news_link
stringlengths 42
523
| head_lines
stringlengths 2
121
| article
stringlengths 1
58.1k
| tags
stringlengths 1
285
⌀ | image_caption
stringlengths 1
1.86k
⌀ | category
stringclasses 13
values |
---|---|---|---|---|---|
https://samakal.com/whole-country/article/200420308/কৃষকের-ধান-কেটে-দিলো-যুবলীগ | খুলনায় কৃষকের ধান কেটে দিলো যুবলীগ | লকডাউনের কারণে শ্রমিক সংকটের মাঝে খুলনায় কৃষকের ধান কাটতে এগিয়ে এলো যুবলীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর দেয়ানা বিলে মহানগর যুবলীগ আহ্বায়কের নেতৃত্বে প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী কৃষকের জমির ধান কেটে দেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, করোনা সংক্রমণরোধে লকডাউন চলছে বিভিন্ন জেলায়। ফলে মাঠে কৃষকের পাকা ধান কাটার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, সামনে হতে পারে বৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া। ফলে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে কৃষকের ধান। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। এ অবস্থায় কৃষকের পাকা ফসল ঘরে তুলতে এগিয়ে এসেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর দৌলপুরের দেয়ানা বিলে তারা কৃষকের ধান কেটে দেন। খুলনা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশ বলেন, সকালে আমরা তিন বিঘা জমির ধান কেটেছি। বিকেলে আরও জমির ধান কাটা হবে। আমাদের এই কাজ চলবে। আমরা বিশ্বাস করি কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল জানান, ছাত্রলীগ গত বুধবার বটিয়াঘাটায় কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার আমরা দৌলতপুরের ধান কেটেছি। পর্যায়ক্রমে তেরখাদাসহ বিভিন্ন উপজেলায় এই কাজ শুরু হবে। দেয়ানা বিলের কৃষক আজাহার মোড়ল জানান, তিনি কিছু শ্রমিক নিয়ে প্রতি বছর ৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেন। এবার শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে পারছিলেন না। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ছেলেরা সাহায্য করায় তিনি ধান ঘরে তুলতে পেরেছেন। ধান কাটার সময় আরও অংশ নেন যুবলীগ নেতা মুহিদুল ইসলাম মিলন, মেহেদী হাসান মোড়ল, ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাবু, জহির আব্বাস প্রমুখ। | ধান কাটা | খুলনায় কৃষকের ধান কেটে দেন যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা | national |
https://www.bd-pratidin.com/country/2022/04/24/763439 | মুন্সীগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ঘর পাচ্ছে ৫৪ পরিবার
| দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য সারাদেশের ন্যায় আগামী ২৬ এপ্রিল মুন্সীগঞ্জে ভূমি ও গৃহহীন ৫৪ পরিবারের মাঝে ঘর দেওয়া হবে। আজ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে সার্কিট হাউসে সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়। আগামী ২৬ এপ্রিল গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মধ্যে এই উপহার তুলে দেবেন। আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর অধীনে তৃতীয় পর্যায়ে মুন্সীগঞ্জে ৫৪টি গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে এসব ঘর হস্তান্তর করা হবে। যার প্রত্যেকটি ঘরের ব্যয় ধরা হয় ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। এর আগে প্রথম পর্যায় মাত্র ৫০৮টি ও দ্বিতীয় পর্যায় ৩৩১ ঘর দেওয়া হয়েছে। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
| মুন্সীগঞ্জ, প্রধানমন্ত্রী, ঈদ, উপহার, ঘর, পরিবার | আজ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে সার্কিট হাউসে সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/122778/%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A6%A7%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A7%87 | মূলধন বাড়াতে পর্যটন বিল সংসদে | অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের বিদ্যমান আইনের সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত ১৯৭২ সালের আইন সংশোধনে সোমবার সংসদে 'বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২২' উত্থাপন করা হয়।আজ সোমবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।বিলে পর্যটন করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ১৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিশোধিত মূলধন পাঁচ লাখ থেকে ৪০০ কোটি টাকা হচ্ছে।খসড়া আইনে পর্যটকের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে বলা হয়েছে, কেউ নিজের ঘর থেকে ভ্রমণ বা শ্রান্তি বিনোদনের জন্য ২৪ ঘণ্টার বেশি কিন্তু ছয় মাসের কম সময়ে আরেক জায়গায় থাকবে। এই সময় এক বছর করা হয়েছে। তবে চাকরির জন্য থাকলে তাকে পর্যটক হিসেবে ধরা হবে না।বিলটি উত্থাপনের সময় জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম আপত্তি জানিয়ে বলেন, বিদ্যমান আইনে ন্যূনতম সময়সীমা থাকলেও, খসড়া আইনে সেটা নেই। এ ছাড়া আরও কয়েকটি বিষয়ে আপত্তি তোলেন তিনি।বিলে বলা হয়েছে, পর্যটন করপোরেশন ডিউটি ফ্রি দোকান পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করতে পারবে। বিদ্যমান আইনে করপোরেশনের বোর্ডে সর্বোচ্চ চারজন সদস্য থাকবে বলে বিধান আছে। নতুন খসড়া আইনে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১১ জন করা হয়েছে। বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন মন্ত্রণালয়ের সচিব।সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আয় বৃদ্ধি এবং পর্যটন করপোরেশনের পরিধি বাড়ানোর জন্য আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে।পর্যটন করপোরেশনের বহুমাত্রিক কাজ বাস্তবায়নের সুবিধার্থে পরিষদকে নতুন করে করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগের আইনে বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত বলা ছিল না। এই আইনের আওতায় পর্যটন করপোরেশন পরিচালনা করতে একটি বিধিমালা করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।বিলের উদ্দেশ্য কারণ সম্পর্কে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, আইনটি সংসদের অনুমোদন পেলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও আয় বৃদ্ধিসহ কাজের পরিধি বিস্তৃত হবে। পর্যটন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। | ঢাকা বিভাগ,সংসদ,আইন মন্ত্রণালয়,পর্যটন,সংসদ সদস্য,ঢাকা,পর্যটক | অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের বিদ্যমান আইনের সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/96703/%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87 | সরকারি ওয়েবসাইটে হালনাগাদ তথ্য নেই | জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার সরকারি ওয়েবসাইটে হালনাগাদ তথ্য নেই। ফলে অনলাইনে জরুরি তথ্যপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সচেতন মানুষ।সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার কারণে সরকারি এসব ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্যের ২০ শতাংশও পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উপজেলার সকল ওয়েবসাইটে তথ্য হালনাগাদ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উপজেলা ও দুইটি পৌরসভা ১১টি ইউনিয়নের সরকারি অর্ধশতাধিক ওয়েব সাইটই রয়েছে। এসব ওয়েব সাইটের অধিকাংশেই পুরোনো। নতুন কোনো তথ্য নেই। এতে সাধারণ মানুষ তথ্য প্রাপ্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারি সেবার বিভিন্ন তথ্য সাধারণ মানুষ অবাধে না জানার ফলে মাঠ পর্যায়ে দুর্নীতিও বাড়ছে।উপজেলার সরকারি ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, উপজেলার সরকারি ওয়েবসাইট ২০২০ সালে হালনাগাদ করা হয়েছে। কিন্তু ওয়েব সাইটে প্রয়োজনীয় তথ্যের ২০ শতাংশও পাওয়া যাচ্ছে না। ২০ সালে হালনাগাদ করলেও সম্পূর্ণ তথ্য হালনাগাদ করা হয়নি। তা ছাড়া দপ্তরের কার্যক্রম, গুরুত্বপূর্ণ নোটিশ, কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য, বিভিন্ন সভার কার্যবিবরণী, উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য নেই অধিকাংশ ওয়েব সাইটে।ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্প এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে সারা দেশের জেলা, উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের সরকারি দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সমন্বয়ে জাতীয় তথ্য বাতায়নের আওতায় আলাদা আলাদা ওয়েব পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। যাতে করে সাধারণ নাগরিকেরা ঘরে বসেই নিজ নিজ এলাকার প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবা অনলাইনে পেতে পারে।কিন্তু মেলান্দহে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা ও তদারকির অভাবে তথ্য থেকে বঞ্চিত সচেতন অনলাইন ব্যবহারকারীরা।আকাশ মাহমুদ নাম এক শিক্ষার্থী বলেন, দেশ এখন ডিজিটাল, ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তিতে নির্ভরশীল দেশে। তবে উপজেলা ওয়েবসাইটে কোনো তথ্য নেই। বিশেষ করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের ওয়েবসাইটে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের কোনো তথ্য নেই। জরুরি প্রয়োজনে থানা ও হাসপাতালে কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ওয়েব সাইটে কর্মকর্তাদের নাম ও মোবাইল নম্বর নেই।স্থানীয় সাংবাদিক ইমরান মাহমুদ বলেন, উপজেলার কোনো কোনো ইউনিয়নের ওয়েবসাইটে কোনো তথ্যই নেই। মেম্বার ও চেয়ারম্যানের মোবাইল নম্বর থাকলেও বেশি ভাগই ভুল নম্বর। সংবাদ তৈরির কাজে প্রায়ই সময় বিভিন্ন তথ্যের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ওয়েবসাইটে তথ্য থাকে না বলে তথ্য সংগ্রহ করতে কষ্ট হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সচিব বলেন, ওয়েব সাইটে রাখলে সরকারি ফাইল নষ্ট ও গায়েব হওয়ার সুযোগ থাকবে না। ওয়েবসাইটে সকল তথ্য হালনাগাদ করলে সবাই দেখতে পারবেন, দুর্নীতি হওয়ার সুযোগ থাকবে না। তাই ওয়েবসাইট তথ্য হালনাগাদ করার অনুরোধ করছি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার সকল ওয়েব পোর্টাল হালনাগাদ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত ওয়েব পোর্টাল হালনাগাদ হয়নি সেগুলো অতি দ্রুত হালনাগাদ করা হবে। | জামালপুর,ময়মনসিংহ বিভাগ,মেলান্দহ,ছাপা সংস্করণ,ময়মনসিংহ সংস্করণ,শেরপুর নেত্রকোনা জামালপুর | সরকারি ওয়েবসাইটে হালনাগাদ তথ্য নেই | national |
https://www.ajkerpatrika.com/94446/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A7%8E-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF%C2%A0 | বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যাচ্ছে ডিএনসিসি | দেশ প্রথমবারের মতো বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের জন্য ডিএনসিসি রাজধানীর আমিনবাজার এলাকায় ৩০ একর জমি বরাদ্দের ব্যবস্থা করেছে।আজ বুধবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সংশ্লিষ্ট চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে চীনের 'চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের এ সংক্রান্ত দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।সমস্যার বর্জ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে সম্ভাবনা তৈরি করবে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রকল্পটিতে প্রতিদিন সর্বমোট ৩ হাজার মেট্রিক টন কঠিন বর্জ্য ব্যবহার করা হবে। প্রকল্পটিতে কাঁচামাল হিসেবে নগরীর কঠিন বর্জ্য ব্যবহার করার ফলে এটি নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সুস্থ পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্যও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। | ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন,ডিএনসিসি,বর্জ্য,বিদ্যুৎ,উৎপাদন | ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। | national |
https://www.bd-pratidin.com/national/2020/05/06/527663 | মানবিক কল্যাণে এগিয়ে আসায় বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানালেন ওবায়দুল কাদের | করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) দেশের বৃহত্তম অস্থায়ী হাসপাতালটি নির্মাণ করাসহ মানবিক কল্যাণে এগিয়ে আসায় দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্পগোষ্ঠি বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার দুপুরে সংসদ ভবনে তার সরকারি বাসভবনে অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বসুন্ধরা গ্রুপের প্রশংসা করে বলেন, করোনার এই ক্রান্তিকালে বসুন্ধরা গ্রুপ মানবিক কল্যাণে এগিয়ে এসেছে। নির্মাণ করেছে বিশাল হাসপাতাল। দুর্যোগকালে তাদের এ প্রয়াস আশার আলো জাগিয়েছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে মানবিক কল্যাণে বসুন্ধরা গ্রুপকে এগিয়ে আসার জন্য জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ। উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে সরকারকে আইসিসিবিতে পাঁচ হাজার শয্যার একটি সমন্বিত অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দেয়ার পর ইতোমধ্যে হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৩ বেডের আইসোলেশন বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা, চিকিৎসকদের জীবাণমুক্তকরণ ব্যবস্থাসহ আধুনিক সুযোগ সুবিধা আছে। হাসপাতালটি এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। বিএনপির সমালোচনা করে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির রাজনীতি এখন গণমাধ্যম নির্ভর। বিএনপিকে গণমাধ্যমই আসলে বাঁচিয়ে রেখেছে। সরকার অনেক বেশি টিভি চ্যানেলের অনুমতি দিয়েছে বলেই বিএনপি তার অস্তিত্ব প্রকাশের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছে। করোনা সংকট মোকাবিলায় বিএনপির টাক্সফোর্স গঠেনর প্রস্তাব প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি মির্জা ফখরুল সাহেবকে জিজ্ঞাসা করতে চাই- আজ আমাদের চেয়েও পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ভয়ঙ্কর রূপে আবির্ভূত হয়েছে করোনাভাইরাস। এসকল দেশের কোনও একটি কি আপনি দেখাতে পারবেন, যে দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছে? তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ যেসব দেশে টাক্সফোর্স হয়েছে সেগুলো চিকিৎসা তথা ভ্যাকসিন রিলেটেড, সেটা রাজনৈতিক কোনও টাক্সফোর্স নয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার কি করেছে বা করছে তা বিএনপিকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর প্রয়োজন নেই। আজ ইকোনমিস্টসহ প্রেস্টিজিয়াস আন্তর্জাতিক সাময়িকীগুলোতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং তার সরকারের কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রচারে নয়, তিনি কাজে বিশ্বাসী। সরকারের ভুল হলে সংশোধনের পরামর্শ দিন। ভুল সংশোধনের গঠনমূলক পরামর্শ আর একপেশে সমালোচনা এক নয়। যে কোনও যুক্তিগ্রাহ্য পরামর্শ শেখ হাসিনা ইতিবাচকভাবে দেখেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সংকটে আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপির রাজনীতি নেতিবাচকতার বৃৃত্তে আবর্তিত হচ্ছে। আমি আবারও বিএনপিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। এ সময়ে ওবায়দুল কাদের বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বুদ্ধ সমাজের সকলকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান। বিডি প্রতিদিন/আরাফাত | null | ওবায়দুল কাদের | national |
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/স্বামীকে-গলা-কেটে-হত্যার-দায়ে-স্ত্রীসহ-তিনজনের-ফাঁসি | স্বামীকে গলা কেটে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ তিনজনের ফাঁসি | জয়পুরহাটে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যার অপরাধে তাঁর স্ত্রীসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুর ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। খুন হওয়া ব্যক্তির নাম আবদুর রহিম। তিনি দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার দেওগ্রাম ডুগডুগি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন আবদুর রহিমের স্ত্রী আকলিমা খাতুন (২৭), শালগ্রামের সেলিম মিঞা (৩৪) ও গোপালপুর গ্রামের আইনুল (৩৭)। রায় ঘোষণার পর সেলিম মিঞা ও আইনুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর আকলিমা খাতুন পলাতক। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা গেছ, আবদুর রহিম মাইক্রোবাসচালক ছিলেন। সেলিম মিঞা তাঁর কাছে মাইক্রোবাস চালানো শিখতেন। সেলিম এ সুবাদে আবদুর রহিমের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। একপর্যায়ে আবদুর রহিমের স্ত্রী আকলিমার সঙ্গে তিনি সম্পর্কে জড়িয়ে যান। অন্যদিকে আবদুর রহিম আরেক মাইক্রোবাসচালক আইনুলের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। আইনুল ঘটনাটি জানার পর থেকে আবদুর রহিমের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। আইনুল ওই সময় সেলিম ও আকলিমার সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। তখন তাঁরা তিনজন আবদুর রহিমকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, মাইক্রোবাসের চাকা মেরামতের কথা বলে আবদুর রহিমকে নিয়ে সেলিম ২০১৬ সালের ১০ জুলাই রাতে বগুড়ায় যান। সেখানে একটি সিএনজি স্টেশনে তাঁরা গ্যাস নিতে থামেন। সেখানে আগে থেকেই আইনুল অপেক্ষা করছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা তিনজন মাইক্রোবাসে করে রাত ১০টার পর রওনা দেন। গাড়িতে আইনুল ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে আবদুর রহিমকে কোমল পানীয় খেতে দেন। আবদুর রহিম ঘুমিয়ে পড়লে সেলিম মাইক্রোবাস নিয়ে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বারকান্দি এলাকায় যান। গভীর রাতে তাঁরা আবদুর রহিমকে গলা কেটে হত্যা করে তাঁর লাশ চালকের আসনে রেখে চলে যান। পরদিন সকালে স্থানীয় লোকজন লাশ দেখতে পেয়ে পাঁচবিবি থানা-পুলিশকে খবর দেন। এরপর লাশটি আবদুর রহিমের স্বজনেরা শনাক্ত করেন। ১১ জুলাই তাঁর বাবা শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পাঁচবিবি থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কিরণ কুমার মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান। আবদুর রহিমকে হত্যার অভিযোগে সেলিম মিঞা, আকলিমা ও আইনুলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এরপর তাঁরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর আসামিরা জামিনে বেরিয়ে আসেন। তখন আকলিমা পালিয়ে যান। আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আবদুল লতিফ খান বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একজন আসামি পলাতক। | জয়পুরহাট,মৃত্যুদণ্ড,রাজশাহী বিভাগ | ফাঁসির রায় | national |
https://www.ajkerpatrika.com/75819/%E0%A6%95%E0%A7%9F%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%8B%E0%A6%A3-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A7%A7%E0%A7%A8-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%95 | কয়রায় ঋণ পেলেন ১২ যুবক | কয়রা উপজেলার ১২ জন বেকার যুবকের হাতে ঋণের পাঁচ লাখ টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে গত সোমবার কয়রা উপজেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়াজনে পরিষদ মিলনায়তনে এ ঋণের চেক বিতরণ করা হয়। যুবসমাজে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এ ঋণ দেওয়া হয়।ঋণ প্রদানের আগে সকাল ১০টায় জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে কয়রা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম সাইফুল্লাহ, প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাক্তার কাজী মাস্তাহিন বিল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য দেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু বক্কার মোল্লা। নবযাত্রা প্রকল্পের সুজাউদ্দিন এর সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য দেন কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি শেখ মনিরুজ্জামান মনু, আটরা রংধনু ক্লাবের সভাপতি আছাফুর রহমান প্রমুখ।সভায় বক্তারা বলেন, বয়স্ক ব্যক্তিরা ইতিহাস লিখেন কিন্তু যুবসমাজ ইতিহাস তৈরি করে। যুবসমাজই একটি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। | খুলনা জেলা,খুলনা বিভাগ,কয়রা,খুলনা,ছাপা সংস্করণ,খুলনা সংস্করণ,আজকের খুলনা | কয়রায় ঋণ পেলেন ১২ যুবক | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/05/21/%e0%a7%ae%e0%a7%ac-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%88%e0%a6%a6-%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a6%b9%e0%a6%be/ | ৮৬ হাজার পরিবারকে ঈদ-উপহার দেবে ডিএনসিসি | ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) নিজস্ব তহবিল থেকে ডিএনসিসির ৮৬ হাজার দুস্থ ও অসহায় পরিবারকে ঈদ-উপহার পাঠানো হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিএনসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক অনলাইন সভায় তিনি এ কথা জানান। ৫৪ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১৮ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরের প্রত্যেকের মাধ্যমে ১ হাজার করে মোট ৭২ হাজার পরিবারের মাঝে ঈদের উপহার বিতরণ করা হবে। এছাড়া অন্যান্যের মাধ্যমে আরো ১৪ হাজার পরিবারের মাঝে ঈদ-উপহার বিতরণ করা হবে। ঈদ-উপহারের প্রতিটি প্যাকেটে চিনি ১ কেজি, সুজি ৫০০ গ্রাম, মুসুর ডাল ১ কেজি, মিনিকেট চাল ২ কেজি, ময়দা ১ কেজি ও গুড়া দুধ ২৫০ গ্রাম থাকবে। যে সকল পরিবার ইতিমধ্যে মানবিক সহায়তা, ওএমএস কার্ড এবং অন্য কোনো ভাবে ত্রাণসামগ্রী পাননি মেয়র তাদের মাঝে এসকল ঈদ-উপহার বিতরণ করার নির্দেশ দেন। কোনো পরিবারকে যেন একাধিকবার ঈদ-উপহার দেয়া না হয় সেজন্য তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তার সাথে সমন্বয় করে এসব ঈদ-উপহার বিতরণ করার পরামর্শ দেয়া হয়। এ ছাড়া করোনা ভাইরাস মোকবেলায় চলমান অন্যান্য ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সভায় আতিকুল ইসলাম জানান, ডিএনসিসি এলাকার ১ হাজার ৮৯০টি মসজিদের ইমামদের প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা এবং মুয়াজ্জিনদের প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে ঈদ-উপহার ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে। মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সাথে যেভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আমদেরকে অক্ষরে-অক্ষরে পালন করতে হবে। তিনি আরো জানান, দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে আমাদেরকে দাঁড়াতে হবে। সকল ত্রাণসামগ্রী বা ঈদ-উপহার স্বচ্ছতার সাথে বিতরণ করতে হবে। ঈদের নামাজের জামাত প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, করোনা ভাইরাসে গণসংক্রমণ রোধে কোনো অবস্থাতেই বাইরে ঈদের জামাতের আয়োজন করতে দেয়া যাবে না। এজন্য সকল কাউন্সিলরকে তিনি সচেতন থাকার নির্দেশ দেন। সভায় সকল ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরবৃন্দ, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। | ঈদ,ওয়ার্ড,কাউন্সিলর,মশা,মেয়র | ডিএনসিসি। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/141147/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%81-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%A6 | বালু উত্তোলন করায় কারাদণ্ড, ট্রাক্টর জব্দ | গঙ্গাচড়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার দায়ে দুজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে বালুভর্তি দুটি ট্রাক্টর জব্দ করা হয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার কোলকোন্দ সিংগিমাড়িতে তিস্তা নদী থেকে বালু উত্তোলনের সময় আদালত অভিযান চালান। এ সময় দুই ভাইকে আটক করে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন চেংমারী গ্রামের জামাল মিয়া ও কামাল মিয়া।ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, জামাল ও কামাল দীর্ঘদিন ধরে সিংগিমাড়ি এলাকায় নদী থেকে বালু উত্তোলন করছিলেন। এ বালু রংপুর নগরীসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হতো। এই অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এ সময় দুটি বালুবাহী ট্রাক্টর জব্দ করা হয়। এ ছাড়া আদালতের করা মামলায় গাড়িচালক জামাল ও কামালকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার সাহা। তিনি বলেন, গঙ্গাচড়ার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে কয়েকটি চক্র। এ বিষয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়ে। এতে তিস্তা নদীর সিংগিমাড়ি এলাকা থেকে দুজনকে আটক ও দুটি ট্রাক্টর জব্দ করা হয়। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। | রংপুর বিভাগ,গঙ্গাচড়া,ছাপা সংস্করণ,রংপুর সংস্করণ,আজকের রংপুর | গঙ্গাচড়ায় গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জব্দ করা ট্রাক্টর। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/62901/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE | পর্যটনের সম্ভাবনাময় চুনতি চাম্বি খাল রাবার ড্যাম | চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি চাম্বি খাল রাবার ড্যাম। এটি বিউটি অব চুনতি চাম্বি লেক নামে পরিচিত। এ রাবার ড্যাম ঘিরে একদিকে হচ্ছে কৃষি ও মৎস্যক্ষেত্রে উন্নয়ন, অন্যদিকে গড়ে উঠেছে সম্ভাবনাময় একটি পর্যটনকেন্দ্র।জানা যায়, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে রাবার ড্যামটি উদ্বোধন করা হয়। এটি মূলত একটি সেচ প্রকল্প। রাবার ড্যামের জমানো পানি দিয়ে প্রতিবছর চুনতির পানত্রিশা, ফারাঙ্গা ও নারিশ্চার প্রায় ৫০০ একর জমি চাষাবাদ হয়। আর লেকে (যা উজানে প্রায় ২ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত) মাছ চাষ হয়। এ ছাড়া স্থলভাগের ১০ একর জায়গায় গড়ে উঠেছে পর্যটনকেন্দ্র।সূত্রমতে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এক হাজার বিদেশি পর্যটকসহ প্রায় ৪০ হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটেছে চুনতি চাম্বি খাল রাবার ড্যামে। দিন দিন দর্শনার্থী বেড়েই চলেছে।সরেজমিনে দেখা যায়, রাবার ড্যামের বাঁধের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে মনোরম সেতু। লেকে রয়েছে ইঞ্জিনচালিত স্পিড বোট, পায়ে চালিত বোট ও রাবার বোট। ড্রামবেলার মাধ্যমে লেকের মাঝখানে অবস্থিত মায়াদ্বীপে যাওয়া যায়।লেকের চারপাশ সবুজে ঘেরা। এ ছাড়া রয়েছে আকর্ষণীয় ঝরনা, বিভিন্ন পশুপাখির ভাস্কর্য ও পিকনিক স্পট।জানা যায়, আগে লেকে দর্শনার্থীরা টাকা ছাড়া ভ্রমণের সুযোগ পেতেন। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে টিকিট কেটে লেকে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে হয়।বিভিন্ন সময় চুনতি চাম্বি খাল রাবার ড্যামে আসা প্রফেসর ড. আবু উমর ফারুক আহমদ, ড. মহিউদ্দীন মাহীসহ দর্শনার্থীরা মন্তব্যের খাতায় লিখেছেন, গ্রামীণ জনপদে খাল, পাহাড় ও সমতলের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এটি সম্ভাবনাময় আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র। চাম্বি লেকের সৌন্দর্যে তাঁরা মুগ্ধ।চাম্বি খাল ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি মাহাবুবর রহমান বলেন, গত ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত টিকিট বাবদ আয় হয়েছে ৪ লাখ টাকা। এ সময় কর্মচারীদের বেতন বাবদ ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।রাবার ড্যাম প্রকল্পের উদ্যোক্তা ও চুনতি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবেদীনের প্রচেষ্টায় বাস্তবায়িত রাবার ড্যাম ঘিরে এলাকার কৃষি, মৎস্য ও কৃষকের উন্নয়ন ঘটছে। পাশাপাশি গড়ে উঠেছে একটি আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, রাবার ড্যামের মাধ্যমে কৃষকেরা বোরো চাষসহ বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন।লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান হাবিব জিতু বলেন, দিন দিন চুনতি চাম্বি খাল রাবার ড্যাম পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। স্থানীয় সাংসদের সহযোগিতা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন এটি আরও সৌন্দর্য বর্ধনের ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি আশাবাদী। | লোহাগাড়া,চট্টগ্রাম ,ছাপা সংস্করণ,চট্টগ্রাম সংস্করণ,চট্টগ্রাম কক্সবাজার | দর্শনার্থীরা মূল ফটক দিয়ে লোহাগাড়ার চুনতি চাম্বি খাল রাবার ড্যাম লেকে যাচ্ছে। টি সম্প্রতি | national |
https://www.ajkerpatrika.com/81764/%E0%A7%AF-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%9C-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%A3 | ৯ শতাধিক কৃষকের মধ্যে সার ও বীজ বিতরণ | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ রবি মৌসুমে সরিষা উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৯ শতাধিক কৃষকের মাঝে বিনা মূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে নিজস্ব কার্যালয়ে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এই সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। এ সময় ৯ শতাধিক কৃষকের প্রত্যেককে ১০ কেজি এমওপি সার, ১০ কেজি ডিএপি ও এক কেজি সরিষা বীজ দেওয়া হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ। | ব্রাহ্মণবাড়িয়া,চট্টগ্রাম বিভাগ,আশুগঞ্জ,ছাপা সংস্করণ,কুমিল্লা সংস্করণ,চট্টগ্রাম চাঁদপুর | ৯ শতাধিক কৃষকের মধ্যে সার ও বীজ বিতরণ | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2022/03/01/%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%ab%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%80-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%82/ | নিবন্ধন পেয়েছে ফেনী সাংবাদিক ইউনিয়ন | বাংলাদেশ সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুযায়ী নিবন্ধন পেয়েছে ফেনী গণমাধ্যম কর্মীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগঠন ফেনী সাংবাদিক ইউনিয়ন (এফইউজে)। (রেজি. নং- ১২৬) এবং একইসঙ্গে পাঁচ সদস্যের একটি পূর্ণাঙ্গ কার্যকরি কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন শ্রম অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১মার্চ) উক্ত সংগঠনের নিবন্ধনের পাশাপাশি তিন বছর মেয়াদের একটি কার্যকরি কমিটির অনুমোদন দেন শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান । কমিটিতে সভাপতি যতন মজুমদার (দৈনিক যুগান্তর), সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক মিলন (দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ), কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ মনির আহমদ (দৈনিক ভোরের কাগজ ), নির্বাহী সদস্য সাহেদুল ইসলাম কাওছার ( স্পেকট্রাম) ও শুকদেব নাথ তপন (দৈনিক ভোরের কাগজ) । নিবন্ধন প্রাপ্তিতে সার্বিক সহযোগীতার জন্য শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, সংসদ সদস্য জেনারেল(অবঃ) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সংগঠনের সভাপতি যতন মজুমদার জানান, ফেনীর সাংবাদিকদের অধিকার আদায় ও সার্বিক কল্যাণে নিবেদিত থাকবে ফেনী সাংবাদিক ইউনিয়ন (এফইউজে)। | এফইউজে,ফেনী,সাংবাদিক ইউনিয়ন | সভাপতি যতন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক মিলন, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ মনির আহমদ। | national |
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2020/01/29/496770 | ভাইরাস রুখতে চীনের পাশে ট্রাম্প | চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩২। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন শহরের বাসিন্দাদের নিজের শহর না ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে চীনা প্রশাসন। চীনের সবচেয়ে বিপজ্জনক শহর উহান-সহ বেশ কয়েকটি শহরে ইতিমধ্যেই ট্রেন, বাস, বিমান এমনকি ফেরি চলাচল বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে কড়া বার্তা দিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেছেন, ''করোনাভাইরাস নামের দৈত্যের সঙ্গে লড়ছে দেশ। একে কোনও ভাবে যেন আড়াল করা না হয়।'' এই পরিস্থিতিতে ভাইরাস-বিধ্বস্ত চীনকে সাহায্যের বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার টুইট করে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ''ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আমরা চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি। যে কোনও পরিস্থিতিতে চীনের পাশেই রয়েছি।'' তবে আপাতত চীন সফর এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। হুবেই প্রদেশে যাতায়াতে কড়া নিষেধ জারি করেছে প্রশাসন। বিডি প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন | null | ডোনাল্ড ট্রাম্প | international |
https://www.dailynayadiganta.com/chattagram/563480/নারীকে-বিবস্ত্র-করে-নির্যাতন-দেলোয়ার-ও-তার-সহযোগীর-বিরুদ্ধে-ধর্ষণ-মামলার-চার্জ-গঠন | নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন : দেলোয়ার ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার চার্জ গঠন | নোয়াখালীর বেমগঞ্জের একলাশপুরে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন দেলু ও তার সহযোগী আবুল কালামের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। এ সময় দুই আসামির নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আদালতে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। বুধবার দুপুরে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক জয়নাল আবেদীনের আদালতে এই বিষয়ে শুনানি হয়। এর আগে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মামুনুর রশিদ। মামলায় বাদিপক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোল্লা হাবিবুর রাছুল। তাকে সহায়তা করেন বাংলাদেশ নারী আইনজীবী সমিতির পক্ষে আয়েশা বেগম শিরিন, শাহিদা আক্তার, ছালেহা বেগম ও কল্পনা রানী দাশ। মামলার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার জনৈক নারীর সাথে স্বামীর মনোমালিন্য ছিলো দীর্ঘদিন। স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় তিনি বাবার বাড়িতে চলে আসেন। তিনি এক মেয়ে ও এক ছেলের জননী। এ সুযোগে স্থানীয় দেলোয়ারের নেতৃত্বে এলাকার বাদল রহিম, কালাম, ইসরাফিল ও তাদের সহযোগীরা ওই নারীকে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই গৃহবধূর স্বামী শ্বশুর বাড়িতে আসেন। তারা ঘরে অবস্থান করাকালে স্বামীসহ গৃহবধূকে আটক করে অভিযুক্তরা ব্যাপক নির্যাতন চালান। ওই নারীকে বেঁধে রেখে তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করেন। এ সময় তার নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করেন নির্যাতনকারীরা। তারপর থেকে পুরো পরিবারকে অবরুদ্ধ করেন তারা। একপর্যায়ে নির্যাতিতাকে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেন। নির্যাতিতার কাছ থেকে টাকা দাবি করেন তারা, টাকা না দিলে তারা ফেসবুকে নগ্ন ছবি ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেন নির্যাতনকারীরা। ঘটনার ৩২ দিন পর ৪ অক্টোবর রোববার ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবস্ত্র নির্যাতনের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হলে সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বেগমগঞ্জ থানায় তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে ধষর্ণ মামলায় দোলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার ও তার সহযোগী আবুল কালামের বিরদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। ভিকটিম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর রাত ১১টায় অভিযুক্ত কালাম তার ঘরে এসে বলেন, তার সাথে অনৈতিক কাজ না করলে তিনি তার বাহিনী লেলিয়ে দেবে এবং সবাই মিলে ধর্ষণ করবেন। আমি অধিক লোকের ধর্ষণের ভয়ে তার কুপ্রস্তাবে রাজি হই। দোলোয়ার তখন আমাকে প্রথমবার ধর্ষণ করে। দ্বিতীয় ঘটনায় উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল তারিখ সন্ধ্যা ৭টা। বাদি উল্লেখ করেন, দেলোয়ার বাহিনীর সদস্য কালাম আমার বাড়িতে এসে বলে, দোলোয়ার আমাকে ডাকছে। তখন আমি ভয় পেয়ে কালামের সাথে করে তার সাথে দেখা করতে বিলে যাই। দেলোয়ার তখন নৌকায় বসা ছিলেন। তখন দু'জন আমাকে ধর্ষণ করতে চান। আমার অনুনয়-বিনয়ে দোলোয়ার কালামকে টাকা দিয়ে সরিয়ে দেন এবং তিনি আমাকে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করেন। অভিযুক্ত দেলোয়ার ও কালাম তাকে ইতোপূর্বে বিভিন্ন হুমকি দেয়ায় আরো আগে জিআর মামলার এজাহার ও ২২ ধারায় দেলোয়ারের নাম উল্লেখ করেননি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক অভয় দিলে পরে তিনি এজাহার দেন। | null | অভিযুক্ত দেলোয়ার | national |
https://samakal.com/capital/article/19092392/কথা-বলে-অনৈতিক-সম্পর্ক | বিয়ের কথা বলে অনৈতিক সম্পর্ক | বিয়ের কথা বলে এক তরুণীর সঙ্গে প্রায় দেড় বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হক। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন মেয়েটি। এর পরই বিয়ের জন্য চাপ দেন মাহমুদুল হককে। বিয়ে করবেন, তবে অনাগত সন্তানকে নষ্ট করতে হবে, এমন প্রস্তাব দেন তরুণীকে। বিয়ের স্বপ্নে প্রস্তাবে রাজি হয়ে মেয়েটি ওষুধের মাধ্যমে নষ্ট করে ফেলেন গর্ভের সন্তান। কিন্তু দিন যায়, মাস যায়, বিয়ে আর করেন না পল্টন থানার ওই কর্তা। একপর্যায়ে তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। মাহমুদুলকে বিয়ের জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তরুণী। বিয়ের প্রলোভনে তার সঙ্গে ওসির অনৈতিক কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরে এবং বিচারের দাবিতে গত ১ আগস্ট পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই তরুণী। তদন্তে মাহমুদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে। আইজিপির কাছে দেওয়া তরুণীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ওসি মাহমুদুলের বাড়ি নওগাঁ জেলায়। মেয়েটির বাড়িও উত্তরবঙ্গে। প্রথমে চাকরির কথা বলে তাকে ঢাকায় ডাকেন তিনি। ছোট বোন পরিচয়ে পল্টনের হোটেল ক্যাপিটেলে ওঠান মেয়েটিকে। খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন ওসি। এ নিয়ে মেয়েটির সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। ওসি তাকে আশ্বস্ত করেন, তাকে ভালোবাসেন তিনি। স্ত্রী থাকলেও বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এর পর থেকে প্রায়ই ওই হোটেলের ৩১৫ ও ৫১৭ নম্বর কক্ষে নিয়ে লিপ্ত হয়েছেন শারীরিক সম্পর্কে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আইজিপির কাছে তরুণীর দেওয়া অভিযোগটি তদন্ত করেন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোনালিসা বেগম। তদন্ত শেষ করে সম্প্রতি তিনি প্রতিবেদনটি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে পাঠিয়েছেন। গত বুধবার ডিএমপি থেকে প্রতিবেদনটি পাঠানো হয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরে। দীর্ঘদিন তরুণীর সঙ্গে ওসি মাহমুদুলের অনৈতিক শারীরিক সম্পর্কের তথ্য উঠে এসেছে ওই প্রতিবেদনে। পল্টনের হোটেল ক্যাপিটেলে নিয়ে একাধিক দিন তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক এবং তরুণীর সঙ্গে ওসির কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরারও প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। হোটেল ক্যাপিটেলের ৩১৫ এবং ৫১৭ নম্বর কক্ষ প্রায় প্রতি মাসে এক বা একাধিক দিন ওসি পল্টনের নামে বুকিং দেওয়ার তথ্যও মিলেছে তদন্ত প্রতিবেদনে। এর মধ্যে ৩১৫ নম্বর কক্ষটি ২০১৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বুকিং দেন। সেটি চেকআউট হয় ২২ সেপ্টেম্বর। একই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ৫১৭ নম্বর কক্ষটি বুক করেন এবং চেকআউট হয় ৩০ সেপ্টেম্বর। একই বছরের ৪ অক্টোবর ৫১৭ নম্বর কক্ষ বুক করেন। পরের দিনই সেটি চেকআউট করা হয়। এরপর ১৮ অক্টোবর ৩১৫ নম্বর কক্ষ বুক করেন এবং সেটি চেকআউট হয় ২২ অক্টোবর। ৬ ডিসেম্বর একই কক্ষ নেওয়া হয় এবং দু'দিন পর সেটি চেকআউট করা হয়। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি নেওয়া হয় একই কক্ষ এবং ১২ জানুয়ারি চেকআউট করা হয়। আবার ৫১৭ নম্বর বুকিং নেওয়া হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি। ২ মার্চ সেটি চেকআউট করা হয়। সর্বশেষ ১৪ মার্চ আবার ওই হোটেলের ৩১৫ নম্বর কক্ষ নেওয়া হয় ওসি পল্টনের নামে। ১৭ মার্চ চেকআউট করা হয় কক্ষটি। অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোনালিসা বেগম সমকালকে বলেন, 'ভুক্তভোগী তরুণী আইজিপির কাছে ওসি মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। সেটির তদন্ত করি আমি। অনৈতিক শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন ডিএমপি সদর দপ্তরে পাঠিয়েছি।' মাহমুদুল হক ২০০১ সালে এসআই পদে পুলিশে যোগদান করেন। চাকরি জীবনে একটি গুরুদণ্ড-ব্ল্যাক মার্ক এবং ২২টি লঘুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। ২০১৭ সালের ২ জুলাই পল্টন থানার ওসি হিসেবে যোগদান করেন তিনি। ওসির স্ত্রী ও এক সন্তান রয়েছে। ভুক্তভোগীর দেওয়া তথ্য ও সমকাল অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে ওসি মাহমুদুল হকের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় ওই তরুণীর। ম্যাসেঞ্জারে কথোপকথন শুরু হয়। একদিন হুট করে মাহমুদুল মেসেঞ্জারে জানান, তিনি নওগাঁয় গেছেন। দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তরুণীর কাছে। নওগাঁ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে দু'জন দেখা করেন। সেটি ছিল ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর। এর পর থেকে মোবাইল ফোনে কথা হতো নিয়মিত। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের কথা মেয়েটিকে জানাতেন ওসি। নানা ধরনের গিফট পাঠাতেন মেয়েটিকে। ক্রমে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয় তাদের। মাহমুদুলকে নিজের জন্য একটি চাকরির প্রয়োজনীয়তার কথা জানান তিনি। এক সময় মেয়েটিকে জানানো হয়, তার জন্য ঢাকায় একটি চাকরি ঠিক করা হয়েছে। চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলে ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মেয়েটিকে ঢাকায় আসতে বলেন তিনি। পল্টন থানার অদূরে হোটেল ক্যাপিটেলের একটি কক্ষে তাকে তোলেন ওসি। হোটেল স্টাফদের কাছে মেয়েটিকে ছোট বোন পরিচয় দিয়েছিলেন। সেদিন সন্ধ্যায় হোটেল কক্ষে যান মাহমুদুল। তরুণী কিছু খেয়েছে কি-না জানতে চান। এর পরই ইন্টারকমের মাধ্যমে স্যুপসহ বিভিন্ন খাবারের অর্ডার দেন। হোটেল স্টাফ খাবার দিয়ে যান। খেতে অনীহা প্রকাশ করলেও স্যুপ খেতে অনুরোধ করেন তিনি। একপর্যায়ে মেয়েটি সেটি খান এবং পরে ঘুম ঘুম ভাব আসে। এরপর ঘুম থেকে জেগে দেখেন রাত পৌনে ২টা এবং পাশেই মাহমুদুল হক শুয়ে আছেন। এরই মধ্যে মেয়েটি বুঝতে পারেন তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করা হয়েছে। তখন মাহমুদুলকে তিনি বলেন, 'ভাইয়া, একি করলেন! আপনাকে বড় ভাইয়ের মতো বিশ্বাস করেছি। কেন সর্বনাশ করলেন?' মাহমুদুল তাকে ভালোবাসে বলে জানান। একপর্যায়ে কক্ষ থেকে চলে যান। পরদিন সকালে আবার হোটেল কক্ষে গিয়ে মেয়েটিকে ভালোবাসেন সেটি বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করেন। তরুণী হোটেল থেকে বেরিয়ে বাড়ি চলে যান। সমকালকে তিনি জানান, বাড়ি যাওয়ার পরও মাহমুদুল তাকে ফোন দিতেন। কয়েকদিন ফোন না ধরলেও পরে কথা বলেন মেয়েটি। মাহমুদুল তাকে বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। একপর্যায়ে মেয়েটিও তাকে বিশ্বাস করতে শুরু করেন। এরপর একাধিকবার হোটেল ক্যাপিটেলে এনে মেয়েটির সঙ্গে ওসি মাহমুদুল শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। এ ছাড়া দিনাজপুরে মামলার সাক্ষী দেওয়ার নামেও মেয়েটিকে দিনাজপুরে নিয়ে বিভিন্ন হোটেলে রেখে একই সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন একাধিক দিন। দু'জন কক্সবাজারে গেছেন ঘুরতে। অনৈতিক সম্পর্কের একাধিক ভিডিও ও স্থিরচিত্র রয়েছে বলে দাবি করেন মেয়েটি। তাদের দু'জনের সম্মতিতেই এসব চিত্র ভিডিও করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর পরীক্ষা করে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে জানতে পারেন। তখন তিনি হোটেল ক্যাপিটেলে ছিলেন। বিষয়টি মেসেঞ্জারে মাহমুদুলকে জানান। মাহমুদুল হোটেলে যান তার কাছে। মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দেন তাকে। ওসি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন, তবে গর্ভপাত করার প্রস্তাব দেন। এ নিয়ে দু'জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে রাজশাহী চলে যান মেয়েটি। একপর্যায়ে ওসির কথামতো এক রাতে গর্ভপাতের জন্য ওষুধ খান। এরপর সারারাত রক্তপাত হয়। এ নিয়ে রাজশাহীর হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে হয় তাকে। বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ার একপর্যায়ে গত ২ এপ্রিল থেকে তরুণীর সঙ্গে মাহমুদুল যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। যোগাযোগ করতে না পেরে মেয়েটি পল্টন থানায় চলে আসেন। আবারও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বুঝিয়ে রাজশাহী পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে মাহমুদুলের বাবাকে বিষয়টি জানান তরুণী। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। ১২ এপ্রিল ২০টি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাকে। তরুণী সমকালকে বলেন, 'বিয়ের কথা বলে দিনের পর দিন আমার সর্বনাশ করেছে ওসি মাহমুদুল হক। আমি তাকে বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু এখন আমাকে বিয়ে করতে চায় না। আমাদের সম্পর্কের কথা পরিবারের অনেকেই জেনে গেছে। আমি তাদের কাছে মুখ দেখাব কী করে! আমার একটাই দাবি- আমাকে তার বিয়ে করতে হবে। সে যেহেতু পুলিশ কর্মকর্তা, তাই তার জন্য যেন পুরো পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট না হয়, সেজন্য কোনো মামলা-মোকদ্দমায় যাইনি। আইজিপির কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি, বিচারের প্রত্যাশায়।' মাহমুদুল তাকে বিয়ে না করলে আদালতে মামলা করবেন বলে জানান তিনি। ওসি মাহমুদুল হক অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি সমকালকে বলেন, 'এটি একটি মিথ্যা অভিযোগ।' এর বেশি কিছু বলবেন না বলে জানান তিনি। | পল্টন,নারী কেলেঙ্কারি,ওসি | :: | national |
https://samakal.com/whole-country/article/2204107110/ভিসেরা-রিপোর্ট-বিষপানেই-মারা-যান-গোদাগাড়ীর-দুই-আদিবাসী-কৃষক | বিষপানেই গোদাগাড়ীর দুই কৃষকের মৃত্যু: ভিসেরা রিপোর্ট | রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দুই কৃষক বিষপানেই আত্মহত্যা করেছিলেন। ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা পরীক্ষায় এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছেন চিকিৎসক। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন বলেন, শনিবার তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশের কাছে জমা দিয়েছি। মৃত, দুই আদিবাসী কৃষকের শরীরের ময়নাতদন্ত শেষে ভিসেরা রিপোর্ট প্রস্তুতের জন্য সিআইডির ল্যাবে নমুনা পাঠিয়েছিলাম। ভিসেরা রিপোর্ট অনুযায়ী মৃত দুজনের শরীরেই বিষ পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় অর্গানো ফসফরাস কম্পাউন্ড নামে এক ধরনের বিষ পাওয়া যায়। এই বিষপানেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন গোদাগাড়ী থানা পুলিশ নিয়ে গেছে। দুই কৃষকের আত্মহত্যা: জিজ্ঞাসাবাদে সদুত্তর দিতে পারেননি নলকূপ অপারেটর গত ২৩ মার্চ সন্ধ্যায় সেচের পানি না পেয়ে অভিমানে গোদাগাড়ীর দুই আদিবাসী কৃষক বিষপান করে। এর মধ্যে নিমঘুটু গ্রামের আদিবাসী কৃষক অভিনাথ মার্ডি রাতেই নিজ বাড়িতে মারা যান। অসুস্থ অপর কৃষক রবি মার্ডি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ মার্চ মারা যান। এ ঘটনার পর নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। পরে অভিনাথ মার্ডির স্ত্রী রোজিনা হেমব্রম বাদী হয়ে বিএমডিএ'র গভীর নলকুপ অপারেটর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন। পরে পুলিশ সাখাওয়াতকে গ্রেফতার করে। গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, এ রিপোর্ট পাবার পর মামলা পরিচালনায় গতি আসবে। | বিষপানে কৃষকের আত্মহত্যা,ভিসেরা পরীক্ষা,রাজশাহী,গোদাগাড়ী | কৃষক অভিনাথ মারান্ডি ও রবি মারান্ডি | national |
https://www.prothomalo.com/entertainment/tv/অ্যাকশন-বলা-ভুলে-যান-মিজান | অ্যাকশন বলা ভুলে যান মিজান | প্রথমবারের মতো টেলিছবি নির্মাণ করলেন অভিনেতা মাজনুন মিজান। ২০০০ সালে অভিনয় দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন এই অভিনেতা। সম্প্রতি হঠাৎ তাঁর মানুষ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের গল্প ভালো লেগে যায়। চলচ্চিত্র বানানোর জন্য নিজেকে তৈরি করতে হাত দিলেন টেলিছবিতে। তাঁর নির্মিত প্রথম টেলিছবির নাম আমলকী। মাজনুন মিজান বলেন, 'একটি অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি। চারপাশের সাধারণ মানুষের জীবনের সংকট নিয়েই আমার টেলিছবির গল্প।' তিন শতাধিক নাটকে 'অ্যাকশন' শুনে অভ্যস্ত মাজনুন মিজান। কিন্তু নিজের প্রথম পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি অ্যাকশন বলতেই ভুলে যান। তিনি বলেন, 'আমি অ্যাকশন বলতেই ভুলে গিয়েছিলাম। চিত্রগ্রাহক বারবার বলছেন, "ভাই, রোল চলে, রোল চলে (ভিডিও চালু করা হয়েছে)।" প্রথমে বুঝতে পারিনি। পরে বুঝতে পেরে বলেছি, ওহ্, হ্যাঁ, অ্যাকশন।'এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সালাহউদ্দিন লাভলু, দীপা খন্দকার, ফারজানা ছবি প্রমুখ। গত ২৫, ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি আমলকীর শুটিং হয় নোয়াখালী জেলায়। এটি খুব শিগগির একটি বেসরকারি চ্যানেলে প্রচারিত হবে। | টেলিভিশন | অভিনয়শিল্পীদের দৃশ্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন মাজনুন মিজান। ছবি: সংগৃহীত | entertainment |
https://www.ajkerpatrika.com/170468/%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F-%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A7%8B | ঠাকুরগাঁওয়ে রাসায়নিকের বিকল্পে জনপ্রিয় হচ্ছে কেঁচো সার | ঠাকুরগাঁওয়ে দিনে দিনে জনপ্রিয় হচ্ছে পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। এতে রাসায়নিক সারের ব্যবহারের প্রবণতা যেমন কমছে, তেমনি সাশ্রয় হচ্ছে ফসলের উৎপাদন খরচ। কৃষি বিভাগ সমগ্র জেলায় জৈব সারের ব্যবহার ও উৎপাদন ছড়িয়ে দিতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে।গত বছর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকার ১০-১৫ জন চাষি কেঁচো সংগ্রহ করে জৈব পদ্ধতিতে সার উৎপাদন শুরু করেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তাঁদের বিনা মূল্যে ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরির উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করে। কৃষকদের উৎপাদিত সেই সার জমিতে ব্যবহার করে আশানুরূপ ফলন পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চাষিরা। এতে আশপাশের কয়েক গ্রামের কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়ে।জৈব সার ব্যবহারকারী নতুনপাড়া এলাকার কৃষক শাহিনুর আলম, জাকির হোসেন, মুসলিম উদ্দিন, শাহজালাল জুয়েলসহ একাধিক কৃষক বলেন, সবজিসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে কেঁচো কম্পোস্ট সার প্রয়োগে খরচ হয় মাত্র আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু রাসায়নিক সার ব্যবহারে সেই ফলন পেতে চাষিদের গুনতে হয় তিন থেকে চার গুন বেশি টাকা। অন্যদিকে এই সার তৈরিতে তেমন খরচ না হওয়ায় আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি।কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা আলী হোসেন জানান, মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ পরামর্শ ও আর্থিক সহায়তার মধ্য দিয়ে ১০টির বেশি কেঁচো সার উৎপাদনের প্রদর্শনী গড়ে উঠেছে এই এলাকায়। কৃষক-কৃষানিরা উৎপাদিত কেঁচো সার নিজের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় বাজারেও বিক্রি করে আয় করছেন। অনেক বেকার যুবকও কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে উপার্জনে নেমে পড়েছেন। এ জন্য সহজ শর্তে ঋণসহায়তার দাবি তাঁদের।দুই বছর ধরে কেঁচো সার উৎপাদন করছেন জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বিলপাড়া গ্রামের ফিরোজা বেগম। তিনি জানান, গত দুই বছর ধরে তিনি তাঁর শস্যখেতে রাসায়নিক সার ব্যবহার ছেড়ে দিয়েছেন। বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক কেঁচো সার ব্যবহার করছেন। তাঁর মতো এই এলাকায় এমন সার ব্যবহার করা কৃষকের সংখ্যা ২০-২৫।আরেক কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, এই সার ব্যবহারে সবজিখেতে শস্য উৎপাদন বেড়ে যায়। তা ছাড়া এটি রাসায়নিক সারের বিকল্প হওয়ায় স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে সবজি উৎপাদিত হয়।ফিরোজা বেগমের পাশের এলাকার আজিজুল ইসলাম জানান, ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারের ফলে ফলন বেড়েছে। উৎপাদনের পাশাপাশি প্রতি কেজি কেঁচো ১০ টাকা দরে বিক্রি করে বাড়তি আয় হচ্ছে।এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রোগ্রাম এনএটিপি-২-এর আওতায় কৃষি বিভাগ কেঁচো সার উৎপাদনে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করছেন। পরিবেশবান্ধব এই সার মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মাটির উর্বরত শক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে কৃষক কম খরচে সার পাচ্ছেন। | ঠাকুরগাঁও,রংপুর বিভাগ,কৃষি,ঠাকুরগাঁও সদর,ফসল | ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নতুন পাড়া এলাকার এক কৃষককে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করছে স্থানীয় কৃষি-উপসহকারী কর্মকর্তা। | national |
https://www.prothomalo.com/world/india/রাশিয়ার-তেল-কিনে-বাইডেনের-তত্পরতায়-পানি-ঢালছে-ভারত | রাশিয়ার তেল কিনে বাইডেনের তত্পরতায় পানি ঢালছে ভারত | ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে সারা বিশ্বকে একজোট করতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর মধ্যেই রাশিয়ার জ্বালানি তেল ও গ্যাসের আমদানি বন্ধসহ গুরুতর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন তিনি। একই পথে হেঁটেছে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মিত্র দেশ। সেখানে ব্যতিক্রম ভারত ও চীনসহ হাতে গোনা কয়েকটি দেশ। এশিয়ার প্রভাবশালী দুই দেশ চীন ও ভারত জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থেকেছে। এখন রাশিয়া থেকে তেলের আমদানি বাড়াচ্ছে নয়াদিল্লি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারতের এমন পদক্ষেপ বাইডেনের প্রচেষ্টাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে। ভারতের জ্বালানি তেল খাত মূলত আমদানিনির্ভর। দেশটির চাহিদার ৮৫ শতাংশ তেলই আমদানি করা হয়। ২০২২ সালে দেশটির তেলের চাহিদা ৮ দশমিক ২ শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করা হয়েছে। ফলে চলতি বছরে প্রতিদিন ৫১ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল তেলের প্রয়োজন পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, জ্বালানির আন্তর্জাতিক বাজারে নির্ধারিত দামের চেয়ে ২০ শতাংশ ছাড়ে নয়াদিল্লিকে তেল দিতে রাজি হয়েছে মস্কো। বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারত সরকারের একজন কর্মকর্তা গতকাল শুক্রবার আল-জাজিরাকে বলেন, করোনার ধাক্কায় সংকটে রয়েছে ভারতের অর্থনীতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাশিয়া থেকে ছাড়ে তেল আমদানির পরিমাণ বাড়াবে দেশটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা বলেন, সর্বশেষ দেশটি থেকে ৩০ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করা হয়েছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, 'আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে সব সম্ভাবনাগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। রাশিয়াকে ভারতের প্রধান তেল সরবরাহকারী হিসেবে আমি মনে করি না।' আর তেলের চেয়ে অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে রাশিয়ার ওপর ভারতের নির্ভরশীলতা অনেক বেশি। ভারতের অস্ত্রশস্ত্রের বেশির ভাগই আমদানি করা হয় রাশিয়া থেকে।রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি এসেছে দেশটি। হোয়াইট হাউসের ভাষ্য, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যেসব বিষয়ে ভিন্নতা রয়েছে, তার থেকে দুই দেশের মধ্যে ঐক্য বেশি। এ ছাড়া কৌশলগত জোট 'কোয়াডে' রয়েছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছর জোটের অপর দুই সদস্য জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে টোকিওতে বৈঠকের কথা রয়েছে। এদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গত ডিসেম্বরে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট গণতন্ত্র ও স্বৈরাচারের মধ্যের সংঘাতকে চলতি সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ আখ্যায়িত করেন। জবাবে নরেন্দ্র মোদি বলেন, তাঁর দেশ গণতন্ত্রের মহৎ প্রচেষ্টায় যোগ দিতে প্রস্তুত। সবকিছুর মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল কেনার ভারতীয় সিদ্ধান্ত ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্ককে চাপে ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগে রাশিয়া থেকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনায় ভারতের প্রতি নাখোশ হয়েছিল হোয়াইট হাউস। এ নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়া থেকে এস-৪০০ কেনার জন্য ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে কি না, তা এখনো যুক্তরাষ্ট্রের বিবেচনায় রয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর বিষয়টি এখন ভিন্ন মাত্রায় দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ভূরাজনৈতিক সমতা বজায় রাখা বাইডেনের জন্য যে কতটা জটিল হয়ে পড়েছে, তা ইঙ্গিত করছে ভারত-রাশিয়া তেল চুক্তি। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট মস্কোবিরোধী বলয়ে ভারতকে আনতে পারেননি, এরপরও এশিয়ায় চীনের প্রভাব বিস্তার ঠেকাতে নয়াদিল্লিকে অন্যতম কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখে ওয়াশিংটন। ইউক্রেন ইস্যুতে নানা দেশের অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়ায় এর আভাসও পাওয়া গেছে। রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান না নিতে চীনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হোয়াইট হাউস। তবে ভারতের অবস্থান নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আরও সতর্কতা অবলম্বন করেছে তারা। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট নিয়ে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে কাজ করছে জানতে চাইলে গত বুধবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি বলেন, 'আমরা একাধিক মাধ্যমে যোগাযোগ রেখে চলেছি।' এর এক দিন আগেই ভারতের তেল আমদানি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। এ সময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করে জেন সাকি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা হচ্ছে, যখন ইতিহাস লেখা হচ্ছে, তখন একটি দেশের নিজেদের অবস্থান নিয়ে ভাবা উচিত। পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে সংঘাতে সরাসরি কোনো পক্ষে ভারতের দাঁড়ানোর সম্ভাবনা কম বলে মনে করেন দেশটিতে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেন জাস্টার। তবে ইউক্রেনে যুদ্ধ চলমান থাকলে নয়াদিল্লির ওপর বাড়তি চাপ আসবে বলে মনে করেন তিনি। কেন জাস্টার বলেন, রাশিয়ার নৃশংসতা বাড়তে থাকার সঙ্গে ভারত ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখে পড়তে যাচ্ছে। যেকোনো দেশের পক্ষেই সামনে এগিয়ে না আসা ও নিন্দা না জানানো কঠিন হবে। | বিশেষ সংবাদ,জো বাইডেন,রাশিয়া,রাশিয়া ইউক্রেন সংঘাত,ইউক্রেন,নরেন্দ্র মোদি,রাশিয়া-ইউক্রেন,যুক্তরাষ্ট্র | ভারতের জ্বালানি তেলের ৮৫ শতাংশই আমদানি করা হয় | international |
https://samakal.com/bangladesh/article/201144605/৮-বিভাগে-নির্মিত-হবে-আট-‘আইকনিক-মসজিদ’-প্রধানমন্ত্রী | সৌদি সহায়তায় আট বিভাগে নির্মিত হবে আট 'আইকনিক মসজিদ' | সৌদি আরবের সহায়তায়দেশের আটটি বিভাগেআধুনিক সুবিধা সম্পন্ন আটটি 'আইকনিক মসজিদ' নির্মাণ করা হবে।বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসেফ আলদুহাইলান প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। খবর ইউএনবির সাক্ষৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন।শেখ হাসিনা বলেন, সৌদি সহায়তায় দেশব্যাপী উপজেলা পর্যায়ে ৫৬০টি মসজিদ-কাম-ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি সৌদি সহায়তায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ নির্মাণের কথাও স্মরণ করেন। বর্তমান সরকার কৃষি খাতে প্রাধান্য দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৌদি আরবে কৃষি শ্রমিক পাঠাতে পারে বাংলাদেশ।ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সব সময় এ সম্পর্ককে মূল্য দেয়। দুদেশের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতা রয়েছে। 'বাংলাদেশিদের হৃদয়ে সৌদি আরবের বিশেষ স্থান আছে,' বলেন তিনি। সৌদি রাষ্ট্রদূত এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা এবং আশা প্রকাশ করেন যে তার নেতৃত্বে দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীরতর হবে। তিনি বলেন, সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও জনশক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে সৌদি আরবে ১৫ লাখের বেশি বাংলাদেশি বিভিন্ন খাতে কাজ করছেন। 'তারা অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং সৌদি অর্থনীতিতে প্রচুর অবদান রাখছেন।' ইসা ইউসেফ বলেন, সৌদি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী এবং তাদের সরকারও দুই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও ব্যবসার প্রচারে সৌদি আরবে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের স্বাগত জানায়। 'সৌদি আরবে বিনিয়োগের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে এবং আমরা বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের এ ক্ষেত্রে পূর্ণ সমর্থন দেব,' বলেন তিনি। দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে বিদ্যমান দুর্দান্ত সম্পর্ক নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দায়িত্ব হবে তার মেয়াদকালে এ সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়া। আলোচনায় করোনভাইরাসের বিষয়টিও উঠে আসে বলে জানান প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। সাক্ষাতের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশে তার অবস্থানকালে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সভায় উপস্থিত ছিলেন। পরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টসিল একই জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বলে তার প্রেস সচিব জানিয়েছেন। | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,আইকনিক মসজিদ,সৌদি আরবের সহায়তা | বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসেফ আলদুহাইলান বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেনফোকাস বাংলা | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/11/04/%e0%a6%9c%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%81-%e0%a6%93-%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be-%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%a4/ | জলবায়ু ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহযোগিতায় আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া | অস্ট্রেলিয়া জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা সৃষ্টি ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন কপ-২৬ এর সাইডলাইনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। বুধবার (৩ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে গত মঙ্গলবার এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তিনি আরো বলেন, উভয় নেতা দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বিশেষভাবে জলবায়ু সহযোগিতা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা সৃষ্টি ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে বিশেষভাবে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। অস্ট্রেলিয়ারও দাবানল, বন্যাসহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চরম ক্ষতির অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই উভয় দেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের বিরুদ্ধে স্থিতিস্থাপকতা গঠনে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী নয়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাবের সম্মুখীন বাংলাদেশ। তিনি বলেন, এ পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে প্রধান প্রধান কার্বন নির্গমনকারী উন্নত দেশগুলোর উচিত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রয়োজনে সাড়া দেয়া। উন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই তাদের প্রতিশ্রুত ১শ' বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিল ছাড় দেয়া এবং এটি বাস্তবায়ন করা উচিত। শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব, স্থিতিস্থাপকতা সৃষ্টি এবং কভিড-১৯ উত্তর পুনরুদ্ধারে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতি কার্যকর সাড়া দিয়ে গ্রীন ও ক্লিন প্রযুক্তি স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে অব্যাহত সমর্থনের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানান। ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে কোন অগ্রগতি না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা মিয়ানমারের ওপর আরো আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগে ভূমিকা রাখতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানান। | অস্ট্রেলিয়া,জলবায়ু,প্রধানমন্ত্রী,রোহিংঙ্গা | মঙ্গলবার জলবায়ু সম্মেলনের ফাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। বাসস | national |
https://samakal.com/bangladesh/article/19126648/উন্নয়নে-আর্থিক-সেবা-সহজ-হতে-হবে | টেকসই উন্নয়নে আর্থিক সেবা সহজ হতে হবে | টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে আর্থিক সেবা সবার জন্য সহজ হতে হবে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) উদ্যোক্তাদের কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন নিশ্চিত করতে পারলে তা এসডিজি অর্জনে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। বুধবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের ওপর এশিয়া-প্যাসিফিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম দুটি অধিবেশনে বক্তারা এমন মতামত দেন। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি), জাতিসংঘের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (এসকাপ) এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ট্রেড ফাইন্যান্স প্রোগ্রাম (টিএফপি) এ সম্মেলনের আয়োজক। এতে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়। এসডিজি অর্জনে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন নিয়ে প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের টেকসই উন্নয়নে আঞ্চলিক ও বহুমাত্রিক সহযোগিতা জোরদার করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকার আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়াতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করছে। আর্থিক সেবা আগের চেয়ে অনেক সহজ করা হয়েছে। এরই মধ্যে নানা সাফল্য এসেছে। এরপরও অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, বিশেষ করে ঋণের সুদহার কমানো এবং তা স্থিতিশীল রাখা। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের নীতি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বৈষম্য ও দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ দিয়ে সবার জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সহজ ঋণ ও সঞ্চয় সুবিধা ব্যাংকের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। গরিব মানুষ ও এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, সম্পদের সুষম বণ্টন ও আয়বৈষম্য দূর করা বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দারিদ্র্য দূর করা এবং সবার জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অর্থায়ন বাড়াতে হবে। কম্বোডিয়ার সহকারী বাণিজ্যমন্ত্রী বান চ্যানথি বলেন, এসডিজি অর্জনে সব খাতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তবে কর্মসংস্থানের জন্য অর্থায়নে জোর দিতে হবে। এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, সবার জন্য সুবিধা মিলবে-এমনভাবে অর্থায়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সহজ প্রক্রিয়ায় রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে। বৈদেশিক তহবিল দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে ব্যয় করতে হবে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সক্ষমতা বাড়ানো নতুন প্রযুক্তি সংযোজনের মাধ্যমে অর্থায়ন সহজ করতে হবে। এ ছাড়া বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। ইউএন-এসকাপের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা এসডিজি অর্জনে তিনটি কৌশলের কথা বলেন। প্রথমত, নিজস্ব অর্থায়নে জোর দিতে হবে; দ্বিতীয়ত, বৈদেশিক তহবিল এবং তৃতীয়ত, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। নারীদের প্রাধান্য দিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে জোর দিতে হবে। নেপালের জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ড. পুষ্প রাজ কাডেল বলেন, অবৈধ অর্থ যাতে পাচার না হয়, সে ব্যাপারে নজর দেওয়া উচিত। একই সঙ্গে কর ফাঁকি বন্ধ করতে হবে। তিনি স্থানীয় আয় বাড়াতে করের হার না বাড়িয়ে করের আওতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন। ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী তসলিম বলেন, বিশ্বব্যাপী অনেক অর্জন রয়েছে। এত অর্জনের পরও দারিদ্র্য আছে। এখনও ১০ ভাগের এক ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। একই বিষয়ে দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। তিনি বলেন, আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা দরকার। ব্যাংকিং খাতে সংস্কার দরকার। স্থানীয় পর্যায়ে বাজার সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি উদ্ভাবনী পণ্য তৈরিতে এসএমইদের সহযোগিতা বাড়ানো প্রয়োজন। কম্বোডিয়ার সহকারী শিল্পমন্ত্রী লিয়াম কিমলেং তার দেশের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তিনি তরুণ উদ্যোক্তা তহবিল গঠন ও এসএমই উদ্যোক্তা উন্নয়নে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন। মালদ্বীপের জাতীয় পরিকল্পনা ও অবকাঠামো উপমন্ত্রী রিয়াজ মনসুর বলেন, তাদের সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে ২০ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট তহবিল গঠন করা হয়েছে। এতে পিপিপি, ইসলামিক অর্থায়ন ও শেয়ারবাজার থেকে অর্থের সংস্থান করেছে। শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রীর জ্যেষ্ঠ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অজিত নিভাড কাবরাল বলেন, শ্রীলংকা সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে ১০ বছরের পরিকল্পনা নিয়েছে। এরই মধ্যে শিক্ষা ও যোগাযোগ উন্নয়নে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। দক্ষতা উন্নয়নে বেশ গুরুত্ব দিয়েছে তার দেশের সরকার। তিনি বলেন, দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য ঋণের সুদহার ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা জরুরি। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রধান নির্বাহী মুস্তফা কে মুজেরি বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে স্থানীয় সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে। এটি নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া দারিদ্র্য দূরীকরণে জোর দেওয়া প্রয়োজন। | এসডিজি,টেকসই উন্নয়ন,আন্তর্জাতিক সম্মেলন,আইসিসিবির সম্মেলন | এসডিজি অর্জনে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন নিয়ে প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান | national |
https://www.dailynayadiganta.com/middle-east/590359/সৌদি-আরবে-করোনার-প্রথম-ডোজ-নিলেন-৭০-ভাগ-প্রাপ্তবয়স্ক | সৌদি আরবে করোনার প্রথম ডোজ নিলেন ৭০ ভাগ প্রাপ্তবয়স্ক | সৌদি আরবের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৭০ ভাগই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। বুধবার সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়। বিবৃতিতে জানানো হয়, সৌদি আরবে মোট এক কোটি ৬৮ লাখ লোক করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। এখন দেশটি পরবর্তী ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে ৫০ বছর বা তদুর্ধ বয়সী নাগরিকদের টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার পরিকল্পনা করছে। বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার থেকেই পরিকল্পনা অনুসারে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হবে। সাথে সাথে যারা প্রথম ডোজ নেননি, তাদেরকেও টিকা দেয়া অব্যাহত থাকবে। সৌদি আরবে গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয়। জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুসারে, বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে চার লাখ ৭৮ হাজার ১৩৫ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ভাইরাস সংক্রমণে সৌদি আরবে মোট সাত হাজার সাত শ' ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সূত্র : আল-আরাবিয়া | মধ্যপ্রাচ্য,আরব উপদ্বীপ,সৌদি আরব,করোনা | করোনার টিকা নিচ্ছেন এক সৌদি নাগরিক | international |
https://samakal.com/international/article/201142702/মিয়ানমারে-সাধারণ-নির্বাচনের-ভোট-চলছে | মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনে চলছে ভোট গ্রহণ | মিয়ানমারে বহুদলীয় সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৬টার সময় ভোটকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। রাজধানী নেপিদোসহ সাতটি রাজ্য ও সাতটি অঞ্চলে একযোগে ভোট চলছে।দেশটিতে সামরিক শাসনের অবসানের পর এটি দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন।অং সান সু চি ও তার দল এনএলডি ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিপুল বিজয় অর্জন করে। ৫০ বছর ধরে সামরিক শাসনে থাকার পর মিয়ানমার পায় প্রথম বেসামরিক সরকার। এ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন ৩ কোটি ৭০ লাখের বেশি ভোটার। খবর আল জাজিরার দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এ নির্বাচনে ১ হাজার ১১৭টি সংসদীয় আসনের বিপরীতে ৮৩টি রাজনৈতিক দল এবং ২৬০ স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ প্রায় ৫ হাজার ৬৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৬৫ জন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ (নিম্নকক্ষ), ৭৭৯ জন হাউস অব ন্যাশনালিটিস (উচ্চকক্ষ), আঞ্চলিক বা রাজ্য সংসদগুলোর জন্য ৩ হাজার ১১২ জন এবং জাতিগত সংখ্যালঘু আসনের জন্য ১৮৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। নির্বাচনে অং সান সু চির ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) হয়ে লড়ছেন ১ হাজার ১০৬ জন প্রার্থী এবং ইউএসডিপি'র হয়ে অংশ নিয়েছেন ১ হাজার ৮৯ জন প্রার্থী। নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে কোনো দলকে দুই কক্ষবিশিষ্ট দেশটির সংসদের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে কমপক্ষে ২২১টি এবং হাউজ অব ন্যাশনালিটিসে কমপক্ষে ১১৩টি আসন জয় করতে হবে। নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যরা পরবর্তীতে দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং দুজন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। সাধারণ নির্বাচন হলেও এবার বেশ কয়েকটি স্থানে ভোট প্রদানের কোনো ব্যবস্থা করেনি দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে রাখাইন রাজ্যসহ ৫৬টি শহরে নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে নানিরাপত্তাজনিত সমস্যার কথা উল্লেখ করে জাতীয় নির্বাচনের বাইরে রাখা হয়েছে রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানুষকে। | মিয়ানমার,সাধারণ নির্বাচন,ভোটগ্রহণ | ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা-আল জাজিরা | international |
https://samakal.com/whole-country/article/2204108924/চাপ-বেড়েছে-পাটুরিয়া-ও-আরিচায় | ঘরমুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে পাটুরিয়া ও আরিচায় | এখনো অফিস-আদালত ছুটি হয়নি। তবে অগ্রিম ছুটি নিয়ে ঢাকা থেকে ছুটছেন অনেকেই। এতে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটে। আজ বুধবার সকালে পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিদিনের চেয়ে আজ বুধবার সকাল থেকে বাস ও কোচসহ বিভিন্ন যাত্রীবাহী যানবাহনের চাপ বেড়েছে এই দুই ঘাটে। ফেরিঘাটের যানজটের ঝুঁকি এড়াতে অনেক যাত্রী ছুটছেন লঞ্চের দিকে। এ ক্ষেত্রে ঢাকা থেকে ঘাট পর্যন্ত এসে নদী পার হয়ে নতুন বাসে উঠছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখী অনেক মানুষ। বাস থেকে নেমে লঞ্চঘাটের দিকে ছুটছেন যাত্রীরা- সমকাল পাটুরিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে এর আগে ১৮টি ফেরি চলছিল। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জ ডক ইয়ার্ড থেকে ভাষা শহীদ গোলাম মওলা ও শাপলাশালুক এবং ভোলা থেকে কৃষ্ণচূড়া নামের তিনটি ফেরি বহরে যুক্ত হয়েছে। এ নৌ-রুটে বর্তমানে ২১টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। আরিচা-নগরবাড়ি নৌ-রুটে তিনটি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ২৪টি লঞ্চ এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌ-রুটে ৯টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম খালেদ নেওয়াজ জানান, আজ সকাল থেকেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অনেক বেড়েছে। আগামী শুক্রবার থেকে ঘাট এলাকায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। | ঈদ,পাটুরিয়া,আরিচা,ঈদযাত্রা,যানজট | পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/03/01/%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%b7%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%ac%e0%a7%8b%e0%a6%9d%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b6%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf/ | মানুষের কষ্ট বোঝার শক্তিও নেই আ.লীগের | পানি বিদ্যুতের দাম সামান্য বাড়ানো হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা এমন পর্যায়ে চলে গেছেন যে তাদের লোকজনদের ঘর থেকে গোডাউন থেকে হাজার হাজার শত শত কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। তাদের এখন সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ,ব্যথা বেদনা, কষ্ট বোঝার শক্তিও নেই। রবিবার ( ১ মার্চ) দুপুরে জাতীয়তাবাদী মৎসজীবী দলের ৪১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি মহাসচিব। এরপর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন,তারা জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জনগণের দুঃখ-দুর্দশা এখন তাদের কাছে কোন প্রশ্নই নয়। সমস্যাটা হচ্ছে এই আওয়ামী লীগ যেহেতু জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সেজন্যেই জনগণের যে ব্যথা বেদনা দুঃখ-দুর্দশা কষ্ট এগুলো তারা বুঝতে পারে না। আজকে যেটাকে উনি সামান্য বলছেন এটা যে একজন সাধারণ মানুষের জন্য কত অসামান্য সেটা বোঝার শক্তি ও তার নেই। কারণ তারা এখন এমন জায়গা পৌঁছে গেছেন যেখানে হাজার হাজার কোটি টাকা শত শত কোটি টাকা তাদের লোকজনের ঘরের মধ্যে গোডাউনের মধ্যে পাওয়া যায়। সুতরাং তারা তো বুঝবেন না মানুষের কষ্ট। আমাদের জাতীয়তাবাদী দলের যিনি চেয়ারপারসন এ দেশের গণতন্ত্রের জন্য সারাজীবন তিনি অবদান রেখেছেন। তিনি নির্যাতন ভোগ করেছেন এবং এখনও তিনি কারা অন্তরীণ রয়েছেন অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় তিনি কারাগারে রয়েছেন। আমরা আজকে তার মুক্তি কামনা করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করেছি এবং করছি ।দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা মনে করি তিনি শুধু বিএনপি নেতা না নন । তিনি সমগ্র দেশের মানুষের মুক্তির নেতা। তিনি গণতন্ত্রের মুক্তির নেতা। সেই কারণে তার অসুস্থতা আমাদের সকলকে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন করেছে এবং আমরা চেষ্টা করছি দুই বছর ধরেই তাকে একদিকে আইনগতভাবে অন্যদিকে রাজনৈতিকভাবে মুক্ত করবার জন্য। এই ভয়াবহ একটি ফ্যাসিস্ট সরকার যারা সমস্ত মানবিক বোধ গুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে তারা আজকে শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আটকে রেখেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তারা বেগম খালেদা জিয়াকে যেটা তার প্রাপ্য জামিন সে জামিন তারা দিচ্ছে না। আমরা জনগণের কাছে যাচ্ছি। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ করছি। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এই গণতন্ত্রের নেতা মুক্ত হবেন। এসময় মৎস্যজীবীদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। | null | মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। । | national |
https://www.prothomalo.com/politics/ওরা-প্রতিরাতে-দুঃস্বপ্ন-দেখে-এই-বিএনপি-এল-ফখরুল | ওরা প্রতিরাতে দুঃস্বপ্ন দেখে এই বিএনপি এল: ফখরুল | বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়েছে শাল্লায়। ওবায়দুল কাদের সাহেব বললেন, এটা বিএনপি করেছেন। কিন্তু ধরা পড়ল কে? ১ নম্বর আসামি যুবলীগের স্বাধীন মেম্বর। আসলে সমস্যাটা হয়েছে, ওরা তো প্রতিরাতে দুঃস্বপ্ন দেখে, এই বিএনপি এল। সুতরাং ওদের বিএনপি ছাড়া কোনো কথা বের হয় না। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সব আওয়ামী লীগের আমলে হয়েছে।' আজ বুধবার রাজধানী জাতীয় প্রেসক্লাবে 'স্বৈরাচার এরশাদের অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল ২৪ মার্চ কালো দিবস উপলক্ষে' আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আয়োজক ছিল ৯০-এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য। বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'সুবর্ণজয়ন্তী যে পালন করছেন। কিন্তু মানুষ কোথায় আপনাদের সঙ্গে? জনগণ তো সঙ্গে নাই।' রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা না করে এটাকে ব্যবহার করছে সরকার। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান না হওয়া সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেন তিনি। বর্তমান সময়ে ছাত্র ও যুবদলের নেতাদের সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। সভার মঞ্চে বসা নেতাদের দেখিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, 'এখানে যাঁরা বসে আছেন, সবাই ছাত্রনেতা। এরা এরশাদের পতন ঘটিয়েছিলেন।' এখনকার ছাত্রনেতাদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রাজপথ ছাত্রদের দ্বারা প্রকম্পিত হওয়া উচিত। যত দিন পর্যন্ত বোধ বা আবেগ না আসবে, তত দিন পর্যন্ত শৃঙ্খল ভাঙা যাবে না।' তিনি আরও বলেন, 'বিপ্লব-সংগ্রাম ছোট জিনিস না। অনেককে প্রাণ দিতে হয়েছে, অনেকে গুম হয়েছেন। যদিও ২০১৩, ২০১৫ সালে আমরা আন্দোলন করেছি। কিন্তু এই সরকারকে সরাতে পারিনি। এ ব্যর্থতা সবার।' দেশে আবার করোনা ছড়িয়ে পড়ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করা দরকার ছিল। কিন্তু সরকার তা করেনি। বিএনপি টিকার বিরুদ্ধে কখনো কথা বলেনি জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা ভ্যাকসিনের পক্ষে। আমরা বলতে চেয়েছি, ভ্যাকসিন নিয়ে দুর্নীতি করেছেন।' এ ছাড়া বলেন, করোনা নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সরকার সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারেনি। ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানুল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্র নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা জহিরউদ্দিন স্বপন প্রমুখ। | মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,বিএনপি,রাজনীতি | রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল | politics |
https://samakal.com/politics/article/19114256/লীগের-সভাপতি-নির্মল-রঞ্জন-ও-সাধারণ-সম্পাদক-বাবু | স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন ও সাধারণ সম্পাদক বাবু | আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলন শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলন শেষে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হয়েছেন নির্মল রঞ্জন গুহ এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের নাম ঘোষণা করেন। কমিটির অন্য পদগুলো পরে ঘোষণা করা হবে। একইসঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামও ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা উত্তরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে যথাক্রমে ইসহাক মিয়া ও আনিচুর রহমান নাইমকে। আর দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে যথাক্রমে কামরুল হাসান রিপন ও তারেক সাঈদকে। এর আগে শনিবার বেলা ১১টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তৃতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা ও অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের অন্যতম এই সহযোগী সংগঠনের এবারের সম্মেলন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এবারই প্রথম শীর্ষ দুই নেতা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ছাড়াই জাতীয় সম্মেলন হতে যাচ্ছে। ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চলার মধ্যেই নানা অভিযোগে গত ২৩ অক্টোবর সভাপতির পদ থেকে অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর একদিন পরই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ এমপিকে সম্মেলন কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এই দুই নেতাকে সম্মেলনে আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৭ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি তিন বছর পর জাতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও এবার এটি হয়েছে প্রায় সাড়ে সাত বছর পর। | স্বেচ্ছাসেবক লীগে | নির্মল রঞ্জন গুহ এবং এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু | politics |
https://www.dailynayadiganta.com/politics/367441/লটারিতে-৪৮-আসন-থেকে-ইভিএম-৬টিতে | লটারিতে ৪৮ আসন থেকে ইভিএম ৬টিতে | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসি ছয়টি আসনে পূর্ণমাত্রায় ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৩০০ আসনের মধ্য থেকে ৪৮টি আসনকে দ্বৈবচয়নের জন্য নির্ধারণ করেছে। আজ সোমবার এই ৪৮টির মধ্যে থেকে ছয়টিকে নির্ধারণ করবে ইসি। গতকাল রাতে ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামন এই তথ্য জানিয়েছে। ইসির তথ্যানুযায়ী, আজ বিকেল ৫টায় প্রকাশ্যে এই দ্বৈবচয়ন করা হবে। ৪৮টি আসন হলো, ঠাকুরগা-১, দিনাজপুর-৩, নীলফামারী-২, লারমনিরহাট-৩, রংপুর-৩, গাইবান্ধা-২, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, নওগাঁ-৫, রাজশাহী-২, পাবনা-৫, কুষ্টিয়া-৩, খুলনা-৩, সাতক্ষীরা-২, ভোলা-১, বরিশাল-৫, টাঙ্গাইল-৫, জামালপুর-৫, শেরপুর-১, ময়মনসিংহ-৪, ঢাকা-৪, ঢাকা-৫, ঢাকা-৭, ঢাকা-৮, ঢাকা-৯, ঢাকা-১০, ঢাকা-১১, ঢাকা-১২, ঢাকা-১৩, ঢাকা-১৫, ঢাকা-১৬, ঢাকা-১৭, ঢাকা-১৮, গাজীপুর-২, নরসিংদী-১, নরসিংদী-২, নারায়ণগঞ্জ-৪, নারায়ণগঞ্জ-৫, ফরিদপুর-৩, মাদারীপুর-১, সিলেট-১, কুমিল্লা-৬, ফেনী-২, চট্টগ্রাম-৯, চট্টগ্রাম-১০ এবং চট্টগ্রাম-১১। এ দিকে, গত শনিবার ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, শহর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় দৈবচয়নের মাধ্যমে এইসব আসন নির্ধারণ করা হবে। এসব ব্যবহারের জন্য রোববার থেকে সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের সদস্যদের তিন দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তারা মাঠপর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেবেন। ইসির সিদ্ধান্ত ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে। এটা নিয়ে আলোচনার সময় আর নেই। নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, '৩০০টি আসনের মধ্যে ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এটি দৈবচয়নের ভিত্তিতে এগুলো সিটি করপোরেশন, আরবান এলাকায় ব্যবহার করা হবে। | null | লটারিতে ৪৮ আসন থেকে ইভিএম ৬টিতে | politics |
https://samakal.com/whole-country/article/2204107862/বলাকা-কমিউটারের-ইঞ্জিন-লাইনচ্যুত-ময়মনসিংহে-ট্রেন-চলাচল-বন্ধ | বলাকা কমিউটারের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত, ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল বন্ধ | গাজীপুরের শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকাগামী বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছে। এরপর জয়দেবপুর- ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশর মাস্টার শামীমা জাহান জানান, নেত্রকোণার জারিয়া ঝাঞ্জাইল থেকে ছেড়ে আসা বলাকা কমিউটার ট্রেনটি সন্ধ্যার আগে শ্রীপুরের কাছাকাছি এসে পৌঁছালে ইঞ্জিনে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়। ওই অবস্থায় ট্রেনটি স্টেশনের ২ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে যায়। ট্রেনের চালক আমিনুল ইসলাম ইঞ্জিনটিকে ঘুরিয়ে পেছনে নেওয়ার চেষ্টা করলে হোম সিগন্যালের কাছাকাছি যেতেই ওই ইঞ্জিন চারটি লাইনচ্যুত হয়। ফলে এ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শামীমা জাহান জানান, লাইনচ্যুত ইঞ্জিন উদ্ধার ও লাইন সচল করতে ঢাকার রেল ট্রাফিক কন্ট্রোলে জানানো হয়েছে। বলাকা কমিউটারের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে ময়মনসিংহগামী যমুনা এক্সপ্রেস, ঢাকাগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ও মহুয়া এক্সপ্রেস শ্রীপুরের উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ওসব ট্রেনের হাজার হাজার যাত্রী পড়েছেন চরম বিপাকে। | শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশন,বলাকা কমিউটার,ইঞ্জিন লাইনচ্যুত | শ্রীপুর স্টেশন। | national |
https://samakal.com/whole-country/article/19091883/সাংবাদিক-হত্যার-দায়ে-৩-জনের-যাবজ্জীবন | হবিগঞ্জে সাংবাদিক হত্যার দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন | হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক জুনাইদ আহমদ হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে আরও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাছিম রেজা এ রায় ঘোষণা করেন। নিহত সাংবাদিক জুনাইদ উপজেলার সাতহাইল গ্রামের বাসিন্দা। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- একই গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া, মিছির আলীর ছেলে রাহুল মিয়া ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ফরিদ মিয়া। রায় ঘোষণার সময় বাদশা ও রাহুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি ফরিদ মিয়া লন্ডনে পলাতক রয়েছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ১০ জুলাই রাতে সাংবাদিক জুনাইদ আহমদ বাড়ি থেকে বের হয়ে হবিগঞ্জে যান। ওই রাতেই দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে আলামত নষ্ট করার জন্য লাশ শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইনে ফেলে রাখেন। পরদিন সকালে সাংবাদিক জুনাইদ আহমদের মৃতদেহ ২০ টুকরা অবস্থায় রেলওয়ে পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জুনাইদের ভাই মোজাহিদ আহমদ বাদি হয়ে হবিগঞ্জের আদালতে মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে একই গ্রামের ফরিদ উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার খবর পেয়েই ফরিদ লন্ডনে পালিয়ে যান। অপর আসামিরাও আত্মগোপন করেন। হবিগঞ্জের কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. আল আমিন হোসেন জানান, চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ২০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। তিনি জানান, মামলার অপর আসামি আব্দুল হামিদকে ওই বছরই স্থানীয় জনতা আটক করে উত্তমমধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। প্রায় বছর খানেক জেল খেটে বের হলে স্থানীয় লোকজন তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গণপিটুনি দিলে আব্দুল হামিদ মারা যান। অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুক বলেন, সাংবাদিক জুনাইদ হত্যা মামলার রায়ে আমরা ও তার পরিবারের সদস্যরা সন্তুষ্ট। তবে এ সাজা যেন বহাল থাকে। | হবিগঞ্জ,সাংবাদিক,যাবজ্জীবন | দণ্ডপ্রাপ্ত ২ জন | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/04/05/%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a7%81/ | বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দু'গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৬ | নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা এলাকায় মির্জা কাদের অনুসারী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের অনুসারীদের মধ্যে দু'দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে। সোমবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার করালিয়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কাদের মির্জার অনুসারীদের মধ্যে আহত হয়েছে, সহিদুল্লাহ রাসেল (৩২), মো.ইউসূফ (২৩), সুজন (২৬) এবং খিজির হায়াত খানের আহত অনুসারীরা হলেন, নূর রহমান রাহিম (২৭), করিম উদ্দিন শাকিল (২৩) ও রাকিব (২৭)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচনের পর থেকে কোম্পানীগঞ্জে কাদের মির্জা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো । ওই দ্বন্দ্বের জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় পৌরসভার করালিয়া এলাকার চক্ষু হাসপাতালের সামনে মির্জা কাদেরের অনুসারী সহিদুল্লাহ রাসেল এবং খিজির হায়াত খানের অনুসারী শাকিল ও রাহিমের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় উভয়ের সঙ্গে যুক্ত হয় তাদের সমর্থকরা। এক পর্যায়ে দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৬জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সহিদুল্লাহ রাসেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে খিজির হায়াত খানের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সংঘর্ষ শেষে মির্জা কাদেরের অনুসারীরা হামলার শিকার ছাত্রলীগ কর্মী শাকিলের বাড়িতে ফের হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। কাদের মির্জার অভিযোগ, খিজির হায়াত খান ও রাহাতের লোকজন তার কর্মীদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে। হামলায় তার ৩জন কর্মী আহত হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে মঙ্গলবার গরিব মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন তিনি। ওই ত্রাণ বিতরণকে ব্যহত করতে বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পপিতভাবে তার কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। তার এক কর্মী মুমূর্ষ অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। কোম্পানীগঞ্জ থানা ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, দলীয় কোন্দলের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। | আওয়ামী লীগ,বসুরহাট,সংঘর্ষ | কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু'গ্রুপে সংঘর্ষ | national |
https://www.dailynayadiganta.com/usa-canada/381709/ট্রাম্প-ন্যান্সি-অন্তরালে-যা-হচ্ছে | ট্রাম্প-ন্যান্সি : অন্তরালে যা হচ্ছে | শাটডাউনের জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির আফগানিস্তান সফর বাতিল করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের জন্য গুরুতর এই সময়ে ডেমোক্র্যাট নেতার দেশে থাকা উচিত বলে মনে করছেন তিনি বৃ্হস্পতিবার ন্যান্সি পেলোসির ব্রাসেলস ও আফগানিস্তান সফরে যাওয়ার কথা ছিল এর আগে মঙ্গলবার স্টেট অব দ্য ইউনিয়নে ট্রাম্পের ভাষণ দেওয়া স্থগিতের অনুরোধ করেন ন্যান্সি বিশ্লেষকরা বলছেন, তারই পাল্টা ব্যবস্থা নিলেন ট্রাম্প বছরের শুরুতে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রেসিডেন্টের স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণ দেওয়া এক রকক নিয়মের মধ্যেই পড়ে সরকারি সামরিক বাহিনীর বিমানে সফর কথা ছিল ন্যান্সির শেষ মুহূর্তে ট্রাম্পের নির্দেশে সেই যাত্রা ভণ্ডুল করা হয় হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ হুকাবি স্যান্ডার্স টুইটার বার্তায় পেলোসির সফর নিয়ে ট্রাম্পের নির্দেশনা সম্বলিত চিঠি প্রকাশ করেন সেই চিঠিতে ট্রাম্প বলেন, সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ নিয়ে আলোচনা ও অচলাবস্থা নিরসনে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের দেশে থাকাই ভালো হবে তিনি আরো বলেন, যদি একান্তই স্পিকার যেতে চান, তাহলে তিনি বেসামরিক বিমানে ভ্রমণ করতে পারেন সরকারি সামরিক বিমান উড্ডয়নই কেবল স্থগিত করা হয়েছে, পেলোসির যাত্রা নয় এদিকে প্রেসিডেন্টের এই আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পেলোসির মুখপাত্র ড্রিউ হ্যামিল অপর এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, এই সফর আফগানিস্তানের উদ্দেশ্যেই ছিল পথে ব্রাসেলসে থামার উদ্দেশ্য ছিল দুটো এক, চালককে বিশ্রাম দেওয়া, দুই, ব্রাসেলসে ন্যাটোর সদর দফতরে যাওয়া, সেখানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ আস্থা আছে সেটা পুনঃপ্রকাশ করা পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ড্রিউ হ্যামিল বলেন, প্রেসিডেন্ট যে অচলাবস্থার কথা বলে পেলোসির সফর বাতিল করলেন, সেই অবস্থা চলাকালে তিনি পুরো দল নিয়ে ইরাক সফর করে এসেছেন একইসঙ্গে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের আয়োজনেও প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন ড্রিউ হ্যামিলের এই সমালোচনার জের ধরে পরে এক বিবৃতিতে দাভোস প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে হোয়াইট হাউস উল্লেখ্য, মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জের ধরে চলমান অচলাবস্থার ২৭ দিন কেটে গেছে চলমান শাটডাউনে সরকারি কর্মীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বেতন নেননি ১০২ জন কংগ্রেস সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম প্রায় ৮ লাখ সরকারি কর্মী এত দীর্ঘ সময় বেতনহীন কাটাচ্ছে মেক্সিকোর সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের যে প্রতিশ্রুতি ট্রাম্প দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়নের অর্থ বরাদ্দ নিয়েই বিবাদের শুরু প্রথমে মেক্সিকো সরকার এই অর্থ দিতে চাইলেও পরে অস্বীকৃতি জানায় ট্রাম্প তার প্রতিশ্রুতি পূরণে কংগ্রেসের কাছে ৫৭০ কোটি ডলার দাবি করেন কিন্তু জনগণের করের টাকায় এই 'অহেতুক আবদার' পূরণে অস্বীকৃ্তি জানায় কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্র্যাট এদিকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের তিন চতুর্থাংশ কার্যক্রম পরিচালনার অর্থ বরাদ্দ করা আছে বাকি এক চতুর্থাংশের বাজেট ফুরিয়ে যাওয়ায় অচলাবস্থা ঠেকাতে গত ২১ ডিসেম্বর নতুন অস্থায়ী বাজেট বরাদ্দ ছিল অপরিহার্য সেসময় ট্রাম্প ঘোষণা দেন দেয়াল নির্মাণের বরাদ্দ ছাড়া তিনি কোনো বাজেট বিলে স্বাক্ষর করবেন না দুই পক্ষের অনড় অবস্থানে বাজেট অনুমোদিত না হওয়ায় ডিসেম্বরের ২২ তারিখ থেকে মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের এক চতুর্থাংশ বিভাগ ও সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় | null | ট্রাম্প | international |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/02/16/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%b8-%e0%a6%89%e0%a6%a6%e0%a6%af/ | বাচসাসের পরিবার দিবস উদযাপন | দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে গাজীপুরের হোতাপাড়ার খতিব খামার বাড়ি রিসোর্টে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির পরিবার দিবস। শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পরিবার নিয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন সমিতির সদস্যরা। অনুষ্ঠানে বাচসাসের সভাপতি ফালগুনী হামিদ বলেন, 'আমি নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই প্রথম পরিবার দিবস। চেষ্টা করেছি সবাইকে সুন্দর একটি দিন উপহার দিতে। সমিতির সদস্যরা সবাই আমরা এক পরিবার। চমৎকার সময় কাটাতে পেরে খুব ভালো লাগছে।' সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু বলেন, 'ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাচসাস গৌরবের ৫২ বছরে পা দিয়েছে। সবাই একসঙ্গে আমাদের সংগঠনকে আরো এগিয়ে নিতে চাই। পরিবার দিবস আমাদের কাছে বড় একটি উৎসবের মতো। সারা বছর এই দিনটির জন্য আমরা অপেক্ষা করে থাকি।' বাচসাসের পরিবার দিবসে দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে ছিল শিশু-কিশোরদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। এছাড়া সদস্যদের জন্য বিশেষ উপহার এবং র্যাফেল ড্র। বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল পরিবার দিবসের অন্যতম আকর্ষণ। এতে গান পরিবেশন করেন সঙ্গীতশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নি, আসমা জাহানসহ অনেকে। | দিবস,পরিবার,বাচসাস | বাচসাসের পরিবার দিবসের আয়োজন | entertainment |
https://samakal.com/international/article/220298597/পথে-পথে-প্রবল-প্রতিরোধ | পথে পথে প্রবল প্রতিরোধ | ইউক্রেনীয়দের কেউ নববধূর হাত ছেড়ে, কেউ সদ্যোজাত সন্তান রেখে, কেউ বা না খেয়ে বন্দুক হাতে হামলাকারী রুশ বাহিনীকে প্রতিরোধে প্রাণ বাজি রেখে যুদ্ধ করছেন। দেশটিতে রাশিয়ার হামলার চতুর্থ দিনও গতকাল কিয়েভের রাস্তায় রাস্তায় প্রচণ্ড লড়াই হয়েছে। কামানের গোলা আর ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মুহুর্মুহু কেঁপে উঠছে ঘরবাড়ি। বিশ্বের প্রবল চাপ, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দেশে দেশে বিক্ষোভ, নিষেধাজ্ঞার বোঝা উপেক্ষা করে কিয়েভ দখলে নিতে অনড় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিন তার বাহিনীকে হামলা চালিয়ে যেতে বলেছেন। এ পর্যন্ত আড়াইশর বেশি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হেনেছে রুশরা। তবে যেমনটি আশঙ্কা ছিল, কয়েক ঘণ্টায় কিয়েভের পতন হবে, তা হয়নি। উল্টো ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গতকাল দাবি করেছেন, পুতিনের পরিকল্পনা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। অনেক রুশ সেনা গ্রেপ্তার হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তা দাবি করেছেন, প্রবল প্রতিরোধের মুখে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছে রুশ বাহিনী। যদিও এসব দাবির পক্ষে নিরপেক্ষ তথ্যপ্রমাণ নেই। কিয়েভের প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় বলিষ্ঠ কণ্ঠে জেলেনস্কি তার দেশের জনগণ ও বিশ্ববাসীর প্রতি রাশিয়াকে প্রতিহতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। জেলেনস্কি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন- মস্কোর পক্ষ থেকে এমন দাবি করার পর তিনি এই বার্তা দেন। তিনি বলেছেন, আমি কিয়েভেই আছি, থাকব ও লড়াই করে যাব। একই বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পশ্চিমা নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, 'আমাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া লাগবে না। আমাদের এখন অস্ত্র চাই।' ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য করতে এবং রাশিয়াকে পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এরপর কিয়েভের মেয়র নগরীতে সোমবার পর্যন্ত কারফিউ জারি করেন। কয়েক ঘণ্টা পর মস্কো আবার দাবি করে, জেলেনস্কি ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন। সর্বশেষ এই দাবির বিষয়ে ইউক্রেনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন, যে কোনো সময় কিয়েভের পতন হতে পারে। গতকাল ক্রেমলিন দাবি করেছে, তারা ইউক্রেনের ৮০০ সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে। এ দিন তাদের হাতে পতন হয়েছে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ নগরী মেলিটোপোলের। অন্যান্য সামরিক স্থাপনায় ক্রুজ মিসাইল হামলা চালানো হচ্ছে। ইউক্রেন অভিযোগ করেছে, কিয়েভে বেসামরিক ভবনেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে হতাহতও হয়েছে। তবে মস্কো এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে প্রাণহানি ও ধ্বংসের খাতা বড় হচ্ছে। ইউক্রেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, রাশিয়ার হামলায় ১৯৮ জন বেসামরিক ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছেন। তবে প্রতিরোধ যুদ্ধে তিন হাজার ৫০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পোল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে পৌঁছেছে এক লাখ ৫০ হাজার মানুষ। প্রতি মুহূর্তে এই সংখ্যা বাড়ছে। জরুরি উদ্ধারকারী বাস-ট্রেনে করে জীবন বাঁচাতে কিয়েভ ছাড়ছে মানুষ। জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে, সংঘাত দীর্ঘায়িত হলে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু ও শরণার্থী হতে পারে। শুক্রবার ইউক্রেনীয় সেনাদের জেলেনস্কিকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে পুতিন আহ্বান জানালেও তার মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা আলোচনার একটি প্রবণতা ছিল। তবে জেলেনস্কি শর্তহীন বৈঠকে বসার বিষয়ে অবিচল থাকায় এই আলোচনা হবে কিনা, তা এখন দোলাচলের মধ্যে পড়েছে। যদিও পরে জেলেনস্কির মুখপাত্র সের্গি নিকিফোরভ জানান, অস্ত্রবিরতি ও শান্তির জন্য তারা আলোচনায় প্রস্তুত। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি পুতিনকে নিস্তার করতে ব্যাপক সামরিক তৎপরতাও শুরু করেছেন পশ্চিমা নেতারা। রাশিয়ার সীমান্তঘেঁষা ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোতে শুক্রবার কয়েক হাজার সেনাকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্নায়ুযুদ্ধের পর ন্যাটোর এ ধরনের পদক্ষেপ এটিই প্রথম। ফলে ইউক্রেন পরিস্থিতির গতিপথ কী হতে পারে- সমাঝোতা নাকি আরও বড় যুদ্ধ, তা এখন বলা সম্ভব নয়। ইউক্রেন আরও অস্ত্র পাচ্ছে: রাশিয়াকে মোকাবিলায় জার্মানি, যুক্তরাজ্যসহ ২৭টি দেশ ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছে বলে জানিয়েছে ইইউ। শুধু জার্মানিই এক হাজার ট্যাঙ্কবিধ্বংসী অস্ত্র ও ৫০০ ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইউক্রেনকে আরও ৩৫ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক। যুদ্ধ দীর্ঘ হবে- মাখোঁ: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ গতকাল প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে তার দেশের কৃষকদের সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘ হবে। ফলে আপনাদের ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে, তবে এগিয়ে যেতে হবে। এ দিন ইংলিশ চ্যানেলে প্রাইভেটকার বহনকারী একটি রুশ জাহাজ জব্দ করার দাবি করেছে প্যারিস। দেশে দেশে বিক্ষোভ: রাশিয়ার হামলা বন্ধের দাবিতে গতকালও দেশে দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে রাশিয়ার দূতাবাসের সামনে বহু মানুষ জড়ো হয়ে যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। টোকিও থেকে সিডনি পর্যন্ত বিক্ষোভে ধ্বনিত হয়েছে- এ অন্যায্য যুদ্ধে জয়ী হবে ইউক্রেনই। মোদিকে জেলেনস্কির ফোন: জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে শুক্রবার ইউক্রেনে হামলায় রাশিয়ার নিন্দা করে আনা প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে ভারত। এরপর গতকাল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন জেলেনস্কি। তবে মোদি তাকে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতায় আসার আহ্বান জানান। গুজব যুদ্ধও হচ্ছে: হামলা-পাল্টা হামলায় ক্ষয়ক্ষতি, যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে উভয় পক্ষে অনলাইনে গুজব ছড়াচ্ছে। হামলাকারী ও যোদ্ধাদের হতাহতের সংখ্যা, কিয়েভের পতন, ক্ষয়ক্ষতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তৈরি করা ছবি ও পুরোনো ছবি-ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এ অবস্থায় অভ্যন্তরীণ বিক্ষোভ দমনে রাশিয়া ফেসবুকে নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়েছে এবং টুইটার বন্ধ করে দিয়েছে।
| ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা,রাশিয়ার হামলা,ইউক্রেনে হামলা | ইউক্রেনের কিয়েভে শনিবার বিমান হামলার সাইরেনের শব্দ শুনে সেনাসদস্যদের সঙ্গে রাস্তায় শুয়ে পড়ে এক নাগরিকের আত্মরক্ষার চেষ্টারয়টার্স | international |
https://samakal.com/bangladesh/article/2204107758/সরকারের-পদক্ষেপ-ও-কৃষকের-পরিশ্রমে-দেশে-খাদ্য-সংকট-নেই-প্রাণিসম্পদ-মন্ত্রী | সরকারের পদক্ষেপ ও কৃষকের পরিশ্রমে দেশে খাদ্য সংকট নেই: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী | বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও প্রান্তিক কৃষকের পরিশ্রমে দেশে এখন খাদ্য সংকট নেই বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বুধবার পিরোজপুরের সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ২০২১-২২ অর্থবছরে ও ২০২২-২৩ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধান বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাজধানীর সচিবালয়ের নিজ দপ্তর কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। পিরোজপুর সদর উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পিরোজপুর সদর এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, 'কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সরকার এতো কাজ করেনি, যেটা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার করছে। তার সরকার বিদেশ থেকে কৃষি উপকরণ, সার-কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় করে অর্ধেকের বেশি ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন কৃষিনির্ভর বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে কৃষককে বাঁচাতে হবে। আর কৃষককে বাঁচাতে হলে, কৃষকের পরিশ্রমের মূল্য দিতে হলে কৃষি উপকরণ ও অন্যান্য সহযোগিতা তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। কৃষক এখন ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খুলতে পারছে। বিনা জামানতে কৃষি ঋণ গ্রহণ করছে। তাদের বিনামূল্যে বীজ, কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা হচ্ছে। এ বছর ৩০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে কৃষককে সার বিতরণ করা হচ্ছে।' শ ম রেজাউল করিম বলেন, 'বিএনপি সরকারের সময়ে বিদ্যুতের দাবির কারণে কানসাটে ও ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষককে নির্মমভাবে বুলেটবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। শেখ হাসিনার সময়ে কৃষকদের ভেতরে কোথাও অসন্তোষ নেই। তিনি কৃষককে ভালোবাসেন, কৃষিকে ভালোবাসেন। কৃষকের কাছে তিনি বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছেন, কৃষি উপকরণ পৌঁছে দিচ্ছেন। সার-বীজ, কৃষি যন্ত্রপাতি, প্রণোদনা পৌঁছে দিচ্ছেন। এ রকম কৃষকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে অতীতে কখনও আসেনি।' তিনি বলেন, 'কৃষককে সবল করতে না পারলে, খাদ্যে যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে সে জায়গা থেকে আমরা পেছনে পড়ে যাব। প্রধানমন্ত্রীর পরিষ্কার বক্তব্য খাদ্যে কোনোভাবেই সংকটের মুখোমুখি হওয়া যাবে না। পরনির্ভরশীল থাকা যাবে না। সে জন্য এক ইঞ্চি জায়গাও পতিত রাখার সুযোগ নেই। একই জমিতে তিন ফসল উৎপাদনে সরকার কাজ করছে। লবণাক্ত এলাকায় লবণসহিষ্ণু ধান ও অন্যান্য শস্য উৎপাদন করা হচ্ছে। বিদেশি মূল্যবান ফল এখন দেশে উৎপাদন করা হচ্ছে।' কৃষকদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী বলেন, 'কৃষিনির্ভর সমাজ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জনশক্তি আপনারা। আপনাদের ত্যাগ ও পরিশ্রমে উৎপাদিত শস্য খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ভূমিকা রাখছে। শুধু ধান, গম, ভুট্টার উপর নির্ভর না করে অন্যান্য যে সব ফসল ফলানো সম্ভব, সে বিষয়েও আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে।' তিনি বলেন, 'করোনার প্রাথমিক অবস্থায় অনেক দেশ বলেছিল বাংলাদেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে। কিন্তু বাংলাদেশে এখন খাবারের কোনো হাহাকার নেই, সংকট নেই।' পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নাজিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিপন চন্দ্র ঘোষ, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিকসহ উপজেলায় কর্মরত অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে পিরোজপুর সদর উপজেলার ১৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধান বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়। | মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী,শ ম রেজাউল করিম,খাদ্য সংকট | মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম | national |
https://www.dailynayadiganta.com/mymensingh/383011/ময়মনসিংহে-নারীসহ-জেএমবি-৪-সদস্য-গ্রেফতার- | ময়মনসিংহে নারীসহ জেএমবি ৪ সদস্য গ্রেফতার | ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বিদ্যাগঞ্জ রেল স্টেশন এলাকা থেকে বুধবার রাতে জামায়েতুল মোজাহেদীন বাংলাদেশ(জেএমবি)-এর নারী সদস্যসহ জেএমবির ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪। এসময় বেশ কিছু বই জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন সিয়াম আল মাহমুদ (১৯), নাসরিন আক্তার ওরফে যোয়াইরা (২১), শাহীন ইসলাম ওরফে মাহবুব ইসলাম (২২) ও শাখাওয়াত করিম (৩৬)। গ্রেফতারকৃত জঙ্গীরা টেলিগ্রাম, থ্রিমা ও ফেসবুকের মাধ্যমে একে অপরের সাথে পরিচিত। এই দলটি বিদেশে গিয়ে ট্রেনিংপ্রাপ্ত হয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করেছিল বলে র্যাব জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব-১৪ এর সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ১৪ অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এফতেখার উদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃতরা সবাই জেএমবির সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। টেলিগ্রাম, থ্রিমা ও ফেইসবুকের মাধ্যমে এরা একে অপরের সাথে পরিচিত। বিদেশে গিয়ে ট্রেনিংপ্রাপ্ত হয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার পরিকল্পনা করে। টেলিগ্রামে পরিচয় হয়ে সিয়াম ময়মনসিংহ, যোয়াইরা সিলেট, শাখাওয়াত ঢাকা এবং শাহীন চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকার কমলাপুরে এসে মিলিত হয়। পরে তারা কলমাপুর থেকে জামালপুরগামী কমিউটার ট্রেনযোগে ময়মনসিংহ সদরের বিদ্যাগঞ্জ রেল স্টেশনে এসে নামে। আগে থেকে ওয়াচে রাখা র্যাব-১৪ একটি আভিযানিক দল ট্রেন থেকে নামার পরপরই তাদের গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র্যাব জানায়। সাংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সিয়াম আল মাহমুদ ময়মনসিংহ সদরের চকছত্রপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। গত নভেম্বর মাসে সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। সেই সময় তার মা আঞ্জুমানারা বেগম সন্তান নিখোঁজ বলে র্যাবের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করে। সিয়াম ইউটিউরের মাধ্যমে ইমাম মাহদী, গাজাতুল হিন্দ, দাজ্জাল সম্পর্কে ধারণা লাভ করে। ফেসবুকে নাসরিনের সাথে পরিচয় এবং তাকে দেশত্যাগের জন্য অনুপ্রাণিত করে। শহীন ইসলাম চুয়াডাংগা জেলা আলমডাংগা উপজেলার নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের রায়হান মন্ডলের ছেলে। দশম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে বাবার সাথে কৃষি কাজ করত। সে ফেসবুক আইডি খুলে বিভিন্ন পোস্ট পড়ত। সেখানে ভাবুক মানুষ ভাবুক নামে একটি ফেসবুক আইডির সাথে পরিচয় হয়। একটি টেলিগ্রাম আইডিও খোলে সে। এভাবেই উগ্রপন্থার প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে জেএমবিতে যোগ দেন। নাসরিন আক্তার ওরফে যোয়াইরা সিলেটের গুটাটিঘর এলাকার আব্দুর রহমানের মেয়ে। সে ফেসবুকের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে অনুপ্রাণিত হয়। আর শাখাওয়াত করিম সীতাকুন্ডের দারুগাহাটের মৃত খায়রুল ইসলামের ছেলে। ফেসবুকের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত বাকীদের সাথে পরিচয় হয়। সে ২০১৬ সালে বাহরাইন থেকে জেল খেটে গত কোরবানী ঈদে দেশে ফিরে। | null | গ্রেফতারকৃত নারীসহ জেএমবি ৪ সদস্য | national |
https://www.ajkerpatrika.com/12403/%E0%A6%85%E0%A6%97%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%A1-%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0 | অগমেন্টেড রিয়েলিটি লেন্সের সুবিধা দিবে ভাইবার | ব্যবহারকারীদের অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) লেন্সের সুবিধা দেওয়ার জন্য কাজ শুরু করেছে ভাইবার।এ জন্য তারা স্ন্যাপ ইনকর্পোরেটেডের সঙ্গে একত্রে মাঠে নেমেছে।বাংলাদেশে ভাইবার ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে দেশের গ্রাহকদের জন্য নতুন লেন্স ফিচার আনতে যাচ্ছে ভাইবার।ভাইবার একটি কলিং এবং ম্যাসেজিং অ্যাপ। অ্যাপটি ব্যক্তিপরিচয় বা অবস্থান নির্বিশেষে সকল ব্যবহারকারীর জন্য সৃজনশীল উপায়ে নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ তৈরি করে দেয়। ভাইবারের প্রতিটি ব্যক্তিগত ও গ্রুপ চ্যাট এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন (ইটুইই) দ্বারা সুরক্ষিত।চ্যাট করার সময় ভাইবারের যেসব ভিডিও স্টিকার থাকে তাদেরকে ভাইবার লেন্স বলে। ক্যামেরা কিট, ক্রিয়েটিভ কিট এবং বিটমোজি'র মত স্ন্যাপের ডেভেলপার টুলগুলোর সাহায্যে ভাইবারের অ্যাপটি এআর লেন্সকে সমন্বিত করবে।বিভিন্ন অ্যানিমেল মাস্ক ও ভাইবার ক্যারেক্টার, আন্ডারওয়াটার লেন্স, সিলি ক্যাটসহ ৩০টি নতুন লেন্স নিয়ে আসতে যাচ্ছে ভাইবার। ভাইবারের পরিকল্পনা রয়েছে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৭০টি অতিরিক্ত লেন্স নিয়ে আসার। যার ফলে এ বছরের শেষে অন্তত ৩শ'টি লেন্স নিয়ে আসতে পারবে ভাইবার।ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোরও সুযোগ থাকবে ভাইবারের মাধ্যমে নিজেদের লেন্স তৈরি করার। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফেডারেশন (ডব্লিউডব্লিউএফ), এফসি বার্সেলোনা এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতো প্রতিষ্ঠানসমূহ ম্যাসেজিং অ্যাপ্লিকেশনে নিজেদের লেন্স চালু করবে। কাস্টোমাইজ এ লেন্সগুলো ব্যবহারকারীকে ভাইবার প্ল্যাটফর্মে তাদের পছন্দের ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াতে সাহায্য করবে।ভাইবারের সঙ্গে স্ন্যাপের এই অংশীদারিত্ব উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্যই লাভজনক হতে যাচ্ছে। ভাইবার যেসব অঞ্চলের গ্রাহকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তাদের কাছে এখন অগমেন্টেড রিয়্যালিটি প্রযুক্তির পরিসীমা বিস্তৃত করছে ভাইবার।ভাইবার ব্যবহারকারীদের এআর প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজেকে আকর্ষণীয় রূপে প্রকাশের সুযোগ তৈরি দিচ্ছে।ভাইবার কর্তৃপক্ষ জানায়,ব্যবহারকারীদের হাতে স্ন্যাপ ক্যামেরা পৌঁছে দিতে পেরে তারা আনন্দিত। এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে তারা ব্যবহারকারীদের হাতে এআর-এর দুর্দান্ত ক্ষমতা তুলে দিতে চায়। বন্ধুবান্ধব ও স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা যুক্ত করতে চায় ভাইবার। | সোশ্যাল মিডিয়া,তথ্যপ্রযুক্তি,অ্যাপ | ভাইবার একটি কলিং এবং মেসেজিং অ্যাপ। | science-tech |
https://www.prothomalo.com/bangladesh/coronavirus/দেশে-করোনার-টিকায়-বয়স্কদের-গুরুত্ব-কম-মৃত্যু-বেশি | দেশে করোনার টিকায় বয়স্কদের গুরুত্ব কম, মৃত্যু বেশি | দেশে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এই বয়সীদের ৩১ শতাংশ এখনো এক ডোজও করোনার টিকা পাননি। গবেষকেরা বলছেন, দেশে করোনার টিকা বিতরণ পরিকল্পনায় বয়স্কদের ব্যাপারে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৯৪৪ জনের। এঁদের মধ্যে ১৬ হাজার ১১৩ জনের বা ৫৬ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি। সারা বিশ্বে করোনায় মৃত্যু বেশি দেখা গেছে বয়স্কদের মধ্যে। জনস্বাস্থ্যবিদ ও চিকিৎসকেরা বলছেন, বয়স্কদের মধ্যে ডায়াবেটিস, ক্যানসার, হৃদ্রোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসতন্ত্রের রোগের প্রকোপ বেশি। এসব রোগ থাকা ব্যক্তিদের করোনা সংক্রমণ ঘটলে তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি। এটি বৈশ্বিক প্রবণতা। এই প্রবণতা বাংলাদেশেও দেখা গেছে। বিভিন্ন হাসপাতালে এখন যাঁরা মারা যাচ্ছেন, তাঁদের তিন-চতুর্থাংশের বয়স ৬০ বছর বা এর বেশি। গত দুই সপ্তাহে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশীদ আলম একাধিক অনুষ্ঠানে বলেছেন, যাঁরা মারা যাচ্ছেন, তাঁদের ৮৫ শতাংশ করোনার টিকা নেননি। দেশি-বিদেশি গবেষকদের প্রবন্ধেও বয়স্ক বা করোনা সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর টিকা কম পাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউসাউথ ওয়েলস, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজন গবেষক বলেছেন, বাংলাদেশে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে করোনার টিকাদানের হার খুবই কম। গবেষণায় তাঁরা ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের তথ্য ব্যবহার করেছেন। তাঁদের গবেষণা প্রবন্ধটি গত শুক্রবার হিউম্যান ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনোথেরাপিউটিকসে প্রকাশিত হয়েছে। ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির স্কুল অব হেলথ সায়েন্সেসের গবেষক নাজমুল হুদা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, 'আমাদের গবেষণা পাঁচ মাস আগের হলেও তা বাংলাদেশের জন্য প্রাসঙ্গিক। বাংলাদেশে বয়স্করা করোনার টিকা কম পেয়েছেন। টিকা প্রয়োগ পরিকল্পনায় বয়স্করা গুরুত্ব কম পেয়েছেন।' গবেষকদের এমন দাবি অস্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকাবিষয়ক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, 'গত সেপ্টেম্বর মাসের দিকে আমাদের টিকা প্রাপ্তির বিষয়ে সমস্যা ছিল। পাঁচ-ছয় মাসে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। বয়স্কদের ব্যাপারে আমাদের গুরুত্ব কম ছিল না।' যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য বলছে, গতকাল পর্যন্ত ৬০ বছর বা এর বেশি বয়সীদের ২৩ শতাংশ এখনো টিকার নিবন্ধনের আওতায় আসেননি। এই বয়সীদের ৩১ শতাংশ এখনো এক ডোজ টিকাও পাননি। আর পূর্ণ দুই ডোজ পাননি ৪৭ শতাংশ। অর্থাৎ যাঁদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি, তাঁদের একটি বড় অংশ টিকা পাননি। বয়স্কদের কম টিকা পাওয়ার কারণ হিসেবে ওই গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, টিকা বিতরণ পরিকল্পনায় বয়স্ক ব্যক্তিরা গুরুত্ব কম পেয়েছেন। টিকা প্রয়োগ পরিকল্পনার প্রথম ধাপের প্রথম পর্যায়ে বয়স্ক ব্যক্তিরা অগ্রাধিকার পাননি। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সুনাম থাকলেও বয়স্কদের দেওয়ার জন্য করোনার টিকা পরিবহন, সরবরাহ ও বিতরণের সক্ষমতা কম। এ ছাড়া গ্রামাঞ্চলে অতিশীতল তাপমাত্রায় টিকা রাখার ব্যবস্থা নেই। টিকার ব্যাপারে ভুল ধারণা থাকার কারণেও অনেকে টিকা নেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন বলে গবেষণা প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে। গবেষক নাজমুল হুদা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে প্রথম আলোকে বলেন, কম্বোডিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা বাংলাদেশের মতোই। ইতিমধ্যে কম্বোডিয়ার ৬০ বছরের বেশি বয়সী ১০০ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ এবং ৯৯ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন। এ রকম উদাহরণ আরও আছে। বাংলাদেশ শুরু থেকেই টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ঠিক করতে পারেনি। | করোনা চিকিৎসা,করোনাভাইরাস,করোনা প্রতিরোধ,টিকা | করোনাভাইরাস প্রতীকী ছবি। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/140341/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A7%A8%E0%A7%A9-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF | সাত কলেজের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ২৩ ফেব্রুয়ারি | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজে স্নাতক প্রথম বর্ষের (২০২০-২১) ক্লাস শুরু হবে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা-২) মুনসী শামস উদ্দীন আহম্মদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের স্নাতক ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। ক্লাস শুরুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।এদিকে সশরীরে ক্লাস শুরুর বিষয়ে সরকারি বাধ্যবাধকতা না থাকলে অনলাইনেই ক্লাস শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও অধিভুক্ত সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার | শিক্ষা,উচ্চশিক্ষা,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,সাত কলেজ | সাত কলেজের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ২৩ ফেব্রুয়ারি | education-career |
https://www.ajkerpatrika.com/144626/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97 | বিবাহিত ও অছাত্রদের নিয়ে ছাত্রদলের কমিটি | মুলাদীতে বিবাহিত ও অছাত্রদের নিয়ে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ছাত্রদলের কমিটি গঠনে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূলের নেতারা। কয়েকটি ইউনিয়নে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে পকেটে কমিটি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।অনিয়মের অভিযোগ থাকায় ইতিমধ্যে বাটামারা ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া গাছুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই অনিয়ম থাকায় অন্যান্য ইউনিয়ন কমিটিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারাও বিব্রত হয়ে পড়েছেন।জানা গেছে, প্রায় দেড় যুগ পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব স্বাক্ষরিত ৭টি ইউনিয়ন ছাত্রদলের নতুন কমিটি প্রকাশ করা হয়। এরপরই ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। উপজেলার কয়েকজন সাবেক ছাত্রদল নেতার যোগসাজশে আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব অনিয়মের মাধ্যমে কমিটি গঠন করেছেন বলে জানান ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।সফিপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন, 'আওলাদ হোসেন রনিকে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি করা হয়েছে। কিন্তু তিনি সরকারি শামছুর রহমান কলেজ ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি এলাকায় থাকেন না, ঢাকায় চাকরি করেন। তাঁর ছাত্রত্ব নেই, তিনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ রাখেন না। সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হলে ত্যাগী নেতারা কমিটিতে স্থান পেতেন।একই ইউনিয়নে ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক বিল্লাল সিকদার বলেন, 'যারা ১৪ বছর ধরে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন তাঁদের বাদ দিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে এনে একটি ভুয়া কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটির ৬-৭ জন নেতা একযোগে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।'গাছুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মী হাসিবুর রহমান বলেন, 'জহিরুল ইসলাম দিপুকে সভাপতি এবং মো. সুজনকে সাধারণ সম্পাদক করে গাছুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা দুজনেই বিবাহিত। ইতিমধ্যে জহিরুল ইসলাম দিপুকে জেলা ছাত্রদলের নেতারা অব্যাহতি দিয়েছেন। কিন্তু সুজনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।'নাজিপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি আরাফাত রহমান বলেন, 'ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি গঠনে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন করা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন উপজেলার নেতারা। টাকা দিতে না পারায় সহসভাপতি পদে রাখা হয়েছে আমাকে। ছাত্রত্ব না থাকা সত্ত্বেও ইমরান নামের একজনকে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি পদে বসানো হয়েছে। উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব কারও সঙ্গে সমন্বয় না করেই নামমাত্র একটি কমিটি করা হয়েছে।'চরকালেখান ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি আল আমিন বলেন, 'ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল হোসেন এবং সহসভাপতি নাজমুল হোসেন বিবাহিত এবং লেখাপড়া করেন না। তাঁদের দিয়ে কমিটি গঠন করে উপজেলা ছাত্রদল নেতারা অনিয়ম করেছেন।'এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দীন ঢালী সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব জুলফিকার আহমেদ বিল্লাল জানান, কমিটি গঠনে টাকার লেনদেন হয়নি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ইউনিয়ন কমিটি করার চেষ্টা করা হয়েছে।বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠু বলেন, 'মুলাদী উপজেলা ছাত্রদলের ইউনিয়ন কমিটি গঠন নিয়ে অনিয়মের বিষয়টি জেনেছি। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে বাটামারা ইউনিয়ন কমিটি বাতিল করা হয়েছে। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' | বরিশাল জেলা,বরিশাল বিভাগ,ছাত্রদল,মুলাদী,বরিশাল,ছাপা সংস্করণ,বরিশাল সংস্করণ,আজকের বরিশাল | বিবাহিত ও অছাত্রদের নিয়ে ছাত্রদলের কমিটি | national |
https://www.ajkerpatrika.com/105855/%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2 | ভাতার জন্য ইন্টার্নদের অবস্থান কর্মসূচি আজ | টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ইন্টার্নরত চিকিৎসকদের সম্মানী ভাতা প্রায় ছয় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ দিন টাকা না পেয়ে অনেকেই পড়েছেন আর্থিক সমস্যায়। ধার-দেনা করে চলছেন। ভাতার দাবিতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ আজ সোমবার থেকে অবস্থান কর্মসূচি করবে।বর্তমানে হাসপাতালটিতে ৪৫ জন ইন্টার্নিরত চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। তারা বলেন, হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে রাত-দিন কাজ করতে হয়। কিন্তু আমাদের যে সামান্য কিছু টাকা সম্মানী হিসেবে দেওয়া হয় তাও বন্ধ হয়ে আছে প্রায় ছয় মাস।ইন্টার্নরত চিকিৎসক নওশাত আহমেদ বলেন, 'যে সম্মানী ভাতা পেতাম তা দিয়ে কোনোমতে দিন পার করতাম। এর মধ্যে প্রায় ছয় মাস ধরে সম্মানী ভাতা বন্ধ রয়েছে। বাড়ি থেকেও টাকা আনতে পারি না। কীভাবে চলি? ধারদেনা করে চলাটা খুব অসম্মানের বিষয়। কাউকে কিছু বলতেও পারছি না।'টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি বলেন, 'আমাদের অনেক সহকর্মী ছয় মাস ধরে তাঁদের প্রাপ্য সম্মানী পাচ্ছেন না। এভাবে তো আমরা চলতে পারছি না। তাই আজ সোমবার থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। এরপরও ভাতা না পেলে কর্মবিরতি পালন করতে বাধ্য হব।'টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খন্দকার সাদেকুর রহমান বলেন, হাসপাতালে ৪৫ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু বেশ কয়েক মাস ধরে তাঁরা ভাতা পাচ্ছেন না। আমরাও চেষ্টা করছি, কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে টাকা পেতে সময় লাগছে। | টাঙ্গাইল,ঢাকা বিভাগ,হাসপাতাল,ছাপা সংস্করণ,ময়মনসিংহ সংস্করণ,আজকের টাঙ্গাইল | ভাতার জন্য ইন্টার্নদের অবস্থান কর্মসূচি আজ | national |
https://www.ajkerpatrika.com/4496/%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A6%93%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%AA%E2%80%99-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%93%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0 | ফ্রেঞ্চ ওপেনে 'চুপ' থাকার সিদ্ধান্ত ওসাকার | ঢাকা: ফ্রেঞ্চ ওপেন সামনে রেখে ব্যতিক্রমী এক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন টেনিস সুপারস্টার নাওমি ওসাকা। মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে রোঁলা গারোঁতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন না তিনি। প্যারিসে আগামী ৩০ মে শুরু হচ্ছে বছরের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম।সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়া প্রসঙ্গে কাল টুইটারে ওসাকা লিখেন, 'কোনো ম্যাচ হারলে সাংবাদিকেরা এমন প্রশ্ন করেন, যা একজন খেলোয়াড়কে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দেয়। এমন অভিজ্ঞতা এর আগে অনেকবার হয়েছে। তাই এবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছি না।'২৩ বছর বয়সে চার গ্রান্ড স্ল্যাম ঘরে তোলা এই নারী টেনিস তারকা আরও বলেন, 'সাংবাদিকেরা মাঝে মাঝে এমন অদ্ভুত প্রশ্ন করেন, যাতে খেলোয়াড়দের নিজেদের সামর্থ্যের ওপর সন্দেহ তৈরি হয়। আমার সঙ্গেও এমনটা হোক সেটা আমি চাই না।'নারী টেনিস র্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওসাকা দুইবার করে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ইউএস ওপেন জিতেছেন। কিন্তু রোলাঁ গারোঁতে এখন পর্যন্ত কোনো শিরোপা জিততে পারেননি তিনি। এবার তাই লাল দুর্গকে পাখির চোখ করেছেন ওসাকা। | খেলা,টেনিস,ওসাকা | সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে চানা না ওসাকা। | sports |
https://www.ajkerpatrika.com/137617/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7 | লোকসংগীতের ধ্রুবতারা সাইদুর বয়াতি | ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২। মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন তখন তুঙ্গে। এই আন্দোলন ধাক্কা দেয় মানিকগঞ্জের নিভৃত পল্লির কিশোর সাইদুর রহমানের মনেও। সেই কিশোর লিখে ফেলেন, 'আমার ভাষায় বলব কথা, তোদের কেন মাথাব্যথা? এই ভাষাতে জুড়ায় প্রাণ, তোদের কি তাতে যায় রে মান?' সেদিনের সেই কিশোর বড় হয়ে সময়ে হয়ে ওঠেন মরমি সাধক, বয়াতি।যাত্রাপালা থেকে সিনেমা, জারি-সারি থেকে মারফতি-সংস্কৃতির এমন নানা অনুষঙ্গে বিচরণ করা সাইদুর মানিকগঞ্জে একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। ৯০ বছর বয়সেও তাঁর চোখেমুখে এক উজ্জ্বল দ্যুতি, কণ্ঠে তারুণ্যের ছাপ। লোকসংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, শিল্পকলা একাডেমি পদকসহ একাধিক সম্মাননা লাভ করেছেন এই বাউল সাধক।১৯৩১ সালে মানিকগঞ্জের পুটাইল ইউনিয়নের হাসলি গ্রামে জন্ম সাইদুর রহমানের। বাবা জিগির আলীও ছিলেন গানপাগল মানুষ। বাবার সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই দোতারা বাজিয়ে গান গাইতেন। কবে যে নামের পেছনে বয়াতি বিশেষণটি যোগ হয়েছে, তা নিজেও জানেন না। ১৯৫৯ সালে মেট্রিক পরীক্ষা দিয়ে অঙ্কে ফেল করার পর আর পরীক্ষা দেননি। একসময় তিনি মানিকগঞ্জের কো-অপারেটিভ ব্যাংকে চাকরি নেন। পরে 'হিসাবের খাতায়' শিরোনামে গান লেখার কারণে চাকরি হারান। গান গেয়ে যে সামান্য অর্থ পেতেন, তা দিয়েই কষ্টে সংসার চালাতেন। ৮০ টাকার সঞ্চয় দিয়ে একসময় মুদি দোকানও করেছিলেন এই সাধক। তবে আধ্যাত্মিক সাধনা থেকে কখনোই সরে যাননি।সাইদুর বয়াতি জানান, অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় লজিং থাকতেন নবগ্রামের জহির বয়াতির বাড়িতে। জহির বয়াতির কাছেই গানের পাশাপাশি সারিন্দা, দোতারা, বায়া, খঞ্জনির তালিম নেন সাইদুর। ওই সময় 'বাসুদেব অপেরা' যাত্রাদলে নারীর ভূমিকায় অভিনয় করতেন। চরিত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে লম্বা চুলের সঙ্গে 'ছবি রানী' নামে ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন। ১৯৬৭ সালে তিনি ঘোস্তা গ্রামের জমশের আলীর মেয়ে সালেহা বেগমকে বিয়ে করেন।জারি, সারি, ভাটিয়ালি, বাউল, মারফতি, নবীতত্ত্ব, কবিগান, মুর্শিদি, গাজির গান, মালসি, সখী সম্পাত, দমতত্ত্ব, সৃষ্টিতত্ত্ব, জীবতত্ত্ব, পরমতত্ত্বসহ প্রায় ৫০ রকমের গান গেয়ে পরিচিতি লাভ করেন সাইদুর। ভাষা সংগ্রামী রফিক শহীদ হওয়ার পর তাঁকে নিয়েও গান রচনা করেন তিনি। 'মারিস না মারিস না ওরে, মারিস না বাঙ্গাল/এ দেশ ছেড়ে পালাবি তোরা (পাকিস্তানিরা), পালাবে না এই বাঙ্গাল' গানটি ভাষা আন্দোলনের পর বেশ জনপ্রিয়তা পায়।১৯৫৪ সালে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ও পরে মওলানা ভাসানীর জনসভাতেও গান গেয়ে শোনান সাইদুর। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ভোট চেয়ে গান করেছিলেন এই সাধক। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুকে দরবার হলে দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গান গেয়ে বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে একটি ঘড়িও উপহার পেয়েছিলেন। নদীর নাম মধুমতি', 'লালসালু', 'চিত্রা নদীর পাড়ে', 'লালন', 'লিলিপুটেরা বড় হবেসহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন বয়াতি সাইদুর। নদীর নাম মধুমতি ছবিতে গান গেয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। | মানিকগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,ঘিওর,ছাপা সংস্করণ,মানুষ,শেষ পাতা | নিজের দলের সঙ্গে সংগীত অনুষ্ঠানে সাইদুর রহমান বয়াতি (বাঁয়ে)। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/10744/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A7%AA%E0%A7%A8-%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%9F%E0%A6%95 | মহেশপুর সীমান্তে চার দিনে ৪২ জন অনুপ্রবেশকারী আটক | অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার সময় গত চার দিনে ৪২ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে ৫৮ বিজিবির সদস্যরা।আটকদের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার পথে ২৩ জন এবং ভারত থেকে আসার পথে ১৯ জন পুরুষ এবং নারী আটক হয়। এদের মধ্যে দুজন দালালও রয়েছেন।৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান বলেন, চলতি মাসের ২০ তারিখ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত মহেশপুর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪২ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার পথে ২৩ জন এবং ভারত থেকে আসার পথে ১৯ জন। এ সময় অনুপ্রবেশকারী সহযোগিতা করার অপরাধে দুজন দালালকে আটক করে বিজিবি।নজরুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমানে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পারাপারের চাপ বেড়েছে। তবে আমরা কড়া নজর রেখেছি। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট অধ্যাদেশ আইনে মামলা করে মহেশপুর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। | ভারত,ঝিনাইদহ,খুলনা বিভাগ,সীমান্ত,মহেশপুর | অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সময় আটক হওয়াদের একাংশ। | national |
https://samakal.com/whole-country/article/201142402/রাবির-সাবেক-উপাচার্য-আলতাফ-হোসেন-আর-নেই | রাবির সাবেক উপাচার্য আলতাফ হোসেন আর নেই | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আলতাফ হোসেন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি.....রাজিউন)। বৃহস্পতিবার ভোরে রাজশাহীর নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। বার্ধক্যজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। ড. আলতাফ হোসেন রাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। ২০০৫ সালের জুন থেকে ২০০৮ সালের মে পর্যন্ত তিনি রাবির উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পদ্মা নদীতে ঘড়িয়াল প্রজাতি সংরক্ষণের অন্যতম গবেষক। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম ফারুকী বলেন,ড. আলতাফ হোসেন বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন, পাশাপাশি তার প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের সমস্যাও ছিল। বুধবার রাতে ঘুমের মধ্যেই তিনি মারা যান। সকালে তার পরিবারের লোকজন তাকে মৃত দেখতে পায়। অধ্যাপক আলতাফ হোসেনের প্রথম জানাজা আজ দুপুর ১২টায় রাজশাহীর উপশহরে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জানাজা বাদ জোহর রাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ তার নিজ গ্রাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাঁদলাইয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। উল্লেখ্য, অধ্যাপক আলতাফ হোসেনের বড় মেয়ে ড. সাবিনা সুলতানা রাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক। তার স্বামী ড. মুহাম্মদ আতিকুল ইসলাম রাবির আইবিএ'র শিক্ষক। ছোট মেয়ের জামাতা শফিকুল ইসলাম রাবির ভুগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক। | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়,অধ্যাপক ড. আলতাফ হোসেন,সাবেক উপাচার্য | অধ্যাপক ড. আলতাফ হোসেন | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/02/11/%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80-%e0%a6%85%e0%a6%aa%e0%a6%b6%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a6%be/ | মন্ত্রী অপশক্তির কাছে মাথা নত করেছে: কাদের মির্জা | বাংলাদেশ আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, কাদের ইঙ্গিতে আজকে নিজাম হাজারী, একরাম চৌধুরী এত দাপট দেখায়? দাপট দেখিয়ে চলে? তারা আমাদের ওপর হামলা করার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ দেশে কী সরকার নেই, এ দেশে কী প্রশাসন নেই? আজকে আমাদের এলাকার কী কোন অভিভাবক নেই। কেউ কি প্রতিবাদ করার নেই। আমরা যাকে মন্ত্রী বানিয়েছি। এই এলাকার জনগণ। সেই মন্ত্রীর কাজ কী? সেই মন্ত্রী অপশক্তির কাছে আজকে মাথা নত করেছে। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে তার গাড়ি বহরে হামলার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে তাৎক্ষণিক ফেইসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। এ সময় তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানান, এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। না হলে আপনার সব অর্জন তারা ধ্বংস করবে। এদেরকে কারা আজকে শেল্টার দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিন। তাদেরকে চিহিৃত করেন। সে যত বড় নেতা হোক, যত বড় মন্ত্রী হোক তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেন। কাদের মির্জা বলেন, যারা ফেনীতে একরামকে হত্যা করেছে ঠিক একই কায়দায় আমাকে হত্যা করার জন্য একরাম চৌধুরীর সন্ত্রাসীরা, নিজাম হাজারীর সন্ত্রাসীরা আমার গাড়ির গতিরোধ করে। কিন্তু একটি ট্রাক থাকার কারণে আমার গাড়িটি দ্রুত চলে আসছে, আমার গাড়িতে কিছু করতে পারে নি। আমার পরবর্তীতে ১০-১২টি গাড়ি ছিলো সেগুলোর উপর ইট-পাটকেল, ডিম মারা হয়েছে। সেলিম নামে আমাদের একজন নেতা আহত হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমি শপথ থেকে এলাকায় ফিরে গিয়ে এক মাস আর মানবো না। অনতিবিলম্বে এদেরকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে, নোয়াখালীর অপরাজনীতি বন্ধের দাবিতে, নোয়াখালী-ফেনীর ভোট চুরির বিরুদ্ধে, এখানে যে অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো। | অপশক্তি,কাদের,মন্ত্রী,মির্জা | বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা | national |
https://www.dailynayadiganta.com/subcontinent/326669/আবারো-আলোচনায়-মোদির-সংসার-এবার-যা-বললেন-স্ত্রী-যশোদাবেন | আবারো আলোচনায় মোদির সংসার : এবার যা বললেন স্ত্রী যশোদাবেন | ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবাহিত জীবন। প্রধানমন্ত্রী অবিবাহিত বলে এর আগে সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করেছিলেন আনন্দিবেন প্যাটেল। মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপালের এই বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী যশোদাবেন। বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, 'আনন্দিবেন সংবাদমাধ্যমে বলেছেন নরেন্দ্র মোদি অবিবাহিত। তার এই মন্তব্যে আমি স্তম্ভিত। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের হলফনামায় নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং তার বিয়ের কথা জানিয়েছিলেন এবং স্ত্রী হিসেবে তিনি আমার নাম উল্লেখ করেছিলেন।' যশোদাবেন আরো বলেন, 'একজন শিক্ষিকা সম্পর্কে একজন শিক্ষিত মহিলার (আনন্দিবেন) এই ধরনের মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। শুধু তাই নয়, আনন্দিবেনের এমন মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ করেছে। উনি আমার কাছে সম্মানীয় ব্যক্তি। আমার কাছে উনি রাম।' জানা গেছে, ভাই অশোক মোদীর মোবাইল ফোনে এই বিবৃতিটি রেকর্ডিং করেছেন যশোদাবেন। সূত্র: ইকোনোমিক টাইমস আরো পড়ুন : ইফতার মাহফিলে মোদিপত্নী যশোদাবেন, অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবিরনুড়ি, পাথর, কেয়ারি করা ঘাসে সাজানো দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন। সেখানে হেঁটে, দৌড়ে শরীরচর্চা করেন নরেন্দ্র মোদি। ওই বাসভবনে ঠাঁই নেই পরিবারের কারো। রমজান মাসে কোনো ইফতারেও যান না মোদি। ওই বাসভবন থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে গুজরাটের অতি সাদামাটা একটা বাড়ির বাসিন্দা আবার অন্য রকম। তিনি কিন্তু ইফতারে যান। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্ত্রী, যশোদাবেন। গত ফেব্রুয়ারিতে রাজস্থান থেকে গুজরাটে ফেরার পথে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হন যশোদাবেন। তার পর থেকে তাকে সেভাবে দেখা যায়নি। দেখা গেল গত ১৩ জুন আহমদবাদের এক ইফতার মাহফিলে। আহমদাবাদের রিলিফ রোডে আয়োজিত এক ইফতারে গুজরাটি শৈলীতে পরা সবুজ রংয়ের শাড়িতে দেখা মিলেছে যশোদাবেনের। সেখানে অনেককে রোজা ভাঙতেও সাহায্য করছেন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী। বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু গুঞ্জন। অস্বস্তির মুখে গেরুয়া শিবিরের মুখে কুলুপ। ঘটনাচক্রে বুধবারই দিল্লিতে মোদি সরকারের মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি তালাকের শিকার নারীদের নিয়ে ইফতারের আয়োজন করেছিলেন। নারীদের ক্ষমতায়ন নিয়ে মোদির আন্তরিকতা বোঝাতেই ওই আয়োজন। প্রধানমন্ত্রী নিজে না গেলেও রাজনাথ সিংহ, স্মৃতি ইরানি, প্রকাশ জাভড়েকররা গিয়েছিলেন সেখানে। তথা ইফতারে। কংগ্রেসের বক্তব্য, রাহুল গান্ধীর ইফতার থেকে নজর ঘোরাতেই নকভির ইফতার। রাহুল ইফতারকে সামনে রেখে বিরোধীদের একজোট করেছেন। রাহুলের ইফতারে থাকা জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন বৃহস্পতিবার অমিত শাহকে প্রকাশ্যেই খোঁচা দিয়ে বলেন, জনসম্পর্ক অভিযানে গিয়ে অমিত যেন লালকৃষ্ণ আদভানিকেও একটু দেখে আসেন! বিজেপি বলছে, রাহুলের ইফতারে সাফল্য কোথায়? মায়াবতী, অখিলেশ, মমতা, শরদ পওয়ার- প্রথম সারির কেউই তো এলেন না। কংগ্রেসের রাজীব শুক্ল বলেন, 'অধিকাংশ বিরোধী দল এসেছে। আসল বিষয় প্রতিনিধিত্ব। বিরোধী জোট ক্রমশ শক্ত হচ্ছে।' | null | ভাই অশোক মোদীর মোবাইল ফোনে এই বিবৃতিটি রেকর্ডিং করেছেন যশোদাবেন। | international |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/06/11/%e0%a7%a8%e0%a7%ae-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%a4-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a7%81/ | ২৮ দিন পর থানা হাজত থেকে মুক্তি পেল চার গরু | ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় চুরি সন্দেহে আটক চারটি গরু ২৮ দিন পর নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্তি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে গরুগুলো মালিকের কাছে ফেরত দিয়েছে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ। চুরির সঙ্গে সম্পৃক্তা প্রমাণিত না হওয়ায় একই সঙ্গে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে গরুর মালিক লিটন শেখকে। জানা গেছে, গত ১০ মে দিবাগত রাতে উপজেলার বানা ইউনিয়নের বেলবানা গ্রামের আবু সাইদ মোল্যার একটি গরু তার বাড়ি থেকে চুরি হয়। এর দুইদিন পর পার্শ্ববর্তী হেলেঞ্চা গ্রামের বাচ্চু শেখের ছেলে মো. লায়েক শেখ গংদের মাংসের দোকান থেকে চুরি যাওয়া গরুর চামড়া উদ্ধার করে থানা পুলিশ। পুলিশের জেরায় লায়েক শেখ গরু চুরির কথা স্বীকার করে। এ সময় লায়েক শেখের জিম্মা থেকে আরো ৪টি গরু আটক করা হয়। গত ১৩ মে এ ঘটনায় আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করে মো. আবু সাইদ মোল্যা। এ মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করা হয় গরুর মালিক লিটন শেখকেও । জানা যায়, কুয়েত প্রবাসী লিটন শেখ ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে মাংস ব্যবসায়ী লায়েক শেখের কাছে গরু চারটি পুষতে দেয়। পরে মামলার বাদী মো. আবু সাইদ মোল্যা এ ব্যাপারে লিখিত অঙ্গীকারনামা দেন যে, জব্দ ওই চারটি গরু তার নয়। আবু সাইদ মোল্যা ফরিদপুর ৭ নং আমলী আদালতের বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এই মর্মে লিখিত দেন যে, লিটন শেখ তার আসামি না। তাই তাকে জামিনে মুক্তি দিলে তার কোন আপত্তি থাকবে না। আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ চারটি গরুর মালিকানা যাচাই করে দাখিলকৃত প্রতিবেদন যথাযথ না হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, লিটন শেখ একজন কুয়েত প্রবাসী। বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে নিজেকে বেকারত্ব মনে করে মাংস ব্যবসায়ী লায়েক শেখের অনুরোধে ব্যবসার উদ্দেশ্যে অত্র মামলার জব্দকৃত চারটি গরু কিনে দেয়। জব্দ চারটি গরুর প্রকৃত মালিক লিটন শেখ। প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত হওয়ার পর, অবশেষে গত ১০ জুন মালিক লিটন শেখের কাছে গরুগুলো ফিরিয়ে দিয়েছে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ। | null | বৃহস্পতিবার দুপুরে গরু চারটি মালিকের কাছে ফেরত দিয়েছে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ। | national |
https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2021/11/05/16361003848786211 | টাকা ফেরত চান ভুক্তভোগীরা, ই-অরেঞ্জের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের দাবি | বিতর্কিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরেঞ্জ এবং প্রতিষ্ঠান সঙ্গে সম্পৃক্ত বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে অনতিবিলম্বে অর্থ ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এমন দাবি তুলে ধরেন ভুক্তভোগীরা। কর্মসূচিতে মোট ১০টি দাবি উত্থাপন করা হয়। ভুক্তভোগীদের দাবির মধ্যে রয়েছে- ই-অরেঞ্জ ও সাবেক পরিদর্শক সোহেলের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ভুক্তভোগীদের টাকা অনতিবিলম্বে ফিরিয়ে দিতে হবে, সব ভুক্তভোগী গ্রাহকের আর্থিক ক্ষতির দায়ভার "অরেঞ্জ বাংলাদেশ"কে নিতে হবে; ই-অরেঞ্জ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও সরকারি আমলাদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে; ই-অরেঞ্জ প্রতারণার মাস্টারমাইন্ড সোহেলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে; এসএসএল কমার্স ও ই-অরেঞ্জের কত টাকা আটকে আছে সে সম্পর্কিত তথ্য অনতিবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে। এছাড়াও ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে সব তদন্ত প্রতিবেদন অনতিবিলম্বে প্রকাশেরও দাবি জানানো হয়। তারা দাবি করেন, আসামিদের রিমান্ড থেকে পাওয়া তথ্য সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ করতে হবে; ই-ক্যাবকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করতে হবে; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ভুক্তভোগী সব গ্রাহকের ক্ষতির দায়ভার নিতে হবে এবং সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের জামিন নাকচ করতে হবে। গত ১৮ জুলাই পণ্য ডেলিভারির প্রতিশ্রুতি দিয়েও লকডাউনের দোহাই দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রতারণা শুরু করে বলেও জানায় ই-অরেঞ্জের ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সংগঠন। | null | শুক্রবার জাতী প্রেসক্লাবের সামনে ই-অরেঞ্জের ভুক্তভোগী গ্রাহকদের মানববন্ধন। | national |
https://samakal.com/whole-country/article/1903547/জন্য-নিরাপদ-ইন্টারনেট-নিশ্চিতের-প্রতিশ্রুতি-দিচ্ছি-আমি-মোস্তফা-জব্বার | শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমি: মোস্তফা জব্বার | ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, অল্প সময়ের মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়েছে তা অনেক বড় বড় দেশ কল্পনাও করতে পারে না। বাংলাদেশ এখন শুধুই কৃষিনির্ভর দেশ নয়। আগামীতে জাতীয় আয়ের বড় একটা অংশ প্রযুক্তি খাত থেকে আসবে, যেটা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আমাদের দেশের মত মেধাবী শিশু পৃথিবীর কোন দেশে জন্মায় না বলে আমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, শিশুদের প্রযুক্তি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করবেন না, বরং উৎসাহিত করুন। আমি কথা দিচ্ছি প্রযুক্তির সঙ্গে শিশুরা নিরাপদ থাকবে। ইতোমধ্যে অন্তত ২০ হাজার অশ্লীল সাইট বন্ধ করা হয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে বাংলাদেশে সকল ক্ষতিকর সাইট তালাবন্ধ করা হবে। মন্ত্রী হিসেবে শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমি। শুক্রবার দুপুরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় শিক্ষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আগামীতে বাংলাদেশে এমন কোন ক্লাসরুম থাকবে না, যেখানে প্রযুক্তি ব্যবহার ছাড়া শিক্ষার্থীদের পড়ানো যাবে। আমি শিক্ষকদের একটু ভয়ই দেখাই। আমি বলছি না আমাদের শিক্ষকদের কম্পিউটার বিজ্ঞানী হতে হবে। তবে তাদের কম্পিউটার পরিচালনায় প্রাথমিক জ্ঞান টুকু থাকতেই হবে। যেমন বিভিন্ন সফটওয়ার ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো, গুগল সার্চসহ শিক্ষার্থীদের একটি বিষয়ে বিশদভাবে জানার জন্য সংশ্লিষ্ট লিঙ্কটি জানিয়ে দেওয়ার মত যোগ্য হতে হবে। এইটুকু যোগ্যতা যদি কোন শিক্ষকের না থাকে তবে সেই শিক্ষকের ২০২৩ সালের পরে চাকরি থাকার সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ৯০ শতাংশ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর হাতে এ দেশের তৈরি মোবাইল সেট থাকবে। বর্তমানে আমাদের তৈরি কম্পিউটার বিদেশে রফতানি হচ্ছে। আগামীতে যে সকল দেশ আমাদের দেশের কম্পিউটার-মোবাইল সেট সংযোজন না করবে, তাদের তৈরি কম্পিউটার এদেশে বিক্রির অনুমতিও দেওয়া হবে না। মোস্তফা জব্বার বলেন, ইতিমধ্যে আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছি। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণে ৪টি টিভি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচারিত হচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশের সকল টিভি চ্যানেল এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচারিত হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের ফলে আমরা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে পারছি। এছাড়া বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় এই স্যাটেলাইট কাজে আসবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট শুধু নামের বিষয় নয়, যে কাজগুলোতে আমরা অন্যের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম, সেগুলো এখন নিজেরা করতে পারব।' রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক পরিচালক জালাল উদ্দিন মিয়া, রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিব খান, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবায়েত হায়াত শিপলু প্রমুখ। | মোস্তফা জব্বার,রাজবাড়ী | গোয়ালন্দে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার | national |
https://www.bd-pratidin.com/coronavirus/2020/12/28/602036 | চিকিৎসক-নার্স-বয়স্কদের অগ্রাধিকার দিয়ে ইউরোপে চলছে টিকাদান | ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭ দেশের মধ্যে একাধিক দেশ আগেই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করেছে। শুক্রবার থেকে আরও কয়েকটি দেশে করোনার টিকা সরবরাহ করা হচ্ছে। টিকা নিরাপদ এই বার্তা দিতে একযোগে টিকা দেওয়া শুরু করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এরইমধ্যে প্রথম ধাপে ১০ হাজার ডোজ করে একেকটি দেশে পাঠানো হচ্ছে। জানুয়ারি টিকা সরবরাহ আরও সহজলভ্য হলে এ পরিমাণ আরও বাড়বে। বেলজিয়ামের একটি কারখানা থেকে ফাইজার-বায়োনটেকের এই টিকা সরবরাহ করা হচ্ছে। অস্ট্রিয়া, জার্মানি, ইতালি, বেলজিয়ামসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশের চিকিৎসক, নার্স ও বয়স্ক ব্যক্তিরা গতকাল রবিবার প্রথমবারের মতো টিকা নিয়েছেন।
জার্মানির বার্লিনের বয়ষ্কদের দেহে প্রয়োগের মধ্য দিয়ে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার মানুষ এ টিকা পেলেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ভ্যাকসিন পৌঁছাতে শুরু করলে টিকাদান কেন্দ্র বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এক স্বেচ্ছাসেবীর দেহে প্রয়োগের মধ্য দিয়ে ইতালিতেও শুরু হয়েছে করোনার টিকাদান কর্মসূচি। করোনার প্রতিষেধক দিতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বেলজিয়াম। তিনটি বৃদ্ধাশ্রমে প্রাথমকিভাবে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে। বিডি প্রতিদিন/ফারজানা | null | অস্ট্রিয়ায় ২৭ ডিসেম্বর টিকা নিচ্ছেন এক মেডিকেল কর্মী | life-health |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/08/06/%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a7%a8%e0%a7%aa-%e0%a6%98%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%be-%e0%a7%a8%e0%a7%ae/ | বরিশালে ২৪ ঘন্টায় আরো ২৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬২৪ | বরিশাল বিভাগে দিন যত যাচ্ছে ততোই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে মহামারী করোনা ভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে বিভাগের ৬ জেলায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৪জন এবং উপসর্গ নিয়ে ১৪ মারা গেছেন। একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬২৪ জন। বরিশাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস শুক্রবার (০৬ আগস্ট) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন । তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১৪জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত ২জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো ১২জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৪জনের মধ্যে বরিশালে ৫ জন,পটুয়াখালীতে ৪ জন,ভোলায় ৪ জন ও ঝালকাঠিতে ১ জন রয়েছেন। সব মিলিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২৮ জনে। এছাড়া নতুন আক্রান্ত ৬২৪ জন নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৬২২ জনে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ হাজার ৪৮৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল জেলায় নতুন ২০৩ জন নিয়ে মোট ১৫ হাজার ৫৩৫ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ১২৭ জন নিয়ে মোট ৫ হাজার ১৩১ জন, ভোলায় নতুন ১৫৬ জনসহ মোট ৪ হাজার ৭৩৪ জন, পিরোজপুরে নতুন ৪৪ জনসহ মোট ৪ হাজার ৬৮২ জন, বরগুনায় নতুন ৪৯ জন নিয়ে মোট ৩ হাজার ২৪৯ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন ৪৫ জন নিয়ে মোট ৪ হাজার ২৮২ জন রয়েছেন। শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১৪ জনের এবং করোনা ওয়ার্ডে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধু শেবাচিম হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই উপসর্গ নিয়ে ৮৪৫ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৮৪৫ জনের মধ্যে ৯১ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি। শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২৭ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ৯ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২৮০ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৯৬ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ১৯৫ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৯ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে ৪২ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার। এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে অক্সিজেন সংকট, আইসিইউ সংকট এবং চিকিৎসকদের সময়মতো না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। | করোনা,মৃত্যু,শনাক্ত | বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। | national |
https://samakal.com/bangladesh/article/200521555/ঘণ্টায়-দেশে-রেকর্ড-আক্রান্ত | ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড আক্রান্ত | সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। নমুনা পরীক্ষার আওতা বাড়ার পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে ৬৬৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে ৫ হাজার ৩৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এটিই এক দিনে সর্বোচ্চ নমুনা পরীক্ষা এবং সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। এ নিয়ে দেশে শনাক্ত হওয়া আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৯ হাজার ৪৫৫ জনে পৌঁছাল। একই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭৭ জনে। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮১ হাজার ৪৩৪ জনের। রোববারকরোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান। মৃতের তালিকা পর্যালোচনা করেডা. নাসিমাজানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২ জন ঢাকার বাইরের। একজন রংপুর এবং একজন নারায়ণগঞ্জের। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৬০ বছরের উপরে এবং আরেক জনের বয়স ১১থেকে ২০ বছরের মধ্যে। নাসিমা সুলতানা বলেন, কাকে সুস্থ বলা যাবে, সেই নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। সে হিসেবে দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে মোট ১ হাজার ৬৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। শনিবার পর্যন্ত হাসপাতালে থাকা রোগীদের মধ্যে মোট ১৭৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনের চিত্র তুলে ধরেডা. নাসিমা সুলতানাবলেন, গত চব্বিশ ঘণ্টায় আরও ৬৫ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। এখন আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ৩৩৭ জন। এ থেকে মুক্ত হয়েছেন ৬০ জন। এ পর্যন্ত এ সংখ্যা ১ হাজার ৮২ জন। দেশে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ৯ হাজার ৬৩৮টি। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরে ৩ হাজার ৯৪৪টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ৫ হাজার ৬৯৪টি। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৩১টি ল্যাবে এখন করোনাভাইরাস পরীক্ষা হচ্ছে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি। | করোনাভাইরাস,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর,করোনার প্রাদুর্ভাব | করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রোববার নিয়মিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে কথা বলছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা | national |
https://www.bd-pratidin.com/minister-spake/2021/09/11/689986 | উন্নয়নের বিস্ময় রাষ্ট্র সৃষ্টির কারিগর শেখ হাসিনা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী | মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, 'বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে উন্নয়নের বিস্ময় রাষ্ট্র সৃষ্টির কারিগর শেখ হাসিনা। তিনি আমাদের জন্য আশীর্বাদ। করোনাসহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় গোটা জাতির জন্য তিনি মহামানবীরূপে আবির্ভূত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের দুঃসাহসী অভিযাত্রায় আন্দোলনের অগ্নি মশালের নাম শেখ হাসিনা।' শনিবার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের অনুকূলে জমি হস্তান্তরের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। মন্ত্রী আরো বলেন, "বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র। এই অর্জনে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাঙালি জাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর বাঙালি জাতির ইতিহাসে মহামানবী হিসেবে এসেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নামের প্রতিষ্ঠানকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনশক্তিকে মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে।" মন্ত্রী আরো যোগ করেন,"যারা রাজনীতি করেন না তারাও বলেন শেখ হাসিনা দক্ষ শাসক। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাও বলেন পরিপূর্ণ রাজনীতিবিদের নাম শেখ হাসিনা। বিপন্ন বাংলাদেশকে, দুর্যোগকবলিত বাংলাদেশকে বিস্ময়কর উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করতে পেরেছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার দরকার নেই। সবাই মিলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনাগত ভবিষ্যতের জন্য সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে।" যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুব আরা বেগম গিনি এমপি ও জাকিয়া তাবাসসুম এমপি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি এবং বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল জলিল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আব্দুল করিম। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল জলিল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আব্দুল করিম। সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বিএলআরআই শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটকে ৩ দশমিক ৩৮ একর জমি হস্তান্তর করেছে। বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন | null | শ ম রেজাউল | politics |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/11/23/%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%aa%e0%a7%81/ | লেস্টারকে হারিয়ে লিভারপুলের নতুন রেকর্ড | ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সোমবার রাতের খেলায় লেস্টার সিটিকে হারিয়ে নতুন এক রেকর্ড গড়ল ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল। ঘরের মাঠে টানা ৬৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকার কীর্তি হলো অল রেডদের। এর মধ্য ৫৩ ম্যাচে জয় ও ১১ ম্যাচে ড্র করেছে তারা। লিভারপুল ম্যাচটি জিতেছে ৩-০ গোলে। একটি করে গোল করেছেন রবার্তো ফিরমিনো ও দিয়েগো জোটা। অন্য গোলটি আত্মঘাতী। এই ম্যাচের আগে দল সাজাতেই হয়তো হিমশিম খেয়েছেন লিভারপুল কোচ। ইনজুরির কারণে দলে নেই ভার্জিল ফন ডাইক, আলেক্সান্ডার আরনল্ড, ফ্যাবিনহোদের মতো তারকারা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে খেলতে পারেননি মোহামেদ সালাও। তবুও জয় নিয়ে উড়তে থাকা লেস্টারকে পরাস্ত করল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধে জনি ইভান্সের আত্মঘাটি গোলে এগিয়ে যাওয়া লিভেরপুলের। ৪১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জোতা। বাঁ দিক থেকে রবার্টসনের ক্রসে ডি-বক্সে ছুটে গিয়ে হেডে বল জালে পাঠান এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। লেস্টার সিটির বিপক্ষে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা লিভারপুল ম্যাচের তৃতীয় গোলটি পায় ফিরমিনোর পা থেকে। ৮৬তম মিনিটে জেমস মিলনারের কর্নারে লাফিয়ে হেডে বল জালে পাঠান এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এ নিয়ে ৯ ম্যাচে ছয় জয় ও দুই ড্রয়ে লিভারপুলের পয়েন্ট ২০। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে এগিয়ে শীর্ষে টটেনহ্যাম হটস্পার। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চেলসি তিনে ও লেস্টার চারে আছে। | লিভারপুল,লেস্টার,সিটি | জোটার গোলের পর অল রেডদের উল্লাস | sports |
https://samakal.com/bangladesh/article/19128371/নোয়াবের-নতুন-সভাপতি-হলেন-এ-কে-আজাদ | নোয়াবের সভাপতি হলেন এ. কে. আজাদ | সমকালের প্রকাশক এ. কে. আজাদ সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স
অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত
হয়েছেন। সংগঠনের সহসভাপতি হয়েছেন নিউ এজের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এ এস এম
শহীদুল্লাহ খান এবং কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর
রহমান চৌধুরী। সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংগঠনটির বার্ষিক সাধারণ
সভায় ২০২০ ও ২০২১ সালের জন্য নোয়াবের নতুন কমিটি নির্বাচিত হয় বলে মঙ্গলবার
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। নোয়াবের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সদস্যরা হলেন- মতিউর রহমান
(প্রথম আলো), তাসমিমা হোসেন (ইত্তেফাক), মাহ্ফুজ আনাম (ডেইলি স্টার), নঈম
নিজাম (বাংলাদেশ প্রতিদিন), এম এ মালেক (আজাদী), মোজাম্মেল হক (করতোয়া), এম
শামসুর রহমান (ইনডিপেনডেন্ট), তারিক সুজাত (ভোরের কাগজ) ও দেওয়ান হানিফ
মাহমুদ (বণিক বার্তা)। নির্বাচন বোর্ডের প্রধান রিয়াজউদ্দিন আহমেদ নতুন কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা
করেন। নির্বাচন বোর্ডের আরও দুই সদস্য ছিলেন এ এম এম বাহাউদ্দীন আহমেদ ও
শাহ হুসাইন ইমাম। সভায় ২০১৮-১৯ সালের আর্থিক রিপোর্ট ও অডিট রিপোর্ট অনুমোদন করা হয়। সভায়
বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাপী সংবাদপত্র শিল্পের সংকট নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময়
সদস্যরা দেশের সংবাদপত্রকে সংকট মোকাবিলায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা
নিয়ে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন। | এ. কে. আজাদ,সংবাদপত্র,নোয়াব | নোয়াবের সভাপতি এ. কে. আজাদ, সহসভাপতি এ এস এম শহীদুল্লাহ খান এবং কোষাধ্যক্ষ মতিউর রহমান চৌধুরী (বাঁ থেকে) | national |
https://samakal.com/bangladesh/article/18051384/বৃহস্পতিবার-ফের-খালেদা-জিয়ার-জামিন-শুনানি | বৃহস্পতিবার ফের খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি | নাশকতার অভিযোগে কুমিল্লায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলায় তার জামিন আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো জামিন আবেদনের শুনানি হয়। তবে শুনানি অসমাপ্ত থাকা অবস্থাতেই আদালতের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় আদালত শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেন। এদিন আদালতে খালেদা জিয়ার জামিনের পক্ষে তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করলে তা অসমাপ্ত অবস্থাতেই আদালতের সময় শেষ হয়ে যায়। এ সময় আদালত শুনানি মুলতবি করেন। বৃহস্পতিবার একই আদালতে এই মামলার জামিন আবেদনের শুনানি পুনরায় শুরু হবে। এদিকে মানহানির অভিযোগে নড়াইলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা আরেক মামলাতেও তার জামিন আবেদন হাইকোর্টের এই বেঞ্চেই শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। | খালেদা জিয়া,বিএনপি,খালেদা জিয়ার জামিন | বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া | national |
https://www.ajkerpatrika.com/142192/%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%87-%E0%A6%AD%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0 | অস্থায়ী শহীদ মিনারই ভরসা তাদের | গাজীপুরের মধ্যে শিক্ষাদীক্ষায় কাপাসিয়া উপজেলা অনেকটাই এগিয়ে। উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। ডিজিটাল আইসিটি ভবনসহ অত্যাধুনিক সব ব্যবস্থা রয়েছে উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে। তবে এখনো উপজেলার ৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই কোনো শহীদ মিনার। প্রতিবছর অস্থায়ী শহীদ মিনারে জানানো হয় ভাষাশহীদদের প্রতি সম্মান।কাপাসিয়া প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের তথ্যমতে, উপজেলার ১৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় মধ্যে শুধু রায়েদ ইউনিয়নের দরদরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার। উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৫টি, এর মধ্যে ২৭টিতে শহীদ মিনার নেই। দাখিল মাদ্রাসার সংখ্যা ৪০টির মধ্যে ৩৯টিতেই নেই শহীদ মিনার।১৫টি আলিম মাদ্রাসার মধ্যে তিনটিতে শহীদ মিনার নেই নেই। ১০ ফাজিল মাদ্রাসার একটিতেও নেই কোনো শহীদ মিনার এবং ১৪টি কলেজ মধ্যে নয়টিতে কোনো শহীদ মিনার নেই।এই প্রতিষ্ঠান গুলোতে শহীদ মিনার না থাকায় প্রতিবছর অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার তৈরি করে অথবা শহীদ মিনারের প্রতিকৃতিতে একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে আসছে। যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনার তৈরি করা হয়েছে সেগুলো প্রায় সবই জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মাণ করা। তাই যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে এখনো কোনো শহীদ মিনার নেই তারা শহীদ মিনার নির্মাণের বরাদ্দ পাওয়ার জন্য জেলা পরিষদে আবেদন করে রেখেছেন।গাজীপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জামিলা আহমেদ বলেন, গাজীপুর জেলাতে বিগত ১০ বছরে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার হয়েছে প্রায় সব জেলা পরিষদের অর্থায়নে করা। জেলার পাঁচ উপজেলাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনেক, একবারে তা করা সম্ভব নয়। পর্যায়ক্রমে সব করা হবে।জামিলা আহমেদ বলেন, এ বছর অনেকগুলো শহীদ মিনারের করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এককভাবে শুধু জেলা পরিষদ থেকে এখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার করে দেওয়া হচ্ছে। শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসা উচিত। | গাজীপুর,ঢাকা বিভাগ,কাপাসিয়া,ছাপা সংস্করণ,রাজধানীর চারপাশ | অস্থায়ী শহীদ মিনারই ভরসা তাদের | national |
https://samakal.com/bangladesh/article/220192632/দেশে-করোনায়-আরও-১২-মৃত্যু-নতুন-শনাক্ত-৩৩৫৯ | দেশে একদিনে ১২ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৩৫৯ | করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১২৩ জনে।একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৩৫৯ জনের। এ নিয়ে দেশে করোনায় সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪ হাজার ৬৬৪ জনে।বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৪৮৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২৭ হাজার ৯২০টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩০২ জন, এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৯৫৫ জন।গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১২ জনের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, ৬ জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৮ জন। এছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহে ১ জন করে মারা গেছেন। | করোনায় মৃত্যু,করোনাভাইরাস,করোনা শনাক্ত | রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে করোনার টিকা নিতে আসা মানুষের দীর্ঘ লাইন : ফোকাস বাংলা | national |
https://samakal.com/bangladesh/article/1604208076/ফোন-করলেই-স্বাস্থ্যসেবা | ফোন করলেই স্বাস্থ্যসেবা |
এখন থেকে ১৬২৬৩ নম্বরে কল করলেই চিকিৎসকের পরামর্শসহ দিনরাত ২৪ ঘণ্টা সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যাবে।
রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে হেলথ কল সেন্টার বা স্বাস্থ্য হেলপলাইন সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, 'স্বাস্থ্যসেবা মানুষের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি যুগান্তকারী উদ্যোগ এই কল সেন্টার। এর মাধ্যমে মানুষ জরুরি বা যেকোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো সময় সহজেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারবেন।'
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই নম্বরে কল করলে দেশের যেকোনো স্থানের রোগীদের প্রয়োজনে নিকটবর্তী সরকারি-বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ডাকতেও সহায়তা করা হবেবে। জানা যাবে, স্বাস্থ্যবিষয়ক যেকোনো তথ্য। একইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা অথবা হাসপাতাল-ক্লিনিক সংক্রান্ত অভিযোগ ও পরামর্শ জানানো যাবে। প্রাপ্ত অভিযোগ বা পরামর্শগুলোর ব্যাপারে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।
যুক্তরাজ্য সরকারের ইউকে এইডের অর্থায়নে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস বিভাগ সেবাটি চালু করেছে। সেবাটি যেন নিজের আয়েই চলতে পারে সেজন্য পরবর্তী সময়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। ঢাকার তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটি লিমিটেড সেবাটি পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে।
স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহি হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
| স্বাস্থ্যসেবা | তথ্য বাতায়ন থেকে নেয়া | national |
https://www.ajkerpatrika.com/84098/%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%98%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE | জয়ের পর প্রতিপক্ষের ঘরে হামলা | পিরোজপুরের পাড়েরহাট ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর প্রতিপক্ষের আশ্রয়ণের ঘরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেওয়া আশ্রয়ণের এসব ঘরে বাস করতেন এক ইউপি সদস্যের সমর্থকেরা। ওই ইউপি সদস্যের প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচনে জয়লাভ করার পরই হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয় ঘর ও ঘরের আসবাব।হামলার ভয়ে আশ্রয়ণ ছেড়েছেন বেশির ভাগ পুরুষ। এ ছাড়া পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে মিঠু ফকির নামে এক সমর্থককে। নির্বাচনের জের ধরে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১০টি উপহারের ঘর।পিরোজপুরের পাড়েরহাট ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আশ্রয়ণ প্রকল্পে গত বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচনী ফল ঘোষণার পরপরই বিজয়ী ইউপি সদস্য আবুল কালাম ফরাজির লোকজন হামলা চালায়। আশ্রয়ণের ধরে থাকতেন পরাজিত ইউপি সদস্য মহসিন হাওলাদার। এখানে অনেকেই তাঁর সমর্থক। এ কারণে কালাম ফরাজির লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ঘর ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ মহসিনের। এ সময় ঘরে তেমন কোনো পুরুষ না থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।তবে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আশ্রয়ণের ঘরের কাছেই কালাম ফরাজির বিজয় মিছিল থেকে মিঠু ফকির নামে মহসিনের এক সমর্থকের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে মিঠু ফকির গুরুতর আহত করা হয়েছেন। মিঠুকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছেন।মহসিন হাওলাদার জানান, নির্বাচনের শুরু থেকেই তাঁর সমর্থকদের হুমকি, হামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে প্রতিপক্ষ প্রার্থী। নির্বাচনের পর হামলা চালানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরে। এ ছাড়া বিজয় মিছিল থেকে তাঁর সমর্থক মিঠুকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজয়ী প্রার্থী আবুল কালাম ফরাজি। তিনি বলেন, 'মহসিনের সমর্থকদের ঘরে বা আবাসনে হামলার ঘটনা মিথ্যা। আর মিঠু ফকিরই আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে।'এ ছাড়া পিরোজপুরের ৩টি উপজেলায় ৮টি ইউপিতে নির্বাচনের আগে ও পরে সহিংসতার একাধিক ঘটনা ঘটলেও সংকট কাটেনি এখনো। নির্বাচনের চার দিন আগে সদর উপজেলার শংকরপাশা এলাকায় নৌকার প্রচার শেষে হামলা ও গুলিবিদ্ধ হন পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহাবুব শুভ। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি আছেন। তাঁর স্পাইনাল কর্ডের পাশের গুলিটি ৭ দিনেও বের করা সম্ভব হয়নি। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছেন ডাক্তাররা।এ ছাড়া ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাটের বেশ কয়েক জায়গায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। নাজিরপুরে প্রতিদ্বন্দ্বী সদস্য প্রার্থীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হামলাকারীরা ২ বছরের এক শিশু ও নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে। গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনের রাতে উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধুরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। একই ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী বিকাশ হালদার ও তাঁর লোকজন ওই ওয়ার্ডের সদস্য প্রবীর বিশ্বাস বাড়িতে এ হামলা করে। এলাকায় অনেকটা থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার বলেন, 'ইউপি নির্বাচনে কোনো নেতাকে গুলির ঘটনা এবারই প্রথম। বিশৃঙ্খলা রোধে জেলা আওয়ামী লীগ সব সময় মাঠে আছে।'ইন্দুরকানী থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, আশ্রয়ণের ঘরে হামলার বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে। | পিরোজপুর,ছাপা সংস্করণ,বরিশাল সংস্করণ,পটুয়াখালী বরগুনা পিরোজপুর | পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে মিঠু ফকির নামে এক সমর্থককে। নির্বাচনের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১০টি উপহারের ঘর। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/13728/%E0%A6%9A%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0 | চবির স্থগিত ও অনলাইন ক্লাসের পরীক্ষা সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত | চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন বিভাগের স্থগিত ও অনলাইনে নেওয়া ক্লাসের পরীক্ষা সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় আবাসিক হলগুলো বন্ধ রাখা হবে। আগামী সোমবার (১৬ আগস্ট) থেকে বিভাগগুলো চাইলে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করতে পারবে। পাশাপাশি অনলাইনে পরীক্ষা নিতে অরডিন্যান্স প্রণয়ন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান/স্থগিত/অসমাপ্ত পরীক্ষা সংক্রান্ত গঠিত কমিটির সদস্যসচিব ও একাডেমিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দ মনোয়ার আলী।মনোয়ার আলী বলেন, আবাসিক হল বন্ধ রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের স্থগিত ও অনলাইনে নেওয়া ক্লাসের পরীক্ষা সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৬ আগস্ট থেকে যত দ্রুত সম্ভব বিভাগগুলো পরীক্ষা নিতে পারবে। তবে পরীক্ষার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সভাপতি, পরীক্ষা কমিটির সভাপতি, সংশ্লিষ্ট ডিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও প্রক্টর সমন্বয় করবেন।তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারির বিষয় বিবেচনা করে পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার জন্য অরডিন্যান্স প্রণয়ন করা হবে। এ ক্ষেত্রে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া, পরীক্ষা পদ্ধতি, পরীক্ষা মূল্যায়ন পদ্ধতি কীরূপ হবে তা বিভাগগুলোকে একাডেমিক কমিটির সভা করে সিদ্ধান্ত ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। পরে ডিনবৃন্দরা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা এ কমিটির নিকট পাঠাবেন। পরে কমিটি বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নিবে।এর আগে গত ১৫ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আবাসিক হলগুলো বন্ধ রেখে সশরীরে সব ধরনের একাডেমিক পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন বিভাগ পরীক্ষার রুটিন ঘোষণা করে। তবে করোনা পরিস্থিতি আবার অবনতির দিকে গেলে ১৫ দিনের মাথায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এর আগে গত ৯ জুন থেকে বিভিন্ন বিভাগের অসমাপ্ত পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়। | শিক্ষা,অনলাইন,চবি,চট্টগ্রাম | চবির স্থগিত ও অনলাইন ক্লাসের পরীক্ষা সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত। | education-career |
https://www.ajkerpatrika.com/107772/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8 | কাল থেকে স্টার সিনেপ্লেক্সে 'দ্য ম্যাট্রিক্স রেজারেকশনস' | প্রায় দুই দশক পর পর্দায় আসছে হলিউডের জনপ্রিয় 'দ্য ম্যাট্রিক্স' সিরিজের নতুন সিনেমা। ২২ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেয়েছে 'দ্য ম্যাট্রিক্স রেজারেকশনস'। বাংলাদেশের দর্শকরাও সিনেমাটি দেখতে পাবেন বড় পর্দায়। 'দ্য ম্যাট্রিক্স রেজারেকশনস' আগামীকাল থেকে দেখা যাবে রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে।২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্রান্সিসকোতে 'দ্য ম্যাট্রিক্স রেজারেকশনস' সিনেমার শুটিং শুরু হয়। এছাড়াও জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে হয়েছে সিনেমাটির শুটিং। 'দ্য ম্যাট্রিক্স'-এর চতুর্থ পর্বে কিয়ানু রিভস, ক্যারি অ্যান মস ছাড়াও থাকছেন নিল প্যাট্রিক হ্যারিস, জেসিকা হেনউকসহ একঝাঁক জনপ্রিয় হলিউড তারকা।'দ্য ম্যাট্রিক্স রেজারেকশনস'-এ দেখা যাবে বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াংকা চোপড়াকে। সিনেমার একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রিয়াংকা।১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীনির্ভর সিনেমা 'দ্য ম্যাট্রিক্স'। মুক্তির পরপরই সিনেমাটি ব্যাপক সাড়া পায়। এরপর ২০০৩ সালে মুক্তি পায় এই সিরিজের পরের দুটি সিনেমা 'দ্য ম্যাট্রিক্স রিলোডেড' ও 'দ্য ম্যাট্রিক্স রেভ্যুলেশনস'।আগের তিন পর্বের মতো এবারও পরিচালনায় থাকছেন লানা ওকাভস্কি। নিও ও ট্রিনিটি চরিত্রে থাকছেন কিয়ানু রিভস ও ক্যারি অ্যান মস। 'দ্য ম্যাট্রিক্স' সিনেমার কাহিনি যেখান থেকে শুরু হয়েছিল, 'দ্য ম্যাট্রিক্স রেজারেকশনস'-এর গল্প ফিরে যাবে ঠিক সেখানেই। অর্থাৎ 'দ্য ম্যাট্রিক্স রেজারেকশনস' সিনেমায় 'দ্য ম্যাট্রিক্স'-এর কাহিনীর পুনরুত্থান ঘটবে। সিরিজের সর্বশেষ সিনেমা 'দ্য ম্যাট্রিক্স রেভ্যুলেশনস'-এ নিও ও ট্রিনিটি মারা যায়। তাই এবারের সিনেমায় এই দুটি চরিত্রকে কীভাবে উপস্থাপন করা হবে- এ নিয়ে দর্শকদের জল্পনা কল্পনার শেষ ছিল না। তবে সিনেমার ট্রেলার দেখে অনেকেই বুঝতে পেরেছেন কীভাবে এই দুটি চরিত্রকে ফিরিয়ে আনা হবে।সিরিজের এবারের পর্বে নিও ও ট্রিনিটি নিজেদের অস্তিত্ব ভুলে গেছে। একে অন্যকে চিনতে পারছে না তারা। কীভাবে তারা ফিরেছে সেই রহস্যের ইঙ্গিত লুকিয়ে আছে ছবির নামে। ট্রেলার দেখে বোঝা যায়, নিও পুণরায় তার থমাস অ্যান্ডারসন সত্ত্বায় ফিরে যায় আর সে ম্যাট্রিক্স সম্পর্কে সবকিছু ভুলে যায়।এ ছাড়াও থমাস অ্যান্ডারসন তার স্বপ্নে অদ্ভুত সব জিনিস দেখা শুরু করে। এই স্বপ্ন নিয়ে তার মনে নানা রকমের প্রশ্ন জাগে। তাই সে এসব স্বপ্নের রহস্য উন্মোচন করার চেষ্টা শুরু করে। এই সিনেমায় কিছুটা ভিন্নভাবে তার সাথে মরফিয়াস-এর দেখা হবে। মরফিয়াস আবারও থমাস অ্যান্ডারসনের সামনে নীল ও লাল রঙের দুটি ক্যাপসুল নিয়ে হাজির হয়। থমাস যদি নীল রঙের ক্যাপসুলটি খায়, তাহলে সে ম্যাট্রিক্সের মধ্যে আটকা পড়ে থাকবে। বাস্তব পৃথিবী সম্পর্কে তার কখনও জানা হবে না।আর সে যদি লাল রঙের ক্যাপসুটি খায়, তাহলে বাস্তব পৃথিবী সম্পর্কে জানতে পারবে। তার জন্য জ্ঞানের দুয়ার খুলে যাবে। 'দ্য ম্যাট্রিক্স' সিনেমার মতো এখানেও থমাস অ্যান্ডারসন লাল ক্যাপসুলটি বেছে নিয়ে বাস্তব পৃথিবীর রহস্য উন্মোচনের কাজে নামবে। | বিনোদন,সিনেমা,হলিউড | 'দ্য ম্যাট্রিক্স রেজারেকশনস' সিনেমার পোস্টার। | entertainment |
https://www.bd-pratidin.com/sports/2021/07/11/669103 | গোল্ডেন বল-বুট দুটিই উঠল মেসির হাতে
| কোপা আমেরিকায় লিওনেল মেসি ফাইনালসহ মোট ৭টি ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে ৫টিতেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন। গোলও করেছেন সর্বোচ্চ চারটি। অ্যাসিস্ট করেছেন ৫টি। তার নিকটে থাকা লওতারো মার্টিনেজ ফাইনালে গোল পাননি। ফলে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বল এবং টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল যে মেসিই পেতে যাচ্ছেন, তা ছিল অনুমেয়। টুনার্মেন্ট শেষে সেটাই সত্য হলো। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা- দুটো সেরা পুরস্কারই উঠল মেসির হাতে। তাইতো ডি মারিয়ার চোখ ধাঁধানো গোলে আজ জয়ী মেসিদের আনন্দ-উল্লাসও দেখা গেল মাঠে। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ | null | টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা- দুটো সেরা পুরস্কারই উঠল মেসির হাতে | sports |
https://samakal.com/bangladesh/article/18111850/পছন্দের-বিভাগই-পেলেন-সেই-হৃদয়-সরকার | ঢাবিতে পছন্দের বিভাগই পেলেন সেই হৃদয় সরকার | অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের পছন্দের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে
ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেন 'সেরিব্রাল পালসি'তে আক্রান্ত আলোচিত হৃদয় সরকার।
বুধবার এই বিভাগে ভর্তির বিষয় নির্ধারিত হওয়ার পর তিনি এ তথ্য
জানিয়েছেন। হৃদয় জানান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হতে পেরে তিনি ভীষণ খুশি। কেননা তিনি এই বিভাগেই পড়তে
চেয়েছিলেন। এতে স্বপ্নের কাছাকাছি আরেকটু এগিয়ে গেলেন। তিনি ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এর সঙ্গে
দেশবাসীর কাছে দোয়াও চেয়েছেন এই শিক্ষার্থী। গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'খ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দিন মা
সীমা সরকারের কোলে করে পরীক্ষার হলে আসেন হৃদয় সরকার। ছবিটি সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সাড়া পড়ে। ভর্তি পরীক্ষায় হৃদয় সরকার
বাংলা অংশে ৯ দশমিক ৩০, ইংরেজি অংশে ১৪ দশমিক ৪০ ও সাধারণ জ্ঞান অংশে ২৭
দশমিক ৯০ নম্বরসহ মোট ১২০ দশমিক ৯৬ নম্বর পেয়ে ৩ হাজার ৭৪০তম হন।
প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তির আবেদন করেছিলেন হৃদয়। কিন্তু এসময় দেখা দেয়
বিপত্তি। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী কোটার ফরম সংগ্রহ করতে গেলে তাকে জানানো হয়,
তিনি ওই কোটার মধ্যে পড়েন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিতে প্রতিবন্ধী
কোটায় শুধু দৃষ্টি, শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী-এই তিন ধরণের প্রতিবন্ধীদের
ক্ষেত্রে কোটা প্রযোজ্য হবে। এখানে শারীরিক বা অন্য কোন ধরণের প্রতিবন্ধীরা
কোটায় ভর্তি হতে পারবেন না। এতে হৃদয় এবং তার মা ভেঙে পড়েন। এ সময় আবারও
আলোচনায় আসেন হৃদয় সরকার। এক পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে
প্রতিবন্ধী কোটার বিধিমালায় সংস্কার এনে শারীরিক প্রতিবন্ধীদেরও যুক্ত করে
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ তৈরি হয় হৃদয় সরকারের। এর আগেই সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত হৃদয় সরকারকে নিয়ে যুদ্ধের জন্য
বিশ্বের ১০০ অনুপ্রেরণাদায়ী মায়ের তালিকায় আসন করে নেন হৃদয়ের মা সীমা
সরকার। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি তাদের করা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্বের
১০০ অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীর তালিকায় ৮১তম অবস্থানে রয়েছেন তিনি। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে
মা-ছেলের অবিশ্বাস্য লড়াইয়ের গল্প। এ বিষয়ে সীমা সরকার বলেন, প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, তারপর পছন্দের
বিষয়ে সুযোগ পাওয়া আমার এতদিনের সব কষ্ট আজ দূর হয়ে গেল। তিনি তার
ছেলের জন্য সবার কাছে দোয়া চান এবং সবসময় পাশে থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত
করেন।
| ঢাবি,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,হৃদয় সরকার | ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া হৃদয় ও তার মায়ের সেই | national |
https://www.dailynayadiganta.com/africa/643869/আলজেরিয়াতে-ফ্রান্সের-পারমাণবিক-পরীক্ষার-বিষয়ে-মামলার-হুমকি | আলজেরিয়াতে ফ্রান্সের পারমাণবিক পরীক্ষার বিষয়ে মামলার হুমকি | আলজেরিয়াতে ফ্রান্সেরপারমাণবিক পরীক্ষার কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের অধিকার রক্ষা করতে একটি মানবাধিকার সংগঠন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা করার হুমকি দিয়েছে। সোমবার এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে মিডল ইস্ট মনিটর। আলজেরিয়ার গণমাধ্যম ইচোরোউক তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, আলজেরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে ফ্রান্সেরপারমাণবিক পরীক্ষার পর সৃষ্ট তেজস্ক্রিয় বিকিরণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়েছিল আইসিএএন আলজেরিয়া নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন। কিন্তু, বারবার ক্ষতিপূরণ চাওয়ার পরেও এ বিষয়ে ফ্রান্সের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পওয়া যায়নি। এরপর আলজেরিয়াতে ফ্রান্সের পরমাণু বিস্ফোরণ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা করার প্রস্তুতি নেয় ওই মানবাধিকার সংগঠন। আইসিএএন আলজেরিয়া নামের ওই মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, তারা আলজেরিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ নারী ও পুরুষদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করছে। ওই ব্যক্তিরা ১৯৬০ থেকে ১৯৬৬ সালের মধ্যে ফ্রান্সেরপারমাণবিক পরীক্ষার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। ফ্রান্সের ঘৃণ্য পরমাণু সন্ত্রাসের (অপরাধের) কারণে এখন এ সকল আলজেরিয়ান ভুগছেন। কিন্তু, আলজেরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে ফ্রান্স যে সকল অপরাধ করেছে তার কোনো কিছু স্বীকার করছে না দেশটি। তিনি বলেন, আমরা একটি ন্যায়সঙ্গত ও সঠিক দাবি নিয়ে লড়াই করছেন। কিন্তু, ফরাসি রাজনীতিবিদরা আমাদের হতাশ করেছেন। এদিকে আলজেরিয়ান রাষ্ট্রপতি আবদেলমাজিদ তেবোউন ও দেশটির কর্মকর্তারাও ফ্রান্সের পরমাণু অপরাধের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। কিন্তু, ফ্রান্স এ বিষয়ে কোনো দায় নিতে চাচ্ছে না। এমকি আলজেরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের কোন এলাকাগুলোতেপারমাণবিক পরীক্ষা করা হয়েছিল তার পূর্ণাঙ্গ ম্যাপও সরবরাহ করেনি ফ্রান্স। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর | আলজেরিয়া,ফ্রান্স,পরমাণু পরীক্ষা,আফ্রিকা | আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) | international |
https://samakal.com/bangladesh/article/201144402/শপথ-নিলেন-নতুন-এমপি-হাবিব-হাসান | শপথ নিলেন নতুন এমপি হাবিব হাসান | ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান শপথ নিয়েছেন। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে হাবিব হাসানকে শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শপথ গ্রহণ শেষে হাবিব হাসান রীতি অনুযায়ী শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন। সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং হুইপ ইকবালুর রহিম উপস্থিত ছিলেন। হাবিব হাসান গত ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে গত ৯ জুলাই এই আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়েছিল। | মোহাম্মদ হাবিব হাসান,সংসদ সদস্য,শপথ | মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে হাবিব হাসানকে শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীপিআইডি | national |
https://www.bd-pratidin.com/entertainment/2022/01/19/732460 | স্বামীর বিরুদ্ধে সুবাহর যৌতুক সংক্রান্ত মামলার প্রতিবেদন ৭ ফেব্রুয়ারি | বিয়ের একমাসের মধ্যেই পাল্টাপাল্টি মামলা করেছেন সুবাহ শাহ হুমায়রা ও গায়ক ইলিয়াস হোসেন। এর মধ্যে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত। আজ বুধবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপপরিদর্শক গোলসানারা বানু প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এ জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা প্রতিবেদন দাখিলের এ দিন ঠিক করেন। ২০২১ সালে ১ ডিসেম্বর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সুবাহ ও ইলিয়াস। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বিয়ের সময় ইলিয়াসকে ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার পণ্য দেওয়া হয়। ইলিয়াস ফ্ল্যাট কেনা বাবদ ৫০ লাখ এবং গাড়ির জন্য আরও ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। ইউটিউব চ্যানেল কেনার জন্য আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তাকে আড়াইলাখ টাকা দেওয়া হয়। পরে ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার জন্য ৮০ লাখ টাকার জন্য চাপ দেন ইলিয়াস। এরই জেরে সুবাহকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন ইলিয়াস। সুবাহকে রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার এবং ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যান ইলিয়াস। বিডি প্রতিনিধি/ফারজানা | null | সুবাহ-ইলিয়াস | entertainment |
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2022/02/04/737595 | ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই | বরিশালে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস-২০২২ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশের আয়োজনে শুক্রবার সকাল ১০টায় বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়ক রিয়াজ পাটওয়ারী। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক ও প্যাথলজী কনসালট্যান্ট ডা. এস এম ইকবালুর রহমান সেলিম। বিডি প্রতিদিন/এমআই | ক্যান্সার, প্রতিরোধ, সচেতনতা, বিকল্প | আলোচনা সভা। | national |
https://www.prothomalo.com/entertainment/bollywood/বলিউডে-আবারও-করোনার-হানা-এবার-আক্রান্ত-কৃতি-শ্যানন | বলিউডে আবারও করোনার হানা, এবার আক্রান্ত কৃতি শ্যানন | লকডাউনের 'স্থবিরতা' কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে বলিউড ফিরতে না ফিরতেই করোনায় কাতর একের পর এক তারকা। বরুণ ধাওয়ান, নীতু কাপুরের পর এবার এল বলিউড অভিনেত্রী কৃতি শ্যাননের করোনায় আক্রান্তের খবর।মাত্র কিছুদিন হলো বলিউড তার নিজস্ব গতিতে ফিরতে চলেছিল। কিন্তু বাধা সেই করোনা। এবার বলিউড নায়িকা কৃতি শ্যানন কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত বলে জোর খবর। জানা গেছে, কৃতি চণ্ডীগড়ে তাঁর আগামী ছবির শুটিং করছিলেন। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে আছেন রাজকুমার রাও। কৃতির সঙ্গে রাজকুমারও শুটিং করছিলেন। এক দিন আগেই এই ছবির চণ্ডীগড় শিডিউল সম্পূর্ণ হয়েছে। গতকাল অর্থাৎ সোমবার কৃতির করোনায় আক্রান্তের খবর এসেছে। তবে এই বলিউড তারকার শারীরিক অবস্থা এখন কেমন বা তাঁর শরীরে করোনার কোন কোন লক্ষণ আছে, তা জানা যায়নি। চণ্ডীগড়ে 'যুগ যুগ জিও' ছবির শুটিং চলাকালে বরুণ ধাওয়ান, নীতু কাপুর, পরিচালক রাজ মেহেতা কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন। এখনকার খবর অনুযায়ী, এই ছবির আর অভিনেতা টেলি তারকা মনীশ পালও করোনা পজিটিভ। গতকাল এক বিবৃতিতে বরুণ বলেছেন, 'এই মহামারির মধ্যে আমি কাজে ফিরেছিলাম। আমি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছি। প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে সব রকম প্রয়োজনীয় সাবধানতা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জীবনে কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়। বিশেষ করে কোভিড-১৯। তাই সবাই আরও বেশি সচেতন থাকুন। আরও বেশি সাবধানতা নিন। আমার হয়তো আরও বেশি করে সাবধানী হওয়ার প্রয়োজন ছিল। আমার সুস্বাস্থ্যের কামনাভরা অসংখ্য বার্তা পাচ্ছি। এ কারণে আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।' কৃতিকে 'মিমি' ছবিতে দেখা যাবে। 'মিমি' ছবিতে তাঁর সঙ্গে আছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী আর সাই তমহনকার। এ ছাড়া কৃতির ঝুলিতে 'বচ্চন পান্ডে' আর 'আদিপুরুষ'-এর মতো বিগ বাজেটের ছবি আছে। 'বচ্চন পান্ডে' ছবিতে তাঁর নায়ক অক্ষয় কুমার। আর 'আদিপুরুষ' ছবিতে তাঁকে পৌরাণিক চরিত্র সীতার ভূমিকায় দেখা যাবে। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে আছেন দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাস। বলিউডে এর আগে অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক, ঐশ্বরিয়া, অর্জুন কাপুর ও তাঁর প্রেমিকা মালাইকা অরোরা, কণিকা কাপুর, কিরণ কুমার, সানি দেওল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত রোববার রাতে ৩৫ বছর বয়সে করোনায় মারা গেছেন জনপ্রিয় টিভি তারকা দিব্যা ভাটনাগর। অন্যদিকে, বলিউডের বিশাল বাজারেও থাবা বসিয়েছে করোনা। করোনার সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল ভারতের প্রেক্ষাগৃহ। মুক্তি পায়নি কোনো ছবি। ব্যয়বহুল শুটিং সেটগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। | করোনা বিনোদন,কৃতি শ্যানন,শুটিং | কৃতি শ্যানন কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত | entertainment |
https://samakal.com/sports/article/1910824/আটকে-গেল-ব্রাজিল | সেনেগালে আটকে গেল ব্রাজিল | অর্ধ কোটির মতো জনগণের দেশ সিঙ্গাপুর। প্রায় অর্ধেক তার প্রবাসী। ব্রাজিলের খেলা হওয়া স্বত্ত্বেও তাই কানায় কানায় পূর্ণ হয়নি স্টেডিয়াম। শহর খ্যাত দেশ সিঙ্গাপুরে ৫৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষম স্টেডিয়াম। তা পরিপূর্ণ হওয়া অবশ্য সহজ কথা নয়। সেনেগাল স্বাগতিক হলেও কথা ভিন্ন ছিল। তার ওপরে প্রতিবেশি চীন, কোরিয়া রিপাবলিক, জাপান, অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের খেলা ছিল। তবে মাঠে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা নিশ্চয় ম্যাচটা উপভোগ করেছেন। নেইমারদের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করে তাদের ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে সেনেগাল। ম্যাচের নয় মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। গ্যাব্রিয়েল জেসুস দারুণ এক ড্রিবলিং করে লিভারপুল তারকা রর্বাতো ফিরমিনোকে বল বাড়ান। তিনি সামান্য চিপ করে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন বল। এগিয়ে যায় ব্রাজিল। বলের দখলে আক্রমণে ব্রাজিল প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল। কিন্তু প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল করে সমতায় ফেরে সেনেগাল। নিজেদের অর্ধে ব্রাজিলের পিএসজি ডিফেন্ডার মারকুইনস 'অহেতুক' সেনেগাল তারকা সাদিও মানেকে ফাউল করেন। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে দেরি করেননি রেফারি। গোলও করতে ভুল করেননি ফামারা দায়েউস। পরের অর্ধে চেষ্টা চালিয়েও গোল করতে পারেনি কোন দল। শুধু ব্রাজিল নয় সমান তালে সেলেকাওদের রক্ষণভাগকে পরীক্ষা নিয়ে গেছে সেনেগাল। ম্যাচের বল দখল, গোলে আক্রমণই তার প্রমাণ দেয়। ম্যাচে ব্রাজিল পায়ে বল রাখে ৫৩ ভাগ। সেনেগাল ৪৭ ভাগ বল পায়ে রেখে প্রমাণ দেয় তারাও পিছিয়ে ছিল না। ওদিকে ব্রাজিলের ৪৯৯ সফল পাসের বিপরীতে সেনেগাল ৪৩৬টি সফল পাস দিয়েছে মাঠে। গোছালো আক্রমণ করেছে। গোলের লক্ষ্যে ব্রাজিলের সমান চারটি শট নিয়েছে সাদিও মানেরা। গোলের বাইরে শট ব্রাজিলের ছয়টি। সেনেগালেরও ছয়টি। সব মিলিয়ে সমানে সমানে ছিল দু'দল। ব্রাজিল তারকা নেইমার এ ম্যাচে ব্রাজিলের জার্সিতে শততম ম্যাচ খেলতে নামেন। কিন্তু তিনি ম্যাচটি রাঙাতে পারেননি। নেইমার ঝলকও মাঠে খুব একটা দেখা যায়নি। পিএসজির হয়ে শেষ সময়ে গোল করে নেইমার দলকে জেতাচ্ছেন। ব্রাজিল কোচ তিতে হয়তো সেজন্য নেইমারের ওপর শেষ পর্যন্ত ভরসা করেছেন। কিন্তু তিনি একটি গোল করে দলকে জেতাতে পারেননি। ক্যারিয়ারে ৬২তম গোলটি করে রোনালদো নাজারিওর পাশেও বসতে পারেননি। এর আগের প্রীতি ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে হারে ব্রাজিল। এ নিয়ে তাই টানা দুই ম্যাচ জয়হীন সেলেকাওরা। | খেলা,ফুটবল,ব্রাজিল,সেনেগাল,সিঙ্গপুর স্টেডিয়াম | : এএস | sports |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/09/19/%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%9a%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a7%9f-%e0%a6%ac%e0%a6%9b/ | সেনা বাহিনীর পরিচয়ে নয় বছরে করেছেন ৯ বিয়ে! | পেশায় সিকিউরিটি সুপারভাইজার। তবে কখনো পুলিশ কর্মকর্তা, কখনও সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয়ে ৯ বছরে ৯টি বিয়ে করেছেন। এর বাইরে প্রেমিকা রয়েছে আরো চার জন। তাদেরও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শুধু বিয়ে নয়, চাকরি দেয়ার নাম করেও শ্বশুরবাড়ির স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। অবশেষে চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন প্রতারক সোলায়মান। প্রতারক সোলায়মানকে নিয়ে আগেই বেশ কিছু তথ্য পেয়েছিলো গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পাওয়ায় তাকে আটক করা যাচ্ছিলো না। শেষ পর্যন্ত ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর মামলার প্রেক্ষিতে প্রতারক সুলায়মান পাহাড়তলী এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলো। অতিরিক্ত উপ কমিশনার আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, বিভিন্ন অফিস বা আর্মির বিভিন্ন সদস্যদের পোশাক পরা ছবিতে নিজের মুখ লাগিয়ে সেভাবে উপস্থাপন করেছে। উপ পরিদর্শক মনির হোসেন বলেন, সবাই জানত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা। এই বিশ্বাস থেকেই সবাই তাকে টাকা দিয়েছে। আর সে এভাবেই সবার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিয়ে পাগল প্রতারক সোলায়মানের বাড়ি বরগুনা। জানা গেছে সেখানেও তার বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ের অভিযোগ রয়েছে। | null | প্রতারক সোলায়মান | national |
https://www.bd-pratidin.com/entertainment/2020/02/25/505364 | সালমানের সঙ্গে ভাই-বোনের সম্পর্ক ছিল: শাবনূর | এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ (চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন) সুইসাইড করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তাদের দীর্ঘ তদন্তে হত্যার অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। পিবিআই তাদের প্রতিবেদনে চিত্রনায়িকা শাবনূরসহ সুইসাইডের পাঁচ কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পিবিআইর এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন সালমানের মা মোসাম্মৎ নিলুফার জামান চৌধুরী ওরফে নীলা চৌধুরী। এদিকে শাবনূর বলেছেন, সালমানের সঙ্গে তার ভাই-বোনের সম্পর্ক ছিল। পিবিআই তদন্ত তুলে ধরার পরপরই অস্ট্রেলিয়ায় থাকা শাবনূর সাংবাদিকদের বলেন, একজন মৃত মানুষকে নিয়ে এত বছর পর এত বিশ্রী কথা বলার মনমানসিকতা কীভাবে সবার হয়, তা আমি বুঝি না। সালমান শুধুই আমার নায়ক ছিল, সহশিল্পী ছিল, বন্ধু ছিল, এর বাইরে আর কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমি আগেও বলেছি, তাকে আমি ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা করতাম। তার সঙ্গে আমার ভাই-বোনের সম্পর্ক ছিল। অন্য রকম পরিচ্ছন্ন সম্পর্ক ছিল। এটা নিয়ে এখন কেউ কিছু বললে তা তো আমি মানবই না। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে পারিবারিক কলহ আর স্ত্রী সামিরার কারণে মা নীলা চৌধুরীকে ছেড়ে দূরে থাকার মানসিক যন্ত্রণায় ভুগেই অভিমানী সালমান শাহ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে আমাদের মনে হয়েছে। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের বাসা থেকে সালমান শাহর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটিকে আত্মহত্যা ধরে ওই সময় রমনা থানায় অপমৃত্যু মামলা হলে তাতে আপত্তি জানায় তার পরিবার। ১৯৯৭ সালে সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে 'আত্মহত্যা' এবং ২০১৪ সালে বিচার বিভাগীয় তদন্তে 'অপমৃত্যু' বলা হয়। সালমানের মা নীলা চৌধুরী সেসব প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করলে তদন্তভার আসে পিবিআইর হাতে। তৃতীয় দফার দীর্ঘ তদন্তেও সালমানকে হত্যার অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। সালমান একাধিকবার আত্মঘাতী হওয়ার বা আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন, যা পিবিআইর তদন্তে উঠে এসেছে। বিডি প্রতিদিন/ফারজানা | null | সালমান-শাবনূর | entertainment |
https://www.bd-pratidin.com/country/2022/01/28/735307 | বগুড়ায় দাদন ব্যবসায়ীর প্ররোচণায় দিনমজুর বাবার মৃত্যুর অভিযোগ | বগুড়ার শেরপুরে দাদন ব্যবসায়ীর হাতে লাঞ্ছনা ও অপমান সইতে না পেরে দিনমজুর বাবার মৃত্যুর ঘটনার বিচার দাবি করেছেন নিহতের পরিবার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডস্থ শেরপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহতের ছেলে রানা মিয়া এই দাবি জানান। এছাড়া আমাদের বাড়ি থেকে একটি ছাগলও জোরপূর্বক নিয়ে যান তারা। আর এই অপমান সইতে না পেরে গত ২০ জানুয়ারি বিকালে সবার অজান্তে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবা আব্দুল আজিজ। বিষয়টি জানার পর দ্রুত তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই ঘটনার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আর এই মৃত্যুর ঘটনার জন্য দাদন ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক মন্ডল ও তার ভাড়াটে লোকজন দায়ী। সংবাদ সম্মেলনে দিনমজুর বাবার মৃত্যুর প্ররোচনার ঘটনায় জড়িত দাদন ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন নিহতের ছেলে রানা মিয়া। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুল খালেক মন্ডল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমার নিকট থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন আব্দুল আজিজ। তিনি টাকাগুলো ফেরৎ চাইলেও তাকে কোনও প্রকার চাপ প্রয়োগ করা হয়নি। বিডি প্রতিদিন/কালাম | মৃত্যুর অভিযোগ, দাদন ব্যবসা, বগুড়া | বগুড়ায় দাদন ব্যবসায়ীর প্ররোচণায় দিনমজুর বাবার মৃত্যুর অভিযোগ | national |
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/তাহিরপুরের-এরালিয়াকোনা-হাওরে-বাঁধ-ভেঙে-ডুবছে-ফসল | তাহিরপুরের এরালিয়াকোনা হাওরে বাঁধ ভেঙে ডুবছে ফসল | সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার এরালিয়াকোনা হাওরে একটি বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে ফসল। একই সঙ্গে পাশের সন্ন্যাসী ও মিইট্টাডুবা হাওরের ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনটি হাওরই তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের ভেতরে। এগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধ নির্মাণের আওতায় নয়। স্থানীয় লোকজন তাঁদের নিজস্ব উদ্যোগে ছোট ছোট বাঁধ নির্মাণ করেন। জেলা কৃষি কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র সোম বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। এখানে কিছু ফসলের ক্ষতি হতে পারে। তবে এটি ধানি হাওর নয়। এরালিয়াকোনা হাওর পারের মন্দিয়াতা গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক সানজু মিয়া বলেন, হাওরে ব্যাপকভাবে পানি বাড়ছে। আজ শুক্রবার সকালে প্রথমে বাঁধের পাশের কান্দা উপচে হাওরে পানি ঢোকে, পরে বাঁধটি ভেঙে যায়। এখানে বেশ কিছু জমিতে এবার বোরো ফসল আবাদ করা হয়েছে। আজকের মধ্যেই পানিতে পুরো হাওরের ফসল তলিয়ে যাবে। এই হাওরের পাশেই সন্ন্যাসী ও মিইট্টাডুবা হাওর। মাঝখানে ছোট কান্দা এরালিয়াকোনা হাওরকে আলাদা করেছে। তাই ওই দুটি হাওরও ডুবে যাবে। তিন হাওরে তিন হাজার একর জমি আছে। পাউবো ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহ ধরে ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জি থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের হাওরগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে জেলার সব হাওরের বোরো ফসল। গত শনিবার প্রথমে তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের একটি বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে যায়। এরপর একে একে আরও হাওরের ফসলহানি ঘটে। এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১১টি হাওরের বাঁধ ভেঙে ফসলহানি হয়েছে। পাহাড়ি ঢল নামা অব্যাহত থাকায় এখন জেলার সব হাওরের ফসলই ঝুঁকির মুখে। অনেক বাঁধে ধস ও ফাটল দেখা দিয়েছে। পাউবোর কর্মকর্তারা বলছেন, উজানের বৃষ্টিই ভয়ের মূল কারণ। সুনামগঞ্জে তেমন বৃষ্টি নেই। ঢল নামা অব্যাহত আছে। তবে আগের চেয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার জেলায় ২ লাখ ২২ হাজার ৮০৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ৫০ হাজার ২২০ মেট্রিক টন। গতকাল পর্যন্ত জেলায় বিভিন্ন হাওরে ফসলহানি হয়েছে ৪ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমির। হাওর আন্দোলনের নেতারা বলছেন, ক্ষতির পরিমাণ ৮ থেকে ১০ হাজার হেক্টর হবে। | সিলেট বিভাগ,হাওর,সুনামগঞ্জ,তাহিরপুর | বাঁধ ভেঙে তাহিরপুর উপজেলার এরালিয়াকোনা হাওরে ঢুকছে পাহাড়ি ঢলের পানি। শুক্রবার দুপুরে | national |
https://www.prothomalo.com/entertainment/bollywood/ছন্দে-ফেরা | 'আমার জীবনে অনুশোচনার কোনো জায়গা নেই' | ছন্দে ফিরেছেন বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া। মাঝখানে নিজের লক্ষ্য থেকে ছিটকে পড়েছিলেন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সে কথাই উঠে এল পরির মুখে।'লেডিস ভার্সেস রিকি বহেল', 'ইশকজাদে', 'হাসি তো ফাসি', 'শুদ্ধ দেশি রোমান্স'-এর মতো ছবি তাঁর ঝুলিতে আছে। এরপর একের পর এক ফ্লপ ছবি বেরোয় তাঁর কাছ থেকে। সে সময় হুট করেই যেন ক্যারিয়ারের 'লাইন-লেন্থ' বদলে যায়। তিনি বলেন, 'ক্যারিয়ারের শুরুতে বেশ কিছু ভুল করে ফেলি। সে সময় অনেকের ভুল পরামর্শ আমাকে প্রভাবিত করেছিল। তবে আমি খুশি। কারণ, সেসব ভুল করেছিলাম বলেই আবার মূল স্রোতে ফিরে এসেছি।' পরিণীতি আরও বলেন, 'ক্যারিয়ারের প্রথম চার বছর আমার দুর্দান্ত কাটে। কিন্তু পরের চার বছর ছিল খুবই বাজে। আমি ভেঙে পড়িনি। আমি মনে মনে বলেছিলাম, আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। আমি মানসিকভাবে বরাবরই শক্ত। আমি বুঝতে পারি যে আমি ভুল করছি। সে সময় অনেকেই আমাকে বলেছিলেন, পর্দায় আমাকে আরও আবেদনময়ী হয়ে উঠতে হবে। নায়কদের সঙ্গে কীভাবে রোমান্স করতে হয়, তা শিখতে হবে। কীভাবে নায়িকা হয়ে উঠতে হয়, তা শিখতে বলা হয়। তখন এ ধরনের সব পরামর্শ আমি পেয়েছিলাম। আর এই কথা শোনাই আমার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।' পরিণীতি চোপড়া সে সময় আত্মতুষ্টিতে ভুগছিলেন। তাই নিজের লক্ষ্য থেকে একটু সরে আসেন, যা তাঁর ক্যারিয়ারে কঠিন দিন ডেকে আনে। তিনি বলেন, 'মাঝের চার বছর আমি সত্যিই বাজে কাজ করেছিলাম। আমার পাঁচটা ছবি পরপর ফ্লপ করে। আসলে এটা ছিল আমার পাঁচটি ভুল সিদ্ধান্ত। তখন অনেকেই বলেছিল, আমি পাগল হয়ে গেছি। সাধারণ মানুষ থেকে সমালোচক সবাই আমাকে প্রচুর গালমন্দ করেছে। তবে আমি আবার ফিরে এসেছি।' এর জন্য পরিণীতির কি অনুশোচনা হয়? তাঁর সাফ জবাব, 'আমার জীবনে অনুশোচনার কোনো জায়গা নেই। কারও জীবনেই তা নেই। কারণ জীবন খুবই ছোট।' সুরজ বরজাতিয়ার উঁচাই ছবিতে পরিণীতিকে দেখা যাবে। এই ছবিতে অমিতাভ বচ্চন, নীনা গুপ্তা, বোমান ইরানি, অনুপম খের আছেন। সন্দীপ ভাঙ্গা পরিচালিত 'অ্যানিমেল' ছবিতে রণবীর কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করছেন পরিণীতি। এই দুটি ছবি নিয়ে তিনি বলেন, 'যখন সুরজ বরজাতিয়া পরিচালনা করছেন আর অমিতাভ বচ্চন, নীনা গুপ্তা, বোমান ইরানি, অনুমপ খেরের মতো তারকাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে অভিনয় করছি, তখন এটি অনেক বড় ব্যাপার। এদিকে রণবীর কাপুরের সঙ্গে কাজ করার স্বপ্ন ছিল আমার। বাধ্য ছাত্রীর মতো তাঁর কাছ থেকে শিখতে চাই। মানুষ হিসেবে রণবীর অত্যন্ত অমায়িক। তার ওপর এই ছবিতে অনিল কাপুর আছেন। তাই অনেক কিছু শেখার সুযোগ পাব।' | সিনেমা,পরিণীতি চোপড়া,তারকা | ছন্দে ফিরেছেন বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া | entertainment |
https://www.ajkerpatrika.com/186964/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%B2-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8 | বিভিন্ন পদে জনবল নেবে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি | বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)। শূন্য পদ পূরণের জন্য বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা শুধু অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। সরাসরি কোনো লিখিত আবেদন গ্রহণ করা হবে না।পদের নাম: সহকারী গ্রন্থাগারিক।পদের সংখ্যা: ১টি।বেতন: ১৬০০০-৩৮৬৪০ টাকা।পদের নাম: জুনিয়র আর্টিস্ট।পদের সংখ্যা: ১টি।বেতন: ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা।পদের নাম: সহকারী শিক্ষক।পদের সংখ্যা: ৩টি।বেতন: ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা।পদের নাম: মেকানিক।পদের সংখ্যা: ১টি।বেতন: ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা।পদের নাম: বিদ্যুৎ কারিগর।পদের সংখ্যা: ২টি।বেতন: ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা।পদের নাম: ক্যাটালগার।পদের সংখ্যা: ১টি।বেতন: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা।পদের নাম: তথ্য সংগ্রহকারী।পদের সংখ্যা: ১টি।বেতন: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা।পদের নাম: নিম্নমান সহকারী-কাম কম্পিউটার অপারেটর বা ডেটা এন্ট্রি অপারেটর।পদের সংখ্যা: ১টি।বেতন: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা।পদের নাম: বিক্রেতা।পদের সংখ্যা: ১টি।বেতন: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা।পদের নাম: মিটার রিডার।পদের সংখ্যা: ১টি।বেতন: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা।পদের নাম: ড্রাইভার।পদের সংখ্যা: ১টি।বেতন: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা।পদের নাম: পাম্প ড্রাইভার।পদের সংখ্যা: ১টি।বেতন: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা।পদের নাম: সহকারী পরিদর্শিকা।পদের সংখ্যা: ১টি।বেতন: ৯০০০-২১৮০০ টাকা।পদের নাম: স্কিলড মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কার।পদের সংখ্যা: ২টি।বেতন: ৮৮০০-২১৩১০ টাকা।পদের নাম: নিটিং মাস্টার।পদের সংখ্যা: ১টি।বেতন: ৮৫০০-২০৫৭০ টাকা।পদের নাম: ড্রাইভার (ট্রাই হুলার)।পদের সংখ্যা: ১টি।বেতন: ৮৫০০-২০৫৭০ টাকা।পদের নাম: বাইন্ডার।পদের সংখ্যা: ১টি।বেতন: ৮৫০০-২০৫৭০ টাকা।পদের নাম: প্লাম্বিং সহকারী।পদের সংখ্যা: ১টি।বেতন: ৮২৫০-২০০১০ টাকা।পদের নাম: সহকারী কাঠমিস্ত্রি।পদের সংখ্যা: ১টি।বেতন: ৮২৫০-২০০১০ টাকা।পদের নাম: অফিস সহায়ক।পদের সংখ্যা: ২টি।বেতন: ৮২৫০-২০০১০ টাকা।পদের নাম: বাগান মালি।পদের সংখ্যা: ২টি।বেতন: ৮২৫০-২০০১০ টাকা।পদের নাম: পরিচ্ছন্নতাকর্মী।পদের সংখ্যা: ৪টি।বেতন: ৮২৫০-২০০১০ টাকা।পদের নাম: নিরাপত্তা প্রহরী।পদের সংখ্যা: ৯টি।বেতন: ৮২৫০-২০০১০ টাকা।আবেদনের শর্তাবলি: ১২ মে, ২০২২ সালে প্রার্থীর ন্যূনতম বয়স ১৮ এবং সর্বোচ্চ ৩০ বছর। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই সীমা ৩২ বছর। বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের ক্ষেত্রে নির্ধারিত বয়সসীমা ৩০ বছর। বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়। তবে বিভাগীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী শিথিলযোগ্য।আবেদন সংক্রান্ত তথ্য: চাকরির জন্য আবেদন ১২ মে সকাল ১০টা থেকে ১১ জুন বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। সরাসরি বা ডাকযোগে কোনো দরখাস্ত গ্রহণ করা হবে না। সরাসরি পাঠানো সব দরখাস্ত বাতিল বলে গণ্য হবে। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ২০০ টাকা এবং অনলাইন ফি বা সার্ভিস চার্জ বাবদ ২৪ টাকা মোট ২২৪ টাকা (অফেরতযোগ্য) জমা দিতে হবে। অনলাইন আবেদনপত্রের সব কার্যক্রম শেষ করে সাবমিট করা হলেও পরীক্ষার ফি জমা না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইনে আবেদনপত্র কোনো অবস্থাতেই গৃহীত হবে না।যেভাবে আবেদন করবেন: আবেদনসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়, অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের এই লিংকে পাওয়া যাবে।সূত্র: প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট | চাকরি,চাকরির খবর,নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি,সরকারি চাকরি,চাকরির প্রস্তুতি | বিভিন্ন পদে জনবল নেবে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি | education-career |
https://www.bd-pratidin.com/campus-online/2019/11/08/473042 | উপাচার্য পতন আন্দোলন; রঙ তুলিতে জাবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ | জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। আজ শুক্রবারও প্রতিবাদ কর্মসূচিও অব্যাহত রেখেছেন তারা। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে নানাভাবে কর্মসূচি পালন করছেন তারা। শিক্ষার্থীরা রঙ তুলিতেও ফুটিয়ে তুলেছেন আন্দোলনের ভাষা। এঁকেছেন প্রতিবাদী নানা চিত্র। এসব ছবিতে উপাচার্যের অনিয়ম ফুটিয়ে তুলছেন তারা। জাবির ক্যাম্পাস ছুটি ঘোষণা এবং আবাসিক হলাগুলোতে তালা লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের চলে যেতে বাধ্য করার পরেও অনেক শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন ক্যাম্পাসের আশেপাশে বন্ধুবান্ধব কিংবা আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে। ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হলেও তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরেই উপাচার্য ফারহানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের একটি অংশও যোগ দিয়েছেন তাদের সাথে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত ও বিচার চেয়ে তারা আন্দোলন করছেন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। এরপরই ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিডি প্রতিদিন/হিএে | null | সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল | education-career |
https://www.dailynayadiganta.com/middle-east/582040/৩-ফ্রন্টে-হামলা-চালাচ্ছে-ইসরাইল | ৩ ফ্রন্টে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল | ইসরাইলি বাহিনী এখন তিন ফ্রন্টে হামলা চালাচ্ছে। আর গাজার পাশাপাশি এখন ফিলিস্তিন অধ্যুষিত পশ্চিম তীরেও হতাহত হচ্ছে। গাজার মৃত্যুর সংখ্যা ১৩০ ছাড়িয়ে গেছে। পশ্চিম তীরে মারা গেছে ১১ জন। লেবাননে এক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। ইসরাইলে মারা গেছে অন্তত সাতজন। যুদ্ধ বন্ধের কোনো ইঙ্গিত এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। আর ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা এখন অধিকৃত পশ্চিম তীরের বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি সৈন্যদের সাথে লড়াই করছে। এতে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে। ইসরাইলি বিমানগুলো শনিবার ভোরেও গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে। আর হামাস এখনো রকেট নিক্ষেপ করে যাচ্ছে। গাজায় অন্তত ১৩২ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩২ শিশু ও ২১ নারী রয়েছে। আহত হয়েছে ৯৫০ জন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু লড়াই অব্যাহত রাখার ঘোঘণা দিয়েছেন।সূত্র : ডেইলি মেইল | null | ৩ ফ্রন্টে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল | international |
https://samakal.com/capital/article/18071851/আবেদন-করতে-এসে-ধরা-পড়ল-রোহিঙ্গা-যুবক | পাসপোর্টের আবেদন করতে এসে ধরা পড়লেন রোহিঙ্গা যুবক | টেকনাফের ক্যাম্প থেকে ঢাকায় পাসপোর্টে আবেদন করতে এসে আটক হয়েছেন মো. সিরাজ নামে এক রোহিঙ্গা যুবক। সোমবার আগারগাঁওয়ে বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস থেকে ওই যুবককে আটক করেন কর্মকর্তারা। পরে তাকে র্যাবের হাতে তুলে দেওয়া হয়।ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন সমকালকে বলেন, রোহিঙ্গা যুবক সিরাজের আবেদনপত্র দেখে সন্দেহ হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসার কথা স্বীকার করেন। টেকনাফের ক্যাম্প থেকে দালালের মাধ্যমে ওই যুবক পাসপোর্ট পাওয়ার আবেদন করেছিল। ওই দালালকেও চিহ্নিত করা হয়েছে।২০ বছর বয়সী সিরাজের আবেদনপত্রে দেখা যায়, তার স্থানীয় ঠিকানা দেওয়া হয়েছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ফাসরা গ্রামে। বর্তমান ঠিকানা দেওয়া হয়েছে মিরপুরের ১২০ নম্বর মনিপুর। তার বাবার নাম লোকমান হাকিম ও মায়ের নাম নূর বেগম। এসব তথ্য দিয়ে গত ২৪ জুলাই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মিরপুর জোনাল অফিস-৪ থেকে জন্ম সনদও পেয়েছেন ওই রোহিঙ্গা যুবক। জন্মসনদে ওই অফিসের সহকারী জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধক এসকে মোফাজ্জাল হোসেন ও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ফিরোজ আলমের সীল ও স্বাক্ষর রয়েছে।এই জন্ম সনদের বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, জন্মসনদটি বৈধ নাকি অবৈধ তা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করবে। | রোহিঙ্গা | মো. সিরাজ | national |
https://www.ajkerpatrika.com/183442/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B2%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE | সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার লড়াই বনাম ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা | পবিত্র ঈদুল ফিতর সমাগত। দেশের মানুষ যখন ঈদের আনন্দে মেতে ওঠার অপেক্ষায়, তখন অন্য একটি বিষয়ে পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে হচ্ছে বলে প্রথমে দুঃখ প্রকাশ করছি। এক মাসের সিয়াম সাধনার পর আমরা খুশির ঈদে শামিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চারপাশে কী ঘটছে না ঘটছে সে ব্যাপারেও চোখ-কান খোলা রাখব।একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা। লাখো শহীদের তাজা রক্ত ও মা-বোনের সম্ভ্রমহানি এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। দীর্ঘদিনের সংগ্রাম ও একাত্তরের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জিত হলেও বাঙালি জাতির মুক্তি কি অর্জিত হয়েছে? বঙ্গবন্ধু একাত্তরের সাতই মার্চ 'রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশা আল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।' বলে যে ঐতিহাসিক ভাষণ শেষ করেছিলেন সেই 'মুক্তির সংগ্রাম' কি আজও শেষ হয়েছে? সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে যে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল সেই লক্ষ্য কি আজও পূরণ হয়েছে? স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর যখন পেছনে ফিরে তাকাই, তখন দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, দরিদ্রতা ও সামাজিক নিপীড়ন থেকে বাঙালির যে মুক্তির কথা ছিল তা আজও অর্জিত হয়নি! 'এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশা আল্লাহ' অথবা 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম' বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ঘোষণার প্রতিফলন সমাজে আজও খুব কমই দেখা যায়; বরং মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে একশ্রেণির মানুষ ব্যক্তিগত ফায়দা আদায় করে নেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত।মাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল শোষণের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হওয়ার যুদ্ধ। শোষণমুক্ত সমাজ গড়াই ছিল বাঙালি জাতির আজন্ম লালিত স্বপ্ন। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার চেতনা লালন করে স্বাধীন ও সার্বভৌম যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেই রাষ্ট্র কি আমরা পেয়েছি। বাঙালির সেই চেতনার পেছনে আরও একটি লক্ষ্য কাজ করেছিল, তা হলো-গণতান্ত্রিক ও অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। সেই গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র কি পেয়েছি? একটি কথা মনে রাখতে হবে, যুদ্ধ হয় শত্রুর বিরুদ্ধে, অত্যাচারীর বিরুদ্ধে। বঞ্চনা, নিপীড়ন, অত্যাচার ও নিষ্পেষণ থেকে মুক্তির জন্যই মুক্তিপাগল জাতি সেদিন জাতি-ধর্মনির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। সেদিন হাতে অস্ত্র নিয়ে যাঁরা শত্রুর মোকাবিলা করেছিলেন, সেই অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধারা এখন যখন দেশে ও সমাজের চারদিকে অবক্ষয় দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন, তখন দুঃখবোধ হয় বৈকি। কিছু কিছু ব্যক্তি বাহুবলে মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেই যখন অমর্যাদা করে, তখন সাধারণ নাগরিকেরা বেশ অসহায় বোধ করে।দুঃখ লাগে যখন দেখি মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ভূলুণ্ঠিত হয়। দুঃখ লাগে যখন রাজাকারের নামের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকাভুক্ত হয়। কষ্ট লাগে মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার পরও নামমাত্র শাস্তি ভোগ করে তারা পার পেয়ে যায়। স্বাধীনতার পর থেকেই রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা আমাদের অনেক দূর পিছিয়ে দিয়েছে। সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে, অর্থনৈতিক মুক্তি, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের প্রত্যাশায় কেন সে জাতি আজও সংগ্রাম করবে? স্বাধীনতার পর থেকে রাজনৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের যে অবক্ষয় ঘটেছে, তা ধীরে ধীরে সামাজিক অস্থিরতাকে উসকে দিয়েছে। ফলে সমাজে নীতি-নৈতিকতাবিবর্জিত মানসিকতাসম্পন্ন এক বিশেষ শ্রেণির মানুষের উত্থান ঘটেছে। এসব মানুষের লোভ-লালসা ও স্বভাব-চরিত্র এতই মর্যাদাহানিকর যে উচ্চারণ করতেও লজ্জা লাগে। আগেই উল্লেখ করেছি, কিছু ধুরন্ধর মানুষ মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করে ব্যক্তিগত ফায়দা লোটার চেষ্টায় ব্যতিব্যস্ত! তাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করায় ওই ধুরন্ধরদের লোভের মাত্রা বেড়েছে। দুঃখজনক হলো এটাই যে সরকারের মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সচিব, পুলিশ সদস্যসহ সমাজের নানা শ্রেণির মানুষ মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নিজেদের নাম ওঠানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। যদিও এরই মধ্যে বেশ কয়েক হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে। এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে যাদের নাম সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, তাদের মধ্যে পাঁচজন সচিবের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হওয়ার ঘটনা অন্যতম। তাঁরা হলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী, একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম তালুকদার, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব নিয়াজউদ্দিন মিয়া, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক সচিব এ কে এম আমির হোসেন ও প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান।২৬ এপ্রিল ঢাকার একটি সংবাদপত্রের শিরোনাম অনেকেরই হয়তো দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। শিরোনামটি ছিল এ রকম, 'সবাই হতে চান মুক্তিযোদ্ধা'। খবরে উল্লেখ করা হয়, 'আওয়ামী লীগের নেতাসহ ৮১ মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল, বাতিল হচ্ছে মৎস্যমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও এমপি ফারুক খানের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) ডাকা হচ্ছে শ ম রেজাউলকে, ফারুক খানের তথ্য নিশ্চিত হতে সেনাসদরের মতামত চেয়েছে জামুকা। মুক্তিযুদ্ধ না করেও জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা বনে যান বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু। ক্ষমতার দাপটে ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি যাচাই-বাছাইকালে আদমদীঘির প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবরের নাম বাদ দিয়ে তাঁর লাল মুক্তিবার্তা নম্বর ব্যবহার করে নিজ পিতা জসমতুল্লাহর নাম বদলে মশমতুল্লাহ লিখে মজিবর রহমান মজনু মুক্তিযোদ্ধা বনে যান। এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তাঁর নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্তির জন্য আবেদন করলে তা জামুকার বিশেষ উপকমিটি পর্যালোচনা করে পর্যবেক্ষণ দেয় তিনি 'মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণিত নন'। একই কমিটি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব খাজা মিয়ার পিতা জনাব সোবরাব হোসেনকেও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ ছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়ে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠায় পুনরায় যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামুকা।উল্লিখিত বিশেষ ব্যক্তিদের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জামুকার অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ওয়াকার হাসান (অব.) বীর প্রতীক জানান, 'এগুলোর বিষয়ে আমি জোর আপত্তি দিলেও জামুকার অন্য সদস্যরা আমলে নেননি।' তারপর মেজর ওয়াকার ফারুক খান সম্পর্কে যে ভয়ংকর অভিযোগ উত্থাপন করেন তা সত্যিই প্রণিধানযোগ্য। প্রয়োজনে মেজর ওয়াকারের অভিযোগ তদন্ত করে সঠিক প্রমাণিত হলে সেই মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, 'এসব বলার পরও তারা কোনো তোয়াক্কা করেননি। অথচ এই দুজনের গেজেট জারি করে মন্ত্রণালয়।' এরপর মেজর ওয়াকার যে কথাটি উচ্চারণ করেন তা সত্যিই কষ্টদায়ক। তিনি বলেছেন, 'এই শ্রেণির ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া মানে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মহত্যার শামিল।' তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেখা যাক তাঁদের ব্যাপারে নতুন করে কী সিদ্ধান্ত আসে। প্রয়োজনে আমি আবারও 'নোট অব ডিসেন্ট' দেব।মেজর ওয়াকার হাসান মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রথম ওয়ার কোর্সের একজন কমিশনপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট এলাকায় প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পক্ষে পাকিস্তান ৩১ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের বিরুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেন। কয়েক ঘণ্টা ধরে যুদ্ধ করে ওয়াকার হাসান ও তাঁর সহযোদ্ধাদের দুঃসাহসিকতা ও বীরত্বে পাকিস্তানি সেনারা ব্যাপক হারে নিহত বা আহত হয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালাতে বাধ্য হয়। পালানোর সময় ৩১ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের মেজর সারওয়ার নিহত হন। এই বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করে। তিনি যখন মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেবেন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন তাঁর মা তাঁকে বলেছিলেন, 'আমার তিনটা কথা তুমি মনে রেখো। যদি যুদ্ধে যাও তবে বীরের মতো যুদ্ধ করবে। যদি তোমাকে মরতেই হয়, তবে বীরের মতো মরবে। বুলেটটা যেন তোমার পেছনে না লাগে। আর যদি যুদ্ধ শেষে ফিরে আসতে হয়, তবে বীরের মতো ফিরে এসো।' মেজর ওয়াকার হাসান তাঁর মায়ের কথা রেখেছিলেন। যুদ্ধ শেষে তিনি বীরের বেশেই ফিরেছিলেন। তিনি বর্তমানে আরও একটি মহৎ যুদ্ধে অবতীর্ণ রয়েছেন। আমরা আশাকরি, একজন প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়ে অ-মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা বনে যাওয়ার এই অপচেষ্টা ঠেকাতে তিনি সক্ষম হবেন।এ কথা সত্য, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা যখন দেখেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়েও কিছু মানুষ জালিয়াতি করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত, তখন স্বাভাবিক কারণেই মেজর ওয়াকার হাসানের মতো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হবেই। আমাদের প্রত্যাশা, জামুকার অন্য সদস্যরাও তাঁর মতো সচেতন হবেন এবং জাতিকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি নির্ভেজাল তালিকা উপহার দিয়ে নিজেদের মর্যাদা রক্ষা করবেন। পাঠকদের আগাম ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক। | মতামত,উপসম্পাদকীয়,মুক্তিযোদ্ধা,ঈদুল ফিতর,আজকের মতামত | সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার লড়াই বনাম ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা | national |
https://www.ajkerpatrika.com/131888/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97 | বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ | জামালপুরে ঠান্ডায় বাড়ছে সর্দি জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। জামালপুরে জেলা সদর হাসপাতালে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে নতুন রোগী।চিকিৎসকেরা বলছেন, শীত বাড়ায় এক সপ্তাহ ধরে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হন। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু। বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যারা বেশি আক্রান্ত তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চার মাস বয়সী শিশু নাবিল ঠান্ডা নিয়ে দুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার মা সাদিয়া জানান, প্রচণ্ড শীতে তার ছেলে ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়েছে। দুই দিন ধরে ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে আছেন। পাথালিয়া গ্রামের ৫ মাস বয়সের সাদিক শেখ ৩ দিন ধরে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি আছে। তার মা সুরাইয়া আক্তার বলেন, ঠান্ডা নিয়ে হাসপাতালে আসলে চিকিৎসকেরা ভর্তি করেন। এখন আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো। সাড়ে ৪ মাসের শিশু আল সাফিকে নিয়ে মা সাফিয়া খাতুন এসেছেন মেলান্দহ উপজেলার ভাবকী থেকে। ৭ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিছুটা সুস্থ অনুভব করছেন। জামালপুর সদর উপজেলার দরিহামিপুর গ্রামের সাবিনা আক্তার বলেন, তার দুই মাসের শিশু ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। ৩ দিন ধরে হাসপাতালে তার শিশুর চিকিৎসা চলছে। এখনো স্বাভাবিক হয়নি। আরও কয়েক দিন থাকার কথা বলেছেন ডাক্তারেরা। তবে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় তিনি খুশি। এ ছাড়া মুরাজ (৩), ইলমা (২ মাস) শুভ (৪ মাস) এবং আব্দুর রহমান (২ মাস) হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। তাদের পরিবারে সদস্যরা জানান, টানা শীতে তাদের শিশুরা ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকেরা তাদের ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছে। তবে তাদের শিশুদের বাইরে কোনো কোনো ওষুধপত্র কিনতে হয়নি। হাসপাতালের ওষুধপত্র দিয়ে চিকিৎসা সেবা হচ্ছে। হাসপাতালে আসা মেলান্দহ উপজেলার মরিয়ম বেগম (৫৫) বলেন, ৪-৫ দিনের শীতে প্রচণ্ড ঠান্ডা আর কাঁশি নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। ডাক্তাররা দেখে ওষুধ দিচ্ছে বাড়িতে যাচ্ছি।জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া হাসপাতালে ভর্তি শিশুর সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে ৮০ জনের ওপরে। গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে শিশু ওয়ার্ডে ঠান্ডা নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগী ভর্তি আছে ৮৯ জন। তাদের অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩ দিন থেকে ৭ দিন ধরে। অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। গত ৭ দিনে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ৫৬০ জন শিশু ঠান্ডাজনিত এবং জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এইসব শিশুদের বেশির ভাগই আসছেন উপজেলাগুলো থেকে। চরাঞ্চলে শীত বেশি হওয়ায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, টানা শীতে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। বহির্বিভাগে ৩০০ থেকে ৪০০ রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। বেশি আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হচ্ছে। ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ আছে। কোনো সমস্যা নেই। শীতে শিশু এবং বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেশি। তবে ঠান্ডায় শিশুদের প্রতি বেশি নজর রাখতে হবে। গরম কাপড়চোপড় দিয়ে রাখতে হবে যেন তাদের ঠান্ডা না লাগে। জামালপুর জেলার ৬ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালেও ঠান্ডা জনিত রোগী ভর্তির খবর পাওয়া গেছে। | জামালপুর,ময়মনসিংহ বিভাগ,শিশু,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,ময়মনসিংহ,রোগ,ছাপা সংস্করণ,ময়মনসিংহ সংস্করণ,শেরপুর নেত্রকোনা জামালপুর,শীত,জামালপুর সদর | সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে অনেক রোগী। তাদের বেশির ভাগ শিশু।গতকালের । | national |
https://www.prothomalo.com/bangladesh/পর্নোগ্রাফি-মামলায়-অভিনেতা-সোহেল-খানের-ছেলে-২-দিনের-রিমান্ডে | পর্নোগ্রাফি মামলায় অভিনেতা সোহেল খানের ছেলে ২ দিনের রিমান্ডে | অভিনেতা সোহেল খানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ওরফে সফল খানকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এর আগে এক তরুণীর করা পর্নোগ্রাফির মামলায় গত সোমবার ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক। তিনি বলেন, মুশফিকুরের বিরুদ্ধে সোমবার পর্নোগ্রাফির ওই মামলা করেন এক তরুণী। অভিযোগের পক্ষে বেশ কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। আপত্তিকর ভিডিও ধারণের তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। মুশফিকুর এসব স্বীকারও করেছেন। রিমান্ড শেষে কাল বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে। মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ বলেছে, ২০১৮ সালে মুশফিকুরের সঙ্গে মাটিকাটা এলাকায় পরিচয় হয় ভুক্তভোগী তরুণীর। সে সময় মুশফিকুর তাঁর বোনের বাসায় থাকতেন। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে তরুণীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হতো। একপর্যায়ে বন্ধুত্ব হয়। ২০১৯ সালের শুরুর দিকে সফল ওই তরুণীকে বোনের বাসায় ডেকে আনেন। এরপর তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক হয়, যা গোপন ক্যামেরায় ভিডিও করেন মুশফিকুর। পরে ওই ভিডিও দেখিয়ে তরুণীর স্বজনদের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে এসব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন। | আদালত,পুলিশ,মামলা | পর্নোগ্রাফি মামলায় অভিনেতা সোহেল খানের ছেলে ২ দিনের রিমান্ডে | national |
https://www.ajkerpatrika.com/123242/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%9B%E0%A7%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%9C%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B2 | পানছড়ি হাসপাতালের সড়ক বেহাল | খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সড়কটি অনেক দিন ধরেই নাজুক অবস্থায় আছে। রোগী আনায় দুর্ভোগ ছাড়াও প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা-এমনটিই জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার মূল সড়ক থেকে দুটি প্রবেশপথ রয়েছে। তবে দুটো সড়কই ভাঙাচোরা।ভুক্তভোগী লতিবান এলাকার সত্যপ্রিয় চাকমা, কলাবাগানের আবুল কাশেম, পাইয়্যংপাড়ার শিবু জয় ত্রিপুরা জানান, মূল সড়ক থেকে দুটো রাস্তায় হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া যায়। অথচ এ দুই রাস্তাই খারাপ। ভাঙা সড়কের কারণে প্রতি নিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। গতকাল সোমবার সকালেও রোগী নিয়ে যাওয়ার পথে অটোরিকশা উল্টে এক রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা-বিষয়ক কর্মকর্তা অনুতোষ চাকমা বলেন, উপজেলার একমাত্র হাসপাতাল হওয়ায় প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ সাধারণ রোগী, ১৫-২০ জন ইমারজেন্সি রোগী হাসপাতালে আসেন। গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের জন্য রাস্তাটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।অনুতোষ চাকমা বলেন, 'শুধু প্রবেশের রাস্তাই নয়, হাসপাতালে ওঠার পথের অবস্থাও নাজুক। বিষয়টি আমি বেশ কয়েকবার উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।'উপজেলা প্রকৌশলী অরুণ কুমার দাশ বলেন, 'হাসপাতাল সড়কটি নিয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে। এখনো তালিকায় দেওয়া হয়নি। তবে রাস্তাটি মেরামত জরুরি। | চট্টগ্রাম বিভাগ,পানছড়ি,ছাপা সংস্করণ,চট্টগ্রাম সংস্করণ,খাগড়াছড়ি বান্দরবান রাঙামাটি | পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুটি রাস্তা বেহাল হওয়ায় অনেক সময় রোগীবাহী গাড়ি হাসপাতালে যেতে পারে না। | national |
https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2022/05/15/1652635338214 | আরও ৮০টি এজেন্সিকে হজ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি | এ বছরের হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকারের কাছ থেকে তৃতীয় ধাপে আরও ৮০টি এজেন্সি অনুমতি পেয়েছে। এ নিয়ে মোট তিন ধাপে মোট ৭৮০টি এজেন্সিকে হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুমতি দিয়েছে সরকার। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় রবিবার (১৫ মে) তৃতীয় ধাপে ৮০টি হজ এজেন্সিকে অনুমতি দিয়ে আদেশ জারি করেছে। আরও পড়ুন এ বছর হজের জন্য নিবন্ধন করবেন যেভাবে বাড়লো হজের খরচ ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের পরিবর্তে হজে যেতে পারবেন পরিবারের সদস্য আদেশে বলা হয়, প্রত্যেক হজযাত্রীর সঙ্গে হজ অনুমোদন পাওয়া এজেন্সিগুলোর লিখিত চুক্তি করতে হবে। অনিবন্ধিত কোনো ব্যক্তিকে হজযাত্রী হিসেবে হজে নেওয়া যাবে না। কোনো এজেন্সি এ ধরনের উদ্যোগ নিলে কারণ দর্শানো ছাড়াই তার লাইসেন্স বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আদেশে আরও বলা হয়, তালিকা প্রকাশের পর কোনো হজ এজেন্সির তথ্য ভুল বা অসত্য প্রমাণ হলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কারণ দর্শানো ছাড়াই সংশ্লিষ্ট এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাতিলের অধিকার সংরক্ষণ করে। এর আগে গত ৮ মে প্রথম ধাপে ৬১০টি এজেন্সিকে চলতি বছর হজ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। পরদিন ৯ মে দ্বিতীয় ধাপে আরও ৯০টি এজেন্সি অনুমোদন পেয়েছিল। এ বছর প্রতিটি এজেন্সি সর্বোচ্চ ৩০০ জন এবং সর্বনিম্ন ১০০ জন হজযাত্রী পাঠাতে পারবে। এজেন্সিগুলোকে মিনা, আরাফাহ ও মুজদালিফায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক হজকর্মী নিয়োগ দিতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স, হালনাগাদ কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল না হওয়া, বিভিন্ন অভিযোগে শাস্তি বা জরিমানা হওয়া, সৌদি আরবে কালো তালিকাভুক্ত এবং অভিযোগ তদন্তাধীন এজেন্সির নাম তালিকায় আসেনি। উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন মুসল্লি হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন। | হজ,বাংলাদেশ,সৌদি আরব | হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে হজযাত্রীরা | national |
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/10/11/700317 | বগুড়ায় খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন | বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশন বগুড়া জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার বগুড়া ওয়াইএসসিএ পলবেসরা অডিটোরিয়ামে রবার্ট রবিন মারান্ডীর সভাপতিত্বে এ সভা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং ৫ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়। ২ বছর মেয়াদী এই কমিটিতে সভাপতি অধ্যক্ষ রবার্ট রবিন মারান্ডী, সহ-সভাপতি ডা. সুপ্রতীক ঘাগ্রা, রেভা: জন আগস্টিন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মিসেস ছবি বিশ্বাস, সহকারি সাধারণ সম্পাদক মিসেস মলিনা মন্ডল, কোষাধ্যক্ষ মি. টোনাম সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মিসেস মার্গারেট বন্দনা জুঁই, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট বার্নাড তমাল মন্ডল, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা সম্পাদক জেমস সুদিপ্ত দেওয়ারী, প্রচার, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আলবার্ট সঞ্জয় বিশ্বাস, দপ্তর ও জনসংযোগ সম্পাদক মাইকেল আশের বেসরা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ডা: মিসেস রিটা মন্ডল, যুব ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ডা. অর্ণব অতনু মন্ডল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মি. বুলবুল ব্যাপারী জর্জেট, কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. ডেভিড রিন্টু দাশ, মি. আনজেলা পালমা, মিস অর্পনা প্রামানিক, মিসেস মার্থা সাথী ব্যাপারী, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মি. সৌরভ বিশ্বাস, মি. বিভাস কুমার দেওয়ারী, মি. দিলীপ মারান্ডী, মি. জেমস কিরিট বিশ্বাস, মি. রোনাল্ড প্রামানিক। | null | সভাপতি অধ্যক্ষ রবার্ট রবিন মারান্ডী ও সাধারণ সম্পাদক মিসেস বিশ্বাস | national |
https://www.dailynayadiganta.com/middle-east/664494/নতুন-ভিডিও-বলছে-সাংবাদিক-শিরিনকে-হত্যার-আগে-কোনো-সংঘর্ষ-হয়নি | নতুন ভিডিও বলছে সাংবাদিক শিরিনকে হত্যার আগে কোনো সংঘর্ষ হয়নি | নতুন প্রকাশ হওয়া এক ভিডিও বলছে, ইসরাইলি সেনারা ফিলিস্তিনি জনপ্রিয় সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে হত্যার আগে সেখানে কোনো ধরনের সংঘাত বা সংঘর্ষ হয়নি। যা সংঘর্ষ হয়েছে বলে ইসরাইলি সৈন্যদের দাবির সাথে সাংঘর্ষিক। আলজাজিরার সাংবাদিক ৫১ বছর বয়সী আকলেহকে গত ১১ মে গুলি করে হত্যা করে ইসরাইলি এক সেনা সদস্য। এ সময় তিনি জেনিনের অধিকৃত পশ্চিমতীর শহরে ইসরাইলি সেনাদের অভিযানের খবর সংগ্রহ করছিলেন। তার সহকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে গুলি করে মারার কথা জানিয়েছেন। আলজাজিরার যাচাই করা নতুন এ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল। ফিলিস্তিনিদের সাথে কোনো ইসরাইলি বাহিনীর সংঘর্ষের শব্দও পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে কিছু মানুষকে দেখা যাচ্ছে তারা আলাপ-আলোচনা করছেন এবং হাসাহাসি করছেন। সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ এবং তার কয়েকজন সহকর্মী প্রেস লেখা জ্যাকেট পরা অবস্থায় আছেন। শিরিন ও অন্য সাংবাদিকরা ইসরাইলি সেনাদের অবস্থানের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। এর পরই গুলির শব্দ শুরু হয়। গুলি শুরু হলে সেখানকার লোকজন দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন এবং শিরিন আবু আকলেহকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ইসরাইলি বাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনি-মার্কিন নাগরিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং এর স্বাধীন তদন্তের দাবি উঠেছে। . , . , , . : ../
সূত্র : আলজাজিরা | null | শিরিন হত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ। | international |
https://www.prothomalo.com/opinion/column/জাইরা-ওয়াসিমের-বলিউড-ত্যাগ-ও-নিন্দামন্দ | জাইরা ওয়াসিমের বলিউড ত্যাগ ও নিন্দামন্দ | জাইরা ওয়াসিমের মনে হয়েছে, অভিনয় নয়, ধর্মচর্চাতেই তিনি শান্তি পাবেন। তাই অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি তাঁর 'ফ্রিডম অব চয়েস'। কিন্তু একান্ত এই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বলিউড ও ভারতে নজিরবিহীন অসহিষ্ণুতা তৈরি করেছে। ব্যক্তিগতভাবে এই লেখকের ভাবনা এই যে জাইরা অতটা দ্রুততার সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত না নিলেও পারতেন। আরও কিছুদিন থেকে, আরও গভীর ভাবনাচিন্তা শেষে সিদ্ধান্তটি নিলে ভালো করতেন। কেন এই লেখকের এ রকম ব্যক্তিগত ভাবনা, সে কারণে পরে ফিরব। আগে মুম্বাইতে এ নিয়ে শুরু হওয়া তুলকালামের কী ব্যাখ্যা হতে পারে, সেদিকে আলোকপাত করা যাক। বলা হলো জাইরার আইডি হ্যাক হয়েছে। একদল বলল তিনি অ্যাটেনশন-সিকার। আরেক দল বলল তাঁর অভিনীত মুক্তিপ্রত্যাশিত 'স্কাই ইজ পিংক'-এর ব্যবসা বাড়ানোর প্রচারণার জন্য এই চালাকি করেছেন জাইরা। মুম্বাই চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টদের একদল প্রচারণা চালাল যে জাইরা ইন্ডাস্ট্রিটিকে হেয় করেছেন, ছোট করেছেন, প্রকারান্তরে নবীনদের নিরুৎসাহিত করেছেন। একদল আরও আগ বাড়িয়ে বলছে, সম্ভাবনাময় অনেক নতুন শিল্পী, বিশেষত প্রতিশ্রুতিশীল মুসলিম চলচ্চিত্রানুরাগীদের সুকৌশলে নিরুৎসাহিত করেছেন জাইরা। যেন জাইরা একধরনের প্রতিবিপ্লবে রত। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে দুই ধরনের তত্ত্বের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে। এক পক্ষ বলতে চাইছে মুসলিম নারীদের কেউ বলিউডে প্রতিভা বিকাশের জন্য আসতে চাইলে বাবা-মা, অভিভাবকেরা জাইরার উদাহরণ তুলে তাদের নিরুৎসাহিত করবেন। অন্য দল সরাসরিই বলছে, মুসলিম শিল্পীদের মুম্বাইতে স্বাগত জানানোর আগে মুম্বাই-সংশ্লিষ্ট সবাই যেন সতর্ক থাকেন। যেন সাবধান থাকেন। রক্ষণশীল এই মতের অনেকেই বলছেন, অত মুসলিমপ্রীতি দেখানোর দরকার নেই। মুম্বাই যেন মুসলিমদের বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকে, যেন বেশি ভরসা না করেন মুসলিম কলাকুশলীদের ওপর। জাইরাকে টুইট করতে হলো যে এসব অভিযোগের একটিও সত্য নয়; তাঁর আইডিও হ্যাকড হয়নি, অন্য সব অভিযোগও বানোয়াট। শুরু হলো জাইরাকে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ভর্ৎসনা-তিরস্কারের ঝড়। গুজব ছড়ানো হলো ধর্মোন্মাদ পরিবার ও কাশ্মীরি মুসলিম সমাজের জোরজবরদস্তিই জাইরাকে বলিউড ছাড়তে বাধ্য করেছে। আবারও জাইরাকে টুইট করতে হলো যে এসব অভিযোগের এক কানাকড়িও সত্য নয়। নতুন প্রোপাগান্ডা চলছে প্রমাণের জন্য যে তিনি জঙ্গিবাদ-সম্পৃক্ত। তারেক ফাতাহ, অনুপম খের তো বটেই, তসলিমা নাসরিনও লিখেছেন, তাঁদের সন্দেহ, জঙ্গিরা তাঁকে দিয়ে লেখাটি লিখিয়ে নিয়েছে হয়তোবা। তাঁদের কেন এমনটি মনে হয়েছে, তাঁদের হাতে মনে হওয়ার পক্ষে কী কী তথ্যপ্রমাণ আছে, তা অবশ্য কেউই দেখাতে বা জানাতে পারলেন না; জানানোর আগ্রহও দেখালেন না। টক শোগুলো দেখলে বোঝা যায়, ক্ষোভ, উষ্মা, বিরক্তি, ক্রোধে যেন একাকার অনেকেই। অনেকের আলোচনাতেই বিদ্বেষের অকুণ্ঠ প্রকাশ দেখা যাচ্ছে। সম্ভবত জাইরা এসবে ক্লান্ত। ক্রমেই হাল ছেড়ে দিচ্ছেন; আত্মপক্ষ সমর্থনের বা নিজের অবস্থান ব্যাখ্যারও মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলছেন। উল্লেখ্য, জাইরার বয়স মাত্র ১৮। এই বয়সে তাঁর পক্ষে অনেক চাপ নেওয়া বা গুছানো অবস্থান নেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। কিন্তু কেন এত প্রতিক্রিয়া? জাইরা কি সুপারস্টার? ছবি করেছেন মাত্র তিনটি, যার একটি এখনো মুক্তিই পায়নি। তাহলে তাঁর অনুপস্থিতিতে মুম্বাইয়ের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এমন কী বড় ক্ষতি হয়ে যাবে যে সিদ্ধান্তটি সবার এমন গা-জ্বলুনির কারণ হয়ে উঠতে পারে? যদি ধরেও নিই জাইরা বিশেষ প্রতিশ্রুতিশীল ছিলেন। প্রশ্ন উঠতে পারে, জাইরার আগে কি আর কোনো প্রতিশ্রুতিশীল কেউ মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ছাড়েননি? তাঁদের বেলায়ও কি একই রকম সরব ছিল সবাই? সচরাচর দেখা যায় না এমন অত্যন্ত কৌতূহলোদ্দীপক প্রতিক্রিয়াও তৈরি হয়েছে। উগ্র হিন্দুত্ববাদী অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার প্রেসিডেন্ট স্বামী চক্রপাণি মুম্বাইয়ের হিন্দু অভিনেতা-অভিনেত্রীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তাঁরা যেন জাইরার দ্বারা অনুপ্রাণিত হন, ধর্মের রাস্তায় ফিরে আসেন। মোদ্দাকথা, সব আলোচনার মূলে-অভিযোগে-ঊষ্মায় যে একটি বিষয়ই বিবিধ আকার-আকৃতিতে ঘুরেফিরে আসছে, তা হচ্ছে জাইরার 'ইসলাম'-অনুরাগ এক গভীর সমস্যা, অসমাধানযোগ্য সমস্যা। জাইরার অনুপস্থিতিতে মুম্বাই কী হারাল, কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো, সেই আলোচনাই কিন্তু হওয়ার কথা ছিল। অথচ তা মোটামুটি একেবারেই অনুপস্থিত বলা চলে। প্রশ্ন করা যেতে পারে অন্য কোনো ধর্মের কোনো প্রতিষ্ঠিত বা প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেত্রী একই ধরনের ফেসবুক পোস্ট দিয়ে মুম্বাই ত্যাগ করলে একই রকম তোলপাড় হতো কি? আমার বিশ্বাস, না! হতো না! সমাজবিজ্ঞানে 'আইডেনটিটি' বা 'পরিচিতি' বলে একটি শক্তিশালী সামাজিক ধারণা আছে। আমপাঠকের জন্য সহজ করে বলা চলে, কোনো না কোনো সময় মানুষ এই আত্মজিজ্ঞাসায় নামে যে 'আমার জন্য কোন পরিচিতিটি আমাকে বেশি শান্তি দেবে'? যেমন জাইরার কথা ধরলে-তাঁর মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জেগেছে, 'আমি কোন পরিচয়টিকে আমার জন্য বেশি শান্তির মনে করি?' ভবিষ্যতের পথ নির্মাণের পথে কোন কোন ঘটনা বা ঘটনাপুঞ্জ আমাকে ভোগাচ্ছে, ভাবাচ্ছে, বাধা দিচ্ছে? সমাজমনোবিজ্ঞানের 'স্টিম্যুল্যাস-রেসপন্স' বা 'উদ্দীপক-প্রতিক্রিয়া' ধারণাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। জাইরার সিদ্ধান্তও যে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া বা প্রতিক্রিয়ার সমষ্টিও হতে পারে, সেই আলোচনা কেউই করছে না। আপাতদৃষ্টিতে ধর্মকে মূল বিষয় মনে হলেও তার 'প্রতিক্রিয়া'কেও ধার্মিকতা বা ধর্মানুগামিতা মনে হতে পারে। পেছনের উদ্দীপকগুলোর আলোচনাও অনুপস্থিত। 'থিসিস-অ্যান্টিথিসিস' দ্বান্দ্বিকতায় পড়া 'পরিচিতি-নির্মাণ'-এ অপরিহার্য। জাইরার হয়তো থিসিস ছিল-আমি শিল্পী, সৃজনশীল, উদ্ভাবক, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার জন্য সমান। ধর্ম বরং আমার পরিচিতিকে সংকীর্ণ ও ক্ষুদ্র একটি গণ্ডিতে ঠেলে দেবে। আমার একাগ্র ধ্যানজ্ঞান থাকবে শিল্পসত্তার দিকে। ঠিক তখনই অ্যান্টিথিসিস কাজ করা শুরু করল। জাইরার নজরে ভাসতে শুরু করল মোদি ক্ষমতায় এসেছেন। পুরুষদের প্রতি বিজেপির নারীনেত্রী আহ্বান জানালেন, মুসলমান নারীদের যেন প্রকাশ্য রাস্তায় গণধর্ষণ করা হয়। ঝাড়খন্ডে নেতা প্রকাশ্যে জানাচ্ছেন, সম্পূর্ণ মুসলিমমুক্ত ভারত গড়া হবে। আসাম থেকে মুসলমানদের বের করে দেওয়া হচ্ছে মিথ্যা 'বহিরাগত' অজুহাতে। মুসলমান হওয়ার অপরাধ; গোমাংস ভক্ষণের ছুতোয় সত্য-মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগে যত্রতত্র মুসলমান নিবর্তন-নিধনের উসকানি চলছে মহামারি আকারে। প্রতিকারের চেষ্টার শতগুণ বেশি সেই উসকানি। জাইরার চোখে ভেসে উঠল প্রিয় কাশ্মীর। রক্তে মাখামাখি শিশুসহ বৃদ্ধ-বৃদ্ধার মৃতদেহ, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গহীন যুবকদের মিলিটারি গাড়ির পেছনে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে চলার দৃশ্য। সীমাহীন বর্বরতা-নৃশংসতা ও অবিচারের ঘটনাপঞ্জি। সবকিছু ছাড়িয়ে হয়তো স্মরণে এসেছে কীর্তিমান শিল্পী শাবানা আজমি, আমির খান, নাসিরুদ্দিন শাহসহ অনেকের অসম্মান এবং সাম্প্রতিক মৌলবাদী হুমকিগুলো। বিজেপিপূর্ব মুম্বাইয়ে একটি আপেক্ষিক ধর্মপ্রভাবমুক্ত সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি এবং ভারতজুড়ে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চার সময়টি বর্তমান সময়টি থেকে একেবারেই ভিন্ন রকম ছিল বলা চলে। এর একটা কারণ ছিল, এই ইন্ডাস্ট্রির সূচনায় মুসলমান শিল্পী ও কলাকুশলীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান। বর্তমান সময়ের তীব্র মুসলিমবিরোধী উগ্র জাতীয়তাবাদই ভারতের লাখ লাখ মুসলিমকে নিজেদের মুসলিম পরিচিতি নির্মাণে বাধ্য করবে। জাইরার অবস্থানকেও খুব ব্যতিক্রম মনে করার বিশেষ কারণ নেই। জাইরার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখেও ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, জাইরার মতো প্রতিশ্রুতিশীল ও প্রতিভাবান শিল্পীদের শিল্পচর্চায় নিবেদিত থাকাই মানবিকতা প্রতিষ্ঠায় বেশি কার্যকর। অভিজ্ঞতা ও ভাবনাচিন্তায় পরিণত হয়ে জাইরাও হয়ে উঠতে পারতেন সেলুলয়েডের অরুন্ধতী রায়। কাশ্মীর, মব-লিঞ্চিং, মুসলিমনিধনসহ অন্যান্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে দেশে ও বিদেশে মতামত গড়ে তুলতে পারতেন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বা চলচ্চিত্রবোদ্ধার ভাষায়। হেলাল মহিউদ্দীন: নৃবিজ্ঞানী,কানাডার মানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়েররিসার্চফেলো | আন্তর্জাতিক | জাইরা ওয়াসিমের মনে হয়েছে, অভিনয় নয়, ধর্মচর্চাতেই তিনি শান্তি পাবেন। তাই অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি তাঁর 'ফ্রিডম অব চয়েস'। কিন্তু একান্ত এই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বলিউড ও ভারতে নজিরবিহীন অসহিষ্ণুতা তৈরি করেছে। | opinion |
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2021/04/07/636485 | হেফাজতের সহিংসতায় দায়ের মামলায় বিএনপির নাসিক কাউন্সিলর গ্রেফতার | হেফাজতে ইসলামের হরতালে সহিংসতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নাসিক ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজিস্থ নিজবাড়ি থেকে র্যাব-১১ এর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করেন। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতা কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন নাশকতা, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও সন্ত্রাস দমন আইনে দায়ের করা মামলার এজহারভুক্ত আসামি। বিডি প্রতিদিন/কালাম | null | ইকবাল হোসেন | national |
https://www.dailynayadiganta.com/politics/361550/প্রশ্ন-ফাঁসে-জড়িতদের-বিরুদ্ধে-কঠোর-ব্যবস্থা-নেয়া-হবে-নাহিদ | প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে : নাহিদ | শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ধরনের কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।তিনি বলেন, প্রশ্ন ফাঁস এবং প্রশ্ন ফাঁস সংক্রান্ত গুজবের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক ও কঠোর অবস্থানে রয়েছে।শিক্ষামন্ত্রী আজ রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নকলমুক্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টরা নিরলসভাবে কাজ করছে।তিনি বলেন, মাধ্যমিক স্তরে ঝরে পড়ার হার কমে আসছে। ফলে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। গত বছর জেএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছিল ২৪ লাখ ৬৮ হাজার শিক্ষার্থী। এবার এ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছে ২৬ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থী। শিক্ষাক্ষেত্রে মেয়েদের অংশগ্রহনও বেড়েছে বলে জানান তিনি। ২০১৮ সালে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় ছাত্রের তুলনায় ২ লাখ ২২ হাজার ৮৬৯ জন ছাত্রী বেশি পরীক্ষা দিচ্ছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম জাকির হোসেন ভূঞা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর মোহাম্মদ শামছুল হুদা এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন। | null | প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে নাহিদ | politics |
https://samakal.com/bangladesh/article/1811347/সঙ্গে-সংলাপ-দেশের-উন্নয়নে-অর্থবহ-নির্বাচন-চান-প্রধানমন্ত্রী | জাপার সঙ্গে সংলাপ: দেশের উন্নয়নে অর্থবহ নির্বাচন চান প্রধানমন্ত্রী | দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে অর্থবহ নির্বাচন চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার গণভবনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে সংলাপে প্রধানমন্ত্রী তার এ অভিপ্রায়ের কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে সব দলের সঙ্গে মতবিনিময় করছি। আমরা চাই, একটি অর্থবহ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। কারণ, বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে তিনি উন্নতির পথে নিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে রেখে গেছেন। জাতির পিতা বাংলাদেশকে যে স্বল্পোন্নত দেশে রেখে গেছেন, সেখান থেকে আমরা দেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন মানুষের ভোটের অধিকার, সে অধিকার তারা প্রয়োগ করবে। আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধি যারা, আমাদের কাজ দেশের মানুষের সেবা করা এবং দেশকে উন্নত করা- আমরা সেভাবেই দেশকে উন্নত করছি। উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে, সেটা আমাদের লক্ষ্য এবং এটা আমাদের রাখতেই হবে। এ সময় সরকারকে গত পাঁচ বছর সহযোগিতা করায় বিরোধী দল জাপাকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের পথযাত্রায় জাতীয় পার্টি পাশে ছিল। আমাদের সঙ্গে ছিল। আমরা একসঙ্গে এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছি। যে সহযোগিতা পেয়েছি, সে জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আগামী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোট। বিএনপি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য ও জেএসডির সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার সংলাপ শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার জাপার নেতৃত্বাধীন ৫৮ দলের জোট সম্মিলিত জাতীয় জোটের (ইউএনএ) সঙ্গে সংলাপে বসে ১৪ দল। জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বিরোধীদলীয় নেতা রওশনসহ ইউএনএর ৩৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে প্রবেশ করে। সংলাপে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৪ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এরশাদ ও রওশনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। সংলাপ ও নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানোয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তার বিশেষ দূত এরশাদ। জাপার জোটের প্রতিনিধিদের আপ্যায়ন করা হয় গণভবনে। সংলাপ শেষে বিরোধী দল জাপা নেতারা তাদের সন্তোষের কথা জানান। দলটির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন জানান, আন্তরিক পরিবেশে সংলাপ হয়েছে। তারা খুশি। সংসদ ভেঙে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভোটে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েন, ইভিএম ব্যবহার না করাসহ সাত দফা দাবি সংলাপে নিয়ে গিয়েছিল ঐক্যফ্রন্ট। দাবি পূরণের আশ্বাস না পেয়ে অসন্তোষ জানান বিএনপি নেতারা। তবে সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসা জাপার অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত। সংলাপে তাদের জোরালো কোনো দাবি ছিল না। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে আপত্তি নেই। কয়েক দিন আগেও ইভিএম ব্যবহারে আপত্তি জানিয়ে ছিলেন এরশাদ। তবে সংলাপে ইভিএমের পক্ষেই ছিল জাপা। গত শনিবার এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টও সংলাপের 'খুশির' কথা জানিয়েছিল। | সংলাপ,প্রধানমন্ত্রী,জাতীয় পার্টি | : ফোকাস বাংলা | national |
https://www.bd-pratidin.com/corporate-corner/2019/12/23/485894 | চায়না সাউদার্ন অ্যাওয়ার্ড হালট্রিপ 'টপ এজেন্ট' | 'হালট্রিপ'কে এবারে শীর্ষ এয়ার টিকিট এজেন্ট নির্বাচিত করেছে বিশ্বের অন্যতম এয়ারলাইন্স চায়না সাউদার্ন। বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন রুটে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের সর্বাধিক টিকিট বিক্রি করায় এমন স্বীকৃতি পেল হালট্রিপ। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে হালট্রিপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাজবীর হাসানের হাতে এ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের জেনারেল ম্যানেজার কাই জিয়ান। অনুষ্ঠানে দেশের ট্রাভেল এজেন্সির শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। হালট্রিপ.কম সাইটের মাধ্যমে আগ্রহী উদ্যোক্তারা ট্রেড লাইসেন্স ও শর্তযুক্ত কাগজ দিয়ে সহজেই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন। এভাবে ট্যুরিজম উদ্যোক্তারা হালট্রিপ'র মাধ্যমে ভ্রমণকারীদের এয়ার টিকিট সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা করে হালট্রিপ। বর্তমানে দেশজুড়ে হালট্রিপের পাঁচ হাজারের বেশি ট্রাভেল পার্টনার আছে। হালট্রিপ এখন এয়ার টিকিট সেবা দিচ্ছে। অচিরেই হোটেল বুকিং সেবা চালু হবে। বিডি প্রতিদিন/আরাফাত | null | বা থেকে হালট্রিপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাজবীর হাসান। মাঝে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স ের জেনারেল ম্যানেজার কাই জিয়ান। | economy |
https://samakal.com/sports/article/210148759/ঘরোয়া-২-সিরিজে-বাংলাদেশের-ব্যাটিং-কোচ-জন-লুইস | ২ সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ জন লুইস | ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে জন লুইসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরোয়া সিরিজ ও নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য লুইসকে নিয়োগ দিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবির মিডিয়া বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ১০ জানুয়ারি জাতীয় দলের প্রাথমিক ওয়ানডে শিবির শুরুর আগেই লুইস ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলও একই দিনে তিনটি ওয়ানডে এবং দুটি টেস্ট খেলতে ঢাকায় পৌঁছাবে। এছাড়া তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে যাত্রা করবে বাংলাদেশ দল। পঞ্চাশ বছর বয়সী সাবেক কাউন্টি ওপেনার লুইস ২০০৭ সাল থেকে কোচিং পেশায় আছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ইংল্যান্ডের ওডিআই দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া ২০১৮-১৯ সালে শ্রীলঙ্কান জাতীয় দলের হয়েও একই ভূমিকায় ছিলেন। ১৯৮৯ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ১৭ বছরের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ইংলিশ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ডারহাম এবং এসেক্সের হয়ে ১০ হাজারের বেশি রান করেন লুইস। ওই দুইদলের অধিনায়কও ছিলেন তিনি। ইসিবি লেভেল-৪ কোচ লুইস ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ডারহামের প্রধান কোচ ছিলেন। | জাতীয় ক্রিকেট দল,জন লুইস,ব্যাটিং কোচ | জন লুইস | sports |
https://samakal.com/international/article/1611249183/কলকাতায়-নোট-বদলাতে-সোনালি-ব্যাংকে-বাংলাদেশিদের-ভিড় | কলকাতায় নোট বদলাতে সোনালি ব্যাংকে বাংলাদেশিদের ভিড় |
নোট বদলের চক্করে বেড়ানোটাই মাটি হয়ে গেছে ভারতের কলকাতায় আসা বাংলাদেশি পর্যটকদের। একই অবস্থা চিকিৎসা নিতে আসা মানুষেরও।
নোট বদলের জন্য ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের নির্দেশে সাপ্তাহিক ছুটির দিন রোববারও খোলা ছিল সব ব্যাংক। কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের সোনালি ব্যাংকে সকাল থেকেই ভিড় জমান বাংলাদেশিরা।
গত মঙ্গলবার মোদি সরকারের ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিলের ঘোষণার পরদিনই বাংলাদেশি পর্যটকদের ভোগান্তির কথা ভেবে প্রস্তুতি নেয় সোনালি ব্যাংক। তাই রোববার সপ্তাহিক ছুটির দিনেও সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পর্যন্ত সেবা দেন ব্যাংকটির কর্মীরা। এখানে পর্যটকদের নোট সমস্যা সমাধানে খোলা হয় চারটি অস্থায়ী ডেস্ক।
সোনালী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মহম্মদ আলি মোর্তাজা সমকালকে বলেন, 'ভারত সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী যেসব বাংলাদেশি পর্যটকরা এদেশে আসছেন তাদের কাছে যদি ডলার এনডোর্সমেন্ট করা থাকে তাদের সমপরিমাণ রুপি দিচ্ছি আমরা। তবে এনডোর্সমেন্ট করা না থাকলে তাদেরকে পরিসেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।'
তিনি আরও বলেন, 'অনেক গ্রাহকই অভিযোগ করছেন, তারা ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কিন্তু আমরা সবাইকেই পরিষেবা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি।'
এছাড়া অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া বাংলাদেশি পর্যটকদের এই মুহূর্তে কলকাতায় না আসারও পরামর্শ দিয়েছেন আলি মোর্তাজা।
কলকাতায় সোনালী ব্যাংকে ডলার বদল করতে সকালে লা্ইনে দাঁড়ান নারায়ণগঞ্জের মাসুম রেজা। তিনি বলেন, 'ধর্মতলায় ডলার ভাঙানোর দোকানগুলোতে ১০০ রুপি নোট দিচ্ছে না। খাবার কিনতে পারছি না, হোটেলের ভাড়া দিতে পারছি না। এরকম বিপদে কোনোদিন পড়িনি। ডলার ভাঙানোর পর বাসের টিকিট কেটে দেশে ফিরে যাব।'
লাইনে দাঁড়ানো দেলোয়ার হোসেন নামের আরেক বাংলাদেশি পর্যটক সদর স্ট্রিটের হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সহযোগিতা না করার অভিযোগ তুলেন। তিনি বলেন, '৯৯ শতাংশ বাংলাদেশি কলকাতায় এসেছে চিকিৎসা করাতে। কিন্তু ডলার নিয়ে একটা নাটক করা হচ্ছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনের তরফেও কোনো সহায়তা করা হচ্ছে না। রুপির অভাবে স্ত্রী-বাচ্চাকে খাবার খেতে দিতে পারছি না।'
শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা করাতে গত শুক্রবার রাতে কলকাতায় আসেন পুরান ঢাকার শিল্পী হোসেন। তিনি বলেন, হোটেল কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার জানিয়ে দেয়-খুচরো থাকলে ঘর পাবেন, না হলে আমাদের কিছুই করার নেই। এরপর অন্য আরেক হোটেলে, সেখানেও হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় বড় নোট নেওয়া যাবে না।'
তিনি আরও জানান, এরপর কিছুটা হতাশ হয়েই রাস্তায় রাত কাটান তিনি। নোট সমস্যায় একমুঠো খাবারও খেতে পারেননি। পরদিন (শনিবার) সকালে মাত্র ২০০০ রুপি জোগাড় করেন। সেই রুপি দিয়ে হোটেল ভাড়া মিটিয়ে খাবার খান।
রোববার সকালে ডলার ভাঙানোর জন্য ফের সোনালী ব্যাংকে আসেন। সকালে লাইনে অপেক্ষার পর দুপুর নাগাদ ডলার ভাঙান তিনি। চিকিৎসা না করিয়েই এ যাত্রা ফিরে যাচ্ছেন বলে জানালেন ওই নারী।
| কলকাতা,নোট-বদল,বাংলাদেশি | কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের সোনালি ব্যাংকে রোববার সকাল থেকেই নোট বদলের আশায় ভিড় জমান বাংলাদেশিরা- | international |
https://samakal.com/whole-country/article/19125688/বিশ্ববিদ্যালয়ে-ভর্তি-অনিশ্চিত-নুর-আলমের | অর্থাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত নুর আলমের | কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জের চরাঞ্চলে বেড়ে ওঠা মেধাবী শিক্ষার্থী নুর আলম। সব প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় নুর আলম এ ইউনিটে (কলা অনুষদ) ১৮তম ও বি ইউনিটে (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) ৩০তম স্থান অধিকার করেছেন। কিন্তু অর্থাভাবে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। নুর আলমের বাবা উলিপুরের বেগমগঞ্জের চরাঞ্চলের একজন প্রান্তিক কৃষক। চরাঞ্চলে চাষাবাদের জন্য সামান্য জমি আছে। বন্যার সময় চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ে সেই জায়গাটুকুও। অন্যান্য সময় যে চাষাবাদ হয় তা দিয়ে পরিবারের পাঁচজনের খাওয়ার চালই জোটে না। পারিবারিক অনটনে নুর আলম মামাবাড়িতে থেকে পড়ালেখা করে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরে মামাও লেখাপড়ার খরচ চালাতে অপারগ হলে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন 'বন্ধন' থেকে বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে তার উচ্চ মাধ্যমিকের লেখাপড়ার খরচ চালান। নুর আলম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে পড়তে চান। তার স্বপ্ন, ভবিষ্যতে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দিয়ে জন্মস্থান দুর্গম চরাঞ্চলে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করা। তার বাবা আব্দুস শফি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, 'এতদিন অনেক কষ্ট করে আমার ছেলে লেখাপড়া চালিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য এত টাকা আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাই কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি যদি আমার ছেলের স্বপ্ন পূরণে ভর্তির টাকা দিয়ে সাহায্য করতেন তাহলে আমি তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকতাম।' নুর আলমকে সাহায্য করতে চাইলে তার সঙ্গে ০১৭১৭-৪০৯২৭৪ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। সাহায্য পাঠানো যাবে রকেট নম্বর: ০১৭১৭-৪০৯২৭৪০-এ। | বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় | শিক্ষার্থী নুর আলম | national |
https://samakal.com/politics/article/1704288441/শেখ-হাসিনা-রেফারি-থাকলে-বিএনপি-নির্বাচনে-যাবে-না-দুদু | শেখ হাসিনা রেফারি থাকলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: দুদু |
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, 'আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা প্রধান রেফারি থাকলে বিএনপি সেই নির্বাচনে যাবে না। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেফারি থাকলে কী ধরনের নির্বাচন হবে সেটা ৫ জানুয়ারি নির্বাচনসহ বিগত দিনের নির্বাচনগুলো দেখলেই বোঝা যায়।'
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে 'জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন' আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ভারত ও ভুটানের সফরে ওই দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে কেনো আলোচনায় বসতে চান না। অবিলম্বে দেশের চলমান সংকট নিয়ে আলোচনায় বসুন। অন্যথায় বিএনপি কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।'
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি না করলে দেশের রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রী দায়ী থাকবেন।'
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, 'বিলম্ব হলেও আগামী ৩০ তারিখ বন্যা আক্রান্ত হাওর এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আপনি এটা বিরোধী দলের চাপে হোক, আর যে কারণেই হোক সেখানে যাচ্ছেন। এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।'
মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন 'জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন' সংগঠনের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম।
| দুদু,বিএনপি, | শামসুজ্জামান দুদু | politics |
https://www.bhorerkagoj.com/2019/08/18/%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%80%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%b8%e0%a7%9c%e0%a6%95-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%98%e0%a6%9f%e0%a6%a8%e0%a6%be-4/ | সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত | সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দেবনগর এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সাগর হোসেন (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন তার বন্ধু রহমত আলী। আজ রোববার বিকেল ৫টার দিকে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সাগর সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা গ্রামের হাফি সরদারের ছেলে এবং আহত আলী একই গ্রামের আনারুদ্দিনের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে ওই বাইপাস সড়কে সাগর তার মোটরসাইকেলের পেছনে বন্ধু আলীকে নিয়ে অপর একটি মোটরসাইকেলে সঙ্গে রেস প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। পথে দেবনগর এলাকায় মোটরসাইকেলটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি পিলারে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন ওই দুই বন্ধু। এ অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাগরকে মৃত ঘোষণা করেন। আলী ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। | null | সাতক্ষীরা | national |
https://www.ajkerpatrika.com/147899/%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8 | সত্য নাদেলার ছেলে মারা গেছেন | মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলার ছেলে জাইন নাদেলা মারা গেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৬ বছর বয়সী জাইন জন্ম থেকেই সেরিব্রাল পালসি রোগে ভুগছিলেন। গতকাল সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে।হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সত্য নাদেলা নিজেই একটি ই-মেইলের মাধ্যমে তাঁর সহকর্মীদের জানিয়েছেন যে জাইন নাদেলা মারা গেছেন। সত্য নাদেলা তাঁর পুত্রের জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেনসহকর্মীদের।২০১৪ সালে মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সত্য নাদেলা তাঁর প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবন্ধীদের ব্যবহারোপযোগী পণ্য ডিজাইন করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি জাইনের কাছ থেকে এ ব্যাপারে অনেক কিছু শিখেছেন বলে উল্লেখ করেছেন।সিয়াটল চিলড্রেন'স সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটিভ ব্রেন রিসার্চে ছেলের নামে 'জাইন নাদেলা এনডাউড চেয়ার' প্রতিষ্ঠা করেছেন সত্য নাদেলা। গত বছর সেখানে যোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের চিলড্রেনস হসপিটাল। এই হাসপাতালেই বেশির ভাগ সময় চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন জাইন নাদেলা।চিলড্রেনস হসপিটালের প্রধান নির্বাহী জেফ স্পেরিং তার বোর্ডের কাছে একটি বার্তায় লিখেছেন, অসাধারণ সংগীত প্রতিভা আর প্রাণখোলা হাসির জন্য জাইন চিরকাল আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। তিনি তাঁর পরিবার ও সবার জন্য যে অপরিমেয় আনন্দ দিয়েছেন তার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। | যুক্তরাষ্ট্র,মাইক্রোসফট | মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলা। | international |