ রাজবংশের অসহিষ্ণুতার কারণে তাদের সেখান থেকে পালিয়ে মুঘল সাম্রাজ্যে এসে আশ্রয় নিতে হয়। পিতা-মাতার জন্ম স্থানের ঐতিহ্য আর মুঘল রীতি-নীতি, এই দুটির আবহে বেড়ে উঠেন তিনি। নুর জাহানের প্রথম বিয়ে হয় এক মুঘল রাজকর্মচারীর সঙ্গে। তার স্বামী ছিলেন এক সেনা কর্মকর্তা। স্বামীর সঙ্গে তিনি পূর্ব ভারতের বাংলায় চলে আসেন। সেখানেই তার একমাত্র ছেলের জন্ম হয়। তবে সম্রাট জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে এক ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে নুর জাহানের স্বামীর চাকুরি যায়। এক লড়াইয়ে নিহত হন নুর জাহানের স্বামী। বিধবা নুর জাহানকে পাঠানো হয় মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের হারেমে। সেখানে নুর জাহান অন্য মুঘল নারীদের আস্থা এবং বিশ্বাসের পাত্র হয়ে উঠেন। ১৬১১ সালে সম্রাজ জাহাঙ্গীর তাকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন জাহাঙ্গীরের বিশতম পত্নী। অন্য মুঘল নারীদের সঙ্গে পোলো খেলছেন নুরজাহান। শিল্পীর আঁকা ছবি। সেই সময়ের মুঘল রাজদরবারের রেকর্ডে খুব কম নারীর কথাই উল্লেখ আছে। তবে সম্রাট জাহাঙ্গীরের স্মৃতিকথায় ১৬১৪ সালের পর থেকে তার সঙ্গে নুর জাহানের বিশেষ সম্পর্কের উল্লেখ আছে বার পার। তিনি নুর জাহানের এক অনুরাগময় চিত্রই একেঁছেন তাতে। নুর জাহান সেখানে বর্ণিত হয়েছেন একজন বিশ্বস্ত সঙ্গী, চমৎকার সেবাদাত্রী, বিজ্ঞ পরামর্শদাতা, দক্ষ শিকারি, বিচক্ষণ কূটনীতিক এবং শিল্পবোদ্ধা হিসেবে। অনেক ইতিহাসবিদের মতে জাহাঙ্গীর ছিলেন এক মদমত্ত সম্রাট, যার সাম্রাজ্য পরিচালনায় কোন মনোযোগ ছিল না। আর সে কারণেই নাকি তিনি এর ভার ছেড়ে দিয়েছিলেন স্ত্রীর হাতে। কিন্তু এটি পুরোপুরি সত্য নয়। এটি সত্য যে জাহাঙ্গীর পানাসক্ত ছিলেন, তিনি আফিমও গ্রহণ করতেন। কিন্তু তিনি একই সঙ্গে তার স্ত্রী নুর জাহানকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। কিন্তু সেটার কারণেই নুর জাহান মুঘল সাম্রাজ্য শাসনের সুযোগ পেয়েছিলেন ব্যাপারটা তা নয়। কার্যত নুর জাহান এবং জাহাঙ্গীর ছিলেন পরস্পরের পরিপূরক। স্ত্রী যে সাম্রাজ্য শাসনে তার পাশে আসন নিয়েছিলেন, সেটি নিয়ে জাহাঙ্গীরের কোন অস্বস্তি ছিল না। তাদের বিয়ের পরপরই নুর জাহান প্রথম যে রাজকীয় ফরমান জারি করেছিলেন তা ছিল এক রাজকর্মচারীর জমির অধিকার রক্ষায়। সেখানে তিনি স্বাক্ষর করেন নুর জাহান পাদশাহ বেগম নামে, যার অর্থ নুর জাহান, সাম্রাজ্ঞী। তিনি যে সার্বভৌম এবং তার ক্ষমতা যে বাড়ছে, এটি ছিল তারই ইঙ্গিত। ১৬১৭ সালে সম্রাট জাহাঙ্গীর এবং তাঁর নাম লেখা মূদ্রা স্বর্ণ এবং রৌপ্য ছাড়া হয়। সেসময়ের মুঘল রাজদরবারের লেখক, বিদেশি কূটনীতিক, বণিক এবং পর্যটকরা উপলব্ধি করতে শুরু করেন যে মুঘল সাম্রাজ্য পরিচালনায় তার একটা বিরাট প্রভাব আছে। একজন রাজকর্মচারী একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছিলেন তার লেখায়। নুর জাহান একদিন রাজপ্রাসাদের বারান্দায় দেখা দিয়েছিলেন। এটি এর আগে পর্যন্ত কেবল পুরুষদের জন্যই সংরক্ষিত ছিল। নুর জাহান এবং জাহাঙ্গীরের নাম খচিত রূপার মূদ্রা তবে পুরুষতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে নুর জাহানের এটিই একমাত্র বিদ্রোহ ছিল না। শিকারে বের হওয়া থেকে শুরু করে নিজের নামে রাজকীয় মূদ্রা এবং রাজকীয় ফরমান জারি, বড় বড় রাজকীয় ভবনের নকশা তৈরি, দরিদ্র নারীদের কল্যাণে ব্যবস্থা গ্রহণ, এরকম নানা কাজে নুর জাহান তার স্বাক্ষর রেখেছেন। যা ছিল সেকালের নারীদের মধ্যে ব্যতিক্রম। তার স্বামীকে যখন জিম্মি করা হয়, তখন নুর জাহান তাকে রক্ষায় সেনাবাহিনীর অধিনায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন, যা তাকে ইতিহাসের পাতায় আর জনমানস চিরদিনের জন্য স্থায়ী জায়গা করে দিয়েছে। রুবি লাল ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক। তার সর্ব সাম্প্রতিক প্রকাশিত গ্রন্থ "দ্য এস্টোনিশিং রেন অব নুর জাহান।" বইটি প্রকাশ করেছে পেঙ্গুইন ইন্ডিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে ডাব্লিউডাব্লিউ নর্টন।
Empress Nur Jahan was the most powerful woman in 17th Century India. She played an unprecedented role in running the vast Mughal empire. Historian Ruby Lal explains why the history of her leadership is important to understand today.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
রাশিয়ার নাইনএম৭২৯ মিসাইল নিয়েই উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা 'দি ইন্টার মিডিয়েট রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ট্রিটি' বা আইএনএফ ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষর করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগ্যান ও সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচভ। এতে ৫০০ থেকে ৫৫০০ কিলোমিটার মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। এ বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন ধরনের ক্রুজ মিসাইল মোতায়েনের মাধ্যমে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ তোলে। যদিও সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়া। আমেরিকানরা বলছে রাশিয়া বেশ কিছু নাইন এম-৭২৯ মিসাইল (যেগুলো নেটোতে এসএসসি-৮ নামে পরিচিত) মোতায়েন করেছে এবং এর প্রমাণ তাদের কাছে আছে। এরপর নেটোও একই অভিযোগ তোলে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে চুক্তিটির মৃত্যুর জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, নেটোর পূর্ণ সমর্থন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত হয়েছে যে রাশিয়া চুক্তি ভঙ্গ করেছে এবং চুক্তির বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি বিবৃতিতে আইএনএফ চুক্তির আনুষ্ঠানিক মৃত্যু ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়াকে ২রা অগাস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে চুক্তি থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছিলেন। পরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের নিজস্ব বাধ্যবাধকতা স্থগিত করার ঘোষণা করেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ কেন? নতুন রুশ ক্ষেপণাস্ত্র বদলে দেবে সামরিক ভারসাম্য রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র: বাস্তব না কল্পনা ? ১৯৮৭ সালে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন মিখাইল গর্বাচেভ ও রোনাল্ড রিগ্যান ঝুঁকিগুলো কী কী? জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, পরমাণু যুদ্ধের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁধা সরে গেলো। "এটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকিকে কমায়নি, বরং বাড়িয়েছে," মন্তব্য করে আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে একটি পথ খুঁজতে সমঝোতায় পৌঁছাতে সব পক্ষকে আহবান জানান। যদিও রাশিয়ান সামরিক বিশ্লেষক পাভেল ফেলগেনহর বলেছেন, "চুক্তিটি শেষ হয়ে গেছে, এখন আমরা নতুন নতুন অস্ত্রের উন্নয়ন ও মোতায়েন দেখবো"। গত মাসে নেটোর মহাসচিব জেনারেল জেনস স্টোলটেনবার্গ বিবিসিকে বলেন, রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র, যেগুলো পরমাণু সক্ষম, মোবাইল ও চিহ্নিত করা কঠিন ও কয়েক মিনিটের মধ্যে ইউরোপের যে কোনো শহরে যেতে পারে- ওই চুক্তির পরিষ্কার লঙ্ঘন ছিলো। তিনি বলেন, "এটা মারাত্মক। আইএনএফ চুক্তি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কয়েক দশক করে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের একটি ভিত্তি ছিলো এবং এখন আমরা তার মৃত্যু দেখলাম।" তিনি বলেন, ভূমি-ভিত্তিক পরমাণু ক্ষেপনাস্ত্রের কোনো পরিকল্পনা ইউরোপের নেই। চুক্তি ভঙ্গ করে ক্ষেপনাস্ত্র তৈরির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া কি ছিলো ওই চুক্তিতে? •যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৮৭ সালে চুক্তিটি করেছিলো যাতে স্বল্প ও দূরপাল্লার সব পরমাণু ও অপারমানবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। •১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের এসএস-২০ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলো যুক্তরাষ্ট্র এবং জবাবে ইউরোপে তারা ক্রুজ মিসাইল মোতায়েন করে। •১৯৯১ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৭০০ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়। •দু'দেশ একে অন্যের স্থাপনা পর্যবেক্ষণ করতে পারতো। চুক্তির আওতায় নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো ৫৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত মাত্রার ক্ষেপনাস্ত্র সমস্যা কোথায় ছিলো ? দা'হাজার সাত সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা দেন যে ওই চুক্তি আর রাশিয়ার স্বার্থ সংরক্ষণ করছেনা। এর আগে ২০০২ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ান। দু'হাজার চৌদ্দতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আইএনএফ চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন। তবে ইউরোপিয়ান নেতারা চাপ দিলেও তিনি চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর পক্ষপাতী ছিলেননা। সর্বশেষ গত বছর চুক্তি লঙ্ঘনের বিষয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগকে সমর্থন করে। রাশিয়া অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ও ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াতে যুক্তরাষ্ট্র পটভূমি তৈরি করছে। ওয়াশিংটন ও মস্কোর বিরুদ্ধে সম্পর্কের অবনতির মধ্যেই তুরস্ক গত মাসে রাশিয়ার এস-৪০০ অ্যান্টি এয়ারক্রাফট ডিফেন্স সিস্টেমের প্রথম চালান গ্রহণ করে, যার তীব্র বিরোধিতা করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে সতর্ক করে বলেছিলো যে তুরস্ক একই সাথে এস-৪০০ অ্যান্টি এয়ারক্রাফট ডিফেন্স সিস্টেম ও যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ ফাইটার বিমান পেতে পারেনা। তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো সহযোগী কিন্তু তুরস্ক রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছে।
The US has formally withdrawn from a key nuclear treaty with Russia, raising fears of a new arms race.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ন্যান্সি পেলোসি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট 'দায়বদ্ধতা প্রদর্শনে বাধ্য।' মি. ট্রাম্প কোনো ধরণের অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং এই প্রয়াসকে পরিহাস করেছেন। ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে এই অভিশংসনের সমর্থন থাকলেও তদন্তে অগ্রগতি হওয়ার পর রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে এটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা কম। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ফোনালাপের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার এক সদস্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করার পর এই বিতর্ক সামনে আসে। ঐ ফোনালাপে কী বিষয়ে কথা হয়েছে - সেবিষয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া না গেলেও ডেমোক্র্যাটরা মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন যে তিনি সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ তদন্ত না করলে ইউক্রেনে সামরিক সাহায্য বন্ধ করে দেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। মি. জেলেনস্কির সাথে জো বাইডেনের বিষয়ে আলোচনা করার বিষয়ে স্বীকার করেছেন মি. ট্রাম্প, তবে তিনি বলেছেন সামরিক সহায়তা বন্ধ করার হুমকি দিয়ে তিনি ইউরোপের কাছ থেকে সহায়তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছিলেন। আরো পড়তে পারেন: ট্রাম্পের হয়ে নির্বাচনী প্রচার, বিতর্কে মোদী ট্রাম্প কি আবারো অভিশংসনের মুখে পড়তে পারেন? হাউজের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এর আগে তদন্ত শুরু করার প্রক্রিয়ায় বাধা দিয়েছিলেন মিজ. পেলোসি কী বলেছেন? মিজ পেলোসি বলেছেন যে মি. ট্রাম্প 'আইন ভঙ্গ করেছেন', এবং মি. ট্রাম্পের কাজকে 'সাংবিধানিক দায়িত্বের লঙ্ঘন' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। "এই সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেছেন যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে পদক্ষেপ নিতে বলার বিষয়টি তাকে রাজনৈতিকভাবে লাভবান করবে।" "এর জন্য তাকে জবাবদিহিতার অধীনে আনতে হবে," বলেন মিজ. পেলোসি। মি. বাইডেন অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট তদন্তে সহযোগিতা না করলে নিজেও অভিশংসনের বিষয়টিকে সমর্থন করছেন। মি. বাইডেন বলছেন, "মি. ট্রাম্পকে অভিশংসন করা হবে ট্র্যাজেডি।" ২০২০ নির্বাচনে মি. ট্রাম্পের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন। আরো পড়তে পারেন: ব্রিটিশ সংসদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কী? সর্দিজ্বর: কেন হয় এবং কী করবেন? বিয়ের আগে যৌনসম্পর্ক নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিজ. পেলোসি'র ঘোষণার মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ফোনালাপের বিষয়ে তদন্ত করার আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেয়েছে তদন্ত কমিটি ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া কী? ধারাবাহিক কয়েকটি টুইটে মি. ট্রাম্প দাবি করেছেন, ডেমোক্র্যাটরা 'উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার জাতিসংঘ সফর বানচাল' করার উদ্দেশ্যে এই ধরণের অভিযোগ ছড়াচ্ছে। "এমনকি তারা ফোনালাপের ট্রানস্ক্রিপ্টও দেখেনি।" ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাথে ফোনালাপ যে 'সম্পূর্ণ যথাযথ' ছিল তা নিশ্চিত করতে বুধবার তাদের ফোনালাপের একটি লিখিত ট্রান্সক্রিপ্ট প্রকাশ করবেন বলে জানান মি. ট্রাম্প। হাউজের রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাকার্থি বলেন: "স্পিকার পেলোসি এই হাউজের স্পিকার হলেও এই বিষয়ে কথা হলে তিনি আমেরিকার জন্য কথা বলেন না।" "অভিশংসনের তদন্তের বিষয়টি তিনি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।" এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তদন্ত সংস্থার পরিচালক জোসেফ ম্যাগওয়াইর কংগ্রেসে ফোনালাপ ফাঁসকারী ব্যক্তির রিপোর্ট পেশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার হাউজ ইন্টেলিজেন্স কমিটির শুনানিতে সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে তার। নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবর অনুযায়ী, ফোনালাপ ফাঁসকারী আইনপ্রণেতাদের সাথে কথা বলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন এবং হোয়াইট হাউজ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ঐ ব্যক্তিকে কংগ্রেসে কথা বলার সুযোগ দেয়ার চেষ্টা করছেন। জো বাইডেন (ডানে) এবং তার ছেলে হান্টার, যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা করার জন্য ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এরপর কী হবে? মিজ. পেলোসি'র ঘোষণার মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ফোনালাপের বিষয়ে তদন্ত করার আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেয়েছে তদন্ত কমিটি। কমিটি যাচাই করতে পারবে যে এটি অভিশংসন করার মত গুরুতর অপরাধ কিনা। মিজ. পেলোসি তার ঘোষণায় জানিয়েছেন, অন্যান্য বিষয়ে মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আরো ছয়টি কমিটির যে তদন্ত চলছে তা চলমান থাকবে। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে বা হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস পর্যন্ত গেলে এটি সহজেই পাস হয়ে যাবে যেহেতু সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ডেমোক্র্যাটদের। কিন্তু তারপর এটি সিনেটে যাবে যেখানে রিপাবলিকানরা নিয়ন্ত্রণে এবং সেখানে এটি পাস হতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হবে। ব্রিটিশ একটি সংস্থা ইউগভ'এর একটি জরিপে প্রকাশিত হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জো বাইডেনের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের ওপর জোর প্রয়োগ করেছিলেন, এটি যদি প্রমাণিত হয় তাহলে ৫৫% আমেরিকান অভিশংসন সমর্থন করবেন।
The US Democratic Party has begun a formal impeachment inquiry into President Donald Trump over allegations that he pressured a foreign power to damage a political rival.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হ্যালি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হ্যালি বলেছেন, জাতিসংঘে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে খুব তাড়াতাড়ি নতুন প্রস্তাব তোলা হবে। দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা একপ্রকার সামরিক উস্কানি বলেও তিনি মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার দূরপাল্লার ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। বলা হচ্ছে, পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম। এই পরীক্ষার মাধ্যমে কূটনৈতিক সমাধানের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে বলেন মিজ হ্যালি। তবে নিজেদের এবং মিত্রদের রক্ষা করার পুরো সামর্থ্য যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে। তিনি বলছেন, সেই সামর্থ্যের একটি অংশ আমাদের সামরিক শক্তির মধ্যে নিহিত। বাধ্য হলে আমার সেই ক্ষমতা ব্যবহার করবো, তবে সেই পথে আমরা হাটতে চাই না। তার এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরে যৌথ সামরিক মহড়ার অংশ হিসাবে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। আরো পড়ুন: বনানীতে আবার জন্মদিনের কথা বলে ধর্ষণ 'অনেক মানুষকে গোপনে আটকে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী' 'মা অসুস্থ, স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছে ৮ বছর আগে, দেশে যেতে চাই' শোবার ঘর থেকে বেরিয়ে এলো ২৭টি গোখরা সাপ
The US has said it will use its "considerable military forces" on North Korea "if we must", following Tuesday's long-range missile test.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
প্রাক্তন ক্রিকেট সুপারস্টার কখনও প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন কিনা এ নিয়ে বছরের পর বছর ধরে অনেকেই সন্দেহ করেছিলেন। তিনি এখন এমন একটি অবস্থানে পৌঁছেছেন যে অনেকেই ভেবেছিলেন যে তিনি সেটা কখনই অর্জন করতে পারবেন না। রাজনীতির মাঠে দুই দশকের দীর্ঘ সংগ্রামের পর ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয় পান তিনি। ওই দুই দশকের বেশিরভাগ সময় তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মুখে পড়তে হয়েছে। পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী, যারা কিনা স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময় পাকিস্তানকে শাসন করেছে, তারা ইমরান খানের দল পিটিআই পার্টির স্বার্থে পর্দার আড়ালে হস্তক্ষেপ করছে- এমন অভিযোগ উপেক্ষা করে ইমরান খান নিজ অবস্থানে অবিচল ছিলেন। এই উপলব্ধি এবং পাকিস্তানের সামনে অগণিত চ্যালেঞ্জ থেকেই বোঝা যায় যে মিঃ খানের ক্ষমতায় থাকা প্রথম বছরটি এতোটাও সহজ ছিলনা। সমালোচকরা অভিযোগ করেন যে তিনি বিশ্বের কাছে যে চেহারা উপস্থাপন করেন, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে তার রূপ একেবারেই আলাদা। তবে তিনি কী করেছেন? পাকিস্তানে ইমরান খানের সরকারের পেছনে দেশটির সেনাবাহিনীর নেপথ্য সমর্থন রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে হ্যাঁ আমরাই খান? নির্বাচনী প্রচারণায় দুর্নীতি বিরোধী বক্তব্য সেইসঙ্গে "নতুন পাকিস্তান" প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পাশাপাশি মি. খান তার সমর্থকদের প্রায় ওবামার আদলে "তাবদিলি" (পরিবর্তন) করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের ভারসাম্যহীন অর্থনীতিকে রক্ষা করা। প্রথম আট মাসের মধ্যে, তিনি দীর্ঘ দিনের মিত্র সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং চীন সফর করেন। অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে ৯শ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা আনার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু এতেও সঙ্কট কাটেনি। প্রবৃদ্ধির গতি কমতেই থাকে। রুপির দাম কমে যায় এবং মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০% ছাড়িয়ে যায়। ২০১৩ সালের পর প্রথমবারের মতো এই প্রবৃদ্ধির হার দুই অংকে এসে পৌঁছায়। অর্থনৈতিক সঙ্কট ক্রমশ বাড়তে থাকায় ইমরান খানের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি থেকে ইউ-টার্ন নেয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) অর্থ সহায়তা চাইবেন না বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে সেই প্রতিশ্রুতি থেকে তিনি সরে আসতে বাধ্য হন। জুলাইয়ে, আইএমএফের সাথে ৬০০ কোটি ডলার প্যাকেজের একটি চুক্তি হয়। দেশটিতে ১৯৮০-এর দশক থেকে এ পর্যন্ত এটি আইএমএফের ১৩তম অর্থ সহায়তার প্যাকেজ। পাকিস্তানের কোয়েটায় কাশ্মীরের সমর্থনে সমাবেশ ইউএস-ভিত্তিক অ্যালব্রাইট স্টোনব্রিজ গ্রুপের দক্ষিণ এশিয়ার বিশেষজ্ঞ উজায়ের ইউনুস বলেছেন, পিটিআই সরকারের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এর নীতিগত পরিকল্পনার অভাব। "তারা কর রাজস্বের খুব উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তবে যে মুহূর্তে তারা এই লক্ষ্যগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হবে, তখন তাদের পুরো তাসের ঘর ধসে পড়বে," তিনি বলেন। তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বিবিসিকে বলেছেন যে সরকার "আমাদের কাজ করছে"। তিনি বলেন, " অর্থনীতির বিভিন্ন জায়গায় আমাদের একটি নিবেদিতপ্রাণ দল কাজ করছে এবং আমরা মনে করি যে আগামী নির্বাচনগুলো দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে হবে," তিনি বলেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে এই অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যেও সরকার, পিটিআই এর মূল মধ্যবিত্ত ভোটার শ্রেণীকে কিছুটা স্বস্তি দিতে সক্ষম হয়েছে। বিবিসির একটি উর্দু বিশ্লেষণ অনুসারে, খান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের করা ৩৪টি প্রতিশ্রুতির মধ্যে কেবল তিনটি অর্জন করতে পেরেছে। মি. চৌধুরী একটি নতুন অর্জন হিসাবে নতুন ই-ভিসা ব্যবস্থা প্রণয়নের কথা উল্লেখ করেন। পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের কাশ্মীরি শরণার্থীরা ভারতবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়। প্রধান কূটনীতিক নির্বাচনে জয়ের পরে প্রথম টেলিভিশন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী খান তার দেশের ঘোর প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন: "ভারত যদি আমাদের দিকে এক ধাপ এগিয়ে আসে; আমরা তাদের দিকে দুই ধাপ এগুবো।" নিজের বক্তব্য প্রমাণ করার জন্য, তিনি দ্রুত করতারপুর করিডোর উন্নয়নের নির্দেশ দেন, যা পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে সহযোগিতার এক বিরল উদাহরণ স্থাপন করে। এর মাধ্যমে ভারত থেকে আসা শিখ তীর্থযাত্রীরা পাকিস্তানে তাদের পবিত্র স্থানটিতে যাওয়ার অনুমতি পাবে। তবে বন্ধুত্বসুলভ এই কথা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ফেব্রুয়ারিতে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারত বিমান হামলা শুরু করলে দুই প্রতিবেশী দেশ যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে পড়ে। ভারতের দাবি ছিল যে কাশ্মীরে হামলা চালানো জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবির গুঁড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে তারা ওই হামলা চালিয়েছিল। এরপরে পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালায়। একটি ভারতীয় বিমানকে ভূপাতিত করে এবং বিমানের পাইলটকে আটক করে। সে সময় উত্তেজনা আরও ঘনীভূত হতে থাকে। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টার পরে ইমরান খান সমঝোতার ইঙ্গিত হিসাবে পাইলটকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এতে তিনি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন, যা কিনা ভারতের জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তার এক ধরণের কূটনৈতিক জয় বলে মনে করা হয়। বছরের শেষের দিকে, সমস্ত প্রত্যাশার বিপরীতে গিয়ে এই পাকিস্তানি নেতা কিরগিজস্তানের বিশকেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাক্ষাত করে সৌহার্দ্য বিনিময় করেন। এরপরে জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় তিনি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ক্যামেরাবন্দী হন। সে সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে "দুর্দান্ত ক্রীড়াবিদ এবং খুব জনপ্রিয়" বলে অভিহিত করেন। ওয়াশিংটনে থাকাকালীন তিনি কংগ্রেস নেতাদের সাথেও সাক্ষাত করেন, মার্কিন গণমাধ্যমকে সাক্ষাতকারও দেন এবং থিংক ট্যাঙ্ক সার্কিটের সামনে "উচিত কথাগুলো" বলে আসেন। তবে পর্যবেক্ষকরা প্রশ্ন করেছেন যে মি. খানের মনোমুগ্ধকর ব্যক্তিত্বের কারণে বিদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে কী কোন লাভ হয়েছে। "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ হবে এবং পুনরায় সাহায্য দেওয়া শুরু করবে?" জিজ্ঞাসা করেছেন রাজনীতি বিশ্লেষক সুহেল ওয়ারাইচ। " রাশিয়ার আচরণ কি পাকিস্তানের প্রতি নীতি পর্যায়ে বদলে যাবে? ওই বৈঠক থেকে কী লাভ হয়েছে?" সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির কর্মীরা নিজ দেশে অভিযান বিদেশে সফরকালে নিজের এবং নিজ দেশের ব্যাপারে প্রগতিশীল ভাবমূর্তি ফুটিয়ে তুললেও, পাকিস্তানিরা ইমরান খানকে দেখেন এক অন্যরকম রাজনৈতিক জীব হিসেবে। বক্তৃতা এবং জনসভায় তিনি প্রায়শই পূর্ববর্তী সরকারগুলোর বিরুদ্ধে সংঘাতপূর্ণ বক্তব্য দেন। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তিনি বলেন যে তাদের কারণে দেশ বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী অন্তত ১৩জন শীর্ষ বিরোধী রাজনীতিবিদ দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারের বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, তাঁর কন্যা মরিয়ম নওয়াজ এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আসিফ জারদারি। খান সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের হয়রানি করার অভিযোগও উঠেছে। কিন্তু জোর দিয়ে বলা হচ্ছে যে এর সঙ্গে দুর্নীতি দমন মামলায় কোনও যোগসাজশ নেই। মি. চৌধুরী বলেন, "এখানে কোনও উইচ হান্ট হচ্ছেনা।" আন্দোলনকারীরা বলছে যে, ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ভিন্নমত ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক প্রেস ফ্রিডম গ্রুপ রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের অভিযোগ "পাকিস্তানের প্রেস ফ্রিডমের স্বাধীনতা উদ্বেগজনক হারে হ্রাস পেয়েছে"। এবং এজন্য তারা মি. খানকে জরুরি ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। আন্তর্জাতিক আইন কমিশনের সাথে যুক্ত আইনজীবী রিমা ওমর বলেছেন, সরকারের কঠোর সমালোচকদেরও যতটা ভয় পেয়েছিল তার চেয়েও এই সরকার বেশি নিপীড়নমূলক। "কী বলা যাবে এবং কী বলা যাবেনা সে বিষয়ে সতর্ক রেখা টেনে দেয়ার হার দিন দিন বাড়ছে," তিনি বলেন" "নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে সরকারের ব্যাখ্যাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জায়গাটি দ্রুত সংকুচিত হচ্ছে।" আজাদ কাশ্মীরের আইন পরিষদে ভাষণ দিচ্ছেন ইমরান খান। জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ পলিসি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট বিষয়ের অধ্যাপক আহসান বাট প্রশ্ন রেখেছিলেন যে, মি. খান এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যিনি অনেক আগে প্লেবয় উদারপন্থী ভাবমূর্তি স্থাপন করেছিলেন এবং যিনি পুরোপুরি এই ক্র্যাকডাউনের পেছনে ছিলেন। "[ক্র্যাকডাউন] মূলত সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলির নেতৃত্বে হয়েছিল। ইমরান খান হয় স্বেচ্ছায় এতে অংশ নিয়েছিলেন অথবা তিনি অন্যদিকে তাকিয়ে ছিলেন এবং এটিকে থামানোর চেষ্টা করেননি," তিনি বলেন। পাকিস্তানের বেসামরিক কার্যনির্বাহী ও সামরিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঐতিহাসিক ভারসাম্যহীনতা বিবেচনা করে কিছু পর্যবেক্ষক গভীর সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছে, যে কে এই সমস্যার সমাধান করবে? আরও পড়তে পারেন: কাশ্মীর: কী করতে পারে পাকিস্তান, ক্ষমতা কতদূর কাশ্মীরের জন্য ভারতকে 'চরম মূল্য' দিতে হবে: ইমরান খান ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনমন সেনা প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার নভেম্বরে অবসর নেওয়ার পরেও তার মেয়াদ আরও তিন বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছিল। "ইমরান খান ক্ষমতায় আছেন সেনাবাহিনীর সহায়তা ও আশীর্বাদ নিয়ে এবং তিনি নিজেও এটি জানেন" লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক সামীন মহসিন এ কথা বলেন। "একটা জায়গা পর্যন্ত তাদের অবস্থান অভিন্ন। আমি মনে করি না যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে সত্যিই ইমরান খান আছেন।" মি. খানের ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম বছর জুড়েই এই ধরনের প্রশ্নগুলো তাকে ঘিরে রেখেছিল এবং খুব শীঘ্রই তিনি যে এগুলো শক্ত হাতে দমন করতে সক্ষম হবেন এমন সম্ভাবনাও খুব কম রয়েছে।
Imran Khan, the cricketing superstar-turned-politician, has had a turbulent first year in office.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
বিগ থ্রি - চার্চিল, রুজভেল্ট ও স্ট্যালিন নাৎসি জার্মানির অবস্থা সঙ্গিন। সোভিয়েত বাহিনী বার্লিনের কাছে, অন্যদিকে মিত্র বাহিনী জার্মানির পশ্চিম সীমান্ত অতিক্রম করেছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী অগ্রসরমান জাপানের দিকে। নিজেদের সেনাবাহিনী যখন জয়ের সুবাতাস পাচ্ছে তখন কথিত বিগ থ্রি মানে তিন পরাশক্তি- যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্ট্যালিন - কৃষ্ণসাগরের তীরে সোভিয়েত রিসোর্ট -ইয়াল্টায় বৈঠকে বসতে সম্মত হন। ৭৫ বছর আগে রক্তক্ষয়ী সেই যুদ্ধের পর এ ধরণের কর্মকাণ্ড যাতে আর না হয় সেটিই তারা চেয়েছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়া সহযোগিতা করতে চেয়েছে নিজেদের শর্তানুযায়ী। ইয়াল্টা চুক্তি সত্ত্বেও কয়েক মাসের মধ্যেই তৈরি হয়েছিলো স্নায়ু যুদ্ধের পটভূমি। যে যুদ্ধ পরবর্তী কয়েক দশক বিশ্বকে বিভক্ত করে রেখেছিলো। বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অ্যান্ড্রু বেসভিক বিবিসিকে বলছেন, "ইয়াল্টা বৈঠকের উদ্দেশ্য যদি হয় যুদ্ধের পর শান্তি আনা, তাহলে বলতেই হয় সেটি ব্যর্থ হয়েছে"। কী হয়েছিলো ১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ততদিনে নাৎসি জার্মানি যুদ্ধে প্রায় পরাজিত। দেশটি তখনো প্রতিরোধের চেষ্টা করে যাচ্ছিলো কিন্তু যুদ্ধের ফল নিয়ে তখন আর কারও কোনো সন্দেহ ছিলোনা। পূর্ব ইউরোপে জার্মান বাহিনীর অবস্থা করুণ। কিন্তু যখন সোভিয়েত বাহিনী জয়ের পথে ততদিনে ইস্টার্ন ফ্রন্টে জার্মান বাহিনীর তিন ভাগই নিহত বা আহত। ধারণা করা হয় প্রতি সাতজনের একজন সোভিয়েত নাগরিক যার মোট সংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি - যাদের দুই তৃতীয়াংশই বেসামরিক তারা নিহত হয়েছিলো। দেশটির শহর ও ধনী এলাকাগুলোর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছিলো। শিল্প, কৃষি, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট এমনকি মানচিত্রেই আর দেখা যাচ্ছিলোনা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বার্লিন দেয়াল পতন যেভাবে বদলে দিয়েছিল পৃথিবী গ্যাস চেম্বারে কাজ করতে বাধ্য হওয়া ইহুদির জবানবন্দী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কীভাবে সেনা প্রশিক্ষণ বদলে দিয়েছে রুশদের অ্যাটম বোমার ফর্মুলা দেন যে আমেরিকান তিন বছরের যুদ্ধের পর সোভিয়েতের কাছে পরাজিত হয় জার্মানি নেতাদের লক্ষ্য কী ছিলো জোসেফ স্ট্যালিন তার দেশকে নিজের পায়ে দাড় করাতে চেয়েছিলেন। তিনি জার্মানিকে ভাগ করতে চেয়েছিলেন যাতে করে দেশটি আর কখনো হুমকি হতে না পারে। এবং একই সাথে তিনি ব্যাপক ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন- নিজের দেশকে পুনর্গঠনের জন্য। তিনি জানতেন এসব পেতে হলে তাকে পশ্চিমা শক্তিগুলোর আস্থা অর্জন করতে হবে। উইনস্টন চার্চিল জানতেন যে স্ট্যালিন কী চান। তারা ১৯৪৪ সালের অক্টোবরেও মস্কোতে সাক্ষাত করেছিলেন। তিনি জানতেন লাখ লাখ সোভিয়েত সৈন্য যারা জার্মানিকে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ থেকে বের করে দিয়েছে এবং এখন সোভিয়েত তার সৈন্য সেসব জায়গায় রেখে দিতে চাইলে যুক্তরাজ্যের কিছু করার নেই। যুক্তরাজ্য যুদ্ধের সূচনা করেছিলো ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরে কারণ তার মিত্র পোল্যান্ড দখল করে নিয়েছিলো জার্মানি। তবে জয়ের জন্য যুক্তরাজ্যকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। চার্চিল আশা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র তাকে সমর্থন দিবে ও স্ট্যালিনের পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের ছিলো নিজের কিছু অগ্রাধিকার। তিনি চেয়েছিলেন যুদ্ধ পরবর্তী বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতিসংঘে স্বাক্ষর করুক স্ট্যালিন। তিনি এও চেয়েছিলেন যে সোভিয়েতরা জাপানের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষণা করুক। যদিও নাটকীয়ভাবে সবকিছুই জাপানের প্রতিকূলে যাচ্ছিলো, তারপরেও তাদের বাহিনী প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলো। যুক্তরাষ্ট্র তখন জাপানি দ্বীপে রক্তক্ষয়ী আগ্রাসন চালানোর কথাও ভেবেছিলো। ইয়াল্টা সামিট হয়েছিলো এখানে ইয়াল্টায় কী হয়েছিলো রুজভেল্ট ভূমধ্যসাগরীয় কোনো এলাকায় বসতে চেয়েছিলেন আর স্ট্যালিনের ছিলো বিমানভীতি। তিনিই ইয়াল্টা বৈঠকের প্রস্তাব দেন। কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছিলো ৪ঠা থেকে ১১ই ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের আবাসস্থল লিভাদিয়া প্রাসাদে যেটি রাশিয়ার শেষ জার নিকোলাস-২ এর গ্রীষ্মকালীন বাসভবন ছিলো। এর আগেও ১৯৪৩ সালে ইরানে সাক্ষাত হয়েছিলো তিন নেতার। চার্চিলের চেয়ে রুজভেল্ট বেশি বিশ্বাস করতেন স্ট্যালিনকে। চার্চিল স্ট্যালিনকে ক্রমবর্ধমান হুমকি হিসেবে বিবেচনা করতেন। এক সপ্তাহের আলোচনার পর বিগ থ্রি তাদের সিদ্ধান্ত জানালেন বিশ্বকে। নি:শর্ত আত্মসমর্পণের পর জার্মানি দু ভাগে ভাগ হবে। এ ঘোষণায় বলা হয়েছিল জার্মানি ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করবে এবং সেজন্য একটি কমিশন হবে মস্কোতে। এই নেতারা আরও একমত হলেন যে পোল্যান্ড সহ ইউরোপ জুড়ে মুক্ত এলাকাগেুলোতে গণতান্ত্রিক নির্বাচন হবে ও নতুন সরকার হবে। সোভিয়েতরা ওয়ারশ'তে যে প্রভিশনাল কমিউনিস্ট সরকার আছে সেটিও সম্প্রসারিত হবে। কিন্তু গণতন্ত্র বিষয়টার অর্থ স্ট্যালিনের কাছে ছিলো ভিন্ন। প্রকাশ্যে মুক্ত ইউরোপের জন্য অবাধ নির্বাচনে তিনি সম্মত হলেও তার বাহিনী ইতোমধ্যেই মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলো দখল করে নিয়েছিলো। আবার স্ট্যালিনের অনুরোধ নেতারা সম্মত হন যে পোল্যান্ডের সীমানা কিছু সরে আসবে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ভূমি দিয়ে। আর এই বাল্টিক রাষ্ট্রটি সোভিয়েত ইউনিয়নে যোগ দিবে। ইতিহাসবিদ আন্নে অ্যাপলবম তার বইয়ে লিখেছেন যে নেতারা ইউরোপের ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন মারাত্মক অদূরদর্শিতা নিয়ে। রুজভেল্ট বেশি আগ্রহী ছিলেন তার জাতিসংঘ পরিকল্পনা নিয়ে এবং তিনি সফল হয়েছেন, কারণ তিন দেশই একমত হয়েছিলো ২৫শে এপ্রিল ১৯৪৫ সালে সান ফ্রান্সিসকোতে প্রতিনিধি পাঠাতে। এর বাইরে স্ট্যালিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে যুদ্ধ শেষ হওয়ার তিন মাস পর জাপানে আগ্রাসন চালাবেন তিনি। তবে চুক্তি সত্ত্বেও শীর্ষ বৈঠকের পর পূর্ব ইউরোপের পরিস্থিতি কেমন হবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন চার্চিল। তিনি তার বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধ শেষ হবার আগে দূরপ্রাচ্যের দিকে দ্রুত সরে আসতে বললেন। ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত দু ভাগে বিভক্ত ছিলো বার্লিন পরে কী হলো কয়েক মাসের মধ্যে রাজনৈতিক অবস্থার নাটকীয় পরিবর্তন হলো। রুজভেল্ট মৃত্যুবরণ করেন এপ্রিলে ও ক্ষমতায় আসলেন হ্যারি ট্রুম্যান। মে মাসে জার্মানি নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করলো এবং ১৬ই জুলাই যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু বোমার সফল পরীক্ষা চালালো। পরীক্ষার পরদিনই প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান উইনস্টন চার্চিল ও জোসেফ স্ট্যালিনের সাথে বার্লিনের বাইরে পোটসড্যাম সম্মেলনে যোগ দিলেন। ট্রুম্যান স্ট্যালিনকে তেমন একটা জানতেননা। চার্চিল ক্ষমতায় ছিলেন মে, ১৯৪০ পর্যন্ত। তার পরিবর্তে ১৯৪৫ এর নির্বাচনের পর আসলেন ক্লিমেন্ট অ্যাটলি। তখন সম্মেলনের মুডটাই ছিলো ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা ছিলেন আত্মবিশ্বাসী কারণ তারা পরমাণু বোমার অধিকারী। ট্রুম্যান স্ট্যালিনের বিষয়ে আরও সন্দিহান ছিলেন। তিনি ও তার উপদেষ্টারা বিশ্বাস করতেন যে সোভিয়েত ইয়াল্টা চুক্তির বিষয়ে অনড় থাকবে না। দু বছরের মধ্যে এলো ট্রুম্যান ডকট্রিন—অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নের রাশ টেনের ধরার ঘোষণা দিলো—শুরু হলো স্নায়ু যুদ্ধ। পরে চার্চিল ও রুজভেল্ট দুজনের সমালোচনা হলো স্ট্যালিনকে বেশি সুযোগ দেয়ার জন্য। কিন্তু বাস্তবতা হলো তাদের তেমন কিছু করার ছিলো না, কারণ স্ট্যালিনের বাহিনী তখন পুরো মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে। ইয়াল্টার পর চার্চিল সোভিয়েত স্বার্থে আঘাতের পরিকল্পনা করলেও ব্রিটিশ সমরবিদদের কাছে তা ছিলো অবাস্তব। প্রফেসর লেফলার বলেন, "ইয়াল্টায় শুধু সে সময়ের বাস্তবতাই প্রতিফলিত হয়েছিলো"।
In February 1945, three men met in a holiday resort to decide the fate of the world.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
অনাবৃষ্টি আর মন্দা ফসলের কারণে বড় ধরণের খাদ্য সংকটে পড়েছে উত্তর কোরিয়া চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে যে, কোরিয়ান উপদ্বীপের উত্তেজনা নিয়ে উভয়পক্ষ আলাপ আলোচনা করবে। যদিও চীন উত্তর কোরিয়ার প্রধান অর্থনৈতিক সহযোগী দেশ। অনাবৃষ্টি আর মন্দা ফসলের কারণে জরুরি ভিত্তিতে উত্তর কোরিয়ার খাদ্য সহায়তা দরকার। সুতরাং, কারা এখন তাদের সহায়তা করতে যাচ্ছে? আর পিয়ংইয়ংয়ের ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞার ওপরে তার কী প্রভাব পড়বে? তীব্র ঘাটতি উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, দেশটি গত কয়েক দশকের ভেতর সবচেয়ে বেশি খরার মধ্যে পড়েছে। জাতিসংঘ ধারণা করছে, প্রায় এক কোটি মানুষ- যা দেশটির মোট জনসংখ্যার অন্তত ৪০ শতাংশ, তারা বড় ধরণের দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে চলেছে। জাতিসংঘের একটি হিসাব মতে, উত্তর কোরিয়ার প্রত্যেক নাগরিকের জন্য প্রতিদিন মাত্র ৩০০ গ্রাম খাবার বরাদ্দ থাকে। ১৯৯০ সালের দিকে ভয়াবহ একটি দুর্ভিক্ষে দেশটিতে কয়েক লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। আরো পড়ুন: 'নিখোঁজ' কিম ইয়ং-চোলকে জীবিত দেখা গেছে পুতিন-কিম শীর্ষ বৈঠক: কার স্বার্থ কোথায় উত্তর কোরিয়ায় উৎপাদিত ফসল দেশটির চাহিদার জন্য যথেষ্ঠ নয় কারা সাহায্য পাঠাচ্ছে? চীন অবশ্যই উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় দাতা দেশ, কিন্তু ঠিক কতটা ব্যাপকভাবে তারা সাহায্য করে, সেটা নির্ণয় করা কঠিন। কারণ জাতিসংঘের বাইরে গিয়েও দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে চীন উত্তর কোরিয়াকে সাহায্য করে থাকে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে চীন ২ লাখ ৪০ হাজার টন খাদ্য সাহায্য পাঠিয়েছিল, যা ইউরোপীয় কমিশনের পাঠানো সাহায্যের প্রায় আশি গুণ বেশি। ২০১৬ সালে বেইজিং ঘোষণা দিয়েছিল, তারা উত্তর কোরিয়ার জন্য তিন মিলিয়ন ডলার মূল্যের মানবিক সহায়তা পাঠাচ্ছে যাচ্ছে। দেশটি বন্যায় আক্রান্ত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করতে না পারায় চীন ওই ঘোষণা দিয়েছিল। মার্কিন কংগ্রেসে ২০১৪ সালের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ''চীন, যাদের বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় খাদ্য সহায়তাকারী দেশ বলে মনে করা হয়, কিন্তু তাদের ওপর এ বিষয়ে কোন নজরদারির ব্যবস্থা নেই।'' অন্য দেশগুলো জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, এনজিও এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা করে থাকে। উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ সংকট মোকাবেলায় ১২ কোটি ডলার সহায়তা চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে যে, জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচীর মাধ্যমে তারা ৫০ হাজার টন চাল উত্তর কোরিয়ায় পাঠাবে। উত্তর কোরিয়া গত কয়েক দশকের ভেতর সবচেয়ে বেশি খরার মধ্যে পড়েছে। জুনে যে ৮ মিলিয়ন ডলারে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, এই সাহায্য তার বাইরে। রাশিয়া জানিয়েছে, তারা ৪ মিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত হিসাবে ৪ হাজার টন গম পাঠাবে। জাতিসংঘের অনুরোধে সাড়া দিয়ে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, কানাডা, নরওয়ে, ফ্রান্স, জার্মানি, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড। নিষেধাজ্ঞার প্রভাব উত্তর কোরিয়ার ওপর বর্তমানে যে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেখানে মানবিক সহায়তার ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করেন লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল এন্ড আফ্রিকান স্টাডিজের অধ্যাপক হ্যাজেল স্মিথ। তিনি বলছেন, ''২০১৬ সালের জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞায় উত্তর কোরিয়ার কাছে তেল বা গ্যাস ভিত্তিক দরকারি কৃষি সরঞ্জাম বিক্রির ওপর নিষেধ রয়েছে, যার ফলে দেশটিতে সার, কীটনাশক বা সেচের মতো কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে।'' ''তেল নির্ভর সরঞ্জামের অভাবে উৎপাদনের হার কমে যায় এবং অনেক কম খাদ্য উৎপাদিত হয়।'' দাতা সংস্থাগুলো বলছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়ায় তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেও বেগ পেতে হচ্ছে। এ মাসেই ফিনিশ একটি দাতব্য সংস্থা তাদের খাদ্য নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য কর্মসূচী আগেভাগেই বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ তারা বলছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা 'অসম্ভব' হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আন দুইবার বৈঠকে বসলেও অগ্রগতি সামান্যই হয়েছে সাহায্য কমে যাওয়া গত কয়েক দশক ধরে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে বাকি বিশ্বের কূটনৈতিক দূরত্বের কারণে সাহায্যের পরিমাণ অনেক কমে গিয়েছে। ২০১২ সালে জাতিসংঘ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার জন্য যতখানি তহবিল দরকার আর যে পরিমাণ অর্থ সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে, তার মধ্যে ফারাক বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচীর খাবার সরবরাহের সংখ্যাও কমছে। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উত্তর কোরিয়ায় সরকারিভাবে বা এনজিওর মাধ্যমে সাহায্য পাঠানোর হার ছিল সামান্য। তবে বর্তমান সংকটের দেশটি থেকে অনেক মানবিক সহায়তার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি সহায়তাকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ সালে মার্কিন কংগ্রেসে দেয়া একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার পাওয়া খাদ্য সহায়তার অর্ধেকের বেশি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেয়া হয়েছে। এরপরেও বিক্ষিপ্তভাবে উত্তর কোরিয়াকে সহায়তা করা হয়েছে। কিন্তু দেশটির পারমাণবিক আর মিসাইল পরীক্ষার কারণে সেই সহায়তার হার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০১৭ সালে, প্রায় ছয় বছর পর, উত্তর কোরিয়ার ব্যাপক বন্যার সময় দেশটির জন্য সহায়তা হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র এক মিলিয়ন ডলার ইউনিসেফকে দিয়েছে। উত্তর কোরিয়া কেন খরার খবর লুকাচ্ছে
Xi Jinping is making his first visit to North Korea this week as Chinese president.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ইস্তানবুলে বসবাসরত তুর্কী উইঘুররা গত মাসে একটি বিক্ষোভ করে। যুক্তরাজ্য, কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এক সমন্বিত প্রয়াসের অংশ হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হয়। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং প্রদেশের বন্দীশিবিরগুলোয় লক্ষ লক্ষ উইঘুরকে আটকে রেখেছে চীন - যেখানে বন্দীদের ওপর নির্যাতন, জোরপূর্বক শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বিভিন্ন সময় প্রকাশ পেয়েছে। চীন এগুলোকে 'সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে পরিচালিত পুনঃশিক্ষণ কেন্দ্র' হিসেবে বর্ণনা করে থাকে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: শিনজিয়াংএ উইঘুরদের সংখ্যা কমাতে চাকরি দেয়া হচ্ছে বাড়ি থেকে বহু দূরে উইঘুর নারীরা যেভাবে গণধর্ষণের শিকার হচ্ছেন চীনের বন্দী শিবিরে চীনে উইগর মুসলিম নির্যাতনের ব্যাপারে যা জানা গেছে উইগর মুসলিম নারীদের জোর করে বন্ধ্যা করছে চীন- রিপোর্ট ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা চীনের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন - তাতে চারজন ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ করা ও তাদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি অনুমোদন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে শিনজিয়াং-এর পুলিশ প্রধানও রয়েছেন। এর পরপরই চীন - ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দশজন ব্যক্তি ও চারটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
Several Western countries have imposed sanctions on officials in China over rights abuses against the mostly Muslim Uighur minority group.