n_id
stringlengths 5
10
| doc_id
stringlengths 64
69
| lang
stringclasses 7
values | text
stringlengths 0
212k
|
---|---|---|---|
pib-133405 | 4b492ce1e43dc9cb40a7202bfaa4f8a5c2afb49375d48af0408022cf2b771293 | ben | কৃষিমন্ত্রক
জাতীয় বাঁশ মিশন ভারতে বাঁশ ক্ষেত্রের সুযোগ-সুবিধা ও প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করেছে
নয়াদিল্লী, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
কৃষি সহযোগিতা ও কৃষণ কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে জাতীয় বাঁশ মিশন ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ভাচুয়াল প্ল্যাটফর্মে দেশের বাঁশ ক্ষেত্রের সুযোগ-সুবিধা ও প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে একটি জাতীয় পরামর্শ শীর্ষক সম্মেলনের আয়োজন করে। নীতি আয়োগ ও ইনভেস্ট ইন্ডিয়ার যৌথ উদ্যোগে জাতীয় বাঁশ মিশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্যই হল সামগ্রিক মূল্য শৃঙ্খল যুক্ত করে বাঁশ বাস্তুতন্ত্রের বিষয়ে প্রচার ও সার্বিক বিকাশ ঘটানো। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মতামত গ্রহণ করা হয় এবং এই ক্ষেত্রে সমস্যাগুলির সমাধানের প্রয়াস চালানো হয়।
২৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী নীতিন গড়করি এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান ডঃ রাজীব কুমার সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। আলোচনায় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বাঁশ চাষ, গবেষণা, এই ক্ষেত্রে শিল্পোদ্যোগ ও উদ্ভাবনী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতপ্রকাশ করেন। আত্মনির্ভর ভারত গঠনে বাঁশ ক্ষেত্রের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা চালানো হয়। একইসঙ্গে এই ক্ষেত্রের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ চিন্তাভাবনাও তুলে ধরা হয়।
২৬ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের সমাপ্তি অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব ডঃ অলকা ভার্গভ। আগামীদিনে এই ক্ষেত্রের অগ্রগতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন তিনি। ভারতীয় বাঁশ ক্ষেত্রের সম্ভাবনাময় বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। উত্তর পূর্বাঞ্চল থেকে বাঁশ পরিবহণের ক্ষেত্রে খরচ সাপেক্ষ হয়ে পরেছে। তাই পরিবহণ খরচ কমাতে জলপথ ব্যবহার এবং পরিবহণ ক্ষেত্রে ভর্তুকির সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা চালানো হয়। বাঁশ ক্ষেত্রে শিল্পোদ্যোগ ও স্টার্টআপ গঠনের বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন তা নিয়েও আলোচনা হয়। |
mkb-47 | ef8c1b489f9de61c01d33c4a27016e333eaba58adf775c513bbc2e105e47a8f6 | ben | আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। আজ 26শে জানুয়ারি। গণতন্ত্র দিবসের অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। আজ 2020-র প্রথম ‘মন কি বাত’। এই বছরের এবং এই দশকের প্রথম ‘মন কি বাত’ এ মিলিত হচ্ছি। বন্ধুরা, এবার ‘সাধারনতন্ত্র দিবসের‘ অনুষ্ঠানের কারণে, ‘মন কি বাতের‘ সময় পরিবর্তন করতে হল। আর সেই কারণেই, একটি আলাদা সময় নির্ধারণ করে, আমি আজ আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি। বন্ধুরা, দিন বদলায়, সপ্তাহ বদলায়, মাসের পরিবর্তন হয়, বছরটাও পাল্টে যায়, কিন্তু ভারতের মানুষের উৎসাহে ভাটা পড়ে না। ‘আমরাও কিছু কম নয়‘, ‘আমরাও কিছু করে দেখাবো‘। ‘Can do’, এই ‘can do’ র ভাবনাই সংকল্পের রূপ নেয়। দেশ আর সমাজের প্রতি কিছু করার অঙ্গীকার, প্রতিদিন দেশ আগের থেকে অধিক শক্তিশালী হচ্ছে। বন্ধুরা, ‘মন কি বাত‘-এর মঞ্চে, আমরা সবাই একবার ফের জড়ো হয়েছি, নতুন নতুন বিষয়ে আলোচনা করার জন্য, দেশবাসীর নতুন নতুন উপলব্ধি সেলিব্রেট করার জন্য, ভারতবর্ষকে সেলিব্রেট করার জন্য। ‘মন কি বাত‘ – sharing, learning এবং growing together –এর, একটি ভালো এবং সহজ মঞ্চ হয়ে উঠেছে। প্রতি মাসে হাজার হাজার মানুষ তাদের পরামর্শ, প্রচেষ্টা এবং অনুভূতি ভাগ করে নেয়। তার মধ্যে থেকে,সমাজ অনুপ্রাণিত হবে, এরকম কিছু বিষয়, মানুষের অসাধারন প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাওয়া যায়।
‘কেউ তো করে দেখিয়েছে‘ – তাহলে কি আমরাও করতে পারি? আমরা কি ওই প্রচেষ্টাকে পুরো দেশে পুনরাবৃত্তি করে এক বিশাল পরিবর্তন আনতে পারি? আমরা কি একে সমাজের এক সহজ অভ্যেসে রূপান্তরিত করে, ওই পরিবর্তনকে স্থায়ী করতে পারি? এরকমই কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে প্রতি মাসে, মন কি বাত, কিছু appeal, কিছু আহ্বান, কিছু করে দেখানোর সংকল্প নিয়ে পথ চলা শুরু করে। গত কয়েক বছরে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট সংকল্প নিয়েছি। যেমন, ‘no to single use plastic’, ‘খাদি আর local দ্রব্য কেনার বিষয়টি, স্বচ্ছতার কথা, কন্যাদের সম্মান এবং গর্ব নিয়ে আলোচনা, less cash economy –র এই নতুন অধ্যায়, তার ওপর জোর দিয়েছি। এরকম অনেক সংকল্প জন্ম নিয়েছে আমাদের এই খোলামেলা ‘মন কি বাত‘-এর মাধ্যমে। এবং তাকে শক্তিও আপনারাই প্রদান করেছেন।
বিহারের শ্রীমান শৈলেশের থেকে আমি একটি দারুণ চিঠি পেয়েছি। উনি অবশ্য এখন বিহারে আর থাকেন না, উনি দিল্লিতে থেকে কোন এক এনজিও তে কাজ করছেন। শ্রীমান শৈলেশ-জি লিখছেন, “মোদীজি, আপনি প্রত্যেক ‘মন কি বাতে‘ কিছুআবেদনকরে থাকেন। আমি তার মধ্যে অনেকগুলোই করেছি। এই শীতে আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে বস্ত্র সংগ্রহ করেছি এবং দুস্থ মানুষের মধ্যে তা বিতরণ করেছি। আমি ‘মন কি বাত‘ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক রকমের কাজ শুরু করেছি, কিন্তু তারপর আস্তে আস্তে কিছু জিনিস ভুলে গিয়েছি আর কিছু কিছু করা হয়ে ওঠেনি। তাই আমি এই নতুন বছরে, ‘মন কি বাত‘-এর উপর, একটি charter বানিয়েছি, যেখানে এই সকল বিষয়কে নিয়ে একটা list বানানো হয়েছে।যেমন সকলে নতুন বছরে, ‘new year resolutions’ নেয়, তেমনি মোদীজি, এটা আমার নতুন বছরের ‘social resolutions’। আমার মনে হয় যে এই সকল ছোট ছোট বিষয়ও কিন্তু খুব বড় পরিবর্তন আনতে পারে। আপনি কি অনুগ্রহ করে এই charter-এ স্বাক্ষর করে আমার কাছে ফিরিয়ে দেবেন?”
শৈলেশজী আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন এবং শুভকামনা জানাই। আপনার নতুন বছরের resolution হিসেবে এই ‘মন কি বাত charter’-টি খুবই ইনোভেটিভ। আমি আমার শুভকামনার সাথে স্বাক্ষর করে অবশ্যই আপনাকে ফিরিয়ে দেব। বন্ধুরা, যখন আমি এই ‘মন কি বাত‘ charter পড়ছিলাম, তখন আমিও আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম এটা দেখে যে, কত রকম বিষয় আছে ! এত রকম Hash Tags রয়েছে ! আর আমরা সবাই একসাথে অনেক প্রচেষ্টাও করেছি। কখনো আমরা ‘সন্দেশ টু সোলজারস‘ এর মাধ্যমে, সহানুভূতি ও দৃঢ়তার সঙ্গে সেনাবাহিনীর পাশে থাকার অভিযান চালিয়েছি। ‘khadi for nation- khadi for fashion’ –এর মাধ্যমে খাদির বিক্রয়কে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছি। ‘buy local’ এর ভাবনাকে আপন করে নিয়েছি। ‘হাম fit তো ইন্ডিয়া fit’ এর মাধ্যমে ফিটনেসের প্রতি সচেতনতা বাড়িয়েছি। ‘My Clean India’ বা ‘statue cleaning-র‘ প্রচেষ্টার মাধ্যমে, স্বচ্ছতাকে একটা mass মুভমেন্টে রূপান্তরিত করেছি। #NotoDrugs, #BharatkiLakshmi, #Self4Society, #StressfreeExams, #SurakshaBandhan, #DigitalEconomy, #RoadSafety, ও হো হো ! অগুন্তি রয়েছে।
শৈলেশ জি, আপনার ‘মন কি বাত‘ এর charter দেখে উপলব্ধি করলাম যে সত্যিই লিস্টটা অনেক লম্বা। আসুন আমরা এই যাত্রা continue করি। এই ‘মন কি বাত‘ charter-এর মাধ্যমে নিজের পছন্দ অনুযায়ী, যেকোন একটি cause এর সঙ্গে যুক্ত হোন। গর্বের সাথে হ্যাশট্যাগ use করে সকলের সঙ্গে নিজের contribution এর কথা share করুন। নিজের বন্ধুবান্ধবদের, পরিবার–পরিজনদের এবং বাকি সবাইকেও মোটিভেট করুন। যখন প্রত্যেক ভারতবাসী এক পা এগোয়, তখন সারাদেশ 130 কোটি পা এগিয়ে যায়। সেই জন্য চরৈবেতি চরৈবেতি চরৈবেতি, চলতে থাকো, চলতে থাকো, চলতে থাকার মন্ত্র নিয়ে নিজের প্রয়াস করতে থাকো।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আমরা ‘মন কি বাত‘ charter –এর বিষয়ে কথা বললাম। স্বচ্ছতার পরে, জন অংশ গ্রহণের চেতনা, participative spirit, আজ যে ক্ষেত্রটিতে দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলেছে, তা হল ‘জল সংরক্ষণ‘। জল সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে, দেশের প্রতিটি কোণে, ব্যাপক হারে, প্রভূত উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা চলছে । আমি আনন্দের সঙ্গে বলছি যে গত বর্ষার সময় শুরু হওয়া, এই ‘জল শক্তি অভিযান‘, জন অংশগ্রহণের মাধ্যমে অত্যধিক সাফল্যের পথে অগ্রসর হয়েছে। অনেক পুকুর, জলাশয়, ইত্যাদির নির্মাণ করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা এই যে, এই অভিযানে, সমাজের সব শ্রেণীর মানুষ যোগদান করেছে।এখন,রাজস্থানের ঝালর জেলাকেই দেখুন -ওখানের দুটি ঐতিহাসিক কুঁয়ো, নোংরা জলের ভাণ্ডারে পরিণত হয়েছিল। তারপর আর কি ! ভদ্রায়ু এবং থানওয়ালা পঞ্চায়েতের, শত শত মানুষ ‘জল শক্তি‘ অভিযানের আওতায়, একে পুনরুজ্জীবিত করার দায়িত্ব নিয়েছিল। বর্ষার আগেই তারা নোংরা জল, আবর্জনা এবং কাদা পরিষ্কারের কাজ শুরু করে দিয়েছিল। এই অভিযানের জন্য কেউ শ্রম দান করেছিল আর কেউ অর্থ দান। এবং এর ফলস্বরূপ, এই কূঁয়োগুলি, আজ সেখানকার জীবন রেখায় পরিণত হয়েছে। ঠিক এরকমই আরেকটি ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকি- তে। ৪৩ একর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা, সারাহী হ্রদ, তার শেষ সময়ে এসে পৌঁছেছিল, কিন্তু গ্রামবাসীরা তাদের সংকল্প শক্তির দ্বারা হ্রদটিকে নতুন জীবন দান করেছে। এত বড় মিশনের পথে তারা কোন কিছুকেই বাধা হতে দেয়নি। একের পর এক গ্রাম একজোট হতে শুরু করে দিয়েছিল। তারা লেকের চারপাশে এক মিটার উঁচু বাঁধ তৈরি করে দেয়। এখন হ্রদটি জলে টই–টুম্বুর এবং ওখানকার পরিবেশ পাখির কূজনে মুখরিত হয়ে রয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া হালদ্বানি হাইওয়ে সংলগ্ন সুনিয়াকোট-এ গ্রামবাসীদের অংশগ্রহণের এক দারুণ নিদর্শন দেখতে পাই। গ্রামের জল সংকটের সমস্যা সমাধান করতে গ্রামবাসীরা সংকল্প নিল যে গ্রামে জল সরবরাহের ব্যবস্থা তারা নিজেরাই করবে। ব্যাস! নিজেরাই টাকা সংগ্রহ করলো, পরিকল্পনা তৈরি হলো, শ্রমদান করলো এবং প্রায় এক কিলোমিটার দূর থেকে একেবারে গ্রাম পর্যন্ত জলের পাইপ বসানো হলো। পাম্পিং স্টেশন স্থাপিত হল। দুই দশকের পুরনো জলের সমস্যা চিরতরে বিদায় নিল। আবার তামিলনাডুতে borewell কে rainwater harvesting এর জন্য ব্যবহার করার innovative idea সবার সামনে এলো। জল সংরক্ষণ কে কেন্দ্র করে অগণিত কাহিনী সারাদেশে ছড়িয়ে রয়েছে। তারাই new India গড়ে তোলার সংকল্পকে আরো দৃঢ় করে তোলে। আজ আমাদের জলশক্তি-champion দের কাহিনী জানতে সমগ্র দেশ উদগ্রীব। আমার অনুরোধ জল সঞ্চয় ও জল সংরক্ষণ সম্পর্কিত আপনার বা আপনার আশেপাশের প্রচেষ্টার কাহিনীকে, photo ও video সমেত #jalshakti4India তে অবশ্যই শেয়ার করুন।
আমার প্রিয় দেশবাসী ও বিশেষত আমার যুব বন্ধুরা, আজ মন কি বাত এর মাধ্যমে আমি অসম সরকার ও অসম বাসীদের খেলো ইন্ডিয়ার চমৎকার আয়োজনের জন্য জানাই অনেক অনেক অভিনন্দন। বন্ধুরা, গত 22 শে জানুয়ারি গুয়াহাটিতে তৃতীয় খেলো ইন্ডিয়া গেমস সমাপ্ত হলো। এখানে বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় ছয় হাজার খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেছেন। আপনারা আশ্চর্য হবেন জেনে যে খেলার এই মহোৎসবে আশিটা রেকর্ড ভেঙেছে। গর্ব হচ্ছে জানাতে পেরে যে, তার মধ্যে 56 টা রেকর্ড ভেঙেছে আমাদের মেয়েরা। এই অসাধ্য সাধন করেছে আমাদের মেয়েরা। আমি সমস্ত বিজয়ীদের এবং খেলায় অংশগ্রহণকারীদের জানাই অভিনন্দন। একইসঙ্গে খেলো ইন্ডিয়া গেমসের সফল আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে, প্রশিক্ষক ও কারিগরি কর্মকর্তাদের, জানাই ধন্যবাদ। আমাদের জন্য আরো সুসংবাদ যে প্রতিবছর খেলো ইন্ডিয়া গেমসে খেলোয়াড়দের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে। জানতে পারি যে স্কুলপর্যায়ে বাচ্চাদের স্পোর্টসের প্রতি আগ্রহ কতটা বেড়ছে। আমি আপনাদের জানাতে চাই যে 2018 তে যখন খেলো ইন্ডিয়া গেমস শুরু হয়েছিল তখন সাড়ে তিন হাজার খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেছিলেন। মাত্র তিন বছরের মধ্যেই খেলোয়াড়দের সংখ্যা ছয় হাজারেরও বেশি, অর্থাৎ প্রায়প্রায় দ্বিগুন হয়েছে। শুধু তাই নয়, মাত্র তিন বছরের মধ্যে খেলো ইন্ডিয়া গেমস এর মাধ্যমে প্রায় বত্রিশ শো প্রতিভাবান বাচ্চা উঠে এসেছে। এদের মধ্যে এমন অনেক বাচ্চা রয়েছে যারা অভাব ও দারিদ্র্যের মাঝে বড় হয়েছে। খেলো ইন্ডিয়া গেমসের শামিল হওয়া বাচ্চারা ও তাদের পিতা-মাতাদের ধৈর্য এবং দৃঢ় সংকল্পের কাহিনী সমস্ত দেশবাসীকে অনুপ্রাণিত করবে। গুয়াহাটির পূর্ণিমা মন্ডল এর কথাই ধরুন। উনি গুয়াহাটি পৌরসভার একজন সাফাই কর্মচারী। ওঁর মেয়ে মালবিকা যেখানে ফুটবলের দারুন খেলা দেখিয়েছে, সেখানে ওঁর এক ছেলে সুজিত খো খো খেলায় আরো এক ছেলে প্রদীপ অসমের হকি দলের প্রতিনিধিত্ব করেছে।
তামিলনাড়ু-রযোগনাথনের গল্পটিও কিছুটা এরকমই গর্ব করার মত। উনি নিজের জীবিকা নির্বাহ করেন তামিলনাড়ুতে বিড়ি বানানোর কাজ করে, কিন্ত ওঁর মেয়ে পূর্ণাশ্রী weightlifting-এ গোল্ড মেডেল জিতে সবার হৃদয় জয় করে নিয়েছে। আমি ডেভিড বেকহ্যামের নাম নিলে আপনারা বলবেন বিখ্যাত international footballer. কিন্তু এখন আমাদের কাছেও আমাদের নিজস্ব একজন ডেভিড বেকহ্যাম আছে,এবং সে গুয়াহাটির ইয়ুথ গেমসে স্বর্ণপদক জিতেছে। সেটাও সাইক্লিং-এর ২০০ মিটার স্প্রিন্ট ইভেন্টে এবং আমার কাছে দ্বিগুণ খুশির কারণ -কিছুদিন আগেই আমি আন্দামান নিকোবর দ্বিপপুঞ্জে গিয়েছিলাম, কার-নিকোবার দ্বীপের নিবাসী ডেভিড শৈশবেই মা-বাবাকে হারায়। কাকা চেয়েছিলেন ও ফুটবলার হোক, তাই বিখ্যাত ফুটবলারের নামে ওর নামকরণ করেছিলেন। কিন্তু ওর মন তো সাইক্লিং-এ পড়ে ছিল। খেলো ইন্ডিয়াস্কিম-এর অধীনে ও নির্বাচিত-ও হয়ে গেল, এবং আজ দেখুন ইনি সাইক্লিং-একীভাবে নতুন কীর্তি স্থাপন করল।
ভিওয়ানির প্রশান্ত সিংহ কানহাইয়া পোল ভল্ট ইভেন্টে নিজেরই national record ভেঙ্গে দিয়েছে। ১৯ বছর বয়সী প্রশান্ত-র জন্ম একটি কৃষক পরিবারে। আপনারাএটা জেনে অবাক হয়ে যাবেন যে প্রশান্ত মাটির ওপর পোল ভল্টের অনুশীলন করতেন। এই তথ্যটি জানার পর ক্রীড়া বিভাগ ওর কোচ-কে দিল্লির জহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে একাডেমি খুলতে সাহায্য করেন এবং প্রশান্ত এখন ওখানেই প্রশিক্ষণ নেন। মুম্বইএর করিনা শাঙ্কতার গল্পটি কোনো পরিস্থিতিতেও হার না মানার শক্তির গাথা, যা আজসবাইকে প্রেরণা জোগায়। উনি ১০০ মিটার ব্রেস্ট-স্ট্রোকের আন্ডার-১৭ বিভাগে গোল্ড জেতেন এবং নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন। দশম শ্রেণীতে পড়া করিনাকে একসময় knee injury -র কারনে ট্রেনিং ছেড়ে দিতে হয় কিন্তু উনি এবং ওঁর মা হাল ছাড়েননি। তার ফল কী সেটা এখন আমরা সকলে জানি। আমি প্রত্যেক ক্রীড়াবিদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কামনা করি। এর পাশাপাশি আমি সকল দেশবাসীর সঙ্গে এদের পিতা-মাতাদেরও আমার প্রনাম জানাই যারা দারিদ্র্যকে এই ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যতের পথে অন্তরায় হতে দেননি। আমরা সকলেই জানি যে জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলি তে যেমন একদিকে ছেলে- মেয়েরা নিজেদের প্যাশন দেখানোর সুযোগ পায় তেমনই তারা অন্য রাজ্যের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠে। এই জন্যেই আমরা খেলো ইন্ডিয়া ইউথ গেমসের পাশাপাশি খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভারসিটি গেমস এর আয়োজন করার-ও সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বন্ধুরা, আগামী মাসের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১লা মার্চ অব্দি প্রথম খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমস কটক ও ভুবনেশ্বরে আয়োজিত হবে। এতে অংশগ্রহণ করার জন্যে ৩০০০এর বেশি খেলোয়াড় কোয়ালিফাই করে গেছেন।
আমার প্রিয় দেশবাসী, পরীক্ষারসিজন এসে গেছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যেক পরীক্ষার্থী শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। দেশের কোটি কোটি ছাত্রছাত্রী বন্ধুদের সঙ্গে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’-য় কথা বলার অভিজ্ঞতা থেকে আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, এই দেশের তরুন-রা সকল বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হওয়ার জন্য তৈরি।
বন্ধুরা, একদিকে পরীক্ষা অন্যদিকে শীতের মরশুম। এই দুইয়ের মাঝে আমি চাই নিজেকেযেন অবশ্যই ফিট রাখেন । কিছুটা ব্যায়াম আপনারা অবশ্যই করবেন, কিছুটা খেলা-ধুলো করবেন। খেলাধুলো ফিট থাকার মূলমন্ত্র। আজকাল আমি দেখছি ফিট ইন্ডিয়া নিয়ে অনেক ইভেন্ট চারদিকে হচ্ছে। ১৮ জানুয়ারি দেশজুড়ে তরুণরা সাইক্লোথন-এর আয়োজন করেন। এতে অংশগ্রহণকারি লক্ষ-লক্ষ দেশবাসী ফিটনেস-এর বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দেন। আমাদের নিউ ইন্ডিয়া যাতে পুরোপুরি ফিট থাকে তার জন্যে প্রতি স্তরে যে পরিমাণ প্রচেষ্টা চলছে তা খুবই উৎসাহব্যাঞ্জক এবং উৎসাহ উদ্রেককারী। গত বছর নভেম্বর মাসে শুরু হওয়া ফিট ইন্ডিয়া স্কুল প্রয়াসটিও এখন ফলপ্রসূ হয়ে উঠছে। আমাকে বলা হয়েছে, যে এখনো পর্যন্ত ৬৫০০০এরও বেশী স্কুল অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করে ‘ফিট ইন্ডিয়া স্কুল সার্টিফিকেট’পেয়েছে। দেশের বাকি স্কুলগুলির কাছেও আমার আবেদন তারা যেন পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলোর প্রশিক্ষণ প্রদান করে ‘ফিট স্কুল’– এর স্বীকৃতি অবশ্যইপায়। এর পাশাপাশি আমি প্রত্যেক দেশবাসীর কাছে আবেদন করছি যে তাঁরা তাঁদের দৈনিক দিনযাপনের মধ্যে শরীর চর্চা আরো বাড়ান। প্রতিদিন নিজেদের মনে করান ‘আমরা ফিট তো ইন্ডিয়া ফিট’।
আমার প্রিয় দেশবাসী, দু সপ্তাহ আগে, ভারতের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন উৎসব সাড়ম্বরে উদযাপিত হচ্ছিল। তখন পাঞ্জাবে লোহড়ী,উৎসাহআর উদ্দীপনারউষ্ণতা বাড়াচ্ছিল। তামিলনাড়ুর ভাই বোনেরা পোঙ্গল উৎসব পালন করছিল,থিরুবল্লভর-এর জয়ন্তী পালন করছিল।অসমে বিহুর মনোরঞ্জক ছটা দেখা যাচ্ছিল , গুজরাতে ছিল চারদিকে উত্তরায়ণের বাহার আর আকাশ ভরা ঘুঁড়ি। এই সময়ে দিল্লী একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকল। দিল্লীতে এক গুরুত্বপুর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।এই সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ২৫ বছরের পুরানো ব্রু-রিয়াং উদ্বাস্তু সমস্যা, একটি করুণ চ্যাপ্টারের চিরতরে সমাধা হয়ে গেলো। আমাদের ব্যস্ত রুটিং ও উৎসবের মরশুমের জন্য, আপনি হয়তো এই ঐতিহাসিক চুক্তি সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে পারেননি, সেইজন্য আমার মনে হয় ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে আপনাদের সঙ্গে অবশ্যই এই বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করি। এই সমস্যাটা ৯০–এর দশকের। ১৯৯৭ সালে জাতিগত উত্তেজনার জন্য ব্রু রিয়াং আদিবাসীদের মিজোরাম ছেড়ে ত্রিপুরাতে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। এই উদ্বাস্তুদের উত্তর ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরে অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল। ব্রু রিয়াং জনগোষ্ঠীর লোকেরা উদ্বাস্তু হয়ে নিজেদের জীবনের অনেকটা মুল্যবান অংশ হারিয়ে ফেলেছিল, এটা সত্যিই কষ্টদায়ক। ওঁদের জন্য ক্যম্পে জীবন কাটানোর মানে হলো সমস্তরকম মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়া। ২৩ বছর পর্যন্ত না ঘর, না জমি জায়গা, না পরিবারের জন্য, বা চিকিৎসার সুবিধা না পাওয়া, না বাচ্চাদের শিক্ষার সুযোগ বা ওঁদের নিজের জন্য সুবিধা কিছুই ছিল না। একটু ভাবুন ২৩ বছর পর্যন্ত ক্যাম্পের কঠিন পরিস্থিতিতে জীবন যাপন করা ওঁদের জন্য কতটা কষ্টদায়ক ছিল। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিদিনের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সঙ্গে জীবন কাটানো কতই না কষ্টের ছিল। সরকার এলো আর চলে গেলো, কিন্তু এঁদের দুঃখ দুর্দশার সমাধান হলো না। কিন্তু এত কষ্টের মধ্যে এঁদের ভারতীয় সংবিধান ও সংস্কৃতির প্রতি আস্থা অটুট ছিল। এই বিশ্বাসের ফলে ওঁদের জীবনে নতুন প্রভাতের উদয় হলো। চুক্তির ফলে ওঁদের মাথা উঁচু করে বাঁচার রাস্তা তৈরি হলো। সবশেষে ২০২০-র নতুন দশক, ব্রু-রিয়াং জনগোষ্ঠীদের জীবনে এক নতুন আশা ও প্রত্যাশার কিরণ নিয়ে এলো।প্রায় ৩৪০০০ ব্রু-উদ্বাস্তুদের ত্রিপুরার বাসিন্দা করা হবে। শুধু এইটুকুই নয়, ওঁদের পুনর্বাসন এবং সর্বাঙ্গীন উন্নতির জন্য কেন্দ্র সরকার প্রায় ৬০০ কোটি টাকা সাহায্যও করবে। প্রত্যেক উদ্বাস্তু পরিবারকে প্লট দেওয়া হবে। ঘর তৈরি করতে ওঁদের সাহায্য করা হবে। এর সঙ্গে রেশনের ব্যবস্থাও করা হবে। ওঁরা এখন থেকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জন-কল্যাণকারী যোজনার সুবিধা পাবেন। এই চুক্তি অনেক দিক থেকে গুরুত্বপুর্ণ। এটা cooperative federalism এর ভাবনার প্রতিফলন। চুক্তির জন্য মিজোরাম ও ত্রিপুরা দুই রাজ্যের-ই মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। এই চুক্তি দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের সম্মতি ও শুভকামনাতে সম্পাদিত হয়েছে। এর জন্য দুই রাজ্যের জনগন ও মুখ্যমন্ত্রীদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই।এই চুক্তি ভারতীয় সংস্কৃতিতে যে করুণা ও সহৃদয়তা রয়েছে সেই পরিচয়ও প্রকট করে। সবাইকে আত্মীয় মেনে চলা এবং এক জোট ভাবে বেঁচে থাকা, এটাই এই পবিত্র ভূমির সংস্কারে রচিত এবং বিদ্যমান আছে। আরেকবার দুই রাজ্যের নিবাসীদের আর ব্রু-রিয়াং জনগোষ্ঠীর লোকেদের অভিনন্দন জানাই।
আমার প্রিয় দেশবাসী, এত বড় খেলো ইন্ডিয়া গেমসের সফল আয়োজক অসমে আর একটি বড় কাজ হয়েছে। আপনারাও হয়তো খবরে দেখেছেন কিছুদিন আগে অসমে আটটি আলাদা আলাদা মিলিটেন্ট গ্রুপের ৬৪৪ জন সদস্য নিজেদের হাতিয়ারসহ আত্মসমপর্ণ করেছেন। যাঁরা হিংসার রাস্তায় চলে গিয়েছিল, তাঁরা নিজেদের বিশ্বাস শান্তির প্রতি আস্থা রাখার ও দেশের উন্নতিতে সামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন। গত বছর ত্রিপুরাতেও ৮০ জনের বেশি লোক হিংসার রাস্তা ছেড়ে মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন। যাঁরা এটা ভেবে হাতিয়ার তুলে নিয়েছিলেন যে হিংসার দ্বারা সমস্যার সমাধান হতে পারে, ওঁদের এই বিশ্বাসটা দৃঢ় হল যে শান্তি আর এক জোট হওয়াই যে কোনো বিবাদ মেটানোর একমাত্র উপায়। দেশবাসীরা এটা জেনে প্রসন্ন হবেন যে উত্তর-পুর্ব ভারতের উগ্রপন্থা অনেকটা কমে গেছে, এর সবথেকে বড় কারণ হলো এই অঞ্চলের সমস্ত বিষয়কে শান্তির রাস্তায়, নিঃস্বার্থ ভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হচ্ছে। দেশের যে কোনো ভাগে এখনও হিংসা এবং হাতিয়ারের বলে সমস্যার সমাধান খোঁজার লোকেদের, আজ সাধারণতন্ত্র দিবসের পবিত্র উৎসব উপলক্ষে অনুরোধ করতে চাই যে ফিরে আসুন। বিভিন্ন বিষয়কে শান্তিপুর্ণভাবে মিটিয়ে আপনার এবং এইদেশের ক্ষমতার উপর ভরসা রাখুন। এই একবিংশতাব্দী হলো জ্ঞানবিজ্ঞান ও গণতন্ত্রের যুগ। আপনারা কি এমন কোন জায়গার কথা শুনেছেন, যেখানে হিংসার মাধ্যমে জীবন উন্নততর হয়েছে? এমন কোন স্থানের কথা শুনেছেন কি, যেখানে শান্তি ও সুচিন্তা সুস্থ জীবনের পক্ষে ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়িয়েছে? হিংসা কোন সমস্যারই সমাধান করে না । পৃথিবীর কোন সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, আরেকটি সমস্যা সৃষ্টি করার মাধ্যমে।আসুন, আমরা সকলে মিলে এমন এক নতুন ভারত গঠনে সামিল হই, যেখানে সব প্রশ্নেরই উত্তর মিলবে শান্তির ভিত্তিতে।সমস্ত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে। আমাদের ভ্রাতৃত্ববোধ সব ধরনের বিভাজনের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ, সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভ লগ্নে “গগনযান”-এর কথা বলতে গিয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। এই লক্ষ্যে দেশ আরো এক পা এগিয়ে গেছে । ২০২২ সালে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ৭৫-তম জয়ন্তী উদযাপিত হবে। এই উপলক্ষে “গগনযান মিশন”-এর মাধ্যমে একজন ভারতবাসীকে মহাকাশে পাঠানোর অভীষ্ট আমাদের সিদ্ধ করতে হবে। একবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে ভারতের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হবে “গগনযান মিশন”। এটি হবে নতুন ভারত গঠনের এক ভিত্তিপ্রস্তর।
বন্ধুরা, আপনারা জানেন, এই মিশনের যাত্রী হিসেবে চারজনকে এর মধ্যেই বেছে নেওয়া হয়েছে। এঁরা সকলেই ভারতীয় বায়ুসেনার তরুণ পাইলট। তাঁরা ভারতের প্রযুক্তি, প্রতিভা, দক্ষতা ,সাহস এবং স্বপ্নের প্রতীক। আমাদের এই চারজন বন্ধু আর কিছুদিনের মধ্যেই প্রশিক্ষণ নিতে রাশিয়ায় যাবেন। আমার বিশ্বাস, এই ঘটনাটি হবে ভারত-রাশিয়া মৈত্রী ও সহযোগিতার আরেকটি সোনালী অধ্যায়। এঁদের প্রশিক্ষণ চলবে এক বছরেরও বেশী । তারপর, তাঁদের মধ্যে একজন ভাগ্যবান পাবেন ভারতের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে অন্তরীক্ষে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব। আজ সাধারনতন্ত্র দিবসে এই চারজন যুবক পাইলট, এবং এই মিশনের দায়িত্বে থাকা সব ভারতীয় রুশ বিজ্ঞানী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আমার প্রিয় দেশবাসী, গত বছরের মার্চ মাসে একটি video, প্রচারমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিল। এই আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন ১০৭-বছর বয়সী এক বৃদ্ধা মহিলা , যিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে পদ্ম-সম্মান বিতরণ অনুষ্ঠানে নিয়ম-নিষেধের বেড়াজাল ভেঙে মাননীয় রাষ্ট্রপতিকে তাঁর আশীর্বাদ জানিয়েছিলেন। তাঁর নাম সালুমরদা থিমক্কা। তিনি কর্নাটকে “বৃক্ষমাতা” নামেই পরিচিত। খুবই সাধারণ প্রেক্ষাপট থেকে উঠে আসা থিমক্কার অসাধারণ কর্মকাণ্ডের কথা সারা দেশ জেনেছে, বুঝেছে এবং তাঁকে সম্মান দিয়েছে। তিনি লাভ করেছেন ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান।
বন্ধুরা, আজ ভারতবর্ষ তার এই মহান সন্তানদের নিয়ে গর্ববোধ করে। মাটির কাছাকাছি থাকা মানুষজনদের সম্মান দিয়ে আমরা গৌরবান্বিত হই। প্রত্যেক বছরের মতো এবছরও গতকাল সন্ধ্যায় পদ্ম-সম্মান প্রাপকদের তালিকা ঘোষিত হয়েছে। আমি চাই, আপনারা প্রত্যেকেই এঁদের বিষয়ে পড়ুন ও জানুন। এঁদের পরিবারের কথা এবং কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আলোচনা করুন। ২০২০ সালের পদ্ম- পুরস্কারের জন্য ৪৬০০০-এরও বেশী মনোনয়ন জমা পড়েছিল। এই সংখ্যাটি ২০১৪ সালের মনোনয়নের সংখ্যার কুড়ি গুণেরও বেশী। এই পরিসংখ্যান মানুষের মনে তৈরী হওয়া এই বিশ্বাসের প্রতিফলন যে, ‘পদ্ম-সম্মান এখন জনসম্মান’- এ পরিণত হয়েছে। বর্তমানে পদ্ম পুরষ্কার এর সমগ্র প্রক্রিয়া অন-লাইনে হচ্ছে। আগে পুরস্কার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতেন অল্প কিছু ব্যক্তি। কিন্তু এখন তা পুরোপুরি গণতন্ত্রের মাধ্যমে পরিচালিত। একদিক থেকে বলতে গেলে, পদ্ম-সম্মানকে ঘিরে দেশে এক নতুন বিশ্বাস ও মর্যাদা জন্মগ্রহণ করেছে। বর্তমানে পদ্ম-সম্মান প্রাপকদের মধ্যে এমন অনেকেই থাকেন, যাঁরা তাঁদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে মাটির কাছাকাছি থেকে উঠে এসেছেন। সীমিত সম্পদের বাঁধা এবং নিজেদের চারপাশে নিরাশার ঘন অন্ধকারকে দূরে ঠেলে তাঁরা নিজেদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে গেছেন। এঁদের দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি আমাদের প্রেরণা যোগায় এবং নিঃস্বার্থ সেবার ভাবনায় অনুপ্রাণিত করে। আপনাদের সবাইকে আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করবো এঁদের বিষয়ে জানতে। এঁদের অসাধারণ জীবনকাহিনী সমাজকে সঠিক দিশায় পরিচালিত করবে এবং অনুপ্রেরণা দেবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের সবাইকে আরো একবার গণতন্ত্র- উৎসবের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আগামী দশক আপনাদের তথা, ভারতবর্ষের জীবনে নতুন সংকল্প এবং সিদ্ধির বার্তা নিয়ে আসুক। সারা বিশ্ব ভারতের কাছে যা প্রত্যাশা করে, তা পূরণ করার শক্তি যেন আমরা লাভ করি। আসুন, এই বিশ্বাসকে বুকে নিয়ে আমরা নতুন দশক শুরু করি। ভারতমাতার জন্য নতুন সংকল্পে সবাই একজোট হই। অনেক অনেক ধন্যবাদ। নমস্কার।
CG |
pib-127812 | 3fbc454a1ca2cf97e0798344822482c1ecaeaa662ac8e4702827fc4bc29a705f_2 | ben | রেলমন্ত্রক
রাজ্যগুলিকে সহায়তার লক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে কোভিড কেয়ার কোচ মোতায়েন রেলের
নতুন দিল্লি, ২৫ এপ্রিল, ২০২১
সমগ্র দেশ যখন কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সাথে লড়াই চালচ্ছে তখন রেলমন্ত্রক আরও একবার গতবছরের মত কোভিড রোগীদের স্বার্থে আইসোলেশন কোচ বা রোগীদের একান্তে রেখে সুশ্রুষার জন্য কামরা বন্দোবস্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যে রেল কোভিড কেয়ার কোচ বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে। রেলের এই কোচগুলি স্বল্প উপসর্গ বিশিষ্ট কোভিড রোগীদের আইসোলেশনে রেখে সুশ্রুষার জন্য কাজে লাগানো হবে। এই কোচগুলিতে বর্তমান উষ্ণ আবহাওয়ার মোকাবিলায় কুলার, পাটের তৈরি ম্যাট প্রভৃতি রাখা হয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারগুলিকে কোভিড কেয়ার কোচগুলির ব্যাপারে আদর্শ কার্যপরিচালন বিধি বা এসওপি এবং ব্যবহারের পন্থা-পদ্ধতি সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দেশে বিভিন্ন রেল স্টেশনে প্রায় ৪ হাজার কোভিড কেয়ার কোচে ৬৪ হাজার শয্যা রয়েছে। এই কোচগুলির কিছু ইতিমধ্যেই প্রথমবার কোভিডের সময় রোগীদের সুশ্রুষার কাজে ব্যবহার করা হয়। রেলের পক্ষ থেকে দিল্লিতে ৫০টি কোচ মোতায়েন করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই এধরণের কোচ নান্দুবার স্টেশনে প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও ভোপাল স্টেশনে ২০টি কোচ মোতায়েন রয়েছে। পাঞ্জাবের জন্য ৫০টি কোচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও জব্বলপুরে ২০টি কোচ রয়েছে।
রাজ্য সরকারগুলির চাহিদা অনুযায়ী এই আইসোলেশন কোচগুলি স্বল্প উপসর্গ বিশিষ্ট কোভিড রোগীদের চিকিৎসা প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করবে। রেল কর্তৃপক্ষ এই কোচগুলিতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে।
SDG/BD/AS/
(Visitor Counter : 135 |
pib-271662 | 4c0431cfeed5ebee6455069898aa80b139dfa70b4b999480944c158d8ab206fe_2 | ben | কৃষিমন্ত্রক
প্রধানমন্ত্রী কিষান মান ধন যোজনার জন্য নাম নথিভুক্তি শুরু ; কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী এই পেনশন প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণে নাম নথিভুক্ত করার জন্য কৃষকদের আহ্বান জানালেন
নয়াদিল্লি, ০৯ অগাস্ট, ২০১৯
কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর আজ নতুন দিল্লিতে কৃষি ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, প্রধানমন্ত্রী কিষান মান ধন যোজনায় নাম নথিভুক্তিকরণ কর্মসূচি আজ থেকে শুরু হল। বৃদ্ধ বয়সে সুবিধা গ্রহণের জন্য এই পেনশন প্রকল্পে যুক্ত হতে তিনি দেশের সমস্ত কৃষকের কাছে আহ্বান জানান। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল, দেশে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের জীবনযাত্রায় মানোন্নয়ন ঘটানো। প্রকল্পের নীতি-নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিকে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় কৃষি সচিব শ্রী সঞ্জয় আগরওয়াল প্রকল্পের দ্রুত রূপায়ণ তথা প্রকল্প সম্পর্কিত তথ্যের ব্যাপক প্রচারের জন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা করেছেন।
এই পেনশন প্রকল্প সম্পর্কে শ্রী তোমর জানান, দেশের ১৮-৪০ বছর বয়সী যেকোন কৃষক স্বেচ্ছায় এতে যুক্ত হতে পারেন। ৬০ বছর বয়স থেকে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কৃষকরা মাসিক তিন হাজার টাকা পেনশন পাবেন। প্রকল্পের মাসিক প্রিমিয়াম হিসেবে বয়সের ভিত্তিতে ৫৫ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত জমা করা যেতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার সংশ্লিষ্ট কৃষকের নামে পেনশন তহবিল খাতে মাসিক সমহারে প্রিমিয়াম যোগান দেবে। ৬০ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই যদি কোন কৃষকের প্রয়াণ হলে, সেক্ষেত্রে তাঁর স্ত্রী পারিবারিক পেনশন হিসেবে মোট পেনশনের ৫০ শতাংশ পাবেন। অবশ্য সংশ্লিষ্ট কৃষক ও তাঁর স্ত্রী উভয়েই প্রয়াত হলে তাঁদের সঞ্চিত অর্থ পেনশন তহবিলে ফেরত চলে যাবে।
তিনি আরও জানান, এই প্রকল্পে নিখরচায় নাম নথিভুক্ত করা যাবে। অভিন্ন পরিষেবা কেন্দ্রগুলিতে নাম নথিভুক্ত করা বাবদ যে ৩০ টাকা খরচ হবে, তা কেন্দ্রীয় সরকার মেটাবে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি যোজনার আওতায় এবছর ১০ কোটি কৃষকের কাছে সুফল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছে। যোজনার আওতায় এখনও পর্যন্ত ৫ কোটি ৮৮ লক্ষ ৭৭ হাজার ১৯৪ জন কৃষক প্রথম কিস্তির এবং ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮৩৭ জন কৃষক দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেয়েছেন।
SSS/BD/NS
(Visitor Counter : 1215 |
pib-44455 | 8a330dc3543ab4d4877409f008bb395db8d4c123323cc82b00f1a70728c9e701_1 | ben | বস্ত্রমন্ত্রক
পঞ্চম জাতীয় হস্তচালিত তাঁত দিবস উদযাপিত হবে আগামী ৭ই অগাস্ট
নয়াদিল্লি, ৬ অগাস্ট, ২০১৯
আগামীকাল দেশ জুড়ে পঞ্চম জাতীয় হস্তচালিত তাঁত দিবস উদযাপিত হবে। এই উপলক্ষে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় বস্ত্র এবং নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শ্রীমতী স্মৃতি জুবিন ইরানি। এছাড়াও, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, পশুপালন, মৎস্যচাষ ও ডেয়ারি, ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রতাপ চন্দ্র সারেঙ্গি।
জাতীয় হস্তচালিত তাঁত দিবসের মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ওড়িশার ভুবনেশ্বরে। এর মূল উদ্দেশ্য হল ভুবনেশ্বরের মহিলাদের স্বশক্তিকরণ এবং সেখানকার হস্তচালিত তাঁতের ঐতিহ্যকে তুলে ধরা। অনুষ্ঠানে তাঁতিদের পরিচয়পত্র, পাসবুক এবং মুদ্রা ঋণ বিতরণ করা হবে। এছাড়াও, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনলজির ১৬টি ক্যাম্পাসে তাঁত-কাপড়ের মেলা, প্রদর্শনী, কর্মশালা এবং আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। গান্ধীনগর এবং কলকাতার এনআইএফটি-তে বিশেষ স্টলের ব্যবস্থা থাকছে।
দেশের হস্তচালিত তাঁত শিল্পকে তুলে ধরতে এবং তাঁতিদের সম্মানের উদ্দেশ্যেই ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি বছর এই দিনটিকে জাতীয় হস্তচালিত তাঁত দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে কলকাতার টাউন হলে এই দিনেই স্বদেশী আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, বিদেশি পণ্য বর্জন করে স্বদেশী পণ্য গ্রহণ। তার স্মরণে ৭ই অগাস্ট জাতীয় হস্তচালিত তাঁত দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে থাকে।
২০১৫ সালের ৭ই অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী চেন্নাইয়ের মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম জাতীয় হস্তচালিত তাঁত দিবসের সূচনা করেছিলেন।
CG/SS/DM
(Visitor Counter : 228 |
pib-120217 | ddbb7f9de47462b1427e0aa96002c96ad8cb35636305a30d540a1d119289cf0a | ben | ভারতের প্রতিযোগিতা কমিশন
ভারতীয় রেলের দরপত্রে কারচুপি ও তাতে অসংগতি সাধনের জন্য দোষী সাব্যস্ত সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ভারতীয় প্রতিযোগিতা কমিশনের
নতুন দিল্লি, ৫ এপ্রিল, ২০২২
২০০২-এর প্রতিযোগিতা আইনের ধারা ৩, ৩, ৩ এবং ৩ সহ ৩ সংস্থান অনুযায়ী প্রতিযোগিতায় প্রশ্রয় না দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। তথাপি ১১টি সংস্থা আইনের ধারা লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়। ভারতীয় প্রতিযোগিতা কমিশন এই ১১টি সংস্থার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত নির্দেশ জারি করেছে। উত্তর - পশ্চিম রেলের পক্ষ থেকে দাখিল করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই ১১টি সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
কমিশন জানতে পেরেছে যে, এই সংস্থাগুলি ভারতীয় রেলকে হাই পারফর্মেন্স পলিমাইড বুসেজ এবং সেল্ফ লুব্রিকেটিং পলিস্টার রেসিন বুসেজ সরবরাহে কারচুপির সঙ্গে যুক্ত ছিল। এই সংস্থাগুলি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সরবরাহকৃত সামগ্রীর মূল্য স্থির করেছে, অন্য সংস্থাকে বরাত দিয়েছে, সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়ায় হেরফের করেছে। কমিশন এই কারচুপি সম্পর্কে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে নিয়মিত ইমেল প্রেরণ এবং হোয়াটসঅ্যাপ টেক্স আদান-প্রদান করেছে। এই ১১টি সংস্থার মধ্যে সিসিআই-এর কাছে চারটি সংস্থার আগে থেকেই কিছু জরিমানা ছিল। আইনের ৪৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী জরিমানার অঙ্ক কম করার জন্য একটি সংস্থা কমিশনের কাছে আবেদনপত্র দাখিল করতে পারে। তবে, এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে কারচুপি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য যাচাইয়ের জন্য পেশ করতে হয়। কারচুপির সঙ্গে যুক্ত এই ১১টি সংস্থার ১৪ জন ব্যক্তিকে প্রতিযোগিতায় অনিয়মের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে। কমিশন আইনের ধারা লঙ্ঘনের দায়ে সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে বার্ষিক গড় লেনদন / আয়ের ওপর ৫ শতাংশ হারে জরিমানা ধার্য করেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, কমিশনের নির্দেশ সম্বলিত কপি ওয়েবসাইটে (www.cci.gov.in
) দেওয়া রয়েছে। সংশ্লিষ্ট নির্দেশটি Ref. Case No. 03 of 2018 হিসেবে পাশ হয়েছে।
CG/BD/AS/
(Visitor Counter : 68 |
pib-91857 | 2fa3e8054c770e40093991afdd9f1410b0e07193bfbf236c254e5847b47f87eb_1 | ben | আদিবাসীবিষয়কমন্ত্রক
জাতীয় স্তরে আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামী সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একটি সংগ্রহালয় গড়ে তোলার কাজে গতি আনতে ভোপালে দু-দিনের কর্মশিবির
নতুন দিল্লি, ১০ এপ্রিল, ২০২২
কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রক এবং গুজরাটের আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের ডেভলপমেন্ট সাপোর্ট এজেন্সির পক্ষ থেকে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে গত ৭ ও ৮ই এপ্রিল দু-দিনের একটি কর্মশিবিরের আয়োজন করা হয়। এই কর্মশিবিরে আদিবাসী ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত ঐতিহাসিক ও গবেষক, নৃতত্ত্ববিদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা, কিউরেটর তথা সংগ্রহালয় গড়ে তোলার কাজে যুক্ত বিশেষজ্ঞ ও শিল্পীরা যোগ দেন। যে সমস্ত রাজ্যে আদিবাসী সংগ্রহালয় গড়ে তোলা হচ্ছে, সেখানকার আদিবাসী গবেষণার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির নির্দেশক ও প্রতিনিধিরা জাতীয় স্তরে এই ধরণের সংগ্রহালয় গড়ে তোলার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০১৬-র ১৫ই আগস্ট লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে পরিচিত নন এমন আদিবাসী বীর যোদ্ধাদের অবদানকে যথার্থ স্বীকৃতি জানাতে আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্পর্কে সংগ্রহালয় গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই অনুসারে আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রক গুজরাট, ঝাড়খন্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, চন্ডীগড়, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মণিপুর, মিজোরাম ও গোয়ায় এধরণের সংগ্রহালয় গড়ে তোলার বিষয়ে অনুমতি দেয়। প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী গত বছরের ১৫ই নভেম্বর জনজাতীয় গৌরব দিবসে ঝাড়খন্ডে ভগবান বীরসা মুন্ডা নামাঙ্কিত আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামী সংগ্রহালয়টি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। নর্মদা জেলার গুরুদেশ্বরে জাতীয় স্তরের সংগ্রহালয়টি গড়ে তোলা হচ্ছে। যেখানে ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ গ্যালারি থাকছে। এই গ্যালারিগুলিতে সারা দেশে আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামের নানা নিদর্শন জনসমক্ষে তুলে ধরা হবে। বর্তমানে যেখানে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি রয়েছে, সেখান থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে সংগ্রহালয়টি গড়ে উঠছে।
২০১৭ থেকে জাতীয় স্তরের কমিটির ১৩টি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কমিটি আদিবাসী সংগ্রহালয় গড়ে তোলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একাধিক সুপারিশ করে। কমিটির সর্বশেষ বৈঠক গুরুদেশ্বরে আয়োজিত হয়, যেখানে আদিবাসী বিষয়ক এবং সংস্কৃতি মন্ত্রকের সচিব সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা সংগ্রহালয়টি গড়ে তোলার ব্যাপারে একাধিক সুপারিশ করেন। জাতীয় স্তরের এই কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতেই ভোপালে দু-দিনের কর্মশিবিরের আয়োজন করা হয়।
এই কর্মশিবিরে আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব ডঃ নাভালজিত কাপুর সারা দেশে আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্পর্কে ১০টি সংগ্রহালয় গড়ে তোলার বিস্তারিত বিবরণী পেশ করেন। তিনি বলেন, জাতীয় স্তরের কমিটির প্রস্তাবের ভিত্তিতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতায় এই সংগ্রহালয়গুলি গড়ে তোলা হবে। শিবিরে গুজরাটের মুখ্য সচিব শ্রী মুরলি কৃষ্ণ এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্য সচিব শ্রীমতী পল্লবী জৈন নিজ নিজ রাজ্যে এধরণের সংগ্রহালয় গড়ে তোলা সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন।
CG/BD/AS/
(Visitor Counter : 175 |
pib-106583 | 050e73eba016563b83ac6f7200de1c48861337254d2963ff0c3b6adf31c47cf6_1 | ben | ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্রওমাঝারিশিল্পমন্ত্রক
উদ্যোগ আধার পোর্টালে চলতি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ৭৯,৬৫,৯৮৪ শিল্প সংস্থা নথিভুক্ত হয়েছে
নয়াদিল্লি, ২১ নভেম্বর, ২০১৯
কেন্দ্রীয় সরকার অতিক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের মধ্যে সচেতনতার প্রসারে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে শিল্পোদ্যোগীদের নথিভুক্তিকরণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে উদ্যোগ আধার পোর্টাল চালু করেছে। এই পোর্টালে ২০১৪-১৫-তে ৪ লক্ষ ২৫ হাজার ৩৫৮টি সংস্থা নথিভুক্ত হয়েছিল। এই সংখ্যা ২০১৯-এর ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বেড়ে হয়েছে প্রায় ৭৯ লক্ষ ৬৫ হাজার ৯৮৪। লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানান কেন্দ্রীয় অতিক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি।
SSS/BD/DM
(Visitor Counter : 40 |
pib-172803 | b4e394d538a7ae7752fb67711deb90b78c483b35d2d8dc23f2e7ed3c45f88e0f | ben | কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সিরহিন্দ ফিডার ক্যানেল ও রাজস্থান ফিডার ক্যানেল সংস্কারের জন্য ৮২৫ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা অনুমোদন করেছে
নয়াদিল্লি, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বুধবারের বৈঠকে সিরহিন্দ ফিডার ক্যানেল এবং রাজস্থান ফিডার ক্যানেলের সংস্কারের জন্য ৮২৫ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত – এই পাঁচ বছরে রাজস্থান ফিডার ক্যানেলের জন্য কেন্দ্রীয় সহায়তাবাবদ ৬২০.৪২ কোটি টাকা এবং সিরহিন্দ ফিডার ক্যানেলের জন্য একই সময়কালে ২০৫.৭৫৮ কোটি টাকা দেওয়া হবে। এই প্রকল্প রূপায়িত হলে দক্ষিণ-পশ্চিম পাঞ্জাবের মুক্তস্বর, ফরিদকোট এবং ফিরোজপুর জেলায় প্রায় ৮৪,৮০০ হেক্টর জমিতে জল জমার সমস্যা দূর হবে। অন্যদিকে, এই দুটি ক্যানেলে জলের প্রবাহ ও সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। রাজস্থান ফিডার ক্যানেল সংস্কারের ফলে কৃষকরা প্রায় ৯৮,৭৩৯ হেক্টর জমিতে উন্নত সেচের সুবিধা পাবেন। সিরহিন্দ ফিডারের সংস্কারের ফলে কৃষকরা ৬৯,০৮৬ জমিতে অনুরূপভাবে উন্নত সেচের সুবিধা পাবে।
নাবার্ডের মাধ্যমে তহবিল যোগানের সমস্যা মেটানো ছাড়াও এই দুটি প্রকল্পের সার্বিক নজরদারির জন্য একটি বিশেষজ্ঞ প্রকল্প পর্যালোচনা কমিটিও গঠন করা হবে। এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ ফিডার ক্যানেলের সংস্কারের জন্য সমগ্র অর্থই কেন্দ্রীয় সহায়তা বাবদ দেওয়া হবে।
CG/PB/DM/…
(Visitor Counter : 84 |
pib-90961 | aefae14c340323e04bbcdd49c40c112d9a12e64a77476185cfe42bb9d3c0c2f1_2 | ben | বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক
ডাঃ হর্ষ বর্ধন এবং শ্রী সঞ্জয় ধোতরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ডাক বিভাগের বিশেষ কভার প্রকাশ করেছেন
নতুন দিল্লি, ০২ নভেম্বর, ২০২০
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, ভূ-বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন ও ডাক, শিক্ষা, বৈদ্যুতিন, তথ্য প্রযুক্ত মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রী সঞ্জয় ধোতরে আজ নতুন দিল্লিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ডাক বিভাগের বিশেষ কভার প্রকাশ করেছেন।
অনুষ্ঠানের ভাষণে ডাঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, দেশের বিজ্ঞানীরা আন্তর্জাতিক স্তরে বিজ্ঞান ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ন্যানো প্রযুক্তি, তথ্য বিশ্লেষণ, অ্যাস্ট্রো ফিজিক্স, অ্যাস্ট্রোনমি, অ্যাটোমিক ক্লক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা কাজ করে চলেছেন। তিনি বলেন, এখন ভারত বিজ্ঞান ক্ষেত্রে ৮০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে একযোগ হয়ে কাজ করে চলেছে। বিগত ৬ বছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হিসেবে তিনি দেশের বিভিন্ন পরীক্ষাগার পরিদর্শন করেছেন বলেও জানান। বিজ্ঞানীরা যেভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তার জন্য তাঁদের বিশেষ ধন্যবাদ জানান তিনি। বর্তমানে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দেশের বিজ্ঞানীরা এক নতুন দৃষ্টান্ত অর্জন করেছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জানান, বিজ্ঞানীদের সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যে কথা বার বার বলেছেন, সেই কথা অনুসরণ করে বিজ্ঞানীদের কাজ চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিজ্ঞানের প্রতিটি কাজ যেন মানুষের ভালোর জন্য হয়ে থাকে। এতে জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সুবর্ণ জয়ন্তী স্মরণে ডাক বিভাগের এই ঐতিহাসিক বিশেষ কভার প্রকাশের জন্য প্রতিমন্ত্রী শ্রী সঞ্জয় ধোতরে-কে বিশেষ ধন্যবাদও জানান। তিনি বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে ডাক বিভাগ। ডাক বিভাগকে জনগণের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু বলে অভিহিত করেন তিনি। অনুষ্ঠানে শ্রী সঞ্জয় ধোতরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং দরিদ্র মানুষের সাহায্যার্থে বিজ্ঞানীদের ভূমিকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব অধ্যাপক আশুতোষ শর্মা জানান, বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর চলতি বছরের তেরসা মে থেকে ২০২১-এর তেসরা মে পর্যন্ত সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে। এই সুবর্ণ জয়ন্তী বছরে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে দপ্তর। এদিনের অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিক, ডিরেক্টর অফ্ জেনারেল শ্রী বিনিত কুমার পাণ্ডে সহ ডাক বিভাগের অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
CG/SS/SKD
(Visitor Counter : 141 |
pib-114316 | 754e127e1f1c8a2f8e6f480dc577002c1e9a74eae4bb5671290a2114eca3ee8e | ben | অর্থমন্ত্রক
ডিজিটাল এবং দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্যিক সুবিধা সংক্রান্ত রাষ্ট্রসংঘের বিশ্ব সমীক্ষায় ভারতের অবস্থায় লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি
নয়াদিল্লি, ২৩ জুলাই, ২০২১
ডিজিটাল এবং দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্য সুবিধা সংক্রান্ত রাষ্ট্রসংঘের এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আর্থিক ও সামাজিক কমিশনের সর্বশেষ বিশ্ব সমীক্ষায় ভারত ৯০.৩২ শতাংশ স্কোর বা সাফল্য অর্জন করেছে। সমীক্ষায় প্রকাশিত হয়েছে, ২০১৯-এ ভারতের স্কোর ৭৮.৪৯ শতাংশ থেকে লক্ষ্যণীয় হারে বেড়ে ৯০.৩২ শতাংশ হয়েছে। সমীক্ষার ফলাফল দেখার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন - https://www.untfsurvey.org/economy?id=IND.
সারা বিশ্ব জুড়ে ১৪৩টি অর্থ-ব্যবস্থার মূল্যায়নের পর ২০২১-এর সমীক্ষায় নিম্নলিখিত ৫টি ক্ষেত্রে ভারতের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে প্রকাশিত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই ৫টি সূচক হ’ল : স্বচ্ছতা – ২০১৯-এ ৯৩.৩৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২১-এ ১০০ শতাংশ; পন্থা-পদ্ধতি – ২০১৯-এ ৮৭.৫ শতাংশ থেকে ২০২১-এ বেড়ে ৯৫.৮৩ শতাংশ; প্রাতিষ্ঠানিক বন্দোবস্ত ও সহযোগিতা – ২০১৯-এ ৬৬.৬৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২১-এ ৮৮.৮৯ শতাংশ; কাগজ বিহীন বাণিজ্য – ২০১৯- ৮১.৪৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২১-এ ৯৬.৩ শতাংশ এবং সীমান্তপারের কাগজ বিহীন বাণিজ্য – ২০১৯-এ ৫৫.৫৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২১-এ ৬৬.৬৭ শতাংশ।
সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে – দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে এবং এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তুলনায় ভারত সেরা সাফল্য অর্জন করেছে। একাধিক ওইসিডি দেশের তুলনায় ভারত সার্বিকভাবে ভালো স্কোর করেছে। এই দেশগুলির মধ্যে রয়েছে – ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডা, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড প্রভৃতি। সমীক্ষায় আরও প্রকাশিত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের গড় স্কোরের তুলনায় ভারতের সার্বিক স্কোর তুলনামূলক ভালো। এর পাশাপাশি, ভারত স্বচ্ছতার সূচকে ১০০ শতাংশ এবং বাণিজ্যে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব ক্ষেত্রে ৬৬ শতাংশ স্কোর করেছে।
কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও সীমাশুল্ক পর্ষদ ‘তুরন্ত’ কর্মসূচির মাধ্যমে ব্যক্তি বিহীন, কাগজ বিহীন ও সরাসরি যোগাযোগ বিহীন ক্ষেত্রে একাধিক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই ধরনের সংস্কারমূলক উদ্যোগগুলির ফলে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন ক্ষেত্রে ভারত ডিজিটাল তথা দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্য সুবিধা সম্পর্কিত ক্রমতালিকায় ভালো ফল করতে সক্ষম হয়েছে।
সমীক্ষা সম্পর্কে : ডিজিটাল ও দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্য সুবিধা সংক্রান্ত বিশ্ব সমীক্ষা প্রতি দু’বছরে পরিচালিত হয়। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বাণিজ্যিক সুবিধা সমঝোতায় অন্তর্ভুক্ত ৫৮টি বাণিজ্য সুবিধা ব্যবস্থার মূল্যায়নের ভিত্তিতে ১৪৩টি দেশের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সারা বিশ্ব জুড়ে এই সমীক্ষার ফলাফলের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা হয়, যাতে বাণিজ্যিক সুবিধার ক্ষেত্রে যে সমস্ত পদক্ষেপগুলি নেওয়া হয়েছে, তার ফলে সমগ্র অর্থ ব্যবস্থায় কি প্রভাব পড়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, সমীক্ষায় একটি দেশের স্কোর বেশি হলে সেই দেশটিতে লগ্নির ক্ষেত্রে বড় সুবিধা পাওয়া যায়।
CG/BD/SB
(Visitor Counter : 205 |
pib-186332 | 8bd9a46d71422b4b26578308619802a2a24995e256e28951f40fbc5d355e68a0_1 | ben | গ্রামোন্নয়নমন্ত্রক
আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে দেশজুড়ে গ্রামীণ স্ব-নিযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ৮৭টি ভ্রাম্যমান শিবিরের আয়োজন করেছে
নয়াদিল্লী, ৬ আগস্ট, ২০২১
অমৃত মহোৎসব উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে ৩০ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে সারা দেশে গ্রামীণ স্বনিযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ৮৭টি ভ্রাম্যমান শিবিরের আয়োজন করেছে। আজাদি কা অমৃত মহোৎসব হল দেশের স্বাধীনতার ৭৫-তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের আয়োজিত একটি ধারাবাহিক অনুষ্ঠান।
দেশের ১৯টি রাজ্যে ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৭টি জেলায় ৮৭টি ভ্রাম্যমান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এই ভ্রাম্যমান শিবিরগুলিতে অংশগ্রহণকারীদের একাধিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। গ্রামীণ স্ব-নিযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের আওতায় ৬৪টি পাঠক্রমে ইতিমধ্যেই ৩৭ লক্ষ ৮১ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। রাজ্য সরকারের গ্রামোন্নয়ন দপ্তর এবং বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের জন্য এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। ১৮-৪৫ বছর বয়সীরাই মূলত এই প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেন। গ্রামীণ যুব সম্প্রদায় প্রশিক্ষণের পর ,যাতে লাভজনক কোনো সংস্থায় কর্মসংস্থানের সুযোগ পান সেইজন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
CG/SS/NS
(Visitor Counter : 133 |
pib-128681 | 6bf2dfdd1e6a89568d0137f0e5d34c84de85fb0c0ecfd77a6264fcf4b836db59 | ben | প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
ডান্ডি অভিযানে অংশ নেওয়া বাপু এবং অন্য সকলের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
নয়াদিল্লি, ১২ মার্চ, ২০২৩
ডান্ডি অভিযানে অংশ নেওয়া বাপু এবং অন্য সকলের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন;
“ডান্ডি অভিযানে অংশ নেওয়া বাপু এবং অন্য সকলের প্রতি আমি শ্রদ্ধা নিবেদন করি। আমাদের জাতির ইতিহাসে এটা ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। বিভিন্ন প্রকার অবিচারের বিরুদ্ধে সংকল্পমূলক প্রতিরোধ প্রয়াসের দৃষ্টান্ত হিসাবে এই ঘটনা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
PG/AB/ NS
( |
pib-8837 | 3311b1549382ad78cf0531b91b2ef436e915cd77c751f1624164b018b2954d6b_2 | ben | স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন
নতুন দিল্লি, ০৮ জুন, ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা নতুন, উন্নত ও উদ্ভাবনী বায়োমেডিকেল সরঞ্জাম ও প্রযুক্তির উন্নতিসাধনে এবং এইচআইভি, যক্ষ্মা, কোভিড-১৯ ও উদীয়মান সংক্রামক ও অবহেলিত রোগের চিকিৎসা এবং নির্মূলে সাহায্য করতে ভারতের জৈব প্রযুক্তি দপ্তর, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ -এর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল এইডস ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভ -এর সাক্ষরিত সমঝোতাপত্রে অনুমোদন দিয়েছে।
এই সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরে পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
CG/SS/SKD
(Visitor Counter : 60 |
pib-101584 | d564604890fefb84f111a18f41a296d1a701910f68c6f066b00d7fba1c5297cb_1 | ben | গ্রামোন্নয়নমন্ত্রক
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা লাখপতি হওয়ার পথে
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক বছরে অন্ততপক্ষে ১ লক্ষ টাকা উপার্জনে গ্রামীণ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সক্ষম করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগের সূচনা করেছে
নতুন দিল্লি, ৩০ অক্টোবর, ২০২১
মহিলাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা আরও বাড়ানোর ওপর বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের লাখপতি করে তুলতে একটি অভিনব উদ্যোগের সূচনা করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামীণ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বার্ষিক অন্তত ১ লক্ষ টাকা উপার্জনে সক্ষম হয়ে উঠবেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের লাখপতি করে তোলার উচ্চাকাঙ্খী লক্ষ্য পূরণে মন্ত্রক আগামী ২ বছরে ২ কোটি ৫০ লক্ষ গ্রামীণ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাকে জীবন জীবিকায় সাহায্যের পরিকল্পনা করেছে। দেশে বর্তমানে চালু বিভিন্ন মডেলের ওপর ভিত্তি করে রাজ্য সরকারগুলিকে একটি বিস্তারিত পরামর্শ জারি করা হয়েছে। এই লক্ষ্যে রাজ্যগুলির সঙ্গে আরও আলাপ-আলোচনার জন্য গত ২৮ অক্টোবর একটি কর্মশিবির আয়োজন করা হয়।
রাজ্যগুলির সঙ্গে এই কর্ম শিবিরে আলাপ-আলোচনার ওপর ভিত্তি করে পারিবারিক স্তরে জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে আরও বৈচিত্র আনার বিষয়ে সুচিন্তিত পরিকল্পনা গ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হয়। রাজ্যগুলিকে বলা হয়, দীর্ঘস্থায়ী ভিত্তিতে বার্ষিক ১ লক্ষ টাকা উপার্জনের লক্ষ্যে কৃষি ও সহযোগী ক্ষেত্র, গবাদিপশু পালন, গৌন-বনজ সামগ্রীর প্রভৃতি বিপণনে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে গ্রামাঞ্চলে ক্লাস্টার লেভেল ফেডারেশন গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। স্থির হয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নির্দিষ্ট কয়েকজন মহিলা সদস্যকে উপার্জনে বৈচিত্র আনতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে নাগরিক সমাজ, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং অন্যান্য বেসরকারি সংস্থাগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকছে। রাজ্যগুলিকে বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে তাদের উৎসাহ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
জাতীয় গ্রামীণ জীবন-জীবিকা মিশন সারা দেশজুড়ে রূপায়িত হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই কর্মসূচির আওতায় ৬ হাজার ৭৬৮টি ব্লককে নিয়ে আসা হয়েছে। এর ফলে, ৭০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রায় ৭ কোটি ৭০ লক্ষ মহিলা সদস্য কর্মসূচির সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে বার্ষিক প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার মূলধন সহায়তা দেওয়া হয়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা দরিদ্র মহিলাদের আর্থিক সহায়তা ও আর্থসামাজিক পরিষেবা দিয়ে তাদের জীবন-যাপনের মানোন্নয়নে সাহায্য করে থাকেন। এর ফলে, দরিদ্র মহিলাদের উপার্জন সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি বিগত বছরে ব্যাঙ্কের কাছ থেকে মূলধনী সহায়তা পেয়ে আসছে। এই সহায়তা এখন জীবন জীবিকায় বৈচিত্র আনার ক্ষেত্রেও সদ্ব্যবহার করা হচ্ছে। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এধরণের প্রয়াস গ্রহণের উদ্দেশ্যই হল, মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের মর্যাদার সঙ্গে জীবন-যাপন ও স্থায়ী ভাবে উপার্জনের পন্থা সুনিশ্চিত করা। এর ফলে তারা বার্ষিক অন্ততপক্ষে ১ লক্ষ টাকা উপার্জন করে লাখপতি হয়ে উঠতে পারবেন। তবে, বার্ষিক ১ লক্ষ টাকা উপার্জনের বিষয়টি অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্খী এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য প্রেরণাদায়ক উদ্যোগ।
গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র মহিলাদের সক্ষমতা বাড়াতে এবং জীবন-জীবিকায় আরও বৈচিত্র আনতে দীনদয়াল অন্তোদয় যোজনা নামে একটি ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি রূপায়ণ করছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষক হিসেবে মহিলাদের ভূমিকা আরও বাড়াতে মহিলা কিষাণ স্বশক্তিকরণ পরিযোজনা গ্রহণ করা হয়েছে। এখন কৃষক উৎপাদক সংগঠন ও উৎপাদক সংস্থাগুলির মধ্যমে মহিলাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
CG/BD/AS/
(Visitor Counter : 207 |
pib-27846 | 394c2b10db0e7f489674fba29d6bedca1cadb7a7eb14e7cb55b5728921f36699 | ben | শ্রমওকর্মসংস্থানমন্ত্রক
কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা, স্বাস্হ্য ও কাজের পরিবেশ সংক্রান্ত বিল ২০১৯ সম্পর্কে সংসদীয় স্হায়ী কমিটি মতামত আহ্বান করল
নয়াদিল্লি, ০৮ নভেম্বর, ২০১৯
কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা, স্বাস্হ্য ও কাজের পরিবেশ সংক্রান্ত বিল ২০১৯ লোকসভায় পেশ করার পর তা খতিয়ে দেখার জন্য সভার অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে প্রতিটি শ্রম বিষয়ক সংসদীয় স্হায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। এই কমিটির প্রধান হলেন সাংসদ শ্রী ভার্তুহরি মহতাব। কমিটির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই বিল সম্পর্কে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অসরকারি সংগঠন, বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষ এবং প্রতিষ্ঠানগুলির কাছ থেকেও মতামত বা পরামর্শ আহ্বান করা হবে।
মতামত বা পরামর্শ অথবা কমিটির কাছে উপস্হিত হয়ে মৌখিক বক্তব্য জানানোর জন্য লোকসভার ওয়েবসাইট https://www.loksabha.nic.in দেখতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
CG/ BD /NS
(Visitor Counter : 63 |
pib-294767 | e3dcb4d99e66f37201b0f3359ce90f64b4b5fd20099734ff57ee90ba23dc4539_2 | ben | অর্থ কমিশন
স্বাস্থ্য ক্ষেত্র সম্পর্কে বিশ্বব্যাঙ্ক এবং উচ্চস্তরীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বৈঠক
নয়াদিল্লী, ৭ জুলাই, ২০২০
ভারতের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যয়ের বিষয়গুলিতে কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্রাধিকারের বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সঙ্গে স্বাস্থ্য ক্ষেত্র সম্পর্কে বিশ্ব ব্যাঙ্ক, নীতি আয়োগ এবং কমিশনের উচ্চস্তরীয় গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।
বৈঠকে ভারতে নিযুক্ত বিশ্ব ব্যাঙ্কের নির্দেশক ডঃ জুনেদ আহমেদ বলেন, ভারতের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সঙ্গে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি, মহামারীর প্রেক্ষিতে বিশ্ব ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে ভারতকে এক বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, বিশ্ব ব্যাঙ্ক জেলা হাসপাতালগুলির মাধ্যমে চিকিসা পরিষেবা প্রদান ব্যবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করতে রাজ্য সরকারগুলিকে সাহায্য করেছে। সম্প্রতি এইচআইভি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ভারত সরকারের সঙ্গে বিশ্ব ব্যাঙ্কের দীর্ঘ ২০ বছরের সম্পর্ক পূরণ হয়েছে।
নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভি কে পল বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে স্থানীয় স্বশাসিত কর্তৃপক্ষগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি জানান, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে খরচের ৬৫ শতাংশই রাজ্য সরকারগুলি এবং বাকি ৩৫ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকার মিটিয়ে থাকে।
কমিশনের চেয়ারম্যান শ্রী এন কে সিং স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ব্যয় বরাদ্দ বাড়ানোর ব্যাপারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বাজেট ঘোষিত বিশেষ প্যাকেজের কথা উল্লেখ করেন। উল্লেখ করা যেতে পারে ভারতে কোভিড-১৯ আপৎকালীন তহবিল সহায়তা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রস্তুতির ব্যাপারে গত ২২ এপ্রিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ গঠনে অনুমতি দেওয়া হয়।
(CG/BD/NS |
pib-41015 | ae29c54aa8d049cffdf59bf1d44d6858baecd8326f003f2d72347bdf7ce165be | ben | নারীওশিশুবিকাশমন্ত্রক
কর্মক্ষেত্রে যোগচর্চা মানসিক শান্তি বজায় রেখে কাজে সাফল্য অর্জনে সাহায্য করে : শ্রীমতী মানেকা সঞ্জয় গান্ধী
মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী #YogaFor9to5 যোগচর্চা প্রতিযোগিতা চালু করলেন
কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যোগচর্চার সুফল সম্পর্কে সচেতন করতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী #YogaFor9to5 নামক যোগচর্চা প্রতিযোগিতা চালু করেছেন। এই প্রতিযোগিতায় কর্মস্হলে থাকাকালীন মহিলাদের যোগাসন চর্চার ছবি ও ভিডিও পাঠাতে বলা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীমতী মানেকা সঞ্জয় গান্ধী বলেন, এই প্রতিযোগিতার ভাবনা-চিন্তার মূলে রয়েছে জনসাধারণকে যোগাসনের সুফল, জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানোর ক্ষমতা সম্বন্ধে জানানো। কর্মক্ষেত্রের ব্যস্ত সময়ে যোগাসন মানসিক শান্তি বজায় রাখা সহ শরীর ও মনের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে বলে জানান মন্ত্রী।
মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক নিয়মিতভাবে বিভিন্ন অনলাইন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মানুষজনের সঙ্গে যোগাযোগ স্হাপনের প্রচেষ্টা করে চলেছে। #YogaFor9to5 প্রতিযোগিতায় মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে মানসিক শান্তি বজায়ের জন্য অনুশীলনের উপযোগী সহজ যোগাসন সংক্রান্ত তথ্য জানানোর প্রস্তাব রেখেছ মন্ত্রক। প্রতিযোগিতায় যোগদানের শেষ তারিখ ২১শ জুন। আগ্রহী ব্যক্তিরা নিজেদের যোগাসন প্রদর্শনের ভিডিও বা নানা ছবি creativecorner.mwcd[at]gmail[dot]com ই-মেল ঠিকানায় পাঠাতে পারেন।
দৈনন্দিন জীবনে যোগচর্চার উপকারিতা সম্বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করা হয়। মহিলা ও শিশু মন্ত্রকের এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের লক্ষ্য দৈনন্দিন জীবনযাপনে, বিশেষত কাজের সময়, যোগচর্চার অভ্যাস শুরু করা।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের যোগাসন সংক্রান্ত ছবি বা ভিডিওর সৃজনশীলতা, নিজস্ব ভাবনাচিন্তা, প্রদর্শিত আসনের গঠন ও সেটি কতটা সহজ অথবা শিল্পীসুলভ, তা বিচার করা হবে।
মহিলা ও শিশু সংক্রান্ত নানা বিষয়ে নেট দুনিয়ার মাধ্যমে মন্ত্রক সক্রিয়ভাবে যোগাযোগ স্হাপন করে চলেছে। সাম্প্রতিক #Backtoschool ও #MeriKhoj প্রতিযোগিতাগুলি ব্যাপক সাড়া পেয়েছে।
(Visitor Counter : 50 |
pib-107346 | 3385b31fe3914b37a17e5b520f8997ea43b7aea5fdad50d48bea92a7640b1588 | ben | প্রতিরক্ষামন্ত্রক
ভারত – ফ্রান্স যৌথ মহড়া শক্তি ২০১৯
নয়াদিল্লি, ২৮ অক্টোবর, ২০১৯
ভারত ও ফ্রান্স ২০১১ সাল থেকে যৌথ মহড়া ‘শক্তি’র সূচনা করেছে। প্রতি বছর পর্যায়ক্রমে ভারত ও ফ্রান্সের এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। শক্তি ২০১৯ – এ অংশগ্রহণ করতে ২৬শে অক্টোবর ফরাসী সামরিক বাহিনীর একটি দল ভারতে এসেছে। রাজস্থানের মহাজন ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জেস – এ দ্বিপাক্ষিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হবে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষে সপ্তশক্তি কমান্ডের শিখ রেজিমেন্টের সদস্যরা অংশগ্রহণ করবে। ফরাসী সেনাবাহিনীর পক্ষে ষষ্ঠ আর্মার্ড ব্রিগেডের ২১তম মেরিন ইনফ্র্যান্টি রেজিমেন্টের সদস্যরা যোগদান করবেন। যৌথ মহড়া ৩১শে অক্টোবর থেকে ১৩ই নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। রাষ্ট্রসংঘের নির্দেশিকা অনুযায়ী, আধা-মরু অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানের কৌশল এই যৌথ মহড়ার মূল বিষয়। এখানে চূড়ান্ত শারীরিক দক্ষতা, কৌশলগত বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা সহ উভয় বাহিনীর নানা রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হবে। এই মহড়ার শেষ পর্যায়ে ৩৬ ঘন্টা ধরে একটি সাজানো অভিযান চালানো হবে। কৌশল হিসাবে থাকছে১টি গ্রামে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের মোকাবিলা।
CG/CB/SB
(Visitor Counter : 92 |
pib-269234 | 1b9f7f9196e2335e97a21b0fde1c0eff28d3593c2e6d1f52ad514d14e53dd4d6 | ben | পেট্রোলিয়ামওপ্রাকৃতিকগ্যাসমন্ত্রক
প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে উদযাপিত হল ‘বিশ্ব জৈব জ্বালানি দিবস’
নয়াদিল্লি, ১০ আগস্ট, ২০১৮
“বিশ্ব জৈব জ্বালানি দিবস, ২০১৮” উপলক্ষে নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আজ ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের কৃষক, ছাত্রছাত্রী, বিজ্ঞানী, শিল্পোদ্যোগী, সরকারি কর্মী ও আধিকারিক এবং সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। এই উপলক্ষে ‘পরিবেশ’ নামে পরিবেশ-বান্ধব একটি ‘এক জানালা’ ব্যবস্থারও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও, ‘জাতীয় জৈব জ্বালানি নীতি, ২০১৮’ শীর্ষক একটি পুস্তিকাও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন তিনি। সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক, জাহাজ চলাচল ও জলসম্পদ এবং নদী বিকাশ তথা গঙ্গার পুনরুজ্জীবন দপ্তরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি; কেন্দ্রীয় খাদ্য, গণবন্টন এবং ক্রেতা বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী রামবিলাস পাসোয়ান; কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষককল্যাণ মন্ত্রী শ্রী রাধামোহন সিং; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ভূ-বিজ্ঞান এবং পরিবেশ, অরণ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন তথা কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস এবং দক্ষতা বিকাশ ও শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও যোগ দেন এই অনুষ্ঠানে।
শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান তাঁর স্বাগত ভাষণে বলেন যে জীবাশ্ম বহির্ভূত উৎস থেকে জ্বালানি উৎপাদন প্রচেষ্টা সম্পর্কে সচেতনতা প্রসারের লক্ষ্যে ‘বিশ্ব জৈব জ্বালানি দিবস’ উদযাপিত হয়ে আসছে ২০১৫ থেকেই। জীবাশ্ম জ্বালানির একটি সার্থক বিকল্প হিসেবে অ-জীবাশ্ম জ্বালানির গুরুত্ব তুলে ধরতেই এই ধরণের সচেতনতা কর্মসূচি আয়োজিত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার গৃহীত কল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মসূচির কথাও এদিন তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন তিনি। শ্রী প্রধান বলেন, নতুন ‘জাতীয় জৈব জ্বালানি নীতি, ২০১৮’ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই নীতিতে ইথানল সংগ্রহের লক্ষ্যে কাঁচামাল ব্যবহারের সুযোগও আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
SSS/SKD/DM/….
(Visitor Counter : 90 |
pib-171229 | 610efd39da857893cd5d2f2a1a830e4daad786185a4e24fd40b742c2089f9f53_1 | ben | শিল্পওবাণিজ্যমন্ত্রক
২০২২-এর মধ্যে ভারত ১০০ গিগাওয়াট সৌরশক্তি উৎপাদন করবে : সুরেশ প্রভু
নয়াদিল্লি, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য এবং অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী সুরেশ প্রভু বলেছেন, ভারতে দ্রুত গতিতে উন্নয়নের ফলে শক্তির চাহিদা আরো বৃদ্ধি পাবে। যেহেতু জীবাশ্ম জ্বালানি সরবরাহ চিরদিন থাকবে না, তাই পুর্ননবীকরণযোগ্য শক্তি প্রয়োজন। আজ নতুন দিল্লীতে আন্তর্জাতিক সৌর জোটের উদ্ভাবন ও বিনিয়োগ মঞ্চে এক অনুষ্ঠানে ভাষন দিয়ে শ্রী প্রভু বলেন, সেল গ্যাস এবং খনিজ তেলের ব্যবহারের সুযোগ ও সীমাবদ্ধ এবং জ্বালানী হিসাবে এগুলি ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ক্ষতি হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা বাস্তব হয়ে উঠেছে এবং এই গ্রহের জৈব বৈচিত্রে আঘাত হানছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই সমগ্র ইউরোপ জুড়ে নজিরবিহীনভাবে তাপপ্রবাহ চলেছে এবং টাইফুনের মতো ঝড়ের তীব্রতা এবং সংখ্যাও বেড়ে চলেছে।
ভারতে মৌসুমী বৃষ্টিপাতের পরিকাঠামো কমা-বাড়ার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভারত মহাসাগরের ওপরে আবহ মন্ডলে যে পরিবর্তন হচ্ছে, ভারত কোনোভাবেই তারজন্য দায়ি নয়। কিন্তু সামুদ্রিক উষ্ণতাবৃদ্ধির কুফল ভারতকে ভোগ করতে হচ্ছে। তিনি বলেন এইসব কারণেই সৌরশক্তির মতো পরিচ্ছন্ন শক্তির প্রয়োজন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক সৌরজোটের কথা ভেবেছিলেন। এই সৌরজোট বিশ্বের ১২১টি সূর্য কিরণ সমৃদ্ধ দেশের মধ্যে সৌর শক্তির উন্নয়নে সহযোগিতার এক মঞ্চ। এই জোট সংশ্লিষ্ট দেশগুলিকে তাদের মানুষের সুষম উন্নয়ন, সমৃদ্ধি এবং শক্তি নিরাপত্তার সুযোগ এনে দেবে। সৌর শক্তি উৎপাদনের জন্য প্রযুক্তি এবং ব্যয় হ্রাস করার লক্ষে যৌথ উদ্যোগের ওপর তিনি জোর দেন। তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের অনেকগুলি সংস্হা ভারতের সৌর শক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সৌর শক্তি ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য আরো বেশি অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি বলেন। ভারত ২০২২ সালের মধ্যে দেশে ১০০ গিগাওয়াট সৌর শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বলে তিনি জানান।
CG/PB/NS/…
(Visitor Counter : 210 |
pib-49567 | 239930ec0da76c3d488b07090743a0cbcc6dd8d7621f6a10a2d66c15c0070e11_2 | ben | দক্ষতাউন্নয়নওশিল্পোদ্যোগমন্ত্রক
মহাত্মা গান্ধী জাতীয় ফেলোশিপ
নয়াদিল্লি, ০২ ডিসেম্বর, ২০১৯
মহাত্মা গান্ধী জাতীয় ফেলোশিপ কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন ও শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রক ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হ’ল – জেলা পর্যায়ের দক্ষতা বাড়ানো। দু’বছরের এমজিএনএফ কর্মসূচিতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে হাতেনাতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুবিধা রয়েছে। এমনভাবে এই কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে জেলা পর্যায়ে দক্ষ ব্যক্তিদের সাহায্যে দক্ষতা উন্নয়নমূলক কর্মসূচির এক অনুকূল বাতাবরণ গড়ে তোলা যায়। কোর্স শেষ হলে শিক্ষার্থীকে পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত সার্টিফিকেট দেওয়া হয়ে থাকে। এমজিএনএফ থেকে সফলভাবে উত্তীর্ণ ৭৫ জনকে পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ৬টি রাজ্যের ৭৫টি জেলায় দক্ষতা বিকাশে কাজে লাগানো হবে। এমজিএনএফ কোর্স থেকে উত্তীর্ণদের মনোনয়ন প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। পরীক্ষার পর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে নির্বাচিত প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করা হবে।
লোকসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য দেন কেন্দ্রীয় দক্ষতা উন্নয়ন ও শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী শ্রী আর কে সিনহা।
CG/BD/SB
(Visitor Counter : 66 |
pib-239268 | e17f85815cf8d9557efe584a2fad924084439ae85493fc8dd7beb5bd7cddee45 | ben | মানবসম্পদবিকাশমন্ত্রক
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী আজ নিপুণ ভারত কর্মসূচির সূচনা করেছেন
নতুন দিল্লি, ০৫ জুলাই, ২০২১
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী শ্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক আজ ভার্চুয়াল মাধ্যমে ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ ফর প্রফিসিয়েন্সি ইন রিডিং উইথ আন্ডারস্ট্যান্ডিং অ্যান্ড নিউম্যারেসি – নিপুণ ভারত কর্মসূচির সূচনা করেছেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের মধ্যে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের বই পড়া, লেখা এবং অঙ্ক করার ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিন এই সূচনা অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রী সঞ্জয় ধোতরে, সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের পদস্থ আধিকারিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের ভাষণে শ্রী পোখরিয়াল জানান, ৩ থেকে ৯ বছর বয়সের শিশুদের শিক্ষার প্রয়োজনতা পূরণ করবে এই নিপুণ ভারত কর্মসূচি। তিনি বলেন, প্রত্যেক শিশুর প্রাথমিক ভাষার বিকাশ, সাক্ষরতা এবং অঙ্ক শেখার দক্ষতা বিকাশের ওপর শিক্ষক শিক্ষিকাদের নজর দেওয়া বিশেষ প্রয়োজন। এই কর্মসূচি শিশুদের আরও ভালো শিক্ষা ও লেখার দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সাক্ষরতা ও গণনার মূল ভিত গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পরিবেশ পাওয়া যাবে এই নিপুণ ভারত কর্মসূচি থেকে। জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০-র ওপর জোর দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, সমস্ত শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা ও গণনার বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের ওপর নজর দেওয়া প্রয়োজন। এই জাতীয় শিক্ষা নীতিতে সে বিষয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। নিপুণ ভারত কর্মসূচির আওতায় একটি কার্যকরী নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। শ্রী পোখরিয়াল বলেন, কেন্দ্রের সমগ্র শিক্ষা অভিযানের আওতায় জাতীয়, রাজ্য, জেলা, ব্লক এবং বিদ্যালয় স্তরে – পাঁচ স্তরীয় ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ২৬৮৮.১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে শ্রী ধোতরে গুণমান সম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, শক্তিশালী দেশ গঠনের মূল ভিত্তি হলো মান সম্মত শিক্ষা। মন্ত্রী জানান, এই নিপুণ ভারত কর্মসূচি বিদ্যালয় শিক্ষা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এই কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র উচ্চ শ্রেণীতে পড়াশুনার ক্ষেত্রেই সাহায্য করবে না, বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠতেও সহায়তা করবে।
নিপুণ ভারত কর্মসূচির নির্দেশিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন নিম্ন লিখিত লিঙ্কে –
https://www.education.gov.in/sites/upload_files/mhrd/files/NIPUN_BHARAT_GUIDELINES_EN.pdf
CG/SS/SKD/
(Visitor Counter : 600 |
pib-166900 | 0f964cf09376431b9069a450ba682280723d711e09f4ca7d1f6807c8eeb26871 | ben | জাহাজচলাচলমন্ত্রক
কেন্দ্রীয় জাহাজ পরিবহণ মন্ত্রী পরিবহণের মাধ্যমে রূপান্তরের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি বাস্তবায়িত করার জন্য শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রশংসা করেছেন
মুম্বাই, ০৪ অক্টোবর, ২০২১
সামুদ্রিক পরিবহণের সর্ববৃহৎ মাধ্যম হিসেবে রূপন্তরের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃ্ষ্টি বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার ভূমিকার প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ পরিবহণ মন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। আজ মুম্বাইয়ে শিপিং কর্পোরেশনের হীরক জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে শ্রী সোনওয়াল ভাষণ দিচ্ছিলেন। এই উপলক্ষে বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী শান্তনু ঠাকুর উপস্থিত ছিলেন।
শ্রী সোনওয়াল শিপিং কর্পোরেশনের বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, গত ৬০ বছরে শিপিং কর্পোরেশন সাফল্যের এক প্রতীক হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতেও শিপিং কর্পোরেশনকে তার সক্ষমতা অটুট রাখতে হবে। শ্রী সোনওয়াল বলেন, টিম ইন্ডিয়া’র মানসিকতা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে, যাতে প্রত্যেক নাগরিক তার সক্ষমতা ও সাফল্য প্রকাশের সুযোগ পান এবং দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।
নৌ বাণিজ্য ক্ষেত্রের সম্ভাবনা সম্পর্কে শ্রী সোনওয়াল বলেন, সামুদ্রিক সম্পদের গুরুত্ব সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে এবং এই সম্পদের সঠিক সদ্ব্যবহার জরুরি। তিনি বলেন, নৌ বাণিজ্য ক্ষেত্রের উন্নয়নে আরও অনেক পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন। এই প্রেক্ষিতে তিনি, শিপিং কর্পোরেশন ইতিমধ্যেই যে সমস্ত উদ্যোগ নিয়েছে তার প্রশংসা করেন।
বাইরের কোনো সাহায্য না নিয়েই শিপিং কর্পোরেশন হীরক জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন করছে, এজন্য তিনি কর্পোরেশনের প্রয়াসের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এর থেকে কর্পোরেশনের আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার মানসিকতা প্রতিফলিত হয়, যা প্রকৃত পক্ষে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের লক্ষ্যে আরও একটি পদক্ষেপ।
শ্রী সোনওয়াল ও বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী ঠাকুর আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য কান্ডলা বন্দর থেকে চেন্নাই পর্যন্ত কর্পোরেশনের একটি জাহাজের ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যাত্রা সূচনা করেন। এই জাহাজটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন করবে। কান্ডলা বন্ধর থেকে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি কোচি ও তুতিকোরিন বন্দরে যাবে এবং সেখান থেকে পণ্য সামগ্রী বোঝাই করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে।
অনুষ্ঠানে শ্রী ঠাকুর বলেন, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে দেশে গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত নৌ বন্দরগুলির মানোন্নয়নে সম্ভাব্য সবরকম প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে। শিপিং কর্পোরেশনের ঘটনাবহুল ৬০ বছরের বিভিন্ন কৃতিত্বের কথা সম্বলিত একটি কফি টেবল্ বুক প্রকাশ করেন শ্রী সোনওয়াল। তিনি শিপিং কর্পোরেশনের মুম্বাই ক্যাম্পাসে তুলসি চারা গাছ রোপণ করেন। অনুষ্ঠানে লোকসভার সদস্য শ্রী মনোজ কোটাক, জাহাজ পরিবহণ সচিব ডঃ সঞ্জীব রঞ্জন, মুম্বাই পোর্টট্রাস্টের চেয়ারম্যান রাজীব জালোটা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে, পূর্বতন ইস্টার্ন শিপিং কর্পোরেশন এবং ওয়েস্টার্ন শিপিং কর্পোরেশনের সংযুক্তিকরণ ঘটিয়ে ১৯৬১ সালের দোসরা অক্টোবর শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠা হয়। নবরত্ন মর্যাদা প্রাপ্ত শিপিং কর্পোরেশনকে আরও অধিকার দিতে সায়ত্বশাসনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যাতে কর্পোরেশন মূলধন ব্যয়ের পাশাপাশি যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে নতুন সংস্থা গঠন করতে পারে।
CG/BD/SKD/
(Visitor Counter : 132 |
pib-206908 | 467d71471d373334e79f0c7a93ea29b3b96190a7b54d2e45b414587c42788d82 | ben | স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
ভারতে কোভিড-১৯ টিকাকরণ ১৫১ কোটি ৯৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ লক্ষেরও বেশি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে
জাতীয় স্তরে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৬.৬২ শতাংশ
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭২৩
দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষ ২৩ হাজার ৬১৯
সাপ্তাহিক-ভিত্তিতে আক্রান্তের হার ৭.৯২ শতাংশ
নয়াদিল্লি, ১০ জানুয়ারি, ২০২২
ভারতে এ পর্যন্ত ১,৫১,৯৪,০৫,৯৫১টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। গতকাল টিকা দেওয়া হয়েছে ২৯,৬০,৯৭৫ জনকে।
স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে ১,০৩,৮৮,৮৯৯ জন টিকার প্রথম ডোজ এবং ৯৭,৪২,৭২৭ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের মধ্যে ১,৮৩,৮৭,২১৯ জন প্রথম ডোজ এবং ১,৬৯,৭৫,০৫২ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। ১৫-১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছে ২,৩৮,০৭,৮৭৯ জন। ১৮-৪৪ বছর নাগরিকদের মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৫১,৪৫,৬৮,১৯৫ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৩৫,২৫,৩৭,৫৭৪ জন। ৪৫-৫৯ বছর বয়সী নাগরিকদের মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৯,৬১,৮৬,৭১৪ জন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১৫,৬৩,০০,৬৫৯ জন। যাঁদের বয়স ৬০-এর ওপরে তাঁদের মধ্যে ১২,২৩,১০,৯৯৪ জন প্রথম ডোজ এবং ৯,৮২,০০,০৩৯ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে আরোগ্য লাভের হার ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ হাজার ৫৬৯ জন কোভিড মুক্ত হয়েছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৩ কোটি ৪৫ লক্ষ ১৭২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। জাতীয় আরোগ্য লাভের হার ৯৬.৬২ শতাংশ।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭২৩ জন। বর্তমানে ৭ লক্ষ ২৩ হাজার ৬১৯ জন চিকিৎসাধীন। দেশে মোট সংক্রমিতের মাত্র ২.০৩ শতাংশ চিকিৎসাধীন।
দেশ জুড়ে নমুনা পরীক্ষার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৭১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে ৬৯ কোটি ১৫ লক্ষ ৭৫ হাজার ৩৫২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
ভারতে নমুনা পরীক্ষা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ৭.৯২ শতাংশ এবং দৈনিক সংক্রমণের হার ১৩.২৯ শতাংশ।
CG/CB/SB
(Visitor Counter : 128 |
pib-36252 | a850eb8be0a9bf8c0f351c53250b40b29483a3612601fc80009a4f51c8b6eec1_1 | ben | অর্থমন্ত্রক
সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্হাগুলির প্রশংসা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী
নয়াদিল্লি, ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
সততা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি ‘নিঁখুত এক সংগঠন’ হয়ে ওঠার লক্ষ্যে রাজস্ব সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানকারী গোয়েন্দা দপ্তর যে প্রয়াস গ্রহন করেছে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রী অরুন জেটলি তার প্রশংসা করেছেন। সোমবার নতুন দিল্লীতে রাজস্ব গোয়েন্দা নির্দেশালয়ের ৬১তম প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে ভাষন দিতে গিয়ে শ্রী জেটলি রাজস্ব সংক্রান্ত অনুসন্ধানকারী সংস্হাগুলিতে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি নিঁখুত সংগঠন হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে কয়েকটি অপরিহার্য নীতি অনুসরণ করার কথা উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে শ্রী তিনি বলেন, মূল যে বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে, তা হল অপরাধ চিহ্নিতকরণ। তিনি আরও বলেন, অপরাধের তদন্তের সময় নিরীহ মানুষের যাতে ক্ষতি বা হয়রানির সম্মুখীন না হতে হয়, সেদিকটির ওপরও আধিকারিকদের গুরুত্ব দিতে হবে। একইসঙ্গে, কোন অভিযুক্ত যাতে রেহাই না পায়, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। অভিযোগ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও উৎকর্ষতা বজায় রাখার বিষয়টি যেকোন তদন্তকারী সংস্হার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাজস্ব সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানকারী নির্দেশালয়ের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জগুলি প্রসঙ্গে শ্রী জেটলি বলেন, ভারতের ভৌগলিক অবস্হান এমন, যেখানে মাদক চোরাচালান বৃদ্ধি পেয়েছে, যার বিরুপ প্রভাব দেশের ওপর পড়ছে। বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্হিতিতে এবং ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে দেশ বর্তমানে সন্ত্রাসের মুখোমুখি হচ্ছে। এরফলে অস্ত্রশস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রের অবৈধ চোরাচালান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্রোহীদের কাজে লাগছে। এ ধরনের অবৈধ চোরাচালান রোখার দায়িত্ব দেশের গোয়েন্দা সংস্হাগুলির ওপর ন্যাস্ত বলেও তিনি মন্তব্য করেন। দেশের প্রতি সেবা ও কর্তব্য পালনে রাজস্ব সংক্রান্ত তদন্তকারী নির্দেশালয়ের প্রয়াত আধিকারিক শ্রী এল জি আরোরার অসামান্য অবদান রাখার জন্য শ্রী জেটলি তাঁকে স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানে শ্রী জেটলি ভারতে চোরাচালান ২০১৭-১৮ শীর্ষক দ্বিতীয় প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন। রাজস্ব সচিব শ্রী অজয় ভূষন পান্ডে বলেন, রাজস্ব ক্ষতি সহ হাওলা ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা জনসমক্ষে নিয়ে এসে রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ ভারতে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের বর্তমান সময়ে এই প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও শ্রী পান্ডে অভিমত প্রকাশ করেন। রাজস্ব গোয়েন্দা নির্দেশালয়ের মহানির্দেশক শ্রী দেবীপ্রসাদ দাশ জানান, উত্তরপূর্ব, মধ্যভারত এবং কেরলে নতুন তিনটি আঞ্চলিক কার্যালয় খোলা হয়েছে। এরফলে নির্দেশালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সংখ্যা বেড়ে ১২তে পৌঁছেছে।
SSS/SC/BD/NS
(Visitor Counter : 105 |
pib-59824 | 53a0347b4549244a0c817456d17b6e19fa302d2910cc61e89838422373203c1b | ben | অসামরিকবিমানপরিবহণমন্ত্রক
অসামরিক বিমান চলাচল ক্ষেত্রের পরিচালন ব্যয় কমাতে সরকারের একগুচ্ছ পদক্ষেপ
নয়াদিল্লী, ১১ আগস্ট, ২০২১
অসামরিক বিমান চলাচল ক্ষেত্রের পরিচালন ব্যয় কমাতে সরকার একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে। এগুলি হল :
১. বিভিন্ন নীতি প্রণয়নের মধ্য দিয়ে বিমান সংস্থাগুলিকে সাহায্য করা হয়
২. ভারতীয় বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন বিমান বন্দরের বেসরকারী পরিচালন সংস্থাগুলিকে বিমান বন্দরের পরিকাঠামো ব্যবহার করতে দিয়ে সাহায্য করা হয়।
৩. সরকারি বেসরকারী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নতুন ও পুরনো বিমান বন্দরে বেসরকারী বিনিয়োগে উৎসাহ দেওয়া হয়।
৪. ভারতীয় আকাশে বিভিন্ন যাত্রাপথের পরিবর্তন ঘটিয়ে জ্বালানীর ব্যবহার কমানোর বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। একাজে ভারতীয় বায়ুসেনার সাহায্য নেওয়া হয়।
৫. দেশীয় বিমানগুলির রক্ষণাবেক্ষণ এবং সেগুলির মেরামত করার জন্য পণ্য পরিবহণ কর ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
৬. কোভিড-১৯এর কারণে নিয়মিত আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহণ বন্ধ রয়েছে। তবে এক্সক্লুসিভ এয়ার লিঙ্ক বা এয়ার বাবলের মাধ্যমে ২৮টি দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহণ চলছে।
৭. পর্যায়ক্রমে দেশের অভ্যন্তরে বিমান পরিবহণ বাড়ানো হচ্ছে।
৮. শর্তসাপেক্ষে বিমান সংস্থাগুলির জন্য বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হচ্ছে।
৯. বিমান লিজ দেওয়া বা কেনার ক্ষেত্রে অর্থকরী সাশ্রয়ের দিক বিবেচনা করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
১০. আপৎকালীন মূলধন নিশ্চয়তা প্রকল্প ৩.০-র সুফল অসামিক বিমান চলাচল ক্ষেত্রকে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যসভায় শ্রীমতি প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন অসামরিক বিমান চলাচল প্রতিমন্ত্রী ডঃ ভি কে সিং।
CG/CB /NS
(Visitor Counter : 120 |
pib-75048 | ac8dfe39a49468a0b75c28f26cca88bc5d857bd135b3b4dad04ad7ef6d7ce2c1_2 | ben | অর্থমন্ত্রক
আইন ও প্রণালী ব্যবস্থায় পরিবর্তন সম্পর্কিত জিএসটি পরিষদের সিদ্ধান্ত
নয়াদিল্লি, ২১ জুন, ২০১৯
কেন্দ্রীয় অর্থ তথা কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমনের পৌরহিত্যে শুক্রবার নতুন দিল্লিতে পণ্য ও পরিষেবা কর পর্ষদের ৩৫তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর এটিই ছিল পরিষদের প্রথম বৈঠক। বৈঠকে বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর ছাড়াও রাজস্ব সচিব শ্রী অজয় ভূষণ পাণ্ডে এবং অর্থ মন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। পরিষদের বৈঠকে আইন ও প্রণালী ব্যবস্থায় নিম্নলিখিত পরিবর্তনের বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে।
করদাতাদের আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা করে দিতে এবং কর দাখিল ব্যবস্থাকে আরও সরল করে তাঁদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পর্যায়ক্রমে নতুন রিটার্ন দাখিল ব্যবস্থা চালু করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে -
২০১৯-এর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করদাতাদের স্বার্থে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন রিটার্ন দাখিল ব্যবস্থা । তবে, বর্তমানে করদাতারা ফর্ম জিএসটিআর-১ এবং ফর্ম জিএসটিআর-৩বি পূরণ করে কর দাখিল করতে পারবেন।
২০১৯-এর অক্টোবর থেকে ফর্ম জিএসটি অ্যানেক্সচার-১ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। বিগত বছরে ৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেনকারী বড় করদাতাদের মাসিক ভিত্তিতে ফর্ম জিএসটি অ্যানেক্সচার-১ দাখিল করতে হবে। অবশ্য, ছোট করদাতাদের ২০১৯-এর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ত্রৈমাসিকের জন্য আগামী জানুয়ারি মাসে প্রথমেই ফর্ম জিএসটি অ্যানেক্সচার-১ দাখিল করতে হবে।
২০১৯-এর অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ছোট করদাতাদের ফর্ম জিএসটিআর-৩বি দাখিল করতে হবে না, পরিবর্তে ফর্ম জিএসটি পিএমটি-০৮ দাখিল করা প্রয়োজন। এই শ্রেণীর করদাতারা অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ত্রৈমাসিকের জন্য আগামী জানুয়ারি মাসে প্রথমেই ফর্ম জিএসটি-আরইটি-০১ দাখিল করবেন। আগামী জানুয়ারি মাস থেকে ফর্ম জিএসটিআর-৩বি দাখিল প্রক্রিয়া পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
ফর্ম জিএসটিআর-৯ এবং ফর্ম জিএসটিআর-৯এ-এর মাধ্যমে বার্ষিক সংশোধিত কর দাখিলের ক্ষেত্রে করদাতারা যে সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তার প্রেক্ষিতে সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে।
একইভাবে, ফর্ম জিএসটি আইটিসি-০৪-এর মাধ্যমে বাণিজ্য ও শিল্প মহলকে কর সংক্রান্ত সংশোধিত ঘোষণা পেশ করার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে ২০১৭-র জুলাই থেকে ২০১৯-এর জুন পর্যন্ত সময়ের ঘোষণা সংক্রান্ত বিবরণ পেশের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে।
জিএসটি পরিষদের বিগত বৈঠকগুলিতে গৃহীত সিদ্ধান্তের রূপায়ণে জিএসটি আইনে প্রয়োজনীয় কিছু সংশোধন করা হবে বলেও পরিষদের আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
CG/BD/DM
(Visitor Counter : 154 |
pib-74533 | 9b914e4e00d4c58481bc687a0cdfd11b58d44880af8345ac367aab37b74d8b08 | ben | কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা
দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ-এর একত্রিকরণের পর পণ্য ও পরিষেবা কর, মূল্যযুক্ত কর ও উৎপাদন শুল্কের সংশোধন /বর্ধিত/রদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন
নয়াদিল্লি, ২২ জানুয়ারি, ২০২০
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন দিল্লিতে আজ পণ্য ও পরিষেবা কর , মূল্যযুক্ত কর এবং উৎপাদন শুল্কের সংশোধন/বর্ধিত/রদের বিষয়ে নিম্নলিখিত আইনগুলির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভার প্রস্তাব অনুযায়ী, দমনকে সদর কার্যালয় হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
i. ২০১৭ সালের কেন্দ্রীয় পণ্য ও পরিষেবা কর আইন সংশোধনের পর ২০২০-র কেন্দ্রীয় পণ্য ও পরিষেবা কর আইন বিধি
ii. ২০১৭ সালের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পণ্য ও পরিষেবা কর আইন সংশোধনের পর ২০২০-র কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পণ্য ও পরিষেবা কর বিধি
iii. ২০০৫ সালের দাদরা ও নগর হাভেলি মূল্যযুক্ত কর বিধি সংশোধনের পর ২০২০-র দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ মূল্যযুক্ত কর বিধি
iv. ২০০৫ সালের দমন ও দিউ মূল্যযুক্ত কর বিধি সংশোধনের পর ২০২০-র দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ মূল্যযুক্ত কর বিধি
v. ১৯৬৪ সালের গোয়া, দমন ও দিউ উৎপাদন শুল্ক আইন সংশোধনের পর ২০২০-র দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ উৎপাদন শুল্ক বিধি
vi. ২০১২ সালের দাদরা ও নগর হাভেলি উৎপাদন শুল্ক আইন রদ হয়ে ২০২০-র দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ উৎপাদন শুল্ক বিধি
vii. দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সদর কার্যালয় হবে দমন।
এই সংশোধনীগুলির ফলে একটি কর কর্তৃপক্ষ, নাগরিকদের আরও ভালো পরিষেবা প্রদান এবং প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ‘ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপ, সর্বাধিক সুপ্রশাসন’ নিশ্চিত করা হবে। এছাড়াও, জিএসটি, ভ্যাট এবং উৎপাদন শুল্ক সংক্রান্ত আইনে সমতা আসবে যার ফলে, এই কর এবং শুল্কগুলি সংগ্রহ আরও সহজতর হবে।
দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন ‘ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপ, সর্বাধিক সুপ্রশাসন’-এর লক্ষ্যে সরকারি কোষাগারের অর্থ অপচয় বন্ধ হবে এবং কর কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন কাজে সমতা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করবে। দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ আগামী ২৬শে জানুয়ারি একত্রিকরণের পর দমন নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সদর কার্যালয় হবে। এছাড়াও, পণ্য ও পরিষেবা কর, মূল্যযুক্ত কর এবং উৎপাদন শুল্ক সংক্রান্ত সংশোধনী/বর্ধিত/রদ কার্যকর হবে।
CG/CB/DM
(Visitor Counter : 90 |
pib-186323 | 6da033c67fab08d3e97a43a21bf529bac89521e5e3cc9ffd8cf8fa15203bc5c7 | ben | অর্থমন্ত্রক
স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচির সূচনার সময় থেকে ২৫,৫৮৬ কোটি টাকার বেশি ঋণ মঞ্জুর এবং সারা দেশে এই কর্মসূচিতে অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১,১৪,৩২২
নয়াদিল্লি, ৪ এপ্রিল, ২০২১
ভারতে দ্রুতগতিতে উন্নতি হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশাও বাড়ছে। মহিলা, তপশিলি জাতি , তপশিলি উপজাতির মতো এমন অনেক সম্ভাব্য শিল্পোদ্যোগী রয়েছেন যাঁরা নিজেদের শিল্প সংস্থা গড়ে তুলতে চান। তাই, সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা এ ধরনের শিল্পোদ্যোগীদের এমন অভিনব কিছু ধ্যান-ধারণা রয়েছে যার মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের পাশাপাশি পরিবার জন্যও অগ্রগতির পথ সুগম করতে পারেন।
তপশিলি জাতি, উপজাতি ও মহিলা শিল্পোদ্যোগীরা নতুন শিল্প স্থাপনে অত্যন্ত উৎসাহী। কিন্তু, শিল্পোদ্যোগ স্থাপনের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে তাঁদের বিভিন্ন বাধা-বিপত্তির মুখোমুখি হতে হয়। এই বাধা-বিপত্তিগুলিকে বিবেচনায় রেখেই আর্থিক ক্ষমতায়নের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে একেবারে তৃণমূলস্তরে শিল্পোদ্যোগের আরও প্রসার ঘটাতে ২০১৬-র ৫ এপ্রিল স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচির সূচনা হয়। এই কর্মসূচি রূপায়ণের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ পর্যন্ত করা হয়েছে।
আমরা যখন স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচির পঞ্চম বার্ষিকী উদযাপন করছি তখন এই কর্মসূচিতে এযাবৎ অর্জিত সাফল্যগুলি এক ঝলকে দেখার সময় এসেছে। স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচির উদ্দেশ্যই হল মহিলা, তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মানুষের মধ্যে শিল্পোদ্যোগ গড়ে তোলার মানসিকতার প্রসার ঘটানো। একইসঙ্গে তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্য, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং পরিষেবা ক্ষেত্রে ‘গ্রিনফিল্ড’ সংস্থা চালু করতে সাহায্য করা।
স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল :
-
মহিলা, তপশিলি জাতি ও উপজাতির মানুষের মধ্যে শিল্পোদ্যোগের প্রসার ঘটানো।
-
বাণিজ্যিক, ম্যানুফ্যাকচারিং ও পরিষেবা ক্ষেত্রে ‘গ্রিনফিল্ড’ সংস্থা চালু করতে ঋণ সহায়তা।
-
ম্যানুফ্যাকচারিং, পরিষেবা ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্র সহ কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ‘গ্রিনফিল্ড’ সংস্থা
চালু করতে ঋণ সহায়তা।
স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচি কেন?
নতুন শিল্পোদ্যোগ স্থাপন, ঋণ সহায়তা এবং বিভিন্ন সময় প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে তপশিলি জাতি, উপজাতি ও মহিলা শিল্পোদ্যোগীদের যে সমস্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে তা দূর করতে স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচির সূচনা হয়। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্যই হল, এমন এক অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলা যাতে সহজে ব্যবসা-বাণিজ্যের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। কর্মসূচির মাধ্যমে ব্যাঙ্কের শাখাগুলি থেকে ঋণ গ্রহীতাদের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি নিজস্ব মালিকানাধীন সংস্থা গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সাহায্য দেওয়া। তপশিলভুক্ত সমস্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের প্রতিটি শাখা থেকে নিম্নলিখিত সম্ভাব্য তিনটি পদ্ধতিতে ঋণ নেওয়া সম্ভব :
কারা ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য?
-
১৮ বছরের বেশি বয়সী তপশিলি জাতি/উপজাতি/মহিলা শিল্পোদ্যোগী।
-
কর্মসূচির আওতায় কেবল ‘গ্রিনফিল্ড’ উদ্যোগগুলির ক্ষেত্রেই ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়। এই প্রেক্ষিতে ‘গ্রিনফিল্ড’-এর অর্থ হল ম্যানুফ্যাকচারিং/পরিষেবা এবং বাণিজ্যিক ক্ষেত্র সহ কৃষিকাজ ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রথমবার শিল্পোদ্যোগ গঠন করা।
-
ব্যক্তি মালিকানাহীন শিল্পোদ্যোগের ক্ষেত্রে তপশিলি জাতি/উপজাতি/মহিলা শিল্পোদ্যোগীর ওই সংস্থায় অন্ততপক্ষে ৫১ শতাংশ মালিকানা থাকতে হবে।
-
কোনও ব্যাঙ্ক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ গ্রহীতার অপরিশোধিত ঋণ থাকা চলবে না।
২০২১-এর ২৩ মার্চ পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে সাফল্য
-
কর্মসূচির সূচনার সময় থেকে ২০২১-এর ২৩ মার্চ পর্যন্ত ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৩২২টির বেশি অ্যাকাউন্টে ২৫,৫৮৬ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে।
-
স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচির মাধ্যমে ২০২১-এর ২৩ মার্চ পর্যন্ত তপশিলি জাতি/উপজাতি ও মহিলা ঋণ গ্রহীতার সংখ্যা নিম্নরূপ :
কোটি টাকায়
|
|
তপশিলি জাতি
|
|
তপশিলি উপজাতি
|
|
মহিলা
|
|
মোট
|
|
অ্যাকাউন্টের সংখ্যা
|
|
মঞ্জুরিকৃত ঋণের পরিমাণ
|
|
অ্যাকাউন্টের সংখ্যা
|
|
মঞ্জুরিকৃত ঋণের পরিমাণ
|
|
অ্যাকাউন্টের সংখ্যা
|
|
মঞ্জুরিকৃত ঋণের পরিমাণ
|
|
অ্যাকাউন্টের সংখ্যা
|
|
মঞ্জুরিকৃত ঋণের পরিমাণ
|
|
১৬২৫৮
|
|
৩৩৩৫.৮৭
|
|
৪৯৭০
|
|
১০৪৯.৭২
|
|
৯৩০৯৪
|
|
২১২০০.৭৭
|
|
১১৪৩২২
|
|
২৫৫৮৬.৩৭
-
২০১৯-২০ অর্থবর্ষে মহিলা, তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের ১৭,১৬০টি অ্যাকাউন্টে মোট ৪,১০৮ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা মঞ্জুর।
-
২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে মহিলা, তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের ১৯,০৪৫টি অ্যাকাউন্টে মোট ৪,৪৬৬ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা মঞ্জুর।
-
২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে মহিলা, তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের ৩০,৭০৮টি অ্যাকাউন্টে মোট ৬,৭৬৬ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা মঞ্জুর।
-
২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে মহিলা, তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের ৩৬,৪৩২টি অ্যাকাউন্টে মোট ৭,৭৭৮ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা মঞ্জুর।
CG/BD/DM
(Visitor Counter : 247 |
pib-20222 | 99fcf2578e922541071110c19b136c364ce8dcc45e62b86503a426fd66aa4360_1 | ben | যোগাযোগওতথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রক
গ্রামীণ ডাকসেবক সহ ডাকবিভাগের সমস্ত কর্মীকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে
নয়াদিল্লি, ১৮ এপ্রিল, ২০২০
কোভিড-১৯ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, গ্রামীণ ডাকসেবক সহ সমস্ত ডাক কর্মীকে কর্তব্যরত অবস্থায় অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যু হলে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতি পূরণ দেওয়া হবে। এই নির্দেশিকা অবিলম্বে এবং কোভিড-১৯ পরিস্থিতি চলাকালীন সময় পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। গ্রামীণ ডাকসেবক সহ ডাক কর্মীরা গ্রাহকদের কাছে চিঠিপত্র পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ডাকঘর সেভিং ব্যাঙ্ক, ডাক জীবন বিমা প্রভৃতি ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের সুবিধা পৌঁছে দিয়ে থাকে। এছাড়াও, ডাকঘরগুলি স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নমুনা পরীক্ষা সামগ্রী, খবারের প্যাকেট, রেশন ও অত্যাবশ্যক ওষুধপত্র পৌঁছে দিচ্ছে। এইভাবে কোভিড-১৯ সঙ্কটের সময় ডাকবিভাগ বিভাগীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি, সমাজ সেবার কাজেও সামিল হয়েছে।
(CG/BD/SB |
Pralekha: An Indic Document Alignment Evaluation Benchmark
PRALEKHA is a large-scale parallel document dataset for evaluating cross-lingual document alignment techniques across 11 Indic languages and English. It comprises over 3 million document pairs, with 1.5 million being English-centric.
Dataset Description
PRALEKHA covers 12 languages—Bengali (ben
), Gujarati (guj
), Hindi (hin
), Kannada (kan
), Malayalam (mal
), Marathi (mar
), Odia (ori
), Punjabi (pan
), Tamil (tam
), Telugu (tel
), Urdu (urd
), and English (eng
). It includes a mixture of high- and medium-resource languages, covering 11 different scripts. The dataset spans two broad domains: news bulletins and podcast scripts, offering both written and spoken forms of data. All the data is human-written or human-verified, ensuring high quality.
The dataset has a 1:2 ratio of aligned to unaligned document pairs, making it ideal for benchmarking cross-lingual document alignment techniques.
Data Fields
Each data sample includes:
n_id
: Unique identifier for aligned document pairs.doc_id
: Unique identifier for individual documents.lang
: Language of the document (ISO-3 code).text
: The textual content of the document.
Data Sources
- News Bulletins: Data was custom-scraped from the Indian Press Information Bureau (PIB) website. Documents were aligned by matching bulletin IDs, which interlink bulletins across languages.
- Podcast Scripts: Data was sourced from Mann Ki Baat, a radio program hosted by the Indian Prime Minister. This program, originally spoken in Hindi, was manually transcribed and translated into various Indian languages.
Dataset Size Statistics
Split | Number of Documents | Size (bytes) |
---|---|---|
Aligned | 1,566,404 | 10,274,361,211 |
Unaligned | 783,197 | 4,466,506,637 |
Total | 2,349,601 | 14,740,867,848 |
Language-wise Statistics
Language (ISO-3 ) |
Aligned Documents | Unaligned Documents | Total Documents |
---|---|---|---|
Bengali (ben ) |
95,813 | 47,906 | 143,719 |
English (eng ) |
298,111 | 149,055 | 447,166 |
Gujarati (guj ) |
67,847 | 33,923 | 101,770 |
Hindi (hin ) |
204,809 | 102,404 | 307,213 |
Kannada (kan ) |
61,998 | 30,999 | 92,997 |
Malayalam (mal ) |
67,760 | 33,880 | 101,640 |
Marathi (mar ) |
135,301 | 67,650 | 202,951 |
Odia (ori ) |
46,167 | 23,083 | 69,250 |
Punjabi (pan ) |
108,459 | 54,229 | 162,688 |
Tamil (tam ) |
149,637 | 74,818 | 224,455 |
Telugu (tel ) |
110,077 | 55,038 | 165,115 |
Urdu (urd ) |
220,425 | 110,212 | 330,637 |
Usage
You can use the following commands to download and explore the dataset:
Downloading the Entire Dataset
from datasets import load_dataset
dataset = load_dataset("ai4bharat/pralekha")
Downloading a Specific Split
from datasets import load_dataset
dataset = load_dataset("ai4bharat/pralekha", split="<split_name>")
# For example: dataset = load_dataset("ai4bharat/pralekha", split="aligned")
License
This dataset is released under the CC BY 4.0 license.
Contact
For any questions or feedback, please contact:
- Raj Dabre ([email protected])
- Sanjay Suryanarayanan ([email protected])
- Haiyue Song ([email protected])
- Mohammed Safi Ur Rahman Khan ([email protected])
Please get in touch with us for any copyright concerns.
- Downloads last month
- 500