news_link
stringlengths
42
523
head_lines
stringlengths
2
121
article
stringlengths
1
58.1k
tags
stringlengths
1
285
image_caption
stringlengths
1
1.86k
category
stringclasses
13 values
https://samakal.com/economics/article/17121098/ফারমার্স-ব্যাংকের-এমডিকে-অপসারণের-সিদ্ধান্ত
ফারমার্স ব্যাংকের এমডিকে অপসারণ
তারল্য ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঋণ বিতরণের অভিযোগে ফারমার্স ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম শামীমকে অপসারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ (১) ধারা অনুযায়ী, অপসারণের চিঠি পাঠানো হয়েছে।মঙ্গলবার সকালে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চিঠি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যদিয়ে অপসারণ কার্যকর হয়েছে। অবশ্য এমডির চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী ২৮ ডিসেম্বর।বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা সাংবাদিকদের জানান, ফারমার্স ব্যাংকের এমডি এ কে এম শামীমকে অপসারণে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সকালে ব্যাংকটি সেই চিঠি গ্রহণ করেছে।নানা অনিয়মে সম্পৃক্ততার দায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে এর আগে গত ২৭ নভেম্বর ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী। অনিয়ম করে দেওয়া ঋণ ফেরত না আসায় ব্যাংকটি ব্যাপক তারল্য সংকটে পড়েছে।গত ২৬ নভেম্বর এ কে এম শামীমকে এমডির পদ থেকে কেন অপসারণ করা হবে না- জানতে চেয়ে নোটিশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নোটিশের সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় গত ১৩ ডিসেম্বর তাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসানের নেতৃত্বে এমডিদের অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্থায়ী কমিটির মুখোমুখি করা হয়। কমিটি সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে তাকে অপসারণের বিষয়ে গভর্নরের কাছে সুপারিশ করে। সুপরিশের পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নর তাতে সায় দিয়েছেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর এ কে এম শামীমের ৬৫ বছর পূর্ণ হবে।সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে স্থায়ী কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে যে কোনো ব্যাংকের এমডিকে অপসারণ করতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সর্বশেষ গত ৬ ডিসেম্বর এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের এমডি দেওয়ান মুজিবুর রহমানকে অপসারণ করা হয়। এর আগে গত বছরের ৩০ জুন অগ্রণী ব্যাংকের এমডি সৈয়দ আবদুল হামিদ এবং ২০১৪ সালের ২৫ মে বেসিক ব্যাংকের এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে অপসারণ করা হয়।কার্যক্রম শুরুর অল্প দিনেই নানা অনিয়মের জড়িয়ে পড়ায় ব্যাংক আলোচিত নতুন প্রজন্মের ফারমার্স ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক। ব্যাংক দু'টির অনিয়ম শিওরে ওঠার মতো বলে সাম্প্রতিক এক বৈঠক শেষে জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ড়. আব্দুর রাজ্জাক। ফারমার্স ও এনআরবিসি পুরো আর্থিক খাতে পদ্ধতিগত ঝুঁকি তৈরী করছে বলেও ওই বৈঠকে জানানো হয়।
এ কে এম শামীম,ফারমার্স ব্যাংক
এ কে এম শামীম
economy
https://www.ajkerpatrika.com/34230/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%83%E0%A6%B9%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%83%E0%A6%B9%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE
সাভারে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে গৃহকর্তা গ্রেপ্তার
সাভারের আশুলিয়ায় গৃহকর্মীকে ধর্ষণ এবং মারধর করে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগে গৃহকর্তা দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দেলোয়ারের স্ত্রী লিপি ও শ্যালিকা লিমাকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত দেলোয়ার আশুলিয়ার গাজিরচটের বগাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও ওই এলাকার সোনিয়া মার্কেটের মালিক। তাঁর পিতার নাম মৃত শাহজাহান আলী।আজ শুক্রবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার ভুক্তভোগী নারীকে বাসায় কাজের জন্য ডেকে নিয়ে যায় দেলোয়ার দম্পতি। ভুক্তভোগী ওই নারী বাসায় কাজ করার সময় ঘর থেকে লিপি বের হয়ে যায়। এই সুযোগে দেলোয়ার গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় স্ত্রী লিপি ও শ্যালিকা লিমা ঘরে ফিরে গৃহকর্মীকে মারধর করে মাথা ন্যাড়া করে দেন। গত বুধবার ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভুক্তভোগী গৃহকর্মী ভর্তি হন।এ ঘটনায় এজাহার দায়ের করেন ভুক্তভোগী গৃহকর্মীর স্বামী। এজাহার থেকে জানা যায়, গত মঙ্গলবার আশুলিয়ার গাজীরচটের বগাবাড়ির সোনিয়া মার্কেট এলাকায় ওই গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করে দেলোয়ার। এরপর ব্যাপক মারধর করে চুল কেটে দেয় লিপি (৩৫) ও শ্যালিকা লিমা (২৭)।আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'ভুক্তভোগীর স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে গ্রেপ্তার দেলোয়ারকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুই আসামি লিপি ও লিমা এখনো পলাতক।'
ঢাকা জেলা,ধর্ষণ,অপরাধ,ঢাকা বিভাগ,সাভার,আশুলিয়া,গৃহকর্মী
আসামি দেলোয়ার হোসেন।
national
https://www.bd-pratidin.com/entertainment/2021/04/08/636811
সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে তৈরি হবে সিনেমা!
সুশান্ত সিং রাজপুতকে নিয়ে নিজের পরের ছবি বানাতে পারেন বলে জানালেন পরিচালক রামগোপাল বর্মা। সুশান্তের মৃত্যুর পর তদন্ত যে পথে এগোচ্ছে, তা একটি ভালো ছবির স্ক্রিপ্ট হতে পারে বলেই মনে করেন রামগোপাল। ২০২০ সালের ১৪ জুন নিজের ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় সুশান্তকে। প্রথমে পুলিশি তদন্তে মৃত্যুর কারণ হিসেবে আত্মহত্যা দেখানো হলেও, পরবর্তীতে সুশান্তের বাড়ির লোকের পক্ষ থেকে একাধিক মামলা করা হয়। সুশান্ত মৃত্যুরহস্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর আগেও সুর চড়িয়েছেন রামগোপাল। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে রামগোপাল জানান, তিনি চিত্রনাট্য নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন। কিন্তু এ বিষয়ে সবিস্তারে কোনও তথ্য তিনি দেননি। ওই সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, সুশান্তের মৃত্যুর পরে যে ঘটনাপ্রবাহ দেখা গেছে, তা থেকে কি ভালো চিত্রনাট্য হতে পারে? জবাবে পরিচালক বলেন, ''হতেও পারে। আবার না-ও হতে পারে। অনেক ঘটনা ঘটেছে। অনেক পক্ষ তৈরি হয়েছে, যা থেকে বেছে নিতে হবে চিত্রনাট্যে।'' নেটমাধ্যম নিয়ে রাম গোপালের মত, ''মানুষ প্রচুর কলরব করে। আবার সময় এগুলে ভুলেও যায়। এত কিছু ঘটল, কিন্তু ফল কিছুই হলো না। রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে কী হলো, তা-ও আমি জানি না। আসলে নেটমাধ্যম একটা সার্কাস।'' সুশান্ত রাজপুত অভিনীত শেষ ছবিগুলোর মধ্যে 'সোনচিড়িয়া' আর 'ছিঁছোড়ে' ভালোবাসা পেয়েছে নেটিজেনদের। নীতিশ তিওয়ারির 'ছিঁছোড়ে' জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে শ্রেষ্ট ছবি হিসেবেও নির্বাচিত হয়। সূত্র: আনন্দবাজার, সংবাদ প্রতিদিন বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
null
সুশান্ত সিং রাজপুত।
entertainment
https://www.bd-pratidin.com/campus-online/2020/09/04/563454
'আমার পরিচিত মানুষগুলোকে আমার মৃত্যুর খবরটা জানিয়ে দিয়ো'
'আমার পরিচিত মানুষগুলোকে আমার মৃত্যুর খবরটা জানিয়ে দিয়ো'- এই চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম (২৫)। তিনি প্রেমঘটিত সম্পর্কের অবনতির কারণে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার বিকালে মানিকগঞ্জ শহরের দক্ষিণ সেওতা এলাকায় নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন তিনি। আত্মহত্যার আগে তিনি একটি চিরকুট লিখে গেছেন। সেই লেখাটি আব্দুর রহিমের নিজ হাতের লেখা বলে নিশ্চিত করেছেন তার সহপাঠী এবং পরিবারের সদস্যরা। চিরকুটে লেখা রয়েছে, 'আম্মু-আব্বু, আমি সত্যি পারলাম না তোমাদের স্বপ্ন সত্যি করতে। আমাকে মাফ করে দিয়ো। এই দুনিয়াটা আমার আর ভালো লাগছে না, তাই চলে যাচ্ছি। আমার পরিচিত মানুষগুলোকে আমার মৃত্যুর খবরটা জানিয়ে দিয়ো। সবাইকে বলো, আমাকে যেন মাফ করে দেয়। আমি সত্যি এই দুনিয়ার যোগ্য না। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.)'। বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা স্কুলের ১৬ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। বেশ কিছুদিন ধরে ওই সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল। মৃত্যুর আগে ম্যাসেঞ্জারে পাঠানো ওই মেয়ের সর্বশেষ বার্তা ছিল 'যদি কোন দিন বিয়ে করতে পার তবেই যোগাযোগ করো'। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান তার অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
null
আব্দুর রহিম
education-career
https://samakal.com/entertainment/article/19042076/প্রেমের-গল্পে-অরুণা
অসম প্রেমের গল্পে অরুণা
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি নাটক-টেলিছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন অরুণা বিশ্বাস। এবার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি। নাম 'প্রেম বিলাসী'। আগামী ১০ মে থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে চলচ্চিত্রটির দৃশ্যধারণ শুরু হবে। আজিশা রহমান ইতির চিত্রনাট্যে এটি পরিচালনা করবেন আকাশ আমিন। অসম প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত হবে ছবিটি। এতে একজন ডিভোর্সি নারীর চরিত্রে দেখা যাবে অরুণা বিশ্বাসকে। যিনি এক সময় স্বনামধন্য লেখক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। একসময় তার সঙ্গে পরিচয় হয় এক তরুণের। তার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। ঘটে নানা ঘটনা। এই তরুণের চরিত্রে অভিনয় করছেন আফফান মিতুল। অরুণা বিশ্বাস বলেন, 'স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির গল্প অসাধারণ। এখানে অসম প্রেমের গল্প বলা হয়েছে। আশা করছি, ভালো কিছু হতে যাচ্ছে।' এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির কাজের পাশাপাশি ঈদের বেশ কয়েকটি নাটকের শুটিং করছেন অরুণা বিশ্বাস। এ ছাড়া একাধিক ধারাবাহিক নাটকেও অভিনয় করছেন তিনি।
অরুনা বিশ্বাস,বিনোদন
অরুনা বিশ্বাস
entertainment
https://www.ajkerpatrika.com/68418/%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A7%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%A4%E0%A6%A6%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF
এবার ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে এনসিবি
শাহরুখপুত্রের মাদক মামলার প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে এবার নিজেই তদন্তের মুখোমুখি। ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (এনসিবি) পাঁচ সদস্যের একটি দল আগামীকাল বুধবার দিল্লি থেকে মুম্বাই যাবে। ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ কেলেঙ্কারির বিষয়ে খোঁজখবর নিতে এনসিবির মুম্বাই শাখা অফিসে যাবে দলটি।অভিযোগ উঠেছে, শাহরুখের ছেলে আরিয়ান খানের মাদক মামলায় ১৮ কোটি রুপিতে এক ব্যক্তির সঙ্গে সমঝোতার আলাপ হয়েছিল। সেখান থেকে ৮ কোটি রুপি ওয়াংখেড়েকে দেওয়ার কথা ছিল। তিনি এই মামলার প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা। এছাড়া প্রমোদতরী থেকে আরিয়ানদের তিনিই গ্রেপ্তার করেছিলেন।এদিকে মহারাষ্ট্র রাজ্যের মন্ত্রী নওয়াব মালিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করে যাচ্ছেন। চাঁদাবাজি, ফোনে আড়িপাতা, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত সুবিধা পেতে নথিপত্র জালিয়াতির মতো অভিযোগ তুলেছেন তিনি।ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ২৬টি অভিযোগ সংবলিত একটি চিঠি টুইট করেছেন মন্ত্রী নবাব মালিক। তিনি এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালের দিকে এনসিবি উপ মহাপরিচালক মুথা অশোক জৈন বলেছেন, এ ব্যাপারে তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।এদিকে গতকাল দিল্লিতে গিয়েছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। তবে কেন্দ্র থেকে তাঁকে ডাকা হয়েছিল এমন কথা উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।আরিয়ান খানের মাদক মামলায় এনসিবির 'স্বাধীন সাক্ষী' কেপি গোসাভির দেহরক্ষী প্রভাকর সাইল গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, গত ৩ অক্টোবর গোসাভি এবং জনৈক স্যাম ডি'সুজার মধ্যে ফোনালাপ তিনি শুনেছেন। সেই আলাপে গোসাভি ২৫ কোটি রুপিতে সমঝোতার প্রস্তাব দেন। শেষ পর্যন্ত ১৮ কোটি রুপিতে রফা হয়। এর মধ্যে ৮ কোটি রুপি সমীরকে দেওয়ার কথা হয়।কেপি গোসাভি এখন নিখোঁজ। এনসিবি তাঁকে মাদক মামলার স্বাধীন সাক্ষী হিসেবে দাবি করেছিল। এখন প্রভাকরের বক্তব্যের বিষয়ে আদালতে একটি হলফনামা দিয়েছে এনসিবি। সেখানে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এনসিবি আদালতকে দেওয়া হলফনামায় বলছে, প্রভাকর সাইল 'বৈরী সাক্ষী' হিসেবে কাজ করছেন।এ বিষয়ে খোঁজখজর নিতেই আগামীকাল মুম্বাই যাচ্ছে এনসিবির দল।আরও পড়ুন:আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করা ওয়াংখেড়ে এখন নিজেই দৌড়ের ওপর
ভারত,বিনোদন,বলিউড,অপরাধ,মাদক,শাহরুখ খান
শাহরুখপুত্রের বিরুদ্ধে মামলার প্রধান তদন্ত কর্মকর্তাই এবার তদন্তের মুখে।
entertainment
https://www.bhorerkagoj.com/2020/06/18/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%be-%e0%a6%9b%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%b8%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%a4%e0%a6%be/
বাবা-ছেলে চরিত্রে আসছে তাদের প্রথম গান
দুই প্রজন্মের জনপ্রিয় দুই শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী ও আসিফ আকবর। দুই জনের মধ্যেকার সম্পর্কও যথেষ্ট ভালো। আব্দুল হাদীকে বরাবরের মতোই গুরু মানেন আসিফ। এবার প্রথম বারের মতো দুই জনই আসছেন ভিন্ন এক গানে। গুরু-শিষ্যের সম্পর্কটা এবার প্রকাশ পাচ্ছে বাবা-ছেলের চরিত্রের মধ্য দিয়ে। কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদীকে বরাবরই আইডল মানেন আসিফ আকবর। দুজনার সম্পর্কটাও গুরু-শিষ্যের মতো। শুরু তা-ই নয়, সৈয়দ আব্দুল হাদী নিজের যেকোনও গান গাইবার আগাম অনুমতি দিয়ে রেখেছেন আসিফ আকবরকে। গানটি প্রসঙ্গে সৈয়দ আব্দুল হাদী বলেন, 'আসিফের বলিষ্ঠ গায়কী আমাকে মুগ্ধ করে। আমাদের সময় যারা গান শুরু করি, তাদের প্রধান সম্পদ ছিল নিজের কণ্ঠ। আসিফের সেই সম্পদ আছে। সে তার কণ্ঠ দিয়েই সংগীতাঙ্গন মাতিয়ে রেখেছে। তার গান শুনতে আমারও ভালো লাগে। আসিফ আমাকে বড় ভাই বলেই সম্বোধন করে, শ্রদ্ধা করে। দুই ভাই মিলে এবার কণ্ঠ দিলাম একটি ভিন্ন ধারার গানে। আশা করি শ্রোতারা সাদরেই গ্রহণ করবেন।' আসিফ আকবর জানালেন, 'প্রতিটা মানুষের মনেই স্বপ্ন থাকে। সেই স্বপ্ন কখনও পূরণ হয়, কখনও হয় না। ছোটবেলা থেকেই হাদী ভাইয়ের বলিষ্ঠ মায়াবী কণ্ঠের ভক্ত আমি। তার সঙ্গে গান গাইবার সুযোগ হয়েছে মানে আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আগামী ২০ জুন, শনিবার ডিএমএস-এর ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত করা হবে 'বাবা ছেলের টান'। পাশাপাশি গানটি শুনতে পাওয়া যাবে বিভিন্ন মিউজিক অ্যাপ-এ।
আব্দুল হাদী,আসিফ,গান
সৈয়দ আব্দুল হাদী ও আসিফ আকবর
entertainment
https://www.bd-pratidin.com/country/2022/02/16/741323
ডা. জাফরুল্লাহ'র বিরুদ্ধে মানহানির মামলা, সমন জারি
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে শরীয়তপুরে মানহানির মামলা করা হয়েছে। মামলা আমলে নিয়ে আসামিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন বিচারক। আজ বুধবার দুপুরে শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন ছাত্র ইউনিয়নের শরীয়তপুর জেলা সংসদের সভাপতি সাইফ রুদাদ। মামলার বাদী সাইফ রুদাদ বলেন, 'কাদের মোল্লা একজন প্রতিষ্ঠিত ও প্রমাণিত যুদ্ধাপরাধী। এ অপরাধে তার মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। তার মতো ঘৃণ্য ব্যক্তিকে ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে জড়িয়ে বক্তব্য দিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ইতিহাস বিকৃত করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মানহানি মামলা করেছি।' 'জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা মানহানি মামলা আদালত আমলে নিয়েছেন। জেলা ও দায়রা জজ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস আসামির বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দিয়েছেন,' সংবাদমাধ্যমকে বলেন বাদীর আইনজীবী আজিজুর রহমান রোকন। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
ডা. জাফরুল্লাহ, মানহানি, মামলা, সমন, জারি
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
national
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/মেডিকেলের-বর্জ্য-ভাঙারি-দোকানে-বিক্রি-করায়-দুজনের-বিরুদ্ধে-মামলা
মেডিকেলের বর্জ্য ভাঙারি দোকানে বিক্রি করায় দুজনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামের হালিশহরে ভাঙারি দোকানে মেডিকেল বর্জ্য বিক্রির অভিযোগে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। আজ বৃহস্পতিবার বন্দর থানায় অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগরের পরিদর্শক মো. শাওন শওকত বাদী হয়ে এ মামলা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলায় হালিশহর টিজি কলোনি এলাকার ভাঙারি দোকানি মো. সিদ্দিক ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার মেডিকেল বর্জ্য পরিবহনে নিয়োজিত চট্টগ্রাম সেবা সংস্থার স্বত্বাধিকারী জমির উদ্দিনকে আসামি করা হয়। এর আগে গতকাল বুধবার হালিশহর আনন্দ বাজার ও টিজি কলোনি এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাসের নেতৃত্বে একটি দল অভিযানে যায়। এ সময় তারা পরিশোধনের জন্য নেওয়া মেডিকেল বর্জ্য ভাঙারি দোকানে দেখতে পায়। পরে সিদ্দিক ও জমির উদ্দিনকে নোটিশ দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ে শুনানিতে অংশ নেন ওই দুজন। শুনানিতে মেডিকেল বর্জ্য অপসারণে অবহেলার বিষয়টি স্বীকার করেন তাঁরা। ভাঙারি দোকানের মাধ্যমে সিদ্দিক এগুলো বিক্রি করেন বলে স্বীকার করেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক বলেন, শুনানিতে দোষ স্বীকার করার পর ওই দুজনের বিরুদ্ধে চিকিৎসা বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী মামলা করা হয়। এদিকে পাহাড় কাটার অভিযোগে বৃহস্পতিবার তিনজনের বিরুদ্ধে নগরের আকবরশাহ থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে। ইস্পাহানি এলাকায় সাবিহা ইয়াছমিন ও জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। অপর মামলা হয়েছে ফয়েজ লেক ২ নম্বর এলাকায় জাফর আহমদের বিরুদ্ধে। দুটি মামলায় বাদী হয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরির্দশক মনির হোসেন।
স্বাস্থ্যঝুঁকি,জনস্বাস্থ্য,চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ
পরিশোধনাগারে নেওয়ার কথা থাকলেও হালিশহরের একটি ভাঙারি দোকানে বিক্রি করা হয়েছিল মেডিকেল বর্জ্য
national
https://www.bhorerkagoj.com/2020/03/19/%e0%a7%a9%e0%a7%a7-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9a-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ac/
৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব বার বন্ধের নির্দেশ
করোনাভাইরাস এর পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামীকাল থেকে দেশের সব বার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। আজ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক প্রশাসন মোহাম্মদ মামুন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাস এর উদ্ধৃত পরিস্থিতিতে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব হোটেল রেস্টুরেন্ট বার ক্লাব বার বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ৩১ মার্চের পরে করো না এরাসের পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া হবে।
null
মদের বার
national
https://www.dailynayadiganta.com/asia/352103/ভিয়েতনামে-ছুরিকাঘাতে-একই-পরিবারের-৩-সদস্য-নিহত
ভিয়েতনামে ছুরিকাঘাতে একই পরিবারের ৩ সদস্য নিহত
ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলীয় থাই নগুয়েন প্রদেশে মঙ্গলবার ছুরিকাঘাতে একই পরিবারের তিন সদস্য নিহত হয়েছে। এসময় আরো চার প্রতিবেশী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। প্রাদেশিক পুলিশ একথা জানিয়েছে। নিহত তিনজনের মধ্যে রয়েছে ভান হোয়াত (৪২) এবং তার ১৩ বছর বয়সী পুত্র ও ৪৯ বছর বয়সী ভাবী। ছুরিকাঘাতে হোয়াতের বড় ভাই মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। তার বয়স ৫১ বছর। স্থানীয় পুলিশ এ হত্যার অভিযোগে মঙ্গলবার ৫৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। এ ব্যক্তি ফুবিন জেলায় হতাহতদের বাড়ির কাছে বসবাস করে। প্রাদেশিক পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন এ ব্যক্তি মানসিক রোগি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
null
ভিয়েতনামে ছুরিকাঘাতে একই পরিবারের ৩ সদস্য নিহত
international
https://samakal.com/bangladesh/article/18101319/গ্রুপের-এমএ-হাশেমকে-দুদকে-জিজ্ঞাসাবাদ
পারটেক্স গ্রুপের এমএ হাশেমকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ হাশেমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক উপপরিচালক মো. মোশারফ হোসেইন মৃধা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযোগ সম্পর্কে সাংবাদিকরা এমএ হাশেমের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। একাধিকবার জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, দুদক তাকে কেন ডেকেছে তা তিনি জানেন না। জানা যায়, রোববার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এমএ হাশেমের কাছে নোটিশ পাঠানো হয় ১৪ অক্টোবর। এর আগেও তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ অনুসন্ধান করেছে দুদক।এমএ হাশেমের কাছে পাঠানো নোটিশে তার বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি, বৈধ ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ব্যবসা ও নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পাঁচশ' একর সরকারি জমি দখল করে শত শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া পারটেক্স গ্রুপের বিভিন্ন সহযোগী কোম্পানির নামে স্বল্প মূল্যে আমদানি করা পণ্যে উচ্চ মূল্য উল্লেখ করে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এমএ হাশেম,পারটেক্স,দুদক
এমএ হাশেম
national
https://bangla.dhakatribune.com/international/2022/03/25/1648180685211
কোভিডে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে
চলমান কোভিড মহামারিতে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। একই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। একই সময়ে নতুন করে প্রায় ১৭ লাখ মানুষের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, ব্রাজিল, জার্মানি, ফিলিপাইন ও হংকং। বিশ্বব্যাপী কোভিডে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৭ কোটি ৭৭ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬১ লাখ ৩২ হাজার। শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ওয়েবসাইটটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ হাজার ৮০৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে আড়াই শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬১ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৭ জনে। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৯৩ হাজার ৯০৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২৭ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ কোটি ৭৭ লাখ ৪৮ হাজার ৬৫১ জনে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাভাইরাসকে ''বৈশ্বিক মহামারি'' হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
করোনাভাইরাস,কোভিডে মৃত্যু
এএফপি
international
https://www.ajkerpatrika.com/148502/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87-%E0%A7%AC-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B6-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B0
যুদ্ধে ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত, দাবি জেলেনস্কির
গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে প্রায় ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এক ভিডিও বার্তায় বুধবার জেলেনস্কি বলেন, 'প্রথম ছয় দিনের যুদ্ধে প্রায় ছয় হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে। বিমান হামলা ও বোমা দিয়ে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে না ক্রেমলিন।'উল্লেখ্য, ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে গোলাগুলিতে ২১ জন নিহত ও ১১২ জন আহত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খারকিভের মেয়র। ইউক্রেনে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে ১৩ শিশুসহ ১৩৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ইউরোপ,রাশিয়া,জাতিসংঘ,যুদ্ধ,ইউক্রেন,রাশিয়া ইউক্রেন সংকট,ভলোদিমির জেলেনস্কি
ভলোদিমির জেলেনস্কি।
international
https://www.bd-pratidin.com/national/2016/09/15/169892
নানী শেখ হাসিনার কোলে উৎফুল্ল আজলিয়া
কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে খুব স্বল্প সময়ের জন্য যাত্রাবিরতি করেন। তবে সময় দিয়েছেন পরিবারের সদস্যদের। না দিয়ে কি উপায় আছে? ছোট বোন শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিকের মেয়ে আজলিয়ার কচি মুখখানাকে তিনি কি এড়িয়ে যেতে পারতেন? তাই তো লন্ডনে অবস্থানকালীন প্রায় পুরোটা সময়ই আজালিয়াকে কোলে রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজলিয়াকে কোলে নিয়েই নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন তিনি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ সময় ধরে আজলিয়া প্রধানমন্ত্রীর কোলে খেলেছে। দু'জনের মধ্যে বেশ ভাবও জমে গিয়েছিল। নানীকে চিনতে খুব একটা সময় লাগেনি আজলিয়ার। প্রধানমন্ত্রীর সাথে টিউলিপ কন্যার এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দেখা হলো। এর আগে মে মাসে প্রধানমন্ত্রী লন্ডন সফরকালে নবজাতক আজলিয়াকে দেখে গিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পর দেখা হলেও আজলিয়া কিন্তু ঠিকই আপন করে নিয়েছিলেন নানীকে।
null
প্রধানমন্ত্রীর কোলে টিউলিপের কন্যা আজলিয়া
national
https://www.ajkerpatrika.com/67243/%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%93-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A6%A2%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8C%E0%A6%81%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%C2%A0
মেট্রোরেলের আরও দুই ট্রেন সেট ঢাকায় পৌঁছেছে
মেট্রোরেলের ষষ্ঠ ও সপ্তম ট্রেন সেট মোংলা বন্ধর থেকে ঢাকায় পৌঁছেছে। রোববার ঢাকার উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোসংলগ্ন তুরাগ নদের তীরে অস্থায়ী জেটিতে ট্রেন সেট বহনকারী বার্জটি এসে পৌঁছায়। আজ বার্জ থেকে ট্রেন সেট নামানোর কাজ চলছে।মেট্রো ট্রেন সেট ঢাকায় আসার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) প্যাকেজ-৮-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক এ বি এম আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'বর্তমানে ট্রেন সেটগুলো বার্জ থেকে নামিয়ে মেট্রোরেলের ডিপোর মধ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গতকাল থেকে বেশ কিছু ট্রেন নামানো হয়েছে। বাকিগুলো নামানোর কাজ আজ শেষ করতে পারব।'এদিকে ২ অক্টোবর মেট্রোরেলের এ দুই ট্রেন সেটের চালান মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়। তারপর নদীপথে সেগুলো গতকাল ঢাকায় পৌঁছেছে। জাপানি প্রতিষ্ঠান কাওয়াসাকি-মিতসুবিশির কাছে থেকে সব মিলিয়ে ২৪ সেট ট্রেনে কিনেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। যার দাম পড়ছে ৩ হাজার ২০৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা। শুল্ক ও ভ্যাট মিলিয়ে এসব ট্রেন বাংলাদেশে আনতে মোট খরচ হবে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।এরই মধ্যে কয়েক ধাপে পাঁচ সেট মেট্রো ট্রেন ঢাকায় চলে এসেছে। মেট্রোরেলের ডিপোর মধ্যে যেসব মেট্রো ট্রেন সেট আছে সেগুলোর এখন বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। গত ২৯ আগস্ট প্রথমবারের মতো ভায়াডাক্ট বা উড়ালপথের ওপর প্রথম মেট্রো ট্রেনের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়েছে। এই পরীক্ষা শেষ হতে সময় লাগবে ছয় মাস। তারপর তিন মাস ধরে হবে ইন্টিগ্রেটেড পরীক্ষা। এরপর মেট্রো ট্রেন বাণিজ্যিক চলাচলের আগে পাঁচ মাস ধরে হবে ট্রায়াল রান। আগামী বছরের ডিসেম্বরে মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ যাত্রী পরিবহনের জন্য চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।রাজধানীতে মেট্রোরেল নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১২ সালে। প্রকল্পের নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও ৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের।
রাজধানী,ঢাকা বিভাগ,মেট্রোরেল,ঢাকা
ট্রেন সেটগুলো বার্জ থেকে নামিয়ে মেট্রোরেলের ডিপোর মধ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
national
https://www.ajkerpatrika.com/165103/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE-%E0%A6%89%E0%A6%A0%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%89%E0%A6%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0%C2%A0
পর্দা উঠলো উই কালারফুল ফেস্টের
নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্টের (উই) আয়োজনে প্রতিবছরের মতো এবারও শুরু হয়েছে 'উই কালারফুল ফেস্ট'। এই মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য বেচাকেনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক আলোচনা পর্বও চলবে। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ম্যারিয়ট কনভেনশন সেন্টারে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, 'আমাদের ডিজিটাল কমার্স অনেকটাই এগিয়ে গেছে। আমরা চিন্তাও করিনি এত তাড়াতাড়ি আমাদের ডিজিটাল কমার্সের প্রসার ঘটবে। করোনার বিপদের মধ্য থেকেও এই সম্পদটুকু আমরা পেয়েছি। নারী উদ্যোক্তাদের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।'এ সময় উদ্যোক্তাদের ইউনিক আইডেনটিফিকেশন নম্বর দেওয়ার গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমরা চাই নারী উদ্যোক্তাদের একটি পরিচয় থাকুক। ইউনিক আইডেনটিফিকেশন নম্বর তাঁদের সেই পরিচয়টাই দেবে। ব্যাংক ঋণ নিতে গেলে, বিদেশি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকার কোনো ইন্সেন্টিভ দিলে, সেসব ক্ষেত্রে এই আইডেনটিফিকেশন নম্বর তাঁদের কাজে আসবে।'মন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্ধেক নারী কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছে। এর সুফল আমরা পাবই।অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ডিজিটাল কমার্সে নারী উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ততার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য সারা দেশে পৌঁছে দিতে উই ডেলিভারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আইসিটি বিভাগ থেকে নারী উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।এবারের উই কালারফুল ফেস্টে ৮৮টি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ই-কমার্সের অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, বাংলাদেশে যে পরিমাণ নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে, এটা বাংলাদেশের ৫০ বছরের একটা বড় অর্জন। আইসিটি ইকোসিস্টেম না থাকলে এত নারী উদ্যোক্তা তৈরি হতে পারত না। এ সময় তিনি নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য বিদেশে রপ্তানির জন্য 'প্রপার ক্রস বর্ডার পলিসি' দরকার বলে জানান।এবারের উই কালারফুল ফেস্টে নারী উদ্যোক্তারা খাবার, মসলা, পোশাক, গয়নাসহ সব দেশীয় পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, উই প্যাভিলিয়নে কো-ওয়ার্কিং স্পেস দ্য হাইভে রেজিস্ট্রেশন উইথ ক্যাশ পেমেন্টে ছাড় থাকছে। এ ছাড়া উদ্যোক্তারা তাঁদের স্টলে আকর্ষণীয় মূল্যছাড় দিচ্ছেন। উদ্যোক্তাদের শিশুদের জন্যও আছে চমৎকার আয়োজন। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিষয়ক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাও থাকছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ মেলা চলবে। আয়োজনটির পৃষ্ঠপোষকতায় আছে দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড, বেঙ্গল ডায়মন্ড ও ফুডপান্ডা।
ঢাকা বিভাগ,নারী,ডিজিটাল,নারী উদ্যোক্তা
নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট
national
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2016/11/23/187055
বরিশালে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের এসআই বরখাস্ত
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতা বাজারে ডাকাতির ঘটনায় নিস্ক্রিয়তার অভিযোগে সংলগ্ন হারতা আরআরএফ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মোজাফফরকে সাময়িক বরখাস্ত এবং ওই ক্যাম্পের সকল সদস্যকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, ডাকাতির পর পালিয়ে যাওয়ার পথে পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর নদীতে যাত্রীবাহী একটি সন্দেহভাজন স্পীডবোট লক্ষ্য করে গুলি করে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। এমনকি কেউ হতাহত হয়েছে কিনা, তাও নিশ্চিত করতে পারেননি উজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, হারতা বাজারে ডাকাতির পর সংলগ্ন সব থানায় বার্তা পাঠানো হয়। সে অনুযায়ী আশপাশের সব থানা পুলিশ সতর্ক ছিল। দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগরপুর নদীতে সন্দেহভাজন একটি স্পীডবোট যেতে দেখে থামার সিগন্যাল দেয়া হয়। কিন্তু সিগন্যাল অমান্য করে চালিয়ে যাওয়ার সময় স্পীডবোট লক্ষ্য করে গুলি করে পুলিশ। এতে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি তিনি। বিডি-প্রতিদিন/২৩ নভেম্বর, ২০১৬/মাহবুব
null
ডাকাতি
national
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/11/21/713995
নৌকার সমর্থকে কুপিয়ে জখম করলো বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের দক্ষিণ চরমশুরা (আলির টেক) এলাকায় নৌকা প্রতীকের কর্মী রাসেদ বেপারীকে (৩২) কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আফসার উদ্দিন ভূইয়া। তারসমর্থক ও কর্মী রাসেদ বেপারী রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলির টেক এলকায় মোটরসাইকেল নিয়ে নির্বাচনী প্রচরণায় বের হয়েছিলেন। এসময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকেরহাজি আক্তারুজ্জামান জীবনের সমর্থকরা রাসেদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে কুপিয়ে জখম করে। এ ব্যাপারে আহতের ছোট ভাই মামুন বেপারী বলেন, আমার ভাই মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল। শুধুমাত্র নৌকার কর্মী হওয়ায় আমার ভাইকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে তারা। মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহাগ বলেন, আহতের মাথায় ২টি কোপ লেগেছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আফছার উদ্দিন ভূইয়া বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমার কর্মী হওয়ায় রাসেদকে কুপিয়ে জখম করেছে জীবনের লোকজন। আমার কর্মীর অবস্থা খুবই গুরুতর। আমি বিষয়টি মোবাইল ফোনে পুলিশ সুপারকে অবহিত করেছি। এ ব্যাপারে মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব বলেন, এখনো অভিযোগ পাইনি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে বিষয়টি দেখছি। বিডি প্রতিদিন/এমআই
নৌকা, সমর্থক, জখম, বিদ্রোহী, প্রার্থী
নৌকার সমর্থকে কুপিয়ে জখম।
national
https://www.prothomalo.com/world/europe/৪০-বছর-পর-ফিরল-দৃষ্টিশক্তি
৪০ বছর পর ফিরল দৃষ্টিশক্তি
৪০ বছর পর আংশিক দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন এক অন্ধ ব্যক্তি। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের গবেষকেরা অপটোজেনেটিক থেরাপি ও বিশেষ চশমার ব্যবহারে তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন। গবেষকেরা দাবি করেছেন, এ ধরনের থেরাপি মানুষের ওপর সফল প্রয়োগের ঘটনা এটাই প্রথম। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫৮ বছর বয়সী ওই অন্ধ ব্যক্তি ৪০ বছর ধরে রেটিনাইটিস পিগমেনটোসা নামে স্নায়ুজনিত চক্ষুরোগে ভুগছিলেন। এতে চোখের ফটোরিসেপ্টরগুলোর ক্ষতি হওয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা চোখের রেটিনা কোষকে পুনঃ প্রোগ্রাম করতে এক ধরনের জিন থেরাপি ব্যবহার করেছেন। গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে নেচার মেডিসিন সাময়িকীতে। গবেষকেরা বলছেন, এ থেরাপি ব্যবহারে চশমা পরা অবস্থায় কোনো বস্তু শনাক্ত, অবস্থান নির্ণয় বা গণনা করতে পারেন রোগী। ঘরের ব্যবহার্য জিনিসপত্র শনাক্ত করতে পারেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞানের অধ্যাপক রবার্ট ম্যাকলারেন বলেন, 'জিন থেরাপি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা আংশিক দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে পেরেছেন। এটা উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। ভবিষ্যতে এই পদ্ধতি আরও পরিমার্জন করা গেলে তা রোগীর জন্য অপটোজেনেটিক থেরাপিকে একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে পরিণত করবে।'
সুইজারল্যান্ড,উদ্ভাবন,গবেষণা
জিন থেরাপি ও বিশেষ চশমা ব্যবহারে অন্ধ ব্যক্তি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে এবং ঘরের ব্যবহার্য জিনিসপত্র শনাক্ত করতে পারে
international
https://samakal.com/bangladesh/article/19102608/যুবলীগ-নেতা-আনিস-ও-তার-স্ত্রীর-বিরুদ্ধে-মামলা
বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা আনিস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান আনিস ও তার স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করেন কমিশনের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আনিসের বিরুদ্ধে অবৈধ ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ এক কোটি ৩১ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
যুবলীগ,দুদক,কাজী আনিসুর রহমান আনিস
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান আনিস
national
https://www.ajkerpatrika.com/204156/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%98%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AB%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8
বাংলাদেশের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে আফগানিস্তান
ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে। প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে আগেই সিরিজ জিতেছিল আফগানরা। গতকাল তৃতীয় ওয়ানডেতেও জিতে প্রথমবার জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করল আফগানিস্তান।টানা তিন জয়ে আইসিসি সুপার লিগের দুয়ে উঠে এসেছে আফগানিস্তান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে পয়েন্ট তালিকার চারে থাকা দলটি এখন এক নম্বরে থাকা বাংলাদেশের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে। বাংলাদেশের চেয়ে মাত্র ২০ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে হাসমতুল্লাহ শাহিদির দল বাংলাদেশের চেয়ে তারা অবশ্য ছয় ম্যাচ কম খেলেছে। ১২ ম্যাচে ১০ জয়ে রশিদ-নবীদের পয়েন্ট ১০০। আর ১৮ ম্যাচে ১২ জয়ে বাংলাদেশের পয়েন্ট ১২০।সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এই সিরিজ সুপার লিগের অংশ। সিরিজে ভালো করে নিজেদের পয়েন্ট বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ আছে তামিম ইকবালের দলের সামনে। পয়েন্ট টেবিলের চারে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনেও আছে এই সুযোগ। আর তিন নম্বরে আছে ইংল্যান্ড। পয়েন্টের হিসাবে টেবিলের পাঁচে অবস্থান করছে ভারত। আর আফগানিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হওয়া জিম্বাবুয়ের অবস্থা শোচনীয়। ১৫ ম্যাচে ৩ জয়ে তারা আছে টেবিলের ১২ নম্বরে।
খেলা,ক্রিকেট,জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট,আফগানিস্তান ক্রিকেট
জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করে সুপার লিগের দুয়ে এল আফগানিস্তান।
sports
https://samakal.com/bangladesh/article/2204105374/মানুষের-জীবনমান-উন্নত-হওয়াতে-যানজট-বাড়ছে-সংসদে-এরজিআরডি-মন্ত্রী
মানুষের জীবনমান উন্নত হওয়ায় যানজট বাড়ছে: সংসদে এলজিআরডি মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, 'মানুষের জীবনমানের উন্নয়তি হওয়ার কারণেই সড়কে যানজট বাড়ছে।' আওয়ামী লীগ আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলে উপজেলা পর্যায়েও যানজট হবে বলে মন্ত্য করেন তিনি। বুধবার সংসদের বৈঠকে রাজধানীর যানজট নিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের সমালোচনার জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল-২০২২ এর ওপর আলোচনায় হারুনুর রশীদ বলেন, 'ঢাকা আজকে নিশ্চল নগরীতে পরিণত হয়েছে। টানা পনের বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, কিন্তু ঢাকা শহরে এখন ভয়াবহ অবস্থা। শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, মশার উপদ্রব, এমনকি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সাংঘাতিক বিপর্যয় ঘটেছে।' তিনি বলেন, 'অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে শুধু ঢাকা নয়, গোটা বাংলাদেশ একটি অবাসযোগ্য দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে।' বিএনপি দলীয় সদস্য হারুন বলেন, 'সরকার শুধু মেগাপ্রকল্পের দিকে দৃষ্টিপাত করছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- যারা দেখতে পায় না, চোখে চশমা দিতে। আমরা চোখে চশমা দিচ্ছি। আজকে বাসা থেকে সচিবালয় যেতে তিন ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। রোজাদাররা অফিস থেকে বাসায় এসে ইফতার করতে পারছেন না। মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে গেলে মশার উপদ্রবে নামাজে বিঘ্নিত হচ্ছে। এগুলো বাস্তব চিত্র। এই জায়গাগুলোতে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন?' হারুন আরও বলেন, 'আমরা কিছু বললে, আপনারা বলেন বিএনপির আমলে কী হয়েছে? আরে বিএনপিতো ২০ বছর আগে ক্ষমতায় ছিল। আপনারা টানা ১৫ বছর ক্ষমতায়। আপনাদের পরিকল্পনা কী? আজকে ঢাকা নগরী বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে গেছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণে আপনারা বিএনপির চেয়ে উন্নতি করছেন? না কি বিএনপির চেয়েও অবনতি ঘটেছে? এই জায়গাগুলো বলেন।' তিনি বলেন, 'মেট্রোরেল বাস্তবায়ন হলেও ঢাকা মহানগরীর যানজট দূর করা যাবে না।' এর জবাব দিতে গিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, '২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে। তাই সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়েছে। আগামীতে আওয়ামী লীগ যদি আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকে, তাহলে উপজেলাতেও দেখবেন গাড়ির লাইন লেগে যাবে। হারুন সাহেবকে বলি- আল্লাহ যদি বাঁচায় রাখে, আওয়ামী লীগ আরেকটা মেয়াদ ক্ষমতায় থাকে, তাহলে আপনে দেখবেন যে, উপজেলায় ট্রাফিক জ্যাম হবে।' তাজুল ইসলাম বলেন, 'বায়ু দূষণ ও শব্দ দূষণের কথা বলা হয়েছে। অথচ ঢাকার মতিঝিলে আমার অফিস ছিলো। গুলশানে আসতাম, ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগতো। এখন লাগে আমার অনেক বেশি সময়। কেন লাগে, কারণ আমাদের আয় অনেক বাড়ছে। ৩০০ থেকে ৪০০ ডলার মাথাপিছু আয়ের দেশ থেকে ২ হাজার ৫৯১ ডলার মাথাপিছু ডলারের দেশ। এখন সবাই গাড়ি কিনছেন।' তিনি বলেন, 'ঢাকা শহরের কথা বলছেন, এখানে মানুষ যেভাবে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে, সবাই ঢাকায় মুভ করছে। সারা পৃথিবীতেই এমন হয়েছে। লন্ডন, টোকিও, কলকাতায়ও হয়েছে। তারা এটাকে ম্যানেজ করেছে। আমরাও এটা নিয়ে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাকে ড্যাপের সভাপতি বানিয়েছেন, সেখানে অনেকগুলো বিষয় বিবেচনা করছি।' তিনি আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। মাথাপিছু আয় বাড়ার কারণে মাথাপিছু চাহিদা বাড়ছে, মাথাপিছু ওয়েস্ট বাড়ছে। ঢাকা শহরের ওয়েস্ট কালেকশন করা হচ্ছে। সিটি করপোরেশন নিয়মিত রাস্তাগুলো পরিষ্কার করছে। সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এমনকি ইউনিয়ন ওয়েস্ট সংগ্রহ করার জন্য ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে।'
তাজুল ইসলাম,এরজিআরডি মন্ত্রী,যানজট,জীবনমান
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম
national
https://www.prothomalo.com/politics/মানুষের-কল্যাণের-জন্য-আল্লাহ-হয়তো-বাঁচিয়ে-রেখেছিলেন-প্রধানমন্ত্রী
মানুষের কল্যাণের জন্য আল্লাহ হয়তো বাঁচিয়ে রেখেছিলেন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা থেকে তাঁর জীবন রক্ষা পাওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন, দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য আল্লাহ হয়তো আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ১৭ বছরপূর্তি উপলক্ষে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম এ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। 'ফিরে দেখা: ভয়াল ২১ আগস্ট' শীর্ষক সাক্ষাৎকারটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে শনিবার রাতে সম্প্রচারিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি নিচে দেওয়া হলো: প্রশ্ন: ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আপনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে এক ডজনের বেশি গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয় এবং এ হামলায় আপনি প্রাণে রক্ষা পেলেও দলের ২২ নেতা-কর্মী সেদিন নিহত হন, আহত হন প্রায় ৫০০ মানুষ-এ সম্পর্কে আপনার অনুভূতি ব্যক্ত করুন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: দেখুন, বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে একটি সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য সৃষ্টি হয়েছিল, সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল। তখন বাংলা ভাই সৃষ্টি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বোমা হামলা প্রভৃতি ঘটনা ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে শুরু করে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চলতে থাকে। যখন সিলেটে হজরত শাহজালাল (র.)-এর মাজারে গ্রেনেড হামলা করা হয় এবং সেই হামলায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার আহত হন এবং তিন-চারজন লোক মৃত্যুবরণ করেন। তখন এই হামলা বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি খুব খারাপভাবে নষ্ট করে। তখনই আমরা সন্ত্রাসবিরোধী একটি র্যালি করার একটি সিদ্ধান্ত নেই এবং যখন সেই র্যালি আমরা করতে চেয়েছিলাম রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে। কিন্তু আমাদের অনুমতি দেওয়া হয় নাই। পরে আমরা প্রস্তুতি নিলাম ঠিক আছে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনেই করব। হঠাৎ তার আগের দিন রাত সাড়ে ১১টায় তারা আবার পারমিশন দেয়। কিন্তু তখন আমাদের মাইক লাগানো হয়ে গেছে, প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন, কাজেই সেখানেই আমরা আমাদের সমাবেশটা করি। তিনি বলেন, আমি যাই এবং বক্তব্য রাখি এবং বক্তব্য রেখে মাইকটাও হাত থেকে রাখতে পারিনি। এরই মধ্যে বোমার আওয়াজ। শব্দ শুনেই আমাদের নেতা-কর্মীরা আমাকে ধরে বসিয়ে দেয়। বিশেষ করে হানিফ ভাইয়ের (সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ) কথা আমি বলব, মামুন-আমার সঙ্গে কাজ করত, নজীব-সে ছুটে আসে, মায়া-তখন ট্রাকের ভেতরেই ছিল। ট্রাকের ভেতরেই সবাই আমাকে একদম ঘিরে রাখে। প্রথমে তিনটা তারপরে তিনটা এভাবে এক ডজনের কাছাকাছি গ্রেনেড তারা ছুড়ে মারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন সত্যি কথা বলতে কি নিজের কথা চিন্তার চেয়েও বেশি চিন্তা হচ্ছিল এতগুলো মানুষ আমরা ট্রাকের ওপরে তারপর চারদিকে আমাদের নেতা-কর্মীরা সবাই। সে সময় কার যে কী অবস্থা কিছুই বুঝতে পারছি না। একটা পর্যায়ে যখন গ্রেনেড হামলা একটু থামল। তখন দেখলাম সিটি মেয়র হানিফ ভাই, যিনি আমাকে ঘিরে রেখেছিলেন সমস্ত স্প্লিন্টারগুলো তাঁর মাথা এবং গায়ে পড়েছে এবং ওই রক্ত আমার কাপড়ে চলে আসে। সবাই ভেবেছে আমি বোধ হয় আহত, তাই আমাকে ধরে ওঠাতে গেল। আমি বললাম, না, আমার কিছু হয়নি। এটা আমার কাছে একটা বিস্ময় যে আমার গায়ে একটাও স্প্লিন্টার লাগেনি। কিন্তু আমার চশমা হারিয়ে যায়। তিনি বলেন, সেখান থেকে আমার গাড়িতে ঠিক যখন উঠতে যাব, আমার গাড়ির দরজাটা খুলে দাঁড়িয়েছিল, আমার সাথেই একজন সেনা কর্মকর্তা মাহবুব, ও ছিল আমার ড্রাইভার কাম সিকিউরিটি। ওরা গেটটা খুলে দাঁড়ায় আর ঠিক সে সময়ে সেখানে একটা গুলিও চলে আসে এবং মাহবুব গুলিবিদ্ধ হয়ে সেখানেই মারা যায়। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ থেকে সে সময় চলে আসি। পুলিশ সেখানে লাঠিপেটা করে এবং টিয়ার গ্যাস মারে। সেটা আমি আবার পরে জানতে পেরেছি, সে সময় জানতে পারিনি। শেখ হাসিনা বলেন, এই যে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ানো, আমি কখনো মৃত্যুর কথা ভাবিনি। আর আমি জানি মৃত্যু যেকোনো সময় আসতে পারে। সেখানে আমরা সন্ত্রাসের শিকার হলাম। আর অন্য দিন মিটিং করতে গেলে পুলিশের থেকে যে রকম বাধা আসে, তারা ঘেরাও করে রাখে, নেতা-কর্মীদের আসতে বাধা দেয়। সে রকম কোনো প্রস্তুতি নাই। আরেকটা কথা হলো আমাদের পার্টির ভলান্টিয়ার যারা সমাবেশের আগে প্রত্যেকটি ছাদে অবস্থান করে কিন্তু সেদিন কাউকেই ছাদে থাকতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ বাধা দিয়েছে। অর্থাৎ আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার যে ব্যবস্থাটা নিই, সেটাও তারা করতে দেয়নি। তিনি বলেন, অনুভূতির কথা আমি এটুকুই বলব, আল্লাহ হয়তো জীবনটা বাঁচিয়ে রেখেছেন, এই ধরনের হামলার শিকার হয়েছি। হয়তো আমার হাত দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের কিছু কল্যাণ করবেন, সে জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছিলেন, তা ছাড়া আরকি! প্রশ্ন: এই নৃশংস হামলা ছিল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। যেভাবে এর ছক কষা হয়েছে তাতে মনে হয়েছে পুরো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে ধ্বংস করার জন্য এই হামলা করা হয়েছিল। এর কারণ কী? প্রধানমন্ত্রী: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সংগঠনটাকে গড়ে তুলেছিলেন এবং এই সংগঠন করবার জন্য তিনি মন্ত্রিত্ব পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি পাকিস্তান হওয়ার পরেই যেটা উপলব্ধি করেছিলেন, বাঙালির জন্য একটা রাষ্ট্র দরকার, বাঙালি জাতি হিসেবে একটি স্বতন্ত্র আত্মপরিচয় দরকার। যখনই জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণাটা দিলেন, তাঁকে কিন্তু গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হলো। কাজেই তাঁকে হত্যার একটা চেষ্টা তো বহুদিন থেকে ছিল। তার কারণ হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া, আওয়ামী লীগকে নিয়েই তিনি বাংলাদেশের মানুষকে সংগঠিত, ঐক্যবদ্ধ করেছেন, প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে বিজয় অর্জন করেছেন। তিনি বলেন, যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর ছিল, যারা পাকিস্তানি সরকারের সাপোর্ট করেছে বা পদলেহন করত তারা তো কখনো এ দেশের স্বাধীনতাটাই চায়নি। তাই আওয়ামী লীগের ওপর তাদের ক্ষোভ এই জন্যই যে এই আওয়ামী লীগ সংগঠনটাই তো এ দেশের স্বাধীনতা, আন্দোলন-সংগ্রামে এবং বিজয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এবং আওয়ামী লীগ প্রথম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করে সেই সরকারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনে। পাকিস্তানিরা পরাজিত হয় এবং পরাজয়েই প্রতিশোধ তারা নিতে চেয়েছে সে জন্যই। প্রশ্ন: বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় ছিল এবং হামলা-পরবর্তী তাদের আচরণ ছিল অত্যন্ত অমানবিক, বিশেষ করে তখনকার সরকারপ্রধান খালেদা জিয়ার কথাবার্তা, আলামত নষ্ট করা, তদন্তের নামে প্রহসন, জজ মিয়া নাটক ইত্যাদি তাদের এ আচরণকে আপনি কীভাবে আখ্যায়িত করবেন। প্রধানমন্ত্রী: আমি বলব খালেদা জিয়ার এক একটা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কিন্তু মেসেজ যায়। সে যখন বক্তৃতা দিল আওয়ামী লীগ এক শ বছরেও কোনো দিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ২১ আগস্টের আগে তার বক্তৃতা- শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা, বিরোধী দলের নেতাও কোনো দিন হতে পারবে না। এই যে বক্তব্য তার মধ্য থেকেই তো বোঝা যায় তাদের উদ্দেশ্যটা কী ছিল। আর এর সঙ্গে যে সরকারের সব জড়িত ছিল, তা তো খুব স্পষ্ট। তার (খালেদা জিয়ার) ক্যাবিনেটের মন্ত্রী সালাম পিন্টু সে এর সঙ্গে জড়িত, তখনকার ডিজিএফআই, এনএসআইয়ের কর্মকর্তারা, পুলিশের কর্মকর্তা তাদের নিয়েই কিন্তু এই চক্রান্তটা করে এবং সব থেকে বড় কথা হচ্ছে তারেক রহমান। সে এই চক্রান্তটা দীর্ঘদিন ধরে তৈরি করেছে এবং কার্যকরে সব থেকে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। খালেদা জিয়া তো নিশ্চয়ই তার পেছনে ছিল এবং তাকে সমর্থন দিয়েছে। তিনি বলেন, এখানে আমি একটা কথা বলে রাখি, এই ঘটনার আগে তারেক জিয়া কিন্তু ৫ নম্বর রোডে (ধানমন্ডি) তার শ্বশুরের যে বাড়ি সেখানে অনেক দিন ধরে অবস্থান করেছে, কয়েক মাস। আবার ঠিক ২১ আগস্টের আগে সে ওই বাড়ি ছেড়ে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে চলে যায়। তখন আমার কাছে খবর ছিল এ বাসায় বসে সে একটা কিছু ঘোঁট পাকাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমনার বটমূলে বোমা হামলা, উদীচীর সমাবেশে বোমা হামলা, এভাবে অনেকগুলো বোমা হামলা, আওয়ামী লীগের নেতাদের ওপর হামলা, এসব হামলা যখন একে একে হচ্ছিল, তারেক জিয়া কিন্তু ওইখানে। হাওয়া ভবনটা ছিল দুর্নীতির আখড়া। আর এই ধরনের যত চক্রান্ত সব সেখানে বসে, শুধু চক্রান্ত করা। তিনি বলেন, গ্রেনেড হামলার পরে একটি গ্রেনেড যেটি বিস্ফোরিত হয় নাই। সেই গ্রেনেডটা সেনা অফিসার একজন নিয়ে যায় এবং সে বলল যে এটা রেখে দিতে হবে, এই মামলায় কাজে লাগবে। কিন্তু আমি শুনেছি এই কথা শোনার পর খালেদা জিয়া নিজেই তাকে ধমক দিয়ে বলেছে এটা করা যাবে না এবং সেটা ধ্বংস করে দেওয়া হয়। সিটি করপোরেশন থেকে গাড়ি নিয়ে এসে ঘটনাস্থল ধুয়েমুছে সব আলামত সরিয়ে ফেলে। সাধারণত পুলিশ সেখানে যায়, রেড টেপ দেয়, সমস্ত আলামত সংগ্রহ করে, সংরক্ষণ করে। সে রকম কোনো প্রচেষ্টা ছিল না বরং সব আলামত ধ্বংস করে দেওয়ার, মুছে ফেলার চেষ্টা। আর এটা যখন করে, তখন আমি সঙ্গে সঙ্গে আমাদের যুবলীগের নানক ছিল, আজম ছিল, ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বললাম, ওরা এগুলো ধ্বংস করছে তোমরা শিগগির যাও এগুলো সংরক্ষণ করো, চেষ্টা করো। যেখানে গ্রেনেড পড়েছিল, পরে ওরা সেখানে গিয়ে ওই জায়গাগুলোকে অন্তত চিহ্নিত করে। এরপর তদন্ত কমিশনের নামে একটা তামাশা হলো। মানে একটা তদন্ত কমিশন হলো, সে দেখল কী, পাশের দেশ থেকে এসে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সে সময়কার সংসদের ঘটনা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দলের এতজন এমপি আহত। আইভি রহমান নিহত হয়েছেন। আরও অনেক নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। অনেক জন এমপি আহতাবস্থায় চিকিৎসাধীন। আমরা যারা ছিলাম কথা বলতে চেয়েছিলাম, কথা বলতে দেবে না পার্লামেন্টে। আলোচনাই করতে দেবে না। খালেদা জিয়া তো বলেই বসল ওনাকে আবার কে মারতে যাবে। তার এবং তার নেতাদের বক্তব্য হচ্ছে উনি তো নিজেই ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন। আমি তো ব্যাগ ছাড়াই মঞ্চে উঠেছি। তাহলে গ্রেনেডটা নিলাম কীভাবে। আর গ্রেনেড মারতে এতটা পারদর্শীই-বা হলাম কীভাবে। আর এটা হলো আর্জেস গ্রেনেড, যেটা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। আর এটা পাকিস্তান থেকেই আসা, যেটা তদন্তে পরে বের হয়েছে। কাজেই সবকিছুতেই যে তাদের সম্পৃক্ততা সেটা তো বোঝাই যায় এবং ওই দিন খালেদা জিয়া কোথায় ছিল। খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া কিন্তু ঢাকায় ছিল না। একজন লক্ষ্মীপুরে আর একজন গোপালগঞ্জে। আর এই ধরনের জঘন্য কাজ। আর দিনের বেলায় একটি রাজনৈতিক দলের জনসভায় প্রকাশ্য হামলা আমার মনে হয় পৃথিবীতে আর হয়নি। যুদ্ধক্ষেত্রে বা রণক্ষেত্রে যা ব্যবহার করে তা তারা ব্যবহার করল সাধারণ মানুষের ওপর, একটা দলের ওপর। প্রশ্ন: ওই দিন যদি আপনাকে হত্যার মিশন সফল হতো, তাহলে বাংলাদেশের অবস্থা হতো আফগানিস্তানের মতো, মৌলবাদীরা এ দেশ দখল করত। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলার স্বপ্ন অধরাই থেকে যেত, আপনার অভিমত কী? প্রধানমন্ত্রী: সবাই এটা বিশ্বাস করে। কারণ, ওই সময় খালেদা জিয়ার আমলেই যেভাবে সন্ত্রাসীদের মদদ দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীতে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে বাংলা ভাই মিছিল করেছে আর পুলিশ তাদের পাহারা দিচ্ছে, আর বিএনপি নেতারা এদের মদদ দিচ্ছে। নাটোর, রাজশাহীর বিএনপির বহু নেতা প্রকাশ্যে এদের মদদদানকারী। পরে জঙ্গিবাদ যেভাবে বিস্তার লাভ করে-কিবরিয়া সাহেবের জনসভায় গ্রেনেড হামলা করে তাঁকে হত্যা করা হলো। সুরঞ্জিত সেনের মিটিংয়ে বোমা হামলা হলো, সিলেটে কামরানের মিটিংয়ে আরেকবার বোমা, গ্রেনেড হামলা হলো। শুধু তাই নয়, এভাবে সারা বাংলাদেশে চলছিল। ১৭ আগস্ট একটা দিনে সারা বাংলাদেশের ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা হলো। আমাদের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৬৩টি জেলায় কিন্তু বোমা হামলা হয়েছে এবং ঢাকা সিটিতে ৩৫ জায়গায় বোমা হামলা হয়। সে সময় আমি টুঙ্গিপাড়ায়। ঠিক ১১টার দিকে আমি একটা ফোন পেলাম দিনাজপুর থেকে আমাদের এক কর্মী ফোন করেছে, আপা, আমাদের এখানে বোমা হামলা হয়েছে। সাথে সাথে আরও কয়েকটা জেলা থেকে বারবার ফোন আসছিল। এমনকি গোপালগঞ্জ জেলা থেকেও ফোন আসছিল, সেখানেও বোমা হামলা হয়েছে। এ কথা শোনার পরেই আমার যদিও দুপুরের পরেই রওনা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমি সাথে সাথেই রওনা হয়ে গেলাম। আমি ঢাকায় চলে আসলাম। আপনাদের একটা জিনিস আমি লক্ষ করতে বলি। একমাত্র মুন্সিগঞ্জে তখনো কিন্তু বোমা হামলাটা হয় নাই। আমার কিন্তু মুন্সিগঞ্জ থেকেই আসার কথা ছিল। তবে আমি এসেছিলামও মুন্সিগঞ্জ দিয়ে এটা ঠিক। কিন্তু ওরা সময়টা হিসাব করতে পারে নাই। কারণ, আমার রওনা হওয়ার কথা টুঙ্গিপাড়া থেকে বিকেল তিনটা থেকে চারটার দিকে এবং আমি মুন্সিগঞ্জ পৌঁছাতে বিকেল পাঁচটা-ছয়টা বাজবে। কিন্তু আমি রওনা হয়ে গিয়েছি ১১টায়। ওই খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমি সাড়ে ১১টার মধ্যে রওনা হয়ে গিয়েছি। আমাকে অনেকে ফোনে মানা করেছে যে ঢাকার সব জায়গায় বোমা। কোথায় যে বোমা পড়বে ঠিক নাই। আপনি এই সময় মুভ করবেন না, আপনি থাকেন। আমি বলি এই সময় আমাকে ঢাকায় যেতেই হবে। আমাকে থাকতেই হবে ঢাকায়। কারণ, এতগুলো জেলা থেকে খবর আসছে, একটার পর একটা ফোন আসছে সমস্ত জেলা থেকে। এই সময় তো আমাকে ঢাকায় থাকতেই হবে। ঢাকায় না থাকলে তো আমি কিছু করতে পারব না। আমি সরাসরি রওনা হয়ে চলে আসি। ওটাও যদি কেউ একটু চিন্তা করে যে সব জেলায় হলো ওখানে হলো না। কারণ, নিশ্চয়ই তাদের ওটা একটা প্ল্যান ছিল যে আমি যখন আসব, পার হব তখন ওখানেই হবে, মারবে বা কিছু করবে। কারণ, আমার যে সময় ফেরি ধরার কথা, আমার জন্য তো ফেরি স্পেশাল থাকল, ওটার একটা হিসাব তাদের ছিল। কিন্তু আমি তার আগেই চলে এসেছি। নরমাল যেই রাস্তা দিয়ে আসি, সেভাবে না এসে সোজা বিডিআরের ভেতর দিয়ে আমি সুধা সদনে ঢুকি। তিনি বলেন, বিএনপি আমলে তো একটা সন্ত্রাসী দেশ করেই ফেলেছিল এবং এতে বহু লোক তালেবানের ট্রেনিং নিয়ে চলে যায় আফগানিস্তানে। সেই মুফতি হান্নান নিজেই তো ট্রেনিং নিয়ে এসেছে। তারপর এই তাজউদ্দিন, আরেকজন যে সেও তো ট্রেনিং নেওয়া। এ তো সব বিএনপির লোক। তাজউদ্দিন তো বিএনপির খাস এবং গ্রেনেড হামলার পরপর ওই দিন রাত ১১টার সময় চারজনকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসে তুলে দেয়। বিশেষ ব্যবস্থায় তারা চলে যায় এবং সেখানে কিন্তু ডালিম আর রশিদও ছিল।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হত্যার সাথে যে জিয়াউর রহমান জড়িত এবং তার স্ত্রী যে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলেছে এবং ছেলেকেও সেই একই পথে নামিয়েছে, এটা তো স্পষ্ট। প্রশ্ন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুধু ২১ আগস্ট নয়, আপনাকে হত্যার জন্য ২০ থেকে ২২ বার হামলা করা হয়েছে। এই যে এতবার আপনার ওপর হামলা, এত আক্রোশ কেন আপনার ওপর? এরা কারা? প্রধানমন্ত্রী: আমি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ পা দেওয়ার পর থেকে যেখানেই গেছি, সেখানে তো আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমি যখন খুলনা থেকে রাজশাহী রওনা হলাম, এত মানুষ! মানুষের ঢল সব জায়গায়। কারণ, ১৫ আগস্টের পর মানুষ কিছু বলতে পারেনি। কিন্তু আমি আসার পরে মনে হলো মানুষের একটা জোয়ার চলে আসল। আমাদের পথে পথে মিটিং করতে করতে আমাদের এত সময় লাগল যে রাত ১১টার দিকে আমি ঈশ্বরদীতে গিয়ে মিটিং করি। যে মিটিং আমার বিকেলে করার কথা। নাটোরে ঢুকব, নাটোরে আমার মিটিংয়ের মঞ্চ ভেঙে দিল, আগুন দিয়ে পোড়াল। আমাদের নেতা-কর্মীদের ধানখেতে, এখানে সেখানে মেরে ফেলে রেখে দিল। এটা তো আমি যখন আসছি ওই সময়েই। আমি মে মাসে এসেছি, এটা বোধ হয় জুন বা জুলাইয়ের ঘটনা। এইভাবে কিন্তু সব সময় তারা আমাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের পর আমাদের দেশে আসতে দেওয়া হয়নি। রেহানার পাসপোর্টটা নবায়ন করতে দেয়নি জিয়াউর রহমান। যেহেতু আমি দিল্লিতে ছিলাম, দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ছিলেন শামসুর রহমান সাহেব, সিএসপি অফিসার। আমাদের পাসপোর্টটা তিনি নবায়ন করে দিয়েছিলেন এবং আমরা যাতে দেশে আসতে না পারি, সেই বাধা ছিল। তারপরে যখন আওয়ামী লীগ আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে, তখন তো আমি সিদ্ধান্ত নিই চলে আসবই। তারপর স্বাভাবিকভাবে ওই স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী, যে গোষ্ঠীটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছে, গণহত্যা করেছে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়ে গেছে, মেয়েদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করিয়েছে, যাদের সমর্থন করেছে-এই শক্তিটাই তো জিয়ার আমলে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংবিধান জাতির পিতা উপহার দিলেন মাত্র ৯ মাসের মধ্যে। সেখানে আমাদের গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা-এগুলো তো আমাদের উল্লেখ করা ছিল। কারণ, তখন এসে গেছে মার্শাল ল। মার্শাল ল তো আর গণতন্ত্র না। কাজেই গণতন্ত্রও চলে গেল, ধর্মনিরপেক্ষতাও গেল, সমাজতন্ত্র গেল, সবই গেল। অর্থনৈতিক মুক্তিটুক্তি সবই বাদ। এই যে পরিবর্তনটা, এটা কাদের খাতিরে করা? কারণ, এরা ওই পরাজিত পাকিস্তানি শক্তি। তাদেরই তোষামোদি খোশামোদি, তাদেরই পদলেহনকারী। যারা আমাদের সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে বাংলাদেশের যে মূল আদর্শ, যে লক্ষ্য-যে গরিবের জন্য কাজ করা, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো সেটাই তারা করতে চায়নি। বরং ক্ষমতায় গিয়ে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে একটা এলিট শ্রেণি তৈরি করে তাদের দিয়ে দেশ চালানো বা তাদের নিয়ে ক্ষমতায় থাকা এবং আবার বাংলাদেশ ওই পাকিস্তানি একটা প্রদেশ হয়ে যাক সেটাই ছিল তাদের মানসিকতা। শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান তো পাকিস্তানি আর্মিতে যোগদান করেছিল এবং তার বাপ-মার কবরও কিন্তু পাকিস্তানে। তারা কিন্তু ইন্ডিয়া থেকে পাকিস্তানেই চলে এসেছিল। তারা কিন্তু বাংলাদেশে বিশ্বাস করত না। জিয়াউর রহমান কোনো দিন তা বিশ্বাস করেনি, সেটা হলো বাস্তবতা। তার সাথে যারা আমাদের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এবং যাদেরকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আমরা শাস্তি দিলাম। যাদের শাস্তি শুরু হয়েছিল, জিয়াউর রহমান এসে বিচার বন্ধ করে দেয়। বিচার বন্ধ করে দিয়ে তাদের ক্ষমতায় বসায়। মন্ত্রী বানায়, উপদেষ্টা বানায়। সেই যুদ্ধাপরাধীরা তাদেরই রাজত্ব হয়ে যায়, তারাই দেশ চালায়। যেই আদর্শ নিয়ে লাখো শহীদ রক্ত দিল, যেই লক্ষ্য নিয়ে সেটা তো সম্পূর্ণ অস্বীকার করল। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পুরো ইতিহাসই তো বিকৃত করা হয়ে গিয়েছিল। আমি আসার পরে স্বাভাবিকভাবে আমি সেই বাস্তবতাটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সেই আদর্শটাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করে দেশ যেন মর্যাদাপূর্ণ একটা দেশ হয়, সেই চেষ্টা করেছি। আর এদের প্রচেষ্টা কী ছিল যে বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এটা যেন কোনো দিন আর মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে না পারে। বাংলাদেশ কোনো দিন যেন আর বিশ্বদরবারে মর্যাদা না পায় বা স্বাধীনতা যেন অর্থবহ না হয়। এটাই তো আসল উদ্দেশ্য ছিল। এটাই তো তাদের মূল। সে জন্যই তাদের এই প্রচেষ্টা ছিল। আর আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে তো বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে গেছে। আমরা যদি মাত্র ১২ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে একটা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে পারি, তাহলে জাতির পিতা যদি বেঁচে থাকতেন তো ৪০ বছর আগেই আমরা সেটা অর্জন করতে পারতাম। আমি এসে সেই আদর্শ নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু তারা তো সেটা চায়নি। তারা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস করে সেই তালেবান এবং সেই সময় কিন্তু একটা স্লোগানও চলত বাংলাদেশে যে তারা স্লোগান দিত, আমি কোট করছি, 'আমরা সবাই তালেবান বাংলা হবে আফগান'; আজকে আফগানিস্তানের অবস্থাটা দেখেই তারা দেখুক যে সেখানকার অবস্থাটা কী। সেটাই বাংলাদেশে করতে চেয়েছিল। যেটা হয়তো আমরা আছি বলে পারেনি। এটা আমাদের দেশের মানুষকেও আরও বুঝতে হবে। বিশেষ করে আমি বলব, আমাদের তরুণ সমাজকে ইতিহাস এবং শিকড়ের সন্ধান করে তাদের সেই আদর্শ নিয়েই চলতে হবে যেন এই লাখো শহীদের রক্ত বৃথা না যায়। আর এ দেশের মানুষের জন্য তো আমার মা-বাবা সবাই জীবন দিয়ে গেছেন। আমার বাবার তো জীবনে কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। তিনি তো যা কিছু করেছেন, এ দেশের মানুষের জন্যই করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, হ্যাঁ, বারবার আঘাত এসেছে। সেই '৮১ সালে আমি বাংলাদেশে নামার পর থেকেই আমার ওপর হামলা হচ্ছে। আর আল্লাহ আমাকে কীভাবে যেন বাঁচিয়ে দিচ্ছেন। হয়তো আল্লাহ তো সবার জন্য কিছু কাজ লিখে দেয়। হয়তো আমার ওপরে এই দায়িত্বটা আছে যে এই বাংলাদেশটাকে যেই মর্যাদাটা হারিয়ে গেছে, সেই মর্যাদাটা ফিরিয়ে দেওয়া। আর এই যে গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য, আমার আব্বা যে কাজ করতে চেয়েছিলেন সেটা যেন হয়। এটাই বোধ হয় আল্লাহর ইচ্ছা। আর সেটা যেন আমার হাত দিয়ে হয়। আল্লাহ সেটা চাচ্ছিলেন বলেই বারবার আমাকে হামলা থেকে বাঁচিয়েছেন এবং এই যে আমি যতটুকু সফলতা অর্জন করছি বা যতটুকু বাংলাদেশের জন্য করতে পারছি বা বাংলাদেশের গরিবের জন্য করতে পারছি এটাও আমি মনে করব যে একদিকে আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অপরদিকে বাংলাদেশের জনগণ এবং ওপরে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ইচ্ছায়। এটাই হলো বাস্তবতা। তা না হলে আমার তো এ দেশে থাকার কথা না। তিনি বলেন, এখানে খুনিরা অবাধে চলছে। জিয়াউর রহমান তাদের পুরস্কৃত করেছে। তাদের সংসদ সদস্য করা হয়েছে। তাদের বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। রশিদকে খালেদা জিয়া এমপি বানাল। রশিদ এবং হুদাকে সংসদ সদস্য বানিয়ে নিয়ে আসল। ফারুককে এরশাদ প্রেসিডেনশিয়াল ক্যান্ডিডেট করল। সেই দেশে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকে? এরা তো বাংলাদেশটাকেই জঙ্গিরাষ্ট্র করতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, যা-ই হোক আমি দেশবাসীকে এটা বলব যে তাদের সচেতন থাকতে হবে। আমরা ওই আফগান হতে চাই না। বাংলাদেশ বাংলাদেশই হবে। বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। হ্যাঁ, আল্লাহ যত দিন হায়াত দিয়েছে, তত দিন বেঁচে থাকব। মৃত্যু তো অবধারিত। 'জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে? চিরস্থির কবে নীড় হায়রে জীবন নদে'। এটা তো কবি বলে গেছেন। আর সেটাই আমি মনে করি। একবার যখন জন্মেছি, মরতে হবেই। আজকে মরি, কালকে মরি, সবই আল্লাহর ইচ্ছা। আল্লাহ যেদিন জীবন দিয়েছেন, আল্লাহ যেদিন ইচ্ছা জীবন তুলে নেবেন। কাজেই এ নিয়ে আমার কোনো চিন্তা, কোনো দুশ্চিন্তা নাই। আমি একটাই চিন্তা করি, সকালে উঠে ভাবি একটা দিন পেলাম। অন্তত দেশের মানুষের জন্য একটু কাজ করতে পারব। ব্যস, এইটুকুই। প্রশ্ন: আপনার ওপর এতবার হামলা হলো। এসব হামলা, হুমকি-ধমকিকে আপনি তোয়াক্কা না করে আপনার লক্ষ্য থেকে আপনি বিচ্যুত হননি। এই যে শক্তি, এতটা সাহস, এটা কোত্থেকে পেলেন? এর উৎস কী? প্রধানমন্ত্রী: এটা আমার আব্বার কাছ থেকে শিখেছি। মার কাছ থেকে শিখেছি। এই দেশের যে মানুষ ক্ষুধার্ত, তাদের ছিন্ন কাপড়, তাদের ঘর নাই, তাদের চিকিৎসা নাই, তাদের শিক্ষা নাই। আমি '৮১ সালে এসে সারা বাংলাদেশ যখন ঘুরেছি, ওই একই দৃশ্য। ঠিক যেই দৃশ্য দেখে আমার বাবা এই দেশ স্বাধীন করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে তো করতে দেওয়া হলো না। একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে তিনি যখন দেশটাকে কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, সেই সময় কিন্তু ঘাতকের দল হত্যাটা করল। কারণ, তারা দেখল যে এই বাংলাদেশকে আর থামানো যাবে না। তাঁকে শেষ করে দিল অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে শেষ করতে পারলেই আটকানো যাবে। ঠিক সেটাই হলো। ২১টা বছর বাংলাদেশের মানুষের কী অবস্থাটা ছিল। কোনো পরিবর্তন তো হয়নি। তারপরে আমরা সরকারে আসার পর থেকে যখন কাজ করেছি, আস্তে আস্তে সেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জনগণের সেবক, আমরা ঠিক সেই সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। দ্বিতীয় পর্যায়ে (ক্ষমতায়) এসে বাংলাদেশকে আমরা অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নশীল করতে পেরেছি এবং আজকে আমাদের লক্ষ্য দারিদ্র্য বিমোচন। মুজিব বর্ষ আমরা উদযাপন করছি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। আমার তো একটাই কথা যে একটা মানুষ গৃহহারা থাকবে না। এখানে শক্তি-সাহসটা হচ্ছে এটা আমার মনের শক্তি, যেটা ছোটবেলা থেকে বাবা-মায়ের কাছে শিক্ষা। আর আল্লাহর ওপর ভরসা রেখেছি সব সময়। আর বাংলাদেশের জনগণের কাছ থেকে যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি বা তাদের যেই সমর্থনটা আমি পেয়েছি। কারণ, বাবা-মা-ভাইবোন সব হারিয়ে যখন একা আসলাম, ('৮১ সালে বাংলাদেশে ফেরার সময়) আমার ছোট দুটো বাচ্চাকে আমি রেহানার কাছে দিয়ে আসলাম। একজন ১০ বছরের, একজন ৮ বছরের। তাদের তো মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত করেছি। আমি আসলাম বাংলাদেশের জনগণের জন্য। তিনি বলেন, আমি বলব যে আমার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ। আমার সাহস আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। আর শিক্ষা আমার বাবা-মায়ের। প্রশ্ন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ২১ আগস্ট যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারবর্গ বা যাঁরা আহত হয়েছিলেন, তাঁদের জন্য আপনারা কী কী কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন? প্রধানমন্ত্রী: প্রত্যেকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, যারা মারা গেছে সেই পরিবারকে সাহায্য করা। ধন্যবাদ সেই সময় যাঁরা এগিয়ে এসেছেন, আমাদের ফান্ডে টাকা দিয়েছেন এবং আমরা আলাদা একটা অ্যাকাউন্ট করে সবাইকে সাহায্য করেছি। তা ছাড়া সব চিকিৎসার জন্য দেশে-বিদেশে পাঠিয়ে পাঠিয়ে আমরা সব চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের থেকে আমি তাদের এখন পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য টাকা দিয়ে যাচ্ছি। অনেক পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি। যারা মারা গেছে ঢাকা শহরে তাদের সবাইকে ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছি। তা ছাড়া যারা নিজের দেশে আছে সে দেশে ঘরবাড়ি তৈরি করে দেওয়া, তাদের জীবন-জীবিকার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা। সব রকম সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। এর মধ্যে পরবর্তীতে যারা আহত ছিল, অনেকেই মারা গেছে। কিন্তু তারপরও তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য যা যা সহযোগিতা করার আমরা করে যাচ্ছি। প্রশ্ন: আজকে ২১ আগস্টের এই বিয়োগান্ত দিনে দেশবাসীর উদ্দেশে কিছু বলুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী: দেশবাসীকে এটাই বলব আমি যে-হ্যাঁ আমি বেঁচে আছি, ব্যস, এটাই সত্য। আর যতক্ষণ বেঁচে আছি, দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাব। কারণ, আমি তো দেশের মানুষের কাছে ওয়াদা দিয়েছি, যেভাবে এই বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমার বাবা-মা জীবন দিয়ে গেছেন, এ দেশের মানুষের জন্য আমি সেভাবে আমার জীবন দিতেও সব সময় প্রস্তুত। আমি মৃত্যুকে ভয় করি না। ওপরে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, তাকেই ভয় করি এবং তারই দোয়া আর জনগণের সমর্থন। জনগণের দোয়া নিয়েই আমি চলি। কাজেই আমার এই পথচলায় আমার একটাই লক্ষ্য যে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে এই বাংলাদেশকে একটা উন্নত, সমৃদ্ধ, সুখী বাংলাদেশ করব। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেখেছিলেন। সেটাই আমি করতে চাই। কাজেই, সে ক্ষেত্রে দেশবাসীর সহযোগিতা চাই, দোয়া চাই এবং সবাই ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন, সেটাই আমি চাই।
সাক্ষাৎকার,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,শেখ হাসিনা,আওয়ামী লীগ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
politics
https://www.prothomalo.com/entertainment/hollywood/অস্কার-নিয়ে-খুচরো-কথা
অস্কার নিয়ে খুচরো কথা
ইতিমধ্যে সবাই জেনে গেছে, অস্কারে কার ভাগ্য ফিরেছে, কে ফিরেছে খালি হাতে। বছরে একবার রুদ্ধশ্বাসে সবাই অপেক্ষা করে অস্কারের ফলাফল জানার জন্য। সেটা জানা হয়ে গেছে ঠিকই, কিন্তু কিছু কিছু ব্যাপার আছে, যা নিয়ে আলোচনা হবে অনেক দিন ধরেই। আহা! আইরিশম্যান যে এভাবে ডুবে যাবে হতাশার সাগরে, সে কথা কে জানত? নেটফ্লিক্সে কী দাপটের সঙ্গেই না রাজত্ব করল ছবিটা! দশ-দশটা মনোনয়ন পেয়ে শেষে ফিরল কিনা শূন্য হাতে! মার্টিন স্করসেসির এই ছবিটি ভেসে যাবে পুরস্কারের বন্যায়, এমনটাই তো ভাবা হয়েছিল!তিনটি মনোনয়ন পেয়েছিল দ্য টু পোপস ছবিটি। একই রকম আশা ছিল ডিজনির স্টার ওয়ার্স: দ্য রাইজ অব স্কাই ওয়াকার ছবিটি নিয়ে। দুটি ছবিরই যোগফল শূন্য। ডিজনির ছবিটির ভাগ্যে এমনকি কারিগরি পুরস্কারও জোটেনি, অথচ ব্লকবাস্টার কল্পকাহিনির ভাগ্যে কারিগরি পুরস্কারটা অন্তত জোটে! এলটন জনের সংগীতময় আত্মজীবনী রকেট ম্যান পেয়েছে শতভাগ সাফল্য! তাদের ভাগ্যে জুটেছিল একটিমাত্র মনোনয়ন। সেরা গানের এই মনোনয়ন এসেছিল '(আই অ্যাম গন্না) লাভ মি অ্যাগেইন' গানটির জন্য। হ্যাঁ, মুখে হাসি ফুটেছে এলটন জনের। দ্বিতীয়বারের মতো অস্কার পেলেন তিনি। ১৯৯৫ সালে লায়ন কিং ছবির 'ক্যান ইউ ফিল দ্য লাভ টুনাইট' গানটির জন্য প্রথম অস্কার পেয়েছিলেন গুণী এই শিল্পী। আমেরিকান ফ্যাক্টরিও কিন্তু একটি মনোনয়ন পেয়ে পুরস্কার লাভ করেছে। নেটফ্লিক্সের তৈরি পূর্ণদৈর্ঘ্য এই তথ্যচিত্র পেয়েছে সেরা তথ্যচিত্রের পুরস্কার। এখানে বলে রাখা ভালো, ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামার চলচ্চিত্র স্টুডিও হায়ারগ্রাউন্ড প্রোডাকশনসের তৈরি। ২০১৮ সাল থেকে মিশেল আছেন এই স্টুডিও নিয়ে। সে বছরের মে মাসেই নেটফ্লিক্সের সঙ্গে মিশেল আর বারাক ওবামা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। নিজেদের প্রথম ছবির জন্যই তাঁরা জিতে নিলেন অস্কার।অভিনয়শিল্পী হিসেবে ব্র্যাড পিট এবারই প্রথম পেলেন অস্কার। এর আগেও তিনি পেয়েছেন এই পুরস্কার, কিন্তু সেটা ছিল টুয়েলভ ইয়ারস আ স্লেভ ছবির প্রযোজক হিসেবে। এবার নিয়ে ব্র্যাড পিট মোট সাতবার অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছেন। অভিনয়শিল্পী হিসেবে পেয়েছেন চারবার। জোজো র্যাবিট ছবিটি ছয়টি মনোনয়ন পেয়ে মাত্র একটিতে পুরস্কার পেয়েছে বলে হাসাহাসি করার কিছু নেই। একটি পুরস্কার যে বড় বড় ছবির ভাগ্যে জোটেনি, সে কথা সবাইকে মনে করিয়ে দেওয়া দরকার।পোশাক নকশায় পুরস্কার পাওয়া ব্রিটেনের জ্যাকলিন ডুরানের কথা না বলে লেখাটা শেষ করা যাবে না। তিনি দ্বিতীয়বারের মতো পেলেন এই পুরস্কার। লিটল ওম্যান ছবির জন্য তাঁর ভাগ্যে জুটল এটি। গত ১৫ বছরে তিনি সাতবার পোশাক নকশার জন্য পেয়েছেন মনোনয়ন। ২০১২ সালে আন্না কারেনিনা ছবির জন্য পেয়েছিলেন প্রথম অস্কার। তিনি যেসব ছবির পোশাক নকশা করেছেন, সেগুলোর নাম শুনুন-ডারকেস্ট আওয়ার, বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট, ম্যাকবেথ, ম্যারি ম্যাকডালেন, মি. টার্নার, প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস।
হলিউড,অস্কার
অভিনেতা হিসেবে তিনবার মনোনীত হয়েও এই ট্রফি ঘরে তুলতে পারেননি। চতুর্থবারে আক্ষেপ ঘুচবে কি? ট্রফির দিকে তাকিয়ে এ কথাই কি ভাবছিলেন ব্র্যাড পিট? ছবি: এএফপি
entertainment
https://samakal.com/whole-country/article/210767783/করোনায়-কয়েক-ঘণ্টার-ব্যবধানে-বাবাছেলের-মৃত্যু
করোনায় কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বাবা-ছেলের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও স্থানীয় শীতলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজগর আলী (৫০) ও তার বাবা ইয়াকুব আলী (৭০) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ইয়াকুব আলী নিজ বাড়িতে মারা যান। এর কয়েক ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে দিনাজপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তার ছেলে আজগর আলী। তাদের বাড়ি উপজেলার দনগাঁও গ্রামে। উপজেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজগর আলী শ্বাসকষ্ট নিয়ে প্রথমে হরিপুর হাসপাতালে ভর্তি হন। গত বুধবার করোনা পজিটিভ আসায় সেদিন রাতেই তাকে দিনাজপুর নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে আজগর আলীর বাবা ইয়াকুব আলীও জ্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে দিনাজপুর মেডিকেলে ভর্তি হন। সেখানে তার করোনা পজেটিভ আসে। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার কিছুটা সুস্থবোধ করলে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। জানা গেছে, আজগর আলীর চাচা ইউনুস আলীও গত সপ্তাহে হরিপুর হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া মাত্রই মারা যান। ঠাকুরগাঁওয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ৫০৯। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৪৫ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৮৫ জন।
ঠাকুরগাঁও,করোনা
ইয়াকুব আলী ও তার ছেলে আজগর আলী,
national
https://www.bd-pratidin.com/sports/2019/10/23/468459
বাংলাদেশকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই: লক্ষণ
বাংলাদেশকে কোনোভাবেই হালকা করে দেখার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষণ। বাংলাদেশের আসন্ন ভারত সফর নিয়ে ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষণ বলেছেন, আমি মনে করি ভারত-বাংলাদেশ সিরিজে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বর্তমানের দক্ষিণ আফ্রিকা দলের চেয়ে বাংলাদেশ স্কোয়াড অনেক বেশি অভিজ্ঞ। বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
null
ভিভিএস লক্ষণ
sports
https://samakal.com/international/article/1908274/হামলাকারী-অ্যালেন-শহরের-বাসিন্দা
টেক্সাসে হামলাকারী সম্পর্কে যা জানা গেল
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ওয়ালমার্টের একটি দোকানে বন্দুক হামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে ২১ বছর বয়সী শেতাঙ্গ এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। প্যাট্রিক ক্রসিয়াস নামের এই যুবক ডালাস এলাকার অ্যালেন শহরের বাসিন্দা। খবর বিবিসির। প্যাট্রিক ম্যাক কিন্নি অঞ্চলের কলিন্স কলেজে পড়াশোনা করেছে। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের কয়েক মাইলের মধ্যে টেক্সাসের এল পাসো শহরে ওয়ালমার্টের ওই দোকানে গুলির এই ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন ও আহত হয়েছেন ২৬ জন। সিসিটিভি ফুটেজে কালো রংয়ের টিশার্ট পরিহিত ওই যুবককে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল হাতে হামলা চালাতে দেখা গেছে। প্যাট্রিক একাই এই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্যাট্রিক এল পাসো থেকে ৬৫০ মাইল পূর্বে অবস্থিত অ্যালেন শহরের বাসিন্দা। ম্যাক কিন্নির জেলা প্রেসিডেন্ট ড. নেইল ম্যাটকিন জানিয়েছেন, কলিন কলেজে ২০১৭ সালের শরৎ থেকে ২০১৯ সালের বসন্ত পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে প্যাট্রিক।
বন্দুক হামলা,টেক্সাস,নিহত
সিসিটিভি ফুটেজে কালো টি-শার্ট পরা একজনকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে দেখা যায়-এএফপি
international
https://www.ajkerpatrika.com/124072/%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE
আসাদের শার্ট আমাদের প্রাণের পতাকা
কবি শামসুর রাহমানের আসাদের শার্ট কবিতাটি সম্ভবত অনেক বাঙালিই পড়েছেন। কবিতাপ্রেমী মানুষেরা তো বটেই, কবিতার সঙ্গে যাঁদের তেমন কোনো সম্পর্ক নেই, তাঁরাও খবরের কাগজে বা কারও লেখার উদ্ধৃতিতে নিশ্চয়ই পড়ে থাকবেন: 'আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা, কলুষ আর লজ্জা/সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক/আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা।' এই অসামান্য কবিতাটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের মহান মুক্তিসংগ্রামের এক অনবদ্য অধ্যায়-উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান।আজ ২০ জানুয়ারি, ১৯৬৯ সালের এই দিনে স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ। তাঁর রক্তের মশালে জ্বলে উঠেছিল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বহ্নিশিখা। যদিও এ আন্দোলনের সূত্রপাত হিসেবে ধরা যেতে পারে ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান সরকারের দায়ের করা আগরতলা মামলা, যা ইতিহাসে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামেই পরিচিত। ১৯৬৮ সাল, বছরটি ছিল স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের ক্ষমতা দখলের ১০ বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে একদিকে জাঁকজমকের সঙ্গে পালন করা হচ্ছিল 'উন্নয়নের দশক' এবং অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আগরতলা মামলা করে পাকিস্তান সরকার। অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে রাজনীতিক, সিএসপি অফিসার ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন। অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে রাজসাক্ষী হওয়ার শর্তে ১১ জনকে ক্ষমা প্রদর্শন করেছিল পাকিস্তান সরকার।পাকিস্তানিদের এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে জেগে ওঠে বাংলার মানুষ। তারা স্পষ্ট বুঝতে পারে, এ ছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরিচালিত বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র। ১৯৬৮ সালের ধারাবাহিকতায় ১৯৬৯ হয়ে ওঠে বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় বছর। আন্দোলন তখন কেবল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতেই কেন্দ্রীভূত ছিল না, তা ছড়িয়ে পড়েছিল গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। ঐক্যবদ্ধ ও সক্রিয় গণশক্তি যে কী বিপুল জোয়ার তৈরি করতে পারে, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান তার এক ঐতিহাসিক দলিল। এ বছরই গঠিত হয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এবং ঘোষিত হয় তাদের ১১ দফা দাবিনামা।আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ১৯৬৯ সালের ১৭ জানুয়ারি 'দাবি দিবস' পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আন্দোলন দমন করতে পাকিস্তান সরকার ১৯৬৮ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকেই ঢাকা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছিল। পরবর্তী সময়ে এ ধারা ঢাকা ছাড়িয়ে আরও নানা জেলায় জারি হতে থাকে। দাবি দিবসে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার ছাত্র সমাবেশ থেকে ১৪৪ ধারা বাতিলসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১ ফেব্রুয়ারি প্রদেশব্যাপী ছাত্র ধর্মঘটের আহ্বান জানায়। কিন্তু এই সমাবেশেও আইয়ুব খানের পুলিশ নির্বিচারে হামলা চালায়। পরবর্তী দুদিন (১৮ ও ১৯ জানুয়ারি) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আন্দোলনকর্মীদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা চালায় পাকিস্তানি পুলিশ। এরই প্রতিবাদে ২০ জানুয়ারি প্রদেশব্যাপী ছাত্র ধর্মঘট আহ্বান করে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।২০ জানুয়ারির বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সমবেত হন। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে শিক্ষার্থীদের এক বিরাট মিছিল বের হয়। নিমতলী রোডে প্রবেশ করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ও ইপিআর মিছিলে গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্র ইউনিয়নের নেতা আসাদুজ্জামান, সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু, অবজারভার পত্রিকার স্টাফ ফটোগ্রাফার মোজাম্মেল হোসেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্র আবদুল মজিদসহ আরও একজন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ছাত্রনেতা আসাদকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।আসাদের রক্তমাখা শার্ট হয়ে ওঠে আন্দোলনের এক দুর্বার প্রতীক। প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গণ্ডি পেরিয়ে পাড়ায়-মহল্লায় গঠিত হতে থাকে সংগ্রাম পরিষদ। ২৪ জানুয়ারি পুলিশের গুলিতে নিহত হন নবকুমার ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মতিউর। এদিন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সংগ্রামী জনতার পদভারে স্পন্দিত হয়ে ওঠে রাজপথ থেকে অলি-গলি, ছড়িয়ে পড়ে গণজাগরণের উত্তুঙ্গ ঢেউ। এই বিপুল গণজোয়ারকে দমন করার জন্য পাকিস্তানের পুলিশ নৃশংস নির্যাতন চালিয়েছিল আন্দোলনকারীদের ওপর। ১৫ ফেব্রুয়ারি কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্টে আটক আগরতলা মামলার আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যা করা হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মৌন মিছিলে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় ড. শামসুজ্জোহাকে। তাঁদের পবিত্র রক্তাঞ্জলি থেকেই জেগে ওঠে মানুষের দ্রোহ, তৈরি হয় মুক্তির গান। উনসত্তরের এই অবিস্মরণীয় ইতিহাসের পথ ধরেই আসে সত্তরের নির্বাচনে বাংলার মানুষের ন্যায়সংগত অংশগ্রহণের মাহেন্দ্রক্ষণ।কিন্তু ইতিহাসের এই ধারাবাহিকতার কতটুকু জানে আমাদের আজকের প্রজন্ম? শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত বলেই কথাটি বলছি। পাঠ্যপুস্তকে আমাদের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসের যে সত্যচর্চা এখন হচ্ছে, তার পরিধি এবং গভীরতা নিয়ে একজন শিক্ষক হিসেবে আমি নিজেকে সন্তুষ্ট দাবি করতে পারি না। দীর্ঘ সময় আমাদের পাঠ্যপুস্তকে বিকৃত ইতিহাসের চর্চা হয়েছে। আজ যদিও সময়ের সেই কৃষ্ণগহ্বর থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি; কিন্তু পাঠ্যপুস্তকে আমাদের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসের জন্য যেটুকু জায়গা বরাদ্দ, তা যথেষ্ট নয়। দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষক, শিক্ষাবিদ ও দেশের সচেতন নাগরিকেরা মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস নিয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি বিষয় পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির দাবি করে আসছেন। এ দাবির যৌক্তিকতা হলো, ক্ষুদ্র পরিসরে শিক্ষার্থীদের হয়তো ইতিহাস জানানো যায়; কিন্তু ইতিহাসবোধ তৈরি করা যায় না। এর জন্য ইতিহাসের ধারাবাহিকতা বোঝা খুব জরুরি। আজ শহীদ আসাদের প্রয়াণ দিবস। কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হয়তো শিক্ষকেরা ক্লাসে এ নিয়ে কথা বলবেন, সেটা তাঁদের নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই পাঠ্যক্রমের বাইরে গিয়ে আমরা কতটুকুই-বা জানাতে পারি আমাদের শিক্ষার্থীদের?এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের দায়িত্বও অনেক। আমাদের মুক্তিসংগ্রামের শহীদদের জীবনী বা ইতিহাস সন্তানদের জানানোর পারিবারিক রেওয়াজ নেই বললেই চলে। পূর্ণ একটি বিষয় থাকলে অন্তত পরীক্ষার প্রয়োজনে হলেও অভিভাবকেরা সে বিষয়ে সন্তানদের জানাবেন। তা না হলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে আমাদের সন্তানরা কী করে জানবে-কেন আসাদের শার্ট আমাদের প্রাণের পতাকা হয়ে উঠেছিল?লেখক: সঙ্গীতা ইমাম শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী
মতামত,উপসম্পাদকীয়,ছাপা সংস্করণ,আজকের মতামত
ঊনসত্তরের গণ-জাগরণের উত্তুঙ্গ ঢেউ। ইনসেটে শহীদ আসাদ।
national
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/04/06/636141
নেত্রকোনায় অপহৃত শিশু সিলেটে উদ্ধার, নারী আটক
নেত্রকোনা থেকে অপহরণের পর সিলেটে উদ্ধার হয়েছে শিশু পূজা। মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার সকালে সিলেটের কোতোয়ালি থানার আওতায় আখালিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় অপহরণকারী কাজের বুয়া রিনা আক্তারকে (৩০) আটক করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, তাদের সিলেট থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে। শিশুটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হবে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে ইন্সপেক্টর তদন্ত সোহেল রানার নেতৃত্বে মডেল থানার পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি যৌথ আভিযানিক দল শিশু উদ্ধার ও আসামি গ্রেফতারের অভিযানে নামে। প্রায় ২০ ঘণ্টার নিরবচ্ছিন্ন অভিযানে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকাল বেলা সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকার কোতোয়ালি থানার আখালিয়া এলাকা থেকে শিশু পূজাকে উদ্ধার করা হয় এবং অপহরণকারী রিনা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও জানান, আটক রিনার বাড়ি সিলেটেই। গত ৬ মাস আগে রিনা নেত্রকোনার খাইরুল নামের এক মাদকাসক্ত যুবকের সাথে বিয়ের মারফত এখানে আসেন। এরপর বিভিন্ন বাসায় খুচরাভাবে গৃহ পরিচারিকার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শিশুটিকে বিক্রির উদ্দেশ্যে নাকি অন্য কোন কারণে অপহরণ করে তা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বলা যাবে বলেও তিনি জানান। বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর
null
শিশু অপহরণকারী নারী
national
https://www.bhorerkagoj.com/2022/03/23/%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%9c-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a3%e0%a7%80-%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a7%87-%e0%a6%9f/
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের আজ শেষ ম্যাচ। প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ ৩৮ রানে জয়ী হয়। দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে স্বাগতিকরা ৭ উইকেটে বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজে ১-১ এ সমতা আনে। আজ সেঞ্চুরিয়ানের সুপারস্পোর্ট পার্কে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ অঘোষিত ফাইনাল এ পরিণত হয়েছে। আজ যারা ম্যাচ জিতবে তারাই সিরিজ নিশ্চিত করবে। টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভূমা ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সেঞ্চুরিয়ানে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা প্রথমে ব্যাট করে ৩১৪ রান সংগ্রহ করেছিল। জোহানেসবার্গের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে টাইগাররা আগে ব্যাট করে সুবিধা করতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসানের সামনে তিনটি সেঞ্চুরির সম্ভাবনা রয়েছে। টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ৩৭৫ ম্যাচে অংশ নিয়ে ৯৯ ক্যাচ ধরেছেন। অন্যদিকে টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ৩৬২ ম্যাচে ক্যাচ নিয়েছেন ৯৯ টি । তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে এই দুই টাইগার ফিল্ডার ক্যাচ লুফে নেন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন। টাইগার ফিল্ডারদের মধ্যে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৩৭০ ম্যাচে অংশ নিয়ে ১৫২টি ক্যাচ লুফে নিয়েছেন। টাইগার মারকুটে ওপেনার তামিম ইকবাল আজ একটি ছক্কা হাঁকাতে পারলে সেঞ্চুরি ছক্কা পূর্ণ করতে সক্ষম হবেন। তামিম এ পর্যন্ত ২২৪ ওয়ানডে ম্যাচে অংশ নিয়ে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৯৯ টি ছক্কা। সেঞ্চুরিয়ান তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ শেষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে করে দেশে ফিরবেন সাকিব আল হাসান। তার শাশুড়ি, মা এবং তিন সন্তান অসুস্থ। এই কারণে ওয়ানডে সিরিজ শেষে দেশে ফিরেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকা
টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভূমা
sports
https://www.ajkerpatrika.com/58014/%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81-%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0
চিকিৎসক নেই একজনও
মির্জাগঞ্জ উপজেলায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নামে আছে কাজে নেই। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ২টি চিকিৎসক পদসহ রয়েছে মোট ১০টি পদ। একজন করে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক, নৈশ প্রহরী, আয়া ও নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে চলছে এই কেন্দ্র। একজন চিকিৎসককেও এখন পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়া হয়নি।এমনটিই দেখা যায় উপজেলার দেউলি সুবিদখালী ইউনিয়নের রানীপুর গ্রামে নির্মিত মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে। অথচ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের জন্য করা হয়েছে নতুন ভবন। কেনা হয়েছে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। আছে চিকিৎসকদের জন্য আবাসিক ভবন। নেই শুধু চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। ফলে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে অপারেশন কার্যক্রম। একজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক দিয়েই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে কেন্দ্রটি।জানা যায়, উপজেলার একমাত্র মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি ১০ শয্যা বিশিষ্ট। ৩ বছর আগে এ কেন্দ্রটির অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রের জন্য জনবল নিয়োগ না দেওয়া হয়নি।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গ্রামাঞ্চলের মানুষের মাঝে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে এ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রায় ৫-৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ কেন্দ্রটি। এতে জরুরি ভিত্তিতে রোগীদের ভর্তি করানোও কঠিন। শিগগিরই চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালু করার জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।কেন্দ্রে কর্মরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক শিরীন আক্তার জানান, জনবল নিয়োগ দিয়ে কেন্দ্রটি পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করা দরকার। আপাতত এখানে গর্ভবতী মায়েদের স্বাভাবিক অবস্থায় বাচ্চা প্রসব করানো কার্যক্রম চালু রয়েছে।উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, জনবল সংকটের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।পটুয়াখালী জেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের উপপরিচালক জসিম উদ্দিন মুকুল বলেন, 'সারা দেশে এ রকম শতাধিক মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এসব কেন্দ্রের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো জনবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।'
পটুয়াখালী,বরিশাল বিভাগ,মির্জাগঞ্জ,ছাপা সংস্করণ,বরিশাল সংস্করণ,পটুয়াখালী বরগুনা পিরোজপুর
একজন করে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক, নৈশ প্রহরী, আয়া ও নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে চলছে কেন্দ্র।
national
https://www.ajkerpatrika.com/193751/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE
সাহসী হতে চান সামান্থা
বিবাহবিচ্ছেদের পর যেন আরও সাহসী হয়ে উঠেছেন সামান্থা রুথ প্রভু। 'পুষ্পা' সিনেমার আইটেম গানে যতটা খোলামেলা হয়ে নেচেছেন, তাতে কাঁপন ধরেছে অগুনতি দর্শকের হৃদয়ে। শুধু তা-ই নয়, এখন সোশ্যাল মিডিয়ায়ও তাঁকে সাহসী অবয়বে দেখা যায়। সিনেমার প্রয়োজনে এখন চুমোর দৃশ্যেও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন এক সাক্ষাৎকারে। আরও বলেছেন, আপত্তি নেই বিকিনি পরে পর্দায় হাজির হতেও। 'ফ্যামিলি ম্যান ২' থেকে শুরু করে 'পুষ্পা'র আইটেম ডান্স, সামান্থা যখনই পর্দায় এসেছেন, সবার নজর কেড়ে নিয়েছেন একাই। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তাঁর একাধিক সিনেমা। এর মধ্যে দুই সিনেমার টিজার প্রকাশ হয়েছে চলতি সপ্তাহে। এর মধ্যে রয়েছে হরি শঙ্কর-হরিশ নারায়ণের লেখা এবং পরিচালিত সিনেমা 'যশোদা'। এটি মূলত একটি সাই-ফাই থ্রিলার। সিনেমাটি এ বছর ১২ আগস্ট মুক্তি পাবে। অন্য সিনেমাটির নাম 'খুশি'। রোমান্টিক-কমেডি ঘরানার সিনেমা এটি। পরিচালনা করছেন শিবা নির্ভানা। সামান্থা এর আগে শিবার সঙ্গে ব্লকবাস্টার সিনেমা 'মাজিলি' করেছিলেন। সিনেমাটির টিজার শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সামান্থা লিখেছেন, 'আনন্দ-হাসি, ভালোবাসা ও পারিবারিক বন্ধন হলো "খুশি"।' এই প্রথম নয়, এর আগেও জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন সামান্থা-বিজয়। নাগা চৈতন্যর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর সামান্থা রুথ প্রভু একের পর এক সিনেমায় কাজ করছেন বিভিন্ন নায়কের সঙ্গে। রাখঢাক ছেড়ে অভিনয় করেছেন বেশ কিছু সাহসী দৃশ্যেও। মুক্তির অপেক্ষায় আছে পৌরাণিক গল্পনির্ভর চলচ্চিত্র 'শকুন্তলম', 'কাথুভাকুলা রেন্ডু কাধাল'সহ একাধিক সিনেমা। এ ছাড়া হাতে রয়েছে 'অ্যারেঞ্জমেন্টস অব লাভ'-এর মতো ইংলিশ সিনেমাসহ বরুণ ধাওয়ানের সঙ্গে একটি হিন্দি ওয়েব সিরিজ।
বিনোদন,সিনেমা,বিবাহ বিচ্ছেদ,সামান্থা রুথ প্রভু,ছাপা সংস্করণ,আজকের বিনোদন
সামান্থা রুথ প্রভু।
national
https://samakal.com/whole-country/article/1803617/সিলেটে-বাঘের-অস্তিত্ব-ধরা-পড়েনি
সিলেটে বাঘের অস্তিত্ব ধরা পড়েনি
সিলেটে ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ছবি ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। ছবিতে উল্লেখ করা হয়, সিলেটের বিমানবন্দর সড়ক এলাকায় বাঘ দেখা গেছে। বাঘটি দেখতে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতোই। পোস্ট করার পরপরই ছবিটি ভাইরাল হওয়ায় বন বিভাগ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, এটি সিলেটের নয়, ভারতের কোনো এক জঙ্গলের। ফেসবুকে মালনীছড়া এলাকায় বাঘ দেখা গেছে বলে চাউর হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় নাইট ভিশন ক্যামেরা লাগায়। কিন্তু ক্যামেরায় বাঘের কোনো ছবির সন্ধান মেলেনি। এর পর বন বিভাগ সংশ্নিষ্ট এমসি কলেজ ফেসবুক গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে। গ্রুপের অ্যাডমিন তাদের এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বলে বন বিভাগ জানায়। এ কারণে এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে বন বিভাগ জানিয়েছে।গত ২১ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকের একটি ছবি ঘিরে সিলেটজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এর পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সিলেটের মালনীছড়া চা বাগান এলাকায় কোনো এক কারণে একটি গরুর ঘাড় মটকে যায়। এতে অনেকেই মনে করছেন সেটি বাঘের আক্রমণে হয়ে থাকতে পারে। এর পর বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ মালনীছড়া এলাকায় দুটি নাইট ভিশন ক্যামেরা স্থাপন করে।এ ব্যাপারে সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরএসএম মনিরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, আমরা ঘটনা জানার পর পরই খোঁজখবর নিয়েছি। মানুষের মনে অনেক সন্দেহ তৈরি হয়েছে। সেটি দূর করতে ওই এলাকায় নাইট ভিশন ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্যামেরায় বাঘের অস্তিত্ব ধরা পড়েনি।ফেইসবুকে এমসি কলেজ গ্রুপের দেওয়া একটি ছবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফেইসবুকে যে ছবি দেওয়া হয়েছে সেটি সম্বন্ধে আমরা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছি, ছবিটি সিলেটের নয়। এটি ভারতের কোনো এক জঙ্গলের সড়কের। এটি নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার এখানে আসার কথা নয়। ছোটখাটো মেছোবাঘ নতুবা চিতাবাঘ থাকতে পারে।এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম কিম সমকালকে বলেন, যে ছবিটি ফেইসবুক টাইমলাইনে ট্যাগ করা হয়েছে সেটি আমার কাছে সিলেটের বলে মনে হয়নি। এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলেও জানান এ পরিবেশ কর্মী।
বাঘ,সিলেট
ফেসবুকে পোস্ট এই ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়
national
https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2022/03/03/1646309867212
বাংলাদেশি নাবিকের মৃত্যুতে রুশ দূতাবাসের সমবেদনা
ইউক্রেনের একটি সমুদ্রবন্দরে আটকা পড়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ "বাংলার সমৃদ্ধি"তে রকেট হামলায় জাহাজটির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান আরিফের মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকার রুশ দূতাবাস। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) এ বিষয়ে ঢাকায় অবস্থিত রুশ দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা মৃত ব্যক্তির আপনজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। বন্দর থেকে বাংলাদেশি জাহাজটির নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিত করতে রাশিয়ার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাশিয়ান ফেডারেশনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ড ডাটা পর্যবেক্ষণের ওপর নির্ভর করে বলেছে, ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদীরা পিছু হটার সময় নির্বিচারে গুলি চালায়। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে জিম্মিদের ধরে নিয়ে যায়, তাদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। এটা সন্ত্রাসীদের কৌশল হিসেবেও সুপরিচিত। রাশিয়া বাংলাদেশি নাগরিক নিহতের ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা যাচাই করছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়। দূতাবাস জানায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান থেকে উদ্ভূত মানবিক সমস্যা সমাধানে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধে রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হটলাইন চালু করেছে। হটলাইন নম্বর +৭ ৪৯৫ ৪৯৮-৩৪-৪৬, +৭ ৪৯৫ ৪৯৮-৪২-১১ ও +৭ ৪৯৫ ৪৯৮-৪৭-০৯। এছাড়া ই-মেইলে (.) যোগাযোগেরও অনুরোধ করা হয়েছে। এর আগে, বুধবার জাহাজটিতে হামলার ঘটনাটি ঘটে। হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর সুমন বলেন, রাত ৯টা ২৫ মিনিটে জাহাজের ব্রিজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর নিহত হন। আরও পড়ুন: ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলা, প্রকৌশলী নিহত তিনি জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সিরামিকের কাঁচামাল লোড করার জন্য ইউক্রেনীয় বন্দর অলভিয়ার বহির্নোঙরে পৌঁছায় জাহাজটি। আরও পড়ুন: ইউক্রেনে জাহাজে আটকে পড়া নাবিকদের বাঁচার আকুতি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর লোড প্ল্যান বাতিল করে জাহাজের মালিকানাধীন কোম্পানি বিএসসি কার্গো এবং জাহাজের মাস্টারকে বন্দরে বার্থ না করে আন্তর্জাতিক জলসীমায় স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়। বন্দরের ছাড়পত্র পেতে দেরি হওয়ায় বন্দর থেকে ছেড়ে যেতে ব্যর্থ হয় জাহাজটি এবং রুশ আক্রমণের পর বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেটি আটকে পড়ে।
যুদ্ধ,ইউক্রেন,রাশিয়া
ইউক্রেনে আটকে পড়া 'বাংলার সমৃদ্ধি' জাহাজের নিহত ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান আরিফ
national
https://www.bhorerkagoj.com/2019/05/18/%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%9b%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ab%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%97/
ফিরছেন মাশরাফি, বাকিদের গন্তব্য ইংল্যান্ড
ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের পর বেশ ফুরফুরে মেজাজেই রয়েছে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতিটা ভালভাবেই সেরে নিয়েছেন মাশরাফি বাহিনী। বাংলাদেশ দলের গন্তব্য এখন ইংল্যান্ড। তবে দলের সাথে এখন যাচ্ছেন না অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বকাপ মিলে প্রায় আড়াই মাসের সফর। বিসিবি আগেই জানিয়েছিল ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে চাইলে দেশে ফিরতে পারেবেন ক্রিকেটাররা। সেই সুযোগটাই নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক ও তামিম ইকবাল। শুক্রবার ফাইনাল ম্যাচ শেষেই দেশের পথে রওনা দিয়েছেন মাশরাফি। সাথে তামিম ইকবালও রয়েছেন। এছাড়াও বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বাইরে থাকা চার ক্রিকেটারের মধ্যে নাঈম হাসান, তাসকিন আহমেদও তাদের সঙ্গে আসছেন। তবে বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম জানান, অন্য দুই ক্রিকেটার ইয়াসির আলী, ও ফরহাদ রেজা রোববার (১৯ মে) ভোর ৫টায় দেশের উদ্দেশে রওনা দেবেন। দুবাই পর্যন্ত মাশরাফির সাথে থাকবেন তামিম। সেখান থেকেই পরিবারের সাথে যোগ দেবেন তিনি। মাশরাফি দেশে ফিরে আগামী বুধবার আবারও ইল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেবেন। বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপ অধিনায়কদের নিয়ে আইসিসির একটি আয়োজনে অংশ নেবেন মাশরাফি। অন্যদিকে মুশফিকসহ দলের ১৩ ক্রিকেটাররা শনিবার (১৮ মে) ইংল্যান্ডের লেস্টার সিটি যাবেন। লেস্টারে অনুশীলন করে রওনা হবেন কার্ডিফে। সেখানেই দলের সাথে যোগ দেবেন মাশরাফি ও তামিম। ২৬ ও ২৮ মে কার্ডিফে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে আইসিসি'র অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগারা। প্রসঙ্গত, ৩০ মে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে শুরু হচ্ছে এবারের বিশ্বকাপ। যেখানে ২ জুন কেনিংটন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
null
দেশের পথে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি
sports
https://www.prothomalo.com/politics/বাসে-আগুন-পূর্বপরিকল্পিত-ফখরুল
বাসে আগুন পূর্বপরিকল্পিত: ফখরুল
রাজধানীতে আজ বৃহস্পতিবার হঠাৎ গণপরিবহনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এই ন্যক্কারজনক ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলক। আজ রাতে এক বিবৃতি দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি দলের পক্ষ থেকে এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি মনে করে ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ন্যক্কারজনক ভোটাধিকার হরণের চিত্র আড়াল করার লক্ষ্যে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের দিয়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গণপরিবহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এসব দুষ্কর্মের মাধ্যমে সরকার আগের মতোই বিএনপিকে হেয়প্রতিপন্ন করা এবং এর দায়দায়িত্ব বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর চাপিয়ে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা করে হয়রানি করতে চায়। এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে বিএনপি কখনোই জড়িত নয় দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপি ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসের রাজনীতিতে নয়, বরং জনগণের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে রাজনীতি করে। তাই সরকারের এই হীন ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত না হতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে তিনি সরকারকে এই হীন রাজনীতির পথ পরিহার করে স্বচ্ছ রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসার আহ্বান জানান। আজ দুপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপির ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাকা ও সিরাজগঞ্জের উপনির্বাচন নিয়ে প্রেস ব্রিফিং শেষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ত্যাগ করার সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া কার্যালয়ের চারদিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘেরাও করে রেখেছেন। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। কার্যালয় থেকে যাঁরাই বের হচ্ছেন কিংবা প্রবেশ করছেন, সবাইকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিএনপির মহাসচিব এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রেপ্তার করা নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি চান। পাশাপাশি তিনি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রমের স্বার্থে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দেওয়ার আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,বিএনপি,রাজনীতি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
politics
https://www.ajkerpatrika.com/159135/%E0%A6%A8%E0%A7%8C%E0%A6%98%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B6-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A7%AA%E0%A7%A6
নৌঘাঁটিতে রুশ বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৪০
ইউক্রেনের মাইকোলাইভ শহরের একটি নৌঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে অন্তত ৪০ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন। ইউক্রেন সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ও কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা বলেন, রুশ বাহিনী ৩৬তম ইউক্রেনীয় নৌ পদাতিক ব্রিগেডের সদর দপ্তরে ইস্কান্দার-এম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে হামলা চালিয়েছে।এর আগে মাইকোলাইভে অন্য একটি সেনা ব্যারাকে গত শুক্রবার রাতে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে ঘুমন্ত অবস্থায় কমপক্ষে ৫০ সেনা নিহত হয়েছেন।বার্তা সংস্থা এএফপিকে এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, 'প্রায় ২০০ সেনাসদস্য ওই সেনা ব্যারাকে ঘুমাচ্ছিল। এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।'ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনা ঘাঁটির কাছেই হওয়া পৃথক একটি হামলায় ৯ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তাঁরা সবাই একটি দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।এদিকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা প্রেস এম্বলেম ক্যাম্পেইন (পিইসি) জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের সময় ছয় সাংবাদিক নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন।
ইউরোপ,রাশিয়া,হামলা,যুদ্ধ,ইউক্রেন,সেনা ,ক্ষেপণাস্ত্র,রাশিয়া ইউক্রেন সংকট
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে তিন সপ্তাহ ধরে যুদ্ধ চলছে।
international
https://www.bhorerkagoj.com/2020/10/14/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a7%80-%e0%a6%aa%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a6%97%e0%a6%a1%e0%a6%bc-%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%9f%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b2/
রাজশাহী-পঞ্চগড় রুটে চালু হলো বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস
রাজশাহী-পঞ্চগড় রুটে চালু কাল থেকে হচ্ছে বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ট্রেনটির শুভ উদ্বোধন করবেন। বুধবার (১৪ অক্টোবর) রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ট্রেনটি রাজশাহী থেকে রাত ৯টা ১৫মিনিটে ছেড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে। আবার বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছাড়বে সকাল সাড়ে ৮টায় এবং রাজশাহী পৌঁছাবে বিকেল সাড়ে ৫টায়। ট্রেনটি রাজশাহী হতে সাপ্তাহিক বন্ধ শুক্রবার এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম হতে সাপ্তাহিক বন্ধ শনিবার। 'বাংলাবান্ধা' এক্সপ্রেস ট্রেনের উভয়পথে বিরতি স্টেশনগুলো হচ্ছে আব্দুল্লাহপুর, নাটোর, মাধনগর, আহসানগঞ্জ, সান্তাহার, আক্কেলপুর, জয়পুরহাট, পাঁচবিবি, বিরামপুর, ফুলবাড়ী, পার্বতীপুর, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর, সেতাবগঞ্জ, পীরগঞ্জ, শিবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওরোড, রুহিয়া, কিসমত। ট্রেনটির আসন দিনের সময় ৫০৮টি এবং রাতে ৪৯৬টি। রাজশাহী-বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম পর্যন্ত উভয় দিকে ভাড়া সুলভ শ্রেণি ১৭০, শোভন শ্রেণি ২৮০, শোভন চেয়ার ৩৩৫, প্রথম সিট শ্রেণি ৪৪৫, ১ম বার্থ শ্রেণি ৬৬৫, স্নিগ্ধা ৫৫৫ (ভ্যাট ব্যতীত), এসি সিট ৬৬৫ (ভ্যাট ব্যতীত), এসি বার্থ ৯৯৫ টাকা (ভ্যাট+ বেডিং চার্জ ব্যতীত)।
এক্সপ্রেস,বাংলাবান্ধা,রাজশাহী-পঞ্চগড়,রুট,স্টেশন
বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস।
national
https://samakal.com/whole-country/article/210665015/কল্পনা-চাকমা-অপহরণের-বিচার-পেতে-ঐক্যবদ্ধ-হতে-হবে
'কল্পনা চাকমা অপহরণের বিচার পেতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে'
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী কল্পনা চাকমার অপহরণ মামলায় এরই মধ্যে ৩৯ তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে। তারা সর্বশেষ চূড়ান্ত প্রতিবেদনও দিয়েছেন। কিন্তু তার পরিবার ও সংগঠন সেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি। তবে এতে হতাশ হলে চলবে না। কল্পনা অপহরণের বিচার পেতেই হবে। সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আরও সোচ্চার হতে হবে। শনিবার কল্পনা চাকমার ২৫তম অপহরণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। তারা বলেন, বিচার পাওয়াটা রাষ্ট্রের সব নাগরিকের অধিকার। কিন্তু কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলার দীর্ঘ ২৫ বছর অতিক্রান্ত হতে চললেও রাষ্ট্র পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশে উদাসীন। রাষ্ট্র যদি এগিয়ে না আসে, তবে তা প্রকাশ করা সম্ভব হবে না এবং বিচার হবেও না। কল্পনা অপহরণ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জেলা কার্যালয়ে হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কল্পনা অপহরণ মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জুয়েল দেওয়ান। পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রিতা চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাডভোকেট সুস্মিতা চাকমা, পিসিজেএসএসের কেন্দ্রীয় স্টাফ সদস্য আশিকা চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুমন মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির জেলা শাখার সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাগর ত্রিপুরা নান্টু। স্বাগত বক্তব্য দেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ম্রানু মারমা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা। আলোচনার শুরুতে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের যৌথ বিবৃতি পাঠ করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি সোনারিতা চাকমা। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন রাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা লাইল্যাঘোনা এলাকার বাড়ি থেকে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা কল্পনা চাকমাকে অপহরণ করে। এ ঘটনার মামলার ৩৯তম তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে রাঙামাটির পুলিশ সুপার তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট রাঙামাটি আদালতে পেশ করেছেন। তবে কল্পনা চাকমার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে নারাজির আবেদন জানিয়ে মামলার অধিকতর তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
কল্পনা চাকমা,হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী,অপহরণের বিচার
কল্পনা চাকমা
national
https://www.bhorerkagoj.com/2022/05/16/%e0%a6%aa%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%85%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a5-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b0/
পি কে হালদারকে অর্থ পাচারে সহয়তা করা হয়েছে: মোশাররফ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, পি কে হালদারের শতকোটি টাকা পাচারে কে সহয়তা করেছে? সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে যদি সহয়তা না থাকে, একজন ব্যক্তির পক্ষে কয়েকজন আত্নীয় স্বজন নিয়ে ৬ হাজার কোটি টাকা আত্নসাৎ এবং বিদেশে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচার সম্ভব নয়। সোমবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে গণতন্ত্র ফোরাম এর উদ্যোগে 'চলমান সংকট নিরসনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের গুরুত্ব' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা দাবি করছি শুধু পি কে হালদার নয় যারা তার সহযোগী ছিলেন, যারা তার প্রভু, যাদের হয়ে পি কে হালদার কাজ করছিলো সকল কিছু জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, তারপরও প্রশ্ন থাকে পিকে হালদার কি একজন? একজন পি কে হালদারকে আমাদের সামনে দেখানো হচ্ছে। যাতে করে আমরা বলি এই যে সরকার পাচারকারীদের ধরছে। সরকারের ইভিএম এ নির্বাচনের পরিকল্পনার সমালোচনা করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, 'আওয়ামীলীগ এর বিগত দুই নির্বাচনের যে কৌশল এটা জনগণের কাছে প্রকাশ পেয়ে গেছে। এখন নতুন কৌশল হচ্ছে ইভিএম। অনেক উন্নত দেশে যেখানে ইভিএম পদ্ধতি চালু করেছিলো, সেগুলোতে আইন করে বাতিল করা হয়েছে। আর আমাদের এখানে ঘুম নেই তাদের। আমাদের দেশের মানুষ ভোট দিতে নিজেই যেতে পারে না অথচ এখন ইভিএম এ ভোট দিবে।' গণতন্ত্র ফোরামা সভাপতি ভি.পি ইব্রাহীম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা জয়নুল আবদীন ফারুক, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
ইভিএম,পি কে হালদার,মোশাররফ
সোমবার 'চলমান সংকট নিরসনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের গুরুত্ব' শীর্ষক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও অন্যরা।
national
https://www.bhorerkagoj.com/2020/05/05/%e0%a7%aa%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%96%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%9c/
৪টার পর দোকান খোলা রাখায় জরিমানা
সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বিকেল ৪টার পরও দোকান খোলা রাখায় রাজধানীর মগবাজার মোড়ে দুটি দোকানকে ৪ হাজার টাকা জরিমাণা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (৫ মে) বিকেলে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহনাজ হোসেন ফারিবা অভিযানটি পরিচালনা করেন। অভিযানে সহায়তা করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শেখ মোহাম্মদ শামীম। ম্যাজিস্ট্রেট মাহনাজ বলেন, 'আজ মগবাজার ওয়ারলেস এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় একটি টেলিকম ও টায়ারের দোকান ৫টার পর খোলা পাওয়ার কারণে পৃথক দুইটি মামলায় সর্বমোট ৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এসময় অন্যান্য অনেক দোকানকে সতর্ক করা হয়। উল্লেখ্য, রোজার মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার নিত্যপণ্যের দোকানগুলো সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এর আগে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
অমান্য,খোলা,জরিমানা,দোকান,বিকাল
জরিমানা
national
https://www.bd-pratidin.com/sports/2021/07/27/674205
প্রথম অলিম্পিক পদক জিতল তুর্কেমেনিস্তান
টোকিও অলিম্পিকে রৌপ্যপদক পেয়েছেন তুর্কেমিস্তানের খেলোয়াড় পোলিনা গারিয়েভা। আজ মঙ্গলবার ভারাত্তোলন বিভাগে নারীদের ৫৯ কেজি ওজন শ্রেণিতে পোলিনা এ পদক লাভ করেন। এটি তুর্কেমিস্তানের প্রথম অলিম্পিক পদক জয়। ৫৯ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণপদক পেয়েছেন চীনের তাইপের ভারাত্তোলক কিয়ো সিং-চুন। ব্রোঞ্জ পেয়েছেন স্বাগতিক দেশের প্রতিযোগী মিকিকো আন্দোহ। সূত্র : সিনহুয়া বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
টোকিও অলিম্পিক, পোলিনা গারিয়েভা, ভারাত্তোলন
পোলিনা গারিয়েভা
sports
https://www.bhorerkagoj.com/2022/06/01/%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a7%88%e0%a6%a7-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%ac%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a6%bf/
অবৈধ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান ইতিবাচক: টিআইবি
সারাদেশে অবৈধ বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চলমান অভিযান ইতিবাচক। তবে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বেড়াজাল ছিন্ন করে খাতটির সার্বিক সুশাসন নিশ্চিতে যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী সমাধানের লক্ষে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও রোগ-নির্ণয় কেন্দ্রগুলোর সেবার মান পরিবীক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও সর্বোপরি সুশাসন নিশ্চিতের জন্য একটি নিরপেক্ষ তদারকি কর্তৃপক্ষ গঠনের দাবি জানাচ্ছে সংস্থাটি। বুধবার (১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় সংস্থাটি। বিবৃতিতে বেসরকারি চিকিৎসাসেবা খাতে সুসাশনের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে টিআইবির সাম্প্রতিক গবেষণার উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অভিযান শুরুর মাত্র একদিনের মাথায় বিপুল সংখ্যক নতুন লাইসেন্স ও নবায়নের আবেদন জমা পড়ায় বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে যে যথাযথ তদারকির প্রকটতর অভাব ছিল, তা প্রমাণিত হয়েছে। এমন অবস্থায় চলমান অভিযান বেহাল ও অরাজকতাপূর্ণ খাতটিতে সুশাসন নিশ্চিতে কতোটা কার্যকর হবে সেটি প্রশ্ন সাপেক্ষ। দীর্ঘমেয়াদে সুফল পেতে বেসরকারি চিকিৎসাসেবা নিয়ন্ত্রণ ও তদারকির জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষীত খসড়া আইনটি চূড়ান্ত করে দ্রুততার সঙ্গে আইন হিসেবে প্রণয়ন করতে হবে ও তার কার্যকর বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতের মান পরিবীক্ষণ এবং সুশাসন নিশ্চিতে একটি শক্তিশালী নিরপেক্ষ তদারকি কর্তৃপক্ষ গঠন জরুরি। নিয়মিতভাবে এ জাতীয় অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি জমাকৃত আবেদনসমূহ যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই ও আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন করা হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করছে টিআইবি। এক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক প্রভাব, ভয়-ভীতি ও করোনার ঊর্ধ্বে থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যাতে নির্মোহভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারে, তা নিশ্চিতেরও আহ্বান জানায় সংস্থাটি। কোভিডকালীন রিজেন্ট হাসপাতাল কাণ্ডের উদহারণ দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বিনা লাইসেন্স ও মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সসহ স্বাস্থ্যসেবার নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করে যেসব প্রতিষ্ঠান এতোদিন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে, সেই সব প্রতিষ্ঠানের মালিকানার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির সম্মুখীন করতে হবে। একই সঙ্গে নিয়ম-বিরুদ্ধ এসব কর্মকাণ্ডকে এতোদিন যারা বিভিন্নভাবে সুরক্ষা ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন তাদেরকেও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় সর্ষের ভেতরে থাকা ভূত তাড়ানো সম্ভব হবে না! টিআইবি 'বেসরকারি চিকিৎসাসেবা : সুসাশনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়' শিরোনামে ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে , যেখানে একদিকে বাণিজ্যিকীকরণের প্রবণতা, মুনাফা-কেন্দ্রিক সেবা ব্যবস্থা, ও অন্যদিকে সরকারের মনোযোগ, পরিদর্শন ও তদারকির ঘাটতির কারণে সাধারণ সেবাগ্রহীতারা যে জিম্মি হয়ে পড়েছেন, তা বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছিল। স্বাস্থ্য সেবার ন্যায় একটি মৌলিক বিষয়, যেখানে মানুষের জীবন-মরণের প্রশ্ন জড়িত সেখানে মুনাফা-বিভোর ও অমানবিকভাবে দুর্নীতি পরায়নদের হাতে জিম্মিদশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অপরিহার্য দায়িত্ব বলে মনে করছে টিআইবি।
null
টিআইবি
national
https://www.dailynayadiganta.com/cricket/368314/ঢাকা-টেস্টে-অভিষেক-হতে-যাওয়া-এই-তরুণ-কে?
ঢাকা টেস্টে অভিষেক হতে যাওয়া এই তরুণ কে?
টেস্টে এখনো অভিষেক হয়নি তরুণ সাদমান ইসলাম অনিকের। অনুর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্য তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের ১৩ সদস্যের দলে নেই ইমরুল কায়েস, তাই সৌম্য সরকারের সাথে ওপেনিংয়ে সাদমানের অভিষেকটা সময়ের ব্যাপার। সাদমান ইসলাম পরিচিতি লাভ করেন ২০১৪ সালে। পাকিস্তানের ইমাম-উল-হক, দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাডাম মারক্রাম, ইংল্যান্ডের বেন ডাকেটদের ছাপিয়ে সেইবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ৬ ইনিংস ব্যাট করে ৪০৬ রান তোলেন তিনি। গড় ১০১.৫০, একটি শতক, দুটি অর্ধশতক, সর্বোচ্চ ১২৬ রানে অপরাজিত। সাদমান ইসলাম অনিকের আন্তর্জাতিক অভিষেক আরো আগেই হতো। কিন্তু বাবা শহীদুল ইসলাম কখনোই চাননি তার ছেলে দুই-এক ম্যাচের খেলোয়াড় হোক। "ও চাচ্ছিলো অনেক আগে থেকে তবে আমি চাচ্ছিলাম পরিপক্ক হয়েই জাতীয় দলে খেলুক, আগেও সুযোগ ছিল, কিন্তু সে সুযোগ পায়নি, তখন সে আপসেট হয়েছিল, কিন্তু আমি ওকে বলেছি যত সময় যাবে ততই ভালো হবে," বলছিলেন শহীদুল ইসলাম। ধীরে ধীরে তাকে পরিণত করার দায়িত্বটা তার বাবাই নিয়েছেন। তিনি বলেন, ছেলেকে টেস্ট ক্রিকেটার বানানোর স্বপ্নটা অনেক পুরোনো। "আমি এটা জানতাম, ছোটবেলা থেকেই এভাবে গড়ে তুলেছি, রানের চেয়ে উইকেটের মূল্য বেশি দিতে হবে। ২০০০, ২০০১ এমন সময়ে আমার ছেলের বয়স ৬-৭ বছর তখন বাংলাদেশ আড়াই তিন দিনে হেরে যেতো।" "আমার ছেলেকে এমন ক্রিকেটার গড়ে তুলতে চেয়েছি যাতে সে উইকেটের মূল্যায়নটা বোঝে, আমি এখনো বলি বিপিএল বা এমন খেলা নিয়ে তার মাথাব্যথার প্রয়োজন নেই, টেস্ট খেলার পক্ষপাতীই থাকুক," বলছিলেন সাদমান ইসলামের বাবা। বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের গেম ডেভেলপমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম। তার অধীনেই উঠে এসেছে সাকিব, মুশফিকের মতো ক্রিকেটাররা। "ওদেরকে যেই চোখে দেখি সেই একই নজরে আমি আমার ছেলেকে দেখেছি, ওর ব্যাচমেট মিরাজ, শান্তরা, ও যে আমার ছেলে এটা কখনো জানতো না, বুঝতে দেইনি। একই রকম স্নেহ করেছি সবাইকে।" সাদমানের সাথে কথা বলছিলাম, তিনিও বলছিলেন বাংলাদেশের হয়ে খেলাটা তার স্বপ্ন ছিল কিন্তু তাড়াহুড়ো করেননি কখনো। সদ্য শেষ হওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগে দশ ইনিংসে সাদমান দুটি সেঞ্চুরি, তিনটি হাফ-সেঞ্চুরি সহ ৬৪৮ রান করে সবার ওপরে আছেন। যেহেতু অভিষেকের আগেই তাকে নিয়ে বড় মাপের আলোচনা হচ্ছে তার মনে কি প্রত্যাশার চাপ বাড়ছে? "আমি তেমন কিছুই ভাবিনি, এমনকি অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপেও না, গেল দুই বছর শুধু লঙ্গার ভার্সন নিয়েই ভেবেছি, টেস্ট ক্রিকেটটাই আমার প্রিয়।" "হ্যা, এমন হয়েছে যে অনেকেই ভাবে অনূর্ধ্ব-১৯ এ ভালো করলে সে জাতীয় দলে আসবেই আমি এমনটা ভাবিনি," বলছিলেন সাদমান ইসলাম অনিক।
null
কোচ স্টিভ রোডসের সাথে সাদমান ইসলাম অনিক
sports
https://www.ajkerpatrika.com/30902/%E0%A6%A2%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%81-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A6%BF
ঢলের সঙ্গে আসছে বালু, হাওরের নতুন হুমকি
সুনামগঞ্জের মানুষের বেশির ভাগ হাওরের ফসলের ওপর নির্ভরশীল। পাহাড়ি ঢলে ফসলহানির আশঙ্কায় কাটে তাঁদের দিন। এখন বেধেছে আরেক নতুন বিপত্তি। পাহাড়ি ঢলে আসছে বিপুল পরিমাণ বালু। এই বালু জমছে কৃষিজমিতে। এতে উর্বরা শক্তি হারাবে ভূমি। ফসল উৎপাদন যাবে কমে। এ যেন হাওরের মানুষে জন্য এক নতুন হুমকি।বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এন্ড্রু সলমার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০০৭ সাল থেকে পাহাড়ি বালু আসছে। তবে সবচেয়ে বেশি আসছে এ বছর। এসব বালু-পাথর হাওরে যাচ্ছে। এভাবে বালু আসতে থাকলে ভবিষ্যতে তা হাওরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।হাওর অধ্যুষিত জেলা সুনামগঞ্জ। জেলার ২৭ লাখ জনগোষ্ঠীর ৭৫ শতাংশ মানুষ বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। এক ফসলের ওপর নির্ভরশীল জেলার মানুষ বোরো মৌসুমে দুশ্চিন্তায় থাকেন ফসলডুবি নিয়ে। আর এই ফসলডুবি থেকে রক্ষায় সরকার প্রতিবছর প্রায় শতকোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ নির্মাণ করে। ২০১৭ সালে ভয়াবহ বন্যার কারণে এবং ঠিকাদারদের বাঁধ নির্মাণের অনিয়মের ফলে শতভাগ ফসল তলিয়ে যায় পানিতে। এরপর বাঁধ নির্মাণ ও রক্ষায় সরকারের নানামুখী তৎপরতায় বন্যায় ফসল হানির দুশ্চিন্তা কিছুটা কমেছে।তার পরও চলতি বছরের আগস্টেই তিন দফা পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামের কৃষিব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত মাসের প্রথম ও তৃতীয় সপ্তাহে কয়েক দিনের টানা বর্ষণে পাহাড়ি ঢল তীব্র স্রোত হয়ে ওই এলাকা দিয়ে নামে। এতে চানপুর ও রজনী লাইনের প্রায় ৫০০ মিটার পাকা সড়ক সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে এখন খালে রূপ নিয়েছে।তাহিরপুর সীমান্তে ঢলের সঙ্গে বালু-পাথর এসে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি ও বসতভিটা। ভারতের খাসিয়া পাহাড় থেকে এসব বালু ও পাথর আসা বন্ধ না হলে অচিরেই টাঙ্গুয়ার হাওরসহ এলাকারবিস্তৃত জলাভূমি ও হাওর ভরাট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বিভিন্ন সময় পাহাড়ি ঢলে আসা বালু জমে ওইসব এলাকার প্রায় ৭৫০ হেক্টর কৃষিজমি অনাবাদি হয়ে পড়েছে।এ বছর কৃষিজমিতে বেশি বালু জমেছে তাহিরপুরে দক্ষণ বড়দল ইউনিয়নের চানপুর ও রজনী লাইন এলাকা, দক্ষিণ শ্রীপুর এলাকার লাকমাছাড়া এবং বাঁধাঘাট ইউনিয়নের লাউড়ের গড় এলাকায়।হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি সুখেন্দু সেন বলেন, পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে ভারতের খাসিয়া ও মেঘালয় থেকে বালু-পাথর এসে নদীগুলো তার নিজস্ব প্রাণ হারাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে হাওরে। জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীগুলো খনন করা হলে হাওরে পানির চাপ কমবে। অন্যথায় পাহাড়ি ঢল এলে নদী উপচে সহজে হাওরে পানি প্রবেশ করবে। এতে ফসলহানিসহ জমিতে বালু জমে দীর্ঘমেয়াদ উৎপাদন কমে যাবে।জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, 'পাহাড়ি বালু-পাথর ঢলের সঙ্গে আসবেই। তবে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে ছড়াগুলো খনন করার পরিকল্পনা নিয়েছি।'
সুনামগঞ্জ,সিলেট বিভাগ,তাহিরপুর,হাওর
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে আসছে বালু। সেই বালু জমছে হাওরের কৃষিজমিতে।
national
https://www.bd-pratidin.com/national/2022/02/24/743814
সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ সিসিইউতে
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ (৯২) গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সাহাবুদ্দীন আহমদের এক নিকটাত্মীয় গতকাল বুধবার রাতে গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সপ্তাহখানেক আগে সাহাবুদ্দীন আহমদকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। ৯২ বছর বয়সী সাবেক এই রাষ্ট্রপতি কয়েক বছর ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন। প্রসঙ্গত, সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাঁকে রাষ্ট্রপতি করা হয়। ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর তিনি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অবসর নেন। বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর
বিচারপতি, সাহাবুদ্দীন আহমদ, অসুস্থ
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ
national
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2019/12/26/486747
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন আফজাল হোসেন
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন। বৃহস্পতিবার রাতেআওয়ামী লীগসভানেত্রীরধানমণ্ডি কার্যালয়েদলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংবাদ সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদকহিসেবেএ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনের নাম ঘোষণা করেন। বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন
null
এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন
national
https://www.dailynayadiganta.com/usa-canada/583905/আইনস্টাইনের-লেখা-বিখ্যাত-সমীকরণ-কয়েক-শ-কোটি-টাকায়-বিক্রি
আইনস্টাইনের 'লেখা' বিখ্যাত সমীকরণ কয়েক শ' কোটি টাকায় বিক্রি!
অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের সেই বিখ্যাত সমীকরণ, যা থেকেই রকেট সায়েন্সের মূল কাঠামো তৈরি। বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীর নিজের হাতে লেখা পদার্থবিদ্যার দিগন্ত খুলে দেয়া সেই সমীকরণটি বিক্রি হলো ১ কোটি ২০ লাখ ডলারে, যা বাংলাদেশী টাকায় দাঁড়ায় প্রায় ১০১ কোটি ৭৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। শুক্রবার বস্টনের এক নিলাম সংস্থা এটি প্রত্যাশার থেকে তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি করেছেন। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়টির আইনস্টাইন পেপারস প্রকল্পের আর্কাইভবিদরা বলেছেন, আইনস্টাইনের নিজের হাতে লেখা একটি চিঠিতে = সমীকরণটি ব্যবহার হয়েছে। এরকম আরো তিনটি চিঠি রয়েছে যেখানে এই বিখ্যাত সমীকরণটির উল্লেখ করেছেন বিজ্ঞানী নিজেই। আগের তিনটি চিঠির খোঁজ মিললেও এই চতুর্থ চিঠির সন্ধান তারা পেয়েছেন নিলামের বাজারে। বস্টনের নিলাম সংস্থা ববি লিভিংস্টনের সহ-সভাপতির কথায় এটি হলোগ্রাফিক এবং পদার্থবিজ্ঞানের দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি। আর এই সমীকরণের মূল্য যে দুর্মূল্য তা গোটা বিশ্বই জানে। পোলিশ আমেরিকান পদার্থবিজ্ঞানী লুডভিক সিলবারস্টাইনকে জার্মান ভাষায় চিঠিটি লেখেন আইনস্টাইন। সিলবারস্টাইন আইনস্টাইনের কিছু তত্ত্বের একজন সুপরিচিত সমালোচক এবং চ্যালেঞ্জার ছিলেন। এই সমীকরণে আইনস্টাইন বলেছেন, 'কোনো বস্তু যদি আলোর বেগে চলে তাহলে তা সম্পূর্ণ শক্তিতে পরিণত হবে এবং এই শক্তির পরিমাণ হবে = যেখানে হলো শক্তি, ভর ও আলোর বেগ।' থিওরি অফ রিলেটিভিটিতে এই সমীকরণের উল্লেখ করেন বিজ্ঞানী। যদিও সিলবারস্টাইনের মতে, এই সমীকরণে বস্তুর ভর অসীম হয়ে যাবে, যা বাস্তবসম্মত নয়। এই যুক্তিরই পাল্টা যুক্তি চিঠিতে দিয়েছিলেন আইনস্টাইন, এমনটাই জানায় নিলাম সংস্থা। সূত্র : বিবিসি
null
আইনস্টাইনের 'লেখা' বিখ্যাত সমীকরণ কয়েক শ' কোটি টাকায় বিক্রি!
international
https://www.ajkerpatrika.com/26919/%E0%A6%95%E0%A6%A4-%E0%A6%97%E0%A6%AD%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AE
কত গভীর ছিল তাঁর দেশপ্রেম
একাত্তরের কথা যখন লিখতে বসি, তখন অবাক হয়ে ভাবি যে সাধারণ মানুষগুলো শুধু দেশকে স্বাধীন করতে হবে জেনেই যুদ্ধ করার জন্য এগিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা শত্রুর মোকাবিলায় নিজেদের বুদ্ধিতে প্ল্যান 'এ' ছাড়া আর কোনো প্ল্যান 'বি' বা 'সি' নিয়ে ভাবেননি। ধরা পড়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সহযোদ্ধা বা পরিবারকে বাঁচিয়ে রেখে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার জন্য। এটাকে কখনো প্ল্যান 'বি' বা 'সি' বলা যায় না।কী ভীষণ দেশপ্রেম তাঁদের, কত গভীর সেই ভালোবাসা!একাত্তরের ২৯, ৩০ আগস্ট ঢাকা থেকে ধরা পড়েন ক্র্যাক প্লাটুনের বেশ কিছু গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সবচেয়ে বড় অপারেশনটা হওয়ার পর প্রচুর অস্ত্র এবং গোলাবারুদ বাড়তি হয়ে গিয়েছিল। বাবা অনেক আগে থেকেই এই গেরিলা যোদ্ধাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। ৩৭০ আউটার সার্কুলার রোডের বাসাটা হয়ে গিয়েছিল দুর্গবাড়ি। মুক্তিযোদ্ধাদের আনাগোনা, তাঁদের অপারেশন আর গোপন চিরকুট আদান-প্রদান হতো সেখান থেকে। বাবা সংগীত পরিচালক আইডি কার্ডে, নিজ গাড়িতেই বিভিন্ন যোগাযোগ রক্ষা করতেন। সেই বাড়তি অস্ত্রগুলো ভর্তি দুটো ট্রাংক তাঁর দুর্গবাড়িতে এনে উঠোনের পেছনে কাঁঠালগাছের নিচে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রেখেছিলেন নিজেই।আগস্টের শেষ সপ্তাহে যখন গেরিলা ধরপাকড় শুরু হয়, তখন সেই দলেরই এক যোদ্ধা ধরা পড়ে গিয়েছিলেন এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, ক্র্যাক প্লাটুন সদস্যদের নাম বলে দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁকে জিম্মি করে আজাদ, জুয়েল, রুমীর বাসা চিনিয়ে দিতে বাধ্য করা হয়। ৩০ তারিখ ভোরে আউটার সার্কুলারের দুর্গবাড়িতে হানা দেয় পাকিস্তানি সেনারা। বাবাকে দিয়েই মাটি খুঁড়িয়ে, ট্রাংক দুটো তাঁকে দিয়ে বের করে আনে ওরা। বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় বাবাকে। সঙ্গে আমার চার মামা আর মেলাঘরে যাওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ মুক্তিযোদ্ধা আলভীকেও।নাখালপাড়া এমপি হোস্টেল ছিল ইন্টারোগেশন অ্যান্ড টর্চার সেল। রাতে রমনা থানায় রাখা হতো গেরিলা যোদ্ধাদের। এমপি হোস্টেলের বিশাল উঠোনের চারদিক আলাদা আলাদা ঘরে ভর্তি। একজন-দুজন করে সেসব ঘরে বন্দীদের রাখা হতো। শহীদ রুমীর ছোট ভাই জামীর মুখে শুনেছি, ৩০ আগস্ট সারা দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর পাকিস্তানি আর্মিরা ঠিক করেছিল, কারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আছে। অত্যাচারের ধরনগুলোও সেই হিসেবে নির্ধারণ হতো। নির্মম উপায়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলত তাদের ওপর।বড় ঘরগুলো থেকে বাছাই করে ছোট একটা বাথরুমে জড়ো করা হচ্ছিল সেই গুরুত্বপূর্ণদের।গভীর রাতে রমনা থানায় নেওয়ার সময় জামীর সঙ্গে রুমীর দেখা হয়েছিল। একদম কাছে এসে বলেছিলেন, বাবা, আর তুমি কিছু জানো না, তোমরা কাউকে চেনো না বলবে। একবার নয়, বারবার বলেছিলেন এ বাক্যটি। ৩১ তারিখ সকালে জামী এবং তাঁদের বাবাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। রুমী রয়ে যান, অনন্তকালে হারিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায়।নাখালপাড়া ৩০ তারিখ, এমপি হোস্টেল-টর্চার সেল থেকে ইন্টারোগেশন চেম্বার। ক্ষতবিক্ষত আলতাফ পানি চেয়েছিলেন, তাঁর মুখে প্রস্রাব করেছিল পাকিস্তানি সেনারা। অত্যাচারের পালা শেষ হলে ছোট বাথরুমটায় গাদাগাদি করে ঢুকিয়ে দিত অনেকের সঙ্গে। একটা পানির কল ছিল, শক্তি ছিল না সেটা ছেড়ে পানি খাওয়ার মতো। সঙ্গের সাথিরা একজন অন্যজনের জন্য সাধ্যমতো করতেন। আঁজলা ভরে পানি খাইয়েছিলেন তাঁদেরই কেউ একজন। রাত ১০টার পর সবাইকে ট্রাকে করে রমনা থানায় পাঠানো হয়। সেখানে সাধারণ কয়েদিরা তাঁদের ভাগের শুকনো রুটি আর ডাল খেতে দিয়েছিলেন সে রাতে। সেদিন আর আলতাফের খাওয়া হয়নি, ব্যথায় কোঁকাতে কোঁকাতে জ্বরের ঘোরে ঘুমিয়ে গিয়েছিলেন।পরের দিন ৩১ আগস্ট, নাখালপাড়া। আবার রমনা থানা থেকে সকাল ১০টায় এমপি হোস্টেল-টর্চার সেলের ইন্টারোগেশন চেম্বার। মুখ খোলানোর জন্য আলতাফকে কয়েক ঘণ্টা পরপর টর্চার সেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। একসময় অধৈর্য হয়ে পাকিস্তানি সেনারা তাঁর পা ফ্যানের রডে বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে বেধড়ক পেটায়। তখনই হাঁটু, কনুই আর পাঁজর ভাঙে আলতাফের। একটা নাম, শুধু একটা নাম চেয়েছিল ওরা। একেবারেই বেঁকে বসা দীর্ঘদেহী সুঠাম শরীরের আলতাফ মুখ খোলেননি, শেষ পর্যন্তও না।এভাবেই রাত হয়েছিল, ১০টায় আবার রমনা থানায় পাঠানোর আগমুহূর্তে পাকিস্তানি সেনারা ঠিক করে ফেলেছিল তাঁদের মাঝে কাকে ছাড়বে আর কাকে নয়।রমনায় বেশ রাতে এক আরদালি ভাত আর পেঁপে ভাজি খেতে দিয়েছিল কী মনে করে কে জানে। সবাই মিলে ভাগ করে খাওয়ার আগে রক্তাক্ত আলতাফ খোঁড়াতে খোঁড়াতে দেয়াল ধরে হেঁটে হেঁটে গরাদের কাছে গিয়ে ওই আরদালিকে বলেছিলেন, একটা কাঁচা মরিচ হবে? আরদালি এনে দিয়েছিল একটা মরিচ। দীর্ঘদেহী আলতাফ, অত্যাচারে নুয়ে পড়ে টিনের থালায় ভাত আর পেঁপে ভাজিতে কাঁচা মরিচ মাখিয়ে লোকমা তুলে তৃপ্তি করে খেয়েছিলেন। কপালের চামড়া বেয়নেটের আঘাতে ঝুলে আছে, প্রচণ্ড জ্বরের ঘোরে খোলা মুখের সামনের পাটির দাঁতগুলো ভাঙা। শেষবারের মতো সবাইকে নিয়ে ভাত খেতে খেতে মামাদের ফিসফিস করে বলেছিলেন, 'তোমরা কিছু জানো না বলবে। তোমরা কাউকে চেনো না। আর আলভী গ্রাম থেকে বেড়াতে এসেছে বলবে। ও কিছু জানে না। তোমরাও না।'ভোরের আগে হাতের আংটিটা খুলে খনু মামার হাতে দিয়ে বলেছিলেন, 'ঝিনুকে দিও। ওকে বলবে যে শাওন আর ঝিনুকে দেশ দেখবে।' পরের দিন তাদের আবারও নাখালপাড়ায় নেওয়া হয়। বেলা এগারো কি দুপুর বারোটায় চার মামা আর আলভীকে ছেড়ে দেয় ওরা। বাবাকে একঝলক শেষবারের জন্য দেখেছিলেন মামারা, লম্বা বারান্দায় মাথা নিচু করে বসে আছেন। হাঁটু ভেঙে যাওয়ায় আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না। রক্তাক্ত, চোখের ওপর কপালের চামড়া নেমে ঝুলছে, প্রচণ্ড জ্বরে বোবা চাহনিতে আকাশের দিকে তাঁকিয়ে আছেন।একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে রুমী বা বাবার মতো অন্যান্য যোদ্ধার কোনো প্ল্যান 'বি' বা 'সি' ছিল না। তাঁরা প্ল্যান 'এ' নিয়েই যুদ্ধ করেছেন। নির্মম অত্যাচারেও শত্রুর কাছে মাথা নত করেননি। পালিয়ে থাকা সহযোদ্ধার নাম বলেননি। ধরা পড়ার পর পরিবারকে বাঁচিয়ে যেতে দ্বিধা করেননি। সবার আগে দেশ-এই প্ল্যান 'এ' নিয়েই দেশকে ভালোবেসে, আমাদের ভালো থাকার জন্য নিজেরা হারিয়ে গিয়েছেন।লেখক: শহীদ সুরকার আলতাফ মাহমুদের কন্যা
মতামত,উপসম্পাদকীয়
সুরকার আলতাফ মাহমুদ অনেক আগেই গেরিলা যোদ্ধাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। শহীদ আলতাফ মাহমুদ ডট কম
opinion
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/09/18/692331
সদরপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় উদ্বোধন
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে কৃষ্ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আক্তারুজ্জামান তিতাসের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। কার্যালয় উদ্বোধন করেন ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর রাজনৈতিক প্রতিনিধি শাহ্দাব আকবর চৌধুরী লাবু। উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বিডি প্রতিদিন/এমআই
সদরপুরে, ইউনিয়ন, আওয়ামী, লীগের, কার্যালয়, উদ্বোধন
সদরপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় উদ্বোধন।
national
https://www.ajkerpatrika.com/164530/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1
স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় স্বামী হত্যা দায়ে স্ত্রী রিতা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার পিরোজপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ এসএম নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। এ মামলার অপর আসামি লিটু হাওলাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. জহিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।মামলা সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার বারবাকপুর গ্রামের আব্দুল মোফাজ্জেল শিকদারের ছেলে আব্দুল মান্নানের সঙ্গে কাউখালী উপজেলার মুক্তারকাঠী গ্রামের সাজাপ্রাপ্ত রিতার বিয়ে হয়। প্রথম দিকে রিতা তাঁর শ্বশুরবাড়ি থাকলেও তাঁর উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও বেপরোয়া চলাফেরার প্রতিবাদ করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর স্বামী আ. মান্নানকে নিয়ে কাউখালী বাবার বাড়িতে চলে আসেন। সেখানে থাকাকালীন একই উপজেলার নাঙ্গুলী গ্রামের লিটু হাওলাদারের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন রিতা। ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই রাত ১১টার দিকে রিতার স্বামী ঘুমিয়ে পড়লে আসামি লিটুকে দরজা খুলে ঘরে ঢোকান রিতা।এরপর তাঁদের অনৈতিক অবস্থায় দেখে ফেলেন স্বামী আব্দুল মান্নানের। এরপর বিষয়টি গোপন রাখার জন্য লোহার রড দিয়ে আব্দুল মান্নানকে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। পরে তাঁরা গলায় রশি লাগিয়ে সেটিকে আত্মহত্যা হিসেবে চালাবার চেষ্টা করেন তাঁরা। ওই রাতেই রিতার ভাই রিয়াজ ফোনে মান্নানের ভাই মো. হান্নান শিকদারকে তাঁর ভাইয়ের অসুস্থ হয়েছেন বলে জানান। সকালে তারা এসে আ. মান্নানকে মৃত দেখলে প্রথমে তাঁদের আত্মীয়স্বজনকে ও পুলিশকে জানান।এ ঘটনায় কাউখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি আদালতে গেলে বিচারকার্য শেষে পিরোজপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ এসএম নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।রায়ে বলা হয়, মামলার ১ নম্বর আসামি রিতার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।আসামির পক্ষে ওই মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. আহসানুল কবির বাদল। আর রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. জহিরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ,পিরোজপুর,অপরাধ,হত্যা,বরিশাল বিভাগ,আদালত,কাউখালী,যাবজ্জীবন
স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
national
https://www.dailynayadiganta.com/cricket/572013/টি-২০-বলেই-আশাবাদী-মাহমুদউল্লাহ
টি-২০ বলেই আশাবাদী মাহমুদউল্লাহ
সাকিব ও তামিমের মতো দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দলে নেই। এদের ছাড়াই টি-২০ সিরিজে নিউজিল্যান্ডের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে তিক্ত হারের অভিজ্ঞতা থাকলেও টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাহমুদউল্লা মনে করেন, টি-টোয়েন্টিতে ছোট-বড় দল বলে কিছু নেই। একটি নির্দিষ্ট দিনে জ্বলে উঠতে পারলে জয় আসতেই পারে। হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে রোববার প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলা শুরু হবে। খেলা হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়। শনিবার নিউজিল্যান্ড থেকে পাঠানো ভিডিও বার্তায় মাহমুদউল্লাহ বলেন, 'অবশ্যই আমরা ওয়ানডেতে আশানুরূপ পারফর্ম করতে পারিনি। এ কারণে আমরা খুব আশাহত। কারণ, আমরা বিশ্বাস করি আমাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে, সে অনুযায়ী আমরা পারফর্ম করতে পারিনি। তবে আমি মনে করি টি-টোয়েন্টি এমন একটা সংস্করণ যেখানে বড় দল-ছোট দল বলতে কিছু নেই।' তিনি আরো বলেন, 'র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল হোক কিংবা নয়-দশ নম্বর দল, নির্দিষ্ট দিনে যদি কোনো দল ভালো পারফর্ম করে, এক-দুইজন খেলোয়াড় যদি অসাধারণ পারফর্ম করে তাহলে যে কোনো দলকে হারানো সম্ভব। আমরা একটা দল হিসেবে যদি ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারি। প্রয়োগের মাত্রাটা যদি ভালো থাকে। আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারবো। এটা আমাদের বিশ্বাস।' এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে সাতবার। প্রতিবারই জুটেছে হার। তারপরও আশাবাদী মাহমুদউল্লাহ, 'টি-টোয়েন্টি সংস্করণটাই এমন যে, এটা একটা দিনের খেলা। যে ওইদিন ভালো করবে, তাদের পক্ষেই ভালো ফল করাটা সম্ভব।'
null
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
sports
https://www.ajkerpatrika.com/123259/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF
বেতন স্কেল স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি
মনোহরগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন ভূমি সহকারী ও উপসহকারী কর্মকর্তাদের বেতনস্কেলের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে উপজেলার ১১ ইউনিয়নের ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতি। গতকাল সোমবার উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে তাঁরা এ দাবি জানান।এ সময় বক্তারা বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসনে কর্মরত ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা পদের কাজের পরিধি ও কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে ওই পদের বেতনস্কেল উন্নীত করে গত ২০১০ সালের ৩ জুন সরকার গেজেট প্রকাশ করে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ভূমি মন্ত্রণালয় ওই বেতন স্কেলের গেজেট গত ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই স্থগিত করে।এতে তাঁরা মাঠ প্রশাসনে কর্মরত ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাদের কাজের পরিধি, বাজার ঊর্ধ্বগতি ও সার্বিক বিবেচনায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, শূন্য পদে নিয়োগ ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানায়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোহসীন, মজিবুর রহমান, খায়রুল আমান মজুমদার আরিফ, খলিলুর রহমান, আবুল খায়ের, রুহুল আমিন, সাহীদ আল হাছান, মুক্তার হোসেন, আব্দুল কাইয়ুম, হাবিবুর রহমান, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
কুমিল্লা,চট্টগ্রাম বিভাগ,ছাপা সংস্করণ,কুমিল্লা সংস্করণ,মনোহরগঞ্জ,আজকের কুমিল্লা
বেতন স্কেল স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি
national
https://www.prothomalo.com/opinion/column/আই-হেইট-পলিটিকস-প্রজন্মই-আসল-ভরসা
'আই হেইট পলিটিকস' প্রজন্মই আসল ভরসা
বাংলাদেশের কিশোর-তরুণদের একটি বড় অংশের পরিচিতি দাঁড়িয়েছে 'আই হেইট পলিটিকস' জেনারেশন বা প্রজন্ম নামে। আমরা বড়রাই তাদের এই পরিচিতি দিচ্ছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, বিশেষত ফেসবুকে, নিজেদের সম্পর্কে কয়েক বাক্যে কিছু বলার সুযোগ থাকে। অনেকে কবিতাংশ জুড়ে দেন। আমরা বুঝে নিই তাদের কাব্যপ্রীতি আছে। কেউ কেউ দার্শনিকের উক্তি উদ্ধৃত করেন। টের পাই, তাঁরা দর্শন ভালোবাসেন। আবেগপ্রবণেরা প্রকাশ করেন আবেগ। রাজনীতিক জানান দেন তাঁর তরিকা, মত-পথ। তাতে কাছাকাছি ভাবনার মানুষ খুঁজে পেতে সুবিধা হয়। তরুণ-তরুণীদের একাংশ 'আই হেইট পলিটিকস' লেখে। দেখে হয় রাজনীতির মানুষেরা তাঁদের এড়িয়ে চলেন অথবা তাঁরাই চান রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যেন তাঁদের সঙ্গে সংযুক্ত না হন। এটি দেশের জন্য কুলক্ষণ ভেবে অনেকে তাঁদের সমালোচনা করেন। পুরোনো দিনের, মধ্যবয়সী ও পড়তি বয়সী রাজনীতিসংশ্লিষ্ট মানুষেরাই বেশি অভিযোগ করেন। এখনকার তরুণেরা কেন মুখচোরা প্রজন্ম; কেন নির্বিকার-নিস্পৃহ, স্বদেশ প্রসঙ্গে কেন আগ্রহ কম ইত্যাদি নানা প্রসঙ্গ তুলে বড়রা আক্ষেপ করি। মাঝেমধ্যে সবক-নসিহতও দিই। রাজনীতিতে জড়িত ব্যক্তিরা ফেসবুকে 'আই হেইট পলিটিকস' খুদে পরিচিতি লেখা কিশোর-তরুণদের নিয়ে বেশ হাস্যরস করেন, ট্রল করেন। 'আই হেইট পলিটিকস' প্রজন্মের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা পলায়নবাদী; সত্য ও বাস্তবতা পাশ কাটিয়ে চলে অথবা স্বার্থপর; নতুবা ভিতু-কাপুরুষ ধরনের। চ্যালেঞ্জ নিতে পারার মতো সৎ সাহস ও মনোবল তাদের নেই। এসব বলে অনেকেই হাহুতাশ করেন। শহুরে নিম্নমধ্যবিত্ত-মধ্যবিত্ত পরিবারের কিশোর-যুবাদের 'ফার্মের মুরগি' নামের একটি স্থূল উপমা দিয়ে চেনানোর বদভ্যাসেও বড়দের অনেকেই আক্রান্ত। রাজনীতিসংশ্লিষ্টদের এভাবে সরিয়ে রাখার অথবা নিজেরা সরে থাকার কিশোর-কিশোরী মনস্তত্ত্ব কী? 'আই হেইট পলিটিকস' প্রজন্মের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগই-বা কতটা সত্য, কতটা ন্যায্য? তারা যদি তেমনই হবে, ২০১৮-এর নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে আমরা কাদের দেখলাম? সাম্প্রতিক সড়ক-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে যে একদল অসমসাহসী লড়াকু কিশোর-কিশোরী নিজেদের ন্যায্য কথাগুলো বলতে সামান্যও ভয় পাচ্ছিল না, তারা কারা? একটি বালিকাকে দেখলাম পুলিশকে বলছে, 'আমি এই দেশের নাগরিক। এখানে দাঁড়ানো আমার অধিকার। আমার সুবিধা-অসুবিধার কথা বলতে পারা আমার অধিকার।' তার কাছে আইডি কার্ড চাইলে সে স্কুল ইউনিফর্ম দেখিয়ে জানিয়েছিল, এটিই তার আইডি কার্ড। এই তাৎক্ষণিক আত্মবিশ্বাসী উত্তরের যে ওজন, বড়দের অনেকেই সে ওজনের একটি তাৎক্ষণিক উত্তর দিতে হিমশিম খাবেন। অনেক ফাঁপা নিয়মবাদী আছেন, নিয়মের প্যাঁচ তুলে হয়তো বলবেন, ছাত্র-পরিচিতি দেখাতে পারাই নিয়ম, তারা কেন দেখাবে না? কারণ, এখনো দেশের সিংহভাগ সাধারণ স্কুল পরিচিতি কার্ড দেওয়ার নিয়মটিই তৈরি করতে পারেনি। আইডি নেই, তাই বলে অধিকারের কথা বলা যাবে না? নিরাপদ সড়কের দাবি তোলা যাবে না? প্রাণের সুরক্ষার ন্যায্য চাওয়াটাই চাইতে পারা যাবে না? অনিয়মটি রয়ে গেছে বলেই তো তারা নিয়ম ফেরানোর দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। ২০১৮-এ তারা নিয়ম ফেরাতে রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব নিয়েছিল। তাদের 'তোমরা ট্রাফিক নও, নিয়ম ভাঙছ, আইন ভাঙছ' বলা হতো নিরেট মূর্খতা। দাবির রূপকাত্মক ভাষা এ রকমই। দেখিয়ে দেওয়ার ভাষা। বোধ-সম্বোধ ফিরিয়ে আনার ভাষা। কিশোরেরাও জানত তারা ট্রাফিক নয়। তারা দেখিয়ে দিতে চেয়েছিল-'দ্যাখো, সড়কে নিয়ম ফেরানো সম্ভব।' এবং সেটি দেখিয়েও দিতে পেরেছিল। সে সময় এক কিশোরের রূপকাত্মক বক্তব্য শুনেছিলাম, 'আমরা "মেরামত" করছি, মোটেই কোনো কিছু ভাঙছি না। আমার ঘরের চুলা নষ্ট হলে, নতুন না কিনতে পারলে, মেরামত করাব না? দরজার তালা নষ্ট হয়ে গিয়ে ভেতরে আটকা পড়লে রিপেয়ার করাব না?' এ রকম পরিণত ভাবনার কিশোর-কিশোরীদের কীভাবে 'আই হেইট পলিটিকস' বলার দায়ে দোষী করা সম্ভব? বালিকাটির স্কুলড্রেস দেখিয়ে দেওয়ার রূপক গুরুত্বটিও সমান সীমাহীন। 'আসাদের শার্ট' কেন অনুপ্রেরণার উৎস? নূর হোসেনের বুকে-পিঠে লেখা কেন অমূল্য? নূর হোসেনকে কি বলা যেত, 'ব্যানারে-ফেস্টুনে লেখাই নিয়ম। বুকে-পিঠে লিখে তুমি অনিয়ম করেছ'? কয়েক দিন আগে বালক-বালিকারা 'লাল কার্ড' দেখাতে রাস্তায় নামল। অসাধারণ বুদ্ধিদীপ্ত রূপকাত্মক কর্মসূচি। 'তোমরা আগাগোড়া ফাউল করে চলেছ, তোমাদের লাল কার্ডই প্রাপ্য'-এ রকম পরিণত চিন্তার বালক-বালিকাদের ঢালাওভাবে 'আই হেইট পলিটিকস' প্রজন্ম বলা বা ভাবার গলদটি আসলে কোথায়, দেখা যাক। কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একটি গবেষণাকাজ করছি। সে জন্য সম্প্রতি যখন যেখানে যাচ্ছি, কিশোর-কিশোরী পেলেই কথা বলছি। গবেষণার ছকের বাইরে গিয়েই তাদের জানছি। জেনে নিশ্চিত হয়েই বলছি, বর্তমানের কিশোর-কিশোরীদের দেখার চোখ বড়দের চেয়ে অনেক স্বচ্ছ, অনেক বেশি সুগভীর। বড়দের ভীতি, আতঙ্ক, আপসকামিতা, স্খলন-কোনো কিছুই তাদের নজর এড়াচ্ছে না। কৈশোরের ভাব-ভাবনার মনস্তত্ত্ব বিষয়ে আলাপ করতে গিয়ে নিশ্চিত হয়েছি, তারাও বড়দের অবিমৃশ্যকারিতা ও কাপুরুষতা দেখে সমান চিন্তিত। কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরা নতুন বন্ধু পেতে বেশি পছন্দ করে। তাই অল্প বাক্যে নিজেদের প্রকাশ করার বেলায় অনেক ভেবেচিন্তেই খুদে পরিচিতিটি লেখে। তারা ভালোই বোঝে ও জানে যে ফেসবুকের খুদে পরিচিতিগুলোই তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করে। খুদে পরিচিতিগুলো লেখা ও বেছে পোস্ট করার বেলায় তারা বেশ সময়ও দেয়। তাই তাদের একটা বড় অংশ যখন লেখে 'আই হেইট পলিটিকস', তাকে 'ভাব ধরা' ভেবে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। বরং মানতে হবে যে তারা আসলে অন্যদের মধ্যে একটি বিশেষ ভাব বা ভাবনা নির্মাণ করার সহজ চেষ্টাটি করছে। ভাবটি এ রকম, 'দেখো, আমি একজন ভালো ছেলে বা মেয়ে। আমাকে বন্ধু করে নিলে তোমাকে পস্তাতে হবে না।' গুপ্ত ভাবটি এ রকম, 'রাজনীতি করা ছেলেমেয়েদের মতো আমরা খারাপ নই।' রাজনীতির মানুষজন কি খারাপ? ছাত্ররাজনীতিতে জড়িত ছাত্ররা কি খারাপ? 'রাজনীতি' শব্দের আশপাশে বিশেষণের ডালপালা লাগিয়ে তারা যদি লিখত 'চলতি রাজনীতি', বা 'ক্ষমতার রাজনীতি' বা 'দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি', হয়তো কথা উঠত না। কিন্তু ঢালাও 'রাজনীতি' লেখায় এই বিভ্রান্তি। আসলে তাদের লেখা 'রাজনীতি' শব্দের আশপাশে প্রচ্ছন্ন ও অদৃশ্য আছে সেই বিশেষণগুলোই। আগেই লিখেছি, পুরোনো দিনের, মধ্যবয়সী ও পড়তি বয়সী রাজনীতিসংশ্লিষ্ট মানুষেরাই 'আই হেইট পলিটিকস' প্রজন্মের সমালোচনায় বেশি মুখর। কারণ, তাঁদের কৈশোরকালে তাঁরা রাজনীতিকদের দেখেছিলেন অনুপ্রেরণার আকর হিসেবে। বায়ান্ন না দেখলেও উনসত্তর-একাত্তর চাক্ষুষ করেছেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলন দেখেছেন। তখনো রাজনীতিকদের সবাই ধোয়া তুলসীপাতা ছিলেন না। কিছু কিছু পচা আপেল তখনো ছিল। তবু তাদের ওপর ভরসাই নয়, নির্ভর করারও সুযোগ ছিল। পরিবর্তন আসত তাদের হাত ধরেই। কিশোর-তরুণেরা পত্রপত্রিকা পাঠের সুযোগ পেত কম। ইন্টারনেট-গুগল-ফেসবুক ছিল না। বড়রা আলোচনা করতেন। তাদের পছন্দ-অপছন্দ অনুমোদনমাফিক তারাও নেতা-নেত্রী এবং রাজনীতি বুঝে নিত। রাজনীতিকের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ-অশ্রদ্ধাবোধও সেভাবেই তৈরি করে নিত। এখন তো রাজনীতিমনস্ক হওয়া আরও সহজ। ইন্টারনেট সূত্রে সারা দুনিয়াই নতুন প্রজন্মের হাতের মুঠোয়। সব খবরাখবরই প্রজন্মের জানা। এড়িয়ে যাওয়ারই-বা সুযোগ কোথায়? তবু প্রজন্ম 'আই হেইট পলিটিকস' লেখে কেন? উত্তর পেতে প্রশ্ন-এই প্রজন্মের জন্য চলতি সময়ের রাজনীতিকদের মধ্যে একজনও অনুকরণীয়-অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব কি আছেন? একের পর এক দেশের ও রাজনীতির দায়িত্বপূর্ণ পদে থাকা শীর্ষ রাজনীতিকদের ধর্ষক, দাগি অপরাধী ও দুর্বৃত্ত হিসেবে চিনতে বাধ্য হওয়া কিশোর-তরুণেরা 'আই হেইট পলিটিকস' লিখবে না তো কী লিখবে? তাদের 'আই হেইট পলিটিকস' মোটেই রাজনীতি বিযুক্তি নয়, বরং দুর্বৃত্তায়িত চলতি রাজনীতির প্রতি ঘৃণাভরা অননুমোদন। যখন 'মেরামত'-এর প্রয়োজন পড়ে, তখন ঠিকই তারা মেরামতে নামে। শুদ্ধ রাজনীতির হাতেখড়ি দেওয়া গেলে মন্দকে ঘৃণা করতে শেখা স্বশিক্ষিত এই 'আই হেইট পলিটিকস' প্রজন্মই ভবিষ্যৎ পরিবর্তনের আসল কান্ডারি হয়ে উঠবে। হেলাল মহিউদ্দীন অধ্যাপক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং সদস্য, সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ
সমাজ,রাজনীতি,ছাত্র রাজনীতি,ছাত্রসমাজ
'আই হেইট পলিটিকস' প্রজন্মই আসল ভরসা
opinion
https://samakal.com/international/article/1906303/গিয়ে-শুভেচ্ছা-জানালেন-মমতা
ঈদগাহে গিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন মমতা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেড রোডে ঈদুল ফিতরের নামাজে প্রতি বছরই যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এবার তার ভাষণ ছিলো কিছুটা ব্যতিক্রম। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। ঈদের ভাষণেও বিজেপির বিরুদ্ধে বার্তা দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। রেড রোডে ঈদের নামাজের মঞ্চ থেকেই বুধবার একথাই বার বার বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনও রাজনৈতিক দলের নাম করলেন না। কিন্তু বললেন, যত দ্রুত ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দখল করেছে, তত দ্রুত চলেও যাবে। অন্যান্য বছর শুধু সামাজিক বিষয় নিয়েই কথা বলেন মমতা। সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। কিন্তু এ বছর তার সংক্ষিপ্ত ভাষণে রাজনীতির ছায়া ছিল গাঢ়। এদিন ভাষণে তিনি বলেন, আপনাদের পরিবার, আপনাদের ভবিষ্যৎ, আপনাদের সমাজ, আপনাদের সংস্কার, আপনার রাজ্য, আপনার দেশ, সারাবিশ্বে ইনশাল্লাহ আপনাদের জন্য ঈদ খুশির হয়ে উঠুক। ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে নিয়ে এ দিন রেড রোডের অনুষ্ঠানে নাতিদীর্ঘ ভাষণে অনেক বারই ভয় না পাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কারা ভয় পাবেন, কাকে ভয় পাবেন, কেনই বা পাবেন-সে সব প্রসঙ্গে ভেঙে কিছু মমতা বলেননি। তার জেরেই গুঞ্জন আরও বেড়েছে নানা শিবিরে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, এই ঈদ আপনাদের জীবনে নতুন সকাল আনবে। কেউ রুখতে পারবে না। কেউ যদি বাধা দেন, তা হলে তার জন্য দুঃখিত। তিনি আরও বলেন, আপনারা একটা কথা অবশ্যই বুঝবেন, আপনারা বাংলার বিষয়ে যে সাহায্য করেছেন, যে আশীর্বাদ-শুভেচ্ছা দিয়েছেন, তার জন্য বাংলার পরিবারের পক্ষ থেকে আমি কৃতজ্ঞ। আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, একসঙ্গে থাকার জন্য, একতার জন্য, ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য, দেশের পরম্পরার জন্য, আমাদের রাজ্যের পরম্পরার জন্য... আপনারা সব সময় সাহায্য করেন। এরপর মমতা বলেন, যদি আপনারা সবাই সঙ্গে থকেন, তা হলে দেখবেন আমরা কীভাবে লড়ি। আমরা লড়ব। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।' তিনি বলেন, যে ভয় পায়, সে মরে। যে লড়ে, সেই সফল হয়। শুরুর দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণে সামাজিক শুভেচ্ছা বার্তার আড়ালে ছিল রাজনৈতিক বার্তাটা। শেষদিকে সেই আড়ালটাও সরিয়ে দেন মমতা নিজেই। কোনও দল বা ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেননি তিনি। কিন্তু বলেন, সূর্যের তেজ কখনও কখনও খুব বেড়ে যায়। কিন্তু পরে কমেও যায়... টাইম বিইং, টাইম বিইং... যত দ্রুত ইভিএম ক্যাপচার করেছিল, তত দ্রুত চলেও যাবে। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার বলছেন, ইভিএমে কারচুপি হয়েছে। তাই ইভিএম দখলের কথা উল্লেখ করে এদিন যে তিনি বিজেপির দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন, তা বুঝতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অসুবিধা হয়নি। বিজেপির নাম না করলেও, ঈদের জমায়েতে গিয়ে যে তিনি বিজেপিকে ভয় না পাওয়ার বার্তাই দিতে চেয়েছেন, তাও অনেকের কাছেই পরিষ্কার হয়ে গেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,ঈদ
ঈদগাহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
international
https://www.ajkerpatrika.com/11960/%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%9C%E0%A6%BF
বৃষ্টিতে মরে যাচ্ছে সবজি
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি ও মাঝারি বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে মরে যাচ্ছে সবজিগাছ। প্রায় দেড় হাজার একর জমির সবজি বিবর্ণ হয়ে যাওয়ায় ক্ষতির শঙ্কায় প্রান্তিক চাষিরা।জেলার সবজির জনপদখ্যাত এই উপজেলার ৯০ শতাংশ মানুষই কৃষিজীবী। উপজেলার গোরখানা, তুলা বিল, বড়বিল, ছদুরখীল, যোগ্যাছোলা, হেডম্যানপাড়া, পানাবিল, ডাইনছড়ি, তিনটহরী উপজেলার নামাপাড়া, মধ্যপাড়া, উত্তরপাড়া, শান্তিনগর, গোদারপাড়, মহামুনি, ধর্মঘর, গচ্ছাবিল নদীর চরে সবজি চাষ হয়।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ সুমন গুপ্ত ও অঞ্জন কুমার নাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলায় প্রায় দেড় হাজার একর জমিতে সবজি চাষ হয়। এর মধ্যে বেশির ভাগ জমিই হালদা নদীর উজানে উপশাখায় নানা রকম সবজি উৎপাদনে সাফল্য আছে। বছরে এই সময়ে ওই এলাকায় উৎপাদিত সবজি ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনী, সিলেট ও নোয়াখালীতে সরবরাহ হয়ে থাকে। কিন্তু টানা বৃষ্টির ফলে ফলন্ত গাছে থাকা সবজি ও গাছ নষ্ট হয়ে যাবে। গাছ বিবর্ণ হয়ে মরে যাবে।গচ্ছাবিলের তরুণ কৃষিবিদ মো. মোকতাদীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'এভাবে লাগাতার বৃষ্টি হলে খেতের ফল, ফুল সবই শেষ! আমার খেতের অপরিপক্ব বরবটি, বেগুন, কাঁকরোল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।'তিনটহরী শান্তিনগর এলাকার প্রান্তিক কৃষক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, 'নদীর চরে আমার প্রায় দুই একর বর্গা জমিতে বেগুন, বরবটি, ঢ্যাঁড়স, ছালকুমড়া চাষ করেছি। গাছগুলো এখনো মধ্যম বয়সী। এ অবস্থায় যেভাবে টানা বৃষ্টি চলছে, তাতে আমার বেশি ক্ষতি হবে।'হালদার সংলগ্ন গোরখানারপ্রান্তিক কৃষক মো. বেলাল হোসেন দুই বছর আগেও জমিতে তামাক চাষ করতেন। সরকারি প্রণোদনায় আইডিএফ হালদা প্রজেক্টের অধীন সবজি চাষে ফেরেন তিনি।কৃষক মো. বেলাল বলেন, নদীর পাড় সংলগ্ন চরে আমি এক-দেড় একর জমিতে সবজি চাষ করি। এখন সেখানে বেগুন খেতে ফল আছে। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে আমি ফসল নিয়ে শঙ্কিত।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমান বলেন, 'টানা বৃষ্টিতে নিচু জমির ফসল বিবর্ণ হয়ে প্রান্তিক কৃষকের কিছুটা ক্ষতি হবে। মৌসুমি ঝড়-বৃষ্টির বিষয় মাথায় নিয়েই তাঁদের বেঁচে থাকতে হয়। কৃষি বিভাগ প্রান্তিক কৃষকের সুখ-দুঃখ নিয়ে কাজ করছে।'
খাগড়াছড়ি,চট্টগ্রাম বিভাগ,মানিকছড়ি,চাষ
হালদার শাখা নদীর পাড়ে কৃষক তাজুলের খেতের সবজি বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
national
https://samakal.com/international/article/220191974/চীনে-বিস্ফোরণে-ভবন-ধসে-নিহত-১৬
চীনে বিস্ফোরণে ভবন ধসে নিহত ১৬
চীনের চংকিং শহরে একটি ভবন বিস্ফোরণের পর ধসে পড়লে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে। ওই ভবনে থাকা ক্যান্টিনে 'গ্যাস লিকেজ' থেকে এ বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার মধ্যরাতে এ বিস্ফোরণ ঘটে। চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভিতে শনিবার এ বিস্ফোরণের খবর প্রচার করা হয়। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও আল জাজিরার। সিসিটিভির খবরে বলা হয়, ঘটনাস্থল থেকে ২৬ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা ১৬ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিরাও হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চলছে। সিনহুয়ার গ্লোবাল সার্ভিস গ্লোবালিংয়ের মতে, লোকজন যখন দুপুরের খাবার খাচ্ছিল তখন বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
চীন,ভবন ধস
স্থানীয় সময় শুক্রবার মধ্যরাতে এ বিস্ফোরণ ঘটেএএফপি
international
https://samakal.com/economics/article/210977715/ইভ্যালির-অফিস-ফের-বন্ধ
ইভ্যালির অফিস ফের বন্ধ
ফের বন্ধ হয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানইভ্যালির অফিস।প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা এখন বাসায় থেকে অফিসের কাজ করবেন বলে শনিবার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পাতায় ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করতে ইভ্যালি বলেছে, 'হোম অফিস'র মধ্যেও তাদের সব কার্যক্রম 'স্বাভাবিক' সময়ের মতো চলবে। ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে বৃহস্পতিবার গ্রাহকের করা প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার করে র্যাব।তারপর থেকে ইভ্যালির হাজার হাজার গ্রাহক উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তাদের পণ্য পাওয়া নিয়ে। ইভ্যালির ফেসবুক পাতায় বলা হয়, '১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ রোজ শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ইভ্যালি এমপ্লয়িগণ নিজ নিজ বাসা থেকে অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।হোম অফিস পদ্ধতিতে ইভ্যালির সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলমান থাকবে। আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা আমাদের একান্তভাবে কাম্য। ইভ্যালির উপর আস্থা রাখুন, পাশে থাকুন। আপনাদের ভালোবাসাই আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।' করোনাভাইরাস মহামারিকালে গ্রাহকদের বহু অভিযোগের মধ্যে গত জুন মাসে ইভ্যালি তাদের অফিস বন্ধ করে দিয়েছিল। আগস্টের শেষ দিকে এসে খুলেছিল অফিস। রাসেল-শামীমা গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার রাতে ইভ্যালিতে 'টি-টেন' ক্যাম্পেইনের পণ্য বিক্রির কথা থাকলেও অর্ডারগুলো অপেক্ষায় রাখা হয়, গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। এর আগে রাত ২টায় '' সংক্রান্ত এক 'জরুরি নোটিসে' ইভ্যালির পক্ষ থেকে বলা হয়, 'আমাদের প্রধান দুজন সিগনেটরি- সম্মানিত সিইও এবং চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে, আমাদের সেলারদের রেগুলার বিল দিতে পারছি না। এজন্য আমাদের স্বাভাবিক ডেলিভারি কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে।তাই আপনাদের করা আজকের ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ এর -এর সকল অর্ডার আপাতত রিকোয়েস্ট হিসেবে জমা থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া মাত্রই আপনাদের ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ এর -এর সকল অর্ডার কনফার্ম করা হবে। অর্ডার কনফার্ম হলেই আপনারা পেমেন্ট সম্পন্ন করতে পারবেন।'
ই-কমার্স,ইভ্যালি
ইভ্যালির অফিস ( )
economy
https://www.ajkerpatrika.com/110606/%E0%A6%AE%E0%A7%9F%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B9%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87
ময়মনসিংহে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
ময়মনসিংহে দুই ভাই রফিকুল ইসলাম এবং সফিকুল ইসলামকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সিরতা নয়াপাড়া বাজারে রাস্তার দু'পাশে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা।জানা যায়, গত ১০ ডিসেম্বর জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা দুই ভাই রফিকুল ইসলাম এবং সফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আকবর আলী বাদী হয়ে সিরতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদকে প্রধান আসামি করে ৩৫ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে দুই ভাইকে হত্যা করা হলেও মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। ৩৫ জন আসামির মধ্যে পুলিশ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের মধ্যে দুজন জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন।ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, দুই ভাই হত্যার ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুজন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। বাকি আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে।ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, অচিরেই চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার চার্জশিট প্রদান করা হবে।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলম জাহাঙ্গীর, সাইফউদ্দিন আহম্মেদ বকুল, সিরতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনসহ নিহতের স্বজনরা।
হত্যা,মামলা,গ্রেপ্তার,ময়মনসিংহ বিভাগ
ময়মনসিংহে দুই ভাইকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
national
https://www.bd-pratidin.com/national/2021/07/22/672703
মুনিয়ার আত্মহত্যা: বসুন্ধরা এমডি'র সংশ্লিষ্টতা পায়নি পুলিশ, নুসরাতের অভিযোগ অসত্য প্রমাণিত
মোসারাত জাহান মুনিয়ার আত্মহত্যায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের সংশ্লিষ্টতা পায়নি পুলিশ। এ মামলায় আনভীরকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে গুলশান থানা পুলিশ। ফলে, মুনিয়ার বোন নুসরাতের অভিযোগ অসত্য প্রমাণিত হল। আগামী ২৯ জুলাই এই প্রতিবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মুনিয়ার আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তাই মামলার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ১৯ জুলাই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি বাড়িতে মারা যান মুনিয়া। মুনিয়ার মৃত্যুর পরপরই তড়িঘড়ি করে তার বোন নুসরাত তানিয়া আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন গুলশান থানায়। অভিযোগেএকজনকেই তিনি অভিযুক্ত করেন। নুসরাত শুরু থেকেই এই মামলাটি করেছিলেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে এবং মামলা করতে গিয়ে তিনি অনেক মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
null
মুনিয়া ও নুসরাত
national
https://www.ajkerpatrika.com/102588/%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF
কিশোরগঞ্জে বিজিবি সদস্য হত্যা মামলায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ইউপি নির্বাচনী সহিংসতায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য রুবেল হোসেনের হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি মো. মারুফ হোসেন অন্তিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে র্যাবের একটি দল ঢাকার আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। গ্রেপ্তারকৃত মারুফ হোসেন অন্তিক কিশোরগঞ্জের গাড়াগ্রাম ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান এবং গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী।জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউপি নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় ভোটকেন্দ্রে প্রাণ হারান বিজিবির সদস্য রুবেল হোসেন। ওই দিন রাতে ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর জাতীয় পার্টির পরাজিত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মারুফ হোসেন অন্তিকের সমর্থকেরা কেন্দ্রে হামলা চালান। এ সময় আত্মরক্ষায় বিজিবি সদস্য রুবেল কেন্দ্রের একটি কক্ষে আশ্রয় নিলে বিক্ষুব্ধরা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেন। গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ললিত চন্দ্র রায় বলেন, এ ঘটনায় মারুফ হোসেন অন্তিককে প্রধান আসামি করে পরদিন মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে আরও ৯৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, এরই মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ১৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নীলফামারী,অপরাধ,হত্যা,বিজিবি,রংপুর বিভাগ,ইউপি নির্বাচন
বিজিবি সদস্যের হত্যা ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
national
https://samakal.com/entertainment/article/19126677/অপেক্ষায়-দিন-কাটছে-টয়া
চলচ্চিত্রের অপেক্ষায় দিন কাটছে: টয়া
মুমতাহিনা টয়া। মডেল ও অভিনেত্রী। 'হারিয়ে যেও না তুমি' শিরোনামে একটি গানের মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েছেন তিনি। এ মিউজিক ভিডিও ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তার সঙ্গে- অনেকদিন পর মিউজিক ভিডিওতে মডেল হলেন। কেমন হলো এবারের গানটি? মিউজিক ভিডিওর গল্পটা আমার কাছে একটু আলাদা মনে হয়েছে। আর প্রীতির নির্দেশনায় এর আগেও কাজ করেছি। যে কারণে তার কাজের প্রতি আমার আস্থা আছে। লল্ডন প্রবাসী কণ্ঠশিল্পী হাসান মুনের গাওয়া গানের কথা অসাধারণ। লোকেশন খুব ভালো লেগেছে। সবকিছু মিলিয়ে কাজ করেছি। আশা করছি, মিউজিক ভিডিওটি দর্শকের ভালো লাগবে। 'টয়া টিউব' নিয়ে নতুন কী পরিকল্পনা করছেন? গতকাল [৯ ডিসেম্বর] এ চ্যানেলটি এক লাখ সাবস্ট্ক্রাইবার হয়েছে। এ চ্যানেলটিকে আরও বড় করার ইচ্ছা রয়েছে। বিভিন্ন শো করতে চাই। আসলে দর্শক তো আমাদের ক্যামেরার সামনের কাজটাই দেখে। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে কত পরিশ্রম করি, কত প্রস্তুতি নিই, সেগুলো তাদের অজানা থাকে। এ চ্যানেলের মাধ্যমে সেগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছি। শুনলাম দুটি নাটকে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে... হ্যাঁ, মিলাদ ভূঁইয়ার 'সাইলেন্ট প্রপোজ' ও হাসিব খানের 'প্রভাতী এক্সপ্রেস' নাটক দুটিতে চরিত্রগুলো অসাধারণ। এখানে আমাকে একটি চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে দেখা যাবে। 'সাইলেন্ট প্রপোজ' নাটকে প্রতিবন্ধী নিয়ে কাজ করা এক মেয়ের চরিত্রে ও 'প্রভাতী একপ্রেস' নাটকে চা বিক্রেতা মুনিয়ার চরিত্রটি বেশ উপভোগ করেছি। প্রতাভী একপ্রেস নাটকে সকাল থেকে শুটিং করতে গিয়ে প্রায় ২৫ কাপ চা বানিয়েছি। অনেকে সেই চা টাকা দিয়েও খেয়েছেন। সবাই ভেবেছেন আমি সত্যিকারের একজন চা বিক্রেতা। আগে মোটামুটি চা বানাতে পারতাম। কিন্তু এখন চা বানানোতে পারদর্শী হয়ে গেছি। নতুন চলচ্চিত্রের কী খবর? 'বেঙ্গলি বিউটি'র পর নতুন কোনো চলচ্চিত্রের কাজ করিনি। বর্তমানে টিভি নাটকে অভিনয় ও উপস্থাপনা নিয়েই ব্যস্তসময় কাটছে। তবে ভালো চিত্রনাট্য পেলে চলচ্চিত্রে অভিনয় করব। সে সময়ের অপেক্ষায় দিন কাটছে। ভারতের মুম্বাইয়ের অভিনয়ের স্কুল 'অ্যাক্টর প্রিপেয়ার্স'-এ কোর্স করেছেন। অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? গত ২১ অক্টোবর থেকে টানা এক মাসের জন্য মুম্বাইয়ের বাসিন্দা হয়েছিলাম। কোর্স শেষ করে একেবারে সনদ নিয়ে ১৭ নভেম্বর দেশে ফিরেছি। মাত্র ৩০ দিন। কিন্তু অভিজ্ঞতা অনেক, যা আমার সঙ্গে চিরকাল থাকবে। ক্লাসে যে শিক্ষাটা দেওয়া হচ্ছে, সবাইকে আবার তা স্টেজে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অভিনয় করে দেখাতে হতো। অনেকদিন ধরে মিডিয়ায় কাজ করছি। কিন্তু আমার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। নিজেকে বোঝা ও ঝালাই করার জন্য বলিউড অভিনেতা অনুপম খেরের ওই স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম। ভবিষ্যতে এরকম কোর্স করে নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাই।
মুমতাহিনা টয়া,বিনোদন
মুমতাহিনা টয়া হিমেল
entertainment
https://www.bhorerkagoj.com/2021/11/09/%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%9f%e0%a7%8b%e0%a6%9c%e0%a6%a8-%e0%a6%b9%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4/
আইনের প্রয়োজন হবে না প্রতিজ্ঞা করুন ভেজাল দেব না
গুড এগরিকালচারাল প্রাকটিস জরুরী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতিরি একজন প্রতিনিধির কথায় শুনলাম তারা ক্ষিপ্ত। তিনি বলেছেন আইনের প্রকৃত ভাষা না বুঝে তা প্রয়োগ করা ঠিক না। আমি উনার সঙ্গে একমত পোষণ করছি। আরো বলেছেন ৬০ হাজার রেস্টুরেন্ট মালিক ঐক্যবদ্ধ আজ। সে জন্য আমি আপনাদের সাধুবাদ জানাই। তবে সম্মান রেখে বিনয় সঙ্গে বলতে চাই আপনাদের ওপর আইন প্রয়োগ করার কোনো প্রয়োজন নাই যদি আপনারা এভাবেই ঐক্যবদ্ধ থাকেন। আর এখানে উপস্থিত সাংবাদিকরেদর সামনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিজ্ঞা করুন আমরা ভেজাল দেবো না। সঠিকভাবে মানুষকে নির্ভেজাল ও উপযুক্ত খাদ্য সরবরাহ করবো। আপনাদের কাছে আইন যাবে না প্রয়োজন হবে না। সেই প্রতিজ্ঞা কি আদৌ করতে পারবেন। ঐক্যবদ্ধতো হয়েছেন। নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ ও বিধি-প্রবিধি সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যম-শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথীর বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল বলরুমে মঙ্গলবার সকালে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা সম্পাদক শাইখ সিরাজ ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব আবদুল কাইউম সরকার। মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের ৮টি বিভাগে ল্যাবরেটরী নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ৬ মাসের মধ্যে তা চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি। পাশাপাশি প্রত্যেক বিভাগে মোবাইল ল্যবরেটরী করা হচ্ছে। ফলে ডাকলেই জেলা-উপজেলায় পৌঁছে যাবে ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরী। এছাড়াও কেন্দ্রীয়ভাবে নারায়গঞ্জে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ল্যবরেটরী নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জাইকার সঙ্গে আমাদের চুক্তিও হয়েছে। যেহেতু ল্যাবরেটরী নাই তাহলে কিভাবে সাজা দিচ্ছেন প্রশ্ন উঠতে পারে? তাই বলবো চোখের দেখাতেও অনেক কিছু বোঝা ও দেখা যাচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই কাজ চলছে। ল্যাবরেটরী হলে যে আরো কি হতে পারে তা ভেবে আমরা যে যেখানেই আছি তার জায়গা থেকে মেধাবী প্রজন্ম ও সন্তান গড়তে চাইলে ভেজালমুক্ত ও নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের বিষয়ে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। গণমাধ্যম এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। শাইখ সিরাজ সমন্বয়হীণতার কথা উল্লেখ করে বলেন, শুধু খাদ্য নয়, কৃষি, মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়সহ আরো যারা জড়িত রয়েছে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। গণমাধ্যমকে সম্পৃক্ত করে আরো কাজে লাগাতে হলে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। উৎসাহের জন্য অ্যাওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। গুড এগরিকালচারাল প্রাকটিস করতে হবে। এর অভাবেই আমরা বাইরে খাবার রপ্তানী করে কোটি-কোটি ডলারের বিনিয়োগ হারাচ্ছি।
আইন,প্রতিজ্ঞা,ভেজাল
মঙ্গলবার নিরাপদ খাদ্য আইন সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যম-শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন খাদ্য মন্ত্রী।
national
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2020/07/23/550956
বিশ্বের পঞ্চম ধনী মুকেশ আম্বানি
বিশ্বের ধনীতম ব্যবসায়ীদের তালিকায় পাঁচ নম্বরে উঠে এলেন মুকেশ আম্বানি। এতে তিনি টপকে গেলেন ওয়ারেন বাফেটকেও। ফোর্বস 'রিয়েল টাইম বিলিয়নেয়ার্স লিস্ট' অনুযায়ী মুকেশের এ উত্থান। গত বুধবারের হিসেবে মুকেশ আম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৭ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। তার ওপরেই আছেন ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপের কর্ণধার মার্ক জাকারবার্গ। তার সম্পত্তি ৮ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার। ১৮ হাজার ৫৮০ কোটি মার্কিন ডলার সম্পত্তির মালিক অ্যামাজনের কর্ণধার জেফ বেজোস তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে বিল গেটস, বার্নার্ড আর্নল্ট ও তার পরিবার। বিল গেটস ১১ হাজার ৩১০ কোটি মার্কিন ডলারের মালিক। আর্নল্ট পরিবারের সম্পত্তি ১১ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। আর মুকেশের নিচে থাকা বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের কর্ণধার ওয়ারেন বাফেটের সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২৭০ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে প্রথম থেকে চতুর্থ স্থানে থাকা সবারই সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে ০.২০ শতাংশ থেকে ১.৭২ শতাংশ। সেখানে উল্টো স্রোত মুকেশ আম্বানির সংস্থার। মুকেশের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৪.৪৯ শতাংশ। অন্যদিকে গত বুধবার রিলায়্যান্সের শেয়ারের দাম পৌঁছে গেছে নতুন উচ্চতায়। এ প্রথম ২০০০ টাকার অঙ্কে পৌঁছাল রিলায়্যান্সের শেয়ারের দাম। ১.৬৫ শতাংশ বেড়ে গত বুধবার বাজার বন্ধের সময় রিলায়্যান্সের শেয়ারের দাম হয়েছে ২০০৪ টাকা। বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
null
মুকেশ আম্বানি
international
https://www.bd-pratidin.com/country/2022/03/17/750797
পাটুরিয়া-আরিচা ঘাটে আটকে আছে শত শত যান
টানা তিনদিনের ছুটিতে ঘরমুখো লোকজনের প্রচুর চাপ পড়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা কাজিরহাট নৌরুটে। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি যাত্রী ও যানবাহন চলে আসায় ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র জানজট। দুই ঘাটেই পারের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে শতশত যানবাহন। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও শ্রমিকরা। যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, পাটুরিয়া ঘাটের সমস্যা নিত্যদিনের। এখানে নেই মানসম্পন্ন খাবারের হোটেল, পয়োনিস্কাশনের ব্যবস্থা। আটকে পড়া ট্রাক চালকরা অভিযোগ করেন, অতিরিক্ত টাকা দিলে সিরিয়াল ছাড়া পার হওয়া যায়। বিআইডব্লিউটিসির আরিচা ঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ জানান, আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে দুইপাড়ে মাত্র দুইটি ঘাট আর ফেরি মাত্র তিনটি। তিনদিনের ছুটির কারণে অতিরিক্ত যাত্রী ও ছোট গাড়ি পার হচ্ছে। যার কারণে এ নৌরুটে যানবাহন আটকে পড়েছে। অন্য সময় খুব সমস্যা হয় না। ফেরি ও ঘাটের সংখ্যা বাড়লে সমস্যা থাকবে না। আগে দালালরা চালকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করতো। পুলিশ ৫ দালালকে আটক করার পর থেকে এখানে দালালের দৌরাত্ম্য কিছুটা কমেছে। বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মহীউদ্দিন রাসেল বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেড়েছে। ২০টি ফেরি সচল থাকলেও শতশত যানবাহন পারের অপেক্ষায় রয়েছে। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
পাটুরিয়া, আরিচা, ঘাট, যান
পাটুরিয়া-আরিচা ঘাটে আটকে আছে শত শত যান
national
https://www.prothomalo.com/world/usa/১১-সেপ্টেম্বরের-আগেই-আফগানিস্তান-থেকে-সব-মার্কিন-সেনা-প্রত্যাহার
১১ সেপ্টেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার
আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ-সংক্রান্ত ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। এ হামলার জের ধরে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের নামে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযানে যায় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা 'নাইন-ইলেভেন' নামে পরিচিত। এ ঘটনার ২০ বছর পূর্তির আগেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেনে হামলা চালায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা। আর আফগানিস্তানের তৎকালীন তালেবান সরকার আল-কায়েদাকে মদদ দিয়েছিল। এর জের ধরেই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই অভিযানে যোগ দেয় তার পশ্চিমা মিত্ররা। অভিযানে আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের পতন হয়। তবে দেশটিতে তালেবান ও আল-কায়েদা নির্মূল হয়নি। মার্কিন সেনারাও আফগানিস্তান ছাড়তে পারেননি। আফগানিস্তানে যুদ্ধ করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার ৩০০ জনের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন। ২০ হাজারের বেশি সেনাসদস্য আহত হয়েছেন। আমেরিকার সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ আফগানিস্তান থেকে অন্যত্রও বিস্তৃত হয়। তবে শুধু আফগানিস্তানেই যুদ্ধ করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় হয়েছে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার। প্রাণহানি, বিপুল ব্যয়-এসবে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ জনগণ ক্ষুব্ধ। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজপথে যুদ্ধবিরোধী মিছিল-সমাবেশ পর্যন্ত হয়েছে। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি উঠতে দেখা গেছে। আফগানিস্তানে অবস্থানরত মার্কিন সেনা ইতিমধ্যে কমিয়ে আনা হয়েছে। আড়াই হাজারের কিছু বেশি মার্কিন সেনা এখনো আফগানিস্তানে রয়েছেন। তাঁরা আফগান সরকারকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কার্যত কাজ করছেন। আফগান যুদ্ধ পুরোপুরি গুটিয়ে আনার জন্য তালেবানের সঙ্গে গোপন সমঝোতা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সমঝোতা অনুযায়ী, সব মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ত্যাগ করবে। আর তালেবান আবার দেশটি রাজনীতিতে ফিরবে। এ সমঝোতার বিষয়টি প্রকাশ্য নয়। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় থেকেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য চাপ ছিল। ব্যয়বহুল এ যুদ্ধ চালানো ও আফগানে মার্কিন সেনা উপস্থিতির আর কোনো কারণ নেই বলে অনেকে মনে করেন। যদিও অপর একটি পক্ষের মতে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হলে তালেবান আবার জেগে উঠবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। বারবার সময়সূচি নির্ধারণ করেও সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় সব মার্কিন সেনা আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করা সম্ভব হয়নি। মার্কিন সামরিক বিশেষজ্ঞরা মত দেন যে সময়সীমা নির্ধারণ করে নয়, পরিস্থিতি বিবেচনা করেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা উচিত। জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের আগেই বলেছিলেন, আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা দ্রুততার সঙ্গে প্রত্যাহার করা হবে। প্রথমে মে মাসের মধ্যে সেনা প্রত্যাহারের কথা ছিল। কিন্তু ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, মে মাসের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। পরিকল্পিত পদক্ষেপের মাধ্যমে সব সেনা প্রত্যাহার করা হবে। ওয়াশিংটন পোস্টসহ অন্যান্য মার্কিন সংবাদমাধ্যম গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানায়, নাইন-ইলেভেনের ঘটনার ২০ বছর পূর্তির আগে, অর্থাৎ আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে। বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো বলেছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্থানীয় সময় ১৪ এপ্রিল এ-সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিতে পারেন। সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তান পরিস্থিত যাতে অস্থির না হয়ে ওঠে, সে জন্য গোপনে কাজ করছে বাইডেন প্রশাসন। তুরস্কের সহযোগিতায় তালেবানদের সঙ্গে আফগান সরকারের একটি সমঝোতা করার চেষ্টা চলছে। সব ঠিক থাকলে আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই শেষ মার্কিন সেনা আফগানিস্তানের মাটি ছেড়ে আসবেন। তার মধ্য দিয়ে আমেরিকার ইতিহাসের একটি দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাইডেনের আফগানিস্তানসংক্রান্ত ঘোষণা আসার আগেই অবশ্য বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। যুদ্ধবিরোধী উদারনৈতিক লোকজন বাইডেনের এমন সিদ্ধান্তের প্রশংসা করছেন। ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান রো খান্না এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক অসম সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। রক্তক্ষয়ী ও ব্যয়বহুল এই প্রলম্বিত যুদ্ধের মাঠ থেকে সব মার্কিন সেনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের জন্য তিনি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে অভিনন্দন জানান। অন্যদিকে, রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম দ্রুততার সঙ্গে এক বিবৃতি দিয়ে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিরোধিতা করেছেন। সিনেটর গ্রাহাম বলেছেন, নাইন-ইলেভেনের ঘটনার পর মার্কিন জনগণকে আর কোনো সন্ত্রাসী হামলার হাত থেকে রক্ষার প্রয়াস এ সিদ্ধান্তে ব্যাহত হবে। জঙ্গিরা আবার আফগানিস্তানে মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে এসে তারা আবার হামলা চালানোর প্রয়াস নেবে। আফগানিস্তান থেকে এখনই সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরিণাম ভয়াবহ হবে।
জো বাইডেন,আফগানিস্তান,এশিয়া,যুক্তরাষ্ট্র
আড়াই হাজারের কিছু বেশি মার্কিন সেনা এখনো আফগানিস্তানে রয়েছেন
international
https://www.bd-pratidin.com/entertainment/2021/09/11/689866
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ওপেনহাইমারের ভূমিকা নিয়ে নোলানের সিনেমা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরমাণু বোমার জনক মার্কিন পদার্থবিদ জে রবার্ট ওপেনহাইমারের ভূমিকা নিয়ে সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা করছেন ক্রিস্টোফার নোলান। ওপেনহাইমারের পরমাণু বোমার আবিষ্কার বদলে দিয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলাফল। যুক্তরাষ্ট্রের নিক্ষেপ করা পারমাণবিক বোমায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল জাপানের দুই শহর হিরোশিমা ও নাগাসাকি, জয় হয়েছিল মিত্রপক্ষের। উল্লেখ্য, নোলানের 'ডানকার্ক' ছবিটিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৈরি করা হয়েছিল। নোলানের নতুন ছবির খবর প্রকাশ্যে আসার পাশাপাশি শুরু হয়েছে কোন স্টুডিওর সঙ্গে তিনি গাঁটছড়া বাঁধবেন, তা নিয়ে চর্চা। গত ২০ বছর ধরে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সঙ্গে ছবি করে আসছেন তিনি। কিন্তু 'টেনেট'-এর রিলিজ নিয়ে স্টুডিও এবং পরিচালকের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধে। মহামারীর মধ্যে নোলান জোর করেই ছবি রিলিজ করান, তাতে ব্যবসার বেশ ক্ষতি হয়েছিল। অন্য দিকে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের 'হাইব্রিড' রিলিজ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন নোলান। এবার অন্যান্য স্টুডিওর সঙ্গে আপাতত আলোচনা চালাচ্ছেন পরিচালক। বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
null
নোলান ও ওপেনহাইমার
entertainment
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2020/11/05/584222
৭৮ বছরের বর আর ১৭'র বউ, বিয়ে টিকল ২২ দিন
১৭ বছরের কিশোরীকে বিয়ে করেছিলেন ৭৮ বছরের বৃদ্ধ। মাস খানেক আগের ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাবা দ্বীপের সুবাং এলাকার এই বিয়ে নিয়ে হইচই হয়েছিল বিস্তর। বয়সের পার্থ্যকের কারণেই এত আলোচনা। কিন্তু এক মাসও টিকল না সেই দাম্পত্য। বিয়ের ২২ দিন পরই বিচ্ছেদ। গত ৩০ অক্টোবর হয়েছে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ। ৭৮ বছরের ওই বৃদ্ধের নাম আবা সারনা। ১৭ বছরের পাত্রীর নাম ননি নভিতা। সম্প্রতি নভিতাকে বিবাহ বিচ্ছেদের চিঠি পাঠান আবা। তা দেখেই হতভম্ভ হয়েছেন নভিতার পরিবারের লোকেরা। কারণ, ওই দম্পতির মধ্যে কোনও রকম গোলমাল ছিল না। নভিতার বোন ইয়ান সে দেশের এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'আমি বিস্মিত। ওদের মধ্যে কোনও মনোমালিন্য নেই।' তিনি বলেছেন, 'এই খবর পাওয়ার পর একদিন কোনও খাবার খায়নি আমার বোন।' অন্য দিকে, আবার পরিবারের অভিযোগ ছিল, বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন নভিতা। কিন্তু এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন নভিতার বোন ইয়ান। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা। বিডি-প্রতিদিন/শফিক
null
বর আবা সারনা ও বউ ননি নভিতা
international
https://www.ajkerpatrika.com/50277/%E0%A6%AE%E0%A7%9F%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B9%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A7%A7%E0%A7%AF
ময়মনসিংহে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৯
ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশের অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ মাদক ব্যবসায়ীসহ ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৫১০ ইয়াবা, ৬৮টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. শান্ত, ফারুক (৩২), ফারুক মিয়া, সবুজ মিয়া (২২), আতিকুল ইসলাম (২৪), টুটুল আহম্মেদ (৪৯), ব্রজ গোপাল দাস (৫২), মো. নুরুল ইসলাম (৪৫), মো. শাহ আলম (৩৬), মো. অলিউল্লাহ (৩০), আল আমিন (২৫), মো. সোহেল মিয়া (৩০), মো. আক্তারুজ্জামান খান (৪০), ইকবাল হোসেন (৪০), মো. আওলাদ হোসেন ওরফে খোকন (৫৩), মঞ্জুরুল আনোয়ার পাঠান (৪১) এবং অপর দুজনের নাম জানা যায়নি।গত মঙ্গলবার বিকেলে কোতোয়ালী মডেল থানার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ৭ মাদক ব্যবসায়ী, পাসপোর্ট মামলায় ৪ জন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক ৬ জন, চুরি ও অন্যান্য মামলায় ২ জনসহ মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
গ্রেপ্তার,মাদক,ময়মনসিংহ বিভাগ,অভিযান,ময়মনসিংহ সদর
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা-পুলিশের অভিযানে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
national
https://www.bd-pratidin.com/entertainment/2020/10/07/574307
চলে গেলেন সর্বকালের সেরা গিটারিস্ট এডি ভ্যান
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গিটারিস্ট এডি ভ্যান হ্যালেন আর নেই। দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানলেন এক সময়ের মাইকেল জ্যাকসনের সহশিল্পী বিশ্বখ্যাত এই গিটারিস্ট। সংগীতজ্ঞ ভ্যান হ্যালেন ছিলেন একাধারে গীতিকার, প্রযোজক ও উদ্ভাবনী গিটারিস্ট। ১৯৫৫ সালে নেদারল্যান্ডসে তার জন্ম। ১৯৭২ সালে আমেরিকান রক ব্যান্ড 'ভ্যান হ্যালেন'র সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন তার ভাই ও ড্রামার অ্যালেক্স ভ্যান হ্যালেন, ব্যাসিস্ট মার্ক স্টোন ও গায়ক ডেভিড লি রোথ। দু'হাতে সমান তালে সোলো টেকনিকে গিটার ট্যাপিং করার জন্য তিনি অসম জনপ্রিয় ছিলেন। বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
null
এডি ভ্যান হ্যালেন
entertainment
https://www.ajkerpatrika.com/127464/%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%B0-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%A9-%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B9-%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BF
বোদায় কবর থেকে ১৩ মরদেহ চুরি
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ির সরকারপাড়া ও দলুয়া দিঘি গোরস্থান থেকে ১৩টি মরদেহ চুরির ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে হাজার হাজার উৎসুক মানুষজন সেখানে ভিড় করেন।এলাকাবাসীরা বলেন, ওই এলাকার সুমন নামে এক শিশু কয়েকটি কবরের মাটি অন্যত্র দেখতে পায়। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানালে তাঁরা তাঁদের আত্মীয়স্বজনদের কবর দেখতে যায়। এ সময় মায়া, আফরোজা, ধলু, খয়রুল আলম, চকলেট, আলশিয়া, মকছেদ আলীসহ ১৩টি কবরের মাটি খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। মৃত এক ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা মরদেহ চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য নিজেরাই কবর খোঁড়েন। কিন্তু সেখানে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। পরে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়।চুরি করেই তাঁরা লাখপতিদলুয়া এলাকার মকছেদ আলী বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত। এমন ঘটনা এ এলাকায় প্রথম ঘটেছে। এমন হলে আমরা কি করব। একজন মানুষ মরার পরেও নিরাপদ নয়। তবে এ ঘটনাটি এক রাতের বিষয় নয়। এটি করতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম প্রধান বলেন, আমি বিষয়টি শোনার পরে এখানে এসে হতাশ হলাম। এমন ঘটনা আমাদের এলাকায় বিরল। তবে এক ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা তাঁদের স্বজনের কবর খুঁড়লে সেখানে মরদেহের কাপড় ছাড়া কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি।শতবর্ষী ডেক চুরিবোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। বিষয়টি নিয়ে একেকজন মানুষ একেক মতো প্রকাশ করছেন। বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোলেমান আলী বলেন, আমি ঘটনাটি শুনে এখানে আসলাম। যেহেতু বিষয়টি স্পর্শকাতর সে কারণে গোরস্থান কমিটিকে আইনের সহায়তা নিতে হবে। পরিবর্তিতে আদালত নির্দেশ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
পঞ্চগড়,অপরাধ,মরদেহ,রংপুর বিভাগ,চুরি,বোদা,রংপুর
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/06/16/%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a7%9f%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%af%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a7%8b%e0%a6%ad%e0%a6%be/
দেশের উন্নয়নে যেন কোনোভাবেই সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়: প্রধানমন্ত্রী
দেশের উন্নয়নে যে পদক্ষেপই নেওয়া হোক না কেন, সুন্দরবন এবং এর জীববৈচিত্র্য যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এ বিষয়টি গুরুত্ব দিতে সংসদে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেছেন, সুন্দরবনের আয়তন বাড়ানোর জন্য সরকার কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে। সমগ্র উপকূলীয় অঞ্চলে এর বিস্তৃতি ঘটানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সুন্দরবনের বৃক্ষাদি এবং বন্যপ্রাণী রক্ষার জন্য তথা বন অপরাধ দমনের জন্য স্মার্ট পেট্রোলিংসহ নানাবিধ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বুধবার (১৬ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের বেগম সুলতানা নাদিরার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। এ সময় সুন্দরবনের উন্নয়নে সরকারের নেয়া নানান পদক্ষেপের কথা প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, জীব বৈচিত্র্যের আধার সুন্দরবনে এখন ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল, ১৩ প্রজাতির অর্কিড এবং ৩৭৫ প্রজাতির বন্য প্রাণী পাওয়া যায়। বন্য প্রাণীর মধ্যে ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর, ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ২১০ প্রজাতির মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া আছে। তিনি বলেন, সুন্দরবন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে ২০১৫ সালের বাঘশুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। ২০১৮ সালের শুমারিতে এর সংখ্যা ১১৪টি পাওয়া গেছে। সুন্দরবনের কার্বন মজুতের পরিমাণ ২০০৯ সালের ১০৬ মিলিয়ন টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯ সালে ১৩৯ মিলিয়ন টন হয়েছে। সুন্দরবনের গাছপালা ও বন্যপ্রাণীকূলকে রক্ষার জন্য বনকর্মীদের যুগোপযোগী করে গড়ে তুলে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধির পদক্ষেপের কথাও জানান সরকার প্রধান। ২০১৭ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এলাকা সম্প্রসারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বর্তমানে সুন্দরবনের প্রায় ৫৩% এলাকা অভয়ারণ্যের অন্তর্ভুক্ত।
null
সংসদে প্রধানমন্ত্রী। ।
national
https://www.ajkerpatrika.com/12434/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%97%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2
হাসপাতালে জায়গা নেই, কোভিড রোগীদের জন্য হোটেল খুঁজছে সরকার
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় সবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার পড়ে না। হাসপাতালগুলোতেও এখন জায়গা নেই। তাই হাসপাতালে নেওয়ার মতো গুরুতর নয় এমন রোগীদের জন্য হোটেল ভাড়া করে সেখানে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে সরকার।সচিবালয়ে আজ মঙ্গলবার এক সভার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'সবার হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়ে না। সেসব রোগীর জন্য আলাদা হোটেল ভাড়া করার চিন্তা করেছি। সেখানে ওষুধপত্র, ডাক্তার-নার্স থাকবে, কিছু অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখব। কারণ হাসপাতালে আর জায়গা নেই। হাসপাতাল খালিও নেই। তাই হোটেল খুঁজছি।'স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, হাসপাতালগুলোর ৯০ শতাংশ শয্যায় এখন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছে। ৯৫ শতাংশ আইসিইউয়ে রোগী আছে।জাহিদ মালেক বলেন, করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে, কাজ চলছে। প্রথম দিকে সেখানে ৫০০-৬০০ শয্যা দিতে পারব। পর্যায়ক্রমে ১ হাজার শয্যায় উন্নীত করা হবে।
করোনাভাইরাস,স্বাস্থ্যমন্ত্রী,হাসপাতাল,কোভিড–১৯
হাসপাতালে আর যথেষ্ট শয্যা ফাঁকা নেই। তাই কম গুরুতর কোভিড রোগীদের হোটেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার চিন্তা। রংপুর সদর হাসপাতাল।
national
https://www.ajkerpatrika.com/121622/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0
তাজমেরী ইসলামের মুক্তির দাবিতে পেশাজীবী পরিষদের মানববন্ধন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক ডিন ড. তাজমেরী এস ইসলামের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারেননি।শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়ার পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আবদুল কুদ্দুস, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রুকন, ঢাবির অধ্যাপক আক্তার হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাক ইলিয়াস খান প্রমুখ।সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বিশ্ব বিবেক জেগে উঠেছে, মানবধিকার সংগঠনগুলো একের পর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। সরকার যতই লবিস্ট নিয়োগ করুক সত্যকে আর ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। তাজমেরী ইসলামকে গ্রেপ্তার করা করা হয়েছে ভয় ধরানোর জন্য। আমরা কোনো অবস্থাতেই পিছু হটব না।গত বৃহস্পতিবার সকালে অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলামকে ২০১৮ সালের নাশকতার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা বিভাগ,মানববন্ধন,ঢাকা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।
national
https://www.ajkerpatrika.com/46921/%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%A8%E0%A7%88%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%97%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9C-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%C2%A0
অর্থনৈতিক গতি বাড়াতে কাজ করছে সরকার: শিল্পমন্ত্রী
সরকার কৃষি খাতসহ অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।আজ শনিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত 'অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উৎপাদনশীলতা' শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এসব কথা বলেন।শিল্পমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট খাতের অবদানের ওপর নির্ভরশীল নয়। এ জন্য প্রয়োজন জাতীয় অর্থনীতির সব খাতের সামগ্রিক অগ্রগতি ও অবদান।উৎপাদনশীলতার সুফল শুধুমাত্র উৎপাদনকারী এককভাবে ভোগ করে না। তার সুফল সরকার, মালিক, শ্রমিক ও ভোক্তাসহ সমাজের সবাই সমানভাবে ভোগ করে। এর সুফল ভোগ করতে সমাজের সবাইকে স্বত্ব:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং অঙ্গীকার একান্ত প্রয়োজন। সামগ্রিক অঙ্গীকার ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার একমাত্র পথ হচ্ছে উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন কর্মসূচিকে জাতীয় আন্দোলনে রূপান্তরিত করা।উৎপাদনশীলতার স্তরে কিছুটা পিছিয়ে থাকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এ অবস্থা থেকে দ্রুত উত্তরণ করতে হলে দেশের কৃষি, শিল্প কারখানা, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা কেন্দ্র, হাসপাতাল প্রভৃতি জাতীয় অর্থনীতির সব কর্মকাণ্ডের পদ্ধতিগত ও ধারাবাহিকভাবে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কর্মসূচিকে আরও জোরদার করতে হবে। সবাইকে উৎপাদনশীলতার সুফল সম্পর্কে সচেতন এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির আন্দোলনে সবাইকে শামিল করতে হবে।ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন সম্পর্কে শিল্পমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার দৃশ্যমান দিক হচ্ছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এর মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও জীবনমানের গতিপ্রকৃতি অনুধাবন করা যায়। গত এক দশকে বাংলাদেশের এই অবকাঠামোগত উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অল্প দিনের মধ্যেই চালু হবে বাংলাদেশের জনমানুষের বহুকাঙ্ক্ষিত পদ্মাসেতু। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের সফলতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে একটি মাইলফলক। এ ছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঢাকা মেট্রোরেলসহ দেশে আরো অনেক প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব অবকাঠামো যথাসময়ে সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে আরো এগিয়ে যাবে।শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: গোলাম ইয়াহিয়া, ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক মেজবাহ-উল-আলম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে এনপিও-এর পরিচালক এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) ফয়জুর রহমান ফারুকী স্বাগত বক্তব্য দেন। এতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সঙ্গে ২১টি দেশের এনপিও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ ফেসবুকে সংযুক্ত ছিলেন।
উন্নয়ন,সরকার,শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
politics
https://www.prothomalo.com/business/industry/ল্যান্ড-রোভারকে-ছাড়িয়ে-গেল-বিএমডব্লিউ
ল্যান্ড রোভারকে ছাড়িয়ে গেল বিএমডব্লিউ
বিশ্বখ্যাত ল্যান্ড রোভার ব্র্যান্ডের একেকটি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল প্রায় চার কোটি টাকা। চার-পাঁচ বছর আগে কোটি টাকার বেশি দরও উঠেছিল। সবচেয়ে দামি এই গাড়ির প্রতি এবার খুব আগ্রহ নেই ক্রেতাদের। এই ব্র্যান্ডের একেকটি গাড়ি দর পড়েছে ১২ লাখ থেকে ৪০ লাখ টাকা। ল্যান্ড রোভারের চেয়ে কম দামি বিএমডব্লিউ গাড়ির দর উঠেছে সবচেয়ে বেশি। শীর্ষ দর পাওয়া চারটি গাড়িই বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের। পর্যটনসুবিধায় আনা ১১২টি গাড়ির বিশেষ নিলামে সর্বোচ্চ দরের তালিকা পর্যালোচনা করে এই চিত্র পাওয়া গেছে। ৩ থেকে ৪ নভেম্বর দুই দিনব্যাপী অনলাইনে ও দেশের পাঁচটি নির্ধারিত স্থানে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। আজ সোমবার এই তালিকা প্রকাশ করে নিলামের আয়োজক চট্টগ্রাম কাস্টমস। পঞ্চমবারের মতো নিলামে ১১২টি গাড়ি তোলা হয়। এর মধ্যে ১১০টি গাড়ি কেনার জন্য ৫৫১টি দর জমা দিয়েছিল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এটি বিগত চারবারের তুলনায় রেকর্ড। পর্যটনসুবিধায় আনা পুরোনো এসব গাড়ির প্রতি ক্রেতা ও প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ বাড়লেও কিছু গাড়ির দর বেশি ওঠেনি। এ জন্য অবশ্য ১১ বছর ধরে বন্দরে পড়ে থেকে জরাজীর্ণ হয়ে পড়াকে দায়ী করেছে অংশগ্রহণকারীরা। কাস্টমসের উপকমিশনার মো. আল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, এবারের নিলামে দরদাতাদের রেকর্ড সাড়া পাওয়া গেছে। যৌক্তিক দর পর্যালোচনা করে নামীদামি ব্র্যান্ডের গাড়িগুলো বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হবে। যেগুলো বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হবে না, সেগুলো আবারও নিলামে তোলা হবে। পর্যটনসুবিধায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এক দশক আগে এসব গাড়ি এনেছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পর্যটকেরা। বন্দর দিয়ে আনার পর আটকে যায় সব কটি গাড়ি। কারণ, শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার রোধে ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়ে গাড়ি খালাসের শর্ত আরোপ করে কাস্টমস। তখন গাড়ি খালাস না নিয়ে সটকে পড়েন পর্যটকেরা। এরপর অন্তত চার দফায় নিলামে তুলে কিছুসংখ্যক গাড়ির ভালো দাম পেলেও বিক্রি করেনি কাস্টমস। কোন গাড়ির কত দরএবার নিলামে তোলা ১১২টি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ছিল ১৮০ কোটি টাকা। গাড়ির আমদানি মূল্য ও অবচয় সুবিধা ধরে শুল্ককরসহ মোট দাম হলো সংরক্ষিত মূল্য। সাধারণত প্রথম নিলামে সংরক্ষিত মূল্যের ৬০ শতাংশের বেশি না হলে বিক্রির অনুমোদন দেয় না কাস্টমস। তবে দ্বিতীয় নিলামে প্রথম নিলামের চেয়ে বেশি দর এবং তৃতীয় নিলামে যেকোনো দর অনুমোদন দেওয়ার সুযোগ আছে কাস্টমসের। এবার যেহেতু পঞ্চম নিলাম, তাই যেকোনো দর অনুমোদন দিতে পারে কাস্টমস। এবারের নিলামে সবচেয়ে বেশি ৫৩ লাখ টাকা দর পাওয়া গেছে বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের একটি গাড়ির। চট্টগ্রামের ডবলমুরিং এলাকার ফারজানা ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই দর দিয়েছে। গাড়িটির সংরক্ষিত মূল্য ছিল ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। প্রায় তিন হাজার সিসির এই গাড়ি নির্মাণ করা হয়েছিল ২০০৭ সালে। গাড়িটির চাবি নেই। ব্যাটারি ও চাকা নষ্ট হয়ে গেছে। অন্য সবকিছু ভালো আছে। প্রায় আড়াই হাজার সিসির বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের আরেকটি গাড়ির দর পড়েছে ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া ৪৬ লাখ ও ৪৩ লাখ টাকা দর পাওয়া গেছে দুটি গাড়ির। তবে দুই দশকের বেশি পুরোনো বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের গাড়ির দর খুব বেশি পড়েনি। মরিচা ধরা ২১ বছরের পুরোনো বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের একটি গাড়ির দর পড়েছে দেড় লাখ টাকা। আরেকটি গাড়ির দর পড়েছে তিন লাখ টাকা। মিতসুবিশি সোগান ব্র্যান্ডের একটি গাড়িতে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন একজন। প্রতিবার নিলামে ল্যান্ড রোভার ব্র্যান্ডের গাড়ির দর পড়ে বেশি। ২০১৭ সালের নিলামে ল্যান্ড রোভার ব্র্যান্ডের ৪১৯৭ সিসির একটি গাড়ির দর উঠেছিল ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। ২০০৬ সালে তৈরি ছয় আসনের এই গাড়ির এবার সর্বোচ্চ দর পড়েছে মাত্র ২৮ লাখ টাকা। একই ব্র্যান্ডের আরেকটি গাড়ি ২০১৬ সালে পিএইচপি গ্রুপ ১ কোটি ১১ লাখ টাকা দর দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছিল। বিক্রি না করায় এবারও নিলামে তোলা হয়েছিল গাড়িটি। এবার সর্বোচ্চ উঠেছে মাত্র ১৯ লাখ টাকা। নিলামে কেপিএল কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপারস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান ১৬টি গাড়ির সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়েছে। এ ছাড়া ফারজানা ট্রেডিং ১১টি এবং শাহাদাত হোসেন ১১টি করে গাড়ির সর্বোচ্চ দরদাতা হয়। নিলামে যাদের অনুমোদন দেওয়া হবে, তাদের গাড়ি খালাসে ১৭ শতাংশ কর দিতে হবে। আবার যেসব গাড়ি পাঁচ বছরের বেশি পুরোনো অবস্থায় আমদানি হয়েছে, সেগুলোর জন্য লাগবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রও। শুধু ১৫টি গাড়ি তৈরির ৫ বছরের কম সময়ে বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র লাগবে না।
চট্টগ্রাম বন্দর,গাড়িশিল্প
বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের এই গাড়িটি এবার নিলামে সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৫৩ লাখ টাকা।
economy
https://www.ajkerpatrika.com/99982/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%86%E0%A6%81%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA
বিশ্ব ফুটবলের আলো-আঁধারি গল্প
'তারা বলে, গোলরক্ষকেরা যে পথে হেঁটে যান, সে পথে ঘাস ওঠে না', কথাটি বিখ্যাত উরুগুইয়ান লেখক এদোয়ার্দো গালেয়ানোর বই থেকে নেওয়া। ১৯৯৫ সালে প্রথম প্রকাশিত 'ফুটবল ইন সান অ্যান্ড শ্যাডো' বইয়ে উদ্ধৃতি দেওয়ার মতো এমন অসংখ্য লাইন লিখে রেখে গেছেন গালেয়ানো।প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে ক্রীড়া সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে বইটি। ছোট ছোট অংশে ভাগ করে লেখা বইটিতে কবিতার মতো করে ফুটবলের ইতিহাস তুলে ধরেছেন গালেয়ানো। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বইটিকে ক্রীড়া সাহিত্যের 'নিঃসঙ্গতার এক শ বছর' (নোবেল বিজয়ী কিংবদন্তি সাহিত্যিক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের বিখ্যাত উপন্যাস) বলেও মন্তব্য করেছে।বইয়ের প্রথম অংশের নাম 'ফুটবল'। যার শুরুতেই গালেয়ানো লিখেছেন, 'সকারের (ফুটবল) ইতিহাস হচ্ছে সৌন্দর্য থেকে দায়িত্বের দিকে যাত্রা।' এরপর তিনি লিখেছেন কীভাবে ফুটবল সাধারণ বিনোদন থেকে শিল্পে পরিণত হয়ে উঠছে সেই গল্প। 'দ্য প্লেয়ার' অংশে কাব্যিক ঢংয়ে তুলে ধরা হয়েছে একজন খেলোয়াড়ের কথা। সাধারণ একজন মানুষ থেকে যিনি হয়ে উঠছেন জনতার নায়ক ও বিক্রয়যোগ্য পণ্য হয়ে উঠছেন সেসব। ঠিক যেভাবে বোকা জুনিয়র্স থেকে নেপলসের পথ পাড়ি দিতে গিয়ে দিয়েগো হয়ে ওঠেন 'কিং ডিয়েগো ম্যারাডোনা।' 'স্টেডিয়াম' অংশে গালেয়ানো লিখছেন, 'কখনো কোনো শূন্য মাঠের কাছে গিয়ে দেখেছ? একবার গিয়ে দেখো! শূন্য মাঠের চেয়ে শূন্য আর কিছুই হয় না। দর্শকদের বিরহে খাঁ খাঁ করা স্টেডিয়ামের চেয়ে বিষণ্ন আর কিছুই যে নেই।'গোলের কথা লিখতে গিয়ে গালেয়ানো আমাদের জানাচ্ছেন, 'অর্ধ শতাব্দী আগেও ০-০ অবস্থায় ম্যাচ শেষ হওয়ার কথা ভাবাই যেত না, যেখানে দুইটা হা করা মুখ বারবার হাই তুলছে। এখন এগারোটা খেলোয়াড় পুরো ম্যাচজুড়ে ক্রসবার ধরে আঁকড়ে ধরে প্রাণান্ত চেষ্টা চালায় গোল আটকানোর। এসবে তাদের আর গোল করার কথা মনেই থাকে না।'এই বইয়ে তিনি শুধু ফুটবলের কাব্যিক গল্প শুনিয়েই থামেননি, এখানে তিনি লিখেছেন ফুটবলের রাজনীতি নিয়েও। কীভাবে বিভিন্ন সময় শাসক গোষ্ঠী ফুটবলকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করেছেন তাও তুলে ধরেছেন লেখক।এ ছাড়া ইতিহাসের পথ পরিক্রমায় অর্থনীতি, ব্যক্তি চরিত্র ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় কীভাবে ফুটবলকে আজকের অবস্থায় নিয়ে এসেছে সেটিও নান্দনিকভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন গালেয়ানো।
খেলা,ফুটবল,উরুগুয়ে,ছাপা সংস্করণ,আজকের খেলা
ফুটবল ইন সান অ্যান্ড শ্যাডো এদোয়ার্দো গালেয়ানো
national
https://www.dailynayadiganta.com/subcontinent/416084/মালদ্বীপে-সর্বোচ্চ-সম্মানে-ভূষিত-মোদি
মালদ্বীপে সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেশের সর্বোচ্চ 'রুল অব নিশান ইজুদ্দিন' সম্মানে ভূষিত করল মালদ্বীপ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে দ্বিতীয়বার বসার পর প্রথম মালদ্বীপ সফরে তাকে এই সম্মানে ভূষিত করেছে মালে প্রশাসন। শনিবার দুপুরে দু'দিনের সফরে এই দ্বীপরাষ্ট্রে পৌঁছন মোদি। এদিন মালদ্বীপে পা রাখার আগেই প্রধানমন্ত্রীকে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদানের কথা ঘোষণা করে সেদেশের পররাষ্ট্র দফতর। এ বিষয়ে ট্যুইটারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লা শাহিদ লিখেছেন, 'প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে মালদ্বীপের সর্বোচ্চ সম্মানপ্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ প্রধানমন্ত্রীর মালদ্বীপ সফরে তাকে রুল অব নিশান ইজুদ্দিন দেওয়া হবে।' মোদি যে 'প্রতিবেশীই প্রথম' নীতি গ্রহণ করেছেন, দিল্লির মসনদে বসে প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে তার মালদ্বীপকে বেছে নেওয়া সেই সিদ্ধান্তেরই অঙ্গ বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। মালদ্বীপে প্রধানমন্ত্রী পা রাখতেই ট্যুইট করেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার। সেখানে তিনি লিখেছেন, 'চিরজীবনের বন্ধুত্ব। মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম শাহিদ তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন। ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট সোলির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে শেষবারের মতো এসেছিলেন মোদি।' এই সফরে মালদ্বীপের পার্লামেন্ট মজলিসে ভাষণ দেবেন তিনি। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতিতে সেদেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মোদি। তার এই সফরে দু'দেশের মধ্যে পানি সরবরাহ, নিকাশি ও নৌপথে পরিবহণের মতো একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতিতে এদিন ক্রিকেট কূটনীতির আশ্রয় নেন মোদি। ভারতীয় ক্রিকেটারদের সই করা একটি ব্যাট সোলিকে উপহার দেন তিনি। পরে ট্যুইটারে লেখেন, 'ক্রিকেটের মাধ্যমে যুক্ত। আমার বন্ধু সোলি ক্রিকেটের দারুণ ভক্ত। সেকারণেই ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলা ভারতীয় দলের সই করা ব্যাট উপহার দিয়েছিল তাকে।' মানোন্নয়নের জন্য মালদ্বীপের ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ভারত। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে কাজ করছে। এই দ্বীপরাষ্ট্রে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করা যায় কিনা তাও খতিয়ে দেখছে মন্ত্রণালয়। এর আগে গত মে মাসে মালদ্বীপের ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণের জন্য এখানে এসেছিলেন বিসিসিআইয়ের একটি দল। এছাড়া প্রতিরক্ষাখাতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতিতে উপকূলে নজরদারির জন্য রাডার সিস্টেম এবং মালদ্বীপ ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সেস-এর জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন উদ্বোধন করবেন মোদি-সোলি। আলাদাভাবে বৈঠক করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহিদ এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল গায়ুমের সঙ্গে। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট সোলির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মোদি। গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করায় ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্ক তলানিতে ঠিকেছিল। কিন্তু, সোলি দেশের ক্ষমতা দখলের পর তা পুনরুদ্ধার হয়েছে। সেইমতো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতিতে মালদ্বীপ সফরে এসেছেন মোদি।সূত্র : বর্তমান
null
মালদ্বীপে সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত মোদি
international
https://www.bhorerkagoj.com/2021/09/03/%e0%a6%86%e0%a6%ab%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%ac/
আফগান নীতিতে এক ধাক্কায় বাইডেনের জনপ্রিয়তা কমল ৪৩%
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার অনেক আগে থেকেই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছেছিলেন জো বাইডেন। কিন্তু তার সেই জনপ্রিয়তা ধাক্কা খেল আফগান নীতির কারণে। এক ধাক্কায় বাইডেনের জনপ্রিয়তা কমেছে ৪৩ শতাংশ। যা আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের জনপ্রিয়তার ইতিহাসে সবচেয়ে কম বলেই দাবি করা হচ্ছে। মেরিস্ট ন্যাশনাল পল নামে একটি সংস্থা সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালায় আমেরিকানদের মধ্যে। আফগানিস্তান থেকে সেনা তুলে নেওয়ার পর থেকেই বাইডেনের ভূমিকা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আমেরিকার সমাজ। বাইডেন ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নাকি এটা করা উচিত হয়নি, এ নিয়েই সমীক্ষা চালিয়েছে মেরিস্ট পল। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ আমেরিকানই বাইডেনের বিদেশনীতির বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। সমাজের একটা বড় অংশ আবার এটাকে আমেরিকার ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেছেন। ৫৬ শতাংশ আমেরিকান যেমন বাইডেনের বিদেশনীতিকে দায়ী করেছেন, তখন আবার ৬১ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা তোলা উচিত হয়নি আমেরিকার। প্রায় ৭১ শতাংশ মানুষ আবার এই ঘটনাকে 'আমেরিকার ব্যর্থতা' বলে মনে করেছেন। তবে ৬১ শতাংশ মানুষ আবার জানিয়েছেন, তারা মনে করেন আমেরিকার সাহায্য ছাড়াই নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়া প্রয়োজন আফগানিস্তানের। তবে ২৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে সামলানো আমেরিকার 'কর্তব্য'। আফগানিস্তানে পরিস্থিতি কী ভাবে সামলানো উচিত ছিল আমেরিকার? এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৩৭ শতাংশ মানুষ সেনা ফিরিয়ে নিয়ে আসাকে সমর্থন করেছেন। ৩৮ শতাংশ বলেছেন, কিছু সেনা আফগানিস্তানে রাখা উচিত ছিল। ১০ শতাংশ বলেছেন, সেনা সরিয়ে নেওয়া একেবারেই উচিত হয়নি। ৫ শতাংশ বলেছেন আফগানিস্তানে আরও সেনা পাঠানো উচিত। বাইডেনের বিদেশনীতির বিরুদ্ধে মত দিলেও আমেরিকানরা এর জন্য সম্পূর্ণ ভাবে তাকে দায়ী করেননি। এর জন্য আমেরিকানদের একটা বড় অংশই (৩৬%) জর্জ বুশের সেনা অভিযানের 'ব্যর্থ' নীতিকেই দায়ী করেছেন। ২১ শতাংশ দায়ী করেছেন জো বাইডেনকে, ১৫ শতাংশ বারাক ওবামাকে এবং ১২ শতাংশ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
null
জো বাইডেন
international
https://samakal.com/politics/article/210149210/রাজধানীতে-ছাত্রদলের-বিক্ষোভ-মিছিল
রাজধানীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর এক রাষ্ট্রদোহ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সোমবার দুপুরে পল্টন মোড় থেকে নাইটেঙ্গেল মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র সহ-সভাপতি রওনুকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, তানজিল আহমেদসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার করা একটি রাষ্ট্রদোহ মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন নোয়াখালী অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত। জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, ২০১৪ সালের ১৫ ও ১৭ ডিসেম্বর তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে 'রাজাকার' বলে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক মন্তব্য করেন। পরে তার এ বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।
তারেক রহমান,বিক্ষোভ মিছিল,ছাত্রদল,রাষ্ট্রদোহ মামলা
রাজধানীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল
politics
https://www.ajkerpatrika.com/64291/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8%C2%A0
দেশেই উৎপাদন হচ্ছে শাওমি স্মার্টফোন
এখন থেকে বাংলাদেশেই স্মার্টফোন উৎপাদন করবে শীর্ষ স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান শাওমি। বাংলাদেশে স্যামসাংসহ বিশ্বের অন্যতম সেরা কয়েকটি ব্র্যান্ডের মোবাইল কারখানা স্থাপনের পর এবার শাওমি মেড ইন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে।বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার শাওমি মোবাইল ফোনের বাংলাদেশে স্থাপিত কারখানায় উৎপাদিত মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডের এই মোবাইলের উদ্বোধন করেন। শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়াউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প খাত ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিটিআরসি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র।টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে আমরা যে যুদ্ধটি শুরু করেছি তা সফলতার দরজায় কড়া নাড়ছে। আমাদের দেশে এখন ১৪টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদিত মোবাইল সেট দেশের মোট চাহিদার ৬৫ ভাগের বেশি পূরণ করছে। চাহিদার শতকরা ৮০ ভাগ স্মার্টফোন দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। বাংলাদেশের কারখানা থেকে উৎপাদিত ৫জি মোবাইল সেট আমেরিকায় যাচ্ছে। আমরা সৌদি আরবে আইওটি ডিভাইস রপ্তানি করছি।শাওমিকে স্বাগতম জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, তরুণ নেতৃত্ব ও শাওমির মতো কোম্পানির ওপর আমাদের যথেষ্ট বিশ্বাস রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে শাওমির প্রথম উৎপাদন ইউনিট স্থাপনে আমরা অংশীদার হতে পেরে আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি, এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে দেশের তরুণদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বৈশ্বিক মানের ইলেকট্রনিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠা হবে।প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এটি একটি মহৎ উদ্যোগ। স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোন উৎপাদন কারখানা চালুর জন্য শাওমিকে অভিনন্দন। এটি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এবং এর মাধ্যমে 'মেড ইন বাংলাদেশ' উদ্যোগ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।শাওমি ডিবিজি টেকনোলজি বিডি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশে স্মার্টফোন তৈরি করবে। ডিবিজি একটি গ্লোবাল ইএমএস কোম্পানি, যাদের চীন, ভিয়েতনাম ও ভারতের মতো দেশে ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবসা রয়েছে। নতুন উদ্বোধন করা কারখানাটিতে শাওমি বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় ৩০ লাখ স্মার্টফোন তৈরি করতে পারবে। প্রাথমিক অবস্থায় এই কারখানায় এক হাজার দেশীয় লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে দাবি করা হচ্ছে শাওমি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। শাওমি বাংলাদেশে কারখানাটিতে রেডমি সাব-ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন দিয়ে শুরু করছে ফোন উৎপাদন, যেটি আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর ধীরে ধীরে শাওমির অন্য স্মার্টফোনের পাশাপাশি পোকোর ফোনও তৈরি করা হবে এই কারখানায়।
শাওমি,স্মার্টফোন,স্যামসাং,কারখানা
শাওমির অফিস ।
science-tech
https://www.bhorerkagoj.com/2022/05/31/%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%8f-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b8-%e0%a6%95%e0%a7%8d/
জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু ১২ জুন
আগামী ১২ জুন থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। ৪ দিনের এই কর্মসূচি শেষ হবে ১৫ জুন। এ বছরের প্রতিপাদ্য শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান। মঙ্গলবার (৩১ মে) ঢাকা সিভিল সার্জন কার্যালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলার তথ্য কর্মকর্তা কাজী গোলাম আহাদ, ঢাকা সিভিল সার্জন অফিসের ডা. জুমান আশরাফ সুইটি, ডা. শারমিন আহমেদ তিথি প্রমুখ। ক্যাম্পেইন চলাকালে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর পাশাপাশি জন্মের পরপর নবজাতককে শালদুধ খাওয়ানো, ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো, শিশুর ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমত ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বার্তাও প্রচার করা হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকা কেন্দ্রে এই টিকা খাওয়ানো হবে। এই ক্যাম্পেইনে একটি শিশুও যাতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বাদ না পড়ে সে জন্য ৮ জুনের পর আরো ৪ দিন বাড়ি বাড়ি বাদপড়া শিশু অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। দূর্গম এলাকায় বিশেষ করে পাহাড়ী অঞ্চল, হাওড়-বাওড় ও চর এলাকায় ইউনিয়ন ভিত্তিক বাদপড়া শিশু অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ভিটামিন এ শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়, এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। দেশে ভিটামিন এ -এর অভাব জনিত সমস্যা প্রতিরোধে সরকার বছরে ২ বার জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন করে থাকে। এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে ভিটামিন এ'র অভাব জনিত রাতকানা রোগের প্রাদুর্ভাব ১ শতাংশের নীচে কমিয়ে আনা এবং তা অব্যাহত রাখা। এই বয়সী শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে অপুষ্টি জনিত মৃত্যু প্রতিরোধ করা। ঢাকার ৬টা উপজেলায় (ধামরাই, দোহার, কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, সাভার ও সাভার পৌরসভা) এই ক্যাম্পেইন চলবে। ৬৫ হাজার ৭০৩ জন শিশুকে নীল রঙের এবং ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮১ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
ক্যাম্পেইন,ভিটামিন,শিশু
মঙ্গলবার ঢাকা সিভিল সার্জন কার্যালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার তথ্য কর্মকর্তা কাজী গোলাম আহাদ, ঢাকা সিভিল সার্জন অফিসের ডা. জুমান আশরাফ সুইটি ও অন্যরা।
life-health
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/আখাউড়া-স্থলবন্দরে-ভারতীয়-দম্পতিকে-জরিমানা
আখাউড়া স্থলবন্দরে ভারতীয় দম্পতিকে জরিমানা
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পোশাক আনার অপরাধে এক দম্পতিকে ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থলবন্দরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জহিরুল হক এই জরিমানা করেন। পরে জরিমানা আদায় করে ভারতীয় ওই দম্পতিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। স্থলবন্দর কাস্টমস বিভাগ সূত্রে যায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ভারতীয় ধনঞ্জয় দে ও রূপা দে দম্পতি ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে আখাউড়া দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাঁদের কাছে বড় আকারের পাঁচটি ব্যাগ ছিল। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বিষয়টি গোপনে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে কাস্টমস কর্মকর্তারা এসে তাঁদের ব্যাগ তল্লাশি করে ৬৫টি থ্রি-পিস, ২০৬টি টি-শার্ট ও ১৮টি জিনস প্যান্টসহ ভারতীয় মোট ২৯৪টি পোশাক উদ্ধার করেন। এ বিষয়ে ভারতীয় নাগরিক ধনঞ্জয় দে বলেন, 'ব্যবসার জন্যই এসব পণ্য দেওয়া হয়েছে। আমি শুধু পণ্য বহন করার মালিক। আর কখনো বাংলাদেশে আসিনি। আমাকে চট্টগ্রাম যেতে বলা হয়েছে। এর বাইরে কিছুই জানি না।' সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জহিরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় পোশাক আনায় ওই দম্পতিকে মোট ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরে জরিমানা আদায় করে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া,চট্টগ্রাম বিভাগ,দম্পতি ,আখাউড়া,স্থলবন্দর,জরিমানা
আখাউড়া স্থলবন্দর
national
https://www.prothomalo.com/opinion/column/সিএএ-ভারতের-অভ্যন্তরীণ-বিষয়-নয়
সিএএ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়
ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে প্রতিক্রিয়া হচ্ছে ভারতের বাইরেও। এই আইনের প্রতিবাদে ভারতের দুটি প্রাচীন মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদমুখর ছাত্রদের ওপর পুলিশ হামলা করেছিল। হামলার প্রতিবাদ করেছেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ভারতীয় ছাত্র ও অ্যালামনাইরা। জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর বৈষম্যমূলক হিসেবে আইনটির নিন্দা করেছে। কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের ভারতের কিছু রাজ্যে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে। সবচেয়ে অভাবিত প্রতিবাদ এসেছে পাকিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কাছ থেকে। সিএএতে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে 'নিপীড়িত' হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধসহ মুসলমান ছাড়া অন্য যেকোনো ধর্মের মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান আছে। তারপরও পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের সংগঠনগুলো এই আইনের সমালোচনা করেছে, সেখানে নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রস্তাব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। আইনটি পাস হওয়ার সময় যে তিনটি দেশের কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের বর্তমানে কোনো সীমান্ত নেই। অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে বৈরী রাষ্ট্র পাকিস্তানের সীমান্তে সার্বক্ষণিক উত্তেজনা বিরাজমান। এ পরিস্থিতিতে সিএএ আইনের কারণে নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তা হারানো ভারতীয় মুসলমানদের সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশ ঘটার আশঙ্কা বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে। বিবিসির একটি রিপোর্টে ইতিমধ্যে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের কিছু ঘটনা তুলেও ধরা হয়েছে। কিন্তু এরপরও এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অবস্থান গ্রহণ করেনি। বাংলাদেশ সরকারের এ অবস্থান নানা কারণে উদ্বেগজনক। সরকার প্রথম থেকেই বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বর্ণনা করেছে এবং বাংলাদেশের চিন্তার কারণ নেই বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের কথা উল্লেখ করেছে। এড়িয়ে গেছে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সঙ্গে আরও কয়েকজন বিজেপি নেতার অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশের বলে দাবি করার বিষয়টি। আইনটি পাস করার সময় লোকসভার আলোচনায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু নিপীড়নে বাংলাদেশকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে এক কাতারে ফেলার পর আমরা দেখেছি যে বাংলাদেশের দুজন মন্ত্রীর ভারত সফর স্থগিত হয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এটিও জানানো হয় যে এই স্থগিতের সঙ্গে সিএএর কোনো সম্পর্ক নেই; বরং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন বক্তব্য প্রদান করেন যে ভারতে অনুপ্রবেশকারীরা বাংলাদেশের হলে তাদের ফেরত নেওয়া হবে। এসব দেখে মনে হতে পারে যে সরকার বুঝে উঠতে পারছে না তাদের ঠিক কী প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত। তাদের পক্ষ থেকে অতীতে বিএনপির শাসনামলে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু সিএএতে এই নিপীড়নের অভিযোগ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু সরকারের পর ঢালাওভাবে বাংলাদেশে সব সরকারের আমলে। বর্তমান সরকারের আমলে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, প্রধান বিচারপতিসহ সরকারের শীর্ষ পদে তাদের বহু নিয়োগ ঘটেছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হিন্দু জনগোষ্ঠীর পরিমাণও ২ শতাংশের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সিএএ বা এ নিয়ে লোকসভার আলোচনায় এর কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। বিজেপির বর্তমান যে রাজনীতি এবং সিএএর যা লক্ষ্য, তাতে বাংলাদেশে অতীতে নিপীড়ন হয়েছে, বর্তমানে হচ্ছে না, এটা বলা হবে-এমন আশা করারও সুযোগ নেই। সেখানে অভিযুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ, এর সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া হবে বাংলাদেশের ওপর। সরকারকে তাই অবস্থান নিতে হবে দেশের পরিপ্রেক্ষিত থেকে, দেশের স্বার্থে। ২. সংখ্যালঘু নিপীড়ন সভ্যতার আদি যুগের সমস্যা। প্রথম মহাযুদ্ধের অবসানের পর জাতিপুঞ্জের উদ্যোগে নতুন জন্ম নেওয়া রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যে মানবাধিকার চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়, তা ছিল সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার জন্য। জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মভিত্তিক বৈষম্য দূর করার জন্য এরপর বহু আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক চুক্তি হয়েছে, বাংলাদেশ, ভারতসহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে এ ধরনের বৈষম্যকে সংবিধান ও আইনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরও পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতেও এ ধরনের সমস্যা রয়ে গেছে। উগ্র জাতীয়তাবাদ, ধর্ম ও বংশগত পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতি ও সন্ত্রাসী হামলা বৃদ্ধির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবীর বহু অঞ্চলে এ সমস্যা আরও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে এ সমস্যা আগের চেয়ে প্রকট হয়েছে। এটি কী ভয়ংকর পর্যায়ে যেতে পারে, তা আমরা পাকিস্তানে আসিয়া বিবি মামলায় দেখেছি। ভারতে ক্ষমতাসীন দলের হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির প্রভাব কী প্রকটভাবে পড়েছে, তা গো-মাংস ভক্ষণ নিয়ে নির্বিচার তাণ্ডবকাণ্ডে আমরা লক্ষ করেছি। বাংলাদেশে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহানির কিছু ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘু নিপীড়ন কমবেশি সব জায়গায় রয়েছে। কিন্তু একটি দেশ এ কারণে একতরফাভাবে কোনো প্রমাণ ছাড়া অন্য দেশের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ করলে সে দেশটি নিশ্চুপ থাকে না। সিএএতে পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের মতো দেশের কাতারে বাংলাদেশকে ফেলার পর সরকারের তাই নিশ্চুপ থাকার কারণ নেই। সিএএর বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান নেওয়ার আরও অনেক বড় যৌক্তিকতা হচ্ছে এর সম্ভাব্য প্রভাব। এই আইনের কারণে ভারত থেকে লাখ লাখ মুসলমানের বাংলাদেশে চলে আসার মতো চাপ বা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, এর আলামত এখনই দেখা যাচ্ছে। এটি সত্যি সত্যি ঘটলে তা সামাল দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের আছে কি? গণহত্যার মুখে রোহিঙ্গারা প্রাণভয়ে একসঙ্গে এ দেশে চলে এসেছে বলে তাদের জন্য আমরা কিছু বিদেশি সাহায্য পাচ্ছি। ভারত থেকে মুসলমানরা ভীতি ও অনিশ্চয়তার কারণে এ দেশে আসতে থাকলে তেমনটি ঘটবে না। ভারতের এই আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে মানবিক কারণেও। এই আইন প্রতিবেশী তিনটি রাষ্ট্রে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এমনকি তারা স্বেচ্ছায় ভারতে চলে গেলেও তা সেখানকার জনগোষ্ঠীর জীবনে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আসামসহ ভারতের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে তার আভাস আমরা পাই। বছর চারেক আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইউরোপের বিভিন্ন দেশে থাকা ইহুদিদের আহ্বান জানিয়েছিলেন ইসরায়েলে চলে আসার জন্য। ইউরোপ আর আমেরিকায় ধর্মীয় উগ্রতা এবং পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতির জোয়ারে আক্রান্ত হচ্ছিল ইহুদিরাও। ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানিসহ কয়েকটি দেশে এমন হামলার পর তিনি এ আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাঁর এ আহ্বানের পর ইউরোপ-আমেরিকায় ইহুদির জীবনে অনিশ্চয়তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের এ আইনও, বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোতে সম্প্রদায়গত সম্পর্কের অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। বিজেপি এই আইনকে নিপীড়িত মানুষের রক্ষাকবচ হিসেবে দাবি করেছে। সমালোচকেরা বলছেন, তাহলে ভারত পাকিস্তানের আহমদিয়া বা মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা কেন বলছে না? তাঁদের বক্তব্য, ভারতের এ আইন ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় আবেগ ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকার অভিপ্রায় থেকে নেওয়া। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে এই আইন প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোতেও এ ধরনের রাজনীতিকে বেগবান করতে পারে। ৩. ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি আমাদের বিশ্লেষণের বিষয় হতে পারে, কিন্তু প্রতিক্রিয়ার বিষয় নয়। তবে এই আইনের প্রভাব অবশ্যই আমাদের প্রতিক্রিয়া দাবি করে। এই আইন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাঝুঁকি ও দেশে ভারতীয়দের অনুপ্রবেশের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের সমাজ ও অর্থনীতির ওপর এর মারাত্মক প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে। দেশের স্বার্থে অবশ্যই সরকারকে এর বিরুদ্ধে স্পষ্ট ও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার ও সুরক্ষিত করতে হবে। সেই সঙ্গে দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও বৈষম্যহীনতাকে আরও সুরক্ষিত করতে হবে নিজস্ব সাংবিধানিক দায় থেকে। এনআরসি আর সিএএ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট হওয়ার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিগুলোকেও এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া উচিত। আসিফ নজরুল:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক
আন্তর্জাতিক,আসিফ নজরুল
নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। ছবি: রয়টার্স
opinion
https://www.ajkerpatrika.com/101802/%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A7-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE
অবৈধ পাইপলাইনে পানি নিষ্কাশনে বাধা
খুলনার ডুমুরিয়ায় শোলমারি নদীর ওপর দিয়ে আবারও পাইপ লাইন টানার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার শেখ এনায়েত করিম নামের এক বালু ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে। এতে জোয়ারের পানি নামার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এনায়েত করিমকে নদীর ওপর বসানো পাইপ লাইন সরানোর নোটিশ দিলেও তিনি সে নির্দেশ মানেননি।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনা শহরের বালু ব্যবসায়ী শেখ এনায়েত করিম। তিনি বছর খানেক আগে শোলমারি নদীর তীরে একটি বালির বেড তৈরি করেন। বাল্কহেডের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী কাজিবাছা নদী থেকে উত্তোলন করা বালি এনে ওই বেডে রাখা হয়। বাল্কহেডগুলোর মাধ্যমে নিয়ে আসা বালু বেডে স্থানান্তর করার সুবিধার্থে কাজিবাছা নদী থেকে শোলমারি নদী পর্যন্ত অবৈধ পাইপলাইন স্থাপন করেন এনায়েত। পাইপলাইনটি প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রবহমান নদীর ওপর দিয়ে বালুর পাইপ লাইন স্থাপন করায় জোয়ারের সময় আসা পানি আটকে থাকছে। তা ছাড়া পাইপ লাইনের খুঁটিতে প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা আটকে পড়ায় সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশনে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয়রা আরও জানান, তাঁদের অভিযোগ পেয়ে তিন মাস আগে দ্রুত সময়ের মধ্যে পাইপলাইন সরিয়ে নিতে এনায়েতকে নোটিশ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নোটিশ পেয়ে কিছুদিন পাইপ খুলে রাখার পর আবারও নদীতে বাঁশ ও গাছের খুঁটি পুঁতে আরও মজবুতভাবে পাইপ টেনেছেন এনায়েত।এ প্রসঙ্গে ভদ্রা-সালতা পানি ব্যবস্থাপনা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ এনামুল হোসেন বলেন, 'এখন বোরো মৌসুম শুরু হয়েছে। ধান চাষাবাদের উপযোগী করতে হলে বিলের পানি নামাতে হবে। ইতিমধ্যে রংপুর, শলুয়া, আড়ংঘাটা, বিলপাটেলা, মাধবকাটি, খাজুরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকেরা পানি সরানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে শোলমারি-১০ এর সব কপাট ওঠানো হয়েছে। কিন্তু গেটের মুখে এক বালু ব্যবসায়ীর পাইপ বসানোয় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।'এদিকে বালি ব্যবসায়ী শেখ এনায়েত করিম বলেন, 'আমি এখন এলাকার বাইরে আছি। এসে দেখব।'এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড, খুলনার উপপ্রকৌশলী মো. সাঈদুর রহমান বলেন, 'নদী প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে পাইপ লাইন স্থাপন করার কোনো সুযোগ নেই। বালু ব্যবসায়ী এনায়েত আলীকে আমরা একবার নোটিশ দিয়েছি। আদেশ অমান্য করায় এবার আমরা তাঁর বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।'
খুলনা জেলা,খুলনা বিভাগ,ডুমুরিয়া,খুলনা,ছাপা সংস্করণ,খুলনা সংস্করণ,আজকের খুলনা
ডুমুরিয়ার শৈলমারি নদীতে বালি উত্তোলনের জন্য পাইপলাইন বসানোয় পানি নিষ্কাশনে বাধার সৃষ্টি হয়। গতকাল ।
national
https://www.dailynayadiganta.com/chattagram/577503/১৫-দিন-ব্যবধানে-সরাইলে-প্রতিপক্ষের-ছুরিকাঘাতে-২-খুন
১৫ দিন ব্যবধানে সরাইলে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ২ খুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে দুই ব্যক্তি খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের তেলিকান্দি গ্রামের ফজুর বাড়ির আব্দুল মন্নাফের ছেলে আবুল কাসেম (৩৮) প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। এর আগে গত ৭ এপ্রিল দিবাগত রাতে একই ইউনিয়নের পাকশিমুল গ্রামের প্রবাসী হান্নান মিয়ার ছেলে সিএনজিচালক দেলোয়ার হোসেন প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হন। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে একই ইউনিয়নের দুই গ্রামে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই ব্যক্তি খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে তেলিকান্দি গ্রামের সিদ্দিক মিয়া ও ইদ্রিছ মিয়ার লোকজন একই এলাকার ও একই গোষ্ঠীর আব্দুল মন্নাফের ছেলে আবুল কাসেমের ওপর অতর্কিত হামলা করে এবং এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত আবুল কাসেমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ব্যাপারে সরাইল সার্কেলের এএসপি মো: আনিছুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
null
১৫ দিন ব্যবধানে সরাইলে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ২ খুন
national
https://samakal.com/whole-country/article/1801621/মিরুর-স্ত্রীর-দায়ের-করা-মামলা-প্রত্যাহারের-দাবিতে-বিক্ষোভ
মিরুর স্ত্রীর দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ
সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাময়িক বহিষ্কৃত পৌর মেয়র মিরুর স্ত্রীর দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। মিরুর স্ত্রী লুৎফুননেছা পিয়ারীর শাহজাদপুর আমলি আদালতে দায়েরকৃত মামলাকে হয়রানিমূলক ও মিথ্যা দাবি করে তা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ কর্মসূচি পালন করেন শাহজাদপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসলাম শেখ, ছাত্রলীগ নেতা রাজিবুল ইসলাম রাজিব, হুমায়ন আহমেদ প্রতীক, শেখ মো. রাসেল, নেছারুল হক, আকাশ মিয়া, সাইদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন। সাংবাদিক শিমুল হত্যার আড়াই মাস পর মেয়র মিরুর স্ত্রী পিয়ারী বাদী হয়ে মেয়রের বাড়িঘর ভাংচুর ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে থানায় মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে ওই মামলাটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে সব আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে মিরুর স্ত্রী নারাজি দিয়ে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের আবেদন করলে আদালত তা গ্রহণ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন। বিচারিক সাক্ষ্য শেষে শাহজাদপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুল হক আওয়ামী লীগের ১৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন এবং সিরাজগঞ্জ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলাম বিস্ফোরক আইনে ওই ১৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। শাহজাদপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও এ মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামি নাসির উদ্দিন বলেন, সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের জন্য একটি মহল শুরু থেকেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এর অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একই মামলায় সমন জারি ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
শিমুল হত্যা,সাংবাদিক হত্যা,সাংবাদিক শিমুল হত্যা,মেয়র মীরু,মীরুর স্ত্রীর মামলা
সাময়িক বহিষ্কৃত পৌর মেয়র মিরুর স্ত্রীর দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল করেন শাহজাদপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/04/24/%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%82-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%b7%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%9a/
গায়ের রং দিয়ে মানুষকে বিচার করা চরম অন্যায়: ইলিয়েনা
গায়ের রং দিয়ে মানুষকে বিচার করা চরম অন্যায়। সেই অন্যায়ের শেষ দেখতে চান বলিউড তারকা ইলিয়েনা ডি ক্রুজ। তাঁর পরের ছবি 'আনফেয়ার অ্যান্ড লাভলি'তে উঠে এসেছে বর্ণবাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই ছবির ফার্স্টলুক শেয়ার করলেন ইনস্টাগ্রামে। ইলিয়েনা এ মুহূর্তে ব্যস্ত 'আনফেয়ার অ্যান্ড লাভলি'র প্রস্তুতি নিয়ে। এ ছবির মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে বলিউডে অভিষেক হতে যাচ্ছে বলবিন্দর সিংয়ের। এর আগে তিনি 'ষান্ড কি আঁখ' ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন। এ ছবিতে ইলিয়েনার বিপরীতে দেখা যাবে রণদীপ হুদাকে। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র এমন এক নারীকে নিয়ে, যাঁকে নিজের গায়ের রঙের জন্য সমাজে নানা অন্যায় আর কুসংস্কারের মুখোমুখি হতে হয়। প্রতিনিয়ত নিজের আর সমাজের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে হয়। ইলিয়েনা বলেন, দুর্দান্ত চিত্রনাট্য। হাসতে হাসতে অনেক কঠিন কথা বলে হয়েছে। পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে মানবিক বার্তা। বর্ণবাদের গালে কষে চড় লাগানো হয়েছে। গায়ের রং হতে পারে সাদা, কালো কিংবা তামাটে। এর সঙ্গে সৌন্দর্যের কোনো সম্পর্ক নেই। সৌন্দর্য চিন্তায়, কাজে আর ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিবাচক শক্তিতে। ছবিটি সমাজে বর্ণ নিয়ে তৈরি করা প্রাচীর কিছুটা হলেও ভাঙতে, অন্তত নাড়া দিতে সক্ষম হবে।
null
ইলিয়েনা ডি ক্রুজ
entertainment
https://www.ajkerpatrika.com/13382/%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A7%8C%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9F
শতবর্ষী নৌকার হাট
চলছে বন্যা মৌসুম। যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। সমান তালে পানি বাড়ছে বড়াল, হুড়াসাগর, করতোয়া, গুমানী, আত্রাই নদীতেও। তলিয়ে গেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, চৌহালী, এনায়েতপুর, বেলকুচি, পাবনার বেড়া উপজেলার বিভিন্ন নিচু এলাকার রাস্তাঘাট। চলাচল দুরূহ হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলেও। এখন যাতায়াতে নৌকাই এসব এলাকার মানুষের ভরসা। তাই সময় এখন নৌকা কেনার।বছরের এই সময়টিতে ওই অঞ্চলে নৌকার ব্যবহারের চল বেশ পুরোনো। মানুষের এই প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে শাহজাদপুরে প্রায় শত বছর ধরে বসছে নৌকার হাট। 'কৈজুরী নৌকার হাট' এখন শাহজাদপুরের ঐতিহ্য।বন্যা মৌসুমে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার কৈজুরী বাজারের কৈজুরী মহিউল ইসলাম সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে দিনভর নৌকা কেনাবেচা চলে এ হাটে। হাটের দিন সকালেই বিভিন্ন এলাকা থেকে নতুন তৈরি করা ছোট ছোট ডিঙি ও কোষা নৌকা যমুনার পাড়ের এই হাটে নিয়ে আসেন ব্যাপারীরা। নিজেদের তৈরি করা নৌকা নিয়ে আসেন কাঠমিস্ত্রিরা। বেলা যত বাড়তে থাকে, মানুষের ভিড়ও বাড়ে।গত শুক্রবার হাটে নৌকা কিনতে আসেন ৮০ বছর বয়সী আবদুল আওয়াল। তিনি বলেন, 'এ হাট খুব পুরোনো। যখন আমার বয়স আট-নয় বছর, তখন দাদার সঙ্গে এখানে নৌকা কিনতে এসেছি। তখন উৎসাহ আনন্দটা ছিল একেবারে ভিন্ন। বাড়ির ছয়-সাতজন এসেছিলাম নৌকা কিনতে। ১৫০ টাকা দিয়ে বড় নৌকা কিনে বইঠা দিয়ে বেয়ে বাড়ি গিয়েছি। দুধ দিয়ে নৌকা ধুয়ে তা বরণ করে নিয়েছেন বাড়ির বধূরা। এখন সে আমেজ নেই।'কৈজুরী নৌকার হাটে নতুন নৌকাই বেশি। তবে পুরোনো নৌকাও কেউ কেউ বিক্রি করেন। নতুন-পুরোনো মিলে হাটে ৪ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা দামের নৌকা ওঠে। এর মধ্যে কাঠের গুণগত মানের ক্ষেত্রে দাম কমবেশি হয়।নৌকা বিক্রি করতে আসা শাহজাদপুর উপজেলার বেনুটিয়া গ্রামের কাঠমিস্ত্রি পঞ্চানন সূত্রধর জানান, 'পৈতৃক সূত্রে নৌকা তৈরি ও বিক্রি পেশার সঙ্গে জড়িত ৪৫ বছর ধরে। আগে যে নৌকা শত টাকায় তৈরি করা যেত তা এখন ১৫-২০ হাজার টাকা লাগে। নৌকার সে চাহিদা আর নেই। মানুষ নৌকা কেনার পরিবর্তে একটি ভালো মোটরসাইকেল কেনে। যারা নৌকা কিনছে তারা শুধু নদী ও বন্যায় পারাপারের জন্য। আগে বিশাল কোষা, পানসি, খেলনা নৌকাবাইচ হতো। এখন তেমন নৌকাবাইচ হয় না। নৌকা তৈরিতে পাবনা, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের ডাক পড়ত। এখন তা নেই। নৌকার মিস্ত্রিদের কদর কমে গেছে।'পঞ্চানন সূত্রধর আরও বলেন, 'বাড়িতে বসে সপ্তাহজুড়ে কাজ করে দুটি ১২ হাতের ডিঙি নৌকা তৈরি করেছি। নৌকাপ্রতি খরচ হয়েছে ৬-৭ হাজার টাকা। হাটে এসে দাম চাচ্ছি ১১ হাজার টাকা। কিন্তু দাম বলছে ৭ হাজার টাকা। এ দামে বিক্রি করলে মজুরি উঠবে না।' এদিকে, হাটে আসা ক্রেতাদের অভিযোগ, হাটে ইজারাদার খাজনা বেশি নিচ্ছে। ৫ হাজার টাকা দিয়ে নৌকা কিনে ৫০০ টাকা খাজনা দিতে হয়, নেই রসিদ। খাজনা উত্তোলনকারী আব্দুল্লাহ সরকার জানান, তাঁরা কম টাকাই খাজনা নেন।
সিরাজগঞ্জ,রাজশাহী বিভাগ,বন্যা,নৌকা,শাহজাদপুর,যমুনা নদী
শাহজাদপুরের ঐতিহ্যবাহী কৈজুরী নৌকার হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম।
national
https://bangla.dhakatribune.com/international/2021/11/16/16370549844086213
আইএসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে তালেবান
দক্ষিণআফগানিস্তানে সন্দেহভাজন ইসলামিক স্টেট (আইএস) আস্তানাগুলোতে ক্র্যাকডাউন শুরু করেছে তালেবান। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আইএস'র হামলা বৃদ্ধি পাওয়ায় তালেবান এই পদক্ষেপ নিয়েছে। সোমবার (১৫ নভেম্বর) এএফপি'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশটির কান্দাহার প্রদেশের অন্তত চারটি জেলায় ইসলামিক স্টেট-খোরাসানের (আইএস-কে) বিরুদ্ধে এই অভিযান শুরু করেছে তালেবান। যা সোমবার পর্যন্ত অব্যাহত ছিল বলে তালেবানের প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান আব্দুল গাফার মোহাম্মদী এএফপিকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "এখন পর্যন্ত ৪ আইএস যোদ্ধা নিহত হয়েছে এবং ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন একটি বাড়ির ভিতরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন।" নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তালেবান গোয়েন্দা সংস্থার এক সদস্য এএফপিকে বলেছেন, "অভিযানে অন্তত তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।" স্থানীয় মিডিয়া এক তালেবান কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানান, সোমবার কাবুলের পশ্চিম উপশহরে এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর গত তিন মাসে জালালাবাদ, কুন্দুজ, কান্দাহার এবং কাবুলে সক্রিয় হয়েছে আইএস-কে। গত মাসে এই আইএস-কে কান্দাহারের একটি শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে, যাতে অন্তত ৬০ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে। উত্তর কুন্দুজ প্রদেশে আইএস-কে'র দাবিকৃত আরেকটি মসজিদ বিস্ফোরণে ৬০ জনেরও বেশি লোক নিহত হওয়ার এক সপ্তাহ পর এই হামলাটি হয়েছিল। এর আগে, রবিবার কাবুলে আরেক বোমা হামলায় স্থানীয় সাংবাদিকসহ আরও দু'জনকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আইএস-কে।
null
এক তালেবান যোদ্ধা কান্দাহারে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে তালেবান সদস্যদের অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন এমন বেসামরিক নাগরিকদের মৃতদেহের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন, ১৫ নভেম্বর ২০২১ এএফপি
international
https://www.bhorerkagoj.com/2019/01/30/%e0%a6%ad%e0%a7%81%e0%a7%9f%e0%a6%be-%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%a1%e0%a6%bf-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%b8%e0%a6%8f%e0%a6%b8%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8d/
ভুয়া আইডি থেকে এসএসসির প্রশ্ন ফাঁস, গ্রেপ্তার ১
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ তিনটি নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার যুবকের নাম ইশতিয়াক। মঙ্গলবার রাতে সাতক্ষীরার পলাশপোল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ইশতিয়াক রাজশাহীর রাজপাড়া থানার লক্ষ্মীপুর ভাটপাড়া গ্রামের নুর আলম নান্টুর ছেলে। সে নিজে এবার রাজশাহীর মসজিদ মিশন একাডেমি স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী। ইশতিয়াক আহমেদ ইয়াকুব গত বছর তার সরবরাহকৃত গণিত ও বাংলা দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র হুবহু সঠিক ছিল বলে স্বীকার করেছে। এবারও সে ৮০ জনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের একটি বিকাশ নম্বর দিয়ে প্রশ্নপত্র সরবরাহের কথা দিয়ে টাকা সংগ্রহ করছিল। র্যাব ৬-এর সাতক্ষীরা কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার জাহিদুল কবির বলেন, ইশতিয়াক সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর নামে খোলা ভুয়া ফেসবুক আইডিসহ এঞ্জেল শাকিলা ও নিজের নামে তিনটি আইডি খুলে এ প্রতারণা করে আসছে। এর মাধ্যমে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ এবং তা বিতরণের জন্য ৮০ জনের সঙ্গে সে যোগাযোগ রক্ষা করে। ওই শিক্ষার্থী স্বীকার করেছে যে এই চক্রের সঙ্গে আরও জড়িত রয়েছে অপূর্ব নীল, নীলাকাশ, নব্য হিটলার ও প্রিন্স খান নামে কয়েকটি আইডি। তাদের অবস্থান ঢাকা ও খুলনায়। তাদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। র্যাব কমান্ডার আরও বলেন, প্রতারক চক্রটি নামে ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ তৈরি করে তার মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ক্রয়ের প্রস্তাব দেয়। এ জন্য একটি বিকাশ নম্বরও দেয়া হয়। এই বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠালে প্রশ্ন সরবরাহ করা হবে বলেও জানায় ইশতিয়াক ও তার চক্রটি। গ্রেপ্তারকৃত ইশতিয়াক জানিয়েছে, প্রশ্নপত্র সরবরাহকারী ব্যক্তি তার চক্রের মধ্যেই রয়েছে। তবে অন্যদের অবস্থান ঠিক কোথায় তা সে জানে না বলে জানিয়েছে। ইশতিয়াক তার বাবার ফোনটি এ কাজে ব্যবহার করতো। তার মেডিকেল টেকনিশিয়ান বাবা নুর আলম নান্টুকে তার কর্মস্থল পলাশপোলের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার সূত্র ধরে শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে ইয়াকুবকে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
null
এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্য ইশতিয়াক
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/10/02/%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a6%93-%e0%a7%a8%e0%a7%ab-%e0%a6%b2%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%be%e0%a6%a7%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%9f%e0%a6%bf/
আরও ২৫ লক্ষাধিক ফাইজার টিকা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
দেশে ফাইজার-বায়োএনটেকের আরও ২৫ লক্ষাধিক ডোজ করোনার টিকা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তার উদ্বৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপি এই তথ্য জানান। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনে আরও ৮০ লক্ষাধিক এই টিকা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে বাংলাদেশকে মোট ২৫ লাখ ৮ হাজার ৪৮০ ডোজ টিকা সরবরাহ করা হবে বলে এএফপির প্রতিবেদনে জানা যায়। এই টিকাগুলো আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে বাংলাদেশে পৌঁছাবে বলেও জানানো হয়। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় এসব টিকা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ফিলিপাইনে মোট ৫৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫০ ডোজ টিকা পাঠানো হবে। একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি টিকা অনুদান দিয়েছে দাবি করেন ওই কর্মকর্তা। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র এ যাবৎ বাংলাদেশকে কয়েক লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ফাইজারের ২৫ লাখ ডোজ টিকা পাঠিয়েছে দেশটি।
টিকা,ফাইজার,যুক্তরাষ্ট্র
ফাইজার টিকা
life-health
https://www.dailynayadiganta.com/politics/406895/জাতীয়-পার্টি-সংসদে-প্রকৃত-বিরোধী-দলের-ভূমিকা-পালন-করবে
জাতীয় পার্টি সংসদে প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, যারা শ্রমিকদের স্বার্থ ও অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করবে তাদের জীবনে গণমানুষের সমর্থনের অভাব হয় না। তিনি বলেন, শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেয়া হয় না, আবার নিয়োগপত্র দেয়া হলে নিয়োগপত্রের কন্ডিশন মানা হয় না। তাই শুধু মে দিবস নয়, সারা বছরই শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার থাকতে হবে। বুধবার বিকেলে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় শ্রমিক পার্টি আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি একথা বলেন। জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি একেএম আসরাফুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ এমপি বলেছেন, পল্লীবন্ধুর দেশ পরিচালনার ৯ বছরে জাতীয় শ্রমিক পার্টি সারাদেশে শক্তিশালী সংগঠন ছিল। তিনি বলেন আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই জাতীয় শ্রমিক পার্টিকে আগের মতোই শক্তিশালী করা হবে। শক্তিশালী করা হবে অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনগুলোও। জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা প্রসঙ্গে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, জাতীয় পার্টি সংসদে প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে। দেশ ও মানুষের অধিকারের প্রশ্নে জাতীয় পার্টি সব সময় সোচ্চার ভূমিকা রাখবে। বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস.এম ফয়সল চিশতী, এড. রেজাউল ইসলাম ভুইয়া। জাতীয় শ্রমিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ শান্ত এর পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, সরদার শাহজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসহাক ভূইয়া, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, ফকরুল আহসান শাহজাদা, মোবারক হোসেন আজাদ, শাহ-ই-আজম, প্রচার সম্পাদক খোরশেদ আলম খুশু, যুগ্ম-দফতর সম্পাদক এম.এ রাজ্জাক খান, যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন পারভীন লিজা, হেনা খান, আবু সাঈদ স্বপন, মিজানুর রহমান মিরু, কেন্দ্রীয় নেতা- মাহমুদ আলম, এনাম জয়নাল আবেদীন, এমএ কুদ্দুছ মানিক মানিক, কবির হোসেন, মোঃ ফারুক শেঠ, মোঃ সোলায়মান সামি, শহিদুল ইসলাম সেন্টু, জাতীয় শ্রমিক পার্টির কেন্দ্রীয় সিনি: সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজ, মোঃ আব্বাস আলী মন্ডল, আলমগীর হোসেন, আঞ্জু আখতার, কামরুজ্জামান খান, এমদাদুল ইসলাম রনি, আব্দুল লতিফ মিয়াসহ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ।সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি
null
জিএম কাদের মশিউর রহমান রাঙ্গা
politics
https://samakal.com/international/article/17111426/মুগাবের-বাবা-ছিলেন-একজন-কাঠমিস্ত্রী
মুগাবের বাবা ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রী
আলোচিত-সমালোচিত আফ্রিকান রাজনীতিক রবার্ট মুগাবে। জিম্বাবুয়ের 'স্বাধীনতার নায়ক' হিসেবে তুমুল জনপ্রিয়তা নিয়ে ক্ষমতায় এসে দীর্ঘ ৩৭ বছর পর ৯৩ বছর বয়সে অনেকটা জনরোষেই পদত্যাগে বাধ্য হলেন তিনি।গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড চাপের মুখে থাকা মুগাবে এমন সময় পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন যখন পার্লামেন্টে তার অভিশংসন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছিল। আর তার পদত্যাগের ঘোষণার পরপরই উল্লাসে ফেটে পড়ছে রাজধানী হারারেসহ বিভিন্ন শহরের মানুষ।তবে এতো সমালোচনা আর চাপের মধ্যেও 'শ্বেতাঙ্গ শাসন' অবসান আর 'স্বাধীনতার সেনানি' হিসেবে অনেকের কাছে মুগাবের অবস্থান নায়কের মতো। এমনকি যারা তাকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়নে সোচ্চার হয়েছেন তাদের অনেকেরও সমালোচনার পাত্র আসলে মুগাবের স্ত্রী আর তাকে ঘিরে থাকা 'অপরাধী' চক্র।স্ত্রী গ্রেস মুগাবেকে নিয়েই সবচেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন মুগাবে-ফাইল ছবি/এএফপিদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এসেছেন মুগাবে। ছয় ভাই বোনের মধ্যে তৃতীয় রবার্ট মুগাবে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি 'বিপ্লবী রাজনীতিতে' জড়িয়ে পড়েন। তার বাবা ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রী। ১৯৩৪ সালে বাবার মৃত্যুর পর কাজের সন্ধানে বুলাওয়ে শহরে যান মুগাবে। পরে আইরিশ এক পাদ্রির সঙ্গে থেকে নিজেকে গড়েন তিনি।কখনো তুমুল জনপ্রিয়তা আবার কখনো তীব্র সমালোচনার মুখেও ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মুগাবে বরাবরই তার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন, 'তুমি যদি নির্বাচনে হারো ও জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হও, তাহলে রাজনীতি ছাড়ার সময় এসেছে।' কিন্তু সেই মুগাবেই নির্বাচনে হারার পরেও ক্ষমতায় থেকে বলেছিলেন, 'কেবলমাত্র ঈশ্বরই আমাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারে।'রবার্ট মুগাবের বেড়ে উঠা ও রাজনৈতিক জীবন১৯২৪: মুগাবের জন্ম। পরে প্রশিক্ষণ নেন শিক্ষকতায়।১৯৬১: ঘানার স্যালি হেফ্রনকে বিয়ে করেন।১৯৬৩: ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরোধিতার ধারাবাহিকতায় জানু-পিএফ পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন।১৯৬৪: বন্দিত্ব বরণ, প্রায় ১০ বছর রোডেশিয়ার কারাগারে ছিলেন তিনি।১৯৮০: ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর জিম্বাবুয়ের প্রধানমন্ত্রী হন, বিজীয় হন স্বাধীনতা-উত্তর নির্বাচনে।১৯৮১: নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।১৯৮৭: জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।১৯৯৪: প্রতিবেশী দক্ষিণ আফ্রিকায় জাতিগত বিদ্বেষ অবসানের অন্যতম দৃঢ় সমর্থক।১৯৯৬: গ্রেস মারুফুকে বিয়ে করেন।২০০০: গণভোটে পরাজয়। শ্বেতাঙ্গদের কৃষি খামার অধিগ্রহণ।২০০২: প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে জয়লাভ।২০০৮: প্রথম দফা নির্বাচনে হেরে যান। দ্বিতীয় দফায় সমর্থকদের ওপর ব্যাপক হামলার প্রেক্ষাপটে তার প্রতিদ্বন্দ্বী সরে দাঁড়ান।২০০৯: নির্বাচনের প্রতিপক্ষ মর্গান সাভাঙ্গিরাইকে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত।২০১১: উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্যে জানা যায়, মুগাবে প্রস্টেট ক্যান্সারে ভুগছেন।২০১৭: দীর্ঘদিনের সহযোগী ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন মাসাঙ্গাওয়ারকে বরখাস্ত এবং এরপরই নিজ দল জানু-পিএফ ও সামরিক বাহিনীর ক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগে বাধ্য হলেন।রবার্ট মুগাবের পর জিম্বাবুয়ের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন-এখনও সে ঘোষণা আসেনি। তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন মাসাঙ্গাওয়ার নামই বলা হচ্ছে সবার আগে। তিনি এখন দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে অজ্ঞাত স্থান থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত বলে জানিয়েছিলেন। সূত্র: বিবিসি
মুগাবে,রবার্ট মুগাবে,গ্রেস মুগাবে,জিম্বাবুয়ে
চলতি বছরেই ৯৩তম জন্মদিন পালন করেন রবার্ট মুগাবে/এএফপি
international
https://www.dailynayadiganta.com/chattagram/563716/কোম্পানীগঞ্জে-হরতাল-শেষে-থানার-সামনে-অবস্থান-কর্মসূচির-ঘোষণা-কাদের-মির্জার
কোম্পানীগঞ্জে হরতাল শেষে থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা কাদের মির্জার
নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের অপরাজনীতি বন্ধ, ডিসি, এসপি, ওসি প্রত্যাহারসহ দলীয় কয়েকজন নেতার গ্রেফতারের দাবিতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা শুক্রবার এবং শনিবার থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বৃহস্পতিবার সকালে কোম্পানীগঞ্জে আধাবেলা হরতাল শেষে এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি তার অবস্থান থেকে সরে না এসে আরো কঠিন পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে হরতাল শেষে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, 'স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করতে পেরেছি। বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ী, আমাদের এলাকার নারী-পুরুষ সবাই সম্মিলিতভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে। আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একই দাবিতে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি করব। সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শুক্রবার ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আমরা থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।' তিনি আরো বলেন, 'নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাজনীতির বিরুদ্ধে ও আমার উপর যে হামলা হয়েছে তার বিচার দাবি করছি। আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে। আমাকে রাজাকার পরিবারের সন্তান বলা হয়েছে। আমি সব বিষয়ে আপস করলেও এই দু'টি বিষয়ের সাথে আপস করব না। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশাসনের দুর্নীতির বিষয় এবং অপরাজনীতির বিষয় উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। যদি করতে পারি, তাহলে ভালো উনি ব্যবস্থা নিবেন। না করতে পারলে আমরা পরবর্তীতে কঠিন পদক্ষেপ নেব। আমি এটা থেকে সরে যাব না। যে সত্য কথা দিয়ে শুরু করেছি সে সত্য কথা বলে যাব। যদি বহিষ্কার করা হয় আমি বঙ্গবন্ধুর কথা বলব, আওয়ামী লীগ করব, আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলব। আমি সাহস করে সত্য কথা বলব। আমি অন্যায়, অবিচার, জুলুমের বিরুদ্ধে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাব। গ্রেফতার হলে জেলে থাকব, মেরে ফেললে কবরে থাকব।' এদিকে হরতাল উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাদের মির্জার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা রাস্তায় মিছিল করেছে। তারা রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করে হরতাল পালন করে। এসময় দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। জাতীয় বিশ্বদ্যিালয়ের পরীক্ষা থাকায় বেলা ১২টা পর্যন্ত হরতাল চলে। এর আগে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান, পুলিশ সুপার (এসপি) মো: আলমগীর হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি ও ওসি তদন্ত রবিউল হকের প্রত্যাহার এবং কোম্পানীগঞ্জ চরকাকড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ ও তার আশ্রয়দাতা মিজানুর রহমান বাদল এবং ফখরুল ইসলাম রাহাতকে গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তিনি। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ চরকাকড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ টেকেরবাজারে তার কিছু অনুসারীদের নিয়ে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। প্রতিবাদ সমাবেশে সবুজ কাদের মির্জার বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্য দেন। খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফখরুল ইসলাম সবুজকে আটক করে। খবর পেয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে কাদের মির্জা নিজেই থানার ফটক অবরোধ করে অবস্থান নেন।
null
কোম্পানীগঞ্জে হরতাল শেষে থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিলেন কাদের মির্জা।
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/09/25/%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b/
শাহজালাল বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা নিয়ে ধূম্রজাল
হযরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা কার্যক্রম নিয়ে ধূম্রজাল কাটছে না। আজ হবে, কাল হবে- করে যাচ্ছে দিন। গত বৃহস্পতিবার থেকে পরীক্ষা শুরু করার কথা থাকলেও গত ৩ দিনেও শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। শুধু পেছাচ্ছেই দিনক্ষণ। বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপনের কাজ শেষ হলেও এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না কবে নাগাদ করোনার র্যাপিড টেস্ট শুরু হবে। অথচ দুই মন্ত্রী বিমানবন্দরে পরিদর্শনে এসে বলেছিলেন শনিবার থেকে বিমানবন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতগামীদের করোনা পরীক্ষা শুরু হবে। পরে জানানো হয় রবিবার থেকে শুরু হবে। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, রবিবারওও টেস্ট শুরু হচ্ছে না। সোমবারেও শুরু হবে কী না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, ছয়টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে ১২ আরটি-পিসিআর মেশিন স্থাপনের কাজ শেষ করেছে। বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান, আরটি-পিসিআর মেশিনের সক্ষমতা যাচাইয়ে শনিবার রাত ৮টার দিকে প্রাথমিকভাবে ১০০ জন কর্মীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে তারা কেউ যাত্রী নন। পরীক্ষার ফল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে শুরু হবে বিমানবন্দরে প্রবাসী যাত্রীদের করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা। এরপর কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়ে পরীক্ষা চালুর বিষয়ে যাত্রীদের জানাবে। এরপর যাত্রীরা ফ্লাইটের টিকিট বুকিং দেবে। ফ্লাইটের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পর টেস্ট শুরু হবে। বিমান উড্ডয়নের সর্বোচ্চ ছয় ঘণ্টা আগে করোনার র্যাপিড টেস্ট করার শর্ত দিয়েছে আমিরাত। এ কারণে গত মে থেকে দেশটিতে কর্মরত প্রবাসীরা যেতে পারছেন না। তাদের সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০ হাজার। গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে দু-তিন দিনের মধ্যে ল্যাব স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ল্যাব বাছাইয়ে সমন্বয়হীনতা ও বারবার সিদ্ধান্ত বদল, টানাপোড়েনে ২০ দিনেও পরীক্ষা শুরু করা যায়নি।
null
শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
national
https://www.ajkerpatrika.com/84484/%E2%80%98%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%85%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E2%80%99
'খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ'
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে সেখানে তাঁর চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।গতকাল রোববার খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভর্তির পর শনিবার রাতে বোর্ডের চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে আলোচনা করেছেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বলেছেন। গতকালও আরেক দফা আলোচনায় বসে মেডিকেল বোর্ড। সব বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে।সব মিলিয়ে খালেদা জিয়া কেমন আছেন, জানতে চাইলে জাহিদ হোসেন বলেন, 'তিনি (খালেদা জিয়া) ভালো আছেন, না খারাপ আছেন, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তিনি এখন সিসিইউতে আছেন।'এদিকে খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, 'তিনি (খালেদা জিয়া) হাসপাতালে আছেন। হাসপাতালে তিনি জীবন-মরণ নিয়ে সংগ্রাম করছেন। আপনারা সবাই তাঁর জন্য দোয়া করবেন।' গতকাল বিকেলে অস্ট্রেলিয়া বিএনপি আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা বারবার বলেছি এটা তাঁর অধিকার, কোনো দয়ার বিষয় নয়। তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার। চিকিৎসার জন্য তিনি জামিন পেতে পারেন।'
খালেদা জিয়া,বিএনপি,রাজধানী,হাসপাতাল,ছাপা সংস্করণ,প্রথম পাতা
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
national
https://www.bhorerkagoj.com/2022/01/12/%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%87-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%87-%e0%a6%85%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a7%87%e0%a6%95-%e0%a6%87%e0%a6%89/
দুই মাসের মধ্যে অর্ধেক ইউরোপ ওমিক্রনে আক্রান্ত হবে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে দিয়েছে যে, আগামী ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে অর্ধেক ইউরোপ করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপের আঞ্চলিক পরিচালক ড. হান্স ক্লুজ বলেছেন, ইউরোপের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ওমিক্রনের একটি ঢেউ বয়ে যাচ্ছে। সেটা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকেও ছাড়িয়ে গেছে। ২০২২ সালের প্রথম সপ্তাহেই ইউরোপে ৭০ লাখ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তার ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই পূর্বাভাস দিয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যেই ওমিক্রন সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। "বর্তমানে ওমিক্রন সংক্রমণের একটি ঢেউ পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে বয়ে যাচ্ছে। যেসব দেশ ২০২১ সালের শেষ দিকে ডেল্টার বিস্তার ঠেকাতে কাজ করছিল, সেসব দেশেও এটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে," বলেছেন মি. ক্লুজ।
ওমিক্রন,করোনা,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
international
https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2022/01/29/1643465827212
বাণিজ্যমন্ত্রী: ভোজ্য তেলের দাম বাড়তে পারে
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি বলেছেন, ভোজ্য তেল ব্রাজিল থেকে আমদানি করা হয়। তাই সেখানে দাম বাড়লে দেশে ভোজ্য তেলের দাম আরও বাড়তে পারে। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে লালমনিরহাট শেখ শফি উদ্দিন কমার্স কলেজে রোটারী ক্লাবের আয়োজনে ছিন্নমুল শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, "রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম প্রায় সময় বাড়ে। এ বারের আসন্ন রমজানকে ঘিরে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার কাজ চলছে। খোলা বাজারে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রির পরিমান বাড়ানো হবে। টিসিবি'র পণ্য বিক্রির পরিমানও ডাবল করা হবে রমজানে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই থাকবে রমজানের নিত্যপণ্যের বাজার। এ জন্য বাজার মনিটরিং বাড়ানো হচ্ছে।" মন্ত্রী আরও বলেন, "লালমনিরহাটের ব্রান্ডিং ফসল ভুট্টার চাষাবাদ ব্যাপক। তাই এ জেলায় ভুট্টাজাত শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার কাজ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এ জেলায় অর্থনীতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজও চলমান রয়েছে। বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে লালমনিরহাটের মোগলহাট স্থলবন্দর চালু হলে উভয় দেশের বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। বন্ধ থাকা এ স্থলবন্দর চালু করারও পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ ছাড়াও বুড়িমারী স্থলবন্দর হয়ে ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ সচল করে উভয় দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য সরকারের রেলপথ মন্ত্রনালয়কে বলা হবে।" সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টিপু মুন্সি আরও বলেন, "তিস্তা নদীকে ঘিরে সরকার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবানের পরিকল্প নিয়েছে সরকার। এটি বাস্তবায়ন হলে তিস্তা পাড় তথা রংপুর বিভাগের উন্নতি হবে।" অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক আবু জাফর, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, জেলা চেম্বর অব কমার্সের সভাপতি শেখ আব্দুল হামিদ বাবু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম স্বপন প্রমুখ।
বাণিজ্যমন্ত্রী,ভোজ্যতেল,ব্যবসা-বাণিজ্য
ভোজ্যতেল। পিক্সাবে
national