instruction
stringclasses
5 values
input
stringlengths
230
19.6k
output
stringlengths
40
405
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
২০১৭ সালে ফুসফুসে টিউমার ধরা পড়ে শার্লি হেলারের যুক্তরাজ্যের অভিনেত্রী শার্লি হেলারকে যখন চিকিৎসকরা কয়েকমাসের আয়ু বেধে দেন, তখন তিনি নিজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য ওই তহবিল তোলা শুরু করেছিলেন। গত অক্টোবরে বুকে ব্যথা শুরু হয়ে চিকিৎসকের কাছে গেছে চিকিৎসকরা তাকে জানান, তিনি আর মাত্র পাঁচ সপ্তাহ বেঁচে আছেন। এরপর নিজের শেষকৃত্যানুষ্ঠান আয়োজনের জন্য তহবিল সংগ্রহের ওই কাজ শুরু করেন তিনি। এর কারণ হিসাবে অভিনেত্রী শার্লি বলেছিলেন, তার ১৬ বছর বয়সে ভাইকে হারিয়েছে পরিবার। ''সুতরাং কোন বাবা-মায়ের ক্ষেত্রে এমন হওয়া উচিত না যে, তাদের সব সন্তানের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কাজ তারা করবেন।'' ওয়েব ভিত্তিক নেটফ্লিক্সে সম্প্রতি মুক্তি পাওযা 'আউট'ল কিং' চলচ্চিত্রে তিনি একজন গ্রামবাসীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তার আশা ছিল, সেটির সম্প্রচার তিনি দেখে যেতে পারবেন। কিন্তু চলচ্চিত্রটি মুক্তির দুইদিন আগে, বুধবার তিনি মারা যান। তার তহবিল সংগ্রহের পাতায় একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ''চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মিস হেলার ঘুমের ভেতরেই মারা গেছেন।'' ''সবার সহায়তা এবং অনুদানের জন্য শার্লি সবার কাছে কৃতজ্ঞ ছিল, যা তার শেষ সপ্তাহগুলোকে চমৎকার করে তুলেছিল।'' আরো পড়তে পারেন: নির্বাচনের তারিখ পেছালো কমিশন সিট ভাগাভাগি - কতটা ভোগাতে পারে বিএনপিকে? যে বাঙালী 'ভদ্রলোক'রা বিশ্বযুদ্ধে গিয়েছিলেন কোথায় শিক্ষকরা সবচেয়ে মর্যাদা পান, কোথায় পান না নিজের অভিনয় করা চলচ্চিত্র মুক্তির আশা থাকলেও, সেটি দেখে যেতে পারেননি মিস হেলার ২০১৭ সালে প্রথম ফুসফুসে টিউটার ধরা পড়ে শার্লি হেলারের। তবে এ বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি বলেছিলেন, টিউমারটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে এবং তিনি খুব তাড়াতাড়ি নিউক্যাসল যেতে পারবেন, যেখানে তিনি একজন বসবাস করতেন। মৃত্যুর কিছুদিন আগে মিস হেলার বলেছিলেন, '' আমার বাবা-মা এর আগেই একটি সন্তান হারিয়েছে-১৯৯৯সালে আমার ভাই মারা গেছে। সুতরাং এর ধরণের দুঃখের ঘটনা তাদের জন্য আগেও ঘটেছে।'' অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ''তারা আবার একই ধরণের পরিস্থিতিতে পড়বে, এটা ভাবতেই আমার খারাপ লাগছে। কারো নিজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরিকল্পনা করা হয়তো উচিত নয়, কিন্তু আমি তাদের ওপর সেই চাপ কমিয়ে দিতে পারি, এবং আমার বাবা-মায়ের জন্য আরেকটু সহজ করে দিতে পারি, আমি অবশ্যই তা করবো।'' ৩০০ জনের বেশি মানুষ তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য ৬৯৫৬ পাউন্ড দিয়েছেন, যা দিয়ে শার্লি হেলারের বাবা-মা, এলিজাবেথ এবং গর্ডন অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ব্যয়ভার বহন এবং স্কটল্যান্ডে আসার খরচ বহন করতে পারবেন। মৃত্যুতে যেমন অনেক দাতা শোক জানিয়েছেন,আবার অনেকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যেকোনো সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একজন দাতা, মার্টিন রবসন মিস হেলারকে চিনতেন না। কিন্তু লিখেছেন: ''আমি তোমার কথা শুনেছি রেডিও নিউক্যাসলে, এবং তোমার জন্য খুবই খারাপ লাগছে। তোমার ক্যান্সারের কথা শুনে আমার কান্না পেয়েছে। তবে তুমি খুবই সাহসী ছিলে। আশা করি, যেরকম শেষকৃত্যানুষ্ঠান তুমি আশা করেছো, এই অর্থে তেমনটাই তুমি পাবে।''
A terminally ill woman who raised nearly £7,000 for her own funeral after being given weeks to live has died.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
করোনাভাইরাসে যারা বেশি অসুস্থ হচ্ছেন তাদের ফুসফুসের ওপর মারত্মক প্রভাব পড়ার লক্ষণ দেখছেন চিকিৎসকরা ব্রিটেনে চিকিৎসকরা বিবিসিকে বলেছেন যারা করোনাভাইরাসে গুরুতরভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তারা আশংকা করছেন, তাদের একটা বড় অংশের ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে, যাকে বলা হয় পালমোনারি ফাইব্রোসিস। ফুসফুসের এই ক্ষতি থেকে সেরে ওঠা যায় না, এবং এর উপসর্গগুলো হল মারাত্মক শ্বাসকষ্ট, কাশি এবং ক্লান্তিবোধ। ইংল্যান্ডের জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অধীনে সেরে ওঠা রোগীদের বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেয়ার ও পুর্নবাসনের জন্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইংল্যান্ডের একজন ট্যাক্সিচালক, কোভিডে আক্রান্ত হবার পর যার অবস্থার অবনতি হয় এবং ১৩দিন ভেন্টিলেটারে থাকাসহ প্রায় চার সপ্তাহ যাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়, তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার পর এরকম একটি পুর্নবাসন কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন আরও দুই সপ্তাহ। সেরে ওঠার ছয় সপ্তাহ পর এপ্রিলের মাঝামাঝি বাসায় ফিরে অ্যান্টনি ম্যাকহিউ এখনও সিঁড়ি ভাঙতে বা ছোটখাট সহজ কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে পড়ছেন। নিচু হতে গিয়েও তার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। ফুসফুসে আস্তরণ হাসপাতালে সিটি স্ক্যানে দেখা গেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর তার দুটি ফুসফুসের ওপরই একটা সাদা কুয়াশার আস্তরণ তৈরি হয়েছে- অনেকটা ভাঙা কাঁচের মত দেখতে। চিকিৎসকরা বলছেন এটা করোনাভাইরাস আক্রমণের একটা বৈশিষ্ট্য। করোনাভাইরাসে গুরুতরভাবে আক্রান্ত হলে শরীরের প্রতিরোধী ব্যবস্থা যখন অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে, তখন এর ফলে প্রচুর শ্লেষ্মা, জলীয় পদার্থ এবং কোষ তৈরি হয়, যা ফুসফুসে যে বাতাস চলাচলের থলিগুলো আছে যাকে অ্যালভিওলি বলা হয়, সেগুলোকে ভর্তি করে ফেলে। এটা যখন হয়, তখন নিউমোনিয়া দেখা দেয় এবং সাহায্য ছাড়া মানুষের পক্ষে নিঃশ্বাস নেয়া সম্ভব হয় না। কোভিড আক্রান্ত হবার আগে সুস্থ ফুসফুসের ছবি কোভিড আক্রান্ত হবার পর ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুসের ছবি আক্রান্ত হবার ছয় সপ্তাহ পর নেয়া মি. ম্যাকহিউয়ের এক্স-রে-তে দেখা গেছে তার ফুসফুসের ওপর একটা সাদা ছায়ার মত স্তর তৈরি হয়েছে যেটাকে ডাক্তাররা বলছেন পালমোনারি ফাইব্রোসিস বা ফুসফুসে ক্ষত সৃষ্টির প্রাথমিক লক্ষণ। ব্রিটিশ সোসাইটি অফ থোরাসিক ইমেজিংএর একজন সদস্য এবং রয়াল কলেজ অফ রেডিওলজিস্টের উপদেষ্টা ড. স্যাম হেয়ার বলছেন, "সাধারণত এধরনের ভাইরাস সংক্রমণের পর ছয় সপ্তাহ হয়ে গেলে ফুসফুসের অবস্থা আবার আগের জায়গায় ফিরে যাবার কথা- অন্তত চিকিৎসকরা সেটাই আশা করেন। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা হয়নি এবং সেজন্যই এটা উদ্বেগের কারণ।" পালমোনারি ফাইব্রোসিস কী? পালমোনারি ফাইব্রোসিস একধরণের রোগ যেখানে ফুসফুসের নরম অংশগুলো নষ্ট হয়ে যায় এবং সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? কাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে আর কাদের জন্য জরুরি নয় করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায় যাদের স্বাস্থ্য সমস্যা আছে তাদের কী করতে হবে ধারণা করা হচ্ছে যাদের হালকা উপসর্গ হয়, তাদের ক্ষেত্রে স্থায়ী ক্ষতি হবার সম্ভাবনা কম। কিন্তু যাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে, বিশেষ করে যাদের নিবিড় পরিচর্যায় রাখার দরকার হচ্ছে বা যাদের সংক্রমণ খুবই গুরুতর পর্যায়ে হচ্ছে, তাদের ভবিষ্যতে জটিলতা তৈরি হবার আশংকা আছে। মার্চ মাসে চীনে চালানো এক জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, সেরে ওঠা ৭০ জন করোনা রোগীর মধ্যে ৬৬জনেরই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার পরেও ফুসফুসের নানা সমস্যা রয়ে গেছে। ব্রিটেনের রেডিওলজিস্টরা সেরে ওঠা রোগীদের প্রাথমিক স্ক্যান পরীক্ষার ভিত্তিতে বলছেন যারা কোভিডে বেশি অসুস্থ হচ্ছে তাদের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির আশংকা বেশি। "সেরে ওঠার ছয় সপ্তাহ পর যেসব রোগীর ফুসফুসের স্ক্যান আমরা দেখেছি, তার থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া ২০ থেকে ৩০ শতাংশ রোগীর ফুসফুসে ক্ষত তৈরির লক্ষণ পরিষ্কার," বলছেন ড. হেয়ার। অন্য রেডিওলজিস্টরাও বিবিসিকে একই উদ্বেগের কথা বলেছেন, তারাও একই প্যাটার্ন দেখছেন। এর আগে যে দুটো করোনাভাইরাস সংক্রমণ আমরা দেখেছি- সার্স এবং মার্স - তাতে ২০ থেকে ৬০ শতাংশ রোগীর পালমোনারি ফাইব্রোসিস ধরনের কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তবে সার্স ও মার্স তুলনামূলকভাবে আরও সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ এর জীবাণু সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। এবং এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ৮০ লাখের বেশি মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছে। "আমার মূল উদ্বেগটা হল কোভিড-১৯ বিশাল একটা জনসংখ্যাকে সংক্রমিত করেছে," বলছেন ড. হেয়ার। "এই ভাইরাস এত মানুষকে আক্রমণ করেছে, ফলে কত মানুষকে যে দীর্ঘমেয়াদে এই ভাইরাস পঙ্গু করে দিয়েছে তার সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বিশাল।" ফুসফুসের ওপর করোনাভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে চিকিৎসকরা রীতিমত উদ্বিগ্ন ভবিষ্যৎ চিকিৎসা ফুসফুসের ফাইব্রোসিস বা ফুসফুসের দেয়াল মোটা হয়ে যাওয়া সারানো যায় না, কারণ ফুসফুসের কোষ একবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা চিরস্থায়ী হয়। তবে নতুন ওষুধ দিয়ে এই ক্ষতির মাত্রা কমানো যেতে পারে। হয়ত তা কিছুটা বিলম্বিত বা আটকানোও সম্ভব হতে পারে, তবে তার জন্য এই সমস্যা সময়ে ধরা পড়তে হবে। "সমস্যাটা কতটা গুরুতর তা বোঝা দরকার এবং জানা দরকার ঠিক কখন এটা আটকাতে ওষুধ দেয়া দরকার," বলছেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্য গবেষণা বিষয়ক জাতীয় ইন্সটিটিউটের গবেষক ও অধ্যাপক জিসলি জেনকিন্স। "আমাদের জীবদ্দশায় এর আগে একই সাথে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের ফুসফুস এধরনের আঘাতের মুখোমুখি হয়নি।" কাজেই করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠা রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মূল্যায়ন করা এবং তাদের এই ক্ষতি কমাতে সাহায্য করা যায় কিনা সেটাই এখন গবেষক ও চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের সামনে আরেকটা বড় চ্যালেঞ্জ। করোনাভাইরাস: ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাতটি পরামর্শ
Tens of thousands of people will need to be recalled to hospital after a serious Covid-19 infection to check if they have been left with permanent lung damage, doctors have told the BBC.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
কিন্তু সব প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেই যেমনটা হয় যে এর প্রচারাভিযান শুরু হয়ে যায় অনেক আগে থেকেই। এতে খরচ হয় শত শত কোটি ডলার। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণেএবার যদি পরিস্থিতি একটু অন্যরকম, কিন্তু তার পরও এ বছর প্রার্থীরা বিপুল অংকের অর্থ খরচ করে চলেছেন।
Americans went to the polls on 3 November to elect the next US president.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
অটল বিহারী বাজপেয়ী, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। মি. বাজপেয়ীই ছিলেন হিন্দুত্ববাদী বিজেপির প্রথম প্রধানমন্ত্রী। কিডনিতে সংক্রমণ হওয়ায় প্রায় নয় সপ্তাহ যাবত তিনি দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি ছিলেন। বুধবার থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে, তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। দু'হাজার নয় সালে স্ট্রোক হওয়ার পর থেকেই তিনি আর কথা বলতে পারতেন না। তবে তার আগেই তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। তার সতীর্থরা অবশ্য বলতেন যে তিনি সবই বুঝতে পারতেন, কিন্তু ভাষায় প্রকাশ করার ক্ষমতা হারিয়েছিলেন। মি. বাজপেয়ী হিন্দু পুনরুত্থানবাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রচারক ছিলেন, এবং সংঘেরই রাজনৈতিক দল জনসংঘের সদস্য ছিলেন। বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সাথে মি. বাজপেয়ী। লালকৃষ্ণ আদভানি তার বাম পাশে। আরো পড়তে পারেন: যেসব ছবির মাধ্যমে আলোড়ন তোলেন শহিদুল আলম বাংলাদেশের যে এলাকায় ছাগল পালন নিষিদ্ধ তবুও তখন থেকেই হিন্দুত্ববাদীদের মধ্যে একজন মধ্যপন্থী বলে তাঁকে মনে করা হতো। কানপুরে পড়াশোনা করেছিলেন মি. বাজপেয়ী। তারপরে আইন পড়েছেন। তার বাবা আর তিনি একই বর্ষের ছাত্র ছিলেন, থাকতেনও একই হোস্টেলে। ছাত্রজীবনে ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনের জন্য কিছুদিন জেল খাটলেও তারপর থেকেই মি. বাজপেয়ী হিন্দুত্ববাদী নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর ভক্ত হয়ে পড়েন। রাজনৈতিক দায়িত্বের মধ্যেও তিনি নিয়মিত কবিতা লিখতেন, প্রচুর বই পড়তেন, আর সিনেমা দেখতে ভালবাসতেন। দলীয় সতীর্থ লালকৃষ্ণ আদভানিকে দিয়ে দিল্লির রিগ্যাল সিনেমা হলে বহু নতুন সিনেমার প্রথম দিনের প্রথম শো দেখতে যেতেন তিনি, সেকথা বহুল প্রচারিত। তবে সেই লালকৃষ্ণ আদভানিই যখন দলের প্রধান হিসাবে রামমন্দির নিয়ে আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠলেন, যার পরিণতিতে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে দিয়েছিল, তখন মি. বাজপেয়ীকে বিশেষ মুখ খুলতে দেখা যায় নি। দু'হাজার চার সালের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই নির্বাচনী রাজনীতিতে আর কখনও আসেন নি মি. বাজপেয়ী। একদিকে অসুস্থতাও বাড়ছিল। তারপরেই সক্রিয় রাজনীতি থেকেই সরে গিয়েছিলেন তিনি। আর ২০০৯ সালের স্ট্রোকের পর থেকে তো কথাও বলতে পারতেন না। তার শেষ যে ছবিটি সর্বশেষ জনসমক্ষে আসে, তা হল ২০১৫ সালে যখন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ভারতরত্নে ভূষিত করতে নিজে গিয়েছিলেন তাঁর বাসভবনে, সেই ছবিটি। আর বাক্যহারা হওয়ার প্রায় এক দশক পরে বৃহস্পতিবার সমাপ্ত হল একাধারে রাজনীতিবিদ, সুবক্তা আর কবি অটল বিহারী বাজপেয়ীর জীবন।
Former Indian prime minister Atal Behari Vajpayee has died aged 93.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের শহরে 'মৃত্যু এবং ধ্বংসলীলা' চালাতে দেয়ার জন্য পোর্টল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক মেয়র টেড হোয়েলারকে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে মি. বাইডেন বলেছেন, 'বেপরোয়াভাবে সহিংসতায় উস্কানি দিয়েছেন' মি. ট্রাম্প। শনিবার ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ট্রাম্পপন্থী একটি মিছিলের কর্মীদের সংঘর্ষ হলে গুলিতে একজন নিহত হয়। পুলিশের গুলিতে আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লুয়েডের মৃত্যুর পর থেকে পুলিশের নিষ্ঠুরতা এবং বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে পোর্টল্যান্ড। মিনিয়াপোলিসে গত ২৫শে জর্জ ফ্লুয়েড নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশে বিদেশে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক লেখালেখির পর শহরে পাল্টা জমায়েত করতে না আসার জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন মেয়র হোয়েলার। ''আপনারা যারা আজ সকালে টুইটারে লেখালেখি করছেন যে, আপনারা প্রতিশোধ নিতে পোর্টল্যান্ড আসবেন, আমি আপনাদের আহবান জানাচ্ছি যে, দূরে থাকুন,'' তিনি লিখেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়ে তিনি বলছেন, ''মার্কিন প্রেসিডেন্টই বরং বিদ্বেষ আর বিভেদ তৈরি করছেন।'' আরো পড়তে পারেন: ট্রাম্প দেশকে 'বিভক্ত করেছেন' - বাইডেন ও তার রানিং মেট কমালা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পর্কে কিছু তথ্য যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন ২০২০: কে এগিয়ে- ট্রাম্প না বাইডেন? ট্রাম্পকে ভোট দেয়ায় ভাঙলো ২২ বছরের সংসার পোর্টল্যান্ডে বিক্ষোভ করার সময় একজনকে আটক করছে পুলিশ 'এটা ট্রাম্পের আমেরিকা' রবিবার বেশ কয়েকটি টুইট বার্তায় মি. ট্রাম্প বলেছেন, 'একজন বোকা মেয়রকে নিয়ে পোর্টল্যান্ড কখনোই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবে না।'' তিনি শহরে ফেডারেল ফোর্স পাঠানোরও পরামর্শ দিয়েছেন। মি. বাইডেনকে অভিযুক্ত করে মি. ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নেতৃত্ব দিতে অনাগ্রহী। এরপরে এক বিবৃতিতে জো বাইডেন বলছেন, ''(ট্রাম্প) হয়তো মনে করেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে টুইট করলে তার অবস্থান শক্ত হবে- সংঘর্ষ থেকে সমর্থকদের বিরত করতে তার ব্যর্থতাই বলে দেয় যে, তিনি আসলে কতটা দুর্বল।'' পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতিগুলোর একটি আইনশৃঙ্খলা, যেখানে জো বাইডেনকে তিনি অপরাধের ক্ষেত্রে নমনীয় বলে দেখানোর চেষ্টা করেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারির ভারপ্রাপ্ত প্রধান চ্যাড উলফ বলেছেন, পোর্টল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক কর্মকর্তারা 'বেআইনি কর্মকাণ্ড ও বিশৃঙ্খলা' বরদাস্ত বেড়ে ওঠার সুযোগ দিয়েছেন। তারা বলছেন, সমস্যার সমাধানে সব পদক্ষেপ নিয়েই ভাবা হচ্ছে। তবে ডেমোক্র্যাটরা পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছেন, মি. ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির আওতায় সহিংসতা ঘটছে এবং তার বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলছেন। পোর্টল্যান্ডের ওই গুলির ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ। শহরটিতে প্রায় একমাস ধরে বিক্ষোভ চলছে। পোর্টল্যান্ড পুলিশ একটি বিবৃতি জানিয়েছে, ''সাউথইস্ট থার্ড অ্যাভিনিউ এবং সাউথইস্ট আলডার স্ট্রিটের দিক থেকে গুলির শব্দ পাওয়া শুনতে পেয়েছেন কর্মকর্তারা। তারা সেখানে গিয়ে বুকে গুলি লাগা একজন ব্যক্তিকে দেখতে পায়।'' অরেগনের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, মৃতদেহের পাশ থেকে 'ক্যামোফ্লেজ গিয়ার'সহ পুলিশের সমর্থনে ব্যবহৃত হয়, এমন সব জিনিসপত্র পাওয়া গেছে। আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একজন ব্যক্তিকে আটক করার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে মৃত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। শহরে চলা বিক্ষোভের সঙ্গে এই গুলির ঘটনার কোন যোগসূত্র আছে কিনা, তাও পুলিশ পরিষ্কার করেনি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: প্রতিদিন বেতন কাটা যাচ্ছে মেসির, কত টাকা হারাচ্ছেন? মহামারিকালে নতুন চাকরি পেতে যে আটটি কাজ করতে পারেন 'ছেলে অপরাধ করলে বিচার করেন, গুম করতে তো পারেন না' তরুণদের মধ্যে কি কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে?
President Donald Trump and Democratic rival Joe Biden have been accusing one another over violence that has erupted at protests in Portland, Oregon.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
আসামে নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে রাজ্যের কয়েকটি এলাকায় চলমান গণ-বিক্ষোভ দমন করার জন্য এর মধ্যে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং স্থগিত করা হয়েছে ইন্টারনেট সেবা। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কয়েক দফা মুখোমুখি সংঘর্ষে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত সাতজন পুলিশ। বিলটি পাস হওয়ার পরে আসামেই প্রথম বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিলটিতে মুসলিমদের দেশ থেকে বহিষ্কারের যে ধরন রয়েছে বা এতে ধর্মনিরপেক্ষতা হুমকির মুখে পড়ার যে উদ্বেগ রয়েছে তার সঙ্গে এই বিক্ষোভের কোন সম্পর্ক নেই। বিক্ষোভকারীদের শঙ্কা, এই নতুন আইনের ফলে বহিরাগতদের চাপে স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় বিলীন হয়ে যাবে। আসামের বৃহত্তম শহর গুয়াহাটিতে একটি কারফিউ জারি করা হয়েছে আসামে এই উত্তেজনার অন্যতম কারণ হল এই রাজ্যটি ভারতের অন্যতম জটিল ও বহু-জাতির রাজ্য। অহমীয়া এবং বাংলাভাষী হিন্দুরা এখানে উপজাতিদের মধ্যে বসবাস করেন। রাজ্যটির এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী মুসলমান, সংখ্যার হিসাবে যা প্রায় তিন কোটি বিশ লাখ। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পরে আসামেই দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মুসলমান বসবাস করে। এটি ভারতের অন্যতম অস্থিতিশীল এবং গোলযোগপূর্ণ রাজ্যগুলোর মধ্যে একটি। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চারটি রাজ্যকে আসাম থেকে বের করে আনা হয়েছে এবং সেখানে বসবাসকারী তিনটি আদিবাসী গোষ্ঠী আলাদা হয়ে তাদের নিজস্ব রাজ্য গঠন করতে চায়। ভাষাগত পরিচয় এবং নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। অহমীয়া ও বাংলাভাষী জনগণ সেখানকার কর্মক্ষেত্র ও সম্পদে আধিপত্য বিস্তারের জন্য তীব্র প্রতিযোগিতা করে আসছে। বাংলাভাষীরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সেখানকার শত শত বছর ধরে বসবাসকারী আদিবাসীদের বৈধ দাবী ও আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করছে। কয়েক দশক ধরে সেখানে একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হল, প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসন। আসাম, বাংলাদেশের সাথে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার (৫৬০ মাইল) দীর্ঘ সীমান্ত ভাগাভাগি করে, এবং হিন্দু ও মুসলমান উভয়েই এই সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করে থাকে। কেউ কেউ ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে পালিয়ে বাঁচতে এবং অন্যরা চাকরির সন্ধানে ওই রাজ্যে পাড়ি জমায়। আসামে এখন অবৈধ বিদেশিদের আনুমানিক সংখ্যা চল্লিশ লাখ থেকে এক কোটি। আরও পড়তে পারেন: গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের গাড়িবহরে হামলা নাগরিকত্ব বিল নিয়ে জ্বলছে আসাম; নিহত ২ আসামে বাংলাভাষী মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হয় চান্দামারীতে এনআরসি-র খসড়া তালিকায় এক নারী তার নাম খুঁজে দেখছেন। ১৯৮০-এর দশকে ছয় বছর চলা বিদেশি-বিরোধী বিক্ষোভের সময় শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। যার কারণে ১৯৮৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। সেখানে দুই পক্ষ একটি বিষয়ে একমত হয় যে, ১৯৭১ সালের ২৪ শে মার্চের পরে যথাযথ কাগজপত্র ছাড়া কেউ আসামে প্রবেশ করলে তাকে বিদেশি ঘোষণা করে নির্বাসিত করা হবে। যাইহোক, পরবর্তী তিন দশক ধরে যখন কোনও কিছুই খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি, তখন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট পদক্ষেপ নেয় এবং "সত্যিকারের" নাগরিকদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে ১৯৫১ সালে রাজ্যটির জন্য প্রস্তুত করা নাগরিক-পঞ্জি আপডেট করার নির্দেশ দেয়। অগাস্টে আপডেট হওয়া জাতীয় নাগরিক-পঞ্জির (এনআরসি) তালিকা থেকে ২০ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়ে যায়। এক কথায়, কার্যকরভাবে তাদের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেয়া হয়। এই নাগরিক-পঞ্জি প্রকাশের শুরু থেকেই ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল-ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এনআরসিকে সমর্থন করে আসছে। ২০১৬ সালে আসামের রাজ্য সরকারে হিন্দু ও আদিবাসীদের সমর্থন নিয়ে দলটি ক্ষমতায় এসেছিল। তবে চূড়ান্ত নাগরিক-পঞ্জি প্রকাশের আগেই বিজেপি তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে জানায় যে ওই তালিকাটি ত্রুটিপূর্ণ ছিল। এর কারণ ওই তালিকায় প্রচুর বাঙালি হিন্দু ছিল - যারা দলের জন্য অনেক শক্তিশালী ভোটার- তারাই তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় এবং অবৈধ অভিবাসী হওয়ার ঝুঁকিত পড়ে যায়। এখন বিজেপি প্রথম তালিকার "ভুল" সংশোধন করার জন্য এনআরসি-তে আরও একটি আপডেটের ঘোষণা দিয়েছে। এনআরসি'র সাথে করা এই নতুন নাগরিকত্ব আইন, এখন পুরনো অস্থিরতাকে উস্কে দিতে পারে বলে ভয় তৈরি হয়েছে। আসামের অহমীয়া ভাষী মানুষ যারা কিনা রাজ্যটির মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক, তারা মনে করে যে, তারা বিজেপির বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছে। যারা অবৈধ অভিবাসীদের সনাক্ত ও নির্বাসিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বিলের বিরোধীতাকারীরা বলছেন যে বড় আকারের অভিবাসনকে উষ্কে দেয়ায় তাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় হুমকির মুখে পড়বে। মুসলমানরা আইনটি নিয়ে ক্ষুব্ধ কারণ তারা একে বৈষম্যমূলক বলে মনে করে এবং তাদেরকে এক পর্যায়ে কেবল ধর্মের ভিত্তিতে অবৈধ অভিবাসী হিসাবে আলাদা করে দেয়া হবে। বাংলাভাষী হিন্দুরা হতাশ হয়েছেন কারণ এনআরসি থেকে বাদ পড়াদের মধ্যে হিন্দুদের সংখ্যাই বেশি, সে অনুপাতে মুসলমানদের সংখ্যা তেমন নয় বলে জানা গেছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি বিষয়ে উদ্বেগ রয়েছে। এই আইনের আওতায় আসামের আদিবাসী অধ্যুষিত কয়েকটি অঞ্চলে বিশেষ সুরক্ষা দেয়া হয়েছে। যেন অন্যান্য সম্প্রদায়ের অবৈধ অভিবাসীরা সেখানে বসতি স্থাপন করতে গেলে বাধার মুখে পড়ে। তবে অনেকেই বলছেন যে, পুরো রাজ্য এই নিয়মের আওতায় না পড়ায় এই "সুরক্ষিত" অঞ্চলে বাস করা অমুসলিম অভিবাসীরা আসামের অন্যান্য অঞ্চলে গিয়ে সাধারণ ক্ষমা চাইতে পারে। "আমি মনে করি না বিজেপি আসামের নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি-তে এই ধরণের প্রতিক্রিয়া আশা করেছিল। এই ঘটনা, ভারতে মুদ্রা নিষিদ্ধ করার চাইতেও বড় ধরণের বিপর্যয়ে মোড় নিতে পারে।" বলেন ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চল বিশেষজ্ঞ সুবির ভৌমিক। অঘোষিত সম্পদের হিসাব বের করতে ২০১৬ সালে ভারতের বিজেপি সরকার ভারতে ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। যা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই উদাহরণ টেনে এমন মন্তব্য করেন মি. ভৌমিক। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গুয়াহাটিতে সহিংস বিক্ষোভ। এটা স্পষ্ট যে বিজেপি, সাধারণ মানুষ এ ধরণের প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করেনি। ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার টুইট করেন যে তার সরকার "আসামের জনগণের রাজনৈতিক, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক এবং ভূমির অধিকার রক্ষায় সাংবিধানিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ"। তিনি বলেন, "কেউ আপনার অধিকার, স্বতন্ত্র পরিচয় এবং সুন্দর সংস্কৃতি কেড়ে নিতে পারবে না"। মোদীর এই আশ্বাস বিক্ষোভকারীদের শান্ত করবে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়।
Assam, a picturesque tea-growing state in India's north-east, is on the boil over a controversial new citizenship law that would make it easier for non-Muslim minorities from three neighbouring countries to seek Indian citizenship.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
মাংস খাওয়া কমিয়ে দেওয়ার জন্যে সারা বিশ্বেই চলছে প্রচারণা। নানা কারণেই তারা মাংস খাওয়া ছেড়ে দিচ্ছেন যার মধ্যে রয়েছে- স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা, পরিবেশ রক্ষা আবার অনেকে পশুপাখির জীবনের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। বলা হচ্ছে, ব্রিটেনে প্রতি তিনজনের একজন অঙ্গীকার করছেন যে তারা মাংস খাওয়া একেবারেই বাদ দিয়েছেন কিম্বা কমিয়ে দিয়েছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সংখ্যা প্রতি তিনজনে দু'জন। মাংস খাওয়া কমিয়ে দেওয়ার জন্যে সম্প্রতি সারা বিশ্বে একটি প্রচারণা শুরু হয়েছে। প্রত্যেক সোমবারকে বিবেচনা করা হচ্ছে মাংস-মুক্ত দিন হিসেবে। বলা হচ্ছে অন্তত এই দিনটিতে যেন লোকজন মাংস কিম্বা যেকোনো ধরনের প্রাণীজাত খাদ্য পরিহার করেন। সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকেও কম মাংস খাওয়ার উপকারিতা তুলে ধরা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বাস্তবে কি আসলেই এসবের কোন প্রভাব পড়ছে? আয় বাড়ছে আমরা জানি যে সারা বিশ্বে গত ৫০ বছর ধরে মাংস খাওয়ার পরিমাণ খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৬০ এর দশকে যতো মাংস উৎপাদন করা হতো বর্তমানে তার তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি উৎপাদিত হচ্ছে। হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ষাটের দশকে সাত কোটি টন মাংস উৎপাদিত হতো কিন্তু ২০১৭ সালে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৩ কোটি টন। এর জন্যে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে এখন মানুষের সংখ্যা বহু বেড়েছে। তাদের খাওয়ার যোগান দিতে মাংসের উৎপাদনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে গেছে। এই একই সময় ধরে বিশ্বের জনসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। ১৯৬০ এর দশকে আমাদের সংখ্যা ছিল প্রায় তিনশো কোটি কিন্তু এখন এই সংখ্যা সাড়ে সাতশো কোটিরও বেশি। কিন্তু এটাও ঠিক যে শুধু জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণেই মাংস খাওয়ার পরিমাণ পাঁচগুণ বাড়েনি। এর পেছনে আরো একটি বড় কারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি। আরো পড়তে পারেন: মাংস খাওয়া বাদ দিয়ে পৃথিবী বাঁচাতে চান? সুস্থ থাকার জন্য খাদ্যাভ্যাসে যে পরিবর্তন আনা জরুরি সবজি বা মাংস: ভারতীয়দের কাছে কোনটি প্রিয়? সারা বিশ্বেই মানুষ আগের তুলনায় ধনী হয়েছে। গত অর্ধ শতাব্দীতে গড় আয় বেড়েছে তিনগুণেরও বেশি। আমরা যদি তুলনা করে দেখি যে কোথায় কতো মাংস খাওয়া হচ্ছে তাহলে দেখবো যেসব দেশ যতো বেশি ধনী সেসব দেশে ততো বেশি মাংস খাওয়া হচ্ছে। এখন যে শুধু জনসংখ্যাই বেড়েছে তা নয়, একই সাথে বেড়েছে মাংস কিনতে পারা মানুষের সংখ্যাও। কে সবচেয়ে বেশি মাংস খায় সারা বিশ্বে এই প্রবণতা খুঁজতে গিয়ে আমরা দেখি যে ধন সম্পদের সাথে এর একটা সরাসরি সম্পর্ক আছে। ২০১৩ সালের হিসেবই পাওয়া যায় সবশেষ। তাতে দেখা যাচ্ছে এক বছরে কোন দেশে কতো মাংস খাওয়া হয় সেই তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। তারপরেই রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও আর্জেন্টিনা। এই দুটো দেশে একজন ব্যক্তি বছরে ১০০ কেজির বেশি মাংস খায়, যা প্রায় ৫০টি মুরগি কিম্বা একটি গরুর অর্ধেকের সমান। অবশ্য মাংস খাওয়ার এই উচ্চ হার চোখে পড়বে পশ্চিমা বিশ্বের প্রায় সবকটি দেশেই। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে একজন মানুষ বছরে ৮০ থেকে ৯০ কেজি মাংস খেয়ে থাকেন। কিন্তু এর বিপরীত চিত্র পাওয়া যাবে গরিব দেশগুলোতে। সেসব দেশের লোকজনের মাংস খাওয়ার পরিমাণ খুবই কম। আরো পড়তে পারেন: 'ভেগান' বা 'নিরামিষাশী': দরকারি পাঁচটি তথ্য 'মুরগির দুনিয়া': কীভাবে পৃথিবীর দখল নিলো এই পাখি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে পৃথিবী বাঁচাবেন যেভাবে ইথিওপিয়ায় একজন ব্যক্তি বছরে গড়ে প্রায় সাত কেজি, রোয়ান্ডায় আট কেজি এবং নাইজেরিয়াতে ৯ কেজির মতো মাংস খেয়ে থাকেন। ইউরোপের একজন নাগরিক গড়ে যতো মাংস খান এসব দেশের মানুষের মাংস খাওয়ার পরিমাণ তার দশগুণ কম। নিম্ন আয়ের বেশিরভাগ দেশগুলোতেই মাংস এখনও একটি বিলাসবহুল খাদ্য। উপরে যেসব পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে সেগুলো হিসেব করা হয়েছে শুধু কতোটুকু মাংস খাওয়া হচ্ছে সেটা বিবেচনা করে। কিন্তু বাড়িতে বা দোকানপাটে যেসব মাংস ফেলে দেওয়া হচ্ছে সেটা এসব হিসেবে ধরা হয়নি। মধ্য আয়ের দেশগুলোতে মাংসের চাহিদা বাড়ছে এটা একেবারেই পরিষ্কার যে ধনী দেশগুলোতে প্রচুর মাংস খাওয়া হয় আর দরিদ্র দেশগুলোতে খাওয়া হয় কম। গত ৫০ বছর ধরে এই প্রবণতাই চলে আসছে। কিন্তু কথা হলো আমরা সবাই মিলে এখন এতো বেশি মাংস খাচ্ছি কেন? এরকম হওয়ার পেছনে একটা কারণ হচ্ছে- বর্তমানে মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এই মাংস খাওয়ার ব্যাপারে বড় রকমের চাহিদা তৈরি হয়েছে। গত কয়েক দশকে চীন ও ব্রাজিলে বড় রকমের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটেছে এবং এর সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাংস খাওয়ার পরিমাণও। ১৯৬০ এর দশকের পর কেনিয়াতে মাংস খাওয়ার পরিমাণে খুব সামান্যই পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু চীনে এই পরিবর্তনটা ব্যাপক। ষাটের দশকে একজন চীনা বছরে পাঁচ কেজিরও কম মাংস খেতেন কিন্তু আশির দশকে সেটা বেড়ে দাঁড়ালো ২০ কেজি। আরো অবাক হওয়ার মতো যে গত কয়েক দশকে এটা তিনগুণেরও বেশি বেড়ে হয়েছে ৬০ কেজি। একই ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলেও। এই দেশটিতে মাংস খাওয়ার পরিমাণ ১৯৯০ এর দশকের পর প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ছাড়িয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলোকেও। এর মধ্যে ব্যতিক্রম হচ্ছে ভারত। সেখানে ১৯৯০ এর পর গড় আয় প্রায় তিনগুণ হয়েছে কিন্তু মাংস খাওয়ার পরিমাণ সেভাবে বাড়েনি। মানুষের মনে একটা ভ্রান্ত ধারণা আছে যে বেশিরভাগ ভারতীয় নিরামিষাশী। কিন্তু সারা ভারতে জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে দুই তৃতীয়াংশ মানুষ কিছু না কিছু মাংস খায়। তারপরেও দেশটিতে মাংস খাওয়ার হার উল্লেখযোগ্য রকমের কম। একজন ভারতীয় বছরে গড়ে চার কেজি মাংস খান। সারা বিশ্বের মধ্যে তারাই সবচেয়ে কম মাংস খান। এর পেছনে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কারণ থাকতে পারে। অনেক ধর্মেই মাংস খেতে বারণ করা হয়েছে। যেমন হিন্দুরা গরুর মাংস বর্জন করেন। পশ্চিমে কি মাংস খাওয়া কমছে? ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় অনেকেই বলছেন যে তারা মাংস খাওয়া কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আসলেই কি সেরকম কিছু হচ্ছে? পরিসংখ্যান কিন্তু সেরকম কিছু বলছে না। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি দপ্তরের সবশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, গত কয়েক বছরে দেশটিতে বরং মাথাপিছু মাংস খাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে। আমরা হয়তো ভাবতে পারি যে যুক্তরাষ্ট্রে মাংসের জনপ্রিয়তা কমে যাচ্ছে কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে অন্য কথা। সেখানে দেখা যাচ্ছে ২০১৮ সালে দেশটিতে মাংস খাওয়ার পরিমাণ ছিল গত কয়েক দশকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রকমের বেশি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতেও এই একই চিত্র। পশ্চিমা দেশগুলোতে মাংস খাওয়ার হার যখন থিতু অবস্থানে রয়েছে, অথবা সামান্য বেড়েছে, তখন মাংসের ধরনে কিছু পরিবর্তন এসেছে। তার অর্থ হচ্ছে- লোকজন এখন রেড মিট অর্থাৎ গরু বা শূকরের মাংস খাওয়া কমিয়ে হাঁস মুরগির মাংসের দিকে ঝুঁকছে। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে যতো মাংস খাওয়া হয় তার অর্ধেক হাঁস মুরগির মাংস। কিন্তু সত্তরের দশকে এটা ছিল এক চতুর্থাংশ। তবে এই পরিবর্তনকে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্যে ইতিবাচক বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। মাংস খেলে কী হয় কোন কোন ক্ষেত্রে মাংস খাওয়া ভালো। পরিমাণ মতো মাংস ও দুগ্ধজাত খাবার খেলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে, বিশেষ করে অল্প আয়ের দেশগুলোতে। তবে বেশিরভাগ দেশেই এমন পরিমাণে মাংস খাওয়া হয় যা লাভের বদলে ক্ষতিই করে থাকে। স্বাস্থ্যের জন্যে মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠতে পারে এই মাংস। গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত পরিমাণে রেড মিট ও প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিছু কিছু ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। রেড মিটের বদলে হাঁস মুরগির মাংস খাওয়া ইতিবাচক প্রবণতা। মানুষের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি পরিবেশের জন্যেও এটা একটা সুখবর। কিন্তু তারপরেও ভবিষ্যতে মানুষের মাংস খাওয়ার অভ্যাসে আরো বড়ো ধরনের পরিবর্তন আনা জরুরী বলে মনে করছেন চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা। তার মানে শুধু মাংসের ধরনে পরিবর্তন আনলেই হবে না, বরং আমরা কতোটুকু মাংস খাচ্ছি সেদিকেও নজর দিতে হবে। বস্তুত, মাংসকে আবারও বিলাসী খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করার সময় এসেছে। গবেষণাগারে তৈরি মাংস খেতে চান?
You may have heard an increasing number of people vow to reduce their meat eating lately - or cut it out altogether.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
দুর্নীতি দূর করে নতুন পাকিস্তান গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইমরান খান দেশটির জাতীয় পরিষদে শুক্রবারের ভোটাভুটিতে পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ পার্টির চেয়ারম্যান মি. খান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। গত জুলাই মাসের নির্বাচনে তার দল পিটিআই নির্বাচনে জয় পেলেও সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। ফলে ছোট ছোট দলগুলোর সহায়তায় তাকে দুর্বল জোট সরকার গঠন করতে হচ্ছে। সংবাদদাতারা বলছেন, তার এজেন্ডার মধ্যে দেশের অর্থনৈতিক সংকট সমাধানের বিষয়টিই প্রধান বিষয় হতে যাচ্ছে। তিনি এমন সময় সরকার গঠন করছেন, যখন পাকিস্তান চরম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। এসব সংকট কাটিয়ে তিনি একটি 'নতুন পাকিস্তান' গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতের উন্নতিরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাকিস্তানের সংকট সমাধান কতটা সহজ হবে? পাকিস্তানের ডেইলি নিউজ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মনির আহমেদ বলছেন, পাকিস্তানের এখনকার সব সংকট সমাধান হয়তো সহজ হবে না। তবে সেটা একেবারে অসম্ভবও হবে না। কারণ ইমরান খানের নিজস্ব কিছু ক্যারিশমা রয়েছে। ''তিনি ক্রিকেটের হিসাবে সফল ছিলেন। যখন ক্যান্সার হাসপাতাল করার উদ্যোগ নিলেন, সবাই বলেছিল হাসপাতাল সম্ভব না। কিন্তু সেটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন। রাজনীতিতে আসার পর তাকে অনেক বাধার মুখে পড়তে হয়েছে, তিনি ঝুঁকি নিয়েছিলেন। সেসব বাধা উপেক্ষা করে তিনি হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি যে এভাবে নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করবেন, সেটাও কেউ ভাবেনি। কিন্তু তিনি এতদূর পর্যন্ত এসেছেন।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কোফি আনান মারা গেছেন খাগড়াছড়িতে অস্ত্রধারীদের গুলিতে ৬ জন নিহত 'ধূমপান ছাড়তে ই-সিগারেট প্রধান হাতিয়ার হতে পারে' বিশ বছরের রাজনীতির পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন ইমরান খান অর্থনৈতিক সংকটের সমাধান কি হবে? নির্বাচনের সময় নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি, অর্থনৈতিক সংকট সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইমরান খান। কিন্তু একই সাথে মি. খান বলেছেন যে, তিনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সহায়তা নেবেন না। মনির আহমেদ মনে করেন, প্রবাসী পাকিস্তানিদের সহায়তা আর কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিলে ইমরান খানের পক্ষে হয়তো সেটি সম্ভব হবে। বিশেষ করে দেশীয় ব্যবসায়ীদের হয়তো তিনি আরো সক্রিয় করতে চাইবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে কতটা তিনি এড়াতে পারবেন, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে এই বিশ্লেষকের। ছোট দলগুলোর সমর্থন কতটা ধরে রাখতে পারবেন? দেশের অর্থনীতিক সংকট কাটিয়ে ইমরান খান নতুন পাকিস্তান গড়ার কথা বলছেন। কিন্তু সেজন্য হয়তো তাকে অনেক কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তাতে শরীক ছোট দলগুলোর সমর্থন কতটা ধরে রাখতে পারবেন? সাংবাদিক মনির আহমেদ বলছেন, ''এক্ষেত্রে ইমরান খানের ক্যারিশমা বড় ভূমিকা রাখবে।" "কারণ দেশের অর্থনৈতিক সংকট থেকে সবাই মুক্তি চাইছে। সহযোগী দলগুলো নিজেরাও নগণ্য আসন পেয়েছে। ইমরান খানের সঙ্গে আসায় তারা সরকারের অংশ হয়েছে। তারাও বুঝতে পারছে, পাকিস্তানের সংকট কাটাতে নতুন একজন নেতা দরকার। কারণ অন্য দলগুলোর পরীক্ষা তো হয়ে গেছে। তারা কিছু করতে পারেনি। এ কারণে এসব দলগুলো, বিশেষ করে তরুণরা ইমরান খানের ভূমিকা দেখতে চাইবে।'' দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইমরান খান। কিন্তু যেখানে সেনাবাহিনী, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে, তাতে তার পক্ষে কতটা সফলতা পাওয়া সম্ভব? মনির আহমেদ বলছেন, অনেক কিছুর প্রতিশ্রুতি দিয়েই ইমরান খান এ পর্যন্ত এসেছেন। এখন কতদূর কি তিনি করতে পারবেন, সেটা দেখার জন্য একটু অপেক্ষা করতেই হবে। সেনাবাহিনীর ভূমিকা কি হতে পারে? পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা রাখার অভিযোগটি বেশ পুরনো। এবারো দেশটির বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করছে যে, ইমরান খানের জয়ের পেছনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা রয়েছে। মনির আহমেদ বলছেন, সেনাবাহিনীর কাছেও অন্য কোন বিকল্প নেই। তারাও আশা করছে, মি. খানের মাধ্যমে হয়তো নতুন কোন রাস্তা খুঁজে পাওয়া যাবে। এখন দেশে যে ধরনের নেতৃত্ব দরকার বলে তারা মনে করে, সম্ভবত সেটা তারা ইমরান খানের ভেতর দেখতে পেয়েছে। ''হয়তো কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে একটু আধটু বাঁধাবাঁধি হতে পারে। কিন্তু সবার বিশ্বাস, সেটি ইমরান খান কাটিয়ে উঠতে পারবেন।'' যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরিতার অবসান হবে? অর্থনৈতিক সংকট ছাড়াও উত্তরাধিকার সূত্রে আরো কিছু সংকটের মালিক হচ্ছেন ইমরান খান। এর মধ্যে যেমন ইসলামপন্থী জঙ্গি হুমকি রয়েছে, তেমনি আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের বৈরিতা যাচ্ছে। মনির আহমেদ বলছেন, ''আমেরিকাও এখন কমবেশি তালেবানকে টেবিলে নিয়ে এসে একটি বোঝাপড়া করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে ইমরান খান হয়তো তাদের জন্য সুবিধাজনক হবে। ইমরান খান যদি তাদের আলোচনার টেবিলে আনতে পারে, যদি কোন সমঝোতার পথ বের করতে পারে, হয়তো তখন আমেরিকার সঙ্গে অসন্তুষ্টির বিষয়টির একটি সমাধান হতে পারে।''
Former cricketer Imran Khan has been sworn-in as the new prime minister of Pakistan, more than two decades after he entered politics.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
বর্ষীয়ান এই কংগ্রেসম্যান বলেছেন, তিনি নিদোর্ষ প্রমাণিত হবেন বলেই আশা করেন। মি. কনইয়ার্সের কর্মীদের আনা এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে, জানিয়েছে দি হাউজ এথিকস কমিটি। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন মিডিয়া, হলিউড তারকা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ঘিরে যৌন হয়রানির অভিযোগের মাঝে এবার এলো মি. কনইয়ার্সের পদত্যাগের খবর। মার্কিন কংগ্রেসে সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে সদস্য থাকা জন কনইয়ার্স ১৯৬৫ সালে সর্বপ্রথম কংগ্রেসে যোগ দেন। মঙ্গলবার জানা যায়, ২০১৫ সালে মি. কনইয়ার্সেরযৌন ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণকে প্রত্যাখ্যান করায় একজন কর্মীর চাকরী চলে যায়। সে খবর গোপন রাখতে তিনি ২৭ হাজার মার্কিন ডলার দিয়েছিলেন। মি. কনইয়ার্স তার নারী সহকর্মীদের ওপর বারবার যৌন হয়রানিমূলক আচরণ এবং তাদের শরীরে অপ্রত্যাশিতভাবে অনুচিত স্পর্শ করতেন বলেও আইনি ডকুমেন্টে অভিযোগ হিসেবে রয়েছে বলে দাবী করেছে বাজফিড। এসব যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর যুক্তরাষ্ট্রের 'দি হাউস এথিকস কমিটি' তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং এরপর নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন মি. কনইয়ার্স। তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে, ৮৮ বছর বয়সী মি. কনইয়ার্স বলেছেন, এই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতেই পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত। তিনি এসব ডকুমেন্টকে পক্ষপাতমূলক এবং টাকা-পয়সার বিনিময়ে করা ব্লগারদের কাজ বলে দাবি করেছেন।
Michigan lawmaker John Conyers, who is facing claims that he sexually harassed former aides, has said he will retire from the US House of Representatives.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
টেলিভিশন শো দেখে নিনজাদের বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন আইমি হাগা আইমি হাগা নামের ওই শিক্ষার্থী রচনা লিখতে নিনজাদের পদ্ধতি "আবুরিদাশি" অনুসরণ করেন। আর এর জন্য কয়েক ঘণ্টা ব্যয় করে সয়াবিন পানিতে ভিজিয়ে এবং পিষে ওই কালি তৈরি করেন তিনি। তার শিক্ষক যখন ওই কাগজটি বাড়িতে গিয়ে গ্যাসের স্টোভে গরম করেন, তখন কাগজে লেখা ভেসে ওঠে। "আমি যখন ছোট ছিলাম তখন একটি বই পড়ে এটা শিখি আমি," মিস হাগা বিবিসিকে বলেন। "আমি শুধু চাইছিলাম যে অন্য কেউ যাতে একই ধরণের পদ্ধতি অনুসরণ না করে।" ছোট বেলায় অ্যানিমেটেড টিভি শো দেখে মধ্যযুগীয় জাপানের নিনজা- গুপ্তচর এবং গুপ্তঘাতক বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন মিস হাগা। জাপানের মাই ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম বর্ষের এই শিক্ষার্থী নিনজা ইতিহাস বিষয় নিয়ে পড়াশুনা শুরু করেন, এবং তাকে ইগারিউ নিনজা জাদুঘর পরিদর্শন বিষয়ে একটি রচনা লিখতে বলা হয়। আরো পড়ুন: নতুন করে কৃষিকাজে বিপ্লব আনছে জাপান বুয়েটে নির্যাতনের সংস্কৃতি: প্রশাসনের ব্যর্থতা কতটা? অন্ধ নারীরাই শনাক্ত করছেন স্তন ক্যান্সার "অধ্যাপক যখন ক্লাসে বললেন যে, সৃষ্টিশীলতার জন্য সর্বোচ্চ নম্বর দেবেন তিনি, আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমি আমার রচনা অন্যদের থেকে আলাদা করে তৈরি করবো।" "আমি কিছুক্ষণ চিন্তা করলাম, তারপর সিদ্ধান্ত নিলাম যে আবুরিদাশি অনুসরণ করবো।" মিস হাগা, যার বয়স ১৯ বছর, সারা রাত ধরে সয়াবিন পানিতে ভিজিয়ে রাখেন। তারপর সেগুলো পিষে নিয়ে একটি কাপড়ে ছেকে নেন। এরপর এর সাথে পানি মেশান-সঠিক ঘনত্ব পেতে তার প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগে। আর এর পর ভাল একটি ব্রাশ দিয়ে "ওয়াশি"(জাপানের এক ধরণের পাতলা কাগজ)-তে রচনা লেখেন তিনি। শব্দগুলো শুকিয়ে গেলে, সেগুলো অদৃশ্য হয়ে যায়। কিন্তু, তার শিক্ষক যাতে একে খালি কাগজ মনে করে ফেলে না দেন সেজন্য এক কোণায় স্বাভাবিক কালিতে একটি ছোট নোট লেখেন তিনি। যেখানে লেখা ছিল "কাগজটি গরম করুন।" নিনজা কী? •এমন একজন ব্যক্তি যিনি নিনজুৎসু- যুদ্ধের এক ধরণের স্বতন্ত্র কৌশল ব্যবহার করেন- তিনিই নিনজা •জাপানের সামন্তবাদী যুগের নিনজা ঐতিহ্য শত শত বছরের পুরনো •গুপ্তচরবৃত্তি এবং কৌশলের দিক থেকে নিনজারা বেশ দক্ষ •এন্টার দ্য নিনজা'র মতো মার্কিন সিনেমার মাধ্যমে নিনজারা জনপ্রিয়তা লাভ করে, কিন্তু হলিউডের চিত্রায়িত এ ধরণের নিনজার ধারণা বিভ্রান্তিকর হতে পারে •উৎস: ইগারিউ এর নিনজা জাদুঘর আইমি হাগার জমা দেয়া রচনাটির গরম করার আগে ও পরের অংশ অধ্যাপক ইউজি ইয়ামাদা বিবিসিকে বলেন, তিনি রচনাটি দেখার পর "বিস্মিত" হন। "আমি এ ধরণের প্রতিবেদন কোড ব্যবহার করে লিখতে দেখেছি, কিন্তু আবুরিদাশি ব্যবহার করে রচিত কোন প্রতিবেদন এর আগে দেখিনি," তিনি বলেন। "সত্যি বলতে গেলে, আমার সন্দেহ ছিল যে শব্দ গুলো পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠবে কিনা। কিন্তু যখন আমি আসলেই কাগজটি বাড়িতে এনে গ্যাসের স্টোভে গরম করলাম, শব্দ গুলো খুব পরিষ্কারভাবেই ফুটে উঠলো এবং আমি ভাবলাম "বেশ ভাল!" "আমি প্রতিবেদনটিতে সর্বোচ্চ নম্বর দিতে দ্বিধা করিনি- যদিও আমি এটি সম্পূর্ণ পড়ি নি। কারণ আমি ভাবলাম, কিছু অংশ গরম না করেই রেখে দেয়া উচিত, যাতে গণমাধ্যম এটি পেলে তার একটি ছবি নিতে পারে।" রচনার বিষয়ে মিস হাগা বলেন যে, এর আধেয়র তুলনায় এর স্টাইলটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। "আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, অধ্যাপক কমপক্ষে সৃষ্টিশীল রচনা তৈরিতে আমার প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেবেন," তিনি বলেন। "আর তাই আমার রচনার জন্য খারাপ নম্বর পাওয়ার শঙ্কায় আমি শঙ্কিত ছিলাম না- যদিও এর আধেয় আসলে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছিল না।"
A Japanese student of ninja history who handed in a blank paper was given top marks - after her professor realised the essay was written in invisible ink.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
সেপ্টেম্বর মাসের শেষে চীনে যাবার পথে ইন্টারপোল প্রেসিডেন্ট মেং হংওয়ের খোঁজ নেই ইন্টারপোলের সদর দপ্তর, ফ্রান্সের লিয়ন শহর থেকে গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি চীনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার পর থেকে তার পরিবার আর কোন খোঁজ পায়নি। তদন্তের সাথে জড়িত একজন কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, ''তিনি ফ্রান্সে নিখোঁজ হননি''। একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট লিখেছে, ৬৪ বছরের মি. মেংকে চীনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ''ধরে নিয়ে যাওয়া'' হয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ঢাকায় জাপানি বিমান ছিনতাই নাটক শেষ হয় যেভাবে মিথ্যা শনাক্তকরণ পরীক্ষা কতটা বিশ্বাসযোগ্য? কিন্তু এটা পরিষ্কার নয় কেন চীনের শৃঙ্খলারক্ষী কর্তৃপক্ষ তার বিষয়ে তদন্ত করছে বা কোথায় তাকে রাখা হয়েছে, বলছে হংকংয়ের ওই পত্রিকাটি। মি. মেং এর বিষয়ে প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করেনি চীনের কর্মকর্তারা। ফরাসি কর্তৃপক্ষ কি তদন্ত করছে? মেং হংওয়ের স্ত্রী ফরাসি পুলিশের কাছে তার স্বামী নিখোঁজ থাকার অভিযোগ জানানোর পর তদন্ত শুরু করে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে তাকে উদ্ধৃত করে ফরাসি পুলিশ জানিয়েছিল, গত ২৯ সেপ্টেম্বরের পর থেকে তারা মি. মেং এর কোন খোঁজ পাননি। তবে পরে ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আসলে তারিখটি হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। ''চীনের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে'' জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। ''ইন্টারপোলের প্রেসিডেন্টর অবস্থা ফ্রান্স ধাঁধায় পড়েছে এবং তার স্ত্রীর ওপর হুমকি নিয়ে উদ্বিগ্ন।'' এর বাইরে আর বিস্তারিত জানায়নি ফরাসি মন্ত্রণালয়। কী কারণে মেং হংওয়ের ওপর ক্ষিপ্ত হতে পারে চীন? ইন্টারপোল বলছে, মি. মেং এর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তারা অবগত আছে বিবিসির এশিয়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিয়া হ্যাটন বলছেন, মেং হংওয়ের চীনের নিখোঁজের ঘটনার সঙ্গে দেশটির কম্যুনিস্ট পার্টির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে। সন্দেহের তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের হঠাৎ করে জনসম্মুখ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ওই ব্যক্তি নিখোঁজ বলে জানানো হয়। সাধারণত দল থেকে সংক্ষিপ্ত একটি বিবৃতি জারি করা হয় যে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। দলের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে তার কারাদণ্ডের কোন শাস্তি ঘোষণা করা হয়। ২০১২ সালে শী জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে ১০ লাখের বেশি দলের কর্মকর্তাদের এভাবে শৃঙ্খলাজনিত শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। তবে মেং হংওয়ের ঘটনাটি অনেকগুলো কারণে উল্লেখযোগ্য। প্রথমত, তার স্ত্রী ফরাসি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন যে তার স্বামী কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। সাধারণত বেশি শাস্তি হতে পারে, এরকম আশংকায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা বিদেশি কোন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ তোলেন না। তার স্ত্রী কি ভেবেছেন, তার জন্য এখন আর কোন বিকল্প নেই? একসময় চীনা কর্তৃপক্ষ তাকে ইন্টারপোলের প্রেসিডেন্টের মতো লোভনীয় পদ পাইয়ে দিয়েছিল। তিনি যদি চীনা রাষ্ট্রযন্ত্রের মধ্যেই নিখোঁজ হন, তাহলে কাকে তিনি ক্ষুব্ধ করে তুলেছিলেন? তিনি এমন করেছেন যাতে, বেইজিং প্রকাশ্যে এভাবে ইন্টারপোলের শীর্ষ পদটি বাতিল করে দেবে? ইন্টারপোলের প্রতিক্রিয়া কী? একটি বিবৃতিতে ইন্টারপোল বলেছে, মি. মেং এর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তারা অবগত আছে। ''এটা ফ্রান্স ও চীনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়।'' সংস্থাটি জানিয়েছে, ১৯২টি দেশের এই সংস্থাটির প্রতিদিনের কার্যক্রম মহাসচিব দেখভাল করে থাকেন, প্রেসিডেন্ট নয়। প্রেসিডেন্ট হিসাবে মি. মেং নির্বাহী কমিটির নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন, যা ইন্টারপোলের সার্বিক নীতিমালা এবং পরিচালনার নির্দেশনা দিয়ে থাকে। ২০১৬ সালে তিনি ইন্টারপোলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার মেয়াদ ২০২০ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। মাদক, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী এবং সীমান্ত রক্ষার মতো কাজে তার ৪০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইন্টারপোলের দায়িত্ব নেয়ার আগে মি. মেং চীনের জন নিরাপত্তা বিষয়ক উপমন্ত্রী ছিলেন। তার নির্বাচনের সময় মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যে, এই নিয়োগ বিদেশে পালিয়ে যাওয়া চীনা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আটক করতে চীনকে সহায়তা করবে। কোন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে আন্তর্জাতিক রেড নোটিশ জারি করতে পারে ইন্টারপোল। তবে কোন দেশের ভেতর কর্মকর্তা পাঠিয়ে কাউকে গ্রেপ্তার করা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ক্ষমতা নেই সংস্থাটির। বিবিসি বাংলারঅন্যান্য খবর: নির্বাচনকালীন সরকার বিতর্কে বিএনপি চাকরিতে কোটা: যে পাঁচটি তথ্য আপনি জানতে চাইবেন বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলার একের পর এক অভিযোগ আসছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রচারণায় সাংবাদিকদের গুরুত্ব কেন?
France has opened an investigation into the disappearance of Meng Hongwei, the Chinese head of the international police agency Interpol.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ইরানের এক সামরিক প্রদর্শনীতে একটি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল। জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে ইরানের মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এটি এমনিতেই খুবই ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। ইরানের এই ঘোষণার পর এই চুক্তি ভেঙ্গে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধের আশংকার মধ্যে অনেকেই এখন প্রশ্ন তুলছেন, ইরান কি তাহলে এখন পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে হাত দিতে চলেছে? যদি তারা চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে পুরোদমে পরমাণু কর্মসূচি চালাতে থাকে, তাহলে কত দ্রুত তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে? ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে না পারে, সেজন্যেই তাদের সঙ্গে চুক্তিটি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চীনসহ বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো। প্রেসিডেন্ট ওবামার আমলে সম্পাদিত চুক্তিটিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প সবসময় একটি 'বাজে চুক্তি' বলে বর্ণনা করে এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলেও ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন মনে করে এখনো এই চুক্তির গুরুত্ব আছে। এই পরমাণু চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে আন্তর্জাতিক তদারকিতে রাখা। ইরান দাবি করে যে তারা শান্তিপূর্ণ কাজেই তাদের পরমাণু কর্মসূচি ব্যবহার করতে চায়। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের শংকা আরও বাড়ছে কিন্তু পরমাণু চুক্তিটির সবচেয়ে বড় গুরুত্ব ছিল- এটি মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধের শঙ্কা দূর করেছিল। এই চুক্তির আগে এমন আশংকা ছিল যে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঠেকানোর নামে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালাতে পারে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যখন এই চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে বেরিয়ে গেল, তারপর থেকে ইরান ক্রমাগত এই চুক্তিতে আরোপ করা কিছু বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে চলেছে। কিন্তু জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর যে নতুন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে ইরান এখন মনে হচ্ছে সব বিধিনিষেধই উপেক্ষা করবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইরান এখন তাদের পরমাণু কর্মসূচিকে কোন দিকে নিয়ে যাবে? যেমন ধরা যাক, তারা কি ইউরেনিয়াম পরিশোধন ২০ শতাংশের উপরে নিয়ে যাবে? ইউরেনিয়াম পরিশোধনের মাত্রা বাড়িয়ে পরমাণু অস্ত্রের উপকরণ পেতে ইরানের সময় লাগবে বড়জোর একবছর পরমাণু বোমা তৈরির ক্ষেত্রে ইউরেনিয়াম পরিশোধনের মাত্রা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইরান যদি এখন সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে, তাহলে বোমা তৈরির উপকরণ পেতে তাদের অনেক কম সময় লাগবে। কিন্তু ইরান কি এই সময়ে আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের তদারকির বর্তমান ব্যবস্থা মেনে চলবে? অন্যান্য খবর: সোলেইমানির জানাজায় কাঁদলেন আয়াতোল্লাহ খামেনি অস্ট্রেলিয়ায় স্বস্তির বৃষ্টি, কিন্তু আগুন নেভবার আশ্বাস নেই ব্যস্ত রাস্তা থেকে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের সঙ্গে চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন যা করতে চেয়েছিল, মনে হচ্ছে তারা সেই জায়গায় পৌঁছে গেছে। কিন্তু বিশ্বের অন্য ক্ষমতাধর দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধী ছিল। একই সঙ্গে ইরান যে চুক্তিটি মেনে চলছে না, তা নিয়েও তারা অসন্তুষ্ট। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে ইরানের ক্ষমতাধর একজন জেনারেলকে হত্যার সিদ্ধান্ত দিলেন, সেটি তাদের স্তম্ভিত করেছে। এই ঘটনা এখন ইরান আর যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। কত দ্রুত ইরান বোমা তৈরি করতে পারবে? ইরান যদিও সবসময় বলে এসেছে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ কাজের জন্য, তারপরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে এ নিয়ে সংশয় ছিল। জাপানে প্রথম যে পরমাণু বোমা ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র, সেই 'লিটল বয়' নামের বোমার রেপ্লিকা। ২০১০ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে ২০১৫ সালে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয় পরমাণু চুক্তির পর। চুক্তিটিতে বলা হয়েছিল, ইরানের ইউরেনিয়াম পরিশোধনের মাত্রা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। পরমাণু অস্ত্র তৈরি এবং পরমাণু জ্বালানি- উভয় ক্ষেত্রেই পরিশোধিত ইউরেনিয়ামের দরকার হয়। চুক্তি অনুযায়ী ইরানকে 'হেভি ওয়াটার রিয়েক্টর' নতুন করে তৈরি করতে হয়। পরমাণু বোমার আরেকটি উপাদান প্লুটোনিয়াম পাওয়া যায় এই রিয়েক্টরে ব্যবহৃত জ্বালানি থেকে। কিন্তু আন্তর্জাতিক পরিদর্শকরা চুক্তি অনুযায়ী এই রিয়েক্টর নিয়মিত পরিদর্শন করার কথা। ২০১৫ সালের আগে পরিশোধিত ইউরেনিয়ামের বিরাট মওজুদ ছিল ইরানে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, প্রায় বিশ হাজার সেন্ট্রিফিউজেস ছিল তাদের। দশটি পরমাণু বোমা তৈরির জন্য যথেষ্ট এগুলো। ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানি নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে ইউরেনিয়াম পরিশোধন আবার শুরু করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। সেসময় মার্কিন বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল, ইরান যদি খুব তাড়াহুড়ো করে কোন পরমাণু বোমা বানাতে চায়, তাদের সময় লাগতে পারে দুই হতে তিন মাস। তবে এখন যেহেতু আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধের কারণে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি অনেক সীমিত, তাই বোমা তৈরির সিদ্ধান্ত নিলেও ইরানের সময় লাগবে অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, কমপক্ষে এক বছর। তবে ইরান যদি সব বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ইউরেনিয়াম পরিশোধনের মাত্রা ২০ শতাংশে উন্নীত করে, তাহলে ছয় মাস বা তারও কম সময়ের মধ্যে এটি করা সম্ভব। পরমাণু চুক্তির অন্য দেশগুলো অবশ্য এখনো আশা করছে ইরান ঐ পথে যাবে না। রোববার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল, ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তারা ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চুক্তি-বিরোধী কিছু না করার জন্য।
Iran has declared that it will no longer abide by any of the restrictions imposed by the 2015 nuclear deal.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর মাস্কের ব্যবহার অনেক বেড়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকেই এটা হয়ে আসছে - এমনকি মাস্ক না পরা একজন ব্যক্তিকে অনেকেই সামাজিকভাবে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতি সবখানে হচ্ছে না। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সিডনি কিংবা সিঙ্গাপুরে আপনি চাইলেই মাস্ক না পরে খোলামুখে কোন সংকোচ ছাড়া ঘুরে বেড়াতে পারেন। এখন যখন করোনাভাইরাস একটা ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে, তখন মাস্ক নিয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি কি বদলাচ্ছে? ব্যাপারটা যে সরকারি আদেশ কিংবা উপদেশ থেকে এসেছে তা নয়, এটা সম্পূর্ণ সংস্কৃতির ব্যাপার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কী বলছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যখন থেকে শুরু হয় তখন থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই বিষয়ে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে যে শুধু মাত্র দুই ধরণের মানুষের জন্য মাস্ক পরা আবশ্যক। এক, যারা অসুস্থ এবং যাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিয়েছে। দুই, যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের দেখাশোনা করছেন। এর বাইরে কারো জন্য মাস্ক পরার খুব বেশী প্রয়োজনীয় নয় বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। মাস্ক পরার চেয়ে হাত ধোয়া বেশি কার্যকরী বলছেন বিশেষজ্ঞরা মাস্ক সুরক্ষা দেয় এমন একটা ধারণা মানুষের মধ্যে থাকলেও ব্যাপারটা ততটা সরল নয় বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রথমত, কোভিড-১৯ রোগের ভাইরাসটি ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়। দ্বিতীয়ত, এটা বাতাসে ভাসে না। মাস্ক সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটা মিথ্যা বিশ্বাসও তৈরি করে। তবুও এশিয়ার একটা বড় অংশ মাস্ককে এক রকম শরীরের অংশ করে নিয়েছে। মনে করা হচ্ছে মাস্ক ব্যবহার করাটাই একটা নিয়ম। চীনের মূল ভূখন্ডে, হংকং, জাপান, থাইল্যান্ড এবং তাইওয়ানে একটা ধারণা আছে যেকেউ এই ভাইরাস বহন করতে পারে। এমনকি যিনি সুস্থ, তিনিও। তাই মাস্ক পরাটা সবার দায়িত্ব - এতে করে আপনি ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে একাত্মতা পোষণ করছেন। কোনো কোনো দেশের সরকার তার মানুষকে মাস্ক পরতে বলছে। এমনকি চীনের কোথাও কোথাও মাস্ক না পরলে আপনি গ্রেফতারও হতে পারেন। ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপিন্সে অনেকের মধ্যেই এই সন্দেহ দানা বেঁধেছে যে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত যথেষ্ট সংখ্যক মানুষকে পরীক্ষা করা হয়নি, অর্থাৎ তারা আক্রান্ত মানুষের সঠিক সংখ্যাটি জানেন না। এজন্য অন্যদের থেকে বাঁচতে এসব দেশের অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করেন। আবার হংকং এমন একটি দেশ যেখানে মাস্কের ব্যবহার তাদের সংস্কৃতিরই অংশ। করোনাভাইরাস সংক্রমণের বহু আগে থেকে তারা এটা ব্যবহার করে আসছে এবং এটা তাদের ফ্যাশনের অংশ। হংকংয়ের রাস্তার পাশের দোকানে আপনি দেখতে পাবেন 'হ্যালো কিটি' মাস্ক। পূর্ব এশিয়ার অনেক মানুষ আগে থেকেই অসুস্থ হলে মাস্ক পরতেন। সেখানে উন্মুক্ত স্থানে কফ ফেলা বা হাচি দেয়াকে এক ধরণের অভদ্রতা মনে করা হয়। ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাস যখন ছড়িয়ে পড়ে, তখন এই জীবাণু যেসব দেশে আঘাত হানে তার অন্যতম হলো হংকং। ওই অঞ্চলে তখন থেকেই মাস্ক পরাটা সংস্কৃতির একটা অংশ হয়ে গেছে। তখন হংকংয়ে বহু মানুষ মারা গিয়েছিল। হংকং-য়ে বিভিন্ন ডিজাইনের মাস্ক পাবেন আপনি এক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে তাদের একটা বড় পার্থক্য হলো, এই অঞ্চলের মানুষ সংক্রমণের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তাদের স্মৃতি এখনো তাজা। তারা এই কষ্ট অনুভব করেছেন বলেই বাড়তি সতর্ক থাকেন। মানুষের ঘনবসতি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি, ফলে অনেকে কেবল দূষণ থেকে বাঁচতেই মাস্ক পরে ঘুরে বেড়ান। কিন্তু এশিয়ার সব জায়গায় যে মাস্ক পরতে দেখা যায়, ব্যাপারটা মোটেও এমন নয়। সিঙ্গাপুরে এখন সরকারের পক্ষ থেকে বলে দেয়া হয়েছে সবাইকে মাস্ক না পরতে, যাতে করে স্বাস্থ্যকর্মীরা যথেষ্ট পরিমাণে মাস্ক পান। সিঙ্গাপুরে জনগণ সরকারের ওপর ভরসা করে এবং উপদেশ মেনে চলে। বাংলাদেশে 'কম্যুনিটি সংক্রমণ' শুরু, পঞ্চম ব্যক্তির মৃত্যু ভারতে টোটাল লকডাউনের প্রথম কয়েকটা ঘণ্টা যেমন কাটলো লকডাউন করা হল বান্দরবানের তিন উপজেলা করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কেন ম্যালেরিয়ার ওষুধ ব্যবহার করতে চান ট্রাম্প? করোনাভাইরাস: সামাজিক দূরত্ব কেন ও কীভাবে বজায় রাখবেন? আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে জেলখানায়, বহু দেশ বন্দী ছেড়ে দিচেছ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের দাফন নিয়ে জটিলতা ব্রিটিশ যুবরাজ চার্লস করোনাভাইরাস-এ আক্রান্ত মাস্ক এখন সামাজিক নিয়ম হয়ে দাঁড়াচ্ছে এখানে দুটো বিষয় কাজ করে। এই যে সর্বব্যাপী মাস্ক পরার একটা হিড়িক, সেটি তৈরি হয়েছে মূলত ভাইরাস থেকে বাঁচতেই। এটা অনেকটা 'ঠেলার পর কাজ করা' ধরণের। আবার অনেকে ব্যক্তিগত 'হাইজিন' অর্থাৎ পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে মাস্ক ব্যবহার করে থাকেন। হংকং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডোনাল্ড লো বলেন, "মাস্ক পরাটা এখন প্রথায় পরিণত হয়েছে। এটা একটা উর্দি মতো। কিন্তু মূল বিষয়টি হচ্ছে মুখে হাত না দেওয়া, ভীড়ের মধ্যে না যাওয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।" তবে এখন এমন একটা অবস্থা যার কারণে মানুষ নিজের সুরক্ষায় কোন ফাঁক রাখতে চাইছে না। হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মহামারি বিশেষজ্ঞ বেঞ্জামিন কওলিনং বলেন, "আমরা এমন বলতে পারছি না যে মাস্কের কোনো কাজ নেই। কিছু না কিছু সাহায্য তো করেই। এজন্যই তো আমরা এটা স্বাস্থ্যকর্মীদের দিচ্ছি।" যদি সবাই মাস্ক পরে, তাহলে তা একটু হলেও সাহায্য করে বলে মনে করছেন তিনি। তবে এর নেতিবাচক দিক হচ্ছে, যাদের প্রয়োজন তারাই হয়তো এগুলো পাবেন না, অন্যদিকে সুস্থ মানুষ এটা পরে বসে থাকবে। যেমন জাপান, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে মাস্কের ভয়াবহ ঘাটতি আছে। এমনও সময় আসতে পারে যখন মানুষ একই মাস্ক পুনরায় ব্যবহার করবে, যে বিষয়টি প্রচন্ড অস্বাস্থ্যকর। আবার অনেকে ঘরে মাস্ক বানাবে, যা আসলে কোনো কাজের না।
Step outside your door without a face mask in Hong Kong, Seoul or Tokyo, and you may well get a disapproving look.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
আলেক্সেই নাভালনিকে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে মস্কো বিমানবন্দরে হাজার হাজার সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু বিমানবন্দরে নামার আগেই তাকে বহনকারী বিমানটির পথ পরিবর্তন করে নিয়ে যাওয়া হয় শেরেমেতেইয়েভো বিমানবন্দরে। সেখানে ইমিগ্রেশনে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায় ৪৪ বছর বয়সী এই আন্দোলনকারীকে। মি. নাভালনি তাকে হত্যাচেষ্টার জন্য রুশ কর্তৃপক্ষকে সবসময় দায়ী করে এলেও ক্রেমলিন বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে। যাইহোক, অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের তদন্তে নাভালনির দাবিই সত্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে এমন বিষয়ে তাকে সাবধান করা হলেও তিনি বিমানে উঠেছিলেন। তিনি যে বিমানে করে মস্কো আসছিলেন সেটি ভর্তি ছিল সাংবাদিক। বিবিসির রাশিয়ান সার্ভিসের একজন সংবাদদাতাও ছিলেন। বিমানটি অবতরণের মাত্র কিছুক্ষণ আগে পাইলট ঘোষণা দেন যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটির পথ পরিবর্তন করে শেরেমেতেইয়েভো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে আসা সমর্থক সাথে কথা বলছেন স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনি। আটক হওয়ার কয়েক মিনিট আগে তিনি বলেন, "আমি কিছু ভয় পাই না।" বিমান থেকে নামার পর অপেক্ষমাণ বর্ডার গার্ডদের তিনি বলছিলেন, "আমার জন্য কি আপনারা অপেক্ষা করছেন।" এক ভিডিওতে দেখা গেছে তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার আগে স্ত্রী ইউলিয়াকে বিদায় জানাচ্ছেন তিনি। তাকে মস্কোতে একটি পুলিশ স্টেশনে আটক রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এক বিবৃতিতে রাশিয়ার কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তিনি বারবার প্রবেশন ভঙ্গ করেছেন। সেজন্য তার বিরুদ্ধে ডিসেম্বর থেকে হুলিয়া জারি রয়েছে। গত বছর আগস্ট মাসে সাইবেরিয়া যাওয়ার পথে এক বিমানযাত্রার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচিত নাভালনি। পুতিনের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত আলেক্সেই নাভালনি। চিকিৎসার জন্য বিমান জরুরি অবতরণ করে তাকে জার্মানির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন জার্মান সরকার জানায় তাকে নভিচক নামে স্নায়ু বিকল করার বিষাক্ত এক রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয়েছে। মি. নাভালনি তাকে হত্যা চেষ্টার জন্য ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করে আসছেন। বিষপ্রয়োগে হত্যা চেষ্টা থেকে বেঁচে, লম্বা সময় জার্মানির হাসপাতালে কাটিয়ে সুস্থ হয়ে রাশিয়াতে ফিরেতেই গ্রেফতার করা হল আলেক্সেই নাভালনিকে। তার গ্রেফতার হওয়ার খবরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স ও ইতালির পক্ষ থেকে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট জো বাইডেন যাকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেবেন বলে চূড়ান্ত করেছেন সেই জ্যাক সালিভান পুরো বিষয়টিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন। এর আগেও অনেকবার গ্রেফতার হয়েছেন আলেক্সেই নাভালনি। দীর্ঘদিন যাবৎ রাশিয়াতে সংস্কারের জন্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন মি. নাভালনি। এর আগে বারবার গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে তিনি ভুগেছেন অদ্ভুত এক অ্যালার্জির সমস্যায়। গত জুন মাসে ভ্লাদিমির পুতিনের আনা সাংবিধানিক সংস্কারের ভোটকে তিনি "অভ্যুত্থান" বলে বর্ণনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন ওই সংস্কার "সংবিধানের লঙ্ঘন"। ওই সংস্কারের ফলে মি. পুতিন আরও দুই মেয়াদ ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। মি নাভালনি ভ্লাদিমির পুতিনের অধীনে প্রেসিডেন্ট ব্যবস্থাকে "রাশিয়ার রক্তকে চুষে খাওয়ার" সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
Putin critic Alexei Navalny has been detained after flying back to Moscow from Germany, five months after he was nearly killed by a nerve agent attack.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ইরানের আনবিক শক্তি কমিশন সোমবার নাতাঞ্জে আধুনিক সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহারের ঘোষণা করেছে। প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এ কথা জানিয়েছেন। যুক্তরাসহ কয়েকটি পরমাণু শক্তিধর দেশ এবং জার্মানির সাথে সম্পাদিত ওই চুক্তি মোতাবেক ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে রাজী হয়েছিল। কিন্তু ওই চুক্তি থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে ইরানের ওপর নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই তারা ওই চুক্তির শর্তগুলো ভাঙতে শুরু করে। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানিয়েছেন, তেহরানের কাছে ফরদাও নামে তাদের ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় ইরান এক হাজারেরও বেশি সেন্ট্রিফিউজের ভেতর গ্যাস ভরা শুরু করেছে। এর মাধ্যমে তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি আবার সক্রিয় করে তোলা হচ্ছে। সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম এমন এক ধরণের ইউরেনিয়াম যা পারমাণবিক চুল্লিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা যায়, আবার তা দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্রও তৈরি করা যায়। প্রেসিডেন্ট রুহানি বলছেন, ইরান যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা থামানো যাবে না। আরো পড়তে পারেন: মাদকবিরোধী অভিযানের নামে 'ক্রসফায়ারে মৃত্যুর' রেকর্ড আজহার বেটিং কেলেঙ্কারি ভারত যেভাবে সামলায় ইন্টারনেটে এক শিক্ষকের আইএস বিরোধী লড়াই দু'হাজার পনের সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানির সাথে সম্পাদিত এক টেকনিক্যাল চুক্তির অধীনে ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত রেখেছিল। বিনিময়ে তার ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছিল। কিন্তু ইরানের পদক্ষেপের মাধ্যমে সেই চুক্তির শর্ত আরো বেশি করে লঙ্ঘন করা হলো। তার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাবার কথা ঘোষণা করেন এবং ইরানের ওপর কঠোর সব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুরু করেন। তিনি চেয়েছিলেন, ইরানকে যেন ওই চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করতে বাধ্য করা যায়। কিন্তু এর জবাবে এ বছরের প্রথম দিক থেকেই ইরান ওই চুক্তির শর্তগুলো ক্রমান্বয়ে ভাঙতে শুরু করে। তেহরানে এক ভাষণে ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, যখনই ওই চুক্তির অন্যান্য পক্ষগুলো তাদের অঙ্গীকার পূরণ করবে, তখনই তার দেশ সেন্ট্রিফিউজে গ্যাস ভরার কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে।
Iran says it has begun work on increasing its uranium enrichment capacity, in case its 2015 nuclear agreement with world powers collapses.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ব্রিটেনের নির্বাচনকে কেন বলা হচ্ছে 'ব্রেক্সিট ইলেকশন' যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে এমন একটি নির্বাচন হয়তো আর কখনোই হয়নি - যেখানে পুরো দেশটা মনে হচ্ছে যেন দু'ভাগে ভাগ হয়ে গেছে । এর কারণ একটাই - ব্রেক্সিট, অর্থাৎ ব্রিটেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ। এই নির্বাচনকেই বলা হচ্ছে 'দ্য ব্রেক্সিট ইলেকশন। ' বিবিসির রাজনৈতিক সংবাদদাতা রব ওয়াটসন বলছিলেন, এটাকে আসলেই বলা যায় ব্রেক্সিট নির্বাচন, কারণ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগের পক্ষে এবং বিপক্ষের দুই শিবিরের কে কেমন ভোট পায় - কোন পক্ষ ঐক্যবদ্ধ এবং কোন পক্ষ বিভক্ত - এবং তার ওপরই সব নির্ভর করছে। কোন পক্ষ বেশি ঐক্যবব্ধ - সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষমতাসীন কনসারভেটিভ পার্টির নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এখন হয়ে উঠেছেন ব্রেক্সিটপন্থীদের সবচেয়ে বড় নেতা। তিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে ব্রেক্সিট কিভাবে হবে তা নিয়ে একটি চুক্তি করে এসেছেন, কিন্তু পার্লামেন্টে তা পাস করাতে পারছেন না - কারণ কনসারভেটিভদের কমন্স সভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফের ব্রেক্সিট বিষয়ক সম্পাদক দিয়া চক্রবর্তী বলছেন, বরিস জনসন একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে ব্রেক্সিটই অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। "কারণ বিরোধী লেবার পার্টি বলছে, তারা ক্ষমতায় গেলে ইইউ'র সাথে নতুন একটি চুক্তি করবে এবং একটি নতুন গণভোট করবে যাতে ভোটাররা চাইলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের থেকে যাবার পক্ষেও ভোট দিতে পারবেন। আর অপর বিরোধী দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা বলছে , তারা ইইউতে থাকতে চান এবং ক্ষমতায় গেলে সাথে সাথেই ব্রেক্সিট বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করবেন।" "যদি এ নির্বাচনে বরিস জনসন একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পান - তাহলে ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে" - বলেন দিয়া চক্রবর্তী। ব্রিটেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করবে কিনা - এ প্রশ্নে ২০১৬ সালের এক গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার ত্যাগের পক্ষে রায় দেন। কিন্তু একে কেন্দ্র করে ব্রিটেনের রাজনীতিতে, পার্লামেন্টে এবং নাগরিক সমাজেও তৈরি হয়েছে তীব্র বিভক্তি। জনমত জরিপে কনসারভেটিভরাই এগিয়ে অবশ্য এ বিভক্তি ব্রেক্সিটপন্থী বরিস জনসন এবং তার কনসারভেটিভ পার্টিকে সহায়তা করতে পারে। জনমত জরিপেও দেখা যাচ্ছে তারাই এগিয়ে। তবে কনসারভেটিভ আর লেবার পার্টির হয়ে যারা ঘরে ঘরে ভোট চাইতে যাচ্ছেন, সেই সব সাধারণ কর্মীরা ভোটারদের ভাবনাচিন্তা সম্পর্কে কী ধারণা পাচ্ছেন? জানতে কথা বলেছিলাম দুই প্রধান দলের দু'জন কর্মীর সাথে। নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পূর্ব লন্ডনের নিউহ্যাম এলাকায় লেবার পার্টির জন্য ভোট চেয়ে লোকের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন লেবার পার্টির কর্মী শান্তু ফেরদৌস। তিনি বলছেন, "সারাক্ষণই আমরা ভোটারদের কাছে যাচ্ছি। ভালো সাড়া পাচ্ছি ভোটারদের কাছ থেকে , তারা চাচ্ছে যে লেবার সরকারই আসুক। এতে ব্রেক্সিট একটা ইস্যু, তবে লোকের মাইন্ড চেঞ্জ হয়েছে। তারা আরেকটা রেফারেন্ডাম চায়, এবং লেবার পার্টি তাদেরকে সে সুযোগ দেবে - চূড়ান্ত রায়ের জন্য। তাতে রায় যা হবে তাই আমরা মেনে নেবো। "লোকে বলছে, আমরা লেবারকেই ভোট দেবো - কারণ আমরা চাই না আমাদের স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা আমেরিকার হাতে চলে যাক। কেউ বাইরে ঘুমাবে না, সবার জন্য হোম হবে, সর্বনিম্ন বেতন ১০ পাউন্ড হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ফ্রি হয়ে যাবে। আমরা আশাবাদী যে জেরেমি করবিনই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন" - বলেন মিজ ফেরদৌস। অন্যদিকে পূর্ব লন্ডনের ইলফোর্ড নর্থ এলাকায় ক্ষমতাসীন দল কনসারভেটিভ পার্টির জন্য ভোট চাইছেন সঞ্জীব ভট্টাচার্য । তার কথা, এবার নির্বাচনে মূল ইস্যুই হচ্ছে ব্রেক্সিট। তিনি বলছে, "জনগণ চায় ব্রেক্সিট ইস্যুর সমাধান হয়ে গেলে আমরা অন্য বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে পারি। এজন্যই আমরা প্রচারের সময় বলছি যে, ব্রেক্সিট হয়ে যাবার পর আমাদের স্কুলে আরো অর্থ দেয়া হবে। আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় ৫০ হাজার নতুন নার্স নিয়োগ হবে, নতুন ডাক্তার, আমাদের এলাকাগুলো নিরাপদ রাখতে ২০ হাজার পুলিশ অফিসার রিক্রুট হবে। জনগণ সেটাই চায়। " "এই যে ব্রেক্সিট নিয়ে এতদিন এই গত তিন বছর ধরে একটা ঝামেলা চললো, জনগণ চায় এটা শেষ হোক। লেবার পার্টির তো দিকনির্দেশনা নেই। তাদের নেতা বরছেন এক কথা, স্থানীয় এমপি বলছেন আরেক কথা, আর প্রার্থী বলছেন আরেক কথা। তাদের ডাইরেকশনটা কি তা কেউ জানে না" - বলছিলেন মি. ভট্টাচার্য। বিবিসির রাজনৈতিক সংবাদদাতা রব ওয়াটসন বলছেন, ব্রেক্সিটের পক্ষের ও বিপক্ষের ভোটাররা কিভাবে ভোট দিচ্ছেন - তার ওপই নির্বাচনের ফল নির্ভর করবে। "২০১৬ সালের গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে যারা ভোট দিয়েছিল তারা সবাই যদি এক হয়ে বরিস জনসনের পার্টিকে ভোট দেয়, এবং ইইউতে থাকার পক্ষের ভোট ভাগ হয়ে যায় অন্য নানা দলের মধ্যে - যেমন লেবার পাটি, লিবারেল ডেমোক্র্যাট, গ্রিন পার্টি বা স্কটল্যান্ডের এসএনপি - তাহলে কনসারভেটিভরাই নির্বাচনে ভালো করবে।" জন ওয়াটসন বলছেন, "বরিস জনসনের পক্ষে যে সমর্থন দেখা যাচ্ছে তা আসলে বিকল্প নেই বলেই। কারণ তিনি আশা করছেন ব্রেক্সিট সমর্থক ১ কোটি ৭৪ লাখ ভোটার সবাই তাকেই ভোট দেবে কারণ তাদের আর কোথাও যাবার জায়গা নেই। তাই বরিস জনসন যদি জেতেন - তিনি এ জন্যেই জিতবেন।" নির্বাচনী প্রচারে লেবার পার্টি নেতা জেরেমি করবিন কিন্তু বরিস জনসন এমন একজন রাজনীতিবিদ, যাকে নিয়ে ব্রিটেনে অনেক বিতর্ক আছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ - তিনি অনবরত মিথ্যে বলছেন, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আছে, এমনকি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও নানা গল্প আছে, এমনকি তার সন্তানের সংখ্যা কত - তা নিয়েও নানা গল্প আছে। অন্যদিকে বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনও রাজনীতিবিদ হিসেবে জনপ্রিয় নন। "এটা ঠিক যে কনসারভেটিভ পার্টি জনমত জরিপগুলোতে এগিয়ে আছে - কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে যে এ নির্বাচনে লোকে যে সবচেয়ে জনপ্রিয় তাকে ভোট দিচ্ছে তা নয়, বরং ভোট দেবে যে সবচেয়ে কম অজনপ্রিয় -তাকে।" "এটাও মনে রাখতে হবে যে মি. জনসন একজন গভীরভাবে অজনপ্রিয় এবং বিতর্কিত রাজনীতিবিদ। কিন্তু এটা একটা ভোটের লড়াই, এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার পার্টি নেতা জেরেমি করবিন হচ্ছেন তার চেয়েও অজনপ্রিয়। কাজেই এ নির্বাচনে যে-ই জিতুন না কেন - তিনি জনপ্রিয় হবেন না" - বলেন রব ওয়াটসন। কিন্তু মি. করবিনের ক্ষেত্রে অনেকেই আপত্তি তুলছেন এই বলে যে তার অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মর্সূচি অতিমাত্রায় বামপন্থী, এবং তার সরকার বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়ে সেবাখাতে খরচ করবেন, ব্রিটেনের ধনীদের ওপর বেশি করে কর বসাবেন এবং এতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি বিঘ্নিত হবে। তা ছাড়া ব্রেক্সিটের ব্যাপারে জেরেমি করবিনের অবস্থান হচ্ছে, তিনি লেবার পার্টির ভেতরে ব্রেক্সিটপন্থী এবং ব্রেক্সিট-বিরোধী উভয় পক্ষকেই সন্তুষ্ট রাখতে চান, তাই কোন স্পষ্ট নীতি নিচ্ছেন না -এটিও হয়তো তার বিরুদ্ধে কাজ করছে, অন্তত জনমত জরিপে। বিভক্ত ব্রিটিশ সমাজ যুক্তরাজ্যের ভোটারদের এক অংশ বলছেন, যেহেতু দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে গণরায় এসেছে - তাই ব্রিটেনকে ইইউ ত্যাগ করতেই হবে। অন্যদিকে আরেক অংশ বলছেন, ব্রেক্সিট হলে ব্রিটেনের অর্থনীতির গুরুতর এবং সুদূরপ্রসারী ক্ষতি হবে - তাই ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেন-ইইউ সম্পর্ক ও বাণিজ্য কিভাবে চলবে তা নিয়ে একটি সুস্পষ্ট চুক্তি হতে হবে, এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার আগে এ প্রশ্নে দ্বিতীয় আরেকটি গণভোট করতে হবে । ব্রেক্সিটপন্থীরা বলছেন, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের অংশ থাকার ফলে নানা ভাবে ব্রিটেনের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা খর্ব হচ্ছে, এবং ইউরোপ থেকে ব্যাপকহারে অভিবাসন হচ্ছে - যার চাপ ব্রিটেনের অবকাঠামো সামলাতে পারছে না। লিবডেম নেত্রী জো সুইনসন এ নিয়েই লেগেছে বিরোধ - এবং গণভোট হয়ে যাবার পর ব্রেক্সিট বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে পার্লামেন্টে বার বার ভোট, দলত্যাগ, আদালতে একাধিক মামলা, পার্লামেন্ট স্থগিত করা, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ - ইত্যাদি নজিরবিহীন সব ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেকে বলছেন, ব্রিটেনে রাজনীতিবিদদের ওপর জনগণের আস্থাই কমে যাচ্ছে। বিশ্লেষক দিয়া চক্রবর্তী বলছেন, "এর কারণ, ভোটাররা দেখছে যে তারা গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিলো কিন্তু তিন বছরেও ব্রেক্সিট হলো না। বরং এমপিরা তাদের ভোট নিয়ে পার্লামেন্টে গিয়ে ব্রেক্সিট ঠেকানোর পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন। ব্রেক্সিটের চুক্তি বার বার পার্লামেন্টে ভোটে হেরে যাচ্ছে।" "তাই তারা মনে করছে, তাহলে ভোট দিয়ে কী লাভ?"- বলছেন দিয়া চক্রবর্তী। বিভক্তির মূলে কী আছে? কিন্তু ব্রিটেনের সাধারণ মানুষের মধ্যে এরকম ব্রেক্সিট প্রশ্নে বিভক্তি তৈরি হয়েছে কেন? দিয়া চক্রবর্তী বলছেন, "এটা অনেকটা আইডেনটিটি বা আত্মপরিচয়ের সম্পর্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।" "আসলে শুরু থেকেই ব্রিটেন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সম্পর্ক ঠিক কতটা ঘনিষ্ঠ হবে, তা নিয়ে দুরকমের মত ছিল। ইউরোপের অনেক দেশ ইউরোকে মুদ্রা হিসেবে গ্রহণ করেছে, কিন্তু ব্রিটেন তার নিজ মুদ্রা পাউন্ড বহাল রেখেছে, শেংগেন নামের বিশেষ ভিসামুক্ত অঞ্চলেও ব্রিটেন যোগ দেয় নি।" দিয়া চক্রবর্তীর কথায়, "অন্যদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যেভাবে 'এভার ক্লোজার ইউনিয়নের' কথা বলছে - তাতে ব্রেক্সিটপন্থীরা মনে করেন যে ইইউ যদি একটি বৃহৎ ফেডারেল সুপারস্টেট হয়ে দাঁড়ায় তাহলে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর স্বাধীন সত্তা হুমকির মুখে পড়বে।" "অন্যদিকে ব্রিটেনের যে লোকেরা ইইউতে থাকার পক্ষে - তারা মনে করেন যে তারা একটা ইউরোপীয় পরিচয়কে ধারণ করতে চান।" - বলেন দিয়া চক্রবর্তী। লন্ডনে ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীরা রব ওয়াটসনের মতে ব্রেক্সিট ইস্যুটি এমনভাবে ব্রিটেনকে বিভক্ত করে ফেলেছে যে - সপ্তদশ শতকের পর গত তিনশ' বছরে এমনটা আর হয়নি । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেনে আর কখনো এত গভীর রাজনৈতিক সংকট দেখা যায় নি। "এই যে বিভক্তি - এর দুটো দিক আছে। ব্রিটেনের রাজনীতিতে বহুকাল ধরেই লেবার ও কনসারভেটিভ এই দুই দলেরই প্রাধান্য চলছে। দু'দলেরই অভ্যন্তরীণ ও বিদেশনীতির মুলে ছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্যপদ। ফলে ইইউ ত্যাগের ব্যাপারটা তাদের ভেতর এক বিরাট আলোড়ন তৈরি করবে এটাই স্বাভাবিক।" "আরেকটা হচ্ছে ব্রিটেনের সমাজে বহুকাল ধরে চলে আসা নানা রকম বিভক্তি। উচ্চশিক্ষিত এবং অল্পশিক্ষিতদের মধ্যে বিভক্তি, অভিবাসন নিয়ে বিভক্তি, কেউ মাল্টিকালচারাল ব্রিটেনের পক্ষে, কেউ বিপক্ষে। ব্রেক্সিট এই বিভক্তিগুলোকে আরো প্রকট করে তুলেছে" - বলেন রব ওয়াটসন। একই কথা বলেন দিয়া চক্রবর্তী। তিনি বলছেন, এটা ব্রিটেনের সমাজ-রাজনীতিতে থাকা বহুদিনের পুরোনো এক বিভক্তির বহি:প্রকাশ। উপদল, দ্বন্দ্ব, কোন্দল প্রধান দুই দলে ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে ভিন্ন ভিন্ন দলের মধ্যেই যে শুধু তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে তাই নয়, একেকটি দলের ভেতরেও এত তীব্র উপদলীয় দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে যে একে কেন্দ্র করে কনসারভেটিভ পার্টির কয়েকজন দল ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন, কয়েকজনকে দলের অবস্থানের বিপরীতে ভোট দেবার জন্য পার্টি থেকে বেরিয়ে যেতে হয়েছে। এরকম কয়েকজন আবার নতুন দল গঠন করেছেন। লেবার ও কনসারভেটিভ উভয় দলের কেউ কেউ প্রকাশ্যেই বলেছেন, তারা ব্রেক্সিটকে ঠেকানোর জন্য এবার লিবডেমকে ভোট দেবেন - যেরকম কথা আগে ব্রিটিশ রাজনীতিতে অনেকেই শোনে নি। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এবার নির্বাচনী শ্লোগানই হচ্ছে 'গেট বেক্সিট ডান' - অর্থাৎ ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করা। তার কথা ৩১শে জানুয়ারি ব্রিটেন অবশ্যই ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করবে । নতুন আলোচনার বিষয় 'ট্যাকটিক্যাল' ভোট? তবে বরিস জনসন যেন কিছুতেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পান - তাহলেই ব্রেক্সিট ঠেকানো যাবে বলে মনে করছে লিবডেমের মতো বিরোধী দলগুলো। যাদের বলা হয় রিমেইনার অর্থাৎ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে থাকার পক্ষে - তারা হয়তো তাদের সব ভোট যেন এক বাক্সে পড়ে অর্থাৎ ট্যাকটিক্যল ভোটের চেষ্টা করবেন - ব্রেক্সিটপন্থীদের হারানোর জন্য । রব ওয়াটসন বলছিলেন, এ চেষ্টা কেউ করলেও তা কঠিন হবে। ব্রিটেশ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তি বার বার ভোটে হেরেছে "আমি কিছু জনমত জরিপে দেখেছি যে অনেকে কৌশলগত বিবেচনায় ভোট দিতে পারেন। কিছু জরিপ বলছে, প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৪ জনই এভাবে ভোট দিতে পারে।" "তবে ব্রিটেনের লোক আগে এভাবে ভোট দেয় নি - কারণ এখানে আসন সংখ্যা ৬শ'রও বেশি, তা ছাড়া নির্বাচনের পদ্ধতি হলো যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে সে-ই জিতবে। ফলে ব্যাপারটা কঠিন। তবে, যে যার পছন্দের পার্টিকেই সবসময় ভোট দেবে - এমন আনুগত্য আগে থাকলেও, এখন কমে গেছে। ফলে কয়েকদিন পরই জানা যাবে ভোটের সময় কি হয়।" দিয়া চক্রবর্তীও বলেন, ট্যাকটিক্যাল ভোটিংএর জন্য বিশেষ করে ইইউতে থাকার পক্ষের কেউ কেউ ওয়েবপেজ তৈরি করে তৎপরতা চালাচ্ছেন, তবে এটা ফলাফলে কতটুকু প্রভাব ফেলে তা এখনো বলা কঠিন। "তাছাড়া ব্রিটেনের আঞ্চলিক দলগুলোর সমর্থকদের যদি এভাবে ভোট দিতে দেয়া হয়, তাহলে তা নানা রকম প্রশ্নেরও জন্ম দিতে পারে" - বলেন তিনি। ইহুদি, মুসলিম বিদ্বেষের অভিযোগ জেরেমি করবিনের ব্যক্তি ইমেজ নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। কিন্তু লেবার পার্টির মধ্যে ইহুদি বিদ্বেষের অভিযোগ তার জন্য সহায়ক হয় নি। রব ওয়াটসনের কথায়, লেবার পার্টি ইহুদিদের ভোট টানতে সমস্যায় পড়বে। ঠিক একই ভাবে কনসারভেটিভ পার্টির ভেতরে ইসলামবিদ্বেষের অভিযোগের কারণে তাদেরও মুসলিমদের ভোট পেতে অসুবিধা হবে। 'যুক্তরাজ্যে' ভাঙন? ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে এ বিভক্তির আরো সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া হতে পারে ব্রিটেনের ওপর। স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের অধিবাসীদের বড় অংশই চায় ব্রিটেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে থাকুক। তাই ব্রেক্সিট হলে যুক্তরাজ্য ভেঙে যেতে পারে এ আশংকা আছে। ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে পদত্যাগ করতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে'কে আরেক দিকে, ব্রেক্সিট হলে ইউরোপের ঐক্যও হুমকির মুখে পড়তে পারে - এমন সম্ভাবনার কথাও অনেকে বলেন। রব ওয়াটসনের মতে - ব্রেক্সিটপন্থীরা হয়তো আশা করছে যে যুক্তরাজ্য অক্ষুণ্ণ রেখেও ব্রেক্সিট সম্ভব, কিন্তু তারা হয়তো খুব ভেবেচিন্তে কথাটা বলছে না। ব্রেক্সিট যে যুক্তরাজ্যের ঐক্যের ওপর প্রচন্ড চাপ ফেলবে - এতে কেউই দ্বিমত করবে না। বরিস জনসন হয়তো ব্রেক্সিট পেতে পারেন কিন্তু তার মূল্য হতে পারে যুক্তরাজ্যের ভেঙে যাওয়া। এসব কারণেই এটাকে বলা হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সব ব্রিটেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। এর ওপর শুধু যে ব্রিটেনের সাথে ইউরোপের সম্পর্কই নির্ভর করছে তাই নয়, বিশ্বে তার অবস্থান, তার পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনৈতিক মডেল - সব কিছুই নির্ভর করছে। এ নির্বাচন দেখিয়ে দিচ্ছে যে ব্রিটেনে রাজনীতিবিদরা কত অজনপ্রিয় হয়ে পড়েছেন, যিনি সরকার গঠন করবেন তিনিও জানবেন যে তার সরকার একটি জনপ্রিয় সরকার নয়। বিবিসি বাংলায়আরো খবর ব্রেক্সিট নিয়ে পাঁচটি প্রশ্ন ও তার উত্তর কেন ব্রেক্সিট নিয়ে নাকাল ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রীকে হারিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ এমপিদের
The election campaign is under way and on 12 December the UK will go to the polls.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
উত্তর কোরিয়ার একটি সমুদ্র সৈকতের ছবি। তাদের মধ্যে হওয়া করমর্দন থেকে শুরু করে তাদের যৌথ সমঝোতায় স্বাক্ষর - সবকিছু থেকেই বিশ্লেষকরা দেখার চেষ্টার করছেন এই আলোচনায় আসলে কতোটা কী অর্জিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কের ভবিষ্যতের ক্ষেত্রেও বা এই সমঝোতার তাৎপর্য কী? কিন্তু সেদিনের কিছু বিষয় ও ঘটনা ছিল, যা নিয়ে লোকজন প্রচুর কথাবার্তা বলছেন। ঠিক কী ঘটেছিল তখন? ১. সমুদ্র সৈকত প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিচিত ছিলেন একজন প্রপার্টি ব্যবসায়ী হিসেবে। তারপরেও এটি বিস্ময়কর যে কেন তিনি উত্তর কোরিয়ার অপরিচিত সমুদ্র উপকূলের কথা উল্লেখ করেছেন। মি. কিমের সাথে বৈঠকের পর তিনি বলেছেন, "তাদের (উত্তর কোরিয়া) দারুণ কিছু সমুদ্র সৈকত আছে। তারা যখন সমুদ্রে তাদের কামান থেকে বিস্ফোরণ ঘটায়, তখন আপনারা সেসব দেখতে পান। সেখানে কি দারুণ সব বাড়িঘর বা কন্ডো হতে পারে না?" যুক্তরাষ্ট্রের সরকার তার নাগরিকদেরকে উত্তর কোরিয়ায় না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছে। এবং বলেছে, যেসব নাগরিক উত্তর কোরিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন তারা যেন যাওয়ার আগে উইলের খসড়া করে যান। ২. পোজ বা ভঙ্গি দুই নেতা যখন একসাথে দুপুরের খাবার খেতে যান, মি. ট্রাম্প তখন খাবারের টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সকৌতুকে জিজ্ঞেস করেন:"ভালো ছবি পাচ্ছেন, সবাই? যাতে আমাদেরকে সুন্দর, হ্যান্ডসাম এবং চিকন দেখায়?" তবে তার এই কথার অর্থ মনে হয় অনুবাদের কারণে হারিয়ে গিয়েছিল। কারণ মি. কিমের চোখেমুখে তখন কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফটোসাংবাদিকদের কাছে জানতে চাচ্ছেন তাদেরকে সুন্দর দেখাচ্ছে কিনা। আরো পড়তে পারেন: প্রিয়াঙ্কার পর এবার এক মুসলিম লেখককে আক্রমণ সৌদি নারীরা এখনও যে ৫টি কাজ করতে পারে না চাঁদ দেখার বিষয়টি চূড়ান্ত হয় কীভাবে? প্রবাসী আয়ে করারোপ: সরকার মনে করছে চক্রান্ত ৩. ভিডিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে সাংবাদিকদেরকে চার মিনিটের একটি ভিডিও দেখানো হয়। এটি খুবই অস্বাভাবিক একটি ঘটনা। ভিডিওটি ছিল কোরীয় এবং ইংরেজি ভাষায়। সংবাদ সম্মেলনে মি. ট্রাম্প বলেছেন যে এই ভিডিওটি তিনি কিম জং-আনকে দেখিয়েছেন। ভিডিওটিতে এমন কিছু দৃশ্য আর মিউজিক যোগ করা হয়েছে যাতে উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে। এর ধারাভাষ্য দিচ্ছেন যিনি, নাটকীয় কণ্ঠে তিনি জিজ্ঞেস করছেন: "এই নেতা কি তার দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যে কাজ করবেন ... তিনি কি শান্তির সাথে হাত মিলিয়ে সমৃদ্ধি উপভোগ করবেন, যে সমৃদ্ধি তিনি আগে কখনো দেখেননি?" সাংবাদিকদের যে ভিডিওটি দেখানো হয় তার একটি স্থির চিত্র। ৪. দ্য বিস্ট আলোচনার পর মি. ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতাকে তার কালো রঙের লিমুজিন গাড়িটি দেখাবেন। গাড়িটি পরিচিত 'দ্য বিস্ট' নামে। ক্যামেরা তখন দুই নেতাকে অনুসরণ করলো। তারা হেঁটে গেলেন গাড়ির দিকে। মি. কিম খুব অল্প সময়ের জন্যে গাড়ির ভেতরটা দেখলেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মি. কিমকে তার গাড়িটি দেখালেন। ৫. কলম সমঝোতায় সই করার জন্যে টেবিলের উপর যে কলমটি রাখা ছিল সেটি ছিল কালো রঙের। তার গায়ে ছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বাক্ষর, সোনালী রঙের। উত্তর কোরিয়ার একজন কর্মকর্তা কলমটি পরীক্ষা করে দেখছেন। কিন্তু এই কলমে সই করেননি মি. কিম। একেবারে শেষ মুহূর্তে মি. কিমের প্রভাবশালী বোন কিম ইউ-জং তার ভাই-এর দিকে একটি বলপয়েন্ট কলম এগিয়ে ধরেন, যা দিয়ে তিনি চুক্তিতে সই করেছেন। পুরো সফরেই উত্তর কোরিয়ার নেতার নিরাপত্তার বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে কলমটি কি রাজনৈতিক না-কি নিরাপত্তার কারণে বদলানো হয়েছে, তা এখনও পরিস্কার নয়। সংবাদ মাধ্যমে এও খবর বেরিয়েছে যে মি. কিম তার সাথে করে একটি ভ্রাম্যমাণ টয়লেট সিঙ্গাপুরে নিয়ে গিয়েছিলেন। কেন? বলা হচ্ছে, যাতে মি. কিমের মলমূত্র থেকে কেউ তার সম্পর্কে জৈব-তথ্য বের করে ফেলতে না পরে। অবশ্য এই খবরটি বিবিসি যাচাই করে দেখতে পারেনি।
US President Donald Trump's meeting with North Korean leader Kim Jong-un in Singapore was a historic event, marking the first time that current heads of the two countries have met.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও তার মতামতকে প্রাধান্য দেয়া হয়। তিনি বলেন, রেভল্যুশনারি গার্ড অর্থাৎ দেশটির এলিট ইউনিট যেটি কিনা বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার জন্য দায়ি- তারা ইরানের "নিরাপত্তা বজায়" রেখেছে। এই ঘটনাটি সামাল দেয়া নিয়ে ইরানের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ এবং অন্য রাষ্ট্রগুলোর সমালোচনা ইরানের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু ২০১২ সালের পর প্রথমবার তেহরানে প্রথম শুক্রবারের নামাজে ইমামতি করে দেয়া ভাষণে তিনি কিছুটা সমর্থন টানার চেষ্টা করেন। গত ৮ই জানুয়ারি উড্ডয়নের কিছু পরেই বিধ্বস্ত হওয়া ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটি তেহরান থেকে কিয়েভে যাচ্ছিল। বিমানের ১৭৬ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়। যাদের মধ্যে ইরান, কানাডা, সুইডেন এবং যুক্তরাজ্যের নাগরিক ছিল। আয়াতোল্লাহ "জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন" এবং বলেন ইরানের "শত্রুরা"- যা বলতে তিনি ওয়াশিংটন ও এর মিত্রদের বোঝান- বিমান ভূপাতিতের ঘটনাকে ব্যবহার করে ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে ড্রোন হামলায় হত্যাকে ধামাচাপা দিতে চাইছে। "বিমান বিধ্বস্ত নিয়ে আমরা যতটাই দুঃখ পেয়েছি আমাদের শত্রুরা ততটাই খুশি হয়েছে,"তিনি বলেন। "তারা খুশি কারণ তারা গার্ড এবং সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার কোন একটা অজুহাত পেয়েছে।" যুক্তরাষ্ট্রের সাথে উত্তেজনার মধ্যে প্রাথমিকভাবে ইরানের কর্তৃপক্ষ দায় অস্বীকার করে কিন্তু আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রেভল্যুশনারি গার্ড স্বীকার করে যে, বিমানটিকে "ক্রুস মিসাইল" ভেবে ভুল করা হয়েছিল। আরো পড়তে পারেন: ইরান-আমেরিকা সংঘাতে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা কোথায় ইরানের বিরোধী দলগুলো কতটা শক্তিশালী? শুক্রবারের নামাজের ইমামতি করছেন আয়াতোল্লাহ খামেনি বিমানটিকে ভূপাতিত করার কয়েক ঘণ্টা আগে, সোলেইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইরাকে মার্কিন দুটি বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ওয়াশিংটন প্রাথমিকভাবে জানায় যে, কেউই হতাহত হয়নি, কিন্তু পরে জানায় যে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক দিন পর প্রচণ্ড ধাক্কাজনিত আঘাতের কারণে ১১ জনকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। আয়াতোল্লাহ আরো কী বলেছে? রাজধানীর মোসাল্লা মসজিদ থেকে জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন ৮০ বছর বয়সী আয়াতোল্লাহ খামেনি। শেষবার তিনি এ ধরণের ভাষণ দিয়েছিলেন ২০১২ সালে দেশটির ইসলামি বিপ্লবের ৩৩ বছর পূর্তিতে। ওয়াশিংটন ইন্সটিটিউট ফর নেয়ার ইস্ট পলিসির মেহদি খালাজি বলেন, রাজধানীতে শুক্রবারের নামাজের ইমামতি করার আলাদা গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য রয়েছে। সাধারণত তখনই এটি করা হয়, যখন ইরানের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ কোন একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে চান। ঐতিহাসিকভাবে, ইরানের নেতারা সাধারণত অনুগত আলেম যারা ভাল বক্তৃতা দিতে পারেন- এমন আলেমদের ইমামতি করার দায়িত্ব দিয়ে থাকেন। সামরিক বাহিনীর পক্ষে সাফাই ছাড়াও আয়াতোল্লাহ আরো যা বলেন তা হলো: •যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের "অশুভ" প্রশাসনের সমালোচনা করেন এবং প্রেসিডেন্টকে তিনি "ভাঁড়" বলে উল্লেখ করেন। •ইরানের জনগণকে সমর্থন দেয়ার ঘটনাকে ওয়াশিংটনের "মিথ্যা" বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র "তার বিষাক্ত ছুরি দিয়ে তাদের আঘাত করবে" কাসেম সোলেইমানির ছবির নিচে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেয় হাজার হাজার মানুষ। •ইরাকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা যুক্তরাষ্ট্রের "মুখে থাপ্পড় মারা"র সামিল •ইরানের এলিট কুদস বাহিনী সম্পর্কে বর্ণনা করেন- যাকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠন বলে উল্লেখ করে থাকে, তিনি একে "মানবিক মূল্যবোধের মানবিক সংস্থা" বলে উল্লেখ করেন। •সোলেইমানির শেষকৃত্য এবং ইরানের সামরিক প্রতিক্রিয়াকে "ইতিহাসের মোড় ঘুড়িয়ে দেয়া" ঘটনা বলে উল্লেখ করেন। •২০১৫ সালের পারমানবিক চুক্তিরে বিষয়ে বিদ্যমান বিবাদটিকে আরো বেশি উস্কে দেয়ার জন্য জার্মানি ও ফ্রান্সের সাথে সাথে ব্রিটিশ সরকারকে "খারাপ" বলে উল্লেখ করেন। এর প্রতিক্রিয়ায়, ইরান বিষয়ক মার্কিন সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি ব্রিয়ান হুক বলেন, ইরান ততদিন একঘরে হয়ে থাকবে যতদিন তারা "বিশ্বকে হুমকির মুখে রাখবে।" বিমান বিধ্বস্তের তদন্তের কি অবস্থা? তদন্তের বিষয়ে আলোচনা করতে ওমানের মাসকটে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করবেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া ফিলিপ শ্যাম্পেন শুক্রবার এক ভাষণে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভ্যন্তরীণ ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়ে বলেন যে, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত কানাডার নাগরিক কিংবা স্থায়ী বাসিন্দাদের স্বজনকে ১৪ হাজার ৭০০ পাউন্ড করে দেয়া হবে। তিনি বলেন, কানাডা আশা করে যে, ইরান নিহতদের স্বজনদেরকে আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দেবে। "আমি তাদের সাথে দেখা করেছি এবং তারা সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে অপেক্ষা করতে পারবে না। তাদের এখন সহায়তা দরকার," অটোয়াতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। লন্ডনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যাম্পেন, অন্য চারটি দেশ- বিমান বিধ্বস্তে যাদের নাগরিক মারা গেছে এমন চার দেশের মন্ত্রীদের সাথে এক বৈঠকের পর এই ঘোষণা আসলো।
Iran's Supreme Leader Ayatollah Ali Khamenei has defended the country's armed forces after it admitted shooting down a passenger plane by mistake.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ডিমা নাচাউই-র একটি ছবি প্রথম দেখায় ডিমা নাচাউই-র ছবিগুলো দেখলে মনে হবে এ ছবি পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তেরই ভালোবাসার ছবি হতে পারে। কিন্তু একটু খুঁটিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, না - এ ছবিতে সম্পূর্ণ অন্য গল্পও আছে। সে গল্প বিমান হামলার, সে গল্প আঘাতের, এবং মৃত্যুর। আসলে এ ছবি হল সিরিয়ার ইস্টার্ন ঘৌটা অঞ্চলে সত্যিকারের মানুষ কীভাবে বেঁচে আছে - এবং ভালও বাসছে - তারই। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুটেরেস এ অঞ্চলকে বর্ণনা করেছেন 'পৃথিবীর বুকে এক নরক' হিসেবে। ডিমার কথায়, "তবুও কিন্তু এখানকার বাসিন্দারা তাদের রোজকার জীবন যাপন করছে, তারা প্রেমেও পড়ছে - এবং ভালবাসার জনকে বাঁচানোর চেষ্টাও করছে!" ডিমা বড় হয়েছে সিরিয়াতেই। কিন্তু বহু বছর আগে দেশ ছাড়ার পর তিনি এখন বৈরুটের বাসিন্দা, আর সেখানেই একজন শিল্পী হিসেবে তিনি নিজের কেরিয়ার গড়ে তুলেছেন। সিরিয়ার পরিস্থতি নিয়ে নানা ধরনের সৃষ্টিশীল প্রকল্পেও তিনি নিজেকে যুক্ত রেখেছেন। তার এই 'প্রেম হল ...' কালেকশনটা সদ্যই সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে। এর ছবিগুলো সত্যিকারের মানুষের জীবন নিয়ে, আর তাদের সম্পর্কে সিরিয়ার সংঘাত কী প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে। প্রতিটি ছবিতেই ডিমা তুলে ধরেছেন আলাদা আলাদা, অনামা কোনও দম্পতিকে - আর তাদের পরিচয় সম্পর্কে খুব কম তথ্যই তিনি প্রকাশ করেছেন। "এই প্রোজেক্টটা ছিল ভীষণই কঠিন - বিশেষ করে যে ছবিটায় মেয়েটি মারা যায়, সেটি", ডিমা বলছিলেন নিচের ছবিটার দিকে আঙুল দেখিয়ে। "ছবিটা কেমন দেখতে লাগবে সেটা যেমন আমি ভাবছিলাম, তেমনি ছবিটা আঁকার সময় আমার মনটাও ভারাক্রান্ত হয়ে ছিল। "আসলে যার শেষটা সুখের নয়, সে ছবি আঁকাটা ভীষণ, ভীষণ কঠিন।" "কিন্তু আমি কৃতজ্ঞ যে এই সুযোগে আমি সিরিয়ানদের জীবনের অন্য দিকটাও দেখার সুযোগ পেয়েছি। জীবনের এই দিকটায় তারাও বাঁচেন, তারাও ভালবাসেন - এবং তারা সেখানে কিন্তু ভিক্টিম নন।" "আমার ছবিগুলোতে আমি তাদের ঠিক সেই দিকটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।" এদিকে বিদ্রোহী-অধিকৃত ইস্টার্ন ঘৌটা থেকে দলে দলে মানুষের পালিয়ে যাওয়ার খবর আসছে, বলা হচ্ছে সেখানকার পরিস্থিতি 'সঙ্কটজনকের চেয়েও খারাপ'। সামান্য কিছু ত্রাণ সেখানে পৌঁছেছে ঠিকই - কিন্তু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো বলছে আরও অনেক বেশি সহায়তা পাঠানো দরকার। গত কয়েক সপ্তাহে সাতশোরও বেশি মানুষ সেখানে মারা গেছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই শিশু। ডিমা নাচাউই-র একটি ছবি তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে যেভাবে সিরিয়ার মানুষের ছবি তুলে ধরছে, ডিমা তাতে আদৌ খুশি নন। "মানুষ হিসেবে আমাদের যেন শরণার্থী ও ভিক্টিম হিসেবে স্টিরিওটাইপ করে ফেলা হচ্ছে", গভীর খেদের সঙ্গে বলছিলেন তিনি। "আমি তো বরং সিরিয়ার মানুষের সঙ্গে সেটা নিয়েই কথা বলতে চাইব যে কীভাবে তারা বাঁচার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, কীভাবে তাদের রোজকার দিন কাটছে।" "তবে যখনই আমার খারাপ লাগে, আমি কিছু-না-কিছু করার চেষ্টা করি। আমি জানি আমার ছবির ভক্তরা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছেন - আমি তাদের কাছে একটা বার্তা পৌঁছে দিতে চাই, সিরিয়া নিয়ে এমন কিছু তাদের জানাতে চাই যেটা তারা আগে জানতেন না!" "আমার ছবি আর শিল্পকলাই এই কাজে আমার একমাত্র হাতিয়ার। ঠিকই, আমি হয়তো সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে খুব একটা বড় কোনও পরিবর্তন আনতে পারব না।" "কিন্তু আমি এটা জানি আমার ছবি সিরিয়ার সাংস্কৃতিক স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার কাজটা করছে, পরবর্তী প্রজন্ম যেটা দেখে জানতে পারবে আসলে সে দেশে তখন কী ঘটেছিল!" আমাদের পেজে আরও পড়তে পারেন: বিবাহ-বহির্ভূত প্রেম, নির্যাতনে অভিযুক্ত ক্রিকেটার শামি বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা? মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব কি সত্যিই হিন্দু বিদ্বেষী ছিলেন?
Friends sitting round a Christmas tree, two long-distance lovers talking on the phone, a man fixing the internet connection for his partner.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ফেসবুকের তথ্য ফাঁস কেলেঙ্কারিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৮ কোটি ৭০ লাখ মানুষ বিবিসিকে জানানো হয়েছে এদের মধ্যে প্রায় ১১ লাখ অ্যাকাউন্ট যুক্তরাজ্য ভিত্তিক। এই কেলেঙ্কারি ফাঁস করে দেয়া ক্রিস্টোফার ওয়াইলির বরাত দিয়ে এর আগে বলা হয়েছিল প্রায় ৫ কোটি মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফেসবুকের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মাইক স্ক্রফারের ব্লগে প্রকাশ করার পর নতুন এই তথ্য উঠে আসে। 'দিস ইজ ইওর ডিজিটাল লাইফ' নামের একটি কুইজ অ্যাপের মাধ্যমে এই তথ্য ফাঁস সম্ভব হয়েছে। ফেসবুক ধারণা করছে ৩ লাখেরও বেশী মানুষ এই অ্যাপটি ব্যবহার করেছেন। আগে বরা হয়েছিল এই সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজার। অ্যাপ ব্যবহারকারীদের প্রায় ৯৭% যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী। মোট ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ১ কোটি ৬০ লাখ যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের। যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে জানান কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আগে তারা এই বিষয়ের তথ্য-প্রমাণাদি নিয়ে আরো যাচাই করবে। এই কেলেঙ্কারি প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ফেসবুক। কর্তৃপক্ষ জানতো যে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা লক্ষাধিক ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু লন্ডন ভিত্তিক সংস্থাটি সেসময় দাবী করে যে তারা সেসব তথ্য মুছে দিয়েছে। এই বক্তব্যের উপর বিশ্বাস করে ফেসবুক। চ্যানেল ফোর নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী ফাঁস হয়ে যাওয়া কিছু তথ্য এখনো পাওয়া যাচ্ছে। যদিও ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা বলছে তারা তাদের কাছে থাকা তথ্য নষ্ট করে দিয়েছে। ১১ই এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের 'হাউজ অব কমন্স'এ এই বিষয়ে নিজের যুক্তি তুলে ধরবেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। গ্রাহকের অজ্ঞাতে বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশে তাদের তথ্য ব্যাবহার করার এই খবর রটে গেলে, ফেসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গকে ব্রিটিশ সংসদে তলব করা হয়। এ বিষয়ে তাদের ভুল হয়েছিল স্বীকার করেন মি. জাকরাবার্গ এবং গ্রাহকদের তথ্য তৃতীয় পক্ষের হাতে চলে যাবার এই ঘটনাটিকে 'গ্রাহকদের সাথে বিশ্বাসভঙ্গ' করার সামিল বলে ফেসবুকে দেয়া বিৃবতিতে মন্তব্য করেন । ফেসবুকের পদক্ষেপ বিভিন্ন এ্যাপ ভবিষ্যতে যাতে ফেসবুককে ব্যাবহার করে গ্রাহকদের তথ্য সহজে হাতিয়ে নিতে না পারে সেজন্য সামনের দিনগুলোতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন মার্ক জাকারবার্গ। ফেসবুকের শীর্ষ প্রযুক্তি কর্মকর্তা মি. স্ক্রফার ফেসবুকের নিতে যাওয়া পদক্ষেপগুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন। সেগুলো হলো:
Facebook believes the data of up to 87 million people was improperly shared with the political consultancy Cambridge Analytica - many more than previously disclosed.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
হামজা বিন লাদেনকে তার পিতার সম্ভাব্য উত্তরসূরী বলে মনে করা হতো গত মাসে আমেরিকার সংবাদ মাধ্যম গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে এক বিমান হামলায় তার নিহত হবার খবর প্রকাশ করে। দু বছর আগে আমেরিকা তাকে বিশ্ব সন্ত্রাসী হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে চিহ্ণিত করে। ব্যাপকভাবে মনে করা হতো যে হামজা বিন লাদেন তার পিতা ওসামা বিন লাদেনের সম্ভাব্য উত্তরসূরী। হামজার বয়স ধারণা করা হয় প্রায় ৩০বছর। তিনি আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশের ওপর আক্রমণ চালানোর ডাক দিয়েছিলেন। ''হামজা বিন লাদেন, আল কায়দার শীর্ষ পর্যায়ের সদস্য এবং ওসামা বিন লাদেনের পুত্র, আফগানিস্তান/পাকিস্তান এলাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চালানোর সন্ত্রাস বিরোধী এক অভিযানে নিহত হয়েছেন,'' হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছেন মি: ট্রাম্প। ''হামজা বিন লাদেনের মৃত্যু আল কায়দার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বপদে শূন্যতা সৃষ্টি করবে এবং তার বাবার সঙ্গে হামজার প্রতীকী যোগাযোগের জায়গাটাও তার মৃত্যুতে ধাক্কা খাবে। শুধু তাই নয়, দলের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমও এর ফলে বাধাগ্রস্ত হবে।'' আমেরিকা কখন এই অভিযান চালিয়েছে তা বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়নি। মাত্র ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকান সরকার হামজাকে ধরিয়ে দেবার জন্য দশ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ওসামা বিন লাদেনের ছেলে 'মারা গেছেন' ওসামা বিন লাদেনের ছেলে সম্পর্কে যেসব তথ্য জানা যায় বিন লাদেনের ছেলে হচ্ছেন আল কায়েদার নতুন নেতা? Only childhood videos of Hamza bin Laden had been seen before this wedding footage হামজা বিন লাদেনকে মনে করা হতো আল কায়দার উঠতি নেতা। অগাস্ট মাসে খবর দেওয়া হয় যে গত দুই বছরে কোন সময়ে এক সামরিক অভিযানে হামজা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন এবং ওই অভিযানে আমেরিকা জড়িত ছিল। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট তারিখ বা সময় স্পষ্ট করে বলা হয়নি। আল কায়দা: মূল তথ্য কাবুলের কাছে ২০০১ সালে ওসামা বিন লাদেন বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যোগাযোগ বন্ধের সমালোচনা সৌদি তেল শোধনাগারের ওপর ড্রোন হামলা কিসের ইঙ্গিত নাইন-ইলেভেন শিশু জন্মাল ১১/৯ ন'টা ১১-এ ওজনও ৯:১১
US President Donald Trump has confirmed that Hamza Bin Laden, the son of al-Qaeda founder Osama Bin Laden, was killed in a US operation.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
কয়েক মাস আগেই সিনিনাত ওংভাজিরাপাকদিকের এই ছবি তার রাজকীয় জীবনবৃত্তান্তে প্রকাশিত হয়েছিল গত জুলাই মাসে নতুন রানীর পাশাপাশি সিনিনাত ওংভাজিরাপাকদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজার 'সঙ্গী' হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু রাজপ্রাসাদ থেকে জানানো হয় যে, "নিজেকে রানীর সমকক্ষ" হিসেবে তুলনা করায় সিনিনাতকে এই সাজা দেয়া হয়েছে। কিছু কিছু পর্যবেক্ষকের মতে, তার এই পতন একদিকে যেমন থাইল্যান্ডের রাজ শাসন সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেয়, ঠিক তেমনি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়েও বর্ণনা করে। নতুন সম্রাট, রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ন ২০১৬ সালে তার বাবা মারা যাওয়ার পর ক্ষমতায় বসেন। দেশটির রাজকীয় আইন অনুসারে রাজ শাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা নিষেধ এবং এর জন্য কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। সঙ্গী কী? সঙ্গী বলতে সাধারণত ক্ষমতায় থাকা রাজার একজন স্ত্রী, স্বামী কিংবা সহচরকে বোঝায়। কিন্তু থাইল্যান্ডে এ ক্ষেত্রে কনসোর্ট বা "রাজকবীয় সঙ্গী" বলতে রাজার স্ত্রীর পাশাপাশি আরেকজন সঙ্গিনী বা অংশীদারিকে বোঝানো হয়েছে। প্রায় এক শতাব্দী পর, প্রথমবারের মতো কোন রাজসঙ্গী হয়েছিলেন ৩৪ বছর বয়সী সিনিনাত। গত জুলাই মাসে যখন তাকে এই উপাধি দেয়া হয়েছিল তখন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি রাজার সঙ্গী হিসেবে গণ্য হন। তবে এই উপাধি অনুযায়ী তিনি অবশ্যই রানী নন। ওই সময়ে রাজা তার চতুর্থ স্ত্রীকে বিয়ে করেন যিনি হলেন রানী সুথিদা। ঐতিহাসিকভাবে, থাইল্যান্ডে বহুগামিতার প্রচলন ছিল। সাধারণত রাজ্যের বড় বড় প্রদেশের প্রভাবশালী পরিবারের সাথে মিত্রতা বজায় রাখতে সেসব পরিবার স্ত্রী বা সঙ্গী গ্রহণ করতেন রাজারা। থাই রাজারা কয়েক শতাব্দী ধরে বহু বিবাহ বা একাধিক সঙ্গী গ্রহণ করে আসছেন। সব শেষ ১৯২০ সালে একজন থাই রাজা আনুষ্ঠানিকভাবে একজন সঙ্গী গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৩২ সালে দেশটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে পরিণত হওয়ার পর থেকে কোন রাজা আর এমন সঙ্গী গ্রহণ করেননি। সিনিনাত সম্পর্কে কী জানা যায়? রাজসভার মাধ্যমে প্রকাশিত কিছু বায়োলজিক্যাল তথ্য ছাড়া তার সম্পর্কে আর বিস্তারিত তেমন কিছু জানা যায় না। "রাজ পরিবার তার অতীত সম্পর্কে আমাদেরকে যতটুকু জানাতে চেয়েছে আমরা শুধু সেটুকুই জেনেছি," বলেন কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পাভিন চাচাভালপংপান। ১৯৮৫ সালে থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে জন্মেছিলেন তিনি এবং শুরুতে নার্স হিসেবে কাজ করেছেন। তৎকালীন ক্রাউন প্রিন্স ভাজিরালংকর্নের সাথে সম্পর্কের পর তিনি রয়্যাল সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন। তিনি একাধারে একজন দেহরক্ষী, পাইলট, প্যারাসুটিস্ট এবং রয়্যাল গার্ডের সদস্য। চলতি বছরের শুরুর দিকে তাকে মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়। তার সম্মান আরো বাড়ে যখন এক শতাব্দী পর গত জুলাই মাসে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজার সঙ্গীর মর্যাদা দেয়া হয়। থাইল্যান্ডের সাবেক রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশ নেন সিনেনাত এর পর পরই, রাজ প্রাসাদ থেকে তার দাপ্তরিক জীবন বৃত্তান্ত প্রকাশ করা হয় যেখানে তার ফাইটার জেট চালানোর ছবিসহ বেশ কিছু অ্যাকশন ইমেজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তবে দাপ্তরিক ওয়েবসাইট থেকে এখন সেগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তার সাথে এখন কী হবে? "রাজ শাসনের প্রতি আনুগত্যহীনতা এবং অশোভন আচরণের" অভিযোগে সিনিনাতের পদ এবং উপাধি বাতিল করা হয়েছে বলে রাজ দরবারের প্রকাশিত এক ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই ঘোষণাপত্রে বলা হয়, সে অনেক বেশি 'উচ্চাকাঙ্ক্ষী' এবং নিজেকে "রানীর সমতুল্য বলে তুলনা করেছে"। সেই সাথে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজার পক্ষ থেকে হুকুম দিতে শুরু করেছে। এতে বলা হয়, রাজা জানতে পেরেছেন যে, "তাকে যে উপাধি দেয়া হয়েছিল সে তার জন্য কৃতজ্ঞ ছিল না এবং তার মর্যাদা অনুযায়ী সে যথোচিত ব্যবহার করেনি।" করনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস এবং থাই অধ্যাপনা বিভাগের অধ্যাপক তামারা লুস বলেন, পুরো বিষয়টি বুঝতে হলে আসলে কি ঘটেছে সে বিষয়ে স্বচ্ছতা প্রয়োজন। রাজা আসলে একটি বার্তা দিচ্ছেন যেটি শুধু তার সঙ্গীর পতন নয় বরং আরো বেশি অর্থবহ "এ ধরণের যেকোন পরিস্থিতিতে ঘটনার পেছনে এক ধরণের পৃষ্ঠপোষক ব্যবস্থা থাকে। সিনিনাত হয়তো এ ধরণেরই কোন পৃষ্ঠপোষক ব্যবস্থায় পড়েছে এবং সে হয়তো এমন এক পথ অনুসরণ করেছে যা আসলে তার পক্ষে কাজ করেনি," রাজদরবারে দলবাজির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, তার পতন সম্পর্কে দেয়া ঘোষণাপত্রের ভাষা এমন এক যুগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় যেখানে নারীরা সরাসরি রাজনৈতিক ক্ষমতা পেতে পারে না। আর তাই আপনি যাকে নারীর প্রভাব বলে উল্লেখ করবেন সেখানে তাকে নারীর উচ্চাকাঙ্ক্ষা বলে উল্লেখ করা হয়।" মিস লুস এর মতে এই ঘোষণাপত্র আসলে "থাইল্যান্ডে আধুনিক রাজতন্ত্রের উদ্ভবের" চিহ্ন। তার জন্য কী অপেক্ষা করছে? এখন পর্যন্ত সিনিনাতের পদ এবং উপাধি বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু তার জন্য ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে সে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়। "আমাদের কোন ধারণা নেই যে, তার সাথে আসলে কি হতে পারে," মি. পাভিন বলেন। তিনি উল্লেখ করেন যে এই প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তার অতীত যেহেতু রাজদরবার নিয়ন্ত্রণ করেছে তাই তার ভবিষ্যতও নির্ভর করবে রাজদরবারের উপরই। সিনিনাতের এই পতনের পর সহজেই ধারণা করা যায় যে, রাজা ভাজিরালংকর্নের অন্য দুই স্ত্রীর সাথে কী ঘটনা ঘটেছিল। ১৯৯৬ সালে তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী সুজারিনে ভিভাচারাঅংসের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রকাশ করেন- যিনি পরে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। একইসাথে ওই স্ত্রীর সাথে তার চার ছেলেকেও ত্যাগ করেন তিনি। ২০১৪ সালে, তার তৃতীয় স্ত্রী শ্রিরাসমি সুয়াওদে- যার সম্পর্কে কোন খোঁজ জানা যায় না- তারও সব পদ এবং উপাধি বাতিল করা হয়েছিল এবং তাকে রাজদরবারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয় তার বাবা-মাকেও। তাদের একমাত্র ছেলে যার বয়স এখন ১৪ বছর রাজা ভাজিরালংকর্নের কাছে রয়েছে। এর আগে তার স্ত্রীরা তাদের অবস্থা সম্পর্কে কখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। এটা আরো কী জানান দেয়? রাজা হওয়ার পর থেকেই নিজের বাবার তুলনা ক্ষমতাকে অনেক সরাসরিভাবেই ব্যবহার করছেন রাজা ভাজিরালংকর্ন। চলতি বছরের শুরুতে, রাজধানী ব্যাংককের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেনাবাহিনীকে তার অধীনে ন্যস্ত করা হয়। যা সামরিক ক্ষমতা রাজার হাতে কেন্দ্রীভূত হওয়াকে নির্দেশ করে যদিও আধুনিক থাইল্যান্ডে এটা নজিরবিহীন। "সিনিনাতের সমালোচনায় রাজদরবার যে নির্মম ও কট্টর ভাষা ব্যবহার করেছে তা থেকেই আভাস পাওয়া যায় যে, কিভাবে রাজা তার শাস্তিকে বৈধতা দিতে চান," মি. পাভিন ব্যাখ্যা করেন। নিজের বাবার মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন রাজা ভাজিরালংকর্ন মিস লুস এ কথায় একমত প্রকাশ করেছেন যে, রাজা আসলে একটি বার্তা দিচ্ছেন যেটি শুধু তার সঙ্গীর পতন নয় বরং আরো বেশি অর্থবহ। "রাজা এক ধরণের সংকেত দিচ্ছেন যে, কেউ একবার রাজার বিপক্ষে গেলে তার ভবিষ্যতের উপর আর তার নিজের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।" "তার যেকোন সিদ্ধান্ত তা সে অর্থনৈতিক, সামরিক কিংবা পারিবারিক যাই হোক না কেন, তার ক্ষমতার অবাধ অপব্যবহারকেই নির্দেশ করে," তিনি বলেন। দেশটির প্রচলিত আইন অনুযায়ী, বিতর্কিত এই পদাবনতি সম্পর্কে প্রকাশ্যে আলোচনা করা যাবে না- কিন্তু পর্যবেক্ষকরা বিশ্বাস করেন যে, নাটকীয় এই ঘটনা অনেক মানুষের মনেই নাড়া দেবে। আরো পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে সরব মাহাথির মূল্য দিচ্ছেন পাম তেলে? 'শীতের আগেই এক লাখ রোহিঙ্গা যাচ্ছে ভাসানচরে'
Thailand's king stunned observers on Monday by stripping his royal consort of her rank and titles, just months after she was granted the honours.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
জাতিসংঘ অধিবেশনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিশ্বে মহামারি ছড়িয়ে পড়ার জন্য চীনের জবাবদিহি চেয়েছেন মি. ট্রাম্প। চীনের প্রেসিডেন্ট শী জিনপিং তার বক্তব্যে বলেছেন, কোন দেশের সঙ্গে স্নায়ু যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছা নেই তার দেশের। বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে এই দুই বিশ্ব শক্তির মধ্যে বিরোধ চলছে। নিউইয়র্কে এই বছরের জাতিসংঘের সম্মেলন মূলত ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে বিশ্ব নেতারা আগে থেকে রেকর্ড করে রাখা বক্তব্য সরবরাহ করেছেন। এর ফলে জাতিসংঘের বড় অধিবেশনগুলোয় ভূ-রাজনৈতিক যেসব চিত্র বা ঘটনা দেখা যায়, তা এবার অনুপস্থিত। প্রতিটি সদস্য দেশের একজন করে প্রতিনিধি অধিবেশনে প্রতিনিধিত্ব করছেন। ফলে এক দেশের সঙ্গ অন্য দেশের বাকযুদ্ধের সীমিত সুযোগ রয়েছে। তবে বরাবরের মতোই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসংঘ অধিবেশনে তার বক্তব্যে নিজের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি প্রতিপক্ষের প্রতি বিষোদগার করেছেন। ''চীন - বিশ্বে যে এই মহামারি ছড়িয়ে দিয়েছে, আমাদের অবশ্যই সেই জাতিকে জবাবদিহি করতে হবে,'' বক্তব্যে বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ''ভাইরাস শুরুর প্রথম দিকে চীন স্থানীয়ভাবে ভ্রমণ বন্ধ করে দিয়েছে, অথচ চীন থেকে ফ্লাইট চলাচল চালু রেখে বিশ্বকে সংক্রমিত করেছে। এমনকি যখন তারা দেশের ভেতর ফ্লাইট বাতিল করেছে এবং নাগরিকদের ঘরের ভেতর আটকে রেখেছে, তখনো তারা তাদের দেশে আমার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে।'' বলেছেন মি. ট্রাম্প। করোনাভাইরাস মোকাবেলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের সামনে নিজেই চাপের মধ্যে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্প এর মধ্যেই কয়েকবার বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে বলেছেন, তারা ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পারতো। তবে এসব বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে চীন। করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। আরো পড়তে পারেন: চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব কি পরিণতি ডেকে আনতে পারে? থামার আগে যে ক্ষতি করেছে মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের প্রতিশোধ, চীনে এবার মার্কিন দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ বিশ্বে কি নতুন আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হলো? নিউইয়র্কে এই বছরের জাতিসংঘের সম্মেলন মূলত ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে বিশ্ব নেতারা আগে থেকে রেকর্ড করে রাখা বক্তব্য সরবরাহ করেছেন। বাণিজ্য, প্রযুক্তি, হংকং এবং জিনজিয়ান প্রদেশে মুসলমানদের ওপর নিপীড়নের ঘটানর মতো বেশে কিছু বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনে মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র নেতার পরে দেয়া বক্তব্যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং 'সভ্যতার সংঘাতের' ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। সংলাপ এবং আলোচনার মাধ্যমে অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য এবং বিরোধ নিষ্পত্তি করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবো। আমরা কেবল নিজেদের উন্নয়ন করতে চাই না।'' তিনি বলেছেন। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভাষণের আগে প্রকাশ করা অংশে দেখা যাচ্ছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর এক চোট নিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ''কোন দেশের অধিকার নেই বৈশ্বিক বিষয়গুলোকে প্রভাবিত করার, অন্যদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা অথবা শুধু নিজের উন্নয়নের জন্য সুবিধা নেয়ার।'' যদিও চীনের বিরুদ্ধেও এসব সমালোচনা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট শি তার ভাষণে আরো বলেছেন যে চীন- যে দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গতকারী- ২০৩০ সালের মধ্যে গ্যাস নির্গমন কমিয়ে আনা আর ২০৬০ সালে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: করোনাভাইরাস থেকে কি ডেঙ্গু সুরক্ষা দেবে? মুসলিম হওয়ায় হোটেল থেকে শিক্ষকদের তাড়িয়ে দেয়া হল পশ্চিমবঙ্গে চীনে ইমেল ব্যবহার করা হয় না কেন? ডাকসু'র সাবেক ভিপি নূরের বিরুদ্ধে ফের মামলা
Tensions between the US and China came to the fore of the annual UN General Assembly in New York, with US President Donald Trump blaming China for the spread of coronavirus.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
মহামারির শুরু থেকেই সোশাল মিডিয়ায় অনেক ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে। 'প্ল্যানডেমিক' নামে পরিচিত এই ভিডিওটি তৈরি হয়েছে ডকুমেন্টারির আদলে। নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের ওপর যেসব ভিডিও রয়েছে এর মান তার চেয়ে উন্নত। করোনাভাইরাসের উৎপত্তি এবং তার বিস্তার সম্পর্কে ভিডিওটি ভুয়া মেডিকেল তথ্যে ভরপুর। ছাব্বিশ মিনিটের এই ভিডিওটি আপলোড করা হয় চলতি সপ্তাহের গোড়াতে। এরপর ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার এবং নানা ওয়েবসাইটে এটি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। এই ভিডিওতে যেসব দাবি করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে: করোনাভাইরাস ল্যাবরেটরিতে তৈরি হয়েছে, এটি প্রকৃতিগতভাবে তৈরি হয়নি, ফেস মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করলে মানুষ আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে, এবং সমুদ্র সৈকত বন্ধ করে দেয়া পাগলামি - কারণ নোনা পানিতে এক ধরনের ক্ষুদ্র কণিকা রয়েছে যার কারণে করোনাভাইরাস সেরে যায়। কিন্তু এসব দাবির কোনটির জন্য ঐ ভিডিওতে কোন ধরনের নির্ভরযোগ্য বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের অনেকেই জানেন যে কোথায় আসল খবর পাওয়া যাবে। ভিডিওতে আরও বলা হয়েছে যে করোনাভাইরাসে মৃতের ভুল সংখ্যা প্রচার করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য: বিশ্বের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই ভিডিও দেখেছে এবং তারপর ফেসুবক, ইউটিউব এবং ভিমিও ভিডিওটি সরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এতে ঐ ভিডিওর নির্মাতারই সুবিধে হয়েছে, কারণ সে দাবি করতে পারছে যে এই ভিডিও মুছে ফেলার প্রচেষ্টাও আসলে বিশ্বব্যাপী এক ষড়যন্ত্রের অংশ। করোনাভাইরাস মহামারিকে কেন্দ্র করে বিপুল পরিমাণ মিথ্যে তথ্য ছড়ানো হবে এই আশঙ্কায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো তাদের নীতিমালায় আগাম পরিবর্তন ঘটায়। টুইটার কর্তৃপক্ষ বলছে, 'অসমর্থিত দাবি' রয়েছে এমন সব পোস্ট তারা ডিলিট করবে। ফেসবুক বলেছে, গ্রাহকরা যাতে নির্ভরযোগ্য তথ্য দেখতে পায় সেজন্য তারা কিছু টুল ব্যবহার শুরু করেছে। ইউটিউব বলছে, "ঐ নির্দিষ্ট ভিডিওটি তারা সরিয়ে দিয়েছে কারণ সেখানে করোনাভাইরাসের ওষুধ সম্পর্কে এমন দাবি করা হয়েছে যার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।" যে সাত ধরনের মানুষ ভুয়া তথ্য ছড়ায় বাংলাদেশে কোন জেলায় কতজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত কেন করোনাভাইরাসে বেশি মারা যাচ্ছে কৃষ্ণাঙ্গ ও এশিয়রা মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা এক বাংলাদেশি ডাক্তারের অভিজ্ঞতা
Major social networks are rushing to take down a new coronavirus conspiracy theory video which has rapidly spread across the internet.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র সাথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মি. ট্রাম্প ব্রাসেলসে নেটোর সম্মেলন শেষে তিনদিনের এক সফরে বৃহস্পতিবার লন্ডনে এসে পৌঁছেছেন। মি. ট্রাম্পের এই সফর-সূচি চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই এই প্রতিবাদ বিক্ষোভের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সকাল থেকেই রাস্তায় রাস্তায় এই প্রস্তুতি চোখে পড়ছে, যেখানে বিক্ষোভকারীরা ব্যানার ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন স্থানে জড়ো হতে শুরু করেছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুসলিম ও অভিবাসনবিরোধী নীতিসহ আরো কিছু সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে বর্ণবাদী আচরণেরও। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের আটক করার পর তাদের পরিবার থেকে শিশুদেরকে বিচ্ছিন্ন করে রাখারও তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। মি. ট্রাম্পের মুখের আদলে তৈরি বেলুন। বেলুনটি সাত মিটার লম্বা। আরো পড়তে পারেন: রাশিয়া বিশ্বকাপ: হুইলচেয়ারে ক্রোয়েশিয়া থেকে রাশিয়া পাকিস্তানে নির্বাচন: কেমন করবেন বেনজির পুত্র বিলাওয়াল থাই কিশোরদের উদ্ধারের পর কিছু প্রশ্ন এবং তার জবাব এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে লন্ডনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এজন্যে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশকে সারা দেশ থেকে পুলিশ পাঠিয়ে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এজন্যে খরচ হবে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ ডলার। এই বিক্ষোভের ব্যাপারে সচেতন আছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেও। বলেছেন, এনিয়ে তিনি মোটেও উদ্বিগ্ন নন। ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মি. ট্রাম্প বলেছেন, "প্রতিবাদ হবে কারণ প্রতিবাদ তো সবসময়ই হয়।" তিনি আরো বলেন, "কিন্তু আমার বিশ্বাস যুক্তরাজ্য, স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের জনগণ তাকে খুব পছন্দ করেন।" তিনি এও বলেন, " কারণ অভিবাসন বিষয়ে তারা আমার সাথে একমত পোষণ করেন।" মি. ট্রাম্প ব্রিটিশ সরকারের 'ব্রেক্সিট পরিকল্পনার' সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ব্রিটেন যদি এধরনের চুক্তি করে তাহলে সেটা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চুক্তির সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দিতে পারে। "আমি এটা অন্যভাবে করতাম। আমি আসলে টেরেসা মে-কে বলেছিলাম কীভাবে কি করতে হবে, কিন্তু তিনি তো আমার কথা শোনেন নি।" প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর ডাওনিং স্ট্রিট থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র সাথে তার সম্পর্ক "খুবই জোরালো।" প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লন্ডনের মেয়র সাদিক খানেরও সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনে মি. খান 'জঘন্য কাজ' (টেরিবেল জব) করছেন। তিনি বলেছেন, "ভয়াবহ সবকিছু হচ্ছে। নিয়ে আসা হয়েছে অপরাধও।" প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই মন্তব্যের জবাবে সাদিক খান বলেছেন, অপরাধের জন্যে অভিবাসীদের দায়ী করা অযৌক্তিক। সাদিক খান বলেন, "এটা খুব মজার ব্যাপার যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অন্যান্য শহরের মেয়রদের সমালোচনা করেন না।" পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মেয়র সাদিক খানের সাথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরোধ শুরু থেকেই। যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর মি. খান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট মেয়র সাদিক খানকে আক্রমণ করেছিলেন। ট্রাম্পবিরোধী এই প্রতিবাদে সায় আছে সাদিক খানেরও। তবে তিনি প্রতিবাদকারীদের শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিক্ষোভ করার আহবান জানিয়েছেন। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাছে মি. ট্রাম্পের মতো দেখতে সাত মিটার লম্বা একটি বেলুন উড়ানো হয়েছে। মি. ট্রাম্পের মুখের আদলে ক্রন্দনরত শিশুর আকৃতিতে এই বেলুনটি তৈরি করা হয়েছে। মেয়র সাদিক খানের সাথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরোধ আগে থেকেই। এই বেলুন উড়াতে অনুমতি দেওয়ায় অনেকে সাদিক খানেরও সমালোচনা করেছেন। জবাবে মি. খান বলেছেন, সবারই মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। লন্ডনের বাইরে ডেভন, এডিনবরা, বেলফাস্ট, ম্যানচেস্টার, লিডস, বেলফাস্টসহ আরো কয়েকটি শহরেও ট্রাম্পবিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এই সফরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লন্ডনে খুব বেশি সময় কাটাবেন না। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ও রানী এলিজাবেথের সাথে সাক্ষাৎ শেষে তার স্কটল্যান্ডে চলে যাওয়ার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানেও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীরা বিক্ষোভ করতে পারেন।
Thousands took to the streets of Edinburgh in a third day of protests against Donald Trump's UK visit.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ইউএসএস জন ম্যাককেইন জাহাজটি ২০১৭ সালে এক তেলের ট্যাংকারের সাথে ধাক্কা খেলে ১০ জন নাবিক নিহত হয় মার্কিন জাহাজটির নাম ইউএসএস জন এস ম্যাককেইন। মস্কো বলছে, এটি পিটার দি গ্রেট উপসাগরে রুশ জলসীমার ২ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছিল। রাশিয়া বলছে, তারা মার্কিন যুদ্ধজাহাজটিকে ধাক্কা দেবার হুমকি দেবার পর সেটা ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়। তবে মার্কিন নৌবাহিনী কোন অন্যায়ের কথা অস্বীকার করে বলেছে, তাদের জাহাজটিকে "বের করে দেয়া হয়নি।" জাপান সাগরে মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। এর তিনদিকে রয়েছে জাপান, রাশিয়া ও দুই কোরিয়ার উপকূল। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের একটি ডেস্ট্রয়ার জাহাজ এ্যাডমিরাল ভিনোগ্রাদভ - একটি আন্তর্জাতিক যোগাযোগ চ্যানেল ব্যবহার করে মার্কিন জাহাজটিকে বার্তা পাঠায় যে - "রুশ জলসীমা থেকে কোন অনুপ্রবেশকারীকে তাড়ানোর জন্য জাহাজের গায়ে আঘাত করে তাকে ঠেলে বের করে দেবার মতো পদ্ধতি ব্যবহারের সম্ভাবনা আছে। " তবে মার্কিন নৌবাহিনীর সপ্তম নৌবহরের একজন মুখপাত্র লে: জো কেইলি বলেন,"এ মিশন সম্পর্কে রাশিয়ান ফেডারেশনের বিবৃতি মিথ্যা। ইউএসএস জন ম্যাককেইনকে কোন দেশের জলসীমা থেকে বের করে দেয়া হয়নি। " তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনো কোন ভীতিপ্রদর্শন বা বেআইনি দাবির কাছে নতি স্বীকার করবে না। আরো পড়তে পারেন: তেলবাহী ট্যাংকারের সঙ্গে মার্কিন রণতরীর সংঘর্ষ রুশ-মার্কিন সামরিক দ্বন্দ্বে ফিরে আসছে দ্বিতীয় নৌবহর আমেরিকায় জো বাইডেনের বিজয়: বাকি দুনিয়ার জন্য এর অর্থ কী রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের জাহাজ এ্যাডমিরাল ভিনোগ্রাদভ (ডানে) সমুদ্রে এ ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। তবে গত বছর পূর্ব চীন সাগরে এই এ্যাডমিরাল ভিনোগ্রাদভের সাথে একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজের ধাক্কা লাগার উপক্রম হয়েছিল। তখন দুই দেশটি একে অপরকে এ ঘটনার জন্য দোষারোপ করে। দুটি দেশ প্রায়ই একে অপরের বিরুদ্ধে আকাশে ও সমুদ্রে বিপজ্জনক সামরিক মহড়া চালানোর অভিযোগ করে থাকে। ১৯৮৮ সালে কৃষ্ণসাগরে একটি সোভিয়েত ফ্রিগেট বেজ্জাভেৎনি তাদের জলসীমায় ঢুকে পড়ার অভিযোগে একটি মার্কিন ক্রুজারকে ধাক্কা মেরেছিল। বর্তমানে মস্কো ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক শীতল যাচ্ছে, এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখনও জো বাইডেনকে তার নির্বাচনী বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানাননি। দুটি দেশের মধ্যে সর্বশেষ পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তিটিও এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি - যা আগামী ফেব্রয়ারিতে শেষ হচ্ছে। ২০১৭ সালে ইউএসএস জন ম্যাককেইন জাহাজটি সিঙ্গাপুরের কাছে একটি তেলের ট্যাংকারের সাথে ধাক্কা খায়, এতে ১০ জন নাবিক নিহত হয়।
Russia says one of its warships caught and chased off a US Navy destroyer after it entered territorial waters in the Sea of Japan on Tuesday.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
যীশুকে প্রায়ই চিত্রিত করা হয় লম্বা চুল ও দাড়ি দিয়ে কিন্তু আসলেই কি যীশু এরকম দেখতে ছিলেন? সম্ভবত: না। প্রকৃতপক্ষে যীশুর যে চেহারার সাথে আমরা পরিচিত তার উৎস বাইজান্টাইন যুগে - চতুর্থ শতাব্দী বা তার পরবর্তী কালে। এবং বাইজান্টাইন যুগের এই যীশুর চেহারা সম্পূর্ণই প্রতীকী। এর কোন ঐতিহাসিক নির্ভুলতা নেই। এগুলো মূলত আঁকা হয়েছিল সিংহাসনে বসা একজন সম্রাটের চিত্রকল্পকে ভিত্তি করে - যেমনটা আমরা রোমের সান্তা পুডেনজিয়ানা গীর্জার বেদীতে দেখি। যীশুর মাথার চার পাশে যে জ্যোতি - তা ক্লাসিকাল যুগের শিল্পকলা থেকে আসা। সূর্যের দেবতা এ্যাপোলো বা সল ইনভিক্টাসের ছবিতে দেখা যেতো এই আলোর প্রভা, পরে তা যীশুর ছবিতে যোগ করা হয় - তার স্বর্গীয় প্রকৃতি বোঝাতে। সম্রাটের মতো দেখতে যীশু এখানে দেখা যাচ্ছে যীশুর পরনে সোনালী টোগা (প্রাচীন রোমান পোশাক), তাকে চিত্রিত করা হয়েছে সারা বিশ্বের শাসক হিসেবে। তার সাথে অনেক মিল আছে সিংহাসনে বসা লম্বা চুলদাড়িওয়ালা অলিম্পিয়ান দেবরাজ জিউসের সাথে। এই প্রতিমূর্তি সে যুগে এতই পরিচিত ছিল যে রোমান সম্রাট অগাস্টাস একই স্টাইলে তার নিজের একটি মূর্তি তৈরি করিয়েছিলেন - অবশ্য তাতে তার দেবতাদের মত লম্বা চুলদাড়ি ছিল না। ফিডিয়াসের তৈরি অলিম্পিয়ান জিউস, পাশে সম্রাট অগাস্টাসের মূর্তি বাইজান্টাইন শিল্পীরা যীশুখ্রীষ্টকে স্বর্গীয় ক্ষমতাসম্পন্ন মহাবিশ্বের রাজা হিসেবে দেখাতে চেয়েছিলেন। তাই তারা তাঁকে তৈরি করেন দেবরাজ জিউসের এক তরুণতর সংস্করণ হিসেবে। কালক্রমে সেই স্বর্গীয় আদলে সৃষ্ট যীশুর চেহারা কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে অনেকটা হিপিদের মত এক নতুন রূপ পায়। সেটাই হয়ে দাঁড়ায় কল্পিত যীশুর চেহারার স্ট্যান্ডার্ড মডেল। কিন্তু আসল যীশু কি এরকমই দেখতে ছিলেন? 'জেসাস ক্রাইস্ট সুপারস্টার' নামে অপেরার পোস্টার তার আসল চেহারা তাহলে কেমন ছিল? আমরা পা থেকে মাথা পর্যন্ত সবই পরীক্ষা করে দেখি। মাথা এবং চুল প্রথম যুগের খ্রীস্টানরা যীশুকে স্বর্গীয় শাসক হিসেবে চিত্রিত করতেন না। তারা তাকে দেখাতেন একজন স্বাভাবিক মানুষের মতোই, ছোট চুলওয়ালা, এবং দাড়িবিহীন। যীশুর সবচেয়ে পুরোনো ছবি। তৃতীয় শতকের প্রথমদিকে ইউফ্রেটিস নদীর পারে দুরা-ইউরোপোস নামের ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরের একটি চার্চে পাওয়া। তবে সম্ভবত একজন পরিব্রাজক সাধু হিসেবে যীশু হয়তো দাড়ি রেখেছিলেন, এ কারণেই তার নাপিতের কাছে যাওয়া হতো না। তখনকার দিনে একজন দার্শনিককে চেনা যেতো তার উস্কোখুস্কো চেহারা-পোশাক আর দাড়ি দেখে। অন্যদিকে প্রথম শতাব্দীর গ্রেকো-রোমান বিশ্বে দাড়ি কামানো এবং ছোট চুল রাখাটা ছিল আবশ্যিক । লম্বা চুল-দাড়ি ছিল দেবতাদের জিনিস, পুরুষদের ফ্যাশন নয়। এমনকি সে যুগে দার্শনিকরাও ছোট চুল রাখতেন। তখনকার দিনে একজন ইহুদিকেও দাড়ি দিয়ে চেনা যেতো না। ইহুদিদের ওপর নির্যাতনকারীদের একটা সমস্যা ছিল তাদের চেনা - কারণ তারা ছিল অন্য সবার মতোই দেখতে । তবে ৭০ খ্রীস্টাব্দে জেরুসালেম দখলের পর রোমের মুদ্রায় যে ইহুদিদের দেখা যায়, তাতে বন্দীদের মুখে দাড়ি আছে। রোমের জেরুসালেম দখলের পর ছাড়া মুদ্রা যীশু যে একজন ইহুদি (জুডিয়ান) ছিলেন, এটা বহুবার নানাভাবে উল্লিখিত হয়েছে। কাজেই এমন হতে পারে যে যীশুর হয়তো তেমনি ছোট দাড়ি ছিল, তবে তাঁর চুল হয়তো খুব একটা লম্বা ছিল না। তাঁর বেশি লম্বা চুল বা দাড়ি থাকলে অনেকে হয়তো মনে করতেন যে যীশু নাজিরাইট শপথ নিয়েছেন - যখন ইহুদিরা একটা সময় পর্যন্ত মদ খেতেন না বা চুল কাটতেন না। সেই সময় পার হলে জেরুসালেমের মন্দিরে গিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান করে মাথা কামাতেন। যীশু কখনো এটা করেন নি। কারণ তাকে প্রায়ই মদ্যপানরত অবস্থায় পাবার বর্ণনা আছে। ম্যাথিউ-এর সুসমাচারে অনুচ্ছেদ ১১তে উল্লেখ আছে যে তার সমালোচকরা অভিযোগ করছেন যে যীশু খুব বেশি মদ খেতেন। যীশুর কাপড়চোপড় সে সময় ধনী লোকেরা তাদের উচ্চ পদমর্যাদা দেখাতে লম্বা আলখাল্লা পরতেন। যীশু হয়তো এরকম কাপড় পরতেন না - কারণ তিনি এধরণের লোকদের থেকে সতর্ক থাকতে উপদেশ দিয়েছেন। সাধারণত সে সময় পুরুষরা হাটু পর্যন্ত লম্বা 'চিতন' পরতেন, মেয়েরা পরতেন গোড়ালি পর্যন্ত লম্বা পোশাক। যীশু এর ওপর একটা হিমেশন বা শাল পরতেন -যার বর্ণনা পাওয়া যায়। ক্রিট দ্বীপে পাওয়া ফ্রেস্কো: শিল্পীর কল্পনায় যাই থাকুক, ঐতিহাসিক যীশুর নীল চোখ থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। এই শালের মান, আকার এবং রং থেকে পরিধানকারীর ক্ষমতা এবং সম্মান বোঝা যেতো। সন্ত মার্ক যীশুকে বর্ণনা করেছেন রং-না-করা সাধারণ কাপড় পরা সাধারণ মানুষ হিসেবে। যীশুর জুতো সে যুগে সবাই চপ্পল বা স্যান্ডাল পরতো। সেগুলো ছিল খুবই সহজ কায়দায় বানানো। এর তলা বা 'সোল'টা ছিল কয়েক স্তর চামড়া জোড়া দিয়ে বানানো, আর ওপরের দিকটা চামড়ার সরু ফিতে দিয়ে তৈরি হতো। যীশুও হয়তো এরকম চপ্পলই পরতেন। যীশুর যুগের চামড়ার স্যান্ডেল যীশুর মুখের গড়ন কেমন ছিল? যীশু যে একজন ইহুদি ছিলেন তা বহুভাবে সে সময়ের অনেকে উল্লেখ করেছেন। তাঁর ধর্মপ্রচারক হিসেবে যাত্রা শুরু করার সময় বয়েস ছিল ৩০-এর মতো। সে যুগের ইহুদিরা কেমন দেখতে ছিলেন? বিবিসি'র একটি প্রামাণ্যচিত্রের জন্য ২০০১ সালে যীশুর মুখের একটি আনুমানিক প্রতিরূপ তৈরি করেন নৃতত্ববিদ এডওয়ার্ড নীভ। গালীলী অঞ্চলে পাওয়া একটি মাথার খুলির ওপর ভিত্তি করে এটা তৈরি করেন তিনি । তবে তিনি দাবি করেন নি যে যীশু এরকমই দেখতে ছিলেন। তিনি শুধু একটা ধারণা দেবার চেষ্টা করেন যে সে যুগে ওই এলাকার লোকেরা সাধারণভাবে দেখতে কেমন ছিলেন। কারণ যীশু যে ব্যতিক্রমী চেহারার কেউ ছিলেন এটা কেউই বলেন নি। তাঁর নীল চোখ ছিল এমন সম্ভাবনাও খুব কম। বিবিসি প্রামাণ্যচিত্রের জন্য কম্পিউটারে তৈরি যীশুর কল্পিত চেহারা যীশু ঠিক কেমন দেখতে ছিলেন - তার হয়তো সবচেয়ে কাছাকাছি ধারণা পাওয়া সম্ভব দুরা-ইউরোপোসে তৃতীয় শতকের সিনাগগে নবী মুসার ছবি থেকে। কারণ গ্রেকো-রোমান যুগে একজন ইহুদি সন্তের চেহারার কেমন ছিল - তার ধারণা এখানে পাওয়া যায়। এখানে নবী মুসার ছোট চুল, ছোট দাড়ি, খাটো হাতের হাঁটু-অবধি আলখাল্লা, হিমেশন বা শাল - সবকিছু মিলিয়ে বলা যায় - তার চেহারার সাথে ঐতিহাসিক যীশুর মিল থাকার সম্ভাবনা বাইজান্টাইন যুগের যীশুর ছবির চাইতে অনেক বেশি। সমুদ ভাগ করে লোহিত সাগর পাড়ি দিচ্ছেন নবী মুসা নীল পাড়ওয়ালা শাল ও খাটো আলখাল্লা পরা যীশু জোয়ান টেলর: লন্ডনের কিংস কলেজে খ্রীষ্টধর্মের উৎস এবং দ্বিতীয় মন্দিরের যুগের ইহুদিধর্ম বিষয়ক অধ্যাপক, এবং লেখক।
Everyone knows what Jesus looks like. He is the most painted figure in all of Western art, recognised everywhere as having long hair and a beard, a long robe with long sleeves (often white) and a mantle (often blue).
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
মার্ক জাকারবার্গের কম্পিউটার-জেনারেটেড সংস্করণ ওই ভিডিওতে মার্ক জাকারবার্গককে দেখা যায় যে, তিনি তার সাফল্যের জন্যে একটি গোপন সংগঠনের তারিফ করছেন। ভিডিও ক্লিপটি একটি 'ডিপফেক', যা এআই সফটওয়্যার দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যেকোন ব্যক্তির একটি ফটো ব্যবহার করে তা দিয়ে ভিডিও তৈরি করা হয়। এটি এমন এক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি, যা দিয়ে যে কারও নকল ভিডিও তৈরি করে অনলাইনে ছেড়ে দেয়া যায়। ভিডিওতে কাউকে এমন কিছু করতে বা বলতে দেখা যায়, যা হয়তো তিনি কখনোই করেননি বা বলেননি। আরও পড়তে পারেন: কোন কোন পাসওয়ার্ড হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি বাড়ায়? সরকারের নিয়ন্ত্রণ চেয়ে ফেসবুকের যত সুপারিশ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিভ্রাটে ফেসবুক, যা জানা যাচ্ছে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে প্রতিদিন অসংখ্য কন্টেন্ট শেয়ার হয়। যার মধ্যে রয়েছে অনেক ফেক বা ভুয়া কন্টেন্ট। এর আগেও মার্কিন হাউজের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে নিয়ে তৈরি একটি মিথ্যা ভিডিও মুছে না ফেলার জন্যে সমালোনার ঝড় উঠেছিল। লন্ডনে ৫০০টি নতুন চাকরির ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্তের সাথে ফেসবুকের এই সিদ্ধান্তের যোগ খুঁজে পাওয়া যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই কোম্পানিটি বলছে যে সেসব চাকরির অন্তর্ভুক্ত কাজের মধ্যে আছে মেশিন-লার্নিং ভিত্তিক সফটওয়্যার নির্মাণ। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে খারাপ বিষয় শনাক্ত করতে পারবে এবং তা মুছে ফেলতে পারবে। ক্ষতিকর কন্টেন্ট পর্যালোচনা করতে কর্মীদের জন্যে এডিটিং টুলসও তৈরি করবে। এ বছরের শেষ নাগাদ আরও ৩ হাজার নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করবে তারা। ফেসবুকের সিলিকন ভ্যালির সদর দপ্তরের অফিসে ২০১৭ সালে দেয়া একটি ভিডিও উপস্থাপনা থেকে মিস্টার জাকারবার্গের ভিডিওটি সংগ্রহ করা হয়। ফেসবুক লগ ইন। সেখানে তার শরীরের ফুটেজের সাথে ফেসবুক প্রধানের মুখের ছবি মিলিয়ে দেয়া হয়। একজন অভিনেতার অডিও রেকর্ড করে এটির সাথে সিঙ্ক করা হয়। মি. জাকারবার্গের এই 'ডিপফেক' ভিডিওটি শেফিল্ডের শিল্প প্রদর্শনের জন্যে তৈরি করা হয়েছিল। সেটি ডিজাইন করা হয় এই দেখানোর জন্যে যে, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার মতো অন্যান্য কেলেঙ্কারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কিভাবে প্রভাবিত করে বা সেগুলো কিভাবে মানুষের মনোযোগকে বিভ্রান্ত করে। ১৬ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপটি লুপ করে শনিবার ইন্সটাগ্রামে আপলোড করা হয়েছিল। মঙ্গলবার ভিডিওটির খবর জানানোর পরই এটি বিশেষত্ব পায়। "এর ফলাফল বাস্তবসম্মত- অবশ্য যদি আপনি এটি নিঃশব্দে ছেড়ে রাখেন," বলছে একটি সংবাদ মাধ্যম। কেননা এর কণ্ঠটি যে মার্ক জাকারবার্গের নয় তা স্পষ্ট বোঝা যায়। ভিডিওটি ডিপফেক হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেবেল করা হয়। ইন্সটাগ্রামের পোস্টটি ২৫ হাজারের বেশিবার দেখা হয়েছে। ফেসবুকের মাধ্যমে সেটি শেয়ারও হয়েছে বহুবার। মানুষ যোগাযোগের জন্য অনেকাটাই ফেসবুকের ওপর নির্ভরশীল। ইন্সটাগ্রাম অ্যাপের প্যারেন্ট কোম্পানি ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেন, "আমরা এই কন্টেন্টটি ইন্সটাগ্রামের অন্যসব ভুল তথ্যের মতো করে একইভাবে ব্যবহার করবো।" "যদি তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্ট চেকার এটিকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করে, তবে আমরা এটিকে ফিল্টার করবো।" এই কাজের সাথে জড়িত শিল্পীরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও কোম্পানির নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিবিসিকে তারা জানান যে, "এই ধরনের প্রযুক্তির মাধ্যমে সৃষ্ট শিল্পকে নতুন মাত্রার প্রোপাগান্ডা হিসেবে ব্যবহার করার আশঙ্কা রয়ে যায়। এর ফলে ফেসবুক দ্বারা সেন্সর করা আমাদের শিল্প নিশ্চয়ই কেউ দেখতে চাইবে না।" তবে ডিজিটালভাবে প্রভাবিত শিল্পের অর্থপূর্ণ নিয়ন্ত্রণকে তারা স্বাগতও জানিয়েছেন। হ্যাকারদের থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে মানুষের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হল সচেতনতা। রাজনৈতিক ক্ষেত্র তিন সপ্তাহ আগে মিজ পেলোসির মিথ্যা ভিডিওটি সরিয়ে নেবার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করার পর ফেসবুক যদি এখনকার এই পোস্টটি ব্লক করে, তবে তা একধরনের ভণ্ডামির পর্যায়ে পড়বে। সেই ক্লিপটি 'ডিপফেক' প্রযুক্তির সাহায্য তৈরি না হলেও সেটি এমনভাবে তৈরি যেখানে একজন গণতান্ত্রিক রাজনীতিকের বক্তব্য বিকৃত হয়ে প্রকাশ পায়। মিজ পেলোসি দৃঢ়ভাবে ফেসবুকের সমালোচনা করে বলেন, "এখন তারা এমন কিছু অনলাইনে আনছে যা তারা জানে যে মিথ্যা।" "আমি এটা মেনে নিতে পারি... কিন্তু ফেসবুক সাধারণ মানুষের কাছে মিথ্যা বলছে।" ওয়াশিংটনপোস্ট থেকে জানা যায় যে, মি. জাকারবার্গ ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্যে মিজ পেলোসির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মিজ পেলোসি কোনও সাড়া দেননি।
Facebook has said it will not remove a manipulated video of its chief Mark Zuckerberg from Instagram, in which he appears to credit a secretive organisation for his success.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
শেখ মোহাম্মদ এবং তার সাবেক স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া শত শত কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক এই ৭০ বছর বয়স্ক শাসক এখন হঠাৎ করেই শিরোনামে এসেছেন লন্ডনের হাইকোর্টের এক রায়ের জন্য। লন্ডনের হাইকোর্ট বলছে, শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুম তার দুই কন্যাকে অপহরণ করে জোর করে তাদের ব্রিটেন থেকে দুবাইতে নিয়ে গেছেন, এবং তার সাবেক স্ত্রী প্রিন্সেস হায়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ভীতিপ্রদর্শন করে চলেছেন। হাইকোর্টের এই রায়ের মধ্যে দিয়ে যে সব ঘটনা এখন জনসমক্ষে বেরিয়ে এসেছে তা প্রায় হলিউডের সিনেমার কাহিনির মতো। আট মাস আগে শেখ মোহাম্মদের ষষ্ঠ স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বি‌ন্‌ত আল-হুসেইন এক 'হাই-প্রোফাইল' মামলা করেছিলেন লন্ডনে - তার স্বামীর বিরুদ্ধে অপহরণ, জোরপূর্বক দেশে ফিরিয়ে নেয়া, নির্যাতন এবং ভীতিপ্রদর্শনের অভিযোগ এনে। এর পর হাইকোর্ট একটি ফ্যাক্টফাইন্ডিং জাজমেন্ট বা এফসিজে প্রকাশ করেছে - যাতে এসব অভিযোগের সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শেখ মোহাম্মদ চেষ্টা করেছিলেন এই রায় যেন প্রকাশ্যে না আসে। কিন্তু তার আপিল প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। ঘটনাগুলো কী? শেখ মোহাম্মদ ২০০৪ সালে বিয়ে করেন জর্ডনের প্রয়াত বাদশা হুসেইনের মেয়ে প্রিন্সেস হায়া বি‌ন্‌ত আল-হুসেইনকে। তাদের দুই সন্তান আল-জলিলা এবং জায়েদ। প্রিন্সেস হায়া বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তাদের নিখুঁত পারিবারিক জীবনের ছবি তুলে ধরতেন। দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম ব্রিটেনে ঘোড়দৌড়ের সাথে যুক্ত কিন্তু ২০১৮ সালে সেই জীবনে ফাটল ধরার খবর বেরুতে শুরু করে। শেখা লতিফার পালানো এবং ধরা পড়া শেখ মোহাম্মদের অন্য এক স্ত্রীর গর্ভজাত কন্যা শেখা লতিফা দুবার চেষ্টা করেছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত ছেড়ে পালানোর । তিনি তার ফিনল্যান্ডের নাগরিক ফিটনেস ইনসট্রাকটর এবং এক সাবেক ফরাসী গুপ্তচরকে নিয়ে এক নৌকায় করে পালানোর সময় ভারতের উপকুলে ধরা পড়েন। তাদের ধরে আবার আমিরাতে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু তার আগে করা এক ভিডিওতে তিনি অভিযোগ করেন, তাকে তিন বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছিল । তিনি আরো বলেন, ২০০২ সালেও তিনি একবার পালাবার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু সে চেষ্টা ব্যর্থ হবার পর তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। তিনি এখন গৃহবন্দী আছেন বলে শোনা যায়। তবে দুবাই সরকার বলছে, শেখা লতিফা নিরাপদে আছেন। শেখা শামসার অপহরণ শেখা লতিফার বড় বোন শেখা শামসা ২০০০ সালে ইংল্যান্ডের সারের পারিবারিক বাসভবন থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেখ মোহাম্মদের এজেন্টরা তাকে ক্যাম্ব্রিজশায়ার থেকে ধরে ফেলে, এবং জোর করে তাকে দুবাইতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। সংবাদমাধ্যমে খবর বেরোয় যে তাকে ইনজেকশন দিয়ে এবং ট্যাবলেট খাইয়ে বিমানে ওঠানো হয়। শেখা লতিফা এ ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য ক্যাম্ব্রিজশায়ারের পুলিশের একটি আবেদন প্রত্যাখ্যান করে দুবাই। লন্ডনের হাইকোর্ট বলছে, ২০০০ সালে শেখা শামসা এবং ২০০২ এবং ২০১৮ সালে শেখা লতিফা - এই দু'জনকেই অপহরণ এবং জোরপূর্বক দেশে ফিরিয়ে নেবার আদেশ দেন শেখ মোহাম্মদ এবং তা বাস্তবায়ন করান। রায়ে বলা হয়, শেখ মোহাম্মদ এই দুই তরুণীকে এমনভাবে রেখেছেন যাতে তাদের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ছেলেমেয়েদের নিয়ে পালিয়েছেন প্রিন্সেস হায়াও শেখা লতিফা ও শেখা শামসার ঘটনার পর প্রথম দিকে প্রিন্সেস হায়া এ ব্যাপারে সরকারি ব্যাখ্যাকেই সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে তিনি নিজেই ছেলেমেয়েদের নিয়ে জার্মানি হয়ে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যান। শেখ মোহাম্মদের ষষ্ঠ এবং 'জুনিয়র' স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া জর্ডানের প্রয়াত বাদশা হুসেইনের মেয়ে এবং বর্তমান বাদশা আবদুল্লাহর সৎবোন। ইনস্টাগ্রামে শেখ মোহাম্মদের কবিতা তিনি পড়াশোনা করেছেন ব্রিটেনের ডরসেটের ব্রায়ানস্টন স্কুলে এবং এর পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। জানা যায়, তিনি থাকেন লন্ডনের অভিজাত এলাকা কেনসিংটন প্যালেস গার্ডেনে সাড়ে আট কোটি পাউন্ড মূল্যের একটি বাড়িতে। তুমি বেঁচে ছিলে, তুমি মরে গেছো' বিয়ে ভেঙে যাওয়া নিয়ে শেখ মোহাম্মদ নিজে সরাসরি কোন মন্তব্য করেন নি। কিন্তু ইন্সটাগ্রামে তিনি ক্রুদ্ধ ভাষায় লেখা তার একটি কবিতা পোস্ট করেন। কবিতাটিতে একজন অজ্ঞাতনামা নারীকে 'প্রতারণা এবং বেঈমানির' জন্য অভিযুক্ত করেন শেখ মোহাম্মদ। কবিতার নাম ছিল 'তুমি বেঁচে ছিলে, তুমি মরে গেছো' প্রিন্সেস হায়া বলেছেন, ২০১৯ সালে শেখ মোহাম্মদ তাকে বলেছিলেন, 'ইংল্যান্ডে গিয়ে তুমি এবং তোমার ছেলেমেয়েরা কখনো নিরাপদ থাকবে না।' এর পর জুলাই মাসে প্রিন্সেস হায়া লন্ডন হাইকোর্টে এক মামলা করেন। তাতে তিনি জোরপূর্বক বিয়ে এবং নিপীড়নের হাত থেকে সুরক্ষা প্রার্থনা করেন এবং তার সন্তানরা যেন তার সাথে থাকতে পারে সে অধিকার দাবি করেন। দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ এবং সাবেক স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া প্রিন্সেস হায়ার ভয় ছিল তার দুই ছেলেমেয়েকেও অপহরণ করে দুবাইয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। অন্যদিকে শেখ মোহাম্মদ আদালতে একটি আবেদন করেছিলেন যে তাদের ছেলেমেয়েদের দুবাইয়ে ফিরতে দেয়া হোক। প্রিন্সেস হায়ার দেহরক্ষীর সাথে প্রেম জানা গেছে, প্রিন্সেস হায়ার একজন দেহরক্ষীর সাথে বিবাহবহির্ভূত প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মামলায় বলা হয় প্রিন্সেস হায়াকে দুবাই এবং লন্ডনে বহুবার হুমকি দেয়া হয়, এবং তিনি এখন জীবনের ঝুঁকির মধ্যে বাস করছেন। হুমকি হিসেবে দুবার তার বালিশের ওপর পিস্তল রেখে দেয়া হয়েছিল, এবং আরেকবার তাকে ধরে নিয়ে যাবার কথা বলে বাড়ির সামনে হেলিকপ্টার নামানো হয়েছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রিটেনের রাজপরিবারের সাথে মাখামাখি ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথ এবং রাজপরিবারের সাথে শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম এবং তার সাবেক স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ পরিচয়ের কথা সর্বজনবিদিত। রানি এলিজাবেথের সাথে শেখ মোহাম্মদ তিনি ব্রিটেনে ঘোড়দৌড়ের সাথে জড়িত, এবং তার নিজস্ব গডলফিন স্টেবল নামে আস্তাবল আছে - যা পৃথিবীর অন্যতম রেসের ঘোড়া প্রজননের কেন্দ্র। গডলফিন ঘোড়দৌড়ের যে টিম গড়ে তুলেছে তা পৃথিবীর বৃহত্তম। তারা ১৯৯২ থেকে ৬,০০০ রেস জিতেছে। তবে তার ষষ্ঠ এবং জুনিয়র স্ত্রী হিসেবে প্রিন্সেস হায়াও ঘোড়দৌড়ের ব্যাপারে সমান উৎসাহী ছিলেন। জানা যায়, একাধিক স্ত্রীর গর্ভে শেখ মোহাম্মদের মোট ২৩টি ছেলেমেয়ে আছে। শেথ মোহাম্মদ রায়ের পর এক বিবৃতিতে বলেছেন, একজন সরকার প্রধান হিসেবে তিনি আদালতের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন নি, ফলে রায়ে পুরো ব্যাপারটির মাত্র একটি দিক ফুটে উঠেছে। তিনি আরো বলেন, এটি একটি ব্যক্তিগত ব্যাপার এবং মিডিয়ার উচিত হবে তার সন্তানদের গোপনীয়তাকে সম্মান করা। আরো পড়তে পারেন: দুবাই শাসকের স্ত্রী পালালেন কেন দুবাই রাজকুমারী লতিফাকে কি গুম করা হয়েছে? দুবাই রাজকন্যার পলায়ন নাটক, বিতর্কে নরেন্দ্র মোদী
Sheikh Mohammed bin Rashid Al Maktoum is the 70-year-old billionaire ruler of Dubai and vice-president of the United Arab Emirates.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
স্টকহোমের একটি পার্কে আসা কিছু পরিবার। তাদের ওপর কোন বিধিনিষেধ নেই যদিও সুইডেনে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোকের করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে এবং মারা গেছেন ১০৫ জন। তা সত্ত্বেও দীর্ঘ শীতের পর সুইডেনের রাজধানীতে যখন 'বাইরে বসে থাকার মতো' গরম পড়েছে - তখন লোকে তার সর্বোত্তম ব্যয়ভার করতে দ্বিধা করছে না। মারিয়াটরেট স্কয়ারে দেখা যাচ্ছে ভাইকিং দেবতা থরের বিশাল মূর্তির সামনে গোটা পরিবার বসে আইসক্রিম খাচ্ছে। ফুটপাতের কিনারায় বসে আছে তরুণ যুগলরা। এ সপ্তাহে শহরের নাইটক্লাবগুলোও খোলা ছিল। তবে রোববার থেকে ৫০ জনের বেশি লোক জড় হওয়া নিষিদ্ধ হচ্ছে। অবশ্য এটা বলতেই হবে - শহরগুলো কেমন যেন একটু ঠাণ্ডা - হৈচৈ-ব্যস্ততা কম। করোনা ভাইরাস: শত দুঃসংবাদের মাঝেও কিছু মন-ভালো করা খবর করোনাভাইরাস সম্পর্কে অজানা কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি মারা গেলে লাশ দাফনে ঝুঁকি আছে? নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়, কেন এতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগতি কতদূর? শহরের গণপরিবহন কোম্পানি এসএল বলছে, ট্রেন আর সাবওয়েতে লোকজন কমে গেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। শহরের প্রায় অর্ধেক লোক ঘরে বসে কাজ করছে। সুইডেনের কর্মক্ষম জনশক্তি প্রযুক্তির ব্যয়ভার এবং বাড়িতে বসে রিমোট-ওয়ার্কিং করতে অভ্যস্ত। ব্যবসা-সংক্রান্ত একটি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি এসবিআর-এর প্রধান নির্বাহী স্টাফান ইংভারসন বলছেন, "যে কোম্পানিরই এটা করার ক্ষমতা আছে, তারা এটা করছে, এবং তাতে কাজও হচ্ছে।" আসলে এটাই হচ্ছে সুইডেনের সরকারি স্ট্রাটেজির মূল কথা - নিজের দায়িত্ববোধ। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আশা করছে - কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ না করেও এভাবেই ভাইরাসের বিস্তার রোধ করা যাবে। কঠোর নিয়ম-কানুন না করে এখানে দেয়া হচ্ছে নির্দেশিকা - অসুস্থ বা বয়স্ক হলে ঘরে থাকা, হাত ধোয়া, অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ না করা, বাড়িতে বসে কাজ করা। প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লফভেন এক টিভি ভাষণে বলেছেন, "বড়দের বড়র মত আচরণ করতে হবে, আতংক সৃষ্টি করবেন না, গুজব ছড়াবেন না। এ সংকটে কেউ একা নয়, সবারই বড় দায়িত্ব আছে।" প্রকাশ্য় স্থানে কী আচরণ করতে হবে তা নিয়ে সুইডিশ সরকার কোন কড়া নির্দেশ জারি করেনি কর্তৃপক্ষের ওপর আস্থা সুইডেনে সরকারি কর্তৃপক্ষের ওপর মানুষের আস্থা অনেক উচ্চ। ফলে তারা নিজে থেকেই নির্দেশাবলী মেনে চলে। জনসংখ্যার একটি বৈশিষ্ট্যও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী দেশগুলোয় একটি বাড়িতে কয়েক প্রজন্মের লোক বাস করেন। কিন্তু সুইডিশ বাড়ির অর্ধেকেই লোক থাকেন মাত্র একজন। এর ফলে পুরো পরিবারে ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক কম। তা ছাড়া সুইডিশরা বাড়ির বাইরের জীবন ভালোবাসে এবং লোকের শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখাটাকে কর্মকর্তারা অত্যন্ত গুরুত্ব দেন। স্টকহোম চেম্বারের প্রধান নির্বাহী আন্দ্রেয়াস হাটজিগিওর্গিওর মতে সুইডিশ এই পন্থা অন্য দেশের চাইতে যুক্তিসম্মত। স্টকহোমে একটি চুল কাটার দোকান, এখানে লোক আসা কমে গিয়েছে ইতিহাস বিচার করবে তবে এই 'সুইডিশ এপ্রোচের' অনেকে সমালোচনাও করছেন। সুইডেনের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারোলিনস্কা ইন্সটিটিউটের একজন এপিডেমোলজিস্ট এমা ফ্রানজ বলছেন, সরকারের এসব নির্দেশনা যথেষ্ট নয়। তিনি চাইছেন দোকানপাট বা জিমে লোকজন কীভাবে পরস্পরের সাথে যোগাযোগ করবে তার ব্যাপারে আরও স্পষ্ট নীতি নেয়া দরকার। করোনাভাইরাস বিস্তারের কারণে বিভিন্ন ব্যবসা সংকটে পড়েছে। ফলে অনেকে বলছেন, সুইডেনকে কৌশল পরিবর্তন করতে হবে, অন্য ইউরোপীয় দেশের মতই লকডাউন আরোপ করতে হবে। এমা ফ্রানজ বলছেন, "ইউরোপের রাজনীতিবিদ ও বিজ্ঞানীরা সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছেন কীনা তা ইতিহাসই বিচার করবে। কোন পদক্ষেপ যে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে তা কেউই জানে না।"
While swathes of Europe's population endure lockdown conditions in the face of the coronavirus outbreak, one country stands almost alone in allowing life to go on much closer to normal.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস জেনেভায় শুক্রবার তিনি বলেন, ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু দুই বছরের মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের উন্নত প্রযুক্তি এই ভাইরাসটিকে তার চেয়েও কম সময়ে আটকে দিতে পারবে বলে তিনি আশা করছেন। ''অবশ্যই উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ভাইরাসের ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। '' ''কিন্তু একই সময়ে এটা দমন করার মতো প্রযুক্তি ও জ্ঞান আমাদের আছে,'' তিনি বলেন। এ ব্যাপারে জাতীয় সংহতি এবং বৈশ্বিক একতার ওপর তিনি গুরুত্ব দেন। ১৯১৮ সালের ভয়াবহ ফ্লুতে বিশ্বে অন্তত পাঁচ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। করোনাভাইরাসের কারণে এ পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় আটলাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং দুই কোটি ২৯ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির সময় পাসোর্নাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) নিয়ে যেসব দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে, এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি একে ' অপরাধ' বলে তিনি বর্ণনা করেছেন। ''যেকোনো ধরণের দুর্নীতিই অগ্রহণযোগ্য,'' তিনি বলেছেন। ''তবে পিপিই নিয়ে দুর্নীতি...আমার মতে এটা আসলে একটা হত্যাকাণ্ড। কারণ স্বাস্থ্য কর্মীরা যদি পিপিই ছাড়া কাজ করে, আমরা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছি। সেই সঙ্গে যাদের তারা সেবা দিচ্ছেন, তাদের জীবনকেও ঝুঁকিতে ফেলে।'' দক্ষিণ কোরিয়ায় পিপিই নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার তৈরি হলেও, বিশ্বের অনেক দেশেই এরকম অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস মহামারির শুরুতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ নিয়ে অভিযোগ করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন মোট ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৬০ জন। তাদের মধ্যে ৩,৮৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৬১৫ জন। করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? করোনাভাইরাস: দীর্ঘমেয়াদে কী প্রভাব রেখে যাচ্ছে বাংলাদেশে? নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস : কীভাবে বানাবেন আপনার নিজের ফেসমাস্ক আপনার কি দ্বিতীয়বার কোভিড ১৯ সংক্রমণ হতে পারে? টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? 'হার্ড ইমিউনিটি' কী, এর জন্য কতটা মূল্য দিতে হবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায়
The head of the World Health Organization (WHO) says he hopes the coronavirus pandemic will be over in under two years.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
মন্ত্রীসভার সদস্যদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেছেন টেরিজা মে মন্ত্রীসভার একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে যে, খসড়া নিয়ে দুই পক্ষের কারিগরি পর্যায়ে কর্মকর্তারা একমত হয়েছেন। সপ্তাহ জুড়ে এই চুক্তির খসড়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছিল। মন্ত্রীসভার সমর্থন চাইতে বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় বিশেষ বৈঠক আহ্বান করেছেন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। আরও পড়তে পারেন: ব্রিটেনে ইইউ নাগরিকদের জন্য টেরিজা মে'র প্রস্তাব ব্রিটেন একক বাজার থেকে বেরিয়ে আসবে: মে সিরিয়ায় হামলার কোন বিকল্প ছিলনা: টেরিজা মে এর আগে ডাউনিং স্ট্রীটে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীসভার প্রত্যেক সদস্যের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মে। ব্রেক্সিট চুক্তির খসড়ায় ঐক্যমত হয়েছে এই খবরে ইতিমধ্যেই ডলার ও ইউরোর বিপরীতে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও বিশ্লেষকেরা বলছেন, যেহেতু পার্লামেন্ট ও মন্ত্রীসভা এখনো এই খসড়া অনুমোদন করেনি, ফলে মুদ্রার এই ঊর্ধ্বগতি দীর্ঘস্থায়ী নাও হতে পারে। মন্ত্রীসভার বিশেষ বৈঠক হবে আজ এদিকে, ইইউ জানিয়েছে, তারা বুধবারের ঘটনাবলীর দিকে লক্ষ্য রাখবে। কিন্তু আইরিশ সরকার বলছে, আলোচনা এখনো শেষ হয়নি। ব্রেক্সিটের ব্রেক্সিট ইস্যুতে পদত্যাগ করা মন্ত্রী, যেমন বোরিস জনসন এবং জেকব রিস-মগ ইতিমধ্যেই খসড়া চুক্তির সমালোচনা করে বলেছেন, খসড়া মানতে গেলে যুক্তরাজ্য ইইউ এর নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বিরোধীরা চুক্তির খসড়া প্রত্যাখ্যান করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য এবং ইইউ নভেম্বরের শেষ নাগাদ ইউরোপীয় নেতৃবৃন্দের একটি বিশেষ সম্মেলন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কোন কোন বিষয়ে একমত দুই পক্ষ? খসড়া চুক্তির বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে ৫০০ পৃষ্ঠার এই দলিলে মোটাদাগে ভবিষ্যতে ইইউ এর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের ধরণ কেমন হবে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্তে কোন রকম তল্লাশি চালানো হবে না এমন নিশ্চয়তার বিধান রাখা হয়েছে। অনেকে মনে করেন, ইইউ এর বাণিজ্য বিষয়ক নিয়মনীতির ফলে যুক্তরাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চুক্তিতে ব্রেক্সিটের পর ২০১৯ সালের ২৯শে মার্চ যুক্তরাজ্য যখন বেরিয়ে যাবে, তখন দেশটির নাগরিকদের অধিকার সম্পর্কে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইইউ কী বলছে? এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইইউ। অনানুষ্ঠানিকভাবে কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত কোন চুক্তি হয়নি, এটি কেবলই একটি খসড়া যা নিয়ে টেকনিক্যাল বা কারিগরি পর্যায়ের কর্মকর্তা একমত হয়েছে। ব্রিটিশ মন্ত্রীরা যদি আজকের বৈঠকে এতে সম্মতি না দেন, তাহলে তো সেটি আবারো আলোচনার টেবিলেই ফিরে যাবে। তবে, যদি ব্রিটিশ মন্ত্রীসভা এটি অনুমোদন করে, তাহলে ২৭জন ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূত আগামী কাল বৈঠক করবেন।
UK and EU officials have agreed the draft text of a Brexit agreement after months of negotiations.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
শেনঝেন এলাকায় নিরাপত্তা বাড়িয়েছে চীন যেখানে হংকংয়ে প্রবেশের অপেক্ষা করছে হাজার হাজার মানুষ। পর্যটকদেরকে তাদের হোটেলের কক্ষে নিজেদের একাকী করে রাখতে হবে অথবা সরকার পরিচালিত কেন্দ্রগুলোতে যেতে হবে। আর হংকংয়ের বাসিন্দা, যারা চীন থেকে ফিরবে, তাদেরকে এই সময়ের মধ্যে নিজেদের বাড়ি থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যারা এই নিয়ম লঙ্ঘন করবে তাদেরকে জেল এবং জরিমানা গুনতে হবে। মধ্যরাতের ডেডলাইনের আগে চীনের সীমান্ত শহর শেনঝেনয়ে হাজার হাজার পর্যটক হংকংয়ে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে। হংকংয়ে এখনো পর্যন্ত ২৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং একজন ব্যক্তি মারা গেছেন। আর চীনের মূল ভূ-খণ্ডে আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ হাজার ২০০জন এবং মারা গেছে ৭১৭ জন। চীনের বাইরে ২৫টি দেশে ২৭০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে ফিলিপিন্সে এক জন মারা গেছে। এদিকে জাপানের উপকূলে কোয়ারিন্টিনে রাখা একটি প্রমোদ তরীর ৪১ জন আরোহীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যা নিয়ে মোট আক্রান্ত আরোহীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৬১ জনে। শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায় যে, চীনে গত দুই দিন ধরে সংক্রমণের সংখ্যা কিছুটা কম নজরে এসেছে। তবে সংস্থাটির মহাপরিচালক টেড্রোস আঢানম ঘেব্রেয়েসাস এমন সংখ্যার প্রতি খুব বেশি মনোযোগী না হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্ক করেছিলেন যে চিকিৎসক করোনাভাইরাসের জন্য কী মাশুল দিচ্ছে চীন? করোনাভাইরাস: চীনে কি পর্যাপ্ত মাস্ক আছে করোনাভাইরাস: চীনে বন্যপ্রাণীর ব্যবসা নিষিদ্ধ করার দাবি তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, এই প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বব্যাপী সুরক্ষা জনিত চিকিৎসা সরঞ্জাম যেমন গাউন, মাস্ক এবং গ্লাভসের সংকট দেখা দিয়েছে। "যখন যোগান কম থাকে এবং চাহিদা বেশি থাকে, তখন সেগুলো চড়া দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদের প্রবণতা তৈরি হয়," তিনি হুশিয়ার করে বলেন। ব্যবসায়ীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান তারা যেন মুনাফার প্রতি নজর না দিয়ে 'মানবতার সুরক্ষাকে সমুন্নত রাখেন।' এছাড়াও ডাব্লিউএইচও ১৭ হাজার রোগী সম্পর্কে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে। তাদের তথ্য মতে, এসব রোগীর ৮২ শতাংশের সংক্রমণ খুব হালকা, ১৫ শতাংশের অবস্থা মারাত্মক এবং ৩ শতাংশের অবস্থা গুরুতর। হংকংয়ের অবস্থা কেমন? চীনের আধা-স্বায়ত্তশাসিত এলাকাটি জানায়, মূল ভূ-খণ্ড থেকে আগত যে কারো জন্য কোয়ারিন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মূলত রোগটির প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর উদ্দেশ্যে। প্রতিদিন লাখো মানুষ চীন থেকে হংকংয়ে ভ্রমণ করে। যদিও সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহ ধরে হংকং নিজেদের বেশ কিছু সীমান্ত পয়েন্ট বন্ধ করে দেয়ার পর এই সংখ্যা কিছুটা কমেছে। চলতি সপ্তাহে সম্পূর্ণভাবে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার দাবিতে ধর্মঘট করে হাজার হাজার চিকিৎসাকর্মী। হংকংয়ের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার চীনের মূল ভূ-খণ্ড থেকে ১১ হাজার পর্যটক প্রবেশ করেছে। এক দিন আগে এই সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৭২৬ জন জন। চীনের মূল ভূ-খণ্ডে অবস্থা কেমন? করোনাভাইরাস সম্পর্কে যে চিকিৎসক হুঁশিয়ার করার চেষ্টা করেছিলেন তার মৃত্যুতে চীন জুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও শোক ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল উবেই প্রদেশের উহানে রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার সময় ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার পর মারা যান লি ওয়েনলিয়াং। গত ডিসেম্বরে তিনি সহ-চিকিৎসকদের সতর্ক করে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে, তিনি মনে করছেন এই ভাইরাসটি সার্স- যা আরেকটি করোনাভাইরাস- জাতীয় একটি ভাইরাস। কিন্তু তাকে পুলিশ এ ধরণের "ভুল মন্তব্য না করার" নির্দেশ দিয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে "গুজব ছড়ানোর" তদন্তও হয়েছিল। চীনের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা জানিয়েছে, তারা "ডা. লি সম্পর্কিত বিষয়ে" তদন্ত করবে। শুক্রবার মারা যাওয়া চীনের চিকিৎসক ডা. লি ওয়েনলিয়াংকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়েছে হংকংয়েও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি বছর গুলোতে এমন কোন ঘটনার উল্লেখ নেই যা চীনের সরকারের প্রতি অনলাইনে এতো বেশি বিষাদ, ক্ষোভ এবং অবিশ্বাস উস্কে দিয়েছে। ডা. লি'র মৃত্যুর খবর চীনের সামাজিক মাধ্যমে শীর্ষ ট্রেন্ডিং টপিকে পরিণত হয়েছে, যা প্রায় এক দশমিক পাঁচ বিলিয়ন দর্শক দেখেছে। চীনের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের তীব্রতাকে কমিয়ে দেখানো এবং প্রাথমিক অবস্থায় এটিকে গোপন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সরকার স্বীকার করেছে যে ভাইরাসের প্রতি পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে তাদের "ত্রুটি ও ঘাটতি" ছিল যাতে এ পর্যন্ত চীনের মূল ভূ-খণ্ডেই ৬৩৬ মারা গেছে এবং ৩১,১৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। করোনাভাইরাস সম্পর্কে সর্বশেষ কী জানা যায়? •প্রমোদ তরীর কোম্পানি রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ক্রুজ জানিয়েছে যে, তারা চীন, হংকং কিংবা ম্যাকাউয়ের পাসপোর্টধারীদের জাহাজে উঠায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কোম্পানিটি তাদের জাহাজ অ্যান্থেম অব দ্যা সিস নিউ জার্সি থেকে ছাড়তে বিলম্ব করেছে। কারণ এর আগে জাহাজটির চার জন অতিথিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পরীক্ষা করা হয়। কোম্পানিটি জানায়, শনিবার এই পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যাবে। •করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ১০০ জনকে কোয়ারিন্টিনে রেখেছে উগান্ডার স্বাস্থ্য বিভাগ। •যুক্তরাজ্যে তৃতীয় এক ব্যক্তির মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে যে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। •সিঙ্গাপুর তাদের রোগ প্রাদুর্ভাবের প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার বা (ডরসকন) এর সংকেত হলুদ থেকে কমলা রঙ করেছে। এর মানে হচ্ছে রোগের প্রাদুর্ভাব মারাত্মক এবং এটি সহজেই এক ব্যক্তি থেকে আরেক জনের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে, কিন্তু এখনো ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েনি এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। • তেল সমৃদ্ধ দেশ গিনি জানিয়েছে যে তারা চীনের সহায়তায় ২ মিলিয়ন ডলার দান করবে। যদিও চীন হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। এদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলেছেন যে, চীন "প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী এবং সক্ষম।" ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটি বেশ কিছু নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে: •জন্মদিনের মতো পার্টিগুলোতে দল বেঁধে খেতে যাওয়ার উপর রাজধানী বেইজিংয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। আংঝোউ এবং নানচ্যাংয়ের মতো শহরগুলোতে, এক দিনে একটি পরিবারের কত জন সদস্য বাড়ির বাইরে যেতে পারবে তার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। •উবেই প্রদেশে বাসিন্দাদের বাইরে যাওয়া ঠেকাতে বহুতল ভবনগুলোতে লিফট সুবিধা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
Hong Kong has begun a mandatory two-week quarantine for anyone arriving from mainland China, in a fresh effort to contain the deadly new coronavirus.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
শিশু কোলে নিয়ে এক নারী তালিকায় তার নাম খুঁজছেন। এটি ভারতের এমন একটি রাজ্য যেখানে বসবাস করে বহু জাতির মানুষ। এসব অধিবাসীর মধ্যে রয়েছে বাঙালি, অসমীয়া-ভাষী হিন্দু এবং বহু নৃতাত্ত্বিক গোষ্টীর শংকর। আসামের মোট জনসংখ্যা তিন কোটি ২০ লাখ। তার এক তৃতীয়াংশ মুসলিম। ভারত শাসিত কাশ্মীরের পর এই রাজ্যেই সবেচয়ে বেশি মুসলিমের বসবাস। এদের অনেকেই তাদের অভিবাসী পূর্বপুরুষদের সূত্র ধরে ব্রিটিশ শাসনের সময় এখানে স্থায়ী হয়েছেন। প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে এই রাজ্যে অবৈধ অভিবাসনও বহুদিনের উদ্বেগের বিষয়। প্রায় ছয় বছর ধরে চলা এক আন্দোলনের পর প্রতিবাদকারীদের সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি চুক্তি হয়েছিল ১৯৮৫ সালে। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছে ১৯৭১ সালের ২৪শে মার্চের পর যারা কাগজপত্র ছাড়া আসামে প্রবেশ করেছে তাদেরকে বিদেশি বলে বিবেচনা করা হবে। এখন বিতর্কিত জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) যে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হলো তার ফলে ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ হয়ে গেল অবৈধ বিদেশি। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসন যেমন অবৈধ অভিবাসী পিতামাতার কাছ থেকে তাদের সন্তানদের আলাদা করে অন্য জায়গায় রেখেছিল তেমন ঘটনা ঘটেছে আসামেও। নাগরিক পঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর চল্লিশ লাখ মানুষ রাতারাতি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ায় এই রাজ্যে সহিংসতারও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আসাম রাজ্য এখন শাসন করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপি। তার দল থেকে অতীতেও ঘোষণা করা হয়েছে যে অবৈধ মুসলিম অভিবাসীদেরকে এই রাজ্য থেকে বের করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু প্রতিবেশী বাংলাদেশ যে এতে কিছুতেই রাজি হবে না সেটা নিশ্চিত। অনেকেই মনে করছেন, এই তালিকা আসামে নতুন করে প্রতিবাদ বিক্ষোভের জন্ম দিতে পারে। আরো পড়তে পারেন: আসামের ৪০ লাখ অবৈধ বিদেশি এখন কোথায় যাবে? গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ মাইগ্রেনের যন্ত্রণা দূর করতে ভিটামিন সমুদ্র এর ফলে ভারত এখন নতুন একদল রাষ্ট্রহীন মানুষ তৈরি করলো, নিজের দেশের ভেতরেই জন্ম দিল আরেক সঙ্কটের। এটা হয়ে দাঁড়ালো মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের মতো ঘটনা। তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার ফলে, যাদের অনেকেই বহু বহু বছর ধরে আসামে বসবাস করছেন, হঠাৎ করেই তারা তাদের ভোটাধিকার হারালেন। এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে যে এখন তারা তাদের জমি জমা ও বাড়িঘরও হারাতে পারেন। যাদের জমিজমা কিম্বা বাড়িঘর আছে তারা হয়তো প্রতিবেশিদের হামলার শিকার হতে পারেন। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা যখন সারা বিশ্বের প্রায় দশ কোটি রাষ্ট্রহীন মানুষের সঙ্কটের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করছে তখন আসামে নতুন করে এই ৪০ লাখ মানুষের রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার বিষয়টি ভারতের জন্যে বিব্রতকর। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকার যে বিব্রত হয়ে পড়েছে তারও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। একজন সিনিয়র মন্ত্রী বলেছেন, এনআরসি তালিকায় যাদের নাম নেই তাদেরকে কোন ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হবে না। নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্যে তাদেরকে আরো একবার শেষ সুযোগ দেওয়া হবে। একই সাথে সরকার বড় আকারের একটি ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির পরিকল্পনা করছে। শেষ পর্যন্ত যারা তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারবেন না তাদেরকে রাখা হবে এই ক্যাম্পে। আইনজীবীরা বলছেন, যাদের নাম তালিকায় নেই তারা আপিল করতে পারবেন বিশেষ আদালতে। এই প্রশ্নের সমাধান হতে সময় লেগে যেতে পারে বছরের পর বছর, হয়তো কয়েক দশকও লেগে যেতে পারে। আসামে একজন বিশ্লেষক সুবির ভৌমিক বলছেন, "এর ফলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে। সংখ্যালঘুদের মধ্যে তৈরি হবে আতঙ্ক। বাংলাদেশও নতুন শরণার্থীর আশঙ্কা করতে পারে।" তালিকায় যাদের নাম নেই তারা আপিল করতে পারবেন কিন্তু এর সমাধান হতে সময় লেগে যেতে পারে বহু বছর। ভারতের অন্যান্য রাজ্যে যে হারে জনসংখ্যা বেড়েছে, তারচেয়েও বেশি হারে বেড়েছে আসাম রাজ্যে। এর ফলে কিছু সন্দেহ তৈরি হয়েছে যে প্রতিবেশি বাংলাদেশ থেকে লোকজন এসে এই রাজ্যে উঠেছে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময়ও বহু মানুষ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসামে পালিয়ে এসেছে। এর ফলে আসামে স্থানীয় লোকজনের জমির মালিকানা কমে গেছে, জমির আকার ছোট হয়ে এসেছে এবং বেড়েছে ভূমিহীন মানুষের সংখ্যাও। তালিকা থেকে বাদ পড়ায় এখন যারা অবৈধ বিদেশি হয়ে পড়লো তাদের বেশিরভাগই কৃষিকাজের সাথে জড়িত। এক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, আসামের ৩৩টি জেলার মধ্যে ১৫টি জেলাতে তাদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। তাদের নাগরিকত্বের বিষয়ে কাজ করছে একশোটিরও বেশি বিশেষ আদালত যারা ১৯৮৫ সালের পর থেকে ৮৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে বিদেশি বলে ঘোষণা করেছে। অনেকেই বলে থাকেন, মি. মোদির দল বিজেপি নির্বাচনী স্বার্থে আসামে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। তার দলটি বলছে, অবৈধ হিন্দুরা সেখানে থাকতে পারবে কিন্তু অবৈধ মুসলিম বাসিন্দাদেরকে দেশ থেকে বের করে দিতে হবে। আসামে একজন সমাজ বিজ্ঞানী হীরেন গোহাইন বলছেন, "ঠিক হোক কিম্বা ভুল হোক, নাগরিকত্বের বিষয়টি আসামের রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে। এই প্রশ্নের সমাধান না হলে সামনে অগ্রসর হওয়া যাবে না।" বলা হচ্ছে, খুব তাড়াহুড়ো করে এবং প্রচুর অর্থ খরচ করে এরকম একটি তালিকা তৈরি করা হলো যা শেষ পর্যন্ত বিদেশিদের প্রতি ঘৃণা এবং অবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে।
Questions of identity and citizenship have long vexed a vast number of people living in Assam, one of India's most multi-ethnic states.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
মি. সেশনস ছিলেন প্রথম সিনেটর যিনি ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুমোদন দিয়েছিলেন সাবেক এই সিনেটরের সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিভিন্ন সময়ে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেছেন। মি. ট্রাম্প টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, মি. সেশনস অস্থায়ীভাবে সরিয়ে তার স্থানে চিফ অব স্টাফ মাথ্যু হুইটাকেরকে দায়িত্ব দেয়া হবে। বুধবার ঐ টুইট বার্তায় ট্রাম্প লেখেন "আমারা অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস কে তার কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি একই সাথে তাঁর ভাল চায়"। তবে এই বরখাস্তের ঘটনা যে খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়াই ঘটেছে মোটেও তেমনটি নয়। কারণ এর পিছনে রয়েছে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর পক্ষে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের ব্যাপারে বিচার বিভাগের তদন্ত নিয়ে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হন। আরও পড়তে পারেন: রাশিয়া পরমাণু চুক্তি: যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি গর্বাচভের পরিবেশ বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্য নিয়ে ট্রাম্পের প্রশ্ন 'মেয়েদের দেহে স্পর্শ দোষের কিছু না, এটা ট্রাম্প বলেছেন' তারিখবিহীন একটি পদত্যাগ পত্রে মি. সেশনস যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি সেটা স্পষ্ট ধরা পরেছে। আলাবামার সাবেক এই সিনেটর আগে ট্রাম্পের সমর্থক ছিলেন। তিনি ঐ চিঠিতে লিখেছিলেন "প্রিয় মি প্রেসিডেন্ট আপনার অনুরোধে আমি আমার পদত্যাগ পত্র জমা দিচ্ছি"। রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লিখেছেন "সবচেয়ে বড় কথা আমি অ্যাটর্নি জেনারেল থাকার সময় আমরা আইনের শাসনকে বলবত রেখেছি"। মি. সেশনসের সাথে বিবাদের শুরুটা হয়েছিল ২০১৭ সালের মার্চ মাসে। ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে থেকে দল ত্যাগ করাদের মধ্যে সর্বশেষ নাম যোগ হল সেশনসের। তখনই মি সেশনস রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে যে তদন্ত হচ্ছিল সেখান থেকে সরে আসেন। এবং এই দায়িত্ব তার অধীনস্ত রড রোজেনস্টেইনকে দেন। এরপর থেকেই প্রকাশ্যে ট্রাম্প মি. সেশনসের বিরুদ্ধে নানা ধরণের সমালোচনামূলক কথা বলতে থাকেন। ২০১৭ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাতকার ট্রাম্প বলেন "তিনি এই তদন্ত থেকে সরে যাবেন এই কথা আমাকে আগে বললে আমি তাকে এই দায়িত্ব তাকে দিতাম না। আমি অন্য কাওকে এই কাজের জন্য নিতাম"। মি. সেশনস তদন্তভার থেকে সরে যাওয়ার পর বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট মুলারের চলমান তদন্ত-প্রক্রিয়া নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট ছিলেন ট্রাম্প। মি. মুলার প্রতিনিয়ত ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টসিয়াল ক্যাম্পেইন এবং মস্কোর মধ্যে কোন যোগসূত্র আছে কিনা এমন তথ্য-প্রমান খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে পরেই হয়ত জেফ সেশনসকে বরখাস্ত করা হতে পারে। আর সেটাই এখন সত্য হল।
US Attorney General Jeff Sessions has been fired by President Donald Trump.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
'মেয়ে বিহীন গ্রামগুলো' উত্তরাকশি এলাকায় অবস্থিত, যেখানে ৫৫০টি গ্রাম এবং পাঁচটি গ্রামে প্রায় চার লক্ষ মানুষ বসবাস করে। বেশিরভাগ স্থান পাহাড়ি এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল। ভারত এমন একটি দেশ যেখানে নারী ও পুরুষের অনুপাতে অসামঞ্জস্য বেশ প্রকট। অবৈধভাবে কন্যা শিশু ভ্রূণ গর্ভপাতের কারণে এ পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। কিন্তু উত্তরাকশি এলাকায় কোন কন্যা শিশু না জন্মানোর বিষয়টি কিছুটা ক্ষোভ তৈরি করেছে। খবরে বলা হচ্ছে , এপ্রিল এবং জুনের মধ্যে ১৩২ টা গ্রামে ২১৬টা ছেলে শিশু জন্ম নিয়েছে যেখানে কোন মেয়ে শিশু জন্ম নেয় নি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ দেখেছে যে এই একই সময়ের মধ্যে অন্য জায়গায় অবস্থিত ১২৯টি গ্রামে ১৮০টা মেয়ে শিশু জন্মালেও কোন ছেলে শিশু জন্ম নেয়নি। পুরো চিত্র প্রকাশ করলে দেখা এছাড়া আরো ১৬৬ গ্রামে এই একই সময়ের মধ্যে ৮৮টি কন্যা শিশু এবং ৭৮ ছেলে শিশু জন্ম নিয়েছে। উত্তরাকশিতে নারীরা গৃহস্থালী এবং ক্ষেতে কাজ করে বেশি। সার্বিকভাবে উত্তরাকশিতে এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে ৯৬১ শিশু জন্ম নিয়েছে, যার মধ্যে মধ্যে ৪৭৯টি মেয়ে শিশু এবং ৪৬৮টি ছেলে শিশু। কর্মকর্তারা বলছেন, এই জেলায় ১০০০ ছেলে শিশুর বিপরীতে ১০২৪টি মেয়ে শিশু জন্ম নিয়েছে, যেটি ভারতের জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি। ভারতের জাতীয় হিসেবে দেখা যায়, ১০০০টি ছেলে শিশুর বিপরীতে ৯৩৩টি মেয়ে শিশু জন্ম নিচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, জন্ম সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের যেসব স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন, গণমাধ্যম সম্ভবত শুধু তাদের কাছ থেকেই তথ্য সংগ্রহ করেছে। টিকাদান কর্মসূচি এবং পরিবার পরিকল্পনার কার্যক্রমের জন্য ৬০০ স্বেচ্ছাসেবীকে কাজ দেয়া হয়েছে যাতে তারা গর্ভবতী নারী এবং জন্ম সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে। জেলার সিনিয়র অফিসার আসিস চৌহান বলেছেন, "আমি মনে করি মিডিয়ার করা 'নো গার্ল ভিলেজ' রিপোর্টে ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। একই সাথে প্রেক্ষাপটের সম্পর্কে ভালো ধারণা নেই। যাই হোক, আমরা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি।" সেজন্য ২৬ জন কর্মকর্তা ৮২টি গ্রামে ঘুরে এই তথ্যের সত্যতা যেমন যাচাই করছে এবং একই সাথে কোথায় ভুল হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখছে। উত্তরাকশির গ্রামগুলো গাহাড়ে ঘেরা এবং প্রত্যন্ত এলাকায়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: জেনারেল মোশাররফের ফোনে আড়ি পেতেছিল ভারত একনজরে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের ইতিহাস নারী যদি পুরুষকে মিলনে বাধ্য করে - তা কি ধর্ষণ? এখানে কী ধরণের ভুল হতে পারে? একটি সম্ভাবনা হচ্ছে, তথ্যগুলো ভুল কিংবা অসম্পূর্ণ হতে পারে। সেখানে স্বাস্থ্য কর্মীদের ভুল থাকতে পারে। তারা কি এটা করেছে যে ছেলে শিশুদের সংখ্যাকে কিছু গ্রামে এবং মেয়ে শিশুদের সংখ্যাকে অন্য গ্রামে অন্তর্ভুক্ত করেছে? দ্বিতীয়ত, উত্তরাকশি এলাকায় জনসংখ্যা কম। এখানে একটি গ্রামে গড় জনসংখ্যা ৫০০ এবং প্রত্যন্ত গ্রামের গড় লোকসংখ্যা প্রায় ১০০'র মতো। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, সবচেয়ে ছোট গ্রামগুলোতে সাধারণত ১০ থেকে ১৫টি পরিবার আছে। "যদি অনেক গ্রামে কন্যা শিশু জন্ম না নেয়, তাহলে সেটা পুরো জেলার নারী-পুরুষের অনুপাতের উপর প্রভাব ফেলতো," বলছেন মি. চৌহান। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন, এই জেলায় ছেলে এবং কন্যা শিশুর মধ্যে কোন বৈষম্য করা হয় না এবং এখানে উভয়ের মধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অনুপাত বজায় রয়েছে। ভারতে নারী-পুরুষের অনুপাতে ভারসাম্য নেই। "ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক, আমরা শুধু প্রার্থনা করি, সে যেন সুস্থ এবং সুখী হয়," হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকা বলেন স্থানীয় বাসিন্দা রোশনি রাওয়াত। এছাড়া পুরুষদের চেয়ে নারীরা বেশি পরিশ্রমী। তারা কৃষিকাজ করে, ঘাস কাটে, গরুর দুধ আহরণ করে, রান্নাবান্না এবং সংসারের নানা কাজ করে। এছাড়া পুরুষদের মধ্যে অ্যালকোহল পানের প্রবণতা অনেক বেশি। কর্মকর্তারা বলছেন, বেশ কয়েক বছর যাবত এ অঞ্চল থেকে তারা কন্যা শিশুর ভ্রূণ হত্যার কোন খবর পাননি। এখানে রেজিস্ট্রিকৃত তিনটি আলট্রাসাউন্ড মেশিন রয়েছে এবং এই তিনটি মেশিনই সরকারি হাসপাতালে। মি: চৌহান বলেন, "অবৈধ গর্ভপাত করা কিংবা কন্যা শিশুর ভ্রূণ হত্যা করার মতো কোন অর্থনৈতিক কারণ এখানে নেই।" তবে এখানে আরেকটি মজার বিষয় আছে। এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত জন্ম নেয়া ৯৬১টি শিশুর মধ্যে ২০৭টি জন্ম নিয়েছে বাড়িতে এবং বাকিগুলো হাসপাতালে। এর মধ্যে ১০৯টি ছেলে শিশু এবং ৯৩টি কন্যা শিশু। পুরো জেলায় নারী এবং পুরুষের যে অনুপাত রয়েছে, এই হিসেব সেটির পুরোপুরি বিপরীত। "এ বিষয়টা কিছুটা অস্পষ্ট। এটা আমাদের আরো তদন্ত করে দেখতে হবে। সাধারণত প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে শিশুরা বাড়িতে জন্ম নেয়। কারণ সেখান থেকে হাসপাতালে যাওয়া কষ্টকর," বলছিলেন জেলার সিনিয়র মেডিকেল অফিসার চন্দন সিং রাওয়াত। 'হারিয়ে যাওয়া কন্যা শিশুদের' বিষয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।
When reports emerged earlier this week that no girl had been born in 132 villages in the small Himalayan state of Uttarakhand in the last three months, it sparked panic and prompted a government investigation into the matter.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ইমপিচমেন্টের পক্ষে নিউইয়র্কের রাস্তায় আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর বিষয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা হলো এই প্রতিবেদনে। প্রশ্ন: সেনেটে ইমপিচমেন্ট শুনানি কবে হবে? উত্তর: এখন পর্যন্ত কিছুই শতভাগ নিশ্চিত হয়নি। তবে শীতকালীন ছুটির পর জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে সেনেট সম্ভবত এই বিচারের ব্যাপারে সাধারণ সম্মতি নেয়া শুরু করবে। সেনেটের সংখ্যালঘু ডেমোক্র্যাটিকদের নেতা চাক শুমার তেমনটাই অনুরোধ করেছেন। রিপাবলিকান সেনেট নেতা মিচ ম্যাককনেলও হয়তো এই প্রস্তাবে সায় দেবেন। প্রশ্ন: ২০২০ সালের নির্বাচনে কী প্রভাব পড়বে? উত্তর: এটি আসলে খুবই কঠিন একটি প্রশ্ন - এবং এর উত্তরও আসলে পরিস্কার না। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ এ হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট বিতর্ক শুরুর মুহুর্ত রিপাবলিকানরা এমনটা ফলাও করে প্রচার করছে যে ইমপিচমেন্ট কীভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণার অর্থায়নের জন্য সুবিধা তৈরি করে দিচ্ছে। কারণ সমর্থকরা তাদের প্রেসিডেন্টের আশেপাশে আগের চেয়ে জোরেসোরে সমর্থন জানাচ্ছে। তবে ডেমোক্র্যাটরা বলছে এই ইমপিচমেন্ট ট্রাম্পের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করবে, যার ফলে ভোটাররা তাকে ভোট দিতে গিয়ে সঙ্কোচের মধ্যে পড়বে। জনসমীক্ষার ফলাফল বলে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের পক্ষে ও বিপক্ষের মতামত ইমপিচমিন্ট সংক্রান্ত গত কয়েকমাসের নাটকে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ বলা যায়, ইমপিচমেন্টের বিতর্ক ওঠার আগে ২০২০ সালের নির্বাচনে যেরকম হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা ছিল সেরকম, এখনো লড়াই হবে। প্রশ্ন: ট্রাম্প অভিশংসিত হয়ে পেন্স প্রেসিডেন্ট হলে তিনি কী আইনগতভাবে ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট বানিয়ে নিজে পদত্যাগ করতে পারেন? উত্তর: মার্কিন সংবিধানে এই প্রক্রিয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়নি, কাজেই এটি খুবই সম্ভব। তবে প্রথমত, মাইক পেন্স ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট বানাতে চাইলে সেই প্রস্তাব নিম্নকক্ষ হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভসের এবং উচ্চকক্ষ সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে অনুমোদিত হতে হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণে থাকা হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভস স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে দিতে চাইবে না। এমন সম্ভাবনাও আছে যে, ট্রাম্পকে সেনেট তার দায়িত্ব থেকে অপসারণ করার সময়ই এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করবে যার ফলে ভবিষ্যতে তিনি দায়িত্বে আসার সুযোগ হারাবেন। কিন্তু সেনেট যদি তা না করে, তাহলে মাইক পেন্স সহজেই ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট বানাতে পারবেন। এবং তখন ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রেও ট্রাম্পকে বাধা দেয়া সম্ভব হবে না। প্রশ্ন: সেনেট যদি ট্রাম্পকে শেষপর্যন্ত অভিশংসিত নাই করে, তাহলে এই পুরো প্রক্রিয়ার গুরুত্ব কী? উত্তর: ডেমোক্র্যাটদের বক্তব্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, সেনেটে ট্রাম্পের অভিশংসিত হওয়ার প্রায় কোনোরকম সম্ভাবনা না থাকলেও তারা এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গেছে শুধুমাত্র প্রেসিডেন্টকে তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী করার উদ্দেশ্য থেকে। ক্ষমতার অপব্যবহার করার দায়ে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এই পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালনা না করলে হয়তো তিনি ২০২০ সালের নির্বাচনকে ঘিরে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতেন যা ডেমোক্র্যাটদের আরো ক্ষতিগ্রস্ত করতো। মিনেসোটায় গত অক্টোবর মাসে ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচন প্রচারণা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বিবেচনা করলেও, দলের সমর্থকদের আনুগত্য ধরে রাখতে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া পরিচালনা করা প্রয়োজন ছিল ডেমোক্র্যাটদের। প্রশ্ন: নিম্নকক্ষে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হওয়ার পর সাথে সাথেই কী বিচার শুরু হবে, নাকি সেনেটের ভোট দিতে হয়? উত্তর: আজকের ভোটের ফলে মার্কিন সংবিধান অনুসারে সেনেটে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে, তবে এর মেয়াদ এবং সময় নির্ভর করছে সেনেটের ওপর। সেনেট কোনো এক সময় এই বিচার সংক্রান্ত সাধারণ নিয়ম এবং অন্যান্য মাপকাঠি ঠিক করবে - তবে কোনো না কোনো ধরণের বিচার পরিচালিত হবেই। একটি বিষয়ে কিছুটা অস্পষ্ট আইনি বিতর্ক রয়েছে যে নিম্নকক্ষের ভোটের পরই সেনেটের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়, নাকি নিম্নকক্ষের প্রতিনিধিদের আনুষ্ঠানিকভাবে ইমপিচমেন্টের কাগজপত্র সেনেটে 'পেশ' করতে হয়। এটি এই জন্য জরুরি, কারণ এমন একটা ধারণা রয়েছে যে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি যতক্ষণ না পর্যন্ত নিশ্চিত হচ্ছেন যে সেনেট নিরপেক্ষ বিচার আয়োজন করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি ইমপিচমেন্টের কার্যক্রম স্থগিত রাখতে পারেন। প্রশ্ন: এই ইমপিচমেন্টের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাক্স দেয়া সাধারণ মানুষের কী পরিমাণ খরচ হচ্ছে? উত্তর: যদি সুনির্দিষ্টভাবে খরচের বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়, তাহলে এটি বলা কঠিন। এফবিআইয়ের সাবেক পরিচালক রবার্ট মুলারের রাশিয়া সম্পর্কে অনধিকার চর্চার অভিযোগের তদন্তে ৩ কোটি ২০ লাখ ডলার খরচ হয়েছিল। তবে এই প্রক্রিয়া না চালিয়ে কী কী করা যেতো, সেটি আসলে রাজনৈতিক বিবেচনার ওপর নির্ভরশীল। নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর ডেমোক্র্যাটরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, ভোটের পদ্ধতির সংস্কার, সর্বনিম্ন মজুরি বাড়ানো, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার আইন পুনর্নবায়নের মত শত শত আইন প্রণয়ন করেছে - কিন্তু এগুলোর মধ্যে খুব কমই রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সেনেটে অনুমোদিত হয়েছে। প্রশ্ন: ইমপিচ হওয়া প্রেসিডেন্টের বিচার পরিচালনা করেন কে? উত্তর: মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সাংবিধানিকভাবে সেনেটের ইমিপিচমেন্ট প্রক্রিয়ার প্রিজাইডিং অফিসার থাকেন। বিচারের গঠনতন্ত্র নির্ধারিত হয় বিচার শুরু হওয়ার আগে সেনেটরদের ভোটে। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রধান বিচারপতির দেয়া রায় ১০০ জনের সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পরিবর্তিত হতে পারে। অর্থাৎ বলা যায়, রিপাবলিকানরা যদি একমত হন তাহলে যে কোনো সময় বিচারের রায় এবং বিচার প্রক্রিয়া পরিবর্তন করতে পারবে। প্রশ্ন:সেনেটের কি রাজনৈতিক মতাদর্শ বিবেচনা করে ভোট দেয়া উচিত নাকি স্বাধীন বিচারক হিসেবে ভোট দেয়া উচিত? উত্তর: প্রত্যেক সেনেটরকে নিজের বিবেকের দ্বারা চালিত হয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তিনি কোন পক্ষে ভোট দেবেন। এরই মধ্যে কয়েকজন রিপাবলিকান ঘোষণা দিয়েছেন যে তারা প্রেসিডেন্টকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্যই ভোট দেবেন। আবার অনেক ডেমোক্র্যাট মনে করেন যে এখন পর্যন্ত পাওয়া সব প্রমাণ সাপেক্ষে প্রেসিডেন্ট তার দায়িত্ব থেকে অপসারিত হতে পারেন। শুধুমাত্র তারাই জানেন, তারা রাজনৈতিক বিবেচনা থেকে এরকম সিদ্ধান্তের কথা বলছেন নাকি তারা নিজেদের বিবেক থেকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
Donald Trump has become only the third US president to be impeached by the House of Representatives.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে আরব আমিরাত ও বাহরাইন দুই উপসাগরীয় দেশ আরব আমিরাত ও ইসরায়েল নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রাখার চুক্তি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মি. ট্রাম্প। আরব আমিরাত, ইসরায়েল ও বাহরাইন তিন দেশের মত মি. ট্রাম্পও এই চুক্তিকে ঐতিহাসিক হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতাতেই এই চুক্তিটি সম্পন্ন হয়। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হওয়ার পর বাহরাইন ও আরব আমিরাত তৃতীয় ও চতুর্থ উপসাগরীয় দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিল। মি. ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন যে অন্যান্য দেশও তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তবে ইসরায়েলের সাথে দ্বন্দ্বের সমাধান হওয়ার আগ পর্যন্ত সেরকমটা যেন না হয় সেই আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিন। বছরের পর বছর ধরে সিংহভাগ আরব দেশ ইসরায়েলকে বয়কট করে এসেছে। আরব দেশগুলোর বক্তব্য ছিল ফিলিস্তিনের সাথে ইসরায়েলের বহু বছর ধরে চলা দ্বন্দ্বের সমাধান হলেই কেবল তারা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করবে। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জড়ো হওয়া কয়েক'শো মানুষের উদ্দেশ্যে মি. ট্রাম্প বলেন, "কয়েক দশকের বিভক্তি এবং সংঘাতের পর আমরা নতুন এক মধ্য প্রাচ্যের উত্থানের সূচনা করছি।" তিনি বলেন, "আজ আমরা এখানে জড়ো হয়েছি ইতিহাস বদলে দিতে।" ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, "এই দিনটি ইতিহাস পরিবর্তনের ক্ষণ, শান্তির নতুন দিগন্তের সূচনা।" তবে ফিলিস্তিনের নেতা মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, অধিকৃত অঞ্চল থেকে ইসরায়েল সরে গেলেই কেবলমাত্র মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। সংবাদ সংস্থা এএফপি'র খবর অনুযায়ী, চুক্তি স্বাক্ষরের পর মাহমুদ আব্বাস এক বিবৃতিতে বলেন: "ইসরায়েলের অধিগ্রহণের সমাপ্তি না হলে ঐ অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা ফিরবে না।" ওদিকে যখন চুক্তি স্বাক্ষর হচ্ছিল, সেসময়ও ইসরায়েল থেকে গাজা উপত্যকা থেকে দু'টি রকেট ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। আরো পড়তে পারেন: উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের শান্তি চুক্তি কেন গুরুত্বপূর্ণ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা: কার জন্য কী? ফিলিস্তিনে ইহুদি বসতি এলো যেভাবে ঐতিহাসিক চুক্তির পরে টেলিফোন যোগাযোগ চালু করলো ইসরায়েল ও আমিরাত এই চুক্তির ফলে ঐ অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ভারসাম্যেও পরিবর্তন আসতে পারে এই চুক্তিকে কেন ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে? আরব আমিরাত ও বাহরাইনের আগে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়া দেশ ছিল শুধুমাত্র মিশর ও জর্ডান, যারা ১৯৭৮ ও ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলের সাথে শান্তি চুক্তি করেছিল। উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকায় আরব লিগের সদস্য মৌরিতানিয়া ১৯৯৯ সালে ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করলেও ২০১০ সালে সম্পর্কচ্ছেদ করে। এখন দেখার বিষয় উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশ, বিশেষ করে সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও বাহরাইনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে কি না। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা এ ধরণের কোনো চুক্তি করতে প্রস্তুত নয়। এই চুক্তির ফলে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে হওয়া পারস্পরিক সম্পর্কের জের ধরে ঐ অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ভারসাম্যেও পরিবর্তন আসতে পারে। ইসরায়েলের পাশাপাশি বেশকিছু আরব রাষ্ট্রেরও ইরানের সাথে শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্ক রয়েছে। গত আগষ্ট মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই তথাকথিত "আব্রাহাম চুক্তি" ঘোষণা করেন। ফিলিস্তিনিরা কেন এই চুক্তির নিন্দা করছে? ফিলিস্তিনিরা মনে করছে এই চুক্তি করে তাদের সাথে ভয়াবহ বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। আরব দেশগুলোর মধ্যে বহু বছরের একটা ঐকমত্য ছিল। সেটি হচ্ছে, ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক একমাত্র ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার মাধ্যমেই হতে পারে। ফিলিস্তিনিরা বলছে এই চুক্তি করে উপসাগরীয় দেশগুলো ঐ প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেছে। আরব আমিরাত অবশ্য বলছে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি চুক্তির অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ এবং এই চুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলকে রাজি হতে হবে যে পশ্চিম তীরের এক বিরাট ফিলিস্তিনি এলাকা তারা নিজেদের সীমানা ভুক্ত করবে না। জানুয়ারি মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'বিতর্কিত' প্রস্তাবিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পশ্চিম তীরের বড় একটি অংশ ইসরায়েলের সীমানাভুক্ত করার কথা ছিল। ফিলিস্তিনিরা মি. ট্রাম্পের প্রস্তাবকে ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাত বলে অভিযোগ করেছিল এবং সতর্ক করেছিল যে ঐ সংযুক্তির ফলে ভবিষ্যতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনা নষ্ট হবে এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হবে। ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এক ঐতিহাসিক ফ্লাইটে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান ১ সেপ্টেম্বর চুক্তি নিয়ে বিতর্কের পেছনের কারণ মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরব ও ইরানের একে অপরের বিরুদ্ধে নেয়া কূটনৈতিক পদক্ষেপের পেছনের কারণ মূলত ধর্মীয়। দুই দেশের মধ্যে বহু বছর ধরে চলতে থাকা দ্বন্দ্বের মূল ভিত্তি ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিন্নতা। দুই দেশ ইসলাম ধর্মের প্রধান দুই শাখার অনুসারী - ইরান মূলত শিয়া মুসলিম এবং সৌদি আরব নিজেদের বিশ্বের শীর্ষ সুন্নি মুসলিম শক্তি হিসেবে মনে করে। আরব আমিরাত ও বাহরাইন দুই দেশই সৌদি আরবের মিত্র। এই চুক্তির পর সৌদি আরবের প্রতিক্রিয়ার দিকে নজর থাকবে পুরো বিশ্বের। এখন পর্যন্ত এমন কোনো ইঙ্গিত আসেনি যে তারা বাহরাইন বা আরব আমিরাতের পদক্ষেপ অনুসরণ করবে।
US President Donald Trump has hailed the "dawn of a new Middle East", amid Israel's landmark deals with the United Arab Emirates (UAE) and Bahrain.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
রানওয়ে চিহ্নিত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে অটোপাইলট। এক্ষেত্রে অটোমেটিক পাইলট বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত বিমানের পাইলট 'ইমেজ রিকগনিশন আর্টিফেশিয়াল ইন্টেলিজেন্স' বা দৃশ্য নিয়ন্ত্রিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে রানওয়ে চিহ্নিত করে করেছে। বড় বিমান বন্দরগুলোতে এমন ব্যবস্থা থাকে যাতে করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি ব্যবহার করে রানওয়ের অবস্থান বুঝে বিমান অবতরণ করতে পারে। এদিকে গত মে মাসে অস্ট্রিয়ার ডায়মন্ড এয়ারক্রাফট বিমানঘাঁটিতে এআই (আর্টিফেশিয়াল ইন্টেলিজেন্স)-এর নতুন একটি টুল ব্যবহার করে যাত্রীবাহী ছোট একটি বিমানকে অবতরণ করানো হয়েছিল। একজন বিশেষজ্ঞের মতে, এর ফলে ফ্লাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত হবে। আরো পড়তে পারেন: বিমানের খোলে লুকিয়ে বিদেশ যাত্রায় কি সবাই মারা যায়? হেডিংলির আকাশে কাশ্মীর ব্যানার নিয়ে তোলপাড় ব্রাউনশভাইক এবং মিউনিখের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই নতুন পদ্ধতিটির উদ্ভাবন করেছেন। এক্ষেত্রে প্রযুক্তিটি রানওয়ের ভিজ্যুয়াল তথ্য সংগ্রহ করে বিমানের ফ্লাইট কন্ট্রোলকে সমন্বয় করে কোন মানুষের সহায়তা ছাড়াই। কারণ এটি স্বাভাবিকভাবে দৃশ্যমান আলো এবং ইনফ্রারেড রশ্মি বা অবলোহিত বিকিরণ সবই শনাক্ত করতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার মধ্যেও এটি অবতরণের স্থান শনাক্ত করতে পারে যা কিনা পাইলটের ক্ষেত্রে কঠিন। আরেকটি সুবিধা হলো - এই পদ্ধতি বেশিরভাগ বড় বিমান বন্দরে বিদ্যমান ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস) এর দ্বারা রেডিও সংকেতের ওপর নির্ভর করে না। ছোট বিমান বন্দরগুলোতে এই পদ্ধতি অনেক সময়ই থাকে না। অটোপাইলট বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করায়। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তিকেও ভুল প্রোগ্রাম দিয়ে নষ্ট করারও আশঙ্কা করেছেন ইউনির্ভাসিটি অব ক্যাগলিআরির বাতিস্তা বিগজিও। উদাহরণস্বরূপ এমন হতে পারে যে, এআই পাইলট অন্য কোন স্থানকে রানওয়ে হিসেবে চিহ্নিত করে ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, অটোমেশনের অর্থ এই নয় যে পাইলটের নিয়ন্ত্রণ এতে কমে যাবে। বরং এই প্রযুক্তি যেকোন প্লেন এর অবতরণকে ভালোভাবে সহায়তা করবে।
An automatic pilot has landed a plane using image-recognition artificial intelligence to locate the runway.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের কারণে গনোরিয়ার মতো মারাত্মক ব্যধি ছড়াতে পারে যৌন স্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসকরা বলছেন, তিনি খুবই ভাগ্যবান এবং এই ঘটনাটি সবার জন্য একটি সতর্কবার্তা। যুক্তরাজ্যে তার একজন নিয়মিত সঙ্গী আছে । কিন্তু তিনি রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এক নারীর সাথে যৌন সম্পর্কের পর। তিনিই বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি, যে এধরণের রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর যে অ্যান্টি-বায়োটিক দেয়া হয়ে থাকে, তাতে সুস্থ হননি। তাকে দেয়া অ্যান্টিবায়োটিকের দুইটি কোর্সই ব্যর্থ হয়। পরে অবশ্য অস্ট্রেলিয়াতেও এরকম দুইটি ঘটনার কথা জানা গেছে। আরও পড়ুন: 'সুপার গনোরিয়ায়' আক্রান্ত ব্যক্তি চিহ্নিত ‘ওরাল সেক্স’ এর কারণে ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়া ছড়াচ্ছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাকে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণের পর চিকিৎসকরা সর্বশেষ চেষ্টা হিসাবে এরটাপেনেম নামের আরেকটি অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে সাফল্য পান। যুক্তরাজ্যের জন স্বাস্থ্য ইংল্যান্ডের যৌন বাহিত রোগ বিভাগের প্রধান ড. গুয়েন্দা হিউজ বলছেন, একাধিক ওষুধ প্রতিরোধী গনোরিয়া রোগটি অবশেষে সফলভাবে চিকিৎসা করা গেছে। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্রিটিশ সঙ্গীসহ আর কোন ব্যক্তির মধ্যে এ ধরণের রোগ আছে কিনা, সেটির তদন্ত শুরু করেছে জন স্বাস্থ্য দপ্তর। তবে তারা বলছেন, যুক্তরাজ্যে রোগটির বিস্তার হয়নি। এ রোগের মূল কারণ একটি ব্যাকটেরিয়া, যার নাম নেইসেরিয়া গনোরিয়া পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আর ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল একমত হয়েছে যে, সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী গনোরিয়ায় এটাই একমাত্র উদাহরণ। তবে অস্ট্রেলিয়ায় আরো দুইটি ঘটনার কথা জানার পর চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতে এরকম আরো রোগী পাওয়া যেতে পারে। ভবিষ্যতে তাদের ক্ষেত্রে আর কোন অ্যান্টিবায়োটিক কাজ নাও করতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। অনেক দেশেই অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার হয় এবং যেকোনো দোকান থেকে ইচ্ছেমত কেনা যায়। সেসব দেশের মানুষের মধ্যে ওষুধ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া শক্তিশালী হয়ে ওঠে বলে চিকিৎসকরা মনে করেন। গনোরিয়া কী? এ রোগের মূল কারণ একটি ব্যাকটেরিয়া, যার নাম নেইসেরিয়া গনোরিয়া। মূলত অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের কারণে এ রোগটি ছড়িয়ে থাকে। আক্রান্ত হওয়ার পর নারী ও পুরুষের মধ্যে নানা ধরণের লক্ষ্মণ দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে যৌন অঙ্গ থেকে সবুজ বা হলুদ রঙের পদার্থ বের হওয়া, প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া হওয়া বা পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়া। যথাযথ চিকিৎসা না নিলে এ থেকে আরও বন্ধ্যত্ব সহ নানা রোগ হতে পারে। অনেক সময় নারীদের এই রোগটি হলেও, তার কোন লক্ষণ টের পাওয়া যায় না। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: খাদ্যে ঢুকে পড়ছে প্লাস্টিক, বিপদের মুখে বাংলাদেশ অনুমতি ছাড়া অন্যের ছবি ব্যবহারের শাস্তি কী? ঢাকা থেকে আজ বাস যাচ্ছে নেপালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে নিয়ে বিজেপি'র ভাবনা কী
A man in the UK who caught the world's "worst-ever" case of super-gonorrhoea has been cured.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
ভ্রমণের অধিকারের হিসেবে সৌদি আরবের নারীদেরকে পুরুষের সমকক্ষতা দেয়া হলো শুক্রবার ঘোষণা করা নতুন আইনে বলা হয়, ২১ বছরের বেশি বয়সী যে কোনো নারী এখন থেকে কোনো পুরুষ অভিভাবকের অনুমোদন ছাড়াই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রাপ্তবয়স্ক সকল ব্যক্তিই এখন থেকে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে এবং ভ্রমণ করতে পারবে। এর ফলে এই ক্ষেত্রে নারীদের অনেকটা পুরুষের সমকক্ষ হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। রাজকীয় ফরমানে নারীদের শিশুর জন্মের নিবন্ধন এবং বিয়ে করা বা বিয়ে বিচ্ছেদের অনুমোদনও দেয়। এছাড়া নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়ানো হয়েছে ঐ ফরমানে। এই আইনমতে সব নাগরিকেরই কর্মসংস্থানের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছেে এবং লিঙ্গ, বয়স বা শারীরিক অক্ষমতার ভিত্তিতে সেক্ষেত্রে তাদের সাথে কোনো ধরণের বৈষম্য তৈরি করার সুযোগ নেই বলা হয়েছে। এই আইন কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত, পাসপোর্ট বানানো বা দেশের বাইরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সৌদি নারীদের জন্য স্বামী, পিতা বা যে কোনো পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক ছিল। আরো পড়তে পারেন: 'যেভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলাম' বোরকার বিরুদ্ধে সৌদি নারীদের যে অভিনব প্রতিবাদ ক্যানাডায় দেশান্তরী সৌদি নারী রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনুন (মাঝখানে)। সৌদি আরবের শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান কিছুদিন আগে নারীদের গাড়ি চালানোর বিষয়ে বাধ্যবাধকতা শিথিল করেন। ২০১৬ সালে তিনি একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন, যেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে সৌদি আরবের অর্থনীতি পরিবর্তনের প্রত্যাশা তুলে ধরা হয়। এ সময়ের মধ্যে সৌদি আরবের শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণের হার ২২% থেকে ৩০% এ উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে কানাডাসহ বিভিন্ন উন্নত দেশে সৌদি আরবের অনেক প্রভাবশালী বা বিত্তশালী নারীদের আশ্রয় চাওয়ার অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে এর মধ্যেও। তারা লিঙ্গবৈষম্যের কারণে অত্যাচারের শিকার হয়ে দেশত্যাগ করতে চেয়েছেন বলে দাব করেছেন। জানুয়ারিতে ১৮ বছর বয়সী রাহাফমোহাম্মদ আল-কুনুন'কে আশ্রয় প্রদান করে কানাডা। তিনি সৌদি আরব থেকে পালিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে ঘটনাচক্রে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের বিমানবন্দরের একটি হোটেল রুমে আটকা পড়ে যান তিনি এবং সেখান থেকেই আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন করেন। সৌদি আরবে নারীদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলে অনেক সময় দাবি করে এসেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
Women in Saudi Arabia can now travel abroad without a male guardian's permission, royal decrees say.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
সৌদি আরব এবং আরও কয়েকটি দেশ কাতারে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-থানি বলেছেন সংকট সমাধানে তিনি কূটনৈতিক সমাধান চান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে যে সামরিক উপায়ে বর্তমান সংকটের সমাধান করা সম্ভব নয় বলেও মনে করেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইসলামী চরমপন্থাকে সমর্থনের যে অভিযোগ দেশটির বিরুদ্ধে উঠেছে, কাতার তাও প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে, কাতারের গণমাধ্যম আল জাজিরা বলেছে যে তাদের বিরুদ্ধে সাইবার হামলা হয়েছে। এক টুইট বার্তায় নেটওয়ার্কটি জানায়, তাদের সব ধরণের ব্যবস্থা, ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইবার হামলার মুখে পড়েছে। চলমান সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আল জাজিরা এবং গত মাসের শেষের দিকে অন্যান্য উপসাগরীয় দেশে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। আল জাজিরা তাদের ওয়েব সাইটে জানায় তাদের কার্যক্রম চালু রয়েছে, তবে "নানা উপায়ে হামলা জোরদার হচ্ছে"। অন্যদিকে, কাতারে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন স্টেশন জানিয়েছে যে হ্যাকিংয়ের চেষ্টা হওয়ার কারণে তারা তাদের ওয়েব সাইট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিচ্ছে। কাতারের রাজধানী দোহা এদিকে, মিশর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে এমন একটি দাবী তদন্ত করে দেখতে অনুরোধ করেছে যাতে বলা হয়েছে যে রাজকীয় পরিবারের কয়েকজন সদস্যের মুক্তির জন্য কাতার ১০০ কোটি ডলার মুক্তিপণ দিয়েছে। বলা হচ্ছে, ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলে শিকার করার সময় তাদেরকে অপহরণ করা হয়। কাতারের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ধারায় এখনও ব্যতিক্রম ওমান। তবে খবরে বলা হয়েছে যে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওমানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সেদেশে গিয়েছেন। এ ব্যাপারে অবশ্য বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি। সৌদি আরব এবং বেশ কয়েকটি দেশ সোমবার কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক ও ভ্রমণ সম্পর্ক ছিন্ন করে। কুয়েতের আমীর সংকট কাটাতে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছেন - তিনি এরই মধ্যে কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেছেন। বৃহস্পতিবার দোহায় এক বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বলেন, কাতারকে একঘরে করা হয়েছে "কারণ আমরা সফল এবং প্রগতিশীল"। কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-থানি "আমরা শান্তির স্বপক্ষে একটি প্লাটফরম, সন্ত্রাসের পক্ষে আমরা নই। চলমান এই সংকট পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। আমরা বশ্যতা স্বীকার করতে প্রস্তুত নই। আমরা কখনোই আমাদের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতিকে ধুলায় লুটাতে দেওয়ার জন্যে প্রস্তুত নই।" তিনি বলেন, ইরান প্রস্তাব দিয়েছে যে খাবার ও পানি পরিবহনে কাতার তাদের তিনটি বন্দরকে ব্যবহার করতে পারে, তবে এই প্রস্তাব এখনও দোহা গ্রহণ করেনি। কাতার খাদ্য আমদানির ওপর বিপুলভাবে নির্ভরশীল এবং চলমান সংকট একদিকে যেমন খাদ্য মজুদ প্রবণতা বাড়িয়েছে, অন্যদিকে খাবারের স্বল্পতাও তৈরি করেছে। শেখ মোহাম্মদ বলেন, কাতার কখনোই এই মাত্রায় প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়নি। রাশিয়া জানিয়েছে শেখ মোহাম্মদ শনিবারে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভের সঙ্গে আলোচনা করতে মস্কো যাবেন। তাস বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, তাঁরা "জরুরী আন্তর্জাতিক" ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি। বিবিসির কূটনৈতিক সংবাদদাতা জেমস রবিনস বলছেন, পরিস্থিতি সামলাতে যে চেষ্টা চলছে, রাশিয়ার হস্তক্ষেপ তা আরও জটিল করে তুলতে পারে। কাতারের চলমান সংকট একদিকে যেমন খাদ্য মজুদ প্রবণতা বাড়িয়েছে, অন্যদিকে খাবারের স্বল্পতাও তৈরি করেছে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর বলেছেন যে একঘরে অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে কাতারকে ইসলামপন্থী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এবং মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। আপাতদৃষ্টিতে কাতার সমর্থন পাচ্ছে তুরস্ক থেকে। তুরস্ক এমন একটি বিল অনুমোদন করেছে, যার ফলে আরও বেশী সৈন্য কাতারে পাঠানো যাবে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট মধ্যস্থতা করতেও প্রস্তাব দিয়েছেন। কাতারে অবশ্য রয়েছে ঐ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মার্কিন বিমানঘাঁটি। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি বাদশাহ সালমানের কাছে উপসাগরীয় অঞ্চলে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। তবে এর আগে তিনি দাবী করেছিলেন যে কাতারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে তাঁর হাত রয়েছে। মি. ট্রাম্পের বক্তব্য ছিল যে তাঁর সৌদি আরব সফর "ইতিমধ্যে ফল দিতে শুরু করেছে"। আরও পড়ুন: নির্বাচনে খারাপ ফলের পর টেরেজা মে চাপে জেরেমি করবিনের কাহিনি: লেবার নেতার পরিচিতি কে টেরেজা মে? কনজারভেটিভ নেতার পরিচিতি
Qatar has vowed it will "not surrender" its foreign policy in a row with other Arab states over its alleged connections to extremism.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিশংসনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য বিদেশি শক্তির সাহায্য নেয়ার অভিযোগ করেছেন ডেমোক্র্যাটরা। অভিশংসন প্রক্রিয়া মানে এক অর্থে প্রেসিডেন্টকে কাঠগড়ায় দাড় করানো। যার ফলে তাকে পদ থেকে অপসারণ করা সম্ভব। কী তদন্ত করা হচ্ছে? ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, ২০২০ সালের তার সবচেয়ে সম্ভাব্য শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত না করলে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেয়া বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। জো বাইডেন সম্পর্কিত কোন ক্ষতিকর তথ্য তার বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর জন্য তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপর এমন তদন্তের চাপ দিয়েছেন বলে অভিযোগে বলা হচ্ছে। একটি অনুষ্ঠানে বাবা জো বাইডেনের দিকে তাকেয়ে হান্টার বাইডেন। আরও পড়তে পারেন: একই র‍্যালিতে ট্রাম্প ও মোদী: পরস্পরকে ভূয়সী প্রশংসা 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, প্লিজ হংকং-কে রক্ষা করুন' গ্রীনল্যান্ড বিতর্ক: ডেনমার্ক সফরে যাচ্ছেন না ট্রাম্প কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করছেন যে ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন জো বাইডেন ইউক্রেনকে একটি অপরাধ তদন্ত না করার ব্যাপারে চাপ দিয়েছিলেন। যে তদন্তে তার ছেলে হান্টার বাইডেনের কোন ধরনের সম্পৃক্ততা বের হয়ে আসতে পারে বলে সেটি তিনি ঠেকাতে চেয়েছিলেন। হান্টার বাইডেন ইউক্রেনের মালিকানাধীন গ্যাস কোম্পানি ইউক্রেন ওলিগার্ক-এর বোর্ডে একজন সদস্য হিসেবে ছিলেন। যা থেকে বিবাদের শুরু এই বছরের জুলাইয়ের ২৫ তারিখ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ফোনালাপ হয়েছিলো। সেটি নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তুলেছেন। আর তার পরই এই বিতর্ক সামনে আসে। এবছরের শুরুতে ক্ষমতা নিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মার্কিন গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে ফোনকলটি শুরুর আগে মি. ট্রাম্প তার ভারপ্রাপ্ত দপ্তর প্রধানকে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা অন্তত এক সপ্তাহ বন্ধ রাখতে বলেছেন। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে ইউক্রেনকে দেয়া সামরিক সহায়তা সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। তবে তিনি বলছেন এর উদ্দেশ্য ছিল সেখানে ইউরোপের দেশগুলোকে সহায়তা বাড়াতে চাপ দেয়া। ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর থেকে ইউক্রেন প্রচুর পশ্চিমা সহায়তা পেয়ে আসছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যা বলছেন ওই ফোনালাপে জো বাইডেন সম্পর্কে কথা জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেন সম্পর্কে হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করলেও যে ধরনের আলাপ হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে সেটি অস্বীকার করেছেন। ক্রাইমিয়া বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর থেকে ইউক্রেন প্রচুর পশ্চিমা সহায়তা পেয়ে আসছে। তিনি বলেছেন, "একটা চমৎকার আলাপ হয়েছে।" তিনি বলেছেন ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দেয় যাতে করে দেশটি সততা বজায় রাখে। টুইটারে তিনি আরও সরাসরি বক্তব্য দিয়ে বলেছেন যে বিতর্ক হচ্ছে এটি পুরোটা ডেমোক্র্যাটদের একটা চাল। তিনি লিখেছেন, "ভুয়া খবর ছড়ানো গণমাধ্যম বলছে আমি নাকি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে টেলিফোনে কমপক্ষে আটবার চাপ দিয়েছি। যার কাছে থেকে এসব কথা এসেছে তিনি আলাপের বিষয়ে সরাসরি কিছু বলতে পারেননি। এটি ডেমোক্র্যাট আর গণমাধ্যমের পাতানো চাল।" গোয়েন্দা সংস্থার যে একজন এসব তথ্য "ফাঁস" করেছেন তার দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মি. ট্রাম্প। গোয়েন্দা সদস্যের অভিযোগের কী হল? অভিযোগ পাওয়ার পর সেটি গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভারপ্রাপ্ত জাতিয় পরিচালক জোসেফ ম্যাগুইয়ারকে জানান গোয়েন্দা সংস্থাটির মহাপরিদর্শক। স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ডেমোক্র্যাটদের অভিশংসন তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিষয়টি খুব জরুরী বলে তার কাছে উল্লেখ করেন তিনি। দেশটির আইন অনুযায়ী কোন "হুইসেলব্লোয়ার" বা তথ্য ফাঁসকারীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য সাত দিনের মধ্যে কংগ্রেসের ইন্টেলিজেন্স কমিটির কাছে দিতে হবে। কিন্তু সেটি করা হয়নি। বরং মি. ম্যাগুইয়ার একজন আইনজীবীর সাথে কথা বলেন। নিউ ইয়র্কের টাইমস-এর ভাষ্যমতে ওই আইনজীবী বিষয়টি ততটা "গুরুতর" নয় বলে উল্লেখ করেছিলেন। এর ফলে মি. ম্যাগুইয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিষয়টি কংগ্রেসের ইন্টেলিজেন্স কমিটির কাছে তোলার মতো নয়। এক পর্যায়ে ৯ সেপ্টেম্বর সেটি উল্লেখ করলেও কমিটিকে বিস্তারিত তিনি বলেননি। যদিও ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের ওই ফোনালাপের বিস্তারিত জানার জন্য কমিটির সামনে হট্টগোল করেছিলেন। শুরুতে সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিলো। তবে পরে মি. ট্রাম্প পুরো কথাবার্তা প্রকাশ করার ব্যাপারে অনুমোদন দেন। ডেমোক্র্যাটরা বেশ কিছুদিন যাবত ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবিতে আন্দোলন করছেন। ট্রাম্প কী তাহলে অভিশংসন করার মতো অবৈধ কিছু করেছেন? এই পুরো ঘটনায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর বিষয় হল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে, তার সম্পর্কে নোংরা তথ্য খুঁজতে বিদেশী একজন নেতাকে চাপ দেয়ার অভিযোগ। মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধ রাখার হুমকি দিয়েছেন। এর আগের নির্বাচনে জেতার জন্য "রাশিয়ার সাথে আঁতাত" করেছিলেন বলে যে অভিযোগ উঠেছিলো সেই ঘটনাটিকে এখানে অবশ্যই মনে করিয়ে দিচ্ছে নতুন এই অভিযোগ। রাশিয়ার সাথে আঁতাত প্রসঙ্গে দুই বছর ধরে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চলেছে। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের প্রচারণা বিষয়ক কর্মকর্তা ও তার ছেলের সাথে কয়েকজন রাশিয়ানের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তদন্তে বিস্তারিত উঠে এসেছে। যদিও শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হয়নি। মার্কিন বিচার বিভাগের গাইডলাইন অনুযায়ী বর্তমান কোন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কোন অপরাধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা যাবে না। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টারকে একসাথে দেখা যাচ্ছে ২০১০ সালের একটি বাস্কেটবল ম্যাচে। তাহলে অভিশংসনের ঝুঁকি কতটা? যদি অভিশংসনের উদ্যোগ সামনে এগোয় তাহলে সেটি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ভোটের জন্য যাবে। সেখানে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ তাই সেটি সেখানে ভোটে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যের সাথেই পাশ করার সম্ভাবনা। কিন্তু এর পরের ধাপ হল বিষয়টি সিনেটে যাবে যেখানে ভোটে দুই তৃতীয়াংশের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার। তবে সিনেটে রিপাবলিকানরাই অনেক বেশি প্রভাবশালী। রিপাবলিকানরা সিনেটে তাদের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন এমন কোন ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। মার্কিন সংবিধানে অভিশংসন যোগ্য অপরাধ হল "দেশদ্রোহিতা, ঘুষ আদান প্রদান এবং কোন ধরনের শক্তিশালী অপরাধ।" সব মিলিয়ে ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ও ট্রাম্পের সাথে তাদের আঁতাত নিয়ে নাটক হয়েছিলো তার পুনরাবৃত্তি সম্ভবত আবারো হতে যাচ্ছে সামনের নির্বাচনকে ঘিরে। তবে সেসময় মি. ট্রাম্প একজন সাধারণ নাগরিক ছিলেন। আর এবার তিনি একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ অভিশংসন হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। মার্কিন রাজনীতিবিদদের বক্তব্য কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটরা বলেছেন, তথ্য ফাঁসকারী যে অভিযোগ এনেছে তা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট বিদেশী নেতাদের সাথে কিভাবে কাজ কারবার করেন। ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, ইউক্রেনকে তদন্তে চাপ দিয়ে হান্টার বাইডেন সম্পর্কে নোংরা তথ্য বের করে প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে সেটি ট্রাম্প ব্যবহার করতে চেয়েছেন। রিপাবলিকানরা এই বিষয়ে তেমন কিছু বলছেন না। তবে একজন রিপাবলিকান, সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সিনেটর মিট রমনি বলছেন, "সঠিক তথ্য বের হয়ে আসা খুব জরুরী।"
The US House of Representatives has passed a resolution to formally proceed with the impeachment inquiry against President Donald Trump.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
পেশাওয়ারে একশ বছরের পুরনো কাপুর পরিবারের বিশাল মহল্লাটি ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিচ্ছিল বাড়ির বর্তমান মালিক এই দুটি বাড়ি ছিল রাজ কাপুর ও দিলীপ কুমারের পিতৃপুরুষের বাসভবন। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভাগ হয়ে যাবার কয়েক বছর আগে তারা সপরিবারে আজকের ভারতীয় ভূখন্ডে চলে যান। পেশাওয়ারের কর্মকর্তারা বলেছেন, জরাজীর্ণ এই বাড়ি দুটি তারা কিনে নেবেন এবং বাড়ি দুটো সংস্কার করে তারা সে দুটিকে যাদুঘর বানাবেন। পেশাওয়ার শহরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য খুবই বর্ণময়। বলিউডে যারা বিখ্যাত তারকা হয়েছিলেন তাদের বেশ অনেকের শেকড় ছিল এই শহরে। রাজ কাপুর এবং দিলীপ কুমার জন্মেছিলেন এবং বড় হয়েছিলেন খাইবার পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশাওয়ারের সবচেয়ে প্রাচীন ও সবচেয়ে বিখ্যাত রাস্তা কিস্যা খোয়ানিতে। কিস্যা খোয়ানির অর্থ হল কাহিনীকারদের গলি। পরে দুই পরিবারই মুম্বাইতে চলে যান এবং কালক্রমে দুজনেই হয়ে ওঠেন হিন্দি চলচ্চিত্রের দুই কিংবদন্তী তারকা। বলিউডের বেশ কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক সুপারস্টারের শেকড় রয়েছে পেশাওয়ারের পুরনো অংশে ওই একই এলাকায়। এদের মধ্যে রয়েছেন বলিউড মেগাস্টার শাহরুখ খানও। শহরের বলিউড যোগাযোগ রাজ কাপুর এবং দিলীপ কুমার অভিনয় শুরু করেছিলেন ১৯৪০এর দশকে। যে চলচ্চিত্র শিল্প ভবিষ্যতে বলিউড হয়ে ওঠে, সেই শিল্পের অন্যতম দুজন শীর্ষ তারকা হয়ে ওঠেন তারা দুজনেই। তারা এমনকী দুজনে একসঙ্গে অভিনয়ও করেছিলেন ১৯৪৯য়ের একটি খুবই সফল ছবি 'আন্দাজ'এ। রাজ কাপুর আর দিলীপ কুমার কয়েক প্রজন্ম ধরে হিন্দি চলচ্চিত্রপ্রেমীদের হৃদয়ে বিশাল একটা আসন তৈরি করে নিয়েছিলেন। দিলীপ কুমার বেশি পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন ''বিরহী নায়ক'' হিসাবে।। প্রায়ই তাকে দেখা যেত নরম প্রেমিকের ভূমিকায়, যিনি আঘাত খাওয়া, দুঃখী নায়কের ভূমিকায় মানুষের মন ছুঁয়েছেন তার অসামান্য অভিনয় প্রতিভায়। আর রাজ কাপুর হয়ে উঠেছিলেন রূপালি পর্দার অদ্বিতীয় "শোম্যান"। হাসিখুশি, মজাদার, উচ্ছ্বল নায়ক চরিত্রে, কখনও মনভোলানো নায়ক, আবার সময়ে সময়ে করুণাপ্রার্থী নায়ক - সব চরিত্রেই বাজারমাত করেছেন মি. কাপুর। রাজ কাপুর মারা যান ১৯৮৮ সালে। আর দিলীপ কুমারের বয়স এখন ৯২। তিনি থাকেন মুম্বাইতে তার স্ত্রী অভিনেত্রী সায়রা বানুর সাথে। ১৯৫০এর দশকে দিলীপ কুমার ছিলেন বলিউডের অতি জনপ্রিয় হিরো পেশাওয়ারের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ১৯৭০য়ের দশক থেকে ম্লান হতে শুরু করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পেশাওয়ার জঙ্গি কার্যকলাপ আর রক্ষণশীলতার কারণে বেশি পরিচিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে তালেবানের উত্থানের কারণে বহু স্থানীয় ভবন বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। পেশাওয়ারের প্রাদেশিক সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এলাকার যে সংরক্ষণ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তার অধীনে একশ' বছরের বেশি পুরনো প্রায় ১,৮০০টি ভবন তারা অধিগ্রহণ করবেন এবং সেগুলো পুনরুদ্ধার করবেন। ''সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কারণে পেশাওয়ারের যে প্রাচীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে গেছে তা পুনরুদ্ধারের প্রয়াসের অংশ হিসাবে এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে,'' বিবিসি ঊর্দুকে বলেছেন প্রত্নতত্ত্ব ও যাদুঘরের পরিচালক ড. আবদুস সামাদ। তিনি জানিয়েছেন এধরনের দুটি ভবন সংস্কারের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। কাপুর পরিবার ও কুমার পরিবারের পৈতৃক বাসভবন দুটি বর্তমানে বেসরকারি মালিকদের হাতে। তাদের বাসভবন দুটির খুব কাছেই বর্তমান বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের পিতৃপুরুষের সাবেক বাড়ি। কর্মকর্তারা বলছেন, চলচ্চিত্রের এই তিনজন কিংবদন্তী তারকা এবং আরও অনেক বলিউড তারকার পৈতৃক বাসভবন ছিল পেশাওয়ারের এই ছোট্ট এলাকাটিতে। ফলে ওই এলাকায় বলিউডের একধরনের যাদুঘর গড়ে তোলা খুবই যৌক্তিক হবে। আর ঠিক সেটাই রয়েছে তাদের পরিকল্পনায়। তারা কাপুর আর কুমার পরিবারের শতাব্দী প্রাচীন দুটি ভবন পুনরুদ্ধার করে গড়ে তুলতে চান যাদুঘর, যেখানে ওই দুই তারকা এবং শাহরুখ খানের নানাধরনের স্মৃতিবিজড়িত জিনিস থাকবে। সেখানে একটি চলচ্চিত্র বিষয়ক পাঠাগারও তৈরি করা হবে এবং পেশাওয়ার আর বলিউডের যোগাযোগের নানা ইতিহাস ও সামগ্রী দিয়ে সাজানো হবে যাদুঘর ও পাঠাগার গড়ার এই প্রকল্প। পুনরুদ্ধার কাজ দুটি বাড়ির খুবই ভগ্নদশা। সেগুলো সারিয়ে তুলতে সময় লাগবে অনেক। কাপুরদের মূল যে অট্টালিকা তা ছিল খুবই কারুকাজখচিত। তা একরকম ভেঙে ভেঙে পড়ছে। বাড়িটির কারুকাজ করা বাইরে বেরিয়ে আসা বারান্দা আর তার খিলান ঢাকা জানালা দেখলে বোঝা যায় এককালে কতটা জমকালো ছিল এই অট্টালিকা। অন্যদিকে, কাছেই যে বাড়িতে জন্মেছিলেন দিলীপ কুমার, সেটি অত জমকালো ভবন ছিল না। সেটি ছিল সরু একটা গলির ভেতর ঘিঞ্জি এলাকায়। তবে বাড়িটাতে একসময় বেশ দামী কাঠের কাজ করা ছিল। এখন তার জরাজীর্ণ অবস্থা। কাঠের কাজ নষ্ট হয়ে গেছে, কাঠ পচে ভেঙে গেছে আর চতুর্দিকে মাকড়সার জালে ভরা। কাপুরদের অট্টালিকাটি তৈরি হয়েছিল ১৯১৮ থেকে ১৯২২ সালের মধ্যে। তৈরি করেছিলেন রাজ কাপুরের পিতামহ দেওয়ান বাশেশ্বরনাথ। তিনি ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতে একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করতেন। তার আদিবাড়ি ছিল আজ যেটা পাকিস্তানের ফয়সালাবাদ। তবে কাজের সূত্রে তিনি পেশাওয়ারে বাস করেছেন দীর্ঘদিন। তার ছেলে পৃথ্বীরাজ কাপুর, যিনি একসময় হিন্দি সিনেমার প্রথম যুগের বিখ্যাত তারকাদের একজন ছিলেন, তিনি চলচ্চিত্রে তার কেরিয়ার শুরু করেন নির্বাক চলচ্চিত্রের যুগে। তার অভিনয় জীবনের শুরু হয় পেশাওয়ারে। সেখানে তিনি স্থানীয় থিয়েটারে অভিনয় করতেন। এরপর ১৯২০এর শেষের দিকে তিনি বম্বেতে (বর্তমান মুম্বাই) যান এবং বড় পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ পান। আরও পড়তে পারেন: পৃথ্বীরাজ কাপুরের ছেলে রণধীর কাপুর (বামে) এবং ঋষি কাপুর ১৯৯০ সালে পেশাওয়ারে তাদের পৈতৃক বাড়ি দেখতে গেলে তাদের মালা পরিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয় ওই বাড়িতে তার ছেলে রাজ কাপুরের জন্ম হয় ১৪ই ডিসেম্বর ১৯২৪ সালে। পৃথ্বীরাজ কাপুর সপরিবারে প্রায়ই পেশাওয়ারে তাদের বাড়িতে বেড়াতে যেতেন। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ হবার কয়েক বছর আগে তার পেশাওয়ারের বাড়িটি বিক্রি করে দেন বলে জানাচ্ছেন পেশাওয়ার কাউন্সিলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিভাগের প্রধান শাকিল ওয়াহিদুল্লাহ। কাউন্সিলের এই বিভাগটি এই ভবনগুলো সংরক্ষণের জন্য অনেক বছর ধরে লড়ছেন। মি. ওয়াহিদুল্লাহ বলছেন এই বাড়িটির হাতবদল হয়েছে বেশ কয়েকবার। এমনকী বাড়িটির বর্তমান মালিক - যিনি গহনা ব্যবসায়ী - তিনি বাড়িটি প্রায় ভেঙে ফেলার সব উদ্যোগ নিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি বাড়িটি ভেঙে সেখানে একটি শপিং মল বানানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পেশাওয়ার কাউন্সিলের হেরিটেজ বিভাগ সেসময় হস্তক্ষেপ করে বাড়িটি ভাঙা বন্ধ করেন। কাপুরদের সাবেক এই অট্টালিকার দুটি তলা ইতোমধ্যেই ভেঙে ফেলা হয়েছে। রাজ কাপুরের এই পৈতৃক ভবনটির উপরের দুটি তলা ইতোমধ্যেই ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভবনটি ভাঙা বন্ধ করার জন্যে পেশাওয়ারের প্রাদেশিক প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ যখন হস্তক্ষেপ করে, তখন এটি ভাঙার জন্য মালিককে গ্রেফতার করা হয়। পৃথ্বীরাজ কাপুরের দুই ছেলে রণধীর কাপুর আর ঋষি কাপুর ১৯৯০ সালে সেখানে বাড়িটি দেখতে পান। এ বছরের গোড়াতে যখন ঋষি কাপুর মারা যান, তখন পেশাওয়ারের মানুষ তার মৃত্যুতে শোক পালন করেছিলেন। তারা ঋষি কাপুরের চাচা শশী কাপুরের জন্যও মোমবাতি জ্বালিয়েছিলেন। শশী কাপুর মারা যান ২০১৭ সালে। দিলীপ কুমারদের পৈতৃকটি বাড়িটি তৈরি করেছিলেন তার বাবা। তিনি ফলের ব্যবসা করতেন। দিলীপ কুমার ১১ই ডিসেম্বর ১৯২২ সালে পেশাওয়ারে জন্মান। তার নাম ছিল মোহম্মদ ইউসুফ খান। মি. ওয়াহিদুল্লাহ বলছেন, ১৯২০এর দশকের মাঝামাঝি দিলীপ কুমারের বাবা ব্যবসায়ে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েন। তখন উন্নত জীবিকার সন্ধানে পেশাওয়ারের বাস তুলে দিয়ে তিনি সপরিবারে বম্বে চলে যান। দিলীপ কুমারের পৈতৃক বাসভবন এখন একটি গুদাম, কিন্তু কর্তৃপক্ষ চাইছে এটিকে যাদুঘরে রূপান্তর করতে ভারতে গিয়ে দিলীপ কুমারের বাবা তার হারানো ভাগ্য আবার গড়ে তোলেন, তিনি বিত্তশালী হয়ে ওঠেন এবং ১৯৩০ সালে তাদের পেশাওয়ারের বাড়িটি ৫ হাজার রূপিতে বিক্রি করে দেন। এরপর বাড়িটি কয়েকবার বিক্রি হয়েছে এবং বর্তমানে এটি একটি গুদাম। দিলীপ কুমার তার পৈতৃক বাসভবন দেখতে গিয়েছিলেন ১৯৮৮ সালে। তিনি ১৯৯৭ সালে যখন পাকিস্তান সরকারের একটি পুরস্কার নিতে সে দেশে গিয়েছিলেন তখন আবার পেশওয়ারে তাদের আদি বাড়িটি আবার দেখতে যাবার ইচ্ছা তার ছিল। কিন্তু তিনি যাবেন এমন আগাম খবর পেয়ে সেখানে যে বিশাল সংখ্যক জনতা জমায়েত হয়েছিল তাতে তাকে সেখানে না যাবার পরামর্শ দেয়া হয়।
The ancestral homes of two Bollywood legends are to be saved from crumbling into ruin in northern Pakistan.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
তেতুলিয়াতে আজ ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহওয়া অফিস আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বিবিসিকে বলেছেন তেতুলিয়াতে আজ ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছেন তারা। এর আগে সবচেয়ে কম তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিলো ১৯৬৮ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে আর সেটি ছিলো ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মিস্টার মান্নান বলছেন বাংলাদেশে তাপমাত্রার যে রেকর্ড সংরক্ষিত আছে তাতে শ্রীমঙ্গলের ২ দশমিক ৮ ডিগ্রিই ছিলো সবচেয়ে কম। তিনি জানান দেশের দুটি স্থানে আজ তাপমাত্রা তিন ডিগ্রির নীচে নেমে এসেছিলো। তেতুলিয়া ছাড়া অপরটি হলো সৈয়দপুরে ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: তেন্ডুলকারের মেয়েকে হয়রানির দায়ে যুবক গ্রেফতার মিরপুর স্টেডিয়াম কি নিষিদ্ধ হবার শঙ্কা আছে? শিক্ষকদের হাতে বেদম মার খেলেন অভিভাবক এর আগে সবচেয়ে কম তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিলো ১৯৬৮ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে আর সেটি ছিলো ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এছাড়া নীলফামারীর ডিমলা ও রাজারহাটে ৩ দশমিক ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মিস্টার মান্নানের মতে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে নেমে আসা শীতল বাতাসের কারণে দেশজুড়ে বিশেষ করে সিরাজগঞ্জ থেকে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত অঞ্চল জুড়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এছাড়া মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের মধ্যাঞ্চলে অর্থাৎ ঢাকা, টাঙ্গাইল ও সিলেট অঞ্চলে। আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে খুলনার দক্ষিণ পশ্চিম থেকে শুরু করে বরিশাল, পটুয়াখালী, সীতাকুণ্ড, রাঙ্গামাটি এলাকায়। মিস্টার মান্নান বলেন চট্টগ্রাম অঞ্চল বাদ দিয়ে পুরো দেশই আসলে শৈত্যপ্রবাহের কবলে রয়েছে এবং পরিস্থিতির উন্নতি হতে আরও দু একদিন সময় লাগবে। কক্সবাজারে সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি আর ঢাকায় রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি। তবে পরিস্থিতি উন্নতি হলেও উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির কাছাকাছিই থাকবে বেশ কয়েকদিন, বলছেন মিস্টার মান্নান। আর তাপমাত্রা যাই হোক না কেন জানুয়ারি মাসে পুরো দেশ জুড়েই শীতের প্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা তাদের।
A city in India's Rajasthan state has broken the country's temperature records after registering 51C, the highest since records began, the weather office says.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
জেয়রাজ ও বেনিক্সের শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে এসেছেন চার্চের যাজক ৬২ বছর বয়সী পি জেয়রাজ ও তার ছেলে জে বেনিক্সের একমাত্র অপরাধ ছিল তারা করোনাভাইরাস লকডাউনে নির্ধারিত সময়ের পরেও নিজেদের মোবাইল ফোনের দোকান খুলে রেখেছিলেন। মাদ্রাজ হাইকোর্ট এখন এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে খুনের তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচও তাদের কঠোরতম শাস্তি দাবি করছে। তামিলনাডুর তুতিকোরিন শহরের কাছে সাথানকুলামের বাজারে একটি ছোটখাটো মোবাইল ফোনের দোকান চালাতেন পি জেয়রাজ। লকডাউনের সময় পুলিশের বাড়াবাড়ি নিয়ে তার কোনও মন্তব্য স্থানীয় এক অটোচালক পুলিশের কানে পৌঁছে দিয়েছিল – পরদিন ১৯ জুন সন্ধ্যায় পুলিশ এসে তাকে দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায়। অভিযোগ করা হয়, তিনি সন্ধ্যাবেলা নির্ধারিত সময়ের পরও নাকি দোকান খুলে রেখেছিলেন। যেভাবে চালানো হয় অত্যাচার ও মারধর বাবাকে আটক করার খবর পেয়ে তার ছেলে জে বেনিক্স (৩২) থানায় ছুটে গেলে দেখতে পান, সেখানে তাকে প্রচন্ড মারধর করা হচ্ছে। তিনি বাধা দিতে গেলে তাকেও পুলিশ লকআপে ঢুকিয়ে নেয় – এবং পরবর্তী কয়েক ঘন্টা ধরে দুজনের ওপর চলে পাশবিক অত্যাচার ও নির্যাতন। ঠিক চারদিন পর জেয়রাজ ও বেনিক্সের লাশ পায় তার পরিবার। জেয়রাজ ও বেনিক্সের অন্তিম যাত্রায় ভিড় করে এসেছিলেন শত শত মানুষ। ২৬শে জুন জেরাজের মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, "ওরা যেভাবে বাবা ও ভাইকে মেরেছে তা বর্ণনা করা যায় না। ১৯ তারিখ সারা রাত থানার বাইরে দাঁড়িয়ে আমরা ওদের আর্তনাদ শুনেছি।" "২০ তারিখ সকালে পুলিশ যখন ওদের হাসপাতালে নিয়ে যায়, বাবার ভেস্তি (লুঙ্গি) আর ভাইয়ের প্যান্ট তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছে। পুলিশ আমাদের বলে, গাঢ় রঙের লুঙ্গি দিতে।" "সে দিনই জেল হেফাজতে নিয়ে তাদের ওপর আবার অত্যাচার শুরু হয়।" পি জেয়রাজের শ্যালক জোসেফ পরে জানিয়েছেন, পুলিশ যখন ২০ তারিখ তাদের আদালতে নিয়ে যায় তখন ম্যাজিস্ট্রেট দোতলা থেকেই হাত নেড়ে তাদের জেল হেফাজত মঞ্জুর করেছিলেন – পুলিশ ভেতরে পর্যন্ত ঢোকেনি। পরের প্রায় বাহাত্তর ঘন্টা পরিবার আর তাদের কোনও খোঁজ পায়নি। ২৩শে জুন জেয়রাজ ও বেনিক্সের মৃতদেহ পাওয়ার পর দেখা যায়, তাদের দুজনেরই যৌনাঙ্গ থেকে প্রবল রক্তক্ষরণ ও সারা শরীরে ব্যাপক মারধরের চিহ্ন স্পষ্ট। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের শাস্তির দাবি পুলিশের হেফাজতে এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে রাজ্যে প্রতিবাদ শুরু হয় প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই, যার রেশ এখন দিল্লি-সহ সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়ছে। তামিলনাডুতে বিরোধী দল ডিএমকের সিনিয়র এমপি কানিমোরি বিবিসিকে বলছিলেন, "এটা আসলে একটা খুন – পুলিশের হাতে ঠান্ডা মাথায় খুন। সেভাবেই এর তদন্ত করতে হবে।" "এই চরম অত্যাচারের জন্য অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের সাসপেন্ড করাই যথেষ্ঠ নয়, তাদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তারও করতে হবে।" "ঠিক সময়ে দোকান বন্ধ করা হয়নি, এই অপরাধে কারও বিরুদ্ধে বড়জোর এফআইআর হতে পারে – কিন্তু কীভাবে পুলিশ তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে সারা রাত লক-আপে নির্যাতন করে?", প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। অভিযুক্ত চারজন পুলিশকর্মীকে প্রথমে সাসপেন্ড করা হলেও মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ গতকাল তাদের বিরুদ্ধে খুনের তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। জেয়রাজ ও বেনিক্সের পোস্ট মর্টেম রিপোর্টও বন্ধ খামে করে তুলে দেওয়া হয়েছে আদালতের হাতে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জয়শ্রী বাজোড়িয়া প্রবল চাপের মুখে তামিলনাডু সরকার এদিন রাজ্যের পুলিশ কাঠামোতেও বড়সড় রদবদল করতে বাধ্য হয়েছে। পুলিশি নির্যাতনের সংস্কৃতি কবে বন্ধ হবে? মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র গবেষক জয়শ্রী বাজোড়িয়া বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "আসলে পুলিশে সংস্কারের প্রক্রিয়া ভারতে বহুদিন ধরেই বন্ধ হয়ে গেছে।" "জেয়রাজ ও বেনিক্সের মৃত্যুকেও কিছুতেই একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা যাবে না।" "জোর করে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য এদেশের পুলিশ আখছার নির্যাতনের আশ্রয় নেয়, গ্রেপ্তারির যে সব নিয়মকানুন আছে তার কোনও ধার ধারে না।" "আমরা শুধু আশা করতে পারি, জেয়রাজ-বেনিক্সের মৃত্যুতে যে ধরনের তুমুল ক্ষোভের বহি:প্রকাশ দেখা যাচ্ছে তাতে পুলিশের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে সরকার হয়তো এবার কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেবে।" নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের যে সনদ আছে, ভারত তাতে স্বাক্ষর করলেও আজ পর্যন্ত নিজের দেশে তা র‍্যাটিফাই বা অনুমোদন পর্যন্ত করেনি। পুলিশ হেফাজতে বাবা ও ছেলে, জেয়রাজ ও বেনিক্সের নির্মম মৃত্যু প্রশাসনিক উদাসীনতার সেই করুণ ছবিটা কিছুটা হলেও পাল্টাতে পারে বলে মানবাধিকার কর্মীরা এখন আশা করছেন। করোনাভাইরাসে ষাটোর্ধ বয়সের মানুষের মৃত্যুর হার বেশি নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায়
Outrage is mounting over the deaths in custody of a father and son in the southern Indian state of Tamil Nadu.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
নেনি শুশাইদাহ, মালয়েশিয়ার শরিয়া আদালতের নারী বিচারক। বিচারক নেনি শুশাইদাহ দিনে পাঁচটির বেশি মামলার বিচারিক কাজ পরিচালনা করেন এবং সপ্তাহে প্রায় ৮০টি মামলার শুনানি করে থাকেন। মালয়েশিয়ায় শরিয়া আইনের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। দুই ধারা বিশিষ্ট আইনি ব্যবস্থায় পারিবারিক ও নৈতিক বিষয়ের বিচার চাওয়ার ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার অনেক মুসলিমই শরিয়া আইনের দ্বারস্থ হয়ে থাকেন। মালয়েশিয়ায় শরিয়া আইনের জনপ্রিয়তা মালয়েশিয়া অনেকটা মধ্যমপন্থী ইসলামিক আইন অনুশীলন করলেও সেখানে কট্টরপন্থী মতবাদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিচারক শুশাইদাহ অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বের মামলা থেকে শুরু করে শরিয়া আইনে নারী-পুরুষ সম্পর্কে নৈতিকতার দ্বন্দ্বসহ বিভিন্ন ধরণের মামলার বিচার করে থাকেন। আরো পড়ুন: অনলাইনে হয়রানির শিকার মালয়েশিয়ার মুসলিম নারীরা 'প্রতিবন্ধী বলে সবাই বলেছিল আমাকে মেরে ফেলতে' বাংলাদেশের যে নারী বিবিসির ১০০ নারীর তালিকায় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের পরিণতি কী হতে পারে? হাসিনাকে নিয়ে ছবির নামে বানান ভুল, উকিল নোটিশ মালয়েশিয়া একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। তবে পারিবারিক দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রে সন্তানের ভরণপোষণ বিষয়ক মামলা এবং বহুগামিতা বিষয়ে বিচার করার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ তিনি। বিচারক শুশাইদাহ বলেন, "প্রতিটি ঘটনাই জটিল এবং অন্যটির চেয়ে ভিন্ন। ইসলামী আইনের অধীনে গৎবাঁধা কোনো সমাধান আপনি দিতে পারবেন না।" মুসলিম ধারণা অনুযায়ী, একজন পুরুষ চারটি বিয়ে করতে পারেন, যা মালয়েশিয়ায় আইনত বৈধ। বিচারক শুশাইদাহর আদালতে বহুবিবাহের অনুরোধ নিয়ে আসা ব্যক্তিসহ তার পরিবারের বাকিদেরও উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। শুশাইদাহ বলেন, "আমি সবার বক্তব্য নিতে চাই, শুধু পুরুষদেরটা নয়।" "নারীদের সাথে কথা বলে আমি নিশ্চিত হতে চাই যে তারাও বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। তারা যদি সব বিষয়ে পুরোপুরি না জেনে থাকেন তাহলে আমি তাদের অনুমতি দেই না।" বিচারক শুশাইদাহ জানান, মালয়েশিয়ার অধিকাংশ নারীই এ ধরণের নিয়ম পছন্দ করেন না। "কিন্তু ইসলাম অনুযায়ী এটি বৈধ এবং মালয়েশিয়ার আদালত এই আইন বাস্তবায়ন করতে বেশ কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।" একজন পুরুষের দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে চাওয়ার পেছনে অত্যন্ত শক্ত যুক্তি থাকতে হয় বলে মন্তব্য করেন বিচারক শুশাইদাহ। এই দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রী'র স্বতঃস্ফূর্ত অনুমতি বাধ্যতামূলক বলেও নিশ্চিত করেন বিচারক শুশাইদাহ। বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগে সমালোচকরা এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রায়ই শরিয়া আইনের বিরোধিতা করে থাকেন। শরিয়া আসলে কী? ইসলামের ধর্মগ্রন্থ কোরানে বর্ণিত মতাদর্শ অনুযায়ী তৈরি আইনি অবকাঠামোকে শরিয়া বলা হয়। একই সাথে নবী মুহাম্মদের বক্তব্য আর জীবনধারণের আদর্শ বা 'হাদিস' এবং ইসলামী পণ্ডিতদের দ্বারা নির্ধারিত আইন বা 'ফতোয়া'ও অন্তর্ভুক্ত শরিয়া আইনে। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন পরিসরে ব্যবহৃত হয়ে থাকে শরিয়া আইন। শরিয়া আইন অধিকাংশ ক্ষেত্রে "ভুল, অতি কঠোর এবং অমানবিক" বলে মানবাধিকার কর্মীরা এর সমালোচনা করে আসছেন। তবে অনেকসময় কঠিন শাস্তি দিলেও বিচারক শুশাইদাহ মনে করেন, সুবিচার নিশ্চিত করতেই শরিয়া আইন কখনো কখনো কঠোর অবস্থান নিয়ে থাকে। শরিয়া আইনেরে বিরোধিতা করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া শাখার উপ-পরিচালক ফিল রবার্টসন বিবিসিকে বলেন, "যেই শরিয়া আইন নারী, সমকামী বা সংখ্যালঘুদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করে না, সেই শরিয়া আইনে আমার কোনো আপত্তি নেই।" "কিন্তু মালয়েশিয়ায় শরিয়া আইনের সমস্যা হলো তারা প্রায়ই এ ধরণের কাজ করে থাকে।" তবে বিচারক শুদাইদাহ মনে করেন শরিয়া আইন সবসময় পুরুষদের পক্ষে রায় দেয়, এমন ধারণা সত্য নয়। "নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য তৈরি হয়েছে আমাদের আইন। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করা হয়েছে এই আইনে।" নেনি শুশাইদাহ। মালয়েশিয়ার আইনে নারীর অবস্থান বিচারক শুশাইদাহ সবচেয়ে বড় চিন্তা, শক্ত শরিয়া আইনের ফাঁক গলে বিদেশে গিয়ে বিয়ে করছে মালয়েশিয়ার পুরুষরা। "মালয়েশিয়ার পুরুষ বিদেশে গিয়ে বিয়ে করলে মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী তাকে শাস্তির অধীনে আনা যায় না।" মালয়েশিয়ার নারী অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংঘ 'সিস্টারস ইন ইসলাম'এর মতে, মালয়েশিয়ার আদালতে 'নারী প্রতিনিধিত্বের ভয়াবহ ঘাটতি' এবং পুরো বিচার বিভাগে 'পুরুষত্ববাদের তীব্র ছায়া' বিদ্যমান রয়েছে। ঐ সংস্থার একজন মুখপাত্র মাজিদাহ হাশিম বলেন, "মালয়েশিয়ার শরিয়া আইনের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখা যায় তা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে নারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবাদী আচরণ করে থাকে। এমনকি সামাজিকভাবে নৈতিকতার অবক্ষয়ের কারণ হিসেবে নারীদের দোষারোপও করা হয়ে থাকে।" মিজ. হাশিম মনে করেন, সরকারি ইসলামিক প্রতিষ্ঠানগুলো নারীদের প্রাপ্য বিচার নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। যে কারণে বিচারক শুশাইদাহর নিয়োগ ছিল মালয়েশিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। "একসময় শরিয়া আইনের অধিকাংশ বিচারকই ছিলেন পুরুষ, যারা বিচারিক প্রক্রিয়ায় নারীর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন।" তবে আদালত পরিচালনায় বিচারক শুশাইদাহর বলিষ্ঠ ভূমিকার মাধ্যমে ঐ ধারা পরিবর্তিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করতেই পারেন মালয়েশিয়ার মুসলিমরা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: মালয়েশিয়ার রাজনীতি: ব্যাগ ও স্যান্ডেলের গল্প মালয়েশিয়ার রাজনীতি যেন শেক্সপিয়ারের নাটক লেসবিয়ান সেক্সের অভিযোগে দুই নারীকে বেত্রাঘাত
Islamic law, also known as Sharia, is often associated by critics with harsh punishments and hardline attitudes. But one of Malaysia's first female Sharia high court judges says her role gives her an opportunity to protect women in the Muslim-majority nation.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সে এক জাহাজ ঘাটে এই ক্যপসুলটি কয়েক মাস ধরে তৈরি করা হয়েছে। জ্যঁ-জ্যঁক সাভঁর বয়স ৭১ বছর। তিনি ক্যানারি আইল্যান্ডের এল হিয়েরো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে তিনি ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছুতে পারবেন বলে মি. সাভঁ আশা করছেন। রিইনফোর্সড প্লাইউড দিয়ে তৈরি এই ক্যাপসুলের মধ্যে রয়েছে ঘুমানোর জন্য একটি বাঙ্ক বিছানা, এবং একটি রান্না ও মালামাল রাখার জায়গা। যাত্রাপথের পুরোটা জুড়ে তিনি মার্কার ফেলতে ফেলতে যাবেন যা দিয়ে অ্যাটলান্টিকের স্রোতের আনাগোনা সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। মি. সাভঁর এই অভিযানের অগ্রগতি সম্পর্কে তার ফেসবুক পাতায় বিস্তারিত জানানো হচ্ছে। এবং সর্বশেষ বার্তায় বলা হচ্ছে এই অভিযানের সবকিছু ঠিকঠাক আছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির সাথে এক সাক্ষাৎকারে জ্যঁ-জ্যঁক সাভঁ জানান, "আবহাওয়া চমৎকার। এখন তিন ফুট উঁচু ঢেউ হচ্ছে এবং আমি ঘণ্টায় ২-৩ কিলোমিটার বেগে এগুচ্ছি … রোববার পর্যন্ত হাওয়া গতিবেগ অনুকূল থাকবে বলে আশা করছি।" ক্যাপসুলের ভেতরের দৃশ্য। আরো পড়তে পারেন: চট্টগ্রামের যে সেতু পাল্টাতে পারে ভোটের হিসেব-নিকেশ সিলেটের যে আসনের বিজয়ী দল প্রতিবার সরকার গঠন করে মি. সাভঁ ফরাসি সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত প্যারাট্রুপার। তিনি পার্ক রেঞ্জার এবং পাইলট হিসেবেও কাজ করেছেন। অ্যাটলান্টিকের স্রোত বেয়ে তার এই অদ্ভুত জাহাজটি অনায়াসেই ৪৫০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ক্যারিবিয়ানে পৌঁছুতে পারবে বলে তিনি আশা করছেন। তার এই পিপাটি লম্বায় তিন মিটার আর পাশে ২.১০ মিটার। সব মিলিয়ে এই ক্যাপসুলে থাকার জায়গা রয়েছে ছয় স্কয়ার মিটার। ক্যাপসুলের চারদিকে রয়েছে জানালা। মেঝেতেও একটি পোর্ট-হোল রয়েছে যা দিয়ে তিনি জলে ভেসে বেড়ানো মাছ দেখতে পাবেন। ভিডিও: ক্যাপসুলটিকে যখন অ্যাটলান্টিক সাগরে নামানো হলো সমুদ্রের ঢেউয়ের ঝাপটা সহ্য করতে পারে এমন করে এই ক্যাপসুলটি তৈরি করা হয়েছে। এতে রয়েছে সোলার প্যানেল। এর সৌরশক্তি দিয়ে জিপিএস এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা চালানো যাবে। এই অভিযানের জন্য মি. সাভঁ'র খরচ পড়েছে ৬৮,০০০ ডলার। যেগুলো মূলত জোগাড় করা হয়েছে মানুষের কাছ থেকে চাঁদা হিসেবে।
A Frenchman has set off to cross the Atlantic Ocean in a barrel-shaped orange capsule, using ocean currents alone to propel him.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ধোঁয়াশায় ঢাকা পড়েছে দিল্লির লাল কেল্লা এক সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে 'হু' জানিয়েছে, সবথেকে দূষিত শহর হলো উত্তর প্রদেশ রাজ্যের কানপুর । সেখানে শূন্যে ভাসমান কণার পরিমাণ নিরাপদ স্তরের থেকে প্রায় ১৭ গুণ বেশি। পিছিয়ে নেই জাতীয় রাজধানী দিল্লি আর তার লাগোয়া ফরিদাবাদ, বা উত্তর প্রদেশের প্রাচীন শহর বারাণসী। বিজ্ঞানী ও পরিবেশবাদীরা বলছেন দূষণ নিয়ন্ত্রণের দিকে নজর না দিয়ে উন্নয়ন আর শিল্পায়ন হয়েছে এই ভারতীয় শহরগুলোতে - আর এটাই ব্যাপক বায়ুদূষণের একটা বড় কারণ। পৃথিবীর ২০টি সবচেয়ে দূষিত শহরের যে তালিকা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশ করেছে তাতে ভারতের শহরগুলি ছাড়াও কুয়েত, চীন আর মঙ্গোলিয়ার কয়েকটি শহর আছে। পৃথিবীর চার হাজারেরও বেশী শহরে বায়ুতে ভাসমান ধুলিকণার নিয়মিত পরিমাপ বিশ্লেষণ করে 'হু' এই তালিকা বানিয়েছে। উত্তর প্রদেশের যে কানপুর শহরকে সবথেকে দূষিত শহর বলা হচ্ছে, সেখানকার একজন আইনজীবি ও পরিবেশবাদী রবি শর্মা জানাচ্ছিলেন, কেন তাদের শহরে বায়ুদূষণের পরিমান এত বেশি। "আমাদের শহরে গাছগাছালি খুবই কম। যদিও একটি মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী ১৬ % জমি পার্ক বা বৃক্ষায়ণের জন্য রাখা ছিল। কিন্তু সেই সব জমি অন্য কাজে বিলি অথবা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। আইন বাঁচিয়েই করা হচ্ছে ব্যাপারটা। শহরের আয়তন বৃদ্ধি করে দেখানো হচ্ছে যে নির্দিষ্ট পরিমান জমি সবুজায়নের জন্য রাখা হচ্ছে। কিন্তু সরকারের হিসাবেই শহরের পুরনেো শহরের মাত্র এক শতাংশ জমিতে পার্ক রয়েছে," - বলছিলেন মি. শর্মা। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: দুবাই রাজকন্যার পলায়ন নাটক, বিতর্কে নরেন্দ্র মোদী কেন সুচির সুর নরম, নিরাপত্তা পরিষদ কি বলেছে তাকে 'দিনে পাঁচবার যৌনমিলনও যথেষ্ট ছিল না' 'ইসলাম বিদ্বেষ কমছে, তবে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক' ডেটিং সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে ফেসবুক বিশেষ সবচেয়ে দুষিত ২০ শহরের ১৪টিই ভারতে এছাড়াও রাস্তা তৈরী হচ্ছে, অথচ তার পাশে আইন অনুযায়ী গাছ লাগানো হচ্ছে না, উন্মুক্ত মাটি রেখে দেওয়া হচ্ছে - যার ফলে ধুলিকণা অত্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছিলেন কানপুরের পরিবেশবাদী রবি শর্মা। কলকাতার পরিবেশবাদী সুভাষ দত্ত বহু বছর ধরে পরিবেশ দূষণের নানা দিক নিয়ে মামলা করে আসছেন। তিনি বলছিলেন, ভারতে পরিবেশ রক্ষার আইনগুলো শুধুই খাতায় কলমে রয়েছে, সেগুলোর প্রয়োগ হয় না। মি. দত্তর কাছে জানতে চেয়েছিলাম যে ভারতের থেকেও অনেক উন্নত দেশ রয়েছে, যারা শিল্পস্থাপনের দিক থেকে অনেক এগিয়ে। সেইসব দেশের শহরগুলিতে তো পরিবেশ দূষণের সমস্যাটা এত ভয়ঙ্কর নয়! এর কারণ ব্যাখ্যা করে মি. দত্তর মন্তব্য, "শিল্প ক্ষেত্রে দুই ভাবে আইন ভাঙ্গা হচ্ছে - তৈরীর সময়ে আর শিল্পকারখানা চালু হয়ে যাওয়ার পরেও। পরিবেশ রক্ষা ব্যবস্থাপণা করতে গেলে যে খরচ হয়, সেটাকে বাড়তি ব্যয় বলে মনে করে শিল্প মহল। তার মানেই শিল্পপতিদের মুনাফা কমে যাবে, তাই তারা পরিবেশ বিধি অমান্য করে চলেছেন। "আর পরিবেশ আদালতগুলোকেও অকেজো করে দেওয়া হচ্ছে ধীরে ধীরে। এমন দিনও দেখতে হবে হয়তো যখন এইধরণের আন্তর্জাতিক রিপোর্টে সবকটি দূষিত শহর শুধুই ভারত থেকেই স্থান পাবে!" পরিবেশ দূষণ ক্ষেত্রে ভারতের নামকরা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সেন্টার ফর সায়েন্স এন্ড এনভায়রনমেন্টের বা সি এস ই-র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ অনুমিতা রায়চৌধুরী বলছিলেন, উন্নত দেশগুলিতে গোড়া থেকেই দূষণ নিয়ন্ত্রণের ওপরে কড়া নজর দিয়েছিল, যেটা ভারতে করা হয় না। ভারতের কানপুর রয়েছে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষে "শিল্পোন্নত দেশগুলিতেও গোড়ার দিকে বায়ুদূষণের প্রবল সমস্যা ছিল। লন্ডন স্মগ বা পেনসিলভানিয়া স্মগের কথা সকলেই জানি। কিন্তু ওখানে যেটা করেছিল যে, শিল্পোন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গেই পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রনের ওপরেও ব্যাপক জোর দেওয়া হয়েছিল। আমাদেরও উন্নত হতে হবে, কিন্তু একই সঙ্গে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি বা আইনগুলোকে কড়া ভাবে প্রয়োগ করতে হবে," বলছিলেন অনুমিতা রায়চৌধুরী। জাপানের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলছিলেন, "তারা শিল্প বিনিয়োগের ২৫% অর্থ পরিবেশ দূষণরোধে কাজে লাগায়। আমাদের সেই সামর্থ নেই। তাই আমরা প্রথমে দূষণ সৃষ্টি করব, আর তারপরে সেই দূষণ পরিষ্কার করব - এটা আমাদের দেশে অসম্ভব। তাই প্রথম থেকেই পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রনে রাখতেই হবে।" মিজ. রায়চৌধুরী আরও বলছিলেন যে শহরে বায়ু দূষণ নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। আর সেই জন্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট এখণ নাগরিকদের স্বাস্থ্যের ওপরে দূষণের সরাসরি কী প্রভাব পড়বে, সেই হিসাব দিয়েছে। বলা হচ্ছে সারা পৃথিবীতে প্রতিবছর শুধুমাত্র বায়ুদূষণের কারনেই ৪২ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছেন। পরিবেশবাদীদের আশা, যদি নিজের বা কাছের মানুষদের স্বাস্থ্যের ওপরে বায়ুদূষণের এই ভয়াবহ প্রভাব দেখে নাগরিকদের বা আইন রক্ষকদের চেতনা জাগে।
Fourteen Indian cities are among the world's 20 most polluted, according to World Health Organization (WHO) data.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
হোয়াইট হাউজে সিএনএন সাংবাদিক কেইটলান কলিন্স প্রশ্ন করছেন। কেইটলান কলিন্স বলছেন, তিনি শুধু মি. ট্রাম্পকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মি. ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করেছিলেন। তার জেরেই তাকে ঐ অনুষ্ঠানে যেতে দেয়া হয়নি। তবে হোয়াইট হাউস বলছে, এই সাংবাদিক এমন কিছু প্রশ্ন করেছিলেন যা 'যথোপযুক্ত' ছিল না। হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব সারাহ স্যান্ডার্স বলছেন, কেইটলান কলিন্সকে বেরিয়ে যেতে বলা হলেও তিনি তা করতে অস্বীকৃতি জানান এবং চিৎকার করতে থাকেন। সিএনএন-এর সাথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পর্ক অনেক দিন ধরেই তিক্ত। তিনি প্রায়ই সিএনএনকে 'ফেক নিউজ' বলে আক্রমণ করেন এবং সিএনএন-এর সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রশ্ন গ্রহণ করেন না। বুধবার এই ঘটনাটি ঘটে হোয়াইট হাউজে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জাঁ ক্লদ ইউঙ্কারের সাথে মি. ট্রাম্পের সাক্ষাতের সময়। মিজ কলিন্স হোয়াইট হাউজের পুল রিপোর্টার হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কেইটলান কলিন্স সত্যি চেঁচামেচি করেছিলেন কি না, সে সম্পর্কে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। তিনি বলছেন, কেইটলান কলিন্সএর ব্যাপারে হোয়াইট হাউজ অসত্য বলছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি যারা হোয়াইট হাউজে কাজ করেন, তারা পালা করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুষ্ঠান কাভার করেন। কেইটলান কলিন্স জানান, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞেস করেছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন কেন তার মার্কিন সফর স্থগিত করেছেন এবং মি. ট্রাম্পের আইনজীবীর ফাঁস হওয়া একটি টেলিফোন আলাপ সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট কী মনে করেন? মি. ট্রাম্প এসব প্রশ্নের কোন জবাব দেননি। এরপরই ঐ দুই নেতার সংবাদ সম্মেলনে সিএনএন সংবাদদাতাকে যেতে দেয়া হয়নি।
A CNN reporter has been barred from a White House event for asking Donald Trump "inappropriate" questions.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
শীতকালীন অলিম্পিকসে কিম জং আন আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো সেজেছেন দু জন ডোনাল্ড ট্রাম্প 'রকেট ম্যান' নাম দিয়েছিলেন কিম জং আনকে। জাতিসংঘে এক ভাষণে মি. ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংস করে দেবেন। এর জবাবে কিম জং আন নিজে ট্রাম্পকে বলেছিলেন ডোটার্ড - যা একটি অপেক্ষাকৃত অপ্রচলিত ইংরেজি শব্দ, যার অর্থ 'মানসিক ও শারীরিকভাবে দুর্বল বৃদ্ধ ব্যক্তি'। গত বছর ১৯শে সেপ্টেম্বর কিম তার এক ভাষণে ট্রাম্পকে ডোটার্ড বলার পর সারা দুনিয়ায় অনেক লোককে ইংরেজি অভিধান খুঁজে তার অর্থ জানতে হয়েছিল। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ট্রাম্প ও কিম: শত্রু থেকে বন্ধু? কিমের আমন্ত্রণে ট্রাম্পের সাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইট: আমি তো ওকে মোটা আর বেঁটে বলিনি জবাবে ট্রাম্প টুইট করেন, কিম জং আন কেন আমাকে 'বুড়ো' বলে বিদ্রুপ করছে? আমি তো কখনো ওকে 'বেঁটে আর মোটা' বলবো না ! উত্তর কোরিয়ায় কিম পরিবারের অমর্যাদা করাটা মৃত্যুদন্ডযোগ্য অপরাধ। তাই ট্রাম্পের সরাসরি আক্রমণের জবাবে উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম তার প্রতি নানা ধরণেরর গালাগালিসূচক শব্দ ব্যবহার করতে শুরু করে। 'বিষাক্ত মাশরুম', 'কীট', 'গুন্ডাদলের সর্দার', 'বুড়ো হাবড়া', 'পাগলা কুকুর', 'উন্মাদ' - ইত্যাদি নানা শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে। কিম জং আন উত্তর কোরিয়ার কেসিএনএ এজেন্সি সেখানকার দুটি ট্রেড ইউনিয়নকে উদ্ধৃত করে লেখে : 'ডোনাল্ড ট্রাম্প একটা 'কীট' এবং কৃষকরা যেসব পশু পালে তাদের চাইতেও অধম", একটা "পাগলা বুড়ো।" গত বছর ২৩শে সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় দৈনিক রডং সিনমুন বলে, ট্রাম্প হচ্ছেন "একটা বিগড়ে যাওয়া মানুষ, একটা রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত, একটা গুন্ডা, একটা শিশু।" আমার বোতাম ওদের চাইতে বড়: ট্রাম্পের টুইট মি. ট্রাম্প যখন টুইট করেন যে তার পারমাণবিক বোতাম উত্তর কোরিয়ার চাইতে বড়, তখন রনডং সিনমুন তাকে একজন 'সাইকোপ্যাথ' এবং 'বেপরোয়া পাগল' বলে আখ্যায়িত করে লেখে, তার মন্তব্য হচ্ছে 'পাগলা কুকুরের ঘেউ ঘেউ।' তারা আরো লেখে, সারা বিশ্ব ট্রাম্পের 'মানসিক অসুস্থতা নিয়ে উদ্বিগ্ন।' কেসিএনএ সেদেশের যুব লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিকে উদ্ধৃত করে বলে, 'ট্রাম্প মানুষ নয়, গুন্ডাদের সর্দার, একটা পাগলা কুকুর।' তবে আশা করা চলে, মে মাসে এই দুই নেতার যখন সাক্ষাৎ হবে তখন তারা এরকম ভাষা ব্যবহার করবেন না।
US President Donald Trump has accepted an invitation to meet North Korean leader Kim Jong-un , in what appears to be a breakthrough after months of insults, threats and mutual hostility.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস মিজ. স্মিথ বলেছেন, "আমার ধারণা ভুল ছিল এবং আমি যা লিখেছি তা তার পুরো দায় আমার। আমি সত্যিই দু:খিত।" নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক ওয়েবসাইট 'দ্যা কাট' এ প্রকাশিত ঐ প্রবন্ধটি বর্তমানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার পর প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে সমর্থন দেয়া ক্ষুব্ধ ভারতীয়দের অনেকে 'দ্যা কাট' পত্রিকার বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগও আনে তারা। তবে প্রবন্ধের লেখক মিজ. স্মিথ বলেছেন: তার লেখায় তিনি 'বর্ণবাদ, বিদেশীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বা লিঙ্গবৈষম্য' সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। আরো পড়তে পারেন: প্রিয়াংকা চোপড়ার পোশাক নিয়ে কেন এত আলোচনা মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীদের যেভাবে সামলাচ্ছে দলগুলো বাংলাদেশ ক্রিকেট: দৌড়া বাঘ আইলো যেভাবে এক যুগে যেই কিশোরের খেলার সাথী বাঘ এর আগে 'দ্যা কাট' ওয়েবসাইটের কর্তৃপক্ষও এই প্রবন্ধ প্রকাশ করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রকাশ করে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, "এই প্রবন্ধটি আমাদের পত্রিকার জন্য যথেষ্ট মানসম্পন্ন ছিল না।" ভারতের উত্তর-পশ্চিমের রাজ্য রাজস্থানের যোধপুর শহরে গত সপ্তাহে বিয়ে করেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস। বিয়েতে প্রিয়াঙ্কার পরা পোশাক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় সামাজিক মাধ্যমে। বলিউড তারকা প্রিয়াংকা চোপড়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গীত তারকা নিক জোনাস প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বিয়ের পোশাকের অবগুন্ঠনের দৈর্ঘ্য ছিল ৭৫ ফুট, যেটি বহন করতে হয়েছে একদল লোককে। কেউ কেউ ব্রিটিশ রাজবধু মেগান মার্কেলের বিয়ের পোশাকের সঙ্গেও এর তুলনা করেছেন। মেগান মার্কেলের অবগুন্ঠন ছিল মাত্র ১৬ ফুট দীর্ঘ। পিপল ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া তার বিয়ের অনুষ্ঠানকে দুই ধর্মের মিশেল বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, দুই ধর্মের সুন্দর রীতিগুলোকে তারা বেছে নিয়েছেন, যেগুলো তাদের কাছে অর্থবহ বলে মনে হয়। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া হচ্ছেন বলিউডের সবচেয়ে দামী তারকাদের একজন। ২০০০ সালে তিনি বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার শিরোপা জেতেন। এ পর্যন্ত তিনি ৫০টির বেশি ছবি করেছেন।
A US journalist has apologised after writing that Bollywood actress Priyanka Chopra was a "scam artist" who had trapped US singer Nick Jonas into marrying her to further her career.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
চিয়েকো আসাকাওয়া জাপানে সম্মানজনক পদক পেয়েছেন তার অবদানের জন্য।। বর্তমানে তার মনোযোগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত উদ্ভাবনে, উদ্দেশ্য দৃষ্টি-শক্তিহীন মানুষদের জীবনের রূপান্তর ঘটানো। "যখন আমি কাজ শুরু করেছিলাম তখন সহায়ক কোনধরনের প্রযুক্তি ছিলনা", বলছিলেন ডক্টর আসাকাওয়া। তার নিজের অবস্থা ছিল খুবই করুণ। "কোন তথ্যই আমি নিজে পড়তে পারতাম না। আমি একা কোথাও যেতে পারতাম না"। এইসব কষ্টের অভিজ্ঞতা তার শেখার আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দেয় এবং তিনি অন্ধদের জন্য নির্ধারিত কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ক একটি কোর্সে অংশ নেন। তারপর আইবিএম-এ একটি চাকরিও পেয়ে যান। কাজের সাথে সাথে সেসময় ডক্টরেট করার জন্য একইসঙ্গে তার লড়াই চলতে থাকে। প্রাথমিক ডিজিটাল ব্রেইল উদ্ভাবনের পেছনে ডক্টর আসাকাওয়ার অবদান রয়েছে। তিনি বিশ্বের প্রথম ব্যবহারিক ওয়েব টু স্পিচ ব্রাউজার তৈরি করেন। এখন তা অহরহ দেখা গেলেও ২০ বছর আগে জাপানের অন্ধ মানুষদের ইন্টারনেটে আরও তথ্যের সুযোগ করে দেন যা তাদের আগে ছিলনা। আরো পড়ুন: মের্কেল: ধর্মযাজকের কন্যা থেকে 'ইউরোপের সাম্রাজ্ঞী' শান্তি পুরষ্কারের জন্য ইয়াজিদি নারী আর রেপ সার্জনকে কেন বেছে নিল নোবেল কমিটি? স্বামীর হাতে ধর্ষণ: বাংলাদেশে এক নারীর অভিজ্ঞতা ডক্টর আসাকাওয়া জানান, রং সম্পর্কে তার স্মৃতি বস্তুকে শনাক্ত করতে সহায়তা করেছে। এখন তিনি এবং অন্যান্য প্রযুক্তিবিদরা মিলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে দৃষ্টিহীণ ব্যক্তিদের জন্য টুলস তৈরি করতে চান। ডক্টর আসাকাওয়া নাভকগ নামের ভয়েস কন্টো্রল্ড স্মার্ট-ফোন অ্যাপ তৈরি করেন যা অন্ধ ব্যক্তিদের জটিল ইনডোর লোকেশন নেভিগেট করতে সহায়তা করে থাকে। বর্তমানে প্রচলিত ইন্টারনেট ম্যাপ যেমন গুগল ম্যাপের 'ইনডোর লোকেশন' বিষয়ে কোন সুবিধা নেই এবং পুরোপুরি অন্ধ বা দৃষ্টিশক্তি লোকেদের বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেনা। ফলে এর চেয়ে বিশদ পরিসরে মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক ডাটা সংগ্রহের মাধ্যমে। "এটা খুব সহায়ক হতে পারে কিন্তু এটা সঠিকভাবে নেভিগেট করতে পারে না" বলেন ডক্টর আসাকাওয়া। তিনি এখন একজন আইবিএম ফেলো, যারা এমন একটি গ্রুপের অন্তর্ভূক্ত যাদের মধ্য থেকে পাঁচজন নোবেল প্রাইজে ভূষিত হয়েছেন। বিবিসি নিউজ বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে মি-টু আন্দোলন: কী হতে পারে পরিণতি চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে নিয়ে কেন এত সন্দেহ হামাসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব জাতিসংঘে নাকচ কারা 'হ্যাক' করছেন নিজেদের শরীর, আর কেন? অন্ধদের জন্য এখনো প্রচলিত প্রযুক্তি হলো ব্রেইল এবং ভয়েস কন্ট্রোল নাভকগ বর্তমানে পাইলট পর্যায়ে করা হচ্ছে এবং আইবিএম বলছে সাধারণ মানুষের কাছে অ্যাপটি পৌঁছে দেয়ার খুব কাছাকাছি তারা। 'আমাকে আরও নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়েছে' দৃষ্টিহীনদের জন্য এক সম্মেলনে পরীক্ষামূলক-ভাবে 'নাভকগ' ব্যবহার করেছেন ৭০ বছর বয়স্ক ক্রিস্টিন হানসিঙ্গার এবং তার স্বামী ডগলাস হানসিঙ্গার দম্পতি। তারা দুজনেই অন্ধ। মিসেস হানসিঙ্গার তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, "অনুভূতিটা এমন ছিল যে আমি আমার নিজের অবস্থার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছি"। এটা অচেনা জায়গায় চলাফেরায় আরও বেশি স্বস্তি দেয় বলে তিনি জানান।"এটা সত্যিই আমাকে নিজস্বভাবে অবাধ ভ্রমণের স্বাধীনতা দেয়"। হালকা ওজনের 'সুটকেস রোবট' ডক্টর আসাকাওয়ার পরবর্তী বড় চ্যালেঞ্জ হল " কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুটকেস তৈরি-যেটি কিনা একটি হালকা ওজনের ন্যাভিগেশন সংক্রান্ত রোবট"। বিমানবন্দরের মত জটিল কমপ্লেক্সের ভেতরে ফ্লাইটের দেরি, গেট পরিবর্তন ইত্যাদি নির্দেশনা দেয়ার মাধ্যমে এটি অন্ধ ব্যক্তিকে পরিচালনা করে। সুটকেসটিতে একটি মোটর যুক্ত করা আছে যাতে এটি নিজে নিজেই চলতে পারে, আশেপাশের অবস্থা বোঝার জন্য ছবি শনাক্তকণ ক্যামেরাসহ আরও অনেক কিছু রয়েছে। সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় আরোহীকে সুটকেস নিজেই জানায় তাকে তোলার জন্য। রোবটের সাথে একত্রে কাজ করলে সেটি হালকা, ছোট এবং স্বল্প ব্যয়ের হবে-জানান ডক্টর আসাকাওয়া। বর্তমানে প্রচলিত প্রযুক্তি আরও ভারী। তিনি বলেন, "আমি সত্যিই এক একা ভ্রমণ উপভোগ করতে চাই, সেকারণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুটকেস-এর দিকেই মনোযোগ দিতে চাই এমনকি তাতে যদি সময় বেশি লাগে তো লাগুক"। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার খবরে জানা যায়, এবছরই গুগলের লুকআউট অ্যাপস চালুর পরিকল্পনা রয়েছে প্রাথমিকভাবে পিক্সেলে যেখানে দৃষ্টি-শক্তিহীনদের বর্ণনা দেবে এবং গাইড করবে । নেভিগেশন অ্যাপস কি অন্ধ মানুষের ছড়ির ওপর নির্ভরতা কমাতে পারবে? যখন কোন প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটানো হয় তখন প্রতিবন্ধীদের বিষয়টি উপেক্ষিত থাকে। তবে গত কয়েক বছরে তার পরিবর্তন হচ্ছে বলে জানান সিসিএস ইন-সাইটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত গবেষণা প্রধান নিক ম্যাককুয়ার । তবে মাইক্রোসফট এবং গুগল যারা গত বারো মাসে মাইক্রোসফট এই খাতে ব্যাপক মনোযোগ দিয়েছে। তিনি বলেন প্রযুক্তি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের কাজের ক্ষেত্রে দখল করে নিচ্ছে এমন নেতিবাচক প্রচারণার মাঝে এই ধরনের সামাজিক অবদান ভূমিকা রাখতে পারে। যদিও আর্টিফিশাল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নিখুঁত হওয়া এখনো অনেক দূরের ব্যাপার। এই অ্যাপ্লিকেশন কতটা সঠিক এবং তার গতি কতটা তা প্রমাণ-সাপেক্ষ। তবে ডক্টর আসাকাওয়ার সহজ ভাষ্য: "আমি অন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে আমি যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম তা মোকাবেলার করে গেছি। আমি আশা করি এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে"। কিশোরীদের উড়তে শেখাচ্ছেন যে নারী
An accident in a swimming pool left Chieko Asakawa blind at the age of 14. For the past three decades she's worked to create technology - now with a big focus on artificial intelligence (AI) - to transform life for the visually impaired.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
সৌদি তেল স্থাপনার ওপর ড্রোন হামলা হয়েছে অন্তত দশটি ড্রোন ব্যবহার করে আবকাইক শোধনাগার এবং খুরাইস তেলক্ষেত্রের ওপর আক্রমণ চালানো হলে এগুলোতে আগুন ধরে যায়, তবে সবশেষ খবরে সৌদি কর্মকর্তারা বলেছেন দুটি স্থাপনাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা বলছে, তারাই এ আক্রমণে চালিয়েছে এবং ভবিষ্যতে সৌদি আরবের ওপর তাদের আক্রমণের আওতা আরো সম্প্রসারিত করা হবে। হুতি বিদ্রোহীদের সাথে ইয়েমেনে সৌদি-নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনের ২০১৫ সাল থেকে যুদ্ধ চলছে। সৌদি আরবের সরকারি প্রেস এজেন্সি জানায়, শনিবার ভোর চারটার দিকে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত তেল কোম্পানি আরামকোর নিরাপত্তা দল - আবকাইক ও খুরাইসের দুটি স্থাপনায় ড্রোন আক্রমণের ফলে সৃষ্ট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কারা এ আক্রমণের পেছনে আছে, বা এতে কতটা ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে সৌদি কর্মকর্তারা কোন মন্তব্য করেন নি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ইয়েমেন সংকট: কে কার সঙ্গে কেন লড়াই করছে? ট্যাংকারে হামলার 'পেছনে ইরান', মার্কিনীদের ধারণা আমেরিকার সাথে যুদ্ধ হলে ইরান ধ্বংস হবে - ট্রাম্প আবকাইকে আক্রান্ত তেল শোধনাগারটি বিশ্বের বৃহত্তম এবং সেখান থেকে একশ কিলোমিটার দূরের খুরাইস হচ্ছে সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেলক্ষেত্র। কিন্তু ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের একজন মুখপাত্র আল-মাসিরা টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, তারা ১০টি ড্রোন ব্যবহার করে এই আক্রমণ চালিয়েছেন, এবং ভবিষ্যতে আরো আক্রমণ চালানো হতে পারে। ২০১৫ সাল থেকেই ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের সাথে সৌদি-নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনের লড়াই চলছে, এবং গত কয়েক মাসে হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবের ভেতরে সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপর অনেকগুলো ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে। আবকাইকে আক্রান্ত তেল শোধনাগারটি বিশ্বের বৃহত্তম এবং সেখান থেকে একশ কিলোমিটার দূরের খুরাইস হচ্ছে সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেলক্ষেত্র। খুরাইসে বিশ্বের মোট চাহিদার ১ শতাংশ তেল উৎপন্ন হয়, আর আবকাইক তেল শোধনাগার বিশ্বের সরবরাহের ৭ শতাংশ তেল যোগান দেবার ক্ষমতাসম্পন্ন। এ আক্রমণে ক্ষতির পরিমাণ কত তার ওপর নির্ভর করে - আগামী সোমবার আন্তর্জাতিক বাজার খুললে তেলের দামের ওপর এর কী প্রভাব পড়বে। ড্রোন হামলা বিবিসির প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক সংবাদদাতা জনাথান মার্কাস বলছেন, সর্বসাম্প্রতিক এই হামলা থেকে এটা বোঝা যাচ্ছে যে সৌদি আরবের তেল স্থাপনাগুলো হুতি বিদ্রোহীদের দিক থেকে কৌশলগত হুমকির মুখে রয়েছে। হুতিদের ড্রোন আক্রমণ চালানোর দক্ষতা যেভাবে বাড়ছে তাতে এই বিতর্কটা আবার নতুন করে সামনে চলে আসছে যে তাদের এই সক্ষমতা অর্জনের পেছনে কারা আছে। তারা কি বাণিজ্যিক পর্যায়ের বেসমারিক ড্রোনকে অস্ত্র ব্যবহারের উপযোগী করে নিয়েছে, নাকি ইরানের বড়ধরনের সহায়তা তাদের পেছনে রয়েছে - এটাও একটা প্রশ্ন। মি: মার্কাস বলছেন, মি: ট্রাম্প সম্ভবত এর জন্য ইরানের দিকেই সন্দেহের আঙুল তুলবেন, কিন্তু ড্রোন হামলার পেছনে ইরানের হাত কতখানি তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। সৌদি বিমান বাহিনী কয়েক বছর ধরে ইয়েমেনে লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে । এখন দেখা যাচ্ছে অনেকটা সীমিত সক্ষমতার হলেও হুতিদের হাতেও পাল্টা হামলা চালানোর ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। জনাথান মার্কস বলছেন, শক্তিধর মুষ্টিমেয় কিছু দেশের কাছেই একমাত্র সশস্ত্র ড্রোন পরিচালনার সক্ষমতা আছে - এমন দিন শেষ হয়ে গেছে। ড্রোন প্রযুক্তি এখন আমেরিকা থেকে চীন, ইসরায়েল এবং ইরান,এমনকী হুতি থেকে শুরু করে হেযবোল্লাদের হাতেও পৌঁছে গেছে, যদিও প্রযুক্তির মানের হেরফের রয়েছে। হুতি কারা? সৌদি নেতৃত্বাধীন জোাট নিয়মিত ইয়েমেনে হুতিদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে। ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেন সরকার এবং সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে লড়াই করছে। ইয়েমেনে যুদ্ধ চলছে ২০১৫ সাল থেকে। হুতিদের হামলার কারণে প্রেসিডেন্ট আবদ্রাববু মনসুর হাদি রাজধানী সানা থেকে পালিয়ে যান ২০১৫ সালে। প্রেসিডেন্ট হাদির পেছনে রয়েছে সৌদি আরবের সমর্থন এবং হুতি বিদ্রোহীদের হঠাতে সৌদি আরব ওই অঞ্চলের কিছু দেশ নিয়ে গঠিত একটি জোটে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই জোট ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে প্রায় প্রতিদিন বিমান হামলা চালায়। হুতিরাও সৌদি আরবকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে। হুতি গোষ্ঠির একজন সামরিক মুখপাত্র মি: সারিয়া আল মাসিরাকে বলেছেন, সৌদি লক্ষ্যবস্তুর ওপর তাদের আক্রমণ ''আরও বাড়বে এবং সৌদি আগ্রাসন ও অবরোধ অব্যাহত থাকলে অতীতের তুলনায় এসব হামলা তাদের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে''। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: রোবট আসছে! কী ঘটবে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে? নাইন-ইলেভেন শিশু জন্মাল ১১/৯ ন'টা ১১-এ ওজনও ৯:১১ লাদাখে ভারত ও চীনা ফৌজের মধ্যে সংঘর্ষ, হাতাহাতি
Drone attacks have set alight two major oil facilities run by the state-owned company Aramco in Saudi Arabia, state media say.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
পাকিস্তানের নির্বাচনের প্রধান তিন প্রতিদ্বন্দ্বী নওয়াজ শরীফ,ইমরান খান আর বিলাওয়াল ভুট্টো। প্রায় ২০ কোটি মানুষের এই দক্ষিণ এশিয়ার দেশে কী হচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ: ভারতের এই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন, এটি বিশ্বের অন্যতম প্রধান উন্নয়নশীল অর্থনীতির একটি আর বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম প্রধান দেশগুলোর একটি। পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনকে বলা হচ্ছে সেদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে দূষিত নির্বাচন। কেন গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচন? ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে সামরিক ও বেসামরিক শাসনের মধ্যে দোদুল্যমান ছিল পাকিস্তান। কোনো একটি বেসামরিক সরকার আরেকটি বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার ঘটনা এবার দ্বিতীয়বারের মত ঘটবে পাকিস্তানে। তবে পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক সরকারের এই ধারাবাহিকতা উদযাপন করার সুযোগ পাচ্ছেন না খুব বেশী মানুষ। এবারের নির্বাচনের আগে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নাওয়াজ (পিএমএল-এন) ও দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে চলা অস্থিরতাই ছিল দেশটিতে প্রধান আলোচনার বিষয়। পিএমএল-এন'এর অভিযোগ, আদালতের সহায়তা নিয়ে দেশটির শক্তিশালী নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। অনির্দিষ্ট নির্বাচনী আইন ভঙ্গের দায়ে সারাদেশে দলটির প্রায় ১৭ হাজার সদস্যের বিরুদ্ধে আইনি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে দেশটির গণমাধ্যমকেও ব্যাপক ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে এবং তাদের স্বাধীনতায় বাধা দেয়া হয়েছে। নির্বাচনে জঙ্গী সংস্থার সদস্যদের অংশগ্রহণও পাকিস্তানিদের একটি বড় চিন্তার বিষয়। অনেকেই মনে করেন দেশের পুরোনো ধারামাফিক নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর সুবিধার্থে নির্বাচনী কৌশল সাজানোর চেষ্টা করছে সেনাবাহিনী। পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন বলেছে, নির্বাচনের ফল প্রভাবিত করার জন্য "আক্রমণাত্মক ও নির্লজ্জ" প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে যা পাকিস্তানের একটি "কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে" পরিণত হওয়ার জন্য আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে। নির্বাচনী প্রচারণায় এরমধ্যে সহিংস আক্রমণের ঘটনাও ঘটেছে। ১৩ই জুলাই বেলুচিস্তানে এক হামলায় প্রায় ১৫০ জন মানুষ মারা যায়, যার দায় স্বীকার করেছে আইএস। ১৯৪৭ থেকে সামরিক ও বেসামরিক নেতৃত্বের পালাবদল হয়েছে পাকিস্তানে নির্বাচনে কারা প্রধান প্রার্থী? নাওয়াজ শরীফ (পিএমএল-এন), ৬৮ তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে পানামা পেপার্স তদন্তে দূর্নীতির অভিযোগ উঠলে পাকিস্তানের আদালত তাঁকে সরকারি দায়িত্বে থাকার অযোগ্য ঘোষণা করে। এরপর তিনি লন্ডনে চিকিৎসারত স্ত্রী'র সাথে দেখা করতে যান। তাঁকে ১০ বছরের কারাদন্ড দেয়া হলেও জুলাইয়ের শুরুতে কন্যা মরিয়মকে নিয়ে তিনি দেশে ফেরত আসেন এবং গ্রেফতার হন। খোলামেলাভাবে সেনাবাহিনীর সমালোচনা করায় ও ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টার কারণে সেনাবাহিনী তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে কোনো ধরণের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সেনাবাহিনী। নওয়াজ শরীফের ছোট ভাই শেহবাজ শরীফ পিএমএল-এন'এর প্রচারণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ইমরান খান (পিটিআই), ৬৫ সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার দুই দশক আগে পাকিস্তানের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছেন কিন্তু কখনো সরকার পরিচালনা করেননি। অনেক পর্যবেক্ষকের মতে, এবার সেনাবাহিনীর পছন্দের প্রার্থী তিনি আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে তারা। সেনাবাহিনী ও মি. খান এধরণের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মি.খান বলেন পাকিস্তানের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়া "সম্ভবত সবচেয়ে বেশী গণতান্ত্রিক মনোভাবসম্পন্ন সেনাপ্রধান।" পিটিআই বিতর্কিত কয়েকটি দলের সমর্থনপুষ্ট, যাদের একটি দলে আল-কায়েদার সাথে বন্ধুভাবাপন্ন। বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (পিপিপি), ২৯ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা নেয়া বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসসম্পন্ন পরিবারের সন্তান। তার মা বেনজির ভুট্টো ও পিতামহ জুলফিকার আলী ভুট্টো দু'জনই পাকিস্তানরের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদের দু'জনকেই হত্যা করা হয়েছে; মিজ. ভুট্টো আততায়ীর হাতে নিহত হন আর তাঁর পিতার মৃত্যু হয় জল্লাদের হাতে। প্রথমবারের মত সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া ২৯ বছর বয়সী বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছেন তিনি তাঁর মা'য়ের স্বপ্নের "শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল, উন্নয়নশীল ও গণতান্ত্রিক পাকিস্তান" প্রতিষ্ঠা করতে চান। নির্বাচন পূর্ববর্তী জরিপ অনুযায়ী তাঁর দল তৃতীয় স্থান পাবে নির্বাচনে। পাকিস্তানের নির্বাচনী প্রদেশসমূহ কোথায় হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা? নওয়াজ শরীফের জন্মস্থান ও পাকিস্তানের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ পাঞ্জাব প্রদেশ পিএমএল-এন'এর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। জাতীয় সংসদে সরাসরি নির্বাচন হওয়া ২৭২টি আসনের অর্ধেকের বেশী আসনই এই প্রদেশে অবস্থিত। পাঞ্জাবেই প্রধান নির্বাচনী লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রদেশে জিততে হলে ইমরান খানের পিটিআই'কে কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। ২০১৩ সালের নির্বাচনে খাইবার পাখতুনওয়ালায় সফলতা পেয়েছিল পিটিআই। বিশ্লেষকদের মতে মি. ভুট্টো'র পিপিপি "গ্রাম্য জনগোষ্ঠীর" মধ্যে জনপ্রিয় আর দক্ষিণের সিন্ধ প্রদেশে মূলত তাদের সমর্থকদের অবস্থান। কী হতে পারে ফলাফল? প্রধান তিন দলের দুই দলই নির্বাচনের ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন নাওয়াজ শরীফের পিএমএল-এন আর ইমরান খানের পিটিআই'য়ের মধ্যে জোর লড়াই হবে। কোনো দলই যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তাহলে মি. ভুট্টোর পিপিপি ও অন্যান্য দলের সমর্থন জোট সরকার গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। সেনাবাহিনীর সাথে ইমরান খানের ঘনিষ্ঠতা ও ইসলামপন্থী জঙ্গীদের বিরুদ্ধে অপেক্ষাকৃত নরম অনুভূতিসম্পন্ন হওয়ার ধারণার কারণে, পিএমএল-এন নির্বাচনে জিতলে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে। পিটিআই জিতলে পিএমএল-এন শক্ত আন্দোলনে নামতে পারে, বিশেষত যদি নাওয়াজ শরীফের কারাদন্ড অব্যাহত থাকে। তবে নির্বাচনে যারাই জয় পাক, পাকিস্তানের রাজনৈতিক পটভূমিতে নিজেদের দাপট ধরে রাখার চেষ্টা করবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। আরো পড়ুন: পাকিস্তানে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীরা মেয়াদ শেষ করতে পারে না কেন? ইমরান খান কি জয়ের গন্ধ পাচ্ছেন? বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে আস্থার সংকট কি বাড়ছে?
Tens of millions of Pakistanis are preparing to vote in a general election on Wednesday after a campaign tainted by violence and dominated by political controversy.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
সুমো কুস্তি জাপানে শত শত বছর ধরে হচ্ছে, এই ছবিটি ২০১১ সালে তোলা এই খেলাকে ঘিরে সম্প্রতি কিছু কেলেঙ্কারির পর জাপান সুমো এসোসিয়েশন এক বৈঠকে বসেছিল এবিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্যে। কিন্তু কোন সিদ্ধন্তের কথা তারা ঘোষণা করতে পারেনি। অতি সম্প্রতি কয়েকজন নারী রিং-এ উঠেছিলেন একজন পুরুষকে সাহায্য করতে কিন্তু তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়। এই ঘটনার পর নারী পুরুষের বিষয়টি আবারও সামনে চলে আসে। সাধারণত নারীদেরকে 'অপরিষ্কার' হিসেবে বিবেচনা করার কারণে এই খেলায় তাদেরকে অংশ নিতে দেওয়া হয় না। এমনকি তাদের সেখানে প্রবেশেরও সুযোগ নেই। সমিতির পরিচালক তোশিও তাকানো বলেছেন, "এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন। সেজন্যে তাদের আরো সময়ের প্রয়োজন।" সুমো নিয়ে কেন এই সমালোচনা? এই এপ্রিল মাসে মাইজুরু শহরের মেয়র রিয়োজো তাতামি রিং-এর উপর ভাষণ দেওয়ার সময় সেখানে পড়ে যান। তখন কয়েকজন নারী সেখানে ছুটে যান মেয়রকে সাহায্য করার জন্যে। কিন্তু রেফারি তাদেরকে বলেন সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্যে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় মিডিয়াতে খবর বেরিয়েছে যে এরপর ওই রিং-এর উপর লবণ ছিটানো হয়। খেলা শুরু হওয়ার আগে সাধারণত এভাবেই রিংকে 'পবিত্র' করা হয়। আরো পড়তে পারেন: বন্ধ হয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কেন্দ্র রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘ কি করতে পারে? বাসের চাপায় পা হারানো রোজিনা আর নেই লাইভে হঠাৎ নারী রেসলার, ক্ষমা চাইলো সৌদি কর্তৃপক্ষ রিং এর উপর লবণ ছিটিয়ে সেটিকে পবিত্র করা হচ্ছে রেফারির এই সিদ্ধান্তের ফলে তীব্র সমালোচনা হয়েছে জাপান সুমো এসোসিয়েশনের। পরে এই সমিতির প্রধান এজন্যে ক্ষমাও চেয়েছেন। কিন্তু তার কয়েকদিন পরেই এই সমিতি আবারও আক্রমণের মুখে পড়ে যখন একটি শহরের এক নারী মেয়রকে রিং-এ উঠতে বাধা দেওয়া হয়। তাকারাজুকা শহরের মেয়র তোমোকো নাকাগাওয়া সুমো সমিতির কাছে জানতে চেয়েছিলেন একটি প্রদর্শনী ম্যাচের আগে শহরের এক রিং-এ দাঁড়িয়ে তিনি বক্তব্য রাখতে পারেন কিনা। কিন্তু তাকে "ঐতিহ্যকে সম্মান' জানানোর কথা বলে না করে দেওয়া হয়। পরে রিং-এর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, "নারী মেয়ররাও মানুষ। আমি শুধু নারী হওয়ার কারণে বক্তব্য রাখতে না পেরে খুব হতাশ।" মেয়র তোমোকো নাকাগাওয়া নারীদেরকে কেন রিং-এ উঠতে দেওয়া হয় না? জাপানে সুমো কুস্তি খেলা হচ্ছে হাজার হাজার বছর ধরে। এখনও অনুসরণ করা হয় বহু প্রাচীন রীতিনীতি। জাপান টাইমসের সাবেক একজন কলামিস্ট মার্ক বাকটন বিবিসিকে বলছেন, এই খেলাটির সাথে জাপানের শিন্তো ধর্মের সম্পর্ক রয়েছে। "জাপানে এটি কখনোই খেলা হিসেবে বিবেচিত হয়নি। বরং এটি জাপানিদের সাইকির সাথে গভীরভাবে জড়িত।" বহু বছর ধরে যেসব রীতিনীতি চলে আসছে তার মধ্যে রয়েছে যে খেলা শুরু হওয়ার আগে রিং-এর মাঝখানে একটি গর্ত তৈরি করা হয়। তারপর সেটি পূর্ণ করা হয় বাদাম, শামুক জাতীয় সামুদ্রিক প্রাণী এবং সমুদ্রের লতাগুল্ম দিয়ে। আর সেই কাজটা করেন শিন্তো ধর্মের যাজকেরা। তারপর গর্তটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর সুমো কুস্তিগিররা রিং-এর উপর উঠে পা দিয়ে মাড়াতে থাকেন ও হাতে তালি দেন। তাদের উদ্দেশ্য হলো সেখান থেকে খারাপ প্রেতাত্মাদের তাড়ানো। "শিন্তো ধর্মে সুমো কুস্তির রিং-কে দেখা হয় পবিত্র একটি জায়গা হিসেবে," বলেন মি. বাকটন। মঞ্চ থেকে খারাপ প্রেতাত্মা তাড়াতে কুস্তিগিররা কিছু রীতিনীতি অনুসরণ করেন। এই ধর্মে নারীদেরকে তাদের মাসিকের রক্তের কারণে দেখা হয় 'অপবিত্র' হিসেবে। আর একারণে তাদেরকে রিং-এর ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। মনে করা হয়, যে কোন রক্ত জায়গাটিকে অপবিত্র করবে। এমনকি পুরুষ কুস্তিগিরদের শরীর থেকেও যদি কোন কারণে সেখানে রক্ত ঝরে - তখন লবণ ছিটিয়ে জায়গাটিকে পবিত্র করা হয়। এই রীতির কি পরিবর্তন হতে পারে? সুমো প্রধান ওগুরামা, যার এই একটিই নাম, তিনি বলেছেন, "এসব রীতিনীতি শত শত বছর ধরে অনুসরণ করা হচ্ছে। আর এটা আমরা মাত্র এক ঘণ্টায় বদলে দিতে পারি না।" এর আগেও এধরনের ঘটনা ঘটেছিল কিন্তু সুমো সমিতি কখনও তাদের সিদ্ধান্ত বদল করেনি। ২০০০ সালেও ওসাকার গভর্নর সুমো সমিতিকে অনুরোধ করেছিলেন রিং-এর ভেতরে যেতে অনুমতি দেওয়ার জন্যে। তিনি চ্যাম্পিয়ন এক কুস্তিগিরের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেসময় তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। সারা বিশ্বে নারীরা সুমোতে অংশ নিতে পারে, কিন্তু জাপানে নয়। মি. বাকটন মনে করেন যে সুমো সমিতি কখনোই এই নীতির পরিবর্তন ঘটাবে না, কারণ এটি বহু দিনের সংস্কৃতি। এ ছাড়াও জাপানে নারীবাদের বিষয়ে লোকজন খুব একটা সচেতন নয়। "সুমো সমিতি শুধু অপেক্ষা করছে কখন এসব কেলেঙ্কারির ঘটনা আস্তে আস্তে ফিকে হয়ে যায় তার জন্যে।" "জাপানে এটা তেমন বড় কোন বিতর্ক নয়," বলেন তিনি।
Japan's sumo wrestling authority has postponed a decision on the sport's "men-only" policy.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবে যুক্তরাষ্ট্র, বলেছেন মি.ট্রাম্প সিরিয়ার ডুমায় রাসায়নিক হামলার অভিযোগ ওঠার বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র "খুব্ গুরুত্বের সাথে" দেখছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মি. ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে এই বিষয়ে ফরাসী ও বৃটিশ নেতাদের সাথে আলোচনা করেছেন মি.ট্রাম্প। যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে ভবিষ্যতে আরো রাসায়নিক হামলা যেন না হয় তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিকভাবে পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে একমত প্রকাশ করেছেন। তবে বৃটিশ পরিবহন মন্ত্রী জো জনসন জানিয়েছেন এখনই সামরিক অভিযান পরিচালনা করার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিরিয়ার প্রধান সামরিক মিত্র রাশিয়া পশ্চিমাদের এই ধরনের কার্যক্রমের কঠোর সমালোচনা করেছে। জাতিসংঘে রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন তিনি রাশিয়া ও যুক্তরোষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা "নাকচ" করে দিতে পারছেন না। গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন এ মুহুর্তে প্রধান কাজ "যুদ্ধের সম্ভাবনা প্রতিহত করা"। ব্রিটিশ সরকারও বৃহস্পতিবার মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে ভবিষ্যতে যেন আবারো রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার না হয় সেলক্ষ্যে সিরিয়ায় "কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরি"। বৃহস্পতিবার ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ বলেছেন যে ডুমায় সিরিয় সরকার যে রাসায়নিক হামলা করেছে তার "প্রমাণ" আছে তাঁর কাছে। সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা চালানোর বিষয়ে জরুরি বৈঠক করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য ডুমায় আাক্রমণের পরদিন, রবিবার, ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে সিরিয়া সরকারের মিত্র হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর বিদ্রোহী অধ্যূষিত ডুমায় "নৃশংসতা"র দায় বর্তায়। বুধবার তিনি এক টুইটে বলেছেন যে মিসাইল "আসছে", কিন্তু বৃহস্পতিবার আরেক টুইটে তিনি লিখেন যে আক্রমণ "কবে করা হবে" তা তিনি জানান নি। টুইটে তিনি বলেন আক্রমণ "শীঘ্রই হতে পারে, আবার নাও হতে পারে"। পরে হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "আমরা সিরিয়া বিষয়ে আজ একটি বৈঠক করছি। এবিষয়ে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেব।" ডুমায় কি হয়েছে? মানবাধিকার কর্মী আর চিকিৎসা সেবাদানকারীরা জানিয়েছে সরকারি বাহিনীর রাসায়নিক হামলায় ডুমায় শনিবার অনেকে নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। রাসায়নিক হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিরিয় প্রেসিডেন্ট আসাদের সরকার। রাসায়নিক হামলায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিশুরা রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা (ওপিসিডব্লিউ) জানিয়েছে রাসায়নিক হামলার প্রমাণ সংগ্রহ করতে ডুমায় প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে তারা। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া নমুনা থেকে ক্লোরিন ও নার্ভ এজেন্ট ব্যবহারের সত্যতা যাচাই করা গেছে। রাশিয়া কি বলছে? রাসায়নিক আক্রমণের অভিযোগ পশ্চিমাদের "প্ররোচনামূলক" আচরণ বলে দাবী করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে সিরিয়ায় রুশ বাহিনীর ওপর মিসাইল হামলা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে এবং পাল্টা আক্রমণও করা হতে পারে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার আশা প্রকাশ করেন যে শীঘ্রই এই অস্থির অবস্থার উন্নতি হবে।
US President Donald Trump says a decision on action in Syria will be made "fairly soon".
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
তাঁর স্ত্রী লেডি নাইপল মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে জানান, যাদের সঙ্গে স্যার ভিদিয়া জীবন কাটাতে ভালোবাসতেন মৃত্যুর সময়ে তারা তাঁর পাশে ছিলেন। লন্ডনে নিজ বাড়িতেই শনিবার রাতে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন ভিএস নাইপল। "তিনি ছিলেন সবকিছু অর্জন করা এক কিংবদন্তী। নাইপল যাদের ভালোবাসতেন, যাদের সঙ্গে উদ্যমী ও সৃষ্টিশীল অসাধারণ এক জীবন কাটিয়েছেন, তার শেষ সময়টাও তাদের সান্নিধ্যেই কেটেছে" বলেছেন লেডি নাইপল। কালজয়ী এই লেখকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভক্ত ও বন্ধুরা। নাইপলে ঘনিষ্ঠ বন্ধু 'মেইল'এর সম্পাদক জিওর্ডি গ্রেইগ বলেছেন, "তাঁর মৃত্যুতে ব্রিটেনের সাহিত্য জগতে বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হলো। তবে নিঃসন্দেহে তার সৃষ্টি কর্ম চিরদিন রয়ে যাবে"। ভ্রমণবিষয়ক অ্যামেরিকান লেখক পল থেরক্স বলেছেন "আমাদের সময়ের অনবদ্য এক লেখককে হারালাম"। বিশ্ব সাহিত্য জগতে অনন্য এক লেখক ছিলেন স্যার ভিদিয়া। গল্প বলার অনন্য এক 'স্টাইল' ছিল তাঁর। মানুষের জীবনের 'আইরনি', দু:খকষ্টের বিষয়গুলো তিনি পরিষ্কারভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারতেন তাঁর লেখায়। ভিএস নাইপলের সমর্থকদের মতে, তাঁর কাহিনীগুলোতে আছে স্বচ্ছতা, সততার সাথে তিনি ভ্রমণকাহিনী লিখেছেন। উন্নয়নশীল বিশ্বের আদর্শবাদ বা 'গ্ল্যামার'কে দূরে রেখে তিনি লিখেছেন। ভক্তরা স্যার নাইপলকে মনে করেন দক্ষ ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন এক লেখক। যিনি ইসলামের নিষ্ঠুরতা, আফ্রিকার দুর্নীতি ও বিশ্বের দরিদ্রতম অংশের দুর্ভোগ নিজ চোখে দেখেছেন এবং সেগুলোর প্রকৃত সমালোচনাও করেছেন। রাজনীতির ভুলগুলোর তিক্ত সমালোচনার পুনরাবৃত্তিও ঘটেছে তাঁর লেখায়। তবে তাঁর সমালোচকেরা মনে করেন, ভিএস নাইপলের লেখা ছিল উগ্রপন্থী এবং সমস্যাগ্রস্ত। ভিএস নাইপলের প্রথম তিনট উপন্যাস সফলতা পায়। তাঁর সেরা উপন্যাস ''এ হাউজ ফর মিস্টার বিশ্বাস' লিখতে তাঁর তিন বছর সময় লেগেছিল। ত্রিনিদাদ বিদ্যাধর সূর্যপ্রসাদ নাইপল ১৯৩২ সালের ১৭ই অগাস্ট ত্রিনিদাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। যে দ্বীপে তিনি জন্ম নিয়েছিলেন সেখানে তখন বর্ণবাদ নিয়ে উত্তেজনা ছিল। তাঁর পূর্বপুরুষ ভারত থেকে ত্রিনিদাদে বসবাস শুরু করেছিল ভৃত্য হিসেবে। একজন হিন্দু হিসেবেই শৈশবে বেড়ে উঠেন নাইপল। নাইপলের বাবা শিপেরসাদ ছিলেন সাংবাদিক। শিশু বয়সেই ভিএস নাইপল উইলিয়াম শেকসপিয়ার, চার্লস ডিকেন্স পড়েন বাবার কাছ থেকেই। তাঁর বাবা তাঁকে ইউরোপিয় সাহিত্য পড়ে শোনাতেন এবং লিখতেও উৎসাহিত করতেন। তিনি কুইন্স রয়েল কলেজে পড়াশোনা করেন। স্নাতক পড়ার সময় সরকারি স্কলারশিপ পেয়ে যান ও কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ পান নাইপল। ১৯৫০ সালে তিনি অক্সফোর্ডে যান। ২০১৬ সালে ঢাকা লিট ফেস্টে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন কিংবদন্তি লেখক ভিএস নাইপল হতাশা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় হতাশা ও একাকীত্বে ভুগতেন তিনি এবং আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছেন নাইপল। তাঁর জীবন বাঁচিয়েছেন তাঁর বাবা। চিঠির মাধ্যমে ছেলের সাথে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। পিতা ও পুত্রের এসব চিঠি ১৯৯৯ সনে প্রকাশ করা হয়। ভিএস নাইপল তাঁর শৈশব নিয়ে লেখা শুরু করেন। তাঁর প্রথম তিনটি বই- দ্য মিস্টিক মাসোর (১৯৫৭), দ্য সাফ্রেজ অব অ্যালভিরা (১৯৫৮) এবং মিগুয়েল স্ট্রিট (১৯৫৯) প্রকাশের পর ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। আর এই তিনটি বইয়ের কাহিনীই মূলত ক্যারিবীয় দ্বীপকে ঘিরে। নোবেল পুরষ্কার ভিএস নাইপলের লেখা সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে 'অ্যা বেন্ড ইন দ্য রিভার', 'ইন অ্যা ফ্রি স্টেট', 'এন এরিয়া অব ডার্কনেস','হাফ এ লাইফ'। 'এ হাউজ ফর মিস্টার বিশ্বাস' তাঁর সেরা কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই উপন্যাসটি লিখতে তাঁর তিন বছর সময় লেগেছিল। ২০০১ সালে নোবেল পুরস্কার পান ভিএস নাইপল। ২০১৬ সালে ঢাকা লিট ফেস্টে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন কিংবদন্তি এই লেখক। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ‘সূর্য অভিযানে’ রওনা হলো নাসার নভোযান নিরাপদ সড়ক:শৃঙ্খলা ফেরাতে যেসব বাধার মুখে পুলিশ তুরস্কে কম খরচে বেড়ানোর আসল সময় এখন ২০০১ সালে নোবেল পুরষ্কার নেবার সময় চিকিৎসাবিদ্যায় নোবেলজয়ী স্যার পল নার্স স্যার ভিএস নাইপলকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
Novelist Sir VS Naipaul, who won the Nobel Prize in literature, has died aged 85, his family have said.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে ঘর থেকে বের হলে মাস্ক পরার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। যেখানে মানুষের ভিড় বেশি, বন্ধ ঘর অথবা যেখানে বাতাস চলাচলের ভালো ব্যবস্থা নেই - সেসব জায়গায় বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না। এমন কথা বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্মকর্তা। যদি এই পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায় তাহলে আবদ্ধ জায়গায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিয়মে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হতে পারে। এর আগে বিশ্বের ২০০'র বেশি বিজ্ঞানী এক খোলা চিঠিতে অভিযোগ করেছিল যে করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হবার বিষয়টিকে খাটো করে দেখাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে আসছে যে হাঁচি এবং কাশির মাধ্যমে যেসব ক্ষুদ্র জলীয় কণা বের হয়, সেগুলোর মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ায়। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই অবস্থানের সাথে একমত হতে পারছেন না ৩২টি দেশের ২৩৯জন বিজ্ঞানী। তারা বলছেন, মানুষের কথা বলা এবং শ্বাসপ্রশ্বাস নেবার পর ক্ষুদ্র কণা কয়েক ঘণ্টা বাতাসে ভেসে থাকে। এর মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে বলে তারা উল্লেখ করেছেন। "আমরা চাই করোনাভাইরাস বাতাসে ছড়ানোর বিষয়টিকে তারা স্বীকার করে নিক," বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো ইউনিভার্সিটির রসায়নবিদ জোসে জিমেনেজ, যিনি খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। মি: জিমেনেজ বলেন, যে খোলা চিঠি দেয়া হয়েছে সেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপর কোন আক্রমণ নয়। "এটা একটা বৈজ্ঞানিক বিতর্ক। তথ্য-প্রমাণ নিয়ে তাদের সাথে অনেক বার আলোচনার পরেও তারা এটা প্রত্যাখ্যান করেছে। সেজন্য আমরা মনে করেছি যে বিষয়টি জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত।" বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর তথ্য-প্রমাণ এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এবং এজন্য আরো পর্যালোচনা দরকার। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস টাকা-পয়সা কি ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম?
The World Health Organization has acknowledged there is emerging evidence that the coronavirus can be spread by tiny particles suspended in the air.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ধারণা করা হচ্ছে, হামলাটি পুলিশকে লক্ষ্য করে করা হয়েছে। এই বিস্ফোরণে কয়েকজন পুলিশসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পুলিশের একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো সুফি মাজারগুলোর একটি দাতা দরবার সুফি মাজারের বাইরে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঐ এলাকায় বর্তমানে নিরাপত্তা অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো সংস্থা হামলার দায় স্বীকার করেনি। রেডিও পাকিস্তানের খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই হামলার কঠোর সমালোচনা করেছেন এবং আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের প্রতি। আরো পড়তে পারেন: আইএস জঙ্গিরা কি বাংলাদেশে ফেরত আসছে? 'রমজান' কীভাবে 'রামাদান' হয়ে উঠেছে ভারতে বিন লাদেন: মৃত্যুর আট বছর পর আল-কায়েদা এখন কোথায়? পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লাহোরের প্রাচীন এলাকা ওয়ালেদ সিটিতে অবস্থিত ছিল মাজারটি। সুন্নি এবং শিয়া মতাবলম্বী হাজার হাজার দর্শণার্থী প্রতিবছর এই মাজারটিতে আসেন। ইসলাম ধর্মে সুন্নি এবং শিয়া উভয় মতাবলম্বীদের মধ্যেই সুফিবাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে। পাকিস্তানে এর আগেও সুফিবাদে বিশ্বাসীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০১০ সালে দাতা দরবার মাজারের বাইরে দু'টি আত্মঘাতী হামলায় অনেকের মৃত্যু হয়। ২০১৪ সালে পেশোয়ারের স্কুলে বোমা হামলায় ১৪১ জন মারা যাওয়ার পর পাকিস্তান জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর চেষ্টা চালায়। তারপর থেকে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনো পাকিস্তানে জঙ্গীবাদের আশঙ্কা রয়েই গেছে। ২০১৬ সালে ইস্টার সানডেতে লাহোরের খ্রিস্টানদের ওপর হওয়া হামলায় অন্তত ৭২ জন নিহত হয়।
At least nine people have been killed in an explosion outside a major Sufi Muslim shrine in the Pakistani city of Lahore, officials said.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
ফিদেল ক্যাস্ত্রো বিচিত্র রকমের পরিকল্পনা করে ফিদেল ক্যাস্ত্রোকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। তার মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক শামুক ঝিনুকের খোলসের ভেতরে বিস্ফোরক ঢুকিয়ে তাকে হত্যা করা, সাঁতারের পোশাকে বিষ মাখানো, মুখে লাগানোর ক্রিমে বিষাক্ত বড়ি লুকিয়ে রাখা... ইত্যাদি ইত্যাদি। ক্যাস্ত্রোরই সাবেক এক দেহরক্ষীর লেখা বই ও টিভি তথ্যচিত্র থেকে এসব পরিকল্পনার কথা জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী নির্বাসিত কিউবানরা অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে তাকে হত্যার এরকম পরিকল্পনা করেছিলো। কিন্তু তার সবকটিকেই ব্যর্থ করে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দশজন প্রেসিডেন্টের শাসনকাল পার করে বেঁচে ছিলেন তিনি। কিউবার বিপ্লবী এই নেতা একবার নিজেই মন্তব্য করেছিলেন: " আততায়ীদের হত্যা প্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়ার ওপর যদি অলিম্পিকে কোন প্রতিযোগিতা বা ইভেন্ট থাকতো, তাহলে আমি স্বর্ণ পদক পেতাম।" সাবেক এই প্রেমিকাকে পাঠানো হয়েছিলো ক্যাস্ত্রোকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তবে এসব পরিকল্পনার সবকটিই কিন্তু শেষ পর্যন্ত কার্যকর করা হয়নি। বেশিরভাগই শুধু পরিকল্পনার মধ্যেই সীমিত ছিলো, বলেছেন সাবেক দেহরক্ষী ফাবিয়ান এসকেলান্তে। যুক্তরাষ্ট্রে বিল ক্লিনটন যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিলো যাতে দেখা যায় যে সিআইএর কর্মকর্তারা ক্যাস্ত্রোকে হত্যার উদ্দেশ্যে এক পর্যায়ে শামুক ঝিনুকের মতো ক্যারিবীয় সামুদ্রিক প্রাণীর খোলসের ওপরেও গবেষণা করতে শুরু করেছিলো। তাদের পরিকল্পনা ছিলো, বৈচিত্র্যময় এরকম কিছু খোলসের ভেতরে বিস্ফোরক ঢুকিয়ে দেওয়া। কারণ ফিদেল ক্যাস্ত্রো একজন ডুবুরী ছিলেন। ডুব দিয়ে তিনি যখন ঝিনুকের এই খোলসের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এটি হাতে নেবেন তখনই বিস্ফোরণ ঘটানো হবে - এরকমই পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। এরকম আরো একটি পরিকল্পনা ছিলো- এমন একটি সাঁতারের পোশাক তৈরি করা যাতে ফাঙ্গাস মাখিয়ে দেওয়া হবে। সেই ফাঙ্গাসে সংক্রামিত হয়ে ক্যাস্ত্রোর শরীরে রোগ ছড়িয়ে পড়বে এবং তাতেই তার মৃত্যু ঘটবে। পরে অবশ্য এই দুটো পরিকল্পনাই বাদ দেওয়া হয়েছিলো। যুক্তরাষ্ট্রে সেনেট চার্চ কমিশন ১৯৭৫ সালে এরকম আটটি পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেছিলো। তার অনেকগুলো কল্পনাকেও হার মানিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই দুজনের জেল হয়েছিলো হত্যা প্রচেষ্টায় জড়িত থাকার দায়ে আরো একটি পরিকল্পনা ছিলো ফিদেল ক্যাস্ত্রোর হাতে একটি বিষাক্ত কলম তুলে দেওয়া। বলা হয় যে সিআইএর একজন অফিসার কিউবার একজন গোয়েন্দার কাছে সূচ বসানো এরকম একটি কলম প্রায় তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু কিউবান ওই গোয়েন্দা সেটি নিতে চাননি। কারণ তিনি এর চেয়েও সুন্দর একটি কলম চেয়েছিলেন। ক্যাস্ত্রোকে হত্যা করার জন্যে তার প্রাক্তন একজন প্রেমিকা মারিতা লোরেঞ্জকেও ভাড়া করা হয়েছিলো। তাকে দেওয়া হয়েছিলো বিষাক্ত বড়ি যা তিনি ক্যাস্ত্রোর পানীয়র গ্লাসে মিশিয়ে দেবেন বলে পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। কিন্তু ফিদেল ক্যাস্ত্রো এই পরিকল্পনার কথা আগেই জেনে ফেলেন। এবং শোনা যায় সাবেক ওই প্রেমিকার হাতে তিনি তার অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন তাকে হত্যা করার জন্যে। মিস লোরেঞ্জ নিউ ইয়র্কের একটি সংবাদপত্রকে বলেছিলেন, "ক্যাস্ত্রো তখন আমাকে বলেন, তুমি আমাকে মারতে পারবে না। আমাকে কেউ মারতে পারবে না।" "তারপর একরকম হাসতে হাসতে মুখে চুরুট চিবুতে লাগলেন তিনি। তখন আমি দমে যাই। কারণ তিনি আমার ব্যাপারে খুবই নিশ্চিত ছিলেন। তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। তারপর আমরা সেক্স করি।" ফিদেল ক্যাস্ত্রোকে হত্যার সবশেষ যে পরিকল্পনার কথা জানা যায় সেটি ছিলো ২০০০ সালে। এই পরিকল্পনাটি ছিলো পানামায় ক্যাস্ত্রো যে মঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে ভাষণ দেওয়ার কথা তার নিচে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক রেখে দেওয়া। ফিদেল ক্যাস্ত্রোর নিরাপত্তা রক্ষীরা সেই পরিকল্পনা ভণ্ডুল করে দেয়। ফিদেল ক্যাস্ত্রের দাড়িও ছিলো হত্যা পরিকল্পনাকারীদের একটি টার্গেট এই পরিকল্পনায় জড়িত থাকার দায়ে সিআইএর গুপ্তচরসহ চারজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিলো। পরে অবশ্য তাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। শুধু হত্যা করা নয় তাকে অপদস্থ করারও কিছু পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। দাড়ির জন্যে বিখ্যাত ছিলেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো। পরিকল্পনা ছিলো তার এই দাড়ি ফেলে দিয়ে তাকে হেয় করারও। এরকম একটি পরিকল্পনা ছিলো- বিদেশ সফরে গেলে তার জুতায় থালিয়াম লবণ ছিটিয়ে দেওয়া এই আশায় যে এর ফলে তার বিখ্যাত সেই দাড়ি মুখ থেকে খসে পড়বে। সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়ে যায় ক্যাস্ত্রো যখন তার সেই নির্ধারিত সফর বাতিল করে দেন। আরেকটি পরিকল্পনা ছিলো টেলিভিশনে বক্তব্য দিতে যাওয়ার আগে তার মুখের ওপর এলএসডি এরোসল স্প্রে করে দেওয়া যাতে তিনি পর্দার সামনে অসংলগ্ন আচরণ করতে শুরু করে দেন। এসব পরিকল্পনা এড়াতে ক্যাস্ত্রো বহু সতর্কতা অবলম্বন করতেন। তবে ১৯৭৯ সালে যখন জাতিসংঘের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি নিউ ইয়র্কে উড়ে যান তখন বিমানে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলো তিনি বুলেটপ্রুফ কোন জ্যাকেট পরে আছেন কীনা তিনি তখন তার শার্ট খুলে তার উন্মুক্ত বুক দেখিয়ে দেন। "আমার আছে নৈতিকতার এক বর্ম," বলেছিলেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো।
The exploding cigar plot to assassinate Fidel Castro is well known - but what about the other reported 637 plots against his life?
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
কাতার ও সৌদি আরবের মধ্যকার দ্বন্দ্ব এখন নতুন রূপ পেয়েছে ইন্টারনেট বট আসলে ওয়েব রোবট, যা আসলে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ইন্টারনেটে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। ২০১৭ সালের ২৪শে মে কাতারের সরকারি বার্তা সংস্থা কিউএনএ ওয়েবসাইটে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় যাতে বলা হয় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি একটি বিস্ময়কর বক্তব্য দিয়েছেন। পরে তার এই বক্তব্য কিউএনএ'র সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ও ইউটিউব চ্যানেলেও ওই সংবাদের টিকার প্রচার হতে থাকে। আরও পড়তে পারেন : কাতার সম্পর্কে পাঁচটি বিস্ময়কর তথ্য কাতার সংকট: সৌদি আরব কি বাড়াবাড়ি করছে? ইসরায়েলের কাছে আরবরা কেন পরাজিত হয়েছিল? ওই বক্তব্যে কাতারের আমির ইসলামপন্থী গ্রুপ হামাস, হেজবুল্লাহ ও মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রশংসা করছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই এই রিপোর্ট কিউএনএ'র ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে যায় এবং কাতারের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতি দিয়ে এ ধরনের কোন বক্তব্যের কথা প্রত্যাখ্যান করে। এছাড়া এখন পর্যন্ত এমন কোন ভিডিও ফুটেজ আসেনি যাতে দেখা যায় কাতারের আমির আসলে কী বলেছেন। কাতার দাবি করেছে, কিউএনএ'র ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে এবং তারা এটাও বলেছে যে কাতারের আমির ও পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে এ ধরনের পরিকল্পিত বক্তব্য প্রচারের জন্যই ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। আর এজন্য কাতার স্পষ্ট করে দায়ী করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। কাতারের নাগরিকরা আমিরের ম্যূরালের ওপর লিখে তাদের সমর্থন জানাচ্ছেন পরে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সূত্রকে উদ্ধৃত করে ওয়াশিংটন পোস্টও একই ধরণের তথ্য প্রকাশ করে। কিন্তু কাতারের আমিরের বক্তব্য সম্বলিত ওই রিপোর্টটিই সব মিডিয়া প্রকাশ করতে থাকে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সৌদি ও আরব আমিরাতের মালিকানাধীন টিভি চ্যানেল আল আরাবিয়া ও স্কাই নিউজ আরাবিয়া প্রচার শুরু করে। তারা কাতারকে উগ্রপন্থীদের অর্থায়ন ও ওই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার জন্য অভিযুক্ত করতে থাকে। আর এরপর আরও একটি হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রে আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ আল ওতাইবার ইমেইল হ্যাক হয়ে মিডিয়ার কাছে প্রকাশ হয়ে পড়ে। এরপর তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে থাকে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়। প্রতিক্রিয়া কেমন হলো ? ২০১৭ সালের ৫ই জুন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিশর এবং তাদের সহযোগী মোট নয়টি দেশ কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। তারা কাতারের নাগরিকদের বহিষ্কার করে, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করে, কাতারের সাথে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়, সব বাণিজ্য স্থগিত করে এবং এমনকি তাদের আকাশসীমা কাতারের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। আল জাজিরা বন্ধের শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে কাতার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে স্বঘোষিত সন্ত্রাস বিরোধী জোট ১৩ দফা শর্ত দিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য দশ দিনের সময় দেয় কাতারকে, যার মধ্যে ছিলো আল জাজিরা বন্ধ করা ও ইরানের সাথে সহযোগিতার অবসান ঘটানো। সৌদি জোটের এমন পদক্ষেপকে একাধিক টুইট বার্তায় স্বাগত জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি তিনি দাবী করেন এটা ছিলো তার সন্ত্রাস বিরোধী নীতির একটি প্রমাণ। তার এমন বক্তব্য টুইটারে প্রোপাগান্ডা যুদ্ধকে উস্কে দেয় এবং হ্যাশট্যাগ দিয়ে কাতারের পক্ষে-বিপক্ষে সয়লাব হয়ে যায় টুইটার। বটসের যুদ্ধ.......... আগেই বলা হয়েছে যে ইন্টারনেট বট আসলে ওয়েব রোবট, যা আসলে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ইন্টারনেটে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। কাতারের পক্ষ থেকে হ্যাশট্যাগ দিয়ে 'তামিম দ্যা গ্লোরিয়াস' কিংবা 'কাতার একা নয়' এমন বার্তা টুইটারে উপসাগরীয় অঞ্চলের হোমপেজে ভেসে আসতে থাকে। অন্যদিকে সৌদি ও আরব আমিরাত শেখ তামিমকে অভিযুক্ত করে 'উপসাগরের গাদ্দাফী' হিসেবে। এসব ঘটনাপ্রবাহের দিকে গভীর নজর রাখছিলেন আটলান্টিক কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো বেন নিম্মো। তিনি দেখতে পান টুইটারে স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার অর্থাৎ বটগুলো বিভিন্ন মেথডে কাজ করছে, যেমন -হঠাৎ করে কোন হ্যাশট্যাগ স্পাইক অ্যালার্ট হয়ে যাচ্ছিলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে পোস্টিং পরামর্শসহ। টুইটারে এভাবেই বিকৃত করা হয় কাতারের আমিরের ছবি "#তামিম_দ্যা_গ্লোরিয়াস- পোস্টটি যেই টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে আসে সেখানে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে রি-টুইট হয় অন্তত দুশো বার, যা মোটেও স্বাভাবিক নয়"। পরে টুইটার ওই অ্যাকাউন্ট স্থগিত করে আর বিবিসি আরব সার্ভিস অনেক চেষ্টা করেও ওই অ্যাকাউন্টের মালিকের সাথে কথা বলতে পারেনি। আর যখন এ ধরনের অনেক বট অ্যাকাউন্ট একযোগে কাজ করতে থাকে তখন তাকে বলা হয় বট নেট। যদিও বেন নিম্মো এ ধরনের বটস খুঁজে পেয়েছেন কাতার বিরোধীদের দিকেও। তারা সেখানে কাতারের আমিরের ছবি বিকৃত করে পোস্ট করেছে। আবার দেখা যায় কাতার বিরোধী বটগুলো যেগুলো টুইট বার্তাকে বুস্ট করছিলো সেটা আসলে সব প্রকৃতপক্ষে একটি অ্যাকাউন্ট থেকেই আসছিলো। আর সেই অ্যাকাউন্টের মালিক ছিলেন সৌদ আল কাহতানি। তিনি সৌদি রাজকীয় আদালতের সুপরিচিতি সদস্য ও যুবরাজের পরামর্শক। টুইটারে অত্যন্ত সক্রিয় এ ব্যক্তির প্রায় দশ লাখের মতো ফলোয়ার রয়েছে অনলাইনে। সৌদি পক্ষের আল আরাবিয়া টিভি দেখিয়েছে কাতারের দোকানে খাবারের তাকগুলোতে খাবার নেই হ্যাশট্যাগ 'উপসাগরের গাদ্দাফী' টুইটে যত রি-টুইট হয়েছে তার সর্বোচ্চ পাঁচটিই তার অ্যাকাউন্ট থেকে যা মোট ট্রাফিকের ৬৬ শতাংশ। ওই অ্যাকাউন্টেই কাতারকে লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে মানুষ হত্যা ও সন্ত্রাসের অর্থায়নের জন্য দায়ী করা হয়। ভুয়া সংবাদই সর্বত্র বয়কট বা কাতারের অবরোধ -যাই হোক সেটির খুব শিগগিরই অবসান হচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতার চেষ্টা সত্ত্বেও। হ্যাশট্যাগ দিয়ে প্রচারণা এখনো চলছে পাশাপাশি চলছে হ্যাকিংয়ের চেষ্টাও। ওই অঞ্চলের টিভি চ্যানেলগুলো এখনও একে অন্যকে অভিযুক্ত করার লড়াইয়ে আছে। এ সংকটের জের ধরে কাতারের জীবনযাত্রায় কেমন প্রভাব পড়ছে তা নিয়েও পাল্টাপাল্টি খবর প্রকাশ করা হচ্ছে। আল আরাবিয়া টেলিভিশনে যেমন প্রচার হয়েছে কাতারের খাবার দোকানগুলোতে খাবার নেই। অন্যদিকে আল জাজিরা দেখাচ্ছে সংকট সত্ত্বেও স্বাভাবিক জীবনযাত্রার দৃশ্য। স্কুল অফ আফ্রিকান স্টাডিজের সিনিয়র লেকচারার ডিনা মাটার যেমন বলছেন, "এটা শুধু রাজনৈতিক যুদ্ধ নয়, এটা একটি মিডিয়া যুদ্ধও। পশ্চিমের মতো আরব বিশ্বেও নানা সমস্যা আছে। আর ভুয়া সংবাদ রয়েছ সর্বত্রই"। "আরব রাজনীতিক ও নেতারা মিডিয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন রয়েছেন আর সেটি হলো মিডিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। এটা প্রোপাগান্ডা চালানোর অস্ত্র। ব্যক্তি ও জনস্বার্থের জন্যও এটি একটি অস্ত্র"। সম্প্রতি আরও একটি হ্যাশট্যাগ দেখা যাচ্ছে যেটি আরবি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করলে দাঁড়ায়: #অ্যানিভার্সারি_অফ_দ্যা_মিডনাইট_ফেব্রিকেশন । এটির ট্রেন্ডিং দেখা যাচ্ছে কাতারে। এটা আসলে এক বছর আগে কাতার নিউজ এজেন্সি হ্যাকিংয়ের সেই অভিযোগের কথাই মনে করিয়ে দেয়ার জন্য। প্রায় এক বছর হয়ে গেলো ওই ঘটনার কিন্তু এখনো দু পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা কমে আসার লক্ষণ তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না।
A year-long political conflict between the tiny, wealthy state of Qatar and its larger neighbours - including Saudi Arabia and the United Arab Emirates - has been fought with a new arsenal of weapons: bots, fake news and hacking.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভকারীরা 'শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ' এর মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করা আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার করায় "গভীর উদ্বেগ" প্রকাশ করা হয়েছে হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে। ইরানে অর্থ সহায়তা দেয়ার পরিসর বাড়ানোর বিষয় শুক্রবারের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৯৭৯ সালে ইরানে বিপ্লব শুরু হওয়ার পর থেকে ইরান সরকার ও সেদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। আরো পড়তে পারেন: খামেনির ছবিও পোড়াচ্ছে ইরানের বিক্ষোভকারীরা ইরানে বিক্ষোভ আরো ছড়িয়ে পড়ছে, নিহতের সংখ্যা ১০ ইরানের এই রিভোলিউশনারি গার্ডস আসলে কারা? ২০১৫ তে পারমাণবিক কার্যক্রম কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ইরান চুক্তি করার পর থেকে সেখানে আবারো অর্থ সহায়তা পাঠানো শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ইরানে কয়েকসপ্তাহ আগে বিক্ষোভ শুরু হলেও দ্রুতই তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রুপ নেয়। বিক্ষোভকারীরা ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনির ছবিও পোড়ায়। সরকারি নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে সেখানে মারা গেছে অন্তত ২১জন। কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা না গেলেও আনুষ্ঠানিকভাবে ১০০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করার খবর জানা গেছে। যদিও ইরান সরকার বলছে বিক্ষোভের পরিকল্পনাকারীদের বাদে অন্যদের এরই মধ্যে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আরো দেখুন ইরানে বিক্ষোভের কারণ: ইরানে বিক্ষোভের কারণ কী
The US has demanded that the "brutal" leadership of Iran release all those arrested during recent anti-government protests.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
এক বিলিয়ন ডলার মূল্যে ইন্সটাগ্রাম আর ১৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যে হোয়াটসঅ্যাপ কিনেছিল ফেসবুক, যার বাজার মূল্য এখন ৮০০ বিলিয়ন ডলার। নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, ইন্সটাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্রতিষ্ঠান বিক্রির ব্যাপারে তারা কঠোর প্রতিকার চায়। ফলে বিবিসি জানার চেষ্টা করেছে যে, সামাজিক যোগাযোগ খাতের এই বিশাল প্রতিষ্ঠানটিকে ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে কিনা। ফেসবুকের বিরুদ্ধে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস, অন্য আরও ৪৫ জন কর্মকর্তা মিলে যে মামলা করেছেন, তিনি তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন। লেটিশিয়া জেমস বলছেন, ''প্রায় এক দশক ধরে ফেসবুক বিরোধীদের গুড়িয়ে দিয়ে এবং প্রতিযোগিতা থেকে বের করে দিয়ে আধিপত্য ও একচেটিয়া শক্তি ধরে রেখেছে, আর এসব কিছুই হচ্ছে প্রতিদিনের ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থে।'' ফেসবুকের এই নীতিকে ' কিনে নেয়া অথবা কবর দেয়া' নীতি বলে বর্ণনা করছেন এই কৌসুলিরা। আদালতের কাছে তারা আবেদন করেছেন যেন ফেসবুকের ওপর এই আদেশ দেয়া হয়, যার মাধ্যমে ''অবৈধভাবে অধিগ্রহণ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভাজন বা পুনর্গঠন করা হয়।'' যার মানে হতে পারে, ২০১২ সালে এক বিলিয়ন ডলার মূল্যে কেনা ইন্সটাগ্রাম বা ২০১৪ সালে ১৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যে কেনা হোয়াটসঅ্যাপ বিক্রি করে দিতে বাধ্য হওয়া। এসব প্রতিষ্ঠান কিনে নেয়ার পর ফেসবুকের শেয়ারের দাম চারগুণের বেশি বেড়েছে। ফেসবুকের এখন মোট মূল্য ৮০০ বিলিয়ন ডলার। ফেসবুকের ব্যাপারে তদন্ত করেছে ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের একটি কমিটি। সেই কমিটির প্রধান ড্যামিয়ান কলিন্স বিবিসিকে বলেছেন, ''এটা একটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।'' ''আমেরিকার কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল ফেসবুকের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ তদন্তে নেতৃত্ব দেয়া এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা আলাদা করার ক্ষেত্রে মামলা করা,'' তিনি বলছেন। মি. কলিন্স মনে করেন, তার কমিটি তদন্ত করে যেসব প্রমাণ পেয়েছেন, তার কিছু তথ্য প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ব্যবহার করতে পারে। ''এসব তথ্যে আমরা দেখতে পেয়েছি, কীভাবে ফেসবুক তার বাজারের শক্তিকে অন্য কোম্পানির ওপর ব্যবহার করে, যাতে তারা ফেসবুকের পক্ষে যাওয়ার মতো চুক্তি করতে বাধ্য হয়। ফেসবুক ব্যবহার করতে পারে, এমন তথ্যে বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়, সেগুলোর পেছনে তারা অনেক অর্থ ব্যয় করে। মানুষ কী ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে, সেটা নিয়ে গবেষণা করে তারা প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ বা প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করে।'' তবে ফেসবুকও পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, তাদের ভেঙ্গে ফেলার যেকোনো চেষ্টার বিরুদ্ধে তারা শক্তিশালী আইনি লড়াই চালাবে। আরও পড়তে পারেন: সামাজিক যোগাযোগ খাতে বিশাল প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে ফেসবুক কারণ যখন তারা হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইন্সটাগ্রাম কিনেছে, তখন কোন আপত্তি করেনি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, এখন এরকম কিছু করা হলে ব্যবসায়িক সমাজের জন্য সেটা ক্ষতিকর হবে। প্রযুক্তি বিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, তার মতে, ফেসবুক হয়তো ভাঙ্গন ঠেকাতে সক্ষম হবে। যুক্তরাজ্যের অফিস অফ ফেয়ার ট্রেডিং- এর সাবেক প্রধান জন ফিঙলেটন বলছেন, ''একচেটিয়া ব্যবসা করার মামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট অনেক বেশি সন্দেহ প্রবণ।'' ''আদালতের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই যখন তারা বলছে যে তারা ফেসবুককে ভেঙ্গে দিতে চায়, তার মানে হলো এটা আসলে যতটা না অর্থনীতি এবং আইনের ব্যাপার, তারচেয়েও বেশি হচ্ছে রাজনীতি,'' তিনি বলছেন। তবে জন ফিঙলেটন এবং ড্যামিয়ান কলিন্স, দুজনেই বিশ্বাস করেন একটি দীর্ঘ আইনি লড়াই ফেসবুক এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার ধরনের ওপর বেশ প্রভাব ফেলবে। ব্রিটিশ এমপি ড্যামিয়ান কলিন্স মনে করেন, সামাজিক মাধ্যমের এই বিশাল প্রতিষ্ঠানটি অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছোট প্রতিষ্ঠানকে আগের মতো আর কিনে নিতে বা ভেঙ্গে দিতে পারবে না। বরং আরও বেশি সৃষ্টিশীল হবে। মি. ফিঙলেটন বলছেন, ''গত ৩০/৪০ বছর ধরে আমরা দেখে আসছি, গ্রাহকদের সুরক্ষার ব্যাপারে প্রতিযোগিতা চলেছে, কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বীদের সুরক্ষা নিয়ে নয়। কিন্তু এখন এমন অনেক মামলা দেখা যাচ্ছে, যেখানে বাজারে সুষম প্রতিযোগিতার দাবি করা হচ্ছে। '' এর আগে নিয়ন্ত্রণকদের সঙ্গে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের যেসব বিরোধের ঘটনা ঘটেছে, তা থেকে ফেসবুকের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে হয়তো একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে। মাইক্রোসফটকে যখন ভেঙ্গে দিতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ, তারা এ নিয়ে দীর্ঘদিন মামলা লড়েছে। তারা ভাঙ্গন এড়াতে পেরেছে। কিন্তু বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেছে এবং তাদেরকে এখন আর প্রতিযোগিতা-বিরোধী হিসাবে দেখা হয় না। নিয়ন্ত্রকরাও তাদের নিয়ে আর ভাবে না। ফেসবুক হয়তো আশা করতে পারে যে, সেই ইতিহাসেরই আবার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: গোপন বৈঠকে মেজর সিনহাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়: র‌্যাব 'রাজাকার' এর সাথে তুলনা করায় প্রতিবাদ হেফাজতের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা: মঞ্জুরি কমিশনের কিছু শর্ত ভুটান ও ইসরায়েল যেভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলল
In a landmark lawsuit, US regulators have accused Facebook of buying up rivals in order to stifle competition.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত দেশটিতে সমকামিতাকে বৈধতা দিয়েছে। প্রতীকী ছবি কিন্তু গ্রামীণ এলাকার এলজিবিটি সম্প্রদায়ের বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাদের সম্পর্কে মানুষের ধারণা বদলাতে এখনো অনেক সময় বাকী বলে মনে করেন তারা। এখানে ভারতের গ্রামীণ এলাকার তিনজন সমকামী মানুষ তাদের জীবনের কথা তুলে ধরেছেন: অরুণ কুমার(বয়স ২৮ বছর) উত্তর প্রদেশ থেকে- আমি আদালতের সিদ্ধান্তে সত্যিই ভীষণ আনন্দিত। এটা শহর এলাকার মানুষদের আইনের কোনও ভয় ছাড়াই নিজেদের প্রকাশের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। কিন্তু দু:খজনকভাবে যারা আমার মত গ্রামে বাস করে তাদরে জন্য বিষয়টি ভিন্ন। এখানে আমরা যে বিষয়টিকে ভয় পাই সেটি আইন নয়, সেটি হল মানুষের ধারণা- যা আমাদের বিপদে ফেলে। আমি আশা করি, এই রায় সম্পর্কে মিডিয়ার প্রচার মানুষকে এটা বোঝাতে সাহায্য করবে যে, সমকামিতা স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। কিন্তু এলজিবিটি সম্প্রদায়কে এই আতঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দীর্ঘ সময় লড়াই চালিয়ে যেতে হয়েছে। আমি আমার পুরো জীবনটাই আতঙ্ক-ভয় নিয়ে পার করছি এবং সম্ভবত অদূর ভবিষ্যতে এ অবস্থার কোন হেরফের হচ্ছে না। আমার বয়স তখন ১৪ বছর। সেসময় আমি বুঝতে পারলাম যে ছেলেদের প্রতি আমি আকর্ষণ অনুভব করছি। প্রাথমিকভাবে আমি কনফিউজড ছিলাম। আমি চেষ্টা করতাম এসব না ভাবতে। কিন্তু এই অনুভূতি আমাকে তাড়া করতো, তখন এক বন্ধুর সাথে বিষয়টি আলাপ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু তার প্রতিক্রিয়া আমাকে স্তব্ধ করে দিল। সে বললো, সমকামিতা নিয়ে ভাবাও ন্যক্কারজনক। সে আমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করলো এবং এরপর থেকে আমাদের কথা-বার্তাও বন্ধ হয়ে গেলো। এরপর অনেক বছর আমি আমার যৌনতা নিয়ে কারো সাথে কথা বলিনি। যখন আমার খারাপ লাগতো আমি মাঠে চলে যেতাম এবং গাছপালার সাথে কথা বলতাম। তারা আমার বন্ধু হয়ে গেল। আমি এখনো তাদের সাথে কথা বলি। আমার বয়স যখন ১৮ তখন কাছের এক শহরে চলে যাই লেখাপড়ার স্বার্থে। কিন্তু কোনকিছুর পরিবর্তন হল না। আমি হতাশ হয়ে পড়ি এবং এমন হল যে পৃথিবী তখন আমার কাছে কোন অর্থ বহন করছিল না। ভারতের গ্রামাঞ্চলের সমকামী মানুষদের জন্য বিষয়টি ততটা সহজ নয়। সবসময় আমার মধ্যে অপরাধ-বোধ কাজ করতো কিন্তু কেন- তা জানা ছিল না। আমি খারাপ কোনকিছু করিনি। একজন শিক্ষক যাকে অনেকটা বন্ধু-ভাবাপন্ন বলে মনে হতো অনেক সাহস করে তাকে বিষয়টি জানালাম। ভেবেছিলাম তিনি বিষয়টি বুঝবেন, কিন্তু সেটা ছিল ভুল। সেই শিক্ষক আমার বাবা-মাকে খবর দিলেন এবং তারা আমাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন। আমার বাবা প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন এটা একধরনের রোগ যা হয়তো সেরে যেতে পারে। তিনি আমাকে হাতুড়ে ডাক্তার ও ওঝাদের কাছে নিয়ে গেলেন। তারা আমার ওপর সব ধরনের টোটকা ঝাড়ফুঁক চালালো। একজন বললেন সাতদিন আমাকে তালাবন্ধ ঘরের ভেতর রাখতে হবে। আমার বাবা সেটাই করলেন। এখনো আমি এই গ্রামেই আছি। তবে বড় শহরে একটি চাকরির প্রস্তাব পেয়েছি আমি। আশা করি সবকিছু বদলাবে একদিন। আমি একজন সঙ্গী চাই। আমি ভালবাসতে চাই এবং কারও ভালবাসার মানুষ হতে চাই। কিরণ যাদব(বয়স ৩০ বছর) বিহারের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ থেকে--- বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৭৭ ধারা সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না। এমনকি আমি সমকামিতা যে অপরাধ তাও জানতাম না। আমি কেবল জানতাম বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামে লেসবিয়ান নারী হিসেবে আমার কোনও স্থান হবে না। আদালতের রুলিং নিয়ে আমি খুব খুশি কিন্তু সেটা আমাকে কোন সাহায্য করছেনা। আমি আশা করি একটা আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে যা প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছাবে। যখন আমার বয়স ১৫ তখন বুঝতে পারলাম যে আমি লেসবিয়ান। এর আগ পর্যন্ত ছোট্ট একটি মেয়ে ছিলাম, কখনো মেয়েদের মত পোশাক আমি পছন্দ করতাম না। গ্রামের ছেলেদের মত আমি ট্রাউজার এবং শার্ট পরতে পছন্দ করতাম। আমার বাবা-মা বিষয়টি নিয়ে কখনো বাধা দেয়নি। আমার ভাই ছিলনা তাই তারা আমাকে তাদের ছেলের মতই দেখেছেন এবং ছেলেদের মত পোশাক পরায় তারা কিছুই মনে করেননি। কিন্তু তারা আমার সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশন সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। "পুত্রসন্তান না থাকায় বাবা-মা আমাকে দেখতো ছেলের মত করে, ফলে আমার পোশাক নিয়ে তারা মাথা ঘামায়নি" সত্যি বলতে আমিও বেশিকিছু জানতাম না। আমি কেবল বুঝতাম যে মেয়েদের প্রতি আমি আকর্ষণ অনুভব করি এবং এটাও বুঝতাম যে বিষয়টি সঠিক নয়। সুতরাং কখনো আমি বাবা-মাকে জানাই নি। তারা এখনো কিছু জানে না। আমার ঘনিষ্ঠ কেউই জানেনা। বিয়ে-শাদীর অনুষ্ঠানের সময় আমি অনেক সুন্দরী মেয়েদের দেখি কিন্তু কখনো সাহস করে তাদের সাথে কথা বলতে পারি নি। আমার বয়স যখন ২০ বছর, আমি নিজেকে প্রকাশ করার একটা সুযোগ পেলাম। গ্রামের কারও সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারছিলাম না। কিন্তু মোবাইল ফোন এসে আমাকে বাঁচিয়ে দিল। আমি বিভিন্ন ফোন নম্বরে র‍্যানডম কল করতাম এবং অচেনা লোকজনকে আমার গল্প বলতে থাকতাম। একবার একটি মেয়ে বললো যে, আমার কণ্ঠস্বর তার খুব ভাল লেগেছে। এটা আমাকে গর্বিত করলো। এটাই ছিল প্রথম কোন মেয়ের কাছ থেকে পাওয়া প্রশংসা। এগুলোই ছিল আনন্দের ক্ষণস্থায়ী কিছু মুহূর্ত। এছাড়া আমি যেন আবার বেদনার গভীর খাদে বাস করতাম। যখন আমার বয়স ২৪, তখন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলাম। বাবা-মা ভেবেছিল বিয়ে না হওয়ায় আমি হতাশ হয়ে পড়েছি। কয়েক সপ্তাহ পরে তারা আমাকে বিয়ে দিয়ে দিল। কিন্তু এক বছরের মধ্যে আমার বিয়ে ভেঙে গেল। সময়ের সাথে সাথে বেঁচে থাকার ইচ্ছা হারিয়ে গেল আমার। প্রতিটি দিন ছিল কঠিন। আমার জীবনের ৩০টি বছর কেটে গেছে কোন একজন সঙ্গী ছাড়া। এখন আমি কেবল একটি কাজ চাই বেঁচে থাকার জন্য। একজন সঙ্গীর দেখা পাবো সে আশা ছেড়েই দিয়েছি কারণ আমি যে লেসবিয়ান সে কথা খোলাখুলি কাউকে বলতে পর্যন্ত পারিনি কখনোই। রাহুল সিং(৩২ বছর) বিহার থেকে- আদালতের রায়কে স্বাগত জানাই। কিন্তু ৩৭৭ ধারা কখনোই আমার জন্য কোন সমস্যা ছিলনা। আমার গ্রামে এই কারণে কাউকে কোনদিন পুলিশ হেনস্থা করেনি। যেটা এখানে সমস্যার কারণ সেটি হল - সমাজ। যখন ১৬ বছরে পদার্পণ করি তখনই বুঝতে পারি যে আমি সমকামী। দুইবছর পরে আমি বিয়ে করি। বাবা-মা কিংবা স্ত্রী কারো কাছেই বলতে পারিনি। কেবল নিজেকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখানোর ভান করেছি। এখন আমার দুই ছেলে। কিন্তু বিষয়টি নিজের স্ত্রীকে বলতে না পারায় আমি গভীরভাবে অনুতপ্ত। সে এখন জানে যে আমি সমকামী কিন্তু বাচ্চাদের কথা ভেবে সে এখনো আমার সাথে আছে। সঙ্গী খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। বড় শহর ছাড়া এসব এলাকায় সমকামী সংগঠন বা ক্লাব নেই। অল্প কিছু সংখ্যক সমকামী লোকজনকে চিনি কিন্তু তারা সবাই সমকামিতার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে সমাজ থেকে একঘরে হওয়ার ভয়ে আতঙ্কের মধ্যে বাস করছে । নিজের স্ত্রীকে না বলায় অপরাধ বোধ কাজ করে এই তরুণের। লোকজনের বিশ্বাস সমকামীদের সম্মান বা ভালবাসা কোনটাই পাওয়ার অধিকার নেই। এটা এক কঠিন জীবন। আমি কতটা ভাল বা কতটা সহযোগিতাপূর্ণ সেটা কোন ব্যাপার নয়। যখন তারা জানবে আমি সমকামী তারা আমাকে ত্যাগ করবে। কেউ কেউ হয়তো সহানুভূতিশীল কিন্তু তারা এখনো মনে করে এটা একধরনের রোগ যার চিকিৎসা প্রয়োজন। কেউ বুঝতে চেষ্টা করেনা কেন আমরা এমন। এভাবে বেঁচে থাকলে বারবার ভেঙে পড়বেন। সবসময় মনে হয় কেউ আমার দিকে এগিয়ে আসবে আমাকে হয়তো মারবে বা খুব খারাপ কিছু করবে কারণ আমি সমকামী। আমার ভয়, আমাদের বাচ্চারা যখন বড় হবে তাদের নিপীড়িত হতে হবে। একবার আমি পালিয়েছি। মাঝে মাঝে সব ত্যাগ করতে ইচ্ছে হয় কিন্তু বাচ্চাদের কথা ভাবি। পেছনে ফিরে তাকালে ভাবি যদি বাবা-মাকে বলার সাহস থাকতো...আমি হয়তো বিয়েই করতাম না। যারা কাউন্সিলিং করে তাদের কাছে যাওয়ার সুযোগ যদি হতো... (বিবিসির বিকাশ পান্ডের প্রতিবেদন থেকে। এখানে সমকামী প্রত্যেকের ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে)।
The Supreme Court's decision to make gay sex legal in India has been hailed as historic.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
ভার্জিনিয়া বিচ মিউনিসিপাল সেন্টারে গুলি করতে শুরু করে একজন বন্দুকধারী, যেখানে সরকারি কয়েকটি ভবন রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী, ভার্জিনিয়া বিচ সিটির একজন কর্মী কোনরকম বাছবিচার না করেই সরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানের ওই ভবনটিতে গুলি চালিয়েছে। হামলাকারী ব্যক্তিও স্থানীয় সরকারের ওই কার্যালয়ে দীর্ঘদিনের কর্মী হিসাবে কাজ করতেন। পরে পুলিশের গুলিতে ওই বন্দুকধারীও মারা যায়। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। আহত ছয়জনের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বিশ্বকাপ নিয়ে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার ভাবনা কী? উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর? ইয়াবা গডফাদার: নাফ নদীতে শুরু, নাফ নদীতেই শেষ কারাবন্দির মৃত্যুর জবাব চায় মানবাধিকার কমিশন পুলিশের পাল্টা গুলিতে বন্দুকধারীও নিহত হয়েছে জানা যাচ্ছে, স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার দিকে ভার্জিনিয়া বিচ মিউনিসিপাল সেন্টারে গুলি করতে শুরু করে বন্দুকধারী ওই ব্যক্তি। এখানে সরকারি কয়েকটি ভবন রয়েছে। এরপরেই পুলিশ এসে ভবনটি ঘিরে ফেলে এবং প্রতিষ্ঠানটিকে খালি করে ফেলতে শুরু করে। পুলিশ প্রধান জেমস কের্ভেরা জানিয়েছেন, বন্দুকধারী পুলিশকে লক্ষ্য করেও গুলি করতে শুরু করে। এ সময় পুলিশের পাল্টা গুলিতে তিনি নিহত হন। হামলাকারী একাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার ঘটনা নিয়ে গবেষণাকারী ওয়েবসাইট গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ-এর তথ্য অনুযায়ী, এটি ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১৫০তম ব্যাপক গুলিবর্ষণের ঘটনা।
At least 12 people were killed and several injured on Friday in a mass shooting at a government building in the US state of Virginia.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
শনিবারই কজন ইরাকি নাগরিককে আমেরিকাগামী বিমানে উঠতে দেয়া হয়নি। জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরের সামনে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হচ্ছেন, আটক হওয়া শরনার্থীদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন। সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা নিষিদ্ধ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাহী আদেশ জারি করার পর থেকে বিভিন্ন বিমানবন্দরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। নিউ ইয়র্কের বিমানবন্দরে যে এগারোজনকে আটক করা হয়েছে তারা ততক্ষণে ট্রানজিটে পৌঁছে গিয়েছিলেন, এবং সেখানেই তাদের আটক করা হয়। যদিও আটকের সংখ্যাটি খুব বড় নয় কিন্তু এই নির্দেশনার ফলে বহু মানুষের ওপর প্রভাব পড়বে। শনিবারই ইরাকের ৫ জন এবং ইয়েমেনের একজন নাগরিককে কায়রোর এক বিমান বন্দরে বৈধ ভিসা থাকা সত্বেও আমেরিকাগামী বিমানে উঠতে দেয়া হয়নি। আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে আটকে যাচ্ছেন ৭ মুসলিম দেশের লোকেরা সাত দেশের মুসলিমদের আমেরিকায় ঢোকা 'নিষিদ্ধ' যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থাকা কর্মীদের ফিরতে বলেছে গুগল মি: ট্রাম্পের ভাষায়, 'উগ্র ইসলামী সন্ত্রাসীদের আমেরিকায় ঢোকা' বন্ধ করতেই পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই নির্দেশনা আসার পর মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিরোধিতা ও সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে। কয়েকজন মার্কিন আইনজীবী নতুন বিধিনিষেধগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মি: ট্রাম্পের নির্দেশনা অনুসারে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সিরিয়া থেকে পালানো মানুষদের যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যান্য যেসব মুসলিম দেশের অভিাসীদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর অবস্থান নিয়েছে, সেগুলো হচ্ছে ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। এর ফলে এইসব দেশ থেকে অঅসা যাদের বৈধ ভিসা রয়েছে তাদের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও এই কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। অর্থাৎ কোনও ব্রিটিশ নাগরিক যদি একউসঙ্গে ইরাকেরও নাগরিক হন, তবে তিনি আমেরিকায় ঢুকতে পারবেন না। মি: ট্রাম্পের ভাষায়, 'উগ্র ইসলামী সন্ত্রাসীদের আমেরিকায় ঢোকা' বন্ধ করতেই এ পদক্ষেপ।
Refugees arriving in the US are being held at airports after President Donald Trump issued an order barring migrants and refugees from several Muslim countries.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ডিএনএ পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র: করোনাভাইরাসের টিকা মানুষের শরীরের ডিএনএ পরিবর্তন করে দেবে এরকম একটা কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছে। বিবিসি এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিল তিনজন স্বতন্ত্র বিজ্ঞানীর কাছে। তারা বলেছেন, করোনাভাইরাসের টিকা মানবদেহের ডিএনএ-তে কোন পরিবর্তন ঘটায় না। করোনাভাইরাসের যেসব নতুন টিকা তৈরি করা হয়েছে তাতে ভাইরাসটির একটি জেনেটিক উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। এটিকে বলা হয় মেসেঞ্জার আরএনএ। ব্রিটেনে সদ্য অনুমোদন করা ফাইজার এবং বায়োএনটেকের টিকাটিও একইভাবে তৈরি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর জেফরি অ্যালমন্ড বলছেন, "একজনের শরীরে যখন ইনজেকশনের মাধ্যমে আরএনএ ঢুকিয়ে দেয়া হয়, তখন এটি মানবকোষের ডিএনএ-তে কোন প্রভাবই ফেলে না।" এই টিকা আসলে কাজ করে মানুষের শরীরকে এক ধরনের নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে। এই নির্দেশনার মাধ্যমে এমন এক ধরনের প্রোটিন তৈরি হয়, যা করোনাভাইরাসের উপরিভাগে থাকে। মানুষের শরীরের যে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, এটি তখন এরকম প্রোটিন শনাক্ত করে এবং এর বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরি করতে পারে। বিল গেটস একটি টিকা ব্যবহার করে মানুষের ডিএনএ বদলে দিতে চান এমন দাবি ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা মানুষের শরীরের ডিএনএ-তে পরিবর্তন ঘটিয়ে দেবে, এমন দাবি আমরা এর আগেও যাচাই করে দেখেছি। গত মে মাসে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সেখানেও এধরণের দাবি করা হয়েছিল। তখনও আমরা এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছি। তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্টে দাবি করা হয়েছিল যে আরএনএ (এমআরএনএ) ভ্যাকসিন প্রযুক্তি এর আগে কখনো পরীক্ষা করা হয়নি এবং অনুমোদনও করা হয়নি। এটি সত্য যে, বর্তমান সময়ের আগে এমআরএনএ টিকা কখনও অনুমোদন করা হয়নি। তবে গত কয়েক বছরে মানুষের শরীরে এমআরএনএ টিকা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। আর করোনাভাইরাসের মহামারি শুরু হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে এই টিকার পরীক্ষা চালানো হয়েছে হাজার হাজার মানুষের ওপর। অনুমোদনের জন্য এই টিকাকে খুবই কঠোর এক যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। যে কোন নতুন টিকা অনুমোদন পেতে গেলে যেসব নিরাপত্তার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়, এই নতুন টিকার ক্ষেত্রেও তাই করতে হয়েছে, যাতে করে এটিকে গণহারে ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা যায়। আরও পড়ুন: যখন কোন টিকার প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলে, তখন সেটি অল্পসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকের উপর করা হয়। এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য থাকে টিকাটি নিরাপদ কি-না এবং কী পরিমাণ ডোজ প্রয়োগ করতে হবে। তবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে এসব টিকা পরীক্ষা করা হয় হাজার হাজার মানুষের ওপর। এই পর্যায়ের পরীক্ষায় দেখা হয় টিকাটি আসলে কতটা কার্যকর। এই পর্যায়ে যাদের ওপর টিকাটির পরীক্ষা চলে তাদের দুভাগে ভাগ করা হয়। একটি গ্রুপকে টিকা দেয়া হয়। আর দ্বিতীয় গ্রুপকে দেয়া হয় প্লাসিবো, অর্থাৎ তাদের টিকা দেয়া হয়েছে বলে বলা হলেও সেখানে আসলে টিকা থাকে না। এরপর এই দুটি গ্রুপের লোককেই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয় কোন ধরণের বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে কীনা তা দেখার জন্য। আর একটি টিকা অনুমোদন পাওয়ার পরও কিন্তু এটি নিরাপদ কি-না, তা নিয়ে পরীক্ষা অব্যাহত থাকে। বিল গেটস এবং মাইক্রোচিপ বিষয়ক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব টিকা নিয়ে আরেকটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এতে দাবি করা হচ্ছে যে করোনাভাইরাস মহামারি আসলে একটি ষড়যন্ত্র। এর উদ্দেশ্য মানুষের শরীরে এমন একটি মাইক্রোচিপ ঢুকিয়ে দেয়া যেটি সারাক্ষণ মানুষকে পর্যবেক্ষণে রাখতে পারবে। বলা হচ্ছে এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে আছেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। এরকম কোন ভ্যাকসিন মাইক্রোচিপ আসলে নেই এবং এমন কোন প্রমানও নেই যে বিল গেটস ভবিষ্যতের জন্য এরকম কোন ষড়যন্ত্র করছেন। 'দ্য বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন' বিবিসিকে জানিয়েছে এই দাবি পুরোপুরি মিথ্যা। একজন টিকটকে একটি ভিডিও তৈরি করেছেন যাতে দেখানো হচ্ছে শরীরে মাইক্রোচিপ ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে গত মার্চ মাসে যখন বিল গেটস এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন শেষ পর্যন্ত আমাদের এক ধরনের ডিজিটাল সার্টিফিকেটের দরকার হবে, তখন এই গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি বলেছিলেন, করোনাভাইরাস থেকে কে সেরে উঠেছে, কাকে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং কে এই রোগের টিকা পেয়েছে সেটা জানার জন্যই এই ডিজিটাল সার্টিফিকেটের দরকার হবে। তার সাক্ষাৎকারে তিনি কোন ধরণের মাইক্রোচিপের কথা উল্লেখই করেন নি। কিন্তু এই ঘটনার পর ব্যাপকভাবে শেয়ার করা একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল: "করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিল গেটস মাইক্রোচিপ ইমপ্লান্ট ব্যবহার করবেন।" এই প্রতিবেদনে গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থে পরিচালিত একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছিল। গবেষণাটি ছিল এমন এক প্রযুক্তি নিয়ে, যার মাধ্যমে কাউকে ইনজেকশনের মাধ্যমে টিকা দেয়ার সময়েই বিশেষ এক কালিতে সেই টিকা দেয়ার রেকর্ড সংরক্ষণ করে রাখা যাবে। এই প্রযুক্তি কোন মাইক্রোচিপ নয় এটি বরং অনেকটা একটা অদৃশ্য ট্যাটু বা উল্কির মত। "এটি এখনও চালু করা হয়নি এবং এই প্রযুক্তি দিয়ে লোকজনকে ট্র্যাক করা অর্থাৎ তাদের ওপর নজরদারি চালানো সম্ভব নয়। আর কারও কোন ব্যক্তিগত তথ্যও এর মাধ্যমে ডেটাবেজে ঢোকানো হবে না," বলছেন এই গবেষণার সঙ্গে জড়িত একজন গবেষক আনা জ্যাকলেনেক। এবারের মহামারিতে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস সম্পর্কে আরো বহু ধরনের গুজব ছড়ানো হয়েছে। বিল গেটস প্রতিষ্ঠিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান মূলত কাজ করে জনস্বাস্থ্য এবং টিকা উদ্ভাবন নিয়ে। একারণেই তিনি এই ধরনের গুজবের টার্গেট হয়েছেন। এসব গুজবের ব্যাপারে কোন প্রমাণ না থাকার পরও গত মে মাসে ১৬৪০ জন লোকের উপর জরিপ প্রতিষ্ঠান ইউগাভ পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে ২৮ শতাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করেন মিস্টার গেটস লোকজনের শরীরে মাইক্রোচিপ ঢোকানোর জন্য টিকা ব্যবহার করতে চান। একই জরিপে দেখা গেছে, রিপাবলিকান সমর্থক লোকজনের মধ্যে এরকম ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসী লোকের সংখ্যা আরো বেশি, ৪৪ শতাংশ। মানব ভ্রূণের কোষ নিয়ে গুজব আমরা এরকম অনেক দাবিও দেখেছি যাতে বলা হয়েছে এই টিকায় গর্ভপাত করা একটি মানবভ্রুণের ফুসফুসের টিস্যু রয়েছে। এই এই দাবিটি ও মিথ্যে। ইউনিভার্সিটি অফ সাউদাম্পটনের ডক্টর মাইকেল হেড বলছেন, টিকা তৈরির প্রক্রিয়ায় কোন ধরনের মানবভ্রূণের কোষ ব্যবহার করা হয়না। টিকা বিরোধী সবচাইতে বড় একটি ফেসবুক গ্রুপের পাতায় একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছিল যাতে এমন একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এটিতে ধারাভাষ্যদানকারী ব্যক্তি দাবি করছেন অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করা টিকার মধ্যে আসলে যে কী আছে, এই গবেষণাটি তারই প্রমাণ। কিন্তু এই ভিডিওতে ধারাভাষ্যদানকারী ব্যক্তি যে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন তা ভুল। যে গবেষণার কথা উল্লেখ করা হচ্ছে সেটিতে আসলে দেখা হয়েছে, কোন গবেষণাগারে মানবকোষে যখন টিকাটি প্রয়োগ করা হচ্ছে, তখন সেখানে কী প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। এটি নিয়ে এরকম বিভ্রান্তির কারণ হয়তো এ কারণে যে, টিকা তৈরির প্রক্রিয়ায় এমন একটি ধাপ আছে, যেখানে পরীক্ষার কাজে গবেষণাগারে তৈরি কোষ ব্যবহার করা হয়। এই কোষগুলো গবেষণাগারে তৈরি করা হয় এমন ভ্রুণকোষ থেকে, যা হয়তো পরীক্ষার কাজে না লাগালে নষ্ট করে ফেলা হতো। গবেষণাগারে কোষ তৈরির এই কৌশলটি উদ্ভাবন করা হয়েছে ১৯৬০ এর দশকে। এই গবেষণার জন্য কোন মানবভ্রুণই হত্যা করা হয়নি। ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির ডক্টর ডেভিড ম্যাথিউজ বলছেন, অনেক টিকাই কিন্তু এভাবে তৈরি করা হয়। তিনি বলছেন, টিকার মধ্যে কোষের যে অবশেষ থেকে যায়, সেটা কিন্তু পুরোপুরি অপসারণ করা হয়। এই কাজটি করা হয় খুবই উচ্চ মান বজায় রেখে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকাটি যারা তৈরি করেছেন, তারা বলছেন তারা ক্লোন করা মানবকোষ নিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু এই কোষগুলো গর্ভপাত করা মানবশিশুর কোষ নয়। গবেষণার কাজে ব্যবহৃত মানবকোষগুলো আসলে একটি কারখানার মত, যেখানে ভাইরাসের খুবই দুর্বল একটি রূপ উৎপাদন করা হয়। এই দুর্বল ভাইরাসটিকে আবার ব্যবহার করা হয় টিকা তৈরির কাজে। তবে এই দুর্বল ভাইরাসগুলো যদিও এ ধরনের ক্লোন করা কোষ থেকে তৈরি হয়, ভাইরাসটিকে বিশুদ্ধ করার সময় সেটি থেকে এই কোষের উপাদানগুলো পুরোপুরি অপসারণ করা হয়। টিকা তৈরির কাজে এই কোষের কোন উপাদান ব্যবহার করা হয় না। করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠার হার বিষয়ক দাবি কোভিড-১৯ এর টিকার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সমস্ত পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে, সেখানে এরকম কিছু যুক্তি আমরা দেখেছি যাতে প্রশ্ন করা হচ্ছে এই ভাইরাস থেকে মৃত্যুর হার যেখানে খুবই কম, সেখানে কেন আমাদের এই টিকা নিতে হবে। যারা এই টিকার বিরোধিতা করছেন তারা একটি মিম শেয়ার করেছেন, যেখানে দাবি করা হচ্ছে ৯৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ মানুষই করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠেন। তাদের যুক্তি হচ্ছে, করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার চেয়ে এতে আক্রান্ত হওয়াটাই আসলে অনেক বেশি নিরাপদ বিকল্প। টিকার ব্যাপারে মিথ্যে দাবি সম্বলিত একটি মিম যাতে র‍্যাপার ড্রেকের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে শুরুতেই বলতে হয়, এখানে আক্রান্ত হওয়া মানুষদের মধ্য থেকে সেরে উঠা মানুষের যে পরিসংখ্যানটি উল্লেখ করা হচ্ছে, সেটি সঠিক নয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন পরিসংখ্যানবিদ জেসন ওক বলছেন, যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ৯৯ শতাংশ সেরে উঠেছেন। এর মানে হচ্ছে আক্রান্ত প্রতি দশ হাজার লোকের মধ্যে ১০০ জন মানুষ মারা যাবেন। অথচ সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে পড়া মিমে বলা হচ্ছিল প্রতি দশ হাজার আক্রান্তের মধ্যে মাত্র তিন জন মারা যাবেন। সেটি আসলে ভুল। মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। তবে মিস্টার ওক একটা কথা বলছেন, যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই করোনাভাইরাসে মৃত্যুর ঝুঁকি নির্ভর করে বয়সের উপর এবং এই ঝুঁকির ক্ষেত্রে স্বল্প এবং দীর্ঘকালীন অসুস্থতা বিবেচনায় নেয়া হয় না। আর এটা তো শুধু বেঁচে যাওয়ার ব্যাপার নয়। মারা যাওয়া প্রতিটি মানুষের বিপরীতে যারা বেঁচে যাচ্ছেন তাদের কিন্তু খুবই নিবিড় পরিচর্যার ভেতর রাখতে হচ্ছে এবং যারা সেরে উঠছেন তাদেরকে অনেক দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এর ফলে কোভিড রোগীদের চাপে অনেক স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি হতে পারে। হাসপাতালগুলোর যে সীমিত সম্পদ, তা দিয়ে অন্যান্য রোগীদের এবং অন্যান্য অসুস্থতা এবং আঘাতের চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক লিয়াম স্মিথ বলছেন, কেবলমাত্র মৃত্যুর সংখ্যার উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করলে টিকা দানের আসল উদ্দেশ্যটি কিন্তু হারিয়ে যাবে। তিনি বলছেন টিকা নেয়ার ব্যাপারটিকে দেখতে হবে সমাজে অন্যদেরকে সুরক্ষা দেয়ার উপায় হিসেবে। তিনি বলেন "যুক্তরাজ্যে এই মহামারির সবচেয়ে খারাপ যে ব্যাপারটি, লকডাউন যে জারি করতে হয়েছে, তার কারণ কিন্তু একটাই- করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে। যারা বয়োবৃদ্ধ এবং অসুস্থ হওয়ার কারণে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, যাদের কেয়ার হোমে রাখতে হয়, ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাদের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার আশংকা কিন্তু অনেক বেশি।" প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন ক্রিস ব্র্যামওয়েল, ওলগা রবিনসন এবং মারিয়ানা স্প্রিং
We've looked into some of the most widely shared false vaccine claims - everything from alleged plots to put microchips into people to the supposed re-engineering of our genetic code.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক খাতে সংস্কার পরিকল্পনা রয়েছে মোহাম্মদ বিন সালমানের যা ভিশন ২০৩০ নামে পরিচিত। কিন্তু ২০১৫ সালের পর থেকে বিশ্বের অন্যতম তেল রপ্তানিকারকে দেশের বেশ প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন ৩১ বছর বয়সী মোহাম্মদ বিন সালমান। তাকে আজ বুধবারই সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করেছেন বাদশাহ সালমান। মোহাম্মদ বিন সালমানের জন্ম ১৯৮৫ সালের ৩১শে আগস্ট। বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের তৃতীয় স্ত্রী ফাহদা বিনতে ফালাহ বিন সুলতানের সন্তান মোহাম্মদ বিন সালমান। রাজধানী রিয়াদের কিং সৌদ ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করার পর বিভিন্ন রাষ্ট্র সংস্থায় কাজ করেছেন। ২০০৯ সালে তাঁর বাবার বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান মোহাম্মদ বিন সালমান। সেই সময়ে রিয়াদের গর্ভনর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। ২০১৩ সালে যখন মোহাম্মদ বিন সালমানকে যখন মন্ত্রীর মর্যাদাসহ সৌদি রয়্যাল কোর্টের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন তখন থেকেই ক্ষমতায় তার উত্থান শুরু হয়। সৎ ভাই বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের মৃত্যুর পর ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে বাদশাহ হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করেন বর্তমান বাদশাহ সালমান, তখন তার বয়স ছিল ৭৯ বছর। তখনই ক্ষমতায় এসে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাদশাহ সালমান, যা বিশ্লেষকদের কিছুটা অবাকও করেছিল। মোহাম্মদ বিন নায়েফ পদ হারিয়ে নতুন যুবরাজের প্রতি তার আনুগত্য প্রকাশ করেছেন বলেও দাবি করছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ক্ষমতায় এসে বাদশাহ সালমান তাঁর ছেলেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফকে ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করেছিলেন। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে ইয়েমেনে সামরিক অভিযান শুরুর পিছনে অন্যতম ভূমিকা ছিল সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের। ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। যদিও দু বছর ধরে চলা এই লড়াইয়ে অগ্রগতি খুব কমই হয়েছে। বরং সৌদি আরব ও মিত্র জোটের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ উঠেছে এবং আরব বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে মানব সংকট তৈরির জন্যও তাদের দায়ী করা হচ্ছে। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসেই বাদশাহ সালমানের আরেক দফা রদবদলের সিদ্ধান্ত বিশ্ববাসীকে অবাক করে, ওই মাসে তিনি তাঁর ছেলেকে ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করেন এবং তাঁর ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফকে ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করেন। ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স হলেও মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের তেল নীতি বাস্তবায়ন ও ব্যবসা পরিকল্পনা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছিলেন। পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ অস্ত্র আমদানিকারক এই দেশের বিপুল প্রতিরক্ষা বাজেটও ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্যও তাঁর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনাও প্রকাশ করেছেন, যা ভিশন ২০৩০ নামে পরিচিত। তিনি অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় বেশ কিছু সংস্কার প্রস্তাবও আনেন। এমনকি তেলখাতে ভর্তুকি কাঁটছাঁটের কথা উল্লেখ রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত তেল কোম্পানি 'সৌদি আরামকো'র কিছু অংশ বিক্রি করে সেই অর্থ দিয়ে একটি সার্বভৌম বিনিয়োগ তহবিল তৈরির পরিকল্পনাও দেন তিনি। এছাড়া বাদশাহ সালমানের প্রতিনিধি হিসেবেও বেশ কয়েকটি দেশে সফর করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। বেইজিং, মস্কোসহ ওয়াশিংটনেও গিয়েছেন তিনি। মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন মোহাম্মদ বিন সালমান। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরবের রাজনীতিতে মোহাম্মদ বিন সালমানের অতি দ্রুত উত্থান বেশ চমক সৃষ্টি করেছে। মোহাম্মদ বিন সালমানকে আজ ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করার পর সৌদি বাদশাহ নতুন যুবরাজের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। মোহাম্মদ বিন নায়েফ পদ হারিয়ে নতুন যুবরাজের প্রতি তার আনুগত্য প্রকাশ করেছেন বলেও দাবি করছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। নতুন যুবরাজ ঘোষণার মাধ্যমে সৌদি আরবের ক্ষমতা কাঠামোতে বড় ধরণের পরিবর্তন আনলেন বাদশাহ সালমান। কারণ সৌদি আরবে যুবরাজই দেশটির সর্বোচ্চ পদটির উত্তরসুরী। ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফকে সরিয়ে নিজ পুত্র মোহাম্মদ বিন সালমানকে ক্রাউন প্রিন্স বা যুবরাজ বানালেন বাদশাহ। মাত্র ৩১ বছর বয়সী মোহাম্মদ বিন সালমান একই সাথে উপপ্রধানমন্ত্রী হবেন এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করে যাবেন। সৌদি রাজতন্ত্রের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কোন বাদশাহ নিজ ছেলেকে যুবরাজ বানালেন। বর্তমান বাদশাহ'র পর যুবরাজই পরবর্তীতে দেশটির বাদশাহ হবেন। আরো পড়ুন: আলোচিত অভিনেত্রী হ্যাপি যেভাবে 'আমাতুল্লাহ' হলেন আয়কর দিলে কি মুসলিমদের যাকাত দিতে হয়? কাতার সংকটে যেভাবে শাস্তি পাবে গাজায় ফিলিস্তিনিরা সাদ্দামের ফাঁসির সময়ে কেঁদেছিলেন যে মার্কিন সৈন্যরা
Few people outside Saudi Arabia had heard of Mohammed bin Salman Al Saud before his father became king in 2015. But now, the 35-year-old crown prince is considered the de facto ruler of the world's leading oil exporter.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
ট্রাম্প প্রশাসনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে সুপ্রিম কোর্ট সমর্থন দেয়ায় প্রতিবাদ এটি মিস্টার ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগগুলোর মধ্যে একটি। ফলে একে তিনি মন্তব্য করেছেন 'একটি অসাধারণ সাফল্য' হিসেবে। এর আগে নিম্ন আদালতে এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করা হয়েছিল । এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া এবং ইয়েমেন থেকে অধিকাংশ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধার মুখে পড়বে। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে মিস্টার ট্রাম্প 'জাতি ও সংবিধানের জন্য মহান বিজয়' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। হোয়াইট হাউজে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের এই সময়ে "আমাদের আরও কঠোর হতে হবে এবং আরও নিরাপদে থাকতে হবে"। তিনি আরও বলেন, এই রুলিং প্রমাণ করছে যে মিডিয়া এবং ডেমোক্রেটিক রাজনীতিকদের সবধরনের আক্রমণ ছিল ভুল এবং তারা নিজেরা ভুল হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে। আরো পড়তে পারেন: দক্ষিণ কোরিয়ার পর্ন সাইটের মালিক গ্রেফতার যে কারণে চট্টগ্রামে হেপাটাইটিস 'ই' প্রকোপ গাজীপুর সিটি নির্বাচন: অনিয়মের নানা অভিযোগ নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া এবং ইয়েমেন থেকে লোকজন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধার মুখে পড়বে। সেইসাথে তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখবেন, তারা এই মুহূর্তে তাদের অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করার জন্য সাক্ষাত করছে। তবে শরণার্থী এবং মানবাধিকার গ্রুপগুলো এর ব্যাপক সমালোচনা করেছে। যদিও একজন বিচারক এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ-বশত উদ্দেশ্যমূলকভাবে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে দোষারোপ করেছেন। তবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যমূলক বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা নাকচ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে এই নিষেধাজ্ঞা জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে নেয়া হচ্ছে । হোয়াইট হাউজ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয় এই রুলিং আমেরিকার জনগণ এবং সংবিধানের জন্য অসাধারণ সাফল্য। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের বাইরে প্রতিবাদ কিন্তু সমালোচকরা মনে করছেন এর মধ্য দিয়ে আমেরিকার ভেতরে মুসলমানদের প্রবেশাধিকার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার জন্য মি. ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার অংশ এটি। সমালোচকরা এটাও বলছেন যে, এর আগে নাইন ইলেভেন হামলা, বোস্টন ম্যারাথন বোমা কিংবা অরল্যান্ডো নাইটক্লাবে হামলা চালিয়েছিল যারা তারা ছিল নিষেধাজ্ঞার তালিকার ভেতরে থাকার পাঁচটি দেশের বাইরের কোনও দেশের যেমন, সৌদি আরব, মিশর, কিরগিজস্থান কিংবা মার্কিন বংশোদ্ভূত কোনও হামলাকারী।
US President Donald Trump has hailed a Supreme Court ruling upholding his travel ban which covers people from several Muslim-majority countries.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ইটালিতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এছাড়া আগামী একমাস ইটালিয়ান ফুটবল লিগসহ সব ধরণের খেলা দর্শক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণে ইটালিতে এ পর্যন্ত ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইটালিতে করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে। দেশটিতে এখনো পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে এখনো পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণে ৩২০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্তে সংখ্যা ৯০ হাজারের বেশি, যাদের বেশিরভাগই চীনে। এ পর্যন্ত বিশ্বের ৮১টি দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে চীন, ইটালি, ইরান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায়। বিবিসির সংবাদদাতা মার্ক লোয়েন জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস বিস্তারের কারণে ইটালির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হোটেল-রেস্টুরেন্টে কার্যত কোন ক্রেতা নেই। ইটালির পর্যটন শিল্পে ৬৫০ কোটি ইউরো ক্ষতি হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। দেশটির মিলান শহরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়েছে। পুরো দেশ থেকে এ শহরকে কার্যত বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। ইটালির শিক্ষামন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, শিক্ষার্থীরা দ্রুত শ্রেণীকক্ষে ফিরে যেতে পারবে। তিনি বলেন, দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের কাছে যাতে সব সুবিধা পৌঁছে দেয়া যায় সে চেষ্টা করা হবে। ইটালির গণমাধ্যম বলেছে, দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্কুল বন্ধ করে দেবার পক্ষে। বুধবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণে ইটালিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ থেকে ৫৬তে উন্নীত হয়েছে, যার বেশিরভাগই মিলান এবং ভেনিসের আশপাশে। সংক্রমণ ঠেকাতে ইটালির সরকার সিনেমা হল, থিয়েটার এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেবার কথা ভাবছে। এছাড়া পরস্পরকে জড়িয়ে ধরা এবং করমর্দন করা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
Italy has confirmed that it will shut all schools from Thursday for 10 days as it battles to contain the coronavirus outbreak.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিক্ষুব্ধ জনতা জড়ো হয়ে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবি জানায়। অন্তত দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে এই বিক্ষোভ হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তার মাধ্যমে এই "অনুপ্রেরণামূলক" বিক্ষোভের প্রতি তার সমর্থন জানিয়েছেন। শনিবার, অর্থাৎ দুর্ঘটনার তিনদিন পরে ইরান এই বিমানটিকে "অনিচ্ছাকৃতভাবে" ভূপাতিত করার বিষয়টি স্বীকার করে। ওই দুর্ঘটনায় বিমাটিতে থাকা ১৭৬জন আরোহী ও ক্রুর সবাই নিহত হয়। ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট পিএস-৭৫২ বুধবার কিয়েভ যাওয়ার উদ্দেশ্যে তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ইরাকের মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরে ওই বিমানটি ভূপাতিত করা হয়। ৩রা জানুয়ারি বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালায় ইরান। বেশ কয়েকজন ইরানি এবং ক্যানাডিয়ানের পাশাপাশি ইউক্রেন, যুক্তরাজ্য, আফগানিস্তান এবং জার্মানি থেকে আসা নাগরিকরা বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া বিমানটিতে ছিলেন। তেহরান থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই বিমানটি ভূ-পাতিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে কি হয়েছে? শিক্ষার্থীরা শরীফ ও আমির কবির নামে অন্তত দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে জড়ো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে তারা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে জড়ো হয়। কিন্তু সন্ধ্যা নাগাদ তা বিক্ষোভে রূপ নেয়। আধা-সরকারি ফার্স নিউজ এজেন্সি এই উত্তেজনায় পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন করতে গিয়ে কিছু বিরল তথ্য দিয়েছে। সংস্থাটি জানায় যে, এক হাজারের বেশি মানুষ দেশটির নেতাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে এবং সোলেইমানির ছবি ছিঁড়েছে। শিক্ষার্থীরা বিমানটি ভূপাতিত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের, এবং যারা এই ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার আহ্বান জানিয়েছে। প্রতিবাদী স্লোগানের মধ্যে ছিল "কমান্ডার-ইন-চিফ পদত্যাগ করুন"। এখানে তারা শীর্ষ নেতা আলি খামেনিকে উদ্দেশ্য করে স্লোগানটি দিয়েছে। এছাড়া "মিথ্যাবাদীদের মৃত্যুদণ্ড দাও" বলেও তারা স্লোগান দেয়। ফার্স জানিয়েছে যে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের "ছত্রভঙ্গ" করে দেয়। বিশেষ করে, যারা রাস্তা অবরোধ করে ছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় যে, বিক্ষোভে টিয়ার গ্যাস ছোড়া হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরাও সরকারের এই পদক্ষেপে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এক ব্যক্তি টুইটারে লিখেছেন: "আমি আমার দেশের কর্তৃপক্ষ, ঘটনাস্থলে থাকা এবং মিথ্যাবাদী লোকদের কখনই ক্ষমা করব না। " তবে সোলেইমানি নিহত হওয়ার পরে তার সমর্থনে গোটা ইরান জুড়ে যে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে, সে তুলনায় এই বিক্ষোভ অনেক ক্ষুদ্র। শিক্ষার্থীরা বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে জড়ো হয়। প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইংরেজি এবং ফারসি দুই ভাষায় টুইট করেছেন: "ইরানের সাহসী ও ভুক্তভোগী জনগণ: আমি আমার রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের শুরু থেকেই আপনাদের পাশে আছি এবং আমার সরকার আপনাদের পাশে থাকবে।" "আমরা আপনাদের প্রতিবাদ নিবিড়ভাবে অনুসরণ করছি। আপনাদের সাহস অনুপ্রেরণা দেয়।" মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরানে বিক্ষোভের ভিডিও টুইট করে বলেন: "ইরানি জনগণের বক্তব্য স্পষ্ট। তারা খামেনির দুর্নীতিবাজ শাসন ব্যবস্থা, বিপ্লবী বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ড- আইআরজিসি এর বর্বরতা, সরকারের মিথ্যাচার, দুর্নীতি ও অদক্ষতায় বিরক্ত। আমরা ইরানি জনগণের পাশে আছি যারা আরও ভাল ভবিষ্যতের প্রাপ্য।" তেহরানের একটি প্রতিবাদে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রব ম্যাকায়ারকে কোন "ভিত্তি বা ব্যাখ্যা ছাড়াই" গ্রেপ্তার করা হয়, যেটা কিনা "আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন"। এর পরে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডোমিনিক রাব একটি কড়া বিবৃতি দেন। আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করার জন্য মিঃ ম্যাকায়ারকে আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। মিঃ রাব বলেছেন যে ইরান "পারিয়া স্ট্যাটাসের দিকে যাত্রা চালিয়ে যেতে পারে ... বা উত্তেজনা নিরসনে পদক্ষেপ নিতে এবং কূটনৈতিক পথে এগিয়ে যেতে পারে"। এরআগে ইরান অস্বীকার করেছিল যে, ইউক্রেনীয় বিমানটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আছড়ে পড়েছে। কীভাবে ইরানের স্বীকারোক্তি প্রকাশ পেল? তিন দিন ধরে ইরান তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বিমানটি ভূপাতিত করার খবর অস্বীকার করে আসছিল। বরং ইরানের এক মুখপাত্র পশ্চিমা দেশগুলিকে "মিথ্যাবাদী এবং মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে জড়িত" বলে অভিযোগ করেছিলেন। তবে শনিবার সকালে রাষ্ট্রীয় টিভিতে পড়া একটি বিবৃতিতে বিমানটি ভূপাতিত করার বিষয়টি স্বীকার করা হয়। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ, যিনি রেভল্যুশনারি গার্ডসের এরোস্পেস কমান্ডার, তিনি ঘটনার ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেছেন যে একজন ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনাকারী স্বাধীনভাবে একা সব কাজ করেছেন। তিনি বিমানটিকে একটি "ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র" ভেবে ভুল করে ফেলেছিলেন। যেহেতু এমন খবর পাওয়া গেছে যে ইরানের দিকে এ জাতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। জেনারেল হাজিজাদেহ বলেন, "সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তার কাছে ১০ সেকেন্ড সময় ছিল। তিনি আঘাত করা বা না করার সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন এবং এইরকম পরিস্থিতিতে তিনি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।" "তিনি যোগাযোগ করতে এবং যাচাই করতে বাধ্য ছিলেন। তবে স্পষ্টতই তার যোগাযোগ ব্যবস্থায় কিছু বিঘ্ন ঘটেছিল।" জেনারেল হাজিজাদেহ বলেছেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের "ভুল" রোধে সামরিক বাহিনী তার ব্যবস্থাগুলি আরও উন্নত করবে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানার পরে তার মনে হয়েছিল, এর চাইতে "তিনি যদি মারা যেতেন"। জেনারেল হাজিজাদেহ বলেছেন যে বুধবার যা ঘটেছিল সে সম্পর্কে তিনি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছিলেন এবং এত দিন ধরে ইরান কেন জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে গেছে সেটা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, "হিউম্যান এরর বা মানবিক ত্রুটির প্রমাণ" রয়েছে। এবং প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন ইরান "এই বিপর্যয়কর ভুলের জন্য গভীরভাবে দুঃখিত"। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ এই দোষের কিছু দায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপরেও ফেলছেন। "মার্কিন হঠকারিতার কারণে সৃষ্ট সঙ্কটের মধ্যে মানবিক ত্রুটির ফলে এই বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে," তিনি বলেন। বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের মধ্যে ইরানি ছাড়াও কানাডা, সুইডেন, ইউক্রেন, আফগানিস্তান ও জার্মানির নাগরিক ছিল কানাডা এবং ইউক্রেন কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে? শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো মিঃ রুহানির সাথে কথা বলেছেন। মিঃ ট্রুডো বলেছেন যে তিনি "ক্ষুব্ধ ও ক্রদ্ধ" এবং মিঃ রুহানিকে বলেছেন যে "এই ধরনের ভয়াবহ ট্র্যাজেডি কীভাবে ঘটেছে তার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে অবশ্যই একটি তদন্ত হওয়া উচিত"। মিঃ ট্রুডো বলেছিলেন: "যতক্ষণ না আমরা জবাবদিহি, ন্যায়বিচার এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রাপ্য বুঝিয়ে দেব ততক্ষণ পর্যন্ত কানাডা বিশ্রাম নেবে না ... তারা আহত, রাগান্বিত ও শোকে স্তব্ধ এবং তারা এর জবাব চায়।" মিঃ জেলেনস্কি যিনি ওই ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেছেন, তিনি বলেন, "মিঃ রুহানি তাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে "এই বিমান বিপর্যয়ের সাথে জড়িত সকল ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় আনা হবে"। কানাডার এডমন্টন শহরের যেসব বাসিন্দা ওই বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন, তাদের স্মরণে রোববার শহরটিতে একটি প্রার্থনার আয়োজনে সহায়তা করেছেন পেগাহ সালারি। তিনি জানান, ইরান সর্বশেষ যে স্বীকারোক্তি দিয়েছে, তার অর্থ "এখন এটি দুঃখের চাইতেও বেশি", বিশেষ করে এখানকার ইরানি-কানাডিয়ান সম্প্রদায়ের জন্য। "এটা রাগ, হতাশা" তিনি বলেন। আরও পড়তে পারেন: বিমান ভূপাতিত করার অভিযোগ স্বীকার করেছে ইরান ইরান হামলা: সঙ্কটে কে জিতলো কে হারলো যুক্তরাষ্ট্রের চারটি দূতাবাস টার্গেট করেছিল ইরান, ট্রাম্প ওই বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের অনেকেই এই শহরে থাকেন। তারমধ্যে আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক, শিক্ষার্থী এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থী। মিসেস সালারি খোলামেলাভাবে ইরান সরকারের সমালোচনাকারী এবয় তাদের প্রতি অবিশ্বস্ত। এখন তিনি ইরানের প্রতিবাদ বিক্ষোভের খবর এমন উৎকণ্ঠা ও আশা নিয়ে দেখছেন। তিনি বলেন, কানাডার ইরানি প্রবাসীদের মধ্যে কেউ কেউ তেহরানের সরকারকে সমর্থন করছেন, যা উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। তবে এই মুহুর্তের মিসেস সালারি এসব নিয়ে ভাবছেন না। "এটি কোন রাজনৈতিক বিষয় নয়, অর্থনীতির সাথে এর কোন যোগসূত্র নেই। এই প্রথমবারের মতো কোন মানবিক ট্র্যাজেডি এবং এই নিহত হওয়া সব মানুষ আমাদেরকে আরও কাছে এনেছে এবং কিছু মানুষের চোখ খুলে দিয়েছে।" তিনি বলেন।
Hundreds of protesters have taken to the streets in Iran's capital, Tehran, to vent anger at officials, calling them liars for having denied shooting down a Ukrainian passenger plane.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
ভিডিওতে দেখা যায়, দুবাইয়ের রাজকুমারী লতিফাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে "জেলের মতো বাড়িতে" বন্দী রাখা হয়েছে তিনি প্রিন্সেস লতিফা। বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানকে দেয়া ওই ফুটেজে রাজকুমারী লতিফা আল মাকতুম বলেন, তিনি বোটে করে পালিয়ে যাওয়ার পর কমান্ডোরা তাকে মাদকাচ্ছন্ন করে এবং আবার তাকে বন্দীশালায় নিয়ে আসে। গোপনে পাঠানো বার্তাগুলো আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তার বন্ধুরা জাতিসংঘকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। দুবাই এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত এর আগে জানিয়েছিল যে, তিনি তার পরিবারের তত্ত্বাবধানে নিরাপদেই রয়েছেন। জাতিসংঘের সাবেক মানবাধিকার কমিশনার ও আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, যিনি ২০১৮ সালে রাজকুমারীর সাথে দেখা করার পর তাকে একজন "বিপদগ্রস্থ তরুণী" বলে উল্লেখ করেছিলেন, এখন বলছেন যে রাজকুমারীর পরিবার তাকে "ভয়াবহভাবে ধোঁকা দিয়েছিল।" লতিফার বর্তমান অবস্থা এবং তার সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। "লতিফার বিষয়ে আমি খুবই উদ্বিগ্ন রয়েছি। সবকিছু বদলে গেছে। আর তাই আমার মনে হয়ে এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া দরকার," তিনি বলেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ২০১৮ সালে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার আগে দুবাইয়ের রাজকুমারী লতিফা লতিফার পিতা শেখ মোহাম্মদ বিন রশীদ আল মাকতুম বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রপ্রধানদের একজন - তিনি দুবাইয়ের শাসক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস-প্রেসিডেন্ট। লতিফাকে আটক করার পর দুবাইয়ে ফেরত নেয়ার বছর খানেক পর তাকে গোপনে দেয়া একটি ফোনে কয়েক মাস ধরে ওই ভিডিওগুলো রেকর্ড করা হয়েছিল। তিনি স্নানঘরে বসে সেগুলো রেকর্ড করেছিলেন কারণ সেটিই ছিল একমাত্র কক্ষ, যেটির দরজা তিনি বন্ধ করতে পারতেন। ভিডিও বার্তায় তিনি যা বলেছেন: •নৌকা থেকে যে সেনারা তাকে আটক করেছিল তাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন তিনি, তাদের "লাথি মেরেছিলেন এবং তাদের সঙ্গে মারামারি করেছিলেন" এবং আমিরাতের এক কমান্ডোর হাতে সে চিৎকার না করা পর্যন্ত কামড়ে ধরেছিলেন। •তাকে অচেতন করার ওষুধ দেয়ার পর তিনি চেতনা হারান এবং তাকে একটি ব্যক্তিগত বিমানে তোলা হয়। সেটি দুবাইয়ে অবতরণের আগ পর্যন্ত অচেতন অবস্থায় ছিলেন তিনি। •তিনি পুলিশের পাহারায় একটি ভিলাতে আটক ছিলেন যারা জানালাগুলো বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সেখানে তার কোন চিকিৎসা বা আইনি সহায়তা নেয়ার সুযোগ ছিল না। লতিফার ফিটনেস প্রশিক্ষক টিনা জাওহিআইনেন, যিনি তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছিলেন প্যানোরামার কাছে লতিফার আটক হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু টিনা জাওহিআইনেন, মায়ের দিককার এক ভাই মার্কাস এসাব্রি এবং প্রচারকর্মী ডেভিড হেই। এরা সবাই লতিফাকে মুক্ত করার প্রচারণার সাথে যুক্ত। তারা বলেন যে লতিফার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই তারা এখন এই ভিডিও বার্তাগুলো প্রকাশের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা দুবাইয়ে ওই "ভিলায়" বন্দী লতিফার সাথে যোগাযোগ স্থাপনে এরাই সক্ষম হয়েছিলেন, পুলিশ পাহারায় যে বাড়ির জানালাগুলো বাইরে থেকে বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। লতিফাকে কোথায় আটকে রাখা হয়েছে সেটি স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করেছে প্যানোরামা। শেখ মোহাম্মদ একটি বিশাল সফল শহর গড়ে তুলেছেন, কিন্তু অধিকারকর্মীরা বলেছেন যে সেখানে ভিন্নমতের প্রতি কোন সহনশীলতা নেই এবং বিচার ব্যবস্থা নারীদের প্রতি বৈষম্য করতে পারে। তার ঘোড়-দৌড়ের বড় ধরণের প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং মাঝে মাঝেই তিনি রয়াল অ্যাসকটের মতো বড় ধরণের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে থাকেন - এখানে যেমন ছবিতে তাকে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। ২০১৯ সালে রানী এলিজাবেথের সাথে শেখ মোহাম্মদ (ডান দিক থেকে দ্বিতীয়।) কিন্তু তিনি রাজকুমারী লতিফা এবং তার সৎমা প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল হুসাইনকে নিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন। প্রিন্সেস হায়া ২০১৯ সালে তার দুই সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গিয়েছিলেন। নৌকায় করে পলায়ন বর্তমানে লতিফার বয়স ৩৫ বছর। কিন্তু তিনি প্রথম পালানোর চেষ্টা করেন ১৬ বছর বয়সে। তবে পালানোর একটি দীর্ঘ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন তিনি শুরু করেন ২০১১ সালে ফরাসি ব্যবসায়ী হার্ভি জবার্টের সাথে যোগাযোগের পর। মিজ জাওহিআইনেন, যিনি ক্যাপোইরা নামে ব্রাজিলিয় মার্শাল আর্ট বিষয়ে তার প্রশিক্ষক ছিলেন, তিনি তাতে তাকে সহায়তা করেছিলেন। ২০১৮ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি লতিফা এবং মিজ জাওহিআইনেন রাবারের তৈরি নৌকা এবং জেট স্কি'র সাহায্যে আন্তর্জাতিক জলসীমায় মার্কিন পতাকাবাহী একটি প্রমোদতরীতে গিয়ে আশ্রয় নেন। ওই প্রমোদতরীতে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন মি. জবার্ট। কিন্তু আট দিন পর ভারতের উপকূলের কাছে প্রমোদতরীটি খুঁজে পায় কমান্ডোরা। মিজ জাওহিআইনেন বলেন, তারা ধোয়া তৈরি করে এমন গ্রেনেড ব্যবহার করে স্নানঘরে লুকিয়ে থাকা তাদের দু'জনকে বেরিয়ে আসতে করে। পরে তাদেরকে বন্দুকের মুখে আটক করা হয়। লতিফাকে দুবাইয়ে ফেরত নেয়া হয় এবং তখন থেকে এর আগ পর্যন্ত তার কোন কথা শোনা যায়নি। মিজ জাওহিআইনেন এবং ওই বোটে থাকা ক্রুদের দুই সপ্তাহ দুবাইয়ে আটকে রাখার পর মুক্তি দেয়া হয়। তবে নিজেদের ভূমিকার বিষয়ে কখনোই কোন মন্তব্য করেনি ভারত সরকার। ২০১৮ সালে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার আগে লতিফা আরেকটি ভিডিও ধারণ করেছিলেন, যেটি তাকে আটক করার পর ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়েছিল। ওই ভিডিও-তে তিনি বলেছিলেন, "আপনি যদি এই ভিডিও দেখে থাকেন, তাহলে এটা আসলে ভাল কিছু নয়, এর মানে হচ্ছে হয় আমি মৃত কিংবা আমি খুব খুব খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছি।" এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তার বিষয়ে বিপুল আন্তর্জাতিক উদ্বেগ তৈরি হয় এবং তার মুক্তির আহ্বান জানানো হয়। এরপর তার বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ব্যাপক চাপের মুখে পরে এবং এক পর্যায়ে মিজ রবিনসনের সাথে একটি সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়। রবিনসনের সাথে সাক্ষাত বান্ধবী প্রিন্সেস হায়ার অনুরোধে মেরি রবিনসন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দুপুরের খাবারের নিমন্ত্রণে দুবাইয়ে যান। সেখানে লতিফাও উপস্থিত ছিলেন। মিজ রবিনসন প্যানোরামা অনুষ্ঠানে বলেন, তাকে এবং প্রিন্সেস হায়াকে এর আগে বলা হয় যে লতিফার বাইপোলার ডিসঅর্ডার নামে মানসিক রোগ রয়েছে, যা আসলে তার ছিল না। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সাবেক হাই কমিশনার মেরি রবিনসনের সঙ্গে রাজকুমারী শেখ লতিফা তিনি বলেন, তিনি আসলে লতিফাকে তার অবস্থা সম্পর্কে কোন কিছু জিজ্ঞেস করেননি, কারণ তিনি তার "পরিস্থিতি" নিয়ে "মানসিক আঘাত আর বাড়াতে" চাননি। এর নয় দিন পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিজ রবিনসনের সাথে লতিফার ছবি প্রকাশ করে, যার মাধ্যমে দাবি করা হয় যে রাজকুমারী সুস্থ এবং নিরাপদে রয়েছেন। মিজ রবিনসন বলেন: "ছবি প্রকাশের মাধ্যমে আমার সাথে সুনির্দিষ্টভাবে প্রতারণা করা হয়েছিল। এটা বিস্ময়কর ছিল... আমি একেবারে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম।" ২০১৯ সালে দুবাইয়ের ক্ষমতাসীন পরিবারের নিজস্ব উত্তেজনার বিষয়টি ইংল্যান্ডের হাইকোর্টের সামনে উন্মোচিত হয়, যখন শাসক শেখ মোহাম্মদের একজন স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া তার দুই সন্তান নিয়ে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে আসেন এবং নিজেদের সুরক্ষা ও নিপীড়িত না হওয়ার অধিকার চেয়ে শেখের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন। গত বছর হাইকোর্ট বেশ কয়েকটি রায় দেয়, যেখানে বলা হয় যে শেখ মোহাম্মদ ২০০২ এবং ২০১৮ সালে লতিফাকে জোর করে ফেরত নেয়ার নির্দেশ এবং পরিকল্পনা করেছিলেন। এছাড়া ২০০০ সালে তার বোন রাজকুমারী শামসাকেও যুক্তরাজ্য থেকে বেআইনিভাবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনিও পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। ২০২০ সালে নিজের আইনজীবী ব্যারোনেস ফিওনা শ্যাকলটনের সাথে হাই কোর্টে উপস্থিত হন প্রিন্সেস হায়া (বামে) আদালত এমনটা খুঁজে পায় যে শেখ মোহাম্মদ "এমন একটি শাসন পরিচালনা করে যাচ্ছেন, যেখানে এই দুই তরুণ নারীকে তাদের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল।" লতিফার বন্ধুরা আশা করছিলেন যে গত বছর মার্চে প্রিন্সেস হায়ার পক্ষে এবং শেখ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে আদালত যে আদেশ দিয়েছিল, যেখানে তাকে "সৎ নয়" বলে উল্লেখ করা হয়, সেটি হয়তো সহায়তা করতে পারে। এখন বার্তাগুলো প্রকাশ করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে মিজ জাওহিআইনেন বলেন, তার সাথে শেষ বার যোগাযোগের পর "অনেক সময় পার হয়ে গেছে"। তিনি বলেন যে, এই সময়ে ভিডিও প্রকাশের বিষয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা করেছেন তিনি। তবে তিনি এও যোগ করেন: "আমার মনে হয়েছে যে তিনি চান আমরা যাতে তার পক্ষে লড়াই করে যাই, হার না মানি।" লতিফার বর্তমান অবস্থা নিয়ে মন্তব্য করতে বিবিসির অনুরোধে সাড়া দেয়নি দুবাই এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার। বিবিসি বাংলার আরও খবর: করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন: টিকাদানে আপনার দেশের অবস্থান কোথায়? আল জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে যা বললেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ
The daughter of Dubai's ruler who tried to flee the country in 2018 later sent secret video messages to friends accusing her father of holding her "hostage" as she feared for her life.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রধানসহ কয়েকজন পদস্থ সেনা কর্মকর্তার অ্যাকাউন্ট বাতিল করেছে ফেসবুক ফেসবুক এসব সেনা কর্মকর্তার অ্যাকাউন্ট বাতিল করে দিয়েছে রাখাইনে 'গণহত্যা' ও রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো সহিংসতায় তাদের ভূমিকার বিষয়টি জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে উঠে আসার পর। আর এটাই প্রথমবারের মতো ফেসবুক কোনো দেশের সামরিক বা রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিষিদ্ধ করলো। সবমিলিয়ে মিয়ানমারের সাথে সম্পর্কিত আঠারটি অ্যাকাউন্ট ও বায়ান্নটি পেজ সরিয়ে ফেলে ফেসবুক। অথচ এদের অনুসারীর সংখ্যা প্রায় এক কোটি বিশ লাখ। মিয়ানমারে ফেসবুকই সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যার ব্যবহারকারী রয়েছে প্রায় এক কোটি আশি লাখ। তবে জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছ বেশিরভাগ ব্যবহারকারী মনে করেন ফেসবুকই ইন্টারনেট কিন্তু 'এটাই ঘৃণা ছড়ানোর একটি কার্যকর মাধ্যম' হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সেখানে। 'গণহত্যায় দায়ী' ছয় জেনারেল, সু চি ছিলেন নিশ্চুপ রোহিঙ্গা সংকট: কূটনীতির সাফল্য-ব্যর্থতার খতিয়ান মিয়ানমারের জেনারেলদের নিষিদ্ধ করলো ফেসবুক রাখাইনে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে গত এক বছরে পালিয়ে এসেছে সাত লাখ রোহিঙ্গা কি ছিলো জাতিসংঘ রিপোর্টে? রোহিঙ্গাদের ওপর সেনা অভিযানের বিষয়ে সম্ভবত এটাই জাতিসংঘের সবচেয়ে কড়া প্রতিবাদ। একটি পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার জের ধরে ওই ভয়াবহ অভিযান চালানো হয় রাখাইনে। হাজার হাজার মানুষ নিহত হয় এবং আরও প্রায় সাত লাখ মানুষ প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যায় প্রতিবেশী বাংলাদেশে। এসময় রাখাইনে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে যার মধ্যে ছিলে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন। জাতিসংঘের রিপোর্টে ছয় সামরিক কর্মকর্তার নাম উঠে আসে আর এ ছয়জনের মধ্যে রয়েছেন সেনা প্রধান জেনারেল মিন আং লিয়ান। রিপোর্টে এদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে তাদেরকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের কথা বলা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে অনলাইনে কি বলা হচ্ছে? রয়টার্সের একটি রিপোর্টে গত বছর বলা হয়েছে যে তারা অন্তত এক হাজার পোস্ট, কমেন্টস ও ছবি পেয়েছে ফেসবুকে যেখানে রোহিঙ্গা ও মুসলিমদের আক্রমণ করা হয়েছে। এসব কমেন্টে রোহিঙ্গাদের 'কুকুর', 'ধর্ষক' হিসেবে বর্ণনা করা হয়। অনেকের কমেন্টে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি পাওয়া যায় এমনকি একটি পেজে 'সব মুসলিমকে মেরে ফেলার' কথাও বলা হয়। এমনকি বিবিসির ফেসবুক পোস্টগুলোতেও অনেকে রোহিঙ্গা বিরোধী আপত্তিকর মন্তব্য লিখেছেন। জাতিসংঘের এই রিপোর্ট নিয়ে প্রকাশিত খবরেও রোহিঙ্গা বিরোধী এমন অনেক মন্তব্য এসেছে। একজন লিখেছেন, "রোহিঙ্গারা বাঙ্গালি..তারা আগ্রাসনকারী"। "তারা বাঙ্গালী খাবার খায়, বাংলায় কথা বলে, বাঙ্গালী পোশাক পড়ে। বার্মার জনগণের উচিত প্রত্যেকটি বাঙ্গালীকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া"। মিয়ানমারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক খুবই জনপ্রিয় সেনাপ্রধান সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে? সেনা প্রধান জেনারেল মিন আং লিয়ানের দুটি অ্যাকাউন্ট ছিলো ফেসবুকে। এএফপি বলছে একটি অ্যাকাউন্টে অনুসারী ছিলো তের লাখ আর অন্যটি অনুসরণ করছিলেন ২৮ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী। মিয়ানমারের সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় সেনাপ্রধান খুবই প্রভাবশালী। একটি ফেসবুক পোস্টে তিনিও রোহিঙ্গাদের 'বাঙ্গালী' হিসেবে চিত্রিত করেন এবং বলেন যে রোহিঙ্গা শব্দটি একটি বানানো শব্দ। ফেসবুক বলছে নিষিদ্ধ অন্য পেজগুলোর মতো সেনাপ্রধানের পেজও জাতিগত ও ধর্মীয় উত্তেজনাকে উস্কে দিয়েছে। মিয়ানমারর নিউজ সাইট মিয়ানমার টাইমসের মতে দেশটির প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র বলেছেন ফেসবুক অ্যাকাউন্টগুলো নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সরকারের সাথে কোনো আলোচনা ছাড়াই। অ্যাকাউন্টগুলো পুনরায় চালুর বিষয়ে ফেসবুকের সাথে আলোচনার কথাও জানান তিনি। ফেসবুক আসলে কী করেছে? ২০১৪ সালেই মিয়ানমারে ঘৃণা ছড়ানোর কাজে ফেসবুক ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই বছর মার্চেই জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তার মুখেও বিষয়টি উঠে আসে। জাতিসংঘ রিপোর্ট বলছে ঘৃণা ছড়ানোর বিরুদ্ধে ফেসবুকের ব্যবস্থা নেয়ার গতি ধীর ও অকার্যকর। এতে বৈষম্য ও সহিংসতায় ফেসবুক পোস্ট ও ম্যাসেজ কিভাবে ভূমিকা রেখেছে তার স্বাধীন ও বিস্তারিত তদন্তের কথাও বলা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ফেসবুক নিজেও তাদের ধীরগতির ব্যবস্থা নেয়ার কথা স্বীকার করেছে। যদিও একই সাথে তারা হেট স্পিচ চিহ্নিত করতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলেছে। একই সাথে তারা স্বীকার করেছে যে মিয়ানমারে অনেকেই নিউজের জন্য ফেসবুকের ওপরই নির্ভর করে থাকেন।
A number of high-profile army figures in Myanmar, including the army chief, no longer have Facebook accounts.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র শহর মক্কায় লক্ষ লক্ষ মুসলিম ভ্রমণ করেন এছাড়া পর্যটন ভিসা থাকা সত্ত্বেও করোনাভাইরাস ধরা পরেছে এমন এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সৌদি আরবে প্রবেশ না করতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে দেশগুলির নাম উল্লেখ করা হয়নি। মক্কায় ওমরাহ বন্ধ করার পাশাপাশি পবিত্র নগরী মদিনায়ও প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। ইসলামের নবী মুহাম্মদের জন্মস্থান ইসলামের অন্যতম পবিত্র শহর হিসেবে বিবেচিত মক্কায়, আর তাঁর কবর মদিনা শহরে। তাই মদিনায়ও প্রচুর মুসলমান ভ্রমণ করেন ধর্মীয় কারণে। বিদেশী পর্যটক বাড়াতে চায় সৌদি আরব তবে জুলাই মাসে আসন্ন হজে যেতে আগ্রহীদের উপর এই স্থগিতাদেশ কোন প্রভাব ফেলবে কিনা, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। সৌদি আরবে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মুসলমান উমরাহ ও হজ পালন করেন। গত বছর প্রায় ২৫ লক্ষ মুসলমান হজ পালন করেছিলেন। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাময়িকভাবে এসব নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তবে কতদিন এসব নিষেধাজ্ঞা ও স্থগিতাদেশ থাকবে, সেটি বলা হয়নি। আরো পড়ুনঃ করোনাভাইরাস: ভাইরাস ছড়ানো বন্যপ্রাণীর সন্ধান চলছে মঙ্গোলীয় চেহারার শিক্ষার্থীদের 'করোনভাইরাস' বলে হেনস্থা কোয়ারেন্টিন করা জাহাজ নিয়ে বিতর্ক বাড়ছেই সৌদি আরবের প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে সৌদি আরব বিদেশী পর্যটক বাড়াতে সম্প্রতি বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, গত অক্টোবর থেকে চার লক্ষের মতো টুরিস্ট ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। সৌদি আরবে এখনো করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। তবে প্রতিবেশী দেশ কুয়েত, বাহরাইন, ইরাক ও আরব আমিরাতে করনোভাইরাসে আক্রান্ত বেশ কিছু মানুষের সন্ধান পাওয়া গেছে। আর সে কারণেই সৌদি আরব বাড়তি সতর্কতা হিসেবে কড়াকড়ি আরোপ করেছে বলে বলা হচ্ছে। তবে বিদেশে অবস্থান করা সৌদি নাগরিকেরা দেশে প্রবেশ করতে পারবেন। অন্যান্য খবরঃ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষা যেভাবে হবে? পরীক্ষায় নকল করার উপায় বলে গ্রেপ্তার প্রধান শিক্ষক আয়ের কতটা সঞ্চয় করা উচিত? কীভাবে?
Saudi Arabia has banned international visitors from making the Islamic pilgrimage, or Hajj, this year in a bid to control coronavirus.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
সুদানের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য এ সপ্তাহের মধ্যে আবারও আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী আব্দেল-আধিম হাসান সুদানের সেনা শাসকদের জারি করা এক নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে রোববার সুদানের টেলিকম অপারেটর 'যাইন সুদান' এর বিরুদ্ধে করা এক মামলায় জয় লাভ করেন আব্দেল-আধিম হাসান। তবে ব্যক্তিগতভাবে মামলা করায় তাতে জয় লাভ করেও এর ফলে শুধু তার ব্যক্তিগত লাভই হয়েছে বলে জানিয়েছেন মি. হাসান। মধ্য খার্তুমে সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের সহিংস অভিযানের পর সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। আইনজীবী মি. হাসান জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনিই সুদানের একমাত্র বেসামরিক নাগরিক যিনি বৈধভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন। তিনি জানান, সুদানের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য এ সপ্তাহের মধ্যে তিনি আবারও আদালতের দ্বারস্থ হবেন। মি. হাসান বিবিসি'কে জানান: "ইন্টারনেট সেবাদানকারী সংস্থাগুলো সংযোগ বন্ধ করার নির্দেশ সম্বলিত কোনো লিখিত আদেশ দেখাতে পারেনি।" "সব পক্ষই দায়িত্ব এড়িয়ে চলতে চাইছে, কেউই কোনো সিদ্ধান্তের দায় নিচ্ছে না - এটি অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন।" মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারীদের যেন দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হয়, সেজন্য সোমবার সুদানের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে জাতিসংঘ। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে হওয়া 'অত্যাচার' বন্ধ করার আহ্বানও জানানো হয় জাতিসংঘের পক্ষ থেকে। আরও পড়তে পারেন: যেভাবে সুদানের ৩০ বছরের শাসকের উত্থান ও পতন সুদান: মিসরের চেয়ে বেশি পিরামিড যে দেশে সুদানে বহু বিক্ষোভকারীর প্রাণহানি, সঙ্কট বাড়ছে সুদানে কী হয়েছে? টানা কয়েকমাসের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি আর গণবিক্ষোভের পর এপ্রিলে সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হন দীর্ঘসময়ের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির। ১১ই এপ্রিল সেনাবাহিনীর জেনারেলদের একটি কাউন্সিল ক্ষমতা দখল করলেও দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরাতে সক্ষম হননি। সাত সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সেনা কাউন্সিলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন লে. জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আবদেল রাহমান বুরহান। কাউন্সিল বলছে দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা চায় বেসামরিক সরকার। ৩রা জুন খার্তুমে বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস অভিযান পরিচালনা করার অভিযোগে আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দিত হয়েছে কাউন্সিল। বিভিন্ন খবরের তথ্য অনুযায়ী, ঐ অভিযানে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়। এরপর কী হতে পারে? অধিকাংশ আফ্রিকান এবং পশ্চিমা দেশই সুদানের বিক্ষোভকারীদের সমর্থন দিচ্ছে। এ মাসের শুরুতে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবিই আহমেদ সুদানে সফর করে বিক্ষোভকারীদের সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সেনা কাউন্সিলের সমঝোতা করানোর চেষ্টা করেন। গত শনিবার ইথিওপিয়ার সমঝোতা প্রস্তাবে বিক্ষোভকারীরা রাজি হলেও রোববার কাউন্সিল সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। কাউন্সিলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে ইথিওপিয়ার সমঝোতা প্রস্তাব একপাক্ষিক হওয়ায় তারা সেটি মানতে রাজি না। বিবিসি'র একজন সুদানি সাংবাদিক মহানন্দ হাশিম বলেন যে সুদানের পরিস্থিতি খুব দ্রুতগতিতে খুবই খারাপ হতে পারে, এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
A lawyer in Sudan has told the BBC that the internet has been restored after a three-week shutdown - but only for him.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
আর্টেমিসের আঁকা ছবি: নাসা চাঁদে আবার ফেরত যেতে চায়, কিন্তু শুধু চাঁদে নামা নয়, এবার সেখানে থাকার পরিকল্পনা নাসার। নাসার এই প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে আর্টেমিস। ১৯৭২ সালে চাঁদের বুকে মানুষের প্রথম অবতরণের পর এবার এই প্রকল্পে নাসা একজন পুরুষ এবং একজন নারীকে চাঁদে পাঠাবে। তবে নাসা বলছে তারা যে পরিকল্পিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে তা ঠিক রাখতে হলে কংগ্রেসকে ৩২০ কোটি ডলারের তহবিল তাদের হাতে সময়মত তুলে দিতে হবে, কারণ নির্ধারিত সময়ে চাঁদের বুকে নামতে হলে তাদের সময়মত একটা অবতরণ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। নভোচারীরা অ্যাপোলোর মত একটি ক্যাপসুলে ভ্রমণ করবেন, যেটির নাম দেয়া হয়েছে ওরিয়ন। এসএলএস নামে একটি রকেট এটি উৎক্ষেপণ করবে। সোমবার নাসার একজন প্রশাসক জিম ব্রাইডেনস্টাইন বলেন: ''চাঁদের বুকে আর্টেমিস অবতরণের জন্য আগামী চার বছরে নাসার ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ বিলিয়ন ডলার। এই আর্টেমিস প্রকল্পের বাজেটের মধ্যে যেসব খরচ ধরা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে এসএলএস উৎক্ষেপণের খরচ, ওরিয়ন বাবদ সব ব্যয়, এছাড়াও চাঁদে মানুষের নামার খরচ এবং নভোচারীদের মহাকাশ স্যুটের জন্য যাবতীয় খরচখরচা।'' আরও পড়তে পারেন: চাঁদে যাওয়া প্রথম নারী হবেন কে? তবে তিনি ব্যাখ্যা করেন যে: ''আমেরিকান কংগ্রেস এবং সেনেটের কাছে এই মুহূর্তে আমরা যে ৩২০ কোটি ডলার চেয়ে আবেদন জানিয়েছি, অবতরণ ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য, সেটা ২০২১ সালে আমাদের হাতে আসা দরকার। এই অর্থ সময়মত না পেলে আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্য, অর্থাৎ ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদে দ্বিতীয়বারের মত অবতরণের লক্ষ্য আমরা অর্জন করতে পারবো না।'' আমেরিকার হাউস অফ রেপ্রেজেনটিটিভ চাঁদে অবতরণের যান তৈরির জন্য ৬০ কোটি ডলার অনুমোদন করে ইতোমধ্যেই একটি বিল পাশ করেছে। কিন্তু নভোযানটি পুরোপুরি তৈরি করতে নাসার আরও বেশি অর্থের প্রয়োজন। মি. ব্রাইডেনস্টাইন ২০১৯ সালের জুলাই মাসে সিএনএন টিভিতে বলেন যে ২০২৪ সালে চাঁদের বুকে প্রথম পদচারণা করবেন যে নারী তিনি হবেন ''এমন একজন যার মহাকাশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আছে - যিনি ইতোমধ্যেই কোন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গেছেন''। তিনি আরও বলেছেন নভোচারী গোষ্ঠীর মধ্যে থেকেই কাউকে এই মিশনের জন্য বেছে নেয়া হবে। নাসা যখন পরিকল্পনা প্রকাশ করে তখন ওরিয়ন নভোযানের এই চিত্র প্রকাশ করা হয় ওই সাক্ষাৎকারের সময় ১২জন নারী নভোচারীর নাম সামনে এসেছিল। এরপর আরও পাঁচজন নারী নভোচারী নাসার তালিকাভুক্ত হয়েছেন। এবছরের গোড়ায় প্রশিক্ষণ শেষ করে তারা নাসায় যোগ দিয়েছেন। তবে যোগ্যতার জন্য যেসব মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয়েছে, আগামী চার বছরের মধ্যে সেগুলো অর্জন করে মিশনের জন্য তারা তৈরি হতে পারবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। আর্টেমিসের জন্য নভোচারী নির্বাচনের সময়সূচি জানতে চাওয়া হলে নাসার প্রধান বলেছেন প্রথম মিশনটি পাঠানোর অন্তত দুবছর আগে তারা নভোচারীদের দলটি নির্বাচন করতে চান। তবে তিনি বলেন: "আর্টেমিসে নভোচারী হিসাবে কারা যাবেন সেটা নির্বাচনের প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ আরও একটা কারণে যে এটা একটা অনুপ্রেরণা হিসাবেও কাজ করবে বলে আমি মনে করি।" হোয়াইট হাউসও চাঁদে আবার নভোচারী পাঠাতে আগ্রহী, কারণ আমেরিকা চায় মহাকাশ চারণায় তাদের নেতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে। নভোচারী হবার জন্য স্নাতক পর্যায়ে এবছর যারা সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছেন তাদের মধ্যে ছয়জন নারী আছেন। এদের ৫জন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন নাসায় এবং একজন ক্যানাডিয়ান স্পেস এজেন্সিতে। নাসা পরিকল্পনা করছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যে বরফ-পানি জমে রয়েছে, সেই মূল্যবান নমুনা সংগ্রহ করে আনা। এটা থেকে চাঁদেই স্বল্প খরচে রকেটের জন্য জ্বালানি তৈরি করা সম্ভব হতে পারে। এটা করা গেলে পৃথিবী থেকে রকেটের জন্য জ্বালানি বহন করে নিয়ে যেতে হবে না এবং এটা চান্দ্র অর্থনীতির একটা ভিত তৈরি করবে। তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স চীনের মহাকাশ উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে পূর্ব এশিয়ান পরাশক্তি চীন প্রথম চাঁদের বেশ ভেতরের দিকে একটি রোবট চালিত রোভার যান বেশ স্বচ্ছন্দভাবে অবতরণ করিয়েছিল। চীন এখন পৃথিবীর গবেষণাগারে চাঁদের মাটির নমুনা পৌঁছে দেবার জন্য তাদের প্রথম মিশন পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। চীন এখন চীনা নভোচারীদের জন্য নতুন প্রজন্মের মহাকাশযান তৈরি করছে, যা চাঁদে পাঠানোর উপযোগী। যদিও ২০২৪য়ের মধ্যেই চীন এই মহাকাশযান বানিয়ে ফেলতে পারবে এমন ইঙ্গিত নেই, কিন্তু এই দশকেই সে লক্ষ্যে চীন অনেকটাই এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। নাসার নতুন নথিতে আমেরিকান পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ের রূপরেখা দেয়া হয়েছে, যাতে রয়েছে চাঁদে নভোচারীবিহীন পরীক্ষামূলক যান পাঠানো। এই প্রথম পর্যায় হলো আর্টেমিস ওয়ান -যা পাঠানো হবে ২০২১ সালের শরতকালে। আঁকা ছবি: এসএলএস রকেট তৈরির কাজ আগামী বছর প্রথম ফ্লাইট পাঠানোর জন্য নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী এগোচ্ছে নাসার নভোচারীসহ ফ্লাইটের প্রধান ক্যাথি লুয়েডার্স বলেছেন বিভিন্ন জটিলতা পরীক্ষা করে দেখার জন্য আর্টেমিস সময় নেবে প্রায় এক মাস। তিনি বলছেন এই পরীক্ষা আর্টেমিস-টুর জন্য সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো চিহ্ণিত করে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করবে। আর্টেমিস-টু নভোচারীদের নিয়ে একইধরনের মিশন চালাবে চাঁদকে পরিক্রমা করে। উৎক্ষেপক রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হবার পর ওরিয়ন মহাকাশযানটি পরিচালনা করবেন নভোচারীরা নিজে। তাই সেই যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বাড়তি একটি পরীক্ষা মিশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই পরীক্ষা মিশন ওরিয়নের যান্ত্রিক দক্ষতা ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশের মান এবং কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করবে। এরপর যাবে আর্টেমিস-থ্রি নভোচারীদের নিয়ে চাঁদে অবতরণের লক্ষ্যে। অ্যাপোলো ১৭ চাঁদে অবতরণ করার ৪৮ বছর আগে এটাই হবে আমেরিকার চন্দ্র মিশন যেখানে নভোচারীরা আবার চাঁদের বুকে পা রাখবেন। নাসা বেশ কিছু সংস্থাকে অবতরণ যানের নকশা তৈরির কাজ দিয়েছে। নাসা তার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এই দশকের শেষ দিকে নভোচারীদের জন্য আর্টেমিস বেস ক্যাম্প নামে একটি ক্যাম্প তৈরি করবে যেখানে চাঁদে দীর্ঘমেয়াদী অভিযান চালানোর জন্য অবকাঠামো থাকবে।
The US space agency (Nasa) has formally outlined its $28bn (£22bn) plan to return to the Moon by 2024.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
যুক্তরাষ্ট্রর শুল্ক আরোপে প্রভাব পড়ছে চীনা কোম্পানি গুলোতে কিন্তু এ যুদ্ধে লাভবান হচ্ছে অন্য একটি দেশ। চীনে পণ্য উৎপাদকদের রীতিমত প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে যেনো তারা দ্রুত তাদের কারখানা যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক প্রভাবিত করবে না এমন দেশে সরিয়ে নেয়। আর এমন দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো ভিয়েতনাম, চীনেরই প্রতিবেশী। ব্যবসা বান্ধব হিসেবে দেশটি ইতোমধ্যেই বেশ জায়গা করে নিয়েছে। এখন চীনা বিনিয়োগের গন্তব্যও তাই ভিয়েতনাম। অবশ্য বিদেশী কোম্পানিগুলো দীর্ঘদিন ধরেই ভিয়েতনামের সস্তা শ্রম আর চমৎকার ব্যবসার পরিবেশের সুফল নিচ্ছিলো। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক থিংক ট্যাংক পিটারসন ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকস এর ম্যারি লাভলির মতে, চীনে শ্রমের মজুরি অনেক বেড়ে যাওয়ায় ভিয়েতনাম ইতোমধ্যেই তার সুফল পেতে শুরু করেছে। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করলে চীনা বিনিয়োগও ভিয়েতনামের দিকে ধাবিত হতে শুরু করে। ২০১৯ সালের প্রথম চার মাসে যে পরিমাণ চীনা বিনিয়োগ হয়েছে তা ২০১৮ সালের মোট বিনিয়োগের ৬৫ শতাংশ। চীন আর আমেরিকার মধ্যে কি যুদ্ধ বেধে যাবে? বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব বাংলাদেশের চামড়ার বাজারে? যুক্তরাষ্টের সাথে বাণিজ্য চুক্তি, কেন চাপে চীন বিশ্বে কি নতুন আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হলো? হো চি মিন সিটি, দেশটির প্রধান শিল্প এলাকা ভিয়েতনামের সাফল্যের গল্প গত এক দশকে ভিয়েতনামের অর্থনীতি বেশ দ্রুতগতিতে এগুচ্ছে। বিশেষ করে ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি খুব ভালো করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের পর চীনা বিনিয়োগ আসছে দ্রুতগতিতে। কর্পোরেট ল ফার্ম বেকার অ্যান্ড ম্যাকেঞ্জি বলছে, অনেক কোম্পানি চলমান বাণিজ্য দ্বন্দ্বের আগেই চীনের বাইরে বিনিয়োগ করে আসছে। "আর সাম্প্রতিক বাণিজ্য দ্বন্দ্ব সেটিকেই আরও উস্কে দিয়েছে।" আইএলও'র হিসেবে, ২০১৮ সালে ভিয়েতনামের কর্মরত শ্রমিক ছিলো প্রায় এক কোটি ৪৫ লাখ। শ্রম খরচ ভিয়েতনামেও বাড়ছে, কিন্তু তারপরেও সেটি প্রতিবেশী চীনের তুলনায় অনেক কম। আবার জমি ও খরচের দিক থেকেও বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার সক্ষমতাও বাড়ছে ভিয়েতনামের। যদিও কিছুটা বাড়ছে শিল্প এলাকার খরচ আর এটাও বলা হচ্ছে চীনা বিনিয়োগ পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে। নিষেধাজ্ঞায় পড়বে ভিয়েতনামও? যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে যেসব প্রতিষ্ঠান দ্রুত ভিয়েতনামে সরে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি দেখছেন অনেক বিশ্লেষক। কারণ যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন বেশ ভালো করেই দেখছে যে এসব চীনা প্রতিষ্ঠান নিষেধাজ্ঞা এড়াতে অন্যত্র যাচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যেই টুইট করেছন: "শুল্ক আরোপিত অনেক কোম্পানি চীন ছেড়ে ভিয়েতনাম বা এশিয়ার অন্য দেশে যাচ্ছে। সে কারণই চীন চুক্তিটি বাজে ভাবে করতে চাইছে।" কাজেই ধারণা যায়, ভবিষ্যতে 'মেড ইন ভিয়েতনাম' ট্যাগটি নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে।
Companies operating in China are facing stiff increases in tariffs on exports to the United States as the trade war between the two countries escalates.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
ছবিটি প্রতীকী আবার এটাও মনে হতে পারে যে, মানুষের মাঝে এই বৈচিত্র্য যদি রাজনৈতিক মতাদর্শকে ঘিরে হয়, তাহলে সেই ব্যাপারে আমরা উদার থাকি এবং অনেক সময়ই আমরা ভিন্ন রাজনৈতিক পটভূমি এবং দৃষ্টিভঙ্গির মানুষের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলি। বিবিসি'র আন্তর্জাতিক ইপসোস মোরির জরিপ অনুসারে, বিশ্বব্যাপী দশজনের মধ্যে মাত্র এক জনই বলে থাকেন যে তাদের প্রায় বেশিরভাগ বন্ধু-বান্ধব তাদের মতো একই রাজনৈতিক মতাদর্শের। অন্যদিকে অর্ধেকের বেশি মানুষ এটা মনে করে যে, তাদের থেকে আলাদা অন্য মতাদর্শের মানুষের কথা শোনাটাও গুরুত্বপূর্ণ, যদিওবা সেটা তাদের মতের সম্পূর্ণ বিপরীত হয়। আরও পড়তে পারেন:বন্ধু ছাড়া মানুষের জীবন কি খুব কঠিন? বন্ধু বানানোর ১০টি সহজ উপায় জেনে নিন যে ইহুদি বালিকা হিটলারের বন্ধু হয়েছিল সামাজিক চক্রের ইলাসট্রেশন। "গবেষণায় দেখা যায় যে মানুষ আশাবাদী থাকতে পছন্দ করে; তারা এটা ভাবতে পছন্দ করে যে তারা বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং সহনশীল।" বলেছেন, ইপসোস মরির গ্লেন গটফ্রাইড, যিনি পুরো জরিপ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেছেন। নিজের চাইতে আলাদা অন্য ব্যক্তির সাথে কথা বলাটাকে বেশিরভাগ মানুষ খুব একটা জরুরি না ভাবলেও তারা নিয়মিতভাবে সেটা করে থাকে। মিস্টার গটফ্রাইড যোগ করে বলেন "সমাজের জন্য আমরা যা ভাল মনে করি আর যেটা আমরা আসলে অনুশীলন করি তার মধ্যে একটা ফাঁক রয়েছে।" সামাজিক চক্রের ইলাসট্রেশন। রাজনৈতিক বিভাজন ইপসোস মোরি ২৭টি দেশের ইন্টারনেট সংযোগ সম্পন্ন প্রায় ২০ হাজার মানুষের বন্ধুদল বা ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের ওপর জরিপ করে। যেখানে অধিকাংশই নিজেদের চাইতে ভিন্ন ধরণের মানুষের সঙ্গে মেলামেশার প্রবণতা নিয়ে কথা বলেছে। জরিপ করা দেশগুলোয় পাঁচজন উত্তরদাতাদের মধ্যে দুইজন বলেছেন যে, তাদের বেশিরভাগ বন্ধু-বান্ধব কয়েকটি ইস্যুতে তাদের মতোই মতাদর্শ ও বিশ্বাস ধারণ করে থাকে। সেই বিষয়গুলোর মধ্য রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন (৪২%), ধর্ম (৩৮%), অভিবাসন (৩৮%) এবং নারীবাদ (৩৭%)। এখানে ব্র্যাকেটে শতাংশের হিসাবে একই মতের মানুষের হার বোঝানো হয়েছে। তবে, রাজনৈতিক মতাদর্শের বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করা হলে এই শতাংশের হিসাব হ্রাস পায়। মার্কিন গবেষণা দল দ্য ডি-পোলারাইজেশন প্রজেক্টের প্রতিষ্ঠাতা অ্যালিসন গোল্ডসওয়ার্দি বলেছেন, "মানুষ তাদের বন্ধুদলকে যতোটা রাজনৈতিকভাবে বৈচিত্র্যপূর্ণ মনে করে আসলে তা নয়। এটা বের করা গুরুত্বপূর্ণ।" এর আংশিক কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাজনৈতিক বিভাজন প্রায়শই অন্যান্য সামাজিক বিভাজনের চাইতে বেশি সামনে আসে। "উদাহরণস্বরূপ, মিস গোল্ডসওয়ার্দি বলেছেন, "ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষের সঙ্গে একটি প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেখা করা যায়। যেটা কিনা জাতি, লিঙ্গ বা ধর্মের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হয়না।" ইপসোসের জরিপ করা ৮০% শতাংশের বেশি মানুষ তাদের সামাজিক চক্রে এই রাজনৈতিক বিভাজনের বিষয়টিকে ভালভাবে উপলব্ধি করে। এবং এই বিষয়টি ইতিবাচক বা ক্ষতিকারক কিনা সেটার প্রেক্ষিতে তারা আলাদা হয়ে যায়। যে দেশগুলিতে জরিপ করা হয়েছে, ৪০% শতাংশেরও বেশি মানুষ মনে করেন, রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে এখনকার সমাজ গত দুই দশকের চাইতে অনেক বেশি বিপদের মধ্যে আছে। অথচ মাত্র ১৪% এর বিপরীত ভেবে থাকেন। গটফ্রাইড বলেন, "রাজনীতি মানুষের সামাজিক চক্রে এক ধরণের সমস্যা।" সাধারণ মানুষের মতে, রাজনীতি আরও বিভেদ সৃষ্টি করছে এবং একজন মানুষের জীবনে বৈচিত্র্য সৃষ্টিতে অবদান রাখছে। সামাজিক চক্রের ইলাসট্রেশন। করার চাইতে বলা সহজ আন্তর্জাতিক ইপসোস মোরির জরিপে বেশিরভাগ মানুষ বলেছে তারা এমন ব্যবধানগুলোকে মেনে নিতে চায় যেটা কিনা তাদের সামাজিক বলয়ের বাঁধাগুলো ভেঙ্গে ফেলতে সহায়তা করবে। উদাহরণস্বরূপ, অর্ধেক উত্তরদাতারা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, কেউ অন্য কোন ব্যক্তির মতাদর্শের সাথে একমত পোষণ না করলেও সেই ভিন্ন মতাদর্শের মানুষের কথা শোনা গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেউই নিয়মিতভাবে এমনটা করেন না। উত্তরদাতাদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি জানিয়েছেন যে তারা সপ্তাহে অন্তত একদিন তাদের মতামতের বিরোধিতা করে এমন মানুষের সাথে কথা বলে থাকেন। ভিন্ন মতের মানুষের সাথে মাসে একবারেরও কম সময় কথা বলে থাকেন জরিপে অংশ নেয়া প্রায় ২০% মানুষ। - এবং দশজনের মধ্যে একজন এমনটা কখনোই করেন না। পোস্ট-ট্রুথ অ্যান্ড ইন্টারনেটের উপর আরও একটি সাম্প্রতিক জরিপের প্রতিলিপি প্রকাশ করা হয়। যেখান থেকে জানা যায় যে, ৬৫% মানুষ মনে করেন যে সারা বিশ্বের অন্যান্য মানুষেরা তাদের নিজস্ব অনলাইন বলয়ে বাস করে, তবে কেবলমাত্র ৩৪% মানুষ তাদের এই বলয়ে বসবাস করার বিষয়টি স্বীকার করেছে। সামাজিক চক্রের ইলাসট্রেশন। একসঙ্গে একইভাবে যাইহোক, যখন কেউ বোঝাতে চায় যে তাদের বন্ধুত্ব করার বিষয়টি অনেকাংশেই অন্যের রাজনৈতিক মতামতের ওপর ভিত্তি করে। সেক্ষেত্রে তাদের সামাজিক বলয়ে তেমন একটা বৈচিত্র্য দেখা যায়না। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় অর্ধেক বলেছে যে তাদের বেশিরভাগ বন্ধু জাতিগত-ভাবে (৫৬%) এবং বয়সের (৪৬%) ক্ষেত্রে তাদের মতো একই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গবেষণাটি আরেকটি বিষদ গবেষণার সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায়, যেখানে বলা হয়েছে, আমরা তাদের সাথেই বন্ধুত্ব করতে চাই যারা আমাদেরই মতো। শিক্ষা সম্পর্কে একই কথা বলা যেতে পারে: বিশ্বব্যাপী, একাধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, একই ধরণের শিক্ষা অর্জনের সাথে সাথে মানুষের এই একই মনস্তাত্ত্বিক ভিত্তি গড়ে ওঠে। তবে, আয়ের মাত্রায় এই মিল নাটকীয়ভাবে কমে যায়। শুধুমাত্র ৩০% উত্তরদাতারা বলেছেন যে তাদের বন্ধু মহলের বেশিরভাগই কাছাকাছি আয় করে থাকেন। জরিপে বলা হয়েছে আয়ের বৈষম্য, যেটা কিনা অনেকসময়ই শিক্ষার সাথে সম্পর্কিত থাকে না, সেই বৈষম্য কখনও বন্ধুত্বের পথে কোনও বাধা তৈরি করে না বলে উঠে এসেছে জরিপটিতে। কিন্তু অ্যালিসন গোল্ডসওয়ার্দি একটি সতর্কতার কথাও বলেছেন, "মানুষ তাদের সামাজিক মিথস্ক্রিয়াতে তাদের আয়ের বিষয়টি সাধারণত আলোচনা করেনা। পাশাপাশি, মানুষ কত আয় করে সে সম্পর্কে সব সময় মিথ্যা বলে থাকে।"
While social research generally suggests people tend to have friends who are similar to them, respondents told a poll for the BBC their social circles were much more diverse.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
ওভাল অফিসে জো বাইডেন শপথ নেয়ার পর হোয়াইট হাউসে যাওয়ার সময় তিনি টুইটে বলেন, "আমাদের সামনে যে সংকট রয়েছে সেটি সামাল দিতে অপচয় করার মতো কোন সময় নেই।" করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় পদক্ষেপ জোরদারসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ১৫টি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। অন্য নির্বাহী আদেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন এবং অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থানকে ঠিক উল্টে দিয়েছে। বুধবার সকালের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর মি. বাইডেন ওভাল অফিসে কাজ করার জন্য প্রস্তুত। করোনাভাইরাসের নিষেধাজ্ঞার কারণে শপথ অনুষ্ঠান বেশ আলাদা হয়েছে। শপথ ও অন্য অনুষ্ঠানে মাত্র হাতে গোনা কয়েক জন উপস্থিত ছিলেন। প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের কাছে শপথ নেয়ার পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, "গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।" ট্রাম্প শাসনের অশান্ত বছরগুলোর পর একতার বার্তা দিয়ে দেয়া বক্তব্যে তিনি "সব আমেরিকানদের"- এমনকি যারা তাকে ভোট দেয়নি তাদেরও প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তার তিন জন পূর্বসূরি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন: বারাক ওবামা- যার অধীনে আট বছর ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন মি. বাইডেন, বিল ক্লিনটন এবং জর্জ ডাব্লিউ বুশ এবং মি. ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও উপস্থিত ছিলেন। মি. বাইডেনের আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন কমালা হ্যারিস। এই পদে দায়িত্ব নেয়া প্রথম নারী এবং প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও এশিয়ান-আমেরিকান ব্যক্তিও তিনি। গত ৬ই জানুয়ারি ট্রাম্পের সহিংস সমর্থকরা ক্যাপিটল ভবনের দখল নেয়ার ঘটনার পর অনুষ্ঠানকে ঘিরে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। মি. বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন, মিস হারিস ও তার স্বামী ডো এমহফের সালে পেনসিলভেনিয়া এভিনিউ দিয়ে হেটে হোয়াইট হাউসে পৌঁছান। সেসময় বন্ধু এবং সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানান তারা। পেনসিলভেনিয়া এভিনিউ হয়ে হেঁটে হোয়াইট হাউসে যান প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি। শপথ অনুষ্ঠানে লেডি গাগা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। সেই সাথে ছিলন জেনিফার লোপেজ এবং গার্থ ব্রুকস। আমেরিকার প্রথম ন্যাশনাল ইয়ুথ পয়েট লরেট অ্যামান্ডা গোরম্যান তার লেখা দ্য হিল উই ক্লাইম্ব নামে কবিতাটি আবৃত্তি করেন। আরো পড়ুন: লিংকন মেমোরিয়ালে সন্ধ্যায় আয়োজিত এক কনসার্টে উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন টম হ্যাংকস, ব্রুস স্প্রিংস্টিন, জন লিজেন্ড, জন বন জোভি, জাস্টিন টিম্বারলেক এবং ডেমি লোভাটো। বাইডেন কী কী নির্বাহী আদেশে সই করেছেন? নির্বাহী আদেশের বর্ণনা করে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন "শুধু ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে বড় ক্ষতিগুলোই সংশোধন করবেন না বরং তিনি দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।" করোনাভাইরাস মহামারি সামাল দিতে ধারাবাহিক কিছু পদক্ষেপ নেয়া হবে। এতে এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে চার লাখেরও বেশি প্রাণহানি হয়েছে। সব ধরণের কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তরে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করা হবে। মহামারির বিষয়ে পদক্ষেপের সমন্বয় করতে একটি আলাদা দপ্তর গড়ে তোলা হবে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যেতে ট্রাম্প প্রশাসনের শুরু করা প্রক্রিয়া স্থগিত করা হবে। ক্ষমতায় যাওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন আমেরিকানকে টিকা দিতে চান মি. বাইডেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এর সাথে আবারো যুক্ত হওয়ার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তার মুখপাত্র স্টিফানি দুজারিক জানান, মহাসচিব বলেছেন যে, সমন্বিত বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে এটি "অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ"। মি. বাইডেন আরো জানিয়েছেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই হবে তার প্রশাসনের অন্যতম অগ্রাধিকার। ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে আবার যোগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে নির্বাহী আদেশ সই করেছেন তিনি। গত বছর আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তি থেকে বের হয়ে এসেছিলেন ট্রাম্প। বিতর্কিত কিস্টোন এক্সএল পাইপলাইনের প্রেসিডেন্সিয়াল অনুমোদন বাতিল করেছেন মি. বাইডেন। এই পাইপলাইনের বিরুদ্ধে পরিবেশবাদী এবং নেটিভ আমেরিকান গোষ্ঠীগুলো এক দশকের বেশি সময় ধরে লড়াই করে আসছে। কিস্টোন পাইপলাইনের বিরুদ্ধে পরিবেশবাদী এবং নেটিভ আমেরিকান গোষ্ঠীগুলো এক দশকের বেশি সময় ধরে লড়াই করে আসছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, শুক্রবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে প্রথম বিশ্বনেতা হিসেবে ফোন করার পর এ বিষয়ে তার সাথে আলোচনা করবেন মি. বাইডেন। বেসরকারিভাবে অর্থায়নে থাকা পাইপলাইনটির মূল্য প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার। কোম্পানিটি কানাডার আলবার্টা থেকে নেব্রাস্কায় দৈনিক আট লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত তেল পরিবহন করতো। ২০১৫ সালে এই পাইপলাইন কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠায় আনা একটি বিলে ভেটো দিয়েছিলেন বারাক ওবামা। কিন্তু সেটি উল্টে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অভিবাসনের উপর ট্রাম্প প্রশাসনের জারি করা জরুরি প্রস্তাবনা বাতিল করেছেন মি. বাইডেন। এই জরুরি প্রস্তাবনার অধীনে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে অর্থায়ন এবং বেশ কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। অন্য নির্বাহী আদেশগুলো বর্ণ এবং লৈঙ্গিক সমতা বিষয়ক। হোয়াইট হাউসের নতুন প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি। বাইডেন প্রেসিডেন্সির আওতায় প্রথম অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, তিনি কি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের স্বার্থকে প্রচার করবেন নাকি "সাদামাটা সত্য" উপস্থাপন করবেন। এর উত্তরে তিনি বলেন, "মুক্ত ও স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকার প্রতি গভীর শ্রদ্ধার" সাথে তিনি "সরকারে স্বচ্ছতা এবং সত্য ফিরিয়ে আনতে" প্রেসিডেন্টের সাথে কাজ করবেন।
US President Joe Biden has begun to undo some of Donald Trump's key policies, hours after being sworn in.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
তুরস্কের পর একই পরিবর্তন অন্যান্য দেশেও কি দেখা যাবার ইঙ্গিত এটা? তুরস্ক এমন সময় এই নতুন আইন প্রবর্তন করল যখন অনলাইনে বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা থেকে শুরু করে করোনাভাইরাস নিয়ে ভুয়া তথ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ কীভাবে আরও জোরদার করা যায়, বিশ্ব জুড়ে তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। কী আছে তুরস্কের এই নতুন আইনে? এই আইনের আওতায় যেসব সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের দশ লাখের বেশি অনুসারী আছে, তাদের তুরস্কে স্থানীয় কার্যালয় থাকতে হবে এবং সরকার কোন কন্টেন্ট সরাতে বললে তাদের সেটা মানতে হবে। কোন সংস্থা এই নির্দেশ অমান্য করলে তাদের জরিমানা করা হবে এবং তাদের ডেটা সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর এর প্রভাব পড়বে। অর্থাৎ তাদের ডেটা সরবরাহের গতি ব্যাপকভাবে কমিয়ে দেয়া হবে। এই পরিবর্তন প্রযোজ্য হবে ফেসবুক, গুগল, টিকটক এবং টুইটারের মত বিশাল প্রযুক্তি সংস্থাগুলোসহ বহু কোম্পানি এবং বহু সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম-এর ক্ষেত্রে। নতুন আইনে নির্দেশ অমান্যকারী সংস্থাগুলোর ব্যান্ডউইথ ৯৫% পর্যন্ত হ্রাস করা হতে পারে, যার অর্থ হবে যে তারা কাজ করতে পারবে না। নতুন আইন অনুযায়ী সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত তথ্য তুরস্কে সংরক্ষিত রাখা হবে। তুরস্কের ৮ কোটি ৪০ লক্ষ জনগণের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মগুলো খুবই জনপ্রিয়। দেশটির কয়েক কোটি সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর কাছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, স্ন্যাপচ্যাট এবং টিকটক সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। এখন এই আইন আনা হলো কেন? সরকার বলছে এই আইনের লক্ষ্য সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই এবং "লাগামহীন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব" থেকে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা দেয়া। কয়েক মাস ধরেই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান সোশাল মিডিয়া সাইটগুলোকে "অনৈতিক" বলে বর্ণনা করে আসছেন এবং এইসব সাইটকে কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে তিনি যে বদ্ধপরিকর সে কথা তিনি কখনই গোপন করেননি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান বলেছেন সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো "অনৈতিক" অন্যান্য দেশেও কি একইধরনের আইন আছে? তুরস্কের সংসদে এই নতুন আইন নিয়ে বিতর্কের সময় প্রায়শই জার্মানির উদাহরণ টানা হয়েছে এবং অনলাইন নিয়মবিধির ক্ষেত্রে জার্মানিকে আদর্শ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। জার্মানি ২০১৭ সালে নেটজেডডিজি নামে একটি নেটওয়ার্ক এনফোর্সমেন্ট অ্যাক্ট বা নেটওয়ার্ক আইন চালু করে। একইভাবে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য এবং আপত্তিকর কন্টেন্টকে ওই আইনের আওতায় আনা হয়েছিল। জার্মানিতেও সোশাল নেটওয়ার্ক আপত্তিকর কোন পোস্ট ২৪ ঘন্টার মধ্যে না সরালে আইন অনুযায়ী তাদের ৫০ মিলিয়ন ইউরো (৫ কোটি ৬৪ লক্ষ মার্কিন ডলার) জরিমানার বিধান আছে। জার্মানিতে এই আইনের বিধান সম্প্রতি আরও বাড়ানো হয়েছে, যাতে ফৌজদারি অপরাধের জন্য সন্দেহ করা হচ্ছে এমন কন্টেন্ট সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মকে জার্মান পুলিশের কাছে সরাসরি পাঠাতে বলা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ইন্টারনেট যখন বন্ধ করে দেয়া হয় তখন কী ঘটে মহামারিকে কাজে লাগিয়ে কি ক্ষমতা সংহত করছেন ইউরোপের কিছু নেতা মিথ্যা খবর সরাবে না ফেসবুক এই আইন নিয়ে সমস্যা কোথায়? ইন্টারনেটের ওপর নজরদারি নিয়ে তুরস্ক আর জার্মানির ইতিহাস খুবই আলাদা। জার্মানির গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বাকস্বাধীনতার বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বের সাথে রক্ষা করার রেওয়াজ চালু রয়েছে, কিন্তু তুরস্কের একনায়ক শাসন কাঠামোয় অনলাইনের স্বাধীনতা দিনে দিনে খর্ব করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তুরস্কে সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ওপর কড়া নজর রাখা হয়। মি. এরদোয়ান বা তার মন্ত্রীদের অপমান করার দায়ে অথবা বিদেশে সামরিক হস্তক্ষেপ এবং করোনাভাইরাস মোকাবেলার সমালোচনা করায়, অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। গত এক দশকে তুরস্কের মূলধারার সংবাদ মাধ্যমের অধিকাংশই সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ফলে সমালোচকদের মন্তব্য করার এবং নিরপেক্ষ সংবাদ তুলে ধরার জন্য জায়গা করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো। তুরস্কে ভিন্নমত প্রকাশের একমাত্র জায়গা ইন্টারনেট এবং এ সপ্তাহে টু্‌ইটারে ট্রেন্ড করছে #SansurYasasinaDurDe (হ্যাশট্যাগসেন্সরশিপআইনবন্ধহোক) কিন্তু ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন অ্যাসোসিয়েশনের এক প্রতিবেদন বলছে, এ পর্যন্ত উইকিপিডিয়া সহ চার লাখ ৮ হাজার সাইট দেশটিতে ব্লক করা হয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে সেগুলোতে ঢোকা যাচ্ছে না। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশানাল নতুন এই আইনকে ব্যাখ্যা করেছে "সর্বসাম্প্রতিক এবং তুরস্কে বাকস্বাধীনতার ওপর সবচেয়ে গুরুতর আঘাত" হিসাবে। "নতুন ইন্টারনেট আইনের ফলে পুলিশের সাথে সরকারের একযোগে কাজ করার ক্ষমতা বেড়ে যাবে এবং তারা অনলাইনে সেন্সরশিপ চালাতে পারবে। এর ফলে যারা ভিন্নমত প্রকাশ করার কারণে ইতোমধ্যেই সরকারের বিরাগভাজন হয়েছে এবং সরকার যাদের নির্দয়ভাবে লক্ষ্যবস্তু করেছে তাদের ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে," বলছে অ্যামনেস্টির তুরস্ক বিষয়ক গবেষক অ্যান্ড্রু গাডর্নার। এই আইন সেন্সরশিপকে উৎসাহিত করবে এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন। তিনি বলেছেন এই আইন তৈরি করা হয়েছে সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর সাথে একটা যথাযথ বাণিজ্যিক ও আইনি সম্পর্ক গড়ে তোলার স্বার্থে। অন্যান্য দেশ কীভাবে সোশাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করে? বিভিন্ন দেশের সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বক্তব্য এবং অনলাইনের কন্টেন্ট-এর মোকাবেলা কীভাবে করবে তা নিয়ে ক্রমশই আরও বেশি আলাপ আলোচনা চালাচ্ছে। চীনে এ ব্যাপারে আইন খুবই কড়া। দেশটিতে কয়েক লক্ষ সাইবার পুলিশ সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো নজরদারি করে এবং রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর বার্তাগুলো তারা যাচাই-বাছাই করে। রাশিয়া এবং সিঙ্গাপুরেও অনলাইনে কী পোস্ট করা যাবে বা কী ছড়ানো যাবে তা নিয়ে কঠোর আইন আছে। তবে তুরস্কের এই নতুন আইনের ওপর অনেক দেশই নি:সন্দেহে ঘনিষ্ঠ নজর রাখবে, যেমন আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্য দেশ। কারণ এই দেশগুলোতে সোশাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই মুহূর্তে বড়ধরনের বিতণ্ডা চলছে। কিছু কিছু মানবাধিকার সংগঠন তুরস্কের নতুন আইন নিয়ে উদ্বিগ্ন এই কারণে যে এটা অন্য অনেক দেশকে একইধরনের আইন তৈরিতে উৎসাহিত করবে। মানবাধিকার সংস্থা হিউমান রাইটস ওয়াচ বলছে তুরস্কের এই নতুন আইন "অনলাইন সেন্সরশিপের এক নতুন অন্ধকার জগতের" সূচনা করেছে।
Turkey's parliament has passed a law to control social media platforms, a move human rights groups say poses a severe threat to freedom of expression.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
পাকিস্তানে আসিয়া বিবির মৃত্যুদন্ড পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ সাইফ-উল-মুলুক নামের ওই আইনজীবী ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, তার জীবন এখন হুমকির মুখে। কিন্তু আসিয়া বিবির পক্ষে লড়ার জন্যই তার বেঁচে থাকা জরুরী এবং সে জন্যই তাকে পাকিস্তান ছাড়তে হয়েছে। আসিয়া বিবিকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ২০১০ সালে দেয়া ফাঁসির দণ্ড এ সপ্তাহেই পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট তা বাতিল করে দেয়। তার পর থেকেই পাকিস্তানে বিক্ষোভ শুরু হয় । এর নেতৃত্ব দিচ্ছিল তেহরিক-ই লাবাইক নামের ইসলামপন্থী দল। তাদের দাবি: আসিয়া বিবির মৃত্যুদন্ডাদেশ পুনর্বহাল করতে হবে। এর পর সরকার বিক্ষোভ থামানোর জন্য ইসলামপন্থীদের সঙ্গে এক সমঝোতায় পৌছায় যে সরকার উচ্চ আদালতে ওই রায়ের বিরুদ্ধে করা পিটিশনের বিরোধিতা করবে না। তা ছাড়া গ্রেফতার করা সব বিক্ষোভকারীকে মুক্তি দেয়া হবে এবং আসিয়া বিবি যেন পাকিস্তান ছাড়তে না পারেন তার আইনী প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এগুলোর বিনিময়ে টিএলপি তাদের সমর্থকদের শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ বন্ধ করতে বলবে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: এক বালতি পানি, ব্লাসফেমি এবং আসিয়া বিবির ফাঁসি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষোভকারীদের সাথে সমঝোতা করেছে সরকার আসিয়া বিবির আইনজীবী মি. মুলুক সরকারের এই সমঝোতাকে 'বেদনাদায়ক' বলে আখ্যায়িত করেন। "দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া আদেশও সরকার বাস্তবায়ন করতে পারছে না" - ইউরোপের পথে বিমানে ওঠার আগে বলেন তিনি। আরো অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে সরকার উগ্রপন্থীদের কাছে নতিস্বীকার করেছে এবং এ চুক্তি আসিয়া বিবির মৃত্যুপরোয়ানা স্বাক্ষরের সামিল। তবে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী সরকারের পদক্ষেপ সমর্থন করে বলেছেন, আসিয়া বিবির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবকিছুই করা হবে। এর আগে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে এ সপ্তাহের শেষ দিকেই আসিয়া বিবি মুক্তি পাবেন। বেশ কয়েকটি দেশ তাকে আশ্রয় দেবার কথাও বলেছিল।
The lawyer representing a Christian woman acquitted of blasphemy after eight years on death row has fled Pakistan in fear for his life.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি আগুন ধরে যায়। শনিবার সন্ধ্যায় নিজেদের মাঠেই প্রিমিয়ার লীগের একটি ম্যাচ দেখেছেন তিনি। হেলিকপ্টারটি খুব বেশি দূর যেতে পারেনি। স্টেডিয়ামের বাইরে কার পার্কেই সেটি পড়ে গেলে তাতে আগুন ধরে যায়। ক্লাবের মালিক ভিচাই স্রিভাদানাপ্রাপা যে সেসময় হেলিকপ্টারে ছিলেন সেটি তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটির সূত্রের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, খেলা শেষ হওয়ার পরপরই তিনি লেস্টার সিটির একজন খেলোয়াড়কে স্টেডিয়ামের বাইরে দুর্ঘটনাস্থলের দিকে দৌড়ে যেতে দেখেছেন। হেলিকপ্টারে সেসময় তার সাথে আর কেউ ছিলেন কিনা সেবিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। লেস্টার সিটির মালিকের অবস্থা সম্পর্কেও তার পরিবার, ক্লাব কিম্বা পুলিশের তরফ থেকেও এখনও পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি। দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কেও এখনও কিছু জানা যায়নি। কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গতকালের ম্যাচটি ছিল ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের সাথে এবং খেলাটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। এই মালিকের অধীনেই লেস্টার সিটি ২০১৬ সালে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয় করেছিল, উঠেছিল চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে। ক্লাবের মালিক ভিচাই স্রিভাদানাপ্রাপা রায়ান ব্রাউন নামের একজন ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার বিবিসিকে বলেছেন, খেলা শেষ হওয়ার পর হেলিকপ্টারটিকে তিনি কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামের উপরে উড়তে দেখেছেন। বিবিসি লেস্টারকে তিনি বলেন, "ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন সেখানে ঘড়ঘড় করার মতো একটা শব্দ হচ্ছিল।" "হঠাৎ করে হেলিকপ্টারটি চুপ হয়ে যায়। তারপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘুরতে শুরু করে এবং এক পর্যায়ে খুব জোরে একটা শব্দ হয় এবং আগুন ধরে যায়।" দুর্ঘটনার পরপরই বিভিন্ন জরুরী বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে ছুটে যান। লেস্টারশায়ারের পুলিশ বলছে, দুর্ঘটনার নিয়ে তাদের তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন লেস্টার সিটির মেয়র, ক্লাবের সাবেক ফুটবলার এবং ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক গ্যারি লিনেকার এবং ক্লাবের তারকা জেমি ভার্ডি। ওয়েস্ট হ্যাম ক্লাবের পক্ষ থেকেও টুইট করে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। মালিক ভিচাই স্রিভাদানাপ্রাপা একজন থাই ধনকুবের ব্যবসায়ী। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী থাইল্যান্ডের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি চার নম্বরে। প্রায় চার কোটি পাউন্ডের বিনিময়ে তিনি লেস্টার সিটি ক্লাব কিনেছেন ২০১০ সালে।
The owner of Leicester City FC died when his helicopter crashed outside the stadium, the club has confirmed.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সাথে যেন বাকযুদ্ধে নেমেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি ইরাকে আক্রমণ এবং অর্থনৈতিক ধসের সময়েও মার্কিনত্ব-বিরোধী যে মনোভাব কাজ করছিল তখনও এমনটা ছিল না। হতাশা! ২০০৪ এবং ২০০৮ সালে আমেরিকানরা ঐক্যবদ্ধ ছিল, অন্তত এতটা ক্ষুব্ধভাবে বিভক্ত ছিল না। অনেকেই হয়তো ধারণা করেছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় নাৎসিদের 'সোয়াস্তিকা' চিহ্ন দেখে মানুষ দ্বিধাহীনভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠবে। কিন্তু তা হয়নি। দেশ এতটাই রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে যে নাৎসিদের চিহ্নও এখন রাজনৈতিক চিহ্ন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যদি সেটির নিন্দা না জানালে কেউ রাজনৈতিক সুবিধা পায়। আর যে মানুষটি দেশ চালাচ্ছেন তিনি সক্রিয়ভাবে সেই বিভক্তিকে উস্কে দিচ্ছেন। শার্লটসভিলে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের মিছিলে কিছু 'ভাল মানুষও' ছিল বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে যুক্তি খুঁজে বের করার চেষ্টা অনর্থক। আমার ধারণা তিনি নিজেও কোন যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করেননি। আমার সন্দেহ হয় সংবাদ সম্মেলনে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা তার জাতিগত মনোভাব থেকে যতটা না এসেছে, তার চেয়ে বেশি এসেছে তার প্রাথমিক বক্তব্যের পর বাক্যবাণে জর্জরিত হওয়ার কারণে দুঃখ এবং ক্ষোভ থেকে। তবে বর্ণবাদী এবং উগ্র-ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে স্পষ্টভাবে নিন্দা জানাতে মি. ট্রাম্পের ব্যর্থতা তাদেরকে নতুন করে অক্সিজেন দিয়েছে এবং মার্কিন পরিচয়ের একদম বুকে আঘাত হেনেছে। মি. ট্রাম্প তার ১৭ দিনের ছুটির মদ্যে তার নিউ ইয়র্কের বাসভবনে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন। মার্কিন গর্বের মূলে রয়েছে তাদের মধ্যপন্থী মনোভাব, যেটা ইউরোপীয়দের মত উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সাথে অম্লমধুর সম্পর্ক নয়। সুপরিচিত রাজনৈতিক ভাষ্যকাররা আমাকে প্রায় সময় বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র সব সময় কেন্দ্রীয় অবস্থানের দিকেই ধাবিত হয়। কিন্তু শার্লটসভিলের ঘটনায় তা মোটেও মনে হয়নি - জার্মানি, ইতালি বা স্পেনও একই কথাই বলবে। কিন্তু অন্য সব দেশের চেয়ে আরো বেশি অস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও যদি অন্য সব দেশের অবস্থার দিকেই যেতে থাকে, তাহলে বিশ্ব যে তাদের মতামত পুনর্বিবেচনা করবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। মার্কিনীরা যেভাবে নিজেদের বিশেষ এবং অনন্য একটি দেশ হিসেবে বর্ণনা করে, তা আমার কাছে প্রায় সময়ই বেশ বাগাড়ম্বরপূর্ণ মনে হয়েছে। ফরাসী, ব্রিটিশ কিংবা অস্ট্রেলিয়ানদের কখনো নিজেদের সম্পর্কে এভাবে বলতে শোনা যায় না - যদিও তারাও হয়তো এমনটাই ভাবে। তবে কখনও কখনও হয়তো সেই অনন্যতার ক্ষয়ই আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সেটা কতটা বাস্তব ছিল এবং বিশ্ব তার ওপর কতটা নির্ভর করতো। ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে বিক্ষোভকারীদের প্ল্যাকার্ড। এই গ্রীষ্ম আমি কাটিয়েছি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং স্পেনে। তিনটি দেশের নেতারাই এখন ভাবছে জলবায়ু পরিবর্তন বা বাণিজ্যের মত বিষয়ে মার্কিন নেতৃত্ব ছাড়াই কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়। সেসব দেশের জনগণের মনেও এখন যুক্তরাষ্ট্রের অস্তিত্ব দিন দিন ম্লান হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টা আর কৌতুক হিসেবেও দেখা হচ্ছে না, যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক অবস্থানের পতন সেখানকার মানুষকে আসলেই দুঃখিত করছে। ইউরোপীয়দের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সব সময়ই ছিল একটি জটিল এবং অনেকটা নিরাপত্তাহীন সম্পর্ক - কিছুটা প্রশংসার দৃষ্টি, কিছুটা হিংসা, কিছুটা বিরক্তি। কিন্তু এই বছর যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে ইউরোপের প্রতিক্রিয়া বেশ ভিন্ন মনে হয়েছে। ইউরোপ এখন আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী - অর্থনীতিও ভালো করছে এবং উগ্র-ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলো ব্যালটবাক্সে পরাজিত হচ্ছে। এমনকি ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ততটা সাড়া পাচ্ছেনা - ফ্রান্স এবং জার্মানির কাছে ব্রেক্সিটও এখন পুরনো খবর। নতুন এই আত্মবিশ্বাস এবং যুক্তরাষ্ট্রের অকার্যকারিতা একসাথে মিশে মার্কিন নেতৃত্বকে উড়িয়ে দেয়ার একটি মনোভাব তৈরি হতেই পারে। ইউরোপীয়দের কাছে, বহির্বিশ্বের অনেকের কাছেই ট্রাম্প একটি প্রদর্শনী, যেন স্টেরয়েড দেয়া একটি রিয়েলিটি শো। বর্তমানে আমেরিকার প্রতি ইউরোপের আগ্রহ এটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কংগ্রেসেও কোন কিছু ঠিকভাবে হচ্ছে না - মার্কিনীদের মনোকষ্টের কারণ বোঝাটা খুব কঠিন নয়। বিশ্ব যে এখন তাদের বৈশ্বিক পরাশক্তি ছাড়াই কীভাবে কাজ করতে হয়, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে - তাতেও অবাক হবার কিছু নেই।
I've just returned to Washington after a few weeks in Europe. In 20 years of living in the US, I've never returned to a country so dispirited, nor so dismissed.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরুর পরই কঠোর লকডাউন আরোপ করে নিউজিল্যান্ড গত কয়েকদিন ধরে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা এক অঙ্কে নেমে আসে দেশটিতে, রোববার নতুন করে মাত্র একজন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডান বলেছেন, তার দেশ এখনকার মত 'এ যুদ্ধে জিতেছে'। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নিউজিল্যান্ডে সামাজিক মেলামেশার ক্ষেত্রে নেয়া কঠোরতম বিধিনিষেধ শিথিল করার কয়েক ঘণ্টা আগে এ খবর পাওয়া গেল। মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে অত্যাবশ্যক নয় এমন কিছু ব্যবসায়িক খাক, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হবে। তবে করোভাইরাস ঠেকাতে পাওয়া সাফল্য নিয়ে 'আত্মপ্রসাদে' যেন কেউ না ভোগেন, সে বিষয়ে কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস কীভাবে শরীরের ক্ষতি করে? সংক্রমণ রোধে দেশে দেশে নেয়া পদক্ষেপের তুলনা কি সম্ভব? লকডাউন তুলে নেয়া হলেও বেশিরভাগ মানুষকেই এখনো সারাক্ষণ বাড়িতেই থাকতে হবে এবং সব ধরণের সামাজিক মেলামেশা বন্ধ রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডান এক সরকারি ব্রিফিং এ বলেছেন, "আমরা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করছি, কিন্তু মানুষের সামাজিক জীবন এখনি আবার চালু করা হচ্ছে না।" নিউজিল্যান্ডে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ১৫০০ চেয়ে কম মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৯ জন মারা গেছেন। 'ভয়াবহ অবস্থা এড়ানো গেছে' নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অ্যাশলি ব্লুমফিল্ড বলেছেন, গত কয়েক দিনে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমে আসায় "করোনাভাইরাস দূর করার জন্য সরকার যে লক্ষ্য ঠিক করেছে, তা আমরা অর্জন করতে পেরেছি বলে আমাদের বিশ্বাস।" তবে মিস আর্ডান এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক দুজনই সতর্ক করেছেন যে ভাইরাস নির্মূল হবার ঘোষণা দেয়ার মানে এই নয় যে দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত কেউ আর নতুন করে শনাক্ত হবেন না। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডান কিন্তু সে সংখ্যা হবে খুবই কম এবং সহজে সামালযোগ্য। মিস আর্ডান বলেন, "নিউজিল্যান্ডে ব্যাপক হারে অ-শনাক্তকৃত কোন কম্যুনিটি সংক্রমণ নেই। সে যুদ্ধে আমরা জিতেছি। কিন্তু আমাদের যেন অবস্থাটা এমনই রাখতে পারি সে ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।" কড়া ব্যবস্থা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে নিউজিল্যান্ডে যখন মাত্র ডজনখানেক রোগী শনাক্ত হন, তখনি দেশটি স্বাভাবিক কাজকর্ম এবং ভ্রমণে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। দেশটির সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়, এবং দেশটিতে প্রবেশ করা সকল মানুষকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। এছাড়া কঠোর লকডাউন আরোপ করা হয়, এবং নমুনা পরীক্ষার হার বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়। সেই সঙ্গে জোরদার করা হয় কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং এর ব্যবস্থাও। প্রধানমন্ত্রী মিস আর্ডান বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরুর পর পরই যদি দ্রুত লকডাউন না দেয়া হত, তাহলে দিনে এক হাজারের ওপর নতুন রোগী শনাক্ত হত। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি কত খারাপ হতে পারত কেউ জানে না, কিন্তু "আমাদের আগাম পরিকল্পনায় আমরা সবচেয়ে ভয়ানক পরিস্থিতি এড়াতে পেরেছি।" সোমবার মধ্যরাত থেকে দেশটিতে লেভেল ফোর পর্যায়ের লকডাউন থেকে লেভেল থ্রিতে নামিয়ে আনা হবে। এর মানে হচ্ছে, টেকঅ্যাওয়ে সরবারহের জন্য রেস্তোরাঁ খোলা রাখাসহ বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই কাজকর্ম শুরু করতে পারবে। কিন্তু মুখোমুখি দেখাসাক্ষাৎ হয়, এমন কোন কর্মকাণ্ডের অনুমোদন দেয়া হবে না। বাসিন্দাদের আগের মতই পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সংস্পর্শে থাকা এবং যেকোন মানুষের সাথে দুই মিটার দূরত্বে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। গণজমায়েত এখনো আগের মত নিষিদ্ধ থাকবে, শপিং সেন্টার বন্ধ থাকবে এবং অধিকাংশ শিশু স্কুলে যাবে না। নিউজিল্যান্ড সীমান্তও বন্ধ থাকবে।
New Zealand says it has stopped community transmission of Covid-19, effectively eliminating the virus.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
হংকং-এর বিক্ষোভকারীদের কণ্ঠে মার্কিন জাতীয় সঙ্গীত রোববার হংকং-এর মার্কিন কনসুলেটের দিকে মিছিল করে যাওয়ার সময় এসব বিক্ষোভকারী অনেকের হাতে মার্কিন পতাকা দেখা যায়। তাদের বহন করা ব্যানারে লেখা ছিল: "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, প্লিজ হংকং-কে রক্ষা করুন" এবং "হংকং-কে আবার সেরা নগরীতে পরিণত করুন।" তারা ঐ নগরটিকে চীনের হাত থেকে 'মুক্ত' করার জন্যও স্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীদের প্রধান একটি দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নেয়ার পরও ঐ শহরে গত ১৪ সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চলছে। হংকং-এর ব্যাপারে নাক না গলানোর জন্য চীনের কর্তৃপক্ষ বার বার করে হুঁশিয়ার করে আসছে। তারা বলছে, ১৯৯৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে পাওয়া এই সাবেক উপনিবেশের পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে হংকং-এর নিজস্ব ব্যাপার। বিক্ষোভকারীরা দাবি করছেন, একটি নয়, তাদের পাঁচটি দাবির সবগুলোই মেনে না নেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। কী চান বিক্ষোভকারীরা? বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় এভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। হংকং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ শুরু হয় একটি বিতর্কিত বন্দি বিনিময় আইনের খসড়াকে কেন্দ্র করে। এই আইনে বলা ছিল হংকং-এ কেউ গ্রেফতার হলে তাকে চীনের হাতে তুলে দেয়া যাবে, যেখানে রয়েছে ভিন্ন ধরনের বিচার ব্যবস্থা। এই খসড়া আইনটি বাতিলের দাবিতে এরপর সেখানে নিয়মিতভাবে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলতে থাকে যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ যোগদান করেন। ব্যাপক জন-বিক্ষোভের মুখে গত জুন মাসে খসড়া প্রস্তাবটি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়, এবং গত সপ্তাহে পাকাপাকিভাবে তা বাতিল করা হয়। এরই মধ্যে বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে আরও চারটি দাবিদাওয়া পেশ করা হয়। সেগুলো হলো: যুক্তরাষ্ট্র কী জড়িয়ে পড়তে পারে? মার্কিন পতাকা হাতে মুখঢাকা এক বিক্ষোভকারী। এই বিষয়ে অন্যান্য খবর: হংকং: সঙ্কুচিত হচ্ছে মীমাংসার পথ, উপায় কী চীনের? হংকং-এর বাংলাদেশীরা ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন হংকং-এ হস্তক্ষেপ করার জন্য বিক্ষোভকারীদের আকুল আবেদন সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বর্ণনা করেছেন এভাবে, "প্রেসিডেন্ট শি একজন মহান নেতা যাকে চীনা জনগণ খুবই সম্মান করেন।" গতমাসের মাঝামাঝি মি. ট্রাম্প একটি টুইট করেন যাতে তিনি লেখেন, "আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই যে প্রেসিডেন্ট শি দ্রুত এবং মানবিকতার সাথে হংকং সমস্যার সমাধান করবেন।" মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার শনিবার বলেছেন যে চীন সংযত আচরণ করবে বলে তিনি আশা করেন। চীন অবশ্য হংকং-এর বিক্ষোভকারীদের মদত দেয়ার জন্য সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনকে দায়ী করেছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: রওশন-কাদেরের বিবাদ অবসানে সমঝোতা বরিস জনসন আইন না মানলে আদালতে যাবেন এমপিরা
Pro-democracy protesters in Hong Kong are appealing to President Donald Trump for help as they march near the US consulate general in the city.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
গাড়িচাপা পড়ে মনিব মারা যাবার পর থেকেই রাস্তায় বসে আছে কুকুরটি চীনের জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সাইট সিনা ওয়েইবোতে কুকুরটির অপেক্ষার এই দৃশ্য গত দুইদিনে ১৪ লক্ষ মানুষ দেখেছেন। ঘটনার শুরু ঘটনাটি ঘটেছে ২১শে অগাস্ট চীনের উত্তরে ইনার মঙ্গোলিয়ার হোহোট শহরের ঐ ব্যস্ত সড়কে কুকুরটির মালিক মারা যান। এরপর থেকে রোজ কুকুরটি তার মনিবের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে সেখানে। একজন ট্যাক্সিচালক জানিয়েছেন, স্থানীয় বাসিন্দারা কুকুরটিকে সাহায্যের চেষ্টা করেছেন, কিন্তু কাউকে কাছে যেতে দেখলে প্রতিবারই পালিয়ে গেছে সে। "স্থানীয় ড্রাইভারেরা কুকুরটির জন্য রাস্তায় খাবার রেখে দেয়, কিন্তু যখনি কেউ কাছে যাবার চেষ্টা করেছে, দৌড়ে পালিয়ে যায় কুকুরটি।" সামাজিক মাধ্যমে মানুষজন কুকুরটির নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করছেন আরও পড়তে পারেন: শিশু মৃত্যুর দায়ে অভিযুক্ত 'খুনী কুকুর' তিন বছরের শিশুকে কীভাবে বাঁচালো বধির কুকুর? রাস্তার যে কুকুর মানুষের আগেই মহাশূন্যে গিয়েছিল "মনিবের সঙ্গে তার সম্পর্ক খুবই গভীর ছিল, যেদিন তিনি এই রাস্তায় গাড়িচাপায় মারা যান, মৃতদেহের পাশে কুকুরটি ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল। তারপর থেকেই এই ঘটনা ঘটছে। আশপাশের লোকেরা সারাদিনই কুকুরটিকে রাস্তায় বসে থাকতে দেখে।" সামাজিক মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কী বলছেন? পিয়ার ভিডিও ওয়েবসাইট নামে একটি ভিডিও শেয়ারিং সাইট ১০ই নভেম্বর ভিডিওটি চীনে ফেসবুক বা টুইটারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হওয়া সিনা ওয়েইবোতে পোষ্ট করে। এরপর থেকেই ব্যবহারকারীরা এই ভিডিও নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছেন। অধিকাংশ মানুষ কুকুরটির আনুগত্যের অনুভূতি নিয়ে মন্তব্য করছেন। কেউ কুকুর নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছে। কেউ বা আবার কুকুরটির সুস্থতা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ব্যস্ত রাস্তায় শীতের মধ্যে কুকুরটির একাকী দাড়িয়ে থাকা নিয়ে উদ্বেগ আছে। জিয়ংজিয়ং নামে বয়স্ক একটি কুকুর মনিবের ফেরার অপেক্ষায় রেল স্টেশনে বসে থাকত আবার কেউ কেউ কুকুরটিকে দেখভালের দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এমন নজির কি এই প্রথম? প্রভুভক্ত প্রাণী হিসেবে কুকুরের সুনাম বহুকাল থেকেই। আর চীনের সামাজিক মাধ্যমেও এটিই প্রথম মনিবভক্ত কুকুরের গল্প নয়। এ বছরের শুরুতে পিয়ার ভিডিও আরেকটি ভিডিও পোষ্ট করেছিল, সেখানে জিয়ংজিয়ং নামে বয়স্ক এক কুকুর রেল স্টেশনে বাইরে মনিবের কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় থাকে। সেবার সেই ভিডিও নিয়েও অনেক আলোচনা ও আবেগের প্রকাশ দেখা গেছে। টোকিওর শিবুয়া রেল স্টেশনের বাইরে হাসিকোর ভাস্কর্য ১৯২০ সালে জাপানে হাসিকো নামে একটি কুকুর প্রতিদিন মনিবের সঙ্গে রেল স্টেশনে দেখা করার কারণে বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল। মনিবের মৃত্যুর পরও নয় বছর হাসিকো সেই স্টেশনে গিয়ে বসে থাকত। টোকিও শহরের উপকণ্ঠে সেই কুকুরের স্মরণে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে।
A loyal dog which has waited on a busy road for more than 80 days after its owner died there has captured the hearts of online communities in China.
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর।
সাবেক সরকারি চাকুরে এই নারী বলছেন, একজন সিনিয়র মন্ত্রী তাকে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কাবুলকে ঘিরে থাকা পার্বত্য এলাকার পাদদেশের কাছাকাছি একটি বাড়িতে সাবেক একজন সরকারি চাকুরের সাথে কথা বলেন বিবিসির প্রতিবেদক। নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় তার নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন সেই নারী, কিন্তু পুরো বিশ্ব তার নির্যাতনের খবর জানুক - সেটাই সে চায়। ওই নারী জানায় তার সাবেক বস, (অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা) যিনি সরকারের একজন সিনিয়র মন্ত্রী, বারবার তাকে যৌন হয়রানি করেছেন এবং একদিন যখন সে নিজের অফিসে যায়, তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টা করে। "সে সরাসরি আমাকে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বলে। আমি তাকে বললাম 'আমি যোগ্য এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। আমি কখনো ভাবতে পারিনি আপনি আমাকে এই ধরনের কোনও কথা বলতে পারেন না!' আমি চলে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়াই।" তবে এরপরও জোর খাটানোর চেষ্টা করা হয় তার সাথে। "সে আমার হাত ধরে ফেলে এবং আমাকে তার অফিসের একটি কক্ষে নিয়ে যায় সে জোর করে ভেতরে ঠেলে দেয় আমাকে এবং বলে যে, 'মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগবে, চিন্তা করো না। আমার সাথে আসো'। এরপর আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে বলি যথেষ্ট হয়েছে। আমাকে চিৎকার করতে বাধ্য করবেন না। এটাই ছিল তার সাথে আমার শেষ দেখা। আমি ভীষণ ক্রুব্ধ এবং আপসেট ছিলাম।" এই ঘটনার পর সে কী কোনও অভিযোগ দায়ের করেছিল? "না, আমি কাজ ছেড়ে দিতে বাধ্য হলাম। আমি সরকারকে বিশ্বাস করতে পারছিনা। যদি আপনি কোর্ট বা পুলিশের শরণাপন্ন হন, তাহলে দেখতে পারবেন তারা কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত। "আপনি অভিযোগ করে দাঁড়ানোর মত কোনও নিরাপদ জায়গা খুঁজে পাবেননা। আপনি যদি মুখ খোলেন তাহলে মেয়েটিকেই সবাই দোষারোপ করবে",বলেন ভুক্তভোগী নারীটি। সাবেক এই সরকারি কর্মী জানান, আরও দুজন নারী তাকে বলেছেন যে ওই একই মন্ত্রী তাদেরকে ধর্ষণ করেছেন (যদিও এই অভিযোগের তথ্যের বিষয়ে বিবিসি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি)। "সে এসব করেছে নির্লজ্জভাবে, কোনধরনের ভয় ছাড়াই কারণ সে সরকারের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি।" আরো পড়তে পারেন: আফগানিস্তান কেন এখন আগের চাইতেও বিপজ্জনক? আফগানিস্তান: ষড়যন্ত্র তত্ত্বের দেশ কাতারে মুখোমুখি আমেরিকা ও তালেবান, পরিণতি কী আফগানিস্তানের ১৭ বছরের সংকটের অবসান হবে? সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবিদরা পতিতাবৃত্তি ছড়িয়ে দিচ্ছে-এমন অভিযোগ নাকচ করেছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। নারীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ দেশগুলোর তালিকায় আফগানিস্তান ধারাবাহিকভাবে তার অবস্থান ধরে রেখছে। ২০১৮ সালে জাতিসংঘের প্রকাশিত এক রিপোর্টে বিস্তারিত উঠে আসে যে কিভাবে যৌন অপরাধ এবং নির্যাতনের শিকার নারীদের তাদের অভিযোগ তুলে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। অনেক ঘটনার ক্ষেত্রে তাদের ওপর ঘটে যাওয়া অপরাধের জন্য তাদেরকেই দোষারোপ করা হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা সংঘটিত যৌন অসদাচরণের ঘটনার খবর প্রকাশ করা সহজ নয়। সেই কারণে যে ছয়জন নারীর সাথে বিবিসি কথা বলেছে তারা অধিকাংশই ছিল তাদের পরিচয় প্রকাশে ভীষণ ভীত। কিন্তু তাদের সাথে আলাপে এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, যৌন হয়রানি আফগান সরকারের ভেতরের একটি সমস্যা যেটি কোনও একজন ব্যক্তি একটি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। 'এখন এটা সংস্কৃতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে' আরেকটি অফিসের অন্য একজন নারী কর্মী স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা শেয়ার করতে রাজি হলেন। সরকারি চাকরির জন্য দরখাস্ত করেছিল সে এবং সব যোগ্যতা ছিল। কিন্তু তাকে বলা হল সেজন্য তাকে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর সাথে দেখা করতে হবে। "প্রেসিডেন্টের সাথে তাকে ছবিতে দেখা যায়। সে আমাকে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে যেতে বলে। সে বলে যে, আসো এবং বসো, আমি তোমার সব কাগজপত্র অনুমোদন করে দেবো। "সে আমার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে বসলো এবং এরপর বললো, এবার কিছু পান করা যাক এবং বিছানায় যাওয়া যাক।" ওই নারী জানান, শেষপর্যন্ত তাকে কোন পথ বেছে নিতে হয়েছিল। "আমার কাছে দুটো পথ খোলা ছিল, এই প্রস্তাব মেনে নেয়া অথবা ছেড়ে দেয়া। এবং আমি যদি তা গ্রহণ করতাম, এটা শুধুমাত্র ওই ব্যক্তির মধ্যেই থেমে থাকতো না, বরং আরও অনেক পুরুষ আমাকে তাদের শয্যাসঙ্গী হওয়ার জন্য বলতো। এটা সত্যিই জঘন্য। আমি আতঙ্কিত হলাম এবং সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ডেঙ্গু: ২৪ ঘন্টায় ৭৩ জন আক্রান্ত, যাচ্ছে ঢাকার বাইরেও ফেসবুকে গরুর মাংসের স্যুপ খাওয়ার ছবি দেয়ায় হামলা 'ধর্ষণের বিচার পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়' ইরাকে পুরুষরাই কি যৌন হয়রানির প্রধান লক্ষ্য? নারীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ দেশগুলোর তালিকায় আফগানিস্তান ধারাবাহিকভাবে অবস্থান ধরে রাখছে। সরকারি সেই কাজের কী হয়েছিলো? নারীটি জানায়, সে সরকারি দপ্তরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাকে বলা হয়েছিলো: "ভাবুন আপনি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রেখেছেন এবং তা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।" কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়ে মেয়েটি। "এইসব বিষয় আমাকে রাতে ঘুমাতে দেয়না। আপনি ধীরে ধীরে ক্রুদ্ধ এবং হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন।" কিন্তু সে কি অভিযোগ জানিয়েছিল? "আপনি যদি অভিযোগ নিয়ে একজন বিচারক, পুলিশ, কৌঁসুলি বা এদের যে কারও কাছে যান, তারাও আপনাকে শয্যাসঙ্গী হতে বলবে। এমন যদি তারাও করে তাহলে কার কাছে যাবেন?" "এটা এখন যেন সংস্কৃতির একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে আশেপাশের সব পুরুষই আপনার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়।" এইসব ঘটনার খবর হয় না-বলা রয়ে গেছে কিংবা কোথাও এ নিয়ে ফিসফাস শোনা গেলেও তা ধামাচাপা পড়ে গেছে যতক্ষণ পর্যন্ত না গত মে মাসে, প্রেসিডেন্টের সাবেক একজন উপদেষ্টা জেনারেল হাবিবুল্লাহ আহমেদযাই এ বিষয়ে মুখ খোলেন। প্রেসিডেন্টের একসময়কার এই উপদেষ্টা রাজনৈতিক বিরোধীতে পরিণত হওয়ার পর আফগান নিউজ চ্যানেলে সাক্ষাতকার প্রদানের সময় বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি শীর্ষ কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবীদদের বিরুদ্ধে পতিতাবৃত্তির প্রচার চালানোর অভিযোগ করেন। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সাক্ষাতকারের অনুরোধ জানানো হলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, এবং ইমেইলে প্রশ্ন পাঠানো হলে তারও কোনও প্রতিউত্তর মেলেনি। তারা জেনারেল আহমাদযাইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এর আগে দেয়া বিবৃতি দেখে নিতে বলে যেখানে তার এসব অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা হিসেবে দাবি করে। নিজের ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য সে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা বলেছে বলে দাবি করে তারা। সরকারের একজন মন্ত্রী নার্গিস নেহান টুইটারে লিখেছেন, "ক্যাবিনেটের একজন নারী সদস্য হিসেবে আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে এইধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।" কিন্তু বিশিষ্ট নারী অধিকার-কর্মী, সাবেক সংসদ সদস্য ফাওজিয়া কোফি জানিয়েছেন যে, তিনি বর্তমান সরকারের অনেক পুরুষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির বহু অভিযোগ পেয়েছেন। নারী অধিকার কর্মী ফাওজিয়া কোফি, তিনি পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে প্রথম নির্বাচিত হন ২০০৫ সালে । তিনি বলেন, "সরকারের প্রতিক্রিয়া আত্মরক্ষামূলক। তারা বিষয়টিকে আফগানিস্তানের নারীদের জন্য একটি সঙ্কটের চেয়েও রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে দেখছে।" তার মতে, "সেখানে দায়মুক্তির একধরনের সংস্কৃতি রয়েছে। অপরাধীরা এই সরকারের অধীনে নিরাপদ মনে করে নিজেদের এবং সে কারণে তারা এই ধরনের আরও অপরাধ সংঘটিত করার সাহস পায়।" সরকার যৌন হয়রানির ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এটি প্রেসিডেন্টের নিয়োগপ্রাপ্ত একজন ব্যক্তি এবং অ্যাটর্নি জেনারেলে কার্যালয় থেকে পরিচালিত হচ্ছে। অ্যাটর্নি জেনারেলের মুখপাত্র জামশিদ রাসুলিকে কাবুলে বিবিসির প্রতিবেদক প্রশ্ন করেছিলেন যে, "লোকজন কেন বিশ্বাস করবে যে পতপাক্ষহীন তদন্ত হবে?" তিনি বলেন, " সংবিধান অ্যাটর্নি জেনারেলকে স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকার দিয়েছে। আমরা আন্দোলন-কর্মী, মুসলিম চিন্তাবিদ, এবং মানবাধিকার সংগঠনকে এই তদন্ত কার্যক্রমের শরীক হতে আহ্বান করেছি, যাতে লোকজনকে আশ্বস্ত করা যায় যে আমরা পক্ষপাতহীন"। নারীরা অভিযোগ জানানোর জন্য সরকারি বিভিন্ন দপ্তরকে যথেষ্ট বিশ্বাস পর্যন্ত করতে পারছে না। সে বিষয়টি তুলে ধরা হলে এই মুখপাত্র বলেন, "আমরা ঘোষণা দিয়েছি যে, সমস্ত অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।" তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের সাথে সহযোগিতা করবে তাদের এবং তাদের পরিবারকে নিরাপদ রাখার জন্য আমরা বিধান তৈরি করবো। আফগানিস্তানে যুদ্ধের ফলশ্রুতিতে গণতন্ত্র আসে, যে যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। যুদ্ধের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল তালিবানদের অধীনে বর্বর আচরণের শিকার হওয়া আফগান নারীদের অধিকার ও সম্মান প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা। দেশটিতে নেটো-নেতৃত্বাধীন মিশন সরকারের ভেতরে শীর্ষ ব্যক্তিদের দ্বারা এহেন যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য করতে চায়নি। জাতিসংঘের নারী বিষয়ক উইং-এর পক্ষ থেকে মন্তব্য করার জন্য বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনও উত্তর আসেনি। ব্রিটিশ দূতাবাস মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আফগানিস্তানের নারীদের জন্য এটা একটা নিরাপত্তা-হীন অনিশ্চিত সময়কাল। তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং তালিবান বাহিনীর মধ্যে চলমান শান্তি আলোচনায় তাদের বক্তব্য তুলে ধরার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। সেখানকার নারীরা, অন্তত দেশটির অন্তত কোনও কোনও এলাকার নারীরা, নিপীড়নকারী তালিবান শাসন ২০০১ সালে উৎখাতের পর থেকে এ পর্যন্ত বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু তাদের এই অগ্রযাত্রা মুখ থুবড়ে পড়বে যদি সরকারে ভেতরে যৌন হয়রানির ঘটনাগুলোর শাস্তি না হয়। ভুক্তভোগী নারীদের একজন বলছিলেন দেশে তাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরির আকুতির কথা। "আমি প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে, এটা তার দায়িত্ব এইসব নারীদের কথা শোনা এবং তাদেরকে আমলে নেয়া। যদি তিনি দেশকে নিরাপদ করতে চান, তাহলে এই সমস্যাও তাকে সমাধান করতে হবে।" এই নারীর মত অনেকেই মনে করছেন, সত্য একদিন প্রকাশ হবেই। কিন্তু এই মুহূর্তে তা যেন এক দূরবর্তী স্বপ্ন তাদের কাছে।
Afghanistan has been rocked by allegations of sexual harassment at the highest levels of government. Officials deny wrongdoing but a BBC investigation has heard from women who describe a culture of abuse.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
সিলভাত জাফর অনেকদিন তার পরিবারকে জানাননি তার স্তনের মধ্যে একটি মাংসপেশী বাড়ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, প্রতিবছর দেশটিতে ১৭ হাজারের বেশি নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। যদিও পাকিস্তানের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত দাতব্য সংস্থাগুলোর হিসাবে এ সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। দেশটির প্রতি নয়জনে একজন নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন, কিন্তু সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ট্যাবুর কারণে নারীদের পক্ষে নিজের শরীরের একটি প্রত্যঙ্গ নিয়ে কথা বলা, কিংবা নিজের অসুস্থতা নিয়ে কথা বলা ভীষণ কঠিন। অথচ প্রকাশ না করলে সাহায্য পাওয়া যাবে না, আর তাতে আক্রান্ত রোগীর সেরে ওঠার সম্ভাবনা শূণ্যতে নেমে আসে। পাকিস্তানের ব্রেস্ট ক্যান্সার বিষয়ক দাতব্য সংস্থা পিংক রিবন ফাউন্ডেশনের ওমর আফতাব বলছিলেন, "স্তন ক্যান্সার যেহেতু নারীর যৌন বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সম্পর্কিত, সে কারণে পাকিস্তানে এটি এক প্রায় নিষিদ্ধ আলোচনা। স্তন ক্যান্সারকে রোগ হিসেবে না দেখে লোকে একে যৌনতা বিষয়ক কিছু বলে মনে করে।" কেমোথেরাপি চলার সময় সিলভাত জাফর এ রোগ থেকে আরোগ্য লাভ এমন রোগীরা জানিয়েছেন, যারই স্তন ক্যান্সার হয়, শারীরিক, আর্থিক এবং মানসিক--সমস্ত ধকল আক্রান্ত ব্যক্তির একলাই সামলাতে হয়। 'পরিবারকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলাম' প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক সিলভাত জাফরের বয়স যখন কুড়ির কোঠায়, তিনি হঠাৎ আবিষ্কার করলেন তার স্তনের মধ্যে একটি আলাদা মাংস পিন্ড রয়েছে। বাড়ির সবাই তখন ডিজনী ওয়ার্ল্ডে যাবার জন্য তৈরি হচ্ছে, ফলে পরিবারের কাছে প্রকাশ করলেন না ব্যপারটি। "তাছাড়া আমাদের সমাজে নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মেয়েরা তেমন একটা কথাবার্তা বলে না।" সিলভাত বলছিলেন। "নিজের সমস্যা নিয়ে কোন কথাই বলবে না। আমি ব্রেস্ট ক্যান্সার শব্দটি মুখেই আনতে পারতাম না। আমার মা ছিলেন না, তিনি আগেই মারা গেছেন। ফলে বাড়ির একমাত্র নারী সদস্য হিসেবে আমি চুপ করে ছিলাম।" ফোলানো নকশা করা, লেস আর কুচি দেয়া জামাকাপড় পড়ে সিলভাত নিজের বুকের ভেতরের বাড়ন্ত মাংসপেশীকে লুকিয়ে রাখতেন। ক্রমে বাড়তে থাকা শারীরিক যন্ত্রনার কথাও কাউকে বলতে পারতেন না। পাকিস্তানে 'স্তন' কথাটাও প্রকাশ্যে বলা যায় না কিন্তু চুপচাপ ছয় মাস কাটিয়ে দেবার পরে, সিলভাত যখন চিকিৎসকের শরনাপন্ন হন, ততদিনে তিনি ক্যান্সারের তৃতীয় ধাপে মানে স্টেজ থ্রিতে পৌঁছে গেছেন। পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান স্তন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. হুমা মাজিদ স্তনের ভেতরকার টিউমারটি আকারে বড় হয়েছে, এবং সারা শরীরে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। কিন্তু এমন অবস্থা হবার পরেও তার চিকিৎসা কার্যকরভাবে চলছে। পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান স্তন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. হুমা মাজিদ সিলভাতের চিকিৎসা করছেন। লাহোরে ইত্তেফাক হাসপাতালে একটি ক্লিনিক চালান হুমা, যেখানে শত শত স্তন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দেন তিনি। সিলভাতের চিকিৎসাও তিনি করেছেন। তিনি বলছিলেন, "মেয়েরা পরিবারের কথা ভাবে, নিজের কথা কখনো আগে ভাবে না।" পাকিস্তানি নারী রোগীদের ক্যান্সার চিকিৎসায় প্রধান বাধা 'লজ্জা'। এছাড়া স্তন যেহেতু শরীরের একটি স্পর্শকাতর প্রত্যঙ্গ, বহু নারী এবং তাদের স্বামী চান না কোন পুরুষ চিকিৎসক নারীদের স্তন পরীক্ষা করে দেখুক। ডা. মাজিদ বলছেন, এর বাইরে আরো কারণের মধ্যে রয়েছে, সমাজের পিতৃতান্ত্রিক কাঠামো, যার কারণে নারীর স্বাস্থ্যের গুরুত্ব এখনো অনেক কম। এছাড়া দেশটির বড় শহরগুলো ছাড়া ক্যান্সারের চিকিৎসা সহজে পাওয়া যায় না, যে কারণে অনেক নারী পরিবারের পুরুষ সদস্যের সহযোগিতা ছাড়া চিকিৎসা নিতে পারে না। পাকিস্তানে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত দরিদ্র রোগী বিশেষ করে যারা গ্রামে থাকেন তাদের ভোগান্তি বেশি। সামাজিক বাধা স্তন ক্যান্সার আক্রান্ত ২০ বছর বয়সী সাবিয়া অপারেশনের পরে প্রথম চেক আপে এসেছেন ডা. মাজিদের কাছে। গত বছর সাবিয়ার বাবা মারা গেছেন। যে কারণ বাড়িতে ভাইবোনদের খরচ যোগানোর জন্য পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে একটি চাকরি নিয়েছেন তিনি। লাহোরে সাবিয়ার মেমোগ্রাম চলছে বাসে চড়ে আড়াই ঘন্টার যাত্রা করে ক্লিনিকে এসেছেন, এখানে তার চিকিৎসা চলছে, সে কথা দূরে থাক, তার বাড়ির কেউ এখনো জানে না তার স্তন ক্যান্সার হয়েছে। "খুবই অস্বস্তিকর ব্যপারটা, সবার কাছে বলাও যায় না। আর সবাই জানলে ধরে নিন আপনার আর কোন বিয়ের প্রস্তাব আসবে না। স্তন ক্যান্সার হয়েছে, এমন কাউকে এ সমাজে কেউ মেনে নেবে না।" "শারীরিক অসুস্থতার সঙ্গে মানিয়ে চলার পর আপনার ওপর মানসিক নির্যাতন চলবে যে কেনো কোন বিয়ের প্রস্তাব আসছে না।" সিলভাতের ক্যান্সার ভালো হয়ে গেছে এক দশকের বেশি সময় আগে, কিন্তু এখনো তার ভালো বিয়ের প্রস্তাব আসে না কেবল এই কারণে। অক্টোবর মাস সারা পৃথিবীতে স্তন ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতার মাস হিসেবে পালিত হয়। পাকিস্তানের পিংক রিবন ফাউন্ডেশন গত ১৫ বছর ধরে স্তন ক্যান্সার নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু অতি সম্প্রতি প্রথমবারের মত তারা খোলাখুলি এ নিয়ে একটি আলোচনা আয়োজন করেছে। লাহোরে পিংক রিবন ফাউন্ডেশনের সচেতনতা কর্মসূচী লাহোরে একটি স্তন ক্যান্সার হাসপাতাল গঠনের কাজ চলছে, ২০২০ সালে কাজ শুরু হবে সেখানে। উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনা, সেখানে চিকিৎসক থেকে শুরু করে সকল কর্মী নারী হবেন। তবে, রোগী, চিকিৎসক, সচেতনতার কাজে নিয়োজিত দাতব্য সংস্থা এবং উদ্যোক্তা সবাই একমত যে এ রোগ নিরাময়ে পাকিস্তানের পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করতে হবে। অসুখ হলে গোপন না রেখে চিকিৎসকের সরনাপন্ন হতে হবে---এটি নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে বুঝতে হবে। কিন্তু পাকিস্তানে এক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত অগ্রগতি খুবই ধীর। সিলভাত জাফর *গোপনীয়তার শর্ত মেনে কিছু নাম বদলে দেয়া হয়েছে।
Pakistan has the highest rates of breast cancer in Asia. Early detection is essential for treatment but medical experts fear many women are not coming forward due to a culture of modesty.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
করাচির এক চুল কাটার সেলুন। গত জুন মাসে এই ঝুঁকি আরও বেড়ে গিয়েছিল যখন প্রধান শহরগুলোর হাসপাতালগুলি রোগীদের উপচে পড়ছিল। বড় হাসপাতালগুলির ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটগুলো বোঝাই হয়ে গিয়েছিল এবং একটি বেড খুঁজে পাওয়ার জন্য রোগীর আত্মীয়স্বজন ছুটোছুটি করছিল। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পরে রোগীর ভর্তি সংখ্যা হঠাৎ করেই কমে যায়। প্রথম দিকে অনেক ডাক্তারের মনে এ নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছিল। তারা ভাবছিলেন, হাসপাতালে রোগীদের 'বিষ' দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে বলে যে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়েছে তার জন্যই কি রোগীরা হাসপাতালে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে? কিন্তু পরের কয়েক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ক্রমাগত কমতে থাকে। প্রায় ২৩ কোটি মানুষের দেশ পাকিস্তানে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এপর্যন্ত প্রায় ৬,০০০ জন। অনেক পশ্চিমা দেশের তুলনায় পাকিস্তানের অবস্থা ভাল। যেমন, ব্রিটেনের জনসংখ্যা প্রায় ছয় কোটি ৭০ লক্ষ। সে দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এপর্যন্ত ৪১ হাজারেরও বেশি। পাকিস্তানের প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধান দুই শহর দিল্লি এবং মুম্বাইয়ে মৃত্যুর হার অনেক বেশি।আর পাকিস্তানের এই দৃশ্যমান সাফল্য এসেছে লকডাউনের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও। তিনি বলেছিলেন, এটা করা হলে 'দেশের মানুষ না খেয়ে থাকবে।' লকডাউনের মধ্যে পেশাওয়ারে চলছে সিনেমা হল। কিন্তু প্রশ্ন হলো পাকিস্তানের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত কতটা বিশ্বাসযোগ্য? করোনাভাইরাস পরীক্ষার হার তুলনামূলকভাবে কম। পরীক্ষার সংখ্যাও কমে আসছে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী পাকিস্তানের মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দুই লক্ষ ৯০ হাজার বলা হলেও প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে বেশি, তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। কিন্তু সংক্রমণের হার কমে যাওয়ার পেছনে পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়ার প্রমাণ রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও কমেছে। পাকিস্তানের দুটি প্রধান শহর করাচি এবং লাহোর থেকে বিবিসি যে উপাত্ত সংগ্রহ করেছে তা পর্যালোচনা করে জানা যাচ্ছে, জুন মাসে শহর দুটির কবরস্থানে দাফনের সংখ্যা বেড়ে গেলেও এর পেছনে শুধু করোনাভাইরাস দায়ী একথা বলা যায় না। যেমন, লাহোরের সবচেয়ে বড় গোরস্থান মিয়ানি সাহিবে ২০২০ জালের জুন মাসে ১,১৭৬ জনকে কবর দেয়া হয়েছে। তার আগের বছর জুন মাসে এই সংখ্যা ছিল ৬৯৬। এর মধ্যে জুন মাসে যাদের কবর হয়েছে তাদের মধ্যে ৪৮ জনকে করোনাভাইরাসে রোগী হিসেবে সরকারি নথিতে চিহ্নিত করা হয়েছে। সংখ্যাটি বেড়ে যাওয়ার পেছনে কারণে হিসেবে করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি এমন রোগী, অন্যান্য রোগে ভুগে প্রাণত্যাগ করেছেন এমন রোগীও রয়েছেন। এদের অনেকেই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে জায়গা পাননি। পাকিস্তানে ৬৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সীদের হার ৪%-এরও কম। আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক চায় পাকিস্তান, বলছেন ইমরান খান হাসিনা-ইমরান ফোনালাপ: কেন ঢাকা নিয়ে ইসলামাবাদ এখন এত আগ্রহী মহামারি জর্জরিত পাকিস্তান ক্রিকেট দল, কী হবে ইংল্যান্ড যাত্রার? একইভাবে করাচিতে ২০২০ সালের জুন মাসে তার আগের দু'বছরের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক লোককে দাফন করা হয়েছে। তবে দুটি শহরে দাফনের সংখ্যা এখন স্বাভাবিক অংকে নেমে আসছে। তবে এই 'অতিরিক্ত সংখ্যক মৃত্যু'র জন্য করোনাভাইরাসকে যদি দায়ী করা হয়ও, তবুও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পাকিস্তানে মৃত্যুর হার তুলনামুলকভাবে কম। তবে এটা খুব কম তাও বলা যাবে না। পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ ড. রানা জাওয়াদ আসগরের মতে, এর পেছনে প্রধান কারণে হচ্ছে পাকিস্তানের তরুণ জনগোষ্ঠী। পাকিস্তানের জনসংখ্যার গড় বয়স হচ্ছে ২২ বছর। ব্রিটেনের যেখানে ৪১ বছর। বিশ্বে করোনাভাইরাসে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে তাদের অধিকাংশই বয়স্ক রোগী। ড. আসগর বিবিসিকে জানিয়েছেন, পাকিস্তানে ৬৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের নাগরিকরা মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪%। উন্নত দেশগুলোতে এই সংখ্যা ২০%-২৫%। একারণেই পাকিস্তানে বেশি মৃত্যু দেখা যায়নি, বলছেন তিনি। করাচিতে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর মানুষজন ঘর থেকে বাইরে আসেন। আরেকটা বড় কারণ হলো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সামাজিক মেলামেশার পরিধি উন্নতে দেশগুলোর তুলনায় বেশ ছোট। "এই ভাইরাস যখন এসব ছোট বৃত্তগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তার বিস্তারের আর কোন জায়গা থাকে না।" উষ্ণ আবহাওয়া কিংবা আগে একবার করোনা হলে পরে আর হবে না বলে যেসব তত্ত্ব প্রচলিত আছে, এখন পর্যন্ত সেগুলো প্রমাণিত হয়নি। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সরকার যখন স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন শুরু করে তখন থেকেই করোনা রোগীর সংখ্যা কমতে থাকে। তবে এসব এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এসব লকডাউন খুব একটা কঠোর ছিল না। লোকজন যে এটা খুব মেনে চরেছেন তাও বলা যায় না। লন্ডনের স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের রোগতত্ত্ববীদ ড. মিশাল খান বলছেন, পাকিস্তানের সমাজে এনিয়ে একটা 'বৃহত্তর সচেতনতা' তৈরি হয়েছিল। তবে তার চিত্রও ঠিক পরিষ্কার না। লাহোরে এক সিনেমা হলের বাইরে সামাজিক দূরত্ব মেনে দর্শকদের লাইন। জনমিতি কিংবা সামাজিক আচরণ দিয়ে পাকিস্তানে করোনার কম প্রকোপকে ব্যাখ্যা করা হলে হয়তো বলা যাবে পশ্চিমা দেশের তুলনায় পাকিস্তানের অবস্থা ভাল। কিন্তু সেই অবস্থার সাথে সীমান্তের ওপারে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। প্রতি ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার পাকিস্তানেও যা ভারতেও তাই। কিন্তু ভারতের হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ অনেক বেশি। সেখানে সংক্রমণের হারও বেশি। এর পেছনে একটা থিওরি হচ্ছে, ভারতের শহরগুলোর আয়তন এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি। ভারতের জনস্বাস্থ্য ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক কে. শ্রীনাথ রেড্ডি বলছেন, মুম্বাই বা দিল্লির মতো শহরে সংক্রমণের হার ইদানীং কমে এলেও এই ভাইরাস এখন দেশের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ছে। তবে পাকিস্তানেও করোনার দ্বিতীয় প্রকোপ শুরু হওয়ার হুমকি রয়েছে। গত জুলাই মাসে করাচিতে ওষুধ কোম্পানি গেটজ্ ফার্মা একটি সমীক্ষা চালায়। এতে দেখা যায়, করাচির মোট বাসিন্দাদের ১৭.৫% করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মানে হলো করোনার প্রকোপ ভবিষ্যতে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে। করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর বিশাল সংখ্যক মানুষ শহর ছেড়ে গ্রাম ছলে গিয়েছেন। ফলে এই ভাইরাস গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। সমস্যা হলো এসব জায়গায় স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা আরও দুর্বল। ড. আসগর বলছেন, করোনাভাইরাসের নতুন 'স্পাইক' বা প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করতে হলে নজরদারির ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, "এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের অবস্থা ভাল, তার মানে এই নয় যে বিপদ কেটে গেছে।" করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে করোনাভাইরাস : কীভাবে বানাবেন আপনার নিজের ফেসমাস্ক আপনার কি দ্বিতীয়বার কোভিড ১৯ সংক্রমণ হতে পারে? টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? 'হার্ড ইমিউনিটি' কী, এর জন্য কতটা মূল্য দিতে হবে? কোথায় কতোক্ষণ বেঁচে থাকে কোভিড-১৯ এর জীবাণু, নির্মূলের উপায়
With a weak healthcare system, large population and many poorer families living in crowded living conditions, Pakistan seemed in danger from the outset of a catastrophic toll from coronavirus.
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন
জন-মানবহীন হেন্ডারসন দ্বীপে আবর্জনার দঙ্গল হেন্ডারসন দ্বীপে জড় হওয়া প্লাস্টিক আর জঞ্জালের এই পাহাড় নিয়ে বিস্ময় আর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, জাহাজ থেকে প্রতিদিন পানিতে কত জঞ্জাল যে ফেলা হচ্ছে তার প্রমাণ এই দ্বীপটি। পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আরেকটি কারণ দ্বীপটি সাগরের মূল স্রোতধারার খুব কাছে। ব্রিটিশ এবং অস্ট্রেলিয়ান গবেষকদের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে বর্তমানে হেন্ডারসন দ্বীপে প্রতি বর্গমিটারে ৬৭১ টি জঞ্জাল। সমীক্ষা রিপোর্টটি যে জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তাতে এই দ্বীপটিকে 'বিশ্বের আবর্জনার গর্ত' হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। আরও পড়ুন: ভারতে তিন তালাকের বিচ্ছেদ ১ শতাংশেরও কম 'ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত মেয়েদের জন্য আতঙ্কের ' প্রায় ৩৮ মিলিয়ন প্লাস্টিক এবং আবর্জনার টুকরো জড় হয়েছে এই দ্বীপে মাছ ধরার বিভিন্ন জিনিস ছাড়াও দ্বীপের সাগরতীরে টুথব্রাশ, সিগারেট লাইটার, রেজারের মত জিনিসপত্রও রয়েছে। নানা রঙের, নানা আকৃতির টুপি ছড়িয়ে রয়েছে। গবেষক জেনিফার লেভারস বলছেন, "কাঁকড়াগুলো এখন পানির বোতল বা অন্যান্য পাত্রের মধ্যে বাসা বেঁধেছে।" ড লেভারস বলছেন, সাগরে ছুড়ে ফেলা প্লাস্টিকের জিনিসপত্র পরিবেশকে কতটা হুমকিতে ফেলেছে হেন্ডারসন দ্বীপের অবস্থা তার একটি নমুনা। "বিশ্বের প্রতিটি দ্বীপ এবং সাগরের প্রতিটি প্রাণীর ওপর এই জঞ্জালের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।" প্লাস্টিকের জঞ্জাল বিশেষ ক্ষতি করছে কারণ সেগুলো মাটিতে বা পানিতে মিশে যাছেনা।
An uninhabited island in the South Pacific is littered with the highest density of plastic waste anywhere in the world, according to a study.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
চীন-ভারতের বিরোধপূর্ণ সীমান্ত অঞ্চলে দুই দেশের সৈন্যদের মধ্যে গত কয়েকদিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে সোমবার রাতের ঘটনায় অন্তত ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে। বিরোধপূর্ণ লাদাখ অঞ্চলের গালওয়ান উপত্যকায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করছে, গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওএসি) মেনে চলার জন্য গত সপ্তাহে দু‌'পক্ষের মধ্যে যে ঐকমত্য হয়েছিল চীন তা ভঙ্গ করেছে। চীনের অভিযোগ, ভারত সোমবার দু'দফায় 'সীমান্ত লংঘন করে, উস্কানি দেয় এবং চীনের সৈন্যদের আক্রমণ' করে, যার ফলশ্রুতিতে দুদেশের সীমান্ত রক্ষীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। দুই পক্ষই বলছে এই সংঘর্ষে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহৃত হয়নি। ভারতের কর্তৃপক্ষ বলছে খালি হাতে, লোহার রড ও পাথর দিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে চীনের সৈন্যদের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তা নিশ্চিত করা যায়নি। দুই দেশের সেনা কর্মকর্তারা 'পরিস্থিতি শান্ত করতে' পরে বৈঠকে বসে বলে জানায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। আরো পড়তে পারেন: ভারত কেন '৬২-র যুদ্ধে চীনের কাছে হেরে গিয়েছিল? সীমান্তে ভারত-চীন গোলাগুলি না হবার রহস্য লাদাখে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে সামরিক বৈঠকে যা ঘটল চীন-ভারত সংঘাত: কার শক্তি কতটা, কোন্‌ দেশ কার পক্ষ নেবে চীনের সাথে সংঘর্ষে ভারতের ২০ জন সৈন্য নিহত চীন ও ভারতের সেনাদের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাত ঘটেছে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় কেন যুদ্ধ করছে সেনারা? চীন এবং ভারত দুটি দেশই সামরিক শক্তিতে বিশ্বের অন্যতম। লাদাখ অঞ্চলের উঁচু, অপেক্ষাকৃত জনবসতিহীন এলাকার সীমান্ত নিয়ে কয়েক দশক ধরেই এই দুই দেশের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর আগে দুই দেশের ৩,৪৪০ কিলোমিটার সীমান্তের বিভিন্ন অংশে সৈন্যরা সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে। এর আগে বেশ কয়েকবারই তারা সীমান্তে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক সংঘাতের কারণ লাদাখে ভারতের তৈরি করা একটি রাস্তা, যেটি দুই দেশের মধ্যকার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা - লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলওএসি) - বরাবর অবস্থিত। ভারতের এই পদক্ষেপে চীনকে ক্ষুদ্ধ্ব করে। প্রতিক্রিয়া হিসেবে চীন বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করে এবং অবকাঠামো তৈরি করে। এর ফলে দুই দেশের সৈন্যদের অবস্থান আরো কাছাকাছি হয় এবং সংঘর্ষের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। অ্যাকচুয়াল লাইন অব কন্ট্রোল বরাবর ভারত রাস্তা তৈরি করার পর চীন তাদের অংশে সেনা উপস্থিতি বাড়িয়েছে কেন এই ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ? ভারত ও চীন দুই দেশই বিরোধপূর্ণ সীমান্ত অঞ্চলকে কৌশলগতভাবে, সামরিকভাবে ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে। এখন কোনো পক্ষই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় না দেয়, তাহলে এই সামরিক অবস্থান ঐ অঞ্চলের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। এর মধ্যে প্রাণহানির ঘটনা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে। ধারণা করা হচ্ছে গত ৪৫ বছরে ভারত-চীন সীমান্ত সংঘাতে এই প্রথম প্রাণহানির ঘটনা ঘটলো। দুই দেশ ১৯৬২ সালে একবারই নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করেছিল, যেখানে ভারত শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে? চলমান উত্তেজনা স্তিমিত করার আলোচনা সফল না হলে পরিস্থিতি খুবই আশঙ্কাজনক মোড় নিতে পারে। সীমান্তে বিরোধ নিরসনের উদ্দেশ্যে চীন ও ভারতের সেনাবাহিনীর জেনারেলরা সম্প্রতি আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। তবে অতীতে এ ধরণের আলোচনা কার্যকর হয়নি। আলোচনা সফল না হলে পারমাবিক শক্তিসম্পন্ন দুই দেশের - যারা পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দুটি দেশ - মধ্যে বৈরিতা আরো বাড়তে পারে। ভারতের সেনাবাহিনীর সাবেক কমান্ডার ডিএস হুদা সোমবারের সংঘর্ষ সম্পর্কে বলেন, "এটি খুবই, খুবই গুরুতর। এই ধরণের সংঘাত যে কোনো ধরণের আলোচনা ব্যর্থ করে দিতে পারে।"
A confrontation occurred between Indian and Chinese soldiers along a disputed border in the western Himalayas, Indian officials said on Tuesday.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
তিনি বলেছেন, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চেষ্টার উল্টোপথে হাঁটছেন মি: ট্রাম্প। ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র আর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে মধ্যপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র রোধ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল - ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস (আইএনএফ) নামের এ চুক্তিটির অধীনে শত শত কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করা হয়। আরও পড়তে পারেন: ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তিতে কী আছে? উত্তর কোরিয়া কেন পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করছে? প্রেসিডেন্ট কিম ও আমি প্রেমে পড়ে গেছি: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিন্তু এখন মি: ট্রাম্প অভিযোগ করছেন যে আমেরিকা এ চুক্তি মেনে চললেও মস্কো বার বার এটি লংঘন করে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ হলো- রাশিয়া এমন কিছু নিষিদ্ধ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও মোতায়েন করেছে -যা দিয়ে তারা খুব স্বল্প সময়ের নোটিশে নেটো জোটভুক্ত দেশের ওপর পারমাণবিক আক্রমণ চালানো যাবে - যার মধ্যে ইউরোপও পড়ে। কিন্তু রাশিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করছে ও যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের নিন্দাও জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাকে 'বিপজ্জনক' আখ্যা দিয়ে এর পাল্টা জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। স্নায়ু-যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি কমানোর লক্ষ্যে গত পাঁচ দশকে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস (আইএনএফ) নামের চুক্তিটি ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা মিখাইল গর্ভাচভ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান মিখাইল গর্বাচভ কে? পরমাণু চুক্তি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী বলেছেন? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন "রাশিয়া পরমাণু চুক্তি লংঘন করবে আর আমরা তাতে সম্মতি দিবো-সেটা হবে না"। "আমি জানি না কেন প্রেসিডেন্ট ওবামা এটি নিয়ে মধ্যস্থতা করেন নি, কিংবা বেরিয়ে আসেন নি। তারা অনেক বছর ধরে এটি (চুক্তি) লংঘন করে আসছে," নেভাদায় এক প্রচার সমাবেশে বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তির আওতায় ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ৫০০ থেকে সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। মস্কো ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে এমন খবর পাওয়ার পর ২০১৪ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আইএনএফ চুক্তিটি লংঘনের অভিযোগ করেছিলেন। চুক্তিটি থেকে সরে আসতে ইউরোপের নেতারা সেসময় তাকে চাপ দিলেও 'অস্ত্র প্রতিযোগিতা পুনরায় শুরু হতে পারে এ আশঙ্কা থেকে' মি: ওবামা তাতে সায় দেননি। রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী সের্গেই র‍্যাবকভ বলেন, 'এটা হবে একটা বিপজ্জনক পদক্ষেপ। এটা শুধু বিশ্ব সম্প্রদায়ের বোঝা হবে না, বরং গুরুতর নিন্দা ও উত্তেজনা তৈরি করবে। এই চুক্তিটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্থায়িত্ব রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।' রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি আরো বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের এই ব্ল্যাকমেইল করে ছাড় নেয়ার সিদ্ধান্তকে নিন্দা জানায় রাশিয়া। তবে আমেরিকার উদ্বেগ প্রশমনের জন্য আলোচনার সুযোগ এখনো আছে "। " যুক্তরাষ্ট্র যদি এই ধরনের জবরদস্তি ও অবিবেচকের মত আচরণ করে আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় তাহলে আমাদের প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না। যার মধ্যে সামরিক প্রযুক্তিও থাকবে, তবে আমরা এখনই ওই পর্যায়ের সিদ্ধান্তে যেতে চাই না" বলেন মি: র‍্যাবকভ। অন্যদিকে রুশ সিনেটর কনস্তান্তিন কোসাচেভ এর নিন্দা করে বলেছেন এটা ব্ল্যাকমেইল করার শামিল এবং এই বিপজ্জনক পদক্ষেপ আরেকটি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি 'স্টার্ট' নবায়নের সম্ভাবনা বিপন্ন করবে। 'একটি উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত' বিবিসির বিশ্লেষক জোনাথন মার্কাস বলছেন, রাশিয়ার এসব ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মি: ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হবার আগে থেকেই উদ্বেগ ছিল। কিন্তু এখন চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাবার মার্কিন সিদ্ধান্ত পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধের ক্ষেত্রে একটা বড় আঘাত হয়ে উঠতে পারে। জোনাথন মার্কাস বলছেন কিছু বিশেষজ্ঞের মতে - রাশিয়াকে এ চুক্তি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বরং উচিত ছিল এ থেকে বেরিয়ে না যাওয়া। চুক্তিটি মূলত রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে হয়েছিল এবং চীন তাতে জড়িত ছিল না । তাই ট্রাম্প প্রশাসনের কেউ কেউ মনে করছে যে -- চীনের সাথে কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে এই চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অসুবিধার কারণ হচ্ছে।
Former Soviet President Mikhail Gorbachev says US President Trump's plan to withdraw from a key Cold War nuclear weapons treaty is a reversal of efforts to achieve nuclear disarmament.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে মিজ এবতেকারকে পুর্ননিয়োগ করা হয়েছে ইরানে ১২জন ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাধীন সংস্থাগুলো পরিচালনা করেন। ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের পর দেশটির মন্ত্রিসভায় নিয়োগ পান মাত্র একজন নারী সদস্য । দেশটির মন্ত্রিসভায় সুন্নি সদস্যেরও অভাব রয়েছে। শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানে সুন্নিরা সংখ্যায় শতকরা ১০ ভাগ। মন্ত্রিসভাকে অনুমোদন দেয় সংসদ। মাসুমে এবতেকারকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে পরিবার ও নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। লেইয়া জোনেয়দিকে আইন বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নাগরিক অধিকার বিষয়ে প্রেসিডেন্টের সহকারীর দায়িত্ব পাওয়া শাহীনদক্ত মোলাভার্দি বলেছেন পুরো পুরুষ সদস্যের এই মন্ত্রিসভা এটাই বুঝিয়ে দেয় যে ''আসলেই কোন অগ্রগতি নেই।'' আরও পড়তে পারেন: ৯১ বছর বয়সে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করলেন থাই 'নানী' ব্রিটেনে দক্ষিণ এশিয়ান নারীরা কেন ক্যান্সারের কথা গোপন করেন? 'ব্রিজ খেলতে দেখলে পরিবার বলতো জুয়া খেলছি' সংস্কারবাদীরা বলছেন নতুন মন্ত্রিসভায় নারীদের অনুপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে মি: রোহানি ইরানের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে নতিস্বীকার করেছেন। ইরানে নারী এমপি আছেন, কিন্তু এ পর্যন্ত মাত্র একজন নারী মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। ইরানে গঠিত মন্ত্রিসভাকে এমপিরা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন না, কারণ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোয় কারা বসবেন তা নির্ধারণ করা হয় সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেইনির অনুমোদনসাপেক্ষে। মি: রোহানি তার প্রতিদ্বন্দ্বী কট্টরপন্থী এব্রাহিম রাইসিকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মে মাসে। তিনি ইরানে নাগরিক স্বাধীনতা উন্নত করার এবং পশ্চিমের সাথে সম্পর্ক আবার নতুন করে গড়ে তোলার অঙ্গীকার দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। ফেব্রুয়ারি মাসে 'নারী, মধ্যপন্থা ও উন্নয়ন' এই শীর্ষক এক সম্মেলনে মি: রৌহানি দেশটির রাজনীতি এবং সংস্কৃতিতে নারীদের আরও বেশি উপস্থিতির আহ্বান জানান। ইরানে ১৯৭৯র ইসলামী বিপ্লবের পর একমাত্র যে নারী মন্ত্রিসভার সদস্য পদ পেয়েছিলেন তিনি হলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্জিয়ে দাস্তজারদি। তিনি মি: রোহানির পূর্বসূরী মাহমুদ আহমেদিনিজাদের সরকারে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ২২০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত। আরও পড়ুন: কেন সহসা হারিয়ে যেতে পারে দার্জিলিং চা নায়ক সালমান শাহ'র মৃত্যু: কী ঘটেছিল সেদিন
Iran President Hassan Rouhani has appointed three women as vice-presidents and one as a civil rights assistant following criticism of his all-male cabinet.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
সমকামিতাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বর্ণনা করা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা বাতিল করে দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সমকামিতাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বর্ণনা করা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা বাতিল করে দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছেন। ব্রিটিশ জমানার এই বিতর্কিত আইনটির সুবাদে 'অপ্রাকৃতিক যৌনতা'র অপরাধে ভারতে কোনও ব্যক্তির ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারতো। ১৮৬১ সালের জারি করা ধারাটি ২০০৯ সালে সমকামিতা অপরাধ নয় বলে রায় দিয়েছিল দিল্লির হাইকোর্ট। তবে তার বিরুদ্ধে আপীল করা হলে ২০১৩ সালে ওই আইনটি বহাল করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ। নিজেদের সেই আদেশ আজ বাতিল করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এ সময় আদালতের বাইরে অধিকার কর্মীরা উল্লাস করে ওঠেন। তাদের অনেককে কাঁদতে দেখা যায়। ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে ভারতে এলজিবিটি শ্রেণীভুক্ত পাঁচজন ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা তাদের আবেদনে বলেছিলেন, ভারতীয় দন্ডবিধির সেকশন ৩৭৭ এমন একটি আইন যে কারণে সব সময় তাদের ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতে হয় - কারণ তাদের যৌনতার দোহাই দিয়ে পুলিশ যখন খুশি তাদের গ্রেফতার করতে পারে। আরো পড়তে পারেন: সমকামীদের নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী নিজের 'সমকামিতা' নিয়ে মুখ খুললেন করণ জোহর 'সমকামী বলে আমি এখন পরিবারের বিষফোঁড়া' গত জুলাই মাসে তাদের আবেদনের শুনানি শুরু করেন সুপ্রিম কোর্ট, যা দেশটিতে স্বাধীনতা এবং গোপনীয়তার বিতর্ক তৈরি করে। শুনানির একপর্যায়ে একজন বিচারপতি মন্তব্য করেন, ''যৌনতার কারণে কাউকে ভীতির মধ্যে জীবনযাপন করা উচিত নয়।'' যা ভারতের সমকামীদের মধ্যে আশাবাদের সৃষ্টি করে। সমকামিতাকে অপরাধ হিসাবে বর্ণনা করা আইনটিকে বাতিল করার জন্য অনেকদিন ধরে দাবি করছে ভারতের অধিকার কর্মীরা সমকামিতাকে কোন অপরাধ হিসাবে গণ্য না করার জন্য ভারতে অনেকেই দাবি তুলেছেন। যদিও এখনো ভারতে সমকামিতা নিয়ে সংকোচ রয়েছে এবং অনেকেই এটিকে বেআইনি বলে গণ্য করে। 'সেকশন ৩৭৭' বহাল থাকা না থাকার প্রশ্নে ২০১৬ সালে পুনরায় শুনানি গ্রহণ করতে সম্মত হন আদালত। তিনজন জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, এটা সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে তারা মনে করেন। সেকশন ৩৭৭ কী? এটি ১৫৭ বছর পুরনো ঔপনিবেশিক আমলের একটি আইন, যেটি ১৮৬১ সালে জারি করা হয়। সেখানে কিছু যৌন অপরাধকে অস্বাভাবিক অপরাধ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, যার জন্য ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। যেখানে বলা হয়েছে, ''স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে মানুষ,নারী বা কোন পশুর সঙ্গে যৌন মিলন'' করা হলে তা শাস্তিযোগ্য হবে। অ্যাকটিভিস্টরা বরাবরই অভিযোগ করছেন, দেশের সমকামী এবং তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়কে হয়রানি করতে আইনটি ব্যবহার করা হচ্ছে। সমঅধিকার কর্মীরা বলছেন, এ ধরণের একটি আইন থাকা মানেই প্রমাণ করে যে, যৌনতার ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বৈষম্য করা হচ্ছে। আরো পড়তে পারেন: কেনিয়ার নারীবেশী পুরুষদের গোপন জীবন লেসবিয়ান সেক্সের অভিযোগে দুই নারীকে বেত্রাঘাত
In a historic decision, India's Supreme Court has ruled that gay sex is no longer a criminal offence.
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ তারা প্রতিবাদ করছে, কারণ তারা অনুভব করছে যে এই 'নাগরিকত্ব সংশোধন আইন'টি পক্ষপাতমূলক এবং ভারতের কুড়ি কোটি মুসলমান সংখ্যালঘুকে কোণঠাসা করে ফেলবার একটি হিন্দু-জাতীয়তাবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অংশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, নতুন আইনটি 'তাদের জন্য যারা বছরের পর বছর নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছে এবং ভারত ছাড়া আর কোথায় তাদের যাবার জায়গা নেই'। দিল্লি এবং উত্তরাঞ্চলীয় আলীগড় শহরের দুটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভে পুলিশের হামলা হয়েছে, এমন অভিযোগের জেরে ভারত জুড়ে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ক্যাম্পাসগুলোর ভেতরে পুলিশ ঢুকে পড়ে এবং অভিযোগ আছে লাইব্রেরি, পাঠকক্ষ, এমনকি টয়লেটে ঢুকে পর্যন্ত তারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ওই সহিংসতার এমন সব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে যা রীতিমত পীড়াদায়ক। দেশজুড়ে ছাত্রদের উত্তেজিত হওয়ার পেছনে এই ভিডিওগুলিও জ্বালানী হিসেবে কাজ করেছে। ছাত্র এবং শিক্ষকেরা একেবারেই ছেড়ে কথা বলছে না। ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির একটি, অশোকা ইউনিভার্সিটি কঠোর ভাষায় এক বিবৃতি দিয়েছে যেখানে লেখা হয়েছে 'রাষ্ট্রের স্পন্সর করা সহিংসতা'। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশী হামলার প্রতিবাদ মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া ভারতের সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছে, 'ছাত্রদের প্রতিবাদ করার অধিকার আছে'। একটি ভিডিওতে আইনের এক ছাত্র প্রশ্ন তুলেছেন, 'আমরা কি আদৌ কোন গণতন্ত্রে বাস করছি'? মি. মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার বরাবরই ভিন্নমত পোষণকারীদের ভালো চোখে দেখে না এবং এটা এখন স্পষ্ট যে ছাত্রদের এখন সমস্যার উৎস হিসেবেই দেখছে সরকার। কিন্তু চলমান ছাত্র জাগরণ আমাদেরকে এমন একটি দেশের জনগণের মানসিকতা সম্পর্কে কিছু বার্তা দিচ্ছে যে দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকেরই বয়স পঁচিশের কম। একটি হলো, মুসলমান ছাত্রদের সংগে প্রতিবাদে অন্য এমন সব সম্প্রদায়ের সদস্যরাও যোগ দিচ্ছে যাদের ওপর এই আনটি সরাসরি কোন প্রভাব ফেলবে না। বিশ্লেষক আজায আশরাফ বলছেন, এই বিক্ষোভ "ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে সকল ভারতীয়র সেই লালিত আদর্শকে পুনরুত্থিত করেছে, যেখানে সকল নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে"। দ্বিতীয়ত, কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহার, নাগরিক পঞ্জি, হামলার লক্ষে পরিণত হওয়া এবং রাজনীতিতে গুরুত্ব হ্রাস পাওয়ার মতো কিছু ধারাবাহিক বিপত্তিকর ঘটনাপ্রবাহের পর নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে মুসলামনরা রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, মোদীর সরকারের অধীনে এই মুসলমানেরা নানাভাবেই প্রায় 'অস্তিত্বহীন' হয়ে পড়ছেন। মি. আশরাফ বলছেন, "এই ছাত্র বিক্ষোভ মুসলমানদের রাজনৈতিক জীবনকে একটি সন্ধিক্ষণ এনে দিয়েছে"। আরও যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তাহলো বিক্ষোভ ছড়িয়ে যাচ্ছে ক্যাম্পাসগুলোতে যা যেগুলো প্রথাগতভাবে প্রতিবাদ বা আন্দোলনের বাইরেই ছিলো। হামলায় আহতদের একজন এটা আসলে প্রমাণ করে যে আইন নিয়ে ক্ষোভ মিশে গেছে ধূসর অর্থনীতি আর চাকরীর অভাবজনিত অসন্তোষের সাথে। তরুণ ভারতীয়রা বেড়ে উঠছে উচ্চাশা আর হতাশার সাথে। তারা মনে করে সরকারের উচিত দেশে বিভক্তি তৈরি করে এ ধরণের বিতর্কিত আইন না করে বরং অর্থনীতির ধীরগতির সমাধানে মনোযোগী হওয়া। মজার ব্যাপার হলো সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল অনেকের কণ্ঠেও এখন এ ধরণের একই সুর দেখা যাচ্ছে। উপন্যাসিক চেতন ভাগাত যিনি মিস্টার মোদীর সমর্থক হিসেবে পরিচিত, তিনি এবারের পুলিশী অ্যাকশনের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছেন। তিনি বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। যারা ভারতকে নিয়ে হিন্দু রাজা ও তার সভাসদদের নিজে ফ্যান্টাসি দেখেন এটা মনে রাখুন, এমনকি আমি অসিহষ্ণূতার সমর্থকও (যা আমি নই) হই তাহলে আপন বিশ কোটি মুসলিমকে দুরে সরাতে পারবে ননা। চেষ্টা করে দেখুন, ভারত পুড়ে যাবে। জিডিপি ধসে পড়বে এবং আপনার সন্তানেরাই অনিরাপদ ও চাকুরিহারা হবে। এসব ফ্যান্টাসি বন্ধ করুন"। হয়তো ইতিহাসে বড় রাজনৈতিক ও সামাজিক সমর্থনের অভাবে ছাত্র আন্দোলনগুলো সফল হয়নি এবং এবারেও হয়তো তার সাথে পার্থক্য হবেনা। ধীরে বা দ্রুতই ছাত্রদের ক্লাসে ফিরতে হবে, পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে এবং নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে হবে। আর সেজন্যই অনেকে মনে করেন আন্দোলনের মোমেন্টাম এখন বিরোধী দলগুলোকে নিতে হবে। পুলিশী হামলার প্রতিবাদ কিন্তু দলগুলো বিভক্ত। এমনকি আঞ্চলিক রাজনৈতিক তারকারাও মনে হয় ক্লান্ত ও ধরাছোঁয়ার বাইরে। একমাত্র সর্বভারতীয় দল কংগ্রেস প্রাসঙ্গিক থাকার লড়াই করছে। অনেকের বিশ্বাস, বিরোধী দলগুলো বর্তমান অবস্থাটাই ধরে রাখতে চান, পরিবর্তনে তারা আগ্রহী নয়। এ মুহূর্তে মনে হচ্ছে দিল্লিতে বাসে গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১২ সালে গড়ে ওঠা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তরুণ বিক্ষোভকারীদের সাথে আলোচনা করাকে প্রত্যাখ্যান করে কংগ্রেস যে ভুল করেছিলো, এখন বিজেপিও তাই করছে। মিস্টার মোদী মুসলিমদের 'পাকিস্তানি অরিজিন' ইঙ্গিত করে তাদেরকে সহিংসতার জন্য দায়ী না করে বরং দলটি সিনিয়র নেতাদের ক্যাম্পাস ও রাজপথে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য আলোচনায় পাঠাতে পারতো। 'তাদের কথা শুনুন' - একটি সংবাদপত্র লিখেছে মোদী সরকারকে লক্ষ্য করে। "বিরুদ্ধবাদীদের সাথে আলোচনার কোনো ভাষাই সরকারের নেই আর সে কারণে শিক্ষার্থী তাদের ডাকছে গণতন্ত্র ধ্বংসকারী হিসেবে"। এর সাথে দ্বিমত করা আসলেই কঠিন।
Thousands of students across India have taken to the streets in recent days in an uprising against a controversial law that offers citizenship to non-Muslims from three neighbouring countries.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
সে উত্তেজনা পরে সংঘাতে রুপ নেয় যখন ভারতীয় বিমান বাহিনী দাবি করে যে তারা ২৬শে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বালাকোটে পুলওয়ামা হামলার দায় স্বীকারকারী সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদের ঘাঁটি বোমা মেরে ধ্বংস করেছে। সেখানে অনেকের হতাহতের হওয়ারও দাবি করেছিল ভারত। তবে এই দাবি নাকচ করে দিয়ে পাকিস্তান বরং পাল্টা দাবি করেছিল যে তারা ভারতীয় বিমানকে ধাওয়া করে তাড়িয়ে দিয়েছে। পরেরদিন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংকট আরও গভীর হয়, যখন ভারতের দুটি বিমান ভূপাতিত করা এবং একজন ভারতীয় পাইলটকে বন্দী করার দাবি করে পাকিস্তান। অন্যদিকে পাকিস্তানের একটি বিমানও ভূপাতিত করার পাল্টা দাবি করে ভারত। পাকিস্তান অবশ্য আটককৃত ভারতীয় পাইলট আভিনন্দন ভার্তামানকে পহেলা মার্চ ছেড়ে দিলেও সীমান্তের লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) বা নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা এখনো রয়েছে। আর এই সংঘাত এবং উত্তেজনার পুরো সময়টায় আলোচনায় ছিল ভারত ও পাকিস্তানের হাতে থাকা পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়টি। বিশ্বে কার কত পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ আছে? সুইডেন-ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই)'র ২০১৮ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে প্রায় ৬,৫৪০টি। এদিকে রাশিয়ার আছে প্রায় ৬,৮৫০টি। এছাড়া, যুক্তরাজ্যের ২১৫টি, ফ্রান্সের প্রায় ৩০০টি এবং চীনের ২৮০টির মতো পারমাণবিক অস্ত্র আছে। তবে এক্ষেত্রে ভারতের তুলনায় পাকিস্তান কিছুটা এগিয়ে রয়েছে মনে করছে গবেষণা সংস্থাটি। ভারতের যেখানে পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা ১৩০টি, সেখানে পাকিস্তানের ১৪০টি অস্ত্র রয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। এছাড়া, ইসরায়েলের ৮০টি এবং উত্তর কোরিয়ার ২০টি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে বলে জানাচ্ছে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট। তবে পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী সব দেশই এসব তথ্যের ব্যাপারে কড়া গোপনীয়তা বজায় রাখে। একনজরে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের ইতিহাস ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধই কি কাশ্মীর দ্বন্দ্বের সমাধান? ভারত-পাকিস্তানের সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা? ভারতের পরমাণু অস্ত্রের পরিমাণ বলা হয়ে থাকে, ভারত ক্রমশ তার পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে। স্টকহোম-ভিত্তিক গবেষণা সংস্থাটি বলছে, ভারতের হাতে ১৩০ থেকে ১৪০টি ওয়ারহেড বা পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ভারতের অস্ত্রভিত্তিক প্লুটোনিয়াম তালিকা এবং পারমাণবিক নিক্ষেপ প্রক্রিয়ার সমন্বয়ে এই তালিকা তৈরি করেছে। ফিসাইল পদার্থ উৎপাদন ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র মূলত প্লুটোনিয়ামের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। মুম্বাইয়ের ভাভা অ্যাটোমিক রিসার্চ সেন্টার (বিএআরসি)-এ প্লুটোনিয়াম তৈরি হয়। ২০১০ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া ৪০ মেগাওয়াট থার্মাল ভারী পানির (সিআইআরইউএস) রিঅ্যাক্টর বা পারমাণবিক চুল্লী এবং ১০০ মেগাওয়াটের ধ্রুব ওয়াটার রিঅ্যাক্টরে এটি তৈরি হতো। ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল অন ফিসাইল ম্যাটেরিয়েল (আইপিএফএম)-এর তথ্য অনুযায়ী, সামরিক উদ্দেশ্যে ভারত বিএআরসি'তে প্লুটোনিয়াম পুনঃপ্রক্রিয়া প্লান্ট চালু রেখেছে। ভারত ২০৩০-এর দশকের মধ্যে ছয়টি দ্রুতগতিতে উৎপাদনে সক্ষম পারমাণবিক চুল্লী নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যা থেকে প্রচুর প্লুটোনিয়াম উৎপন্ন করা সম্ভব হবে। এগুলো ব্যবহৃত হবে মূলত অস্ত্র তৈরির কাজে - ২০১৬ সালের এক নিবন্ধে এমনটাই বলছে আণবিক বিজ্ঞানীদের জার্নাল বুলেটিন অব অ্যাটোমিক সায়েন্টিস্টস। এছাড়া ইউরেনিয়াম উৎপাদনে সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। বিমান বিমানের মাধ্যমেই সবচেয়ে নির্ভুল উপায়ে ভারত পারমাণবিক অস্ত্র নিক্ষেপ করতে সক্ষম বলে মনে করা হয়। ভারতীয় বিমান বাহিনী ইতিমধ্যে মিরেজ-২০০০ এইচ যুদ্ধ বিমান কেনার অনুমোদন করেছে, যা পারমাণবিক মধ্যাকর্ষণ বোমা বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এমনকি বিমান বাহিনীর জাগুয়ার আইএস যুদ্ধ-বোমারু বিমান পারমাণবিক অস্ত্র পরিবহনে ব্যবহৃত হতে পারে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ১৯৮৩ সালের সুসংহত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ভারতের সেনা গবেষণা সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গাইজেশন (ডিআরডিও) স্থলপথ ভিত্তিক দুটি ব্যালিস্টিক মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্র - একটি পৃথ্বী গোত্রের এবং অন্যটি অগ্নি গোত্রের - তৈরি করে। পৃথ্বী গোত্রটি তিনটি রোড মোবাইল ইঞ্জিন ও স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে তৈরি (যদিও পৃথ্বী-২ কে শুধু পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম বলে মনে করা হয়)। অন্যদিকে অগ্নি গোত্রের মিসাইলগুলো বেশ দূরত্বে যেতে সক্ষম অর্থাৎ দূরপাল্লার। পরমাণু অস্ত্রের সক্ষমতার পরীক্ষা যাতে খুব দ্রুত দেওয়া যায় সেজন্য এগুলো তৈরি করা হয়েছে, যা পৃথ্বী গোত্রের চেয়ে অনেক বেশী ক্ষমতা সম্পন্ন। ২০০৭ সালে স্থাপন করা অগ্নি ১ প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে। পরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড (এসএফসি)-র আওতায় আরো অধিকতর প্রযুক্তি সম্পন্ন দ্বিস্তর বিশিষ্ট অগ্নি ২ আসে, যার রেঞ্জ বা ব্যাপ্তি ১,০০০ কিলোমিটার। এসএফসি দেশের অন্যান্য পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করে। এদিকে, ২০১৭ সালের ২৭শে এপ্রিল এসএফসি বা কৌশলগত সেনা কমান্ড প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে অগ্নি ৩ সফলভাবে পরীক্ষা করে। দ্বিস্তর বিশিষ্টি এই মিসাইলটির সীমা ৩,২০০ কিলোমিটার। এছাড়া আরো বেশী দূরসীমার দুটো ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরি করছে ভারত। এগুলো হলো - অগ্নি ৪ এবং অগ্নি ৫। এগুলো দিয়ে দেশটি চীনের ওপর দিয়ে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। ২০১৭ সালের ২রা জানুয়ারিতে প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটার গতিসীমা বিশিষ্ট অগ্নি ৪ সফলভাবে পরীক্ষা করা হলেও এখনো আরো প্রযুক্তিগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তবে ভারতের সেনা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও তিনস্তর বিশিষ্ট স্থল মিসাইল অগ্নি ৫ এর উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এটি ৫,০০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যভেদে আঘাত হানতে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রটি এমনভাবে তৈরি হয়েছে যেন মোবাইল ক্যানিস্টার সিস্টেম থেকে সহজে স্থানান্তর করা যায় এবং ছোড়া যায়। এর ফলে সংকটের সময়ে খুব দ্রুত ও কম সময়ে এটি কাজে লাগানোর জন্য প্রস্তুত করা যায়। এই সুবিধাটি অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্রগুলোয় নেই। গত বছরের ১৮ই জানুয়ারি, আবদুল কালাম দ্বীপ (সাবেক হুইলার আইল্যান্ড) থেকে অগ্নি ৫-এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়। তখন এটি ৪,৯০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়েছিল। তবে পুরোদস্তুর কাজে লাগানোর আগে আরো কিছু পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ দরকার হবে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র চার দশকের পুরনো অ্যাডভান্সড টেকনোলজি ভেসেল (এটিভি) প্রকল্পের অংশ হিসেবে ভারত কমপক্ষে পাঁচটি পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন মিসাইল সাবমেরিনের একটি নৌবহর তৈরি করছে। ভারতের নিজস্ব তৈরি করা প্রথম পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন সাবরেমিরন 'আইএনএস অরিহন্ত' ২০০৯ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল, যেটি ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে মোতায়েন করা হয়। পরে ২০১৭ সালের নভেম্বরে দ্বিতীয় সাবমেরিন জাহাজ 'আইএনএস আরিঘাট' চালু করা হয়। এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ সাবমেরিন তৈরির কাজও এগিয়ে চলছে, যেগুলো যথাক্রমে ২০২০ এবং ২০২২ সালে উদ্বোধন হতে পারে। অরিহন্ত চার-টিউবের উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া। এটি ১২টি পর্যন্তু দ্বিস্তর মিসাইল ও ৭০০ কিলোমিটার রেঞ্জের কে-১৫ (বা বি০৫ নামে পরিচিত) সাবমেরিন-লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিসাইল (এসএলবিএম) বহন করতে পারে। অন্যদিক ধারণা করা হয়, আরিঘাট ৮টি টিউবে ২৪টি পর্যন্ত কে ১৫ মিসাইল (প্রতি টিউবে ৩টি করে) বহন করতে সক্ষম। সেনাবাহিনীর গবেষক সংস্থা ডিআরডিও ৩,৫০০ কিলোমিটার রেঞ্জ বিশিষ্ট একটি দ্বিস্তরের সাবমেরিন মিসাইল কে ৪ তৈরি করছে, যা কে ১৫-র পরিবর্তে ব্যবহৃত হবে। ফলে অরিহন্ত চারটি কে ৪ বহন করতে পারবে, অন্যদিকে আরিঘাট ও অন্যান্য পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন সাবমেরিনগুলো ৮টি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারবে। আরো একটি এসএলবিএম ক্ষেপণাস্ত্র কে ৫ তৈরি করার চেষ্টা করছে ভারত। এটির রেঞ্জ বা পরিসীমা হবে ৫,০০০ কিলোমিটার। এছাড়া আরো দূর সীমার জন্য কে ৬ নামে আরো একটি এসএলবিএম তৈরির ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। পৃথ্বী ২-এর অনুরুপ পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন ধনুষ ক্ষেপণাস্ত্রটি জাহাজের ওপর থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি এখন ভারতের পশ্চিম উপকূলের কারওয়ার নামক স্থানের পাশে নৌঘাঁটিতে নৌবাহিনীর সুকন্যা ক্লাসের প্যাট্রোল জাহাজের ওপর ব্যবহার করা হচ্ছে। ক্রুজ মিসাইল ২০০৪ সাল থেকে ভারতীয় সেনা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও অনেক দূরত্বের শব্দের চেয়ে কম গতিসম্পন্ন ক্রুজ মিসাইল তৈরি করে আসছে। 'নির্বাহী' নামে ৭০০ কিলোমিটার রেঞ্জের এই মিসাইলটি স্থল, জল এবং আকাশ থেকেও উৎক্ষেপণ করা যায়। তবে দুবার যান্ত্রিক ত্রুঁটির কারণে ব্যর্থ হওয়ায় এটি যেকোন সময় বাতিল হয়ে যেতে পারে। তবে ২০১৭ সালের ৭ই নভেম্বর ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছিল যে আবদুল কালাম দ্বীপে নির্বাহী ক্রুজ মিসাইলটি উৎক্ষেপণ করেছে ডিআরডিও। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়নি যে এটি পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম কি-না। আরো পড়ুন: সিরিয়ার যুদ্ধ: বড় দেশগুলির কার কী অস্ত্র আছে? কোন দেশের কত পরমাণু অস্ত্র আছে, কোথায় আছে? পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের পরিমাণ ভারতের সাথে পাল্লা দিয়ে পাকিস্তানও পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন এবং উৎক্ষেপণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জানুয়ারি ২০১৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের ১৪০-১৫০টি ওয়ারহেড বা পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে বলে হিসেব পাওয়া যায়। আসছে দশকে তা আরো অনেক বেশী বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট। ফিসাইল পদার্থ উৎপাদন পাকিস্তান প্লুটোনিয়াম এবং অধিক বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম (হাইলি এনরিচড ইউরেনিয়াম বা এইচইইউ) দিয়ে তার সামরিক পারমাণবিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে চলছে। চারটি ভারী পানির বা হেভি ওয়াটার নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর এবং একটি ভারী পানি উৎপাদন প্লান্ট নিয়ে গঠিত পাকিস্তানের প্লুটোনিয়াম উৎপাদন কারখানা মূলত পাঞ্জাবের খুশাব অঞ্চলে। অন্যদিকে, ইউরেনিয়াম পাঞ্জাবের কাহুতার খান রিসার্চ ল্যাবরেটরিজ (কেআরএল) কমপ্লেক্সের প্লান্টে এবং গাদওয়ালের একটি ছোট প্লান্টে উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয়। বিমান পারমাণবিক বোমা বহনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বিমান হলো পাকিস্তান বিমান বাহিনী (পিএএফ)'র মিরেজ-৩ এবং মিরেজ-৫ যুদ্ধবিমান। মিরেজ-৩ ব্যবহার করে পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। আবার মিরেজ-৫কে পারমাণবিক মধ্যাকর্ষণ বোমা নিয়ে আঘাত হানার মত দায়িত্বও দেওয়া হচ্ছে বলে সুইডিশ সংস্থাটি বলছে। এছাড়া, চীনের যৌথ সহযোগিতায় তৈরি জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমানটি পাকিস্তান কিনে নিচ্ছে, যা মিরেজ বিমানগুলোর পরিবর্তে ব্যবহৃত হতে পারে। ১৯৮০'র দশকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা ৪০টি এফ-১৬বি যুদ্ধবিমানও রয়েছে পাকিস্তানের। এগুলোর পারমাণবিক অস্ত্র বহন করার সক্ষমতা আছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। ভূপৃষ্ঠ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানে স্বল্প এবং দূর পাল্লার উভয় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে যাচ্ছে। বর্তমান গজনভী (হাটফ-৩) এবং শাহীন-১ (হাটফ-৪) নামে দুটি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রেখেছে। পাশাপাশি আরো বেশি দূরে ছোড়া যায় এমন শাহীন-১ এবং শাহীন-১/এ এখন তৈরির পর্যায় রয়েছে। পাকিস্তান দু'ধরনের পারমাণবিক বোমা বহনযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করেছে। একটি মধ্যম পাল্লার ব্যলিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঘুরি (হাটফ-৫), যার রেঞ্জ ১,২৫০ কিলোমিটার এবং অন্যটি দ্বিস্তর বিশিষ্ট ১,৫০০ কিলোমিটার রেঞ্জের শাহীন-২ (হাটফ-৬)। ২০১৫ সালে পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা আরো বেশি দূরপাল্লার শাহীন-৩ মিসাইল এখন প্রযুক্তিগত ও কৌশলগত উন্নয়নের পর্যায় রয়েছে। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে এটি সর্বোচ্চ দূরত্বের (২,৭৫০ কিলোমিটার) লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে। শাহীন-৩ এর আদলে পাকিস্তান জাতীয় প্রতিরক্ষা কমপ্লেক্স আরেকটি নতুন মধ্যম পাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র বহনযোগ্য 'আবাবিল' ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। ২০১৭ সালের ২৪শে জানুয়ারি পাকিস্তান ঘোষণা করেছিল যে কারিগরি বিষয়টি পরীক্ষা করার জন্য এটি সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। আরো দুটি স্থলভিত্তিক স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল স্থাপন করেছে পাকিস্তান। একটি হলো, ২০১১ সালে পরীক্ষিত ২০০ কিলোমিটার রেঞ্জের আবদালি (হাটফ-২) এবং ২০১৭ সালে পরীক্ষিত ৬০ কিলোমিটার রেঞ্জের নাসর (হাটফ-৯)। পাকিস্তানের যেভাবে তাদের প্রথম পারমাণবিক বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের সাথে তাল মিলিয়ে পাকিস্তানও সমুদ্র থেকে ছোড়া যায় এমন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। ২০১৭ সালের ৯ই জানুয়ারি পাকিস্তান ঘোষণা করেছিল যে তারা পানির নিচের ভ্রাম্যমাণ প্লাটফর্ম থেকে ভারত মহাসাগরে বাবুর-৩ নামের একটি সাবমেরিন-লঞ্চড ক্রুজ মিসাইল (এসএলসিএম)-এর পরীক্ষা চালিয়েছে। এটি স্থল ভিত্তিক বাবুর-২ গ্রাউন্ড-লঞ্চড ক্রুজ মিসাইল (জিএলসিএম) -এর অনুরুপে তৈরি এবং ৪৫০ কিলোমিটার রেঞ্জ পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে। ভূমি ও আকাশপথ ভিত্তিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বাবুর-৩ এসএলসিএম'র পাশাপাশি পাকিস্তান দুই ধরনের ক্রুজ মিসাইল তৈরি অব্যাহত রেখেছে। বাবুর (হাটফ-৭) উন্নত ভার্সন হলো ৭০০-কিলোমিটার রেঞ্জের বাবুর-২ । এটি ২০১৬ সালে প্রথম উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ৩৫০ কিলোমিটার দূরত্বে সাধারণ বা পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করার মত শক্তিসম্পন্ন রা'আদ (হাটফ-৮) ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত অন্তত সাতবার পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে এটির একটি উন্নত সংস্করণ রাআদ-২ উদ্ভাবন করে দেশটি, যেটি আরো বেশি দূরত্বে ছোড়া যায়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: দেশভাগ: সিন্ধু সভ্যতা যেভাবে ভাগ হয়েছিল ভারত-পাকিস্তানে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর কী ধরণের সরঞ্জাম আছে? বাংলাদেশ-মিয়ানমার সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা?
Pakistan has detained dozens of suspected militants following the attack in Indian-administered Kashmir, which sparked a crisis with India.
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি?
হারারেতে ভাষণ দেন জিম্বাবুয়ের নতুন নেতা এমারসন ম্যানানগাগওয়া আগামী শুক্রবারই তিনি দেশটির নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে সরকারী গণমাধ্যম। দেশে ফিরে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এক ভাষণে তিনি ধন্যবাদ দেন সেনাবাহিনীকে এবং সকলের সহযোগিতার আহ্বান জানান। দক্ষিণ আফ্রিকায় আত্মগোপন শেষে বুধবার দেশে ফিরে রাজধানী হারারেতে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় তিনি অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কথা বলেন। মি. ম্যানানগাগওয়া বলেন যে, " আমি আপনাদের সেবক হবার অঙ্গীকার করছি। আমি সকল দেশপ্রেমিক জিম্বাবুইয়ানদের একতাবদ্ধ হবার আহ্বান জানাই। আমরা সবাই একসাথে কাজ করবো। এখানে কেউই কারো চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নন। আমাদের পরিচয় আমরা জিম্বাবুয়ের নাগরিক। আমরা আমাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চাই, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। আমরা চাই কাজ, কাজ এবং কাজ।" মি. ম্যানানগাগওয়ার বেকারত্ব অবসানের এই ঘোষণায় জানু-পিএফ পার্টির সদরদপ্তরের সামনে উল্লাসে ফেটে পরে জনতা। ধারনা করা হয় দেশটিতে প্রায় নব্বই শতাংশ মানুষ কর্মহীন। সাবেক এই ভাইস প্রেসিডেন্ট আগামী শুক্রবারই রবার্ট মুগাবের স্থলাভিষিক্ত হয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি টেলিভিশন। ক্ষমতাসীন দল জানু-পিএফ পার্টির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন যে ৭১ বছর বয়সী নতুন এই নেতা ২০১৮ সেপ্টেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকছেন। মিস্টার মুগাবে এমারসন ম্যানানগাগওয়াকে চাকরীচ্যুত করলে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। মুগাবের ৩৭ বছরের শাসনের অবসান হলে দেশে ফেরার আগে জিম্বাবুয়ের ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট দেখা করেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার সাথে। তার বক্তৃতায় মি ম্যানানগাগওয়া ধন্যবাদ জানান জিম্বাবুয়ের সেনাবাহিনীকে। একইসাথে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তার পার্শ্ববর্তীদেশ, আফ্রিকান কমিউনিটি এবং বহি:বিশ্বের সহায়তার প্রয়োজনের কথাও জানান।
Zimbabwe's incoming leader Emmerson Mnangagwa has hailed a "new and unfolding democracy" after returning from exile to replace Robert Mugabe.
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন
এইচএমএস মনট্রোজ হরমুজ প্রণালি দিয়ে যাওয়ার সময় একটি ব্রিটিশ ট্যাংকারকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে ওই এলাকায় চলমান আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার এই পদক্ষেপ নেয়া হয়। বুধবার, ইরানের কয়েকটি নৌযার ব্রিটিশ একটি তেল ট্যাংকারকে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে ব্রিটিশ রয়্যাল নৌবাহিনীর জাহাজ তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। নিজেদের একটি তেল ট্যাংকার ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছিল ইরান। তবে, তারা জাহাজ দখলে নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটির পরিবহন বিভাগ বলছে, উচ্চ মাত্রার ঝুঁকি রয়েছে এমন এলাকায় সব সময়ই যুক্তরাজ্যের জাহাজগুলোকে নিরাপত্তা নির্দেশনা দিয়েছে তারা। আরো পড়তে পারেন: ব্রিটিশ ট্যাংকার 'আটকের চেষ্টা চালালো ইরান' 'যুদ্ধ বাধলে নিশ্চিহ্ন হবে ইরান', বলছেন ট্রাম্প ইরানের ওপর 'গুরুতর' নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা ট্রাম্পের বিবিসির প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রতিবেদক জনাথন বিয়াল বলেন, হুমকির মাত্রা বলতে বোঝায়, ব্রিটিশ জাহাজগুলোকে ইরানের জলসীমায় প্রবেশ করতে বারণ করা হয়েছে। উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে হরমুজ প্রণালির দিকে যাওয়ার সময় ইরানের ইসলামি রেভলিউশনারি গার্ড কর্পসের অধীনে থাকা কয়েকটি নৌযান ব্রিটিশ হেরিটেজ ট্যাংকারের গতিপথ রোধ করার চেষ্টা করে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, এইচএমএস মনট্রোজ নামে ব্রিটিশ রণতরী যেটি কিনা বিপির মালিকানাধীন ট্যাঙ্কারকে নিরাপত্তা দিচ্ছিল সেটিকে ইরানের তিনটি নৌযান ও একটি জাহাজের মাঝখান দিয়ে চলতে বাধ্য করা হয়। ইরানের এই পদক্ষেপকে তিনি "আন্তর্জাতিক আইনের অবমাননা" বলে উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো জানায়, এইচএমএস মনট্রোজের বন্দুকগুলো ইরানের নৌকাগুলোর দিকেই তাক করানো ছিলো। সেসময় তাদেরকে পিছু হঠতে বলা হয়। নৌকাগুলো এই নির্দেশনা মেনে নেয়ার কারণে কোন গোলাগুলি হয়নি। গত সপ্তাহে, জিব্রাল্টারে একটি ইরানি ট্যাংকারকে আটক করতে সহায়তা করে ব্রিটিশ রয়্যাল মেরিন। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করে, ওই ট্যাংকারে করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইরান সিরিয়ায় তেল দেয়ার চেষ্টা করছিল। রয়্যাল জিব্রাল্টার পুলিশের মুখপাত্র বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করা হচ্ছে এমন সন্দেহে গত বৃহস্পতিবার ইরানের তেলের ট্যাংকারের ক্যাপ্টেন এবং প্রধান কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছেন তারা। তবে তাদের কারো বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনা হয়নি। চলতি মাসের শুরুতে জিব্রাল্টার প্রণালির কাছে ইরানের গ্রেস ওয়ান তেল ট্যাংকার আটকে সহায়তা করে ব্রিটিশ রয়াল মেরিন বিবিসিকে বলা হয়, ইরানি নৌকাগুলোর কবলে পড়ার সময় ব্রিটিশ হেরিটেজ আবু মুসা দ্বীপের কাছ দিয় যাচ্ছিল। আবু মুসা বিতর্কিত জলসীমায় হলেও এইচএমএস মনট্রোজ আন্তর্জাতিক জলসীমাতেই ছিল। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মরডন্ট বলেন, সরকার এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন এবং উত্তেজনা কমিয়ে "পরিস্থিতি স্বাভাবিক" করতে ইরানের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট আরও বলেন, এই পরিস্থিতি "খুব সতর্কতা"র সাথে পর্যবেক্ষণ করবে। এদিকে টেরিজা মের অফিসের দাপ্তরিক মুখপাত্র বলেন, সরকার "আন্তর্জাতিক আইন মেনে নৌ চলাচলের স্বাধীনতা বজায় রাখার প্রতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।" মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র ইরানের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন এবং বলেছেন, এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সাথে মিলে কাজ করা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। মরগান অরটাগাস বলেন: "নৌ চলাচলের স্বাধীনতা রক্ষায় এবং এই গুরুত্বপূর্ণ জলপথে বাণিজ্যের মুক্ত প্রবাহ নিশ্চিত করায় রয়াল নৌবাহিনীর প্রশংসা করছি আমরা।" যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম রণতরীর কমান্ডার ভাইস অ্যাডমিরাল জিম ম্যালয় এই ঘটনাকে "বেআইনি হয়রানি" বলে উল্লেখ করেছেন এবং "বাণিজ্যের মুক্ত প্রবাহ" নিশ্চিত করেত রয়াল নৌবাহিনীর সাথে মিলে কাজ করা চালিয়ে যাবে তারা। ইরান কি বলছে? ইরানের সংবাদ সংস্থাগুলো বলছে, দেশটির রেভ্যলিউশনারি গার্ড কর্পসের নৌবাহিনী ট্যাংকার আটক প্রচেষ্টার কথা অস্বীকার করছে। তারা দাবি করে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিদেশি কোন জাহাজের সাথে মুখোমুখি হয়নি তাদের। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, "উত্তেজনা বাড়াতেই" এই দাবি তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। "এই দাবির কোন মূল্য নেই," সংবাদ সংস্থা ফার নিউজকে মিস্টার জারিফ বলেন। যুক্তরাজ্য-ইরান উত্তেজনা বাড়ছে কেন? গত জুন মাসে দুটি তেলের ট্যাংকারের উপর হামলার ঘটনায় ইরান অবশ্যই জড়িত যুক্তরাজ্যের এমন মন্তব্যের পর দেশ দুটির সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। জুনে হরমুজ প্রণালিতে হামলার শিকার হয় দুটি তেলের ট্যাংকার উত্তেজনা বাড়ে যখন জিব্রাল্টার প্রণালিতে ব্রিটিশ রয়্যাল মেরিনদের সহায়তায় ইরানের একটি তেলের ট্যাংকারকে আটক করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ইরানের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, আটকের ঘটনা "যুক্তরাজ্যের অপ্রয়োজনীয় এবং অগঠনমূলক আচরণ"। একইসাথে তিনি ইরানের তেলের ট্যাংকার গ্রেস ওয়ানকে ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানান। এর আগে আরেক ইরানি কর্মকর্তা বলেছিলেন, গ্রেস ওয়ান ছেড়ে না দিলে ব্রিটিশ একটি তেলের ট্যাংকার আটক করা উচিত। বুধবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি যুক্তরাজ্যকে রয়্যাল নৌবাহিনীর জাহাজকে আরেকটি জাহাজের নিরাপত্তা দেয়ায় দেশটিকে "ভীত" এবং "আশাহীন" বলে উল্লেখ করেন। মিস্টার রুহানি বলেন, "তোমরা, ব্রিটেন, নিরাপত্তাহীনতার প্রবর্তক এবং পরে তোমরা এর পরিণতিও দেখতে পাবে।" দ্বিতীয় ধাপের সহায়তা হিসেবে এরইমধ্যে রয়্যাল নৌবাহিনীর একটি মাঝারি রণতরী, চারটি মাইন হান্টার এবং একটি রয়্যাল ফ্লিট বাহরাইনের মিনা সালমানে একটি স্থায়ী নেভাল সাপোর্ট ফ্যাসিলিটিতে নোঙর করেছে। পুনঃনিশ্চয়তা পেতে এটা যথেষ্ট হলেও সংকট কাটানোর জন্য পর্যাপ্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিবিসির প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রতিবেদক জনাথন বিয়াল। তার মতে, ওই এলাকায় আরো একটি রয়্যাল নৌ জাহাজ পাঠানোর বিষয়ে ভাবতে হবে মন্ত্রীদের। তবে এমন পদক্ষেপ ওই এলাকায় ইরানের সাথে উত্তেজনা আরে বাড়াবে। পররাষ্ট্র বিভাগ বলছে, ওই এলাকায় যুক্তরাজ্যের সামরিক আচরণ বেশ ভালোভাবেই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তবে তারা উত্তেজনা বাড়ুক এটা চায় না। বিবিসির কূটনৈতিক প্রতিবেদক বলেন, ইরানের সাথে কোনভাবেই একটি সম্মুখ সমরে যেতে চায় না সরকার। কিন্তু তারা এটাও অবহেলা করতে পারে না যে, উপসাগরীয় এলাকায় ব্রিটিশ পতাকাবাহী জাহাজগুলোর চলাচল বেশ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ জাহাজগুলোর জন্য সতর্কতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে তোলার মানে হচ্ছে আসলে ব্রিটিশ জাহাজগুলোকে হুঁশিয়ার করা যে তারা যাতে ইরানের জলসীমায় না যায়। এটা একটু অস্বাভাবিক হলেও একেবারেই নতুন কিছু নয়। সরকারের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের ফল এটি। উপসাগরীয় এলাকায় সীমিত সামরিক সুবিধা নিয়ে, রয়্যাল নৌবাহিনীর পক্ষে ব্রিটিশ জাহাজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আসলেই কঠিন। প্রতিদিন, উপসাগরীয় এলাকায় তেল এবং গ্যাস ট্যাঙ্কারসহ যুক্তরাজ্যের ১৫ থেকে ৩০টি বড় জাহাজ চলাচল করে যার মধ্যে প্রতি এক থেকে তিনটা হরমুজ প্রণালি হয়ে যায়। উপসাগরীয় এলাকায় নৌ চলাচলে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে একটি জোট গঠনের দিকে ঝুঁকছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এখনো সম্ভাব্য অংশীদারদের আহ্বান জানাতে তেমন কিছু করেনি তারা। ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান বিতর্ক চলতে থাকায় কিছু কিছু দেশ যারা এরইমধ্যে বাহরাইন ভিত্তিক ৩৩ দেশের সমন্বয়ে গঠিত সমন্বিত সামুদ্রিক বাহিনীর অংশীদার, তারা জোটে যেতে অনাগ্রহী হতে পারেন। ওই এলাকার জাহাজগুলো কি ইরানের জলসীমা এড়াতে পারবে? হরমুজ প্রণালি যেটি দিয়ে উপসাগরীয় এলাকায় ঢুকতে হয় সেটি খুবই সংকীর্ণ, মাত্র ২১ নটিক্যাল মাইল বা ৩৯ কিলোমিটার। এটি এর সংকীর্ণতম এলাকায় এতোই ছোট যে মাঝ বরাবর ইরান এবং ওমানের জলসীমা মিলিত হয়, একথা জানিয়েছেন বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিবেদক ফ্র্যাংক গার্ডনার। হরমুজ প্রণালী দিয়ে পৃথিবীর এক পঞ্চমাংশ তেল সরবরাহ হয় তাই আন্তর্জাতিক জলসীমা নয় বরং প্রবেশাধিকার পেতে ইরান কিংবা ওমানি সীমার উপর দিয়েই যেতে হয়। সম্প্রতি নিজেদের ভৌগলিক সীমার বাইরে ১২ নটিক্যাল মাইল করে জায়গা বাড়িয়েছে দুই দেশ। প্রণালী ব্যবহারের অধিকারের ভিত্তিতে এই এলাকা দিয়ে জাহাজগুলো অবাধে চলাচল করছে।এটি জাতিসংঘের প্রস্তাবনার একটি অংশ যা জাহাজগুলোকে জিব্রাল্টার এবং মালাক্কা প্রণালীর মতো বিশ্বের চেকপয়েন্টগুলোতে মুক্ত চলাচলের অধিকার দেয়। হরমুজ প্রণালীতে জাহাজ চলাচলের দুটি চ্যানেল রয়েছে যেগুলো একটা আরেকটার বিপরীত দিকে এবং প্রতিটি ০২ নটিক্যাল মাইল করে প্রশস্ত। এটাকে বলে ট্রাফিক পৃথকীকরণ সুবিধা। ইরান এবং মার্কিন নৌবাহিনী রণতরীগুলো এসব এলাকায় টহল দেয় এবং বিভিন্ন সময়ে অল্পের জন্য মুখোমুখি অবস্থান এড়িয়ে চলতে পেরেছে তারা। হরমুজ প্রণালি দিয়ে জাহাজ পার হওয়ার পর উপসাগরীয় এলাকায় পৌঁছালে জাহাজগুলোকে আবু মুসা দ্বীপ এবং গ্রেটার ও লেসার তুনবের প্রতিযোগিতামূলক সীমায় সাবধান থাকতে হয়। এই এলাকা ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আলাদাভাবে দাবি করলেও এটি পুরোপুরি ইরানি বাহিনীর দখলে। ব্রিটিশ হেরিটেজ সম্পর্কে আমরা কি জানি? এটা নিশ্চিত যে ইরানের নৌকাগুলোর সাথে ওই ঘটনার সময় ব্রিটিশ হেরিটেজের কোন কার্গো ছিলো না। এই জাহাজ ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণাধীন আইল অব ম্যানের ডগলাস বন্দরে নথিভুক্ত করা। ব্রিটিশ হেরিটেজ ট্যাংকার এক সাথে দশ লাখেরও বেশি ব্যারেল তেল বহন করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান উত্তেজনা কি? গত মে এবং জুন মাসে ছয়টি তেলের ট্যাংকারে হামলায় ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার, মার্কিন সামরিক বাহিনীর যৌথ চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান বলেন, ইরান এবং ইয়েমেনের আশেপাশে জলসীমায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি বহুজাতিক সামরিক জোট গঠন করতে চায় তারা। বিবিসির কূটনৈতিক প্রতিবেদক জেমস ল্যান্ডাল বলছেন, যাই হোক, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের অন্য দেশগুলো ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে আরো সাবধানী হবে। এর শুরু হয়েছিলো, ট্রাম্প প্রশাসনের তেহরানের পরমাণু কর্মসূচী বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তি প্রত্যাহার করে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেয়া থেকে। পরে শাস্তি হিসেবে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও ঘোষণা দেয়া হয় ।
The UK has raised the threat to British shipping in Iranian waters in the Gulf to the highest level - where the risk of attack is "critical".
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন
বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে যেভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রতিরোধের ক্ষমতা বেড়ে যাচ্ছে, তাতে বিজ্ঞানীদের মধ্যে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। অক্সফোর্ড বলছে বিশ্বে স্বাস্থ্য বিষয়ে সবচেয়ে বড় ঝুঁকিগুলোর একটি হল অ্যান্টিবায়োটিক ক্রমশ অকার্যকর হয়ে পড়া। তাদের হিসাব অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করার কারণে পৃথিবীতে ইতোমধ্যেই মৃত্যু হচ্ছে ১৫ লাখ মানুষের। এই গবেষণায় অর্থায়নের জন্য দশ কোটি পাউন্ড অর্থ দান করেছে ইনিওস কেমিক্যাল কোম্পানি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চান্সেলার লুইস রিচার্ডসন বলেছেন কোভিড মহামারি বুঝিয়ে দিয়েছে "একটা ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে জেনেও তাকে উপেক্ষা করলে তার জন্য কী ধরনের চড়া মূল্য দিতে হয়।" 'বিপদ বাড়ছে' অ্যান্টিবায়োটিকের "অতি-ব্যবহার এবং অপব্যবহার"এর ফলে রোগজীবাণুর মধ্যে এই ওষুধ প্রতিরোধের শক্তি যেভাবে বেড়ে গেছে তা মোকাবেলা করতে ইনিওস অক্সফোর্ড ইনস্টিটিউট নামের এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন ৫০জন গবেষক। বিশ্ববিদ্যালয় হুঁশিয়ারি দিয়েছে এখনই এই সমস্যা মোকাবেলার উদ্যোগ না নিলে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতি বছর স্বাভাবিকের ওপর একশ কোটি বাড়তি মৃত্যু ঘটবে। সবরকম অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা সুপারবাগ ইতোমধ্যেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের হাসপাতালে "মারত্মক'' সংক্রমণ এমনকি মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হয়ে উঠছে আরও পড়তে পারেন: নিয়মিত রুটিন অস্ত্রোপচার এবং "যেসব চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার অব্যর্থ বলে ধরে নেয়া হয়" কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক না থাকলে সেগুলো মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। "অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি প্রতিরোধের কারণে যেভাবে বিপদ বাড়ছে, তা নিয়ে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে কম কথাবার্তা বলা হচ্ছে," বলছেন নতুন গবেষণা কেন্দ্রের উপদেষ্টা একজন শল্য চিকিৎসক ডেভিড সুইটম্যান। "এই ঝুঁকি কাটিয়ে অবস্থা পরিবর্তনের জন্য আমাদের হাতে আসলেই এখন খুবই অল্প সময় রয়েছে। যেটা অভাবনীয় বলে ভাবছি সেটা কিন্তু অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠতে বেশি দেরি নেই," তিনি বলছেন। অধ্যাপক চোর্ডসন বলছেন কোভিড ভ্যাক্সিন উদ্ভাবনে অক্সফোর্ডের সাফল্য বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার প্রতি সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি অনেক ইতিবাচক করে তুলেছে অধ্যাপক রিচার্ডসন বলেছেন রোগজীবাণু যেভাবে অ্যান্টিবায়োটিককে অকার্যকর করে দেবার ক্ষমতা গড়ে তুলেছে তাতে "এখুনি পদক্ষেপ নেয়া খুবই জরুরি।" "এই গবেষণা এই মুহূর্তে খুবই ব্যয়বহুল মনে হতে পারে, কিন্তু এটা না করলে তার যে মূল্য দিতে হবে এটা তার তুলনায় কিছুই নয়," তিনি বলছেন। ভাইস চান্সেলার বলেছেন কোভিড ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে অক্সফোর্ডের সাফল্যের পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান এবং বিজ্ঞানীদের দক্ষতার ওপর মানুষের আস্থা বেড়েছে। মূল্যবান গবেষণার গুরুত্ব "আমরা পরিস্থিতি বিচার করে এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এত দ্রুত যে কোভিডের টিকা তৈরি করতে পেরেছি, তার কারণ আমরা গত বিশ বছর ধরে টিকার ওপর নানা মূল্যবান গবেষণার কাজ করেছি," জানান অধ্যাপক রিচার্ডসন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেসব গবেষণার কাজ করে সেগুলো অর্থের যথাযথ ব্যবহার কিনা, সেগুলোর প্রয়োজন আছে কিনা এ নিয়ে নানা সময়ে বিতর্ক ওঠে। বেশি শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার দিকে ঝুঁকছে এমন সমালোচনাও মাঝে মধ্যে ওঠে। কিন্তু অধ্যাপক রিচার্ডসন বলছেন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি এখন বদলাচ্ছে। "ব্রিটেনে গবেষকের সংখ্যা প্রয়োজনের অতিরিক্ত একথা এখন মানুষ আর বলবে না," তিনি বলেন। কোভিড ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের সাফল্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যবান গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরেছে বলে অধ্যাপক রিচার্ডসন মন্তব্য করেছেন। "এধরনের উদ্ভাবন শুধু মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্যই জরুরি নয়, এমনকি অর্থনীতি বাঁচাতে এবং সেই সাথে একটা জাতির সংস্কৃতি রক্ষা জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।" ইনিওস প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কোটিপতি সার জিম র‍্যাটক্লিফ বলেছেন অক্সফোর্ডের সাথে তাদের এই যৌথ উদ্যোগ "বিশ্বের একটা জরুরি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করবে"।
Oxford University is opening a new research institute dedicated to tackling resistance to antibiotics.