passage_answer_candidates
sequence | question_text
stringlengths 1
226
| document_title
stringlengths 1
116
| language
stringclasses 11
values | annotations
sequence | document_plaintext
stringlengths 11
739k
| document_url
stringlengths 31
792
|
---|---|---|---|---|---|---|
{
"plaintext_start_byte": [
0,
668,
2459,
3163,
4710,
6766,
7946,
10729,
13211,
15200,
15945,
17941,
19037,
21094,
22332,
23763,
24800,
26553,
27385,
27904,
28954,
29957,
31227,
32168,
32721,
32858,
34155,
34580,
35253,
35657,
35994,
36203
],
"plaintext_end_byte": [
667,
2458,
3162,
4709,
6733,
7925,
10728,
13210,
15198,
15944,
17911,
19036,
20896,
22331,
23731,
24772,
26552,
27384,
27803,
28934,
29927,
31226,
32139,
32608,
32802,
34128,
34537,
35217,
35621,
35963,
36200,
37292
]
} | খেমার সাম্রাজ্য কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? | মুঘল সাম্রাজ্য | bengali | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} | মুঘল বা মোগল সাম্রাজ্য (Urdu: مغلیہ سلطنت, Mug̱ẖliyah Salṭanat, Persian: گورکانیان, Gūrkāniyān)), ছিল ভারত উপমহাদেশের একটি সাম্রাজ্য।[6] উপমহাদেশের অধিকাংশ অঞ্চলজুড়ে মুঘল সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল। মুঘল সাম্রাজ্য মূলতঃ পারস্য ও মধ্য এশিয়ার ভাষা, শিল্প ও সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত ছিল।[7][8]
পানিপথের প্রথম যুদ্ধে ইবরাহিম লোদির বিরুদ্ধে বাবরের জয়ের মাধ্যমে মুঘল সাম্রাজ্যের সূচনা হয়। মুঘল সম্রাটরা ছিলেন মধ্য এশিয়ার তুর্কো-মঙ্গোল বংশোদ্ভূত। তারা চাগতাই খান ও তৈমুরের মাধ্যমে চেঙ্গিস খানের বংশধর। ১৫৫৬ সালে আকবরের ক্ষমতারোহণের মাধ্যমে মুঘল সাম্রাজ্যের ধ্রূপদী যুগ শুরু হয়। আকবর ও তার ছেলে জাহাঙ্গীরের শাসনামলে ভারতে অর্থনৈতিক প্রগতি বহুদূর অগ্রসর হয়। আকবর অনেক হিন্দু রাজপুত রাজ্যের সাথে মিত্রতা করেন। কিছু রাজপুত রাজ্য উত্তর পশ্চিম ভারতে মুঘলদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জারি রাখে কিন্তু আকবর তাদের বশীভূত করতে সক্ষম হন। মুঘল সম্রাটরা মুসলিম ছিলেন তবে জীবনের শেষের দিকে শুধুমাত্র সম্রাট আকবর ও তার পুত্র সম্রাট জাহাঙ্গীর নতুন ধর্ম দীন-ই-ইলাহির অনুসরণ করতেন।[9]
মুঘল সাম্রাজ্য স্থানীয় সমাজে হস্তক্ষেপ করত না তবে প্রশাসনিকভাবে এসববের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা হত।[10][11] অনেক বেশি কাঠামোগত, কেন্দ্রীভূত শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়। মুঘল শাসনামলে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন গোষ্ঠী যেমন মারাঠা, রাজপুত ও শিখরা সামরিক শক্তি অর্জন করে।
শাহজাহানের যুগে মুঘল স্থাপত্য এর স্বর্ণযুগে প্রবেশ করে। তিনি অনেক স্মৃতিসৌধ, মসজিদ, দুর্গ নির্মাণ করেন যার মধ্যে রয়েছে আগ্রার তাজমহল, মোতি মসজিদ, লালকেল্লা, দিল্লি জামে মসজিদ। আওরঙ্গজেবের শাসনামলে মুঘল সাম্রাজ্যের সীমানা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছায়। শিবাজী ভোসলের অধীনে মারাঠাদের আক্রমণের ফলে সাম্রাজ্যের অবনতি শুরু হয়। আওরঙ্গজেবের সময় দক্ষিণ ভারত জয়ের মাধ্যমে ৩.২ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটারের বেশি অঞ্চল মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্গত হয়। এসময় সাম্রাজ্যের জনসংখ্যা ছিল ১৫০ মিলিয়নের বেশি যা তৎকালীন পৃথিবীর জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ এবং জিডিপি ছিল ৯০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।[12][13]
১৮শ শতাব্দীর মধ্যভাগ নাগাদ মারাঠারা মুঘল সেনাবাহিনীর বিপক্ষে সফলতা লাভ করে এবং দক্ষিণাত্য থেকে বাংলা পর্যন্ত বেশ কিছু মুঘল প্রদেশে বিজয়ী হয়। সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ার দুর্বলতার কারণে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ সৃষ্টি হয় যার ফলে বিভিন্ন প্রদেশ কার্যত স্বাধীন হয়ে পড়ে। ১৭৩৯ সালে কারনালের যুদ্ধে নাদির শাহের বাহিনীর কাছে মুঘলরা পরাজিত হয়। এসময় দিল্লি লুন্ঠিত হয়। পরের শতাব্দীতে মুঘল শক্তি ক্রমান্বয়ে সীমিত হয়ে পড়ে এবং শেষ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের কর্তৃত্ব শুধু শাহজাহানাবাদ শহরে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। সিপাহী বিদ্রোহের সমর্থনে তিনি একটি ফরমান জারি করেছিলেন। সিপাহী বিদ্রোহ ব্যর্থ হলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তার বিরুদ্ধে রাজদ্রোহীতার অভিযোগ এনে কারাবন্দী করে। শেষে তিনি রেঙ্গুনে নির্বাসিত হন এবং সেখানেই মারা যান।
নাম উৎপত্তি
সমসাময়িকরা বাবরের প্রতিষ্ঠিত সাম্রাজ্যকে 'তিমুরি' বা 'তৈমুরী' সাম্রাজ্য বলে উল্লেখ করেছেন যা মুঘলরা নিজেরাও ব্যবহার করত।[14][15] আইন-ই-আকবরিতে 'হিন্দুস্তান' নামটি উল্লেখ রয়েছে।[16] পাশ্চাত্যে 'মুঘল' (বা 'মোঘুল' Moghul) শব্দটি সম্রাট ও বৃহৎ অর্থে সাম্রাজ্য বোঝাতে ব্যবহৃত হত।[17] মঙ্গোল শব্দের আরবি ও ফারসি অপভ্রংশ থেকে 'মোগল' (বা মুগুল/মোগুল "مغول") শব্দটি এসেছে।[18] তবে বাবরের পূর্বপুরুষরা সাবেক মঙ্গোলদের চেয়ে ফারসি সংস্কৃতি দ্বারা বেশি প্রভাবিত ছিলেন।
ইতিহাস
বাবর মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন মধ্য এশিয়ার তুর্কো-মঙ্গোল বংশোদ্ভূত শাসক। বাবার দিক থেকে তিনি তৈমুর লং ও মায়ের দিক থেকে চেঙ্গিস খানের বংশধর ছিলেন।[19] মধ্য এশিয়া থেকে বিতাড়িত হয়ে বাবর ভারতে ভাগ্য নির্মাণে নিয়োজিত হন। তিনি নিজেকে কাবুলের শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন এবং আফগানিস্তান থেকে খাইবার পাস হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন।[19] পানিপথের যুদ্ধে বিজয়ের পর বাবরের সেনাবাহিনী উত্তর ভারতের অধিকাংশ এলাকা জয় করে নেয়।[19] তবে শাসন পাকাপোক্ত করতে অনেক সময় লেগে যায়।[19] অস্থিতিশীলতা তার ছেলে হুমায়ুনের সময়ও ছড়িয়ে পড়ে। হুমায়ুন দিগ্বিজয়ী সেনাপতি শেরশাহ কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারত থেকে পারস্যে পালিয়ে যান।[19] হুমায়ুনের সাথে পারস্যের সাফাভিদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় এবং মুঘল সাম্রাজ্যে পারসীয় সাংস্কৃতিক প্রভাব বৃদ্ধি পেতে থাকে। সাফাভিদের সহায়তায় হুমায়ুন মুঘলদের ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। কিছুকাল পর নিজস্ব গ্রন্থাগারে ঘটা এক দুর্ঘটনায় হুমায়ুনের মৃত্যু হলে[19] তার ছেলে আকবর অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় সিংহাসনে বসেন। আকবরের অভিভাবক বৈরাম খান ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের ভিত্তি মজবুত করতে আকবরের সহায়তা করেছেন।[19]
যুদ্ধ ও কূটনীতির মাধ্যমে আকবর সাম্রাজ্যকে সবদিকে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হন। তিনি ভারতের সামাজিক গোষ্ঠীর সামরিক অভিজাতদের থেকে তার প্রতি অনুগত নতুন অভিজাত শ্রেণী গড়ে তোলেন। তিনি উন্নত সরকার ব্যবস্থা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে অবদান রেখেছেন।[19] আকবর ইউরোপীয় বাণিজ্য কোম্পানিগুলোর সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি করেছেন। বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের পার্থক্য দূর করার জন্য আকবর দীন-ই-ইলাহি নামক নতুন ধর্ম তৈরি করেছিলেন। তবে এই ধর্ম প্রসিদ্ধ হয়নি। আকবরের ছেলে সম্রাট জাহাঙ্গীর সমৃদ্ধির সাথে শাসন করেছেন। তবে জাহাঙ্গীর মাদকাসক্ত ছিলেন। তার রাষ্ট্রীয় কাজে অনীহা দেখে দরবারের প্রভাবশালীরা তার সন্তান খুররম ও শাহরিয়ারের পক্ষ নিয়ে দু'দলে বিভক্ত হয়ে বিদ্রোহ করে। বিদ্রোহীদের প্রভাবে পড়ে যান জাহাঙ্গীর। অবশেষে খুররম শাহজাহান হিসেবে মুঘল সিংহাসনে আরোহণ করেন[19] শাহজাহানের শাসনকাল মুঘল দরবারের জাকজমকের জন্য প্রসিদ্ধ। এসময় অনেক বিলাসবহুল ইমারত নির্মিত হয় যার মধ্যে তাজমহল অন্যতম।[19] এসময় দরবারের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ রাজস্ব আয়ের চেয়ে বেশি ছিল।[19]
বৃদ্ধ সম্রাট অসুস্থ হবার পর তার বড় ছেলে দারা শিকোহ উত্তরাধিকারী হন। সিংহাসন নিয়ে শাহজাহানের ছেলেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অন্যান্যদের পরাজিত করে শেষপর্যন্ত আওরঙ্গজেব জয়ী হন। দারা শিকোহকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।[19] মারাত্মক অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রভাব বিস্তার করায় আওরঙ্গজেব শাহজাহানকে গৃহবন্দী করেন। আওরঙ্গজেবের সময় মুঘল সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব অনেক বৃদ্ধি পায়। তিনি প্রায় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়াকে মুঘল সাম্রাজ্যের সরাসরি অধীনে নিয়ে আসেন। ১৭০৭ সালে তার মৃত্যুর পর সাম্রাজ্যের অনেক অংশ বিদ্রোহ করতে শুরু করে।[19] আওরঙ্গজেবের ছেলে প্রথম বাহাদুর শাহ প্রশাসন সংস্কার করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। তবে ১৭১২ সালে তার মৃত্যুর পর মুঘল সাম্রাজ্য বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়ে। ১৭১৯ সালে চারজন দুর্বল সম্রাট পরপর শাসন করেছেন।[19]
মুহাম্মদ শাহের শাসনামলে সাম্রাজ্য ভেঙে পড়তে শুরু করে। মধ্য ভারতের অধিকাংশ মারাঠা সাম্রাজ্যের হাতে চলে যায়। নাদির শাহ দিল্লি আক্রমণ করেন এবং এতে মুঘল শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।[19] সাম্রাজ্যে অনেক স্বাধীন রাজ্যের উদ্ভব হয়।[19] তবে মুঘল সম্রাটকে সর্বোচ্চ শাসক হিসেবে বিবেচনা করা হত।[20]
সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম মুঘল কর্তৃত্ব পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু তাকে বাইরের শক্তির উপর নির্ভর করতে হয়। এদের মধ্যে ছিলেন আফগানিস্তানের আমির আহমেদ শাহ আবদালি। ১৭৬১ সালে আবদালির নেতৃত্বাধীন আফগান ও মারাঠা সাম্রাজ্যের মধ্যে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে মারাঠারা পরাজিত হলেও ১৭৭১ সালে মারাঠারা আফগান-মুঘলদের কাছ থেকে দিল্লি পুনর্দখল করে নেয় এবং ১৭৮৪ সালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লিতে সম্রাটের রক্ষক হয়ে উঠে।[21] তৃতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধের আগ পর্যন্ত এই অবস্থা বজায় ছিল। এরপর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মুঘল রাজবংশের রক্ষক হয়।[20] সিপাহী বিদ্রোহের ব্যর্থতার পর শেষ মুঘল সম্রাটকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্বাসনে পাঠানো হয়। এরপর ইংল্যান্ডের রাণী ভিক্টোরিয়াকে ভারত সম্রাজ্ঞী ঘোষণা করা হয়।[19]
পতনের কারণ
ইতিহাসবিদরা মুঘল সাম্রাজের পতনের বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেন। অর্থনৈতিক দিক থেকে সাম্রাজ্যে প্রধান অফিসার, আমিরদের বেতন দিতে প্রয়োজনীয় রাজস্ব ছিল না। আঞ্চলিক শাসকদের উপর সম্রাট নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। সেনাবাহিনীকে অধিক মাত্রায় আগ্রাসী মারাঠাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনব্যপী চলমান যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয় ফলে তারা মনোবল হারিয়ে ফেলে। ফররুখসিয়ারের মৃত্যুর পর স্থানীয় শাসকরা ক্ষমতা নিতে শুরু করে।[22]
১৯৭০ এর দশক থেকে ইতিহাসবিদরা বেশ কয়েকভাবে পতনকে ব্যাখ্যা করেছেন। মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যায় দেখা যায় উচ্চশ্রেণীর মধ্যে অসাধুতা, অত্যধিক বিলাসিতা এবং সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি শাসকদের বাহ্যিক হুমকির ব্যাপারে অপ্রস্তুত করে তোলে। একটি মার্ক্সবাদী মতানুযায়ী, ধনীদের হাতে কৃষকদের নিপীড়নের কারণে শাসনের প্রতি জনসমর্থন কমে যায়।[23] আরেকটি মতানুযায়ী হিন্দু ধনী সম্প্রদায় মুঘল সাম্রাজ্যের বদলে মারাঠা ও ব্রিটিশদের অর্থসহায়তা প্রদান করে।[24] ধর্মীয় দিক থেকে বিচারে বলা হয় হিন্দু রাজপুতরা মুসলিম শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল।[25] তবে চূড়ান্ত মত হিসেবে অন্যান্য পণ্ডিতরা বলেন যে সাম্রাজ্যের অত্যধিক সমৃদ্ধি প্রদেশগুলোকে অধিক মাত্রায় স্বাধীনতা অর্জনে উৎসাহ যোগায় এবং রাজ দরবারকে দুর্বল করে তোলে।[26]
সম্রাটদের তালিকা
ভারত উপমহাদেশে প্রভাব
দক্ষিণ এশিয়ার শিল্প ও সংস্কৃতি
ভারত উপমহাদেশে মুঘলরা অনন্য স্থাপত্য শৈলী দান করেছে। এসময়ে নির্মিত অনেক স্থাপত্য নিদর্শন ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। তাজমহল মুঘল স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। অন্যান্য বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে হুমায়ুনের মাজার, ফতেহপুর সিক্রি, লালকেল্লা, আগ্রা দুর্গ ও লাহোর দুর্গ। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের অনেক অঞ্চল যেমন আগ্রা, আওরঙ্গবাদ, দিল্লি, ঢাকা, ফতেহপুর সিক্রি, জয়পুর, লাহোর, কাবুল, শেখপুরে মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে।[30]
সংস্কৃতির ক্ষেত্রে মুঘলদের অবদান রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থায় অনেক ক্ষুদ্র রাজ্য পরস্পর নিকটে আসে।[31] পারস্যের শিল্প ও সংস্কৃতি ভারতীয় শিল্প ও সংস্কৃতির সাথে যুক্ত হয়।[32] আরব ও তুর্কীয় অধ্যুষিত অঞ্চলসমূহে নতুন বাণিজ্য রুট চালু হয়। মুঘল রান্না ভারত উপমহাদেশের একটি বিশেষত্ব। ভারতীয় স্থাপত্য যেমন রাজপুত ও শিখ শাসকদের প্রাসাদে মুঘল স্থাপত্যের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও বাগান তৈরিতে মুঘলদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। মুঘল সাম্রাজ্যের অংশসমূহ বর্তমানে বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিভক্ত হলেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
উর্দু ভাষা
ফারসি প্রধান এবং সরকারি ভাষা হলেও পরবর্তী সময়ে উর্দু অভিজাত শ্রেণীর ভাষা হয়ে উঠে। উর্দু ভাষা ফারসি ও আরবি প্রভাবিত এবং তা নাস্তালিক লিপিতে লেখা হয়। হিন্দি ও উর্দুর মিল থাকলেও শব্দভান্ডারের দিক থেকে দুইটি ভাষা পৃথক। হিন্দি শব্দ সংস্কৃত প্রভাবিত আর উর্দু আরবি, ফারসি, তুর্কীয় ভাষা প্রভাবিত।[33] বর্তমানে উর্দু পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা এবং ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সহসরকারি ভাষা।
মুঘল সমাজ
মুঘল শাসনামলে ভারতের অর্থনীতি সমৃদ্ধশালী ছিল। এসময় সড়ক নির্মাণ, একক মুদ্রা ব্যবস্থা চালু ও রাষ্ট্রের একত্রীকরণ হওয়ায় অর্থনীতি লাভবান হয়।[34] কৃষি ও উৎপাদিত পণ্য বিশ্বব্যপী বিক্রি হত। জাহাজ নির্মাণ, কাপড় প্রস্তুতি ইত্যাদি এসময় গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ছিল। মক্কায় হাজিদের নিয়ে যাওয়ার জন্য মুঘলদের ক্ষুদ্র নৌবহর ছিল। এছাড়া এর মাধ্যমে আরব ঘোড়া আমদানি করা হত। নদীপথে সেনা পরিবহন এবং বিদ্রোহীদের সাথে লড়াইয়ের জন্য নদীতে নৌবহর ছিল। এর নৌ সেনাপতিদের মধ্যে ছিলেন ইয়াহিয়া সালেহ, মুনাওয়ার খান ও মুহাম্মদ সালেহ কামবোহ। মুঘলদের সময় সিদি সম্প্রদায়ের নাবিকেরা চীন ও পূর্ব আফ্রিকান উপকূলগামী জাহাজে ব্যক্তিগত বাণিজ্যের জন্য বণিকদের নিয়ে জাহাজ চালনা করত।
মুঘল আমলে শহরের উন্নতি হয়। অনেক ক্ষেত্রে শহরগুলো ছিল সামরিক ও রাজনৈতিক কেন্দ্র, উৎপাদন বা বাণিজ্যিক কেন্দ্র নয়।[35] সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় উৎপাদকরা শহরাঞ্চলে বসবাস করত। অধিকাংশ শিল্প ছিল শহরের বাইরে গ্রাম অঞ্চলে। মুঘলরা প্রত্যেক প্রদেশে মক্তব গড়ে তোলে। এখানে কুরআন ও ইসলামি আইন শিক্ষা দেয়া হত।
মুঘলদের অধীনে বাংলা প্রদেশ বিশেষভাবে সমৃদ্ধশালী হয়। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে বাংলার নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এই সমৃদ্ধি বজায় ছিল।[36]
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
জ্যোতির্বিজ্ঞান
তাত্ত্বিক জ্যোতির্বিজ্ঞানে কম গুরুত্ব প্রদান করা হলেও মুঘল জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণমূলক জ্যোতির্বিজ্ঞানের চর্চা চালিয়ে যান। এ বিষয়ে অনেক বিবরণ তারা রচনা করেছেন। সম্রাট হুমায়ুন দিল্লিতে ব্যক্তিগত মানমন্দির নির্মাণ করেছিলেন। মুঘলদের ব্যবহৃত জ্যোতির্বিজ্ঞানের যন্ত্রপাতিগুলো ইসলামি ঐতিহ্য থেকে আগত।[37][38] এসময়ের একটি উল্লেখযোগ্য কীর্তি হল সংযুক্তিহীন একক ভূগোলক নির্মাণ।
আলকেমি
শেখ দীন মুহাম্মদ মুঘল আলকেমি নিয়ে জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। শ্যাম্পু তৈরির প্রক্রিয়া তার জানা ছিল। এছাড়াও তিনি মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম এবং দিল্লি ও এলাহাবাদের সমৃদ্ধ বর্ণনার নিয়ে লেখার জন্য পরিচিত। মুঘল সাম্রাজ্যের জৌলুসের কথা তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন। শেখ দীন মুহাম্মদ রাজা চতুর্থ জর্জ এবং চতুর্থ উইলিয়াম উভয়ের শ্যাম্পু সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[39]
প্রযুক্তি
পারসিয়ান পন্ডিত ও যন্ত্রপ্রকৌশলী ফতুল্লাহ শিরাজী সম্রাট আকবরের জন্য কয়েক ব্যারেল বিশিষ্ট বন্দুক তৈরি করেছিলেন।[40] আকবর সর্বপ্রথম ধাতব সিলিন্ডারের রকেট ব্যবহার করেন। সানবালের যুদ্ধের সময় যুদ্ধ হাতির বিরুদ্ধে এগুলো ব্যবহৃত হয়।[41] ১৬৫৭ সালে মুঘল সেনাবাহিনী বিদার অবরোধের সময় রকেট ব্যবহার করে।[42] আওরঙ্গজেবের সেনারা দেয়ালের উপর রকেট ও গ্রেনেড ছুড়তে থাকে। বারুদের ভান্ডারে রকেট আঘাত করলে সিদি মারজান মারাত্মকভাবে আহত হন। ২৭ দিন তুমুল লড়াইয়ের পর বিদার মুঘলদের হাতে আসে।[42]
পরবর্তীতে মুঘল রকেটের উন্নত সংস্করণ মহীশুর রকেটের উদ্ভব হয়। হায়দার আলির বাবা ফাতাহ মুহাম্মদ আরকোটের নবাবের পক্ষে রকেট চালাতে সক্ষম ৫০ জন সেনার নেতৃত্ব দেন। হায়দার আলি রকেটের গুরুত্ব অনুধাবন করে ধাতব সিলিন্ডারের উন্নত সংস্করণের সূচনা করেন। দ্বিতীয় ইঙ্গ-মহীশুর যুদ্ধের সময় এই রকেট ব্যবস্থা মহীশুর সালতানাতের জন্য সুবিধা নিয়ে এসেছিল।[43]
আরও দেখুন
2
মুঘল গোত্র
মুঘল রান্না
মুঘল উদ্যান
মুঘল চিত্রকলা
মুঘল অস্ত্র
মুঘল হারেম
মুঘল-ই-আজম, ভারতীয় চলচ্চিত্র
ভারতের ইতিহাস
ইসলামের ভারত বিজয়
সুন্নি মুসলিম রাজবংশের তালিকা
মোঘল সম্রাটদের উদ্দিন উপাধি গ্রহনের কারণ
উদ্দিন (উপাধি) এই পাতাটি পড়ুন।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
Alam, Muzaffar. Crisis of Empire in Mughal North India: Awadh & the Punjab, 1707–48 (1988)
Ali, M. Athar. "The Passing of Empire: The Mughal Case," Modern Asian Studies (1975) 9#3 pp.385–396 , on the causes of its collapse
Black, Jeremy. "The Mughals Strike Twice," History Today (April 2012) 62#4 pp 22–26. full text online
Blake, Stephen P. "The Patrimonial-Bureaucratic Empire of the Mughals," Journal of Asian Studies (1979) 39#1 pp.77–94
Dale, Stephen F. The Muslim Empires of the Ottomans, Safavids and Mughals (Cambridge U.P. 2009)
Faruqui, Munis D. "The Forgotten Prince: Mirza Hakim and the Formation of the Mughal Empire in India," Journal of the Economic and Social History of the Orient (2005) 48#4 pp 487–523 , on Akbar and his brother
Gommans; Jos. Mughal Warfare: Indian Frontiers and Highroads to Empire, 1500–1700 (Routledge, 2002)
Gordon, S. The New Cambridge History of India, II, 4: The Marathas 1600–1818 (Cambridge, 1993).
Habib, Irfan. Atlas of the Mughal Empire: Political and Economic Maps (1982).
Richards, John F. The Mughal Empire (The New Cambridge History of India) (1996)
Richards, J. F. "Mughal State Finance and the Premodern World Economy," Comparative Studies in Society and History (1981) 23#2 pp.285–308
সংস্কৃতি
Berinstain, V. Mughal India: Splendour of the Peacock Throne (London, 1998).
Busch, Allison. Poetry of Kings: The Classical Hindi Literature of Mughal India (2011)
Preston, Diana and Michael Preston. Taj Mahal: Passion and Genius at the Heart of the Moghul Empire Walker & Company; .
Schimmel, Annemarie. The Empire of the Great Mughals: History, Art and Culture (Reaktion 2006)
সমাজ ও অর্থনীতি
Chaudhuri, K. N. "Some Reflections on the Town and Country in Mughal India," Modern Asian Studies (1978) 12#1 pp.77–96
Habib, Irfan. Atlas of the Mughal Empire: Political and Economic Maps (1982).
Habib, Irfan. Agrarian System of Mughal India (1963, revised edition 1999).
Heesterman, J. C. "The Social Dynamics of the Mughal Empire: A Brief Introduction," Journal of the Economic and Social History of the Orient, (2004) 47#3 pp.292–297
Khan, Iqtidar Alam. "The Middle Classes in the Mughal Empire," Social Scientist (1976) 5#1 pp.28–49
Rothermund, Dietmar. An Economic History of India: From Pre-Colonial Times to 1991 (1993)
প্রাথমিক উৎস
Hiro, Dilip, ed, Journal of Emperor Babur (Penguin Classics 2007)
The Baburnama: Memoirs of Babur, Prince and Emperor ed. by W.M. Thackston Jr. (2002); this was the first autobiography in Islamic literature
Jackson, A.V. et al., eds. History of India (1907) v.9. Historic accounts of India by foreign travellers, classic, oriental, and occidental, by A.V.W. Jackson
পুরনো ইতিহাস
Elliot, Sir H. M., Edited by Dowson, John. The History of India, as Told by Its Own Historians. The Muhammadan Period; published by London Trubner Company 1867–1877. (Online Copy at Packard Humanities Institute– Other Persian Texts in Translation; historical books: Author List and Title List)
বহিঃসংযোগ
an interactive experience from the British Museum
from BBC
Indo-Iranian Socio-Cultural Relations at Past, Present and Future, by M. Reza Pourjafar, Ali
A. Taghvaee, in , vol. 1, January–June 2006
বিষয়শ্রেণী:১৫২৬-এ প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র ও অঞ্চল
বিষয়শ্রেণী:মুঘল সাম্রাজ্য
বিষয়শ্রেণী:বাংলার ইতিহাস
বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস
বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ইতিহাস
বিষয়শ্রেণী:ভারতের ইতিহাস
বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানের ইতিহাস
বিষয়শ্রেণী:১৮৫৭-এ বিলুপ্ত
বিষয়শ্রেণী:মধ্যযুগের ভারতের ইতিহাস
বিষয়শ্রেণী:ঐতিহাসিক তুর্কীয় রাষ্ট্র
বিষয়শ্রেণী:ভারতের মুসলিম রাজবংশ
বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসন
| https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%98%E0%A6%B2%20%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
357
],
"plaintext_end_byte": [
349,
978
]
} | 彭 徳懐はいつ生まれた? | 彭徳懐故居 | japanese | {
"passage_answer_candidate_index": [
1
],
"minimal_answers_start_byte": [
357
],
"minimal_answers_end_byte": [
374
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
彭徳懐故居(ほうとくかいこきょ)は、中華人民共和国の政治家で軍人(中華人民共和国元帥)だった、彭徳懐の生家である。湖南省長沙市の南西、湘潭市の湘潭県烏石鎮烏石村彭家圍子に位置する。敷地面積は2490m2。土木構造。部屋が全部で20間ある[1][2]。
歴史
1898年10月24日、彭徳懐はこの地で誕生した。
1916年、16歳で中国国民党軍に参加。
彭徳懐の弟弟は故居を修復した。
1982年、鄧小平の筆になる「彭徳懐同志故居」の扁額が故郷の正門に掲げられた。
1983年、湖南省人民政府は故居を省級文物保護単位に認定した。8月1日、国内観光客に一般公開される。
2001年6月25日、中華人民共和国国務院は故郷を第五批全国重点文物保護単位に認定した。同年、中国共産党中央宣伝部は故居を全国愛国主義教育基地に認定した。
脚注
Coordinates:
| https://ja.wikipedia.org/wiki/%E5%BD%AD%E5%BE%B3%E6%87%90%E6%95%85%E5%B1%85 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
550,
592,
1353
],
"plaintext_end_byte": [
549,
580,
1339,
2205
]
} | من هو كريستيان دو دوف؟ | كريستيان دو دوف | arabic | {
"passage_answer_candidate_index": [
0
],
"minimal_answers_start_byte": [
137
],
"minimal_answers_end_byte": [
241
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
كريستيان دو دوف ولد من أبوين بلجيكيين لاجئين في بريطانيا في 2 أكتوبر 1917. هو عالم بلجيكي تخصص في علم الأحياء الخلوي والكيمياء الحيوية. اكتشف اليحاليل أو الجسيمات الحالة في عام 1955 وفاز بجائزة نوبل في الطب في عام 1974 مناصفةً مع ألبير كلود وجورج بالاد لإكتشافه بالصدفة عضيتان خلويتان وجسيم تأكسدي وجسيم حال.
توفي في 4 مايو 2013.
حياته
ولد دو دوف في ثيمس ديتون بمقاطعة سري البريطانية لأبوين من لاجئي الحرب العالمية الأولى البلجيكيين، وعاد مع أسرته إلى بلجيكا سنة 1920، ليتلقى تعليمه في مدارس اليسوعيين في أنتويرب، ثم يلتحق بالجامعة الكاثوليكية في لوفان، حيث عين أستاذًا سنة 1947. وقد تخصص في مجال الكيمياء الحيوية تحت الخلوية وعلم الأحياء الخلوي واكتشف بعض العضيات الخلوية ومن بينها الجسيمات الحالة كما أنه هو من اقترح مصطلح exocytosis أي الإخراج الخلوي.
مراجع
تصنيف:أعضاء أجانب في الجمعية الملكية
تصنيف:أعضاء الأكاديمية البابوية للعلوم
تصنيف:أعضاء الأكاديمية الفرنسية للعلوم
تصنيف:أعضاء الأكاديمية الوطنية الأمريكية للعلوم
تصنيف:أعضاء هيئة تدريس جامعة روكفلر
تصنيف:أكاديميون بلجيكيون
تصنيف:بلجيكيون حازوا جائزة نوبل
تصنيف:حائزون على جائزة نوبل في الطب
تصنيف:حائزون على جائزة هينيكن
تصنيف:علماء بلجيكيون
تصنيف:علماء مسيحيون
تصنيف:كاثوليك سابقون
تصنيف:لاأدريون بلجيكيون
تصنيف:ملحدون بلجيكيون
تصنيف:مواليد 1917
تصنيف:وفيات 2013 | https://ar.wikipedia.org/wiki/%D9%83%D8%B1%D9%8A%D8%B3%D8%AA%D9%8A%D8%A7%D9%86%20%D8%AF%D9%88%20%D8%AF%D9%88%D9%81 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
562,
1196,
3920,
4810,
6445,
7515,
8044,
9621,
11509,
14608,
15199,
16493,
16698,
16951,
17190,
17909,
18212,
18525,
19294,
21271,
22285,
24286,
25485,
27059
],
"plaintext_end_byte": [
561,
1195,
3919,
4809,
6444,
7514,
8043,
9592,
11508,
14575,
15198,
16492,
16697,
16950,
17189,
17908,
18211,
18524,
19268,
21208,
22284,
24224,
25339,
26998,
27810
]
} | আজাদ হিন্দ ফৌজ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? | আর্জি হুকুমত-এ-আজাদ হিন্দ | bengali | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
এই নিবন্ধটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমসাময়িক সিঙ্গাপুরে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি সম্পর্কিত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সমসাময়িক রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ প্রতিষ্ঠিত অস্থায়ী সরকারটি সম্পর্কে জানতে দেখুন ভারতের অস্থায়ী সরকার।
আর্জি হুকুমত-এ-আজাদ হিন্দ (হিন্দি: आर्ज़ी हुक़ूमत-ए-आज़ाद हिन्द; উর্দু: عارضی حکومتِ آزاد ہند ; ইংরেজি: Provisional Government of Free India) ১৯৪৩ সালে সিঙ্গাপুরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু প্রতিষ্ঠিত একটি অস্থায়ী ভারত সরকার। এই সরকার সাধারণত আজাদ হিন্দ সরকার নামে পরিচিত।
১৯৪০-এর দশকে অক্ষশক্তির সহায়তায় দেশ থেকে ব্রিটিশ শাসন উচ্ছেদের লক্ষ্যে ভারতের বাইরে যে রাজনৈতিক সংগঠনগুলি গড়ে উঠেছিল আজাদ হিন্দ সরকার ছিল তার মধ্যে অন্যতম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষভাগে সিঙ্গাপুরে জাপান সাম্রাজ্যের আর্থিক, সামরিক ও রাজনৈতিক সহায়তায় ভারতের ব্রিটিশ শক্তির সঙ্গে যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে নির্বাসিত ভারতীয় জাতীয়তাবাদীগণ এই সরকার প্রতিষ্ঠা করেন।[1] ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সরকার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতবাদে অণুপ্রাণিত হয়েছিল। নেতাজিই ছিলেন এই অস্থায়ী ভারত সরকারের সর্বাধিনায়ক ও রাষ্ট্রপ্রধান। এই সরকার দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ব্রিটিশ উপনিবেশগুলিতে বসবাসকারী অসামরিক ও সামরিক কর্মচারীদের উপর নিজ কর্তৃত্ব ঘোষণা করে। পরবর্তীকালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ভারতে জাপানি আক্রমণের পর জাপানি সেনাবাহিনী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ অধিকৃত অঞ্চলগুলির উপরেও নিজ কর্তৃত্ব ঘোষণা করে এই সরকার।[2] আজাদ হিন্দ সরকারের নিজস্ব মুদ্রা, বিচারব্যবস্থা ও দণ্ডবিধি ছিল। এই সরকারের অস্তিত্ব ভারতের অভ্যন্তরেও ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে গভীর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিল।[3][4][5]
একটি আইনসঙ্গত সরকারের অন্য সকল আবশ্যিক বিষয়গুলি এই সরকারে উপস্থিত থাকলেও এর অভাব ছিল একটি বৃহৎ ও সুনির্দিষ্ট সার্বভৌম অঞ্চলের। পরে ১৯৪৩ সালে আজাদ হিন্দ সরকার জাপানের কাছ থেকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অধিকার অর্জন করে এবং মণিপুর ও নাগাল্যান্ড দখল করে নেয়। তবে আগাগোড়াই এই সরকার জাপানি সাহায্যের উপর ভীষণভাবে নির্ভরশীল ছিল।[6]
অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকারের প্রতিষ্ঠার অব্যবহিত পরেই এই সরকার ভারত-ব্রহ্মদেশ ফ্রন্টে ব্রিটিশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।[7] আজাদ হিন্দ ফৌজ নামে পরিচিত এই সরকারের সেনাবাহিনী ইম্ফল-কোহিমা সেক্টরে জাপান সাম্রাজ্য সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী ও তার মিত্রবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। জাপানি পঞ্চদশ বাহিনীর সঙ্গে আজাদ হিন্দ ফৌজ ইম্ফলের যুদ্ধে নিজ সাফল্যের ছাপ রেখে যায়। কোহিমায় ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। মৈরাং সেলিয়ান্ট অবধি পৌঁছে মিত্র বিমানবাহিনীর দাপট ও রসদ স্বল্পতার কারণে জাপানি বাহিনী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ পিছু হঠতে বাধ্য হয়।[8]
আজাদ হিন্দ ফৌজ ও সরকারের অস্তিত্ব ছিল একই সীমানাবিশিষ্ট। যুদ্ধের শেষভাগে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে পুনরায় ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে আজাদ হিন্দ সরকারই এই অঞ্চলের অসামরিক প্রশাসনের দায়িত্বে ছিল। রেঙ্গুনে আজাদ হিন্দ ফৌজের শেষ বৃহৎ সেনা আত্মসমর্পণের পরই এই সরকারে সীমিত ক্ষমতার পরিসমাপ্তি ঘটে। এরপর সুভাষচন্দ্রের তথাকথিত মৃত্যুর সংবাদে সমগ্র আজাদ হিন্দ আন্দোলনেরই পরিসমাপ্তি ঘটে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমসাময়িক কালে এবং পরবর্তীকালেও মিত্রবাহিনীর অনেক ঐতিহাসিকের চোখে এই সরকার ছিল একটু পুতুল রাষ্ট্র। কোনো মিত্র সরকার এই সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি; স্বীকৃতি দেয়নি ভিসি ফ্রান্সও।
তবুও ভারতীয় জনমানস ও ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে আজাদ হিন্দ সরকারের ভূমিকা গভীর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিল। যুদ্ধের পর আজাদ হিন্দ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ যেভাবে বিশ্বাসঘাতক ও ষড়যন্ত্রী থেকে "শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিকে" উত্তীর্ণ হন, তাতে ব্রিটিশ সরকারও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।[9][10] আজাদ হিন্দ সরকারের বিপ্লবী জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ভারতে একাধিক ব্রিটিশ বিরোধী উগ্র গণআন্দোলনে সূত্রপাত হয়। ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মচারীরাও উপর্যুপরি বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। ফলে ভারতের ব্রিটিশ শাসনের অবসান ত্বরান্বিত হয়। এর ফলে আজাদ হিন্দ সরকারের মূল উদ্দেশ্য সফল হয়।[11]
প্রতিষ্ঠা
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় স্বেচ্ছানির্বাসিত ভারতীয়দের দুটি সম্মেলন আজাদ হিন্দ সরকারের মূল উৎস। এর মধ্যে প্রথমটি আয়োজিত হয় ১৯৪২ সালের মার্চ মাসে টোকিওতে। জাপানে প্রবাসী ভারতীয় রাসবিহারী বসু আহ্বায়িত এই সম্মেলনে প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতীয় স্বাধীনতা লীগ। এই লিগই ছিল জাপান সাম্রাজ্যের সহযোগিতায় ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে স্থাপিত প্রথম রাজনৈতিক সংগঠন। ভারত থেকে ব্রিটিশ বিতাড়নের উদ্দেশ্যে রাসবিহারী বসু একটি মুক্তিবাহিনী গঠন করতেও উদ্যোগী হন। এই বাহিনীই পরবর্তীকালে আজাদ হিন্দ ফৌজের রূপ পরিগ্রহ করে। সেই বছরেরই শেষভাগে ব্যাঙ্ককে অণুষ্ঠিত দ্বিতীয় সম্মেলনে সুভাষচন্দ্র বসু লিগকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমন্ত্রিত হন। সুভাষচন্দ্র সেই সময় জার্মানিতে ছিলেন। তিনি সাবমেরিন পথে জাপানে এসে উপস্থিত হন।
১৯৪৩ সালের ১৩ জুন সুভাষচন্দ্র টোকিওতে উপস্থিত হন। এরপরেই উপমহাদেশ থেকে ব্রিটিশদের বিতাড়িত করার প্রথম লক্ষ্য হিসেবে পূর্ব ভারতের প্রদেশগুলির উপর আক্রমণ করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। ২ জুলাই সুভাষচন্দ্র সিঙ্গাপুরে উপস্থিত হন এবং অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠনের কর্তব্যকর্ম সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুভাষচন্দ্র বলেন, "অস্থায়ী সরকারের কাজ হবে ভারতের মাটি থেকে ব্রিটিশ ও তার সহকারী শক্তিগুলির মূলচ্ছেদ করা সম্ভব, এমন সংগ্রাম ঘোষণা ও পরিচালনা করা।" (“It will be the task of the Provisional Government to launch and conduct the struggle that will bring about the expulsion of the British and their allies from the soil of India.”)[12] সুভাষচন্দ্র হতোদ্যম ও বিশৃঙ্খল আজাদ হিন্দ ফৌজের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং জাপানি সহায়তায় এটিকে একটি পেশাদার সেনাবাহিনীতে রূপান্তরিত করেন। সেই সঙ্গে তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জাপান-অধিকৃত অঞ্চলগুলিতে বসবাসকারী সাধারণ ভারতীয় নাগরিকদেরও ফৌজে অন্তর্ভুক্ত করেন। এছাড়াও সিঙ্গাপুর, মালয় ও হংকঙে ভারতীয় যুদ্ধবন্দীদের ফৌজে অন্তর্ভুক্ত করে বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্য বসত এই সময় তাদকালীন ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি সরাসরি ব্রিটিশ দের পক্ষ অবলম্বন করে আর আজাদ হিন্দ বাহিনীর কট্টর বিরোধিতা শুরু করে, এমন কি তাদের মুখপত্রে নেতাজী কে 'তোজোর কুকুর' বলে উল্লেখ করে।
মন্ত্রিসভা
আজাদ হিন্দ সরকার গঠিত হয়েছিল একটি ক্যাবিনেট নিয়ে। এই ক্যাবিনেটের সর্বাধিনায়ক ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি ছিলেন আজাদ হিন্দ সরকারের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং সমর ও পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী।
ক্যাপ্টেন ডাক্তার লক্ষ্মী স্বামীনাথন (পরে বিবাহিত জীবনে লক্ষ্মী সেহগল) ছিলেন নারী সংগঠন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী। এই দায়িত্বের সঙ্গে সঙ্গে তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজের মহিলা ব্রিগেড রানি ঝাঁসি রেজিমেন্ট কম্যান্ডের দায়িত্বেও ছিলেন। এশিয়ায় এই ধরনের নারীবাহিনী ছিল সর্বপ্রথম এবং এক সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির পরিচায়ক। ডাঃ লক্ষ্মী ছিলেন সিঙ্গাপুরের এক বিশিষ্ট স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞ। পরে তিনি তাঁর লোভনীয় কর্মজীবন ত্যাগ করে আজাদ হিন্দ ফৌজের রানি ঝাঁসি রেজিমেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকারের মন্ত্রিসভার অন্যান্য জনপ্রশাসন মন্ত্রীরা হলেন:
এস. এ. আইয়ার – সম্প্রচার ও প্রচারণা মন্ত্রী
লেফট্যানেন্ট কর্নেল এ. সি. চ্যাটার্জি – অর্থমন্ত্রী
আজাদ হিন্দ সরকারের সশস্ত্র বাহিনী মন্ত্রীরা ছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিনিধি। এঁরা হলেন:
লেফট্যানেন্ট কর্নেল আজিজ আহমেদ
লেফট্যানেন্ট কর্নেল এন. এস. ভগত
লেফট্যানেন্ট কর্নেল জে. কে. ভোঁসলে
লেফট্যানেন্ট কর্নেল গুলজারা সিংহ
লেফট্যানেন্ট কর্নেল এম. জেড. কিয়ানি
লেফট্যানেন্ট কর্নেল এ. ডি. লোকণাথন
লেফট্যানেন্ট কর্নেল এহসান কাদির
লেফট্যানেন্ট কর্নেল শাহনওয়াজ খান
আজাদ হিন্দ সরকারের সংগঠন ও প্রশাসন পরিচালনার জন্য সুভাষচন্দ্রের একাধিক সচিব ও উপদেষ্টা নিযুক্ত ছিলেন। এঁরা হলেন:
এ. এন. সহায় – সচিব
করিম ঘানি
দেবনাথ দাস
ডি. এম. খান
এ. এল্লাপা
জে. থিভি
সর্দার ইসের সিংহ
এ. এন. সরকার – সরকারের আইনি উপদেষ্টা
আজাদ হিন্দ সরকারে এই সকল সচিব ও উপদেষ্টাগণ মন্ত্রীর সম মর্যাদা পেতেন। আজাদ হিন্দ সরকারের দৈনন্দিন কাজকর্মের বিবরণী ধারাবাহিকভাবে নথিবদ্ধ করা হয়নি। তাই সুভাষচন্দ্রের সহকারী মন্ত্রিত্বের দায়িত্বভার পালন ছাড়া সরকারি পদাধিকারীরা আর কি কি কাজ করতেন সে বিষয়ে সঠিক জানা যায় না।
স্বীকৃতি
অল্প কয়েকটি দেশই ভারতে ব্রিটিশ সরকারের আইনসঙ্গত ও স্বাধীন উত্তরাধিকার হিসেবে আজাদ হিন্দ সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এই অল্প কয়েকটি দেশ হল অক্ষশক্তির প্রধান রাষ্ট্রসমূহ এবং তাদের অণুমোদিত ও ক্রীড়ানক রাষ্ট্রগুলি। যে নয়টি দেশের সঙ্গে আজাদ হিন্দ সরকারের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল, সেগুলি হল: নাৎসি জার্মানি, জাপান সাম্রাজ্য, ফ্যাসিস্ট ইতালি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেট অফ ক্রোয়েশিয়া, নানজিঙের ওয়াং জিংওয়ে সরকার, থাইল্যান্ড, ব্রহ্মদেশ রাজ্য, মাঞ্চুকুও ও দ্বিতীয় ফিলিপাইন প্রজাতন্ত্র। আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠার অব্যবহিত পরেই ফ্রি আইরিশ স্টেটের রাষ্ট্রপতি এওমন ডে ভ্যালেরা সুভাষচন্দ্রকে একটি অভিনন্দন বার্তা প্রেরণ করেন। তবে অক্ষশক্তির অংশ হলেও ভিসি ফ্রান্স আজাদ হিন্দ সরকারকে আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক স্বীকৃতি দান করেনি।
সরকারি প্রশাসন ও যুদ্ধ
আজাদ হিন্দ প্রতিষ্ঠার রাত্রিতেই এই সরকার ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। আজাদ হিন্দ বাহিনী সুভাষচন্দ্র বসুকে "নেতাজি" উপাধিতে ভূষিত করে। উল্লেখ্য, সুভাষচন্দ্রই ছিলেন এই বাহিনী ও এই সরকারের সর্বময় কর্তা। আজাদ হিন্দ সরকারের প্রথম যুদ্ধ ঘোষণার সময় তিনি বলেন, "Cabinet had not been unanimous about the inclusion of the U.S.A. Bose had shown impatience and displeasure - there was never any question then or later of his absolute authority: the Cabinet had no responsibility and could only tender advice..."[13]
১৯৪৩ সালের অক্টোবর মাসে আজাদ হিন্দ প্রতিষ্ঠার পরই জাপানের গ্রেটার ইস্ট এশিয়া কো-প্রসপারিটি স্ফিয়ারের পরিদর্শক হিসেবে টোকিওয় বৃহত্তর পূর্ব এশিয়া সম্মেলনে যোগ দেন সুভাষচন্দ্র। তিনি এই সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেননি। কারণ ভারত জাপানের "বৃহত্তর পূর্ব এশিয়া" ধারণার বাইরে অবস্থিত ছিল। তবে এই সম্মেলনে তিনি পাশ্চাত্য ঔপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ভাষণ দেন। এরপর যুদ্ধের প্রথম দিকে জাপান কর্তৃক বিজিত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সীমিত শাসনভার আজাদ হিন্দ সরকারের হাতে তুলে দেয় জাপান। সুভাষচন্দ্র লেফট্যানেন্ট কর্নেল এ. ডি. লোকণাথনকে এই অঞ্চলের গভর্নর করে এই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নাম রাখেন "শহীদ" ও "স্বরাজ" দ্বীপপুঞ্জ।[14] আজাদ হিন্দ সরকারের পতনের পূর্ব পর্যন্ত এই দুই দ্বীপে এই সরকারের শাসন কায়েম ছিল।
আজাদ হিন্দ সরকারের পতন
১৯৪৫ সালে যুদ্ধের শেষভাগে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী জাপান সাম্রাজ্যের সেনাবাহিনী ও আজাদ হিন্দ ফৌজকে পরাজিত করে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ পুনর্দখল করলে আজাদ হিন্দ সরকারের পতন ঘটে। এর পর নেতাজির মৃত্যুসংবাদ প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সামগ্রিকভাবে আজাদ হিন্দ আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে। আজাদ হিন্দের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যক্তিদের যুদ্ধবন্দী হিসেবে নিয়ে গিয়ে দিল্লির লালকেল্লায় তাদের বিচার করা হয়।
ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে আজাদ হিন্দ সরকারের ভূমিকা
আজাদ হিন্দ সরকার ভারত থেকে ব্রিটিশ শাসন উৎখাত করতে ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু এই সরকার ভারতের অধিবাসীদের মনে তীব্র ব্রিটিশ-বিরোধী অসন্তোষ সৃষ্টি করতে পেরেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পরই ভারতের নানা জায়গায় ব্যাপকহারে শ্রমিক অসন্তোষ, হরতাল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হতে থাকে। আজাদ হিন্দ বাহিনীর দৃষ্টান্তে উদ্বুদ্ধ হয়ে ব্রিটিশ ভারতীয় সামরিক বাহিনীর ভারতীয় সৈনিকেরাও বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এই বাহিনীর একটি উল্লেখযোগ্য বিদ্রোহ হল ভারতীয় নৌবিদ্রোহ। এইসব বিক্ষোভ, হরতাল ও বিদ্রোহের ফলে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। ভারত দ্রুত স্বাধীনতা লাভ করে।[15]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
বিষয়শ্রেণী:ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন
বিষয়শ্রেণী:সুভাষচন্দ্র বসু
বিষয়শ্রেণী:আজাদ হিন্দ ফৌজ
বিষয়শ্রেণী:আজাদ হিন্দ
বিষয়শ্রেণী:জাতীয় মুক্তি আন্দোলন
বিষয়শ্রেণী:জাতীয় মুক্তি বাহিনী
বিষয়শ্রেণী:দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমসাময়িক ভারতের সামরিক ইতিহাস
বিষয়শ্রেণী:অস্থায়ী সরকার
| https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BF%20%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%A4-%E0%A6%8F-%E0%A6%86%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A6%20%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
1896,
3162,
4804,
5563,
7099,
7781,
8527,
8684,
10404,
12531,
13435,
14361,
15266,
16115,
17341,
17606,
19114,
19433,
19767,
20142,
21292,
22749,
24676,
25624,
26249,
27642,
28174,
28303,
29111,
29725
],
"plaintext_end_byte": [
1880,
3161,
4769,
5562,
7098,
7780,
8526,
8683,
10403,
12475,
13434,
14360,
15265,
16114,
17340,
17605,
19113,
19432,
19766,
20104,
21291,
22748,
24675,
25623,
26248,
27620,
28173,
28302,
29110,
29695,
29875
]
} | Kapan Kaisar Tang Gaozu mulai menjabat ? | Kaisar Tang Gaozu | indonesian | {
"passage_answer_candidate_index": [
0
],
"minimal_answers_start_byte": [
164
],
"minimal_answers_end_byte": [
167
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Kaisar Tang Gaozu (Hanzi: 唐高祖, 566-26 Juni 635) atau yang nama aslinya Li Yuan (李渊) adalah pendiri dan kaisar pertama Dinasti Tang yang memerintah sejak 618 hingga 626. Ia tadinya adalah seorang gubernur yang mengepalai wilayah yang sekarang menjadi Provinsi Shanxi. Ketika Dinasti Sui dilanda huru-hara yang berujung pada terpecahnya Tiongkok menjadi negara-negara bagian yang dikuasai para pemimpin pemberontak dan mantan pejabat Sui, Li Yuan juga melakukan hal yang sama, atas saran putra keduanya, Li Shimin, ia memberontak dan mengangkat cucu Kaisar Yang dari Sui, Yang You sebagai kaisar boneka dengan gelar Kaisar Gong dan ia sendiri sebagai walinya. Sebagian besar masa pemerintahannya dipakai untuk menaklukan pesaing-pesaingnya dalam usaha mempersatukan negara. Ia meneruskan kebijakan Kaisar Wen dari Sui, sang pendiri Dinasti Sui dan membatalkan kebijakan represif Kaisar Yang. Ia terkenal akan kemurahhatiannya pada sesama sehingga menarik banyak orang-orang berbakat bekerja padanya. Ia membagi-bagikan tanah secara adil pada orang-orang yang membantunya dan menurunkan pajak sehingga mengurangi beban hidup rakyat yang sudah lelah akibat perang berlarut-larut pasca keruntuhan Sui. Sayangnya kesuksesannya dalam karier politik tidak dibarengi dengan kesuksesan dalam rumah tangganya. Ia tidak mampu mencegah perselisihan antara putra-putranya dan cenderung bertindak berat sebelah di bawah pengaruh selir-selirnya. Konflik dalam keluarga ini berujung pertumpahan darah dalam Kudeta di Gerbang Xuanwu di mana Li Shimin membunuh kakaknya, putra mahkota Li Jiancheng dan adiknya, Li Yuanji yang mendukung sang putra mahkota. Ia akhirnya menuruti tuntuan Li Shimin untuk mengangkatnya sebagai putra mahkota dan turun tahta sebulan setelah kudeta itu, ia menghabiskan sisa hidupnya sebagai purna-kaisar (太上皇,taishanghuang) hingga mangkatnya tahun 635.
Kehidupan awal
Li Yuan dilahirkan di Chang'an (sekarang Xi'an, Shaanxi), ia adalah generasi ketujuh dari salah seorang raja pada Zaman Enam Belas Negara, yaitu Li Gao, pendiri Kerajaan Liang Barat. Ketelah runtuhnya kerajaan itu, cucu Li Gao, Li Chong’er menjadi pejabat di Kekaisaran Wei Utara, namun beberapa generasi setelahnya keturunannya hanya menjadi pejabat militer rendahan. Kakek Li, Li Hu adalah jenderal Kekaisaran Wei Barat yang bekerja di bawah komando Yuwen Tai, seorang jenderal yang sangat berpengaruh pada masanya. Li Hu mendapat gelar Adipati Longxi dan marga suku Xianbei (salah satu suku minoritas di Tiongkok utara) yaitu Daye. Li Hu wafat sebelum putra Yuwen Tai mendirikan Kekaisaran Zhou Utara dan menjadi Kaisar Xiaomin dari Zhou Utara, namun sang kaisar secara anumerta menganugerahinya gelar Adipati Tang. Putranya, ayah Li Yuan, bernama Li Bing, ia mewarisi gelar itu dan melayani Zhou Utara sampai Yang Jian meruntuhkan kekaisaran itu dan mempersatukan negara di bawah Dinasti Sui tahun 581. Li Yuan sendiri masih memiliki hubungan kekerabatan dengan Yang Jian yang telah naik tahta sebagai Kaisar Wen karena Permasuri Dugu Qieluo, istri Kaisar Wen adalah bibinya. Li menikah dengan Nyonya Dou, putri dari Dou Yi, seorang bangsawan dari Zhou Utara.
Selama masa pemerintahan Kaisar Wen, Li Yuan menjabat sebagai gubernur sebanyak tiga kali masa jabatan. Pada awal pemerintahan Kaisar Yang (putra Kaisar Wen) ia menjadi gubernur pos militer karena Kaisar Yang mengubah provinsi menjadi pos-pos militer. Belakangan ia diberi jabatan sebagai menteri junior dalam kabinet Kaisar Yang. Tahun 613. ketika kaisar sedang melakukan kampanye militer kedua melawan Kerajaan Goguryeo, Korea, Li diberi tanggung jawab untuk mengurus urusan logistik. Memanfaatkan absennya kaisar yang sedang memimpin serangan ke Liaodong, Jenderal Yang Xuan'gan melakukan pemberontakan di dekat ibukota timur Luoyang. Kaisar Yang menugasi Li Yuan untuk menjaga bagian barat Terusan Tong, namun pada akhirnya pemberontakan Yang tidak pernah mencapai wilayah itu. Kesempatan itu dimanfaatkan olehnya untuk merekrut orang-orang berbakat. Pada akhir tahun itu, ketika kaisar memanggilnya, Li tidak memenuhi panggilan itu dengan alasan sakit. Kaisar Yang tidak mempercayai alasan itu dan mulai menaruh curiga padanya, maka ia bertanya pada Selir Wang, yang adalah sepupu Li, “Apakah ia akan mati ?” Untuk mengurangi kecurigaan kaisar, Li melewati hari-harinya dengan minum-minum hingga mabuk dan menerima sogokan yang diberikan padanya, dengan demikian Kaisar Yang berpikir bahwa ia bukanlah seorang yang ambisius dan patut diawasi. Tahun 615, kaisar menugasinya untuk menumpas pemberontakan petani di Hedong (sekarang Yuncheng, Shanxi), namun ia dipanggil pulang tahun 616 dan akhir tahun itu kaisar memberinya tanggung jawab menjaga kota Taiyuan, Shanxi, yang mempunyai nilai strategis.
Pemberontakan melawan Kaisar Yang
Kaisar Yang tidak puas atas kinerja Li dan Wang Rengong, gubernur pos militer Mayi (sekarang Shuozhou, Shanxi) karena ketidakmampuan keduanya mengatasi gangguan di perbatasan oleh suku Tujue Timur (suku Turki) dan pemberontakan petani yang semakin merajarela, terutama setelah kekalahan dari Liu Wuzhou, Dingyang Khan, seorang pemberontak petani yang didukung oleh Tujue Timur, Liu berhasil membunuh Wang dan mencaplok istana kekaisaran kedua di dekat Taiyuan. Mendengar sebuah isu ramalan yang mengatakan bahwa kelak akan ada seorang kaisar bermarga Li, Kaisar Yang membunuh seorang pejabatnya yang bernama Li Hun beserta seluruh keluarganya. Hal ini mulai membuat Li Yuan takut dan mulai berjaga-jaga terhadap kemungkinan terburuk yang berisiko menimpanya.
Pada saat yang sama, putra keduanya, Li Shimin yang juga sedang bersamanya di Taiyuan, diam-diam berencana untuk memberontak tanpa sepengetahuan ayahnya, ia menjalin hubungan dengan Pei Ji, kepala pengurus istana kekaisaran kedua, dan Liu Wenjing, pejabat kabupaten Jinyang. Li Shimin membujuk Pei untuk mengatur sedemikian rupa agar ayahnya terlibat affair dengan dayang-dayang di istana kedua sehingga Li Yuan tidak punya pilihan lain selain memberontak. Li lalu mulai mengumpulkan pasukan dari wilayahnya dengan alasan untuk dipakai mempertahankan diri dari serbuan Tujue, namun dua orang deputinya, Wang Wei dan Gao Junya mulai mencurigai aktivitasnya. Li pun mengambil tindakan antisipasi sebelum keduanya menyerangnya, ia memanfaatkan sebuah serbuan Tujue sebagai dasar untuk menuduh Wang dan Gao telah bersekongkol dengan kepala suku Tujue, Shibi Khan (Ashina Duojishi) dan menjatuhkan hukuman mati pada mereka sambil mempersiapkan pernyataan resmi tentang pemberontakannya. Kemudian ia mengirim pesan rahasia untuk memanggil putra-putranya di Hedong yaitu Li Jiancheng, Li Yuanji (keduanya dari almarhum Nyonya Dou) dan Li Zhiyun (putranya dari Selir Wan) diperintahkan tinggal di Hedong untuk mengawasi kediaman mereka, ia juga memanggil putrinya (yang kemudian menjadi Putri Pingyang) dan suaminya Chai Shao di ibukota Chang’an. Li Jiancheng dan Li Zhiyun bertemu dengan Chai di perjalanan lalu mereka bersama menuju Taiyuan, sementara putri Li yang saat itu merasa kesulitan untuk ikut suaminya, memilih untuk bersembunyi.
Begitu ketiganya tiba di Taiyuan, Li Yuan pun mendeklarasikan pemberontakannya dengan mengangkat cucu Kaisar Yang, Yang You, Pangeran Dai, sebagai kaisar dan menjadikan Kaisar Yang sebagai mantan kaisar (Taishanghuang). Ia menghubungi Ashina Duojishi, menawarkan hadiah dan sebagai balasannya ia menerima bantuan logistik dari Tujue Timur. Ia mengangkat Li Shimin dan Li Jiancheng sebagai komandan pasukannya dan Li Yuanji diserahi tanggung jawab menjaga Taiyuan. Bersama kedua putranya, Li Yuan memimpin pasukannya ke selatan. Mendengar pemberontakannya, para pejabat Sui di Hedong menahan putranya yang masih di Hedong, Li Zhiyun dan mengirimnya ke Chang’an untuk dihukum mati.
Li Yuan menulis surat pada seorang pemimpin pemberontak lainnya bernama Li Mi, Adipati Wei yang berkuasa di sekitar Luoyang, dalam suratnya ia ingin melihat apakah Li Mi berniat untuk bekerjasama dengannya. Namun Li Mi, yang terlalu percaya pada kekuatannya sendiri, menyuruh sekretarisnya, Zu Junyan membalas surat Li Yuan, ia menulis, “Walaupun saya dan anda, kakak, bukan satu keluarga, namun kita sama-sama bermarga Li. Saya sadar bahwa saya tidak punya cukup kekuatan, namun karena rasa cinta dari rakyat, saya telah diangkat sebagai pemimpin dan saya harap anda juga akan mendukung dan membantu saya. Mari kita menangkap Ziying di Xianyang dan membunuh Raja Zhou Xin dari Shang di Muye, bukankah hal seperti itu adalah prestasi besar?”
(Ziying adalah kaisar terakhir Dinasti Qin yang menyerah di Xianyang, Raja Zhou Xin adalah raja terakhir Dinasti Shang yang terkenal sebagai seorang tiran).
Li Yuan walau tersinggung dengan surat balasan itu, membalasnya dengan rendah hati karena tidak ingin menciptakan musuh baru, apalagi Li Mi adalah pemimpin pemberontak yang cukup berpengaruh pada saat itu. Ia menulis, “Walaupun saya hanya orang biasa dan bodoh, namun berkat kemurahan hati para leluhurku, saya masih beroleh kesempatan untuk menjadi pembawa pesan kekaisaran ketika meninggalkan ibukota dan kepala pengawal di ibukota. Bila negara ini jatuh dan saya tidak bisa berbuat apapun untuk menolongnya, bahkan orang bijak yang paling pengertian pun akan mengutukku. Karenanya lah saya menghimpun pasukan atas nama kebenaran dan melakukan berdamai dengan suku-suku barbar di utara (misalnya Tujue) demi ketenangan negara dan melindungi Sui. Bagaimanapun, manusia di dunia ini membutuhkan seorang pemimpin dan siapa lagi yang pantas untuk itu selain anda? Saya sudah terlalu tua, sudah lima puluh tahun lebih, namun saya sudah senang dengan mendukungmu, adikku.Saya berharap suatu hari nanti dapat memanjat sisik naga dan berpegang pada sayap phoenix, dan saya harap andalah, adikku, yang akan menggenapi ramalan itu, yang akan menaklukkan dunia ini. Anda adalah pemimpin marga Li dan saya berharap anda akan senang dan menerima saya serta memberikan kembali wilayah Tang pada saya, hal itu sudah cukup bagi saya. Saya tidak memiliki niat lebih jauh seperti membunuh Zhou Xin di Muye ataupun menangkap Ziying di Xianyang. Selain itu juga wilayah Fen dan Jin memerlukan kedamaian sekarang ini sehingga saya belum punya waktu untuk mengatur pertemuan di Mengjin (sekarang Zhengzhou, Henan, di mana Raja Wu dari Zhou pada masa lampau berkumpul dengan para pendukungnya sebelum menyerang sang tiran, Raja Zhou Xin).
Li Mi sangat terkesan dengan surat Li Yuan ini, ia berpikir bahwa Li Yuan tulus mendukungnya sehingga sejak itu keduanya sering bertukar pesan. Li Mi pun tidak menentang kampanye militer Li Yuan menyerang Chang’an. Ketika Li Yuan dan pasukannya tiba di dekat Hedong, mereka terhalang cuaca buruk dan mulai kehabisan makanan, tersiar sebuah isu yang mengatakan bahwa Tujue Timur dan Liu Wuzhou akan menyerang Taiyuan. Awalnya, Li Yuan berencana untuk menarik mundur pasukan, namun atas desakan dari Li Jiancheng dan Li Shimin, ia terus maju. Setelah mengalahkan pasukan Sui di Huoyi (sekarang wilayah Yuncheng), ia memutuskan untuk meninggalkan sebuah kontingen kecil untuk menjaga Hedong sementara ia dan yang lainnya terus maju menyeberangi Sungai Kuning menuju ke Guanzhong (wilayah sekitar Chang’an). Begitu tiba di sana ia memasuki Chang’an sambil memerintahkan Li Jiancheng mencaplok wilayah sekitar Terusan Tong untuk mencegah pasukan Sui di Luoyang mengirim bala bantuan ke Chang’an dan Li Shimin diperintahkan mencaplok wilayah utara Sungai Wei. Di tempat lain putrinya yang telah keluar dari persembunyian juga turut mendukung pemberontakan ayahnya, ia berhasil menghimpun sejumlah pasukan dan mencaplok beberapa kota. Ia lalu bergabung dengan kakaknya, Li Shimin dan suaminya, Chai Shao. Tak lama kemudian Li Yuan telah mengkonsolidasi pasukannya dan mengepung kota Chang’an. Musim dingin 617, ia berhasil menduduki kota itu dan disanalah ia mengukuhkan Yang You sebagai kaisar dengan gelar Kaisar Gong, ia juga mengankat dirinya sebagai wali atas Yang You dengan gelar perdana menteri agung serta mendapat gelar kebangsawanan Pangeran Tang. Namun sebagian besar wilayah Sui tidak mengakui Yang You sebagai kaisar dan mereka masih menganggap Kaisar Yang adalah penguasa yang sah. Li Yuan lalu mengirim keponakannya, Li Xiaogong, ke selatan untuk membujuk beberapa kota untuk menyerah. Li Xiaogong melakukan tugasnya dengan baik, beberapa kota yang sekarang dikenal sebagai wilayah selatan Shaanxi, Sichuan, dan Chongqing menyatakan menyerah pada Tang.
Berdirinya Dinasti Tang, langkah awal penyatuan negara
Musim semi 618, Kaisar Yang terbunuh di Jiangdu (sekarang Yangzhou, Jiangsu) dalam sebuah kudeta militer yang dipimpin jenderalnya sendiri, Yuwen Huaji. Ketika kabar ini tersiar ke Chang’an, Li Yuan mengambil alih tahta dari Kaisar Gong dan mendeklarasikan berdirinya Dinasti Tang dengan dirinya sebagai kaisar pertama bergelar Kaisar Tang Gaozu, rezimnya dinamakan Wude (武德). Ia memulihkan kebijakan-kebijakan pada masa Kaisar Wen dan membatalkan kebijakan Kaisar Yang yang menindas rakyat. Ia menggelari mantan Kaisar Gong sebagai Adipati Xi dan mengangkat putra sulungnya, Li Jiancheng sebagai putra mahkota, Li Shimin mendapat gelar Pangeran Qin dan Li Yuanji sebagai Pangeran Qi. Di lain pihak, para pejabat Sui mengangkat seorang cucu lain dari Kaisar Yang, yaitu Yang Tong, Pangeran Yue, sebagai kaisar berikutnya serta tidak mengakui pemerintahan yang baru didirikan Li Yuan di Chang’an.
Setelah naik tahta, tantangan pertama bagi Li datang dari Xue Ju, seorang pemimpin pemberontak yang mengangkat dirinya sebagai Pangeran Qin. Pada musim gugur 618, Xue mencuri kesempatan ketika Li Shimin terbaring sakit dengan mengalahkan pasukannya dan pasukan Liu Wenjing di Dataran Qianshui (sekarang Xianyang, Shanxi) kemudian mereka mengarah ke Chang’an. Tindakan Li adalah berusaha menjalin persekutuan dengan Li Gui, Pangeran Liang, yang wilayahnya bertetangga antara wilayahnya dan wilayah Xue. Ia menulis surat pada Li Gui dan menyebutnya sebagai saudara sepupu. Li Gui pun untuk sementara menyatakan tunduk pada Tang. Namun sebelum menyerbu Chang’an, Xue Ju meninggal karena sakit, ia digantikan oleh putranya, Xue Rengao, seorang jenderal yang mampu namun tidak disukai oleh para bawahanya karena kejam. Tak lama kemudian, Xue dikalahkan oleh Li Shimin di Gaozhi (sekarang di wilayah Xianyang) dan dihukum mati.
Sementara itu, Li Mi yang telah dikalahkan oleh jenderal Sui bernama Wang Shichong melarikan diri ke wilayah Tang dan menyerah pada Kaisar Gaozu. Turut pula bersamanya seorang jenderal bernama Xu Shiji. Kaisar Gaozu sangat terkesan pada Xu akan kesetiaan pada tuannya sehingga menganugerahkan gelar Li padanya. Li Mi mendapat gelar sebagai Adipati Xing dan jabatan menteri urusan perjamuan yang dianggapnya tidak pantas bagi dirinya. Sekitar awal tahun 619, Li Mi meminta izin pada Kaisar Gaozu untuk pergi ke timur dengan alasan untuk membujuk beberapa mantan bawahannya untuk menyerah pada Tang. Namun begitu meninggalkan Chang’an, ia malah menyusun rencana untuk membangun pemerintahannya sendiri. Akhirnya ia diserang dan dibunuh oleh seorang jenderal Tang, Sheng Yanshi. Pada musim semi tahun itu juga, Wang Shichong mengambil alih tahta dari Yang Tang dan mengangkat dirinya sebagai Kaisar Zheng.
Sementara, Li Gui, walau telah menyatakan tunduk pada Tang ia menolak gelar Pangeran Liang yang dianugerahkan padanya dan mengangkat dirinya sebagai Kaisar Tang. Kaisar Gaozu pun memutuskan hubungan dengannya. Musim panas 619, seorang bawahannya bernama An Xinggui, yang juga mantan pejabat Tang, berontak terhadapnya dan menangkapnya. An menyerahkan Li Gui pada Gaozu dan menyatakan tunduk pada Tang. Gaozu menjatuhkan hukuman mati pada Li dan mencaplok seluruh wilayah kekuasaannya. Dalam waktu yang hampir bersamaan, seorang pemimpin pemberontak yang berkuasa di selatan Anhui bernama Du Fuwei menyerah pada Tang. Gaozu menganugerahi Du gelar Pangeran Wu. Luo Yi, mantan jenderal Sui yang menguasai wilayah Beijing juga menyerah dan dianugerahi gelar Pangeran Yan. Kedua orang itu juga memperoleh hak istimewa memakai marga kekaisaran, marga Li.
Gaozu juga masih harus menghadapi ancaman dari Liu Wuzhou, musuh lamanya dari utara. Liu memimpin pasukannya ke selatan untuk melawannya. Kaisar Gaozu mengirim Pei Ji untuk menghadapi Liu, namun Liu berhasil mengalahkannya dan mengepung kota Taiyuan. Li Yuanji yang menjaga kota itu kabur ke Chang’an, seluruh wilayah yang sekarang meliputi Provinsi Shanxi jatuh ke tangan Liu. Kaisar Gaozu kali ini mengirim Li Shimin untuk menghadapi Liu. Pada musim panas 620, Li berhasil mengalahkan Liu dan memaksanya melarikan diri ke wilayah Tujue Timur. Wilayah Liu pun direbut pemerintah Tang. Namun di tempat lain, Dou Jiande, seorang pemimpin pemberontak yang bergelar Pangeran Xia menyerang kota-kota milik Tang di Hebei, Henan, dan wilayah utara Sungai Kuning. Dou berhasil menduduki wilayah-wilayah itu serta menawan Li Shentong, Pangeran Huai’an (sepupu kaisar), Putri Tong’an (saudari kaisar), dan Li Gai (ayah Li Shiji). Karena ayahnya menjadi sandera, Li Shiji pun terpaksa menyerah pada Dou. Tak lama kemudian, Li Shiji berkomplot dengan Li Shanghu, seorang jenderal Tang yang juga dipaksa menyerah untuk menyergap Dou. Namun rencana ini gagal, Li Shanghu terbunuh dan Li Shiji melarikan diri kembali ke wilayah Tang.
Tahun 620, Li Fuwei berhasil mencaplok wilayah-wilayah di selatan Sungai Yangtze. Ia mengalahkan Li Zitong, Kaisar Wu. Li Zitong, yang dalam kekalahannya masih sempat meraih kemenangan dari Shen Faxing, Pangeran Liang, mantan pejabat Sui yang berkuasa di Zhejiang.
Setelah kemenangan atas Liu Wuzhou, Li Shimin mengarahkan sasaran berikutnya pada Wang Shichong, Kaisar Zheng. Musim panas 620, ia mulai menyerang wilayah kekuasaan Wang. Setelah menaklukan satu-persatu kotanya, pasukan Tang mencapai ibukota Zheng, Luoyang dan mengepungnya pada musim gugur 620. Wang meminta bantuan dari Dou yang setuju mengirim bala bantuan dengan pertimbangan bila Wang berhasil dikalahkan Tang, ia akan menjadi sasaran berikutnya. Awalnya, Kaisar Gaozu merasa khawatir putranya diserang dari dua arah oleh Duo dan Wang sehingga memerintahkannya mundur. Namun Li Shimin bersikeras melanjutkan pengepungan di Luoyang sehingga ia mengizinkannya tetap mengepung kota itu. Untuk mencegah Wang bergabung dengan Dou, Li Shimin memerintahkan adiknya, Li Yuanji untuk tetap melanjutkan pengepungan Luoyang sementara ia menuju ke Terusan Hulao di sebelah timur kota itu untuk menghadapi pasukan Dou yang datang dari sana. Musim panas 621, kedua pasukan berhadapan dalam Pertempuran Hulao, dalam pertempuran itu Li Shimin berhasil mengalahkan Dou dan menangkapnya. Dengan kalahnya Dou, Wang pun terpaksa menyerah. Wilayah keduanya jatuh ke tangan pemerintah Tang. Tak lama setelah Kaisar Gaozu menjatuhkan hukuman mati terhadap Dou, Liu Heita, salah seorang mantan bawahan Dou, memberontak terhadap Tang. Liu merebut kembali bekas wilayah kekuasaan Dou. Xu Yuanlang, seorang pemimpin pemberontak yang sebelumnya menyerah pada Tang juga turut memberontak bersama Liu, ia menduduki wilayah Shandong.
Pada tahun 621 juga, Li Xiaogong berhasil mengalahkan Xiao Xi, Kaisar Liang, yang menguasai wilayah Hubei, Hunan, dan Guangxi. Di tempat lain, Li Zitong dikalahkan dan terpaksa menyerah pada Fu Gongshi, seorang letnan bawahan Li Fuwei. Wilayah Tang pun bertambah luas lagi dengan dianeksasinya wilayah kedua orang itu.
Kaisar Gaozu walaupun tidak seperti Liu Bang (Kaisar Han Gaozu) yang membunuhi para pejabat yang berjasa membantunya setelah naik tahta, namun sejarah mencatat ada beberapa pejabat berjasa yang turut mendirikan dinasti dijatuhi hukuman mati atas dasar pelanggaran hukum atau tuduhan lain yang kekurangan bukti kuat, seperti misalnya:
Liu Wenjing, tahun 619, atas tuduhan terlibat praktik sihir yang dilarang semasa Dinasti Tang.
Dugu Huai’en, sepupu kaisar, tahun 620, atas tuduhan makar.
Li Zhongwen, Adipati Zhenxiang, tahun 620, atas tuduhan persekongkolan dengan Tujue Timur.
Liu Shirang, Adipati Yingyang, tahun 623, atas tuduhan persekongkolan dengan Tujue Timur.
Konflik keluarga dan Insiden Xuanwu
Musim semi 621, Li Shimin mengalahkan Liu Heita dan memaksanya kabur ke wilayah Tujue. Namun tak lama kemudian, Liu kembali beserta bala bantuan dari Tujue dan membunuh keponakan Gaozu, Li Daoxuan, Pangeran Huaiyang dalam pertempuran. Liu merebut kembali wilayah Xia walaupun saat itu sekutunya, Xu Yuanlang telah dikalahkan oleh Li Shimin dan Li Yuanji. Sementara itu perselisihan antara Li Shimin dengan kakaknya, Li Jiancheng semakin meruncing. Li Jiancheng walaupun banyak berkontribusi bagi berdirinya Dinasti Tang, namun prestasinya kalah jauh dari adiknya yang telah mengalahkan banyak pesaing Dinasti Tang seperti Xue Rengao, Liu Wuzhou, Dou Jiande dan Wang Shichong. Dalam konflik ini, Li Yuanji mendukung kakak tertuanya, Li Jiancheng. Ia sering memuji-muji Li Jiancheng di depan ayah mereka dan menjelek-jelekan Li Shimin. Keduanya juga memiliki hubungan dekat dengan beberapa selir muda ayahnya sehingga para selir itu membantu membicarakan kebaikan-kebaikan sang putra mahkota di depan kaisar. Perkataan mereka membuat Kaisar Gaozu membatalkan niatnya untuk mengalihkan status putra mahkota pada Li Shimin yang dianggapnya lebih pantas.
Hingga musim dingin 622, Liu Heita masih menjadi ancaman besar bagi pemerintah Tang. Bawahan-bawahan Li Jiancheng seperti Wang Gui dan Wei Zheng menyarankannya agar mengambil kesempatan ini untuk menaikan reputasinya. Maka Li Jiancheng pun menawarkan jasa pada ayahnya untuk menumpas pemberontakan Liu. Maka Kaisar Gaozu pun memberi tugas itu padanya dan Li Yuanji juga ditugasi untuk mendampinginya. Sekitar awal tahun 623, gerak laju pasukan Liu terhambat ketika mereka menyerang Weizhou (sekarang Handan, Hebei) kekuasaan Tang. Kedua pangeran itu berhadapan dengan Liu di Guantao (juga di wilayah Handan) dan mengalahkannya. Liu melarikan diri ke utara ke wilayah Tujue, namun dalam pelarian ia dikhianati oleh bawahannya, Zhuge Dewei. Zhuge menangkap dan menyerahkannya pada Li Jiancheng untuk dihukum mati. Dalam waktu yang hampir bersamaan, Xu Yuanlang juga telah terbunuh dalam pelariannya oleh anak buahnya sendiri. Lin Shihong, Kaisar Chu, pemimpin pemberontak yang berkuasa di Jiangxi dan Guangdong juga telah wafat dan pengikutnya tercerai-berai. Tiongkok hampir seluruhnya dipersatukan kembali, rezim separatis yang masih tersisa tinggal Liang Shidu, Kaisar Liang, yang berkuasa di Shaanxi dan wilayah barat Mongolia Dalam. Tahun itu juga, ketika Li Fuwei sedang berada di Chang’an, bawahannya, Fu Gongshi, memberontak dan mengangkat dirinya sebagai Kaisar Song, namun pemberontakan ini segera ditumpas pada tahun berikutnya oleh Li Xiaogong.
Di tengah keberhasilan menaklukan para pesaingnya, konflik antara putra-putra Gaozu, Li Jiancheng dan Li Shimin semakin tajam. Tahun 624, Li Jiancheng mengambil sejumlah pasukan dari Jenderal Li Yi, Pangeran Yan, untuk memperkuat pasukan pengawal pribadinya, sebuah tindakan yang melawan peraturan yang dibuat ayahnya. Ketika hal ini diketahui Gaozu, ia memarahi Li Jiancheng dan mengasingkan kepala pengawalnya, Keda Zhi. Namun belakangan Li Jiancheng meminta Yang Wen’gan, komandan Qingzhou (sekarang Qingyang, Gansu) untuk merekrut tentara, kemungkinan untuk berjaga-jaga dari Li Shimin. Dua orang perwira, Erzhu Huan dan Qiao Gongshan melaporkan hal ini pada Gaozu, mereka mengatakan bahwa putra mahkota mengajak Yang memberontak sehingga mereka dapat merebut tahta bersama. Dengan marah, Gaozu memanggil Li Jiancheng ke Istana Renzhi (di Tongchuan, Shaanxi). Li Jiancheng tidak menuruti perintah itu, namun belakangan ia melapor ke Istana Renzhi untuk meminta maaf dan Gaozu menjatuhkan hukuman tahanan padanya. Ketika Yang mendengar kabar ini, ia memberontak. Gaozu memerintahkan Li Shimin menumpas pemberontakan itu dengan janji akan diangkat sebagai putra mahkota bila ia berhasil dan status Li Jiancheng akan diturunkan sebagai Pangeran Shu serta akan dikirim ke Sichuan. Namun begitu Li Shimin berangkat, para selir kaisar dan perdana menteri Feng Deyi angkat suara membela sang putra mahkota. Di bawah bujukan selir-selir kesayangannya, hati Gaozu luluh, ia membebaskan Li Jiancheng dan mengizinkannya kembali ke Chang’an serta menjamin statusnya tetap sebagai putra mahkota. Sebagai gantinya, ia menimpakan kesalahan pada para staff Li Jiancheng, Wang Gui dan Wei Ting, juga staff Li Shimin, Du Yan. Merekalah yang dipersalahkan sebagai pemicu konflik di antara putra-putranya sehingga harus diasingkan. Pemberontakan Yang Wen’gan akhirnya berhasil ditumpas dan Yang dibunuh dalam pelarian oleh anak buahnya.
Gaozu juga masih menghadapi masalah lain mengenai gangguan perbatasan oleh suku Tujue. Ia mempertimbangkan untuk membumihanguskan kota Chang’an lalu memindahkan ibukota ke Fancheng (sekarang Xiangfan, Hubei). Rencana ini juga mendapat dukungan dari Li Jiancheng, Li Yuanji, dan Pei Ji. Namun Li Shimin menentang keras rencana ini sehingga Gaozu pun membatalkannya. Sementara itu, Li Shimin mengirim kaki tangannya ke Luoyang untuk membangun kekuatannya disana. Gaozu berencana untuk mengirim Li Shimin untuk ditempatkan di Luoyang menjaga kota itu untuk mencegah konflik lebih jauh setelah sebuah insiden keracunan makanan yang menimpa Li Shimin dalam suatu jamuan di kediaman Li Jiancheng yang dianggap sebagai usaha pembunuhan. Namun Li Jiancheng dan Li Yuanji menentang pemindahan ini karena mereka takut saudaranya itu akan memakai kesempatan untuk membangun kekuatan bagi dirinya sendiri sehingga Gaozu pun akhirnya membatalkan rencana itu.
Hingga tahun 626, situasi makin memanas, Li Shimin makin gelisah karena saudara-saudaranya terus mencari gara-gara, para bawahannya seperti Du Ruhui, Fang Xuanling, dan Zhangsun Wuji mendesaknya agar bertindak secepat mungkin sebelum diserang saudara-saudaranya, di lain pihak Li Jiancheng juga terus dibujuk oleh bawahannya, Wei Zheng untuk menyerang Li Shimin. Li Jiancheng membujuk ayahnya untuk menyingkirkan Du, Fang, Yuchi Jingde, dan Cheng Zhijie dari jajaran staff Li Shimin. Hanya Zhangsun, pejabat penting dan adik ipar Li Shimin yang masih tersisa disampingnya, dan ia terus membujuk Li agar secepatnya bertindak.
Musim panas 626, Tujue Timur menyerbu perbatasan. Gaozu tadinya hendak mengirim Li Shimin untuk memimpin pasukan namun atas bujukan Li Jiancheng ia menggantinya menjadi Li Yuanji. Li Yuanji pun diberi komando atas pasukan Li Shimin, hal ini tentu saja membuat Li Shimin semakin tidak tenang karena dengan demikian ia tidak akan mampu mempertahankan diri jika kedua saudaranya menyerangnya. Li Shimin memerintahkan Yuchi Jingde memanggil kembali Du dan Fang ke kediamannya secara rahasia dan kemudian pada suatu malam ia menemui ayahnya untuk melaporkan bahwa Li Jiancheng dan Li Yuanji telah berzinah dengan selir-selir ayahnya. Gaozu pun memerintahkan kedua pangeran itu untuk menghadapnya keesokan paginya, ia mengumpulkan para pejabat seniornya seperti Chen Shuda, Xiao Yu, dan Pei Ji untuk mendiskusikan masalah ini. Begitu Li Jiancheng dan Li Yuanji tiba di Gerbang Xuanwu yang menuju ke istana kekaisaran, mereka disergap oleh Li Shimin dan pasukannya. Li Shimin memanah kakaknya hingga tewas dan Li Yuanji dibunuh oleh Yuchi ketika bertarung dengan Li Shimin. Setelah itu ia memasuki istana dengan pasukan dan senjata lengkap. Di bawah intimidasi, Gaozu pun mengangkat Li Shimin sebagai putra mahkota. Ia juga tidak mampu mencegah Li Shimin membantai putra-putra Li Jiancheng dan Li Yuanji. Dua bulan kemudian ia turun tahta dan menyerahkan mahkota pada Li Shimin.
Sebagai purna-kaisar
Tidak banyak catatan sejarah yang mencatat aktivitas Kaisar Gaozu setelah turun tahta, tampaknya ia pun tidak terlalu mencampuri urusan pemerintahan yang kini telah dipimpin putranya yang telah naik tahta sebagai Kaisar Tang Taizong. Kaisar Taizong membatalkan beberapa kebijakannya, misalnya pada akhir tahun 626, ia menurunkan gelar beberapa pangeran menjadi adipati dan pada tahun 628, ia memulangkan 3000 wanita istana, walau pada tahun-tahun akhir pemerintahannya, Taizong pun mengumpulkan banyak wanita di istana belakangnya.
Tahun 629, Gaozu pindah dari istana utama, Istana Taiji, ke Istana Hongyi (yang kemudian diganti namanya menjadi Istana Da’an)
Tahun 630, ia mendengar berita gembira bahwa Jenderal Li Jing telah berhasil mengalahkan Tujue Timur dan menangkap kepala sukunya, Jiali Khan (Ashina Duobi). Hal ini merupakan titik balik yang luar biasa karena selama masa pemerintahannya ia selalu mengirim upeti pada Tujue. Ia berkata, “Pada masa lampau, Kaisar Han Gaozu pernah terjebak di Baideng (sekarang Datong, Shanxi) oleh pasukan Xiongnu dan ia tidak pernah bisa membalaskan dendamnya. Namun kini, putraku telah berhasil mengalahkan Tujue. Saya telah mempercayakan kekaisaran ini pada orang yang benar, apa lagi yang harus kukhawatirkan ?” Ia lalu memanggil sejumlah pangeran, putri, dan pejabat tinggi kekaisaran untuk merayakan kemenangan ini. Dalam pesta ia memainkan pipa (alat musik tradisional Tiongkok) dan mengajak tamu-tamunya menari.
Karena cuaca di kota Chang’an sangat panas ketika musim panas, ia sering diundang oleh putranya ke Istana Jiucheng (bekas Istana Renshou pada masa Dinasti Sui) di Baoji, Shanxi untuk menghindari cuaca yang menyengat itu. Namun karena Kaisar Wen dari Sui wafat di sana, ia pun tidak mau mengunjungi istana itu. Maka pada tahun 634, Kaisar Taizong pun memulai pembangunan Istana Daming yang diperuntukan sebagai istana musim panas bagi ayahnya. Namun sayangnya, Gaozu tidak pernah berkesempatan menempati istana itu. Ia mangkat pada musim semi 635 sebelum pembangunan istana itu usai.
Catatan kaki
Daftar Pustaka
Buku Tua Tang, vol. 1.
Sejarah Baru Dinasti Tang, vol. 1.
Zizhi Tongjian, vols. 175, 182, 183, 184, 185, 186, 187, 188, 189, 190, 191, 192, 193, 194.
Gaozu
Gaozu
Gaozu
Gaozu | https://id.wikipedia.org/wiki/Kaisar%20Tang%20Gaozu |
{
"plaintext_start_byte": [
2,
101,
309,
529,
690,
864,
968,
1395,
1572,
1764,
1944,
2056,
2284,
2334,
2374
],
"plaintext_end_byte": [
100,
308,
528,
667,
863,
967,
1394,
1571,
1763,
1929,
2055,
2283,
2333,
2372,
2460
]
} | Je,rais wa kwanza wa Mexiko aliitwa nani? | Mexico (mji) | swahili | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Jiji la Meksiko (kwa Kihispania: Ciudad de México) ni mji mkuu pia mji mkubwa wa nchi ya Mexiko.
Uko kwenye nyanda za juu za Mexiko kwenye kimo cha m 2000 juu ya UB katika bonde refu linalopakana na milima mirefu. Kati ya milima hii ni volkeno za Popocatepetl na Iztaccihuatl na nyororo ya Sierra Nevada.
Mji wa Mexiko ni pia mkoa wa kujitegemea, huitwa mara nyingi na Wamexiko wenyewe "Mexico DF" au kwa kifupi "DF" (DF = Distrito Federal, Mkoa wa Shirikisho), lakini tangu mwaka 2016 unaelekea kujitegemea zaidi kiutawala.
Idadi ya wakazi ni milioni 9, lakini pamoja na mitaa ya karibu idadi inafikia karibu milioni 20.4. Ni kati ya miji mikubwa kabisa duniani.
Historia
Tenochtitlan
Historia ya mji ilianza mwaka 1325. Wakati ule kikosi cha Azteki wahamiaji walifika kwenye ziwa la Texcoco na kujenga makao kwenye kisiwa ziwani wakauita mji "Tenochtitlan".
Kuna hadithi ya kale juu ya kuundwa kwa Tenochtitlan ambao ni mji wa Kiazteki uliotangulia Mexiko City.
Zamani ile Waazteki waliishi maisha ya kuhamahama na kutafuta mahali pa kujenga mji wa kudumu. Mungu wao Huitzilopochtli aliwaambia wamtafute anayekalia mpungate (kakati) na kushika nyoka. Mpungate utapatikana kwenye mwamba katika kisiwa ziwani. Hadithi yaendelea kusema ya kwamba baada ya matembezi ya miaka 200 walikuta ziwa la Texcoco penye mwamba na mpungate. Walipokaribia tai aliyeshika nyoka akaketi kenye mpungate huu.
Baada ya kupokea ishara hiyo waliunda mji wao wa Tenochtitlan uliokuwa baadaye mji mkuu wa Dola la Azteki. Ulikuwa na wakazi 300,000 wakati wa kufika kwa Wahispania mwaka 1519.
Mwaka 1519 alifika Mhispania Hernan Cortez pamoja na jeshi la askari 450. Baada ya kupokewa vizuri na mfalme wa Azteki Montezuma walimkamata kama mfungwa na kuchukua dhahabu kutoka mahekalu.
Wenyeji wa mji waliwashambulia na kuua Wahispania wengi. Cortes aliweza kukimbia akarudi na jeshi jipya akaweza kuteka mji tarehe 13 Agosti 1521 na kuuharibu kabisa.
Mji wa Mexiko
Wahispania walianzisha mji mpya juu ya maghofu ya mji wa kale. Makanisa yalijengwa mahali pa mahekalu ya kale.
Tangu mwaka 1525 mji wa Mexiko ulikuwa mahali pa serikali ya nchi, tangu 1535 mji mkuu wa "Ufalme Mdogo wa Hispania Mpya". Makoloni ya Hispania ya Guatemala, Kuba, Florida na hata Ufilipino katika Asia yalitawaliwa kutoka hapa.
Mji ulikuwa mji mkuuwa wa nchi huru tangu 1821.
Katika karne ya 20 ilikua haraka sana.
Jamii:Mexiko
Jamii:Miji ya Olimpiki
Jamii:Miji Mikuu Amerika
Jamii:Historia ya Mexiko | https://sw.wikipedia.org/wiki/Mexico%20%28mji%29 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
404,
1427,
3453,
3854,
4169,
4273,
4365,
4428,
4878,
5172,
6269,
6733,
6911,
7337,
7815,
8418,
8504
],
"plaintext_end_byte": [
377,
1426,
3430,
3834,
4168,
4272,
4303,
4414,
4877,
5171,
6178,
6732,
6897,
7336,
7814,
8380,
8463,
8825
]
} | من ابتكر المثلجات؟ | مثلجات | arabic | {
"passage_answer_candidate_index": [
1
],
"minimal_answers_start_byte": [
488
],
"minimal_answers_end_byte": [
515
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
المثلجات هي عبارة عن حلوى مجمدة معدة من الحليب أو من الماء والسكر وقد يضاف إليه الفاكهة، وهي ما يطلق عليها في بعض اللهجات الآيس كريم أو الجيلاتي.[1][2][3] قد تصنع أيضا من هريس الفاكهة المجمدة أو من عصير الفاكهة.
تاريخ اكتشافه
بدأت قصة المثلجات منذ عصور طويلة حيث أستخدمها الرومان والفرس في 400 قبل الميلاد وكذلك الصينيين في 200 قبل الميلاد خلطوا الحليب المجمد مع الأرز [4][5].
وفي عام 1295 م بدأ أثرياء إيطاليا يضيفون اللبن على الثلج لينتج المثلجات من اللبن المثلج. وفي عام 1533 م عندما أصبحت الأميرة الفلورنسية كاثرين دي ميديشي، ملكة فرنسا بعد زواجها من الملك هنري الثاني ملك فرنسا، انتقلت معها خلطة اللبن المثلج من إيطاليا إلى فرنسا، وبعدها أصبح عدد من طهاة فرنسا ينتجون المثلجات بأطعمة لذيذة، كما قام أحد هؤلاء الطهاة بافتتاح محل لبيع المثلجات المضاف إليه نكهات مختلفة مثل الشوكولاتة والفراولة.
وعندما قام الملك الإنجليزي تشارلز الأول ملك إنجلترا بزيارة إلى فرنسا في عام 1600 م، قدم إليه اللبن المثلج [مثلجات]، الذي أحبه كثيراً فابتاع سر الخلطة من الطاهي الفرنسي الذي قدمها إليه، وعاد بها إلى إنجلترا ومن هنا أصبح أغنياء إنجلترا يتناولون تلك الحلوى المثلجة. وفي عام 1700 م بدأ الحاكم الإنجليزي لولاية ميرلاند الأمريكية يقدم المثلجات إلى ضيوفه، وبعد مرور 76 سنة بدأت أول مؤسسة تجارية لبيع المثلجات عملها في مدينة نيويورك.
وقد أحبت دوللي ماديسون زوجة الرئيس الأمريكي المثلجات بشكل كبير فقامت بتقديمه إلى ضيوفها في البيت الأبيض في عام 1812 م، وبعدها بفترة وبالتحديد في عام 1843 م، قامت سيدة أمريكية تدعى نانسي جونستون اختراع آلة لعمل المثلجات بشكل يدوي أسرع. وفي عام 1851 م افتتح جاكوب فوسيل أول مصنع مثلجات في بالتيمور بولاية ميرلاند الأمريكية، وكان يبيع المثلجات من خلال إحدى العربات المتنقلة.
وفي 1899 م اخترع الفرنسي أوجست جولين ماكينة تساعد على خلط المثلجات بشكل متجانس مما ساعده على عمل المثلجات بشكل أكثر سرعة.
وفي أوائل 1903 م كان بائع المثلجات الأمريكي ايتالو ماركيوني يبيع المثلجات على عربة يد يدفعها في شوارع المدينة، كما اخترع المثلج المقدم داخل رقيقة من البسكويت، والذي انتشر بعدها في كافة دول العالم.
طريقة العمل
تخفق الكريمة مع الحليب السائل والحليب الجاف.
نضيف البيض على الخليط.
نقوم بطحن المستكة وإضافتها إلى الخليط
نضيف النكهة والسكر.
نضيف المكسرات (حسب الرغبة) ويتم تحريك الخليط جيدا.
نضعه في الثلاجة حتى تجمد المثلجات
الدوندرمة
الدوندرومة (وتعني "مثلجة") هي اسم يُطلق على البوظة في تركيا. وتحتوي الدوندورمة على لبن مجفف وسكر وسحلب ومستكة، وربما يَكون موطنها الأصلي
الذي اُخذت منه هو منطقة "كهرمانمارش".
طريقة تحضير السهل
وتوجد طريق أخرا بلقليل من المكونات وهي
ـ نصف لتر من حليب
ـ مسحوق الفنيلا
ـ ملعقتا سكر كبير
ونتركه في المجمد لمدة 24 ساع
فوائده
أوضح الباحثون في مجلة "الصحة اليوم"، أن أنواع الحميات التي تفتقر لعنصر الكالسيوم المتوافر في منتجات الألبان تحد من قدرة الجسم على حرق الشحوم، مفسّرين أن عدم حصول الجسم على الكمية الكافية من الكالسيوم، يساعد الخلايا على تخزين الدهون، وتكبير حجمها.
وكانت الدراسات قد أظهرت أن الأشخاص المصابين بالبدانة، ويخضعون لحمية خاصة تعتمد على تعاطي مكملات الكالسيوم الغذائية، فقدوا ما يعادل 26 إلى 30 في المائة من أوزانهم.
ولفت خبراء التغذية إلى أن للآيس كريم فوائد كثيرة، أهمها أنه يساعد على تقوية العظام، وحرق الدهون، وتخفيض ضغط الدم العالي، وزيادة النشاط العام للجسم، كما أثبت فعاليته في مكافحة سرطان القولون، إلى جانب دوره في تحسين المزاج، وتقليل خطر الإصابة بالجلطات، وتقوية المناعة، ومنع تكوّن حصى الكلى .
بخلاف المعتقد أن المأكولات الساخنة تعطي دفئا، إلا أن العكس صحيح، فالآيس كريم والمشروبات الباردة عندما تلتقي بجدار المعدة تعمل على قبض الأوعية الدموية وتقليل نسبة الدم بها، فيتجه الدم إلى بقية أعضاء الجسم والأطراف مسببًا تمدد الأوعية الدموية فيعمل على تدفئتها[6]
المعلومات الغذائية عن المثلجات الدايت بالفراولة
تحضّر المثلجات الدايت بالفراولة من الفراولة، اللبنة الخالية من الدسم، الحليب الخالي من الدسم، الزبدة، السكر، عصير الليمون الحامض، الفانيليا والملح. تحتوي كل حصة من المثلجات الدايت بالفراولة (130غ تقريباً)، بحسب موقع شهية، على المعلومات الغذائية التالية:
السعرات الحرارية: 117
الدهون: 1
الدهون المشبعة: 1
الكوليسترول: 4
الكاربوهيدرات: 22
البروتينات: 5
أضراره
يلجأ الكثيرون إلى تناول المرطبات الباردة والبوظة بأنواعها في فصل الصيف، للتخفيف من لهيب الحر، والتمتع ببعض الانتعاش، ولكن ثلثهم قد يصابون بما يعرف ب”صداع الآيس كريم”، بعد أول لقمة منه، فتنخفض درجة حرارتهم، ويصابون بارتعاشات مؤقتة.
وأوضح أخصائيو الأعصاب في مستشفى جامعة تيمبل الأمريكية، أن هذا الصداع يظهر بعد 25 إلى60 ثانية من ابتلاع أول لقمة من “الآيس كريم”، حيث تنخفض درجة حرارة الجلد في الجبهة بحوالي درجتين، ويبدأ الألم في هذه المنطقة، ويتفرع ليصل إلى أشده، ويستمر لبعض الوقت، قبل أن يختفي.
وأشار هؤلاء الإخصائيون إلى أن “صداع الآيس كريم”، وهو الاسم الطبي لهذا النوع من الصداع، يؤثر في ثلث الأشخاص، وهو شائع، إلا أن الكثيرين لا يعرفون الكثير عنه، فهو ينتج عن تناول طعام أو شراب بارد يلامس سقف الفم، فيسبب آلام الرأس، حيث يعتقد أن التغير المفاجئ في درجة حرارة الجسم يسبب فرط نشاط الجهاز العصبي المركزي.
معرض صور
انظر أيضاً
جاكومو جروبي
بوظة (مشروب)
مراجع
وصلات خارجية
تصنيف:مثلجات
تصنيف:حلويات
تصنيف:حلويات إيطالية
تصنيف:حلويات فرنسية
تصنيف:حلويات مجمدة
تصنيف:مطبخ أمريكي
تصنيف:مطبخ بريطاني
تصنيف:مطبخ صيني
تصنيف:مطبخ عالمي
تصنيف:منتجات ألبان
| https://ar.wikipedia.org/wiki/%D9%85%D8%AB%D9%84%D8%AC%D8%A7%D8%AA |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
643,
1210,
1374,
1766,
2185,
2403,
2776,
4634,
5010,
5382,
5882,
6176,
6392,
6988,
7342,
7692,
8554,
8705,
8947,
9587,
9719
],
"plaintext_end_byte": [
623,
1181,
1341,
1736,
2184,
2358,
2775,
4589,
4965,
5340,
5834,
6133,
6391,
6949,
7341,
7641,
8553,
8704,
8946,
9557,
9678,
9914
]
} | বাংলা ব্যাকরণ মতে বিশেষণ কয় প্রকার ? | বিশেষণ | bengali | {
"passage_answer_candidate_index": [
2
],
"minimal_answers_start_byte": [
1229
],
"minimal_answers_end_byte": [
1238
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} | বিশেষণ (উচ্চারণ: ɔbiʃeʃɔn (বি.শে.শন্))[নোট 1] [নোট 2] (ইংরেজি adjective (ল্যাটিন adjicere> adjectivus> ফরাসি adjectif> ইংরেজি adjective)) [নোট 3] হচ্ছে বাংলা ব্যাকরণের একটি পদ যা বাক্যের অন্য কোন পদের (বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের) দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে।[1]
সংজ্ঞা
বাংলা ব্যাকরণ মতে– বাক্যে ব্যবহৃত যে প্রকার পদ বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদকে বিশেষিত করে, তাকেই বিশেষণ বলে। [নোট 4]
বিশেষ্যের বিশেষণ - লাল রক্ত;
সর্বনামের বিশেষণ - করুণাময় তুমি;
ক্রিয়ার বিশেষণ - আস্তে যাও
প্রকারভেদ
বিশেষণ দুইভাগে বিভক্ত, নাম বিশেষণ এবং ভাব বিশেষণ।
নাম-বিশেষণঃ
যে সকল শব্দ (বিশেষণ পদ) সর্বনাম ও বিশেষ্যকে বিশেষিত করে, তাকেই নাম বিশেষণ বলা হয়। যেমনঃ সুস্থ সবল দেহকে কে না ভালোবাসে? সে রূপবান ও গুণবান।
ভাব বিশেষণ
যে সকল শব্দ বাক্যের বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ব্যতীত অন্যপদগুলোকে বা বাক্যকে বা উভয়ের অর্থকে বিশেষিত করে, তাকে ভাব-বিশেষণ বলে। ভাব বিশেষণকে চারভাগে ভাগ করা যায়-
ক্রিয়া বিশেষণ
বিশেষণের বিশেষণ
অব্যয়ের বিশেষণ
বাক্যের বিশেষণ [2]
ক্রিয়া বিশেষণঃ
যে পদ ক্রিয়া সংঘটনের ভাব, কাল বা রূপ নির্দেশ করে, তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন- পরে একবার এসো।
ক্রিয়া বিশেষণের বিভিন্ন ধরনের গঠন নিন্মেরূপ-
বিভক্তিহীন শব্দযোগেঃ ভাবজ্ঞাপক - সে অবশ্য আসবে। সময়জ্ঞাপক - ক্রমাগত ভুল করো না। স্থানবাচক - হেথা আর এসো না।
এ-বিভক্তি যোগেঃ সুখে থাকতে চাই। পরিস্থিতি চরমে উঠেছে।
-পূর্বক, -ভাবে -রূপে, -সহকারে, সহিত, সাথে সমাসবদ্ধ হয়ে নতুন ধরনের ক্রিয়া- বিশেষণ তৈরি হয়। যেমনঃ যত্নপূর্বক কাজটি করো। এরূপ- ভালোভাবে, ভালোরূপে, মনোযোগ-সহকারে, আদবের সহিত, আদবের সাথে।
তঃ, থা, ধা, শ, বত্, মত, মতন প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমনঃ তঃ - সম্ভবতঃ তিনি আসবেন। ধা - জলস্রোতটি শতধায় বিভক্ত।শ - ক্রমশ বিষয়টি পরিষ্কার হলো। ত্র - ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান। মত - ঠিকমত কাজ করো। মতন - ঠিকমতন কাজ করো।
করে - অসমাপিকা ক্রিয়াপদ যোগে: ভালো করে জেনে আস।
মাত্র - যোগে: ট্রেনটি চলামাত্র সে ঘুমিয়ে পড়লো
শব্দ - দ্বৈতে: ধীরে ধীরে সাপটি চলে গেল। [1]
বিশেষণের বিশেষণ
যে পদ নাম বিশেষণ অথবা ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে, তাকে বিশেষণের বিশেষণ বলে। যেমনঃ সামান্য একটু দুধ দাও। রকেট অতি দ্রুত চলে।
অব্যয়ের বিশেষণ
যে ভাব-বিশেষণ অব্যয়পদ অথবা অব্যয় পদের অর্থকে বিশেষিত করে তাকে অব্যয়ের বিশেষণ বলে। যেমনঃ ধিক্ তারে শত ধিক্ নির্লজ্জ যে জন।
বাক্যের বিশেষণ
কখনো কখনো কোনো বিশেষণ পদ একটি সম্পূর্ণ বাক্যটি বিশেষিত করতে পারে তখন তাকে বাক্যের বিশেষণ বলা হয়। যেমন—দুর্ভাগ্যক্রমে দেশ আবার নানা সমস্যাজালে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে।[3] [নোট 5]
বিশেষণের গঠনরীতি
কয়টি শব্দের মাধ্যমে বিশেষণটি তৈরি হতে পারে, তার উপর ভিত্তি করে বিশেষণকে দুটি ভাগ ভাগ করা যায়।
এক পদময় বিশেষণ
এটি মৌলিক বিশেষণ (একটির বেশি শব্দ নিয়ে তৈরি নয়): ছোট মাছ অল্প পানিতে লাফায় বেশি।
কৃদন্ত প্রত্যয় দ্বারা তৈরি বিশেষণ: চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে নামলেন।
তদ্ধিত প্রত্যয় দ্বারা তৈরি বিশেষণ: শক্তিমান পুরুষ।
বিভক্তি যুক্ত বিশেষণ: ঘাটের মরা।
উপসর্গযুক্ত বিশেষণ: প্রখর রৌদ্র। (প্র উপসর্গ যোগে প্রখর।)
বহুপদী বিশেষণ
এটি একাধিক পদ দ্বারা গঠিত বিশেষণ। এক্ষেত্রে পদগুলো পৃথকভাবে সজ্জিত থাকতে পারে, কিম্বা সমাস বা সন্ধিযোগে যুক্ত অবস্থায়ও থাকতে পারে।
পদ পৃথক অবস্থায়: দশ দিনের পথ।
সন্ধি বা সমাস-সিদ্ধ অবস্থায়: ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত একটু নুন।
বিশেষণের অতিশায়ন
বিশেষণ পদ যখন দুই বা ততোধিক বিশেষ্য পদের মধ্যে গুণ, অবস্থা পরিমাণ প্রভৃতি বিষয়ে তুলনায় একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বুঝিয়ে থাকে তখন তাকে বিশেষণের অতিশায়ন বলে। যেমনঃ যমুনা একটি দীর্ঘ নদী, পদ্মা দীর্ঘতর, কিন্তু মেঘনা বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী।
বিশেষণের অতিশায়নের ক্ষেত্রে দুটি ব্যাকরণগত পরিভাষা ব্যবহার করা হয়, উপমান এবং উপমেয়।
উপমান: যার সাথে তুলনা করা হয়।
উপমেয়: যাকে তুলনা করা হয়।
যেমনঃ রূপার চেয়ে সোনা দামী। এখানে রূপা উপমান এবং সোনা উপমেয়। [4]
অতিশায়ন দুইভাবে হতে পারে-
দুয়ের মধ্যে অতিশায়ন: চেয়ে, চাইতে, হতে, অপেক্ষা প্রভৃতি শব্দ ব্যবহৃত হয়। যেমন ‘‘গরুর চেয়ে ঘোড়ার দাম বেশি’’
বহুর মধ্যে অতিশায়ন: সবচাইতে, সবথেকে, সর্বাপেক্ষা, সর্বাধিক প্রভৃতি শব্দ ব্যবহৃত হয়। যেমন ‘‘তিমি সবচেয়ে বড় প্রাণী’’
আরোও দেখুন
পদ
বিশেষ্য
সর্বনাম
ক্রিয়া
অব্যয়
নোট
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:ব্যাকরণ
বিষয়শ্রেণী:বাংলা ব্যাকরণ
বিষয়শ্রেণী:ভাষাবিজ্ঞান
| https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A6%A3 |
{
"plaintext_start_byte": [
2,
968,
1376,
3013,
3080,
3135,
3202,
3260,
3318,
3395,
3450,
3577,
3693,
3776
],
"plaintext_end_byte": [
858,
1375,
2921,
3079,
3134,
3201,
3259,
3317,
3394,
3449,
3576,
3692,
3775,
4146
]
} | วัดบางพลีใหญ่ ก่อตั้งขึ้นเมื่อไหร่? | วัดบางพลีใหญ่ใน | thai | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
วัดบางพลีใหญ่</b>ในเป็นชื่อของวัดพระอารามหลวงชั้นตรีที่มีประวัติความเป็นมาอันยาวนานและมีชื่อเสียงแห่งหนึ่งของ อำเภอบางพลี จังหวัดสมุทรปราการ เพราะเป็นวัดที่ใช้ประดิษฐานหลวงพ่อโตซึ่งเป็นพระพุทธรูปสมัยสุโขทัย ปางมารวิชัยและเป็นหนึ่งในพระสามพี่น้อง วัดแห่งนี้เดิมมีชื่อว่า วัดพลับพลาชัยชนะสงคราม
ประวัติวัดบางพลีใหญ่ใน (ประวัติโดยย่อ)
วัดบางพลีใหญ่ใน ตั้งอยู่ทางทิศตะวันออกของจังหวัดสมุทรปราการ วัดนี้อยู่ริมคลองสำโรง ห่างจากประตูน้ำ สำโรง ประมาณ 13 กิโลเมตร มีเนื้อที่ 40 กว่าไร่
ทางประวัติศาสตร์ พระนเรศวรทรงยาตรากองทัพ ขับไล่ข้าศึกมาทางทิศตะวันออก ของกรุงศรีอยุธยา มาถึงตำบลหนึ่งไม่ปรากฏนาม ทางทำพิธีพลีกรรมบวงสรวงตามตำรับพิชัยสงคราม เมื่อชนะสงครามแล้ว พระองค์ทรงกลับมาสร้างพลับพลานี้และเรียกชื่อวัดนี้ว่า วัดพลับพลาชัยชนะสงคราม ต่อมา เรียกชื่อตามตำบลที่ทำพิธีพลีกรรมบวงสรวงว่า ตำบลบางพลี จึงเรียกวัดพลับพลาชัยชนะสงครามว่า วัดบางพลี ต่อมามีพระองค์ใหญ่ คือหลวงพ่อโต มาประดิษฐานในอุโบสถ และมีวัดบางพลีใหญ่กลางอยู่ด้านนอก จึงเรียกวัดพลับพลาชัยชนะสงครามว่า วัดบางพลีใหญ่ใน หรือวัดหลวงพ่อโต มาจนตราบเท่าทุกวันนี้
รายนามเจ้าอาวาสวัดบางพลีใหญ่ใน
รูปที่ 1 พระอธิการจันทร์
รูปที่ 2 พระอธิการดำ
รูปที่ 3 พระอธิการจันทร์
รูปที่ 4 พระอธิการเสม
รูปที่ 5 พระอธิการไสว
รูปที่ 6 พระปลัดกุ่ย สุทัศโน
รูปที่ 7 พระมหารัตน์
รูปที่ 8 พระครูพิศาล สมวัตต์ (ม้วน สุเมโธ งามขำ)
รูปที่ 9 พระครูวุฒิธรรมสุนทร (พุธ แย้มสบาย)
รูปที่ 10 พระครูโสภณธรรมานุกูล
รูปที่ 11 พระราชเสนาบดี (เจ้าอาวาสองค์ปัจจุบัน) (จรัญ วงษ์ดี) วิทยฐานะ น.ธ.เอก
ตำแหน่งปัจจุบัน
- เจ้าคณะตำบลบางพลี
- เจ้าอาวาสพระอารามหลวง
บางพลีใหญ่
| https://th.wikipedia.org/wiki/%E0%B8%A7%E0%B8%B1%E0%B8%94%E0%B8%9A%E0%B8%B2%E0%B8%87%E0%B8%9E%E0%B8%A5%E0%B8%B5%E0%B9%83%E0%B8%AB%E0%B8%8D%E0%B9%88%E0%B9%83%E0%B8%99 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
556,
963,
2308,
3019,
3620,
3814,
4561,
5062,
6062,
6949,
7637,
8109,
8811,
9411,
10022,
10470,
10847,
12189,
12635,
13345,
14380,
15138,
15884,
17007,
17156
],
"plaintext_end_byte": [
511,
928,
2273,
3018,
3619,
3785,
4504,
5024,
6029,
6898,
7636,
8089,
8810,
9410,
9999,
10447,
10836,
12162,
12634,
13344,
14379,
15137,
15861,
16993,
17139,
17191
]
} | 京に都が移ったのはいつ? | 東京奠都 | japanese | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
東京奠都(とうきょうてんと)は、明治維新のとき江戸が東京とされ、都として定められたこと。京都との東西両京としたうえで、慶応4年7月17日(1868年9月3日)に江戸が東京と改称され、同年9月に元号が明治に改められ、同年10月13日に天皇が東京に入り、明治2年(1869年)に政府が京都から東京に移された。遷都と奠都の用語の違いについては後述する(#奠都と遷都の語義)。
東京奠都までの経緯
遷都の気運
幕末の京都は、大政奉還や王政復古により、政治の中心地となっていったが、京都の新政府内部から、新たに天皇親政を行うにあたって遷都を行おうという声が上がっていた。しかし、この時点では江戸の情勢が未だ安定しておらず、主に大坂がその地として意識されていた。
大久保利通の大坂遷都案
鳥羽・伏見の戦い直後の慶応4年(明治元年)1月17日(1868年2月10日)、参与・大久保利通は、総裁・有栖川宮熾仁親王に対して、天皇が石清水八幡宮に参詣し、続いて大坂行幸を行って、その後も引き続き大坂に滞在することを提言した。これにより、朝廷の旧習を一新して外交を進め、海軍や陸軍を整えることを図るとする。さらに同年1月23日には、太政官の会議において<b data-parsoid='{"dsr":[678,688,3,3]}'>浪華遷都(大坂遷都)の建白書を提出するに至った。その中で宮中の「数百年来一塊シタル因循ノ腐臭ヲ一新」するために遷都が必要で、遷都先としては大阪が適していると主張している[1]。しかし、大坂が京都に隣接しているとは言え、遷都を行えば千年の都である京都を放棄することとなるとして、これに抵抗の大きい公卿ら保守派の激しい反対を受け、同年1月26日に廃案となった。続いて大久保は、副総裁・岩倉具視を通して、保守派にも受け入れられやすい親征のための一時的な<b data-parsoid='{"dsr":[958,968,3,3]}'>大坂行幸</b>を提案し、同年1月29日これが決定した。
大坂行幸と江戸城の開城
大坂行幸の発表により、これが遷都に繋がるのではないかと捉えた公家や宮中・京都市民から、反対の声が高まった。そのため、太政官も同時に移すという当初の計画は取り下げられた。慶応4年3月21日(1868年4月13日)、天皇が京都を出発。副総裁・三条実美ら1,655人を伴い、同年3月23日に大坂の本願寺津村別院に到着、ここを行在所とした。天皇は天保山で軍艦を観覧するなどして、40日余りの大坂滞在の後、同年閏4月8日京都に還幸した。同年4月11日には江戸城が無傷で開城されるなど、注目が大坂から江戸に移っていった。
この江戸開城の直後、薩摩藩洋学校(開成所)の教授である前島密による「江戸遷都論」なる建白書が大久保に届けられた。遷都しなくても衰退の心配がない浪華(大坂)よりも、世界の大都市の一つであり、帝都にしなければ市民が離散して寂れてしまう江戸の方に遷都すべき。帝都は国の中央にあるべきで、大阪は小さく道路も狭小、江戸は諸侯の藩邸などが利用でき官庁などを新築する必要がないことなどを江戸遷都の理由としている[2]。
後に、大久保も徳川氏を駿府に移し「江戸を東京とすることが良策」であるとし、東京遷都を支持していくことになる[3]。
尊攘・脱藩浮浪問題
遷都計画には、公卿や保守派、京都市民などから反対の声が挙がった。戊辰戦争がいまだ継続されている中、維新直後の混乱した政情の下、政府内外での各藩閥や派閥による意思決定過程に不満をもつ不平分子がこの課題を政治問題化し、とくに久留米や肥後の尊攘派や脱藩浮浪が一部公卿と結びつき(この動きは後に知られる佐賀の乱や神風連の乱など九州・山口を舞台とする士族反乱に発展する)、明治新政府による天皇行幸(東行)すら新政府中枢による政治の壟断として反論が噴出する状態であった[4]。
江戸から東京へ
大木・江藤の東西両都案
慶応4年(1868年)閏4月1日、大木喬任(軍務官判事)と江藤新平(東征大総督府監軍)が、佐賀藩論として「東西両都」の建白書を岩倉に提出した。これは、数千年王化の行き届かない東日本を治めるため江戸を東京とし、ここを拠点にして人心を捉えることが重要であるとし、ゆくゆくは東京と京都の東西両京を鉄道で結ぶというものだった。
徳川氏の移封と東京の誕生
慶応4年(1868年)5月24日、徳川氏が江戸から駿府70万石に移されることが決まると、大木・江藤の東西両都案も決され、政府は同年6月19日、参与・木戸孝允と大木に江戸が帝都として適しているかの調査にあたらせた。2人は有栖川宮・三条・大久保・江藤らと協議の上、同年7月7日に京都へ戻り、奠都が可能であることを報告した。これを受けて同年7月17日、江戸ヲ称シテ東京ト為スノ詔書が発せられた。この詔書では、天皇が日本をひとつの家族として東西を同視するとし、江戸が東国で第一の大都市・要所であるため天皇がここで政治をみることと、そのために江戸を東京と称することが発表された。保守派や京都市民への配慮から、東京奠都を明確にはしなかったものの[5]、東西両京の方針通り東京が誕生した。
東幸と万機親裁の宣言
天皇は慶応4年(1868年)8月27日、政情の激しい移り変わりにより遅れていた即位の礼を執り行い、明治元年9月20日[6]に京都を出発して東京に行幸した。岩倉、議定・中山忠能、外国官知事・伊達宗城らを伴い、警護の長州藩、土佐藩、備前藩、大洲藩の4藩の兵隊を含め、その総数は3,300人にも及んだ。天皇は同年10月13日に江戸城へ到着、江戸城はその日のうちに東幸の皇居と定められ<b data-parsoid='{"dsr":[3095,3104,3,3]}'>東京城</b>と改称された。続いて同年10月17日には、天皇が皇国一体・東西同視のもと内外の政を自ら裁決することを宣言する詔(万機親裁の宣言)を発した[7]。そして東京の市民はこの東幸を盛大に祝った。
東西両京の狭間で
早期還幸の慎重論
東幸に続いて京都への還幸となったが、この還幸にあたって三条は独り賛成せず、今すぐに京都に戻れば関東の人心を失するとして早々の還幸を牽制する意見書を提出した。三条はこの中で、天皇に数千年も親しく恵みを受けてきた京都・大坂の人々の動揺と、徳川氏に300年恩恵を受けてきた関東の人々に恨みや失望を与えることの利害得失を比べ、関東の人心に京都・大坂の盛衰や国の興廃がかかっているのであり、京都・大坂を失っても地勢に優れる東京を失わなければ天下を失うことはないと述べた[8]。
三条の意見により還幸の日が延びていたが、先帝(孝明天皇)の三年祭と立后の礼を行う必要があるという岩倉の意見もあり、明治元年(1868年)12月8日、天皇はひとまず京都に還幸し同年12月22日に到着した。この還幸にあたり、東京市民に不安を与えないよう再び東京に行幸することと、旧本丸跡に宮殿を造営することが発表された。
東京への再幸
明治2年(1869年)1月25日、東京への再度の行幸を前に岩倉は、天皇の意向を知らずに政府や民間で遷都があるかのように思っている者が少なからずいるために、京都や大坂の人々の動揺が大きくなっているとし、関東諸国は王化が行き届いていないため新政を施すための再幸である旨を十分に分からせるための諭令を出すよう求める建議を行った。また、政府内でも遷都論を唱えるものがいるとし、天皇の考えによる遷鼎(遷都)の沙汰もなく、臣下の身でこれを唱えることは決して承知しないと遷都論に釘をさした[9]。
同年3月7日、翌年の3月には京都に戻り冬に大嘗祭を行なうこととして、三条らを従えて再び東京への行幸が行われた(2度目の東幸、再幸)。天皇が同年3月28日東京城に入り、ここに滞在するため東京城を「皇城」と称することとされた。このとき「天皇の東京滞在中」とした上で太政官が東京に移され、京都には留守官が設置された。ついで同年10月24日には皇后も東京に移った。こうしてこれ以降、天皇は東京を拠点に活動することになった。
天皇・皇后の東京への行幸啓の度に、公卿・諸藩主・京都の政府役人・京都市民などから行幸啓の中止・反対の声が上がり、政府は「これからも四方へ天皇陛下の行幸があるだろうが、京都は千有余年の帝城で大切に思っておられるから心配はいらない」とする諭告(『告諭大意』)を京都府から出させ、人心の動揺を鎮めることに努めた。東京再幸の反対運動の騒動の際には、時の情勢に乗じて名古屋遷都を画策するものまで現れた。
首都機能の移転
京都では京都御所を後に残して、明治4年(1871年)までに刑部省・大蔵省・兵部省などの京都留守・出張所が次々に廃され、中央行政機関が消えていった。また留守官は明治3年5月に京都府から宮中に移され、同年12月に京都の宮内省に合併、明治4年(1871年)8月23日には廃され、東京への首都機能の移転が行われた。
京都還幸の延期
明治3年(1870年)3月14日、東北の平定が未だに行き届かないこと、諸国の凶作、国費の欠乏など諸々の理由で京都への還幸を延期することが京都市民に発表された。翌明治4年(1871年)3月になって、結局大嘗祭は東京で行うことが発表され、同年11月17日に東京で行われた。
その後
明治5年5月(1872年6月) - 天皇が京都に戻る際、「還幸」ではなく「行幸」とされる。
明治6年(1873年5月) - 東京の皇城で火災。赤坂離宮を仮皇居とする。
明治10年(1877年2月) - 天皇が京都の皇居(京都御所)の保存・旧観維持を指示。
明治21年(1888年) - 東京で明治宮殿が完成。以降「宮城」と称する。
明治22年(1889年) - 皇室典範で「即位の礼」と「大嘗祭」は京都で行うと規定。
明治24年(1891年) - 京都御所を京都皇宮と改称。
明治42年(1909年) - 登極令(昭和22年廃止)で大嘗祭の斎田は京都以東・以南を悠紀、以西・以北を主基の地方とされる。
大正4年(1915年) - 大正天皇の即位の礼、大嘗祭が京都で行われる。
昭和3年(1928年) - 昭和天皇の即位の礼、大嘗祭が京都で行われる。
昭和22年(1947年) - 新皇室典範で単に「即位の礼を行う」とし、大嘗祭と場所は規定されなかった。
昭和23年(1948年) - 東京の「宮城」の名称が廃され皇居と呼ばれる。京都皇宮は京都御所と改名される。
平成2年(1990年) - 即位の礼が、史上初めて関東の東京で行われる[10]。
奠都と遷都の語義
「東京奠都」と「東京遷都」の語の使い方を巡っては議論がある。一義的には「奠都」は都を定める事を表すのに対して「遷都」は都を移すことをいうが[11]、天皇や政治中枢の移動を伴えば実質的にはほぼ同じ意味であり、この場合、旧都を廃することを含んでいるかどうかが論点となる(「遷都」の場合は廃止の語義を含む)。
もともと奠都の語は、明治28年(1895年)に京都市が延暦13年(794年)の平安遷都を「平安<b data-parsoid='{"dsr":[6029,6037,3,3]}'>奠都</b>千百年記念祭」と称して祝っているように広く用いられる言葉である。明治31年(1898年)に東京奠都30周年を記念して出版された『奠都三十年』(『太陽』第4巻第9号臨時増刊)のなかでは、東京も京都も帝都であるとしつつ東京遷都という表現も同時に見られ、京都は依然帝都で、政治上の必要から江戸にも帝都を定めたのだから遷都と言うことは妥当ではないとする声(井上頼国)も紹介された。
その後、大正期に入った大正6年(1917年)、東京奠都の本格的な研究を岡部精一が初めて著し、そのなかで「東京の奠鼎(奠都)は遷都にあらず」とし、遷都の発表はなく、今日に至るまで都を東京に遷されたのではなく、東京は京都とともに並立して帝都の首都であることは明らかであるとした。続いて大正8年(1919年)、東京市役所の発行した『東京奠都』も、東京奠都は京都留守居官の廃止で完了したが、「その名義に於ては、いつまでも東西両京の並立で、遷都といふ事は、つひに公然発表せられたことはなく」、「京都も一の帝都であるが、事実に於て遷都の事はいつのまにか行はれてゐた」とした。これらの考え方によると、東京奠都に関しては都を移す「遷都」を語を避け、京都と2つ帝都としたのだから都を定める「奠都」と称すべきであるとされる。
現代では一般に「遷都」の語は首都移転の意味にも使われ、「首都が東京に移った」などとも表現される。『京都の歴史』第七巻は、2度目の東幸(明治2年3月)の際の太政官を東京に移す発表を事実上の遷都宣言とし、事実上の首都の座を東京にわたしたとしている。佐々木克(2001年)は、「遷都」より「奠都」が実態を適切に表現するものであったかもしれないとし、京都は都であることを否定されなかったとしながらも、京都が政府機関の置かれる帝都(首都)として復活しなかったため、「奠都」よりも「遷都」が実態を正確に表現しているとしている。
もっとも、奠都・遷都論は「みやこ」の設置廃止についての議論であるにもかかわらず首都の問題と絡めて論じられることが通例であるが、現在に至るまで法令上「首都」の定義・規定はなされておらず()、日本における従来の「みやこ」(都・京)と「首都」との関係について定かになっているわけでない(→日本の首都参照)。戦前から戦後しばらくまで「首都」という語はその地方での主だった町(主都・主邑・プライメイトシティ)をも指しており、かならずしも天皇の常住する帝都のみを指していたわけではないのである。
脚注
関連文献
岡部精一 『東京奠都の真相』 仁友社、1917年。
喜田貞吉 「帝都」『喜田貞吉著作集5 都城の研究』所収、平凡社、1979年。
京都市編 『京都の歴史』第七巻、京都市史編さん所、1979年。
佐々木克 『江戸が東京になった日 明治二年の東京遷都』 講談社、2001年。
東京大学史料編纂所編 『復古記』全15冊、東京大学出版会、1974-1975年。
東京都編 『都史紀要1 江戸から東京への展開 東京奠都の経済史的意義』 東京都、1953年。
東京百年史編集委員会編 『東京百年史』第二巻、東京都、1979年。
藤野敦 『東京都の誕生』 吉川弘文館、2002年。
文部省維新史料編纂会編 『概観維新史』 維新史料編纂事務局、1940年。
文部省維新史料編纂会編 『維新史』第五巻、維新史料編纂事務局、1941年。
若一光司 『大阪が首都でありえた日 遷都をめぐる明治維新史』 三五館、1996年。
佐々木克『東京「遷都」の政治過程』(人文学報1990.03)
関連項目
明治維新
明治天皇
江戸ヲ称シテ東京ト為スノ詔書
江戸開城
江戸
東京
京都
大坂
府県制
双京構想
外部リンク
- 共同通信 2010年5月17日付
| https://ja.wikipedia.org/wiki/%E6%9D%B1%E4%BA%AC%E5%A5%A0%E9%83%BD |
{
"plaintext_start_byte": [
2,
512,
730,
1643,
2763,
3894,
5826,
6669,
7381,
8985,
9103,
9270,
9936,
10653,
11217,
11564,
12313,
12547,
13549,
13850,
14477,
15045,
15527,
16300,
16948,
18130,
18649,
19100,
19563,
19822,
19967,
20182,
20401,
21062,
21382,
21697,
22317,
22465,
22619,
23185,
23285,
23722,
23878,
24064
],
"plaintext_end_byte": [
511,
722,
1642,
2762,
3893,
5825,
6668,
7380,
8984,
9068,
9269,
9935,
10652,
11216,
11544,
12312,
12521,
13548,
13849,
14476,
15044,
15526,
16299,
16947,
18129,
18602,
19099,
19562,
19800,
19953,
20171,
20387,
21061,
21381,
21677,
22297,
22444,
22618,
23177,
23284,
23711,
23840,
24038,
24506
]
} | ブラームスの出身はどこ? | ヨハネス・ブラームス | japanese | {
"passage_answer_candidate_index": [
2
],
"minimal_answers_start_byte": [
749
],
"minimal_answers_end_byte": [
764
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
ヨハネス・ブラームス(Johannes Brahms、1833年5月7日 - 1897年4月3日)は、19世紀ドイツの作曲家、ピアニスト、指揮者。J.S.バッハ(B</b>ach)、ベートーヴェン(B</b>eethoven)と共に、ドイツ音楽における<b data-parsoid='{"dsr":[1243,1252,3,3]}'>三大Bとも称される。ハンブルクに生まれ、ウィーンに没する。作風はおおむねロマン派音楽に属するが、古典主義的な形式美を尊重する傾向も強い。
ベートーヴェンの後継者ととらえる人もおり、指揮者のハンス・フォン・ビューローは彼の『交響曲第1番』を「ベートーヴェンの交響曲第10番」と評した。
生涯
1833年5月7日にハンブルクで生まれた。彼に最初の音楽レッスンを行った父は、市民劇場のコントラバス奏者だった。後年になってブラームスが語った話によると、家の表札には「Brahmst(ブラームスト)」と書かれていたという[2]。しかし子供の頃から「ブラームス」と頭に刷り込まれていた彼は、最後の「t」が嫌で、表札をしょっちゅう指でこすり、しまいには消してしまった。そのせいで父に届いた親方献呈合格証は「ブラームス」と書かれたものになった[2]。彼曰く、「親父がtを取るように、少しずつ慣れさせたんだよ[2]」このブラームスの話が冗談なのか実話なのかは不明だが、実際に「Brahmst」と書かれた1849年4月14日の「音楽の夕べ」のプログラムが残っている[3]。
7歳の時からオットー・フリードリヒ・ヴィリバルト・コッセルにピアノを学ぶようになった。ブラームスはピアノの早熟な才能を現し、10歳の時に初めてステージに立った。この時彼の演奏を聴いたアメリカの興行師がアメリカ演奏旅行を提案した。両親は賛成したが、コッセルはこれに反対し、より高度な音楽教育が受けられるように、コッセルの師である作曲家でピアニストのエドゥアルト・マルクスゼンに師事させた[4]。しかしブラームスの生家は貧しかったため、13歳のころからレストランや居酒屋でピアノを演奏することによって家計を支えた。ブラームス自身はピアニストとして確かな腕を持っていたが、同時代の名手と比べると地味な存在であり、後に作曲に専念すると決意してほとんど演奏活動からは手を引く。しかし1859年と1881年には、『ピアノ協奏曲第1番』と『ピアノ協奏曲第2番』の初演を自ら行っている。
その後、作曲を始めたものの、1851年になると自己批判からすでに作品を廃棄し始めていた(19歳以前の作品は記録が残るのみでまったく現存しない)。1853年にハンガリーのヴァイオリニスト、エドゥアルト・レメーニと演奏旅行に行き、彼からジプシー音楽を教えてもらったことが創作活動に大きな影響を及ぼした。この旅行で二人はまずヨーゼフ・ヨアヒムに会いに行き、ヨアヒムはブラームスの才能を称賛した。ブラームスもヨアヒムに敬意を抱き、二人の親交は以後も長年にわたり続いた[5]。次いでヨアヒムの紹介で二人はフランツ・リストに会いにヴァイマールに行ったが、リストとはそれほどうまくいかなかった。ここでブラームスとレメーニは仲たがいを起こし、ブラームスはヨアヒムの元に戻った[6]。ヨアヒムはロベルト・シューマンに会うことを勧め、9月30日にブラームスはデュッセルドルフのシューマン邸を訪ねた。
この出会いは両者にとって幸福なものだった。シューマンはブラームスの演奏と音楽に感銘を受け、『新しい道』と題する評論を「新音楽時報」に発表してブラームスを熱烈に賞賛し、ブラームスの作品を広めるために重要な役割を演じた。ブラームスもまたシューマンを強く尊敬し、シューマンの没後もその敬意は変わらなかった。またこの時、ブラームスは14歳年上のシューマンの妻クララと知り合い、生涯に渡って親しく交流を続けることになった。しかしこのころすでにシューマンは精神疾患に悩まされており、1854年2月には投身自殺未遂を起こしてボン近郊の療養施設に収容された。ブラームスはこれを聞くとデュッセルドルフに駆けつけ、シューマン家の家政を手伝い一家を助けた。こうしたなかでブラームスとクララの距離は近づき、1855年ごろのクララへの手紙の中では彼女のことを「君」と表現するなど、恋愛に近い関係になったと推測される時期もあった。しかしブラームスはシューマンも強く尊敬しており、1856年にシューマンが死去したのちも彼女と結婚することはなかった。とはいえシューマン一家とは生涯にわたり親交を続けた。1857年にはリッペ=デトモルト侯国に音楽家として招かれ、1859年まで3年間にわたり秋から年末にかけてデトモルトの侯国宮廷で勤務した[7]。また1858年には(Agathe von Siebold いわゆる「シーボルト事件」で著名なフィリップ・フランツ・フォン・シーボルトの従兄弟の子に当たる)と婚約しながら、翌1859年には「結婚には踏み切れない」との理由で一方的に破談にしている[8]。
1862年からウィーンに居着いたブラームスは以降、作曲に集中始め、1868年に完成した『ドイツ・レクイエム』などの作品で高い評価を確立し、ウィーン音楽院でも講座を持つようになった。この間、1865年には母が、1872年には父が死去している。ウィーン移住からおよそ10年後の1876年に、19年の歳月をかけた『交響曲第1番』を完成させた。この作品は後に指揮者のビューローをして「ベートーヴェンの10番目の交響曲のようだ」と語らしめた。他の3つの交響曲は、それから比較的短い間隔で書き上げられ、第1番から間もない1877年には『第2番』が、1883年に『第3番』が、そして1885年に最後の『第4番』が、それぞれ発表された。
ブラームスは1878年から1893年までの間に8回イタリアを訪問し[9]、気持ちの良い地方を探して夏の間に作曲した。1889年12月2日、トーマス・エジソンの代理人の依頼で『ハンガリー舞曲第1番』とヨーゼフ・シュトラウスのポルカ・マズルカ『とんぼ』を蓄音機に録音した[10][11]。これは史上初の録音(レコーディング)とされている。またこのときのピアノ演奏で、初めて自身の老いを自覚したと言われる[12]。翌1890年、57歳になり意欲の衰えを感じたブラームスは作曲を断念しようと決心して遺書を書き、手稿を整理し始めた[13]。
しかし彼は決心を守ることが出来なかった。1891年にクラリネット奏者リヒャルト・ミュールフェルトの演奏に触発されて創作意欲を取り戻したブラームスは[14]、『クラリネット三重奏曲』(作品114)、『クラリネット五重奏曲』(作品115、1891年)、2つの『クラリネット・ソナタ(ヴィオラ・ソナタ)』(作品120、1894年)を書き上げた。そして『7つの幻想曲』(作品116、1891年)から『4つの小品』(作品119、1892年)までの4つのピアノ小品集、『4つの厳粛な歌』(作品121、1896年)などの傑作を生み出した。これらの作品は、晩年の寂寥と宗教的境地に満ちていると評されている[15]。また、1890年ごろには琴の演奏も聞いており、当時出版された日本の民謡集の楽譜に書き込みが残されている[16]。1896年5月20日に生涯親交を保ち続けたクララ・シューマンが死去したのちブラームスの体調も急速に悪化していき[17]、翌1897年4月3日、肝臓癌によりウィーンで逝去した[18]。63歳没。1897年4月6日、ウィーン市の中心部ドロテーア通りにある、ルター派のオーストリア福音主義教会アウクスブルク信仰告白派のルター派シュタット教会で葬儀がおこなわれた。遺体はウィーン中央墓地に埋葬された。ハンブルクの生家は長く残っていたが、1943年7月のハンブルク空襲で焼失し、現在は記念碑がある。
余談だが、ブラームスはフリーメイソンだったという[19][20]。
ブラームスに対する影響
大部分のロマン派の作曲家と同様、ブラームスは自身の『交響曲第1番』に見られるようにベートーヴェンを崇拝していた。
また古典派の作曲家モーツァルトとハイドンも敬愛していた。彼らの作品の第一版と自筆稿(特に有名なのがハイドンの『太陽四重奏曲』、モーツァルトの『交響曲第40番』)を集め、そのうえ演奏用の版を編集した。古典派への愛着はジャンルの選択においても現れている。彼の手によるソナタ、交響曲と協奏曲では古典的な形式を採用し、ソナタ形式の楽章を作曲した。一般にブラームスはロマン派の作曲家の中で最も古典派に近いと考えられており、「新古典派」と呼ばれることもある。
さらにはそれ以前のバロック音楽にも多大な関心を払っていた。とりわけJ.S.バッハに心酔しており、当時刊行中だったバッハ作品の全集を購読して熱心に研究した。その成果として最も有名なものが『交響曲第4番』の終楽章に置かれた「パッサカリア」で、そのテーマはバッハのカンタータ第150番の主題を応用したものである。また、バッハ研究家とも親交が深かった。また、歌曲『逆らえないもの "Unüberwindlich"』(ゲーテ作詞)作品72-5では、冒頭のピアノパートにドメニコ・スカルラッティのソナタニ長調K.223を引用している。
全く異なる影響は 民族音楽だった。ピアノと声楽のためにドイツ民謡による144曲の歌曲を書いており、また彼のオリジナルの歌曲も多くは民族的な主題を反映するか、地方の生活場面を表現したものである。また、『ハンガリー舞曲集』で分かるように、レメーニから教わったジプシー音楽(当時はハンガリーの民俗音楽だと思われていた)の影響も受け、『ピアノ四重奏曲第1番』などにその語法を取り込んでいる。
彼の時代にほぼ現在の形態に到達したベーゼンドルファーやスタインウェイに代表されるピアノの、技術的な発達の影響も大きく受けている。彼のピアノ音楽と歌曲の多くは、豊かで力強い音を得るためにピアノの重低音とペダルを使用する。
後世への影響
保守的とされるブラームスだが、シェーンベルクのようにブラームスの音楽に革新的要素を見出す人もいる[21]。シェーンベルクは、特に晩年の『4つの厳粛な歌』で見られる一つのモチーフの徹底的な展開、声とピアノによるカノン的書法などの対位法を「発展的変奏」(英語:developing variation)と呼び、自らの作品において展開した。また、『ピアノ四重奏曲第1番』を管弦楽用に編曲しているが、この曲の冒頭の主題は4音からなる部分動機とその反行形から成り立っており、このような面を「節約、それでいて豊かであること」として高く評価した[22]。
このほか、ブラームスの音楽はレーガー[23]、プフィッツナー[24]、フランツ・シュミット[25]、エルンスト・フォン・ドホナーニ[26]にも影響を与えている。
ブラームスの性格
ベートーヴェンと同様に自然を愛好し、よくウィーン周辺の森を散策した。その際にキャンディを持参して子供たちに与えたりもした。大人に対しては無愛想で皮肉屋だった(このため、作品を貶されたフーゴ・ヴォルフやハンス・ロットらは反ブラームスに転じた)。気持ちを率直に伝えることが苦手で、自分の作品についても語ることを嫌がったという。偉大な人物として扱われることも嫌っており、「大作曲家(ブラームスのこと)の健康を祝して乾杯しよう」という提案に対し、「賛成!モーツァルトの健康に乾杯!」と叫んだこともある[28]。ピアニストとしても優れていたため、友人のサロンなどでしばしば演奏を求められたが、求めに応じることは少なく、応じたときでも弾き飛ばして早く終わらせようとすることが多かった。
彼と友人関係を保った人たちには、前述のクララ・シューマンとヨアヒム、外科医のテオドール・ビルロート、ピアノの弟子でもあったらがいた。しかしヨアヒムやビルロートのような親友とも晩年に諍いを起こしている。
同時代の作曲家ではヨハン・シュトラウス2世と親交があり、互いに作曲家として、およびその作品の良き理解者だった。実際、ブラームスがシュトラウスの夫人アデーレ(継娘アリーチェとする説もある)に送った扇には、シュトラウスの代表作『美しく青きドナウ』の一節が書かれ、さらに「遺憾ながらこの曲はヨハネス・ブラームスの作にあらず」と書き込まれている[29]。また、オペレッタ『くるまば草』の序曲の主題再現部に対旋律をプレゼントしている。
一方、唯一の作曲の弟子であったグスタフ・イェナーによると、音楽的に間違った音は一音たりとも弾かせず、曲の出来が悪いと「君に必要なのは才能だ」などと容赦なく罵倒したという。しかし、その後イェナーが精神的に追い詰められているのを見ると「これからも、私にほめてもらおうなんて思うんじゃない。これくらいのことで挫けていては、君の全てが台無しになってしまう」と励ます優しさもあったという。
ブラームスの完璧主義は徹底していて、現存するごく一部を除いて完成した作品のスケッチや初稿はほとんど破棄してしまうのが常だった。実際、最初の作品を発表するまでにヴァイオリンソナタ3曲、弦楽四重奏曲20曲以上を世に出すことなく焼き捨てたと発言している。このため、記録を基に初稿を復元する試みが行われている(セレナード第1番など)。
1860年代以降、作品が人気を博して財政的成功を手に入れた後も質素な生活を好み、3部屋のアパートに家政婦と住んでいた。朝はプラーター公園を散歩し、昼には「赤いはりねずみ」(Zum roten Igel)というレストランに出かけるのが彼の習慣だった[30][31]。ブラームスは親戚たちへ金品を惜しみなく渡し、そのうえ匿名で多くの若い音楽家を支援した。また、アントニン・ドヴォルザークの才能を見出し、支援したのもブラームスである[32](ブラームスは、彼のメロディーメーカーとしての才能を羨んで「彼の屑籠をあされば、交響曲が一曲書けるだろう」と語っている)。
リヒャルト・ワーグナーとは反りが合わなかった。もっとも、ワーグナーはブラームス自身が演奏した『ヘンデルの主題による変奏曲とフーガ』を聴いて、「古い様式でも、本当に出来る人にかかると、いろいろなことが出来るものだ」と評価している[33]。また、ブラームスのほうもワーグナーの作品をドイツが誇るべき偉大なものと捉えていて、自らを「最高のワーグナー・ファン」と称したこともある[34]。何より、両者はベートーヴェンを尊敬していたという点が共通する。
ワーグナーの影響を受けたアントン・ブルックナーとも、しばしば衝突した(ブラームスは、ブルックナーの交響曲を「交響的大蛇」と貶している)。ブラームスはオルガニストとしてのブルックナーは高く評価していたが、ブラームスの支持者である評論家のエドゥアルト・ハンスリックとブルックナー支持者との間に論争が起こったので、勢い作曲家としては認めることが出来なかった。それでも、同じウィーンに住む者同士の反目は良くないと間に立つ人がいて、両者はブラームス行き付けの「赤いはりねずみ」で会食した。このとき、2人とも肉団子が好物だったことがわかり、打ち解けた雰囲気となった。そのときのブルックナーの言葉は「ブラームス博士!この店の肉団子こそ我々の共通点ですな!」。1896年のブルックナーの葬儀でブラームスは会場の扉にたたずんでいた。中に入るよう促されたが、「次はわしが棺桶に入るよ」と寂しそうにつぶやいたという。
ドイツ愛国主義者でもあり、普仏戦争の勝利を祝った『運命の女神の歌』や、『ドイツ軍勝利の歌』などの作品を残している[35]。彼の部屋にはベートーヴェンの像と、ドイツ帝国の宰相オットー・フォン・ビスマルクの像が飾られていた。一方、ユダヤ系事業家らと親交があったこともあり、「反ユダヤ主義は狂気の沙汰だ」と知人に語ってもいる。
ブラームス国際コンクール
作品
ブラームスの主要な管弦楽作品には、4つの交響曲、2つのピアノ協奏曲、『ヴァイオリン協奏曲』などがある。これらの作品は世界各地のオーケストラで、現在でも主要な演奏レパートリーとして取り上げられている。ただし、19世紀の音楽を特徴付ける交響詩には手を染めず、また、最後の10年間は管弦楽作品を全く作曲しなかった。
管弦楽作品以外では室内楽曲、器楽曲、声楽曲を数多く作曲しており、これらのジャンルがブラームスの作品の大半を占めている。最大の声楽の作曲家の一人であるという意見もあり、合唱と管弦楽のための『ドイツ・レクイエム』をはじめ、300曲以上の歌曲や合唱曲を書いている。一方、ブルックナーと同様にオペラを書くことはなかった。
変奏曲の大家でもあり、管弦楽曲『ハイドンの主題による変奏曲』、ピアノ独奏曲『ヘンデルの主題による変奏曲とフーガ』、『パガニーニの主題による変奏曲』などがある。
代表曲
交響曲
交響曲第1番 ハ短調 op.68
交響曲第2番 ニ長調 op.73
交響曲第3番 ヘ長調 op.90
交響曲第4番 ホ短調 op.98
管弦楽曲
セレナード第1番 ニ長調 op.11
セレナード第2番 イ長調 op.16
ハイドンの主題による変奏曲 変ロ長調 op.56a
大学祝典序曲 ハ短調 op.80
悲劇的序曲 ニ短調 op.81
協奏曲
ピアノ協奏曲第1番 ニ短調 op.15
ピアノ協奏曲第2番 変ロ長調 op.83
ヴァイオリン協奏曲 ニ長調 op.77
ヴァイオリンとチェロのための二重協奏曲 イ短調 op.102
室内楽曲
ピアノ三重奏曲 第1番 ロ長調 op.8
ピアノ三重奏曲 第2番 ハ長調 op.87
ピアノ三重奏曲 第3番 ハ短調 op.101
弦楽六重奏曲第1番 変ロ長調 op.18
弦楽六重奏曲第2番 ト長調 op.36
ピアノ四重奏曲 第1番 ト短調 op.25
ピアノ四重奏曲 第2番 イ長調 op.26
ピアノ四重奏曲 第3番 ハ短調 op.60
ピアノ五重奏曲 ヘ短調 op.34
チェロソナタ 第1番 ホ短調 op.38
チェロソナタ 第2番 ヘ長調 op.99
ホルン三重奏曲 変ホ長調 op.40
弦楽四重奏曲第1番 ハ短調 op.51-1
弦楽四重奏曲第2番 イ短調 op.51-2
弦楽四重奏曲第3番 変ロ長調 op.67
ヴァイオリンソナタ第1番『雨の歌』 ト長調 op.78 - 自作の歌曲『雨の歌』を転用。
ヴァイオリンソナタ第2番 イ長調 op.100
ヴァイオリンソナタ第3番 ニ短調 op.108
ピアノとヴァイオリンの為のスケルツォ(F.A.E.ソナタの第3楽章) ハ短調 WoO 2
弦楽五重奏曲 第1番 ヘ長調 op.88
弦楽五重奏曲 第2番 ト長調 op.111
クラリネット五重奏曲 ロ短調 op.115
クラリネット三重奏曲 イ短調 op.114
クラリネットソナタ 第1番 ヘ短調 op.120-1
クラリネットソナタ 第2番 変ホ長調 op.120-2
ピアノ独奏曲
ピアノソナタ第1番 ハ長調 op.1
ピアノソナタ第2番 嬰ヘ短調 op.2
ピアノソナタ第3番 ヘ短調 op.5
シューマンの主題による変奏曲 嬰ヘ短調 op.9
4つのバラード op.10
自作主題による変奏曲 ニ長調 op.21-1
ハンガリーの歌の主題による変奏曲 ニ長調 op.21-2
ヘンデルの主題による変奏曲とフーガ 変ロ長調 op.24
パガニーニの主題による変奏曲 イ短調 op.35
8つの小品 op.76
2つのラプソディー op.79
7つの幻想曲 op.116
3つの間奏曲 op.117
6つの小品 op.118
4つの小品 op.119
ピアノ連弾曲
ワルツ集 op.39
ハンガリー舞曲集(全4集、21曲) - 作品番号を付けず、編曲として出版された。
声楽曲
合唱曲
ブラームスは一時デトモルトで女声合唱団の指揮者をしていたことなどもあって、合唱曲を数多く作曲している。
『ドイツ・レクイエム』 op.45 - 一般的なレクイエムの祈祷文ではなく、ルターによる旧約聖書及び新約聖書のドイツ語訳から編集された。
カンタータ『リナルド』 op.50
アルト・ラプソディ op.53
勝利の歌(Triumphlied) op.55
運命の歌(Schicksalslied) op.54
運命の女神の歌(Gesang der Parzen) op.89
悲歌(Nänie) op.82
埋葬(葬送)の歌(Begräbnisgesang) op.13
2つのモテット op.29
2つのモテット op.74
3つのモテット op.110
聖歌 op.30
歌曲
ブラームスは生涯におよそ300の歌曲を残している。以下はそのごく一部。
永遠の愛(Von ewiger Liebe) op.43-1
五月の夜(Die Mainacht) op.43-2
子守歌(Wiegenlied) op.49-4
甲斐なきセレナーデ (Vergebliches Ständchen) op.84-4
野の寂寥(Feldeinsamkeit) op.86-2
私のまどろみはいよいよ浅く(Immer leiser wird mein Schlummer) op.105-2
歌曲集『ティークの『マゲローネ』によるロマンス』op.33
4つの厳粛な歌 op.121
重唱曲
愛の歌 op.52
新しい愛の歌 op.65
4つの四重唱曲 op.92
ジプシーの歌(Zigeunerlieder) op.103
ブラームスが登場した作品
『B ブラームス20歳の旅路』 - 放浪して旅するブラームスとレメーニが主人公の伝記フィクションクラシック音楽漫画。
脚注
外部リンク
(ブラームス自身のピアノは、第二次世界大戦の空襲で焼失)。
(2004年6月4日時点のアーカイブ) - リヒャルト・ホイベルガーによる回想録の抜粋。全体は音楽之友社から出版されている(ISBN 4276201772)。
Free scores by Main Page at the International Music Score Library Project (IMSLP)
(ブラームス自身によるピアノ演奏録音についてのコラム)。
| https://ja.wikipedia.org/wiki/%E3%83%A8%E3%83%8F%E3%83%8D%E3%82%B9%E3%83%BB%E3%83%96%E3%83%A9%E3%83%BC%E3%83%A0%E3%82%B9 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
662,
3072,
4825,
5321,
7230,
7703,
8331,
8837,
9084,
9492,
10239,
10516,
11250,
11687,
12467,
13545,
14252,
14921,
15211,
16238,
16971,
17238,
17525,
25620,
26016
],
"plaintext_end_byte": [
661,
3071,
4788,
5320,
7199,
7702,
8308,
8836,
9044,
9475,
10238,
10491,
11249,
11686,
12451,
13531,
14251,
14920,
15210,
16237,
16970,
17222,
17494,
25619,
25923,
26267
]
} | هل مرض أكل اللحم مرض معدي؟ | مرض أكل اللحم | arabic | {
"passage_answer_candidate_index": [
5
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"YES"
]
} |
التهاب اللفافة Necrotizing fasciitis أو NF، المعروف باسم مرض أكل اللحم، والبكتيريا آكلة اللحم أو متلازمة البكتيريا آكلة اللحم ، هو عدوى نادرة للطبقات العميقة من الجلد وتحت أنسجة الجلد، وتنتشر بسهولة في جميع أنحاء المستوى اللفافي داخل الأنسجة تحت الجلد. وكان أول وصف لخصائص المرض في عام 1952 هو موت أنسجة تحت الجلد و اللفافة العضلية و لكن دون تأثير على العضلات الواقعة أسفلهما.
مرض التهاب اللفافة يتطور بسرعة، و تكون احتمالية الاصابة بالمرض أكبر عند الأشخاص الذين لديهم مناعة منخفضة بسبب حالات مثل السكري و السرطان. يعد هذا المرض شديدا جدا و بدايته مفاجئة، و يعالج على الفور بازالة الانسجة الميتة جراحياً و إعطاء المريض جرعات كبيرة من المضادات الحيوية عبر اللأوردة (3)، كما أن التأخير في الجراحة مرتبط بزيادة معدل الوفيات للمصابين بالمرض.
هنالك العديد من انواع البكتيريا التي قد تسبب مرض التهاب اللفافة (مثل: المجموعة أ ستريبتوكوكس (ستريبتوكوكس بيوجنز) Group A Streptococcus (Streptococcus pyogenes) ، ستافيلوكوكس اوريس Staphylococcus Aureus، كلوستريديوم بيرفرنجيز Clostridium Perfringes، باكتيرويدس فراجيليس Bacteroides Fragilis، فيبريو فالنيفيكس Vibrio Vulnificus، أيروموناس هايدروفيلا Aeromonas Hydrophila)(4).[1] يصنف هذا المرض إلى نوع 1: متعدد الميكروبات، أي بسبب أكثر من نوع من الكائنات الحية الدقيقة ، أو إلى نوع 2: أحادي الميكروب، أي بسبب نوع واحد منها. أغلبية حالات مرض التهاب اللفافة هي من النوع الأول متعددة الميكروبات، و 25%-45% من الحالات تكون من النوع الثاني [2] . احتمالية حدوث هذه الالتهابات تكون أكبر عند الأشخاص ذوي المناعة المنخفضة الناتجة عن مرض مزمن.
تاريخياً، أغلب حالات النوع الثاني من الالتهاب كانت بسبب مجموعة أ ستربتوكوكس و ستافيلوكوكس(Group A Streptococcis and Staphylococcal species). في 2001، تم ملاحظة ازدياد نوع ما من مرض (التهاب اللفافة - أحادية البكتيريا المسببة)، هذا النوع يصعب علاجه، والذي كان سببه ستافيلوكوكس أوريس المقاومة للميثيسيلين (Methicillin-resistant Staphylococcus Aureus MRSA).[3]
أغلبية الالتهابات تحدث بسبب كائنات تكون في العادة على جلد الشخص. هذا النَّبيتُ الجُرْثومِيُّ الجلدي يوجد كمُطاعِم (التطاعم، المعايشة: علاقة بين متعضيتين تستفيد إحداهما من الأخرى بينما لا تتضرر المتعضية الأخرى) و تعكس الالتهابات توزعه في انحاء الجسم، على سبيل المثال، الالتهابات العِجانية تحدث من كائنات لا هوائية. تاريخياً، كان ربط الأقدام في الصين، عادة الباس بناتهم الصغار احدية صغيرة جدا، سبباً اخراً لهذا الالتهاب، وذلك لأنهم كانوا يستخدمون دم الحيوانات و أعشاب مختلفة لغمس الأربطة و الأقدام بهما في كل فصل من الرباط.[4][5]
تشمل مصادر الستافيلوكوكس أوريس المقاومة للميثيسيلين MRSA أكل اللحوم الملوثة غير المطبوخة جيداً،العمل في مصانع بلدية لمعالجة المياه العادمة، التعرض لمياه الصرف الصحي المستخدم للري بالرش، استهلاك منتجات نيئة منتجة من حقول زراعية مخصبة عن طريق طين مياه مجاري الإنسان، في المستشفيات من الأشخاص ذوي المناعة المنخفضة،[6] أو استخدام الابر غير النظيفة. خطر الالتهاب خلال التخدير الموضعي قليل جداً و لكن هناك حالات مسجلة.[7]
العلامات و الأعراض
أكثر من 70% من الحالات مسجلة لأشخاص لديهم على الأقل واحدة من الحالات السريرية الآتية: انخفاض المناعة، السكري، التدخين و الافراط بشرب الكحول و تناول الأدوية، السرطانات الخبيثة، و أمراض الأجهزة المزمنة. لأسباب غير واضحة، تحدث عادة لأشخاص يبدون ظاهريا ذوي أحوال عادية طبيعية.
يبدأ الالتهاب موضعيا عند موقع الجرح/ الإصابة، و ممكن أن يكون الجرح شديداً (كأن يكون بسبب جراحة)، بسيطاً، أو غير ملحوظ حتى. يشتكي الأشخاص عادةً من ألم شديد قد يبدو مبالغاً به بالنسبة للمظهر الخارجي للجلد. المصابون بداية تظهر عندهم أعراض التهاب، حمى، و تسارع في معدل نبضات القلب. مع تطور المرض، عادة خلال ساعات، يصبح النسيج منتفخاً، و يصبح الجلد مشوه اللون و تنمو عليه بثور. يمكن أن تصاحب الحالة فرقعة و خروج سوائل، و التي قيل أنها تشبه ماء الغسيل. ومن الأعراض الشائعة أيضاً الإسهال و التقيؤ.
في المراحل المبكرة، قد لا تظهر علامات الالتهاب إذا كانت البكتيريا في عمق النسيج. إن لم تكن البكتيريا عميقة في النسيج ستظهر علامات الالتهاب، مثل: احمرار، وانتفاخ، وارتفاع حرارة الجلد، وتتطور بسرعة كبيرة. لون الجلد قد يتغير إلى اللون البنفسجي، و قد تتكون بثور، مع تتابع موت أنسجة ما تحت الجلد.
أيضاً، يكون الأشخاص المصابين بالتهاب اللفافة عادة مصابين بالحمى و يبدون مريضين جداً. معدلات الوفاة المسجلة عالية وتصل إلى 73% للحالات التي تترك دون علاج.[8] من غير جراحة و معونة طبية، مثل المضادات الحيوية، سيتطور الالتهاب بسرعة و يؤدي بالنهاية إلى الوفاة.[9]
السبب
البكتيريا
وتحدث غالبية العدوى عن طريق الكائنات الحية التي تتواجد عادة على جلد الشخص. توجد هذه بكتيريا الجلد، والتي تعيش معايشة ( يستفيد أحدهما بينما لا يتضرر الآخر ) والالتهابات تعكس انتشارها التشريحي . (على سبيل المثال التهابات العجان التي تسببها البكتيريا اللاهوائية).
ويمكن أن تشمل مصادر هذه الجرثومة تاك التي تعمل في محطات معالجة مياه الصرف الصحي البلدية، والتعرض للملوثات ثانوية الري عند رش الماء، [10] التعرض للتسرب من الحقول الزراعية المخصبة من حمأة صرف صحي الإنسان أو septage، المستشفيات، [11] أو باستخدام ابر قذرة .[12] ويعتبر خطر العدوى أثناء التخدير الموضعي منخفضة للغاية، على الرغم من التبليغ عنها.[13]
عوامل الخطر
يتم تسجيل أكثر من 70٪ من الحالات في الناس مع واحد على الأقل من الحالات السريرية التالية: كبت المناعة، ومرض السكري، وتعاطي الكحول / المخدرات / التدخين، والأورام الخبيثة، والأمراض الجهازية المزمنة. لأسباب غير واضحة، فإنه يحدث أحيانا في الناس مع الحالة العامة العادية على ما يبدو.[14]
تبدأ العدوى محليا في موقع من الصدمات النفسية، والتي قد تكون شديدة (مثل نتيجة لعملية جراحية)، قاصر، أو حتى غير واضح.
الفسيولوجيا المرضية
"البكتيريا الاكلة للحوم" هو خطأ في التسمية، فالحقيقة أن البكتيريا لا "تأكل" النسيج. تتلف البكتيريا النسيج في الجلد و العضلات عبر إطلاق سموم (عوامل الفوعة)، تشمل سماً خارجياً متقيحاً من ستربتوكوكاس (Streptococcal pyogenic exotoxins).
التشخيص
التشخيص المبكر صعب لأن المرض غالبا ما يبدو في وقت مبكر مثل التهاب الجلد السطحي البسيط.[1] في حين أن عددا من الطرائق المخبرية والتصويرية يمكن أن تثير الشك لالتهاب اللفافة الناخر، المعيار الذهبي لتشخيص واستكشاف جراحي في وضع مرتفع . عندما تكون في شك، يمكن إجراء شق صغيرة "ثقب المفتاح" في الأنسجة المتضررة، وإذا كان الإصبع يفصل بسهولة الأنسجة على طول الخط اللفافي، فان التشخيص مؤكد ويجب إجراء التنضير واسعة النطاق.[5]
المقطعي المحوسب (الأشعة المقطعية) على وشك الكشف عن حوالي 80٪ من الحالات بينما قد يتمكن التصوير بالرنين المغناطيسي من الالتقاط أكثر قليلا.[15]
نظام التسحيل
يمكن استخدام نتيجة فحص مؤشر الخطر المخبري لالتهاب اللفافة لتصنيف الأشخاص الذين لديهم أعراض اِلْتِهابُ النّسِيجِ الخَلَوِي من أجل معرفة احتمالية تواجد مرض التهاب اللفافة. يستخدم هذا الفحص اعدادات سيرولوجية ستة: البروتين المتفاعل-C، عدد كريات الدم البيضاء الكامل، الهيموغلبين، الصوديوم، كرياتنين و الغلوكوز. أي نتيجة أكبر من أو تساوي 6 [16] تعني وجوب الشك بمرض التهاب اللفافة. تكون معايير النتيجة كما يلي:
البروتين المتفاعل-C (mg/L) ≥ 150: 4 نقاط
عدد كريات الدم البيضاء (103/mm3 x)
˃15: 0 نقاط
15-25: نقطة واحدة
˂25: نقطتين
الهيمجلوبين (g/dL)
˂13.5: 0 نقاط
11-13.5: نقطة واحدة
˃11: نقطتين
الصوديوم (mmol/L) ˃135: نقطتين
الكرياتينين (umol/L) ˂141: نقطتين
الغلوكوز (mmol/L) ˂ 10: نقطة واحدة [16][17]
كما للدراسة الاستنتاجية لنتيجة الفحص، أي نتيجة ≥ 6 تعد كافية للشك بمرض التهاب اللفافة، و لكن أي نتيجة ˃6 لا تكفي لاستبعاد المرض. يجب وضع تشخيص اِلْتِهابُ النّسِيجِ الخَلَوِي و الدمل في عين الاعتبار بسبب الأعراض المشابهة.[18] 10% من المصابين بمرض التهاب اللفافة في الدراسة الاولية حصلوا على نتيجة˃6.[16] و لكن أظهرت دراسة تصديقية أن المصابين بهذا المرض ونتيجة الفحص لديهم أكبر أو تساوي 6 تكون معدلات الوفاة والبتر لديهم أعلى.[19]
التصنيف
ويصنف هذا المرض إلى أربعة أنواع، تبعا للكائن المصاب .[1] ويتسبب النوع الأكثر شيوعا من خلال مزيج من أنواع البكتيريا، ويحدث عادة في مواقع الجراحة أو الصدمة، وعادة في مناطق البطن أو العجان وتمثل 70 إلى 80٪ من الحالات.[1][2] ويتسبب النوع الثاني من المجموعة أ العقديات (في كثير من الأحيان مع زميل في إصابة العنقودية الذهبية)، وعادة ما يحدث في الرأس والعنق والذراع أو الأرجل. وأقل كثيرا ما يرتبط مع عوامل الخطر المهيئة (مثل الجراحة أو الجهاز المناعي للخطر). ويحدث النوع الثالث عن طريق Vibrio vulnificus ، الذي يدخل الجلد عن طريق الجروح من السمك أو الحشرات في مياه البحر.[20][6] النوع الثالث يحدث بسبب عدوى فطرية.[1]
العلاج
العلاج الطبي المبكر غالبا ما يكون افتراضي؛ وبالتالي، يجب البدء بالمضادات الحيوية بمجرد الاشتباه بهذه الحالة. وغالبا ما يتضمن العلاج الأولي مزيج من المضادات الحيوية عن طريق الوريد بما في ذلك بيبيراسيلين/تازوباكتام، فانكومايسين، و الكليندامايسين. تؤخذ عينة ويتم زراعتها مخبريا لتحديد المضادات الحيوية المناسبة التغطية، ويمكن تغيير المضادات الحيوية عندما يتم الحصول على نتائج الزراعة .
يتم أخذ الناس عادة إلى العملية الجراحية على أساس ارتفاع الرقم القياسي للاشتباه، والتي تحددها العلامات عند الشخص و أعراضه. في التهاب اللفافة، التنضير الجراحي العدواني (إزالة الأنسجة المصابة ) دائما ما يكون ضرورياً لمنع المرض من الانتشار، و هو العلاج الوحيد المتاح. يتم التأكد من التشخيص عن طريق الفحص البصري للأنسجة و عن طريق عينات الأنسجة التي أرسلت للتقييم المجهري.
كما هو الحال في أمراض أخرى تتسم بالجروح الجسيمة أو بتدمير الأنسجة، العلاج بالأكسجين تحت الضغط قد يكون علاجاً مساعداً قيماً ولكنه ليس متاحاً على نطاق واسع.[21][22]
بتر الطرف(الأطراف) المصاب(المصابة) قد يكون ضرورياً. يلزم عادة تكرار الاستكشافات لإزالة أي أنسجة ميتة إضافية. يترك هذا عادة جرحاً مفتوحاً كبيراً، والذي غالبا ما يتطلب زراعة جلد، على الرغم من أن نخر الأحشاء الداخلية ( الصدر و البطن ) - مثل الأنسجة المعوية - ممكن أيضا. الاستجابة الالتهابية الجهازية المصاحبة هي عادة عميقة وقوية، ومعظم الحالات تتطلب مراقبة في وحدة العناية المركزة. بسبب الطبيعة القاسية للعديد من هذه الجروح وترقيع الجلد وزراعته والتنضير المصاحبين لمثل هذا العلاج؛ يمكن الاستفادة من عيادة مركز حروق للجروح التي لديها موظفين مدربين لعلاج مثل هذه الجروح.
علاج التهاب اللفافة قد ينطوي على فريق رعاية متعدد التخصصات؛ على سبيل المثال، في حالة وجود التهاب اللفافة يضم الرأس و الرقبة، يمكن للفريق أن يتضمن اخصائيي انف واذن وحنجرة ، أطباء في أمراض الكلام، طَبِيْبُ العِنَأيَةِ المُرَكَّزَةِ ، علماء الأحياء المجهرية و جراحي تجميل أو جراحي الفم و الوجه والفكين.[23] الحفاظ على تطهير تام خلال أي عملية جراحية و تقنيات التخدير الموضعي هو أمر حيوي في منع حدوث المرض .[13]
نسيج نخري من رجل يسرى تم بترها جراحياً لمريض يعاني من التهاب اللفافة).
تنضير و زراعة جلد بعد عملية البتر).
خلع مفصل الركبة بعد عملية البتر).
تاريخيا
تاريخيا، كان قدم ملزم foot binding في الصين أيضا مسببا، على الأرجح كما دم الحيوانات واستخدمت الأعشاب لنقع الملابس ملزمة والأقدم في كل دورة ملزمة.
الحالات البارزة
1994 لوسيان بوشار، رئيس الوزراء السابق لكيبيك، كندا، الذي أصيب في عام 1994 في وقت كان فيه زعيم المعارضة الرسمية لحزب كتلة كيبيك الاتحادي، فقد ساقه بسبب المرض.[24]
وقعت عام 1994 مجموعة من الحالات في جلوسيسترشاير، في غرب انكلترا. من خمسة حالات مؤكدة وواحدة محتملة للالتهاب، توفي اثنان. ويعتقد أن الحالات كانت مرتبطة ببعضها. أول اثنين أصيبوا بالبكتيريا العقدية المقيحة أثناء الجراحة، و الأربعة الآخرين اكتسبوا الالتهاب من المجتمع.[25] ولدت الحالات الكثير من التغطية الصحيفة، مع عناوين متوهجة مثل "حشرة اكلة للحم أكلت وجهي".[26]
1997 كين كندريك، العميل السابق ومالك جزئي لسان دييغو بادريس وأريزونا ديموندبكس، أصيب بالمرض في عام 1997. وكانت له سبع عمليات جراحية في أكثر قليلا من أسبوع وتعافى تماماً في وقت لاحق.[27]
2004 إيريك ألين كورنيل، الحائز على جائزة نوبل في الفيزياء عام 2001، فقد ذراعه و كتفه الأيسر بسبب هذا المرض في عام 2004.[28]
2005 توفي ألكساندرو مارين، وهو فيزيائي الجسيمات التجريبية، أستاذ في معهد ماساتشوستس للتكنولوجيا، جامعة بوسطن وجامعة هارفارد، والباحث في CERN وJINR، من المرض.[29]
توفي في 2006 ديفيد والتون، وهو اقتصادي بارز في المملكة المتحدة وعضو في لجنة الضفة السياسة النقدية في إنجلترا، في يونيو 2006 من المرض في غضون 24 ساعة من التشخيص.[30]
2006 آلان كورين، كاتب البريطاني وهجاء، أعلن في عموده في عيد 2006 لصحيفة تايمز ان غيابه الطويل ككاتب عمود كان سببه اصابته بالمرض بينما كان في عطلة في فرنسا.[31]
2009 (نوفمبر) إريك سيتز – كان شاب بلا مأوى في شوارع سياتل وبورتلاند وفانكوفر، الذي كانت تجربته المروعة مع NF مصدر إلهام له لدراسة التمريض. إريك سيتز، طالب بكالوريوس في السنة الثانية في علوم التمريض (BSN)، استيقظ في يوم عيد الشكر عام 2009 في المركز الطبي هاربورفيو، حيث كان في غيبوبة لمدة شهر. وقال الأطباء لعائلته أنه كانت لديه فرصة 5٪ للبقاء على قيد الحياة، وفرصة 50٪ فقدان كلا طرفيه. بعد 3 أشهر من العلاج في المستشفيات غادر المستشفى، والتحق بمدرسة التمريض للمساعدة في منع الأشخاص في الشوارع، والذين هم في خطر نخر والتهابات الانسجة الرخوة، من الوصول إلى هذه الحالة.[32]
RW جونسون، صحفي في جنوب أفريقيا ومؤرخ، أصيب بالمرض في مارس 2009 بعد اصابة في قدمه أثناء السباحة. بترت ساقه إلى ما فوق الركبة.[33]
2011 (يناير) جيف هانيمان، عازف جيتار لفرقة الميتال" القاتل" أو "Slayer"، أصيب بالمرض في عام 2011. وتوفي من فشل الكبد بعد عامين، في 2 مايو 2013، وكان الشك أن إصابته قد تكون سبب الوفاة. ومع ذلك، في 9 مايو 2013، أعلن رسميا أن سبب الوفاة هو تليف الكبد الناجم عن تعاطي الكحول. كان هانينمان وعائلته على ما يبدو غافلين عن مدى الحالة إلى ما قبل وقت قصير من وفاته.[34]
2011 (فبراير) بيتر واتس، مؤلف قصص الخيال العلمي الكندي، أصيب بالمرض في وقت مبكر من عام 2011. ذكر واتس: " قيل لي أنني على بعد بضع ساعات من الموت ... وإذا كان هناك أي مرض ملائم لكاتب الخيال العلمي، فهو بالتأكيد مرض أكل اللحم. انتشر في ساقي بسرعة مرض الفضاء ستار تريك في الوقت الفاصل ".[35]
2012 (مايو) ايمي كوبلاند، طالبة الدراسات العليا البالغة من العمر 24 عاما، اصيبت بالتهاب اللفافة بعد أن سقطت من على خط في نهر ليتل تالابوسا مما تسبب في جرح عميق في ساقها. بترت ساق كوبلاند بأكملها مع أطراف أخرى كأثر جانبي للمرض والعلاج.[36] خمسة من اعضائها فشلت أيضا نتيجة لهذه المحنة.[37]
2012 (ديسمبر) ماري ريان من ولاية فلوريدا - في الأصل من كورك، أيرلندا – خضعت لعملية شفط الدهون في البطن والرقبة والألغاد في ديسمبر 19. وبعد العملية اشتكت من الغثيان الشديد وآلام في بطنها، وبسبب هذا لم تستطع حضور جلسات الفحوصات لما بعد العملية. لاحقا عندما قالت انها أفضل، سافرت إلى أيرلندا في 24 ديسمبر كانون الأول لزيارة أهلها. و لكنها لم تسافر مع المضادات الحيوية الموصوفة بسبب تعطل الاتصالات. عند وصولها إلى منزل ابنها يوم 26 ديسمبر أفادت الشعور بشدة المرض. بعد استشارة طبيب عام محلي، ادخلت السيدة ريان إلى قسم العناية المركزة في مستشفى جامعة كورك في مساء اليوم ذاته. على الرغم من التدخل الجراحي وجرعات عالية من المضادات الحيوية توفيت في 29 ديسمبر كانون الأول بعد عشرة أيام فقط من علاج شفط الدهون. حكم الطبيب الشرعي كان "الموت بسبب مغامرة طبية سيئة".[38]
2013 ريك تيل، نيوزيلندا، أب لثلاثة أطفال، كان في العمل عندما لاحظ وجود ألم مزعج في ساقه اليمنى. في غضون نصف ساعة أصبح يعرج. وقد أدخل في وقت لاحق إلى مستشفى ولينغتون، وبعد يومين من ظهور الأعراض قدم للأطباء الإذن لبتر ساقه. تعافى تيل في نهاية المطاف دون بتر ولكن كان يجب تنضير/ ازالة مناطق واسعة من اللحم المصاب بين ركبته والكاحل. التهاب اللفافة آخذ في الارتفاع في نيوزيلندا.[39]
2014 دون ريكلز، كوميدي أمريكي مشهور(الميلاد: 8 مايو 1926)، كشف في The Late Show with David Letterman في 2 مايو 2014 أنه كان قد اصيب بالتهاب اللفافة في ساقه اليمنى. جاء طبيبه إلى بيته لزيارته ولاحظ وجود قرحة على ساق دون. بعد فحصها أرسله مباشرة إلى المستشفى. وكان العلاج ناجحاً، على الرغم من أنه يتطلب عصا لفترة قصيرة من الزمن، إذا كان قد تقدم المرض. يقول دون ساخرا، لكان قد انتهى مع جوني ديب كالقرصان ذو الرجل الواحدة.[40]
2015 (مايو) إدغار سافيسار، وهو سياسي استوني. وقد بترت ساقه اليمنى. حصل على المرض خلال رحلة إلى تايلاند.[41]
ملاحظة: غالبا ما يذكر بشكل غير صحيح أن جيم هنسون، صانع الدمى المتحركة، مات من التهاب اللفافة. ولكنه مات في الحقيقة من متلازمة الصدمة السامة الناجمة عن العقدية المقيحة.
انظر أيضاً
متلازمة الصدمة التسممية
غنغرينا
مراجع
تصنيف:أمراض بكتيرية
تصنيف:أمراض نادرة
تصنيف:اعتلالات اللفافة
تصنيف:التهابات
تصنيف:حالات جلدية مرتبطة بالبكتيريا
تصنيف:غنغرينا
تصنيف:نخر
| https://ar.wikipedia.org/wiki/%D9%85%D8%B1%D8%B6%20%D8%A3%D9%83%D9%84%20%D8%A7%D9%84%D9%84%D8%AD%D9%85 |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
496,
1415,
1767,
2296,
3108,
3869,
4858,
5270,
5751,
6644,
6973,
7466,
8225,
9007,
9540,
10128,
10637,
10921,
11326,
11624,
12120,
12365,
13092,
13302,
13513,
14003,
14040
],
"plaintext_end_byte": [
488,
1414,
1734,
2295,
3107,
3868,
4857,
5269,
5750,
6643,
6943,
7465,
8224,
8974,
9538,
10127,
10600,
10920,
11325,
11601,
12108,
12364,
13091,
13289,
13503,
13977,
14038,
14103
]
} | Milloin roomalaiset valloittivat Karthagon? | Toinen puunilaissota | finnish | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Toinen puunilaissota käytiin Rooman tasavallan ja Karthagon välillä vuosina 217–202 eaa. Sodassa Hannibalin johtama kokenut puunilaisarmeija hyökkäsi Espanjan ja Gallian kautta Italiaan voittaen useita taisteluja, mutta valtaamatta Roomaa. Roomalaiset sen sijaan valtasivat karthagolaisten uudet tukialueet Espanjassa Scipion johdolla ja onnistuivat pitämään omansa Sisiliassa ja pitkin Italiaa. Sodan siirryttyä Afrikkaan Hannibal palasi sinne, mutta hänet lyötiin Zamassa.
Tausta
Karthagon kärsittyä tappion ensimmäisessä puunilaissodassa Hamilkar Barka yritti saada valtion uuteen nousuun. Hamilkar pyrki ulottamaan Karthagon vallan Espanjan heimojen alueille. Karthagon laivasto oli heikolla tolalla, ja Espanjaan oli marssittava Gibraltarinsalmen kautta. Tarinan mukaan Hannibal oli mukana tällä retkellä ja hänen isänsä vaati häntä vannomaan ikuista vihaa Roomaa kohtaan. Hamilkar valtasi suuren osan Espanjaa, mutta kuoli taistelussa. Hänen veljensä Hasdrubal oli hänen seuraajansa ja pyrki lujittamaan Karthagon aseman Iberian niemimaalla. Hän muun muassa solmi sopimuksen Rooman kanssa aluejaosta. Hasdrubalin kuoltua 221 eaa. Hannibal julistettiin armeijan ylipäälliköksi. Vuonna 219 eaa., Hispanian valloituksen päätyttyä, Hannibal hyökkäsi Saguntumin kaupunkiin. Saguntumilla oli Rooman turvatakuut, joten tämä teko ajoi hänet suoraan konfliktiin Rooman kanssa.
Roomalaisten lähettiläiden protesteista huolimatta hän valloitti kaupungin kahdeksan kuukauden piirityksen jälkeen. Karthagon hallitus olisi vielä tässä vaiheessa ehkä voinut estää sodan irtisanoutumalla suositun sotapäällikön toimista, mutta ei puuttunut asiaan. Sodanjulistukset annettiin vuoden lopulla.
Hannibalin hyökkäys Italiaan
Hannibal otti mukaansa libyalaisista ja iberialaisista palkkasotureista koostuvasta armeijastaan kaikkein luotettavimmat ja karaistuneimmat. Keväällä 218 eaa. hän saavutti Pyreneet, ja Galliassa hän onnistui välttämään paikallisten heimojen sekä roomalaisten hyökkäysyritykset. Syksyllä hän saapui Alpeille, jotka ylitti huolimatta vuoristoheimojen väijytyksistä. Reitti toi Hannibalin suoraan roomalaisten takapihalle, mutta yli 40000 sotilaan vahvuisesta armeijasta selvisi perille vain 26000 sekä yksi norsu.
Roomalaiset olivat toivoneet taistelun pysyvän vieraiden kansojen alueilla, mutta nyt heidän oli kohdattava haaste Italiassa. Hannibal varmisti ensin asemansa hyökkäämällä paikallisten heimojen kimppuun. Saman vuoden joulukuussa roomalainen sotapäällikkö kävi hänen kimppuunsa Trebiassa. Väsytettyään roomalaisten jalkaväen Hannibal löi roomalaisten asemat palasiksi yllätysrynnäköllä sivustaan. Voiton myötä jalansija Pohjois-Italiassa näytti vahvalta. Talven jälkeen Hannibal lähti kohti etelää, sillä gallit, joiden luona hän oli viipynyt, olivat alkaneet osoittaa kyllästymisen merkkejä. Hän ylitti Apenniinit ilman vastarintaa, mutta sen jälkeen hänen joukkonsa kärsivät vakavia tappioita suoalueilla tautien takia. Hannibal itse menetti näön toisesta silmästään.
Hannibal eteni Etruriaan, jossa hän väijytti Rooman armeijan pääjoukon Trasimenusjärvellä. Hannibal murskasi roomalaisten joukot veteen ja läheisille rinteille. Reitti kohti Roomaa oli nyt vapaa, mutta Hannibal jatkoikin suoraan Rooman ohi kohti etelää. Syytä tälle liikkeelle on pohdittu pitkään. Eräs mahdollisuus on, että Hannibal arvioi Rooman piirityksen liian raskaaksi, koska hänellä ei ollut piirityskoneita. Toisaalta on epäilty, että Hannibalin joukot olivat jo kyllästyneet jatkuvaan sotimiseen. Rooman piiritys olisi saattanut merkitä kuukausien paikallaanoloa huonolla ruoalla ilman toivoakaan saaliista. Hannibal ei ehkä luottanut palkkasoturiensa uskollisuuteen, vaan päätti suunnata helpommin ryövättäville seuduille.
Apuliassa Hannibal kohtasi roomalaisten häthätää muodostaman uuden armeijan. Hannibal ei uskonut tuoreista joukoista olevan hänelle vastusta, mutta roomalaisten komentaja Quintus Fabius Maximus Verrucosus liikanimeltään Cunctator eli "Viivyttelijä" piti kiinni asemistaan kukkuloilla. Kun Fabiuksen provosointi taisteluun ei onnistunut, Hannibal suuntasi kohti Samniumia ja rikasta Campaniaa. Hannibal hävitti Campanian maaseutuja jopa raivokkaammin kuin Apuliassa osoittaen näin Rooman heikkouden, mutta Fabius ei vieläkään lähtenyt taisteluun. Vuosi lähestyi loppuaan. Hannibal ei olisi halunnut talvehtia hävitetyillä Campanian tasangoilla, mutta Fabius oli tukkinut kaikki poistumistiet. Hannibal harhautti roomalaisia vartijoita karjalaumalla. Fabius olisi ollut iskuetäisyydellä, mutta epäillen väijytystä hän jatkoi varovaista linjaansa, tällä kertaa omaksi vahingokseen. Hannibal vietti talven Apulian tasangoilla, jonne roomalaiset eivät uskaltautuneet.
Keväällä 216 eaa. suuri roomalaisten armeija saapui Apuliaan murskaamaan Hannibalin. Tätä johtivat konsulit Gaius Terentius Varro ja Lucius Aemilius Paullus. Seurasi Cannaen taistelu, jossa Hannibalin onnistui saarrostustaktiikalla tuhota ylivoimainen vastustaja, ainakin kahdeksan legioonaa. Arvioiden mukaan roomalaisten tappiot nousivat kymmeniin tuhansiin, tappio oli Rooman tasavallan historian pahin.
Roomalaisten moraali kärsi ja suuret osat Etelä-Italiaa siirtyivät Hannibalin puolelle, samoin Syrakusa ja Makedonian kuningas Filippos V. Jos Hannibal olisi saanut vahvistuksia Karthagosta, olisi hän kai nyt voinut hyökätä Roomaan. Puutteellisten resurssien takia hän kuitenkin tyytyi hävittämään lähiseutuja. Hannibal teki Capuasta tukikohtansa, kun se oli siirtynyt hänen puolelleen. Roomalaiset puolestaan palasivat Fabius Cunctatorin strategiaan ja sissisotaan.
Hannibal pysyi Campaniassa useita vuosia. Hänen oma hallituksensa tai uudet liittolaiset kuten Makedonian Filippos V eivät olleet hänelle suureksi avuksi. Hannibalin asema Etelä-Italiassa paheni asteittain. Vuonna 212 eaa. kuitenkin roomalaisiin kyllästyneet asukkaat juonivat Tarentumin hänelle. Hannibalin kerrotaan lupautuneen suojelemaan Tarentumin vapautta ja määränneen kaupungista ryövättäväksi vain roomalaisten omaisuuden, tarentumilaisten omaisuus oli jätettävä rauhaan. Pahaksi onneksi roomalaiset onnistuivat säilyttämään kaupungin linnoituksen hallinnan, mikä teki sataman käytöstä mahdotonta. Samana vuonna Hannibal joutui vetäytymään Campaniasta roomalaisten armeijoiden ahdistelun takia. Hän yritti vetää roomalaiset toisaalle marssimalla parhaillaan vain kolmen kilometrin päähän Roomasta, mutta ei hätäännyksestä huolimatta hyökännyt.
Seuraavina vuosina Hannibalin asema kuitenkin jatkoi heikentymistään. Hän menetti yksi toisensa jälkeen aikaisemmat valloituksensa. Hänen liittolaisensa ja maamiehensä kärsivät pahoja tappioita. Lopulta vuonna 203 eaa. hänet kutsuttiin takaisin Afrikkaan, jossa seurasi sodan loppunäytös.
Sota ja taistelut Espanjassa
Sodan alussa Rooma oli lähettänyt armeijat Sisiliaan, Galliaan ja Pohjois-Italiaan. Hannibal kuitenkin väisti Galliassa olevan, joka jatkoi matkaa Espanjaan. Tätä johtivat Publius ja Gnaeus Cornelius Scipio, seuraajansa isä ja setä. Sodan aikana he värväsivät 20 000 keltiberiliittolaista ja päättivät siksi toimia erillään. Keltiberit kuitenkin karkasivat joukoittain, ja puunilaiset hoitivat kummankin erikseen 211 eaa. Jäänteet vetäytyivät Ebrojoelle Koillis-Espanjaan.
Vuonna 210 eaa. nuorempi Publius Cornelius Scipio nousi maihin Emporionissa joidenkin vahvistusten kera. Näin roomalaisten vahvuus nousi noin kahteen legioonaan ja alaan. Tuolloin eri puolilla Iberian niemimaata oli kolme yhtä vahvaa tai isompaa karthagolaista armeijaa johtajinaan Hasdrubal Barka, Hasdrubal Gisco ja Mago Barka. Scipio ei haastanut näistä yhtäkään, vaan kulki etelään ja onnistui 209 eaa. valtaamaan Carthago Novan käyttäen hyväkseen kaupunkia reunustavan laguunin laskuvettä ja laivoja. Tasapaino heilahti rajusti, sillä Carthago Nova (nyk. Cartagena) oli Karthagon tärkein tukialue Espanjassa ja siellä oli harvinaisen hyvä satama. Scipio sai käyttöönsä heittokoneita ja 18 uutta laivaa, jotka liitettiin eskaaderiin.
Varmistettuaan jalansijan Scipio ryhtyi kouluttamaan ja varustamaan armeijaansa. Hän taisteli Hadrubal Barkaa vastaan Baeculassa, joka tämän jälkeen lähti Italiaan liittyäkseen Hannibaliin, mutta lyötiin Metauruksen taistelussa 206 eaa. Roomalaiset ratsumiehet heittivät hänen irtileikatun päänsä Hannibalin leiriin. Vuonna 206 eaa. Scipio voitti ylivoimaisen Hasdrubal Giscon ja Magon armeijan Ilipassa lähellä Sevillaa huolimatta 32 norsusta ja siitä, että noin puolet omista joukoista oli liittolaisia, joihin ei voinut luottaa. Ilipan jälkeen puunilaiset oli lyöty ja loput alueet vallattiin vaivatta. Ennen paluutaan Roomaan 205 eaa. Scipio kukisti vielä joitain kapinoita aiempien liittolaisten ja omien joukkojensa parissa.
Ensimmäinen makedonialaissota
Rooma oli liittoutunut Illyrian rannikon kaupunkien kanssa sen jälkeen kun se oli tuhonnut aluetta vaivanneet merirosvot. Kun Makedonian kuningas Filippos V sai kuulla Hannibalin voitoista, hän päätti hyökätä Rooman illyrialaisia liittolaisia vastaan ja rakennutti laivaston, joka saatiin valmiiksi vuonna 216 eaa. ja purjehti Illyriaa kohti. Kun Filippos sai kuulla uutiset Cannaesta, hän lähetti Hannibalille liittolaistarjouksen. Roomalaiset saivat kuitenkin kiinni lähettiläät ja saivat vihiä Filippoksen aikeista.
Vuonna 215 eaa. makedonialaiset tekivät epäonnistuneen hyökkäyksen Apollonian kaupunkiin ja valtasivat myöhemmin Oricumin öisessä yllätyshyökkäyksessä. Kuullessaan tästä preettori Marcus Valerius Laevinus, jonka hallittavana oli Brundisium Adrianmeren vastarannalla, purjehti meren yli legioonansa kanssa ja löi makedonialaiset. Vuonna 211 eaa. roomalaiset tekivät liittosopimuksen Aitolian liiton kanssa ja 210 eaa. myös Elis, Sparta ja Pergamon liittoutuivat Rooman kanssa Makedoniaa vastaan. Filippos osoittautui taitavaksi kenraaliksi ja löi vastustajansa uudestaan.
Vuonna 207 eaa. sodan ainut suuri taistelu Mantineiassa oli aitolialaisten häviö ja vuotta myöhemmin he solmivat rauhan. Roomalaiset lähettivät lisäjoukkoja prokonsuli Publius Sempronius Tuditanuksen johdolla Illyriaan 205 eaa. mutta ne eivät saaneet aikaiseksi mitään ilman liittolaisia. Rauha solmittiin samana vuonna, ja roomalaisilta se oli epätavallisen anteeksiantava. Filippos palautti joitain kaupunkeja, mutta sai pitää suurimman osan kaappauksistaan.
Sisilian sota ja Syrakusan valtaus
Cannaen taistelun jälkeen Syrakusa oli vaihtanut puolta. Kaupungin johtoon nousi lopulta Epikydes,[1] joka oli roomalaisvastainen. Roomalaiset lähettivät paikalle kokeneen veteraanin Marcelluksen, joka hyökkäsi Leontinoin ja valtasi Syrakusan kahden vuoden piirityksen jälkeen.
Valtauksen yhteydessä hänen joukkonsa surmasivat kuuluisan matemaatikko Arkhimedeen. Tämän kerrotaan kehittäneen monenlaisia teknisiä laitteita ja käyttäneen niitä menestyksellä roomalaisia vastaan. Näistä mainittakoon ainakin polttopeilit ja Arkhimedeen kynsi, eräänlainen suunnaton koukku, jota käytettiin mereltä tulevaa laivuetta vastaan. Tarinat kuitenkin ovat varmasti liioiteltuja.
Marcellus ryösti kaupungin ja toi sen aarteet Roomaan, jossa kreikkalainen taide oli tätä ennen ollut harvinaista. Hän ei kuitenkaan saanut triumfia, sillä hänen poliittiset vastustajansa väittivät sotaretken jääneen kesken. Sen sijaan hänelle myönnettiin ovatio.
Sodan loppu Afrikassa
Vuonna 205 eaa. Roomaan riemusaatossa palannut Scipio valittiin konsuliksi. Hän nousi maihin Afrikassa 203 eaa. Fabiuksen poliittisesta vastustuksesta huolimatta. Karthagolaiset kärsivät tappioita ja hakivat lopulta Hannibalin kotiin. Seurasi Zaman taistelu, jonka roomalaiset voittivat osaksi selvästi vahvemman numidialaisen ratsuväkensä ansiosta. Tästä hyvästä Scipio sai lisänimen Africanus. Hannibal pakeni Karthagoon, jossa hän suositti välitöntä rauhansolmintaa.
Seuraukset
Karthago menetti käytännössä kaikki Afrikan ulkopuoliset alueensa ja joutui myöntymään Rooman rauhanehtoihin. Toisaalla roomalaisiin turvautunut ja Zamassa kunnostautunut numidialainen prinssi Masinissa syrjäytti kilpailijansa Syfaksin.
Sodan jälkeen Hannibal toimi Karthagossa rauhanajan poliittisissa tehtävissä. Karthagon nopea toipuminen sodasta kuitenkin herätti roomalaisten epäluulot. Seitsemän vuotta Zaman jälkeen he vaativat Hannibalin luovuttamista, mutta Hannibal lähti vapaaehtoiseen maanpakoon seleukidien Antiokhos III:en hoviin. Kun roomalaiset löivät seleukidit vuonna 189 eaa., oli Hannibalin paettava taas. Tällä kertaa hän päätyi Bithynian kuninkaan Prusias I:n luo. Vuonna 182 eaa. roomalaiset vaativat että Prusias luovuttaisi vieraansa heille, mutta Hannibal joi mieluummin myrkkyä ja kuoli. Hänen viimeisinä sanoinaan kerrotaan: "Tahdon vapauttaa roomalaiset pelosta koska he eivät salli vanhan miehen kuolla rauhassa."
Rooman ja Karthagon vihankierre jatkui kolmannessa puunilaissodassa. Makedonialaissodatkin jatkuivat. Rooma harvoin sieti rauhaa, jota se ei itse sanellut. Filippos oli selvinnyt turhan vähällä.
Katso myös
Ensimmäinen puunilaissota
Kolmas puunilaissota
Sofonisbe
Makedonialaissodat
– ote Polybiokselta Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.
Lähteet
Citation error, replace with{{cite book| author = Adrian Goldsworthy| title = Rooman sotilasmahti| publisher = Karisto| year = 2005| id = ISBN 951-23-4590-0}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Adrian Goldsworthy| title = Rooman puolesta: Sotilaat, jotka loivat Rooman valtakunnan| publisher = Gummerus| year = 2009| id = ISBN 978-951-20-8232-2}}
Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.
Viitteet
Kirjallisuutta
Goldsworthy, Adrian: The Punic Wars
Luokka:Karthago
Luokka:Rooman sodat
Luokka:200-luvun eaa. sodat
| https://fi.wikipedia.org/wiki/Toinen%20puunilaissota |
{
"plaintext_start_byte": [
3,
463,
1035,
1186,
1829,
2527,
2696,
2929,
3165,
3737,
4031,
4175,
4587,
4865,
5116,
5354,
5786,
5872,
5912,
7363,
7563,
8098,
8702,
9126,
9457,
10004,
10108,
10665,
11094,
11426,
11841,
12745,
13201,
13656,
13925,
14261,
14741,
15297,
15546,
15843,
16134,
17591,
18106,
19198,
19974,
20490,
20824,
21568,
22233,
22720,
22875,
23052,
23318,
23549,
23771,
24078,
24390,
24530,
24622,
28108,
28753
],
"plaintext_end_byte": [
462,
1034,
1177,
1828,
2526,
2695,
2928,
3164,
3736,
4030,
4162,
4586,
4864,
5115,
5352,
5777,
5862,
5910,
7341,
7543,
8085,
8702,
9126,
9456,
10003,
10095,
10664,
11093,
11425,
11812,
12744,
13200,
13655,
13924,
14260,
14740,
15255,
15545,
15842,
16133,
17581,
18105,
19197,
19953,
20489,
20798,
21567,
22232,
22704,
22857,
22964,
23317,
23548,
23770,
24054,
24389,
24513,
24621,
28097,
28750,
28896
]
} | What is the population of Mahwah, NJ? | Mahwah, New Jersey | english | {
"passage_answer_candidate_index": [
0
],
"minimal_answers_start_byte": [
137
],
"minimal_answers_end_byte": [
143
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Mahwah is a township in Bergen County, New Jersey, United States. As of the 2010 United States Census, the township's population was 25,890.[8][9] The population increased by 1,828 (+7.6%) from the 24,062 counted in the 2000 Census, which had in turn increased by 6,157 (+34.4%) from the 17,905 counted in the 1990 Census.[19][20] The name "Mahwah" is derived from the Lenape word "mawewi" which means "Meeting Place" or "Place Where Paths Meet".[21][22][23]
The area that is now Mahwah was originally formed as Hohokus Township on April 9, 1849, from portions of Franklin Township (now Wyckoff). While known as Hohokus Township, territory was taken to form Orvil Township (on January 1, 1886; remainder of township is now Waldwick), Allendale (November 10, 1894), Upper Saddle River (November 22, 1894) and Ramsey (March 10, 1908). On November 7, 1944, the area was incorporated by an act of the New Jersey Legislature as the Township of Mahwah, based on the results of a referendum held that day, replacing Hohokus Township.[24]
New Jersey Monthly magazine ranked Mahwah as its ninth best place to live in its 2008 rankings of the "Best Places To Live" in New Jersey.[25]
History
The Lenape and ancestral indigenous peoples were the original inhabitants of Mahwah (the meeting place) and surrounding area. Their descendants have combined with other Native Americans and ethnicities and were recognized in 1980 by the state as the Ramapough Mountain Indians. They number approximately 5,000 people living around the Ramapo Mountains of northern New Jersey and southern New York. The tribe is officially recognized by New Jersey, but does not have federal recognition.[26] Their tribal office is located on Stag Hill Road in Mahwah, and the Chief of the Ramapough Lenape Indian Nation is Dwaine Perry (as of March 2007).[27]
In 1849, Hohokus Township was established from the northern part of Franklin Township in Bergen County. It extended from the Saddle River on the east to the western boundary of Bergen County with Passaic County and north to the New York border. Hohokus Township was first subdivided in 1886 with the creation of Orvil Township on both sides of the Saddle River, consisting of the eastern portion of Hohokus Township and the western portion of Washington Township. 1894's outbreak of "Boroughitis" brought the creation of the boroughs of Allendale and Upper Saddle River, both of which were created from portions of Hohokus and Orvil Townships. Next to leave was Ramsey, which was created in 1908.
Hohokus Township ceased to exist on November 7, 1944, when a referendum was passed creating Mahwah Township from the remaining portions of Hohokus Township.[28][29][24]
For 25 years, beginning in 1976, Mahwah hosted the A&P Tennis Classic, a tune-up for the U.S. Open tennis tournament held at the USTA Billie Jean King National Tennis Center in New York City's Flushing Meadows–Corona Park.[30][31]
The 75-room, three-story Darlington, aka the Crocker Mansion, was built in 1901 for George Crocker, son of railroad magnate Charles Crocker. The estate, located at Crocker Mansion Drive, is one of New Jersey's historical landmarks.[32]
Ford Motor Company operated the Mahwah Assembly plant from 1955, producing 6 million cars in the 25 years it operated before the last car rolled off the line on June 20, 1980.[33][34] At the time of its completion, it was the largest motor vehicle assembly plant in the United States. The Ford plant, along with other businesses such as American Brake Shoe and Foundry Company, helped contribute to the economic development of the town and its reputation for low home property taxes.[35] The Mahwah town sports teams remain named Thunderbirds in honor of the Ford plant.
Due to contractors' dumping of hazardous wastes at the Ringwood Mines landfill site before federal regulation, it has been designated as an EPA Superfund site which needs extensive environmental cleanup. In 2006, some 600 Ramapough Indians filed a mass tort claim against Ford for damages.[36]
Mahwah, and the closure of the Ford plant, is mentioned in the opening line of the 1982 Bruce Springsteen song "Johnny 99".[37][38]
Geography
According to the United States Census Bureau, the township had a total area of 26.191 square miles (67.835km2), including 25.693 square miles (66.545km2) of land and 0.498 square miles (1.290km2) of water (1.90%).[1][2] It is the largest municipality in Bergen County by area, more than 2½ times larger than the next-largest municipality, Paramus, and covering 10.6% of the total area of the entire county.[39]
Mahwah is near the Ramapo Mountains and the Ramapo River. Interstate 287 passes through Mahwah, but the only point of access is at the New Jersey–New York border, where 287 meets Route 17. U.S. Route 202 runs through Mahwah from Oakland to Suffern, across the state line.[40]
Several state and county parks are located in Mahwah, including Campgaw Mountain Reservation, Darlington County Park and Ramapo Valley County Reservation, all operated by Bergen County.[41] The Ramapo River runs through the western section of Mahwah.
Mahwah is bordered by the towns of Upper Saddle River, Ramsey, Allendale, Wyckoff, Franklin Lakes, and Oakland in Bergen County; Ringwood in Passaic County; and Airmont, Hillburn, Ramapo and Suffern in Rockland County, New York.[40][42]
Unincorporated communities, localities, and place names located partially or completely within the township include the residential areas of Ackermans Mills, Bear Swamp, Bogerts Ranch Estates, Cragmere, Cragmere Park, Darlington, Fardale, Halifax, Havemeyers Reservoir, Masonicus, Mountainside Farm, Pulis Mills, Ramapo Farm and Wanamakers Mills, along with the mixed residential and commercial area of West Mahwah.[43][44]
Climate
Mahwah has a humid continental climate (Köppen climate classification Dfa).
Economy
Corporate residents of Mahwah include:
Nuance Communications, voice, natural language understanding, reasoning and systems integration
DialAmerica Marketing corporate headquarters.[46]
Inserra Supermarkets, a member of the ShopRite retail cooperative, operating approximately 22 stores.[47] It is a family-owned business and is one of the 500 largest private companies in the United States.
Jaguar Cars and Land Rover vehicles North American Headquarters.[48]
Lawrence Erlbaum Associates, book publisher.[49]
Maquet Datascope Corporation – manufacturer of intra-aortic balloon pumps and sterile collagen products.[50]
Mindray Medical North America headquarters – manufacturer of patient monitoring devices.[51]
New York – New Jersey Trail Conference headquarters, Darlington Schoolhouse [52]
New York Stock Exchange Data Center – one of the world's most robust and secure data centers.[53][54]
Radware Inc. North American headquarters.[55]
Radwin North American headquarters.[56]
Sharp Electronics, USA[57]
Stryker Corporation's orthopedic business.[58]
UPS world technology headquarters.[59]
Mahwah Mall, which is to be built at the site of the Sheraton Crossroads Hotel. Many Mahwah citizens were against the mall being built because the mall would cause high congestion, increased crime rate, and increased pollution, but the planning board approved the plan in January 2014 for a mall that would include 600,000 square feet (56,000m2) of selling space.[60]
Parks and recreation
Campgaw Mountain Reservation is a Bergen County accredited park, covering 1,351 acres (547ha) in Mahwah and portions of Oakland, that has campgrounds and ski slopes for skiing.[61]
Demographics
Historical populationCensusPop.%±18502,274*—18602,3523.4%18702,63211.9%18802,92010.9%18902,373*−18.7%19002,610*10.0%19101,881*−27.9%19202,08110.6%19303,53669.9%19403,90810.5%19504,88024.9%19607,37651.1%197010,80046.4%198012,12712.3%199017,90547.6%200024,06234.4%201025,8907.6%Est. 201626,541[11][62]2.5%Population sources: 1850–1920[63]
1850–1870[64] 1850[65] 1870[66]
1880–1890[67] 1890–1910[68]
1910–1930[69] 1900–2010[70][71][72]
2000[73][74] 2010[8][9][10]
* = Lost territory in previous decade.[24]
2010 Census
As of the 2010 United States Census, there were 25,890 people, 9,505 households, and 6,244.785 families residing in the township. The population density was 1,007.7 per square mile (389.1/km2). There were 9,868 housing units at an average density of 384.1 per square mile (148.3/km2). The racial makeup of the township was 85.67% (22,180) White, 2.62% (678) Black or African American, 0.56% (146) Native American, 7.81% (2,021) Asian, 0.01% (2) Pacific Islander, 1.40% (363) from other races, and 1.93% (500) from two or more races. Hispanic or Latino of any race were 6.26% (1,622) of the population.[8]There were 9,505 households out of which 28.9% had children under the age of 18 living with them, 54.1% were married couples living together, 8.8% had a female householder with no husband present, and 34.3% were non-families. 30.1% of all households were made up of individuals, and 11.1% had someone living alone who was 65 years of age or older. The average household size was 2.42 and the average family size was 3.05.[8]In the township, the population was spread out with 19.8% under the age of 18, 16.2% from 18 to 24, 20.3% from 25 to 44, 29.4% from 45 to 64, and 14.2% who were 65 years of age or older. The median age was 40.4 years. For every 100 females there were 87.1 males. For every 100 females ages 18 and older there were 82.6 males.[8]
The Census Bureau's 2006–2010 American Community Survey showed that (in 2010 inflation-adjusted dollars) median household income was $92,971 (with a margin of error of +/- $5,209) and the median family income was $107,977 (+/- $7,049). Males had a median income of $85,873 (+/- $6,728) versus $54,111 (+/- $3,935) for females. The per capita income for the borough was $53,375 (+/- $3,851). About 2.2% of families and 3.1% of the population were below the poverty line, including 1.7% of those under age 18 and 4.3% of those age 65 or over.[75]
Same-sex couples headed 49 households in 2010, an increase from the 27 counted in 2000.[76]
2000 Census
As of the 2000 United States Census[16] there were 24,062 people, 9,340 households, and 6,285 families residing in the township. The population density was 927.9 people per square mile (358.3/km²). There were 9,577 housing units at an average density of 369.3 per square mile (142.6/km²). The racial makeup of the township was 87.93% White, 2.16% African American, 0.70% Native American, 6.31% Asian, 0.03% Pacific Islander, 1.50% from other races, and 1.38% from two or more races. Hispanic or Latino of any race were 4.27% of the population.[73][74]
There were 9,340 households out of which 30.4% had children under the age of 18 living with them, 56.8% were married couples living together, 8.4% had a female householder with no husband present, and 32.7% were non-families. 28.0% of all households were made up of individuals and 7.3% had someone living alone who was 65 years of age or older. The average household size was 2.43 and the average family size was 3.01.[73][74]
In the township the population was spread out with 22.2% under the age of 18, 9.7% from 18 to 24, 32.2% from 25 to 44, 25.2% from 45 to 64, and 10.7% who were 65 years of age or older. The median age was 37 years. For every 100 females, there were 90.6 males. For every 100 females age 18 and over, there were 86.4 males.[73][74]
The median income for a household in the township was $79,500, and the median income for a family was $94,484. Males had a median income of $62,326 versus $42,527 for females. The per capita income for the township was $44,709. About 1.2% of families and 2.0% of the population were below the poverty line, including 1.8% of those under age 18 and 4.2% of those age 65 or over.[73][74]
Government
Local government
Mahwah is governed within the Faulkner Act (formally known as the Optional Municipal Charter Law) under the Mayor-Council system of municipal government (Plan B), implemented by direct petition as of July 1, 1984.[77] The governing body consists of a mayor and a seven-member Township Council, with all members elected at-large to four-year terms of office in non-partisan elections held as part of the November general election in even years, with either three seats (and the mayoral seat) or four seats up for vote. The legislative power of the municipality is exercised by a seven-member Township Council.[3][4] In September 2010, the township council voted to shift the township's non-partisan elections from May to November, citing increased voter participation and prospective savings of $30,000 associated with supporting each election, with the first November election taking place in 2012.[78]
As of 2018, the Mayor of Mahwah is John Roth (2020). Mayor Roth was elected in November 2018 following a recall of the former mayor.[79] Members of the Township Council are Council President David May (2020; elected to serve an unexpired term), Council Vice President George W. Ervin (2022), Janet Ariemma (2022), Robert M. Ferguson III (2022), Michelle Crowe Paz (2020; elected to serve an unexpired term) and James Wysocki (2020).[4][80][81][82][83][84]
The previous mayor, Bill Laforet faced a recall election in November 2018, after a resident group submitted in June a list of 5,000 petition signatures that they had collected calling for the action, in excess of the 25% needed to place the measure in front of voters.[85] In the November 2018 general election, Laforet was recalled from office and John Roth was elected mayor. The successful recall was the first in the county for at least 25 years.[86]
Michelle Crowe Paz was appointed to fill the seat expiring in December 2020 that was vacated following the resignation of Steven Sbarra that became effective at the end of December 2017, and was elected in her own right in November 2018 to fill the unexpired term.[87]
At the January 2017 reorganization meeting, David May was sworn in to fill the seat expiring in December 2020 that had been won by Jonathan Marcus in the November 2016 general election, but which Marcus decided not to accept; May was elected in his own right in the November 2017 general election, to serve the balance of the term.[88]
In December 2016, the Township Council selected George Ervin to fill the seat that had been held by Mary Amoroso expiring in December 2018 that became vacant after she was elected the Bergen County Board of Chosen Freeholders; Ervin served on an interim basis until the November 2017 general election, when voters elected him in his own right to fill the balance of the term.[89] Ervin was re-elected in the November 2018 election to fill a full four-year term, expiring in 2022.
In August 1997, due to personal debt, then-Mayor David J. Dwork shot and killed himself in the town's mayoral offices. There were also unverified allegations of corruption.[90] Dwork was memorialized with a tree dedicated to him at the site of the Mahwah Public Library. Dwork was succeeded by Richard J. Martel, then a township council member, who served for 14 years until his own death, of natural causes, on March 7, 2011.[91] Martel himself was succeeded by Council President John DaPuzzo as acting mayor.[92]
Federal, state and county representation
Mahwah is located in the 5th Congressional District[93] and is part of New Jersey's 39th state legislative district.[9][94][95] Prior to the 2011 reapportionment following the 2010 Census, Mahwah had been in the 40th state legislative district.[96]
For the 116th United States Congress, New Jersey's Fifth Congressional District is represented by Josh Gottheimer (D, Wyckoff).[97][98] New Jersey is represented in the United States Senate by DemocratsCory Booker (Newark, term ends 2021)[99] and Bob Menendez (Paramus, term ends 2025).[100][101]
For the 2018–2019 session (Senate, General Assembly), the 39th Legislative District of the New Jersey Legislature is represented in the State Senate by Gerald Cardinale (R, Demarest) and in the General Assembly by Holly Schepisi (R, River Vale) and Robert Auth (R, Old Tappan).[102][103]
Bergen County is governed by a directly elected County Executive, with legislative functions performed by a seven-member Board of Chosen Freeholders. The freeholders are elected at-large in partisan elections on a staggered basis, with two or three seats coming up for election each year; a Chairman, Vice Chairman and Chairman Pro Tempore are selected from among its seven members at a reorganization meeting held each January.[104][105]
As of 2018, the County Executive is Democratic James J. Tedesco III of Paramus, whose term of office ends December 31, 2018.[106] Bergen County's Freeholders are
Freeholder Chairman Thomas J. Sullivan Jr., (D, Montvale, term as freeholder ends 2019; term as freeholder chairman ends 2018),[107]
Freeholder Vice-Chairwoman Germaine M. Ortiz (D, Emerson, term as freeholder ends 2019; term as freeholder vice-chairwoman ends 2018),[108]
Freeholder Chairman Pro-Tempore Mary J. Amoroso (D, Mahwah, term as freeholder ends 2019; term as freeholder chairman pro-tempore ends 2018),[109]
David L. Ganz (D, Fair Lawn, 2020),[110]
Steve Tanelli (D, North Arlington, 2018),[111]Joan Voss (D, Fort Lee, 2020)[112] and
Tracy Silna Zur (D, Franklin Lakes, 2018),[113][114][115][104] Bergen County's constitutional officials are
County Clerk John S. Hogan (D, Northvale, 2021),[116][117]
Sheriff Michael Saudino (D, Emerson, 2019)[118][119] and
Surrogate Michael R. Dressler (D, Cresskill, 2021).[120][121][104][122]
Politics
As of March 23, 2011, there were a total of 15,168 registered voters in Mahwah Township, of which 3,410 (22.5% vs. 31.7% countywide) were registered as Democrats, 4,349 (28.7% vs. 21.1%) were registered as Republicans and 7,399 (48.8% vs. 47.1%) were registered as Unaffiliated. There were 10 voters registered to other parties.[123] Among the township's 2010 Census population, 58.6% (vs. 57.1% in Bergen County) were registered to vote, including 73.1% of those ages 18 and over (vs. 73.7% countywide).[123][124]
In the 2012 presidential election, Republican Mitt Romney received 6,862 votes (56.2% vs. 43.5% countywide), ahead of Democrat Barack Obama with 5,143 votes (42.1% vs. 54.8%) and other candidates with 99 votes (0.8% vs. 0.9%), among the 12,203 ballots cast by the township's 16,357 registered voters, for a turnout of 74.6% (vs. 70.4% in Bergen County).[125][126] In the 2008 presidential election, Republican John McCain received 6,768 votes (54.3% vs. 44.5% countywide), ahead of Democrat Barack Obama with 5,501 votes (44.2% vs. 53.9%) and other candidates with 100 votes (0.8% vs. 0.8%), among the 12,457 ballots cast by the township's 15,705 registered voters, for a turnout of 79.3% (vs. 76.8% in Bergen County).[127][128] In the 2004 presidential election, Republican George W. Bush received 6,829 votes (58.1% vs. 47.2% countywide), ahead of Democrat John Kerry with 4,829 votes (41.1% vs. 51.7%) and other candidates with 67 votes (0.6% vs. 0.7%), among the 11,758 ballots cast by the township's 14,759 registered voters, for a turnout of 79.7% (vs. 76.9% in the whole county).[129]
In the 2013 gubernatorial election, Republican Chris Christie received 70.4% of the vote (5,115 cast), ahead of Democrat Barbara Buono with 28.5% (2,070 votes), and other candidates with 1.1% (79 votes), among the 7,391 ballots cast by the township's 15,601 registered voters (127 ballots were spoiled), for a turnout of 47.4%.[130][131] In the 2009 gubernatorial election, Republican Chris Christie received 4,602 votes (57.4% vs. 45.8% countywide), ahead of Democrat Jon Corzine with 2,942 votes (36.7% vs. 48.0%), Independent Chris Daggett with 404 votes (5.0% vs. 4.7%) and other candidates with 34 votes (0.4% vs. 0.5%), among the 8,018 ballots cast by the township's 15,479 registered voters, yielding a 51.8% turnout (vs. 50.0% in the county).[132]
Highlands protectionIn 2004, the New Jersey Legislature passed the Highlands Water Protection and Planning Act, which regulates the New Jersey Highlands region. Mahwah was included in the highlands preservation area and is subject to the rules of the act and the Highlands Water Protection and Planning Council, a division of the New Jersey Department of Environmental Protection.[133] Some of the territory in the protected region is classified as being in the highlands preservation area, and thus subject to additional rules.[134]
In the 2016 presidential election, Republican Donald Trump received 53.5% of the vote for a total of 6,366 votes ahead of Democrat Hillary Clinton, who received 42.5% of the vote for a total of 5,049 votes. Other 3rd party candidates received a collective vote of 372, accounting for the remaining 3.1% [135]
Education
Public schools
The Mahwah Township Public Schools provides public education for students in pre-kindergarten through twelfth grade. As of the 2014-15 school year, the district and its six schools had an enrollment of 3,160 students and 268.7 classroom teachers (on an FTE basis), for a student–teacher ratio of 11.8:1.[136] Schools in the district (with 2014-15 enrollment data from the National Center for Education Statistics[137]) are
Lenape Meadows Elementary School[138] (234 students; in grades PreK-3),
Betsy Ross Elementary School[139] (478; K-3),
George Washington Elementary School[140] (178; K-3),
Joyce Kilmer Elementary School[141] (442; 4-5),
Ramapo Ridge Middle School[142] (753; 6-8) and
Mahwah High School[143] (968; 9-12).[144][145]
The district's newest building, Lenape Meadows, was opened in 2002 and changed the way the district divided up grade levels. Since the K-3 grades are broken up by location in the township which determines the elementary school to attend, before Lenape Meadows was built, students of that section of town attended Commodore Perry School. Commodore Perry School, Betsy Ross, and George Washington originally only housed the K-2 grades and the entire 3rd grade class attended Joyce Kilmer. The construction of Lenape Meadows added enough room for 3rd grade students as well, allowing Betsy Ross and George Washington room to house their students for 3rd grade, too.
Public school students from the township, and all of Bergen County, are eligible to attend the secondary education programs offered by the Bergen County Technical Schools, which include the Bergen County Academies in Hackensack, and the Bergen Tech campus in Teterboro or Paramus. The district offers programs on a shared-time or full-time basis, with admission based on a selective application process and tuition covered by the student's home school district.[146][147]
Private school
Young World Day School serves students in pre-kindergarten through fifth grade using Montessori and traditional educational methods.[148]
Higher education
Ramapo College is a public university founded in 1969 with more than 6,000 students.[149]
Vocational schools
Lincoln Technical Institute[150]
Transportation
Roads and highways
As of May2010, the township had a total of 110.29 miles (177.49km) of roadways, of which 81.91 miles (131.82km) were maintained by the municipality, 20.59 miles (33.14km) by Bergen County and 7.79 miles (12.54km) by the New Jersey Department of Transportation.[151]
Interstate 287 and Route 17 merge in Mahwah, and U.S. Route 202 also passes through. The northern terminus of County Route 507 is also in Mahwah. Interstate 87, the New York Thruway, is just outside the state in Suffern, New York.
Interstate 287 heads north from Franklin Lakes, continuing for 5.3 miles (8.5km) to the New York State border.[152] U.S. Route 202 heads north for 5.7 miles (9.2km), running from Oakland to the New York State border.[153]
Route 17 extends 2.5 miles (4.0km) from Ramsey until it forms a concurrency where it merges with Interstate 287.[154] County Route 507 runs 2.0 miles (3.2km) across the northeastern portion of the township, from Ramsey to an intersection with U.S. Route 202 near the state line.[155]
Public transportation
NJ Transit rail service is available from the Mahwah station[156] to Secaucus Junction, Hoboken Terminal, and Newark on the Main Line and Bergen County Line.[157][158][159] Passengers may also take advantage of express service on the same line from the Suffern station, just across the New York state line.[160]
Short Line Bus offers service to the Port Authority Bus Terminal in Midtown Manhattan and intermediate locations.[161][162]
Notable people
People who were born in, residents of, or otherwise closely associated with Mahwah include:
Roger Nash Baldwin (1884–1981), one of the founders of the American Civil Liberties Union (ACLU).[163]
Gilbert Wheeler Beebe (1912–2003), epidemiologist and statistician known for his studies of radiation-related mortality and morbidity among populations exposed to ionizing radiation from the atomic bombings of Hiroshima and Nagasaki and the Chernobyl reactor accident.[164]
Stephen Birch (1872–1940), a leader of Kennecott Copper whose 730-acre (3.0km2) farm was sold to the state and became the site of Ramapo College.[165]
Curt Blefary (1943–2001), American League Rookie of the Year, 1965.[166][167]
Lawrence Boadt (1942–2010), Roman Catholic priest and publisher.[168]
Foxy Brown (born 1979), rapper.[169]
Chris Caffery (born 1967), musician and songwriter.[170]
Frank Chamberlin (1978–2013), NFL linebacker.[171][172]
Alan Geisler (1931–2009), food chemist best known for creating a popular hot dog sauce.[173]
Alice Guy-Blaché (1873–1968), filmmaker who has been considered the first woman director in the motion-picture industry.[174]
Kevin Haslam (born 1986), former NFL offensive tackle who played for the Oakland Raiders.[175]
Henry Osborne Havemeyer (1847–1907), art collector and entrepreneur who founded the American Sugar Refining Company.[176]
James Hoch, poet.[177]
Vlad Holiday (born 1989), singer, songwriter, producer and multi-instrumentalist who is the lead singer and founder of the New York City-based indie band Born Cages.[178]
John Hollinger (born 1971), basketball analyst and writer for ESPN.com.[179]
Joyce Kilmer (1886–1918), poet who lived with his family in Mahwah until his service and death in World War I.[180]
Bob Kratch (born 1966) former guard on the Super Bowl XXV Champion New York Giants.[181]
Ernst Lieb (born 1955), President and CEO of Mercedes-Benz USA.[182]
Carl "Spider" Lockhart (1943–1986), safety who played his entire career with the New York Giants.[183]
Leonard Marshall (born 1961), former defensive end for the New York Giants.[184]
Bill McCutcheon (1924–2002), Emmy and Tony Award-winning actor.[185]
Krysten Moore (born 1989), anti-bullying advocate who won the 2007 Miss Teen New Jersey International pageant and the 2008 National American Miss New Jersey Teen pageant.[186]
Patrick Murray (born 1991), placekicker for the Tampa Bay Buccaneers of the National Football League.[187]
Les Paul (1915–2009), guitarist and inventor.[188]
Maria Pitillo (born 1966), actress who appeared in the 1998 film Godzilla.[189]
Randy Reutershan (born 1955), football player who played for a single NFL season with the Pittsburgh Steelers.[190]
Al Sima (1921–1993), pitcher for the Washington Senators and other teams.[191][192]
Edgar Smith (1934-2017), convicted murderer, who was once on death row for the 1957 murder of fifteen-year-old honor student and cheerleader Victoria Ann Zielinski.[193]
Evelyn Terhune (1932-1981), fencer and fencing coach who competed in the women's individual and team foil events at the 1960 Summer Olympics.[194]
Charley Williams (born 1928), former professional boxer.[195]
Maia Wojciechowska (1927–2000), children's author and winner of the Newbery Medal for her novel Shadow of a Bull.[196]
Anne Wolfe (born 1953), politician.[197]
Chris Wragge (born 1970), anchor, CBS News New York.[198]
Jane Wyatt (1910–2006), actress known for her role in Father Knows Best.[199]
Walt Zembriski (born 1935), golfer who played on the PGA Tour and the Senior PGA Tour.[200]
Sources
Municipal Incorporations of the State of New Jersey (according to Counties) prepared by the Division of Local Government, Department of the Treasury (New Jersey); December 1, 1958.
Bischoff, Henry; and Kahn, Mitchell. , A.S. Barnes and Company, 1976?; re-print Mahwah Historical Society, 2005.
Clayton, W. Woodford; and Nelson, William. Philadelphia: Everts and Peck, 1882.
Harvey, Cornelius Burnham (ed.), New York: New Jersey Genealogical Publishing Co., 1900.
Van Valen, James M. New York: New Jersey Publishing and Engraving Co., 1900.
Westervelt, Frances A. (Frances Augusta), 1858–1942, , Lewis Historical Publishing Company, 1923.
, official website
2015–16 School Report Card from the New Jersey Department of Education
, National Center for Education Statistics
| https://en.wikipedia.org/wiki/Mahwah%2C%20New%20Jersey |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
405,
1657,
2213,
3396,
4125,
4348,
5785,
6398,
6940,
7346,
7458,
8722,
8933,
9877,
10126,
10228,
10702,
10950,
11279,
11453,
12345,
13220,
13486,
13584,
13993,
14084,
14692,
15310,
16221,
16946,
17132,
17402,
18098,
18212,
19973,
20309,
21005,
22555,
23546,
24419,
24731,
25451,
26283,
26411,
26791,
27261,
27673,
27960,
29479,
30391,
30647,
30831,
31961,
32142,
32267,
36463,
36719,
37452,
38440,
39079,
39362,
39988,
41127,
41750,
42736,
43252,
43812,
44665,
45692,
45987,
47505,
48089,
48904,
49480,
49906,
50291,
50708,
50954,
51484,
51936,
52586,
53524,
53979,
54154,
54605,
54859,
55407,
55943,
56290,
57206,
57802,
58518,
59394,
60010,
60880,
61133,
61824,
62019,
62916,
64014,
64555,
65677,
65956,
66530,
67122,
67435,
68432,
69212,
69903,
70081,
70231,
73735,
74052,
74527,
75037,
76087,
76891,
77548,
77922,
78389,
78977,
79128,
80231,
80405,
80733,
80960,
81714,
82160,
82264,
82480
],
"plaintext_end_byte": [
404,
1630,
2212,
3395,
4091,
4347,
5776,
6397,
6939,
7345,
7403,
8722,
8933,
9876,
10108,
10227,
10701,
10949,
11278,
11423,
12327,
13219,
13485,
13583,
13992,
14083,
14691,
15261,
16220,
16945,
17125,
17401,
18097,
18211,
19972,
20308,
20954,
22554,
23545,
24418,
24715,
25450,
26282,
26410,
26790,
27260,
27672,
27959,
29478,
30390,
30646,
30830,
31960,
32141,
32266,
36407,
36718,
37451,
38439,
39078,
39361,
39958,
41126,
41749,
42701,
43173,
43811,
44634,
45691,
45948,
47453,
48088,
48903,
49459,
49875,
50290,
50707,
50953,
51483,
51906,
52584,
53522,
53978,
54153,
54603,
54857,
55406,
55918,
56256,
57205,
57801,
58494,
59393,
60009,
60837,
61132,
61823,
62018,
62915,
64013,
64554,
65676,
65931,
66529,
67121,
67419,
68431,
69211,
69902,
70080,
70214,
73662,
74051,
74506,
74998,
76086,
76847,
77514,
77921,
78388,
78976,
79127,
80230,
80404,
80732,
80950,
81685,
82137,
82224,
82478,
82577
]
} | Minä vuonna World Trade Center muistomerkki rakennettiin? | Syyskuun 11. päivän terroritekojen salaliittoteoriat | finnish | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} | Syyskuun 11. päivän iskujen salaliittoteoria on New Yorkin WTC-torneja ja Pentagonia kohti Yhdysvalloissa syyskuussa 2001 tehtyjen terrori-iskujen tapahtumia ja taustoja selittävä teoria, jonka mukaan iskuja ei järjestänyt Al-Qaida vaan joukko henkilöitä Yhdysvaltain hallituksessa, asevoimissa ja viranomaisissa, tai että tällaiset tahot tavalla tai toisella myötävaikuttivat asiaan.
Syyskuun 11. tapahtumien virallisesta teoriasta poikkeavaa todistusaineistoa tutkivaa ja uutta virallista tutkimusta ajavaa kansanliikettä kutsutaan yleisesti nimellä 9/11-totuusliike. Se koostuu mm. arkkitehdeista, insinööreistä, professoreista, iskujen uhrien omaisista, iskujen silminnäkijöistä ja tiedustelupalvelun ja armeijan työntekijöistä.[1] Totuusliikkeen edustajien julkaisemien tutkimusten[2] mukaan New Yorkin World Trade Center tuho ei ollut mahdollista pelkän lentokoneen osuman ja tulipalon takia, vaan lukuisat todisteet[3][4][5] viittaavat siihen, että rakennusten tuhoamisessa käytettiin räjähteitä ja United Airlinesin lento 93 ammuttiin alas. Totuusliikkeen mukaan reittiliikennelentokoneen syöksy Pentagoniin onnistui vain ajamalla Washingtonin ilmapuolustus alas.[6] Totuusliikkeen mukaan iskuihin syyllistyi henkilöitä Bushin hallinnon johdossa, kuten Dick Cheney, Donald Rumsfeld ja Paul Bremer, jotka olivat avainasemassa mahdollistamassa iskujen toteutumisen, estämässä iskujen kunnollisen tutkimisen ja hyötymässä iskujen verukkeella aloitetuista sodista [7]. Totuusliikettä yhdistää virallisen selityksen, erityisesti Yhdysvaltain hallituksen näkemysten, torjuminen.
Alkuperät ja vastaanotto
Syyskuun 11. päivän iskuista lähtien monet silminnäkijät, tiedustelupalvelun työntekijät, pelastushenkilöt, arkkitehdit ja insinöörit ym. ovat kertoneet tapahtumista, jotka poikkeavat virallisesta teoriasta[8]. Salaliittoteoriat väittävät virallisen teorian Al Qaidan olemisesta iskujen takana olevan valheellinen, epätarkka tai vaillinainen. Virallisen teorian (josta totuusliikkeen edustajat ajoittain käyttävät tohtori David Ray Griffinin termiä “virallinen salaliittoteoria”) haastavat monet ryhmät ja yksittäiset henkilöt.[9]
Alusta lähtien syyskuun 11. päivän iskujen salaliittoteoriat ovat saaneet valtamediassa vähän huomiota. Yhdysvaltain presidentti George W. Bush arvosteli puheessaan Yhdistyneille Kansakunnille 10. marraskuuta 2001 ”törkeiden salaliittoteorioiden” ilmaantumista: ”Salaliittoteoriat yrittävät siirtää syyllisyyden pois terroristeilta itseltään, pois syyllisiltä.”[10] Kun syyskuun 11. päivän tapahtumien salaliittoteorioiden mediapaljastukset myöhemmin lisääntyivät, Yhdysvaltain hallituksen virastot ja Bushin hallinto julkistivat vastauksia teorioille, mukaan lukien NIST:n muodollisen analyysin World Trade Centerin romahtamisesta,[11] Presidentti Bush piti elokuussa 2006 puheen, johon viittaava strategia-asiakirja, joka julisti, että terrorismi saa jalansijaa ”salaliiton ja väärän tiedon alakulttuurista” ja että ”terroristit värväävät tehokkaammin niitä ihmisiä, joiden tieto maailmasta on valheiden saastuttamaa ja salaliittoteorioiden korruptoimaa.” Asiakirjan mukaan ”vääristymät pitävät epäkohtia elossa ja suodattavat tosiasioita, jota haastaisivat suositut ennakkoasenteet ja itseään palvelevaa propagandaa.”[12]
Monia mielipidekyselyjä toteutettiin, koska haluttiin selvittää, kuinka moni ihminen epäilee virallista teoriaa ja kuinka laajalle levinneitä salaliittoteoriat ovat. Juuri ennen hyökkäysten viidettä vuosipäivää valtamedian uutiset ilmoittivat syyskuun 11. päivän salaliittoteorioita koskevien artikkeleiden yleistyneen valtavasti.[13] Time Magazine sanoi, että “Tämä ei ole marginaalinen ilmiö. Se on valtavirtapolitiikan todellisuus.”[14] Tornien tuhosta räjähteiden avulla esitelmöineen Architects & Engineers for 9/11 Truth-järjestön Richard Gagen mukaan virallisen teorian kannattajista noin 70–90% muuttaa näkemystään tornien tuhosta kuultuaan esitelmän.[15]
Pääasialliset lähestymistavat
Useimmat syyskuun 2001 tapahtumia koskevat salaliittoteoriat saavat alkunsa tyytymättömyydestä viralliseen teoriaan kuvaukseen syyskuun 11. päivän tapahtumista.[16] Teorioista on kolme pääasiallista hahmotelmaa:
epäpätevyys – heikoin versio väittää salajuonen olleen olemassa hallituksen virheiden peittämiseksi; salatut asiat saattavat rajoittua riittämättömiin terrorismin vastaisiin strategioihin sekä suhteettomiin vastareaktioihin tiedustelu- sekä turvallisuuspalveluilta saatuihin varoituksiin tai se saattaa mennä pitemmälle väittäessään, että sotilaallinen vastareaktio hyökkäysten aikaan hoidettiin myös taitamattomasti[17]
Let it happen eli “sallia iskut” – tämä mukaelma väittää, että hallituksen avainhenkilöillä oli vähintäänkin jotain ennakkotietoa hyökkäyksistä, mutta tarkoituksellisesti he eivät ottaneet huomioon niitä tai jopa aktiivisesti heikensivät Yhdysvaltain puolustusta, jotta kaapattuja lentoja ei pysäytettäisi. Tämä näkemys oli alkuun suosittu varsinkin tiedustelupalvelun työntekijöiden keskuudessa jotka olivat tietoisia iskujen ennakkotiedoista, mutta joiden työtä iskujen estämiseksi häirittiin tai ei noteerattu.[16]
Make it happen eli “aiheuttaa iskut” – vahvin versio väittää, että hallituksen avainhenkilöt suunnittelivat hyökkäykset ja työskentelivät Al-Qaidan kanssa niiden toteuttamiseksi. Totuusliikkeen tutkimusten edetessä valtaosa on päätynyt tämän näkemyksen kannalle, kun todisteet räjähdysaineiden käytöstä WTC-tornien tuhoamisessa alkoivat kasaantua, eikä Al-Qaidaa enää pystytty yhdistämään niihin.[18]
Motiivi
Syyskuun 11. päivän tapahtumat aloittivat terrorismin vastaisen sodan ja johtivat suoraan Yhdysvaltain Afganistanin valloittamiseen ja epäsuorasti vuoden 2003 Irakin valloittamiseen. Salaliittoteoreetikot puhuvat hyödyistä, joita nämä seuraukset olisivat antaneet Yhdysvaltain hallitukselle, yhtiöille ja niissä toimiville yksittäisille henkilöille. Näiden tahojen saamia hyötyjä olivat esimerkiksi parantunut geopoliittinen tilanne, öljyntuotannon hallinta, ase- ja turvallisuusteollisuuden kasvaneet voitot sekä kansalaisoikeuksia kaventavan politiikan saama entistä suurempi kannatus.
Teoriat on yleisesti rakennettu julkisesti saatavilla olevien tietolähteiden pohjalta soveltaen “yhdistä pisteet” -lähestymistapaa. Nämä lähteet sisältävät silminnäkijähaastatteluita, uutisraportteja tapahtumapäivältä, tieteellisiä julkaisuja, uutisraportteja hallituksen toimista, terroristien toimeliaisuudesta ja fyysistä tapahtumista sekä suuren määrän videotallenteita. Osassa näitä perusteluita arvostellaan valtavirtamediaa yksittäisten faktojen tiedottamisesta erikseen ilman niiden välisiä yhteyksiä.
Totuusliikkeen tutkimusten mukaan WTC-tornien tuho räjähteiden avulla on fyysisesti sekä olosuhteisiin nähden ainoa mahdollinen vaihtoehto, ja virallinen kuvaus on fyysisesti ja olosuhteisiin nähden mahdoton. Totuusliike vaatii uutta riippumatonta tutkimusta hyökkäyksistä, koska virallisissa tutkimuksissa on ohitettu suuri määrä oleellisia kysymyksiä, todisteita ja todistajanlausuntoja.[19]
Loput tästä artikkelista antaa selonteon perusteluista.
Yhdysvaltain puolustuksen alasajoa koskevat väitteet
Monien hallituksen sekaantumiseen viittaavien teorioiden keskiössä on idea siitä, että Yhdysvaltain ilmapuolustusjärjestelmä NORAD oli tarkoituksellisesti ajettu alas tai että sen oli annettu olla tehottomana. Tämä idea saa tavallisesti alkunsa epäuskosta 9/11-komission raportin selostuksesta liittovaltion ilmailuhallinnon (FAA) ja NORAD:in ja muiden armeijan henkilöiden toimista huomauttamalla, että edeltäneiden 12 kuukauden aikana hävittäjälentokoneet olivat reagoineet 67 kertaa lentokoneen poiketessa reitiltään, mutta epäonnistuivat tässä tuona päivänä jokaisessa neljässä tapauksessa. Jotkut teoreetikot myös esittävät, että 11. syyskuuta 2001 pidetyt sotaharjoitukset oli tarkoituksellisesti ajoitettu hyökkäysten kanssa samaan aikaan sekaannuksen luomiseksi. Yhdysvaltain edustajainhuoneen jäsen Cynthia McKinney, taloustieteilijä Michel Chossudovsky ja From the Wilderness -lehden kustantaja/toimittaja Michael Ruppert ovat mm. kyseenalaistaneet nämä harjoitukset. Tuoreessa tutkimuksessaan Anomalies of The Air Defense On 9/11
Paul Schreyer käy läpi miten ainoat kaappauksia pysäyttämään lähetetyt hävittäjät ohjattiin Atlantin valtamerelle päinvastaiseen suuntaan kuin missä lentokoneet lensivät.[20]
Pian tapahtumien jälkeen NORAD:in julkaisema tapahtumien aikajana on ristiriidassa FAA:n ja NORAD:in tapahtumien aikajanaa koskevan 9/11-komission raportin kanssa. Washington Post raportti 3. elokuuta 2006:
”Hyökkäysten jälkeen yli kahden vuoden ajan todistajanlausunnoissa ja mediaesiintymisessä NORAD:in ja FAA:n virkailijat tarjosivat epätarkkaa tietoa kaappauksiin reagoinnista… Syyskuun 11. päivän tapahtumia koskeneen paneelin jotkut jäsenet ja komissaarit päätyivät sellaiseen lopputulokseen, että Pentagonin alkuperäinen selostus siitä, kuinka se reagoi vuoden 2001 terrorihyökkäyksiin, on saattanut olla osittain tarkoituksellista komission ja yleisön harhaanjohtamista... Epäilys väärinkäytöksistä oli niin syvällä mielissä, että kymmenhenkinen komissio väitteli salaisessa tapaamisessaan kesällä 2004 siitä, pitäisikö aiheesta ehdottaa oikeusministeriölle rikostutkinnan aloittamista. Lopulta paneeli hyväksyi kompromissin päättäen, etteivät he valita puolustus- ja liikenneministeriöistä tarkastajille, jotka voivat tehdä rikosilmoituksia, jos he uskovat olevansa vakuuttuneita.”[21]
Professori David Ray Griffin on kyseenalaistanut sen, miksi Yhdysvaltain armeija olisi valehdellut viraston tekemien virheiden peittelemiseksi, koska 9/11-komissio pitää tärkeänä FAA:n syyttämistä yhteydenpitovirheistä.[22]
Sotaharjoitukset
Yhdysvaltain ilmavoimat, NORAD, CIA, NRO, FAA ja FEMA panivat toimeen seuraavat sotaharjoitukset:[23]
Northern Vigilance (”Pohjoinen valppaus”): venäläisten hyökkäystä simuloiva ilmavoimien harjoitus, jossa koillista normaalisti partioivat puolustuslentokoneet sijoitetaan uusiin asemiin Kanadaan ja Alaskaan. Tuona aikana venäläiset pitivät Jäämerellä ja pohjoisella Tyynellämerellä omia harjoituksiaan, ja harjoitus perustui tämän harjoituksen tarkkailuun.
Northern Guardian ilmaistuna Toronto Star 09Dec.2001
Richard Clarkin mainitsema Vigilant Warrior.
Vigilant Guardian: NORAD:in harjoitus, joka esittää kuvitteellista Pohjois-Amerikan kansakunnan laajuisten ilmapuolustuksen etuvartioiden kriisiä simuloidulla ilmasodalla ja hyökkäystä Yhdysvaltoihin simuloivalla ilmapuolustusharjoituksella.
Syyskuun 11. päivän aamuna, 50 minuuttia ennen kuin lento 77 törmäsi Pentagoniin, Yhdysvaltain tiedustelusatelliittien toiminnasta vastuussa oleva NRO oli määrännyt ajankohdan harjoitukselle, joka simuloi lentokoneen törmäämistä heidän neljän mailin päässä Dullesin lentokentästä sijaitsevaan rakennukseen.[24]
Syyskuun 12.:na oli tarkoitus pitää FEMA:n Tripod 2 –harjoitus, joka olisi simuloinut biologisin asein tapahtuvaa hyökkäystä New Yorkiin.
Väitteet sisäpiiritiedosta
Syyskuun 11. tapahtumien komission raportti, joka viittaa ennen hyökkäyksiä tapahtuneeseen epäonnistuneeseen tiedusteluun, päätyi sellaiseen lopputulokseen, etteivät CIA ja FBI ”palvelleet hyvin” Bushin ja Clintonin hallintoja. Monia paljastuksen tekijöitä ja virkailijoita on tullut esiin väittäen, että korkean tason virkailijat olivat tarkoituksellisesti ehkäisseet al-Qaidan tutkimisen. Entinen Yhdistyneen kuningaskunnan ympäristöministeri Michael Meacher on väittänyt, että Yhdysvaltain hallituksen ja yksityisen sektorin yksittäiset henkilöt tiesivät lähestyvistä hyökkäyksistä ja tarkoituksellisesti epäonnistuivat iskujen vaikutusten rajoittamisessa. Hän myös mainitsee Yhdysvaltain saaneen monia varoituksia ulkomaisilta tiedustelupalveluilta korostaen, että ne olisi tarkoituksellisesti saatettu jättää huomioon ottamatta.[25]
Sisäpiirikaupat
On myös väitetty, että monet sijoittajat tiesivät iskusta etukäteen, mikä teki heille mahdolliseksi tehdä osakkeilla sisäpiirikauppoja. Syyskuun 18. päivänä The Times raportoi, että käynnissä olleet tutkimukset viittasivat siihen, että ennen hyökkäyksiä Yhdistyneessä kuningaskunnassa, Italiassa, Saksassa, Japanissa, Sveitsissä, Ranskassa ja Yhdysvalloissa oli myyty pois epätavallisen suuria määriä vakuutus- ja lentoyhtiöiden osakkeita.[26] Seuranneina viikkoina uutislähetykset raportoivat huomattavasta United ja American Airlinesin optioiden kaupankäynnin kuviosta[27] sekä Morgan Stanleyn ja[28] muiden markkinatoimijoiden aktiivisuudesta.[29] Vuonna 2006 The Journal of Business -lehdessä julkaistu artikkeli antaa tilastollisia väitteitä epätavallisesta myyntioptioiden markkina-aktiviteetista juuri ennen syyskuun 11. päivää:
Syyskuun 11. edeltävän ajan optiokaupankäyntiä koskeva tutkimus paljastaa, että myyntioptioita ostettiin epätavallisen paljon. Tämä löytö on yhdenmukainen sen kanssa, että tietoiset sijoittajat olisivat käyneet kauppaa optioilla ennen hyökkäystä.[30]
Vuonna 2003 9/11 Family Steering Committeen Mindy Kleinberg sanoi lausunnossaan 9/11-komissiolle:
Koskaan aikaisemmin ei ole Chicagon pörssissä käyty kauppaa näin suurilla määrillä United ja American Airlinesin optioita. Syyskuun 11. päivän hyökkäysten jälkeen nämä sijoittajat saivat voittoa vähintään viiden miljoonan dollarin verran. Mielenkiintoisesti sijoittajien nimet jäävät paljastumatta ja Chicagon pörssin tilinteossa viidelle miljoonalle dollarille ei löydy omistajaa.[31]
9/11-komissio ei löytänyt näistä kaupoista merkkejä virka-aseman väärinkäytöstä:
Ilman ajateltavissa olevia yhteyksiä al-Qaidaan yksittäinen yhdysvaltalainen institutionaalinen sijoittaja hankki syyskuun 6. päivänä 95 prosenttia United Airlinesin myyntioptioista osana kaupankäyntistrategiaa, joka myös sisälsi 115000 American Airlinesin osakkeen ostamisen syyskuun 10:ntena… hyvin epäilyttävältä näyttävä kaupankäynti American Airlinesin osakkeilla syyskuun 10:ntena oli jäljitetty erityiseen yhdysvaltalaiseen optioiden kaupankäyntiin liittyvään jäsenkirjeeseen, joka oli faksattu sen tilaajalle sunnuntaina 9. syyskuuta ja kirje suositteli näitä kauppoja.[32]
9/11-totuusliikkeen jäsenet Jim Hoffman, Michael Ruppert ja David Ray Griffin ovat niiden joukossa, jotka kritisoivat 9/11-komissiota kiertelevien perustelujen käyttämisestä päätellessään sitä, että kaupat olivat harmittomia ensisijaisesti siksi, ettei niillä ollut yhteyksiä al-Qaidaan.[22][33][34] Ruppert myös väittää, että tiedustelupalvelut valvovat toistuvasti osakepörssejä ja että niiden olisi pitänyt ”yhdistää johtolangat” tajuten, että American Airlinesia, United Airlinesia ja World Trade Centeriä koskeva tapahtuma oli tulossa.
Yksittäisille henkilöille annetut varoitukset
On väitetty, että jotkut henkilöt saivat etukäteen varoituksia hyökkäyksistä. Jotkut väittävät, että Pentagonin virkailijat ja muut hallituksen jäsenet, mukaan luettuna San Franciscon pormestari Willie Lewis Brown Jr., peruuttivat syyskuun 11. päivälle tekemänsä lentosuunnitelman.[35] Kehotuksestaan Brown sanoi, että se ”ei tullut missään hälyttävässä muodossa, mikä on syynä siihen, että miksi olen epäröivä tekemään hälyttäviä lausuntoja. Se ei ollut epänormaali kehotus. Olen aina huolestunut siitä, jos lentoni on ajallaan ja he aina varoittavat minua, kun minun pitäisi olla varovainen.”[36] Israelin pääministeri Ariel Sharonin on sanottu peruuttaneen hyökkäysten ajaksi suunnitellun matkansa New Yorkiin. Kirjassaan Extreme Prejudice Susan Lindauer kertoo kuinka häntä varoitettiin matkustamasta New Yorkiin syksyllä 2001 iskujen läheisyyden takia.[37]
Kaksi tuntia ennen hyökkäyksiä kaksi israelilaisen Herzliyassa sijaitsevan yhtiön Odico Inc:n työntekijää sai hyökkäyksestä varoittavan pikaviestin. Työntekijät ilmoittivat Odigolle, joka ilmoitti israelilaiselle turvallisuuspalvelulle, joka sitten ilmoitti FBI:lle viestistä, joka ilmoitti hyökkäysten ajankohdan. Heti hyökkäysten jälkeen Odigo jäljitti lähettäjän Internet-osoitteen ja antoi sen FBI:lle.[38] Varoitukset eivät erityisesti maininneet iskujen kohdistuvan World Trade Centeriin, mutta ne sanoivat, että ”jotain suurta” oli tapahtumassa tiettynä ajanhetkenä, joka karkeasti ottaen sopii yhteen hyökkäysten ajankohdan kanssa, ja viesti päättyi juutalaisvastaiseen herjaan.[39]
Salaliittoteorioita kannattava web-sivu väittää, että New Yorkin pormestaria Rudolph Giuliania olisi varoitettu etukäteen siitä, että kaksoistornit olivat romahtamassa.[40]
WTC 7
Alkuperäinen WTC7 oli maaliskuussa 1987 valmistunut teräsrunkoinen 47-kerroksinen rakennus, jossa piti toimistoaan muun muassa CIA, Yhdysvaltain puolustusministeriö ja rahoitustarkastus sekä verovirasto. Rakennus sijaitsi noin 110 metrin päässä kaksoistorneista.
WTC 7 tuhoutui seitsemän tuntia kaksoistornien jälkeen. Architects & Engineers for 9/11 Truth-liikkeen David Chandler on videoillaan osoittanut romahduksen edenneen lähes vapaan pudotuksen nopeudella (174 metriä 6,5 sekunnissa).[41] Myöhemmin myös NIST myönsi että 2.25 sekunnin ajan rakennus romahti vapaapudotuksella.[42] Totuusliikkeen tutkijoiden mukaan rakennus romahti lähes pystysuoraan, ja heidän mukaansa symmetrinen romahdus vapaapudotuksella ei voi johtua epäsymmetrisistä vaurioista ja yksittäisen pilarin pettämisestä rakennuksen toisessa päässä. Symmetrinen romahtaminen vapaan pudotuksen kiihtyvyydellä on mahdollinen vain, jos apuna käytetään räjähteitä.
Totuusliikkeen edustajien mukaan rakennuksen purkamista räjäyttämällä tukevat lisäksi seuraavat argumentit:
Romahtaneiden WTC-tornien kohdalle syntyi valtavat määrät sulaa terästä, mikä on ilmiö, jota ei tapahdu normaaleissa paloissa eikä romahduksissa.
WTC-pölystä löytyi metallihiukkasia, joka professori Niels Harritin ja Steven E. Jonesin mukaan on reagoimatonta nanotermiittiä eli räjähtäen palavaa teräspalkkien leikkaamiseen soveltuvaa räjähdettä. Nanotermiittilöytö selittäisi myös romahduskasassa esiintyneen valtavan määrän sulaa terästä ja kasojen kuukausia kestäneen kytemisen[43].
Sortumisvideoissa näkyy räjäytyspurkamiselle tyypillinen katon luhistuminen keskeltä kasaan ennen rakennuksen sortumista. Räjäytyspurkamisessa tällä varmistetaan rakennuksen luhistuminen sisäänpäin mahdollisimman pienelle pinta-alalle.
WTC 7 sortui suoraan alaspäin yhdeksi kasaksi sille paikalle, jossa se oli, vaikka se oli saanut vain toispuolisia vaurioita. Tulipaloista aiheutuneiden sortumisten ominaispiirteenä on rakennuksen kaatuminen, eikä suinkaan luhistuminen, jolla tavalla WTC 7 sortui.
Tulipalojen vuoksi sortuneet rakennukset pysyvät usein varsin hyvin kasassa, toisin kuin WTC 7, joka hajosi kokonaan pieniksi paloiksi (mikä tosin on yleistä kontrolloidusti räjäytettyjen rakennusten kohdalla).
Rakennuksen omistaja Larry Silverstein sanoi PBS:n dokumentin America Rebuilds haastattelussa: ”Maybe the smartest thing to do is to pull it”.[44] Ilmaisu "Pull" tulee perinteisestä tavasta purkaa rakennuksia vetämällä ja tarkoittaa nykyään alan kielessä räjäytyspurkua. Ilmaisu "pull them out" voisi tarkoittaa joukkojen pois vetämistä, tässä tapauksessa palomiesten poistamista palavasta rakennuksesta sortumisvaaran vuoksi. Rakennuksessa ei tosin ollut moneen tuntiin yhtään palomiestä).[45]
Mahdolliseksi syyksi rakennuksen hävittämiseen on spekuloitu rakennuksessa sijainneen rahoitustarkastuksen tilojen ja mahdollisten talousrikosten todisteiden hävittämistä, sillä suurin osa tutkimusaineistosta tuhoutui romahduksen syystä.[46] Toisena syynä pidetään Larry Silversteinin halua saada vakuutusrahat rakennuksesta.
Monien viivytysten jälkeen NIST julkaisi WTC 7 -raporttinsa marraskuussa 2008. NIST päätyi loppupäätelmään, jonka mukaan rakennuksessa riehuneet tulipalot kuumensivat muutamaa teräspalkkia niin, että ne työnsivät toisen palkin sijoiltaan niin, että pylväs 79 menetti tukensa. Sen takia pylväs notkahti ja aloitti koko rakennuksen tuhonneen ketjureaktion.[47][48] NIST ei tutkinut räjähteiden mahdollisuutta, ei pyrkinyt selittämään vapaapudotusta tai antanut selvitystä sulasta metallista. NIST pyrki selvittämään romahdusta tietokonemallinnuksella, jonka data julistettiin salaiseksi vedoten kansalliseen turvallisuuteen.
American Airlines lento 77 – Virginia, Pentagon
Yhdysvaltain puolustusministeriö Pentagon on laaja, mutta matala, 5-kerroksinen rakennus lähellä Washingtonia. Virallisen teorian mukaan Hani Hanjour, jolla oli huono lentotaito,[49] ohjasi Boeing 757:n ensin rakennuksen ohi välttäen suoran osuman siipeen, jossa oli Donald Rumsfeldin ja kenraalien toimistot, teki syöksykierteen ja osui juuri remontoituun siipeen, jossa kirjanpito-osasto tutki 2,3 biljoonan dollarin puuttumista kirjanpidosta. Vaikka maa oli hyökkäyksen kohteena, kaapattu AA 77 sai lentää rauhassa kohti Washingtonin keskustaa, sillä Langleyn tukikohdasta lähetetyt kaupunkia puolustaneet hävittäjät lensivät Washingtonin sijaan päinvastaiseen suuntaan Atlantin valtamerelle.[50] Salaliittoteorioita kiihdytti muun muassa se, että alueella olevien valvontakameroiden nauhoja ei julkaistu tuoreeltaan. Ainoastaan viisi Pentagonin porttikameran ottamaa yksittäistä kuvaa julkaistiin, eikä niiden perusteella voitu sanoa, mikä rakennukseen osui. Toukokuussa 2006 Yhdysvaltain oikeusministeriö kuitenkin julkaisi kaksi videota koneen törmäyksestä Pentagoniin, joiden se toivoi ”vihdoin laittavan lopun American Airlinesin lento 77:ä koskeville salaliittoteorioille”.[51] Näissäkään Pentagonin porttikameroiden videoissa ei silti näy, mikä rakennukseen osui. Lähistöllä oli muita kameroita, muun muassa liikennevalvontakameroita sekä läheisen hotellin katolla olleita kameroita, joiden filmit viranomaiset takavarikoivat, joten ne jäivät julkaisematta. Ne kuitenkin julkaistiin myöhemmin.
Teorioiden mukaan Pentagonin piha-alue oli törmäyksen jälkeen aivan liian siisti, jos siihen tosiaan osui tyhjänäkin 60 tonnin painoinen liikennekone.[52] Jos Pentagoniin osui lentokone, se ei siis osunut nurmikolle vaan rakennuksen seinään. Niin ikään koneen siivistä, moottoreista tai pyrstöstä ei näy jälkeäkään. (Toisaalta joissakin kuvissa on näkyvissä koneen rungon jäänteitä,[53] joita väitettiin olleen myös rakennuksen sisältä otetuissa kuvissa.[54]) Lisäksi Pentagonin julkisivun vauriot eivät vaihtoehtoteoreetikkojen mielestä muodoltaan, sijainniltaan ja kooltaan vastaa Boeing 757:n törmäystä. Salaliittoteoreetikoiden mukaan Pentagonin uloimpaan seinään jäi ainoastaan yksi muutaman metrin halkaisijaltaan oleva reikä, josta Boeing 757:n olisi haastavaa mahtua jopa ilman siipiä ja pyrstöä. Rakennuksen vaurioista laadittu raportti[55] ei salaliittoteoreetikoiden mielestä pysty selittämään vähäisiä vaurioita tyydyttävästi.[56]
Viralliselle 9/11-komissiolle[57] Washingtonissa 23. toukokuuta 2003 pidetyssä kuulemistilaisuudessa[58] todistaneen Yhdysvaltain liikenneministeri Norman Minetan mukaan Pentagoniin iskeytyneen koneen lähestymistä seurattiin Valkoisen talon komentokeskuksessa viimeistään noin kello 9:20 alkaen. Samassa komission kuulemistilaisuudessa luettiin pöytäkirjaan ilmailuhallinto FAA:n lausunto, jonka mukaan kaikista poikkeavasti käyttäytyneistä koneista (myös lennosta 77) jaettiin reaaliaikaista tietoa myös ilmavoimille jo muutama minuutti ensimmäisen WTC-törmäyksen jälkeen (eli noin kello 08:50) aloitetuissa puhelinkonferensseissa. Ihmetystä on siksi herättänyt, että 9/11-komissio lausui loppuraportissaan (s. 27),[59] että ilmavoimissa ylipäätään tiedettiin koneen poikkeamisesta reitiltään vasta kello 09:34 ja silloinkin täysin sattumalta.
”Ei lentokonetta” -teoria ei ole kovin laajalti uskottu edes ”vaihtoehtoteoreetikkojen” keskuudessa. Pentagonin pihalta ja raunioista löytyi lentokoneen osia ja sadat ihmiset näkivät hyvinkin läheltä American Airlinesin Boeing 757:n lähestyvän rakennusta matalalla.[60][61][62][63]
Kaksoistornit
World Trade Centerin tornit WTC 1 ja WTC 2 olivat molemmat 63 metriä leveitä, 417 metriä korkeita, ja niissä oli 110 kerrosta. Pilvenpiirtäjien teräksestä ja betonista rakennetussa[64][65] ydinrungossa oli 47 teräspilaria, jotka oli kiinnitetty toisiinsa I-palkein. Julkisivun jokaisella sivulla oli 57 pilarista muodostuva verkkomainen ristikkorakenne, joka muodosti jäykän piirin rakennuksen ulkokehälle. Ulko- ja sisärungon välillä välipohjia kannattelivat 33-tuumaiset teräsristikot ilman välitukia. Välipohjina olivat teräsbetoniset liittolaatat: alla teräsprofiililevy, päällä 100mm betoni. Teräsosat oli paloeristetty ruiskupinnoitteella kestämään laskennallisesti kahden tunnin paloa.
Virallisen kuvauksen mukaan Boeing 767 -koneiden törmäys ja siitä seurannut kerosiinipalo aiheuttivat tukirakenteen pettämisen ja rakennusten sortumisen. Räjähdysmäinen kerosiinipalo pyyhki teräsosia puhtaaksi paloeristeestä. Törmäys aiheutti välittömästi rakenteeseen muodonmuutoksia, ja sen jälkeinen tulipalo lisäsi niitä, kunnes julkisivukehä pullistui ulospäin ja liittolaattaa kannattelevat palon heikentämät teräskonsoliliitokset pettivät. Tähän liittyvän ”pannukakkuteorian"” mukaan kerroslaatat luhistuivat alemman tason päälle, mistä seurasi aina alemman laatan putoaminen kerrosta alaspäin. Jo parin kerroksen luhistumisen jälkeen alas putoava massa oli moninkertainen kuhunkin välipohjalaattaan verrattuna, joten luhistuminen pääsi tapahtumaan lopulta lähes esteettä.[66][67][68]
Epäilijöiden mielestä seuraavat asiat sotivat kuitenkin tätä vastaan (Virallisen teorian mukaiset vastaukset kursiivilla):
WTC-tornit rakennettiin 1970-luvulla kestämään silloisen Boeing 707 -lentokoneen törmäys. Konetyyppi ei ole merkittävästi pienempi kuin törmäyskoneiksi väitetyt B767-koneet. Itse törmäyksen tornit kestivätkin varsin hyvin ja sortuivat vasta noin tunnin kestäneen tulipalon jälkeen. Tornien normaalitulipalolle suunniteltu palonkestoaika oli kuitenkin kaksi tuntia.
Väite tornien törmäyskestävyydestä perustuu kertomukseen, jonka mukaan törmäyskestävyyttä analysoitiin tornien rakentamisen jälkeen. Analyysiä tai todisteita sen olemassaolosta ei ole löydetty, eikä sen tarkkuutta siten ole siten voitu arvioida. Koska teräs heikkenee huomattavasti kuumennettaessa, teräsrakenteet ympäröidään palonsuojausmateriaalilla. Lentokoneiden törmäykset vaurioittivat suojauksia, mikä heikensi kestävyyttä suunnitellusta.
Lentokerosiini palaa vapaasti ihanteellisissa olosuhteissa noin 825 asteen liekillä. Tämä ei ole lähelläkään rakenneteräksen sulamispistettä, joka on hieman yli 1500°C. WTC:n pilvenpiirtäjien varmuusmarginaali oli salaliittoteorioiden mukaan kuusinkertainen suhteessa rakenteiden omaan painoon, ja samaten pilvenpiirtäjän teräksinen tukirakenne johtaa lämpöä tehokkaasti pois palopesäkkeestä.
FEMA:n , NIST:in sekä MIT:n (Massachusetts Institute of Technology) simulaatioissa yhden tornin tulipalon tehoksi on saatu jopa 1,5 gigawattia, mikä nostaisi lämpötilan yli 1000°C. Teräs menettää tulipalossa 600°C:n lämpötilassa kantavuudestaan 50% jo tunnin palon jälkeen.
Salaliittoteoreetikkojen mukaan kuumista tulipaloista WTC 1:ssä tai WTC 2:ssa ei ole näyttöä. Heidän mukaansa palot eivät saaneet happea ,ja ne rajoittuivat kerroksissa vain rakennuksen toiselle puolelle. Palo ei myöskään edennyt ylempiin kerroksiin, vaikka lämpö kohoaa aina ylöspäin. Lämpö ei myöskään ole riittänyt rakennuspaloissa tavanomaiseen ikkunalasien rikkoontumiseen ylemmissä kerroksissa.
Palomiesten radiokeskusteluissa kävi ilmi, että torneissa oli ”pari pientä toimistopaloa”. Kyseiset keskustelut käytiin 78. kerroksen ”Sky Lobbyssa”, kun törmäys tapahtui kerroksia ylempänä. Useat ihmiset hyppäsivät alas torneista tulipalon tieltä, mutta tämä tapahtui palon alkuvaiheessa, kun kerosiini vielä paloi. Myöhemmissä kuvissa ja videoissa nähdään ihmisiä huitomassa apua itse koneiden törmäysaukoissa. Tämä puoltaa teoriaa siitä, että palot olivat jo lähes sammuneet, eivätkä suinkaan palaneet suunnattoman kuumina.
WTC 2 romahti ensin, vaikka joutui myöhemmin törmäyskohteeksi ja oli salaliittoteoreetikkojen mukaan vähemmän vaurioitunut.
Aiemmin mainitun WTC 7:n lisäksi myös kaksoistornit romahtivat salaliittoteoreetikkojen mukaan symmetrisesti omille jalustoilleen, vaikka vain reilusti alle puolet tukipilareista vahingoittui törmäyksissä edes jossain määrin. Kaikki 283 pilaria siis olisivat pettäneet samanaikaisesti, ja tornit pudonneet käytännöllisesti katsoen vapaalla pudotuksella, molemmat noin kymmenessä sekunnissa.
Virallisen tapahtumien kuvauksen mukaan rakenteessa eivät kuitenkaan pettäneet pilarit vaan välipohjien ristikoita kannattelevat teräskonsoliliitokset. Lisäksi ”siisti symmetrinen romahdus” on kyseenalainen kuvaus tapahtumasta; muun muassa rakennukset WTC 4, WTC 5 ja WTC 6 purettiin myöhemmin, koska kaksoistornien sortumamassa oli vaurioittanut ne korjauskelvottomiksi. Salaliittoteoreetikot ovat kehittäneet "vapaa pudotus" -teorian katsomalla videokuvia, joissa romahdukset eivät pölyn vuoksi näy kokonaan; seismiset mittaukset osoittavat romahdusten todellisuudessa kestäneen 42–58% vapaata pudotusta kauemmin.[69] Seismisten havaintojen mukaan romahdukset kestivät ainakin 25 sekuntia. Videokuvien perusteella iso osa rakennusten keskuspilareista alkoi sortua vasta 25 sekuntia romahduksen alun jälkeen.[11] Kokonaisaikaa ei tiedetä luotettavasti, koska romahdus peittyi pölypilveen.
Tornien romahduksen aikaan havaittiin paikallista seismistä toimintaa. New York ei ole maanjäristysherkkää aluetta, joten epäilijöiden mukaan ainoa syy on tornien kontrolloitu purkaminen räjähtein. Samaan aikaan havaittiin 2,3 Richterin järistys.
2,0 Richterin richterin järistys vastaa noin 907 kilogramman TNT:n sisältämää energiaa, ja 2,5 richterin järistys vastaa noin 4172 kilogramman TNT:n sisältämää energiaa.[70]
Rakennusten raunioista sanotaan löytyneen vielä viikkoja sortumisten jälkeen erittäin kuumaa sulaa metallia. Tämä sekä ennen romahdusta rakennuksista suihkunnut keltainen sula metalli viittaa vahvistetun termiitin käyttöön rakennusten teräspalkkien räjäyttämisessä. Asiaa on tutkinut laajasti professori Steven Jones.[71] Sen enempää kerosiinin kuin rakennuksesta normaalisti löytyvän palavan materiaalin ei missään oloissa pitäisi sulattaa metallia. Vielä epätodennäköisempää on, että metalli pysyy sulassa tilassa viikkojen ajan.
Tutkittaessa satelliitista otettuja lämpötilamittauksia WTC:n raunioista voitiin mittauksista tulkita useita pieniä, läpimitaltaan kymmenestä sentistä metriin kokoisia yli 700°C:n lämpötilassa säteileviä pisteitä vielä viisi päivää romahduksen jälkeen.[72] Virallinen tapahtumien kuvaus ei ota asiaan mitään kantaa.
WTC 1 ja WTC 2 romahtivat tavalla, jossa rakenteiden luhistuminen eteni yläosasta alaosaan.[73] Salaliittoteoreetikkojen mukaan tällainen pelkästään oman massan avulla tapahtuva rakenteiden luhistuminen on edelleen todistamatta.
Virallisen tapahtumien kuvauksen mukaan kysymyksessä oli niin sanottu pannukakkuluhistuminen ulkoseinäkehän pullistuessa ulospäin ja välipohjien kannatinkonsolien pettäessä.
Pannukakkuluhistumisteoria ei kuitenkaan selitä, miten rakennuksen ytimessä olevat tukirakennepalkit pilkkoutuivat kasaan.
Sortumislinjan alapuolella nähdään videoissa lukuisia rakennuksesta ulospäin tupsahtavia teräviä savupilviä. Kun rakennuksen yläkerrokset putoavat alempien päälle, rakennuksen sisällä syntyvä ilmanpaine puhaltaa pölyä ja muuta materiaalia ulospäin. Tämä ilmiö tapahtuu muun muassa silloin, kun rakennus puretaan räjähteillä. Tästä salaliittoteoreetikot päättelevät, että pölypilvi on todiste räjähteiden käytöstä.
Salaliittoteoreetikot sanovat, että lähes kaikki rakennuksissa ollut betoni pulveroitui eli muuttui pölyksi. Betoni voi salaliittoteoreetikkojen mukaan pulveroitua vain kulumalla tai kuumuudessa, joka haihduttaa veden pois.
Lähes kaikki teräsrakenteet kuljetettiin Kaukoitään sulatettavaksi – salaliittoteoreetikkojen mukaan epäilyttävän nopeasti. Heidän mukaansa rakenteiden tutkimiseen ei jäänyt aikaa. 236 teräskappaletta säilytettiin ja annettiin tutkittavaksi.
Ylen TV-uutisten 11. syyskuuta 2001 mukaan lentokoneiden törmätessä torneihin tapahtui räjähdyksiä, ja ennen kuin tornit romahtivat, niissä sattui vielä kaksi muuta räjähdystä.
YouTubessa olevan videon 2nd hit - ”laser dot shot” mukaan ennen toisen lentokoneen törmäämistä WTC 2:een rakennuksen seinää pitkin liikkui punertava piste.[74] Piste saattaa olla peräisin laserista. Laseria käytetään muun muassa asetähtäimissä ja kohteiden määrittämisessä. Videon mukaan törmäyksestä kuluu kahdeksan sekuntia ennen kuin törmäyksen äänet kuuluvat. Kamera on ollut noin 2,5 kilometrin päässä torneista kaakkoon. Google Earthin mukaan tämä paikka sijaitsee maalla, kuten videokuva antaa olettaa. Törmäyksen äänet kuuluvat kolmena erillisenä räjähdyksenä. Kaksi ensimmäistä räjähdystä on kuultavissa lähes samanaikaisesti, kun taas kolmanteen räjähdykseen kuluu enemmän aikaa kuin on ensimmäisen ja toisen räjähdyksen välillä. Törmäyksen jälkeen tornien länsipuolitse lentää suuri valkoinen lentokone, joka saattaa olla nk. tuomiopäivän lentokone eli Yhdysvaltain sotilasjohdon liikkuva komentokeskus. Samaisen lentokoneen on väitetty nähdyn 11. syyskuuta 2001 Valkoisen talon yläpuolella.[75]
YouTubessa olevassa videossa 9/11 Home Video of 2nd Airplane hit[76] kamera on ollut noin 5,3 kilometrin etäisyydellä torneista koilliseen. Google Earthin mukaan tämä paikka sijaitsee maalla, kuten videokuva antaa olettaa. Videon mukaan törmäyksen seurauksena syntyy iso tumma pilvi, joka saattaa tarkoittaa sitä, että suuri osa mahdollisen lentokoneen polttoaineesta olisi palanut saman tien. Törmäyksen jälkeen on nähtävissä, että WTC 2:n tulipalot ovat heikommat kuin WTC 1:n.
YouTubessa olevassa videossa ”September 11 2001 Video.” kuuluva naisääni sanoo, että etelästä tullut lentokone olisi ollut armeijan lentokone.[77] Tämä tapahtuu ajanhetkellä 12.17.
YouTubessa olevan videon ”THIRD soundtrack on ParkForeman & passing plane airbrushed” mukaan toisen lentokoneen törmätessä WTC 2:een törmäyksestä kuluu kahdeksan sekuntia ennen kuin on kuultavissa kolme erillistä, voimakasta pamahdusta.[78] Videon perusteella kamera on ollut noin 2,7 kilometrin etäisyydellä torneista itään.
YouTubessa olevan 9/11 North Tower by Etienne Sauret -videon mukaan juuri ennen WTC 1:n sortumista sen pohjoisella julkisivulla on nähtävissä tummia reikiä, jotka näyttävät olevan suorassa rivissä koko tornin leveydeltä.[79] Myös tornin kulmissa on pystysuunnassa reikiä. Nämä reiät saattavat olla pommien aiheuttamia. Videokuva tärähtää noin kymmenen sekuntia ennen tornin romahtamisen alkamista. Tämä saattaa olla seurausta maanalaisten räjähteiden käytöstä. Myös September 11 2001 Video. -videossa reikien rivi on nähtävissä WTC 2:n sortumisen jälkeen ajanhetkellä 18.11.
Www.prisonplanet.com -nettisivulla olevassa videossa New 911 Footage Shows Demolition Truck Near WTC voi ennen toisen lentokoneen törmäämistä WTC 2:een ajanhetkellä 4.26 tornien välistä nähdä valkoisen lentokoneen lentävän.[80] Tämä saattaa olla Yhdysvaltain sotilasjohdon lentävä komentokeskus.
United Airlines lento 93 – Shanksville, Pennsylvania
9/11 Komission raportin mukaan United Airlinesin lento 93 syöksyi maahan Pennsylvaniassa, kun ohjaamoon oli yritetty hyökätä. Kuitenkin on ollut väitteitä siitä, että tosiasiassa Yhdysvaltain hävittäjälentokoneet olisivat ampuneet sen alas.[81]
Paul Thompsoniin viitaten kirjailija David Ray Griffin suosii tätä ideaa kirjassaan The New Pearl Harbor. Thompson ja muut salaliittoteoreetikot sanovat, että tämän lentokoneen pirstaleita löydettiin kolmen mailin päästä putoamispaikasta[82] ja esittävät, että tämä saattaa olla todisteena alasampumisesta.[83] On myös joitakin silminnäkijähavaintoja siitä, että pirstaleet olisivat pudonneet taivaalta kuin konfetit.[84] Kuitenkin NTSB:n tutkijat sanovat, etteivät ole löytäneet todisteita lentokoneen alasampumisesta, ja Popular Mechanics kirjoitti, että pirstaleiden räjähtäminen ja laskeutuminen maahan kaukana putoamispaikasta ei ole ainutlaatuinen tapahtuma matkustajalentokoneonnettomuuksissa.[85]
Thompson myös tarkasteli monia valtavirtamedian raportteja ja sanoi, että hävittäjälentokoneet itse asiassa olivat paljon lähempänä lentoa 93 törmäyksen aikaan kuin virallisessa asiakirjassa sanotaan.[86] Hän mainitsee todistajia, jotka huomasivat putoamispaikan lähellä pian törmäyksen jälkeen pienen valkoisen suihkukoneen.[87] Kuitenkin jotkut sanovat, että tämä oli todennäköisesti liikelentokone ATC, jota oli pyydetty tutkimaan putoamispaikkaa ja joka laskeutui suunnilleen 1500 jalan korkeudelle selvittämään törmäystä. Ben Sliney, joka oli FAA operaatiojohtaja syyskuun 11:ntenä vuonna 2001, sanoo, ettei lennon 93 lähellä ollut sotilaslentokonetta.[88] Thompson on kyseenalaistanut sen, että olisi uskottavaa, ettei armeija tiennyt lennon 93 olevan poissa lentoreitiltään ja ilman yhteyttä, ja esittää, että hänen väitteensä osoittaa heidän olleen tietoisia ja lähettäneen suihkukoneita tutkimaan ja mahdollisesti ampumaan se alas.[89]
Jim Hoffman huomauttaa kolmen minuutin eroavuudesta ohjaamon äänityksessä välittömästi ennen lennon putoamista.[83] Ohjaamon puheäänittäjän puhtaaksikirjoitettu teksti päättyy kello 10.03 aamupäivällä, mutta Clevelandin lennonjohto raportoi, että lento 93 hävisi tutkasta kello 10.06 aamupäivällä sekä FAA:n tutkanauhoitteet myös toteaa ajankohdan 10.06 aamupäivällä.[83] Seismologit kirjaavat törmäyksen tapahtuneen kello 10.06.05 aamupäivällä muutaman sekunnin poikkeamalla.[90] Tästä huolimatta 9/11 Komission Raportti tuli sellaiseen johtopäätökseen, että putoaminen tapahtui 10.03 aamupäivällä.
Salaliittoteoreetikot tarttuivat myös Yhdysvaltain puolustusministeri Donald Rumsfeldin sitaattiin, jossa hän huomautti lennon 93 olleen ”lentokoneen, jonka he ampuivat alas Pennsylvanian yllä.” Pentagonin virkailija myöhemmin sanoi, että Rumsfeld oli puhunut väärin.[91]
Jotkut internetvideot, kuten Loose Change, pohdiskelevat, että lento 93 laskeutui turvallisesti Ohioon ja että sen sijasta toinen lentokone pudotettiin Pennsylvaniaan.[92] Usein viitattu esiuutislähetys siitä, että lento 93 laskeutui Clevelandin lentoasemalle;[93] myöhemmin opittiin, että Delta lento 1989 sekoitettiin lentoon 93, ja raportti vedettiin pois virheellisenä. Useat 9/11 Totuusliikkeen nettisivut kumoavat tämän väitteen, viitaten tapahtumapaikan romuihin, silminnäkijälausuntoihin sekä siihen, kuinka vaikeata olisi ollut vaihtaa lentokone salaisesti toiseen.[81][94]
Presidentin käyttäytyminen
Syyskuun 11. päivän aamuna presidentti Bush oli Emma E. Booker Elementary School -koululla Floridan Sarasotassa edistämässä uuden opetussuunnitelmansa hyväksymistä. Hän oli ilmeisesti jo tietoinen ensimmäisen lentokoneen törmäyksestä, ennen kuin hän astui luokkahuoneeseen lukemaan lasten kanssa kirjaa The Pet Goat. Kello 9.05 aamupäivällä paikallista aikaa Andrew Card kuiskasi hänen korvaansa, että toiseen torniin oli osuttu ja että Amerikka oli hyökkäyksen kohteena. Kun presidentti päätti jäädä luokkahuoneeseen kysymättä lisätietoa henkilöstöltään, eikä henkilöstö vapaaehtoisesti antanut lisätietoa tai vienyt häntä turvapaikkaan, on tämän perusteella väitetty, että Bush tiesi ennalta, että hyökkäykset olivat tulossa, että hän itse oli turvassa ja että tilanne oli hallinnassa.[95][96] Tähän on vastattu, että Bushin tarkoituksena oli “heijastella vahvuutta ja rauhallisuutta”, toisin sanoen hän ei halunnut aiheuttaa lisää paniikkia pakenemalla huoneesta, mistä tehtyä nauhoitusta olisi todennäköisesti pyöritetty uudestaan ja uudestaan uutislähetyksissä.[97]
Presidentin vierailu koululla oli julkinen tilaisuus ja presidentin sijainti tapahtumahetkellä oli julkisessa tiedossa. Vaikka maa oli terroristien hyökkäyksen kohteena ja yksi todennäköisistä iskukohteista olisi voinut olla presidentti Bush, ei hän kuitenkaan pitänyt mitään kiirettä hakeutua suojaan, vaan viipyi koululla saatuaan tiedon toisesta iskusta vielä 28 minuutin ajan. Myöskään Salaisen palvelun agentit, joiden tehtävänä on suojella presidenttiä, eivät nähneet syytä viedä presidentti Bushia suojaan, ja samalla teoriassa riskeerasivat presidentin, oman ja koko koulun väen hengen.[98]
Presidentti Bush myös tiedotti kahdessa eri yhteydessä vuoden 2001 lopulla ja vuoden 2002 alussa, että hän näki ensimmäisen lentokoneen osuvan World Trade Centeriin ja hän oletti sen olevan onnettomuus. Hän ei ole voinut nähdä ensimmäisen lentokoneen osumista torniin kaupallisesta televisiosta, koska yksikään televisioasema ei lähettänyt suoraa kuvaa alueelta silloin, kun ensimmäinen lentokone osui.[99][100] Uudesta palomiehestä dokumenttia tehnyt elokuvantekijä Jules Naudet taltioi ainoan tunnetun nauhoituksen ensimmäisen lentokoneen törmäyksestä.[101] Videota näytettiin ensin CNN:llä myöhemmin samana päivänä, ja myöhemmin se julkaistiin 9/11-dokumenttielokuvassa. Valkoinen talo selitti hänen kommenttiaan “väärällä muistikuvalla”,[102] ja jotkut kritisoijat inttävät, että presidentti Bush viittasi jälkiseurauksiin eikä todelliseen suihkukoneen törmäykseen kello 8.46 aamulla paikallista aikaa.
Kaappauksia koskevat väittämät
Törmäystä edeltävät tapahtumat lentokoneissa ovat olleet kiivaan väittelyn kohteena. Joidenkin salaliittoteoreetikoiden mukaan lento 77 suoritti Pentagonia lähestyessään toimenpiteen, joka olisi vaatinut joko erittäin kokeneen lentäjän tai tietokoneella säädetyn lentoradan. 9/11-komission raportti huomauttaa, että lennon 77 raportoidun pilotin, Hani Hanjourin, opettaja kuvaili häntä “kauheaksi lentäjäksi”.[103]
Väitteet lentokoneiden lennättämisestä kohteisiinsa tietokoneavusteisesti
Jim Hoffman ja Scholars for 9/11 Truth and Justice -liike ovat sanoneet, että lennoilla 11, 175 ja 77 olleisiin tietokonejärjestelmiin on voitu ladata esiasetettu reitti, joka ohjasi lentokoneet kohteisiinsa.[104] Hoffman väittää, että tämä on todennäköisempi skenaario kuin lentojen 11, 175 ja 77 kaappausten virallinen kuvaus siitä, miten lento 77 hänen mukaansa lähestyi Pentagonia.[105] Hän huomauttaa lennon 93 osoittautuvan poikkeukseksi ja väittää lennolta 93 soitetun suuren määrän puheluita verrattuna kolmeen muuhun lentoon.[106]
Jotkut teoriat olettavat, että sen sijaan, että lentokoneiden mukana olleissa tietokoneissa olisi ollut esiasetetut reitit, lentokoneet olisi muunnettu lentämään kauko-ohjatusti. Lentokoneiden ohjaajat ovat saattaneet olla maan päällä tai kuten “Tuomionpäivän lentokone” –teoriassa, toisessa lentokoneessa. Tämä teorian mukaan World Trade Center –videoiden taivaalla nähty epämääräinen valkoinen kohde oli lentokone, jonka kyydissä oli lentojen 11 ja 175 kauko-ohjaajat ja että Pentagon-iskun jälkeen paikalta pois lentäneen lentokoneen kyydissä oli lennon 77 kauko-ohjaajat.[107] Pentagonin lähistöllä ollut lentokone tunnistettiin myöhemmin Global Guardian –harjoitukseen osallistuneen Boeing 747-200:n sotilasversioksi eli E-4B kansalliseksi lentäväksi operaatiokeskukseksi (NAOC).
Kaappaajia koskevat väitteet
Syyskuun 23. päivänä BBC ja Daily Telegraph raportoivat, että neljä FBI:n nimeämistä 19:stä kaappaajasta oli mahdollisesti elossa ja hyvässä kunnossa.[108][109] Yksi heistä oli Waleed al-Shehri, jonka toimittajat olivat löytäneet Casablancasta, Marokosta. Kolmen muun kaappaajan, Abdulaziz Al Omarin, Saeed Alghamdin ja Khalid al-Midharin sanottiin asuvan Lähi-idässä. Syyskuun 19. päivänä FDIC jopa julkaisi “erityisvaroituksen”, joka listasi al-Midharin eläväksi (oikeusministeriö myöhemmin sanoi tämän olleen painovirhe). Nämä raportit ovat johtaneet väitteisiin, että kaappaajien nimet saattavat olla vääriä, tai että 9/11-komission raportissa hahmotellut kaappausskenaariot eivät mahdollisesti ole totuudenmukaisia. Myöhemmin BBC luopui väitteestä ja korjasi uutistaan.[110] BBC ilmoitti, että sekaannus on saattanut johtua siitä, että FBI:n nimet olivat yleisiä arabialaisia ja islamilaisia nimiä.[111] Vuonna 2002 Saudi-Arabia vakuutti kaappajien nimien olevan oikein.[112]
Jotkut seikat viittaavat siihen, että kaappaajat eivät olleet tyypillisiä ääri-islamisteja tai tyypillisiä itsemurhaterroristeja. Esimerkiksi Mohammed Atta söi sianlihaa, joi alkoholia, pelasi uhkapelejä kasinoissa ja kävi strippiklubeilla.[113]
Väitteet koskien kännykkäpuheluita
Perustuen vuonna 2003 Kanadassa toimeen pantuun tutkimukseen matemaatikko A.K. Dewdney olettaa, että syyskuun 11. päivän hyökkäysten yhteydessä käydyt puhelut olisivat olleet erittäin vaikeita toteuttaa.[114] Dewdney perustaa väitteensä olettamukseen, että puhelut olivat kännykkäpuheluita. Perustuen telecom-alan asiantuntijalausuntoihin, taloustieteilijä Michel Chossudovsky väittää, että ainakin osa puhelinkeskusteluita sisältävästä 9/11-komission raportin ensimmäisestä luvusta on tekaistu.[115] Myös Chossudovsky perustaa väitteensä olettamukseen, että puhelut olivat kännykkäpuheluita. 9/11-komission raportin mukaan lennon 93 kolmetoista matkustajaa soittivat yhteensä yli 30 puhelua perheilleen ja pelastusviranomaisille. Salaliittoteoreetikot väittävät, että puhelut soitettiin matkapuhelimista; todellisuudessa kahta lukuun ottamatta puhelut soitettiin satelliitteja käyttävistä lentopuhelimista. Alkuperäisten raporttien mukaan United 93-lennolta soitettiin 10 kännykkäpuhelua.[116] American Airlinesin mukaan heidän Boeing 757-koneissaan ei kuitenkaan ollut matkustajien lentopuhelimia[117]. Raporttien mukaan lennolta 11 soitettiin kolme puhelua, viisi lennolta 175 ja kolme lennolta 77. Näiden lentojen puheluista lennon 11 lentoemännät Madeleine Sweeney ja Betty Ong nauhoittivat kaksi. Puheluiden puhtaaksikirjoitetun tekstin luonteeseen on väitetty liittyvän erilaisia epäsäännöllisyyksiä.[118]
World Trade Centerin iskuihin liittyvät väitteet
Salaliittoteoreetikot ovat esittäneet erilaisia väitteitä World Trade Centerin torneihin törmänneistä lentokoneista. Nämä väitteet vaihtelevat Boeingin lentokoneiden muuntelusta (kotelo lentokoneen alapuolisella rungolla) väitteisiin, että asiaan liittyy erilaisia lentokoneita tai että torneihin ei osunut ollenkaan mikään (’Ei Boeingia –teoriat’ tai ’Ei lentokoneita –teoriat’). Kaikki 9/11-totuusliikkeen jäsenet eivät kannata näitä teorioita,[119] ja enemmistö uskoo lentojen 11 ja 175 osuneen torneihin virallisen selostuksen mukaisesti.[120][121]
Valokuvatodisteisiin perustuva 911: In Plane Site -internetvideo on levittänyt väitettä, että lennon 175 alapuolisella rungolla olisi ollut jonkinlainen kotelo. Tämän väitteen perusteena käytettyyn valokuvaan viitaten Popular Mechanics –lehti lainaa jutussaan Debunking 9/11 Myths Arizonan valtionyliopiston avaruusvalokuvauslaboratorion johtajaa Ronald Greeleytä, joka sanoi, että ”valokuva paljastaa vain Boeingin laskutelineen sisältävän oikeanpuoleisen tuulisuojuksen”.[122] Koteloteoriaa kannattavia henkilöitä on kutsuttu “koteloihmisiksi“.[123][124] Tämä väite on usein yhdistetty toiseen väitteeseen, jonka mukaan lentokoneen törmätessä eteläiseen torniin tapahtui poikkeava leimahdus. Teorian mukaan lentokoneen alapuolelta laukaistiin juuri ennen törmäystä ohjus.[125]
Bushin hallinnon entinen pääekonomisti Morgan Reynolds, joka myöntää olevansa 9/11-totuusliikkeen “musta lammas”,[126] uskoo, että lentojen 11 ja 175 Boeingin lentokoneet eivät ole voineet törmätä torneihin. Hän on esittänyt, että on saattanut tapahtua “lentokoneiden vaihto“, joissa väitetyt törmäyskoneet vaihdettiin toisiin, tai törmäyksiä ei välttämättä ole tapahtunut ollenkaan. Osa 9/11-totuusliikkeen jäsenistä ei kannata tätä teoriaa,[127] vaikkakin Totuusliike väittelee vielä asiasta keskuudessaan.[128][129]
Salailun syytökset
Salaliittoteoreetikot sanovat, että he havaitsevat osassa virallisessa syyskuun 11. päivän hyökkäysten tutkimuksessa käyttäytymiskaavan, jonka tarkoituksena olisi vaientaa ”virallisen selostuksen” kanssa mahdollisesti ristiriidassa olevan todisteiden ilmaantumisen.[130][131][132] He yhdistelevät uutisjuttuja useista eri lähteistä tällä kaavalla.[133][134][135][136][137][138]
Ohjaamotappelu ja tallentimet
9/11-komission raportin mukaan lentojen 11 ja 175 ohjaamon äänittäjiä tai lentotietotallentimia tai mustia laatikoita ei löydetty WTC-hyökkäyksen jäänteistä. Kuitenkin kaksi World Trade Centerin raunioilla kattavasti työskennellyttä miestä sanoi, että he auttoivat liittovaltion agentteja löytämään reittilentokoneiden neljästä mustasta laatikosta kolme:[139][140]
“Kerran minut määrättiin opastamaan liittovaltion agentteja ympäri paikkaa lentokoneiden mustien laatikoiden etsimiseksi. Olimme valmiita lähtemään pois. Maastoautoni oli pysäköity portaiden yläpäähän Brooks Brothersin sisääntuloalueelle. Me lastasimme tarvikkeita suunnilleen miljoonan dollarin arvosta ja kiinnitimme sen maastoautoon. Oli yhteensä neljä mustaa laatikkoa. Me löysimme kolme.“
Kansallisen liikenneturvallisuushallituksen edustaja Ted Lopatkiewicz huomautti: “On erittäin harvinaista, ettemme saa tallentimia takaisin. Minulle ei tule mieleen toista kotimaista tapausta, jossa emme olisi löytäneet tallentimia.“[141]
Huolimatta lennon 93 ohjaamon tallenninta, lentojen 77 ja 93 mustia laatikoita joko ei koskaan löydetty tai niiden sanottiin olleen liian vahingoittuneita sisältämään tietoa. Huhtikuun 18. päivänä 2002 FBI salli lennon 93 uhrien perheiden kuunnella äänitteitä.[142] Huhtikuussa 2006 ohjaamotallentimen puhtaaksikirjoitettu teksti julkaistiin osana Zacarias Moussaouin oikeudenkäyntiä. Jotkut salaliittoteoreetikot eivät usko mustien laatikoiden olleen vahingoittuneita, vaan heidän mukaansa todisteita on salailtu.
Kesäkuussa 2007 Pilots for 9/11 Truth –liikkeen tutkija Calum Douglasin väitetään esitelleen analyysin lennon 77 mustan laatikon tiedoista.[143] Douglas sanoo hankkineensa tiedon kansallisesta liikenneturvallisuushallituksesta (NTSB) anomuksella vedoten tiedonvapauslakiin. Hän tekee johtopäätöksen, että lähestymisreitti ja korkeus lentoreittianimaatiossa poikkeaa virallisesta lennon 77 reitin selostuksesta.
Motiivit
“Pax Americana“
Esittäessään motiiveja sille, miksi Yhdysvaltain hallitus olisi suorittanut hyökkäykset professori David Ray Griffin vakuuttaa, että monet Bushin hallinnon jäsenet elättelivät mielessään unelmaa maailmanlaajuisesta ”Pax Americanasta”. Ensin tämä unelma oli puettu sanoiksi Paul Wolfowitzin luonnostelemassa vuoden 1992 puolustuksen suunnittelun ohjauksessa sittemmin puolustusministeri Dick Cheneyn nimissä, dokumentissa, jota on kutsuttu ”Yhdysvaltain maailmanlaajuisen hegemonian[144] luonnokseksi” ja sitä on toisteltu uuskonservatiivien kirjoituksissa. Luennossaan 9/11: The Myth and the Reality Griffin toteaa seuraavaa:
Tämän tavoitteen saavuttamiseksi (Yhdysvaltain maailmanlaajuisen hegemonian) tarvittaisiin neljää asiaa.
1. Yksi näistä olisi maailman öljyn saaminen hallintaan, erityisesti Keski-Aasian ja Lähi-idän, ja Bushin ja Cheneyn hallitus tuli valtaan valmiine suunnitelmineen hyökätä Afganistaniin ja Irakiin.
2. Toinen vaatimus olisi armeijan teknologinen muodonmuutos, jonka seurauksena keskiöön tulisi taistelu avaruudessa.
3. Kolmas vaatimus olisi asevarustelun rahoittamisen valtava lisääminen näiden uusien sotien ja avaruuden aseistamisen maksamiseksi.
4. Neljäs tarve olisi ennaltaehkäisevän hyökkäyksen doktriinin määrittäminen, jotta Yhdysvaltain olisi mahdollista hyökätä muihin maihin, vaikkeivät nämä osoittaisi olevansa välitön uhka.
Nämä neljä elementtiä vaatisivat lisäksi viidennen: tapahtuman, joka saisi amerikkalaiset hyväksymään nämä imperialistiset politiikat.“[145]
Jotkut laajimmin viitatut uuskonservatiivien kirjoituksista ovat kotoisin Project for the New American Century – ajatushautomosta (PNAC, “Uuden amerikkalaisen vuosisadan projekti“). Tähän ryhmään kuuluivat monet Bushin hallinnon jäsenet mukaan lukien Dick Cheney, Donald Rumsfeld, Paul Wolfowitz ja Jeb Bush. Vuonna 2000 julkaistu Rebuilding America's Defenses -dokumentti vaatii lisäpanostusta armeijan muuttamiseksi. Se jatkuu seuraavasti:
“Tämä muodonmuutosprosessi…tulee todennäköisesti olemaan pitkä ilman jotakin katastrofaalista ja aktivoivaa tapahtumaa – kuten uutta Pearl Harboria.“[146][147]
Vuonna 1997 ilmestyneessä kirjassaan The Grand Chessboard Jimmy Carterin presidenttikauden aikainen turvallisuuspoliittinen neuvonantaja, geostrategi Zbigniew Brzezinski ryhtyy laatimaan ”kokonaisvaltaista ja yhdistyvää euraasialaista geostrategiaa… on välttämätöntä, ettei ilmaannu Euraasiaa dominoimaan kykenevää euraasialaista haastajaa, joka näin ollen haastaisi myös Yhdysvallat.“[148] Myöhemmin kirjassaan hän sanoo, että:
“Yhdysvaltain muuttuessa lisääntyvässä määrin monikulttuuriseksi yhteiskunnaksi sen on entistä vaikeampaa saavuttaa konsensusta ulkopolitiikassa, paitsi todella massiivista ja laajasti ymmärrettyä suoran ulkoisen uhan olosuhteissa.“[148]
Monien mielestä terrorismin vastainen sota on tekosyy uuskonservatiivien tavoitteiden saavuttamiseksi. Jim Hoffman on yksi niistä, jotka väittävät, että avainmotiivi syyskuun 11. tapahtumille on saattanut olla ”jatkuvan uhan”, terrorismin, luominen toimimaan samalla tavalla kuin kommunismi kylmän sodan aikana.[149] Hän viittaa Washington Post –lehdessä ilmestyneeseen artikkeliin, jossa Dick Cheney sanoo terrorismin vastaisesta sodasta seuraavaa: “Se ei välttämättä pääty koskaan. Ainakaan ei meidän elinaikanamme."[150]
Syyskuun 11. päivän tapahtumista lähtien Yhdysvaltain hallitus on esittänyt kongressille monia lakialoitteita, joiden ainakin jotkut ihmiset väittävät olevan kansalaisoikeuksien loukkauksia ja suorassa ristiriidassa Yhdysvaltain perustuslain kanssa. Näin on väitetty varsinkin USA PATRIOT Act</i>isa, the Homeland Security Bill’istä, poliisijoukkojen militarisoinnistä, Posse Comitatus Act mitätöinnistä sekä Guantanamo Bayssä olevien vankien oikeuksia koskevista lainmuutoksista.[151]
Uusi maailmanjärjestys
Maailmanpankin ja kansallisten keskuspankkien on sanottu olevan uuden maailman järjestyksen työkaluja The Money Masters -dokumentissa; sota luo massiivisia voittoja keskuspankeille hallituksen kulutuksen (johtuen korkoperusteisesta lainaamisesta keskuspankista) lisääntyessä dramaattisesti sodan aikana.[152]
Öljy- ja osakeyhtiöiden voitot
Entinen huumepoliisi Michael Ruppert on pääasiallisesti ”Öljyhuippu”-kriisistä raportoivan vaihtoehtoisen “From the Wilderness” –uutisjärjestön luoja. “The Truth and Lies of 9/11” –luennossaan hän väittää, että pääasiallinen motiivi syyskuun 11. päivän tapahtumille ja sitä seuraaville sodille oli tarve saada tekosyy sodan käynnistämiseksi viimeisistä jäljellä olevista öljylähteistä. Hän myös korostaa huumeiden salakuljetusteollisuuden tärkeyttä ja arvoa maailman taloudelle, arvioiden huumebisneksen olevan melkein 600 miljardin dollarin arvoinen Wall Streetille ja bisneksen luomaa rahaa peseville yhdysvaltalaisille pankeille. Ruppert pohdiskelee, että vuosien 2000 ja 2001 aikana Talibanin käytännöllisesti katsoen hävittämä Afganistanin oopiumiteollisuus on saattanut olla syy siihen, että maa valittiin Lähi-idän ”öljysotien” aloituspaikaksi.[153]
Terrorismin vastainen sota, erityisesti Afganistanin ja Irakin miehitykset luovat massiivisia voittoja öljy-, turvallisuus-, ase-, vakuutus- ja puolustussopimusteollisuudelle. Sota-, tiedustelu- ja turvallisuusbudjetit ovat nousseet huimasti syyskuun 11. päivän tapahtumien jälkeen. Lisäksi on myös väitetty, että huumeiden salakuljettajat ja rahanpesijät ovat hyötyneet suuresti Afganistanin ja sen oopiumipeltojen miehittämisestä. Kaikkien näiden tekijöiden on ajateltu saattavan olla merkittäviä selostettaessa operaation ja sen jatkuneen salassapidon menestystä.[154][155]
On myös väitetty, että World Trade Centerin omistaja Larry Silverstein on saattanut hyötyä vakuutuskorvauksista. Silverstein hankki omistukseensa 99-vuotisen sopimuksen kompleksista vuoden 2001 heinäkuussa. Hyökkäysten jälkeen hän vaati 7,1 miljardin dollarin korvausta väittäen, että kaksi lentokonetörmäystä oli kaksi erillistä hyökkäystä.[154][156] World Trade Center myös sisälsi suuren määrän asbestia, jota vaadittiin poistettavaksi; jotkut väittävät, että tämän homman suorittamisen kustannukset olisivat olleet yli miljardi dollaria. On myös väitetty, että rakennuksessa oleva toimistotila oli tuottamatonta ja alue oli kaupunkiuudistuksen tarpeessa.
Hyökkäyssuunnitelmat
On myös väitteitä, että suunnitelma Afganistanin valloittamisesta olisi tehty ennen syyskuun 11.päivän tapahtumia. Heinäkuun 26:ntena vuonna 2001 intialainen julkisten tapausten aikakauslehti News Insight paljasti Yhdysvaltain ja Venäjän yhteisistä suunnitelmista hyökätä Afganistaniin Taleban-hallinnon syrjäyttämiseksi. Se raportoi, että Intia ja Iran helpottaisivat hyökkäystä.[157] BBC raportoi syyskuun 18:ntena vuonna 2001, että heinäkuun puolessa välissä yhdysvaltalaiset vanhemmat virkailijat olisivat kertoneet Pakistanin entiselle ulkoministeri Niaz Niakille, että sotilaalliset toimet Afganistania vastaan tapahtuisivat lokakuun puolivälissä.[158] MSNBC raportoi 16. toukokuuta 2002, että kaksi päivää ennen iskuja 9. syyskuuta 2001, presidentti Bush sai suunnitelmia maailmanlaajuisen sodan Al-Qaidaa vastaan aloittamiseksi.[159]
Salaliittoteoreetikot ovat kyseenalaistaneet sen, antoiko syyskuun 11. tapahtumat Yhdysvalloille ja Yhdistyneelle Kuningaskunnalle syyn laukaista sota, jota nämä olivat halunneet joitakin aikoja, ja väittävät, että tämä antoi heille vahvan motiivin hyökkäysten suorittamiseen tai niiden tapahtumisen sallimiseen. Heinäkuussa 2002 Tony Blair sanoi Commons Liaison Committeelle: ”Ollakseni rehellinen asian tiimoilta, ei ole keinoa, jolla olisimme saaneet julkisen hyväksynnän yhtäkkiä laukaistulla kampanjalla koskien Afganistania, mutta minkä vuoksi syyskuun 11. hyökkäykset tapahtuivat”.[160]
On myös väitetty, että vuoden 2003 Irakin valloitus oli presidentti Bushin toimintasuunnitelmalistalla listalla siitä lähtien, kun hänet valittiin ja jopa ennen. Vaikka tekosyy sodalle oli se, että Saddam Husseinilla oli hallussaan joukkotuhoaseita, jotkut sanovat, että syyskuun 11. päivän tapahtumat olivat osa suunnitelmaa luoda “pelon ilmapiiri” kannatuksen saamiseksi hyökkäykselle, jota seuraisi pitkäaikainen miehitys. George Bushin ensimmäinen valtiovarainministeri Paul O’Neill raportoi, että tapaamisessa 2001 vuoden tammikuussa presidentti keskusteli hyökkäyksestä Irakiin ja sen miehittämisestä. “Kaikessa oli kyse keinon löytämisestä sen tekemiseksi. Sellainen oli äänensävy. Presidentti sanoi, että mene ja keksi keino tämän tekemiseksi” O’Neill kertoi CBS:lle.[161]
Ehdotetut historialliset ennakkotapaukset
9/11 Totuusliikkeen jäsenet toisinaan ottavat esille historiallisia esimerkkejä, joissa hallitus on tai ainakin sen on väitetty joko suorittaneen valehyökkäyksen tai tarkoituksella sallineen todellisen hyökkäyksen tapahtua. Jotkut sanovat, että
näiden hyökkäysten motiivien ja 9/11 tapauksen väitettyjen motiivien välillä on huomiota herättäviä yhtäläisyyksiä – etenkin sodan julkisen kannatuksen luomiseksi ja/tai kansalaisoikeuksien rajoittamiseksi.
nämä osoittavat, että hallitukset pitävät tärkeämpänä pitkän aikavälin toimintasuunnitelmiaan kuin omien kansalaistensa fyysisen turvallisuuden suojelemista. Todisteena tästä on pidetty erityisesti John F. Kennedyn hallinnon jäsenten operaatio Northwoods -suunnitelmaa.
nämä osoittavat, että jopa sellaisia salaliittoja, joissa on ollut mukana paljon ihmisiä kuten operaatio Gladiossa, on pystytty pitämään menestyksekkäästi salassa monia vuosia.
Tapahtumia, jotka joko ovat osoittautuneet eri maiden hallitusten salaisesti toimeenpanemiksi tai joita ainakin jotkut salaliittoteoreetikot ovat sellaisiksi väittäneet, ovat esimerkiksi:[162]
64: Suosittu perimätieto sanoo, että keisari Nero määräsi Roomassa suurta tuhoa aiheuttaneen tulipalon sytytettäväksi, jotta hän voisi syyttää siitä kristittyjä. Palon todellista syttymissyytä ei kuitenkaan tiedetä, ja Neron toteuttama kristittyjen vaino oli lyhyt ja paikallinen.
1898: Hyökkäys USS Mainea vastaan aloittaa Espanjan–Yhdysvaltain sodan.
1915: RMS Lusitanian upottaminen vetää Yhdysvallat ensimmäiseen maailmansotaan.
1933: Yleisen mutta todistamattoman teorian mukaan Saksan valtiopäivätalon palo olisi sytytetty Adolf Hitlerin käskystä, jotta sillä voitaisiin perustella Saksan perustuslain kanssa ristiriidassa olevien lakien säätäminen.
1939: Natsien operaatio Himmler aloittaa toisen maailmansodan.
1939: Mainilan laukaukset, jotka aloittivat talvisodan.
1941: Japanilaisten hyökkäys Pearl Harboriin vetää Yhdysvallat toiseen maailmansotaan.
Valtavirtamedia usein kiinnittää huomiota syyskuun 11. päivän tapahtumien ja vuoden 1941 Yhdysvallat toiseen maailmansotaan vetäneen, japanilaisten Pearl Harboriin tekemän hyökkäyksen välisiin yhtäläisyyksiin. Syyskuun 11. päivän iltana presidentti George W. Bush itse kirjoitti päiväkirjaansa: ”21. vuosisadan Pearl Harbor tapahtui tänään.”[163] Jotkut 9/11 Totuusliikkeen jäsenistä ovat myös osoittaneet kahden tapahtuman välisiä rinnakkaisuuksia. David Ray Griffin on väittänyt, että presidentti Franklin D. Roosevelt ei ainoastaan yllyttänyt japanilaisia hyökkäämään vaan että hän ei myöskään ottanut huomioon varoituksia siitä, että hyökkäys oli tulossa ja että hän jopa aktiivisesti vaikutti siihen, että hyökkäys onnistui. Hänen motiivinaan olisi ollut saada Yhdysvallat mukaan sotaan ilman, että se näyttäisi sodan aloittajalta. Toinen tapahtumien välinen yhtäläisyys on uhrien lukumäärä, suunnilleen kolme tuhatta molemmissa tapauksissa, jotka väitetysti olivat kuolleet heidän omien hallitustensa valtuuttamissa tapahtumissa.
1953: Operaatio Ajax kannattaa Iranin vallankumousta. Tähän malliin perustuvia operaatiota käytettiin samanlaisten vallankumousten kannattamiseksi muissa maissa.
1954–1982: Operaatio Gladio, enimmäkseen Italiassa ja Länsi-Euroopassa tapahtunut sarja koordinoituja valeterroristihyökkäyksiä. Monet asiantuntijat kuitenkin kiistävät teoriat iskujen laajasta koordinoinnista ja huomauttavat, että väitteille ei ole pitäviä todisteita.[164]
1962: Presidentti John F. Kennedy kieltäytyy valtuuttamasta Operaatio Northwoods’ia.
Operaatio Northwoods oli Yhdysvaltain puolustusministeriön johtajien vuonna 1962 Kennedyn hallinnon aikana ehdottama suunnitelma, jonka tarkoituksena oli saada Yhdysvaltojen yleinen mielipide kannattamaan sotilaallisia toimia Fidel Castron johtamaa Kuuban hallitusta vastaan..[165] Suunnitelmassa ehdotettiin erilaisia valehyökkäystoimia kuten simuloituja tai todellisia valtion rahoittamia terroritekoja Yhdysvaltain ja Kuuban maaperällä. Tämä sisälsi suunnitelman laittaa lentokoneeseen CIA:n agentteja, jotka esittäisivät collegeopiskelijoita lentämässä Kuuban yli matkalla lomakohteeseen. Lentokone oli määrä korvata kesken lennon räjähteillä täytetyllä kauko-ohjatulla lentokoneella, jonka oli määrä lentää Kuuban ilmatilan yli ja räjäyttää teeskennellen sitä, että Castron hallintojärjestelmä olisi ampunut alas collegeopiskelijoita täynnä olleen lentokoneen. Suunnitelmalla oli kaikkien Joint Chiefs of Staff kirjallinen hyväksyntä ja se esiteltiin presidentti Kennedyn puolustusministerille, Robert McNamaralle maaliskuussa 1962. Kennedyn hallinto hylkäsi suunnitelman.[166]
1964: Tonkininlahden tapaus vetää Yhdysvallat Vietnamin sotaan.
1990: ”Kuwaitilainen keskosvauva väärennös” luo julkisen kannatuksen Persianlahden sodalle.[167]
1993: World Trade Center’in pommiräjäytys.
1995: Oklahoma Cityn pommiräjäytys.
Antisemiittiset teoriat
Jotkut salaliittoteoriat toteavat, että Israelilla oli rooli syyskuun 11. päivän hyökkäysten toteuttamisessa. Muut menevät pitemmälle väittäessään, että 9/11 oli osa kansainvälistä siionistista salaliittoa. Anti-Defamation League’n mukaan “antisemiittisiä salaliittoteorioita ei ole hyväksytty Yhdysvaltain valtavirtapiireissä.”, mutta ”tämä ei ole asianlaita arabi- ja muslimimaailmassa."[168] Anti-Defamation League on julkistanut Unraveling Anti-Semitic 9/11 Conspiracy Theories -asiakirjan , joka tunnistaa tehdyt väitteet ja vastaa niihin.
Yksi näiden teorioiden kuuluisin väite on, että 4000 juutalaista työntekijää eivät menneet töihin WTC:hen syyskuun 11. päivänä. Libanonilaisen Hizbollahin omistama satelliittitelevisiokanava Al-Manar raportoi tästä ensiksi syyskuun 17:ntenä. Tämä osoittautui vääräksi: hyökkäyksissä kuolleiden juutalaisten määrä on tyypillisesti arvioitu olevan suunnilleen 400[169][170][171]: juutalaisten uhrien osuus kaikkien WTC-uhrien määrästä vastaa siis melko tarkkaan juutalaisten osuutta New Yorkin asukasluvusta. Viisi Israelin kansalaista kuoli hyökkäyksessä.[172]
Useat 9/11-totuusliikkeen nettipaikat ovat työskennelleet antisemiittisten väitteiden kumoamiseksi ja juutalaisvastaisuuteen kytköksissä olevien – mukaan lukien holokaustin kieltämiseen kytköksissä olevien – nettipaikkojen ja yksittäisten henkilöiden paljastamiseksi.[173][174][175]
Median reaktio
Heinäkuussa 2006 Le Monde diplomatiquen norjalainen painos sai aikaan kiinnostusta, kun se julkaisi kolmen sivuisen artikkelin syyskuun 11. päivän hyökkäyksistä ja esitti lyhyesti eri salaliittoteorioita (joita lehti ei varsinaisesti tukenut).[176] Voltaire Network muutti asennettaan syyskuun 11. päivän hyökkäysten jälkeen, ja sen johtajasta Thierry Meyssanista tuli syyskuun 11. päivän salaliittoteorian johtava kannattaja. Vaikka Le Monde diplomatiquen norjalainen versio oli sallinut kääntää ja julkaista tämän artikkelin nettipaikassaan, emoyhtiö Ranskassa ehdottomasti kieltäytyi tästä oikeudesta, kuitenkin esitellen avointa väittelyä eri maiden painosten välillä.[177] Joulukuussa 2006 Le Monde diplomatique'n ranskalainen painos julkaisi toimittaja Alexander Cockburnin artikkelin, CounterPunch joka voimakkaasti arvosteli Yhdysvaltain vasemmistoa salaliittoteorioiden kannattamista, väittäen sen olleen merkki ”teoreettisesta tyhjyydestä.”[178][179]
Time Magazinen vuoden 2006 syyskuun 11. päivän artikkeli huomauttaa, että pääasialliset syyskuun 11. päivän salaliittoteoriat ”riippuvat olosuhteista riippuvasta todisteesta, faktoista ilman analyysiä tai dokumenteista, lainaten asiayhteydestä poisotettuna ja traumatisoituneiden silminnäkijöiden hajanaisista todistajanlausunnoista” ja nauttivat jatkuvaa suosiota siksi, että ”idea siitä, että on pahansuopa hallitseva voima, joka kontrolloi maailmanlaajuisia tapahtumia, järjettömällä tavalla lohdullinen”. Artikkelissa tullaan johtopäätökseen, jonka mukaan “salaliittoteoriat ovat osa sitä prosessia, jolla amerikkalaiset käsittelevät traumaattisia julkisia tapahtumia” ja muodostavat ”kansallisen suremisen amerikkalaisen muodon.”[180]
The Daily Telegraph julkaisi “The CIA couldn’t have organised this…” –artikkelin, jonka mukaan “Samat ihmiset, jotka aiheuttavat sotkua Irakissa eivät olleet koskaan niin viisaita tai ovelia, että he olisivat lavastaneet monimutkaisen hyökkäyksen kahteen kapeaan teräs- ja lasitorniin” ja ”jos tämän pahan suunnittelussa on rikollinen juoni, se on typerysten konfederaation improvisoima”. Tämä artikkeli pääasiassa hyökkäsi Scholars for 9/11 Truth –liikettä vastaan, johon kuuluu ryhmä tutkijoita, joita tuolloin johti professori Steven E. Jones. He sanoivat “useimmat heistä eivät ole tieteilijöitä vaan opettajia toisen asteen collegeissa”.[181]
Merkittävä australialainen sanomalehti “The Daily Telegraph” julkaisi toukokuussa 2007 artikkelin, joka arvosteli ankarasti syyskuun 11. päivän salaliittoteorioita.[182]
Elokuun 20. päivänä 2007 The History Channel esitti dokumentin syyskuun 11. päivän salaliittoteorioista, joita se kritisoi.[183]
Muita huomioita
Yhdysvaltain ilmapuolustus NORAD reagoi viiveellä, koska samaan aikaan oli käynnissä lukuisia harjoituksia, joissa simuloitiin konekaappauksia. Tämän vuoksi ilmapuolustuksen tutkissa näkyi moninkertainen määrä kaapattuja koneita todellisiin kaappauksiin verrattuna, joka sekaannutti puolustusta luulemaan kaikkea harjoitukseksi. Teorioiden mukaan ilmapuolustus sai lisäksi erityisiä käskyjä olla puuttumatta tilanteeseen.[184]
Teoreetikkojen mukaan osa väitetyistä kaappareista on myöhemmin löydetty elossa.[185] Tähän on kuitenkin huomautettu, että osa tai kaikki ”elossa olevista” ovat osoittautuneet kaappaajien kaimoiksi tai nimien kirjoitusvirheiksi, ja teorian alkulähteenä toiminut BBC on sittemmin perunut väitteen elossa olevista kaappareista. Yhtäkään kaapparia ei ole todistettavasti löydetty elossa.[186][187][188]
Helmikuussa 2005 Madridissa paloi 32-kerroksinen toimistorakennus, Windsor Tower. 18 tuntia kestäneen tulipalon jäljiltä osa teräksisistä tukirakenteista romahti, osa jäi betonivahvistusten tukemina pystyyn. Tulipalo ei sortanut rakennusta kokonaan, vaan noin kuusi ylintä kerrosta. Salaliittoteorian kannattajat kysyvätkin, mikä tuhosi WTC-pilvenpiirtäjät, jos näin paha palo[189] ei saa rakennusta romahtamaan täysin.[190] Osin teräsbetonisen Windsor Towerin rakenne oli kuitenkin täysin toisentyyppinen WTC-tornien varsin poikkeukselliseen teräsrunkoon verrattuna.
Alkuperäinen FEMA:lle tapahtumien tutkintaan annettu budjetti oli vain 600000 Yhdysvaltain dollaria. Kokonaisuudessaankin tutkimuksiin budjetoitiin vain 15 miljoonaa dollaria. Vertailun vuoksi presidentti Clintonin seksielämän tutkimuksiin käytettiin 40 miljoonaa dollaria.[191]
Osama bin Ladenin Yhdysvalloissa asuneet sukulaiset lennätettiin pois maasta kuulustelujen sijasta.[192][193] Teoreetikkojen mukaan tämä tapahtui kiireesti ja vaikka maassa vallitsi lentokielto, muiden lähteiden mukaan vasta muutamien päivien kuluttua lentokiellon loputtua.[194]
Salaliittoteoreetikot ihmettelevät, miten korkealla lentävistä lentokoneista voi soittaa matkapuhelimilla. Puheluita soitettiinkin todellisuudessa Verizonin AirFone-satelliittipuhelimilla, jollaisia on useiden yhdysvaltalaisten lentoyhtiöiden matkustajakoneissa.[195]
On esitetty, että Yhdysvaltain hallinto olisi rahoittanut 100000 dollarilla pääterroristina pidettyä Muhammed Attaa Pakistanin sotilastiedustelun ISI:n silloisen päällikön kenraali Mahmoud Ahmadin kautta, joka oli iskujen aikaan Yhdysvalloissa.[196][197] Yhdysvaltojen hallinto on kieltänyt asian.[198][199]
9. helmikuuta 2009 paloi Pekingissä vielä rakentamisasteella oleva WTC 7:n korkuinen TVCC-pilvenpiirtäjä. Koko rakennuksen tuhonnut palo ei saanut aikaan romahdusta. Teräsrunko itse asiassa säilyi niin hyvin, että se voitiin sellaisenaan käyttää rakennuksen uudelleenrakennuksessa.[200][201]
FBI:n mukaan Osama Bin Ladenia ei koskaan etsintäkuulutettu virallisesti koskien 9/11 terroristi-iskuja. Yhdysvaltain viranomaisten mukaan heillä ei ollut tarpeeksi todisteita, jotta bin Ladenia voitaisiin virallisesti syyttää iskuista. Etsintäkuulutuksessa bin Ladenin osuus iskuihin selitettiin lauseella ”Lisäksi, bin Laden on syyllistynyt muihin terrori-iskuihin ympäri maailmaa”. FBI kuitenkin nosti bin Ladenista saatavan palkkion syyskuun 11. iskujen jälkeen aiemmasta 5 miljoonasta 25 miljoonaan dollariin.[202]
Vaihtoehtoisten teorioiden kritiikkiä
Kuumuuden vaikutus teräsrunkoon
Teräsosat oli alun perin suojattu keskimäärin 20mm (½–¾ tuuman) vahvuisella, ruiskutettavalla vermikuliitti-paloeristeellä, sisärungossa osin kipsilevyin. Eriste oli virheellisesti ruiskutettu primer-käsitellylle teräspinnalle, mikä vähensi eristemassan tartunnan voiman alle puoleen suunnitellusta.[66]
Paloeristettä oli 1990-luvulla lisätty useimpiin kerroksiin, vahvuudeksi uusituilla osilla tuli 25–38mm (1–1½ tuumaa). Tällä vahvuudella oikein suoritetulla paloeristyksellä rakenteiden laskennallinen palonkestoaika olisi ollut kaksi tuntia.[66] Eristeen irtaantuessa törmäyksen ja paineaaltojen voimasta palonkestoaika pieneni huomattavasti. Teräs menettää tulipalossa jo 600°C:n lämpötilassa kantavuudestaan 50% tunnin palon jälkeen.
Luhistumisen nopeus
Myös salaliittoteorioiden väitteet vapaan pudotuksen nopeudella tapahtuvista sortumisista on kiistetty. Videokuvista näkyy, että kerroksissa etenevä sortuma etenee hitaammalla nopeudella kuin se romu, joka vyöryy rakennusten ulkoseinälinjan ulkopuolelle ja lähtee putoamaan vapaasti kohti maata. Lisäksi videokuvista myös selviää, että molemmissa rakennuksissa ulkoseinäkehän huipulla pilarit olivat nurjahtaneet ennen välipohjasortuman alkamista.[67][68]
Sortuman eteneminen läpi rakennuksen
Vaihtoehtoteoreetikot ovat myös ihmetelleet, miten sortuma pääsi etenemään painovoimaisesti maahan saakka. Tähän on vaihtoehtoteorioiden kriitikoiden mukaan luonnollinen selitys. Sortumisen alkamiskohdan yläpuolinen massa oli moninkertainen välipohjien rakenteiden kantokykyyn nähden, sillä rakenteet oli suunniteltu kannattamaan yhtä kerrosta. Kun sortuminen oli alkanut tornin yläosasta, sen eteneminen alas asti laaja-alaisissa ja kevytrakenteisissa kerroksissa oli väistämätöntä. Putoavan massan liike-energia lisäsi luhistuvien rakenneosien painon vaikutuksen moninkertaiseksi. Osassa kerroksia kuumuus ja räjähdys olivat heikentäneet teräksisten kevytrakenteisten välipohjaristikoiden ja niitä kannattavien teräskonsolien kantokykyä. Pystysuuntaisten seinä- ja keskirunkopalkkien sinänsä suurella kantokyvyllä ei ollut sortumisen etenemisen kannalta paljonkaan merkitystä, koska kerroksissa edennyt sortuma kulki niiden ohitse ja tuhosi samalla niiden poikittaistuennan, jolloin ne luhistuivat.[66][67][68][203]
Poikittaistuennan menetys koitui myös sinänsä järeätekoisten keskirunkojen kohtaloksi. Keskirungot oli suunniteltu kantamaan pystysuuntaisia kuormia, joten niistä puuttui tyystin vinotuenta. Kun sortuminen käynnistyi, myös sortumisen alkamiskohdan yläpuolinen osa keskirungoista sortui muun tornin mukana alaspäin. Tämä väitettiin johtaneen siihen, että itsensä sisään työntyvän keskirungon sisäinen poikittaistuenta tuhoutui tai ainakin pahoin vaurioitui, ja koska ulkoinen poikittaistuenta meni kerrosten mukana, niin keskirunkojen sortuminen oli fysikaalisesti vääjäämätöntä.[68] Keskirunkojen pystypalkkien päittäishitsausliitokset eivät myöskään kuvien perusteella olleet palkkien ainevahvuuteen nähden kovinkaan vahvoja.
Vertaukset Madridin Windsor Towerin paloon
Vaihtoehtoteoreetikot vertaavat WTC-tornien tulipaloja esimerkiksi Madridissa palaneeseen Windsor-torniin. Rakennuksen runko oli kuitenkin julkisivun teräspilareita lukuun ottamatta teräsbetoninen (kantavat seinät ja pilarit, vohvelilaatasto) ja välipojat oli kannatettu myös keskeltä. Rakenne oli täysin poikkeava WTC:n teräsrungosta.[66] Myös Windsor Towerin palossa rakennuksen huipun teräsrakenteisten ulkokehän pilareiden nurjahtaessa luhistui välipohjalaatastosta huomattava osa läpi kerrosten 18–22, mutta 16–17. kerrosten massiiviset jäykistävät teräsbetonirakenteet pysäyttivät luhistumisen.
Vaihtoehtoteoreetikkojen vastaus
Lentokoneiden polttoaineen palamisesta rakennuksissa on esitetty laskelmia, joiden mukaan palava polttoaine olisi voinut nostaa rakennuksen runkorakenteiden keskimääräisen lämpötilan korkeintaan 250°C. Tämä ei olisi riittänyt teräsrungon nurjahtamiseen. Laskelmat eivät huomioi polttoaineen lisäksi muuta palokuormaa tai rakennusosakohtaisia lämpötiloja.[204]
On esitetty laskelma, joiden mukaan WTC-1 ja WTC-2 sortumisen itsenäinen jatkuminen olisi edellyttänyt myös alapuolisilta rakenteilta 750°C kuumentumista, mutta myös siinä tapauksessa sortuminen olisi kestänyt huomattavasti kauemmin kuin se noin 15 sekuntia, minkä salaliittoteoreetikot ajattelevat sortumisen kestäneen. Laskelmassa koko rakennusrunko on yksinkertaistettu poikkileikkaukseltaan neliömäiseksi, materiaaliltaan homogeeniseksi tangoksi.[205]
FEMAn raportin mukaan British Steel ja brittiläinen Building Research Establishment Limited -yhtiöt suorittivat kuuden kokeen sarjan Cordingtonissa 1990-luvun puolivälissä tutkiakseen teräsrunkoisten rakennusten käyttäytymistä. Nämä kokeet suoritettiin simuloidussa kahdeksankerroksisessa rakennuksessa. Teräksisiä apupalkkeja ei suojattu. Vaikka lämpötila teräspalkeissa saavutti 800–900°C kolmessa testissä, mikä reilusti ylittää perinteisesti oletetun kriittisen 600°C:n lämpötilan, mitään romahduksia ei havaittu yhdessäkään kuudesta kokeesta.[206][207]
9-11 Research sivustolla väitetään tulipalon kuumuutta ja kestoa riittämättömäksi, jotta se olisi voinut oleellisesti heikentää teräsrunkoa:
Tulipalo pohjoistornissa ulottui laajalle alueelle, ainakin lähelle ulkoseiniä, noin kolmessa kerroksessa. Tulipalot etelätornissa myös ulottuivat noin kolmeen kerrokseen, mutta olivat enemmän sijoittuneet rakennuksen yhdelle sivulle.
Tulipalot eivät olleet riittävän kuumia aiheuttaakseen huomattavaa ikkunoiden rikkoutumista kummassakaan tornissa. Suurissa toimistopaloissa ikkunoita yleensä särkyy runsaasti, erityisesti lämpötilan ylittäessä 600°C.
Liekit pysyivät enimmäkseen rakennusten sisällä. Merkittävää liekkien työntymistä ulos rakennuksista, mikä on toinen tavallinen ominaisuus suurissa toimistopaloissa, havaittiin vain rajoitetulla alueella pohjoistornissa.
Tulipalot eivät levinneet merkittävästi törmäysalueen ulkopuolelle. Pohjoistornissa 10 kerrosta törmäyskohdan yläpuolelle muodostunutta paikallista paloaluetta lukuun ottamatta tulipalot pysyttelivät törmäysalueiden ympäristössä.
Tulipalot eivät saaneet rakennuksen osia hehkumaan. Yli 700°C:n lämpötiloissa teräs hehkuu punaisena, mikä on havaittavissa päivänvalossakin.[208][209]
9-11 Research sivustolla Jim Hoffman väittää, että räjähdysten tuottamat paineaallot rikkoivat ympäröivien talojen ikkunoita yli 120 metrin etäisyydellä.[210][211]
9-11 research -sivustolla väitetään, että historia tuntee muitakin korkeiden teräsrunkoisten talojen tulipaloja, mutta ennen 11.9.2001 tapahtumia yksikään niistä ei johtanut rakennuksen täydelliseen sortumiseen.[212] Yhtenä esimerkkinä on käytetty First Interstate Bankin tulipaloa Los Angelesissa vuonna 1988.[213]
Killtownin sivulla on kiinnitetty huomiota Pentagonin törmäyskohdan edustalla seinän vieressä olleiden kaapelikelojen ja nurmikon hyvään kuntoon Boeing 757 -matkustajalentokoneen törmäyksen jälkeen.[214][215]
Lähteet
Check date values in: |accessdate=, |date= (help)CS1 maint: unrecognized language (link)
Check date values in: |accessdate=, |date= (help)CS1 maint: unrecognized language (link)
Citation error, replace with{{cite book| author = John L. Gross & Therese P. McAllister/ NIST| title = NIST NCSTAR 1–6, Federal Bulding and Fire Safety Investigation of the World Trade Center Disaster: Structural Fire Response and Probable Collapse Sequense of the World Trade Center Towers| publisher = NIST National Institute for Standard and Technology, U.S. Department of Commerce| year = 2005| id = CODEN: NSPUE2}}
Check date values in: |accessdate=, |date= (help)CS1 maint: extra punctuation (link) CS1 maint: unrecognized language (link)
Viitteet
Aiheesta muualla
– Todistusaineistoa, analyysiä ja silminnäkijöiden todistuksia kolmen WTC-pilvenpiirtäjän hallitusta purkamisesta.
– "Virallista" selitystä kritsoiva dokumentti.
– Suomalainen sivusto.
– Suomalainen sivusto.
– WTC 7:ään erikoistunut sivusto
– 9/11-totuusliikkeen merkittävimpiä sivustoja
– Seminaarityö
– Salaliittoteorioita vastustava sivusto,
– Salaliittoteorioita vastustava sivusto
Viralliset dokumentit
, 1 June 2001
, 22 July 2004
Virallisen selvityksen asiakirjoja
Virallista selitystä kritisoiva media
- article from Representative Press.
- article by David Corn.
.
- article by Phil Molé.
- article on Thierry Meyssan's L'Effroyable Imposture by James S. Robbins, a national-security analyst & NRO contributor.
Luokka:Salaliittoteoriat
Luokka:Syyskuun 11. päivän iskut
Luokka:Seulonnan keskeiset artikkelit
| https://fi.wikipedia.org/wiki/Syyskuun%2011.%20p%C3%A4iv%C3%A4n%20terroritekojen%20salaliittoteoriat |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
320,
701,
1127,
1259,
1343,
1543
],
"plaintext_end_byte": [
319,
692,
1109,
1235,
1334,
1521,
1656
]
} | 日本共産党はテロリストグループの支援をしていた? | テロ組織と認定された組織の一覧 | japanese | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
テロ組織と認定された組織の一覧(テロそしきとにんていされたそしきのいちらん)は、主な国の政府によって「テロリスト(テロ組織)」として認定された組織(いわゆる<b data-parsoid='{"dsr":[199,211,3,3]}'>テロ指定組織)の一覧である。
ただし認定された組織の多くは、彼らの目的を達成するための軍事戦略としてテロを使用した事を否定している。また「テロ」や「テロ組織」の法的な定義には国際的な合意は無い。このため、どの組織を「テロ組織」と呼ぶかは、時代や学者や立場によっても異なっている。
一覧
この一覧の「組織」には、「国家テロ」と呼ばれる国家や政府組織や、「個人テロ」と呼ばれる単独の個人が実行したテロリストは含まれていない。また、世界的にテロ組織と認識されている組織でも、上記のように主要な国や国際組織から公式に指定されていないものも含まれていない。出典は以下。
現在
過去
過去に認定されたが、現在は認定から外された、現存する組織には以下がある。
現存しない組織
過去に認定されたが、既に現存しない組織も存在する。
出典
オーストラリア政府
カナダ政府
(2013年7月31日時点のアーカイブ)
EU
イギリス政府
アメリカ合衆国政府
インド政府
ロシア政府
脚注
関連項目
イスラム国際平和維持旅団(IIPB)
ジャイシュ・アル・イスラム
イスラム戦線(IF)
外部リンク
| https://ja.wikipedia.org/wiki/%E3%83%86%E3%83%AD%E7%B5%84%E7%B9%94%E3%81%A8%E8%AA%8D%E5%AE%9A%E3%81%95%E3%82%8C%E3%81%9F%E7%B5%84%E7%B9%94%E3%81%AE%E4%B8%80%E8%A6%A7 |